commit d1413364ccf648fa8de254b47096f622cc67b9a0 Author: Gourab <19bcs118@iiitdwd.ac.in> Date: Tue Jun 8 08:18:48 2021 +0530 Coverage Script diff --git a/.DS_Store b/.DS_Store new file mode 100644 index 0000000..68ae28e Binary files /dev/null and b/.DS_Store differ diff --git a/Texts/.DS_Store b/Texts/.DS_Store new file mode 100644 index 0000000..8e2a9fd Binary files /dev/null and b/Texts/.DS_Store differ diff --git a/Texts/sample_ben.txt b/Texts/sample_ben.txt new file mode 100644 index 0000000..6af8782 --- /dev/null +++ b/Texts/sample_ben.txt @@ -0,0 +1 @@ +'''বাংলা ভাষা''' ('''বাঙলা''', '''বাঙ্গলা''', তথা '''বাঙ্গালা''' নামগুলোতেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের চতুর্থ বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত স্তোত্র বাংলাতে রচিত। বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস ১৩০০ বছর পুরনো। চর্যাপদ ভাষার আদি নিদর্শন। অষ্টম শতক থেকে বাংলায় রচিত সাহিত্যের বিশাল ভাণ্ডারের মধ্য দিয়ে অষ্টাদশ শতকের শেষে এসে বাংলা ভাষা তার বর্তমান রূপ পরিগ্রহণ করে। বাংলা ভাষার লিপি হল বাংলা লিপি। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত বাংলা ভাষার মধ্যে শব্দগত উচ্চারণগত সামান্য পার্থক্য রয়েছে। বাংলার নবজাগরণে বাংলার সাংস্কৃতিক বিবিধতাকে এক সূত্রে গ্রন্থনে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে তথা বাংলাদেশ গঠনে বাংলা ভাষা সাহিত্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব বাংলায় সংগঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলন এই ভাষার সাথে বাঙালি অস্তিত্বের যোগসূত্র স্থাপন করেছে। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষা বাংলাকে দাবীতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। ১৯৫২'র ভাষা শহিদদের সংগ্রামের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ==ইতিহাস== বাংলা ভাষার ইতিহাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়: প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০ ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ) ''চর্যাপদ'', ভক্তিমূলক গান এই সময়কার লিখিত নিদর্শন। এই সময় ''আমি'', ''তুমি'' ইত্যাদি সর্বনাম এবং -''ইলা'', -''ইবা'', ইত্যাদি ক্রিয়াবিভক্তির আবির্ভাব ঘটে। মধ্য বাংলা (১৪০০–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) সময়কার গুরুত্বপূর্ণ লিখিত নিদর্শন চণ্ডীদাসের ইত্যাদি। শব্দের শেষে "অ" ধ্বনির বিলোপ, যৌগিক ক্রিয়ার প্রচলন, ফার্সি ভাষার প্রভাব এই সময়ের সাহিত্যে লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো ভাষাবিদ এই যুগকে আদি অন্ত্য এই দুই ভাগে ভাগ করেন। আধুনিক বাংলা (১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে-বর্তমান) এই সময় ক্রিয়া সর্বনামের সংক্ষেপণ ঘটে, যেমন ''তাহার'' ''তার''; ''করিয়াছিল'' ''করেছিল''। ===প্রাচীন যুগ=== চর্যাপদের একটি পাতা খ্রিস্টীয় দশম দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কালে মাগধী প্রাকৃত পালির মতো পূর্ব মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ থেকে বাংলা অন্যান্য পূর্ব ইন্দো-আর্য ভাষাগুলির উদ্ভব ঘটে। এই অঞ্চলে কথ্য ভাষা প্রথম সহস্রাব্দে মাগধী প্রাকৃত বা অর্ধমাগধী ভাষায় বিবর্তিত হয়। খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর শুরুতে উত্তর ভারতের অন্যান্য প্রাকৃত ভাষার মতোই মাগধী প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ ভাষাগুলির উদ্ভব ঘটে। পূর্বী অপভ্রংশ বা অবহট্‌ঠ নামক পূর্ব উপমহাদেশের স্থানীয় অপভ্রংশ ভাষাগুলি ধীরে ধীরে আঞ্চলিক কথ্য ভাষায় বিবর্তিত হয়, যা মূলতঃ ওড়িয়া ভাষা, বাংলা-অসমীয়া বিহারী ভাষাসমূহের জন্ম দেয়। কোনো কোনো ভাষাবিদ ৫০০ খ্রিষ্টাব্দে এই তিন ভাষার জন্ম বলে মনে করলেও এই ভাষাটি তখন পর্যন্ত কোনো সুস্থির রূপ ধারণ করেনি; সে সময় এর বিভিন্ন লিখিত ঔপভাষিক রূপ পাশাপাশি বিদ্যমান ছিল। যেমন, ধারণা করা হয়, আনুমানিক ষষ্ঠ শতাব্দীতে মাগধী অপভ্রংশ থেকে অবহট্‌ঠের উদ্ভব ঘটে, যা প্রাক-বাংলা ভাষাগুলির সঙ্গে কিছু সময় ধরে সহাবস্থান করছিল। চৈতন্য মহাপ্রভুর যুগে বাংলার নবজাগরণের সময় বাংলা সাহিত্য সংস্কৃত ভাষা দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিল। সংস্কৃত থেকে যে সমস্ত শব্দ বাংলা ভাষায় যোগ করা হয়, তাদের উচ্চারণ অন্যান্য বাংলা রীতি মেনে পরিবর্তিত হলেও সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়। ===মধ্যযুগ=== বাংলা সালতানাতের সময়কার রৌপ্যমুদ্রা বাংলা ভাষার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেন বাংলার মুসলিম শাসকগোষ্ঠী। ফার্সির পাশাপাশি বাংলাও বাংলার সালতানাতের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃত ছিলো এবং ব্যাপক হারে ব্যবহার হতো। এছাড়াও ''প্রত্ন বাংলা'' ছিলো পাল এবং সেন সাম্রাজ্যের প্রধান ভাষা। ===আধুনিক=== ঊনবিংশ বিংশ শতাব্দীতে নদিয়া অঞ্চলে প্রচলিত পশ্চিম-মধ্য বাংলা কথ্য ভাষার ওপর ভিত্তি করে আধুনিক বাংলা সাহিত্য গড়ে ওঠে। বিভিন্ন আঞ্চলিক কথ্য বাংলা ভাষা আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত ভাষার মধে অনেকখানি পার্থক্য রয়েছে। আধুনিক বাংলা শব্দভাণ্ডারে মাগধী প্রাকৃত, পালি, সংস্কৃত, ফার্সি, আরবি ভাষা এবং অস্ট্রো-এশীয় ভাষাসমূহ সহ অন্যান্য ভাষা পরিবারের শব্দ স্থান পেয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্বে, বাংলা ব্যাকরণ রচনার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৭৩৪ থেকে ১৭৪২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ভাওয়াল জমিদারীতে কর্মরত অবস্থায় পর্তুগিজ খ্রিস্টান পুরোহিত ধর্মপ্রচারক ম্যানুয়েল দ্য আসুম্পসাও সর্বপ্রথম ''ভোকাবোলারিও এম ইডিওমা বেঙ্গালা, পোর্তুগুয়েজ ডিভিডিডো এম দুয়াস পার্তেস'' ''()'' নামক বাংলা ভাষার অভিধান ব্যাকরণ রচনা করেন। ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড নামক এক ইংরেজ ব্যাকরণবিদ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ ('''') নামক গ্রন্থে একটি আধুনিক বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন, যেখানে ছাপাখানার বাংলা হরফ প্রথম ব্যবহৃত হয়। বাঙালি সমাজসংস্কারক রাজা রামমোহন রায় ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে ''গ্র্যামার অফ্ দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ্'' ''()'' নামক একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন। ===ভাষা আন্দোলন=== শহীদ মিনার ১৯৫১–৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগণের প্রবল ভাষা সচেতনতার ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা আন্দোলন নামক একটি ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই আন্দোলনে পাকিস্তান সরকারের নিকট বাংলা ভাষার সরকারি স্বীকৃতি দাবি করা হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু ছাত্র রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন দিবস পালিত হয়। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা প্রদান করে। ====ভারত==== চিত্র:Silchar শিলচরে শহীদ মিনার বাংলাদেশ ছাড়াও ১৯৫০-এর দশকে ভারতের বিহার রাজ্যের মানভূম জেলায় বাংলা ভাষা আন্দোলন ঘটে। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ভারতের অসম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় একইরকম ভাবে বাংলা ভাষা আন্দোলন সংঘ ভাষা বঙ্গ অঞ্চলের বাঙালি অধিবাসীর মাতৃভাষা। স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত। এছাড়া ভারতের অসম রাজ্যের দক্ষিণাংশেও এই ভাষা বহুল প্রচলিত। ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসী বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকেন। ==ভৌগোলিক ভাষাভাষী== বাংলা ভাষা বঙ্গভূমির অধিবাসীদের মাতৃভাষা, যা ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বর্তমান জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত। লন্ডনের বৃহৎ বাঙালী অভিবাসীদের আবাস ব্রিকলেনে বাংলা ভাষা মূল অঞ্চলের পাশাপাশি ত্রিপুরা,দক্ষিণ আসাম এবং ভারতীয় সংযুক্ত অঞ্চল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসরত বাঙালীদেরও মাতৃভাষা বাংলা। উরিসা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের প্রতিবেশী রাজ্যসমূহের বাংলা ভাষায় কথা বলা হয় এবং দিল্লি, মুম্বাই, বারাণসী এবং বৃন্দাবন সহ বঙ্গের বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলা ভাষাভাষী রয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইতালিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাঙালি বসবাস করেন। ===সরকারি মর্যাদা=== ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা বাংলা। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ভারতে ভারতীয় সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ২৩টি সরকারি ভাষার মধ্যে বাংলা অন্যতম। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি ভাষা হল বাংলা এছাড়াও বাংলা ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম প্রধান ভাষা। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস হতে বাংলা ভাষা ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা রূপে স্বীকৃত। পাকিস্তানের করাচী শহরের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা রূপে বাংলাকে গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে সিয়েরা লিওনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আহমাদ তেজন কাব্বাহ ওই রাষ্ট্রে উপস্থিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ৫,৩০০ বাংলাদেশি সৈনিকের সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা প্রদান করেন। নোবেলজয়ী বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুইটি বাংলা কবিতা ভারত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়। অধিকন্তু, অনেকে মনে করেন যে, শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত (শ্রীলঙ্কা মাতা) মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বাংলা কবিতার প্রভাবে লেখা হয়েছিল, আবার অনেকে এমনটাও মনে করেন যে জাতীয় সঙ্গীতটি প্রথমে বাংলায় রচিত হয়েছিল এবং তারপর তা সিংহলিতে অনুবাদ করা হয়েছিল। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে মর্যাদা দেওয়ার দাবী জানান। == কথ্য সাহিত্যের ভাষার বিবিধতা == বাংলার কথ্য লেখ্য রূপের মধ্যে বিবিধতা বর্তমান। বিভিন্ন শব্দভাণ্ডার দ্বারা সমৃদ্ধ হয়ে বাংলায় দুই ধরনের লিখনপদ্ধতি তৈরি হয়েছে। ===সাধু ভাষা=== সাধু ভাষা বাংলার এক ধরনের লেখ্য রূপ, যেখানে সংস্কৃত পালি ভাষাসমূহ থেকে উদ্ভূত তৎসম শব্দভাণ্ডার দ্বারা প্রভাবিত অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ক্রিয়াবিভক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দী বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই ধরনের ভাষা বাংলা সাহিত্যে বহুল ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে সাহিত্যে এই ভাষারূপের ব্যবহার নেই বললেই চলে। ===মান্য চলিত ভাষা=== চলিতভাষা, যা ভাষাবিদদের নিকট ''মান্য চলিত বাংলা'' নামে পরিচিত, বাংলার এক ধরনের লেখ্য রূপ, যেখানে মানুষের কথ্য বাগধারা স্থান পায়। এই লিখনশৈলীতে অপেক্ষাকৃত ছোটো আকারের ক্রিয়াবিভক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমান বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের শৈলী অনুসরণ করা হয়ে থাকে। উনবংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরে দুলাল প্রভৃতি রচনাগুলিতে এই ধরনের শৈলী সাহিত্যে জায়গা করে নেয়। এই শৈলী নদিয়া জেলার শান্তিপুর অঞ্চলে প্রচলিত কথ্য উপভাষা থেকে গঠিত হয়েছে, ফলে একে অনেক সময় শান্তিপুরি বাংলা বা নদিয়া উপভাষা বলা হয়ে থাকে। মান্য চলিত বাংলায় অধিকাংশ বাংলা সাহিত্য রচিত হলেও, কথ্য বাংলা ভাষার উপভাষাসমূহ মধ্যে যথেষ্ট বিবিধতা রয়েছে। কলকাতাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীরা মান্য চলিত বাংলায় কথা বলে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলগুলির কথ্য ভাষা মান্য চলিত বাংলার থেকে অনেকটাই ভিন্ন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সিলেট অঞ্চলের কথ্য ভাষার সঙ্গে মান্য চলিত বাংলার খুব সামান্যই মিল রয়েছে। তবে অধিকাংশ বাঙালি নিজেদের মধ্যে ভাব আদানপ্রদানের সময় মান্য চলিত বাংলা সহ একাধিক উপভাষায় কথা বলতে সক্ষম বলে মনে করা হলেও অনেক ভাষাবিদ তা স্বীকার করেন না। ===উপভাষা=== বঙ্গভূমির (এবং আসাম ঝাড়খন্ডের কিছু জেলা) একটি মানচিত্র যাতে বাংলা ভাষার উপভাষা সমূহ দেখানো হয়েছে (''* দিয়ে শুরু হওয়া '''মোটা বর্ণের''' নামেগুলোকে কখনো বাংলার উপভাষা আবার কখনো স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয় কথ্য বাংলাতে আঞ্চলিক প্রকরণ একটি উপভাষার ধারাবাহিকতা গঠন করে। ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই উপভাষাগুলি চারটি বৃহৎ ভাগে বিভক্ত করেছেন রাঢ়ী, বঙ্গ, কামরূপী উপভাষা এবং বরেন্দ্র; তবে অনেক বিকল্প শ্রেণীকরণ প্রকল্পও প্রস্তাব করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমা উপভাষাগুলি (রাঢ়ী বা নদীয়া উপভাষা) আধুনিক মান্য ভাষাগত বাঙালির ভিত্তি তৈরি করে। পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের বেশিরভাগ উপাখ্যানগুলিতে (বাংলাদেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগ), পশ্চিমবঙ্গে শোনা অনেক যতি সুস্পষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনিকে উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি হিসাবে উচ্চারণ করা হয়। পাশ্চাত্য তালব্য-মূর্ধন্য ঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি যথাক্রমে প্রাচ্যের এর সাথে সম্পর্কিত। বাংলার কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম এবং চাকমা ভাষার সুর রয়েছে বৈপরীত্য বক্তার কণ্ঠের উচ্চারণের তীক্ষ্মতা শব্দগুলোকে পৃথক করতে পারে। রংপুরী, খারিয়া থাট এবং মাল পাহাড়িয়া ভাষা পশ্চিমাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও সাধারণভাবে তাদেরকে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়। উত্তরাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও হাজং কে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উনবিংশ শতাব্দী এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাংলা ভাষার প্রমিতীকরণের সময় ব্রিটিশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কলকাতা ছিল বঙ্গভূমির সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বাংলাদেশের সীমানার পাশে অবস্থিত নদীয়া জেলার পশ্চিম-মধ্য উপভাষার উপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশে বর্তমান প্রমিত রূপটি গৃহীত হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্বেও পশ্চিমবঙ্গের একজন বক্তা আদর্শ বাংলায় যে শব্দ ব্যবহার করবেন তা বাংলাদেশের একজন বক্তা ব্যবহার নাও করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবহৃত ''নুন'' শব্দটির পরিবর্তে পশ্চিমপ্রান্তে ''লবণ'' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ লেখা প্রমিত বাংলায় (এসসিবি) থাকলেও কথ্য উপভাষাগুলি বৈচিত্র‍্য প্রদর্শন করে। কলকাতা সহ দক্ষিণ-পূর্ব পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা এসসিবিতে কথা বলে।। প্রমিত চলিত থেকে কিছুটা স্বল্প পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যান্য উপভাষাগুলি পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিম বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে যেমন মেদিনীপুরের উপভাষায় কিছু নিজস্ব শব্দ রয়েছে। তবে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক উপভাষায় কথা বলেন, এসসিবি থেকে আলাদা কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকেরা প্রমিত চলিতরূপেই লেখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলে উপভাষাটি সাধারণ বাঙালী জনসাধারণের কাছে সহজে বোধগম্য হয় না। এমনকি এসসিবিতেও বক্তার ধর্ম অনুসারে শব্দভাণ্ডার পৃথক হতে পারে: হিন্দুরা সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত শব্দ এবং মুসলমানরা দেশীয় শব্দের পাশাপাশি ফারসি এবং আরবি ভাষার শব্দ ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি। উদাহরণস্বরূপ: মূলত হিন্দুদের ব্যবহার প্রধানত মুসলিম ব্যবহার ''nômôshkar'' ''nimôntrôn'' ''daoat'' ''Jol'' ''Pani'' ''snan'' ''gosôl'' দিদি আপু ''দাদা'' ''bha'i'' মাসী খালা ''কাকা'' চাচা প্রার্থনা দো'আ দু'আ প্রদীপ ''বাটি'' == ধ্বনিব্যবস্থা == +'''বাংলা স্বরধ্বনি''' সম্মুখ কেন্দ্রীয় পশ্চাৎ সংবৃত '''ই'''~ঈi '''উ'''~ঊu সংবৃত-মধ্য '''এ'''e ওu/o বিবৃত-মধ্য '''অ'''ô বিবৃত '''আ'''a +নাসিক্য স্বরধ্বনি সম্মুখ কেন্দ্রীয় পশ্চাৎ সংবৃত ইঁ~ঈঁ উঁ~ঊঁ সংবৃত-মধ্য এঁ ওঁ বিবৃত-মধ্য এ্যাঁ অ্যাঁ অঁ বিবৃত আঁ +'''বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনি''' উভয়ৌষ্ঠ্য দন্ত্য দন্তমূলীয় তালব্য কণ্ঠনালীয় নাসিক্য '''ন''' '''ঞ''' '''ঙ''' '''ঁ''' স্পর্শ অঘোষ ঘোষ উষ্ম 23 তরল বাংলা ভাষায় প্রচুর স্বরদ্যোতনা রয়েছে একই অক্ষরে একাধিক স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়। এর মধ্যে এবং দ্বয় কেবলমাত্র একটি করে স্বরবর্ণ এবং দ্বারা লেখা হয়। সর্বমোট যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ১৭ থেকে ৩১ এর মধ্যে রয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেন। সরকার (১৯৮৫) কর্তৃক প্রদত্ত একটি লেখ নিচে দেয়া হল: ===শ্বাসাঘাত=== আদর্শ বাংলায় সাধারণত শুরুতে শ্বাসাঘাত লক্ষ করা যায়। বাংলা শব্দগুলো বিমুর্তভাবে দ্বিপর্ববিশিষ্ট শব্দের প্রথম অক্ষরে মুখ্য শ্বাসাঘাত পড়ে এবং প্রায়ই বিজোড় অবস্থানের অক্ষরগুলোতে গৌণ শ্বাসাঘাত লক্ষ করা যায়। ফলে শব্দটি উচ্চারিত হয় "cooperation", যেখানে '''মোটাদাগ''' মুখ্য এবং গৌণ শ্বাসাঘাত নির্দেশ করে। স্থানীয় বাংলা ভাষায় শব্দের শুরুতে যুক্তবর্ণ থাকে না; সর্বোচ্চ আকারের অক্ষর হতে পারে(স্বরধনির দুপাশে ব্যঞ্জনধ্বনি)। অনেক বাঙালি এমনকি ইংরেজি কিংবা সংস্কৃত থেকে ধারকৃত শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রেও এই ধারাটি বজায় রাখে যেমন ''গ্রাম'' উচ্চারণ করেন উচ্চারণ করেন হিসেবে। === বানানতাত্ত্বিক গভীরতা === সাধারণভাবে বাংলা লিপির তুলনামূলক বানানতাত্ত্বিক গভীরতা বেশি নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাঙালীদের ধ্বনি এবং বর্ণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে উচ্চারণ-বানান অসঙ্গতি ঘটে। এক ধরনের অসঙ্গতি হল একই শব্দের জন্য লেখায় বেশ কয়েকটি বানানের উপস্থিতি। উনবিংশ শতাব্দীতে কিছু পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও, বাংলা বানান পদ্ধতি সংস্কৃত ভাষার জন্য ব্যবহৃত বানানরীতির উপর ভিত্তি করেই রচিত হচ্ছে এবং এভাবে কথ্য ভাষায় কিছু শব্দ সংযোজনের বিষয়টি বিবেচনায় থাকে না। ব্যঞ্জন -এর জন্য তিনটি বর্ণ এবং রয়েছে যদিও বর্ণটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমন -এ ব্যবহৃত হয়। তখন অঘোষ দন্তমূলীয় ঊষ্মধ্বনি শব্দ ধরে রাখে; যেমন "স্কুল", ইত্যাদি। বর্ণটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যেমন -এ ব্যবহৃত হয়। তখন অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনি শব্দ ধরে রাখে; যেমনঃ ইত্যাদি। একইভাবে,ঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি প্রকাশ করার জন্য দুটি অক্ষর রয়েছে এবং )। তাছাড়া, আগে উচ্চারিত এবং লিখিত মূর্ধন্য অনুনাসিক কে এখন সাধারণ আলাপচারিতায় দন্তমূলীয় হিসেবে উচ্চারণ করা হয় (যখন উচ্চারণ করা হয় তখন পার্থক্য বোঝা যায়) (যদি না অপর একটি মূর্ধন্যধ্বনির যেমন এবং -এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে), তবে বানানে এই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না। অর্ধ-সংবৃত সম্মুখ স্বরবর্ণ একাধিক উপায়ে নিরূপিত হয়। উদাহরণস্বরূপ: অন্য ধরনের অসঙ্গতিটি লেখায় যথেষ্ট ঔচ্চারণিক তথ্যের ঘাটতিসম্পর্কিত। পূর্ববর্তী ধ্বনির স্বরসঙ্গতির উপর নির্ভর করে লেখায় প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে জড়িত অন্তর্নিহিত স্বরবর্ণটি কিংবা হতে পারে;কিন্তু লেখায় স্পষ্টভাবে প্রকাশ না পাওয়ায় তা পাঠকের জন্য দ্ব্যর্থতা তৈরি করে। তাছাড়া অন্তর্নিহিত স্বরটি প্রায়শই শব্দের শেষে উহ্য থাকে (যেমন: ;তবে তা বানানে প্রতিফলিত না হওয়ায় নতুন পাঠকের পক্ষে এটি কঠিন করে তোলে। অনেক যুক্তব্যঞ্জন তাদের মূল ব্যঞ্জনবর্ণের চেয়ে আলাদা রূপে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যঞ্জনবর্ণের এবং যুক্ত হয়ে গঠন করে এবং তা উচ্চারিত হয় কিংবা অথবা (যেমন এর উচ্চারণ হিসেবে উচ্চারিত হতে পারে যা কোনও শব্দে যুক্তব্যঞ্জনটির অবস্থানের উপর নির্ভর করে। বাংলা লেখার ব্যবস্থাটি তাই সর্বদা উচ্চারণের সত্যিকারের সহায়ক নয়। === ব্যবহারসমূহ === বাংলা, অসমিয়া এবং অন্যান্য ভাষার জন্য ব্যবহৃত লিপিটি বাংলা লিপি হিসাবে পরিচিত। বাংলা এবং তার উপভাষায় বাংলা বর্ণমালা হিসেবে এবং কিছু ছোটখাট পরিবর্তনের সঙ্গে অসমিয়া ভাষায় অসমিয়া বর্ণমালা হিসেবে পরিচিত। নিকটবর্তী অঞ্চলের অন্যান্য সম্পর্কিত ভাষা যেমন ভারতীয় রাজ্য মণিপুরে মৈতৈ মণিপুরী ভাষাও বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে, যেখানে মৈতৈ ভাষা বহু শতাব্দী ধরে বাংলা বর্ণমালায় রচিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মৈতৈ লিপি প্রচার করা হয়েছে। ==লিখন পদ্ধতি== নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৯২৬ সালে হাঙ্গেরিতে লেখা একটি বাংলা কবিতার (বাংলা অনুচ্ছেদের নিচে ইংরেজি অনুবাদসহ) অংশবিশেষ বাংলা লিপি এক ধরনের আবুগিডা, যেখানে ব্যঞ্জনধ্বনির জন্য বর্ণ, স্বরধ্বনির জন্য কারচিহ্ন এবং যদি কোন কার চিহ্ন না থাকে তবে স্বয়ংক্রিয় স্বরবর্ণ হিসেবে ''অ'' ধরে নেওয়া হয়। সমগ্র বাংলাদেশ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলে (আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা) বাংলা বর্ণমালা ব্যবহৃত হয়। আনুমানিক ১০০০ অব্দে অথবা ১০ম থেকে ১১শ শতাব্দীতে) ব্রাহ্মী লিপির পরিবর্তিত রূপ থেকে বাংলা বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও এটি পাকিস্তানে ব্যবহৃত শাহমুখি লিপির মত আরবি ভিত্তিক বর্ণমালার পরিবর্তে বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে। বাংলা ভাষায় বক্রলিপিতে নয়টি স্বরধ্বনি এবং দুটি যৌগিক স্বরধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ১১ টি প্রতীক বা চিহ্ন এবং ব্যঞ্জনধ্বনি অন্যান্য প্রভাবকের জন্য ৩৯ টি প্রতীক ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে বড় হাতের এবং ছোট হাতের বর্ণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বর্ণগুলো বাম থেকে ডানে লেখা হয় এবং ফাঁকা স্থান গুলো লিখিত শব্দসমূহ পৃথক করতে ব্যবহৃত হয়। বাংলা লেখায় দুটি বর্ণকে পাশাপাশি যুক্ত করার জন্য একটি সমান্তরাল রেখা টানা হয় যাকে ''মাত্রা'' বলা হয়। বাংলা লিপি আবুগিদা হওয়ায় ব্যঞ্জনবর্ণ গুলো সাধারণত উচ্চারণগত ভাষাতত্ত্ব নির্দেশ করে না বরং উহ্যভাবে স্বরধ্বনি ধরে রাখে। ফলে এগুলো প্রকৃতিগতভাবে অক্ষর। উদ্ধৃত্ত স্বরধ্বনি সাধারণত একটি পশ্চাৎ স্বরধ্বনি। কোন রূপ স্বরধ্বনি উচ্চারণ ব্যতীত কোন একটি ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণে জোর প্রদান করতে মূল ব্যঞ্জনবর্ণের নিচে হসন্ত () নামক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এই চিহ্নটি সব সময় পাওয়া যায় না ;তবে যখন উচ্চারণের বৈপরীত্য দেখা যায় তখন এটি ব্যবহৃত হয়। বাংলা ব্যঞ্জন ধ্বনির চিত্রমূলের আবুগিডা প্রকৃতি সর্বদা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে না। প্রায়শই ব্যঞ্জনান্ত অক্ষরসমূহে হসন্ত না থাকলেও কোন স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয় না। সহজাত ব্যতীত কিছু স্বরধ্বনির পরে একটি ব্যঞ্জনাত্মক ধ্বনি উপরের, নীচে, আগে, পরে বা ব্যঞ্জনবর্ণের চিহ্নের চারপাশে বিভিন্ন স্বরবর্ণ ব্যবহার করে সর্বব্যাপী লিখনরূপের নিয়ম গঠন করে উপলব্ধি করা যায়। ‘কারচিহ্ন’ নামে পরিচিত এই শব্দস্বরূপগুলি স্বররূপ এবং এগুলি স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না। বাংলায় স্বরবর্ণগুলো দুটি রূপ নিতে পারে: লিপির মূল তালিকাতে পাওয়া স্বতন্ত্র রূপ এবং নির্ভরশীল, সংক্ষিপ্তরূপ (উপরে বর্ণিত কারচিহ্ন)। কোনও পূর্ববর্তী বা নিম্নলিখিত ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে একটি স্বরকে উপস্থাপন করতে, স্বরবর্ণের স্বতন্ত্র রূপ ব্যবহার করা হয়। হসন্তের পাশাপাশি, আরও তিনটি চিহ্ন সাধারণত বাংলাতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি হল উর্ধ্বধাবিত চন্দ্রবিন্দু (ঁ) দ্বারা স্বরবর্ণের অনুনাসিক এর অনুপস্থিতিকে বোঝানো হয় (যেমন ''চাঁদ''), পশ্চাদ্ধাবিত অনুস্বার পশ্চাত্তালব্য নাসিক্যধ্বনি (ঙ) ইঙ্গিত করে (যেমন বাংলা "বাঙলা") এবং পশ্চাদ্ধাবিত বিসর্গ (ঃ) অঘোষ কণ্ঠনালীয় ঊষ্মধ্বনি (হ) (যেমন উঃ! উঃ" আউচ! ") বা পরবর্তী ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব (যেমন দুখখ দুকু" দুঃখ ") ইঙ্গিত করে। বাংলা (লিখিত যুক্তব্যঞ্জন) সাধারণত সংযুক্ত হিসাবে লেখা হয়, যেখানে প্রথমে যে ব্যঞ্জনবর্ণ আসে তা পরবর্তীটির উপরে বা বাম দিকে যুক্ত হয়। এই সংযুক্তিতে মাঝেমাঝে মূল রূপের চেয়ে এতটাই বিকৃত হয় যে তাকে আলাদা করে চেনা যায় না। বাংলা লিপিতে, এমন প্রায় ২৮৫টি যুক্তব্যঞ্জন রয়েছে। তবে যুক্তাক্ষর গঠনের কিছু বাহ্যিক নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ছোটবেলা থেকে রপ্ত করতে হয়। সম্প্রতি, তরুণ শিক্ষার্থীদের উপর এই বোঝা হ্রাস করার লক্ষ্যে, দুটি মূল বাংলা-ভাষা অঞ্চল (পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ) এর বহু যুক্তাক্ষরের "অস্পস্ট" আকৃতির সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছে এবং ফলস্বরূপ, আধুনিক বাংলা পাঠ্যপুস্তকে যুক্তবর্ণগুলোর আরও বেশি "স্বচ্ছ" রূপ ধারণ করা শুরু হয়েছে, যেখানে একটি যুক্তাক্ষরের ব্যঞ্জনবর্ণগুলি বাহ্যিক রূপ সহজেই প্রকাশ পায়। তবে, যেহেতু এই পরিবর্তনটি তত বিস্তৃত নয় এবং বাকী বাংলা মুদ্রিত সাহিত্যের মতো একইভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না, তাই আজকের বাংলা-শিক্ষিত বাচ্চাদের সম্ভবত নতুন "স্বচ্ছ" এবং পুরাতন "অস্বচ্ছ" উভয় রূপই চিনতে হবে যা শেষ পর্যন্ত শেখার বোঝা পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। বাংলা বিরামচিহ্ন, "।" (দাড়ি) একটি ''ফুলস্টপ'' এর বাংলা সমতুল্য যা পশ্চিমা লিপি থেকে গৃহীত হয়েছে এবং ব্যবহারও তাদের অনুরূপ। == নমুনা পাঠ্য == বাংলা ভাষায় একটি নমুনা গল্প নিম্নলিখিত বাংলা ভাষাতে মানবাধিকার সনদের প্রথম ধারার নমুনা পাঠ্য: '''বাংলা লিপিতে বাংলা ভাষা''' :'''ধারা ১:''' সমস্ত মানুষ স্বাধীনভাবে সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাঁদের বিবেক এবং বুদ্ধি আছে; সুতরাং সকলেরই একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্বসুলভ মনোভাব নিয়ে আচরণ করা উচিত। '''বাংলার রোমানীকরণ''' :. '''আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালাতে বাংলা ভাষার উচ্চারণ :. ==সম্পর্কিত ভাষাসমূহ== বাংলা ভাষার সাথে নেপালি ভাষার ৪০ শতাংশ সাদৃশ্য রয়েছে এছাড়া অসমীয়া ভাষা, সাদরি ভাষা প্রায় বাংলার অনুরূপ। অনেকেই অসমীয়াকে বাংলার উপভাষা বা আঞ্চলিক রীতি হিসেবে বিবেচনা করেন। সাঁওতালি ভাষা, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার সাথেও বেশ সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। == আরও দেখুন == সিলেটি ভাষা চাঁটগাঁইয়া ভাষা রংপুরী ভাষা বাংলা উপভাষা বাংলা লিপি বাংলা সংখ্যা পদ্ধতি বাংলা ভাষা আন্দোলন বাংলা একাডেমি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == Chakraborty, Byomkes, Comparative Study of Santali and Bengali, K.P. Bagchi Co., Kolkata, 1994, Byomkes Chakrabarti শ, রামেশ্বর: সাধারণ ভাষাবিজ্ঞান বাঙ্গাল ভাষা, পুস্তক বিপনি, ১৯৯৭ হালদার নারায়ণ বাংলা ভাষা প্রসঙ্গ: বানান কথন লিখনরীতি, পুস্তক বিপনি, কলকাতা, ২০০৭ Thompson, Hanne-Ruth (2012). '' Bengali''. Volume 18 of London Oriental and African Language Library. John Benjamins Publishing. == বহিঃসংযোগ == বাংলা একাডেমি ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ ভাষা ভাষা সরকারি ভাষাসমূহ'''বাহরাইন''' মধ্যপ্রাচ্যের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। বাহরাইন পারস্য উপসাগরের পশ্চিম অংশের ৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এর পূর্বে কাতার পশ্চিমে সৌদী আরব। সবচেয়ে বড় দ্বীপটিও বাহরাইন নামে পরিচিত এবং এতে দেশটির বৃহত্তম শহর রাজধানী মানামা অবস্থিত। প্রায় ৫,০০০ বছর আগেও বাহরাইন একটি বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। সবসময়ই এটি শক্তিশালী প্রতিবেশীদের অধীনস্থ ছিল। ১৭শ শতকে এটি ইরানের দখলে আসে। ১৭৮৩ সালে মধ্য সৌদী আরবের আল-খলিফা পরিবার নিজেদেরকে বাহরাইনের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে এবং তখন থেকে তারাই দেশটিকে শাসন করে আসছে। ১৯শ শতকের কিছু সন্ধিচুক্তির ফলে যুক্তরাজ্য দেশটির প্রতিরক্ষা বৈদেশিক সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব পায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত বাহরাইন ব্রিটিশ প্রভাবাধীন ছিল। বাহরাইনের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি সেখানেই জন্ম-নেওয়া। এছাড়া বাহরাইনে শিয়া মুসলিমদের সংখ্যা সুন্নী মুসলিমদের প্রায় দ্বিগুণ। তবে সুন্নীরা বাহরাইনের সরকার নিয়ন্ত্রণ করেন। ১৯৩০-এর দশকে বাহরাইন পারস্য উপসাগরের প্রথম দেশ হিসেবে তেল-ভিত্তিক অর্থনীতি গঠন করে, কিন্তু ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকেই এর সমস্ত তেল ফুরিয়ে যায়। তবে দেশটি এই পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই অন্যান্য শিল্পে বিনিয়োগ করে রেখেছিল এবং দেশটির অর্থনীতি এখনও উন্নতি করে যাচ্ছে। == ইতিহাস == বর্তমান বাহরাইন অঞ্চলে ব্রোঞ্জ যুগে দিলমুন নামক সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল। হাজার বছর আগেও বাহরাইন সিন্ধু অববাহিকা মেসোপটেমিয়ার সভ্যতাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২০০০ অব্দের দিকে ভারত থেকে বাণিজ্য আসা বন্ধ হয়ে গেলে দিলমুন সভ্যতার পতন ঘটা শুরু করে। ৭৫০ থেকে আসিরীয় রাজার বাহরাইনকে ক্রমাগত নিজেদের বলে দাবী করতে শুরু করে। ৬০০ কিছু পরে দিলমুন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যায়। এরপর অনেক দিন যাবৎ বাহরাইনের কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না। খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতকে পারস্য উপসাগরে মহাবীর আলেকজান্ডারের পদার্পণ ঘটলে আবার এর হদিস পাওয়া যায়। যদিও আরব গোত্র বনি ওয়াএল এবং পারসিক গভর্নরেরা অঞ্চলটি শাসন করতেন, খ্রিস্টীয় ৭ম শতক পর্যন্তও এটি গ্রিক নাম তিলোস (Tylos) নামে পরিচিত ছিল। শতকে এখানকার অধিবাসীরা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। বাহরাইন ছিল আঞ্চলিক বাণিজ্য মুক্তা আহরণ কেন্দ্র। ৭ম শতক থেকে বিভিন্ন পর্বে এলাকাটি সিরিয়ার উমাইয়া বংশীয় খলিফাগণ, বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাগণ, পারসিক, ওমানি এবং পর্তুগিজদের দ্বারা শাসিত হয়। শেষ পর্যন্ত বনি উতবাহ গোত্রের আল খালিফা পরিবার ১৭৮৩ সালে ইরানীদের কাছ থেকে অঞ্চলটি দখল করে এবং তখন থেকে আজ পর্যন্ত তারা বাহরাইনের শাসক। ১৮৩০-এর দশকে আল খালিফা পরিবার একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাহরাইনকে একটি ব্রিটিশ প্রটেক্টোরেটে পরিণত করে, অর্থাৎ যুক্তরাজ্য বহিরাক্রমণ থেকে দেশটির সুরক্ষার দায়িত্ব নেয় এবং এর বিনিময়ে বাহরাইন যুক্তরাজ্যের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন বিদেশী শক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হারায়। বাহরাইনে বড় আকারে খনিজ তেলের উৎপাদন শুরু হবার কিছু পরেই ১৯৩৫ সালে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটিটি বাহরাইনে নিয়ে আসা হয়। ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্য সরকার পারস্য উপসাগরের শেখশাসিত রাজ্যগুলির সাথে ইতোমধ্যে করা চুক্তিগুলি রদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় বাহরাইন কাতার এবং বর্তমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি শেখরাজ্যের সাথে মিলে একটি বৃহৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭১ সাল নাগাদ এই নয় রাজ্য সংযুক্তিকরণের বিভিন্ন ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। ফলে ১৯৭১ সালের ১৫ই আগস্ট বাহরাইন একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। নতুন রাষ্ট্র বাহরাইনের জন্য একটি সংবিধান রচনা করা হয় এবং ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচিত হয়, কিন্তু মাত্র দুই বছর পরে ১৯৭৫ সালে বাহরাইনের আমির সংসদ ভেঙে দেন, কেননা নির্বাচিত সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আল-খলিফা শাসনের অবসান এবং মার্কিন নৌবাহিনীকে সেখান থেকে বিতাড়নের প্রচেষ্টা করছিল। ১৯৯০-এর দশকে বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায়ের অসন্তুষ্টি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতের আকারে প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে বাহরাইনের আমির প্রায় ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত, ১৯৯৫ সালে, বাহরাইনের মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন আনেন, এবং আইন পর্যালোচনাকারী কাউন্সিলের সদস্যসংখ্যা ৩০ থেকে ৪০-এ বৃদ্ধি করেন। এর ফলে সংঘাতের পরিমাণ প্রথমে কিছু কমলেও ১৯৯৬ সালের শুরুর দিকে বেশ কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ-তে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে এবং এতে অনেকে নিহত হয়। পুলিশ প্রায় হাজার লোককে এর জের ধরে গ্রেফতার করে এবং কোন বিচার ছাড়াই এদের শাস্তি দেয়া হয়। সম্প্রতি বাহরাইন সরকার এদের অনেককে ছেড়ে দিয়েছে। বাহরাইন ১৯৭১ সালে স্বধীনতা লাভ করে। বাহার শব্দের অর্থ সাগর আর বাহরাইন হচ্ছে দু'টি সাগর। এটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র এর চারদিকে সাগর == রাজনীতি == '''বাহরাইনের রাজনীতি''' একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র কাঠামোতে সংঘটিত হয়। রাজা শাইখ হামাদ বিন ইসা আল খালিফা সরকার চালানোর জন্য একজন প্রশাসক নিযুক্ত করেন। বাহরাইনের আইনসভা নিম্ন কক্ষের সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেন। ঊর্ধ্বকক্ষ তথা শুরা কাউন্সিলের সদস্যদের রাজা নিয়োগ দেন। বর্তমানে খালিফা ইবন সুলমান আল-খালিফা দেশের প্রধানমন্ত্রী। রাজপুত্র শাইখ সালমান বাহরাইনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার। == প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ == == ভূগোল == বাহরাইন রাষ্ট্রটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে ২৪ কিমি দূরে পারস্য উপসাগরে অবস্থিত ৩২টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপটির নাম বাহরাইন দ্বীপ। দ্বীপটির বেশির ভাগ অংশ মরুময় ঊষর নিম্নভূমি। কেবল উত্তরের উপকূলে এক চিলতে সমভূমি আছে যেখানে রাজধানী মানামা অবস্থিত। == অর্থনীতি == বাহরাইনের অর্থনীতি প্রধানত পেট্টোলিয়াম উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ রিফাইনিং এর উপর নির্ভরশীল। এই খাত ৬০% রপ্তানিতে ৩০% জিডিপিতে অবদান রাখে। এদেশের শ্রমবাজারের ভাগের ভাগ দখল করে আছে বিদেশি শ্রমিকেরা। যোগাযোগব্যবস্থা ভাল হওয়ায় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এখানে সদরদপ্তর স্থাপন করেছে। পর্যটন খাত অনেক উন্নতি সাধন করেছে। এই খাত জিডিপিতে ৯% অবদান রাখছে। শুধুমাত্র ১% ভূমি চাষযোগ্য হওয়ায় তারা প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেরা উৎপাদনে অক্ষম। তারা এক্ষেত্রে আমদানির উপর নির্ভর করে। তাদের মাথাপিছু আয়ও অনেক বেশি। প্রায় ৫১,৯৫৬ মা.ডলার(২০১৭ অনুযায়ী) == জনসংখ্যা == আরবি ভাষা বাহরাইনের সরকারি ভাষা। এছাড়াও এখানকার সংখ্যালঘু ফার্সি ভাষা, উর্দু ভাষা, এবং হিন্দি ভাষা বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত। আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য এবং পর্যটন শিল্পে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাহরাইনে সাত লক্ষের কিছু বেশি লোকের বাস। এদের ৯৯% মুসলমান। বাকী ১% মূলত ইহুদী খ্রিস্ট ধর্মাবলবম্বী। মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ৭০% শিয়া মতাবলম্বী। বাকীরা সুন্নী। অমুসলিম বিদেশীদের মধ্যে খ্রিস্টধর্মের বিভিন্ন মতাবলম্বী ছাড়াও হিন্দু, বাহাই, বৌদ্ধ, শিখ, ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী আছে। ===ধর্ম === এখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আরব বিশ্বের যে টি দেশে শিয়া জনপ্রাধান্য আছে তার একটি এটি (অপর দুটি ইরান ইরাক যদিও বাহরাইনের রাজপরিবার সুন্নি পন্থী। সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে == সংস্কৃতি == == সঙ্গীত == বাহরাইনের সঙ্গীত অনেকটা এর প্রতিবেশি রাষ্ট্রসমূহের মতই। '''খালিজি''' (Khaliji) এক প্রকার লোক সঙ্গীত সমগ্র বাহরাইন জুড়ে জনপ্রিয়। এছাড়া শহুরে ঘরানার '''সাওত''' (sawt) সঙ্গীতও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আলি বাহার বাহরাইনের বিখ্যাত গায়কদের মধ্যে একজন। Al Ekhwa (আরবি অনুবাদ- দ্যা ব্রাদার্স) তার সঙ্গীত দলের নাম। '''অ্যারাবস গট ট্যালেন্ট''' কর্তৃক ২০১১ সালে নির্বাচিত ক্ষুদে সংগীত শিল্পী হালা আল তুরক বাহরাইনে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাহরাইন ছাড়াও সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে তার সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়াও তার ইউটিউব মিউজিক ভিডিও সমূহ খুবই জনপ্রিয়। উল্লেখ্য, পারসিয়ান গালফ স্টেটস সমূহের মধ্যে বাহরাইনেই সর্বপ্রথম recording studio স্থাপন করা হয়। ==পরিবহন== '''বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর''' শহরের তথা দেশের প্রধান ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এটি অন্যতম হাব বিমানবন্দর। == আরও দেখুন == হালা আল তুরক দিমা বাশার == তথ্যসূত্র == 4. == বহিঃসংযোগ == বাহরাইন তথ্য ওয়েবসাইট বাহরাইনের রাজ্য সরকারী ওয়েবসাইট। রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রীপরিষদ সদসবৃন্দ দেশ বৃত্তান্ত বিবিসি সংবাদ থেকে Bahrain at ''UCB Libraries GovPubs'' বাহরাইনের মানচিত্র বাহরাইন উইকি রাষ্ট্র‎চিত্র:Louvre at night জাদুঘর, প্যারিস; বিশ্বের বৃহত্তম সর্বাধিক প্রসিদ্ধ জাদুঘরগুলির অন্যতম। চিত্র:British Museum from NE মিউজিয়াম, লন্ডন চিত্র:Victoria by মেমোরিয়াল হল, কলকাতার একটি প্রসিদ্ধ স্মারক জাদুঘর '''জাদুঘর''' বা বলতে বোঝায় এমন একটি ভবন বা প্রতিষ্ঠান যেখানে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের সংগ্রহ সংরক্ষিত থাকে। জাদুঘরে বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বস্তুসমূহ সংগ্রহ করে সংরক্ষিত করা হয় এবং সেগুলি প্রদর্শ আধার বা ডিসপ্লে কেসের মধ্যে রেখে স্থায়ী অথবা অস্থায়ীভাবে জনসাধারণের সমক্ষে প্রদর্শন করা হয়। বিশ্বের অধিকাংশ বড় জাদুঘরই প্রধান প্রধান শহরগুলিতে অবস্থিত। অবশ্য ছোটো শহর, মফস্বল গ্রামাঞ্চলেও স্থানীয় জাদুঘর গড়ে উঠতে দেখা যায়। অতীতকালে জাদুঘরগুলি গড়ে উঠত ধনী ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক উদ্যোগে অথবা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে। এই সব জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকত শিল্পকর্ম, দুষ্প্রাপ্য আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক বস্তু বা পুরাবস্ত। সারা বিশ্বেই জাদুঘর দেখা যায়। প্রাচীনকালে গড়ে ওঠা জাদুঘর ছিল আধুনিককালের স্নাতক প্রতিষ্ঠানগুলির সমরূপ। == ব্যুৎপত্তি == বিশিষ্ট অভিধানকার জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাশের মতে, বাংলায় "জাদুঘর" কথাটি আরবি "''আজায়ব্'' ঘর/খানা" শব্দটির সঙ্গে তুলনীয়। বাংলায় "জাদুঘর" কথাটির অর্থ হল, "যে গৃহে অদ্ভুত অদ্ভুত পদার্থসমূহের সংগ্রহ আছে এবং যা দেখিয়া মন্ত্রমুগ্ধবৎ হ’তে হয়।" ''আকাদেমি বিদ্যার্থী বাংলা অভিধান'' মতে, "জাদুঘর" শব্দের অর্থ, "যে-ঘরে নানা অত্যাশ্চর্য জিনিস বা প্রাচীন জিনিস সংরক্ষিত থাকে।" ইংরেজি "museum" ("মিউজিয়াম") শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ থেকে। ইংরেজি বহুবচনে এই শব্দের রূপটি হল "museums" (বা অপ্রচলিত শব্দ, "musea")। শব্দটির মূল উৎস গ্রিক শব্দ ''Μουσεῖον'' (''Mouseion''); যার অর্থ গ্রিক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউজদের মন্দির। প্রাচীন গ্রিসে এই জাতীয় মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে পাঠাগার শিল্প পুরাকীর্তির সংগ্রহশালাও গড়ে উঠতে দেখা যেত। ২৮০ টলেমি প্রথম সোটার প্রতিষ্ঠিত দর্শন মিউজিয়াম (প্রতিষ্ঠান) ছিল এই জাতীয় একটি জাদুঘর। অ্যাথেন্সে প্লেটো প্রথম একটি মিউজিয়াম গ্রন্থাগার গড়ে তুলেছিলেন। যদিও পসেনিয়াসের রচনায় অন্য একটি স্থানকে "মিউজিয়াম" বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটি হল ধ্রুপদি অ্যাথেন্সে অ্যাক্রোপোলিশের বিপরীত দিকে অবস্থিত একটি ছোটো পাহাড়। কথিত আছে, মউসিয়াস নামে এক ব্যক্তি এই পাহাড়ে বসে গান গাইতেন। বৃদ্ধ বয়সে তিনি সেখানেই মারা যান এবং সেই পাহাড়েই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। তার নামানুসারে পাহাড়টির নামকরণ হয়েছিল "মউসিয়ন" ("Mouseion")। ভারতীয় জাদুঘর,কলকাতা == আরও দেখুন == মাদাম তুসো জাদুঘর == পাদটীকা == == অতিরিক্ত পঠন == == বহিঃসংযোগ == International Council of Museums (ICOM) VLmp directory of museums (VLmp)right '''জাকার্তা''' (), যা দাপ্তরিক ভাবে '''জাকার্তার বিশেষ রাজধানী এলাকা''' নামে পরিচিত, হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী এবং সর্ববৃহৎ শহর। এটি জাকার্তা একটি প্রদেশের অন্তর্গত এবং পৌর এলাকার জনবহুল জায়গার মধ্যে একটি। জাকার্তা জাভা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত যা ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু এবং ২০১৪ অনুসারে ইহার জনসংখ্যা ১০,০৭৫,৩১০। ==নাম এবং ব্যুৎপত্তিগত শব্দতত্ত্ব== ==ইতিহাস== ===প্রারম্ভিক উপনিবেশ যুগ=== ===উপনিবেশ যুগ=== ===স্বাধীনতা যুগ=== ==প্রশাসন== ===জাকার্তার প্রশাসনিক বিভাগ সমূহ=== জাকার্তার শহর/পৌর এলাকা সমূহ (''Kota শহর/অঞ্চল অঞ্চল (কিঃমিঃ২) মোট জনসংখ্যা (২০১০ আদমশুমারি) মোট জনসংখ্যা(২০১৪) জনসংখ্যার ঘনত্ব(প্রতি কিঃমিঃ২)২০১০ সালে জনসংখ্যার ঘনত্ব(প্রতি কিঃমিঃ২)২০১৪ সালে দক্ষিণ জাকার্তা (''Jakarta Selatan'') ১৪১.২৭ ২,০৫৭,০৮০ ২,১৬৪,০৭০ ১৪,৫৬১ ১৫,৩১৯ পূর্ব জাকার্তা (''Jakarta Timur'') ১৮৮.০৩ ২,৬৮৭,০২৭ ২,৮১৭,৯৯৪ ১৪,২৯০ ১৪,৯৮৭ কেন্দ্রীয় জাকার্তা (''Jakarta Pusat'') ৪৮.১৩ ৮৯৮,৮৮৩ ৯১০,৩৮১ ১৮,৬৭৬ ১৮,৯১৫ পশ্চিম জাকার্তা (''Jakarta Barat'') ১২৯.৫৪ ২,২৭৮,৮২৫ ২,৪৩০,৪১০ ১৭,৫৯২ ১৮,৭৬২ উত্তর জাকার্তা (''Jakarta Utara'') ১৪৬.৬৬ ১,৬৪৫,৩১২ ১,৭২৯,৪৪৪ ১১,২১৯ ১১,৭৯২ Thousand Islands (''Kepulauan Seribu'') ৮.৭ ২১,০৭১ ২৩,০১১ ২,৪৪২ ২,৬৪৫ ===সরকার=== ===পৌর আর্থিক সম্পর্কিত=== জাকার্তা শহর অর্থনীতি: ২০০৭ ২০১২ (রুপি ট্রিলিয়ন)'' Year রাজস্ব ব্যয় ২০০৮ প্রকৃত ১৮.৭ ১৮.৭ ২০০৮ প্রকৃত ৩২.৯ ১৬.৪ ২০০৯ প্রকৃত ২৩.৭ ১৮.৬ ২০১০ প্রকৃত ২৬.৮ ২১.৬ ২০১১ প্রকৃত ৩১.৮ ৩১.৭ ২০১২ প্রকৃত ৪১.৪ ৪১.৪ ইন্দোনেশিয়া পরিসংখ্যান ব্যুরো: ''Jakarta in Figures'' ==ভুগোল জলবায়ু== ===ভুগোল=== জাকার্তা সমূদ্রের ছিলিওয়াং নদীর মুখে জাভা উপকূলের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। ===জলবায়ু=== ==সংস্কৃতি== ===জাদুঘর=== ===মিডিয়া=== জাকার্তার মার্দেকা স্কয়ারে একটি মেট্রো টিভির(Metro Tv) খবরের গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। জাকার্তায় অনেক খবরের এবং রেডিও চ্যানেল রয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দৈনিক, ব্যবসায়িক এবং ডিজিটাল পত্রিকা,যা জাকার্তার উপর ভিত্তি করে চলছে। দৈনিক পত্রিকা গুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পাস, কোরান টেম্পল, মিডিয়া ইন্দোনেশিয়া, কারইয়াল,সিনার হারাপান,ইন্দো পস,জার্নাল ন্যাশনাল, হারিয়ান পেলিটা। ইংরেজি ভাষার দৈনিক পত্রিকাগুলোও প্রতিদিন প্রকাশিত হয়ে থাকে, উদাহরণস্বরুপ দি জাকার্তা পোস্ট এবং দি জাকার্তা গ্লোব। চাইনিজ ভাষার পত্রিকাগুলো হল ইন্দোনেশিয়া শাং বাও(印尼商报), হারিয়ান ইন্দোনেশিয়া (印尼星洲日报) এবং গুয়ো জি রি বাও (国际日报)। জাপানি ভাষার একমাত্র পত্রিকা হল দি ডেইলি জাকার্তা জাকার্তার আরো দৈনিক পত্রিকা রয়েছে, যেমন পস কোটা,ওয়ারটা কোটা,কোরান পাঠকদের জন্য বেরিটা কোটা; বিসনিস খবর), এছাড়াও টপ স্কোর(Top Skor) সকার(খেলার খবর)। জাকার্তায় রয়েছে রাষ্ট্রীয় গণ মাধ্যম টিভিআরআই (TVRI) এবং বেসরকারি জাতীয় টেলিভিশন গুলোর প্রধান কার্যালয়। বেসরকারি টিভি গুলোর মধ্যে রয়েছে আরসিটিআই (RCTI), ট্রান্স৭ (Trans 7|TV7), টিভি ওয়ান(TV ONE), মেট্রো টিভি(Metro TV), এসসিটিভি(SCTV), গ্লোবাল টিভি(Global TV), এন টিভি(ANTV), ট্রান্স টিভি(Trans TV), কমপাস টিভি(Kompas TV), এমএনসি টিভি(MNCTV), NET. এবং আর টিভি(RTV)। জাকার্তায় আঞ্চলিক টিভি চ্যানেলও রয়েছে যেমন জাক টিভি(JAK TV), টিভি(O TV), এলসিনটা টিভি(Elshinta TV) and ধাই টিভি ইন্দোনেশিয়া (DAAI TV)। শহরটি দেশের প্রধান পরিশোধ ভিত্তিক সেবার কেন্দ্রবিন্দু। জাকার্তায় ব্যাপক পরিসরে কেবল টিভি চ্যানেল রয়েছে,এগুলোর মধ্যে ফাস্ট মিডিয়া এবং টেলকম ভিশন। জাকার্তায় স্যাটেলাইট টেলিভিশন(DTH) এখনো অনেক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশিষ্ট বিনোদন সেবা গুলোর মধ্যে রয়েছে টিভি(Yes এবং আয়োরা টিভি(Aora TV)। অনেক টিভি স্টেশন রয়েছে যেগুলো এনালগ কিন্তু এখন কিছু স্টেশন সরকারি পরিবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজিটাল সংকেতে(DVB-T2) পরিবর্তন করছে। টেলিভিশন স্টেশন চ্যানেল প্রধান কার্যালয় ভাষা অঞ্চলের দেশ '''জাতীয় সম্প্রচার''' টিভিআই(TVRI) ৩৯ UHF সিনায়ান, কেন্দ্রীয় জাকার্তা ইন্দোনেশীয় ভাষা ট্রান্স টিভি ২৮ UHF মামপাং প্রাপাতান, দক্ষিণ জাকার্তা ট্রান্স ৪৯ UHF মামপাং জাকার্তা আরসিটিআই ৪৩ UHF কেবন জেরুক, পশ্চিম জাকার্তা আইনিউজ টিভি ৩০ UHF MNC প্লাজা, কেবন সিরিহ, কেবন সিরিহ, মেনতেং, কেন্দ্রীয় জাকার্তা মেট্রো টিভি ৫৭ UHF কেবন জেরুক, পশ্চিম জাকার্তা নেট. ২৭ UHF কুনিনগান, দক্ষিণ জাকার্তা ইন্দোনেশিয়ার ৪১ UHF ধান মগত, পশ্চিম জাকার্তা এসসিটিভি ৪৫ UHF সিনায়ান সিটি, দক্ষিণ জাকার্তা এন টিভি ৪৭ UHF কুনিনগান, কেন্দ্রীয় জাকার্তা গ্লোবাল টিভি ৫১ UHF কেবন টিভি জেরুক, পশ্চিম জাকার্তা টিভি ওয়ান ৫৩ UHF পুলো গাদাং, পূর্ব জাকার্তা এমএনসি টিভি ৩৭ UHF কেবন সিরিহ, কেন্দ্রীয় জাকার্তা রাজাওয়ালি টেলিভিশন ২৩ UHF কুনিনগান, কেন্দ্রীয় জাকার্তা কমপাস টিভি ২৫ UHF পালমেরাহ, পূর্ব জাকার্তা '''আঞ্চলিক সম্প্রচার''' জাকটিভি ৫৫ UHF কেবায়োরান বারু, কেন্দ্রীয় জাকার্তা ইন্দোনেশীত ভাষা ২৮ UHF পালমেরাহ, পশ্চিম জাকার্তা চ্যানেল ৩৩ UHF দক্ষিণ জাকার্তা ধাই টিভি ইন্দোনেশিয়া ৫৯ UHF পালমেরাহ, পশ্চিম জাকার্তা আইএন টিভি ২২ UHF তোমাং, পশ্চিম জাকার্তা জাকার্তায় বায়ান্নটি FM ব্যান্ড সম্প্রচার সহ পঁচাত্তরটি রেডিও স্টেশন রয়েছে এবং তেইশটি রেডিও স্টেশন রয়েছে যেগুলো AM ব্যান্ডে সম্প্রচারিত হয়। ==অর্থনীতি== মূল অর্থনীতি ===বাজার=== তামান এংগ্রিক মল, পশ্চিম জাকার্তা জাকার্তা জাতির শপিংয়ের কেন্দ্রস্থল এবং বাজার করার জন্য দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে ভাল জায়গা গুলোর মধ্যে একটি। জাকার্তায় শহটির বিভিন্ন ধরনের দোকান এবং ঐতিহ্যগত বাজার রয়েছে। সর্বমোট ৫৫০ হেক্টর নিয়ে একটি একক শহরে জাকার্তার বিশ্বের সর্ববৃহৎ শপিং মলের জায়গা রয়েছে। প্রত্যেক বছর জাকার্তার ২০১২ সালে প্রায় ৭৩ অংশগ্রহণকারী শপিং সেন্টারের উদযাপন উপলক্ষে জুন এবং জুলাই মাসে "জাকার্তা বৃহৎ বিক্রয়" উদযাপিত হয়। মল যেমন প্লাজা ইন্দোনেশিয়া, গ্র‍্যান্ড ইন্দোনেশিয়া, শপিং টাউন,প্লাজা সিটি এবং প্যাসিফিক প্লেস বিভিন্ন ধরনের বিলাসবহুল ব্র‍্যান্ড বাছাই করার সুবিধা প্রধান করে। মল টামান এংগ্রিক এবং সিপুটরা ওয়াল্ড জাকার্তা যেগূলো জাকার্তায় শপিং মলের নতুন ধারণা বহণ করে... ===সড়ক=== ===স্থাপনা=== ===পানি সরবরাহ=== ==দৃশ্য== ===স্থাপনা=== ==জনসংখ্যা== সমগ্র ইন্দোনেশিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধার জন্য জাকার্তা সবার আগে, ফলে জাকার্তা অভিবাসী আধিক্য শহরে পরিনত হয়েছে। ১৯৬১ সালের আদম শুমারিতে দেখা গেছে যে শহরের জনসংখ্যার ৫১% মাত্র জাকার্তায় জন্মগ্রহণ করেছে, যাতে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির প্রভাব উপেক্ষা করা হয়েছে। ১৯৬১ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জাকার্তার জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং ১৯৮০-১৯৯০ সময়কালে শহরের জনসংখ্যা বার্ষিক বৃদ্ধি ৩.৭% ছিল। ২০১০ সালের আদমশুমারিতে প্রায় ৯.৫৮ মিলিয়ন জনসংখ্যা গণনা করা হয়েছে, এটি সরকারের অনুমানের চেয়েও ভাল ছিল। ১৯৭০ সালে জনসংখ্যা ছিল ৪.৫ মিলিয়ন যা ২০১০ সালে বেড়ে ৯.৫ মিলিয়ন হয়, কেবলমাত্র আইনজীবিদের মধ্যে গণনায়, গ্রেটার জাকার্তার ১৯৭০ সালের জনসংখ্যা ৮.২ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০১০ সালে ২৮.৫ মিলিয়ন হয়েছে। ২০১৪ সালের তথ্য অনুসারে, জাকার্তার জনসংখ্যা ছিল দশ কোটি এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৫,১৪৭ জন। ২০১৪ সালে গ্রেটার জাকার্তার জনসংখ্যা ৩০ কোটির মতো ছিল, যা ইন্দোনেশিয়ার সামগ্রিক জনসংখ্যার ১১%। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫,৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মেগাসিটি হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। ২০১০ সালে লিঙ্গ অনুপাত ছিল ১০২.৮ জন (পুরুষ প্রতি ১০০ জন নারী) এবং ২০১৪ সালে অনুপাত ছিল ১০১.৩। ===জাতিগত সম্প্রদায় এবং ধর্ম=== জাকার্তা বহুভাষা ধর্মীয়ভাবে বৈচিত্র্যময় শহর। ২০১০ এর আদমশুমারি অনুসারে নগরীর জনসংখ্যার ৩৬.১৭% জন জাভানিজ, ২৮.২৯% বেতাভি, ১৪.৬১% সুন্দানিজ, ৬.৬২% চীনা, ৩.৪২% বাটক, ২.৮৫% মিনাংবাউ, ০.৯% মালয়েশিয়া, ০.০৮% ইন্দো এবং অন্যান্য জাতীগোষ্ঠি ছিল। ২০১৭ সালে, জাকার্তার ধর্মীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসলাম (৮৩.৪৩%), (৮.৩৬%), ক্যাথলিক (৮.০%), বৌদ্ধধর্ম (৩.৭৪%), হিন্দু (০.৯৯%), এবং কনফুসিয়ানিজম (০.০১%) ধর্মের লোক বসবাস করে। প্রায় ২৩১ জন লোক ধর্ম অনুসরণ করার দাবি করেছিল। জাকার্তার বেশিরভাগ পেসেন্ট্রেন (ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল) সনাতনবাদী নাহদলাতুল উলামার সাথে সম্পৃক্ত, আধুনিকতাবাদী সংগঠনগুলি বেশিরভাগ শিক্ষিত নগর অভিজাত এবং বণিক ব্যবসায়ীদের একটি আর্থ-সামাজিক শ্রেণি সরবরাহ করে। তারা শিক্ষা, সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ধর্মীয় প্রচারকে অগ্রাধিকার দেয়। জাকার্তায় অনেক ইসলামী সংগঠনের সদর দফতর রয়েছে, নাহদলাতুল উলামা, ইন্দোনেশিয়ান ওলামা কাউন্সিল, মুহাম্মদিয়া, জারিংন ইসলাম লিবারাল, এবং ফ্রন্ট পেম্বেলা ইসলাম প্রভৃতি। জাকার্তার আর্চডিয়োসিসে রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের একটি মহানগর রয়েছে, যা ধর্মীয় প্রদেশের অংশ হিসাবে পশ্চিম জাভার অন্তর্ভুক্ত। এখানে একটি বাহাই সম্প্রদায়ও রয়েছে। ==যোগাযোগ ব্যবস্থা== ===রেলপথ=== ===আকাশপথ=== ===বৈদ্যুতিক ===জনপথ পরিবহন ব্যবস্থা=== ===জনপথ=== ===নৌপথ=== ===সমুদ্র=== ==পর্যটন == ===বৈশিষ্ট্য=== ===পার্ক=== ==খেলাধুলা== ==শিক্ষা== মূল শিক্ষা ব্যবস্থা মেডিসিন অনুষদ, ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা অনেকগুলো কেন্দ্রস্থল,তার মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব জাকার্তা জাকার্তায় অবস্থিত সর্ববৃহৎ এবং পুরাতন তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি একটি গণ প্রতিষ্ঠান যার ক্যাম্পাস রয়েছে সালেম্বা (কেন্দ্রীয় জাকার্তা) এবং দিপকে,যা জাকার্তার দক্ষিণে অবস্থিত। ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও, জাকার্তায় আরো আলাদা তিনটি গণ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে,এগুলো হলঃ শরিফ হিদায়াতউল্লাহ স্টেট ইসলামিক ইউনিভার্সিটি জাকার্তা, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব এবং ইউনিভার্সিটি অব পেমবানগুনান ন্যাশনাল "ভেটেরান" জাকার্তা( ইউপিএন "ভেটেরান" জাকার্তা)। জাকার্তায় অবস্থিত কিছু বেসরকারি মধ্যে রয়েছে ট্রিসাকতি ইউনিভার্সিটি, মারকু ভুয়ানা ইউনিভার্সিটি, তারুময়ানাগারা ইউনিভার্সিটি, আমা জায়া ইউনিভার্সিটি, পেলিটা হারাপান ইউনিভার্সিটি, বিনা নুসানতারা ইউনিভার্সিটি, প্যানকেসিলা ইউনিভার্সিটি। ''School tot Opleiding van Indische Artsen'') ছিল জাকার্তায় অবস্থিত সর্বপ্রথম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় যা ১৮৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বৃহৎ শহর এবং রাজধানী হওয়ার কারণে, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের জন্য জাকার্তা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই হলগুলোতে অথবা বাড়িতে বসবাস করে। মৌলিক শিক্ষার জন্য, বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে যা এবং দোভাষী জাতীয় সংযুক্ত") এবং আন্তর্জাতিক স্কুলগুলোকে একত্রে বেঁধেছে। ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত প্রধান চারটি আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে গান্ধী মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, IPEKA ইন্টারন্যাশনাল খ্রিষ্টীয়ান স্কুল, জাকার্তা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং দ্যা ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে জাকার্তা ইন্টারন্যাশনাল কোরিয়ান স্কুল, বিনা বাংসা স্কুল, জাকার্তা ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিকালাচারাল স্কুল, Australian International School, নিউজিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, এবং সেকোলাহ পেলিটা হারাপান. ==আন্তর্জাতিক সম্পর্ক == জাকার্তা অন্যান্য শহর গুলোর সাথে সহযোগী শহর হিসেবে চুক্তিতে সাক্ষর করে,এদের মধ্যে একটি হল কাসাবলনংকা যা মরক্কোর একটি বৃহৎ শহর। ইহা ১৯৯০ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর সহযোগী শহর চুক্তিতে সাক্ষর করে। দুটি শহরের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে, জালান কাসাবলাংকা, যা উত্তর জাকার্তায় বাজার ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোর জন্য বিখ্যাত এবং এর নামকরণ জাকার্তার মরক্কো সহযোগী শহরের নামে করা হয়। বর্তমানে কাসাবলংকায় জাকার্তার নামে কোন সড়ক নেই। যাহোক, অন্যদিকে রাবাতে যা মরক্কোর রাজধানী শহর, ১৯৬০ সালে প্রথম ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের পরিদর্শনের স্মৃতিচিহ্ন বন্ধুত্বের চিহ্নও রক্ষার্থে একটি রাজপথ সুকার্ণোর নামে করা হয়েছে। জাকার্তা বৃহত্তম শহর ২১ এশিয়া নেটওয়ার্ক এবং জলবায়ু নেতৃত্ব C40 শহরগুলোরও সদস্য। ===সংযুক্ত এবং অন্তর্ভুক্ত শহর সমুহ=== ;এশিয়া নয়া দিল্লি, ভারত ইসলামাবাদ, পাকিস্তান টোকিও, জাপান বেইজিং, চায়না ম্যানিলা, ফিলিপাইন সিওল, দক্ষিণ কোরিয়া আবু ধাবি, ইউনাইটেড আরব এমিরেটস জেদ্দা, সৌদি আরব হানই, ভিয়েতনাম ব্যাংকক, থাইল্যান্ড ইয়াদ, ইরান ;ইউরোপ বার্লিন, জার্মানি প্যারিস, ফ্রান্স ইসতানবুল, তুর্কি মস্কো, রাশিয়া রোতারডাম, নেদারল্যান্ড, একটি সহযোগী শহর হিসেবে কিভ, ইউক্রেইন ;আমেরিকা লস এঞ্জেলস, ইউনাইটেড স্টেটস মেস্কিকো সিটি, মেস্কিকো নিউ ইয়র্ক সিটি, ইউনাইটেড স্টেটস ;আফ্রিকা কাসাভলাংকা, মরক্কো ==তথ্যসূত্র== শহর রাজধানীthumb '''দিওগেনেস''' ছিলেন গ্রিক দার্শনিক। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৪১২ অব্দে (মতান্তরে খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯) সিনোপে (বর্তমান তুরস্ক) জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে কোরিন্থে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিরাগীদের মধ্যে সব চেয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন তিনি ছিলেন একজন ছাত্র ডায়োজেনিস একটি পিপার মধ্যে থাকতেন এবং তার কেবল একটি আলখাল্লা একটি লাঠি আর রুটি রাখার একটি থলে ছিল বলে প্রসিদ্ধ আছে দার্শনিক'''রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর''' (; (৭ই মে, ১৮৬১ ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে '''গুরুদেব''', '''কবিগুরু''' '''বিশ্বকবি''' অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ৩৬টি প্রবন্ধ অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ১৯১৫টি গান যথাক্রমে ''গল্পগুচ্ছ'' ''গীতবিতান'' সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে ''রবীন্দ্র রচনাবলী'' নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে ''চিঠিপত্র'' চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে ''গীতাঞ্জলি'' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে ''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা''-এ তার "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়। রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত ''আমার সোনার বাংলা'' জয় হে'' গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত। == জীবন == === প্রথম জীবন (১৮৬১–১৯০১) === ==== শৈশব কৈশোর (১৮৬১ ১৮৭৮) ==== রবীন্দ্রনাথ, ১৮৭৭; ঠাকুরের স্কেচ অবলম্বনে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অঙ্কিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫) এবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫)। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা। ১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতৃবিয়োগ ঘটে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে অতিবাহিত করতেন। তাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে। শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন। প্রথমে তারা আসেন শান্তিনিকেতনে। এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই (অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়। এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, সাধারণ বিজ্ঞান ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন। দেবেন্দ্রনাথ তাকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনী, কালিদাস রচিত ধ্রুপদি সংস্কৃত কাব্য নাটক এবং উপনিষদ্‌ পাঠেও উৎসাহিত করতেন। ১৮৭৭ সালে ''ভারতী'' পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এগুলি হল মাইকেল মধুসূদনের "মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা", ''ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'' এবং "ভিখারিণী" "করুণা" নামে দুটি গল্প। এর মধ্যে ''ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই কবিতাগুলি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে "ভানুসিংহ" ভণিতায় রচিত। রবীন্দ্রনাথের "ভিখারিণী" গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প। ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ ''কবিকাহিনী''। এছাড়া এই পর্বে তিনি রচনা করেছিলেন (১৮৮২) কাব্যগ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ==== যৌবন (১৮৭৮-১৯০১) ==== স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, ১৮৮৩ ১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে তিনি ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন শেকসপিয়র অন্যান্য ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। এই সময় তিনি বিশেষ মনোযোগ সহকারে পাঠ করেন ''রিলিজিও মেদিচি'', ''কোরিওলেনাস'' এবং ''অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা''। এই সময় তার ইংল্যান্ডবাসের অভিজ্ঞতার কথা ''ভারতী'' পত্রিকায় পত্রাকারে পাঠাতেন রবীন্দ্রনাথ। উক্ত পত্রিকায় এই লেখাগুলি জ্যেষ্ঠভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচনাসহ প্রকাশিত হত ''য়ুরোপযাত্রী কোনো বঙ্গীয় যুবকের পত্রধারা'' নামে। ১৮৮১ সালে সেই পত্রাবলি পত্র'' নামে গ্রন্থাকারে ছাপা হয়। এটিই ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রথম গদ্যগ্রন্থ তথা প্রথম চলিত ভাষায় লেখা গ্রন্থ। অবশেষে ১৮৮০ সালে প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে এবং ব্যারিস্টারি পড়া শুরু না করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৮৮৩ সালের ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী (১৮৭৩–১৯০২ )। রবীন্দ্রনাথ মৃণালিনীর সন্তান ছিলেন পাঁচ জন: মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১), রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩), মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) এবং শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭)। এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে। চিত্র:Robi কুঠিবাড়ি, বর্তমান চিত্র ১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে নদিয়া (নদিয়ার উক্ত অংশটি অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা), পাবনা রাজশাহী জেলা এবং উড়িষ্যার জমিদারিগুলির তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছিলেন। জমিদার রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে "পদ্মা" নামে একটি বিলাসবহুল পারিবারিক বজরায় চড়ে প্রজাবর্গের কাছে খাজনা আদায় আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে যেতেন। গ্রামবাসীরাও তার সম্মানে ভোজসভার আয়োজন করত। ১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের অপর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ''মানসী'' প্রকাশিত হয়। কুড়ি থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তার আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ গীতিসংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলি হলো ''শৈশবসঙ্গীত'', ''রবিচ্ছায়া'', ''কড়ি কোমল'' ইত্যাদি। ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের সম্পাদিত ''সাধনা'' পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশিত হয়। তার সাহিত্যজীবনের এই পর্যায়টি তাই "সাধনা পর্যায়" নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের ''গল্পগুচ্ছ'' গ্রন্থের প্রথম চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই এই পর্যায়ের রচনা। এই ছোটগল্পগুলিতে তিনি বাংলার গ্রামীণ জনজীবনের এক আবেগময় শ্লেষাত্মক চিত্র এঁকেছিলেন। === মধ্য জীবন (১৯০১–১৯৩২) === ১৯১২ সালে হ্যাম্পস্টেডে রবীন্দ্রনাথ; বন্ধু উইলিয়াম রোদেনস্টাইনের শিশুপুত্র জন রোদেনস্টাইন কর্তৃক গৃহীত ফটোগ্রাফ। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে। এখানে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৮ সালে একটি আশ্রম ১৮৯১ সালে একটি ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্রমের আম্রকুঞ্জ উদ্যানে একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চালু করলেন বা নামে একটি পরীক্ষামূলক স্কুল। ১৯০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী মারা যান। এরপর ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কন্যা রেণুকা, ১৯০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৭ সালের ২৩ নভেম্বর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়। এসবের মধ্যেই ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ তার জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান আধুনিক কৃষি গোপালন বিদ্যা শেখার জন্য। ১৯০৭ সালে কনিষ্ঠা জামাতা নগেন্দ্রনাথ কৃষিবিজ্ঞান শেখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সময় শান্তিনিকেতনের অর্থসংকট তীব্র হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পুত্র জামাতার বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়ভারও রবীন্দ্রনাথকে বহন করতে হয়। এমতাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর গয়না পুরীর বসতবাড়িটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। ইতোমধ্যেই অবশ্য বাংলা বহির্বঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯০১ সালে ''নৈবেদ্য'' ১৯০৬ সালে ''খেয়া'' কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ''গীতাঞ্জলি'' প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে ''গীতাঞ্জলি'' (ইংরেজি অনুবাদ, ১৯১২) কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে 'স্যার' উপাধি (নাইটহুড) দেয়। ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনের অদূরে সুরুল গ্রামে মার্কিন লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনের আরও কয়েকজন শিক্ষক ছাত্রের সহায়তায় রবীন্দ্রনাথ "পল্লীসংগঠন কেন্দ্র" নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতিসাধন, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা এবং সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে বৃদ্ধি করা। ১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে রাখেন "শ্রীনিকেতন"। শ্রীনিকেতন ছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রতীক প্রতিবাদসর্বস্ব স্বরাজ আন্দোলনের একটি বিকল্প ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীর আন্দোলনের পন্থা-বিরোধী ছিলেন। পরবর্তীকালে দেশ বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ, দাতা অন্যান্য পদাধিকারীরা শ্রীনিকেতনের জন্য আর্থিক অন্যান্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন। ১৯৩০-এর দশকের প্রথম ভাগে একাধিক বক্তৃতা, গান কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় সমাজের বর্ণাশ্রম প্রথা অস্পৃশ্যতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। === শেষ জীবন (১৯৩২-১৯৪১) === ১৯৩০ সালে বার্লিনে রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ দশকে (১৯৩২-১৯৪১) রবীন্দ্রনাথের মোট পঞ্চাশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তার এই সময়কার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ''পুনশ্চ'' (১৯৩২), ''শেষ সপ্তক'' (১৯৩৫), ''শ্যামলী'' ''পত্রপুট'' (১৯৩৬) এই গদ্যকবিতা সংকলন তিনটি। জীবনের এই পর্বে সাহিত্যের নানা শাখায় চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার এই ফসল হলো তার একাধিক গদ্যগীতিকা ''নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা'' (১৯৩৬; ''চিত্রাঙ্গদা'' (১৮৯২) কাব্যনাট্যের রূপ) ''শ্যামা'' (১৯৩৯) ''চণ্ডালিকা'' (১৯৩৯) এছাড়া রবীন্দ্রনাথ তার শেষ তিনটি উপন্যাসও (''দুই বোন'' (১৯৩৩), ''মালঞ্চ'' (১৯৩৪) ''চার অধ্যায়'' (১৯৩৪)) এই পর্বে রচনা করেছিলেন। তার অধিকাংশ ছবি জীবনের এই পর্বেই আঁকা। এর সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শেষ বছরগুলিতে বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তার বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন এই গ্রন্থে তিনি আধুনিকতম সিদ্ধান্তগুলি সরল বাংলা গদ্যে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। পদার্থবিদ্যা জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে তার অর্জিত জ্ঞানের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তার কাব্যেও। ''সে'' (১৯৩৭), ''তিন সঙ্গী'' (১৯৪০) ''গল্পসল্প'' (১৯৪১) গল্পসংকলন তিনটিতে তার বিজ্ঞানী একাধিক গল্প সংকলিত হয়েছে। জীবনের এই পর্বে ধর্মীয় গোঁড়ামি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্রতম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ বিহার প্রদেশে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুকে গান্ধীজি "ঈশ্বরের রোষ" বলে অভিহিত করলে, রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজির এহেন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেন এবং প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেন। কলকাতার সাধারণ মানুষের আর্থিক দুরবস্থা ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক অবক্ষয় তাকে বিশেষভাবে বিচলিত করে তুলেছিল। গদ্যছন্দে রচিত একটি শত-পংক্তির কবিতায় তিনি এই ঘটনা চিত্রায়িতও করেছিলেন। জীবনের শেষ চার বছর ছিল তার ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়। এই সময়ের মধ্যে দুইবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয়েছিল তাকে। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে সৃজিত কিছু অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা। মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। == বিশ্বভ্রমণ == আইনস্টাইনের সঙ্গে, ১৯৩০ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট বারো বার বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি মহাদেশের ত্রিশটিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন। প্রথম জীবনে দুই বার (১৮৭৮ ১৮৯০ সালে) তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। ১৯১২ সালে ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য তৃতীয়বার ইংল্যান্ডে গিয়ে ইয়েটস প্রমুখ কয়েকজন ইংরেজ কবি বুদ্ধিজীবীদের কাছে সদ্যরচিত ''গীতাঞ্জলি'' কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করে শোনান। কবিতাগুলি শুনে তারাও মুগ্ধ হয়েছিলেন। ইয়েটস স্বয়ং উক্ত কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকাটি লিখে দিয়েছিলেন। এই ভ্রমণের সময়েই "দীনবন্ধু" চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। ১৯১৩ সালে সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করে। ১৯১৬-১৭ সালে জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কতকগুলি বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতাগুলি সংকলিত হয় তার ''ন্যাশনালিজম'' (১৯১৭) গ্রন্থে। তবে জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বিরূপ মতামত উক্ত দুই দেশে সেই সফরকালে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। ১৯২০-২১ সাল নাগাদ আবার ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান কবি। এই সফরের সময় পাশ্চাত্য দেশগুলিতে তিনি সংবর্ধিত হয়েছিলেন। ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ যান চীন সফরে। এরপর চীন থেকে জাপানে গিয়ে সেখানেও বক্তৃতা দেন কবি। ১৯২৪ সালের শেষের দিকে পেরু সরকারের আমন্ত্রণে সেদেশে যাওয়ার পথে আর্জেন্টিনায় অসুস্থ হয়ে কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আতিথ্যে তিন মাস কাটান। স্বাস্থ্যের কারণে পেরু ভ্রমণ তিনি স্থগিত করে দেন। পরে পেরু মেক্সিকো উভয় দেশের সরকারই বিশ্বভারতীকে ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য প্রদান করেছিল। ১৯২৬ সালে বেনিতো মুসোলিনির আমন্ত্রণে ইতালি সফরে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে মুসোলিনির আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলেও, পরে লোকমুখে তার স্বৈরাচারের কথা জানতে পেরে, মুসোলিনির কাজকর্মের সমালোচনা করেন কবি। এর ফলে উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ছেদ পড়ে। এরপর রবীন্দ্রনাথ গ্রিস, তুরস্ক মিশর ভ্রমণ করে ভারতে ফিরে আসেন। চিত্র:Tagore shot of dozens of people assembled at the entrance of an imposing building; two columns in view. All subjects face the camera. All but two are dressed in lounge suits: woman at front-center wears light-coloured Persian garb; the man to her left, first row, wears white beard and dark-coloured oriental cap and robes.|তেহরানের মজলিশে, ১৯৩২ ১৯২৭ সালে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়সহ চার সঙ্গীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে। এই সময় তিনি ভ্রমণ করেন বালি, জাভা, কুয়ালালামপুর, মালাক্কা, পেনাং, সিয়াম সিঙ্গাপুর। ১৯৩০ সালে কবি শেষবার ইংল্যান্ডে যান অক্সফোর্ডে হিবার্ট বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি ভ্রমণ করেন ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সোভিয়েত রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৩২ সালে ইরাক পারস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন কবি। এরপর ১৯৩৪ সালে সিংহলে যান রবীন্দ্রনাথ। এটিই ছিল তার সর্বশেষ বিদেশ সফর। রবীন্দ্রনাথ যেসকল বইতে তার বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলি লিপিবদ্ধ করে রাখেন সেগুলি হল: পত্র'' (১৮৮১), ডায়ারি'' (১৮৯১, ১৮৯৩), (১৯১৯), ''যাত্রী'' ডায়ারি'' ''জাভা-যাত্রীর পত্র'', ১৯২৯), ''রাশিয়ার চিঠি'' (১৯৩১), ''পারস্যে'' (১৯৩৬) ''পথের সঞ্চয়'' (১৯৩৯)। ব্যাপক বিশ্বভ্রমণের ফলে রবীন্দ্রনাথ তার সমসাময়িক অরিঁ বের্গসঁ, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ফ্রস্ট, টমাস মান, জর্জ বার্নার্ড শ, এইচ জি ওয়েলস, রোম্যাঁ রোলাঁ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলেন। জীবনের একেবারে শেষপর্বে পারস্য, ইরাক সিংহল ভ্রমণের সময় মানুষের পারস্পরিক ভেদাভেদ জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তার বিতৃষ্ণা আরও তীব্র হয়েছিল মাত্র। অন্যদিকে বিশ্বপরিক্রমার ফলে ভারতের বাইরে নিজের রচনাকে পরিচিত করে তোলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিনিময়ের সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। == সৃষ্টিকর্ম == রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মূলত এক কবি। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কাব্যরচনা শুরু করেন। তার প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২। তবে বাঙালি সমাজে তার জনপ্রিয়তা প্রধানত সংগীতস্রষ্টা হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ প্রায় দুই হাজার গান লিখেছিলেন। কবিতা গান ছাড়াও তিনি ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা ''রবীন্দ্র রচনাবলী'' নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার সামগ্রিক চিঠিপত্র উনিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রবর্তিত নৃত্যশৈলী "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত। === কবিতা === কবির হস্তাক্ষরে কবিতা, হাঙ্গেরিতে লিখিত, ১৯২৬: বাংলা ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি। তার ''কবিকাহিনী'', ''বনফুল'' ''ভগ্নহৃদয়'' কাব্য তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট। কাব্যগ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই পর্বের ''ছবি গান'' ''কড়ি কোমল'' কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু ছিল মানব হৃদয়ের বিষণ্ণতা, আনন্দ, মর্ত্যপ্রীতি মানবপ্রেম। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত ''মানসী'' এবং তার পর প্রকাশিত ''সোনার তরী'' (১৮৯৪), ''চিত্রা'' (১৮৯৬), ''চৈতালি'' (১৮৯৬), ''কল্পনা'' (১৯০০) ''ক্ষণিকা'' (১৯০০) কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের প্রেম সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোম্যান্টিক ভাবনা। ১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রাধান্য লক্ষিত হয়। এই চিন্তা ধরা পড়েছে ''নৈবেদ্য'' (১৯০১), ''খেয়া'' (১৯০৬), ''গীতাঞ্জলি'' (১৯১০), ''গীতিমাল্য'' (১৯১৪) ''গীতালি'' (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থে। ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটলে ''বলাকা'' (১৯১৬) কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার পরিবর্তে আবার মর্ত্যজীবন সম্পর্কে আগ্রহ ফুটে ওঠে। ''পলাতকা'' (১৯১৮) কাব্যে গল্প-কবিতার আকারে তিনি নারীজীবনের সমসাময়িক সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। ''পূরবী'' (১৯২৫) ''মহুয়া'' (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ আবার প্রেমকে উপজীব্য করেন। এরপর ''পুনশ্চ'' (১৯৩২), ''শেষ সপ্তক'' (১৯৩৫), ''পত্রপুট'' (১৯৩৬) ''শ্যামলী'' (১৯৩৬) নামে চারটি গদ্যকাব্য প্রকাশিত হয়। জীবনের শেষ দশকে কবিতার আঙ্গিক বিষয়বস্তু নিয়ে কয়েকটি নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সময়কার ''রোগশয্যায়'' (১৯৪০), ''আরোগ্য'' (১৯৪১), ''জন্মদিনে'' (১৯৪১) ''শেষ লেখা'' (১৯৪১, মরণোত্তর প্রকাশিত) কাব্যে মৃত্যু মর্ত্যপ্রীতিকে একটি নতুন আঙ্গিকে পরিস্ফুট করেছিলেন তিনি। শেষ কবিতা "তোমার সৃষ্টির পথ" মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মধ্যযুগীয় বৈষ্ণব পদাবলি, উপনিষদ্‌, কবীরের দোঁহাবলি, লালনের বাউল গান রামপ্রসাদ সেনের শাক্ত পদাবলি সাহিত্যের প্রভাব লক্ষিত হয়। তবে প্রাচীন সাহিত্যের দুরূহতার পরিবর্তে তিনি এক সহজ সরস কাব্যরচনার আঙ্গিক গ্রহণ করেছিলেন। আবার ১৯৩০-এর দশকে কিছু পরীক্ষামূলক লেখালেখির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা বাস্তবতাবোধের প্রাথমিক আবির্ভাব প্রসঙ্গে নিজ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছিলেন কবি। বহির্বিশ্বে তার সর্বাপেক্ষা সুপরিচিত কাব্যগ্রন্থটি হল ''গীতাঞ্জলি''। বইটির জন্যই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। নোবেল ফাউন্ডেশন তার এই কাব্যগ্রন্থটিকে বর্ণনা করেছিল একটি "গভীরভাবে সংবেদনশীল, উজ্জ্বল সুন্দর কাব্যগ্রন্থ" রূপে। === ছোটগল্প === রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার। মূলত ''হিতবাদী'', ''সাধনা'', ''ভারতী'', ''সবুজ পত্র'' প্রভৃতি মাসিক পত্রিকাগুলির চাহিদা মেটাতে তিনি তার ছোটগল্পগুলি রচনা করেছিলেন। এই গল্পগুলির উচ্চ রবীন্দ্রনাথের জীবনের "সাধনা" পর্বটি (১৮৯১–৯৫) ছিল সর্বাপেক্ষা সৃষ্টিশীল পর্যায়। তার ''গল্পগুচ্ছ'' গল্পসংকলনের প্রথম তিন খণ্ডের চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই রচিত হয় এই সময়কালের মধ্যে। ''গল্পগুচ্ছ'' সংকলনের অন্য গল্পগুলির অনেকগুলিই রচিত হয়েছিল রবীন্দ্রজীবনের ''সবুজ পত্র'' পর্বে (১৯১৪–১৭; প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকার নামানুসারে) তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্প হল "কঙ্কাল", "নিশীথে", "মণিহারা", "ক্ষুধিত পাষাণ", "স্ত্রীর পত্র", "নষ্টনীড়", "কাবুলিওয়ালা", "হৈমন্তী", "দেনাপাওনা", "মুসলমানীর গল্প" ইত্যাদি। শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ ''লিপিকা'', ''সে'' ''তিনসঙ্গী'' গল্পগ্রন্থে নতুন আঙ্গিকে গল্পরচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তার গল্পে পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলি বা আধুনিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতেন। কখনও তিনি মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের বৌদ্ধিক বিশ্লেষণকেই গল্পে বেশি প্রাধান্য দিতেন। রবীন্দ্রনাথের একাধিক ছোটগল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র, নাটক টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। তার গল্পের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রায়ণ হল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ''তিন কন্যা'' ("মনিহারা", "পোস্টমাস্টার" "সমাপ্তি" অবলম্বনে) ''চারুলতা'' ("নষ্টনীড়" অবলম্বনে) তপন সিংহ পরিচালিত ''অতিথি'', ''ক্ষুধিত পাষাণ'', পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত ''স্ত্রীর পত্র'' ইত্যাদি। === উপন্যাস === Tagore Ra-Tha seal close-up photograph of piece of wood boldly painted in unmixed solid strokes of black and white in stylized semblance to "ra" and "tha" from the Bengali কাঠের সিলে খোদিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের আদ্যক্ষরদ্বয় ("র-ঠ")। প্রাচীন হাইদা খোদাই লিপির সঙ্গে এর শৈলীগত মিল লক্ষণীয়। রবীন্দ্রনাথ প্রায়ই তাঁর এই ধরণের নকশা অঙ্কন করতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট তেরোটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এগুলি হল: ''বৌ-ঠাকুরাণীর হাট'' (১৮৮৩), ''রাজর্ষি'' (১৮৮৭), ''চোখের বালি'' (১৯০৩), ''নৌকাডুবি'' (১৯০৬), ''প্রজাপতির নির্বন্ধ'' (১৯০৮), ''গোরা'' (১৯১০), ''ঘরে বাইরে'' (১৯১৬), ''চতুরঙ্গ'' (১৯১৬), ''যোগাযোগ'' (১৯২৯), ''শেষের কবিতা'' (১৯২৯), ''দুই বোন'' (১৯৩৩), ''মালঞ্চ'' (১৯৩৪) ''চার অধ্যায়'' (১৯৩৪)। ''বৌ-ঠাকুরাণীর হাট'' ''রাজর্ষি'' ঐতিহাসিক উপন্যাস। এদুটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস রচনার প্রচেষ্টা। এরপর থেকে ছোটগল্পের মতো তার উপন্যাসগুলিও মাসিকপত্রের চাহিদা অনুযায়ী ''নবপর্যায় বঙ্গদর্শন'', ''প্রবাসী'', ''সবুজ পত্র'', ''বিচিত্রা'' প্রভৃতি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ''চোখের বালি'' উপন্যাসে দেখানো হয়েছে সমসাময়িককালে বিধবাদের জীবনের নানা সমস্যা। ''নৌকাডুবি'' উপন্যাসটি আবার লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে। ''গোরা'' রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের হিন্দু ব্রাহ্মসমাজের সংঘাত ভারতের তদানীন্তন সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যাগুলি। ''ঘরে বাইরে'' উপন্যাসের বিষয়বস্তু ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নারী পুরুষের সম্পর্কের জটিলতা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা আরও সূক্ষ্মভাবে উঠে এসেছে তার পরবর্তী ''যোগাযোগ'' উপন্যাসেও। ''চতুরঙ্গ'' উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের “ছোটগল্পধর্মী উপন্যাস”। স্ত্রীর অসুস্থতার সুযোগে স্বামীর অন্য স্ত্রীলোকের প্রতি আসক্তি এই বিষয়টিকে উপজীব্য করে রবীন্দ্রনাথ ''দুই বোন'' ''মালঞ্চ'' উপন্যাসদুটি লেখেন। এর মধ্যে প্রথম উপন্যাসটি মিলনান্তক দ্বিতীয়টি বিয়োগান্তক। রবীন্দ্রনাথের শেষ উপন্যাস ''চার অধ্যায়'' সমসাময়িক বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি বিয়োগান্তক প্রেমের উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্যজিৎ রায়ের ''ঘরে বাইরে'' ঋতুপর্ণ ঘোষের ''চোখের বালি''। === প্রবন্ধ পত্রসাহিত্য === রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ইংরেজি ভাষায় অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। এইসব প্রবন্ধে তিনি সমাজ, রাষ্ট্রনীতি, ধর্ম, সাহিত্যতত্ত্ব, ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, ছন্দ, সংগীত ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তামূলক প্রবন্ধগুলি ''সমাজ'' (১৯০৮) সংকলনে সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে লেখা প্রবন্ধগুলি সংকলিত হয়েছে ''কালান্তর'' (১৯৩৭) সংকলনে। রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা আধ্যাত্মিক অভিভাষণগুলি সংকলিত হয়েছে ''ধর্ম'' (১৯০৯) (১৯০৯-১৬) অভিভাষণমালায়। রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধগুলি স্থান পেয়েছে ''ভারতবর্ষ'' (১৯০৬), ''ইতিহাস'' (১৯৫৫) ইত্যাদি গ্রন্থে। ''সাহিত্য'' (১৯০৭), ''সাহিত্যের পথে'' (১৯৩৬) ''সাহিত্যের স্বরূপ'' (১৯৪৩) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যতত্ত্ব আলোচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্য আধুনিক সাহিত্যের সমালোচনা করেছেন যথাক্রমে ''প্রাচীন সাহিত্য'' (১৯০৭) ''আধুনিক সাহিত্য'' (১৯০৭) গ্রন্থদুটিতে। ''লোকসাহিত্য'' (১৯০৭) প্রবন্ধমালায় তিনি আলোচনা করেছেন বাংলা লোকসাহিত্যের প্রকৃতি। ভাষাতত্ত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ রয়েছে ''শব্দতত্ত্ব'' (১৯০৯), ''বাংলা ভাষা পরিচয়'' (১৯৩৮) ইত্যাদি গ্রন্থে। ছন্দ সংগীত নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন যথাক্রমে ''ছন্দ'' (১৯৩৬) ''সংগীতচিন্তা'' (১৯৬৬) গ্রন্থে। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ তার ভাবনাচিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন ''শিক্ষা'' (১৯০৮) প্রবন্ধমালায়। ''ন্যাশনালিজম'' (ইংরেজি: ১৯১৭) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষণ করে তার বিরোধিতা করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দর্শন বিষয়ে যে বিখ্যাত বক্তৃতাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি ''রিলিজিয়ন অফ ম্যান'' (ইংরেজি: ''Religion of Man'', ১৯৩০; বাংলা অনুবাদ ''মানুষের ধর্ম'', ১৯৩৩) নামে সংকলিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা জন্মদিনের অভিভাষণ ''সভ্যতার সংকট'' (১৯৪১) তার সর্বশেষ প্রবন্ধগ্রন্থ। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ''বিশ্বপরিচয়'' (১৯৩৭) নামে একটি তথ্যমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ''জীবনস্মৃতি'' (১৯১২), ''ছেলেবেলা'' (১৯৪০) ''আত্মপরিচয়'' (১৯৪৩) তার আত্মকথামূলক গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথের সামগ্রিক পত্রসাহিত্য আজ পর্যন্ত উনিশটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ''ছিন্নপত্র'' (ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে লেখা), ''ভানুসিংহের পত্রাবলী'' (রানু অধিকারীকে (মুখোপাধ্যায়) লেখা) ''পথে পথের প্রান্তে'' (নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লেখা) বই তিনটি রবীন্দ্রনাথের তিনটি উল্লেখযোগ্য পত্রসংকলন। === নাট্যসাহিত্য === নাটকের দৃশ্য, কলকাতার একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপের দেওয়ালচিত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ছিলেন নাট্যকার নাট্যাভিনেতা। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক নাট্যমঞ্চে মাত্র ষোলো বছর বয়সে অগ্রজ ঠাকুর রচিত ''হঠাৎ নবাব'' নাটকে (মলিয়ের ''লা বুর্জোয়া জাঁতিরোম'' অবলম্বনে রচিত) পরে ''অলীকবাবু'' নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৮১ সালে তার প্রথম গীতিনাট্য মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে তিনি ঋষি বাল্মীকির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ১৮৮২ সালে রবীন্দ্রনাথ রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে ''কালমৃগয়া'' নামে আরও একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। এই নাটক মঞ্চায়নের সময় তিনি অন্ধমুনির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। গীতিনাট্য রচনার পর রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন। শেকসপিয়রীয় পঞ্চাঙ্ক রীতিতে রচিত তার ''রাজা রাণী'' (১৮৮৯) ''বিসর্জন'' (১৮৯০) বহুবার সাধারণ রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয় এবং তিনি নিজে এই নাটকগুলিতে অভিনয়ও করেন। ১৮৮৯ সালে ''রাজা রাণী'' নাটকে বিক্রমদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ। ''বিসর্জন'' নাটকটি দুটি ভিন্ন সময়ে মঞ্চায়িত করেছিলেন তিনি। ১৮৯০ সালের মঞ্চায়নের সময় যুবক রবীন্দ্রনাথ বৃদ্ধ রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালের মঞ্চায়নের সময় বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ যুবক জয়সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কাব্যনাট্য পর্বে রবীন্দ্রনাথের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল ''চিত্রাঙ্গদা'' (১৮৯২) ''মালিনী'' (১৮৯৬)। কাব্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ প্রহসন রচনায় মনোনিবেশ করেন। এই পর্বে প্রকাশিত হয় ''গোড়ায় গলদ'' (১৮৯২), ''বৈকুণ্ঠের খাতা'' (১৮৯৭), ''হাস্যকৌতুক'' (১৯০৭) ''ব্যঙ্গকৌতুক'' (১৯০৭)। ''বৈকুণ্ঠের খাতা'' নাটকে রবীন্দ্রনাথ কেদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ১৯২৬ সালে তিনি ''প্রজাপতির নির্বন্ধ'' উপন্যাসটিকেও ''চিরকুমার সভা'' নামে একটি প্রহসনমূলক নাটকের রূপ দেন। ''তাসের দেশ'' নাটকের একটি আধুনিক উপস্থাপনা ১৯০৮ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ রূপক-সাংকেতিক তত্ত্বধর্মী নাট্যরচনা শুরু করেন। ইতিপূর্বে ''প্রকৃতির প্রতিশোধ'' (১৮৮৪) নাটকে তিনি কিছুটা রূপক-সাংকেতিক আঙ্গিক ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু ১৯০৮ সালের পর থেকে একের পর এক নাটক তিনি এই আঙ্গিকে লিখতে শুরু করেন। এই নাটকগুলি হল: ''শারদোৎসব'' (১৯০৮), ''রাজা'' (১৯১০), ''ডাকঘর'' (১৯১২), ''অচলায়তন'' (১৯১২), ''ফাল্গুনী'' (১৯১৬), ''মুক্তধারা'' (১৯২২), ''রক্তকরবী'' (১৯২৬), ''তাসের দেশ'' (১৯৩৩), ''কালের যাত্রা'' (১৯৩২) ইত্যাদি। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রধানত শান্তিনিকেতনে মঞ্চ তৈরি করে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অভিনয়ের দল গড়ে মঞ্চস্থ করতেন। কখনও কখনও কলকাতায় গিয়েও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করতেন তিনি। এই সব নাটকেও একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ১৯১১ সালে ''শারদোৎসব'' নাটকে সন্ন্যাসী এবং ''রাজা'' নাটকে রাজা ঠাকুরদাদার যুগ্ম ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৪ সালে ''অচলায়তন'' নাটকে অদীনপুণ্যের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৫ সালে ''ফাল্গুনী'' নাটকে অন্ধ বাউলের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৭ সালে ''ডাকঘর'' নাটকে ঠাকুরদা, প্রহরী বাউলের ভূমিকায় অভিনয়। নাট্যরচনার পাশাপাশি এই পর্বে ছাত্রছাত্রীদের অভিনয়ের প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথ পুরোন নাটকগুলি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ করে নতুন নামে প্রকাশ করেন। ''শারদোৎসব'' নাটকটি হয় ''ঋণশোধ'' (১৯২১), ''রাজা'' হয় ''অরূপরতন'' (১৯২০), ''অচলায়তন'' হয় ''গুরু'' (১৯১৮), ''গোড়ায় গলদ'' হয় ''শেষরক্ষা'' (১৯২৮), ''রাজা রাণী'' হয় ''তপতী'' (১৯২৯) এবং হয় ''পরিত্রাণ'' (১৯২৯)। ১৯২৬ সালে ''নটীর পূজা'' নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচ গানের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই ধারাটিই তার জীবনের শেষ পর্বে “নৃত্যনাট্য” নামে পূর্ণ বিকাশ লাভ করে। ''নটীর পূজা'' নৃত্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ একে একে রচনা করেন ''শাপমোচন'' (১৯৩১), ''তাসের দেশ'' (১৯৩৩), ''নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা'' (১৯৩৬), ''নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা'' (১৯৩৮) ''শ্যামা'' (১৯৩৯)। এগুলিও শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরাই প্রথম মঞ্চস্থ করেছিলেন। === সংগীত নৃত্যকলা === চিত্র:Tagore manuscript6 সংকলনের ‘স্বদেশ’ পর্যায়ভুক্ত ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’ গানটির পাণ্ডুলিপি। এই গানটি একটি জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন। ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন। রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন। প্রথম পর্বে তিনি ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন। এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন। ১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে। এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ভাব তার নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়। কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র দুরূহ সুরসৃষ্টি। তার রচিত সকল গান সংকলিত হয়েছে ''গীতবিতান'' গ্রন্থে। এই গ্রন্থের "পূজা", "প্রেম", "প্রকৃতি", "স্বদেশ", "আনুষ্ঠানিক" "বিচিত্র" পর্যায়ে মোট দেড় হাজার গান সংকলিত হয়। পরে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, নাটক, কাব্যগ্রন্থ অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ থেকে বহু গান এই বইতে সংকলিত হয়েছিল। ইউরোপীয় অপেরার আদর্শে ''কালমৃগয়া'' গীতিনাট্য এবং ''চণ্ডালিকা'', ''শ্যামা'' সম্পূর্ণ গানের আকারে লেখা। রবীন্দ্রনাথের সময় বাংলার শিক্ষিত পরিবারে নৃত্যের চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর পাঠক্রমে সংগীত চিত্রকলার সঙ্গে সঙ্গে নৃত্যকেও অন্তর্ভুক্ত করেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকনৃত্য ধ্রুপদি নৃত্যশৈলীগুলির সংমিশ্রণে তিনি এক নতুন শৈলীর প্রবর্তন করেন। এই শৈলীটি "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য গানের পাশাপাশি নাচও অপরিহার্য। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী উদয় শংকর যে আধুনিক ভারতীয় নৃত্যধারার প্রবর্তন করেছিলেন, তার পিছনেও রবীন্দ্রনাথের প্রেরণা ছিল। === চিত্রকলা === "ড্যান্সিং গার্ল", রবীন্দ্রনাথ অঙ্কিত একটি তারিখবিহীন চিত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত ছবি আঁকা শুরু করেন প্রায় সত্তর বছর বয়সে। চিত্রাঙ্কনে কোনো প্রথাগত শিক্ষা তার ছিল না। প্রথমদিকে তিনি লেখার হিজিবিজি কাটাকুটিগুলিকে একটি চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এই প্রচেষ্টা থেকেই তার ছবি আঁকার সূত্রপাত ঘটে। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ কালপরিধিতে অঙ্কিত তার স্কেচ ছবির সংখ্যা আড়াই হাজারের ওপর, যার ১৫৭৪টি শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। দক্ষিণ ফ্রান্সের শিল্পীদের উৎসাহে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় প্যারিসের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে। এরপর সমগ্র ইউরোপেই কবির একাধিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবিতে রং রেখার সাহায্যে রবীন্দ্রনাথ সংকেতের ব্যবহার করতেন। রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্য চিত্রকলার পুনরুত্থানে আগ্রহী হলেও, তার নিজের ছবিতে আধুনিক বিমূর্তধর্মিতাই বেশি প্রস্ফুটিত হয়েছে। মূলত কালি-কলমে আঁকা স্কেচ, জলরং দেশজ রঙের ব্যবহার করে তিনি ছবি আঁকতেন। তার ছবিতে দেখা যায় মানুষের মুখের স্কেচ, অনির্ণেয় প্রাণীর আদল, নিসর্গদৃশ্য, ফুল, পাখি ইত্যাদি। তিনি নিজের প্রতিকৃতিও এঁকেছেন। নন্দনতাত্ত্বিক বর্ণ পরিকল্পনার দিক থেকে তার চিত্রকলা বেশ অদ্ভুত ধরনেরই বলে মনে হয়। তবে তিনি একাধিক অঙ্কনশৈলী রপ্ত করেছিলেন। তন্মধ্যে, কয়েকটি শৈলী হল- নিউ আয়ারল্যান্ডের হস্তশিল্প, কানাডার (ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশ) পশ্চিম উপকূলের "হাইদা" খোদাইশিল্প ম্যাক্স পেকস্টাইনের কাঠখোদাই শিল্প। == রাজনৈতিক মতাদর্শ শিক্ষাচিন্তা == রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক দর্শন অত্যন্ত জটিল। তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন করতেন। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত ''মানসী'' কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের রাজনৈতিক সামাজিক চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়। হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলার তথ্যপ্রমাণ এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ গদর ষড়যন্ত্রের কথা শুধু জানতেনই না, বরং উক্ত ষড়যন্ত্রে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তেরাউচি মাসাতাকি প্রাক্তন প্রিমিয়ার ওকুমা শিগেনোবুর সাহায্যও প্রার্থনা করেছিলেন। আবার ১৯২৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে স্বদেশী আন্দোলনকে "চরকা-সংস্কৃতি" বলে বিদ্রুপ করে রবীন্দ্রনাথ কঠোর ভাষায় তার বিরোধিতা করেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তার চোখে ছিল "আমাদের সামাজিক সমস্যাগুলির রাজনৈতিক উপসর্গ"। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বৃহত্তর জনসাধারণের স্বনির্ভরতা বৌদ্ধিক উন্নতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। ভারতবাসীকে অন্ধ বিপ্লবের পন্থা ত্যাগ করে দৃঢ় প্রগতিশীল শিক্ষার পন্থাটিকে গ্রহণ করার আহ্বান জানান রবীন্দ্রনাথ। formal function, an aged bald man and an old women are humbly dressed and seated side-by-side with legs folded on rug-strewn dais at right; the man looks at bearded, robed, and garlanded old man seated on another dais at left, who is reading from sheet of paper held in his left hand. In the foreground, various dishes and ceremonial objects are arrayed; in the background, half-dozen dignitaries and dozens of ordinary people observe.| শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের আতিথেয়তায় মহাত্মা গান্ধী তাঁর পত্নী কস্তুরবা গান্ধী, ১৯৪০। রবীন্দ্রনাথের এই ধরনের মতাদর্শ অনেককেই বিক্ষুব্ধ করে তোলে। ১৯১৬ সালের শেষ দিকে একটি হোটেলে অবস্থানকালে একদল চরমপন্থী বিপ্লবী রবীন্দ্রনাথকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ উপস্থিত হওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের গান কবিতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৯১৯ সালে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি নাইটহুড বর্জন করেন। নাইটহুড লর্ড চেমসফোর্ডকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, "আমার এই প্রতিবাদ আমার আতঙ্কিত দেশবাসীর মৌনযন্ত্রণার অভিব্যক্তি।" রবীন্দ্রনাথের "চিত্ত যেথা ভয়শূন্য" "একলা চলো রে" রাজনৈতিক রচনা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। "একলা চলো রে" গানটি গান্ধীজির বিশেষ প্রিয় ছিল। যদিও মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিল অম্লমধুর। হিন্দু নিম্নবর্ণীয় জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গান্ধীজি আম্বেডকরের যে মতবিরোধের সূত্রপাত হয়, তা নিরসনেও রবীন্দ্রনাথ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ফলে গান্ধীজিও তার অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তার "তোতা-কাহিনী" গল্পে বিদ্যালয়ের মুখস্ত-সর্বস্ব শিক্ষাকে প্রতি তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। এই গল্পে রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছিলেন, দেশের ছাত্রসমাজকে খাঁচাবদ্ধ পাখিটির মতো শুকনো বিদ্যা গিলিয়ে কিভাবে তাদের বৌদ্ধিক মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ১৯১৭ সালের ১১ অক্টোবর সান্টা বারবারা ভ্রমণের সময় রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা সম্পর্কে প্রথাবিরুদ্ধ চিন্তাভাবনা শুরু করেন। শান্তিনিকেতন আশ্রমকে দেশ ভূগোলের গণ্ডীর বাইরে বের করে ভারত বিশ্বকে একসূত্রে বেঁধে একটি বিশ্ব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও এই সময়েই গ্রহণ করেছিলেন কবি। ১৯১৮ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্বভারতী নামাঙ্কিত তার এই বিদ্যালয়ের শিলান্যাস করা হয়েছিল। এরপর ১৯২২ সালের ২২ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়েছিল এই বিদ্যালয়ের। বিশ্বভারতীতে কবি সনাতন ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার ব্রহ্মচর্য গুরুপ্রথার পুনর্প্রবর্তন করেছিলেন। এই বিদ্যালয়ের জন্য অর্থসংগ্রহ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ তিনি ঢেলে দিয়েছিলেন এই বিদ্যালয়ের পরিচালন খাতে। নিজেও শান্তিনিকেতনের অধ্যক্ষ শিক্ষক হিসেবেও অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতেন তিনি। সকালে ছাত্রদের ক্লাস নিতেন এবং বিকেল সন্ধ্যায় তাদের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনা করতেন। ১৯১৯ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিদ্যালয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি একাধিকবার ইউরোপ আমেরিকা ভ্রমণ করেন। == প্রভাব == প্রাগের রবীন্দ্রমূর্তি বিংশ শতাব্দীর বাঙালি সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা দার্শনিক অমর্ত্য সেন রবীন্দ্রনাথকে এক "হিমালয়প্রতিম ব্যক্তিত্ব" "গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক বহুমাত্রিক সমসাময়িক দার্শনিক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত ''রবীন্দ্র রচনাবলী'' বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হয়। রবীন্দ্রনাথকে "ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি" হিসেবেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী "পঁচিশে বৈশাখ" প্রয়াণবার্ষিকী "বাইশে শ্রাবণ" আজও বাঙালি সমাজে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে। এই উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, শান্তিনিকেতন আশ্রম শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে প্রচুর জনসমাগম হয়। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় ঋতুউৎসবগুলির মাধ্যমেও তাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের রীতি অক্ষুন্ন আছে। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া বা রবীন্দ্ররচনা পাঠের রেওয়াজও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এগুলি ছাড়াও কবির সম্মানে আরও কতকগুলি বিশেষ অভিনব অনুষ্ঠান পালন করা হয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের আরবানাতে আয়োজিত বার্ষিক "রবীন্দ্র উৎসব", তীর্থ-পদযাত্রা "রবীন্দ্র পথপরিক্রমা" ইত্যাদি। চিত্র:Jorasanko Thakur brick-red mansion in the background, shaded by row of large trees; in the foreground, manicured lawn with perimeter of trimmed round ঠাকুরবাড়ি, বর্তমানে কবির নামাঙ্কিত রবীন্দ্রভারতী প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন জীবদ্দশাতেই ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা পূর্ব এশিয়ায় প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ইংল্যান্ডে ডার্টিংটন হল স্কুল নামে একটি প্রগতিশীল সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। অনেজ জাপানি সাহিত্যিককে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থাবলি অনূদিত হয় ইংরেজি, ওলন্দাজ, জার্মান, স্প্যানিশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়। চেক ভারততত্ত্ববিদ ভিনসেন্স লেনসি সহ একাধিক ইউরোপীয় ভাষায় তার গ্রন্থ অনুবাদ করেন। ফরাসি নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আন্দ্রে জিদ্, রাশিয়ান কবি আনা আখমাতোভা প্রাক্তন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত একেভিত, মার্কিন ঔপন্যাসিক জোনা গেইল সহ অনেকেই অনুপ্রেরণা লাভ করেন রবীন্দ্রনাথের রচনা থেকে। ১৯১৬-১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া তার ভাষণগুলি বিশেষ জনপ্রিয়তা প্রশংসা পায়। তবে কয়েকটি বিতর্ককে কেন্দ্র করে ১৯২০-এর দশকের শেষদিকে জাপান উত্তর আমেরিকায় তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কালক্রমে বাংলার বাইরে রবীন্দ্রনাথ "প্রায় অস্তমিত" হয়ে পড়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাধিস্থল, নিমতলা মহাশ্মশান, কলকাতা। চিলিয়ান সাহিত্যিক পাবলো নেরুদা গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, মেক্সিকান লেখক অক্টাভিও পাজ স্প্যানিশ লেখক হোসে অরতেগা ওয়াই গ্যাসেৎ, থেনোবিয়া কামপ্রুবি আইমার, হুয়ান রামোন হিমেনেথ প্রমুখ স্প্যানিশ-ভাষী সাহিত্যিকদেরও অনুবাদের সূত্রে অনুপ্রাণিত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯১৪ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে দম্পতি রবীন্দ্রনাথের বাইশটি বই ইংরেজি থেকে স্প্যানিশে অনুবাদ করেছিলেন। ''দ্য ক্রেসেন্ট মুন'' (''শিশু ভোলানাথ'') সহ রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু রচনার বিস্তারিত পর্যালোচনা স্প্যানিশ সংস্করণ প্রকাশও করেছিলেন তারা। উল্লেখ্য, এই সময়েই হিমেনেথ "নগ্ন কবিতা" (স্প্যানিশ: «poesía desnuda») নামে এক বিশেষ সাহিত্যশৈলীর উদ্ভাবন ঘটান। রবীন্দ্রনাথের মূল বাংলা কবিতা পড়েননি এমন বহু পাশ্চাত্য সাহিত্যিক সাহিত্য সমালোচক রবীন্দ্রনাথের গুরুত্ব অস্বীকারও করেছিলেন। গ্রাহাম গ্রিন সন্দিগ্ধচিত্তে মন্তব্য করেছিলেন, "ইয়েটস সাহেব ছাড়া আর কেউই রবীন্দ্রনাথের লেখাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন না।" রবীন্দ্রনাথের সম্মানের কিছু পুরনো লাতিন আমেরিকান খণ্ডাংশ সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। নিকারাগুয়া ভ্রমণের সময় সালমান রুশদি এই জাতীয় কিছু উদাহরণ দেখে অবাক হন। == রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামাঙ্কিত স্মারক দ্রষ্টব্যস্থল == রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এই প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বীরভূম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতন এই প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন। শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মানে বাংলাদেশে তার নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়। রবীন্দ্র পুরস্কার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার ভারত সরকার প্রদত্ত একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। রবীন্দ্রসদন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত কলকাতার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কার্যালয়। রবীন্দ্র সেতু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত হাওড়া কলকাতা শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতু। রবীন্দ্র সরোবর, কলকাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত ভারতের একটি জাতীয় হ্রদ। এটি কলকাতার বৃহত্তম হ্রদ। রবীন্দ্রনাথ সড়ক, যশোর, বাংলাদেশ 'মনিহার' সিনেমা হল থেকে চৌরাস্তার (চার রাস্তা) মোড় এর মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == অতুলনাময়ী রবিন্দ্র == মূল সূত্র == ;নিবন্ধ Sen, A. (1997), Tagore and His India", ''New York Review of Books'', retrieved 2009-11-26 ;গ্রন্থ == আরও পড়ুন == == বহিঃসংযোগ == ;ব্যাখ্যামূলক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর", বাংলাপিডিয়া ... তাঁর ভারত", নোবেল ফাউন্ডেশন ... সাম্প্রতিক নিবন্ধাবলি", পরবাস ... প্রতিষ্ঠাতা", বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ;অডিওবই সাধনা: ...", লিব্রিভক্স ;কথোপকথন ... আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে এবং এইচ জি ওয়েলসের সঙ্গে, স্কুল অফ উইসডম ;রচনাবলি ... বিচিত্রা প্রকল্প থেকে ... পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির ভাষা প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ প্রকাশিত ... প্রোজেক্ট গুটেনবার্গ থেকে ... টেগোরওয়েব থেকে ... উইকিলাইব্রেস থেকে ---- জন্ম মৃত্যু সাহিত্য লেখক কবি কবি বিজয়ী সাহিত্যিক নোবেল বিজয়ী নোবেল বিজয়ী সঙ্গীত রচয়িতা পুনর্জাগরণ ব্যক্তি ব্যক্তি নবজাগরণ চিত্রশিল্পী কবি নবজাগরণে যুক্ত ব্যক্তি'''মোহাম্মদ আশরাফুল''' (জন্ম জুলাই ১৯৮৪) বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডের অধিকারী। তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কারই মাটিতে। ব্যাটিংয়ে দক্ষতা ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে ডানহাতে লেগ স্পিন বল করে থাকেন। == ক্যারিয়ার == === টেস্ট ক্রিকেট === আশরাফুল বিশ্বের কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট শতক করার রেকর্ডের অধিকারী। নিজের ১৭তম জন্মদিনের একদিন পূর্বে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে তিনি তার অভিষেক টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১১৪ রান করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। কিন্তু খেলায় বাংলাদেশ দল ইনিংস ১৩৭ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়। তার জন্মতারিখ নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তার সূত্রপাত হয়েছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা জুলাই বলা হচ্ছে, কিন্তু তার পাসপোর্টে জন্মতারিখ রয়েছে সেপ্টেম্বর হিসেবে। অবশ্য উভয় তারিখ হিসেব করলেও তিনি তার রেকর্ড ধরে রাখতে পারবেন (পূর্ববর্তী রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মুস্তাক মোহাম্মদের, যিনি ১৯৬০-০১ মৌসুমে ১৭ বছর ৮২ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন)। এই ধরনের শুরুর পর আশরাফুলের কাছে প্রত্যাশার চাপ অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে টানা কয়েক ম্যাচ খারাপ ফর্ম এবং বাজে বলে আউট হওয়ার স্বভাবের কারণে তিনি জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন। ২০০৪ সালে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর ভারতের বিরুদ্ধে ১৫৮* রান করেন, যা সময়কালে তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় শতক এবং কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ টেস্ট রান। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি ১৩৬ রান করেন। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার অভিষেক হয় ২০০৭ এ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অধিনায়কের ভূমিকায় শুরুটা তার ভালো ছিল না। প্রথম টেস্টের দু' ইনিংসে তিনি যথাক্রমে ৩৭ রান করেন এবং দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসেই তিনি ১২৯ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৪টি সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে আশরাফুল বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার (প্রথম হাবিবুল বাশার)। ২০০৭-০৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটি টেস্টে আশরাফুল খুবই ব্যতিক্রমী উপায়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে আউট করেন। বোলারের হাত থেকে ছুটে যাওয়া বল দু'বার বাউন্স খায় এবং ব্যাটসম্যান বলটিকে সজোরে হিট না করে বোলারের হাতে তুলে দেন। আশরাফুল বলটিকে লুফে নেন। ফলশ্রুতিতে আম্পায়ার স্টিভ বাকনার ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করেন। আউটটি 'ক্রিকেটের আইনের' ২৪ নম্বর, অনুচ্ছেদ নম্বর অনুযায়ী সিদ্ধ ছিল। আইনানুসারে 'নো বল' হতে হলে বলটিকে বারের বেশি ড্রপ খেতে হবে কিংবা গড়িয়ে যেতে হবে। === একদিনের আন্তর্জাতিক === আশরাফুলের ওয়ানডে অভিষেক হয় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে, ১১ই এপ্রিল, ২০০১। ম্যাচটিতে তিনি মাত্র রান করেন, বাংলাদেশ হারে ৩৬ রানে। নিজের প্রথম বিশ্বকাপেও তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। পুরো টুর্নামেন্টে তিনি মাত্র ১৪.২০ গড়ে মাত্র ৭১ রান করেন। বাংলাদেশ বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো না হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত জয়ে আশরাফুলের অনেক অবদান রয়েছে। ২০০৫ সালের ১৮ জুন তারিখে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে তৎকালীন বিশ্বের একনম্বর ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ে আশরাফুল ১০০ রান করেন। এটি তার একমাত্র শতক, এবং সেট খেলাটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচ। ২০০৭ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তৎকালীন একনম্বর ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আশরাফুল ৮৩ বলে ৮৭ রান করেন, যা বাংলাদেশকে আরেকটি স্মরণীয় বিজয় উপহার দেয়। এতে তিনি ''ম্যান অব দ্য ম্যাচ'' পুরস্কারে ভূষিত হন। ২৪ গড়ে ২১৬ রান করে আশরাফুল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান স্কোরার হন। বিশ্বকাপের পর তিনি শাহরিয়ার নাফিসের স্থলে দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হন। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজের পর তাকে টেস্ট সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম অধিনায়ক। ২০০৭ এর সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ই বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পুরো সিরিজে এটাই বাংলাদেশের একমাত্র জয় হয়ে দাঁড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে আশরাফুল মাত্র ২০ বলে অর্ধ-শতক করে রেকর্ড করেন। ছ'দিন পরেই অবশ্য যুবরাজ সিং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১২ বলে অর্ধ-শতক করে রেকর্ডটি ভেঙ্গে দেন। === ঘরোয়া ক্রিকেট === 250px ঘরোয়া লীগে আশরাফুল ঢাকা বিভাগীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অনিয়মিতভাবে খেলে থাকেন। ২০০৬ এর নভেম্বরে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৬৩ রানের একটি রেকর্ড ইনিংস খেলেন। সতীর্থ রকিবুল হাসান অবশ্য রেকর্ডটি পরে ভেঙ্গে ফেলেন। আশরাফুল প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগে 'সোনারগাঁও ক্রিকেটার্স'-কে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি যখন অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন, তখন দলটি লীগ টেবিলের একেবারে নিচের দিকে ছিল। তার নেতৃত্বে দলটি টেবিলের দ্বিতীয় দল হিসেবে মৌসুম শেষ করে। আশরাফুল 'রেইনহিল সিসি'র হয়েও ইংল্যান্ডের একটি ঘরোয়া লীগে খেলেন। == ম্যাচ পাতানোর স্বীকারোক্তি == ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএলে) ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার পর আশরাফুল বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন এবং জাতির কাছে ক্ষমা চান। পরে আশরাফুলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Cricinfo Profile Mohammad Ashraful's Profile on BanglaCricket Ashraful's battle to make his mark by S.Rajesh ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি টেস্ট ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ক্রিকেট অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী ক্রিকেটার বিভাগের ক্রিকেটার মুসলিম গেমসে বাংলাদেশের প্রতিযোগী এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটার গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী বাংলাদেশী গেমসের ক্রিকেটে পদক বিজয়ী এশীয় একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটার ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার জেলার ক্রীড়াবিদএকটি একেশ্বরবাদী ধর্ম, যা মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের ধর্মপ্রচারক নাসরতের যিশুর জীবন শিক্ষার উপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে উৎপত্তি লাভ করে। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি "খ্রিস্ট" অনুযায়ী এই ধর্মকে খ্রিস্টধর্ম এবং এর অনুসারীদের খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টানদের নাম বাইবেল। খ্রিস্টানেরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে; তারা আরও বিশ্বাস করে যে যিশু ইশ্বরের পুত্র মানব জাতির ত্রাতা যার আগমন বাইবেলের পুরাতন নিয়ম অংশে পূর্বব্যক্ত হয়েছিল এবং নূতন নিয়ম অংশে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। খ্রিস্টধর্ম একটি অব্রাহামীয় ধর্ম, কেননা বাইবেলের পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত প্রাচীন ইসরায়েলীয় জাতির পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যে এক ঈশ্বরের উপাসনা করতেন, খ্রিস্টানরা সেই ঈশ্বরেরই উপাসনা করে। ==অনুসারীর সংখ্যা মন্ডলীসমূহ== অনুসারীর সংখ্যা অনুযায়ী খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম। সারা বিশ্বে প্রায় ২৪০ কোটি খ্রিস্টধর্মের অনুসারী আছে, যা বিশ্ব জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রাষ্ট্রে খ্রিস্টধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম। বর্তমান যুগে খ্রিস্টধর্ম বেশ কিছু শাখা বা মন্ডলীতে বিভক্ত। এদের মধ্যে ৫টি প্রধান শাখা হল রোমান ক্যাথলিক মন্ডলী (১৩০ কোটি অনুসারী), প্রতিবাদী মন্ডলী (৯২ কোটি অনুসারী), পূর্বী প্রথানুবর্তী মন্ডলী (২৭ কোটি অনুসারী), প্রাচ্যদেশীয় প্রথানুবর্তী মন্ডলী (৮ কোটি অনুসারী) এবং ইঙ্গ (অ্যাংলিকান) মন্ডলী (৮৫ লক্ষ)। এদের বাইরেও বিশ্বের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন মতের অনেক মন্ডলী রয়েছে। ==উদ্ভব (যিশুখ্রিস্টের জীবন)== মধ্যপ্রাচ্যের (বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্রের উত্তরভাগে অবস্থিত) ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের নাসরত শহর থেকে আগত ইহুদি বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা যিশুখ্রিস্টের জীবন শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে ধর্মটির উৎপত্তি হয়। ঐতিহাসিকভাবে নাসরতের যিশু খ্রিস্টীয় ১ম শতকের প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের প্রদেশ যিহূদিয়াতে (ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন অঞ্চলের পার্বত্য দক্ষিণাংশ) বসবাসকারী একজন ধর্মপ্রচারক নৈতিক শিক্ষক ছিলেন। যিশুর পালক বাবা যোসেফ ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। কিন্তু যিশুর অনুসারীরা অর্থাৎ খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করেন যে যিশু স্বয়ং ঈশ্বরের একমাত্র সন্তান। খ্রিস্টান বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে পারতেন, এমনকি মৃত মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন। এসব অলৌকিক ঘটনা সম্পাদনের প্রেক্ষিতে যিশুকে ইহুদিদের রাজা হিসেবে দাবী করা হয়। এই উপাধি ব্যবহার নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে দাবী করার দোষে জেরুসালেমের ইহুদি নেতাদের নির্দেশে যিশুকে জেরুসালেমে গ্রেপ্তার করা হয়। ইহুদিদের সর্বোচ্চ আদালতে তার বিচার হয় ইহুদিরা যিহূদিয়ার স্থানীয় রোমান প্রশাসক পোন্তিউস পীলাতকে অনুরোধ করে যেন যিশুকে মৃত্যদণ্ড দান করা হয়। পীলাত প্রথমে যিশুকে নিরপরাধ গণ্য করলেও পরবর্তীতে যাজকদের প্ররোচণায় উন্মত্ত ইহুদি জনতার ইচ্ছাপূরণ করতে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করান। ==ধর্মগ্রন্থ== খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা একটি ধর্মীয় পুস্তকসমগ্র অনুসরণ করে, যার সামগ্রিক নাম বাইবেল। বাইবেলের পুস্তকগুলিকে দুইটি বড় অংশে ভাগ করা হয়েছে: পুরাতন নিয়ম নতুন নিয়ম। খ্রিস্টানেরা বাইবেলের পুরাতন নতুন নিয়মের সমস্ত পুস্তককে ঈশ্বরের পবিত্র বাণী হিসেবে গণ্য করেন। পুরাতন নিয়ম অংশটি হিব্রু বাইবেল (বা তানাখ) এবং অব্রাহামের পৌত্র যাকব তথা ইসরায়েলের বংশধরদের লেখা অনেকগুলি ধর্মীয় পুস্তক নিয়ে গঠিত। খ্রিস্টধর্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় শাখা ক্যাথলিক মন্ডলীতে অনুমোদিত পুস্তকতালিকা অনুযায়ী বাইবেলের পুরাতন নিয়ম অংশে ৪৬টি পুস্তক আছে। এই পুস্তকগুলি বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সময়ে খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতক পর্যন্ত মূলত হিব্রু ভাষাতে রচিত হয়। বাইবেলের দ্বিতীয় অংশটির নাম নতুন নিয়ম, যা ২৭টি পুস্তক নিয়ে গঠিত। এই পুস্তকমালাতে যিশুর জীবন, শিক্ষা খ্রিস্টীয় ১ম শতকে তার অনুসারীদের কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে। নতুন নিয়মের বিভিন্ন পুস্তক খ্রিস্টীয় ১ম শতকেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সেসময়ে অতি প্রচলিত গ্রিক ভাষাতে রচিত হয়, পরে খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতকে এসে ৩৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ক্যাথলিক মন্ডলীর ধর্মীয় নেতারা উত্তর আফ্রিকার কার্থেজ শহরে আয়োজিত একটি সম্মেলনে নতুন নিয়মের পুস্তকগুলির একটি সঠিক তালিকা অনুমোদন প্রণয়ন করেন। নতুন নিয়মের প্রথম চারটি পুস্তককে একত্রে সুসমাচার নামে ডাকা হয়; এগুলিতে যিশুর জীবন, তার মৃত্যু এবং মৃত অবস্থা থেকে তার পুনরুত্থানের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। ==খ্রিস্টানদের বিশ্বাস== খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করে একজন মাত্র ঈশ্বর স্বর্গ মর্ত্যের দৃশ্যমান অদৃশ্য সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা। অর্থাৎ ঈশ্বর জগতের পিতা। পিতারূপী ঈশ্বর প্রতিটি মানুষকে সন্তানের মতো ভালোবাসেন এবং তার সাথে সম্পর্ক রাখতে চান। কিন্তু প্রতিটি মানুষ পাপ করার প্রবণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে (যার উৎস প্রথম মানব আদমের আদিপাপ)। এই সব ছোট-বড় পাপের কারণে মানুষ জগতের পিতা ঈশ্বরের মাঝে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করে যে যিশুখ্রিস্ট ঈশ্বরেরই দ্বিতীয় একটি রূপ; তিনি ঈশ্বরের একমাত্র প্রকৃত পুত্র। ঈশ্বরের তৃতীয় আরেকটি রূপ হল পবিত্র আত্মা। পবিত্র আত্মা বিভিন্ন নবী বা ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে মানবজাতির সাথে যোগাযোগ করেছে। পবিত্র আত্মারূপী ঈশ্বর মানব কুমারী মেরির গর্ভে পুত্ররূপী ঈশ্বর তথা যিশুখ্রিস্টের জন্ম দেন, যার সুবাদে যিশুখ্রিস্ট রক্তমাংসের মানুষের রূপ ধারণ করে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন। পবিত্র আত্মারূপী ঈশ্বরের সুবাদে পুত্ররূপী ঈশ্বর যিশুখ্রিস্ট পৃথিবীতে বহু অলৌকিক কাজ সম্পাদন করেন। শেষ পর্যন্ত যিশু ক্রুশবিদ্ধ হয়ে যন্ত্রণাভোগ করে মৃত্যুবরণ করে সমগ্র মানবজাতির পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন। কিন্তু তিন দিন পরে তিনি মৃত্যুকে পরাজিত করে পুনরুজ্জীবিত হন এবং স্বর্গে আরোহণ করেন যেখানে তিনি পিতারূপী ঈশ্বরের ডান পাশের আসনে অধিষ্ঠিত হন। ঈশ্বর উপহার হিসেবে সবাইকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। সময়ের যখন সমাপ্তি হবে, তখন যিশু আবার পৃথিবীতে ফেরত আসবেন এবং শেষ বিচারে সমস্ত মানবজাতির (মৃত বা জীবিত) বিচার করবেন। যারা যিশুখ্রিস্টে বিশ্বাস আনবে এবং ঈশ্বরের ক্ষমা গ্রহণ করবে, তারাই ভবিষ্যতে শেষ বিচারের দিনে পরিত্রাণ পাবে স্বর্গে চিরজীবন লাভ করবে। পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলিতে যে মসিহ বা ত্রাণকর্তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে যিশুই সেই ত্রাণকর্তা। তারা যিশুকে একজন নৈতিক শিক্ষক, অনুকরণীয় আদর্শ এবং প্রকৃত ঈশ্বরকে উদ্ঘাটনকারী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে। ==বিকাশ বিস্তার== খ্রিস্টধর্ম প্রথমে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলিতে ইহুদিধর্মের একটি উপ-সম্প্রদায় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। খ্রিস্টের মৃত্যুর পরে তার আদি বারো শিষ্য জেরুসালেম থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়েন। কয়েক দশকের মধ্যে খ্রিস্টে বিশ্বাসী অনুসারীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। বারো শিষ্যের বাইরে খ্রিস্টধর্মের বাণীর আদি প্রচারকদের মধ্যে সন্ত পৌল (৫ আনু. ৬৭ খ্রিষ্টাব্দ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; বাইবেলের নতুন নিয়মের ২৭টি পুস্তকের মধ্যে ১৩টিই তিনি রচনা করেন। খ্রিস্টীয় ১ম শতকেই বারো শিষ্যদের সবার মৃত্যু হয়। এরপর ২য় ৩য় শতকে খ্রিস্টের বারো শিষ্যের উত্তরসূরী ধর্মবিদেরা খ্রিস্ট ধর্মের তত্ত্ব নির্মাণ প্রচার অব্যাহত রাখেন; তাদের রচনার অংশবিশেষ নতুন নিয়মের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এসময় খ্রিস্টধর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ অ-ইহুদি ধর্ম হিসেবে রোমান সাম্রাজ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। একই সাথে ধর্মটি মধ্যপ্রাচ্য, ইথিওপিয়া (আকসুম সাম্রাজ্য) আন্তঃককেশিয়ার বিশাল অংশে এবং এশিয়ার কিয়দংশে ছড়িয়ে পড়ে। আকসুম সাম্রাজ্য প্রথম সাম্রাজ্য হিসেবে খ্রিস্টধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে। ৪র্থ শতকে রোমান সম্রাট কোনস্তানতিন খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং তিনি ৩১৩ খ্রিষ্টাব্দে মিলানের রাজকীয় অধ্যাদেশবলে খ্রিস্টধর্মকে আইনবিরুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা বন্ধ করেন। এর প্রেক্ষিতে এটি সমগ্র রোমান সাম্রাজ্যের প্রধান ধর্মে পরিণত হয়। ৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট কোনস্তানতিনের আহুত নিকায়েয়া-র (বর্তমান তুরস্কের ইজনিক শহর) ধর্মীয় সম্মেলনে খ্রিস্টধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাসের সারসংক্ষেপ প্রথমবারের মত রচিত হয়। এতে বাইবেলে বর্ণিত পিতারূপী ঈশ্বর, পুত্ররূপী ঈশ্বর (যিশু) পবিত্র আত্মারূপী ঈশ্বর এই তিন সত্তাই যে একই ঈশ্বরের তিন রূপ, এই ত্রিত্ববাদ ধারণাটি গৃহীত হয়। বর্তমানে খ্রিস্টান মন্ডলীগুলির সিংহভাগ ঈশ্বরের ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী; তবে মূলধারার বাইরে অনেক ছোট ছোট মন্ডলী এতে বিশ্বাস করে না। ৫ম শতকে খ্রিস্টধর্মের নেতৃস্থানীয় ধর্মযাজকেরা ধর্মগ্রন্থসমগ্র বাইবেলের সংকলন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন। মধ্যযুগে এসে ইউরোপের বাকি অংশগুলিরও খ্রিস্টধর্মায়ন ঘটে। সে সময় খ্রিস্টানরা মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং ভারতের অংশবিশেষেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে বাস করত। আবিষ্কারের যুগের পরে উপনিবেশ স্থাপন জোরালো ধর্মপ্রচারণার সুবাদে খ্রিস্টধর্ম সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা, উত্তর দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের অন্যত্র (যেমন পূর্ব এশিয়া বিশেষত ফিলিপাইন) ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত অঞ্চলব্যাপী বিরাজমান প্রধান ধর্ম। ==টীকা== ==তথ্যসূত্র == ধর্ম ধর্ম ধর্ম'''স্টিভেন কুক''' (; জন্ম:১৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৯) একজন বিখ্যাত মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী গণিতবিদ। টুরিং পুরস্কারপ্রাপ্ত কুকের প্রধান অবদান কম্প্লেক্সিটি তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ এনপি-সম্পূর্ণতা ধারণা উদ্ভাবন করা। তিনি ২০০৮ সালে টুরিং পুরস্কার পান। বর্তমানে তিনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ গণিত বিভাগে অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত। == জন্ম শিক্ষাজীবন == স্টিভেন কুকের জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে। তিনি ১৯৬১ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬২ ১৯৬৬ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব গণিত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোতে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং গণিত বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৭৫ সালে অধ্যাপক হন। == কর্মজীবন == == পুরস্কার সম্মাননা == স্টিভেন কুক ২০০৮ সালে এসিএম টুরিং পুরস্কার পান। == ব্যক্তিজীবন == কুক দুই সন্তান এর জনক এবং বর্তমানে তিনি সস্ত্রীক টরেন্টো রয়েছেন। তিনি বেহালা বাজাতে পারেন এবং নৌভ্রমণ পছন্দ করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Home page of Stephen A. Cook Oral history interview with Stephen Cook at Charles Babbage Institute, University of Minnesota. Cook discussed his education at the University of Michigan and Harvard University and early work at the University of California, Berkeley, and his growing interest in problems of computational complexity. Cook recounted his move to the University of Toronto in 1970 and the reception of his work on leading up to his A.M. Turing Award. Stephen Cook at DBLP কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন্ম ব্যক্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রাক্তন শিক্ষার্থী অব বার্কলের শিক্ষক শিক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য সোসাইটির ফেলোগণ কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রাক্তন শিক্ষার্থী মার্কিন অভিবাসনকারী অব দি অর্ডার অব কানাডা'''জম্মু কাশ্মীর''' হল ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল যা এতদিন সতন্ত্র রাজ্য ছিলো। কিন্তু এই অঞ্চলটি প্রধানত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। ভারতের এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলটির দক্ষিণে ভারতের হিমাচল প্রদেশ পাঞ্জাব রাজ্য দুটি অবস্থিত। জম্মু কাশ্মীরের উত্তরে পাক-অধিকৃত অঞ্চল পূর্বে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ অবস্থিত। এই অঞ্চলের পশ্চিমে উত্তরপশ্চিমে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নরেন্দ্র মোদী চালিত ভারতের সরকার সংসদের উভয় কক্ষে ব্যাপক সমর্থন নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের জম্মু কাশ্মীর এর বিশেষ মর্যাদা ধারা ৩৭০ ধারা ৩৫ক,৫ই আগষ্ট ২০১৯ রদ করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরী করে,যথা জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ। জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা এই দুই অঞ্চল নিয়ে জম্মু কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি গঠিত। শ্রীনগর এই অঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী এবং জম্মু শীতকালীন রাজধানী। কাশ্মীর উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। জম্মু অঞ্চলে অনেক হিন্দু মন্দির থাকায় এটি হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। == ইতিহাস == ১৯২৫ সালে হরি সিং কাশ্মীরের রাজা হন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন কাশ্মীরের শাসক। ১৯৪৭ সালে ভারত-বিভাজনের অন্যতম শর্ত ছিল, ভারতের দেশীয় রাজ্যের রাজারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবেন, অথবা তারা স্বাধীনতা বজায় রেখে শাসনকাজ চালাতে পারবেন। ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার বিদ্রোহী নাগরিক এবং পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পশতুন উপজাতিরা কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করে। কাশ্মীরের রাজা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেও গভর্নর-জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কাছে সহায়তা চাইলেন। কাশ্মীরের রাজা ভারতভুক্তির পক্ষে স্বাক্ষর করবেন, এই শর্তে মাউন্টব্যাটেন কাশ্মীরকে সাহায্য করতে রাজি হন। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর হরি সিং কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তিতে সই করেন। ২৭ অক্টোবর তা ভারতের গভর্নর-জেনারেল কর্তৃক অনুমোদিত হয়। চুক্তি সই হওয়ার পর, ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে প্রবেশ করে সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ভারত বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপন করে। রাষ্ট্রসংঘ ভারত পাকিস্তানকে তাদের অধিকৃত এলাকা খালি করে দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের প্রস্তাব দেয়। ভারত প্রথমে এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫২ সালে জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচিত গণপরিষদ ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দিলে ভারত গণভোটের বিপক্ষে মত দেয়। ভারত পাকিস্তানে রাষ্ট্রসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি তত্ত্বাবধানে আসে। এই গোষ্ঠীর কাজ ছিল, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যেক পক্ষ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের কাছে জমা দেওয়া। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে কাশ্মীর থেকে উভয় পক্ষের সেনা প্রত্যাহার গণভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত গণভোটে অসম্মত হয় এবং এজন্য পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে অসম্মত হয়। ভারত গণভোট আয়োজনে অসম্মত হয় এজন্য যে, এটা নিশ্চিত ছিল যে গণভোটে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের বেশিরভাগ ভোটারই পাকিস্তানের পক্ষে ভোটদান করবেন এতে কাশ্মীরে ভারত ত্যাগের আন্দোলন আরো বেশী জোড়ালো হবে। মুসলিম প্রধান কাশ্মীর অন্যান্য কারণকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়। এরপর ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ হয়। ==প্রশাসন == ===সংবিধানের ৩৭০নং অনুচ্ছেদ=== ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক। ১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশ ভারতকে ভারত পাকিস্তানে বিভাজন করে ভারতীয় সাংবিধানিক আইন কার্যকর হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতভুক্তির বিষয়টি কার্যকরী হয়। ভারতভুক্তির শর্ত হিসেবে জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সংসদ প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র যোগাযোগ- এই তিনটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাধর। ৩৭০ ধারাকে সাময়িক বলে বিবেচনা করা যেতেই পারে। জম্মু কাশ্মীর বিধানসভা ধারা পরিবর্তন করতে পারত, একে বিলোপ করতে পারত বা একে ধারণ করতে পারত। বিধানসভা একে ধারণ করার পক্ষে মত দেয়। আরেকটি ব্যাখ্যা হল- গণভোট না হওয়া পর্যন্ত ভারতভুক্তির সিদ্ধান্ত সাময়িক বলে গণ্য। রাষ্ট্রপতির আদেশের ভিত্তিতে অনুচ্ছেদ ৩৭০ (৩) বিলোপ করা যেতেই পারে। তবে তেমন নির্দেশের জন্য জম্মু কাশ্মীরের গণপরিষদের সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু গণপরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫৭-তে। ফলে একটা মত হল, ৩৭০ ধারা আর বিলোপ করা যেতে পারে না। তবে ব্যাপারে আরেকটি মতও রয়েছে, সেটা হল রাজ্য বিধানসভার সম্মতিক্রমে এই বিলোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। ৩৭০ ধারার নং অনুচ্ছেদ উল্লিখিত হয়েছে, যেখানে রাজ্যগুলির তালিকায় জম্মু-কাশ্মীরকে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে ৩৭০ ধারার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধান লাগু হবে। তবে ১৯৬৩ সালের ২৭ নভেম্বর নেহরু লোকসভায় বলেছিলেন যে ৩৭০ ধারার ক্ষয় হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর রাখার জন্য অন্তত ৪৫ বার ৩৭০ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। ভাবে রাষ্ট্রপতির আদেশের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রায় নাকচ করা হয়েছে। ১৯৫৪ সালের নির্দেশ মোতাবেক প্রায় গোটা সংবিধানই, সমস্ত সংশোধনী সহ জম্মু-কাশ্মীরে কার্যকর করা হয়েছে। ৯৭টির মধ্যে ৯৪টি যুক্তরাষ্ট্রীয় তালিকা জম্মু কাশ্মীরে লাগু, ৩৯৫ টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ২৬০টি রাজ্যে কার্যকর, ১৩টির মধ্যে ৭টি তফশিলও লাগু রয়েছে সেখানে। জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান সংশোধনের জন্য ৩৭০ ধারাকে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে যদিও ৩৭০ ধারার অন্তর্গত ভাবে রাষ্ট্রপতিরও সে ক্ষমতা নেই। পাঞ্জাবে এক বছরের বেশি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রাখতে সরকারের ৫৯তম, ৬৪ তম, ৬৭ তম এবং ৬৮তম সংবিধান সংশোধনী প্রয়োজন হয়েছিল। কিন্তু জম্মুকাশ্মীরের ক্ষেত্রে শুধু ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করেই সে কাজ চলে যায়। তালিকাভুক্ত রাজ্যগুলির জন্য আইন প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ২৪৯ নং অনুচ্ছেদ জম্মু কাশ্মীরে লাগু করার জন্য বিধানসভায় কোনও প্রস্তাব পাশ করানো হয়নি, রাজ্যপালের সুপারিশের ভিত্তিতেই তা কার্যকর হয়ে যায়। এসব দিক থেকে দেখলে ৩৭০ ধারা জম্মু কাশ্মীরের অধিকারকে অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় খর্ব করে। এখন ৩৭০ ধারা, জম্মু কাশ্মীরের থেকে ভারত রাষ্ট্রের পক্ষে বেশি সহায়ক। ২০১৯ সালের আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ (ক) ধারা কে অকার্যকর করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা সুযোগ সুবিধা খর্ব করেন। এবং জম্মু কাশ্মীরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে সেই দুটিকে ভারতের দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জম্মু কাশ্মীরের সংবিধানের নং অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ===বিভাগ=== কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি ২টি বিভাগে বিভক্ত। বিভাগ দুটি হল জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা। ===জেলাগুলি === জম্মু কাশ্মীরের জেলাসমূহের তালিকা ==আরও দেখুন== চেনানি-নাশরি টানেল পহেলগাম কাশ্মীর == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Government of Jammu and Kashmir, India Letter of Baroness Nicholson which refers to the 1909 map of Kashmir Excerpts of telegram dated 26 October 1947 from Jawaharlal Nehru to the British Prime Minister, Clement Attlee EU passes Emma Nicholson's Kashmir report with an overwhelming Majority কাশ্মীরে ভূমিকম্প বিতর্ক অঞ্চল রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু কাশ্মীর ভারত প্রতিষ্ঠিত রাজ্য এবং অঞ্চল ভারতের সংস্থা ভাষাভাষী দেশ এবং অঞ্চল বিতর্ক অঞ্চল'''খুলনা জেলা''' (''খুলনা জিলা'' নামেও পরিচিত) হল বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি খুলনা বিভাগে অবস্থিত। == অবস্থান আয়তন == খুলনা জেলার উত্তরে যশোর নড়াইল জেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে বাগেরহাট জেলা এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলা রয়েছে। এর আয়তন ৪৩৯৪.৪৫ কিমি²। == প্রশাসনিক এলাকা == খুলনা জেলার উপজেলাগুলি হল কয়রা ডুমুরিয়া তেরখাদা দাকোপ দিঘলিয়া পাইকগাছা ফুলতলা বটিয়াঘাটা রূপসা == ভৌগলিক অবস্থান জলবায়ু == খুলনা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে। এই জেলার জলবায়ু নাতিষীতোষ্ণ। == নদ-নদী == খুলনা জেলায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে রূপসা নদী, ভৈরব নদ, শিবসা নদী, পশুর নদী, কপোতাক্ষ নদ, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, পশুর নদী, আঠারোবাঁকি নদী, ভদ্রা নদী, বুড়িভদ্রা নদী, শৈলমারী নদী, কাজিবাছা নদী, ডাকাতিয়া নদী, শাকবাড়িয়া নদী, কাঁকরী নদী, ঝপঝপিয়া নদী, নদী, অর্পণগাছিয়া নদী, কুঙ্গা নদী, মারজাত নদী, মানকি নদী, বল নদী, নলুয়া নদী, ঘনরাজ নদী। == শিক্ষা == খুলনা, যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন। এই বোর্ডে জেএসসি, এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষা গৃহীত হয়ে থাকে। খুলনায় একটি প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য রয়েছেঃ খুলনা পাবলিক কলেজ, বয়রা, খুলনা গভঃ লাবরেটরী হাই স্কুল, খুলনা খুলনা জেলা স্কুল সরকারি দৌলতপুর মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় করোনেশনের বালিকা বিদ্যালয় মন্নুজান সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সরকারি বি এল কলেজ আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ সরকারী হাজি মোহাম্মদ মুহসিন কলেজ (খালিশপুর) খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় *খুলনা মেডিকেল কলেজ ==অর্থনীতি== মূলত কৃষির পাশাপাশি শিল্প নির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠেছে এখানে। এখানে রয়েছে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র, জুট মিল, লবন ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশের বাসমতী 'বাংলামতি' ধান উৎপাদন প্রভৃতি। == পর্যটন স্থান == পৃথিবীর বৃহত্তম উপকূলীয় বনভূমি সুন্দরবন, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট খান জাহান আলি (র) মাজার, বাগেরহাট খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, খুলনা বনবিলাস চিড়িয়াখানা, খুলনা রূপসা নদী বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি, দক্ষিণ ডিহি, ফুলতলা, খুলনা আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এর জন্ম স্থান, পাইকগাছা থানা, খুলনা রূপসা সেতু, খুলনা ধর্ম সভা আর্য মন্দির, খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক ভাষাস্মৃতি শহীদ মিনার, খুলনা গল্লামারি বধ্যভূমি শহীদস্মৃতি সৌধ, খুলনা জাতিসংঘ শিশুপার্ক, শান্তিধাম মোড়, খুলনা ধামালিয়া জমিদার বাড়ি == স্থানীয় পত্র-প্রত্রিকা == খুলনা থেকে যে সমস্ত প্রত্রিকা প্রকিাশিত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক তথ্য, '''দৈনিক প্রবাহ,''' দৈনিক সময়ের খবর, দৈনিক জন্মভূমি, দৈনিক অনির্বাণ, দৈনিক খুলনাঞ্চল, দৈনিক পাঠকের পত্রিকা, খুলনা নিউজ ডট কম ইত্যাদি। == উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব== খান জাহান আলী (১৩৬৯ ২৫ অক্টোবর ১৪৫৯) ইসলাম ধর্ম প্রচারক বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক; কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৪ ১৯০৭) স্বনামধন্য কবি; *মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবি নাট্যকার; আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (২ আগস্ট ১৮৬১ ১৬ জুন ১৯৪৪) প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞানশিক্ষক, দার্শনিক, কবি; মৃণালিনী দেবী (মার্চ ১৮৭৪ ২৩ নভেম্বর ১৯০২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিনী; রসিকলাল দাস (১৮৯৯ আগস্ট ১৯৬৭) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী; অতুল সেন (মৃত্যুঃ আগস্ট ১৯৩২) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী; অনুজাচরণ সেন (জুন ১৯০৫ ২৫ আগস্ট ১৯৩০) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী; বিষ্ণু চট্টোপাধ্যায় (এপ্রিল ১৯১০ ১১ এপ্রিল ১৯৭১) জমিদারতন্ত্র বিরোধী কৃষক আন্দোলনের ঐতিহাসিক নেতা সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ; শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১১ জুলাই, ১৮৯৭ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮২) শ্রমিক নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামী শেখ রাজ্জাক আলী (২৮ আগস্ট ১৯২৮ জুন ২০১৫) খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ ও্ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার; আবেদ খান (জন্মঃ ১৬ এপ্রিল ১৯৪৫) সাংবাদিক কলাম-লেখক; ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ মার্চ ২০১৮) প্রখ্যাত ভাস্কর; তানভীর মোকাম্মেল (১৯৫৫) চলচ্চিত্র পরিচালক; ওমর সানী (৬ মে ১৯৬৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা; মৌসুমী (১১ নভেম্বর ১৯৭৩) চলচ্চিত্র অভিনেত্রী; শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ২৯ অক্টোবর ২০১৩) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; আব্দুর রাজ্জাক (১৫ জুন ১৯৮২) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; এনামুল হক (১৬ ডিসেম্বর ১৯৯২) বাংলাদেশী ক্রিকেটার, উইকেট-রক্ষক এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যান; মানজারুল ইসলাম রানা (৪ মে ১৯৮৪ ১৬ মার্চ ২০০৭) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (২ ডিসেম্বর ১৯৮৬) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; *সৌম্য সরকার-বাংলাদেশী ক্রিকেটার এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান (২৫ অক্টোবর ১৯৯৭, খুলনা) বাংলাদেশী ক্রিকেটার, ডান-হাতি অফ ব্রেক এবং ব্যাটসম্যান সালমা খাতুন (১ অক্টোবর ১৯৯০) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; রুমানা আহমেদ (২৯ মে ১৯৯১) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; আয়শা রহমান (১৪ জানুয়ারি ১৯৮৪) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; জাহানারা আলম (১ এপ্রিল ১৯৯৩) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; শুকতারা রহমান (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার। এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা- খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ সাবেক হুইপ আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু সাংবাদিক, লেখক কলামিস্ট নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মাননীয় মন্ত্রী মৎস প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয় মশিউর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। শ্রী সুজিত অধিকারী খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। *জনাব শেখ মো:হাসান আল-মামুন, সদস্য খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন সমন্বয়কারী) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় উপ কমিটি। জনাব মোল্লা জালাল উদ্দিন সহ সভাপতি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ। *জনাব কামরুজ্জামান জামাল খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। *জনাব শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, খুলনা জেলা আওয়ামী *'''কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন কাগুজী''' চেয়ারম্যান, লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ, পাইকগাছা, খুলনা আওয়ামীলীগ নেতা। == তথ্যসূত্র == == বহিসংযোগ == খুলনা জেলার তথ্য বাতায়ন। জেলা জেলা বিভাগের জেলা'''গি দ্য মোপাসঁ''' (; আগস্ট ১৮৫০ জুলাই ১৮৯৩) একজন বিখ্যাত ফরাসি কবি, গল্পকার ঔপন্যাসিক। ==জন্ম পরিচয়== জন্ম ১৮৫০ সালের আগষ্ট ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে। তার পিতার নাম গ্যুস্তাভ দ্য মোপসঁ এবং মায়ের নাম লোর ল্য পোয়াতভাঁ। তিনি স্বল্পভাষী লাজুক স্বভাবের ছিলেন। মায়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেকখানিই প্রভাব ফেলেছিল তার উপর। তার মা দুরারোগ্য ব্যাধি ভুগতেন ==শিক্ষাজীবন== মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান বলে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন কিছুটা।১৯৬৭ সালে তিনি একটি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৬৯ সালে মোপাসঁ প্যারিসে আইন বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। ==কর্মজীবন== শীঘ্রই তাকে পড়াশোনা ছেড়ে ফরাসি-প্রুশীয় যুদ্ধের কারণে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয় এরপর ১৮৭২ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে ফ্রান্সের নৌ মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। ==সাহিত্যজীবন== স্কুলজীবন থেকেই পারিবারিক বন্ধু গুস্তাভ ফ্লবেয়ারের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে গুস্তাভ ফ্লবেয়ার, এমিল জোলা, আলফস দোঁদে-দের উত্তরসূরী হিসেবে ১৮৮০ সালে একটি কাব্যগ্রন্থ(De Ver) প্রকাশের মধ্যে দিয়ে তার সাহিত্যজগতে পদার্পণ। প্রথম কাব্যগ্রন্থে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাননি। এসময় প্যারিস তরুণ সাহিত্যিকদল একটি সাহিত্যিকদল বের করে একটি সাহিত্যিক সঙ্কলন। নাম Less Sovress de Medan। এখানে মোপাসঁর প্রথম বড় গল্প 'ব্যুল দ্য সুইফ' (Boule de Suif)- যুদ্ধের পটভুমিতে একজন বেশ্যার কাহিনী। ১৮৮৩ সালে আরেকটি বিখ্যাত গল্প প্রকাশিত হল, মাদমোয়াজেল ফিফি। এরপর প্রথম উপন্যাস Un-rie। উপন্যাসটি সরকারি রোষানলের শিকার হল। ১৮৮৫ সালে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস "বেল আমি"। বলা হয়ে থাকে, ছোটগল্পকার হিসেবে যতটুকু পারদর্শী ছিলেন, উপন্যাসে তিনি ততটা ঋজুগতি ধরে রাখতে পারেননি। মাত্র এক দশক সাহিত্যচর্চার সুযোগ পান মোপাসঁ, এই সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি তিনশ' ছোট গল্প, ছয়টি উপন্যাস, বেশ কিছু কবিতা এবং তিনটি ভ্রমণকাহিনী লেখেন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির '''নেকলেস''' গল্পটিও তার লেখা। ==মৃত্যু== দুর্ভাগ্যবশত তারুণ্যের শুরুতেই তিনি সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হন, যা তাকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। শেষে মারাত্মক মানসিক বৈকল্যের শিকার হয়ে ১৮৯২ সালের জানুয়ারি কন্ঠনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্যারিসের একটি প্রাইভেট অ্যাসাইলামে ভর্তি করা হয়, এবং সেখানেই পরের বছর অর্থাৎ ১৮৯৩ সালের ৬ই জুলাই, মাত্র ৪৩ বছর বয়সে, মৃত্যুবরণ করেন এই প্রতিভাবান সাহিত্যিক। ==তথ্যসূত্র== == পাদটীকা == সাহিত্যিক জন্ম মৃত্যু ঔপন্যাসিকবিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের ১৯৬৩-১৯৯৮ বিশ্বজুড়ে টেকটোনিক পাতের গতিপথ। ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে '''ভূমিকম্প''' বলে। কম্পন-তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেণ্ড থেকে এক/দু-মিনিট স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দুর্বল হয় যে, তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু শক্তিশালী বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘর-বাড়ি ধন-সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। সাধারণ জ্ঞানে ভূমিকম্প শব্দটি দ্বারা যে কোন প্রকার ভূকম্পন জনিত ঘটনাকে বোঝায় সেটা প্রাকৃতিক অথবা মনুষ্য সৃষ্ট যাই হোক না কেন। বেশিরভাগ ভূমিকম্পের কারন হল ভূগর্ভে ফাটল স্তরচ্যুতি হওয়া কিন্তু সেটা অন্যান্য কারন যেমন অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস, খনিতে বিষ্ফোরণ বা ভূগর্ভস্থ নিউক্লিয়ার গবেষনায় ঘটানো আনবিক পরীক্ষা থেকেও হতে পারে। ভূমিকম্পের প্রাথমিক ফাটলকে বলে ফোকাস বা হাইপোসেন্টার। এপিসেন্টার হল হাইপোসেন্টার বরাবর মাটির উপরিস্থ জায়গা। == ভূমিকম্পের কেন্দ্র == পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখান থেকে ভূকম্প-তরঙ্গ উৎপন্ন হয়, তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। এই কেন্দ্র থেকে কম্পন ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের মাধ্যমে সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে। শিলার পীড়ন-ক্ষমতা সহ্যসীমার বাহিরে চলে গেলে শিলায় ফাটল ধরে শক্তির মুক্তি ঘটে। তাই প্রায়শই ভূমিকম্পের কেন্দ্র চ্যুতিরেখা অংশে অবস্থান করে। সাধারণত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিমি.-র মধ্যে এই কেন্দ্র অবস্থান করে। তবে ৭০০ কিমি. গভীরে গুরুমণ্ডল (Mantle) থেকেও ভূ-কম্পন উত্থিত হতে পারে। == ভূমিকম্পের কারণ == সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে। আমাদের ভূ -পৃষ্ঠ অনেকগুলো প্লেট-এর সমন্বয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলো একটি আরেকটির থেকে আলাদা থাকে ফল্ট বা ফাটল দ্বারা। এই প্লেটগুলোর নিচেই থাকে ভূ-অভ্যন্তরের সকল গলিত পদার্থ। কোনও প্রাকৃতিক কারণে এই গলিত পদার্থগুলোর স্থানচ্যুতি ঘটলে প্লেটগুলোরও কিছুটা স্থানচ্যুতি ঘটে। কারণে একটি প্লেটের কোনও অংশ অপর প্লেটের তলায় ঢুকে যায়, যার ফলে ভূমিতে কম্পন সৃষ্টি হয়। আর এই কম্পনই ভূমিকম্প রূপে আমাদের নিকট আবির্ভূত হয়। === আগ্নেয়গিরিজনিত === কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ গলিত লাভা উৎক্ষিপ্ত হবার কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। === শিলাচ্যুতিজনিত === কখনো কখনো পাহাড় কিংবা উচু স্থান থেকে বৃহৎ পরিসরে শিলাচ্যুতিজনিত কারণে ভূমিকম্প হতে পারে। === ভূপাত === কোনো কারণে পাহাড়-পর্বত হতে বৃহৎ শিলাখণ্ড ভূত্বকের ওপর ধসে পড়ে ভূমিকম্প হয়। সাধারণত ভাঁজ পর্বতের নিকট অধিক ভূমিকম্প হয়। === তাপ বিকিরণ === ভূত্বক তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হয়ে পড়লে ফাটল ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে ভূমিকম্প হয়। === ভূগর্ভস্থ বাষ্প === নানা কারণে ভূগর্ভে বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্প ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে তা ভূত্বকের নিম্নভাগ ধাক্কা দেয়; ফলে প্রচণ্ড ভূকম্পন অনুভূত হয়। এবং ভূমিকম্প হয়। === হিমবাহের প্রভাবে === কখনো কখনো প্রকাণ্ড হিমবাহ পর্বতগাত্র হতে হঠাৎ নিচে পতিত হয়। এতে ভূকম্প কেঁপে ওঠে এবং ভূমিকম্প হয়। == বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প == === এশিয়া === ==== বাংলাদেশ ==== বাংলাদেশের ভূমিকম্প বলতে আসলে বাংলাদেশ তৎসংলগ্ন এলাকার ভূমিকম্পকে বোঝায়। কারণ বাংলাদেশ আসলে ভারত মায়ানমারের ভূঅভ্যন্তরের দুটি ভূচ্যুতির (faultline) প্রভাবে আন্দোলিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মার (মায়ানমারের) টেকটনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে। ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেট দুটি (১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে) দীর্ঘদিন যাবৎ হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে আছে, অপেক্ষা করছে বড় ধরনের নড়াচড়ার, অর্থাৎ বড় ধরনের ভূ-কম্পনের। বাংলাদেশে ৮টি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে, যথা: বগুড়া চ্যুতি এলাকা, রাজশাহীর তানোর চ্যুতি এলাকা, ত্রিপুরা চ্যুতি এলাকা, সীতাকুণ্ড টেকনাফ চ্যুতি এলাকা, হালুয়াঘাট চ্যুতির ডাওকী চ্যুতি এলাকা, ডুবরি চ্যুতি এলাকা, চট্টগ্রাম চ্যুতি এলাকা, সিলেটের শাহজীবাজার চ্যুতি এলাকা (আংশিক-ডাওকি চ্যুতি) এবং রাঙামাটির বরকলে রাঙামাটি চ্যুতি এলাকা। সাল তারিখ স্থান ভূমিকম্পের মাত্রা(রিখটার স্কেল) ১৮৮৫, ১৪ জুলাই মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ ৭+ ১৯১৮, জুলাই শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ ৭.৬ ১৯৩০, জুলাই ধুবড়ি, আসাম, ভারত ৭.১ ১৯৩৪, ১৫ জানুয়ারি বিহার, ভারত ৮.৩ ১৯৩৪, জুলাই আসাম, ভারত ৭.১ ১৯৫০, ১৫ আগস্ট আসাম, ভারত ৮.৭ ১৯৯৭, ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ৬.০ ১৯৯৯, জুলাই মহেশখালি দ্বীপ, বাংলাদেশ ৫.২ ২০০২ বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ৪০ বার হয় ২০০৩, ২৭ জুলাই বরকল উপজেলা, রাঙামাটি, বাংলাদেশ ৫.১ বাংলাদেশ তৎসংলগ্ন এলাকার ৮৫ বছরের ভূমিকম্পের সংক্ষিপ্ত রেকর্ড। প্রাকৃতিকভাবেই কার্বন চক্রের প্রভাবে ভূমিকম্প হয়ে থাকে, বাংলাদেশেও তার ব্যত্য়য় হয় না। এদেশের ভিতরে পার্শ্ববর্তী এলাকার বিগত প্রায় ২৫০ বছরের ভূমিকম্পের নথিভুক্ত তালিকা পাওয়া যায়। তালিকা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ১০০'রও বেশি ভূমিকম্প; তন্মধ্যে ৬৫টিরও বেশি ঘটেছে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের পরে। থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিগত ৩০ বছরে (পরিপ্রেক্ষিত ২০০৪) ভূমিকম্প সংঘটনের মাত্রা বেড়েছে। বাংলাদেশে ৮টি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে, যথা: বগুড়া চ্যুতি এলাকা, রাজশাহীর তানোর চ্যুতি এলাকা, ত্রিপুরা চ্যুতি এলাকা, সীতাকুণ্ড টেকনাফ চ্যুতি এলাকা, হালুয়াঘাট চ্যুতির ডাওকী চ্যুতি এলাকা, ডুবরি চ্যুতি এলাকা, চট্টগ্রাম চ্যুতি এলাকা, সিলেটের শাহজীবাজার চ্যুতি এলাকা (আংশিক-ডাওকি চ্যুতি) এবং রাঙামাটির বরকলে রাঙামাটি চ্যুতি এলাকা। বাংলাদেশ, ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মার (মায়ানমারের) টেকটনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে। ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেট দুটি (১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে) দীর্ঘদিন যাবৎ হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে আছে, অপেক্ষা করছে বড় ধরনের নড়াচড়ার, অর্থাৎ বড় ধরনের ভূ-কম্পনের। এই সূত্রে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া লেমন্ট-ডোহের্টি আর্থ অবজারভেটরির ভূতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন (জুলাই ২০১৬) এতদিন প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট মডেলের অভাবে সম্ভাব্য ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করা যাচ্ছিল না। এবার তারা সেটি করতে পেরেছেন। তারা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের নিচে জমে ওঠা টেকটনিক প্লেটে চাপ জমে উঠছে কম করে বিগত ৪০০ বছর ধরে। এই চাপ যখন মুক্ত হবে তখন সৃষ্ট ভূমিকম্পের মাত্রা দাঁড়াবে প্রায় ৮.২ রিখটার, এমনকী তা রিখটারেও পৌঁছতে পারে। প্রায় ১৪ কোটি মানুষ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে হয় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প। এমনকি বাংলাদেশ প্রকৌশল (BUET) মানমন্দিরে জানুয়ারি ২০০৬ থেকে মে ২০০৯ পর্যন্ত বছরে, রিখটার স্কেলে মাত্রার ৮৬টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে মাত্রার চারটি ভূ-কম্পনও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানমন্দিরে মে ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়, তন্মধ্যে ৯টিরই রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৫-এর উপরে, এবং সেগুলোর ৯৫%-এরই উৎপত্তিস্থল ছিলো ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। অতীতের এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায় ভূমিকম্পের মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে, অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। মতবিরোধ থাকলেও অনেক ভূতাত্ত্বিক ছোট ছোট ভূমিকম্প সংঘটন বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন। অতীতের এসব রেকর্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যে কোনও সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশকে ভূমিকম্পের তীব্রতার ভিত্তিতে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র:GSB) বুয়েটের গবেষকদের প্রস্তুতকৃত মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১% এলাকা মধ্যম (জোন-২) এবং ১৬% এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ভূ-কম্পন মানচিত্রে ২৬% উচ্চ, ৩৮% মধ্যম এবং ৩৬% নিম্ন ঝুঁকিতে ছিলো। নতুন মানচিত্র অনুযায়ী, মাত্রাভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থান নিম্নরূপ: :'''জোন-১''': পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, সম্পূর্ণ অংশ, এবং ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি কক্সবাজারের অংশবিশেষ। :'''জোন-২''': রাজশাহী, নাটোর, মাগুরা, মেহেরপুর, কুমিল্লা, ফেনী এবং ঢাকা। :'''জোন-৩''': বরিশাল, পটুয়াখালী, এবং সব দ্বীপ চর। ===== জোন-১ ===== জোন-১-এ অবস্থিত বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে। কারণ সিলেট-সুনামগঞ্জ ভারতের শিলংকে বিভক্ত করেছে ডাওকি নদী, আর এই ডাওকি নদী ডাওকি চ্যুতি (Dauki fault) বরাবর অবস্থান করছে, আর ভূতাত্ত্বিক চ্যুতিগুলোই বড় ধরনের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। সিলেটের সীমান্ত এলাকাবর্তী এধরনের চ্যুতিগুলোর কোনো কোনোটিতে সাব-ডাউন ফল্ট রয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্প ঘটালে বড়লেখার পাথারিয়া পাহাড় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। কারণ এতে করে পাথারিয়া অন্তর্চ্যুতি (Patharia anticline) নিচের দিকে মোচড় দিতে পারে। ===== জোন-২ ===== জোন-২-এ অবস্থিত রাজশাহী জেলা, ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রীয় ভূমিকম্প এলাকায় অবস্থিত এবং তাই ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সক্রীয় ভূমিকম্প এলাকায় থাকার কারণে এই অঞ্চলও যেকোনো সময় মারাত্মক ভূমিকম্পের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হতে পারে। জোন-২-তে থাকা রাজধানী শহর ঢাকায় সে হিসেবে মাত্রার ভূমিকম্প হবার মতো ভূতাত্ত্বিক ফাটল রেখা বা ফল্টলাইন নেই। তবে ঢাকা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে মধুপুর অঞ্চলে থেকে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হবার মতো ভূতাত্ত্বিক ফাটল রেখা রয়েছে। সরকারি তথ্যসূত্রমতে, ঢাকায় রাতের বেলায় থেকে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৯০,০০০ লোক হতাহত হবে। দিনের বেলায় হলে হতাহতের সংখ্যা হবে ৭০,০০০। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলের ৩,২৬,০০০ ভবনের উপর পরিচালিত সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, এমন তীব্রতার ভূমিকম্পে প্রায় ৭২,০০০ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে, আরও ৮৫,০০০ ভবন মাঝারি ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু দালান ভাঙার কারণে ক্ষয়ক্ষতি হবে বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য সম্পদ। এমনকি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ পরিচালিত ''রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট টুলস ফর ডায়াগনসিস অফ আরবান এরিয়াস এগেইন্সট সাইসমিক ডিযাসটার'' (রেডিয়াস) জরিপে ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বের ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকাও অন্যতম। এছাড়াও জাপানের ''টোকিও ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'' (টিআইটি)-র সহায়তায় ঢাকা ভূতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত এক সাম্প্রতিক (২০১০) গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকার ভূমিতে বিভিন্ন প্রকারের মাটি (লাল মাটি, নরম মাটি ইত্যাদি) রয়েছে। ঢাকার সম্প্রসারিত অংশে জলাশয় ভরাট করে গড়ে তোলা আবাসন এলাকা রয়েছে। ভূমিকম্পের সময় নরম মাটি ভরাট করা এলাকার মাটি ভূমিকম্পের কম্পন তরঙ্গকে বাড়িয়ে দেয়, ফলে ভূমিকম্পের তীব্রতা বাড়ে। মাটির বৈশিষ্ট্যের সাথে যোগ হয় ভবনের বা স্থাপনার কাঠামো। এই দুইয়ের সম্মিলনে ভূমিকম্পের তীব্রতা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাব্যতা বাড়ে-কমে। গবেষকরা তাই ঢাকার বর্ধিতাংশের আলগা মাটিসমৃদ্ধ জনবসতিকে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ==পৌরাণিক কাহিনীতে ভূমিকম্প== ভূমিকম্প নিয়ে নানা ধরনের লোককাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে... *গ্রিক জাতির ধারণা অনুযায়ী তাবৎ ভূমিকম্পের জন্য দায়ী ভূমিকম্পের দেবতা পোসাইডন। পোসাইডন যখন খারাপ মেজাজে থাকেন, তখন ভূমিতে ত্রিশূল দিয়ে প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করেন। ফলে ভূমিকম্প হয়। মানুষের পাপকাজে রাগন্বিত হয়েও তিনি এরকম করেন বলে প্রচলিত আছে। *পশ্চিম আফ্রিকান সংস্কৃতির কিছু মানুষ মনে করত, জীবন টিকে আছে এক দৈত্যের মাথার মধ্যে। গাছপালা সেই দৈত্যের চুল। মানুষ অন্যান্য প্রাণী হচ্ছে পরজীবীর মতো, যারা দৈত্যের ত্বকজুড়ে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মধ্যে দৈত্যটি মাথা এদিক-ওদিক ঘোরায়। তখনই ভূমিকম্প হয়। নর্স পুরাণে আছে সৌন্দর্যের দেবতা বলডারকে হত্যা করার কারণে দেবতা লকিকে একটি বিষধর সাপ মাথার ওপর দিয়ে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেই সাপ তার মাথায় ক্রমাগত বিষ ঢেলে চলেছে। তার স্ত্রী সেজিন তাকে বাচানোর জন্য একটি পাত্রে বিষ ভরে রাখছে। পাত্রটি পুর্ণ হয়ে গেলে সে যখন তা খালি করতে যায় তখন ক্রমাগত পড়তে থাকা বিষ থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য লকি নাড়াচাড়া করে ফলে ভূমিকম্প হয়। == তথ্যসূত্র == দুর্যোগ বিপর্যয়'''নোয়াখালী জেলা''' বাংলাদেশের অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। == আয়তন অবস্থান == নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৪২০২.৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের ২২°০৭' থেকে ২৩°০৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৩' থেকে ৯১°২৭' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে নোয়াখালী জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে জেলার দূরত্ব প্রায় ১৭১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার। জেলার পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা ফেনী জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলা ভোলা জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। == ইতিহাস == === প্রতিষ্ঠাকাল === বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত। নোয়াখালী জেলার মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সময় থেকেই। ১৭৭২ সালে কোম্পানীর গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। ১৯টি জেলার একটি ছিল ''কলিন্দা''। জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলতঃ নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্ত ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে করা হয় প্রদেশের অধীনস্থ অফিস। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং এবার সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। ১৪টির মধ্যেও ''ভুলুয়া'' নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ''ত্রিপুরা'' নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালে শাহবাজপুর, হাতিয়া, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ মীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগনা। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়। === নামকরণ === নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ''ভুলুয়া''। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম ''সুধারাম''। ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়ার ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ি চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় ''নোয়া (নতুন) খাল'' বলা হত, এর ফলে অঞ্চলটি একসময়ে লোকের মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে ''নোয়াখালী'' হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। === সাধারণ ইতিহাস === নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা ১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের জিহাদ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলন। ১৯৪৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে নোয়াখালীর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মর্মান্তিক নিপীড়িন, গণহত্যা শুরু হয়, যা নোয়াখালী গণহত্যা নামে পরিচিত। এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধ করতে মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলা ভ্রমণ করেন। বর্তমানে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ নামক স্থানে গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম রয়েছে, যা গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ফেনী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অর্ন্তভূক্ত একটি বিশাল জেলা হিসেবে পরিচালনা হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষ্মীপুর ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা পুনর্গঠিত হয়। তখন জেলায় উপজেলা ছিল ছয়টি। পরবর্তীতে আরো তিনটি উপজেলার সৃষ্টি করা হয়। হাতিয়া উপজেলার কিছু অংশ জেলার মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও বৃহত্তর অংশ (মূল হাতিয়া) এর চতুর্দিকে মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা। === নোয়াখালীর শহর === নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। ব্রিটিশদের পরিকল্পনায় নতুন করে শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোল একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো আকৃতিতে তৈরী হয় সরকারি সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হত মূলতঃ শহরের জলাধার হিসেবে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হত। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিল। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল। === মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি === ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকবাহিনী নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করে। ১১ মে পাকবাহিনী হাতিয়া শহর আক্রমণ করে। তারা উপজেলার আফাজিয়া বাজারে জনকে এবং ওছখালি বাজারে জনকে গুলি করে হত্যা করে। ১৫ জুন জেলার সোনাপুর আহমদিয়া মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ জুন পাকবাহিনী সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকার শ্রীপুর গ্রামে ৭০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। ১৯ আগস্ট পাকবাহিনী বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে হত্যা করে। সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাঞ্ছারাম রোডের স্লুইসগেটের পূর্বপাশে পাকবাহিনী রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াইয়ে জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরবর্তীতে উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি খণ্ড লড়াইয়ে সদর বিএলএফ কমান্ডার অহিদুর রহমান অদুদসহ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা কবিরহাট উপজেলার রাজাকার জলিলের বাড়িতে হামলা করলে জলিলসহ তার কয়েকজন সহযোগী নিহত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা সেনবাগ উপজেলার ডোমনাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করে। উক্ত লড়াইয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। নোয়াখালী জেলা স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর। ;মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর: ১টি (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৪নং স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকা) স্মৃতিস্তম্ভ: ৩টি (বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী, সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর এবং নোয়াখালী জেলা সদরের পিটিআই প্রাঙ্গণ) বধ্যভূমি: ১টি (কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ডোবা) == প্রশাসনিক এলাকাসমূহ == নোয়াখালী জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৯৩টি ইউনিয়ন, ৮৮২টি মৌজা, ৯৬৭টি গ্রাম ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। === উপজেলাসমূহ === নোয়াখালী জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল: ক্রম নং উপজেলা আয়তন(বর্গ কিলোমিটারে) প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকাসমূহ ০১ কবিরহাট ১৮৯.৯৪ কবিরহাট '''পৌরসভা''' (১টি): কবিরহাট '''ইউনিয়ন''' (৭টি): নরোত্তমপুর, সুন্দলপুর, ধানসিঁড়ি, ঘোষবাগ, চাপরাশিরহাট, ধানশালিক এবং বাটইয়া ০২ কোম্পানীগঞ্জ ৩০৫.৩৩ কোম্পানীগঞ্জ '''পৌরসভা''' (১টি): বসুরহাট '''ইউনিয়ন''' (৮টি): সিরাজপুর, চর পার্বতী, চর হাজারী, চর কাঁকড়া, চর ফকিরা, রামপুর, মুছাপুর এবং চর এলাহী ০৩ চাটখিল ১৩৩.৮৯ চাটখিল '''পৌরসভা''' (১টি): চাটখিল '''ইউনিয়ন''' (৯টি): সাহাপুর, রামনারায়ণপুর, পরকোট, বদলকোট, মোহাম্মদপুর, পাঁচগাঁও, হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ, নোয়াখলা এবং খিলপাড়া ০৪ নোয়াখালী সদর ৫৫২.৪৬ সুধারাম '''পৌরসভা''' (১টি): নোয়াখালী '''ইউনিয়ন''' (১৩টি): চর মটুয়া, দাদপু্র, নোয়ান্নই, কাদির হানিফ, বিনোদপুর, নোয়াখালী, ধর্মপুর, এওজবালিয়া, কালাদরপ, অশ্বদিয়া, নিয়াজপুর, পূর্ব চর মটুয়া এবং আণ্ডারচর ০৫ বেগমগঞ্জ ৪২৬.০৫ বেগমগঞ্জ '''পৌরসভা''' (১টি): চৌমুহনী '''ইউনিয়ন''' (১৬টি): আমানউল্যাপুর, গোপালপুর, জিরতলী, আলাইয়ারপুর, ছয়ানী, রাজগঞ্জ, একলাশপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, নরোত্তমপুর, দুর্গাপুর, কুতুবপুর, রসুলপুর, হাজীপুর, শরীফপুর এবং কাদিরপুর ০৬ সুবর্ণচর ৩২৯.২৬ সুবর্ণচর '''ইউনিয়ন''' (৮টি): চর জব্বর, চর বাটা, চর ক্লার্ক, চর ওয়াপদা, চর জুবলী, চর আমানউল্যা, পূর্ব চর বাটা এবং মোহাম্মদপুর ০৭ সেনবাগ ১৫৫.৮৩ সেনবাগ '''পৌরসভা''' (১টি): সেনবাগ '''ইউনিয়ন''' (৯টি): ছাতারপাইয়া, কেশারপাড়, ডুমুরুয়া, কাদরা, অর্জুনতলা, কাবিলপুর, মোহাম্মদপুর, বিজবাগ এবং নবীপুর ০৮ সোনাইমুড়ি ১৭০.৪২ সোনাইমুড়ি '''পৌরসভা''' (১টি): সোনাইমুড়ি '''ইউনিয়ন''' (১০টি): জয়াগ, নদনা, চাষীরহাট, বারগাঁও, অম্বরনগর, নাটেশ্বর, বজরা, সোনাপুর, দেওটি এবং আমিশাপাড়া ০৯ হাতিয়া ১৫০৮.২৩ হাতিয়া '''পৌরসভা''' (১টি): হাতিয়া '''ইউনিয়ন''' (১১টি): হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বর (ভাসানচর ব্যতীত), চর কিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা এবং নিঝুমদ্বীপ ভাসানচর '''ইউনিয়ন''' (১টির অংশ): চর ঈশ্বর ইউনিয়ন এর ভাসানচর === সংসদীয় আসন === সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা সংসদ সদস্য রাজনৈতিক দল ২৬৮ নোয়াখালী-১ চাটখিল উপজেলা এবং সোনাইমুড়ি উপজেলা (বারগাঁও, অম্বরনগর নাটেশ্বর ইউনিয়ন ব্যতীত) এইচ এম ইব্রাহিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৬৯ নোয়াখালী-২ সোনাইমুড়ি উপজেলার বারগাঁও, অম্বরনগর নাটেশ্বর ইউনিয়ন এবং সেনবাগ উপজেলা মোরশেদ আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭০ নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ উপজেলা মামুনুর রশীদ কিরন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭১ নোয়াখালী-৪ নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং সুবর্ণচর উপজেলা মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭২ নোয়াখালী-৫ কবিরহাট উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭৩ নোয়াখালী-৬ হাতিয়া উপজেলা আয়েশা ফেরদাউস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নোয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৩,৭০,২৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬,১০,৪৪৪ জন এবং মহিলা ১৭,৫৯,৮০৭ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৫.৪২% মুসলিম, ৪.৫২% হিন্দু এবং ০.০৬% বৌদ্ধ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। == শিক্ষা ব্যবস্থা == নোয়াখালী জেলার সাক্ষরতার হার ৬৯.৫০%। জেলায় রয়েছে: বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১টি মেডিকেল কলেজ ১টি (সরকারি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ১টি (সরকারি) কলেজ ৩৫টি (৮টি সরকারি) মাদ্রাসা ১৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮৯টি (১২টি সরকারি) কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫টি কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৪৩টি ;শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == অর্থনীতি == নোয়াখালী জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। আঞ্চলিক জিডিপির প্রায় ৪০% কৃষি খাত থেকে আসে এবং জেলার ৮০ ভাগ লোক এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট। কৃষির মধ্যে মূলত মৎস্য চাষ মৎস্য আহরণের সাথে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়িত। বছরজুড়ে নৌকা তৈরি মেরামত, মাছ ধরা, পরিবহন, শুটকি উৎপাদন, জাল মেরামত এর সাথে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ শ্রমজীবী জড়িত থাকে। নিম্নভূমি অঞ্চল হওয়াতে এই জেলায় প্রচুর মৎস্য চাষ হয়ে থাকে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। ফসল উৎপাদন মূলত বছরে একবারই হয়। শীত মৌসুমে জেলার সর্বত্র বিশেষ করে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে রকমারি ফসলের চাষ হয়। এছাড়াও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দ্বীপগুলোতে গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন ব্যাপকতা লাভ করেছে। নোয়াখালী জেলায় শিল্প কারখানা তেমনভাবে গড়ে উঠেনি, কিন্তু নোয়াখালী জেলার অনেক ব্যক্তি দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছেন। নোয়াখালীর মানুষ মূলত কাজের জন্য দেশে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে গমন করেন। জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স পাঠানো জেলাগুলোর মধ্যে নোয়াখালী জেলা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। জেলার মোট আয়ের অন্যান্য খাতে আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে অ-কৃষি শ্রম ৩.৪৩%, শিল্প ০.৮৪%, বাণিজ্য ১৪.৭৪%, পরিবহন খাত ৩.৮৩%, চাকুরি ১৬.১১%, নির্মাণখাত ১.৪৯%, রেমিট্যান্স ৭.৯৭% এবং অন্যান্য ১০.৫৮% অবদান রাখছে। == যোগাযোগ ব্যবস্থা == নোয়াখালী জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়ক এবং মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে। == ধর্মীয় উপাসনালয় == নোয়াখালী জেলায় ৪১৫৯টি মসজিদ, ৪৯৭টি ঈদগাহ, ২৩৯টি মন্দির, ২টি বিহার এবং ১টি ক্যাথলিক খ্রিস্টান গির্জা রয়েছে। == নদ-নদী == নোয়াখালী জেলার প্রধান নদী মেঘনা। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে ডাকাতিয়া ছোট ফেনী নদী অন্যতম। == জলবায়ু == বছরব্যাপী সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ১৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বছরে গড় বৃষ্টিপাত ৩৩০২ মিলিমিটার। == প্রাকৃতিক দুর্যোগ == ১৭৯০ সালের পর থেকে নোয়াখালী জেলা বহুবার ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে নোয়াখালী জেলার অনেকে ছিলেন। == দর্শনীয় স্থান == কল্যান্দি জমিদার বাড়ি অরুণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এয়াকুব আলী ব্যাপারী জামে মসজিদ, সোনাপুর কমলা রাণীর দীঘি কল্যান্দী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির গান্ধি আশ্রম নিঝুম দ্বীপ নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান নোয়াখালী জিলা স্কুল নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ নোয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরী, মাইজদী নোয়াখালী সরকারি কলেজ নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালী ফকির ছাড়ু মিজি (রহ.) সাহেবের দরগাহ, মাইজদী বজরা শাহী মসজিদ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার স্মৃতি জাদুঘর, সোনাইমুড়ি বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, চর জব্বর রমজান মিয়া জামে মসজিদ শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় স্বর্ণ দ্বীপ *চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় == কৃতী ব্যক্তিত্ব == আতাউর রহমান –– টিভি অভিনেতা। আনিসুল হক –– রাজনীতিবিদ। আবদুল মালেক উকিল –– আইনজীবি এবং রাজনীতিবিদ। আবদুল হাকিম –– মধ্যযুগীয় কবি। আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক –– প্রাক্তন সেনাপ্রধান। *মোঃ আশরাফুল আলম –– পরিবেশকর্মী এবং সাংবাদিক (প্রতিষ্ঠাতা, বিডি এনভায়রনমেন্ট)। আবুল কালাম আজাদ –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর্জুমান্দ বানু –– রাজনীতিবিদ। আয়েশা ফেরদাউস –– রাজনীতিবিদ। এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী –– স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত চিকিৎসক। এস এম শাহজাহান –– প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা। টি এম শামসুজ্জামান –– অভিনেতা। এইচ এম ইব্রাহিম –– রাজনীতিবিদ। ওবায়দুল কাদের –– রাজনীতিবিদ। কবীর চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক। চিত্তরঞ্জন সাহা –– প্রকাশক এবং বাংলা একাডেমী বই মেলার উদ্যোক্তা। জহুরুল হক –– আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম শহীদ। তবারক হুসাইন –– কূটনীতিবিদ। প্রণব ভট্ট –– গীতিকার এবং ঔপন্যাসিক। ফারাহ মাহবুব –– বিচারপতি। ফেরদৌসী মজুমদার –– টিভি অভিনেত্রী। বদরুল হায়দার চৌধুরী –– আইনবিদ এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। মঈন উদ্দিন আহমেদ –– প্রাক্তন সেনাপ্রধান। মওদুদ আহমেদ –– রাজনীতিবিদ। মামুনুর রশীদ কিরন –– রাজনীতিবিদ। মাহফুজ উল্লাহ –– লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং পরিবেশবিদ। মাহবুবুর রহমান –– রাজনীতিবিদ। মুনীর চৌধুরী –– শহীদ বুদ্ধিজীবী। মোতাহের হোসেন চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ এবং লেখক। মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী –– শহীদ বুদ্ধিজীবী। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী –– চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা। মোরশেদ আলম –– রাজনীতিবিদ। মোহাম্মদ আবুল বাশার –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ। মোহাম্মদ রুহুল আমিন –– বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মোহাম্মদ শরীফ –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ মুন্সী –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। রাজেন্দ্র লাল রায় চৌধুরী –– নোয়াখালী বার এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, যিনি ১৯৪৬ সালের দাঙ্গায় নির্মমভাবে নিহত হন। শবনম বুবলি –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শাহাদাত হোসেন চৌধুরী –– অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার। শিরীন শারমিন চৌধুরী –– দেশের প্রথম নারী স্পিকার। সা’দত হুসেন –– বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। সিরাজুর রহমান –– ব্রিটিশ সাংবাদিক। সিরাজুল আলম খান –– রাজনীতিবিদ। হেমপ্রভা মজুমদার –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব। == আরও দেখুন == নোয়াখালী গণহত্যা চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের জেলাসমূহ == তথ্যসূত্র == ব্রিটানিকার একাদশ সংস্করণে নোয়াখালী নিয়ে আলোকপাত (প্রকাশকাল ১৯১১) == বহিঃসংযোগ == জেলা বিভাগের জেলা জেলা'''নড়াইল সদর উপজেলা''' বাংলাদেশের নড়াইল জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এই থানাটি ১৮৬১ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে থানা থেকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। == অবস্থান আয়তন == নড়াইল সদর উপজেলার অবস্থান ৮৯.৩১ দ্রাঘিমা এবং ২৩.১১ অক্ষাংশ। নড়াইল সদর উপজেলার সীমনা উত্তরে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা শালিখা উপজেলা, পূর্বে- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা দক্ষিণ-পূর্বে- কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে-যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা দক্ষিণ-পশ্চিমে- যশোর সদর উপজেলা উপজেলা। == প্রশাসনিক এলাকা == এই উপজেলায় রয়েছে একটি পৌরসভা তেরটি ইউনিয়ন সেগুলো হচ্ছে নড়াইল পৌরসভা মাইজপাড়া ইউনিয়ন হবখালি ইউনিয়ন চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন আউড়িয়া ইউনিয়ন শাহাবাদ ইউনিয়ন তুলারামপুর ইউনিয়ন শেখহাটী ইউনিয়ন কলোড়া ইউনিয়ন সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন ভদ্রবিলা ইউনিয়ন বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন বিছালী ইউনিয়ন মুলিয়া ইউনিয়ন == ইতিহাস == == জনসংখ্যার উপাত্ত == == শিক্ষা == সদর উপজেলায় শিক্ষার হার ৬৫.৫%। এই উপজেলায় টি সরকারী কলেজ, টি সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ, টি সরকারী স্কুল এবং ৯৮ টি প্রাইমারী স্কুলসহ অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। == অর্থনীতি == == নদ-নদী == নড়াইল সদর উপজেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী ভৈরব নদ। == কৃতী ব্যক্তিত্ব == ==দর্শনীয় স্থান== নড়াইল জমিদার বাড়ি হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি == বিবিধ == == আরও দেখুন == নড়াইল জেলা; খুলনা বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সদর উপজেলা জেলার উপজেলা বিভাগের উপজেলা'''থানচি''' বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। == আয়তন == থানচি উপজেলার আয়তন ১০২০.৮২ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে বান্দরবান জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। == অবস্থান সীমানা == বান্দরবান জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশ জুড়ে ২১°১৫´ থেকে ২১°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°২০´ থেকে ৯২°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে থানচি উপজেলার অবস্থান। বান্দরবান জেলা সদর থেকে উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। উপজেলার উত্তর-পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা, উত্তরে রুমা উপজেলা; পশ্চিমে লামা উপজেলা, আলীকদম উপজেলা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ; দক্ষিণে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং পূর্বে মায়ানমারের চিন প্রদেশ অবস্থিত। == নামকরণ == মার্মা শব্দ ''থাইন চৈ'' বা ''বিশ্রামের স্থান'' থেকে থানচি নামটির উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, ১৯৫০ সালে বা তার পূর্বে নৌপথে চলাচল কালে যাত্রীগণ বিশ্রামের জন্য স্থানে থামতেন বলে ''থাইন চৈ'' নামে স্থানটি পরিচিত ছিল, পরে তা ''থানচি'' হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। == প্রশাসনিক এলাকা == ১৯৭৬ সালে থানচি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় প্রতিস্থাপন করা হয়। উপজেলায় বর্তমানে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ থানচি উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম থানচি থানার আওতাধীন। ;ইউনিয়নসমূহ: ১নং রেমাক্রী ২নং তিন্দু ৩নং থানচি সদর ৪নং বলিপাড়া == ইতিহাস == ১৮২৪ সালে বার্মা-ব্রিটিশ যুদ্ধের পর থানচি উপজেলা আরাকান ব্রিটিশ-ভারতের প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে থানচি এর প্রতিবেশী অঞ্চলে আরাকানীদের অভিবাসন সহজ হয়। অভিবাসীরা অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে এবং ১৯০০-এর রেগুলেশন-১ (পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়াল) এদের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি দেয়। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী থানচি উপজেলার জনসংখ্যা ২৭,৫৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫,৩৪১ জন এবং মহিলা ১২,২৪৫ জন। মোট জনসংখ্যার ৭.৬৫% মুসলিম, ২.২৬% হিন্দু, ৫৪.৬৮% বৌদ্ধ, ২৬.৭৫% খ্রিস্টান এবং ৮.৬৬% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। উপজেলায় মার্মা, চাকমা, খেয়াং, ত্রিপুরা, খুমী, খিও, ম্রো বম উপজাতি গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। == শিক্ষা == থানচি উপজেলা শিক্ষাক্ষেত্রে খুবই অনগ্রসর জনপদ। উপজেলার সাক্ষরতার হার ১৫.১০%। উপজেলায় ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ;শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == যোগাযোগ ব্যবস্থা == থানচি উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল বান্দরবান-থানচি সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম বাস। == ধর্মীয় উপাসনালয় == থানচি উপজেলায় ২টি মসজিদ, ২টি মন্দির, ৩১টি বিহার এবং ২৯টি গীর্জা রয়েছে। == নদ-নদী == থানচি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদী। এছাড়া রয়েছে রেমাক্রী খাল। == হাট-বাজার == থানচি উপজেলার প্রধান হাট-বাজার ২টি, থানচি বাজার এবং বলিপাড়া বাজার। == দর্শনীয় স্থান == সাকা হাফং নাফাখুম জলপ্রপাত আমিয়াখুম জলপ্রপাত আমিয়াখুম জলপ্রপাত বড় পাথর বা রাজা পাথর বাকলাই জলপ্রপাত ছোট পাথর (তিন্দু) == জনপ্রতিনিধি == ;সংসদীয় আসন সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা সংসদ সদস্য রাজনৈতিক দল ৩০০ পার্বত্য বান্দরবান বান্দরবান জেলা বীর বাহাদুর উশৈ সিং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ;উপজেলা পরিষদ প্রশাসন ক্রম নং পদবী নাম ০১ উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মার্মা ০২ ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মার্মা ০৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম বকুলী মারমা ০৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম == আরও দেখুন == বান্দরবান জেলা == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জেলার উপজেলা উপজেলাদোহারের মৈনটে পদ্মা নদী '''দোহার''' বাংলাদেশের ঢাকা জেলার অন্তর্গত সর্বদক্ষিণের উপজেলা। আয়তন জনসংখ্যার বিবেচনায় ঢাকা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা হিসেবেও পরিচিত (১২১.৪১ বর্গ কিলোমিটার)। দোহার উপজেলা ১৯১৭ সালের ১৫ই জুলাই প্রতিষ্ঠা লাভ করে। একই বছরের ২১শে সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবার পর ১৯১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে দোহার উপজেলা, তৎকালীন দোহার থানার কার্যক্রম শুরু হয়। == অবস্থান == ২৩°৩১' হতে ২৩°৪১' উত্তর অক্ষাংশ ৯০°০১' হতে ৯০°১৩' পূর্ব দ্রাঘীমাংশ। জেলা সদর হতে দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। উত্তরে নবাবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা, পূর্বে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা নবাবগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ এবং পশ্চিমে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা, পদ্মা নদী ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা অবস্থিত। == প্রশাসনিক এলাকা == দোহার উপজেলায় ১টি পৌরসভা (দোহার পৌরসভা), টি ইউনিয়ন, ৯৩ টি মৌজা এবং ১৩৯ টি গ্রাম রয়েছে। দোহার উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নাম হচ্ছে কুসুমহাটি ইউনিয়ন নয়াবাড়ি ইউনিয়ন রাইপাড়া ইউনিয়ন চর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন সুতারপাড়া ইউনিয়ন নারিশা ইউনিয়ন মোকসেদপুর ইউনিয়ন বিলাশপুর ইউনিয়ন == জনসংখ্যা == মোট জনসংখ্যা ২,২৬,৪৩৯ জন (প্রায়)। যার মধ্যে- *পুরুষ ১,০৭,০৪১ জন (প্রায়)। *মহিলা ১,১৯,৩৯৮ জন (প্রায়)। *লোক সংখ্যার ঘনত্ব ১,৪০২ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)। *মোট ভোটার সংখ্যা ১,৫১,৭৭০ জন। *পুরুষভোটার সংখ্যা ৭৩,১২০ জন। *মহিলা ভোটার সংখ্যা ৭৮,৬৫০ জন। *বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%। *মোট পরিবার(খানা) ৪৯,৪০০ টি। == ইতিহাস == বৃটিশ ভারত পূর্ববর্তী সময়ে এখানকার জয়পাড়া সহ অনেক স্থানে নীল চাষ করা হতো। কালের পরিক্রমায় নীল চাষের বিলুপ্তি ঘটে। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শক্তি হতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে দোহার উপজেলার মাটি মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধে দোহারের বিপুলসংখ্যক অধিবাসী আত্মত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হচ্ছেন বীর উত্তম আবদুস সালেক চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা (বীর বিক্রম বীর প্রতীক), আমির হোসেন (বীর প্রতীক) প্রমূখ। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে (১৯২০-১৯২২) গান্ধীর আদর্শে এখানে গড়ে তোলা হয় অভয় আশ্রম। ১৯৪০ সালে মালিকান্দা নামক গ্রামে গান্ধী সেবা সঙ্ঘের সর্বভারতীয় সম্মেলনে এখানে আগমন ঘটে মহাত্মা গান্ধীর। তিনি দুই দিন এখানে অবস্থান করেন। তার স্মৃতি রক্ষায় এখানকার একটি সড়কের নামকরণ করা হয় 'গান্ধী সড়ক' নামে। == শিক্ষা == উচ্চ বিদ্যালয় ১৬ টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ০৪ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ০১ টি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ (স:) ০১ টি কলেজ ০২ টি ডিগ্রী কলেজ ০২টি আলিয়া মাদ্রাসা ০১ টি দাখিল মাদ্রাসা ০৩ টি কওমী হাফিজিয়া অন্যান্য মাদ্রাসা ২৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪২ টি রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৮ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৬ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা ০১ টি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রা: বিদ্যা: ১১ টি বেসরকারী কেজি স্কুল ১৮ টি == স্বাস্থ্য == উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ০১ টি, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১৬ টি, বেডের সংখ্যা ৫০ টি, ডাক্তারের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা ৩৭ টি, কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা ইউএইচসি ১৭, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৬, ইউএইচএফপিও ১টি। সিনিয়র নার্স সংখ্যা ১৫ জন। কর্মরত ১৩ জন, সহকারী নার্স সংখ্যা জন। == দর্শনীয় স্থান == দোহার উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নুরুল্লাহপুর ওরস শরীফ এর মেলা (সুন্দরীপাড়া), মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট, পদ্মাপাড়ের বাহ্রা ঘাট, কোঠাবাড়ি বিল, পদ্মাপাড়ের নারিশা, আড়িয়াল বিল (নিকড়া), ডাক বাংলো (মুকসুদপুর), দুবলী হতে নবাবগঞ্জ সড়ক, সাইনপুকুর বড়বাড়ি, কাটাখালী মৌলভী বাড়ি ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য যে বর্তমান সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাটকে পরিকল্পিত উন্নতমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এলাকাবাসীর নিকট ==চিত্রশালা== খেলারাম দাতার দাতার মন্দির খেলারাম দাতার মন্দির দোতালার উপরের ঘর.jpg|খেলারাম দাতার মন্দির দোতালার উপরের অনিন্দ সুন্দর ঘরগুলো == অর্থনীতি == দোহার উপজেলার অর্থনীতির বেশির ভাগ অংশই আসে রেমিটেন্স থেকে। এখানকার কর্মরত বিশালসংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয় প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। আড়িয়াল বিল কোঠাবাড়ি বিলের বিশাল ভূমি জুড়ে ধান, গম, পেয়াজ, আলু, সরিষা টমেটো চাষ করা হয়। দোহারে প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা জয়পাড়ায় মাত্র এক বর্গকিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ১৫টিরও অধিক সরকারী বেসরকারী ব্যাংক। এছাড়া মেঘুলা, ফুলতলা, পালামগঞ্জ কার্ত্তিকপুরে কিছু ব্যাংক রয়েছে। এছাড়াও দোহারের অর্থনীতি নির্ভর করে তাঁত শিল্প, নানাবিধ কুটিরশিল্প পদ্মানদীকে কেন্দ্র করে মৎস্য স্বীকার করার মাধ্যমে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পদ্মানদীর পাড়ে সম্ভাবনাময় জাহাজ শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। এছাড়াও দেশব্যাপী সুনাম অর্জনকারী জয়পাড়া লুঙ্গী এইখানেই তৈরি হয়। 'আব্দুর রহমান' কতৃক প্রতিষ্টিত 'জয়পাড়া লুঙ্গী'সম্পূর্ণ হাতে তৈরি হওয়ায় দেশব্যাপি রয়েছে ব্যাপক সুনাম। প্রতিষ্টানটি শতাধিক তাতী,শ্রমীক সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিদের অর্থ উপার্জনের স্থান,যার মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি হচ্ছে এবং বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে == কৃতী ব্যক্তিত্ব == সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী মেজর জেনারেল প্রফেসর ডাঃ আর খান সাবেক উপদেষ্টা (১৯৯৬) আশরাফ আলী চৌধুরী সাবেক মন্ত্রী শামীম আশরাফ চৌধুরী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান সাবেক গৃহায়ন মন্ত্রী == বিবিধ == == আরও দেখুন == ঢাকা জেলা; ঢাকা বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== দোহার উপজেলা, ঢাকার সরকারী ওয়েবসাইট উপজেলা তথ্য বাতায়ন। উপজেলা জেলার উপজেলা বিভাগের উপজেলা'''নন্দিত নরকে''' বাংলা কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস। এর রচনাকাল ১৯৭০, এবং প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে অধ্যয়নকালে হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাসটি রচনা করেন। সময় তিনি মোহসিন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ==প্রকাশনা তথ্যাদি== ১৯৭০-এ লিখিত হলেও উপন্যাসটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের কারণে তখন প্রকাশিত হয় নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত ''মুখপত্র'' নামীয় একটি সংকলনে উপন্যাসটি প্রকাশ হওয়ার পর বিশিষ্ট বুদ্ধজীবী সাহিত্যিক আহমদ ছফা উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ এর শেষ দিকে খান ব্রাদার্স এ্যাণ্ড কোং উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশ করে। প্রকাশক হিসেবে কে, এম, ফারুক খানের নাম মুদ্রিত ছিল। মলাট ছিল বোর্ডের তৈরী। মূল্য রাখা হয়েছিল সাড়ে তিন টাকা। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী। বইটির উৎসর্গপত্রে লিখিত ছিল, "নন্দিত নরকবাসী মা-বাবা, ভাইবোনদের"। ==গল্পসংক্ষেপ== ==আলোচনা== এটি একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য উপন্যাস। খান ব্রাদার্স কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম সংস্করণে এর পরিসর ছিল মাত্র ৭০ পৃষ্ঠা। অনেক ক্ষেত্রে ছোট গল্পের দৈর্ঘ্যও এর চেয়ে বেশী হয়। হুমায়ূন আহমেদ সীমিত পরিসরেই উপন্যাসের আবহ তৈরি করতে পেরেছিলেন। প্রথম উপন্যাসেই হুমায়ূন আহমেদ ব্যাপক পাঠকের মুগ্ধ মনোযোগ আকর্ষণ সক্ষম হয়েছিলেন। ===আহমদ শরীফের ভূমিকা=== বাংলা ভাষা সাহিত্যের বিশিষ্ট পণ্ডিত অধ্যাপক আহমদ শরীফ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে উপন্যাসের একটি ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন। কবি বেলাল আহমেদ পরিচালনায় উপন্যাসটির চলচ্চিত্র রূপ ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস ভাষার উপন্যাস উপন্যাস আহমেদের উপন্যাস গৃহীত উপন্যাস বই‎ বইalt= বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। == অবস্থান == গাইবান্ধা জেলা সদর হতে ১১কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত এই উপজেলার উত্তরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মিঠাপুকুর উপজেলা, পূর্বে গাইবান্ধা সদর উপজেলা, দক্ষিনে পলাশবাড়ী উপজেলা এবং পশ্চিমে এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। উপজেলাটি প্রায় ২৫ ডিগ্রী ১৭ ফুট ২৫ ডিগ্রী ৩১ ফুট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রী ২০ ফুট ৮৯ডিগ্রী ৩২ ফুট পুর্ব দ্রাঘিমাংশর মধ্যে অবস্থিত। == ইতিহাস == কথিত আছে বহুপুর্বে এই এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল হিন্দু রাজা জমিদারদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। এক সময় সাইদুল্লাহ নামে এক ইসলাম ধর্মীয় সাধক এই এলাকায় এসে ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজ শুরু করেন তার নামানুসারে উপজেলার নাম রাখা হয় সাদুল্লাপুর। ==প্রশাসনিক এলাকা== গ্রাম ১৬৮টি মৌজা ১৬৪টি ইউনিয়ন ১১টি পৌরসভা নাই উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ: ১নং রসুলপুর ইউনিয়ন। ২নং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন। ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়ন। ৪নং জামালপুর ইউনিয়ন। ৫নং ফরিদপুর ইউনিয়ন। ৬নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন। ৭নং ইদিলপুর ইউনিয়ন। ৮নং ভাতগ্রাম ইউনিয়ন। ৯নং বনগ্রাম ইউনিয়ন। ১০নং কামারপাড়া ইউনিয়ন। ১১নং খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন। == ভাষা সংস্কৃতি == সাদুল্লাপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে, এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। ঘাঘট নদীর উপকূলে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলের মানুষের ভাষা অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল, কথার মধ্যে অনেকটাই মধুরতা রয়েছে, ভাষার মধ্যে এমন কোন কাঠিন্য ভাব নেই যা অন্য এলাকার মানুষের বুঝতে কষ্ট হয়। ঘাঘট নদী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কথিত আছে বহু পুর্বে এই এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। হিন্দু রাজা জমিদারদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। সাদুল্লাপুরের ৮৫% মুসলমান অবশিষ্ট হিন্দু অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এলাকার ৮০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। অন্যান্যরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। বহু পূর্ব হতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহনকারী উপজেলা সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। শিক্ষার দিক দিয়েও সাদুল্লাপুর উপজেলা পিছিয়ে নেই। শিক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় লোকদের উৎসাহে পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ কতকগুলি চিত্তবিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। উপজেলার মধ্যে প্রায় কি.মি. রেলপথ রয়েছে। ওরাওঁ এই নামের আদিবাসীরা নৃতাত্ত্বিক বিচারে আদি-অষ্ট্রেলীয় জনগোষ্ঠীর উত্তর পুরুষ। এদের গায়ের রং কালো, নাক চ্যাপটা, চুল কালো কুঞ্চিত, উচ্চতা মাঝারি। উপমহাদেশে ওরাওদের প্র্রধান বসতি উড়িয্যা, ছোটনাগপুর, রাজমহল বিহারের সন্নিহিত অঞ্চলে। নৃতত্ত্ববিদগণের মতে একই অঞ্চলের মুন্ডা, মালপাহাড়ি সাঁওতালদের সংঙ্গে ওরাওদের ঘনিষ্ঠ জনতাত্ত্বিক সম্পর্ক রয়েছে। ভাষার দিক থেকেও এরা সবাই একই অস্ট্রিক পরিবারের অন্তভূর্ক্ত। কারো কারো মতে ‌‌কুরুখ ভাষার বিভাজিত একটি অংশের টোটেম রূপে ওরাওঁ কথাটা এসেছে। ওরাওঁআদিবাসীরা ঠিক কবে কি কারণে বাংলাদেশে এসে বসবাস শুরু করে সে সম্পর্ক নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। বতর্মানে রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া রাজশাহী জেলা ওরাওদের প্রধান বসতিস্থল। এছাড়াও গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুরের রসুলপুর ইউনিয়নে ১৫টি ওরাও পরিবার বসবাস করছে। তবে ১৮৮১ সালের লোকগণনায় দেখা যায় যে, উত্তরবঙ্গ স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে চিহ্নিত না করার কারণে বহুদিন এদের সঠিক জনসংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে ওরাওঁ জনসংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি। ১৯৯১ সালের আদমগুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে ওরাওঁ জনসংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২,৬৬,০৩৫ জন (প্রায়) পুরুষঃ ১,৩৪,৯৭৮ জন (প্রায়) মহিলাঃ ১,৩১,০৫৭ জন(প্রায়) মোট ভোটার: ১,৭২,০৫৬ জন ==শিক্ষা== শিক্ষার হার ৩৫.০৭% ** পুরুষ ৪০.০৪% ** মহিলা ৩০.০৮% সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১৯৬টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১০৪টি জুনিয়র বিদ্যালয়: ১৩টি উচ্চ ৩৩টি উচ্চ ১৯টি উচ্চ ২টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা: ৬৮টি দাখিল মাদ্রাসা: ৩৮ টি আলিম মাদ্রাসা: ৫টি ফাজিল মাদ্রাসা: ১টি কলেজ (শিক্ষা): ৬টি কলেজ (বালিকা): ১টি কারিগরী কলেজ(সহশিক্ষা): ২টি কারিগরী কলেজ ১টি ==উল্লেখযোগ্য সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ সাদুল্যাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সাদুল্লাপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সাদুল্লাপুর মহিলা মহাবিদ্যালয় সাদুল্লাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জয়েনপুর আদর্শ কলেজ ভাতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ কামারপাড়া মহাবিদ্যালয় *কেশালীডাঙ্গা কে এন উচ্চ বিদ্যালয় জিনিয়াস ক্যাম্পাস স্কুল এন্ড কলেজ সাদুল্লাপুর প্রি ক্যাডেট স্কুল নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় জিনিয়াস কিন্ডার গার্টেন এন্ড স্কুল ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয় জিনিয়াস এডুকেয়ার == বাজার == হাটবাজারের সংখ্যা: ৩৬টি বেশ কিছু বড় লোক্সমাগম্পুর্ণ হাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতভাবে বসে থাকে। এগুলোর মধ্যে সাদুল্লাপুর হাটবাজার নিয়ামত নগর লাল বাজার গোলাম মন্ডলে রহাট মহিষবান্দি বাজার নলডাঙ্গা হাটবাজার কান্তনগর বাজার নলডাঙ্গা কাঁচারী বাজার নাজবাড়ী বাজার মীরপুর হাটবাজা ঘেগার বাজার ধাপেরহাট হাটবাজার বকসীগঞ্জ বাজারে মহিপুর বাজার পচার বাজার কামারপাড়া হাটবাজার ঢোল ভাঙ্গা হাটবাজার খোর্দ্দকোমরপুর বাজার ইদ্রাকপুর বাজার মাদারহাট আলিনার বাজার জনপ্রিয় == কৃতী ব্যক্তিত্ব == আবু হোসেন মৃত্যু: ১৯৬৯) তুলসী লাহিড়ী(জন্ম: ১৮৯৭, মৃত্যু: ১৯৫৯) আতাউর রহমান বাদশা মিয়া(জন্ম:১৯৩৬ -মৃত্যু ১৯৯০) #আবু তালেব ২০০৭) প্রফেসর ড. এম.আর সরকার(প্রকৃত শিক্ষাবিদের প্রতিকৃতি) এজাজুল == দর্শনীয় স্থান == নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি পীরের হাট মাজার শাহজামাল চৌধুরী এর মাজার *জামালপুর শাহী মসজিদ *কামাড়পাড়া জমিদার বাড়ি চতরা বিল *খেরুয়ার দিঘী পাকুড়িয়ার বিল (ভাতগ্রামে অবস্থিত যা, গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিল) ঘেগার বাজার মাজার == নদ নদী == ঘাঘট সাদুল্লাপুরের একমাত্র নদী == স্বাস্থ্য == উপজেলা ১টি (৫০ শয্যা বিশিষ্ট) স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র: ৬টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিক: ১০টি == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জেলার উপজেলা উপজেলা'''মুসলিম মোবারক আলমাস''' (জন্ম: ১৩ জুন ১৯৮৫) হলেন একজন ইরাকি ফুটবলার, যিনি বাগদাদের আল দিফা আল মাদানি ক্লাবে খেলে থাকেন। সে ২০০৭ কিংস কাপে ইরাক বি দলের সদস্য ছিলেন। == কর্মজীবন == আলমাস তার ক্লাব ক্যারিয়ার ২০০১ সালে আল মিনা ক্লাবের দ্বারা শুরু করেন এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে খেলেছিলেন। ২০০৪-২০০৭ সালে তিনি আর জাওরা ক্লাবে খেলে তিনি সেখানে অগ্রভাবে খেলেছিলেন। ২০১৩-১৪ সালে আল তালাবা, ২০১৪-১৫ সালে আল ওয়াসাট ক্লাবে খেলেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি আল দিফা আল মাদানি ক্লাবের সাথে চুক্তিবন্ধ হন। আলমাস ২০০৪ সালে ইরাক অনূর্ধ্ব-১৯ দলে, ২০০৭ সালে থেকে ইরাক বি দলে এবং ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন। == অর্জন == ===ক্লাব=== ;Al-Shorta Arab Police Championship: 2002 Iraqi Premier League: 2012–13 ;Al-Zawraa Iraqi Premier League: 2005–06 ;Erbil Iraqi Premier League: 2007–08, 2008–09, 2011–12 ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Muslim Mubarak on Goalzz জন্ম'''দক্ষিণ এশিয়া''' বা এশিয়া''' বলতে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত ভারতীয় উপমহাদেশ তার সন্নিকটস্থ অঞ্চলকে বোঝায়। এর পশ্চিমে পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্য, উত্তরে মধ্য এশিয়া, আর পূর্বে পূর্ব এশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশ। == সংজ্ঞা প্রয়োগ == দক্ষিণ এশিয়ার কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ মানচিত্র. '''দক্ষিণ এশিয়া''' নিচের রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত (বর্ণানুক্রমে): নেপাল পাকিস্তান বাংলাদেশ ভারত ভুটান মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা জাতিসংঘ ঘোষিত এশিয়া''' নামের উপ-অঞ্চলে উপরের দেশগুলো ছাড়াও আফগানিস্তান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেক সময় এই নামটি দিয়ে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত সমগ্র এশিয়াকেও বোঝানো হয়। '''ভারতীয় উপমহাদেশ''' বলতে যেসব দেশ ভৌগোলিকভাবে ভারতীয় প্লেটের ওপর এবং ইউরেশীয় প্লেটের দক্ষিণে অবস্থিত, সেগুলোকে বোঝায়। ভূ-রাজনৈতিকভাবে ভারতীয় উপমহাদেশ '''দক্ষিণ এশিয়া''' বা এশিয়ার''' অংশবিশেষ, অর্থাৎ ভারতীয় প্লেটের বাইরে সন্নিকটে অবস্থিত দেশগুলোও এর মধ্যে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তানের সাথে বিদ্যমান রাজনৈতিক সামাজিক সম্পর্কের কারণে, এবং প্রাচীন মৌর্য মোঘল সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে কখনো কখনো আফগানিস্তানকে এই অঞ্চলের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। == দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা == দক্ষিণ এশিয়ার নগর মানচিত্র দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সংক্ষেপে সার্ক) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সরকারি সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং আফগানিস্তান। গণচীন জাপানকে সার্কের পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সার্ক ১৯৮৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যখন বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান নেপাল ভুটান মালদ্বীপ শ্রীলংকার নেতারা দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতা করার লক্ষে এক রাজকীয় সনদপত্রে আবদ্ধ হন == ইতিহাস == :''বিস্তারিত দেখুন দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসমূহ নিবন্ধে'' == জনমিতি == দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১.৭৪৯ বিলিয়ন, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল করে তুলেছে। এটি সামাজিকভাবে খুবই মিশ্র, অনেক ভাষা গ্রুপ এবং ধর্ম নিয়ে গঠিত, এবং একটি অঞ্চলে সামাজিক অভ্যাস যা অন্য একটি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। === সর্ববৃহৎ নগরাঞ্চল === বিশ্বের বেশকিছু সর্বাধিক জনবহুল অতিমহানগরী দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। ঢাকা, দিল্লি, মুম্বাই করাচী বিশ্বের চারটি জনবহুল অতি মহানগরী। === ভাষা === দক্ষিণ এশিয়ায় অসংখ্য ভাষা রয়েছে। এই অঞ্চলের কথ্য ভাষাগুলি মূলত ভূগোলের ভিত্তিতে এবং ধর্মীয় সীমানা জুড়ে ভাগ করা হয় তবে লিখিত লিপিগুলি ধর্মীয় সীমানা দ্বারা তীব্রভাবে বিভক্ত। বিশেষত, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা যেমন আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে আরবি বর্ণমালা এবং পার্সিয়ান নাস্তালিক ব্যবহার করে। ১৯৭১ পর্যন্ত, মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ (তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত) কেবল নাস্তালিক লিপি বাধ্যতামূলক করেছিল, কিন্তু এরপরে আঞ্চলিক লিপি এবং বিশেষত বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অমুসলিমরা এবং অন্যদিকে ভারতের কিছু মুসলমান তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ঐতিহ্য লিপি যেমন ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার জন্য ব্রাহ্মী লিপি থেকে প্রাপ্ত লিপি এবং দ্রাবিড় অন্যান্য ভাষাসমূহের জন্য ব্রাহ্মী-লিপি ব্যবহার করে। === ধর্ম === ২০১০ সালে হিন্দু, জৈন এবং শিখ ধর্মের লোক বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ছিল, প্রায় ৫১০ মিলিয়ন মুসলমান, পাশাপাশি ২৫ মিলিয়ন বৌদ্ধ এবং ৩৫ মিলিয়ন খ্রিস্টান ছিল। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যার হিন্দুরা প্রায় ৬৮ শতাংশ বা প্রায় ৯০০ মিলিয়ন হিন্দু এবং ৩১ শতাংশ বা ৫১০ মিলিয়ন মুসলমান, বাকী অংশের বেশিরভাগ অংশ বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এবং শিখরা নিয়ে গঠিত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং খ্রিস্টানরা ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানে, আর মুসলমানরা আফগানিস্তান (৯৯%), বাংলাদেশ (৯০%), পাকিস্তান (৯৯%) এবং মালদ্বীপে (১০০%) কেন্দ্রীভূত। ভারতীয় ধর্মগুলির মধ্যে হিন্দু ধর্ম, জৈন ধর্ম, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্ম ভারতে উদ্ভূত ধর্ম। ভারতীয় ধর্মগুলি পৃথকভাবে পরিভাষা, বিশ্বাস, লক্ষ্য এবং ধারণাগুলি ভাগ করে নিয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পরে সিন্ধু, বেলুচিস্তান এবং পাঞ্জাব অঞ্চলের কিছু অংশ পারস্য এবং মধ্য এশিয়া থেকে আগত মুসলমানদের সাথে আরব খলিফারা বিজয় লাভ করেছিল, যার ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশে শিয়া সুন্নি ইসলাম উভয়ের বিস্তার ঘটেছিল। প্রায় এক তৃতীয়াংশ মুসলমান দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা। ==তথ্যসূত্র== == আরও দেখুন == সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ভারততত্ত্ব ইসলামের দক্ষিণ এশিয়া বিজয় এশিয়া'''এফ-৭''' (চেংগদু জে-৭) চীনে তৈরি একটি জঙ্গী বিমান। এটি রাশিয়ার তৈরি মিগ-২১ এর লাইসেন্সড উন্নততর ভার্সন। রাশিয়ার কারিগরি সহায়তায় চীন এটি তৈরি করে। এটির উৎপাদন ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে গেলেও এটি চীন সহ বিভিন্ন দেশের বিমান বাহিনীতে এখনো, বিশেষত: ইন্টারসেপটর হিসেবে, ব্যবহৃত হচ্ছে। == বৈশিষ্ঠ্যসমুহ == প্রস্তুতকারক :চেংগদু বৈমানিক :১জন প্রথম উড্ডয়ন :১৯৬৬ সাল দৈর্ঘ্য :১৪.৮৮৫মিঃ উচ্চতা :৪.১০ মিঃ খালি অবস্হায় ওজন :৫২৯২ কেজি বোঝা পূর্ন অবস্হায় ওজন :৭৫৪০ কেজি শক্তির উৎস wopen)-১৩ সর্বোচ্চ গতি :২১৭৫ কিঃমিঃ/ঘঃ যুদ্ধাবস্হায় পাল্লা :৮৭৫ কিঃমিঃ,৫৫০ মাঃ == যুদ্ধার্থে ব্যাবহ্রত অস্ত্র == ২টি টাইপ ৩০ ৩০মিঃমিঃ কামান *বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বোমা-২০০০কেজি == তথ্যসূত্র == বিমানচিত্র:Spiral সিঁড়ি, টাইমস স্কয়ার, হংকং. সচল সিঁড়ি বা এস্কেলেটর (Escalator) ভবনের এক তলা থেকে অন্য তলায় যাত্রীদের বহন করে নিয়ে যায়। সাধারণত এর ঢাল বা নতি (slope) ৩০ o। সিঁড়ির ধাপগুলো রোলার শিকলের উপর বসিয়ে একটি বৈদূত্যিক মোটর দিয়ে নির্দিষ্ট গতিপথে টেনে নেওয়া হয়। প্রয়োজন অনুসারে একই এস্কেলেটরকে ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী করা যায়। যান্ত্রিক বাহনব্রিটানিকা''' (, লাতিন ভাষায় ''ব্রিটিশ বিশ্বকোষ'') ব্রিটানিকা, ইনকর্পোরেটেড" কর্তৃক প্রকাশিত একটি সাধারণ জ্ঞানের ইংরেজি বিশ্বকোষ। প্রায় নিয়মিত ১০০ জন সম্পাদক প্রায় ৪০০০ অবদানকারীর মাধ্যমে এটি লিখিত সংশোধিত হয়। অনুবাদকারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১০ জন নোবেল বিজয়ী এবং জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একে ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিশ্বকোষগুলোর একটি মনে করা হয়। ''ব্রিটানিকা'' ইংরেজি ভাষায় এখনও নিয়মিত প্রকাশিত বিশ্বকোষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭১ সালের মধ্যে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে তিনটি আলাদা খণ্ডে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর দিনদিন আকার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় সংস্কণ প্রকাশিত হয় ১০ খণ্ডে, এবং ১৮০১ থেকে ১৮১০ সালের মধ্যে প্রকাশিত চতুর্থ সংস্করণে ছিল ২০টি খণ্ড। পাণ্ডিত্যপূর্ণ নিবন্ধের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি লেখক সমাজের অন্তর্ভুক্ত হন, এবং ৯ম (১৮৭৫-৮৯) ১১তম (১৯১১) সংস্করণ বিশ্বকোষের পাণ্ডিত্য রচনাশৈলীর ইতিহাসে যুগান্তকারী অর্জন বলে স্বীকৃত। একাদশ সংস্করণ প্রকাশ এবং একটি মার্কিন কোম্পানি কর্তৃক ব্রিটানিকা ইনকর্পোরেটেড-এর অধিগ্রহণের পর আমেরিকান পাঠকদের জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য বিশ্বকোষটির নিবন্ধের আকার ছোট করে বিষয় সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। ১৯৩৩ সালে ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ রচনার ইতিহাসে প্রথমবারের মত তাদের ভুক্তিগুলো নিয়মিত পুনর্ম্যল্যায়ন সংশোধন করা শুরু করে। ২০১২ সালের মার্চে ব্রিটানিকা ইনকর্পোরেটেড ঘোষণা করে, তারা আর কাগজে মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ করবে না, বরং কেবল অনলাইন সংস্করণের ব্রিটানিকা অনলাইন'') দিকে নজর দেবে। এর সর্বশেষ কাগজে মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালে, ৩২ খণ্ডে। ১৫তম অর্থাৎ সর্বশেষ মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল তিন ভাগে: একটি ১২ খণ্ডের যেখানে সাধারণত ছোট ছোট ৭৫০ শব্দের নিবন্ধ স্থান পায়, একটি ১৯ খণ্ডের যাতে বড় (২ থেকে ৩১০ পৃষ্ঠা) নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, এবং একটি এক খণ্ডের ''প্রোপিডিয়া'' যাতে ব্রিটানিকার সমগ্র জ্ঞানের একটি ধারাবাহিক ভূমিকা দেয়া হয়। মাইক্রোপিডিয়া হচ্ছে দ্রুত কোন বিষয় সম্পর্কে সংক্ষেপে জানার জন্য এবং আরও জানার ইচ্ছা থাকলে সেখান থেকে যেতে হয়। আর প্রোপিডিয়া একটি নিবন্ধকে অপেক্ষাকৃত বড় প্রেক্ষাপটে স্থাপন করে সে সম্পর্কিত অন্যান্য নিবন্ধের ধারণা দেয়। প্রায় ৭০ বছর ধরে ব্রিটানিকার মুদ্রিত সংস্করণের আকার প্রায় ধ্রুব ছিল- প্রায় লক্ষ বিষয়ের উপর প্রায় কোটি শব্দ। ১৯০১ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হলেও ব্রিটানিকাতে ব্রিটিশ বানান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। == তথ্যসূত্র == ভাষার বিশ্বকোষ'''কায়সার হামিদ''' বাংলাদেশের একজন কৃতি ফুটবলার। তিনি মোহামেডান স্পোর্টিং-এর হয়ে আশির দশক নব্বইয়ের দশকে খেলতেন। সে আমলের সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার-দের অন্যতম। দীর্ঘদিন মোহামেডান দলের দলনেতা ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় দলেও অনেকদিন খেলেছেন। প্রখ্যাত দাবাড়ু রানী হামিদ কায়সারের মা। == জন্ম শিক্ষাজীবন == == কর্মজীবন == == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == আন্তর্জাতিক ফুটবলার ফুটবলার'''ফিফা বিশ্বকাপ''' () ('''ফুটবল বিশ্বকাপ''', '''সকার বিশ্বকাপ''', অথবা শুধু '''বিশ্বকাপ''' নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফিফা উচ্চারণ: ''ফেদেরাসিওঁ দ্য ফুৎবল্‌ অর্থাৎ "আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা") সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে বিভক্ত, বাছাইপর্ব চূড়ান্ত পর্ব (''মূল বিশ্বকাপ'')। চুড়ান্ত পর্যায়ে কোন দল খেলবে তা নির্বাচনের জন্য অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে বাছাইপর্বে অংশ নিতে হয়। বর্তমানে মূল বিশ্বকাপের আগের তিন বছর ধরে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার বর্তমান ধরন অনুযায়ী ৩২টি জাতীয় দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়। আয়োজক দেশে প্রায় একমাস ধরে এই চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা চলে। দর্শক সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বকাপ মূল পর্ব বিশ্বের বৃহত্তম অনুষ্ঠান। ফিফার হিসেব অনুযায়ী ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখেছেন প্রায় ৭১৫.১ মিলিয়ন দর্শক। পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২১টি আসরে কেবল ৮টি জাতীয় দল বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে। বর্তমান শিরোপাধারী চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দ্বিতীয়বার জয়ী ১৯৯৮ ২০১৮ বার বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল হচ্ছে বিশ্বকাপের সফলতম দল। জার্মানি ইতালি ৪টি শিরোপা নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে উরুগুয়ে ২টি শিরোপা প্রথম(১৯৩০) চতুর্থ (১৯৫০) বিশ্বকাপ জয়ী, আর্জেন্টিনা ফ্রান্স দু’বার করে এবং ইংল্যান্ড স্পেন একবার করে শিরোপা জিতেছে। সর্বশেষ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ায়, ২০১৮ সালের ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে ৪-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়। ১৯৯১ সাল থেকে ফিফা ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন শুরু করেছে। এটিও সাধারণ বিশ্বকাপের ন্যায় চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। == ইতিহাস == === পূর্ববর্তী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা === বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়েছিল ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ডের মধ্যে। প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল ১৮৮৪ সালে শুরু হওয়া '''ব্রিটিশ হোম সময়ে গ্রেট ব্রিটেন আয়ারল্যান্ডের বাইরে ফুটবল খেলা বলতে গেলে অনুষ্ঠিতই হত না। সেই শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এটিকে ১৯০০, ১৯০৪ ১৯০৬ সালের অলিম্পিকে প্রদর্শনী খেলা হিসেবে রাখা হয় তবে এর জন্য কোন পুরস্কার বরাদ্দ ছিল না। ১৯০৮ সালের অলিম্পিকে ফুটবল প্রথম আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা পায়। এফএ’র পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতা ছিল অপেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য এবং এটিকে প্রতিযোগিতার চেয়ে প্রদর্শনী হিসেবেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হত। ১৯০৮ ১৯১২ দু’টি অলিম্পিকেই গ্রেট ব্রিটেন (যাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিল ইংল্যান্ড জাতীয় অপেশাদার ফুটবল দল) জয়লাভ করে। ১৯০৪ সালে ফিফা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঠিক পরেই, ১৯০৬ সালে ফিফা সুইজারল্যান্ডে অলিম্পিকের আদল থেকে ভিন্ন একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বয়স তখনো অনেক কম এবং হয়ত একারণেই ফিফার ইতিহাসে এই প্রতিযোগিতাকে ব্যর্থ আখ্যা দেয়া হয়েছে। অলিম্পিকে অপেশাদার দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলার পাশাপাশি স্যার থমাস লিপটন ১৯০৯ সালে তুরিনে স্যার থমাস লিপটন ট্রফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এটি ছিল বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ক্লাবের (জাতীয় দল নয়) মধ্যে একটি চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা। এসব দলের প্রত্যেকে আলাদা আলাদা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল, এজন্য এই প্রতিযোগিতাকে অনেকে ''প্রথম বিশ্বকাপ'' বলেন। এতে ইতালি, জার্মানি এবং বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা পেশাদার দল অংশ নেয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের দ্য ফুটবল এসোসিয়েশন এই প্রতিযোগিতার সাথে জড়িত থাকতে পেশাদার দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য লিপটন পশ্চিম অকল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানান যা ছিল ডারহাম কাউন্টির একটি অপেশাদার দল। পশ্চিম অকল্যান্ড এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় এবং পরবর্তীতে ১৯১১ সালের প্রতিযোগিতায় শিরোপা ধরে রাখতে সমর্থ হয়। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে তাদেরকে চিরতরে ট্রফিটি দিয়ে দেয়া হয়। ১৯১৪ সালে, ফিফা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত ফুটবল প্রতিযোগিতাকে "অপেশাদার বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ" হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় এবং এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এর ফলে ১৯২০ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে বিশ্বের প্রথম আন্তমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় মিশর (প্রথম খেলায় নকড আউট হয়) তেরটি ইউরোপীয়ান দল। এতে বেলজিয়াম স্বর্ণপদক জিতে নেয়। উরুগুয়ে ১৯২৪ ১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ লাভ করে। ১৯২৮ সালে ফিফা অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে নিজস্ব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩০ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পা দেয়া দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে (১৯২৪ সাল থেকে ফিফার পেশাদার যুগ শুরু করে) ফিফা তাদের ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করে। === প্রথম বিশ্বকাপ === সেন্টেনারিও, মোন্তেবিদেও, উরুগুয়ের যে স্টেডিয়ামে ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩২ সালের লস এঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্ম অলিম্পিকে ফুটবলকে না রাখার পরিকল্পনা করা হয় কারণ যুক্তরাষ্ট্রে তখন ফুটবল (সকার) জনপ্রিয় ছিল না। ফুটবলের পরিবর্তে ওখানে আমেরিকান ফুটবল (রাগবি ফুটবল) জনপ্রিয় ছিল। ফিফা এবং আইওসি’র মাঝে অপেশাদার খেলার মর্যাদা নিয়ে মতবিরোধও দেখা দেয়। ফলে ফুটবল অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ে যায়। একারনে ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। নির্বাচিত বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুটবল সংস্থাকে এতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু উরুগুয়েতে বিশ্বকাপ আয়োজনের অর্থ ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ব্যয়বহুল সফরে আসতে হবে। এজন্য কোন ইউরোপীয় দেশ প্রতিযোগিতা শুরুর দুইমাস আগেও দল পাঠাতে সম্মত হয়নি। রিমে শেষ পর্যন্ত বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া, যুগোস্লাভিয়া থেকে দল আনাতে সক্ষম হন। মোট ১৩টি দেশ এতে অংশ নেয়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সাতটি, ইউরোপ থেকে দু’টি উত্তর আমেরিকা থেকে দু’টি। প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় যাতে অংশ নেয় ফ্রান্স মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্র বেলজিয়াম। ফ্রান্স ৪-১ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩-০ ব্যবধানে এতে জয়ী হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম গোল করেন ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ত। ফাইনালে ৯৩,০০০ দর্শকের সামনে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব লাভ করে। === বিশ্বকাপের বিস্তৃতি === প্রথম দিকের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল সমস্যা ছিল আন্তমহাদেশীয় যাতায়াত যুদ্ধঘটিত সমস্যা। কয়েকটি দক্ষিণ আমেরিকান দল ১৯৩৪ ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার জন্য ইউরোপে যেতে আগ্রহী থাকলেও কেবল ব্রাজিলই এই দুটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে ১৯৪২ ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিতই হয়নি। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে প্রথম কোন ব্রিটিশ দল অংশ নেয়। এই ব্রিটিশ দলগুলো ১৯২০ সাল থেকে ফিফাকে বয়কট করে আসছিল। এর একটি কারণ ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সাথে যেসব দেশের যুদ্ধ হয়েছিল তাদের সাথে না খেলার মানসিকতা এবং অন্য কারনটি ছিল ফুটবলে বিদেশী কর্তৃত্বের বিপক্ষে প্রতিবাদ। তবে তারা ১৯৪৬ সালে ফিফার আমন্ত্রণে সাড়া দেয়। এই বিশ্বকাপে ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়েকে আবার করতে দেখা যায়, যারা পূর্ববর্তী দুটি বিশ্বকাপ বয়কট করেছিল। ১৯৫০ সালে উরুগুয়ে আবার বিশ্বকাপ জিতে নেয়। ১৯৩৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি দল মূল পর্বে অংশ নিত। তবে ১৯৩৮ সালে জার্মানি অস্ট্রিয়াকে দখল করায় প্রতিযোগিতায় ১৫টি দল অংশ নেয়। ১৯৫০ সালে ভারত, স্কটল্যান্ড তুরস্ক নাম প্রত্যাহার করায় এই বিশ্বকাপে ১৩টি দল অংশগ্রহণ করে। অধিকাংশ দলই ছিল ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত, অল্প কিছু দল খেলেছে উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ওশেনিয়া থেকে। এসব দল খুব সজেই ইউরোপীয় দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর কাছে হেরে যেত। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকা বাদে কেবল যে দলটি প্রথম পর্বের বাধা অতিক্রম করতে পেরেছে তারা হচ্ছে: যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৩০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল; কিউবা, ১৯৩৮ বিশ্বকাপের উত্তর কোরিয়া, ১৯৬৬ বিশ্বকাপের এবং মেক্সিকো, ১৯৭০ বিশ্বকাপের ১৯৮২ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ২৪ করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করা হয়। এতে করে আফ্রিকা, এশিয়া উত্তর আমেরিকা থেকে আরো বেশি দল অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে ওশেনিয়া মহাদেশ ব্যতিক্রম কেননা এখান থেকে কোন দল বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি। সাম্পতিক বছরগুলোতে এসব এলাকার দলগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি সফলতা পেয়েছে। এসব এলাকার বিশ্বকাপের নক-আউট পর্যায়ে উত্তীর্ণ দলগুলো হলঃ মেক্সিকো, ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়; মরক্কো, ১৯৮৬ সালে নকআউট পর্যায়; ক্যামেরুন, ১৯৯০ সালের কোস্টারিকা, ১৯৯০ সালে নকআউট পর্যায়; নাইজেরিয়া, ১৯৯৪ ১৯৯৮ সালে নকআউট পর্যায়; সৌদি আরব, ১৯৯৪ সালে নকআউট পর্যায়; যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯৪ সালে নকআউট ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০২ সালে চতুর্থ স্থান; সেনেগাল, ২০০২ সালে জাপান, ২০০২ সালে নকআউট পর্যায়; এবং অস্ট্রেলিয়া ঘানা, উভয়ে ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়। তবে, ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো এখনও অন্যান্য দলের ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। এর জ্বলন্ত উদাহরন হচ্ছে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের আটটি দলই ছিল ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকার। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য ১৯৮টি দল করেছে এবং ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য রেকর্ড ২০৪টি দল করেছে। === অন্যান্য ফিফা প্রতিযোগিতা === নারীদের জন্য সমমানের ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ, প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে চীনে। মহিলা বিশ্বকাপের পরিধি ছোট এবং পুরুষদের প্রতিযোগিতার চেয়ে অনেক কম গুরুত্ব পায়। তবে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ছে। ২০০৭ সালের প্রতিযোগিতায় ১২০ টি দল অংশ নিয়েছিল যা ১৯৯১ সালের দ্বিগুন। অন্যান্য অনেক ক্রীড়ার (এমনকি মহিলা ফুটবল) মত অলিম্পিকে তেমন উঁচু মানের ফুটবল প্রতিযোগিতা হয় না। ১৯৯২ সাল থেকে অলিম্পিকে অনুর্ধ-২৩ দলের যেকোন খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ তিনজন পূর্ণবয়স্ক খেলোয়াড় অংশ নিতে পারেন। ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ হচ্ছে মূল বিশ্বকাপের আগে একটি প্রতীকি প্রতিযোগিতা যেটি একবছর আগেই আয়োজক দেশে অনুষ্ঠিত হয়। ছয়টি কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়ন, আয়োজক দেশ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ফিফা অন্যান্য যুব প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে থাকে। যেমন ফিফা অনুর্ধ-২০ বিশ্বকাপ, ফিফা অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ, ফিফা অনুর্ধ-২০ প্রমীলা বিশ্বকাপ, ফিফা অনুর্ধ-১৭ প্রমিলা বিশ্বকাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, এবং ফুটবলের অন্যান্য ধারা যেমন: ফিফা ফুটসল বিশ্বকাপ ফিফা বিচ সকার বিশ্বকাপ। == ট্রফি == ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বিজয়ী দলকে ''জুলে রিমে ট্রফি'' প্রদান করা হত। জনসাধারণের কাছে এটি শুধু ''বিশ্বকাপ'' বা ''Coupe du Monde'' নামেই বেশি পরিচিত ছিল, তবে ১৯৪৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনকারী ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমের নামে এটির নামকরণ করা হয়। ১৯৭০ সালে ব্রাজিল তৃতীয় বারের মত বিশ্বকাপ জিতলে তাদেরকে স্থায়ীভাবে ট্রফিটি দেয়া হয়। ১৯৮৩ সালে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায় এবং পরে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় চোর ট্রফিটিকে গলিয়ে ফেলেছে। ১৯৭০ সালের পর আরেকটি নতুন ট্রফির যা ''ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি'' নামে পরিচিত, নকশা প্রণয়ন করা হয়। সাতটি মহাদেশ থেকে আগত বিশেষজ্ঞগণ ফিফাকে ৫৩টি মডেল প্রদর্শন করেন। শেষপর্যন্ত ইতালিয় নকশাকার সিলভিও গাজ্জানিগার তৈরীকৃত নমুনা বিশ্বকাপ ট্রফি হিসেবে গৃহীত হয়। নতুন ট্রফিটির উচ্চতা ৩৬ সেন্টিমিটার, ১৮-ক্যারট সোনা দিয়ে তৈরি ওজন ৬,১৭৫ গ্রাম। এর ভিত্তি দু’স্তরের মূল্যবান ম্যালাকাইট দিয়ে তৈরী। ভিত্তির নিচের দিকে ১৯৭৪ থেকে আজ পর্যন্ত সকল বিশ্বকাপজয়ীর নাম গ্রথিত করা আছে। গাজ্জানিগা ট্রফির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন: "The lines spring out from the base, rising in spirals, stretching out to receive the world. From the remarkable dynamic tensions of the compact body of the sculpture rise the figures of two athletes at the stirring moment of victory." এই নতুন ট্রফি বিজয়ী দেশকে স্থায়ীভাবে আর দেয়া হয় না, তা তারা যতবারই জিতুক না কেন। বিশ্বকাপ জয়ী দল পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত ট্রফিটি তাদের কাছে রাখতে পারে। এরপর তাদেরকে সোনার প্রলেপ দেয়া নকল বিশ্বকাপ ট্রফি দেয়া হয়। আর্জেন্টিনা, জার্মানি (পশ্চিম জার্মানি হিসেবে), ইতালি ব্রাজিল ফ্রান্স প্রত্যেকে দুইবার করে ট্রফিটি জিতেছে। ২০৩৮ সালে এটির ভিত্তিতে বিজয়ী দলের নাম লেখার মত আর জায়গা থাকবে না। তখন ট্রফিটি হয়তো বাদ দেয়া হবে। == খেলার ধরন == === যোগ্যতা === ১৯৩৪ সালের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে থেকে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সীমিত রাখতে যোগ্যতা নিরূপণী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছয়টি মহাদেশীয় এলাকার (আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, দক্ষিণ আমেরিকা, ওশেনিয়া, ইউরোপ) কনফেডারেশন এটির ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত। প্রতিটি বিশ্বকাপে ফিফা ঠিক করে কোন মহাদেশ থেকে কতটি দল অংশ নেবে। সাধারণত কনফেডারেশনভুক্ত দলের শক্তি দক্ষতার উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এখানে কনফেডারেশন সমূহের লবিং কাজ করে। সাধারণত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার তিন বছর আগেই যোগ্যতা নিরূপনী প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। এটি প্রায় দু’বছর ধরে চলে। বিভিন্ন কনফেডারেশনভেদে প্রতিযোগিতার রকম বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণত একটি বা দুটি স্থান আন্তমহাদেশীয় দলের মধ্যে প্লে অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরুপ: ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলের বিজয়ী দক্ষিণ আমেরিকার পঞ্চম স্থানের দল দুটি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য প্লে অফ খেলেছিল। ১৯৩৮ বিশ্বকাপ থেকে স্বাগতিকরা চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশ নিচ্ছে। আগে বিগত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলটির পরবর্তী বিশ্বকাপে অংশ নিতে বাছাই পর্ব খেলতে হত না। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে বিগত চ্যাম্পিয়ন দলটিকেও বাছাই পর্ব টপকে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হচ্ছে। === মূল আসর === বর্তমানে ৩২টি জাতীয় দল একমাসব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতা দু'ধাপে বিভক্ত গ্রুপ পর্যায় এবং নক-আউট পর্যায়। গ্রুপ পর্যায়ে দলগুলোকে প্রতি দলে চারটি করে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। বিশ্বকাপের মূলপর্বের ছয়মাস আগে কোন গ্রুপে কে থাকবে তা নির্ধারন করা হয়। ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী শীর্ষ আটটি দলকে (স্বাগতিক দল-সহ) আটটি ভিন্ন গ্রুপে রাখা হয়। প্রতি গ্রুপের বাকি তিনটি দলের স্থান বিভিন্ন এলাকার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট করা হয়। পরে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন দলের মধ্যে লটারি করে চূড়ান্ত গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৮ থেকে একই গ্রুপে যেন দু’টির বেশি ইউরোপীয় দল বা অন্য কনফেডারেশনের একটির বেশি দল না থাকে সে জন্য নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রতি গ্রুপে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে একটি দল বাকী তিনটি দলের সাথে তিনটি খেলা খেলে। গ্রুপের তিনটি খেলার পর শীর্ষ দু’টি দল পরের ধাপে উত্তীর্ণ হয়। গ্রুপের মধ্যে দলের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পয়েন্ট ব্যবস্থা গৃহীত হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে একটি দলের জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট দেয়া হচ্ছে। এর আগে প্রতি খেলায় জয়ে জন্য দুই পয়েন্ট ছিল। যদি দুটি দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায় তাহলে প্রথমে গোল ব্যবধান, এরপর গোল সংখ্যা, এরপর দু'টি দলের খেলার ফলাফলের উপর নির্ভর করে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এতেও যদি অবস্থান না নির্ণয় করা যায় তাহলে লটারির মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। নক আউট পর্যায়ে কেউ হারলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ হয়ে যায়। এতে দু'টি দল এক-লেগের খেলা খেলে। নির্ধারিত নব্বুই মিনিটে খেলা না শেষ হলে ‘’’অতিরিক্ত সময়’’’ ‘’’পেনল্টি শুটআউট’’’ এর মাধ্যমে খেলার জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। এই নিয়ম গ্রুপ পর্যায়ের পর দ্বিতীয় পর্যায় থেকেই চালু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এক গ্রুপের বিজয়ী অন্য গ্রুপের রানার্স-আপের সাথে খেলে থাকে। এরপর সেমি-ফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতার যে ধরন ব্যবহৃত হয়েছে তার একটি তালিকা নিচে দেয়া হয়েছে: ১৯৩০: গ্রুপ পর্যায়, এরপর পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী; কোন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি) ১৯৩৪–১৯৩৮: নকআউট প্রতিযোগিতা; কেবল এই বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্যায় ছিল না ১৯৫০: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর আরেকটি গ্রুপ পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয়। (গ্রুপ বিজয়ী); কেবল এই বিশ্বকাপেই কোন অফিসিয়াল ফাইনাল খেলা ছিল না ১৯৫৪–১৯৭০: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ৮টি দল অংশ নেয়। (গ্রুপ বিজয়ী রানার্স-আপ) ১৯৭৪–১৯৭৮: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর আরেকটি গ্রুপ পর্যায় যাতে দুটি গ্রুপে ৮টি দল অংশ নেয়। (প্রথম গ্রুপের বিজয়ী রানার্স-আপ), এরপর ফাইনাল (দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায়ের বিজয়ী ফাইনালে খেলে; দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায়ে রানার্স-আপ দল দু'টি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা খেলে) ১৯৮২: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায় যাতে ১২টি দল অংশ নেয় (প্রথম পর্যায়ের বিজয়ী রানার্স-আপ), এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয় (দ্বিতীয় পর্যায়ের বিজয়ী) ১৯৮৬–১৯৯৪: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ১৬টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী, রানার্স-আপ চারটি শ্রেষ্ঠ তৃতীয়-স্থানের দল) ১৯৯৮–বর্তমান: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ১৬টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী রানার্স-আপ) == আয়োজক নির্বাচন == প্রথমদিকের বিশ্বকাপের আয়োজক ফিফা কংগ্রেসের সভাতে নির্ধারণ করা হত। এসব নির্বাচন ছিল চরম বিতর্কিত, কারণ ফুটবলের দুই পরাশক্তি দক্ষিণ আমেরিকা ইউরোপের মধ্যে জাহাজযোগে যাতায়াতে প্রায় তিন-সপ্তাহ লাগত। একারনে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে মাত্র চারটি ইউরোপীয় দেশ অংশ নেয়। পরের দুটি বিশ্বকাপ ইউরোপে অনুষ্ঠিত হয়। দুটি বিশ্বকাপের দ্বিতীয়টি অর্থাৎ ১৯৩৮ ফিফা বিশ্বকাপ ফ্রান্সে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত হয়েছিল। অন্যান্য আমেরিকান দেশগুলো মনে করেছিল বিশ্বকাপ একবার ইউরোপ একবার আমেরিকা এভাবে দুটি মহাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। একারণে আর্জেন্টিনা উরুগুয়ে উভয়েই ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ বর্জন করে। ১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপের পর থেকে আর কোন সম্ভাব্য বিতর্ক এড়াতে ফিফা ইউরোপ আমেরিকার মধ্যে পালাক্রমে বিশ্বকাপ আয়োজনের একটি নকশা প্রণয়ন করে, যেটি ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ পর্যন্ত চলেছে। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ যৌথ ভাবে আয়োজন করে জাপান দক্ষিণ কোরিয়া, যা ছিল এশিয়া মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ (এই প্রতিযোগিতাই প্রথম এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রতিযোগিতা যা একাধিক দেশ মিলে আয়োজন করেছে)। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ। বর্তমানে আয়োজক দেশ ফিফার নির্বাহী কমিটির ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। যে দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ইচ্ছুক তাদের জাতীয় ফুটবল এসোসিয়েশন ফিফার কাছ থেকে "আয়োজনের নীতিমালা" সংগ্রহ করে। এই নীতিমালায় বিশ্বকাপ আয়োজনে করনীয় সকল ধাপ চাহিদার বিস্তারিত বিবরন আছে। এগুলো পূরনে সক্ষম হলে সেই দেশ ফিফার কাছ থেকে আয়োজক নির্বাচনে কাগজপত্র সংগ্রহ করে জমা দেয়। ফিফার একটি প্রতিনিধিদল দেশ ভ্রমণ করে ফিফার চাহিদা কতটুকু পূরন হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। বর্তমানে আয়োজক নির্বাচন বিশ্বকাপের ছয় বছর পূর্বে হয়ে থাকে। ২০১০ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ দুটি ভিন্ন মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং কেবল মহাদেশের কিছু নির্বাচিত দেশ আয়োজক নির্বাচনে করার সুযোগ পাবে। === ২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন === ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ আফ্রিকা মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০০৩ সালে, যা ১৯৭৮ সালের পর দক্ষিণ আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রথম বিশ্বকাপে। ব্রাজিল কলম্বিয়া প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, কিন্তু কলম্বিয়া আগ্রহ প্রত্যাহার করায় এখন পর্যন্ত ব্রাজিল একমাত্র প্রার্থী হিসেবে টিকে আছে। অবশ্য দক্ষিণ আমেরিকার কোন দেশ যদি ফিফার বেধে দেয়া মান অর্জনে সক্ষম না হয় তাহলে বিশ্বকাপ অন্য মহাদেশে স্থানান্তর করা হতে পারে। সাম্প্রতিককালে, ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার উল্লেখ করেছেন "Brazil is likely to be the host", but also said that "I can't guarantee that Brazil will be the host, but the ball is on Brazil's court now." (ব্রাজিলের বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা বেশি। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারিনা ব্রাজিলই আয়োজক হবে, তবে বল এখন ব্রাজিলের কোর্টে।) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ। === ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন === ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ কোন মহাদেশে বরাদ্দ দেয়া হয়নি; প্রকৃতপক্ষে পালাক্রমে বিভিন্ন মহাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের নীতি ২০১৪ সালের পর আর নাও থাকতে পারে। যে সব দেশ ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, মেক্সিকো, স্পেন, পর্তুগাল যুক্তরাষ্ট্র, আবার বেলজিয়াম নেদারল্যান্ড ২০০০ উয়েফা ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সফলভাবে যৌথ-আয়োজন করার পর বেনেলাক্স দেশ (বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড লুক্সেমবার্গ) যুগ্মভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০০৭ তারিখে বিশ্বকাপ বলেছেন যে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ উত্তম আমেরিকায় হওয়া উচিত এবং তিনটি দেশ আছে যারা স্বাগতিক হতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো কানাডা। অবশ্য সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ফিফার বিশ্বিকাপ আয়োজক নির্বাচনে আবর্তন নীতির উপর। ২০০৭ সালের এপ্রিলে ব্ল্যাটার আবার বলেন, "এর অর্থ এই যে ২০১৪ সালের পর বিশ্বকাপ এশিয়ায় হবে।" == সংগঠন এবং গণমাধ্যম == ১৯৫৪ সালে বিশ্বকাপ প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। বর্তমানে এটি টেলিভিশনে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এমনকি অলিম্পিক গেমসের চেয়েও বেশি মানুষ বিশ্বকাপ দেখে থাকে। ২০০২ বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচের সর্বমোট দর্শকসংখ্যা ছিল প্রায় ২৮.৮ বিলিয়ন। ১.১ বিলিয়ন মানুষ সরাসরি বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছেন যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ। ২০০৬ বিশ্বকাপের ড্র, যা বিশ্বকাপে বিভিন্ন দলের গ্রুপ নির্ধারন করে, তা দেখেছেন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন দর্শক। ১৯৬৬ সাল থেকে প্রতি বিশ্বকাপের একটি নিজস্ব মাস্কট বা প্রতীক আছে। ''বিশ্বকাপ উইলি'' প্রথম বিশ্বকাপ মাস্কট, যা ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০০৬ বিশ্বকাপের মাস্কট হচ্ছে ''গোলিও'', একটি সিংহ, এবং ''পিলি'', একটি ফুটবল। == ফলাফল == === বিশ্বকাপ সারাংশ === বছর আয়োজক ফাইনাল তৃতীয় স্থান নির্ধারনী খেলা বিজয়ী ফলাফল দ্বিতীয় স্থান তৃতীয় স্থান ফলাফল চতুর্থ স্থান ১৯৩০ ''বিস্তারিত'' '''উরুগুয়ে''' '''৪–২''' আর্জেন্টিনা যুক্তরাষ্ট্র যুগোস্লাভিয়া '''n/a''' ১৯৩৪ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''২–১''' অতিরিক্ত সময়ে চেকোস্লোভাকিয়া '''জার্মানি''' '''৩–২''' অস্ট্রিয়া ১৯৩৮ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''৪–২''' হাঙ্গেরি ব্রাজিল '''৪–২''' সুইডেন ১৯৫০ ''বিস্তারিত'' '''উরুগুয়ে''' ব্রাজিল সুইডেন স্পেন ১৯৫৪ ''বিস্তারিত'' '''পশ্চিম জার্মানি''' '''৩–২''' হাঙ্গেরি অস্ট্রিয়া '''৩–১''' উরুগুয়ে ১৯৫৮ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''৫–২''' সুইডেন ফ্রান্স '''৬–৩''' পশ্চিম জার্মানি ১৯৬২ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''৩–১''' চেকোস্লোভাকিয়া চিলি '''১–০''' যুগোস্লাভিয়া ১৯৬৬ ''বিস্তারিত'' '''ইংল্যান্ড''' '''৪–২''' অতিরিক্ত সময়ে পশ্চিম জার্মানি পর্তুগাল '''২–১''' সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭০ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''৪–১''' ইতালি পশ্চিম জার্মানি '''১–০''' উরুগুয়ে ১৯৭৪ ''বিস্তারিত'' '''পশ্চিম জার্মানি''' '''২–১''' নেদারল্যান্ড পোল্যান্ড '''১–০''' ব্রাজিল ১৯৭৮ ''বিস্তারিত'' '''৩–১''' অতিরিক্ত সময়ে নেদারল্যান্ড ব্রাজিল '''২–১''' ইতালি ১৯৮২ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''৩–১''' পশ্চিম জার্মানি পোল্যান্ড '''৩–২''' ফ্রান্স ১৯৮৬ ''বিস্তারিত'' '''৩–২''' পশ্চিম জার্মানি ফ্রান্স '''৪–২''' অতিরিক্ত সময়ে বেলজিয়াম ১৯৯০ ''বিস্তারিত'' '''পশ্চিম জার্মানি''' '''১–০''' আর্জেন্টিনা ইতালি '''২–১''' ইংল্যান্ড ১৯৯৪ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''০–০''' অতিরিক্ত সময়ে '''(৩–২)''' টাইব্রেকারে ইতালি সুইডেন '''৪–০''' বুলগেরিয়া ১৯৯৮ ''বিস্তারিত'' '''ফ্রান্স''' '''৩–০''' ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া '''২–১''' নেদারল্যান্ড ২০০২ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''২–০''' জার্মানি তুরস্ক '''৩–২''' দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৬ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''১–১''' অতিরিক্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্স জার্মানি '''৩–১''' পর্তুগাল ২০১০ ''বিস্তারিত'' '''স্পেন''' '''১–০''' অতিরিক্ত সময়ে নেদারল্যান্ডস জার্মানি '''৩–২''' উরুগুয়ে ২০১৪ ''বিস্তারিত'' '''জার্মানি''' '''১–০''' অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডস '''৩–০''' ব্রাজিল ২০১৮ ''বিস্তারিত'' '''ফ্রান্স''' '''৪-২''' ক্রোয়েশিয়া বেলজিয়াম '''২-০''' ইংল্যান্ড === সফল জাতীয় দল === বিভিন্ন দেশের শ্রেষ্ঠ ফলাফলের ম্যাপ শিরোপা জেতা দেশ সবমিলিয়ে মোট ৭৮টি দেশ কমপক্ষে একটি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে। এর মধ্যে ফাইনালে উঠেছে কেবল ১১টি এবং ফাইনালে জিতেছে মাত্র ৮টি দেশ। যে সাতটি দেশ বিশ্বকাপ জিতেছে তারা নিজেদের পোশাকে '''তারকা''' ব্যবহার করতে পারে। প্রতিটি তারকা একটি বিশ্বকাপ শিরোপা নির্দেশ করে। পাঁচটি শিরোপা জিতে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল এবং তারাই একমাত্র দল যারা এপর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। সাম্প্রতিক ২০০৬ বিশ্বকাপের শিরোপাসহ চারটি শিরোপা নিয়ে ইতালি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। পরপর দুটি বিশ্বকাপ জয় করতে পেরেছে কেবল ব্রাজিল ইতালি, এবং প্রত্যেকেই তাদের প্রথম দুটি বিশ্বকাপ এভাবেই জিতেছে (ইতালি: ১৯৩৪ ১৯৩৮; ব্রাজিল: ১৯৫৮ ১৯৬২)। ১৯৭০ ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল ইতালি যখন ফাইনালে মোকাবিলা করেছে, তখন উভয় দলের সামনে যথাক্রমে প্রথম দল হিসেবে তৃতীয় শিরোপা প্রথম দল হিসেবে চতুর্থ শিরোপা লাভের দরজা খোলা ছিল। দুটি ফাইনালেই ব্রাজিল ইতালিকে হারিয়ে দেয় এবং ২০০২ সালে রেকর্ড পঞ্চম শিরোপা জেতে। তারা চারটি মহাদেশে আয়োজিত বিশ্বকাপই জিতেছে (ইউরোপ: ১৯৫৮; দক্ষিণ আমেরিকা: ১৯৬২; উত্তর আমেরিকা: ১৯৭০ ১৯৯৪; এশিয়া: ২০০২)। আরো যে দুইটি দল তাদের মহাদেশের বাইরে আয়োজিত বিশ্বকাপ জিতেছে তারা হচ্ছে স্পেন (২০১০ সালে, আফ্রিকায়) এবং জার্মানি (২০১৪ সালে, দক্ষিণ আমেরিকায়)। যে সব দল পরপর দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে তারা হচ্ছে ইতালি, ব্রাজিল, পশ্চিম জার্মানি, আর্জেন্টিনা, এবং একাধিকবার ফাইনালে উঠেও কখনো শিরোপা না জেতা নেদারল্যান্ড। পরপর তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা দল হচ্ছে ব্রাজিল (১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২) পশ্চিম জার্মানি (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০)। ব্রাজিল এই তিনটির দুটিতে জিতেছে (১৯৯৪, ২০০২) কিন্তু পশ্চিম জার্মানি কেবল একটিতে জিতেছে। আঠারোটি ফাইনালের মধ্যে কেবল দুবার একই প্রতিপক্ষ ফাইনালে খেলেছে। ব্রাজিল ইতালি খেলেছে ১৯৭০ ১৯৯৪ সালে, এবং পশ্চিম জার্মানি আর্জেন্টিনা খেলেছে ১৯৮৬ ১৯৯০ সালে (পশ্চিম জার্মানি আর্জেন্টিনাই কেবল পরপর দুটি ফাইনালে পরস্পরের মোকাবিলা করেছে)। প্রতিটি ফাইনাল খেলায় ব্রাজিল, ইতালি, (পশ্চিম) জার্মানি, আর্জেন্টিনার একটি দল অন্তত অংশ নিয়েছে। নিচে যে ২৪টি দল কোন বিশ্বকাপে শীর্ষ চারে স্থান পেয়েছে তাদের তালিকা দেয়া আছে। জার্মানি সর্বোচ্চ ১২ বার শীর্ষ চারে থেকেছে। জার্মানি সর্বোচ্চ ৮বার ফাইনালে খেলেছে। দল শিরোপা রানার্স-আপ তৃতীয় স্থান চতুর্থ স্থান ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২) (১৯৫০*, ১৯৯৮) (১৯৩৮, ১৯৭৮) (১৯৭৪, ২০১৪) জার্মানি^ (১৯৫৪, ১৯৭৪*, ১৯৯০, ২০১৪) (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২) (১৯৩৪, ১৯৭০, ২০০৬*, ২০১০) (১৯৫৮) ইতালি (১৯৩৪*, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬) (১৯৭০, ১৯৯৪) (১৯৯০*) (১৯৭৮) আর্জেন্টিনা (১৯৭৮*, ১৯৮৬) (১৯৩০, ১৯৯০, ২০১৪) ফ্রান্স (১৯৯৮*, ২০১৮) (২০০৬) (১৯৫৮, ১৯৮৬) (১৯৮২) উরুগুয়ে (১৯৩০*, ১৯৫০) (১৯৫৪, ১৯৭০, ২০১০) ইংল্যান্ড (১৯৬৬*) (১৯৯০, ২০১৮) স্পেন (২০১০) (১৯৫০) নেদারল্যান্ডস (১৯৭৪, ১৯৭৮) (২০১৪) (১৯৯৮) (১৯৩৪, ১৯৬২) হাঙ্গেরি (১৯৩৮, ১৯৫৪) সুইডেন (১৯৫৮*) (১৯৫০, ১৯৯৪) (১৯৩৮) ক্রোয়েশিয়া (২০১৮) (১৯৯৮) পোল্যান্ড (১৯৭৪, ১৯৮২) অস্ট্রিয়া (১৯৫৪) (১৯৩৪) পর্তুগাল (১৯৬৬) (২০০৬) যুগোস্লাভিয়া# (১৯৩০) (১৯৬২) বেলজিয়াম (২০১৮) (১৯৮৬) যুক্তরাষ্ট্র (১৯৩০) চিলি (১৯৬২*) তুরস্ক (২০০২) সোভিয়েত ইউনিয়ন# (১৯৬৬) বুলগেরিয়া (১৯৯৪) দক্ষিণ কোরিয়া (২০০২*) :'' স্বাগতিক'' :'' ১৯৫৪ ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানি হিসেবে খেলা গুলো অন্তর্ভুক্ত'' :'' দেশগুলো কয়েকটি স্বাধীন দেশে বিভক্ত হয়েছে'' === স্বাগতিকের সাফল্য-ব্যর্থতা === বিশ্বকাপজয়ী আটটি দলের ছয়টি দলই অন্তত একটি বিশ্বকাপ স্বাগতিক দেশ হিসেবে জিতেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে ব্রাজিল স্পেন, যারা ১৯৫০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেও বিশ্বকাপ জয় করতে পারেনি। ইংল্যান্ড (১৯৬৬) ফ্রান্স (১৯৯৮) সালে তাদের একমাত্র বিশ্বকাপ স্বাগতিক হিসেবে জিতেছে। উরুগুয়ে (১৯৩০), ইতালি (১৯৩৪) আর্জেন্টিনা (১৯৭৮) সালে তাদের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি স্বাগতিক হিসেবে জিতেছে। জার্মানি (১৯৭৪) তাদের দ্বিতীয় শিরোপা নিজেদের মাটিতে জিতেছে। অন্যান্য দেশও বিশ্বকাপ আয়োজন করে সাফল্য পেয়েছে। সুইডেন (১৯৫৮ সালে রানার্স-আপ), চিলি (১৯৬২ সালে তৃতীয়), দক্ষিণ কোরিয়া (২০০২ সালে চতুর্থ স্থান), মেক্সিকো (১৯৭০ ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল) এবং জাপান (২০০২ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড) এরা তাদের সেরা সাফল্য স্বাগতিক হিসেবেই পেয়েছে। ২০০৬ পর্যন্ত কোন স্বাগতিক দেশই বিশ্বকাপের প্রথম ধাপ থেকে বাদ পড়েনি। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ২০১০ বিশ্বকাপের প্রথম ধাপ থেকেই বাদ পড়ে। বছর স্বাগতিক অবস্থান ১৯৩০ উরুগুয়ে '''শিরোপা''' ১৯৩৪ ইতালি '''শিরোপা''' ১৯৩৮ ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৫০ ব্রাজিল রানার্স-আপ ১৯৫৪ সুইজারল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৫৮ সুইডেন রানার্স-আপ ১৯৬২ চিলি তৃতীয় স্থান ১৯৬৬ ইংল্যান্ড '''শিরোপা''' ১৯৭০ মেক্সিকো কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৭৪ পশ্চিম জার্মানি '''শিরোপা''' ১৯৭৮ আর্জেন্টিনা '''শিরোপা''' ১৯৮২ স্পেন ২য় রাউন্ড ১৯৮৬ মেক্সিকো কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৯০ ইতালি তৃতীয় স্থান ১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র ২য় রাউন্ড ১৯৯৮ ফ্রান্স '''শিরোপা''' ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া জাপান চতুর্থ স্থান ২য় রাউন্ড ২০০৬ জার্মানি তৃতীয় স্থান ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম রাউন্ড ২০১৪ ব্রাজিল চতুর্থ স্থান ২০১৮ রাশিয়া কোয়ার্টার ফাইনাল ২০২২ কাতার === বিভিন্ন মহাদেশের শ্রেষ্ঠ সফলতা === পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল বিশ্বকাপের ফাইনলে কেবল ইউরোপীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলো অংশ নিয়েছে। দুটি মহাদেশই যথাক্রমে এগারো নয়টি শিরোপা জিতেছে। এই দুই মহাদেশের বাইরে কেবল দুটি দলই সেমি-ফাইনালে উঠতে পেরেছে: যুক্তরাষ্ট্র (১৯৩০ সালে) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (২০০২ সালে)। সাম্প্রতিককালে আফ্রিকার দলগুলো সফলতা পেলেও তারা কখনো সেমি-ফাইনালে পৌছুতে পারেনি। ওশেনিয়া অঞ্চলের দলগুলো কেবল তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে এবং মাত্র একটিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইউরোপীয় দলগুলি তাদের জেতা সবগুলো শিরোপাই উইরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে জিতেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর বাইরে ইউরোপে শিরোপা জিতেছে এমন একমাত্র দেশ হচ্ছে ব্রাজিল, যারা ১৯৫৮ সালে ইউরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছে। কেবল দুটি দল পরপর দুবার শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল ১৯৫৮ ১৯৬২ সালে এবং ইতালি ১৯৩৪ ১৯৩৮ সালে। কনফেডারেশন (মহাদেশ) সেরা ফলাফল উয়েফা (ইউরোপ) ১২ শিরোপা, ইতালি (৪), জার্মানি (৪), ফ্রান্স (২), ইংল্যান্ড (১) স্পেন (১) কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) শিরোপা, ব্রাজিল (৫), আর্জেন্টিনা (২), উরুগুয়ে (২) কনকাকাফ (উত্তর, মধ্য আমেরিকা ক্যারিবীয়) সেমিফাইনাল (যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৩০) এএফসি (এশিয়া) চতুর্থ স্থান (দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০২) সিএএফ (আফ্রিকা) কোয়ার্টার ফাইনাল (ক্যামেরুন, ১৯৯০; সেনেগাল, ২০০২) ওএফসি (ওশেনিয়া) দ্বিতীয় রাউন্ড (অস্ট্রেলিয়া, ২০০৬) == পুরস্কার == প্রতিটি বিশ্বকাপ শেষে খেলোয়াড় দলের বিশেষ অর্জনের জন্য কিছু পুরস্কার দেয়া হয়। বর্তমানে ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে: ''এডিডাস সোনালী জুতা'' শীর্ষ গোলদাতার জন্য (সাধারনভাবে ''গোল্ডেন শু'' বা ''গোল্ডেন বুট'' নামে পরিচিত, যা প্রথম দেয়া হয় ১৯৩০ বিশ্বকাপে); ''রুপালী জুতা'' ''ব্রোঞ্জ জুতা'' দেয়া হচ্ছে দ্বিতীয় তৃতীয় সেরা গোলদাতাকে; ''এডিডাস সোনালী বল'' শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের জন্য, যা গণমাধ্যম কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় (''গোল্ডেন বল'' নামে পরিচিত, যা প্রথম দেয়া হয় ১৯৮২ বিশ্বকাপে); ''রুপালি বল'' ''ব্রোঞ্জ বল'' দেয়া হয় ভোটে দ্বিতীয় তৃতীয় সেরাদের; ''ইয়েসিন পুরস্কার'' শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষকের জন্য (প্রথম দেয়া হয় ১৯৯৪ বিশ্বকাপে); ''ফিফা ফেয়ার প্লে ট্রফি'' যে দলের ক্রীড়া আচরণ সবচেয়ে ভাল তাদের জন্য (প্রথম দেয়া হয় ১৯৭৮ বিশ্বকাপে); ''মোস্ট এন্টারটেইনিং টিম'' যে দলের খেলা দর্শকদের সবচেয়ে আনন্দ দেয় তাদের জন্য, দর্শক ভোটে নির্ধারন করা হয় (প্রথম দেয়া হয় ১৯৯৪ বিশ্বকাপে); ''জিলেট শ্রেষ্ঠ তরুণ খেলোয়াড়'' ২১ বছরের কমবয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয় (প্রথম দেয়া হয় ২০০৬ বিশ্বকাপে). ''পূর্ণ-তারকা দল শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের বাছাই করে বিশ্বকাপের শেষে একটি দল ঘোষণা করা হয়, যেটি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ থেকে চালু হয়েছে। == রেকর্ড পরিসংখ্যান == === শীর্ষ গোলদাতা === গোল গোলদাতা ১৬ '''মিরোস্লাভ ক্লোসা''' ১৫ রোনালদো ১৪ গার্ড মুলার ১৩ জাঁ ফতেইন ১২ পেলে ১১ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, Sándor Kocsis ১০ গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, Teófilo Cubillas, Grzegorz Lato, গ্যারি লিনেকার হেলমুট রান (Helmut Rahn) Ademir, রবার্তো ব্যাজিও, Eusébio, জায়েরজিনিয়ো, পাওলো রসি, কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে, Uwe Seeler, Vavá, ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরি Leônidas, দিয়েগো ম্যারাডোনা, Oscar Míguez, রিভাল্ডো, Guillermo Stábile, রুডি ফোলার Careca, Oldřich Nejedlý, Johnny Rep, Hans Schäfer, Andrzej Szarmach, Lajos Tichy বেবেতো, ডেনিস বের্গকাম্প, Zbigniew Boniek, Helmut Haller, থিয়েরি অঁরি, Josef Hügi, মারিও কেম্পেস, লোথার মাথেউস, Max Morlock, Erich Probst, Rob Rensenbrink, Rivelino, ওলেগ সালেঙ্কো, György Sárosi, সালভাতর শিলাচি, হ্রিস্টো স্টইচকভ, ডাভর শুকের, Gyula Zsengellér, হ্যারি কেন লিওনেল মেসি, Alessandro Altobelli, Kennet Andersson, Estanislao Basora, ফ্রান্ৎ‌স বেকেনবাউয়ার, এমিলিও বুত্রাগেনিয়ো, Pedro Cea, গ্যারিঞ্চা, ফের্নান্দো হিয়েরো, জিওফ হার্স্ট, Hans Krankl, হেনরিক লারসন, Peter McParland, রজার মিলা, ফের্নান্দো মোরিয়েন্তেস, Johan Neeskens, Silvio Piola, মিশেল প্লাতিনি, রাউল, রোমারিও, Juan Alberto Schiaffino, Tomáš Skuhravý, Marc Wilmots, জিকো, জিনেদিন জিদান === দ্রুততম গোল === বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের গোল হয় মাত্র ১১ সেকেন্ডে। ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তুরস্কের তারকা স্ট্রাইকার হাকান সুকুর খেলা শুরু হওয়ার মাত্র ১১ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে হতভম্ব করে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়দের। তুরস্কের অন্যতম অভিজ্ঞ এই তারকা ফুটবলারের তার ওই দ্রুততম গোলটির আগে ছয়টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেললেও গোল পাননি তার একটিতেও। ওই ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থানটি দখল করে নেয় তুর্কিরা। এযাবত্কালে বিশ্বকাপে তুরস্কের সেরা সাফল্য ছিল সেটি। সময়(সেকেন্ড) খেলোয়াড় দল প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপ ১১ '''হাকান শুকুর''' ২০০২ কোরিয়া/জাপান ১৫ Václav Mašek ১৯৬২ চিলি ২৩ পাক সিউং-জিন ১৯৬৬ ইংল্যান্ড ২৪ আর্নস্ট লেহনার ১৯৩৪ ইতালি ২৭ ব্র্যায়ান রবসন ১৯৮২ স্পেন ৩৭ বার্নার্ড লাকোম্বে ১৯৭৮ আর্জেন্টিনা === সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া খেলোয়াড় === খেলোয়াড় অংশগ্রহণ '''Antonio Carbajal''' (১৯৫০, ৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬) '''লোথার মাথেউস''' (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Carlos José Castilho (১৯৫০*, ৫৪, ৫৮*, ৬২*) Nílton Santos (১৯৫০*, ৫৪, ৫৮, ৬২) Djalma Santos (১৯৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬) পেলে (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) ববি চার্লটন (১৯৫৮*, ৬২, ৬৬, ৭০) Karl-Heinz Schnellinger (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) Uwe Seeler (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) লেভ ইয়াসিন (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০*) Pedro Rocha (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪) Enrico Albertosi (১৯৬২*, ৬৬, ৭০, ৭৪*) Gianni Rivera (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪) Dobromir Zhechev (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪*) Sepp Maier (১৯৬৬*, ৭০, ৭৪, ৭৮) Dino Zoff (১৯৭০*, ৭৪, ৭৮, ৮২) Władysław Żmuda (১৯৭৪, ৭৮, ৮২, ৮৬) Émerson Leão (১৯৭০*, ৭৪, ৭৮, ৮৬*) দিয়েগো মারাদোনা (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৪) Giuseppe Bergomi (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৮) Enzo Scifo (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Franky Van Der Elst (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Andoni Zubizarreta (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Hong Myung-Bo (১৯৯০, ৯৪, ৯৮, ০২) Hwang Sun-Hong (১৯৯০, ৯৪, ৯৮*, ০২) Paolo Maldini (১৯৯০, ৯৪, ৯৮, ০২) Fernando Hierro (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২) Marc Wilmots (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২) Jacques Songo'o (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২*) Mohamed Al-Deayea (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬*) Sami Al-Jaber (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬) কাফু (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬) রোনালদো (১৯৯৪*, ৯৮, ০২, ০৬) Oliver Kahn (১৯৯৪*, ৯৮*, ০২, ০৬) Kasey Keller (১৯৯০*, ৯৮, ০২*, ০৬) Claudio Reyna (১৯৯৪*, ৯৮, ০২, ০৬) ''Did not play but was part of the squad''. === ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ী অধিনায়ক ম্যানেজার === ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, পশ্চিম জার্মানি, একমাত্র ব্যক্তি যিনি অধিনায়ক (১৯৭৪) কোচ (১৯৯০) হিসবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। মারিও জাগালো, ব্রাজিল, একমাত্র ব্যক্তি যিনি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছেন, দুইবার খেলোয়াড় হিসেবে (১৯৫৮ ১৯৬২), একবার কোচ (১৯৭০) এবং একবার সহকারী কোচ হিসেবে (১৯৯৪)। বছর অধিনায়ক কোচ দল ১৯৩০ José Nasazzi Alberto Suppici ১৯৩৪ Giampiero Combi Vittorio Pozzo ১৯৩৮ Giuseppe Meazza Vittorio Pozzo ১৯৫০ Obdulio Varela Juan López ১৯৫৪ Fritz Walter Sepp Herberger ১৯৫৮ Hilderaldo Bellini ভিসেন্তে ফিওলা ১৯৬২ Mauro Ramos আয়মোরে মোরেইরা ১৯৬৬ Bobby Moore Alf Ramsey ১৯৭০ কার্লোস আলবার্তো মারিও জাগালো ১৯৭৪ Franz Beckenbauer Helmut Schön ১৯৭৮ Daniel Passarella César Luis Menotti ১৯৮২ Dino Zoff Enzo Bearzot ১৯৮৬ দিয়েগো মারাদোনা Carlos Bilardo ১৯৯০ Lothar Matthäus Franz Beckenbauer ১৯৯৪ দুঙ্গা কার্লোস আলবার্তো ১৯৯৮ Didier Deschamps Aimé Jacquet ২০০২ কাফু লুইজ ফেলিপে স্কলারি ২০০৬ Fabio Cannavaro Marcello Lippi ২০১০ ইকার ক্যাসিয়াস ভিসেন্তে দেল বস্ক ২০১৪ ফিলিপ লাম জোয়াকিম লো ২০১৮ উগো লরিস দিদিয়ে দেশঁ ===বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশির রেকর্ড=== চূড়ান্ত পর্বে সবচেয়ে বেশি (২১)। সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়—ব্রাজিল (৫)। সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলা দল—জার্মানি (৮)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা দল—জার্মানি (১০৬)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা দল—জার্মানি (৭৬)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারা দল—মেক্সিকো (২৫)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ড্র করা দল—ইতালি (২১)। সবচেয়ে বেশি গোল করা দল—ব্রাজিল(২২৯) সবচেয়ে বেশি গোল হজম করা দল—জার্মানি (১২১)। সবচেয়ে বেশিবার খেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে না পারা দল—স্কটল্যান্ড (৮)। সবচেয়ে বেশি টানা শিরোপা—২; ইতালি (১৯৩৪, ১৯৩৮), ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২)। সবচেয়ে বেশি টানা ফাইনাল—৩; (জার্মানি ১৯৮২-১৯৯০), ব্রাজিল (১৯৯৪-২০০২)। সবচেয়ে বেশি টানা জয়—১১; ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশি ম্যাচে টানা অপরাজিত—১৩; ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশিবার অংশগ্রহণ—৫ বার; আন্তোনিও কারবাজাল (মেক্সিকো, ১৯৫০-১৯৬৬), লোথার ম্যাথাউস (জার্মানি, ১৯৮২-১৯৯৮) জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি, ১৯৯৮-২০১৪)। বার বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ফুটবলার—পেলে (১৯৫৮, ১৯৬২ ১৯৭০)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার—লোথার ম্যাথাউস (জার্মানি, ২৫ ম্যাচ)। সবচেয়ে বেশি সময় খেলা—২২১৭ মিনিট; পাওলো মালদিনি (ইতালি)। সবচেয়ে বেশি ফাইনালে উপস্থিতি—৩ বার (কাফু, ব্রাজিল ১৯৯৪-২০০২)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ম্যারাডোনা (১৬ ম্যাচ)। বদলি ফুটবলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার—ডেনিলসন (ব্রাজিল, ১১ ম্যাচ)। দুবার বিশ্বকাপ জেতা কোচ—ভিত্তরিও পোজ্জো (ইতালি, ১৯৩৪ ১৯৩৮)। কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ—৬, কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা (কুয়েত ১৯৮২, আরব আমিরাত ১৯৯০, ব্রাজিল ১৯৯৪ ২০০৬, সৌদি আরব ১৯৯৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০)। বিশ্বকাপে পাঁচটি ভিন্ন দেশের কোচ—বোরা মিলুটিনোভিচ (মেক্সিকো ১৯৮৬, কোস্টারিকা ১৯৯০, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪, নাইজেরিয়া ১৯৯৮, চীন ২০০২)। কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা (কুয়েত ১৯৮২, আরব আমিরাত ১৯৯০, ব্রাজিল ১৯৯৪ ২০০৬, সৌদি আরব ১৯৯৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০)। সবচেয়ে বেশি বয়সী কোচ—অটো রেহেগাল (৭১ বছর ৩১৭ দিন, গ্রিস ২০১০)। খেলোয়াড় কোচ হিসেবে টুর্নামেন্ট জয়—মারিও জাগালো (ব্রাজিল, ১৯৫৮ ১৯৬২ খেলোয়াড়, ১৯৭০ কোচ) ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি, ১৯৭৪ খেলোয়াড়, ১৯৯০ কোচ)। == আরও দেখুন == ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফিফা বিশ্বকাপ স্বপ্ন দল ফিফা বিশ্বকাপ আনুষ্ঠানিক গান ফিফা বিশ্বকাপ মাস্কট == তথ্যসূত্র == == গ্রন্থপঞ্জি == == বহিঃসংযোগ == বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপ প্রবর্তিত ক্রীড়াসাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের মেডেল। নোবেল ফাউন্ডেশনকৃত মূল নকশা। '''সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার''' (সুয়েডীয়: Nobelpriset litteratur) একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার যা প্রতি বছর এক বা একাধিক লেখক তথা সাহিত্যিককে প্রদান করা হয়। বিজ্ঞানী শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেল এই পুরস্কারের গোড়াপত্তন করেন। আলফ্রেড নোবেলের করে যাওয়া উইল অনুসারে জানা যায়, তিনি বলে গেছেন, "তাদেরকেই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হবে যারা একটি আদর্শগত প্রবণতার মাধ্যমে কোন অনন্য সাধারণ কাজ প্রদর্শন করতে পারবেন।" প্রতি বছর কাকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে তা সুইডিশ একাডেমি ঠিক করে এবং অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচিতের নাম ঘোষণা করে। প্রথম প্রথম যখন এই পুরস্কার প্রদান শুরু হয় তখন বেশ কিছু বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। নোবেল তার উইলে বলে গিয়েছিলেন যে পুরস্কার পাবে তাকে অবশ্যই ''idealisk'' তথা আদর্শিক কিছু করে দেখাতে হবে। প্রথমদিককার নির্বাচকমণ্ডলী তার কথাগুলোকে আঁকড়ে ধরেছিলেন গোঁড়াভাবে। তাই তারা শুধুমাত্র আদর্শিক দিকটিই চিন্তা করেছেন। অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক যারা হয়তো বড় কোন আদর্শের জন্ম দিতে পারেনি, তারা নোবেল পুরস্কার পায়নি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ লিও তলস্তয় এবং হেনরিক ইবসেন। উপন্যাস নাটকের জগতে কিংবদন্তিতুল্য এই দুই ব্যক্তির নোবেল না পাওয়া নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়। অবশ্য পরবর্তীকালে পুরস্কারের নির্বাচকরা আরও উদার হয়েছেন। আদর্শিক নয় বরং কার সাহিত্য সকল যুগে মানুষের আবেগের ইন্ধন যোগাবে অর্থাৎ কোনটি অমরত্ব অর্জন করবে তার ভিত্তিতেই এখন নির্বাচন করা হচ্ছে। অবশ্য কারণে এমন অনেকে পুরস্কার পেয়েছেন যারা অতটা জনপ্রিয় বা পরিচিত নন। যেমন: ১৯৯৭ সালে দারিও ফো এবং ২০০৪ সালে এলফ্রিদে ইয়েলিনেক। আবার অনেক বিখ্যাত জনপ্রিয় সাহিত্যিকই এই পুরস্কার পাননি বলে সমালোচকরা মন্তব্য করেছেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১১৩ জন সাহিত্যিক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। রুশ সাহিত্যিক বরিস পাস্তেরনাক ১৯৫৮ সালে এই পুরস্কারে ভূষিত হলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের চাঁপে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৬৪ সালে জঁ-পল সার্ত্র্‌ এই পুরস্কারে ভূষিত হলেও তিনি তার পূর্ববর্তী সকল সরকারী সম্মাননার মত এই পুরস্কারও প্রত্যাখ্যান করেন। যাই হোক, নোবেল কমিটি বাদ না দিয়ে পাস্তেরনাক সার্ত্র্‌কে পুরস্কারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে রাখে। == তালিকা == বর্ষ ছবি নাম দেশ ভাষা কারণ রচনার ধরন ১৯০১ 75px সুলি প্রুধোম ফরাসি "তার কাব্য রচনার নিদর্শনস্বরূপ, যে কাব্য মহৎ আদর্শ, শৈল্পিক নৈপুণ্য এবং হৃদয় বুদ্ধিমত্তার একটি বিরল সমন্বয়ের স্বাক্ষর বহন করে।" পদ্য, প্রবন্ধ ১৯০২ 75px থিওডর মম্‌সেন জার্মান "ইতিহাস লিখন শিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তী। বিশেষত তার কালজয়ী রচনা হিস্ট্রি অফ রোম-এর জন্য।" ইতিহাস, আইন ১৯০৩ 75px ইয়র্নস্টার্ন ইয়র্নসেন নরওয়েজীয় "তার মহৎ, অনন্য সুন্দর এবং বহুমুখী কবিতা, যা তার উচ্ছ্বাসের পরিশুদ্ধতা এবং চেতনার বিশুদ্ধতা কারণে ব্যতিক্রমী ধারার সৃষ্টি করেছে।" পদ্য, উপন্যাস, নাটক ১৯০৪ 75px ফ্রেদেরিক মিস্ত্রাল অক্সিটান "তার কবিতার পরিশুদ্ধ মৌলিকত্ব এবং বাস্তব উচ্ছ্বাসের স্বীকৃতিস্বরূপ, যা বিশ্বস্তরূপে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং তার অঞ্চলের মানুষের চেতনা বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। একইসাথে ভাষাতত্ত্বে তার বিশেষ অবদানের জন্য।" পদ্য, ভাষাতত্ত্ব 75px জোসে এচেগারে স্পেনীয় "বিপুলসংখ্যক বুদ্ধিদীপ্ত নাটক রচনার জন্য যা তার একক এবং মৌলিক সৃষ্টি হিসেবে স্পেনীয় নাট্যজগতে মহত্তম প্রথার সূচনা ঘটিয়েছে।" নাটক ১৯০৫ 75px হেন্‌রিক শিন্‌কিয়েউইচ পোলীয় "মহাকাব্যিক রচনায় বিশেষ পারদর্শিতা প্রদর্শনের জন্য।" উপন্যাস ১৯০৬ 75px জিওসুয়ে কার্দুচ্চি ইতালীয় "কেবলমাত্র তার গভীর জ্ঞান এবং গবেষণার জন্যই নয় বরং কাব্যজগতে তার সৃজনশীল শক্তি, নিজস্ব ঘরাণার পরিশুদ্ধতা এবং গীতি কবিতা রচনায় শক্তিমত্তার পরিচয় প্রকাশের পদ্য ১৯০৭ 75px রুডইয়ার্ড কিপলিং ইংরেজি "তার পর্যবেক্ষণ শক্তি, কল্পনাপ্রবণতায় মৌলিকত্ব, আদর্শিক ধারণাসমূহের পুরুষোচিত কাঠিন্য এবং বিশেষ বুদ্ধিময়তা যা তাকে একজন বিশ্বখ্যাত লেখকের মর্যাদায় আসীন করেছে।" উপন্যাস, ছোটগল্প, পদ্য ১৯০৮ 75px রুডল্‌ফ ক্রিস্টোফ ইউকেন জার্মান "তার সত্য অনুসন্ধানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, চিন্তা করার অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা, বিভিন্ন স্তরে দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের যোগ্যতা এবং উপস্থাপনের ক্ষেত্রে উষ্ণ শক্তিময়তার স্বীকৃতিস্বরুপ যা তার বিপুলসংখ্যক রচনায় প্রকাশ পেয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি একটি জীবনের একটি আদর্শিক দর্শনরূপ প্রতিষ্ঠা করেছেন।" দর্শন ১৯০৯ 75px সেলমা লাগেরলফ সুয়েডীয় "তার লেখনির মহৎ আদর্শ, সুতীব্র কল্পনাশক্তি এবং আধ্যাত্মিক উপলব্ধির উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯১০ 75px পল হাইসে জার্মান "গীতিকবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, বিশ্বখ্যাত ছোটগল্প রচনায় তার বিস্তৃত কর্মজীবনের জন্য।" পদ্য, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯১১ 75px মরিস মেটারলিংক‌ ফরাসি "তার বহুমুখী প্রতিভার জন্য— বিশেষুত তার নাট্যধর্মী কর্ম, কল্পনার রসদ এবং কবিতার সৌন্দর্য যা কখনো কখনো রূপকথার ছলে প্রকাশিত। তার লেখায় রয়েছে এক গভীর অনুপ্রেরণা পাঠকের কাছে পাঠকের অনুভূতি কল্পনাকে রহস্যজনকভাবে জাগিয়ে তোলে।" নাটক, পদ্য, প্রবন্ধ ১৯১২ 75px গেরহার্ট হাউপ্টমান জার্মান "নাট্যধর্মী শিল্পকলায় ফলপ্রসূ, বিচিত্র, চমকপ্রদ কাজের উপন্যাস, নাটক ১৯১৩ 75px রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 20px (ব্রিটিশ ভারত) বাংলা "কাব্যের অতি উচ্চমানের সংবেদনশীল, পরিশুদ্ধ পংক্তির জন্য, যার মাধ্যমে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তার কাব্যিক চিন্তা-চেতনা নিজস্ব ইংরেজি শব্দে প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন, যা পশ্চিমা সাহিত্যেরই একটি অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।" উপন্যাস, ছোটগল্প, পদ্য, নাটক, সঙ্গীত ১৯১৪ ''পুরস্কার প্রদান করা হয় নি'' ১৯১৫ 75px রোম্যাঁ রোলাঁ ফরাসি ১৯১৬ 75px ফের্নার ফন হাইডেন্‌শ্‌টাম সুয়েডীয় ১৯১৭ 75px কার্ল এডল্‌ফ গিয়েলেরুপ ডেনীয় 75px হেনরিক পন্টোপ্পিদান ডেনীয় ১৯১৯ 75px কার্ল ‌স্পিটেলার জার্মান ১৯২০ 75px নাট হ্যামসূন নরওয়েজীয় ১৯২১ 75px আনাতোল ফ্রঁস ফরাসি ১৯২২ 75px হাসিন্তো বেনাভেন্তে স্পেনীয় ১৯২৩ 75px উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস ইংরেজি ১৯২৪ 75px লাডিস্লো রেইমন্ট পোলীয় ১৯২৫ 75px জর্জ বার্নার্ড ইংরেজি ১৯২৬ 75px গ্রাজিয়া দেলেদ্দা ইতালীয় ১৯২৭ 75px অঁরি বর্গসাঁ ফরাসি ১৯২৮ 75px সিগ্রিড উন্ড্‌সেট নরওয়েজীয় ১৯২৯ 75px টমাস মান জার্মান ১৯৩০ 75px সিনক্লেয়ার লুইস ইংরেজি ১৯৩১ 75px এরিক এক্সেল কার্ল্‌ফেল্ট সুয়েডীয় ১৯৩২ 75px জন গল্‌স্‌ওয়ার্দি ইংরেজি ১৯৩৩ 75px আইভান আলেক্সেইভিচ বুনিন (নির্বাসনে) রুশ ১৯৩৪ 75px লুইজি পিরানদেল্লো ইতালীয় ১৯৩৬ 75px ইউজিন ও'নিল ইংরেজি ১৯৩৭ 75px রজার মার্টিন দ্য গর্ড‌ ফরাসি ১৯৩৮ 75px পার্ল এস. বাক ইংরেজি ১৯৩৯ 75px ফ্রান্স ইমিল সিলান্‌পা ফিনীয় ১৯৪৪ 75px জোহানেস ভি. জেনসেন ডেনীয় ১৯৪৫ 75px গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল স্পেনীয় ১৯৪৬ 75px হেরমান হেস জার্মান ১৯৪৭ 75px আন্দ্রে জিদ্ ফরাসি ১৯৪৮ 75px টি এস এলিয়ট ইংরেজি ১৯৪৯ 75px উইলিয়াম ফক্‌নার ইংরেজি ১৯৫০ 75px বার্ট্রান্ড রাসেল ইংরেজি ১৯৫১ 75px পার ল্যাগারভিস্ত সুয়েডীয় ১৯৫২ 75px ফ্রঁসোয়া মরিয়াক ফরাসি ১৯৫৩ 75px উইনস্টন চার্চিল ইংরেজি ১৯৫৪ 75px আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ইংরেজি ১৯৫৫ 75px হ্যাল্‌ডর ল্যাক্সনেস আইসল্যান্ডীয় ১৯৫৬ 75px হুয়ান রামোন হিমেনেস স্পেনীয় ১৯৫৭ 75px আলবেয়ার কামু ফরাসি ১৯৫৮ 75px বরিস পাস্তেরনাক (প্রত্যাখ্যান করেন) রুশ ১৯৫৯ 75px সাল্‌ভাতোর কোয়াসিমোদো ইতালীয় ১৯৬০ 75px সাঁ-জঁ পের্স ফরাসি ১৯৬১ ইভো আন্দ্রিচ ১৯৬২ 75px জন স্টেইনবেক ইংরেজি ১৯৬৩ 75px গিয়র্গোস সেফেরিস গ্রীক ১৯৬৪ 75px জঁ-পল সার্ত্র্‌ (প্রত্যাখ্যান করেন) ফরাসি ১৯৬৫ 75px মিখাইল শলোখভ রুশ ১৯৬৬ 75px শ্‌মুয়েল ইয়োসেফ আগ্‌নোন হিব্রু 75px নেলি সাক্স জার্মান ১৯৬৭ 75px মিগেল আন্‌হেল আস্তুরিয়াস স্পেনীয় ১৯৬৮ 75px ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা জাপানি ১৯৬৯ 75px স্যামুয়েল বেকেট ইংরেজি/ফরাসি ১৯৭০ 75px আলেক্সান্দ্‌‌র সল‌ঝেনিত্‌‌সিন রুশ ১৯৭১ 75px পাবলো নেরুদা স্পেনীয় "একটি মহাদেশের ভাগ্য স্বপ্নকে সত্যি করে তুলতে প্রভাব বিস্তারকারী পদ্যের জন্য।" পদ্য ১৯৭২ 75px হাইন্‌রিখ বোল (পশ্চিম) জার্মান উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৭৩ 75px প্যাট্রিক হোয়াইট‌ ইংরেজি উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক ১৯৭৪ 75px আইভিন্ড জনসন সুয়েডীয় উপন্যাস 75px হ্যারি মার্টিনসন সুয়েডীয় উপন্যাস, পদ্য, নাটক ১৯৭৫ 75px ইউজেনিও মন্তালে ইতালীয় পদ্য ১৯৭৬ 75px সল্‌ বেলো ইংরেজি উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৭৭ 75px ভিসেন্তে আলেইক্সান্দ্রে স্পেনীয় পদ্য ১৯৭৮ 75px আইজাক বাশেভিস সিঙ্গার ইদিশ উপন্যাস, ছোটগল্প, স্মৃতিকথা ১৯৭৯ 75px ওডিসিয়াস এলাইটিস গ্রীক পদ্য ১৯৮০ 75px চেশোয়াফ মিওস পোলীয় "যিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীতে আপোষহীন এবং এক মানুষের উদাহরণ পেশ করেছেন।" পদ্য, প্রবন্ধ ১৯৮১ 75px এলিয়াস কানেত্তি জার্মান উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, স্মৃতিকথা ১৯৮২ 75px গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস স্পেনীয় "তার উপন্যাস ছোটগল্পের জন্য, যাতে তিনি কল্পনা বাস্তবতার মিলন ঘটিয়েছেন" উপন্যাস, ছোটগল্প, চিত্রনাট্য ১৯৮৩ 75px উইলিয়াম গোল্ডিং ইংরেজি উপন্যাস, পদ্য, নাটক ১৯৮৪ 75px ইয়ারোস্লাভ্‌ সাইফার্ত্‌ চেক পদ্য ১৯৮৫ 75px ক্লদ্‌ সিমোঁ ফরাসি উপন্যাস ১৯৮৬ 75px ওলে সোয়িংকা ইংরেজি উপন্যাস, পদ্য, নাটক ১৯৮৭ 75px জোসেফ ব্রডস্কি রুশ/ইংরেজি পদ্য, প্রবন্ধ ১৯৮৮ 75px নাগিব মাহফুজ আরবি উপন্যাস ১৯৮৯ 75px কামিলো হোসে সেলা স্পেনীয় উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৯০ 75px অক্টাভিও পাজ স্পেনীয় পদ্য, প্রবন্ধ ১৯৯১ 75px নাডিন গর্ডিমার ইংরেজি "যার চমৎকার মহাকাব্যিক লেখনী দিয়ে আলফ্রেড নোবেলের ভাষায় মানবতার জন্য মহৎ কিছু রয়েছে।" উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প ১৯৯২ 75px ডেরেক ওয়ালকট‌ সেন্ট লুসিয়া ইংরেজি "কবিতাকে আলোকোজ্জ্বল, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে বিবৃত করা, বহুসংস্কৃতিকে মেলে ধরার প্রেক্ষাপটে।" নাটক, পদ্য ১৯৯৩ 75px টনি মরিসন ইংরেজি পদ্য, নাটক ১৯৯৪ 75px কেন্‌জাবুরো ওহয়ে জাপানি উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৯৫ 75px শেমাস্‌ হীনি ইংরেজি পদ্য ১৯৯৬ 75px ভিশ্লাভা শিম্বোর্স্‌কা পোলীয় পদ্য ১৯৯৭ 75px দারিও ফো ইতালীয় নাটক ১৯৯৮ 75px হোসে সারামাগো পর্তুগিজ উপন্যাস, নাটক, পদ্য ১৯৯৯ 75px গুন্টার গ্রাস জার্মান উপন্যাস, নাটক, পদ্য ২০০০ 75px গাও শিংশিয়ান চীনা উপন্যাস, নাটক, সাহিত্য সমালোচনা ২০০১ 75px বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল ইংরেজি উপন্যাস, প্রবন্ধ ২০০২ 75px ইমরে কার্তেজ হাঙ্গেরীয় উপন্যাস ২০০৩ 75px জন ম্যাক্সওয়েল কুতসি ইংরেজি অনুবাদ, উপন্যাস, প্রবন্ধ ২০০৪ 75px এলফ্রিডে ইয়েলিনেক জার্মান দি পিয়ানো টিচার (উপন্যাস) উপন্যাস, নাটক ২০০৫ 75px হ্যারল্ড পিন্টার ইংরেজি নাটক, চিত্রনাট্য ২০০৬ 75px ওরহান পামুক তুর্কী ইস্তাম্বুল (আত্মজীবনী) উপন্যাস, চিত্রনাট্য, প্রবন্ধ ২০০৭ 75px ডোরিস লেসিং ইংরেজি ১৯৬২ তে লেখা গোল্ডেন নোটবুক এর জন্য। উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, পদ্য, স্মৃতিকথা ২০০৮ 75px জঁ-মারি গুস্তাভ ল্য ক্লেজিও ফরাসি অনুবাদ, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ২০০৯ 75px হের্টা মুলার জার্মান উপন্যাস, পদ্য ২০১০ 75px মারিও বার্গাস ইয়োসা স্পেনীয় উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা ২০১১ 75px টমাস ট্রান্সট্রোমার সুয়েডীয় অনুবাদ, পদ্য ২০১২ 75px মো ইয়ান চীনা "যিনি বিভ্রমাত্মক বাস্তবতার মাধ্যমে এক করেছেন লোকগাঁথা, ইতিহাস আর বর্তমানকে।" উপন্যাস, ছোটগল্প ২০১৩ 75px এলিস মুনরো কানাডীয় "সমকালীন ছোটগল্প বিশারদ" ছোটগল্প ২০১৪ 75px পাত্রিক মোদিয়ানো ফরাসি উপন্যাস ২০১৫ 75px স্‌ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ (জন্মঃ ইউক্রেনীয় সোভিয়েত) রুশ ইতিহাস, প্রবন্ধ ২০১৬ 75px বব ডিলান ইংরেজি "মার্কিন গানের ঐতিহ্যের সাথে নতুন কাব্যিক মাত্রা যোগ করার জন্য।" পদ্য, গীতিকবিতা ২০১৭ 75px কাজুও ইশিগুরো (জন্মঃ জাপান) ইংরেজি "এই লেখক নিজের আদর্শ ঠিক রেখে, আবেগপ্রবণ শক্তি দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সংযোগ ঘটিয়েছেন"। উপন্যাস == আরও দেখুন == নোবেল পুরস্কার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা‎ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার রসায়নে নোবেল পুরস্কার চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার == তথ্যসুত্র == বিজয়ী পুরস্কার নোবেল পুরস্কার'''অক্টোবর''' গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের দশম মাস। মাসে মোট ৩১ দিন এবং এটি ৩১ দিনে মাস হওয়া সাতটি মাসের মধ্যে ষষ্ঠ। এটি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭৫০ অব্দে রোমুলুসের পুরনো বর্ষপঞ্জির অষ্টম মাস। এই মাসের নামটি লাতিন গ্রিক ''অক্তো'' (ôctō) থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ অষ্টম। পরবর্তী কালে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত করা হয়। ==অক্টোবরের উদ্‌যাপন== ===মাসব্যাপী উদ্‌যাপন=== ক্যাথলিক গির্জা রীতিতে, অক্টোবর হল হলি রোজারি মাস স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস স্বাস্থ্য শিক্ষা মাস আন্তর্জাতিক স্কুলে গমন মাস চিকিৎসা সচেতনতা মাস রেট উপসর্গ সচেতনতা মাস বিশ্ব অন্ধত্ব সচেতনতা মাস বিশ্ব মেনোপস মাস ===স্থায়ী উদ্‌যাপন=== অক্টোবর ** আন্তর্জাতিক কফি দিবস ** আন্তর্জাতিক প্রবীণ ব্যক্তি দিবস ** আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস ** সশস্ত্র বাহিনী দিবস (দক্ষিণ কোরিয়া) ** স্বাধীনতা দিবস (টুভালু) ** স্বাধীনতা দিবস (নাইজেরিয়া) ** স্বাধীনতা দিবস (পালাউ ** স্বাধীনতা দিবস (সাইপ্রাস) ** শিক্ষক দিবস (উজবেকিস্তান) অক্টোবর ** গান্ধী জয়ন্তী (ভারত) ** স্বাধীনতা দিবস (গিনি) অক্টোবর ** জাতীয় দিবস (ইরাক) অক্টোবর ** বিশ্ব প্রাণী দিবস ** স্বাধীনতা দিবস (লেসোথো) অক্টোবর ** বিশ্ব শিক্ষক দিবস ** সশস্ত্র বাহিনী দিবস (ইন্দোনেশিয়া) ** সংবিধান দিবস (ভানুয়াতু) ** শিক্ষক দিবস (পাকিস্তান) ** শিক্ষক দিবস (রাশিয়া == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বিষয়শ্রেণী:মাস মাস'''উৎপল দত্ত''' (; ২৯ মার্চ ১৯২৯ ১৯ আগস্ট ১৯৯৩) বাংলা গণনাট্য আন্দোলনের সময়ে বিশিষ্ট অভিনেতা এবং নাট্যকার। তার জন্ম অবিভক্ত বাংলার বরিশালে (বর্তমানে বাংলাদেশের অংশ)। তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। গণনাট্য আন্দোলন ছিল মূলত রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন, মার্ক্সবাদ থেকে প্রণীত এক ধারা যেখানে মঞ্চ হয়ে ওঠে প্রতিবাদের মাধ্যম তিনি মঞ্চের কারিগর ,বাংলা মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন। তিনি শেক্সপিয়ার আন্তর্জাতিক থিয়েটার কোম্পানির সাথে ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকবার। তাকে গ্রূপ থিয়েটার অঙ্গনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয়। কৌতুক অভিনেতা হিসাবেও তার খ্যাতি রয়েছে। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র গুড্ডি, গোলমাল শওকিন অভিনয় করেছেন। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় হীরক রাজার দেশে, জয় বাবা ফেলুনাথ এবং আগন্তুক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। মননশীল ছবি ছাড়াও অজস্র বাণিজ্যিক বাংলা ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন উৎপল দত্ত। রাজনৈতিক দর্শনের দিক থেকে তিনি ছিলেন বামপন্থী মার্ক্সবাদী। উৎপল দত্তের বিখ্যাত নাটকের মধ্যে রয়েছে টিনের তলোয়ার, মানুষের অধিকার ইত্যাদি। == মৃত্যু == ১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দের ১৯শে আগস্ট তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। == উৎপল দত্ত রচিত নাটকের তালিকা == ''দিল্লী চলো'' ''ফেরারী ফৌজ''(১৯৬১) ''ঘুম নেই'' (১৯৬১) ''মে দিবস'' (১৯৬১) ''দ্বীপ'' (১৯৬১) ''স্পেশাল ট্রেন'' (১৯৬১) ''ভি.আই.পি'' (১৯৬২) ''মেঘ'' (১৯৬৩) ''রাতের অতিথি'' (১৯৬৩) ''সমাজতান্ত্রিক চাল'' (১৯৬৫) কল্লোল(১৯৬৫) ''হিম্মৎবাই'' (১৯৬৬) ''রাইফেল'' (১৯৬৮) ''মানুষের অধিকার'' (১৯৬৮) (১৯৬৯) ''মাও-সে-তুং'' (১৯৭১) তরবারি'' (১৯৭২) ''বৈশাখী মেঘ'' (১৯৭৩) ''দুঃস্বপ্নের নগরী''(১৯৭৪) ''সীমান্ত'' ''পুরুষোত্তম'' ''শৃঙ্খল ঝঙ্কার'' ''জনতার আফিম'' পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস ''মধুচক্র'' ''প্রফেসর মামালক'' ''শোনরে মালিক'' ''সমাধান'' ''অজেয় ভিয়েতনাম'' ''তীর'' ''ক্রুশবিদ্ধ কুবা'' ''নীলরক্ত'' ''লৌহমানব'' ''যুদ্ধং দেহি'' ''লেনিনের ডাক'' ''চাঁদির কৌটো'' ''রক্তাক্ত ইন্দোনেশিয়া'' ''মৃত্যুর অতীত'' ''ঠিকানা'' ''টিনের তলোয়ার'' ''ব্যারিকেড'' ''মহাবিদ্রোহ'' ''সূর্যশিকার'' ''কাকদ্বীপের এক মা'' ''ইতিহাসের কাঠগড়ায়'' ''কঙ্গোর কারাগারে'' ''সভ্যনামিক'' ''নয়াজমানা'' ''লেনিন কোথায়'' ''এবার রাজার পালা'' ''তিতুমির'' ''বাংলা ছাড়ো'' ''দাঁড়াও পথিকবর'' ''কৃপান'' ''শৃঙ্খলছাড়া'' ''মীরকাসিম'' ''মহাচীনের পথে'' ''আজকের শাজাহান'' ''অগ্নিশয্যা'' ''দৈনিক বাজার পত্রিকা'' ''নীল সাদা লাল'' ''একলা চলো রে'' ''লাল দূর্গ'' ''বণিকের মাণদন্ড'' ''এংকোর (অনুবাদ গল্প)'' == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == অভিনেতা জন্ম মৃত্যু নাট্যব্যক্তিত্ব গণনাট্য সংঘের মানুষ ব্যক্তি জেভিয়ার কলেজ, কলকাতা শিক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থী অভিনেতা চলচ্চিত্রে অভিনেতা চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক অভিনেতা মঞ্চ অভিনেতা অভিনেতা থিয়েটার পরিচালক নাট্যবিদ নাট্যকার পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রের সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপক নাটক অ্যাকাডেমি ফেলোশিপ প্রাপক থিয়েটার পরিচালক এবং প্রযোজক চলচ্চিত্র অভিনেতা থেকে মানুষ কৌতুকাভিনেতা থিয়েটার ব্যক্তিত্ব চলচ্চিত্র অভিনেতা ব্যক্তি মঞ্চ পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক'''বার্ট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল, ৩য় আর্ল রাসেল''', এম, এফ আর এস (১৮ মে ১৮৭২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক. যদিও তিনি ইংল্যান্ডেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন, তার জন্ম হয়েছিল ওয়েলস এ, এবং সেখানেই তিনি ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। রাসেল ১৯০০ সালের শুরুতে ব্রিটিশদের ''আদর্শবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে'' নেতৃত্ব প্রদান করেন। তাকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনা করা হয়, এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন তার শিষ্য ভিটগেনস্টেইন এবং পূর্বসূরি ফ্রেগে এবং তাকে ২০ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম যুক্তিবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাসেল এবং হোয়াইটহেড একত্রে ''প্রিন্কিপিয়া ম্যাথমেটিকা'' নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা গণিতকে যুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার দার্শনিক নিবন্ধ "অন ডিনোটিং" ''দর্শনশাস্ত্রে মডেল'' হিসেবে বিবেচিত হয়। দুটো গ্রন্থই যুক্তি, গণিত, সেট তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং জাতিসমূহের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। রাসেল তার অহিংস মতবাদ প্রচারের জন্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলবন্দী হন, তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, সোভিয়েত এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের সমালোচনা করেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। রাসেল ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল "তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ যেখানে তিনি মানবতার আদর্শ চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন।" বারট্রান্ড রাসেলের বই সমূহ বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ করা হয়। মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার Conquest of Happiness" বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন == জন্ম == ১৮৭২ সালে মনমাউথশায়ার, ওয়েল্‌স, যুক্তরাজ্য। == শিক্ষা == == কর্মজীবন == == যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন == প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরোধীর ভূমিকা নেন, ফলস্বরূপ তাকে ছ'মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। সেই সঙ্গে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত হন। ১৯৫০ সালে পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই কারণে ১৯৬১ সালে তাকে আবার কারাদনণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। == দর্শন == == বিজ্ঞান == === জীবনপঞ্জি === ১৮৭২- মে ১৮ তে জন্ম। ১৮৭৪- মাতা এবং বোনের মৃত্যু। ১৮৭৬- পিতার মৃত্যু; পিতামহ লর্ড জন রাসেল (যিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন) তার দেখাশোনার ভার নেন। ১৮৯০- কেম্ব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি। ১৮৯৩- গণিতে প্রথম শ্রেণী অর্জন করে বিএ পাস। ১৮৯৪- অ্যালিস পিয়ার্সাল স্মিথ কে বিয়ে করলেন। ১৯০১- russel's paradox আবিস্কার করলেন। ১৯০৮- রয়াল সোসাইটি এর সদস্য নির্বাচিত হলেন। ১৯১৬- যুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার জন্য ট্রিনিটি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত এবং ১১০ পাউন্ডের জরিমানার শিকার। ১৯১৮-যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে অংশ নেয়ার অপরাধে মাসের কারাদন্ড ভোগ। ১৯২১- প্রথমা স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ। ডোরা ব্ল্যাক কে বিবাহ। ১৯৩১-ভাই এর মৃত্যুর পর তৃতীয় আর্ল রাসেল এর পদে অধীষ্ঠ হলেন। ১৯৩৫- ডোরা ব্ল্যাক এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ। ১৯৩৬- এবার বিয়ে করলেন প্যাট্রিসিয়া হেলেন স্পেন্স কে ১৯৪০- নিউ ইয়র্ক সিটি কলেজ নিয়োগ প্রাপ্তি। বার্ন্স ফাউন্ডেশান থেকে বহিষ্কৃত। ১৯৪৯- অর্ডার অফ মেরিট উপাধি লাভ। ১৯৫০- সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন। ১৯৫২-হেলেন এর সাথে বিচ্ছেদ। বিয়ে করলেন এডিথ ফিঞ্চ কে। ১৯৫৫- রাসেল-আইন্সটাইন মেনিফেস্টো প্রকাশ। ১৯৫৮- পরমাণু অস্ত্র বিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন। ১৯৬১-এক সপ্তাহের কারাবাস। কারণ- পরমাণু বিরোধী বিক্ষোভে ভূমিকা। ২, ওয়েল্‌স এর পেনরিন্ডিউড্রথ মারা যান। == গ্রন্থতালিকা == ABC of Relativity Autobiography History of Western Philosophy Analysis of Matter ''The Analysis Of Mind'' Authority and the Individual Basic Writings of Brertrand Russell Human Knowledge: Its Scope and Value Human Society in Ethics and Politics An Inquiry into Meaning and Truth Introduction to Mathematical Philosophy Logic and Knowledge Marriage and মরালস *Conquest of Happiness Mortals and Others, Volume II My Philosophical Development Mysticism and Logic On Education Our Knoweledge of the External World Outline of Philosophy ''Political Ideals'' (1917) রাজনৈতিক আদর্শ আবুল কাশেম ফজলুল হক Power Principles of Mathematics Principia Mathematica Problems of Phylosophy Principles of Social Reconstruction Roads to Freedom Sceptical Essays সংশয়ী রচনা আহমদ ছফা Unpopular Essays অপ্রিয় রচনা সুহৃদ সরকার In Quest of Happines সুখ মোতাহের হোসেন চৌধুরী Impact of Science on Society সমাজে বিজ্ঞানের প্রভাব সুহৃদ সরকার "A Free Man's Worship" (1903) "Am an Atheist or an Agnostic?" (1947) "Icarus, or The Future of Science" 1923 "Has Religion Made Useful Contributions to Civilization?" 1930 "Ideas that Have Harmed Mankind" (1950) "In Praise of Idleness" (1932) "What Desires Are Politically Important?" (1950) Why am not Christian? == পুরস্কার == ১৯৫০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। == মৃত্যু == ১৯৭০ সালে বারট্রান্ড রাসেল মৃত্যুবরণ করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == রাসেলের সঙ্গে তর্কে বহুদূর জন্ম মৃত্যু লেখক দার্শনিক বিজয়ী সাহিত্যিক দার্শনিক গণিতবিদ অজ্ঞেয়বাদী যুদ্ধ বিরোধী সক্রিয় কর্মীএস্‌আই একক পদ্ধতিতে সময়ের একককে '''সেকেন্ড''' বলা হয়। == সংজ্ঞা == সেকেন্ডের প্রথম দিকের সংজ্ঞাটি ছিল পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণনের উপর ভিত্তি করে। তখন বলা হতো, পৃথিবী যে সময়ে নিজ অক্ষের উপর সম্পূর্ণ একবার আবর্তিত হয় তার ৮৬৪০০ ভাগের এক ভাগকে এক সেকেন্ড বলে। কিন্তু ঊনবিংশ বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করল যে পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ননের গতি স্থির নয়। অর্থাৎ তখন থেকেই তারা সেকেন্ডের সংজ্ঞাদেয়ার জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিকে বাদ দিয়ে নতুন একটি সংজ্ঞা খুজছিল। এটমিক ঘড়ির উন্নতির ফলে এটা দৃশ্যমান হয়ে গেল যে সেকেন্ডের সংজ্ঞা আসলে প্রকৃতির নিয়ম অনুসারেই করা উচিত। একারণেই ১৯৬৭ সালের পর থেকে সেকেন্ডের নিম্নোক্ত সংজ্ঞাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে: "শূন্য কেলভিন তাপমাত্রায় একটি অনুত্তেজিত সিজিয়াম ১৩৩ পরমাণুর ৯,১৯২,৬৩১,৭৭০ টি স্পন্দন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে সেকেন্ড বলে।" == আরোও দেখুন == *আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি *স্থানাংকিত আন্তর্জাতিক সময় == নোট তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ== National Physical Laboratory: ''Trapped ion optical frequency standards'' ''High-accuracy strontium ion optical clock''; National Physical Laboratory (2005) National Research Council of Canada: ''Optical frequency standard based on single trapped ion'' NIST: ''Definition of the second''; notice the cesium atom must be in its ground state at Official BIPM definition of the second The leap second: its history and possible future ''What is Cesium atom clock?'' একক এককদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ল্যাটিন ইন্ডাস থেকে শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় দ্বীপ। ডাচ উপনিবেশের কারণে তাদের দেয়া নামটি ওই অঞ্চলের জন্য প্রচলিত হয়। ১৯০০ সাল থেকে জায়গাটি নামে পরিচিতি পায়। প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জাকার্তা। সরকারী ভাবে ইন্দোনেশিয়ার নাম '''ইন্দোনেশীয় প্রজাতন্ত্রী''' (ইন্দোনেশীয় ভাষায় ''Republik Indonesia''). দেশটিতে মানুষ বসতির ইতিহাস বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো। যাদের বলা হয় তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে তাইওয়ান থেকে একটি মানব প্রবাহের ধারা ইন্দোনেশিয়ায় যায় খ্রিষ্টজন্মের দুই হাজার বছর আগে। তারা আদিবাসীদের ধীরে ধীরে আরো পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। প্রথম শতাব্দীতে সভ্যতার বিস্তার ঘটে। কৃষিকেন্দ্রিক গ্রামীণ সমাজ গঠিত হয়। গড়ে ওঠে অসংখ্য শহর-নগর-বন্দর। সমুদ্র উপকূলে বিস্তার ঘটে ব্যবসা-বাণিজ্য। চীনের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া হয়ে। এর ফলে দেশটিতে এক দিক থেকে হিন্দু ধর্ম অন্য দিক থেকে আসে বৌদ্ধ ধর্ম। দু’টি ধর্ম জীবনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মুসলিমদের আগমন ঘটে। উত্তর সুমাত্রা হয়ে ক্রমে মুসলমানরা ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার মাইলের বিস্তৃত ইন্দোনেশিয়ায়। ষোড়শ শতাব্দীতে দেশটির প্রধান ধর্ম হয়ে যায় ইসলাম। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা উন্নত সভ্যতা সংস্কৃতি ক্রমেই ছাপিয়ে গিয়েছিল বৌদ্ধ আর হিন্দুপ্রধান অঞ্চলে। এর পর ধাপে ধাপে ইউরোপীয়দের আগমন ঘটে দেশটিতে। ব্রিটিশ আর ডাচরা তাদের সাম্রাজ্য স্থাপন করলেও ধর্ম সংস্কৃতিতে তারা কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি। == ইতিহাস == ৭ম থেকে ১৪শ শতক পর্যন্ত বৌদ্ধ শ্রীবিজয়া সাম্রাজ্য সুমাত্রা দ্বীপে সমৃদ্ধি লাভ করে এবং উন্নতির শিখরে এটি পশ্চিম জাভা দ্বীপ এবং মালয় উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছিল। ১৪শ শতক নাগাস পূর্ব জাভা দ্বীপে মাজাপাহিত নামের হিন্দু রাজ্য পরিণতি লাভ করে। রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গাদজাহ মাদা (শাসনকাল ১৩৩১-১৩৬৪) বর্তমান অঞ্চলের আনুগত্য অর্জনে সমর্থ হন। তার আমলেই আইন লিপিবদ্ধ হয় এবং একটি মহাকাব্য রচিত হয়। ১২শ শতকের দিকে ইন্দোনেশিয়াতে ইসলামের আগমন ঘটে এবং ১৬শ শতক নাগাদ জাভা সুমাত্রার লোকেরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে যায়। তবে বালি দ্বীপের লোকেরা আজও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু রয়ে গেছে। পূর্বদিকের দ্বীপগুলিতে ১৬শ ১৭শ শতকে প্রবল খ্রিস্টান মুসলিম ধর্মপ্রচার হয় এবং বর্তমানে এই দ্বীপগুলিতে উভয় ধর্মেরই বড় সম্প্রদায় আছে। মাজাপাহিত সাম্রাজ্যের পতনের পর যে ছোট ছোট রাজ্যের আবির্ভাব ঘটে, সেগুলির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ১৬০২ সাল থেকে ওলন্দাজেরা ধীরে ধীরে ইন্দোনেশিয়ার শাসকশ্রেণী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। এদের মধ্যে পূর্ব তিমোর ছিল একমাত্র ব্যতিক্রম; এটি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের অধীনে ছিল। সুদীর্ঘ ৩০০ বছর শাসনকালে ওলন্দাজেরা নেদারল্যান্ড্‌স ইস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ উপনিবেশে পরিণত করে। ২০শ শতকের প্রথম দশকে ইন্দোনেশীয় স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয় এবং দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। তরুণ কর্মজীবী ছাত্রদের একটি ক্ষুদ্র দল এর নেতৃত্বে ছিল। এদের কেউ কেউ শিক্ষালাভ করেছিল। অনেক আন্দোলনকারীকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কারাবন্দী করা হয়, যাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকর্ণও ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর জাপানিরা ইন্দোনেশিয়া দখল করে। ১৯৪৫ সালের ১৭ই আগস্ট মিত্রশক্তির হাতে জাপানের আত্মসমর্পণের তিন দিন পর সুকর্ণ এবং মোহাম্মাদ আতার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র ইন্দোনেশীয় দল ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তারা একটি সরকার গঠন করে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশ চালাবার জন্য একটি সংবিধান রচনা করে। ওলন্দাজরা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শক্ত বাধার সম্মুখীন হয়। চার বছর যুদ্ধ আলাপ আলোচনার পর ওলন্দাজেরা ইন্দোনেশীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৫০ সালে ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘে ৬০তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে। ১৯৪৯ সালে ওলন্দাজদের সাথে শত্রুতার অবসানের কিছু পর ইন্দোনেশিয়া একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে যাতে একটি সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। নির্বাহী সংসদের দ্বারা নির্বাচিত হন এবং সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য ছিলেন। ১৯৫৫ সালের প্রথম দেশব্যাপী নির্বাচনের আগে পরে ইন্দোনেশিয়ার সংসদ বহু দলের মধ্যে বিভক্ত ছিল এবং স্থিতিশীল কোয়ালিশন গঠন ছিল দুরূহ। ইন্দোনেশিয়াতে ইসলামের ভূমিকা একটি বিভাজক ইস্যুতে পরিণত হয়। সুকর্ণ "পঞ্চশীলা" নামের রাষ্ট্রের পাঁচ মূলনীতি অণুসারে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন। পাঁচটি মূলনীতি ছিল ধর্মীয় একত্ববাদ, মানবতাবাদ, জাতীয় ঐক্য, ঐকমত্যভিত্তিক গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচার; এগুলি ১৯৪৫ সালের সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু কিছু মুসলিম দল হয় একটি ইসলামী রাষ্ট্র কিংবা মুসলিমদের জন্য আলাদা ইসলামী আইন প্রয়োগের পক্ষপাতী ছিল। স্বাধীনতার সময় ওলন্দাজেরা নিউ গিনি দ্বীপের পশ্চিমাংসে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। অঞ্চলটি সুকর্ণ এবং সুহার্তোর আমলে ইরিয়ান জায়া এবং ২০০০ সাল থেকে পাপুয়া নামে পরিচিত। ইরিয়ান জায়াকে ইন্দোনেশিয়ার অংশে পরিণত করার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়া ওলন্দাজদের মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হয় এবং ১৯৬১ সালে ইন্দোনেশীয় ওলন্দাজ সেনারা সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬২ সালের আগস্ট মাসে দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে আসে এবং ১৯৬৩ সালের ১লা মে থেকে ইন্দোনেশিয়া ইরিয়ান জায়ার প্রশাসনিক দায়িত্ব নেয়। ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ইন্দোনেশিয়া একটি ভোটের আয়োজন করে যাতে পাপুয়ার স্থানীয় কাউন্সিলগুলির প্রতিনিধিরা ইন্দোনেশিয়ার অংশ হবার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। এর পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে পাপুয়াতে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন বিরোধী ছোট আকারের গেরিলা কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে পাপুয়াতে স্বাধীনতার দাবী আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। ১৯৫৮ সাল থেকে সুমাত্রা, সুলাওয়েসি, পশ্চিম জাভা এবং অন্যান্য দ্বীপে আন্দোলন শুরু হয়, যদিও এগুলি সফল হয়নি। এছাড়া জাতীয় সংসদ কোন নতুন সংবিধান রচনা করতেও ব্যর্থ হয়। ফলে সংসদীয় ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ ১৯৪৫ সালের সংবধান পুনরুজ্জীবিত করেন এবং তেমন কোন বিরোধিতা ছাড়াই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ব্যাপকতা বাড়ান। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত সুকর্ণ একটি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। বিদেশী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুকর্ণ নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন এবং পশ্চিমা বিশ্ব এবং সোভিয়েত--- উভয় পক্ষের সাথেই কোন সরকারি সম্পর্কে জড়াননি। সুকর্ণের নেতৃত্বে পশ্চিম জাভার বান্দুং-এ তৃতীয় বিশ্বের নেতারা সম্মিলিত হন এবং নন-অ্যালাইন্ড আন্দোলনের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেন। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে সুকর্ণ এশিয়ার সাম্যবাদী রাষ্ট্রগুলির সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেন এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ইন্দোনেশীয় সাম্যবাদী দলের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করা শুরু করেন। সুকর্ণ তার সরকারের জন্য সমর্থন আদায়ের উদ্দেশ্যে যেসমস্ত নাগরিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি করেছিলেন, ১৯৬৫ নাগাদ ইন্দোনেশীয় সাম্যবাদী দল সেগুলির অধিকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। সুকর্ণের সাথে সমঝোতা করে তারা তাদের সমর্থকদের একটি পঞ্চম স্তম্ভ স্থাপনের চেষ্টা করে। কিন্তু সামরিক নেতারা এই চেষ্টার বিরোধিতা করে। ১৯৬৫ সালের ১লা অক্টোবত সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে সাম্যবাদী দলের প্রতি দুর্বল অংশ, যাদের মধ্যে সুকর্ণের প্রাসাদরক্ষীও ছিল, জাকার্তার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি দখল করে এবং ছয়জন সিনিয়র জেনারেলকে অপহরণ হত্যা করে। মেজর জেনারেল সুহার্তো সেনাবাহিনীর সাম্যবাদী দল-বিরোধী সেনাদেরকে একত্রিত জাকার্তা শহর পুনরায় নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১লা অক্টোবরের ঘটনার ফলে সারা দেশ জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থা বজায় ছিল। ডানপন্থী গুণ্ডা-পাণ্ডারা গ্রামীণ এলাকাতে সাম্যবাদী সন্দেহে লক্ষ লক্ষ লোককে হত্যা করে। লক্ষ ৬০ হাজার থেকে লক্ষের মত লোক মারা যায় বলে অণুমান করা হয়। জাভা বালি দ্বীপে সহিংসতার প্রকৃতি ছিল বেশি ভয়াবহ। সময় সাম্যবাদী দলের লক্ষ লক্ষ সদস্য তাদের সদস্য কার্ড ফেরত দেন। আজও ইন্দোনেশিয়াতে সাম্যবাদী দল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ১৯৬৫-৬৬ সালে রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা রক্ষা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং ১৯৬৬ সালের মার্চে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সামরিক ক্ষমতা জেনারেল সুহার্তোর হাতে হস্তান্তর করেন। ১৯৬৭ সালের মার্চ মাসে একটি সংসদ জেনারেল সুহার্তোকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। সুকর্ণ সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষমতা হারান এবং ১৯৭০ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মোটামুটি গৃহবন্দী দশায় কাটান। == রাজনীতি == ইন্দোনেশিয়াতে একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান সরকার প্রধান। ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর শাসনব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করা হয়। মন্ত্রিপরিষদের গঠন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার জন্য আইনসভার সদস্য হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আইন পরিষদের নাম পিপল কনসালটেটিভ অ্যাসেম্বলি। এর প্রধান কাজ সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নীতিনির্ধারণ। প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার ক্ষমতাও রয়েছে এর। আইন পরিষদের দু’টি কক্ষ। একটি হচ্ছে পিপলস রিপ্রেজেনটেটিভ কাউন্সিল। এর সদস্যসংখ্যা ৫৫০। অন্যটি রিজিওনাল রিপ্রেজেনটেটিভ কাউন্সিল। এর সদস্যসংখ্যা ১২৮। ২০০৪ সালে প্রথম জনগণের সরাসরি ভোটে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। == প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ == ৩৩টি প্রদেশ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া গঠিত। এর মধ্যে পাঁচটির রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। প্রত্যেকটি প্রদেশের রাজ্য গভর্নর এবং আলাদা আইনসভা রয়েছে। প্রদেশগুলোকে শাসন সুবিধার জন্য রিজেন্সি এবং সিটিতে ভাগ করা হয়েছে। নিচের দিকে আরো বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রশাসনিক ইউনিট করা হয়েছে। সবার নিচে রয়েছে গ্রাম। আচেহ, জাকার্তা, ইউগিয়াকারতা, পাপুয়া এবং পশ্চিম পাপুয়াকে অনেক বেশি মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আচেহ প্রদেশ নিজেদের আইন প্রণয়নের অধিকার দেয়া হয়েছে। তারা শরিয়া বিধান মোতাবেক শাসনকার্য পরিচালনা করে। == ভূগোল == thumb ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জীববৈচিত্র্যের দেশ (ব্রাজিলের পর)। এর জীব উদ্ভিদ শ্রেণীর মধ্যে এশীয় অস্ট্রেলীয় সংমিশ্রণ দেখা যায়। সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও এবং বালিতে এশীয় প্রাণীদের বিচিত্র সমারোহ। এখানে রয়েছে হাতি, বাঘ, চিতা, গণ্ডার বৃহদাকার বানর। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ বনভূমি। অস্ট্রেলিয়ার কাছাঁকাছি অবস্থিত পাপুয়ায় ৬০০ প্রজাতির পাখির বাস। পাখিদের ২৬ শতাংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। দেশটির সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য ৮০ হাজার কিলোমিটার। দেশটির জীববৈচিত্র্যের প্রধান কারণ দীর্ঘ উপকূলরেখা। দ্রুত শিল্পায়নের ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। == অর্থনীতি == ইন্দোনেশিয়াতে একটি বাজার অর্থনীতি বিদ্যমান, তবে এতে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রায় ১৬৪টি সরকারী সংস্থাতে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয় এবং সরকার অনেক দ্রব্যের, বিশেষ করে জ্বালানি তেল, চাল, বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করে। ১৯৯৭ সালের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন উপায়ে বেসরকারী খাতের অনেকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক ধস ইন্দোনেশিয়াকে বিপর্যস্ত করে। এর সূত্র ধরে সুহার্তো সরকারেরও পতন হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোয়োনোর নেতৃত্বে দেশটির অর্থনীতি উজ্জীবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। বেকারত্ব দারিদ্র্য রয়েছে ব্যাপক হারে। ২০০৮ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল দশমিক শতাংশ। মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন ছিল প্রায় চার হাজার ডলার। অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত শিল্প। জাতীয় উৎপাদনে কৃষি, শিল্প সেবা খাতের অবদান যথাক্রমে ১৩ দশমিক পাঁচ, ৪৫ দশমিক ছয় ৪০ দশমিক আট শতাংশ। জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান তৃতীয় হলেও ৪২ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষিতে নিয়োজিত। দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১১ কোটি বিশ লাখ। == সামরিক শক্তি == ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর আকার বিশাল। সরকার নির্বাচিত সদস্যদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক। দুই বছর করে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সামর্থ্য রয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষের। নিয়মিত সেনাসংখ্যা লাখ হাজার। নৌবাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৭৪ হাজার এবং বিমানবাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৩৩ হাজার। সংসদে ৩৮টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে সদস্যদের জন্য। জাতীয় উৎপাদনের শতাংশ ব্যয় হয় সামরিক খাতে। == জনসংখ্যা == ২০০০ সালের জাতীয় জরিপ অণুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ২০ কোটি ৬০ লাখ। ২০০৬ সালে পরিচালিত অন্য একটি জরিপে দেখা যায়, দেশটির জনসংখ্যা বেড়ে ২২ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে। কেবল জাভাতে ১৩ কোটি লোক বাস করে। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৩৪ জন। জাভা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপর্ণ দ্বীপ। দ্বীপটির প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৪০ জন মানুষ বাস করে। জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগেরই মূল অস্ট্রেনেশিয়ান যারা মূলত তাইওয়ান থেকে এসেছিল। জনসংখ্যার অন্য বড় অংশটির মূল হচ্ছে মেলানেশিয়া। দেশটির মধ্যে তিন শ’র বেশি জাতি-গোত্র। জনসংখ্যায় তারা ৪২ শতাংশ। জাভার মানুষ রাজনৈতিক সাংস্কৃতিকভাবেও প্রভাবশালী। চীনা ইন্দোনেশীয়রা জনসংখ্যায় মাত্র শতাংশ। == ধর্ম সংস্কৃতি == সরকার ঘোষিত ৬টি ধর্ম হলো ইসলাম, খ্রিষ্টানদের দু’টি গ্রুপ, হিন্দু, বৌদ্ধ কনফুসীয়। জনসংখ্যার ৮৬ দশমিক শতাংশ মুসলিম। খ্র্রিষ্টান ধর্মানুসারী দশমিক শতাংশ এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা শতাংশ। বর্তমানে এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ইন্দোনেশিয়া মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। দেশটিতে ব্যাপক সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে। আরবীয়, ভারতীয়, চীনা, মালয় ইউরোপীয় সংস্কৃতির মিশেল রয়েছে জীবনাচরণে। আদিবাসী দ্বীপবাসীদের সংস্কৃতির সাথে এখানে বাণিজ্য করতে আসা এশীয় ইউরোপীয় লোকেদের সংস্কৃতির মিলন ঘটেছে। == পর্যটন == পর্যটন ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস। ১৭,০০০ দ্বীপ, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তটরেখা, ৩০০টি ভিন্ন গোত্র এবং ২৫০টি ভিন্ন ভাষার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রকৃতি সংস্কৃতি দেশটির পর্যটন শিল্পের দুইটি প্রধান উপাদান। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৫৭% ভূমি এলাকা ক্রান্তীয় অরণ্যে ঢাকা। এইসব অরণ্যতে অনেক পর্যটক ঘুরতে ভালবাসেন। এছাড়া রয়েছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকতগুলির মধ্যে রয়েছে বালি, লোম্বক, বিনতান, নিয়াস দ্বীপের সৈকতগুলি। তবে এগুলিতে পর্যটকদের সংখ্যাধিক্যের কারণে ঠিকমত সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন কিন্তু ভালভাবে সংরক্ষিত সৈকতগুলির মধ্যে আছে কারিমুনজাওয়া, টোগীয় দ্বীপপুঞ্জ, বান্দা দ্বীপপুঞ্জের সৈকতগুলি। সমুদ্রের তীরে সার্ফিং এবং অনেক জায়গায় ডাইভিঙের ব্যবস্থাও আছে। আরও আছে বিস্তীর্ণ প্রবাল দ্বীপ। আর হরেক প্রজাতির প্রশান্ত ভারত মহাসাগরীয় উদ্ভিদ প্রাণী। ইন্দোনেশিয়ায় আরও রয়েছে অনেক পর্বত, এবং এদের মধ্যে কিছু কিছু আবার আগ্নেয়গিরিও। এগুলিতে অনেক পর্যটক পর্বতারোহণ করতে ভালবাসেন। == ভাষা == এথনোলগ অণুসারে ইন্দোনেশিয়াতে ৭৪২টি ভাষা আছে। এদের মধ্যে ৭৩৭টি জীবিত, ২টি দ্বিতীয় ভাষা যাদের কোন মাতৃভাষী জীবিত নেই, এবং ৩টি বর্তমানে বিলুপ্ত। ইন্দোনেশিয়ার সরকারি ভাষার নাম বাহাসা ইন্দোনেশিয়া। এটি মূলত মালয় ভাষার একটি পরিবর্তিত রূপ যা ব্যবসা, প্রশাসন, শিক্ষা গণমাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অধিকাংশ ইন্দোনেশীয়ই স্থানীয় মাতৃভাষাতেই, যেমন জাভানীয় ভাষা, ইত্যাদিতে কথা বলেন। == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == রাষ্ট্র রাষ্ট্র'''আডলফ হিটলার''' জার্মান ভাষায়: Adolf Hitler ''আডল্‌ফ্‌ হিট্‌লা'') (২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫) অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন। হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের অক্ষ শক্তি তথা জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে মিত্র শক্তি বিজয় লাভ করে। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। হিটলারের রাজ্য জয় বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। == কৈশোর যৌবনকাল == হিটলারের বাবা Alois বৈধভাবে (সমাজ সাপেক্ষে) জাত ছিলেন না। এক কথায় বলতে গেলে জারজ ছিলেন। তিনি জীবনের অনেকটা সময় শেষ নাম হিসেবে মায়ের নাম (Schicklgruber) ব্যবহার করেছিলেন। ১৮৭৬ সালেই Alois প্রথম হিটলার নামটি গ্রহণ করেন। তার ছেলে অ্যাডলফ-ও কখনও হিটলার ছাড়া অন্য কোন শেষ নাম ব্যবহার করেনি। সরকারী কাস্টম্‌স থেকে অবসর গ্রহণের পর হিটলারের বাবা সপরিবারে আপার অস্ট্রিয়ার লিন্‌ৎস শহরে চলে আসেন। এখানেই হিটলারের বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। কারণে সারাজীবন তিনি লিন্‌ৎসকে ভালবেসে গেছেন, কোন শহরকে এর উপরে স্থান দিতে পারেননি। বাবাকে তিনি খুব পছন্দ করতেন না বরং ভয় করতেন। কিন্তু মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসার কোন কমতি ছিল না। ১৯০৩ সালে বাবা মারা যান। বাবার রেখে যাওয়া পেনশন সঞ্চয়ের অর্থ দিয়েই তাদের সংসার কোনমতে চলতে থাকে। অনেক ভোগান্তির পর ১৯০৭ সালে মাতাও মারা যান। হিটলার নিঃস্ব হয়ে পড়েন। পড়াশোনায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। এক সময় ভিয়েনায় যান। কিন্তু চিত্রশিল্পী হবার স্বপ্ন নিয়ে আবার লিন্‌ৎসে ফিরে আসেন। আবার ভিয়েনায় যান। সামান্য যা ভাতা পেতেন তা দিয়ে ভিয়েনার মত শহরে চলতে-ফিরতে তার বেশ কষ্ট হতো। শিল্পী হিসেবেই তার বেশ সম্ভাবনা ছিল। এই উদ্দেশ্যে অস্ট্রিয়ার "একাডেমি অফ ফাইন আর্টস"-এ ভর্তি পরীক্ষা দেন। কিন্তু সুযোগ পাননি। === গ্রন্থ === হিটলারের লেখা গ্রন্থ হল "মাইন কাম্ফ"। অগত্যা বেশ ক'বছর তাকে একাকী বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করতে হয়। সময় পোস্টকার্ড বিজ্ঞাপনের ছবি এঁকে সামান্য উপার্জন করতেন। এই অর্থ দিয়ে ভিয়েনার এক হোস্টেল থেকে আরেক হোস্টেলে বাস করতে থাকেন। সময় তার মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছিল যেগুলো তার পরবর্তী জীবন সম্বন্ধে আমাদের কিছু ধারণা পেতে সাহায্য করে। যেমন: একাকীত্ব, গোপনীয়তা, প্রাত্যহিক অস্তিত্বের বোহেমীয় ভাব (ছন্নছাড়া জীবন-যাপন), প্রতি ঘৃণা এবং ভিয়েনার বহুজাতিক অবস্থার প্রতি বিতৃষ্ণা। === প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান === চিত্র:Adolf Hitler Wax Statue in Madame Tussauds তুসো জাদুঘরে নাৎসীবাদী আডলফ হিটলারের মোমের ভাস্কর্য ১৯১৩ সালে মিউনিখে চলে যান। ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রীয় সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্যগত কারণে সৈনিক হবার সুযোগ পাননি। তাকে সামরিক বাহিনীর জন্য আনফিট ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন ১৬তম বাভারিয়ান রিজার্ভ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে। যুদ্ধের পুরোটা সময় জার্মানিকে সেবা দিয়ে গেছেন। ১৯১৬ সালের অক্টোবরে আহত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে ছিলেন। এছাড়া যুদ্ধের বাকিটা সময় সক্রিয় থেকেছেন। অধিকাংশ সময়ই সম্মুখ সারিতে থেকে হেডকোয়ার্টার্স রানার হিসেবে কাজ করেছেন। যুদ্ধে সাহসিকতা বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৪ সালের ডিসেম্বরে সেকেন্ড ক্লাস আয়রন ক্রস লাভ করেন। ১৯১৮ সালের আগস্টে তাকে ফার্স্ট ক্লাস আয়রন ক্রস দেয়া হয়। একজন করপোরালের পক্ষে এটা বেশ বড় প্রাপ্তি। হিটলার খুব উৎসাহের সাথে যুদ্ধ করেছেন। === রাজনীতিতে প্রবেশ === প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি হেরে যায়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে হিটলার রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯১৯ সালের মে-জুনের দিকে জার্মানির বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মিউনিখের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। সেপ্টেম্বরে মিউনিখের ক্ষুদ্র দল "জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি"-তে সামরিক রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯২০ সালে তাকে এই দলের প্রচারণার দায়িত্ব দেয়া হয়। দলের ভেতরে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন। এই বছরই দলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Deutsche (নাৎসি পার্টি)। জার্মানির তৎকালীন পরিস্থিতিতে ধরনের একটি রাজনৈতিক দলের উত্তরণের বেশ ভাল সম্ভাবনা ছিল। কারণ যুদ্ধের বিভীষিকা এবং শান্তি চুক্তিতে জার্মানির বিশাল পরাজয়ের কারণে জনমনে অসন্তোষ দানা বেধে উঠেছিল। এর সাথে ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা। বাভারিয়াতে এই অবস্থা ছিল আরও বিরূপ। সেখানে বার্লিনের প্রজাতন্ত্রী সরকারের তীব্র বিরোধিতা প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল। হিটলারও বাভারিয়ার মিউনিখ শহরেই তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯২০ সালেই একটি ডানপন্থী সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বার্লিনে সামরিক ক্যু করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই ক্যু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ===আডলফ হিটলারের যৌনজীবন === কুকুরের সাথে আডলফ হিটলার এবং ইভা ব্রাউন আডলফ হিটলারের যৌনজীবন নিয়ে দীর্ঘদিন ইতিহাসবিদ এবং পন্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। পুরো জীবনে কিছু সংখ্যক মেয়ের সাথে তার রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল এবং একই সাথে সমকামিতার প্রতি তার বিদ্বেষ দেখা গেছে। তিনি সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন, এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তার নাম অনেক মেয়ের সাথেই যুক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যা করেছে। অন্যান্য ঘটনার মধ্যে আছে, একজন আত্মহত্যা চেষ্টার বছর পর মারা গিয়েছিল এবং আরেকজন একটি ব্যর্থ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও এসব বিষয়ে জোরালো প্রমাণ নেই। হিটলারকে সবাই জানত একজন ঘরোয়া জীবন বাদে একজন চিরকুমার মানুষ, যিনি তার পুরো জীবন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের জন্য উৎসর্গ করেছেন। ইভা ব্রাউনের সাথে তার ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক বাইরে এবং ভেতরের কেউ জানত না। ব্রাউনের জীবনীলেখক হেইকে গোরটেমা উল্লেখ করেছেন যে, এই জুটির স্বাভাবিক যৌন জীবন উপভোগ করত। হিটলার এবং ব্রাউন ১৯৪৫ এপ্রিলের শেষ দিকে বিয়ে করেছিলেন এবং আত্মহত্যার পূর্ব পর্যন্ত ৪০ ঘন্টারও কম সময় একসাথে ছিলেন। এলিস কর্তৃক যুদ্ধের সময়ের দুইটি প্রতিবেদনে হিটলারকে মানসিকভাবে বিশ্লেষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ওয়াল্টার সি ল্যাঙ্গার, দি আমেরিকান অফিস অব স্ট্র্যাটিজিক সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলেন, হিটলারের অবদমিত সমকাম প্রবণতা ছিল এবং আরো বলেন, হিটলার পুরুষত্বহীন কর্পোহিল ছিলেন। হেনরি মুররে এবং নাৎসি পার্টি বিরোধী অট্টো স্ট্রেসার আলাদা আলাদা প্রতিবেদনে একই মত দেন। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ স্যার ইয়ান কারশাও স্ট্রেসারের মতকে "হিটলার বিরোধী প্রোপাগান্ডা" হিসেবে উল্লেখ করেন। === বিয়ে === ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরার বাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। == হস্তক্ষেপ == ১৯৩৯ সালে তিনি গারহার্ড ডোমাগ নামীয় এক তার প্রাপ্য নোবেল পুরস্কার গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। == আরও দেখুন == মাদাম তুসো জাদুঘর == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু চ্যান্সেলর নেতা বিশ্বযুদ্ধ বিপ্লবী'''ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী''' (হিন্দি: इंदिरा प्रियदर्शिनी गांधी ''ইন্‌দিরা গান্‌ধি'', নভেম্বর ১৯, ১৯১৭ অক্টোবর ৩১, ১৯৮৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের প্রথম আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী। প্রভাবশালী নেহেরু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করায়, তিনি এক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেন। তার পিতামহ মতিলাল নেহেরু একজন প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা ছিলেন। তার পিতা জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪১ সালে অক্সফোর্ড থেকে ফিরে এসে ইন্দিরা গান্ধী পিতার সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সাল থেকে অপেশাগত ভাবে জওহরলাল নেহেরুর অফিস সহকারীর কাজ করে আসছিলেন। ১৯৬৪ সালের জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন ইন্দিরা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রীসভায় তথ্য প্রচার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর হঠাৎ মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি কে কামারাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা ছিল।তিনি 'এশিয়ার সূর্য' নামেও পরিচিত ছিলেন। == প্রাথমিক জীবন == তিনি তার শক্তির পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশের সাহস প্রথম জীবনেই সঞ্চয় করেছিলেন৷ তিনি নভেম্বর মাসে এলাহবাদে জন্মগ্রহণ করেন। নেহেরু পরিবার সবসময়ই জড়িত ছিল রাজনীতিতে৷ যার কারণে ছোটবেলা থেকেই বাপ-দাদার রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়েন ইন্দিরা গান্ধী৷ ভারতবর্ষ তখনো ব্রিটিশদের দখলে৷ ব্রিটিশদের ভারত দখলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি৷ ইন্দিরার বয়স যখন মাত্র চার তখনই তার বাবা এবং তার দাদা কারাবন্দি হন৷ কারণ তারা ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী৷ ইন্দিরা গুটিয়ে যান নিজের মধ্যে৷ একা থাকতেন, বেশির ভাগ সময়ই একা কাটাতেন৷ বলা প্রয়োজন, মহাত্মা গান্ধী ইন্দিরার রাজনৈতিক জীবনকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিলেন৷ ১৯৩৬ সালে ইন্দিরার মা কমলা নেহেরু পরলোক গমন করেন৷ ইন্দিরা হয়ে পড়েন ভীষণভাবে একা৷ ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময়ই ইন্দিরার পরিচয় হয় ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে৷ ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন৷ ১৯৪২ সালে তিনি বিয়ে করেন সাংবাদিক ফিরোজ গান্ধীকে৷ বিয়ের কিছুদিন পরই তারা কারাবন্দী হন৷ এলাহবাদের নৈনি কারাগারে তারা মাস বন্দী থাকেন৷ ইন্দিরা গান্ধী দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তারা হলেন সঞ্জয় এবং রাজীব৷ == কংগ্রেস সভাপতি == ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন৷ == ভারতের প্রধানমন্ত্রী == ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ব্রিটিশ শাসন থেকে৷ সে বছরই ইন্দিরার বাবা জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন৷ তখন থেকেই ইন্দিরা প্রায় ছায়ার মত বাবার পাশে পাশে থাকতেন৷ ১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন৷ নেহেরু-কন্যা রূপে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ইন্দিরার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৬৬ সালে প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বচিত হন৷ ১৯৭১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ইন্দিরা গান্ধী দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ একটানা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্দিরা গান্ধী৷ এই পর্যায়ে রাজন্য ভাতা বিলোপ, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচী রূপায়ন করেন৷ ১৯৭১এ তৃৃতীয় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত তার বলিষ্ঠ নেতৃৃত্বে জয়লাভ করে৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷ ১৯৭৫ সালে তিনি দেশে শান্তি এবং শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ জরুরি আইন জারী করেন৷ জন্য সমালোচিত হন ইন্দিরা গান্ধী৷ এরপর ১৯৮০ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে বিজয়ী এবং প্রধান মন্ত্রী হন৷ ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয় (যা অপারেশন ব্লু স্টার নামে পরিচিত ছিল)। তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই(১৯৮৪ সাল) ৩১শে অক্টোবর৷ তার নিজের দেহরক্ষীর হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷ == ব্যক্তিগত জীবন == সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ বছর ভারত শাসন করেছেন ইন্দিরা গান্ধী৷ তুখোর রাজনীতিবিদ ইন্দিরা গান্ধী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন ভারতে৷ ২৫ বছর পর ভারত তথা বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গণ স্মরণ করছে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে৷ ইন্দিরা গান্ধীর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর কোন নারী এখনো আসেননি৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে ইন্দিরা সবুজ বিপ্লব, পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ বিদেশনীতি নির্ধারণ এবং একাধিক প্রকল্পর রূপায়ণ করেন। তার পুত্র সঞ্জয় গান্ধী বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান এবং আরেক পুত্র রাজিব গান্ধী এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা যান। দুই পুত্র বধু মানেকা গান্ধী সোনিয়া গান্ধী বেঁচে আছেন। ব্যক্তিগত জীবনে ইন্দিরা গান্ধী অত্যন্ত শৌখিন মানুষ ছিলেন। == মৃত্যু == ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয়৷ তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই ৩১ অক্টোবর৷ তার নিজের দেহরক্ষীরাই তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়৷ চিত্র:Nehru পরিবার, মাঝে মতিলাল নেহেরু তার ডান দিকে ইন্দিরা গান্ধী চিত্র:Indira and রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের সাথে ইন্দিরা গান্ধী == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নেতা ভারতীয় নারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদসুকেন্দ্রিক কোষের অভ্যন্তরস্থ ঝিল্লিযুক্ত অংশগুলি। নিউক্লিয়াস মাইটোকন্ড্রিয়া এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম গলজি বডি লাইসোজোম পরিবাহক ভেসিকল পারক্সিজোম উদ্ভিদ হলে থাকতে পারে: লাইসোজোমের বদলে ভ্যাকুওল প্লাস্টিড গ্লাইঅক্সিজোম জিয়ার্ডিয়া ইত্যাদি কিছু আদিম প্রোটোজোয়ায় বদলে হাইড্রোজেনোজোম রাইবোজোম, সেন্ট্রোজোম, এবং সাইটোকঙ্কাল ঝিল্লিযুক্ত নয়, তাই এদের অঙ্গানু বলা সঠিক নয়, তবে অনেক হাল্কা ভাবে বলে থাকেন। ব্যাক্টেরিয়ার মেসোজোম কোষপর্দারই ভিতরে গুটান অংশ তাই কোষের "অভ্যন্তরস্থ" নয়। বিষয়শ্রেণী:কোষ জীববিজ্ঞান'''ডাহুক''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Amaurornis phoenicurus''), '''ডাইক''', '''পানপায়রা''' বা '''ধলাবুক ডাহুক''' Rallidae (রেলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ''Amaurornis'' (আমুরর্নিস) গণের অন্তর্গত মাঝারি আকৃতির একটি পাখি। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। == গঠন == এর দেহ কালচে এবং মুখমণ্ডল, গলা, বুক পেট সম্পূর্ণ সাদা। অন্যসব ঝিল্লির তুলনায় এরা বেশ সাহসী। ফলে মানববসতির আশেপাশে এদের প্রায়ই দেখা যায়। স্বভাবে এরা ক্রেপাসকুলার। প্রজননকালীন সময়ে বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে এরা উচ্চস্বরে বার বার ডাকে। == বর্ণনা == ডাহুকের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ''লাললেজী কালো পাখি'' (গ্রিক: ''amauros'' কালচে, ''ornis'' পাখি; লাতিন: ''phoenicurus'' লাল লেজের গির্দি)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৮৩ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। == তথ্যসূত্র == পাখি পাখি পাখি পাখি== ঘটনাবলী == ১৯২১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি রেস্তোরায় আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট) কর্তৃক আক্রমণ হয়। == জন্ম == ১৬৪৬ গট্‌ফ্রিড লিবনিত্স, জার্মান দার্শনিক গণিতবিদ। ১৮৮২ বিধান চন্দ্র রায়, চিকিৎসক পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। ১৯০৩ আবুল ফজল, চট্টগ্রাম উপাচার্য এবং রাষ্ট্রপতির শিক্ষা সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা। ১৯২৩ হাবীবুর রহমান, বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক সাংবাদিক। ১৯২৮ মীর কাশেম খান, একুশে পদক বিজয়ী বাঙালি সেতারবাদক, সুরকার সঙ্গীত পরিচালক। (মৃ. ১৯৮৪) ১৯৩০ মুস্তফা আক্কাদ, সিরীয়-আমেরিকান পরিচালক প্রযোজক। ১৯৩২ এম এন আখতার, বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার শিল্পী। ১৯৪০ সৈয়দ আব্দুল হাদী বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৪৮ ডলি আনোয়ার, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬১ ** কার্ল লুইস, মার্কিন ক্রীড়াবিদ। ** প্রিন্সেস ডায়ানা, যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী। ১৯৭৬ রুড ভ্যান নিস্টেল্‌রয়ি, ওলন্দাজ ফুটবলার। == মৃত্যু == ১৮৩৯ দ্বিতীয় মাহমুদ, উসমানীয় খলিফা ৩০তম উসমানীয় সুলতান। (জ. ১৭৮৫) ১৯৬২ বিধানচন্দ্র রায়, প্রখ্যাত চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। (জ. ১৮৮২) ১৯৭১ লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার, আইনজীবী রাজনীতিবিদ। (জ. ১৯০১) ১৯৯৭ রবার্ট মিচাম, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, কবি, সুরকার গায়ক। (জ. ১৯১৭) ২০০০ ওয়াল্টার ম্যাথাউ, মার্কিন অভিনেতা কৌতুকাভিনেতা। (জ. ১৯২০) ২০০৪ মার্লোন ব্রান্ডো, অস্কার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা। (জ. ১৯২৪) == ছুটি অন্যান্য == চিকিৎসক দিবস (ভারত); ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (বাংলাদেশ)। == বহিঃসংযোগ == বিবিসি: এই দিনে ''দি নিউইয়র্ক টাইমস'': এই দিনে পঞ্জিকার দিন'''টিকা''' বা '''প্রতিষেধক''' (Vaccine) হল এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ বা মিশ্রণ যা অ্যান্টিবডি তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোন একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা জন্মাতে সাহায্য করে। কোনো প্রাণীর দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস (Virus), ব্যাক্টেরিয়া (Bacteria) ইত্যাদির জীবিত (যার রোগসূচনাকারী ক্ষমতা শূন্য) বা মৃতদেহ বা কোনো অংশবিশেষ হতে প্রস্তুত ঔষধ যা প্রাণীর দেহে ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে আন্টিবডি সৃষ্টি করে। কোন রোগের টিকা হল কেবলমাত্র সেই নির্দিষ্ট রোগটিরই বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বর্ধনকারী ক্রিয়া সম্পন্ন জৈব উপাচার যা টিকাকরণ (ইনঅক্যুলেশন) অর্থাৎ ত্বকে সূচ ফুটিয়ে দেওয়া হতে পারে বা অন্য উপায়ে যেমন খাবার ড্রপ (যেমন মুখে সেব্য পোলিও টিকা বা ওরাল পোলিও ভ্যাক্সিন) হিসেবে দেওয়া হতে পারে। এতে সাধারণত মৃতপ্রায় বা মৃত জীবাণু অথবা তার বিষ থেকে তৈরী হওয়া রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু-সদৃশ উপাদান থাকে। এটি উক্ত উপাদানটিকে বহিরাগত হিসেবে শনাক্ত করতে, সেটিকে ধবংস করতে এবং স্মৃতিতে রাখতে উদ্দীপিত করে, যাতে পরবর্তীতে অনাক্রম্যতন্ত্র সমস্ত জীবাণুকে খুব সহজে পরবর্তী অনুপ্রবেশে শনাক্ত ধবংস করতে পারে। == আবিষ্কার == এডোয়ার্ড জেনার ১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দে লক্ষ্য করেন গোয়ালিনীরা (cow-maid) গুটি বসন্তের (small pox) মড়ককালে আক্রান্ত হয় না। তিনি প্রমাণ করেন তার গোয়ালিনীরা রক্ত গরুর বসন্তে সংক্রমিত এবং তার টিকা (inoculation) জেমস ফিলিপ নামে বছরের একটি সুস্থ বালককে দেন। একটু মৃদু বসন্ত উপসর্গের পর সে আবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সে গুটি বসন্তের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। == প্রকারভেদ == টিকা সাধারণত তিন প্রকার- লাইভ বি সি জি, প্লেগ, টাইফয়েড ওরাল। ভাইরাসজাত মুখে সেব্য: পোলিও,হাম, পীতজ্বর। টাইফাস। টক্সয়েড == উৎপাদন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ভ্যাক্সিন কি? বিজ্ঞান== ঘটনাবলী == ১৪৪৩ সেকেন্দার বেগ তার বাহিনী নিয়ে মধ্য আলবেনিয়ার খ্রুজ অঞ্চল জয় করেন প্রথমবারের মতো আলবেনিয়ার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৫২০ প্রথম ইউরোপীয়ান নাবিক হিসেবে ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করেন। == জন্ম == ১৯৪৩- রফিকুন নবী খ্যাতনামা চিত্রকর, কার্টুনিস্ট। ১৯৩১ গোলাম রহমান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সাংবাদিক। == মৃত্যু == ১৯৫৪ এনরিকো ফের্মি, ইতালীয় পদার্থবিদ। ১৯৯৯ জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক মৃত্যু বরণ করেন। *২০০৬ -মোহাম্মদ হানিফ,অবিভক্ত ঢাকার প্রথম মেয়র মৃত্যু বরণ করেন। == ছুটি অন্যান্য == স্বাধীনতা দিবস পানামা ১৮২১ সালে স্পেনের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা দিবস আলবেনিয়া ১৯১২ সালে তুরস্কের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা দিবস মৌরিতানিয়া ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রজাতন্ত্র দিবস বুরুন্ডি। প্রজাতন্ত্র দিবস চাদ। == বহিঃসংযোগ == পঞ্জিকার দিন দিনতারিখ'''সোমালিয়া''' বা সোমালি প্রজাতন্ত্র উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম মোগাদিশু। == সোমালিয়ায় জলদস্যুতা == সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুতা একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। ২০০৫ সাল থেকে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, জলদস্যুতা ঘটনা বৃদ্ধির উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওসানস বিয়ন্ড পাইরেসির এক জড়িপ অনুসারে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত খরচসহ বছরে প্রায় $৬.৬ থেকে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে। জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক রিসার্চ এর এক জড়িপে বলা হয়, জলদস্যুতার বৃদ্ধির ফলে জলদস্যুতার সাথে সম্পর্কিত লাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো জলদস্যু আক্রমণ থেকে মুনাফা অর্জন করছে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সরকারি Official Website of the Transitional Federal Government of Somalia রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রীপরিষদ সদসবৃন্দ সাধারণ তথ্য Somalia from ''UCB Libraries GovPubs'' মিডিয়া Somalia news headlines from IRIN Somalia humanitarian news and analysis অন্যান্য The ICRC in Somalia Somalia Online The Somali Link UNESCO Nairobi office on education in Somalia UNESCO Nairobi Office Fact Book on Education For All, Somalia 2006 Mustaqbalka Ummadda Somaaliyeed Bissig Addo map Mohamed Siad Barre official biographical website রাষ্ট্র'''গাম্বিয়া''' (রাষ্ট্রীয় নাম '''গাম্বিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র''') পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এটি আফ্রিকা মহাদেশের মূল ভূখন্ডের ক্ষুদ্রতম দেশ। এটি উত্তর, পূর্ব দক্ষিণ দিকে সেনেগাল দ্বারা পরিবেষ্টিত। পশ্চিমে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। গাম্বিয়া নদী দেশটির মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে। গাম্বিয়া সাগর উপকূল থেকে প্রায় মহাদেশের প্রায় ৩২০ কিলোমিটার অভ্যন্তর পর্যন্ত চলে গেছে। তবে এর সর্বোচ্চ প্রস্থ মাত্র ৫০ কিলোমিটার। বন্দর শহর বাঞ্জুল দেশটির রাজধানী। সেরেকুন্দা দেশের বৃহত্তম শহর। গাম্বিয়া একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। চীনাবাদাম এখানকার প্রধান উৎপাদিত শস্য এবং প্রধান রপ্তানি দ্রব্য। পর্যটন শিল্প থেকেও আয় হয়। আটলান্টিক সাগরের উপকূলের ঘুরতে এবং গাম্বিয়া নদীর বিচিত্র পাখপাখালি দেখতে পর্যটকেরা গাম্বিয়াতে আসেন। গাম্বিয়া ১৯শ শতকে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৬৫ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর দেশটি একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র হিসেবে গণ্য হয়। ১৯৯৪ সালে একটি রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হয় এবং সামরিক নেতা ইয়াহিয়া জাম্মেহ তার স্থান নেন। জাম্মেহ পরবর্তীকালে গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হন। == ইতিহাস == == রাজনীতি == == প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ == == ভূগোল == == অর্থনীতি == == সংস্কৃতি == == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সরকারী রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্র বাড়ি এবং দপ্তর রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রীপরিষদ সদসবৃন্দ সাধারণ তথ্য গাম্বিয়া গাম্বিয়ার সম্বন্ধে একটি বিশদ ওয়েবসাইট। The Gambia from ''UCB Libraries GovPubs'' পর্যটন ভ্রমণ করা পাতা- গাম্বিয়া গাম্বিয়ার ছবি রাষ্ট্রইউনিসেফ লোগো '''জাতিসংঘ শিশু তহবিল''' (United Nations Children's Fund) বা Nations International Children's Emergency Fund) জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থার নাম। শিশুদের উন্নতি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে এই সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সংস্থার সদর দপ্তর নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। ১৯৬৫ সালে ইউনিসেফ তাদের কল্যাণমুখী ভূমিকার কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == UNICEF UNICEF Innocenti Research Centre U.S. Fund for UNICEF UNICEF UK সহায়ক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির প্রতিষ্ঠান গান্ধী শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনৈতিক সামাজিক পরিষদ উন্নয়ন গ্রুপ দাতব্য সংস্থা দাতব্য সংস্থা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান পুরস্কার বিজয়ী সংস্থাকলেরার জীবাণু ভিব্রিও কোলেরি (''Vibrio cholerae)দ্বারা ক্ষরিত এক্সোটক্সিন (Exotoxin)। == আবিষ্কার == ১৯৫৩ সালে কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে এস এন দে এই অণু আবিষ্কার করেন। == গঠন == টক্সিনটি এবি৫ (AB5) ধরনের অর্থাৎ একটি এ(A) ৫টি বি (B) পেপটাইড মিলে গঠিত। == কার্যপ্রণালী == বি পেপটাইড আন্ত্রিক কোষের দেওয়ালে জিএম১ বন্ধন করে টক্সিনকে এন্ডোসাইটোসিস দ্বারা কোষমধ্যে প্রবেশ করায়। তারপর পেপটাইড দ্বারা সাইটোপলাজমে প্রবেশ করে জিএস্ প্রোটিনকে এডিপি রাইবোসিল যোগ দ্বারা চিরসক্রিয় করে দেয়, যা ক্রমাগত ক্লোরাইড জল ক্ষরণ দ্বারা পাতলা জলের মত পায়খানা ঘটায়।'''কিয়ার্স্টন ক্যারোলিন ডান্‌স্ট''' (ইংরেজি: Kirsten Caroline Dunst; জন্ম: ৩০শে এপ্রিল ১৯৮২) একজন মার্কিন তিনি একাধারে একজন সংগীতশিল্পী, মডেল এবং পরিচালক। উডি এলেনের Woody Allen স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র Oedipus Wrecks দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। মাত্র বারো বছর বয়সে তিনি তার প্রথম উল্লেখযোগ্য ছায়াছবিতে অভিনয় করেন ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার। ডান্‌স্ট সাম্প্রতিককালের স্পাইডারম্যান চলচ্চিত্রসমূহে স্পাইডারম্যানের ভালোবাসার পাত্রী মেরি জেন ওয়াটসন-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== ডান্‌স্ট ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল নিউ জার্সির পয়েন্ট প্লিজেন্টে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্লাউস হেরমান ডান্‌স্ট সিমেন্সে চিকিৎসা সেবে নির্বাহী ছিলেন এবং মাতা ইনেৎস রুপ্রেচট লুফথানসার ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্ট ছিলেন। তার মা একজন চিত্রশিল্পী চিত্রশালার মালিক ছিলেন। তার ছোট ভাইয়ের নাম ক্রিস্টিয়ান। ডান্‌স্টের পিতা একজন জার্মান। তার পৈতৃক নিবাস হামবুর্গ। তার মা নিউ জার্সিতে জন্মগ্রহণকারী জার্মান মার্কিন সুয়েডীয় বংশোদ্ভূত। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== চিত্র:Kirsten Dunst by David সালে ৩''-এর প্রচারণায় ডান্‌স্ট। বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম মূল শিরোনাম চরিত্র টীকা ১৯৮৯ ''নিউ ইয়র্ক স্টোরিজ'' ''New York Stories'' লিসার কন্যা খণ্ড: "অডিপাস রেকস" ১৯৯০ ''দ্য বোনফায়ার অব দ্য ভ্যানিটিজ'' ''The Bonfire of the Vanities'' ক্যামবেল ম্যাকয় ১৯৯১ ''হাই স্ট্রাং'' ''High Strung'' তরুণী ১৯৯৪ ''গ্রিডি'' ''Greedy'' জোলিন ''ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার'' ''Interview with the Vampire'' ক্লাউদিয়া ''লিটল উইমেন'' ''Little Women'' তরুণ সেনাদলের একজন ''দ্য মিস্ট্রি অব দ্য থার্ড প্ল্যানেট'' ''The Mystery of the Third Planet'' অ্যালিস সেলেৎজনেভা কণ্ঠ ভূমিকা, ইংরেজি ডাবিং ১৯৯৫ ''জুমানজি'' ''Jumanji'' জুডি শেফার্ড ১৯৯৬ ''মাদার নাইট'' ''Mother Night'' তরুণ রেসি নাথ ১৯৯৭ ''Anastasia'' তরুণী আনাস্তাসিয়া কণ্ঠ ভূমিকা ''ওয়াগ দ্য ডগ'' ''Wag the Dog'' ট্রেসি লাইম ১৯৯৮ ''কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস'' ''Kiki's Delivery Service'' কিকি কণ্ঠ ভূমিকা, ইংরেজি ডাবিং ''স্মল সোলজার্স'' ''Small Soldiers'' ক্রিস্টি ফিম্পল ''স্ট্রাইক!'' ''Strike!'' ভেরেনা ভন স্টেফান ''অল আই ওয়ানা ডো'' ''দ্য হেয়ারি বার্ড'' নামেও পরিচিত ''দি অ্যানিমেটেড অ্যাডভেঞ্চারস অব টম সয়ার'' ''The Animated Adventures of Tom Sawyer'' বেকি থ্যাচার কণ্ঠ ভূমিকা ১৯৯৯ ''ট্রু হার্ট'' ''True Heart'' বনি ''ড্রপ ডেড গর্জিয়াস'' ''Drop Dead Gorgeous'' অ্যাম্বার অ্যাটকিন্স ''দ্য ভার্জিন সুইসাইডস'' ''The Virgin Suicides'' লাক্স লিসবন ''ডিক'' ''Dick'' বেটসি জব ২০০০ ''দ্য ক্রো: সালভেশন'' ''The Crow: Salvation'' এরিন র‍্যান্ডাল ''লাকিটাউন'' ''Luckytown'' লিডা ডয়েলস ''ব্রিং ইট অন'' ''Bring It On'' টরেন্স শিপম্যান ''ডিপলি'' ''Deeply'' সিলি ২০০১ ''গেট অভার ইট'' ''Get Over It'' কেলি উডস নিকোল ওকলি ''দ্য ক্যাট্‌স মিউ'' ''The Cat's Meow'' ম্যারিওন ডেভিস ''লাভার্স প্রেয়ার'' ''Lover's Prayer'' জিনাইডা ''অল ফরগটেন'' নামেও পরিচিত ২০০২ ''Spider-Man'' ম্যারি জেন "এম.জে." ওয়াটসন ২০০৩ ''লেভিটি'' ''Levity'' সোফিয়া মেলিঞ্জার ''ক্যানা: দ্য প্রফেসি'' ''Kaena: The Prophecy'' ক্যানা কণ্ঠ ভূমিকা ''মোনা লিসা স্মাইল'' ''Mona Lisa Smile'' বেটি ওয়ারেন ২০০৪ ''ইটার্নাল সানশাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড'' ''Eternal Sunshine of the Spotless Mind'' ম্যারি সভেভো ২'' ''Spider-Man 2'' ম্যারি জেন "এম.জে." ওয়াটসন ''উইম্বলডন'' ''Wimbledon'' লিজি ব্র্যাডবারি ২০০৫ ক্লেয়ার কলবার্ন ২০০৬ ''মারি অঁতোইনেত'' ''Marie Antoinette'' মারি অঁতোইনেত ২০০৭ ৩'' ''Spider-Man 3'' ম্যারি জেন "এম.জে." ওয়াটসন ২০০৮ ''হাউ টু লুজ ফ্রেন্ডস অ্যান্ড অ্যালিনেট পিপল'' ''How to Lose Friends and Alienate People'' অ্যালিসন ওলসেন ২০১০ ''অল গুড থিংস'' ''All Good Things'' ক্যাটি মার্কস ''দ্য সেকেন্ড বেকারি অ্যাটাক'' ''The Second Bakery Attack'' ন্যাট স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০১১ ''ফাইট ফর ইওর রাইট রিভিজিটেড'' ''Fight for Your Right Revisited'' মেটাল চিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ''টাচ অব ইভল'' ''Touch of Evil'' দ্য সাইরেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ''Melancholia'' জাস্টিন ২০১২ ''ব্যাচেলরেট'' রেগান ক্রফোর্ড ''হিরোজ অ্যান্ড ডিমন্স'' ''Heroes Demons'' ''অন দ্য রোড'' ''On the Road'' ক্যামিল মোরিয়ার্টি ''আপসাইড ডাউন'' ''Upside Down'' এডেন ২০১৩ ''দ্য ব্লিং রিং'' ''The Bling Ring'' স্বয়ং ''অ্যাংকরম্যান টু: দ্য লেজেন্ড কন্টিনিউস'' ''Anchorman 2: The Legend Continues'' এল ট্রোইসিয়াস মেইডেন অব দ্য ক্লাউডস ক্ষণিক চরিত্রাভিনয় ২০১৪ ''দ্য টু ফেসেস অব জানুয়ারি'' ''The Two Faces of January'' কোলেট ম্যাকফারল্যান্ড স্বয়ং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০১৬ ''মিডনাইট স্পেশাল'' ''Midnight Special'' সারা টমলিন ''হিডেন ফিগারস্‌'' ''Hidden Figures'' ভিভিয়ান মিচেল ২০১৭ ''দ্য বিগাইল্ড'' ''The Beguiled'' এডউইনা ড্যাবনি ''উডশক'' ''Woodshock'' টেরেসা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সির অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট কণ্ঠ অভিনেত্রী গায়িকা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী নারীবাদী শিশু অভিনেত্রী বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি অভিনেত্রী বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার বিজয়ী অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী মুভি পুরস্কার বিজয়ী'''বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা''' (ইংরেজি World Trade Organization ''ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন'') একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বের বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতি প্রবর্তন এবং সদস্য রাষ্ট্র বা পক্ষ সমূহের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সিল্ক রোডের প্রারম্ভিক দিনগুলি থেকে ট্যারিফ এবং ট্রেডের সাধারণ চুক্তি (জিএটিটি) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার জন্মের থেকে, বাণিজ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে এবং জাতিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই পৃষ্ঠাটি বাণিজ্যের ইতিহাস, তার প্রাথমিকতম শিকড় থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত ট্রেস করে। রবার্টো আঝেভো ডব্লিউটিও'র ৬ষ্ঠ মহাপরিচালক। চার বছরের মেয়াদের জন্য সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বিশ্বব্যাংকের সদস্যরা পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগ পান, যা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর শুরু হবে। == লক্ষ্য উদ্দেশ্য == বিশ্ব বাণিজ্যের প্রসার। মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার। বাণিজ্যের অ- শুল্ক বাধাসমূহ দূর করা। ==ডাইরেক্টর জেনারেল== The headquarters of the World Trade Organization in Geneva, জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর। ডাইরেক্টর জেনারেল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়। ডাইরেক্টর জেনারেলের অধীনে চারজন সহকারি ডাইরেক্টর জেনারেল থাকবে,চারজন ডেপুটি জেনারেল হচ্ছে, Yi Xiaozhun of China (since October 2017), Karl Brauner of Germany (since October 2013), Yonov Frederick Agah of Nigeria (since October 2013) and Alan W. Wolff of the United States (since October 2017). ===ডাইরেক্টর জেনারেলদের তালিকা=== রর্বাতো অজিবার্ডো, ২০১৩–বর্তমান প্যাসকেল ল্যামি, ২০০৫–২০১৩ সুফাসি, ২০০২–২০০৫ মিকে মরেই,১৯৯৯-২০০২ রেনেটু রোজারিও, ১৯৯৫ -১৯৯৯ পেটের সুথারল্যান্ড, ১৯৯৫ (Heads of the precursor organization, GATT): Peter Sutherland, 1993–1995 Arthur Dunkel, 1980–1993 Olivier Long, 1968–1980 Eric Wyndham White, 1948–1968 ==তথ্যসূত্র== বাণিজ্য সংস্থা'''দিব্যেন্দু পালিত''' (জন্ম: ৫ই মার্চ, ১৯৩৯ মৃত্যু: জানুয়ারি ২০১৯) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি বিহারের ভাগলপুর শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। সাহিত্যে এম.এ করেন। ১৯৫৫ থেকে উপন্যাস, গল্প, কবিতা প্রবন্ধ ইত্যাদি লিখছেন। বাংলা হিন্দি চলচ্চিত্র ,দূরদর্শন বেতারে রূপায়িত হয়েছে অনেকগুলি কাহিনী। == কর্মক্ষেত্র == ১৯৫৮ সালে পিতৃবিয়োগের পর চলে আসেন কলকাতায়। কর্ম জীবন শুরু হয় হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ডে উপ-সম্পাদক হিসেবে। ১৯৬৫-তে যোগ দেন বিপণন বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত পেশায়। সেই সুত্রে দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন এডভারটাইসিং সার্ভিসেস ,আনন্দবাজার এবং দ্য স্টেটসম্যান-এ। == টিভি চলচ্চিত্র == == পুরস্কার পদক সমূহ == আনন্দ পুরস্কার (১৯৮৪) বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৮) == গ্রন্থ তালিকা == অচেনা আবেগ অনুভব অনুসরণ অন্তর্ধান অমৃত হরিন একদিন সারাদিন ঢেউ যখন বৃষ্টি সঙ্গ প্রসঙ্গ রজত জয়ন্তী সংঘাত সতর্কবার্তা সিনেমায় যেমন হয় হঠাৎ একদিন হিন্দু ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম লেখক অকাদেমী পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী'''টরন্টো''' উত্তর আমেরিকা মহাদেশের রাষ্ট্র কানাডার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত অন্টারিও প্রদেশের রাজধানী শহর। এটি কানাডার বৃহত্তম মহানগর এলাকা (মোঁরেয়াল ২য় বৃহত্তম) গোটা উত্তর আমেরিকার ৪র্থ বৃহত্তম নগরী (মেক্সিকো সিটি, নিউ ইয়র্ক সিটি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের পরেই)। অর্থনৈতিকভাবে কানাডার সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রদেশ অন্টারিও-র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর বলে এটি দেশটির আর্থিক ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র। টরন্টো শহরটি অন্টারিও হ্রদের উত্তর-পশ্চিম তীরে অবস্থিত। শহরটি দক্ষিণ-মধ্য অন্টারিও প্রদেশে অন্টারিও হ্রদের পশ্চিম তীর ধরে বিস্তৃত গোল্ডেন হর্সশু (অর্থাৎ “সোনালী নাল”) নামক অত্যন্ত নগরায়িত শিল্পায়িত একটি অঞ্চলের অংশ। অন্টারিও হ্রদটি কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার একটি অংশ গঠন করেছে। ফলে টরন্টো উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেকস তথা বৃহৎ হ্রদগুলির মাধ্যমে প্রধান প্রধান মার্কিন সাথে সংযুক্ত। অন্যদিকে সেন্ট লরেন্স নদীর মাধ্যমে এটি আটলান্টিক মহাসাগরগামী জাহাজগুলিকেও স্বাগত জানাতে পারে। এই দুই কারণে টরন্টো একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে শহরটির ব্যাপক প্রবৃদ্ধি সংঘটিত হয়েছে। তার আগে এটি একটি শান্ত প্রাদেশিক শহর ছিল। ২০শ শতকের শেষে এসে টরন্টো একটি প্রাণবন্ত আন্তর্জাতিক মহানগরীতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে পার্শ্ববর্তী ইস্ট ইয়র্ক, এটোবিকোক, নর্থ ইয়র্ক এবং স্কারবোরো “বারো” বা উপশহরগুলিকে টরন্টোর সাথে একীভূত করে সিটি অফ টরন্টো গঠন করা হয়। আদি টরন্টোর আয়তন মাত্র ৯৭ বর্গকিলোমিটার হলেও বর্তমানে টরন্টো শহরের আয়তন ৬৩২ বর্গকিলোমিটার। মহানগর টরন্টো এলাকার আয়তন ৫,৮৬৮ বর্গকিলোমিটার (তুলনামূলকভাবে মোঁরেয়াল মহানগর এলাকার আয়তন প্রায় ৪০০০ বর্গকিলোমিটার)। মূল টরন্টো শহরে প্রায় ২৭ লক্ষ এবং মহানগর এলাকাতে ৬২ লক্ষ লোকের বাস। ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ টরন্টোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, যার মাথায় সবুজ শ্যামল ডিম্বাকৃতির কুইন্স পার্ক অবস্থিত, যার ভেতরে অন্টারিও প্রদেশের আইনসভা বা সংসদ ভবনগুলি দাঁড়িয়ে আছে। শহরকেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য ভবনের মধ্যে আছে মেট্রো হল এবং নেথান ফিলিপস স্কোয়ারে অবস্থিত সুদৃশ্য দুইটি বক্রাকৃতির অট্টালিকা নিয়ে গঠিত সিটি হল বা নগর ভবন। আরেকটি আংশিকভাবে চোখে পড়ার মত অট্টালিকাতে অন্টারিও পাওয়ার জেনারেশন নামক শক্তি সরবরাহ সংস্থার সদর দফতর অবস্থিত। নগরকেন্দ্রেই সেন্ট জেমস অ্যাংলিকান ক্যাথিড্রাল এবং সেন্ট মাইকেল রোমান ক্যাথলিক ক্যাথিড্রাল দুইটি ধর্মীয় স্থাপনা উল্লেখ করার মত। শনিবার সকালে সেন্ট লরেন্স বাজারটিতে অনেক জনসমাগম ঘটে। টরন্টোর নগরকেন্দ্রটি বেশ কয়েকটি অট্টালিকার সমাহার নিয়ে গঠিত, তবে এদের সবাইকে ছাড়িয়ে সবার উপরে দাঁড়িয়ে আছে সি এন টাওয়ার নামের সুউচ্চ স্থাপনাটি। ৫৫৩ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট সি এন টাওয়ার বর্তমানে টরন্টো শহরের একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। টরন্টো অন্টারিও ছাড়াও কানাডার গোটা ইংরেজিভাষী সম্প্রদায়ের জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু। এখানে তিনটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সমগ্র দেশের শিল্পোৎপাদন, আর্থিক ব্যাংকিং কেন্দ্র হিসেবে টরন্টো কানাডার অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। বহু গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় এই শহরে অবস্থিত। এছাড়াও টরন্টো শহর কানাডার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। শহরটি চলচ্চিত্র নির্মাণ, টেলিভিশনের জন্য অনুষ্ঠান প্রযোজনা এবং সংবাদ সম্প্রচারের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যম টরন্টো শহরেই কেন্দ্রীভূত হয়েছে। টরন্টোতে উপস্থিত বহু জাদুঘর, নাট্যশালা অন্যান্য সাংস্কৃতিক সেবাগুলি পর্যটকদের কাছে শহরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। শহরকেন্দ্রের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে আর্ট গ্যালারি অফ অন্টারিও (অর্থাৎ অন্টারিও শিল্পকলা চিত্রশালা), রয়াল অন্টারিও মিউজিয়াম (রাজকীয় অন্টারিও জাদুঘর), হকি হল অফ ফেম (হকির সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের জন্য সম্মানসূচক স্থাপনা) এবং দ্য বেল লাইটবক্স, যেখানে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান কার্যালয়টি অবস্থিত। টরন্টো শহরে সবুজ উদ্যানেরও অভাব নেই; কুইন্স পার্ক ছাড়াও এখানে আছে ৪০০ একর আয়তনবিশিষ্ট হাই পার্ক, যার ভেতরে হাঁটার পথ, খেলাধুলার জায়গা এবং একটি চিড়িয়াখানাও আছে। সি এফ টরন্টো ইটন সেন্টার শহরটির বৃহত্তম বিপণী বিতান বা শপিং মল। ইয়োঙ্গে স্ট্রিট রাস্তাটি মূল কেনাকাটার রাস্তা। কাছেই রয়েছে চায়নাটাউন এবং ঐতিহাসিক কেন্সিংটন মার্কেটের দোকান কগিঘরগুলি। এগুলির পশ্চিমে কুইন স্ট্রিট ওয়েস্ট রাস্তাতে হালের রেস্তোরাঁ, কুটিরশিল্পের দোকান চিত্রশালার দেখা মিলবে। হ্রদের তীর থেকে ফেরি করে গ্রামীণ প্রকৃতির টরন্টো আইল্যান্ডস নামের দ্বীপগুলিতে ঘুরে আসা যায়, যেখানে প্রমোদভ্রমণ সাইকেলচালনা করা সম্ভব। পূর্ব দিকে ডিস্টিলারি ডিসট্রিক্ট নামক ১৯শ শতকীয় শিল্পকারখানা এলাকাটি বর্তমানে শিল্পকলা চিত্রশালা কুটিরশিল্পের ছোট ছোট দোকানে পূর্ণ। টরন্টোর জলবায়ুতে ঋতুগুলি পরিষ্কারভাবে আলাদা, তবে হ্রদের উপস্থিতির কারণে জলবায়ুর চরমভাব খানিকটা প্রশমিত হয়। গ্রীষ্মকালগুলি উষ্ণ আর্দ্র; কিন্তু শীতকালে তাপমাত্রা প্রায়ই শূন্যের নিচে নেমে যায়। জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রী এবং জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন -১ ডিগ্রী সেলসিয়াস হতে পারে। টরন্টো শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে বহুসাংস্কৃতিক বহুজাতিক শহরগুলির একটি হিসেবে খ্যাত। কানাডাতে আগত বহু অভিবাসীর গন্তব্যস্থল এই টরন্টো শহর। শহরের প্রায় অর্ধেক লোকই কানাডায় জন্মগ্রহণ করেনি; তাই এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ অভিবাসী অনুপাতবিশিষ্ট শহর। শহরে ২০০-রও বেশি ভিন্ন জাতিগত লোক বাস করে যাদের সিংহভাগ ইংরেজি ভাষায় কথা বললেও মোট ১৬০টিরও বেশি ভাষা টরন্টোতে শুনতে পাওয়া সম্ভব। টরন্টোর শেয়ার বাজার কানাডার সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম শেয়ার বাজার। অপরাধের স্বল্প হার, জীবনযাত্রার উচ্চ মান, এবং প্রাকৃতিত পরিবেশের সঠিক দেখাশোনার সুবাদে টরন্টো বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরগুলির একটি। শহরটির প্রতিবেশী শহর মিসিসগাতে টরন্টো-পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি অবস্থিত। টরন্টো শহর যে এলাকাটিতে অবস্থিত, সেটি ইংরেজরা স্থানীয় আমেরিকান আদিবাসী গোত্র মিসিসগার কাছে থেকে কিনে নেয় এবং এখানে ১৭৯৩ সালে ইয়র্ক নামের একটি শহর প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৩৪ সালে এর নাম বদলে টরন্টো রাখা হয়। ১৮৬৭ সালে কানাডা ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্র গঠনের সময় টরন্টোকে অন্টারিও প্রদেশের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। ==তথ্যসুত্র== == বহিঃসংযোগ == টরন্টো শহরের মূল ওয়েব সাইট শহর'''অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ''' (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৩১ মৃত্যু: ডিসেম্বর ১০, ২০১২) বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ঢাকা মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। পরে জরুরী আইন জারি করে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদ ছেড়ে দেন। এই পদে তার স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কার্যকাল সমাপ্ত হয়। ==জন্ম পরিবার == ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভি মুহাম্মদ ইব্রাহিম। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী অধ্যাপিকা আনোয়ারা বেগম ঢাকা প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা, যিনি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এবং আনোয়ারা বেগমের এক মেয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বাবু-সহ দুই ছেলে রয়েছে। আনোয়ারা বেগম বর্তমানে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসাবে কর্মরত আছেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাজনিত কারণে ২৪ আগস্ট, ২০০৪ সালে প্রয়াত হন। তার মৃত্যুর ফলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি হিসেবে বহাল ছিলেন। ==শিক্ষা == ১৯৪৮ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন এবং ১৯৫০ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ ১৯৫২ সালে যথাক্রমে বি.এস.সি এম.এস.সি পাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকোন্সিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৫৮ ১৯৬২ সালে যথাক্রমে এম.এস. পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ==কর্মজীবন == ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক ১৯৭৩ সালে অধ্যাপক হন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ঢাকা সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ছিলেন। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৮-৬৯ ১৯৭৬-৭৯-এ দুই মেয়াদে ঢাকা মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ নাগাদ পর পর দুই বার ঢাকা জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন। তিনি সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এবং বোর্ড অফ এডভান্স স্টাডিস এর সদস্য ছিলেন। এছাড়াও অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধ্যায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-৯৩ সময়ে তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ১৯৯৫-৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেবার আগ পর্যন্ত তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪৯তম সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। সেখানে তিনি প্যালেস্টাইন শরণার্থী এবং বিশ্ব-বাণিজ্য উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। তার মধ্যে অন্যতম হল ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্মিলিত শিক্ষক আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। ==রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ == ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ২০০২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ-এর রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদ ত্যাগ করেন এবং তার পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ পর্যন্ত ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ==গবেষণা == যাবৎ অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের দেশ বিদেশে মোট প্রকাশনার সংখ্যা ১২৫ টি। তিনি ধান গাছের উপর লবণাক্ততার প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল ধান নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান মাটিতে জমা করে রাখা এবং তা প্রয়োজন মত উদ্ভিদকে সরবরাহ করার পদ্ধতির উপর সফল গবেষণা চালান। এই কাজের ফলে যুক্তরাজ্যে তিনি ব্যাপক সাড়া জাগান। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তার শিক্ষকতা জীবনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্যের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৮৪ সালে বার্লিনে জার্মান টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জার্মানের গ্যাটিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়। ==পুরস্কার == তিনি ইব্রাহিম মেমোরিয়াল স্বর্ণ পদক (১৯৮৭-৮৮), শ্রীজ্ঞান অতীশ দিপঙ্কর স্বর্ণ পদক (১৯৯০), ক্রেস্ট (১৯৯১) এবং শিক্ষার জন্য একুশে পদক (১৯৯৫) লাভ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বিজ্ঞানী সমিতি, ভারতীয় মৃত্তিকা বিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ মৃত্তিকা বিজ্ঞান সমিতি এবং এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য ছিলেন। ==মৃত্যু== ২৮ অক্টোবর ২০১২ সালের তার একটি অতিরিক্ত হার্ট সার্জারি করানো হয়। কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা কিছুটা উন্নতির লাইফ সাপোর্টে এক মাসের বেশী অতিবাহিত করেন। ১০ ডিসেম্বর ২০১২ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ আন্তর্জাতিক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া, রাষ্ট্রপতির সাবেক উপদেষ্টা মোখলেসুর রহমানসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেন। ১২ ডিসেম্বর তার মৃতদেহ ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আনা হয়। তার চারটি নামজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি ১১ ডিসেম্বর ব্যাংককে, দ্বিতীয়টি ১৩ ডিসেম্বর তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগঞ্জে, তৃতীয়টি ঢাকা কেন্দ্রীয় মসজিদে সর্বশেষটি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ==তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু রাষ্ট্রপতি শিক্ষাবিদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান জেলার ব্যক্তি গবেষণায় একুশে পদক বিজয়ীপ্লাজমা বাতি, যা দ্বারা প্লাজমার বৈশিষ্ট্য প্রদর্শিত হচ্ছে '''প্লাজমা''' পদার্থের তথাকথিত চতুর্থ অবস্থা(কঠিন, তরল বায়বীয় এর পর)। প্লাজমা হচ্ছে আয়নিত গ্যাস যেখানে মুক্ত ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক আয়ন এর সংখ্যা প্রায় সমান। আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে, গ্যাস ক্ষরণ টিউব-এ, নক্ষত্র'র(এমনকি সূর্যের) বাতাবরণে এবং পরীক্ষামূলক তাপ-নিউক্লীয় reactor)-এ প্লাজমা দেখতে পাওয়া যায়। বৈদ্যুতিকভাবে প্রশম থাকা সত্ত্বেও প্লাজমা সহজেই বিদ্যুৎ পরিবহন করে। এদের থাকে অত্যুচ্চ তাপমাত্রা। প্লাজমা'র কণাগুলি আয়নিত হওয়ায় গ্যাসের সাথে এর কিছু আচরণগত পার্থক্য আছে। গবেষণাগারে নিম্নচাপে রেখে গ্যাসকে(যতক্ষণ না গ্যাসীয় কণাগুলির গড় গতিশক্তি গ্যাসীয় অণু বা পরমাণুসমূহের আয়নীকরণ বিভব-এর কাছাকাছি হচ্ছে ততক্ষণ) উত্তপ্ত করে প্লাজমা তৈরি করা যায়। অত্যুচ্চ ৫০০০০ কেলভিন বা তার উপরে) গ্যাসীয় কণাগুলির মাঝে সংঘর্ষের কারণে গ্যাসের ঝটিতি ionization) ঘটে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন- বাতিতে, প্লাজমাকণাগুলি নিরন্তর ধারকের দেয়ালের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় শীতলিকরণ এবং ঘটে যার ফলে সামগ্রিক তাপমাত্রা বেশ নীচু থাকে। এসবক্ষেত্রে সাধারনতঃ আংশিক আয়নীকরণ ঘটে এবং বিপুল শক্তির জোগান(Input) দরকার হয়। তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়কে তাড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র'র মাধ্যমে ধারকের দেয়াল থেকে দূরে রাখা হয় যাতে প্লাজমা'র তাপমাত্রা অত্যুচ্চ থাকে(পিঞ্চ ক্রিয়া দেখুন)।==১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের ৭টি সমস্যা== Clay Mathematics Institute কর্তৃক প্রকাশিত মিলিয়ন ডলারের টি সমস্যা হল বনাম NP হজ অনুমান পোয়াঁকারে অনুমান রিমান প্রকল্প ইয়াং-মিলস তত্ত্বের সত্যতা এবং mass gap নেভিয়ার-স্টোকস সত্যতা এবং মসৃণতা ==অন্যান্য সমাধানহীন সমস্যা== জোড় মৌলিক অনুমান জাদু বর্গ(magic square) এর সংখ্যা গিলব্রেথ অনুমান গোল্ডবাখ অনুমান গোল্ডবাখ দুর্বল অনুমান নিখুঁত ঘনবস্তু হিলবার্টের ১৬ নম্বর সমস্যা সাধারণীকৃত তারকা-উচ্চতা সমস্যা কোলাজ অনুমান শ্যানুয়েল অনুমান abc অনুমান অগুনতি মারসেনি মৌলিক সংখ্যা; কিংবা অগুনতি জোড নিখুঁত সংখ্যা অগুনতি প্রথাগত মৌলিক সংখ্যা অগুনতি কালেন মৌলিক সংখ্যা অগুনতি প্যালিনড্রমিক মৌলিক সংখ্যা (ভিত্তি ১০) কোনো ফার্মা সংখ্যা মৌলিক সংখ্যা নয় (n এর মান অপেক্ষা বড়) ফার্মা সংখ্যা, যারা মৌলিক/মৌলিক নয় তাদের সংখ্যা ভাবে অসীম লেমার অনুমান প্রথাগত মৌলিক সংখ্যা এর সংখ্যা, মৌলিক সংখ্যা গুলির e−½ অংশ বিজোড় নিখুঁত সংখ্যার অস্তিত্ব নিখুঁতপ্রায় সংখ্যার অস্তিত্ব ধ্রুবক কি অমূলদ? ক্ষুদ্রতম রিজেল সংখ্যা কত? এছাড়াও অনুমান(অনুমান তালিকা) দেখার জন্য আগ্রহী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ==সদ্য সমাধানকৃত সমস্যা== ক্যাটালান অনুমান কাতো অনুমান অনুমান কেপলার অনুমান ফার্মার শেষ উপপাদ্য বাইবারবাখ অনুমান রংয়ের উপপাদ্য == আরো দেখুন == হিলবার্টের ২৩টি সমস্যা। ==সমাধানহীন সমস্যা সংক্রান্ত বই=='''হাজী শাহাবাজের মাজার মসজিদ''' বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের রমনা এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মোগল শাসনামলে শাহজাদা আযমের সময়কালে ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মিত হয়। মসজিদটি হাইকোর্টের পিছনে এবং তিন নেতার মাজার এর পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। এর চত্ত্বরে হাজী শাহবাজের সমাধি অবস্থিত। দৈর্ঘ্যে মসজিদটি ৬৮ ফুট প্রস্থে ২৬ ফুট। এতে তিনটি গম্বুজ রয়েছে। == ইতিহাস == ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুনের মতানুসারে হাজী শাহবাজ ছিলেন একজন অভিজাত ধনী ব্যবসায়ী, যিনি কাশ্মীর হতে সুবা বাংলায় এসে টঙ্গী এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। ১৬৭৯ সালে তিনি জীবিত থাকাকালেই এই মসজিদ নিজের মাজার নির্মাণ করেন। তৎকালে সুবাহদার ছিলেন শাহজাদা মুহম্মদ আজম। == স্থাপত্য-রীতি == মসজিদ ভবনটির স্থাপত্যে উত্তর ভারতীয় মোগল-রীতি লক্ষ্য করা যায়। ==ভৌগলিক অবস্থান== ভৌগলিক স্থানাঙ্কে এই মসজিদের অবস্থান == চিত্রশালা == চিত্র:Tomb Of Hazi Shahabaz পার্শ্বভাগ চিত্র:Hazi Shahabaz Mosque পেছন থেকে চিত্র:Hazi Shahabaz Mosque উত্তর-পূর্ব দিক থেকে চিত্র:Mosque of Haji Khawja Shahbaz Dhaka University Front প্রধান দরজা। চিত্র:Shahabaz Mosque gate. Image by প্রধান দরজা। চিত্র:Shahabaz Mosque. Image by Ashfaq.jpg|হাজী শাহাবাজের মসজিদ == তথ্যসূত্র == স্থাপত্য মসজিদ জেলার দর্শনীয় স্থান'''আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন''' বা '''আইটিইউ''' টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম মান নির্ধারণের কাজ করে থাকে। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে। এটি টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০০ ধরনের মান নির্ধারণের কাজ করেছে। মে ১৭,১৮৬৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন নামে এটি কাজ শুরু করে। মূলত এই সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সমঝোতার উপর ভিত্তি করে তৈরি মান অনুমোদন করে। এই সমঝোতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো এইসব নিয়ম বা অনুমোদিত মান মেনে চলার ক্ষেত্রে আইনত বাধ্য থাকে। এছাড়াও আইটিইউ এর দুইটি সহযোগী সংস্থা চুক্তিভিত্তিক সিদ্ধান্তের বাইরে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ, অভিযোগ, অভিমত তৈরি এবং যাচাই বাছাই করে থাকে। এরা হল: == আরও দেখুন == আইটিইউ টেলিযোগাযোগ প্রমিতকরণের শাখা আইটিইউ রেডিওযোগাযোগ প্রমিতকরণের শাখা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ITU official site History of ITU Portal (official site) ITU Telecom World 2011 ITU defines the future of mobile communications ''U.N. Summit to Focus on Internet'' Washington Post article about ICANN and the United Nations' ITU relationship'''গ্রেট ব্রিটেন''', বা '''ব্রিটেন''' হল মহাদেশীয় ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে কিছু দূরে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এই দ্বীপের আয়তন এটি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ তথা ইউরোপের বৃহত্তম দ্বীপ এবং বিশ্বের নবম বৃহত্তম দ্বীপ। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে এই দ্বীপের জনসংখ্যা ৬১,০০০,০০০। ইন্দোনেশিয়ার জাভা জাপানের হনসুর পরেই এটি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ। গ্রেট ব্রিটেনকে ঘিরে রয়েছে ১০০০টিরও বেশি ছোটো দ্বীপ। আয়ারল্যান্ড দ্বীপটি এই দ্বীপের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এই দ্বীপটি গ্রেট ব্রিটেন উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অঙ্গ। দ্বীপটি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলস, এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। এই তিন অঞ্চলের রাজধানী যথাক্রমে লন্ডন, এডিনবরা কার্ডিফ। রাজনৈতিকভাবে, গ্রেট ব্রিটেন বলতে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলস এবং এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলিকে বোঝায়। গ্রেট ব্রিটেন রাজ্যটি ১৭০৭ সালের ইউনিয়ন আইন বলে স্কটল্যান্ড রাজ্য ইংল্যান্ড রাজ্যের (যা অধুনা ইংল্যান্ড ওয়েলস নিয়ে গঠিত ছিল) সঙ্গে যুক্ত হয়। এই ঘটনার প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৬০৩ সালে, স্কটিশ রাজা ষষ্ঠ জেমস ইংল্যান্ডের রাজা হয়েছিলেন। কিন্তু ১৭০৭ সালেই প্রথম দুই দেশের পার্লামেন্ট সংযুক্ত রাজ্য গঠনের ব্যাপারে একমত হয়। এরপর ১৮০১ সালের ইউনিয়ন আইন বলে পার্শ্ববর্তী আয়ারল্যান্ড রাজ্য গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯২২ সালে আয়ারল্যান্ডের ছয় ভাগের পাঁচ ভাগ অঞ্চল নিয়ে আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র গঠিত হলে যুক্তরাজ্যের নাম হয় গ্রেট ব্রিটেন উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য। ==পরিভাষা== ===নামের উৎস=== দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দ্বীপপুঞ্জ একটিমাত্র নামে চিহ্নিত হয়ে আসছে। গ্রিকো-রোমান (ক্ল্যাসিকাল) ভৌগোলিকেরা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে যে নামে চিহ্নিত করতেন, সেই নামগুলি থেকেই এই দ্বীপের বর্তমান নামের উৎপত্তি ঘটে। খ্রিস্টপূর্ব ৫০ অব্দ নাগাদ গ্রিক ভৌগোলিকেরা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে ''Prettanikē'' বা ওই জাতীয় নামে চিহ্নিত করতেন। যদিও রোমানরা ব্রিটেন দখল করার পর গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটি ''ব্রিটানিয়া'' নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীকালে ক্যালিডোনিয়ার দক্ষিণে রোম-অধিকৃত ব্রিটেন ''রোমান ব্রিটেন'' নামে পরিচিত হয়। গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীনতম যে নামটি জানা যায়, সেটি হল ''অ্যালবিওন'' (Ἀλβίων) বা ''ইনসুলা অ্যালবিওনাম''। এই নামটির সম্ভাব্য উৎস দুটি হতে পারে। এক লাটিন ''অ্যালবাস'' বা সাদা (মহাদেশীয় ইউরোপ থেকে ডোভারের সাদা পার্শ্বদেশটি দেখা যায়, তার প্রসঙ্গক্রমে) অথবা ''অ্যালবিয়ান'' জাতির দ্বীপ, এই অর্থে। দ্বিতীয় নামের উৎসটি পাওয়া যায়, খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ''ম্যাসালিওট পেরিপ্লাস'' পাইথেয়াসে। গ্রেট পরিভাষার প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় অ্যারিস্টটল (খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪–৩২২ অব্দ) বা সম্ভবত রচিত ''অন দ্য ইউনিভার্স'' গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডে। এই বইতে আছে: "ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে পরিচিত দ্বীপপুঞ্জে দুটি বড়ো দ্বীপ আছে, অ্যালবিওন আইয়ের্ন।" প্লিনি দি এল্ডার (২৩–৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) তার ''ন্যাচারাল হিস্ট্রি'' বইতে গ্রেট ব্রিটেনের এই বর্ণনা দিয়েছেন: "আগে এর নাম ছিল অ্যালবিয়ন। কিন্তু পরবর্তীকালে যে দ্বীপগুলির কথা আমরা এবার আলোচনা করব, সেই সব কটি দ্বীপই 'Britanniæ' নামে পরিচিত হয়।" ''ব্রিটেন'' নামটি এসেছে নাটিন নাম ব্রিটেন, ''Britannia'' বা ''Brittānia'', ব্রিটনদের দেশ, প্রাচীন ফরাসি ''Bretaigne'' (আধুনিক ফরাসিতেও ''Bretagne'') এবং মধ্যযুগীয় ইংরেজি 'Bretayne'', ''Breteyne'' থেকে। ফরাসি শব্দগুলি প্রাচীন ইংরেজি ''Breoton, Breoten, Bryten, Breten'' (বা ''Breoton-lond, Breten-lond'') শব্দগুলিকে প্রতিস্থাপিত করে। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী থেকেই রোমানরা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে ব্রিটানিয়া নামে চিহ্নিত করে আসছিল। এই নামটি এসেছে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩২০ অব্দের প্রাচীন গ্রিক পর্যটক পাইথেয়াসের বর্ণনা। এই বর্ণনায় উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের থুলে (সম্ভবত নরওয়ে) পর্যন্ত বিভিন্ন দ্বীপের বর্ণনা পাওয়া যায়। মার্সিয়ান অফ হেরাক্লিয়া তাঁর ''পেরিপ্লাস মারিস এক্সটেরি'' গ্রন্থে এই দ্বীপপুঞ্জকে বলেছেন "প্রেটানিক দ্বীপপুঞ্জ" ()। এই দ্বীপের অধিবাসীদের বলা হত ''প্রিটেনি'' (Πρεττανοί) বা ''প্রেটানি''। ''প্রিটেনি'' নামের উৎস ওয়েলস শব্দ প্রাইডাইন (অর্থাৎ, ব্রিটেন), যেটি এবং গোইডলিক শব্দ ক্রুইথেন (আয়ারল্যান্ডের প্রাচীন ব্রিথোনিক-ভাষী জাতি) শব্দদুটির উৎস এক। দ্বিতীয় নামটি পরে রোমানরা পিক্ট বা ক্যালিডোনিয়ান শব্দে অভিহিত করে। ==="গ্রেট" শব্দের বিবর্তন=== গ্রিক লেখক টলেমি তাঁর (১৪৭–১৪৮ খ্রিস্টাব্দ) বইয়ে বৃহত্তর দ্বীপটিকে "বৃহৎ ব্রিটেন" (''megale Britannia'') আয়ারল্যান্ডকে "ক্ষুদ্র ব্রিটেন" (''mikra Brettania'') বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তী গ্রন্থ (১৫০ খ্রিস্টাব্দ) তিনি দ্বীপগুলির নামকরণ করেন। ''অ্যালয়িওন'', ''মোনা'' (আইল অফ ম্যান), এই নামগুলি এই দ্বীপের স্থানীয় নাম ছিল। সম্ভবত লেখার সময় টলেমি এই পৃথক নামগুলি জানতেন না। সম্ভবত রোমানদের ব্রিটেন জয়ের পর থেকেই "অ্যালবিয়ন" নামটি অপ্রচলিত হয়ে পড়ে এবং "ব্রিটেন" নামটি গ্রেট ব্রিটেনের নাম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যুগের পর "ব্রিটেন" শব্দটি একটি ঐতিহাসিক পরিভাষায় পর্যবসিত হয়। জিওফ্রে অফ মনমাউথ তাঁর ছদ্ম-ঐতিহাসিক ''হিস্টোরিয়া রেজাম ব্রিটানিয়া'' (১১৩৬ খ্রিস্টাব্দ) গ্রন্থে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটিকে ''Britannia major'' ("বৃহত্তর ব্রিটেন") নামে চিহ্নিত করেন। খ্রিস্টীয় পঞ্চম ষষ্ঠ শতকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে কেল্টিক অভিনিবেশকারীরা আধুনিক ব্রিটানির কাছে যে মহাদেশীয় অংশে বসতি স্থাপন করেছিলেন, তাকে তিনি ''Britannia minor'' ("ক্ষুদ্রতর ব্রিটেন") নামে অভিহিত করেছিলেন। ১৪৭৪ সালে ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ডের কন্যা সিসিলি স্কটল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জেমসের পুত্র চতুর্থ জেমসের বিবাহ প্রস্তাবে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে "গ্রেট ব্রিটেন" কথাটি ব্যবহৃত হয়। ১৬০৪ সালে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস "কিং অফ গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স আয়ারল্যান্ড" উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। ==="গ্রেট ব্রিটেন" শব্দটির আধুনিক ব্যবহার=== ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে "গ্রেট ব্রিটেন" বলতে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটিকে এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলসকে বোঝায়। যদিও কখনও কখনও সমগ্র যুক্তরাজ্যকেই গ্রেট ব্রিটেন বলে উল্লেখ করা হয়। ১৯৭৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সরকারি ইয়ারবুকে গ্রেট ব্রিটেনের বিপরীত অর্থেই "ব্রিটেন" শব্দটি ব্যবহৃত হত। ২০০২ সাল থেকে ইয়ারবুকে শুধুই "যুক্তরাজ্য" কথাটি ব্যবহৃত হয়। সাদমান ==রাজনৈতিক সংজ্ঞা== গ্রেট ব্রিটেন যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম দ্বীপ। রাজনৈতিকভাবে গ্রেট ব্রিটেন বলতে সমগ্র ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলসকে বোঝায়। উত্তর আয়ারল্যান্ড এর অন্তর্ভুক্ত নয়। আইল অফ উইট, অ্যাংলেসে, আইল অফ সিলি, হেব্রাইডস এবং ওর্কনি শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এর অন্তর্গত নয়। আইল অফ ম্যান চ্যানেল আইল্যান্ড ব্রিটিশ অধীনস্থ দ্বীপ। এগুলিও গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্গত নয়। ==ইতিহাস== ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ড থেকে একটি স্থলসেতুর মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রথম মানুষের আগমন ঘটে। নরফোকে ৮০০,০০০ বছরের পুরনো মানুষের পদচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ৫০০,০০০ বছরের পুরনো জনবসতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সাসেক্সের বক্সগ্রোভ কুয়েরিতে। ৩০,০০০ বছরের পুরনো আধুনিক মানুষের বসতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে গ্রেট ব্রিটেনে। গ্রেট ব্রিটেন ১৪,০০০ বছর আগে পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এবং ৮,০০০ বছর আগে পর্যন্ত আধুনিক ডেনমার্ক নরওয়ের সঙ্গে একটি নিচু জলাভূমির মাধ্যমে যুক্ত ছিল। ব্রিস্টলের কাছে চেডডার জর্জে ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ডের কিছু প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে একটি মানুষের মাথার খুলিও ('চেডডার ম্যান') পাওয়া গিয়েছে যেটি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭১৫০ অব্দের। অর্থাৎ, অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষও নিশ্চয় একটি ভৌগোলিক সেতুর মাধ্যমে ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে গ্রেট ব্রিটেনে এসেছিল। শেষ হিমবাহ যুগের শেষে হিমবাহগুলি গলতে শুরু করলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এই সময় গ্রেট ব্রিটেন একটি দ্বীপে পরিণত হয়। গ্রেট ব্রিটেনের লৌহযুগীয় অধিবাসীদের ব্রিটন বলা হয়। এরা একটি কেল্টিক ভাষায় কথা বলত। রোমানরা উত্তর ইংল্যান্ডের হ্যাড্রিয়ান'স ওয়াল পর্যন্ত দ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চল জয়ের পর এটি প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের ব্রিটানিয়া প্রদেশে পরিণত হয়। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ৫০০ বছর পর দক্ষিণ পূর্বের ব্রিটনরা একজোট হয়েছিল অবস্থা অনুপ্রবেশকারী জার্মানিক উপজাতিগুলির (এঙ্গেলস, স্যাক্সন জুটস, যাদের একত্রে বলা হয়) দ্বারা বিতাড়িত হয়েছিল। একই সময় গেলিক উপজাতিগুলি আয়ারল্যান্ড থেকে উত্তর-পশ্চিমে অনুপ্রবেশ শুরু করে। এরা উত্তর ইংল্যান্ডের পিক্টস ব্রিটনদের গ্রাস করে নিয়ে নবম শতাব্দীতে স্কটল্যান্ড রাজ্য গঠন করে। স্কটল্যান্ডের দক্ষিণাংশ এঙ্গেলস দ্বারা শাসিত নরদামব্রিয়া রাজ্য গঠন করে। ১০১৮ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব ব্রিটেনের অধিবাসীদের নাম এঙ্গেলস নামটির অপভ্রংশে ইংলিশ বা ইংরেজ জাতি নামে পরিচিত হয়। জার্মানিক ভাষাভাষীরা ব্রিটনদের "ওয়েলশ" (''Welsh'') বলত। এই শব্দটি সাধারণত আধুনিক ওয়েলস অঞ্চলের অধিবাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ওয়ালেস বা কর্নওয়াল পদবিগুলিতে এখনও এই শব্দটির অংশ দেখা যায়। ওয়েলশ থেকে নিজেদের পৃথক করতে ব্রিটনরা "কাম্রি" (''Cymry'') নামে নিজেদের অভিহিত করত। এই নামটি এখন কামব্রিয়া স্থাননামের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ওয়েলস, কামব্রিয়া কর্নওয়াল অঞ্চলের ব্রিটনরা জার্মানিক জাতিগুলির মধ্যে মিশে যায়নি। তার ফলস্রুতিতে এখনও এই সব অঞ্চলে কিছু কেল্টিক ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। দক্ষিণ ব্রিটেনে জার্মানিক অনুপ্রবেশের সময় অনেক ব্রিটন আধুনিক ব্রিট্যানি অঞ্চলে চলে যায়। এখানে ব্রেটন নামে একটি কেল্টিক ভাষা ওয়েলস কর্নিশ ভাষা এবং এই ভাষার অপভ্রংশ রূপটি এখনও বর্তমান। নবম শতাব্দীতে একাধিক ড্যানিশ আক্রমণের ফলে উত্তর ইংল্যান্ডের রাজ্যগুলি ড্যানিশ অধিকারে আসে। এই অঞ্চলটি ডেনল নামে পরিচিত। ৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বশেষ রাজ্য নরদামব্রিয়া রাজা প্রথম এডগারের কাছে আত্মসমর্পণ করলে অবশ্য সবকটি ইংরেজ রাজ্য ইংল্যান্ড রাজ্যের অধীনে আসে। ১০৬৬ সালে নর্ম্যানরা ইংল্যান্ড জয় করে। এরপর একটি নর্ম্যান-ভাষী প্রশাসন চালু হয় এই দেশে। ১২৮২ সালে ওয়েলস আসে অধিকারে। ষোড়শ শতাব্দীতে এই রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৬০৪ সালের ২০ অক্টোবর রাজা জেমস পৃথকভাবে ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করার পর নিজেকে "কিং অফ গ্রেট ব্রিটেইন, ফ্রান্স অ্যান্ড আয়ারল্যান্ড" বলে ঘোষণা করেন। ১৬২৫ সালে জেমসের মৃত্যুর পর ইংল্যান্ডের প্রিভি কাউন্সিল একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করেন। এই ঘোষণাপত্রে জেমসের ইচ্ছানুসারে "কিং অফ গ্রেট ব্রিটেন" কথাটি ব্যবহৃত হয়। জেমসের একাধিক উত্তরসূরি এই উপাধিটিই ব্যবহার করেছেন। যদিও এই সময় ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড আইনত পৃথক দেশ ছিল। ১৭০৬ সালে ইউনিয়ন ট্রিটি সাক্ষরিত হওয়ার পর ১৭০৭ সালে দুই দেশের সংসদে ইউনিয়ন আইন পাস হয়। এই আইনবলে যুক্তরাজ্য স্থাপিত হয়। ১৭০৭ সালের মে একক পার্লামেন্ট ঘোষিত হয়। এই সনদ অনুসারে সমগ্র দ্বীপরাজ্যটি "গ্রেট ব্রিটেন যুক্তরাজ্য" নামে পরিচিত হয়। ==ভূগোল== মহাদেশীয় ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলরেখায় ইউরোপীয় মহাদেশীয় সোপানে গ্রেট ব্রিটেন অবস্থিত। ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে এই দ্বীপপুঞ্জকে পৃথক করে রেখেছে উত্তর সাগর ইংলিশ চ্যানেল। ডোভার প্রণালীর কাছে মহাদেশীয় ইউরোপ গ্রেট ব্রিটেনের দূরত্ব মাত্র উত্তর প্রণালী, আইরিশ সাগর, সেন্ট জর্জস প্রণালী কেল্টিক সাগর এই দ্বীপটিকে পশ্চিমে আয়ারল্যান্ড থেকে পৃথক করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রতল রেল টানেল চ্যানেল টানেল মহাদেশীয় ইউরোপের সঙ্গে গ্রেট ব্রিটেনের সংযোগ রক্ষা করেছে। ১৯৯৩ সালে এই টানেল নির্মাণ সমাপ্ত হয়। গ্রেট ব্রিটেনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল পর্বতময় এবং পূর্ব দক্ষিণাঞ্চল নিম্নভূমি। এক হাজারেরও বেশি দ্বীপ অতি ক্ষুদ্র দ্বীপ গ্রেট ব্রিটেনকে ঘিরে রয়েছে। ইংলিশ চ্যানেল সম্ভবত ৪৫০,০০০ থেকে ১৮০,০০০ বছরের মধ্যে গঠিত হয়েছিল। দুটি হিমবাহ হ্রদের গলে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছিল, তাতেই এই চ্যানেল সৃষ্টি হয়। প্রায় ১০,০০০ বছর আগেও গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ ছিল না। এই দ্বীপ সেই সময় ছিল মহাদেশীয় ইউরোপের অংশ। সেই সময় সমৃদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আজকের চেয়ে কম ছিল। উত্তর সাগর ছিল শুকনো। এটি সেই সময় গ্রেট ব্রিটেনকে মহাদেশের সঙ্গে জুড়ে রাখত। এটি ডগারসল্যান্ড নামে পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৬৫০০ অব্দ নাগাদ ডগারসল্যান্ড উত্তর সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ব্রিটিশ উপদ্বীপকে ইউরোপ মহাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ==ভাষা== পরবর্তী ব্রোঞ্জ যুগে ব্রিটেন আটলান্টিক ব্রোঞ্জ যুগ নামে পরিচিত একটি সংস্কৃতির অংশীদার হয়। এই যুগে ব্রিটেনের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন পর্তুগালের সমুদ্র বাণিজ্য শুরু হয়। কেলটিক ভাষাসমূহের উৎপত্তি হলস্ট্যাট সংস্কৃতি থেকে—এই প্রচলিত মতবাদের বিপক্ষে ২০০৯ সাল থেকে জন টি. কোচ অন্যান্যরা বলছেন যে কেলটিক ভাষাগুলি ব্রোঞ্জ যুগীয় পশ্চিম ইউরোপ (বিশেষত আইবেরিয়ান উপদ্বীপ) থেকে এসেছে। কোচের প্রস্থাব যদিও কেলটিক ভাষাবিদদের মধ্যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। মনে করা হয়, আধুনিক কালের সব কটি ব্রাইথোনিক ভাষা (ব্রেটোন, কর্নিশ, ওয়েলশ) একটি সাধারণ আদি ভাষা থেকে উৎসারিত। এই আদি ভাষাটিকে ''ব্রিটোনিক'', ''ব্রিটিশ'', ''কমন ব্রাইথোনিক'', ''ওল্ড ব্রাইথোনিক'' বা নামে চিহ্নিত করা হয়। সম্ভবত এটি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে প্রোটো-কেল্টিক বা আদি উপদ্বীপীয় কেল্টিক থেকে উৎপন্ন। ফোর্থ ক্লাইড নদীর দক্ষিণে গ্রেট ব্রিটেনের বৃহত্তর অংশে রোমান অভিযানের আগে ব্রাইথোনিক ভাষাগুলিই ছিল প্রধান ভাষা। যদিও আইল অফ ম্যানে পরবর্তীকালে ম্যানক্স নামে একটি গৈডেলিক ভাষা চালু হয়েছিল। উতর স্কটল্যান্ডে চলত প্রিটেনিক ভাষা। যেটি পরবর্তীকালে পিকটিশ ভাষায় পরিণত হয়। এটিও সম্ভবত একটি ব্রাইথোনিক ভাষা ছিল। রোমানরা দক্ষিণ ব্রিটেন জয় করে নেওয়ার পর (খ্রিস্টীয় ৪৩ থেকে ৪১০ অব্দ) সাধারণ ব্রাইথোনিক ভাষা প্রচুর লাতিন শব্দ ধার করে। আধুনিক ব্রাইথোনিক ভাষাগুলিতে লাতিন থেকে ধার করা প্রায় ৮০০ শব্দ রয়ে গিয়েছে। রোমান লেখকদের ব্যবহৃত ভাষাটির লাতিনীকৃত রূপটির নাম হল এখন এই দ্বীপে চলে আধুনিক ইংরেজি ভাষা। ==ধর্ম== চার্চ অফ ইংল্যান্ডের কেন্দ্র ক্যান্টারবেরি ক্যাথিড্রাল। আদি মধ্যযুগ থেকে খ্রিস্টধর্ম গ্রেট ব্রিটেনের প্রধান ধর্ম। প্রাচীনকালে রোমানরা এই ধর্ম গ্রেট ব্রিটেনে নিয়ে আসে। সেই সময় এই ধর্ম ছিল আদি উপদ্বীপীয় খ্রিস্টধর্ম। সাধারণত মনে করা হয় খ্রিস্টীয় প্রথম অথবা দ্বিতীয় শতাব্দীতে খ্রিস্টধর্ম গ্রেট ব্রিটেনে এসেছিল। এখানে অ্যাংলিক্যানিজম (স্কটল্যান্ডে যা এপিস্কোপ্যালিজম নামে পরিচিত) খ্রিস্টধর্মের বৃহত্তম সম্প্রদায়। যুক্তরাজ্যের চার্চের প্রধান হলেন রাজা বা রানি। তাকে "সুপ্রিম গভর্নর অফ দ্য চার্চ অফ ইংল্যান্ড" বলা হয়। এটিই ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চ। বর্তমানে এই চার্চের অনুগামীর সংখ্যা কোটি ৬০ লক্ষ। দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় হল রোমান ক্যাথলিক চার্চ। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে অগাস্টিনের মিশনের মাধ্যমে এই ধর্ম ইংল্যান্ডে এসেছিল। বর্তমানে ব্রিটেনে ৫০ লক্ষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করেন। এদের মধ্যে লক্ষ ৫০ হাজার ক্যাথলিকের বাস ইংল্যান্ড ওয়েলসে এবং ৭৫০,০০০ ক্যাথলিক বাস করেন স্কটল্যান্ডে। চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের গির্জা গ্লাসগো ক্যাথিড্রাল। গ্রেট ব্রিটেনের তৃতীয় বৃহত্তম খ্রিস্টান সম্প্রদায় চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের অনুগামীর সংখ্যা কোটি ১০ লক্ষ। জন নক্স প্রবর্তিত এই চার্চ স্কটল্যান্ডের সরকারি চার্চ। এখানে যুক্তরাজ্যের রাজা বা রানি একজন লর্ড হাই কমাশনারের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করেন। মেথডিজম গ্রেট ব্রিটেনের চতুর্থ বৃহত্তম খ্রিস্টান সম্প্রদায়। জন ওয়েসলে অ্যাংলিক্যানিজম থেকে এই সম্প্রদায়কে পৃথক করেছিলেন। পুরনো শিল্পশহর ল্যাঙ্কাশায়ার ইয়র্কশায়ার এবং কর্নওয়ালের টিন খনি শ্রমিকদের মধ্যে এই মত জনপ্রিয়। ওয়েলসের প্রেসবিটারিয়ান চার্চ ওয়েলস অঞ্চলের বৃহত্তম সম্প্রদায়। এটি ক্যালভিনিস্টক মেথডিজম মতের অনুগামী। সেন্ট অ্যালবান গ্রেট ব্রিটেনের পৃষ্ঠপোষক সন্ত। তিনি রোমানো-ব্রিটিশ যুগের প্রথম খ্রিস্টান শহিদ। খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করতে অস্বীকার করায় তাঁলে রোমান দেবতাদের উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয়েছিল। ==জনবসতি== ===রাজধানী শহর=== যুক্তরাজ্যের তিনটি কান্ট্রির রাজধানী শহর হল: ইংল্যান্ড: লন্ডন স্কটল্যান্ড: এডিনবরা ওয়েলস: কার্ডিফ ===অন্যান্য প্রধান শহর=== জনসংখ্যার হিসেবে গ্রেট ব্রিটেনের অন্যান্য বড়ো শহরগুলি হল বার্মিংহাম, গ্লাসগো, লিডস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার, নটিংহ্যাম শেফিল্ড। ==তথ্যসূত্র== ===পাদটীকা=== ==বহিঃসংযোগ== গ্রেপ ব্রিটেনের ইন্টারঅ্যাক্টিভ মানচিত্র উপকূল বিবিসি ব্রিটেনের উপকূলরেখা বরাবর ভ্রমণ করে। গ্রেট ব্রিটেনের প্রশাসনিক মানচিত্র অরড্যান্স জরিপ অনুসারে। বিবিসি ন্যাশন্‌স ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ যুক্তরাজ্য বিষয়ে সিআইএ ফ্যাক্টবুক Interactive map of Great Britain Coast the BBC explores the coast of Great Britain The British Isles 200 Major Towns and Cities in the British Isles CIA Factbook United Kingdom ===ভিডিও সংযোগ=== Pathe travelogue, 1960, ''Journey through Britain'' Pathe newsreel, 1960, ''Know the British'' Pathe newsreel, 1950, Festival of Britain দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপসমূহ ইউরোপ ইউরোপ দ্বীপপুঞ্জ দ্বীপ রাষ্ট্র'''নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা''' এমন একটি যন্ত্র বা যন্ত্রের সমন্বয় যা অন্য কোন যন্ত্রের আচরণ নির্ধারণ করে। কিছু কিছু যন্ত্র অবশ্য নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা কিছু যন্ত্রাংশের সমন্বয় যা এমনভাবে সংযোজিত বা সম্পর্কিত করা হয় যেন তা নিজেকে বা অন্য কোন যন্ত্রকে নির্দেশনা প্রদান বা পরিচালনা করতে সক্ষম। == লজিক নিয়ন্ত্রণ == == লিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ == == কীভাবে এগুলো তৈরি করা হয় == প্রকৌশল'''মিহিদানা''' বাংলার এক সুপ্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন। বর্ধমানের মিহিদানা অতি বিখ্যাত। মিহিদানা ভারতের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন হিসেবে স্বীকৃত। মিহিদানার পেটেন্ট আইনিভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রদান করা হয়েছে। কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিশ্ব বাংলা শোরুমে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে মিহিদানাকে তুলে ধরা হয়েছে। == উৎপত্তি == সমাবেশ ১৯০৪ সালে বড়লাট জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন বর্ধমানের জমিদার বিজয়চাঁদ মহতাবকে মহারাজা খেতাব দিতে বর্ধমান ভ্রমণ করেন। কার্জনের বর্ধমান আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়চাঁদ মহতাব বর্ধমানের জনৈক মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভৈরবচন্দ্র নাগকে একটি বিশেষ মিষ্টি প্রস্তুত করতে বলেন। ভৈরবচন্দ্র নাগ মিহিদানা বর্ধমানের অপর বিখ্যাত মিষ্টান্ন সীতাভোগ তৈরী করেন। == প্রণালী == মিহিদানার প্রধান উপাদান চাল। মিহিদানা প্রস্তুতিতে সাধারণত গোবিন্দভোগ, কামিনীভোগ অথবা বাসমতী চাল ব্যবহার করা হয়। চাল গুঁড়ো করে তার সাথে বেসন এবং জাফরান মেশানো হয়। তারপর জল মিশিয়ে ঈষৎ পীতাভ একটি থকথকে মিশ্রণ তৈরী করা হয়। একটি ছিদ্রযুক্ত পেতলের পাত্র থেকে উক্ত মিশ্রণ কড়াইতে ফুটন্ত গাওয়া ঘিতে ফেলা হয়। তারপর দানাগুলি কড়া করে ভেজে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তুলে চিনির রসে রাখা হয়। == জনপ্রিয়তা == সুকুমার রায়ের কিশোর সাহিত্যে পাগলা দাশুর গল্পে মিহিদানার উল্লেখ আছে। বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা নবদ্বীপ হালদারের কৌতুকগীতি '''শরীরটা আজ বেজায় খারাপ'''-এ তিনি সেন ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ''কল্যাণী কাব্যগ্রন্থের'' '''ঔদারিক''' গানে বাংলার বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্নের উল্লেখ করেছেন। ঔদারিক গানে মিহিদানার উল্লেখ পাওয়া যায়- == আরও দেখুন == বোঁদে সীতাভোগ == তথ্যসূত্র == মিষ্টি মিষ্টান্ন ভৌগোলিক স্বীকৃতিশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত মার্চ, ১৯২০ সালে প্রকাশিত একটি উপন্যাস। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮) বাংলা আবেগ, মনোনির্ভরতা ,ভাবালুতা অন্তরের কমনীয় অনুভূতিকে উপন্যাস শিল্পে বিশেষ করে চিত্রায়িত করলেও "গৃহদাহ"(১৯২০) উপন্যাসের ব্যাপারে উপর্যুক্ত অনুভবরাজি গভীরতমভাবে প্রভাববিস্তারী নয়- একারণেই এই শিল্পকর্মটি আমাদের বাংলা উপন্যাসের ইতিহাসে স্বকীয়তাবাহী। উপন্যাসটির কাহিনি বৃত্তকে ব্যবচ্ছেদ করলে তিনটি পর্ব পরিলক্ষিত হয়। ==চরিত্রসমূহ== তিনটি প্রধান সুরেশ মহিম- উকিল(গ্রামে একটি জীর্ন ঘর তার সম্বল। কোনো ঘটনাই তাকে বিচলিত করেনা বাল্যকালের বন্ধু।বিপুল সম্পদের অধিকারী।পরিবার বলতে কেবল পিসি আছেন।পরম বন্ধুবাৎসল, পরদুঃখ কখনও কখনও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে) অচলা-শিক্ষিত ব্রাহ্ম/ম্লেচ্ছ কন্যা(মহিমের বাগদত্তা। জটিল চরিত্র কিন্তু মায়াবি। ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল) কেদারবাবু- অচলার পিতা (ঋনগ্রস্ত ব্রাহ্ম ব্যক্তি। আর্থিক সংকটের কারনে আত্মকেন্দ্রিক) পিসি- সুরেশের পিসি (সরল চরিত্র) মৃণাল- মহিমের আত্মীয়া (আদর্শ বাঙালী গৃহবধুর চিত্র) ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস দশকের উপন্যাস'''কোচবিহার বা কুচবিহার''' পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার জেলাসদর একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। উত্তরপূর্বে আসাম রাজ্য, এছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাাদেশের সাথে৷ শহরটি কোচবিহার সদর মহকুমার কোচবিহার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক-এ অবস্থিত৷ == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুচ বিহার শহরের জনসংখ্যা হল ১০৬৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোচবিহার এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল বছর বা তার কম বয়সী। ==শিক্ষা প্রতিষ্ঠান== সুনীতি একাডেমী মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুল রামভোলা হাইস্কুল *এ.বি.এন. শীল কলেজ *উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় *কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয় *বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষন সান্ধ্য মহাবিদ্যালয় Maharani Indira Devi Balika Vidhalaya *University B.T and Evening college ==পরিবহন == কোচ বিহার জেলা সড়কপথ, রেলপথ, এবং অকাশপথে পারিবহন ব্যাবস্থা রয়েছে প্রধান রেল স্টেশন "নিউ কোচ বিহার ''এছাড়া কোচ বিহার, ''দিনহাটা, বামনহাট, রেল স্টেশন রয়েছে| 31 নং জাতীয় সড়ক উত্তরপূর্বে কোচ বিহার দিয়ে অসম রাজ্যর যুক্ত হয়েছে| কোচবিহার বিমানবন্দর প্রধান বিমানবন্দর| দর্শনীয় স্থান *রাজবাড়ী *মদনমোহন মন্দির *সাগর দীঘি *শালবাগান প্রভৃতি। ==আরও দেখুন== সুকটাবাড়ি বগুলা == তথ্যসূত্র == শহর জেলার শহরশকুন vultures eating dead নু-হরিণ দেহমাত্র খাদ্যাভ্যাস মাসাইমারা ন্যাশনাল পার্ক, কেনিয়া '''শকুন''' () এক প্রকার পাখি। এটি মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে। সাধারণত এরা অসুস্থ মৃতপ্রায় প্রাণীর চারিদিকে উড়তে থাকে এবং প্রাণীটির মরার জন্য অপেক্ষা করে। পাখিগুলো তীক্ষ্ম দৃষ্টির অধিকারী শিকারি পাখিবিশেষ। শকুনের গলা, ঘাড় মাথায় কোনো পালক থাকে না। প্রশস্ত ডানায় ভর করে আকাশে ওড়ে। লোকচক্ষুর আড়ালে মহীরুহ বলে পরিচিত বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, ডুমুর প্রভৃতি বিশালাকার গাছে সাধারণত শকুন বাসা বাঁধে। সাধারণত গুহায়, গাছের কোটরে বা পর্বতের চূড়ায় ১-৩টি সাদা বা ফ্যাকাসে ডিম পাড়ে। == পরিসংখ্যান == সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়, এর মধ্যে পশ্চিম গোলার্ধে প্রজাতির এবং পূর্ব গোলার্ধে (ইউরোপ, আফ্রিকা এশিয়া) ঈগলের সাথে সম্পর্কিত ১১ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে প্রায় প্রজাতির শকুন রয়েছে, এর মধ্যে প্রজাতি স্থায়ী আর প্রজাতি পরিযায়ী। ''শকুন'' বা ''বাংলা শকুন'' ছাড়াও এতে আছে ''রাজ শকুন'', ''গ্রীফন শকুন'' বা ইউরেশীয় শকুন, ''হিমালয়ী শকুন'', ''সরুঠোঁট শকুন'', ''কালা শকুন'' ''ধলা শকুন''। তবে শুধু গ্রীফন প্রজাতির শকুনই মাঝে মাঝে দেখা যায় (পরিপ্রেক্ষিত ২০১০)। এসব প্রজাতির শকুনই সারা বিশ্বে বিপদাপন্ন। স্থায়ী প্রজাতির মধ্যে রাজ শকুন মহাবিপন্ন। এটি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্যে ঠোঁটে পাথরের টুকরো বহন করে ডিমের উপর নিক্ষেপ করে। == ডাইক্লোফেনের ক্ষতিকর প্রভাব == ইদানীং বিভিন্ন দেশে, গবাদি পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত 'ডাইক্লোফেন' নামের ব্যথানাশক ঔষধের প্রভাবে শকুন মারা যাচ্ছে। একারণে ডাইক্লোফেন ভারত, পাকিস্তান নেপালে ''নিষিদ্ধ'' ঘোষিত হয়েছে। বাংলাদেশে ডাইক্লোফেনের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে শকুন বিলুপ্তির মুখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত পশুর মাংস শকুনের কোনো ক্ষতি করে না; কিন্তু ডাইক্লোফেন দেওয়া হয়েছে, এমন মৃত পশুর মাংস খেলে কিডনি নষ্ট হয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে শকুনের মৃত্যু ঘটে। কারণে গত তিন দশকে (২০১০) উপমহাদেশে ৭৫% শকুন মারা গেছে। ১৯৮০'র দশকে সার্কভুক্ত দেশে প্রায় ৪,০০,০০,০০০ শকুনের অস্তিত্ব ছিলো, অথচ এই সংখ্যা এখন কমে মাত্র ৪০,০০০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের ''কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিন''-এর গবেষক ড. লিন্ডসে ওক তার এক গবেষণায় প্রমাণ করেন, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনের ব্যবহারই শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। ভারতে প্রতি বছর ৩০% শকুন মারা যাওয়ার কারণও ডাইক্লোফেন। এই মানবসৃষ্ট কারণে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে পৃথিবীর অনেক দেশেই পশু-চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনের পরিবর্তে সমান কার্যকর, অথচ শকুন-বান্ধব 'মেলোক্সিক্যাম' নামক ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। == আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস == সারা বিশ্বে, শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তারিখ ''আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস'' পালিত হয়ে থাকে। == বাস খাদ্য == ক্যামেরুন, সুদান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, ঘানা, জাম্বিয়া, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড অঞ্চলে শকুন দেখতে পাওয়া যায়। এরা সাধারনত মৃত চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, কৃষ্ণসার, গরু, ছাগল, মোষ, জেব্রা ইত্যাদি ভক্ষণ করে থাকে।। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Vulture videos on the Internet Bird Collection Ventana Wildlife Society Vulture observatory in Spain Vulture Restaurantচিত্র:Two Cell ৯০ এর দশকে ব্যবহৃত বার স্টাইলের কোয়ালকম কিউসিপি-২৭০০ (QCP-2700) মোবাইল ফোন এবং হাল আমলের স্মার্ট ফোন আইফোন '''মোবাইল ফোন''', '''সেলুলার ফোন'', ''হ্যান্ড ফোন'' বা '''মুঠোফোন''' () তারবিহীন টেলিফোন বিশেষ। মোবাইল অর্থ ভ্রাম্যমান বা এই ফোন সহজে যেকোনও স্থানে বহন করা এবং ব্যবহার করা যায় বলে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটররা তাদের সেবা অঞ্চলকে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজ ইত্যাদি আকারের অনেকগুলো ক্ষেত্র বা সেলে বিভক্ত করে ফেলে। সাধারণত ষড়ভুজ আকৃতির সেলই বেশি দেখা যায়। এই প্রত্যেকটি অঞ্চলের মোবাইল সেবা সরবরাহ করা হয় কয়েকটি নেটওয়ার্ক স্টেশন (সচরাচর যেগুলোকে আমরা মোবাইল ফোন কোম্পানির এন্টেনা হিসেবে জানি) দিয়ে। নেটওয়ার্ক স্টেশনগুলো আবার সাধারণত সেলগুলোর প্রতিটি কোণে অবস্থান করে। এভাবে অনেকগুলো সেলে বিভক্ত করে সেবা প্রদান করার কারণেই এটি "সেলফোন" নামেও পরিচিত। মোবাইল ফোন বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলে অনেক বড় ভৌগোলিক এলাকায় এটি সংযোগ দিতে পারে। শুধু কথা বলাই নয়, আধুনিক মোবাইল ফোন দিয়ে আরো অনেক সেবা গ্রহন করা যায়। এর উদাহরণ হচ্ছে খুদে বার্তা -এসএমএস বা টেক্সট মেসেজ সেবা, এমএমএস বা মাল্টিমিডিয়া মেসেজ সেবা, ই-মেইল সেবা, ইন্টারনেট সেবা, অবলোহিত আলো বা ইনফ্রা-রেড, ব্লু টুথ সেবা, ক্যামেরা, গেমিং, ব্যবসায়িক বা অর্থনৈতিক ব্যবহারিক সফটওয়্যার ইত্যাদি। যেসব মোবাইল ফোন এইসব সেবা এবং কম্পিউটারের সাধারন কিছু সুবিধা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্ট ফোন নামে ডাকা হয়। মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় কেজি (২।২ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন। ডঃ মার্টিন কুপার মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে, ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স (DynaTAC 8000x)। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বিলিয়নের বেশী হয়ে গেছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে। == ইতিহাস == মোবাইল ফোনের বিবর্তন সেলুলার ফোন প্রারম্ভিকভাবে পূর্বসুরীরা জাহাজ এবং ট্রেন থেকে এনালগ রেডিও কমিউনিকেশনের সাহায্যে ব্যবহার করত। == বৈশিষ্ট্য == যদিও মোবাইল ফোন নির্মাতারে তাদের ফোনকে বিশেষায়িত করার জন্য অনেক আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট্য যোগ করছে প্রতিনিয়ত, তবুও সকল মোবাইল ফোনেরই কয়েকটি প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এদের অপরিহার্য অঙ্গ। এগুলো হচ্ছে তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারী ফোনের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। কোন ইনপুট পদ্ধতি যার সাহায্যে ফোন ব্যবহারকারীর সাথে ফোনের মিথস্ক্রিয়া বা দ্বি-পাক্ষিক যোগাযোগ সম্ভব হয়। সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ইনপুট পদ্ধতি হচ্ছে কী প্যাড তবে ইদানীং স্পর্শ কাতর পর্দা বা টাচ স্ক্রীন তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সাধারন মোবাইল ফোন সেবা যার দ্বারা ব্যবহারকারী কথা বলতে বা খুদে বার্তা পাঠাতে পারেন। জিএসএম ফোনগুলোয় সিম কার্ড থাকে। কিছু কিছু সিডিএমএ ফোনে রিম কার্ড থাকে। প্রতিটি স্বতন্ত্র ফোনের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র আইএমইআই (IMEI) নাম্বার যার সাহায্যে ওই ফোনটিকে সনাক্ত করা যায়। নিম্নস্তরের মোবাইল ফোনকে প্রায়ই ফিচার ফোন বলে ডাকা হয় এবং এগুলো শুধুমাত্র প্রাথমিক টেলিফোন যোগাযোগ সুবিধা দেয়। আর কিছু মোবাইল ফোন আরও অগ্রসর সুবিধা এবং কম্পিউটারের মত সেবা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্ট ফোন বলে। বেশ অনেক মোবাইল ফোনের পরম্পরা কিছু নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীকে উদ্দেশ্য করে তৈরী করা হয়েছে। যেমন বহুজাতিক বা কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষায়িত ই-মেইল সুবিধা নিয়ে এসেছিল ব্ল্যাকবেরি। সনি-এরিক্সনের গান শোনার বিশেষায়িত 'ওয়াকম্যান' সিরিজ বা 'সাইবারশট' ক্যামেরা ফোন, নকিয়ার এন সিরিজ মাল্টি মিডিয়া ফোন এবং আইফোন সিরিজ বা স্যামসাং এর গ্যালাক্সী এস সিরিজ। == ব্যবহার == অনেক মোবাইল ফোনই স্মার্ট ফোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কথা বলার পাশাপাশি ধরনের ফোনগুলো অন্যান্য বিষয়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ই-মেইল, এসএমএস বা ক্ষুদেবার্তা, প্রেরণ গ্রহণ; ক্যালকুলেটর, মুদ্রা, সঙ্কেত বিষয়ক কার্যাবলী; ইন্টারনেট; গেমস খেলা; ছবি ভিডিও তোলা; ঘড়ির সময় দেখা; কথা রেকর্ড করা; ট্রেনের টিকিট বুকিং করা; বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেয়া ইত্যাদি। টাকার আদানপ্রদান করা। == বাংলাদেশে মোবাইল ফোন == বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল) ঢাকা শহরে AMPS মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে। === বর্তমান অবস্থা === বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানী রয়েছে। এদের মধ্যে ৫টি জিএসএম এবং একটি সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে সব জিএসএম মোবাইল কোম্পানি ২০১৩ সাল থেকে তৃতীয় প্রজন্মের ৩জি সেবা দেওয়া শুরু করেছে। মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে একমাত্র টেলিটক দেশিয় কোম্পানি। বর্তমানে রবি এয়ারটেল একীভূত হয়ে রবি হবার কাজ করছে। দেশে মোবাইল নম্বর গুলো ০১ দিয়ে শুরু। কান্ট্রি কোড সহ নম্বর হয় +৮৮০১********* কান্ট্রি কোড ব্যতীত মোট ১১ ডিজিটের নম্বর ব্যবস্থা চালু এখন। মোবাইল কোম্পানীগুলো হল: সিটিসেল কোড ০১১(সিডিএমএ) '''''বর্তমানে বন্ধ''''' রবি কোড -০১৮(পূর্ব নাম একটেল) গ্রামীনফোন কোড -০১৭, ০১৩ বাংলালিংক কোড -০১৯, ০১৪ কিনে নেয়) টেলিটক কোড -০১৫ এয়ারটেল (বাংলাদেশ) কোড ০১৬(ওয়ারিদকে কিনে নেয় ==আরও দেখুন== মোবাইল টেলিফোনি == তথ্যসূত্র == প্রযুক্তি'''মালাগাসি ভাষা''' সর্বপশ্চিমে অবস্থিত মালয়-পলিনেশীয় ভাষা। এটি পূর্ব আফ্রিকার উপকূলের কাছে মাদাগাস্কার দ্বীপে প্রচলিত। ধারণা করা হয় ভাষাটির আদি উৎস ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিমাংশে, সম্ভবত বোর্নিও দ্বীপে। মালাগাসি ভাষার সাথে ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কের ভাষাটির নাম মাআনিয়ান ভাষা, যা দক্ষিণ বোর্নিওতে প্রচলিত। মাদাগাস্কারের আদিবাসী লোকেরা প্রায় ৩৬টি গোত্রে বিভক্ত এবং ইন্দোনেশীয় আফ্রিকান মিশ্র রক্তের মানুষ; এরাও মালাগাসি নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় আফ্রিকান ইন্দোনেশীয়রা দ্বীপটিতে ৫ম শতকে বসতি স্থাপন করেছিল। ১৫শ শতক পর্যন্ত এখানে ইন্দোনেশীয়রা পাড়ি জমাত। ১৭শ শতকের শুরুর দিকে বেশ কিছু মালাগাসি রাজত্বের সৃষ্টি হয়। ১৮শ শতক নাগাদ মেরিনা জাতির লোকেরা বাকি সব রাজত্বকে পদানত করে। প্রোটেস্টান্ট লন্ডন মিশনারি সোসাইটি দ্বীপটিতে পা রাখে এবং মেরিনা ভাষাটির জন্য একটি লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। এই মেরিনা ভাষাই বর্তমানে মালাগাসি ভাষা নামে পরিচিত। ১৯৬০ সালে মাদাগাস্কার স্বাধীন মালাগাসি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হলে মালাগাসি ভাষা ফরাসি ভাষার সাথে সহ-সরকারী ভাষার মর্যাদা লাভ করে। দ্বীপের কোটি ৩০ লক্ষ অধিবাসীর প্রায় সবাই এই ভাষাতে কথা বলেন। এছাড়াও মাদাগাস্কারের পূর্বে কমোরোস রেউনিওঁ দ্বীপপুঞ্জেও ভাষাটি প্রচলিত। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ফরাসি ভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় এবং মালাগাসি ভাষা অবহেলিত হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ফরাসি ভাষার মর্যাদা এখনও রয়ে গেছে; মালাগাসির শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণী ফরাসি ভাষায় শিক্ষিত। == বহিঃসংযোগ == মালাগাসি ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট ভাষা ভাষা'''দ্য ইলিউমিনাটি''' একটি গুপ্ত সংগঠন। ১৭৭৬ সালের মে ব্যাভারিয়া তে অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট এই সংগঠন টি প্রতিষ্ঠা করেন। ইলুমিনাতি শব্দের অর্থ "যারা কোনো বিষয়ে বিশেষ ভাবে আলোকিত বা জ্ঞানার্জনের দাবী করে" অথবা "বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন কোনো দল"। অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট একজন জেসুইট ছিলেন পরে ব্যাভারিয়ার ইংগোল্‌স্‌তাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্রিষ্টান ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তার হাতেই গড়ে উঠে এই ইলুমিনাতি। অনেকেই ধারণা করে থাকে যে ইলুমিনাতি এর সৃষ্টির পিছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে ফ্রিম্যাসন্স রা। ক্যাথলিক খ্রিষ্টান দের চোখে ইলুমিনাতিরা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিগণিত হয়। অনেকের মতে এরা নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থা গড়ে তোলার পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।ড্যান ব্রাউন রচিত এঞ্জেল্‌স অ্যান্ড ডিমন্‌স উপন্যাস প্রকাশের ফলে এই সংগঠনটি আধুনিক কালে আবার আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট == ইতিহাস == === উদ্ভব === ইলুমিনাতি প্রতিষ্ঠিত হয় মে,১৭৭৬ সালে বাভারিয়া) এ। এটি প্রতিষ্ঠা করেন খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত অ্যাডাম ওয়েইশাপুত,যিনি ছিলেন ইঙ্গলস্তাদত বিশ্ববিদ্যালয় এর "ক্যাথলিক গির্জা আইন" বিভাগের প্রথম লে(কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন) অধ্যাপক সংগঠনটি সাজানোর মাধ্যমে।এর সর্বপ্রথম সদস্য জন। ==কার্যক্রম== প্রচুর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মতে, শক্তিমান সিক্রেট সোসাইটি ইলুমিনাতি মূলত বিশ্বের সকল প্রধান ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে। ১. ফ্রেঞ্চ বিপ্লবের সূচনাও ইলুমিনাতির হাতেই। ২. নেপোলিয়নের ওয়াটারলু যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ করে ইলুমিনাতি। ৩. শয়তানের উপাসনার মাধ্যমে স্বার্থ হাসিল করে ইলুমিনাতি। খ্রিস্টান মুসলিম ষড়যন্ত্র তত্ত্বমতে, ইলুমিনাতির এক চোখা প্রতীক প্রমাণ করে যে, ইলুমিনাতি হলো সেই সংঘ যারা একচোখা ''দাজ্জাল'' (কিংবা বাইবেল মতে ''৬৬৬ বা এর আগমনের পথ সুগম করছে। == ইলুমিনাতির অভুত্থান == ইলুমিনাতির সঠিক উদ্ভব কারণ এখনো বিশ্লেষকদের কাছে পরিষ্কার নয়। নতুন পৃথিবী গড়া তাদের মূল লক্ষ্য হলেও আপাতদৃষ্টিতে তারা ধর্মীয় সমাজের বিরুদ্ধে গুপ্তভাবে যথেষ্ট সোচ্চার। বিশেষভাবে ধারণা করা হয় মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার ধর্মীয় নৈতিক স্খলন গুলো এদের দ্বারাই প্রকাশ্যে আসে। ধারণা করা হয় এই ঘটনাগুলির সূত্রপাত থেকে ঘটনাপ্রবাহে জনসম্মুখে আসা- সকল ক্ষেত্রেই অদৃশ্যভাবে ভূমিকা পালন করে। যেমন ধরা যাক হিন্দুধর্মের একটি বিলুপ্ত কুসংস্কার হল সতীদাহ প্রথা। এই একবিংশ শতাব্দীতেও এমন কোন ঘটনা হয়ত ঘটবে তাও আবার ওই ধর্মের কোন এক দ্বারা। এই সম্পূর্ণ ঘটনা এবং এর বিরুদ্ধে জনমত উথ্বাপনে এদের প্ররোচনাকে অনেকেই কলকাঠি হিসেবে ধারণা করেন। কিছু বিশেষজ্ঞ এরকম সংগঠনকে এবং এদের কার্যক্রমকে কাল্পনিক মনে করেন। == আধুনিক সংস্কৃতিতে ইলুমিনাতি == নতুন করে বর্তমান সময়ে এটি আবার আলোচিত হতে শুরু করেছে ড্যান ব্রাউন এর "অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস" উপন্যাসের মাধ্যমে। মানুষ মনে করে থাকে ইলুমিনাতি সদস্যরা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে।তবে তার কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই। ==তথ্যসূত্র == এর কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। (MTK)'''ডিরাক সমীকরণ'''টি পদার্থবিজ্ঞানের আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম বলবিদ্যাজাত একটি তরঙ্গ সমীকরণ যা মৌলিক স্পিন ১/২ কণিকা, যেমন- ইলেকট্রনের আচরণের এমন পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেয় যা, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব উভয়ের সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। ব্রিটিশ পদার্থবিদ পল ডিরাক ১৯২৮ সালে এটি আবিষ্কার করেন। গবেষণাগারে আবিষ্কার করার আগেই এই সমীকরণের সাহায্যে ডিরাক পজিট্রন) অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। পরবর্তিতে এই ভবিষ্যদ্বাণীর সূত্র ধরে ইলেকট্রনের প্রতিকণা, পজিট্রনের আবিষ্কার আধুনিক তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলির একটি। যেহেতু ডিরাক সমীকরণটি মূলতঃ ইলেকট্রনের আচরণ ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্যে উদ্ভাবণ করা হয়, তাই এই নিবন্ধে ''ইলেকট্রন'' নিয়েই আলোচনা করা হবে। তবে সমীকরণটি স্পিন ১/২ কণিকা কোয়ার্ক'র বেলায়ও সমভাবে প্রযোজ্য হবে। যদিও প্রোটন এবং নিউট্রন মোলিক কণিকা নয়(এরা প্রত্যেকে একাধিক কোয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত) তবুও খানিকটা পরিবর্তিত ডিরাক সমীকরণ এদের আচরণও ব্যাখ্যা করতে পারে। ডিরাক সমীকরণের আরেকটি প্রকরণ হলো ম্যাজোরানা সমীকরণ, যা নিউট্রিনো'র আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারবে বলে আশা করা হয়। '''ডিরাক সমীকরণ'''টি হচ্ছে, যেখানে, ''m'' হলো ইলেকট্রনের নিশ্চল ভর; ''c'' হলো আলোর দ্রুতি; ''p'' হলো ভরবেগ অপেক্ষক; হলো লঘুকৃত প্ল্যাংকের ধ্রুবক; ''x'' এবং ''t'' হলো যথাক্রমে স্থান এবং কাল স্থানাংক; আর হলো চার-উপাদান বিশিষ্ট তরঙ্গ অপেক্ষক (সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের শর্তানুসারে তরঙ্গ অপেক্ষক'কে সাধারণ স্কেলার রূপে নয়, বরং স্পিনর হিসাবে প্রকাশ করতে হয়। উপাদানগুলির ভৌত তাৎপর্য নিচে বর্ণনা করা হয়েছে।) গুলি হলো রৈখিক অপারেটার, এরা তরঙ্গ অপেক্ষকের উপর ক্রিয়া করে। এদের সবচেয়ে মোলিক বৈশিষ্ট্যটি হলো, এদের অবশ্যই পরস্পরের সাথে হতে হবে। অন্যভাবে বললে, যেখানে এবং এর সম্ভাব্য মান থেকে এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সবচেয়ে সহজ যে উপায়ে এই বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যাবে তা হলো: ম্যাট্রিক্স। এরচেয়ে ক্ষুদ্রতর মাত্রার ম্যাট্রিক্সের কোন সেট পাওয়া সম্ভব নয়, যা প্রতিবিনিময় শর্তটি মেনে চলে। আসলে চতুর্মাত্রার ম্যাট্রিক্সের প্রয়োজনীয়তার ভৌতিক তাৎপর্য রয়েছে। যদিও এর বিকল্প রয়েছে, তবু গুলোর জন্য একটা সুবিধাজনক পছন্দ হতে পারে এরকম: এরা '''ডিরাক ম্যাট্রিক্স''' নামে পরিচিত। সম্ভাব্য সবগুলি বিকল্পই আসলে অনুরূপতা রূপান্তর দ্বারা সম্পর্কিত, কারণ তত্ত্বীয়ভাবে উপস্থাপন করতে ডিরাক স্পিনরের কোন বিকল্প নাই। ডিরাক সমীকরণটি একটি ''একক'' ইলেকট্রনের সম্ভাব্যতার বিস্তার ব্যাখ্যা করে। এটা একটা একক-কণা তত্ত্ব; অন্যকথায়, এতে কণাসমূহের সৃষ্টি ধ্বংস নিয়ে কিছু বলা হয় না। এটি ইলেকট্রনের চৌম্বক ভ্রামকের উৎসের একটি ভালো ব্যাখ্যা দেয় এবং পারমাণবিক বর্ণালীরেখা'য় দৃষ্ট সূক্ষ্মতর গঠনেরও ব্যাখ্যা দেয়। এটি ইলেকট্রনের স্পিনকে ব্যাখ্যা করতে পারে। সমীকরণটির চারটি সমাধানের দুটি ইলেকট্রনের দুইটি স্পিন দশাকে ব্যাখ্যা করে। কিন্তু বাকি দুটি সমাধান একটু অদ্ভুতভাবে অসীমসংখ্যক কোয়ান্টাম দশার অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে যেখানে ইলেকট্রনের শক্তি হবে ঋণাত্মক। এই অদ্ভুৎ ফলাফলকে ব্যাখ্যা করতে ডিরাক ''"গহ্বর তত্ত্ব"'' নামের একটি অসাধারণ তত্ত্বের অবতারনা করেন, যার সূত্রধরে তিনি ''ধনাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনের'' অনুরূপ কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। ডিরাক প্রথমে মনে করেছিলেন যে, এই কণাগুলো বোধ হয় প্রোটন। কিন্তু তার তত্ত্বমতে কণাগুলোর আধানই কেবল ইলেকট্রনের সমান হবে তা নয়, এদের ভরও হতে হবে ইলেকট্রনের সমান। তাই ১৯৩২ সালে পজিট্রন আবিষ্কৃত হওয়ার পর যখন দেখা গেল যে, তার প্রাথমিক অনুমানটি ভুল ছিল, বরং তার তত্ত্বের ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেছে, তখন ডিরাক একটু লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন। পরে তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল যে, কেন তিনি অনাগত পজিট্রনকে সঠিক ভরসহ অনুমান করেননি, তিনি বললেন, ''"নির্ভেজাল কাপুরুষতা!"'' তবে সে যাই হোক, এতে করে ১৯৩৩ সালে তার নোবেল পুরস্কার ভাগাভাগি করে নেয়াটা কিন্তু থেমে থাকেনি। এত সাফল্য সত্ত্বেও ডিরাকের তত্ত্বের একটা ত্রুটি হলো, এখানে কণাগুলির সৃষ্টি বা ধ্বংসের সম্ভাবনাকে আমল দেয়া হয়নি, যা কিনা আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি মৌলিক ফলাফল। পরবর্তিতে তার তত্ত্বটাকে কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্বে রূপান্তরিত করে এই ত্রুটিটি দূর করা হয়েছে। কোয়ান্টায়িত তাড়িৎ-চৌম্বক ক্ষেত্র যোগ করলে এই তত্ত্বটি কোয়ান্টাম তত্ত্বে রূপ নেয়। তাছাড়া ডিরাক সমীকরণটি কেবল ধনাত্মক শক্তিযুক্ত কণার আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারে, ঋণাত্মক শক্তির কণাকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। স্পিন ৩/২ কণার জন্য অনুরূপ সমীকরণটির নাম হলো রারিটা-শুইঙ্গার সমীকরণ। == ডিরাক সমীকরণের প্রতিপাদন == ডিরাক সমীকরণটি শ্রোডিঙ্গার সমীকরণের আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় সম্প্রসারণ যা সময়ের সাথে কোয়ান্টাম গতিবিদ্যা সম্পর্কিত কোন ব্যবস্থার বিবর্তনের বর্ণনা দেয়: সুবিধার্থে এখানে ''অবস্থান ভিত্তি'' নিয়ে কাজ করা হবে, যেখানে ব্যবস্থাটির দশাকে একটি তরঙ্গ অপেক্ষক, দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এই ভিত্তি ব্যবহার করলে শ্রোডিঙ্গার সমীকরণটির আকার হবে এরকম, যেখানে হ্যামিল্টনিয়ান ''H'' দ্বারা দশা সদিক নয় বরং তরঙ্গ অপেক্ষকের উপর ক্রিয়াশীল একটি অপারেটারকে নির্দেশ করা হয়। যথাযথভাবে নির্দেশ করতে হবে যাতে এটি ব্যবস্থার মোট শক্তিকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে। বাহ্যিক সকল বল ক্ষেত্রের প্রভাব থেকে মুক্ত একটি ইলেকট্রনকে বিবেচনা করা যাক। অ-আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় মডেলের জন্য চিরায়ত বলবিদ্যা'র গতিশক্তি'র অনুরূপ হিসাবে ব্যবহার করলে (আপাতত স্পিনকে বিবেচনার বাইরে রাখা হল): যেখানে ''p'' গুলি হলো স্থানিক তিনটি দিক, ''j''=1,2,3 এর প্রতিটিতে ভরবেগ অপারেটার। প্রতিটি ভরবেগ অপারেটার তরঙ্গ অপেক্ষকের উপর স্থানিক অবকলনরূপে ক্রিয়া করে: আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় কোন ব্যবস্থার জন্য অন্য একটি হ্যামিল্টনিয়ান খুঁজে বার করতে হবে। ধরে নেয়া যাক যে, ভরবেগ অপারেটারগুলির সংজ্ঞা অপরিবর্তিত থাকবে। আলবার্ট আইনস্টাইনের বিখ্যাত ভর-ভরবেগ-শক্তি সম্পর্ক অনুযায়ী ব্যবস্থাটির সর্বমোট শক্তি হবে, যার ফলশ্রুতিতে পাওয়া যাবে, এই সমীকরণটি সন্তোষজনক নয়, কারণ এটা সময় স্থানকে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মূলনীতি অনুযায়ী একি সত্ত্বা হিসাবে বিবেচনা করে না। এই সমীকরণটিকে বর্গ করলে ক্লেইন-গর্ডন সমীকরণ পাওয়া যায়। ডিরাক যুক্তি দেখান, যেহেতু সমীকরণটির ডানপক্ষে সময়ের সাপেক্ষে প্রথম-ক্রম অবকলন রয়েছে, এর বামপক্ষেও কালের সাপেক্ষে (অর্থাৎ, ভরবেগ অপারেটরের সাপেক্ষে) একিরকম সরল কোন প্রথম-ক্রম অবকলন থাকা উচিত। এরকমটা হতে পারে যদি বর্গমূল চিহ্নের অন্তর্গত রাশিটি একটি পূর্ণবর্গ হয়। মনে করা যাক, নিম্নারূপ করা হলো, এখানে, ''I'' মানে অভেদ উপাদান। তাহলে মুক্ত ডিরাক সমীকরণ পাওয়া যাবে: যেখানে 'গুলি ধ্রুবক যাদের মান আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় মোট শক্তির বদৌলতে সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। বর্গ'কে সম্প্রসারিত করে, উভয়পক্ষের সহগগুলি তুলনা করে, গুলির জন্য নিম্নোক্ত শর্তাদি পাওয়া যায়: সর্বশেষ এই শর্তগুলি আরো সংক্ষেপে নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায় যেখানে {...} হলো যার সংজ্ঞা হচ্ছে, এবং ''δ'' হলো ক্রনেকার ডেল্টা, যার মান হবে যদি উভয় পাদসূচকই সমান হয়, নতুবা এর মান হবে ০। ক্লিফোর্ড অ্যালজেবরা দেখুন। গুলি সাধারণ সংখ্যা না হয়ে ম্যাট্রিক্স হলেই কেবল এই শর্তগুলি রক্ষা করা সম্ভব হবে। হারমিশিয়ান হতে হবে যাতে হ্যামিল্টনিয়ান হয় হারমিশিয়ান। কমপক্ষে ম্যাট্রিক্স প্রয়োজন। তবে ম্যাট্রিক্সের উপস্থাপনা'র জন্যে একাধিক বিকল্প রয়েছে। কোনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে তার ওপর ডিরাক সমীকরণের বৈশিষ্ট্য নির্ভর না করলেও তরঙ্গ অপেক্ষকের আলাদা আলাদা উপাদানের ভৌত তাৎপর্য নির্ভর করে। শুরুতেই ডিরাক সমীকরণটি উপস্থাপন করা হয়েছিল, তবে একে আরো সংহতভাবে নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়, যেখানে ''0'' এবং ''I'' হলো যথাক্রমে শূন্য এবং অভেদ ম্যাট্রিক্স, এবং σ''j''গুলি (''j'' ১,২,৩) হলো পাউলি মেট্রিক্স। এই সমীকরণের হ্যামিল্টনিয়ান হলো, একে ''ডিরাক বলা হয়। == আরো দেখুন == ব্রেইট সমীকরণ ক্লেইন-গর্ডন সমীকরণ কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিদ্যা রারিটা-শুইঙ্গার সমীকরণ == উৎসপঞ্জী == === নির্বাচিত গবেষণাপত্র === P.A.M. Dirac, Proc. R. Soc. '''A117''' 610 (1928) P.A.M. Dirac, Proc. R. Soc. '''A126''' 360 (1930) C.D. Anderson, Phys. Rev. '''43''', 491 (1933) R. Frisch and O. Stern, Z. Phys. '''85''' (1933) === পাঠ্যপুস্তক === Dirac, P.A.M., ''Principles of Quantum Mechanics'', 4th edition (Clarendon, 1982) Shankar, R., ''Principles of Quantum Mechanics'', 2nd edition (Plenum, 1994) Bjorken, Drell, S, ''Relativistic Quantum mechanics'' Thaller, B., ''The Dirac Equation'', Texts and Monographs in Physics (Springer, 1992) Schiff, L.I., ''Quantum Mechanics'', 3rd edition (McGraw-Hill, 1955) ক্ষেত্র তত্ত্ব অবকলনযোগ্য সমীকরণ'''খালিদ বুলাহ্‌রুজ''' একজন ওলন্দাজ ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি মরক্কোর বংশোদ্ভূত। রক্ষনভাগের তুখোড় খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম কামিয়েছেন। ২০০৬ সালের ফিফা বিশবকাপে হল্যান্ড দলের পক্ষে অংশ নেন। হল্যান্ডে তার ভক্তরা তাকে ডাকনাম দিয়েছেন 'ডের ক্যানিবাল' অথবা 'নরভোজী', কারণ তিনি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের 'খেয়ে' ফেলেন। He is noted for his tackling and versatility at the back. ==তথ্যসূত্র== ফুটবলার'''৩২''' ('''XXXII''') জুলীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ যেটি মঙ্গলবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর হেনোবার্বাস কেমিল্লাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৭৮৫ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৩২ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। == ঘটনাবলী == === স্থান অনুসারে === ====রোমান সাম্রাজ্য ==== গেনিয়াস ডোমটিয়াস অহেনোবার্বাসি এবং লুসিয়াস আরুন্তিয়াস ক্যামিলাস স্ক্রিবিনিয়াস রোমান কনসাল হন === বিষয় অনুসারে === ==== ধর্ম ==== ফিলো কর্তৃক খ্রীষ্টান বাইবেলের প্রথম অংশের (ওল্ড টেস্টামেন্ট বা সংক্ষেপে ও,টি) সাংকেতিক ব্যাখা প্রদান (রূপক বর্ননা) == জন্ম == এপ্রিল ২৮ মার্কাস সালভিয়াস ওথো, রোমান সম্রাট (মৃত্যু ৬৯ খ্রীষ্টাব্দ ব্যান চাও, চাইনিজ জেনারেল এবং কূটনীতিবীদ (মৃত্যু ১০২) ব্যান গু চাইনিজ ইতিহাসবেত্তা রাজনীতিবিদ (মৃত্যু ৯২ খ্রীষ্টাব্দ) == মৃত্যু == ক্যাসিয়াস সেভেরাস, প্রসিদ্ধ রোমান বক্তা এবং লেখক ডেসিমাস হেটারিয়াস আগ্রিপা, রোমান কনসাল লুসিয়াস কাল্পার্নিয়াস পিসো, রোমান কনসাল (মৃত্যু খ্রীষ্টপূর্ব ৯২) জন “দি ব্যাপটিষ্ট” খ্রীষ্টধর্ম, ইসলাম ধর্ম এবং অন্যান্য ইহুদীবাদী ধর্মের কাছে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব (জন্ম খ্রীষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী) == তথ্যসূত্র ==__NOTOC__ '''৯২''' ('''XCII''') জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ যেটি রবিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর আউগুস্তুস সাতুরনিয়াস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৪৫ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৯২ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। == ঘটনাবলী == === এলাকা অনুসারে === === বিষয় অনুসারে === == জন্ম == == মৃত্যু == == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:৯২'''দুখাই''' মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। এটি ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর শতাব্দির প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদশের উপকূলীয় এলাকায় দশ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এই মর্মান্তিক কাহিনী নিয়ে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন চলচ্চিত্রটি। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-সংগ্রাম দেখানো হয়েছে। অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ। == কাহিনী সংক্ষেপ == দুখাই হলো এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাদের পরিবারের ছয়জন সদস্য। দুখাই সবচেয়ে বড় এবং তারা পদ্মা তীরে বসবাস করে আর বাপ-দাদার পেশা হলো তাঁতী। বংশ পরাম্পরা তারা একই পেশায় জড়িত। পদ্মার তীরবর্তী হওয়ায় নদী ভাঙ্গনের শব্দে সর্বদাই ভয় আর আতঙ্ক কাজ করে। তাদের সোনার সংসার। কাজ করে সংসার চালায়। বাড়িতে দুইটি ঘর এবং কাপড় বুনানো দুটি যন্ত্র। নদী ভাংতে ভাংতে বাড়ির নিকটে চলে আসছে। এক বিকেলে তার বাবা বলছে, ‘সর্বনাশা পদ্মার হাত থেকে বাড়িটারা আর টিকিয়ে রাখা গেল না বাবা? এতোগুলো মানুষ লইয়া এহন আমি কই গিয়া খারামু?’ ‍দুখু মিয়া বলছে, ‘ওতো উতলা হইলে চলবে কেমনে, বাজান- আল্লাহ তো আছে? হ... আল্লাহ। এক অন্ধকারের রাত্রিতে প্রতিবেশীদের চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়। সবাই চিৎকার করে বলছে, ‘ও দুখুর বাপ পোলাপাইন লইয়া বাইর হও, তোমার ঘর ভাইঙ্গা পড়লো। এরপর অনেক দূরে গিয়ে আবার নতুন করে ঘর বানানো, কর্কশ শুকনা বালুর চরের উপর ফসল ফলানো। এভাবে ধীরে ধীরে সংসার চলতে লাগলো। বোন বড় হয়েছে তাকে বিবাহ দিতে হবে। এভাবেই চলছিল তাদের জীবন। কিন্তু ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর শতাব্দির প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানী হয়। দুখু মিয়ারও তেমনি বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই মারা যায়। দুখু মিয়া একা হয়ে যায়। দীর্ঘদিন না খেয়ে সবার শোক কাটিয়ে এক সময় প্রতিবেশিদের ন্যায় নিজেও একটি ঘর তুলে। ধীরে ধীরে শরীরে চাক-চিক্যতা ফিরে আসে। একটি বিয়ে করে সংসার শুরু করে। এরপর ১৯৭০ এর পর আসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। একটি কন্যা সন্তানের বাবা হলেন দুখু মিয়া, ভালো নাম দুখাই। এবার মেয়ের মাঝেই নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেলে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালো কাটছিল তাদের তিনজনের সংসার। আবার প্রাকৃতিক আঘাত হানে ১৯৮৫ সালে ২৪ মে। এবারও করুণ মৃত্যু হলো হাজার হাজার মানুষের। দুখু মিয়ার স্ত্রী-সন্তান দুজনেই মারা গেল। ==শ্রেষ্ঠাংশে== রাইসুল ইসলাম আসাদ রোকেয়া প্রাচী চাঁদনী নাজমা আনোয়ার আমিরুল হক চৌধুরী নিশি ==সংগীত== এই ছবির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন পুলক গুপ্ত। == সম্মাননা == এই চলচ্চিত্রটি ২২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া এই চলচ্চিত্রের কলা-কুশলীবৃন্দও বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। পুরস্কারের নাম বিভাগ মনোনীত ফলাফল ২২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র দুখাই (প্রযোজক: মোরশেদুল ইসলাম) শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা আবুল খায়ের শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী নিশি শ্রেষ্ঠ পুরুষ সঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক এমএ মোবিন শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র দশকের নাট্য চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র নাট্য চলচ্চিত্র ইসলাম পরিচালিত চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ীপ্রথম ক্রুসেডের সময় জেরুজালেমে হামলার দৃশ্য চিত্রকলায় যেভাবে ফুটে উঠেছে '''প্রথম ক্রুসেড''' শুরু হয় ১০৯৫ সালে। পোপ আরবান দ্বৈত উদ্দেশ্যে এই ক্রুসেড শুরু করেন, ঐশ্বরিক শহর জেরুজালেমকে মুসলমানদের কাছ থেকে স্বাধীন করা এবং পবিত্র ভূমিতে পূর্বাঞ্চলীয় খ্রিস্টানদের মুসলমান শাসন থেকে মুক্ত করা। ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মোট চারটি দল ক্রুসেডার্সদের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়, এই দল গুলোর নেতৃত্বে ছিলেন রেয়মন্ড, গডফ্রে, হুগ, এবং বহেমন্ড। বাইজেন্টাইনদের উদ্দেশ্যে এই দল গুলো যাত্রা শুরু করে ১০৯৬ সালে। এছাড়াও ক্রুসেডার্সদের আরো একটি দল গঠিত হয়ে ছিলো পিটারের নেতৃত্বে যাতে ছিলো নাইট এবং জনসাধারন এই দলের নামকরন করা হয়েছিল "পিপল'স ক্রুসেড" মুসলিম এবং ক্রুসেডস দের প্রথম মুখ্য সংঘর্ষে তুর্কিশ বাহিনি ক্রুসেডস দের একটি বাহিনি (পিপল'স ক্রুসেড) কে পরাজিত করে ১০৯৭ সালের "মে" মাসে ক্রুসেডারস এবং বাইজেন্টাইন বাহিনি সমুহ একত্রে "নাইসিয়া" (বর্তমানে ইজনিক,তুর্কি) এবং "সেলজুক" আক্রমন করে জুন মাসের শেষের দিকে বাইজেন্টাইন এবং ক্রুসেডাররা উক্ত শহরগুলোর উপর বিজয় লাভ করে এবং পরবর্তিতে ১০৯৯ সালের জুলাই মাসের মধ্যভাগে জেরুজালেমের গভর্নর চাপের মুখে অত্মসমর্পন করেন এবং এভাবেই প্রথম ক্রুসেডে ক্রুসেডাররা মুসলিমদের উপর বিজয় লাভ করে মানচিত্রে প্রথম ক্রুসেড ইতিহাস সংঘর্ষডানদিকের টিউবের লোহিত রক্তকণিকাগুলির লালিকানাশ ঘটেনি, বাম মাঝেরগুলিতে ঘটেছে '''লালিকানাশ''' () বলতে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া ফলশ্রুতিতে চারপাশের তরলে (জীবন্ত দেহের ক্ষেত্রে রক্তরস বা প্লাজমায়) হিমোগ্লোবিন ছড়িয়ে যাওয়াকে বোঝায়। প্রাণীদেহের ভেতরে লালিকানাশ ঘটলে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। এই বিশেষ ধরনের রক্তশূন্যতাকে লালিকানাশজনিত রক্তশূন্যতা (Hemolytic Anemia) বলে। প্রাণিদেহের বাইরে পরীক্ষার জন্য কাচের পাত্রে রাখা রক্তে লালিকানাশ ঘটলে পরীক্ষার ফলাফলে ত্রুটির সৃষ্টি হয়। লোহিত রক্তকণিকার ভেতরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি বলে লালিকানাশ ঘটলে রক্তরসে পটাশিয়ামের পরিমাণ ভুল করে বেশি দেখা যাতে পারে। রক্ত রাখার কাচের পাত্র বা টিউবটি ঠিকমত সংরক্ষণ না করলে, বেশি ঠান্ডা বা গরমে রাখলে, বা বেশিক্ষণ ধরে রেখে দিলে লালিকানাশ ঘটতে পারে।'''''1984''''' (১৯৮৪) জর্জ অরওয়েলের লেখা একটি বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯৪৯ সালে লেখা এই উপন্যাসে অরওয়েল ১৯৮৪ সালের পৃথিবীর কথা কল্পনা করেছেন, যেখানে বাক-স্বাধীনতার কোনো স্থান নেই, এবং মানুষের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সরকার পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই উপন্যাসের একটি বিখ্যাত সংলাপ ছিলো "Big brother is watching you", অর্থাৎ বড় ভাই তোমাকে নজরে রাখছে। উপন্যাসে দেখানো হয়েছিলো, প্রতিটি বাড়ির ভেতরের দেয়ালে একটি যান্ত্রিক পর্দা রয়েছে, যার মাধ্যমে সরকার বাড়ির অধিবাসীদের উপরে নজর রাখতে পারে। এই সংলাপটির মাধ্যমে Big Brother শব্দটি ইংরেজি গণমাধ্যমে সরকারী নজরদারীর প্রতীক হিসাবে প্রচলিত হয়ে যায়। ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস লাইব্রেরি প্রণীত বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ১০০টি ইংরেজি উপন্যাস'''মাইকেল আড্রিয়ান ক্যারিক''' (জন্ম জুলাই ২৮, ১৯৮১) একজন ইংরেজ ফুটবলার যিনি বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে মধ্যামাঠে খেলেন। == ক্যারিয়ার == == সম্মাননা == এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ: ২০০৬/০৭ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Profile at Man Utd Website Football Fans Articles about Michael Carrick ইউনাইটেড খেলোয়াড় লীগ খেলোয়াড় ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় ফুটবলার জন্ম'''চোরি চোরি চুপকে চুপকে''' একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। এটি ২০০১ সালের মার্চ তারিখে মুক্তি পায়। == অভিনয় == সালমান খান রাজ মালহোতরা রানী মুখার্জী প্রিয়া মালহোতরা প্রীতি জিন্তা মধুবালা অমরিশ পুরি কালিশনাথ মালহোতরা ফরিদা জালাল আশা মালহোতরা জনি লিভার পাপ্পু ভাই == কাহিনী == == বহিঃসংযোগ == ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রপ্যারিসের রাস্তায় মেট্রো ব্যবস্থায় প্রবেশপথের প্রতীক '''প্যারিস মেট্রো''' () ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। এটি প্যারিসের অন্যতম একটি প্রতীক। ব্যবস্থাটি এর "আর নুভো"-প্রভাবিত (ফরাসি ভাষায় Art Nouveau) সুষম স্থাপত্যের কারণে পরিচিত। মেট্রোটিতে রয়েছে ১৬টি চক্রপথ বা লাইন, যাদের বেশিরভাগই ভূগর্ভে অবস্থিত। রেলপথগুলির মোট দৈর্ঘ্য ২১৪ কিলোমিটার; বিরতিস্থল বা স্টেশনের সংখ্যা ৩০০। প্যারিস মেট্রোর বিরতিস্থলগুলি খুব কাছাকাছি স্থাপিত এবং এগুলি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি স্থাপিত স্টেশন। প্যারিস শহরের ১০৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার ভেতরে ২৪৫টি বিরতিস্থল আছে। লাইনগুলি থেকে ১৪ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরে নামাঙ্কিত। দুইটি গৌণ লাইন আছে যারা ৩বিস (অর্থাৎ "অতিরিক্ত ৩") এবং ৭বিস ((অর্থাৎ "অতিরিক্ত ৭")) নামে পরিচিত; এগুলি আগে ৭নং লাইনের অংশ ছিল কিন্তু বর্তমানে আলাদা লাইন হিসেবে পরিগণিত হয়। লাইনগুলিকে মেট্রো ব্যবস্থার মানচিত্রে ক্রমিক নম্বর রঙ দিয়ে আলাদা করা যায়। শেষ বিরতিস্থল দিয়ে ট্রেনের গতিপথ বোঝানো হয়। প্যারিস মেট্রো মস্কোর পরেই ইউরোপের ২য় ব্যস্ততম দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। এটি প্রতিদিন ৪৫ লক্ষ যাত্রী ব্যবহার করে। ২০০৫ সালে এটি ১৩০ কোটি যাত্রীকে পরিবহন সেবা প্রদান করে। শাৎ‌লে লে আল (ফরাসি ভাষায় Châtelet Les Halles ''শাৎল্যা লে আল্‌'' আ-ধ্ব-ব: /ʃatlɛ le al/) বিশ্বের বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ রেলস্টেশন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা'''১৯২৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা''', যা প্রথম শীতকালীন অলিম্পিক নামে পরিচিত, ১৯২৪ সালে ফ্রান্সের শামোনিক্স-এ অনুষ্ঠিত হয়। এটিকে শুরুতে বলা হয়েছিল সোমেন দে স্পর দিভের (Semaine des Sports d'Hiver, "আন্তর্জাতিক শীতকালীন ক্রীড়া সপ্তাহ") যা ১৯২৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌স-এর সাথে সংঘটিত হয়েছিল। মূল ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি মোঁ ব্লা-র পাদদেশে শামোনিক্স (Chamonix), ওত-সাভোয়া এলাকায় ২৫শে জানুয়ারি ৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। == আরও দেখুন == গেমস অলিম্পিক গেমস'''প্রাইম ইউনিভার্সিটি''' বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসি দ্বারা অনুমোদিত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে এসএসসি এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ানো হয়। == বিভাগ সমূহ == প্রকৌশল অনুষদ: ১. সিএসই বিভাগ, ২. ইইই বিভাগ, ৩. ইটিই বিভাগ, ৪. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তথ্য-প্রযুক্তি অনুষদ:১. কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ: ১. বিবিএ, ২. বিজনেস ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ। আইন অনুষদ: ১. আইন বিভাগ। কলা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ: ১. ইংরেজি বিভাগ, ২. শিক্ষা বিভাগ, ৩. বাংলা বিভাগ। == অনুষদসমূহ == এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি বিভাগের অধীনে ৫টি অনুষদ রয়েছে: প্রকৌশল অনুষদ তথ্য প্রযুক্তি অনুষদ বাবস্যাহিক শিক্ষা অনুষদ শিল্প এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আইন অনুষদ ==আরও দেখুন== সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== প্রাইম এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত'''কোচেরিল রমন নারায়ানান''' (; ২৭ অক্টোবর ১৯২০ নভেম্বর ২০০৫) ভারতের ১০ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। == প্রাথমিক জীবন == == কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদ == == পরিবার == == সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপরাষ্ট্রপতি == == রাষ্ট্রপতিত্ব == === রাষ্ট্রপতির বিচক্ষণতার পরিচয় === === সামাজিক অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার জন্য উদ্বেগ === === কার্যালয় ত্যাগ === == পরবর্তী জীবন == == কে. আর. নারায়ানান ফাউন্ডেশন == == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == রাষ্ট্রপতি মৃত্যু থেকে লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:দশম লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:নবম লোকসভার সদস্য লোকসভার সদস্য উপরাষ্ট্রপতি থেকে মানুষ থেকে মানুষ রাজনীতিবিদ ব্যক্তিত্ব থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্কুল অব ইকোনমিক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জন্মকিরিবাসে গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ কিরিবাস একটি দ্বীপরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম --- চার গোলার্ধে অবস্থিত ৩২টি প্রবাল অ্যাটল ১টি দ্বীপ নিয়ে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি গঠিত। প্রশান্ত মহাসাগরের যে অংশ জুড়ে এগুলি অবস্থিত, তার আয়তন মহাদেশীয় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি। দ্বীপগুলি তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত: গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ, ফিনিক্স দ্বীপপুঞ্জ লাইন দ্বীপপুঞ্জ। ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে সরানো হয় যাতে কিরিবাসের সর্বত্র একই দিন হয়। কিরিবাসে বেশির ভাগ দ্বীপ সমুদ্র সমতল থেকে মিটারের কম উচ্চতায় অবস্থিত। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন ২১শ শতকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দ্বীপগুলি সম্পূর্ণ ডুবে যেতে পারে। বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল ভূগোল__NOTOC__ '''১৪৭''' ('''CXLXVII''') জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি শনিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর মেসসালাইনাস লারগুস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৯০১ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ১৪৭ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। == ঘটনাবলী == === এলাকা অনুসারে === === বিষয় অনুসারে === == জন্ম == == মৃত্যু == == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:১৪৭চিত্র:China 100.78713E উপগ্রহ থেকে তোলা চীনের আলোকচিত্র। চীন এশিয়া মহদেশের পূর্ব অঞ্চলে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত। চীনের স্থলভাগের আয়তন প্রায় ৯৬ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে চীন এশিয়ার বৃহত্তম দেশ এবং রাশিয়া কানাডার পর চীন বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। উত্তর-দক্ষিণে চীন মোহো অঞ্চলের উত্তরের হেইলুংচিয়াং (চীনা: 黑龙江省; ফিনিন: Hēilóngjiāng) নদীর কেন্দ্রস্থল অর্থাৎ ৫৩.৩০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে দক্ষিণে নানশা দ্বীপপুঞ্জের (চীনা: 南沙群岛) চেনমু-আনসা অর্থাৎ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। চীনের সর্বদক্ষিণ আর সর্বউত্তর প্রান্তের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ৫৫০০ কিলোমিটার। পূর্ব-পশ্চিমে চীন পূর্বের হেইলুংচিয়াং নদী আর উসুলিচিয়াং (চীনা: 乌苏里江) নদীর সঙ্গমস্থল অর্থাৎ ১৩৫.০৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে পশ্চিমে পামির মালভূমি অর্থাৎ ৭৩.৪০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশটির পূর্ব আর পশ্চিম প্রান্তের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার। চীনের স্থলসীমার দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,৮০০ কিলোমিটার। চীনের পূর্ব দিকে উত্তর কোরিয়া উত্তর দিকে মঙ্গোলিয়া উত্তর -পূর্ব দিকে রাশিয়া, উত্তর-পশ্চিম দিকে কাজাকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ভারত, নেপাল, ভুটান, দক্ষিণ দিকে মিয়ানমার, লাওস ভিয়েতনাম। পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে চীনের সমুদ্র সীমানা রয়েছে। == জলসীমা দ্বীপসমূহ == চীনের মূলভূভাগের তটরেখা উত্তর দিকের ইয়ালুচিয়াং (চীনা: 鸭绿江) নদীর মোহনা থেকে দক্ষিণ দিকের কুয়াংসি (চীনা: 广西) স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের পেইলুন হো (চীনা: 北仑河) নদীর মোহনা পর্যন্ত বিস্তৃত; এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ হাজার কিলোমিটার। চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমিরূপ সমতল এবং এখানে বহু বিখ্যাত বন্দর অবস্থিত। এই বন্দরগুলির বেশির ভাগই সারা বছর বরফমুক্ত থাকে। চীনের নিকটে পোহাই সাগর, হুয়াংহাই সাগর, পূর্ব সাগর, নানহাই সাগর এবং তাইওয়ানের পূর্ব অঞ্চলের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সহ পাঁচটি সাগর রয়েছে এগুলির মধ্যে পোহাই সাগর চীনের অভ্যন্তরীণ সাগর। তাইওয়ানের পূর্বদিকের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল পূর্বদিকে জাপানের রিইউকিয়ু দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমের সাখি সীমা দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণ দিকের বাস প্রণালী পর্যন্ত বিস্তৃত। চীনের অভ্যন্তরীণ নদী আর সামুদ্রিক জলসীমা নিয়ে গঠিত সামুদ্রিক অঞ্চলের মোট আয়তন লক্ষ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার। চীনের সামুদ্রিক অঞ্চলে ৫০০০-এরও বেশি দ্বীপ রয়েছে। এগুলির মোট আয়তন প্রায় ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার। দ্বীপগুলির তটরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার। দ্বীপগুলির মধ্যে বৃহত্তম তাইওয়ান দ্বীপের আয়তন ৩৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। দ্বিতীয় বৃহত্তম হাইনান দ্বীপের আয়তন ৩৪ হজার বর্গকিলোমিটার। তাইওয়ান দ্বীপের উত্তর-পূর্ব সমুদ্রে অবস্থিত তিয়াও ইয়ু তাও দ্বীপ ছিওয়েই ইয়ু দ্বীপ চীনের সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ। দক্ষিণ চীন সমুদ্রে ছড়িয়ে থাকা দ্বীপ, নানহাই দ্বীপপুঞ্জ নামে ডাকা হয়। এটি চীনের সবচেয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জ। অবস্থান অনুযায়ী এগুলোকে তুঙসা দ্বীপপুঞ্জ, সিসা দ্বীপপুঞ্জ এবং নানসা দ্বীপপুঞ্জ নামে ডাকা হয়।এছাড়াও চিনের == ভূমিরূপ == চীন একটি পর্বতময় দেশ। এর মোট আয়তনের দুই-তৃতীয়াংশ পর্বত, ছোট পাহাড় এবং মালভূমি নিয়ে গঠিত। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে চীনের ৩৩% উঁচু পর্বত,২৬% মালভূমি,১৯% অববাহিকা,১২% সমতলভূমি এবং প্রায় ১০% ক্ষুদ্র পাহাড়। কয়েক মিলিয়ন বছর আগে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি সৃষ্টি হয়। আকাশ থেকে দেখলে মনে হবে চীনের ভূভাগ সিঁড়ির মতো পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে ধাপে ধাপে নেমে গেছে। সমুদ্র সমতল থেকে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির গড় উচ্চতা ৪০০০ মিটারের বেশি বলে মালভূমিটি "বিশ্বের ছাদ" নামে পরিচিত; এটি চীনের ভূমিরূপের প্রথম সিঁড়ি গঠন করেছে। মালভূমিটিতে অবস্থিত হিমালয়ের অন্যতম প্রধান পর্বতশৃঙ্গ চুমোলাংমা শৃঙ্গের উচ্চতা ৮৮৪৮.১৩ মিটার। আন্তঃমঙ্গোলিয়া মালভূমি,দো-আঁশ মালভূমি এবং থালিমু অববাহিকা, চুনগার অববাহিকা সিছুয়ান অববাহিকা নিয়ে চীনের ভূগোলের দ্বিতীয় সিড়ি গঠিত। এর গড় উচ্চতা ১০০০-২০০০ মিটার। দ্বিতীয় সিড়ির পূর্বপ্রান্ত অতিক্রম করে বড় সিং আনলিন পর্বত, থাইহান শ্যান পাহাড়, উশ্যান পাহাড়, আরস্যুয়ে ফোং শ্যান পাহাড় পূর্বদিকের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বিস্তৃত হয়েছ; এটি তৃতীয় সিঁড়ি তৃতীয় সিঁড়ির ভূখন্ড ৫০০-১০০০ মিটার নিচে নেমে গেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ দিক পর্যন্ত বিস্তৃত তৃতীয় সিঁড়িতে উত্তর চীন সমতল-ভূমি, ইয়াংসি নদীর মধ্য নিম্ন অববাহিকা সমতল-ভূমি আর সমতল-ভূমির প্রান্তে নিচু ক্ষুদ্র পাহাড় ছড়িয়ে আছে। এরও পূর্বদিকে চীনের মহাদেশীয় সোপান তথা স্বল্প গভীর সাগরীয় এলাকা অর্থাৎ চতুর্থ সিঁড়িটি বিস্তৃত; এর গভীরতা ২০০ মিটারের কিছু কম। == পর্বতমালা == চীনের বৃহত্তম পর্বতমালাগুলির মধ্যে হিমালয় পর্বতমালা, খুনলুনশান পর্বতমালা (昆仑山), থিয়েনশান পর্বতমালা (天山), থাংকুলাশান পর্বতমালা (唐古拉山), ছিনলিন পর্বতমালা (秦岭), বৃহত্তর সিংআনলিন পর্বতমালা (大兴安岭), থাইহাংশান পর্বতমালা (太行山), ছিলিয়েনশান পর্বতমালা (祁连山) এবং হাংতুয়ানশান পর্বতমালা (横断山脉) উল্লেখযোগ্য। === হিমালয় পর্বতমালা === হিমালয় পর্বতমালা বক্রাকারে ভারত আর নেপাল-সংলগ্ন চীন সীমান্তে ২৪০০ কিলোমিটার ধরে বিস্তৃত। সমুদ্র সমতল থেকে এর গড় উচ্চতা ৬০০০ মিটার। এটি বিশ্বের উচ্চতম বৃহত্তম পর্বতমালা। === খুনলুনশান পর্বতমালা === পশ্চিমের পামির মালভূমি থেকে পূর্ব দিকে চীনের সিছুয়াং প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত খুনলুনশান পর্বতের দৈর্ঘ্য ২৫০০ কিলোমিটার। সমুদ্র সমতল থেকে এর গড় উচ্চতা ৫০০০-৭০০০ মিটার। এর উচ্চতম শৃঙ্গ কোংগার পর্বতের উচ্চতা হলো ৭৭১৯ মিটার। === থিয়েনশান পর্বতমালা === থিয়েনশান পর্বতমালা উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যাংশে বিস্তৃত। এর গড় উচ্চতা ৩০০০-৫০০০ মিটার এবং এর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ থোমোরের উচ্চতা ৭৪৫৫.৩ মিটার। === থাংকুলাশান পর্বতমালা === থাংকুলাশান পর্বতমালা ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির মধ্যাংশে অবস্থিত। এর গড় উচ্চতা ৬০০০ মিটার। এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কালাতানতং শৃঙ্গের উচ্চতা ৬৬২১ মিটার। এটি চীনের দীর্ঘতম নদী ছাংচিয়াং নদীর উত্স === ছিনলিন পর্বতমালা === পশ্চিম চীনের কানসু প্রদেশের পূর্ব দিক থেকে পূর্ব চীনের হোনান প্রদেশের পশ্চিম দিক পর্যন্ত বিস্তৃত এই পর্বতমালার গড় উচ্চতা হলো ২০০০-৩০০০ মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ থাইপাইশানের উচ্চতা ৩৭৬৭ মিটার। ছিনলিন পর্বতমালা চীনের দক্ষিণাঞ্চল উত্তরাঞ্চলের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক সীমারেখা গঠন করেছে। === বৃহত্তর সিং আনলিন পর্বতমালা === উত্তর দিকে উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলুংচিয়াং প্রদেশের মোহো থেকে দক্ষিণ দিকে পুরানো হাহো নদীর উত্তর অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত বড় সিং আনলিন পর্বতমালার দৈর্ঘ্য ১০০০ কিলোমিটার। এর গড় উচ্চতা ১৫০০ মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ সামুদ্রিক উচ্চতা ২০২৯ মিটার। === থাইহাং পর্বতমালা === থাইহাং পর্বতমালা উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে হুয়াংথু মালভূমির পূর্ব-প্রান্তে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ৪০০ কিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা ১৫০০-২০০০মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ ক্ষুদ্র থাইশ্যানের উচ্চতা ২৮৮২ মিটার। === ছিলিয়েনশান পর্বতমালা === ছিলিয়েনশ্যান পর্বতমালা ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির উত্তর-পূর্ব প্রান্তে বিস্তৃত। এর গড় উচ্চতা ৪০০০ মিটারের বেশি। ছিলিয়েনশ্যান পর্বতমালার প্রধান শৃঙ্গের সামুদ্রিক উচ্চতা ৫৫৪৭ মিটার। === হেংতুয়ানশান পর্বতমালা === হেংতুয়ানশ্যান পর্বতমালা ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অর্থাৎ তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং সিছুয়ান ইউন্নান প্রদেশের সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত। এর গড় উচ্চতা ২০০০-৬০০০মিটার। এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোংগাশানের উচ্চতা ৭৫৫৬ মিটার। === তাইওয়ান পর্বতমালা === তাইওয়ান পর্বতমালা তাইওয়ান দ্বীপের পূর্ব দিকের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত। এর গড় উচ্চতা ৩০০০-৩৫০০ মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ ইয়ুশানের উচ্চতা ৩৯৫২ মিটার। এছাড়াও হুয়াংশান, থাইশান, হুয়াশান, সোংশান, হেংশান, হ্যানশান, অ্যামেইশান, লুশান, উতাংশান, ইয়েনতাংশান, ইত্যাদি চীনের উল্লেখযোগ্য কিছু পর্বতমালা। == নদনদী == ছাংচিয়াং নদী, নানচিং শহরের কাছে (২০০৬ সালে তোলা ছবি) হুয়াংহো নদী, ছিংহাই প্রদেশ (২০০৪ সালে তোলা ছবি) চীন একটি নদীবহুল দেশ। চীনের ১৫০০টিরও বেশি নদীর অববাহিকার আয়তন ১০০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি। চীনের নদীগুলিকে অভ্যন্তরীণ নদী বহির্গামী নদী---এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। সমুদ্রে প্রবাহিত হওয়া বহির্গামী নদীগুলোর অববাহিকার আয়তন চীনের স্থলভাগের মোট আয়তনের ৬৪%। ছাংচিয়াং নদী, হুয়াংহো নদী, হেইলুংচিয়াং নদী, চুচিয়াং নদী, লিয়াও হো নদী, হাইহো নদী, হুয়াইহো নদী, ইত্যাদি নদী পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয়েছে। তিব্বতের ইয়ালুচাংবু চিয়াং নদী পূর্ব দিক থেকে সীমান্ত পার হয়ে দক্ষিণ দিকে ভারত মহাসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। ইয়ালুচাংবু নদী ৫০৪.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ; এটি ৬০০৯ মিটার গভীরতার বিশ্বের বৃহত্তম গিরিখাদ ইয়ালুচাংবু নদী গিরিখাদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সিনচিয়াংয়ের আরচিস নদী উত্তর দিক থেকে সীমান্ত পার হয়ে উত্তর মহাসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। যেসব অভ্যন্তরীণ নদী অভ্যন্তরীণ হ্রদে পতিত হয়েছে অথবা মরুভূমিতে বা লবণাক্ত সমুদ্র –সৈকতে অদৃশ্য হয়েছে, সেসব অভ্যন্তরীণ নদীর অববাহিকার আয়তন চীনের স্থলভাগের মোট আয়তনের প্রায় ৩৬%। ছাংচিয়াং (চীনা লিপিতে: 长江 ফিনিন: Chang Jiang; ইংরেজি ভাষায়: Yangtze River) নদী চীনের দীর্ঘতম নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ৬৩০০ কিলোমিটার। আফ্রিকার নীল নদ আর দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান নদীর পর ছাংচিয়াং নদী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম নদী। উঁচু পাহাড় আর গভীর গিরিখাদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ছাংচিয়াং নদীর অববাহিকা পানি শক্তিসম্পদে সমৃদ্ধ। নদীটির মধ্য নিম্ন অববাহিকার আবহাওয়া উষ্ণ আর্দ্র; এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়। মাটি উর্বর বলে অঞ্চলটি চীনের একটি কৃষি শিল্প সমৃদ্ধ অঞ্চল হুয়াংহো নদী চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ৫৪৬৪ কিলোমিটার। হুয়াংহো নদীর অববাহিকার পশুচারণ ভূমি বেশ উর্বর খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এই নদীর অববাহিকাতে চীনের প্রাচীনতম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। হেইলুংচিয়াং নদী উত্তর চীনের একটি বড় নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ৪৩৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩১০১ কিলোমিটার চীনের অভ্যন্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। চুচিয়াং নদী দক্ষিণ চীনের একটি বড় নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ২২৪১ কিলোমিটার। দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের থালিমো নদী চীনের দীর্ঘতম অভ্যন্তরীণ নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ২১৭৯ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক নদী ছাড়া চীনে মানুষের তৈরি একটি বিখ্যাত নদীও রয়েছে। এটি হল দক্ষিণ থেকে উত্তর-মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মহাখাল। পঞ্চম শতাব্দীতে মহাখালটির খনন কাজ শুরু হয়। উত্তর দিকের পেইচাং থেকে দক্ষিণ দিকের পূর্ব চীনের চেচিয়াং প্রদেশের হাংচৌ পর্যন্ত বিস্তৃত মহাখালটি হাইহো নদী, হুয়াংহো নদী, হুয়াইহো নদী, ছাংচিয়াং নদী এবং ছিয়েনথাংচিয়াং নদীন---এই পাঁচটি বড় নদীকে সংযুক্ত করেছে। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৮০১ কিলোমিটার। মহাখালটি বিশ্বের দীর্ঘতম খালগুলির একটি। ==তথ্যসূত্র== বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল বিষয়শ্রেণী:চীন ভূগোলগ্রিসের মূল ভূখণ্ড দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। গ্রিসের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর, পশ্চিমে ইয়োনীয় সাগর, পূর্বে এজীয় সাগর তুরস্ক এবং উত্তরে বুলগেরিয়া, ম্যাসেডোনিয়া আলবেনিয়া। গ্রিসের ৮০%-ই পর্বতময়। গ্রিসের অঞ্চলভেদে জলবায়ুর তারতম্য দেখা যায়। পশ্চিমে উচ্চ পর্বতমালাগুলিতে আল্পীয় জলবায়ু, উপকূলীয় এলাকা দ্বীপগুলিতে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু এবং ম্যাসিডোনিয়া অঞ্চলে নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। অলিম্পাস (২৯১৯ মিটার) গ্রিসের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল ভূগোলআয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন সাম্প্রতিক সালের হিসাব অণুযায়ী ১৯৪৭ কিমি রেলপথ, ১,১৭,৩১৮ কিমি সড়কপথ (যার মধ্যে ৩২৫ কিমি মহাসড়ক), এবং ৭৫৩ কিমি দীর্ঘ জলপথ বিদ্যমান। ডাবলিন, শ্যানন কর্ক তিনটি প্রধান বিমানবন্দর। Bus Éireann নামের সরকারি বাস সংস্থা বহুল ব্যবহৃত। এছাড়াও আছে অনেক সমুদ্রবন্দর, যেমন ডাবলিন, কর্ক, বেলফাস্ট, ইত্যাদি। == আরও দেখুন == পরিবহন বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী পরিবহনএই নিবন্ধটি গোমস্তাপুর উপজেলা সম্পর্কিত। ইউনিয়নের জন্য গোমস্তাপুর ইউনিয়ন নিবন্ধ দেখুন। '''গোমস্তাপুর উপজেলা''' বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। == অবস্থান আয়তন == এই উপজেলাটি মোট আয়তন ৩২৮.১৩ বর্গ কিলোমিটার। উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৪°৪৪' এবং ২৪°৫৮' অক্ষাংশ পূর্ব গোলার্ধে ৮৮.১৩ এবং ৮৮.৫৮ দ্রাঘিমাংশের অবস্থিত। উত্তরে ভারত, পূর্বে পোরশা উপজেলা নিয়ামতপুর উপজেলা, দক্ষিণে শিবগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে ভোলাহাট উপজেলা। == ইতিহাস == এক সময় এখানে রাজার গোমস্তারা বসবাস করত সে সময় থেকে এই উপজেলার নাম গোমস্তাপুর রাখা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা ০৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয়। সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গোমস্তাপুর থানার কার্যক্রম চালু হয়। এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে গোমস্তাপুরের সভ্যতা বহুপ্রাচীন। এছাড়াও এলাকায় কিছুক্ষুদ্র জাতিসত্বা বসবাস করে যাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি রয়েছে। ;মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গোমস্তাপুর উপজেলা নং সেক্টরের অধীনে ছিল। পাক সেনারা রহনপুর এ. বি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গড়ে তোলে সেনা ক্যাম্প। অত্র এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে পাক সেনাদেরকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন। সেই থেকে গোমস্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর দিনটিকে রহনপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। Upazilla Parishad, অবস্থিত উপজেলা পরিষদ অফিস এর প্রধান ফটক == ভৌগোলিক উপাত্ত == == ভাষা সংষ্কৃতি == গোমস্তাপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ওসংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এইউপজেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ তথা রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য উপজেলাসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহা প্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। উপজেলায় সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও, মাহালী প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস লক্ষ্য করা যায়। এবং এসব জনগোষ্ঠির স্বতন্ত্র ভাষা সংস্কৃতির প্রভাব আশে পাশের অঞ্চলেও বিশেষ ভাবে লক্ষনীয়। == প্রশাসনিক এলাকা == এই উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ হচ্ছে রহনপুর ইউনিয়ন গোমস্তাপুর ইউনিয়ন চৌডালা ইউনিয়ন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পার্বতীপুর ইউনিয়ন রাধানগর ইউনিয়ন আলীনগর ইউনিয়ন বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এই এলাকার জনসংখ্যা ২,৪০,১২৩ জন; এর মধ্যে পুরুষ ১,২২,৩২৫ জন মহিলা ১,১৭,৭৯৮ জন। এখানে মুসলিম ২,২২,৫৬৮ জন, হিন্দু ১৪,৪২০ জন, বৌদ্ধ ১,৬২৪ জন, খ্রিস্টান ৫০ জন এবং অন্যান্য ১,৪৬১ জন। == স্বাস্থ্য == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ== গোমস্তাপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গোমস্তাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গোমস্তাপুর সোলেমান মিঞা ডিগ্রি কলেজ গোমস্তাপুর ফুলবাগান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গোমস্তাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গোমস্তাপুর গার্লস একাডেমী গোমস্তাপুর বি এম কলেজ হোগলা উচ্চ বিদ্যালয় হোগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নযাদিয়াড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শেরশাবাদ আঃ সোবহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়াদিয়াড়ী হাজি ইয়াকুব আলি মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় == কৃষি == == অর্থনীতি == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == #মু জিয়াউর রহমান #মোঃ হুমায়ুন রেজা #মৃত আঃ খালেক বিশ্বাস == দর্শনীয় স্থান স্থাপনা == নওদা বুরুজ এক গম্বুজ বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র শাহাপুর গড় রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সদা বাবার মাজার রহনপুর অষ্টভূজি ইমারত == বিবিধ == == আরও দেখুন == বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা; রাজশাহী বিভাগ। == তথ্যসুত্র == ==বহিঃসংযোগ== গোমস্তাপুর উপজেলা জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গোমস্তাপুর উপজেলা বাংলাপিডিয়া। জেলার উপজেলা বিভাগের উপজেলা উপজেলাচেক: প্রাগ, praɦa (শুনতে), জার্মানি: Prag মূলধন চেক প্রজাতন্ত্রের বৃহত্তম শহর। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪তম বৃহত্তম শহর। এছাড়াও বোহেমিয়ার ঐতিহাসিক রাজধানী। Vltava নদীর ওপর দেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর বাড়ি সম্পর্কে ১.২৬ মিলিয়ন মানুষ, যখন তার বড় শহুরে জোন প্রায় মিলিয়ন জনসংখ্যার আছে বলে অনুমান করা হয়। শহর একটি নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ, উষ্ণ গ্রীষ্মকালে এবং ঠাণ্ডা শীতকালে সঙ্গে. প্রাগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার হয়েছে। প্রাগ ওয়াক্সিং এবং তার ১১০০ বছরের অস্তিত্বের সময় ভাগ্য ক্ষীয়মাণ সঙ্গে মধ্য ইউরোপের একটি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়েছে। রোমান সময় প্রতিষ্ঠিত এবং গথিক, রেনেসাঁ এবং বারোক যুগের দ্বারা সমৃদ্ধ, প্রাগ শুধুমাত্র চেক রাজ্যের রাজধানী নয়, বরং দুই পবিত্র রোমান সম্রাট সীট এবং এইভাবে এছাড়াও পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এটা Habsburg রাজতন্ত্র এবং তার সাম্রাজ্যের এবং বিশ্বযুদ্ধের পর আমি রাজধানী ওঠে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। শহর বোহেমিয়ান এবং প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার, থার্টি ইয়ার্স ওয়ার, এবং বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে প্রধান ভূমিকা পালন, উভয় বিশ্বযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর কমিউনিস্ট আমলে। প্রাগ বিখ্যাত সাংস্কৃতিক আকর্ষণ, যা অনেক সহিংসতা বিংশ শতাব্দীর ইউরোপের ধবংস থেকে রক্ষা পেয়েছিল একটি নম্বর থেকে বাড়িতে. প্রধান আকর্ষণ প্রাগ কাসল, চার্লস ব্রিজ, ওল্ড টাউন স্কয়ার প্রাগ জ্যোতির্বিদ্যা ঘড়ি সঙ্গে, ইহুদি কোয়ার্টার, Petřín পাহাড় Vyšehrad অন্তর্ভুক্ত. 1992 সাল থেকে, প্রাগ ব্যাপক ঐতিহাসিক কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ইউনেস্কো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে. শহর, অধিক দশ প্রধান জাদুঘর boasts অনেক থিয়েটার, গ্যালারী, সিনেমা, এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক চিত্র প্রদর্শনীতেও সঙ্গে বরাবর. একটি ব্যাপক আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা শহর সংযোগ করে. এছাড়াও, এটা প্রাগের চার্লস ইউনিভার্সিটি, মধ্য ইউরোপ প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় সহ সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়, বিস্তৃত করা হয়। প্রাগ GaWC গবেষণা অনুযায়ী একটি "Alpha-" বিশ্বব্যাপী শহর হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, ভিয়েনা তুলনীয় সিউল ওয়াশিংটন ডিসি প্রাগ ষষ্ঠ সেরা গন্তব্যস্থল TripAdvisor বিশ্বের তালিকায় ২০১৬ তম স্থান তার সমৃদ্ধ ইতিহাস এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য করে তোলে, এবং শহর, বার্ষিক বেশি 6.4 মিলিয়ন আন্তর্জাতিক দর্শক পায় ২০১৪। প্রাগ যেমন লন্ডন, প্যারিস, ইস্তানবুল এবং রোম পর পঞ্চম সর্বাধিক দেখা ইউরোপীয় শহর। প্রাগের জীবিতদের কম খরচে এটা ইউরোপ স্থানান্তর পূর্বসূরী জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:চেক প্রজাতন্ত্রের শহর রাজধানী'''রমজান''' বা '''রামাদান''' (আরবি: رمضان ফার্সি: رمضان ইসলামি বর্ষপঞ্জির ৯ম মাস এবং ইসলাম ধর্মমতে সবচেয়ে পবিত্রতম মাস এটি। এই মাসে মুসলমানগণ ধর্ম চর্চার অংশ হিসেবে ভোর থেকে সুর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার যৌনক্রিয়াদি বর্জন করে থাকেন। একে আরবীতে 'সিয়াম' বলে; বাংলাদেশে যা মুলতঃ 'রোযা' বলে পরিচিত। ==ঘটনাবলী== এই মাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি হল: রমজান ঈসা (আ:) তাওরাত প্রাপ্ত হন। ১০ রমজান মুহাম্মদ (স:) এর প্রথম স্ত্রী খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ইন্তেকাল করেন। ২০ রমজান মুহাম্মদ (স:) মক্কা বিজয় করেন। মাসটির শেষ দশ দিনে (সাধারণত বিজোড় রাতে) লাইলাতুল কদর পালন করা হয়। মুসলমানরা এই রাত্রিকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত্রি বলে বিশ্বাস করেন। হাদীসে লাইলাতুল কদরের ইবাদতের দ্বারা এক হাজার মাস (৮৩ বছর চার মাস) এর ইবাদতের সমপরিমান ছওয়াব পাওয়ার কথা বলা হয়েছ। == আরও দেখুন == ইসলামি বর্ষপঞ্জি। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ইসলামী-পশ্চিমী পঞ্জিকা রূপান্তরকারী (গণনাসংক্রান্ত বা ট্যাবুলার পঞ্জিকার উপর ভিত্তি করে)। মক্কার জন্য ইসলামী পঞ্জিকা হিজরি পঞ্জিকা। গ্রেগরিয়ান এবং হিজরি দিনের পারস্পরিক পরিবর্তন (দ্বিমুখী)। হিজরি মাসের সার-সংক্ষিপ্ত। কপিরাইটযুক্ত) পঞ্জিকার মাস== ঘটনার তালিকা == == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == জার্মানি, ইতালির ত্রিপক্ষীয় মৈত্রিচুক্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে ফ্রান্স, রাশিয়া যুক্তরাজ্যের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের (triple entente) সৃষ্টি। == জন্ম == জানুয়ারি রে মিলান্ড, ওয়েলসীয় অভিনেতা। ১২ মে ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী। ১৩ মে ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই, ইংরেজ লেখক। ১৪ মে আইয়ুব খান, পাকিস্তানের ২য় রাষ্ট্রপতি। ২২ মে এর্জে, বেলজীয় কমিক্স লেখক চিত্রকর। ২২ মে লরন্স অলিভিয়ে, ইংরেজ অভিনেতা পরিচালক। জুলাই ফ্রিদা কাহলো, মেক্সিকান চিত্রশিল্পী। ১৬ জুলাই বারবারা স্ট্যানউইক, মার্কিন অভিনেত্রী। ৩১ আগস্ট রামোন ম্যাগসেসে, ফিলিপাইনের ৭ম রাষ্ট্রপতি। ১৮ সেপ্টেম্বর এডউইন মাটিসন ম্যাকমিলান নোবেল পুরুস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। ২২ ডিসেম্বর পেগি অ্যাশক্রফ্‌ট, ব্রিটিশ অভিনেত্রী। == মৃত্যু ==+'''অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনির '''জাত''' ব্যঞ্জন '''বায়ুর সঞ্চালক''' ফুসফুস '''বায়ুর অভিমুখ''' বহির্গামী '''বায়ুর পথ''' কেন্দ্রিক '''ঘোষতা''' অঘোষ '''উচ্চারক''' জিহ্বগ্র মূর্ধন্য ঊষ্ম '''অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনি''' একটা ব্যঞ্জনধ্বনি। এই ব্যঞ্জনধ্বনিটা বিশ্বের অনেকগুলো কথ্য ভাষায় ধ্বনিমূলক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আইপিএতে বর্তমান বাংলা লিপিতে নেই, তবু প্রাচীন বাংলায় ষ্‌‌‌‌‌ === বাংলা ভাষায় === বাংলা বর্ণমালায় যদিও "ষ" অক্ষরটি "মূর্ধন্য ষ" নামে পরিচিত, বর্তমান বাংলা ভাষায় এই বর্ণের মূল উচ্চারণ হল তালব্য বা এভাবে "ষ" অক্ষর "শ" বর্ণের উচ্চারণে কোনও পার্থক্য নেই, যেমন "ষাট", "ঋষি", "চাষ", ইত্যাদি। === অন্যান্য ভাষায় === অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনিটি অনেকগুলো ভাষায় ব্যবহৃত। কিছু কিছু ভাষায় তার উচ্চারণস্থান মূর্ধন্যও এবং হতে পারে, যেমন ম্যান্ডারিন চীনা, পোলীয়, রুশ ভাষা ইত্যাদি। কিছু কিছু ভাষায় "র" আর "স" একসাথে লাগিয়ে থাকলে এই ধ্বনিটি উচ্চারিত হয়, যেমন সুয়েডীয় ভাষার Helsingfors (হেলসিঙ্কির সুয়েডীয় নাম)। ধ্বনিমূলক বর্ণমালা'''অ্যাবসিসিক অ্যাসিড''' (Abscisic Acid) গাছের এক ধরনের হর্মোন যা পাতা ফলের ঝরে পড়ার (Abscision "অ্যাবসিসন") নিয়ন্ত্রক হিসাবে প্রথমে আবিষ্কৃত হয়। তবে এখন ঝরে পড়া ছারাও এর আরো বহু কাজ জানা গেছে, বিশেহ করে জলাভাব বা অন্য যেকোন প্রতিকূল পরিবেশে এই হর্মোন গাছের বাঁচার পক্ষে জরুরি। এর সংকেত C15H20O4। == তথ্যসূত্র == হর্মোন বিষয়শ্রেণী:জৈব এসিড() ইরাকের একটি প্রদেশ। এটি বাগদাদ শহরের উত্তরে অবস্থিত। প্রদেশটির আয়তন ২৪,৭৫১ বর্গকিলোমিটার। ২০০৩ সালে প্রদেশটির প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ছিল ১,১৪৬,৫০০। তিকরিত শহর প্রদেশটির রাজধানী। প্রদেশটির সবচেয়ে বড় শহর হল সামারা। ১৯৭৬ সালের আগে প্রদেশটি বাগদাদ প্রদেশের অংশ ছিল। ১২শ শতকের কুর্দি নেতা সালাহউদ্দিনের নামানুসারে প্রদেশটির নামকরণ করা হয়েছে। অনেক সময় এটিকে সালাহউদ্দিন প্রদেশ নামেও ডাকা হয়। ==আরও দেখুন== *সালাহউদ্দিন ==তথ্যসুত্র==পেপটাইড বন্ধন গঠন একটি আলফা অ্যামিনো অ্যাসিডের কারবক্সি গ্রুপের সাথে আরেকটি আলফা অ্যামিনো অ্যাসিডের অ্যামিনো গ্রুপের ঘনীভবন বিক্রিয়ায় যে বিশেষ আমাইড বন্ধন সৃষ্টি হয় তা-ই পেপটাইড বন্ধন। প্রোটিনের ভিতরে অ্যামিনো অ্যাসিডরা এই বন্ধনেই আবদ্ধ থাকে। রেসোনান্সের ফলে পেপটাইড বন্ধনে ৪০% দ্বিবন্ধন বৈশিষ্ট্য (৬০% একবন্ধন) আছে। রেসোনান্সের ফলে পেপটাইড বন্ধন বন্ধনে ৪০% দ্বিবন্ধন বৈশিষ্ট্য (৬০% একবন্ধন) আছে রসায়ন'''জুনহেবোতো''' () ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের জুনহেবোতো জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১২৫২ মিটার (৪১০৭ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে জুনহেবোতো শহরের জনসংখ্যা হল ২২,৮০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫% এবং নারী ৪৫%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জুনহেবোতো এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। ==জলবায়ু== == তথ্যসূত্র == শহরসেক্টর ৫, বিধাননগর। 'বিধাননগর' পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি উপনগরী তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র। এই শহরটি 'সল্টলেক' অথবা 'লবণহ্রদ' নামেও পরিচিত। কলকাতা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমাতে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে পরিকল্পিতভাবে এই শহরটি গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে বিধাননগর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিধাননগর মহকুমার অন্তর্গত একটি পৌরশহর। বিধাননগরের পুলিশ প্রশাসনেও বদল ঘটানো হয়েছে। আগে বিধাননগর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অধীনে ছিল। অতি সম্প্রতি এই পুরশহরকে স্বশাসিত পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় আনা হয়েছে। রাজধানী কলকাতার মতো বিধাননগরেও সর্বোপরি একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার আছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় শহরের পূর্বভাগের জলাজমি বুজিয়ে এই শহর নির্মাণের মূল পরিকল্পনাটি করেছিলেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন বসেছিল এই নবনির্মিত লবণহ্রদে। ইন্দিরা গান্ধি তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনের পর্ণকুটিরের আদলে তৈরি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত তার অস্থায়ী কার্যালয় থেকেই ঘোষণা করেন যে, 'লবণহ্রদ' নাম পরিবর্তন করে 'বিধননগর' করা হল। কংগ্রেস অধিবেশন চলাকালীনই ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের নামে শহরটি উৎসর্গিত হয়। ==ভূ-উপাত্ত== অনেক জলাভূমি এবং হ্রদগুলির একটি উদাহরণ যা বিধাননগরকে ঘিরে রয়েছে। বিধাননগর ২২.৫৮ ডিগ্রি উত্তর থেকে ৮৮.৪২ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত। সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১১ মিটার (৪৯ ফুট)। এটি মূলত টি সেক্টরে বিভক্ত হলেও সেক্টর ১, মূলত বসবাসের জায়গা। উল্টোডাঙা বাঙুর সংলগ্ন পশ্চিমাংশ হচ্ছে সেক্টর ১। সেন্ট্রাল পার্ক কেষ্টপুর সংলগ্ন পূর্বাংশ হচ্ছে সেক্টর ২। দক্ষিণঅংশ সেক্টর ৩। অতি পূর্বাংশ হচ্ছে সেক্টর ৫। সেক্টর অনুযায়ী পিন নম্বর সেক্টর ৭০০০৬৪ সেক্টর ৭০০০৯১ সেক্টর ৭০০১০৬ == জনসংখ্যার উপাত্ত == সল্টলেক সেক্টর-৫ ভারতের ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারি অনুসারে বিধাননগর শহরের জনসংখ্যা হল ১৬৭,৮৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১ শতাংশ, এবং নারী ৪৯ শতাংশ। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৮ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১ শতাংশ, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৪ শতাংশ। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫ শতাংশ, তার চেয়েও বিধাননগরের সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার শতাংশ হল বছর বা তার কম বয়সী। ==প্রশাসন== বিধাননগর মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিরাজী জলপথ বিভাগের সরাসরি প্রশাসনের অধীনে নির্মিত। মূলত, এটি পাবলিক ওয়ার্কস (মেট্রোপলিটন উন্নয়ন) বিভাগের অধীনে আসে। এটি তখন মহানগর উন্নয়ন বিভাগের অধীনে গড়েওঠে, ১৯৯১ সালে সংস্থাটির নামকরন করা হয় আরবান ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ১৯৮৯ সালে, এলাকা পরিচালনা করার জন্য একটি এলাকা কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। পরিশেষে ১৯৯৫ সালে, বিধাননগর শহর বিধাননগর পৌরসভা নামে একটি নির্বাচিত সংস্থা পেয়েছিল যার মধ্যে ২৩ টি ওয়ার্ড ছিল (পরবর্তীতে ২৫ টি ওয়ার্ডে বৃদ্ধি)। বিধানানগর জমির সব প্লট প্যাসেফট প্লট এবং নগর উন্নয়ন বিভাগ (পাঠক) সরাসরি ভূমি সংক্রান্ত বিষয়গুলি পরিচালনা করে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনার শহীদুল আলম নগরীর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে আছেন। কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের সাথে বিধাননগর কর্পোরেশনের বিভাজনের প্রস্তাব কিছু সময়ের জন্য প্রবর্তিত হয়। এয়ার পোর্ট, রাজারহাট, গোপালপুর, বাগুইটি, কেশপুর, সল্ট লেক, লেক টাউন, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের আওতাধীন এলাকা। ১৮ জুন ২০১৩ তারিখে বিধাননগর পৌরসভার রাজারাট গোপালপুর পৌরসভার বিদ্যমান পৌরসভা এবং মাহেশবথন দ্বিতীয় গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত এলাকার মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (বিএমসি) গঠিত হয়। == সরকারি ভবন == পূর্ত ভবন, বিধাননগর বিধাননগর উত্তর চব্বিশ পরগনার সাম্প্রতিকতম মহকুমা, একটি প্রশাসনিক ভবন মহকুমা আদালত স্থাপিত হয়েছে বিধাননগরে। এছাড়া মধ্য কলকাতার প্রধান প্রশাসনিক ভবন মহাকরণের সরকারি কার্যালয়ের চাপ কমাতে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কার্যালয়গুলি বিধাননগরে নিয়ে আসা হয়। বিকাশ ভবন, ময়ূখ ভবন, স্বাস্থ্য ভবন, বিদ্যুৎ ভবন, উন্নয়ন ভবন পূর্ত ভবনে একাধিক রাজ্য সরকারি দপ্তর স্থানান্তরিত হয়েছে। এই কলকাতার সবচেয়ে সমৃদ্ধ অংশ হিসাবে এটি বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি গড়ে উঠেছে। এই এলাকার অনেক গুলি আইটি কোম্পানিগুলি অবস্থিত। ===কেন্দ্রীয় সরকারি ভবন=== এখানে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসার কমপ্লেক্স রয়েছে যেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর অফিস অবস্থিত। ==পরিবহন== এখানে করুণাময়ীতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা-র বাস ডিপো অবস্থিত। কলকাতা হাওড়ার সঙ্গে সংযোগকারী নির্মীয়মান 'কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো' রেল। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাস রুট এস (S9) সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড এস ২২ (S22) সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে শকুন্তলা পার্ক বাস স্ট্যান্ড ==আরও দেখুন== বিধাননগর রোড রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব কলকাতা == তথ্যসূত্র == শহর চব্বিশ পরগনা জেলা'''১৯৫৩''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == জানুয়ারি শাহনাজ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। (মৃ. ২০১৯) ১৩ জানুয়ারি আবুল আহসান চৌধুরী, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক লোকসাহিত্য বিশারদ। ২১ জানুয়ারি পল অ্যালেন, মার্কিন ব্যবসায়ী এবং মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ১৬ মার্চ ** রিচার্ড স্টলম্যান, মুক্ত সফটওয়ার আন্দোলনের প্রবক্তা। ** ইজাবেল উপের, ফরাসি অভিনেত্রী। ২১ জুন বেনজীর ভুট্টো, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। জুলাই মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশি প্রকৌশলী, সাংবাদিক রাজনীতিবিদ। সেপ্টেম্বর মম্মুট্টী, ভারতীয় অভিনেতা। ১১ সেপ্টেম্বর শহীদুল জহির, বাংলাদেশি গল্পকার ঔপন্যাসিক। === অজানা তারিখ === মাইকেল ফার, বৃটিশ টিনটিন-বিশেষজ্ঞ প্রাক্তন রিপোর্টার। == মৃত্যু == নভেম্বর ইভান বুনিন, নোবেল বিজয়ী রুশ লেখক। == তথ্যসূত্র ==__NOTOC__ '''১০৪৪''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১১০৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ==='''১১৬৬''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === ফেব্রুয়ারি ১৪ আব্দুল কাদের জিলানী মুসলিম ধর্মপ্রচারক। === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১২২৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১২৮৯''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৩৪৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ==='''১৪১০''' গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৪৭০''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৫৩০''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৫৯২''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৬৫৩''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৭১৪''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৭৭৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৮৪০''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৭২''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:১৭২__NOTOC__ '''২৩২''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:২৩২__NOTOC__ '''২৯৩''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:২৯৩__NOTOC__ '''৩৫৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৩৫৫__NOTOC__ '''৪১৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৪১৫__NOTOC__ '''৪৭৪''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৪৭৪__NOTOC__ '''৫৩৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৫৩৫__NOTOC__ '''৫৯৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৫৯৫__NOTOC__ '''৬৫৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৬৫৫__NOTOC__ '''৭১৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৭১৫__NOTOC__ '''৭৭৬''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৭৭৬__NOTOC__ '''৮৩৬''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৮৩৬__NOTOC__ '''৮৯৭''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৮৯৭__NOTOC__ '''৯৫৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৯৫৮রইং সহ অরুণাচল প্রদেশের জেলা মানচিত্র '''রইং''' () ভারতের অরুনাচল প্রদেশ রাজ্যের দিবাং উপত্যকা জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রইং শহরের জনসংখ্যা হল ১০,১০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৭% এবং নারী ৪৩%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রইং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহরthumbnail Freiheitliche Partei Österreichs অস্ট্রিয়ার একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। এই দলটি ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটির নেতা হলেন Heinz-Christian Strache দলটির তরুণ সংগঠন হল Ring Freiheitlicher Jugend Österreich ২০০২ সালের সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৪৯১ ৩২৮ ভোট পেয়েছিল (১০.১%, ১৮টি আসন) ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই দলের ১টি আসন রয়েছে। == লীংক == অস্ট্রিয়ার ফ্রীডম পার্টির ওয়েবসাইট রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত'''তাশখন্দ চুক্তি''' হচ্ছে ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দে পাকিস্তান ভারত এর মধ্যে সম্পাদিত একটি চুক্তি,যা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সমাধান করে। জাতিসংঘ,আমেরিকা সোভিয়েতর চাপে তাশখন্দ সম্মেলনে,ভারত পাকিস্তানকে তাদের পূর্বের চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে বাধ্য করেছিল-এক অপরের জয়যুক্ত অঞ্চলগুলি ছেড়ে দিতে এবং কাশ্মীরের ১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিরতির সীমান্ত চুক্তি মেনে চলা। == ইতিহাস == ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান ভারতের মধ্যে তিনটি রণাঙ্গনে যুদ্ধ বাধে। এর ১৭ দিন পরে যুদ্ধ বিরতি কার্যকরী হয়। জাতিসংঘ দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী কে ১৯৬৫ সালের ৫ই আগস্টের অবস্থানে ফিরে যাবার নির্দেশ দেয়। যুদ্ধবিরতির পরেও সৈন্য অপসারণসহ বেশ কিছু প্রশ্নে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়। এই বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান, সোভিয়েত ইউনিয়ন এর প্রধানমন্ত্রী নিকলাই কোসিগিনের উদ্যোগে তাশখন্দ শহরে মিলিত হয়ে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন,যা তাশখন্দ চুক্তি নামে পরিচিত। == চুক্তির মূলকথা == দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপন এবং জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি তাশখন্দ চুক্তির মূলকথা। দুই পক্ষ নিজেদের বিরোধ মীমাংসার জন্য পরস্পরের মধ্যে শক্তি প্রয়োগ না করে জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ উপায় গ্রহণ করবেন বলে একমত হন। পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, কোন বিরুদ্ধ প্ররোচনায় উসাহ না দেওয়া এবং ১৯৬১ সালের,ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার ব্যাপারে দুই পক্ষ একমত হন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ইতিপূর্বে সম্পাদিত চুক্তিগুলো কার্যকরী করার ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে বিবেচনা করবেন বলেও একমত হন তারা। যুদ্ধবন্দিদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তও গৃহীত হয় এই চুক্তিতে। যুদ্ধের সময় এক দেশ অন্য দেশের যে সম্পদ দখল করেছে তা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারেও সম্মত হন দুই পক্ষ। == পরিণাম == ভারতে চুক্তির সমালোচনা করা হয়েছিল কারণ আর কোন যুদ্ধ নয় চুক্তি বা কাশ্মীরের গেরিলা যুদ্ধবিগ্রহের আত্মত্যাগ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। চুক্তি স্বাক্ষর পর,ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর তাসখন্দে রহস্যজনকভাবে মারা যান। শাস্ত্রীের হঠাৎ মৃত্যুর ফলে হয়ে ওঠে ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্বের দিকে যে তাকে বিষ দেওয়া হয়। ভারত সরকার তার মৃত্যুর উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করতে প্রত্যাখ্যান করে,দাবি করা হয় যে তাতে বিদেশী সম্পর্ক ক্ষতি করতে পারে,দেশে বিভেদের কারণ হতে পারে এবং সংসদীয় বিশেষ সুবিধা লঙ্ঘন করতে পারে। তাসখন্দ ঘোষণা পর্যায়ের বৈঠক এবং মার্চ ১৯৬৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।এই আলোচনাগুলি অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও,বসন্ত গ্রীষ্মকালে কূটনৈতিক বিনিময় অব্যাহত ছিল।কাশ্মিরের সমস্যা নিয়ে মতপার্থক্য থাকার কারণে এই আলোচনায় কোন ফল পাওয়া যায়নি।১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় এক রমরমা গড়ে উঠেছিল,যা পাকিস্তানে জনগণের ধারণায় তারা যুদ্ধ জয় করতে যাচ্ছে।তাশখন্দ ঘোষণার সংবাদে পাকিস্তানের জনগণকে বিস্মিত করে,যারা কিছু ভিন্ন প্রত্যাশা আরো খারাপ হয়ে যায় কারণ আইয়ুব খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কারণগুলি ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানান।পাকিস্তান জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দাঙ্গা সূত্রপাত হয়। জনগণের রাগ বিভ্রান্তি দুরীভূত করবার জন্যে আইয়ুব খান ১৯৬৬ সালের ১৪ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জনগণের সামনে বিষয়টি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন।তাশখন্দ ঘোষণার ওপর পার্থক্য ছিল,যার ফলে শেষ পর্যন্ত জেড।এ।ভুট্টোকে অপসারণ করেছিল আইয়ুবের সরকার,যিনি পরবর্তীকালে তার নিজস্ব দল তৈরি করেন,“পাকিস্তান পিপলস পার্টির” নামকরণ করে।যদিও আইয়ুব খান জনগণের বিভ্রান্তি সন্তুষ্ট করতে সক্ষম ছিলেন,তাশখন্দ ঘোষণার ফলে তার ভাবমূর্তি ক্ষতি হয় এবং এটি একটি কারণ যা তার পতন ঘটায়। ==আরও দেখুন== *Indo-Pakistani War of 1971 *Shimla Agreement ==বহিঃসংযোগ== Full text of Tashkent Declaration UN Peacemaker All peace agreement for India, UN Peacemaker All peace agreements for Pakistan, UN Peacemaker ==তথ্যসূত্র== ইতিহাস ইতিহাস'''পেরেনেম''' () ভারতের গোয়া রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পেরেনেম শহরের জনসংখ্যা হল ৫২৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পেরেনেম এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ধুলিয়ান''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। এই পৌরসভাটি বর্তমানে ২১টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল মিটার (১৩ ফুট)। ধুলিয়ানের উত্তরদিকে ফারাক্কা, দক্ষিণদিকে অরঙ্গাবাদ, পশ্চিমদিকে পাকুড় পূর্বদিকে গঙ্গানদী অবস্থিত। == ইতিহাস == == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২০১১ সালের ভারতীয় আদমশুমারি অনুসারে ধুলিয়ান পৌরসভার জনসংখ্যা ৯৫,৭০৬ জন, যার মধ্যে ৪৭,৬৩৫ জন পুরুষ এবং ৪৮,০৭১ জন নারী ছিল। ০-৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের জনসংখ্যা ১৭,৬৭৪ জন, যা ধুলিয়ানের মোট জনসংখ্যার ১৮.৪৭ শতাংশ। এই শহরের সাক্ষরতার হার ৬৩.০৩ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩১%। ২০১১ সালের ভারতীয় আদমশুমারি অনুসারে ধুলিয়ান শহুরে সমৃদ্ধির জনসংখ্যা ২৩৯,০২২ জন, যার মধ্যে ১১৯,১৫১ জন পুরুষ এবং ১১৯,৮৭১ জন নারী ছিল। ০-৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের জনসংখ্যা ৪৫,৪৮৩ জন। ৭+ জনসংখ্যার জন্য কার্যকর সাক্ষরতার হার ৬০.০৬ শতাংশ। ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ধুলিয়ান শহরের জনসংখ্যা ছিল ৭২,৯০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ছিল ৩৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ধুলিয়ান এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ২০% ছিল বছর বা তার কম বয়সী। == পরিবহন ব্যবস্থা == রেলপথে যোগাযোগ: সড়কপথে যোগাযোগ জলপথে যোগাযোগ == শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == নুর মোহাম্মদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় == আরো দেখুন == সামশেরগঞ্জ == তথ্যসূত্র == জেলার শহর শহর জেলা'''জেমারি''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জেমারি শহরের জনসংখ্যা হল ৩৮৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬% এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জেমারি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''রজার কর্নবার্গ''' () (জন্ম: এপ্রিল ২৪, ১৯৪৭) মার্কিন জীব-রসায়নবিদ এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভারসিটির স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের গাঠনিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক, একজন নোবেল ল'রিয়েট। == জীবনবৃত্তান্ত == ১৯৪৭ সালে রজার সেন্ট লুইস, মিসৌরিতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে ব্যাচেলার ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি ষ্ট্যানফোর্ড গাঠনিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক। == নোবেল পুরস্কার == রজার জেনেটিক গবেষণার জন্য ২০০৬ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম রসায়নবিদ ইহুদী বিজ্ঞানী বিজয়ী রসায়নবিদ ব্যক্তি'''পাটুলী''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৮ মিটার (৫৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পাটুলী শহরের জনসংখ্যা হল ৪৪৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পাটুলী এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহরOpenOffice.org Writer সাধারণভাবে '''ওপেন অফিস''' নামে পরিচিত। এটি একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এবং এটির বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের উপযোগী সংস্করণ পাওয়া যায়। ফ্রী সফটওয়্যার হিসাবে এটি পাওয়া যায়। OpenDocument ফরম্যাট(ওডিএফ) ওপেনঅফিসে ফাইল সংরক্ষণের ডিফল্ট ফরম্যাট। এটি আইএসও/আইইসি এর নির্ধারিত তথ্য আদান প্রদানের আন্তর্জাতিক ফাইল ফরম্যাট। এটি ব্যবহার করে মাইক্রোসফট অফিস এর উপযোগী ফরম্যাটেও ফাইল সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে এখানে। ১১০ এর অধিক ভাষাতে ওপেনঅফিস.অর্গ ব্যবহার করা যায়। == ইতিহাস == মূলত মালিকানাধীন সফটওয়্যার হিসাবে এটি তৈরি করা হয়েছিল। StarDivision নামের জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান স্টার অফিস নামে এই সফটওয়্যার নামে এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছিল। পরবর্তীতে সান মাইক্রোসিস্টেম এর সোর্স কোড কিনে নেয়। ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে স্টার অফিস বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ওপেনঅফিস মুক্তির ইতিহাস সংস্করণ মুক্তির তারিখ বিবরণ Build 638c 2001-10 The first milestone release. 1.0 2002-05-01 1.0.1 2002-07-11 1.0.2 2003-01-17 1.0.3 2003-04-07 1.0.3.1 2003-05-02 Recommended for Windows 95. 1.1 2003-09-02 1.1.1 2004-03-29 Bundled with TheOpenCD. 1.1.2 2004-06 1.1.3 2004-10-04 1.1.4 2004-12-22 1.1.5 2005-09-14 Last release for 1.x product line. Final version for Windows 95. It can edit OpenOffice.org files. 1.1.5secpatch 2006-07-04 Security patch (macros) 2.0 2005-10-20 Milestone, with major enhancements. 2.0.1 2005-12-21 2.0.2 2006-03-08 2.0.3 2006-06-29 2.0.4 2006-10-13 2.1.0 2006-12-12 2.2.0 2007-03-28 Included security font kerning 2.2.1 2007-06-12 2.3.0 2007-09-17 Updated charting component, minor enhancements, and improved extension manager 2.3.1 2007-12-04 Stability and security update. 2.4.0 2008-03-27 Bug fixes and new features. 2.4.1 2008-06-10 Security fix, minor enhancements, and bug fixes. 2.4.2 2008-10-29 Security fix, minor enhancements, and bug fixes. 2.4.3 2009-09-01 Bug fixes and minor enhancements. 3.0.0 2008-10-13 Milestone, with major enhancements. 3.0.1 2009-01-27 Bug fixes. 3.1.0 2009-05-07 Overlining and transparent dragging added. 3.1.1 2009-08-31 Security fix and bug fixes. 3.2 2010-02-11 New features, and performance enhancements. 3.2.1 2010-06-04 Updated Oracle Start Center and OpenDocument format icons. 3.3 2011-01-25 Release motto: "Fit and Trim". 3.4 2012-05-08 First Apache release. == বৈশিষ্ট সমূহ == == ফাইল ফরম্যাট == == সফটওয়্যারের উন্নয়ন == == মালিকানা == == পুনঃ বিবেচনা == == বিতরণ পদ্ধতি == == আরও পড়ুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ওপেনঅফিস.অর্গ এর মূল ওয়েব সাইট Media Coverage (Videos, interviews, etc.) of last three OpenOffice.org Conferences (by Kiberpipa) OxygenOffice Professional (Homepage) সফটওয়্যার'''আগাথা ক্রিস্টি''' (ইংরেজি: Agatha Christie) (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯০ ১২ই জানুয়ারি, ১৯৭৬) একজন ইংরেজ অপরাধ কল্পকাহিনী লেখক। তিনি ৮০টি রহস্য উপন্যাস লেখেন, যাদের মধ্যে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো (Hercule Poirot) মিস মার্পল-এর (Miss Marple) কাহিনীগুলো অন্যতম। তাকে রহস্য উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনী লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। তার ডাকনাম "দ্য কুইন অফ ক্রাইম" (অপরাধ উপন্যাসের রাণী বা রহস্য সাম্রাজ্ঞী)। তার লেখা অনেকগুলো রহস্য কাহিনী থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর তথ্যানুসারে অগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের লেখক এবং যেকোন ধরনের সাহিত্যকর্মের সর্বাধিক বিক্রীত লেখক, যে ক্ষেত্রে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারই কেবল তার সমকক্ষ। তার রচিত বইয়ের প্রায় দুইশত কোটি কপি বিশ্বব্যাপী বিক্রি হয়েছে, যার চেয়ে কেবলমাত্র বাইবেলই অধিকসংখ্যক বিক্রি হয়েছে। ইউনেস্কোর বিবৃতি অনুসারে তিনি একমাত্র লেখক যার রচনা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভাষায় অনূদিত হয়েছে, ওয়াল্ট ডিজনী কর্পোরেশনের সম্মিলিত কাজই কেবল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ক্রিস্টির বই সর্বমোট ৫৬টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। == রচনাবলী == ===মিস মার্পল ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ১২ টি উপন্যাস ২০ টি ছোটগল্প আছে। ====উপন্যাস==== দ্য মার্ডার অ্যাট দ্য ভিকারেজ (১৯৩০) দ্য বডি ইন দ্য লাইব্রেরি (১৯৪২) দ্য মুভিং ফিংগার (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের উপন্যাস বেনামী চিঠি) (১৯৪৩) মার্ডার ইজ এনাউন্সড (১৯৫০) দে ডু ইট উইথ মিররস (১৯৫২) পকেট ফুল অফ রাই (১৯৫৩) ৪:৫০ ফ্রম প্যাডিংটন (১৯৫৭) দ্য মিরর ক্রাকড ফ্রম সাইড টু সাইড (১৯৬২) ক্যারিবিয়ান মিস্টিরি (১৯৬৪) এট বার্ট্রাম'স হোটেল (১৯৬৫) নেমেসিস (১৯৭১) স্লিপিং মার্ডার (১৯৭৬) ====ছোটগল্প==== '''দ্য থার্টিন প্রবলেমস''' (১৯৩২) ১৩টি ছোটগল্পের সংকলন। আমেরিকাতে "দ্য টুয়েসডে নাইট ক্লাব" নামে প্রকাশিত হয়। এই বইটিতে নিচের থেকে ১৩ নং গল্পগুলো স্থান পায়: '''মিস মার্পল ফাইনাল কেসেস''' (১৯৭৯) ৮টি (বর্তমান সংস্করনে ৯টি) ছোটগল্পের সংকলন, এর মাঝে ৬টি (বর্তমান সংস্করনে ৭টি) মিস মার্পলের। পরবর্তী সংস্করনে আলেক্সান্ডার আফগান "গ্রিনশ'স ফলি" গল্পটি যোগ করেন। এই বইটিতে নিচের ১৪ থেকে ২০ নং গল্পগুলো এবং '''দ্য ড্রেসমেকারস ডল''' '''ইন গ্লাস ডার্কলি''' নামের দুটি গল্প স্থান পায়। উল্লেখ্য গল্পদুটি মিস মার্পল ধারাবাহিকের নয়। '''মিস মার্পল কমপ্লিট শর্ট স্টোরিস''' (১৯৮৫) :মিস মার্পলের সবগুলো (মোট ২০টি) ছোটগল্প নিয়ে সংকলনটি প্রকাশিত হয়। মিস মার্পল ধারাবাহিকের গল্পগুলো পর্যায়ক্রমে: দ্য টুয়েসডে নাইট ক্লাব দ্য আইডল হাউস অব আস্টারট ইনগটস অব গোল্ড দ্য ব্লাড স্টেইনড পেভমেন্ট (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের প্রথম গল্প রক্তের দাগ) মোটিভ ভার্সাস অপর্চুনিটি (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের তৃতীয় গল্প অদ্ভুত উইল) দ্য থাম্ব মার্ক অব সেইন্ট পিটার দ্য ব্লু জারানিয়াম (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের ষষ্ঠ গল্প নীল ফুল) দ্য কম্পানিয়্যন (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত ক্যাসল হাউজের খুনি নামের সংকলনের তৃতীয় গল্প) দ্য ফোর সাস্পেক্ট (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের পঞ্চম গল্প সন্দেহ) ক্রিসমাস ট্রাজেডি দ্য হার্ব অব ডেথ (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের চতুর্থ গল্প বিষ) দ্য এফেয়ার এট দ্য বাঙলো (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের দ্বিতীয় গল্প বাংলো রহস্য) ডেথ বাই ড্রাউনিং মিস মার্পল টেলস স্টোরী স্টেঞ্জ জেস্ট টেপ-মেজার মার্ডার দ্য কেস অব দ্য পারফেক্ট মেইড দ্য কেস অব দ্য কেয়ারটেকার গ্রিনশ'স ফলি স্যাংচুয়ারি ===এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে ৩৪টি উপন্যাস, একটি নাটক এবং ৫০টিরও বেশি ছোটগল্প প্রকাশিত হয়। ====উপন্যাস==== #''দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার এট স্টাইলস (১৯২০)'' #''দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস'' (১৯২৩)'' #''দ্য মার্ডার অফ রজার অ্যাকর্ড (১৯২৬)'' ''দ্য বিগ ফোর (১৯২৭)'' ''দ্য মিস্ট্রি অফ দ্য ব্লু ট্রেন (১৯২৮)'' ''পেরিল এট এন্ড হাউস (১৯৩২)'' ''লর্ড এডওয়্যার ডাইস (১৯৩৩)'' ''থার্টিন ইন ডিনার'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত; ''খুনের তদন্ত'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস (১৯৩৪)'' ''মার্ডার ইন দ্য ক্যালিস কোচ'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত; ''শেষ যাত্রা'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''থ্রি অ্যাক্ট ট্রাজেডি (১৯৩৫)'' ''মার্ডার ইন থ্রি অ্যাক্টস'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''ডেথ ইন দ্য ক্লাউডস (১৯৩৫)'' ''ডেথ ইন দ্য এয়ার'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''দ্য এবিসি মার্ডারস (১৯৩৬)'' ''সিরিয়াল কিলার'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া (১৯৩৬)'' ''কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬)'' ''গেম ওভার'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''ডাম্ব উইটনেস (১৯৩৭)'' ''পেইট্রিয়ট লুজেস ক্লায়েন্ট'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''ডেথ অন দ্য নাইল (১৯৩৭)'' উইথ ডেথ (১৯৩৮)'' ''এরকুল পোয়ারোজ ক্রিসমাস (১৯৩৮)'' আমেরিকাতে প্রথমে মার্ডার ফর ক্রিসমাস নামে প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তিতে হলিডে ফর মার্ডার নামে প্রকাশিত হয়। ''স্যাড সাইপ্রাস (১৯৪০)'' ''ওয়ান, টু, বাকল মাই শু (১৯৪০)'' ''ওভারডোজ অফ ডেথ অ্যান্ড এজ দ্য প্যাট্রিয়টিক মার্ডারস'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''ইভিল আন্ডার দ্য সান (১৯৪১)'' ''ফাইভ লিটিল পিগস (১৯৪২)'' ''মার্ডার ইন রেট্রোস্পেক্ট'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''দ্য হলো (১৯৪৬'') ''মার্ডার আফটার আওয়ারস'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''টেকেন অ্যাট দ্য ফ্লাড (১৯৪৮)'' ''দেয়ার ইজ টাইড'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''মিসেস ম্যাকগিনটিজ ডেড (১৯৫২)'' ''ব্লাড উইল টেল'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''আফটার দ্য ফিউনারাল (১৯৫৩)'' ''ফিউনারালস আর ফেইটাল'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''হিকরি ডিকরি ডক (১৯৫৫)'' ''হিকরি ডিকরি ডেথ'' নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত। ''ডেড ম্যান্‌জ ফলি (১৯৫৬)'' ''অপয়া অপরাহ্ন'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ''ক্যাট অ্যামাং দ্য পিজিয়নস (১৯৫৯)'' ''দ্য ক্লকস (১৯৬৩)'' ''থার্ড গার্ল (১৯৬৬)'' ''হলোউইনস পার্টি (১৯৬৯)'' ''এলিফ্যান্টস ক্যান রিমেম্বার (১৯৭২)'' ''কারটেইন (১৯৭৫)'' ''এরকুল পোয়ারো অ্যান্ড দ্য গ্রিনশোর ফলি'' ====নাটক==== ব্ল্যাক কফি (১৯৩০) প্রথমে নাটক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে উপন্যাসে পরিবর্তন করা হয়। ====গল্প==== পোয়ারো ইনভেস্টিগেটর (১৯২৪) মার্ডার ইন দ্য মিউস (১৯৩৭) ডেড ম্যান'স মিরর নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। দ্য রেগাটা মিস্ট্রি অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৩৯) দ্য লেবারস অফ হারকিউলিস (১৯৪৭) দ্য আন্ডার ডগ অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৫১) দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য ক্রিসমাস পুডিং (১৯৬০) ডাবল সিন অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৬১) পোয়ারো'স আর্লি কেসেস (১৯৭৪) প্রবলেম অ্যাট পলেনসা বে অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৯১) দ্য হার্লিকুইন টি সেট (১৯৯৭) হোয়াইল দ্য লাইট লাস্টস অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৯৭) ===অ্যারিডিন অলিভার ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ৭টি বই বের হয়েছে, তার মধ্যে একটি বাদে বাকিসবগুলোতে অলিভার, এরকুল পোয়ারোর সহায়ক চরিত্র হিসেবে এসেছে। কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬) মিসেস ম্যাকগিনটি'স ডেড (১৯৫২) ডেড ম্যান'স ফোলি (১৯৫৬) দ্য পেল হর্স (১৯৬১) ধারাবাহিকের একমাত্র উপন্যাস যেখানে এরকুল পোয়ারো চরিত্র নেই। থার্ড গার্ল (১৯৬৬) হলোউইনস পার্টি (১৯৬৯) এলিফ্যান্টস ক্যান রিমেম্বার (১৯৭২) ===টমি টাপেন্স ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিক মোট ৪টি উপন্যাস এবং ১টি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দ্য সিক্রেট অ্যাডভার্সারি (১৯২২) পার্টনারস ইন ক্রাইম (১৯২৯); ১৫টি ছোটগল্পের সংকলন। ## ফেইরি ইন দ্য ফ্ল্যাট ## পট অফ টি ## দ্য এফেয়ার অফ দ্য পিঙ্ক পার্ল ## দ্য এ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য সিনিস্টার স্ট্রেঞ্জার ## ফাইন্সিং দ্য কিং/দ্য জেন্টেলম্যান ড্রেসড ইন নিউজপেপার ## দ্য কেস অফ দ্য মিসিং লেডি ## ব্লাইন্ডম্যান'স বাফ ## দ্য ম্যান ইন দ্য মিস্ট ## দ্য ক্রাকলার ## দ্য সানিংডেল মিস্টিরি ## স্য হাউজ অফ লার্কিং ডেথ ## দ্য আনব্রেকেবল অ্যালিবাই ## দ্য ক্লারগিম্যান'স ডটার/দ্য রেড হাউস ## দ্য অ্যাম্বাসাডার'স বুটস ## দ্য ম্যান হু ওয়াজ নং ১৬ এন অর এম? (১৯৪১) বাই দ্য পিকিং অফ মাই থাম্বস (১৯৬৮) পোস্টার্ন অব ফেট (১৯৭৩) ব্যাটল ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট পাঁচটি উপন্যাস বের হয়েছে। দ্য সিক্রেট অব দ্য চিমনিস (১৯২৫) দ্য সেভেন ডায়ালস মিস্টিরি (১৯২৯) কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬), বইটি এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের ১৫ নং কাহিনী, অ্যারিডিন অলিভার উপ-ধারাবাহিক এবং কর্নেল রেস ধারাবাহিকের দ্বিতীয় কাহিনী। মার্ডার ইজ ইজি (1939) টুওয়ার্ডস জিরো (১৯৪৪) ===কর্নেল রেস ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকের মোট চারটি বই বের হয়েছে, এর মধ্যে দুটি স্বতন্ত্র এবং দুটি এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের "ক্রসওভার" (অন্য ধারাবাহিক থেকে অতিক্রম করে আসা) কাহিনী। দ্য ম্যান ইন দ্য ব্রাউন স্যুট (১৯২৪) কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬) এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের ক্রসওভার ডেথ অন দ্য নীল (১৯৩৭) এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের ক্রসওভার স্পার্কলিং সায়ানাইড (১৯৪৪) ===পার্কার পাইন ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ১৪টি গল্প বের হয়েছে। প্রথম ১২টি নিয়ে "পার্কার পাইন ইনভেস্টিগেটর" (১৯৩৪) বই বের হয়। পরের ২টি গল্প "দ্য রেগাটা মিস্টিরি" (১৯৩৯) নামক বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। আগাথা ক্রিস্টি এই চরিত্র নিয়ে কোন উপন্যাস লেখেননি। দ্য কেস অফ দ্য মিডীল-এজড ওয়াইফ দ্য কেস অফ দ্য ডিসকাউন্টেড সোলজার দ্য কেস অফ দ্য ডিসট্রেসড লেডি দ্য কেস অফ দ্য ডিসকাউন্টেড হাসব্যান্ড দ্য কেস অফ দ্য সিটি ক্লার্ক দ্য কেস অফ দ্য রিচ ওম্যান হ্যাভ ইউ গট এভরিথিং ইউ ওয়ান্ট? দ্য গেট অব বাগদাদ দ্য হাউস এট সিরাজ দ্য পার্ল অব প্রিন্স ডেথ অন দ্য নীল দ্য ওরাকল অ্যাট ডেলফি দ্য রেগাটা মিস্টিরি প্রবলেম অ্যাট পলেনসা বে ===হার্লি কুইন ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ১৪টি গল্প বের হয়েছে। প্রথম ১২টি নিয়ে "দ্য মিস্টিরিয়াস মি. কুইন" (১৯৩০) বই বের হয়। পরের ২টি গল্প "প্রবলেম এট পলেনসা বে অ্যান্ড আদার স্টোরিস" (১৯৩৫) নামক বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। আগাথা ক্রিস্টি এই চরিত্র নিয়ে কোন উপন্যাস লেখেননি। এই গল্পগুলোর সহায়ক চরিত্র এমিসারি মি. সাটেলটাউইট (emissary Mr. Satterthwaite), ছোটগল্প ডেড ম্যান'স মিরর (১৯৩৭) এবং উপন্যাস থ্রি এক্ট ট্রাজেডি (১৯৩৫)তে উপস্থিত ছিলেন। দ্য কামিং অফ মি. কুইন দ্য শ্যাডো অন দ্য গ্লাস এট দ্য "বেলস অ্যান্ড মোটলি" দ্য সাইন ইন দ্য স্কাই দ্য সোল অফ দ্য ক্রুপিয়ার দ্য ম্যান ফ্রম দ্য সী দ্য ভয়েস ইন দ্য ডার্ক দ্য ফেস অব হেলেন দ্য ডেড হারলিকুইন দ্য বার্ড উইথ দ্য ব্রোকেন উইং দ্য ওয়ার্ড'স এন্ড হারলিকুইন'স লেন দ্য লাভ ডিটেকটিভস দ্য হারলিকুইন টি সেট ===অন্যান্য উপন্যাস=== দ্য ফ্লোটিং অ্যাডমিরাল (১৯৩১) উপন্যাসটি আগাথা ক্রিস্টিসহ দ্য ডিটেকসন ক্লাব এর মোট বার জন সদস্য মিলে রচনা করেন। বইটির উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রতি লেখক উপন্যাসটির এক অধ্যায় করে লিখেছেন। দ্য সিটাফোর্ড মিস্ট্রি (১৯৩১) হোয়াই ডিডন'ট দে আস্ক ইভানস? (১৯৩৪) টেন লিটিল নিগারস (১৯৩৯) ডেথ কামস এজ দ্য এন্ড (১৯৪৫) ক্রুকেড হাউস (১৯৪৯) দে কেম টু বাগদাদ (১৯৫১) ডেস্টিনেশন আননোন (১৯৫৪) অরডায়াল বাই ইনোসেন্স (১৯৫8) এন্ডলেস নাইট (১৯৬৭) প্যাসেঞ্জার টু ফ্রাঙ্কফুর্ট (১৯৭০) আগাথা ক্রিস্টি নিম্নোক্ত উপন্যাসগুলো মেরি ওয়েস্টমাকট ছদ্মনামে লেখেন (ইংরেজি: Mary Westmacott) জায়ান্ট'স বিয়ার্ড (১৯৩০) আনফিনিস্টড পোর্ট্রেট (১৯৩৪) এবসেন্ট ইন দ্য স্প্রিং (১৯৩৪) দ্য রোজ অ্যান্ড দ্য নিউ ট্রি (১৯৪৮) ডটার'স ডটার (১৯৫২) দ্য বারডেন (১৯৫৬) ===গল্প সংকলন=== দ্য হাউন্ড অফ ডেথ (১৯৩৩) দ্য লিসটারডেল (১৯৩৪) দ্য ক্রাইম ইন কেবিন ৬৬ (১৯৪৩) দ্য মাউসট্রাপ অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৫০) ডাবল সিন অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৬১) ১৩ ফর লাক! সিলেকসন অফ মিস্ট্রি ফর ইয়ং অ্যাডাল্ট (১৯৬৬) সারপ্রাইজ! সারপ্রাইজ! (১৯৬৫) দ্য গোল্ডেন বল অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৭১) দ্য বিগ ফোর ডিকটেটিভ ক্লাব; শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে প্রকাশিত। থ্রি ব্লাইন্ড মাইস অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৫০) শুধুমাত্র আমেরিকায় প্রকাশিত। দ্য উইটনেস ফর দ্য প্রসিকিউসন অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৪৮) শুধুমাত্র আমেরিকায় প্রকাশিত। == ভারতীয় চলচ্চিত্রে == আগাথা ক্রিস্টির গল্পের অনুপ্রেরণায় বাংলা ভাষায় এবং ভারতীয় সিনেমা জগতে বেশ কিছু চলচিত্র নির্মিত হয়েছে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা ছবি হলো চুপি চুপি আসে, শুভ মহরৎ। হিন্দিতে 'গুমনাম', ধন্ধ ইত্যাদি। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু অপরাধকাহিনী লেখক নাট্যকার রহস্য লেখক ছোট গল্পকার অধিবাসী ঔপন্যাসিকYashica MF-2 super '''ইয়াশিকা''' (Yashica) জাপানী ক্যামেরা উৎপাদনকারী সংস্থা। এর যাত্রা শুরু করে ১৯৪৯ এর ডিসেম্বরে, জাপানের নাগানোতে। ৫৬৬ ডলার নিয়ে শুরুর সময় এই কোম্পানির নাম ছিল ইয়াশিমা সিইকি কোম্পানি যার ৮জন কর্মচারী ইলেকট্রিক ঘড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি করত। এর পর তারা ক্যামেরার যন্ত্রাংশ তৈরি শুরু করে এবং ১৯৫৩ তে তারা তাদের তৈরি সম্পূর্ণ ক্যামেরা ইয়াশিমাফ্লেক্স নামে বাজারে আনে। ১৯৮৩ সনে সিরামিক পণ্যের বৃহৎ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কয়োসিরা ইয়াশিকা কিনে নেয়। ২০০৫ সনে কয়োসিরা তাদের সকল ইয়াশিকা, কনট্যাক্স কয়োসিরা ব্রান্ডের ডিজিটাল ফিল্ম ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে। == তথ্যসূত্র == কোম্পানি'''ইয়োহানেস ভিলহেল্ম ইয়েনসেন''' (জানুয়ারি ২০, ১৮৭৩ নভেম্বর ২৫, ১৯৫০) একজন ডেনীয় ঔপন্যাসিক, কবি এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৯৪৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তার সাহিত্যে ডারউনের তত্ত্ব অনুসারে মানব বিবর্তনের ধারায় মানুষের উন্নতি প্রাধান্য পেয়েছে। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে: কংগেন্‌স ফাল্ড (১৯০০ ০১) যা নেদার‌ল্যান্ডের সাহিত্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং ডেন লাংগে রেজসে (১৯০৮ ২২) যাতে তিনি বাইবেলে উল্লেখিত কাহিনীসমূহকে বিবর্তনবাদের প্রেক্ষিতে পুনরায় ফুটিয়ে তুলেছেন। == জীবন == ইয়েনসেন ডেনমার্কের উত্তর জুটল্যান্ডের অন্তর্গত হিমারল্যান্ডের ''ফারসো'' গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ''হান্স ইয়েনসেন'' ছিলেন জেলার পশু চিকিৎসক। মা'র নাম ''মারি ক্রিস্টিন ইয়েনসেন''। পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন তিনি। ১১ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছে শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৯৩ সালে ক্যাথেড্রাল স্কুল অফ ভাইবর্গ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তখন থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেন-এ চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর পড়াশোনা করেন। এই শিক্ষা, যার মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নের প্রাথমিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত ছিল, তার সাহিত্যচর্চায় সুদূরপ্রসারী এবং নিগূঢ় প্রভাব ফেলে। ১৮৯৬ থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে তিনি জীবনের প্রথম দুইটি উপন্যাস রচনা করেন এবং এই সময়েই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে যান যা তার পড়াশোনায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটায়। জেনসেন কিছু প্রেমের উপন্যাস এবং গোয়েন্দা উপন্যাসের একটি সিরিজ রচনা করেছিলেন। এই রচনাগুলো একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় আইভার লাইকি ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়। তিনি পলিটকেন পত্রিকার একজন সংবাদদাতা ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি স্পেন থেকে যুদ্ধের নিয়মিত সংবাদদাতার ভূমিকা পালন করেন। ১৯০৪ সালে ''এল্‌স মেরি উলরিককে'' বিয়ে করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি তিন ছেলের জনক ছিলেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == আত্মজীবনী জেনসেনের জীবনী কর্ম জন্ম মৃত্যু সাহিত্যিক বিজয়ী সাহিত্যিক'''মাইকেল স্টার্ন হার্ট''' (মার্চ ৮, ১৯৪৭ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১১) ছিলেন গুটেনবার্গ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭১ সালে তিনি এই উন্মুক্ত ডিজিটাল গ্রন্থাগারের প্রকল্পটি শুরু করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। হার্ট ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == হার্টের ব্যক্তিগত পাতা === নির্বাচিত সাক্ষাৎকারসমূহ === নেট প্যানেল; সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৯৭ ''দ্য নিউজ গেজেট'' মার্চ ১৯, ২০০০ মাইকেল হার্টের অনলাইন রচনাসমূহ জন্ম মৃত্যু'''''মোবি-ডিক; বা, দ্য হোয়েল''''' () মার্কিন লেকক হারমান মেলভিল রচিত, ১৮৫১ সালে মার্কিন রেনেসাঁর সময়কালে প্রকাশিত। নাবিক ইসমাঈল আহাবের আধ্যাত্মিক সন্ধানের গল্প বলেন এখানে, যিনি মোবি-ডিকের তিমিশিকারী ''প্রিক্যুডের'' অধিনায়ক। ==পাদটিকার== ==বহিঃসংযোগ== ** Moby-Dick Big Read ''Moby-Dick'': Shifts in Narrative Voice and Literary Genres at Versions of ''Moby-Dick''" at Melville Electronic Library. Side by side versions of the British and American 1851 first editions, with differences highlighted. ''Moby Dick or The Whale'' Illustrated by Rockwell Kent Plattsburgh State Art Museum, Rockwell Kent Gallery. Kent's illustrations for the 1930 Lakeside Press edition Peabody Award–winning episode on the influence of ''Moby-Dick'' on contemporary American culture. মার্কিন উপন্যাস উপন্যাস মেলভিলের উপন্যাস'''অ্যালান হিলস ৮৪০০১''' () একটি উল্কা যা অ্যালেন হিল্‌সনামক পর্বতের অভ্যন্তরে পাওয়া গেছে। ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্‌সমেট (ANSMET) নামক প্রকল্পের অধীনে কর্মরত একদল বিজ্ঞানী এই উল্কাটি উদ্ধার করে। মঙ্গল গ্রহের অন্যান্য উল্কা থেকে যে ধারণা পাওয়া যায় সে মতে এটিকেও একটি মঙ্গলীয় উল্কা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ এটি অনেকটাই "শ্রেগোটটাইট, ন্যাখলাইট, চ্যাসিগণাইট" নামীয় ''এমএনসি'' শ্রেণীর উল্কার মধ্যে পড়ে। আবিষ্কারের সময় এর ভর ছিল ১.৯৩ কিলোগ্রাম। == ইতিহাস == == সাহিত্যে এএলএইচ৮৪০০১ == ড্যান ব্রাউন রচিত ডিসেপশন পয়েন্ট নামক উপন্যাসের মূল কাহিনী এই উল্কাটিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। কন্টাক্ট নামক চলচ্চিত্রটি ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। এটি কার্ল সাগান রচিত কন্টাক্ট নামক উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন-এর কিছু মন্তব্য রয়েছে। == নোট == == আরও দেখুন == মঙ্গলীয় উল্কা মঙ্গল গ্রহে প্রাণ == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন == == বহিঃসংযোগ == পাওয়া উল্কা প্রাণ উল্কাসমূহ জ্যোতির্বিদ্যা প্রাকৃতিক ইতিহাস অ্যান্টার্কটিক অঞ্চল বিজ্ঞান অ্যান্টার্কটিকা অস্ট্রেলিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিজ্ঞানকলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায় অঙ্কনরত পটুয়া '''পটুয়া''' শব্দের আক্ষরিক অর্থ যারা "পট" (ছবি) আঁকে। পট অঙ্কন গ্রামবাংলার প্রাচীন লোকশিল্প। এর কিছু নিদর্শন এখনো বেঁচে আছে কালীঘাট পটচিত্র গুলির মধ্যে। শিল্পী যামিনী রায় প্রাশ্চাত্যের অঙ্কনরীতিতে পারঙ্গম হলেও পটশিল্পকে নিজের অভিব্যক্তির মাধ্যম হিসাবে তুলে নিয়ে পটশিল্পকে প্রাশ্চাত্যের কাছে বিখ্যাত করেন। কিন্তু যামিনী রায় পটুয়া নন। পটুয়ারা একটি পেশাভিত্তিক লোকগোষ্ঠী যাদের প্রধান পেশা বংশানুক্রমে নিজেদের বিশেষ রীতিতে পট অঙ্কন প্রদর্শন বা বিক্রয় করা। ==আরও দেখুন== পটুয়া সঙ্গীত পটচিত্র চালচিত্র ==তথ্যসূত্র== গোষ্ঠী'''সিমন লুসি এর্নেস্তিন মারি বেরত্রঁ দ্য বোভোয়ার''' (; ৯ই জানুয়ারি ১৯০৮ ১৪ই এপ্রিল ১৯৮৬) যিনি '''সিমন দ্য বোভোয়ার''' নামে বেশি পরিচিত, ছিলেন একজন ফরাসি লেখিকা, বুদ্ধিজীবী, অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, রাজনৈতিক-কর্মী, নারীবাদী সমাজতত্ত্ববিদ। যদিও তিনি নিজেকে দার্শনিক মনে করতেন না, তার নারীবাদী অস্তিত্ববাদ নারীবাদী তত্ত্বতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ছিল। তিনি দর্শন, রাজনীতি সামাজিক বিষয়াবলির উপর রচনা, গ্রন্থ উপন্যাস এবং জীবনী আত্মজীবনী রচনা করেন। বর্তমানে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার অধিবিদ্যামূলক উপন্যাস ''শী কেইম টু স্টেই'' এবং ''দ্য এবং ১৯৪৯ সালে লেখা তার প্রবন্ধগ্রন্থ ''ল্য দোজিয়েম সেক্স''-এর জন্য। শেষোক্ত গ্রন্থটিতে নারীর উপর নিপীড়নের বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং এটিকে নারীবাদের একটি অন্যতম ভিত্তিগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিমন সারাজীবন অবিবাহিত ছিলেন। ফরাসি দার্শনিক জঁ-পল সার্ত্র্‌ এবং মার্কিন লেখক নেলসন এ্যালগ্রেনের সঙ্গে তার প্রেম যৌনসম্পর্ক ছিল। ==পরিবার== ১৯০৮ এর ০৯ জানুয়ারী জন্ম নেন এই মহিয়সী নারী প্যারিসে, মঁৎপারনাসের কাফে রঁতঁদের ওপরে। বাবা জর্জে বেরত্রাঁ দ্য বোভোয়ার ছিলেন আইনজীবী যিনি একসময় অভিনেতা হতে চাইতেন, মা ফ্রাঁসোয়া ব্রাসেয়ো গৃহিণী যিনি ছিলেন একজন টাকাওয়ালা ব্যাংকারের সন্তান, এবং এই মহিলা খুবই ধার্মিক ছিলেন (ক্যাথলিক)। সিমোনের আরেকটি বোন ছিলো যার নাম হেলেন (১৯১০ ২০০১)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় সিমোনদের। সময় সিমোনের মা সে সহ হেলেনকে ধর্মবাদী বিদ্যালয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন। সিমোন ছোটবেলায় ব্যাপক ধর্মবাদী ছিলেন, তিনি অবশ্য ১৪ বছর বয়সে ধর্মের উপর বিশ্বাস হারান এবং সারা জীবন নাস্তিক থাকেন। ==শিক্ষা== সিমোন ১৯২৫ সালে গণিত এবং দর্শনে ব্যাকালরেট পরীক্ষায় পাশ করেন, এরপর তিনি 'প্যারিস ক্যাথলিক গণিত নিয়ে পড়েন, এবং সাহিত্য ভাষা নিয়ে পড়েন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে। তিনি পরে সরবনে দর্শন নিয়ে পড়েন এবং ১৯২৯ সালে এ্যাগ্রিগেশন পাশ করেন। ==প্রেম এবং যৌনতা== সার্ত্রে এবং সিমোন সিমোন জঁ-পল সার্ত্র এবং নেলসন এ্যালগ্রেন (মার্কিন লেখক) এর সঙ্গে প্রেম এবং যৌনতা ভোগ করেছেন। তবে সার্ত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল ১৯৮০ পর্যন্ত (সার্ত্রের মৃত্যু পর্যন্ত) এবং ইনার সঙ্গে সিমোন বিয়ে ছাড়াই একসাথে বসবাস করতেন যদিও সবসময় নয়। এছাড়াও ক্লদ লাঁজমান নামের এক পুরুষের সঙ্গেও তিনি যৌনমিলন করেছেন যিনি তার (সিমোনের) চেয়ে ছোটো ছিলেন। == রচনাবলী == ''শী কেইম টু স্টেই'', (১৯৪৩) ''Pyrrhus et Cinéas'', (১৯৪৪) ''অন্যদের রক্ত'', (১৯৪৫) ''কে মরবে?'', (১৯৪৫) ''সকল মানুষই মরণশীল'', (১৯৪৬) নীতিশাস্ত্র'', (১৯৪৭) ''ল্য দোজিয়েম সেক্স'', (১৯৪৯) ''আমেরিকায় দিনের পর দিন'', (১৯৫৪) ''দ্য (১৯৫৪) ''Must We Burn Sade?'', (১৯৫৫) ''The Long March'', (১৯৫৭) ''Memoirs of Dutiful Daughter'', (১৯৫৮) ''The Prime of Life'', (১৯৬০) ''A Very Easy Death'', (১৯৬৪) ''Les Belles Images'', (১৯৬৬) ''The Woman Destroyed'', (১৯৬৭) ''The Coming of Age'', (১৯৭০) ''All Said and Done'', (১৯৭২) ''When Things of the Spirit Come First'', (১৯৭৯) ''Adieux: Farewell to Sartre'', (১৯৮১) ''Letters to Sartre'', (১৯৯০) ''A Transatlantic Love Affair: Letters to Nelson Algren'', (১৯৯৮) === অনুবাদ === Patrick O'Brian was de Beauvoir's principal English translator, until he attained commercial success as novelist. ''Philosophical Writings'' (Urbana University of Illinois Press, 2004, edited by Margeret A. Simons et. al.) contains selection of essays by de Beauvoir translated for the first time into English. Among those are: ''Phyrrhus and Cineas'', discussing the futility or utility of action, two previously unpublished chapters from her novel ''She Came to Stay'' and an introduction to ''Ethics of Ambiguity''. === উৎস === Bair, Deirdre, 1990. ''Simone de Beauvoir: Biography.'' New York: Summit books. Rowley, Hazel, 2005. ''Tête-a-Tête: Simone de Beauvoir and Jean-Paul Sartre.'' New York: HarperCollins. ==== রচনাবলীর উৎস ==== Beauvoir, Simone de. Woman: Myth Reality, ** in Jacobus, Lee (ed.) World of Ideas. Bedford/St. Martins, Boston 2006. 780-795 ** in Prince, Althea, and Susan Silva Wayne. Feminisms and Womanisms: Women's Studies Reader. Women's Press, Toronto 2004 p. 59-65. == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == The Internet Encyclopedia of Philosophy: Simone de Beauvoir by Shannon Mussett. Includes bibliography of her work in English translation. Stanford Encyclopedia of Philosophy: Simone de Beauvoir by Debra Bergoffen. Extensive bibliography. Guardian Books "Author Page", with profile and links to further articles. Finnish admirer. Stand By Your Man: The strange liaison of Sartre and Beauvoir, by Louis Menand. ''The New Yorker''. The Second Sex: Significant ''Other''. ইংরেজি অনুবাদ অনলাইন '' The Ethics of Ambiguity.'' জন্ম মৃত্যু শতাব্দীর দার্শনিক দার্শনিক দার্শনিক লেখক'''জনকপুর রোড''' () ভারতের বিহার রাজ্যের সীতামারহি জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনকপুর রোড শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৩৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জনকপুর রোড এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''রাভেলগঞ্জ''' () ভারতের বিহার রাজ্যের সরন জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫২ মিটার (১৭০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাভেলগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা হল ৩৪,০৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৪৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রাভেলগঞ্জ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে হিন্জিলিকাট শহরের জনসংখ্যা হল ২১,৩৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে হিন্জিলিকাট এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রায়রঙ্গপুর শহরের জনসংখ্যা হল ২১,৬৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রায়রঙ্গপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''চিরাওয়া''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ঝুনঝুনুন জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৯৪ মিটার (৯৬৪ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চিরাওয়া শহরের জনসংখ্যা হল ৩৭,২১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চিরাওয়া এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''কিষানগড়''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আলওয়ার জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৩৩ মিটার (১৪২০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কিষানগড় শহরের জনসংখ্যা হল ৯৪৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কিষানগড় এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''প্রতাপগড় (রাজস্থান)''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের প্রতাপগড় জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৯১ মিটার (১৬১০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে প্রতাপগড় (রাজস্থান) শহরের জনসংখ্যা হল ৩৫,৪১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে প্রতাপগড় (রাজস্থান) এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''বিজয়নগর''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আজমির জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বিজয়নগর শহরের জনসংখ্যা হল ২৭,৬৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বিজয়নগর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''জুলানা''' () ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের জিন্দ জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জুলানা শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৬৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জুলানা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহরPrithviraj Chauhan' Fort-2, Taraori, Haryana '''তারাওরি''' () ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কার্নাল জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে তারাওরি শহরের জনসংখ্যা হল ২২,২০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে তারাওরি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের কেরালা রাজ্যের আলেপ্পি জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কোক্কোথমনগলম শহরের জনসংখ্যা হল ১৬,৮৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৯% এবং নারী ৫১%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোক্কোথমনগলম এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের কেরালা রাজ্যের কন্নুর জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৬ মিটার (৫২ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে পায্যন্নুর শহরের জনসংখ্যা হল ৬৮,৭১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮% এবং নারী ৫২%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পায্যন্নুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''চিনচোলি''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গুলবার্গ জেলার একটি পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৬২ মিটার (১৫১৫ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চিনচোলি শহরের জনসংখ্যা হল ১৭,১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চিনচোলি এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ইলকাল''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বাগলকোট জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৮৫ মিটার (১৯১৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে ইলকাল শহরের জনসংখ্যা হল ৫১,৯৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ইলকাল এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''মালাবল্লি''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মান্দায়া জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৬১০ মিটার (২০০১ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মালাবল্লি শহরের জনসংখ্যা হল ৩৫,৮০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মালাবল্লি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''সত্যমঙ্গল''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাস্সান জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সত্যমঙ্গল শহরের জনসংখ্যা হল ১১,৩৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সত্যমঙ্গল এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''বেলগাউম সেনানিবাস''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেলগাউম জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বেলগাউম সেনানিবাস শহরের জনসংখ্যা হল ২৩,৬৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৯% এবং নারী ৪১%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বেলগাউম সেনানিবাস এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''আনন্দপুর সাহিব''' () ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের রূপনগর জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে আনন্দপুর সাহিব শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৮৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে আনন্দপুর সাহিব এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == (ভারত) এর শহর'''রাজপুরা''' () ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাতিয়ালা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৫৯ মিটার (৮৪৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাজপুরা শহরের জনসংখ্যা হল ৮২,৫৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রাজপুরা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == (ভারত) এর শহর'''চিচলি''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের নরসিংহপুর জিলা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৪৯ মিটার (১১৪৫ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চিচলি শহরের জনসংখ্যা হল ৯২৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চিচলি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''ইকলেহরা''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ছিন্দওয়ারা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৫৭ মিটার (১৪৯৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ইকলেহরা শহরের জনসংখ্যা হল ৯২০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৭%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ইকলেহরা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''কুরওয়াই''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের বিদিশা জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুরওয়াই শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৭৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কুরওয়াই এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''বড় মালহেরা''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ছত্রপুর জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বড় মালহেরা শহরের জনসংখ্যা হল ১৫,০৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বড় মালহেরা এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''রামপুর বাঘেলান''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের সাতনা জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রামপুর বাঘেলান শহরের জনসংখ্যা হল ১১,৩১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রামপুর বাঘেলান এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''বান্দা''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের সগর জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫০২ মিটার (১৬৪৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বান্দা শহরের জনসংখ্যা হল ২৬,১৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বান্দা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''আলমপুর''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ভিন্দ জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৫৯ মিটার (৫২১ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে আলমপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৯৩৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে আলমপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''খারোদ''' () ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের জনযগির-চম্পা জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৪০ মিটার (৭৮৭ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে খারোদ শহরের জনসংখ্যা হল ৮৬০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে খারোদ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ভাতাপারা''' () ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৬১ মিটার (৮৫৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ভাতাপারা শহরের জনসংখ্যা হল ৫০,০৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ভাতাপারা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আহমেদনগর জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ঘুলেওয়াদি শহরের জনসংখ্যা হল ১৯,৩৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫% এবং নারী ৪৫%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ঘুলেওয়াদি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''কিনওয়াত''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নান্দেদ জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩১৪ মিটার (১০৩০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কিনওয়াত শহরের জনসংখ্যা হল ২৪,৮৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কিনওয়াত এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''উনা''' () ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের উনা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৬৯ মিটার (১২১০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে উনা শহরের জনসংখ্যা হল ১৫,৯০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে উনা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''মুরগুদ''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কোলহাপুর জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৫৬ মিটার (১৮২৪ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মুরগুদ শহরের জনসংখ্যা হল ৯২০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মুরগুদ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''পুর্না''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পারভানি জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৮৬ মিটার (১২৬৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে পুর্না শহরের জনসংখ্যা হল ৩৩,২৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পুর্না এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''তারাপুর''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৫৬ মিটার (১৪৯৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে তারাপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৭০১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে তারাপুর এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ভোকারদান''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের জালনা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৮৭ মিটার (১৯২৫ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে ভোকারদান শহরের জনসংখ্যা হল ১৬,৯৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ভোকারদান এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''রোসেনবরি দুর্গ''' (ডেনীয়: Rosenborg Slot) ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত একটি দুর্গ। দুর্গটি মূলত ডেনমার্কের রাজা চতুর্থ ক্রিশ্চিয়ানের গ্রীষ্মকালীন বাড়ি হিসেবে ১৬০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। ওলন্দাজ রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত দুর্গটি পরে বেশ কয়েকবার পুনঃবর্ধন করা হয় এবং ১৬২৪ সালে বর্তমান অবস্থায় আসে। স্থপতি বের্টেল ল্যাং হান্স ভ্যান স্টিনউইঙ্কেল দুর্গের নকশা প্রণয়ন করেন। ভবন স্থাপনাসমূহ দুর্গ সালের স্থাপত্য জাদুঘর'''সিরাস পুর''' () ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী রাজ্যের উত্তর পশ্চিম জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সিরাস পুর শহরের জনসংখ্যা হল ১৪,৫৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬%, এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%, পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সিরাস পুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর'''ঠোঙা''' কাগজ বা শালপাতা জাতীয় পাতলা জিনিস দিয়ে তৈরি খুব হাল্কা পাত্র বা থলি। ঠোঙা সাধারণ দৃঢ় পাত্রের মত অনমনীয় নয়, আবার থলের মতও নয়, অভিকর্ষের বিরুদ্ধে নিজের আকৃতি বজায় রাখতে পারে (যা কাপড়ের থলে পারেনা)। কাগজের ঠোঙা (পেপার ব্যাগ) সহজেই ভাঁজ করা যায়। শালপাতার ঠোঙা অপেক্ষাকৃত শক্ত এবং এর উপর কলাপাতা বা অরেকটি শালপাতার টুকরো দিয়ে তৈরি ঢাকনা থাকতে পারে। গরীব দেশে সাধারণতঃ পুরোনো খবরের কাগজ পুনর্ব্যবহার করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হল তা দিয়ে ঠোঙা বানানো। == কাগজের ঠোঙা == কাগজের ঠোঙা প্লাস্টিকের প্যাকেট আসার অনেক আগে থেকেই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার ছিল। এবং পরিবেশ দূষণ কম করবার জন্যে প্লাস্টিকের ব্যবহারাবার কম করার চেষ্টা হচ্ছে, তাই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার আবার বাড়ছে। কাগজের ঠোঙা নানা আয়তনের অন্যপাতের হয়। যেমন '''মুড়ির ঠোঙা''' বলতে সাধারণতঃ বোঝায় ৫০০ গ্রাম মুড়ি ধরতে পারে এমন আয়তনের ঠোঙা। চানাচুর বা ঝালমুড়ির ঠোঙা বলতে বোঝায় ১০০ গ্রাম ঝালমুড়ি যাতে ভরে ট্রেনে বিক্রি করে সেই রকম ঠোঙা। খবরের কাগজের দৃঢ়তায় মুড়ির ঠোঙার থেকে বেশী বড় ঠোঙা বানালে সেটা তার ভেতরে জিনিস ধরবার মত মজবুত হবার সম্ভাবনা কম। কাগজের ঠোঙার সুবিধে হল একে আঠা দিয়ে সহজেই জোড়া যায়। কিন্তু অসুবিধে হল ভিজে গেলে কাগজের ঠোঙা খুব দুর্বল হয়ে ছিড়ে যায়। === কাগজের ঠোঙা বানাবার পদ্ধতি === কাগযের ঠোঙা নানা ভাবে বানানো যায়। সাধারণতঃ গঁদের আঠা বা ময়দার আঁঠা দিয়ে ভাঁজ করা কাগজের খোলা প্রান্তগুলি জুড়ে কাগজের ঠোঙা বানানো হয়। এই রকম একটি জনপ্রিয় পদ্ধতির প্রধ