commit d1413364ccf648fa8de254b47096f622cc67b9a0 Author: Gourab <19bcs118@iiitdwd.ac.in> Date: Tue Jun 8 08:18:48 2021 +0530 Coverage Script diff --git a/.DS_Store b/.DS_Store new file mode 100644 index 0000000..68ae28e Binary files /dev/null and b/.DS_Store differ diff --git a/Texts/.DS_Store b/Texts/.DS_Store new file mode 100644 index 0000000..8e2a9fd Binary files /dev/null and b/Texts/.DS_Store differ diff --git a/Texts/sample_ben.txt b/Texts/sample_ben.txt new file mode 100644 index 0000000..6af8782 --- /dev/null +++ b/Texts/sample_ben.txt @@ -0,0 +1 @@ +'''বাংলা ভাষা''' ('''বাঙলা''', '''বাঙ্গলা''', তথা '''বাঙ্গালা''' নামগুলোতেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের চতুর্থ বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত স্তোত্র বাংলাতে রচিত। বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস ১৩০০ বছর পুরনো। চর্যাপদ ভাষার আদি নিদর্শন। অষ্টম শতক থেকে বাংলায় রচিত সাহিত্যের বিশাল ভাণ্ডারের মধ্য দিয়ে অষ্টাদশ শতকের শেষে এসে বাংলা ভাষা তার বর্তমান রূপ পরিগ্রহণ করে। বাংলা ভাষার লিপি হল বাংলা লিপি। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত বাংলা ভাষার মধ্যে শব্দগত উচ্চারণগত সামান্য পার্থক্য রয়েছে। বাংলার নবজাগরণে বাংলার সাংস্কৃতিক বিবিধতাকে এক সূত্রে গ্রন্থনে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে তথা বাংলাদেশ গঠনে বাংলা ভাষা সাহিত্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব বাংলায় সংগঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলন এই ভাষার সাথে বাঙালি অস্তিত্বের যোগসূত্র স্থাপন করেছে। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষা বাংলাকে দাবীতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। ১৯৫২'র ভাষা শহিদদের সংগ্রামের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ==ইতিহাস== বাংলা ভাষার ইতিহাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়: প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০ ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ) ''চর্যাপদ'', ভক্তিমূলক গান এই সময়কার লিখিত নিদর্শন। এই সময় ''আমি'', ''তুমি'' ইত্যাদি সর্বনাম এবং -''ইলা'', -''ইবা'', ইত্যাদি ক্রিয়াবিভক্তির আবির্ভাব ঘটে। মধ্য বাংলা (১৪০০–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) সময়কার গুরুত্বপূর্ণ লিখিত নিদর্শন চণ্ডীদাসের ইত্যাদি। শব্দের শেষে "অ" ধ্বনির বিলোপ, যৌগিক ক্রিয়ার প্রচলন, ফার্সি ভাষার প্রভাব এই সময়ের সাহিত্যে লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো ভাষাবিদ এই যুগকে আদি অন্ত্য এই দুই ভাগে ভাগ করেন। আধুনিক বাংলা (১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে-বর্তমান) এই সময় ক্রিয়া সর্বনামের সংক্ষেপণ ঘটে, যেমন ''তাহার'' ''তার''; ''করিয়াছিল'' ''করেছিল''। ===প্রাচীন যুগ=== চর্যাপদের একটি পাতা খ্রিস্টীয় দশম দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কালে মাগধী প্রাকৃত পালির মতো পূর্ব মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ থেকে বাংলা অন্যান্য পূর্ব ইন্দো-আর্য ভাষাগুলির উদ্ভব ঘটে। এই অঞ্চলে কথ্য ভাষা প্রথম সহস্রাব্দে মাগধী প্রাকৃত বা অর্ধমাগধী ভাষায় বিবর্তিত হয়। খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীর শুরুতে উত্তর ভারতের অন্যান্য প্রাকৃত ভাষার মতোই মাগধী প্রাকৃত থেকে অপভ্রংশ ভাষাগুলির উদ্ভব ঘটে। পূর্বী অপভ্রংশ বা অবহট্‌ঠ নামক পূর্ব উপমহাদেশের স্থানীয় অপভ্রংশ ভাষাগুলি ধীরে ধীরে আঞ্চলিক কথ্য ভাষায় বিবর্তিত হয়, যা মূলতঃ ওড়িয়া ভাষা, বাংলা-অসমীয়া বিহারী ভাষাসমূহের জন্ম দেয়। কোনো কোনো ভাষাবিদ ৫০০ খ্রিষ্টাব্দে এই তিন ভাষার জন্ম বলে মনে করলেও এই ভাষাটি তখন পর্যন্ত কোনো সুস্থির রূপ ধারণ করেনি; সে সময় এর বিভিন্ন লিখিত ঔপভাষিক রূপ পাশাপাশি বিদ্যমান ছিল। যেমন, ধারণা করা হয়, আনুমানিক ষষ্ঠ শতাব্দীতে মাগধী অপভ্রংশ থেকে অবহট্‌ঠের উদ্ভব ঘটে, যা প্রাক-বাংলা ভাষাগুলির সঙ্গে কিছু সময় ধরে সহাবস্থান করছিল। চৈতন্য মহাপ্রভুর যুগে বাংলার নবজাগরণের সময় বাংলা সাহিত্য সংস্কৃত ভাষা দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিল। সংস্কৃত থেকে যে সমস্ত শব্দ বাংলা ভাষায় যোগ করা হয়, তাদের উচ্চারণ অন্যান্য বাংলা রীতি মেনে পরিবর্তিত হলেও সংস্কৃত বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়। ===মধ্যযুগ=== বাংলা সালতানাতের সময়কার রৌপ্যমুদ্রা বাংলা ভাষার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেন বাংলার মুসলিম শাসকগোষ্ঠী। ফার্সির পাশাপাশি বাংলাও বাংলার সালতানাতের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃত ছিলো এবং ব্যাপক হারে ব্যবহার হতো। এছাড়াও ''প্রত্ন বাংলা'' ছিলো পাল এবং সেন সাম্রাজ্যের প্রধান ভাষা। ===আধুনিক=== ঊনবিংশ বিংশ শতাব্দীতে নদিয়া অঞ্চলে প্রচলিত পশ্চিম-মধ্য বাংলা কথ্য ভাষার ওপর ভিত্তি করে আধুনিক বাংলা সাহিত্য গড়ে ওঠে। বিভিন্ন আঞ্চলিক কথ্য বাংলা ভাষা আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত ভাষার মধে অনেকখানি পার্থক্য রয়েছে। আধুনিক বাংলা শব্দভাণ্ডারে মাগধী প্রাকৃত, পালি, সংস্কৃত, ফার্সি, আরবি ভাষা এবং অস্ট্রো-এশীয় ভাষাসমূহ সহ অন্যান্য ভাষা পরিবারের শব্দ স্থান পেয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্বে, বাংলা ব্যাকরণ রচনার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৭৩৪ থেকে ১৭৪২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ভাওয়াল জমিদারীতে কর্মরত অবস্থায় পর্তুগিজ খ্রিস্টান পুরোহিত ধর্মপ্রচারক ম্যানুয়েল দ্য আসুম্পসাও সর্বপ্রথম ''ভোকাবোলারিও এম ইডিওমা বেঙ্গালা, পোর্তুগুয়েজ ডিভিডিডো এম দুয়াস পার্তেস'' ''()'' নামক বাংলা ভাষার অভিধান ব্যাকরণ রচনা করেন। ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড নামক এক ইংরেজ ব্যাকরণবিদ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ ('''') নামক গ্রন্থে একটি আধুনিক বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন, যেখানে ছাপাখানার বাংলা হরফ প্রথম ব্যবহৃত হয়। বাঙালি সমাজসংস্কারক রাজা রামমোহন রায় ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে ''গ্র্যামার অফ্ দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ্'' ''()'' নামক একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন। ===ভাষা আন্দোলন=== শহীদ মিনার ১৯৫১–৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জনগণের প্রবল ভাষা সচেতনতার ফলস্বরূপ বাংলা ভাষা আন্দোলন নামক একটি ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই আন্দোলনে পাকিস্তান সরকারের নিকট বাংলা ভাষার সরকারি স্বীকৃতি দাবি করা হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু ছাত্র রাজনৈতিক কর্মী নিহত হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন দিবস পালিত হয়। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা প্রদান করে। ====ভারত==== চিত্র:Silchar শিলচরে শহীদ মিনার বাংলাদেশ ছাড়াও ১৯৫০-এর দশকে ভারতের বিহার রাজ্যের মানভূম জেলায় বাংলা ভাষা আন্দোলন ঘটে। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ভারতের অসম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় একইরকম ভাবে বাংলা ভাষা আন্দোলন সংঘ ভাষা বঙ্গ অঞ্চলের বাঙালি অধিবাসীর মাতৃভাষা। স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ত্রিপুরা নিয়ে এই অঞ্চল গঠিত। এছাড়া ভারতের অসম রাজ্যের দক্ষিণাংশেও এই ভাষা বহুল প্রচলিত। ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসী বাংলা ভাষায় কথা বলে থাকেন। ==ভৌগোলিক ভাষাভাষী== বাংলা ভাষা বঙ্গভূমির অধিবাসীদের মাতৃভাষা, যা ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বর্তমান জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত। লন্ডনের বৃহৎ বাঙালী অভিবাসীদের আবাস ব্রিকলেনে বাংলা ভাষা মূল অঞ্চলের পাশাপাশি ত্রিপুরা,দক্ষিণ আসাম এবং ভারতীয় সংযুক্ত অঞ্চল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বসবাসরত বাঙালীদেরও মাতৃভাষা বাংলা। উরিসা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের প্রতিবেশী রাজ্যসমূহের বাংলা ভাষায় কথা বলা হয় এবং দিল্লি, মুম্বাই, বারাণসী এবং বৃন্দাবন সহ বঙ্গের বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলা ভাষাভাষী রয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইতালিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাঙালি বসবাস করেন। ===সরকারি মর্যাদা=== ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা বাংলা। ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় ভাষাও। ভারতে ভারতীয় সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ২৩টি সরকারি ভাষার মধ্যে বাংলা অন্যতম। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি ভাষা হল বাংলা এছাড়াও বাংলা ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম প্রধান ভাষা। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস হতে বাংলা ভাষা ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা রূপে স্বীকৃত। পাকিস্তানের করাচী শহরের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা রূপে বাংলাকে গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে সিয়েরা লিওনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আহমাদ তেজন কাব্বাহ ওই রাষ্ট্রে উপস্থিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ৫,৩০০ বাংলাদেশি সৈনিকের সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা প্রদান করেন। নোবেলজয়ী বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুইটি বাংলা কবিতা ভারত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়। অধিকন্তু, অনেকে মনে করেন যে, শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত (শ্রীলঙ্কা মাতা) মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বাংলা কবিতার প্রভাবে লেখা হয়েছিল, আবার অনেকে এমনটাও মনে করেন যে জাতীয় সঙ্গীতটি প্রথমে বাংলায় রচিত হয়েছিল এবং তারপর তা সিংহলিতে অনুবাদ করা হয়েছিল। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে মর্যাদা দেওয়ার দাবী জানান। == কথ্য সাহিত্যের ভাষার বিবিধতা == বাংলার কথ্য লেখ্য রূপের মধ্যে বিবিধতা বর্তমান। বিভিন্ন শব্দভাণ্ডার দ্বারা সমৃদ্ধ হয়ে বাংলায় দুই ধরনের লিখনপদ্ধতি তৈরি হয়েছে। ===সাধু ভাষা=== সাধু ভাষা বাংলার এক ধরনের লেখ্য রূপ, যেখানে সংস্কৃত পালি ভাষাসমূহ থেকে উদ্ভূত তৎসম শব্দভাণ্ডার দ্বারা প্রভাবিত অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ক্রিয়াবিভক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দী বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এই ধরনের ভাষা বাংলা সাহিত্যে বহুল ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে সাহিত্যে এই ভাষারূপের ব্যবহার নেই বললেই চলে। ===মান্য চলিত ভাষা=== চলিতভাষা, যা ভাষাবিদদের নিকট ''মান্য চলিত বাংলা'' নামে পরিচিত, বাংলার এক ধরনের লেখ্য রূপ, যেখানে মানুষের কথ্য বাগধারা স্থান পায়। এই লিখনশৈলীতে অপেক্ষাকৃত ছোটো আকারের ক্রিয়াবিভক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমান বাংলা সাহিত্যে এই ধরনের শৈলী অনুসরণ করা হয়ে থাকে। উনবংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালের ঘরে দুলাল প্রভৃতি রচনাগুলিতে এই ধরনের শৈলী সাহিত্যে জায়গা করে নেয়। এই শৈলী নদিয়া জেলার শান্তিপুর অঞ্চলে প্রচলিত কথ্য উপভাষা থেকে গঠিত হয়েছে, ফলে একে অনেক সময় শান্তিপুরি বাংলা বা নদিয়া উপভাষা বলা হয়ে থাকে। মান্য চলিত বাংলায় অধিকাংশ বাংলা সাহিত্য রচিত হলেও, কথ্য বাংলা ভাষার উপভাষাসমূহ মধ্যে যথেষ্ট বিবিধতা রয়েছে। কলকাতাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীরা মান্য চলিত বাংলায় কথা বলে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলগুলির কথ্য ভাষা মান্য চলিত বাংলার থেকে অনেকটাই ভিন্ন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সিলেট অঞ্চলের কথ্য ভাষার সঙ্গে মান্য চলিত বাংলার খুব সামান্যই মিল রয়েছে। তবে অধিকাংশ বাঙালি নিজেদের মধ্যে ভাব আদানপ্রদানের সময় মান্য চলিত বাংলা সহ একাধিক উপভাষায় কথা বলতে সক্ষম বলে মনে করা হলেও অনেক ভাষাবিদ তা স্বীকার করেন না। ===উপভাষা=== বঙ্গভূমির (এবং আসাম ঝাড়খন্ডের কিছু জেলা) একটি মানচিত্র যাতে বাংলা ভাষার উপভাষা সমূহ দেখানো হয়েছে (''* দিয়ে শুরু হওয়া '''মোটা বর্ণের''' নামেগুলোকে কখনো বাংলার উপভাষা আবার কখনো স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয় কথ্য বাংলাতে আঞ্চলিক প্রকরণ একটি উপভাষার ধারাবাহিকতা গঠন করে। ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই উপভাষাগুলি চারটি বৃহৎ ভাগে বিভক্ত করেছেন রাঢ়ী, বঙ্গ, কামরূপী উপভাষা এবং বরেন্দ্র; তবে অনেক বিকল্প শ্রেণীকরণ প্রকল্পও প্রস্তাব করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমা উপভাষাগুলি (রাঢ়ী বা নদীয়া উপভাষা) আধুনিক মান্য ভাষাগত বাঙালির ভিত্তি তৈরি করে। পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের বেশিরভাগ উপাখ্যানগুলিতে (বাংলাদেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং সিলেট বিভাগ), পশ্চিমবঙ্গে শোনা অনেক যতি সুস্পষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনিকে উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি হিসাবে উচ্চারণ করা হয়। পাশ্চাত্য তালব্য-মূর্ধন্য ঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি যথাক্রমে প্রাচ্যের এর সাথে সম্পর্কিত। বাংলার কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম এবং চাকমা ভাষার সুর রয়েছে বৈপরীত্য বক্তার কণ্ঠের উচ্চারণের তীক্ষ্মতা শব্দগুলোকে পৃথক করতে পারে। রংপুরী, খারিয়া থাট এবং মাল পাহাড়িয়া ভাষা পশ্চিমাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও সাধারণভাবে তাদেরকে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে শ্রেণীকরণ করা হয়। উত্তরাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও হাজং কে স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উনবিংশ শতাব্দী এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাংলা ভাষার প্রমিতীকরণের সময় ব্রিটিশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কলকাতা ছিল বঙ্গভূমির সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বাংলাদেশের সীমানার পাশে অবস্থিত নদীয়া জেলার পশ্চিম-মধ্য উপভাষার উপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশে বর্তমান প্রমিত রূপটি গৃহীত হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্বেও পশ্চিমবঙ্গের একজন বক্তা আদর্শ বাংলায় যে শব্দ ব্যবহার করবেন তা বাংলাদেশের একজন বক্তা ব্যবহার নাও করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবহৃত ''নুন'' শব্দটির পরিবর্তে পশ্চিমপ্রান্তে ''লবণ'' শব্দটি ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ লেখা প্রমিত বাংলায় (এসসিবি) থাকলেও কথ্য উপভাষাগুলি বৈচিত্র‍্য প্রদর্শন করে। কলকাতা সহ দক্ষিণ-পূর্ব পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা এসসিবিতে কথা বলে।। প্রমিত চলিত থেকে কিছুটা স্বল্প পরিবর্তনের সাথে সাথে অন্যান্য উপভাষাগুলি পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিম বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে যেমন মেদিনীপুরের উপভাষায় কিছু নিজস্ব শব্দ রয়েছে। তবে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোক উপভাষায় কথা বলেন, এসসিবি থেকে আলাদা কিছু উপভাষা বিশেষত চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকেরা প্রমিত চলিতরূপেই লেখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলে উপভাষাটি সাধারণ বাঙালী জনসাধারণের কাছে সহজে বোধগম্য হয় না। এমনকি এসসিবিতেও বক্তার ধর্ম অনুসারে শব্দভাণ্ডার পৃথক হতে পারে: হিন্দুরা সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত শব্দ এবং মুসলমানরা দেশীয় শব্দের পাশাপাশি ফারসি এবং আরবি ভাষার শব্দ ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেশি। উদাহরণস্বরূপ: মূলত হিন্দুদের ব্যবহার প্রধানত মুসলিম ব্যবহার ''nômôshkar'' ''nimôntrôn'' ''daoat'' ''Jol'' ''Pani'' ''snan'' ''gosôl'' দিদি আপু ''দাদা'' ''bha'i'' মাসী খালা ''কাকা'' চাচা প্রার্থনা দো'আ দু'আ প্রদীপ ''বাটি'' == ধ্বনিব্যবস্থা == +'''বাংলা স্বরধ্বনি''' সম্মুখ কেন্দ্রীয় পশ্চাৎ সংবৃত '''ই'''~ঈi '''উ'''~ঊu সংবৃত-মধ্য '''এ'''e ওu/o বিবৃত-মধ্য '''অ'''ô বিবৃত '''আ'''a +নাসিক্য স্বরধ্বনি সম্মুখ কেন্দ্রীয় পশ্চাৎ সংবৃত ইঁ~ঈঁ উঁ~ঊঁ সংবৃত-মধ্য এঁ ওঁ বিবৃত-মধ্য এ্যাঁ অ্যাঁ অঁ বিবৃত আঁ +'''বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনি''' উভয়ৌষ্ঠ্য দন্ত্য দন্তমূলীয় তালব্য কণ্ঠনালীয় নাসিক্য '''ন''' '''ঞ''' '''ঙ''' '''ঁ''' স্পর্শ অঘোষ ঘোষ উষ্ম 23 তরল বাংলা ভাষায় প্রচুর স্বরদ্যোতনা রয়েছে একই অক্ষরে একাধিক স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়। এর মধ্যে এবং দ্বয় কেবলমাত্র একটি করে স্বরবর্ণ এবং দ্বারা লেখা হয়। সর্বমোট যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা ১৭ থেকে ৩১ এর মধ্যে রয়েছে বলে অনেকে ধারণা করেন। সরকার (১৯৮৫) কর্তৃক প্রদত্ত একটি লেখ নিচে দেয়া হল: ===শ্বাসাঘাত=== আদর্শ বাংলায় সাধারণত শুরুতে শ্বাসাঘাত লক্ষ করা যায়। বাংলা শব্দগুলো বিমুর্তভাবে দ্বিপর্ববিশিষ্ট শব্দের প্রথম অক্ষরে মুখ্য শ্বাসাঘাত পড়ে এবং প্রায়ই বিজোড় অবস্থানের অক্ষরগুলোতে গৌণ শ্বাসাঘাত লক্ষ করা যায়। ফলে শব্দটি উচ্চারিত হয় "cooperation", যেখানে '''মোটাদাগ''' মুখ্য এবং গৌণ শ্বাসাঘাত নির্দেশ করে। স্থানীয় বাংলা ভাষায় শব্দের শুরুতে যুক্তবর্ণ থাকে না; সর্বোচ্চ আকারের অক্ষর হতে পারে(স্বরধনির দুপাশে ব্যঞ্জনধ্বনি)। অনেক বাঙালি এমনকি ইংরেজি কিংবা সংস্কৃত থেকে ধারকৃত শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রেও এই ধারাটি বজায় রাখে যেমন ''গ্রাম'' উচ্চারণ করেন উচ্চারণ করেন হিসেবে। === বানানতাত্ত্বিক গভীরতা === সাধারণভাবে বাংলা লিপির তুলনামূলক বানানতাত্ত্বিক গভীরতা বেশি নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাঙালীদের ধ্বনি এবং বর্ণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে উচ্চারণ-বানান অসঙ্গতি ঘটে। এক ধরনের অসঙ্গতি হল একই শব্দের জন্য লেখায় বেশ কয়েকটি বানানের উপস্থিতি। উনবিংশ শতাব্দীতে কিছু পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও, বাংলা বানান পদ্ধতি সংস্কৃত ভাষার জন্য ব্যবহৃত বানানরীতির উপর ভিত্তি করেই রচিত হচ্ছে এবং এভাবে কথ্য ভাষায় কিছু শব্দ সংযোজনের বিষয়টি বিবেচনায় থাকে না। ব্যঞ্জন -এর জন্য তিনটি বর্ণ এবং রয়েছে যদিও বর্ণটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমন -এ ব্যবহৃত হয়। তখন অঘোষ দন্তমূলীয় ঊষ্মধ্বনি শব্দ ধরে রাখে; যেমন "স্কুল", ইত্যাদি। বর্ণটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যেমন -এ ব্যবহৃত হয়। তখন অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনি শব্দ ধরে রাখে; যেমনঃ ইত্যাদি। একইভাবে,ঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি প্রকাশ করার জন্য দুটি অক্ষর রয়েছে এবং )। তাছাড়া, আগে উচ্চারিত এবং লিখিত মূর্ধন্য অনুনাসিক কে এখন সাধারণ আলাপচারিতায় দন্তমূলীয় হিসেবে উচ্চারণ করা হয় (যখন উচ্চারণ করা হয় তখন পার্থক্য বোঝা যায়) (যদি না অপর একটি মূর্ধন্যধ্বনির যেমন এবং -এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে), তবে বানানে এই পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না। অর্ধ-সংবৃত সম্মুখ স্বরবর্ণ একাধিক উপায়ে নিরূপিত হয়। উদাহরণস্বরূপ: অন্য ধরনের অসঙ্গতিটি লেখায় যথেষ্ট ঔচ্চারণিক তথ্যের ঘাটতিসম্পর্কিত। পূর্ববর্তী ধ্বনির স্বরসঙ্গতির উপর নির্ভর করে লেখায় প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে জড়িত অন্তর্নিহিত স্বরবর্ণটি কিংবা হতে পারে;কিন্তু লেখায় স্পষ্টভাবে প্রকাশ না পাওয়ায় তা পাঠকের জন্য দ্ব্যর্থতা তৈরি করে। তাছাড়া অন্তর্নিহিত স্বরটি প্রায়শই শব্দের শেষে উহ্য থাকে (যেমন: ;তবে তা বানানে প্রতিফলিত না হওয়ায় নতুন পাঠকের পক্ষে এটি কঠিন করে তোলে। অনেক যুক্তব্যঞ্জন তাদের মূল ব্যঞ্জনবর্ণের চেয়ে আলাদা রূপে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যঞ্জনবর্ণের এবং যুক্ত হয়ে গঠন করে এবং তা উচ্চারিত হয় কিংবা অথবা (যেমন এর উচ্চারণ হিসেবে উচ্চারিত হতে পারে যা কোনও শব্দে যুক্তব্যঞ্জনটির অবস্থানের উপর নির্ভর করে। বাংলা লেখার ব্যবস্থাটি তাই সর্বদা উচ্চারণের সত্যিকারের সহায়ক নয়। === ব্যবহারসমূহ === বাংলা, অসমিয়া এবং অন্যান্য ভাষার জন্য ব্যবহৃত লিপিটি বাংলা লিপি হিসাবে পরিচিত। বাংলা এবং তার উপভাষায় বাংলা বর্ণমালা হিসেবে এবং কিছু ছোটখাট পরিবর্তনের সঙ্গে অসমিয়া ভাষায় অসমিয়া বর্ণমালা হিসেবে পরিচিত। নিকটবর্তী অঞ্চলের অন্যান্য সম্পর্কিত ভাষা যেমন ভারতীয় রাজ্য মণিপুরে মৈতৈ মণিপুরী ভাষাও বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে, যেখানে মৈতৈ ভাষা বহু শতাব্দী ধরে বাংলা বর্ণমালায় রচিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মৈতৈ লিপি প্রচার করা হয়েছে। ==লিখন পদ্ধতি== নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৯২৬ সালে হাঙ্গেরিতে লেখা একটি বাংলা কবিতার (বাংলা অনুচ্ছেদের নিচে ইংরেজি অনুবাদসহ) অংশবিশেষ বাংলা লিপি এক ধরনের আবুগিডা, যেখানে ব্যঞ্জনধ্বনির জন্য বর্ণ, স্বরধ্বনির জন্য কারচিহ্ন এবং যদি কোন কার চিহ্ন না থাকে তবে স্বয়ংক্রিয় স্বরবর্ণ হিসেবে ''অ'' ধরে নেওয়া হয়। সমগ্র বাংলাদেশ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলে (আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা) বাংলা বর্ণমালা ব্যবহৃত হয়। আনুমানিক ১০০০ অব্দে অথবা ১০ম থেকে ১১শ শতাব্দীতে) ব্রাহ্মী লিপির পরিবর্তিত রূপ থেকে বাংলা বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও এটি পাকিস্তানে ব্যবহৃত শাহমুখি লিপির মত আরবি ভিত্তিক বর্ণমালার পরিবর্তে বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে। বাংলা ভাষায় বক্রলিপিতে নয়টি স্বরধ্বনি এবং দুটি যৌগিক স্বরধ্বনি নির্দেশ করার জন্য ১১ টি প্রতীক বা চিহ্ন এবং ব্যঞ্জনধ্বনি অন্যান্য প্রভাবকের জন্য ৩৯ টি প্রতীক ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে বড় হাতের এবং ছোট হাতের বর্ণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বর্ণগুলো বাম থেকে ডানে লেখা হয় এবং ফাঁকা স্থান গুলো লিখিত শব্দসমূহ পৃথক করতে ব্যবহৃত হয়। বাংলা লেখায় দুটি বর্ণকে পাশাপাশি যুক্ত করার জন্য একটি সমান্তরাল রেখা টানা হয় যাকে ''মাত্রা'' বলা হয়। বাংলা লিপি আবুগিদা হওয়ায় ব্যঞ্জনবর্ণ গুলো সাধারণত উচ্চারণগত ভাষাতত্ত্ব নির্দেশ করে না বরং উহ্যভাবে স্বরধ্বনি ধরে রাখে। ফলে এগুলো প্রকৃতিগতভাবে অক্ষর। উদ্ধৃত্ত স্বরধ্বনি সাধারণত একটি পশ্চাৎ স্বরধ্বনি। কোন রূপ স্বরধ্বনি উচ্চারণ ব্যতীত কোন একটি ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণে জোর প্রদান করতে মূল ব্যঞ্জনবর্ণের নিচে হসন্ত () নামক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এই চিহ্নটি সব সময় পাওয়া যায় না ;তবে যখন উচ্চারণের বৈপরীত্য দেখা যায় তখন এটি ব্যবহৃত হয়। বাংলা ব্যঞ্জন ধ্বনির চিত্রমূলের আবুগিডা প্রকৃতি সর্বদা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে না। প্রায়শই ব্যঞ্জনান্ত অক্ষরসমূহে হসন্ত না থাকলেও কোন স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয় না। সহজাত ব্যতীত কিছু স্বরধ্বনির পরে একটি ব্যঞ্জনাত্মক ধ্বনি উপরের, নীচে, আগে, পরে বা ব্যঞ্জনবর্ণের চিহ্নের চারপাশে বিভিন্ন স্বরবর্ণ ব্যবহার করে সর্বব্যাপী লিখনরূপের নিয়ম গঠন করে উপলব্ধি করা যায়। ‘কারচিহ্ন’ নামে পরিচিত এই শব্দস্বরূপগুলি স্বররূপ এবং এগুলি স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না। বাংলায় স্বরবর্ণগুলো দুটি রূপ নিতে পারে: লিপির মূল তালিকাতে পাওয়া স্বতন্ত্র রূপ এবং নির্ভরশীল, সংক্ষিপ্তরূপ (উপরে বর্ণিত কারচিহ্ন)। কোনও পূর্ববর্তী বা নিম্নলিখিত ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে একটি স্বরকে উপস্থাপন করতে, স্বরবর্ণের স্বতন্ত্র রূপ ব্যবহার করা হয়। হসন্তের পাশাপাশি, আরও তিনটি চিহ্ন সাধারণত বাংলাতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি হল উর্ধ্বধাবিত চন্দ্রবিন্দু (ঁ) দ্বারা স্বরবর্ণের অনুনাসিক এর অনুপস্থিতিকে বোঝানো হয় (যেমন ''চাঁদ''), পশ্চাদ্ধাবিত অনুস্বার পশ্চাত্তালব্য নাসিক্যধ্বনি (ঙ) ইঙ্গিত করে (যেমন বাংলা "বাঙলা") এবং পশ্চাদ্ধাবিত বিসর্গ (ঃ) অঘোষ কণ্ঠনালীয় ঊষ্মধ্বনি (হ) (যেমন উঃ! উঃ" আউচ! ") বা পরবর্তী ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব (যেমন দুখখ দুকু" দুঃখ ") ইঙ্গিত করে। বাংলা (লিখিত যুক্তব্যঞ্জন) সাধারণত সংযুক্ত হিসাবে লেখা হয়, যেখানে প্রথমে যে ব্যঞ্জনবর্ণ আসে তা পরবর্তীটির উপরে বা বাম দিকে যুক্ত হয়। এই সংযুক্তিতে মাঝেমাঝে মূল রূপের চেয়ে এতটাই বিকৃত হয় যে তাকে আলাদা করে চেনা যায় না। বাংলা লিপিতে, এমন প্রায় ২৮৫টি যুক্তব্যঞ্জন রয়েছে। তবে যুক্তাক্ষর গঠনের কিছু বাহ্যিক নিয়ম থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ছোটবেলা থেকে রপ্ত করতে হয়। সম্প্রতি, তরুণ শিক্ষার্থীদের উপর এই বোঝা হ্রাস করার লক্ষ্যে, দুটি মূল বাংলা-ভাষা অঞ্চল (পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ) এর বহু যুক্তাক্ষরের "অস্পস্ট" আকৃতির সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছে এবং ফলস্বরূপ, আধুনিক বাংলা পাঠ্যপুস্তকে যুক্তবর্ণগুলোর আরও বেশি "স্বচ্ছ" রূপ ধারণ করা শুরু হয়েছে, যেখানে একটি যুক্তাক্ষরের ব্যঞ্জনবর্ণগুলি বাহ্যিক রূপ সহজেই প্রকাশ পায়। তবে, যেহেতু এই পরিবর্তনটি তত বিস্তৃত নয় এবং বাকী বাংলা মুদ্রিত সাহিত্যের মতো একইভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না, তাই আজকের বাংলা-শিক্ষিত বাচ্চাদের সম্ভবত নতুন "স্বচ্ছ" এবং পুরাতন "অস্বচ্ছ" উভয় রূপই চিনতে হবে যা শেষ পর্যন্ত শেখার বোঝা পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। বাংলা বিরামচিহ্ন, "।" (দাড়ি) একটি ''ফুলস্টপ'' এর বাংলা সমতুল্য যা পশ্চিমা লিপি থেকে গৃহীত হয়েছে এবং ব্যবহারও তাদের অনুরূপ। == নমুনা পাঠ্য == বাংলা ভাষায় একটি নমুনা গল্প নিম্নলিখিত বাংলা ভাষাতে মানবাধিকার সনদের প্রথম ধারার নমুনা পাঠ্য: '''বাংলা লিপিতে বাংলা ভাষা''' :'''ধারা ১:''' সমস্ত মানুষ স্বাধীনভাবে সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাঁদের বিবেক এবং বুদ্ধি আছে; সুতরাং সকলেরই একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্বসুলভ মনোভাব নিয়ে আচরণ করা উচিত। '''বাংলার রোমানীকরণ''' :. '''আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালাতে বাংলা ভাষার উচ্চারণ :. ==সম্পর্কিত ভাষাসমূহ== বাংলা ভাষার সাথে নেপালি ভাষার ৪০ শতাংশ সাদৃশ্য রয়েছে এছাড়া অসমীয়া ভাষা, সাদরি ভাষা প্রায় বাংলার অনুরূপ। অনেকেই অসমীয়াকে বাংলার উপভাষা বা আঞ্চলিক রীতি হিসেবে বিবেচনা করেন। সাঁওতালি ভাষা, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার সাথেও বেশ সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। == আরও দেখুন == সিলেটি ভাষা চাঁটগাঁইয়া ভাষা রংপুরী ভাষা বাংলা উপভাষা বাংলা লিপি বাংলা সংখ্যা পদ্ধতি বাংলা ভাষা আন্দোলন বাংলা একাডেমি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == Chakraborty, Byomkes, Comparative Study of Santali and Bengali, K.P. Bagchi Co., Kolkata, 1994, Byomkes Chakrabarti শ, রামেশ্বর: সাধারণ ভাষাবিজ্ঞান বাঙ্গাল ভাষা, পুস্তক বিপনি, ১৯৯৭ হালদার নারায়ণ বাংলা ভাষা প্রসঙ্গ: বানান কথন লিখনরীতি, পুস্তক বিপনি, কলকাতা, ২০০৭ Thompson, Hanne-Ruth (2012). '' Bengali''. Volume 18 of London Oriental and African Language Library. John Benjamins Publishing. == বহিঃসংযোগ == বাংলা একাডেমি ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ ভাষা ভাষা সরকারি ভাষাসমূহ'''বাহরাইন''' মধ্যপ্রাচ্যের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। বাহরাইন পারস্য উপসাগরের পশ্চিম অংশের ৩৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এর পূর্বে কাতার পশ্চিমে সৌদী আরব। সবচেয়ে বড় দ্বীপটিও বাহরাইন নামে পরিচিত এবং এতে দেশটির বৃহত্তম শহর রাজধানী মানামা অবস্থিত। প্রায় ৫,০০০ বছর আগেও বাহরাইন একটি বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। সবসময়ই এটি শক্তিশালী প্রতিবেশীদের অধীনস্থ ছিল। ১৭শ শতকে এটি ইরানের দখলে আসে। ১৭৮৩ সালে মধ্য সৌদী আরবের আল-খলিফা পরিবার নিজেদেরকে বাহরাইনের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে এবং তখন থেকে তারাই দেশটিকে শাসন করে আসছে। ১৯শ শতকের কিছু সন্ধিচুক্তির ফলে যুক্তরাজ্য দেশটির প্রতিরক্ষা বৈদেশিক সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব পায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত বাহরাইন ব্রিটিশ প্রভাবাধীন ছিল। বাহরাইনের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি সেখানেই জন্ম-নেওয়া। এছাড়া বাহরাইনে শিয়া মুসলিমদের সংখ্যা সুন্নী মুসলিমদের প্রায় দ্বিগুণ। তবে সুন্নীরা বাহরাইনের সরকার নিয়ন্ত্রণ করেন। ১৯৩০-এর দশকে বাহরাইন পারস্য উপসাগরের প্রথম দেশ হিসেবে তেল-ভিত্তিক অর্থনীতি গঠন করে, কিন্তু ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকেই এর সমস্ত তেল ফুরিয়ে যায়। তবে দেশটি এই পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই অন্যান্য শিল্পে বিনিয়োগ করে রেখেছিল এবং দেশটির অর্থনীতি এখনও উন্নতি করে যাচ্ছে। == ইতিহাস == বর্তমান বাহরাইন অঞ্চলে ব্রোঞ্জ যুগে দিলমুন নামক সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল। হাজার বছর আগেও বাহরাইন সিন্ধু অববাহিকা মেসোপটেমিয়ার সভ্যতাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২০০০ অব্দের দিকে ভারত থেকে বাণিজ্য আসা বন্ধ হয়ে গেলে দিলমুন সভ্যতার পতন ঘটা শুরু করে। ৭৫০ থেকে আসিরীয় রাজার বাহরাইনকে ক্রমাগত নিজেদের বলে দাবী করতে শুরু করে। ৬০০ কিছু পরে দিলমুন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যায়। এরপর অনেক দিন যাবৎ বাহরাইনের কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না। খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতকে পারস্য উপসাগরে মহাবীর আলেকজান্ডারের পদার্পণ ঘটলে আবার এর হদিস পাওয়া যায়। যদিও আরব গোত্র বনি ওয়াএল এবং পারসিক গভর্নরেরা অঞ্চলটি শাসন করতেন, খ্রিস্টীয় ৭ম শতক পর্যন্তও এটি গ্রিক নাম তিলোস (Tylos) নামে পরিচিত ছিল। শতকে এখানকার অধিবাসীরা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। বাহরাইন ছিল আঞ্চলিক বাণিজ্য মুক্তা আহরণ কেন্দ্র। ৭ম শতক থেকে বিভিন্ন পর্বে এলাকাটি সিরিয়ার উমাইয়া বংশীয় খলিফাগণ, বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাগণ, পারসিক, ওমানি এবং পর্তুগিজদের দ্বারা শাসিত হয়। শেষ পর্যন্ত বনি উতবাহ গোত্রের আল খালিফা পরিবার ১৭৮৩ সালে ইরানীদের কাছ থেকে অঞ্চলটি দখল করে এবং তখন থেকে আজ পর্যন্ত তারা বাহরাইনের শাসক। ১৮৩০-এর দশকে আল খালিফা পরিবার একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাহরাইনকে একটি ব্রিটিশ প্রটেক্টোরেটে পরিণত করে, অর্থাৎ যুক্তরাজ্য বহিরাক্রমণ থেকে দেশটির সুরক্ষার দায়িত্ব নেয় এবং এর বিনিময়ে বাহরাইন যুক্তরাজ্যের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন বিদেশী শক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হারায়। বাহরাইনে বড় আকারে খনিজ তেলের উৎপাদন শুরু হবার কিছু পরেই ১৯৩৫ সালে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটিটি বাহরাইনে নিয়ে আসা হয়। ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্য সরকার পারস্য উপসাগরের শেখশাসিত রাজ্যগুলির সাথে ইতোমধ্যে করা চুক্তিগুলি রদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় বাহরাইন কাতার এবং বর্তমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি শেখরাজ্যের সাথে মিলে একটি বৃহৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭১ সাল নাগাদ এই নয় রাজ্য সংযুক্তিকরণের বিভিন্ন ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। ফলে ১৯৭১ সালের ১৫ই আগস্ট বাহরাইন একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। নতুন রাষ্ট্র বাহরাইনের জন্য একটি সংবিধান রচনা করা হয় এবং ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচিত হয়, কিন্তু মাত্র দুই বছর পরে ১৯৭৫ সালে বাহরাইনের আমির সংসদ ভেঙে দেন, কেননা নির্বাচিত সংসদ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আল-খলিফা শাসনের অবসান এবং মার্কিন নৌবাহিনীকে সেখান থেকে বিতাড়নের প্রচেষ্টা করছিল। ১৯৯০-এর দশকে বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায়ের অসন্তুষ্টি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতের আকারে প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে বাহরাইনের আমির প্রায় ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত, ১৯৯৫ সালে, বাহরাইনের মন্ত্রীসভায় পরিবর্তন আনেন, এবং আইন পর্যালোচনাকারী কাউন্সিলের সদস্যসংখ্যা ৩০ থেকে ৪০-এ বৃদ্ধি করেন। এর ফলে সংঘাতের পরিমাণ প্রথমে কিছু কমলেও ১৯৯৬ সালের শুরুর দিকে বেশ কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ-তে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে এবং এতে অনেকে নিহত হয়। পুলিশ প্রায় হাজার লোককে এর জের ধরে গ্রেফতার করে এবং কোন বিচার ছাড়াই এদের শাস্তি দেয়া হয়। সম্প্রতি বাহরাইন সরকার এদের অনেককে ছেড়ে দিয়েছে। বাহরাইন ১৯৭১ সালে স্বধীনতা লাভ করে। বাহার শব্দের অর্থ সাগর আর বাহরাইন হচ্ছে দু'টি সাগর। এটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র এর চারদিকে সাগর == রাজনীতি == '''বাহরাইনের রাজনীতি''' একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র কাঠামোতে সংঘটিত হয়। রাজা শাইখ হামাদ বিন ইসা আল খালিফা সরকার চালানোর জন্য একজন প্রশাসক নিযুক্ত করেন। বাহরাইনের আইনসভা নিম্ন কক্ষের সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেন। ঊর্ধ্বকক্ষ তথা শুরা কাউন্সিলের সদস্যদের রাজা নিয়োগ দেন। বর্তমানে খালিফা ইবন সুলমান আল-খালিফা দেশের প্রধানমন্ত্রী। রাজপুত্র শাইখ সালমান বাহরাইনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার। == প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ == == ভূগোল == বাহরাইন রাষ্ট্রটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে ২৪ কিমি দূরে পারস্য উপসাগরে অবস্থিত ৩২টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপটির নাম বাহরাইন দ্বীপ। দ্বীপটির বেশির ভাগ অংশ মরুময় ঊষর নিম্নভূমি। কেবল উত্তরের উপকূলে এক চিলতে সমভূমি আছে যেখানে রাজধানী মানামা অবস্থিত। == অর্থনীতি == বাহরাইনের অর্থনীতি প্রধানত পেট্টোলিয়াম উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ রিফাইনিং এর উপর নির্ভরশীল। এই খাত ৬০% রপ্তানিতে ৩০% জিডিপিতে অবদান রাখে। এদেশের শ্রমবাজারের ভাগের ভাগ দখল করে আছে বিদেশি শ্রমিকেরা। যোগাযোগব্যবস্থা ভাল হওয়ায় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এখানে সদরদপ্তর স্থাপন করেছে। পর্যটন খাত অনেক উন্নতি সাধন করেছে। এই খাত জিডিপিতে ৯% অবদান রাখছে। শুধুমাত্র ১% ভূমি চাষযোগ্য হওয়ায় তারা প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেরা উৎপাদনে অক্ষম। তারা এক্ষেত্রে আমদানির উপর নির্ভর করে। তাদের মাথাপিছু আয়ও অনেক বেশি। প্রায় ৫১,৯৫৬ মা.ডলার(২০১৭ অনুযায়ী) == জনসংখ্যা == আরবি ভাষা বাহরাইনের সরকারি ভাষা। এছাড়াও এখানকার সংখ্যালঘু ফার্সি ভাষা, উর্দু ভাষা, এবং হিন্দি ভাষা বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত। আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য এবং পর্যটন শিল্পে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাহরাইনে সাত লক্ষের কিছু বেশি লোকের বাস। এদের ৯৯% মুসলমান। বাকী ১% মূলত ইহুদী খ্রিস্ট ধর্মাবলবম্বী। মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ৭০% শিয়া মতাবলম্বী। বাকীরা সুন্নী। অমুসলিম বিদেশীদের মধ্যে খ্রিস্টধর্মের বিভিন্ন মতাবলম্বী ছাড়াও হিন্দু, বাহাই, বৌদ্ধ, শিখ, ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মের অনুসারী আছে। ===ধর্ম === এখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আরব বিশ্বের যে টি দেশে শিয়া জনপ্রাধান্য আছে তার একটি এটি (অপর দুটি ইরান ইরাক যদিও বাহরাইনের রাজপরিবার সুন্নি পন্থী। সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে == সংস্কৃতি == == সঙ্গীত == বাহরাইনের সঙ্গীত অনেকটা এর প্রতিবেশি রাষ্ট্রসমূহের মতই। '''খালিজি''' (Khaliji) এক প্রকার লোক সঙ্গীত সমগ্র বাহরাইন জুড়ে জনপ্রিয়। এছাড়া শহুরে ঘরানার '''সাওত''' (sawt) সঙ্গীতও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আলি বাহার বাহরাইনের বিখ্যাত গায়কদের মধ্যে একজন। Al Ekhwa (আরবি অনুবাদ- দ্যা ব্রাদার্স) তার সঙ্গীত দলের নাম। '''অ্যারাবস গট ট্যালেন্ট''' কর্তৃক ২০১১ সালে নির্বাচিত ক্ষুদে সংগীত শিল্পী হালা আল তুরক বাহরাইনে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাহরাইন ছাড়াও সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে তার সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়াও তার ইউটিউব মিউজিক ভিডিও সমূহ খুবই জনপ্রিয়। উল্লেখ্য, পারসিয়ান গালফ স্টেটস সমূহের মধ্যে বাহরাইনেই সর্বপ্রথম recording studio স্থাপন করা হয়। ==পরিবহন== '''বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর''' শহরের তথা দেশের প্রধান ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এটি অন্যতম হাব বিমানবন্দর। == আরও দেখুন == হালা আল তুরক দিমা বাশার == তথ্যসূত্র == 4. == বহিঃসংযোগ == বাহরাইন তথ্য ওয়েবসাইট বাহরাইনের রাজ্য সরকারী ওয়েবসাইট। রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রীপরিষদ সদসবৃন্দ দেশ বৃত্তান্ত বিবিসি সংবাদ থেকে Bahrain at ''UCB Libraries GovPubs'' বাহরাইনের মানচিত্র বাহরাইন উইকি রাষ্ট্র‎চিত্র:Louvre at night জাদুঘর, প্যারিস; বিশ্বের বৃহত্তম সর্বাধিক প্রসিদ্ধ জাদুঘরগুলির অন্যতম। চিত্র:British Museum from NE মিউজিয়াম, লন্ডন চিত্র:Victoria by মেমোরিয়াল হল, কলকাতার একটি প্রসিদ্ধ স্মারক জাদুঘর '''জাদুঘর''' বা বলতে বোঝায় এমন একটি ভবন বা প্রতিষ্ঠান যেখানে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের সংগ্রহ সংরক্ষিত থাকে। জাদুঘরে বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বস্তুসমূহ সংগ্রহ করে সংরক্ষিত করা হয় এবং সেগুলি প্রদর্শ আধার বা ডিসপ্লে কেসের মধ্যে রেখে স্থায়ী অথবা অস্থায়ীভাবে জনসাধারণের সমক্ষে প্রদর্শন করা হয়। বিশ্বের অধিকাংশ বড় জাদুঘরই প্রধান প্রধান শহরগুলিতে অবস্থিত। অবশ্য ছোটো শহর, মফস্বল গ্রামাঞ্চলেও স্থানীয় জাদুঘর গড়ে উঠতে দেখা যায়। অতীতকালে জাদুঘরগুলি গড়ে উঠত ধনী ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত বা পারিবারিক উদ্যোগে অথবা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে। এই সব জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকত শিল্পকর্ম, দুষ্প্রাপ্য আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক বস্তু বা পুরাবস্ত। সারা বিশ্বেই জাদুঘর দেখা যায়। প্রাচীনকালে গড়ে ওঠা জাদুঘর ছিল আধুনিককালের স্নাতক প্রতিষ্ঠানগুলির সমরূপ। == ব্যুৎপত্তি == বিশিষ্ট অভিধানকার জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাশের মতে, বাংলায় "জাদুঘর" কথাটি আরবি "''আজায়ব্'' ঘর/খানা" শব্দটির সঙ্গে তুলনীয়। বাংলায় "জাদুঘর" কথাটির অর্থ হল, "যে গৃহে অদ্ভুত অদ্ভুত পদার্থসমূহের সংগ্রহ আছে এবং যা দেখিয়া মন্ত্রমুগ্ধবৎ হ’তে হয়।" ''আকাদেমি বিদ্যার্থী বাংলা অভিধান'' মতে, "জাদুঘর" শব্দের অর্থ, "যে-ঘরে নানা অত্যাশ্চর্য জিনিস বা প্রাচীন জিনিস সংরক্ষিত থাকে।" ইংরেজি "museum" ("মিউজিয়াম") শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ থেকে। ইংরেজি বহুবচনে এই শব্দের রূপটি হল "museums" (বা অপ্রচলিত শব্দ, "musea")। শব্দটির মূল উৎস গ্রিক শব্দ ''Μουσεῖον'' (''Mouseion''); যার অর্থ গ্রিক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউজদের মন্দির। প্রাচীন গ্রিসে এই জাতীয় মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে পাঠাগার শিল্প পুরাকীর্তির সংগ্রহশালাও গড়ে উঠতে দেখা যেত। ২৮০ টলেমি প্রথম সোটার প্রতিষ্ঠিত দর্শন মিউজিয়াম (প্রতিষ্ঠান) ছিল এই জাতীয় একটি জাদুঘর। অ্যাথেন্সে প্লেটো প্রথম একটি মিউজিয়াম গ্রন্থাগার গড়ে তুলেছিলেন। যদিও পসেনিয়াসের রচনায় অন্য একটি স্থানকে "মিউজিয়াম" বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটি হল ধ্রুপদি অ্যাথেন্সে অ্যাক্রোপোলিশের বিপরীত দিকে অবস্থিত একটি ছোটো পাহাড়। কথিত আছে, মউসিয়াস নামে এক ব্যক্তি এই পাহাড়ে বসে গান গাইতেন। বৃদ্ধ বয়সে তিনি সেখানেই মারা যান এবং সেই পাহাড়েই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। তার নামানুসারে পাহাড়টির নামকরণ হয়েছিল "মউসিয়ন" ("Mouseion")। ভারতীয় জাদুঘর,কলকাতা == আরও দেখুন == মাদাম তুসো জাদুঘর == পাদটীকা == == অতিরিক্ত পঠন == == বহিঃসংযোগ == International Council of Museums (ICOM) VLmp directory of museums (VLmp)right '''জাকার্তা''' (), যা দাপ্তরিক ভাবে '''জাকার্তার বিশেষ রাজধানী এলাকা''' নামে পরিচিত, হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী এবং সর্ববৃহৎ শহর। এটি জাকার্তা একটি প্রদেশের অন্তর্গত এবং পৌর এলাকার জনবহুল জায়গার মধ্যে একটি। জাকার্তা জাভা দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত যা ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু এবং ২০১৪ অনুসারে ইহার জনসংখ্যা ১০,০৭৫,৩১০। ==নাম এবং ব্যুৎপত্তিগত শব্দতত্ত্ব== ==ইতিহাস== ===প্রারম্ভিক উপনিবেশ যুগ=== ===উপনিবেশ যুগ=== ===স্বাধীনতা যুগ=== ==প্রশাসন== ===জাকার্তার প্রশাসনিক বিভাগ সমূহ=== জাকার্তার শহর/পৌর এলাকা সমূহ (''Kota শহর/অঞ্চল অঞ্চল (কিঃমিঃ২) মোট জনসংখ্যা (২০১০ আদমশুমারি) মোট জনসংখ্যা(২০১৪) জনসংখ্যার ঘনত্ব(প্রতি কিঃমিঃ২)২০১০ সালে জনসংখ্যার ঘনত্ব(প্রতি কিঃমিঃ২)২০১৪ সালে দক্ষিণ জাকার্তা (''Jakarta Selatan'') ১৪১.২৭ ২,০৫৭,০৮০ ২,১৬৪,০৭০ ১৪,৫৬১ ১৫,৩১৯ পূর্ব জাকার্তা (''Jakarta Timur'') ১৮৮.০৩ ২,৬৮৭,০২৭ ২,৮১৭,৯৯৪ ১৪,২৯০ ১৪,৯৮৭ কেন্দ্রীয় জাকার্তা (''Jakarta Pusat'') ৪৮.১৩ ৮৯৮,৮৮৩ ৯১০,৩৮১ ১৮,৬৭৬ ১৮,৯১৫ পশ্চিম জাকার্তা (''Jakarta Barat'') ১২৯.৫৪ ২,২৭৮,৮২৫ ২,৪৩০,৪১০ ১৭,৫৯২ ১৮,৭৬২ উত্তর জাকার্তা (''Jakarta Utara'') ১৪৬.৬৬ ১,৬৪৫,৩১২ ১,৭২৯,৪৪৪ ১১,২১৯ ১১,৭৯২ Thousand Islands (''Kepulauan Seribu'') ৮.৭ ২১,০৭১ ২৩,০১১ ২,৪৪২ ২,৬৪৫ ===সরকার=== ===পৌর আর্থিক সম্পর্কিত=== জাকার্তা শহর অর্থনীতি: ২০০৭ ২০১২ (রুপি ট্রিলিয়ন)'' Year রাজস্ব ব্যয় ২০০৮ প্রকৃত ১৮.৭ ১৮.৭ ২০০৮ প্রকৃত ৩২.৯ ১৬.৪ ২০০৯ প্রকৃত ২৩.৭ ১৮.৬ ২০১০ প্রকৃত ২৬.৮ ২১.৬ ২০১১ প্রকৃত ৩১.৮ ৩১.৭ ২০১২ প্রকৃত ৪১.৪ ৪১.৪ ইন্দোনেশিয়া পরিসংখ্যান ব্যুরো: ''Jakarta in Figures'' ==ভুগোল জলবায়ু== ===ভুগোল=== জাকার্তা সমূদ্রের ছিলিওয়াং নদীর মুখে জাভা উপকূলের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত। ===জলবায়ু=== ==সংস্কৃতি== ===জাদুঘর=== ===মিডিয়া=== জাকার্তার মার্দেকা স্কয়ারে একটি মেট্রো টিভির(Metro Tv) খবরের গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। জাকার্তায় অনেক খবরের এবং রেডিও চ্যানেল রয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দৈনিক, ব্যবসায়িক এবং ডিজিটাল পত্রিকা,যা জাকার্তার উপর ভিত্তি করে চলছে। দৈনিক পত্রিকা গুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পাস, কোরান টেম্পল, মিডিয়া ইন্দোনেশিয়া, কারইয়াল,সিনার হারাপান,ইন্দো পস,জার্নাল ন্যাশনাল, হারিয়ান পেলিটা। ইংরেজি ভাষার দৈনিক পত্রিকাগুলোও প্রতিদিন প্রকাশিত হয়ে থাকে, উদাহরণস্বরুপ দি জাকার্তা পোস্ট এবং দি জাকার্তা গ্লোব। চাইনিজ ভাষার পত্রিকাগুলো হল ইন্দোনেশিয়া শাং বাও(印尼商报), হারিয়ান ইন্দোনেশিয়া (印尼星洲日报) এবং গুয়ো জি রি বাও (国际日报)। জাপানি ভাষার একমাত্র পত্রিকা হল দি ডেইলি জাকার্তা জাকার্তার আরো দৈনিক পত্রিকা রয়েছে, যেমন পস কোটা,ওয়ারটা কোটা,কোরান পাঠকদের জন্য বেরিটা কোটা; বিসনিস খবর), এছাড়াও টপ স্কোর(Top Skor) সকার(খেলার খবর)। জাকার্তায় রয়েছে রাষ্ট্রীয় গণ মাধ্যম টিভিআরআই (TVRI) এবং বেসরকারি জাতীয় টেলিভিশন গুলোর প্রধান কার্যালয়। বেসরকারি টিভি গুলোর মধ্যে রয়েছে আরসিটিআই (RCTI), ট্রান্স৭ (Trans 7|TV7), টিভি ওয়ান(TV ONE), মেট্রো টিভি(Metro TV), এসসিটিভি(SCTV), গ্লোবাল টিভি(Global TV), এন টিভি(ANTV), ট্রান্স টিভি(Trans TV), কমপাস টিভি(Kompas TV), এমএনসি টিভি(MNCTV), NET. এবং আর টিভি(RTV)। জাকার্তায় আঞ্চলিক টিভি চ্যানেলও রয়েছে যেমন জাক টিভি(JAK TV), টিভি(O TV), এলসিনটা টিভি(Elshinta TV) and ধাই টিভি ইন্দোনেশিয়া (DAAI TV)। শহরটি দেশের প্রধান পরিশোধ ভিত্তিক সেবার কেন্দ্রবিন্দু। জাকার্তায় ব্যাপক পরিসরে কেবল টিভি চ্যানেল রয়েছে,এগুলোর মধ্যে ফাস্ট মিডিয়া এবং টেলকম ভিশন। জাকার্তায় স্যাটেলাইট টেলিভিশন(DTH) এখনো অনেক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশিষ্ট বিনোদন সেবা গুলোর মধ্যে রয়েছে টিভি(Yes এবং আয়োরা টিভি(Aora TV)। অনেক টিভি স্টেশন রয়েছে যেগুলো এনালগ কিন্তু এখন কিছু স্টেশন সরকারি পরিবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজিটাল সংকেতে(DVB-T2) পরিবর্তন করছে। টেলিভিশন স্টেশন চ্যানেল প্রধান কার্যালয় ভাষা অঞ্চলের দেশ '''জাতীয় সম্প্রচার''' টিভিআই(TVRI) ৩৯ UHF সিনায়ান, কেন্দ্রীয় জাকার্তা ইন্দোনেশীয় ভাষা ট্রান্স টিভি ২৮ UHF মামপাং প্রাপাতান, দক্ষিণ জাকার্তা ট্রান্স ৪৯ UHF মামপাং জাকার্তা আরসিটিআই ৪৩ UHF কেবন জেরুক, পশ্চিম জাকার্তা আইনিউজ টিভি ৩০ UHF MNC প্লাজা, কেবন সিরিহ, কেবন সিরিহ, মেনতেং, কেন্দ্রীয় জাকার্তা মেট্রো টিভি ৫৭ UHF কেবন জেরুক, পশ্চিম জাকার্তা নেট. ২৭ UHF কুনিনগান, দক্ষিণ জাকার্তা ইন্দোনেশিয়ার ৪১ UHF ধান মগত, পশ্চিম জাকার্তা এসসিটিভি ৪৫ UHF সিনায়ান সিটি, দক্ষিণ জাকার্তা এন টিভি ৪৭ UHF কুনিনগান, কেন্দ্রীয় জাকার্তা গ্লোবাল টিভি ৫১ UHF কেবন টিভি জেরুক, পশ্চিম জাকার্তা টিভি ওয়ান ৫৩ UHF পুলো গাদাং, পূর্ব জাকার্তা এমএনসি টিভি ৩৭ UHF কেবন সিরিহ, কেন্দ্রীয় জাকার্তা রাজাওয়ালি টেলিভিশন ২৩ UHF কুনিনগান, কেন্দ্রীয় জাকার্তা কমপাস টিভি ২৫ UHF পালমেরাহ, পূর্ব জাকার্তা '''আঞ্চলিক সম্প্রচার''' জাকটিভি ৫৫ UHF কেবায়োরান বারু, কেন্দ্রীয় জাকার্তা ইন্দোনেশীত ভাষা ২৮ UHF পালমেরাহ, পশ্চিম জাকার্তা চ্যানেল ৩৩ UHF দক্ষিণ জাকার্তা ধাই টিভি ইন্দোনেশিয়া ৫৯ UHF পালমেরাহ, পশ্চিম জাকার্তা আইএন টিভি ২২ UHF তোমাং, পশ্চিম জাকার্তা জাকার্তায় বায়ান্নটি FM ব্যান্ড সম্প্রচার সহ পঁচাত্তরটি রেডিও স্টেশন রয়েছে এবং তেইশটি রেডিও স্টেশন রয়েছে যেগুলো AM ব্যান্ডে সম্প্রচারিত হয়। ==অর্থনীতি== মূল অর্থনীতি ===বাজার=== তামান এংগ্রিক মল, পশ্চিম জাকার্তা জাকার্তা জাতির শপিংয়ের কেন্দ্রস্থল এবং বাজার করার জন্য দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে ভাল জায়গা গুলোর মধ্যে একটি। জাকার্তায় শহটির বিভিন্ন ধরনের দোকান এবং ঐতিহ্যগত বাজার রয়েছে। সর্বমোট ৫৫০ হেক্টর নিয়ে একটি একক শহরে জাকার্তার বিশ্বের সর্ববৃহৎ শপিং মলের জায়গা রয়েছে। প্রত্যেক বছর জাকার্তার ২০১২ সালে প্রায় ৭৩ অংশগ্রহণকারী শপিং সেন্টারের উদযাপন উপলক্ষে জুন এবং জুলাই মাসে "জাকার্তা বৃহৎ বিক্রয়" উদযাপিত হয়। মল যেমন প্লাজা ইন্দোনেশিয়া, গ্র‍্যান্ড ইন্দোনেশিয়া, শপিং টাউন,প্লাজা সিটি এবং প্যাসিফিক প্লেস বিভিন্ন ধরনের বিলাসবহুল ব্র‍্যান্ড বাছাই করার সুবিধা প্রধান করে। মল টামান এংগ্রিক এবং সিপুটরা ওয়াল্ড জাকার্তা যেগূলো জাকার্তায় শপিং মলের নতুন ধারণা বহণ করে... ===সড়ক=== ===স্থাপনা=== ===পানি সরবরাহ=== ==দৃশ্য== ===স্থাপনা=== ==জনসংখ্যা== সমগ্র ইন্দোনেশিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধার জন্য জাকার্তা সবার আগে, ফলে জাকার্তা অভিবাসী আধিক্য শহরে পরিনত হয়েছে। ১৯৬১ সালের আদম শুমারিতে দেখা গেছে যে শহরের জনসংখ্যার ৫১% মাত্র জাকার্তায় জন্মগ্রহণ করেছে, যাতে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির প্রভাব উপেক্ষা করা হয়েছে। ১৯৬১ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জাকার্তার জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং ১৯৮০-১৯৯০ সময়কালে শহরের জনসংখ্যা বার্ষিক বৃদ্ধি ৩.৭% ছিল। ২০১০ সালের আদমশুমারিতে প্রায় ৯.৫৮ মিলিয়ন জনসংখ্যা গণনা করা হয়েছে, এটি সরকারের অনুমানের চেয়েও ভাল ছিল। ১৯৭০ সালে জনসংখ্যা ছিল ৪.৫ মিলিয়ন যা ২০১০ সালে বেড়ে ৯.৫ মিলিয়ন হয়, কেবলমাত্র আইনজীবিদের মধ্যে গণনায়, গ্রেটার জাকার্তার ১৯৭০ সালের জনসংখ্যা ৮.২ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০১০ সালে ২৮.৫ মিলিয়ন হয়েছে। ২০১৪ সালের তথ্য অনুসারে, জাকার্তার জনসংখ্যা ছিল দশ কোটি এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৫,১৪৭ জন। ২০১৪ সালে গ্রেটার জাকার্তার জনসংখ্যা ৩০ কোটির মতো ছিল, যা ইন্দোনেশিয়ার সামগ্রিক জনসংখ্যার ১১%। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫,৬ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে এটি বিশ্বের বৃহত্তম মেগাসিটি হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। ২০১০ সালে লিঙ্গ অনুপাত ছিল ১০২.৮ জন (পুরুষ প্রতি ১০০ জন নারী) এবং ২০১৪ সালে অনুপাত ছিল ১০১.৩। ===জাতিগত সম্প্রদায় এবং ধর্ম=== জাকার্তা বহুভাষা ধর্মীয়ভাবে বৈচিত্র্যময় শহর। ২০১০ এর আদমশুমারি অনুসারে নগরীর জনসংখ্যার ৩৬.১৭% জন জাভানিজ, ২৮.২৯% বেতাভি, ১৪.৬১% সুন্দানিজ, ৬.৬২% চীনা, ৩.৪২% বাটক, ২.৮৫% মিনাংবাউ, ০.৯% মালয়েশিয়া, ০.০৮% ইন্দো এবং অন্যান্য জাতীগোষ্ঠি ছিল। ২০১৭ সালে, জাকার্তার ধর্মীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসলাম (৮৩.৪৩%), (৮.৩৬%), ক্যাথলিক (৮.০%), বৌদ্ধধর্ম (৩.৭৪%), হিন্দু (০.৯৯%), এবং কনফুসিয়ানিজম (০.০১%) ধর্মের লোক বসবাস করে। প্রায় ২৩১ জন লোক ধর্ম অনুসরণ করার দাবি করেছিল। জাকার্তার বেশিরভাগ পেসেন্ট্রেন (ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল) সনাতনবাদী নাহদলাতুল উলামার সাথে সম্পৃক্ত, আধুনিকতাবাদী সংগঠনগুলি বেশিরভাগ শিক্ষিত নগর অভিজাত এবং বণিক ব্যবসায়ীদের একটি আর্থ-সামাজিক শ্রেণি সরবরাহ করে। তারা শিক্ষা, সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ধর্মীয় প্রচারকে অগ্রাধিকার দেয়। জাকার্তায় অনেক ইসলামী সংগঠনের সদর দফতর রয়েছে, নাহদলাতুল উলামা, ইন্দোনেশিয়ান ওলামা কাউন্সিল, মুহাম্মদিয়া, জারিংন ইসলাম লিবারাল, এবং ফ্রন্ট পেম্বেলা ইসলাম প্রভৃতি। জাকার্তার আর্চডিয়োসিসে রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের একটি মহানগর রয়েছে, যা ধর্মীয় প্রদেশের অংশ হিসাবে পশ্চিম জাভার অন্তর্ভুক্ত। এখানে একটি বাহাই সম্প্রদায়ও রয়েছে। ==যোগাযোগ ব্যবস্থা== ===রেলপথ=== ===আকাশপথ=== ===বৈদ্যুতিক ===জনপথ পরিবহন ব্যবস্থা=== ===জনপথ=== ===নৌপথ=== ===সমুদ্র=== ==পর্যটন == ===বৈশিষ্ট্য=== ===পার্ক=== ==খেলাধুলা== ==শিক্ষা== মূল শিক্ষা ব্যবস্থা মেডিসিন অনুষদ, ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা অনেকগুলো কেন্দ্রস্থল,তার মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব জাকার্তা জাকার্তায় অবস্থিত সর্ববৃহৎ এবং পুরাতন তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি একটি গণ প্রতিষ্ঠান যার ক্যাম্পাস রয়েছে সালেম্বা (কেন্দ্রীয় জাকার্তা) এবং দিপকে,যা জাকার্তার দক্ষিণে অবস্থিত। ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও, জাকার্তায় আরো আলাদা তিনটি গণ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে,এগুলো হলঃ শরিফ হিদায়াতউল্লাহ স্টেট ইসলামিক ইউনিভার্সিটি জাকার্তা, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব এবং ইউনিভার্সিটি অব পেমবানগুনান ন্যাশনাল "ভেটেরান" জাকার্তা( ইউপিএন "ভেটেরান" জাকার্তা)। জাকার্তায় অবস্থিত কিছু বেসরকারি মধ্যে রয়েছে ট্রিসাকতি ইউনিভার্সিটি, মারকু ভুয়ানা ইউনিভার্সিটি, তারুময়ানাগারা ইউনিভার্সিটি, আমা জায়া ইউনিভার্সিটি, পেলিটা হারাপান ইউনিভার্সিটি, বিনা নুসানতারা ইউনিভার্সিটি, প্যানকেসিলা ইউনিভার্সিটি। ''School tot Opleiding van Indische Artsen'') ছিল জাকার্তায় অবস্থিত সর্বপ্রথম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় যা ১৮৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বৃহৎ শহর এবং রাজধানী হওয়ার কারণে, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের জন্য জাকার্তা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই হলগুলোতে অথবা বাড়িতে বসবাস করে। মৌলিক শিক্ষার জন্য, বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে যা এবং দোভাষী জাতীয় সংযুক্ত") এবং আন্তর্জাতিক স্কুলগুলোকে একত্রে বেঁধেছে। ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত প্রধান চারটি আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে গান্ধী মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, IPEKA ইন্টারন্যাশনাল খ্রিষ্টীয়ান স্কুল, জাকার্তা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং দ্যা ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে জাকার্তা ইন্টারন্যাশনাল কোরিয়ান স্কুল, বিনা বাংসা স্কুল, জাকার্তা ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিকালাচারাল স্কুল, Australian International School, নিউজিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, এবং সেকোলাহ পেলিটা হারাপান. ==আন্তর্জাতিক সম্পর্ক == জাকার্তা অন্যান্য শহর গুলোর সাথে সহযোগী শহর হিসেবে চুক্তিতে সাক্ষর করে,এদের মধ্যে একটি হল কাসাবলনংকা যা মরক্কোর একটি বৃহৎ শহর। ইহা ১৯৯০ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর সহযোগী শহর চুক্তিতে সাক্ষর করে। দুটি শহরের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে, জালান কাসাবলাংকা, যা উত্তর জাকার্তায় বাজার ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোর জন্য বিখ্যাত এবং এর নামকরণ জাকার্তার মরক্কো সহযোগী শহরের নামে করা হয়। বর্তমানে কাসাবলংকায় জাকার্তার নামে কোন সড়ক নেই। যাহোক, অন্যদিকে রাবাতে যা মরক্কোর রাজধানী শহর, ১৯৬০ সালে প্রথম ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের পরিদর্শনের স্মৃতিচিহ্ন বন্ধুত্বের চিহ্নও রক্ষার্থে একটি রাজপথ সুকার্ণোর নামে করা হয়েছে। জাকার্তা বৃহত্তম শহর ২১ এশিয়া নেটওয়ার্ক এবং জলবায়ু নেতৃত্ব C40 শহরগুলোরও সদস্য। ===সংযুক্ত এবং অন্তর্ভুক্ত শহর সমুহ=== ;এশিয়া নয়া দিল্লি, ভারত ইসলামাবাদ, পাকিস্তান টোকিও, জাপান বেইজিং, চায়না ম্যানিলা, ফিলিপাইন সিওল, দক্ষিণ কোরিয়া আবু ধাবি, ইউনাইটেড আরব এমিরেটস জেদ্দা, সৌদি আরব হানই, ভিয়েতনাম ব্যাংকক, থাইল্যান্ড ইয়াদ, ইরান ;ইউরোপ বার্লিন, জার্মানি প্যারিস, ফ্রান্স ইসতানবুল, তুর্কি মস্কো, রাশিয়া রোতারডাম, নেদারল্যান্ড, একটি সহযোগী শহর হিসেবে কিভ, ইউক্রেইন ;আমেরিকা লস এঞ্জেলস, ইউনাইটেড স্টেটস মেস্কিকো সিটি, মেস্কিকো নিউ ইয়র্ক সিটি, ইউনাইটেড স্টেটস ;আফ্রিকা কাসাভলাংকা, মরক্কো ==তথ্যসূত্র== শহর রাজধানীthumb '''দিওগেনেস''' ছিলেন গ্রিক দার্শনিক। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৪১২ অব্দে (মতান্তরে খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯) সিনোপে (বর্তমান তুরস্ক) জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ অব্দে কোরিন্থে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিরাগীদের মধ্যে সব চেয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন তিনি ছিলেন একজন ছাত্র ডায়োজেনিস একটি পিপার মধ্যে থাকতেন এবং তার কেবল একটি আলখাল্লা একটি লাঠি আর রুটি রাখার একটি থলে ছিল বলে প্রসিদ্ধ আছে দার্শনিক'''রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর''' (; (৭ই মে, ১৮৬১ ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে '''গুরুদেব''', '''কবিগুরু''' '''বিশ্বকবি''' অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ৩৬টি প্রবন্ধ অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ১৯১৫টি গান যথাক্রমে ''গল্পগুচ্ছ'' ''গীতবিতান'' সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে ''রবীন্দ্র রচনাবলী'' নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে ''চিঠিপত্র'' চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে ''গীতাঞ্জলি'' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে ''তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা''-এ তার "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়। রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত ''আমার সোনার বাংলা'' জয় হে'' গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত। == জীবন == === প্রথম জীবন (১৮৬১–১৯০১) === ==== শৈশব কৈশোর (১৮৬১ ১৮৭৮) ==== রবীন্দ্রনাথ, ১৮৭৭; ঠাকুরের স্কেচ অবলম্বনে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অঙ্কিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫) এবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫)। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা। ১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতৃবিয়োগ ঘটে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে অতিবাহিত করতেন। তাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে। শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন। প্রথমে তারা আসেন শান্তিনিকেতনে। এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই (অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়। এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, সাধারণ বিজ্ঞান ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন। দেবেন্দ্রনাথ তাকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনী, কালিদাস রচিত ধ্রুপদি সংস্কৃত কাব্য নাটক এবং উপনিষদ্‌ পাঠেও উৎসাহিত করতেন। ১৮৭৭ সালে ''ভারতী'' পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এগুলি হল মাইকেল মধুসূদনের "মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা", ''ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'' এবং "ভিখারিণী" "করুণা" নামে দুটি গল্প। এর মধ্যে ''ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই কবিতাগুলি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে "ভানুসিংহ" ভণিতায় রচিত। রবীন্দ্রনাথের "ভিখারিণী" গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প। ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ ''কবিকাহিনী''। এছাড়া এই পর্বে তিনি রচনা করেছিলেন (১৮৮২) কাব্যগ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ==== যৌবন (১৮৭৮-১৯০১) ==== স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, ১৮৮৩ ১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে তিনি ব্রাইটনের একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন শেকসপিয়র অন্যান্য ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। এই সময় তিনি বিশেষ মনোযোগ সহকারে পাঠ করেন ''রিলিজিও মেদিচি'', ''কোরিওলেনাস'' এবং ''অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা''। এই সময় তার ইংল্যান্ডবাসের অভিজ্ঞতার কথা ''ভারতী'' পত্রিকায় পত্রাকারে পাঠাতেন রবীন্দ্রনাথ। উক্ত পত্রিকায় এই লেখাগুলি জ্যেষ্ঠভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমালোচনাসহ প্রকাশিত হত ''য়ুরোপযাত্রী কোনো বঙ্গীয় যুবকের পত্রধারা'' নামে। ১৮৮১ সালে সেই পত্রাবলি পত্র'' নামে গ্রন্থাকারে ছাপা হয়। এটিই ছিল রবীন্দ্রনাথের প্রথম গদ্যগ্রন্থ তথা প্রথম চলিত ভাষায় লেখা গ্রন্থ। অবশেষে ১৮৮০ সালে প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে এবং ব্যারিস্টারি পড়া শুরু না করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৮৮৩ সালের ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) ঠাকুরবাড়ির অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা ভবতারিণীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে ভবতারিণীর নামকরণ হয়েছিল মৃণালিনী দেবী (১৮৭৩–১৯০২ )। রবীন্দ্রনাথ মৃণালিনীর সন্তান ছিলেন পাঁচ জন: মাধুরীলতা (১৮৮৬–১৯১৮), রথীন্দ্রনাথ (১৮৮৮–১৯৬১), রেণুকা (১৮৯১–১৯০৩), মীরা (১৮৯৪–১৯৬৯) এবং শমীন্দ্রনাথ (১৮৯৬–১৯০৭)। এঁদের মধ্যে অতি অল্প বয়সেই রেণুকা শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে। চিত্র:Robi কুঠিবাড়ি, বর্তমান চিত্র ১৮৯১ সাল থেকে পিতার আদেশে নদিয়া (নদিয়ার উক্ত অংশটি অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা), পাবনা রাজশাহী জেলা এবং উড়িষ্যার জমিদারিগুলির তদারকি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছিলেন। জমিদার রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে "পদ্মা" নামে একটি বিলাসবহুল পারিবারিক বজরায় চড়ে প্রজাবর্গের কাছে খাজনা আদায় আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে যেতেন। গ্রামবাসীরাও তার সম্মানে ভোজসভার আয়োজন করত। ১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথের অপর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ''মানসী'' প্রকাশিত হয়। কুড়ি থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তার আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ গীতিসংকলন প্রকাশিত হয়েছিল। এগুলি হলো ''শৈশবসঙ্গীত'', ''রবিচ্ছায়া'', ''কড়ি কোমল'' ইত্যাদি। ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত নিজের সম্পাদিত ''সাধনা'' পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু উৎকৃষ্ট রচনা প্রকাশিত হয়। তার সাহিত্যজীবনের এই পর্যায়টি তাই "সাধনা পর্যায়" নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের ''গল্পগুচ্ছ'' গ্রন্থের প্রথম চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই এই পর্যায়ের রচনা। এই ছোটগল্পগুলিতে তিনি বাংলার গ্রামীণ জনজীবনের এক আবেগময় শ্লেষাত্মক চিত্র এঁকেছিলেন। === মধ্য জীবন (১৯০১–১৯৩২) === ১৯১২ সালে হ্যাম্পস্টেডে রবীন্দ্রনাথ; বন্ধু উইলিয়াম রোদেনস্টাইনের শিশুপুত্র জন রোদেনস্টাইন কর্তৃক গৃহীত ফটোগ্রাফ। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহ ছেড়ে চলে আসেন বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে। এখানে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৮ সালে একটি আশ্রম ১৮৯১ সালে একটি ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্রমের আম্রকুঞ্জ উদ্যানে একটি গ্রন্থাগার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ চালু করলেন বা নামে একটি পরীক্ষামূলক স্কুল। ১৯০২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী মারা যান। এরপর ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কন্যা রেণুকা, ১৯০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৭ সালের ২৩ নভেম্বর কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয়। এসবের মধ্যেই ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ তার জ্যেষ্ঠপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান আধুনিক কৃষি গোপালন বিদ্যা শেখার জন্য। ১৯০৭ সালে কনিষ্ঠা জামাতা নগেন্দ্রনাথ কৃষিবিজ্ঞান শেখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সময় শান্তিনিকেতনের অর্থসংকট তীব্র হয়ে ওঠে। পাশাপাশি পুত্র জামাতার বিদেশে পড়াশোনার ব্যয়ভারও রবীন্দ্রনাথকে বহন করতে হয়। এমতাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ স্ত্রীর গয়না পুরীর বসতবাড়িটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। ইতোমধ্যেই অবশ্য বাংলা বহির্বঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯০১ সালে ''নৈবেদ্য'' ১৯০৬ সালে ''খেয়া'' কাব্যগ্রন্থের পর ১৯১০ সালে তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ''গীতাঞ্জলি'' প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে ''গীতাঞ্জলি'' (ইংরেজি অনুবাদ, ১৯১২) কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে 'স্যার' উপাধি (নাইটহুড) দেয়। ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনের অদূরে সুরুল গ্রামে মার্কিন লেনার্ড নাইট এলমহার্স্ট, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনের আরও কয়েকজন শিক্ষক ছাত্রের সহায়তায় রবীন্দ্রনাথ "পল্লীসংগঠন কেন্দ্র" নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল কৃষির উন্নতিসাধন, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি রোগ নিবারণ, সমবায় প্রথায় ধর্মগোলা স্থাপন, চিকিৎসার সুব্যবস্থা এবং সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে বৃদ্ধি করা। ১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে রাখেন "শ্রীনিকেতন"। শ্রীনিকেতন ছিল মহাত্মা গান্ধীর প্রতীক প্রতিবাদসর্বস্ব স্বরাজ আন্দোলনের একটি বিকল্প ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীর আন্দোলনের পন্থা-বিরোধী ছিলেন। পরবর্তীকালে দেশ বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ, দাতা অন্যান্য পদাধিকারীরা শ্রীনিকেতনের জন্য আর্থিক অন্যান্য সাহায্য পাঠিয়েছিলেন। ১৯৩০-এর দশকের প্রথম ভাগে একাধিক বক্তৃতা, গান কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় সমাজের বর্ণাশ্রম প্রথা অস্পৃশ্যতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। === শেষ জীবন (১৯৩২-১৯৪১) === ১৯৩০ সালে বার্লিনে রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ দশকে (১৯৩২-১৯৪১) রবীন্দ্রনাথের মোট পঞ্চাশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তার এই সময়কার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ''পুনশ্চ'' (১৯৩২), ''শেষ সপ্তক'' (১৯৩৫), ''শ্যামলী'' ''পত্রপুট'' (১৯৩৬) এই গদ্যকবিতা সংকলন তিনটি। জীবনের এই পর্বে সাহিত্যের নানা শাখায় চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তার এই ফসল হলো তার একাধিক গদ্যগীতিকা ''নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা'' (১৯৩৬; ''চিত্রাঙ্গদা'' (১৮৯২) কাব্যনাট্যের রূপ) ''শ্যামা'' (১৯৩৯) ''চণ্ডালিকা'' (১৯৩৯) এছাড়া রবীন্দ্রনাথ তার শেষ তিনটি উপন্যাসও (''দুই বোন'' (১৯৩৩), ''মালঞ্চ'' (১৯৩৪) ''চার অধ্যায়'' (১৯৩৪)) এই পর্বে রচনা করেছিলেন। তার অধিকাংশ ছবি জীবনের এই পর্বেই আঁকা। এর সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শেষ বছরগুলিতে বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয় তার বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রবন্ধ সংকলন এই গ্রন্থে তিনি আধুনিকতম সিদ্ধান্তগুলি সরল বাংলা গদ্যে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। পদার্থবিদ্যা জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে তার অর্জিত জ্ঞানের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তার কাব্যেও। ''সে'' (১৯৩৭), ''তিন সঙ্গী'' (১৯৪০) ''গল্পসল্প'' (১৯৪১) গল্পসংকলন তিনটিতে তার বিজ্ঞানী একাধিক গল্প সংকলিত হয়েছে। জীবনের এই পর্বে ধর্মীয় গোঁড়ামি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্রতম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ বিহার প্রদেশে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুকে গান্ধীজি "ঈশ্বরের রোষ" বলে অভিহিত করলে, রবীন্দ্রনাথ গান্ধীজির এহেন বক্তব্যকে অবৈজ্ঞানিক বলে চিহ্নিত করেন এবং প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেন। কলকাতার সাধারণ মানুষের আর্থিক দুরবস্থা ব্রিটিশ বাংলা প্রদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক অবক্ষয় তাকে বিশেষভাবে বিচলিত করে তুলেছিল। গদ্যছন্দে রচিত একটি শত-পংক্তির কবিতায় তিনি এই ঘটনা চিত্রায়িতও করেছিলেন। জীবনের শেষ চার বছর ছিল তার ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়। এই সময়ের মধ্যে দুইবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয়েছিল তাকে। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে সৃজিত কিছু অবিস্মরণীয় পংক্তিমালা। মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। == বিশ্বভ্রমণ == আইনস্টাইনের সঙ্গে, ১৯৩০ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট বারো বার বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি মহাদেশের ত্রিশটিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেন। প্রথম জীবনে দুই বার (১৮৭৮ ১৮৯০ সালে) তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। ১৯১২ সালে ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য তৃতীয়বার ইংল্যান্ডে গিয়ে ইয়েটস প্রমুখ কয়েকজন ইংরেজ কবি বুদ্ধিজীবীদের কাছে সদ্যরচিত ''গীতাঞ্জলি'' কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ পাঠ করে শোনান। কবিতাগুলি শুনে তারাও মুগ্ধ হয়েছিলেন। ইয়েটস স্বয়ং উক্ত কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকাটি লিখে দিয়েছিলেন। এই ভ্রমণের সময়েই "দীনবন্ধু" চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে। ১৯১৩ সালে সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করে। ১৯১৬-১৭ সালে জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে কতকগুলি বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতাগুলি সংকলিত হয় তার ''ন্যাশনালিজম'' (১৯১৭) গ্রন্থে। তবে জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বিরূপ মতামত উক্ত দুই দেশে সেই সফরকালে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। ১৯২০-২১ সাল নাগাদ আবার ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান কবি। এই সফরের সময় পাশ্চাত্য দেশগুলিতে তিনি সংবর্ধিত হয়েছিলেন। ১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ যান চীন সফরে। এরপর চীন থেকে জাপানে গিয়ে সেখানেও বক্তৃতা দেন কবি। ১৯২৪ সালের শেষের দিকে পেরু সরকারের আমন্ত্রণে সেদেশে যাওয়ার পথে আর্জেন্টিনায় অসুস্থ হয়ে কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আতিথ্যে তিন মাস কাটান। স্বাস্থ্যের কারণে পেরু ভ্রমণ তিনি স্থগিত করে দেন। পরে পেরু মেক্সিকো উভয় দেশের সরকারই বিশ্বভারতীকে ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য প্রদান করেছিল। ১৯২৬ সালে বেনিতো মুসোলিনির আমন্ত্রণে ইতালি সফরে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে মুসোলিনির আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলেও, পরে লোকমুখে তার স্বৈরাচারের কথা জানতে পেরে, মুসোলিনির কাজকর্মের সমালোচনা করেন কবি। এর ফলে উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ছেদ পড়ে। এরপর রবীন্দ্রনাথ গ্রিস, তুরস্ক মিশর ভ্রমণ করে ভারতে ফিরে আসেন। চিত্র:Tagore shot of dozens of people assembled at the entrance of an imposing building; two columns in view. All subjects face the camera. All but two are dressed in lounge suits: woman at front-center wears light-coloured Persian garb; the man to her left, first row, wears white beard and dark-coloured oriental cap and robes.|তেহরানের মজলিশে, ১৯৩২ ১৯২৭ সালে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়সহ চার সঙ্গীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে। এই সময় তিনি ভ্রমণ করেন বালি, জাভা, কুয়ালালামপুর, মালাক্কা, পেনাং, সিয়াম সিঙ্গাপুর। ১৯৩০ সালে কবি শেষবার ইংল্যান্ডে যান অক্সফোর্ডে হিবার্ট বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি ভ্রমণ করেন ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সোভিয়েত রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৩২ সালে ইরাক পারস্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন কবি। এরপর ১৯৩৪ সালে সিংহলে যান রবীন্দ্রনাথ। এটিই ছিল তার সর্বশেষ বিদেশ সফর। রবীন্দ্রনাথ যেসকল বইতে তার বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলি লিপিবদ্ধ করে রাখেন সেগুলি হল: পত্র'' (১৮৮১), ডায়ারি'' (১৮৯১, ১৮৯৩), (১৯১৯), ''যাত্রী'' ডায়ারি'' ''জাভা-যাত্রীর পত্র'', ১৯২৯), ''রাশিয়ার চিঠি'' (১৯৩১), ''পারস্যে'' (১৯৩৬) ''পথের সঞ্চয়'' (১৯৩৯)। ব্যাপক বিশ্বভ্রমণের ফলে রবীন্দ্রনাথ তার সমসাময়িক অরিঁ বের্গসঁ, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ফ্রস্ট, টমাস মান, জর্জ বার্নার্ড শ, এইচ জি ওয়েলস, রোম্যাঁ রোলাঁ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছিলেন। জীবনের একেবারে শেষপর্বে পারস্য, ইরাক সিংহল ভ্রমণের সময় মানুষের পারস্পরিক ভেদাভেদ জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তার বিতৃষ্ণা আরও তীব্র হয়েছিল মাত্র। অন্যদিকে বিশ্বপরিক্রমার ফলে ভারতের বাইরে নিজের রচনাকে পরিচিত করে তোলার এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিনিময়ের সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। == সৃষ্টিকর্ম == রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মূলত এক কবি। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কাব্যরচনা শুরু করেন। তার প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২। তবে বাঙালি সমাজে তার জনপ্রিয়তা প্রধানত সংগীতস্রষ্টা হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ প্রায় দুই হাজার গান লিখেছিলেন। কবিতা গান ছাড়াও তিনি ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা ''রবীন্দ্র রচনাবলী'' নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার সামগ্রিক চিঠিপত্র উনিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রবর্তিত নৃত্যশৈলী "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত। === কবিতা === কবির হস্তাক্ষরে কবিতা, হাঙ্গেরিতে লিখিত, ১৯২৬: বাংলা ইংরেজিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি। তার ''কবিকাহিনী'', ''বনফুল'' ''ভগ্নহৃদয়'' কাব্য তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট। কাব্যগ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেন। এই পর্বের ''ছবি গান'' ''কড়ি কোমল'' কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু ছিল মানব হৃদয়ের বিষণ্ণতা, আনন্দ, মর্ত্যপ্রীতি মানবপ্রেম। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত ''মানসী'' এবং তার পর প্রকাশিত ''সোনার তরী'' (১৮৯৪), ''চিত্রা'' (১৮৯৬), ''চৈতালি'' (১৮৯৬), ''কল্পনা'' (১৯০০) ''ক্ষণিকা'' (১৯০০) কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের প্রেম সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোম্যান্টিক ভাবনা। ১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রাধান্য লক্ষিত হয়। এই চিন্তা ধরা পড়েছে ''নৈবেদ্য'' (১৯০১), ''খেয়া'' (১৯০৬), ''গীতাঞ্জলি'' (১৯১০), ''গীতিমাল্য'' (১৯১৪) ''গীতালি'' (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থে। ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটলে ''বলাকা'' (১৯১৬) কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার পরিবর্তে আবার মর্ত্যজীবন সম্পর্কে আগ্রহ ফুটে ওঠে। ''পলাতকা'' (১৯১৮) কাব্যে গল্প-কবিতার আকারে তিনি নারীজীবনের সমসাময়িক সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। ''পূরবী'' (১৯২৫) ''মহুয়া'' (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ আবার প্রেমকে উপজীব্য করেন। এরপর ''পুনশ্চ'' (১৯৩২), ''শেষ সপ্তক'' (১৯৩৫), ''পত্রপুট'' (১৯৩৬) ''শ্যামলী'' (১৯৩৬) নামে চারটি গদ্যকাব্য প্রকাশিত হয়। জীবনের শেষ দশকে কবিতার আঙ্গিক বিষয়বস্তু নিয়ে কয়েকটি নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই সময়কার ''রোগশয্যায়'' (১৯৪০), ''আরোগ্য'' (১৯৪১), ''জন্মদিনে'' (১৯৪১) ''শেষ লেখা'' (১৯৪১, মরণোত্তর প্রকাশিত) কাব্যে মৃত্যু মর্ত্যপ্রীতিকে একটি নতুন আঙ্গিকে পরিস্ফুট করেছিলেন তিনি। শেষ কবিতা "তোমার সৃষ্টির পথ" মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মধ্যযুগীয় বৈষ্ণব পদাবলি, উপনিষদ্‌, কবীরের দোঁহাবলি, লালনের বাউল গান রামপ্রসাদ সেনের শাক্ত পদাবলি সাহিত্যের প্রভাব লক্ষিত হয়। তবে প্রাচীন সাহিত্যের দুরূহতার পরিবর্তে তিনি এক সহজ সরস কাব্যরচনার আঙ্গিক গ্রহণ করেছিলেন। আবার ১৯৩০-এর দশকে কিছু পরীক্ষামূলক লেখালেখির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা বাস্তবতাবোধের প্রাথমিক আবির্ভাব প্রসঙ্গে নিজ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছিলেন কবি। বহির্বিশ্বে তার সর্বাপেক্ষা সুপরিচিত কাব্যগ্রন্থটি হল ''গীতাঞ্জলি''। বইটির জন্যই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। নোবেল ফাউন্ডেশন তার এই কাব্যগ্রন্থটিকে বর্ণনা করেছিল একটি "গভীরভাবে সংবেদনশীল, উজ্জ্বল সুন্দর কাব্যগ্রন্থ" রূপে। === ছোটগল্প === রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার। মূলত ''হিতবাদী'', ''সাধনা'', ''ভারতী'', ''সবুজ পত্র'' প্রভৃতি মাসিক পত্রিকাগুলির চাহিদা মেটাতে তিনি তার ছোটগল্পগুলি রচনা করেছিলেন। এই গল্পগুলির উচ্চ রবীন্দ্রনাথের জীবনের "সাধনা" পর্বটি (১৮৯১–৯৫) ছিল সর্বাপেক্ষা সৃষ্টিশীল পর্যায়। তার ''গল্পগুচ্ছ'' গল্পসংকলনের প্রথম তিন খণ্ডের চুরাশিটি গল্পের অর্ধেকই রচিত হয় এই সময়কালের মধ্যে। ''গল্পগুচ্ছ'' সংকলনের অন্য গল্পগুলির অনেকগুলিই রচিত হয়েছিল রবীন্দ্রজীবনের ''সবুজ পত্র'' পর্বে (১৯১৪–১৭; প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত পত্রিকার নামানুসারে) তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গল্প হল "কঙ্কাল", "নিশীথে", "মণিহারা", "ক্ষুধিত পাষাণ", "স্ত্রীর পত্র", "নষ্টনীড়", "কাবুলিওয়ালা", "হৈমন্তী", "দেনাপাওনা", "মুসলমানীর গল্প" ইত্যাদি। শেষ জীবনে রবীন্দ্রনাথ ''লিপিকা'', ''সে'' ''তিনসঙ্গী'' গল্পগ্রন্থে নতুন আঙ্গিকে গল্পরচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তার গল্পে পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলি বা আধুনিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতেন। কখনও তিনি মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের বৌদ্ধিক বিশ্লেষণকেই গল্পে বেশি প্রাধান্য দিতেন। রবীন্দ্রনাথের একাধিক ছোটগল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র, নাটক টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। তার গল্পের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রায়ণ হল সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ''তিন কন্যা'' ("মনিহারা", "পোস্টমাস্টার" "সমাপ্তি" অবলম্বনে) ''চারুলতা'' ("নষ্টনীড়" অবলম্বনে) তপন সিংহ পরিচালিত ''অতিথি'', ''ক্ষুধিত পাষাণ'', পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত ''স্ত্রীর পত্র'' ইত্যাদি। === উপন্যাস === Tagore Ra-Tha seal close-up photograph of piece of wood boldly painted in unmixed solid strokes of black and white in stylized semblance to "ra" and "tha" from the Bengali কাঠের সিলে খোদিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামের আদ্যক্ষরদ্বয় ("র-ঠ")। প্রাচীন হাইদা খোদাই লিপির সঙ্গে এর শৈলীগত মিল লক্ষণীয়। রবীন্দ্রনাথ প্রায়ই তাঁর এই ধরণের নকশা অঙ্কন করতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট তেরোটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এগুলি হল: ''বৌ-ঠাকুরাণীর হাট'' (১৮৮৩), ''রাজর্ষি'' (১৮৮৭), ''চোখের বালি'' (১৯০৩), ''নৌকাডুবি'' (১৯০৬), ''প্রজাপতির নির্বন্ধ'' (১৯০৮), ''গোরা'' (১৯১০), ''ঘরে বাইরে'' (১৯১৬), ''চতুরঙ্গ'' (১৯১৬), ''যোগাযোগ'' (১৯২৯), ''শেষের কবিতা'' (১৯২৯), ''দুই বোন'' (১৯৩৩), ''মালঞ্চ'' (১৯৩৪) ''চার অধ্যায়'' (১৯৩৪)। ''বৌ-ঠাকুরাণীর হাট'' ''রাজর্ষি'' ঐতিহাসিক উপন্যাস। এদুটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস রচনার প্রচেষ্টা। এরপর থেকে ছোটগল্পের মতো তার উপন্যাসগুলিও মাসিকপত্রের চাহিদা অনুযায়ী ''নবপর্যায় বঙ্গদর্শন'', ''প্রবাসী'', ''সবুজ পত্র'', ''বিচিত্রা'' প্রভৃতি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ''চোখের বালি'' উপন্যাসে দেখানো হয়েছে সমসাময়িককালে বিধবাদের জীবনের নানা সমস্যা। ''নৌকাডুবি'' উপন্যাসটি আবার লেখা হয়েছে জটিল পারিবারিক সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে। ''গোরা'' রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এই উপন্যাসে দেখানো হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের হিন্দু ব্রাহ্মসমাজের সংঘাত ভারতের তদানীন্তন সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যাগুলি। ''ঘরে বাইরে'' উপন্যাসের বিষয়বস্তু ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নারী পুরুষের সম্পর্কের জটিলতা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা আরও সূক্ষ্মভাবে উঠে এসেছে তার পরবর্তী ''যোগাযোগ'' উপন্যাসেও। ''চতুরঙ্গ'' উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের “ছোটগল্পধর্মী উপন্যাস”। স্ত্রীর অসুস্থতার সুযোগে স্বামীর অন্য স্ত্রীলোকের প্রতি আসক্তি এই বিষয়টিকে উপজীব্য করে রবীন্দ্রনাথ ''দুই বোন'' ''মালঞ্চ'' উপন্যাসদুটি লেখেন। এর মধ্যে প্রথম উপন্যাসটি মিলনান্তক দ্বিতীয়টি বিয়োগান্তক। রবীন্দ্রনাথের শেষ উপন্যাস ''চার অধ্যায়'' সমসাময়িক বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি বিয়োগান্তক প্রেমের উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্যজিৎ রায়ের ''ঘরে বাইরে'' ঋতুপর্ণ ঘোষের ''চোখের বালি''। === প্রবন্ধ পত্রসাহিত্য === রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ইংরেজি ভাষায় অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। এইসব প্রবন্ধে তিনি সমাজ, রাষ্ট্রনীতি, ধর্ম, সাহিত্যতত্ত্ব, ইতিহাস, ভাষাতত্ত্ব, ছন্দ, সংগীত ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তামূলক প্রবন্ধগুলি ''সমাজ'' (১৯০৮) সংকলনে সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে লেখা প্রবন্ধগুলি সংকলিত হয়েছে ''কালান্তর'' (১৯৩৭) সংকলনে। রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা আধ্যাত্মিক অভিভাষণগুলি সংকলিত হয়েছে ''ধর্ম'' (১৯০৯) (১৯০৯-১৬) অভিভাষণমালায়। রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধগুলি স্থান পেয়েছে ''ভারতবর্ষ'' (১৯০৬), ''ইতিহাস'' (১৯৫৫) ইত্যাদি গ্রন্থে। ''সাহিত্য'' (১৯০৭), ''সাহিত্যের পথে'' (১৯৩৬) ''সাহিত্যের স্বরূপ'' (১৯৪৩) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যতত্ত্ব আলোচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্য আধুনিক সাহিত্যের সমালোচনা করেছেন যথাক্রমে ''প্রাচীন সাহিত্য'' (১৯০৭) ''আধুনিক সাহিত্য'' (১৯০৭) গ্রন্থদুটিতে। ''লোকসাহিত্য'' (১৯০৭) প্রবন্ধমালায় তিনি আলোচনা করেছেন বাংলা লোকসাহিত্যের প্রকৃতি। ভাষাতত্ত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ রয়েছে ''শব্দতত্ত্ব'' (১৯০৯), ''বাংলা ভাষা পরিচয়'' (১৯৩৮) ইত্যাদি গ্রন্থে। ছন্দ সংগীত নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন যথাক্রমে ''ছন্দ'' (১৯৩৬) ''সংগীতচিন্তা'' (১৯৬৬) গ্রন্থে। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ তার ভাবনাচিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন ''শিক্ষা'' (১৯০৮) প্রবন্ধমালায়। ''ন্যাশনালিজম'' (ইংরেজি: ১৯১৭) গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ উগ্র জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষণ করে তার বিরোধিতা করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দর্শন বিষয়ে যে বিখ্যাত বক্তৃতাগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি ''রিলিজিয়ন অফ ম্যান'' (ইংরেজি: ''Religion of Man'', ১৯৩০; বাংলা অনুবাদ ''মানুষের ধর্ম'', ১৯৩৩) নামে সংকলিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা জন্মদিনের অভিভাষণ ''সভ্যতার সংকট'' (১৯৪১) তার সর্বশেষ প্রবন্ধগ্রন্থ। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ''বিশ্বপরিচয়'' (১৯৩৭) নামে একটি তথ্যমূলক প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ''জীবনস্মৃতি'' (১৯১২), ''ছেলেবেলা'' (১৯৪০) ''আত্মপরিচয়'' (১৯৪৩) তার আত্মকথামূলক গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথের সামগ্রিক পত্রসাহিত্য আজ পর্যন্ত উনিশটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ''ছিন্নপত্র'' (ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে লেখা), ''ভানুসিংহের পত্রাবলী'' (রানু অধিকারীকে (মুখোপাধ্যায়) লেখা) ''পথে পথের প্রান্তে'' (নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লেখা) বই তিনটি রবীন্দ্রনাথের তিনটি উল্লেখযোগ্য পত্রসংকলন। === নাট্যসাহিত্য === নাটকের দৃশ্য, কলকাতার একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপের দেওয়ালচিত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ছিলেন নাট্যকার নাট্যাভিনেতা। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক নাট্যমঞ্চে মাত্র ষোলো বছর বয়সে অগ্রজ ঠাকুর রচিত ''হঠাৎ নবাব'' নাটকে (মলিয়ের ''লা বুর্জোয়া জাঁতিরোম'' অবলম্বনে রচিত) পরে ''অলীকবাবু'' নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৮১ সালে তার প্রথম গীতিনাট্য মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে তিনি ঋষি বাল্মীকির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ১৮৮২ সালে রবীন্দ্রনাথ রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে ''কালমৃগয়া'' নামে আরও একটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। এই নাটক মঞ্চায়নের সময় তিনি অন্ধমুনির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। গীতিনাট্য রচনার পর রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন। শেকসপিয়রীয় পঞ্চাঙ্ক রীতিতে রচিত তার ''রাজা রাণী'' (১৮৮৯) ''বিসর্জন'' (১৮৯০) বহুবার সাধারণ রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয় এবং তিনি নিজে এই নাটকগুলিতে অভিনয়ও করেন। ১৮৮৯ সালে ''রাজা রাণী'' নাটকে বিক্রমদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ। ''বিসর্জন'' নাটকটি দুটি ভিন্ন সময়ে মঞ্চায়িত করেছিলেন তিনি। ১৮৯০ সালের মঞ্চায়নের সময় যুবক রবীন্দ্রনাথ বৃদ্ধ রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালের মঞ্চায়নের সময় বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ যুবক জয়সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। কাব্যনাট্য পর্বে রবীন্দ্রনাথের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল ''চিত্রাঙ্গদা'' (১৮৯২) ''মালিনী'' (১৮৯৬)। কাব্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ প্রহসন রচনায় মনোনিবেশ করেন। এই পর্বে প্রকাশিত হয় ''গোড়ায় গলদ'' (১৮৯২), ''বৈকুণ্ঠের খাতা'' (১৮৯৭), ''হাস্যকৌতুক'' (১৯০৭) ''ব্যঙ্গকৌতুক'' (১৯০৭)। ''বৈকুণ্ঠের খাতা'' নাটকে রবীন্দ্রনাথ কেদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ১৯২৬ সালে তিনি ''প্রজাপতির নির্বন্ধ'' উপন্যাসটিকেও ''চিরকুমার সভা'' নামে একটি প্রহসনমূলক নাটকের রূপ দেন। ''তাসের দেশ'' নাটকের একটি আধুনিক উপস্থাপনা ১৯০৮ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ রূপক-সাংকেতিক তত্ত্বধর্মী নাট্যরচনা শুরু করেন। ইতিপূর্বে ''প্রকৃতির প্রতিশোধ'' (১৮৮৪) নাটকে তিনি কিছুটা রূপক-সাংকেতিক আঙ্গিক ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু ১৯০৮ সালের পর থেকে একের পর এক নাটক তিনি এই আঙ্গিকে লিখতে শুরু করেন। এই নাটকগুলি হল: ''শারদোৎসব'' (১৯০৮), ''রাজা'' (১৯১০), ''ডাকঘর'' (১৯১২), ''অচলায়তন'' (১৯১২), ''ফাল্গুনী'' (১৯১৬), ''মুক্তধারা'' (১৯২২), ''রক্তকরবী'' (১৯২৬), ''তাসের দেশ'' (১৯৩৩), ''কালের যাত্রা'' (১৯৩২) ইত্যাদি। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রধানত শান্তিনিকেতনে মঞ্চ তৈরি করে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অভিনয়ের দল গড়ে মঞ্চস্থ করতেন। কখনও কখনও কলকাতায় গিয়েও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করতেন তিনি। এই সব নাটকেও একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেন রবীন্দ্রনাথ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ১৯১১ সালে ''শারদোৎসব'' নাটকে সন্ন্যাসী এবং ''রাজা'' নাটকে রাজা ঠাকুরদাদার যুগ্ম ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৪ সালে ''অচলায়তন'' নাটকে অদীনপুণ্যের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৫ সালে ''ফাল্গুনী'' নাটকে অন্ধ বাউলের ভূমিকায় অভিনয়; ১৯১৭ সালে ''ডাকঘর'' নাটকে ঠাকুরদা, প্রহরী বাউলের ভূমিকায় অভিনয়। নাট্যরচনার পাশাপাশি এই পর্বে ছাত্রছাত্রীদের অভিনয়ের প্রয়োজনে রবীন্দ্রনাথ পুরোন নাটকগুলি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ করে নতুন নামে প্রকাশ করেন। ''শারদোৎসব'' নাটকটি হয় ''ঋণশোধ'' (১৯২১), ''রাজা'' হয় ''অরূপরতন'' (১৯২০), ''অচলায়তন'' হয় ''গুরু'' (১৯১৮), ''গোড়ায় গলদ'' হয় ''শেষরক্ষা'' (১৯২৮), ''রাজা রাণী'' হয় ''তপতী'' (১৯২৯) এবং হয় ''পরিত্রাণ'' (১৯২৯)। ১৯২৬ সালে ''নটীর পূজা'' নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচ গানের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই ধারাটিই তার জীবনের শেষ পর্বে “নৃত্যনাট্য” নামে পূর্ণ বিকাশ লাভ করে। ''নটীর পূজা'' নৃত্যনাট্যের পর রবীন্দ্রনাথ একে একে রচনা করেন ''শাপমোচন'' (১৯৩১), ''তাসের দেশ'' (১৯৩৩), ''নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা'' (১৯৩৬), ''নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা'' (১৯৩৮) ''শ্যামা'' (১৯৩৯)। এগুলিও শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরাই প্রথম মঞ্চস্থ করেছিলেন। === সংগীত নৃত্যকলা === চিত্র:Tagore manuscript6 সংকলনের ‘স্বদেশ’ পর্যায়ভুক্ত ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’ গানটির পাণ্ডুলিপি। এই গানটি একটি জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন। ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন। রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন। প্রথম পর্বে তিনি ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন। এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন। ১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে। এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ভাব তার নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়। কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র দুরূহ সুরসৃষ্টি। তার রচিত সকল গান সংকলিত হয়েছে ''গীতবিতান'' গ্রন্থে। এই গ্রন্থের "পূজা", "প্রেম", "প্রকৃতি", "স্বদেশ", "আনুষ্ঠানিক" "বিচিত্র" পর্যায়ে মোট দেড় হাজার গান সংকলিত হয়। পরে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, নাটক, কাব্যগ্রন্থ অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ থেকে বহু গান এই বইতে সংকলিত হয়েছিল। ইউরোপীয় অপেরার আদর্শে ''কালমৃগয়া'' গীতিনাট্য এবং ''চণ্ডালিকা'', ''শ্যামা'' সম্পূর্ণ গানের আকারে লেখা। রবীন্দ্রনাথের সময় বাংলার শিক্ষিত পরিবারে নৃত্যের চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর পাঠক্রমে সংগীত চিত্রকলার সঙ্গে সঙ্গে নৃত্যকেও অন্তর্ভুক্ত করেন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকনৃত্য ধ্রুপদি নৃত্যশৈলীগুলির সংমিশ্রণে তিনি এক নতুন শৈলীর প্রবর্তন করেন। এই শৈলীটি "রবীন্দ্রনৃত্য" নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য গানের পাশাপাশি নাচও অপরিহার্য। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী উদয় শংকর যে আধুনিক ভারতীয় নৃত্যধারার প্রবর্তন করেছিলেন, তার পিছনেও রবীন্দ্রনাথের প্রেরণা ছিল। === চিত্রকলা === "ড্যান্সিং গার্ল", রবীন্দ্রনাথ অঙ্কিত একটি তারিখবিহীন চিত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত ছবি আঁকা শুরু করেন প্রায় সত্তর বছর বয়সে। চিত্রাঙ্কনে কোনো প্রথাগত শিক্ষা তার ছিল না। প্রথমদিকে তিনি লেখার হিজিবিজি কাটাকুটিগুলিকে একটি চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এই প্রচেষ্টা থেকেই তার ছবি আঁকার সূত্রপাত ঘটে। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ কালপরিধিতে অঙ্কিত তার স্কেচ ছবির সংখ্যা আড়াই হাজারের ওপর, যার ১৫৭৪টি শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। দক্ষিণ ফ্রান্সের শিল্পীদের উৎসাহে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম চিত্র প্রদর্শনী হয় প্যারিসের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে। এরপর সমগ্র ইউরোপেই কবির একাধিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ছবিতে রং রেখার সাহায্যে রবীন্দ্রনাথ সংকেতের ব্যবহার করতেন। রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্য চিত্রকলার পুনরুত্থানে আগ্রহী হলেও, তার নিজের ছবিতে আধুনিক বিমূর্তধর্মিতাই বেশি প্রস্ফুটিত হয়েছে। মূলত কালি-কলমে আঁকা স্কেচ, জলরং দেশজ রঙের ব্যবহার করে তিনি ছবি আঁকতেন। তার ছবিতে দেখা যায় মানুষের মুখের স্কেচ, অনির্ণেয় প্রাণীর আদল, নিসর্গদৃশ্য, ফুল, পাখি ইত্যাদি। তিনি নিজের প্রতিকৃতিও এঁকেছেন। নন্দনতাত্ত্বিক বর্ণ পরিকল্পনার দিক থেকে তার চিত্রকলা বেশ অদ্ভুত ধরনেরই বলে মনে হয়। তবে তিনি একাধিক অঙ্কনশৈলী রপ্ত করেছিলেন। তন্মধ্যে, কয়েকটি শৈলী হল- নিউ আয়ারল্যান্ডের হস্তশিল্প, কানাডার (ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশ) পশ্চিম উপকূলের "হাইদা" খোদাইশিল্প ম্যাক্স পেকস্টাইনের কাঠখোদাই শিল্প। == রাজনৈতিক মতাদর্শ শিক্ষাচিন্তা == রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাজনৈতিক দর্শন অত্যন্ত জটিল। তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন করতেন। ১৮৯০ সালে প্রকাশিত ''মানসী'' কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি কবিতায় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের রাজনৈতিক সামাজিক চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়। হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলার তথ্যপ্রমাণ এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ গদর ষড়যন্ত্রের কথা শুধু জানতেনই না, বরং উক্ত ষড়যন্ত্রে জাপানি প্রধানমন্ত্রী তেরাউচি মাসাতাকি প্রাক্তন প্রিমিয়ার ওকুমা শিগেনোবুর সাহায্যও প্রার্থনা করেছিলেন। আবার ১৯২৫ সালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে স্বদেশী আন্দোলনকে "চরকা-সংস্কৃতি" বলে বিদ্রুপ করে রবীন্দ্রনাথ কঠোর ভাষায় তার বিরোধিতা করেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তার চোখে ছিল "আমাদের সামাজিক সমস্যাগুলির রাজনৈতিক উপসর্গ"। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বৃহত্তর জনসাধারণের স্বনির্ভরতা বৌদ্ধিক উন্নতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। ভারতবাসীকে অন্ধ বিপ্লবের পন্থা ত্যাগ করে দৃঢ় প্রগতিশীল শিক্ষার পন্থাটিকে গ্রহণ করার আহ্বান জানান রবীন্দ্রনাথ। formal function, an aged bald man and an old women are humbly dressed and seated side-by-side with legs folded on rug-strewn dais at right; the man looks at bearded, robed, and garlanded old man seated on another dais at left, who is reading from sheet of paper held in his left hand. In the foreground, various dishes and ceremonial objects are arrayed; in the background, half-dozen dignitaries and dozens of ordinary people observe.| শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের আতিথেয়তায় মহাত্মা গান্ধী তাঁর পত্নী কস্তুরবা গান্ধী, ১৯৪০। রবীন্দ্রনাথের এই ধরনের মতাদর্শ অনেককেই বিক্ষুব্ধ করে তোলে। ১৯১৬ সালের শেষ দিকে একটি হোটেলে অবস্থানকালে একদল চরমপন্থী বিপ্লবী রবীন্দ্রনাথকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ উপস্থিত হওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের গান কবিতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৯১৯ সালে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি নাইটহুড বর্জন করেন। নাইটহুড লর্ড চেমসফোর্ডকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, "আমার এই প্রতিবাদ আমার আতঙ্কিত দেশবাসীর মৌনযন্ত্রণার অভিব্যক্তি।" রবীন্দ্রনাথের "চিত্ত যেথা ভয়শূন্য" "একলা চলো রে" রাজনৈতিক রচনা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। "একলা চলো রে" গানটি গান্ধীজির বিশেষ প্রিয় ছিল। যদিও মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিল অম্লমধুর। হিন্দু নিম্নবর্ণীয় জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গান্ধীজি আম্বেডকরের যে মতবিরোধের সূত্রপাত হয়, তা নিরসনেও রবীন্দ্রনাথ বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ফলে গান্ধীজিও তার অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তার "তোতা-কাহিনী" গল্পে বিদ্যালয়ের মুখস্ত-সর্বস্ব শিক্ষাকে প্রতি তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। এই গল্পে রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছিলেন, দেশের ছাত্রসমাজকে খাঁচাবদ্ধ পাখিটির মতো শুকনো বিদ্যা গিলিয়ে কিভাবে তাদের বৌদ্ধিক মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ১৯১৭ সালের ১১ অক্টোবর সান্টা বারবারা ভ্রমণের সময় রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা সম্পর্কে প্রথাবিরুদ্ধ চিন্তাভাবনা শুরু করেন। শান্তিনিকেতন আশ্রমকে দেশ ভূগোলের গণ্ডীর বাইরে বের করে ভারত বিশ্বকে একসূত্রে বেঁধে একটি বিশ্ব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও এই সময়েই গ্রহণ করেছিলেন কবি। ১৯১৮ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্বভারতী নামাঙ্কিত তার এই বিদ্যালয়ের শিলান্যাস করা হয়েছিল। এরপর ১৯২২ সালের ২২ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়েছিল এই বিদ্যালয়ের। বিশ্বভারতীতে কবি সনাতন ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার ব্রহ্মচর্য গুরুপ্রথার পুনর্প্রবর্তন করেছিলেন। এই বিদ্যালয়ের জন্য অর্থসংগ্রহ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ তিনি ঢেলে দিয়েছিলেন এই বিদ্যালয়ের পরিচালন খাতে। নিজেও শান্তিনিকেতনের অধ্যক্ষ শিক্ষক হিসেবেও অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতেন তিনি। সকালে ছাত্রদের ক্লাস নিতেন এবং বিকেল সন্ধ্যায় তাদের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনা করতেন। ১৯১৯ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিদ্যালয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে তিনি একাধিকবার ইউরোপ আমেরিকা ভ্রমণ করেন। == প্রভাব == প্রাগের রবীন্দ্রমূর্তি বিংশ শতাব্দীর বাঙালি সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা দার্শনিক অমর্ত্য সেন রবীন্দ্রনাথকে এক "হিমালয়প্রতিম ব্যক্তিত্ব" "গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক বহুমাত্রিক সমসাময়িক দার্শনিক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত ''রবীন্দ্র রচনাবলী'' বাংলা সাহিত্যের একটি বিশেষ সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হয়। রবীন্দ্রনাথকে "ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি" হিসেবেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী "পঁচিশে বৈশাখ" প্রয়াণবার্ষিকী "বাইশে শ্রাবণ" আজও বাঙালি সমাজে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে। এই উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, শান্তিনিকেতন আশ্রম শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে প্রচুর জনসমাগম হয়। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় ঋতুউৎসবগুলির মাধ্যমেও তাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের রীতি অক্ষুন্ন আছে। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া বা রবীন্দ্ররচনা পাঠের রেওয়াজও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এগুলি ছাড়াও কবির সম্মানে আরও কতকগুলি বিশেষ অভিনব অনুষ্ঠান পালন করা হয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের আরবানাতে আয়োজিত বার্ষিক "রবীন্দ্র উৎসব", তীর্থ-পদযাত্রা "রবীন্দ্র পথপরিক্রমা" ইত্যাদি। চিত্র:Jorasanko Thakur brick-red mansion in the background, shaded by row of large trees; in the foreground, manicured lawn with perimeter of trimmed round ঠাকুরবাড়ি, বর্তমানে কবির নামাঙ্কিত রবীন্দ্রভারতী প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন জীবদ্দশাতেই ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা পূর্ব এশিয়ায় প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ইংল্যান্ডে ডার্টিংটন হল স্কুল নামে একটি প্রগতিশীল সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। অনেজ জাপানি সাহিত্যিককে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থাবলি অনূদিত হয় ইংরেজি, ওলন্দাজ, জার্মান, স্প্যানিশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়। চেক ভারততত্ত্ববিদ ভিনসেন্স লেনসি সহ একাধিক ইউরোপীয় ভাষায় তার গ্রন্থ অনুবাদ করেন। ফরাসি নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আন্দ্রে জিদ্, রাশিয়ান কবি আনা আখমাতোভা প্রাক্তন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত একেভিত, মার্কিন ঔপন্যাসিক জোনা গেইল সহ অনেকেই অনুপ্রেরণা লাভ করেন রবীন্দ্রনাথের রচনা থেকে। ১৯১৬-১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া তার ভাষণগুলি বিশেষ জনপ্রিয়তা প্রশংসা পায়। তবে কয়েকটি বিতর্ককে কেন্দ্র করে ১৯২০-এর দশকের শেষদিকে জাপান উত্তর আমেরিকায় তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কালক্রমে বাংলার বাইরে রবীন্দ্রনাথ "প্রায় অস্তমিত" হয়ে পড়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাধিস্থল, নিমতলা মহাশ্মশান, কলকাতা। চিলিয়ান সাহিত্যিক পাবলো নেরুদা গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, মেক্সিকান লেখক অক্টাভিও পাজ স্প্যানিশ লেখক হোসে অরতেগা ওয়াই গ্যাসেৎ, থেনোবিয়া কামপ্রুবি আইমার, হুয়ান রামোন হিমেনেথ প্রমুখ স্প্যানিশ-ভাষী সাহিত্যিকদেরও অনুবাদের সূত্রে অনুপ্রাণিত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯১৪ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে দম্পতি রবীন্দ্রনাথের বাইশটি বই ইংরেজি থেকে স্প্যানিশে অনুবাদ করেছিলেন। ''দ্য ক্রেসেন্ট মুন'' (''শিশু ভোলানাথ'') সহ রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু রচনার বিস্তারিত পর্যালোচনা স্প্যানিশ সংস্করণ প্রকাশও করেছিলেন তারা। উল্লেখ্য, এই সময়েই হিমেনেথ "নগ্ন কবিতা" (স্প্যানিশ: «poesía desnuda») নামে এক বিশেষ সাহিত্যশৈলীর উদ্ভাবন ঘটান। রবীন্দ্রনাথের মূল বাংলা কবিতা পড়েননি এমন বহু পাশ্চাত্য সাহিত্যিক সাহিত্য সমালোচক রবীন্দ্রনাথের গুরুত্ব অস্বীকারও করেছিলেন। গ্রাহাম গ্রিন সন্দিগ্ধচিত্তে মন্তব্য করেছিলেন, "ইয়েটস সাহেব ছাড়া আর কেউই রবীন্দ্রনাথের লেখাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন না।" রবীন্দ্রনাথের সম্মানের কিছু পুরনো লাতিন আমেরিকান খণ্ডাংশ সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। নিকারাগুয়া ভ্রমণের সময় সালমান রুশদি এই জাতীয় কিছু উদাহরণ দেখে অবাক হন। == রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামাঙ্কিত স্মারক দ্রষ্টব্যস্থল == রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এই প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বীরভূম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতন এই প্রধান শিক্ষাপ্রাঙ্গন। শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মানে বাংলাদেশে তার নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়। রবীন্দ্র পুরস্কার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার ভারত সরকার প্রদত্ত একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। রবীন্দ্রসদন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত কলকাতার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কার্যালয়। রবীন্দ্র সেতু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত হাওড়া কলকাতা শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতু। রবীন্দ্র সরোবর, কলকাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত ভারতের একটি জাতীয় হ্রদ। এটি কলকাতার বৃহত্তম হ্রদ। রবীন্দ্রনাথ সড়ক, যশোর, বাংলাদেশ 'মনিহার' সিনেমা হল থেকে চৌরাস্তার (চার রাস্তা) মোড় এর মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == অতুলনাময়ী রবিন্দ্র == মূল সূত্র == ;নিবন্ধ Sen, A. (1997), Tagore and His India", ''New York Review of Books'', retrieved 2009-11-26 ;গ্রন্থ == আরও পড়ুন == == বহিঃসংযোগ == ;ব্যাখ্যামূলক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর", বাংলাপিডিয়া ... তাঁর ভারত", নোবেল ফাউন্ডেশন ... সাম্প্রতিক নিবন্ধাবলি", পরবাস ... প্রতিষ্ঠাতা", বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ;অডিওবই সাধনা: ...", লিব্রিভক্স ;কথোপকথন ... আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে এবং এইচ জি ওয়েলসের সঙ্গে, স্কুল অফ উইসডম ;রচনাবলি ... বিচিত্রা প্রকল্প থেকে ... পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির ভাষা প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ প্রকাশিত ... প্রোজেক্ট গুটেনবার্গ থেকে ... টেগোরওয়েব থেকে ... উইকিলাইব্রেস থেকে ---- জন্ম মৃত্যু সাহিত্য লেখক কবি কবি বিজয়ী সাহিত্যিক নোবেল বিজয়ী নোবেল বিজয়ী সঙ্গীত রচয়িতা পুনর্জাগরণ ব্যক্তি ব্যক্তি নবজাগরণ চিত্রশিল্পী কবি নবজাগরণে যুক্ত ব্যক্তি'''মোহাম্মদ আশরাফুল''' (জন্ম জুলাই ১৯৮৪) বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডের অধিকারী। তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কারই মাটিতে। ব্যাটিংয়ে দক্ষতা ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে ডানহাতে লেগ স্পিন বল করে থাকেন। == ক্যারিয়ার == === টেস্ট ক্রিকেট === আশরাফুল বিশ্বের কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট শতক করার রেকর্ডের অধিকারী। নিজের ১৭তম জন্মদিনের একদিন পূর্বে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপে তিনি তার অভিষেক টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১১৪ রান করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। কিন্তু খেলায় বাংলাদেশ দল ইনিংস ১৩৭ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়। তার জন্মতারিখ নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তার সূত্রপাত হয়েছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা জুলাই বলা হচ্ছে, কিন্তু তার পাসপোর্টে জন্মতারিখ রয়েছে সেপ্টেম্বর হিসেবে। অবশ্য উভয় তারিখ হিসেব করলেও তিনি তার রেকর্ড ধরে রাখতে পারবেন (পূর্ববর্তী রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মুস্তাক মোহাম্মদের, যিনি ১৯৬০-০১ মৌসুমে ১৭ বছর ৮২ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন)। এই ধরনের শুরুর পর আশরাফুলের কাছে প্রত্যাশার চাপ অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে টানা কয়েক ম্যাচ খারাপ ফর্ম এবং বাজে বলে আউট হওয়ার স্বভাবের কারণে তিনি জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন। ২০০৪ সালে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর ভারতের বিরুদ্ধে ১৫৮* রান করেন, যা সময়কালে তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় শতক এবং কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ টেস্ট রান। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি ১৩৬ রান করেন। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার অভিষেক হয় ২০০৭ এ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অধিনায়কের ভূমিকায় শুরুটা তার ভালো ছিল না। প্রথম টেস্টের দু' ইনিংসে তিনি যথাক্রমে ৩৭ রান করেন এবং দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসেই তিনি ১২৯ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৪টি সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে আশরাফুল বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার (প্রথম হাবিবুল বাশার)। ২০০৭-০৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটি টেস্টে আশরাফুল খুবই ব্যতিক্রমী উপায়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে আউট করেন। বোলারের হাত থেকে ছুটে যাওয়া বল দু'বার বাউন্স খায় এবং ব্যাটসম্যান বলটিকে সজোরে হিট না করে বোলারের হাতে তুলে দেন। আশরাফুল বলটিকে লুফে নেন। ফলশ্রুতিতে আম্পায়ার স্টিভ বাকনার ব্যাটসম্যানকে আউট ঘোষণা করেন। আউটটি 'ক্রিকেটের আইনের' ২৪ নম্বর, অনুচ্ছেদ নম্বর অনুযায়ী সিদ্ধ ছিল। আইনানুসারে 'নো বল' হতে হলে বলটিকে বারের বেশি ড্রপ খেতে হবে কিংবা গড়িয়ে যেতে হবে। === একদিনের আন্তর্জাতিক === আশরাফুলের ওয়ানডে অভিষেক হয় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে, ১১ই এপ্রিল, ২০০১। ম্যাচটিতে তিনি মাত্র রান করেন, বাংলাদেশ হারে ৩৬ রানে। নিজের প্রথম বিশ্বকাপেও তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। পুরো টুর্নামেন্টে তিনি মাত্র ১৪.২০ গড়ে মাত্র ৭১ রান করেন। বাংলাদেশ বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো না হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত জয়ে আশরাফুলের অনেক অবদান রয়েছে। ২০০৫ সালের ১৮ জুন তারিখে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে তৎকালীন বিশ্বের একনম্বর ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ে আশরাফুল ১০০ রান করেন। এটি তার একমাত্র শতক, এবং সেট খেলাটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচ। ২০০৭ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তৎকালীন একনম্বর ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আশরাফুল ৮৩ বলে ৮৭ রান করেন, যা বাংলাদেশকে আরেকটি স্মরণীয় বিজয় উপহার দেয়। এতে তিনি ''ম্যান অব দ্য ম্যাচ'' পুরস্কারে ভূষিত হন। ২৪ গড়ে ২১৬ রান করে আশরাফুল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান স্কোরার হন। বিশ্বকাপের পর তিনি শাহরিয়ার নাফিসের স্থলে দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হন। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজের পর তাকে টেস্ট সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম অধিনায়ক। ২০০৭ এর সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ই বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত পুরো সিরিজে এটাই বাংলাদেশের একমাত্র জয় হয়ে দাঁড়ায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে আশরাফুল মাত্র ২০ বলে অর্ধ-শতক করে রেকর্ড করেন। ছ'দিন পরেই অবশ্য যুবরাজ সিং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১২ বলে অর্ধ-শতক করে রেকর্ডটি ভেঙ্গে দেন। === ঘরোয়া ক্রিকেট === 250px ঘরোয়া লীগে আশরাফুল ঢাকা বিভাগীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে অনিয়মিতভাবে খেলে থাকেন। ২০০৬ এর নভেম্বরে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৬৩ রানের একটি রেকর্ড ইনিংস খেলেন। সতীর্থ রকিবুল হাসান অবশ্য রেকর্ডটি পরে ভেঙ্গে ফেলেন। আশরাফুল প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগে 'সোনারগাঁও ক্রিকেটার্স'-কে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি যখন অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন, তখন দলটি লীগ টেবিলের একেবারে নিচের দিকে ছিল। তার নেতৃত্বে দলটি টেবিলের দ্বিতীয় দল হিসেবে মৌসুম শেষ করে। আশরাফুল 'রেইনহিল সিসি'র হয়েও ইংল্যান্ডের একটি ঘরোয়া লীগে খেলেন। == ম্যাচ পাতানোর স্বীকারোক্তি == ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএলে) ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার পর আশরাফুল বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন এবং জাতির কাছে ক্ষমা চান। পরে আশরাফুলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Cricinfo Profile Mohammad Ashraful's Profile on BanglaCricket Ashraful's battle to make his mark by S.Rajesh ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি টেস্ট ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ক্রিকেট অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী ক্রিকেটার বিভাগের ক্রিকেটার মুসলিম গেমসে বাংলাদেশের প্রতিযোগী এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটার গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী বাংলাদেশী গেমসের ক্রিকেটে পদক বিজয়ী এশীয় একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটার ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার জেলার ক্রীড়াবিদএকটি একেশ্বরবাদী ধর্ম, যা মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের ধর্মপ্রচারক নাসরতের যিশুর জীবন শিক্ষার উপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে উৎপত্তি লাভ করে। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি "খ্রিস্ট" অনুযায়ী এই ধর্মকে খ্রিস্টধর্ম এবং এর অনুসারীদের খ্রিস্টান বলা হয়। খ্রিস্টানদের নাম বাইবেল। খ্রিস্টানেরা এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে; তারা আরও বিশ্বাস করে যে যিশু ইশ্বরের পুত্র মানব জাতির ত্রাতা যার আগমন বাইবেলের পুরাতন নিয়ম অংশে পূর্বব্যক্ত হয়েছিল এবং নূতন নিয়ম অংশে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। খ্রিস্টধর্ম একটি অব্রাহামীয় ধর্ম, কেননা বাইবেলের পুরাতন নিয়মে উল্লিখিত প্রাচীন ইসরায়েলীয় জাতির পিতৃপুরুষ অব্রাহাম যে এক ঈশ্বরের উপাসনা করতেন, খ্রিস্টানরা সেই ঈশ্বরেরই উপাসনা করে। ==অনুসারীর সংখ্যা মন্ডলীসমূহ== অনুসারীর সংখ্যা অনুযায়ী খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম। সারা বিশ্বে প্রায় ২৪০ কোটি খ্রিস্টধর্মের অনুসারী আছে, যা বিশ্ব জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ রাষ্ট্রে খ্রিস্টধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্ম। বর্তমান যুগে খ্রিস্টধর্ম বেশ কিছু শাখা বা মন্ডলীতে বিভক্ত। এদের মধ্যে ৫টি প্রধান শাখা হল রোমান ক্যাথলিক মন্ডলী (১৩০ কোটি অনুসারী), প্রতিবাদী মন্ডলী (৯২ কোটি অনুসারী), পূর্বী প্রথানুবর্তী মন্ডলী (২৭ কোটি অনুসারী), প্রাচ্যদেশীয় প্রথানুবর্তী মন্ডলী (৮ কোটি অনুসারী) এবং ইঙ্গ (অ্যাংলিকান) মন্ডলী (৮৫ লক্ষ)। এদের বাইরেও বিশ্বের সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন মতের অনেক মন্ডলী রয়েছে। ==উদ্ভব (যিশুখ্রিস্টের জীবন)== মধ্যপ্রাচ্যের (বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্রের উত্তরভাগে অবস্থিত) ঐতিহাসিক গালীল অঞ্চলের নাসরত শহর থেকে আগত ইহুদি বংশোদ্ভূত ধর্মীয় নেতা যিশুখ্রিস্টের জীবন শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে খ্রিস্টীয় ১ম শতকে ধর্মটির উৎপত্তি হয়। ঐতিহাসিকভাবে নাসরতের যিশু খ্রিস্টীয় ১ম শতকের প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের প্রদেশ যিহূদিয়াতে (ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন অঞ্চলের পার্বত্য দক্ষিণাংশ) বসবাসকারী একজন ধর্মপ্রচারক নৈতিক শিক্ষক ছিলেন। যিশুর পালক বাবা যোসেফ ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। কিন্তু যিশুর অনুসারীরা অর্থাৎ খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করেন যে যিশু স্বয়ং ঈশ্বরের একমাত্র সন্তান। খ্রিস্টান বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী তিনি দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে পারতেন, এমনকি মৃত মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন। এসব অলৌকিক ঘটনা সম্পাদনের প্রেক্ষিতে যিশুকে ইহুদিদের রাজা হিসেবে দাবী করা হয়। এই উপাধি ব্যবহার নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে দাবী করার দোষে জেরুসালেমের ইহুদি নেতাদের নির্দেশে যিশুকে জেরুসালেমে গ্রেপ্তার করা হয়। ইহুদিদের সর্বোচ্চ আদালতে তার বিচার হয় ইহুদিরা যিহূদিয়ার স্থানীয় রোমান প্রশাসক পোন্তিউস পীলাতকে অনুরোধ করে যেন যিশুকে মৃত্যদণ্ড দান করা হয়। পীলাত প্রথমে যিশুকে নিরপরাধ গণ্য করলেও পরবর্তীতে যাজকদের প্ররোচণায় উন্মত্ত ইহুদি জনতার ইচ্ছাপূরণ করতে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করান। ==ধর্মগ্রন্থ== খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা একটি ধর্মীয় পুস্তকসমগ্র অনুসরণ করে, যার সামগ্রিক নাম বাইবেল। বাইবেলের পুস্তকগুলিকে দুইটি বড় অংশে ভাগ করা হয়েছে: পুরাতন নিয়ম নতুন নিয়ম। খ্রিস্টানেরা বাইবেলের পুরাতন নতুন নিয়মের সমস্ত পুস্তককে ঈশ্বরের পবিত্র বাণী হিসেবে গণ্য করেন। পুরাতন নিয়ম অংশটি হিব্রু বাইবেল (বা তানাখ) এবং অব্রাহামের পৌত্র যাকব তথা ইসরায়েলের বংশধরদের লেখা অনেকগুলি ধর্মীয় পুস্তক নিয়ে গঠিত। খ্রিস্টধর্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় শাখা ক্যাথলিক মন্ডলীতে অনুমোদিত পুস্তকতালিকা অনুযায়ী বাইবেলের পুরাতন নিয়ম অংশে ৪৬টি পুস্তক আছে। এই পুস্তকগুলি বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সময়ে খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতক পর্যন্ত মূলত হিব্রু ভাষাতে রচিত হয়। বাইবেলের দ্বিতীয় অংশটির নাম নতুন নিয়ম, যা ২৭টি পুস্তক নিয়ে গঠিত। এই পুস্তকমালাতে যিশুর জীবন, শিক্ষা খ্রিস্টীয় ১ম শতকে তার অনুসারীদের কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে। নতুন নিয়মের বিভিন্ন পুস্তক খ্রিস্টীয় ১ম শতকেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সেসময়ে অতি প্রচলিত গ্রিক ভাষাতে রচিত হয়, পরে খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতকে এসে ৩৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ক্যাথলিক মন্ডলীর ধর্মীয় নেতারা উত্তর আফ্রিকার কার্থেজ শহরে আয়োজিত একটি সম্মেলনে নতুন নিয়মের পুস্তকগুলির একটি সঠিক তালিকা অনুমোদন প্রণয়ন করেন। নতুন নিয়মের প্রথম চারটি পুস্তককে একত্রে সুসমাচার নামে ডাকা হয়; এগুলিতে যিশুর জীবন, তার মৃত্যু এবং মৃত অবস্থা থেকে তার পুনরুত্থানের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। ==খ্রিস্টানদের বিশ্বাস== খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করে একজন মাত্র ঈশ্বর স্বর্গ মর্ত্যের দৃশ্যমান অদৃশ্য সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা। অর্থাৎ ঈশ্বর জগতের পিতা। পিতারূপী ঈশ্বর প্রতিটি মানুষকে সন্তানের মতো ভালোবাসেন এবং তার সাথে সম্পর্ক রাখতে চান। কিন্তু প্রতিটি মানুষ পাপ করার প্রবণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে (যার উৎস প্রথম মানব আদমের আদিপাপ)। এই সব ছোট-বড় পাপের কারণে মানুষ জগতের পিতা ঈশ্বরের মাঝে দূরত্বের সৃষ্টি হয়। খ্রিস্টানেরা বিশ্বাস করে যে যিশুখ্রিস্ট ঈশ্বরেরই দ্বিতীয় একটি রূপ; তিনি ঈশ্বরের একমাত্র প্রকৃত পুত্র। ঈশ্বরের তৃতীয় আরেকটি রূপ হল পবিত্র আত্মা। পবিত্র আত্মা বিভিন্ন নবী বা ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে মানবজাতির সাথে যোগাযোগ করেছে। পবিত্র আত্মারূপী ঈশ্বর মানব কুমারী মেরির গর্ভে পুত্ররূপী ঈশ্বর তথা যিশুখ্রিস্টের জন্ম দেন, যার সুবাদে যিশুখ্রিস্ট রক্তমাংসের মানুষের রূপ ধারণ করে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন। পবিত্র আত্মারূপী ঈশ্বরের সুবাদে পুত্ররূপী ঈশ্বর যিশুখ্রিস্ট পৃথিবীতে বহু অলৌকিক কাজ সম্পাদন করেন। শেষ পর্যন্ত যিশু ক্রুশবিদ্ধ হয়ে যন্ত্রণাভোগ করে মৃত্যুবরণ করে সমগ্র মানবজাতির পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন। কিন্তু তিন দিন পরে তিনি মৃত্যুকে পরাজিত করে পুনরুজ্জীবিত হন এবং স্বর্গে আরোহণ করেন যেখানে তিনি পিতারূপী ঈশ্বরের ডান পাশের আসনে অধিষ্ঠিত হন। ঈশ্বর উপহার হিসেবে সবাইকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। সময়ের যখন সমাপ্তি হবে, তখন যিশু আবার পৃথিবীতে ফেরত আসবেন এবং শেষ বিচারে সমস্ত মানবজাতির (মৃত বা জীবিত) বিচার করবেন। যারা যিশুখ্রিস্টে বিশ্বাস আনবে এবং ঈশ্বরের ক্ষমা গ্রহণ করবে, তারাই ভবিষ্যতে শেষ বিচারের দিনে পরিত্রাণ পাবে স্বর্গে চিরজীবন লাভ করবে। পুরাতন নিয়মের পুস্তকগুলিতে যে মসিহ বা ত্রাণকর্তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে যিশুই সেই ত্রাণকর্তা। তারা যিশুকে একজন নৈতিক শিক্ষক, অনুকরণীয় আদর্শ এবং প্রকৃত ঈশ্বরকে উদ্ঘাটনকারী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে। ==বিকাশ বিস্তার== খ্রিস্টধর্ম প্রথমে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলিতে ইহুদিধর্মের একটি উপ-সম্প্রদায় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। খ্রিস্টের মৃত্যুর পরে তার আদি বারো শিষ্য জেরুসালেম থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়েন। কয়েক দশকের মধ্যে খ্রিস্টে বিশ্বাসী অনুসারীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। বারো শিষ্যের বাইরে খ্রিস্টধর্মের বাণীর আদি প্রচারকদের মধ্যে সন্ত পৌল (৫ আনু. ৬৭ খ্রিষ্টাব্দ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; বাইবেলের নতুন নিয়মের ২৭টি পুস্তকের মধ্যে ১৩টিই তিনি রচনা করেন। খ্রিস্টীয় ১ম শতকেই বারো শিষ্যদের সবার মৃত্যু হয়। এরপর ২য় ৩য় শতকে খ্রিস্টের বারো শিষ্যের উত্তরসূরী ধর্মবিদেরা খ্রিস্ট ধর্মের তত্ত্ব নির্মাণ প্রচার অব্যাহত রাখেন; তাদের রচনার অংশবিশেষ নতুন নিয়মের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এসময় খ্রিস্টধর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ অ-ইহুদি ধর্ম হিসেবে রোমান সাম্রাজ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। একই সাথে ধর্মটি মধ্যপ্রাচ্য, ইথিওপিয়া (আকসুম সাম্রাজ্য) আন্তঃককেশিয়ার বিশাল অংশে এবং এশিয়ার কিয়দংশে ছড়িয়ে পড়ে। আকসুম সাম্রাজ্য প্রথম সাম্রাজ্য হিসেবে খ্রিস্টধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে। ৪র্থ শতকে রোমান সম্রাট কোনস্তানতিন খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং তিনি ৩১৩ খ্রিষ্টাব্দে মিলানের রাজকীয় অধ্যাদেশবলে খ্রিস্টধর্মকে আইনবিরুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা বন্ধ করেন। এর প্রেক্ষিতে এটি সমগ্র রোমান সাম্রাজ্যের প্রধান ধর্মে পরিণত হয়। ৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট কোনস্তানতিনের আহুত নিকায়েয়া-র (বর্তমান তুরস্কের ইজনিক শহর) ধর্মীয় সম্মেলনে খ্রিস্টধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাসের সারসংক্ষেপ প্রথমবারের মত রচিত হয়। এতে বাইবেলে বর্ণিত পিতারূপী ঈশ্বর, পুত্ররূপী ঈশ্বর (যিশু) পবিত্র আত্মারূপী ঈশ্বর এই তিন সত্তাই যে একই ঈশ্বরের তিন রূপ, এই ত্রিত্ববাদ ধারণাটি গৃহীত হয়। বর্তমানে খ্রিস্টান মন্ডলীগুলির সিংহভাগ ঈশ্বরের ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী; তবে মূলধারার বাইরে অনেক ছোট ছোট মন্ডলী এতে বিশ্বাস করে না। ৫ম শতকে খ্রিস্টধর্মের নেতৃস্থানীয় ধর্মযাজকেরা ধর্মগ্রন্থসমগ্র বাইবেলের সংকলন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন। মধ্যযুগে এসে ইউরোপের বাকি অংশগুলিরও খ্রিস্টধর্মায়ন ঘটে। সে সময় খ্রিস্টানরা মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং ভারতের অংশবিশেষেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে বাস করত। আবিষ্কারের যুগের পরে উপনিবেশ স্থাপন জোরালো ধর্মপ্রচারণার সুবাদে খ্রিস্টধর্ম সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা, উত্তর দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের অন্যত্র (যেমন পূর্ব এশিয়া বিশেষত ফিলিপাইন) ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে খ্রিস্টধর্ম বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত অঞ্চলব্যাপী বিরাজমান প্রধান ধর্ম। ==টীকা== ==তথ্যসূত্র == ধর্ম ধর্ম ধর্ম'''স্টিভেন কুক''' (; জন্ম:১৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৯) একজন বিখ্যাত মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী গণিতবিদ। টুরিং পুরস্কারপ্রাপ্ত কুকের প্রধান অবদান কম্প্লেক্সিটি তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ এনপি-সম্পূর্ণতা ধারণা উদ্ভাবন করা। তিনি ২০০৮ সালে টুরিং পুরস্কার পান। বর্তমানে তিনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ গণিত বিভাগে অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত। == জন্ম শিক্ষাজীবন == স্টিভেন কুকের জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে। তিনি ১৯৬১ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬২ ১৯৬৬ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব গণিত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোতে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং গণিত বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৭৫ সালে অধ্যাপক হন। == কর্মজীবন == == পুরস্কার সম্মাননা == স্টিভেন কুক ২০০৮ সালে এসিএম টুরিং পুরস্কার পান। == ব্যক্তিজীবন == কুক দুই সন্তান এর জনক এবং বর্তমানে তিনি সস্ত্রীক টরেন্টো রয়েছেন। তিনি বেহালা বাজাতে পারেন এবং নৌভ্রমণ পছন্দ করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Home page of Stephen A. Cook Oral history interview with Stephen Cook at Charles Babbage Institute, University of Minnesota. Cook discussed his education at the University of Michigan and Harvard University and early work at the University of California, Berkeley, and his growing interest in problems of computational complexity. Cook recounted his move to the University of Toronto in 1970 and the reception of his work on leading up to his A.M. Turing Award. Stephen Cook at DBLP কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন্ম ব্যক্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রাক্তন শিক্ষার্থী অব বার্কলের শিক্ষক শিক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য সোসাইটির ফেলোগণ কম্পিউটার বিজ্ঞানী প্রাক্তন শিক্ষার্থী মার্কিন অভিবাসনকারী অব দি অর্ডার অব কানাডা'''জম্মু কাশ্মীর''' হল ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল যা এতদিন সতন্ত্র রাজ্য ছিলো। কিন্তু এই অঞ্চলটি প্রধানত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। ভারতের এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলটির দক্ষিণে ভারতের হিমাচল প্রদেশ পাঞ্জাব রাজ্য দুটি অবস্থিত। জম্মু কাশ্মীরের উত্তরে পাক-অধিকৃত অঞ্চল পূর্বে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ অবস্থিত। এই অঞ্চলের পশ্চিমে উত্তরপশ্চিমে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নরেন্দ্র মোদী চালিত ভারতের সরকার সংসদের উভয় কক্ষে ব্যাপক সমর্থন নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের জম্মু কাশ্মীর এর বিশেষ মর্যাদা ধারা ৩৭০ ধারা ৩৫ক,৫ই আগষ্ট ২০১৯ রদ করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরী করে,যথা জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ। জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা এই দুই অঞ্চল নিয়ে জম্মু কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি গঠিত। শ্রীনগর এই অঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী এবং জম্মু শীতকালীন রাজধানী। কাশ্মীর উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। জম্মু অঞ্চলে অনেক হিন্দু মন্দির থাকায় এটি হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। == ইতিহাস == ১৯২৫ সালে হরি সিং কাশ্মীরের রাজা হন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন কাশ্মীরের শাসক। ১৯৪৭ সালে ভারত-বিভাজনের অন্যতম শর্ত ছিল, ভারতের দেশীয় রাজ্যের রাজারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবেন, অথবা তারা স্বাধীনতা বজায় রেখে শাসনকাজ চালাতে পারবেন। ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার বিদ্রোহী নাগরিক এবং পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পশতুন উপজাতিরা কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করে। কাশ্মীরের রাজা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেও গভর্নর-জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কাছে সহায়তা চাইলেন। কাশ্মীরের রাজা ভারতভুক্তির পক্ষে স্বাক্ষর করবেন, এই শর্তে মাউন্টব্যাটেন কাশ্মীরকে সাহায্য করতে রাজি হন। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর হরি সিং কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তিতে সই করেন। ২৭ অক্টোবর তা ভারতের গভর্নর-জেনারেল কর্তৃক অনুমোদিত হয়। চুক্তি সই হওয়ার পর, ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে প্রবেশ করে সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ভারত বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপন করে। রাষ্ট্রসংঘ ভারত পাকিস্তানকে তাদের অধিকৃত এলাকা খালি করে দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের প্রস্তাব দেয়। ভারত প্রথমে এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫২ সালে জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচিত গণপরিষদ ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দিলে ভারত গণভোটের বিপক্ষে মত দেয়। ভারত পাকিস্তানে রাষ্ট্রসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি তত্ত্বাবধানে আসে। এই গোষ্ঠীর কাজ ছিল, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যেক পক্ষ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের কাছে জমা দেওয়া। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে কাশ্মীর থেকে উভয় পক্ষের সেনা প্রত্যাহার গণভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত গণভোটে অসম্মত হয় এবং এজন্য পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে অসম্মত হয়। ভারত গণভোট আয়োজনে অসম্মত হয় এজন্য যে, এটা নিশ্চিত ছিল যে গণভোটে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের বেশিরভাগ ভোটারই পাকিস্তানের পক্ষে ভোটদান করবেন এতে কাশ্মীরে ভারত ত্যাগের আন্দোলন আরো বেশী জোড়ালো হবে। মুসলিম প্রধান কাশ্মীর অন্যান্য কারণকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়। এরপর ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ হয়। ==প্রশাসন == ===সংবিধানের ৩৭০নং অনুচ্ছেদ=== ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক। ১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশ ভারতকে ভারত পাকিস্তানে বিভাজন করে ভারতীয় সাংবিধানিক আইন কার্যকর হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতভুক্তির বিষয়টি কার্যকরী হয়। ভারতভুক্তির শর্ত হিসেবে জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সংসদ প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র যোগাযোগ- এই তিনটি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাধর। ৩৭০ ধারাকে সাময়িক বলে বিবেচনা করা যেতেই পারে। জম্মু কাশ্মীর বিধানসভা ধারা পরিবর্তন করতে পারত, একে বিলোপ করতে পারত বা একে ধারণ করতে পারত। বিধানসভা একে ধারণ করার পক্ষে মত দেয়। আরেকটি ব্যাখ্যা হল- গণভোট না হওয়া পর্যন্ত ভারতভুক্তির সিদ্ধান্ত সাময়িক বলে গণ্য। রাষ্ট্রপতির আদেশের ভিত্তিতে অনুচ্ছেদ ৩৭০ (৩) বিলোপ করা যেতেই পারে। তবে তেমন নির্দেশের জন্য জম্মু কাশ্মীরের গণপরিষদের সম্মতি প্রয়োজন। কিন্তু গণপরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫৭-তে। ফলে একটা মত হল, ৩৭০ ধারা আর বিলোপ করা যেতে পারে না। তবে ব্যাপারে আরেকটি মতও রয়েছে, সেটা হল রাজ্য বিধানসভার সম্মতিক্রমে এই বিলোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। ৩৭০ ধারার নং অনুচ্ছেদ উল্লিখিত হয়েছে, যেখানে রাজ্যগুলির তালিকায় জম্মু-কাশ্মীরকে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে ৩৭০ ধারার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধান লাগু হবে। তবে ১৯৬৩ সালের ২৭ নভেম্বর নেহরু লোকসভায় বলেছিলেন যে ৩৭০ ধারার ক্ষয় হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর রাখার জন্য অন্তত ৪৫ বার ৩৭০ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। ভাবে রাষ্ট্রপতির আদেশের ভিত্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রায় নাকচ করা হয়েছে। ১৯৫৪ সালের নির্দেশ মোতাবেক প্রায় গোটা সংবিধানই, সমস্ত সংশোধনী সহ জম্মু-কাশ্মীরে কার্যকর করা হয়েছে। ৯৭টির মধ্যে ৯৪টি যুক্তরাষ্ট্রীয় তালিকা জম্মু কাশ্মীরে লাগু, ৩৯৫ টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ২৬০টি রাজ্যে কার্যকর, ১৩টির মধ্যে ৭টি তফশিলও লাগু রয়েছে সেখানে। জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান সংশোধনের জন্য ৩৭০ ধারাকে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে যদিও ৩৭০ ধারার অন্তর্গত ভাবে রাষ্ট্রপতিরও সে ক্ষমতা নেই। পাঞ্জাবে এক বছরের বেশি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রাখতে সরকারের ৫৯তম, ৬৪ তম, ৬৭ তম এবং ৬৮তম সংবিধান সংশোধনী প্রয়োজন হয়েছিল। কিন্তু জম্মুকাশ্মীরের ক্ষেত্রে শুধু ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করেই সে কাজ চলে যায়। তালিকাভুক্ত রাজ্যগুলির জন্য আইন প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ২৪৯ নং অনুচ্ছেদ জম্মু কাশ্মীরে লাগু করার জন্য বিধানসভায় কোনও প্রস্তাব পাশ করানো হয়নি, রাজ্যপালের সুপারিশের ভিত্তিতেই তা কার্যকর হয়ে যায়। এসব দিক থেকে দেখলে ৩৭০ ধারা জম্মু কাশ্মীরের অধিকারকে অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় খর্ব করে। এখন ৩৭০ ধারা, জম্মু কাশ্মীরের থেকে ভারত রাষ্ট্রের পক্ষে বেশি সহায়ক। ২০১৯ সালের আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ (ক) ধারা কে অকার্যকর করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা সুযোগ সুবিধা খর্ব করেন। এবং জম্মু কাশ্মীরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে সেই দুটিকে ভারতের দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জম্মু কাশ্মীরের সংবিধানের নং অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে যে জম্মু কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ===বিভাগ=== কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি ২টি বিভাগে বিভক্ত। বিভাগ দুটি হল জম্মু কাশ্মীর উপত্যকা। ===জেলাগুলি === জম্মু কাশ্মীরের জেলাসমূহের তালিকা ==আরও দেখুন== চেনানি-নাশরি টানেল পহেলগাম কাশ্মীর == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Government of Jammu and Kashmir, India Letter of Baroness Nicholson which refers to the 1909 map of Kashmir Excerpts of telegram dated 26 October 1947 from Jawaharlal Nehru to the British Prime Minister, Clement Attlee EU passes Emma Nicholson's Kashmir report with an overwhelming Majority কাশ্মীরে ভূমিকম্প বিতর্ক অঞ্চল রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু কাশ্মীর ভারত প্রতিষ্ঠিত রাজ্য এবং অঞ্চল ভারতের সংস্থা ভাষাভাষী দেশ এবং অঞ্চল বিতর্ক অঞ্চল'''খুলনা জেলা''' (''খুলনা জিলা'' নামেও পরিচিত) হল বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি খুলনা বিভাগে অবস্থিত। == অবস্থান আয়তন == খুলনা জেলার উত্তরে যশোর নড়াইল জেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে বাগেরহাট জেলা এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরা জেলা রয়েছে। এর আয়তন ৪৩৯৪.৪৫ কিমি²। == প্রশাসনিক এলাকা == খুলনা জেলার উপজেলাগুলি হল কয়রা ডুমুরিয়া তেরখাদা দাকোপ দিঘলিয়া পাইকগাছা ফুলতলা বটিয়াঘাটা রূপসা == ভৌগলিক অবস্থান জলবায়ু == খুলনা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে। এই জেলার জলবায়ু নাতিষীতোষ্ণ। == নদ-নদী == খুলনা জেলায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে রূপসা নদী, ভৈরব নদ, শিবসা নদী, পশুর নদী, কপোতাক্ষ নদ, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, পশুর নদী, আঠারোবাঁকি নদী, ভদ্রা নদী, বুড়িভদ্রা নদী, শৈলমারী নদী, কাজিবাছা নদী, ডাকাতিয়া নদী, শাকবাড়িয়া নদী, কাঁকরী নদী, ঝপঝপিয়া নদী, নদী, অর্পণগাছিয়া নদী, কুঙ্গা নদী, মারজাত নদী, মানকি নদী, বল নদী, নলুয়া নদী, ঘনরাজ নদী। == শিক্ষা == খুলনা, যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন। এই বোর্ডে জেএসসি, এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষা গৃহীত হয়ে থাকে। খুলনায় একটি প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য রয়েছেঃ খুলনা পাবলিক কলেজ, বয়রা, খুলনা গভঃ লাবরেটরী হাই স্কুল, খুলনা খুলনা জেলা স্কুল সরকারি দৌলতপুর মুহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় করোনেশনের বালিকা বিদ্যালয় মন্নুজান সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সরকারি বি এল কলেজ আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ সরকারী হাজি মোহাম্মদ মুহসিন কলেজ (খালিশপুর) খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় *খুলনা মেডিকেল কলেজ ==অর্থনীতি== মূলত কৃষির পাশাপাশি শিল্প নির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠেছে এখানে। এখানে রয়েছে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র, জুট মিল, লবন ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশের বাসমতী 'বাংলামতি' ধান উৎপাদন প্রভৃতি। == পর্যটন স্থান == পৃথিবীর বৃহত্তম উপকূলীয় বনভূমি সুন্দরবন, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট খান জাহান আলি (র) মাজার, বাগেরহাট খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, খুলনা বনবিলাস চিড়িয়াখানা, খুলনা রূপসা নদী বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি, দক্ষিণ ডিহি, ফুলতলা, খুলনা আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এর জন্ম স্থান, পাইকগাছা থানা, খুলনা রূপসা সেতু, খুলনা ধর্ম সভা আর্য মন্দির, খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক ভাষাস্মৃতি শহীদ মিনার, খুলনা গল্লামারি বধ্যভূমি শহীদস্মৃতি সৌধ, খুলনা জাতিসংঘ শিশুপার্ক, শান্তিধাম মোড়, খুলনা ধামালিয়া জমিদার বাড়ি == স্থানীয় পত্র-প্রত্রিকা == খুলনা থেকে যে সমস্ত প্রত্রিকা প্রকিাশিত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক তথ্য, '''দৈনিক প্রবাহ,''' দৈনিক সময়ের খবর, দৈনিক জন্মভূমি, দৈনিক অনির্বাণ, দৈনিক খুলনাঞ্চল, দৈনিক পাঠকের পত্রিকা, খুলনা নিউজ ডট কম ইত্যাদি। == উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব== খান জাহান আলী (১৩৬৯ ২৫ অক্টোবর ১৪৫৯) ইসলাম ধর্ম প্রচারক বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক; কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৪ ১৯০৭) স্বনামধন্য কবি; *মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবি নাট্যকার; আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (২ আগস্ট ১৮৬১ ১৬ জুন ১৯৪৪) প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞানশিক্ষক, দার্শনিক, কবি; মৃণালিনী দেবী (মার্চ ১৮৭৪ ২৩ নভেম্বর ১৯০২) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিনী; রসিকলাল দাস (১৮৯৯ আগস্ট ১৯৬৭) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী; অতুল সেন (মৃত্যুঃ আগস্ট ১৯৩২) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী; অনুজাচরণ সেন (জুন ১৯০৫ ২৫ আগস্ট ১৯৩০) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী; বিষ্ণু চট্টোপাধ্যায় (এপ্রিল ১৯১০ ১১ এপ্রিল ১৯৭১) জমিদারতন্ত্র বিরোধী কৃষক আন্দোলনের ঐতিহাসিক নেতা সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ; শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১১ জুলাই, ১৮৯৭ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮২) শ্রমিক নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামী শেখ রাজ্জাক আলী (২৮ আগস্ট ১৯২৮ জুন ২০১৫) খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ ও্ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার; আবেদ খান (জন্মঃ ১৬ এপ্রিল ১৯৪৫) সাংবাদিক কলাম-লেখক; ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ মার্চ ২০১৮) প্রখ্যাত ভাস্কর; তানভীর মোকাম্মেল (১৯৫৫) চলচ্চিত্র পরিচালক; ওমর সানী (৬ মে ১৯৬৯) চলচ্চিত্র অভিনেতা; মৌসুমী (১১ নভেম্বর ১৯৭৩) চলচ্চিত্র অভিনেত্রী; শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ (১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ ২৯ অক্টোবর ২০১৩) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; আব্দুর রাজ্জাক (১৫ জুন ১৯৮২) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; এনামুল হক (১৬ ডিসেম্বর ১৯৯২) বাংলাদেশী ক্রিকেটার, উইকেট-রক্ষক এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যান; মানজারুল ইসলাম রানা (৪ মে ১৯৮৪ ১৬ মার্চ ২০০৭) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (২ ডিসেম্বর ১৯৮৬) বাংলাদেশী ক্রিকেটার; *সৌম্য সরকার-বাংলাদেশী ক্রিকেটার এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান (২৫ অক্টোবর ১৯৯৭, খুলনা) বাংলাদেশী ক্রিকেটার, ডান-হাতি অফ ব্রেক এবং ব্যাটসম্যান সালমা খাতুন (১ অক্টোবর ১৯৯০) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; রুমানা আহমেদ (২৯ মে ১৯৯১) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; আয়শা রহমান (১৪ জানুয়ারি ১৯৮৪) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; জাহানারা আলম (১ এপ্রিল ১৯৯৩) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার; শুকতারা রহমান (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪) বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার। এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা- খ্যাতনামা রাজনীতিবিদ সাবেক হুইপ আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু সাংবাদিক, লেখক কলামিস্ট নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মাননীয় মন্ত্রী মৎস প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয় মশিউর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। শ্রী সুজিত অধিকারী খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। *জনাব শেখ মো:হাসান আল-মামুন, সদস্য খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন সমন্বয়কারী) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় উপ কমিটি। জনাব মোল্লা জালাল উদ্দিন সহ সভাপতি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ। *জনাব কামরুজ্জামান জামাল খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। *জনাব শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, খুলনা জেলা আওয়ামী *'''কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন কাগুজী''' চেয়ারম্যান, লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ, পাইকগাছা, খুলনা আওয়ামীলীগ নেতা। == তথ্যসূত্র == == বহিসংযোগ == খুলনা জেলার তথ্য বাতায়ন। জেলা জেলা বিভাগের জেলা'''গি দ্য মোপাসঁ''' (; আগস্ট ১৮৫০ জুলাই ১৮৯৩) একজন বিখ্যাত ফরাসি কবি, গল্পকার ঔপন্যাসিক। ==জন্ম পরিচয়== জন্ম ১৮৫০ সালের আগষ্ট ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে। তার পিতার নাম গ্যুস্তাভ দ্য মোপসঁ এবং মায়ের নাম লোর ল্য পোয়াতভাঁ। তিনি স্বল্পভাষী লাজুক স্বভাবের ছিলেন। মায়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেকখানিই প্রভাব ফেলেছিল তার উপর। তার মা দুরারোগ্য ব্যাধি ভুগতেন ==শিক্ষাজীবন== মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান বলে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন কিছুটা।১৯৬৭ সালে তিনি একটি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৬৯ সালে মোপাসঁ প্যারিসে আইন বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। ==কর্মজীবন== শীঘ্রই তাকে পড়াশোনা ছেড়ে ফরাসি-প্রুশীয় যুদ্ধের কারণে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয় এরপর ১৮৭২ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত তিনি সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে ফ্রান্সের নৌ মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। ==সাহিত্যজীবন== স্কুলজীবন থেকেই পারিবারিক বন্ধু গুস্তাভ ফ্লবেয়ারের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে গুস্তাভ ফ্লবেয়ার, এমিল জোলা, আলফস দোঁদে-দের উত্তরসূরী হিসেবে ১৮৮০ সালে একটি কাব্যগ্রন্থ(De Ver) প্রকাশের মধ্যে দিয়ে তার সাহিত্যজগতে পদার্পণ। প্রথম কাব্যগ্রন্থে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাননি। এসময় প্যারিস তরুণ সাহিত্যিকদল একটি সাহিত্যিকদল বের করে একটি সাহিত্যিক সঙ্কলন। নাম Less Sovress de Medan। এখানে মোপাসঁর প্রথম বড় গল্প 'ব্যুল দ্য সুইফ' (Boule de Suif)- যুদ্ধের পটভুমিতে একজন বেশ্যার কাহিনী। ১৮৮৩ সালে আরেকটি বিখ্যাত গল্প প্রকাশিত হল, মাদমোয়াজেল ফিফি। এরপর প্রথম উপন্যাস Un-rie। উপন্যাসটি সরকারি রোষানলের শিকার হল। ১৮৮৫ সালে রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস "বেল আমি"। বলা হয়ে থাকে, ছোটগল্পকার হিসেবে যতটুকু পারদর্শী ছিলেন, উপন্যাসে তিনি ততটা ঋজুগতি ধরে রাখতে পারেননি। মাত্র এক দশক সাহিত্যচর্চার সুযোগ পান মোপাসঁ, এই সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি তিনশ' ছোট গল্প, ছয়টি উপন্যাস, বেশ কিছু কবিতা এবং তিনটি ভ্রমণকাহিনী লেখেন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির '''নেকলেস''' গল্পটিও তার লেখা। ==মৃত্যু== দুর্ভাগ্যবশত তারুণ্যের শুরুতেই তিনি সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হন, যা তাকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। শেষে মারাত্মক মানসিক বৈকল্যের শিকার হয়ে ১৮৯২ সালের জানুয়ারি কন্ঠনালী কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্যারিসের একটি প্রাইভেট অ্যাসাইলামে ভর্তি করা হয়, এবং সেখানেই পরের বছর অর্থাৎ ১৮৯৩ সালের ৬ই জুলাই, মাত্র ৪৩ বছর বয়সে, মৃত্যুবরণ করেন এই প্রতিভাবান সাহিত্যিক। ==তথ্যসূত্র== == পাদটীকা == সাহিত্যিক জন্ম মৃত্যু ঔপন্যাসিকবিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের ১৯৬৩-১৯৯৮ বিশ্বজুড়ে টেকটোনিক পাতের গতিপথ। ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে '''ভূমিকম্প''' বলে। কম্পন-তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেণ্ড থেকে এক/দু-মিনিট স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দুর্বল হয় যে, তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু শক্তিশালী বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘর-বাড়ি ধন-সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে। সাধারণ জ্ঞানে ভূমিকম্প শব্দটি দ্বারা যে কোন প্রকার ভূকম্পন জনিত ঘটনাকে বোঝায় সেটা প্রাকৃতিক অথবা মনুষ্য সৃষ্ট যাই হোক না কেন। বেশিরভাগ ভূমিকম্পের কারন হল ভূগর্ভে ফাটল স্তরচ্যুতি হওয়া কিন্তু সেটা অন্যান্য কারন যেমন অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস, খনিতে বিষ্ফোরণ বা ভূগর্ভস্থ নিউক্লিয়ার গবেষনায় ঘটানো আনবিক পরীক্ষা থেকেও হতে পারে। ভূমিকম্পের প্রাথমিক ফাটলকে বলে ফোকাস বা হাইপোসেন্টার। এপিসেন্টার হল হাইপোসেন্টার বরাবর মাটির উপরিস্থ জায়গা। == ভূমিকম্পের কেন্দ্র == পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখান থেকে ভূকম্প-তরঙ্গ উৎপন্ন হয়, তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। এই কেন্দ্র থেকে কম্পন ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গের মাধ্যমে সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে। শিলার পীড়ন-ক্ষমতা সহ্যসীমার বাহিরে চলে গেলে শিলায় ফাটল ধরে শক্তির মুক্তি ঘটে। তাই প্রায়শই ভূমিকম্পের কেন্দ্র চ্যুতিরেখা অংশে অবস্থান করে। সাধারণত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিমি.-র মধ্যে এই কেন্দ্র অবস্থান করে। তবে ৭০০ কিমি. গভীরে গুরুমণ্ডল (Mantle) থেকেও ভূ-কম্পন উত্থিত হতে পারে। == ভূমিকম্পের কারণ == সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে। আমাদের ভূ -পৃষ্ঠ অনেকগুলো প্লেট-এর সমন্বয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলো একটি আরেকটির থেকে আলাদা থাকে ফল্ট বা ফাটল দ্বারা। এই প্লেটগুলোর নিচেই থাকে ভূ-অভ্যন্তরের সকল গলিত পদার্থ। কোনও প্রাকৃতিক কারণে এই গলিত পদার্থগুলোর স্থানচ্যুতি ঘটলে প্লেটগুলোরও কিছুটা স্থানচ্যুতি ঘটে। কারণে একটি প্লেটের কোনও অংশ অপর প্লেটের তলায় ঢুকে যায়, যার ফলে ভূমিতে কম্পন সৃষ্টি হয়। আর এই কম্পনই ভূমিকম্প রূপে আমাদের নিকট আবির্ভূত হয়। === আগ্নেয়গিরিজনিত === কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ গলিত লাভা উৎক্ষিপ্ত হবার কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। === শিলাচ্যুতিজনিত === কখনো কখনো পাহাড় কিংবা উচু স্থান থেকে বৃহৎ পরিসরে শিলাচ্যুতিজনিত কারণে ভূমিকম্প হতে পারে। === ভূপাত === কোনো কারণে পাহাড়-পর্বত হতে বৃহৎ শিলাখণ্ড ভূত্বকের ওপর ধসে পড়ে ভূমিকম্প হয়। সাধারণত ভাঁজ পর্বতের নিকট অধিক ভূমিকম্প হয়। === তাপ বিকিরণ === ভূত্বক তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হয়ে পড়লে ফাটল ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে ভূমিকম্প হয়। === ভূগর্ভস্থ বাষ্প === নানা কারণে ভূগর্ভে বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্প ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলে তা ভূত্বকের নিম্নভাগ ধাক্কা দেয়; ফলে প্রচণ্ড ভূকম্পন অনুভূত হয়। এবং ভূমিকম্প হয়। === হিমবাহের প্রভাবে === কখনো কখনো প্রকাণ্ড হিমবাহ পর্বতগাত্র হতে হঠাৎ নিচে পতিত হয়। এতে ভূকম্প কেঁপে ওঠে এবং ভূমিকম্প হয়। == বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প == === এশিয়া === ==== বাংলাদেশ ==== বাংলাদেশের ভূমিকম্প বলতে আসলে বাংলাদেশ তৎসংলগ্ন এলাকার ভূমিকম্পকে বোঝায়। কারণ বাংলাদেশ আসলে ভারত মায়ানমারের ভূঅভ্যন্তরের দুটি ভূচ্যুতির (faultline) প্রভাবে আন্দোলিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মার (মায়ানমারের) টেকটনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে। ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেট দুটি (১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে) দীর্ঘদিন যাবৎ হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে আছে, অপেক্ষা করছে বড় ধরনের নড়াচড়ার, অর্থাৎ বড় ধরনের ভূ-কম্পনের। বাংলাদেশে ৮টি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে, যথা: বগুড়া চ্যুতি এলাকা, রাজশাহীর তানোর চ্যুতি এলাকা, ত্রিপুরা চ্যুতি এলাকা, সীতাকুণ্ড টেকনাফ চ্যুতি এলাকা, হালুয়াঘাট চ্যুতির ডাওকী চ্যুতি এলাকা, ডুবরি চ্যুতি এলাকা, চট্টগ্রাম চ্যুতি এলাকা, সিলেটের শাহজীবাজার চ্যুতি এলাকা (আংশিক-ডাওকি চ্যুতি) এবং রাঙামাটির বরকলে রাঙামাটি চ্যুতি এলাকা। সাল তারিখ স্থান ভূমিকম্পের মাত্রা(রিখটার স্কেল) ১৮৮৫, ১৪ জুলাই মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ ৭+ ১৯১৮, জুলাই শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ ৭.৬ ১৯৩০, জুলাই ধুবড়ি, আসাম, ভারত ৭.১ ১৯৩৪, ১৫ জানুয়ারি বিহার, ভারত ৮.৩ ১৯৩৪, জুলাই আসাম, ভারত ৭.১ ১৯৫০, ১৫ আগস্ট আসাম, ভারত ৮.৭ ১৯৯৭, ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ৬.০ ১৯৯৯, জুলাই মহেশখালি দ্বীপ, বাংলাদেশ ৫.২ ২০০২ বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ৪০ বার হয় ২০০৩, ২৭ জুলাই বরকল উপজেলা, রাঙামাটি, বাংলাদেশ ৫.১ বাংলাদেশ তৎসংলগ্ন এলাকার ৮৫ বছরের ভূমিকম্পের সংক্ষিপ্ত রেকর্ড। প্রাকৃতিকভাবেই কার্বন চক্রের প্রভাবে ভূমিকম্প হয়ে থাকে, বাংলাদেশেও তার ব্যত্য়য় হয় না। এদেশের ভিতরে পার্শ্ববর্তী এলাকার বিগত প্রায় ২৫০ বছরের ভূমিকম্পের নথিভুক্ত তালিকা পাওয়া যায়। তালিকা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ১০০'রও বেশি ভূমিকম্প; তন্মধ্যে ৬৫টিরও বেশি ঘটেছে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের পরে। থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিগত ৩০ বছরে (পরিপ্রেক্ষিত ২০০৪) ভূমিকম্প সংঘটনের মাত্রা বেড়েছে। বাংলাদেশে ৮টি ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি এলাকা বা ফল্ট জোন সচল অবস্থায় রয়েছে, যথা: বগুড়া চ্যুতি এলাকা, রাজশাহীর তানোর চ্যুতি এলাকা, ত্রিপুরা চ্যুতি এলাকা, সীতাকুণ্ড টেকনাফ চ্যুতি এলাকা, হালুয়াঘাট চ্যুতির ডাওকী চ্যুতি এলাকা, ডুবরি চ্যুতি এলাকা, চট্টগ্রাম চ্যুতি এলাকা, সিলেটের শাহজীবাজার চ্যুতি এলাকা (আংশিক-ডাওকি চ্যুতি) এবং রাঙামাটির বরকলে রাঙামাটি চ্যুতি এলাকা। বাংলাদেশ, ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মার (মায়ানমারের) টেকটনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে। ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেট দুটি (১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে) দীর্ঘদিন যাবৎ হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে আছে, অপেক্ষা করছে বড় ধরনের নড়াচড়ার, অর্থাৎ বড় ধরনের ভূ-কম্পনের। এই সূত্রে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া লেমন্ট-ডোহের্টি আর্থ অবজারভেটরির ভূতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন (জুলাই ২০১৬) এতদিন প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট মডেলের অভাবে সম্ভাব্য ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয় করা যাচ্ছিল না। এবার তারা সেটি করতে পেরেছেন। তারা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের নিচে জমে ওঠা টেকটনিক প্লেটে চাপ জমে উঠছে কম করে বিগত ৪০০ বছর ধরে। এই চাপ যখন মুক্ত হবে তখন সৃষ্ট ভূমিকম্পের মাত্রা দাঁড়াবে প্রায় ৮.২ রিখটার, এমনকী তা রিখটারেও পৌঁছতে পারে। প্রায় ১৪ কোটি মানুষ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে হয় ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্প। এমনকি বাংলাদেশ প্রকৌশল (BUET) মানমন্দিরে জানুয়ারি ২০০৬ থেকে মে ২০০৯ পর্যন্ত বছরে, রিখটার স্কেলে মাত্রার ৮৬টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে মাত্রার চারটি ভূ-কম্পনও ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানমন্দিরে মে ২০০৭ থেকে জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০টি ভূ-কম্পন নথিভুক্ত করা হয়, তন্মধ্যে ৯টিরই রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিলো ৫-এর উপরে, এবং সেগুলোর ৯৫%-এরই উৎপত্তিস্থল ছিলো ঢাকা শহরের ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। অতীতের এসব রেকর্ড থেকে দেখা যায় ভূমিকম্পের মাত্রা না বাড়লেও ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে ভূমিকম্প সংঘটনের হার বেড়েছে, অর্থাৎ ঘন ঘন স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে। মতবিরোধ থাকলেও অনেক ভূতাত্ত্বিক ছোট ছোট ভূমিকম্প সংঘটন বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করেন। অতীতের এসব রেকর্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যে কোনও সময় বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশকে ভূমিকম্পের তীব্রতার ভিত্তিতে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র:GSB) বুয়েটের গবেষকদের প্রস্তুতকৃত মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩% এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১% এলাকা মধ্যম (জোন-২) এবং ১৬% এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ভূ-কম্পন মানচিত্রে ২৬% উচ্চ, ৩৮% মধ্যম এবং ৩৬% নিম্ন ঝুঁকিতে ছিলো। নতুন মানচিত্র অনুযায়ী, মাত্রাভেদে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অবস্থান নিম্নরূপ: :'''জোন-১''': পঞ্চগড়, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, সম্পূর্ণ অংশ, এবং ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি কক্সবাজারের অংশবিশেষ। :'''জোন-২''': রাজশাহী, নাটোর, মাগুরা, মেহেরপুর, কুমিল্লা, ফেনী এবং ঢাকা। :'''জোন-৩''': বরিশাল, পটুয়াখালী, এবং সব দ্বীপ চর। ===== জোন-১ ===== জোন-১-এ অবস্থিত বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে। কারণ সিলেট-সুনামগঞ্জ ভারতের শিলংকে বিভক্ত করেছে ডাওকি নদী, আর এই ডাওকি নদী ডাওকি চ্যুতি (Dauki fault) বরাবর অবস্থান করছে, আর ভূতাত্ত্বিক চ্যুতিগুলোই বড় ধরনের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। সিলেটের সীমান্ত এলাকাবর্তী এধরনের চ্যুতিগুলোর কোনো কোনোটিতে সাব-ডাউন ফল্ট রয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্প ঘটালে বড়লেখার পাথারিয়া পাহাড় সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। কারণ এতে করে পাথারিয়া অন্তর্চ্যুতি (Patharia anticline) নিচের দিকে মোচড় দিতে পারে। ===== জোন-২ ===== জোন-২-এ অবস্থিত রাজশাহী জেলা, ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রীয় ভূমিকম্প এলাকায় অবস্থিত এবং তাই ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সক্রীয় ভূমিকম্প এলাকায় থাকার কারণে এই অঞ্চলও যেকোনো সময় মারাত্মক ভূমিকম্পের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হতে পারে। জোন-২-তে থাকা রাজধানী শহর ঢাকায় সে হিসেবে মাত্রার ভূমিকম্প হবার মতো ভূতাত্ত্বিক ফাটল রেখা বা ফল্টলাইন নেই। তবে ঢাকা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে মধুপুর অঞ্চলে থেকে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হবার মতো ভূতাত্ত্বিক ফাটল রেখা রয়েছে। সরকারি তথ্যসূত্রমতে, ঢাকায় রাতের বেলায় থেকে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৯০,০০০ লোক হতাহত হবে। দিনের বেলায় হলে হতাহতের সংখ্যা হবে ৭০,০০০। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলের ৩,২৬,০০০ ভবনের উপর পরিচালিত সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, এমন তীব্রতার ভূমিকম্পে প্রায় ৭২,০০০ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে, আরও ৮৫,০০০ ভবন মাঝারি ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু দালান ভাঙার কারণে ক্ষয়ক্ষতি হবে বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য সম্পদ। এমনকি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ পরিচালিত ''রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট টুলস ফর ডায়াগনসিস অফ আরবান এরিয়াস এগেইন্সট সাইসমিক ডিযাসটার'' (রেডিয়াস) জরিপে ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বের ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকাও অন্যতম। এছাড়াও জাপানের ''টোকিও ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'' (টিআইটি)-র সহায়তায় ঢাকা ভূতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত এক সাম্প্রতিক (২০১০) গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকার ভূমিতে বিভিন্ন প্রকারের মাটি (লাল মাটি, নরম মাটি ইত্যাদি) রয়েছে। ঢাকার সম্প্রসারিত অংশে জলাশয় ভরাট করে গড়ে তোলা আবাসন এলাকা রয়েছে। ভূমিকম্পের সময় নরম মাটি ভরাট করা এলাকার মাটি ভূমিকম্পের কম্পন তরঙ্গকে বাড়িয়ে দেয়, ফলে ভূমিকম্পের তীব্রতা বাড়ে। মাটির বৈশিষ্ট্যের সাথে যোগ হয় ভবনের বা স্থাপনার কাঠামো। এই দুইয়ের সম্মিলনে ভূমিকম্পের তীব্রতা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাব্যতা বাড়ে-কমে। গবেষকরা তাই ঢাকার বর্ধিতাংশের আলগা মাটিসমৃদ্ধ জনবসতিকে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ==পৌরাণিক কাহিনীতে ভূমিকম্প== ভূমিকম্প নিয়ে নানা ধরনের লোককাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে... *গ্রিক জাতির ধারণা অনুযায়ী তাবৎ ভূমিকম্পের জন্য দায়ী ভূমিকম্পের দেবতা পোসাইডন। পোসাইডন যখন খারাপ মেজাজে থাকেন, তখন ভূমিতে ত্রিশূল দিয়ে প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করেন। ফলে ভূমিকম্প হয়। মানুষের পাপকাজে রাগন্বিত হয়েও তিনি এরকম করেন বলে প্রচলিত আছে। *পশ্চিম আফ্রিকান সংস্কৃতির কিছু মানুষ মনে করত, জীবন টিকে আছে এক দৈত্যের মাথার মধ্যে। গাছপালা সেই দৈত্যের চুল। মানুষ অন্যান্য প্রাণী হচ্ছে পরজীবীর মতো, যারা দৈত্যের ত্বকজুড়ে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মধ্যে দৈত্যটি মাথা এদিক-ওদিক ঘোরায়। তখনই ভূমিকম্প হয়। নর্স পুরাণে আছে সৌন্দর্যের দেবতা বলডারকে হত্যা করার কারণে দেবতা লকিকে একটি বিষধর সাপ মাথার ওপর দিয়ে শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সেই সাপ তার মাথায় ক্রমাগত বিষ ঢেলে চলেছে। তার স্ত্রী সেজিন তাকে বাচানোর জন্য একটি পাত্রে বিষ ভরে রাখছে। পাত্রটি পুর্ণ হয়ে গেলে সে যখন তা খালি করতে যায় তখন ক্রমাগত পড়তে থাকা বিষ থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য লকি নাড়াচাড়া করে ফলে ভূমিকম্প হয়। == তথ্যসূত্র == দুর্যোগ বিপর্যয়'''নোয়াখালী জেলা''' বাংলাদেশের অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। == আয়তন অবস্থান == নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৪২০২.৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের ২২°০৭' থেকে ২৩°০৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৫৩' থেকে ৯১°২৭' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে নোয়াখালী জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে জেলার দূরত্ব প্রায় ১৭১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার। জেলার পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা ফেনী জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলা ভোলা জেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। == ইতিহাস == === প্রতিষ্ঠাকাল === বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত। নোয়াখালী জেলার মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সময় থেকেই। ১৭৭২ সালে কোম্পানীর গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। ১৯টি জেলার একটি ছিল ''কলিন্দা''। জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলতঃ নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্ত ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে করা হয় প্রদেশের অধীনস্থ অফিস। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং এবার সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। ১৪টির মধ্যেও ''ভুলুয়া'' নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ''ত্রিপুরা'' নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালে শাহবাজপুর, হাতিয়া, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ মীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগনা। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়া জেলাকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়। === নামকরণ === নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ''ভুলুয়া''। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম ''সুধারাম''। ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরার পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়ার ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ি চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে। এই বিশাল নতুন খালকে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় ''নোয়া (নতুন) খাল'' বলা হত, এর ফলে অঞ্চলটি একসময়ে লোকের মুখেমুখে পরিবর্তিত হয়ে ''নোয়াখালী'' হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। === সাধারণ ইতিহাস === নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা ১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের জিহাদ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলন। ১৯৪৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে নোয়াখালীর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মর্মান্তিক নিপীড়িন, গণহত্যা শুরু হয়, যা নোয়াখালী গণহত্যা নামে পরিচিত। এই নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধ করতে মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলা ভ্রমণ করেন। বর্তমানে সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ নামক স্থানে গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম রয়েছে, যা গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিত। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ফেনী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের অর্ন্তভূক্ত একটি বিশাল জেলা হিসেবে পরিচালনা হয়ে আসছিল। ১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষ্মীপুর ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা পুনর্গঠিত হয়। তখন জেলায় উপজেলা ছিল ছয়টি। পরবর্তীতে আরো তিনটি উপজেলার সৃষ্টি করা হয়। হাতিয়া উপজেলার কিছু অংশ জেলার মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকলেও বৃহত্তর অংশ (মূল হাতিয়া) এর চতুর্দিকে মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা। === নোয়াখালীর শহর === নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। ব্রিটিশদের পরিকল্পনায় নতুন করে শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোল একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো আকৃতিতে তৈরী হয় সরকারি সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হত মূলতঃ শহরের জলাধার হিসেবে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হত। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিল। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল। === মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি === ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকবাহিনী নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করে। ১১ মে পাকবাহিনী হাতিয়া শহর আক্রমণ করে। তারা উপজেলার আফাজিয়া বাজারে জনকে এবং ওছখালি বাজারে জনকে গুলি করে হত্যা করে। ১৫ জুন জেলার সোনাপুর আহমদিয়া মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ জুন পাকবাহিনী সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকার শ্রীপুর গ্রামে ৭০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জুলাই মুক্তিযোদ্ধারা বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। ১৯ আগস্ট পাকবাহিনী বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারে মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে হত্যা করে। সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাঞ্ছারাম রোডের স্লুইসগেটের পূর্বপাশে পাকবাহিনী রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক লড়াইয়ে জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরবর্তীতে উপজেলায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি খণ্ড লড়াইয়ে সদর বিএলএফ কমান্ডার অহিদুর রহমান অদুদসহ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা কবিরহাট উপজেলার রাজাকার জলিলের বাড়িতে হামলা করলে জলিলসহ তার কয়েকজন সহযোগী নিহত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা সেনবাগ উপজেলার ডোমনাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থিত পাকবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করে। উক্ত লড়াইয়ে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। নোয়াখালী জেলা স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর। ;মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর: ১টি (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৪নং স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকা) স্মৃতিস্তম্ভ: ৩টি (বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী, সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর এবং নোয়াখালী জেলা সদরের পিটিআই প্রাঙ্গণ) বধ্যভূমি: ১টি (কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ডোবা) == প্রশাসনিক এলাকাসমূহ == নোয়াখালী জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৯৩টি ইউনিয়ন, ৮৮২টি মৌজা, ৯৬৭টি গ্রাম ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। === উপজেলাসমূহ === নোয়াখালী জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল: ক্রম নং উপজেলা আয়তন(বর্গ কিলোমিটারে) প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকাসমূহ ০১ কবিরহাট ১৮৯.৯৪ কবিরহাট '''পৌরসভা''' (১টি): কবিরহাট '''ইউনিয়ন''' (৭টি): নরোত্তমপুর, সুন্দলপুর, ধানসিঁড়ি, ঘোষবাগ, চাপরাশিরহাট, ধানশালিক এবং বাটইয়া ০২ কোম্পানীগঞ্জ ৩০৫.৩৩ কোম্পানীগঞ্জ '''পৌরসভা''' (১টি): বসুরহাট '''ইউনিয়ন''' (৮টি): সিরাজপুর, চর পার্বতী, চর হাজারী, চর কাঁকড়া, চর ফকিরা, রামপুর, মুছাপুর এবং চর এলাহী ০৩ চাটখিল ১৩৩.৮৯ চাটখিল '''পৌরসভা''' (১টি): চাটখিল '''ইউনিয়ন''' (৯টি): সাহাপুর, রামনারায়ণপুর, পরকোট, বদলকোট, মোহাম্মদপুর, পাঁচগাঁও, হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ, নোয়াখলা এবং খিলপাড়া ০৪ নোয়াখালী সদর ৫৫২.৪৬ সুধারাম '''পৌরসভা''' (১টি): নোয়াখালী '''ইউনিয়ন''' (১৩টি): চর মটুয়া, দাদপু্র, নোয়ান্নই, কাদির হানিফ, বিনোদপুর, নোয়াখালী, ধর্মপুর, এওজবালিয়া, কালাদরপ, অশ্বদিয়া, নিয়াজপুর, পূর্ব চর মটুয়া এবং আণ্ডারচর ০৫ বেগমগঞ্জ ৪২৬.০৫ বেগমগঞ্জ '''পৌরসভা''' (১টি): চৌমুহনী '''ইউনিয়ন''' (১৬টি): আমানউল্যাপুর, গোপালপুর, জিরতলী, আলাইয়ারপুর, ছয়ানী, রাজগঞ্জ, একলাশপুর, বেগমগঞ্জ, মিরওয়ারিশপুর, নরোত্তমপুর, দুর্গাপুর, কুতুবপুর, রসুলপুর, হাজীপুর, শরীফপুর এবং কাদিরপুর ০৬ সুবর্ণচর ৩২৯.২৬ সুবর্ণচর '''ইউনিয়ন''' (৮টি): চর জব্বর, চর বাটা, চর ক্লার্ক, চর ওয়াপদা, চর জুবলী, চর আমানউল্যা, পূর্ব চর বাটা এবং মোহাম্মদপুর ০৭ সেনবাগ ১৫৫.৮৩ সেনবাগ '''পৌরসভা''' (১টি): সেনবাগ '''ইউনিয়ন''' (৯টি): ছাতারপাইয়া, কেশারপাড়, ডুমুরুয়া, কাদরা, অর্জুনতলা, কাবিলপুর, মোহাম্মদপুর, বিজবাগ এবং নবীপুর ০৮ সোনাইমুড়ি ১৭০.৪২ সোনাইমুড়ি '''পৌরসভা''' (১টি): সোনাইমুড়ি '''ইউনিয়ন''' (১০টি): জয়াগ, নদনা, চাষীরহাট, বারগাঁও, অম্বরনগর, নাটেশ্বর, বজরা, সোনাপুর, দেওটি এবং আমিশাপাড়া ০৯ হাতিয়া ১৫০৮.২৩ হাতিয়া '''পৌরসভা''' (১টি): হাতিয়া '''ইউনিয়ন''' (১১টি): হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, চর ঈশ্বর (ভাসানচর ব্যতীত), চর কিং, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, বুড়িরচর, জাহাজমারা এবং নিঝুমদ্বীপ ভাসানচর '''ইউনিয়ন''' (১টির অংশ): চর ঈশ্বর ইউনিয়ন এর ভাসানচর === সংসদীয় আসন === সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা সংসদ সদস্য রাজনৈতিক দল ২৬৮ নোয়াখালী-১ চাটখিল উপজেলা এবং সোনাইমুড়ি উপজেলা (বারগাঁও, অম্বরনগর নাটেশ্বর ইউনিয়ন ব্যতীত) এইচ এম ইব্রাহিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৬৯ নোয়াখালী-২ সোনাইমুড়ি উপজেলার বারগাঁও, অম্বরনগর নাটেশ্বর ইউনিয়ন এবং সেনবাগ উপজেলা মোরশেদ আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭০ নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ উপজেলা মামুনুর রশীদ কিরন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭১ নোয়াখালী-৪ নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং সুবর্ণচর উপজেলা মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭২ নোয়াখালী-৫ কবিরহাট উপজেলা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৭৩ নোয়াখালী-৬ হাতিয়া উপজেলা আয়েশা ফেরদাউস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নোয়াখালী জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৩,৭০,২৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬,১০,৪৪৪ জন এবং মহিলা ১৭,৫৯,৮০৭ জন। মোট জনসংখ্যার ৯৫.৪২% মুসলিম, ৪.৫২% হিন্দু এবং ০.০৬% বৌদ্ধ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। == শিক্ষা ব্যবস্থা == নোয়াখালী জেলার সাক্ষরতার হার ৬৯.৫০%। জেলায় রয়েছে: বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১টি মেডিকেল কলেজ ১টি (সরকারি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ১টি (সরকারি) কলেজ ৩৫টি (৮টি সরকারি) মাদ্রাসা ১৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮৯টি (১২টি সরকারি) কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫টি কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১২৪৩টি ;শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == অর্থনীতি == নোয়াখালী জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। আঞ্চলিক জিডিপির প্রায় ৪০% কৃষি খাত থেকে আসে এবং জেলার ৮০ ভাগ লোক এই পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট। কৃষির মধ্যে মূলত মৎস্য চাষ মৎস্য আহরণের সাথে সবচেয়ে বেশি মানুষ জড়িত। বছরজুড়ে নৌকা তৈরি মেরামত, মাছ ধরা, পরিবহন, শুটকি উৎপাদন, জাল মেরামত এর সাথে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ শ্রমজীবী জড়িত থাকে। নিম্নভূমি অঞ্চল হওয়াতে এই জেলায় প্রচুর মৎস্য চাষ হয়ে থাকে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। ফসল উৎপাদন মূলত বছরে একবারই হয়। শীত মৌসুমে জেলার সর্বত্র বিশেষ করে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে রকমারি ফসলের চাষ হয়। এছাড়াও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দ্বীপগুলোতে গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন ব্যাপকতা লাভ করেছে। নোয়াখালী জেলায় শিল্প কারখানা তেমনভাবে গড়ে উঠেনি, কিন্তু নোয়াখালী জেলার অনেক ব্যক্তি দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছেন। নোয়াখালীর মানুষ মূলত কাজের জন্য দেশে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে গমন করেন। জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স পাঠানো জেলাগুলোর মধ্যে নোয়াখালী জেলা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। জেলার মোট আয়ের অন্যান্য খাতে আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে অ-কৃষি শ্রম ৩.৪৩%, শিল্প ০.৮৪%, বাণিজ্য ১৪.৭৪%, পরিবহন খাত ৩.৮৩%, চাকুরি ১৬.১১%, নির্মাণখাত ১.৪৯%, রেমিট্যান্স ৭.৯৭% এবং অন্যান্য ১০.৫৮% অবদান রাখছে। == যোগাযোগ ব্যবস্থা == নোয়াখালী জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়ক এবং মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে। == ধর্মীয় উপাসনালয় == নোয়াখালী জেলায় ৪১৫৯টি মসজিদ, ৪৯৭টি ঈদগাহ, ২৩৯টি মন্দির, ২টি বিহার এবং ১টি ক্যাথলিক খ্রিস্টান গির্জা রয়েছে। == নদ-নদী == নোয়াখালী জেলার প্রধান নদী মেঘনা। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নদীর মধ্যে ডাকাতিয়া ছোট ফেনী নদী অন্যতম। == জলবায়ু == বছরব্যাপী সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ১৪.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বছরে গড় বৃষ্টিপাত ৩৩০২ মিলিমিটার। == প্রাকৃতিক দুর্যোগ == ১৭৯০ সালের পর থেকে নোয়াখালী জেলা বহুবার ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, টর্নেডো, সাইক্লোন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে, যার মধ্যে নোয়াখালী জেলার অনেকে ছিলেন। == দর্শনীয় স্থান == কল্যান্দি জমিদার বাড়ি অরুণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এয়াকুব আলী ব্যাপারী জামে মসজিদ, সোনাপুর কমলা রাণীর দীঘি কল্যান্দী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির গান্ধি আশ্রম নিঝুম দ্বীপ নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যান নোয়াখালী জিলা স্কুল নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ নোয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরী, মাইজদী নোয়াখালী সরকারি কলেজ নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালী ফকির ছাড়ু মিজি (রহ.) সাহেবের দরগাহ, মাইজদী বজরা শাহী মসজিদ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার স্মৃতি জাদুঘর, সোনাইমুড়ি বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মহাত্মা গান্ধী জাদুঘর মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দীঘি মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, চর জব্বর রমজান মিয়া জামে মসজিদ শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় স্বর্ণ দ্বীপ *চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় == কৃতী ব্যক্তিত্ব == আতাউর রহমান –– টিভি অভিনেতা। আনিসুল হক –– রাজনীতিবিদ। আবদুল মালেক উকিল –– আইনজীবি এবং রাজনীতিবিদ। আবদুল হাকিম –– মধ্যযুগীয় কবি। আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক –– প্রাক্তন সেনাপ্রধান। *মোঃ আশরাফুল আলম –– পরিবেশকর্মী এবং সাংবাদিক (প্রতিষ্ঠাতা, বিডি এনভায়রনমেন্ট)। আবুল কালাম আজাদ –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর্জুমান্দ বানু –– রাজনীতিবিদ। আয়েশা ফেরদাউস –– রাজনীতিবিদ। এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী –– স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত চিকিৎসক। এস এম শাহজাহান –– প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা। টি এম শামসুজ্জামান –– অভিনেতা। এইচ এম ইব্রাহিম –– রাজনীতিবিদ। ওবায়দুল কাদের –– রাজনীতিবিদ। কবীর চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক। চিত্তরঞ্জন সাহা –– প্রকাশক এবং বাংলা একাডেমী বই মেলার উদ্যোক্তা। জহুরুল হক –– আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম শহীদ। তবারক হুসাইন –– কূটনীতিবিদ। প্রণব ভট্ট –– গীতিকার এবং ঔপন্যাসিক। ফারাহ মাহবুব –– বিচারপতি। ফেরদৌসী মজুমদার –– টিভি অভিনেত্রী। বদরুল হায়দার চৌধুরী –– আইনবিদ এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। মঈন উদ্দিন আহমেদ –– প্রাক্তন সেনাপ্রধান। মওদুদ আহমেদ –– রাজনীতিবিদ। মামুনুর রশীদ কিরন –– রাজনীতিবিদ। মাহফুজ উল্লাহ –– লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং পরিবেশবিদ। মাহবুবুর রহমান –– রাজনীতিবিদ। মুনীর চৌধুরী –– শহীদ বুদ্ধিজীবী। মোতাহের হোসেন চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ এবং লেখক। মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী –– শহীদ বুদ্ধিজীবী। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী –– চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা। মোরশেদ আলম –– রাজনীতিবিদ। মোহাম্মদ আবুল বাশার –– বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ। মোহাম্মদ রুহুল আমিন –– বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মোহাম্মদ শরীফ –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ মুন্সী –– বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। রাজেন্দ্র লাল রায় চৌধুরী –– নোয়াখালী বার এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি, যিনি ১৯৪৬ সালের দাঙ্গায় নির্মমভাবে নিহত হন। শবনম বুবলি –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শাহাদাত হোসেন চৌধুরী –– অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার। শিরীন শারমিন চৌধুরী –– দেশের প্রথম নারী স্পিকার। সা’দত হুসেন –– বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। সিরাজুর রহমান –– ব্রিটিশ সাংবাদিক। সিরাজুল আলম খান –– রাজনীতিবিদ। হেমপ্রভা মজুমদার –– ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব। == আরও দেখুন == নোয়াখালী গণহত্যা চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের জেলাসমূহ == তথ্যসূত্র == ব্রিটানিকার একাদশ সংস্করণে নোয়াখালী নিয়ে আলোকপাত (প্রকাশকাল ১৯১১) == বহিঃসংযোগ == জেলা বিভাগের জেলা জেলা'''নড়াইল সদর উপজেলা''' বাংলাদেশের নড়াইল জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এই থানাটি ১৮৬১ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে থানা থেকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। == অবস্থান আয়তন == নড়াইল সদর উপজেলার অবস্থান ৮৯.৩১ দ্রাঘিমা এবং ২৩.১১ অক্ষাংশ। নড়াইল সদর উপজেলার সীমনা উত্তরে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা শালিখা উপজেলা, পূর্বে- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা দক্ষিণ-পূর্বে- কালিয়া উপজেলা, দক্ষিণে-যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা দক্ষিণ-পশ্চিমে- যশোর সদর উপজেলা উপজেলা। == প্রশাসনিক এলাকা == এই উপজেলায় রয়েছে একটি পৌরসভা তেরটি ইউনিয়ন সেগুলো হচ্ছে নড়াইল পৌরসভা মাইজপাড়া ইউনিয়ন হবখালি ইউনিয়ন চন্ডিবরপুর ইউনিয়ন আউড়িয়া ইউনিয়ন শাহাবাদ ইউনিয়ন তুলারামপুর ইউনিয়ন শেখহাটী ইউনিয়ন কলোড়া ইউনিয়ন সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন ভদ্রবিলা ইউনিয়ন বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন বিছালী ইউনিয়ন মুলিয়া ইউনিয়ন == ইতিহাস == == জনসংখ্যার উপাত্ত == == শিক্ষা == সদর উপজেলায় শিক্ষার হার ৬৫.৫%। এই উপজেলায় টি সরকারী কলেজ, টি সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ, টি সরকারী স্কুল এবং ৯৮ টি প্রাইমারী স্কুলসহ অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। == অর্থনীতি == == নদ-নদী == নড়াইল সদর উপজেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী ভৈরব নদ। == কৃতী ব্যক্তিত্ব == ==দর্শনীয় স্থান== নড়াইল জমিদার বাড়ি হাটবাড়িয়া জমিদার বাড়ি == বিবিধ == == আরও দেখুন == নড়াইল জেলা; খুলনা বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সদর উপজেলা জেলার উপজেলা বিভাগের উপজেলা'''থানচি''' বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। == আয়তন == থানচি উপজেলার আয়তন ১০২০.৮২ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে বান্দরবান জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। == অবস্থান সীমানা == বান্দরবান জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশ জুড়ে ২১°১৫´ থেকে ২১°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°২০´ থেকে ৯২°৪১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে থানচি উপজেলার অবস্থান। বান্দরবান জেলা সদর থেকে উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। উপজেলার উত্তর-পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা, উত্তরে রুমা উপজেলা; পশ্চিমে লামা উপজেলা, আলীকদম উপজেলা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ; দক্ষিণে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং পূর্বে মায়ানমারের চিন প্রদেশ অবস্থিত। == নামকরণ == মার্মা শব্দ ''থাইন চৈ'' বা ''বিশ্রামের স্থান'' থেকে থানচি নামটির উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, ১৯৫০ সালে বা তার পূর্বে নৌপথে চলাচল কালে যাত্রীগণ বিশ্রামের জন্য স্থানে থামতেন বলে ''থাইন চৈ'' নামে স্থানটি পরিচিত ছিল, পরে তা ''থানচি'' হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। == প্রশাসনিক এলাকা == ১৯৭৬ সালে থানচি থানা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় প্রতিস্থাপন করা হয়। উপজেলায় বর্তমানে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ থানচি উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম থানচি থানার আওতাধীন। ;ইউনিয়নসমূহ: ১নং রেমাক্রী ২নং তিন্দু ৩নং থানচি সদর ৪নং বলিপাড়া == ইতিহাস == ১৮২৪ সালে বার্মা-ব্রিটিশ যুদ্ধের পর থানচি উপজেলা আরাকান ব্রিটিশ-ভারতের প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে থানচি এর প্রতিবেশী অঞ্চলে আরাকানীদের অভিবাসন সহজ হয়। অভিবাসীরা অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে এবং ১৯০০-এর রেগুলেশন-১ (পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়াল) এদের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি দেয়। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী থানচি উপজেলার জনসংখ্যা ২৭,৫৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫,৩৪১ জন এবং মহিলা ১২,২৪৫ জন। মোট জনসংখ্যার ৭.৬৫% মুসলিম, ২.২৬% হিন্দু, ৫৪.৬৮% বৌদ্ধ, ২৬.৭৫% খ্রিস্টান এবং ৮.৬৬% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। উপজেলায় মার্মা, চাকমা, খেয়াং, ত্রিপুরা, খুমী, খিও, ম্রো বম উপজাতি গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। == শিক্ষা == থানচি উপজেলা শিক্ষাক্ষেত্রে খুবই অনগ্রসর জনপদ। উপজেলার সাক্ষরতার হার ১৫.১০%। উপজেলায় ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ;শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == যোগাযোগ ব্যবস্থা == থানচি উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল বান্দরবান-থানচি সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম বাস। == ধর্মীয় উপাসনালয় == থানচি উপজেলায় ২টি মসজিদ, ২টি মন্দির, ৩১টি বিহার এবং ২৯টি গীর্জা রয়েছে। == নদ-নদী == থানচি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাঙ্গু নদী। এছাড়া রয়েছে রেমাক্রী খাল। == হাট-বাজার == থানচি উপজেলার প্রধান হাট-বাজার ২টি, থানচি বাজার এবং বলিপাড়া বাজার। == দর্শনীয় স্থান == সাকা হাফং নাফাখুম জলপ্রপাত আমিয়াখুম জলপ্রপাত আমিয়াখুম জলপ্রপাত বড় পাথর বা রাজা পাথর বাকলাই জলপ্রপাত ছোট পাথর (তিন্দু) == জনপ্রতিনিধি == ;সংসদীয় আসন সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা সংসদ সদস্য রাজনৈতিক দল ৩০০ পার্বত্য বান্দরবান বান্দরবান জেলা বীর বাহাদুর উশৈ সিং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ;উপজেলা পরিষদ প্রশাসন ক্রম নং পদবী নাম ০১ উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মার্মা ০২ ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মার্মা ০৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম বকুলী মারমা ০৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম == আরও দেখুন == বান্দরবান জেলা == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জেলার উপজেলা উপজেলাদোহারের মৈনটে পদ্মা নদী '''দোহার''' বাংলাদেশের ঢাকা জেলার অন্তর্গত সর্বদক্ষিণের উপজেলা। আয়তন জনসংখ্যার বিবেচনায় ঢাকা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা হিসেবেও পরিচিত (১২১.৪১ বর্গ কিলোমিটার)। দোহার উপজেলা ১৯১৭ সালের ১৫ই জুলাই প্রতিষ্ঠা লাভ করে। একই বছরের ২১শে সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবার পর ১৯১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে দোহার উপজেলা, তৎকালীন দোহার থানার কার্যক্রম শুরু হয়। == অবস্থান == ২৩°৩১' হতে ২৩°৪১' উত্তর অক্ষাংশ ৯০°০১' হতে ৯০°১৩' পূর্ব দ্রাঘীমাংশ। জেলা সদর হতে দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। উত্তরে নবাবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা, পূর্বে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলা নবাবগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ এবং পশ্চিমে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা, পদ্মা নদী ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা অবস্থিত। == প্রশাসনিক এলাকা == দোহার উপজেলায় ১টি পৌরসভা (দোহার পৌরসভা), টি ইউনিয়ন, ৯৩ টি মৌজা এবং ১৩৯ টি গ্রাম রয়েছে। দোহার উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নাম হচ্ছে কুসুমহাটি ইউনিয়ন নয়াবাড়ি ইউনিয়ন রাইপাড়া ইউনিয়ন চর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন সুতারপাড়া ইউনিয়ন নারিশা ইউনিয়ন মোকসেদপুর ইউনিয়ন বিলাশপুর ইউনিয়ন == জনসংখ্যা == মোট জনসংখ্যা ২,২৬,৪৩৯ জন (প্রায়)। যার মধ্যে- *পুরুষ ১,০৭,০৪১ জন (প্রায়)। *মহিলা ১,১৯,৩৯৮ জন (প্রায়)। *লোক সংখ্যার ঘনত্ব ১,৪০২ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)। *মোট ভোটার সংখ্যা ১,৫১,৭৭০ জন। *পুরুষভোটার সংখ্যা ৭৩,১২০ জন। *মহিলা ভোটার সংখ্যা ৭৮,৬৫০ জন। *বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%। *মোট পরিবার(খানা) ৪৯,৪০০ টি। == ইতিহাস == বৃটিশ ভারত পূর্ববর্তী সময়ে এখানকার জয়পাড়া সহ অনেক স্থানে নীল চাষ করা হতো। কালের পরিক্রমায় নীল চাষের বিলুপ্তি ঘটে। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শক্তি হতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে দোহার উপজেলার মাটি মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধে দোহারের বিপুলসংখ্যক অধিবাসী আত্মত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হচ্ছেন বীর উত্তম আবদুস সালেক চৌধুরী, গোলাম মোস্তফা (বীর বিক্রম বীর প্রতীক), আমির হোসেন (বীর প্রতীক) প্রমূখ। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে (১৯২০-১৯২২) গান্ধীর আদর্শে এখানে গড়ে তোলা হয় অভয় আশ্রম। ১৯৪০ সালে মালিকান্দা নামক গ্রামে গান্ধী সেবা সঙ্ঘের সর্বভারতীয় সম্মেলনে এখানে আগমন ঘটে মহাত্মা গান্ধীর। তিনি দুই দিন এখানে অবস্থান করেন। তার স্মৃতি রক্ষায় এখানকার একটি সড়কের নামকরণ করা হয় 'গান্ধী সড়ক' নামে। == শিক্ষা == উচ্চ বিদ্যালয় ১৬ টি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ০৪ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ০১ টি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ (স:) ০১ টি কলেজ ০২ টি ডিগ্রী কলেজ ০২টি আলিয়া মাদ্রাসা ০১ টি দাখিল মাদ্রাসা ০৩ টি কওমী হাফিজিয়া অন্যান্য মাদ্রাসা ২৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪২ টি রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৮ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০৬ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা ০১ টি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রা: বিদ্যা: ১১ টি বেসরকারী কেজি স্কুল ১৮ টি == স্বাস্থ্য == উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ০১ টি, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১৬ টি, বেডের সংখ্যা ৫০ টি, ডাক্তারের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা ৩৭ টি, কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা ইউএইচসি ১৭, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৬, ইউএইচএফপিও ১টি। সিনিয়র নার্স সংখ্যা ১৫ জন। কর্মরত ১৩ জন, সহকারী নার্স সংখ্যা জন। == দর্শনীয় স্থান == দোহার উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নুরুল্লাহপুর ওরস শরীফ এর মেলা (সুন্দরীপাড়া), মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট, পদ্মাপাড়ের বাহ্রা ঘাট, কোঠাবাড়ি বিল, পদ্মাপাড়ের নারিশা, আড়িয়াল বিল (নিকড়া), ডাক বাংলো (মুকসুদপুর), দুবলী হতে নবাবগঞ্জ সড়ক, সাইনপুকুর বড়বাড়ি, কাটাখালী মৌলভী বাড়ি ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য যে বর্তমান সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাটকে পরিকল্পিত উন্নতমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এলাকাবাসীর নিকট ==চিত্রশালা== খেলারাম দাতার দাতার মন্দির খেলারাম দাতার মন্দির দোতালার উপরের ঘর.jpg|খেলারাম দাতার মন্দির দোতালার উপরের অনিন্দ সুন্দর ঘরগুলো == অর্থনীতি == দোহার উপজেলার অর্থনীতির বেশির ভাগ অংশই আসে রেমিটেন্স থেকে। এখানকার কর্মরত বিশালসংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয় প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। আড়িয়াল বিল কোঠাবাড়ি বিলের বিশাল ভূমি জুড়ে ধান, গম, পেয়াজ, আলু, সরিষা টমেটো চাষ করা হয়। দোহারে প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা জয়পাড়ায় মাত্র এক বর্গকিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ১৫টিরও অধিক সরকারী বেসরকারী ব্যাংক। এছাড়া মেঘুলা, ফুলতলা, পালামগঞ্জ কার্ত্তিকপুরে কিছু ব্যাংক রয়েছে। এছাড়াও দোহারের অর্থনীতি নির্ভর করে তাঁত শিল্প, নানাবিধ কুটিরশিল্প পদ্মানদীকে কেন্দ্র করে মৎস্য স্বীকার করার মাধ্যমে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পদ্মানদীর পাড়ে সম্ভাবনাময় জাহাজ শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। এছাড়াও দেশব্যাপী সুনাম অর্জনকারী জয়পাড়া লুঙ্গী এইখানেই তৈরি হয়। 'আব্দুর রহমান' কতৃক প্রতিষ্টিত 'জয়পাড়া লুঙ্গী'সম্পূর্ণ হাতে তৈরি হওয়ায় দেশব্যাপি রয়েছে ব্যাপক সুনাম। প্রতিষ্টানটি শতাধিক তাতী,শ্রমীক সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিদের অর্থ উপার্জনের স্থান,যার মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি হচ্ছে এবং বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে == কৃতী ব্যক্তিত্ব == সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী মেজর জেনারেল প্রফেসর ডাঃ আর খান সাবেক উপদেষ্টা (১৯৯৬) আশরাফ আলী চৌধুরী সাবেক মন্ত্রী শামীম আশরাফ চৌধুরী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান সাবেক গৃহায়ন মন্ত্রী == বিবিধ == == আরও দেখুন == ঢাকা জেলা; ঢাকা বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== দোহার উপজেলা, ঢাকার সরকারী ওয়েবসাইট উপজেলা তথ্য বাতায়ন। উপজেলা জেলার উপজেলা বিভাগের উপজেলা'''নন্দিত নরকে''' বাংলা কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস। এর রচনাকাল ১৯৭০, এবং প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে অধ্যয়নকালে হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাসটি রচনা করেন। সময় তিনি মোহসিন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ==প্রকাশনা তথ্যাদি== ১৯৭০-এ লিখিত হলেও উপন্যাসটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের কারণে তখন প্রকাশিত হয় নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত ''মুখপত্র'' নামীয় একটি সংকলনে উপন্যাসটি প্রকাশ হওয়ার পর বিশিষ্ট বুদ্ধজীবী সাহিত্যিক আহমদ ছফা উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ এর শেষ দিকে খান ব্রাদার্স এ্যাণ্ড কোং উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশ করে। প্রকাশক হিসেবে কে, এম, ফারুক খানের নাম মুদ্রিত ছিল। মলাট ছিল বোর্ডের তৈরী। মূল্য রাখা হয়েছিল সাড়ে তিন টাকা। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী। বইটির উৎসর্গপত্রে লিখিত ছিল, "নন্দিত নরকবাসী মা-বাবা, ভাইবোনদের"। ==গল্পসংক্ষেপ== ==আলোচনা== এটি একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য উপন্যাস। খান ব্রাদার্স কর্তৃক প্রকাশিত প্রথম সংস্করণে এর পরিসর ছিল মাত্র ৭০ পৃষ্ঠা। অনেক ক্ষেত্রে ছোট গল্পের দৈর্ঘ্যও এর চেয়ে বেশী হয়। হুমায়ূন আহমেদ সীমিত পরিসরেই উপন্যাসের আবহ তৈরি করতে পেরেছিলেন। প্রথম উপন্যাসেই হুমায়ূন আহমেদ ব্যাপক পাঠকের মুগ্ধ মনোযোগ আকর্ষণ সক্ষম হয়েছিলেন। ===আহমদ শরীফের ভূমিকা=== বাংলা ভাষা সাহিত্যের বিশিষ্ট পণ্ডিত অধ্যাপক আহমদ শরীফ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে উপন্যাসের একটি ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন। কবি বেলাল আহমেদ পরিচালনায় উপন্যাসটির চলচ্চিত্র রূপ ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস ভাষার উপন্যাস উপন্যাস আহমেদের উপন্যাস গৃহীত উপন্যাস বই‎ বইalt= বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। == অবস্থান == গাইবান্ধা জেলা সদর হতে ১১কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত এই উপজেলার উত্তরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মিঠাপুকুর উপজেলা, পূর্বে গাইবান্ধা সদর উপজেলা, দক্ষিনে পলাশবাড়ী উপজেলা এবং পশ্চিমে এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। উপজেলাটি প্রায় ২৫ ডিগ্রী ১৭ ফুট ২৫ ডিগ্রী ৩১ ফুট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রী ২০ ফুট ৮৯ডিগ্রী ৩২ ফুট পুর্ব দ্রাঘিমাংশর মধ্যে অবস্থিত। == ইতিহাস == কথিত আছে বহুপুর্বে এই এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল হিন্দু রাজা জমিদারদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। এক সময় সাইদুল্লাহ নামে এক ইসলাম ধর্মীয় সাধক এই এলাকায় এসে ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজ শুরু করেন তার নামানুসারে উপজেলার নাম রাখা হয় সাদুল্লাপুর। ==প্রশাসনিক এলাকা== গ্রাম ১৬৮টি মৌজা ১৬৪টি ইউনিয়ন ১১টি পৌরসভা নাই উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ: ১নং রসুলপুর ইউনিয়ন। ২নং নলডাঙ্গা ইউনিয়ন। ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়ন। ৪নং জামালপুর ইউনিয়ন। ৫নং ফরিদপুর ইউনিয়ন। ৬নং ধাপেরহাট ইউনিয়ন। ৭নং ইদিলপুর ইউনিয়ন। ৮নং ভাতগ্রাম ইউনিয়ন। ৯নং বনগ্রাম ইউনিয়ন। ১০নং কামারপাড়া ইউনিয়ন। ১১নং খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন। == ভাষা সংস্কৃতি == সাদুল্লাপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে, এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। ঘাঘট নদীর উপকূলে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলের মানুষের ভাষা অত্যন্ত প্রাণচঞ্চল, কথার মধ্যে অনেকটাই মধুরতা রয়েছে, ভাষার মধ্যে এমন কোন কাঠিন্য ভাব নেই যা অন্য এলাকার মানুষের বুঝতে কষ্ট হয়। ঘাঘট নদী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কথিত আছে বহু পুর্বে এই এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। হিন্দু রাজা জমিদারদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। সাদুল্লাপুরের ৮৫% মুসলমান অবশিষ্ট হিন্দু অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এলাকার ৮০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। অন্যান্যরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। বহু পূর্ব হতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহনকারী উপজেলা সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। শিক্ষার দিক দিয়েও সাদুল্লাপুর উপজেলা পিছিয়ে নেই। শিক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় লোকদের উৎসাহে পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ কতকগুলি চিত্তবিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। উপজেলার মধ্যে প্রায় কি.মি. রেলপথ রয়েছে। ওরাওঁ এই নামের আদিবাসীরা নৃতাত্ত্বিক বিচারে আদি-অষ্ট্রেলীয় জনগোষ্ঠীর উত্তর পুরুষ। এদের গায়ের রং কালো, নাক চ্যাপটা, চুল কালো কুঞ্চিত, উচ্চতা মাঝারি। উপমহাদেশে ওরাওদের প্র্রধান বসতি উড়িয্যা, ছোটনাগপুর, রাজমহল বিহারের সন্নিহিত অঞ্চলে। নৃতত্ত্ববিদগণের মতে একই অঞ্চলের মুন্ডা, মালপাহাড়ি সাঁওতালদের সংঙ্গে ওরাওদের ঘনিষ্ঠ জনতাত্ত্বিক সম্পর্ক রয়েছে। ভাষার দিক থেকেও এরা সবাই একই অস্ট্রিক পরিবারের অন্তভূর্ক্ত। কারো কারো মতে ‌‌কুরুখ ভাষার বিভাজিত একটি অংশের টোটেম রূপে ওরাওঁ কথাটা এসেছে। ওরাওঁআদিবাসীরা ঠিক কবে কি কারণে বাংলাদেশে এসে বসবাস শুরু করে সে সম্পর্ক নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। বতর্মানে রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া রাজশাহী জেলা ওরাওদের প্রধান বসতিস্থল। এছাড়াও গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুরের রসুলপুর ইউনিয়নে ১৫টি ওরাও পরিবার বসবাস করছে। তবে ১৮৮১ সালের লোকগণনায় দেখা যায় যে, উত্তরবঙ্গ স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে চিহ্নিত না করার কারণে বহুদিন এদের সঠিক জনসংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে ওরাওঁ জনসংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি। ১৯৯১ সালের আদমগুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে ওরাওঁ জনসংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২,৬৬,০৩৫ জন (প্রায়) পুরুষঃ ১,৩৪,৯৭৮ জন (প্রায়) মহিলাঃ ১,৩১,০৫৭ জন(প্রায়) মোট ভোটার: ১,৭২,০৫৬ জন ==শিক্ষা== শিক্ষার হার ৩৫.০৭% ** পুরুষ ৪০.০৪% ** মহিলা ৩০.০৮% সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১৯৬টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১০৪টি জুনিয়র বিদ্যালয়: ১৩টি উচ্চ ৩৩টি উচ্চ ১৯টি উচ্চ ২টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা: ৬৮টি দাখিল মাদ্রাসা: ৩৮ টি আলিম মাদ্রাসা: ৫টি ফাজিল মাদ্রাসা: ১টি কলেজ (শিক্ষা): ৬টি কলেজ (বালিকা): ১টি কারিগরী কলেজ(সহশিক্ষা): ২টি কারিগরী কলেজ ১টি ==উল্লেখযোগ্য সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ সাদুল্যাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সাদুল্লাপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সাদুল্লাপুর মহিলা মহাবিদ্যালয় সাদুল্লাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জয়েনপুর আদর্শ কলেজ ভাতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ কামারপাড়া মহাবিদ্যালয় *কেশালীডাঙ্গা কে এন উচ্চ বিদ্যালয় জিনিয়াস ক্যাম্পাস স্কুল এন্ড কলেজ সাদুল্লাপুর প্রি ক্যাডেট স্কুল নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় জিনিয়াস কিন্ডার গার্টেন এন্ড স্কুল ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয় জিনিয়াস এডুকেয়ার == বাজার == হাটবাজারের সংখ্যা: ৩৬টি বেশ কিছু বড় লোক্সমাগম্পুর্ণ হাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতভাবে বসে থাকে। এগুলোর মধ্যে সাদুল্লাপুর হাটবাজার নিয়ামত নগর লাল বাজার গোলাম মন্ডলে রহাট মহিষবান্দি বাজার নলডাঙ্গা হাটবাজার কান্তনগর বাজার নলডাঙ্গা কাঁচারী বাজার নাজবাড়ী বাজার মীরপুর হাটবাজা ঘেগার বাজার ধাপেরহাট হাটবাজার বকসীগঞ্জ বাজারে মহিপুর বাজার পচার বাজার কামারপাড়া হাটবাজার ঢোল ভাঙ্গা হাটবাজার খোর্দ্দকোমরপুর বাজার ইদ্রাকপুর বাজার মাদারহাট আলিনার বাজার জনপ্রিয় == কৃতী ব্যক্তিত্ব == আবু হোসেন মৃত্যু: ১৯৬৯) তুলসী লাহিড়ী(জন্ম: ১৮৯৭, মৃত্যু: ১৯৫৯) আতাউর রহমান বাদশা মিয়া(জন্ম:১৯৩৬ -মৃত্যু ১৯৯০) #আবু তালেব ২০০৭) প্রফেসর ড. এম.আর সরকার(প্রকৃত শিক্ষাবিদের প্রতিকৃতি) এজাজুল == দর্শনীয় স্থান == নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি পীরের হাট মাজার শাহজামাল চৌধুরী এর মাজার *জামালপুর শাহী মসজিদ *কামাড়পাড়া জমিদার বাড়ি চতরা বিল *খেরুয়ার দিঘী পাকুড়িয়ার বিল (ভাতগ্রামে অবস্থিত যা, গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিল) ঘেগার বাজার মাজার == নদ নদী == ঘাঘট সাদুল্লাপুরের একমাত্র নদী == স্বাস্থ্য == উপজেলা ১টি (৫০ শয্যা বিশিষ্ট) স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র: ৬টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিক: ১০টি == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জেলার উপজেলা উপজেলা'''মুসলিম মোবারক আলমাস''' (জন্ম: ১৩ জুন ১৯৮৫) হলেন একজন ইরাকি ফুটবলার, যিনি বাগদাদের আল দিফা আল মাদানি ক্লাবে খেলে থাকেন। সে ২০০৭ কিংস কাপে ইরাক বি দলের সদস্য ছিলেন। == কর্মজীবন == আলমাস তার ক্লাব ক্যারিয়ার ২০০১ সালে আল মিনা ক্লাবের দ্বারা শুরু করেন এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে খেলেছিলেন। ২০০৪-২০০৭ সালে তিনি আর জাওরা ক্লাবে খেলে তিনি সেখানে অগ্রভাবে খেলেছিলেন। ২০১৩-১৪ সালে আল তালাবা, ২০১৪-১৫ সালে আল ওয়াসাট ক্লাবে খেলেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি আল দিফা আল মাদানি ক্লাবের সাথে চুক্তিবন্ধ হন। আলমাস ২০০৪ সালে ইরাক অনূর্ধ্ব-১৯ দলে, ২০০৭ সালে থেকে ইরাক বি দলে এবং ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন। == অর্জন == ===ক্লাব=== ;Al-Shorta Arab Police Championship: 2002 Iraqi Premier League: 2012–13 ;Al-Zawraa Iraqi Premier League: 2005–06 ;Erbil Iraqi Premier League: 2007–08, 2008–09, 2011–12 ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Muslim Mubarak on Goalzz জন্ম'''দক্ষিণ এশিয়া''' বা এশিয়া''' বলতে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত ভারতীয় উপমহাদেশ তার সন্নিকটস্থ অঞ্চলকে বোঝায়। এর পশ্চিমে পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্য, উত্তরে মধ্য এশিয়া, আর পূর্বে পূর্ব এশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশ। == সংজ্ঞা প্রয়োগ == দক্ষিণ এশিয়ার কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ মানচিত্র. '''দক্ষিণ এশিয়া''' নিচের রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত (বর্ণানুক্রমে): নেপাল পাকিস্তান বাংলাদেশ ভারত ভুটান মালদ্বীপ শ্রীলঙ্কা জাতিসংঘ ঘোষিত এশিয়া''' নামের উপ-অঞ্চলে উপরের দেশগুলো ছাড়াও আফগানিস্তান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেক সময় এই নামটি দিয়ে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত সমগ্র এশিয়াকেও বোঝানো হয়। '''ভারতীয় উপমহাদেশ''' বলতে যেসব দেশ ভৌগোলিকভাবে ভারতীয় প্লেটের ওপর এবং ইউরেশীয় প্লেটের দক্ষিণে অবস্থিত, সেগুলোকে বোঝায়। ভূ-রাজনৈতিকভাবে ভারতীয় উপমহাদেশ '''দক্ষিণ এশিয়া''' বা এশিয়ার''' অংশবিশেষ, অর্থাৎ ভারতীয় প্লেটের বাইরে সন্নিকটে অবস্থিত দেশগুলোও এর মধ্যে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তানের সাথে বিদ্যমান রাজনৈতিক সামাজিক সম্পর্কের কারণে, এবং প্রাচীন মৌর্য মোঘল সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে কখনো কখনো আফগানিস্তানকে এই অঞ্চলের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। == দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা == দক্ষিণ এশিয়ার নগর মানচিত্র দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সংক্ষেপে সার্ক) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সরকারি সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং আফগানিস্তান। গণচীন জাপানকে সার্কের পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সার্ক ১৯৮৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যখন বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান নেপাল ভুটান মালদ্বীপ শ্রীলংকার নেতারা দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতা করার লক্ষে এক রাজকীয় সনদপত্রে আবদ্ধ হন == ইতিহাস == :''বিস্তারিত দেখুন দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসমূহ নিবন্ধে'' == জনমিতি == দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১.৭৪৯ বিলিয়ন, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল করে তুলেছে। এটি সামাজিকভাবে খুবই মিশ্র, অনেক ভাষা গ্রুপ এবং ধর্ম নিয়ে গঠিত, এবং একটি অঞ্চলে সামাজিক অভ্যাস যা অন্য একটি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। === সর্ববৃহৎ নগরাঞ্চল === বিশ্বের বেশকিছু সর্বাধিক জনবহুল অতিমহানগরী দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। ঢাকা, দিল্লি, মুম্বাই করাচী বিশ্বের চারটি জনবহুল অতি মহানগরী। === ভাষা === দক্ষিণ এশিয়ায় অসংখ্য ভাষা রয়েছে। এই অঞ্চলের কথ্য ভাষাগুলি মূলত ভূগোলের ভিত্তিতে এবং ধর্মীয় সীমানা জুড়ে ভাগ করা হয় তবে লিখিত লিপিগুলি ধর্মীয় সীমানা দ্বারা তীব্রভাবে বিভক্ত। বিশেষত, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা যেমন আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে আরবি বর্ণমালা এবং পার্সিয়ান নাস্তালিক ব্যবহার করে। ১৯৭১ পর্যন্ত, মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ (তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত) কেবল নাস্তালিক লিপি বাধ্যতামূলক করেছিল, কিন্তু এরপরে আঞ্চলিক লিপি এবং বিশেষত বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অমুসলিমরা এবং অন্যদিকে ভারতের কিছু মুসলমান তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ঐতিহ্য লিপি যেমন ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার জন্য ব্রাহ্মী লিপি থেকে প্রাপ্ত লিপি এবং দ্রাবিড় অন্যান্য ভাষাসমূহের জন্য ব্রাহ্মী-লিপি ব্যবহার করে। === ধর্ম === ২০১০ সালে হিন্দু, জৈন এবং শিখ ধর্মের লোক বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ছিল, প্রায় ৫১০ মিলিয়ন মুসলমান, পাশাপাশি ২৫ মিলিয়ন বৌদ্ধ এবং ৩৫ মিলিয়ন খ্রিস্টান ছিল। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যার হিন্দুরা প্রায় ৬৮ শতাংশ বা প্রায় ৯০০ মিলিয়ন হিন্দু এবং ৩১ শতাংশ বা ৫১০ মিলিয়ন মুসলমান, বাকী অংশের বেশিরভাগ অংশ বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এবং শিখরা নিয়ে গঠিত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং খ্রিস্টানরা ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানে, আর মুসলমানরা আফগানিস্তান (৯৯%), বাংলাদেশ (৯০%), পাকিস্তান (৯৯%) এবং মালদ্বীপে (১০০%) কেন্দ্রীভূত। ভারতীয় ধর্মগুলির মধ্যে হিন্দু ধর্ম, জৈন ধর্ম, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্ম ভারতে উদ্ভূত ধর্ম। ভারতীয় ধর্মগুলি পৃথকভাবে পরিভাষা, বিশ্বাস, লক্ষ্য এবং ধারণাগুলি ভাগ করে নিয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পরে সিন্ধু, বেলুচিস্তান এবং পাঞ্জাব অঞ্চলের কিছু অংশ পারস্য এবং মধ্য এশিয়া থেকে আগত মুসলমানদের সাথে আরব খলিফারা বিজয় লাভ করেছিল, যার ফলস্বরূপ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশে শিয়া সুন্নি ইসলাম উভয়ের বিস্তার ঘটেছিল। প্রায় এক তৃতীয়াংশ মুসলমান দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা। ==তথ্যসূত্র== == আরও দেখুন == সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ভারততত্ত্ব ইসলামের দক্ষিণ এশিয়া বিজয় এশিয়া'''এফ-৭''' (চেংগদু জে-৭) চীনে তৈরি একটি জঙ্গী বিমান। এটি রাশিয়ার তৈরি মিগ-২১ এর লাইসেন্সড উন্নততর ভার্সন। রাশিয়ার কারিগরি সহায়তায় চীন এটি তৈরি করে। এটির উৎপাদন ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে গেলেও এটি চীন সহ বিভিন্ন দেশের বিমান বাহিনীতে এখনো, বিশেষত: ইন্টারসেপটর হিসেবে, ব্যবহৃত হচ্ছে। == বৈশিষ্ঠ্যসমুহ == প্রস্তুতকারক :চেংগদু বৈমানিক :১জন প্রথম উড্ডয়ন :১৯৬৬ সাল দৈর্ঘ্য :১৪.৮৮৫মিঃ উচ্চতা :৪.১০ মিঃ খালি অবস্হায় ওজন :৫২৯২ কেজি বোঝা পূর্ন অবস্হায় ওজন :৭৫৪০ কেজি শক্তির উৎস wopen)-১৩ সর্বোচ্চ গতি :২১৭৫ কিঃমিঃ/ঘঃ যুদ্ধাবস্হায় পাল্লা :৮৭৫ কিঃমিঃ,৫৫০ মাঃ == যুদ্ধার্থে ব্যাবহ্রত অস্ত্র == ২টি টাইপ ৩০ ৩০মিঃমিঃ কামান *বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বোমা-২০০০কেজি == তথ্যসূত্র == বিমানচিত্র:Spiral সিঁড়ি, টাইমস স্কয়ার, হংকং. সচল সিঁড়ি বা এস্কেলেটর (Escalator) ভবনের এক তলা থেকে অন্য তলায় যাত্রীদের বহন করে নিয়ে যায়। সাধারণত এর ঢাল বা নতি (slope) ৩০ o। সিঁড়ির ধাপগুলো রোলার শিকলের উপর বসিয়ে একটি বৈদূত্যিক মোটর দিয়ে নির্দিষ্ট গতিপথে টেনে নেওয়া হয়। প্রয়োজন অনুসারে একই এস্কেলেটরকে ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী করা যায়। যান্ত্রিক বাহনব্রিটানিকা''' (, লাতিন ভাষায় ''ব্রিটিশ বিশ্বকোষ'') ব্রিটানিকা, ইনকর্পোরেটেড" কর্তৃক প্রকাশিত একটি সাধারণ জ্ঞানের ইংরেজি বিশ্বকোষ। প্রায় নিয়মিত ১০০ জন সম্পাদক প্রায় ৪০০০ অবদানকারীর মাধ্যমে এটি লিখিত সংশোধিত হয়। অনুবাদকারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১০ জন নোবেল বিজয়ী এবং জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একে ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিশ্বকোষগুলোর একটি মনে করা হয়। ''ব্রিটানিকা'' ইংরেজি ভাষায় এখনও নিয়মিত প্রকাশিত বিশ্বকোষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭১ সালের মধ্যে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে তিনটি আলাদা খণ্ডে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর দিনদিন আকার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় সংস্কণ প্রকাশিত হয় ১০ খণ্ডে, এবং ১৮০১ থেকে ১৮১০ সালের মধ্যে প্রকাশিত চতুর্থ সংস্করণে ছিল ২০টি খণ্ড। পাণ্ডিত্যপূর্ণ নিবন্ধের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি লেখক সমাজের অন্তর্ভুক্ত হন, এবং ৯ম (১৮৭৫-৮৯) ১১তম (১৯১১) সংস্করণ বিশ্বকোষের পাণ্ডিত্য রচনাশৈলীর ইতিহাসে যুগান্তকারী অর্জন বলে স্বীকৃত। একাদশ সংস্করণ প্রকাশ এবং একটি মার্কিন কোম্পানি কর্তৃক ব্রিটানিকা ইনকর্পোরেটেড-এর অধিগ্রহণের পর আমেরিকান পাঠকদের জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য বিশ্বকোষটির নিবন্ধের আকার ছোট করে বিষয় সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। ১৯৩৩ সালে ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ রচনার ইতিহাসে প্রথমবারের মত তাদের ভুক্তিগুলো নিয়মিত পুনর্ম্যল্যায়ন সংশোধন করা শুরু করে। ২০১২ সালের মার্চে ব্রিটানিকা ইনকর্পোরেটেড ঘোষণা করে, তারা আর কাগজে মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ করবে না, বরং কেবল অনলাইন সংস্করণের ব্রিটানিকা অনলাইন'') দিকে নজর দেবে। এর সর্বশেষ কাগজে মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালে, ৩২ খণ্ডে। ১৫তম অর্থাৎ সর্বশেষ মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল তিন ভাগে: একটি ১২ খণ্ডের যেখানে সাধারণত ছোট ছোট ৭৫০ শব্দের নিবন্ধ স্থান পায়, একটি ১৯ খণ্ডের যাতে বড় (২ থেকে ৩১০ পৃষ্ঠা) নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, এবং একটি এক খণ্ডের ''প্রোপিডিয়া'' যাতে ব্রিটানিকার সমগ্র জ্ঞানের একটি ধারাবাহিক ভূমিকা দেয়া হয়। মাইক্রোপিডিয়া হচ্ছে দ্রুত কোন বিষয় সম্পর্কে সংক্ষেপে জানার জন্য এবং আরও জানার ইচ্ছা থাকলে সেখান থেকে যেতে হয়। আর প্রোপিডিয়া একটি নিবন্ধকে অপেক্ষাকৃত বড় প্রেক্ষাপটে স্থাপন করে সে সম্পর্কিত অন্যান্য নিবন্ধের ধারণা দেয়। প্রায় ৭০ বছর ধরে ব্রিটানিকার মুদ্রিত সংস্করণের আকার প্রায় ধ্রুব ছিল- প্রায় লক্ষ বিষয়ের উপর প্রায় কোটি শব্দ। ১৯০১ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হলেও ব্রিটানিকাতে ব্রিটিশ বানান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। == তথ্যসূত্র == ভাষার বিশ্বকোষ'''কায়সার হামিদ''' বাংলাদেশের একজন কৃতি ফুটবলার। তিনি মোহামেডান স্পোর্টিং-এর হয়ে আশির দশক নব্বইয়ের দশকে খেলতেন। সে আমলের সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার-দের অন্যতম। দীর্ঘদিন মোহামেডান দলের দলনেতা ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় দলেও অনেকদিন খেলেছেন। প্রখ্যাত দাবাড়ু রানী হামিদ কায়সারের মা। == জন্ম শিক্ষাজীবন == == কর্মজীবন == == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == আন্তর্জাতিক ফুটবলার ফুটবলার'''ফিফা বিশ্বকাপ''' () ('''ফুটবল বিশ্বকাপ''', '''সকার বিশ্বকাপ''', অথবা শুধু '''বিশ্বকাপ''' নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফিফা উচ্চারণ: ''ফেদেরাসিওঁ দ্য ফুৎবল্‌ অর্থাৎ "আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা") সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে বিভক্ত, বাছাইপর্ব চূড়ান্ত পর্ব (''মূল বিশ্বকাপ'')। চুড়ান্ত পর্যায়ে কোন দল খেলবে তা নির্বাচনের জন্য অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে বাছাইপর্বে অংশ নিতে হয়। বর্তমানে মূল বিশ্বকাপের আগের তিন বছর ধরে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার বর্তমান ধরন অনুযায়ী ৩২টি জাতীয় দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়। আয়োজক দেশে প্রায় একমাস ধরে এই চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা চলে। দর্শক সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বকাপ মূল পর্ব বিশ্বের বৃহত্তম অনুষ্ঠান। ফিফার হিসেব অনুযায়ী ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখেছেন প্রায় ৭১৫.১ মিলিয়ন দর্শক। পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২১টি আসরে কেবল ৮টি জাতীয় দল বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে। বর্তমান শিরোপাধারী চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দ্বিতীয়বার জয়ী ১৯৯৮ ২০১৮ বার বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল হচ্ছে বিশ্বকাপের সফলতম দল। জার্মানি ইতালি ৪টি শিরোপা নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে উরুগুয়ে ২টি শিরোপা প্রথম(১৯৩০) চতুর্থ (১৯৫০) বিশ্বকাপ জয়ী, আর্জেন্টিনা ফ্রান্স দু’বার করে এবং ইংল্যান্ড স্পেন একবার করে শিরোপা জিতেছে। সর্বশেষ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাশিয়ায়, ২০১৮ সালের ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। এই বিশ্বকাপে ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে ৪-২ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়। ১৯৯১ সাল থেকে ফিফা ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন শুরু করেছে। এটিও সাধারণ বিশ্বকাপের ন্যায় চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। == ইতিহাস == === পূর্ববর্তী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা === বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা হয়েছিল ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ডের মধ্যে। প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল ১৮৮৪ সালে শুরু হওয়া '''ব্রিটিশ হোম সময়ে গ্রেট ব্রিটেন আয়ারল্যান্ডের বাইরে ফুটবল খেলা বলতে গেলে অনুষ্ঠিতই হত না। সেই শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এটিকে ১৯০০, ১৯০৪ ১৯০৬ সালের অলিম্পিকে প্রদর্শনী খেলা হিসেবে রাখা হয় তবে এর জন্য কোন পুরস্কার বরাদ্দ ছিল না। ১৯০৮ সালের অলিম্পিকে ফুটবল প্রথম আনুষ্ঠানিক খেলার মর্যাদা পায়। এফএ’র পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রতিযোগিতা ছিল অপেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য এবং এটিকে প্রতিযোগিতার চেয়ে প্রদর্শনী হিসেবেই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হত। ১৯০৮ ১৯১২ দু’টি অলিম্পিকেই গ্রেট ব্রিটেন (যাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিল ইংল্যান্ড জাতীয় অপেশাদার ফুটবল দল) জয়লাভ করে। ১৯০৪ সালে ফিফা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঠিক পরেই, ১৯০৬ সালে ফিফা সুইজারল্যান্ডে অলিম্পিকের আদল থেকে ভিন্ন একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বয়স তখনো অনেক কম এবং হয়ত একারণেই ফিফার ইতিহাসে এই প্রতিযোগিতাকে ব্যর্থ আখ্যা দেয়া হয়েছে। অলিম্পিকে অপেশাদার দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলার পাশাপাশি স্যার থমাস লিপটন ১৯০৯ সালে তুরিনে স্যার থমাস লিপটন ট্রফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এটি ছিল বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ক্লাবের (জাতীয় দল নয়) মধ্যে একটি চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা। এসব দলের প্রত্যেকে আলাদা আলাদা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল, এজন্য এই প্রতিযোগিতাকে অনেকে ''প্রথম বিশ্বকাপ'' বলেন। এতে ইতালি, জার্মানি এবং বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা পেশাদার দল অংশ নেয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের দ্য ফুটবল এসোসিয়েশন এই প্রতিযোগিতার সাথে জড়িত থাকতে পেশাদার দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য লিপটন পশ্চিম অকল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানান যা ছিল ডারহাম কাউন্টির একটি অপেশাদার দল। পশ্চিম অকল্যান্ড এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় এবং পরবর্তীতে ১৯১১ সালের প্রতিযোগিতায় শিরোপা ধরে রাখতে সমর্থ হয়। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে তাদেরকে চিরতরে ট্রফিটি দিয়ে দেয়া হয়। ১৯১৪ সালে, ফিফা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত ফুটবল প্রতিযোগিতাকে "অপেশাদার বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ" হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় এবং এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এর ফলে ১৯২০ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে বিশ্বের প্রথম আন্তমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় মিশর (প্রথম খেলায় নকড আউট হয়) তেরটি ইউরোপীয়ান দল। এতে বেলজিয়াম স্বর্ণপদক জিতে নেয়। উরুগুয়ে ১৯২৪ ১৯২৮ সালের অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ লাভ করে। ১৯২৮ সালে ফিফা অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে নিজস্ব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৩০ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পা দেয়া দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে (১৯২৪ সাল থেকে ফিফার পেশাদার যুগ শুরু করে) ফিফা তাদের ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে নির্বাচন করে। === প্রথম বিশ্বকাপ === সেন্টেনারিও, মোন্তেবিদেও, উরুগুয়ের যে স্টেডিয়ামে ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩২ সালের লস এঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্ম অলিম্পিকে ফুটবলকে না রাখার পরিকল্পনা করা হয় কারণ যুক্তরাষ্ট্রে তখন ফুটবল (সকার) জনপ্রিয় ছিল না। ফুটবলের পরিবর্তে ওখানে আমেরিকান ফুটবল (রাগবি ফুটবল) জনপ্রিয় ছিল। ফিফা এবং আইওসি’র মাঝে অপেশাদার খেলার মর্যাদা নিয়ে মতবিরোধও দেখা দেয়। ফলে ফুটবল অলিম্পিক থেকে বাদ পড়ে যায়। একারনে ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। নির্বাচিত বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুটবল সংস্থাকে এতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়। কিন্তু উরুগুয়েতে বিশ্বকাপ আয়োজনের অর্থ ছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ব্যয়বহুল সফরে আসতে হবে। এজন্য কোন ইউরোপীয় দেশ প্রতিযোগিতা শুরুর দুইমাস আগেও দল পাঠাতে সম্মত হয়নি। রিমে শেষ পর্যন্ত বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া, যুগোস্লাভিয়া থেকে দল আনাতে সক্ষম হন। মোট ১৩টি দেশ এতে অংশ নেয়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সাতটি, ইউরোপ থেকে দু’টি উত্তর আমেরিকা থেকে দু’টি। প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় যাতে অংশ নেয় ফ্রান্স মেক্সিকো এবং যুক্তরাষ্ট্র বেলজিয়াম। ফ্রান্স ৪-১ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৩-০ ব্যবধানে এতে জয়ী হয়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম গোল করেন ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ত। ফাইনালে ৯৩,০০০ দর্শকের সামনে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব লাভ করে। === বিশ্বকাপের বিস্তৃতি === প্রথম দিকের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল সমস্যা ছিল আন্তমহাদেশীয় যাতায়াত যুদ্ধঘটিত সমস্যা। কয়েকটি দক্ষিণ আমেরিকান দল ১৯৩৪ ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার জন্য ইউরোপে যেতে আগ্রহী থাকলেও কেবল ব্রাজিলই এই দুটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে ১৯৪২ ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিতই হয়নি। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে প্রথম কোন ব্রিটিশ দল অংশ নেয়। এই ব্রিটিশ দলগুলো ১৯২০ সাল থেকে ফিফাকে বয়কট করে আসছিল। এর একটি কারণ ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সাথে যেসব দেশের যুদ্ধ হয়েছিল তাদের সাথে না খেলার মানসিকতা এবং অন্য কারনটি ছিল ফুটবলে বিদেশী কর্তৃত্বের বিপক্ষে প্রতিবাদ। তবে তারা ১৯৪৬ সালে ফিফার আমন্ত্রণে সাড়া দেয়। এই বিশ্বকাপে ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়েকে আবার করতে দেখা যায়, যারা পূর্ববর্তী দুটি বিশ্বকাপ বয়কট করেছিল। ১৯৫০ সালে উরুগুয়ে আবার বিশ্বকাপ জিতে নেয়। ১৯৩৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি দল মূল পর্বে অংশ নিত। তবে ১৯৩৮ সালে জার্মানি অস্ট্রিয়াকে দখল করায় প্রতিযোগিতায় ১৫টি দল অংশ নেয়। ১৯৫০ সালে ভারত, স্কটল্যান্ড তুরস্ক নাম প্রত্যাহার করায় এই বিশ্বকাপে ১৩টি দল অংশগ্রহণ করে। অধিকাংশ দলই ছিল ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত, অল্প কিছু দল খেলেছে উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ওশেনিয়া থেকে। এসব দল খুব সজেই ইউরোপীয় দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলোর কাছে হেরে যেত। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকা বাদে কেবল যে দলটি প্রথম পর্বের বাধা অতিক্রম করতে পেরেছে তারা হচ্ছে: যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৩০ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল; কিউবা, ১৯৩৮ বিশ্বকাপের উত্তর কোরিয়া, ১৯৬৬ বিশ্বকাপের এবং মেক্সিকো, ১৯৭০ বিশ্বকাপের ১৯৮২ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ২৪ করা হয়। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে দলের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করা হয়। এতে করে আফ্রিকা, এশিয়া উত্তর আমেরিকা থেকে আরো বেশি দল অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে ওশেনিয়া মহাদেশ ব্যতিক্রম কেননা এখান থেকে কোন দল বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি। সাম্পতিক বছরগুলোতে এসব এলাকার দলগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি সফলতা পেয়েছে। এসব এলাকার বিশ্বকাপের নক-আউট পর্যায়ে উত্তীর্ণ দলগুলো হলঃ মেক্সিকো, ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়; মরক্কো, ১৯৮৬ সালে নকআউট পর্যায়; ক্যামেরুন, ১৯৯০ সালের কোস্টারিকা, ১৯৯০ সালে নকআউট পর্যায়; নাইজেরিয়া, ১৯৯৪ ১৯৯৮ সালে নকআউট পর্যায়; সৌদি আরব, ১৯৯৪ সালে নকআউট পর্যায়; যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৯৪ সালে নকআউট ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০২ সালে চতুর্থ স্থান; সেনেগাল, ২০০২ সালে জাপান, ২০০২ সালে নকআউট পর্যায়; এবং অস্ট্রেলিয়া ঘানা, উভয়ে ২০০৬ সালে নকআউট পর্যায়। তবে, ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো এখনও অন্যান্য দলের ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। এর জ্বলন্ত উদাহরন হচ্ছে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের আটটি দলই ছিল ইউরোপ দক্ষিণ আমেরিকার। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য ১৯৮টি দল করেছে এবং ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য রেকর্ড ২০৪টি দল করেছে। === অন্যান্য ফিফা প্রতিযোগিতা === নারীদের জন্য সমমানের ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ, প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে চীনে। মহিলা বিশ্বকাপের পরিধি ছোট এবং পুরুষদের প্রতিযোগিতার চেয়ে অনেক কম গুরুত্ব পায়। তবে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ছে। ২০০৭ সালের প্রতিযোগিতায় ১২০ টি দল অংশ নিয়েছিল যা ১৯৯১ সালের দ্বিগুন। অন্যান্য অনেক ক্রীড়ার (এমনকি মহিলা ফুটবল) মত অলিম্পিকে তেমন উঁচু মানের ফুটবল প্রতিযোগিতা হয় না। ১৯৯২ সাল থেকে অলিম্পিকে অনুর্ধ-২৩ দলের যেকোন খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ তিনজন পূর্ণবয়স্ক খেলোয়াড় অংশ নিতে পারেন। ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ হচ্ছে মূল বিশ্বকাপের আগে একটি প্রতীকি প্রতিযোগিতা যেটি একবছর আগেই আয়োজক দেশে অনুষ্ঠিত হয়। ছয়টি কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়ন, আয়োজক দেশ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ফিফা অন্যান্য যুব প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে থাকে। যেমন ফিফা অনুর্ধ-২০ বিশ্বকাপ, ফিফা অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ, ফিফা অনুর্ধ-২০ প্রমীলা বিশ্বকাপ, ফিফা অনুর্ধ-১৭ প্রমিলা বিশ্বকাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, এবং ফুটবলের অন্যান্য ধারা যেমন: ফিফা ফুটসল বিশ্বকাপ ফিফা বিচ সকার বিশ্বকাপ। == ট্রফি == ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বিজয়ী দলকে ''জুলে রিমে ট্রফি'' প্রদান করা হত। জনসাধারণের কাছে এটি শুধু ''বিশ্বকাপ'' বা ''Coupe du Monde'' নামেই বেশি পরিচিত ছিল, তবে ১৯৪৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনকারী ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমের নামে এটির নামকরণ করা হয়। ১৯৭০ সালে ব্রাজিল তৃতীয় বারের মত বিশ্বকাপ জিতলে তাদেরকে স্থায়ীভাবে ট্রফিটি দেয়া হয়। ১৯৮৩ সালে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায় এবং পরে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় চোর ট্রফিটিকে গলিয়ে ফেলেছে। ১৯৭০ সালের পর আরেকটি নতুন ট্রফির যা ''ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি'' নামে পরিচিত, নকশা প্রণয়ন করা হয়। সাতটি মহাদেশ থেকে আগত বিশেষজ্ঞগণ ফিফাকে ৫৩টি মডেল প্রদর্শন করেন। শেষপর্যন্ত ইতালিয় নকশাকার সিলভিও গাজ্জানিগার তৈরীকৃত নমুনা বিশ্বকাপ ট্রফি হিসেবে গৃহীত হয়। নতুন ট্রফিটির উচ্চতা ৩৬ সেন্টিমিটার, ১৮-ক্যারট সোনা দিয়ে তৈরি ওজন ৬,১৭৫ গ্রাম। এর ভিত্তি দু’স্তরের মূল্যবান ম্যালাকাইট দিয়ে তৈরী। ভিত্তির নিচের দিকে ১৯৭৪ থেকে আজ পর্যন্ত সকল বিশ্বকাপজয়ীর নাম গ্রথিত করা আছে। গাজ্জানিগা ট্রফির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন: "The lines spring out from the base, rising in spirals, stretching out to receive the world. From the remarkable dynamic tensions of the compact body of the sculpture rise the figures of two athletes at the stirring moment of victory." এই নতুন ট্রফি বিজয়ী দেশকে স্থায়ীভাবে আর দেয়া হয় না, তা তারা যতবারই জিতুক না কেন। বিশ্বকাপ জয়ী দল পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত ট্রফিটি তাদের কাছে রাখতে পারে। এরপর তাদেরকে সোনার প্রলেপ দেয়া নকল বিশ্বকাপ ট্রফি দেয়া হয়। আর্জেন্টিনা, জার্মানি (পশ্চিম জার্মানি হিসেবে), ইতালি ব্রাজিল ফ্রান্স প্রত্যেকে দুইবার করে ট্রফিটি জিতেছে। ২০৩৮ সালে এটির ভিত্তিতে বিজয়ী দলের নাম লেখার মত আর জায়গা থাকবে না। তখন ট্রফিটি হয়তো বাদ দেয়া হবে। == খেলার ধরন == === যোগ্যতা === ১৯৩৪ সালের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে থেকে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সীমিত রাখতে যোগ্যতা নিরূপণী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছয়টি মহাদেশীয় এলাকার (আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, দক্ষিণ আমেরিকা, ওশেনিয়া, ইউরোপ) কনফেডারেশন এটির ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত। প্রতিটি বিশ্বকাপে ফিফা ঠিক করে কোন মহাদেশ থেকে কতটি দল অংশ নেবে। সাধারণত কনফেডারেশনভুক্ত দলের শক্তি দক্ষতার উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এখানে কনফেডারেশন সমূহের লবিং কাজ করে। সাধারণত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার তিন বছর আগেই যোগ্যতা নিরূপনী প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। এটি প্রায় দু’বছর ধরে চলে। বিভিন্ন কনফেডারেশনভেদে প্রতিযোগিতার রকম বিভিন্ন হতে পারে। সাধারণত একটি বা দুটি স্থান আন্তমহাদেশীয় দলের মধ্যে প্লে অফের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরুপ: ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলের বিজয়ী দক্ষিণ আমেরিকার পঞ্চম স্থানের দল দুটি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য প্লে অফ খেলেছিল। ১৯৩৮ বিশ্বকাপ থেকে স্বাগতিকরা চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশ নিচ্ছে। আগে বিগত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলটির পরবর্তী বিশ্বকাপে অংশ নিতে বাছাই পর্ব খেলতে হত না। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে বিগত চ্যাম্পিয়ন দলটিকেও বাছাই পর্ব টপকে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হচ্ছে। === মূল আসর === বর্তমানে ৩২টি জাতীয় দল একমাসব্যাপী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতা দু'ধাপে বিভক্ত গ্রুপ পর্যায় এবং নক-আউট পর্যায়। গ্রুপ পর্যায়ে দলগুলোকে প্রতি দলে চারটি করে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। বিশ্বকাপের মূলপর্বের ছয়মাস আগে কোন গ্রুপে কে থাকবে তা নির্ধারন করা হয়। ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী শীর্ষ আটটি দলকে (স্বাগতিক দল-সহ) আটটি ভিন্ন গ্রুপে রাখা হয়। প্রতি গ্রুপের বাকি তিনটি দলের স্থান বিভিন্ন এলাকার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট করা হয়। পরে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন দলের মধ্যে লটারি করে চূড়ান্ত গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৮ থেকে একই গ্রুপে যেন দু’টির বেশি ইউরোপীয় দল বা অন্য কনফেডারেশনের একটির বেশি দল না থাকে সে জন্য নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রতি গ্রুপে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে একটি দল বাকী তিনটি দলের সাথে তিনটি খেলা খেলে। গ্রুপের তিনটি খেলার পর শীর্ষ দু’টি দল পরের ধাপে উত্তীর্ণ হয়। গ্রুপের মধ্যে দলের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য পয়েন্ট ব্যবস্থা গৃহীত হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে একটি দলের জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট দেয়া হচ্ছে। এর আগে প্রতি খেলায় জয়ে জন্য দুই পয়েন্ট ছিল। যদি দুটি দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায় তাহলে প্রথমে গোল ব্যবধান, এরপর গোল সংখ্যা, এরপর দু'টি দলের খেলার ফলাফলের উপর নির্ভর করে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এতেও যদি অবস্থান না নির্ণয় করা যায় তাহলে লটারির মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। নক আউট পর্যায়ে কেউ হারলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ হয়ে যায়। এতে দু'টি দল এক-লেগের খেলা খেলে। নির্ধারিত নব্বুই মিনিটে খেলা না শেষ হলে ‘’’অতিরিক্ত সময়’’’ ‘’’পেনল্টি শুটআউট’’’ এর মাধ্যমে খেলার জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। এই নিয়ম গ্রুপ পর্যায়ের পর দ্বিতীয় পর্যায় থেকেই চালু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এক গ্রুপের বিজয়ী অন্য গ্রুপের রানার্স-আপের সাথে খেলে থাকে। এরপর সেমি-ফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতার যে ধরন ব্যবহৃত হয়েছে তার একটি তালিকা নিচে দেয়া হয়েছে: ১৯৩০: গ্রুপ পর্যায়, এরপর পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী; কোন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি) ১৯৩৪–১৯৩৮: নকআউট প্রতিযোগিতা; কেবল এই বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্যায় ছিল না ১৯৫০: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর আরেকটি গ্রুপ পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয়। (গ্রুপ বিজয়ী); কেবল এই বিশ্বকাপেই কোন অফিসিয়াল ফাইনাল খেলা ছিল না ১৯৫৪–১৯৭০: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ৮টি দল অংশ নেয়। (গ্রুপ বিজয়ী রানার্স-আপ) ১৯৭৪–১৯৭৮: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর আরেকটি গ্রুপ পর্যায় যাতে দুটি গ্রুপে ৮টি দল অংশ নেয়। (প্রথম গ্রুপের বিজয়ী রানার্স-আপ), এরপর ফাইনাল (দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায়ের বিজয়ী ফাইনালে খেলে; দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায়ে রানার্স-আপ দল দু'টি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা খেলে) ১৯৮২: প্রথম গ্রুপ পর্যায়, এরপর দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায় যাতে ১২টি দল অংশ নেয় (প্রথম পর্যায়ের বিজয়ী রানার্স-আপ), এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ৪টি দল অংশ নেয় (দ্বিতীয় পর্যায়ের বিজয়ী) ১৯৮৬–১৯৯৪: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ১৬টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী, রানার্স-আপ চারটি শ্রেষ্ঠ তৃতীয়-স্থানের দল) ১৯৯৮–বর্তমান: গ্রুপ পর্যায়, এরপর নকআউট পর্যায় যাতে ১৬টি দল অংশ নেয় (গ্রুপ বিজয়ী রানার্স-আপ) == আয়োজক নির্বাচন == প্রথমদিকের বিশ্বকাপের আয়োজক ফিফা কংগ্রেসের সভাতে নির্ধারণ করা হত। এসব নির্বাচন ছিল চরম বিতর্কিত, কারণ ফুটবলের দুই পরাশক্তি দক্ষিণ আমেরিকা ইউরোপের মধ্যে জাহাজযোগে যাতায়াতে প্রায় তিন-সপ্তাহ লাগত। একারনে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে মাত্র চারটি ইউরোপীয় দেশ অংশ নেয়। পরের দুটি বিশ্বকাপ ইউরোপে অনুষ্ঠিত হয়। দুটি বিশ্বকাপের দ্বিতীয়টি অর্থাৎ ১৯৩৮ ফিফা বিশ্বকাপ ফ্রান্সে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তটি বিতর্কিত হয়েছিল। অন্যান্য আমেরিকান দেশগুলো মনে করেছিল বিশ্বকাপ একবার ইউরোপ একবার আমেরিকা এভাবে দুটি মহাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। একারণে আর্জেন্টিনা উরুগুয়ে উভয়েই ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ বর্জন করে। ১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপের পর থেকে আর কোন সম্ভাব্য বিতর্ক এড়াতে ফিফা ইউরোপ আমেরিকার মধ্যে পালাক্রমে বিশ্বকাপ আয়োজনের একটি নকশা প্রণয়ন করে, যেটি ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ পর্যন্ত চলেছে। ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ যৌথ ভাবে আয়োজন করে জাপান দক্ষিণ কোরিয়া, যা ছিল এশিয়া মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ (এই প্রতিযোগিতাই প্রথম এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রতিযোগিতা যা একাধিক দেশ মিলে আয়োজন করেছে)। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যা হবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ। বর্তমানে আয়োজক দেশ ফিফার নির্বাহী কমিটির ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। যে দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ইচ্ছুক তাদের জাতীয় ফুটবল এসোসিয়েশন ফিফার কাছ থেকে "আয়োজনের নীতিমালা" সংগ্রহ করে। এই নীতিমালায় বিশ্বকাপ আয়োজনে করনীয় সকল ধাপ চাহিদার বিস্তারিত বিবরন আছে। এগুলো পূরনে সক্ষম হলে সেই দেশ ফিফার কাছ থেকে আয়োজক নির্বাচনে কাগজপত্র সংগ্রহ করে জমা দেয়। ফিফার একটি প্রতিনিধিদল দেশ ভ্রমণ করে ফিফার চাহিদা কতটুকু পূরন হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। বর্তমানে আয়োজক নির্বাচন বিশ্বকাপের ছয় বছর পূর্বে হয়ে থাকে। ২০১০ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ দুটি ভিন্ন মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং কেবল মহাদেশের কিছু নির্বাচিত দেশ আয়োজক নির্বাচনে করার সুযোগ পাবে। === ২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন === ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ আফ্রিকা মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০০৩ সালে, যা ১৯৭৮ সালের পর দক্ষিণ আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রথম বিশ্বকাপে। ব্রাজিল কলম্বিয়া প্রাথমিকভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, কিন্তু কলম্বিয়া আগ্রহ প্রত্যাহার করায় এখন পর্যন্ত ব্রাজিল একমাত্র প্রার্থী হিসেবে টিকে আছে। অবশ্য দক্ষিণ আমেরিকার কোন দেশ যদি ফিফার বেধে দেয়া মান অর্জনে সক্ষম না হয় তাহলে বিশ্বকাপ অন্য মহাদেশে স্থানান্তর করা হতে পারে। সাম্প্রতিককালে, ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার উল্লেখ করেছেন "Brazil is likely to be the host", but also said that "I can't guarantee that Brazil will be the host, but the ball is on Brazil's court now." (ব্রাজিলের বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা বেশি। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারিনা ব্রাজিলই আয়োজক হবে, তবে বল এখন ব্রাজিলের কোর্টে।) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ। === ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন === ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ কোন মহাদেশে বরাদ্দ দেয়া হয়নি; প্রকৃতপক্ষে পালাক্রমে বিভিন্ন মহাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের নীতি ২০১৪ সালের পর আর নাও থাকতে পারে। যে সব দেশ ২০১৮ বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, মেক্সিকো, স্পেন, পর্তুগাল যুক্তরাষ্ট্র, আবার বেলজিয়াম নেদারল্যান্ড ২০০০ উয়েফা ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সফলভাবে যৌথ-আয়োজন করার পর বেনেলাক্স দেশ (বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড লুক্সেমবার্গ) যুগ্মভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০০৭ তারিখে বিশ্বকাপ বলেছেন যে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ উত্তম আমেরিকায় হওয়া উচিত এবং তিনটি দেশ আছে যারা স্বাগতিক হতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো কানাডা। অবশ্য সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ফিফার বিশ্বিকাপ আয়োজক নির্বাচনে আবর্তন নীতির উপর। ২০০৭ সালের এপ্রিলে ব্ল্যাটার আবার বলেন, "এর অর্থ এই যে ২০১৪ সালের পর বিশ্বকাপ এশিয়ায় হবে।" == সংগঠন এবং গণমাধ্যম == ১৯৫৪ সালে বিশ্বকাপ প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। বর্তমানে এটি টেলিভিশনে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এমনকি অলিম্পিক গেমসের চেয়েও বেশি মানুষ বিশ্বকাপ দেখে থাকে। ২০০২ বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচের সর্বমোট দর্শকসংখ্যা ছিল প্রায় ২৮.৮ বিলিয়ন। ১.১ বিলিয়ন মানুষ সরাসরি বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেছেন যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ। ২০০৬ বিশ্বকাপের ড্র, যা বিশ্বকাপে বিভিন্ন দলের গ্রুপ নির্ধারন করে, তা দেখেছেন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন দর্শক। ১৯৬৬ সাল থেকে প্রতি বিশ্বকাপের একটি নিজস্ব মাস্কট বা প্রতীক আছে। ''বিশ্বকাপ উইলি'' প্রথম বিশ্বকাপ মাস্কট, যা ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০০৬ বিশ্বকাপের মাস্কট হচ্ছে ''গোলিও'', একটি সিংহ, এবং ''পিলি'', একটি ফুটবল। == ফলাফল == === বিশ্বকাপ সারাংশ === বছর আয়োজক ফাইনাল তৃতীয় স্থান নির্ধারনী খেলা বিজয়ী ফলাফল দ্বিতীয় স্থান তৃতীয় স্থান ফলাফল চতুর্থ স্থান ১৯৩০ ''বিস্তারিত'' '''উরুগুয়ে''' '''৪–২''' আর্জেন্টিনা যুক্তরাষ্ট্র যুগোস্লাভিয়া '''n/a''' ১৯৩৪ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''২–১''' অতিরিক্ত সময়ে চেকোস্লোভাকিয়া '''জার্মানি''' '''৩–২''' অস্ট্রিয়া ১৯৩৮ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''৪–২''' হাঙ্গেরি ব্রাজিল '''৪–২''' সুইডেন ১৯৫০ ''বিস্তারিত'' '''উরুগুয়ে''' ব্রাজিল সুইডেন স্পেন ১৯৫৪ ''বিস্তারিত'' '''পশ্চিম জার্মানি''' '''৩–২''' হাঙ্গেরি অস্ট্রিয়া '''৩–১''' উরুগুয়ে ১৯৫৮ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''৫–২''' সুইডেন ফ্রান্স '''৬–৩''' পশ্চিম জার্মানি ১৯৬২ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''৩–১''' চেকোস্লোভাকিয়া চিলি '''১–০''' যুগোস্লাভিয়া ১৯৬৬ ''বিস্তারিত'' '''ইংল্যান্ড''' '''৪–২''' অতিরিক্ত সময়ে পশ্চিম জার্মানি পর্তুগাল '''২–১''' সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭০ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''৪–১''' ইতালি পশ্চিম জার্মানি '''১–০''' উরুগুয়ে ১৯৭৪ ''বিস্তারিত'' '''পশ্চিম জার্মানি''' '''২–১''' নেদারল্যান্ড পোল্যান্ড '''১–০''' ব্রাজিল ১৯৭৮ ''বিস্তারিত'' '''৩–১''' অতিরিক্ত সময়ে নেদারল্যান্ড ব্রাজিল '''২–১''' ইতালি ১৯৮২ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''৩–১''' পশ্চিম জার্মানি পোল্যান্ড '''৩–২''' ফ্রান্স ১৯৮৬ ''বিস্তারিত'' '''৩–২''' পশ্চিম জার্মানি ফ্রান্স '''৪–২''' অতিরিক্ত সময়ে বেলজিয়াম ১৯৯০ ''বিস্তারিত'' '''পশ্চিম জার্মানি''' '''১–০''' আর্জেন্টিনা ইতালি '''২–১''' ইংল্যান্ড ১৯৯৪ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''০–০''' অতিরিক্ত সময়ে '''(৩–২)''' টাইব্রেকারে ইতালি সুইডেন '''৪–০''' বুলগেরিয়া ১৯৯৮ ''বিস্তারিত'' '''ফ্রান্স''' '''৩–০''' ব্রাজিল ক্রোয়েশিয়া '''২–১''' নেদারল্যান্ড ২০০২ ''বিস্তারিত'' '''ব্রাজিল''' '''২–০''' জার্মানি তুরস্ক '''৩–২''' দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৬ ''বিস্তারিত'' '''ইতালি''' '''১–১''' অতিরিক্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্স জার্মানি '''৩–১''' পর্তুগাল ২০১০ ''বিস্তারিত'' '''স্পেন''' '''১–০''' অতিরিক্ত সময়ে নেদারল্যান্ডস জার্মানি '''৩–২''' উরুগুয়ে ২০১৪ ''বিস্তারিত'' '''জার্মানি''' '''১–০''' অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডস '''৩–০''' ব্রাজিল ২০১৮ ''বিস্তারিত'' '''ফ্রান্স''' '''৪-২''' ক্রোয়েশিয়া বেলজিয়াম '''২-০''' ইংল্যান্ড === সফল জাতীয় দল === বিভিন্ন দেশের শ্রেষ্ঠ ফলাফলের ম্যাপ শিরোপা জেতা দেশ সবমিলিয়ে মোট ৭৮টি দেশ কমপক্ষে একটি বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে। এর মধ্যে ফাইনালে উঠেছে কেবল ১১টি এবং ফাইনালে জিতেছে মাত্র ৮টি দেশ। যে সাতটি দেশ বিশ্বকাপ জিতেছে তারা নিজেদের পোশাকে '''তারকা''' ব্যবহার করতে পারে। প্রতিটি তারকা একটি বিশ্বকাপ শিরোপা নির্দেশ করে। পাঁচটি শিরোপা জিতে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল এবং তারাই একমাত্র দল যারা এপর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। সাম্প্রতিক ২০০৬ বিশ্বকাপের শিরোপাসহ চারটি শিরোপা নিয়ে ইতালি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। পরপর দুটি বিশ্বকাপ জয় করতে পেরেছে কেবল ব্রাজিল ইতালি, এবং প্রত্যেকেই তাদের প্রথম দুটি বিশ্বকাপ এভাবেই জিতেছে (ইতালি: ১৯৩৪ ১৯৩৮; ব্রাজিল: ১৯৫৮ ১৯৬২)। ১৯৭০ ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল ইতালি যখন ফাইনালে মোকাবিলা করেছে, তখন উভয় দলের সামনে যথাক্রমে প্রথম দল হিসেবে তৃতীয় শিরোপা প্রথম দল হিসেবে চতুর্থ শিরোপা লাভের দরজা খোলা ছিল। দুটি ফাইনালেই ব্রাজিল ইতালিকে হারিয়ে দেয় এবং ২০০২ সালে রেকর্ড পঞ্চম শিরোপা জেতে। তারা চারটি মহাদেশে আয়োজিত বিশ্বকাপই জিতেছে (ইউরোপ: ১৯৫৮; দক্ষিণ আমেরিকা: ১৯৬২; উত্তর আমেরিকা: ১৯৭০ ১৯৯৪; এশিয়া: ২০০২)। আরো যে দুইটি দল তাদের মহাদেশের বাইরে আয়োজিত বিশ্বকাপ জিতেছে তারা হচ্ছে স্পেন (২০১০ সালে, আফ্রিকায়) এবং জার্মানি (২০১৪ সালে, দক্ষিণ আমেরিকায়)। যে সব দল পরপর দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে তারা হচ্ছে ইতালি, ব্রাজিল, পশ্চিম জার্মানি, আর্জেন্টিনা, এবং একাধিকবার ফাইনালে উঠেও কখনো শিরোপা না জেতা নেদারল্যান্ড। পরপর তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা দল হচ্ছে ব্রাজিল (১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২) পশ্চিম জার্মানি (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০)। ব্রাজিল এই তিনটির দুটিতে জিতেছে (১৯৯৪, ২০০২) কিন্তু পশ্চিম জার্মানি কেবল একটিতে জিতেছে। আঠারোটি ফাইনালের মধ্যে কেবল দুবার একই প্রতিপক্ষ ফাইনালে খেলেছে। ব্রাজিল ইতালি খেলেছে ১৯৭০ ১৯৯৪ সালে, এবং পশ্চিম জার্মানি আর্জেন্টিনা খেলেছে ১৯৮৬ ১৯৯০ সালে (পশ্চিম জার্মানি আর্জেন্টিনাই কেবল পরপর দুটি ফাইনালে পরস্পরের মোকাবিলা করেছে)। প্রতিটি ফাইনাল খেলায় ব্রাজিল, ইতালি, (পশ্চিম) জার্মানি, আর্জেন্টিনার একটি দল অন্তত অংশ নিয়েছে। নিচে যে ২৪টি দল কোন বিশ্বকাপে শীর্ষ চারে স্থান পেয়েছে তাদের তালিকা দেয়া আছে। জার্মানি সর্বোচ্চ ১২ বার শীর্ষ চারে থেকেছে। জার্মানি সর্বোচ্চ ৮বার ফাইনালে খেলেছে। দল শিরোপা রানার্স-আপ তৃতীয় স্থান চতুর্থ স্থান ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২) (১৯৫০*, ১৯৯৮) (১৯৩৮, ১৯৭৮) (১৯৭৪, ২০১৪) জার্মানি^ (১৯৫৪, ১৯৭৪*, ১৯৯০, ২০১৪) (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২) (১৯৩৪, ১৯৭০, ২০০৬*, ২০১০) (১৯৫৮) ইতালি (১৯৩৪*, ১৯৩৮, ১৯৮২, ২০০৬) (১৯৭০, ১৯৯৪) (১৯৯০*) (১৯৭৮) আর্জেন্টিনা (১৯৭৮*, ১৯৮৬) (১৯৩০, ১৯৯০, ২০১৪) ফ্রান্স (১৯৯৮*, ২০১৮) (২০০৬) (১৯৫৮, ১৯৮৬) (১৯৮২) উরুগুয়ে (১৯৩০*, ১৯৫০) (১৯৫৪, ১৯৭০, ২০১০) ইংল্যান্ড (১৯৬৬*) (১৯৯০, ২০১৮) স্পেন (২০১০) (১৯৫০) নেদারল্যান্ডস (১৯৭৪, ১৯৭৮) (২০১৪) (১৯৯৮) (১৯৩৪, ১৯৬২) হাঙ্গেরি (১৯৩৮, ১৯৫৪) সুইডেন (১৯৫৮*) (১৯৫০, ১৯৯৪) (১৯৩৮) ক্রোয়েশিয়া (২০১৮) (১৯৯৮) পোল্যান্ড (১৯৭৪, ১৯৮২) অস্ট্রিয়া (১৯৫৪) (১৯৩৪) পর্তুগাল (১৯৬৬) (২০০৬) যুগোস্লাভিয়া# (১৯৩০) (১৯৬২) বেলজিয়াম (২০১৮) (১৯৮৬) যুক্তরাষ্ট্র (১৯৩০) চিলি (১৯৬২*) তুরস্ক (২০০২) সোভিয়েত ইউনিয়ন# (১৯৬৬) বুলগেরিয়া (১৯৯৪) দক্ষিণ কোরিয়া (২০০২*) :'' স্বাগতিক'' :'' ১৯৫৪ ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানি হিসেবে খেলা গুলো অন্তর্ভুক্ত'' :'' দেশগুলো কয়েকটি স্বাধীন দেশে বিভক্ত হয়েছে'' === স্বাগতিকের সাফল্য-ব্যর্থতা === বিশ্বকাপজয়ী আটটি দলের ছয়টি দলই অন্তত একটি বিশ্বকাপ স্বাগতিক দেশ হিসেবে জিতেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে ব্রাজিল স্পেন, যারা ১৯৫০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেও বিশ্বকাপ জয় করতে পারেনি। ইংল্যান্ড (১৯৬৬) ফ্রান্স (১৯৯৮) সালে তাদের একমাত্র বিশ্বকাপ স্বাগতিক হিসেবে জিতেছে। উরুগুয়ে (১৯৩০), ইতালি (১৯৩৪) আর্জেন্টিনা (১৯৭৮) সালে তাদের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি স্বাগতিক হিসেবে জিতেছে। জার্মানি (১৯৭৪) তাদের দ্বিতীয় শিরোপা নিজেদের মাটিতে জিতেছে। অন্যান্য দেশও বিশ্বকাপ আয়োজন করে সাফল্য পেয়েছে। সুইডেন (১৯৫৮ সালে রানার্স-আপ), চিলি (১৯৬২ সালে তৃতীয়), দক্ষিণ কোরিয়া (২০০২ সালে চতুর্থ স্থান), মেক্সিকো (১৯৭০ ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল) এবং জাপান (২০০২ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড) এরা তাদের সেরা সাফল্য স্বাগতিক হিসেবেই পেয়েছে। ২০০৬ পর্যন্ত কোন স্বাগতিক দেশই বিশ্বকাপের প্রথম ধাপ থেকে বাদ পড়েনি। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ২০১০ বিশ্বকাপের প্রথম ধাপ থেকেই বাদ পড়ে। বছর স্বাগতিক অবস্থান ১৯৩০ উরুগুয়ে '''শিরোপা''' ১৯৩৪ ইতালি '''শিরোপা''' ১৯৩৮ ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৫০ ব্রাজিল রানার্স-আপ ১৯৫৪ সুইজারল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৫৮ সুইডেন রানার্স-আপ ১৯৬২ চিলি তৃতীয় স্থান ১৯৬৬ ইংল্যান্ড '''শিরোপা''' ১৯৭০ মেক্সিকো কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৭৪ পশ্চিম জার্মানি '''শিরোপা''' ১৯৭৮ আর্জেন্টিনা '''শিরোপা''' ১৯৮২ স্পেন ২য় রাউন্ড ১৯৮৬ মেক্সিকো কোয়ার্টার ফাইনাল ১৯৯০ ইতালি তৃতীয় স্থান ১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র ২য় রাউন্ড ১৯৯৮ ফ্রান্স '''শিরোপা''' ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া জাপান চতুর্থ স্থান ২য় রাউন্ড ২০০৬ জার্মানি তৃতীয় স্থান ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম রাউন্ড ২০১৪ ব্রাজিল চতুর্থ স্থান ২০১৮ রাশিয়া কোয়ার্টার ফাইনাল ২০২২ কাতার === বিভিন্ন মহাদেশের শ্রেষ্ঠ সফলতা === পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সকল বিশ্বকাপের ফাইনলে কেবল ইউরোপীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকান দলগুলো অংশ নিয়েছে। দুটি মহাদেশই যথাক্রমে এগারো নয়টি শিরোপা জিতেছে। এই দুই মহাদেশের বাইরে কেবল দুটি দলই সেমি-ফাইনালে উঠতে পেরেছে: যুক্তরাষ্ট্র (১৯৩০ সালে) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (২০০২ সালে)। সাম্প্রতিককালে আফ্রিকার দলগুলো সফলতা পেলেও তারা কখনো সেমি-ফাইনালে পৌছুতে পারেনি। ওশেনিয়া অঞ্চলের দলগুলো কেবল তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে এবং মাত্র একটিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইউরোপীয় দলগুলি তাদের জেতা সবগুলো শিরোপাই উইরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে জিতেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর বাইরে ইউরোপে শিরোপা জিতেছে এমন একমাত্র দেশ হচ্ছে ব্রাজিল, যারা ১৯৫৮ সালে ইউরোপে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছে। কেবল দুটি দল পরপর দুবার শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল ১৯৫৮ ১৯৬২ সালে এবং ইতালি ১৯৩৪ ১৯৩৮ সালে। কনফেডারেশন (মহাদেশ) সেরা ফলাফল উয়েফা (ইউরোপ) ১২ শিরোপা, ইতালি (৪), জার্মানি (৪), ফ্রান্স (২), ইংল্যান্ড (১) স্পেন (১) কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) শিরোপা, ব্রাজিল (৫), আর্জেন্টিনা (২), উরুগুয়ে (২) কনকাকাফ (উত্তর, মধ্য আমেরিকা ক্যারিবীয়) সেমিফাইনাল (যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৩০) এএফসি (এশিয়া) চতুর্থ স্থান (দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০২) সিএএফ (আফ্রিকা) কোয়ার্টার ফাইনাল (ক্যামেরুন, ১৯৯০; সেনেগাল, ২০০২) ওএফসি (ওশেনিয়া) দ্বিতীয় রাউন্ড (অস্ট্রেলিয়া, ২০০৬) == পুরস্কার == প্রতিটি বিশ্বকাপ শেষে খেলোয়াড় দলের বিশেষ অর্জনের জন্য কিছু পুরস্কার দেয়া হয়। বর্তমানে ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার দেয়া হচ্ছে: ''এডিডাস সোনালী জুতা'' শীর্ষ গোলদাতার জন্য (সাধারনভাবে ''গোল্ডেন শু'' বা ''গোল্ডেন বুট'' নামে পরিচিত, যা প্রথম দেয়া হয় ১৯৩০ বিশ্বকাপে); ''রুপালী জুতা'' ''ব্রোঞ্জ জুতা'' দেয়া হচ্ছে দ্বিতীয় তৃতীয় সেরা গোলদাতাকে; ''এডিডাস সোনালী বল'' শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের জন্য, যা গণমাধ্যম কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় (''গোল্ডেন বল'' নামে পরিচিত, যা প্রথম দেয়া হয় ১৯৮২ বিশ্বকাপে); ''রুপালি বল'' ''ব্রোঞ্জ বল'' দেয়া হয় ভোটে দ্বিতীয় তৃতীয় সেরাদের; ''ইয়েসিন পুরস্কার'' শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষকের জন্য (প্রথম দেয়া হয় ১৯৯৪ বিশ্বকাপে); ''ফিফা ফেয়ার প্লে ট্রফি'' যে দলের ক্রীড়া আচরণ সবচেয়ে ভাল তাদের জন্য (প্রথম দেয়া হয় ১৯৭৮ বিশ্বকাপে); ''মোস্ট এন্টারটেইনিং টিম'' যে দলের খেলা দর্শকদের সবচেয়ে আনন্দ দেয় তাদের জন্য, দর্শক ভোটে নির্ধারন করা হয় (প্রথম দেয়া হয় ১৯৯৪ বিশ্বকাপে); ''জিলেট শ্রেষ্ঠ তরুণ খেলোয়াড়'' ২১ বছরের কমবয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয় (প্রথম দেয়া হয় ২০০৬ বিশ্বকাপে). ''পূর্ণ-তারকা দল শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের বাছাই করে বিশ্বকাপের শেষে একটি দল ঘোষণা করা হয়, যেটি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ থেকে চালু হয়েছে। == রেকর্ড পরিসংখ্যান == === শীর্ষ গোলদাতা === গোল গোলদাতা ১৬ '''মিরোস্লাভ ক্লোসা''' ১৫ রোনালদো ১৪ গার্ড মুলার ১৩ জাঁ ফতেইন ১২ পেলে ১১ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, Sándor Kocsis ১০ গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, Teófilo Cubillas, Grzegorz Lato, গ্যারি লিনেকার হেলমুট রান (Helmut Rahn) Ademir, রবার্তো ব্যাজিও, Eusébio, জায়েরজিনিয়ো, পাওলো রসি, কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে, Uwe Seeler, Vavá, ক্রিস্টিয়ান ভিয়েরি Leônidas, দিয়েগো ম্যারাডোনা, Oscar Míguez, রিভাল্ডো, Guillermo Stábile, রুডি ফোলার Careca, Oldřich Nejedlý, Johnny Rep, Hans Schäfer, Andrzej Szarmach, Lajos Tichy বেবেতো, ডেনিস বের্গকাম্প, Zbigniew Boniek, Helmut Haller, থিয়েরি অঁরি, Josef Hügi, মারিও কেম্পেস, লোথার মাথেউস, Max Morlock, Erich Probst, Rob Rensenbrink, Rivelino, ওলেগ সালেঙ্কো, György Sárosi, সালভাতর শিলাচি, হ্রিস্টো স্টইচকভ, ডাভর শুকের, Gyula Zsengellér, হ্যারি কেন লিওনেল মেসি, Alessandro Altobelli, Kennet Andersson, Estanislao Basora, ফ্রান্ৎ‌স বেকেনবাউয়ার, এমিলিও বুত্রাগেনিয়ো, Pedro Cea, গ্যারিঞ্চা, ফের্নান্দো হিয়েরো, জিওফ হার্স্ট, Hans Krankl, হেনরিক লারসন, Peter McParland, রজার মিলা, ফের্নান্দো মোরিয়েন্তেস, Johan Neeskens, Silvio Piola, মিশেল প্লাতিনি, রাউল, রোমারিও, Juan Alberto Schiaffino, Tomáš Skuhravý, Marc Wilmots, জিকো, জিনেদিন জিদান === দ্রুততম গোল === বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের গোল হয় মাত্র ১১ সেকেন্ডে। ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তুরস্কের তারকা স্ট্রাইকার হাকান সুকুর খেলা শুরু হওয়ার মাত্র ১১ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে হতভম্ব করে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়দের। তুরস্কের অন্যতম অভিজ্ঞ এই তারকা ফুটবলারের তার ওই দ্রুততম গোলটির আগে ছয়টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেললেও গোল পাননি তার একটিতেও। ওই ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থানটি দখল করে নেয় তুর্কিরা। এযাবত্কালে বিশ্বকাপে তুরস্কের সেরা সাফল্য ছিল সেটি। সময়(সেকেন্ড) খেলোয়াড় দল প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপ ১১ '''হাকান শুকুর''' ২০০২ কোরিয়া/জাপান ১৫ Václav Mašek ১৯৬২ চিলি ২৩ পাক সিউং-জিন ১৯৬৬ ইংল্যান্ড ২৪ আর্নস্ট লেহনার ১৯৩৪ ইতালি ২৭ ব্র্যায়ান রবসন ১৯৮২ স্পেন ৩৭ বার্নার্ড লাকোম্বে ১৯৭৮ আর্জেন্টিনা === সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া খেলোয়াড় === খেলোয়াড় অংশগ্রহণ '''Antonio Carbajal''' (১৯৫০, ৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬) '''লোথার মাথেউস''' (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Carlos José Castilho (১৯৫০*, ৫৪, ৫৮*, ৬২*) Nílton Santos (১৯৫০*, ৫৪, ৫৮, ৬২) Djalma Santos (১৯৫৪, ৫৮, ৬২, ৬৬) পেলে (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) ববি চার্লটন (১৯৫৮*, ৬২, ৬৬, ৭০) Karl-Heinz Schnellinger (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) Uwe Seeler (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০) লেভ ইয়াসিন (১৯৫৮, ৬২, ৬৬, ৭০*) Pedro Rocha (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪) Enrico Albertosi (১৯৬২*, ৬৬, ৭০, ৭৪*) Gianni Rivera (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪) Dobromir Zhechev (১৯৬২, ৬৬, ৭০, ৭৪*) Sepp Maier (১৯৬৬*, ৭০, ৭৪, ৭৮) Dino Zoff (১৯৭০*, ৭৪, ৭৮, ৮২) Władysław Żmuda (১৯৭৪, ৭৮, ৮২, ৮৬) Émerson Leão (১৯৭০*, ৭৪, ৭৮, ৮৬*) দিয়েগো মারাদোনা (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৪) Giuseppe Bergomi (১৯৮২, ৮৬, ৯০, ৯৮) Enzo Scifo (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Franky Van Der Elst (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Andoni Zubizarreta (১৯৮৬, ৯০, ৯৪, ৯৮) Hong Myung-Bo (১৯৯০, ৯৪, ৯৮, ০২) Hwang Sun-Hong (১৯৯০, ৯৪, ৯৮*, ০২) Paolo Maldini (১৯৯০, ৯৪, ৯৮, ০২) Fernando Hierro (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২) Marc Wilmots (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২) Jacques Songo'o (১৯৯০*, ৯৪, ৯৮, ০২*) Mohamed Al-Deayea (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬*) Sami Al-Jaber (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬) কাফু (১৯৯৪, ৯৮, ০২, ০৬) রোনালদো (১৯৯৪*, ৯৮, ০২, ০৬) Oliver Kahn (১৯৯৪*, ৯৮*, ০২, ০৬) Kasey Keller (১৯৯০*, ৯৮, ০২*, ০৬) Claudio Reyna (১৯৯৪*, ৯৮, ০২, ০৬) ''Did not play but was part of the squad''. === ফিফা বিশ্বকাপ বিজয়ী অধিনায়ক ম্যানেজার === ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, পশ্চিম জার্মানি, একমাত্র ব্যক্তি যিনি অধিনায়ক (১৯৭৪) কোচ (১৯৯০) হিসবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। মারিও জাগালো, ব্রাজিল, একমাত্র ব্যক্তি যিনি চারবার বিশ্বকাপ জিতেছেন, দুইবার খেলোয়াড় হিসেবে (১৯৫৮ ১৯৬২), একবার কোচ (১৯৭০) এবং একবার সহকারী কোচ হিসেবে (১৯৯৪)। বছর অধিনায়ক কোচ দল ১৯৩০ José Nasazzi Alberto Suppici ১৯৩৪ Giampiero Combi Vittorio Pozzo ১৯৩৮ Giuseppe Meazza Vittorio Pozzo ১৯৫০ Obdulio Varela Juan López ১৯৫৪ Fritz Walter Sepp Herberger ১৯৫৮ Hilderaldo Bellini ভিসেন্তে ফিওলা ১৯৬২ Mauro Ramos আয়মোরে মোরেইরা ১৯৬৬ Bobby Moore Alf Ramsey ১৯৭০ কার্লোস আলবার্তো মারিও জাগালো ১৯৭৪ Franz Beckenbauer Helmut Schön ১৯৭৮ Daniel Passarella César Luis Menotti ১৯৮২ Dino Zoff Enzo Bearzot ১৯৮৬ দিয়েগো মারাদোনা Carlos Bilardo ১৯৯০ Lothar Matthäus Franz Beckenbauer ১৯৯৪ দুঙ্গা কার্লোস আলবার্তো ১৯৯৮ Didier Deschamps Aimé Jacquet ২০০২ কাফু লুইজ ফেলিপে স্কলারি ২০০৬ Fabio Cannavaro Marcello Lippi ২০১০ ইকার ক্যাসিয়াস ভিসেন্তে দেল বস্ক ২০১৪ ফিলিপ লাম জোয়াকিম লো ২০১৮ উগো লরিস দিদিয়ে দেশঁ ===বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশির রেকর্ড=== চূড়ান্ত পর্বে সবচেয়ে বেশি (২১)। সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়—ব্রাজিল (৫)। সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলা দল—জার্মানি (৮)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা দল—জার্মানি (১০৬)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা দল—জার্মানি (৭৬)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারা দল—মেক্সিকো (২৫)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ড্র করা দল—ইতালি (২১)। সবচেয়ে বেশি গোল করা দল—ব্রাজিল(২২৯) সবচেয়ে বেশি গোল হজম করা দল—জার্মানি (১২১)। সবচেয়ে বেশিবার খেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে না পারা দল—স্কটল্যান্ড (৮)। সবচেয়ে বেশি টানা শিরোপা—২; ইতালি (১৯৩৪, ১৯৩৮), ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২)। সবচেয়ে বেশি টানা ফাইনাল—৩; (জার্মানি ১৯৮২-১৯৯০), ব্রাজিল (১৯৯৪-২০০২)। সবচেয়ে বেশি টানা জয়—১১; ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশি ম্যাচে টানা অপরাজিত—১৩; ব্রাজিল। সবচেয়ে বেশিবার অংশগ্রহণ—৫ বার; আন্তোনিও কারবাজাল (মেক্সিকো, ১৯৫০-১৯৬৬), লোথার ম্যাথাউস (জার্মানি, ১৯৮২-১৯৯৮) জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি, ১৯৯৮-২০১৪)। বার বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ফুটবলার—পেলে (১৯৫৮, ১৯৬২ ১৯৭০)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার—লোথার ম্যাথাউস (জার্মানি, ২৫ ম্যাচ)। সবচেয়ে বেশি সময় খেলা—২২১৭ মিনিট; পাওলো মালদিনি (ইতালি)। সবচেয়ে বেশি ফাইনালে উপস্থিতি—৩ বার (কাফু, ব্রাজিল ১৯৯৪-২০০২)। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ম্যারাডোনা (১৬ ম্যাচ)। বদলি ফুটবলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার—ডেনিলসন (ব্রাজিল, ১১ ম্যাচ)। দুবার বিশ্বকাপ জেতা কোচ—ভিত্তরিও পোজ্জো (ইতালি, ১৯৩৪ ১৯৩৮)। কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ—৬, কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা (কুয়েত ১৯৮২, আরব আমিরাত ১৯৯০, ব্রাজিল ১৯৯৪ ২০০৬, সৌদি আরব ১৯৯৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০)। বিশ্বকাপে পাঁচটি ভিন্ন দেশের কোচ—বোরা মিলুটিনোভিচ (মেক্সিকো ১৯৮৬, কোস্টারিকা ১৯৯০, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪, নাইজেরিয়া ১৯৯৮, চীন ২০০২)। কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা (কুয়েত ১৯৮২, আরব আমিরাত ১৯৯০, ব্রাজিল ১৯৯৪ ২০০৬, সৌদি আরব ১৯৯৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০)। সবচেয়ে বেশি বয়সী কোচ—অটো রেহেগাল (৭১ বছর ৩১৭ দিন, গ্রিস ২০১০)। খেলোয়াড় কোচ হিসেবে টুর্নামেন্ট জয়—মারিও জাগালো (ব্রাজিল, ১৯৫৮ ১৯৬২ খেলোয়াড়, ১৯৭০ কোচ) ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (জার্মানি, ১৯৭৪ খেলোয়াড়, ১৯৯০ কোচ)। == আরও দেখুন == ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফিফা বিশ্বকাপ স্বপ্ন দল ফিফা বিশ্বকাপ আনুষ্ঠানিক গান ফিফা বিশ্বকাপ মাস্কট == তথ্যসূত্র == == গ্রন্থপঞ্জি == == বহিঃসংযোগ == বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপ প্রবর্তিত ক্রীড়াসাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের মেডেল। নোবেল ফাউন্ডেশনকৃত মূল নকশা। '''সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার''' (সুয়েডীয়: Nobelpriset litteratur) একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার যা প্রতি বছর এক বা একাধিক লেখক তথা সাহিত্যিককে প্রদান করা হয়। বিজ্ঞানী শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেল এই পুরস্কারের গোড়াপত্তন করেন। আলফ্রেড নোবেলের করে যাওয়া উইল অনুসারে জানা যায়, তিনি বলে গেছেন, "তাদেরকেই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হবে যারা একটি আদর্শগত প্রবণতার মাধ্যমে কোন অনন্য সাধারণ কাজ প্রদর্শন করতে পারবেন।" প্রতি বছর কাকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে তা সুইডিশ একাডেমি ঠিক করে এবং অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচিতের নাম ঘোষণা করে। প্রথম প্রথম যখন এই পুরস্কার প্রদান শুরু হয় তখন বেশ কিছু বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। নোবেল তার উইলে বলে গিয়েছিলেন যে পুরস্কার পাবে তাকে অবশ্যই ''idealisk'' তথা আদর্শিক কিছু করে দেখাতে হবে। প্রথমদিককার নির্বাচকমণ্ডলী তার কথাগুলোকে আঁকড়ে ধরেছিলেন গোঁড়াভাবে। তাই তারা শুধুমাত্র আদর্শিক দিকটিই চিন্তা করেছেন। অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক যারা হয়তো বড় কোন আদর্শের জন্ম দিতে পারেনি, তারা নোবেল পুরস্কার পায়নি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ লিও তলস্তয় এবং হেনরিক ইবসেন। উপন্যাস নাটকের জগতে কিংবদন্তিতুল্য এই দুই ব্যক্তির নোবেল না পাওয়া নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়। অবশ্য পরবর্তীকালে পুরস্কারের নির্বাচকরা আরও উদার হয়েছেন। আদর্শিক নয় বরং কার সাহিত্য সকল যুগে মানুষের আবেগের ইন্ধন যোগাবে অর্থাৎ কোনটি অমরত্ব অর্জন করবে তার ভিত্তিতেই এখন নির্বাচন করা হচ্ছে। অবশ্য কারণে এমন অনেকে পুরস্কার পেয়েছেন যারা অতটা জনপ্রিয় বা পরিচিত নন। যেমন: ১৯৯৭ সালে দারিও ফো এবং ২০০৪ সালে এলফ্রিদে ইয়েলিনেক। আবার অনেক বিখ্যাত জনপ্রিয় সাহিত্যিকই এই পুরস্কার পাননি বলে সমালোচকরা মন্তব্য করেছেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১১৩ জন সাহিত্যিক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। রুশ সাহিত্যিক বরিস পাস্তেরনাক ১৯৫৮ সালে এই পুরস্কারে ভূষিত হলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের চাঁপে তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৬৪ সালে জঁ-পল সার্ত্র্‌ এই পুরস্কারে ভূষিত হলেও তিনি তার পূর্ববর্তী সকল সরকারী সম্মাননার মত এই পুরস্কারও প্রত্যাখ্যান করেন। যাই হোক, নোবেল কমিটি বাদ না দিয়ে পাস্তেরনাক সার্ত্র্‌কে পুরস্কারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে রাখে। == তালিকা == বর্ষ ছবি নাম দেশ ভাষা কারণ রচনার ধরন ১৯০১ 75px সুলি প্রুধোম ফরাসি "তার কাব্য রচনার নিদর্শনস্বরূপ, যে কাব্য মহৎ আদর্শ, শৈল্পিক নৈপুণ্য এবং হৃদয় বুদ্ধিমত্তার একটি বিরল সমন্বয়ের স্বাক্ষর বহন করে।" পদ্য, প্রবন্ধ ১৯০২ 75px থিওডর মম্‌সেন জার্মান "ইতিহাস লিখন শিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তী। বিশেষত তার কালজয়ী রচনা হিস্ট্রি অফ রোম-এর জন্য।" ইতিহাস, আইন ১৯০৩ 75px ইয়র্নস্টার্ন ইয়র্নসেন নরওয়েজীয় "তার মহৎ, অনন্য সুন্দর এবং বহুমুখী কবিতা, যা তার উচ্ছ্বাসের পরিশুদ্ধতা এবং চেতনার বিশুদ্ধতা কারণে ব্যতিক্রমী ধারার সৃষ্টি করেছে।" পদ্য, উপন্যাস, নাটক ১৯০৪ 75px ফ্রেদেরিক মিস্ত্রাল অক্সিটান "তার কবিতার পরিশুদ্ধ মৌলিকত্ব এবং বাস্তব উচ্ছ্বাসের স্বীকৃতিস্বরূপ, যা বিশ্বস্তরূপে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং তার অঞ্চলের মানুষের চেতনা বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। একইসাথে ভাষাতত্ত্বে তার বিশেষ অবদানের জন্য।" পদ্য, ভাষাতত্ত্ব 75px জোসে এচেগারে স্পেনীয় "বিপুলসংখ্যক বুদ্ধিদীপ্ত নাটক রচনার জন্য যা তার একক এবং মৌলিক সৃষ্টি হিসেবে স্পেনীয় নাট্যজগতে মহত্তম প্রথার সূচনা ঘটিয়েছে।" নাটক ১৯০৫ 75px হেন্‌রিক শিন্‌কিয়েউইচ পোলীয় "মহাকাব্যিক রচনায় বিশেষ পারদর্শিতা প্রদর্শনের জন্য।" উপন্যাস ১৯০৬ 75px জিওসুয়ে কার্দুচ্চি ইতালীয় "কেবলমাত্র তার গভীর জ্ঞান এবং গবেষণার জন্যই নয় বরং কাব্যজগতে তার সৃজনশীল শক্তি, নিজস্ব ঘরাণার পরিশুদ্ধতা এবং গীতি কবিতা রচনায় শক্তিমত্তার পরিচয় প্রকাশের পদ্য ১৯০৭ 75px রুডইয়ার্ড কিপলিং ইংরেজি "তার পর্যবেক্ষণ শক্তি, কল্পনাপ্রবণতায় মৌলিকত্ব, আদর্শিক ধারণাসমূহের পুরুষোচিত কাঠিন্য এবং বিশেষ বুদ্ধিময়তা যা তাকে একজন বিশ্বখ্যাত লেখকের মর্যাদায় আসীন করেছে।" উপন্যাস, ছোটগল্প, পদ্য ১৯০৮ 75px রুডল্‌ফ ক্রিস্টোফ ইউকেন জার্মান "তার সত্য অনুসন্ধানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, চিন্তা করার অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা, বিভিন্ন স্তরে দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণের যোগ্যতা এবং উপস্থাপনের ক্ষেত্রে উষ্ণ শক্তিময়তার স্বীকৃতিস্বরুপ যা তার বিপুলসংখ্যক রচনায় প্রকাশ পেয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি একটি জীবনের একটি আদর্শিক দর্শনরূপ প্রতিষ্ঠা করেছেন।" দর্শন ১৯০৯ 75px সেলমা লাগেরলফ সুয়েডীয় "তার লেখনির মহৎ আদর্শ, সুতীব্র কল্পনাশক্তি এবং আধ্যাত্মিক উপলব্ধির উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯১০ 75px পল হাইসে জার্মান "গীতিকবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, বিশ্বখ্যাত ছোটগল্প রচনায় তার বিস্তৃত কর্মজীবনের জন্য।" পদ্য, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯১১ 75px মরিস মেটারলিংক‌ ফরাসি "তার বহুমুখী প্রতিভার জন্য— বিশেষুত তার নাট্যধর্মী কর্ম, কল্পনার রসদ এবং কবিতার সৌন্দর্য যা কখনো কখনো রূপকথার ছলে প্রকাশিত। তার লেখায় রয়েছে এক গভীর অনুপ্রেরণা পাঠকের কাছে পাঠকের অনুভূতি কল্পনাকে রহস্যজনকভাবে জাগিয়ে তোলে।" নাটক, পদ্য, প্রবন্ধ ১৯১২ 75px গেরহার্ট হাউপ্টমান জার্মান "নাট্যধর্মী শিল্পকলায় ফলপ্রসূ, বিচিত্র, চমকপ্রদ কাজের উপন্যাস, নাটক ১৯১৩ 75px রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 20px (ব্রিটিশ ভারত) বাংলা "কাব্যের অতি উচ্চমানের সংবেদনশীল, পরিশুদ্ধ পংক্তির জন্য, যার মাধ্যমে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তার কাব্যিক চিন্তা-চেতনা নিজস্ব ইংরেজি শব্দে প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন, যা পশ্চিমা সাহিত্যেরই একটি অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।" উপন্যাস, ছোটগল্প, পদ্য, নাটক, সঙ্গীত ১৯১৪ ''পুরস্কার প্রদান করা হয় নি'' ১৯১৫ 75px রোম্যাঁ রোলাঁ ফরাসি ১৯১৬ 75px ফের্নার ফন হাইডেন্‌শ্‌টাম সুয়েডীয় ১৯১৭ 75px কার্ল এডল্‌ফ গিয়েলেরুপ ডেনীয় 75px হেনরিক পন্টোপ্পিদান ডেনীয় ১৯১৯ 75px কার্ল ‌স্পিটেলার জার্মান ১৯২০ 75px নাট হ্যামসূন নরওয়েজীয় ১৯২১ 75px আনাতোল ফ্রঁস ফরাসি ১৯২২ 75px হাসিন্তো বেনাভেন্তে স্পেনীয় ১৯২৩ 75px উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস ইংরেজি ১৯২৪ 75px লাডিস্লো রেইমন্ট পোলীয় ১৯২৫ 75px জর্জ বার্নার্ড ইংরেজি ১৯২৬ 75px গ্রাজিয়া দেলেদ্দা ইতালীয় ১৯২৭ 75px অঁরি বর্গসাঁ ফরাসি ১৯২৮ 75px সিগ্রিড উন্ড্‌সেট নরওয়েজীয় ১৯২৯ 75px টমাস মান জার্মান ১৯৩০ 75px সিনক্লেয়ার লুইস ইংরেজি ১৯৩১ 75px এরিক এক্সেল কার্ল্‌ফেল্ট সুয়েডীয় ১৯৩২ 75px জন গল্‌স্‌ওয়ার্দি ইংরেজি ১৯৩৩ 75px আইভান আলেক্সেইভিচ বুনিন (নির্বাসনে) রুশ ১৯৩৪ 75px লুইজি পিরানদেল্লো ইতালীয় ১৯৩৬ 75px ইউজিন ও'নিল ইংরেজি ১৯৩৭ 75px রজার মার্টিন দ্য গর্ড‌ ফরাসি ১৯৩৮ 75px পার্ল এস. বাক ইংরেজি ১৯৩৯ 75px ফ্রান্স ইমিল সিলান্‌পা ফিনীয় ১৯৪৪ 75px জোহানেস ভি. জেনসেন ডেনীয় ১৯৪৫ 75px গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল স্পেনীয় ১৯৪৬ 75px হেরমান হেস জার্মান ১৯৪৭ 75px আন্দ্রে জিদ্ ফরাসি ১৯৪৮ 75px টি এস এলিয়ট ইংরেজি ১৯৪৯ 75px উইলিয়াম ফক্‌নার ইংরেজি ১৯৫০ 75px বার্ট্রান্ড রাসেল ইংরেজি ১৯৫১ 75px পার ল্যাগারভিস্ত সুয়েডীয় ১৯৫২ 75px ফ্রঁসোয়া মরিয়াক ফরাসি ১৯৫৩ 75px উইনস্টন চার্চিল ইংরেজি ১৯৫৪ 75px আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ইংরেজি ১৯৫৫ 75px হ্যাল্‌ডর ল্যাক্সনেস আইসল্যান্ডীয় ১৯৫৬ 75px হুয়ান রামোন হিমেনেস স্পেনীয় ১৯৫৭ 75px আলবেয়ার কামু ফরাসি ১৯৫৮ 75px বরিস পাস্তেরনাক (প্রত্যাখ্যান করেন) রুশ ১৯৫৯ 75px সাল্‌ভাতোর কোয়াসিমোদো ইতালীয় ১৯৬০ 75px সাঁ-জঁ পের্স ফরাসি ১৯৬১ ইভো আন্দ্রিচ ১৯৬২ 75px জন স্টেইনবেক ইংরেজি ১৯৬৩ 75px গিয়র্গোস সেফেরিস গ্রীক ১৯৬৪ 75px জঁ-পল সার্ত্র্‌ (প্রত্যাখ্যান করেন) ফরাসি ১৯৬৫ 75px মিখাইল শলোখভ রুশ ১৯৬৬ 75px শ্‌মুয়েল ইয়োসেফ আগ্‌নোন হিব্রু 75px নেলি সাক্স জার্মান ১৯৬৭ 75px মিগেল আন্‌হেল আস্তুরিয়াস স্পেনীয় ১৯৬৮ 75px ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা জাপানি ১৯৬৯ 75px স্যামুয়েল বেকেট ইংরেজি/ফরাসি ১৯৭০ 75px আলেক্সান্দ্‌‌র সল‌ঝেনিত্‌‌সিন রুশ ১৯৭১ 75px পাবলো নেরুদা স্পেনীয় "একটি মহাদেশের ভাগ্য স্বপ্নকে সত্যি করে তুলতে প্রভাব বিস্তারকারী পদ্যের জন্য।" পদ্য ১৯৭২ 75px হাইন্‌রিখ বোল (পশ্চিম) জার্মান উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৭৩ 75px প্যাট্রিক হোয়াইট‌ ইংরেজি উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক ১৯৭৪ 75px আইভিন্ড জনসন সুয়েডীয় উপন্যাস 75px হ্যারি মার্টিনসন সুয়েডীয় উপন্যাস, পদ্য, নাটক ১৯৭৫ 75px ইউজেনিও মন্তালে ইতালীয় পদ্য ১৯৭৬ 75px সল্‌ বেলো ইংরেজি উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৭৭ 75px ভিসেন্তে আলেইক্সান্দ্রে স্পেনীয় পদ্য ১৯৭৮ 75px আইজাক বাশেভিস সিঙ্গার ইদিশ উপন্যাস, ছোটগল্প, স্মৃতিকথা ১৯৭৯ 75px ওডিসিয়াস এলাইটিস গ্রীক পদ্য ১৯৮০ 75px চেশোয়াফ মিওস পোলীয় "যিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীতে আপোষহীন এবং এক মানুষের উদাহরণ পেশ করেছেন।" পদ্য, প্রবন্ধ ১৯৮১ 75px এলিয়াস কানেত্তি জার্মান উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, স্মৃতিকথা ১৯৮২ 75px গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস স্পেনীয় "তার উপন্যাস ছোটগল্পের জন্য, যাতে তিনি কল্পনা বাস্তবতার মিলন ঘটিয়েছেন" উপন্যাস, ছোটগল্প, চিত্রনাট্য ১৯৮৩ 75px উইলিয়াম গোল্ডিং ইংরেজি উপন্যাস, পদ্য, নাটক ১৯৮৪ 75px ইয়ারোস্লাভ্‌ সাইফার্ত্‌ চেক পদ্য ১৯৮৫ 75px ক্লদ্‌ সিমোঁ ফরাসি উপন্যাস ১৯৮৬ 75px ওলে সোয়িংকা ইংরেজি উপন্যাস, পদ্য, নাটক ১৯৮৭ 75px জোসেফ ব্রডস্কি রুশ/ইংরেজি পদ্য, প্রবন্ধ ১৯৮৮ 75px নাগিব মাহফুজ আরবি উপন্যাস ১৯৮৯ 75px কামিলো হোসে সেলা স্পেনীয় উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৯০ 75px অক্টাভিও পাজ স্পেনীয় পদ্য, প্রবন্ধ ১৯৯১ 75px নাডিন গর্ডিমার ইংরেজি "যার চমৎকার মহাকাব্যিক লেখনী দিয়ে আলফ্রেড নোবেলের ভাষায় মানবতার জন্য মহৎ কিছু রয়েছে।" উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প ১৯৯২ 75px ডেরেক ওয়ালকট‌ সেন্ট লুসিয়া ইংরেজি "কবিতাকে আলোকোজ্জ্বল, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে বিবৃত করা, বহুসংস্কৃতিকে মেলে ধরার প্রেক্ষাপটে।" নাটক, পদ্য ১৯৯৩ 75px টনি মরিসন ইংরেজি পদ্য, নাটক ১৯৯৪ 75px কেন্‌জাবুরো ওহয়ে জাপানি উপন্যাস, ছোটগল্প ১৯৯৫ 75px শেমাস্‌ হীনি ইংরেজি পদ্য ১৯৯৬ 75px ভিশ্লাভা শিম্বোর্স্‌কা পোলীয় পদ্য ১৯৯৭ 75px দারিও ফো ইতালীয় নাটক ১৯৯৮ 75px হোসে সারামাগো পর্তুগিজ উপন্যাস, নাটক, পদ্য ১৯৯৯ 75px গুন্টার গ্রাস জার্মান উপন্যাস, নাটক, পদ্য ২০০০ 75px গাও শিংশিয়ান চীনা উপন্যাস, নাটক, সাহিত্য সমালোচনা ২০০১ 75px বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল ইংরেজি উপন্যাস, প্রবন্ধ ২০০২ 75px ইমরে কার্তেজ হাঙ্গেরীয় উপন্যাস ২০০৩ 75px জন ম্যাক্সওয়েল কুতসি ইংরেজি অনুবাদ, উপন্যাস, প্রবন্ধ ২০০৪ 75px এলফ্রিডে ইয়েলিনেক জার্মান দি পিয়ানো টিচার (উপন্যাস) উপন্যাস, নাটক ২০০৫ 75px হ্যারল্ড পিন্টার ইংরেজি নাটক, চিত্রনাট্য ২০০৬ 75px ওরহান পামুক তুর্কী ইস্তাম্বুল (আত্মজীবনী) উপন্যাস, চিত্রনাট্য, প্রবন্ধ ২০০৭ 75px ডোরিস লেসিং ইংরেজি ১৯৬২ তে লেখা গোল্ডেন নোটবুক এর জন্য। উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, পদ্য, স্মৃতিকথা ২০০৮ 75px জঁ-মারি গুস্তাভ ল্য ক্লেজিও ফরাসি অনুবাদ, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ২০০৯ 75px হের্টা মুলার জার্মান উপন্যাস, পদ্য ২০১০ 75px মারিও বার্গাস ইয়োসা স্পেনীয় উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা ২০১১ 75px টমাস ট্রান্সট্রোমার সুয়েডীয় অনুবাদ, পদ্য ২০১২ 75px মো ইয়ান চীনা "যিনি বিভ্রমাত্মক বাস্তবতার মাধ্যমে এক করেছেন লোকগাঁথা, ইতিহাস আর বর্তমানকে।" উপন্যাস, ছোটগল্প ২০১৩ 75px এলিস মুনরো কানাডীয় "সমকালীন ছোটগল্প বিশারদ" ছোটগল্প ২০১৪ 75px পাত্রিক মোদিয়ানো ফরাসি উপন্যাস ২০১৫ 75px স্‌ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ (জন্মঃ ইউক্রেনীয় সোভিয়েত) রুশ ইতিহাস, প্রবন্ধ ২০১৬ 75px বব ডিলান ইংরেজি "মার্কিন গানের ঐতিহ্যের সাথে নতুন কাব্যিক মাত্রা যোগ করার জন্য।" পদ্য, গীতিকবিতা ২০১৭ 75px কাজুও ইশিগুরো (জন্মঃ জাপান) ইংরেজি "এই লেখক নিজের আদর্শ ঠিক রেখে, আবেগপ্রবণ শক্তি দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সংযোগ ঘটিয়েছেন"। উপন্যাস == আরও দেখুন == নোবেল পুরস্কার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা‎ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার রসায়নে নোবেল পুরস্কার চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার == তথ্যসুত্র == বিজয়ী পুরস্কার নোবেল পুরস্কার'''অক্টোবর''' গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের দশম মাস। মাসে মোট ৩১ দিন এবং এটি ৩১ দিনে মাস হওয়া সাতটি মাসের মধ্যে ষষ্ঠ। এটি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭৫০ অব্দে রোমুলুসের পুরনো বর্ষপঞ্জির অষ্টম মাস। এই মাসের নামটি লাতিন গ্রিক ''অক্তো'' (ôctō) থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ অষ্টম। পরবর্তী কালে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত করা হয়। ==অক্টোবরের উদ্‌যাপন== ===মাসব্যাপী উদ্‌যাপন=== ক্যাথলিক গির্জা রীতিতে, অক্টোবর হল হলি রোজারি মাস স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস স্বাস্থ্য শিক্ষা মাস আন্তর্জাতিক স্কুলে গমন মাস চিকিৎসা সচেতনতা মাস রেট উপসর্গ সচেতনতা মাস বিশ্ব অন্ধত্ব সচেতনতা মাস বিশ্ব মেনোপস মাস ===স্থায়ী উদ্‌যাপন=== অক্টোবর ** আন্তর্জাতিক কফি দিবস ** আন্তর্জাতিক প্রবীণ ব্যক্তি দিবস ** আন্তর্জাতিক সঙ্গীত দিবস ** সশস্ত্র বাহিনী দিবস (দক্ষিণ কোরিয়া) ** স্বাধীনতা দিবস (টুভালু) ** স্বাধীনতা দিবস (নাইজেরিয়া) ** স্বাধীনতা দিবস (পালাউ ** স্বাধীনতা দিবস (সাইপ্রাস) ** শিক্ষক দিবস (উজবেকিস্তান) অক্টোবর ** গান্ধী জয়ন্তী (ভারত) ** স্বাধীনতা দিবস (গিনি) অক্টোবর ** জাতীয় দিবস (ইরাক) অক্টোবর ** বিশ্ব প্রাণী দিবস ** স্বাধীনতা দিবস (লেসোথো) অক্টোবর ** বিশ্ব শিক্ষক দিবস ** সশস্ত্র বাহিনী দিবস (ইন্দোনেশিয়া) ** সংবিধান দিবস (ভানুয়াতু) ** শিক্ষক দিবস (পাকিস্তান) ** শিক্ষক দিবস (রাশিয়া == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বিষয়শ্রেণী:মাস মাস'''উৎপল দত্ত''' (; ২৯ মার্চ ১৯২৯ ১৯ আগস্ট ১৯৯৩) বাংলা গণনাট্য আন্দোলনের সময়ে বিশিষ্ট অভিনেতা এবং নাট্যকার। তার জন্ম অবিভক্ত বাংলার বরিশালে (বর্তমানে বাংলাদেশের অংশ)। তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। গণনাট্য আন্দোলন ছিল মূলত রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন, মার্ক্সবাদ থেকে প্রণীত এক ধারা যেখানে মঞ্চ হয়ে ওঠে প্রতিবাদের মাধ্যম তিনি মঞ্চের কারিগর ,বাংলা মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন। তিনি শেক্সপিয়ার আন্তর্জাতিক থিয়েটার কোম্পানির সাথে ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকবার। তাকে গ্রূপ থিয়েটার অঙ্গনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয়। কৌতুক অভিনেতা হিসাবেও তার খ্যাতি রয়েছে। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র গুড্ডি, গোলমাল শওকিন অভিনয় করেছেন। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় হীরক রাজার দেশে, জয় বাবা ফেলুনাথ এবং আগন্তুক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। মননশীল ছবি ছাড়াও অজস্র বাণিজ্যিক বাংলা ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন উৎপল দত্ত। রাজনৈতিক দর্শনের দিক থেকে তিনি ছিলেন বামপন্থী মার্ক্সবাদী। উৎপল দত্তের বিখ্যাত নাটকের মধ্যে রয়েছে টিনের তলোয়ার, মানুষের অধিকার ইত্যাদি। == মৃত্যু == ১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দের ১৯শে আগস্ট তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। == উৎপল দত্ত রচিত নাটকের তালিকা == ''দিল্লী চলো'' ''ফেরারী ফৌজ''(১৯৬১) ''ঘুম নেই'' (১৯৬১) ''মে দিবস'' (১৯৬১) ''দ্বীপ'' (১৯৬১) ''স্পেশাল ট্রেন'' (১৯৬১) ''ভি.আই.পি'' (১৯৬২) ''মেঘ'' (১৯৬৩) ''রাতের অতিথি'' (১৯৬৩) ''সমাজতান্ত্রিক চাল'' (১৯৬৫) কল্লোল(১৯৬৫) ''হিম্মৎবাই'' (১৯৬৬) ''রাইফেল'' (১৯৬৮) ''মানুষের অধিকার'' (১৯৬৮) (১৯৬৯) ''মাও-সে-তুং'' (১৯৭১) তরবারি'' (১৯৭২) ''বৈশাখী মেঘ'' (১৯৭৩) ''দুঃস্বপ্নের নগরী''(১৯৭৪) ''সীমান্ত'' ''পুরুষোত্তম'' ''শৃঙ্খল ঝঙ্কার'' ''জনতার আফিম'' পাণ্ডবের অজ্ঞাতবাস ''মধুচক্র'' ''প্রফেসর মামালক'' ''শোনরে মালিক'' ''সমাধান'' ''অজেয় ভিয়েতনাম'' ''তীর'' ''ক্রুশবিদ্ধ কুবা'' ''নীলরক্ত'' ''লৌহমানব'' ''যুদ্ধং দেহি'' ''লেনিনের ডাক'' ''চাঁদির কৌটো'' ''রক্তাক্ত ইন্দোনেশিয়া'' ''মৃত্যুর অতীত'' ''ঠিকানা'' ''টিনের তলোয়ার'' ''ব্যারিকেড'' ''মহাবিদ্রোহ'' ''সূর্যশিকার'' ''কাকদ্বীপের এক মা'' ''ইতিহাসের কাঠগড়ায়'' ''কঙ্গোর কারাগারে'' ''সভ্যনামিক'' ''নয়াজমানা'' ''লেনিন কোথায়'' ''এবার রাজার পালা'' ''তিতুমির'' ''বাংলা ছাড়ো'' ''দাঁড়াও পথিকবর'' ''কৃপান'' ''শৃঙ্খলছাড়া'' ''মীরকাসিম'' ''মহাচীনের পথে'' ''আজকের শাজাহান'' ''অগ্নিশয্যা'' ''দৈনিক বাজার পত্রিকা'' ''নীল সাদা লাল'' ''একলা চলো রে'' ''লাল দূর্গ'' ''বণিকের মাণদন্ড'' ''এংকোর (অনুবাদ গল্প)'' == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == অভিনেতা জন্ম মৃত্যু নাট্যব্যক্তিত্ব গণনাট্য সংঘের মানুষ ব্যক্তি জেভিয়ার কলেজ, কলকাতা শিক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থী অভিনেতা চলচ্চিত্রে অভিনেতা চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক অভিনেতা মঞ্চ অভিনেতা অভিনেতা থিয়েটার পরিচালক নাট্যবিদ নাট্যকার পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রের সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপক নাটক অ্যাকাডেমি ফেলোশিপ প্রাপক থিয়েটার পরিচালক এবং প্রযোজক চলচ্চিত্র অভিনেতা থেকে মানুষ কৌতুকাভিনেতা থিয়েটার ব্যক্তিত্ব চলচ্চিত্র অভিনেতা ব্যক্তি মঞ্চ পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক'''বার্ট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল, ৩য় আর্ল রাসেল''', এম, এফ আর এস (১৮ মে ১৮৭২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক. যদিও তিনি ইংল্যান্ডেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন, তার জন্ম হয়েছিল ওয়েলস এ, এবং সেখানেই তিনি ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। রাসেল ১৯০০ সালের শুরুতে ব্রিটিশদের ''আদর্শবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে'' নেতৃত্ব প্রদান করেন। তাকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনা করা হয়, এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন তার শিষ্য ভিটগেনস্টেইন এবং পূর্বসূরি ফ্রেগে এবং তাকে ২০ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম যুক্তিবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাসেল এবং হোয়াইটহেড একত্রে ''প্রিন্কিপিয়া ম্যাথমেটিকা'' নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা গণিতকে যুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার দার্শনিক নিবন্ধ "অন ডিনোটিং" ''দর্শনশাস্ত্রে মডেল'' হিসেবে বিবেচিত হয়। দুটো গ্রন্থই যুক্তি, গণিত, সেট তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং জাতিসমূহের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। রাসেল তার অহিংস মতবাদ প্রচারের জন্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলবন্দী হন, তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, সোভিয়েত এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের সমালোচনা করেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। রাসেল ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল "তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ যেখানে তিনি মানবতার আদর্শ চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন।" বারট্রান্ড রাসেলের বই সমূহ বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ করা হয়। মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার Conquest of Happiness" বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন == জন্ম == ১৮৭২ সালে মনমাউথশায়ার, ওয়েল্‌স, যুক্তরাজ্য। == শিক্ষা == == কর্মজীবন == == যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন == প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরোধীর ভূমিকা নেন, ফলস্বরূপ তাকে ছ'মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। সেই সঙ্গে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত হন। ১৯৫০ সালে পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই কারণে ১৯৬১ সালে তাকে আবার কারাদনণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। == দর্শন == == বিজ্ঞান == === জীবনপঞ্জি === ১৮৭২- মে ১৮ তে জন্ম। ১৮৭৪- মাতা এবং বোনের মৃত্যু। ১৮৭৬- পিতার মৃত্যু; পিতামহ লর্ড জন রাসেল (যিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন) তার দেখাশোনার ভার নেন। ১৮৯০- কেম্ব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি। ১৮৯৩- গণিতে প্রথম শ্রেণী অর্জন করে বিএ পাস। ১৮৯৪- অ্যালিস পিয়ার্সাল স্মিথ কে বিয়ে করলেন। ১৯০১- russel's paradox আবিস্কার করলেন। ১৯০৮- রয়াল সোসাইটি এর সদস্য নির্বাচিত হলেন। ১৯১৬- যুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার জন্য ট্রিনিটি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত এবং ১১০ পাউন্ডের জরিমানার শিকার। ১৯১৮-যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে অংশ নেয়ার অপরাধে মাসের কারাদন্ড ভোগ। ১৯২১- প্রথমা স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ। ডোরা ব্ল্যাক কে বিবাহ। ১৯৩১-ভাই এর মৃত্যুর পর তৃতীয় আর্ল রাসেল এর পদে অধীষ্ঠ হলেন। ১৯৩৫- ডোরা ব্ল্যাক এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ। ১৯৩৬- এবার বিয়ে করলেন প্যাট্রিসিয়া হেলেন স্পেন্স কে ১৯৪০- নিউ ইয়র্ক সিটি কলেজ নিয়োগ প্রাপ্তি। বার্ন্স ফাউন্ডেশান থেকে বহিষ্কৃত। ১৯৪৯- অর্ডার অফ মেরিট উপাধি লাভ। ১৯৫০- সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন। ১৯৫২-হেলেন এর সাথে বিচ্ছেদ। বিয়ে করলেন এডিথ ফিঞ্চ কে। ১৯৫৫- রাসেল-আইন্সটাইন মেনিফেস্টো প্রকাশ। ১৯৫৮- পরমাণু অস্ত্র বিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন। ১৯৬১-এক সপ্তাহের কারাবাস। কারণ- পরমাণু বিরোধী বিক্ষোভে ভূমিকা। ২, ওয়েল্‌স এর পেনরিন্ডিউড্রথ মারা যান। == গ্রন্থতালিকা == ABC of Relativity Autobiography History of Western Philosophy Analysis of Matter ''The Analysis Of Mind'' Authority and the Individual Basic Writings of Brertrand Russell Human Knowledge: Its Scope and Value Human Society in Ethics and Politics An Inquiry into Meaning and Truth Introduction to Mathematical Philosophy Logic and Knowledge Marriage and মরালস *Conquest of Happiness Mortals and Others, Volume II My Philosophical Development Mysticism and Logic On Education Our Knoweledge of the External World Outline of Philosophy ''Political Ideals'' (1917) রাজনৈতিক আদর্শ আবুল কাশেম ফজলুল হক Power Principles of Mathematics Principia Mathematica Problems of Phylosophy Principles of Social Reconstruction Roads to Freedom Sceptical Essays সংশয়ী রচনা আহমদ ছফা Unpopular Essays অপ্রিয় রচনা সুহৃদ সরকার In Quest of Happines সুখ মোতাহের হোসেন চৌধুরী Impact of Science on Society সমাজে বিজ্ঞানের প্রভাব সুহৃদ সরকার "A Free Man's Worship" (1903) "Am an Atheist or an Agnostic?" (1947) "Icarus, or The Future of Science" 1923 "Has Religion Made Useful Contributions to Civilization?" 1930 "Ideas that Have Harmed Mankind" (1950) "In Praise of Idleness" (1932) "What Desires Are Politically Important?" (1950) Why am not Christian? == পুরস্কার == ১৯৫০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। == মৃত্যু == ১৯৭০ সালে বারট্রান্ড রাসেল মৃত্যুবরণ করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == রাসেলের সঙ্গে তর্কে বহুদূর জন্ম মৃত্যু লেখক দার্শনিক বিজয়ী সাহিত্যিক দার্শনিক গণিতবিদ অজ্ঞেয়বাদী যুদ্ধ বিরোধী সক্রিয় কর্মীএস্‌আই একক পদ্ধতিতে সময়ের একককে '''সেকেন্ড''' বলা হয়। == সংজ্ঞা == সেকেন্ডের প্রথম দিকের সংজ্ঞাটি ছিল পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণনের উপর ভিত্তি করে। তখন বলা হতো, পৃথিবী যে সময়ে নিজ অক্ষের উপর সম্পূর্ণ একবার আবর্তিত হয় তার ৮৬৪০০ ভাগের এক ভাগকে এক সেকেন্ড বলে। কিন্তু ঊনবিংশ বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করল যে পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর ঘূর্ননের গতি স্থির নয়। অর্থাৎ তখন থেকেই তারা সেকেন্ডের সংজ্ঞাদেয়ার জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিকে বাদ দিয়ে নতুন একটি সংজ্ঞা খুজছিল। এটমিক ঘড়ির উন্নতির ফলে এটা দৃশ্যমান হয়ে গেল যে সেকেন্ডের সংজ্ঞা আসলে প্রকৃতির নিয়ম অনুসারেই করা উচিত। একারণেই ১৯৬৭ সালের পর থেকে সেকেন্ডের নিম্নোক্ত সংজ্ঞাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে: "শূন্য কেলভিন তাপমাত্রায় একটি অনুত্তেজিত সিজিয়াম ১৩৩ পরমাণুর ৯,১৯২,৬৩১,৭৭০ টি স্পন্দন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে সেকেন্ড বলে।" == আরোও দেখুন == *আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি *স্থানাংকিত আন্তর্জাতিক সময় == নোট তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ== National Physical Laboratory: ''Trapped ion optical frequency standards'' ''High-accuracy strontium ion optical clock''; National Physical Laboratory (2005) National Research Council of Canada: ''Optical frequency standard based on single trapped ion'' NIST: ''Definition of the second''; notice the cesium atom must be in its ground state at Official BIPM definition of the second The leap second: its history and possible future ''What is Cesium atom clock?'' একক এককদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ল্যাটিন ইন্ডাস থেকে শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় দ্বীপ। ডাচ উপনিবেশের কারণে তাদের দেয়া নামটি ওই অঞ্চলের জন্য প্রচলিত হয়। ১৯০০ সাল থেকে জায়গাটি নামে পরিচিতি পায়। প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জাকার্তা। সরকারী ভাবে ইন্দোনেশিয়ার নাম '''ইন্দোনেশীয় প্রজাতন্ত্রী''' (ইন্দোনেশীয় ভাষায় ''Republik Indonesia''). দেশটিতে মানুষ বসতির ইতিহাস বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো। যাদের বলা হয় তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে তাইওয়ান থেকে একটি মানব প্রবাহের ধারা ইন্দোনেশিয়ায় যায় খ্রিষ্টজন্মের দুই হাজার বছর আগে। তারা আদিবাসীদের ধীরে ধীরে আরো পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। প্রথম শতাব্দীতে সভ্যতার বিস্তার ঘটে। কৃষিকেন্দ্রিক গ্রামীণ সমাজ গঠিত হয়। গড়ে ওঠে অসংখ্য শহর-নগর-বন্দর। সমুদ্র উপকূলে বিস্তার ঘটে ব্যবসা-বাণিজ্য। চীনের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া হয়ে। এর ফলে দেশটিতে এক দিক থেকে হিন্দু ধর্ম অন্য দিক থেকে আসে বৌদ্ধ ধর্ম। দু’টি ধর্ম জীবনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মুসলিমদের আগমন ঘটে। উত্তর সুমাত্রা হয়ে ক্রমে মুসলমানরা ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার মাইলের বিস্তৃত ইন্দোনেশিয়ায়। ষোড়শ শতাব্দীতে দেশটির প্রধান ধর্ম হয়ে যায় ইসলাম। মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা উন্নত সভ্যতা সংস্কৃতি ক্রমেই ছাপিয়ে গিয়েছিল বৌদ্ধ আর হিন্দুপ্রধান অঞ্চলে। এর পর ধাপে ধাপে ইউরোপীয়দের আগমন ঘটে দেশটিতে। ব্রিটিশ আর ডাচরা তাদের সাম্রাজ্য স্থাপন করলেও ধর্ম সংস্কৃতিতে তারা কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি। == ইতিহাস == ৭ম থেকে ১৪শ শতক পর্যন্ত বৌদ্ধ শ্রীবিজয়া সাম্রাজ্য সুমাত্রা দ্বীপে সমৃদ্ধি লাভ করে এবং উন্নতির শিখরে এটি পশ্চিম জাভা দ্বীপ এবং মালয় উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছিল। ১৪শ শতক নাগাস পূর্ব জাভা দ্বীপে মাজাপাহিত নামের হিন্দু রাজ্য পরিণতি লাভ করে। রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গাদজাহ মাদা (শাসনকাল ১৩৩১-১৩৬৪) বর্তমান অঞ্চলের আনুগত্য অর্জনে সমর্থ হন। তার আমলেই আইন লিপিবদ্ধ হয় এবং একটি মহাকাব্য রচিত হয়। ১২শ শতকের দিকে ইন্দোনেশিয়াতে ইসলামের আগমন ঘটে এবং ১৬শ শতক নাগাদ জাভা সুমাত্রার লোকেরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে যায়। তবে বালি দ্বীপের লোকেরা আজও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু রয়ে গেছে। পূর্বদিকের দ্বীপগুলিতে ১৬শ ১৭শ শতকে প্রবল খ্রিস্টান মুসলিম ধর্মপ্রচার হয় এবং বর্তমানে এই দ্বীপগুলিতে উভয় ধর্মেরই বড় সম্প্রদায় আছে। মাজাপাহিত সাম্রাজ্যের পতনের পর যে ছোট ছোট রাজ্যের আবির্ভাব ঘটে, সেগুলির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ১৬০২ সাল থেকে ওলন্দাজেরা ধীরে ধীরে ইন্দোনেশিয়ার শাসকশ্রেণী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। এদের মধ্যে পূর্ব তিমোর ছিল একমাত্র ব্যতিক্রম; এটি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের অধীনে ছিল। সুদীর্ঘ ৩০০ বছর শাসনকালে ওলন্দাজেরা নেদারল্যান্ড্‌স ইস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ উপনিবেশে পরিণত করে। ২০শ শতকের প্রথম দশকে ইন্দোনেশীয় স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয় এবং দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। তরুণ কর্মজীবী ছাত্রদের একটি ক্ষুদ্র দল এর নেতৃত্বে ছিল। এদের কেউ কেউ শিক্ষালাভ করেছিল। অনেক আন্দোলনকারীকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কারাবন্দী করা হয়, যাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি সুকর্ণও ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর জাপানিরা ইন্দোনেশিয়া দখল করে। ১৯৪৫ সালের ১৭ই আগস্ট মিত্রশক্তির হাতে জাপানের আত্মসমর্পণের তিন দিন পর সুকর্ণ এবং মোহাম্মাদ আতার নেতৃত্বে একটি ক্ষুদ্র ইন্দোনেশীয় দল ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। তারা একটি সরকার গঠন করে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশ চালাবার জন্য একটি সংবিধান রচনা করে। ওলন্দাজরা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শক্ত বাধার সম্মুখীন হয়। চার বছর যুদ্ধ আলাপ আলোচনার পর ওলন্দাজেরা ইন্দোনেশীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৫০ সালে ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘে ৬০তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে। ১৯৪৯ সালে ওলন্দাজদের সাথে শত্রুতার অবসানের কিছু পর ইন্দোনেশিয়া একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে যাতে একটি সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। নির্বাহী সংসদের দ্বারা নির্বাচিত হন এবং সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য ছিলেন। ১৯৫৫ সালের প্রথম দেশব্যাপী নির্বাচনের আগে পরে ইন্দোনেশিয়ার সংসদ বহু দলের মধ্যে বিভক্ত ছিল এবং স্থিতিশীল কোয়ালিশন গঠন ছিল দুরূহ। ইন্দোনেশিয়াতে ইসলামের ভূমিকা একটি বিভাজক ইস্যুতে পরিণত হয়। সুকর্ণ "পঞ্চশীলা" নামের রাষ্ট্রের পাঁচ মূলনীতি অণুসারে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন। পাঁচটি মূলনীতি ছিল ধর্মীয় একত্ববাদ, মানবতাবাদ, জাতীয় ঐক্য, ঐকমত্যভিত্তিক গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচার; এগুলি ১৯৪৫ সালের সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু কিছু মুসলিম দল হয় একটি ইসলামী রাষ্ট্র কিংবা মুসলিমদের জন্য আলাদা ইসলামী আইন প্রয়োগের পক্ষপাতী ছিল। স্বাধীনতার সময় ওলন্দাজেরা নিউ গিনি দ্বীপের পশ্চিমাংসে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। অঞ্চলটি সুকর্ণ এবং সুহার্তোর আমলে ইরিয়ান জায়া এবং ২০০০ সাল থেকে পাপুয়া নামে পরিচিত। ইরিয়ান জায়াকে ইন্দোনেশিয়ার অংশে পরিণত করার ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়া ওলন্দাজদের মধ্যে আলোচনা ব্যর্থ হয় এবং ১৯৬১ সালে ইন্দোনেশীয় ওলন্দাজ সেনারা সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬২ সালের আগস্ট মাসে দুই পক্ষ একটি চুক্তিতে আসে এবং ১৯৬৩ সালের ১লা মে থেকে ইন্দোনেশিয়া ইরিয়ান জায়ার প্রশাসনিক দায়িত্ব নেয়। ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ইন্দোনেশিয়া একটি ভোটের আয়োজন করে যাতে পাপুয়ার স্থানীয় কাউন্সিলগুলির প্রতিনিধিরা ইন্দোনেশিয়ার অংশ হবার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। এর পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে পাপুয়াতে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন বিরোধী ছোট আকারের গেরিলা কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে পাপুয়াতে স্বাধীনতার দাবী আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। ১৯৫৮ সাল থেকে সুমাত্রা, সুলাওয়েসি, পশ্চিম জাভা এবং অন্যান্য দ্বীপে আন্দোলন শুরু হয়, যদিও এগুলি সফল হয়নি। এছাড়া জাতীয় সংসদ কোন নতুন সংবিধান রচনা করতেও ব্যর্থ হয়। ফলে সংসদীয় ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ ১৯৪৫ সালের সংবধান পুনরুজ্জীবিত করেন এবং তেমন কোন বিরোধিতা ছাড়াই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ব্যাপকতা বাড়ান। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত সুকর্ণ একটি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। বিদেশী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুকর্ণ নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেন এবং পশ্চিমা বিশ্ব এবং সোভিয়েত--- উভয় পক্ষের সাথেই কোন সরকারি সম্পর্কে জড়াননি। সুকর্ণের নেতৃত্বে পশ্চিম জাভার বান্দুং-এ তৃতীয় বিশ্বের নেতারা সম্মিলিত হন এবং নন-অ্যালাইন্ড আন্দোলনের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেন। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে সুকর্ণ এশিয়ার সাম্যবাদী রাষ্ট্রগুলির সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেন এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ইন্দোনেশীয় সাম্যবাদী দলের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ করা শুরু করেন। সুকর্ণ তার সরকারের জন্য সমর্থন আদায়ের উদ্দেশ্যে যেসমস্ত নাগরিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি করেছিলেন, ১৯৬৫ নাগাদ ইন্দোনেশীয় সাম্যবাদী দল সেগুলির অধিকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। সুকর্ণের সাথে সমঝোতা করে তারা তাদের সমর্থকদের একটি পঞ্চম স্তম্ভ স্থাপনের চেষ্টা করে। কিন্তু সামরিক নেতারা এই চেষ্টার বিরোধিতা করে। ১৯৬৫ সালের ১লা অক্টোবত সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে সাম্যবাদী দলের প্রতি দুর্বল অংশ, যাদের মধ্যে সুকর্ণের প্রাসাদরক্ষীও ছিল, জাকার্তার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি দখল করে এবং ছয়জন সিনিয়র জেনারেলকে অপহরণ হত্যা করে। মেজর জেনারেল সুহার্তো সেনাবাহিনীর সাম্যবাদী দল-বিরোধী সেনাদেরকে একত্রিত জাকার্তা শহর পুনরায় নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১লা অক্টোবরের ঘটনার ফলে সারা দেশ জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থা বজায় ছিল। ডানপন্থী গুণ্ডা-পাণ্ডারা গ্রামীণ এলাকাতে সাম্যবাদী সন্দেহে লক্ষ লক্ষ লোককে হত্যা করে। লক্ষ ৬০ হাজার থেকে লক্ষের মত লোক মারা যায় বলে অণুমান করা হয়। জাভা বালি দ্বীপে সহিংসতার প্রকৃতি ছিল বেশি ভয়াবহ। সময় সাম্যবাদী দলের লক্ষ লক্ষ সদস্য তাদের সদস্য কার্ড ফেরত দেন। আজও ইন্দোনেশিয়াতে সাম্যবাদী দল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ১৯৬৫-৬৬ সালে রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা রক্ষা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং ১৯৬৬ সালের মার্চে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সামরিক ক্ষমতা জেনারেল সুহার্তোর হাতে হস্তান্তর করেন। ১৯৬৭ সালের মার্চ মাসে একটি সংসদ জেনারেল সুহার্তোকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। সুকর্ণ সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষমতা হারান এবং ১৯৭০ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মোটামুটি গৃহবন্দী দশায় কাটান। == রাজনীতি == ইন্দোনেশিয়াতে একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান সরকার প্রধান। ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর শাসনব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার করা হয়। মন্ত্রিপরিষদের গঠন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার জন্য আইনসভার সদস্য হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আইন পরিষদের নাম পিপল কনসালটেটিভ অ্যাসেম্বলি। এর প্রধান কাজ সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নীতিনির্ধারণ। প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার ক্ষমতাও রয়েছে এর। আইন পরিষদের দু’টি কক্ষ। একটি হচ্ছে পিপলস রিপ্রেজেনটেটিভ কাউন্সিল। এর সদস্যসংখ্যা ৫৫০। অন্যটি রিজিওনাল রিপ্রেজেনটেটিভ কাউন্সিল। এর সদস্যসংখ্যা ১২৮। ২০০৪ সালে প্রথম জনগণের সরাসরি ভোটে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। == প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ == ৩৩টি প্রদেশ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া গঠিত। এর মধ্যে পাঁচটির রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। প্রত্যেকটি প্রদেশের রাজ্য গভর্নর এবং আলাদা আইনসভা রয়েছে। প্রদেশগুলোকে শাসন সুবিধার জন্য রিজেন্সি এবং সিটিতে ভাগ করা হয়েছে। নিচের দিকে আরো বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রশাসনিক ইউনিট করা হয়েছে। সবার নিচে রয়েছে গ্রাম। আচেহ, জাকার্তা, ইউগিয়াকারতা, পাপুয়া এবং পশ্চিম পাপুয়াকে অনেক বেশি মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আচেহ প্রদেশ নিজেদের আইন প্রণয়নের অধিকার দেয়া হয়েছে। তারা শরিয়া বিধান মোতাবেক শাসনকার্য পরিচালনা করে। == ভূগোল == thumb ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জীববৈচিত্র্যের দেশ (ব্রাজিলের পর)। এর জীব উদ্ভিদ শ্রেণীর মধ্যে এশীয় অস্ট্রেলীয় সংমিশ্রণ দেখা যায়। সুমাত্রা, জাভা, বোর্নিও এবং বালিতে এশীয় প্রাণীদের বিচিত্র সমারোহ। এখানে রয়েছে হাতি, বাঘ, চিতা, গণ্ডার বৃহদাকার বানর। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ বনভূমি। অস্ট্রেলিয়ার কাছাঁকাছি অবস্থিত পাপুয়ায় ৬০০ প্রজাতির পাখির বাস। পাখিদের ২৬ শতাংশ পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। দেশটির সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য ৮০ হাজার কিলোমিটার। দেশটির জীববৈচিত্র্যের প্রধান কারণ দীর্ঘ উপকূলরেখা। দ্রুত শিল্পায়নের ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। == অর্থনীতি == ইন্দোনেশিয়াতে একটি বাজার অর্থনীতি বিদ্যমান, তবে এতে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রায় ১৬৪টি সরকারী সংস্থাতে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয় এবং সরকার অনেক দ্রব্যের, বিশেষ করে জ্বালানি তেল, চাল, বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করে। ১৯৯৭ সালের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন উপায়ে বেসরকারী খাতের অনেকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক ধস ইন্দোনেশিয়াকে বিপর্যস্ত করে। এর সূত্র ধরে সুহার্তো সরকারেরও পতন হয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোয়োনোর নেতৃত্বে দেশটির অর্থনীতি উজ্জীবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। বেকারত্ব দারিদ্র্য রয়েছে ব্যাপক হারে। ২০০৮ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল দশমিক শতাংশ। মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন ছিল প্রায় চার হাজার ডলার। অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত শিল্প। জাতীয় উৎপাদনে কৃষি, শিল্প সেবা খাতের অবদান যথাক্রমে ১৩ দশমিক পাঁচ, ৪৫ দশমিক ছয় ৪০ দশমিক আট শতাংশ। জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান তৃতীয় হলেও ৪২ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষিতে নিয়োজিত। দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১১ কোটি বিশ লাখ। == সামরিক শক্তি == ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর আকার বিশাল। সরকার নির্বাচিত সদস্যদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক। দুই বছর করে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সামর্থ্য রয়েছে প্রায় ১১ লাখ মানুষের। নিয়মিত সেনাসংখ্যা লাখ হাজার। নৌবাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৭৪ হাজার এবং বিমানবাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৩৩ হাজার। সংসদে ৩৮টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে সদস্যদের জন্য। জাতীয় উৎপাদনের শতাংশ ব্যয় হয় সামরিক খাতে। == জনসংখ্যা == ২০০০ সালের জাতীয় জরিপ অণুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা ২০ কোটি ৬০ লাখ। ২০০৬ সালে পরিচালিত অন্য একটি জরিপে দেখা যায়, দেশটির জনসংখ্যা বেড়ে ২২ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে। কেবল জাভাতে ১৩ কোটি লোক বাস করে। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৩৪ জন। জাভা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপর্ণ দ্বীপ। দ্বীপটির প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৪০ জন মানুষ বাস করে। জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগেরই মূল অস্ট্রেনেশিয়ান যারা মূলত তাইওয়ান থেকে এসেছিল। জনসংখ্যার অন্য বড় অংশটির মূল হচ্ছে মেলানেশিয়া। দেশটির মধ্যে তিন শ’র বেশি জাতি-গোত্র। জনসংখ্যায় তারা ৪২ শতাংশ। জাভার মানুষ রাজনৈতিক সাংস্কৃতিকভাবেও প্রভাবশালী। চীনা ইন্দোনেশীয়রা জনসংখ্যায় মাত্র শতাংশ। == ধর্ম সংস্কৃতি == সরকার ঘোষিত ৬টি ধর্ম হলো ইসলাম, খ্রিষ্টানদের দু’টি গ্রুপ, হিন্দু, বৌদ্ধ কনফুসীয়। জনসংখ্যার ৮৬ দশমিক শতাংশ মুসলিম। খ্র্রিষ্টান ধর্মানুসারী দশমিক শতাংশ এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা শতাংশ। বর্তমানে এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ইন্দোনেশিয়া মিশ্র সংস্কৃতির দেশ। দেশটিতে ব্যাপক সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে। আরবীয়, ভারতীয়, চীনা, মালয় ইউরোপীয় সংস্কৃতির মিশেল রয়েছে জীবনাচরণে। আদিবাসী দ্বীপবাসীদের সংস্কৃতির সাথে এখানে বাণিজ্য করতে আসা এশীয় ইউরোপীয় লোকেদের সংস্কৃতির মিলন ঘটেছে। == পর্যটন == পর্যটন ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস। ১৭,০০০ দ্বীপ, বিশ্বের ২য় বৃহত্তম তটরেখা, ৩০০টি ভিন্ন গোত্র এবং ২৫০টি ভিন্ন ভাষার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রকৃতি সংস্কৃতি দেশটির পর্যটন শিল্পের দুইটি প্রধান উপাদান। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৫৭% ভূমি এলাকা ক্রান্তীয় অরণ্যে ঢাকা। এইসব অরণ্যতে অনেক পর্যটক ঘুরতে ভালবাসেন। এছাড়া রয়েছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকতগুলির মধ্যে রয়েছে বালি, লোম্বক, বিনতান, নিয়াস দ্বীপের সৈকতগুলি। তবে এগুলিতে পর্যটকদের সংখ্যাধিক্যের কারণে ঠিকমত সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্ন কিন্তু ভালভাবে সংরক্ষিত সৈকতগুলির মধ্যে আছে কারিমুনজাওয়া, টোগীয় দ্বীপপুঞ্জ, বান্দা দ্বীপপুঞ্জের সৈকতগুলি। সমুদ্রের তীরে সার্ফিং এবং অনেক জায়গায় ডাইভিঙের ব্যবস্থাও আছে। আরও আছে বিস্তীর্ণ প্রবাল দ্বীপ। আর হরেক প্রজাতির প্রশান্ত ভারত মহাসাগরীয় উদ্ভিদ প্রাণী। ইন্দোনেশিয়ায় আরও রয়েছে অনেক পর্বত, এবং এদের মধ্যে কিছু কিছু আবার আগ্নেয়গিরিও। এগুলিতে অনেক পর্যটক পর্বতারোহণ করতে ভালবাসেন। == ভাষা == এথনোলগ অণুসারে ইন্দোনেশিয়াতে ৭৪২টি ভাষা আছে। এদের মধ্যে ৭৩৭টি জীবিত, ২টি দ্বিতীয় ভাষা যাদের কোন মাতৃভাষী জীবিত নেই, এবং ৩টি বর্তমানে বিলুপ্ত। ইন্দোনেশিয়ার সরকারি ভাষার নাম বাহাসা ইন্দোনেশিয়া। এটি মূলত মালয় ভাষার একটি পরিবর্তিত রূপ যা ব্যবসা, প্রশাসন, শিক্ষা গণমাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অধিকাংশ ইন্দোনেশীয়ই স্থানীয় মাতৃভাষাতেই, যেমন জাভানীয় ভাষা, ইত্যাদিতে কথা বলেন। == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == রাষ্ট্র রাষ্ট্র'''আডলফ হিটলার''' জার্মান ভাষায়: Adolf Hitler ''আডল্‌ফ্‌ হিট্‌লা'') (২০শে এপ্রিল, ১৮৮৯ ৩০শে এপ্রিল, ১৯৪৫) অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সে দেশের ফিউরার ছিলেন। হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রে নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব লাভ করেন। অভ্যুত্থান করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ সমাজতন্ত্র বিরোধিতা ছড়াতে থাকেন। এভাবেই এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। নাৎসিরা তাদের বিরোধী পক্ষের অনেককেই হত্যা করেছিল, রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছিল, সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিল এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের অক্ষ শক্তি তথা জার্মান নেতৃত্বাধীন শক্তি মহাদেশীয় ইউরোপ এবং আফ্রিকা এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে মিত্র শক্তি বিজয় লাভ করে। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। হিটলারের রাজ্য জয় বর্ণবাদী আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। == কৈশোর যৌবনকাল == হিটলারের বাবা Alois বৈধভাবে (সমাজ সাপেক্ষে) জাত ছিলেন না। এক কথায় বলতে গেলে জারজ ছিলেন। তিনি জীবনের অনেকটা সময় শেষ নাম হিসেবে মায়ের নাম (Schicklgruber) ব্যবহার করেছিলেন। ১৮৭৬ সালেই Alois প্রথম হিটলার নামটি গ্রহণ করেন। তার ছেলে অ্যাডলফ-ও কখনও হিটলার ছাড়া অন্য কোন শেষ নাম ব্যবহার করেনি। সরকারী কাস্টম্‌স থেকে অবসর গ্রহণের পর হিটলারের বাবা সপরিবারে আপার অস্ট্রিয়ার লিন্‌ৎস শহরে চলে আসেন। এখানেই হিটলারের বাল্যকাল অতিবাহিত হয়। কারণে সারাজীবন তিনি লিন্‌ৎসকে ভালবেসে গেছেন, কোন শহরকে এর উপরে স্থান দিতে পারেননি। বাবাকে তিনি খুব পছন্দ করতেন না বরং ভয় করতেন। কিন্তু মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসার কোন কমতি ছিল না। ১৯০৩ সালে বাবা মারা যান। বাবার রেখে যাওয়া পেনশন সঞ্চয়ের অর্থ দিয়েই তাদের সংসার কোনমতে চলতে থাকে। অনেক ভোগান্তির পর ১৯০৭ সালে মাতাও মারা যান। হিটলার নিঃস্ব হয়ে পড়েন। পড়াশোনায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। এক সময় ভিয়েনায় যান। কিন্তু চিত্রশিল্পী হবার স্বপ্ন নিয়ে আবার লিন্‌ৎসে ফিরে আসেন। আবার ভিয়েনায় যান। সামান্য যা ভাতা পেতেন তা দিয়ে ভিয়েনার মত শহরে চলতে-ফিরতে তার বেশ কষ্ট হতো। শিল্পী হিসেবেই তার বেশ সম্ভাবনা ছিল। এই উদ্দেশ্যে অস্ট্রিয়ার "একাডেমি অফ ফাইন আর্টস"-এ ভর্তি পরীক্ষা দেন। কিন্তু সুযোগ পাননি। === গ্রন্থ === হিটলারের লেখা গ্রন্থ হল "মাইন কাম্ফ"। অগত্যা বেশ ক'বছর তাকে একাকী বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করতে হয়। সময় পোস্টকার্ড বিজ্ঞাপনের ছবি এঁকে সামান্য উপার্জন করতেন। এই অর্থ দিয়ে ভিয়েনার এক হোস্টেল থেকে আরেক হোস্টেলে বাস করতে থাকেন। সময় তার মধ্যে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছিল যেগুলো তার পরবর্তী জীবন সম্বন্ধে আমাদের কিছু ধারণা পেতে সাহায্য করে। যেমন: একাকীত্ব, গোপনীয়তা, প্রাত্যহিক অস্তিত্বের বোহেমীয় ভাব (ছন্নছাড়া জীবন-যাপন), প্রতি ঘৃণা এবং ভিয়েনার বহুজাতিক অবস্থার প্রতি বিতৃষ্ণা। === প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান === চিত্র:Adolf Hitler Wax Statue in Madame Tussauds তুসো জাদুঘরে নাৎসীবাদী আডলফ হিটলারের মোমের ভাস্কর্য ১৯১৩ সালে মিউনিখে চলে যান। ১৯১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রীয় সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্যগত কারণে সৈনিক হবার সুযোগ পাননি। তাকে সামরিক বাহিনীর জন্য আনফিট ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন ১৬তম বাভারিয়ান রিজার্ভ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে। যুদ্ধের পুরোটা সময় জার্মানিকে সেবা দিয়ে গেছেন। ১৯১৬ সালের অক্টোবরে আহত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে ছিলেন। এছাড়া যুদ্ধের বাকিটা সময় সক্রিয় থেকেছেন। অধিকাংশ সময়ই সম্মুখ সারিতে থেকে হেডকোয়ার্টার্স রানার হিসেবে কাজ করেছেন। যুদ্ধে সাহসিকতা বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৪ সালের ডিসেম্বরে সেকেন্ড ক্লাস আয়রন ক্রস লাভ করেন। ১৯১৮ সালের আগস্টে তাকে ফার্স্ট ক্লাস আয়রন ক্রস দেয়া হয়। একজন করপোরালের পক্ষে এটা বেশ বড় প্রাপ্তি। হিটলার খুব উৎসাহের সাথে যুদ্ধ করেছেন। === রাজনীতিতে প্রবেশ === প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি হেরে যায়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে হিটলার রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯১৯ সালের মে-জুনের দিকে জার্মানির বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মিউনিখের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন। সেপ্টেম্বরে মিউনিখের ক্ষুদ্র দল "জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি"-তে সামরিক রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯২০ সালে তাকে এই দলের প্রচারণার দায়িত্ব দেয়া হয়। দলের ভেতরে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন। এই বছরই দলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Deutsche (নাৎসি পার্টি)। জার্মানির তৎকালীন পরিস্থিতিতে ধরনের একটি রাজনৈতিক দলের উত্তরণের বেশ ভাল সম্ভাবনা ছিল। কারণ যুদ্ধের বিভীষিকা এবং শান্তি চুক্তিতে জার্মানির বিশাল পরাজয়ের কারণে জনমনে অসন্তোষ দানা বেধে উঠেছিল। এর সাথে ছিল অর্থনৈতিক অস্থিরতা। বাভারিয়াতে এই অবস্থা ছিল আরও বিরূপ। সেখানে বার্লিনের প্রজাতন্ত্রী সরকারের তীব্র বিরোধিতা প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল। হিটলারও বাভারিয়ার মিউনিখ শহরেই তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯২০ সালেই একটি ডানপন্থী সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বার্লিনে সামরিক ক্যু করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই ক্যু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ===আডলফ হিটলারের যৌনজীবন === কুকুরের সাথে আডলফ হিটলার এবং ইভা ব্রাউন আডলফ হিটলারের যৌনজীবন নিয়ে দীর্ঘদিন ইতিহাসবিদ এবং পন্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। পুরো জীবনে কিছু সংখ্যক মেয়ের সাথে তার রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল এবং একই সাথে সমকামিতার প্রতি তার বিদ্বেষ দেখা গেছে। তিনি সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন, এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তার নাম অনেক মেয়ের সাথেই যুক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যা করেছে। অন্যান্য ঘটনার মধ্যে আছে, একজন আত্মহত্যা চেষ্টার বছর পর মারা গিয়েছিল এবং আরেকজন একটি ব্যর্থ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও এসব বিষয়ে জোরালো প্রমাণ নেই। হিটলারকে সবাই জানত একজন ঘরোয়া জীবন বাদে একজন চিরকুমার মানুষ, যিনি তার পুরো জীবন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের জন্য উৎসর্গ করেছেন। ইভা ব্রাউনের সাথে তার ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক বাইরে এবং ভেতরের কেউ জানত না। ব্রাউনের জীবনীলেখক হেইকে গোরটেমা উল্লেখ করেছেন যে, এই জুটির স্বাভাবিক যৌন জীবন উপভোগ করত। হিটলার এবং ব্রাউন ১৯৪৫ এপ্রিলের শেষ দিকে বিয়ে করেছিলেন এবং আত্মহত্যার পূর্ব পর্যন্ত ৪০ ঘন্টারও কম সময় একসাথে ছিলেন। এলিস কর্তৃক যুদ্ধের সময়ের দুইটি প্রতিবেদনে হিটলারকে মানসিকভাবে বিশ্লেষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ওয়াল্টার সি ল্যাঙ্গার, দি আমেরিকান অফিস অব স্ট্র্যাটিজিক সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলেন, হিটলারের অবদমিত সমকাম প্রবণতা ছিল এবং আরো বলেন, হিটলার পুরুষত্বহীন কর্পোহিল ছিলেন। হেনরি মুররে এবং নাৎসি পার্টি বিরোধী অট্টো স্ট্রেসার আলাদা আলাদা প্রতিবেদনে একই মত দেন। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ স্যার ইয়ান কারশাও স্ট্রেসারের মতকে "হিটলার বিরোধী প্রোপাগান্ডা" হিসেবে উল্লেখ করেন। === বিয়ে === ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরার বাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। == হস্তক্ষেপ == ১৯৩৯ সালে তিনি গারহার্ড ডোমাগ নামীয় এক তার প্রাপ্য নোবেল পুরস্কার গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। == আরও দেখুন == মাদাম তুসো জাদুঘর == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু চ্যান্সেলর নেতা বিশ্বযুদ্ধ বিপ্লবী'''ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী''' (হিন্দি: इंदिरा प्रियदर्शिनी गांधी ''ইন্‌দিরা গান্‌ধি'', নভেম্বর ১৯, ১৯১৭ অক্টোবর ৩১, ১৯৮৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের প্রথম আজ পর্যন্ত একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী। প্রভাবশালী নেহেরু পরিবারে জন্ম গ্রহণ করায়, তিনি এক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেন। তার পিতামহ মতিলাল নেহেরু একজন প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা ছিলেন। তার পিতা জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪১ সালে অক্সফোর্ড থেকে ফিরে এসে ইন্দিরা গান্ধী পিতার সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সাল থেকে অপেশাগত ভাবে জওহরলাল নেহেরুর অফিস সহকারীর কাজ করে আসছিলেন। ১৯৬৪ সালের জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর ভারতের রাষ্ট্রপতি তাকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন ইন্দিরা লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মন্ত্রীসভায় তথ্য প্রচার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর হঠাৎ মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি কে কামারাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা ছিল।তিনি 'এশিয়ার সূর্য' নামেও পরিচিত ছিলেন। == প্রাথমিক জীবন == তিনি তার শক্তির পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশের সাহস প্রথম জীবনেই সঞ্চয় করেছিলেন৷ তিনি নভেম্বর মাসে এলাহবাদে জন্মগ্রহণ করেন। নেহেরু পরিবার সবসময়ই জড়িত ছিল রাজনীতিতে৷ যার কারণে ছোটবেলা থেকেই বাপ-দাদার রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে ঝুঁকে পড়েন ইন্দিরা গান্ধী৷ ভারতবর্ষ তখনো ব্রিটিশদের দখলে৷ ব্রিটিশদের ভারত দখলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি৷ ইন্দিরার বয়স যখন মাত্র চার তখনই তার বাবা এবং তার দাদা কারাবন্দি হন৷ কারণ তারা ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী৷ ইন্দিরা গুটিয়ে যান নিজের মধ্যে৷ একা থাকতেন, বেশির ভাগ সময়ই একা কাটাতেন৷ বলা প্রয়োজন, মহাত্মা গান্ধী ইন্দিরার রাজনৈতিক জীবনকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিলেন৷ ১৯৩৬ সালে ইন্দিরার মা কমলা নেহেরু পরলোক গমন করেন৷ ইন্দিরা হয়ে পড়েন ভীষণভাবে একা৷ ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময়ই ইন্দিরার পরিচয় হয় ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে৷ ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন৷ ১৯৪২ সালে তিনি বিয়ে করেন সাংবাদিক ফিরোজ গান্ধীকে৷ বিয়ের কিছুদিন পরই তারা কারাবন্দী হন৷ এলাহবাদের নৈনি কারাগারে তারা মাস বন্দী থাকেন৷ ইন্দিরা গান্ধী দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তারা হলেন সঞ্জয় এবং রাজীব৷ == কংগ্রেস সভাপতি == ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন৷ == ভারতের প্রধানমন্ত্রী == ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে ব্রিটিশ শাসন থেকে৷ সে বছরই ইন্দিরার বাবা জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন৷ তখন থেকেই ইন্দিরা প্রায় ছায়ার মত বাবার পাশে পাশে থাকতেন৷ ১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন৷ নেহেরু-কন্যা রূপে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ইন্দিরার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৬৬ সালে প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বচিত হন৷ ১৯৭১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে ইন্দিরা গান্ধী দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন৷ একটানা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্দিরা গান্ধী৷ এই পর্যায়ে রাজন্য ভাতা বিলোপ, ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচী রূপায়ন করেন৷ ১৯৭১এ তৃৃতীয় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে ভারত তার বলিষ্ঠ নেতৃৃত্বে জয়লাভ করে৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷ ১৯৭৫ সালে তিনি দেশে শান্তি এবং শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ জরুরি আইন জারী করেন৷ জন্য সমালোচিত হন ইন্দিরা গান্ধী৷ এরপর ১৯৮০ সালে চতুর্থবারের মত নির্বাচনে বিজয়ী এবং প্রধান মন্ত্রী হন৷ ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয় (যা অপারেশন ব্লু স্টার নামে পরিচিত ছিল)। তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই(১৯৮৪ সাল) ৩১শে অক্টোবর৷ তার নিজের দেহরক্ষীর হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷ == ব্যক্তিগত জীবন == সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ বছর ভারত শাসন করেছেন ইন্দিরা গান্ধী৷ তুখোর রাজনীতিবিদ ইন্দিরা গান্ধী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন ভারতে৷ ২৫ বছর পর ভারত তথা বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গণ স্মরণ করছে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে৷ ইন্দিরা গান্ধীর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর কোন নারী এখনো আসেননি৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে ইন্দিরা সবুজ বিপ্লব, পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ বিদেশনীতি নির্ধারণ এবং একাধিক প্রকল্পর রূপায়ণ করেন। তার পুত্র সঞ্জয় গান্ধী বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান এবং আরেক পুত্র রাজিব গান্ধী এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা যান। দুই পুত্র বধু মানেকা গান্ধী সোনিয়া গান্ধী বেঁচে আছেন। ব্যক্তিগত জীবনে ইন্দিরা গান্ধী অত্যন্ত শৌখিন মানুষ ছিলেন। == মৃত্যু == ১৯৮৪ সালের জুন মাসে ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে শিখদের পবিত্র ধর্মাশালা স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সেনা হানা দেয়৷ তার খেসারত ইন্দিরা গান্ধী দেন সে বছরই ৩১ অক্টোবর৷ তার নিজের দেহরক্ষীরাই তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়৷ চিত্র:Nehru পরিবার, মাঝে মতিলাল নেহেরু তার ডান দিকে ইন্দিরা গান্ধী চিত্র:Indira and রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের সাথে ইন্দিরা গান্ধী == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নেতা ভারতীয় নারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদসুকেন্দ্রিক কোষের অভ্যন্তরস্থ ঝিল্লিযুক্ত অংশগুলি। নিউক্লিয়াস মাইটোকন্ড্রিয়া এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম গলজি বডি লাইসোজোম পরিবাহক ভেসিকল পারক্সিজোম উদ্ভিদ হলে থাকতে পারে: লাইসোজোমের বদলে ভ্যাকুওল প্লাস্টিড গ্লাইঅক্সিজোম জিয়ার্ডিয়া ইত্যাদি কিছু আদিম প্রোটোজোয়ায় বদলে হাইড্রোজেনোজোম রাইবোজোম, সেন্ট্রোজোম, এবং সাইটোকঙ্কাল ঝিল্লিযুক্ত নয়, তাই এদের অঙ্গানু বলা সঠিক নয়, তবে অনেক হাল্কা ভাবে বলে থাকেন। ব্যাক্টেরিয়ার মেসোজোম কোষপর্দারই ভিতরে গুটান অংশ তাই কোষের "অভ্যন্তরস্থ" নয়। বিষয়শ্রেণী:কোষ জীববিজ্ঞান'''ডাহুক''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Amaurornis phoenicurus''), '''ডাইক''', '''পানপায়রা''' বা '''ধলাবুক ডাহুক''' Rallidae (রেলিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ''Amaurornis'' (আমুরর্নিস) গণের অন্তর্গত মাঝারি আকৃতির একটি পাখি। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। == গঠন == এর দেহ কালচে এবং মুখমণ্ডল, গলা, বুক পেট সম্পূর্ণ সাদা। অন্যসব ঝিল্লির তুলনায় এরা বেশ সাহসী। ফলে মানববসতির আশেপাশে এদের প্রায়ই দেখা যায়। স্বভাবে এরা ক্রেপাসকুলার। প্রজননকালীন সময়ে বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে এরা উচ্চস্বরে বার বার ডাকে। == বর্ণনা == ডাহুকের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ''লাললেজী কালো পাখি'' (গ্রিক: ''amauros'' কালচে, ''ornis'' পাখি; লাতিন: ''phoenicurus'' লাল লেজের গির্দি)। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৮৩ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। == তথ্যসূত্র == পাখি পাখি পাখি পাখি== ঘটনাবলী == ১৯২১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি রেস্তোরায় আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট) কর্তৃক আক্রমণ হয়। == জন্ম == ১৬৪৬ গট্‌ফ্রিড লিবনিত্স, জার্মান দার্শনিক গণিতবিদ। ১৮৮২ বিধান চন্দ্র রায়, চিকিৎসক পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। ১৯০৩ আবুল ফজল, চট্টগ্রাম উপাচার্য এবং রাষ্ট্রপতির শিক্ষা সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা। ১৯২৩ হাবীবুর রহমান, বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক সাংবাদিক। ১৯২৮ মীর কাশেম খান, একুশে পদক বিজয়ী বাঙালি সেতারবাদক, সুরকার সঙ্গীত পরিচালক। (মৃ. ১৯৮৪) ১৯৩০ মুস্তফা আক্কাদ, সিরীয়-আমেরিকান পরিচালক প্রযোজক। ১৯৩২ এম এন আখতার, বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার শিল্পী। ১৯৪০ সৈয়দ আব্দুল হাদী বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পী। ১৯৪৮ ডলি আনোয়ার, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬১ ** কার্ল লুইস, মার্কিন ক্রীড়াবিদ। ** প্রিন্সেস ডায়ানা, যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী। ১৯৭৬ রুড ভ্যান নিস্টেল্‌রয়ি, ওলন্দাজ ফুটবলার। == মৃত্যু == ১৮৩৯ দ্বিতীয় মাহমুদ, উসমানীয় খলিফা ৩০তম উসমানীয় সুলতান। (জ. ১৭৮৫) ১৯৬২ বিধানচন্দ্র রায়, প্রখ্যাত চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। (জ. ১৮৮২) ১৯৭১ লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার, আইনজীবী রাজনীতিবিদ। (জ. ১৯০১) ১৯৯৭ রবার্ট মিচাম, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, কবি, সুরকার গায়ক। (জ. ১৯১৭) ২০০০ ওয়াল্টার ম্যাথাউ, মার্কিন অভিনেতা কৌতুকাভিনেতা। (জ. ১৯২০) ২০০৪ মার্লোন ব্রান্ডো, অস্কার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা। (জ. ১৯২৪) == ছুটি অন্যান্য == চিকিৎসক দিবস (ভারত); ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (বাংলাদেশ)। == বহিঃসংযোগ == বিবিসি: এই দিনে ''দি নিউইয়র্ক টাইমস'': এই দিনে পঞ্জিকার দিন'''টিকা''' বা '''প্রতিষেধক''' (Vaccine) হল এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ বা মিশ্রণ যা অ্যান্টিবডি তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোন একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা জন্মাতে সাহায্য করে। কোনো প্রাণীর দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস (Virus), ব্যাক্টেরিয়া (Bacteria) ইত্যাদির জীবিত (যার রোগসূচনাকারী ক্ষমতা শূন্য) বা মৃতদেহ বা কোনো অংশবিশেষ হতে প্রস্তুত ঔষধ যা প্রাণীর দেহে ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে আন্টিবডি সৃষ্টি করে। কোন রোগের টিকা হল কেবলমাত্র সেই নির্দিষ্ট রোগটিরই বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বর্ধনকারী ক্রিয়া সম্পন্ন জৈব উপাচার যা টিকাকরণ (ইনঅক্যুলেশন) অর্থাৎ ত্বকে সূচ ফুটিয়ে দেওয়া হতে পারে বা অন্য উপায়ে যেমন খাবার ড্রপ (যেমন মুখে সেব্য পোলিও টিকা বা ওরাল পোলিও ভ্যাক্সিন) হিসেবে দেওয়া হতে পারে। এতে সাধারণত মৃতপ্রায় বা মৃত জীবাণু অথবা তার বিষ থেকে তৈরী হওয়া রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু-সদৃশ উপাদান থাকে। এটি উক্ত উপাদানটিকে বহিরাগত হিসেবে শনাক্ত করতে, সেটিকে ধবংস করতে এবং স্মৃতিতে রাখতে উদ্দীপিত করে, যাতে পরবর্তীতে অনাক্রম্যতন্ত্র সমস্ত জীবাণুকে খুব সহজে পরবর্তী অনুপ্রবেশে শনাক্ত ধবংস করতে পারে। == আবিষ্কার == এডোয়ার্ড জেনার ১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দে লক্ষ্য করেন গোয়ালিনীরা (cow-maid) গুটি বসন্তের (small pox) মড়ককালে আক্রান্ত হয় না। তিনি প্রমাণ করেন তার গোয়ালিনীরা রক্ত গরুর বসন্তে সংক্রমিত এবং তার টিকা (inoculation) জেমস ফিলিপ নামে বছরের একটি সুস্থ বালককে দেন। একটু মৃদু বসন্ত উপসর্গের পর সে আবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে এবং সে গুটি বসন্তের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। == প্রকারভেদ == টিকা সাধারণত তিন প্রকার- লাইভ বি সি জি, প্লেগ, টাইফয়েড ওরাল। ভাইরাসজাত মুখে সেব্য: পোলিও,হাম, পীতজ্বর। টাইফাস। টক্সয়েড == উৎপাদন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ভ্যাক্সিন কি? বিজ্ঞান== ঘটনাবলী == ১৪৪৩ সেকেন্দার বেগ তার বাহিনী নিয়ে মধ্য আলবেনিয়ার খ্রুজ অঞ্চল জয় করেন প্রথমবারের মতো আলবেনিয়ার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৫২০ প্রথম ইউরোপীয়ান নাবিক হিসেবে ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করেন। == জন্ম == ১৯৪৩- রফিকুন নবী খ্যাতনামা চিত্রকর, কার্টুনিস্ট। ১৯৩১ গোলাম রহমান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সাংবাদিক। == মৃত্যু == ১৯৫৪ এনরিকো ফের্মি, ইতালীয় পদার্থবিদ। ১৯৯৯ জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক মৃত্যু বরণ করেন। *২০০৬ -মোহাম্মদ হানিফ,অবিভক্ত ঢাকার প্রথম মেয়র মৃত্যু বরণ করেন। == ছুটি অন্যান্য == স্বাধীনতা দিবস পানামা ১৮২১ সালে স্পেনের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা দিবস আলবেনিয়া ১৯১২ সালে তুরস্কের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা দিবস মৌরিতানিয়া ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রজাতন্ত্র দিবস বুরুন্ডি। প্রজাতন্ত্র দিবস চাদ। == বহিঃসংযোগ == পঞ্জিকার দিন দিনতারিখ'''সোমালিয়া''' বা সোমালি প্রজাতন্ত্র উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম মোগাদিশু। == সোমালিয়ায় জলদস্যুতা == সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুতা একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। ২০০৫ সাল থেকে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, জলদস্যুতা ঘটনা বৃদ্ধির উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওসানস বিয়ন্ড পাইরেসির এক জড়িপ অনুসারে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত খরচসহ বছরে প্রায় $৬.৬ থেকে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে। জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক রিসার্চ এর এক জড়িপে বলা হয়, জলদস্যুতার বৃদ্ধির ফলে জলদস্যুতার সাথে সম্পর্কিত লাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো জলদস্যু আক্রমণ থেকে মুনাফা অর্জন করছে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সরকারি Official Website of the Transitional Federal Government of Somalia রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রীপরিষদ সদসবৃন্দ সাধারণ তথ্য Somalia from ''UCB Libraries GovPubs'' মিডিয়া Somalia news headlines from IRIN Somalia humanitarian news and analysis অন্যান্য The ICRC in Somalia Somalia Online The Somali Link UNESCO Nairobi office on education in Somalia UNESCO Nairobi Office Fact Book on Education For All, Somalia 2006 Mustaqbalka Ummadda Somaaliyeed Bissig Addo map Mohamed Siad Barre official biographical website রাষ্ট্র'''গাম্বিয়া''' (রাষ্ট্রীয় নাম '''গাম্বিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র''') পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। এটি আফ্রিকা মহাদেশের মূল ভূখন্ডের ক্ষুদ্রতম দেশ। এটি উত্তর, পূর্ব দক্ষিণ দিকে সেনেগাল দ্বারা পরিবেষ্টিত। পশ্চিমে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। গাম্বিয়া নদী দেশটির মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়েছে। গাম্বিয়া সাগর উপকূল থেকে প্রায় মহাদেশের প্রায় ৩২০ কিলোমিটার অভ্যন্তর পর্যন্ত চলে গেছে। তবে এর সর্বোচ্চ প্রস্থ মাত্র ৫০ কিলোমিটার। বন্দর শহর বাঞ্জুল দেশটির রাজধানী। সেরেকুন্দা দেশের বৃহত্তম শহর। গাম্বিয়া একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। চীনাবাদাম এখানকার প্রধান উৎপাদিত শস্য এবং প্রধান রপ্তানি দ্রব্য। পর্যটন শিল্প থেকেও আয় হয়। আটলান্টিক সাগরের উপকূলের ঘুরতে এবং গাম্বিয়া নদীর বিচিত্র পাখপাখালি দেখতে পর্যটকেরা গাম্বিয়াতে আসেন। গাম্বিয়া ১৯শ শতকে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৬৫ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর দেশটি একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র হিসেবে গণ্য হয়। ১৯৯৪ সালে একটি রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হয় এবং সামরিক নেতা ইয়াহিয়া জাম্মেহ তার স্থান নেন। জাম্মেহ পরবর্তীকালে গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হন। == ইতিহাস == == রাজনীতি == == প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ == == ভূগোল == == অর্থনীতি == == সংস্কৃতি == == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সরকারী রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্র বাড়ি এবং দপ্তর রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রীপরিষদ সদসবৃন্দ সাধারণ তথ্য গাম্বিয়া গাম্বিয়ার সম্বন্ধে একটি বিশদ ওয়েবসাইট। The Gambia from ''UCB Libraries GovPubs'' পর্যটন ভ্রমণ করা পাতা- গাম্বিয়া গাম্বিয়ার ছবি রাষ্ট্রইউনিসেফ লোগো '''জাতিসংঘ শিশু তহবিল''' (United Nations Children's Fund) বা Nations International Children's Emergency Fund) জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থার নাম। শিশুদের উন্নতি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে এই সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সংস্থার সদর দপ্তর নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। ১৯৬৫ সালে ইউনিসেফ তাদের কল্যাণমুখী ভূমিকার কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == UNICEF UNICEF Innocenti Research Centre U.S. Fund for UNICEF UNICEF UK সহায়ক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত শান্তি পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির প্রতিষ্ঠান গান্ধী শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অর্থনৈতিক সামাজিক পরিষদ উন্নয়ন গ্রুপ দাতব্য সংস্থা দাতব্য সংস্থা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান পুরস্কার বিজয়ী সংস্থাকলেরার জীবাণু ভিব্রিও কোলেরি (''Vibrio cholerae)দ্বারা ক্ষরিত এক্সোটক্সিন (Exotoxin)। == আবিষ্কার == ১৯৫৩ সালে কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে এস এন দে এই অণু আবিষ্কার করেন। == গঠন == টক্সিনটি এবি৫ (AB5) ধরনের অর্থাৎ একটি এ(A) ৫টি বি (B) পেপটাইড মিলে গঠিত। == কার্যপ্রণালী == বি পেপটাইড আন্ত্রিক কোষের দেওয়ালে জিএম১ বন্ধন করে টক্সিনকে এন্ডোসাইটোসিস দ্বারা কোষমধ্যে প্রবেশ করায়। তারপর পেপটাইড দ্বারা সাইটোপলাজমে প্রবেশ করে জিএস্ প্রোটিনকে এডিপি রাইবোসিল যোগ দ্বারা চিরসক্রিয় করে দেয়, যা ক্রমাগত ক্লোরাইড জল ক্ষরণ দ্বারা পাতলা জলের মত পায়খানা ঘটায়।'''কিয়ার্স্টন ক্যারোলিন ডান্‌স্ট''' (ইংরেজি: Kirsten Caroline Dunst; জন্ম: ৩০শে এপ্রিল ১৯৮২) একজন মার্কিন তিনি একাধারে একজন সংগীতশিল্পী, মডেল এবং পরিচালক। উডি এলেনের Woody Allen স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র Oedipus Wrecks দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। মাত্র বারো বছর বয়সে তিনি তার প্রথম উল্লেখযোগ্য ছায়াছবিতে অভিনয় করেন ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার। ডান্‌স্ট সাম্প্রতিককালের স্পাইডারম্যান চলচ্চিত্রসমূহে স্পাইডারম্যানের ভালোবাসার পাত্রী মেরি জেন ওয়াটসন-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== ডান্‌স্ট ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল নিউ জার্সির পয়েন্ট প্লিজেন্টে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্লাউস হেরমান ডান্‌স্ট সিমেন্সে চিকিৎসা সেবে নির্বাহী ছিলেন এবং মাতা ইনেৎস রুপ্রেচট লুফথানসার ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্ট ছিলেন। তার মা একজন চিত্রশিল্পী চিত্রশালার মালিক ছিলেন। তার ছোট ভাইয়ের নাম ক্রিস্টিয়ান। ডান্‌স্টের পিতা একজন জার্মান। তার পৈতৃক নিবাস হামবুর্গ। তার মা নিউ জার্সিতে জন্মগ্রহণকারী জার্মান মার্কিন সুয়েডীয় বংশোদ্ভূত। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== চিত্র:Kirsten Dunst by David সালে ৩''-এর প্রচারণায় ডান্‌স্ট। বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম মূল শিরোনাম চরিত্র টীকা ১৯৮৯ ''নিউ ইয়র্ক স্টোরিজ'' ''New York Stories'' লিসার কন্যা খণ্ড: "অডিপাস রেকস" ১৯৯০ ''দ্য বোনফায়ার অব দ্য ভ্যানিটিজ'' ''The Bonfire of the Vanities'' ক্যামবেল ম্যাকয় ১৯৯১ ''হাই স্ট্রাং'' ''High Strung'' তরুণী ১৯৯৪ ''গ্রিডি'' ''Greedy'' জোলিন ''ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার'' ''Interview with the Vampire'' ক্লাউদিয়া ''লিটল উইমেন'' ''Little Women'' তরুণ সেনাদলের একজন ''দ্য মিস্ট্রি অব দ্য থার্ড প্ল্যানেট'' ''The Mystery of the Third Planet'' অ্যালিস সেলেৎজনেভা কণ্ঠ ভূমিকা, ইংরেজি ডাবিং ১৯৯৫ ''জুমানজি'' ''Jumanji'' জুডি শেফার্ড ১৯৯৬ ''মাদার নাইট'' ''Mother Night'' তরুণ রেসি নাথ ১৯৯৭ ''Anastasia'' তরুণী আনাস্তাসিয়া কণ্ঠ ভূমিকা ''ওয়াগ দ্য ডগ'' ''Wag the Dog'' ট্রেসি লাইম ১৯৯৮ ''কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস'' ''Kiki's Delivery Service'' কিকি কণ্ঠ ভূমিকা, ইংরেজি ডাবিং ''স্মল সোলজার্স'' ''Small Soldiers'' ক্রিস্টি ফিম্পল ''স্ট্রাইক!'' ''Strike!'' ভেরেনা ভন স্টেফান ''অল আই ওয়ানা ডো'' ''দ্য হেয়ারি বার্ড'' নামেও পরিচিত ''দি অ্যানিমেটেড অ্যাডভেঞ্চারস অব টম সয়ার'' ''The Animated Adventures of Tom Sawyer'' বেকি থ্যাচার কণ্ঠ ভূমিকা ১৯৯৯ ''ট্রু হার্ট'' ''True Heart'' বনি ''ড্রপ ডেড গর্জিয়াস'' ''Drop Dead Gorgeous'' অ্যাম্বার অ্যাটকিন্স ''দ্য ভার্জিন সুইসাইডস'' ''The Virgin Suicides'' লাক্স লিসবন ''ডিক'' ''Dick'' বেটসি জব ২০০০ ''দ্য ক্রো: সালভেশন'' ''The Crow: Salvation'' এরিন র‍্যান্ডাল ''লাকিটাউন'' ''Luckytown'' লিডা ডয়েলস ''ব্রিং ইট অন'' ''Bring It On'' টরেন্স শিপম্যান ''ডিপলি'' ''Deeply'' সিলি ২০০১ ''গেট অভার ইট'' ''Get Over It'' কেলি উডস নিকোল ওকলি ''দ্য ক্যাট্‌স মিউ'' ''The Cat's Meow'' ম্যারিওন ডেভিস ''লাভার্স প্রেয়ার'' ''Lover's Prayer'' জিনাইডা ''অল ফরগটেন'' নামেও পরিচিত ২০০২ ''Spider-Man'' ম্যারি জেন "এম.জে." ওয়াটসন ২০০৩ ''লেভিটি'' ''Levity'' সোফিয়া মেলিঞ্জার ''ক্যানা: দ্য প্রফেসি'' ''Kaena: The Prophecy'' ক্যানা কণ্ঠ ভূমিকা ''মোনা লিসা স্মাইল'' ''Mona Lisa Smile'' বেটি ওয়ারেন ২০০৪ ''ইটার্নাল সানশাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড'' ''Eternal Sunshine of the Spotless Mind'' ম্যারি সভেভো ২'' ''Spider-Man 2'' ম্যারি জেন "এম.জে." ওয়াটসন ''উইম্বলডন'' ''Wimbledon'' লিজি ব্র্যাডবারি ২০০৫ ক্লেয়ার কলবার্ন ২০০৬ ''মারি অঁতোইনেত'' ''Marie Antoinette'' মারি অঁতোইনেত ২০০৭ ৩'' ''Spider-Man 3'' ম্যারি জেন "এম.জে." ওয়াটসন ২০০৮ ''হাউ টু লুজ ফ্রেন্ডস অ্যান্ড অ্যালিনেট পিপল'' ''How to Lose Friends and Alienate People'' অ্যালিসন ওলসেন ২০১০ ''অল গুড থিংস'' ''All Good Things'' ক্যাটি মার্কস ''দ্য সেকেন্ড বেকারি অ্যাটাক'' ''The Second Bakery Attack'' ন্যাট স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০১১ ''ফাইট ফর ইওর রাইট রিভিজিটেড'' ''Fight for Your Right Revisited'' মেটাল চিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ''টাচ অব ইভল'' ''Touch of Evil'' দ্য সাইরেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ''Melancholia'' জাস্টিন ২০১২ ''ব্যাচেলরেট'' রেগান ক্রফোর্ড ''হিরোজ অ্যান্ড ডিমন্স'' ''Heroes Demons'' ''অন দ্য রোড'' ''On the Road'' ক্যামিল মোরিয়ার্টি ''আপসাইড ডাউন'' ''Upside Down'' এডেন ২০১৩ ''দ্য ব্লিং রিং'' ''The Bling Ring'' স্বয়ং ''অ্যাংকরম্যান টু: দ্য লেজেন্ড কন্টিনিউস'' ''Anchorman 2: The Legend Continues'' এল ট্রোইসিয়াস মেইডেন অব দ্য ক্লাউডস ক্ষণিক চরিত্রাভিনয় ২০১৪ ''দ্য টু ফেসেস অব জানুয়ারি'' ''The Two Faces of January'' কোলেট ম্যাকফারল্যান্ড স্বয়ং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০১৬ ''মিডনাইট স্পেশাল'' ''Midnight Special'' সারা টমলিন ''হিডেন ফিগারস্‌'' ''Hidden Figures'' ভিভিয়ান মিচেল ২০১৭ ''দ্য বিগাইল্ড'' ''The Beguiled'' এডউইনা ড্যাবনি ''উডশক'' ''Woodshock'' টেরেসা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সির অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট কণ্ঠ অভিনেত্রী গায়িকা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী নারীবাদী শিশু অভিনেত্রী বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি অভিনেত্রী বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার বিজয়ী অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী মুভি পুরস্কার বিজয়ী'''বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা''' (ইংরেজি World Trade Organization ''ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন'') একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বের বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতি প্রবর্তন এবং সদস্য রাষ্ট্র বা পক্ষ সমূহের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সিল্ক রোডের প্রারম্ভিক দিনগুলি থেকে ট্যারিফ এবং ট্রেডের সাধারণ চুক্তি (জিএটিটি) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার জন্মের থেকে, বাণিজ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে এবং জাতিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই পৃষ্ঠাটি বাণিজ্যের ইতিহাস, তার প্রাথমিকতম শিকড় থেকে বর্তমান দিন পর্যন্ত ট্রেস করে। রবার্টো আঝেভো ডব্লিউটিও'র ৬ষ্ঠ মহাপরিচালক। চার বছরের মেয়াদের জন্য সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বিশ্বব্যাংকের সদস্যরা পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগ পান, যা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর শুরু হবে। == লক্ষ্য উদ্দেশ্য == বিশ্ব বাণিজ্যের প্রসার। মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার। বাণিজ্যের অ- শুল্ক বাধাসমূহ দূর করা। ==ডাইরেক্টর জেনারেল== The headquarters of the World Trade Organization in Geneva, জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর। ডাইরেক্টর জেনারেল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়। ডাইরেক্টর জেনারেলের অধীনে চারজন সহকারি ডাইরেক্টর জেনারেল থাকবে,চারজন ডেপুটি জেনারেল হচ্ছে, Yi Xiaozhun of China (since October 2017), Karl Brauner of Germany (since October 2013), Yonov Frederick Agah of Nigeria (since October 2013) and Alan W. Wolff of the United States (since October 2017). ===ডাইরেক্টর জেনারেলদের তালিকা=== রর্বাতো অজিবার্ডো, ২০১৩–বর্তমান প্যাসকেল ল্যামি, ২০০৫–২০১৩ সুফাসি, ২০০২–২০০৫ মিকে মরেই,১৯৯৯-২০০২ রেনেটু রোজারিও, ১৯৯৫ -১৯৯৯ পেটের সুথারল্যান্ড, ১৯৯৫ (Heads of the precursor organization, GATT): Peter Sutherland, 1993–1995 Arthur Dunkel, 1980–1993 Olivier Long, 1968–1980 Eric Wyndham White, 1948–1968 ==তথ্যসূত্র== বাণিজ্য সংস্থা'''দিব্যেন্দু পালিত''' (জন্ম: ৫ই মার্চ, ১৯৩৯ মৃত্যু: জানুয়ারি ২০১৯) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি বিহারের ভাগলপুর শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। সাহিত্যে এম.এ করেন। ১৯৫৫ থেকে উপন্যাস, গল্প, কবিতা প্রবন্ধ ইত্যাদি লিখছেন। বাংলা হিন্দি চলচ্চিত্র ,দূরদর্শন বেতারে রূপায়িত হয়েছে অনেকগুলি কাহিনী। == কর্মক্ষেত্র == ১৯৫৮ সালে পিতৃবিয়োগের পর চলে আসেন কলকাতায়। কর্ম জীবন শুরু হয় হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ডে উপ-সম্পাদক হিসেবে। ১৯৬৫-তে যোগ দেন বিপণন বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত পেশায়। সেই সুত্রে দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন এডভারটাইসিং সার্ভিসেস ,আনন্দবাজার এবং দ্য স্টেটসম্যান-এ। == টিভি চলচ্চিত্র == == পুরস্কার পদক সমূহ == আনন্দ পুরস্কার (১৯৮৪) বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৮) == গ্রন্থ তালিকা == অচেনা আবেগ অনুভব অনুসরণ অন্তর্ধান অমৃত হরিন একদিন সারাদিন ঢেউ যখন বৃষ্টি সঙ্গ প্রসঙ্গ রজত জয়ন্তী সংঘাত সতর্কবার্তা সিনেমায় যেমন হয় হঠাৎ একদিন হিন্দু ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম লেখক অকাদেমী পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী'''টরন্টো''' উত্তর আমেরিকা মহাদেশের রাষ্ট্র কানাডার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত অন্টারিও প্রদেশের রাজধানী শহর। এটি কানাডার বৃহত্তম মহানগর এলাকা (মোঁরেয়াল ২য় বৃহত্তম) গোটা উত্তর আমেরিকার ৪র্থ বৃহত্তম নগরী (মেক্সিকো সিটি, নিউ ইয়র্ক সিটি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের পরেই)। অর্থনৈতিকভাবে কানাডার সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রদেশ অন্টারিও-র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর বলে এটি দেশটির আর্থিক ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র। টরন্টো শহরটি অন্টারিও হ্রদের উত্তর-পশ্চিম তীরে অবস্থিত। শহরটি দক্ষিণ-মধ্য অন্টারিও প্রদেশে অন্টারিও হ্রদের পশ্চিম তীর ধরে বিস্তৃত গোল্ডেন হর্সশু (অর্থাৎ “সোনালী নাল”) নামক অত্যন্ত নগরায়িত শিল্পায়িত একটি অঞ্চলের অংশ। অন্টারিও হ্রদটি কানাডা-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার একটি অংশ গঠন করেছে। ফলে টরন্টো উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেকস তথা বৃহৎ হ্রদগুলির মাধ্যমে প্রধান প্রধান মার্কিন সাথে সংযুক্ত। অন্যদিকে সেন্ট লরেন্স নদীর মাধ্যমে এটি আটলান্টিক মহাসাগরগামী জাহাজগুলিকেও স্বাগত জানাতে পারে। এই দুই কারণে টরন্টো একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে শহরটির ব্যাপক প্রবৃদ্ধি সংঘটিত হয়েছে। তার আগে এটি একটি শান্ত প্রাদেশিক শহর ছিল। ২০শ শতকের শেষে এসে টরন্টো একটি প্রাণবন্ত আন্তর্জাতিক মহানগরীতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৮ সালে পার্শ্ববর্তী ইস্ট ইয়র্ক, এটোবিকোক, নর্থ ইয়র্ক এবং স্কারবোরো “বারো” বা উপশহরগুলিকে টরন্টোর সাথে একীভূত করে সিটি অফ টরন্টো গঠন করা হয়। আদি টরন্টোর আয়তন মাত্র ৯৭ বর্গকিলোমিটার হলেও বর্তমানে টরন্টো শহরের আয়তন ৬৩২ বর্গকিলোমিটার। মহানগর টরন্টো এলাকার আয়তন ৫,৮৬৮ বর্গকিলোমিটার (তুলনামূলকভাবে মোঁরেয়াল মহানগর এলাকার আয়তন প্রায় ৪০০০ বর্গকিলোমিটার)। মূল টরন্টো শহরে প্রায় ২৭ লক্ষ এবং মহানগর এলাকাতে ৬২ লক্ষ লোকের বাস। ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ টরন্টোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, যার মাথায় সবুজ শ্যামল ডিম্বাকৃতির কুইন্স পার্ক অবস্থিত, যার ভেতরে অন্টারিও প্রদেশের আইনসভা বা সংসদ ভবনগুলি দাঁড়িয়ে আছে। শহরকেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য ভবনের মধ্যে আছে মেট্রো হল এবং নেথান ফিলিপস স্কোয়ারে অবস্থিত সুদৃশ্য দুইটি বক্রাকৃতির অট্টালিকা নিয়ে গঠিত সিটি হল বা নগর ভবন। আরেকটি আংশিকভাবে চোখে পড়ার মত অট্টালিকাতে অন্টারিও পাওয়ার জেনারেশন নামক শক্তি সরবরাহ সংস্থার সদর দফতর অবস্থিত। নগরকেন্দ্রেই সেন্ট জেমস অ্যাংলিকান ক্যাথিড্রাল এবং সেন্ট মাইকেল রোমান ক্যাথলিক ক্যাথিড্রাল দুইটি ধর্মীয় স্থাপনা উল্লেখ করার মত। শনিবার সকালে সেন্ট লরেন্স বাজারটিতে অনেক জনসমাগম ঘটে। টরন্টোর নগরকেন্দ্রটি বেশ কয়েকটি অট্টালিকার সমাহার নিয়ে গঠিত, তবে এদের সবাইকে ছাড়িয়ে সবার উপরে দাঁড়িয়ে আছে সি এন টাওয়ার নামের সুউচ্চ স্থাপনাটি। ৫৫৩ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট সি এন টাওয়ার বর্তমানে টরন্টো শহরের একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। টরন্টো অন্টারিও ছাড়াও কানাডার গোটা ইংরেজিভাষী সম্প্রদায়ের জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু। এখানে তিনটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সমগ্র দেশের শিল্পোৎপাদন, আর্থিক ব্যাংকিং কেন্দ্র হিসেবে টরন্টো কানাডার অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। বহু গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় এই শহরে অবস্থিত। এছাড়াও টরন্টো শহর কানাডার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। শহরটি চলচ্চিত্র নির্মাণ, টেলিভিশনের জন্য অনুষ্ঠান প্রযোজনা এবং সংবাদ সম্প্রচারের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যম টরন্টো শহরেই কেন্দ্রীভূত হয়েছে। টরন্টোতে উপস্থিত বহু জাদুঘর, নাট্যশালা অন্যান্য সাংস্কৃতিক সেবাগুলি পর্যটকদের কাছে শহরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। শহরকেন্দ্রের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে আর্ট গ্যালারি অফ অন্টারিও (অর্থাৎ অন্টারিও শিল্পকলা চিত্রশালা), রয়াল অন্টারিও মিউজিয়াম (রাজকীয় অন্টারিও জাদুঘর), হকি হল অফ ফেম (হকির সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের জন্য সম্মানসূচক স্থাপনা) এবং দ্য বেল লাইটবক্স, যেখানে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান কার্যালয়টি অবস্থিত। টরন্টো শহরে সবুজ উদ্যানেরও অভাব নেই; কুইন্স পার্ক ছাড়াও এখানে আছে ৪০০ একর আয়তনবিশিষ্ট হাই পার্ক, যার ভেতরে হাঁটার পথ, খেলাধুলার জায়গা এবং একটি চিড়িয়াখানাও আছে। সি এফ টরন্টো ইটন সেন্টার শহরটির বৃহত্তম বিপণী বিতান বা শপিং মল। ইয়োঙ্গে স্ট্রিট রাস্তাটি মূল কেনাকাটার রাস্তা। কাছেই রয়েছে চায়নাটাউন এবং ঐতিহাসিক কেন্সিংটন মার্কেটের দোকান কগিঘরগুলি। এগুলির পশ্চিমে কুইন স্ট্রিট ওয়েস্ট রাস্তাতে হালের রেস্তোরাঁ, কুটিরশিল্পের দোকান চিত্রশালার দেখা মিলবে। হ্রদের তীর থেকে ফেরি করে গ্রামীণ প্রকৃতির টরন্টো আইল্যান্ডস নামের দ্বীপগুলিতে ঘুরে আসা যায়, যেখানে প্রমোদভ্রমণ সাইকেলচালনা করা সম্ভব। পূর্ব দিকে ডিস্টিলারি ডিসট্রিক্ট নামক ১৯শ শতকীয় শিল্পকারখানা এলাকাটি বর্তমানে শিল্পকলা চিত্রশালা কুটিরশিল্পের ছোট ছোট দোকানে পূর্ণ। টরন্টোর জলবায়ুতে ঋতুগুলি পরিষ্কারভাবে আলাদা, তবে হ্রদের উপস্থিতির কারণে জলবায়ুর চরমভাব খানিকটা প্রশমিত হয়। গ্রীষ্মকালগুলি উষ্ণ আর্দ্র; কিন্তু শীতকালে তাপমাত্রা প্রায়ই শূন্যের নিচে নেমে যায়। জুলাই মাসের গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রী এবং জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন -১ ডিগ্রী সেলসিয়াস হতে পারে। টরন্টো শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে বহুসাংস্কৃতিক বহুজাতিক শহরগুলির একটি হিসেবে খ্যাত। কানাডাতে আগত বহু অভিবাসীর গন্তব্যস্থল এই টরন্টো শহর। শহরের প্রায় অর্ধেক লোকই কানাডায় জন্মগ্রহণ করেনি; তাই এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ অভিবাসী অনুপাতবিশিষ্ট শহর। শহরে ২০০-রও বেশি ভিন্ন জাতিগত লোক বাস করে যাদের সিংহভাগ ইংরেজি ভাষায় কথা বললেও মোট ১৬০টিরও বেশি ভাষা টরন্টোতে শুনতে পাওয়া সম্ভব। টরন্টোর শেয়ার বাজার কানাডার সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম শেয়ার বাজার। অপরাধের স্বল্প হার, জীবনযাত্রার উচ্চ মান, এবং প্রাকৃতিত পরিবেশের সঠিক দেখাশোনার সুবাদে টরন্টো বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরগুলির একটি। শহরটির প্রতিবেশী শহর মিসিসগাতে টরন্টো-পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি অবস্থিত। টরন্টো শহর যে এলাকাটিতে অবস্থিত, সেটি ইংরেজরা স্থানীয় আমেরিকান আদিবাসী গোত্র মিসিসগার কাছে থেকে কিনে নেয় এবং এখানে ১৭৯৩ সালে ইয়র্ক নামের একটি শহর প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৩৪ সালে এর নাম বদলে টরন্টো রাখা হয়। ১৮৬৭ সালে কানাডা ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্র গঠনের সময় টরন্টোকে অন্টারিও প্রদেশের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। ==তথ্যসুত্র== == বহিঃসংযোগ == টরন্টো শহরের মূল ওয়েব সাইট শহর'''অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ''' (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৩১ মৃত্যু: ডিসেম্বর ১০, ২০১২) বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি ঢাকা মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। পরে জরুরী আইন জারি করে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদ ছেড়ে দেন। এই পদে তার স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কার্যকাল সমাপ্ত হয়। ==জন্ম পরিবার == ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভি মুহাম্মদ ইব্রাহিম। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী অধ্যাপিকা আনোয়ারা বেগম ঢাকা প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা, যিনি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এবং আনোয়ারা বেগমের এক মেয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বাবু-সহ দুই ছেলে রয়েছে। আনোয়ারা বেগম বর্তমানে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসাবে কর্মরত আছেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাজনিত কারণে ২৪ আগস্ট, ২০০৪ সালে প্রয়াত হন। তার মৃত্যুর ফলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি হিসেবে বহাল ছিলেন। ==শিক্ষা == ১৯৪৮ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন এবং ১৯৫০ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ ১৯৫২ সালে যথাক্রমে বি.এস.সি এম.এস.সি পাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকোন্সিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৫৮ ১৯৬২ সালে যথাক্রমে এম.এস. পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ==কর্মজীবন == ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক ১৯৭৩ সালে অধ্যাপক হন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ঢাকা সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ছিলেন। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৮-৬৯ ১৯৭৬-৭৯-এ দুই মেয়াদে ঢাকা মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ নাগাদ পর পর দুই বার ঢাকা জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন। তিনি সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এবং বোর্ড অফ এডভান্স স্টাডিস এর সদস্য ছিলেন। এছাড়াও অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধ্যায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-৯৩ সময়ে তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ১৯৯৫-৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেবার আগ পর্যন্ত তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছিলেন। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪৯তম সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। সেখানে তিনি প্যালেস্টাইন শরণার্থী এবং বিশ্ব-বাণিজ্য উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। তার মধ্যে অন্যতম হল ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সম্মিলিত শিক্ষক আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। ==রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ == ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ২০০২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ-এর রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এই পদ ত্যাগ করেন এবং তার পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ পর্যন্ত ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ==গবেষণা == যাবৎ অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের দেশ বিদেশে মোট প্রকাশনার সংখ্যা ১২৫ টি। তিনি ধান গাছের উপর লবণাক্ততার প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে উচ্চ ফলনশীল ধান নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান মাটিতে জমা করে রাখা এবং তা প্রয়োজন মত উদ্ভিদকে সরবরাহ করার পদ্ধতির উপর সফল গবেষণা চালান। এই কাজের ফলে যুক্তরাজ্যে তিনি ব্যাপক সাড়া জাগান। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তার শিক্ষকতা জীবনে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্যের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৮৪ সালে বার্লিনে জার্মান টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জার্মানের গ্যাটিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়। ==পুরস্কার == তিনি ইব্রাহিম মেমোরিয়াল স্বর্ণ পদক (১৯৮৭-৮৮), শ্রীজ্ঞান অতীশ দিপঙ্কর স্বর্ণ পদক (১৯৯০), ক্রেস্ট (১৯৯১) এবং শিক্ষার জন্য একুশে পদক (১৯৯৫) লাভ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক মৃত্তিকা বিজ্ঞানী সমিতি, ভারতীয় মৃত্তিকা বিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ মৃত্তিকা বিজ্ঞান সমিতি এবং এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য ছিলেন। ==মৃত্যু== ২৮ অক্টোবর ২০১২ সালের তার একটি অতিরিক্ত হার্ট সার্জারি করানো হয়। কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা কিছুটা উন্নতির লাইফ সাপোর্টে এক মাসের বেশী অতিবাহিত করেন। ১০ ডিসেম্বর ২০১২ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ আন্তর্জাতিক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া, রাষ্ট্রপতির সাবেক উপদেষ্টা মোখলেসুর রহমানসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ শোক প্রকাশ করেন। ১২ ডিসেম্বর তার মৃতদেহ ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আনা হয়। তার চারটি নামজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি ১১ ডিসেম্বর ব্যাংককে, দ্বিতীয়টি ১৩ ডিসেম্বর তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগঞ্জে, তৃতীয়টি ঢাকা কেন্দ্রীয় মসজিদে সর্বশেষটি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ==তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু রাষ্ট্রপতি শিক্ষাবিদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান জেলার ব্যক্তি গবেষণায় একুশে পদক বিজয়ীপ্লাজমা বাতি, যা দ্বারা প্লাজমার বৈশিষ্ট্য প্রদর্শিত হচ্ছে '''প্লাজমা''' পদার্থের তথাকথিত চতুর্থ অবস্থা(কঠিন, তরল বায়বীয় এর পর)। প্লাজমা হচ্ছে আয়নিত গ্যাস যেখানে মুক্ত ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক আয়ন এর সংখ্যা প্রায় সমান। আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে, গ্যাস ক্ষরণ টিউব-এ, নক্ষত্র'র(এমনকি সূর্যের) বাতাবরণে এবং পরীক্ষামূলক তাপ-নিউক্লীয় reactor)-এ প্লাজমা দেখতে পাওয়া যায়। বৈদ্যুতিকভাবে প্রশম থাকা সত্ত্বেও প্লাজমা সহজেই বিদ্যুৎ পরিবহন করে। এদের থাকে অত্যুচ্চ তাপমাত্রা। প্লাজমা'র কণাগুলি আয়নিত হওয়ায় গ্যাসের সাথে এর কিছু আচরণগত পার্থক্য আছে। গবেষণাগারে নিম্নচাপে রেখে গ্যাসকে(যতক্ষণ না গ্যাসীয় কণাগুলির গড় গতিশক্তি গ্যাসীয় অণু বা পরমাণুসমূহের আয়নীকরণ বিভব-এর কাছাকাছি হচ্ছে ততক্ষণ) উত্তপ্ত করে প্লাজমা তৈরি করা যায়। অত্যুচ্চ ৫০০০০ কেলভিন বা তার উপরে) গ্যাসীয় কণাগুলির মাঝে সংঘর্ষের কারণে গ্যাসের ঝটিতি ionization) ঘটে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন- বাতিতে, প্লাজমাকণাগুলি নিরন্তর ধারকের দেয়ালের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় শীতলিকরণ এবং ঘটে যার ফলে সামগ্রিক তাপমাত্রা বেশ নীচু থাকে। এসবক্ষেত্রে সাধারনতঃ আংশিক আয়নীকরণ ঘটে এবং বিপুল শক্তির জোগান(Input) দরকার হয়। তাপ-নিউক্লীয় বিক্রিয়কে তাড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র'র মাধ্যমে ধারকের দেয়াল থেকে দূরে রাখা হয় যাতে প্লাজমা'র তাপমাত্রা অত্যুচ্চ থাকে(পিঞ্চ ক্রিয়া দেখুন)।==১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের ৭টি সমস্যা== Clay Mathematics Institute কর্তৃক প্রকাশিত মিলিয়ন ডলারের টি সমস্যা হল বনাম NP হজ অনুমান পোয়াঁকারে অনুমান রিমান প্রকল্প ইয়াং-মিলস তত্ত্বের সত্যতা এবং mass gap নেভিয়ার-স্টোকস সত্যতা এবং মসৃণতা ==অন্যান্য সমাধানহীন সমস্যা== জোড় মৌলিক অনুমান জাদু বর্গ(magic square) এর সংখ্যা গিলব্রেথ অনুমান গোল্ডবাখ অনুমান গোল্ডবাখ দুর্বল অনুমান নিখুঁত ঘনবস্তু হিলবার্টের ১৬ নম্বর সমস্যা সাধারণীকৃত তারকা-উচ্চতা সমস্যা কোলাজ অনুমান শ্যানুয়েল অনুমান abc অনুমান অগুনতি মারসেনি মৌলিক সংখ্যা; কিংবা অগুনতি জোড নিখুঁত সংখ্যা অগুনতি প্রথাগত মৌলিক সংখ্যা অগুনতি কালেন মৌলিক সংখ্যা অগুনতি প্যালিনড্রমিক মৌলিক সংখ্যা (ভিত্তি ১০) কোনো ফার্মা সংখ্যা মৌলিক সংখ্যা নয় (n এর মান অপেক্ষা বড়) ফার্মা সংখ্যা, যারা মৌলিক/মৌলিক নয় তাদের সংখ্যা ভাবে অসীম লেমার অনুমান প্রথাগত মৌলিক সংখ্যা এর সংখ্যা, মৌলিক সংখ্যা গুলির e−½ অংশ বিজোড় নিখুঁত সংখ্যার অস্তিত্ব নিখুঁতপ্রায় সংখ্যার অস্তিত্ব ধ্রুবক কি অমূলদ? ক্ষুদ্রতম রিজেল সংখ্যা কত? এছাড়াও অনুমান(অনুমান তালিকা) দেখার জন্য আগ্রহী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ==সদ্য সমাধানকৃত সমস্যা== ক্যাটালান অনুমান কাতো অনুমান অনুমান কেপলার অনুমান ফার্মার শেষ উপপাদ্য বাইবারবাখ অনুমান রংয়ের উপপাদ্য == আরো দেখুন == হিলবার্টের ২৩টি সমস্যা। ==সমাধানহীন সমস্যা সংক্রান্ত বই=='''হাজী শাহাবাজের মাজার মসজিদ''' বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের রমনা এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মোগল শাসনামলে শাহজাদা আযমের সময়কালে ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মিত হয়। মসজিদটি হাইকোর্টের পিছনে এবং তিন নেতার মাজার এর পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। এর চত্ত্বরে হাজী শাহবাজের সমাধি অবস্থিত। দৈর্ঘ্যে মসজিদটি ৬৮ ফুট প্রস্থে ২৬ ফুট। এতে তিনটি গম্বুজ রয়েছে। == ইতিহাস == ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুনের মতানুসারে হাজী শাহবাজ ছিলেন একজন অভিজাত ধনী ব্যবসায়ী, যিনি কাশ্মীর হতে সুবা বাংলায় এসে টঙ্গী এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। ১৬৭৯ সালে তিনি জীবিত থাকাকালেই এই মসজিদ নিজের মাজার নির্মাণ করেন। তৎকালে সুবাহদার ছিলেন শাহজাদা মুহম্মদ আজম। == স্থাপত্য-রীতি == মসজিদ ভবনটির স্থাপত্যে উত্তর ভারতীয় মোগল-রীতি লক্ষ্য করা যায়। ==ভৌগলিক অবস্থান== ভৌগলিক স্থানাঙ্কে এই মসজিদের অবস্থান == চিত্রশালা == চিত্র:Tomb Of Hazi Shahabaz পার্শ্বভাগ চিত্র:Hazi Shahabaz Mosque পেছন থেকে চিত্র:Hazi Shahabaz Mosque উত্তর-পূর্ব দিক থেকে চিত্র:Mosque of Haji Khawja Shahbaz Dhaka University Front প্রধান দরজা। চিত্র:Shahabaz Mosque gate. Image by প্রধান দরজা। চিত্র:Shahabaz Mosque. Image by Ashfaq.jpg|হাজী শাহাবাজের মসজিদ == তথ্যসূত্র == স্থাপত্য মসজিদ জেলার দর্শনীয় স্থান'''আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন''' বা '''আইটিইউ''' টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম মান নির্ধারণের কাজ করে থাকে। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে। এটি টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০০ ধরনের মান নির্ধারণের কাজ করেছে। মে ১৭,১৮৬৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন নামে এটি কাজ শুরু করে। মূলত এই সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সমঝোতার উপর ভিত্তি করে তৈরি মান অনুমোদন করে। এই সমঝোতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো এইসব নিয়ম বা অনুমোদিত মান মেনে চলার ক্ষেত্রে আইনত বাধ্য থাকে। এছাড়াও আইটিইউ এর দুইটি সহযোগী সংস্থা চুক্তিভিত্তিক সিদ্ধান্তের বাইরে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ, অভিযোগ, অভিমত তৈরি এবং যাচাই বাছাই করে থাকে। এরা হল: == আরও দেখুন == আইটিইউ টেলিযোগাযোগ প্রমিতকরণের শাখা আইটিইউ রেডিওযোগাযোগ প্রমিতকরণের শাখা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ITU official site History of ITU Portal (official site) ITU Telecom World 2011 ITU defines the future of mobile communications ''U.N. Summit to Focus on Internet'' Washington Post article about ICANN and the United Nations' ITU relationship'''গ্রেট ব্রিটেন''', বা '''ব্রিটেন''' হল মহাদেশীয় ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে কিছু দূরে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এই দ্বীপের আয়তন এটি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ তথা ইউরোপের বৃহত্তম দ্বীপ এবং বিশ্বের নবম বৃহত্তম দ্বীপ। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে এই দ্বীপের জনসংখ্যা ৬১,০০০,০০০। ইন্দোনেশিয়ার জাভা জাপানের হনসুর পরেই এটি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ। গ্রেট ব্রিটেনকে ঘিরে রয়েছে ১০০০টিরও বেশি ছোটো দ্বীপ। আয়ারল্যান্ড দ্বীপটি এই দ্বীপের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এই দ্বীপটি গ্রেট ব্রিটেন উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অঙ্গ। দ্বীপটি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলস, এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। এই তিন অঞ্চলের রাজধানী যথাক্রমে লন্ডন, এডিনবরা কার্ডিফ। রাজনৈতিকভাবে, গ্রেট ব্রিটেন বলতে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলস এবং এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলিকে বোঝায়। গ্রেট ব্রিটেন রাজ্যটি ১৭০৭ সালের ইউনিয়ন আইন বলে স্কটল্যান্ড রাজ্য ইংল্যান্ড রাজ্যের (যা অধুনা ইংল্যান্ড ওয়েলস নিয়ে গঠিত ছিল) সঙ্গে যুক্ত হয়। এই ঘটনার প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৬০৩ সালে, স্কটিশ রাজা ষষ্ঠ জেমস ইংল্যান্ডের রাজা হয়েছিলেন। কিন্তু ১৭০৭ সালেই প্রথম দুই দেশের পার্লামেন্ট সংযুক্ত রাজ্য গঠনের ব্যাপারে একমত হয়। এরপর ১৮০১ সালের ইউনিয়ন আইন বলে পার্শ্ববর্তী আয়ারল্যান্ড রাজ্য গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯২২ সালে আয়ারল্যান্ডের ছয় ভাগের পাঁচ ভাগ অঞ্চল নিয়ে আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র গঠিত হলে যুক্তরাজ্যের নাম হয় গ্রেট ব্রিটেন উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্য। ==পরিভাষা== ===নামের উৎস=== দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দ্বীপপুঞ্জ একটিমাত্র নামে চিহ্নিত হয়ে আসছে। গ্রিকো-রোমান (ক্ল্যাসিকাল) ভৌগোলিকেরা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে যে নামে চিহ্নিত করতেন, সেই নামগুলি থেকেই এই দ্বীপের বর্তমান নামের উৎপত্তি ঘটে। খ্রিস্টপূর্ব ৫০ অব্দ নাগাদ গ্রিক ভৌগোলিকেরা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে ''Prettanikē'' বা ওই জাতীয় নামে চিহ্নিত করতেন। যদিও রোমানরা ব্রিটেন দখল করার পর গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটি ''ব্রিটানিয়া'' নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীকালে ক্যালিডোনিয়ার দক্ষিণে রোম-অধিকৃত ব্রিটেন ''রোমান ব্রিটেন'' নামে পরিচিত হয়। গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীনতম যে নামটি জানা যায়, সেটি হল ''অ্যালবিওন'' (Ἀλβίων) বা ''ইনসুলা অ্যালবিওনাম''। এই নামটির সম্ভাব্য উৎস দুটি হতে পারে। এক লাটিন ''অ্যালবাস'' বা সাদা (মহাদেশীয় ইউরোপ থেকে ডোভারের সাদা পার্শ্বদেশটি দেখা যায়, তার প্রসঙ্গক্রমে) অথবা ''অ্যালবিয়ান'' জাতির দ্বীপ, এই অর্থে। দ্বিতীয় নামের উৎসটি পাওয়া যায়, খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের ''ম্যাসালিওট পেরিপ্লাস'' পাইথেয়াসে। গ্রেট পরিভাষার প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় অ্যারিস্টটল (খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪–৩২২ অব্দ) বা সম্ভবত রচিত ''অন দ্য ইউনিভার্স'' গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডে। এই বইতে আছে: "ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে পরিচিত দ্বীপপুঞ্জে দুটি বড়ো দ্বীপ আছে, অ্যালবিওন আইয়ের্ন।" প্লিনি দি এল্ডার (২৩–৭৯ খ্রিষ্টাব্দ) তার ''ন্যাচারাল হিস্ট্রি'' বইতে গ্রেট ব্রিটেনের এই বর্ণনা দিয়েছেন: "আগে এর নাম ছিল অ্যালবিয়ন। কিন্তু পরবর্তীকালে যে দ্বীপগুলির কথা আমরা এবার আলোচনা করব, সেই সব কটি দ্বীপই 'Britanniæ' নামে পরিচিত হয়।" ''ব্রিটেন'' নামটি এসেছে নাটিন নাম ব্রিটেন, ''Britannia'' বা ''Brittānia'', ব্রিটনদের দেশ, প্রাচীন ফরাসি ''Bretaigne'' (আধুনিক ফরাসিতেও ''Bretagne'') এবং মধ্যযুগীয় ইংরেজি 'Bretayne'', ''Breteyne'' থেকে। ফরাসি শব্দগুলি প্রাচীন ইংরেজি ''Breoton, Breoten, Bryten, Breten'' (বা ''Breoton-lond, Breten-lond'') শব্দগুলিকে প্রতিস্থাপিত করে। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী থেকেই রোমানরা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে ব্রিটানিয়া নামে চিহ্নিত করে আসছিল। এই নামটি এসেছে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩২০ অব্দের প্রাচীন গ্রিক পর্যটক পাইথেয়াসের বর্ণনা। এই বর্ণনায় উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের থুলে (সম্ভবত নরওয়ে) পর্যন্ত বিভিন্ন দ্বীপের বর্ণনা পাওয়া যায়। মার্সিয়ান অফ হেরাক্লিয়া তাঁর ''পেরিপ্লাস মারিস এক্সটেরি'' গ্রন্থে এই দ্বীপপুঞ্জকে বলেছেন "প্রেটানিক দ্বীপপুঞ্জ" ()। এই দ্বীপের অধিবাসীদের বলা হত ''প্রিটেনি'' (Πρεττανοί) বা ''প্রেটানি''। ''প্রিটেনি'' নামের উৎস ওয়েলস শব্দ প্রাইডাইন (অর্থাৎ, ব্রিটেন), যেটি এবং গোইডলিক শব্দ ক্রুইথেন (আয়ারল্যান্ডের প্রাচীন ব্রিথোনিক-ভাষী জাতি) শব্দদুটির উৎস এক। দ্বিতীয় নামটি পরে রোমানরা পিক্ট বা ক্যালিডোনিয়ান শব্দে অভিহিত করে। ==="গ্রেট" শব্দের বিবর্তন=== গ্রিক লেখক টলেমি তাঁর (১৪৭–১৪৮ খ্রিস্টাব্দ) বইয়ে বৃহত্তর দ্বীপটিকে "বৃহৎ ব্রিটেন" (''megale Britannia'') আয়ারল্যান্ডকে "ক্ষুদ্র ব্রিটেন" (''mikra Brettania'') বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তী গ্রন্থ (১৫০ খ্রিস্টাব্দ) তিনি দ্বীপগুলির নামকরণ করেন। ''অ্যালয়িওন'', ''মোনা'' (আইল অফ ম্যান), এই নামগুলি এই দ্বীপের স্থানীয় নাম ছিল। সম্ভবত লেখার সময় টলেমি এই পৃথক নামগুলি জানতেন না। সম্ভবত রোমানদের ব্রিটেন জয়ের পর থেকেই "অ্যালবিয়ন" নামটি অপ্রচলিত হয়ে পড়ে এবং "ব্রিটেন" নামটি গ্রেট ব্রিটেনের নাম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যুগের পর "ব্রিটেন" শব্দটি একটি ঐতিহাসিক পরিভাষায় পর্যবসিত হয়। জিওফ্রে অফ মনমাউথ তাঁর ছদ্ম-ঐতিহাসিক ''হিস্টোরিয়া রেজাম ব্রিটানিয়া'' (১১৩৬ খ্রিস্টাব্দ) গ্রন্থে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটিকে ''Britannia major'' ("বৃহত্তর ব্রিটেন") নামে চিহ্নিত করেন। খ্রিস্টীয় পঞ্চম ষষ্ঠ শতকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ থেকে কেল্টিক অভিনিবেশকারীরা আধুনিক ব্রিটানির কাছে যে মহাদেশীয় অংশে বসতি স্থাপন করেছিলেন, তাকে তিনি ''Britannia minor'' ("ক্ষুদ্রতর ব্রিটেন") নামে অভিহিত করেছিলেন। ১৪৭৪ সালে ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ডের কন্যা সিসিলি স্কটল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জেমসের পুত্র চতুর্থ জেমসের বিবাহ প্রস্তাবে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে "গ্রেট ব্রিটেন" কথাটি ব্যবহৃত হয়। ১৬০৪ সালে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস "কিং অফ গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স আয়ারল্যান্ড" উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। ==="গ্রেট ব্রিটেন" শব্দটির আধুনিক ব্যবহার=== ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে "গ্রেট ব্রিটেন" বলতে গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপটিকে এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলসকে বোঝায়। যদিও কখনও কখনও সমগ্র যুক্তরাজ্যকেই গ্রেট ব্রিটেন বলে উল্লেখ করা হয়। ১৯৭৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সরকারি ইয়ারবুকে গ্রেট ব্রিটেনের বিপরীত অর্থেই "ব্রিটেন" শব্দটি ব্যবহৃত হত। ২০০২ সাল থেকে ইয়ারবুকে শুধুই "যুক্তরাজ্য" কথাটি ব্যবহৃত হয়। সাদমান ==রাজনৈতিক সংজ্ঞা== গ্রেট ব্রিটেন যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম দ্বীপ। রাজনৈতিকভাবে গ্রেট ব্রিটেন বলতে সমগ্র ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ওয়েলসকে বোঝায়। উত্তর আয়ারল্যান্ড এর অন্তর্ভুক্ত নয়। আইল অফ উইট, অ্যাংলেসে, আইল অফ সিলি, হেব্রাইডস এবং ওর্কনি শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এর অন্তর্গত নয়। আইল অফ ম্যান চ্যানেল আইল্যান্ড ব্রিটিশ অধীনস্থ দ্বীপ। এগুলিও গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্গত নয়। ==ইতিহাস== ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ড থেকে একটি স্থলসেতুর মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রথম মানুষের আগমন ঘটে। নরফোকে ৮০০,০০০ বছরের পুরনো মানুষের পদচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ৫০০,০০০ বছরের পুরনো জনবসতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সাসেক্সের বক্সগ্রোভ কুয়েরিতে। ৩০,০০০ বছরের পুরনো আধুনিক মানুষের বসতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে গ্রেট ব্রিটেনে। গ্রেট ব্রিটেন ১৪,০০০ বছর আগে পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এবং ৮,০০০ বছর আগে পর্যন্ত আধুনিক ডেনমার্ক নরওয়ের সঙ্গে একটি নিচু জলাভূমির মাধ্যমে যুক্ত ছিল। ব্রিস্টলের কাছে চেডডার জর্জে ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ডের কিছু প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে একটি মানুষের মাথার খুলিও ('চেডডার ম্যান') পাওয়া গিয়েছে যেটি আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৭১৫০ অব্দের। অর্থাৎ, অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষও নিশ্চয় একটি ভৌগোলিক সেতুর মাধ্যমে ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে গ্রেট ব্রিটেনে এসেছিল। শেষ হিমবাহ যুগের শেষে হিমবাহগুলি গলতে শুরু করলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এই সময় গ্রেট ব্রিটেন একটি দ্বীপে পরিণত হয়। গ্রেট ব্রিটেনের লৌহযুগীয় অধিবাসীদের ব্রিটন বলা হয়। এরা একটি কেল্টিক ভাষায় কথা বলত। রোমানরা উত্তর ইংল্যান্ডের হ্যাড্রিয়ান'স ওয়াল পর্যন্ত দ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চল জয়ের পর এটি প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের ব্রিটানিয়া প্রদেশে পরিণত হয়। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ৫০০ বছর পর দক্ষিণ পূর্বের ব্রিটনরা একজোট হয়েছিল অবস্থা অনুপ্রবেশকারী জার্মানিক উপজাতিগুলির (এঙ্গেলস, স্যাক্সন জুটস, যাদের একত্রে বলা হয়) দ্বারা বিতাড়িত হয়েছিল। একই সময় গেলিক উপজাতিগুলি আয়ারল্যান্ড থেকে উত্তর-পশ্চিমে অনুপ্রবেশ শুরু করে। এরা উত্তর ইংল্যান্ডের পিক্টস ব্রিটনদের গ্রাস করে নিয়ে নবম শতাব্দীতে স্কটল্যান্ড রাজ্য গঠন করে। স্কটল্যান্ডের দক্ষিণাংশ এঙ্গেলস দ্বারা শাসিত নরদামব্রিয়া রাজ্য গঠন করে। ১০১৮ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব ব্রিটেনের অধিবাসীদের নাম এঙ্গেলস নামটির অপভ্রংশে ইংলিশ বা ইংরেজ জাতি নামে পরিচিত হয়। জার্মানিক ভাষাভাষীরা ব্রিটনদের "ওয়েলশ" (''Welsh'') বলত। এই শব্দটি সাধারণত আধুনিক ওয়েলস অঞ্চলের অধিবাসী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ওয়ালেস বা কর্নওয়াল পদবিগুলিতে এখনও এই শব্দটির অংশ দেখা যায়। ওয়েলশ থেকে নিজেদের পৃথক করতে ব্রিটনরা "কাম্রি" (''Cymry'') নামে নিজেদের অভিহিত করত। এই নামটি এখন কামব্রিয়া স্থাননামের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ওয়েলস, কামব্রিয়া কর্নওয়াল অঞ্চলের ব্রিটনরা জার্মানিক জাতিগুলির মধ্যে মিশে যায়নি। তার ফলস্রুতিতে এখনও এই সব অঞ্চলে কিছু কেল্টিক ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। দক্ষিণ ব্রিটেনে জার্মানিক অনুপ্রবেশের সময় অনেক ব্রিটন আধুনিক ব্রিট্যানি অঞ্চলে চলে যায়। এখানে ব্রেটন নামে একটি কেল্টিক ভাষা ওয়েলস কর্নিশ ভাষা এবং এই ভাষার অপভ্রংশ রূপটি এখনও বর্তমান। নবম শতাব্দীতে একাধিক ড্যানিশ আক্রমণের ফলে উত্তর ইংল্যান্ডের রাজ্যগুলি ড্যানিশ অধিকারে আসে। এই অঞ্চলটি ডেনল নামে পরিচিত। ৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বশেষ রাজ্য নরদামব্রিয়া রাজা প্রথম এডগারের কাছে আত্মসমর্পণ করলে অবশ্য সবকটি ইংরেজ রাজ্য ইংল্যান্ড রাজ্যের অধীনে আসে। ১০৬৬ সালে নর্ম্যানরা ইংল্যান্ড জয় করে। এরপর একটি নর্ম্যান-ভাষী প্রশাসন চালু হয় এই দেশে। ১২৮২ সালে ওয়েলস আসে অধিকারে। ষোড়শ শতাব্দীতে এই রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৬০৪ সালের ২০ অক্টোবর রাজা জেমস পৃথকভাবে ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করার পর নিজেকে "কিং অফ গ্রেট ব্রিটেইন, ফ্রান্স অ্যান্ড আয়ারল্যান্ড" বলে ঘোষণা করেন। ১৬২৫ সালে জেমসের মৃত্যুর পর ইংল্যান্ডের প্রিভি কাউন্সিল একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করেন। এই ঘোষণাপত্রে জেমসের ইচ্ছানুসারে "কিং অফ গ্রেট ব্রিটেন" কথাটি ব্যবহৃত হয়। জেমসের একাধিক উত্তরসূরি এই উপাধিটিই ব্যবহার করেছেন। যদিও এই সময় ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড আইনত পৃথক দেশ ছিল। ১৭০৬ সালে ইউনিয়ন ট্রিটি সাক্ষরিত হওয়ার পর ১৭০৭ সালে দুই দেশের সংসদে ইউনিয়ন আইন পাস হয়। এই আইনবলে যুক্তরাজ্য স্থাপিত হয়। ১৭০৭ সালের মে একক পার্লামেন্ট ঘোষিত হয়। এই সনদ অনুসারে সমগ্র দ্বীপরাজ্যটি "গ্রেট ব্রিটেন যুক্তরাজ্য" নামে পরিচিত হয়। ==ভূগোল== মহাদেশীয় ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলরেখায় ইউরোপীয় মহাদেশীয় সোপানে গ্রেট ব্রিটেন অবস্থিত। ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে এই দ্বীপপুঞ্জকে পৃথক করে রেখেছে উত্তর সাগর ইংলিশ চ্যানেল। ডোভার প্রণালীর কাছে মহাদেশীয় ইউরোপ গ্রেট ব্রিটেনের দূরত্ব মাত্র উত্তর প্রণালী, আইরিশ সাগর, সেন্ট জর্জস প্রণালী কেল্টিক সাগর এই দ্বীপটিকে পশ্চিমে আয়ারল্যান্ড থেকে পৃথক করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রতল রেল টানেল চ্যানেল টানেল মহাদেশীয় ইউরোপের সঙ্গে গ্রেট ব্রিটেনের সংযোগ রক্ষা করেছে। ১৯৯৩ সালে এই টানেল নির্মাণ সমাপ্ত হয়। গ্রেট ব্রিটেনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল পর্বতময় এবং পূর্ব দক্ষিণাঞ্চল নিম্নভূমি। এক হাজারেরও বেশি দ্বীপ অতি ক্ষুদ্র দ্বীপ গ্রেট ব্রিটেনকে ঘিরে রয়েছে। ইংলিশ চ্যানেল সম্ভবত ৪৫০,০০০ থেকে ১৮০,০০০ বছরের মধ্যে গঠিত হয়েছিল। দুটি হিমবাহ হ্রদের গলে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছিল, তাতেই এই চ্যানেল সৃষ্টি হয়। প্রায় ১০,০০০ বছর আগেও গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ ছিল না। এই দ্বীপ সেই সময় ছিল মহাদেশীয় ইউরোপের অংশ। সেই সময় সমৃদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আজকের চেয়ে কম ছিল। উত্তর সাগর ছিল শুকনো। এটি সেই সময় গ্রেট ব্রিটেনকে মহাদেশের সঙ্গে জুড়ে রাখত। এটি ডগারসল্যান্ড নামে পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৬৫০০ অব্দ নাগাদ ডগারসল্যান্ড উত্তর সাগরে নিমজ্জিত হয়ে ব্রিটিশ উপদ্বীপকে ইউরোপ মহাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ==ভাষা== পরবর্তী ব্রোঞ্জ যুগে ব্রিটেন আটলান্টিক ব্রোঞ্জ যুগ নামে পরিচিত একটি সংস্কৃতির অংশীদার হয়। এই যুগে ব্রিটেনের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন পর্তুগালের সমুদ্র বাণিজ্য শুরু হয়। কেলটিক ভাষাসমূহের উৎপত্তি হলস্ট্যাট সংস্কৃতি থেকে—এই প্রচলিত মতবাদের বিপক্ষে ২০০৯ সাল থেকে জন টি. কোচ অন্যান্যরা বলছেন যে কেলটিক ভাষাগুলি ব্রোঞ্জ যুগীয় পশ্চিম ইউরোপ (বিশেষত আইবেরিয়ান উপদ্বীপ) থেকে এসেছে। কোচের প্রস্থাব যদিও কেলটিক ভাষাবিদদের মধ্যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। মনে করা হয়, আধুনিক কালের সব কটি ব্রাইথোনিক ভাষা (ব্রেটোন, কর্নিশ, ওয়েলশ) একটি সাধারণ আদি ভাষা থেকে উৎসারিত। এই আদি ভাষাটিকে ''ব্রিটোনিক'', ''ব্রিটিশ'', ''কমন ব্রাইথোনিক'', ''ওল্ড ব্রাইথোনিক'' বা নামে চিহ্নিত করা হয়। সম্ভবত এটি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে প্রোটো-কেল্টিক বা আদি উপদ্বীপীয় কেল্টিক থেকে উৎপন্ন। ফোর্থ ক্লাইড নদীর দক্ষিণে গ্রেট ব্রিটেনের বৃহত্তর অংশে রোমান অভিযানের আগে ব্রাইথোনিক ভাষাগুলিই ছিল প্রধান ভাষা। যদিও আইল অফ ম্যানে পরবর্তীকালে ম্যানক্স নামে একটি গৈডেলিক ভাষা চালু হয়েছিল। উতর স্কটল্যান্ডে চলত প্রিটেনিক ভাষা। যেটি পরবর্তীকালে পিকটিশ ভাষায় পরিণত হয়। এটিও সম্ভবত একটি ব্রাইথোনিক ভাষা ছিল। রোমানরা দক্ষিণ ব্রিটেন জয় করে নেওয়ার পর (খ্রিস্টীয় ৪৩ থেকে ৪১০ অব্দ) সাধারণ ব্রাইথোনিক ভাষা প্রচুর লাতিন শব্দ ধার করে। আধুনিক ব্রাইথোনিক ভাষাগুলিতে লাতিন থেকে ধার করা প্রায় ৮০০ শব্দ রয়ে গিয়েছে। রোমান লেখকদের ব্যবহৃত ভাষাটির লাতিনীকৃত রূপটির নাম হল এখন এই দ্বীপে চলে আধুনিক ইংরেজি ভাষা। ==ধর্ম== চার্চ অফ ইংল্যান্ডের কেন্দ্র ক্যান্টারবেরি ক্যাথিড্রাল। আদি মধ্যযুগ থেকে খ্রিস্টধর্ম গ্রেট ব্রিটেনের প্রধান ধর্ম। প্রাচীনকালে রোমানরা এই ধর্ম গ্রেট ব্রিটেনে নিয়ে আসে। সেই সময় এই ধর্ম ছিল আদি উপদ্বীপীয় খ্রিস্টধর্ম। সাধারণত মনে করা হয় খ্রিস্টীয় প্রথম অথবা দ্বিতীয় শতাব্দীতে খ্রিস্টধর্ম গ্রেট ব্রিটেনে এসেছিল। এখানে অ্যাংলিক্যানিজম (স্কটল্যান্ডে যা এপিস্কোপ্যালিজম নামে পরিচিত) খ্রিস্টধর্মের বৃহত্তম সম্প্রদায়। যুক্তরাজ্যের চার্চের প্রধান হলেন রাজা বা রানি। তাকে "সুপ্রিম গভর্নর অফ দ্য চার্চ অফ ইংল্যান্ড" বলা হয়। এটিই ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় চার্চ। বর্তমানে এই চার্চের অনুগামীর সংখ্যা কোটি ৬০ লক্ষ। দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় হল রোমান ক্যাথলিক চার্চ। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে অগাস্টিনের মিশনের মাধ্যমে এই ধর্ম ইংল্যান্ডে এসেছিল। বর্তমানে ব্রিটেনে ৫০ লক্ষ ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করেন। এদের মধ্যে লক্ষ ৫০ হাজার ক্যাথলিকের বাস ইংল্যান্ড ওয়েলসে এবং ৭৫০,০০০ ক্যাথলিক বাস করেন স্কটল্যান্ডে। চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের গির্জা গ্লাসগো ক্যাথিড্রাল। গ্রেট ব্রিটেনের তৃতীয় বৃহত্তম খ্রিস্টান সম্প্রদায় চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের অনুগামীর সংখ্যা কোটি ১০ লক্ষ। জন নক্স প্রবর্তিত এই চার্চ স্কটল্যান্ডের সরকারি চার্চ। এখানে যুক্তরাজ্যের রাজা বা রানি একজন লর্ড হাই কমাশনারের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করেন। মেথডিজম গ্রেট ব্রিটেনের চতুর্থ বৃহত্তম খ্রিস্টান সম্প্রদায়। জন ওয়েসলে অ্যাংলিক্যানিজম থেকে এই সম্প্রদায়কে পৃথক করেছিলেন। পুরনো শিল্পশহর ল্যাঙ্কাশায়ার ইয়র্কশায়ার এবং কর্নওয়ালের টিন খনি শ্রমিকদের মধ্যে এই মত জনপ্রিয়। ওয়েলসের প্রেসবিটারিয়ান চার্চ ওয়েলস অঞ্চলের বৃহত্তম সম্প্রদায়। এটি ক্যালভিনিস্টক মেথডিজম মতের অনুগামী। সেন্ট অ্যালবান গ্রেট ব্রিটেনের পৃষ্ঠপোষক সন্ত। তিনি রোমানো-ব্রিটিশ যুগের প্রথম খ্রিস্টান শহিদ। খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করতে অস্বীকার করায় তাঁলে রোমান দেবতাদের উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয়েছিল। ==জনবসতি== ===রাজধানী শহর=== যুক্তরাজ্যের তিনটি কান্ট্রির রাজধানী শহর হল: ইংল্যান্ড: লন্ডন স্কটল্যান্ড: এডিনবরা ওয়েলস: কার্ডিফ ===অন্যান্য প্রধান শহর=== জনসংখ্যার হিসেবে গ্রেট ব্রিটেনের অন্যান্য বড়ো শহরগুলি হল বার্মিংহাম, গ্লাসগো, লিডস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার, নটিংহ্যাম শেফিল্ড। ==তথ্যসূত্র== ===পাদটীকা=== ==বহিঃসংযোগ== গ্রেপ ব্রিটেনের ইন্টারঅ্যাক্টিভ মানচিত্র উপকূল বিবিসি ব্রিটেনের উপকূলরেখা বরাবর ভ্রমণ করে। গ্রেট ব্রিটেনের প্রশাসনিক মানচিত্র অরড্যান্স জরিপ অনুসারে। বিবিসি ন্যাশন্‌স ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ যুক্তরাজ্য বিষয়ে সিআইএ ফ্যাক্টবুক Interactive map of Great Britain Coast the BBC explores the coast of Great Britain The British Isles 200 Major Towns and Cities in the British Isles CIA Factbook United Kingdom ===ভিডিও সংযোগ=== Pathe travelogue, 1960, ''Journey through Britain'' Pathe newsreel, 1960, ''Know the British'' Pathe newsreel, 1950, Festival of Britain দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপসমূহ ইউরোপ ইউরোপ দ্বীপপুঞ্জ দ্বীপ রাষ্ট্র'''নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা''' এমন একটি যন্ত্র বা যন্ত্রের সমন্বয় যা অন্য কোন যন্ত্রের আচরণ নির্ধারণ করে। কিছু কিছু যন্ত্র অবশ্য নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা কিছু যন্ত্রাংশের সমন্বয় যা এমনভাবে সংযোজিত বা সম্পর্কিত করা হয় যেন তা নিজেকে বা অন্য কোন যন্ত্রকে নির্দেশনা প্রদান বা পরিচালনা করতে সক্ষম। == লজিক নিয়ন্ত্রণ == == লিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ == == কীভাবে এগুলো তৈরি করা হয় == প্রকৌশল'''মিহিদানা''' বাংলার এক সুপ্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন। বর্ধমানের মিহিদানা অতি বিখ্যাত। মিহিদানা ভারতের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন হিসেবে স্বীকৃত। মিহিদানার পেটেন্ট আইনিভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রদান করা হয়েছে। কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিশ্ব বাংলা শোরুমে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে মিহিদানাকে তুলে ধরা হয়েছে। == উৎপত্তি == সমাবেশ ১৯০৪ সালে বড়লাট জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন বর্ধমানের জমিদার বিজয়চাঁদ মহতাবকে মহারাজা খেতাব দিতে বর্ধমান ভ্রমণ করেন। কার্জনের বর্ধমান আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়চাঁদ মহতাব বর্ধমানের জনৈক মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভৈরবচন্দ্র নাগকে একটি বিশেষ মিষ্টি প্রস্তুত করতে বলেন। ভৈরবচন্দ্র নাগ মিহিদানা বর্ধমানের অপর বিখ্যাত মিষ্টান্ন সীতাভোগ তৈরী করেন। == প্রণালী == মিহিদানার প্রধান উপাদান চাল। মিহিদানা প্রস্তুতিতে সাধারণত গোবিন্দভোগ, কামিনীভোগ অথবা বাসমতী চাল ব্যবহার করা হয়। চাল গুঁড়ো করে তার সাথে বেসন এবং জাফরান মেশানো হয়। তারপর জল মিশিয়ে ঈষৎ পীতাভ একটি থকথকে মিশ্রণ তৈরী করা হয়। একটি ছিদ্রযুক্ত পেতলের পাত্র থেকে উক্ত মিশ্রণ কড়াইতে ফুটন্ত গাওয়া ঘিতে ফেলা হয়। তারপর দানাগুলি কড়া করে ভেজে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তুলে চিনির রসে রাখা হয়। == জনপ্রিয়তা == সুকুমার রায়ের কিশোর সাহিত্যে পাগলা দাশুর গল্পে মিহিদানার উল্লেখ আছে। বিখ্যাত কৌতুকাভিনেতা নবদ্বীপ হালদারের কৌতুকগীতি '''শরীরটা আজ বেজায় খারাপ'''-এ তিনি সেন ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত ''কল্যাণী কাব্যগ্রন্থের'' '''ঔদারিক''' গানে বাংলার বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্নের উল্লেখ করেছেন। ঔদারিক গানে মিহিদানার উল্লেখ পাওয়া যায়- == আরও দেখুন == বোঁদে সীতাভোগ == তথ্যসূত্র == মিষ্টি মিষ্টান্ন ভৌগোলিক স্বীকৃতিশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত মার্চ, ১৯২০ সালে প্রকাশিত একটি উপন্যাস। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮) বাংলা আবেগ, মনোনির্ভরতা ,ভাবালুতা অন্তরের কমনীয় অনুভূতিকে উপন্যাস শিল্পে বিশেষ করে চিত্রায়িত করলেও "গৃহদাহ"(১৯২০) উপন্যাসের ব্যাপারে উপর্যুক্ত অনুভবরাজি গভীরতমভাবে প্রভাববিস্তারী নয়- একারণেই এই শিল্পকর্মটি আমাদের বাংলা উপন্যাসের ইতিহাসে স্বকীয়তাবাহী। উপন্যাসটির কাহিনি বৃত্তকে ব্যবচ্ছেদ করলে তিনটি পর্ব পরিলক্ষিত হয়। ==চরিত্রসমূহ== তিনটি প্রধান সুরেশ মহিম- উকিল(গ্রামে একটি জীর্ন ঘর তার সম্বল। কোনো ঘটনাই তাকে বিচলিত করেনা বাল্যকালের বন্ধু।বিপুল সম্পদের অধিকারী।পরিবার বলতে কেবল পিসি আছেন।পরম বন্ধুবাৎসল, পরদুঃখ কখনও কখনও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে) অচলা-শিক্ষিত ব্রাহ্ম/ম্লেচ্ছ কন্যা(মহিমের বাগদত্তা। জটিল চরিত্র কিন্তু মায়াবি। ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল) কেদারবাবু- অচলার পিতা (ঋনগ্রস্ত ব্রাহ্ম ব্যক্তি। আর্থিক সংকটের কারনে আত্মকেন্দ্রিক) পিসি- সুরেশের পিসি (সরল চরিত্র) মৃণাল- মহিমের আত্মীয়া (আদর্শ বাঙালী গৃহবধুর চিত্র) ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস দশকের উপন্যাস'''কোচবিহার বা কুচবিহার''' পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার জেলাসদর একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। উত্তরপূর্বে আসাম রাজ্য, এছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাাদেশের সাথে৷ শহরটি কোচবিহার সদর মহকুমার কোচবিহার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক-এ অবস্থিত৷ == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুচ বিহার শহরের জনসংখ্যা হল ১০৬৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোচবিহার এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল বছর বা তার কম বয়সী। ==শিক্ষা প্রতিষ্ঠান== সুনীতি একাডেমী মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুল রামভোলা হাইস্কুল *এ.বি.এন. শীল কলেজ *উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় *কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয় *বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষন সান্ধ্য মহাবিদ্যালয় Maharani Indira Devi Balika Vidhalaya *University B.T and Evening college ==পরিবহন == কোচ বিহার জেলা সড়কপথ, রেলপথ, এবং অকাশপথে পারিবহন ব্যাবস্থা রয়েছে প্রধান রেল স্টেশন "নিউ কোচ বিহার ''এছাড়া কোচ বিহার, ''দিনহাটা, বামনহাট, রেল স্টেশন রয়েছে| 31 নং জাতীয় সড়ক উত্তরপূর্বে কোচ বিহার দিয়ে অসম রাজ্যর যুক্ত হয়েছে| কোচবিহার বিমানবন্দর প্রধান বিমানবন্দর| দর্শনীয় স্থান *রাজবাড়ী *মদনমোহন মন্দির *সাগর দীঘি *শালবাগান প্রভৃতি। ==আরও দেখুন== সুকটাবাড়ি বগুলা == তথ্যসূত্র == শহর জেলার শহরশকুন vultures eating dead নু-হরিণ দেহমাত্র খাদ্যাভ্যাস মাসাইমারা ন্যাশনাল পার্ক, কেনিয়া '''শকুন''' () এক প্রকার পাখি। এটি মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে। সাধারণত এরা অসুস্থ মৃতপ্রায় প্রাণীর চারিদিকে উড়তে থাকে এবং প্রাণীটির মরার জন্য অপেক্ষা করে। পাখিগুলো তীক্ষ্ম দৃষ্টির অধিকারী শিকারি পাখিবিশেষ। শকুনের গলা, ঘাড় মাথায় কোনো পালক থাকে না। প্রশস্ত ডানায় ভর করে আকাশে ওড়ে। লোকচক্ষুর আড়ালে মহীরুহ বলে পরিচিত বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, ডুমুর প্রভৃতি বিশালাকার গাছে সাধারণত শকুন বাসা বাঁধে। সাধারণত গুহায়, গাছের কোটরে বা পর্বতের চূড়ায় ১-৩টি সাদা বা ফ্যাকাসে ডিম পাড়ে। == পরিসংখ্যান == সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়, এর মধ্যে পশ্চিম গোলার্ধে প্রজাতির এবং পূর্ব গোলার্ধে (ইউরোপ, আফ্রিকা এশিয়া) ঈগলের সাথে সম্পর্কিত ১১ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে প্রায় প্রজাতির শকুন রয়েছে, এর মধ্যে প্রজাতি স্থায়ী আর প্রজাতি পরিযায়ী। ''শকুন'' বা ''বাংলা শকুন'' ছাড়াও এতে আছে ''রাজ শকুন'', ''গ্রীফন শকুন'' বা ইউরেশীয় শকুন, ''হিমালয়ী শকুন'', ''সরুঠোঁট শকুন'', ''কালা শকুন'' ''ধলা শকুন''। তবে শুধু গ্রীফন প্রজাতির শকুনই মাঝে মাঝে দেখা যায় (পরিপ্রেক্ষিত ২০১০)। এসব প্রজাতির শকুনই সারা বিশ্বে বিপদাপন্ন। স্থায়ী প্রজাতির মধ্যে রাজ শকুন মহাবিপন্ন। এটি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্যে ঠোঁটে পাথরের টুকরো বহন করে ডিমের উপর নিক্ষেপ করে। == ডাইক্লোফেনের ক্ষতিকর প্রভাব == ইদানীং বিভিন্ন দেশে, গবাদি পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত 'ডাইক্লোফেন' নামের ব্যথানাশক ঔষধের প্রভাবে শকুন মারা যাচ্ছে। একারণে ডাইক্লোফেন ভারত, পাকিস্তান নেপালে ''নিষিদ্ধ'' ঘোষিত হয়েছে। বাংলাদেশে ডাইক্লোফেনের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে শকুন বিলুপ্তির মুখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত পশুর মাংস শকুনের কোনো ক্ষতি করে না; কিন্তু ডাইক্লোফেন দেওয়া হয়েছে, এমন মৃত পশুর মাংস খেলে কিডনি নষ্ট হয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে শকুনের মৃত্যু ঘটে। কারণে গত তিন দশকে (২০১০) উপমহাদেশে ৭৫% শকুন মারা গেছে। ১৯৮০'র দশকে সার্কভুক্ত দেশে প্রায় ৪,০০,০০,০০০ শকুনের অস্তিত্ব ছিলো, অথচ এই সংখ্যা এখন কমে মাত্র ৪০,০০০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের ''কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিন''-এর গবেষক ড. লিন্ডসে ওক তার এক গবেষণায় প্রমাণ করেন, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনের ব্যবহারই শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। ভারতে প্রতি বছর ৩০% শকুন মারা যাওয়ার কারণও ডাইক্লোফেন। এই মানবসৃষ্ট কারণে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে পৃথিবীর অনেক দেশেই পশু-চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনের পরিবর্তে সমান কার্যকর, অথচ শকুন-বান্ধব 'মেলোক্সিক্যাম' নামক ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। == আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস == সারা বিশ্বে, শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তারিখ ''আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস'' পালিত হয়ে থাকে। == বাস খাদ্য == ক্যামেরুন, সুদান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, ঘানা, জাম্বিয়া, বাংলাদেশ, চীন, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড অঞ্চলে শকুন দেখতে পাওয়া যায়। এরা সাধারনত মৃত চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, কৃষ্ণসার, গরু, ছাগল, মোষ, জেব্রা ইত্যাদি ভক্ষণ করে থাকে।। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Vulture videos on the Internet Bird Collection Ventana Wildlife Society Vulture observatory in Spain Vulture Restaurantচিত্র:Two Cell ৯০ এর দশকে ব্যবহৃত বার স্টাইলের কোয়ালকম কিউসিপি-২৭০০ (QCP-2700) মোবাইল ফোন এবং হাল আমলের স্মার্ট ফোন আইফোন '''মোবাইল ফোন''', '''সেলুলার ফোন'', ''হ্যান্ড ফোন'' বা '''মুঠোফোন''' () তারবিহীন টেলিফোন বিশেষ। মোবাইল অর্থ ভ্রাম্যমান বা এই ফোন সহজে যেকোনও স্থানে বহন করা এবং ব্যবহার করা যায় বলে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটররা তাদের সেবা অঞ্চলকে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজ ইত্যাদি আকারের অনেকগুলো ক্ষেত্র বা সেলে বিভক্ত করে ফেলে। সাধারণত ষড়ভুজ আকৃতির সেলই বেশি দেখা যায়। এই প্রত্যেকটি অঞ্চলের মোবাইল সেবা সরবরাহ করা হয় কয়েকটি নেটওয়ার্ক স্টেশন (সচরাচর যেগুলোকে আমরা মোবাইল ফোন কোম্পানির এন্টেনা হিসেবে জানি) দিয়ে। নেটওয়ার্ক স্টেশনগুলো আবার সাধারণত সেলগুলোর প্রতিটি কোণে অবস্থান করে। এভাবে অনেকগুলো সেলে বিভক্ত করে সেবা প্রদান করার কারণেই এটি "সেলফোন" নামেও পরিচিত। মোবাইল ফোন বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলে অনেক বড় ভৌগোলিক এলাকায় এটি সংযোগ দিতে পারে। শুধু কথা বলাই নয়, আধুনিক মোবাইল ফোন দিয়ে আরো অনেক সেবা গ্রহন করা যায়। এর উদাহরণ হচ্ছে খুদে বার্তা -এসএমএস বা টেক্সট মেসেজ সেবা, এমএমএস বা মাল্টিমিডিয়া মেসেজ সেবা, ই-মেইল সেবা, ইন্টারনেট সেবা, অবলোহিত আলো বা ইনফ্রা-রেড, ব্লু টুথ সেবা, ক্যামেরা, গেমিং, ব্যবসায়িক বা অর্থনৈতিক ব্যবহারিক সফটওয়্যার ইত্যাদি। যেসব মোবাইল ফোন এইসব সেবা এবং কম্পিউটারের সাধারন কিছু সুবিধা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্ট ফোন নামে ডাকা হয়। মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় কেজি (২।২ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন। ডঃ মার্টিন কুপার মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে, ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স (DynaTAC 8000x)। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বিলিয়নের বেশী হয়ে গেছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে। == ইতিহাস == মোবাইল ফোনের বিবর্তন সেলুলার ফোন প্রারম্ভিকভাবে পূর্বসুরীরা জাহাজ এবং ট্রেন থেকে এনালগ রেডিও কমিউনিকেশনের সাহায্যে ব্যবহার করত। == বৈশিষ্ট্য == যদিও মোবাইল ফোন নির্মাতারে তাদের ফোনকে বিশেষায়িত করার জন্য অনেক আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট্য যোগ করছে প্রতিনিয়ত, তবুও সকল মোবাইল ফোনেরই কয়েকটি প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এদের অপরিহার্য অঙ্গ। এগুলো হচ্ছে তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারী ফোনের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। কোন ইনপুট পদ্ধতি যার সাহায্যে ফোন ব্যবহারকারীর সাথে ফোনের মিথস্ক্রিয়া বা দ্বি-পাক্ষিক যোগাযোগ সম্ভব হয়। সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ইনপুট পদ্ধতি হচ্ছে কী প্যাড তবে ইদানীং স্পর্শ কাতর পর্দা বা টাচ স্ক্রীন তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সাধারন মোবাইল ফোন সেবা যার দ্বারা ব্যবহারকারী কথা বলতে বা খুদে বার্তা পাঠাতে পারেন। জিএসএম ফোনগুলোয় সিম কার্ড থাকে। কিছু কিছু সিডিএমএ ফোনে রিম কার্ড থাকে। প্রতিটি স্বতন্ত্র ফোনের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র আইএমইআই (IMEI) নাম্বার যার সাহায্যে ওই ফোনটিকে সনাক্ত করা যায়। নিম্নস্তরের মোবাইল ফোনকে প্রায়ই ফিচার ফোন বলে ডাকা হয় এবং এগুলো শুধুমাত্র প্রাথমিক টেলিফোন যোগাযোগ সুবিধা দেয়। আর কিছু মোবাইল ফোন আরও অগ্রসর সুবিধা এবং কম্পিউটারের মত সেবা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্ট ফোন বলে। বেশ অনেক মোবাইল ফোনের পরম্পরা কিছু নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীকে উদ্দেশ্য করে তৈরী করা হয়েছে। যেমন বহুজাতিক বা কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষায়িত ই-মেইল সুবিধা নিয়ে এসেছিল ব্ল্যাকবেরি। সনি-এরিক্সনের গান শোনার বিশেষায়িত 'ওয়াকম্যান' সিরিজ বা 'সাইবারশট' ক্যামেরা ফোন, নকিয়ার এন সিরিজ মাল্টি মিডিয়া ফোন এবং আইফোন সিরিজ বা স্যামসাং এর গ্যালাক্সী এস সিরিজ। == ব্যবহার == অনেক মোবাইল ফোনই স্মার্ট ফোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কথা বলার পাশাপাশি ধরনের ফোনগুলো অন্যান্য বিষয়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ই-মেইল, এসএমএস বা ক্ষুদেবার্তা, প্রেরণ গ্রহণ; ক্যালকুলেটর, মুদ্রা, সঙ্কেত বিষয়ক কার্যাবলী; ইন্টারনেট; গেমস খেলা; ছবি ভিডিও তোলা; ঘড়ির সময় দেখা; কথা রেকর্ড করা; ট্রেনের টিকিট বুকিং করা; বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেয়া ইত্যাদি। টাকার আদানপ্রদান করা। == বাংলাদেশে মোবাইল ফোন == বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল) ঢাকা শহরে AMPS মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে। === বর্তমান অবস্থা === বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানী রয়েছে। এদের মধ্যে ৫টি জিএসএম এবং একটি সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে সব জিএসএম মোবাইল কোম্পানি ২০১৩ সাল থেকে তৃতীয় প্রজন্মের ৩জি সেবা দেওয়া শুরু করেছে। মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে একমাত্র টেলিটক দেশিয় কোম্পানি। বর্তমানে রবি এয়ারটেল একীভূত হয়ে রবি হবার কাজ করছে। দেশে মোবাইল নম্বর গুলো ০১ দিয়ে শুরু। কান্ট্রি কোড সহ নম্বর হয় +৮৮০১********* কান্ট্রি কোড ব্যতীত মোট ১১ ডিজিটের নম্বর ব্যবস্থা চালু এখন। মোবাইল কোম্পানীগুলো হল: সিটিসেল কোড ০১১(সিডিএমএ) '''''বর্তমানে বন্ধ''''' রবি কোড -০১৮(পূর্ব নাম একটেল) গ্রামীনফোন কোড -০১৭, ০১৩ বাংলালিংক কোড -০১৯, ০১৪ কিনে নেয়) টেলিটক কোড -০১৫ এয়ারটেল (বাংলাদেশ) কোড ০১৬(ওয়ারিদকে কিনে নেয় ==আরও দেখুন== মোবাইল টেলিফোনি == তথ্যসূত্র == প্রযুক্তি'''মালাগাসি ভাষা''' সর্বপশ্চিমে অবস্থিত মালয়-পলিনেশীয় ভাষা। এটি পূর্ব আফ্রিকার উপকূলের কাছে মাদাগাস্কার দ্বীপে প্রচলিত। ধারণা করা হয় ভাষাটির আদি উৎস ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিমাংশে, সম্ভবত বোর্নিও দ্বীপে। মালাগাসি ভাষার সাথে ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কের ভাষাটির নাম মাআনিয়ান ভাষা, যা দক্ষিণ বোর্নিওতে প্রচলিত। মাদাগাস্কারের আদিবাসী লোকেরা প্রায় ৩৬টি গোত্রে বিভক্ত এবং ইন্দোনেশীয় আফ্রিকান মিশ্র রক্তের মানুষ; এরাও মালাগাসি নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় আফ্রিকান ইন্দোনেশীয়রা দ্বীপটিতে ৫ম শতকে বসতি স্থাপন করেছিল। ১৫শ শতক পর্যন্ত এখানে ইন্দোনেশীয়রা পাড়ি জমাত। ১৭শ শতকের শুরুর দিকে বেশ কিছু মালাগাসি রাজত্বের সৃষ্টি হয়। ১৮শ শতক নাগাদ মেরিনা জাতির লোকেরা বাকি সব রাজত্বকে পদানত করে। প্রোটেস্টান্ট লন্ডন মিশনারি সোসাইটি দ্বীপটিতে পা রাখে এবং মেরিনা ভাষাটির জন্য একটি লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে। এই মেরিনা ভাষাই বর্তমানে মালাগাসি ভাষা নামে পরিচিত। ১৯৬০ সালে মাদাগাস্কার স্বাধীন মালাগাসি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হলে মালাগাসি ভাষা ফরাসি ভাষার সাথে সহ-সরকারী ভাষার মর্যাদা লাভ করে। দ্বীপের কোটি ৩০ লক্ষ অধিবাসীর প্রায় সবাই এই ভাষাতে কথা বলেন। এছাড়াও মাদাগাস্কারের পূর্বে কমোরোস রেউনিওঁ দ্বীপপুঞ্জেও ভাষাটি প্রচলিত। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ফরাসি ভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় এবং মালাগাসি ভাষা অবহেলিত হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ফরাসি ভাষার মর্যাদা এখনও রয়ে গেছে; মালাগাসির শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণী ফরাসি ভাষায় শিক্ষিত। == বহিঃসংযোগ == মালাগাসি ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট ভাষা ভাষা'''দ্য ইলিউমিনাটি''' একটি গুপ্ত সংগঠন। ১৭৭৬ সালের মে ব্যাভারিয়া তে অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট এই সংগঠন টি প্রতিষ্ঠা করেন। ইলুমিনাতি শব্দের অর্থ "যারা কোনো বিষয়ে বিশেষ ভাবে আলোকিত বা জ্ঞানার্জনের দাবী করে" অথবা "বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান সম্পন্ন কোনো দল"। অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট একজন জেসুইট ছিলেন পরে ব্যাভারিয়ার ইংগোল্‌স্‌তাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্রিষ্টান ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তার হাতেই গড়ে উঠে এই ইলুমিনাতি। অনেকেই ধারণা করে থাকে যে ইলুমিনাতি এর সৃষ্টির পিছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে ফ্রিম্যাসন্স রা। ক্যাথলিক খ্রিষ্টান দের চোখে ইলুমিনাতিরা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে পরিগণিত হয়। অনেকের মতে এরা নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থা গড়ে তোলার পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।ড্যান ব্রাউন রচিত এঞ্জেল্‌স অ্যান্ড ডিমন্‌স উপন্যাস প্রকাশের ফলে এই সংগঠনটি আধুনিক কালে আবার আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়। অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট == ইতিহাস == === উদ্ভব === ইলুমিনাতি প্রতিষ্ঠিত হয় মে,১৭৭৬ সালে বাভারিয়া) এ। এটি প্রতিষ্ঠা করেন খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত অ্যাডাম ওয়েইশাপুত,যিনি ছিলেন ইঙ্গলস্তাদত বিশ্ববিদ্যালয় এর "ক্যাথলিক গির্জা আইন" বিভাগের প্রথম লে(কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন) অধ্যাপক সংগঠনটি সাজানোর মাধ্যমে।এর সর্বপ্রথম সদস্য জন। ==কার্যক্রম== প্রচুর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মতে, শক্তিমান সিক্রেট সোসাইটি ইলুমিনাতি মূলত বিশ্বের সকল প্রধান ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে। ১. ফ্রেঞ্চ বিপ্লবের সূচনাও ইলুমিনাতির হাতেই। ২. নেপোলিয়নের ওয়াটারলু যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ করে ইলুমিনাতি। ৩. শয়তানের উপাসনার মাধ্যমে স্বার্থ হাসিল করে ইলুমিনাতি। খ্রিস্টান মুসলিম ষড়যন্ত্র তত্ত্বমতে, ইলুমিনাতির এক চোখা প্রতীক প্রমাণ করে যে, ইলুমিনাতি হলো সেই সংঘ যারা একচোখা ''দাজ্জাল'' (কিংবা বাইবেল মতে ''৬৬৬ বা এর আগমনের পথ সুগম করছে। == ইলুমিনাতির অভুত্থান == ইলুমিনাতির সঠিক উদ্ভব কারণ এখনো বিশ্লেষকদের কাছে পরিষ্কার নয়। নতুন পৃথিবী গড়া তাদের মূল লক্ষ্য হলেও আপাতদৃষ্টিতে তারা ধর্মীয় সমাজের বিরুদ্ধে গুপ্তভাবে যথেষ্ট সোচ্চার। বিশেষভাবে ধারণা করা হয় মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার ধর্মীয় নৈতিক স্খলন গুলো এদের দ্বারাই প্রকাশ্যে আসে। ধারণা করা হয় এই ঘটনাগুলির সূত্রপাত থেকে ঘটনাপ্রবাহে জনসম্মুখে আসা- সকল ক্ষেত্রেই অদৃশ্যভাবে ভূমিকা পালন করে। যেমন ধরা যাক হিন্দুধর্মের একটি বিলুপ্ত কুসংস্কার হল সতীদাহ প্রথা। এই একবিংশ শতাব্দীতেও এমন কোন ঘটনা হয়ত ঘটবে তাও আবার ওই ধর্মের কোন এক দ্বারা। এই সম্পূর্ণ ঘটনা এবং এর বিরুদ্ধে জনমত উথ্বাপনে এদের প্ররোচনাকে অনেকেই কলকাঠি হিসেবে ধারণা করেন। কিছু বিশেষজ্ঞ এরকম সংগঠনকে এবং এদের কার্যক্রমকে কাল্পনিক মনে করেন। == আধুনিক সংস্কৃতিতে ইলুমিনাতি == নতুন করে বর্তমান সময়ে এটি আবার আলোচিত হতে শুরু করেছে ড্যান ব্রাউন এর "অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস" উপন্যাসের মাধ্যমে। মানুষ মনে করে থাকে ইলুমিনাতি সদস্যরা পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে।তবে তার কোনো বাস্তব প্রমাণ নেই। ==তথ্যসূত্র == এর কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। (MTK)'''ডিরাক সমীকরণ'''টি পদার্থবিজ্ঞানের আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম বলবিদ্যাজাত একটি তরঙ্গ সমীকরণ যা মৌলিক স্পিন ১/২ কণিকা, যেমন- ইলেকট্রনের আচরণের এমন পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেয় যা, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব উভয়ের সাথেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। ব্রিটিশ পদার্থবিদ পল ডিরাক ১৯২৮ সালে এটি আবিষ্কার করেন। গবেষণাগারে আবিষ্কার করার আগেই এই সমীকরণের সাহায্যে ডিরাক পজিট্রন) অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। পরবর্তিতে এই ভবিষ্যদ্বাণীর সূত্র ধরে ইলেকট্রনের প্রতিকণা, পজিট্রনের আবিষ্কার আধুনিক তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সাফল্যগুলির একটি। যেহেতু ডিরাক সমীকরণটি মূলতঃ ইলেকট্রনের আচরণ ব্যাখ্যা করার উদ্দেশ্যে উদ্ভাবণ করা হয়, তাই এই নিবন্ধে ''ইলেকট্রন'' নিয়েই আলোচনা করা হবে। তবে সমীকরণটি স্পিন ১/২ কণিকা কোয়ার্ক'র বেলায়ও সমভাবে প্রযোজ্য হবে। যদিও প্রোটন এবং নিউট্রন মোলিক কণিকা নয়(এরা প্রত্যেকে একাধিক কোয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত) তবুও খানিকটা পরিবর্তিত ডিরাক সমীকরণ এদের আচরণও ব্যাখ্যা করতে পারে। ডিরাক সমীকরণের আরেকটি প্রকরণ হলো ম্যাজোরানা সমীকরণ, যা নিউট্রিনো'র আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারবে বলে আশা করা হয়। '''ডিরাক সমীকরণ'''টি হচ্ছে, যেখানে, ''m'' হলো ইলেকট্রনের নিশ্চল ভর; ''c'' হলো আলোর দ্রুতি; ''p'' হলো ভরবেগ অপেক্ষক; হলো লঘুকৃত প্ল্যাংকের ধ্রুবক; ''x'' এবং ''t'' হলো যথাক্রমে স্থান এবং কাল স্থানাংক; আর হলো চার-উপাদান বিশিষ্ট তরঙ্গ অপেক্ষক (সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের শর্তানুসারে তরঙ্গ অপেক্ষক'কে সাধারণ স্কেলার রূপে নয়, বরং স্পিনর হিসাবে প্রকাশ করতে হয়। উপাদানগুলির ভৌত তাৎপর্য নিচে বর্ণনা করা হয়েছে।) গুলি হলো রৈখিক অপারেটার, এরা তরঙ্গ অপেক্ষকের উপর ক্রিয়া করে। এদের সবচেয়ে মোলিক বৈশিষ্ট্যটি হলো, এদের অবশ্যই পরস্পরের সাথে হতে হবে। অন্যভাবে বললে, যেখানে এবং এর সম্ভাব্য মান থেকে এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সবচেয়ে সহজ যে উপায়ে এই বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যাবে তা হলো: ম্যাট্রিক্স। এরচেয়ে ক্ষুদ্রতর মাত্রার ম্যাট্রিক্সের কোন সেট পাওয়া সম্ভব নয়, যা প্রতিবিনিময় শর্তটি মেনে চলে। আসলে চতুর্মাত্রার ম্যাট্রিক্সের প্রয়োজনীয়তার ভৌতিক তাৎপর্য রয়েছে। যদিও এর বিকল্প রয়েছে, তবু গুলোর জন্য একটা সুবিধাজনক পছন্দ হতে পারে এরকম: এরা '''ডিরাক ম্যাট্রিক্স''' নামে পরিচিত। সম্ভাব্য সবগুলি বিকল্পই আসলে অনুরূপতা রূপান্তর দ্বারা সম্পর্কিত, কারণ তত্ত্বীয়ভাবে উপস্থাপন করতে ডিরাক স্পিনরের কোন বিকল্প নাই। ডিরাক সমীকরণটি একটি ''একক'' ইলেকট্রনের সম্ভাব্যতার বিস্তার ব্যাখ্যা করে। এটা একটা একক-কণা তত্ত্ব; অন্যকথায়, এতে কণাসমূহের সৃষ্টি ধ্বংস নিয়ে কিছু বলা হয় না। এটি ইলেকট্রনের চৌম্বক ভ্রামকের উৎসের একটি ভালো ব্যাখ্যা দেয় এবং পারমাণবিক বর্ণালীরেখা'য় দৃষ্ট সূক্ষ্মতর গঠনেরও ব্যাখ্যা দেয়। এটি ইলেকট্রনের স্পিনকে ব্যাখ্যা করতে পারে। সমীকরণটির চারটি সমাধানের দুটি ইলেকট্রনের দুইটি স্পিন দশাকে ব্যাখ্যা করে। কিন্তু বাকি দুটি সমাধান একটু অদ্ভুতভাবে অসীমসংখ্যক কোয়ান্টাম দশার অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে যেখানে ইলেকট্রনের শক্তি হবে ঋণাত্মক। এই অদ্ভুৎ ফলাফলকে ব্যাখ্যা করতে ডিরাক ''"গহ্বর তত্ত্ব"'' নামের একটি অসাধারণ তত্ত্বের অবতারনা করেন, যার সূত্রধরে তিনি ''ধনাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনের'' অনুরূপ কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। ডিরাক প্রথমে মনে করেছিলেন যে, এই কণাগুলো বোধ হয় প্রোটন। কিন্তু তার তত্ত্বমতে কণাগুলোর আধানই কেবল ইলেকট্রনের সমান হবে তা নয়, এদের ভরও হতে হবে ইলেকট্রনের সমান। তাই ১৯৩২ সালে পজিট্রন আবিষ্কৃত হওয়ার পর যখন দেখা গেল যে, তার প্রাথমিক অনুমানটি ভুল ছিল, বরং তার তত্ত্বের ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেছে, তখন ডিরাক একটু লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন। পরে তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল যে, কেন তিনি অনাগত পজিট্রনকে সঠিক ভরসহ অনুমান করেননি, তিনি বললেন, ''"নির্ভেজাল কাপুরুষতা!"'' তবে সে যাই হোক, এতে করে ১৯৩৩ সালে তার নোবেল পুরস্কার ভাগাভাগি করে নেয়াটা কিন্তু থেমে থাকেনি। এত সাফল্য সত্ত্বেও ডিরাকের তত্ত্বের একটা ত্রুটি হলো, এখানে কণাগুলির সৃষ্টি বা ধ্বংসের সম্ভাবনাকে আমল দেয়া হয়নি, যা কিনা আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি মৌলিক ফলাফল। পরবর্তিতে তার তত্ত্বটাকে কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্বে রূপান্তরিত করে এই ত্রুটিটি দূর করা হয়েছে। কোয়ান্টায়িত তাড়িৎ-চৌম্বক ক্ষেত্র যোগ করলে এই তত্ত্বটি কোয়ান্টাম তত্ত্বে রূপ নেয়। তাছাড়া ডিরাক সমীকরণটি কেবল ধনাত্মক শক্তিযুক্ত কণার আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারে, ঋণাত্মক শক্তির কণাকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। স্পিন ৩/২ কণার জন্য অনুরূপ সমীকরণটির নাম হলো রারিটা-শুইঙ্গার সমীকরণ। == ডিরাক সমীকরণের প্রতিপাদন == ডিরাক সমীকরণটি শ্রোডিঙ্গার সমীকরণের আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় সম্প্রসারণ যা সময়ের সাথে কোয়ান্টাম গতিবিদ্যা সম্পর্কিত কোন ব্যবস্থার বিবর্তনের বর্ণনা দেয়: সুবিধার্থে এখানে ''অবস্থান ভিত্তি'' নিয়ে কাজ করা হবে, যেখানে ব্যবস্থাটির দশাকে একটি তরঙ্গ অপেক্ষক, দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এই ভিত্তি ব্যবহার করলে শ্রোডিঙ্গার সমীকরণটির আকার হবে এরকম, যেখানে হ্যামিল্টনিয়ান ''H'' দ্বারা দশা সদিক নয় বরং তরঙ্গ অপেক্ষকের উপর ক্রিয়াশীল একটি অপারেটারকে নির্দেশ করা হয়। যথাযথভাবে নির্দেশ করতে হবে যাতে এটি ব্যবস্থার মোট শক্তিকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে। বাহ্যিক সকল বল ক্ষেত্রের প্রভাব থেকে মুক্ত একটি ইলেকট্রনকে বিবেচনা করা যাক। অ-আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় মডেলের জন্য চিরায়ত বলবিদ্যা'র গতিশক্তি'র অনুরূপ হিসাবে ব্যবহার করলে (আপাতত স্পিনকে বিবেচনার বাইরে রাখা হল): যেখানে ''p'' গুলি হলো স্থানিক তিনটি দিক, ''j''=1,2,3 এর প্রতিটিতে ভরবেগ অপারেটার। প্রতিটি ভরবেগ অপারেটার তরঙ্গ অপেক্ষকের উপর স্থানিক অবকলনরূপে ক্রিয়া করে: আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় কোন ব্যবস্থার জন্য অন্য একটি হ্যামিল্টনিয়ান খুঁজে বার করতে হবে। ধরে নেয়া যাক যে, ভরবেগ অপারেটারগুলির সংজ্ঞা অপরিবর্তিত থাকবে। আলবার্ট আইনস্টাইনের বিখ্যাত ভর-ভরবেগ-শক্তি সম্পর্ক অনুযায়ী ব্যবস্থাটির সর্বমোট শক্তি হবে, যার ফলশ্রুতিতে পাওয়া যাবে, এই সমীকরণটি সন্তোষজনক নয়, কারণ এটা সময় স্থানকে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মূলনীতি অনুযায়ী একি সত্ত্বা হিসাবে বিবেচনা করে না। এই সমীকরণটিকে বর্গ করলে ক্লেইন-গর্ডন সমীকরণ পাওয়া যায়। ডিরাক যুক্তি দেখান, যেহেতু সমীকরণটির ডানপক্ষে সময়ের সাপেক্ষে প্রথম-ক্রম অবকলন রয়েছে, এর বামপক্ষেও কালের সাপেক্ষে (অর্থাৎ, ভরবেগ অপারেটরের সাপেক্ষে) একিরকম সরল কোন প্রথম-ক্রম অবকলন থাকা উচিত। এরকমটা হতে পারে যদি বর্গমূল চিহ্নের অন্তর্গত রাশিটি একটি পূর্ণবর্গ হয়। মনে করা যাক, নিম্নারূপ করা হলো, এখানে, ''I'' মানে অভেদ উপাদান। তাহলে মুক্ত ডিরাক সমীকরণ পাওয়া যাবে: যেখানে 'গুলি ধ্রুবক যাদের মান আপেক্ষিকতা তত্ত্বীয় মোট শক্তির বদৌলতে সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। বর্গ'কে সম্প্রসারিত করে, উভয়পক্ষের সহগগুলি তুলনা করে, গুলির জন্য নিম্নোক্ত শর্তাদি পাওয়া যায়: সর্বশেষ এই শর্তগুলি আরো সংক্ষেপে নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায় যেখানে {...} হলো যার সংজ্ঞা হচ্ছে, এবং ''δ'' হলো ক্রনেকার ডেল্টা, যার মান হবে যদি উভয় পাদসূচকই সমান হয়, নতুবা এর মান হবে ০। ক্লিফোর্ড অ্যালজেবরা দেখুন। গুলি সাধারণ সংখ্যা না হয়ে ম্যাট্রিক্স হলেই কেবল এই শর্তগুলি রক্ষা করা সম্ভব হবে। হারমিশিয়ান হতে হবে যাতে হ্যামিল্টনিয়ান হয় হারমিশিয়ান। কমপক্ষে ম্যাট্রিক্স প্রয়োজন। তবে ম্যাট্রিক্সের উপস্থাপনা'র জন্যে একাধিক বিকল্প রয়েছে। কোনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে তার ওপর ডিরাক সমীকরণের বৈশিষ্ট্য নির্ভর না করলেও তরঙ্গ অপেক্ষকের আলাদা আলাদা উপাদানের ভৌত তাৎপর্য নির্ভর করে। শুরুতেই ডিরাক সমীকরণটি উপস্থাপন করা হয়েছিল, তবে একে আরো সংহতভাবে নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়, যেখানে ''0'' এবং ''I'' হলো যথাক্রমে শূন্য এবং অভেদ ম্যাট্রিক্স, এবং σ''j''গুলি (''j'' ১,২,৩) হলো পাউলি মেট্রিক্স। এই সমীকরণের হ্যামিল্টনিয়ান হলো, একে ''ডিরাক বলা হয়। == আরো দেখুন == ব্রেইট সমীকরণ ক্লেইন-গর্ডন সমীকরণ কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিদ্যা রারিটা-শুইঙ্গার সমীকরণ == উৎসপঞ্জী == === নির্বাচিত গবেষণাপত্র === P.A.M. Dirac, Proc. R. Soc. '''A117''' 610 (1928) P.A.M. Dirac, Proc. R. Soc. '''A126''' 360 (1930) C.D. Anderson, Phys. Rev. '''43''', 491 (1933) R. Frisch and O. Stern, Z. Phys. '''85''' (1933) === পাঠ্যপুস্তক === Dirac, P.A.M., ''Principles of Quantum Mechanics'', 4th edition (Clarendon, 1982) Shankar, R., ''Principles of Quantum Mechanics'', 2nd edition (Plenum, 1994) Bjorken, Drell, S, ''Relativistic Quantum mechanics'' Thaller, B., ''The Dirac Equation'', Texts and Monographs in Physics (Springer, 1992) Schiff, L.I., ''Quantum Mechanics'', 3rd edition (McGraw-Hill, 1955) ক্ষেত্র তত্ত্ব অবকলনযোগ্য সমীকরণ'''খালিদ বুলাহ্‌রুজ''' একজন ওলন্দাজ ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি মরক্কোর বংশোদ্ভূত। রক্ষনভাগের তুখোড় খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম কামিয়েছেন। ২০০৬ সালের ফিফা বিশবকাপে হল্যান্ড দলের পক্ষে অংশ নেন। হল্যান্ডে তার ভক্তরা তাকে ডাকনাম দিয়েছেন 'ডের ক্যানিবাল' অথবা 'নরভোজী', কারণ তিনি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের 'খেয়ে' ফেলেন। He is noted for his tackling and versatility at the back. ==তথ্যসূত্র== ফুটবলার'''৩২''' ('''XXXII''') জুলীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ যেটি মঙ্গলবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর হেনোবার্বাস কেমিল্লাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৭৮৫ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৩২ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। == ঘটনাবলী == === স্থান অনুসারে === ====রোমান সাম্রাজ্য ==== গেনিয়াস ডোমটিয়াস অহেনোবার্বাসি এবং লুসিয়াস আরুন্তিয়াস ক্যামিলাস স্ক্রিবিনিয়াস রোমান কনসাল হন === বিষয় অনুসারে === ==== ধর্ম ==== ফিলো কর্তৃক খ্রীষ্টান বাইবেলের প্রথম অংশের (ওল্ড টেস্টামেন্ট বা সংক্ষেপে ও,টি) সাংকেতিক ব্যাখা প্রদান (রূপক বর্ননা) == জন্ম == এপ্রিল ২৮ মার্কাস সালভিয়াস ওথো, রোমান সম্রাট (মৃত্যু ৬৯ খ্রীষ্টাব্দ ব্যান চাও, চাইনিজ জেনারেল এবং কূটনীতিবীদ (মৃত্যু ১০২) ব্যান গু চাইনিজ ইতিহাসবেত্তা রাজনীতিবিদ (মৃত্যু ৯২ খ্রীষ্টাব্দ) == মৃত্যু == ক্যাসিয়াস সেভেরাস, প্রসিদ্ধ রোমান বক্তা এবং লেখক ডেসিমাস হেটারিয়াস আগ্রিপা, রোমান কনসাল লুসিয়াস কাল্পার্নিয়াস পিসো, রোমান কনসাল (মৃত্যু খ্রীষ্টপূর্ব ৯২) জন “দি ব্যাপটিষ্ট” খ্রীষ্টধর্ম, ইসলাম ধর্ম এবং অন্যান্য ইহুদীবাদী ধর্মের কাছে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব (জন্ম খ্রীষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী) == তথ্যসূত্র ==__NOTOC__ '''৯২''' ('''XCII''') জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ যেটি রবিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর আউগুস্তুস সাতুরনিয়াস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৪৫ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ৯২ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। == ঘটনাবলী == === এলাকা অনুসারে === === বিষয় অনুসারে === == জন্ম == == মৃত্যু == == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:৯২'''দুখাই''' মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। এটি ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর শতাব্দির প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদশের উপকূলীয় এলাকায় দশ লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এই মর্মান্তিক কাহিনী নিয়ে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন চলচ্চিত্রটি। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-সংগ্রাম দেখানো হয়েছে। অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ। == কাহিনী সংক্ষেপ == দুখাই হলো এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাদের পরিবারের ছয়জন সদস্য। দুখাই সবচেয়ে বড় এবং তারা পদ্মা তীরে বসবাস করে আর বাপ-দাদার পেশা হলো তাঁতী। বংশ পরাম্পরা তারা একই পেশায় জড়িত। পদ্মার তীরবর্তী হওয়ায় নদী ভাঙ্গনের শব্দে সর্বদাই ভয় আর আতঙ্ক কাজ করে। তাদের সোনার সংসার। কাজ করে সংসার চালায়। বাড়িতে দুইটি ঘর এবং কাপড় বুনানো দুটি যন্ত্র। নদী ভাংতে ভাংতে বাড়ির নিকটে চলে আসছে। এক বিকেলে তার বাবা বলছে, ‘সর্বনাশা পদ্মার হাত থেকে বাড়িটারা আর টিকিয়ে রাখা গেল না বাবা? এতোগুলো মানুষ লইয়া এহন আমি কই গিয়া খারামু?’ ‍দুখু মিয়া বলছে, ‘ওতো উতলা হইলে চলবে কেমনে, বাজান- আল্লাহ তো আছে? হ... আল্লাহ। এক অন্ধকারের রাত্রিতে প্রতিবেশীদের চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়। সবাই চিৎকার করে বলছে, ‘ও দুখুর বাপ পোলাপাইন লইয়া বাইর হও, তোমার ঘর ভাইঙ্গা পড়লো। এরপর অনেক দূরে গিয়ে আবার নতুন করে ঘর বানানো, কর্কশ শুকনা বালুর চরের উপর ফসল ফলানো। এভাবে ধীরে ধীরে সংসার চলতে লাগলো। বোন বড় হয়েছে তাকে বিবাহ দিতে হবে। এভাবেই চলছিল তাদের জীবন। কিন্তু ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর শতাব্দির প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানী হয়। দুখু মিয়ারও তেমনি বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই মারা যায়। দুখু মিয়া একা হয়ে যায়। দীর্ঘদিন না খেয়ে সবার শোক কাটিয়ে এক সময় প্রতিবেশিদের ন্যায় নিজেও একটি ঘর তুলে। ধীরে ধীরে শরীরে চাক-চিক্যতা ফিরে আসে। একটি বিয়ে করে সংসার শুরু করে। এরপর ১৯৭০ এর পর আসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। একটি কন্যা সন্তানের বাবা হলেন দুখু মিয়া, ভালো নাম দুখাই। এবার মেয়ের মাঝেই নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেলে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালো কাটছিল তাদের তিনজনের সংসার। আবার প্রাকৃতিক আঘাত হানে ১৯৮৫ সালে ২৪ মে। এবারও করুণ মৃত্যু হলো হাজার হাজার মানুষের। দুখু মিয়ার স্ত্রী-সন্তান দুজনেই মারা গেল। ==শ্রেষ্ঠাংশে== রাইসুল ইসলাম আসাদ রোকেয়া প্রাচী চাঁদনী নাজমা আনোয়ার আমিরুল হক চৌধুরী নিশি ==সংগীত== এই ছবির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন পুলক গুপ্ত। == সম্মাননা == এই চলচ্চিত্রটি ২২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া এই চলচ্চিত্রের কলা-কুশলীবৃন্দও বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। পুরস্কারের নাম বিভাগ মনোনীত ফলাফল ২২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র দুখাই (প্রযোজক: মোরশেদুল ইসলাম) শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা আবুল খায়ের শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী নিশি শ্রেষ্ঠ পুরুষ সঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক এমএ মোবিন শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র দশকের নাট্য চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র নাট্য চলচ্চিত্র ইসলাম পরিচালিত চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ীপ্রথম ক্রুসেডের সময় জেরুজালেমে হামলার দৃশ্য চিত্রকলায় যেভাবে ফুটে উঠেছে '''প্রথম ক্রুসেড''' শুরু হয় ১০৯৫ সালে। পোপ আরবান দ্বৈত উদ্দেশ্যে এই ক্রুসেড শুরু করেন, ঐশ্বরিক শহর জেরুজালেমকে মুসলমানদের কাছ থেকে স্বাধীন করা এবং পবিত্র ভূমিতে পূর্বাঞ্চলীয় খ্রিস্টানদের মুসলমান শাসন থেকে মুক্ত করা। ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মোট চারটি দল ক্রুসেডার্সদের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়, এই দল গুলোর নেতৃত্বে ছিলেন রেয়মন্ড, গডফ্রে, হুগ, এবং বহেমন্ড। বাইজেন্টাইনদের উদ্দেশ্যে এই দল গুলো যাত্রা শুরু করে ১০৯৬ সালে। এছাড়াও ক্রুসেডার্সদের আরো একটি দল গঠিত হয়ে ছিলো পিটারের নেতৃত্বে যাতে ছিলো নাইট এবং জনসাধারন এই দলের নামকরন করা হয়েছিল "পিপল'স ক্রুসেড" মুসলিম এবং ক্রুসেডস দের প্রথম মুখ্য সংঘর্ষে তুর্কিশ বাহিনি ক্রুসেডস দের একটি বাহিনি (পিপল'স ক্রুসেড) কে পরাজিত করে ১০৯৭ সালের "মে" মাসে ক্রুসেডারস এবং বাইজেন্টাইন বাহিনি সমুহ একত্রে "নাইসিয়া" (বর্তমানে ইজনিক,তুর্কি) এবং "সেলজুক" আক্রমন করে জুন মাসের শেষের দিকে বাইজেন্টাইন এবং ক্রুসেডাররা উক্ত শহরগুলোর উপর বিজয় লাভ করে এবং পরবর্তিতে ১০৯৯ সালের জুলাই মাসের মধ্যভাগে জেরুজালেমের গভর্নর চাপের মুখে অত্মসমর্পন করেন এবং এভাবেই প্রথম ক্রুসেডে ক্রুসেডাররা মুসলিমদের উপর বিজয় লাভ করে মানচিত্রে প্রথম ক্রুসেড ইতিহাস সংঘর্ষডানদিকের টিউবের লোহিত রক্তকণিকাগুলির লালিকানাশ ঘটেনি, বাম মাঝেরগুলিতে ঘটেছে '''লালিকানাশ''' () বলতে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া ফলশ্রুতিতে চারপাশের তরলে (জীবন্ত দেহের ক্ষেত্রে রক্তরস বা প্লাজমায়) হিমোগ্লোবিন ছড়িয়ে যাওয়াকে বোঝায়। প্রাণীদেহের ভেতরে লালিকানাশ ঘটলে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। এই বিশেষ ধরনের রক্তশূন্যতাকে লালিকানাশজনিত রক্তশূন্যতা (Hemolytic Anemia) বলে। প্রাণিদেহের বাইরে পরীক্ষার জন্য কাচের পাত্রে রাখা রক্তে লালিকানাশ ঘটলে পরীক্ষার ফলাফলে ত্রুটির সৃষ্টি হয়। লোহিত রক্তকণিকার ভেতরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি বলে লালিকানাশ ঘটলে রক্তরসে পটাশিয়ামের পরিমাণ ভুল করে বেশি দেখা যাতে পারে। রক্ত রাখার কাচের পাত্র বা টিউবটি ঠিকমত সংরক্ষণ না করলে, বেশি ঠান্ডা বা গরমে রাখলে, বা বেশিক্ষণ ধরে রেখে দিলে লালিকানাশ ঘটতে পারে।'''''1984''''' (১৯৮৪) জর্জ অরওয়েলের লেখা একটি বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯৪৯ সালে লেখা এই উপন্যাসে অরওয়েল ১৯৮৪ সালের পৃথিবীর কথা কল্পনা করেছেন, যেখানে বাক-স্বাধীনতার কোনো স্থান নেই, এবং মানুষের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সরকার পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই উপন্যাসের একটি বিখ্যাত সংলাপ ছিলো "Big brother is watching you", অর্থাৎ বড় ভাই তোমাকে নজরে রাখছে। উপন্যাসে দেখানো হয়েছিলো, প্রতিটি বাড়ির ভেতরের দেয়ালে একটি যান্ত্রিক পর্দা রয়েছে, যার মাধ্যমে সরকার বাড়ির অধিবাসীদের উপরে নজর রাখতে পারে। এই সংলাপটির মাধ্যমে Big Brother শব্দটি ইংরেজি গণমাধ্যমে সরকারী নজরদারীর প্রতীক হিসাবে প্রচলিত হয়ে যায়। ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস লাইব্রেরি প্রণীত বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ১০০টি ইংরেজি উপন্যাস'''মাইকেল আড্রিয়ান ক্যারিক''' (জন্ম জুলাই ২৮, ১৯৮১) একজন ইংরেজ ফুটবলার যিনি বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে মধ্যামাঠে খেলেন। == ক্যারিয়ার == == সম্মাননা == এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ: ২০০৬/০৭ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Profile at Man Utd Website Football Fans Articles about Michael Carrick ইউনাইটেড খেলোয়াড় লীগ খেলোয়াড় ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় ফুটবলার জন্ম'''চোরি চোরি চুপকে চুপকে''' একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। এটি ২০০১ সালের মার্চ তারিখে মুক্তি পায়। == অভিনয় == সালমান খান রাজ মালহোতরা রানী মুখার্জী প্রিয়া মালহোতরা প্রীতি জিন্তা মধুবালা অমরিশ পুরি কালিশনাথ মালহোতরা ফরিদা জালাল আশা মালহোতরা জনি লিভার পাপ্পু ভাই == কাহিনী == == বহিঃসংযোগ == ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রপ্যারিসের রাস্তায় মেট্রো ব্যবস্থায় প্রবেশপথের প্রতীক '''প্যারিস মেট্রো''' () ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। এটি প্যারিসের অন্যতম একটি প্রতীক। ব্যবস্থাটি এর "আর নুভো"-প্রভাবিত (ফরাসি ভাষায় Art Nouveau) সুষম স্থাপত্যের কারণে পরিচিত। মেট্রোটিতে রয়েছে ১৬টি চক্রপথ বা লাইন, যাদের বেশিরভাগই ভূগর্ভে অবস্থিত। রেলপথগুলির মোট দৈর্ঘ্য ২১৪ কিলোমিটার; বিরতিস্থল বা স্টেশনের সংখ্যা ৩০০। প্যারিস মেট্রোর বিরতিস্থলগুলি খুব কাছাকাছি স্থাপিত এবং এগুলি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি স্থাপিত স্টেশন। প্যারিস শহরের ১০৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার ভেতরে ২৪৫টি বিরতিস্থল আছে। লাইনগুলি থেকে ১৪ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরে নামাঙ্কিত। দুইটি গৌণ লাইন আছে যারা ৩বিস (অর্থাৎ "অতিরিক্ত ৩") এবং ৭বিস ((অর্থাৎ "অতিরিক্ত ৭")) নামে পরিচিত; এগুলি আগে ৭নং লাইনের অংশ ছিল কিন্তু বর্তমানে আলাদা লাইন হিসেবে পরিগণিত হয়। লাইনগুলিকে মেট্রো ব্যবস্থার মানচিত্রে ক্রমিক নম্বর রঙ দিয়ে আলাদা করা যায়। শেষ বিরতিস্থল দিয়ে ট্রেনের গতিপথ বোঝানো হয়। প্যারিস মেট্রো মস্কোর পরেই ইউরোপের ২য় ব্যস্ততম দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। এটি প্রতিদিন ৪৫ লক্ষ যাত্রী ব্যবহার করে। ২০০৫ সালে এটি ১৩০ কোটি যাত্রীকে পরিবহন সেবা প্রদান করে। শাৎ‌লে লে আল (ফরাসি ভাষায় Châtelet Les Halles ''শাৎল্যা লে আল্‌'' আ-ধ্ব-ব: /ʃatlɛ le al/) বিশ্বের বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ রেলস্টেশন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা'''১৯২৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা''', যা প্রথম শীতকালীন অলিম্পিক নামে পরিচিত, ১৯২৪ সালে ফ্রান্সের শামোনিক্স-এ অনুষ্ঠিত হয়। এটিকে শুরুতে বলা হয়েছিল সোমেন দে স্পর দিভের (Semaine des Sports d'Hiver, "আন্তর্জাতিক শীতকালীন ক্রীড়া সপ্তাহ") যা ১৯২৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌স-এর সাথে সংঘটিত হয়েছিল। মূল ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি মোঁ ব্লা-র পাদদেশে শামোনিক্স (Chamonix), ওত-সাভোয়া এলাকায় ২৫শে জানুয়ারি ৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। == আরও দেখুন == গেমস অলিম্পিক গেমস'''প্রাইম ইউনিভার্সিটি''' বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসি দ্বারা অনুমোদিত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে এসএসসি এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ানো হয়। == বিভাগ সমূহ == প্রকৌশল অনুষদ: ১. সিএসই বিভাগ, ২. ইইই বিভাগ, ৩. ইটিই বিভাগ, ৪. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। তথ্য-প্রযুক্তি অনুষদ:১. কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ: ১. বিবিএ, ২. বিজনেস ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ। আইন অনুষদ: ১. আইন বিভাগ। কলা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ: ১. ইংরেজি বিভাগ, ২. শিক্ষা বিভাগ, ৩. বাংলা বিভাগ। == অনুষদসমূহ == এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি বিভাগের অধীনে ৫টি অনুষদ রয়েছে: প্রকৌশল অনুষদ তথ্য প্রযুক্তি অনুষদ বাবস্যাহিক শিক্ষা অনুষদ শিল্প এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ আইন অনুষদ ==আরও দেখুন== সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== প্রাইম এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত'''কোচেরিল রমন নারায়ানান''' (; ২৭ অক্টোবর ১৯২০ নভেম্বর ২০০৫) ভারতের ১০ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। == প্রাথমিক জীবন == == কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদ == == পরিবার == == সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপরাষ্ট্রপতি == == রাষ্ট্রপতিত্ব == === রাষ্ট্রপতির বিচক্ষণতার পরিচয় === === সামাজিক অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার জন্য উদ্বেগ === === কার্যালয় ত্যাগ === == পরবর্তী জীবন == == কে. আর. নারায়ানান ফাউন্ডেশন == == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == রাষ্ট্রপতি মৃত্যু থেকে লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:দশম লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:নবম লোকসভার সদস্য লোকসভার সদস্য উপরাষ্ট্রপতি থেকে মানুষ থেকে মানুষ রাজনীতিবিদ ব্যক্তিত্ব থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্কুল অব ইকোনমিক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জন্মকিরিবাসে গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ কিরিবাস একটি দ্বীপরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম --- চার গোলার্ধে অবস্থিত ৩২টি প্রবাল অ্যাটল ১টি দ্বীপ নিয়ে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি গঠিত। প্রশান্ত মহাসাগরের যে অংশ জুড়ে এগুলি অবস্থিত, তার আয়তন মহাদেশীয় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি। দ্বীপগুলি তিনটি প্রধান দলে বিভক্ত: গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ, ফিনিক্স দ্বীপপুঞ্জ লাইন দ্বীপপুঞ্জ। ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখাকে সরানো হয় যাতে কিরিবাসের সর্বত্র একই দিন হয়। কিরিবাসে বেশির ভাগ দ্বীপ সমুদ্র সমতল থেকে মিটারের কম উচ্চতায় অবস্থিত। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন ২১শ শতকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দ্বীপগুলি সম্পূর্ণ ডুবে যেতে পারে। বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল ভূগোল__NOTOC__ '''১৪৭''' ('''CXLXVII''') জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি শনিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর মেসসালাইনাস লারগুস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৯০১ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ১৪৭ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। == ঘটনাবলী == === এলাকা অনুসারে === === বিষয় অনুসারে === == জন্ম == == মৃত্যু == == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:১৪৭চিত্র:China 100.78713E উপগ্রহ থেকে তোলা চীনের আলোকচিত্র। চীন এশিয়া মহদেশের পূর্ব অঞ্চলে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত। চীনের স্থলভাগের আয়তন প্রায় ৯৬ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে চীন এশিয়ার বৃহত্তম দেশ এবং রাশিয়া কানাডার পর চীন বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। উত্তর-দক্ষিণে চীন মোহো অঞ্চলের উত্তরের হেইলুংচিয়াং (চীনা: 黑龙江省; ফিনিন: Hēilóngjiāng) নদীর কেন্দ্রস্থল অর্থাৎ ৫৩.৩০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে দক্ষিণে নানশা দ্বীপপুঞ্জের (চীনা: 南沙群岛) চেনমু-আনসা অর্থাৎ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। চীনের সর্বদক্ষিণ আর সর্বউত্তর প্রান্তের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ৫৫০০ কিলোমিটার। পূর্ব-পশ্চিমে চীন পূর্বের হেইলুংচিয়াং নদী আর উসুলিচিয়াং (চীনা: 乌苏里江) নদীর সঙ্গমস্থল অর্থাৎ ১৩৫.০৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে পশ্চিমে পামির মালভূমি অর্থাৎ ৭৩.৪০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশটির পূর্ব আর পশ্চিম প্রান্তের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার। চীনের স্থলসীমার দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,৮০০ কিলোমিটার। চীনের পূর্ব দিকে উত্তর কোরিয়া উত্তর দিকে মঙ্গোলিয়া উত্তর -পূর্ব দিকে রাশিয়া, উত্তর-পশ্চিম দিকে কাজাকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ভারত, নেপাল, ভুটান, দক্ষিণ দিকে মিয়ানমার, লাওস ভিয়েতনাম। পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে চীনের সমুদ্র সীমানা রয়েছে। == জলসীমা দ্বীপসমূহ == চীনের মূলভূভাগের তটরেখা উত্তর দিকের ইয়ালুচিয়াং (চীনা: 鸭绿江) নদীর মোহনা থেকে দক্ষিণ দিকের কুয়াংসি (চীনা: 广西) স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের পেইলুন হো (চীনা: 北仑河) নদীর মোহনা পর্যন্ত বিস্তৃত; এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ হাজার কিলোমিটার। চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমিরূপ সমতল এবং এখানে বহু বিখ্যাত বন্দর অবস্থিত। এই বন্দরগুলির বেশির ভাগই সারা বছর বরফমুক্ত থাকে। চীনের নিকটে পোহাই সাগর, হুয়াংহাই সাগর, পূর্ব সাগর, নানহাই সাগর এবং তাইওয়ানের পূর্ব অঞ্চলের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সহ পাঁচটি সাগর রয়েছে এগুলির মধ্যে পোহাই সাগর চীনের অভ্যন্তরীণ সাগর। তাইওয়ানের পূর্বদিকের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল পূর্বদিকে জাপানের রিইউকিয়ু দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমের সাখি সীমা দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণ দিকের বাস প্রণালী পর্যন্ত বিস্তৃত। চীনের অভ্যন্তরীণ নদী আর সামুদ্রিক জলসীমা নিয়ে গঠিত সামুদ্রিক অঞ্চলের মোট আয়তন লক্ষ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার। চীনের সামুদ্রিক অঞ্চলে ৫০০০-এরও বেশি দ্বীপ রয়েছে। এগুলির মোট আয়তন প্রায় ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার। দ্বীপগুলির তটরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার। দ্বীপগুলির মধ্যে বৃহত্তম তাইওয়ান দ্বীপের আয়তন ৩৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। দ্বিতীয় বৃহত্তম হাইনান দ্বীপের আয়তন ৩৪ হজার বর্গকিলোমিটার। তাইওয়ান দ্বীপের উত্তর-পূর্ব সমুদ্রে অবস্থিত তিয়াও ইয়ু তাও দ্বীপ ছিওয়েই ইয়ু দ্বীপ চীনের সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ। দক্ষিণ চীন সমুদ্রে ছড়িয়ে থাকা দ্বীপ, নানহাই দ্বীপপুঞ্জ নামে ডাকা হয়। এটি চীনের সবচেয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জ। অবস্থান অনুযায়ী এগুলোকে তুঙসা দ্বীপপুঞ্জ, সিসা দ্বীপপুঞ্জ এবং নানসা দ্বীপপুঞ্জ নামে ডাকা হয়।এছাড়াও চিনের == ভূমিরূপ == চীন একটি পর্বতময় দেশ। এর মোট আয়তনের দুই-তৃতীয়াংশ পর্বত, ছোট পাহাড় এবং মালভূমি নিয়ে গঠিত। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে চীনের ৩৩% উঁচু পর্বত,২৬% মালভূমি,১৯% অববাহিকা,১২% সমতলভূমি এবং প্রায় ১০% ক্ষুদ্র পাহাড়। কয়েক মিলিয়ন বছর আগে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি সৃষ্টি হয়। আকাশ থেকে দেখলে মনে হবে চীনের ভূভাগ সিঁড়ির মতো পশ্চিম দিক থেকে পূর্বদিকে ধাপে ধাপে নেমে গেছে। সমুদ্র সমতল থেকে ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির গড় উচ্চতা ৪০০০ মিটারের বেশি বলে মালভূমিটি "বিশ্বের ছাদ" নামে পরিচিত; এটি চীনের ভূমিরূপের প্রথম সিঁড়ি গঠন করেছে। মালভূমিটিতে অবস্থিত হিমালয়ের অন্যতম প্রধান পর্বতশৃঙ্গ চুমোলাংমা শৃঙ্গের উচ্চতা ৮৮৪৮.১৩ মিটার। আন্তঃমঙ্গোলিয়া মালভূমি,দো-আঁশ মালভূমি এবং থালিমু অববাহিকা, চুনগার অববাহিকা সিছুয়ান অববাহিকা নিয়ে চীনের ভূগোলের দ্বিতীয় সিড়ি গঠিত। এর গড় উচ্চতা ১০০০-২০০০ মিটার। দ্বিতীয় সিড়ির পূর্বপ্রান্ত অতিক্রম করে বড় সিং আনলিন পর্বত, থাইহান শ্যান পাহাড়, উশ্যান পাহাড়, আরস্যুয়ে ফোং শ্যান পাহাড় পূর্বদিকের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বিস্তৃত হয়েছ; এটি তৃতীয় সিঁড়ি তৃতীয় সিঁড়ির ভূখন্ড ৫০০-১০০০ মিটার নিচে নেমে গেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ দিক পর্যন্ত বিস্তৃত তৃতীয় সিঁড়িতে উত্তর চীন সমতল-ভূমি, ইয়াংসি নদীর মধ্য নিম্ন অববাহিকা সমতল-ভূমি আর সমতল-ভূমির প্রান্তে নিচু ক্ষুদ্র পাহাড় ছড়িয়ে আছে। এরও পূর্বদিকে চীনের মহাদেশীয় সোপান তথা স্বল্প গভীর সাগরীয় এলাকা অর্থাৎ চতুর্থ সিঁড়িটি বিস্তৃত; এর গভীরতা ২০০ মিটারের কিছু কম। == পর্বতমালা == চীনের বৃহত্তম পর্বতমালাগুলির মধ্যে হিমালয় পর্বতমালা, খুনলুনশান পর্বতমালা (昆仑山), থিয়েনশান পর্বতমালা (天山), থাংকুলাশান পর্বতমালা (唐古拉山), ছিনলিন পর্বতমালা (秦岭), বৃহত্তর সিংআনলিন পর্বতমালা (大兴安岭), থাইহাংশান পর্বতমালা (太行山), ছিলিয়েনশান পর্বতমালা (祁连山) এবং হাংতুয়ানশান পর্বতমালা (横断山脉) উল্লেখযোগ্য। === হিমালয় পর্বতমালা === হিমালয় পর্বতমালা বক্রাকারে ভারত আর নেপাল-সংলগ্ন চীন সীমান্তে ২৪০০ কিলোমিটার ধরে বিস্তৃত। সমুদ্র সমতল থেকে এর গড় উচ্চতা ৬০০০ মিটার। এটি বিশ্বের উচ্চতম বৃহত্তম পর্বতমালা। === খুনলুনশান পর্বতমালা === পশ্চিমের পামির মালভূমি থেকে পূর্ব দিকে চীনের সিছুয়াং প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত খুনলুনশান পর্বতের দৈর্ঘ্য ২৫০০ কিলোমিটার। সমুদ্র সমতল থেকে এর গড় উচ্চতা ৫০০০-৭০০০ মিটার। এর উচ্চতম শৃঙ্গ কোংগার পর্বতের উচ্চতা হলো ৭৭১৯ মিটার। === থিয়েনশান পর্বতমালা === থিয়েনশান পর্বতমালা উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যাংশে বিস্তৃত। এর গড় উচ্চতা ৩০০০-৫০০০ মিটার এবং এর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ থোমোরের উচ্চতা ৭৪৫৫.৩ মিটার। === থাংকুলাশান পর্বতমালা === থাংকুলাশান পর্বতমালা ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির মধ্যাংশে অবস্থিত। এর গড় উচ্চতা ৬০০০ মিটার। এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কালাতানতং শৃঙ্গের উচ্চতা ৬৬২১ মিটার। এটি চীনের দীর্ঘতম নদী ছাংচিয়াং নদীর উত্স === ছিনলিন পর্বতমালা === পশ্চিম চীনের কানসু প্রদেশের পূর্ব দিক থেকে পূর্ব চীনের হোনান প্রদেশের পশ্চিম দিক পর্যন্ত বিস্তৃত এই পর্বতমালার গড় উচ্চতা হলো ২০০০-৩০০০ মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ থাইপাইশানের উচ্চতা ৩৭৬৭ মিটার। ছিনলিন পর্বতমালা চীনের দক্ষিণাঞ্চল উত্তরাঞ্চলের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক সীমারেখা গঠন করেছে। === বৃহত্তর সিং আনলিন পর্বতমালা === উত্তর দিকে উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলুংচিয়াং প্রদেশের মোহো থেকে দক্ষিণ দিকে পুরানো হাহো নদীর উত্তর অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত বড় সিং আনলিন পর্বতমালার দৈর্ঘ্য ১০০০ কিলোমিটার। এর গড় উচ্চতা ১৫০০ মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ সামুদ্রিক উচ্চতা ২০২৯ মিটার। === থাইহাং পর্বতমালা === থাইহাং পর্বতমালা উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে হুয়াংথু মালভূমির পূর্ব-প্রান্তে অবস্থিত। এর দৈর্ঘ্য ৪০০ কিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা ১৫০০-২০০০মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ ক্ষুদ্র থাইশ্যানের উচ্চতা ২৮৮২ মিটার। === ছিলিয়েনশান পর্বতমালা === ছিলিয়েনশ্যান পর্বতমালা ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির উত্তর-পূর্ব প্রান্তে বিস্তৃত। এর গড় উচ্চতা ৪০০০ মিটারের বেশি। ছিলিয়েনশ্যান পর্বতমালার প্রধান শৃঙ্গের সামুদ্রিক উচ্চতা ৫৫৪৭ মিটার। === হেংতুয়ানশান পর্বতমালা === হেংতুয়ানশ্যান পর্বতমালা ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অর্থাৎ তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং সিছুয়ান ইউন্নান প্রদেশের সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত। এর গড় উচ্চতা ২০০০-৬০০০মিটার। এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোংগাশানের উচ্চতা ৭৫৫৬ মিটার। === তাইওয়ান পর্বতমালা === তাইওয়ান পর্বতমালা তাইওয়ান দ্বীপের পূর্ব দিকের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত। এর গড় উচ্চতা ৩০০০-৩৫০০ মিটার। এর প্রধান শৃঙ্গ ইয়ুশানের উচ্চতা ৩৯৫২ মিটার। এছাড়াও হুয়াংশান, থাইশান, হুয়াশান, সোংশান, হেংশান, হ্যানশান, অ্যামেইশান, লুশান, উতাংশান, ইয়েনতাংশান, ইত্যাদি চীনের উল্লেখযোগ্য কিছু পর্বতমালা। == নদনদী == ছাংচিয়াং নদী, নানচিং শহরের কাছে (২০০৬ সালে তোলা ছবি) হুয়াংহো নদী, ছিংহাই প্রদেশ (২০০৪ সালে তোলা ছবি) চীন একটি নদীবহুল দেশ। চীনের ১৫০০টিরও বেশি নদীর অববাহিকার আয়তন ১০০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি। চীনের নদীগুলিকে অভ্যন্তরীণ নদী বহির্গামী নদী---এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। সমুদ্রে প্রবাহিত হওয়া বহির্গামী নদীগুলোর অববাহিকার আয়তন চীনের স্থলভাগের মোট আয়তনের ৬৪%। ছাংচিয়াং নদী, হুয়াংহো নদী, হেইলুংচিয়াং নদী, চুচিয়াং নদী, লিয়াও হো নদী, হাইহো নদী, হুয়াইহো নদী, ইত্যাদি নদী পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয়েছে। তিব্বতের ইয়ালুচাংবু চিয়াং নদী পূর্ব দিক থেকে সীমান্ত পার হয়ে দক্ষিণ দিকে ভারত মহাসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। ইয়ালুচাংবু নদী ৫০৪.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ; এটি ৬০০৯ মিটার গভীরতার বিশ্বের বৃহত্তম গিরিখাদ ইয়ালুচাংবু নদী গিরিখাদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সিনচিয়াংয়ের আরচিস নদী উত্তর দিক থেকে সীমান্ত পার হয়ে উত্তর মহাসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। যেসব অভ্যন্তরীণ নদী অভ্যন্তরীণ হ্রদে পতিত হয়েছে অথবা মরুভূমিতে বা লবণাক্ত সমুদ্র –সৈকতে অদৃশ্য হয়েছে, সেসব অভ্যন্তরীণ নদীর অববাহিকার আয়তন চীনের স্থলভাগের মোট আয়তনের প্রায় ৩৬%। ছাংচিয়াং (চীনা লিপিতে: 长江 ফিনিন: Chang Jiang; ইংরেজি ভাষায়: Yangtze River) নদী চীনের দীর্ঘতম নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ৬৩০০ কিলোমিটার। আফ্রিকার নীল নদ আর দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান নদীর পর ছাংচিয়াং নদী বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম নদী। উঁচু পাহাড় আর গভীর গিরিখাদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ছাংচিয়াং নদীর অববাহিকা পানি শক্তিসম্পদে সমৃদ্ধ। নদীটির মধ্য নিম্ন অববাহিকার আবহাওয়া উষ্ণ আর্দ্র; এখানে প্রচুর বৃষ্টি হয়। মাটি উর্বর বলে অঞ্চলটি চীনের একটি কৃষি শিল্প সমৃদ্ধ অঞ্চল হুয়াংহো নদী চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ৫৪৬৪ কিলোমিটার। হুয়াংহো নদীর অববাহিকার পশুচারণ ভূমি বেশ উর্বর খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এই নদীর অববাহিকাতে চীনের প্রাচীনতম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। হেইলুংচিয়াং নদী উত্তর চীনের একটি বড় নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ৪৩৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩১০১ কিলোমিটার চীনের অভ্যন্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। চুচিয়াং নদী দক্ষিণ চীনের একটি বড় নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ২২৪১ কিলোমিটার। দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের থালিমো নদী চীনের দীর্ঘতম অভ্যন্তরীণ নদী। এর মোট দৈর্ঘ্য ২১৭৯ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক নদী ছাড়া চীনে মানুষের তৈরি একটি বিখ্যাত নদীও রয়েছে। এটি হল দক্ষিণ থেকে উত্তর-মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মহাখাল। পঞ্চম শতাব্দীতে মহাখালটির খনন কাজ শুরু হয়। উত্তর দিকের পেইচাং থেকে দক্ষিণ দিকের পূর্ব চীনের চেচিয়াং প্রদেশের হাংচৌ পর্যন্ত বিস্তৃত মহাখালটি হাইহো নদী, হুয়াংহো নদী, হুয়াইহো নদী, ছাংচিয়াং নদী এবং ছিয়েনথাংচিয়াং নদীন---এই পাঁচটি বড় নদীকে সংযুক্ত করেছে। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৮০১ কিলোমিটার। মহাখালটি বিশ্বের দীর্ঘতম খালগুলির একটি। ==তথ্যসূত্র== বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল বিষয়শ্রেণী:চীন ভূগোলগ্রিসের মূল ভূখণ্ড দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। গ্রিসের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর, পশ্চিমে ইয়োনীয় সাগর, পূর্বে এজীয় সাগর তুরস্ক এবং উত্তরে বুলগেরিয়া, ম্যাসেডোনিয়া আলবেনিয়া। গ্রিসের ৮০%-ই পর্বতময়। গ্রিসের অঞ্চলভেদে জলবায়ুর তারতম্য দেখা যায়। পশ্চিমে উচ্চ পর্বতমালাগুলিতে আল্পীয় জলবায়ু, উপকূলীয় এলাকা দ্বীপগুলিতে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু এবং ম্যাসিডোনিয়া অঞ্চলে নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। অলিম্পাস (২৯১৯ মিটার) গ্রিসের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল ভূগোলআয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন সাম্প্রতিক সালের হিসাব অণুযায়ী ১৯৪৭ কিমি রেলপথ, ১,১৭,৩১৮ কিমি সড়কপথ (যার মধ্যে ৩২৫ কিমি মহাসড়ক), এবং ৭৫৩ কিমি দীর্ঘ জলপথ বিদ্যমান। ডাবলিন, শ্যানন কর্ক তিনটি প্রধান বিমানবন্দর। Bus Éireann নামের সরকারি বাস সংস্থা বহুল ব্যবহৃত। এছাড়াও আছে অনেক সমুদ্রবন্দর, যেমন ডাবলিন, কর্ক, বেলফাস্ট, ইত্যাদি। == আরও দেখুন == পরিবহন বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী পরিবহনএই নিবন্ধটি গোমস্তাপুর উপজেলা সম্পর্কিত। ইউনিয়নের জন্য গোমস্তাপুর ইউনিয়ন নিবন্ধ দেখুন। '''গোমস্তাপুর উপজেলা''' বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। == অবস্থান আয়তন == এই উপজেলাটি মোট আয়তন ৩২৮.১৩ বর্গ কিলোমিটার। উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৪°৪৪' এবং ২৪°৫৮' অক্ষাংশ পূর্ব গোলার্ধে ৮৮.১৩ এবং ৮৮.৫৮ দ্রাঘিমাংশের অবস্থিত। উত্তরে ভারত, পূর্বে পোরশা উপজেলা নিয়ামতপুর উপজেলা, দক্ষিণে শিবগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে ভোলাহাট উপজেলা। == ইতিহাস == এক সময় এখানে রাজার গোমস্তারা বসবাস করত সে সময় থেকে এই উপজেলার নাম গোমস্তাপুর রাখা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা ০৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয়। সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গোমস্তাপুর থানার কার্যক্রম চালু হয়। এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে গোমস্তাপুরের সভ্যতা বহুপ্রাচীন। এছাড়াও এলাকায় কিছুক্ষুদ্র জাতিসত্বা বসবাস করে যাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি রয়েছে। ;মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গোমস্তাপুর উপজেলা নং সেক্টরের অধীনে ছিল। পাক সেনারা রহনপুর এ. বি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গড়ে তোলে সেনা ক্যাম্প। অত্র এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর লেফটেন্যান্ট রফিকের নেতৃত্বে পাক সেনাদেরকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হন। সেই থেকে গোমস্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর দিনটিকে রহনপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। Upazilla Parishad, অবস্থিত উপজেলা পরিষদ অফিস এর প্রধান ফটক == ভৌগোলিক উপাত্ত == == ভাষা সংষ্কৃতি == গোমস্তাপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ওসংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এইউপজেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ তথা রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য উপজেলাসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহা প্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। উপজেলায় সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও, মাহালী প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস লক্ষ্য করা যায়। এবং এসব জনগোষ্ঠির স্বতন্ত্র ভাষা সংস্কৃতির প্রভাব আশে পাশের অঞ্চলেও বিশেষ ভাবে লক্ষনীয়। == প্রশাসনিক এলাকা == এই উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ হচ্ছে রহনপুর ইউনিয়ন গোমস্তাপুর ইউনিয়ন চৌডালা ইউনিয়ন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পার্বতীপুর ইউনিয়ন রাধানগর ইউনিয়ন আলীনগর ইউনিয়ন বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এই এলাকার জনসংখ্যা ২,৪০,১২৩ জন; এর মধ্যে পুরুষ ১,২২,৩২৫ জন মহিলা ১,১৭,৭৯৮ জন। এখানে মুসলিম ২,২২,৫৬৮ জন, হিন্দু ১৪,৪২০ জন, বৌদ্ধ ১,৬২৪ জন, খ্রিস্টান ৫০ জন এবং অন্যান্য ১,৪৬১ জন। == স্বাস্থ্য == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ== গোমস্তাপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গোমস্তাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গোমস্তাপুর সোলেমান মিঞা ডিগ্রি কলেজ গোমস্তাপুর ফুলবাগান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গোমস্তাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গোমস্তাপুর গার্লস একাডেমী গোমস্তাপুর বি এম কলেজ হোগলা উচ্চ বিদ্যালয় হোগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নযাদিয়াড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শেরশাবাদ আঃ সোবহান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়াদিয়াড়ী হাজি ইয়াকুব আলি মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় == কৃষি == == অর্থনীতি == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == #মু জিয়াউর রহমান #মোঃ হুমায়ুন রেজা #মৃত আঃ খালেক বিশ্বাস == দর্শনীয় স্থান স্থাপনা == নওদা বুরুজ এক গম্বুজ বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র শাহাপুর গড় রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সদা বাবার মাজার রহনপুর অষ্টভূজি ইমারত == বিবিধ == == আরও দেখুন == বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা; রাজশাহী বিভাগ। == তথ্যসুত্র == ==বহিঃসংযোগ== গোমস্তাপুর উপজেলা জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গোমস্তাপুর উপজেলা বাংলাপিডিয়া। জেলার উপজেলা বিভাগের উপজেলা উপজেলাচেক: প্রাগ, praɦa (শুনতে), জার্মানি: Prag মূলধন চেক প্রজাতন্ত্রের বৃহত্তম শহর। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪তম বৃহত্তম শহর। এছাড়াও বোহেমিয়ার ঐতিহাসিক রাজধানী। Vltava নদীর ওপর দেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর বাড়ি সম্পর্কে ১.২৬ মিলিয়ন মানুষ, যখন তার বড় শহুরে জোন প্রায় মিলিয়ন জনসংখ্যার আছে বলে অনুমান করা হয়। শহর একটি নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ, উষ্ণ গ্রীষ্মকালে এবং ঠাণ্ডা শীতকালে সঙ্গে. প্রাগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার হয়েছে। প্রাগ ওয়াক্সিং এবং তার ১১০০ বছরের অস্তিত্বের সময় ভাগ্য ক্ষীয়মাণ সঙ্গে মধ্য ইউরোপের একটি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়েছে। রোমান সময় প্রতিষ্ঠিত এবং গথিক, রেনেসাঁ এবং বারোক যুগের দ্বারা সমৃদ্ধ, প্রাগ শুধুমাত্র চেক রাজ্যের রাজধানী নয়, বরং দুই পবিত্র রোমান সম্রাট সীট এবং এইভাবে এছাড়াও পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এটা Habsburg রাজতন্ত্র এবং তার সাম্রাজ্যের এবং বিশ্বযুদ্ধের পর আমি রাজধানী ওঠে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। শহর বোহেমিয়ান এবং প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার, থার্টি ইয়ার্স ওয়ার, এবং বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে প্রধান ভূমিকা পালন, উভয় বিশ্বযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর কমিউনিস্ট আমলে। প্রাগ বিখ্যাত সাংস্কৃতিক আকর্ষণ, যা অনেক সহিংসতা বিংশ শতাব্দীর ইউরোপের ধবংস থেকে রক্ষা পেয়েছিল একটি নম্বর থেকে বাড়িতে. প্রধান আকর্ষণ প্রাগ কাসল, চার্লস ব্রিজ, ওল্ড টাউন স্কয়ার প্রাগ জ্যোতির্বিদ্যা ঘড়ি সঙ্গে, ইহুদি কোয়ার্টার, Petřín পাহাড় Vyšehrad অন্তর্ভুক্ত. 1992 সাল থেকে, প্রাগ ব্যাপক ঐতিহাসিক কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ইউনেস্কো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে. শহর, অধিক দশ প্রধান জাদুঘর boasts অনেক থিয়েটার, গ্যালারী, সিনেমা, এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক চিত্র প্রদর্শনীতেও সঙ্গে বরাবর. একটি ব্যাপক আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা শহর সংযোগ করে. এছাড়াও, এটা প্রাগের চার্লস ইউনিভার্সিটি, মধ্য ইউরোপ প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় সহ সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়, বিস্তৃত করা হয়। প্রাগ GaWC গবেষণা অনুযায়ী একটি "Alpha-" বিশ্বব্যাপী শহর হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, ভিয়েনা তুলনীয় সিউল ওয়াশিংটন ডিসি প্রাগ ষষ্ঠ সেরা গন্তব্যস্থল TripAdvisor বিশ্বের তালিকায় ২০১৬ তম স্থান তার সমৃদ্ধ ইতিহাস এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য করে তোলে, এবং শহর, বার্ষিক বেশি 6.4 মিলিয়ন আন্তর্জাতিক দর্শক পায় ২০১৪। প্রাগ যেমন লন্ডন, প্যারিস, ইস্তানবুল এবং রোম পর পঞ্চম সর্বাধিক দেখা ইউরোপীয় শহর। প্রাগের জীবিতদের কম খরচে এটা ইউরোপ স্থানান্তর পূর্বসূরী জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:চেক প্রজাতন্ত্রের শহর রাজধানী'''রমজান''' বা '''রামাদান''' (আরবি: رمضان ফার্সি: رمضان ইসলামি বর্ষপঞ্জির ৯ম মাস এবং ইসলাম ধর্মমতে সবচেয়ে পবিত্রতম মাস এটি। এই মাসে মুসলমানগণ ধর্ম চর্চার অংশ হিসেবে ভোর থেকে সুর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার যৌনক্রিয়াদি বর্জন করে থাকেন। একে আরবীতে 'সিয়াম' বলে; বাংলাদেশে যা মুলতঃ 'রোযা' বলে পরিচিত। ==ঘটনাবলী== এই মাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি হল: রমজান ঈসা (আ:) তাওরাত প্রাপ্ত হন। ১০ রমজান মুহাম্মদ (স:) এর প্রথম স্ত্রী খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ইন্তেকাল করেন। ২০ রমজান মুহাম্মদ (স:) মক্কা বিজয় করেন। মাসটির শেষ দশ দিনে (সাধারণত বিজোড় রাতে) লাইলাতুল কদর পালন করা হয়। মুসলমানরা এই রাত্রিকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত্রি বলে বিশ্বাস করেন। হাদীসে লাইলাতুল কদরের ইবাদতের দ্বারা এক হাজার মাস (৮৩ বছর চার মাস) এর ইবাদতের সমপরিমান ছওয়াব পাওয়ার কথা বলা হয়েছ। == আরও দেখুন == ইসলামি বর্ষপঞ্জি। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ইসলামী-পশ্চিমী পঞ্জিকা রূপান্তরকারী (গণনাসংক্রান্ত বা ট্যাবুলার পঞ্জিকার উপর ভিত্তি করে)। মক্কার জন্য ইসলামী পঞ্জিকা হিজরি পঞ্জিকা। গ্রেগরিয়ান এবং হিজরি দিনের পারস্পরিক পরিবর্তন (দ্বিমুখী)। হিজরি মাসের সার-সংক্ষিপ্ত। কপিরাইটযুক্ত) পঞ্জিকার মাস== ঘটনার তালিকা == == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == জার্মানি, ইতালির ত্রিপক্ষীয় মৈত্রিচুক্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে ফ্রান্স, রাশিয়া যুক্তরাজ্যের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের (triple entente) সৃষ্টি। == জন্ম == জানুয়ারি রে মিলান্ড, ওয়েলসীয় অভিনেতা। ১২ মে ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী। ১৩ মে ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই, ইংরেজ লেখক। ১৪ মে আইয়ুব খান, পাকিস্তানের ২য় রাষ্ট্রপতি। ২২ মে এর্জে, বেলজীয় কমিক্স লেখক চিত্রকর। ২২ মে লরন্স অলিভিয়ে, ইংরেজ অভিনেতা পরিচালক। জুলাই ফ্রিদা কাহলো, মেক্সিকান চিত্রশিল্পী। ১৬ জুলাই বারবারা স্ট্যানউইক, মার্কিন অভিনেত্রী। ৩১ আগস্ট রামোন ম্যাগসেসে, ফিলিপাইনের ৭ম রাষ্ট্রপতি। ১৮ সেপ্টেম্বর এডউইন মাটিসন ম্যাকমিলান নোবেল পুরুস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। ২২ ডিসেম্বর পেগি অ্যাশক্রফ্‌ট, ব্রিটিশ অভিনেত্রী। == মৃত্যু ==+'''অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনির '''জাত''' ব্যঞ্জন '''বায়ুর সঞ্চালক''' ফুসফুস '''বায়ুর অভিমুখ''' বহির্গামী '''বায়ুর পথ''' কেন্দ্রিক '''ঘোষতা''' অঘোষ '''উচ্চারক''' জিহ্বগ্র মূর্ধন্য ঊষ্ম '''অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনি''' একটা ব্যঞ্জনধ্বনি। এই ব্যঞ্জনধ্বনিটা বিশ্বের অনেকগুলো কথ্য ভাষায় ধ্বনিমূলক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আইপিএতে বর্তমান বাংলা লিপিতে নেই, তবু প্রাচীন বাংলায় ষ্‌‌‌‌‌ === বাংলা ভাষায় === বাংলা বর্ণমালায় যদিও "ষ" অক্ষরটি "মূর্ধন্য ষ" নামে পরিচিত, বর্তমান বাংলা ভাষায় এই বর্ণের মূল উচ্চারণ হল তালব্য বা এভাবে "ষ" অক্ষর "শ" বর্ণের উচ্চারণে কোনও পার্থক্য নেই, যেমন "ষাট", "ঋষি", "চাষ", ইত্যাদি। === অন্যান্য ভাষায় === অঘোষ মূর্ধন্য ঊষ্মধ্বনিটি অনেকগুলো ভাষায় ব্যবহৃত। কিছু কিছু ভাষায় তার উচ্চারণস্থান মূর্ধন্যও এবং হতে পারে, যেমন ম্যান্ডারিন চীনা, পোলীয়, রুশ ভাষা ইত্যাদি। কিছু কিছু ভাষায় "র" আর "স" একসাথে লাগিয়ে থাকলে এই ধ্বনিটি উচ্চারিত হয়, যেমন সুয়েডীয় ভাষার Helsingfors (হেলসিঙ্কির সুয়েডীয় নাম)। ধ্বনিমূলক বর্ণমালা'''অ্যাবসিসিক অ্যাসিড''' (Abscisic Acid) গাছের এক ধরনের হর্মোন যা পাতা ফলের ঝরে পড়ার (Abscision "অ্যাবসিসন") নিয়ন্ত্রক হিসাবে প্রথমে আবিষ্কৃত হয়। তবে এখন ঝরে পড়া ছারাও এর আরো বহু কাজ জানা গেছে, বিশেহ করে জলাভাব বা অন্য যেকোন প্রতিকূল পরিবেশে এই হর্মোন গাছের বাঁচার পক্ষে জরুরি। এর সংকেত C15H20O4। == তথ্যসূত্র == হর্মোন বিষয়শ্রেণী:জৈব এসিড() ইরাকের একটি প্রদেশ। এটি বাগদাদ শহরের উত্তরে অবস্থিত। প্রদেশটির আয়তন ২৪,৭৫১ বর্গকিলোমিটার। ২০০৩ সালে প্রদেশটির প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ছিল ১,১৪৬,৫০০। তিকরিত শহর প্রদেশটির রাজধানী। প্রদেশটির সবচেয়ে বড় শহর হল সামারা। ১৯৭৬ সালের আগে প্রদেশটি বাগদাদ প্রদেশের অংশ ছিল। ১২শ শতকের কুর্দি নেতা সালাহউদ্দিনের নামানুসারে প্রদেশটির নামকরণ করা হয়েছে। অনেক সময় এটিকে সালাহউদ্দিন প্রদেশ নামেও ডাকা হয়। ==আরও দেখুন== *সালাহউদ্দিন ==তথ্যসুত্র==পেপটাইড বন্ধন গঠন একটি আলফা অ্যামিনো অ্যাসিডের কারবক্সি গ্রুপের সাথে আরেকটি আলফা অ্যামিনো অ্যাসিডের অ্যামিনো গ্রুপের ঘনীভবন বিক্রিয়ায় যে বিশেষ আমাইড বন্ধন সৃষ্টি হয় তা-ই পেপটাইড বন্ধন। প্রোটিনের ভিতরে অ্যামিনো অ্যাসিডরা এই বন্ধনেই আবদ্ধ থাকে। রেসোনান্সের ফলে পেপটাইড বন্ধনে ৪০% দ্বিবন্ধন বৈশিষ্ট্য (৬০% একবন্ধন) আছে। রেসোনান্সের ফলে পেপটাইড বন্ধন বন্ধনে ৪০% দ্বিবন্ধন বৈশিষ্ট্য (৬০% একবন্ধন) আছে রসায়ন'''জুনহেবোতো''' () ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের জুনহেবোতো জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১২৫২ মিটার (৪১০৭ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে জুনহেবোতো শহরের জনসংখ্যা হল ২২,৮০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫% এবং নারী ৪৫%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জুনহেবোতো এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। ==জলবায়ু== == তথ্যসূত্র == শহরসেক্টর ৫, বিধাননগর। 'বিধাননগর' পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি উপনগরী তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র। এই শহরটি 'সল্টলেক' অথবা 'লবণহ্রদ' নামেও পরিচিত। কলকাতা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমাতে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে পরিকল্পিতভাবে এই শহরটি গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে বিধাননগর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিধাননগর মহকুমার অন্তর্গত একটি পৌরশহর। বিধাননগরের পুলিশ প্রশাসনেও বদল ঘটানো হয়েছে। আগে বিধাননগর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অধীনে ছিল। অতি সম্প্রতি এই পুরশহরকে স্বশাসিত পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় আনা হয়েছে। রাজধানী কলকাতার মতো বিধাননগরেও সর্বোপরি একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার আছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় শহরের পূর্বভাগের জলাজমি বুজিয়ে এই শহর নির্মাণের মূল পরিকল্পনাটি করেছিলেন। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন বসেছিল এই নবনির্মিত লবণহ্রদে। ইন্দিরা গান্ধি তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শান্তিনিকেতনের পর্ণকুটিরের আদলে তৈরি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত তার অস্থায়ী কার্যালয় থেকেই ঘোষণা করেন যে, 'লবণহ্রদ' নাম পরিবর্তন করে 'বিধননগর' করা হল। কংগ্রেস অধিবেশন চলাকালীনই ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের নামে শহরটি উৎসর্গিত হয়। ==ভূ-উপাত্ত== অনেক জলাভূমি এবং হ্রদগুলির একটি উদাহরণ যা বিধাননগরকে ঘিরে রয়েছে। বিধাননগর ২২.৫৮ ডিগ্রি উত্তর থেকে ৮৮.৪২ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত। সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১১ মিটার (৪৯ ফুট)। এটি মূলত টি সেক্টরে বিভক্ত হলেও সেক্টর ১, মূলত বসবাসের জায়গা। উল্টোডাঙা বাঙুর সংলগ্ন পশ্চিমাংশ হচ্ছে সেক্টর ১। সেন্ট্রাল পার্ক কেষ্টপুর সংলগ্ন পূর্বাংশ হচ্ছে সেক্টর ২। দক্ষিণঅংশ সেক্টর ৩। অতি পূর্বাংশ হচ্ছে সেক্টর ৫। সেক্টর অনুযায়ী পিন নম্বর সেক্টর ৭০০০৬৪ সেক্টর ৭০০০৯১ সেক্টর ৭০০১০৬ == জনসংখ্যার উপাত্ত == সল্টলেক সেক্টর-৫ ভারতের ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের আদমশুমারি অনুসারে বিধাননগর শহরের জনসংখ্যা হল ১৬৭,৮৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১ শতাংশ, এবং নারী ৪৯ শতাংশ। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৮ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১ শতাংশ, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৪ শতাংশ। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫ শতাংশ, তার চেয়েও বিধাননগরের সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার শতাংশ হল বছর বা তার কম বয়সী। ==প্রশাসন== বিধাননগর মূলত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিরাজী জলপথ বিভাগের সরাসরি প্রশাসনের অধীনে নির্মিত। মূলত, এটি পাবলিক ওয়ার্কস (মেট্রোপলিটন উন্নয়ন) বিভাগের অধীনে আসে। এটি তখন মহানগর উন্নয়ন বিভাগের অধীনে গড়েওঠে, ১৯৯১ সালে সংস্থাটির নামকরন করা হয় আরবান ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ১৯৮৯ সালে, এলাকা পরিচালনা করার জন্য একটি এলাকা কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। পরিশেষে ১৯৯৫ সালে, বিধাননগর শহর বিধাননগর পৌরসভা নামে একটি নির্বাচিত সংস্থা পেয়েছিল যার মধ্যে ২৩ টি ওয়ার্ড ছিল (পরবর্তীতে ২৫ টি ওয়ার্ডে বৃদ্ধি)। বিধানানগর জমির সব প্লট প্যাসেফট প্লট এবং নগর উন্নয়ন বিভাগ (পাঠক) সরাসরি ভূমি সংক্রান্ত বিষয়গুলি পরিচালনা করে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনার শহীদুল আলম নগরীর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বে আছেন। কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের সাথে বিধাননগর কর্পোরেশনের বিভাজনের প্রস্তাব কিছু সময়ের জন্য প্রবর্তিত হয়। এয়ার পোর্ট, রাজারহাট, গোপালপুর, বাগুইটি, কেশপুর, সল্ট লেক, লেক টাউন, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের আওতাধীন এলাকা। ১৮ জুন ২০১৩ তারিখে বিধাননগর পৌরসভার রাজারাট গোপালপুর পৌরসভার বিদ্যমান পৌরসভা এবং মাহেশবথন দ্বিতীয় গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত এলাকার মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (বিএমসি) গঠিত হয়। == সরকারি ভবন == পূর্ত ভবন, বিধাননগর বিধাননগর উত্তর চব্বিশ পরগনার সাম্প্রতিকতম মহকুমা, একটি প্রশাসনিক ভবন মহকুমা আদালত স্থাপিত হয়েছে বিধাননগরে। এছাড়া মধ্য কলকাতার প্রধান প্রশাসনিক ভবন মহাকরণের সরকারি কার্যালয়ের চাপ কমাতে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কার্যালয়গুলি বিধাননগরে নিয়ে আসা হয়। বিকাশ ভবন, ময়ূখ ভবন, স্বাস্থ্য ভবন, বিদ্যুৎ ভবন, উন্নয়ন ভবন পূর্ত ভবনে একাধিক রাজ্য সরকারি দপ্তর স্থানান্তরিত হয়েছে। এই কলকাতার সবচেয়ে সমৃদ্ধ অংশ হিসাবে এটি বিমানবন্দরের খুব কাছাকাছি গড়ে উঠেছে। এই এলাকার অনেক গুলি আইটি কোম্পানিগুলি অবস্থিত। ===কেন্দ্রীয় সরকারি ভবন=== এখানে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসার কমপ্লেক্স রয়েছে যেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর অফিস অবস্থিত। ==পরিবহন== এখানে করুণাময়ীতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা-র বাস ডিপো অবস্থিত। কলকাতা হাওড়ার সঙ্গে সংযোগকারী নির্মীয়মান 'কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো' রেল। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাস রুট এস (S9) সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড এস ২২ (S22) সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে শকুন্তলা পার্ক বাস স্ট্যান্ড ==আরও দেখুন== বিধাননগর রোড রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব কলকাতা == তথ্যসূত্র == শহর চব্বিশ পরগনা জেলা'''১৯৫৩''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == জানুয়ারি শাহনাজ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। (মৃ. ২০১৯) ১৩ জানুয়ারি আবুল আহসান চৌধুরী, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক লোকসাহিত্য বিশারদ। ২১ জানুয়ারি পল অ্যালেন, মার্কিন ব্যবসায়ী এবং মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ১৬ মার্চ ** রিচার্ড স্টলম্যান, মুক্ত সফটওয়ার আন্দোলনের প্রবক্তা। ** ইজাবেল উপের, ফরাসি অভিনেত্রী। ২১ জুন বেনজীর ভুট্টো, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। জুলাই মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশি প্রকৌশলী, সাংবাদিক রাজনীতিবিদ। সেপ্টেম্বর মম্মুট্টী, ভারতীয় অভিনেতা। ১১ সেপ্টেম্বর শহীদুল জহির, বাংলাদেশি গল্পকার ঔপন্যাসিক। === অজানা তারিখ === মাইকেল ফার, বৃটিশ টিনটিন-বিশেষজ্ঞ প্রাক্তন রিপোর্টার। == মৃত্যু == নভেম্বর ইভান বুনিন, নোবেল বিজয়ী রুশ লেখক। == তথ্যসূত্র ==__NOTOC__ '''১০৪৪''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১১০৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ==='''১১৬৬''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === ফেব্রুয়ারি ১৪ আব্দুল কাদের জিলানী মুসলিম ধর্মপ্রচারক। === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১২২৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১২৮৯''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৩৪৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ==='''১৪১০''' গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৪৭০''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৫৩০''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৫৯২''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৬৫৩''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৭১৪''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৭৭৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৮৪০''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === ===__NOTOC__ '''১৭২''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:১৭২__NOTOC__ '''২৩২''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:২৩২__NOTOC__ '''২৯৩''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:২৯৩__NOTOC__ '''৩৫৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৩৫৫__NOTOC__ '''৪১৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৪১৫__NOTOC__ '''৪৭৪''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৪৭৪__NOTOC__ '''৫৩৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৫৩৫__NOTOC__ '''৫৯৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৫৯৫__NOTOC__ '''৬৫৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৬৫৫__NOTOC__ '''৭১৫''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৭১৫__NOTOC__ '''৭৭৬''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৭৭৬__NOTOC__ '''৮৩৬''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৮৩৬__NOTOC__ '''৮৯৭''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৮৯৭__NOTOC__ '''৯৫৮''' গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। == ঘটনাবলী == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী == == জন্ম == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === == মৃত্যু == === জানুয়ারি-মার্চ === === এপ্রিল-জুন === === === === === বিষয়শ্রেণী:৯৫৮রইং সহ অরুণাচল প্রদেশের জেলা মানচিত্র '''রইং''' () ভারতের অরুনাচল প্রদেশ রাজ্যের দিবাং উপত্যকা জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রইং শহরের জনসংখ্যা হল ১০,১০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৭% এবং নারী ৪৩%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রইং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহরthumbnail Freiheitliche Partei Österreichs অস্ট্রিয়ার একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। এই দলটি ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটির নেতা হলেন Heinz-Christian Strache দলটির তরুণ সংগঠন হল Ring Freiheitlicher Jugend Österreich ২০০২ সালের সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৪৯১ ৩২৮ ভোট পেয়েছিল (১০.১%, ১৮টি আসন) ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই দলের ১টি আসন রয়েছে। == লীংক == অস্ট্রিয়ার ফ্রীডম পার্টির ওয়েবসাইট রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত'''তাশখন্দ চুক্তি''' হচ্ছে ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দে পাকিস্তান ভারত এর মধ্যে সম্পাদিত একটি চুক্তি,যা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সমাধান করে। জাতিসংঘ,আমেরিকা সোভিয়েতর চাপে তাশখন্দ সম্মেলনে,ভারত পাকিস্তানকে তাদের পূর্বের চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে বাধ্য করেছিল-এক অপরের জয়যুক্ত অঞ্চলগুলি ছেড়ে দিতে এবং কাশ্মীরের ১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিরতির সীমান্ত চুক্তি মেনে চলা। == ইতিহাস == ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান ভারতের মধ্যে তিনটি রণাঙ্গনে যুদ্ধ বাধে। এর ১৭ দিন পরে যুদ্ধ বিরতি কার্যকরী হয়। জাতিসংঘ দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী কে ১৯৬৫ সালের ৫ই আগস্টের অবস্থানে ফিরে যাবার নির্দেশ দেয়। যুদ্ধবিরতির পরেও সৈন্য অপসারণসহ বেশ কিছু প্রশ্নে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়। এই বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান, সোভিয়েত ইউনিয়ন এর প্রধানমন্ত্রী নিকলাই কোসিগিনের উদ্যোগে তাশখন্দ শহরে মিলিত হয়ে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন,যা তাশখন্দ চুক্তি নামে পরিচিত। == চুক্তির মূলকথা == দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপন এবং জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি তাশখন্দ চুক্তির মূলকথা। দুই পক্ষ নিজেদের বিরোধ মীমাংসার জন্য পরস্পরের মধ্যে শক্তি প্রয়োগ না করে জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ উপায় গ্রহণ করবেন বলে একমত হন। পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, কোন বিরুদ্ধ প্ররোচনায় উসাহ না দেওয়া এবং ১৯৬১ সালের,ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার ব্যাপারে দুই পক্ষ একমত হন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ইতিপূর্বে সম্পাদিত চুক্তিগুলো কার্যকরী করার ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে বিবেচনা করবেন বলেও একমত হন তারা। যুদ্ধবন্দিদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তও গৃহীত হয় এই চুক্তিতে। যুদ্ধের সময় এক দেশ অন্য দেশের যে সম্পদ দখল করেছে তা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারেও সম্মত হন দুই পক্ষ। == পরিণাম == ভারতে চুক্তির সমালোচনা করা হয়েছিল কারণ আর কোন যুদ্ধ নয় চুক্তি বা কাশ্মীরের গেরিলা যুদ্ধবিগ্রহের আত্মত্যাগ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। চুক্তি স্বাক্ষর পর,ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর তাসখন্দে রহস্যজনকভাবে মারা যান। শাস্ত্রীের হঠাৎ মৃত্যুর ফলে হয়ে ওঠে ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্বের দিকে যে তাকে বিষ দেওয়া হয়। ভারত সরকার তার মৃত্যুর উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করতে প্রত্যাখ্যান করে,দাবি করা হয় যে তাতে বিদেশী সম্পর্ক ক্ষতি করতে পারে,দেশে বিভেদের কারণ হতে পারে এবং সংসদীয় বিশেষ সুবিধা লঙ্ঘন করতে পারে। তাসখন্দ ঘোষণা পর্যায়ের বৈঠক এবং মার্চ ১৯৬৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।এই আলোচনাগুলি অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও,বসন্ত গ্রীষ্মকালে কূটনৈতিক বিনিময় অব্যাহত ছিল।কাশ্মিরের সমস্যা নিয়ে মতপার্থক্য থাকার কারণে এই আলোচনায় কোন ফল পাওয়া যায়নি।১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় এক রমরমা গড়ে উঠেছিল,যা পাকিস্তানে জনগণের ধারণায় তারা যুদ্ধ জয় করতে যাচ্ছে।তাশখন্দ ঘোষণার সংবাদে পাকিস্তানের জনগণকে বিস্মিত করে,যারা কিছু ভিন্ন প্রত্যাশা আরো খারাপ হয়ে যায় কারণ আইয়ুব খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কারণগুলি ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানান।পাকিস্তান জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দাঙ্গা সূত্রপাত হয়। জনগণের রাগ বিভ্রান্তি দুরীভূত করবার জন্যে আইয়ুব খান ১৯৬৬ সালের ১৪ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জনগণের সামনে বিষয়টি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন।তাশখন্দ ঘোষণার ওপর পার্থক্য ছিল,যার ফলে শেষ পর্যন্ত জেড।এ।ভুট্টোকে অপসারণ করেছিল আইয়ুবের সরকার,যিনি পরবর্তীকালে তার নিজস্ব দল তৈরি করেন,“পাকিস্তান পিপলস পার্টির” নামকরণ করে।যদিও আইয়ুব খান জনগণের বিভ্রান্তি সন্তুষ্ট করতে সক্ষম ছিলেন,তাশখন্দ ঘোষণার ফলে তার ভাবমূর্তি ক্ষতি হয় এবং এটি একটি কারণ যা তার পতন ঘটায়। ==আরও দেখুন== *Indo-Pakistani War of 1971 *Shimla Agreement ==বহিঃসংযোগ== Full text of Tashkent Declaration UN Peacemaker All peace agreement for India, UN Peacemaker All peace agreements for Pakistan, UN Peacemaker ==তথ্যসূত্র== ইতিহাস ইতিহাস'''পেরেনেম''' () ভারতের গোয়া রাজ্যের উত্তর গোয়া জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পেরেনেম শহরের জনসংখ্যা হল ৫২৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পেরেনেম এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ধুলিয়ান''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। এই পৌরসভাটি বর্তমানে ২১টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল মিটার (১৩ ফুট)। ধুলিয়ানের উত্তরদিকে ফারাক্কা, দক্ষিণদিকে অরঙ্গাবাদ, পশ্চিমদিকে পাকুড় পূর্বদিকে গঙ্গানদী অবস্থিত। == ইতিহাস == == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২০১১ সালের ভারতীয় আদমশুমারি অনুসারে ধুলিয়ান পৌরসভার জনসংখ্যা ৯৫,৭০৬ জন, যার মধ্যে ৪৭,৬৩৫ জন পুরুষ এবং ৪৮,০৭১ জন নারী ছিল। ০-৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের জনসংখ্যা ১৭,৬৭৪ জন, যা ধুলিয়ানের মোট জনসংখ্যার ১৮.৪৭ শতাংশ। এই শহরের সাক্ষরতার হার ৬৩.০৩ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩১%। ২০১১ সালের ভারতীয় আদমশুমারি অনুসারে ধুলিয়ান শহুরে সমৃদ্ধির জনসংখ্যা ২৩৯,০২২ জন, যার মধ্যে ১১৯,১৫১ জন পুরুষ এবং ১১৯,৮৭১ জন নারী ছিল। ০-৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের জনসংখ্যা ৪৫,৪৮৩ জন। ৭+ জনসংখ্যার জন্য কার্যকর সাক্ষরতার হার ৬০.০৬ শতাংশ। ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ধুলিয়ান শহরের জনসংখ্যা ছিল ৭২,৯০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ছিল ৩৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৪৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ধুলিয়ান এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ২০% ছিল বছর বা তার কম বয়সী। == পরিবহন ব্যবস্থা == রেলপথে যোগাযোগ: সড়কপথে যোগাযোগ জলপথে যোগাযোগ == শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == নুর মোহাম্মদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় == আরো দেখুন == সামশেরগঞ্জ == তথ্যসূত্র == জেলার শহর শহর জেলা'''জেমারি''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জেমারি শহরের জনসংখ্যা হল ৩৮৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬% এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জেমারি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''রজার কর্নবার্গ''' () (জন্ম: এপ্রিল ২৪, ১৯৪৭) মার্কিন জীব-রসায়নবিদ এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভারসিটির স্কুল অব মেডিসিন বিভাগের গাঠনিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক, একজন নোবেল ল'রিয়েট। == জীবনবৃত্তান্ত == ১৯৪৭ সালে রজার সেন্ট লুইস, মিসৌরিতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে ব্যাচেলার ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি ষ্ট্যানফোর্ড গাঠনিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক। == নোবেল পুরস্কার == রজার জেনেটিক গবেষণার জন্য ২০০৬ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম রসায়নবিদ ইহুদী বিজ্ঞানী বিজয়ী রসায়নবিদ ব্যক্তি'''পাটুলী''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৮ মিটার (৫৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পাটুলী শহরের জনসংখ্যা হল ৪৪৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পাটুলী এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহরOpenOffice.org Writer সাধারণভাবে '''ওপেন অফিস''' নামে পরিচিত। এটি একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এবং এটির বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের উপযোগী সংস্করণ পাওয়া যায়। ফ্রী সফটওয়্যার হিসাবে এটি পাওয়া যায়। OpenDocument ফরম্যাট(ওডিএফ) ওপেনঅফিসে ফাইল সংরক্ষণের ডিফল্ট ফরম্যাট। এটি আইএসও/আইইসি এর নির্ধারিত তথ্য আদান প্রদানের আন্তর্জাতিক ফাইল ফরম্যাট। এটি ব্যবহার করে মাইক্রোসফট অফিস এর উপযোগী ফরম্যাটেও ফাইল সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে এখানে। ১১০ এর অধিক ভাষাতে ওপেনঅফিস.অর্গ ব্যবহার করা যায়। == ইতিহাস == মূলত মালিকানাধীন সফটওয়্যার হিসাবে এটি তৈরি করা হয়েছিল। StarDivision নামের জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান স্টার অফিস নামে এই সফটওয়্যার নামে এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছিল। পরবর্তীতে সান মাইক্রোসিস্টেম এর সোর্স কোড কিনে নেয়। ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে স্টার অফিস বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ওপেনঅফিস মুক্তির ইতিহাস সংস্করণ মুক্তির তারিখ বিবরণ Build 638c 2001-10 The first milestone release. 1.0 2002-05-01 1.0.1 2002-07-11 1.0.2 2003-01-17 1.0.3 2003-04-07 1.0.3.1 2003-05-02 Recommended for Windows 95. 1.1 2003-09-02 1.1.1 2004-03-29 Bundled with TheOpenCD. 1.1.2 2004-06 1.1.3 2004-10-04 1.1.4 2004-12-22 1.1.5 2005-09-14 Last release for 1.x product line. Final version for Windows 95. It can edit OpenOffice.org files. 1.1.5secpatch 2006-07-04 Security patch (macros) 2.0 2005-10-20 Milestone, with major enhancements. 2.0.1 2005-12-21 2.0.2 2006-03-08 2.0.3 2006-06-29 2.0.4 2006-10-13 2.1.0 2006-12-12 2.2.0 2007-03-28 Included security font kerning 2.2.1 2007-06-12 2.3.0 2007-09-17 Updated charting component, minor enhancements, and improved extension manager 2.3.1 2007-12-04 Stability and security update. 2.4.0 2008-03-27 Bug fixes and new features. 2.4.1 2008-06-10 Security fix, minor enhancements, and bug fixes. 2.4.2 2008-10-29 Security fix, minor enhancements, and bug fixes. 2.4.3 2009-09-01 Bug fixes and minor enhancements. 3.0.0 2008-10-13 Milestone, with major enhancements. 3.0.1 2009-01-27 Bug fixes. 3.1.0 2009-05-07 Overlining and transparent dragging added. 3.1.1 2009-08-31 Security fix and bug fixes. 3.2 2010-02-11 New features, and performance enhancements. 3.2.1 2010-06-04 Updated Oracle Start Center and OpenDocument format icons. 3.3 2011-01-25 Release motto: "Fit and Trim". 3.4 2012-05-08 First Apache release. == বৈশিষ্ট সমূহ == == ফাইল ফরম্যাট == == সফটওয়্যারের উন্নয়ন == == মালিকানা == == পুনঃ বিবেচনা == == বিতরণ পদ্ধতি == == আরও পড়ুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ওপেনঅফিস.অর্গ এর মূল ওয়েব সাইট Media Coverage (Videos, interviews, etc.) of last three OpenOffice.org Conferences (by Kiberpipa) OxygenOffice Professional (Homepage) সফটওয়্যার'''আগাথা ক্রিস্টি''' (ইংরেজি: Agatha Christie) (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৯০ ১২ই জানুয়ারি, ১৯৭৬) একজন ইংরেজ অপরাধ কল্পকাহিনী লেখক। তিনি ৮০টি রহস্য উপন্যাস লেখেন, যাদের মধ্যে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো (Hercule Poirot) মিস মার্পল-এর (Miss Marple) কাহিনীগুলো অন্যতম। তাকে রহস্য উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনী লেখকদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। তার ডাকনাম "দ্য কুইন অফ ক্রাইম" (অপরাধ উপন্যাসের রাণী বা রহস্য সাম্রাজ্ঞী)। তার লেখা অনেকগুলো রহস্য কাহিনী থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর তথ্যানুসারে অগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রীত বইয়ের লেখক এবং যেকোন ধরনের সাহিত্যকর্মের সর্বাধিক বিক্রীত লেখক, যে ক্ষেত্রে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারই কেবল তার সমকক্ষ। তার রচিত বইয়ের প্রায় দুইশত কোটি কপি বিশ্বব্যাপী বিক্রি হয়েছে, যার চেয়ে কেবলমাত্র বাইবেলই অধিকসংখ্যক বিক্রি হয়েছে। ইউনেস্কোর বিবৃতি অনুসারে তিনি একমাত্র লেখক যার রচনা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভাষায় অনূদিত হয়েছে, ওয়াল্ট ডিজনী কর্পোরেশনের সম্মিলিত কাজই কেবল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ক্রিস্টির বই সর্বমোট ৫৬টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। == রচনাবলী == ===মিস মার্পল ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ১২ টি উপন্যাস ২০ টি ছোটগল্প আছে। ====উপন্যাস==== দ্য মার্ডার অ্যাট দ্য ভিকারেজ (১৯৩০) দ্য বডি ইন দ্য লাইব্রেরি (১৯৪২) দ্য মুভিং ফিংগার (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের উপন্যাস বেনামী চিঠি) (১৯৪৩) মার্ডার ইজ এনাউন্সড (১৯৫০) দে ডু ইট উইথ মিররস (১৯৫২) পকেট ফুল অফ রাই (১৯৫৩) ৪:৫০ ফ্রম প্যাডিংটন (১৯৫৭) দ্য মিরর ক্রাকড ফ্রম সাইড টু সাইড (১৯৬২) ক্যারিবিয়ান মিস্টিরি (১৯৬৪) এট বার্ট্রাম'স হোটেল (১৯৬৫) নেমেসিস (১৯৭১) স্লিপিং মার্ডার (১৯৭৬) ====ছোটগল্প==== '''দ্য থার্টিন প্রবলেমস''' (১৯৩২) ১৩টি ছোটগল্পের সংকলন। আমেরিকাতে "দ্য টুয়েসডে নাইট ক্লাব" নামে প্রকাশিত হয়। এই বইটিতে নিচের থেকে ১৩ নং গল্পগুলো স্থান পায়: '''মিস মার্পল ফাইনাল কেসেস''' (১৯৭৯) ৮টি (বর্তমান সংস্করনে ৯টি) ছোটগল্পের সংকলন, এর মাঝে ৬টি (বর্তমান সংস্করনে ৭টি) মিস মার্পলের। পরবর্তী সংস্করনে আলেক্সান্ডার আফগান "গ্রিনশ'স ফলি" গল্পটি যোগ করেন। এই বইটিতে নিচের ১৪ থেকে ২০ নং গল্পগুলো এবং '''দ্য ড্রেসমেকারস ডল''' '''ইন গ্লাস ডার্কলি''' নামের দুটি গল্প স্থান পায়। উল্লেখ্য গল্পদুটি মিস মার্পল ধারাবাহিকের নয়। '''মিস মার্পল কমপ্লিট শর্ট স্টোরিস''' (১৯৮৫) :মিস মার্পলের সবগুলো (মোট ২০টি) ছোটগল্প নিয়ে সংকলনটি প্রকাশিত হয়। মিস মার্পল ধারাবাহিকের গল্পগুলো পর্যায়ক্রমে: দ্য টুয়েসডে নাইট ক্লাব দ্য আইডল হাউস অব আস্টারট ইনগটস অব গোল্ড দ্য ব্লাড স্টেইনড পেভমেন্ট (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের প্রথম গল্প রক্তের দাগ) মোটিভ ভার্সাস অপর্চুনিটি (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের তৃতীয় গল্প অদ্ভুত উইল) দ্য থাম্ব মার্ক অব সেইন্ট পিটার দ্য ব্লু জারানিয়াম (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের ষষ্ঠ গল্প নীল ফুল) দ্য কম্পানিয়্যন (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত ক্যাসল হাউজের খুনি নামের সংকলনের তৃতীয় গল্প) দ্য ফোর সাস্পেক্ট (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের পঞ্চম গল্প সন্দেহ) ক্রিসমাস ট্রাজেডি দ্য হার্ব অব ডেথ (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের চতুর্থ গল্প বিষ) দ্য এফেয়ার এট দ্য বাঙলো (সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত বেনামী চিঠি নামের সংকলনের দ্বিতীয় গল্প বাংলো রহস্য) ডেথ বাই ড্রাউনিং মিস মার্পল টেলস স্টোরী স্টেঞ্জ জেস্ট টেপ-মেজার মার্ডার দ্য কেস অব দ্য পারফেক্ট মেইড দ্য কেস অব দ্য কেয়ারটেকার গ্রিনশ'স ফলি স্যাংচুয়ারি ===এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে ৩৪টি উপন্যাস, একটি নাটক এবং ৫০টিরও বেশি ছোটগল্প প্রকাশিত হয়। ====উপন্যাস==== #''দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার এট স্টাইলস (১৯২০)'' #''দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস'' (১৯২৩)'' #''দ্য মার্ডার অফ রজার অ্যাকর্ড (১৯২৬)'' ''দ্য বিগ ফোর (১৯২৭)'' ''দ্য মিস্ট্রি অফ দ্য ব্লু ট্রেন (১৯২৮)'' ''পেরিল এট এন্ড হাউস (১৯৩২)'' ''লর্ড এডওয়্যার ডাইস (১৯৩৩)'' ''থার্টিন ইন ডিনার'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত; ''খুনের তদন্ত'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস (১৯৩৪)'' ''মার্ডার ইন দ্য ক্যালিস কোচ'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত; ''শেষ যাত্রা'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''থ্রি অ্যাক্ট ট্রাজেডি (১৯৩৫)'' ''মার্ডার ইন থ্রি অ্যাক্টস'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''ডেথ ইন দ্য ক্লাউডস (১৯৩৫)'' ''ডেথ ইন দ্য এয়ার'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''দ্য এবিসি মার্ডারস (১৯৩৬)'' ''সিরিয়াল কিলার'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া (১৯৩৬)'' ''কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬)'' ''গেম ওভার'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে বাংলাদেশে প্রকাশিত। ''ডাম্ব উইটনেস (১৯৩৭)'' ''পেইট্রিয়ট লুজেস ক্লায়েন্ট'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''ডেথ অন দ্য নাইল (১৯৩৭)'' উইথ ডেথ (১৯৩৮)'' ''এরকুল পোয়ারোজ ক্রিসমাস (১৯৩৮)'' আমেরিকাতে প্রথমে মার্ডার ফর ক্রিসমাস নামে প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তিতে হলিডে ফর মার্ডার নামে প্রকাশিত হয়। ''স্যাড সাইপ্রাস (১৯৪০)'' ''ওয়ান, টু, বাকল মাই শু (১৯৪০)'' ''ওভারডোজ অফ ডেথ অ্যান্ড এজ দ্য প্যাট্রিয়টিক মার্ডারস'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''ইভিল আন্ডার দ্য সান (১৯৪১)'' ''ফাইভ লিটিল পিগস (১৯৪২)'' ''মার্ডার ইন রেট্রোস্পেক্ট'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''দ্য হলো (১৯৪৬'') ''মার্ডার আফটার আওয়ারস'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''টেকেন অ্যাট দ্য ফ্লাড (১৯৪৮)'' ''দেয়ার ইজ টাইড'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''মিসেস ম্যাকগিনটিজ ডেড (১৯৫২)'' ''ব্লাড উইল টেল'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''আফটার দ্য ফিউনারাল (১৯৫৩)'' ''ফিউনারালস আর ফেইটাল'' নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। ''হিকরি ডিকরি ডক (১৯৫৫)'' ''হিকরি ডিকরি ডেথ'' নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত। ''ডেড ম্যান্‌জ ফলি (১৯৫৬)'' ''অপয়া অপরাহ্ন'' নামে সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ''ক্যাট অ্যামাং দ্য পিজিয়নস (১৯৫৯)'' ''দ্য ক্লকস (১৯৬৩)'' ''থার্ড গার্ল (১৯৬৬)'' ''হলোউইনস পার্টি (১৯৬৯)'' ''এলিফ্যান্টস ক্যান রিমেম্বার (১৯৭২)'' ''কারটেইন (১৯৭৫)'' ''এরকুল পোয়ারো অ্যান্ড দ্য গ্রিনশোর ফলি'' ====নাটক==== ব্ল্যাক কফি (১৯৩০) প্রথমে নাটক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে উপন্যাসে পরিবর্তন করা হয়। ====গল্প==== পোয়ারো ইনভেস্টিগেটর (১৯২৪) মার্ডার ইন দ্য মিউস (১৯৩৭) ডেড ম্যান'স মিরর নামে আমেরিকাতে প্রকাশিত। দ্য রেগাটা মিস্ট্রি অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৩৯) দ্য লেবারস অফ হারকিউলিস (১৯৪৭) দ্য আন্ডার ডগ অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৫১) দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য ক্রিসমাস পুডিং (১৯৬০) ডাবল সিন অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৬১) পোয়ারো'স আর্লি কেসেস (১৯৭৪) প্রবলেম অ্যাট পলেনসা বে অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৯১) দ্য হার্লিকুইন টি সেট (১৯৯৭) হোয়াইল দ্য লাইট লাস্টস অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৯৭) ===অ্যারিডিন অলিভার ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ৭টি বই বের হয়েছে, তার মধ্যে একটি বাদে বাকিসবগুলোতে অলিভার, এরকুল পোয়ারোর সহায়ক চরিত্র হিসেবে এসেছে। কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬) মিসেস ম্যাকগিনটি'স ডেড (১৯৫২) ডেড ম্যান'স ফোলি (১৯৫৬) দ্য পেল হর্স (১৯৬১) ধারাবাহিকের একমাত্র উপন্যাস যেখানে এরকুল পোয়ারো চরিত্র নেই। থার্ড গার্ল (১৯৬৬) হলোউইনস পার্টি (১৯৬৯) এলিফ্যান্টস ক্যান রিমেম্বার (১৯৭২) ===টমি টাপেন্স ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিক মোট ৪টি উপন্যাস এবং ১টি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দ্য সিক্রেট অ্যাডভার্সারি (১৯২২) পার্টনারস ইন ক্রাইম (১৯২৯); ১৫টি ছোটগল্পের সংকলন। ## ফেইরি ইন দ্য ফ্ল্যাট ## পট অফ টি ## দ্য এফেয়ার অফ দ্য পিঙ্ক পার্ল ## দ্য এ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য সিনিস্টার স্ট্রেঞ্জার ## ফাইন্সিং দ্য কিং/দ্য জেন্টেলম্যান ড্রেসড ইন নিউজপেপার ## দ্য কেস অফ দ্য মিসিং লেডি ## ব্লাইন্ডম্যান'স বাফ ## দ্য ম্যান ইন দ্য মিস্ট ## দ্য ক্রাকলার ## দ্য সানিংডেল মিস্টিরি ## স্য হাউজ অফ লার্কিং ডেথ ## দ্য আনব্রেকেবল অ্যালিবাই ## দ্য ক্লারগিম্যান'স ডটার/দ্য রেড হাউস ## দ্য অ্যাম্বাসাডার'স বুটস ## দ্য ম্যান হু ওয়াজ নং ১৬ এন অর এম? (১৯৪১) বাই দ্য পিকিং অফ মাই থাম্বস (১৯৬৮) পোস্টার্ন অব ফেট (১৯৭৩) ব্যাটল ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট পাঁচটি উপন্যাস বের হয়েছে। দ্য সিক্রেট অব দ্য চিমনিস (১৯২৫) দ্য সেভেন ডায়ালস মিস্টিরি (১৯২৯) কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬), বইটি এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের ১৫ নং কাহিনী, অ্যারিডিন অলিভার উপ-ধারাবাহিক এবং কর্নেল রেস ধারাবাহিকের দ্বিতীয় কাহিনী। মার্ডার ইজ ইজি (1939) টুওয়ার্ডস জিরো (১৯৪৪) ===কর্নেল রেস ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকের মোট চারটি বই বের হয়েছে, এর মধ্যে দুটি স্বতন্ত্র এবং দুটি এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের "ক্রসওভার" (অন্য ধারাবাহিক থেকে অতিক্রম করে আসা) কাহিনী। দ্য ম্যান ইন দ্য ব্রাউন স্যুট (১৯২৪) কার্ডস অন দ্য টেবিল (১৯৩৬) এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের ক্রসওভার ডেথ অন দ্য নীল (১৯৩৭) এরকুল পোয়ারো ধারাবাহিকের ক্রসওভার স্পার্কলিং সায়ানাইড (১৯৪৪) ===পার্কার পাইন ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ১৪টি গল্প বের হয়েছে। প্রথম ১২টি নিয়ে "পার্কার পাইন ইনভেস্টিগেটর" (১৯৩৪) বই বের হয়। পরের ২টি গল্প "দ্য রেগাটা মিস্টিরি" (১৯৩৯) নামক বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। আগাথা ক্রিস্টি এই চরিত্র নিয়ে কোন উপন্যাস লেখেননি। দ্য কেস অফ দ্য মিডীল-এজড ওয়াইফ দ্য কেস অফ দ্য ডিসকাউন্টেড সোলজার দ্য কেস অফ দ্য ডিসট্রেসড লেডি দ্য কেস অফ দ্য ডিসকাউন্টেড হাসব্যান্ড দ্য কেস অফ দ্য সিটি ক্লার্ক দ্য কেস অফ দ্য রিচ ওম্যান হ্যাভ ইউ গট এভরিথিং ইউ ওয়ান্ট? দ্য গেট অব বাগদাদ দ্য হাউস এট সিরাজ দ্য পার্ল অব প্রিন্স ডেথ অন দ্য নীল দ্য ওরাকল অ্যাট ডেলফি দ্য রেগাটা মিস্টিরি প্রবলেম অ্যাট পলেনসা বে ===হার্লি কুইন ধারাবাহিক=== এই ধারাবাহিকে মোট ১৪টি গল্প বের হয়েছে। প্রথম ১২টি নিয়ে "দ্য মিস্টিরিয়াস মি. কুইন" (১৯৩০) বই বের হয়। পরের ২টি গল্প "প্রবলেম এট পলেনসা বে অ্যান্ড আদার স্টোরিস" (১৯৩৫) নামক বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। আগাথা ক্রিস্টি এই চরিত্র নিয়ে কোন উপন্যাস লেখেননি। এই গল্পগুলোর সহায়ক চরিত্র এমিসারি মি. সাটেলটাউইট (emissary Mr. Satterthwaite), ছোটগল্প ডেড ম্যান'স মিরর (১৯৩৭) এবং উপন্যাস থ্রি এক্ট ট্রাজেডি (১৯৩৫)তে উপস্থিত ছিলেন। দ্য কামিং অফ মি. কুইন দ্য শ্যাডো অন দ্য গ্লাস এট দ্য "বেলস অ্যান্ড মোটলি" দ্য সাইন ইন দ্য স্কাই দ্য সোল অফ দ্য ক্রুপিয়ার দ্য ম্যান ফ্রম দ্য সী দ্য ভয়েস ইন দ্য ডার্ক দ্য ফেস অব হেলেন দ্য ডেড হারলিকুইন দ্য বার্ড উইথ দ্য ব্রোকেন উইং দ্য ওয়ার্ড'স এন্ড হারলিকুইন'স লেন দ্য লাভ ডিটেকটিভস দ্য হারলিকুইন টি সেট ===অন্যান্য উপন্যাস=== দ্য ফ্লোটিং অ্যাডমিরাল (১৯৩১) উপন্যাসটি আগাথা ক্রিস্টিসহ দ্য ডিটেকসন ক্লাব এর মোট বার জন সদস্য মিলে রচনা করেন। বইটির উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রতি লেখক উপন্যাসটির এক অধ্যায় করে লিখেছেন। দ্য সিটাফোর্ড মিস্ট্রি (১৯৩১) হোয়াই ডিডন'ট দে আস্ক ইভানস? (১৯৩৪) টেন লিটিল নিগারস (১৯৩৯) ডেথ কামস এজ দ্য এন্ড (১৯৪৫) ক্রুকেড হাউস (১৯৪৯) দে কেম টু বাগদাদ (১৯৫১) ডেস্টিনেশন আননোন (১৯৫৪) অরডায়াল বাই ইনোসেন্স (১৯৫8) এন্ডলেস নাইট (১৯৬৭) প্যাসেঞ্জার টু ফ্রাঙ্কফুর্ট (১৯৭০) আগাথা ক্রিস্টি নিম্নোক্ত উপন্যাসগুলো মেরি ওয়েস্টমাকট ছদ্মনামে লেখেন (ইংরেজি: Mary Westmacott) জায়ান্ট'স বিয়ার্ড (১৯৩০) আনফিনিস্টড পোর্ট্রেট (১৯৩৪) এবসেন্ট ইন দ্য স্প্রিং (১৯৩৪) দ্য রোজ অ্যান্ড দ্য নিউ ট্রি (১৯৪৮) ডটার'স ডটার (১৯৫২) দ্য বারডেন (১৯৫৬) ===গল্প সংকলন=== দ্য হাউন্ড অফ ডেথ (১৯৩৩) দ্য লিসটারডেল (১৯৩৪) দ্য ক্রাইম ইন কেবিন ৬৬ (১৯৪৩) দ্য মাউসট্রাপ অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৫০) ডাবল সিন অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৬১) ১৩ ফর লাক! সিলেকসন অফ মিস্ট্রি ফর ইয়ং অ্যাডাল্ট (১৯৬৬) সারপ্রাইজ! সারপ্রাইজ! (১৯৬৫) দ্য গোল্ডেন বল অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৭১) দ্য বিগ ফোর ডিকটেটিভ ক্লাব; শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে প্রকাশিত। থ্রি ব্লাইন্ড মাইস অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৫০) শুধুমাত্র আমেরিকায় প্রকাশিত। দ্য উইটনেস ফর দ্য প্রসিকিউসন অ্যান্ড আদার স্টোরিস (১৯৪৮) শুধুমাত্র আমেরিকায় প্রকাশিত। == ভারতীয় চলচ্চিত্রে == আগাথা ক্রিস্টির গল্পের অনুপ্রেরণায় বাংলা ভাষায় এবং ভারতীয় সিনেমা জগতে বেশ কিছু চলচিত্র নির্মিত হয়েছে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা ছবি হলো চুপি চুপি আসে, শুভ মহরৎ। হিন্দিতে 'গুমনাম', ধন্ধ ইত্যাদি। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু অপরাধকাহিনী লেখক নাট্যকার রহস্য লেখক ছোট গল্পকার অধিবাসী ঔপন্যাসিকYashica MF-2 super '''ইয়াশিকা''' (Yashica) জাপানী ক্যামেরা উৎপাদনকারী সংস্থা। এর যাত্রা শুরু করে ১৯৪৯ এর ডিসেম্বরে, জাপানের নাগানোতে। ৫৬৬ ডলার নিয়ে শুরুর সময় এই কোম্পানির নাম ছিল ইয়াশিমা সিইকি কোম্পানি যার ৮জন কর্মচারী ইলেকট্রিক ঘড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি করত। এর পর তারা ক্যামেরার যন্ত্রাংশ তৈরি শুরু করে এবং ১৯৫৩ তে তারা তাদের তৈরি সম্পূর্ণ ক্যামেরা ইয়াশিমাফ্লেক্স নামে বাজারে আনে। ১৯৮৩ সনে সিরামিক পণ্যের বৃহৎ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কয়োসিরা ইয়াশিকা কিনে নেয়। ২০০৫ সনে কয়োসিরা তাদের সকল ইয়াশিকা, কনট্যাক্স কয়োসিরা ব্রান্ডের ডিজিটাল ফিল্ম ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে। == তথ্যসূত্র == কোম্পানি'''ইয়োহানেস ভিলহেল্ম ইয়েনসেন''' (জানুয়ারি ২০, ১৮৭৩ নভেম্বর ২৫, ১৯৫০) একজন ডেনীয় ঔপন্যাসিক, কবি এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৯৪৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তার সাহিত্যে ডারউনের তত্ত্ব অনুসারে মানব বিবর্তনের ধারায় মানুষের উন্নতি প্রাধান্য পেয়েছে। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে: কংগেন্‌স ফাল্ড (১৯০০ ০১) যা নেদার‌ল্যান্ডের সাহিত্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং ডেন লাংগে রেজসে (১৯০৮ ২২) যাতে তিনি বাইবেলে উল্লেখিত কাহিনীসমূহকে বিবর্তনবাদের প্রেক্ষিতে পুনরায় ফুটিয়ে তুলেছেন। == জীবন == ইয়েনসেন ডেনমার্কের উত্তর জুটল্যান্ডের অন্তর্গত হিমারল্যান্ডের ''ফারসো'' গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ''হান্স ইয়েনসেন'' ছিলেন জেলার পশু চিকিৎসক। মা'র নাম ''মারি ক্রিস্টিন ইয়েনসেন''। পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন তিনি। ১১ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছে শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৯৩ সালে ক্যাথেড্রাল স্কুল অফ ভাইবর্গ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তখন থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেন-এ চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর পড়াশোনা করেন। এই শিক্ষা, যার মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নের প্রাথমিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত ছিল, তার সাহিত্যচর্চায় সুদূরপ্রসারী এবং নিগূঢ় প্রভাব ফেলে। ১৮৯৬ থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে তিনি জীবনের প্রথম দুইটি উপন্যাস রচনা করেন এবং এই সময়েই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে যান যা তার পড়াশোনায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটায়। জেনসেন কিছু প্রেমের উপন্যাস এবং গোয়েন্দা উপন্যাসের একটি সিরিজ রচনা করেছিলেন। এই রচনাগুলো একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় আইভার লাইকি ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়। তিনি পলিটকেন পত্রিকার একজন সংবাদদাতা ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি স্পেন থেকে যুদ্ধের নিয়মিত সংবাদদাতার ভূমিকা পালন করেন। ১৯০৪ সালে ''এল্‌স মেরি উলরিককে'' বিয়ে করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি তিন ছেলের জনক ছিলেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == আত্মজীবনী জেনসেনের জীবনী কর্ম জন্ম মৃত্যু সাহিত্যিক বিজয়ী সাহিত্যিক'''মাইকেল স্টার্ন হার্ট''' (মার্চ ৮, ১৯৪৭ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১১) ছিলেন গুটেনবার্গ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭১ সালে তিনি এই উন্মুক্ত ডিজিটাল গ্রন্থাগারের প্রকল্পটি শুরু করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। হার্ট ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == হার্টের ব্যক্তিগত পাতা === নির্বাচিত সাক্ষাৎকারসমূহ === নেট প্যানেল; সেপ্টেম্বর ৬, ১৯৯৭ ''দ্য নিউজ গেজেট'' মার্চ ১৯, ২০০০ মাইকেল হার্টের অনলাইন রচনাসমূহ জন্ম মৃত্যু'''''মোবি-ডিক; বা, দ্য হোয়েল''''' () মার্কিন লেকক হারমান মেলভিল রচিত, ১৮৫১ সালে মার্কিন রেনেসাঁর সময়কালে প্রকাশিত। নাবিক ইসমাঈল আহাবের আধ্যাত্মিক সন্ধানের গল্প বলেন এখানে, যিনি মোবি-ডিকের তিমিশিকারী ''প্রিক্যুডের'' অধিনায়ক। ==পাদটিকার== ==বহিঃসংযোগ== ** Moby-Dick Big Read ''Moby-Dick'': Shifts in Narrative Voice and Literary Genres at Versions of ''Moby-Dick''" at Melville Electronic Library. Side by side versions of the British and American 1851 first editions, with differences highlighted. ''Moby Dick or The Whale'' Illustrated by Rockwell Kent Plattsburgh State Art Museum, Rockwell Kent Gallery. Kent's illustrations for the 1930 Lakeside Press edition Peabody Award–winning episode on the influence of ''Moby-Dick'' on contemporary American culture. মার্কিন উপন্যাস উপন্যাস মেলভিলের উপন্যাস'''অ্যালান হিলস ৮৪০০১''' () একটি উল্কা যা অ্যালেন হিল্‌সনামক পর্বতের অভ্যন্তরে পাওয়া গেছে। ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্‌সমেট (ANSMET) নামক প্রকল্পের অধীনে কর্মরত একদল বিজ্ঞানী এই উল্কাটি উদ্ধার করে। মঙ্গল গ্রহের অন্যান্য উল্কা থেকে যে ধারণা পাওয়া যায় সে মতে এটিকেও একটি মঙ্গলীয় উল্কা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ এটি অনেকটাই "শ্রেগোটটাইট, ন্যাখলাইট, চ্যাসিগণাইট" নামীয় ''এমএনসি'' শ্রেণীর উল্কার মধ্যে পড়ে। আবিষ্কারের সময় এর ভর ছিল ১.৯৩ কিলোগ্রাম। == ইতিহাস == == সাহিত্যে এএলএইচ৮৪০০১ == ড্যান ব্রাউন রচিত ডিসেপশন পয়েন্ট নামক উপন্যাসের মূল কাহিনী এই উল্কাটিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে। কন্টাক্ট নামক চলচ্চিত্রটি ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। এটি কার্ল সাগান রচিত কন্টাক্ট নামক উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন-এর কিছু মন্তব্য রয়েছে। == নোট == == আরও দেখুন == মঙ্গলীয় উল্কা মঙ্গল গ্রহে প্রাণ == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন == == বহিঃসংযোগ == পাওয়া উল্কা প্রাণ উল্কাসমূহ জ্যোতির্বিদ্যা প্রাকৃতিক ইতিহাস অ্যান্টার্কটিক অঞ্চল বিজ্ঞান অ্যান্টার্কটিকা অস্ট্রেলিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিজ্ঞানকলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায় অঙ্কনরত পটুয়া '''পটুয়া''' শব্দের আক্ষরিক অর্থ যারা "পট" (ছবি) আঁকে। পট অঙ্কন গ্রামবাংলার প্রাচীন লোকশিল্প। এর কিছু নিদর্শন এখনো বেঁচে আছে কালীঘাট পটচিত্র গুলির মধ্যে। শিল্পী যামিনী রায় প্রাশ্চাত্যের অঙ্কনরীতিতে পারঙ্গম হলেও পটশিল্পকে নিজের অভিব্যক্তির মাধ্যম হিসাবে তুলে নিয়ে পটশিল্পকে প্রাশ্চাত্যের কাছে বিখ্যাত করেন। কিন্তু যামিনী রায় পটুয়া নন। পটুয়ারা একটি পেশাভিত্তিক লোকগোষ্ঠী যাদের প্রধান পেশা বংশানুক্রমে নিজেদের বিশেষ রীতিতে পট অঙ্কন প্রদর্শন বা বিক্রয় করা। ==আরও দেখুন== পটুয়া সঙ্গীত পটচিত্র চালচিত্র ==তথ্যসূত্র== গোষ্ঠী'''সিমন লুসি এর্নেস্তিন মারি বেরত্রঁ দ্য বোভোয়ার''' (; ৯ই জানুয়ারি ১৯০৮ ১৪ই এপ্রিল ১৯৮৬) যিনি '''সিমন দ্য বোভোয়ার''' নামে বেশি পরিচিত, ছিলেন একজন ফরাসি লেখিকা, বুদ্ধিজীবী, অস্তিত্ববাদী দার্শনিক, রাজনৈতিক-কর্মী, নারীবাদী সমাজতত্ত্ববিদ। যদিও তিনি নিজেকে দার্শনিক মনে করতেন না, তার নারীবাদী অস্তিত্ববাদ নারীবাদী তত্ত্বতে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ছিল। তিনি দর্শন, রাজনীতি সামাজিক বিষয়াবলির উপর রচনা, গ্রন্থ উপন্যাস এবং জীবনী আত্মজীবনী রচনা করেন। বর্তমানে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার অধিবিদ্যামূলক উপন্যাস ''শী কেইম টু স্টেই'' এবং ''দ্য এবং ১৯৪৯ সালে লেখা তার প্রবন্ধগ্রন্থ ''ল্য দোজিয়েম সেক্স''-এর জন্য। শেষোক্ত গ্রন্থটিতে নারীর উপর নিপীড়নের বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং এটিকে নারীবাদের একটি অন্যতম ভিত্তিগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিমন সারাজীবন অবিবাহিত ছিলেন। ফরাসি দার্শনিক জঁ-পল সার্ত্র্‌ এবং মার্কিন লেখক নেলসন এ্যালগ্রেনের সঙ্গে তার প্রেম যৌনসম্পর্ক ছিল। ==পরিবার== ১৯০৮ এর ০৯ জানুয়ারী জন্ম নেন এই মহিয়সী নারী প্যারিসে, মঁৎপারনাসের কাফে রঁতঁদের ওপরে। বাবা জর্জে বেরত্রাঁ দ্য বোভোয়ার ছিলেন আইনজীবী যিনি একসময় অভিনেতা হতে চাইতেন, মা ফ্রাঁসোয়া ব্রাসেয়ো গৃহিণী যিনি ছিলেন একজন টাকাওয়ালা ব্যাংকারের সন্তান, এবং এই মহিলা খুবই ধার্মিক ছিলেন (ক্যাথলিক)। সিমোনের আরেকটি বোন ছিলো যার নাম হেলেন (১৯১০ ২০০১)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় সিমোনদের। সময় সিমোনের মা সে সহ হেলেনকে ধর্মবাদী বিদ্যালয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন। সিমোন ছোটবেলায় ব্যাপক ধর্মবাদী ছিলেন, তিনি অবশ্য ১৪ বছর বয়সে ধর্মের উপর বিশ্বাস হারান এবং সারা জীবন নাস্তিক থাকেন। ==শিক্ষা== সিমোন ১৯২৫ সালে গণিত এবং দর্শনে ব্যাকালরেট পরীক্ষায় পাশ করেন, এরপর তিনি 'প্যারিস ক্যাথলিক গণিত নিয়ে পড়েন, এবং সাহিত্য ভাষা নিয়ে পড়েন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে। তিনি পরে সরবনে দর্শন নিয়ে পড়েন এবং ১৯২৯ সালে এ্যাগ্রিগেশন পাশ করেন। ==প্রেম এবং যৌনতা== সার্ত্রে এবং সিমোন সিমোন জঁ-পল সার্ত্র এবং নেলসন এ্যালগ্রেন (মার্কিন লেখক) এর সঙ্গে প্রেম এবং যৌনতা ভোগ করেছেন। তবে সার্ত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল ১৯৮০ পর্যন্ত (সার্ত্রের মৃত্যু পর্যন্ত) এবং ইনার সঙ্গে সিমোন বিয়ে ছাড়াই একসাথে বসবাস করতেন যদিও সবসময় নয়। এছাড়াও ক্লদ লাঁজমান নামের এক পুরুষের সঙ্গেও তিনি যৌনমিলন করেছেন যিনি তার (সিমোনের) চেয়ে ছোটো ছিলেন। == রচনাবলী == ''শী কেইম টু স্টেই'', (১৯৪৩) ''Pyrrhus et Cinéas'', (১৯৪৪) ''অন্যদের রক্ত'', (১৯৪৫) ''কে মরবে?'', (১৯৪৫) ''সকল মানুষই মরণশীল'', (১৯৪৬) নীতিশাস্ত্র'', (১৯৪৭) ''ল্য দোজিয়েম সেক্স'', (১৯৪৯) ''আমেরিকায় দিনের পর দিন'', (১৯৫৪) ''দ্য (১৯৫৪) ''Must We Burn Sade?'', (১৯৫৫) ''The Long March'', (১৯৫৭) ''Memoirs of Dutiful Daughter'', (১৯৫৮) ''The Prime of Life'', (১৯৬০) ''A Very Easy Death'', (১৯৬৪) ''Les Belles Images'', (১৯৬৬) ''The Woman Destroyed'', (১৯৬৭) ''The Coming of Age'', (১৯৭০) ''All Said and Done'', (১৯৭২) ''When Things of the Spirit Come First'', (১৯৭৯) ''Adieux: Farewell to Sartre'', (১৯৮১) ''Letters to Sartre'', (১৯৯০) ''A Transatlantic Love Affair: Letters to Nelson Algren'', (১৯৯৮) === অনুবাদ === Patrick O'Brian was de Beauvoir's principal English translator, until he attained commercial success as novelist. ''Philosophical Writings'' (Urbana University of Illinois Press, 2004, edited by Margeret A. Simons et. al.) contains selection of essays by de Beauvoir translated for the first time into English. Among those are: ''Phyrrhus and Cineas'', discussing the futility or utility of action, two previously unpublished chapters from her novel ''She Came to Stay'' and an introduction to ''Ethics of Ambiguity''. === উৎস === Bair, Deirdre, 1990. ''Simone de Beauvoir: Biography.'' New York: Summit books. Rowley, Hazel, 2005. ''Tête-a-Tête: Simone de Beauvoir and Jean-Paul Sartre.'' New York: HarperCollins. ==== রচনাবলীর উৎস ==== Beauvoir, Simone de. Woman: Myth Reality, ** in Jacobus, Lee (ed.) World of Ideas. Bedford/St. Martins, Boston 2006. 780-795 ** in Prince, Althea, and Susan Silva Wayne. Feminisms and Womanisms: Women's Studies Reader. Women's Press, Toronto 2004 p. 59-65. == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == The Internet Encyclopedia of Philosophy: Simone de Beauvoir by Shannon Mussett. Includes bibliography of her work in English translation. Stanford Encyclopedia of Philosophy: Simone de Beauvoir by Debra Bergoffen. Extensive bibliography. Guardian Books "Author Page", with profile and links to further articles. Finnish admirer. Stand By Your Man: The strange liaison of Sartre and Beauvoir, by Louis Menand. ''The New Yorker''. The Second Sex: Significant ''Other''. ইংরেজি অনুবাদ অনলাইন '' The Ethics of Ambiguity.'' জন্ম মৃত্যু শতাব্দীর দার্শনিক দার্শনিক দার্শনিক লেখক'''জনকপুর রোড''' () ভারতের বিহার রাজ্যের সীতামারহি জেলার একটি শহর এবং তালিকাভুক্ত এলাকা। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনকপুর রোড শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৩৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জনকপুর রোড এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''রাভেলগঞ্জ''' () ভারতের বিহার রাজ্যের সরন জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫২ মিটার (১৭০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাভেলগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা হল ৩৪,০৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৪৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৩২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রাভেলগঞ্জ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে হিন্জিলিকাট শহরের জনসংখ্যা হল ২১,৩৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে হিন্জিলিকাট এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রায়রঙ্গপুর শহরের জনসংখ্যা হল ২১,৬৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রায়রঙ্গপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''চিরাওয়া''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ঝুনঝুনুন জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৯৪ মিটার (৯৬৪ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চিরাওয়া শহরের জনসংখ্যা হল ৩৭,২১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চিরাওয়া এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''কিষানগড়''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আলওয়ার জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৩৩ মিটার (১৪২০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কিষানগড় শহরের জনসংখ্যা হল ৯৪৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কিষানগড় এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''প্রতাপগড় (রাজস্থান)''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের প্রতাপগড় জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৯১ মিটার (১৬১০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে প্রতাপগড় (রাজস্থান) শহরের জনসংখ্যা হল ৩৫,৪১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে প্রতাপগড় (রাজস্থান) এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''বিজয়নগর''' () ভারতের রাজস্থান রাজ্যের আজমির জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বিজয়নগর শহরের জনসংখ্যা হল ২৭,৬৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বিজয়নগর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''জুলানা''' () ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের জিন্দ জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জুলানা শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৬৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে জুলানা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহরPrithviraj Chauhan' Fort-2, Taraori, Haryana '''তারাওরি''' () ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কার্নাল জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে তারাওরি শহরের জনসংখ্যা হল ২২,২০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে তারাওরি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের কেরালা রাজ্যের আলেপ্পি জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কোক্কোথমনগলম শহরের জনসংখ্যা হল ১৬,৮৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৯% এবং নারী ৫১%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোক্কোথমনগলম এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের কেরালা রাজ্যের কন্নুর জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৬ মিটার (৫২ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে পায্যন্নুর শহরের জনসংখ্যা হল ৬৮,৭১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮% এবং নারী ৫২%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পায্যন্নুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''চিনচোলি''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গুলবার্গ জেলার একটি পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৬২ মিটার (১৫১৫ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চিনচোলি শহরের জনসংখ্যা হল ১৭,১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চিনচোলি এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ইলকাল''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বাগলকোট জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৮৫ মিটার (১৯১৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে ইলকাল শহরের জনসংখ্যা হল ৫১,৯৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫২%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ইলকাল এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''মালাবল্লি''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মান্দায়া জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৬১০ মিটার (২০০১ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মালাবল্লি শহরের জনসংখ্যা হল ৩৫,৮০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মালাবল্লি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''সত্যমঙ্গল''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাস্সান জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সত্যমঙ্গল শহরের জনসংখ্যা হল ১১,৩৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সত্যমঙ্গল এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''বেলগাউম সেনানিবাস''' () ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেলগাউম জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বেলগাউম সেনানিবাস শহরের জনসংখ্যা হল ২৩,৬৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৯% এবং নারী ৪১%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বেলগাউম সেনানিবাস এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''আনন্দপুর সাহিব''' () ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের রূপনগর জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে আনন্দপুর সাহিব শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৮৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে আনন্দপুর সাহিব এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == (ভারত) এর শহর'''রাজপুরা''' () ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাতিয়ালা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৫৯ মিটার (৮৪৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রাজপুরা শহরের জনসংখ্যা হল ৮২,৫৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৪%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭০%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রাজপুরা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == (ভারত) এর শহর'''চিচলি''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের নরসিংহপুর জিলা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৪৯ মিটার (১১৪৫ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে চিচলি শহরের জনসংখ্যা হল ৯২৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে চিচলি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''ইকলেহরা''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ছিন্দওয়ারা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৫৭ মিটার (১৪৯৯ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ইকলেহরা শহরের জনসংখ্যা হল ৯২০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৭%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৮%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ইকলেহরা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''কুরওয়াই''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের বিদিশা জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুরওয়াই শহরের জনসংখ্যা হল ১৩,৭৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৯% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কুরওয়াই এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''বড় মালহেরা''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ছত্রপুর জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বড় মালহেরা শহরের জনসংখ্যা হল ১৫,০৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৫৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৬৫% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বড় মালহেরা এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''রামপুর বাঘেলান''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের সাতনা জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে রামপুর বাঘেলান শহরের জনসংখ্যা হল ১১,৩১৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে রামপুর বাঘেলান এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৮% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''বান্দা''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের সগর জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫০২ মিটার (১৬৪৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বান্দা শহরের জনসংখ্যা হল ২৬,১৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে বান্দা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''আলমপুর''' () ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের ভিন্দ জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৫৯ মিটার (৫২১ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে আলমপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৯৩৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে আলমপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৬% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''খারোদ''' () ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের জনযগির-চম্পা জেলার একটি নগর পঞ্চায়েত-শাসিত শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৪০ মিটার (৭৮৭ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে খারোদ শহরের জনসংখ্যা হল ৮৬০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬০%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৪৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে খারোদ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ভাতাপারা''' () ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার একটি শহর পৌরসভা এলাকা। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ২৬১ মিটার (৮৫৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ভাতাপারা শহরের জনসংখ্যা হল ৫০,০৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ভাতাপারা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৫% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর() ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আহমেদনগর জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ঘুলেওয়াদি শহরের জনসংখ্যা হল ১৯,৩৭১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৫% এবং নারী ৪৫%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৬%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ঘুলেওয়াদি এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''কিনওয়াত''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নান্দেদ জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩১৪ মিটার (১০৩০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে কিনওয়াত শহরের জনসংখ্যা হল ২৪,৮৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭২% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কিনওয়াত এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''উনা''' () ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের উনা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৬৯ মিটার (১২১০ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে উনা শহরের জনসংখ্যা হল ১৫,৯০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৫%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে উনা এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১২% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == প্রদেশের শহর'''মুরগুদ''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কোলহাপুর জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৫৬ মিটার (১৮২৪ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মুরগুদ শহরের জনসংখ্যা হল ৯২০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৩%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৬৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে মুরগুদ এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''পুর্না''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পারভানি জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৩৮৬ মিটার (১২৬৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে পুর্না শহরের জনসংখ্যা হল ৩৩,২৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৮%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে পুর্না এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৪% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''তারাপুর''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৪৫৬ মিটার (১৪৯৬ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে তারাপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৭০১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০% এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ১%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে তারাপুর এর সাক্ষরতার হার কম। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''ভোকারদান''' () ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের জালনা জেলার একটি শহর। == ভৌগোলিক উপাত্ত == শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ হল সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৫৮৭ মিটার (১৯২৫ ফুট)। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে ভোকারদান শহরের জনসংখ্যা হল ১৬,৯৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭০% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে ভোকারদান এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == শহর'''রোসেনবরি দুর্গ''' (ডেনীয়: Rosenborg Slot) ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত একটি দুর্গ। দুর্গটি মূলত ডেনমার্কের রাজা চতুর্থ ক্রিশ্চিয়ানের গ্রীষ্মকালীন বাড়ি হিসেবে ১৬০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। ওলন্দাজ রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত দুর্গটি পরে বেশ কয়েকবার পুনঃবর্ধন করা হয় এবং ১৬২৪ সালে বর্তমান অবস্থায় আসে। স্থপতি বের্টেল ল্যাং হান্স ভ্যান স্টিনউইঙ্কেল দুর্গের নকশা প্রণয়ন করেন। ভবন স্থাপনাসমূহ দুর্গ সালের স্থাপত্য জাদুঘর'''সিরাস পুর''' () ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী রাজ্যের উত্তর পশ্চিম জেলার একটি শহর। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সিরাস পুর শহরের জনসংখ্যা হল ১৪,৫৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৬%, এবং নারী ৪৪%। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৫%, পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৫৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সিরাস পুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১৭% হল বছর বা তার কম বয়সী। == তথ্যসূত্র == ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লীর শহর'''ঠোঙা''' কাগজ বা শালপাতা জাতীয় পাতলা জিনিস দিয়ে তৈরি খুব হাল্কা পাত্র বা থলি। ঠোঙা সাধারণ দৃঢ় পাত্রের মত অনমনীয় নয়, আবার থলের মতও নয়, অভিকর্ষের বিরুদ্ধে নিজের আকৃতি বজায় রাখতে পারে (যা কাপড়ের থলে পারেনা)। কাগজের ঠোঙা (পেপার ব্যাগ) সহজেই ভাঁজ করা যায়। শালপাতার ঠোঙা অপেক্ষাকৃত শক্ত এবং এর উপর কলাপাতা বা অরেকটি শালপাতার টুকরো দিয়ে তৈরি ঢাকনা থাকতে পারে। গরীব দেশে সাধারণতঃ পুরোনো খবরের কাগজ পুনর্ব্যবহার করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায় হল তা দিয়ে ঠোঙা বানানো। == কাগজের ঠোঙা == কাগজের ঠোঙা প্লাস্টিকের প্যাকেট আসার অনেক আগে থেকেই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার ছিল। এবং পরিবেশ দূষণ কম করবার জন্যে প্লাস্টিকের ব্যবহারাবার কম করার চেষ্টা হচ্ছে, তাই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার আবার বাড়ছে। কাগজের ঠোঙা নানা আয়তনের অন্যপাতের হয়। যেমন '''মুড়ির ঠোঙা''' বলতে সাধারণতঃ বোঝায় ৫০০ গ্রাম মুড়ি ধরতে পারে এমন আয়তনের ঠোঙা। চানাচুর বা ঝালমুড়ির ঠোঙা বলতে বোঝায় ১০০ গ্রাম ঝালমুড়ি যাতে ভরে ট্রেনে বিক্রি করে সেই রকম ঠোঙা। খবরের কাগজের দৃঢ়তায় মুড়ির ঠোঙার থেকে বেশী বড় ঠোঙা বানালে সেটা তার ভেতরে জিনিস ধরবার মত মজবুত হবার সম্ভাবনা কম। কাগজের ঠোঙার সুবিধে হল একে আঠা দিয়ে সহজেই জোড়া যায়। কিন্তু অসুবিধে হল ভিজে গেলে কাগজের ঠোঙা খুব দুর্বল হয়ে ছিড়ে যায়। === কাগজের ঠোঙা বানাবার পদ্ধতি === কাগযের ঠোঙা নানা ভাবে বানানো যায়। সাধারণতঃ গঁদের আঠা বা ময়দার আঁঠা দিয়ে ভাঁজ করা কাগজের খোলা প্রান্তগুলি জুড়ে কাগজের ঠোঙা বানানো হয়। এই রকম একটি জনপ্রিয় পদ্ধতির প্রধান ধাপগুলি এখানে সংক্ষেপে বলা হলঃ প্রথমে আয়তক্ষেত্রাকার একটি কাগজের টুকরোর দুটি বিপরীত প্রান্ত আঠা দিয়ে জুড়ে চোঙা (সিলিণ্ডার) আকৃতির করে তারপর চেপ্টে দেওয়া হয়। তারপর তার যেকোন একটি খোলা দিককে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতিতে বন্ধ করা হয়ঃ ## চোঙা আকৃতির কাগজটির ভাঁজ করা প্রান্তের এই খোলা মুখের দিকের কোনাদুটিকে মুড়িয়ে চোঙার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। ততটাই প্রবেশ করানো হয় যাতে দুই দিক থেকে প্রবেশ করানো ধারদুটি কাছা কাছি এসে যায়। ## একটি ছোটো আয়ত ক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরো নীচে থেকে আঠা দিয়ে আটকে দিয়ে এই প্রান্তদুটিকে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। ## এবারে চাপ্টা থেকে আবার চোঙা আকারে নিয়ে এলে আর্ধেক বন্ধ করা মুখটির আটকানো কোণাদুটির সঙ্গে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত অন্যদুটি কোণাকে উপরোক্ত কাগজের টুকড়োর উপরে (বাইরে দিয়ে) আঠা দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়। ঠোঙা তৈরী। === ঠোঙা বাঁধার পদ্ধতি === ঠোঙা নানা ভাবে বাঁধা যায়। কাগজের ঠোঙার বিশেষত্ব হল এর নমনীয়তার জন্য কম ভর্তি ঠোঙার খালি অংশকে সম্পূর্ণ মুড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু প্রায় ভর্তি হলে ঠোঙার খোলা মুখটিকে আয়ত ক্ষেত্রাকার করে প্রায় সেই আকারের একটি কাগজের টুকরো ভিতরে ভরা জিনিসের উপরে দিয়ে দিয়ে খোলা মাথাটিকে ঢেকে দেওয়া হয়। তার পর এর উপরে জেগে থাকে ঠোঙার মুক্ত প্রান্তকে এই কাগজের উপর দিয়ে মুড়িয়ে সুতা বা পাটের দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। == শালপাতার ঠোঙা == শঙ্কু আকৃতির বাটি আকৃতির শালপাতা ঠোঙা ফুচকাওয়ালা, ভেলপুরীওয়ালা ইত্যাদিরা নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন বিশেষ করে যখন এর মধ্যে কোন তরল খাদ্য পরিবেশন করা হয়। এগুলি আঠা দিয়ে আটকানো নয়। এগুলি ছোট কাঠি দিয়ে গাঁথা থেকে (বা অনেক সময় স্টেপ্ল করা থাকে)। শক্ত করার দরকার হলে বা বেশীক্ষণ তরল ধরে রাখবার হলে একাধিক স্তরে পাতা ব্যবহার করা হয়। এগুলি ভাঁজ করলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খোলা অংশ বন্ধ করার জন্য আলাদা কলাপাতা বা শালপাতার ঢাকনা ব্যবহার করা হয়।'''সিরাজুল আলম খান''' বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাবেক ছাত্রনেতা, রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ১৯৬২ সনে গোপন সংগঠন ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন। নিউক্লিয়াস ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নমেও পরিচিত। এছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন এবং ‘৭ নভেম্বর ১৯৭৫’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। == জন্ম শিক্ষা == সিরাজুল আলম খানের জন্ম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলীপুর গ্রামে, ১৯৪১ সালের জানুয়ারি। তার বাবা খোরশেদ আলম খান ছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুন, গৃহিণী। ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। স্থানীয় স্কুলে কিছুদিন লেখাপড়া করে চলে যান বাবার কর্মস্থল খুলনায়। ১৯৫৬ সালে খুলনা জিলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। তারপর ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। থাকতেন ফজলুল হক হলে। গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ‘কনভোকেশন মুভমেন্টে’ অংশগ্রহণ করার কারণে। প্রতিদিন রাত করে হলে ফিরতেন। ফলে হল থেকেও একবার বহিষ্কৃত হন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় তার পক্ষে মাস্টার্স ডিগ্রি নেয়া সম্ভব হয়নি। ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩ সালে সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে বিকশিত করে বাংলাদেশীদের স্বাধীন জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ’৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে যে নিউক্লিয়াস গড়ে উঠে তিনিই ছিলেন তার মূল উদ্যোক্তা। এই নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক কাজী আরেফ আহমেদ। তারপর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। ছয় দফার সমর্থনে জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন সিরাজুল আলম খান। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীন স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসলে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন প্রশ্নে মতভেদ দেখা দেয়। ফলে তার সিদ্ধান্ত তৎপরতায় গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাসদ। ঢাকা ছাত্র হিসাবে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরবর্তীকালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩-’৬৪ এবং ১৯৬৪-’৬৫ এই দুই বছর তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সালের গঠিত নিউক্লিয়াস স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামেও পরিচিত ছিল। এটি গঠনের উদ্যোগে তাঁর প্রধান সহকর্মী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ আহমেদ। ১৯৬২-’৭১ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন, ৬-দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন, ১১-দফা আন্দোলন পরিকল্পনা কৌশল প্রণয়ন করে এই ‘নিউক্লিয়াস’। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গড়ে তোলা হয় ‘নিউক্লিয়াসে’র রাজনৈতিক উইং বি.এল.এফ এবং সামরিক ইউনিট ‘জয় বাংলা বাহিনী’। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ সহ সকল স্লোগান নির্ধারণ এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে “...এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” বাক্যসমূহের সংযোজনের কৃতিত্ব এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে সিরাজুল আলম খানের ভুমিকা ছিল মুখ্য। ১৯৬৯-’৭০ সনে গণআন্দোলনের চাপে ভেঙে পড়া পাকিস্তানি শাসনের সমান্তরালে ‘নিউক্লিয়াস’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠন করা হয় ছাত্র-ব্রিগেড, যুব-ব্রিগেড, শ্রমিক-ব্রিগেড, নারী-ব্রিগেড, কৃষক-ব্রিগেড, সার্জেন্ট জহুর বাহিনী। এদের সদস্যরা ভেঙে পড়া পাকিস্তানি শাসনের পরিবর্তে যানবাহন চলাচল, ট্রেন-স্টীমার চালু রাখা, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং থানা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খ্লা রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে। নিউক্লিয়াসের সদস্যদের দ্বারা এইসব দুরূহ কাজ সাম্পাদনের জন্য কৌশল পরিকল্পনাও ‘নিউক্লিয়াস’র। ১৯৭০-’৭১ সন নাগাদ বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় হাজারে। এদের প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উন্নত সামরিক ট্রেনিংপ্রাপ্ত হন এবং ‘মুজিব বাহিনী’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ ১১টি সেক্টরের পাশাপাশি ৪টি সেক্টরে বিভক্ত করে বিএলএফ-এর সশস্ত্র সংগ্রামের পরিকল্পনা কৌশল ছিল কেবল ভিন্ন ধরনের নয়, অনেক উন্নতমানের এবং বিজ্ঞানসম্মত। বিএলএফ এর চার প্রধান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক এবং তোফায়েল আহমেদ। ১৯৭১ সনের ১লা মার্চ ইয়াহিয়া খান আকস্মিকভাবে নির্বাচিত পাকিস্তান জাতীয় উদ্বোধনী সভা স্থগিত ঘোষণার পরপরই ২রা মার্চ বাংলাদেশর প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারণসহ ৩রা মার্চ ‘স্বাধীনতার ইশতেহার’ ঘোষণার পরিকল্পনাও ‘নিউক্লিয়াসের। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে এই দুটি কাজ ছিলো প্রথম দিকনির্দেশনা। আর এই দুই গুরুদায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে আ.স.ম আবদূর রব এবং শাজাহান সিরাজ। ১৯৭০ সনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নির্বাচিত করার দায়িত্ব পালন করে বিএলএফ। নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণআন্দোলনে গড়ে ওঠা জনমতকে সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে গণরায়ে পরিণত করার এই কৌশলও নির্ধারণ করে বিএলএফ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সানন্দে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেন। আন্দোলন, নির্বাচন, সমান্তরাল প্রশাসন এবং আসন্ন সশস্ত্র সংগ্রামকে হিসাবে নিয়ে বিভিন্ন বাহিনী গড়ে তোলার কৃতিত্ব সিরাজুল আলম খানের। ==জাসদ প্রতিষ্ঠা== ১৯৭১ সনে স্বাধীনতার পর রূপ চরিত্র বদলে যায়। গড়ে ওঠে একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। ১৯৭৫ সনের ৭ই নভেম্বরে অনুষ্ঠিত 'অভ্যুত্থান’ বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক ঘটনা। জাসদ গঠন এবং ‘অভ্যুত্থান’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। আর এই দুটি বৃহৎ ঘটনার নায়ক ছিলেন মেজর জলিল, আবদুর রব এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহের। == কারাভোগ == সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় বছর কারাভোগ করেন। কনভোকেশন মুভমেন্টের কারণে ১৯৬৩ সালের শেষদিকে গ্রেপ্তার হন। ১৯৭৬ সালে জিয়ার আমলে আবার গ্রেপ্তার এবং ১৯৭৯ সালে মুক্তি পান। ১৯৯২ সালে বিদেশ যাবার প্রাক্কালে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ২৪শে মার্চ সিরাজুল আলম খানকে গ্রেপ্তার করা হলে মাস পর হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পান। ==শিক্ষা গবেষণা== সিরাজুল আলম খানের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অঙ্ক শাস্ত্রে হলেও দীর্ঘ জেল জীবনে তিনি দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, সংগীত, খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। ফলে উপর গড়ে উঠে তার অগাধ পাণ্ডিত্য এবং দক্ষতা। সেই কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি অধ্যাপক নিযুক্ত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের অসকস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬-’৯৭ সনে। আর্থ-সামাজিক বিশেষনে সিরাজুল আলম খানের তাত্ত্বিক উদ্ভাবন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়। মার্কসীয় ‘দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ’র আলোকে বাংলাদেশের জনগণকে হিসাবে বিভক্ত করে ‘রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক’ মডেল হাজির করেছেন সিরাজুল আলম খান। চিরাচরিত পার্লামেন্টারি ধাঁচের ‘অঞ্চল ভিত্তিক’ প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি শ্রম, কর্ম, পেশায় নিয়োজিত সমাজ শক্তি সমূহের ‘বিষয় ভিত্তিক’ প্রতিনিত্বের ব্যবস্থা সংবলিত ‘দুই কক্ষ’ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন, ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, বাংলাদেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন এবং প্রাদেশিক সরকার গঠন, উপজেলা পর্যায়ে স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার পদ্ধতি চালু করার মধ্য দিয়ে ঔপনিবেশিক আইন ব্যবস্থা শাসন কাঠামোর পরিবর্তে স্বাধীন দেশের উপযোগী শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মডেল উত্থাপন করেন তিনি। বাংলাদেশের অন্য জাতিসত্তাসমূহের স্বীকৃতির প্রয়োজনও তার চিন্তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশে শিল্পায়ন করার লক্ষ্যে প্রবাসীদের অর্থায়নে ‘উপজেলা শিল্প এলাকা’ এবং ‘পৌর শিল্প এলাকা’ গঠন করার তার প্রস্তাব ইতোমধ্যেই সবার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘মাইক্রো ক্রেডিট’ ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’-এর সমর্থক তিনি। সিরাজুল আলম খান এখন দেশে-বিদেশে ‘রাজনৈতিক তাত্ত্বিক ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে পরিচিত। তার দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য ছাত্র-যুব নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। রাজনৈতিক তত্ত্ব উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন মডেল প্রণয়নে তার প্রধান সহযোগীরা হলেন ড. জিল্লুর রহমান খান, প্রফেসর রাজিয়া আহমেদ এবং মহিউদ্দিন আহমদ। == ব্যক্তিগত জীবন == ব্যক্তিগত জীবনে সিরাজুল আলম খান অবিবাহিত। ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তি জন্ম রাজনীতিবিদ জেলার রাজনীতিবিদএই নাম দ্বারা নিম্নের যেকোন একজনকে বোঝানো যেতে পারে: আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়। আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক অনুবাদক। অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম (মৃত্তিকা বিজ্ঞানী) ঢাকা মৃত্তিকা বিজ্ঞানের অধ্যাপক গবেষক। আমিনুল ইসলাম (চিত্রশিল্পী) একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ছিলেন। আমিনুল ইসলাম (রাজনীতিবিদ) দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ। আমিনুল ইসলাম রাজনীতিবিদ) বিএনপির রাজনীতিবিদ। *আমিনুল ইসলাম (ক্রিকেটার, জন্ম ১৯৯২) বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়। *আমিনুল ইসলাম (ক্রিকেটার, জন্ম ১৯৯৯), বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়।পাতা '''পাতা''' (''সংস্কৃত: পত্র'') উদ্ভিদের বিটপ অংশের প্রধান পার্শ্বীয় প্রত্যঙ্গ যার মূল কাজ হল সালোকসংশ্লেষ। পাতা উদ্ভিদের একটি অংশ যার আয়তন স্থির থাকে। পাতার ফলকের আকার সাধারণত চ্যাপ্টা এবং পাতলা হয় যাতে সূর্যের আলো কোষকলা ভেদ করে পাতার যে সমস্ত কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট আছে তাদের সবার কাছে পৌঁছতে পারে। ছাড়াও পাতায় শ্বসন, বাষ্পমোচন ইত্যাদি শারীরবৃত্তীয় কাজ হয়। পাতা খাদ্য এবং জলের আধার হিসেবেও কাজ করতে পারে। কিছু উদ্ভিদে বিশেষ প্রয়োজনে পাতার আকৃতিগত পরিবর্তন হতে পারে এছাড়াও কিছু কিছু উদ্ভিদের আবহাওয়া কারণে এদের রং আলাদা হয়ে থাকে বিশ্লেষণ তার ফলককে আলোর দিকে তুলে ধরে পত্রবৃন্ত। তবে পাতার গঠন আলোচনা করতে সাধারণত পাতার ফলকের গঠনেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। == বিশ্লেষণ == একটি পাতার বিভিন্ন অংশ নিম্নের চিত্রে দেখানো হয়েছে Diagram of leaf internal anatomy == গ্যালারি == চিত্র:Bifacial leaf cross পাতার বিভিন্ন অংশ। চিত্র:Leaf epidermis scale.jpg|পাতার স্ক্যান। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ''VASCULAR PLANT SYSTEMATICS'' Section B. General Characters and Character States: Position and Arrangement Science aid: Leaf Leaf structure and transpiration resource for teens.হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত রাগগুলির তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হল- নাম অডিও ভিডিও রাগ খোকর রাগ গাওতি রাগ গৌড় মল্লার 128px রাগ গোপী বসন্ত রাগ চক্রধর রাগ গৌড়সারঙ্গ 128px রাগ গৌরাঞ্জনী রাগ চন্দ্রকল্যাণ রাগ ছায়া রাগ ছায়ানট 128px রাগ জয় কংস রাগ জয়বন্তী রাগ জংলা রাগ জয়েৎ রাগ জৈৎ রাগ জয়েৎকল্যাণ রাগ জয়েৎ মল্লার রাগ জয়শ্রী রাগ জৈৎ কল্যাণ রাগ দরবারী রাগ দুর্গা কল্যাণ রাগ দেবরঞ্জনী রাগ দেবগিরি বিলাবল রাগ দেবগান্ধার রাগ দেবগিরি রাগ দেশ গৌড় রাগ ধবলাশ্রী রাগ দেশাখ্য রাগ দেশকার 128px রাগ নট-বিলাবল রাগ নটনারায়ণী রাগ নটমল্লার রাগ নট ভৈরব 128px রাগ নাগস্বরাবলী রাগ নট বিহাগ রাগ নাগধ্বনি কানাড়া রাগ নাট রাগ নাচাড়ী টোড়ী রাগ নন্দ রাগ নারায়ণী রাগ নারায়ণ-বিলাবল রাগ নাট কুরঞ্জিকা রাগ নায়কী কানাড়া রাগ নিশাশাখ রাগ পটদীপ রাগ পঞ্চম রাগ পটদীপকী রাগ পরজ 128px রাগ পাহাড়ী রাগ পলাশী রাগ পরজবাহার রাগ পুষ্প রঞ্জনী রাগ পূর্ব কল্যাণ রাগ পূর্ব্যা রাগ প্রতাপ বরালী রাগ প্রভাত-ভৈরব রাগ ফিরোজখানী টোড়ী রাগ প্রভাবতী রাগ বড়হংস রাগ বঙ্গাল-ভৈরব রাগ বাগেশ্রীবাহার রাগ বারোঁয়া রাগ বসন্ত মুখারী রাগ বৃহন্নট রাগ বৈজয়ন্তী রাগ ভবশাখ রাগ ভংখার রাগ ভৈরব-বাহার রাগ ভীম রাগ মঙ্গল ভৈরব রাগ মধুকংস রাগ মধুমাধবীসারং রাগ মধুরঞ্জনী রাগ মনোহর রাগ মাড় রাগ মারু বেহাগ রাগ মিয়াঁ সারং রাগ মালীন রাগ মালীগৌরা রাগ মিয়াঁমল্লার 128px রাগ মীরা সারং রাগ মুদ্রাকী কানাড়া রাগ যশরঞ্জনী রাগ মোটকী রাগ যোগ কোষ রাগ যোগ-আশাবরী রাগ রসচন্দ্র রাগ রস রঞ্জনী রাগ রেবতী রাগ লচ্ছাশাখ রাগ ললিত পঞ্চম রাগ লাচারীটোড়ী রাগ ললিতা গৌরী রাগ ললিতকেলী রাগ শরৎ রাগ শিবমত ভৈরব রাগ শিবরাজ রাগ শুক্লবিলাবল রাগ শুদ্ধ কল্যাণ 128px রাগ শুদ্ধ মল্লার রাগ শুদ্ধ বিলাবল রাগ সরফর্দা রাগ ষড় রাগ সরফর্দা বিলাবল রাগ সরস্বতীরঞ্জনী রাগ সরস্বতী রাগ সাঁঝ হিন্দোল রাগ সাজগিরি রাগ সাজন রাগ সাবনী কল্যাণ রাগ সামন্ত সারং রাগ সাহানা কানাড়া রাগ সিন্ধু রাগ সুঘরাই 128px রাগ সিন্ধুড়া 128px রাগ সুরদাসীমল্লার রাগ সুরট রাগ সুঘরাই টোড়ী রাগ সুঘরাই কানাড়া রাগ সৌরাষ্ট্র টঙ্ক রাগ হংস মঞ্জরী রাগ হাম্বীর রাগ হিজাজ রাগ হিন্দোল বাহার রাগ হেমকল্যাণ রাগ হোসেনী কানাড়া রাগ হিন্দোলী রাগ শুদ্ধ সারং রাগ শ্যাম রাগ হেম বেহাগ রাগ ভিন্নষড়জ Kirwani রাগ অমৃতবর্ষিণী রাগ গুর্জরী টোড়ী 128px Suhi (raga) Jogiya রাগ অলঙ্ক গুর্জরী রাগ আনন্দীকল্যাণ রাগ আভাবতী রাগ ইমনি বিলাবল 128px রাগ উত্তরী গুণকেলী রাগ কনকধানী রাগ কমলঞ্জনী রাগ কর্ণাট রাগ কলাশ্রী রাগ কলিঙ্গড়া 128px রাগ কোমল আশাবরী রাগ কোমল বাগেশ্রী রাগ কৌশিক ধ্বনি রাগ কৌশিক রঞ্জনী রাগ কৌশিকী কানাড়া রাগ কৌশী ভৈরব রাগ কৌশী ভৈরবী রাগ কৌশী রাগ গৌরী টোড়ী রাগ গান্ধারী রাগ চন্দ্রকোষ রাগ চন্দ্রকান্ত রাগ চন্দ্রিকা রাগ চম্পক রাগ চম্পাকলি রাগ চর্জু কি মল্লার রাগ ছায়াটোড়ী রাগ চিত্রাগৌরী রাগ জয়জয় বিলাবল রাগ জয়রাজ রাগ জাজমল্লার রাগ জলধর কেদারা রাগ জিল্‌হা রাগ টঙ্ক-কানাড়া রাগ টঙ্কশ্রী রাগ টঙ্কী রাগ দরবারী টোড়ী রাগ দেবশাখ রাগ ধুরিয়া মল্লার রাগ দেশীটোড়ী রাগ ধানশ্রী রাগ নীলাম্বরী রাগ পটবিহাগ রাগ পটমঞ্জরী রাগ প্রদীপকী রাগ পূর্বকল্যাণ রাগ পূর্বী সারং রাগ বঙ্গাল বিলাবল রাগ বঙ্গালী রাগ বড়হংস সারং রাগ প্রভাত রাগ প্রভাত ভৈরব রাগ বাহাদুরী টোড়ী রাগ বরাটী রাগ বিচিত্রা রাগ বসন্ত বাহার রাগ বিজয় রাগ বরারী রাগ বিহারী রাগ বেহাগ নট রাগ বৈরাগী ভৈরবী রাগ পূরবী 128px রাগ সোহনী 128px রাগ শ্রী 128px রাগ ভীমপলাশী 128px রাগ হিন্দোল 128px রাগ ভূপালী 128px রাগ জয়জয়বন্তী 128px রাগ ভৈরব রাগ কাফি রাগ অডানা 128px রাগ আহির ভৈরব 128px রাগ বসন্ত 128px রাগ আশাবরী রাগ মেঘ রাগ আলাহিয়া-বিলাবল রাগ বাহার 128px রাগ বৈরাগী রাগ বারওয়া রাগ ভৈরবী 128px রাগ ভাটিয়ার 128px রাগ ভূপালটোড়ী রাগ বিভাস 128px রাগ বেহাগ রাগ বিলাসখানী টোড়ী রাগ বিলাবল রাগ বৃন্দাবনী সারং 128px রাগ দেশী 128px রাগ দুর্গা 128px রাগ গুর্জরী রাগ হামির 128px রাগ জোগ রাগ খাম্বাজ 128px রাগ ইমন কল্যাণ রাগ ললিত 128px রাগ রামকেলী 128px রাগ মধুকলি রাগ মালগুঞ্জ রাগ মলহার রাগ মার্বা রাগ মেঘ মল্লার 128px রাগ মুলতানী 128px রাগ পূরিয়া 128px রাগ পূরিয়া ধানশ্রী 128px রাগ ভূপেশ্বরী রাগ তিলক কামোদ 128px রাগ রাগেশ্রী 128px রাগ মালকোষ 128px Sarpada শংকর 128px রাগ তিলং 128px রাগ টোড়ী রাগ ইমন রাগ ঝিলফ রাগ পিলু 128px রাগ খাম্বাবতী রাগ খট রাগ কুকুভা রাগ কেদার 128px রাগ দেশ 128px রাগ বাগেশ্রী রাগ মধুমন্তী রাগ গুণকেলী রাগ গৌরী রাগ ঝিঁঝিট রাগ ত্রিবেণী রাগ মারোয়া রাগ মালবী রাগ অঞ্জনী টোড়ী রাগ অম্বিকা রাগ অরুণ মল্লার রাগ অরজ রাগ আনন্দ ভৈরব রাগ আড়ানা কানাড়া রাগ আভোগী কানাড়া রাগ আলাহিয়া রাগ আশাটোড়ী রাগ আহীর ললিত রাগ আহীরা টোড়ী রাগ কল্যাণ রাগ কল্যাণ-নট রাগ কাফি-কানাড়া রাগ কামোদ 128px রাগ কাফি-টোড়ী রাগ কামোদ নট রাগ কেদারা-নট রাগ কুকুভ বিলাবল রাগ কুমারী রাগ কোমল দেশী রাগ কৌমারী রাগ কোহল কানাড়া রাগ গারা রাগ গারা কানাড়া রাগ হংসধ্বনি 128px রাগ জৌনপুরী 128px রাগ কলাবতী রাগ বিজয় কোষ রাগ ভবানী রাগ ভীমপলশ্রী রাগ ভৌপাল রাগ মুখারী রাগ মঙ্গল রাগ মঙ্গল কানাড়া রাগ মুদ্রাকী টোড়ী রাগ মঞ্জরী রাগ মধুকোষ রাগ মদমাত সারং রাগ মাঝ রাগ মাঢ় রাগ মলুহা রাগ মাণ্ড রাগ মার্গহিন্দোল রাগ মালুহা কেদার রাগ মালারাণী রাগ মারুবেহাগ রাগ মিয়াকী কানাড়া রাগ মীরাবাঈ কি মল্লার রাগ মিয়াঁকী টোড়ী রাগ মিয়াঁকি সারং রাগ যোগ রাগ যোগবর্ণ রাগ যোগিয়া রাগ মেঘরঞ্জনী রাগ রক্তহংস সারং রাগ রাজ বিজয় রাগ রত্নদ্বীপ রাগ লক্ষ্মী কল্যাণ রাগ রামদাসী মল্লার রাগ রাজকল্যাণ রাগ রেবতী কানাড়া রাগ রেবা রাগ লক্ষ্মীটোড়ী রাগ ললিত মঙ্গল রাগ লঙ্কাদাহন সারং রাগ লচ্ছাসার রাগ লাজবন্তী রাগ শ্যাম কানাড়া রাগ শ্যামকল্যাণ রাগ শ্যামকেদার রাগ শঙ্করাভরণ রাগ লুম রাগ শ্রীকল্যাণ রাগ শ্রীবন্তী রাগ শ্রীটঙ্ক রাগ শ্রীরঞ্জনী রাগ শাহানা কানাড়া রাগ শোভাবরী রাগ সুরমল্লার রাগ সুহা কানাড়া রাগ সুহা রাগ সুহাটোড়ী রাগ সাহিনী রাগ সাবেরী রাগ সৌরাষ্ট্র রাগ হংস কঙ্কলি রাগ হংসশ্রী রাগ হংস নারায়ণ রাগ হেমন্ত রাগ হিম Jhinjhoti Bhatiar 128px Chhayanut 128px Des 128px Gaur Malhar 128px Gaur Sarang 128px Hamir 128px Hans Dhwani 128px Jai Jai Wanti 128px Kalingra 128px Kamod 128px Malkauns 128px মিঁয়া মল্লার 128px রাগ মধুবন্তী 128px রাগ সাহানা রাগ শিবরঞ্জনী রাগ সিন্ধু ভৈরবী রাগ দরবারী-কানাড়া 128px রাগ দরবার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত'''কলস উদ্ভিদ''' বা '''কলসী উদ্ভিদ''' () হচ্ছে কতিপয় আলাদা প্রকারের মাংসাশী উদ্ভিদ যেগুলোর পরিবর্তিত পাতাগুলো একধরনের '''বিপদের ফাঁদ''' হিসেবে কাজ করে এই '''বিপদের ফাঁদ'''গুলো শিকার-ধরার ফাঁদ-কৌশলী বৈশিষ্ট্য হিসেবে কলস উদ্ভিদের পাতাগুলোর গভীর গহ্বরটি তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে। এই কলসি উদ্ভিদকে সবচেয়ে ভয়ংকর মাংসাশী উদ্ভিদ বলে চিহ্নিত করা হয়। নেপেন্থেস নামক কলসপত্রী উদ্ভিদের কলস ফিলিপাইন দেশের নেপেন্থেস নেপেন্থেসের কলসের রেখাচিত্র == নামকরণ == কলসি উদ্ভিদে ফাঁপা বিশেষ ধরনের পাতা রয়েছে যা একটি জগ কিংবা কলসির মত পানি ধারণ করে রাখতে পারে। কলসির মত দেখতে পাতাগুলোই শিকার ধরার ফাঁদ হিসেবে কাজ করে। এদের গঠন আকৃতি থেকেই এদেরকে নাম দেওয়া হয়েছে কলসি উদ্ভিদ। == স্থান == কলস উদ্ভিদসমূহ পাওয়া যায় বৃহৎ Nepenthaceae এবং Sarraceniaceae পরিবারে। আরো পাওয়া যায় একই-ধরনের Cephalotaceae এবং অন্য কিছু Bromeliaceae পরিবারের সদস্যের ভেতরে। Nepenthaceae এবং Sarraceniaceae হচ্ছে প্রজাতি-বহুল অধিকাংশ কলস উদ্ভিদের পরিবার। নেপেন্থাসি একটি মাত্র গণ দ্বারা গঠিত যার নাম ''Nepenthes'', এবং এই গণে ১০০-এর অধিক প্রজাতি এবং অসংখ্য হাইব্রিড এবং চাষের প্রজাতি আছে। এদের মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ আমেরিকান কলসি উদ্ভিদ (North American Pitcher Plant)। মালয়েশিয়া, মাদাগাস্কার, ভারত শ্রীলংকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলাভূমিতেও বিভিন্ন প্রজাতির কলসি উদ্ভিদ দেখা যায়। য় == গঠন আকৃতি == গ্রীষ্মমন্ডলীয় কলসি উদ্ভিদে সাধারণ পাতা এবং উজ্জ্বল রঙের কলসির মত পাতা দুটোই রয়েছে। একটি আকর্ষী থেকে ধীরে ধীরে সুতোর মত একটি পাতা উৎপন্ন হয়। পাতাটি বড় হতে হতে ফুলে উঠে রঙিন একটি জগের মত আকৃতি লাভ করে। এর ওপরের দিকে পাতার তৈরি একটি ঢাকনাও তৈরি হয়। কোন কোন কলসি উদ্ভিদে ঢাকনাটি কলসির কিনারে শোভাবর্ধক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন প্রজাতির কলসি উদ্ভিদের পাতাগুলোর আকার, রঙ আকৃতি ভিন্ন হতে পারে। এগুলোর দৈর্ঘ্য মাত্র ইঞ্চি (৫ সে.মি.) থেকে শুরু করে ফুট (৬০ সে.মি.) পর্যন্ত হতে পারে। == শিকার পদ্ধতি == ছোট ছোট কলসি উদ্ভিদগুলো মাছি, গুবরে পোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি পোকামাকড় শিকার করে। বড় আকারের কলসি উদ্ভিদগুলো ছোট আকারের ব্যাঙ কিংবা ইঁদুর শিকার করে। কিন্তু সব কলসি উদ্ভিদই এক পদ্ধতিতে শিকার করে। কলসি উদ্ভিদের ফাঁদ পরোক্ষ ধরনের। অর্থাৎ এরা কোন নাড়াচাড়া ছাড়াই শিকার ধরে থাকে। কলসি উদ্ভিদের গঠন এমন যে এর ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে নেমে যাওয়া পোকামাকড়দের জন্য এটি বন্দিশালার মত কাজ করে। কলসের সঙ্গে আটকানো পাতাটি লম্বা নলের মত কাজ করে। নলের মাথায় থাকে রঙচঙে একটি প্রবেশ পথ। নলের তলদেশ অংশটি পেয়ালাকৃতির। যেসব কলসি উদ্ভিদ মাটির কাছাকাছি জন্মে তাদের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে থাকে। অধিকাংশ কলসি উদ্ভিদের ঢাকনাটি প্রবেশ পথ দিয়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টির পানি ঢুকতে বাধা দেয়। ঢাকনাটি সবসময় খোলা থাকে। কলসির প্রবেশ মুখে এক ধরনের মধু উৎপন্ন হয়। কলসির উজ্জ্বল রঙ আর মধুর লোভে আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় ওড়ে কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে কলসির ভিতরে প্রবেশ করে। ভেতরেই ঢুকে এটি মধু উৎপন্ন করে এবং আরো মধুর লোভে কলসির আরো ভিতরে ঢুকে যায়। পোকাটি কলসির নলের ভিতরেই ঢোকার পরই বিপদে পড়ে যায়। নলের ভিতরের দেয়ালটি বরফের মতই মসৃণ আর পিচ্ছিল। ফলে পোকাটি পিছলে গিয়ে নলের আরো তলের দিকে পড়ে যায়। নলের তলদেশে থাকে অসংখ্য শুঙ্গ। শুঙ্গগুলো সবই কলসির নিচে জমানো পানির দিকে ফেরানো থাকে। এগুলো পার হয়ে পোকাটি নিচে পড়ে গেলে তার পক্ষে আর আর ওপরের দিকে ওঠা সম্ভব হয়না। একসময় এটি তলদেশের পানিতে ডুবে যায়। এরপর পরিপাকে সাহায্যকারী উৎসেচকগুলো কলসির তলদেশে বেরিয়ে আসে। পোকাটির দেহের নরম অংশগুলো পরিপাক হয়ে উদ্ভিদের দেহে শোষিত হয়। শক্ত অংশগুলো কলসির নিচের তলদেশে জমা হয়। ==নোটসমূহ== ==তথ্যসূত্র== ==অতিরিক্ত পাঠ== Juniper, B.E., R.J. Robins D.M. Joel (1989). ''The Carnivorous Plants''. Academic Press, London. Schnell, D. (2003). ''Carnivorous Plants of the United States and Canada''. Second Edition. Timber Press, Oregon, U.S.A. == বহিঃসংযোগ == উদ্ভিদ'''সাম্পর্কিক ডাটাবেস''' () হল ডাটাবেসের সাম্পর্কিক মডেল অনুসরণ করে তৈরি করা ডাটাবেস। সাম্পর্কিক ডাটাবেস বলতে ডাটাবেসের উপাত্ত স্কিমা-কে বোঝায়, ডাটাবেস সফটওয়্যার, যা সাম্পর্কিক ডাটাবেস ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা (Relational Database Management System) নামে পরিচিত, তাকে বোঝায় না। এর ইংরেজি পরিভাষা '''relational database''' প্রথম সংজ্ঞায়িত করেন প্রচলন করেন এডগার কড। == তথ্যসূত্র =='''এফসি বায়ার্ন মিউনিখ''' () জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের রাজধানী মিউনিখে অবস্থিত একটি জার্মান ক্রীড়া দল। ফুটবলের ইতিহাসে সফলতম দলগুলোর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ অন্যতম। দলটি ১টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা, ২টি আন্তমহাদেশীয় কাপ, ৫টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা, ১টি উয়েফা কাপ শিরোপা, ১টি উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ শিরোপা, ১টি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা, ২৪টি বুন্দেসলিগা শিরোপা, ১৭টি ডিএফবি পোকাল শিরোপা, ৪টি ডিএফএল সুপার কাপ শিরোপা এবং ৬টি ডিএফবি লিগাপোকাল শিরোপা জিতেছে। বায়ার্ন মিউনিখ জার্মানির জনপ্রিয়তম দল। বায়ার্ন মিউনিখের সদস্য সংখ্যা ২৫১,৩১৫ জন যা বিশ্বের অন্য যে কোন সদস্যভিত্তিক ফুটবল ক্লাবের থেকে বেশি। ফুটবল ছাড়াও বায়ার্ন দাবা, হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, জিমন্যাস্টিকস, বোলিং টেবিল টেনিস খেলার দল গঠন করেছে। == খেলোয়াড় == === বর্তমান দল === :জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ পর্যন্ত == সম্মাননা == ===ঘরোয়া=== '''বুন্দেসলিগা: ২৪''' ** ১৯৩২, ১৯৬৮/৬৯, ১৯৭১/৭২, ১৯৭২/৭৩, ১৯৭৩/৭৪, ১৯৭৯/৮০, ১৯৮০/৮১, ১৯৮৪/৮৫, ১৯৮৫/৮৬, ১৯৮৬/৮৭, ১৯৮৮/৮৯, ১৯৮৯/৯০, ১৯৯৩/৯৪, ১৯৯৬/৯৭, ১৯৯৮/৯৯, ১৯৯৯/২০০০, ২০০০/০১, ২০০২/০৩, ২০০৪/০৫, ২০০৫/০৬, ২০০৭/০৮, ২০০৯/১০, ২০১২/১৩, ২০১৩/১৪ (রেকর্ড সংখ্যক) ** ''রানার-আপ'' ১৯৬৯/৭০, ১৯৭০/৭১, ১৯৮৭/৮৮, ১৯৯০/৯১, ১৯৯২/৯৩, ১৯৯৫/৯৬, ১৯৯৭/৯৮, ২০০৩/০৪ '''ডিএফবি পোকাল: ১৭''' ** ১৯৫৭, ১৯৬৬, ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৮২, ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৩, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮, ২০১০, ২০১৩, ২০১৪ (রেকর্ড সংখ্যক) ===ইউরোপীয়=== '''উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ: ৫''' ** ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬, ২০০১, ২০১৩ ** ''রানার্স-আপ'' ১৯৮২, ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০১২ '''উয়েফা কাপ: ১''' ** ১৯৯৬ '''উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ: ১''' ** ১৯৬৭ '''উয়েফা সুপার কাপ: ১''' ** ২০১৩ কাপ: ২''' ** ১৯৭৬, ২০০১ '''ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: ১''' ** ২০১৩ == বহিঃসংযোগ == Official site in English (German, Japanese, Spanish, and Chinese versions also available) Bayern Munich formations tactics reference site == তথ্যসূত্র == মিউনিখ, বায়ার্ন বায়ার্ন ক্লাব চ্যাম্পিয়নস লীগ বিজয়ী ক্লাব কাপ বিজয়ী ক্লাব সুপার কাপ বিজয়ী ক্লাব কাপ (ফুটবল) বিজয়ী ক্লাব ক্লাব বিশ্বকাপ বিজয়ী ক্লাব'''উদর''' মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহের একটি প্রধান অংশ। এটি বক্ষদেশের পশ্চাদ্ভাগে থাকে। স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে এর পুরোভাগে মধ্যচ্ছদা থাকে এবং পশ্চাদ্ভাগে শ্রোণি থাকে। মধ্যচ্ছদা উদর-গহবর থেকে প্লুরাল এবং পেরিকোর্ডিয়াল গহবরকে পৃথক রাখে। একময়াত্র স্তন্যপায়ী ছাড়া সব মেরুদন্ডী প্রাণীর ফুসফুস এবং উদরের viscera একই সাধারণ গহবরের মধ্যে থাকে যা cavity নামে পরিচিত। উদর গহবরে অবস্থিত viscera সমূহ একটি পেরিটোনিয়াল পর্দা দিয়ে মোড়ানো থাকে। বিভিন্ন অঙ্গ থেকে পেরিটোনিয়াল পর্দা দেহ প্রাচীরে Mesenteries আকারে আটকানো থাকে। কিছু কিছু পর্দার ভাঁজ Omentum তৈরি করে। অর্থ্রোপড এবং অন্যান্য প্রাণীর দেহের উদরের অংশ বোঝানোর জন্য abdomen শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== অঙ্গসংস্থানএকটি গৃহস্থালী বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের সহজ স্কেচ হলো পচনশীল জৈববস্তুসমূহ হতে তৈরি গ্যাস। সব প্রাণীরই মল হতে মাধ্যমে গ্যাস তৈরি করা যায়। পশুর গোবর অন্যান্য পচনশীল পদার্থ বাতাসের অনুপস্থিতিতে পঁচানোর ফলে যে গ্যাস তৈরি হয় তাই হচ্ছে বায়োগ্যাস। তবে গৃহপালিত বা বাণিজ্যিকভাবে পালিত পশুপাখি এবং মানব মল সহজলভ্য বলে এগুলোই বেশি ব্যবহার করা হয়। এজাতীয় গ্যাসে অধিকাংশ পরিমাণই থাকে মিথেন গ্যাস। বায়োগ্যাস উৎপাদনের পর অবশিষ্ট আবর্জনাটুকু উত্তম জৈব সার হিসেবে বেশ কার্যকরী। == বায়োগ্যাস উৎপাদনের মূলনীতি == অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে কোন জৈব পদার্থকে পচানো হলে সেখান হতে বায়োগ্যাস উৎপাদিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে এনারবিক ডাইজেশন (Anaerobic digestion) বলে। যার মাধ্যমে কিছু অণুজীব জৈব পদার্থকে ভেঙে মূলত মিথেন এবং কার্বন-ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। == বায়োগ্যাস তৈরির কাঁচামাল == যেকোন পচনশীল বস্তু বায়োগ্যাস তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমনঃ মলমূত্র (মানুষ, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাস, মুরগী ইত্যাদি) তরি-তরকারি, ফল-মূল মাছ-মাংসের ফেলনা অংশ লতাপাতা, বিভিন্ন আবর্জনা কচুরিপানা == বিভিন্ন ধরনের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট == বায়োগ্যাস উৎপাদনের জন্য প্রধানত দুধরনের প্ল্যান্ট ব্যবহৃত হয়। এগুলো হল-- ফিক্সড ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট ভাসমান ডোম বায়োগ্যাস প্লান্ট এছাড়াও আরও কয়েক ধরনের বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে। যেমন-- বেলুন প্ল্যান্ট অনুভূমিক প্ল্যান্ট আর্থ পিট প্ল্যান্ট ফেরোসিমেন্ট প্ল্যান্ট == বায়োগ্যাস ব্যবহারের সুবিধা == নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বায়োগ্যাসের অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। যেমন-- অল্প জায়গায় এই প্লান্ট তৈরি করা যায়৷ এই প্লান্ট অনেকদিন টিকে থাকে এবং কাজ করে৷ আবর্জনা দুর্গন্ধমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে ওঠে৷ উপাদানগুলো পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায় না৷ মশা-মাছি জণ্মায় না৷ রাঁধুনীর শারীরিক ধকল কমে৷ জমির জন্য উন্নতমানের সার পাওয়া যায়৷ গ্রামের জীবনযাত্রায় আধুনিকতা আসে৷ বায়োগ্যাসের বর্জ্য জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ জ্বালানির জন্য গাছপালার উপর চাপ কম পড়ে বায়োগ্যাসের কারণে বাড়িতে গবাদিপশুর খামার গড়তে উৎসাহিত হয় বায়োগ্যাসের বর্জ্য মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যার বায়োগ্যাস ব্যবহার করলে গ্রীনহাউজ গ্যাসের স্তর ক্ষয় কম হয় বায়ো গ্যাস এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় == বায়োগ্যাস ব্যবহারের অসুবিধা == প্লান্ট তৈরি করতে এককালীন বেশকিছু টাকার দরকার হয়৷ কাঁচামালের জন্য নিজেদের থাকতে হয়৷ বায়োগ্যাস প্লান্ট সাধারণভাবে তৈরি করা যায় না৷ শীতকালে তাপমাত্রা কমে গেলে গ্যাসের উৎপাদন কমে যায়। (সমাধান প্লান্টে গোবর দেওয়ার আগে গরম পানি ঢুকাতে হবে)। প্ল্যানটা এমন জায়গায় বসানো ভালো, যেখানে সব সময় রোদ থাকে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মার্কিন বায়োগ্যাস কাউন্সিল স্প্যানিশ বায়োগ্যাস এসোসিয়েশন বায়োগ্যাস ভিডিও বুক ইউটিউবে বায়োগ্যাস বিষয়ক ভিডিও An Introduction to Biogas, University of Adelaide Biogas from manure and waste products Swedish case studies The largest danish plant Lemvig Biogas renewable energy and sound economy An overview of biogas purification technologies Biogas Bonanza for Third World Development Biogas China Small Scale Biogas Plants জ্বালানিthumb '''লাটিম''' বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপ-মহাদেশগুলির অন্যতম একটি গ্রামীন খেলা। ==উপকরণ== আগে সুতার মিস্ত্রিরাই গ্রামের কিশোরদেরকে লাটিম বানিয়ে দিতো। তারা সাধারণত পেয়ারা গাব গাছের ডাল দিয়ে এই লাটিম তৈরি করতো। নির্বাচিত পাট থেকে লাটিমের জন্য লতি বা ফিতা বানানো হতো। বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তুলাজাতীয় নরম কাঠ দিয়ে লাটিম এবং গেঞ্জির কাপড় দিয়ে লাটিমের ফিতা বানানো হয়। লাটিম == লাটিম খেলা == ===কৌশল=== লৌহশলাকাকে অক্ষ বানিয়ে কাঠের বানানো গোলকটিকে খেলোয়ার ২-৩ হাত দীর্ঘ এক টুকরো দড়ি বা সূতলি দিয়ে অক্ষশীর্ষ থেকে ক্রমশ গোলকটির নিম্নার্ধ সুষমভাবে পেঁচিয়ে হাতের প্রধানত তর্জনী বৃদ্ধঙ্গুল ব্যবহার ক'রে উঁচু থেকে ছুঁড়ে মাটি বা কিছুর তলে ঘুরায়। ===ধরণ=== সাধারণত তিন ধরনের লাটিম খেলা হয়। ১। বেল্লাপার ২। ঘরকোপ ৩। ঘুরতি কোপ ==== বেল্লাপার ==== বেল্লাপারে একটি দাগ কেটে সীমানা চিহ্নিত করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় নির্ধারণী খেলায় যে লাটিম পরাজিত হয় তাকে ঘর থেকে নিজেদের লাটিম দিয়ে আঘাত করে করে প্রতিযোগীরা সীমানা পার করে দেয়। ঘুর্ণায়মান লাটিম হাতে নিয়েও প্রতিযোগী লাটিমকে আঘাত করা যায়। মাটিতে রাখা লাটিমকে আঘাত করতে ব্যর্থ হলে লাটিমের স্থানে ব্যর্থ লাটিমকে রাখা হয় এবং তাকে বেল্লা পার করা হয়। শর্ত অনুযায়ী সীমানা পার করা লাটিমকে নিজের লাটিম বা দা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। ==== ঘরকোপ ==== লাটিমের ফিতা লাটিম দিয়ে একটি বৃত্ত আঁকার পর বৃত্তের ভিতর বন্দী লাটিমগুলোকে রাখা হয়। বৃত্তের ভিতরের লাটিমগুলিকে বাইরের মুক্ত প্রতিযোগীদের লাটিম দিয়ে আঘাত বা কোপ মেরে ক্ষত করাই এই লাটিম খেলার উদ্দেশ্য। === ঘুরতি কোপ === প্রতিযোগীদের মধ্যে একজন লাটিম ঘুরিয়ে দেয় আর অন্যরা তাদের লাটিম ঘুরিয়ে ওটাকে আঘাত করার চেষ্টা করে।এভাবে সবাই একবার করে ঘোরায়। == তথ্যসূত্র == গ্রামীণ খেলাধুলাচিত্র:Fulham on the জার্সি পরিহিত বোল্টনের খেলোয়াড় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যিনি এক্ষেত্রে ফুলহামের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে ক্রস করা থেকে বাধা দিচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বোল্টনের এই খেলোয়াড় মূলত স্ট্রাইকার যিনি রক্ষণভাগের সহযোগিতায় নেমেছেন। ফুটবলে '''ডিফেন্ডার''' বা '''রক্ষণভাগের খেলোয়াড়''' বলতে সেই খেলোয়াড়ী অবস্থানকে বোঝান হয় যারা মধ্যমাঠের খেলোয়াড়দের পিছনে খেলেন এবং গোলরক্ষককে সহায়তা করেন। এদের প্রধান কাজ বিপক্ষদলের আক্রমণ প্রতিহত করা এবং গোল করা থেকে বিরত রাখা। ডিফেন্ডার চার রকমের হতে পারে সেন্টার ব্যাক, ফুল ব্যাক, উইং ব্যাক এবং সুইপার। == সেন্টার-ব্যাক == সেন্টার ব্যাক, সেন্টার হাফ, সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার বা স্টপার যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের মূল কাজ হচ্ছে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় বিশেষ করে স্ট্রাইকারকে থামানো, গোল করা থেকে বিরত রাখা এবং পেনাল্টি সীমানা থেকে বলকে বের করে আনা। তাদের নামের মত তারা মাঠের মধ্যভাগে খেলে থাকে। বেশিরভাগ দলেই দুজন সেন্টার ব্যাক থাকে, যারা গোলরক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। সেন্ট্রাল ব্যাকগণ রক্ষণভাগের জন্য দুটি পন্থা অবলম্বন করে: মাঠের কিছু নির্দিষ্ট অংশ পাহারা দেয়া (জোনাল ডিফেন্স) অথবা কোন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে পাহারা দেয়া (ম্যান-টু-ম্যান মার্কিং)। সেন্টার ব্যকগণ সাধারণত লম্বা হয়ে থাকেন এবং তাদের হেড ট্যাক্‌ল করার দক্ষতা বেশি থাকে। খেলা বোঝার ক্ষমতা একটি অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে কাজ করে। সাধারনত, নিম্নস্তরের ফুটবলে সেন্টার ব্যাকদের বল নিয়ন্ত্রণ বা পাস দেয়ার উপর দক্ষতার উপর মনোযোগ না দিয়ে বলকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দিতে পারাটাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। তবে সেন্টার ব্যাকরা নিয়ন্ত্রণমূলক ফুটবলে দারুন ভূমিকা রাখেন। এই অবস্থানটিকে আগে '''সেন্টার হাফ''' বলা হতো। এসময় অধিকাংশ দল ২-৩-৫ এই গঠন অনুসরন করত। রক্ষণভাগের দুজন খেলোয়াড়কে ফুল ব্যাক এবং তাদের সামনের তিনজনকে হাফ ব্যাক বলা হতো। সময়ের সাথে ফুটবলের গঠন পরিবর্তিত হয়েছে এবং সেন্টার হাফদের আরো পেছনে সরে রক্ষণভাগে অবস্থান নিতে হয়েছে, তাই তাদের নাম দাঁড়িয়েছে সেন্টার ব্যাক। ডান বাম পাশের খেলোয়াড়কে যথাক্রমে রাইট হাফ লেফট হাফ বলা হত। সেন্টার ব্যাকগণ সাধারণত নিজেদের অর্ধেই থাকেন এবং নিজেদের গোল বাচাতে সচেষ্ট হন। তবে লম্বা খেলোয়াড়েরা '''কর্নার কিক''' বা '''ফ্রি কিকের''' সময় হেড করার জন্য আক্রমণভাগে চলে আসেন। ফুটবলের ইতিহাসের কিছু উল্লেখযোগ্য সেন্টার ব্যক হলেনঃ জন টেরি, জেমি ক্যারাঘার, ফাবিও কান্নাভারো, আলেসান্দ্রো নেস্তা, লুসিও, কার্লেস পুইয়োল, রিও ফার্ডিনান্ড, রোবের্তো আয়ালা, দানিয়েল আগার, লিলিয়ান থুরাম, সার্হিও রামোস, ইয়াপ স্টাম, ড্যানিয়েল ফন বুইটেন প্রমুখ। == সুইপার == সুইপার একধরনের বিচিত্র সেন্টার ব্যাক, যারা প্রতিপক্ষ রক্ষণব্যুহ ভেদ করার চেষ্টা করলে বলকে "ঝাড়ু দেয়ার মত" সরিয়ে দেয়। অন্যান্য ডিফেন্ডারদের মত মাঠে এদের অবস্থান নির্দিষ্ট থাকে না। একারনে এই অবস্থানকে লিবেরো (ইতালীয় ভাষায় স্বাধীন) নামেও ডাকা হয়। খেলা বোঝার ক্ষমতা সুইপারের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুইপার সাধারণত প্রতি-আক্রমণ চালাতে পারেন এবং কারনে সুইপারদের বল নিয়ন্ত্রণ পাস দেয়ার দক্ষতা বেশি থাকতে হয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে পুরোপুরি রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবেও সুইপার ব্যবহৃত হয়। যেমন ১৯৬০ দশকের ইতালীয় ঘরানার খেলায় পুরোপুরি রক্ষণাত্মক একজন সুইপার ব্যবহৃত হয়েছিল যিনি কেবল রক্ষণব্যুহের চারপাশে দৌড়ে বেড়িয়েছেন। ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ার, ববি মুর, লরেন্ত ব্লাঁ, মাথিয়াস সামার, রুদ ক্রল, ফ্রাঙ্কো বারেসি দানিয়েল পাসারেয়া কিছু পরিচিত সুইপার। আধুনিক খেলার সুইপারদের মধ্যে রাফায়েল মারকুয়েজ, লুসিও, ক্রিস্তিয়ান শিভু, পাওলো মালদিনি উল্লেখযোগ্য। তাদের রক্ষণাত্মক ভূমিকা চিরাচরিত সেন্টার ব্যাকের মত নয় বরং অনেকটা মধ্যমাঠের খেলোয়াড়ের মত। উদাহরণস্বরুপ, মারকুয়েজ আক্রমণকে পাসগুলো চিনতে পারেন বলে খ্যাত এবং তাই তিনি সহজে বিভিন্ন পাস নষ্ট করে দিতে ওস্তাদ, যার জন্য তাকে তেমন কোন ট্যাক্‌ল করতে হয় না। আধুনিক ফুটবলে সুইপারের ব্যবহার খুবই সীমিত, কেবল কয়েকটি উচু মানের ক্লাব এই অবস্থান ব্যবহার করে থাকে। কেউ কেউ মনে করেন আক্রমণাত্মক সুইপার থেকেই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের জন্ম হয়েছে। == ফুল-ব্যাক == ফুল ব্যাকরা মাঠের প্রশস্ত অংশের দুইপাশে থেকে দলকে পাহারা দেন। তাদের মূল কাজ বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় যাতে ক্রস বা কাটিং এর মাধ্যমে বলকে পেনাল্টি সীমানার মধ্যে না নিতে পারে সে চেষ্টা করা। কোন কোন রক্ষণ ব্যবস্থায় ফুল ব্যাকগণ ম্যান মার্কিং-এর কাজও করে থাকেন। অধিকাংশ ফুল ব্যাকের কাছেই প্রত্যাশা করা হয় তারা উইং-এর মাধ্যমে বল নিয়ে আক্রমণে যেতে পারেন এবং আক্রমণভাগের খেলোয়াড়কে ক্রস দিতে পারেন। প্রচলিত ২-৩-৫ দল গঠনে গোলরক্ষকের সামনে থাকা দু'জনকে ফুল ব্যাক বলা হত। তারা হাফ ব্যাকদের (২-৩-৫ এর "৩" জন) থেকে আলাদা। বর্তমানের আধুনিক ফুটবলে এই গঠন ব্যবহার করা হয়না বললেই চলে, এবং আধুনিক গঠনে সবমিলিয়ে জন খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে রক্ষণভাগ গঠন করা হয়। তবে "ফুল ব্যাক" নামটি এখনো রয়ে গেছে। ফুলব্যাক মাঠের রক্ষনরেখার দুই প্রান্তে থাকে এবং মধ্যে থাকে সেন্টার হাফ ব্যাক। প্রচলিত ইংরেজ ফুটবলে ফুল ব্যাক ছিল একজন শক্তিশালী খেলোয়াড় যারা প্রায়শই "হ্যাকিং" ভাবে প্রতিপক্ষকে আঘাত করত। এই ধারাটি ইংল্যান্ডে গ্রহণযোগ্য বৈধ ধরা হলেও বাইরের দেশে তা ছিল বেআইনী। ১৯৫০ দশকে নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে এটি সারাবিশ্বেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কখনো কখনো ফুলব্যাকদের আক্রমণাত্নক মেজাজেও দেখা যায়। তারা মাঝে মাঝে উইঙ্গারদের বদলে খেলেন এবং ক্রসের জোগান দিতে সচেষ্ট থাকেন। আধুনিক ফুলব্যাকদের হতে হয় দ্রুতগতি সম্পন্ন, শক্তিশালী এবং অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী। ফুলব্যাকের উৎকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছেনঃ অ্যাশলি কোল, জিয়ানলুকা জামব্রোত্তা, উইলি সানিওল, মিগুয়েল, গ্যারি নেভিল, স্টিভ ফিনান, পাওলো মালদিনি, ফিলিপ লাম গাব্রিয়েল হেন্‌জে। == উইং-ব্যাক == উইংব্যাক আধুনিক জমানায় ফুল ব্যাকের একটি ভিন্ন রুপ। এই অবস্থানে আক্রমণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। উইংব্যাক নামটি এসেছে "উইঙ্গার" "ব্যাক" শব্দ থেকে। সাধারণত ৩-৫-২ গঠনের ফুটবল খেলায় উইংব্যাক ব্যবহৃত হয়। একারনে এই অবস্থানকে রক্ষণভাগের চেয়ে মধ্যমাঠের অবস্থান হিসেবেই বেশি মানায়। অধিকতর রক্ষণের কৌশল গ্রহণ করলে ৫-৩-২ গঠনেও উইংব্যাক খেলানো যেতে পারে। আধুনিক খেলার বিবর্তনে উইংব্যাক হলো উইঙ্গার ফুলব্যাকের সম্মিলিত রুপ। কারনে এই অবস্থানটি আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ অবস্থানের একটি। যেসব দলে উইঙ্গার খেলে না সেসব দলে ফুলব্যাকের তুলনায় উইংব্যাক অধিকতর কার্যকর। তবে উইংব্যাক অবস্থানে খেলার জন্য যথেষ্ট শারীরিক ক্ষমতার প্রয়োজন। উইংব্যাক আক্রমণে গেলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সাধারণত রক্ষণের দায়িত্ব নেন। উল্লেখযোগ্য উইংব্যাকের মধ্যে রয়েছেন আনড্রেয়াস ব্রেহমা, জিয়ানলুকা জামব্রোত্তা, ম্যাসিমো ওডো, কাফু, রবার্তো কার্লোস, ফিলিপ লাম, হাভিয়ের জানেত্তি, হুয়ান পাবলো সোরিন, অ্যাশলি কোল প্রমুখ। == তথ্যসূত্র == বিবিসি স্পোর্ট খেলার অবস্থান'''জোহানেস কেপলার''' () (২৭শে ডিসেম্বর, ১৫৭১ ১৫ই নভেম্বর, ১৬৩০) একজন জার্মান গণিতবিদ, জ্যোতিষী। তিনি ১৭শ শতকের বিপ্লবের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত হয়ে আছেন কেপলারের গ্রহীয় গতিসূত্রের কারণে। পরবর্তীকালের তার লেখা ''আস্ত্রোনমিয়া নোভা'', ''হারমোনিকেস মুন্দি'' এবং ''এপিতোমে আস্ত্রোনমিয়াই কোপেরনিকানাই'' বইগুলির মধ্যে লেখা নীতিগুলিকেই তার সূত্র হিসাবে নামকরণ করেছেন। কেপলারের আগে গ্রহের গতিপথ জ্যোতিষ্কসমূহের খ-গোলক অণুসরণ করে নির্ণয় করা হত। কেপলারের পরে বুঝতে পারেন গ্রহগুলো উপবৃত্তাকার কক্ষপথ অণুসরণ করে। কেপলারের গ্রহীয় সূত্রগুলো আইজাক নিউটনের বিশ্বজনীন মহাকর্ষ তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল। কর্মজীবনে কেপলার ছিলেন অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস শহরে অবস্থিত একটি সেমিনারি স্কুলে গণিতের শিক্ষক যেখানে তিনি প্রিন্স হান্স উলরিখ ফন এগেনবের্গের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীতে পরিণত হন। এরপরে তিনি বিখ্যাত ট্যুকো ব্রাহের সহকারী হন এবং একসময় সম্রাট দ্বিতীয় রুডলফ এবং তার দুই উত্তরসূরী মাটিয়াস দ্বিতীয় ফের্ডিনান্ডের রাজগণিতবিদ হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে গণিত পড়িয়েছেন এবং জেনারেল ভালেনস্টাইনের উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি আলোকবিদ্যার মৌলিক নীতি নিয়ে কাজ করেছেন, প্রতিসরণ দুরবিনের একটি উন্নততর সংস্করণ নির্মাণ করেন যার নাম বর্তমানে কেপলারীয় দূরবিন এবং তার সমসাময়িক গ্যালিলিও গ্যালিলেইয়ের দূরবিন বিষয়ক কাজ সম্পর্কে মন্তব্য করেন। কেপলার যখন জীবিত ছিলেন তখন জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্যোতিষ শাস্ত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না, কিন্তু সাথে সুস্পষ্ট পার্থক্য ছিল সেসময় পদার্থবিজ্ঞান ছিল প্রাকৃতিক দর্শনের একটি শাখা আর জ্যোতির্বিদ্যা ছিল লিবারেল আর্টসের অন্তর্ভুক্ত গণিতের একটি উপশাখা। কেপলারও তার আবিষ্কারগুলোকে ধর্মীয় যুক্তির মাধ্যমে সিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি মনে করতেন ঈশ্বর একটি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন এবং প্রাকৃতিক কার্যকারণ অণুসন্ধানের মাধ্যমেই কেবল সেই পরিকল্পনার কিছুটা বোঝা সম্ভব। এজন্য বোধহয় কেপলারের গবেষণাকর্মকে জ্যোতির্বিজ্ঞান না বলে জ্যোতির্বিদ্যা বলাই বেশি যুক্তিসঙ্গত হবে। তিনি তার নতুন জ্যোতির্বিদ্যার নাম দিয়েছিলেন (celestial physics) যাকে বিবেচনা করা যেতে পারে এরিস্টটলের অধিবিদ্যার জগতে একটি বিশেষ অভিযাত্রা এবং এরিস্টটলের "অন দ্য হ্যাভেনস" গ্রন্থের উত্তরখণ্ড হিসেবে। মোটকথা, সর্বজনীন গাণিতিক পদার্থবিদ্যার একটি শাখা হিসেবে বিবেচনা করে তিনি ভৌত বিশ্বতত্ত্বের সুপ্রাচীন প্রথাকে একটি নতুন আঙ্গিক দিয়েছিলেন। == জীবনের প্রথম ভাগ == ১৫৭৭ এর মহা ধূমকেতু। বাল্যকালে কেপলার এটি দেখেছিলেন। ইউরোপ জুড়ে জ্যোতির্বিদদের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছিল এটি। জোহানেস কেপলার ১৫৭১ সালের ২৭শে ডিসেম্বর ভাইল ডেআ স্টাট নামক একটি ফ্রি ইমপেরিয়াল সিটি-তে জন্মগ্রহণ করেন। হলি রোমান এম্পায়ার-এ যে শহরগুলো কোন প্রিন্স নয় বরং সরাসরি সম্রাট কর্তৃক শাসিত হতো তাদেরকে ফ্রি ইমপেরিয়াল সিটি বলা হতো। বর্তমানে শহরটি জার্মানির স্টুটগার্ট অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। তার পিতামহ সেবাল্ড কেপলার এই শহরের লর্ড মেয়র ছিলেন, কিন্তু কেপলারের জন্মের সময় তার দুই ভাই এক বোন ছিল এবং তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল। তার বাবা হাইনরিশ কেপলারের ভাড়াটে সৈনিক জীবন ছিল আর্থিক অনিশ্চয়তায় ভরপুর, অবশ্য তার বয়স যখন বছর তখন তিনি পরিবার ছেড়ে চলে যান। নেদারল্যান্ডে সংঘটিত আশি বছরের যুদ্ধে তিনি মারা গিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। তার মা কাটারিনা গুল্ডেনমান ছিলেন সরাইওয়ালার মেয়ে, তিনি ভেষজ ঔষধ নিয়ে কাজ করতেন এবং ভিষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগে তার বিচার হয়েছিল। গর্ভধারণের ৩৮তম সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই কেপলারের জন্ম হয়, যে কারণে শিশুকালে তিনি বেশ দুর্বল ছিলেন এবং নানা অসুখে ভুগতেন। অবশ্য মাতামহের সরাইখানার অনেক পথিককে সেই বয়সেই গণিতের দক্ষতা দেখিয়ে মুগ্ধ করে দিতেন। বেশ অল্প বয়সেই জ্যোতির্বিদ্যার সাথে পরিচিত হন এবং সারা জীবন জ্ঞানের এই শাখাটির প্রতি তার দুর্বলতা থেকে যায়। বছর বয়সে তিনি ১৫৭৭-এর মহা ধূমকেতু দেখেন, তার লেখা থেকে জানা যায় ধূমকেতুটি দেখার জন্য মা তাকে একটি উঁচু জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৫৮০ সালে মাত্র বছর বয়সে তিনি আরও একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন, এবার একটি চন্দ্রগ্রহণ। লেখা থেকে জানা যায় চন্দ্রগ্রহণ দেখার জন্য তাদেরকে বাইরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং চাঁদটি লাল দেখাচ্ছিল। কিন্তু শৈশবে গুটিবসন্ত রোগে তার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হাত খোঁড়া হয়ে যায়। কারণে পর্যবেক্ষণমূলক তার দক্ষতা বেশ কমে গিয়েছিল। কেপলার প্রথমে গ্রামার স্কুল, পরে লাতিন স্কুল মাউলব্রোনে অবস্থিত ইভানজেলিক্যাল সেমিনারিতে (রোমান ক্যাথলিক যাজকদের প্রশিক্ষণ কলেজ) পড়া শেষে ইউনিভার্সিটি অফ ট্যুবিঙেনের ট্যুবিঙার স্টিফ্ট-এ ভর্তি হন। এখানে তিনি ফিটুস ম্যুলারের অধীনে দর্শন এবং ইয়াকব হিয়ারব্রান্ডের অধীনে ধর্মতত্ত্ব পড়েছেন। হিয়ারব্রান্ড মিখায়েল মায়েস্টলিনকেও পড়িয়েছিলেন যিনি পরবর্তীতে ট্যুবিঙেনের উপাচার্য এবং কেপলারের বড় পৃষ্ঠপোষক হন। কেপলার এখানে চমৎকার গণিতবিদ এবং দক্ষ জ্যোতিষী হিসেবে খ্যাতি পান, এমনকি সহপাঠীদের রাশিচক্র গণনা করেও নাম কুড়িয়েছিলেন। মিখায়েল মায়েস্টলিনের দিক নির্দেশনায় তিনি গ্রহীয় গতি সম্পর্কে টলেমির ধারণা এবং কোপেরনিকুসের ধারণা দুটোই অধ্যয়ন করেন। সে সময় কিছুকালের জন্য কোপারনিকান হয়ে গিয়েছিলেন। ছাত্রদের একটি বিতর্কে সৌরকেন্দ্রিক মতবাদকে সমর্থন করে তিনি এর পক্ষে তাত্ত্বিক ধর্মীয় উভয় ধরনের যুক্তিই উপস্থাপন করেন, বলেন সূর্যই মহাবিশ্বের প্রধান গতিদায়ক প্রাণসঞ্চালক। মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও শিক্ষাজীবনের শেষ দিকে অস্ট্রিয়ার গ্রাৎসে অবস্থিত প্রোটেস্ট্যান্ট স্কুলে (যেটি পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অফ গ্রাৎস হয়) গণিত জ্যোতির্বিদ্যার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২৩ বছর বয়সে ১৫৯৪ সালে তিনি পদটি গ্রহণও করে ফেলেন। ভাইল ডেআ স্টাট-এর যে বাড়িতে কেপলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন। == গ্রাৎস (১৫৯৪–১৬০০) == === মুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুম === প্লেটোনীয় ঘনবস্তুর মাধ্যমে সৌরজগতের যে মডেল তৈরি করেছিলেন কেপলার। তার ''মুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুম'' (১৬০০) বইয়ে। কেপলারের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থ ''মুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুম'' (মহাবিশ্বের পবিত্র রহস্য) ছিল কোপের্নিকুসের বিশ্ব ব্যবস্থা প্রমাণের জন্য প্রকাশিত প্রথম বই। কেপলারের দাবী অণুসারে ১৫৯৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি গ্রাৎসের একটি শ্রেণীকক্ষে রাশিচক্রে শনি বৃহস্পতি গ্রহের পর্যাবৃত্ত সংযোগ পড়ানোর সময় তার মনে এক স্বর্গীয় চিন্তা খেলে যায়; তিনি বুঝতে পারেন সুষম বহুভুজের অন্তর্বৃত্ত এবং পরিবৃত্ত যেমন বহুভুজটির সাথে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট অণুপাতে আবদ্ধ হয়, মহাবিশ্বের জ্যামিতিক ভিত্তিও সম্ভবত তেমন। এরপর অনেক ধরনের পরীক্ষা করেন, কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহ যোগ করেও শেষ পর্যন্ত সুষম বহুভুজদের এমন কোন সমাবেশ পাননি যা তখন পর্যন্ত জানা জ্যোতিষ্কগুলোর গতিপথ ব্যাখ্যা করতে পারে। অগত্যা ত্রিমাত্রিক বহুতলক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এভাবে আবিষ্কার করেন যে, পাঁচটি প্লেটোনীয় ঘনবস্তুকে খ-গোলকের মাধ্যমে অন্তর্লিখিত এবং পরিলিখিত করা যায়। তিনি বস্তুগুলোর একটিকে আরেকটির ভেতর স্থাপন করে প্রতিটিকে একটি অন্তর্বৃত্ত একটি পরিবৃত্ত দ্বারা আবদ্ধ করেন। এক বস্তুর অন্তর্বৃত্ত তার পরের বস্তুটির পরিবৃত্তের সাথে মিলে একটি খ-গোলক গঠন করে। এভাবে পাঁচটি বস্তুর জন্য মোট ছয়টি গোলক পাওয়া যায়। তখন পর্যন্ত জানা ছয়টি গ্রহকে (বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি) কেপলার এই ছয় গোলকে স্থান করে দেন। অষ্টতলক, বিংশতলক, দ্বাদশতলক, চতুস্তলক এবং ঘনক- এই বস্তু পাঁচটিকে সঠিক ক্রমে সাজিয়ে দেখেন, গোলকগুলোকে এমন দূরত্বে স্থাপন করা সম্ভব যাতে তা গ্রহীয় কক্ষপথের আপেক্ষিক আকারের প্রতিনিধিত্ব করে। অবশ্যই সে সময়কার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দূরত্বের যে মান পাওয়া গিয়েছিল সেটাই তাকে ব্যবহার করতে হয়েছে। এমনকি কেপলার প্রতিটি গ্রহের খ-গোলকের সাথে তার কক্ষীয় পর্যায়কালের সম্পর্কসূচক একটি সূত্রও আবিষ্কার করে ফেলেন ভেতর থেকে বাইরের দিকে যেতে থাকলে কক্ষীয় পর্যায়কালের বৃদ্ধি পরস্পরসংলগ্ন গ্রহ দুটির কক্ষীয় ব্যাসার্ধ্যের পার্থক্যের দ্বিগুণ। পরে অবশ্য সঠিক মান নির্ণয়ে সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে তিনি এই সূত্রটি পরিত্যাগ করেছিলেন। বইয়ের শিরোনাম থেকেই বোঝা যায় কেপলার ভেবেছিলেন তিনি মহাবিশ্বের জ্যামিতি নিয়ে ঈশ্বরের মহাপরিকল্পনা বুঝে ফেলেছেন। কোপের্নিকুসের বিশ্ব-ব্যবস্থা নিয়ে তার এত আগ্রহের কারণ ছিল মূলত আধ্যাত্মিক বা ধর্মতাত্ত্বিক, তিনি ভৌত বিশ্বের সাথে আধ্যাত্মিক জগৎের সম্বন্ধ খুঁজে পেতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিনি ভাবতেন মহাবিশ্ব নিজেই ঈশ্বরের একটি ছবি, যেখানে সূর্য পিতা, তারাসমূহের খ-গোলক পুত্র, আর মাঝের স্থানটুকু পবিত্র আত্মা। বাইবেলে ভূকেন্দ্রিক মতবাদ সমর্থন করা হচ্ছে মনে হলেও তিনি সৌরকেন্দ্রিক মতবাদের সাথে বাইবেলের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে মুস্টেরিয়ুমের প্রথম পাণ্ডুলিপিতে একটি পৃথক অধ্যায়ই লিখেছিলেন। মডেলটির অভ্যন্তরভাগের একটি বিস্তৃত ছবি তার পৃষ্ঠপোষক মিখায়েল মায়েস্টলিনের সমর্থন সাহায্যে তিনি ট্যুবিঙেন ইউনিভার্সিটি থেকে পাণ্ডুলিপিটি প্রকাশের অণুমতি পান, তবে শর্ত ছিল বাইবেলের চুলচেরা বিশ্লেষণসমৃদ্ধ অধ্যায়টি বাদ দিয়ে তার বদলে কোপের্নিকুসের বিশ্ব-ব্যবস্থার একটি সহজবোধ্য ব্যাখ্যা তার নিজের নতুন ধারণাগুলোর সাধারণ পরিচিতি লিখতে হবে। ১৫৯৬ সালে বইটি প্রকাশিত হয়, ১৫৯৭-এ তিনি নিজের কপিগুলো হাতে পান এবং বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত কাছে পাঠাতে থাকেন। খুব বেশি পাঠকপ্রিয়তা না পেলেও বইটি কেপলারকে একজন উঁচুমানের হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে। তার আত্মনিবেদন সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় গ্রাৎসে তার পৃষ্ঠপোষকরা সন্তুষ্ট হয় এবং ভৌগলিকভাবেই তার পৃষ্ঠপোষকতা বেড়ে যায়। পরবর্তী কাজের সুবাদে বেশ কিছু পরিবর্তন আনলেও কেপলার কখনো প্লেটোনীয় ঘনবস্তুর উপর ভিত্তি করে নির্মীত তার এই বিশ্বতাত্ত্বিক মডেলটি বর্জন করেন নি। পরবর্তী জীবনে তার অনেক কাজের উদ্দেশ্যও ছিল মডেলটিকে আরও সূক্ষ্ণ কার্যকরী করে তোলা, বিশেষ করে গ্রহগুলোর সঠিক উৎকেন্দ্রিকতা নির্ণয়ের মাধ্যমে খ-গোলকগুলোর আরও সঠিক মান নির্ণয়ের ব্রত ছিলেন। ১৬২১ সালে তিনি মুস্টেরিয়ুমের একটি বর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন। প্রথমটির প্রায় অর্ধেক পরিমাণ বেশি দীর্ঘ এবং বেশ কিছু সংশোধন পাদটীকার মাধ্যমে গত ২৫ বছরে তার অর্জন উপলব্ধিগুলো এই সংস্করণে তুলে ধরেন। মুস্টেরিয়ুমের প্রভাব সম্পর্কে প্রথম কথা হচ্ছে, এটি ছিল কোপের্নিকুসের তত্ত্বের আধুনিকায়নের পথে প্রথম পদক্ষেপ। ''De revolutionibus orbium coelestium'' গ্রন্থে কোপের্নিকুস যে সৌরকেন্দ্রিক একটি মডেল তৈরি করার চেষ্টা করেছেন সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সেটি করতে গিয়ে তাকে টলেমীয় পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়েছে, গ্রহগুলোর কক্ষীয় বেগ ব্যাখ্যা করতে অণুবৃত্ত এবং উৎকেন্দ্রিক বৃত্তের ধারণা তুলে ধরতে হয়েছে। উপরন্তু কোপের্নিকুস নিজেও সূর্যের কক্ষপথের কেন্দ্রের বদলে পৃথিবীর কক্ষপথের কেন্দ্রকে প্রসঙ্গ বিন্দু হিসেবে উল্লেখ করে যাচ্ছিলেন। তার নিজের লেখাতেই এর কারণ হিসেবে পাওয়া যায়, "হিসাবের সুবিধা এবং টলেমির বিশ্ব থেকে খুব বেশি সরে গিয়ে পাঠককে বিভ্রান্ত করে না দেওয়ার জন্য"। সেহেতু মুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুমের তত্ত্ব ভুল হলেও নিঃসন্দেহে আধুনিক উন্নতির পেছনে তার বিশাল ভূমিকা আছে। কারণ এই গ্রন্থই কোপের্নিকুসের সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ থেকে টলেমির শেষচিহ্ন বিলুপ্ত করে তাকে পরিশুদ্ধ করেছে। === বারবারা ম্যুলারের সাথে বিয়ে === বৃত্তাকার মেডালিয়নে কেপলার তার স্ত্রী বারবারার ছবি ১৫৯৫ সালে কেপলার কোন এক সূত্রে বারবারা ম্যুলারের সাথে পরিচিত হন। ম্যুলার তখন ২৩ বছরের বিধবা যুবতী, তার এক মেয়েও ছিল (নাম Gemma van Dvijneveldt)। পরিচয়ের পরপরই কেপলার ম্যুলারের প্রেম শুরু হয়। স্বামীর বিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকার হওয়ার পাশাপাশি ম্যুলার ছিলেন এক ধনকুবের মিল মালিকের কন্যা, নাম ইয়োব্‌স্ট। বাবা মেয়েকে কেপলারের কাছে বিয়ে দিতে চান নি। কারণ সম্মান বংশমর্যাদার দিক দিয়ে বেশ উঁচুমানের হলেও কেপলারের যথেষ্ট অর্থকড়ি ছিল না। তিনি যখন মুস্টেরিয়ুমের উপর কাজ করছেন তখন ইয়োব্‌স্ট একটু সদয় হলেও, প্রকাশনার খুঁটিনাটি দেখাশোনা করতে যখন দূরে যান তখন বিয়েটা একরকম ভেঙেই যেতে বসেছিল। কিন্তু গির্জার কর্মকর্তারা এক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। গির্জার কর্মকর্তারাই ম্যুলার পরিবারকে তাদের প্রতিজ্ঞা পালন করার অণুরোধ জানায়। অবশেষে ১৫৯৭ সালের ২৭শে এপ্রিল জোহানেস কেপলার বারবারার বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথমদিকেই কেপলার দম্পতির দুই সন্তান হাইনরিশ সুজানা-র জন্ম হয়, যদিও শিশু অবস্থায়ই তাদের মৃত্যু ঘটে। ১৬০২ সালে তাদের মেয়ে সুজানা, ১৬০৪ সালে ছেলে ফ্রিডরিশ এবং ১৬০৭ সালে আরেকটি ছেলে লুডভিগের জন্ম হয়। === অন্যান্য গবেষণা === মুস্টেরিয়ুম প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রাৎস স্কুলের পরিদর্শকদের পৃষ্ঠপোষকতায় কেপলার তার পূর্বতন কাজগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করার একটি উচ্চাভিলাসী প্রকল্প হাতে নেন। চারটি নতুন বই প্রকাশের পরিকল্পনা করেন একটি মহাবিশ্বের স্থির অবস্থা বিশেষত সূর্য এবং স্থির তারাগুলো নিয়ে, একটি গ্রহ তাদের গতিবিধি বিষয়ে, একটি গ্রহসমূহের ভৌত প্রকৃতি এবং ভৌগোলিক কাঠামোর (বিশেষ করে পৃথিবী) উদ্ভব বিষয়ে, এবং আরেকটি পৃথিবীর উপর জ্যোতিষ্কসমূহের প্রভাব বিষয়ে যাতে বায়ুমণ্ডলীয় আলোকবিদ্যা, আবহবিদ্যা এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত হতো। এছাড়া যেসব জ্যোতির্বিদদের কাছে মুস্টেরিয়ুমের কপি পাঠিয়েছিলেন তাদের মন্তব্য সংগ্রহের ব্যাপারেও তার বিশেষ আগ্রহ ছিল, এর মধ্যে ছিলেন হলি রোমান সম্রাজ্যের রাজা রুডলফ ২-এর রাজগণিতবিদ এবং ট্যুকো ব্রাহের তিক্ত রাইমারুস উরসুস। উরসুস সরাসরি তার চিঠির উত্তর দেন নি কিন্তু ট্যুকোর সৌরজাগতিক মডেলের বিপরীতে তার ধারণার গ্রহণযোগ্যতার একটি শক্ত প্রমাণ হিসেবে চিঠিটি পুনঃপ্রকাশ করেন। চিঠিটির এই নেতিবাচক ব্যবহার সত্ত্বেও ট্যুকো এক সময় সরাসরি কেপলারের সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন, প্রথমেই কেপলারের জগতের একটি কঠোর কিন্তু যুক্তিযুক্ত সমালোচনা প্রকাশ করেন যাতে বলা হয় কেপলার কোপের্নিকুসের কাছ থেকে পাওয়া বেশ কিছু ভুল উপাত্ত ব্যবহার করেছেন। চিঠি আদান-প্রদাণের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সে সময়কার জ্যোতির্বিদ্যার বড় বড় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতো, যার মাঝে ছিল চান্দ্র ঘটনাসমূহ এবং কোপের্নিকুসের তত্ত্বের ধর্মীয় গ্রহণযোগ্যতা। অবশ্য ট্যুকোর মানমন্দিরের অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের উপাত্ত ছাড়া এর কোনটি নিয়েই কেপলারের পক্ষে কাজ করা সম্ভব ছিল না। অগত্যা কেপলার কালনিরূপণবিদ্যা বিশ্বজগতের শৃঙ্খলা, সঙ্গীত, গণিত ভৌত বিশ্বের মাঝে সংখ্যাতাত্ত্বিক সম্পর্ক এবং তাদের জ্যোতিষ শাস্ত্রগত পরিণতির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে পৃথিবীর একটি আত্মা আছে, একই অণুমিতির সাহায্যে পরে তিনি সূর্য কিভাবে তার চারদিকে গ্রহগুলোকে আবর্তন করায় তাও ব্যাখ্যা করেছিলেন। যাহোক, এভাবে তিনি জ্যোতিষ শাস্ত্র থেকে পাওয়া বিভিন্ন ঘটনার কার্যকারণের ব্যাখ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা থেকে পাওয়া দূরত্বের পরিমাপ এবং পৃথিবীর আবহাওয়া বিভিন্ন পার্থিব ঘটনাকে এক সূত্রে গেঁথে একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা করেন। ১৫৯৯ এর মধ্যে অবশ্য আবারও বুঝতে পারেন তার মডেলে পুঙ্খানুপুঙ্খ উপাত্তের অভাব রয়েছে। ওদিকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা গ্রাৎসে তার পদটিকেও একটু অনিশ্চিত করে তুলেছিল। সে বছরের ডিসেম্বর মাসে ট্যুকো কেপলারকে প্রাগে আসার আমন্ত্রণ জানান। অবশ্য ট্যুকোর আমন্ত্রণ পত্র হাতে পাওয়া আগেই ১৬০০ সালের ১লা জানুয়ারি তিনি প্রাগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এই ভেবে যে ট্যুকোর পৃষ্ঠপোষকতা তার দার্শনিক সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে। == প্রাগ (১৬০০–১৬১২) == === ট্যুকো ব্রাহের সাথে === চিত্র:Tycho ব্রাহে ১৬০০ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি কেপলার প্রাগ শহরের ৩৫ কিলোমিটার দূরে বেনাৎকী নাদিই যারো নামক একটি স্থানে ট্যুকো ব্রাহে এবং তার সহকারী ফ্রান্স টেংনাগেল ক্রিসতেন সোরেনসেন সাথে দেখা করেন। উল্লেখ্য স্থানে তখন ট্যুকোর নতুন মানমন্দিরের নির্মাণ কাজ চলছিল। পরবর্তী দুই মাস তিনি অতিথি হিসেবে থেকে ট্যুকোর মঙ্গল গ্রহের পর্যবেক্ষণগুলো বিশ্লেষণ করেন। প্রথমদিকে নিজের উপাত্ত বেশ যত্নের সাথে গোপন করে রাখলেও কেপলারের তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে একসময় তাকে আরও বেশি অধিকার দেন। কেপলার মঙ্গল গ্রহের উপাত্তের মাধ্যমে মুস্টেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুমে উল্লেখিত তার তত্ত্বটি প্রমাণের উদ্যোগ নিলেও পরে বুঝতে পারেন এই কাজ শেষ করতে পুরো দুই বছর লাগবে, কারণ নিজের ব্যবহারের জন্য ট্যুকোর উপাত্ত সরাসরি নকল করে নেয়ার অধিকার তার ছিল না। কারণে সে সময় প্রাগে অবস্থানরত স্লোভাকীয় দার্শনিক, চিকিৎসক রাজনীতিবিদ ইউহানেস ইয়েসসেনিউস-এর সহায়তায় ট্যুকোর সাথে আরও নিয়মানুগ আনুষ্ঠানিক একটি চুক্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে চুক্তির চেষ্টা তিক্ততায় পর্যবসিত হয় এবং কেপলার ৬ই এপ্রিল প্রাগের উদ্দেশ্যে মানমন্দির ত্যাগ করেন। কেপলার ট্যুকো অবশ্য এর অল্পদিন পরেই বেতন এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন এবং জুন মাসে কেপলার গ্রাৎসে ফিরে যান তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু গ্রাৎসে রাজনৈতিক ধর্মীয় সমস্যার কারণে তাৎক্ষণিক প্রাগে ফিরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। যেকোন মূল্যে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য কেপলার তাই এক সময় হলি রোমান সম্রাজ্যের রাজা আর্কডিউক ফের্ডিনান্ড ২-এর রাজগণিতবিদ হওয়ার চেষ্টা করেন। এই উদ্দেশ্যে ফের্ডিনান্ডকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি মৌলিক বলের উপর ভিত্তি করে চাঁদের গতিপথ বিষয়ে একটি নতুন তত্ত্ব প্রস্তাব করেন। লাতিন ভাষায় লিখেছিলেন "In Terra inest virtus, quae Lunam ciet" যার বাংলা হচ্ছে "পৃথিবীর এমন একটি বল আছে যা চাঁদকে গতিশীল করে"। চিঠিটি ফের্ডিনান্ডের দরবারে পদ পেতে সাহায্য না করলেও চন্দ্রগ্রহণ পরিমাপের একটি নতুন পদ্ধতি তৈরিতে ঠিকই ভূমিকা রেখেছিল। ১০ই জুলাই গ্রাৎসে চন্দ্রগ্রহণের সময় তিনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এই পর্যবেক্ষণগুলোই আলোকবিদ্যা মৌলিক নীতি বিষয়ে তার চিন্তাধারাকে শাণিত করে যার চূড়ান্ত পরিণতি ''Astronomiae Pars Optica'' নামক বইটি। ১৬০০ সালের ২রা আগস্ট ক্যাথলিকবাদে ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ার কারণে কেপলার তার পরিবারকে গ্রাৎস থেকে বহিষ্কার করা হয়। কয়েক মাস পর পরিবারের সবাইকে নিয়ে অবশেষে তিনি প্রাগ চলে আসেন। ১৬০১ সালের অধিকাংশ সময় জুড়ে ট্যুকো তাকে সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা দেন, বিনিময়ে কেপলারকে গ্রহের গতিপথ বিশ্লেষণ এবং ট্যুকোর একসময়কার তীব্র উরসুসের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতে হয়। সে সময় অবশ্য উরসুসের অনেক কমে গিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে ট্যুকো সম্রাটের কাছে যে নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব রেখেছিলেন তার সহযোগী হিসেবে কেপলারকে একটি চাকরি জুটিয়ে দেন। এই প্রকল্পের কাজ ছিল কোপের্নিকুসোর উপাত্তের উপর ভিত্তি করে এরাসমুস রাইনহোল্ডের করা প্রুটেনীয় জ্যোতিষ্ক তালিকাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি নতুন তালিকা প্রণয়ন। ট্যুকোর উপাত্তের ভিত্তিতে কেপলার নতুন তালিকাটি প্রণয়ন করেন, হলি রোমান সম্রাট রুডলফ ২-এর সম্মানে যার নাম রাখা হয় রুডলফীয় তালিকা। ১৬০১ সালের ২৪শে অক্টোবর ট্যুকোর আকস্মিক মৃত্যুর দুই দিন পর কেপলার নতুন রাজগণিতবিদ হিসেবে অভিষিক্ত হন, ট্যুকোর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দায়িত্ব বর্তায় তার উপর। রাজগণিতবিদ হিসেবে পরবর্তী ১১ বছরই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে ফলপ্রসূ সময়। === রুডলফ ২-এর উপদেষ্টা হিসেবে === রাজগণিতবিদ হিসেবে কেপলারের প্রধান কাজ ছিল সম্রাটকে উপদেশ দেয়া। সমসাময়িক জ্যোতিষীরা যে একেবারে ভবিষ্যৎ এবং স্বর্গীয় ঘটনাবলির খুঁটিনাটি ভবিষ্যদ্বাণী করতেন তা কেপলারের ঠিক পছন্দ ছিল না। নিখুঁত ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতি হয়ত তার অতোটা বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু এমনিতে ট্যুবিঙেনে অধ্যয়নের সময় থেকেই সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব পরিবার-পরিজন পৃষ্ঠপোষকদের রাশিচক্র গণনা করেছেন। মিত্রপক্ষ এবং বিদেশী শক্তিগুলোর রাশিচক্র গণনা করে তাদের ভবিষ্যৎ হালচাল ব্যাখ্যার পাশাপাশি সম্রাট কেপলারের কাছে রাজনৈতিক পরামর্শও চাইতেন। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে কেপলারের পরামর্শ যতোটা না রাশিচক্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল সাধারণ বুদ্ধিনির্ভর। রুডলফ তার দরবারের অনেক বুদ্ধিজীবীদের কাজকর্মের ব্যাপারে ব্যক্তিগত আগ্রহ পোষণ করতেন। আলকেমীদের কাজকর্ম এবং ভৌত জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে কেপলারের অগ্রগতি সম্পর্ক নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখতেন। সরকারিভাবে প্রাগে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় রীতি ছিল ক্যাথলিক এবং ইউট্রাকুইস্ট। কিন্তু রাজদরবারের সদস্য হওয়ার কারণে কেপলার তার লুথারান ধর্মীয় বিশ্বাস পালন করতে পারতেন। সম্রাট তার পরিবারের জন্য একটি সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন, কিন্তু রাজকোষ অনেক বড় হয়ে যাওয়ায় নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখী হতে হতো এবং মাঝে মাঝেই আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে সংগ্রাম করতে হতো তার। মূলত আর্থিক কষ্টের কারণেই বাড়িতে বারবারার সাথে তার সময় ভাল কাটতো না। এর সাথে ছিল সাময়িক অসুস্থতা। কিন্তু রাজদরবারে তার জীবন বেশ আনন্দের ছিল কারণ এখানে তিনি সেযুগের অন্য বিখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের সাথে পরিচিত হতে পারতেন, এদের মধ্যে ছিলেন ইয়োহানেস মাতেউস ভাকার ফন ভাকেনফেল্‌স, ইয়োস্ট ব্যুর্গি, ডাভিড ফাব্রিকিউস, মার্টিন বাখাৎসেক, ইয়োহানেস ব্রেংগার এবং অন্যরা। ভাল পরিবেশ পেয়ে তার জ্যোতির্বিদ্যার কাজও দ্রুত এগুচ্ছিল। === পার্স অপতিকা'' === পার্স অপতিকা'' থেকে একটি প্লেট, চোখের গঠনের একটি চিত্র ট্যুকোর মঙ্গল গ্রহের সকল পর্যবেক্ষণ তখন কেপলারের হাতে আসে এবং তিনি বেশ ধীরলয়ে তা বিশ্লেষণ করতে থাকেন, সেই সাথে রুডলফীয় তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করেন। ১৬০০ সালের চাঁদ সম্পর্কিত প্রবন্ধে আলোকবিদ্যার মৌলিক নীতি বিষয়ে যা লিখেছিলেন সে নিয়ে শুরু করেন নতুন গবেষণা। চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ দুটোরই অনেকগুলো বিষয় ব্যাখ্যা করা যেতো না তখন, যেমন, ছায়ার অনাকাঙ্ক্ষিত আকার, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের লাল রং এবং পূর্ণ গ্রহণের সময় সূর্যের চারপাশে অস্বাভাবিক আলোর ছটা নিয়ে যে কথা ছড়িয়েছিল তা। এর সাথে সম্পর্কিত বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণের বিষয়গুলো সকল পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল। ১৬০৩ সালের অধিকাংশ সময় কেপলার তার অন্য সব কাজ বন্ধ রেখে আলোক তত্ত্বের উপর মনোনিবেশ করেন, এই গবেষণার পাণ্ডুলিপি ১৬০৪ সালের ১লা জানুয়ারি সম্রাটের কাছে পেশ করেন যার নাম রাখা হয় পার্স অপতিকা" (লাতিন ভাষায় ''Astronomiae Pars Optica''), বাংলায় আলোকবিদ্যা সংশ্লিষ্ট অংশ। এই বইয়ে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, আলোর তীব্রতা যে বিপরীত বর্গীয় সূত্র মেনে চলে তার বর্ণনা, সমতল বক্র দর্পণ থেকে প্রতিফলন, পিনহোল ক্যামেরার মূলনীতি, এবং আলোকবিদ্যার বিভিন্ন প্রয়োগ, যেমন লম্বন জ্যোতিষ্কসমূহের আপেক্ষিক আকার। মানুষের চোখ নিয়েও গবেষণা করেছিলেন এবং মনে করেন কেপলারই প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন যে মানব চোখের লেন্স কোন বস্তুর বিম্ব উল্টো করে রেটিনায় প্রক্ষেপিত করে। এই উল্টো বিম্ব কিভাবে সোজা হয় সে নিয়ে তিনি খুব বেশি ভাবার প্রয়োজন অণুভব করেননি কারণ তার মতে আলোকবিদ্যার সাথে এর খুব বেশি সম্বন্ধ ছিল না। অবশ্য তিনি অন্তত এটুকু বলেছিলেন যে, মস্তিষ্কের ফাঁপা অভ্যন্তরভাগে আত্মার কার্যকলাপের কারণেই উল্টো বিম্ব সোজা হয়ে যায়। বর্তমানকালে, আস্ত্রোনোমিয়াই পার্স অপতিকাকে আধুনিক আলোকবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয় যদিও এতে প্রতিসরণের সূত্র একেবারে অণুপস্থিত। === ১৬০৪ সালের অতিনবতারা === কেপলারের অতিনবতারার (এসএন ১৬০৪) অবশিষ্টাংশ ১৬০৪ সালের অক্টোবর মাসে একটি উজ্জ্বল নতুন সন্ধ্যাতারা আকাশে দেখা দেয়, যদিও কেপলার নিজ চোখে দেখার আগে শোনা কথা বিশ্বাস করেননি। এই নতুন জ্যোতিষ্কটিই ছিল অতিনবতারা ১৬০৪। জ্যোতিষ শাস্ত্রে ১৬০৩ সালের শেষ একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করতো। বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহ আকাশে মোটামুটি একই স্থানে দেখা দেয় প্রতি ২০ বছর পরপর। এই ঘটনাকে বলে মহা গ্রহসংযোগ। জ্যোতিষীরা হিসাব করে আরও দেখেছিলেন যে প্রতি ৮০০ বছর পরপর আকাশের একটি নির্দিষ্ট স্থানেই এই গ্রহসংযোগ ঘটে। এই স্থানটি অগ্নিত্রিভুজ (fiery trigon বা triplcity) নামে পরিচিত যা আসলে মেষ, সিংহ ধনু রাশির সম্মিলিত রূপ। ১৬০৪ সাল থেকে প্রতি ২০ বছর পরপর আকাশের এই অগ্নিত্রিভুজেই মহা গ্রহসংযোগ ঘটবার কথা। সময়ের সাথে সাথে গ্রহসংযোগের অবস্থান পরিবর্তিত হতে থাকবে এবং ৮০০ বছর পর আবার সেই অগ্নিত্রিভুজে ফিরে আসবে। জ্যোতিষী সে সময়কার সাধারণ মানুষেরা বিশ্বাস করতেন যে এই ৮০০ বছরের চক্র যখন নতুন করে শুরু হয় তখন খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা ঘটে। তাদের দাবী অণুসারে সালের দিকে যে অগ্নিত্রিভুজ সংযোগ শুরু হয়েছিল তার পরই যিশু খ্রিস্টের জন্ম হয়, ৮০০ সালে পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় মধ্যযুগের সংজ্ঞা নির্ধারণকারী মহারাজা শার্লামাইন রোমান সম্রাজ্যের সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন। সেই ধারাবাহিকতায় ১৬০৩ সালের পরেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটবে বলে আশা করছিলেন সবাই। আর কেপলার যেহেতু সে সময় রাজ-জ্যোতিষী ছিলেন সেহেতু নিয়ে তার কিছু বলাটা ছিল অবশ্যম্ভাবী। দুই বছর পর "দে স্তেলা নোভা" (''De Stella Nova'') বইয়ে তিনি এটি বর্ণনা করেন। অসংখ্য জ্যোতিষীর ব্যাখ্যা তখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল, কিন্তু কেপলার সেগুলো গ্রহণের পরিবর্তে সংশয়বাদী দৃষ্টিতে নতুন তারাটির গুণাবলি বিশ্লেষণের চেষ্টা করেন। লক্ষ্য করে দেখেন, এর দীপ্তি দিনদিন কমে যাচ্ছে, তারাটির উৎপত্তি কিভাবে হচ্ছে সে নিয়েও একটি ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন এবং লম্বন পর্যবেক্ষণ করা যায়নি বলে তারাটি স্থির তারাদের খ-গোলকে অবস্থিত বলেও মন্তব্য করেন। এরিস্টটলের যুগ থেকেই ধারণা করা হতো খ-গোলক সুস্থির এবং অপরিবর্তনীয়, কেপলার সেই গোলকে একটি নতুন তারার জন্ম হয়েছে বলার মাধ্যমে অণুকল্পটিকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেন। পরিশিষ্টে তিনি পোল্যান্ডীয় ইতিহাসবিদ কবি লরেনত্যুস সুসলিগা-এর করা সাম্প্রতিক কালপঞ্জি নিয়ে একটি আলোচনা যোগ করেন। লরেনত্যুস সুসলিগা বলেছিলেন, যিশুর জন্ম সালে নয় বরং খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ অব্দে। কেপলার হিসাব করে বলেন, এই যদি সত্যি হয় তাহলে ১৬০০ বছর আগের মহা গ্রহসংযোগের মাধ্যমে ৮০০ বছরের চক্র শুরু হওয়ার সাথে বেথলেহেমের তারা উদিত হওয়ার সময় খুব ভালভাবে মিলে যায়। === নোভা'' === কেপলার ট্যুকোর অধীনে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ নিয়ে গবেষণা করার সময় গ্রহীয় গতির প্রথম দুটি সূত্র সম্পর্কে ধারণা পান যার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশিত হয় নোভা'' (নতুন নামক বইটিতে। তিনি ইকুয়েন্টের সাহায্যে মঙ্গলের কক্ষপথের বিভিন্ন রূপ বারবার হিসাব করেন যদিও কোপের্নিকুস তার সৌরকেন্দ্রিক মডেলের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ইকুয়েন্টকে বাতিল করে দিয়েছিলেন। কেপলার এই হিসাবের মাধ্যমেই এমন একটি মডেল তৈরিতে সক্ষম হন যার সাথে ট্যুকোর পর্যবেক্ষণের সর্বোচ্চ পার্থক্য মাত্র আর্কমিনিট, যা গ্রহণযোগ্য সীমা। তারপরও জটিল এবং কিছুটা ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি, কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মডেলের কয়েকটি বিন্দু পর্যবেক্ষণ থেকে প্রায় আর্কমিনিট দূরে সরে যাচ্ছিল। চলিত পদ্ধতির মাধ্যমে সঠিক মডেল তৈরিতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে উপাত্তের সাথে ডিম্বাকার মডেল মেলানোর চেষ্টা শুরু করেন। বিশ্ব সম্পর্কে কেপলারের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে সূর্যই ছিল সৌরজগতের গতিদায়ক শক্তির উৎস এবং ঈশ্বরের প্রতীক। উইলিয়াম গিলবার্টের ''দে মাগণেতে'' (১৬০০) বইয়ে পৃথিবীর চৌম্বক আত্মার যে ধারণা প্রকাশিত হয়েছিল তার সাথে নিজের আলোকবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণা এক করে এর একটি ভৌত ভিত্তিও দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। সূর্য থেকে বিকিরিত গতিদায়ক শক্তি (বা গতিদায়ক "প্রজাতি", motive species) দূরত্বের সাথে সাথে কমতে থাকে যে কারণে গ্রহ সূর্যের কাছে এলে দ্রুত এবং দূরে গেলে অপেক্ষাকৃত ধীর গতিতে চলে। এই অণুমিতি গণিতের সাহায্যে জ্যোতির্বিদ্যার নিয়মনিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করেছিল। পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের অণুসূর অপসূর পরিমাপের মাধ্যমে তিনি আবিষ্কার করেন যে, কোন গ্রহের গতির হার সূর্য থেকে তার দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। অবশ্য পুরো কক্ষপথের জন্য এই সূত্রের সত্যতা যাচাই করতে অনেক পরিমাপের দরকার ছিল। তাই ১৬০২ সালের মধ্যে সূত্রটিকে তিনি জ্যামিতিক রূপে নিয়ে আসেন: "গ্রহগুলো সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে" যা কেপলারের গ্রহীয় গতির দ্বিতীয় সূত্র নামে পরিচিত। মঙ্গলের ভূকেন্দ্রিক গতিপথের ছবি, আপাত প্রতীপ বেগের বেশ কয়েকটি পর্যায় দেখানো হয়েছে।, নোভা'', প্রথম অধ্যায়, (১৬০৯) এরপর তিনি জ্যামিতিক ব্যস্তবর্গীয় নীতির সাহায্যে এবং ডিম্বাকৃতির কক্ষপথ ধরে নিয়ে মঙ্গলের পুরো গতিপথ হিসাব করার অভিযানে নামেন। অন্তত ৪০ বার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে ১৬০৫ সালে বুঝতে পারেন কক্ষপথের প্রকৃত আকৃতি উপবৃত্তের মত। উপবৃত্তের চিন্তা মাথায় আগেও এসেছিল, কিন্তু সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা খুব বেশি সোজা হয়ে যায় যা পূর্বের জ্যোতির্বিদদের বোঝা উচিত ছিল- এই ভেবে তিনি ক্ষান্ত থাকতেন। মঙ্গলের উপবৃত্তাকার কক্ষপথ পরিমাপের পরই তিনি সিদ্ধান্তে আসেন যে, "সকল গ্রহ উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে, যেখানে সূর্য থাকে উপবৃত্তের একটি ফোকাসে"- এরই নাম কেপলারের গ্রহীয় গতির প্রথম সূত্র। কিন্তু কোন সহযোগী নিয়োগ করেননি বিধায় মঙ্গল ছাড়া অন্য কোন গ্রহের কক্ষপথ আর পরিমাপ করা হয়নি তার। এই বছরের শেষ দিকে আস্ত্রোনোমিয়া নোভার পাণ্ডুলিপি রচনা শেষ করেন যদিও ট্যুকোর পর্যবেক্ষণ (যা তার উত্তরসূরীদের সম্পত্তি) ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট আইনগত জটিলতায় পড়ে ১৬০৯ সালের আগে এটি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়নি। === ''সোমনিয়ুম'' অন্যান্য পাণ্ডুলিপি === আস্ত্রোনোমিয়া নোভা শেষ করার পর কেপলারের মূল কাজ ছিল রুডলফীয় তালিকা শেষ করা এবং এর উপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ এফিমেরিস (যাতে জ্যোতিষ্কসমূহের অবস্থান লিপিবদ্ধ থাকে) প্রণয়ন। এর কোনটিই অবশ্য অদূর ভবিষ্যতে শেষ হয়নি। সময় কেপলার ইতালীয় জ্যোতির্বিদ জিওভান্নি আন্তোনিও মাজিনি-র সাথে সহযোগিতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তার অন্য কিছু কাজের বিষয়বস্তু ছিল কালপঞ্জি, বিশেষ করে যিশুর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর তারিখ প্রণয়ন এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র। তিনি জ্যোতিষ শাস্ত্রের মাধ্যমে কোন নাটকীয় বিপর্যয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করার সমালোচনা করেছেন। তার এক সময়কার সহপাঠী ''হেলিসাইয়ুস রোজেলিন'' জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর বেশি জোড় দিতেন এবং কেপলারের কোপের্নিকুসীয় চিন্তাধারা পছন্দ করতেন না। তারা বেশ কিছু লেখায় একে অপরকে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ করেন। ওদিকে চিকিৎসক ফিলিপ ফেজেলিয়ুস জ্যোতিষ শাস্ত্রকে পুরো বাতিল করে দিয়ে একটি বইই লিখেছিলেন যাতে সমালোচনার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল রোজেলিনের কাজ। একদিকে জ্যোতিষ শাস্ত্র নিয়ে বাড়াবাড়ি এবং অন্যদিকে অতিমাত্রায় ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে তা পুরোপুরি বর্জন- এই দুয়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কেপলার ''তের্তিয়ুস (তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ) নামে একটি বই লিখে রোজেলিন ফেজেলিয়ুসের সাধারণ পৃষ্ঠপোষকের কাছে পাঠান। দুই পক্ষের বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে সমঝোতা তৈরির উদ্দেশ্যে রচিত হলেও এই বইয়ে জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্পর্কে কেপলারের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। এতে তিনি গ্রহ এবং মানুষের আত্মা কি পদ্ধতিতে মিথস্ক্রিয়া করে সে নিয়ে একটি অণুকল্প হাজির করেন। জ্যোতিষীদের প্রথাগত নিয়মকানুন পদ্ধতিকে তিনি দুর্গণ্ধযুক্ত মল ঘেঁটে মুরগীর খাবার সন্ধানের সাথে তুলনা করলেও অন্যদিকে আবার বলেন, বৈজ্ঞানিক জ্যোতিষীর পক্ষে সেখানে একটি হলেও দানা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। প্রাগের পুরনো শহরের Karlova সড়কের বাড়ি যেখানে কেপলার থাকতেন। জাদুঘর ১৬১০ সালের প্রথম দিতে গালিলেও গালিলেই তার নতুন শক্তিশালী দূরবিনের সাহায্যে বৃহস্পতি গ্রহকে আবর্তনকারী চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেন। ''সিদেরেয়ুস নুনকিয়ুস'' (তারকাশোভিত দূত) বইয়ের মাধ্যমে এই আবিষ্কারের খবর প্রকাশের পর গালিলেও কেপলারের মতামত জানতে চান, যাতে তার পর্যবেক্ষণের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। কেপলার বেশ উৎসাহের সাথে একটি প্রকাশিত পত্রের মাধ্যমে তার অভিমত জানান, পত্রটির নাম ''দিসেরতাশিও কুম নুনকিও সিদেরেও'' (তারকাশোভিত দূতের সাথে কথোপকথন)। তিনি গালিলেওর পর্যবেক্ষণকে সত্যায়িত করেন এবং জ্যোতির্বিদ্যা, আলোকবিদ্যা, বিশ্বতত্ত্ব জ্যোতিষ শাস্ত্রের জন্য এই আবিষ্কারের অর্থ গালিলেওর দূরবিন প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন। সে বছরেরই শেষের দিকে ''নারাশিও দে জোভিস সাতেলিতিবুস'' প্রকাশের মাধ্যমে নিজের দূরবিন দিয়ে দেখা চাঁদ বর্ণনা করেন। এতে গালিলেওর পর্যবেক্ষণ আরো পাকাপোক্ত হয়। কিন্তু গালিলেও কখনও আস্ত্রোনোমিয়া নোভার প্রতিক্রিয়া (যদি আদৌ থেকে থাকে) প্রকাশ করেননি বলে কেপলার বেশ হতাশই হয়েছিলেন। গালিলেওর নতুন দূরবিন উদ্ভাবনের খবর পাওয়ার পর কেপলার কলোনের ডিউক আর্নেস্টের কাছ থেকে একটি দূরবিন ধার নিয়ে দুরবিনের আলোকবিদ্যা বিষয়ে তাত্ত্বিক পরীক্ষণমূলক গবেষণা শুরু করেন। এর ফলে ১৬১০ সালে একটি নতুন পাণ্ডুলিপি রচনা শেষ করেন যা ১৬১১ সালে (Diopotrice) নামে প্রকাশিত হয়। এতে বর্ণীত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- দ্বি-উত্তল অভিসারী এবং দ্বি-অবতল অপসারী লেন্সের তাত্ত্বিক ভিত্তি এবং এদের সমন্বয়ে গালিলীয় দূরবিনের উদ্ভব, সদ অসদ বিম্ব, সোজা উল্টো বিম্ব এবং বিবর্ধন লঘূকরণের উপর ফোকাস দূরত্বের প্রভাব। এছাড়া তিনি নতুন এক ধরনের দূরবিনের ধারণা দেন যার বর্তমান নাম বা কেপলারীয় দূরবিন। এই দুরবিনে গালিলেওর মত উত্তল অবতল লেন্সের সমন্বয় ব্যবহারের পরিবর্তে দুটি উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয় যাতে বিবর্ধন আরও বেড়ে যায়। ''স্ত্রেনা সেউ দে নিভে একটি ছবি, কেপলার অণুমিতি দেখানো হয়েছে এখানে ১৬১১ সালের দিকে কেপলার একটি পাণ্ডুলিপি প্রচার করেন যা তার মৃত্যুর পর ''সোমনিয়ুম'' (Somnium, স্বপ্ন) নামে প্রকাশিত হয়। এই বই লেখার উদ্দেশ্যগুলোর একটি ছিল অন্য কোন গ্রহের সাপেক্ষে জ্যোতির্বিদ্যা কেমন হবে তা বর্ণনা করে। এর মাধ্যমে তিনি মূলত এমন তত্ত্বের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন যাতে পৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্র ভাবা হয় না। কয়েক জনের হাতে ঘোরার পর পাণ্ডুলিপিটি অদৃশ্য হয়ে যায়। বইয়ে গল্পের ছলে একটি রোমহর্ষক চন্দ্র অভিযানের বর্ণনা দেন, পাণ্ডুলিপিটিকে বলা যায় কিছুটা রূপক, কিছুটা আত্মজীবনী এবং কিছুটা আন্তঃগ্রহ যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে কেপলারের চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ। কার্ল সেগান একে প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। পাণ্ডুলিপি প্রচারেরও বেশ কয়েক বছর পর সম্ভবত এর একটি বিকৃত সংস্করণের কারণে ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযাগো তার মাকে আটক করা হয়। গল্পে বর্ণনাকারীর মাকে মহাকাশ অভিযানের পদ্ধতি শেখার জন্য একটি প্রেতের সাথে আলোচনা করতে দেখা যায়। মা মুক্তি পাওয়ার পর কেপলার গল্পের সাথে ২২৩টি পাদটীকা যুক্ত করেন যা মূল গল্পের চেয়েও অনেক বড় হয়ে যায়। এর মাধ্যমে গল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন রূপকের অর্থ, লুক্কায়িত নানান বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণা এবং বিশেষ করে চাঁদের ভূতত্ত্ব নিয়ে অনেক আলোচনা উঠে আসে। == গণিত পদার্থবিজ্ঞানে অবদান == নববর্ষের উপহার হিসেবে তার বন্ধু এক সময়কার পৃষ্ঠপোষক ব্যারন ভাখার ফন ভাখেনফেল্ডের জন্য সে বছর তিনি ''স্ত্রেনা সেউ দে নিভে সেক্সাঙ্গুলা'' (নববর্ষের জন্য ষড়ভুজী তুষারের উপহার) নামে একটি ছোট পুস্তিকা লেখেন। এতেই তিনি প্রথমবারের মত তুষারকণার ষড়ভুজাকৃতির প্রতিসাম্য বর্ণনা করেন যার ফলশ্রুতিতে প্রতিসাম্যের একটি পরমাণুবাদী ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। গোলকের সজ্জার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায় সম্পর্কেও এভাবে একটি অণুকল্প বেরিয়ে আসে যাকে কেপলার অণুমিতি বলা হয়। কেপলার ছিলেন অনীয়ানের গাণিতিক প্রয়োগ আবিষ্কারের অন্যতম পুরোধা। (দেখুন: অবিচ্ছিন্নতার নীতি) === ব্যক্তিগত রাজনৈতিক দুর্ভোগ === ১৬১১ সালে প্রাগে উত্তেজনা চরম রূপ ধারণ করে। সম্রাট রুডলফের শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তার ভাই ''মাটিয়াস'' তাকে বোহেমিয়ার রাজার পদ থেকে অবসর নিতে বাধ্য করেন। রুডলফ মাটিয়াস উভয়েই কেপলারের কাছে উপদেশ চান। এই সুযোগে তিনি কিছু আপোসমূলক উপদেশের মাধ্যমে অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চেষ্টা করেন, গ্রহ-তারার অবস্থান সম্পর্কে খুব কমই মন্তব্য করেছিলেন যাতে রাজারা কোন আকস্মিক পদক্ষেপ না নেন। কিন্তু এটি বুঝতে বাকি ছিল না যে মাটিয়াসের দরবারে কেপলারের খুব একটা ভবিষ্যৎ নেই। সে বছরই কেপলারের স্ত্রী বারবারা হাঙ্গেরীয় তিলকিত জ্বরে আক্রান্ত হন, মৃগী রোগের লক্ষণ দিয়ে যারা সূচনা ঘটে। বারবারা সুস্থ হতে না হতেই তার তিন সন্তান গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়, বছর বয়সী ফ্রিডরিশ মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর পর তিনি পাদোয়া ভ্যুআটেমবের্গের পৃষ্ঠপোষকদের কাছে জ্যোতির্বিদ্যা বা গণিতের পদের আবেদন করে পত্র পাঠান। ভ্যুআটেমবের্গের ট্যুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় কেলভিনীয় ধর্মদ্রোহীতা এবং আউগসবুর্গ কনফেশন (লুথারান চার্চের প্রধান বিশ্বাসের স্বীকারোক্তি) কনকর্ড ফর্মুলা (লুথারান চার্চে বিশ্বাসের প্রতিজ্ঞা) লঙ্ঘনের কারণে কেপলারকে নিতে রাজি হয়নি। ১৬১০ সালে গালিলেও ইউনিভার্সিটি অফ পাদোয়া থেকে চলে যাওয়ায় সৃষ্ট শূন্যস্থান পূরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু কেপলার জার্মান ভূমিতে থাকা শ্রেয় মনে করে অস্ট্রিয়ার লিনৎসে যান শিক্ষক জেলা গণিতবিদের একটি পদের ব্যবস্থা করতে। তিনি ফিরে আসার কিছুদিন পরই অবশ্য আরও অসুস্থ হয়ে বারবারা মৃত্যুবরণ করেন। কারণে কেপলার লিনৎসে যাওয়ার তারিখ পিছিয়ে দিয়ে আরও কিছুকাল প্রাগে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ১৬১২ সালে সম্রাট রুডলফ মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এখানেই ছিলেন যদিও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, পারিবারিক দুঃখভোগ এবং তার স্ত্রীর জমি নিয়ে আইনী জটিলতার কারণে সময়ের মাঝে তার গবেষণা এগোয়নি। গবেষণা হচ্ছে না দেখে সময় তিনি পূর্বের কাজ অন্যদের সাহায্য নিয়ে ''একলোগাই ক্রোনিকাই'' নামে একটি কালপঞ্জি তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। মাটিয়াস হলি রোমান সম্রাজ্যের সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর কেপলারের পূর্বতন চাকরি পূর্ণ বেতনসহ পুনর্বহাল করেন এবং এই চাকরি নিয়েই তাকে লিনৎসে চলে যাওয়ার অণুমতি দেন। == লিনৎস এবং অন্যত্র (১৬১২–১৬৩০) == অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে কেপলারের ভাস্কর্য লিনৎসে রুডলফীয় তালিকা শেষ করার পাশাপাশি কেপলারের অন্য কাজ ছিল জেলা স্কুলে শিক্ষকতা এবং জ্যোতির্বিদ্যা জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপদেশ প্রদাণ। এখানে প্রাগের তুলনায় বেশি ধর্মীয় স্বাধীনতা আর্থিক স্বচ্ছলতা ভোগ করেন যদিও লুথারান চার্চ তার ধর্মীয় সংশয়বাদীতার কারণে তাকে ইউক্যারিস্ট (হলি কম্যুনিয়ন, একটি খ্রিস্টান আচারানুষ্ঠান) থেকে বহিষ্কার করে রেখেছিল। লিনৎসে তার প্রথম প্রকাশনা ছিল ''দে ভেরো আন্নো'' (১৬১৩), যিশুর জন্মের বছর নিয়ে একটি বিস্তৃত রচনা। এছাড়া পোপ গ্রেগরির পরিমার্জিত বর্ষপঞ্জি জার্মান ভূমিতে চালু করা ঠিক হবে কিনা সে বিষয়ক বিতর্কে অংশ নেন। একই বছর গণিতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা ''নোভা দোলিওরুম ভিনারিওরুম'' (Nova stereometria doliorum vinariorum) রচনা শেষ করেন। এর বিষয়বস্তু ছিল মদের বোতল বা ধরনের অন্যান্য বোতলের আয়তন পরিমাপের পদ্ধতি, ১৬১৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। === দ্বিতীয় বিয়ে === ১৬১৩ সালের ৩০শে অক্টোবর কেপলার ২৪ বছর বয়সী সুজানা রয়টিঙারকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী বারবারার মৃত্যুর পর ১১ জন পাত্রী দেখে অবশেষে ৫ম পাত্রীর কাছে ফিরে এসেছিলেন। সুজানা সম্পর্কে লিখেছিলেন, "ভালবাসা, নম্র আনুগত্য, বাসাবাড়ির আর্থিক দেখভাল, অধ্যবসায়, এবং সৎ সন্তানদের প্রতি ভালবাসা দিয়ে সে আমাকে জয় করে নিয়েছিল।" এই বিয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া প্রথম তিন সন্তান (মার্গারেটা রেগিনা, কাটারিনা সেবাল্ড) বাল্যকালেই মারা যায়। আরও তিন জন পূর্ণ বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকে: কোর্ডুলা (জন্ম: ১৬২১), ফ্রিডমার (জন্ম: ১৬২৩) হিল্ডেবের্ট (জন্ম: ১৬২৫)। কেপলারের জীবনীকারদের মতে তার এই বিয়ে পূর্বেরটির তুলনায় অনেক সুখের ছিল। === ''এপিতোমে আস্ত্রোনোমিয়াই কোপেরনিকানাই'', বর্ষপঞ্জি মা-র বিচার === নোভা'' প্রকাশের পর থেকেই কেপলার উপর একটি পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে চাইছিলেন। ১৬১৫ সালে ''এপিতোমে আস্ত্রোনোমিয়াই (''Epitome of Copernican Astronomy'') তিনটি খণ্ডের প্রথমটি রচনা শেষ করেন যা ১৬১৭ সালে প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় খণ্ড ১৬২০ এবং তৃতীয় শেষ খণ্ড ১৬২১ সালে প্রকাশিত হয়। শিরোনাম পড়লে মনে হয় বুঝি কেবলই কোপের্নিকুসের সৌরকেন্দ্রিক মতবাদের উপর ভিত্তি করে, কিন্তু আসলে এতে তিনি নিজের উপবৃত্ত-ভিত্তিক ব্যবস্থা পুরোপুরি বর্ণনা করেছিলেন। এপিতোমে কেপলারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রচনা হিসেবে স্বীকৃত হয়। গ্রহীয় গতির তিনটি সূত্রই এতে স্থান পায় এবং প্রকাশিত হয় ভৌত কার্যকারণের মাধ্যমে স্বর্গীয় (সে সময়কার বিশ্বাস অণুসারে) বস্তুসমূহের গতিবিধির ব্যাখ্যা। আস্ত্রোনোমিয়া নোভাতে গ্রহীয় গতির সূত্র কেবল মঙ্গল গ্রহের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এই গ্রন্থে সবগুলো গ্রহ, উপগ্রহ এবং গালিলেও কর্তৃক আবিষ্কৃত বৃহস্পতি গ্রহের চারটি উপগ্রহের ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করেন। অবশ্য পর্যবেক্ষণের উপাত্ত থেকে কিভাবে উপবৃত্তাকার কক্ষপথ প্রতিপাদন করা যায় সে নিয়ে কিছু লিখেননি। ''রুডলফীয় তালিকা'' এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট এফিমেরিস নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কেপলার একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করে ফেলেন যা বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এখান থেকে পাওয়া অর্থই তার পরবর্তী কাজের ব্যয় বহনে কাজে লেগেছিল, বিশেষ করে যখন রাজকোষ থেকে অর্থ সংস্থান বন্ধ হয়ে যায়। ১৬১৭ থেকে ১৬২৪ সালের মধ্যে প্রকাশিত মোট ৬টি বর্ষপঞ্জিতে তিনি গ্রহের অবস্থান, আবহাওয়া এবং এমনকি রাজনৈতিক ঘটনারও ভবিষ্যদ্বাণী করেন। রাজনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণীর অনেকগুলোই চতুরভাবে মিলে গিয়েছিল কারণ সমকালীন রাজনৈতিক ধর্মীয় অবস্থা সম্পর্কে তিনি খুব ভাল জ্ঞান রাখতেন এবং সে অণুযায়ী ভবিষ্যৎ কি হবে তা অণুমান করা কঠিন ছিল না। কিন্তু ১৬২৪ সালে যখন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমে যায় এবং ভবিষ্যদ্বাণীর অনেকগুলোই মিথ্যা প্রমাণিত হতে থাকে তখন তিনি নিজেই বিপদে পড়েন। তার শেষ বর্ষপঞ্জি গ্রাৎসে জনসমক্ষে পোড়ানো হয়েছিল। ''হারমোনিকেস মুন্দি'' (১৬১৯) এর ছবি: বিশুদ্ধ ঘনবস্তুর জ্যামিতিক ছন্দ বা হারমোনি ১৬১৫ সালে উরসুলা রাইনগোল্ড, যার সাথে কেপলারের ভাই ক্রিস্টোফের আর্থিক দ্বন্দ্ব্ব চলছিল, আদালতে অভিযোগ করেন যে কেপলারের মা কাথারিনা অশুভ চোলাইকৃত মদ খাইয়ে তাকে অসুস্থ করে দিয়েছে। নিয়ে বিতর্কের জন্ম হয় এবং ১৬১৭ সালে কাথারিনাকে ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। সে সময় মধ্য ইউরোপে ডাকিনীদের বিচার হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। ১৬২০ সালের আগস্টে কাথারিনাকে ১৪ মাসের জন্য আটক করা হয়, মুক্তি পান ১৬২১ সালের অক্টোবরে। কেপলারের উপযুক্ত আইনী প্রতিরোধের কারণেই এই মুক্তি সম্ভব হয়েছিল। অভিযোক্তাদের হাতে সুদৃঢ় কোন প্রমাণ ছিল না, ছিল কেবল কিছু কানকথা এবং কেপলারের ''সোমনিয়ুম'' বইয়ের একটি বিকৃত পুরাতন সংস্করণ যাতে লেখা ছিল কিভাবে ঐন্দ্রজালিক ঔষধ মিশ্রিত করে এবং একটি শয়তানের সাহায্য নেয়। অবশ্য ''তেরিশিও ভের্বালিস'' (ডাকিনী হওয়ার কারণে তার আসন্ন শাস্তির সচিত্র বর্ণনা) এর কাথারিনার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের সর্বশেষ চেষ্টা করা হয়েছিল। বিচার চলাকালে কেপলার তার অন্য সব গবেষণা বাদ দিয়ে কেবল ''ঐকতান তত্ত্ব'' নির্মাণে মনোনিবেশ করেন। ফলাফল ১৬১৯ সালে বই হিসেবে প্রকাশিত হয় যার নাম ''হারমোনিকেস মুন্ডি'' (Harmony of the World)। === ''হারমোনিকেস মুন্দি'' === কেপলার অনেকটা নিশ্চিতভাবে মনে করতেন যে জ্যামিতিক বস্তুগুলোই ঈশ্বরকে সমগ্র বিশ্ব সাজানোর মডেল সরবরাহ করেছে। হারমোনিকেসে তিনি সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রাকৃতিক জগৎের অণুপাতসমূহ, বিশেষ করে জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্যোতিষ শাস্ত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। ঐকতানের (হারমোনিক) প্রধান সেটটি পিথাগোরাস, টলেমি এবং কেপলারের আগে আরও অনেকে অধ্যয়ন করেছিলেন যাকে তখন ''মুজিকা উনিভের্সালিস'' বা খগোল সঙ্গীত নামে আখ্যায়িত করা হতো। এমনকি তিনি হারমোনিকেস মুন্দি প্রকাশ করার পরপরই ''রবার্ট ফ্লুড'' নামে একজন বলা শুরু করেন যে কেপলারের আগেই তিনি নিজের একটি ঐকতানের তত্ত্ব লিখেছেন। কেপলার বইটি শুরু করেন সুষম বহুভুজ এবং সুষম ঘনবস্তুর বর্ণনা দিয়ে, শুরুতে যেসব বস্তুর ছবি ছিল তাদেরকে বর্তমানে কেপলারের ঘনবস্তু বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে ঐকতানের তত্ত্বটি তিনি সঙ্গীত, আবহাওয়াবিদ্যা এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে প্রয়োগ করেন। তার মতে, জ্যোতিষ্কগুলোর আত্মায় সুর আছে, যে সুর থেকে ঐকতানের জন্ম হয়, এই সুরের সাথে আবার মানব আত্মার মিথস্ক্রিয়া ঘটে যা নিয়ে জ্যোতিষ শাস্ত্র কাজ করে। বইয়ের শেষ তথা পঞ্চম অধ্যায়ে কেপলার গ্রহের গতি, বিশেষ করে কক্ষীয় বেগ সূর্য থেকে ক্ষপথের দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। তার আগেও জ্যোতির্বিদরা এই সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু ট্যুকোর উপাত্ত হাতে থাকায় কেপলার অনেক সূক্ষ্ণভাবে ব্যাপারটি বিশ্লেষণ করতে পেরেছেন এবং এর ভৌত গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন। ছন্দ অনেকগুলো ছিল, তবে এর মধ্যে কেপলার সবচেয়ে স্পষ্টভাবে যেটি ব্যক্ত করেছেন পরবর্তীকালে তার নাম দেয়া হয়েছে কেপলারের গ্রহীয় গতির তৃতীয় সূত্র। অনেক ধরনের সমাবেশ নিয়ে গবেষণা করে তিনি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, "পর্যায়কালের বর্গ সূর্য থেকে কক্ষপথের দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক"। ঠিক কত তারিখে তার এই বোধদয় হয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া গেলেও ঠিক কিভাবে তিনি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন সে সম্বন্ধে কিছু জানা যায় না। গ্রহীয় গতির জন্য এই বিশুদ্ধ গতিতাত্ত্বিক সূত্রের মাহাত্ম্য্য অবশ্য ১৬৬০-এর দশকের পূর্বে একেবারেই বোঝা যায়নি। কারণ এই দশকেই ক্রিস্টিয়ান হাওখেন্সের নতুন কেন্দ্রাতিগ বেগ সম্পর্কিত সূত্রের সাথে কেপলারের এই সূত্র মিলিয়ে আইজাক নিউটন, এডমান্ড হ্যালি এবং খুব সম্ভবত ক্রিস্টোফার রেন রবার্ট হুক প্রায় একই সময়ে দেখাতে সক্ষম হন যে, মহাকর্ষীয় আকর্ষণ সূর্য থেকে গ্রহের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। এই সূত্র পদার্থবিজ্ঞানের চিরায়ত স্কলাস্টিক চিন্তাধারাকে ভুল প্রমাণিত করে। স্কলাস্টিক পদার্থবিদ্যায় মনে করা হতো দুটো বস্তুর মধ্যে মহাকর্ষ বল সবসময়ই ধ্রুব থাকে, কেপলার এবং এমনকি গালিলেও-ও তাই মনে করতেন। গালিলেও মহাকর্ষ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে একটি সর্বজনীন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন যার সারকথা হচ্ছে মহাকর্ষের প্রভাবে পড়ন্ত বস্তু সব সময়ই সমান হারে ত্বরণ লাভ করে। ১৬৬৬ সালে গালিলেওর ছাত্র বোরেল্লিও তার খ-বলবিদ্যায় এই ধ্রুব মহাকর্ষকে সমর্থন করেছেন। উইলিয়াম গিলবার্ট চুম্বক নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে পৃথিবীর কেন্দ্র আসলে একটি বিশাল চুম্বক। এই কথা পড়ে কেপলার ভেবে নিয়েছিলেন হয়ত সূর্যের চৌম্বক বল গ্রহগুলোকে আবর্তন করায়। বেশ মজার হলেও ধারণাটি আসলে ভুল। জেনারেল ভালেনস্টাইনের জন্য লেখা কেপলারের রাশিচক্র === ''রুডলফীয় তালিকা'' এবং শেষ বছরগুলো === ১৬২৩ সালে কেপলার অবশেষে রুডলফীয় তালিকা সম্পূর্ণ করেন, যাকে সে সময় তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভাবা হয়েছিল। অবশ্য সম্রাটের সাথে প্রকাশনা বিষয়ক বোঝাপড়া এবং ট্যুকো ব্রাহের উত্তরাধিকারীদের সাথে লেনদেনের বিষয় ছিল বলে মুদ্রিত হতে হতে ১৬২৭ সাল হয়ে যায়। এর মধ্যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বিশৃঙ্খলা, যা ছিল চলমান ত্রিশ বছরের যুদ্ধের প্রধাণ কারণ, আবারও কেপলার তার পরিবারকে বিপাকে ফেলে দেয়। ১৬২৫ সালে ক্যাথলিক এজেন্টরা কেপলারের গ্রন্থাগার তালাবদ্ধ করে রাখে, ১৬২৬ সালে লিনৎস শহর অবরোধ করা হয়। অগত্যা তিনি উলম শহরে চলে যান এবং সেখানে নিজ খরচায় তালিকাটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। ১৬২৮ সালে জেনারেল ভালেনস্টাইনের অধীনে পরিচালিত পুণ্য রোমান সম্রাট ফের্ডিনান্ডের সেনাবাহিনী জয়লাভ করায় অবস্থা কেপলারের অণুকূলে আসে এবং তিনি ভালেনস্টাইনের উপদেষ্টা মনোনীত হন। জেনারেলের সরাসরি রাজ-জ্যোতিষী না হলেও কেপলার রাজ-জ্যোতিষীদের জন্য হিসাব-নিকাশ করে দিতেন এবং মাঝেমধ্যে রাশিচক্রও লিখতেন। শেষ বছরগুলোতে তিনি প্রচুর ভ্রমণ করেন, প্রাগের রাজদরবার থেকে লিনৎস এবং উলম, সেখান থেকে সাগানের একটি সাময়িক বাড়িতে এবং সবশেষে রেগেন্সবুর্গে। রেগেন্সবুর্গে আসার পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৬৩০ সালের ১৫ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন, তাকে রেগেন্সবুর্গেই সমাধিস্থ করা হয়। সুয়েডীয় সেনাবাহিনী গির্জার প্রাঙ্গণ ধ্বংস করে দেয়া তার কবরটি হারিয়ে গিয়েছিল। কেবল কেপলারের নিজের লেখা সমাধিলিপিটিই রক্ষিত আছে: :''Mensus eram coelos, nunc terrae metior umbras'' :''Mens coelestis erat, corporis umbra iacet.'' :আমি একদিন আকাশ মেপেছি, আজ মাপি ছায়া :আমার মন ছিল আকাশমুখো, আর দেহ বিশ্রাম নিল ধরায় == কেপলারীয় জ্যোতির্বিদ্যার গ্রহণযোগ্যতা == কেপলারের সূত্র তাৎক্ষণিক গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। গালিলেও এবং রনে দেকার্তের মত নামীদামী বিজ্ঞানীরা তার নোভা'' পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। অনেক জ্যোতির্বিদ, এমনকি তার সরাসরি শিক্ষক মিখায়েল মায়েস্টলিন পর্যন্ত তাদের কেপলারের পদার্থবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করেছেন। অনেকে অবশ্য মধ্যম পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করেছেন। যেমন ফরাসি জ্যোতির্বিদ Ismaël Bullialdus উপবৃত্তাকার কক্ষপথ গ্রহণ করলেও কেপলারের ক্ষেত্রফল তত্ত্বটিকে সুষম গতিবেগ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করেন, তিনি ধরে নিয়েছিলেন উপবৃত্তের শূন্য ফোকাসের সাপেক্ষে ঘূর্ণনের কারণে গতিবেগ সুষমই থাকবে। সেথ ওয়ার্ডও উপবৃত্তাকার কক্ষপথ গ্রহণ করেন কিন্তু গ্রহের গতি ব্যাখ্যা করেন অণুবৃত্তের (equant) মাধ্যমে। অনেক জ্যোতির্বিদ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কেপলারের তত্ত্ব পরীক্ষা করেছিলেন। সূর্যের সামনে দিয়ে বুধ এবং শুক্র গ্রহের অতিক্রমণ তার তত্ত্বের জন্য খুব ভাল একটি পরীক্ষা হতে পারতো। ১৬৩১ সালে বুধের অতিক্রমণের সময় কেপলার বেশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন, ঠিক কোন দিন অতিক্রমণ ঘটবে বুঝতে না পেরে তিনি পর্যবেক্ষকদেরকে ঘোষিত দিনের আগের এবং পরের দিনও আকাশে চোখ রাখতে বলেন। কেপলারের ভবিষ্যদ্বাণী করা দিনেই অবশেষে অতিক্রমণ পর্যবেক্ষণ করেন পিয়ের গাসেঁদি। এটা ছিল বুধ গ্রহের প্রথম অতিক্রমণ পর্যবেক্ষণ। অবশ্য এর ঠিক এক মাস পর শুক্র গ্রহের অতিক্রমণ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন কেপলার, কারণ ছিল রুডলফীয় তালিকায় ত্রুটি। গাসেঁদি অবশ্য বুঝতে পারেননি যে প্যারিসের মত ইউরোপের অধিকাংশ স্থান থেকেই এই অতিক্রমণ দেখা যায়নি। জেরেমিয়া হোরকস ১৬৩৯ সালে শুক্রের অতিক্রমণ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, তবে সেজন্য তাকে নিজের পর্যবেক্ষণের সাপেক্ষে কেপলারের মডেলে কিছু পরিমার্জন আনতে হয়েছিল এবং সে অণুযায়ী অতিক্রমণ দেখার উপযোগী যন্ত্র বানাতে হয়েছিল। তিনি আজীবন কেপলারের মডেলের দৃঢ় সমর্থক ছিলেন। ''এপিতোমে আস্ত্রোনোমিয়াই কোপের্নিকানাই'' ইউরোপের সর্বত্র জ্যোতির্বিদরা পড়তেন, কেপলারের মৃত্যুর পর তার চিন্তাধারা প্রচারের জন্য এটিই ছিল সর্বোত্তম বাহন। ১৬৩০ থেকে ১৬৫০ সালের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বেশি পঠিত জ্যোতির্বিজ্ঞান পাঠ্যবই, যে কারণে সময় অনেককেই উপবৃত্ত-ভিত্তিক বিশ্বাসী হয়ে উঠতে দেখা যায়। অবশ্য খুব কম ব্যক্তিই নভোগতির পক্ষে তার দেয়া ভৌত ভিত্তিটি গ্রহণ করেছিল। সপ্তদশ শতকের শেষদিকে বেশ ভৌত বেশ কয়েকটি তত্ত্বে কেপলারের পথ ধরে আকর্ষণমূলক বলের সূত্রপাত ঘটে, অবশ্য কেপলার যে ছদ্ম-আধ্যাত্মিক গতিদায়ক শক্তির কথা বলেছিলেন এখানে তার কোন স্থান ছিল না। এই তত্ত্বগুলোর প্রবর্তকদের মধ্যে আছেন জিওভান্নি আলফোন্সো বোরেল্লি, রবার্ট হুক এবং রনে দেকার্ত। দেকার্তই প্রথম জড়তার মাধ্যমে এই ধারণাটি ব্যক্ত করেছিলেন। সকল প্রচেষ্টারই চূড়ান্ত উৎকর্ষ ঘটে আইজাক নিউটনের ফিলোসফিয়া নাতুরালিস প্রিংকিপিয়া মাথেমাটিকার (১৬৮৭) মাধ্যমে। এই বইয়ে নিউটন বলভিত্তিক একটি সূত্রের মাধ্যমে কেপলারের গ্রহীয় গতিসূত্রগুলো প্রতিপাদন করেন। == ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক প্রভাব == চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ শহরে কেপলার এবং ট্যুকো ব্রাহের মূর্তি। ইয়োহানেস কেপলারের স্মারক স্ট্যাম্প, পূর্ব জার্মানি জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং প্রাকৃতিক দর্শনে অসামান্য অবদানের পাশাপাশি বিজ্ঞানের দর্শন এবং বিজ্ঞানের ইতিহাস-লিখনেও কেপলারের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। কেপলার এবং তার গতির সূত্রগুলো প্রথম দিককার ইতিহাস রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল। উদাহরণ হিসেবে Jean-Étienne Montucla-র ''Histoire des mathématiques'' (১৭৫৮) এবং Jean-Baptiste Delambre-র ''Histoire de l’astronomie moderne'' (১৮২১) এর নাম করা যেতে পারে। এই বইগুলো আলোকিত যুগের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা, এই দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা সব প্রায় সব গ্রন্থেই কেপলারের ধর্মীয় এবং অধিবিদ্যা বিষয়ক চিন্তাধারার সমালোচনা করে তা বর্জন করা হয়েছে, কিন্তু এর পর রোমান্টিক যুগের দার্শনিকরা এই দৃষ্টিভঙ্গিকে কেপলারের সাফল্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। William Whewell তার প্রভাবশালী বই ''History of the Inductive Sciences'' (১৮৩৭) কেপলারকে আরোহী যুক্তি অবলম্বনকারী বিজ্ঞানীদের আদিপুরুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ১৮৪০ সালে প্রকাশিত একই লেখকের ''Philosophy of the Inductive Sciences'' বইয়ে বলা হয়েছে কেপলার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সবচেয়ে উন্নত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। Ernst Friedrich Apelt ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি কেপলারের সকল পাণ্ডুলিপির (ক্যাথেরিন দ্য গ্রেট এর ক্রয়ক্রীত) চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন, তার মতে কেপলার বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি কেপলারের গণিত, সুকুমার বৃত্তি, ভৌত চিন্তাধারা এবং ধর্মতত্ত্বকে একটি একীভূত চিন্তাধারার টুকরো টুকরো অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছেন, তিনিই কেপলারের জীবন কর্ম নিয়ে প্রথম বিস্তৃত গবেষণা করেছিলেন। ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধ এবং বিংশ শতকের শুরুর দিকে কেপলারের বইগুলোর বেশ কয়েকটি আধুনিক অণুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৩৭ সালে তার সকল রচনার বিধিবদ্ধ প্রকাশনা শুরু হয়, একবিংশ শতকের শুরুতে এসে এই প্রকাশনযজ্ঞ প্রায় সমাপ্ত হতে চলেছে। ১৯৪৮ সালে ম্যক্স ক্যাসপারের লেখা কেপলারের জীবনী প্রকাশিত হয়। অবশ্য Apelt এর পর কেপলারের বিশ্বতত্ত্ব প্রভাবের ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা প্রদাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল Alexandre Koyré-র লেখা বইগুলো। ১৯৩০ এবং ৪০-এর দশকে তিনি এবং তার সাথে পেশাদার বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদদের প্রথম প্রজন্মের অন্যান্য সদস্যরা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং কেপলারকে সেই বিপ্লবের প্রায় কেন্দ্রীয় ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। Koyré-র মতে পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষা নয় কেপলারের তাত্ত্বিক প্রাচীন থেকে আধুনিক বিজ্ঞানের জন্মের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। ১৯৬০-এর দশক থেকে কেপলারের বুদ্ধিবৃত্তির আরও বিশদ বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে কেপলারের জ্যোতিষ শাস্ত্র, জ্যামিতিক কাজসমূহ, তার কাজের উপর ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব, তার সাহিত্যিক আলঙ্কারিক পদ্ধতি, সে সময়কার বৃহত্তর দার্শনিক সাংস্কৃতিক জগৎের সাথে তার সম্পর্ক মিথস্ক্রিয়া, এবং এমনকি ইতিহাসবিদ হিসেবে তার ভূমিকা। কেপলারের সম্মানে মুক্তিপ্রাপ্ত ১০ ইউরোর স্মারক মুদ্রা বৈজ্ঞানিক বিপ্লবে কেপলারের ভূমিকা বিষয়ক দার্শনিক বিতর্ক বেশ কিছু জনপ্রিয় সাহিত্যেও স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী একটি হচ্ছে আর্থার কেসলারের লেখা ''দ্য স্লিপওয়াকারস'' (১৯৫৯) যেখানে কেপলার বুদ্ধিবৃত্তিক ধর্মতাত্ত্বিক সকল দিক থেকেই বিপ্লবের অবিসংবাদিত নায়ক। প্রভাবশালী বিজ্ঞানের দার্শনিক যেমন চার্লস স্যান্ডার্স পার্স, নরউড রাসেল হ্যানসন, স্টিফেন টুলমিন এবং কার্ল পপার, বারবার কেপলারের কাছে ফিরে এসেছেন, তারা কেপলারের কাজে পেয়েছেন প্রমেয়তা, সাদৃশ্যমূলক যুক্তি, বাতিলযোগ্যতা এবং আরও অনেক দার্শনিক ধারণা। পদার্থবিদ ভোলফগাং পাউলি এমনকি রবার্ট ফ্লুডের সাথে কেপলারের বিতর্ক ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক অণুসন্ধানে বিশ্লেষণমূলক মনোবিজ্ঞানের প্রয়োগ দেখিয়েছেন। জন ব্যানভিলের একটি সুপরিচিত উপন্যাস ''কেপলার'' (১৯৮১) কেসলারের বইয়ে বর্ণীত বেশ কিছু বিষয় এবং বিজ্ঞানের দর্শনে তার ভূমিকার অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। বেশ খামখেয়ালি একটি বই হচ্ছে ২০০৪ সালে প্রকাশিত ''হেভেনলি ইনট্রিগ'' যাতে দাবী করা হয়েছে ট্যুকো ব্রাহের উপাত্ত হাতে পাওয়ার জন্য কেপলার তাকে হত্যা করেছিলেন। কেপলার সময়ের আগে জন্ম নেয়া আধুনিক বিজ্ঞানের এক প্রবাদপুরুষ হিসেবে একটি জনপ্রিয় পরিচিতি পেয়ে গেছেন, কার্ল সেগান তাকে "প্রথম এবং শেষ বৈজ্ঞানিক জ্যোতিষী" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অস্ট্রিয়ায় কেপলারের ঐতিহাস গুরুত্ব খুব ভালভাবে প্রকাশ পেয়েছে, সেদেশের একটি রুপোর মুদ্রা তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল তাকে সম্মানিত করা, ২০০২ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর তার সম্মানে ১০ ইউরোর একটি স্মারক মুদ্রা মুক্তি পায়। মুদ্রার উল্টো পিঠে কেপলারের প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে। উল্লেখ্য তিনি অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস এবং আশপাশের কিছু স্থানে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছিলেন। কেপলার প্রিন্স হান্স উলরিখ ফন এগেনবের্গকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন এবং সম্ভবত এগেনবের্গ দুর্গ নির্মাণে তার প্রভাব ছিল। এই দুর্গ মুদ্রাটির সম্মুখ পিঠে অঙ্কিত ছিল। মুদ্রায় কেপলারের প্রতিকৃতির সামনে মুস্তেরিয়ুম কসমোগ্রাফিকুমে প্রকাশিত বহুতলকের মডেল রয়েছে। ২০০৯ সালে নাসা বহির্গ্রহ আবিষ্কারের জন্য একটি মহাকাশ মানমন্দির উৎক্ষেপণ করে যার নাম রাখা হয় কেপলার মিশন। নিউজিল্যান্ডে ফিয়র্ডল্যান্ড জাতীয় উদ্যানে একটি পর্বতমালার নাম কেপলার, সেখানে তিন দিনের একটি হাঁটা পথের নামও কেপলার পথ। === ধর্মীয় ভক্তি === ধর্মের জগৎেও কেপলারকে সম্মানিত করতে দেখা যায়। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এপিস্কোপাল চার্চের একটি ধর্মীয় উৎসবের দিন ঘোষণা করা হয়েছে কেপলার এবং নিকোলাউস কোপের্নিকুসের সম্মানে। দিনটি ২৩শে মে। == কেপলারের রচনাবলি == ''Epitome astronomiae copernicanae'', 1618 ''Mysterium (''মহাবিশ্বের পবিত্র রহস্য'') (১৫৯৬) ''Astronomiae Pars Optica'' আলোকবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট অংশ'') (১৬০৪) ''De Stella nova in pede Serpentarii'' (''অফিয়াকাসের পায়ের পাতায় অবস্থিত নতুন তারাটি বিষয়ে'') (১৬০৪) ''Astronomia nova'' (''নতুন (১৬০৯) ''Tertius Interveniens'' (''তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ'') (১৬১০) ''Dissertatio cum Nuncio Sidereo'' (''তারকাশোভিত দূতের সাথে কথোপকথন'') (১৬১০) ''Dioptrice'' (১৬১১) ''De nive sexangula'' (''On the Six-Cornered Snowflake'') (১৬১১) ''De vero Anno, quo aeternus Dei Filius humanam naturam in Utero benedictae Virginis Mariae assumpsit'' (১৬১৩) ''Eclogae Chronicae'' (১৬১৫ সালে ''Dissertatio cum Nuncio Sidereo'' এর সাথে প্রকাশিত হয়) ''Nova stereometria doliorum vinariorum'' (''New Stereometry of Wine Barrels'') (১৬১৫) ''Epitome astronomiae Copernicanae'' (''Epitome of Copernican Astronomy'') (১৬১৮-২১ এর মধ্যে খণ্ডে প্রকাশিত হয়) ''Harmonice Mundi'' (''Harmony of the Worlds'') (১৬১৯) ''Mysterium ২য় সংস্করণ (১৬২১) ''Rudolphine Tables'' (''রুডলফীয় তালিকা'') (১৬২৭) ''Somnium'' (''স্বপ্ন'') (১৬৩৪) == আরও দেখুন == ইতিহাস পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস বৈজ্ঞানিক বিপ্লব কেপলার ত্রিভুজ কেপলার সমস্যা Kepler-Bouwkamp constant === কেপলারের সম্মানে নামাঙ্কিত === কেপলার মহাকাশ মানমন্দির সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তনরত একটি দূরবিন যার কাজ গ্রহ সন্ধান করা। ২০০৮ সালে নাসা এটি প্রেরণ করে। কেপলার-পৈসোঁ বহুতলক জ্যামিতিক গঠনের একটি সেট। এর মধ্য দুটি তিনি বর্ণনা করেছিলেন। কেপলারের তারা অতিনবতারা ১৬০৪ যা তিনি আবিষ্কার এবং বর্ণনা করেছিলেন। কেপলার চাঁদের একটি সংঘর্ষ খাদ কেপলার মঙ্গলের একটি সংঘর্ষ খাদ ১১৩৪ কেপলার একটি গ্রহাণু ইয়োহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিনৎস প্রতিষ্ঠার বছর পর ১৯৫৭ সালে অস্ট্রিয়ার লিন্‌ৎসে অবস্থিত "কলেজ ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সাইন্সেস"-এর নাম পরিবর্তন করে এটি রাখা হয়। কারণ কেপলার লিন্‌ৎসে অবস্থানকালেই তার ম্যাগণাম ওপাস নামে পরিচিত ''Harmonice Mundi'' রচনা করেছিলেন। কেপলারস্ট্রাসে ফ্রাংকফুর্টের নিকটে হানাউতে অবস্থিত একটি সড়ক কেপলারব্র্যুকে গ্রাৎস, অস্ট্রিয়া কেপলার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র নভোযান রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র কেপলারপ্লাৎস ভিয়েনা উ-বান দ্রুত পরিবহন মেট্রো ব্যবস্থার উ-১ লাইনের জন্য ব্যবহৃত একটি স্টেশন == তথ্যসূত্র পাদটীকা == == বহিঃসংযোগ == কেপলার সম্পর্কিত সকল তথ্যের ওয়েবসাইট, ২০০৯ সালের ২৭শে ডিসেম্বর উন্মুক্ত করা হয়। ''Harmonices mundi'' ("The Harmony of the Worlds") কার্নেগি-মেলন ইউনিভার্সিটিতে সংরক্ষিত সম্পূর্ণ টেক্সট ''De Stella Nova in Pede Serpentarii'' ("On the new star in Ophiuchus's foot"), লিন্ডা হল লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত সম্পূর্ণ টেক্সট (১৯২০-এর বই ''Men of Science'' সিরিজের অংশ) ভিয়েনা ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমিতে সংরক্ষিত বিরল গ্রন্থগুলোর ইলেকট্রনিক সংস্করণ অডিও Cain/Gay (২০১০) Astronomy Cast, ইয়োহানেস কেপলার তার গ্রহীয় গতিসূত্র Christianson, Gale E., Kepler's Somnium: Science Fiction and the Renaissance Scientist Kollerstrom, Nicholas, Kepler's Belief in Astrology ইয়োহানেস কেপলার সম্পর্কিত রেফারেন্স Plant, David, কেপলার এবং "Music of the Spheres" Kepler, Napier, and the Third Law, ম্যাথপেইজেস Calderón Urreiztieta, Carlos. Harmonice Mundi বইটির উপর ভিত্তি করে এনিমেশন Reading the mind of God, কেপলারের জীবনের উপর ভিত্তি করে রচিত নাটক, লেখক প্যাট্রিক গ্যাব্রিজ, ১৯৯৭ Johannes Kepler, জীবনীমূলক নাটক, লেখক রবার্ট ল্যালোন্ড, ২০১০ জন্ম মৃত্যু দার্শনিক ১০০ মনীষী কল্পকাহিনী লেখক গণিতবিদ কেপলার'''ইসলাম শাহ শুরি''' শুর সম্রাজ্যের দ্বিতীয় শাসক। ইসলাম শাহ শুরির আসল নাম ছিল '''জালাল খান''' এবং তিনি শের শাহ শুরির পুত্র ছিলেন। ইসলাম শাহ শুরি সাত বছর (১৫৪৫ ১৫৫৩) শাসন করেছেন। তার বার বছরের পুত্র ফিরোজ শাহ শুরি তার উত্তরসূরী হন, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই শের শাহের ভাতুষ্পুত্র মুহাম্মদ মুবারিজ খান তাকে গুপ্তহত্যা করে। মুহাম্মদ মুবারিজ খান মুহাম্মদ শাহ আদিল নামে শাসন করেছেন। মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:শুর সম্রাজ্য ইতিহাসবাইকনুর উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষিপ্ত সয়ুজ রকেট। '''রকেট''' () একটি বিশেষ ধরনের প্রচলন কৌশল। এটি এমন এক ধরনের যান যেখানে রাসায়নিক শক্তির দহনের মাধ্যমে সৃষ্ট উৎপাদকগুলিকে প্রবল বেগে যানের নির্গমন পথে বের করে দেয়া হয় এবং এর ফলে উৎপন্ন ঘাতবলের কারণে রকেট বিপরীত দিকে প্রবল বেগে অগ্রসর হয়। এক্ষেত্রে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুসৃত হয়। তাই এই সূত্রটিকে রকেট ইঞ্জিনের মূলনীতি হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। রকেট ইঞ্জিন প্রতিক্রিয়া ইঞ্জিনের সাহায্যে কাজ করে। এই ইঞ্জিনের প্রচালক কঠিন, তরল বিভিন্ন রকম হতে পারে। বিশ্বে অনেক ধরনের রকেট উদ্ভাবিত হয়েছে। এটি ছোট্ট বোতল আকৃতি থেকে শুরু করে বৃহৎ আকৃতির মহাকাশযানের মতো হতে পারে। তন্মধ্যে এরিয়েন হচ্ছে অন্যতম বৃহৎ আকৃতির রকেট যা দিয়ে কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণ করা হয়। অসম্ভব মেধাবী জার্মান বিজ্ঞানী বার্নার ফন ব্রাউন সর্বপ্রথম তরল-জ্বালানী ব্যবহার উপযোগী রকেট আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে জার্মানির পক্ষে কাজ করেন; কিন্তু পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। সেখানেই তিনি আমেরিকার মহাকাশ প্রকল্পে কাজ করেন চাঁদে নভোচারী প্রেরণে সহায়তা করেন। তাকে ''রকেট বিজ্ঞানের জনক'' নামে অভিহিত করা হয়। বর্তমান আরো অনেক আধুনিক রকেট আবিষ্কার করা হইছে মানুষের কল্যাণের জন্য ,যেমন ফ্যালকন নাইন == যন্ত্রাংশ == রকেট ইঞ্জিনে যে জিনিসগুলো থাকে তার মধ্যে রয়েছে: পেলোড, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, মহাশূন্যচারী, নিয়ন্ত্রণ দিক নির্ধারণ ব্যবস্থা। এছাড়াও, পেলোড-২, ফার্স্ট স্টেজ, সেকেন্ড স্টেজ, বুস্টার, নজেল, প্রধান ইঞ্জিন অন্যতম। == রকেট ইঞ্জিন == রকেট ইঞ্জিন গতানুগতিক ব্যবহারসিদ্ধ ইঞ্জিনের মতো নয়। সাধারণ ইঞ্জিন জ্বালানীগুলোকে উত্তপ্ত করে যা পরে কিছু পিস্টনকে ধাক্কা দেয় এবং পরবর্তিতে তা ঢিলে হয়ে যায়। কাজেই কোনো গাড়ি বা চাকাযুক্ত যানের চাকা ঘুরানোর জন্যে ইঞ্জিন পর্যাবৃত্ত শক্তি ব্যবহার করে। বৈদ্যুতিক মোটরগুলোতেও এই পর্যাবৃত্ত শক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু একটি রকেট ইঞ্জিন চলার জন্যে কখনো পর্যাবৃত্ত শক্তি ব্যবহার করেনা। রকেটের ইঞ্জিনগুলো হলো রি-একশন ইঞ্জিন। রকেটের নীতি এরকমঃ যে জ্বালানীটুকু রকেটের মধ্যে থাকে সেটুকু একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং পেছন দিয়ে বেরিয়ে আসে। এই বিক্রিয়ার কারণেই রকেট সামনের দিকে চলতে শুরু করে। এটি স্যার আইজ্যাক নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রের একটি চমৎকার উদাহরণ। রকেটের পিছে ধাক্কা দিয়ে উপরে ওঠার শক্তিকে পাউন্ডের সাহায্যে মাপা হয়। ১পাউন্ড হলোঃ ১পাউন্ডের বস্তুকে মধ্যাকর্ষনের বিরুদ্ধে স্থির রাখতে যতটুকু বল দরকার ততটুকু। রকেটের সামনে যাওয়ার এই ধাক্কা’র জন্যে ধরনের জ্বালানী ব্যবহার করে। কঠিন জ্বালানী অথবা তরল জ্বালানী। রকেট কী ধরনের জ্বালানী ব্যবহার করবে এই নিয়মানুসারে একে দুটি শ্রেণিতে ভাগ হয়েছে। == কঠিন পদার্থের জ্বালানী ব্যবহৃত রকেট == কঠিন জ্বালানী ব্যবহৃত রকেটই ইতিহাসের সর্বপ্রথম রকেট। এই রকেট প্রথম প্রাচীন চীনাদের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত হচ্ছে। যে সব রাসায়নিক পদার্থ রকেটের কঠিন জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয় ঠিক সেরকম কিছু পদার্থ বারুদ তৈরীতেও ব্যবহার করা হয়। যাই হোক, রকেট আর বারুদের রাসায়নিক গঠন পুরোপুরি এক নয়। রকেট তৈরী করার জন্য দরকার পুরোপুরি শুদ্ধ জ্বালানী। কিন্তু বারুদ তৈরীতে তার প্রয়োজন হয় না। কেননা বারুদ বিস্ফোরিত হয় যা রকেটের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা একেবারেই প্রজোয্য নয়। তাই রকেটের জ্বালানী তৈরীতে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে যার জন্য জ্বালনী তাড়াতাড়ি পুড়বে কিন্তু বিস্ফোরিতো হবেনা। কিন্তু এরকম রকেট ইঞ্জিনের একটি বড় সমস্যা আছে। এদেরকে একবার চালু করা হলে আর থামানো যায়না। অর্থাৎ এরা আর নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। তাই, এরকম রকেট মিসাইল ছুড়তে ব্যবহার করা হয় অথবা অনেক সময় মহাকাশজানের সহায়ক হিসেবে পাঠানো হয়। == তরল পদার্থের জ্বালানী ব্যবহৃত রকেট == এই ধরনের রকেট প্রথম Robert Goddard ১৯২৬ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন। এধরনের রকেটের নকশা উপলব্ধি করা মোটামুটি সহজ। জ্বালানী এবং জারক। Goddard প্রথম রকেট তৈরীর সময় পেট্রল এবং তরল অক্সিজেন ব্যবহার করেছিলেন যা Combustion Chamber পাম্প করা হয়। এর ফলে যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তার জন্যে রকেট সামনে চলতে শুরু করে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রসারিত গ্যাস একটি সরু নল দিয়ে প্রচন্ড বেগে বের হয় এবং রকেটও প্রচন্ড বেগে চলতে শুরু করে। == রকেট বডি == রকেটের বডি বা দেহ তেমন কোনো প্রভাবশালী জিনিস নয়। রকেটের দেহের কাজ হলো জ্বালানী ধারণ করা। আবার মাঝে মধ্যে এটি একটি ফাঁপা সিলিন্ডার হিসেবেও কাজ করে। কারণ এটি বায়ুর সঙ্গে যোগাযোগকৃত পৃষ্ঠিয় দেশকে হ্রাস করে। যাই হোক, রকেটের দৈর্ঘ্য বলে দেয় যে রকেটটি কীরকম কাজ করবে। রকেটের দেহ যত বড় হবে সেটি তত বেশি পৃষ্ঠীয়দেশ সৃষ্টি করবে। এর ফলে পৃষ্ঠিয়দেশ বড় হবে যার ফলে এটি সোজা পথে উড়বে। কারণেই, অনেক রকেটে পাখনা ব্যবহার করা হয় পৃষ্ঠীয়দেশ বাড়াবার জন্যে এবং রকেটের পশ্চাদ্ভাগ স্থির রাখার জন্যে। == নোজ কোণ == নোজ কোণ রকেটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। নোজ কোণ দেখলেই বোঝা যায় এটি বায়ুমন্ডল জোর করে ভেদ করার জন্য তৈরী হয়েছে। অনেক বছর ধরে অনেক রকম নোজ কোণের নকশা তৈরী করা হয়েছে। যাই হোক, বেশিরভাগ নোজ কোণই বায়ুগতিবিদ্যা অনুযায়ী বন্দুকের বুলেটের নকল নকশা এর মতো হয়ে থাকে। কোনো রকেট কতো দ্রুত বায়ুমন্ডল ছেদ করবে তা নির্ভর করে নোজ কোণের উপর। রকেটের সুপার সনিক গতির জন্য নোজ কোণ হতে হবে শঙ্কু আকৃতিবিশিষ্ট্য। কেননা এটা খুব সহজে বায়ুমন্ডল ছেদ করতে পারে কোনো বাধা ছাড়াই। কিন্তু সাব-সনিক গতির জন্য দরকার গম্বুজাকৃতির নোজ কোণ। কেননা এটি সামান্য প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে কারণ এর পৃষ্ঠীয়দেশ বেশি বড় নয়। == বহিঃসংযোগ == নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমূহ FAA Office of Commercial Space Transportation National Aeronautics and Space Administration (NASA) National Association of Rocketry (USA) Tripoli Rocketry Association United Kingdom Rocketry Association Canadian Association of Rocketry Indian Space Research Organisation তথ্যমূলক সাইটসমূহ Encyclopedia Astronautica Rocket and Missile Alphabetical Index Gunter's Space Page Complete Rocket and Missile Lists Rocketdyne Technical Articles বিজ্ঞান'''আজাদ জম্মু কাশ্মীর''' অঞ্চলটি কার্যত পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি স্ব-শাসিত অঞ্চল। এই অঞ্চলের পশ্চিমে পাকিস্তানের পাঞ্জাব খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ; উত্তর-পশ্চিমে আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোর; উত্তরে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চল এবং পূর্বে ভারত-অধিকৃত কাশ্মীর অবস্থিত। পূর্বতন দেশীয় রাজ্য কাশ্মীরের এক অংশ উত্তর-কারাকোরাম ভূমিভাগ চীনের হাতে অর্পণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অঞ্চল দুই ভাগে বিভক্ত: উত্তর অঞ্চল '''আজাদ কাশ্মীর'''। এই অঞ্চলের অধিকার নিয়ে ১৯৪৭ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই অঞ্চলটিকে ভারত কাশ্মীর নামে চিহ্নিত করে। ==ভূগোল== আজাদ জম্মু কাশ্মীরের উত্তর অংশ হিমালয়ের নিম্নাঞ্চল নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে রয়েছে জমগড় বিন্দু (৪,৭৩৪ মিটার বা ১৫,৫৩১ ফুট)। যাই হোক, নিলুম উপত্যকার হ্যারি পর্বত বিন্দু হল এই রাজ্যের সর্বোচ্চ বিন্দু। আজাদ কাশ্মীরের বৈশিষ্ট হল এটি উর্বর, সবুজ পর্বতসমৃদ্ধ উপত্যকা, যা এই অঞ্চলকে উপমহাদেশের অন্যতম সুন্দর অঞ্চল করে তুলেছে। এই অঞ্চলে শীত গ্রীষ্ম দুই সময়েই বৃষ্টিপাত হয়। মুজাফফারাবাদ পাট্টান হল পাকিস্তানের সবচেয়ে শীতলতম স্থান। সমগ্র অঞ্চলজুড়ে গড় বৃষ্টিপাত ১,৪০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যায়, যা মুজাফফরবাদের নিকটবর্তী স্থানে সর্বাধিক গড় বৃষ্টিপাত। গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত বরফ গলার কারণে জিলুম লিপা নদীতে মৌসুমী বন্যা দেখা দেয়। ==ইতিহাস== ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজন-এর সময় মহারাজা হরি সিং এর নেতৃত্বাধীন জম্মু কাশ্মীর (পূর্বতন করদ রাজ্য) স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে অবস্থানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে সময় রাজার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক বিদ্রোহকে উস্কানি দিয়ে পাকিস্তান মদতপুষ্ট বাহিনী কাশ্মীরের পশ্চিমাংশের দখল নেয়। অক্টোবর ২৬, ১৯৪৭ রাজা ভারত অন্তর্ভুক্তির চুক্তিপত্র সই করেন এবং ভারতের সামরিক সাহায্যের প্রত্যাশা করেন। অবশেষে ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয়। অবশিষ্ট অংশ পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিতি লাভ করে। ==প্রশাসনিক বিভাজন== এটি ৩টি বিভাগে বিভক্ত। উত্তরে মুজাফ্ফরাবাদ, মধ্যভাগে পুঞ্চ এবং দক্ষিণভাগে মিরপুর, যা দশটি জেলায় বিভক্ত। বিভাগ জেলা আয়তন (কিমি²) জনসংখ্যা (২০১৭-এর আদমশুমারি) সদর দপ্তর '''মিরপুর''' মিরপুর 1,010 456,200 নতুন মিরপুর শহর কোতলি 1,862 774,194 কোতলি ভিম্বার 1,516 420,624 ভিম্বার মুজাফফারাবাদ 1,642 650,370 মুজাফফারাবাদ হাট্টিয়ান 854 230,529 হাট্টিয়ান বালা নীলম উপত্যকা 3,621 191,251 আত্মুকাম '''পুঞ্চ''' পুঞ্চ 855 500,571 রাওয়ালকোট হাভেলি 600 152,124 কাহুতা বাগ 768 371,919 বাগ সুধানতি 569 297,584 পালান্দ্রি '''মোট''' ১০টি জেলা 13,297 4,045,366 মুজাফফারাবাদ == তথ্যসূত্র == ভূগোল কাশ্মীরের ইতিহাস বিতর্কিত অঞ্চল'''বাংলার ইতিহাস''' বলতে অধুনা বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের বরাক উপত্যকার বিগত চার সহস্রাব্দের ইতিহাসকে বোঝায়।গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র নদ এক অর্থে বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের ইতিহাসে বাংলা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রাচীন রোমান গ্রীকদের কাছে এই অঞ্চল গঙ্গারিডাই নামে পরিচিত ছিল। চার সহস্রাব্দ পূর্বে বাংলায় সভ্যতার ক্রমবিকাশ শুরু হয়। প্রাচীন গ্রীক রোমান ভাষায় এই অঞ্চলকে গঙ্গারিডই নামে উল্লেখ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে বাংলা বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাচীন বাংলা কয়েকটি জনপদে বিভক্ত ছিল এবং বেশ কিছু প্রাচীন শহর বৈদিক যুগে পত্তন হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা ভারত মহাসাগরে অবস্থিত বিভিন্ন দ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। পারস্য, আরব এবং ভূমধ্যসাগরিয় অঞ্চলের সাথে বাংলার দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। এই অঞ্চল মৌর্য গুপ্ত সাম্রাজ্য সহ আরো অনেক ভারতীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। বাংলা বিভিন্ন সময়ে আঞ্চলিক শাসকদের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রাচীন দুর্গ শহর গৌড়, বহু বছর ধরে বাংলার রাজধানী ছিল। (৮ম থেকে ১১ শতকে) বৌদ্ধ শাসক পাল আমলে এবং (১১ থেকে ১২ শতকের) হিন্দু শাসক সেন আমলে আমলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড় ছিল। এই সময়ে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত, কলা এবং স্থাপত্যের প্রভূত উন্নতি হয়। ১৩ শতাব্দীর পর এই অঞ্চল মুসলমান সুলতান, বারো ভুঁইয়া এবং হিন্দু রাজন্যবর্গের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। ১৬ শতকের শেষে এবং ১৭ শতকের শুরুতে ঈশা খাঁ নামের একজন মুসলিম রাজপুত বারো ভূঁইয়াদের নেতৃত্ব দেন। দিল্লি সালতানাত এবং শাহী বাংলার সুলতানতে সময়, ইউরোপবাসীরা বাংলাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বাণিজ্য দেশ হিসেবে ধরতো এরপর, বাংলা মুঘলদের অধিকারে চলে আসে। মুঘল আমলে বাংলা ছিল সবচেয়ে সম্পদশালী প্রদেশ। মুঘল আমলে, সুবাহ বাংলা সমগ্র সাম্রাজ্যের শতকরা ৫০ ভাগ জিডিপি এর যোগান দিত।, বাংলা সমুদ্রগামী জাহাজ বস্ত্র শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল।মুঘল সাম্রাজ্য আমলে বিশ্বের মোট উৎপাদনের (জিডিপির) ১২ শতাংশ উৎপন্ন হত সুবাহ বাংলায়, যা সে সময় সমগ্র ইউরোপের চেয়ে জিডিপির চেয়ে বেশি ছিল। ক্রমে মুঘল শাসন দূর্বল হয়ে পড়লে, মারাঠা আক্রোমণের পর বাংলায় প্রায়-স্বাধীন নবাবদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর বাংলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে চেলে যায়। ১৮ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বৃটিশরা সমগ্র বাংলার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন গ্রহণ করে। ১৭৫৭ সলে পলাশীর যুদ্ধ ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধের পর কোম্পানি বাংলায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে। বাংলায় বৃটিশদের লুঠতরাজ তৎকালিন বৃটেনে শিল্প বিপ্লবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। বাংলা থেকে নিয়ে যাওয়া পুঁজি বৃটেনের বিভিন্ন শিল্পে, বিশেষ করে বস্ত্র শিল্পে বিনিয়োগ করে, বৃটিশরা প্রভূত সম্পদের অধিকারী হয়েছিল। একই সাথে, এই লুঠতরাজের ফলে বাংলায় শিল্পায়ন ব্যহত হয় এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময়ে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। বাংলার পশ্চিম অংশ ভারতের একটি রাজ্যে পরিনত হয়। পূর্ব অংশ যুক্ত হয় পাকিস্তানের সাথে। পরবর্তিতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। ==ব্যুৎপত্তিগত অর্থ== বাংলা শব্দের প্রকৃত অর্থ জানা না গেলেও ধারনা করা হয় যে ১০০০ দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীয় ভাষা থেকে বঙ বা বঙ্গ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। অন্য মতাবলম্বীরা ধারণা করেন যে বাংলা শব্দটি অস্ট্রিক ভাষার ভেঙ্গা শব্দটি থেকে এসেছে যার অর্থ সূর্য-দেবতা। মহাভারত পুরাণ অনুসারে ভাঙ্গা শব্দটি এসেছে হিন্দু দেবতা বালির পুত্রের নাম অনুসারে যিনি ভঙ্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুসারে রাজ্যটি কলিঙ্গ অথবা মগধ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলঅ কিছু সময় পাল রাজ্যের শাসনাধীন ছিল। ''বাঙ্গালা'' শব্দ থেকে বাংলা শব্দের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে কারণ মধ্যযুগে অঞ্চল বুঝানোর জন্য শব্দটি ব্যবহার করা হতো। বাংলার সুলতানদের ''বাঙ্গালার শাহ'' বলে ডাকা হ্তো। মুঘলরা তাদের বাংলা প্রদেশকে বলতে উল্লেখ করতো। কিছু মুসলিম চিন্তাধারা ভিত্তিক সূত্র অনুসারে বঙ্গ শব্দটি এসেছে ”বং” শব্দ থেকে যিনি নুহু নবী পুত্র হিন্দের পুত্র ছিলেন যিনি পরবর্তীতে বাংলায় উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেন == প্রাচীন ইতিহাস == ২০,০০০ বছর পূর্বের প্রস্তর যুগের এবং প্রায় চার হাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে। ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রীষ্টপূর্ব দশম শতকে এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল অঙ্গ বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় ১২০০ মহাভারতে পৌন্ড্র রাজ বাসুদেব এর উল্লেখ পাওয়া যায় এছাড়া চেদি রাজ‍্য আধুনা ভাওয়াল এর কাছে অবস্হিত মগধরাজ জরাসন্ধ মহা পরাক্রমশালী নৃপতি ছিলেন। মহাভারতে পাওয়া যায় চিত্রসেন সমুদ্র সেন ভীমের দিগ্বিজয় আটকে।দিয়েছিল এরা বঙ্গের অতি পরাক্রম শালী নৃপতি ছিলেন খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার বেশিরভাগ এলাকাই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল মগধ ছিল একটি প্রাচীন ইন্দো-আর্য রাজ্য মগধের কথা রামায়ণ এবং মহাভারতে পাওয়া যায় বুদ্ধের সময়ে এটি ছিল ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি মগধের ক্ষমতা বাড়ে বিম্বিসারের (রাজত্বকাল ৫৪৪-৪৯১ এবং তার ছেলে অজাতশত্রুর (রাজত্বকাল ৪৯১-৪৬০ আমলে বিহার এবং বাংলার অধিকাংশ জায়গাই মগধের ভিতরে ছিল ৩২৬ আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সীমানার দিকে অগ্রসর হয় এই সেনাবাহিনী ক্লান্ত ছিল এবং গঙ্গা নদীর কাছাকাছি বাংলার বিশাল বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যায় এই বাহিনী বিয়াসের কাছে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং আরও পূর্বদিকে যেতে অস্বীকার করে আলেকজান্ডার তখন তার সহকারী কইনাস (Coenus) এর সাথে দেখা করার পরে ঠিক করেন ফিরে যাওয়াই ভাল মৌর্য সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এই সাম্রাজ্য অশোকের রাজত্বকালে দক্ষিণ এশিয়া, পারস্য, আফগানিস্তান অবধি বিস্তার লাভ করেছিল পরবর্তীকালে শক্তিশালী গুপ্ত সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে ওঠে যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে এবং পারস্য এবং আফগানিস্তানের কিছু অংশে বিস্তার লাভ করেছিল == মধ্য যুগের প্রথমাবস্থা == === গৌড় রাজ্য === বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। সম্ভবত তিনি গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে একজন সামন্তরাজা ছিলেন হর্ষবর্ধনের ভ্রাতা রাজ‍্যবর্ধন।কে ইনি হত‍্যা করেন। এই জন‍্য হর্ষবর্ধন-এর সঙ্গে তার যুদ্ধ হয় তার শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখে কামরুপ রাজ ভাস্করবর্মন তার শত্রু হর্ষবর্ধন-এর সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন শশাঙ্ক চালুক‍্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর সাহায‍্য পেয়েছিলেন এদের বিরুদ্ধে।শশাঙ্ক পরম শৈব বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন। পাটলীপুত্র কুশীনগরে বহু বৌদ্ধ কীর্ত্তি ধ্বংস করেন। ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে শশাঙ্ক-এর মৃত্যুর পর তার রাজ্যের পতন ঘটে। শশাঙ্ক‌ই প্রথম বাংলার রূপরেখা দিয়েছিলেন। === মাৎস্যন্যায় === ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে গৌড় রাজ শশাঙ্ক-এর মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে একঘোরতর নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়। যা প্রায় দেড়শো বছর স্থায়ী হয় ।এই সময় বাংলাতে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের সৃষ্টি হয়। প্রভৃতি চরমে ওঠে ।বাংলার সাধারণ দরিদ্র মানুষের দুর্দশার শেষ ছিল না স্থায়ী প্রশাসন না থাকাতে বাহুবলই ছিল শেষ কথা। এই সময় প্রভাবশালী লোকেদের সভা প্রকৃত্পুঞ্জ গোপাল নামের এক রাজা ঠিক করেন, তিনি মাৎস্যন্যায় এর পতন করেন। === পাল বংশ === মাৎস্যন্যায়ের সময় বাংলার বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য বাংলার মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে গোপাল নামক এক সামন্তরাজাকে বাংলার রাজা হিসেবে গ্রহণ করেন ।গোপালই হলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ।পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল (রাজত্বকাল ৭৭৫-৮১০ খ্রীষ্টাব্দ) এবং দেবপাল (রাজত্বকাল ৮১০-৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ) পাল বংশের স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ৪০০ বছর।পাল বংশের অন‍্য উল্ল‍্যেখ যোগ‍্য রাজা ছিলেন নারায়ণপাল ৮৬০-৯১৫ মহীপাল ৯৭৮-১০৩০, রামপাল। এই আমলে শিল্প কলায় বাংলা শিখরে উঠে কিন্তু এই সময় বহু ব্রহ্মণ বৌদ্ধ অত‍্যাচারে বাংলা ত‍্যাগ করে উত্তর পশ্চিম ভারতে চলে যায় == মুসলমান শাসন == চিত্র:Share of Global মেডিসনের হিসাব অনুযায়ী অর্থনীতির দিক দিয়ে প্রধান অঞ্চলগুলোর খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিশ্বের জিডিপি এর ক্ষেত্রে অবদান। অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত জিডিপির ক্ষেত্রে ভারত ছিল এক বৃহত্তম অর্থনীতি, যার অর্ধেক মান মুঘল বাংলা থেকে এসেছিলো। অষ্টম শতকের শুরু থেকে উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন টিকে ছিলো ভারতে ইসলামের শাসন শুরু হয় ৭১২ সালে মুহাম্মদ বিন কাসিম দ্বারা সিন্ধু জয়ের মাধ্যমে ৭১২ সালে দামেস্কের খলিফা আল-ওয়ালিদের আশির্বাদপুষ্ট বাগদাদের গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের দ্বারা পারিচালিত হয়ে কাসিম ভারতে ইসলামের বিজয় শাসনের অভিষেক ঘটান ১৫৯০ এর দশকে মুঘল সম্রাট আকবরের অধিনে মুসলিম শাসকগণ শক্তভাবে ভারতবর্ষের প্রায় সম্পূর্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রন লাভ করে সম্রাট আওরঙ্গজেবের অধীনে (১৬৫৮-১৭০৭) ভারতে মুসলিম নিয়ন্ত্রন আরো কিছুটা সম্প্রসারিত হয় ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভাড়াটিয়া বাহিনীর হাতে বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয় ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সূচনা করে ১৭৯৯ সালে সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম শাসক মহীশুরের টিপু সুলতান ইংরেজদের হাতে পরাজিত হলে কার্যত ভারতে স্বাধীন মুসলিম শাসনের সমাপ্তি হয় ভারতে মুসলিম শাসন প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন মুহম্মদ ঘুরী বাংলায় প্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্টা করেন ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি (১২০৪- ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে)। এই সময় মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবন বতুতা বাংলায় ভ্রমণ করেন। এই সময়ের কয়েকটি উল্ল‍্যেখযোগ‍্য সুলতান সিকান্দর বিন ইলিয়াস, নাসির আল দিন মাহমুদ, হুসেন শাহ প্রভৃতি এই সময়ে একমাত্র হিন্দু নৃপতি ছিলেন দনুজমদ্দন গণেশ) এই যুগের সর্বাপেক্ষ উল্ল‍্যেখ যোগ‍্য ব‍্যাক্তি হলেন চৈতন‍্য দেব ইনি হুসেন শাহের সমসাময়িক এই সময়ে শিল্প সাহিত‍্যে অন্ধকার নেমে আসে ১৫৭৬ মুঘোলরা বাংলা দখল করলে সুলতানি যুগের সমাপ্তি হয়। == ওলন্দাজ কলোনি == == ব্রিটিশ শাসন == ব্রিটিশ শাসনের সময়ে দুটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষ বা মন্বন্তর বহুমানুষের জীবনহানি ঘটিয়েছিল প্রথম দুর্ভিক্ষটি ঘটেছিল ১৭৭০ খ্রীষ্টাব্দে এবং দ্বিতীয়টি ঘটেছিল ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দে ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির রাজত্বকালে বাংলার দুর্ভিক্ষটি ছিল ইতিহাসের সব থেকে বড় দুর্ভিক্ষগুলির মধ্যে একটি বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল ১৭৭০ এবং তার পরবর্তী বছরগুলিতে ১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শাসনের অবসান ঘটায় এবং বাংলা সরাসরি ভাবে ব্রিটিশ রাজবংশের শাসনাধীনে আসে বাংলা ছিল খুব ভালো ধান উৎপাদক অঞ্চল এবং এখানে সূক্ষ সুতিবস্ত্র মসলিন তৈরি হত এছাড়া এই অঞ্চল ছিল পৃথিবীর পাট চাহিদার মুখ্য যোগানকারী ১৮৫০ সাল থেকেই বাংলায় ভারতের প্রধান শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠতে থাকে এই শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছিল মূলত কলকাতার আশেপাশে এবং সদ্য গড়ে ওঠা শহরতলি এলাকায় কিন্তু বাংলার বেশিরভাগ মানুষ তখনও কৃষির উপরেই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন ভারতের রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে বাংলার মানুষেরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করলেও বিশেষ করে(?) পূর্ব বাংলায় তখনও খুব অনুন্নত জেলা ছিল ১৮৭৭ খ্রীষ্টাব্দে রাণী ভিক্টোরিয়া যখন ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধিতে নিজেকে ভূষিত করলেন তখন ব্রিটিশরা কলকাতাকে ব্রিটিশ রাজের রাজধানী বলে ঘোষণা করে। == বঙ্গভঙ্গ == ১৯৪৭ সালের আগষ্ট মাসে ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে গণপ্রজাতন্ত্র ভারত এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করে। তখন বাংলাকে ভাগ করে পশ্চিম বাংলাকে ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত করা হয়। সর্বপ্রথম ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার পূর্ববঙ্গ আসামকে নিয়ে আলাদা রাজ্য গঠনের মধ্য দিয়ে বঙ্গভঙ্গের সূচনা করে, যা পরবর্তীতে ১৯১১ সালে প্রবল আন্দোলনে বাতিল করা হয়। == বাংলার স্বাধীন বৌদ্ধ হিন্দু নৃপতি == === পাল বংশ === প্রথম গোপাল (৭৫৬-৭৮১) ধর্মপাল (৭৮১-৮২১) দেবপাল (৮২১-৮৬১) প্রথম বিগ্রহপাল, মহেন্দ্রপাল প্রথম শূরপাল (৮৬১-৮৬৬) নারায়নপাল (৮৬৬-৯২০) রাজ্যপাল (৯২০-৯৫২) দ্বিতীয় গোপাল (৯৫২-৯৬৯) দ্বিতীয় বিগ্রহপাল (৯৬৯-৯৯৫) প্রথম মহীপাল (৯৯৫-১০৪৩) নয়াপাল (১০৪৩-১০৫৮) তৃতীয় বিগ্রহপাল (১০৫৮-১০৭৫) দ্বিতীয় মহীপাল (১০৭৫-১০৮০) দ্বিতীয় শূরপাল (১০৭৫-১০৭৭) রামপাল (১০৮২-১১২৪) কুমারপাল (১১২৪-১১২৯) তৃতীয় গোপাল (১১২৯-১১৪৩) মদনপাল (১১৪৩-১১৬২) === সেন বংশ === হেমন্ত সেন (১০৯৭) *বিজয় সেন (১০৯৭-১১৬০) বল্লাল সেন (১১৬০-১১৭৮) লক্ষ্মন সেন (১১৭৮-১২০৬) বিশ্বরূপ সেন (১২০৬-১২২০) কেশব সেন (১২২০-১২৫০) == বাংলার স্বাধীন সুলতান == === ইলিয়াস শাহী বংশ (প্রথম পর্ব) === শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ (১৩৪২-১৩৫৮) (১৩৪২ থেকে পশ্চিম বাংলার লখনৌতি রাজ্যের সুলতান এবং ১৩৫২ থেকে পুরো বাংলায়) প্রথম সিকান্দর শাহ (১৩৫৮-১৩৯০) *গিয়াসুদ্দীন আজম শাহ (১৩৯০-১৪১১) সাইফুদ্দীন হামজা শাহ (১৪১১-১৪১৩) মুহাম্মদ শাহ (১৪১৩) === বায়াজিদ বংশ === শিহাবুদ্দিন বায়াজিদ শাহ (১৪১৩-১৪১৪) প্রথম আলাউদ্দীন ফিরোজ শাহ (১৪১৪-১৪১৫) === গণেশ বংশ === রাজা গণেশ (১৪১৪-১৪১৫ এবং ১৪১৬-১৪১৮) জালালুদ্দীন মুহাম্মদ শাহ (১৪১৫-১৪১৬ এবং ১৪১৮-১৪৩৩) *শামসুদ্দীন আহমদ শাহ (১৪৩৩-১৪৩৫) === ইলিয়াস শাহী বংশ (দ্বিতীয় পর্ব) === প্রথম নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-১৪৫৯) রুকনুদ্দীন বারবক শাহ (১৪৫৯-১৪৭৪) শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ (১৪৭৪-১৪৮১) দ্বিতীয় সিকান্দর শাহ (১৪৮১) *জালালুদ্দীন ফতেহ শাহ (১৪৮১-১৪৮৭) === হাবসি বংশ === বারবক শাহ (১৪৮৭) সাইফুদ্দীন ফিরোজ শাহ (১৪৮৭-১৪৯০) দ্বিতীয় নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহ (১৪৯০) শামসুদ্দীন মুজাফ্ফর শাহ (১৪৯০-১৪৯৩) === হুসেন বংশ === *আলাউদ্দিন হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯) *নাসিরুদ্দীন নুসরত শাহ (১৫১৯-১৫৩২) দ্বিতীয় আলাউদ্দীন ফিরোজ শাহ (১৫৩২-১৫৩৩) *গিয়াসুদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৫৩৩-১৫৩৮) == উত্তর ভারতবর্ষের শূর সম্রাটদের অধীনে বাংলা == === শূর বংশ === *শের শাহ শূরি (১৫৪০-১৫৪৫) *ইসলাম শাহ শূরি (১৫৪৫-১৫৫৩) *ফিরোজ শাহ শূরি (১৫৫৩) *আদিল শাহ শূরি (১৫৫৩-১৫৫৭)- তার শাসনকালে ১৫৫৫ সালে বাংলার শাসক মুহাম্মদ খান শূরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং 'শামসুদ্দীন মুহাম্মদ শাহ' উপাধী ধারণ করে বাংলার সিংহাসনে বসেন। == বাংলার স্বাধীন সুলতান == === শূর বংশ === শামসুদ্দীন মুহাম্মদ শাহ (১৫৫৫) প্রথম গিয়াসুদ্দীন বাহাদুর শাহ (১৫৫৫-১৫৬০) গিয়াসুদ্দীন জালাল শাহ (১৫৬০-১৫৬২) দ্বিতীয় গিয়াসুদ্দীন বাহাদুর শাহ (১৫৬২-১৫৬৩) === কররানি বংশ === *তাজ খান কররানি (১৫৬৩) *সুলায়মান কররানি (১৫৬৩-১৫৭২) *বায়াজিদ কররানি (১৫৭২-১৫৭৩) *দাউদ খান কররানি (১৫৭৩-১৫৭৬) == মুঘল আমল (১৫২৬-১৮৫৭)== জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর মুঘল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। মুঘল শাসনের সময় বঙ্গ মুঘলদের মুসলিম সংখ্যা ঘরিষ্ঠ প্রদেশ ছিল। এপ্রদেশ কাপড় উৎপাদন জাহাজ নির্মান শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। রাজধানী ঢাকার লক্ষ জনগণের মধ্য ৮০০০০ ছিলে কাপড় বুননের দক্ষ কারিগর এবং সিল্ক, সুতা বস্ত্র, ইস্পাত, লবণ উৎপাদন রপ্তানিকারী বাংলার কৃষকরা ১৬০০ থেকে ১৬৫০ সালের মধ্য রেশম চাষ শেখে। মুঘল আমলে বাংলা ছিল মসলিন, সিল্ক এবং মুক্তা বাণিজ্যের কেন্দ্র বিন্দু। ঢাকার সিল্ক মধ্য এশিয়ায় 'ঢাকা' নামে পরিচিত ছিল। == মুঘল বাংলার শাসক == === মুঘল বাংলার সুবাহদার === শায়েস্তা খাঁ মুনিম খান === বাংলার নবাব === *মুর্শিদকুলি জাফর খান ১৭০৩-১৭২৭ *সুজা উদ্দিন ১৭২৭-১৭৩৯ *সফররাজ খান ১৭৩৯-১৭৪০ আলিবর্দী খান ১৭৪০-১৭৫৬ সিরাজদ্দৌলা ১৭৫৬-১৭৫৭ == ব্রিটিশ বাংলার নবাব == মীরজাফর ১৭৫৭-১৭৬০ *মীর কাসিম ১৭৬০-১৭৬৩ মীরজাফর (দ্বিতীয় বার) ১৭৬৩-১৭৬৫ *নাজিম উদ দৌলা ১৭৬৫-১৭৬৬ সইফ উদ দৌলা ১৭৬৬-১৭৭০ == বাংলার নবজাগরণ == অবিভক্ত ভারতের বাংলা অঞ্চলে, ১৯ শতক জুড়ে এবং ২০ শতকের প্রথমার্ধে সমাজ সংস্কার আন্দোলনই বাংলার নবজাগরণ নামে পরিচিত। রাজা রামমোহন রায়ের হাত ধরে ১৯ শতকে নবজাগরণের সূচনা। ২০ এর শতকের মধ্যমাংশে রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে অবসান ঘটে নবজাগরণের। অসংখ্য সাহিত্যিক বিজ্ঞানী, সাংবাদিক দেশপ্রেমিকের হাত ধরে বাংলার নবজাগরণ বাংলাকে উত্তরণ করে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে। == তথ্যসূত্র == ইতিহাস'''নিখিল ভারত মুসলিম লীগ''' (), ১৯০৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক দল যা বৃটিশ ভারত এবং ভারত উপমহাদেশে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান তৈরির পেছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ভারত এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর লীগ সংখ্যালঘু বা ছোট দল হিসেবে ভারতে বিশেষ করে কেরালায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়, এবং বিভিন্ন সময় অন্যান্য দলের সাথে ঐক্যজোটে সরকার গঠন করে। পাকিস্তানে লীগ দেশের প্রথম সরকার গঠন করে, কিন্তু ১৯৫০ সালে সামরিক শাসনের কারণে দলতে ভাঙন দেখা দেয়। মুসলিম লীগের কিছু অংশ ১৯৪৭ থেকে পাকিস্তানের বেশির ভাগ জনগন শাসিত সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৬ সালে দলটি পুনরায় জীবিত হয় এবং ১৯৭৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ১৪টি আসনে জয় লাভ করে। তখন থেকেই দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে পরিণত হয়। ভারতবর্ষে মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণে এই দলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই দলের বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লিয়াকত আলি খান, খাজা নাজিমুদ্দিন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুক হক অন্যতম। == ইতিহাস == ১৮৭৭ সালে আমীর আলীর উদ্যোগে ‘সেন্ট্রাল মোহামেডান এ্যাসোসিয়েশন’ গঠনের সাথে স্যার সৈয়দ আহমদ দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি মুসলমানদেরকে রাজনীতি থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস আত্মপ্রকাশ করার পর হিন্দি এবং উর্দুর বিরোধ সৃষ্টি হলে মুসলমানদের স্বার্থের ব্যাপারে সৈয়দ আহমদ সচেতন হয়ে উঠেন এবং ১৮৮৯ সালে রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডিফেন্স এ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করেন (১৮৮৯)। ১৮৯৩ সালে উত্তর ভারতে মোহমেডান ‘এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ডিফেন্স অরগানাইজেশন অব আপার ইনডিয়া’ গঠিত হয়। ১৯০৩ সালে সাহরানপুরে মুসলিম রাজনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়। ১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে পাঞ্জাবে ‘মুসলিম লীগ’ নামে একটি রাজনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়। এদিকে বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় সমগ্র ভারত জুড়ে হিন্দু জনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ এবং মুসলিম বিদ্বেষের ঝড় বয়ে যাওয়ায় স্যার সলিমুল্লাহকে দারুণভাবে ভাবিয়ে তোলে। তিনি সর্বভারতীয় পর্যায়ে মুসলিম ঐক্যের কথা ভাবতে শুরু করেন। ১৯০৬ সালের নভেম্বরে সলিমুল্লাহ সমগ্র ভারতের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের নিকট পত্রালাপে নিজের অভিপ্রায় তুলে ধরলেন এবং সর্বভারতীয় মুসলিম সংঘের প্রস্তাব রাখলেন। ১৯০৬ সালের ২৮-৩০শে ডিসেম্বর সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন আহুত হল। ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সমগ্র ভারতের প্রায় হাজার প্রতিনিধি যোগ দিলেন। নবাব সলিমুল্লাহ ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম কনফেডারেন্সী’ অর্থাৎ সর্বভারতীয় মুসলিম সংঘ গঠনের প্রস্তাব দেন; হাকিম আজমল খান, জাফর আলী এবং আরো কিছু প্রতিনিধি প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেন। কিছু প্রতিনিধির আপত্তির প্রেক্ষিতে কনফেডারেন্সী শব্দটি পরিত্যাগ করে লীগ শব্দটিকে গ্রহণ করা হয়। অবশেষে সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ঢাকায় এই ঐতিহাসিক সম্মেলনে বঙ্গভঙ্গ সমর্থন এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের নিন্দা করা হয়। সংগঠনের ব্যাপারে শুরু থেকেই হিন্দু জনগোষ্ঠী বিরূপ অবস্থান নেয়। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত দি বেঙ্গলীপত্রিকা নবগঠিত মুসলিম লীগকে সলিমুল্লাহ লীগ হিসেবে অভিহিত করে। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== Government of Pakistan website The Constitution of the Islamic Republic of Pakistan Chronicles Of Pakistan Jinnah at Meeting of the Muslim League 16-second QuickTime film clip Colloquium on the One Hundred Years of Muslim League at the University of Chicago, Nov 2006 রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস লীগ'''অধ্যাপক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন''' (জন্ম: জানুয়ারি ১৪, ১৯২০ মৃত্যু: জানুয়ারি ১২, ১৯৯৫) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যে পণ্ডিত এবং লেখক। বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। == জন্ম শিক্ষাজীবন == রাজশাহী সাবেক উপাচার্য সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন বাংলাদেশের মাগুরা জেলার আলোকদিয়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২০ খ্রীস্টাব্দের ১৪ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। নিজস্ব মেধার কারণেই সেই সময়কালের পশ্চাৎপদ মুসলমান সমাজের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবেই সব পর্যায়ের লেখাপড়া কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। যখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ. ক্লাসের ছাত্র তখনই ঢাকায় গঠিত পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদ গঠিত হয় এবং তিনি এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪২ খ্রীস্টাব্দে ইংরেজিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এম.এ. ডিগ্রী করেন। == কর্মজীবন == কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়ে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন। সময় তিনি কলকাতার ইংরেজি কমরেড পত্রিকায় সম্পাদকীয় লিখতেন। "কমরেড" ছিল মুসলিম লীগ পাকিস্তান আন্দোলনের ইংরেজি ভাষার মুখপত্র স্বরূপ। সময় পূর্ব পাকিস্তান রেনেসাঁ সোসাইটি গঠিত হয় এবং সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনকে চেয়্যারম্যান নির্বাচন করা হয়। ১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি সিলেটের এম,সি, কলেজে বদলী হন এবং এরপর ঢাকা ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৫২ খ্রীস্টাব্দে ইংল্যান্ডের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র দু’বছরের গবেষণা কাজ শেষ করে বাঙ্গালী মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রী কৃতিত্বের সাথে লাভ করেন। ঢাকা তিনি বিশ বছর ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক পদ থেকে অধ্যাপক বিভাগীয় প্রধান পর্যন্ত সকল পদে দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৬৯ খ্রীস্টাব্দে রাজশাহী উপাচার্য পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৭১-এর জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বদলি হন। == বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা == একাত্তরের মার্চ মাসে ঢাকা তৎকালীন উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে যোগদানের জন্য জেনেভা যান। সেখানে জেনিভার একটি পত্রিকায় দু’জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু সংবাদ দেখে বিচলিত হয়ে ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক শিক্ষা সচিবকে পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে প্রেরিত এক পত্রে লেখেন, “আমার নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর পর আমার ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম”। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল উপাচার্য বিহীন। পাকিস্তান সরকার রাজশাহী তৎকালীন উপাচার্য ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনকে তাদের কনভয়ে করে ঢাকায় নিয়ে এসে ১৯ জুলাই ঢাকা উপাচার্যের পদে বসায়। তাকে সহায়তা করেন ড. হাসান জামান, ড. মেহের আলি। স্বাধীনতার পর তিনজনই গ্রেফতার হন। এরপর সামাজিক পরিস্থিতি প্রতিকূলতা সহ্য করতে না পেরে তিনি দেশ ত্যাগ করেন সৌদী আরবে শিক্ষকতা শুরু করেন। মক্কার উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজির অধ্যাপকের চাকুরী করতেন। ১৯৮৫ খ্রীস্টাব্দে তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য মক্কা থেকে পূর্ণ অবসর নিয়ে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৯৫ খ্রীস্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি তিনি অকস্মাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৭৫বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। == কাজ == ''ডেসক্রিপটিভ ক্যাটালগ অব বেঙ্গল মুসলিমস'' (১৯৬০) ''ইস্ট পাকিস্তান: অ্যা প্রোফাইল'' (১৯৬২) ''নিক্সড গ্রিল: অ্যা কালেকশন অফ এসেইস অন রিলিজিয়ন অ্যান্ড কালেকশন'' (১৯৬৩) ''কিপলিং অ্যান্ড ইন্ডিয়া: অ্যা ইনকুয়েরি, ইনটু দ্য ন্যাচার অ্যান্ড এক্সটেন্ড অফ কিপলিংস নলেজ অফ দ্য ইন্ডিয়ান (১৯৬৫) ''হোমেজ টু শেক্সপিয়ার'' (১৯৬৫) ''সিভিলাইজেশ্যন অ্যান্ড সোসাইটি'' (১৯৯৪) ''দ্য ওয়াস্টস অফ টাইম: রিফলেকশনস অন দ্য ডিকলেইন অ্যান্ড ফল অফ ইস্ট পাকিস্তান'' (১৯৯৬) ''অ্যা ইউং মুসলিম'স গাইড টু রিলিজিয়নস ইন দ্য ওয়ার্ল্ড'' (১৯৯২) (১৯৭০) ''একাত্তরের স্মৃতি''(১৯৯৩) ''আরবি সাহিত্যের ইতিবৃত্ত'' == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু প্রাক্তন শিক্ষক উপাচার্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী জেলার ব্যক্তি'''চিকামারা''' শব্দটি কথ্যভাষায় দেয়াল লিখন বুঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তীকালে আইনগত নিষেধাজ্ঞার কারণে রাতের আঁধারে দেয়াল লিখন করা হতো। এসব লেখায় মূলত সরকার বিরোধী রাজনৈতিক মন্তব্য তুলে ধরা হত। লেখার জন্য ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হতো মাথা থেঁতলে নেয়া জিগা গাছের ডাল এবং কালি হিসেবে ব্যবহৃত হতো আলকাতরা। কথিত আছে যে, হঠাৎ পুলিশের নজরে পড়ে গেলে দেয়াল লেখকরা দেয়াল লেখা বন্ধ করে দিয়ে ডাল দিয়ে এলোপাথারি ঝোপে বাড়ি দেয়া শুরু করতেন এই বলে, যে বাড়িতে চিকার উপদ্রব বেড়ে যাওয়াতে তারা চিকা মারার জন্য লাঠি নিয়ে বাইরে এসেছেন। চিকামারা নামটির উৎপত্তি সম্ভবত সেখান থেকেই। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য, নির্বাচনী প্রচার, ধর্মীয় বাণী, মিছিলের শ্লোগান থেকে শুরু করে কবিতা অথবা ব্যক্তিগত কষ্টের কথা তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন দেয়াল লেখনে। "এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার", "এই মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার" ইত্যাদি রাজনৈতিক বক্তব্য, "অমুক ভাইকে ভোট দিন", "অমুক ভাইয়ের সালাম নিন, তমুক মার্কায় ভোট দিন" "অমুক মার্কায় দিলে ভোট, শান্তি পাবে দেশের লোক" জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী বক্তব্য থেকে শুরু করে "কষ্টে আছি আইজুদ্দিন" এর মত অনেক দেয়াল লেখন খুব সহজেই চোখে পড়বে। ঢাকায় এরকম দেয়াল খুঁজে পাওয়া দায়, যেখানে কখনো এরকম কিছু লেখা হয় নি।নিউট্রন তারার অভ্যন্তরীন ঘটনের একটি নকশা। '''নিউট্রন তারা''' একটি সুবৃহৎ তারার অবশিষ্টাংশ যা অতিনবতারার ধ্বংসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। নিউট্রনসমূহের মধ্যে পাউলির বর্জন নীতি অনুযায়ী কার্যকর বিকর্ষণ বলের মাধ্যমে সুস্থিতি অর্জনকারী এই তারা সাধারণত শীতল হয়। তারার বিবর্তনের অনেকগুলো সম্ভাব্য পরিণতির মধ্যে একটি হল এই নিউট্রন তারা। একটি সাধারণ নিউট্রন তারার ভর সাধারণত সূর্যের ভরের ১.৩৫ থেকে ২.১ গুণ হয়ে থাকে। এর ব্যাসার্ধ্য ২০ থেকে ১০ কিলোমিটারের মত হয় যা সূর্যের ব্যাসার্ধ্যের তুলনায় ৩০,০০০ থেকে ৭০,০০০ গুণ কম। কারণে এদের ঘনত্ব খুবই বেশী। এর ঘনত্ব প্রায় ৮×১০১৩ থেকে ২×১০১৫ গ্রাম প্রতি ঘনসেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ঘনত্বের এই মান পরমাণুর কেন্দ্রীনের প্রায় সমান। আমরা জানি চন্দ্রশেখর সীমার মান হচ্ছে সূর্যের ভরের ১.৩৮ গুণ। যেসব তারার ভর এই মানের চেয়ে কম তারা শ্বেত বামন-এ পরিণত হয়; আর তারার ভর সূর্যের ভরের থেকে গুণের মধ্যে সীমা) হলে তার জীবনের শেষ পর্যায়ে সৃষ্টি হবে কোয়ার্ক তারা। অবশ্য শেষের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করে বলা যায় নি। আর কারও ভর যদি সূর্যের ভরের গুণ বা তারও বেশি হয় তাহলে মহাকর্ষীয় ধ্বসের মাধ্যমে তা কৃষ্ণ বিবরে পরিণত হবে। জীবনচক্র তারা প্রকারভেদ'''সালবাদোর ইসাবেলিনো আইয়েন্দে গোস্‌সেন্স''' (স্পেনীয় ভাষায়: Salvador Guillermo Allende Gossens) (বালপারাইসো, ২৬শে জুলাই, ১৯০৮ সান্তিয়াগো, ১১ই সেপ্টেম্বর, ১৯১৩) ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চিলির রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি চিলির প্রথম সমাজতন্ত্রবাদী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। চিলির এক উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম হয়। তিনি ১৯৩২ সালে চিলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাস করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অবস্থায় তিনি মার্ক্‌সবাদী ছাত্র রাজনীতি করতেন। ১৯৩৩ সালে অন্যদের সাথে তিনি চিলির সমাজতান্ত্রিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৪৩ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত দলটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৩৭ সালে তিনি চেম্বার অফ ডেপুটিজ-এ নির্বাচিত হন। পেদ্রো আগির্‌রে সের্দার উদারনৈতিক বামপন্থী কোয়ালিশন ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি ১৯৩৯ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত চিলির ছিলেন। ১৯৪৫ সালে সিনেট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন। ভবিষ্যতে তিনি আরও তিনবার সিনেটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২, ১৯৫৮ এবং ১৯৬৪ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়ালেও প্রতিবারই ব্যর্থ হন। ১৯৫২ সালে কট্টর সাম্যবাদীদের সাথে সম্পর্ক রাখার ফলে বামপন্থী ভোট হারান। ১৯৫৮ সালে বামপন্থী ভোট পেলেও খুব অল্প ব্যবধানে হোর্হে আলেস্‌সান্দ্রির কাছে পরাজিত হন। ১৯৬৪ সালেও একই সমর্থন নিয়ে খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এদুয়ার্দো ফ্রেই মোন্তাল্‌বার কাছে পরাজিত হন। ১৯৭০ সালে তিনি সমাজতন্ত্রী, সাম্যবাদী দলছুট খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটদের এক কোয়ালিশনের নেতা হিসেবে ত্রিমুখী খুব অল্প ব্যবধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনিই ছিলেন লাতিন আমেরিকার প্রথম মার্ক্‌সবাদী রাষ্ট্রপতি। তবে তিনি খুব স্বল্প ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন বলে রক্ষণশীল কংগ্রেসের কাছ থেকে তার সমাজতন্ত্রমুখী সংস্কার কাজগুলির বাস্তবায়নে বাধা পান। তিনি চিলির সমস্ত তামার খনি এবং বিদেশীদের (বিশেষ করে মার্কিন) মালিকানাধীন অনেক ব্যবসা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই বাজেয়াপ্ত করেন এগুলির জাতীয়করণ করেন। এর ফলে চিলির প্রতি বিদেশী সরকারগুলি (বিশেষত মার্কিন সরকার) রুষ্ট হয় এবং আস্থাহীনতার কারণে চিলিতে মার্কিন পশ্চিম ইউরোপের বৈদেশিক বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। আইয়েন্দে কিউবা চীনের সাথে বৈদেশিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দেশের জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার জন্য তিনি দ্রব্যমূল্যের দাম স্থির করে দেন এবং ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে দেন, তবে এর ফলে বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে ভোগের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং কালোবাজারির পরিমাণও বেড়ে যায়। ভূমিহীনদের সুবিধার জন্য ভূমি-সংস্কার করতে গিয়ে হাসিয়েন্দা সমবায় ভূমিগুলি ভেঙে দিয়ে সরকারীকরণ করেন এবং এর ফলে চিলির গ্রামাঞ্চলেও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। দরিদ্রদের সাহায্য করতে গিয়ে আয়েন্দে চিলির উচ্চবিত্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কুনজরে পড়েন। তবে বহু দরিদ্র শ্রমিক কৃষক তার পদক্ষেপগুলিকে স্বাগত জানায়। ১৯৭৩ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে আইয়েন্দের দলকে ৪৪% ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তারা এই আস্থার প্রতিফলন ঘটায়। কিন্তু বছরই আইয়েন্দের শাসনের হঠাৎ করুণ পরিসমাপ্তি ঘটে। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে চিলির সামরিক জেনারেল আউগুস্তো পিনোশে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র সহায়তায় আয়েন্দেকে রাষ্ট্রপতির রাজপ্রাসাদে অন্তরীণ করলে আইয়েন্দে আত্মহত্যা করেন। তবে আইয়েন্দের অনেক সমর্থক মনে করেন তাকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রায় দুই দশক পরে ১৯৯০ সালে আইয়েন্দের মৃতদেহ একটি নামচিহ্নহীন কবর থেকে উত্তোলন করা হয় এবং সান্তিয়াগোতে তার যথাযথ সম্পন্ন করা হয়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ নেতা'''পিটার জ্যাকসন''' (জন্ম: ৩১শে অক্টোবর, ১৯৬১) নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। জে আর আর টোকিয়েন রচিত বিখ্যাত রূপকথার উপন্যাস দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস অবলম্বনে তিনি একাধারে তিনটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস চলচ্চিত্র ত্রয়ী নামে পরিচিত এই ছবিগুলোর মধ্যে শেষটির কারণে তিনি একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। == চলচ্চিত্রসমূহ == '''পরিচালক''' বছর নাম অস্কার মনোনয়ন অস্কার বিজয় বিএএফটিএ মনোনয়ন বিএএফটিএ বিজয় গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন গোল্ডেন গ্লোব বিজয় ১৯৭৬ ''দ্য ভ্যালি'' (সংক্ষিপ্ত) ১৯৮৭ ''ব্যাড টেস্ট'' ১৯৮৯ ''মিট দ্য ফিব্‌ল্‌স'' ১৯৯২ ''ব্রেইনডেড'' (উত্তর আমেরিকায় মুক্তি ''ডেড এলাইভ'') ১৯৯৪ ''হেভেনলি ক্রিয়েচার্‌স'' ১৯৯৫ ''ফরগটেন সিলভার'' ১৯৯৬ ''দ্য ফ্রাইটেনার্‌স'' ২০০১ ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ১৩ ১২ ২০০২ ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৩ ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ১১ ১১ ১২ ২০০৫ ''কিং কং'' ২০০৮ ''ক্রসিং দ্য লাইন'' (সংক্ষিপ্ত) ২০০৯ ''দ্য লাভলি বোন্‌স'' ২০১২ ''দ্য হবিট: এন আনএক্সপেক্টটেড জারনি'' ২০১৩ ''দ্য হবিট: দেয়ার অ্যান্ড ব্যাক আগেন'' == পুরস্কার এবং মনোনয়ন == বছর পুরস্কার শ্রেণী নাম ফলাফল ১৯৯৫ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য ''হেভেনলি ক্রিয়েচার্‌স'' ২০০২ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ ছবি ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০২ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০২ একাডেমি পুরস্কার সেরা অভিযোজিত চিত্রনাট্য ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৩ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ ছবি ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৪ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ ছবি ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৪ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৪ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিযোজিত চিত্রনাট্য ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০১০ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ ছবি ''ডিসট্রিক ৯'' ২০০২ ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০২ ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস David Lean Award for Direction ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' 2002 ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস Best Adapted Screenplay ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৩ ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৩ ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস David Lean Award for Direction ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৪ ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৪ ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস David Lean Award for Direction ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৪ ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস সেরা অভিযোজিত চিত্রনাট্য ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০২ Critics' Choice Award শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৪ Critics' Choice Award শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৬ Critics' Choice Award শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''কিং কং'' ২০০২ Directors Guild of America Award DGA Award Motion Pictures ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৩ ডিরেক্টরী গিল্ড অফ আমেরিকা অ্যাওয়ার্ড DGA Award Motion Pictures ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৪ Directors Guild of America Award DGA Award Motion Pictures ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০২ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৩ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৪ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৬ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''কিং কং'' ১৯৯৩ New Zealand Film and TV Award শ্রেষ্ঠ পরিচালক Film ''Braindead'' ১৯৯৩ New Zealand Film and TV Award Best Screenplay Film ''Braindead'' ১৯৯৫ New Zealand Film and TV Award শ্রেষ্ঠ পরিচালক Film ''হেভেনলি ক্রিয়েচার্‌স'' ২০০২ Producers Guild of America Award PGA Award Motion Pictures ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৩ Producers Guild of America Award PGA Award Motion Pictures ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৪ Producers Guild of America Award PGA Award Motion Pictures ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০১০ Producers Guild of America Award PGA Award Motion Pictures ''ডিসট্রিক ৯'' ১৯৯৭ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য ফ্রাইটেনার্‌স'' ১৯৯৭ স্যাটার্ন পুরস্কার Best Writing ''দ্য ফ্রাইটেনার্‌স'' ২০০২ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০২ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ লেখা ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৩ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৩ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ লেখা ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য টু টাওয়ার্‌স'' ২০০৪ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৪ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ লেখা ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' ২০০৬ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''কিং কং'' ২০০৬ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ লেখা ''কিং কং'' ১৯৯৫ Writers Guild of America Award Best Original Screenplay ''হেভেনলি ক্রিয়েচার্‌স'' ২০০২ Writers Guild of America Award সেরা অভিযোজিত চিত্রনাট্য ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস: দ্য ফেলোশিপ অফ দ্য রিং'' ২০০৪ Writers Guild of America Award সেরা অভিযোজিত চিত্রনাট্য ''দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস:দ্য রিটার্ন অফ দ্য কিং'' == বহিঃসংযোগ == The official Peter Jackson fanclub In-depth interview about ''King Kong'' and future projects Peter Jackson at FEARnet Peter Jackson's trip from splatstick to RAF জন্ম ব্যক্তি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র প্রযোজক চিত্রনাট্যকার'''লুই ইউজিন ফেলিক্স নিল''' (নভেম্বর ২২, ১৯০৪ নভেম্বর ১৭, ২০০০) ছিলেন বিখ্যাত ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ফ্রান্সের লিয়োঁতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানকার লিসে দ্যু পার্কে প্রাথমিক শিক্ষ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি প্যারিসের ইকোল নরমাল সুপেরিওরে যোগ দেন। তিনি ১৯৭০ সালে সুয়েডীয় হানেস উলফ গোস্তা আল্‌ফভেনের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। কঠিন পদার্থের চৌম্বক ধর্ম বিষয়ে গবেষণার জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেছিলেন। কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞানে তিনি যে অবদান রেখেছেন তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ রয়েছে। যেমন: কম্পিউটারের স্মৃতি ইউনিটের উন্নয়ন কার্যে। ১৯৩০ সালে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন নতুন ধরনের একটি চৌম্বক ব্যবহার থাকতে পারে যার নাম যা ফেরিচুম্বকত্বকে বাঁধা দিবে। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার উপরে গেলে এই ধর্মটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাপমাত্রার এই সীমাকে নিল তাপমাত্রা বলা হয়। ১৯৪৭ সালে নিল বলেন, ফেরিচুম্বকত্ব প্রদর্শন করে এমন পদার্থেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে। তিনি কিছু কিছু শিলার দুর্বল প্রকৃতির চুমবকত্বের ব্যাখ্যা দেন যা ভূ-চুম্বকত্বের ইতিহাস অধ্যয়নে উপকারে এসেছে। == বহিঃসংযোগ == Louis Eugène Félix Néel Louis Néel Biography. Nobel Lectures, Physics 1963-1970. Elsevier Publishing Company, Amsterdam. Néel Institute Grenoble, France. জন্ম মৃত্যু বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী নরমাল সুপেরিওরের প্রাক্তন শিক্ষার্থী২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির এক নির্বাচনী সমাবেশ শেষে সভাস্থল ত্যাগ করার পর গাড়ীতে আরোহনের পর মুহূর্তে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির ভুট্টো। আত্মঘাতী হামলাকারী প্রথমে তার ঘাড়ে গুলি করে এবং পরবর্তীকালে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বর্তমানের পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে র‌্যালি শেষে বেনজীর তার এসইউভিতে চড়ে গন্তব্যে যাত্রা করবেন এমন সময় তার গাড়িতে এক বা একাধিক আততায়ী গুলিবর্ষণ করে। যখন অন্য কেউ মনে করছিল বেনজীরকে গুলি করে মারার প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ সফল হয়নি তখন এসইউভি'র আশেপাশে কোথাও থেকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘাড়ে গুলি লাগার কারণে বেনজীরের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, যে আততায়ী গুলি করেছিল সে-ই নিরাপত্তা রক্ষীদের হাত থেকে বাঁচতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। দলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আততায়ী নিজের শরীরে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর পূর্বে বেনজীরের ঘাড়ে বুকে গুলি করেছে। বেনজীর রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকত জাতীয় বাগ থেকে র‌্যালি শেষে ফিরার উদ্যোগ করছিলেন। স্থানীয় সময় ১৮:১৬ (জিএমটি ১৩:১৬)-তে রাওয়ালপিন্ডি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার সময় বেনজীরকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ইতোমধ্যে দলের কর্মীসহ মোট ২২ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য এর দুই মাস আগেও একবার বেনজীর হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল। == মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিবাদ == বেনজীর ভুট্টোর নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, একজন আততায়ী বেনজীর গাড়িতে উঠার পর তার ঘাড়ে এবং কাঁধে গুলি করেছে। এই গুলির ফলেই বেনজীরের মৃত্যু হয়। গুলি করার পর আততায়ী যখন পালানোর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না তখন সে নিজের শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সে সহ আরও অনেকে নিহত হয়। দলের কর্মী এবং বেনজীরের সমর্থকরা এই ঘটনাতেই তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তারা বলছে, সরকার থেকে বেনজীরকে যথেষ্ট নিরাপত্তা না দেয়ার কারণেই এমনটি ঘটতে পেরেছে। না হলে এতো নিকট থেকে আততায়ীর গুলি করাটা বেশ বিস্ময়জনক। কিন্তু পরবর্তীকালে পাকিস্তানের সরকারি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, রঞ্জন রশ্মি পরীক্ষায় বেনজীরের মাথা বা শরীরের অন্য কোথায় গুলির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। শুধু গুলি নয়, তার শরীরে বহিরাগত কোন বস্তুর অস্তিত্বই এক্স-রেতে ধরা পড়েনি। তারা বলেন, বোমা বিস্ফোরিত হবার পর প্রচণ্ড অভিঘাত তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এই অভিঘাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বেনজীর গাড়িতে ঢুকে নিরাপদ স্থানে সরে যাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিঘাতে গাড়ি দুলে উঠে এবং গাড়ির ডানদিকের সানরুফের লিভারটি তার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়। অনেকেই ধারণা করছেন, বেনজীরের নিরাপত্তা যথেষ্ট ছিলনা বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সরকার ধরনের কাহিনী বানিয়েছে। বিশেষত দলীয় কর্মীদের তা-ই মত। == সন্দেহভাজন হামলাকারী == কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ঘটনার পর আল কায়েদার বরাত দিয়ে একটি টিভিতে জানানো হয়, আল কায়েদাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর তারিখে আল কায়েদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়, আল কায়েদা এই হামরা চালায় নি। অর্থাৎ আল কায়েদা এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। == প্রতিক্রিয়া == === আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া === বাংলাদেশ তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ হামলার ব্যাপারে শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় তিনি বলেন, "এটি একটিক্ষমার অযোগ্য অপরাধ যা পৃথিবীবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ তাদের পাকিস্তানী ভাইদের সাথে এই মুহূর্তে বিশেষ শোক দুঃখ প্রকাশ করছে।" ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শোকবার্তা জানিয়েছেন। == আরও দেখুন == পাকিস্তানে সন্ত্রাস বেনজীর ভুট্টো জুলফিকার আলী ভুট্টো লিয়াকত আলি খান == তথ্যসূত্র == সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রাজনীতি'''এমিরেট্‌স এয়ারলাইন''' (সংক্ষেপে: (আরবি: طيران الإمارات) এমিরেট্‌স গ্রুপের বিমান প্রতিষ্ঠান। এর সদরদপ্তর দুবাইতে অবস্থিত। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই অঙ্গরাজ্যের নিজস্ব বিমান সংস্থা। == গ্যালারি == আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর Image:Emirates 777.JPG|বোয়িং ৭৭৭ বিমান বন্দরে এমিরেট্‌স Image:Emirates SkyCargo A310F স্কাইকার্গো A310F Image:Emirates 777 Business ক্লাস কেবিন == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == Official site. Emirates Airline Company Profile Fleet Emirates Chairman Interview The Emirates Group Emirates Skycargo Emirates Booking Engine Case Study প্রতিষ্ঠিত আরব আমিরাতের বিমান পরিবহন সংস্থারাজকুমার রমেন্দ্রনারায়ণ রায় শিকাররত অবস্থায়। '''ভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলা''' বিংশ শতকের প্রথম ভাগের একটি বিখ্যাত মামলা। অবিভক্ত ভারতবর্ষের বাংলা প্রদেশের ভাওয়াল এস্টেটের (বর্তমানে বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় অবস্থিত) কর্তৃত্ব নিয়ে এই মামলার মূল প্রতিপাদ্য ছিলো, মামলার বাদীর পরিচয়। বাদী নিজেকে ভাওয়ালের রাজকুমার রমেন্দ্রনারায়ণ রায় হিসাবে দাবী করেছিলেন, এক দশক আগে যাঁর মৃত্যু ঘটেছিলো বলে সবাই জানতো। ==মৃত্যু দাহ== রমেন্দ্রনারায়ণ রায় ছিলেন ভাওয়াল এস্টেটের জমিদার বংশের রাজকুমার। তিন ভাই মিলে তারা এই জমিদারীর দেখাশোনা করতেন। ভাওয়াল এস্টেটে প্রায় ৫৭৯ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে প্রায় লাখ প্রজা বাস করতো। রমেন্দ্রনারায়ণ ছিলেন তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। অধিকাংশ সময় তিনি শিকারে, আনন্দ-ফুর্তি করে, এবং নারী সংসর্গে কাটাতেন। তার বেশ কয়েকজন রক্ষিতা ছিলো বলেও জানা যায়। ১৯০৫ সাল নাগাদ তিনি যৌন রোগ সিফিলিসে আক্রান্ত হন। ১৯০৯ সালে তিনি চিকিৎসা করার জন্য দার্জিলিং-এ গমন করেন। সেখানেই মে মাসের তারিখে ২৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয় বিলিয়ারি কলিক বা গলব্লাডারে পাথর। দার্জিলিং তার শবদেহ দাহ করা হয়, এবং শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান পালিত হয় মে মাসের ১৮ তারিখে। পরবর্তীকালে প্রশ্ন উঠে, মে মাসের তারিখে আদৌ কী ঘটেছিলো, এবং দাহ করার দিনক্ষণ কার শবদেহ দাহ করা হয়েছে, তা নিয়ে। কোনো কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, সময়ে হঠাৎ শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টি দাহকার্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ফলে শ্মশানে চিতা প্রজ্জ্বলিত করার ঠিক আগমুহুর্তে দাহকার্য্য স্থগিত হয়ে যায়। শেষকৃত্যে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা শিলাবৃষ্টি হতে বাঁচার জন্য যখন অন্যত্র আশ্রয় নেন, তখন মৃতদেহ গায়েব হয়ে যায়। কুমার বিধবা তরুণী স্ত্রী বিভাবতী দেবী তার ভাই সত্যেন ব্যানার্জীর সাথে ঢাকায় চলে যান। পরের দশ বছরে ভাওয়াল এস্টেটের মালিক অন্য দুই ভাইয়ের মৃত্যু ঘটে। ফলে তদানিন্তন ঔপনিবেশিক শাসক ব্রিটিশদের কোর্ট অফ ওয়ার্ড্‌স কুমারদের বিধবা স্ত্রীদের পক্ষে এই জমিদারীর মালিকানা গ্রহণ করে। প্রত্যাবর্তন== শবদেহ গায়েব হয়ে যাওয়ার গুজব আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে। এও শোনা যেতে থাকে যে, জীবিত দেখা গেছে। বাংলার সর্বত্র লোক মারফত অনুসন্ধান চালানো হয়। গুজব রটে যে, কুমার রমেন্দ্রনারায়ণ বেঁচে আছেন, এবং সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেছেন। বোন জ্যোতির্ময়ী এই ব্যাপারে খোঁজ করতে শুরু করেন, এবং বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, কুমার রমেন্দ্রনারায়ণ সন্ন্যাসী হিসাবে বেঁচে আছেন। ১৯২০-২১ সালের দিকে ঢাকার বাকল্যান্ড বাঁধের কাছে সর্বাঙ্গে ছাই মাখা এক সন্ন্যাসীর আগমন ঘটে। তিনি রাস্তায় চার মাস বসে থাকেন। সুস্বাস্থ্যের জন্য তিনি সবার নজর কাড়েন। গুজব রটে যায় যে, প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। সন্ন্যাসী অবশ্য বলতে থাকেন যে, তার পরিবারকে তিনি ত্যাগ করেছেন। কুমার ভাগ্নে বুদ্ধু সন্ন্যাসীকে দেখে আসেন, তবে তিনিই রমেন্দ্রনারায়ণ কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেননি। স্থানীয় ব্যক্তিরা এই সন্ন্যাসীকে হাতিতে করে জয়দেবপুরে পাঠিয়ে দেন ১৯২১ সালের এপ্রিল ১২ তারিখে। পরের কয়েক দিনে আত্মীয়রা বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, এই ব্যক্তিই কুমার তবে সন্ন্যাসী এপ্রিলের ২৫ তারিখে ঢাকায় ফিরে যান। কুমারের আত্মীয়দের আহবানে তিনি আবার এপ্রিলের ৩০ তারিখে জয়দেবপুরে আসেন। তখন তাকে আত্মীয় প্রজা সবাই দেখতে আসে। উপস্থিত জনতার জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সন্ন্যাসী কুমার দুধ-মার কথা মনে করতে পারেন। এই তথ্য পরিবারের বাইরে কারো জানা ছিলোনা বলে সবাই তাকে কুমার বলে বিশ্বাস করে। সন্ন্যাসী দাবি করেন, তিনি দার্জিলিং-এ অসুস্থ হয়ে পড়ার আগের কথা মনে করতে পারেন না। জঙ্গলে নাগা সন্ন্যাসী সাধু ধর্মদাস তাকে বৃষ্টিভেজা অবস্থায় খুঁজে পায়, এবং সেবা করে বাঁচিয়ে তুলে। সেই থেকে নাগা সন্ন্যাসীকে গুরু মেনে তিনি সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে বছর দশেক ঘোরা ফেরা করার পরে তার স্মৃতি ফেরত আসতে শুরু করে। তখন গুরুর আদেশে তিনি ভাওয়ালে ফিরে আসেন। ==মামলা== ===প্রথম মামলা=== ১৯৩০ সালের এপ্রিল ২৪ তারিখে ভাওয়াল সন্ন্যাসীর আইনজীবীরা বিভাবতী দেবী অন্যান্য মালিকদের বিরুদ্ধে ভাওয়াল এস্টেটের সম্পত্তির অধিকার চেয়ে মামলা করেন। জেলা জজ অ্যালান হেন্ডারসন বিচারপতি পান্নাবল বসুকে এই মামলার বিচারে নিয়োগ করেন। বিজয় চন্দ্র চক্রবর্তী ভাওয়াল সন্ন্যাসীর প্রধান উকিল হিসাবে কাজ করেন। বিবাদীপক্ষের উকিল ছিলেন অমিয় নাথ চৌধুরী। বিচার শুরু হয় ১৯৩৩ সালের নভেম্বর ৩০ তারিখে। বিবাদীপক্ষে আরো ছিলো কোর্ট অফ ওয়ার্ডস যা বিভাবতী দেবী অন্য দুই কুমারের বিধবা স্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করছিলো। বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, এই নিরক্ষর সন্ন্যাসী কোনো অবস্থাতেই ব্রাহ্মণ বর্ণের হতে পারে না। কিন্তু বাদীপক্ষের আইনজীবীরা প্রমাণ করে দেখান যে, কুমার প্রায় নিরক্ষর ছিলেন। বিবাদীপক্ষ থেকে আরো দাবী করা হয়, কুমারের রক্ষিতা এলোকেশীর কাহিনী পুরোই মিথ্যা। কিন্তু বাদীপক্ষ এলোকেশীকে হাজির করে। জেরার জবাবে এলোকেশী জানান, পুলিশ তাকে ঘুস দিয়ে সাক্ষ্য দেয়া হতে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে। বিবাদীপক্ষ আরো দাবী করে, কুমারের সিফিলিস রোগ শেষ পর্যায়ে পৌছে যাওয়ায় তার গায়ে দগদগে ঘা ক্ষত থাকার কথা, কিন্তু সন্ন্যাসীর গায়ে তা নেই। সন্ন্যাসী মূলত উর্দু ভাষায় কথা বলতেন। তিনি দাবী করেন যে, ভ্রমণ করতে করতে তিনি বাংলা ভুলে গেছেন। কুমারের চোখের বর্ণ নিয়েও বিতর্ক উঠে। এটাও দাবী করা হয় যে, শ্মশানে কুমারের চিতায় অন্য কারো দেহ দাহ করা হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে কয়েকশ সাক্ষী হাজির করা হয়। তাদের অনেকের সাক্ষ্য ছিলো পরস্পরবিরোধী। বিবাদী পক্ষ কুমারের বোন জ্যোতির্ময়ী দেবীকে জেরা করে। তিনি সন্ন্যাসীর পক্ষে ছিলেন, এবং দাবী করেন, সন্ন্যাসীই কুমার। তিনি আরো দাবী করেন, সন্ন্যাসীর চেহারায় তাদের বংশের ছাপ রয়েছে, এবং সন্ন্যাসী বাংলা বলতে পারেন। বাদীপক্ষ কুমারের স্ত্রী বিভাবতী দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিভাবতী দেবী কুমারের চেহারার সাথে সন্ন্যাসীর চেহারার কোনো মিল নেই বলে দাবী করেন। কুমারের অন্য ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী অন্নদা কুমারী দাবী করেন, কুমার রমেন্দ্রনারায়ন ইংরেজি বলতে পারতেন, এবং বাংলা বলতে লিখতে পারতেন। এর কোনোটাই সন্ন্যাসী পারতেন না। কিন্তু কুমারের ভাষাজ্ঞানের প্রমাণ হিসাবে পেশ করা চিঠি গুলো পরে জাল বলে প্রমাণিত হয়। ১৯৩৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গুরু ধর্মদাশ নাগা সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হন। দোভাষীর মাধ্যমে তিনি জানান যে, ভাওয়াল সন্ন্যাসী হলো তারই পূর্বতন শিষ্য সুন্দরদাস। পূর্বে মাল সিং নামধারী এই ব্যক্তি জাতিগতভাবে পাঞ্জাবী এবং লাহোরের নিবাসী শিখ ধর্মাবলম্বী। সাক্ষ্য দেয়ার সময়ে গুরু অসুস্থ্য হয়ে পড়েন, এবং তার জেরা আদালত কক্ষের বাইরে নিতে হয়েছিলো। সন্ন্যাসীর সমর্থকেরা গুরু ধর্মদাসকে ভন্ড অভিহিত করে। উভয় পক্ষের সমাপনী যুক্তিতর্ক চলে ছয় সপ্তাহ ধরে। মামলার রায় দেয়ার পূর্বে শুনানি মুলতুবী করা হয় ১৯৩৬ সালের মে ২০ তারিখে। বিচারক পান্নাবল বসু তিন মাস ধরে চুড়ান্ত রায় নিয়ে কাজ করেন। ১৯৩৬ সালের আগস্ট ২৪ তারিখে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ রায় প্রদান করেন, এবং সন্ন্যাসীর পক্ষে রায় দেন। এসময় মামলার রায় জানতে বিশাল জনসমাগম হয়। মামলার রায় দেয়ার পরেই পান্নাবল বসু বিচারকের পদ থেকে অবসর নেন। ===দ্বিতীয় মামলা=== ভাওয়াল এস্টেটে সম্পত্তির ভাগ থেকে দাবিদার সন্ন্যাসীকে টাকা নিতে অনুমতি দেয়া হয়। তিনি অন্যান্য বিষয়ের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ গ্রহণ স্থগিত রাখেন, এবং এই সম্পত্তির কর্তৃত্ব কোর্ট অফ ওয়ার্ডসের হাতেই রাখেন। একই সময়ে তিনি বিয়ে করেন। রাজস্ব বোর্ড মামলা নিয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখে তখনকার মতো। বিবাদীপক্ষের উকিল ছিলেন অমিয় নাথ চৌধুরী মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। তবে বিভাবতী দেবী হাল ছাড়তে রাজি হননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে মামলার আপিল ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত বন্ধ থাকে। বছর বিভাবতী দেবীর আইনজীবীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করে। জার্মান বিমান হামলায় কাউন্সিলের কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রিভি কাউন্সিলের অধিবেশন ঘটে হাউজ অফ লর্ডসে, ১৯৪৫ সালে সেখানেই শুনানি শুরু হয়। ডি এন প্রিট দাবিদারের পক্ষে এবং ডব্লিউ ডব্লিউ কে পেইজ, কোর্ট অফ ওয়ার্ডসের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। প্রিভি কাউন্সিল আপিল শুনতে রাজি হয়। লর্ড থাঙ্কের্টন, লর্ড হার্বার্ট ডু পার্স্ক, এবং স্যার চেতুর মাধবন আপিলের বিচার করেন। ২৮ দিন ধরে শুনানি চলে। ১৯৪৬ সালের জুলাই ৩০ তারিখে বিচারকেরা দাবিদারের পক্ষে রায় দেন, এবং আপিল নাকচ করে দেন। পরের দিন কলকাতায় টেলিগ্রাফ মারফত মামলার রায় জানানো হয়। ==ফরেনসিক তাৎপর্য== ফরেনসিক বিজ্ঞানের জন্য এই মামলাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলাতে মানুষের পরিচয় বের করার কলাকৌশলের যথেষ্ট প্রয়োগ ঘটেছে। কুমার নরেন্দ্রনারায়ণ এবং ভাওয়াল সন্ন্যাসীর দেহের নিম্নলিখিত সাদৃশ্য ছিলো। S.No '''পরিচিতি চিহ্ন''' '''কুমার নরেন্দ্রনারায়ণ রায়''' '''ভাওয়াল সন্ন্যাসী''' বর্ণ গোলাপী শ্বেত গোলাপী শ্বেত চুলের বর্ণ হালকা বাদামী হালকা বাদামী চুলের ধরন ঢেউ খেলানো ঢেউ খেলানো গোঁফ মাথার চুলের চাইতে পাতলা মাথার চুলের চাইতে পাতলা চোখের বর্ণ বাদামী বাদামী ঠোঁট নীচের ঠোট ডানদিকে কুঞ্চিত নীচের ঠোট ডানদিকে কুঞ্চিত কান কিনারার দিকে চোখা কিনারার দিকে চোখা কানের লতি গালের দিকে সংযুক্ত না, ছিদ্র যুক্ত গালের দিকে সংযুক্ত না, ছিদ্র যুক্ত কণ্ঠমণি প্রকট প্রকট 10 উপরের বাম দিকের মাড়ির দাঁত ভাঙা ভাঙা 11 হাত ছোট ছোট 12 বাম হাতের তর্জনী মধ্যমা ডান হাতের চাইতে কম অসম আকারের ডান হাতের চাইতে কম অসম আকারের 13 ডান চোখের নীচের পাপড়ির আঁচিল বিদ্যমান বিদ্যমান 14 পা খসখসে, জুতার আকার নাম্বার খসখসে, জুতার আকার নাম্বার 15 বাম গোড়ালির উপরের দিকে ক্ষত বিদ্যমান বিদ্যমান 16 সিফিলিস বিদ্যমান বিদ্যমান (বিতর্কিত) 17 সিফিলিসের ক্ষত বিদ্যমান বিদ্যমান (বিতর্কিত) 18 মাথা পিঠে ফোঁড়ার দাগ বিদ্যমান বিদ্যমান 19 কুঁচকিতে অস্ত্রোপচারের দাগ বিদ্যমান বিদ্যমান 20 ডান বাহুতে বাঘের থাবার আঘাতের দাগ বিদ্যমান বিদ্যমান 21 শিশ্নের নিম্নভাগে আচিল বিদ্যমান বিদ্যমান ছাড়াও এই দুই ব্যক্তির আলোকচিত্রে যথেষ্ট মিল আছে। হাঁটার ধরন, গলার স্বর, এবং ভাবভঙ্গীতেও মিল রয়েছে। আঙুলের ছাপ নেয়ার পদ্ধতি এই মামলার সময়ে চালু ছিলো, কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে তা ব্যবহৃত হয়নি। ধারণা করা হয়, কুমার নরেন্দ্রনারায়ণ ১২ বছর আগে নিখোঁজ হওয়াতে তার হাতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা সম্ভব ছিলো না। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বাংলাপিডিয়ার ভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলা The decision of the Privy Council in RTF format Decision in the HTML format History of Criminal Identification ইতিহাস'''টার্নার ক্লাসিক মুভিজ''' (ইংরেজি ভাষা: Turner Classic Movies TCM) টার্নার এন্টারটেইনমেন্ট এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স-এর মালিকানাধীন একটি কেবল টেলিভিশন চ্যানেল। এতে ধ্রুপদী চলচ্চিত্রসমূহ প্রদর্শিত হয়। এতে এমজিএম, ইউনাইটেড আর্টিস্ট্‌স, আরকেও এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অনেক ছবিই দেখানো হয়। == বহিঃসংযোগ == TCM US TCM Canada TCM Asia TCM Australia TCM UK TCM France TCM Spain TCM Germany TCM Latin America কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত চ্যানেল'''মোহিতলাল মজুমদার''' (জন্ম ২৬শে অক্টোবর, ১৮৮৮ মৃত্যু ২৬শে জুলাই, ১৯৫২) বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি এবং সাহিত্য সমালোচক। এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রবন্ধকার ছিলেন। গভীর অন্তর্দৃষ্টি, নিপুণ বিশ্লেষণ ভাব-গম্ভীর ভাষার মহিমায় মোহিতলালের সমালোচনাধর্মী গ্রন্থগুলো ধ্রুপদী সাহিত্যের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। == প্রথম জীবন == মোহিতলাল মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়া মহকুমার অন্তর্গত বলাগড় গ্রাম। তার বাবার নাম নন্দলাল মজুমদার। নন্দলাল ছিলেন কবি দেবেন্দ্রনাথ সেনের জ্ঞাতি ভাই। মোহিতলালের কৈশোর এবং বিদ্যালয়জীবন বলাগড় গ্রামেই অতিবাহিত হয়। তিনি চব্বিশ পরগণা জেলায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তিনি কিছুদিন কাঁচড়াপাড়ার কাছে হালিশহরে মায়ের মামাবাড়িতে অবস্থান করে সেখানকার বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। মোহিতলাল চার-পাঁচ বছর বয়সে কাশীরাম দাসের মহাভারতের সঙ্গে পরিচিত হন। নয় বছর বয়সে তার রোমান্স পাঠে আগ্রহ জন্মায়। বারো-তেরো বছর বয়সে পলাশীর যুদ্ধ এবং মেঘনাদ বধ কাব্য পড়ে শেষ করেন। == কর্মজীবন == বলাগড় বিদ্যালয় থেকে ১৯০৪ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন। ১৯০৮ সালে মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন থেকে বি.এ পাস করেন। কিন্তু অসুবিধায় পড়ে এম.এ পড়া ছেড়ে দেন। ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত কলকাতার তালতলা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯১৪ সালে সরকারি জরিপ বিভাগে কানুনগো পদে চাকরি গ্রহণ করেন। তিন বছর তিনি পদে দায়িত্ব পালন করেন। পুনরায় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। ১৯২৮ সালে তিনি ঢাকা বাংলা ভাষা সংস্কৃত বিভাগে অধ্যাপনা কর্মে নিয়োজিত থাকেন। ১৯৪৪ সালে অধ্যাপনার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন মোহিতলাল। তারপর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। পরে বঙ্গবাসী কলেজে গিরিশ সংস্কৃতি ভবনে অধ্যাপনায় যোগ দেন। == সাহিত্য প্রতিভা == মানসী পত্রিকাতে তার সাহিত্যজীবনের সূত্রপাত হয়। বীরভূমি পত্রিকায় কবিতা প্রবন্ধ অনুবাদ প্রকাশ করেন। দেবেন্দ্রনাথ সেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের ফলে তার কাব্যচর্চায় দেবেন্দ্রনাথের প্রভাব দেখা যায়। এছাড়াও, করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় এর কবিতার ছন্দোমাধুর্য তাকে মুগ্ধ করেছিল। মোহিতলাল কিছুকাল ভারতী গোষ্ঠীর অন্যতম লেখক ছিলেন। তিনি শনিচক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। রবীন্দ্র পরবর্তী কাব্যে কবি মোহিতলালের স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য-সমালোচক হিসাবেও তার সবিশেষ খ্যাতি ছিল। ভাষারীতির বিশুদ্ধতা নিয়ে তার প্রবল আগ্রহ নিষ্ঠা ছিল। কবি প্রবন্ধকাররূপে তিনি বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করেন। == লেখার ধরণ == মোহিতলাল মজুমদার সৃজনধর্মী সাহিত্য সমালোচক প্রবন্ধকাররূপে বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করেন। তিনি একজন নিপুণ শব্দ সচেতন কবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশাতেই তার কাব্য আপন বৈশিষ্ট্যে প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। নজরুল ইসলামের পূর্বে আরবি-ফারসি শব্দের সার্থক প্রয়োগ তার রচনায়ই বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভাবে ভাষায় প্রচলিত কাব্যরীতিতে মোহিতলাল ছিলেন বিদ্রোহীস্বরূপ। বাংলা সাহিত্যের ''দেহাত্মবাদী কবি'' হিসেবে তার রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। তার কাব্যে ক্লাসিক্যাল ভঙ্গি এবং রোমান্টিক ভাবের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। তার কবিতার প্রথম কয়েকটি পংক্তি নিম্নরূপ-- == প্রকাশনা জগৎ == রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশাতেই এই বিতর্কিত কাব্য আপন বৈশিষ্ট্যে প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। বঙ্গসাহিত্য প্রসঙ্গে মোহিতলাল সৃজনধর্মী সৃষ্টিশীল আলোচনা করে গেছেন। অনেক মাসিক পত্রিকায়, বিশেষ করে ভারতীতে কবিতা লিখতেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গদর্শন পত্রিকা তৃতীয় পর্যায়ে প্রকাশ সম্পাদনা করেন। শনিবারের চিঠির নিয়মিত লেখক ছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে 'কৃত্তিবাস ওঝা', 'চামারখায়-আম', 'সব্যসাচী', 'সত্যসুন্দর দাস' ছদ্মনামে লিখতেন। == প্রকাশিত গ্রন্থ তালিকা == === কাব্যগ্রন্থ === (১৯২২) ''স্বপন-পসারী'' (১৯২২) ''বিস্মরণী'' (১৯২৭) ''স্মরগরল'' (১৯৩৬) (১৯৪১) ''ছন্দ চতুর্দশী'' (১৯৪১) (সনেট সঙ্কলন) ''কাব্য মঞ্জুষা'' তন্মধ্যে কাব্যগ্রন্থটি ছিল আত্মীয় কবি দেবেন্দ্রনাথ সেনের প্রশস্তিমূলক ১৬টি সনেটের সঙ্কলন। === প্রবন্ধগ্রন্থ === ''আধুনিক বাংলা সাহিত্য'' (১৯৩৬) ''সাহিত্যকথা'' (১৯৩৮) ''বিবিধ কথা'' (১৯৪১) ''বিচিত্র কথা'' (১৯৪১) ''সাহিত্য বিতান'' (১৯৪২) ''বাঙলা কবিতার ছন্দ'' (১৯৪৫) ''বাঙলার নবযুগ'' (১৯৪৫) ''জয়তু নেতাজী'' (১৯৪৬) ''কবি শ্রীমধুসূদন'' (১৯৪৭) ''সাহিত্য বিচার'' (১৯৪৭) ''বঙ্কিমবরণ'' (১৯৪৯) (১৯৪৯) ''শ্রীকান্তের শরৎচন্দ্র'' (১৯৫০) ''জীবন জিজ্ঞাসা'' (১৯৫১) ''বাঙলা বাঙালী'' (১৯৫১) ''কবি রবীন্দ্র রবীন্দ্র কাব্য'' (প্রথম খণ্ড ১৯৫২, দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৫৩) উপন্যাস'' (১৯৫৫) ''বিবিধ প্রবন্ধ'' ''বঙ্কিম বরণ'' (১৯৪৯) == গ্রন্থপঞ্জী == বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস, সুকুমার সেন, ৪র্থ খণ্ড, ১ম সংস্করণ, বর্ধমান সাহিত্য সভা, কলকাতা, ১৯৫৮ইং বাংলা সাহিত্যে মোহিতলাল, আজাহারউদ্দীন খান, জিজ্ঞাসা, কলকাতা, ১৩৭৮ বঙ্গাব্দ == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু লেখক কবি'''ভবানীচরণ (জন্ম: জুলাই, ১৭৮৭ মৃত্যু: ২০ অক্টোবর, ১৮৪৮) সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকার সম্পাদক বাংলা সাহিত্যের প্রথম কথাসাহিত্যিক। ভবানীচরণ গোঁড়া হিন্দুসমাজের প্রতিনিধি ছিলেন বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা চেতনা বিস্তারের প্রবল বিরোধিতা করেন। বাংলা ভাষার উন্নতিকল্পে কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকও রচনা করেন। == জীবন == বর্ধমান জেলার উখড়ার নারায়ণপুর গ্রামে ভবানীচরণ জন্ম। পিতা রামজয় বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার কলুটোলা অঞ্চলে বসবাস করতেন। ছেলেবেলার পিতার তত্ত্বাবধানে নানা বিষয় এবং বাংলা, সংস্কৃত, ফার্সি ইংরেজি ভাষা শিক্ষা করেন। এরপর ভবানীচরণ নিজ যোগ্যতায় বিভিন্ন ইউরোপীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিশপ রেজিনাল্ড প্রমুখ ইউরোপীয়ের অধীনে কর্ম করেন। ১৮২২ সালে সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকা প্রকাশ করেন ১৮২৮ সালে প্রভাবশালী সমাজপতি হিসাবে জুরি নিযুক্ত হন। ১৮৩০ সালে রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে রাধাকান্ত দেবের নেতৃত্বে ধর্মসভা গঠিত হলে তিনি তার সম্পাদক নিযুক্ত হন। সতীদাহ প্রথা রদ, ভারতের অর্থনীতিতে বিদেশি বিনিয়োগ বিদেশি ধাঁচে সংস্কার প্রবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং দেশে বিদেশি অর্থনৈতিক উপনিবেশ স্থাপন রোধে জমিদারদের দেশীয় সম্পদ উন্নয়নের প্রস্তাব করেন। তার রচিত তৎকালীন সমাজের দুর্নীতির আবরণ উন্মোচন করে দিয়েছিল। == সম্পাদনা সাহিত্যকীর্তি == ডিসেম্বর ১৮২১ সালে সাপ্তাহিক সম্বাদ কৌমুদী পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন ভবানীচরণ। পরে রামমোহন রায়ের সঙ্গে ধর্মমত নিয়ে বিরোধ বাধায় তিনি এই কাজ ত্যাগ করেন। ১৮২২ সালের মার্চ কলুটোলায় নিজে প্রেস স্থাপন করে প্রকাশ করেন ‘সমাচার চন্দ্রিকা’। রক্ষণশীল হিন্দুসমাজের মুখপত্র হিসাবে পত্রিকাটি সপ্তাহে দুই দিন প্রকাশিত হত। ''প্রমথনাথ শর্ম্মণ'' ছদ্মনামে রচনা করেন তার বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ ''নববাবু বিলাস''। কলিকাতা কমলালয় (১৮২৩) নববাবুবিলাস (১৮২৫) গ্রন্থদুটিতে তার আক্রমণের লক্ষ্য ছিল কলকাতার বাবু কালচার নব্যোদ্ভূত ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী। এছাড়া ''দূতীবিলাস'' নামে একটি কাব্য (১৮২৫) দ্বিতীয় পর্ব নববিবিবিলাস (১৮৩১) উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিস্তার'' (১৮৩১), ''আশ্চর্য্য উপাখ্যান'' (১৮৩৫) ''পুরুষোত্তম চন্দ্রিকা'' (১৮৪৪) নামে তিনটি গ্রন্থ রচনা ''হাস্যার্ণব'' (১৮২২), (১৮৩০), ''প্রবোধ চন্দ্রোদয় নাটকং'' (১৮৩৩), ''মনুসংহিতা'' (১৮৩৩), ''ঊনবিংশ সংহিতা'' (১৮৩৩), রঘুনন্দন ভট্টাচার্য কৃত ''অষ্টাবিংশতি তত্ত্ব নব্য স্মৃতি'' (১৮৪৮) সম্পাদনা করেন। == সমালোচনা == সংস্কার বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হওয়ায় নবজাগরণের পরবর্তী পর্যায় থেকেই ভবানীচরণ সমালোচিত নিন্দিত হতে থাকেন। তার সাহিত্যের অশ্লীলতার মোড়কে নীতিবাক্য প্রচারের অভিযোগ ওঠে। ডক্টর অসিতকুমার তার রচনা সম্পর্কে বলেছেন, “‘বাবুর উপাখ্যান’ বা ভবানীচরণ ব্যঙ্গ আখ্যানগুলি অর্ধশিক্ষিত ধনী সন্তানদের কুৎসিত আমোদ-প্রমোদের কথা সাধুভাষায় বলা হলেও উদ্দেশ্যটি তত সাধু ছিল না। বাইরের দিক থেকে এসব নকশায় রঙ্গকৌতুক, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ গল্পের আমেজ থাকলেও ভিতরে ছিল ‘পর্নো’ সমাজের কুরীতি দেখিয়ে সভ্যভব্য মানসিকতা সৃষ্টি, এই জন্যই ভবানীচরণ অন্যান্য নকশাকারেরা কলম ধরেছিলেন; কিন্তু রোগের চেয়ে ঔষধই হয়েছিল প্রাণঘাতী।” == তথ্যসূত্র == রসরচনাসমগ্র, ভবানীচরণ সনৎকুমার গুপ্ত সম্পাদিত, নবপত্র প্রকাশন, কলকাতা, ১৯৮৭ বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, অষ্টম খণ্ড, অসিতকুমার মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ২০০৭ == পাদটীকা == জন্ম মৃত্যু লেখক সম্পাদক নবজাগরণ'''সিটি কলেজ''' ভারত, বাংলাদেশের অন্যথা 'সিটি কলেজ' নামের শিক্ষা নির্দেশ করে:- সিটি কলেজ (কলকাতা): কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রীটে অবস্থিত। সিটি কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস কলকাতার কলেজ স্ট্রীটে অবস্থিত। ঢাকা সিটি কলেজ: বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত। সিটি কলেজ (চট্টগ্রাম) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত। রাজশাহী সিটি কলেজ বাংলাদেশের রাজশাহী শহরে অবস্থিত। বরিশাল সিটি কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল শহরে অবস্থিত।'''গ্রহীয় বলয়''' (ইংরেজি ভাষায়: Planetary ring) বলতে কোন গ্রহের চারপাশে একটি নির্দিষ্ট চাকতি আকৃতির অঞ্চলে আবর্তনরত ধূলি ছোট ছোট কণার বেষ্টনীকে বোঝায়। সবচেয়ে স্পষ্ট দর্শনীয় বলয় রয়েছে সৌর জগতের শনি গ্রহের চারপাশে। এছাড়াও সৌর জগতের অন্য তিনটি গ্যাসীয় দৈত্যের (বৃহস্পতি, ইউরেনাস নেপচুন) চারপাশে বলয় রয়েছে। ক্যাসিনি নভোযান থেকে পাওয়া তথ্য থেকে সম্প্রতি ধারণা করা হচ্ছে, শনির একটি উপগ্রহের চারদিকেও বলয় রয়েছে। রিয়া নামের এই উপগ্রহের বলয় আবিষ্কৃত হলে প্রমাণিত হবে যে, উপগ্রহেরও বলয় থাকতে পারে। == সৃষ্টি প্রক্রিয়া == তিনটি উপায়ে গ্রহীয় বলয় গঠিত হতে পারে: ভ্রূণ গ্রহীয় চাকতির যে উপাদানগুলো রোশ সীমার মধ্যে ছিল সেগুলো একসাথে মিলে উপগ্রহ গঠন করতে পারেনি। এরাই বলয় গঠন করেছে। গ্রহটির কোন উপগ্রহ বিরাট কোন সংঘর্ষের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গেলে সেই ধ্বংসাবশেষ থেকে গঠিত হতে পারে। উপগ্রহটি হয়তো হঠাৎ কখনও রোশ সীমার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় গ্রহের জোয়ার-ভাটা জনিত টানে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। == গাঠনিক উপাদান == অধিকাংশ বলয়ই খুব অস্থিতিশীল হয় এবং লক্ষ লক্ষ বছরের ব্যবধানে মহাকাশে মিলিয়ে যায়। কিন্তু, ধারণা করা হয় শনির বলয় অনেক প্রাচীন, সৌর জগতের একেবারে প্রাথমিক সময়ে এই বলয় গঠিত হয়েছিল। বলয়ের উপাদান বিভিন্ন রকম হতে পারে: সিলিকেট বা বরফ দ্বারা গঠিত ধূলি। বড় বড় শিলা স্থানভ্রষ্ট প্রস্তরখণ্ডও থাকতে পারে। ২০০৭ সাল শনির বলয়ের মধ্যে আটটি ভিন্ন ভিন্ন চন্দ্রকণার (মুনলেট) জোয়ার-ভাটাজনিত টান আবিষ্কার করা হয়েছে। কখনও কখনও বলয়ে "রাখাল" চাঁদ থাকতে পারে। এগুলো খুব ছট চাঁদ যারা বলয়ের বহিঃস্থ প্রান্ত বা বলয়গুলোর মধ্যকার ফাঁকা স্থানে আবর্তিত হয়। রাখাল চাঁদগুলোর মহাকর্ষ টানের কারণেই বলয়ের একটি নির্দিষ্ট সূক্ষ্ণ প্রান্তসীমা থাকে। পদ্ধতিটা এরকম: যে বস্তুটি বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সেটি হয় রাখাল চাঁদের মহাকর্ষ টান দ্বারা বিকর্ষিত হয়ে বলয়ে ঢুকে পড়ে নয়তো আকর্ষিত হয়ে রাখাল চাঁদের সাথে লেগে যায়। চিত্র:Shepherd moons (বামে) এবং প্যান্ডোরা (ডানে) শনির বলয়ে রাখালগিরি করছে। == সৌর জগতের বিভিন্ন বলয় == বৃহস্পতি গ্রহের ভিতরের দিকের কয়েকটি উপগ্রহ তার বলয়ের মধ্যে অবস্থিত। এমনকি এদের অবস্থান বৃহস্পতির রোশ সীমার মধ্যেই। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটিস এবং এটা সম্ভব যে, এই উপগ্রহগুলো থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বস্তু খসে পড়ে বলয়ের অংশ হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর পৃষ্ঠে বলয়ের মত উপাদান থাকায় গ্রহের জোয়ার-ভাটাজনিত টানে এগুলো বেরিয়ে পড়ে। রোশ সীমার মধ্যে অবস্থিত যেকোন উপগ্রহ কেবল তার যান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে পতন থেকে নিজেকে ঠেকিয়ে রাখে, মহাকর্ষের মাধ্যমে নয়। এর ফলে প্রতিনিয়তই তাকে হারাতে হয় অনেক কিছু। নেপচুনের বলয়গুলো খুবই অস্বাভাবিক। প্রথমে বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন, সেখানে কেবল অসম্পূর্ণ কিছু বক্র অংশ আছে। কিন্তু, ভয়েজার থেকে তোলা ছবির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি পূর্ণ বলয় তবে অনেকটা গুচ্ছ গুচ্ছ হয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যালাটিয়া এবং অনাবিষ্কৃত আরও কিছু রাখাল উপগ্রহের কারণে এই গুচ্ছবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্লুটোর কোন বলয় নেই। অবশ্য ধারণা করছেন, ২০১৫ সালে নিউ হরাইজন্‌স সন্ধানী যান যখন প্লুটোতে পৌঁছুবে তখন, সেখানেও বলয় আবিষ্কৃত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ ফোবোস আজ থেকে ৫০ মিলিয়ন বছর পর ভেঙে গিয়ে মঙ্গলের চারদিকে বলয় গঠন করবে। ফোবোসের নিম্ন কক্ষপথের কারণেই এটি ঘটবে। এছাড়া ধারণা করা হয়ে থিয়া নামক বস্তুর সাথে পৃথিবীর যে সংঘর্ষের কারণে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল সেই সংঘর্ষের পরপর পৃথিবীরও বলয় ছিল। == বিভিন্ন গ্রহের বলয় == শনির বলয় বৃহস্পতির বলয় ইউরেনাসের বলয় নেপচুনের বলয় রিয়ার বলয় == বহিঃসংযোগ == বলয় বলয় বিরতির নামকরণের পদ্ধতি বলয় পদার্থ'''প্রাচীন নর্স''' () একটি প্রাচীন উত্তর জার্মানীয় ভাষা। এটি ভাইকিং যুগে এবং এর অধিবাসীদের বৈদেশিক বসতিগুলিতে আনুমানিক ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রচলিত ছিল। ধারণা করা হয় ভাষাটি প্রাচীনতর প্রত্ন-নর্স ভাষা থেকে ৮ম শতকে উৎপত্তি লাভ করে এবং ভাইকিং যুগের পরে বিভিন্ন আধুনিক উত্তর জার্মানীয় ভাষার জন্ম দেয়। এগুলির মধ্যে আছে আইসল্যান্ডীয় ভাষা, সুয়েডীয় ভাষা, নরওয়েজীয় ভাষা, ডেনীয় ভাষা এবং ফারোয়েজীয় ভাষা। আধুনিক আইসল্যান্ডীয় ভাষা প্রাচীন নর্স ভাষার বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি ধরে রেখেছে। জার্মানীয় ভাষা যুগ'''মাইক্রোসফট ভিজুয়াল স্টুডিও''' মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের একটি সফটওয়ার উন্নয়ন ব্যবস্থা। এটি দিয়ে উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েব সাইট, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েব সার্ভিস তৈরি করা যাবে নেটিভ কোড এবং ম্যানেজ্‌ড কোড এ, যা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, উইন্ডোজ মোবাইল, .নেট ফ্রেমওয়ার্ক, .নেট কম্প্যাক্ট ফ্রেমওয়ার্ক মাইক্রোসফট সিলভারলাইট প্লাটফর্ম সমর্থন করে। ভিজুয়াল স্টুডিওতে একটি সমৃদ্ধ কোড এডিটর আছে যা ইন্টেলিজেন্স এবং কোড রিফ্যাক্টর সমর্থন করে। সফ্‌টওয়্যারপারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের সূচনা ২রা আগস্ট, ১৯৯০ সালে। ১৯৯১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম নামে সমধিক পরিচিত এই যুদ্ধের সংঘটিত হয় ইরাক এবং ৩৪টি দেশের জাতিসংঘ অনুমোদিত যৌথ বাহিনীর মধ্যে। ১৯৯০ সালের আগস্ট মাসে ইরাকের কুয়েত আগ্রাসন এবং কুয়েতি ভূ-খন্ড দখলের প্রেক্ষিতে ইরাকী বাহিনীর হাত থেকে কুয়েতকে মুক্ত করাই ছিল যুদ্ধের উদ্দেশ্য। এই যুদ্ধটি আরও কিছু নামে পরিচিত যেমন পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ (Persian Gulf War), প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ (First Gulf War), কুয়েত যুদ্ধ (Kuwait War) ইত্যাদি। ১৯৯০ সালের আগস্ট ইরাকের সেনাবাহিনী কুয়েত দখল করা শুরু করলে বিভিন্ন দেশ তার নিন্দা জানায়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরাকের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাস্ট্রের রাষ্ট্রপতি জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ সৌদি আরবে সেনা মোতায়েন করেন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকেও তাদের সেনা পাঠাতে অনুরোধ করেন। ==শব্দতত্ত্ব== নিচে উল্লিখিত নামগুলো যুদ্ধটিকে বর্ণনা করতে ব্যবহার করা হয়েছেঃ পশ্চিমা দেশগুলোতে "Gulf War","Kuwait Invasion", এবং "পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ" ইংরেজিতে "Persian Gulf War") বহুল ব্যবহৃত নাম। এই নামগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ জনপ্রিয় ঐতিহাসিক এবং সাংবাদিক ব্যবহার করেছেন। এই নামগুলো ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এগুলো অন্তত তিনটি যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। •কুয়েত এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ যেমন সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর সংযুক্ত আরব আমিরাত একে কুয়েতের স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করে। •ফ্রান্স এবং জার্মানিতে এই যুদ্ধ War of Kuwait এবং Second Gulf War হিসেবে পরিচিতি পায়। •ইরাক একে বলে The mother of all battles. •অন্যান্য নাম যেমন Iraq-Kuwait conflict এবং U.N.-Iraq conflict ব্যবহৃত হতো === অপারেশন গুলোর নাম === যৌথ বাহিনীর বিভিন্ন দেশ যুদ্ধে নিজেদের চালানো বিভন্ন অপারেশনের বিভিন্ন নাম দিয়েছিল। তবে কখনো কখনো এই নামগুলো ভুলভাবে সমগ্র যুদ্ধটিকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছিল, বিশেষতঃ যুক্তরাস্ট্র পরিচালিত অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম। ==পটভূমি== ==কুয়েতে আক্রমণ== ==১৯৯০ সালে কুয়েত থেকে ভারতীয়দের আকাশপথে উদ্ধার== কুয়েত ইনভেশন পর, ১৩ আগস্ট,১৯৯০ থেকে ২০ অক্টোবর,১৯৯০-এ কুয়েত থেকে ভারতীয়দের '''১৯৯০ আকাশপথে উদ্ধার''' করা হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বেসামরিক বিমান দ্বারা ১৭০,০০০ জন মানুষ খালি করা হয় এবং ৫০০ মানুষ একটি জাহাজ মাধ্যমে পাঠানো হয় '''কোয়ালিশন বাহিনীতে বিভিন্ন দেশের সৈন্য সংখ্যা''' দেশ সৈনিক সংখ্যা ঘটনা 20px মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫৭৫,০০০ ৬,৯৭,০০০ অপারেশন ডেজার্ট শিল্ডব্যাটল অব খাফজিব্যাটল অব ৭৩ ইস্টিংব্যাটল অব Al বুসায়াহব্যাটল অব ফেইজ লাইন বুলেটব্যাটল অব মদিনা রিজব্যাটল অব ওয়াদি আল বাতিনব্যাটল অব নরফোকঅপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px সউদি আরব ৫২,০০০ ১০০,০০০ অপারেশন ডেজার্ট শিল্ডব্যাটল অব খাফজিঅপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px যুক্তরাজ্য ৪৩,০০০ ৪৫,৪০০ অপারেশন ডেজার্ট শিল্ডঅপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px মিশর ৩৩,৬০০ ৩৫,০০০ অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px ফ্রান্স ১৮,০০০ অপারেশন ডাগুয়েট 20px সিরিয়া ১৪,৫০০ অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px মরোক্কো ১৩,০০০ 20px কুয়েত ৯,৯০০ অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px ওমান ৬,৩০০ অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px পাকিস্তান ৪,৯০০ ৫,৫০০ 20px সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪,৩০০ অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px কাতার ২,৬০০ ব্যাটল অব খাফজি 20px বাংলাদেশ ২,২০০ 20px কানাডা ২,০০০ অপারেশন ফ্রিকশন 20px অস্ট্রেলিয়া ১,৮০০ 20px ইটালি ১,২০০ 20px নেদারল্যান্ডস ৬০০ 20px নাইজার ৬০০ 20px সেনেগাল ৫০০ 20px স্পেন ৫০০ 20px বাহরাইন ৪০০ 20px বেলজিয়াম ৪০০ 20px আফগানিস্তান ৩০০ 20px আর্জেন্টিনা ৩০০ 20px চেকোস্লাভাকিয়া ২০০ অপারেশন ডেজার্ট শিল্ডঅপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম 20px গ্রিস ২০০ 20px পোল্যান্ড ২০০ অপারেশন সাইমুম 20px দক্ষিণ কোরিয়া ২০০ 20px ডেনমার্ক ১০০ 20px হাংগেরি ৫০ 20px নরওয়ে ২৮০ == তথ্যসূত্র =='''ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন''' নরমপন্থী এবং চরমপন্থী, এই দু’টি বিপরীত ধারায় সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলনের ফলেই ১৯৪৭ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত বিভাগের মাধ্যমে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দু’টি দেশ সৃষ্টি হয়। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল একটি পরিব্যাপ্ত, একত্রীভূত বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক অভিযান বা আন্দোলন যা অহিংস বৈপ্লবিক উভয় দর্শনের প্রচেষ্টায় এবং ভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব এবং অন্যান্য ঔপনিবেশিক প্রশাসন শেষ হয়। সাধারণ ছিল।পর্তুগিজের দ্বারা কর্ণাটকে ঔপনিবেশিক বিস্তারের শুরুতে ষোড়শ শতকে প্রথম প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। সপ্তদশ শতকের মধ্য শেষ ভাগে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা উত্তর ভারতে ঔপনিবেশিক বিস্তারের প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছিল। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে এই আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল। তারা প্রার্থনা, আবেদন-নিবেদন এবং সংবাদপত্রের মাধ্যমে এক মধ্য পন্থা অবলম্বন করেছিল। ফলে উনিশ শতকের প্রথম ভাগে লাল-বাল-পাল এবং শ্রী অরবিন্দ এক মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতার আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৈপ্লবিক জাতীয়তাবাদ ইন্দো-জার্মানি ষড়যন্ত্রএবং গদর ষড়যন্ত্র প্রভাব বিস্তার করছিল। যুদ্ধের শেষ প্রান্তে কংগ্রেস অহিংস আন্দোলনের নীতিমালা অবলম্বন করেছিল এবং অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী নেতৃত্ব দিয়েছিল। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র মত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরবর্তীকালে একটি বৈপ্লবিক দর্শন অবলম্বন করে আন্দোলনে করতে এসেছিলেন। ভারত ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজশক্তির স্বায়ত্বশাসনে ছিল। তারপর ভারত একটি প্রজাতন্ত্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। পাকিস্তান ১৯৫৬ সালে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অধিকার লড়াইয়ের একটি গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছিল তার ফলে গণতন্ত্রের স্থগিতাবস্থা এসেছিল। স্বাধীনতা আন্দোলন পরিণামস্বরুপ বিশ্বের নেতৃত্বদানের অন্যান্য অংশতে একই আন্দোলনের মাধ্যমে একটি প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল কমনওয়েলথ জাতির সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং এর বদলানোর ভেঙে। অহিংস প্রতিরোধের গান্ধীর দর্শন মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিল মার্টিন লুথার কিং (১৯৫৫-১৯৬৮) এর নেতৃত্ব দিয়েছিল। মায়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য অং সান সু চি'র মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে বর্ণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে আফ্রিকান জাতীয় কংগ্রেসের লড়াই নেলসন ম্যান্ডেলা'র মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিল। উপরন্তু এই সমস্ত নেতারা অহিংস এবং অপ্রতিরোধ্যের গান্ধীর নিয়মনিষ্ঠ নীতিতে অনুগত থাকেননি। == ঔপনিবেশিক শাসন == ১৪৯৮ সালে ইউরোপিয়ান ব্যবসায়ী লাভজনক মসলা বাণিজ্যের অনুসন্ধানে পর্তুগিজ বণিক ভাস্কো-দা-গামা ভারতের পশ্চিম তীরে কালিকট বন্দরে আগমন করেছিল।১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে পলাশির যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করে বাংলায় কোম্পানী শাসনের সূচনা করে। এটিই ভারতে ব্রিটিশ রাজের সূচনা হিসেবে বিস্তীর্ণভাবে দেখা হয়। ১৭৬৫ সালেতে বক্সারের যুদ্ধে জয়ের ফলে, কোম্পানি বাংলা, বিহার উড়িষ্যার ওপর প্রশাসনিক অধিকার লাভ করেছিল। তারপর তারা ১৮৩৯ সালে মহারাজা রণজিৎ সিং-এর মৃত্যুর পর প্রথম ইঙ্গ-শিখ দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ পর পাঞ্জাবও তাদের অধিকারে এনেছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নতুন দখলকৃত প্রদেশের প্রশাসন পরিচালনা করতে আইন-কানুনের কয়েকটি ধারা আইনে পরিণত করিয়েছিল। তন্মধ্যে রেগুলাটিং আইন, ১৭৭৩সহ ভারত শাসন আইন, ১৭৮৪, চ্যাটার্ট আইন, ১৮১৩এর মধ্যে অন্যতম ছিল। ১৮৩৫ সালে নির্দেশনার মাধ্যম হিসাবে ইংরেজি গ্রহণ করা হয়েছিল। অভিজাতরা হিন্দু ধর্ম-এর জাতিভেদ প্রথা, শিশু বিবাহ, সতী-প্রথা, বর্ণ-প্রথাসহ বহু বিতর্কিত সামাজিক অনুশীলনের অব্যাহতির খোঁজ শুরু করে দিয়েছিল। শিক্ষা এবং বিতর্কের মাধ্যমে সমাজ বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) এবং মাদ্রাজে মুক্ত রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা পেয়েছিল।। == প্রাদেশিক বিদ্রোহ ১৮৫৭ পর্যন্ত == বিদেশী নিয়মের বিরুদ্ধে কতিপয় আঞ্চলিক আন্দোলন ১৮৫৭ সালের আগে ভারতের বিভিন্ন অংশে গড়ে উঠেছিল। উপরন্তু, তাদেরকে একত্র করা যায়নি এবং বিদেশী শাসকের দ্বারা সহজভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরুপ ১৫৫৫ থেকে ১৫৭০ থেকে কর্ণাটকে পর্তুগিজদের বিরুদ্ধে আব্বাক্কা রানীর বিদ্রোহ, ১৭৭০ সালে বাংলায় সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, গোয়ায় পর্তুগিজ নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে ১৭৮৭ নৃ-তাত্বিক বিদ্রোহ যা পিন্টোস ষড়যন্ত্র হিসেবে পরিচিত, ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহরূপে বাংলাতে তিতুমীরের ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতে ভীরাপান্ডা কাট্টাবমান বিদ্রোহ, কর্ণাটকে রানী চেন্নামার কিট্টুর বিদ্রোহ, সৌরাশট্রে কচ্ছ বিদ্রোহে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। == জাতীয় মহাবিদ্রোহ, ১৮৫৭ == ১৮৫৭–৫৮ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে উত্তর এবং মধ্য ভারতে বিদ্রোহের ভারতীয় মহাবিদ্রোহ (সিপাহী বিদ্রোহ), ১৮৫৭ ছিল একটি পর্যায়কাল। এই বিদ্রোহ ছিল কয়েক দশকের ভারতীয় সৈন্য এবং তাদের ব্রিটিশ অফিসারের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যের ফল। মুঘল এবং পেশয়ার মত ভারতীয় শাসকদের প্রতি ব্রিটিশের ভিন্ন নীতি এবং অযোধ্যার সংযুক্তি ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক মত পার্থক্য সূত্রপাত করছিল। লর্ড ডালহৌসীর স্বত্ত্ববিলোপ নীতি যা দিল্লীর মুঘল মাম্রাজ্যের অপসারণ, কিছু জনগণ রেগে গিয়েছিল। সিপাহী বিদ্রোহ সুনির্দিষ্ট কারণ যে ১৮৫৩ সালে তৈরি .৫৫৭ ক্যালিবার এনফিল্ড(পি/৫৩) রাইফেল কার্তুজ গরু শুকরের চর্বি দিয়ে তৈরি হতো। সৈন্যের‍া তাদের রাইফেলের কার্তুজ লোড করার সময় তাদের তা দাঁত দিয়ে ভাঙে লাগাতে হতো। যেহেতু গরু শুকরের চর্বি মুখে দেওয়া হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের সৈন্যদের কাছে অধার্মিক কাজ ছিল। ফেব্রুয়ারী ১৮৫৭তে, সিপাহীরা (ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় সৈন্য) নতুন কার্তুজ ব্যবহার করতে অস্বীকার করেছিল। ব্রিটিশ নতুন কার্তুজ প্রতিস্থাপন কর‍ার দাবী করেছিল এবং যা মৌমাছির তেল শাকসব্জী তেল থেকে তৈরী হবে। কিন্তু সিপাহীদের কাছে গুজব টিকে থেকেছিল। মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরে শুরু হয় এবং শীঘ্রই তা মিরাট, দিল্লি এবং ভারতের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এটা সারা বাংলাদেশ জুড়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। চট্টগ্রাম ঢাকার প্রতিরোধ এবং সিলেট, যশোর, রংপুর, পাবনা দিনাজপুরের খণ্ডযুদ্ধসমূহ বাংলাদেশকে সর্তক উত্তেজনাকর করে তুলেছিল। ১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের পদাতিক বাহিনী প্রকাশ্য বিদ্রোহে মেতে ওঠে এবং জেলখানা হতে সকল বন্দিদের মুক্তি দেয়। তারা অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ দখল করে নেয়, কোষাগার লুণ্ঠন করে এবং অস্ত্রাগারে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ত্রিপুরার দিকে অগ্রসর হয়। চট্টগ্রামে সিপাহিদের মনোভাব ঢাকার রক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। সিপাহিদের আরও অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ ৫৪তম রেজিমেন্টের তিনটি কোম্পানি এবং একশত নৌ-সেনা ঢাকায় প্রেরণ করে। একই সাথে যশোর, রংপুর, দিনাজপুরসহ বাংলাদেশের আরও কয়েকটি জেলায় একটি নৌ-ব্রিগেড পাঠানো হয়। প্রধানতঃ ইউরোপীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবীদের সংগঠিত করে ঢাকা রক্ষা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নৌ-বিগ্রেড ঢাকা পৌঁছে সেখানে নিয়োজিত সিপাহিদের নিরস্ত্র করতে গেলে অবস্থা চরমে ওঠে। ২২ নভেম্বর লালবাগে নিয়োজিত সিপাহিগণকে নিরস্ত্র করতে গেলে তারা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সংঘটিত খণ্ডযুদ্ধে বেশ কিছু সিপাহি নিহত বন্দি হয় এবং অনেকেই ময়মনসিংহের পথে পালিয়ে যায়। অধিকাংশ পলাতক সিপাহিই গ্রেপ্তার হয় এবং অতিদ্রুত গঠিত সামরিক আদালতে সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য তাদের সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্ত সিপাহিদের মধ্যে ১১ জন মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়। রায় দ্রুত কার্যকর করা হয়। বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে সিলেট, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর এবং যশোরে চাপা প্রকাশ্য উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। পলাতক সিপাহি ইউরোপীয় সৈন্যদের মধ্যে সিলেট এবং অপরাপর স্থানে কয়েকটি সংঘর্ষ ঘটে, যার ফলে উভয় পক্ষেই প্রাণহানি ঘটে। সিলেট এবং যশোরে বন্দি নিরস্ত্র সিপাহিদের স্থানীয় বিচারকদের দ্বারা সংক্ষিপ্ত বিচার করা হয়। ফাঁসি নির্বাসন ছিল সংক্ষিপ্ত বিচারের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। সিপাহি যুদ্ধের সময়ে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ভূমিকা প্রতিক্রিয়া একটি অনুজ্জ্বল চিত্র প্রতিফলিত করে। জমিদার-জোতদারগণ নিশ্চিতভাবে সিপাহিদের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ গরু ঘোড়ার গাড়ি এবং হাতি সরবরাহ; পলায়নরত সিপাহিদের গতিবিধির সন্ধান প্রদান এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে বিদ্রোহী সিপাহিদের প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে স্থানীয় স্বেচ্ছসেবক বাহিনী গড়ে কোম্পানির স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কৌশলগত সমর্থন প্রদান করেন। সরকার কৃতজ্ঞতার সাথে সকল সেবার স্বীকৃতি প্রদান করে এবং পরে তাদেরকে নওয়াব, খান বাহাদুর, খান সাহেব, রায় বাহাদুর, রায় সাহেব প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত করে নানা পার্থিব সম্পদ দ্বারা পুরস্কৃত করে। প্রদর্শিত ভূমিকা অনুসরণ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীও কোম্পানির সরকারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। সাধারণ মানুষ কৃষককুল সার্বিকভাবে বিষয়ে উদাসীন ছিল এবং সিপাহি যুদ্ধের স্পর্শ থেকে দূরে ছিল। তবে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির ফলে তারা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এতদসত্ত্বেও এই মহাবিদ্রোহ আঠেরেশো শতকের পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণ অভ্যুত্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে যা ইংরেজ শাসনের ভিতকে কাঁপিয়ে দেয়। জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিক পন্ডিতেরা তাই একে সিপাহী বিদ্রোহের বদলে জাতীয় মহাবিদ্রোহ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। == তথ্যসূত্র == == তথ্য নির্দেশ == Library of Congress == আরও দেখুন == Peter Ackerman, and Jack Duvall, Force More Powerful: Century of Nonviolent Conflict R.C. Majumdar, History of the Freedom movement in India Amales Tripathi, Barun De, Bipan Chandra, Freedom Struggle Philip Mason, Matter of Honour: An Account of the Indian Army, its Officers and Men == বহিঃসংযোগ == Allama Mashriqi Origin of Non-Violence Independence movement Mahatma Gandhi Indian Government Raja Mahendapratap Timeline of Indian independence movement Truth behind 1857 parts I, II III Independence Campaign Posters স্বাধীনতা আন্দোলন ইউরোপীয় শাসন'''সাইয়্যিদ মুক্‌তাদা আস-সাদ্‌র''' () (জন্ম: ১২ই আগস্ট, ১৯৭৩) একজন ইরাকী ধর্মতত্ত্ববিদ, রাজনৈতিক নেতা এবং মিলিশিয়া কমান্ডার। ইরাকী সরকারে কোন বিশেষ পদে না থাকা সত্ত্বেও সাদ্‌র ইরাকের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পরিমণ্ডলে প্রভাব বিস্তার করে রেখেছেন। ধরনের অন্য দু'জন ইরাকী নেতা হচ্ছেন: সুপ্রিম ইসলামিক ইরাকি কাউন্সিলের গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আস-সিস্তানি এবং আবদুল আজিজ আল-হাকিম। == বহিঃসংযোগ == "Defining Muqtada," Columbia Journalism Review Nimrod RaphaeliL Understanding Muqtada al-Sadr, ''Middle East Quarterly'', the Iraqi cleric takes on the United States... and Iraq. Global Security analysis and biography Messianic leaders in Iraq, Iran Juan Cole, 2003 "'' The Iraqi Shiites''". The Boston Review. ''SourceWatch'' article with links to articles about al-Sadr জন্ম রাজনীতিবিদ ধর্মযাজক অভ্যুত্থান শিয়া মুসলিম ব্যক্তিভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায় '''অপাদান কারক''' () বলতে এমন একটি উপায় বোঝায়, যার সাহায্যে বাক্যস্থিত কোন শব্দের রূপ পরিবর্তন করে বা অন্য কোন উপায়ে শব্দটির সাথে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে বিশেষ এক ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। অপাদান কারক মূলত বিশেষ্য পদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত পদ যেমন বিশেষণ বা সর্বনামের উপর প্রযুক্ত হয়। অপাদান কারক দিয়ে সাধারণত কোন কিছু থেকে সরে যাওয়া অর্থ বোঝানো হয়। বাংলা ভাষাতে বিশেষ্যের পরে হইতে, থেকে (পঞ্চমী বিভক্তি), দিয়া, দিয়ে (তৃতীয়া বিভক্তি) ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহার করে সাধারণত অপাদান কারক বোঝানো হয়। যেমন- বিচ্যুত: '''গাছ থেকে''' পাতা পড়ে। '''মেঘ থেকে''' বৃষ্টি পড়ে। গৃহীত: '''সুক্তি থেকে''' মুক্তো মেলে। '''দুধ থেকে''' দই হয়। জাত: '''জমি থেকে''' ফসল পাই। '''খেঁজুর রসে''' গুড় হয়। বিরত: '''পাপে''' বিরত হও। দূরীভূত: '''দেশ থেকে''' পঙ্গপাল চলে গেছে। রক্ষিত: '''বিপদ থেকে''' বাঁচাও। '''বিপদে''' মোরে রক্ষা কর। আরম্ভ: '''সোমবার থেকে''' পরীক্ষা শুরু। উৎপন্ন: '''তিলে''' তৈল আছে। ভীত: '''বাঘকে''' ভয় পায় না কে? '''চোরের''' ভয়ে ঘুম আসে না। == বিভিন্ন অর্থে অপাদানের ব্যবহার == (ক) স্থানবাচক: তিনি '''চট্টগ্রাম থেকে''' এসেছেন। (খ) দূরত্বজ্ঞাপক: '''ঢাকা থেকে''' চট্টগ্রাম দুশো কিলোমিটারের বেশি। (গ) নিক্ষেপ: '''বিমান থেকে''' বোমা ফেলা হয়েছে। == অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ == (ক) প্রথমা বা শূণ্য বা বিভক্তি ফল গাছে থাকে না। 'মনে পড়ে সেই জ্যৈষ্ঠের দুপুরে '''পাঠশালা''' পলায়ন।' ট্রেন '''ঢাকা''' ছাড়ল। গাড়ি '''স্টেশন''' ছাড়ল। (খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি '''বাবাকে''' বড্ড ভয় পাই। '''বাঘকে''' ভয় পায় না কে? (গ) তৃতীয়া বা দিয়ে বিভক্তি তার '''চোখ দিয়ে''' পানি পড়ছে। (ঘ) পঞ্চমী বা থেকে বিভক্তি জেলেরা '''নদী থেকে''' মাছ ধরছে। '''গাছ থেকে''' পাতা পড়ে। '''মেঘ থেকে''' বৃষ্টি পড়ে। '''সুক্তি থেকে''' মুক্তো মেলে। '''দুধ থেকে''' দই হয়। '''জমি থেকে''' ফসল পাই। '''দেশ থেকে''' পঙ্গপাল চলে গেছে। '''বিপদ থেকে''' বাঁচাও। '''সোমবার থেকে''' পরীক্ষা শুরু। তিনি '''চট্টগ্রাম থেকে''' এসেছেন। '''ঢাকা থেকে''' চট্টগ্রাম দুশো কিলোমিটারেরও বেশি। '''বিমান থেকে''' বোমা ফেলা হয়েছে। '''ধান থেকে''' চাউল হয়। (ঙ) ষষ্ঠী বা এর বিভক্তি যেখানে '''বাঘের''' ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়। '''চোরের''' ভয়ে ঘুম আসে না। '''বাঘের''' ভয়ে সকলে ভীত। (চ) সপ্তমী বা বিভক্তি ''''বিপদে''' মোরে করিবে ত্রাণ, নহে মোর প্রার্থনা।' '''লোকমুখে''' শুনেছি। '''তিলে''' তৈল হয়। '''দুধে''' দই হয়। '''খেঁজুর রসে''' গুড় হয়। '''পাপে''' বিরত হও। '''মেঘে''' বৃষ্টি হয়। '''দুধে''' ছানা হয়। '''বিপদে''' মোরে রক্ষা কর। য় বিভক্তি '''টাকায়''' টাকা হয়। == আরো দেখুন == কারক ** কর্তৃকারক ** কর্ম কারক ** করণ কারক ** সম্প্রদান কারক ** অধিকরণ কারক বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা বিভক্তি == তথ্যসূত্র ==পর্তুগিজ ভাষা ব্রাজিলের সরকারি ভাষা। দেশের প্রায় ৯৬% লোক পর্তুগিজ ভাষাতে কথা বলে। এখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ১৯০টি আদিবাসী আমেরিকান ভাষা প্রচলিত। এগুলির প্রতিটিতে বক্তাসংখ্যা খুবই কম এবং বর্তমানে এগুলির অনেকগুলির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। সব মিলিয়ে আদিবাসী ভাষাগুলিতে মাত্র কয়েক লক্ষ লোক কথা বলে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বক্তাবিশিষ্ট ভাষাগুলি হল বানিওয়া ভাষা, গুজাজারা ভাষা, গুয়ারানি ভাষা, কাইংগাং ভাষা, তেরেনা ভাষা, তিকুনা ভাষা এবং ইয়ানোমামি ভাষা। এছাড়াও এখানে মেনোনাইট জার্মান ভাষা এবং রোমানি ভাষার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বক্তা আছে। আরও বেশ কিছু অভিবাসী ভাষা এখানে প্রচলিত, যেমন জাপানি ভাষা, জার্মান ভাষা এবং ইতালীয় ভাষা। আন্তর্জাতিক কাজকর্মে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার আগের চেয়ে বেড়েছে। == বহিঃসংযোগ == ব্রাজিলের ভাষার উপর এথনোলগ-এর রিপোর্ট বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভাষা আমেরিকার ভাষা ভাষাঅ্যালিস ওয়াকার '''অ্যালিস ম্যালসিনিয়র ওয়াকার''' (ইংরেজি ভাষায়: Alice Malsenior Walker) (জন্ম: ৯ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪) মার্কিন লেখিকা এবং নারীবাদী। তিনি ''feminist'' এর বদলে ''womanist'' শব্দটি বেশি পছন্দ করেন। প্রশংসিত উপন্যাস দ্য কালার পার্পল রচনার জন্য ১৯৮৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই উপন্যাস থেকে পরবর্তীকালে স্টিভেন স্পিলবার্গ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। == উপন্যাস ছোটগল্প সংকলন == The Third Life of Grange Copeland (১৯৭০) Everyday Use (১৯৭৩) In Love and Trouble: Stories of Black Women (১৯৭৩) Roselily (১৯৭৩) Meridian (novel) (১৯৭৬) দ্য কালার পার্পল (১৯৮২) You Can't Keep Good Woman Down: Stories (১৯৮২) Beauty: When the Other Dancer Is the Self (১৯৮৩) Am Blue? (১৯৮৬) To Hell With Dying (১৯৮৮) The Temple of My Familiar (১৯৮৯) Finding the Green Stone (১৯৯১) Possessing the Secret of Joy (১৯৯২) The Complete Stories (১৯৯৪) By The Light of My Father's Smile (১৯৯৮) The Way Forward Is with Broken Heart (২০০০) Now Is The Time to Open Your Heart (২০০৫) == তথ্যসুত্র == == বহিঃসংযোগ == The Sabanci University School of Languages Podcasts: The World in Alice Walker's Eye Poem: Mother's Day Plea Living By Grace Alice Walker on AALBC.com New Georgia Encyclopedia Interview with Alice Walker by ascent magazine জন্ম ঔপন্যাসিক ঔপন্যাসিক কবি মানবতাবাদী লেখক নারীবাদী লেখিকা এলজিবিটি ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিচিত্র:The Great Wave off মহা ঢেউ '''কাৎসুশিকা হোকুসাই''' (জাপানি: 葛飾北斎, ৩১শে অক্টোবর ১৭৬০ ১০ই মে ১৮৪৯) এদো যুগের প্রখ্যাত জাপানি চিত্রশিল্পী। তার সময়ে তিনি জাপানে চীনা চিত্রশিল্পের নেতৃস্থানীয় পণ্ডিত ছিলেন এবং আরো ছিলেন সচেতনতাবোধ বিশ্বাসযোগ্যতার সমর্থক। এছাড়া তিনি জাপানে ''উকিয়োয়ে'' চিত্র ঘরাণার ("ভাসমান বিশ্বের ছবি") অগ্রদূত ছিলেন। তার প্রথমদিকের ছবির সবগুলোই ছিল এই ঘরাণার। ধরনের ছবিগুলোর বিষয়বস্তু ছিল প্রাকৃতিক দৃশ্য অভিনেতাদের এক-কাগজের প্রিন্ট, হাতে করা ছবি এবং ''সুরিমোনো'' (ছাপা বস্তু)। সুরিমোনোর উদাহরণ হচ্ছে অভিবাদন ঘোষণা পত্র। জীবনের শেষের দিকে তিনি প্রথাগত সামুরাই চীনা শিল্পের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ১৮২৬ থেকে ১৮৩৩ সালের মধ্যে তার বিখ্যাত উড-ব্লক প্রিন্টিং সিরিজ "ফুজি পর্বতের ছত্রিশটি দৃশ্য" প্রকাশিত হয়। এই ছবিগুলো জাপানি প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রিন্টিংয়ের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। ==প্রথম জীবনে দক্ষতা সুরুচি== ==নির্বাচিত কিছু ছবি প্রিন্ট== ''Lady and Attendants'' (c. ১৭৭৯) রেশমী কাপড়ের উপর অঙ্কিত ''Asakusa Shrine, Edo'' (c. ১৭৮০) উড-ব্লক প্রিন্ট ''Four Courtesans of the House of Chojiya'' (১৭৮২) উড-ব্লক প্রিন্ট ''Seyawa Kikujuro Acting Woman's Part'' (১৭৮৩) উড-ব্লক প্রিন্ট ''Actor Danjurō'' (১৭৮৪) উড-ব্লক প্রিন্ট ''Chinese Boys at Play'' (১৭৮৯) উড-ব্লক প্রিন্ট ''Attack on Moranoa's Castle'' ''Chusingura'' থেকে (১৭৮৯-১৮০৬) উড-ব্লক প্রিন্ট ''A Ferryboat with Passengers Bearing New Year's Gifts'' (১৮০০) সুরিমোনো ''Portrait of the Artist'' ''The Tactics of General Oven'' থেকে (১৮০০) উড-ব্লক প্রিন্ট উপন্যাসে ''Amusements of the Eastern Capital'' (১৮০০-১৮০২) উড-ব্লক প্রিন্ট সিরিজ ''Shower at Shin-Yangi Bridge'' ''Both Banks of the Sumida River'' থেকে (১৮০৩) উড-ব্লক প্রিন্ট গাইডবুকে ''Fifty-Three Stations of the Tokaido Road'' (১৮০৬) উড-ব্লক প্রিন্ট সিরিজ ''Chinese Tortures'' Bakin's ''Cruelties of Dobki'' থেকে (১৮০৭) উড-ব্লক প্রিন্ট উপন্যাসে ''Quick Lessons on Simplified Drawing'' (১৮১২) ছবিবিশিষ্ট গাইডবুক ''Hokusai Manga'' (১৮১৪-১৮৩৪) স্কেচ করা ছবি, ১৫ ভলিউম ''৩৬ Views of Mount Fuji'' (১৮২৩-১৮২৯) উড-ব্লক প্রিন্ট সিরিজ ''A Tour of the Waterfalls of the Provinces'' (১৮২৭-১৮৩০) উড-ব্লক প্রিন্ট সিরিজ ''Unusual Views of Celebrated Bridges in the Provinces'' (১৮২৭-১৮৩০) উড-ব্লক প্রিন্ট series ''Small Flowers'' (১৮৩০) উড-ব্লক প্রিন্ট সিরিজ ''Large Flowers'' (১৮৩০) উড-ব্লক প্রিন্ট সিরিজ ''One-Hundred Views of Mount Fuji'' (১৮৩৪) ''Book of Warriors'' (১৮৩৬) উড-ব্লক প্রিন্ট সিরিজ (১৮৩৯) অঙ্কন ''Willow and Young Crows'' (১৮৪২) রেশমী কাপড়ের উপর অঙ্কিত ''A Wood Gatherer'' (১৮৪৯) রেশমী কাপড়ের উপর অঙ্কিত ==বহিঃসংযোগ== Museum of Fine Arts, Boston Database with approximately 760 images of Hokusai prints. Go to Collections and do search. Site with almost 3000 high-quality images of Hokusai prints The Metropolitan Museum of Art's (New York) entry on "The Great Wave at Kanagawa." Entry in LIFE Magazine's list of 100 greatest people of the past millennium #85 জন্ম মৃত্যু চিত্রশিল্পী'''রানী চন্দ''' (জন্ম: ১৯১২ মৃত্যূ: ১৯ জুন ১৯৯৭) একজন চিত্রশিল্পী এবং লেখিকা। রানী চন্দের জন্ম হয় মেদিনীপুরে। তার বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মচারী কুলচন্দ্র দে এবং মা পূর্ণশশী। তার বছর বয়েসে বাবা মারা যান। তার বড় ভাই সরকারি চারু কারু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মুকুল দের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ। ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ তাকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে গিয়ে কলাভবনে ভর্তি করে দেন। খুব কম সময়েই তিনি নন্দলাল বসুর প্রিয় ছাত্রী হয়ে ওঠেন। পরে তিনি অবনীন্দ্রনাথের কাছেও আঁকা শিখেছেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তিনি যৌথভাবে বাল্মিকী প্রতিভা নাটকের সিরিজ এবং শান্তিনিকেতনের দৃশ্যাবলীর রঙিন ছবি আঁকেন। তার আঁকা ছবিগুলির ভিতরে ''রাধার বিরহ'' এবং ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে লিনোকাটের উপর তার একটি বই বহু প্রশংসা পেয়েছিল। ১৯৩৩ (১৯৩৪ ?) খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথের পৌরহিত্যে তার ব্যক্তিগত সচিব অনিল চন্দের সাথে মুম্বাইতে তার বিবাহ হয়। তিনি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন। তিনি তার জেল জীবনের অভিজ্ঞতা ফুটিয়ে তুলেছিলেন ''জেনানা ফটক'' বইতে। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে দেশের প্রথম মহিলা চিত্রশিল্পী হিসাবে দিল্লি মুম্বাইতে একক চিত্রপ্রদর্শনী করে খ্যাতিলাভ করেন। তার আঁকা ছবি দিয়ে তৈরি অ্যালবাম খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। দিল্লির রাষ্ট্রপতিভবন সহ তার আঁকা ছবিগুলি বিভিন্ন রাজ্যের রাজভবনগুলিতেও স্থান পেয়েছে। চিনের প্রধানমন্ত্রী চুনকিং-এর আমলে ভারত সরকার তার আঁকা ছবি সৌহার্দ্যের প্রতীক হিসাবে চিন সরকারের হাতে তুলে দেয়। সঙ্গীত এবং নৃত্যাভিনয়েও তিনি পারদর্শী ছিলেন। আশ্রমের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে রবীন্দ্রনাথ যখন দেশে বিদেশে অনুষ্ঠান করছেন তখন তিনিও সেইসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কায় শাপমোচন নৃত্যনাট্যে তিনি নাচে অংশ নিয়েছিলেন। স্বামী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার হওয়ার পর ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি শান্তিনিকেতন ছেড়ে স্বামীর সাথে দীর্ঘ ২০ বছর দিল্লিতে ছিলেন। সেই সময়ে জওহরলাল নেহরু, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত প্রমুখের সাহচর্য পান। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি স্বামীর সাথে সাংস্কৃতিক দলের অন্যতম প্রতিনিধি হয়ে পূর্ব ইউরোপ এবং তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ায় ভ্রমণ করেন। রবীন্দ্রনাথের অনুপ্রেরনা এবং নির্দেশে তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রোগশয্যায় মুখে মুখে বলা রচনার অনুলিপিকার ছিলেন তিনি। ছাড়া অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী এবং তার দুটি স্মৃতিকথা জোড়াসাঁকোর ধারে এবং ঘরোয়া তারই অনুলিখন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তার ''পূর্ণকুম্ভ'' গ্রন্থের জন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তার সাহিত্যকীর্তির জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি.লিট ডিগ্রি দিয়ে সম্মানিত করে। তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থ ''আলাপচারী রবীন্দ্রনাথ'', ''গুরুদেব'', ''পথে ঘাটে'', ''সব হতে আপন'', ''আমার মায়ের বাপের বাড়ি'', ''শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ'' প্রভৃতি। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন এবং তিনি সেখানেই আমৃত্যু কাটান। == তথ্যসূত্র == সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান সাহিত্য সংসদ দ্বিতীয় খণ্ড চিত্রশিল্পী চিত্রশিল্পী লেখক'''সন্তোষকুমার ঘোষ''' (জন্ম: সেপ্টেম্বর ১৯২০ মৃত্যু: ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫) একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক এবং সাংবাদিক সন্তোষকুমার ঘোষ বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুরের রাজবাড়ীর বাসিন্দা ছিলেন তিনি ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে বিএ পাস করেন == সাহিত্যকর্ম == কবিতা দিয়ে তার সাহিত্য রচনার শুরু হয় তার প্রথম উপন্যাস ''নানা রঙের দিন'' থেকেই তার মধ্যে এক নতুন রচনাশৈলির পরিচয় পাওয়া যায় ''কিনু গোয়ালার গলি'' তার একটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস তার আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ''শেষ নমস্কার শ্রীচরণেষু মাকে'' এই গ্রন্থটি ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করে কয়েক দশক ধরে তিনি নিজস্ব ভঙ্গিতে বহু ছোটগল্প লিখেছেন তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ''জল দাও'', ''সময় আমার সময়'' প্রভৃতি। == সাংবাদিক জীবন == তার সাংবাদিক জীবনের শুরু ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে যুগান্তর পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসাবে এরপর বাংলা ইংরেজি আরও কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার বার্তা-সম্পাদক হিসাবে যোগ দিয়ে বাংলা সাংবাদিকতায় নতুনত্ব আনেন পরবর্তীকালে তিনি এই পত্রিকার সংযুক্ত সম্পাদক হন তিনি অনেক সাংবাদিকও গড়ে তুলেছিলেন। সন্তোষকুমার ঘোষ একজন রবীন্দ্র অনুরাগী ছিলেন == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু সাংবাদিক ঔপন্যাসিক ছোটগল্পকার অকাদেমী পুরস্কার বিজয়ী(১৮ই জানুয়ারি, ১৯৪৯—২৯শে ডিসেম্বর, ১৯৯৫) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও ছোটগল্প নাটক রচনা, আলোকচিত্র, প্রচ্ছদ অলংকরণ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও তিনি কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন। == জন্ম মৃত্যু == তার জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৮ জানুয়ারি রংপুর শহরে এবং ১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় গাইবান্ধার কালাসোনার চরের নিকট ফেরির উপর থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। == শিক্ষাজীবন == রংপুরের কৈলাশরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা পাশ করেন। এরপর কারমাইকেল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। কলেজে পড়ার সময়ই তিনি চর্চায় মনোযোগী হন। ছড়া-কবিতা-গল্প রচনা এবং সাময়িক পত্রিকার প্রচ্ছদ অঙ্কনে সুনাম অর্জন করেন। বি.এ. ক্লাসে পড়ার সময় পিতার মুত্যুতে পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসে এবং তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়। ফলে তার পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে এবং পরে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে বি.এ. পাশ করেন। == কর্মজীবন == মোনাজাতউদ্দিন প্রধানত ''দৈনিক সংবাদ''-এর উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ''দৈনিক জনকন্ঠ'' পত্রিকাতেও কাজ করেছেন। সংবাদ প্রতিবেদন এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত তার গ্রন্থগুলি বহুল পঠিত প্রশংসিত। == গ্রন্থতালিকা == পথ থেকে পথে বই এর প্রচ্ছদ লক্ষীটারী বই এর প্রচ্ছদ ''পথ থেকে পথে'' (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ১৯৯১, প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা। প্রচ্ছদ: আশাফা সেলিম সেলিম নেওয়াজ ভূইয়া।) ''সংবাদ নেপথ্য'' (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ১৯৯২, প্রকাশক: বিপ্লব প্রসাদ, রংপুর। পরিবেশক: জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী। প্রচ্ছদ: উত্তম সেন।) ''কানসোনার মুখ'' (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ১৯৯২, প্রকাশক: মলয় ভৌমিক, রাজশাহী। পরিবেশক: জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী। প্রচ্ছদ: প্রবীর দাশগুপ্ত।) ''পায়রাবন্দের শেকড় সংবাদ'' (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ১৯৯৩, প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা। প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ।) ''নিজস্ব রিপোর্ট'' (প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩, প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা। প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ।) ''ছোট ছোট গল্প'' (প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩, প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা। প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ।) ''অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: গ্রামীণ পর্যায় থেকে'' (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ১৯৯৫, প্রকাশক: BCDJC, ঢাকা।) ''চিলমারীর একযুগ'' (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারি ১৯৯৫, প্রকাশক: আগামী প্রকাশনী, ঢাকা। প্রচ্ছদ: মোনাজাতউদ্দিন মাসুক হেলাল।) ''শাহা আলম মজিবরের কাহিনী ''(প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫, প্রকাশক: দিব্য প্রকাশ, ঢাকা। প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল।) ''লক্ষীটারী'' (প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬, প্রকাশক: সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা। প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী।) ''কাগজের মানুষেরা'' (প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৯৯৭, প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা। প্রচ্ছদ: সমর মজুমদার।) ''মোনাজাতউদ্দিন রচনাসমগ্র (দুই খন্ডে) '' (প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১০, সম্পাদনা: ড. আতিউর রহমান, ড. সৌমিত্র শেখর, নাসিমুজ্জামান পান্না, দীনেশ দাস, ম. হাসান, প্রকাশক: মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা। প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী।) == পুরস্কার স্বীকৃতি == দিনাজপুর নাট্যসমিতি কর্তৃক সংবর্ধনা (১৯৭৭) জহুর হোসেন চৌধুরী স্মৃতিপদক (১৯৮৪) আলোর সন্ধানে পত্রিকা কর্তৃক সংবর্ধনা (১৯৮৫) ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অফ বগুড়া কর্তৃক সম্মাননা সনদ প্রদান (১৯৮৬) ফিলিপস পুরস্কার (বাংলা ১৩৯৩ সালে দৈনিক সংবাদ-এ প্রকশিত মানুষ সমাজ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য) ইন্সটিউট অফ ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ পুরস্কার (১৯৮৭) রংপুর পদাতিক নাট্যগোষ্ঠী কর্তৃক গুনীজন সংবর্ধনা (১৯৮৮) বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার (১৯৯০) কারিগর সম্মাননা পদক (১৯৯০) অশোকা ফেলোশিপ (অবৈতনিক) (১৯৯৫) ওয়াশিংটনের পদ্মার ঢেউ বাংলা সম্প্রচার কেন্দ্র সম্মাননা প্রদান রংপুর নাগরিক নাট্যগোষ্ঠী পুরস্কার (১৯৯৬) লালমনিরহাট ফাউন্ডেশন উন্নয়ন সমিতি স্বর্ণপদক ১৯৯৬ রংপুর জেলা প্রশাসন গুণীজন সম্মননা ১৯৯৭ একুশে পদক (১৯৯৭) রুমা স্মৃতি পদক, খুলনা (১৯৯৮) == তথ্যসূত্র == (ড. মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন, বাংলা একাডেমি, ঢাকা।) মোনাজাতউদ্দিন স্মৃতি পরিষদ, ঢাকা। == বহিঃসংযোগ == Ashoka.org-এ মোনাজাতউদ্দিনের উপর ভুক্তি গুণীজন একজন ছিলেন সকল মানুষের চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন জন্ম মৃত্যু সাংবাদিক পদক বিজয়ী কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীপূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র গণচীনকে প্রশাসনিকভাবে সর্বোচ্চ স্তরে অঞ্চল এবং কেন্দ্রশাসিত পৌরসভাতে বিভক্ত। প্রদেশ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলি স্বায়ত্তশাসিত অঙ্গরাজ্য জেলা, স্বায়ত্তশাসিত এবং শহরে বিভক্ত। জেলাগুলি স্বশাসিত জেলা এবং শহর মহকুমা, সংখ্যালঘু জাতির মহকুমা এবং ক্ষুদ্র নগরে বিভক্ত। প্রয়োজন হলে রাষ্ট্র বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে পারে। বর্তমানে চীনে ৪টি কেন্দ্রশাসিত পৌরসভা, ২৩টি প্রদেশ,পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং ২টি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলনসহ মোট ৩৪টি প্রদেশ পর্যায়ের প্রশাসনিক ইউনিট আছে। ৪টি কেন্দ্রশাসিত মহানগর হল বেইজিং, সাংহাই, থিয়েনচিন ছুংছিং। ২৩টি প্রদেশ নিম্নরূপ: প্রদেশ সংক্ষিপ্ত নাম রাজধানী হপেই চি সিচিয়াচুয়াং শানসি চিন থাইউয়েন লিয়াওনিং লিয়াও সেনইয়াং চিলিন চি ছাংছুন হেইলুংচিয়াং হেই হারপিন চিয়াংসু সু নানচিং চচিয়াং হাংচৌ আনহুই ওয়ান হফেই ফুচিয়েন মিন ফুচৌ চিয়াংসি ক্যান নানছাং শানতুং লু চিনান হনান ইউয়ু চেনচৌ হুপেই এ্য উহান হুনান সিয়াং ছাংশা কুয়াংতুং ইয়ো কুয়াংচৌ হাইনান ছোং হাইখৌ সিছুয়ান ছুয়ান বা শু ছেংতু কুইচৌ ছিয়েন বা কুই কুইইয়াং ইউন্নান তিয়েন বা ইউয়ুন খুনমিং শাআনশি শ্যান বা ছিন সি আন কানসু ক্যান বা লুং লানচৌ ছিংহাই ছিং সিনিং থাইওয়ান (বিতর্কিত) থাই থাইপেই ৫টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নিচের মতন: স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সংক্ষিপ্ত নাম রাজধানী অন্তর্দেশীয় মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল অন্তমঙ্গোলিয়া হুহাওট তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চাং লাসা কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কুই নাননিং নিংশিয়া হুইজাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নিং ইনছুয়ান শিনচিয়াং উইগুরজাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিন উরুমুচি এছাড়াও হংকং মাকাউ নামের দুইটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল আছে। প্রশাসনিক বিভাজন'''ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন''' ভারতের একটি ইসলামি সংগঠন == ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের স্বীকার করা বিস্ফোরনের তালিকা == উত্তর প্রদেশ বিস্ফোরন-২০০৭ জয়পুর বিস্ফোরন-২০০৮ ব্যাঙ্গালোর বিস্ফোরন-২০০৮ আহমেদাবাদ বিস্ফোরন-২০০৮ == আরও দেখুন == সিমি == তথ্যসূত্র == ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দ্বারা সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত সংগঠন ইউনিয়নের মনোনীত সন্ত্রাসী সংগঠন সরকার দ্বারা সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত সংগঠন হোম অফিসের মনোনীত সন্ত্রাসী দল সরকার দ্বারা সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত সংগঠন মুজাহিদিন সরকার দ্বারা সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত সংগঠনদিল্লি গেটে উড্ডীয়মান ভারতীয় পতাকা '''লাল কেল্লা''' (হিন্দি: '''लाल क़िला'''; উর্দু: ''' لال قلعہ '''; ইংরেজি: '''Red Fort''') খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রাচীর-বেষ্টিত পুরনো দিল্লি (অধুনা দিল্লি, ভারত) শহরে মুঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত একটি দুর্গ। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এই দুর্গটি ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। এরপর ব্রিটিশ ভারতীয় সরকার মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে নির্বাসিত করলে ভারতের রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা এই দুর্গটিকে একটি সামরিক ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করত। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক। প্রতি বছর ভারতীয় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার লাহোরি গেটসংলগ্ন একটি স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন। ২০০৭ সালে '''লালকেল্লা''' ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট শাহজাহান সুবৃহৎ এই কেল্লাটির নির্মাণকার্য শুরু করেন। নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৮৪৮ সালে। প্রথম দিকে এই দুর্গের নাম ছিল 'কিলা-ই-মুবারক' ('আশীর্বাদধন্য দুর্গ'); কারণ এই দুর্গে সম্রাটের পরিবারবর্গ বাস করতেন। দুর্গটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। এই নদীর জলেই পুষ্ট হত দুর্গপ্রাকারের পরিখাগুলো। দুর্গের উত্তর-পূর্ব কোণের প্রাচীর সালিমগড় দুর্গ নামে অপর একটি প্রাচীন দুর্গের সঙ্গে সংযুক্ত। ১৫৪৬ সালে ইসলাম শাহ সুরি এই প্রতিরক্ষা দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। লালকেল্লার পরিকল্পনা সাজসজ্জা শাহজাহানের শাসনকালে মুঘল স্থাপত্য চিত্রকলার উৎকর্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রকৃতপক্ষে লালকেল্লা ছিল দিল্লিক্ষেত্রের সপ্তম নগরী তথা শাহজাহানের নতুন রাজধানী শাহজাহানাবাদের রাজপ্রাসাদ। পরবর্তীকালে অবশ্য তিনি দিল্লি থেকে আগ্রা শহরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিলেন। লালকেল্লায় বসবাসকারী শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার পর ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর লালকেল্লা পরিত্যাগ করেন। পরে তিনি ব্রিটিশ বন্দী হিসেবে এই দুর্গে ফিরে আসেন। এখানেই ১৮৫৮ সালের ২৭ জানুয়ারি তার বিচার শুরু হয় এবং অক্টোবর তাকে নির্বাসনদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর লালকেল্লার কর্তৃত্ব ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। তারা এটিকে একটি ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। ১৯৪৫ সালে আজাদ হিন্দ ফৌজের পরাজয়ের পর লাল কেল্লাতেই যুদ্ধবন্দীদের বিচার হয়। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই কেল্লাটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। == স্থাপত্য == নক্করখানা লালকেল্লার অলংকরণ শিল্পকর্ম অতি উচ্চমানের। পারসিক, ইউরোপীয় ভারতীয় শিল্পকলার সংমিশ্রণে সৃষ্ট এই অভিনব শিল্পকলা ব্যঞ্জনাময়, বর্ণময় এবং স্বতন্ত্রতার দাবিদার। দিল্লির লালকেল্লা ভারতের সেই সকল স্থাপনাগুলোর অন্যতম যার সঙ্গে ভারতীয় শিল্পের যোগ ঐতিহাসিকসূত্রে গ্রথীত। বিচারেও এই দুর্গটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে ১৯১৩ সালে লালকেল্লা জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন স্থাপনা রূপে ঘোষিত হয় এবং সরকার কেল্লার রক্ষণাবেক্ষণের ভার স্বহস্তে গ্রহণ করে। দুর্গের প্রাচীর মসৃণ এবং দৃঢ়। দুর্গের দুটি প্রধান দরজা দিল্লিগেট লাহোরগেট। লাহোরগেট হল প্রধান দরজা। এই গেট দিয়ে ঢুকলে একটি লম্বা আচ্ছাদিত বাজারপথ পড়ে। এর নাম চট্টাচক। এই পথের দু দিকের দেওয়াল দোকানের মতো করে স্টল দিয়ে সাজানো। চট্টাচক ধরে সোজা এলে উত্তর-দক্ষিণ পথ পাওয়া যায়। এই পথটি আসলে দুর্গের পশ্চিমের সামরিকক্ষেত্র পূর্বের রাজপ্রাসাদের সীমানা। এই পথের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত দরজাটিই হল দিল্লিগেট। == লাল কেল্লার অভ্যন্তরীণ স্থাপনাসমূহ == দিওয়ান-ই-আম === দিওয়ান-ই-আম === দিল্লিগেটের বাইরে একটি বড়ো মুক্তাঙ্গন রয়েছে। এটি এককালে অঙ্গন রূপে ব্যবহৃত হত। এখানে ''ঝরোখা'' নামে একটি অলংকৃত সিংহাসনে বসে সম্রাট জনসাধারণকে দর্শন দিতেন। এই স্তম্ভগুলো সোনায় চিত্রিত ছিল এবং সোনা রুপোর রেলিং দিয়ে সাধারণকে সিংহাসনের থেকে পৃথক করে রাখা হত। দিওয়ান-ই-খাস === দিওয়ান-ই-খাস === ছিল পুরোপুরি শ্বেতপাথরে মোড়া একটি কক্ষ। এর স্তম্ভগুলো পুষ্পচিত্রে সজ্জিত ছিল। ভিতরের অলংকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল ধাতুসমূহ। === নহর-ই-বেহিস্ত === সিংহাসনের পশ্চাতে ছিল সম্রাটপরিবারের নিজস্ব কক্ষগুলো। এই কক্ষগুলো দুর্গের দুটি কক্ষের সারির উপর অবস্থিত ছিল। এই সারি দুটি উচ্চ বেদীর উপর অবস্থিত ছিল এবং কক্ষগুলো থেকে যমুনা নদীর দৃশ্য দেখা যেত। কক্ষগুলো জলধারা'') নামে একটি নীরবচ্ছিন্ন জলধারা দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই জলধারা প্রত্যেক কক্ষের মাঝ বরাবর প্রসারিত ছিল। যমুনা নদী থেকে দুর্গের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত ''শাহবুর্জ'' নামে একটি মিনারে জল টেনে তুলে এই জলধারাকে পুষ্ট করা হত। প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল কুরআনে বর্ণিত স্বর্গোদ্যানের অনুকরণে। প্রাসাদের ভিতরের গাত্রে 'যদি পৃথিবীতে কোথাও স্বর্গ থাকে তবে তা এখানেই, তা এখানেই, তা এখানেই' কথাটি উপর্যুপরি দেওয়ালে খোদিত হয়েছিল। ইসলামি শিল্পকলা অনুযায়ী নির্মিত হলেও এই সব কক্ষে হিন্দু শিল্পকলার প্রভাবও খুঁজে পাওয়া যায়। প্রাসাদ প্রাঙ্গনটিকে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বলে মনে করা হয়। === জেনানা === রংমহল প্রাসাদের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত কক্ষ দুটি ছিল ''জেনানা'' বা মহিলাদের বাসস্থান। ছোটো কক্ষটির নাম '''মুমতাজ মহল''' (বর্তমানে একটি সংগ্রহালয়) এবং অপরটির নাম '''রংমহল'''। রংমহল তার চাকচিক্যময় অলংকৃত সিলিং এবং জলধারাপুষ্ট শ্বেতপাথরের জলাধারটির জন্য প্রসিদ্ধ। মোতি মসজিদ === মোতি মসজিদ === হামামের পশ্চিমে রয়েছে '''মোতি মসজিদ '''। এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল অনেক পরে। ১৬৫৯ সালে শাহজাহানের পুত্র আওরঙ্গজেব ব্যক্তিগত মসজিদ হিসেবে এটি নির্মাণ করেন। এটি একটি ছোটো, তিন-গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। এটি পুরো শ্বেতপাথরে নির্মিত। === হায়াত বক্স বাগ === কেল্লার উত্তরে রয়েছে একটি আনুষ্ঠানিক উদ্যান। এর নাম '''হায়াত বক্স বাগ''' বা ''জীবন প্রদায়ী উদ্যান''। উদ্যানটি দুটি পরস্পরচ্ছেদী জলধারা দ্বারা বিভক্ত। উত্তর-দক্ষিণ জলধারাটির দুই প্রান্তে দুটি কক্ষ রয়েছে। ১৮৪২ সালে শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর তৃতীয় কক্ষটি নির্মাণ করেন উদ্যানকেন্দ্রে দুই জলধারার ছেদনস্থলের উপরে। == আজকের লালকেল্লা == লালকেল্লায় রাতের আলোকসজ্জা লালকেল্লা পুরনো দিল্লির সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। প্রতিবছর সহস্রাধিক পর্যটক এই কেল্লাটি দেখতে আসেন। এই কেল্লার প্রাঙ্গনেই প্রতি বছর ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। লালকেল্লা পুরনো দিল্লির বৃহত্তম স্থাপনাও বটে। বর্তমানে সন্ধ্যায় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র মাধ্যমে কেল্লায় মুঘল ইতিহাসের প্রদর্শনী করা হয়। এখানে ভারতের শহিদদের স্মৃতিতে একটি জাদুঘরও রয়েছে। এই জাদুঘর ছাড়াও রয়েছে একটি পুরাতাত্ত্বিক জাদুঘর একটি ভারতীয় যুদ্ধস্মারক সংগ্রহালয়। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে লস্কর-ই-তৈবা নামক জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণে লাল কেল্লা প্রাঙ্গনে দুই সেনা জওয়ান এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। == আরও দেখুন == আগ্রা কেল্লা লাহোর কেল্লা == চিত্রাবলি == চিত্র:Red Fort 01.jpg|প্রধান দরজা লাহোরগেট চিত্র:Red Fort আরেকটি দৃশ্য চিত্র:Red Fort অন্দরসজ্জা চিত্র:Red Fort 04.jpg|রংমহল চিত্র:Red Fort (বামে) খাসমহল (ডানে) চিত্র:Red Fort অন্দরসজ্জা চিত্র:Red Fort অন্দরসজ্জার অলংকরণ চিত্র:Red Fort 08.jpg|মোতি মসজিদ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Red Fort, Delhi Pictures of the Delhi Fort (Red Fort) স্থাপত্য ভবন স্থাপনা দর্শনীয় স্থান রাজপ্রাসাদ দুর্গ প্রাসাদ হিন্দ ফৌজের বিচারসন্ধ্যের সৌন্দর্যে শিলাই নদী '''শিলাই''' বা '''শিলাবতী''' দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমবঙ্গের একটি ছোট নদী। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপর দিয়ে শিলাই প্রবাহিত। পুরুলিয়ার পুঞ্চা শহরের কাছে উৎপন্ন হয়ে এই নদী গভীর অরণ্যের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করেছে। বাঁকুড়ায় শিলাই-এর প্রধান উপনদী হল জয়পাণ্ডা পুরন্দর। এছাড়াও আরও কয়েকটি ছোট নদী বাঁকুড়ায় শিলাই-এ মিলিত হয়েছে। তারপর সিমলাপাল হয়ে দক্ষিণপূর্বে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে শিলাই-এর প্রধান উপনদী কুলবাই, তমাল পারাং। তার মধ্যে কুলবাই বা কুবাই নদী টাঙ্গাসোলের কাছে উৎপন্ন হয়ে রেললাইন পেরিয়ে মুগবসনের কাছে তমাল নদীতে মিলিত হয়েছে এই মিলিত প্রবাহ নাড়াজোলের কাছে শিলাই নদীতে মিশেছে। তবে বর্ষাকাল ছাড়া শিলাই বা তার উপনদীগুলিতে জল বিশেষ থাকে না। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা খড়কুসমা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শিলাই ঘাটালের কাছে দ্বারকেশ্বর নদে মিশেছে। ঘাটাল এই নদীর তীরে অবস্থিত একমাত্র শহর গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। == তথ্যসূত্র == নদী নদী নদী'''কলিকাতা কমলালয়''' ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কলকাতার ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ। প্রকাশকাল ১৮২৩। এটি কলকাতার ইতিহাসের একটি আকর গ্রন্থ হিসাবে প্রসিদ্ধ। এছাড়াও এই শহরের সাংস্কৃতিক জগতের বহু তথ্য জানা যাই এই বইটি থেকে। এমনকি বাংলা ভাষাতত্ত্ব শব্দভাণ্ডার নিয়েও প্রথম আলোচনা করেন ভবানীচরণ। চারটি ‘তরঙ্গ’ বা অধ্যায়ে বিভক্ত গ্রন্থটির প্রথম তরঙ্গই বর্তমানে পাওয়া যায়। == তথ্যসূত্র == রসরচনাসমগ্র, ভবানীচরণ সনৎকুমার গুপ্ত সম্পাদিত, নবপত্র প্রকাশন, কলকাতা, ১৯৮৭ সাহিত্য ইতিহাস'''যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত''' (জন্ম: ২২ মার্চ ১৮৮৩ মৃত্যূ: ১৯৬৫) একজন সাহিত্যিক এবং গবেষক। ''শিশুভারতী'' নামের বিখ্যাত কোষগ্রন্থের সম্পাদনা তার উল্লেখযোগ্য কীর্তি। তিনি ''কৈশোরক'' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তার রচিত ''বাংলার ডাকাত'' বইখানি উল্লেখযোগ্য। ইতিহাস সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে তার গবেষণামূলক অবদান স্মরণীয়। ==জন্ম শৈশব== যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকার মূলচরের নিবাসী ছিলেন। তিনি অল্পবয়েসে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ==রচিত গ্রন্থ== তিনি ১০০টিরও বেশি বই লেখেন। তিনি ''বিশ্বের ইতিহাস'' ২১ খণ্ডে রচনা করেছিলেন। তার রচিত গ্রন্থের ভেতর আছে, ''বিক্রমপুরের ইতিহাস'' ''কেদার রায়'' ''ধ্রুব'' ''প্রহ্লাদ'' ''ভীমসেন'' ''বঙ্গের মহিলা কবি'' ''কল্পকথা'' (ছোটগল্প) ''তসবীর'' (নাটক) ''হিমালয় অভিযান'' ''কবিতা মঞ্জরী'' ''সাহিত্যিক'' == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু সম্পাদক ঐতিহাসিক লেখক'''কাশীপুর''' হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকা। এটি কলকাতার একটি প্রাচীন জনবসতি। অঞ্চলটি কাশীপুর থানার অধীনস্থ। বিধানসভা কেন্দ্র এই অঞ্চলের বিধানসভা কেন্দ্র। ==ইতিহাস== ১৭১৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়রের কাছ থেকে তাদের কুঠি-সংলগ্ন আটত্রিশটি গ্রামের রাজস্ব আদায়ের অধিকার লাভ করে। এগুলির মধ্যে পাঁচটি গ্রাম হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অধুনা হাওড়া জেলার ভূখণ্ডের অন্তর্গত ছিল। বাকি তেত্রিশটি গ্রাম ছিল কলকাতার দিকে। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার পতনের পর ১৭৫৮ সালে কোম্পানি মিরজাফরের থেকে গ্রামগুলি কিনে নিয়ে পুনর্গঠিত করে। এই গ্রামগুলি একত্রে পরিচিত ছিল নামে। কাশীপুর ছিল এই গ্রামগুলিরই অন্যতম। মারাঠা খাতের সীমানার বাইরে অবস্থিত এই অঞ্চলটিকে সেই সময় শহরতলি এলাকা হিসাবে গণ্য করা হত। এইচ. ই. এ. কটন লিখেছেন, "হুগলি নদীর কাশীপু্রের তীরবর্তী অংশটি নদীর তীরবর্তী সবচেয়ে সুন্দর অংশগুলির অন্যতম। এইখানে অনেকগুলি বাগানবাড়ি অবস্থিত। সেই যুগেই কাশীপুর একটি শিল্পাঞ্চল হিসাবে গড়ে ওঠে। এখানে স্থাপিত হয় গভর্নমেন্ট গান ফাউন্ড্রি, স্নাইডার রাইফেল শেল কারখানা (কর্নেল হাচিনসন কর্তৃক স্থাপিত) এবং একাধিক চিনিকল চটকল। ১৮৮৮ সালে এন্টালি, মানিকতলা, বেলগাছিয়া, উল্টোডাঙা, চিৎপুর, কাশীপুর, বেনিয়াপুকুরের কিয়দংশ, বালিগঞ্জ, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর এবং গার্ডেনরিচ টালিগঞ্জের কিয়দংশ কলকাতা পৌরসংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়। গার্ডেনরিচ এলাকাটিকে পরে কলকাতা থেকে আলাদা করা হয়েছিল। ==ভূগোল== ===কলকাতা পৌরসংস্থার ওয়ার্ডসমূহ=== কলকাতা পৌরসংস্থার নং ওয়ার্ড দু’টি কাশীপুর অঞ্চলের আওতাভুক্ত। হুগলি নদীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাট এই অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলি হল কাশীপুর ঘাট, সাধুর ঘাট, রানির ঘাট, শ্রীরামকৃষ্ণ মহাশ্মশান ঘাট রতনবাবু ঘাট। ===পুলিশ থানা=== কাশীপুর থানাটি কলকাতা পুলিশের উত্তর উত্তর শহরতলি বিভাগের অন্তর্গত। থানার ঠিকানা ৫৮/এ, ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড, কলকাতা ৭০০০০২। কলকাতা পৌরসংস্থার নং ওয়ার্ডটি এই থানার এক্তিয়ারভুক্ত। উত্তর উত্তর শহরতলি বিভাগের অন্যান্য সব থানাগুলির মতো কাশীপুর থানাটিও আমহার্স্ট স্ট্রিট মহিলা পুলিশ থানার এক্তিয়ারভুক্ত। কলকাতা পৌরসংস্থার নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কাশীপুর এবং নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত সিঁথি অঞ্চল কাশীপুর থানার অন্তর্গত। ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, এই অঞ্চলের জনসংখ্যা ৯৬,০৪৩। এর মধ্যে ৫১,৪০১ জন পুরুষ ৪৪,৬৪২ জন মহিলা। এই অঞ্চলের দশকীয় বৃদ্ধির হার নেতিবাচক। নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত চিৎপুর অঞ্চলের কিছু অংশ কাশীপুর থানার অন্তর্গত। ==অর্থনীতি== ===গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি=== ১৮০২ সালে স্থাপিত কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি ভারতীয় উপমহাদেশের চালু কারখানাগুলির মধ্যে সর্বপ্রাচীন। এটি কাজ করে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিজ বোর্ডের অধীনে। প্রযুক্তিগত বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই কারখানাও উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে পরিবর্তন আনে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক মানের অস্ত্র উৎপাদন করতে থাকে। বর্তমানে কারখানাটির আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। এখানে বড়ো ব্যারেল গান থেকে শুরু করে ছোটো ব্যারেল গান, বিভিন্ন ধরনের শেল, ফিউজ অসামরিক পণ্য সামগ্রী উৎপাদিত হয়। এই কারখানাটি চালু হয়েছিল গান ক্যারেজ এজেন্সি হিসাবে। এজেন্সিটি ১৮১৪ সালে প্রথমে এলাহাবাদে এবং পরে ১৮১৬ সালে ফতেহগড়ে স্থানান্তরিত হলে এই কারখানার গুরুত্ব কমে যায়। শেষে ১৮২৯ সালে কারখানার সকল যন্ত্রপাতি ফতেহগড়ে স্থানান্তরিত হয়। সেই সময় কারখানার শূন্য স্থান ব্যবহৃত হয় ফোর্ট উইলিয়ামের গান ফ্যাক্টরির অত্যাবশ্যকীয় সম্প্রসারণ সংস্কারের জন্য। ব্রাস গান উৎপাদনের পাশাপাশি এই কারখানায় আয়রন শট শেল উৎপাদনও শুরু হয়। ১৮৫৫ সাল নাগাদ ব্রিটিশ বাহিনীতে ব্রিচ-লোডিং স্টিল রাইফেলড বন্দুকের ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু সেই সময় এই বন্দুক উৎপাদনের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো কাশীপুরের কারখানাটির ছিল না। মিনি-বুলেট ফ্যাক্টরিটি দমদমে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। সেই সময় কাশীপুরে উৎপাদন কমে গেলেও কারখানাটি বন্ধ হয়নি। ইংল্যান্ড থেকে আমদানি করা রাইফেলড বন্দুকগুলির জন্য নতুন এলনগেটেড শেল প্রয়োজন হত। ঠিক হয় যে কাশীপুরের কারখানায় নতুন শেল তৈরি করা হবে। কারখানাটি সম্প্রসারিত হয় এবং ১৮৭২ সালে ‘গান ফাউন্ড্রি’র বদলে এই কারখানার নাম রাখা হয় ‘ফাউন্ড্রি অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি’। নতুন এলনগেটেড শেলের সঙ্গে সঙ্গে সদ্য-প্রচলিত ব্রিচ-লোডিং বন্দুকের উপযোগী আধুনিক ফিউজ কার্তুজের উৎপাদনও এই কারখানায় শুরু হয়। তাই ১৮৮৭ ১৮৯০ সালে দু’বার এই কারখানার সম্প্রসারণ ঘটানো হয়েছিল। ১৮৯২ সালে ভারতে প্রথম ইস্পাত ঢালাই করা হয় কাশীপুরে সিমেন’স মার্টিন ওপেন হার্থ প্ল্যান্টে। ১৮৯৬ সালে একটি রোলিং মিল স্থাপিত হয়। অবশ্য ১৯০৩ সালে এই কারখানার ধাতুবিদ্যাগত ইউনিটটি ইছাপুরে স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। কারণ সেই সময় কাশীপুরে সম্প্রসারণের উপযুক্ত জায়গা ছিল না। ১৮৯০ সালে আমদানি করা ব্রিচ-লোডিং বন্দুকের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলির উৎপাদন সারাইয়ের জন্য একটি দোকান খোলা হয়। ১৯০৫ সালে এই কারখানায় কুইক-ফায়ারিং বন্দুকের উৎপাদন শুরু হয়। বন্দুক উৎপাদন আবার শুরু হলে সেই বছরই কাশীপুরের ইউনিটটির নামকরণ করা হয় ‘গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি’। বর্তমানে কারখানাটি ওই নামেই পরিচিত। ===কাশীপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র=== ১৯৪৯ সালে সিইএসই কাশীপুরে বিদ্যুৎ জেনারেটিং কেন্দ্রটি স্থাপন করে। এটির বর্তমান ক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট। এখানে দূষণ সৃষ্টি করে না এমন জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ==সংস্কৃতি== রামকৃষ্ণ মঠের কাশীপুর শাখাটি কাশীপুর উদ্যানবাটী নামে পরিচিত। এই বাগানবাড়িতে রামকৃষ্ণ পরমহংস তাঁর জীবনের শেষ কয়েক মাস কাটিয়েছিলেন। এখানেই তাঁর মহাসমাধি হয়। ১৯৪৬ সালে এটি রামকৃষ্ণ মঠের শাখাকেন্দ্রে পরিণত হয়। প্রতিবছর জানুয়ারি এখানে মহাসমারোহে কল্পতরু উৎসব আয়োজিত হয়। ==আরও দেখুন== কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্র ওয়ার্ড ১, কলকাতা পৌরসংস্থা ==পাদটীকা== অঞ্চল'''পুরুলিয়া পলিটেকনিক''' পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার একটি সরকারি প্রকৌশল কলেজ। ১৯৫৭ সালে একটি স্পনসর্ড কলেজ হিসাবে এর প্রতিষ্ঠা; ১৯৭৬ সালে এই কলেজ পায় সরকারি কলেজের তকমা। প্রথম দিকে শুধুমাত্র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-ই পড়ানো হত এখানে। ১৯৬০ সালে পুরুলিয়ার বিবেকানন্দনগরে নিজস্ব এক বিশালাকার ভবনে এই কলেজ স্থানান্তরিত হয় এবং ইলেকট্রনিক্স মেকানিক্যাল বিভাগ চালু হয়। বর্তমানে এই কলেজে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনও পড়ানো হয়। বিভিন্ন কোর্সে আসনের সংখ্যা হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ৬০, ইলেকট্রনিক্স মেকানিক্যাল-এ ৩০ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ৬০টি। বিভিন্ন বিভাগে ইন্সট্রাকটর সহ মোট ২২ জন পূর্ণ সময়ের শিক্ষক লাইব্রেরিয়ান সহ ৩৪ জন শিক্ষাকর্মী এখানে কাজ করেন। আজ এটি পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রথম সারির পলিটেকনিক। == তথ্যসূত্র == শ্রীনিবাস মিশ্র, প্রবন্ধ ''পুরুলিয়া জেলার উচ্চশিক্ষা'' ''পশ্চিমবঙ্গ'' পত্রিকা, পুরুলিয়া জেলা সংখ্যা, জ্যৈষ্ঠ-বৈশাখ, ১৪১৪ (জুন ২০০৭), তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার == বহিঃসংযোগ == পুরুলিয়া পলিটেকনিক সম্পর্কিত সাধারণ তথ্য জেলার'''হ্যালোইন''' বা '''হ্যালোউইন''' (; "অল হ্যালোজ' ইভ"-এর সংক্ষিপ্ত রূপ), এছাড়াও '''অল হ্যালোজ' ইভ''', বা '''অল সেইন্টস' ইভ''' হিসাবে পরিচিত, একটি বার্ষিক উদযাপন বা ছুটির দিন যা প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে পালিত হয় ৩১ অক্টোবর তারিখে, অল হ্যালোজ' ডে বা সমস্ত হ্যালোজ দিবসে পাশ্চাত্য খ্রিস্টীয় ভোজোৎসবের প্রাক্কালে। লিটার্জিকাল বছরের এই দিনটি নিবেদন করা হয় মৃত, সাধু (হ্যালোজ), শহীদ এবং সমস্ত বিশ্বস্ত বিদেহী বিশ্বাসীদের স্মরণ করে। হ্যালোইন উৎসবের প্রাক্কালে যেই মূল ধারণা বা থিম অনুসরন কর হয় তা হলো "হাস্যরস উপহাসের সাহায্যে মৃত্যুর ক্ষমতার মুখমুখি হওয়া"। অনেক পণ্ডিতদের মতে, "হ্যালোইন" বা "অল্ হ্যালোজ্ ইভ্" হলো খ্রিস্টধর্মের একটি বার্ষিক উৎসব যা প্রাথমিকভাবে কেলটিক ফসল কাটার উৎসব দ্বারা প্রভাবিত। অন্যান্য পণ্ডিতদের মতে, এই উৎসবটির স্বতন্ত্র উৎপত্তি সামহেন থেকে এবং এর মূলে সরাসরি খ্রিস্টধর্মের প্রভাব বিদ্যমান। হ্যালোইন উৎসবে পালিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে আছে 'বনফায়ার' বা অগ্ন্যুৎসব, আজব পোষাকের পার্টি, ভৌতিক স্থান ভ্রমণ, ভয়ের চলচ্চিত্র দেখা ইত্যাদি। আইরিশ স্কটিশ অভিবাসীরা ১৯শ শতকে এই ঐতিহ্য উত্তর আমেরিকাতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলিও হ্যালোইন উদযাপন করা শুরু করে। বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলি দেশে হ্যালোইন পালিত হয়, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, পুয়ের্তো রিকো, এবং যুক্তরাজ্য। এছাড়া এশিয়ার জাপানে এবং অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডেও হ্যালোইন পালিত হয়। == ব্যুৎপত্তি == "হ্যালোইন" বা "হ্যালোউইন" শব্দটির উৎপত্তি ১৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মূলত খ্রিস্টীয় ধর্ম থেকে হয়েছে। "হ্যালোইন" শব্দের অর্থ "শোধিত সন্ধ্যা" বা "পবিত্র সন্ধ্যা"। এই শব্দটি স্কটিশ ভাষার শব্দ "অল হ্যালোজ' ইভ" থেকে এসেছ। স্কটে ব্যবহৃত "ইভ" শব্দটি সংকুচিত বা সংক্ষিপ্ত হয়ে "ইন" হয়ে যায়। এভাবে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়ে "হ্যালোজ' ইভ" শব্দটি "হ্যালোইন"-এ রূপান্তরিত হয়। যদিও "অল হ্যালোজ" শব্দটি প্রাচীন ইংরেজিতে পাওয়া যায়, তবে শব্দটি ১৫৫৬ সালের পরে আর ব্যবহৃত হয়নি। ==ইতিহাস== === গ্যেলিক এবং ওয়েলস প্রভাব === ২০শ শতকের আইরিশ হ্যালো'উইন মুখোশ, মিউজিয়াম অফ কান্ট্রি লাইফ। এখনকার হ্যালোইন এর রীতিনীতি কেল্টিক ভাষী দেশগুলোর লোকজ রীতিনীতি বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত বলে ধারণা করা হয়; সেসব দেশের কয়েকটি প্যাগান বা পৌত্তলিক ধর্মাবলম্বি আর অন্যান্যগুলো কেলটিক খ্রিস্টধর্ম অবলম্বন করে থাকে। জ্যাক স্যানটিনো, একজন লোকাঁচারবাদি, লিখেছেন "উত্তর আয়ারল্যান্ডে পবিত্রতা ধর্ম হলো হ্যালোইনকে বোঝার মৌলিক প্রসঙ্গ, কিন্তু এই উৎসব উৎযাপন নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সর্বত্র একটি অস্বস্তিকর সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় খ্রিস্টধর্মের রীতিনীতি বিশ্বাস এবং পুর্বে আয়ারল্যান্ডে যেসব ধর্ম প্রতিষ্ঠিত ছিলো তাদের মধ্যে"। ইতিহাসবিদ নিকোলাস রজার্স "হ্যালোইন" এর মূল উৎসের অনুসন্ধান করার সময় লক্ষ্য করেন, "কিছু লোকাঁচারবাদি হ্যালোইন এর উৎস খুজে পেয়েছিলেন ফল বীজের দেবীকে উত্সর্গীকৃত পোমোনার রোমান ভোজোত্সবে, অথবা মৃতদের উৎসব এবং এই উৎসবগুলো সাধারনত কেল্টিকদের সামহেন উৎসবের সাথে সম্পৃক্ত"। Night নাইট'', আয়ারল্যান্ডে হ্যালোইন উৎসব, ড্যানিয়েল ম্যাকলাইস কর্তৃক ১৮৩৩ সালে অঙ্কিত == মৃত এবং আত্মাদের রাত্রি == আইরিশ, যুক্তরাজ্য, ওয়েলশ সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করতো যে প্রত্যেক নতুন বছরের আগের রাতে (৩১শে অক্টোবর) সাহেইন, মৃত্যুর দেবতা, আঁধারের রাজ পুত্র, সব মৃত আত্মা ডাক দেয়। এই দিন মহাশূন্য এবং সময়ের সমস্ত আইনকানুন মনে হয় স্থগিত করা হয় এবং জীবিতদের বিশ্ব যোগদান করতে মৃত আত্মাদের অনুমোদন করে। তারা আরও বিশ্বাস করতো যে মৃত্যুর কারণে তারা অমর যুবক হয়ে একটি জমিতে বসবাস করতো এবং আনন্দে ডাকা হতো "Tir nan Oge"। মাঝে মাঝে বিশ্বাস করতো যে স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড অঞ্চলের ছোট পাহাড়ে কখনো কখনো মৃতরা পরীদের সাথে থাকে। একটি লোককাহিনী থেকে বর্ণিত আছে যে সমস্ত মৃত ব্যক্তিরা ৩১শে অক্টোবর রাত্রিতে জীবিতদের বিশ্বে আসে আগামী বছরের নতুন দেহ নেওয়ার জন্য। এজন্য গ্রামবাসীরা এই খারাপ আত্মাদের থেকে বাচাঁর জন্য ব্যবস্থা নেয়। এই প্রথাটি ছিল পবিত্র বেদি আগুন বন্ধ করা এবং নতুন আগুন জ্বালানো হতো (যেটি নতুন বছরের আগমন প্রতীক হিসাবে ছিল) পরবর্তী প্রভাতে। আইরিশ, যুক্তরাজ্যবাসী কেল্টদিগের পরোহিতরা তারা মিলিত হতো একটি অন্ধকার ওক (পবিত্র গাছ হিসেবে বিবেচনা করা হতো) বনের ছোট পাহাড়ে নতুন আগুন জ্বালানোর জন্য এবং বীজ প্রাণী উৎসর্গ করতো। আগু্নের চারিদিকে নাচতো এবং গাইতো প্রভাত পর্যন্ত, পথ অনুমোদন করেতো সৌর বছর এবং আঁধার ঋতু্র মধ্যে। যখন প্রভাত হয়, আইরিশ, যুক্তরাজ্যবাসী কেল্টদিগের পরোহিতরা প্রতি পরিবার থেকে জ্বলানো অগ্নির কয়লা পরিধান করতো। == তথ্যসূত্র == ==আরো পড়ুন== Diane C. Arkins, ''Halloween: Romantic Art and Customs of Yesteryear'', Pelican Publishing Company (2000). 96 pages. Diane C. Arkins, ''Halloween Merrymaking: An Illustrated Celebration Of Fun, Food, And Frolics From Halloweens Past'', Pelican Publishing Company (2004). 112 pages. Lesley Bannatyne, ''Halloween: An American Holiday, An American History'', Facts on File (1990, Pelican Publishing Company, 1998). 180 pages. Lesley Bannatyne, ''A Halloween Reader. Stories, Poems and Plays from Halloweens Past'', Pelican Publishing Company (2004). 272 pages. Phyllis Galembo, ''Dressed for Thrills: 100 Years of Halloween Costumes and Masquerade'', Harry N. Abrams, Inc. (2002). 128 pages. Editha Hörandner (ed.), ''Halloween in der Steiermark und anderswo'', ''Volkskunde (Münster in Westfalen)'', LIT Verlag Münster (2005). 308 pages. Lisa Morton, ''The Halloween Encyclopedia'', McFarland Company (2003). 240 pages. Nicholas Rogers, ''Halloween: From Pagan Ritual to Party Night'', Oxford University Press, USA (2002). Jack Santino (ed.), ''Halloween and Other Festivals of Death and Life'', University of Tennessee Press (1994). 280 pages. David J. Skal, ''Death Makes Holiday: Cultural History of Halloween'', Bloomsbury USA (2003). 224 pages. James Tipper, ''Gods of The Nowhere: Novel of Halloween'', Waxlight Press (2013). 294 pages. ==বহিঃসংযোগ== "A brief history of Halloween" by the BBC "The History of Halloween" by the History Channel Service for All Hallows' Eve Liturgy Resource An All Hallows' Eve Vigil by Duke University উৎসব পালিত উৎসব ছুটি লোককথা সংস্কৃতি সংস্কৃতি'''ডাবুয়া''' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == ডাবুয়া ইউনিয়নের আয়তন ৫৫৮৪ একর (২২.৬০ বর্গ কিলোমিটার)। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডাবুয়া ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ২০,৮৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০,২৮৫ জন এবং মহিলা ১০,৫৫৭ জন। == অবস্থান সীমানা == রাউজান উপজেলার উত্তর-মধ্যাংশে ডাবুয়া ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় সাড়ে কিলোমিটার। ইউনিয়নের উত্তরে হলদিয়া ইউনিয়ন; পশ্চিমে নওয়াজিশপুর ইউনিয়ন; দক্ষিণে চিকদাইর ইউনিয়ন, রাউজান পৌরসভা রাউজান ইউনিয়ন এবং পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == ডাবুয়া ইউনিয়ন রাউজান উপজেলার আওতাধীন ২নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম রাউজান মডেল থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৩নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৬ এর অংশ। এটি ৬টি মৌজায় বিভক্ত। মৌজাভিত্তিক গ্রামগুলো হল: ক্রম নং মৌজার নাম গ্রামের নাম ০১ ডাবুয়া ডাবুয়া, লাঠিছড়ি, হাসানখীল ০২ কেয়কদাইর কান্দি পাড়া, কেয়কদাইর ০৩ হিঙ্গলা কাজিরখীল, উত্তর হিঙ্গলা, দক্ষিণ হিঙ্গলা ০৪ কলমপতি সরকারখীল, কলমপতি ০৫ সুরঙ্গা পদুয়ার পাড়া, সুরঙ্গা ০৬ মেলুয়া মেলুয়া বিল == শিক্ষা ব্যবস্থা == ডাবুয়া ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৫৫.৪৩%। ইউনিয়নে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == ;মাধ্যমিক বিদ্যালয় ডাবুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ডাবুয়া তারাচরণ শ্যামাচরণ উচ্চ বিদ্যালয় ;মাদ্রাসা পশ্চিম ডাবুয়া গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসা ;নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পশ্চিম ডাবুয়া গণি পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিঙ্গলা মুছা শাহ ফজলুল কাদের চৌধুরী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ;প্রাথমিক বিদ্যালয় কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কলমপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেয়কদাইর সম্মিলিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডাবুয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডাবুয়া হাসানখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিম ডাবুয়া আমিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিম ডাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্ব ডাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধ্য সর্ত্তা রামসেবক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুরঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিঙ্গলা মুছা শাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় == যোগাযোগ ব্যবস্থা == হলদিয়া ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক রাউজান-ফটিকছড়ি সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। == ধর্মীয় উপাসনালয় == ডাবুয়া ইউনিয়নে ২০টি মসজিদ, ১২টি মন্দির ৪টি বিহার রয়েছে। == খাল নদী == ডাবুয়া ইউনিয়নেে মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে ডাবুয়া খাল, কেউচিয়া খাল এবং বেরুলিয়া খাল। == হাট-বাজার == ডাবুয়া ইউনিয়নের প্রধান ৩টি হাট/বাজার হল জগন্নাথহাট বাজার, অামিরহাট বাজার এবং মুছা শাহ বাজার। == দর্শনীয় স্থান == ঐতিহ্যবাহী ধর বাড়ী ধর বাড়ীর রাধামাধব মন্দির ধর বাড়ীর দীঘি ডাবুয়া রাবার বাগান ভৈরব সওদাগর জমিদার বাড়ী ভৈরব সওদাগর দীঘি ঐতিহ্যবাহী জাকারিয়া চৌধুরী ম্যানসন ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ == কৃতী ব্যক্তিত্ব == আবদুস সালাম –– ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপনে অবদান রেখেছেন। জামাল উদ্দীন –– অধ্যাপক, ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ড. সুলতান আহমদ –– সিন্ডিকেট সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ডাঃ এম এম জাকারিয়া চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ সমাজসেবক। দবির আহমদ চৌধুরী –– ভাষা সৈনিক। নুরুল আলম –– ব্যুরো প্রধান, নিউ এজ ইংলিশ পত্রিকা। রনজিত কুমার ধর –– প্রাক্তন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। শাবানা –– চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শাহিনুল ইসলাম চৌধুরী –– সাংবাদিক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ঢাকা। == জনপ্রতিনিধি == বর্তমান চেয়ারম্যান: আলহাজ্ব আবদুর রহমান চৌধুরী তালিকা ক্রম নং চেয়ারম্যানের নাম সময়কাল ০১ বরদা চরণ ধর ১৯২৬-১৯৪০ ০২ আলী আহমদ চৌধুরী ১৯৪০-১৯৪৪ ০৩ যোগেশ চন্দ্র ধর ১৯৪৪-১৯৪৯ ০৪ রফিক উদ্দীন আহমদ চৌধুরী ১৯৪৯-১৯৫৮ ০৫ সাধন কুমার ধর ১৯৫৮-১৯৮৪ ০৬ শামসুল আলম চৌধুরী ১৯৮৪-১৯৯২ ০৭ দিদারুল আলম দিদার ১৯৯২-১৯৯৭ ০৮ আলহাজ্ব আবদুর রহমান চৌধুরী ১৯৯৭-বর্তমান == আরও দেখুন == রাউজান উপজেলা রাউজান থানা চট্টগ্রাম জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''সলিমপুর''' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == সলিমপুর ইউনিয়নের আয়তন ৪৪৫৩ একর (১৮.০২ বর্গ কিলোমিটার)। এটি সীতাকুণ্ড উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সলিমপুর ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৫২,০৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৬,৭৫০ জন এবং মহিলা ২৫,৩০০ জন। == অবস্থান সীমানা == সীতাকুণ্ড উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে সলিমপুর ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নের দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার। ইউনিয়নের উত্তরে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন, পূর্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। == প্রশাসনিক কাঠামো == সলিমপুর ইউনিয়ন সীতাকুণ্ড উপজেলার আওতাধীন ১০নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের উত্তরাংশের প্রশাসনিক কার্যক্রম সীতাকুণ্ড মডেল থানার আওতাধীন এবং দক্ষিণভাগের কিছু অংশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আকবর শাহ থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৮১নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৪ এর অংশ। এটি ''উত্তর সলিমপুর'', ''দক্ষিণ সলিমপুর'', ''লতিফপুর'', ''জঙ্গল সলিমপুর'' ''জঙ্গল লতিফপুর'' ৫টি মৌজায় বিভক্ত। ওয়ার্ডভিত্তিক ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল: ওয়ার্ড নং গ্রামের নাম ১নং ওয়ার্ড উত্তর সলিমপুর (আংশিক), জঙ্গল সলিমপুর ২নং ওয়ার্ড উত্তর সলিমপুর (আংশিক) ৩নং ওয়ার্ড উত্তর সলিমপুর (আংশিক) ৪নং ওয়ার্ড মধ্যম সলিমপুর (আংশিক) ৫নং ওয়ার্ড মধ্যম সলিমপুর (আংশিক) ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সলিমপুর (আংশিক) ৭নং ওয়ার্ড দক্ষিণ সলিমপুর (আংশিক) ৮নং ওয়ার্ড লতিফপুর (আংশিক) ৯নং ওয়ার্ড লতিফপুর (আংশিক), জঙ্গল লতিফপুর নিচে সীতাকুণ্ড মডেল থানা আকবর শাহ থানার আওতাধীন সলিমপুর ইউনিয়নের এলাকাসমূহ উল্লেখ করা হল: থানা মৌজা ওয়ার্ড সীমানা সীতাকুণ্ড মডেল থানা জঙ্গল সলিমপুর উত্তর সলিমপুর দক্ষিণ সলিমপুর জঙ্গল লতিফপুর ১নং ওয়ার্ড থেকে ৭নং ওয়ার্ড ৯নং ওয়ার্ডের আংশিক, আংশিক জঙ্গল লতিফপুর ন্যাশনাল কটন মিলস সোনাইছড়ি খালের ডি.টি. রোড ব্রীজের পূর্ব পাশ থেকে ছমদর পাড়া সহ জঙ্গল সলিমপুর আংশিক এলাকা ভাটিয়ারী ইউনিয়ন সীমানা পর্যন্ত আকবর শাহ থানা লতিফপুর ৮নং ওয়ার্ড সম্পূর্ণ এবং ৯নং ওয়ার্ডের আংশিক ন্যাশনাল কটন মিলসের দক্ষিণ পাশে সোনাইছড়ি খাল ডি.টি. রোড ব্রীজের দক্ষিণ পাশ থেকে সিটি কর্পোরেশন সীমানা পর্যন্ত == শিক্ষা ব্যবস্থা == সলিমপুর ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৬৫.২২%। ইউনিয়নে ১টি ক্যাডেট কলেজ, ১টি নার্সিং কলেজ, ১টি মাদ্রাসা, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == ;ক্যাডেট কলেজ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ;নার্সিং কলেজ বাংলাদেশ নার্সিং কলেজ, ফৌজদারহাট ;মাদ্রাসা হযরত খাজা কালু শাহ (রহ.) সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসা ;মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিন্নমুল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ফৌজদারহাট কলেজিয়েট স্কুল ফৌজদারহাট কে এম উচ্চ বিদ্যালয় ফৌজদারহাট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ লতিফপুর আলহাজ্ব আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় হযরত খাজা কালুশাহ (রহ.) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ;প্রাথমিক বিদ্যালয় আমেনা বিদ্যানিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তর সলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চউক সলিমপুর আবাসিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাপীঠ ফকিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফৌজদারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধ্য সলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লতিফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ;কিন্ডারগার্টেন লতিফপুর কেজি প্রাথমিক বিদ্যালয় নর্থ সিটি ইসলামিক একাডেমী ফয়েজ কিন্ডারগার্টেন বন্ধন কেজি স্কুল ট্যালেন্ট টাচ গ্রামার স্কুল রাফিউ মডেল স্কুল == যোগাযোগ ব্যবস্থা == সলিমপুর ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সব ধরনের যানবাহনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ (কৈবল্যধাম স্টেশন)। == ধর্মীয় উপাসনালয় == সলিমপুর ইউনিয়নে ৪৯টি মসজিদ, ৬টি ঈদগাহ ৫টি মন্দির রয়েছে। == খাল নদী == সলিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে বঙ্গোপসাগর। এছাড়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বৈরাগ্য খাল, চ্যালদাতলী ছড়া, সোনাইছড়ি খাল, কালীর ছড়া এবং টিএনটি ছড়া। == হাট-বাজার == সলিমপুর ইউনিয়নের প্রধান প্রধান হাট/বাজারগুলো হল ফৌজদারহাট বাজার, ফকিরহাট বাজার, পাক্কা রাস্তার মাথা বাজার, স্টেশন বাজার এবং বাংলা বাজার। == দর্শনীয় স্থান == সলিমপুর পাহাড় সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড হযরত কালু শাহ মাজার সমুদ্র সৈকত == কৃতী ব্যক্তিত্ব == এবিএম আবুল কাসেম –– রাজনীতিবিদ। == জনপ্রতিনিধি == বর্তমান চেয়ারম্যান: আলহাজ্ব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আজিজ তালিকা ক্রম নং চেয়ারম্যানের নাম সময়কাল ০১ মোহাম্মদ ফরিদ ১৯৯৭-২০০২ ০২ মোহাম্মদ কামাল ২০০২-২০০৭ ০৩ মোহাম্মদ কবির ২০০৭-২০১১ ০৪ আলহাজ্ব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আজিজ ২০১১-বর্তমান == আরও দেখুন == সীতাকুণ্ড উপজেলা সীতাকুণ্ড মডেল থানা আকবর শাহ থানা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চট্টগ্রাম জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''খরনা''' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == খরনা ইউনিয়নের আয়তন ১৭৯৯ একর (৭.২৮ বর্গ কিলোমিটার)। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী খরনা ইউনিয়নের লোকসংখ্যা প্রায় ৩১ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ প্রায় ১৬ হাজার এবং মহিলা প্রায় ১৫ হাজার। == অবস্থান সীমানা == পটিয়া উপজেলার দক্ষিণাংশে খরনা ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় কিলোমিটার। ইউনিয়নের উত্তরে কচুয়াই ইউনিয়ন, পশ্চিমে কচুয়াই ইউনিয়ন শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন, দক্ষিণে শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন এবং পূর্বে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পটিয়া উপজেলাধীন কচুয়াই ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == খরনা ইউনিয়ন পটিয়া উপজেলার আওতাধীন ১৭নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম পটিয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৯নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১২ এর অংশ। এটি ২টি মৌজায় বিভক্ত। ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল: উত্তর খরনা ওয়াহেদুরপাড়া উত্তর খরনা কইশ্যাপাড়া উত্তর খরনা মাঝিরপাড়া উত্তর খরনা ফকিরপাড়া মধ্যম খরনা দক্ষিণ খরনা পূর্ব খরনা লালারখীল মুজাফফরাবাদ == ইতিহাস == পাহাড়ী অঞ্চল প্রাকৃতিক সমারোহে ঘিরে খরনা ইউনিয়ন। বর্তমান খরনা খাল এক সময়ে ছিল একটি ছড়া। পাহাড়ী ঝর্ণাধারায় ছোট ছোট ছড়া থেকে নেমে আস্ত খরস্রোত। এই খরস্রোত থেকে খরনা খরনা খাল নামকরণ করা হয়। তখনকার ব্যক্তি বর্গরা খরনা খালের নামানুসারে খরনা ইউনিয়নের নামকরণ করে। == শিক্ষা ব্যবস্থা == খরনা ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৫৩.৬১%। ইউনিয়নে ১টি ডিগ্রী কলেজ, ১টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == ;কলেজ মুজাফফরাবাদ যশোদা নগেন্দ্র নন্দী মহিলা ডিগ্রী কলেজ মুজাফফরাবাদ কলেজ ;মাধ্যমিক বিদ্যালয় মুজাফফরাবাদ এন জে উচ্চ বিদ্যালয় মুজাফফরাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ;মাদ্রাসা ফকিরপাড়া বদর আউলিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ;প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তর খরনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দক্ষিণ খরনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পশ্চিম মুজাফফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্ব মুজাফফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুজাফফরাবাদ শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লালারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ;কিন্ডারগার্টেন লালারখীল আইডিয়াল কেজি স্কুল == যোগাযোগ ব্যবস্থা == খরনা ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক মহাসড়ক। সব ধরণের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। == ধর্মীয় উপাসনালয় == খরনা ইউনিয়নে ১৬টি মসজিদ, ১টি ঈদগাহ ২৮টি মন্দির রয়েছে। == খাল নদী == খরনা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে খরনা খাল। == হাট-বাজার == খরনা ইউনিয়নের প্রধান হাট/বাজার হল হাজী নুরুজ্জামান সওদাগর বাজার। == দর্শনীয় স্থান == হযরত শাহাজাহান আউলিয়ার মাজার মুজাফফরাবাদ শ্রী শ্রী নিগমানন্দ সারস্বত আশ্রম খরনা শ্রী শ্রী জগৎজননী জ্বালাকুমারী মায়ের মন্দির (খরনা মায়ের বাড়ী) মুজাফফরাবাদ বধ্যভূমি।(১৯৭১ সাল গ্রামের তিন শতাধিক নারী পুরুষকে গনহত্যা করা হয়) == কৃতী ব্যক্তিত্ব == আইয়ুব বাচ্চু –– সংগীত শিল্পী। == জনপ্রতিনিধি == বর্তমান চেয়ারম্যান: মাহবুবুর রহমান == আরও দেখুন == পটিয়া উপজেলা পটিয়া থানা চট্টগ্রাম জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়নবাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আয়তন ২৭,৮৫৯ একর (১১২.৭৪ বর্গ কিলোমিটার)। এটি টেকনাফ উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৬০,৪৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪,৪৪৫ জন এবং মহিলা ২৬,০৩৩ জন। == অবস্থান সীমানা == টেকনাফ উপজেলার সর্ব-উত্তরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ৩৪ কিলোমিটার। ইউনিয়নের উত্তরে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন; পশ্চিমে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন টেকনাফ উপজেলাধীন বাহারছড়া ইউনিয়ন; দক্ষিণে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন হ্নীলা ইউনিয়ন এবং পূর্বে হ্নীলা ইউনিয়ন, নাফ নদী মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == হোয়াইক্যং ইউনিয়ন টেকনাফ উপজেলার আওতাধীন ১নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন। ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ২৯৭নং নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-৪ এর অংশ। ওয়ার্ডভিত্তিক ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল: ওয়ার্ড নং গ্রামের নাম ১নং ওয়ার্ড কাটাখালী, উলুবনিয়া, মনিরঘোনা, কেরুনতলী ২নং ওয়ার্ড বালুখালী, হোয়াইক্যং, উত্তরপাড়া, আমতলী ৩নং ওয়ার্ড লম্বাবিল, উনছিপ্রাং, রইক্ষ্যং ৪নং ওয়ার্ড দৈংগ্যাকাটা, লাতুরীখোলা, হরিখোলা, জোয়ারীখোলা ৫নং ওয়ার্ড কানজরপাড়া, করাচিপাড়া, নয়াপাড়া ৬নং ওয়ার্ড ঝিমংখালী, মিনাবাজার ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব সাতঘরিয়াপাড়া, পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়া ৮নং ওয়ার্ড খারাংখালী, নাছরপাড়া, পূর্ব ৯নং ওয়ার্ড পশ্চিম কম্বনিয়াপাড়া, রোজারঘোনা == শিক্ষা ব্যবস্থা == হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ২১.১৪%। ইউনিয়নে ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি দাখিল মাদ্রাসা ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == ;মাধ্যমিক বিদ্যালয় আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কানজরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ;মাদ্রাসা কাটাখালী রওজাতুন্নবী (দ.) দাখিল মাদ্রাসা দারুত তাওহীদ ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা মহেশখালিয়া পাড়া বাহরুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ;প্রাথমিক বিদ্যালয় উনছিপ্রাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উলুবনিয়া জামান সখিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কানজরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেরুণতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খারাংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝিমংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দৈংগ্যাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়াবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রোজারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লাতুরীখোলা তালেব বাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হরিখোলা শিশু কল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাজী মোহাম্মদ হোছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় == যোগাযোগ ব্যবস্থা == হোয়াইক্যং ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল সড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। == ধর্মীয় উপাসনালয় == হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৭৬টি মসজিদ, ১টি মন্দির ৫টি বিহার রয়েছে। == খাল নদী == হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নাফ নদী। == হাট-বাজার == হোয়াইক্যং ইউনিয়নের প্রধান ২টি হাট-বাজার হল হোয়াইক্যং বাজার এবং মিনা বাজার। == দর্শনীয় স্থান == কুদুং গুহা তৈংগ্যার পাহাড় কুঠি পাহাড় নাফ নদী == জনপ্রতিনিধি == বর্তমান চেয়ারম্যান: আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী == আরও দেখুন == টেকনাফ উপজেলা টেকনাফ মডেল থানা কক্সবাজার জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''পেরাছড়া''' বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার মধ্যাংশে পেরাছড়া ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের উত্তরে ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন; পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়ন, বেলছড়ি ইউনিয়ন মাটিরাঙ্গা ইউনিয়ন; দক্ষিণে খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়ন, খাগড়াছড়ি পৌরসভা গোলাবাড়ী ইউনিয়ন এবং পূর্বে খাগড়াছড়ি পৌরসভা দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == পেরাছড়া ইউনিয়ন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার আওতাধীন ৪নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম খাগড়াছড়ি সদর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৯৮নং নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য খাগড়াছড়ি এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা খাগড়াছড়ি সদর থানা খাগড়াছড়ি জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সদর উপজেলার ইউনিয়নএই ট্যাগ ক্লাউডের মাধ্যমে ওয়েব ২.০ এর থিমগুলো দেখানো হয়েছে '''ওয়েব ২.০''' (ইংরেজি ভাষায়: Web 2.0) বলতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি নতুন ধারাকে বোঝায়। এই নতুন ধারাটি বেশ কয়েক বছর থেকে প্রসার লাভ করেছে। এই ধারার মূল লক্ষ্য ওয়েবের সৃজনশীলতা, পারস্পরিক যোগাযোগ, নিরাপদ তথ্য আদান-প্রদান, সহযোগিতা এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি। এই নতুন ধারা ওয়েবে বেশ কিছু নতুন সাংস্কৃতিক কারিগরি সম্প্রদায়ের জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন হোস্টিং সেবাও রয়েছে। এই নতুন সম্প্রদায় সেবাগুলির মধ্যে আছে সামাজিক ওয়েবসাইট, ভিডিও অংশীদারী ওয়েবসাইট, উইকি, ব্লগ এবং ফোকসোনমি। ২০০৪ সালে ও'রাইলি মিডিয়ার ওয়েব ২.০ সম্মেলনের পর থেকেই এই নতুন ধারাটি সম্পর্কে সচেতনতার সৃষ্টি হয়। ওয়েব ২.০ এর মাধ্যমে ওয়েবের একটি নতুন সংস্করণের কথা বলা হলেও এটা আসলে নতুন কোন সফ্‌টওয়্যার প্লাটফর্ম বা কারিগরি বিষয়ে নতুন কোন প্রজন্মকে নির্দেশ করে না। অর্থাৎ কারগরি দিক দিয়ে ওয়েব আর ওয়েব ২.০ এর মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে ব্যবহার এবং উপযোগিতায়। অর্থাৎ ইতোমধ্যে বিদ্যমান কীভাবে এবং কী উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই ওয়েব ২.০ কে আলাদা করা হয়। সম্পর্কে বিল ও'রাইলি বলেন, কিন্তু ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক টিম বার্নার্স-লি ওয়েব ২.০ এর ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি ধরনের পার্থক্যীকরণকে অমূলক বলেছেন। সম্পর্কে তার যুক্তি হলো, ওয়েব ২.০ শব্দটিকে যৌক্তিক উপায়ে ব্যবহার করা সম্ভব না। কারণ, ওয়েব ২.০-তে যে প্রযুক্তিগত উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলো ওয়েবের প্রাথমিক দিনগুলো থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == Web 2.0 Summit Web 2.0 YouTube video made by Michael Wesch explaining Web 2.0 in just under minutes. Deloitte Touche LLP Canada (2008 study) Change your world or the world will change you: The future of collaborative government and Web 2.0 "Critical Perspectives on Web 2.0", Special issue of ''First Monday'', 13(3), 2008. MacManus, Richard. Porter, Joshua. "Web 2.0 for Designers". Digital Web Magazine, May 4, 2005. Graham Vickery, Sacha Wunsch-Vincent: "Participative Web and User-Created Content: Web 2.0, Wikis and Social Networking"; OECD, 2007 সার্ভিস ২.০শহীদ '''ডাঃ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী''' (পুরো নাম: আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ আবদুল আলীম চৌধুরী) ছিলেন চিকিৎসক বুদ্ধিজীবী। ১৯৭১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটায় শহীদ ডাঃ আবদুল আলীম চৌধুরীকে রাজাকার-আলবদর বাহিনী তার বাসা থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় এবং সারারাত নির্যাতনের পর ভোররাতে মেরে ফেলা হয়।এরপর ১৮ ডিসেম্বর রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে ডা.আবদুল আলীমের ক্ষত-বিক্ষত লাশটির সন্ধান পাওয়া যায়। == জন্ম শিক্ষাজীবন == আব্দুল আলিম চৌধুরী কিশোরগঞ্জ জেলার খয়েরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কিশোরগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ১৯৪৪ সালে মেট্রিক এবং কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে আইএসসি পাশ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে এই কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬১ সালে লন্ডন থেকে ডিও ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বাম রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং ৫২-র ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি দেশে থেকেই বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মেডিকেল এসোসিয়েশন গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং এই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি ‘যাত্রিক’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করতেন। ==পারিবারিক জীবন== পরিবারের সাথে ডা. এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর কিছু মুহূর্ত ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী উদয়ন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত উদ্দীপন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাদের দুই কন্যা ফারজানা চৌধুরী নীপা এবং নুজহাত চৌধুরী শম্পা। দুজনই চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। == কর্মজীবন == পেশাগত জীবনে আবদুল আলীম চৌধুরী ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ পর্যন্ত লন্ডনের সেন্ট জেমস হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ছিলেন। এরপর দেশে ফিরে ১৯৬৩ সালের শেষের দিকে তিনি মীর্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে যোগ দেন প্রধান চক্ষু চিকিত্‍সক হিসেবে। ঢাকার পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন তিনি ১৯৬৭ সালে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ১৯৬৮ সালে। এরপর কিছুদিন ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগে। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। ছবি তোলা লেখালেখির শখ ছিল আবদুল আলীম চৌধুরীর। ছাত্রজীবনে 'খাপছাড়া' 'যাত্রিক' নামে দুটি প্রগতিশীল মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। ছাত্র থাকাকালেই তিনি 'দৈনিক ইত্তেহাদ' 'দৈনিক মিল্লাত' পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। == বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের রায় == ৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আলিম চৌধুরী সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। == পুরস্কার সম্মাননা == ==ডাকটিকিট প্রকাশ== বাংলাদেশ সরকারের ডাকবিভাগ ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ''''শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরী''' ,শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, মাওলা ব্রাদার্স শহীদ চিকিত্‍সক: স্মৃতিকথা'''', ১৯৯২ ''''আমার বাবা: শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানদের স্মৃতিকথা'''' ,আমীরুল ইসলাম আসলাম সানী সম্পাদিত, সময় প্রকাশন(১৯৯১) ''''স্মৃতি: ১৯৭১'''' '''ও''' ''''শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ'''', সম্পাদনা রশিদ হায়দার, বাংলা একাডেমী ''''শহীদ বুদ্ধিজীবী বাংলা একাডেমী চিকিৎসক শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষক জন্ম স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ব্যক্তি মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীগ্রিক পুরাণে, '''দিক্তিস''' ছিল চারজন লোকের নাম। '''দিক্তিস''' ছিল একজন জেলে সেরিফস দ্বীপের রাজা পলিদেক্তেসের ভাই, তারা দুইজনই ছিল মাগ্নেস একজন নাইয়াদের পুত্র। সেই দানাই পের্সেউসকে সমুদ্রতীর থেকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে পের্সেউস পলিদেক্তেসকে হত্যা করে দিক্তিসকে দ্বীপের রাজা হিসাবে ঘোষণা করে। '''দিক্তিস''' ছিল সেই নাবিকদের একজন যারা দাওনিসাসকে অপহরণ হত্যার চেষ্টা করে কিন্তু দাওনিসাস তাদেরকে ডলফিনে রূপান্তরিত করে। '''দিক্তিস''' ছিল একজন কেন্তাউর। সে পিরিথৌসের বিয়েতে উপস্থিত ছিল এবং সে লাপিথদের সাথে যুদ্ধ করেছিল। সে পিরিথৌসের নিকট হতে পালিয়ে যাবার সময়ে পাহাড় থেকে একটি গাছের উপরে পড়ে মারা যায়। '''দিক্তিস''' ছিল পোসাইডন আউগেয়াসকন্যা আগামেদের পুত্র। পুরাণ(বেলুচি উর্দু ভাষায়: بلوچستان) দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি প্রদেশ। ভৌগোলিক দিক থেকে পাকিস্তানের বৃহত্তম এই প্রদেশটির আয়তন ৩,৪৭,১৯০ বর্গকিলোমিটার এবং এটি পাকিস্তানের মোট আয়তনের প্রায় ৪৮% গঠন করেছে। বেলুচি জাতির লোকদের নামে অঞ্চলটির নামকরণ করা হয়েছে। এর পশ্চিমে ইরান (ইরানি বেলুচিস্তান), উত্তরে আফগানিস্তান পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল, পূর্বে পাকিস্তানের পাঞ্জাব সিন্ধ প্রদেশ এবং দক্ষিণে আরব সাগর। বেলুচিস্তান অঞ্চলটি মূলত বৃহত্তর ইরানীয় মালভূমির পূর্ব প্রান্ত। এর প্রায় পুরোটাই পর্বতময়। কিছু কিছু পর্বতশৃঙ্গের উচ্চতা ৬০০০ ফুটেরও বেশি। বেলুচিস্তানের ভূমিরূপ ঊষর রুক্ষ। বনজঙ্গলের পরিমাণ খুবই কম এবং গাছপালার আকৃতি খর্ব। বেলুচিস্তানের ৯৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র উপকূল থাকলেও পোতাশ্রয়ের সংখ্যা খুব কম। দক্ষিণের উপকূলীয় মাকরান এলাকা বাদে বেলুচিস্তানের সর্বত্র উপক্রান্তীয় মহাদেশীয় জলবায়ু বিরাজ করে। শীত গ্রীষ্মে তাপমাত্রা চরমে পৌঁছে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম। বাৎসরিক গড়ে মাত্র ২০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। বেলুচিস্তানের হাতে গোনা কিছু উর্বর উপত্যকায় যব, বার্লি, গম, ধান, আলফালফা এবং বিভিন্ন ফলফলাদি বড় পরিমাণে উৎপাদন করা হয়। ভেড়া, ছাগল, উট, গরু বাছুর, গাধা এবং ঘোড়াও পালন করা হয়। মাকরান উপকূলে অবস্থিত গোয়াদার শহরটি বেলুচিস্তানে অঞ্চলের জন্য সমুদ্র বন্দর হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে পাকিস্তান সরকার গোয়াদারে চীনা সহায়তায় একটি বড় বন্দর নৌঘাঁটি নির্মাণে রত। বেলুচিস্তানকে খনিজ সম্পদের দিকে থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। সিন্ধ প্রদেশের পরে এই প্রদেশ থেকেই পাকিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাসের ২য় সর্বোচ্চ যোগান আসে। সম্প্রতি বেলুচিস্তানের চাগাই জেলার রেকো-দিক শহরের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম সোনা তামার মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। বেলুচিস্তানের উত্তর-পূর্ব কোণায় অবস্থিত কুয়েতা শহর প্রদেশটির রাজধানী; এটি বেলুচিস্তানের বৃহত্তম সবচেয়ে জনবহুল শহর। বেলুচিস্তানে প্রায় কোটি লোকের বাস। এখানকার লোকেরা মূলত বেলুচি, ব্রাহুই, সিন্ধি, উর্দু এবং ফার্সি ভাষাতে কথা বলে। প্রদেশের বেশির ভাগ লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। অবকাঠামো অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দিক থেকে প্রদেশটি পাকিস্তানের বাকী প্রদেশগুলির তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ==ইতিহাস== ইতিহাসে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্কৃতির লোক ভ্রমণ, বাণিজ্য যুদ্ধবিজয়ের সূত্রে বেলুচিস্তানের সংস্পর্শে এসেছে। অঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যেগুলির বেশির ভাগই এখনও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। কোয়েতা শহরের কাছে অবস্থিত পিশিন উপত্যকাটির কথা জরথুষ্ট্রীয় ধর্মের ধর্মগ্রন্থ অবেস্তাতে লেখা আছে। গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোদোতুস এবং গ্রিক ভূগোলবিদ স্ত্রাবো তাদের লেখাতে বেলুচিস্তানের উল্লেখ করেছেন; তারা অঞ্চলটিকে গেদ্রোসিয়া হিসেবে জানতেন। বেলুচিস্তানে এখনও অনেক প্রাচীন ইতিহাস লোকমুখে প্রচলিত। লোক ইতিহাস অনুসারে আসিরিয়ার রাণী সেমিরামিস এবং পারস্যের রাজা সিরুসের সেনাবাহিনী বেলুচিস্তানের মরুভূমিতে হারিয়ে যায়। ম্যাসেডোনিয়ার রাজা মহাবীর আলেকজান্ডার ৩৩০ অঞ্চলটি বিজয় করেন। এর পরবর্তী শতকগুলিতে অঞ্চলটি পারস্য কিংবা ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন শাসকের অধীন ছিল। ৭ম শতকে আরবেরা বেলুচিস্তান দখল করে। এরপর গাজনাভিদ, গোরি এবং মঙ্গোলেরা পরপর অঞ্চলটি শাসন করে। ১৭শ শতকে কিছু সময়ের জন্য এলাকাটি মোঘল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। পরে আবার এটি পারস্যের অধীনে আসে। ১৯শ শতকের শুরুর দিকে বেলুচিস্তান ব্রিটিশ রাজনৈতিক প্রভাবের অধীন হয়। সেসময় গোত্রপ্রধানেরা অঞ্চলটি শাসন করতেন। ১৮৩৮-১৮৪২ সালের প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে ব্রিটিশরা অঞ্চলটি দখলে নিয়ে নেয়। ১৮৪১ সালে তারা সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর ১৮৫৪ ১৮৭৬ সালে চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের সাথে বেলুচিস্তানের বন্ধন সুদৃঢ় হয়। ১৮৭৭ সালে পাঁচটি জেলা নিয়ে ব্রিটিশ ভারতের বেলুচিস্তান প্রদেশ গঠন করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হতে সম্মত হয়। ১৯৫২ সালে বেলুচিস্তান ছিল পাঁচটি জেলা চারটি প্রাক্তন রাজ্যের সমষ্টি। জেলাগুলি হল কুয়েতা-পিশিন, সিবি, জোব, লোরালাই, এবং চাগাই। আর প্রাক্তন রাজ্যগুলি হল কালাত, লাস-বেলা, খারান এবং মাকরান। ১৯৫৫ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে বাকী প্রদেশ রাজ্যগুলির সাথে বেলুচিস্তানকে যুক্ত করে পশ্চিম পাকিস্তান প্রদেশ গঠন করা হয়। ১৯৫৮ সালে কালাত রাজ্যের শাসক বা খান এই সংযোজন প্রত্যাখ্যান করেন এবং নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করেন, কিন্তু তার এই বিদ্রোহ শিঘ্রই দমন করা হয়। ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের রাজধানী করাচি থেকে সরিয়ে অন্তর্বর্তী রাজধানী রাওয়ালপিন্ডিতে নেওয়া হয়। সময় লাস-বেলা রাজ্যকে করাচির সাথে যুক্ত করা হয়। বেলুচিস্তানের বাকী অংশকে দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। একটি হল কুয়েতা, যা মূলত প্রাক্তন ব্রিটিশ বেলুচিস্তান। এবং অন্য অংশটি হল কালাত, যা কালাত, মাকরান খারান রাজ্যগুলি নিয়ে গঠিত। ১৯৬২ সালে কালাতের খান পুনরায় শাসনক্ষমতা ফিরে পান, কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে মাঝামাঝি পর্যন্ত সরকারি সেনা এবং গোত্র গেরিলা দলগুলির মধ্যে যুদ্ধ-সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানকে নতুন করে চারটি প্রদেশে ভাগ করা হয়, এবং তখন থেকে বেলুচিস্তান পাকিস্তানের একটি প্রদেশ। == তথ্যসূত্র == প্রদেশভারতের ধর্মীয় সহিংসতা ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর একে অপরের সহিত সংঘর্ষের এক রূপ। অনেক সময় যাকে দাঙ্গা বা ধর্মীয় দাঙ্গা নামে অভিহিত করা হয়। হিন্দু ধর্ম যা ভারতের সবচেয়ে বড় ধর্ম যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮০% ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম মোট জনসংখ্যার ১৩%, বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম শিখ ধর্ম মিলে ৩% এবং খ্রিস্টধর্ম ভারতের মোট জনসংখ্যার ২% ।অন্যদিকে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম, ইহুদি ধর্ম জনপ্রিয় ধর্ম নয় তাহলেও তার কয়েক শতকের ইতিহাস আছে। ধর্মীয় মৌলবাদ ভারতে একটি প্রধান চালিকা শক্তি হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদ, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদ, খ্রীষ্টান এবং ইসলামি মৌলবাদ অনুঘটক হিসেবে হিংসার বহিঃপ্রকাশে প্রাথমিক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে ==আরও দেখুন== ভারতে সন্ত্রাসবাদ নকশাল আন্দোলন ==তথ্যসুত্র== == বহিঃসংযোগ == Dataset on Hindu-Muslim Violence in India, 1950–1995, Version Religion based violence and communalism, People's Union for Civil Liberties Communal History of India, From 1947 to 2013 Dataset on Hindu-Muslim Violence in India, 1950-1995, Version (ICPSR 4342) সন্ত্রাসবাদ ধর্মীয় হিংসা'''বিশ্ব হিন্দু পরিষদ''' ভারতের একটি হিন্দুত্ববাদী সামাজিক সংগঠন এটি এর ইংরেজি নামের আদ্যাক্ষর VHP দিয়েই বেশি পরিচিত। এটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ দলের শাখা হিসাবে যাত্রা শুরু করে। এটি হিন্দুত্ববাদী দলসমূহের মাতৃসংগঠন সংঘ পরিবার এর অন্তর্গত। দলটির স্লোগান হলো "ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ" (धर्मो रक्षति रक्षितः), তথা ধর্মকে সুরক্ষা করলে ধর্ম বাঁচায়। এই দলের প্রতীক হলো বট গাছ। == মূল মতাদর্শ == বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মূল মতাদর্শ হলো হিন্দু সমাজে একতা আনা সমাজকে শক্তিশালী করে তোলা জীবন, নীতি, এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ে হিন্দু মূল্যবোধগুলোকে সুরক্ষা করা এবং সর্বত্র এই মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়া। বিদেশে বসবাসরত সব হিন্দুদের সাথে যোগাযোগ রাখা, এবং তাদের হিন্দু পরিচয়, মূল্যবোধ হিন্দুত্বের ধারণাকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করা। == বিস্তারিত দেখুন == বিজেপি সুশীল কুমারজি হিন্দুত্ব বজরং দল প্রবীণ তোগাড়িয়া অভিনব ভারত == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওয়েবসাইট রাজনৈতিক দল'''ডোগরি ভাষা''' (স্থানীয় বানানে डोगरी বা ڈوگرى) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। প্রায় ২০ লক্ষ লোক ভারত পাকিস্তানে, বিশেষত জম্মু কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলে এবং উত্তর পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ কাশ্মীরের অন্যান্য এলাকায় এই ভাষাতে কথা বলে। ডোগরিভাষী লোকদের ডোগরা ডাকা হয়, আর ডোগরিভাষী অঞ্চলকে বলা হয় ডুগ্‌গার। ডোগরি ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহের পশ্চিম পাহাড়ী দলের একটি ভাষা। পাকিস্তানে কাশ্মীরে এটিকে পাহাড়ী ভাষা (पहाड़ी বা پھاڑی) নামেও ডাকা হয়। ডোগরি একটি সুরপ্রধান ভাষা, যা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে একটি ব্যতিক্রম।। পাঞ্জাবি পশ্চিম পাহাড়ি ভাষাগুলিও সুরপ্রধান। == লিপি == ডোগরি আদিতে তাকরি লিপিতে লেখা হত। তাকরি লিপির সাথে কাশ্মিরী ভাষা লিখতে ব্যবহৃত শারদা লিপি পাঞ্জাবি ভাষা লিখতে ব্যবহৃত গুরুমুখী লিপির মিল ছিল। বর্তমানে এটি দেবনাগরী লিপিতে কিংবা নাস্তালিক লিপিতে (পাকিস্তানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে) লেখা হয়। == তথ্যসূত্র == ইন্দো-আর্য ভাষা ভাষা ভাষা সরকারি ভাষাসমূহলবণ (খাদ্য) '''লবণ''' বা '''নুন​''' হলো খাদ্যে ব্যবহৃত এক প্রকারের দানাদার পদার্থ যার মূল উপাদান হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এটি প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অধিকাংশ স্থলজ উদ্ভিদের জন্য বিষবৎ। লবণের স্বাদকে মৌলিক স্বাদের একটি বলে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর সর্বত্র এটি খাদ্য প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। মানুষের খাদ্যে বিভিন্ন ধরণের লবণ ব্যবহার করা হয়। যেমন অপরিশোধিত সৈন্ধব লবণ (sea salt), পরিশোধিত খাবার লবণ, আয়োডিনযুক্ত লবণ ইত্যাদি। লবণ দেখতে দানাদার, সাদাটে বর্ণের। সমূদ্রের পানি থেকে অথবা খনি থেকে লবণ আহরণ করা হয় == উৎপাদন == নুন উৎপাদন ২০০৫ সমূদ্রের লোনা পানি ফুটিয়ে বাষ্পীভূত করে লবণ উৎপাদন করা হয়। এছাড়া লবণাক্ত কূপ অথবা লবণাক্ত হ্রদের পানি থেকেও লবণ আহরণ করা হয়ে থাকে। লোনা পানির পাশাপাশি পাথুরে খনি হতেও লবণ আহরণ করা হয়। ২০০২ সালে বিশ্বে মোট ২১০ মিলিয়ন টন লবণ উৎপাদন করা হয়। শীর্ষ উৎপাদক রাষ্ট্র হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, (40.3 million tonnes), চীন (32.9), জার্মানি (17.7), ভারত (14.5), এবং কানাডা (12.3). == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন == খনিজ যা শয়তান থেকে রক্ষা করে বলে বিশ্বাস করা হয়'''লাদাখ''' বা লা-দ্বাগস (তিব্বতি: ལ་དྭགས, ওয়াইলি: la dwags) ভারতের একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, এই অঞ্চলের উত্তরে কুনলুন পর্বতশ্রেণী এবং দক্ষিণে হিমালয় দ্বারা বেষ্টিত। এই এলাকার অধিবাসীরা ইন্দো-আর্য এবং তিব্বতী বংশোদ্ভুত। লাদাখ ভারতের জনবিরল এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম। ঐতিহাসিককাল ধরে বালটিস্তান উপত্যকা, সিন্ধু নদ উপত্যকা, জাংস্কার, লাহুল স্পিটি, রুদোক গুজ সহ আকসাই চিন এবং নুব্রা উপত্যকা লাদাখের অংশ ছিল। বর্তমানের লাদাখ শুধুমাত্র লেহ জেলা কার্গিল জেলা নিয়ে গঠিত। তিব্বতী সংস্কৃতি দ্বারা লাদাখ প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত বলে এই অঞ্চলকে ক্ষুদ্র তিব্বত বলা হয়ে থাকে। == ইতিহাস == ১০০০ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ন্যিমা-গোনের আমলে লাদাখ রাজ্যে বিস্তার লাদাখের বিভিন্ন অংশে প্রাপ্ত খোদিত প্রস্তরখন্ড থেকে জানা যায় যে নব্য প্রস্তর যুগেও এই অঞ্চলে মানুষের বসবাস ছিল। হিরোডোটাস, নিয়ার্কোস, মেগাস্থিনিস, প্লিনি, টলেমি পুরাণের বিবরণ থেকে জানা যায় এই অঞ্চলের প্রথমদিককার অধিবাসীদের মধ্যে মিশ্র ইন্দো-আর্য মোন দর্দ জাতির মানুষ ছিলেন প্রথম শতাব্দীর সময়কালে লাদাখ কুষাণ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পশিম তিব্বত পূর্ব লাদাখে বোন ধর্ম প্রচলিত থাকলেও কাশ্মীর থেকে পশ্চিম লাদাখে এই সময় বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারিত হয়। সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধ পরিব্রাজক হিউয়েন সাং তার রচনায় লাদাখ অঞ্চলের উল্লেখ করেছেন। অষ্টম শতাব্দীতে লাদাখে পশ্চিম দিক থেকে তিব্বতের মধ্য এশিয়া থেকে চীনের আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়। ৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বত সাম্রাজ্যের পতন হলে অন্তিম তিব্বত সম্রাট গ্লাং-দার-মার পৌত্র লাদাখকে নিজের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং লাদাখি রাজবংশের সুত্রপাত করেন। এই সময় সমগ্র লাদাখে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয় এবং লাদাখে তিব্বতীদের বসবাস শুরু হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে সম্পাদিত বা লাদাখের রাজাদের ধারাবিবরণীতে বলা হয় যে রাজা তার তিন পুত্রের মধ্য তার সাম্রাজ্য ভাগ করে দেন। এই বিবরণীতে বলা হয় তিনি তার তার জ্যৈষ্ঠ পুত্র মার‍্যুল, হ্গোগের স্বর্ন খনি, রু-থোগ, রা-বা-দ্মার-পো প্রদান করেন। এই বিবরণী থেকে বোঝা যায় যে, রু-থোগ বা রুদোক এবং বা দেমচোক মার‍্যুল বা লাদাখের অংশ ছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতে ইসলামের আগ্রাসনের সময় থেকে লাদাখ তিব্বতের কাছ থেকে ধর্মীয় পথপ্রদর্শনের সহায়তা নিতে থাকে। ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাজ্যগুলি বহুবার লাদাখ আক্রমণ করলে কিছু লাদাখি নূরবকশিয়া ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। রাজা ল্হাচেন ভগন ১৪৭০ খ্রিষ্টাব্দে নামগ্যাল রাজবংশ স্থাপন করে লাদাখ থেকে মধ্য এশিয়ার আক্রমণকারীদের বিতাড়িত করে নেপা পর্যন্ত তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেন সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিক পর্যন্ত লাদাখের সীমা জাংস্কার স্পিটি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই সময় মুসলমানদের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত বৌদ্ধ বিহার কারুকীর্তিগুলির পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বালটি রাজা আলি শের খান আনচান লাদাখ আক্রমণ করলে লাদাখের রাজা শান্তির প্রার্থনা করেন। এতে আলি শের খান লাদাখের কাছ থেকে গানোখ গাগ্রা নুল্লাহ অঞ্চল দুটি স্কার্দুর অধীনে নিয়ে আসেন এবং লাদাখের রাজার কাছ থেকে বার্ষিক কর প্রদানের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। লাদাখের রাজা লামায়ুরু বৌদ্ধবিহারের মাধ্যমে স্কার্দুর রাজদরবারে এই কর পদান করতেন। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিব্বতের সাথে ভূটানের দ্বন্দ্ব শুরু হলে লাদাখ ভূটানের পক্ষ নেয়। এর ফলে তিব্বত লাদাখ আক্রমণ করলে ১৬৭৯ থেকে ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে কাশ্মীর লাদাখকে সহায়তার বিনিময়ে লেহ শহরে মসজিদ নির্মাণ লাদাখের রাজা দেলদান নামগ্যালকে ইসলাম ধর্মগ্রহণের শর্ত রাখে। ১৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দে টিংমোসগাংয়ের চুক্তিতে লাদাখ তিব্বতের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান হলেও লাদাখের স্বাধীনতা এতে অনেকাংশে খর্ব হয়। ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ডোগরা সেনাপতি জোরাওয়ার সিং কাহলুরিয়া লাদাখ আক্রমণ করে কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে লাদাখে ইউরোপীয়দের আনাগোনা শুরু হয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে লেহ শহরে দপ্তর খোলা হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত স্বাধীন হলে কাশ্মীরের ডোগরা শাসক হরি সিং অন্তর্ভুক্তি চুক্তিতে সই করে কাশ্মীর রাজ্যকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেন। এই সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী লাদাখ কাশ্মীরের অন্যান্য অংশ দখল করে নিলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মাধ্যমে এই এলাকা পাকিস্তানী দখলমুক্ত হয়। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে চীন জিনজিয়াং নুব্রা উপত্যকার মধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে চীন জিনজিয়াং তিব্বতের মধ্যে সড়ক পাকিস্তানের সঙ্গে কারাকোরাম মহাসড়ক নির্মাণ করে। ভারত শ্রীনগর থেকে লেহ পর্যন্ত ১ডি নং জাতীয় সড়ক তৈরী করে। লাদাখ ভারতের অন্যতম জনবিরল অঞ্চল ৪.৬ জন প্রতি বর্গ কিমিতে গোটা অঞ্চলে মাত্র পৌনে লক্ষ লোকের বাস। == বন্যপ্রাণী উদ্ভিদ == প্যাঙ্গং হ্রদ চিত্র:Yaks in গাই, লাদাখ লাদাখের বন্যপ্রাণী উদ্ভিদ নিয়ে সর্বপ্রথম গবেষণা করেন অস্ট্রীয়-চেক জীবাশ্মবিজ্ঞানী ফার্ডিনান্ড স্টোলিস্কা। ১৮৭০ সালের দিকে তিনি অঞ্চলে এক বিশাল অভিযান পরিচালনা করেন।এ অঞ্চলের পাহাড়ি ঝিরিসংলগ্ন ভূমি, জলাভূমি, হ্রদ আবাদি জমি ছাড়া অন্য কোথাও গাছপালা খুব একটা দেখা যায় না। লাদাখের সাথে মধ্য এশিয়ার বন্যপ্রাণীদের মধ্যে অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে তিব্বতী মালভূমিতে যে সমস্ত বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়, তাদের অধিকাংশই লাদাখের উপত্যকাগুলোতে দেখা যায়। তবে কয়েক প্রজাতির পাখি এখানে দেখা যায় যেগুলো আবার তিব্বতী মালভূমি বা মধ্য এশিয়ার কোনখানেই দেখা যায় না। এসব পাখি শীতের পরে ভারতের উষ্ণতর অঞ্চলগুলো থেকে এখানে পরিযান করে আসে। রুক্ষ অঞ্চল হলেও লাদাখে বসবাসকারী পাখি প্রজাতির সংখ্যা অনেক বেশি; পর্যন্ত মোট ২২৫ প্রজাতির পাখি এখান থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন পাখিদের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির তুতি, রবিন, লালগির্দি (যেমন কালো লালগির্দি) আর মোহনচূড়া এখানে সচরাচর দেখা যায়। এছাড়া সময় চুংথাং অঞ্চলের হ্রদগুলোতে আর সিন্ধু নদে প্রায়ই খয়রামাথা গাঙচিলকে বিচরণ করতে দেখা যায়। আবাসিক পাখির মধ্যে রয়েছে খয়েরি চখাচখি দাগি রাজহাঁস (লাদাখি: ''ngangpa'')। তিব্বতী মালভূমির বিরল কালোঘাড় সারসকে গ্রীষ্মকালে লাদাখের বেশ কিছু অংশে প্রজনন করতে দেখা যায়। অন্যান্য পাখির মধ্যে র‍্যাভেন, তিব্বতী তুষারমোরগ চুকার বাতাই (''srakpa'') প্রধান। শিকারী পাখির মধ্যে গৃধিনী সোনালি ঈগল, এই দু'টি প্রজতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। Crane Tso Kar Ladakh Jammu and Kashmir India Asia উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কালোঘাড় সারস লাদাখে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে; ছবিটি সো কার, লাদাখ থেকে তোলা ==পরিবহণ== == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == ২০১০ লাদাখ বন্যা Allan, Nigel J. R. 1995 Karakorum Himalaya: Sourcebook for Protected Area, Cunningham, Alexander. 1854. ''Ladak:'' Physical, Statistical, and Historical; with notices of the surrounding countries''. Reprint: Sagar Publications, New Delhi. 1977. Desideri (1932). ''An Account of Tibet: The Travels of Ippolito Desideri 1712-1727''. Ippolito Desideri. Edited by Filippo De Filippi. Introduction by C. Wessels. Reproduced by Rupa Co, New Delhi. 2005 Drew, Federic. 1877. ''The Northern Barrier of India: popular account of the Jammoo and Kashmir Territories with 1st edition: Edward Stanford, London. Reprint: Light Life Publishers, Jammu. 1971. Francke, A. H. (1914), 1920, 1926. ''Antiquities of Indian Tibet. Vol. 1: Personal Narrative; Vol. 2: The Chronicles of Ladak and Minor Chronicles, texts and translations, with Notes and Maps''. Reprint: 1972. S. Chand Co., New Delhi. Google Books) Gillespie, A. (2007). Time, Self and the Other: The striving tourist in Ladakh, north India. In Livia Simao and Jaan Valsiner (eds) Otherness in question: Development of the self. Greenwich, CT: Information Age Publishing, Inc. Gillespie, A. (2007). In the other we trust: Buying souvenirs in Ladakh, north India. In Ivana Marková and Alex Gillespie (Eds.), Trust and distrust: Sociocultural perspectives. Greenwich, CT: Information Age Publishing, Inc. Gordon, T. E. 1876. ''The Roof of the World: Being the Narrative of Journey over the high plateau of Tibet to the Russian Frontier and the Oxus sources on Pamir.'' Edinburgh. Edmonston and Douglas. Reprint: Ch’eng Wen Publishing Company. Tapei. 1971. Harvey, Andrew. 1983. Journey in Ladakh. Houghton Mifflin Company, New York. Knight, E. F. 1893. ''Where Three Empires Meet: Narrative of Recent Travel in: Kashmir, Western Tibet, Gilgit, and the adjoining countries''. Longmans, Green, and Co., London. Reprint: Ch'eng Wen Publishing Company, Taipei. 1971. Knight, William, Henry. 1863. ''Diary of Pedestrian in Cashmere and Thibet''. Richard Bentley, London. Reprint 1998: Asian Educational Services, New Delhi. Moorcroft, William and Trebeck, George. 1841. ''Travels in the Himalayan Provinces of Hindustan and the Panjab; in Ladakh and Kashmir, in Peshawar, Kabul, Kunduz, and Bokhara... from 1819 to 1825'', Vol. II. Reprint: New Delhi, Sagar Publications, 1971. Norberg-Hodge, Helena. 2000. ''Ancient Futures: Learning from Ladakh''. Rider Books, London. Peissel, Michel. 1984. ''The Ants' Gold: The Discovery of the Greek El Dorado in the Himalayas''. Harvill Press, London. Rizvi, Janet. 1998. ''Ladakh, Crossroads of High Asia''. Oxford University Press. 1st edition 1963. 2nd revised edition 1996. 3rd impression 2001. Trekking in Zanskar Ladakh: Nubra Valley, Tso Moriri Pangong Lake, Step By step Details of Every Trek: Most Authentic Colourful Trekkers' guide with maps 2001–2002 Abebooks.co.uk Zeisler, Bettina. (2010). "East of the Moon and West of the Sun? Approaches to Land with Many Names, North of Ancient India and South of Khotan." In: ''The Tibet Journal'', Special issue. Autumn 2009 vol XXXIV n. 3-Summer 2010 vol XXXV n. 2. "The Earth Ox Papers", edited by Roberto Vitali, pp. 371–463. ''The Road to Lamaland'' by Martin Louis Alan Gompertz ''Magic Ladakh'' by Martin Louis Alan Gompertz কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল'''মহাবোধি মন্দির''' (সংস্কৃত: महाबोधि मंदिर) বুদ্ধগয়ায় অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মন্দির। এখানে সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বোধগয়া ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা শহর থেকে দূরে অবস্থিত। মন্দিরের পশ্চিম দিকে পবিত্র বোধিবৃক্ষটি অবস্থিত। পালিশাস্ত্রে এই গাছটির নাম বোধিমণ্ড এবং এখানকার মঠটির নাম বোধিমণ্ড বিহার। মন্দিরের উচ্চতম শীর্ষটির উচ্চতা == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == Horner, I.B. (trans.) (1975; reprinted 2000). ''The Minor Anthologies of the Pali Canon (Part III): 'Chronicle of Buddhas' (Buddhavamsa) and 'Basket of Conduct' Oxford: Pali Text Society. == বহিঃসংযোগ == Land Enlightenment of the Buddha Bodhgaya News ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহ বুদ্ধগয়া মন্দির বিতর্ক মহাবোধি মন্দির সংক্রান্ত তথ্য এবং চিত্রাবলি ধর্ম মন্দির'''লালবাজার''' মধ্য কলকাতার বিবাদীবাগ সংলগ্ন একটি অঞ্চল। এটি শহরের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত। কলকাতা পুলিশের সদর কার্যালয় এখানে (১৮, লালবাজার স্ট্রিট) অবস্থিত এবং এই কার্যালয়টি লোকমুখে লালবাজার নামেই পরিচিত। == ইতিহাস == বিবাদীবাগের উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে বউবাজার পর্যন্ত প্রসারিত রাস্তাটি পূর্বে ‘অ্যাভিনিউ টু দি ইস্টওয়ার্ড’ (‘Avenue to the eastward’) বা ‘পূর্বদিকের পথ’ নামে অভিহিত হত। এই রাস্তাটির অন্য নাম ছিল গ্রেট বাংলো রোড। বর্তমান পুলিশ কার্যালয়টি আদতে ছিল কলকাতার বিশিষ্ট ধনী ব্যবসায়ী জন পামার (John Palmer)-এর বাসভবন। কথিত আছে তারও পূর্বে এটি ছিল ‘একটি পুরনো বসতবাটীর ধ্বংসাবশেষ, কোনো কৃষ্ণাঙ্গ স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ি’ (‘an old ruin of house, formerly the residence of some black native’)। এর পাশেই ছিল সেযুগের সর্বাপেক্ষা সুন্দর বাড়ি হারমোনিক ট্যাভার্ন। যদিও অনেক কাল আগেই এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। আদি কলকাতায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাস্তি হিসেবে ফাঁসিতে ঝোলানো হত। তাই লালবাজার চিৎপুর রোডের (বর্তমান রবীন্দ্র সরণি) সংযোগস্থলে সেযুগে একটি ফাঁসির মঞ্চও ছিল। ১৭৬৮ সালে এই রাস্তাটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল কলকাতার শ্রেষ্ঠ রাস্তা বলে। লালবাজারের বর্তমান পুলিশ সদর কার্যালয়টি নির্মিত হয় ১৯১৯ সালে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == কলকাতার অঞ্চল পুলিশ ভূগোল রাস্তা(ইংরেজি: '''Speculative fiction''', "স্পেকুলেটিভ ফিকশন") কথাসাহিত্যের একটি বিশেষ বর্গ যেখানে বাস্তব জগতের সঙ্গে অসম্পর্কিত এক কল্পিত জগতের বর্ণনা দেওয়া হয়। এই ধারার উপবর্গগুলি হল: কল্পবিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি সাহিত্য, ভৌতিক সাহিত্য, অতিলৌকিক সাহিত্য, সুপারহিরো সাহিত্য, কল্পস্বর্গ কল্পনরক সাহিত্য, প্রলয় প্রলয়োত্তর সাহিত্য, বিকল্প ইতিহাস। এই উপবর্গগুলি প্রায়শই পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে থাকে। == ইতিহাস == "স্পেকুলেটিভ ফিকশন" শব্দটির স্রষ্টা মনে করা হয় রবার্ট হেইনলেইনকে। আগস্ট, ১৯৪৮ তারিখে দ্য স্যাটারডে ইভনিং পোস্ট পত্রিকার একটি সম্পাদকীয়তে তিনি এই শব্দটি কল্পবিজ্ঞানের প্রতিশব্দরূপে ব্যবহার করেন। পরবর্তীকালের একটি লেখায় তিনি পরিষ্কার জানান ফ্যান্টাসি বোঝাতে তিনি এই শব্দটি ব্যবহার করেননি। হেইনলেইন শব্দটি ব্যবহার করেছেন বটে, কিন্তু তার আগেও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ১৮৮৯ সালে ''লিপিনকোট’স মান্থলি ম্যাগাজিন''-এ এডওয়ার্ড বেলআমির ''লুকিং ব্যাকওয়ার্ড: ২০০০-১৮৮৭'' গ্রন্থের একটি সূত্র ধরে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল। "স্পেকুলেটিভ ফিকশন" নামসংক্ষেপ করা হয় "স্পেক-ফিক", "স্পেকফিক", "S-F", "SF", বা "sf"। শেষ তিনটি কল্পবিজ্ঞান বা সায়েন্স ফিকশনের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয় বলে অনেক সময় বিভ্রান্তি ছড়ায়। সায়েন্স ফিকশনের প্রতি অতৃপ্ত অর্থে "স্পেকুলেটিভ ফিকশন" প্রয়োগ জনপ্রিয় হয় ১৯৬০ ১৯৭০-এর দশকের প্রথম ভাগে জেডিথ মেরিল অন্যান্য লেখক সম্পাদকদের দ্বারা। এরা নিউ ওয়েভ ধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ১৯৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে এর ব্যবহার কমে আসতে থাকে। দ্য ইন্টারনেট স্কেকুলেটিভ ফিকশন ডেটাবেস এই ধারার বিভিন্ন উপবর্গের তালিকা প্রস্তুত করেছে। ২০০০-এর দশক থেকে এই সব উপবর্গের সামগ্রিক নাম হিসেবে এই শব্দটি বেশ জনপ্রিয় হয়। যেসব গবেষণা পত্রিকা কল্পসাহিত্যের উপর প্রবন্ধ ছাপে সেগুলি হল ''ফাউন্ডেশন দ্য ইন্টারন্যাশানাল রিভিউ অফ সায়েন্স ফিকশন''। কেউ কেউ যাকে কল্পবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ''পার সে'' (''per se'') মনে করেন তার প্রতিও অতৃপ্তি জ্ঞাপন করতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ হারলান এলিসনের লেখালিখিতে এই শব্দটি এমনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে যাতে কল্পবিজ্ঞান লেখক তকমার ক্ষুদ্র আবর্ত থেকে বেরিয়ে আসা যায় এবং কল্পবিজ্ঞানের সমস্ত বর্গপ্রথাকে ভেঙে ফেলে আধুনিক সাহিত্যের ধারার পথে তাকে পরিচালিত করা যায়; আবার কখনও তা ব্যবহৃত হয়েছে মূলধারার সমালোচকরা কল্পবিজ্ঞানকে যে মর্মে সমালোচনা করেন তার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। তবে কোনো কোনো লেখক পাঠক এই শব্দটি অপমানজনক মনে করেন। == আরও দেখুন == হিউগো অ্যাওয়ার্ড হিউগো অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট রিলেটেড বুক নেবুলা অ্যাওয়ার্ড ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == Dictionary citations for the term "speculative fiction" Internet Speculative Fiction Database The SF Page at Project Gutenberg of Australiaচন্দনযাত্রা একটি হিন্দু উৎসব। এই উৎসবটি বিশেষত জগন্নাথের সঙ্গে যুক্ত। প্রতি বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অক্ষয়তৃতীয়ার দিন এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনে রথযাত্রা উৎসবের জন্য রথ নির্মাণ শুরু হয়ে থাকে। সমগ্র উৎসবটি চলে ৪২ দিন ধরে। প্রথম ২১ দিন প্রতিদিন প্রধান দেবতাদের প্রতিনিধিমূর্তি সহ পঞ্চপাণ্ডব নামে পরিচিত পাঁচটি শিবলিঙ্গ সুসজ্জিত করে শোভাযাত্রা সহকারে জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বার থেকে নরেন্দ্র তীর্থ জলাধার অবধি নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানের পর দেবতাদের একটি সুসজ্জিত রাজকীয় নৌকায় চাপিয়ে সান্ধ্যভ্রমণের জন্য জলাশয়ে ভাসানো হয়। শেষ ২১ দিনের যাবতীয় অনুষ্ঠান অবশ্য মন্দিরের ভিতরেই হয়ে থাকে। ===নবদ্বীপে চন্দনযাত্রা=== পূর্বে বৈশাখী পূর্ণিমায় নবদ্বীপের অধিকাংশ ঠাকুরবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় চন্দন যাত্রা উৎসব। চন্দন মাখিয়ে বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হত গঙ্গার ঘাটে। মনিপুরের অনুমহাপ্রভুর মন্দিরে, বড়ো আখড়ায়, ছোট আখড়ায়, কদমতলা ঘাটে মাধব দাস বাবাজির আশ্রামে এবং বাগচীপাড়ায় মন্টু বাবাজি মৌনিবাবার আশ্রামে চন্দন যাত্রা মহাসমারহে হতো। বর্তমানে একমাত্র সমাজবাড়িতে এর প্রচলন আছে। ভক্তদের মতে সমাজবাড়ি তে এর প্রচলন করেন ললিতা সখী।ব্রজলীলা অনুসারে বৈশাখী ত্রয়োদশী থেকে বুদ্ধ-পূর্ণিমা পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় চন্দনযাত্রা। == তথ্যসূত্র == উৎসব সংস্কৃতির উৎসবto continental drift, the India Plate split from Madagascar and collided with the Eurasian Plate resulting in the formation of the Himalayas. '''ভারতীয় পাত''' একটি ভূত্বকীয় পাত যা আদিতে মহাদেশের অংশ ছিল এবং পরে উক্ত মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৫০ থেকে ৫৫ মিলিয়ন বছর আগে এটি অস্ট্রেলীয় পাতের সঙ্গে মিশে যায়। বর্তমানে এটি পাতের অংশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশ ভারত মহাসাগরের তলদেশে স্থিত একটি বেসিনে অংশ এই পাতের উপর অবস্থিত। == ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প == ২০০৪ সালের ডিসেম্বর ২৬ তারিখে ভারত মহাসাগরে ৯.৩ মাত্রার যে ভূমিকম্পটি হয়, তার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ভারতীয় পাতকে। পূর্ব ভারত মহাসাগরে ভারতীয় পাতটি বর্মী পাতের তলায় আঘাত হানছে (বছরে সেমি হারে)। ইউরেশীয় পাতের মিলনস্থলে সুন্দা খাতের সৃষ্টি হয়েছে। এই জায়গার ভূমিকম্পের কারণ হলো এই খাতের সাথে আড়াআড়িভাবে কোনো ভূত্বকীয় পাত আঘাত করা। আরেকটি কারণ হলো এই খাতের পূর্বদিকের অংশ থেকে খাত বরাবর সাগর তলদেশ স্থানান্তরিত হওয়া। অন্যান্য বৃহৎ ভূমিকম্পের মতোই ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বরের ভূমিকম্পের কারণ ছিলো ভূত্বকীয় পাতের চাপ সৃষ্টি হওয়া। প্রায় ১০০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ভাঙন সৃষ্টি হওয়া। এই ভাঙনের ফলে পাতটির প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার অংশ পিছল যায়। ভূচ্যুতির অংশটি ১৫ মিটার সরে যায় সাগরের তলদেশ প্রায় কয়েক মিটার উপরে উঠে আসে। এর ফলশ্রুতিতে সুনামির সৃষ্টি হয়। ইউরেশীয়, আফ্রিকীয়, আরব পাতের মিলনস্থল। ২০০৫ এর কাশ্মীরের ভূমিকম্পটি ভারতীয় পাতের উত্তর প্রান্তে সংঘটিত হয়। == বহিঃসংযোগ == The collision of India and Asia (90 mya present), by Christopher R. Scotese, from the Paleomap Project. Retrieved December 28, 2004. Magnitude 9.0 off coast of northern Sumatra Sunday, December 26, 2004 at 00:58:49 UTC: Preliminary earthquake report, from the U.S. Geological Survey. Retrieved December 28, 2004. পাত ভূতত্ত্ব মহাসাগরের ভূতত্ত্বচিত্র:Indian Army soldier on guard at the India Gate, New এক আসাম রাইফেলস জওয়ান, দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের নিরাপত্তায় নিযুক্ত '''ভারতের আধাসামরিক বাহিনী''' ('''আধাসেনা''') ভারত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত সেই সকল এজেন্সি যারা ভারতের সামরিক বাহিনী ইন্ডিয়ান পুলিস সার্ভিস সহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের বিভিন্ন অপারেশনে সহায়তা করে থাকে। দশ লক্ষাধিক সক্রিয় জওয়ান সংবলিত ভারতের আধাসামরিক বাহিনী পৃথিবীর বৃহত্তম আধাসেনাগুলির অন্যতম। '''কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী''' (সিপিএফ)নিয়ে আধাসেনার প্রথম স্তর '''কেন্দ্রীয় পুলিস সংগঠন''' (সিপিও) নিয়ে আধাসেনার দ্বিতীয় স্তরটি গঠিত। এই দুই বাহিনীর মধ্যে প্রাথমিক পার্থক্য এই যে সিপিএফ ভারতের সামরিক বাহিনীর (যথা ভারতীয় সেনাবাহিনী, ভারতীয় বিমানবাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনী) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করে; স্বাধীনভাবে বা অন্যদিকে সিপিও ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস অন্যান্য আইনরক্ষক এজেন্সির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। যুদ্ধের সময় সিপিএফ সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীনে কাজ করে, যা সিপিও করে না। ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ছাড়া আধাসেনার সবকটি শাখাই ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এজেন্সি। উপকূলরক্ষী বাহিনী আধাসেনার অঙ্গ হলেও এটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এজেন্সি যা ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। বিভিন্ন ভূমিকা পালনের জন্য ভারতীয় আধাসেনার অনেকগুলি শাখা রয়েছে। এগুলির অধিকাংশই যদিও জেন্ডারমেরি জাতীয় দায়িত্ব ভাগ করে নেয় এবং সাধারণত বা ভূমিকা পালন করে থাকে। আবার বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশের মতো কয়েকটি শাখা ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা প্রহরায় সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স প্রাথমিকভাবে ভারতীয় পুলিশকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সাহায্য করে। ভারতের আধাসামরিক বাহিনীগুলির মধ্যে এটিই বৃহত্তম। == কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর তালিকা == জাতীয় রাইফেলস: ৪০,০০০ জওয়ান অসম রাইফেলস: একজন অধীনস্থ ৪৬টি ব্যাটেলিয়নে বিভক্ত ৪০,০০০ জওয়ান ডিফেন্স সিকিওরিটি কর্পস ৩০,০০০ জওয়ান যারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবন স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস: ৩০,৫০০ জওয়ান ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী: ১৮০,০০০ জওয়ান সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স: ১০৫,০০০ জওয়ান ইন্দো-তিব্বতি সীমান্ত পুলিশ: ৪০,০০০ জওয়ান == কেন্দ্রীয় পুলিশ সংগঠনের তালিকা == রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স ৪৫,০০০ জওয়ান যারা ভারতীয় রেলে নিরাপত্তা পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করে ইন্ডিয়ান হোমগার্ড: ৪০০ থেকে ৬০০,০০০ জওয়ান সিভিল ডিফেন্স সশস্ত্র সীমা বল: 32,500 personnel which guard the Indo-Nepal and Indo-Bhutan Borders ৩২,৫০০ জওয়ান যারা ভারত-নেপাল ভারত-ভুটান সীমান্ত প্রহরা দেয় স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ: ৩০০০ জওয়ান স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স ১০,০০০ জওয়ান বিশেষ সশস্ত্র পুলিশ: ২৫০ থেকে ৩০০,০০০ জওয়ান। এটি সংরক্ষিত ভ্রাম্যমাণ রক্ষীবাহিনী। এরা কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচিত ক্ষেত্রে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল বা তদুর্ধ কোনো পদাধিকারীর অধীনেই কাজ করে। এরা সচরাচর সাধারণ মানুষের জন্য নিযুক্ত হয় না। অবশ্য ভিআইপিদের নিরাপত্তা, মেলা, উৎসব, ক্রীড়ানুষ্ঠান নির্বাচনের প্রহরাদান বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এদের নিয়োগ করা হলে এরা জনসংযোগে আসে। ছাত্রসংঘর্ষ, শ্রমিক অসন্তোষ, সংগঠিত অপরাধ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষেত্রেও এদের পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এদের হাতে কেবল লাঠি বা সাধারণ আগেয়াস্ত্র দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স: ২০০টি ব্যাটেলিয়নে বিভক্ত ১৭২,০০০ জওয়ান ** র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স সিআরপিএফ-এর ১০ ব্যাটেলিয়নের অর্ধ-স্বাধীন অংশ। ক্ষেত্রীয় হিংসার ঘটনায় প্রেরিত এই পুলিশ ভারতীয় সংঘের দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ। ** কমব্যাট ব্যাটেলিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন (কোবরা): ১০,০০০ জওয়ান সংবলিত শক্তিশালী নকশালবিরোধী বাহিনী যা সিআরপিএফ-এর নিয়ন্ত্রণ নির্দেশের অধীনে কাজ করে। == আরও দেখুন == ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতীয় বিমানবাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনী ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড স্পেশাল ফোর্সেস অফ ইন্ডিয়া স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (ভারত) == তথ্যসূত্র == == তথ্যপঞ্জি == India's Paramilitary Forces == বহিঃসংযোগ == Assam Rifles official site Analysis of the PMF An informative article on the PMF Global Security article on Border Security Force সামরিক বাহিনী আধা-সামরিক বাহিনী'''মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন''' (; জন্ম: আগস্ট ২৯, ১৯৫৮– মৃত্যু: জুন ২৫, ২০০৯) একজন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, গান লেখক,অভিনেতা, সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বহুল বিক্রিত এলবামের সঙ্গীত শিল্পীদের তিনি অন্যতম।জ্যাকসন পরিবারের ৮ম সন্তান মাইকেল মাত্র বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের সঙ্গীত গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে গান গাইতেন। ১৯৭১ সাল থেকে মাইকেল একক শিল্পী হিসাবে গান গাইতে শুরু করেন। মাইকেলের গাওয়া ৫টি সঙ্গীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)। তাকে ''পপ সঙ্গীতের রাজা'' (King of Pop) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাকে ''এমজে''(Mj) নামে অভিহিত করা হয়। সঙ্গীত, নৃত্য এবং ফ্যাশন জগতসহ ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও অধিককাল ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। ১৯৮০র দশকে মাইকেল সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছান। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী যিনি এমটিভিতে এতো জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, তার গাওয়া গানের ভিডিওর মাধ্যমেই এমটিভির প্রসার ঘটেছিলো। গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মাইকেলের জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রোবোট, মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) রয়েছে। মুনওয়াক আসলে হলো সামনের দিকে হাঁটার দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে পিছনে যাবার ভঙ্গিমা। তিনি পপ সংগীত এবং মিউজিক ভিডিওর ধারণা পাল্টে দেন।এখন সারাবিশ্বের সকল নৃত্যশিল্পীরা মাইকেল জ্যাকসনকে প্রায়ই শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। মাইকেল জ্যাকসন দু’বার রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেইমে নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনিই এই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি যিনি গান লেখক,নাচের (সর্বপ্রথম এবং একমাত্র),"আর এন বি" হল অফ ফেইমে যায়গা করে নিয়েছেন। সঙ্গীত জগতের কেউ এত ক্যাটাগরিতে হল অফ ফেইমে নিজেকে নিতে পারেন নি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি ১নম্বর একক সঙ্গীত, এবং ৩৫ কোটিরও বেশি মাইকেলের অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। "থ্রিলার"(১৮৮২) আজ পর্যন্ত ১১০ মিলিয়নের উপর বিক্রি হয়েছে যা সর্বোচ্চ বিক্রিত হওয়া এলবাম। "ব্যাড" (১৯৮২) যেটাতে আছে বিলবোর্ড চার্টে নম্বর হওয়া টি গান যা সর্বোচ্চ এবং মাইকেল জ্যাকসনের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এলবামের তালিকায় ২য় এবং ৬৭ মিলিয়ন কপি বিক্রি যার মাধ্যমে মাইকেল "নিউ জ্যাক সুইং" নামে নতুন একটা জেনার কে পপুলার করে,এবং এটি সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া নিউ জ্যাক সুইং এলাবাম,যার পরিমাণ ৩৬ মিলিয়ন মাইকেলের নবম স্টুডিও এলবাম এবং এই পর্যন্ত ৩৩ মিলিয়ন(৬৬ মিলিয়ন ইউনিট), যা হচ্ছে এই পর্যন্ত টি ডিস্ক সমন্বিত একটি এলবাম এর সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এলবাম।হিস্টোরি একটি বহুল আলোচিত প্রতিবাদি এলবাম।তার বছর পর ১৯৯৭ সালে তিনি রিলিজ করেন তার সর্বপ্রথম রিমিক্স এলবাম "ব্লাড অন দা ডান্স ফ্লোর:হিস্টোরি ইন দা মিক্স" যা এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া রিমিক্স এলবাম(৬ মিলিয়ন কপি)। ২০০১ সালে মাইকেল রিলিজ করে "ইনভিন্সিবল", তার জিবনের ১০ম সর্বশেষ স্টুডিও এলবাম। এটি থ্রিলার এর থেকেও তাড়াতাড়ি বিক্রি হচ্ছিল,কিন্তু "সনি মিউজিক এর সাথে ঝামেলার কারনে তারা এই এলবামটি প্রোমোট করে না, তার পরেও এটি ১৩ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এটি এই পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যায়বহুল এলবাম, এই এলবাম এর শুধুমাত্র রেকর্ডিং এই মাইকেল খরচ করে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপর। ২০১০ সালে বিলবোর্ড কর্তৃক একটি পোলে এই এলবামটি ২০০০-২০১০ সালের মধ্যে রিলিজ পাওয়া এলবাম এর সেরা এলবাম নির্বাচিত হয়। জ্যাকসন হচ্ছে এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি এওয়ার্ড নোমিনেশন পাওয়া তারকা। এছাড়াও গিনেস বুক অফ ওয়ার্লড তাকে বিশ্বরেকর্ড ভুষিত করেছে বিনোদন জগতের মানুষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি দান খয়রাত করবার জন্যে, এবং তার দানকৃত অর্থের পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এর বেশি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নানা কেলেঙ্কারিতে(যা পরবর্তিতে প্রত্যেকটি ভুল প্রমাণিত হয়) জড়ালেও প্রায় ৪০ বছর ধরে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন এবং তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক এবং নৃত্যশীল্পির সিংহাসনে বসে আছেন। তার মতো তারকা বর্তমান বিশ্বে নেই বললেই চলে। == মৃত্যু == ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জুন মাইকেল জ্যাকসন মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে সারা পৃথিবীতে আলোড়ন পরে যায়। TMZ যখন তাদের ওয়েবসাইটে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তারপর তা সবজায়গায় খুবই দ্রত ছড়িয়ে পড়ে। তার মৃত্যুর ফলে পৃথিবীর ইন্টারনেট ব্যাবস্থা এক প্রকার ভেঙে পড়ে। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পৃথিবীর সকল অঞ্চল থেকে তার ভক্ত সাধারণ মানুষ গুগল সার্চ করা শুরু করে। "Michael Jackson" শব্দটি এত বেশি(মিলিয়ন মিলিয়ন) ইনপুট হবার কারনে তারা ভেবেই বসে DDoS Virus তাদের সার্চ ইঞ্জিন আক্রান্ত হয়েছে যার ফলে তারা প্রায় ৩০ মিনিট গুগল বন্ধ রাখে। উইকিপিডিয়া তে ঘন্টার মধ্যে ১২ লাখেরও বেশি মানুষ মাইকেলের বায়োগ্রাফি দেখে, আর এই চাপ উইকিপিডিয়া লোড নিতে সক্ষম না হওয়াতে Crash করে(পরে কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের ইতিহাসে এরকম ঘটনা এই প্রথম), একিরকম ভাবে টুইটার-ও Crash হয়,যেখানে মোট টুইটের ১৫ মেনশন করা হচ্ছিল মাইকেল (প্রতি মিনিটে ৫০০০+ টুইট)। এছাড়াও বিভিন্ন নিউজ মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারন ইন্টারনেট ট্রাফিকের ১১% হতে তা ২০% উন্নিত হয়। এমটিভি ২৪ ঘন্টা ধরে তার মিউজিক ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ভক্ত, ফ্যামিলি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার শেষ কৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠান পৃথিবীর ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ সরাসরি টেলিভিশন অনলাইনে দেখে,যা এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ কারো কৃত্যানুষ্ঠান দেখা হয়েছে। দায়িত্বে খামখেয়ালি করার কারণে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী মার্কিন চিকিৎসক ডঃ কনরাড মারেকে বছরের জন্য কারাবাস সাজা দেয়া হয়েছিল। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু সঙ্গীতশিল্পী'''প্রত্যেক দেশের হিন্দু জনসংখ্যার শতকরা হার''' সংক্রান্ত তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র বিভাগের ''আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন ২০০৬'' থেকে গৃহীত হয়েছে। অন্যান্য যে সূত্রগুলি ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি হল সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক অ্যাডহেরেন্ট ডট কম। প্রত্যেক দেশের জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য গৃহীত হয়েছে সেনসাস ডট গভ থেকে। (২০০৭ প্রাককলন) '''হিন্দুধর্ম দেশ অনুসারে শতকরা হার''' == দেশ অনুসারে == '''হিন্দুধর্ম দেশ অনুসারে''' এলাকা দেশ জনসংখ্যা (২০০৭ থেকে) হিন্দু মোট হিন্দু দক্ষিণ এশিয়া আফগানিস্তান ৩১,৮৮৯,৯২৩ ০.৪% ১২৭,৫৬০ বাল্কান আলবেনিয়া ৩,৬০০,৫২৩ n/a n/a উত্তর আফ্রিকা আলজেরিয়া ৩২,৫৩১,৮৫৩ n/a n/a দক্ষিণ আফ্রিকা এঙ্গোলা ১২,২৬৩,৫৯৬ n/a n/a দক্ষিণ আমেরিকা আর্জেন্টিনা ৪০,৩০১,৯২৭ ০.০১% ৪,০৩০ Eastern Europe আর্মেনিয়া 2,971,650 n/a n/a Oceania অস্ট্রেলিয়া 20,434,176 0.5% 102,171 Western Europe অস্ট্রিয়া 8,199,783 0.1% (approx) 8,200 Eastern Europe আজারবাইজান 8,120,247 n/a n/a Middle East বাহরাইন 708,573 6.25% 44,286 South Asia বাংলাদেশ 150,448,339 9.2% 10.5% 13,841,247 15,797,076 Eastern Europe বেলারুস 9,724,723 n/a n/a Western Europe বেলজিয়াম 10,392,226 0.06% 6,235 Central America বেলিজ 294,385 2.3% 6,771 West Africa বেনিন 8,078,314 n/a n/a South Asia ভুটান 2,327,849 2% 25% 46,557 581,962 South America বলিভিয়া 9,119,152 n/a n/a Balkans বসনিয়া হার্জগোভিনা 4,552,198 n/a n/a Southern Africa বতসোয়ানা 1,815,508 0.17% 3,086 South America ব্রাজিল 190,010,647 0.0016% 3,040 Southeast Asia ব্রুনেই 374,577 0.035% 131 Eastern Europe বুলগেরিয়া 7,322,858 n/a n/a West Africa বুরকিনা ফাসো 14,326,203 0.001% 150 East Africa বুরুন্ডি 8,390,505 0.1% 8,391 Southeast Asia কম্বোডিয়া 13,995,904 0.3% 41,988 West Africa ক্যামেরুন 18,060,382 n/a n/a North America কানাডা 33,390,141 1% 333,901 Central Africa মধ্য আফ্রিকা 4,369,038 n/a n/a Central Africa চাদ 9,885,661 n/a n/a South America চিলি 16,284,741 n/a n/a East Asia চিন 1,321,851,888 n/a n/a South America কলম্বিয়া 44,379,598 0.02% 8,876 East Africa কোমোরোস 711,417 0.1%(approx) 711 Central Africa কঙ্গো প্রজাতন্ত্র 3,800,610 n/a n/a Central Africa গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র 65,751,512 0.18% 118,353 Central America কোস্টা রিকা 4,133,884 n/a n/a Balkans ক্রোয়েশিয়া 4,493,312 0.01% (approx) 449 North America কিউবা 11,394,043 0.21% 23,927 Southern Europe সাইপ্রাস 788,457 n/a n/a Central Europe চেক প্রজাতন্ত্র 10,228,744 n/a n/a West Africa আইভরি কোস্ট 18,013,409 0.1% 18,013 Northern Europe ডেনমার্ক 5,468,120 0.1% 5,468 East Africa জিবুতি 496,374 0.02% 99 Caribbean ডোমিনিকা 72,386 0.2% 145 Caribbean ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র 9,365,818 n/a n/a Oceania পূর্ব তিমুর 1,084,971 n/a n/a South America ইকুয়েডর 13,755,680 n/a n/a North Africa মিশর 80,335,036 n/a n/a Central America এল সালভাডর 6,948,073 n/a n/a East Africa ইরিত্রিয়া 4,906,585 0.1% (approx) 4,907 Northern Europe এস্তোনিয়া 1,315,912 n/a n/a East Africa ইথিয়োপিয়া 76,511,887 n/a n/a Oceania ফিজি 918,675 30% 33% 275,603 303,163 Northern Europe ফিনল্যান্ড 5,238,460 0.01% 524 Western Europe ফ্রান্স 63,718,187 0.1% 63,718 West Africa গাবন 1,454,867 n/a n/a West Africa গাম্বিয়া 1,688,359 n/a n/a Eastern Europe জর্জিয়া 4,646,003 0.01% (approx) 465 Western Europe জার্মানী 82,400,996 0.119% 98,057 West Africa ঘানা 22,931,299 0.05% (approx) 11,466 Southern Europe গ্রিস 10,706,290 n/a n/a Caribbean গ্রেনাডা 89,971 0.7% 630 Central America গুয়াতেমালা 12,728,111 n/a n/a West Africa গিনি 9,947,814 n/a n/a West Africa গিনি-বিসাউ 1,472,780 n/a n/a South America গায়ানা 769,095 28.3% 33% 217,654 253,801 Caribbean হাইতি 8,706,497 n/a n/a Central America হন্ডুরাস 7,483,763 n/a n/a Central Europe হাঙ্গেরী 9,956,108 0.02% 1,767 Northern Europe আইসল্যান্ড 301,931 n/a n/a South Asia ভারত 1,129,866,154 80.5% 909,542,254 Southeast Asia ইন্দোনেশিয়া 234,693,997 2% 4,693,880 Middle East ইরান 65,397,521 0.02% (appox) 13,079 Middle East ইরাক 27,499,638 n/a n/a Northern Europe আয়ারল্যান্ড 4,109,086 0.08% 3,100 Middle East ইসরায়েল 6,426,679 0.1% (appox) 6,427 Southern Europe ইতালি 58,147,733 0.02% (appox) 11,630 Caribbean জামাইকা 2,780,132 0.06% 1,668 East Asia জাপান 127,433,494 0.004% (approx) 5,097 Middle East জর্দান 6,053,193 n/a n/a Central Asia কাজাখস্তান 15,284,929 n/a n/a East Africa কেনিয়া 36,913,721 1% 369,137 East Asia উত্তর কোরিয়া 23,301,725 n/a n/a East Asia দক্ষিণ কোরিয়া 49,044,790 0.005% (appox) 2,452 Middle East কুয়েত 2,505,559 12% 300,667 Central Asia কিরগিজস্তান 5,284,149 n/a n/a Southeast Asia লাওস 6,521,998 n/a n/a Northern Europe লাতভিয়া 2,259,810 0.006% 136 Middle East লেবানন 3,925,502 0.1% (approx) 3,926 Southern Africa লেসাথো 2,125,262 0.1% (approx) 2,125 West Africa লাইবেরিয়া 3,195,931 0.1% (approx) 3,196 North Africa লিবিয়া 6,036,914 0.1% 6,037 Northern Europe লিথুয়ানিয়া 3,575,439 n/a n/a Western Europe লুক্সেমবুর্গ 480,222 0.07% (approx) 336 Balkans মেসিডোনিয়া 2,055,915 n/a n/a Southern Africa মাদাগাস্কার 19,448,815 0.1% 19,449 Southern Africa মালাউই 13,603,181 0.02% 0.2% 2,721 27,206 Southeast Asia মালয়শিয়া 24,821,286 6.3% 1,563,741 South Asia 369,031 0.01% 37 West Africa মালি 11,995,402 n/a n/a North Africa মৌরিতানিয়া 3,270,065 n/a n/a Southern Africa মরিশাস 1,250,882 48% 50% 600,423 625,441 North America মেক্সিকো 108,700,891 n/a n/a Eastern Europe মলদোভা 4,328,816 0.01% (approx) 433 Central Asia মঙ্গোলিয়া 2,951,786 n/a n/a Balkans মন্টিনিগ্রো 684,736 n/a n/a North Africa মরক্কো 33,757,175 n/a n/a Southern Africa মোজাম্বিক 20,905,585 0.05% 0.2% 10,453 41,811 Southeast Asia মায়ানমার 47,373,958 0.5% 236,870 Southern Africa নামিবিয়া 2,055,080 n/a n/a South Asia নেপাল 28,901,790 80.6% 81% 23,294,843 23,410,450 Western Europe নেদারল্যান্ড 16,570,613 0.58% 96,110 Oceania নিউজিল্যান্ড 4,115,771 1% 41,158 Central America নিকারাগুয়া 5,675,356 n/a n/a West Africa নাইজার 12,894,865 n/a n/a West Africa নাইজেরিয়া 135,031,164 n/a n/a Northern Europe নরওয়ে 4,627,926 0.5% 23,140 Middle East ওমান 3,204,897 3% 5.7% 96,147 182,679 South Asia পাকিস্তান 164,741,924 1.5% 2.02% 2,471,129 3,327,787 Central America পানামা 3,242,173 0.3% 9,726 Oceania পাপুয়া নিউগিনি 5,795,887 n/a n/a South America প্যারাগুয়ে 6,669,086 n/a n/a South America পেরু 28,674,757 n/a n/a Southeast Asia ফিলিপাইন 91,077,287 0.05% (approx) 45,539 Central Europe পোল্যান্ড 38,518,241 n/a n/a Western Europe পর্তুগাল 10,642,836 0.07% 7,396 Caribbean পুয়ের্তো রিকো 3,944,259 0.09% 3,550 Middle East কাতার 907,229 7.2% 65,320 East Africa রিইউনিয়ান 784,000 6.7% 52,528 Balkans রোমানিয়া 22,276,056 n/a n/a Eastern Europe রাশিয়া 141,377,752 0.043% 60,792 East Africa রুয়ান্ডা 9,907,509 n/a n/a Middle East 27,601,038 0.6% 1.1% 165,606 303,611 West Africa সেনেগাল 12,521,851 n/a n/a Balkans সার্বিয়া 10,150,265 n/a n/a East Africa সেশেল্স দ্বীপপুঞ্জ 81,895 2% 1,638 West Africa সিয়েরা লিওন 6,144,562 0.04% 0.1% 2,458 6,145 Southeast Asia সিঙ্গাপুর 4,553,009 4% 262,120 Central Europe স্লোভাকিয়া 5,447,502 0.1% (approx) 5,448 Central Europe স্লোভেনিয়া 2,009,245 0,025% (approx) 500 East Africa সোমালিয়া 9,118,773 n/a n/a Southern Africa দক্ষিণ আফ্রিকা 43,997,828 1.25% 549,973 Southern Europe স্পেন 40,448,191 n/a n/a South Asia শ্রীলংকা 20,926,315 7.1% 15% 1,485,768 3,138,947 North Africa সুদান 39,379,358 n/a n/a South America সুরিনাম 470,784 20% 27.4% 94,157 128,995 Southern Africa সোয়াজিল্যান্ড 1,133,066 0.15% 0.2% 1,700 2,266 Nothern Europe সুইডেন 9,031,088 0.078% 0.12% 7,044 10,837 Western Europe সুইজারল্যান্ড 7,554,661 0.38% 28,708 Middle East সিরিয়া 19,314,747 n/a n/a East Asia তাইওয়ান 22,858,872 n/a n/a Central Asia তাজিকিস্তান 7,076,598 n/a n/a East Africa তাঞ্জানিয়া 39,384,223 0.9% 354,458 Southeast Asia থাইল্যান্ড 65,068,149 0.0045% 2,928 West Africa টোগো 5,701,579 n/a n/a Caribbean ত্রিনিদাদ টোবাগো 1,056,608 22.5% 237,737 North Africa তিউনিসিয়া 10,276,158 n/a n/a Middle East তুরস্ক 71,158,647 n/a n/a Central Asia তুর্কমেনিস্তান 5,097,028 n/a n/a East Africa উগান্ডা 30,262,610 0.2% 0.8% 60,525 242,101 Eastern Europe ইউক্রেন 46,299,862 n/a n/a Middle East সংযুক্ত আরব আমিরাত 4,444,011 21.25% 944,352 Northern Europe যুক্তরাজ্য 60,776,238 1% 607,762 North America যুক্তরাষ্ট্র 301,139,947 0.4% 1,204,560 South America উরুগুয়ে 3,460,607 n/a n/a Central Asia উজবেকিস্তান 27,780,059 0.01% (approx) 2,778 South America ভেনেজুয়েলা 26,023,528 n/a n/a Southeast Asia ভিয়েতনাম 85,262,356 0.059% 50,305 North Africa পশ্চিম সাহারা 382,617 n/a n/a Middle East ইয়েমেন 22,230,531 0.7% 155,614 Southern Africa জাম্বিয়া 11,477,447 0.14% 16,068 Southern Africa জিম্বাবুয়ে 12,311,143 0.1% 123,111 মোট ৬,৬৭১,২২৬,০০০ 14.468% 14.553% 965,211,399 970,921,642 == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী হিন্দুধর্ম'''ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, শিবপুর''' (ইংরেজি: '''Indian Institute of Engineering Science and Technology, Shibpur''') ভারতের প্রাচীনতম অগ্রণী ইঞ্জিনিয়ারিং মধ্যে অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া শহরের শিবপুরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে বহির্ভারতে শিক্ষা গবেষণাক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং ফলিত বিজ্ঞান শাখার একটি উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠানরূপে স্বীকৃত। ২০০৫ সালে ''ইন্ডিয়া টুডে'' পত্রিকার রেটিং অনুযায়ী এটি দেশের সেরা দশটি (টপ টেন) ইঞ্জিনিয়ারিং মধ্যে একটি বিবেচিত হয়। উচ্চশিক্ষা গবেষণার ক্ষেত্রে এটি বর্তমানে ভারতের একটি অভিজাত শিক্ষাকেন্দ্র। == ইতিহাস == ঘড়ি ঘর শিবপুরের ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানের আদিনাম বিশপস কলেজ। মাত্র দশ জন ছাত্র সামান্য কয়েকজন শিক্ষাকর্মী নিয়ে এই কলেজটি ১৮৫৬ সালের ২৪ নভেম্বর ক্যালকাটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে অভিহিত হয়। ১৮৬৫ থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত এটি প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করে। ১৮৮০ সালে কলেজটি হাওড়ার বিশপস কলেজের বিশাল ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। ১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় নাম পরিবর্তন করে এই কলেজের নাম বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বি. ই. কলেজ, শিবপুর) রাখা হয়। শিবপুর শব্দটি অবশ্য ১৯২১ সালের ২৪ মার্চ মুছে ফেলা হয়। ১৮৫৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এটি কলকাতা অনুমোদিত কলেজ ছিল। জাতির প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯২ সালে এই কলেজটিকে ডিমড মর্যাদা দেওয়া হয়। ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. শঙ্করদয়াল শর্মা ১৯৯৩ সালের ১৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিমড উদ্বোধন করেন। ২০০৪ সালের অক্টোবর ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর বর্তমানে নামে একটি পূর্ণাঙ্গ মর্যাদা পায়। ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. পি জে আব্দুল কালাম আনুষ্ঠানিকভাবে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুর (বেসু)-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। == বহিঃসংযোগ == Official webpage Website of BESU's Tech Fest, Instruo'09 Instruo (BESU Tech Fest) Wiki Page Global Alumni webpage Tarundar Thek, An Unofficial Forum for Alumni worldwide for casual talks, "Adda" Official site for REBECA'06 Hyderabad Chapter of BECAA Bioinformatics BESU নবজাগরণ বিষয়শ্রেণী:অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন প্রকৌশল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় জেলার বিশ্ববিদ্যালয়'''কেভি৬২''' হল তুতাংখামুনের কবর, যা রাজাদের ভ্যালিতে অবস্থিত। XVIII রাজবংশের যুবক শাসক, যে বছরের বয়সে সিংহাসনে বসে ছিল এবং সম্ভবত ১৮-২০ বছরের বয়সে মরা গিয়ে ছিল। কেভি৬২ যে ধন-সম্পদ ধারণ করেছিল, তার জন্য এটি বিখ্যাত হয়েছিল। ১৯২২ সালে হাওয়ার্ড কার্টারের মাধ্যমে কেভি৬২ কবরটি খুঁজে পাওয়া হয়েছিল। শুধু ২০০৯ সালের কবর থেকে ডিএনএ বিশ্লেষণে নয়, বছরের পর বছর বিশ্লেষণ করে তারা আবিষ্কার করেছে যে, তুতাংখামুন বিভিন্ন রোগ ভুগেছিল এবং এর মধ্যে কিছু ছিল বংশগত রোগ। কিন্তু এটি ধারণা করা হয় যে, কেউকে তার মৃত্যূর জন্য দোষ আরোপ করা হয়েছিল। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Plans of the tomb and other details Theban Mapping Project Burton's images of the tomb from The Howard Carter Archives Griffith Institute Tutankhamun: Anatomy of an Excavation Griffith Institute ইতিহাসমানচিত্রে ম্যাসাচুসেটস উপসাগর '''ম্যাসাচুসেটস উপসাগর''' () মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের পূর্ব উপকূল ঘেঁষে অবস্থিত আটলান্টিক মহাসাগরের অংশবিশেষ। এটি উত্তরে অ্যান অন্তরীপ থেকে বক্রভাবে দক্ষিণে প্লিমাথ উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের উপকূলকে নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করেছে। কখনও কখনও কেপ কড উপসাগরকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বস্টন শহরটি এই উপসাগরের সবচেয়ে পশ্চিম প্রান্তের কাছে অবস্থিত। উপসাগরকুন্দুজ '''কুন্দুজ''' উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত শহর এবং কুন্দুজ প্রদেশের রাজধানী। একটি অর্ধ-ঊষর অঞ্চলে কুন্দুজ নদীর পানি সেচ করে নির্মিত একটি মরুদ্যানকে কেন্দ্র করে শহরটি গড়ে উঠেছে। রেশম তুলার বস্ত্র উৎপাদন এবং খাবার প্রক্রিয়াকরণ এখানকার প্রধান শিল্প। এখানে একটি আধুনিক বিমান অবতরণ ক্ষেত্র আছে এবং এখান থেকে উত্তরে তাজিক সীমান্ত পর্যন্ত দক্ষিণে দেশের রাজধানী কাবুল পর্যন্ত মহাসড়ক চলে গেছে। শহর==একভাষিক বাংলা অভিধান (কালানুক্রমে)== বাংলা পুঁথি শব্দকোষ (অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি)। অজ্ঞাতনামা বাঙালি লেখক। ১৯শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে। বাংলা অভিধানের পাণ্ডুলিপি। সঙ্কলক অজানা। ঊনবিংশ শতকের প্রথম দশক। রামচন্দ্র শর্মা। ১৮১৭। ''বীতুজ শব্দ''। অজ্ঞাতনামা সঙ্কলক। ১৮১৭। (বাংলায় প্রচলিত ১০০০ শব্দের সংস্কৃত ধাতুরূপ) বাংলা অভিধান (শিরোনাম অজ্ঞাত)। অজ্ঞাতনামা সঙ্কলক। ১৮১৮। ''Vocabulary of the Bengalee Language''। রামচন্দ্র। ১৮১৮। (বাংলা ভাষার ৬,৬০০ কঠিন শব্দের তালিকা অর্থ) রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ। ১৮২০। (১৮১৭ সালের ১ম সংস্করণের সংশোধিত পরিবর্ধিত ২য় সংস্করণ) অভিধান (শিরোনাম অজ্ঞাত)। যোগনারায়ণ শর্মা। ১৮৩৪। জগন্নাথ প্রসাদ মল্লিক। ১৮৩৮। ''নূতন অভিধান''। জগন্নারায়ণ শর্মা মুখোপাধ্যায়। ১৮৩৮। ''শব্দার্থ প্রকাশাভিধান''। তারাচন্দ্র শর্মা। ১৮৩৮। ''ব্যবহার বিচার শব্দাভিধান''। সদর আমিন লক্ষ্মীনারায়ণ ন্যায়ালংকার। ১৮৩৮। ''পারসীক অভিধান অর্থাৎ পারসীক শব্দস্থলে স্বদেশীয় সাধুশব্দ সংগ্রহ''। জয়গোপাল তর্কালংকার ভট্টাচার্য্য। ১৮৩৮। (বাংলা ভাষায় ফার্সি শব্দের অভিধান) ''পারস্য বঙ্গীয় ভাষাভিধান''। নীলকমল মুস্তোফী। ১৮৩৮। (বাংলা ভাষায় ফার্সি শব্দের অভিধান) ''পারস্য বিপ্র শ্রীমান মহেষ্ণে। ১৮৩৯। (পীতাম্বর সেনের দিঙ্গসিন্ধু প্রেসে ছাপা) রামেশ্বর তর্কালঙ্কার। ১৮৩৯। ''বঙ্গাভিধান''। জলধর ন্যায়রত্ন। ১৮৩৯। (মূলত বানান অভিধান) সঙ্কলক অজানা। ১৮৩৯। (বেঙ্গল গেজেট প্রেস, বহর থেকে মহেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত) ''স্কুল বুক অভিধান''। জে সাইক্‌স (সম্পাদক)। ১৮৪৫। ''শব্দাবলী''। সংকলক অজানা। ১৮৫০। ''শব্দার্থ প্রকাশাভিধান''। দিগম্বর ভট্টাচার্য শম্ভুচন্দ্র মিত্র। ১৮৫২। মুক্তারাম বিদ্যাবাগীশ অন্যান্য। ১৮৫৩। অদ্বৈত চন্দ্র আঢ্য। ১৮৫৪। কাশীনাথ ভট্টাচার্য। ১৮৫৫। ''শব্দার্থ প্রকাশিকা''। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। ১৮৬১। (দুই খণ্ড)। মথুরানাথ তর্করত্ন। ১৮৬৩। (দুই খণ্ড)। নন্দকুমার কবিরত্ন বেণী মাধব দাস। ১৮৬৪। ''শব্দদীধিতি অভিধান''। শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায়। ১৮৬৪। ঢাকা। (ঢাকা থেকে মুদ্রিত প্রথম বাংলা অভিধান) ''প্রকৃতিবাদ অভিধান''। রাম কমল বিদ্যালঙ্কার। ১৮৬৬। ''নতুন শব্দার্থ প্রকাশিকা''। সঙ্কলক অজানা। ১৮৭৪। ''বাংলা অভিধান''। শশীভূষণ চট্টোপাধ্যায়। ১৮৯০। ''প্রকৃতি বিবেক অভিধান''। বলরাম পাল। ঊনবিংশ শতকের শেষ দশকে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। ''সরল বাঙ্গালা অভিধান''। সুবলচন্দ্র মিত্র। ১৯০৬। ''বঙ্গীয় শব্দ সিন্ধু''। রজনীকান্ত বিদ্যাবিনোদ। ১৯০৭। ''নূতন বাঙ্গালা অভিধান''। হরিচরণ দে। ১৯১১। ''আশুবোধ অভিধান''। আশুতোষ ধর। ১৯১২। ঢাকা। ''বাঙ্গালা শব্দকোষ'' (চার খণ্ড)। যোগেশ চন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ১৯১৩-১৯১৫। ''বাঙ্গালা ভাষার অভিধান''। জ্ঞানেন্দ্র মোহন দাস। ১৯১৭। ''সরল বাঙালা অভিধান''। প্রকাশচন্দ্র দত্ত। ১৯১৭। ''ছাত্রবোধ অভিধান''। অজ্ঞাতনামা সঙ্কলক। ১৯১৭। কলকাতা। ''মক্তব অভিধান''। কাজী ওয়ায়েজউদ্দীন আহমদ। ১৯২৩। ঢাকা। ''চলন্তিকা'' বা ''আধুনিক বঙ্গভাষার অভিধান''। রাজশেখর বসু। ১৯৩০। ''বঙ্গীয় শব্দকোষ''। হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়। ১৯৩২-১৯৫১। ''আধুনিকী''। ঋষি দাস। ১৯৫৪। ''সংসদ বাঙ্গালা অভিধান''। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। ১৯৫৫। ''ব্যবহারিক শব্দকোষ''। কাজী আবদুল ওদুদ। ১৯৫৩। ''Dictionary of Foreign Words in Bengali''। গোবিন্দলাল বন্দোপাধ্যায়। ১৯৬৮। ''লৌকিক শব্দকোষ'' (দুই খণ্ড)। কামিনীকুমার রায়। ১৯৭১। ''বাংলাদেশের ব্যবহারিক বাংলা অভিধান'', পরবর্তীতে ''বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান''। ড. মুহম্মদ এনামুল হক শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী (সম্পাদক)। ১৯৭৪-১৯৮৪। ''বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান''। আহমদ শরীফ (সম্পাদক)। ১৯৯২। ঢাকা। ''শব্দসন্ধান শব্দাভিধান''। ফণিভূষণ আচার্য। ১৯৯২। ''বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান: স্বরবর্ণ অংশ''। আবু ইসহাক। ১৯৯৩। ঢাকা। মিলন দত্ত অমলেন্দু মুখোপাধ্যায়। ১৯৯৫। ''বাংলা একাডেমী সহজ বাংলা অভিধান'' মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ প্রমুখ, ১৯৯৫। ঢাকা। ''জাতীয় অভিধান'' (১ম খণ্ড)। জগন্নাথ চক্রবর্তী (সম্পাদক)। ১৯৯৬। ''বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান: ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ (ক থেকে ঞ)''। আবু ইসহাক। ১৯৯৮। ঢাকা। ''আকাদেমি বিদ্যার্থী বাংলা অভিধান''। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি। ১৯৯৯। ''বিদেশী বাংলা শব্দের অভিধান''। রবিশঙ্কর মৈত্রী। ১৯৯৯। অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা। ''আধুনিক বাংলা অভিধান''। রবিশঙ্কর মৈত্রী। ২০০১। অনুপম প্রকাশনী, ঢাকা। ''বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা সংস্করণ। এনামুল হক, শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী স্বরোচিষ সরকার।২০০০। ঢাকা। ''সহজ বাংলা অভিধান''। অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। ২০০২। কলকাতা। ''সহজ বাংলা অভিধান''। মোহাম্মদ নুরুল হক অন্যরা। ২০০২। ঢাকা। ''বাংলায় প্রচলিত ইংরেজী শব্দের অভিধান''। মনসুর মুসা মনোয়ারা ইলিয়াস। ২০০২। ঢাকা। ''দেশী বাংলা শব্দের অভিধান''। রবিশঙ্কর মৈত্রী। ২০০১। অনন্যা, ঢাকা। ''বাংলায় অতিথি শব্দের অভিধান''। অজয় দাশগুপ্ত মৃণালকান্তি দাশ। ২০০৪। কলকাতা। ''লালন শব্দকোষ''। রবিশঙ্কর মৈত্রী। ২০০১। র‌্যামন পাবলিশার্স, ঢাকা। ''প্রাচীন মধ্যযুগের বাংলা ভাষার অভিধান (প্রথম খণ্ড: অ-ণ)''। মোহাম্মদ আবদুল কাইউম রাজিয়া সুলতানা। ২০০৭। ঢাকা। ''বাংলা একাডেমী বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান''।তিন খণ্ড। গোলাম মুরশিদ স্বরোচিষ সরকার, ২০১৪।ঢাকা। ''শব্দসংকেত''। জামিল চৌধুরী। ২০০৯। কলকাতা। দে'জ পাবলিশিং। *''বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান''। জামিল চৌধুরী। ২০১৬। বাংলা একাডেমি, ঢাকা। == দ্বি-, ত্রি- বহুভাষিক বাংলা অভিধান (কালানুক্রমে) == সংস্কৃত-চীনা অভিধান (শিরোনাম অজানা)। ফান ইয়ু ৎসিয়েন ৎসেউ ওয়েন। ৭ম শতক। (কিছু প্রাচীন বাংলা শব্দ পাওয়া যায়) সংস্কৃত-চীনা অভিধান (শিরোনাম অজানা)। ফান ইয়ু ৎসা মিং। ৮ম শতক। (কিছু প্রাচীন বাংলা শব্দ পাওয়া যায়) সর্বানন্দ ১১৫৯। (অমরকোষের টীকাগ্রন্থ, যাতে সংস্কৃত শব্দের অনেক দেশী প্রতিশব্দ আছে) ''রত্নাবলী'' বা ''দেশী নামমালা''। হেমচন্দ্র সূরি। ১২শ শতক। পর্তুগীজ-বাংলা শব্দকোষ বা মার্সডেন-পুঁথি। সম্ভবত পর্তুগিজ পাদ্রি মার্কস আঁতোনিউ সাঁতুচি সহযোগীগণ, মতান্তরে দোম আন্তোনিও। ১৭শ শতক। পর্তুগীজ-বাংলা শব্দকোষ বা এভোরা-পুঁথি। অজ্ঞাতনামা পর্তুগিজ লেখক। ১৭শ শতক। ''Vocabulario em idioma Bengalla Partuguez''। মানোএল দা আসসুম্পসাঁউ। ১৭৪৩। লিসবন। একাধিক ফরাসি-বাংলা শব্দকোষের পুঁথি। ওগুস্তাঁ ওসাঁ। ১৭৭৪-১৭৮৫। বাংলা-ফার্সি শব্দকোষ। অজ্ঞাতনামা পূর্ববঙ্গীয় মুন্‌শি। ১৭৭৪-১৭৭৫। ''The Indian Vocabulary''। অজ্ঞাতনামা সঙ্কলক। ১৭৮৮। ''A Grammar of the pure and mixed Indian Dialects''। গেরাসিম লেবেদেফ। ১৮০১। (Civil Sanscrit Bengal language-এ হিন্দুস্থানী শব্দের প্রতিশব্দ দেওয়া আছে) ''ইঙ্গরাজি বাঙ্গালি বোকেবিলোরি''। সঙ্কলক অজানা। ১৭৯৩। কলকাতা। ''A vocabulary in two parts: English and Bengalee And vice-versa'' (দুই খণ্ড)। হেনরি পিট্‌স ফর্‌স্টার। ১৭৯৯ ১৮০২। অভিধান (শিরোনাম অজ্ঞাত; খণ্ড)। মিলার সাহেব। ১৮০১। বাংলা-ফার্সি শব্দকোষ (অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি)। অজ্ঞাতনামা বাঙালি লেখক। ১৯শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে। বাংলা-খাসি শব্দকোষ। স্যার রবার্ট কিথ ডিকের নির্দেশনায় সঙ্কলিত। ১৯শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে। শব্দকোষ (অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি)। অজ্ঞাতনামা বাঙালি লেখক। ১৯শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে। বাংলা-ত্রিপুরা ভাষা শব্দকোষ (অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি)। অজ্ঞাতনামা বাঙালি লেখক। ১৯শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে। ইংরেজি হরফে বাংলা শব্দকোষ (অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি)। চার্লস উইলকিন্স। ১৯শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে। শব্দকোষ (অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি)। জন লাইডেন। ১৯শ শতকের একেবারে শুরুর দিকে। ''A Vocabulary, Bengalee and English, for the use of students''। মোহনপ্রসাদ ঠাকুর। ১৮০৫ (১ম সংস্করণ)। কলকাতা। ''সংস্কৃত শব্দাঃ বংগদেশীয় ভাষা চ''। অজ্ঞাতনামা সঙ্কলক। ১৮০৯। ''শব্দসিন্ধু'' (সংস্কৃত অভিধান অমরকোষের বাংলা অনুবাদ)। পীতাম্বর মুখোপাধ্যায়। ১৮০৯। ''A Dictionary of the Bengalee Language'' (দুই খণ্ড)। উইলিয়াম কেরী। ১৮১৫ (১ম খণ্ড) ১৮২৫ (২য় খণ্ড)। কলকাতা। ''শব্দসিন্ধু'' (অমরকোষের টীকা, বাংলা অর্থসহ)। চণ্ডীবর তর্কভূষণ এবং শিবরাম বিদ্যাভূষণ। ১৮১৭। অর্থাৎ সংস্কৃত অভিধান যাহাতে ব্যাকরণের রীতিতে সংজ্ঞা, গুণবাচক, ক্রিয়াবাচক, অব্যয় প্রচলিত শব্দের সমূহ, এবং বঙ্গ-ইংরাজী ভাষাতে তদর্থের বিস্তার''। উইলিয়াম ইয়েট্‌স। ১৮২০। কলকাতা। ''Vocabulary, English, Latin and Bengali''। রামকৃষ্ণ সেন। ১৮২১। ''Vocabulary, English, French and Bengali''। রামকৃষ্ণ সেন। ১৮২১। ''An abridgement of Johnson's Dictionary in English Bengali'' (ইংরেজি-বাংলা অভিধান)। জন মেন্ডিস। ১৮২২। কলকাতা। ইংরেজি-বাংলা অভিধান (শিরোনাম অজ্ঞাত)। ল্যাভেন্ডিয়ার জনসন। ১৮২৪। ''A Glossary, Bengali and English''। স্যার গ্রেভ্‌স চেম্বার্স হটন। ১৮২৫। লন্ডন। ''বত্রিশ সিংহাসন'', ইত্যাদি ব্যাখ্যার জন্য) ''Abridged edition of W. Carey's dictionary''। জে সি মার্শম্যান। ১৮২৫। ''শব্দার্ণব''। গঙ্গা কিশোর ভট্টাচার্য। ১৮৩৫। বহরা। (অমরকোষের বর্ণানুক্রমিক বিন্যাস সাথে বাংলা অর্থ) ''A Dictionary in Bengalee and English'' (বাংলা-ইংরেজি)। তারাচাঁদ চক্রবর্তী। ১৮২৭। কলকাতা। ''A companion to Johnsons Dictionary, Bengali and English'' (বাংলা-ইংরেজি)। জন মেন্ডিস। ১৮২৮। ''A Dictionary of the Bengalee Language''। জে সি মার্শম্যান। ১৮২৮। (কেরির অভিধানের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ) বা ''A Dictionary of the Bengali language with Bengali Synonyms and An English Interpretation Compiled from native and other authorities'' (বাংলা-ইংরেজি)। রেভারেন্ড উইলিয়াম মর্টন। ১৮২৮। ''Abridgment of Johnson's Dictionary, Anglo-Bengali (1st ed)। সংকলক অজানা। ১৮২৮। ''A companion to Johnson's Dictionary in English and Bengali, vol II। জন মেন্ডিস। ১৮২৮। কলকাতা। ''Bengalee and English Vocabulary''। সংকলক অজানা। ১৮২৯। মিহিন্দিলা প্রেস। ''A School Dictionary, English and Bengalee''। রেভারেন্ড জে ডি পিয়ার্সন। ১৮২৯। ইংরেজি-বাংলা অভিধান (সংক্ষিপ্ত বঙ্গানুবাদ)। ল্যাভেন্ডিয়ার জনসন। ১৮৩০। ''An English-Bengali Dictionary'' (Walker's Dictionary-র সংক্ষিপ্ত সংস্করণ)। সুইফট সাহেব। ১৮৩১। (অমরকোষের বাংলা অনুবাদ)। জগন্নাথ প্রসাদ মল্লিক। ১৮৩১। ''A Dictionary Bengali and Sanskrit Explained in English and Adapted for students of either language to which is added an index Serving as Reversed Dictionary''। স্যার গ্রেভ্‌স চেম্বার্স হটন। ১৮৩৩। লন্ডন। ''A Dictionary in English and Bengalee: Translated From Todd's edition of Johnson's English Dictionary. In two volumes''। রামকমল সেন। ১৮৩৪। ''A Dictionary of the Principal Languages spoken in the Bengal Presidency, Viz. English, Bengali and Hindustani''। পি এস ডি রোজারিও। ১৮৩৭। ''A Dictionary in English Bengali, and Manipuri''। ক্যাপ্টেন গর্ডন। ১৮৩৭। জগন্নাথপ্রসাদ মল্লিক। ১৮৩৮। ''বঙ্গাভিধান'' (বাংলা-ইংরেজি অভিধান)। জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ১৮৩৮। ''A Vocabulary of Scripture Proper Names'' (ইংরেজি-বাংলা)। কলকাতা ব্যাপটিস্ট মিশনারিজ। ১৮৪০। ''Poly Glot Munshi''। মুন্সী দেবীপ্রসাদ রায়। ১৮৪১। ''Biblical and Theological Vocabulary''। রেভারেন্ড উইলিয়াম মর্টন। ১৮৪২ (১ম সংস্করণ)। (মূলত খ্রিস্টধর্মীয় ইংরেজি শব্দের সমার্থক বাংলা শব্দ) ইংরেজি-বাংলা অভিধান (শিরোনাম অজ্ঞাত; স্কুলছাত্রদের জন্য)। জে সি মার্শম্যান। ১৮৪৩। ''Anglo-Bengali Dictionary''। চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ১৮৫০। (ইংরেজি শব্দের উচ্চারণ বাংলা লিপিতে দেখানো হয়েছে) ''Anglo-Bengali Dictionary''। সংকলক অজানা। ১৮৫০। ''English and Bengali Dictionary''। J. Sykes। ১৮৫০। ''Mukherjee's Anglo-Bengalee Vocabulary''। শ্রী মুখোপাধ্যায়। ১৮৫১। ''Mallick's Anglo-Bengalee Vocabulary''। শ্রী মল্লিক। ১৮৫২। স্কুল টেক্সট বুক সোসাইটি। ১৮৫৩। '''A Dictionary of the English language with English Definitions and Bengali Interpretation, Compiled from European and Native Authorities'' (ইংরেজি-বাংলা অভিধান)। অদ্বৈত চন্দ্র আঢ্য। ১৮৫৪। ইংরেজি-বাংলা অভিধান (ছয় খণ্ড, সচিত্র)। ত্রৈলোক্যনাথ বরাট। ১৮৮১-১৮৮৭। Dictionary''। হেমচন্দ্র সুর। ১৯০১। ''Hindi-Bangla Kosa''। ঈশ্বরীপ্রসাদ শর্মা। ১৯১৫। ''The Modern Anglo-Bengali Dictionary'' (তিন খণ্ড, সচিত্র)। চারুচন্দ্র গুহ। ১৯১৬। ঢাকা। ''A Mussalmani Bengali-English Dictionary''। রেভারেন্ড উইলিয়াম গোল্ডস্যাক। ১৯২৩। যশোর। ''Dictionary''। সুবল চন্দ্র মিত্র। ১৯২৪। ''Student's Bengali and English Dictionary''। বি গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯২৯। ''Student's Favourite Dictionary''। আশুতোষ দেব। ১৯৫৮। ''Pocket Bengali-English Dictionary''। সুবল চন্দ্র মিত্র। ১৯৫৮। ''Samsad English-Bengali Dictionary''। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। ১৯৫৯ (১ম সংস্করণ)। কলকাতা। ''রুশ-বাংলা অভিধান''। ননী ভৌমিক শুভময় ঘোষ। ১৯৬৬। মস্কো। ''Perso-Arabic Elements in Bengali''। শেখ গোলাম মাকসুদ হিলালী। ১৯৬৭। ঢাকা। ''বাংলা সাহিত্যে আরবী-ফার্সী শব্দ''। হরেন্দ্রনাথ পাল। ১৯৬৭। ঢাকা। ''Samsad Bengali-English Dictionary''। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। ১৯৬৮ (১ম সংস্করণ)। কলকাতা। ''বাংলা একাডেমী আরবী-বাংলা অভিধান''। বাংলা একাডেমী। ১৯৭০। ঢাকা। ''Student's Favourite Dictionary''। অজ্ঞাত। ১৯৭৩। ''বাংলা-উর্দু অভিধান'' (৩য় খণ্ড)। এম ফয়েজ চৌধুরী। ১৯৭৫। (অন্য খণ্ডগুলির প্রকাশনাকাল অজানা) অভিধান''। ই. বীকভা ননী ভৌমিক। ১৯৭৮। মস্কো। ''মণিমঞ্জুষা'' (বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক থিসরাস)। জগন্নাথ চক্রবর্তী। ১৯৮৬। ''Progressive English-Bengali Dictionary''। ননী গোপাল আইচ। ১৯৮৭। ''Progressive Bengali-English Dictionary''। ননী গোপাল আইচ। ১৯৯১। ''Bangla Academy English-Bengali Dictionary''। জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী (সম্পাদক)। ১৯৯৩ (১ম সংস্করণ)। ঢাকা'। ''Bangla Academy Bengali-English Dictionary''। মোহাম্মদ আলী অন্যরা (সম্পাদক)। ১৯৯৪ (১ম সংস্করণ)। ঢাকা। অভিধান''। ক্ষুদিরাম দাস। ১৯৯৮। অভিধান''। আলী আভারসাজী (সার্বিক তত্ত্ববধায়ক), ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ১৯৯৮। ঢাকা। ''Everyman's Dictionary'' (ইংরেজি-বাংলা)। গৌরী প্রসাদ ঘোষ। ১৯৯৯। ''পালি-বাংলা অভিধান''। শীলরত্ন ভিক্ষু। ২০০২। ''সংসদ কিশোর বাংলা অভিধান''। সুভাষ ভট্টাচার্য। ২০০৩। ''বাংলা ভাষায় আরবী ফার্‌সী তুর্কী হিন্দী উর্দু শব্দের অভিধান''। কাজী রফিকুল হক। ২০০৪। == সমার্থক == ''রত্নমালা''। প্রাণতোষ ঘটক। ১৯৫৫। ''যথাশব্দ''। মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ১৯৭৪। ''সংসদ অশোক মুখোপাধ্যায়। ১৯৮৭। == বিশেষায়িত ক্ষেত্রের শব্দকোষ == ''সাহিত্যের শব্দার্থকোশ''। সুরভি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি। ১৯৯৯। == তথ্যসূত্র == ''বাংলা অভিধানের কথা'' (বাঙলা একাডেমী পত্রিকা ৭:১; পৃ ৬৯-৯০)। হাবীবুর রশীদ। ১৯৬৩। Jatindra Mohan Bhattacharjee. 1966. "A Review of the Lexicography in Bengali (1743-1867 A.D.)" in ''Muhammad Shahidullah Felicitation Volume'' (Ed. Muhammad Enamul Haq). The Asiatic Society of Pakistan. Dhaka. ''বাংলা অভিধান গ্রন্থের পরিচয়''। যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য। ১৯৭০। ''অভিধান''। মোহাম্মদ আবদুল কাইউম। ১৯৮৭। ''বাংলা অভিধানের ক্রমবিকাশ''। স্বরস্বতী মিশ্র। ২০০০। অনুযায়ী অভিধান ভাষা'''সালমা ভালগারমা হায়েক জিমেনেস''' (; জন্ম: সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬) একজন মেক্সিকান এবং মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক, এবং টেলিভিশন চলচ্চিত্র প্রযোজক। চলচ্চিত্র জগতে তিনি অভিনেত্রী '''সালমা হায়েক''' নামেই সমধিক পরিচিত। বেশ কিছু দাতব্য কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং বেশ কিছু মানবিক বিষয়ে কাজে সোচ্চার। এর মধ্যে আছে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অভিবাসীদের প্রতি বৈষম্য। হায়েকের সবচেয়ে আলোচিত কাজ হল ''ফ্রিদা'' চলচ্চিত্রে মেক্সিকীয় চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোর ভূমিকায় অভিনয়। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, বাফটা পুরস্কার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনিই প্রথম মেক্সিকীয় যিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দোলোরেস দেল রিও-এর পর তিনি হলিউডের অন্যতম উল্লেখযোগ্য মেক্সিকীয় ব্যক্তিত্ব। ফার্নাদা মন্টিনিগ্রোর পর তিনি দ্বিতীয় লাতিন আমেরিকান অভিনেত্রী (তৃতীয় জন ছিলেন কাতালিনা সানদিনো মোরিনো) যিনি সেরা অভিনেত্রী বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৪ সালের ''দ্য মালদোনাদো মিরাকল'' অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান পরিচালনা বিভাগে ডেটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন এবং ২০০৭ সালে এবিসি চ্যানেলের হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী ''আগলি বেটি'' ধারাবাহিকে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করে হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে সেরা অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে একটি এমি পুরস্কারের মননয়ন লাভ করেন। এছাড়া তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এনবিসি চ্যানেলের হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক ''থার্টি রক''-এ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। জুলাই ২০০৭-এ হলিউডের লাতিন সম্প্রদায়ের মধ্যে “লাতিনো পাওয়ার ফিফটি” (Latino Power 50), অর্থাৎ “পঞ্চাশ লাতিনো ক্ষমতাধর” ব্যক্তিত্বের ওপর ''দ্য হলিউড রিপোর্টার'' পত্রিকা প্রথমবারের মতো একটি জরিপ পরিচালনা করে; জরিপে সালমা হায়েকের অবস্থান ছিলো চতুর্থ। মাসেই অনুষ্ঠিত আরেকটি জরিপে পুরুষ নারী মিলিয়ে ৩,০০০ মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে হায়েক “সবচেয়ে যৌনআবেদনময়ী তারকা” নির্বাচিত হন। এই ৬৫% অ্যামেরিকান সালমাকে বর্ণনা করতে “Sexy” (যৌনআবেদনময়ী) শব্দটি ব্যবহার করেন। ২০০৮-এর ডিসেম্বরে উইকলি'' “টেলিভিশনের ২৫ শিল্পী” তালিকায় হায়েকের অবস্থান ১৭তম বলে ঘোষণা করে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ব্যক্তি জন্ম চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক টেলিভিশন প্রযোজক(ইংরেজি ভাষায়: Ardipithecus) দীর্ঘ বিলুপ্ত এক প্রাণীগোষ্ঠী। আর্ডিপিথেকাস একটি গণের নাম। এখন পর্যন্ত এই গণের অন্তর্ভুক্ত দুইটি প্রজাতির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। একটির নাম আর্ডিপিথেকাস র‍্যামিডাস'' (Ardipithecus ramidus) এবং অন্যটির নাম ''আর্ডিপিথেকাস কাডাব্বা (Ardipithecus kadabba)''। র‌্যামিডাস-এর যে জীবাশ্মটি পাওয়া গেছে তার বয়স ৪৪ লক্ষ বছর হতে পারে মর্মে জীবাশ্মবিদরা প্রাক্কলন করেছেন। আর কাডাব্বা-র যে জীবাশ্ম পাওয়া গেছে তার বয়স ৫৬ লক্ষ বছর বলে অনুমান করা হয়েছে। এই হিসাবে র‌্যামিডাস আদি প্লায়োসিন যুগ এবং কাডাব্বা মায়োসিন যুগের শেষ দিকে পৃথিবীতে বসবাস করতো। এর মধ্যে আর্ডিপিথেকাস র‌্যামিডাস এর পূর্ণাঙ্গ জীবাশ্ম এবং এর খাদ্য গ্রহণ, চলন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয় ২০০৯ সালের ১লা অক্টোবর। ইউনিভার্সিটি অফ বার্কলে-র টিম হোয়াইট এর নেতৃত্বে একটি দল প্রজাতির জীবাশ্ম অনুসন্ধান করে। এর চলন বিষয়ক তথ্যাদি নিয়ে গবেষণাপত্র রচনা করেন আরেক বিজ্ঞানী ''ওয়েন সি. লাভজয়''। তারা সবাই মিলে এই বিষয়ে মোট ১১ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। == আর্ডিপিথেকাস র‌্যামিডাস == === আবিষ্কারের কাহিনী === ১৯৭৪ সালে লুসি আবিষ্কারকারী দলের একজন বিজ্ঞানী ছিলেন টিম হোয়াইট যিনি বার্কলে'র ইউনিভার্সিটি অফ গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ইথিওপিয়া'র আফার নিম্নভূমিতে হোমিনিনি গোত্রের এত জীবাশ্ম পাওয়া গেছে যে টিম হোয়াইট রীতিমত এই জায়গাটিকেই পরবর্তী গবেষণার জন্য বেছে নেন। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা'র অদূরে “আফার” নামে এক বিরাট নিম্নভূমিতেই লুসি থেকে শুরু করে হোমিনিনি গোত্রের সবগুলো জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। শিম্পাঞ্জি, মানুষ সবাই এই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৯২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর টিম হোয়াইটের প্রাক্তন ছাত্র Gen Suwa হঠাৎ করে আফার এর নিকটবর্তী আরামিস গ্রামের পাশে এক টুকরো হাড় দেখতে পান। দেখার সাথে সাথেই বুঝে গিয়েছিলেন এটা হোমিনিনি গোত্রেরই কোন একটি প্রজাতির জীবাশ্ম। সেই এলাকা ঘিরেই হোয়াইট দলের অনুসন্ধান শুরু হয়। পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে পাওয়া যায় একটি শিশুর নিম্ন চোয়ালের কিছু জীবাশ্ম। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে শ্রোণীচক্র, মাথার খুলি, পা এবং মুখের অনেকগুলো খণ্ডাংশ পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হল সবগুলো হাড়ের অবস্থাই ছিল শোচনীয়। তাই এগুলোর উপর ভিত্তি করে প্রকৃত গবেষণা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। কারণেই তাৎক্ষণিকভাবে বিজ্ঞানীরা সাংবাদিক বা বিজ্ঞানীমহলকে তেমন কিছুই জানায়নি। এরই মধ্যে সর্বমোট ১১০ টিরও বেশি অস্থি খণ্ডাংশ একত্রিত করে সেগুলোর বিশুদ্ধায়ন চলেছে, তারপর শুরু হয়েছে পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল তৈরির কাজ। উল্লেখ্য, এছাড়া অন্যান্য প্রাণী বা উদ্ভিদের প্রায় ১৫০,০০০ নমুনাও যুগিয়েছে আফার-এর এই প্রত্নভূমি। ইথিওপিয়ায় কঙ্কাল গঠনের পাশাপাশি টোকিও এবং ওহাইয়ো তেও আর্ডি গবেষণা চলেছে সমান তালে। ওহাইয়ো-তে বিজ্ঞানী সি ওয়েন লাভজয় আর্ডির ভৌত মডেল তৈরির কাজ করেছেন আর টোকিওতে Gen Suwa কম্পিউটার মডেল বানিয়েছেন। এই দুই গবেষণাকেন্দ্রেই মাঝেমাঝে কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ পাঠানো হয়েছে সিটি স্ক্যান এবং অন্যান্য পরীক্ষার জন্য। বছরের কাজ শেষে Suwa গর্বভরে বলতে পেরেছেন, “৪৪ লক্ষ বছর আগে ইথিওপিয়া-তে ঠিক এরকম এক আর্ডিপিথেকাস র‌্যামিডাস-ই ঘুরে বেড়াতো।” কম্পিউটার মডেলিং হয়ে যাওয়ার পর Suwa Asfaw সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন আর্ডির সাথে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির সকল প্রজাতির মিল-অমিল খুঁজে বের করার জন্য। কারণ মানবেতিহাসের ঠিক কোন জায়গায় আর্ডির জায়গা হবে সেটা ডেটিং এর মাধ্যমে জানা গেলেও এর সাথে বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের সব তথ্য মিলিয়ে দেখার দরকার ছিল। দেখেশুনে আপাতত এই সিদ্ধান্তেই এসেছেন যে, আর্ডি অ্যানামেনসিস এর পূর্বপুরুষ। উল্লেখ্য এর আগপর্যন্ত অ্যানামেনসিস এর জীবাশ্ম ছিল প্রাচীনতম। মজার ব্যাপার হচ্ছে আফার নিম্নভূমির যে জায়গায় হোমিনিনি সন্ধান করা হয়েছে তার এক ইঞ্চি মাটিও আর অক্ষত নেই। বিজ্ঞানী পেশাদার জীবাশ্ম শিকারীরা প্রতিটা ইঞ্চি খুঁটিয়ে দেখেছেন। এক সাংবাদিক তো লিখে দিয়েছেন, “They sucked the bones out of Afar.” === আর্ডি-র বৈশিষ্ট্যসমূহ === ;'''শ্বদন্ত''' মানুষের উপরের চোয়ালে দুটি এবং নিচের চোয়ালে দুটি তীক্ষ্ণ দাঁত আছে যেগুলোকে শ্বদন্ত বলে। শিম্পাঞ্জিরও এরকম শ্বদন্ত আছে। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে শিম্পাঞ্জিরটা মানুষের চেয়েও তীক্ষ্ণ ধারালো। সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে আলাদা হয়ে যাবার পর প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের দিকে বয়ে চলা শাখার প্রজাতিগুলোতে শ্বদন্ত দিন দিন ভোঁতা হয়েছে। আর্ডির শ্বদন্ত হচ্ছে একেবারে মাঝামাঝি। আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, মানুষের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের শ্বদন্তের আকার প্রায় একই রকম। কিন্তু এমন অনেক প্রাইমেট প্রজাতি আছে যাদের ক্ষেত্রে পুরুষের শ্বদন্ত নারীর তুলনায় অনেক বড়। এর কারণ পুরুষে-পুরুষে প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার কারণ যথারীতি নারী, খাদ্য এবং জমি। বিজ্ঞানীদের মতে শিম্পাঞ্জি আমাদের সাধারণ পূর্বপুরুষদের ক্ষেত্রে নারীর তুলনায় পুরুষের শ্বদন্ত অনেক বড় ছিল। কিন্তু মানুষের শাখা বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ হোমিনিড-দের মাঝে শ্বদন্ত ভোঁতাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কারণ মানুষের পূর্বপুরুষরা সন্তান বড় করার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রাখতে শুরু করে। মা-কে একা ফেলে না দিয়ে বাবা-রাও সন্তান প্রতিপালনে অংশ নেয়। কারণে স্বভাবতই তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা কমে আসে আর প্রাকৃতিক নির্বাচন শ্বদন্তকে নির্বাচন করা বাদ দিয়ে দেয়। আর্ডি যখন পৃথিবীতে ছিল তখন এই বাদ দেয়ার প্রক্রিয়াটাই চলছিল। লাভজয় তার দল আর্ডির শ্রোণীচক্র নিয়ে অনেক গবেষণা করে দেখেছেন এর সাথে লুসি-র বেশ ভাল মিল আছে। যেমন লুসি-র মতই আর্ডির শ্রোণীচক্র তার দেহের ঊর্ধ্বাংশকে বহন করতে পারে। অর্থাৎ শ্রোণীচক্রে ভর দিয়ে দুই পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম ছিল আর্ডি। কিন্তু সে খুব ভালভাবে হাঁটতে পারতো না, আর দৌঁড়াতে পারতো না বললেই চলে। এদিক থেকে সে লুসির চেয়ে ভালই পিছিয়ে। এসব দেখে মনে হয়, আর্ডির সময় থেকে মানুষের পূর্বপুরুষদের বিবর্তন ঘটেছে খুব দ্রুত, মাত্র ১০ লক্ষ বছরের মধ্যেই এর মত প্রায়-মানুষ প্রজাতির জন্ম দেয়ার জন্য যা আবশ্যক ছিল। ;'''পায়ের পাতা আঙুল''' আর্ডির পায়ের পাতাকে বলা যায় opposable কিন্তু rigid. অপোজেবল বলতে বোঝানো হচ্ছে, গাছে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার জন্য ডাল-পালার সাথে পায়ের ঠেক দেয়ার যে পদ্ধতি থাকা দরকার ছিল তার কিছুটা হলেও আর্ডির মাঝে আছে। পায়ের পাঁচটি আঙুলের প্রথমটি অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুলি এই ঠেক দেয়ার কাজটি করতো। কিন্তু বাকি চার আঙুলের গঠন খুব শক্ত। দেখে মনে হয় এই আঙুলগুলো মাটিতে সমান্তরালভাবে রেখে তার পক্ষে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব। আর্ডিরা এভাবেই হাটতো। একাধারে মাটিতে হাটতে এবং গাছে চড়তে সক্ষম এমন প্রজাতির সন্ধান আমরা এই প্রথম পেলাম। এরকম আরও কিছু প্রজাতির খণ্ডাংশ আগে পাওয়া গেলেও সেগুলো থেকে এত তথ্য পাওয়া সম্ভব ছিল না। ;'''হাতের তালু আঙুল''' আর্ডির পায়ের সাথে মানুষের পায়ের মিল বেশি হলেও হাতের সাথে বেশি মিল শিম্পাঞ্জির। শিম্পাঞ্জির মতই তার হাত খুব নমনীয় তথা ফ্লেক্সিবল যা গাছে ঝুলে থাকার জন্য আবশ্যক। আঙুল গুলো বেশ লম্বা লম্বা এবং সহজেই বাঁকানো যায়। হাত, পা এবং শ্রোণীচক্রের গড়ন থেকেই বোঝা গেছে যে আর্ডি একাধারে মাটিতে হাঁটতে পারতো এবং গাছে ঝুলতে পারতো, কিন্তু কোনটাতেই সে বিশেষ দক্ষ ছিল না। মনে হতে পারে তার জীবন ধারণ করতে এতে খুব কষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেটা তো প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিরোধী। সে সময় ইথিওপিয়ার আরামিস অঞ্চলটা কেমন ছিল তা বুঝলেই আর বিরোধ থাকে না। === আর্ডির প্রাচীন বাসস্থান === অঞ্চলে তখন বন জঙ্গল ছিল, তবে গাছগুলো খুব বড় বড় ছিল না, আর বনের মাঝে মাঝে ঘাসে ভরা ছোটোখাটো সমভূমিও ছিল। তাই দুটোতেই চলার চেষ্টা করাটা তার জন্য ছিল স্বাভাবিক। এখন অবশ্য আফার অঞ্চলের সেই বন নেই। একসময় এটা হয়ত বিস্তীর্ণ সাভানায় পরিণত হয়েছিল। এখনও অনেকটা সাভানা-র মত, তবে ঘাসের পরিমাণও বেশ কমে গেছে। বর্তমানে এই অঞ্চলের যা অবস্থা তার সাথে কেনিয়ার Kibwezi বনভূমির তুলনা দেয়া যেতে পারে। অর্ধেক হালকা হালকা গাছ এবং মাঝে মাঝে তৃণভূমি ছিল সেখানে। ১৯৭৪ সালে লুসি আবিষ্কারের পর অনেকদিন জীবাশ্ম মহলের খুব বড় কোনো অর্জন ছিল না। এবারের অর্জন লুসি-কেও ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের বিবর্তন কিভাবে হয়েছে তার তাত্ত্বিক ভিত্তি ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা অনেকটা তৈরি করে ফেলেছেন। তবে সেটার প্রামাণ্য ভিত্তি দাঁড় করাতেও এখন কোন বাঁধা নেই। কিন্তু বিজ্ঞান চলে সংশয়ের ভিত্তিতে। যেমন, এই ১১টি গবেষণাপত্র প্রকাশের পরই মহল অনেক ভাগে ভাগ হয়ে গেছেন। বিভিন্ন জন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এটা দেখছেন। মোটকথা আগামী ১৫ বছর আর্ডিকে নিয়ে মুখর থাকবে বিজ্ঞানী মহল। বাকবিতণ্ডা চলতেই থাকবে। এখনই অনেকে বলছেন, আর্ডিকে সরাসরি অ্যানামেনসিস এর পূর্বপুরুষ বলে দেয়ার সময় এখনও আসে নি। জীবাশ্মগুলো আরও পরীক্ষা করার পরই কেবল বিষয়ে শতকরা ৯৯ ভাগ নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব, আর বিজ্ঞানে ৯৯% নিশ্চয়তাই সর্বোচ্চ। == তথ্যসূত্র == Ardipithecus ramidus অ্যান গিবন্স, সায়েন্স ম্যাগাজিন Ardipithecus: We Meet At Last কার্ল জিমার == বহিঃসংযোগ == Science Magazine: special (requires free registration) BBC News: Amazing hominid haul in Ethiopia NY Times: Two Splits Between Human and Chimp Lines Suggested Minnesota State University Archaeology info The Stone Age Institute Semaw, S. ''et al.,'' 2005. Early Pliocene Hominids from Gona, Ethiopia. Nature BBC News: Fossil finds extend human story ''Explore Ardipithecus'' at Discovery in Ethiopia casts light on human origins Yahoo7/Reuters (retrieved 2009-10-02) যুগ জীবাশ্ম বিবর্তন'''স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী চলচ্চিত্র)''' হল স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড প্রদত্ত চলচ্চিত্রে মূল অভিনেত্রী হিসেবে সেরা পারদর্শীতা দেখানোর জন্য প্রদেয় বার্ষিক পুরস্কার। ১৯৯৪ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ==বিজয়ী মনোনীতদের তালিকা== শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী নির্দেশ করে। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার মনোনীত নির্দেশ করে। †† শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী নির্দেশ করে। ‡‡ শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার মনোনীত নির্দেশ করে। চিত্র:Jodie ফস্টার এই বিভাগে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী, তিনি ''নেল'' (১৯৯৪) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Susan Sarandon at the set of 'American Mirror' cropped and সার‍্যান্ডন ''ডেড ম্যান ওয়াকিং'' (১৯৯৫) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Frances McDormand 2015 ম্যাকডোরম্যান্ড ''ফার্গো'' (১৯৯৬) ''থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিজুরি'' (২০১৭) ছবিতে অভিনয় করে দুইবার এই পুরস্কার লাভ করেন। হান্ট ''অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেট্‌স'' (১৯৯৭) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। পালট্রো ''শেকসপিয়ার ইন লাভ'' (১৯৯৮) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। বেনিং ''অ্যামেরিকান বিউটি'' (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Julie Christie ক্রিস্টি ''অ্যাওয়ে ফ্রম হার'' (২০০৭) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Meryl Streep by Jack স্ট্রিপ ''ডাউট'' (২০০৮) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Sandra Bullock বুলক ''দ্য ব্লাইন্ড সাইড'' (২০০৯) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Natalie Portman Cannes 2015 পোর্টম্যান ''ব্ল্যাক সোয়ান'' (২০১০) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Viola Davis by Gage ডেভিস ''দ্য হেল্প'' (২০১১) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Jennifer Lawrence SDCC 2015 লরেন্স ''সিলভার লাইনিংস প্লেবুক'' (২০১২) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Cate Blanchett Cannes ব্লানচেট ''ব্লু জেসমিন'' (২০১৩) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Julianne Moore মুর ''স্টিল অ্যালিস (২০১৪) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Brie Larson by Gage লারসন ''রুম'' (২০১৫) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। চিত্র:Emma Stone at the 39th Mill Valley Film Festival স্টোন ''লা লা ল্যান্ড'' (২০১৬) ছবিতে অভিনয় করে এই পুরস্কার লাভ করেন। ===১৯৯০-এর দশক=== বছর মনোনীত ভূমিকা চলচ্চিত্র ১৯৯৪ (১ম) '''জোডি ফস্টার''' '''নেল কেল্টি''' '''''নেল''''' জেসিকা ল্যাং কার্লি মার্শাল ''ব্লু স্কাই'' মেগ রায়ান অ্যালিন গ্রিন ''হোয়েন ম্যান লাভস ওম্যান'' মেরিল স্ট্রিপ গেইল হার্টম্যান ''দ্য রিভার ওয়াইল্ড'' সুজান সার‍্যান্ডন রেজিনা "রেজি" লাভ ''দ্য ক্লায়েন্ট'' ১৯৯৫ (২য়) '''সুজান সার‍্যান্ডন''' '''হেলেন প্রেইয়ান''' '''''ডেড ম্যান ওয়াকিং''''' এমা থম্পসন এলিনর ড্যাশউড ''সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি'' এলিজাবেথ শু সেরা ''লিভিং লাস ভেগাস'' জোন অ্যালেন ‡‡ প্যাট নিক্সন ''নিক্সন'' মেরিল স্ট্রিপ ফ্রান্সেস্কা জনসন ''দ্য ব্রিজেস অব ম্যাডিসন কাউন্টি'' ১৯৯৬ (৩য়) '''ফ্রান্সেস '''মার্জ গুন্ডারসন''' ক্রিস্টিন স্কট টমাস ক্যাথরিন ক্লিফটন ''দি ইংলিশ পেশন্ট'' জেনা রোলান্ডস মিলড্রেড হকস ''আনহুক দ্য স্টারস'' ডায়ান কিটন বেসি ওয়েকফিল্ড ''মারভিন্‌স রুম'' ব্রেন্ডা ব্লেদিন সিন্থিয়া রোজ পার্লি ''সিক্রেটস অ্যান্ড লাইজ'' ১৯৯৭ (৪র্থ) '''হেলেন হান্ট''' '''ক্যারল কনেলি''' '''''অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস''''' কেট উইন্সলেট রোজ ডিউইট বুকাটার ''টাইটানিক'' জুডি ডেঞ্চ রানী ভিক্টোরিয়া ''মিসেস ব্রাউন'' প্যাম গ্রিয়ার জ্যাকি ব্রাউন ''জ্যাকি ব্রাউন'' রবিন রাইট মরিন মার্ফি কুইন ''শিজ সো লাভলি'' হেলেনা বোনাম কার্টার কেট ক্রোয় ''দ্য উইংস অব দ্য ডাভ'' ১৯৯৮ (৫ম) '''গ্বিনিথ পালট্রো''' '''ভায়োলা দে লেসেপ্‌স থমাস কেন্ট''' '''''শেকসপিয়ার ইন লাভ''''' এমিলি ওয়াটসন জ্যাকুলিন দু প্রে ''হিলারি অ্যান্ড জ্যাকি'' কেট ব্লানচেট রানী প্রথম এলিজাবেথ ''এলিজাবেথ'' জেন হরক্স লিটল ভয়েস ''লিটল ভয়েস'' মেরিল স্ট্রিপ কেট গুলডেন ''ওয়ান ট্রু থিং'' ১৯৯৯ (৬ষ্ঠ) '''অ্যানেট বেনিং''' '''ক্যারোলিন বার্নহাম''' বিউটি''''' জ্যানেট ম্যাকটির মারি জো ওয়াকার ''টাম্বলউইডস'' জুলিঅ্যান মুর সারা মাইলস ''দি এন্ড অব দি অ্যাফেয়ার'' মেরিল স্ট্রিপ রবার্তা গুসপারি ''মিউজিক অব দ্য হার্ট হিলারি সোয়াঙ্ক ব্র্যান্ডন টিনা ''বয়েজ ডোন্ট ক্রাই'' ===২০০০-এর দশক=== বছর মনোনীত ভূমিকা চলচ্চিত্র ২০০০ (৭ম) '''জুলিয়া রবার্টস''' '''এরিন ব্রকভিচ''' '''''এরিন ব্রকভিচ'' এলেন বার্স্টিন সারা গোল্ডফার্ব ''রিকুয়েম ফর ড্রিম'' জুলিয়েত বিনোশ ভিয়ান রোশার ''শোকোলা'' জোন অ্যালেন লেইন হ্যানসন ''দ্য কন্টেন্ডার'' লরা লিনি সামান্থা "স্যামি" প্রেসকট ''ইউ ক্যান কাউন্ট অন মি'' ২০০১ (৮ম) '''হ্যালি বেরি''' '''লেটিসিয়া মাসগ্রোভ''' '''''মনস্টার্‌স বল''''' জুডি ডেঞ্চ আইরিস মুরডক ''আইরিস'' জেনিফার কনেলি †† অ্যালিশিয়া ন্যাশ ''আ বিউটিফুল মাইন্ড'' রানে জেলওয়েগার ব্রিজেট জোন্স ''ব্রিজেট জোন্স ডায়েরি'' সিসি স্পেসেক রুথ ফোলার ''ইন দ্য বেডরুম'' ২০০২ (৯ম) '''রানে জেলওয়েগার''' '''রক্সি হার্ট''' ''জুলিঅ্যান মুর ক্যাথি হুইটেকার ''ফার ফ্রম হেভেন'' ডায়ান লেন কনস্ট্যান্স "কনি" সামনার ''আনফেইথফুল'' নিকোল কিডম্যান ভার্জিনিয়া উল্‌ফ ''দি আওয়ার্স'' সালমা হায়েক ফ্রিদা কাহলো ''ফ্রিদা'' ২০০৩ (১০ম) '''শার্লিজ থেরন''' '''আডা ম্যাকগ্রা''' ইভান রেচেল উড ট্রেসি ফ্রিল্যান্ড ''থার্টিন'' ডায়ান কিটন এরিকা জেন বেরি ''সামথিংস গট্টা গিভ'' নেওমি ওয়াটস ক্রিস্টিনা উইলিয়ামস-পেক ''টুয়েন্টি ওয়ান গ্রামস'' প্যাট্রিশিয়া ক্লার্কসন অলিভিয়া হ্যারিস ''দ্য স্টেশন এজেন্ট'' ২০০৪ (১১তম) '''হিলারি সোয়াঙ্ক''' '''ম্যাগি ফিট্‌জেরাল্ড''' '''''মিলিয়ন ডলার বেবি''''' অ্যানেট বেনিং জুলিয়া ল্যামবার্ট ''বিয়িং জুলিয়া'' ইমেল্ডা স্টনটন ভেরা রোজ ড্রেক ''ভেরা ড্রেক'' কাতালিনা সান্দিনো মোরিনো মারিয়া আলভারেস ''মারিয়া ফুল অব গ্রেস'' কেট উইন্সলেট ক্লিমেন্টিন ক্রুজিন্‌স্কি ''ইটার্নাল সানশাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড'' ২০০৫ (১২তম) '''রিজ উইদারস্পুন''' '''জুন কার্টার ক্যাশ''' '''''ওয়াক দ্য লাইন''''' জিয়ি ঝাং সায়ুরি তাকানাসজা ''মেমোয়ারস অব গেইশা'' জুডি ডেঞ্চ লরা ''মিসেস হেন্ডারসন প্রেজেন্টস'' ফেলিসিটি হাফম্যান সাবরিনা "ব্রি" অসবর্ন শার্লিজ থেরন জোসি এইমস ''নর্থ কান্ট্রি'' ২০০৬ (১৩তম) '''হেলেন মিরেন''' '''রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ''' '''''দ্য কুইন''''' কেট উইন্সলেট সারা পিয়ার্স ''লিটল চিলড্রেন'' জুডি ডেঞ্চ বারবারা কভেট ''নোটস অন স্ক্যান্ডাল'' পেনেলোপে ক্রুজ রাইমুন্দা ''ভলভার'' মেরিল স্ট্রিপ মিরান্ডা প্রিস্টলি ''দ্য ডেভিল ওয়্যারস প্রাডা'' ২০০৭ (১৪তম) '''জুলি ক্রিস্টি''' '''ফিওনা অ্যান্ডারসন''' '''''অ্যাওয়ে ফ্রম হার''''' অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ম্যারিঅ্যান পার্ল ''আ মাইটি হার্ট'' এলেন পেজ জুনো ম্যাকগাফ ''জুনো'' কেট ব্লানচেট রানী প্রথম এলিজাবেথ ''এলিজাবেথ: দ্য গোল্ডেন এজ'' মারিয়োঁ কোতিয়ার এদিত পিয়াফ ''লা ভি অঁ রোজ'' ২০০৮ (১৫তম) '''মেরিল স্ট্রিপ''' '''আলোইসিউস বুভিয়ে''' '''''ডাউট''''' অ্যান হ্যাথাওয়ে কিম বুচম্যান ''র‍্যাচেল গেটিং ম্যারিড'' অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ক্রিস্টিন কলিন্স ''চেঞ্জলিং'' কেট উইন্সলেট হ্যানা স্মিৎজ ''রিভলূশন্যারি রোড'' মেলিসা লিও রে এডি ''ফ্রোজেন রিভার'' ২০০৯ (১৬তম) '''সান্ড্রা বুলক''' '''লেই অ্যান তুহি''' '''''দ্য ব্লাইন্ড সাইড''''' কেরি মুলিগান জেনি মেলর ''অ্যান এডুকেশন'' গাবোরি সিডিবি ক্লেরিচ "প্রেশাস" জোন্স ''প্রেশাস'' মেরিল স্ট্রিপ জুলিয়া চাইল্ড ''জুলিয়া অ্যান্ড জুলিয়া হেলেন মিরেন সোফিয়া তলস্তায়া ''দ্য লাস্ট স্টেশন'' ===২০১০-এর দশক=== বছর মনোনীত ভূমিকা চলচ্চিত্র ২০১০ (১৭তম) '''ন্যাটালি পোর্টম্যান''' '''নিনা সেয়ার্স''' '''''ব্ল্যাক সোয়ান''''' অ্যানেট বেনিং ডঃ নিকোল "নিক" অলগুড ''দ্য কিডস্‌ আর অল রাইট'' জেনিফার লরেন্স রি ডলি ''উইন্টার্স বোন'' নিকোল কিডম্যান বেকা করবেট ''র‍্যাবিট হোল'' হিলারি সোয়াঙ্ক বেটি অ্যান ওয়াটার্স ''কনভিকশন'' ২০১১ (১৮তম) '''ভায়োলা ডেভিস''' '''এইবলিন ক্লার্ক''' '''''দ্য হেল্প''''' গ্লেন ক্লোজ আলবার্ট নোবস ''আলবার্ট নোবস'' টিল্ডা সুইন্টন ইভা খাতচাদোরিয়ান ''উই নিড টু টক অ্যাবাউট কেভিন'' মিশেল উইলিয়ামস মেরিলিন মনরো ''মাই উয়িক উইথ মেরিলিন'' মেরিল স্ট্রিপ মার্গারেট থ্যাচার ''দি আয়রন লেডি'' ২০১২ (১৯তম) '''জেনিফার লরেন্স''' '''টিফানি ম্যাক্সওয়েল''' '''''সিলভার লাইনিংস প্লেবুক''''' জেসিকা চ্যাস্টেইন মায়া ''জিরো ডার্ক থার্টি'' নেওমি ওয়াটস মারিয়া বেনেট ''দি ইম্পসিবল'' মারিয়োঁ কোতিয়ার স্তেফানি ''দ্য রুইল দো'' হেলেন মিরেন আলমা রেভিল ''হিচকক'' ২০১৩ (২০তম) '''কেট ব্লানচেট''' '''জ্যানেট "জেসমিন" ফ্রান্সিস''' '''''ব্লু জেসমিন''''' এমা টমসন পি. এল. ট্র্যাভার্স ''সেভিং মিস্টার ব্যাঙ্কস'' জুডি ডেঞ্চ ফিলোমেনা লি ''ফিলোমেনা'' মেরিল স্ট্রিপ ভায়োলেট ওয়েস্টন ''অগাস্ট ওসেজ কাউন্টি'' সান্ড্রা বুলক ডক্টর রায়ান স্টোন ''গ্র্যাভিটি'' ২০১৪ (২১তম) '''জুলিঅ্যান মুর''' '''ডঃ অ্যালিস হাউল্যান্ড''' '''''স্টিল অ্যালিস''''' জেনিফার অ্যানিস্টন ক্লেয়ার বেনেট ''কেক'' ফেলিসিটি জোন্স জেন ওয়াইল্ড হকিন্স ''দ্য থিওরি অব এভরিথিং'' রিজ উইদারস্পুন চেরিল স্ট্রেইড ''ওয়াইল্ড'' রোজামন্ড পাইক অ্যামি এলিয়ট-ডুন ''গন গার্ল'' ২০১৫ (২২তম) '''ব্রি লারসন''' '''জে "মা" নিউসাম''' '''''রুম''''' কেট ব্লানচেট ক্যারল এয়ার্ড ''ক্যারল'' সার্শা রোনান এলিস লেসি ''ব্রুকলিন'' সারা সিলভারম্যান এলাইন "লেনি" ব্রুক্স ''আই স্মাইল ব্যাক'' হেলেন মিরেন মারিয়া অল্টম্যান ''ওম্যান ইন গোল্ড'' ২০১৬ (২৩তম) '''এমা স্টোন''' '''মিয়া ডোলান''' '''''লা লা ল্যান্ড''''' অ্যামি অ্যাডামস ডক্টর লুইস ব্যাঙ্কস ''অ্যারাইভাল'' এমিলি ব্লান্ট রেচেল ওয়াটসন ''দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন'' ন্যাটালি পোর্টম্যান জ্যাকি কেনেডি ''জ্যাকি'' মেরিল স্ট্রিপ ফ্লোরেন্স ফস্টার জেনকিন্স ''ফ্লোরেন্স ফস্টার জেনকিন্স'' ২০১৭ (২৪তম) '''ফ্রান্সেস '''মিলড্রেড হেইস''' '''''থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং, মিজুরি''''' জুডি ডেঞ্চ রানী ভিক্টোরিয়া ''ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল'' মারগো রবি টনিয়া হার্ডিং ''আই, টনিয়া'' স্যালি হকিন্স এলাইজা এস্পোসিতো ''দ্য শেপ অব ওয়াটার'' সার্শা রোনান ক্রিস্টিন "লেডি বার্ড" ম্যাকফার্সন ''লেডি বার্ড'' ২০১৮ (২৫তম) '''গ্লেন ক্লোজ''' '''জোন ক্যাসলম্যান''' '''''দ্য ওয়াইফ''''' অলিভিয়া কলম্যান রানী অ্যান ''দ্য ফেভারিট'' এমিলি ব্লান্ট ম্যারি পপিন্স ''ম্যারি পপিন্স রিটার্নস'' মেলিসা ম্যাকার্থি লি ইসরায়েল ''ক্যান ইউ এভার ফরগিভ মি?'' লেডি গাগা অ্যালি মেইন ''আ স্টার ইজ বর্ন'' ==একাধিকবার বিজয়ী মনোনীত== ===একাধিকবার বিজয়ী=== ;২ বার ফ্রান্সেস ম্যাকডোরম্যান্ড ===একাধিকবার মনোনীত=== দুয়ের অধিকবার মনোনীত অভিনেত্রীরা হলেন: ;১০ বার মেরিল স্ট্রিপ ;৬ বার জুডি ডেঞ্চ ;৪ বার কেট উইন্সলেট কেট ব্লানচেট হেলেন মিরেন ;৩ বার অ্যানেট বেনিং হিলারি সোয়াঙ্ক জুলিঅ্যান মুর ==বয়স পরিসংখ্যান== '''বিভাগ''' '''অভিনেত্রী''' '''চলচ্চিত্র''' '''বয়স (বছর)''' বয়োজ্যেষ্ঠ বিজয়ী জুলি ক্রিস্টি ''অ্যাওয়ে ফ্রম হার'' ৬৬ (২০০৮) বয়োজ্যেষ্ঠ মনোনীত জুডি ডেঞ্চ ''ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল'' ৮৩ (২০১৮) বয়োকনিষ্ঠ বিজয়ী জেনিফার লরেন্স ''সিলভার লাইনিংস প্লেবুক'' ২২ (২০১৩) বয়োকনিষ্ঠ মনোনীত ইভান রেচেল উড ''থার্টিন'' ১৬ (২০০৪) ==আরও দেখুন== শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী নাট্য চলচ্চিত্র) গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার অভিনেত্রী বিভাগে চলচ্চিত্র পুরস্কার বৎসর হালনাগাদ করা দরকার এমন নিবন্ধ'''সত্যেন সেন''' (২৮ মার্চ, ১৯০৭-৫ জানুয়ারি, ১৯৮১) হলেন প্রগতি লেখক শিল্পী সংঘ উদীচী সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি বিপ্লবী, সাহিত্যিক এবং শ্রমিক-সংগঠক। == কৈশোর == সত্যেন সেন ১৯০৭ সালের মার্চ ২৮ তারিখে বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার) টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামের সেন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় ডাক নাম ছিল লস্কর। তার পিতার নাম ধরনীমোহন সেন এবং মাতার নাম মৃণালিনী সেন। চার সন্তানের মধ্যে সত্যেন ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। সোনারং গ্রামের সেন পরিবার ছিল শিক্ষা সংস্কৃতি চর্চার এক অনন্য উদাহরণ। সত্যেনের কাকা ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তার আরেক কাকা মনোমোহন সেন ছিলেন শিশুসাহিত্যিক। সত্যেন সেনের পরিবারেই তার পড়াশোনার হাতেখড়ি হয়। প্রাইমারি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা পরিবার গৃহশিক্ষকের কাছেই সম্পন্ন করেছিলেন। ১৯১৯ সালে সোনারং হাইস্কুলে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ১৯২১ সালে তিনি যখন সোনারং হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তখন থেকেই তার মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ লাভ করে। ১৯২৪ সালে সোনারঙ হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতায় কলেজে ভর্তি হন এবং সেখানকার একটি কলেজ থেকে এফএ বিএ পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস বিভাগে এমএ শ্রেণীতে ভর্তি হন। কিন্তু বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে ১৯৩১ সালে কারাবরণ করলে জেলে থেকেই তিনি বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন। == রাজনৈতিক জীবন == কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি যুক্ত হন বিপ্লবী দল যুগান্তরের সাথে। ছাত্র অবস্থায় ১৯৩১ সালে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রথম কারাবরণ করতে বাধ্য হন। বহরমপুর বন্দি ক্যাম্পে থেকেই শুরু হয় তার জেলজীবন। সময় তিনি মাস জেলে ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লববাদী আন্দোলনের যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনি ১৯৩৩ সালে দ্বিতীয় বার গ্রেফতার হন। সময় তার বছর জেল হয়। সত্যেন সেন ১৯৩৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। ওই বছর শান্তিনিকেতন থেকে তাকে দেয়া হয় ‘গবেষণা বৃত্তি’। ১৯৪২ সালের মার্চ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এক সমাবেশে শহীদ হন ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবী কথা শিল্পী সোমেন চন্দ। সময় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সত্যেন সেন কার্যকারী দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৩ সালের মহাদুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ‘কৃষক সমিতি’র মাধ্যমে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। কৃষক সমিতির নেতা-কর্মীকে নিয়ে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় কাজ করেন। ১৯৪৬ সালে আইনসভার নির্বাচনে কমিউনিস্ট নেতা ব্রজেন দাস ঢাকা থেকে প্রার্থী হন। ব্রজেন দাসের পক্ষে সত্যেন সেন নির্বাচনী প্রচারণা চালান। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন ভারত সৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ সালে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। ১৯৪৯ সালে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য তাকে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী গ্রেফতার করে। আবার দীর্ঘ কারাভোগ। ওই সময় কারাগারে কমিউনিস্টদের প্রতি নানা অত্যাচার নির্যাতনে মাত্রা ছিল অনেক বেশী। কমিউনিস্ট পেলেই বেশি অত্যাচার শুরু করে দিত। সত্যেন সেনকেও কারা প্রশাসন নানা অত্যাচার নির্যাতন করে। যার ফলে তার শারীরিক অসুস্থতা চোখের পীড়া দেখা দেয়। কারাবাসে অবস্থানকালে সত্যেন সেন রাজনৈতিক মতাদর্শ দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হন। মতাদর্শ দর্শনকে জীবনাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে আজীবন শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে ১৯৫৩ সালে মুক্তি পেয়ে নিজ গ্রাম সোনারাংয়ে ফিরে আসেন। ওই সময় নানা প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তাদের পরিবারের সবাই নিরাপত্তার কারণে কলকাতায় পাড়ি জমান। তিনি সময় যুক্ত হন কৃষক আন্দোলনের সাথে। ১৯৭১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। তবে তিনি প্রত্যক্ষভাবে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এক পর্যায়ে তার চোখের পীড়া আরো গুরুতর রূপ নেয়। তিনি প্রায় অন্ধ হতে চলেন। সময় কমিউনিস্ট পার্টি তাকে চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য মস্কো পাঠায়। এখানে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন দেশের বিপ্লবীদের পরিচিত হন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। তারাও স্ব-স্ব দেশে গিয়ে বাংলাদেশের প্রতি সহনাভূতি জানান। মস্কো হাসপাতালে অবস্থানকালে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সংবাদ পান। সেখানকার বাঙালিদের মুক্তির উল্লাস প্রত্যক্ষ করেন। তিনি নিজেও অশ্রুসিক্ত নয়নে ওই আনন্দ উপভোগ করেন। মুক্ত, স্বাধীন স্বপ্নের স্বদেশ, বাংলাদেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালে। == উদীচী == ১৯৬৯ সালে বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লাহ কায়সারসহ একঝাঁক তরুণ উদীচী গঠন করেন। জন্মলগ্ন থেকে উদীচী অধিকার, স্বাধীনতা সাম্যের সমাজ নির্মাণের সংগ্রাম করে আসছে। উদীচী ’৬৮, ’৬৯, ’৭০, ’৭১, সালে বাঙালির সার্বিক মুক্তির চেতনাকে ধারণ করে গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। সংগ্রাম গ্রামবাংলার পথেঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। সময় উদীচীর কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এদেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক ধারার সংস্কৃতি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সত্যেন সেনের সৃষ্টিকর্ম সাহিত্য হলো সমাজ বাস্তবতার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনের সকল কিছুতেই মৌলিক বিষয় হিসেবে কাজ করেছে মানুষের জীবন-সংগ্রাম শ্রম-সভ্যতার ইতিহাস। স্বাধীনতার পর তিনি উদীচী পুনর্গঠনের কাজ করেন। সাহিত্য চর্চাও অব্যহত রাখেন। গান মাধ্যমে মানুষকে জাগরিত করা সহজ। এই উপলব্দি নিয়ে গণমানুষের জন্য মানুষের জীবন বাস্তবতার গান রচনা করেছেন। তাঁর গানের মূল বিষয়বস্তু হলো অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, শোষণমুক্তির জন্য আন্দোলন সাম্য-সুন্দর মানুষের পৃথিবী নির্মাণ। গান রচনার মাধ্যমেই মূলত তাঁর লেখালেখি জগতে আশা। পাশাপাশি গানের সুর করা গান শেখানোর কাজও তিনি করেছেন। শ্রমিকদের নিয়ে তিনি তাঁদের নিয়ে গান এবং পালা রচনা করতেন। গানের দল গঠন করে শ্রমিকদের কবিগান তিনি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ পরিবেশন করতেন। তার লেখা ১১টি গানের মধ্যে ‘চাষি দে তোর লাল সেলাম/তোর লাল নিশানারে’ গানটি তখন চাষিদের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৫৬ সালে বিক্রমপুরের ষোলঘরে কৃষক সমিতির সম্মেলনে প্রথম তারই নেতৃত্বে গানটি গাওয়া হয়। এছাড়া সত্যেন সেন গানের মাধ্যমে বরিশালে মনোরমা বসু মাসিমার ‘মাতৃমন্দিরের’ জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। সত্যেন সেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের বাঁকে তিনি কোথাও আপোস করেননি। যারা করেছে, তাদেরকে তিনি ঘৃণা করতেন। তিনি মূলত কোনো লেখাই লেখার জন্য লিখতেন না। তিনি লিখতে মানূষের অধিকারের কথাগুলো। প্রথমে দৈনিক ‘মিল্লাত’ পরবর্তী সময়ে দৈনিক ‘সংবাদ’র মাধ্যমে সত্যেন সেন সাংবাদিকতা করেছেন। == মৃত্যু == কিন্তু ১৯৭৩ সালে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। চিকিৎসার জন্য চলে যান ভারতে। আশ্রয় নেন শান্তি নিকেতনের মেজদিদি প্রতিভা সেনের কাছে। সাহিত্য চর্চা অসুস্থতার মাঝে চলে যায় ৮টি বছর। শান্তি নিকেতনের গুরুপল্লীতে ১৯৮১ সালে জানুয়ারি তিনি মারা যান। == সাহিত্যকর্ম == সত্যেন সেনের সাহিত্যকর্ম সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার একটি নিদর্শন এবং বাংলা সাহিত্যের অনন্য পথিকৃৎ। মানুষের জীবন ইতিহাসকে যে রচনাকার সামগ্রীকভাবে অবলোকন করতে সক্ষম না হন, যিনি মানব সমাজটাকে তার বর্তমানের সকল বৈষম্য দূর করে সঙ্গতিপূর্ণ এক মানব সমাজ সৃষ্টিতে নিজেকে উৎসর্গ না করেন এবং যিনি দূরগামী সেই লক্ষ্যকে নিত্য মুহূর্তের কর্ম আচরণের সঙ্গে যুক্ত করতে না পারেন, তার পক্ষে সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার অনুপ্রেরণাদায়ক সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব নয়। ==উপন্যাস == ভোরের বিহঙ্গী (১৯৫৯) রুদ্ধদ্বার মুক্ত প্রাণ (১৯৬৩) অভিশপ্ত নগরী(১৯৬৯) পাপের সন্তান (১৯৬৯) সেয়ান (১৯৬৯) পদচিহ্ন (১৯৬৯) পুরুষমেধ(১৯৬৯) আলবেরুনী(১৯৭০) সাত নম্বর ওয়ার্ড(১৯৭০) বিদ্রোহী কৈর্বত(১৯৭০) কুমারজীব(১৯৭০) অপারেজয়(১৯৭০) মা(১৯৭০) উত্তরণ(১৯৭০) একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে (১৯৭১) == ইতিহাস আশ্রিত == গ্রামবাংলার পথে পথে (১৯৬৬) আমাদের পৃথিবী (১৯৬৮) মসলার যুদ্ধ (১৯৬৯) এটোমের কথা(১৯৭০) অভিযাত্রী (১৯৭০) মানবসভ্যতার উষালগ্ন (১৯৭১) মনোরমা মাসিমা (১৯৭১) প্রতিরোধ সংগ্রামে বাংলাদেশ (১৯৭১) বিপ্লবী রহমান মাষ্টার (১৯৭৩) সীমান্ত সূর্য আবদুল গাফফার (১৯৭২) জীববিজ্ঞানের নানা কথা (১৯৭৭) ইত্যাদি। == ছোটদের জন্য লিখিত গল্প == পাতাবাহার (১৯৬৮) অন্যতম। == পুরস্কার == ১৯৬৯ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৮৬ সালে সাহিত্য মরণোত্তর একুশে পদক == তথ্যসূত্র == সাহিত্যিক হিন্দু সাহিত্যিক রাজনীতিবিদ ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন জন্ম মৃত্যু জেলার ব্যক্তি বিপ্লবী'''''লাইফ অর সামথিং লাইক ইট''''' () হচ্ছে ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন রোমান্টিক চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন স্টিফেন হেরেক। এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে টেলিভিশন প্রতিবেদক লেনি কার্নিগানের (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসকে। ছবিটি সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ডেভিড নিউম্যান। == কাহিনীসংক্ষেপ == লেনি কার্নিগান (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) নামক সিয়াটল টেলিভিশন স্টেশনের একজন প্রতিবেদক জ্যাক (টনি শ্যালহব) নামক একজন স্বঘোষিত নবীর সাক্ষাৎকার নেন, এটা পরীক্ষা করে দেখতে যে, তিনি সত্যিই আগাম ফুটবল স্কোর বলতে পারেন। যদিও জ্যাক ফুটবল স্কোর বলতে পারে না, কিন্তু সে বলে যে লেনি আগামী সাত দিনের মধ্যে মারা যাবে। কিন্তু তাঁর সামনের দুটো ভবিষ্যৎ বাণী মিলে যাওয়া লেনি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং সে জ্যাককে জোর করে যেনো সে তাঁর জীবন ফিরিয়ে দেয়। ==কুশীলব== অ্যাঞ্জেলিনা জোলি লেনি ক্যারিগান এডওয়ার্ড বার্নস পিট স্ক্যানলন টনি শ্যালহউব প্রফেট জ্যাক ক্রিস্টিয়ান কেইন ক্যাল কুপার স্টকার্ড শ্যানিং ডেবোরাহ কনরস জেমস গ্যামন প্যাট কেরিগান মেলিসা এরিকো আন্দ্রেয়া লিসা থর্নহিল গোয়েন গ্রেগরি ইটজিন ডেনিস ভিনা সুদ ডক্টর জেসি জেমস রাদারফোর্ড টমি == বহিঃসংযোগ == চলচ্চিত্র দশকের প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র দশকের প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র দশকের হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র সেঞ্চুরি ফক্সের চলচ্চিত্র এন্টারপ্রাইজের চলচ্চিত্রশেকসপিয়রের বিখ্যাত চ্যান্ডোস প্রতিকৃতি, ন্যাশানাল পোর্ট্রেট গ্যালারি, লন্ডন। কোনো অজ্ঞাতনামা শিল্পী অঙ্কিত এই ছবিটি অবশ্য প্রামাণ্য নয়। '''উইলিয়াম শেকসপিয়রের যৌনতা''' একটি বহুবিতর্কিত বিষয়। জানা যায়, শেকসপিয়র জনৈকা অ্যানি হ্যাথাওয়েকে বিবাহ করেছিলেন এবং তাদের তিনটি সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু গবেষকদের অণুমান, এর পাশাপাশি একাধিক নারীর সঙ্গে শেকসপিয়রের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। এমনকি পুরুষদের প্রতিও যৌন আকর্ষণ বোধ করতেন শেকসপিয়র। তবে তার ব্যক্তিগত জীবনী সংক্রান্ত প্রত্যক্ষ নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের স্বল্পতার কারণে এই তত্ত্ব প্রকৃতিগতভাবে একান্তই আনুমানিক। কিছু পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং তাঁর সনেটের ব্যাখ্যা থেকে কৃত সিদ্ধান্তই এই তত্ত্বের উৎস। পাঠক গবেষক মহলে শেকসপিয়রের একাধিক প্রণয়িনী থাকার বিষয়টি বহুচর্চিত। তেমনি শেকসপিয়রের যৌনচেতনায় অ-বিষমকামী উপাদান তাকে যে সাংস্কৃতিক বিশিষ্টতা দান করেছে তাও যথেষ্ট বিতর্কিত। যাই হোক, প্রচলিত ধারণা অণুযায়ী উইলিয়াম শেকসপিয়র ছিলেন উভকামী। == শেকসপিয়রের বৈবাহিক জীবন == মাত্র আঠারো বছর বয়সে অ্যানি হ্যাথাওয়েকে বিবাহ করেছিলেন শেকসপিয়র। হ্যাথাওয়ের বয়স তখন ছাব্বিশ। ১৫৮২ সালের ২৭ নভেম্বর ডায়োসিস অফ ওরসেস্টরের কনসিস্টরি কোর্ট একটি বিবাহ অণুজ্ঞাপত্র জারি করে। বিবাহে কোনো দেনাপাওনাই বাকি নেই এই মর্মে পরদিনই একটি বন্ড প্রকাশ করেন হ্যাথাওয়ের দুই প্রতিবেশী। নববিবাহিত দম্পতি অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। কারণ ওরসেস্টর চান্সেলর একবার মাত্র বিবাহ ঘোষণাপত্রটি পাঠ করার অনুমতি দেন। সাধারণত এই ঘোষণা তিন বার পাঠ করা হত। এই ব্যস্ততার কারণ সম্ভবত হ্যাথাওয়ের গর্ভাবস্থা। বিবাহের ছয় মাস পরেই তিনি কন্যাসন্তান সুসানার জন্ম দেন। এর প্রায় দুই বছর পরে জন্ম হয় যমজ সন্তান পুত্র হ্যামলেট কন্যা জুডিথের। সম্ভবত প্রথম দিকে হ্যাথাওয়েকে ভালবাসতেন শেকসপিয়র। তার এক সনেটের (সনেট ১৪৫) আদি সংযোজনের একটি পাঠে তিনি অ্যানির নামোল্লেখ করে তাকে তার জীবনদাত্রী বলে উল্লেখ করেছেন। (পঙ্ক্তি 'I hate from hate away she threw/And saved my life, saying "not you."')। যদিও বিবাহের তিন বছর পরেই পরিবার-পরিজনদের ত্যাগ করে তিনি চলে আসেন লন্ডনে। এর সম্ভাব্য কারণ, নিজেকে হ্যাথাওয়ে কর্তৃক আবদ্ধ মনে করতে শুরু করেছিলেন। অপর একটি প্রমাণ এই যে, তাদের দুজনকেই পার্শ্ববর্তী অথচ পৃথক সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়। উইলে স্ত্রীকে ‘আসবাব সহ দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ শয্যাটি’ ('the second best bed with the furniture') ছাড়া কিছুই দিয়ে যাননি শেকসপিয়র। এই দানকে কেউ কেউ সামান্য দান মনে করলেও ঐতিহাসিকদের মতে ‘দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ শয্যাটি’ আসলে বিবাহশয্যা। কারণ শ্রেষ্ঠ শয্যাটি অতিথিদের সেবায় ব্যবহৃত হত। ক্যারোল অ্যান ডাফির 'অ্যানি হ্যাথওয়ে' নামক কবিতাটি এই তত্ত্বের সমর্থনে রচিত। এই কবিতায় বর্ণিত হয়েছে কেমন করে শেকসপিয়র তার স্ত্রীর কাছে এই ‘দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ শয্যাটি’ হয়ে উঠেছে ‘সুতোয় গ্রথীত হতে থাকা বন, দুর্গের বিশ্ব’ ('a spinning world of forests, castles');আর ‘অন্য শয্যাটিতে, শ্রেষ্ঠ শয্যাটিতে আমাদের অতিথিরা ঝিমোন, সেখানে লালার মতো ঝরে তাদের গদ্য’ ('In the other bed, the best, our guests dozed on, dribbling their prose')। অ্যানির ভাইয়ের সম্পত্তির তালিকায় একটি শয্যার উল্লেখ ছিল না। এটি তার পিতার উইল সংক্রান্ত একটি বিবাদের ফলে বাদ দেওয়া হয়। এর থেকে অণুমিত হয় শয্যাটি ছিল হ্যাথাওয়ে পরিবারের পারিবারিক সম্পত্তি। এটি ফিরিয়ে দেওয়ারই কথা ছিল। সমসাময়িক আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তির বিধবা পত্নী তার স্বামীর সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশের উত্তরাধিকারিণী ছিলেন। এই কারণেই শেকসপিয়র তার উইলে নিজের স্ত্রীকে নির্দিষ্ট করে কিছু দিয়ে যাননি। == সম্ভাব্য নারীঘটিত প্রণয় == লন্ডনে বসবাসকালে শেকসপিয়রের সঙ্গে একাধিক নারীর প্রণয়সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। আইনের ছাত্র জনৈক জন ম্যানিংহ্যাম তার ডায়েরিতে লেখেন যে ''রিচার্ড দ্য থার্ড'' মঞ্চায়নের সময় শেকসপিয়রের সঙ্গে এক নারীর স্বল্পকালীন প্রণয়সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। Upon time when Burbage played Richard the Third there was citizen grew so far in liking with him, that before she went from the play she appointed him to come that night unto her by the name of Richard the Third. Shakespeare, overhearing their conclusion, went before, was entertained and at his game ere Burbage came. Then, message being brought that Richard the Third was at the door, Shakespeare caused return to be made that William the Conqueror was before Richard the Third. সমসাময়িক ব্যক্তিদের রচনা থাকে শেকসপিয়রের যে অল্প কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়, এটি তার মধ্যে অন্যতম। তবে এর প্রামাণিকতা নিয়ে গবেষকরা নিঃসন্দেহ নন। তবুও এই বর্ণনা অনুসারে বলা যায় যে তার অন্তত এক জন সমসাময়িক তাকে বিষমকামী মনে করতেন। আর এও জানা যায় যে ‘মাঝে মাঝে বিবাহ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের ব্যাপারে অনিচ্ছুক ছিলেন না’ ('averse to an occasional infidelity to his marriage vows') শেকসপিয়র। শেকসপিয়রের ছাব্বিশটি সনেট তার নারীঘটিত প্রণয়ের অন্যতম প্রমাণ। এই প্রেমের কবিতাগুলি তথাকথিত কোনো ডার্ক লেডির উদ্দেশ্যে রচিত। == সম্ভাব্য সমপ্রেম == চিত্র:Miniature of Henry Wriothesley, 3rd Earl of Southampton, 1594. (Fitzwilliam রিওথিসলি, সাউদাম্পটনের তৃতীয় আর্ল শেকসপিয়রের সনেটগুলিকে তার উভকামিতার অন্যতম প্রমাণ রূপে ধরা হয়। সম্ভবত তার অনুমতি ছাড়াই ১৬০৯ সালে এই সনেটগুলি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এর মধ্যে একশো ছাব্বিশটি সনেট 'ফেয়ার লর্ড' বা 'ফেয়ার ইউথ' নামে সম্ভাষিত কোনো যুবকের উদ্দেশ্যে রচিত। কবিতাগুলি উৎসর্গিত হয়েছে জনৈক 'Mr W.H.'-এর উদ্দেশ্যে। মনে করা হয়, ইনিই কবিতায় উল্লিখিত সেই যুবক। এই ব্যক্তি ঐতিহাসিক হলে এঁর পরিচয় অজ্ঞাতই থেকে যায়। এই নামের দুই সম্ভাব্য জনপ্রিয় দাবিদার হলেন শেকসপিয়রের দুই পৃষ্ঠপোষক, হেনরি রিওথিসলি, সাউদাম্পটনের তৃতীয় আর্ল এবং উইলিয়াম হারবার্ট, পেমব্রোকের তৃতীয় আর্ল।ই দুজনেই তাদের যৌবনে সুদর্শন ছিলেন। কামকেলি বা শারীরিক কামচেতনার একমাত্র স্পষ্ট উল্লেখ মেলে ডার্ক লেডি সনেটগুলি। এখানে স্পষ্টতই বলা হয়েছে যে কবি ডার্ক লেডি দুই প্রণয়ী। তবে ফেয়ার লর্ডের উদ্দেশ্যে সম্ভাষিত সনেটগুলির একাধিক পঙক্তিতেও উক্ত যুবকের প্রতি যৌন আকর্ষণের ভাব প্রকাশিত হয়েছে। সনেট ১৩-এ তাকে বলা হয়েছে ‘প্রিয় হে আমার’ ('dear my love')। সনেট ১৫-এ কবি তার প্রেমে সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ('war with Time for love of you.')। সনেট ১৮-এ কবি জিজ্ঞাসা করেছেন, তোমার তুলনা কি বসন্তের দিন?/তুমি যে আরও সুন্দর, আরও মধুর’ ('Shall compare thee to summer’s day?/Thou art more lovelঊy and more temperate')। সনেট ২০-তে কবি সেই যুবককে বর্ণনা করেছেন ‘আমার প্রেমের রমণীপ্রভু’ of my passion')। এই কবিতাগুলিতে রয়েছে বিনিদ্র রজনী, যুবকের জন্য বিরহবেদনা ঈর্ষার কথা। আর আছে সেই যুবকের সৌন্দর্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। সনেট ২০-তে কবি উক্ত যুবককে এমন এক নারীর সঙ্গে তুলনা করেছ জননী প্রকৃতিও যাঁর প্রেমে পড়েছেন। নারী সমকামিতার উভয়সংকটাবস্থা কাটাতে কবি এখানে একটি পুরুষাঙ্গেরও উল্লেখ করেছেন। ('pricked thee out for women's pleasure')। লিখেছেন, ‘আমার সুখের জন্য কিছুই না’ (to my purpose nothing')। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্যামুয়েল শেওনবম বলেন, ‘এটি বিষমকামীতার জয়গানকারীদের পক্ষে সর্বাপেক্ষা দুর্ভাগ্যজনক’ ('worse luck for the heterosexual celebrant')। আবার সনেট ৫২-এর মতো কোনো কোনো সনেটে যৌন কৌতুক বেশ প্রকট: 'So is the time that keeps you as my chest, Or as the wardrobe which the robe doth hide, To make some special instant special blest, By new unfolding his imprisoned pride.' সনেট ২০-তে কবি যুবককে নারীর সঙ্গে রতিক্রিয়া করতে বললেও ভালবাসতে বলেছেন কেবল তাকেই: 'mine be thy love and thy love's use their treasure'। যদিও কেউ কেউ মনে করেন যে এই পঙক্তিগুলি দৈহিক প্রেমের পরিবর্তে প্লেটোনিক বন্ধুত্বেরই অভিপ্রকাশ। ১৯৬১ সালে পেলিকান সংস্করণের মুখবন্ধে ডগলাস বুশ লিখেছেন: 'Since modern readers are unused to such ardor in masculine friendship and are likely to leap at the notion of homosexuality (a notion sufficiently refuted by the sonnets themselves), we may remember that such an ideal, often exalted above the love of women, could exist in real life, from Montaigne to Sir Thomas Browne, and was conspicuous in Renaissance literature.' বুশ সনেটের প্লেটোনিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মন্টেনের কথা উল্লেখ করেছেন যিনি ‘অন্যান্য অনৈতিক গ্রিক প্রেমের’ থেকে বন্ধুত্বকে পৃথক করেছিলেন। অন্য একটি ব্যাখ্যা অনুসারে কবিতাগুলি আত্মজৈবণিক নয়, বরং কল্পকাহিনিমূলক। এগুলি শেকসপিয়রের "নাট্য চরিত্রায়ণ"-এর অন্যতম উদাহরণ। তাই এই সনেটগুলি শেকসপিয়রের নিজের জবানিতে লিখিত নয়। ১৬৪০ সালে জন বেনসন সনেটগুলির একটি দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন। এই সংস্করণে তিনি প্রায় সকল সর্বনামে এমন পরিবর্তন আনেন যে লোকে মনে করে সব কটি সনেটই ডার্ক লেডির উদ্দেশ্যে লিখিত। বেনসনের পরিবর্তিত পাঠটি বহুল পরিচিতি লাভ করে। পরে ১৭৮০ সালে এডমন্ড মেলোন মূলপাঠ অণুযায়ী সনেটগুলি পুনঃপ্রকাশ করেন। ১৭৮০ সালে এই সনেটগুলির রচয়িতার যৌন অভিমুখীতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা শুরু হয়। এই সময়, যুবকের বর্ণনায় শেকসপিয়রের কথাটি পড়ে জর্জ স্টিভেনস মন্তব্য করেন, 'it is impossible to read this fulsome panegyrick, addressed to male object, without an equal mixture of disgust and indignation'. অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আবার তাদের জাতীয় নায়ককে ‘পায়ুকামী’ ('sodomite') রূপে কল্পনা করতে দ্বিধাবোধ করেছেন। ১৮০০ সাল নাগাদ স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ মন্তব্য করেন শেকসপিয়রের প্রেম ছিল ‘বিশুদ্ধ’ ('pure') এবং তার সনেটগুলি ছিল 'not even an allusion to that very worst of all possible vices'। উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ শেকসপিয়রের সনেট সম্পর্কে লেখেন, 'with this key the Sonnets Shakespeare unlocked his heart'। প্রত্যুত্তরে রবার্ট ব্রাউনিং তার বিখ্যাত ''হাউস'' কবিতায় লেখেন, 'If so, the less Shakespeare he!'। বিংশ শতাব্দীতেও এই বিতর্ক বজায় ছিল। ১৯৪৪ সালে সনেটগুলির ভ্যারিওরাম সংস্করণে একটি পরিশিষ্টে প্রায় চল্লিশজন টীকাকারের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সংযোজিত হয়। == আরও দেখুন == উইলিয়াম শেকসপিয়র শেকসপিয়রের জীবনী এলিজাবেথীয় যুগ শেকসপিয়রের সম্মান শেকসপিয়রের নাটক শেকসপিয়রের সনেট অ্যানি হ্যাথাওয়ে (শেকসপিয়র) শেকসপিয়রের পরবর্তীকালীন রোম্যান্স শেকসপিয়র নাট্যাবলির কালপঞ্জি শেকসপিয়রের ইংল্যান্ড শেকসপিয়র চলচ্চিত্রসমূহ == পাদটীকা == == অতিরিক্ত পাঠ == The Chiastic Shakespeare Last Will and Testament of William Shakespeare ''sic'' The Cobbe oil painting of William Shakespeare Third Earl of Southampton Shakespeare's patron, the 'fair youth', pdf article Keevak, Michael. ''Sexual Shakespeare: Forgery, Authorship, Portraiture'' (Detroit: Wayne State Univ. Press, 2001) Alexander, Catherine M.S., and Stanley Wells, editors. ''Shakespeare and Sexuality'' (Cambridge, Eng.: Cambridge Univ. Press, 2001) Hammond, Paul. ''Figuring Sex Between Men from Shakespeare to Rochester'' (Oxford, Eng.: Oxford Univ. Press, 2002) Smith, Bruce R. ''Homosexual Desire in Shakespeare's England: Cultural Poetics'' (Chicago: Univ. of Chicago Press, 1991; reissued with new preface, 1994) Pequigney, Joseph. ''Such Is My Love: Study of Shakespeare's Sonnets'' (Chicago: Univ. of Chicago Press, 1985) the most sustained case for homoeroticism in Shakespeare's sonnets *শেকসপিয়রের যৌনপ্রবৃত্তি যৌনতা(ইংরেজি: ''Variety'') হচ্ছে একটি সাপ্তাহিক বিনোদন ম্যাগাজিন, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ ইয়র্ক সিটিতে। এটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সাইম সিলভারম্যান। চলচ্চিত্র শিল্পের জপ্রিয়তা গুরুত্ব বাড়ার সাথে সাথে ১৯৩৩ সালে সাইম সিলভারম্যান লস অ্যাঞ্জেলসে ম্যাগাজিনটির দৈনিক সংস্করণ প্রকাশ করা শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে যোগ হয় '''ডেইলি ভ্যারাইটি গোথাম''' সংস্করণ, যা ছিলো মূলত নিউ ইয়র্ক কেন্দ্রিক। এই তিনটাই এখন পর্যন্ত ঠিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসছে। রিড এলসভিয়ের-এর শাখা রিড বিজনেস ইনফরমেশন এই ম্যগাজিনটির তিনটি সংস্করণসহ এর ওয়েবসাইটটির স্বত্তাধিকারী। এই ম্যাগাজিনটির বিশ বছর ধরে প্রধান সম্পাদক ছিলেন পিটার বার্ট। এর আগে তিনি প্যারামাউন্ট পিকচার্স ''দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস''-এর মতো সংস্থায় কাজ করেছেন। এপ্রিল ২০০৯-এ পত্রিকাটি ঘোষণা করে যে, বার্ট তার পদ ছেড়ে "ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সম্পাদকীয় পরিচালক"-এর পদ গহণ করছেন। বর্তমানে পত্রিকাটির সম্পাদক হচ্ছেন টিমোথি এম. গ্রে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Variety.com website Variety's slanguage dictionary Variety's self-described history description by the Parisian Bibliothèque du film article from Le Monde about Variety's 100th anniversary যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন সাময়িকীউপনয়নের পর উপবীতধারী ব্রাহ্মণ বালক চিত্র:Iyer আইয়ার পরিবারে উপনয়নম অণুষ্ঠান '''উপনয়ন''' একটি হিন্দু এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হিন্দু বালকেরা ব্রাহ্মণ্য সংস্কারে দীক্ষিত হয়। হিন্দু ঐতিহ্য অণুসারে, উপনয়ন হিন্দু বালকদের শিক্ষারম্ভকালীন একটি অণুষ্ঠান। হিন্দুধর্মে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বৈশ্য বর্ণের জন্য উপনয়নের ন্যূনতম বয়স যথাক্রমে সাত, তেরো সতেরো বছর। উপনয়নকালে বালকদের ''ব্রহ্মোপদেশ'' শিক্ষা দেওয়া হয়। মনুস্মৃতি অণুযায়ী, এরপর তারা ব্রহ্মচারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। বাঙালি হিন্দু সমাজে অবশ্য কেবলমাত্র ব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রেই উপনয়ন সংস্কার প্রচলিত। উপনয়ন অণুষ্ঠানে শরীরে যজ্ঞোপবীত বা উপবীত (চলিত বাংলায় পৈতে) ধারণ করা হয়। উপবীত প্রকৃতপক্ষে তিনটি পবিত্র সূতো যা দেবী সরস্বতী, গায়ত্রী সাবিত্রীর প্রতীক। উপবীত ধারণের সময় উপবীতধারী গায়ত্রী মন্ত্র শিক্ষা করে। উপনয়নের পর ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বৈশ্যদের দ্বিজ বলা হয়। দ্বিজ শব্দের অর্থ দুইবার জাত। হিন্দু বিশ্বাস অণুযায়ী, প্রথমবার ব্যক্তির জন্ম হয় মাতৃগর্ভ থেকে; এবং দ্বিতীয়বার জন্ম হয় উপবীত ধারণ করে। == আঞ্চলিক বৈভিন্ন্য == ভাষা অণুষ্ঠানের নাম উপবীতের প্রতিশব্দ সংস্কৃত Upanayanam उपनयनम् Yajñopavītam यज्ञोपवीतम् মালয়ালম Poonool (IAST: Pūnūl)പൂണൂല്‍ তামিল Poonal பூணல் Poonal (IAST: Pūnūl)பூணல் তেলুগু Jandhyamu কন্নড় Munji Janivaara হিন্দি Janeuजनेऊ Janeuजनेऊ মারাঠি Munjaमुंज Jaanaveजानवे কোঙ্কনি বাংলা Uponayonউপনয়ন Poitéপৈতে 10 ওড়িয়া Brata Ghara ବ୍ରତଘର Poitaପଇତା 11 নেপালি Bratabandha ब्रतबंध Janaiजनई 12 কাশ্মীরি Mekhalمعخل,मेखल 13 অসমীয়া Lagundeoni লগুনদেওনি Lagunলগুন 14 তুলু Upanayanaಉಪನಯನ Janivaaraಜನಿವಾರ 15 গুজরাটি Janoiજનોઈ 16 পাহাড়ি Janeyuजनेयु Janeyuजनेयु 17 সিন্ধি Janyaजानया Janyaजानया == তথ্যসূত্র == by Swāmi by Sri Rādhā Krishna Dhanuka Prakāshan Vedasāstra Research Centre, Kedārghat, Vārānasi) Shanti-kun, Scientific Religion basis) == বহিঃসংযোগ == অণুষ্ঠান শব্দ শব্দবন্ধ'''ডাগ লাইম্যান''' () (জন্ম: ২৪ জুলাই, ১৯৬৫) একজন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ''দ্য বোর্ন আইডেন্টিটি'' (২০০২), ''মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ'' (২০০৫), এবং ''জাম্পার'' (২০০৮)-এর জন্য। === প্রাথমিক জীবন === লাইম্যানের বাবা আর্থার এল. লাইম্যান ছিলেন নিউ ইয়র্কের একজন পরিচিত আইনজীবি। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। নিউ ইয়র্কের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অফ ফটোগ্রাফি এবং জুনিয়র হাই স্কুলে ছাত্র হিসেবে থাকাকালীন লাইম্যান স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করা শুরু করেন। পরবর্তীতে ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদের পরিচালিত একটি কেবল টেলিভিশন স্টেশন তৈরিতে যোগ দেন, আর্থিকভাবে সহায়তা করেন। তিনি ছিলেন এই টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রথম স্টেশন ম্যানেজার। এরপর ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন পড়ার সময়, ১৯৯৩ সালে তিনি তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ''গেটিং ইন/স্টুডেন্ট বডি'' নির্মাণ করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == "The Liman Identity" -- New York Magazine biography Doug Liman's Action Website জন্ম ব্যক্তি চলচ্চিত্র পরিচালক'''সেন্ট হেলেনা''' (ইংরেজি: Saint Helena, উচ্চারণ /ˌseɪnt həˈliːnə/ ''saint hə-lee-nə''), কন্সন্টেনেপলের সেন্ট হেলেনা নামে নামকরণ করা হেয়েছ, যা দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের একটি আগ্নেয়গিরি দ্বীপ। এটি ১৫°৫৫' দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ৫°৪২' পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্য আটলান্টিক সাগর দক্ষিণ এবং অ্যাঙ্গোলার উপকূল থেকে প্রায় ১৯০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। এটি ১৫০২ সালে পর্তুগিজদের মাধ্যমে আবিস্কার হয়েছে। এই সময় দ্বীপটিতে কোন বসতি ছিল না। দ্বীপটি পৃথিবীর সব চেয়ে প্রাচীন দ্বীপ ছিল এবং অনেক শতাব্দী ধরে এটি ইউরোপ থেকে এশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নৌকার জন্য কৌশলগত গুরত্বপূর্ণ ছিল। একে ব্রিটিশদের দ্বারা নির্বাসন দ্বীপ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ১৮১৫ সালে ওয়াটারলুর যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর নেপোলিয়নকে এই দ্বীপে নির্বাসন দেওয়া হয়। ১৮২১ সালে এই দ্বীপেই মৃত্যুবরণ করেন নেপোলিয়ন। এই দ্বীপে অন্তরীণ থাকাকালে তিনি বই পড়া, বাগান করা আর নিজের স্মৃতি রোমন্থন করে সময় কাটাতেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৫১ বছর। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == The Official Government Website of Saint Helena The Official Government Website of Ascension Island The Official Tristan da Cunha Website Saint Helena Travel Guide from Travellerspoint The Official Website for St Helena Tourism Saint Helena Herald Webcam showing Jamestown The first website on St Helena since 1995 The Friends of St Helena UK society The St Helena Institute Dedicated to St Helena and Dependencies research since 1997 Google Satellite View (incomplete image as of April 2009)'''ডেম পেগি অ্যাশক্রফ্‌ট''' (), ডিবিই (জন্ম: ২২ ডিসেম্বর, ১৯০৭ ১৪ জুন, ১৯৯১) একজন নাইট উপাধি প্রাপ্ত ইংরেজ অভিনেত্রী। == প্রাথমিক জীবন == তার জন্ম হয়েছিলো ইংল্যান্ডের ক্রয়ডনে এবং জন্মনাম ছিলো এডিথ মার্গারেট এমিলি অ্যাশক্রফ্‌ট। অ্যাশক্রফ্‌ট পড়াশোনা শুরু করেন উডওয়ার্ড স্কুলে, পরবর্তীতে তিনি পড়েন ক্রয়ডন, এবং সেন্টাল স্কুল অফ স্পিচ অ্যান্ড ড্রামা-তে। প্রথম থেকেই তিনি একজন দক্ষতাসম্পন্ন অভিনেত্রী ছিলেন। ১৯২৯ সালে ''জিউ সাস'' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন। == ব্যক্তিগত জীবন == তিনি তিনবার বিয়ে করেছেন। প্রথমবার রুপার্ট হার্ট ডেভিসের সাথে (১৯২৯-১৯৩৩), এরপর থিওডোর কমিসারজেভস্কির সাথে (১৯৩৪)। সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেন জেরেমি হাটচিনসনকে (১৯৪০-১৯৬৫)। তৃতীয় স্বামীর ঘরে অ্যাশক্রফ্‌টের তিন সন্তান আছে। ফরাসি সঙ্গীতশিল্পী এমিলি লুইজু তার নাতনী। ১৯৯১ সালে লন্ডনে স্ট্রোকজনিত কারণে পেগি অ্যাশক্রফ্‌ট মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী ডেমহুড প্রাপ্ত অভিনেত্রী পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী চলচ্চিত্র) বিজয়ী অভিনেত্রী বিভাগে ভল্পি কাপ বিজয়ী অলিভিয়ে পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রীচিত্র:Raja Ravi Varma Mahabharata (সর্বদমন), শকুন্তলা দুষ্মন্তের পুত্র. রাজা রবি বর্মা অঙ্কিত '''ভরত''' জৈন হিন্দু পুরাণের এক কিংবদন্তি রাজার নাম। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি সমগ্র ভারত জয় করেছিলেন। এই জন্য তার বিজিত অঞ্চল নামে পরিচিত হয়। কোনো কোনো পুরাণের মতে, ভারতবর্ষ শব্দটির দ্বারা কেবল ভারতীয় ভূখণ্ডই নয়, সমগ্র বিশ্বকেই বোঝাত। জৈন "ভরত চক্রবর্তী" নামে এক রাজার উল্লেখ পাওয়া যায়, যিনি সমগ্র বিশ্ব জয় করে সুমেরু বা মেরু পর্বতের উপর নিজের ধ্বজারোপণ করেছিলেন। পরে এই কাজের জন্য নিজের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে নির্বাণ লাভের উদ্দেশ্যে জৈনধর্মে দীক্ষা নেন। == পৌরাণিক উপাখ্যান == ''মহাভারত'' (''আদিপর্ব'') অনুসারে, ভরত রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলার পুত্র। তিনি ছিলেন একজন ক্ষত্রিয় চন্দ্রবংশীয় রাজা। তার প্রকৃত নাম ছিল ''সর্বদমন''। পরে তার নামকরণ হয় ''ভরত''। ''মহাভারত''-এর উপাখ্যান অনুসারে, মহর্ষি বিশ্বামিত্র এক কঠোর তপস্যায় রত হলে দেবরাজ ইন্দ্র তার তপোভঙ্গের জন্য দিব্যাঙ্গনা মেনকাকে প্রেরণ করেন। মেনকা আপন রূপসৌন্দর্যে মোহিত করে বিশ্বামিত্রের তপোভঙ্গ করেন। বিশ্বামিত্রের ঔরসে তার গর্ভে একটি কন্যার জন্ম হয়। সদ্যোজাত এই কন্যাকে হিমালয়ের শীর্ষে মালিনী নদীর তীরে ফেলে স্বর্গে ফিরে যান মেনকা। ঋষি কন্ব কন্যাটিকে কুড়িয়ে পেয়ে আপন কুটিরে নিয়ে আসেন এবং নিজ কন্যারূপে পালন করে। তিনি এই কন্যার নাম রাখেন শকুন্তলা। কয়েক বছর পর, মহারাজ দুষ্মন্ত মৃগয়া করতে এসে কন্বের তপোবনে শকুন্তলার সাক্ষাৎ পান। শকুন্তলার রূপে মুগ্ধ হয়ে তিনি তাকে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করেন তার সঙ্গে সহবাস করে তার গর্ভসঞ্চার করেন। পরে তিনি রাজধানীতে ফিরে আসেন এবং ঋষি দুর্বাশার অভিশাপে শকুন্তলার কথা বিস্মৃত হন। এদিকে দুষ্মন্তের ঔরসে শকুন্তলার গর্ভে এক পুত্রের জন্ম হয়। ঋষি কন্ব এই পুত্রের নামকরণ করেন সর্বদমন। শকুন্তলা দুষ্মন্তের প্রাসাদে উপস্থিত হলে দুর্বাশার অভিশাপের প্রভাবে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে পারেন না। পরে অবশ্য ঘটনাচক্রে শাপপ্রভাব উত্তীর্ণ হলে স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে দুষ্মন্তের মিলন ঘটে। সর্বদমনের নতুন নামকরণ হয় ভরত। তিনি সমগ্র ভারতীয় ভূখণ্ড জয় করেন। এই কারণে তার রাজত্ব ভারতবর্ষ নামে পরিচিত হয়। ভরতের স্ত্রীর নাম ছিল সুনন্দাদেবী। সুনন্দাদেবী ছিলেন সাধ্বী রমণী। তবু তার সকল সন্তানই জন্মের পরমুহুর্তেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তিনি গঙ্গাতীরে মরুইসোম যজ্ঞ করেন। ফলে ভরতের ভিমণ্যু নামে এক পুত্র জন্মে। তার বংশেই পরে পাণ্ডবদের জন্ম হয়। ভরতের বাল্যজীবন কালিদাস বিরচিত গ্রন্থে বর্ণিত আছে। এই গ্রন্থ অবলম্বনে বাংলাতেও ''শকুন্তলা'' নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। == বহিঃসংযোগ == Story of Bharata চরিত্র পুরাণের চরিত্র'''পিছন্দি''' একপ্রকার ফল যার বৈজ্ঞানিক নাম ''মাইক্রোকস পানিকুলাটা'' (''Microcos paniculata'')। এই ফলটিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। কোথাও কোথাও এটি আছার আবার কোথাও আসার, পটকা, ফট্টাশ, দাতই ইত্যাদি নামে পরিচিত। সারা বাংলাদেশেই বন এলাকায় ফল গাছ দেখা যায় যদিও চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ময়মনসিংহের বন-জঙ্গলে বেশী দেখা যায়। এটি একটি বুনো ফল হিসেবে পরিচিত। পিছন্দি গাছ প্রতিকূল পরিবেশে টিঁকে থাকতে পারে। এটি মাঝারি আকারের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। পিছন্দির ফুল ছোট, সাদা রংয়ের, হালকা সুগন্ধযুক্ত। ফলও ছোট। ফলের ব্যাস মাত্র ০.৮ সেন্টিমিটার। সুগোল ফলটি টিকটিকির ডিমের মতো। ফলের বোঁটা একটু লম্বা। পাকা আছার গুটির রং কালো। পাকা ফল খেতে দানা দানা লাগে। == বৈজ্ঞানিক প্রতিনামসমূহ == আছার গাছ তথা মাইক্রোকস পানিকুলাটা'র বেশ ক'টি বৈজ্ঞানিক প্রতিনাম (Synonims) আছে। যথা, Grewia microcos Grewia nervosa Fallopia nervosa Microcos nervosa Microcos paniculata L. == অন্য ভাষায় নাম == আছার বা পিছন্দি গাছকে হিন্দী ভাষায় শিরল, মারাঠি ভাষায় হসোলী, তামিল ভাষায় বিশালম তটম, মলয়ালম ভাষায় কোট্টক্ক, কন্নড় ভাষায় অভরাঙ্গা, চীনা ভাষায় Bù Zhā Yè, মগ ভাষায় তারক, গারো ভাষায় বোল-সুব্রেত মার্মা ভাষায় এবা, তারনী এবং মুরং ভাষায় ইয়োরিয়া সোক নামে অভিহিত করা হয়। == রাসায়নিক দ্রব্য == আছার গাছের পাতায় Isorhamnetin, Kaempferol, Quercetin নামক রাসায়নিক দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। ডাঁটার বাকলে ইত্যাদি বিশেষ ধরনের এলকালয়েড থাকে, যা কীটনাশকে ব্যবহার হয়। == ভেষজ ব্যবহার == আছার গাছের পাতার রস বদহজম, একজিমা এবং টাইফয়েডের জ্বরে ব্যবহার হয়। == তথ্যসূত্র == ফলচাদেন্সিস''''' (ইংরেজি Sahelanthropus tchadensis) হচ্ছে একটি বিলুপ্ত হোমিনিনে প্রজাতি এবং খুব সম্ভবত এই প্রজাতি ''অরোরিনে'' পুর্বপুরুষ। এই প্রজাতির যে ফসিল পাওয়া গিয়েছে তা থেকে অনুমান করা হয় এটি ৬০-৭০ লক্ষ বছর পূর্বে মায়োসিন যুগে বিচরণ করত। অনুমান করা হয়, এরা সে সময়ে বিচরণ করত; যখন একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার প্রক্রিয়া চলছিল। এই প্রজাতির মাথার যে খুলি পাওয়া গিয়েছে; তার নাম রাখা হয়েছে ''টুমাই''। অর্থাৎ জীবনের আশা। ==জীবাশ্ম== Artistic interpretation of ''S. tchadensis'' by sculptor Élisabeth Daynès টুমাই (মধ্য আফ্রিকার শাদ প্রজাতন্ত্রের ডাজা ভাষা হতে উদ্ভুত; যার অর্থ জীবনের আশা) নামক শাদের সাহেল এলাকার মানবের যে মাথার খুলি বিশিষ্ট ফসিল পাওয়া গিয়েছে, তার আকার খুবই ছোট। পাওয়া গিয়েছে চোয়ালের ৫টা টুকরো এবং দাতেঁর কিছু অংশ, যা একই সাথে আদিম এবং আধুনিক মানুষের সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ। এর মাথার খুলির আকার ৩২০ সিসি থেকে ৩৮০ সিসি পর্যন্ত হত, আর মানুষের মাথার খুলির আকার প্রায় ১৩৫০ সিসি হয়ে থাকে। টুমাইয়ের মাথার খুলির যে আকার, তা বর্তমান সময়ের শিম্পাঞ্জির আকারের সাথে মিলে। এর লম্বাটে মাথা, খুব প্রকট ভুরুর হাড়, ঢালু মুখমণ্ডল, দাঁতের যে বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছে; তা ''হোমো স্যাপিয়েন্স'' থেকে ভিন্ন। এর খুলি থেকে বুঝা যায়, মুখমন্ডল চ্যাপ্টা, প্রাক মানবদের ন্যায় মহাবিবর (ফরম্যান ম্যাগনাম) এবং ভুরুর হাড় বেশ দৃঢ়। এই ফসিলের খুলি ব্যাতীত আর কোনো হাড় পাওয়া যায় নি। চাদেন্সিস'' হয়তো দুইপায়ে হাটত। যেহেতু খুলি ব্যাতীত আর কোনো হাড় পাওয়া যায় নি, তাই এটা সম্পুর্ণভাবে নিশ্চিত নয়। এটা সুনিশ্চিত নয় দ্বিপদী ছিল কিনা। খুলির তলার ভিতের মাঝামাঝি মহাবিবরের অবস্থান মানুষ ব্যাতীত অন্য যে কোনো প্রাইমেটের চেয়ে ওদের অনেক সামনের দিকে ছিল, একারণে অনুমান করা হয়, এরা হয়তো দুপায়ে হাটঁত। কিছু জীবাশ্মবিদ এই অনুমানকে খারিজ করে দিয়েছেন, তাদের মতে ফসিলের যে বিষয়গুলো দেখা গিয়েছে; যেমন তাদের মুখমণ্ডলের কাঠামো বা তাদের দন্তবিন্যাস তা থেকে এটা কখনো বলা যায় না, তারা দ্বিপদী ছিল; বরং তারা মিয়োসিন যুগের অন্যান্য গরিলার মতই ছিল। একইভাবে সাম্প্রতিক সময়ের প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলির খুব কাছ থেকে প্রাপ্ত হাড়; যা হোমিনিডের ফিমার হতে পারে, তা থেকেও প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কী শাদের সাহেল এলাকার মানুষ দুইপায়ে হাটতে পারত কিনা। ==টুমাইয়ের ফিমার নিয়ে বিতর্ক== ফসিল আবিষ্কারের ১৫ বছর পরে পুয়েটারস নৃতত্ত্বের অধ্যক্ষ রবার্তো ম্যাকচিয়ারেলি সন্দেহ করেন, এই ফসিল আবিষ্কারক মাইকেল ব্রুনেট হয়তো খুলির কাছে পাওয়া ফিমার সংক্রান্ত এই তথ্য ইচ্ছাকরেই গোপন করেছেন। ফলে টুমাইয়ের দুইপায়ে হাটা নিয়ে একটা সন্দেহ তৈরী হয়েছে।. ==আবিষ্কার== শাদ প্রজাতন্ত্রের ডিজুরাব মরুভুমিতে এই জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়। এর নের্তৃত্বে ছিলেন মাইকেল বার্নেট; ছিলেন আরো কয়েকজন ২০০১ এর জুলাই থেকে ২০০২ এর মার্চের মধ্যে এর জীবাশ্মের উপাদান গুলো সংগৃহীত হয়। এই উপাদান গুলো মুলত টা সাইটেই পাওয়া গিয়েছে, যথাঃ টিম ২৪৭, টিএম ২৬৬ নামক সাইটেই জীবাশ্মের বেশিরভাগ উপাদান (মাথার খুলি এবং ফিমার) পাওয়া যায় এবং #টিম ২৯২। এই আবিষ্কারের পর দাবী করা হয় শিম্পাঞ্জী মানুষের বিচ্ছিন্নতার পর ''S. tchadensis'' মানুষের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাচীন প্রাক মানব (পুর্বপুরুষ)। == জীবাশ্ম সম্পর্কিত তথ্য == প্রাপ্তিকাল প্রাপ্তিস্থান গবেষকদলের প্রধান জীবাশ্মের বয়স ২০০১ টরস মানালা, সাইট ২৬৬ চাদ মাইকেল ব্রুনেট, এলাইন বিয়াইভিলান ৭০ থেকে ৬০ লক্ষ বছর পূর্বে ==আরো দেখুন== মানব বিবর্তন Humanzee List of human evolution fossils ''(with images)'' == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == PARTICIPANTS IN SAHARA SCIENTIFIC EXPEDITIONS Fossil Hominids: Toumai National Geographic: Skull Fossil Opens Window Into Early Period of Human Origins image of the skull (nature.com) New Findings Bolster Case for Ancient Human Ancestor challenge to Sahelanthropus John Hawks Photography of TOUMAÏ’S SEPULCHRE Photography of TOUMAI’S FEMUR যুগের স্তন্যপায়ী বিবর্তনচিত্র:Tehran Conference, বিগ থ্রী'' জোশেফ স্ট্যালিন, ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্ট এবং উইনস্টন চার্চিল ১৯৪৩ সালে তেহরান সম্মেলন-এ বসে আছেন '''দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্র শক্তি''' বলতে সেসব দেশকে নির্দেশ করা হয়, যারা অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মিত্রশক্তির দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল প্রত্যক্ষভাবে অক্ষশক্তির আগ্রাসনের কারণে অথবা অক্ষশক্তি কর্তৃক আক্রান্ত হতে পারে এমন ভয়ের কারণে। ১৯৪১ সালের পরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন এই তিন রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ, যারা একত্রে (“বৃহৎ তিন” নামে পরিচিত ছিল), এবং চীন মিত্র শক্তি গঠন করে। পরবর্তীতে বৃহৎ রাষ্ট্র ফ্রান্সও মিত্রশক্তিতে যোগ দেয়। এছাড়া আরও যে সব রাষ্ট্র মিত্র শক্তিতে যোগ দেয় তারা হল অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, চেকোস্লাভিয়া, ইথিওপিয়া, গ্রীস, ভারত, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, ফিলিপাইন কমনওয়েলথ, পোল্যান্ড এবং যুগোস্লাভিয়া। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডিলানো রুজভেল্ট মিত্রশক্তিকে ''জাতিসংঘ'' নামে প্রচার করেন। তিনি '''বৃহৎ তিন''' যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনকে একসাথে ''ট্রাস্টিশিপ অব পাওয়ারফুল'' নামে অভিহিত করেন, পরে যা ফোর পুলিশম্যান নামে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে একটি ঘোষণার মাধমে বর্তমান জাতিসংঘের গোড়াপত্তন হয়। ১৯৪৫ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে পটসডাম সন্মেলনে রুজভেল্ট প্রস্তাব করেন চীন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ''ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহে শান্তি ঐক্য প্রতিষ্ঠার রূপরেখা'' প্রণয়ন করবে। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হয়। == মিত্রশক্তি ঘোষণার সারাংশ == তৎকালীন জাতিসংঘের ৫১ সদস্যের পূর্ণ তালিকা: === জার্মানি কর্তৃক পোল্যান্ড আক্রান্ত হবার পর === Poland: সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ France: সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ India: সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ South Africa: সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ এপ্রিল ১৯৪০ এপ্রিল ১৯৪০ === ফোনি যুদ্ধের পর === ১০ মে ১৯৪০ ১০ মে ১৯৪০ ১০ মে ১৯৪০ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ Greece: ২৮ অক্টোবর ১৯৪০ Yugoslavia: এপ্রিল ১৯৪১ === সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের পর === ২২ জুন ১৯৪১ (cooperated with Axis during Invasion of Poland) ২৫ জুন ১৯৪১ (annexed by Soviet Union in ১৯৪৪) Mongolia: আগস্ট ১৯৪১ === পার্ল হারবার আক্রমণের পর === ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ হন্ডুরাস: ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ফিলিপাইন কমনওয়েলথ: ডিসেম্বর ১৯৪১ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪১ === জাতিসংঘ তৈরি হবার পর === ২২ মে ১৯৪২ ২২ আগস্ট ১৯৪২ Ethiopia: ১৪ ডিসেম্বর ১৯৪২ Iraq: ১৭ জানুয়ারি ১৯৪৩ এপ্রিল ১৯৪৩ ২৬ জুলাই ১৯৪৩ Iran: সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ ২৭ জানুয়ারি ১৯৪৪ ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ === ডি-ডে এর পর === ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ Paraguay: ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ Syria: ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ Saudi Arabia: মার্চ ১৯৪৫ ২৭ মার্চ ১৯৪৫ ১১ এপ্রিল ১৯৪৫ == আরও দেখুন == দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পার্ল হারবার আক্রমণ পারমাণবিক অস্ত্র == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Changing Alliances In the International Arena The Atlantic Conference: Resolution of September 24, 1941 WWII: Key Allied Figures slideshow by ''Life magazine'' চুক্তি বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধকালীন রাজনীতি'''পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ''' (ইংরেজি: West Bengal National University of Juridical Sciences, ''ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস''; সংক্ষেপে বা ''এনইউজেএস'') কলকাতার একটি আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। এটি কলকাতার উপনগরী বিধাননগরে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্নাতকোত্তর স্তরে আইনবিজ্ঞানের পাঠ দেওয়া হয়। এই অগ্রণী জাতীয় আইন অন্যতম। এখানে ভারতের বার কাউন্সিল প্রস্তাবিত প্রযুক্ত পাঁচ বছরের আইন ডিগ্রি মডেলে শিক্ষাদান করা হয়। ১৯৯৯ সালে ভারতের বার কাউন্সিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এই পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বলে বর্ণনা করেছিলেন। উল্লেখ্য, জ্যোতি বসু স্বয়ং ছিলেন একজন মিডল টেম্পল ইন'স ব্যারিস্টার। উচ্চমানের হিসেবে জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। হ্যালবেরি মান্থলি'' হায়দরাবাদের ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ লিগাল স্টাডিক অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিভার্সিটি এবং বেঙ্গালুরুর ন্যাশানাল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে এই "টায়ার ওয়ান" আইন স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০৯ সালে ''আউটলুক'' পত্রিকা এই ভারতের দ্বিতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ আইন বলে উল্লেখ করে। এর আগে ২০০৮ সালে ''ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল'' ''মিন্ট'' ভারতের তৃতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ আইন বলে উল্লেখ করেছিল। জনপ্রিয় গণমাধ্যমগুলি এই "শ্রেষ্ঠ তিন জাতীয় আইন অন্যতম" (''দ্য হিন্দু''), "দেশে আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা সম্মানজনক প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম" (''দ্য টেলিগ্রাফ''), এবং এই ছাত্রছাত্রীদের কৃতিত্ব "তিন বছরের মধ্যে কলকাতাকে বিশ্বমানচিত্রে স্থান করে দেবে" (''দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া'') বলে বর্ণনা করে থাকে। == ইতিহাস == অভ্যন্তর ১৯৯৯ সালে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া পশ্চিম বঙ্গ সরকারের যৌথ উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইনবিজ্ঞান সুচনা হয়। == কৃতি ছাত্রছাত্রী == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Official website NUJS Law Review OUTLAWED: The Annual NUJS Fest official website "The Law School Experience", The Hindu "Quota at IIMs, IITs will not help disadvantaged: The Hindu "The Society for Global Democracy", "Leading law schools of India" in Kolkata and colleges in West Bengal বিষয়শ্রেণী:Law schools in India institutions established in 1999'''''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস''''' (ইংরেজি: '''''Harry Potter and the Deathly Hallows''''') ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং রচিত ''হ্যারি পটার'' উপন্যাস সিরিজের সপ্তম সর্বশেষ খন্ড। বইটি ২০০৭ সালের ২১ জুলাই প্রকাশিত হয়। পূর্ববর্তী খন্ড ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স'' এর কাহিনীর ধারাবাহিকতায় বইটির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। বইটির মাধ্যমে হ্যারি পটার সিরিজের সমাপ্তি ঘটে। ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস'' যুক্তরাজ্যে ব্লুমসবারি পাবলিশিং, যুক্তরাষ্ট্রে স্কলাস্টিক, কানাডায় রেইনকোস্ট বুকস এবং অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে অ্যালান আনউইন প্রকাশ করে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে ৯৩ টি দেশে একই সাথে প্রকাশিত হয়। ''ডেথলি হ্যালোস'' বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম বিক্রিত বই হিসেবে রেকর্ড করে। প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এটির ১৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। এই বইটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা, হিন্দি, ইউক্রেনীয়, পোলীয়, সুয়েডীয়, আরবি, ফরাসি, জার্মান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। == কাহিনী সংক্ষেপ == ''ডেথলি হ্যালোস'' বইয়ের প্রচ্ছদ === ভূমিকা === সিরিজে প্রথমবারের মত, ''ডেথলি হ্যালোস'' বইয়ের শুরুতে রাউলিং দুইটি ভূমিকা বা মুখবন্ধ সংযুক্ত করেন। প্রথমটি হল গ্রিক নাট্যকার এস্কাইলাস রচিত ''দ্য এর একটি অনুচ্ছেদ এবং দ্বিতীয়টি হল উইলিয়াম পেন রচিত ''মোর ফ্রুইটস অফ সলিটিউড'' এর একটি অনুচ্ছেদ। === পূর্ব প্রেক্ষাপট === ''হ্যারি পটার'' সিরিজের পূর্ববর্তী ছয়টি উপন্যাসে, প্রধান চরিত্র হ্যারি পটারকে কেন্দ্র করে কাহিনী গড়ে উঠে। হ্যারির বয়স যখন এক বছর, তখন সেই সময়ের সব্বচেয়ে ভয়ঙ্কর কালো জাদুকর লর্ড ভলডেমর্ট হ্যারির বাবা মাকে হত্যা করে। ভলডেমর্ট হ্যারিকেও হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু কোন এক রহস্যময় কারণে হ্যারি বেঁচে যায় এবং ভলডেমর্টের পতন ঘটে। এরপর থেকে সে তার মাগল খালা খালু পেতুনিয়া ভার্নন ডার্সলির সঙ্গে বসবাস করতে থাকে। এগার বছর বয়সে সে জাদুবিশ্বের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারে এবং হগওয়ার্টস স্কুলে ভর্তি হয়। সে রন উইজলি হারমায়োনি গ্রেঞ্জার এর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং ভলডেমর্টের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার পথে বাঁধা দেয়। পরের বছর কেউ একজন স্কুলে অবস্থিত ''চেম্বার অফ সিক্রেটস'' খুলে দেয় এবং একটি বাসিলিস্ক ছাত্রছাত্রীদের আক্রমণ করতে থাকে। হ্যারি বাসিলিস্কটিকে হত্যা করে এবং ভলডেমর্টের ফিরে আসার আরেকটি পথ বন্ধ করে দেয়। এর পরের বছর হ্যারি জানতে পারে, আজকাবান ভেঙ্গে পালানো বন্দী সিরিয়াস ব্ল্যাক হ্যারিকে হত্যার টার্গেট করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কিন্তু শেষে জানা যায়, সিরিয়াস ব্ল্যাক আসলে প্রকৃত অপরাধী নয়, বরং সে হ্যারির গডফাদার। হ্যারি তার চতুর্থ বর্ষে একটি বিপজ্জনক জাদুর প্রতিযোগিতা ট্রাইউইজার্ড টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। টুর্নামেন্টের শেষে, হ্যারি ভলডেমর্টের পুনরাগমন প্রত্যক্ষ করে। পরবর্তী বছরে, জাদু মন্ত্রনালয় ডলোরেস আমব্রিজকে হগওয়ার্টসের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্তকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়। এসময় হ্যারি তার বন্ধুদের নিয়ে আমব্রিজের বিরুদ্ধে একটি গোপন সংগঠন ডাম্বলডোর'স আর্মি গড়ে তোলে। বছরের শেষ দিকে, হ্যারি তার বন্ধুরা ডেথ ইটারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অল্পের জন্য জয়লাভ করে। হ্যারি তার ষষ্ঠ বর্ষে জানতে পারে যে, ভলডেমর্ট অমরত্ব লাভের জন্য তার আত্মাকে সাতটি টুকরা বা হরক্রাক্সে বিভক্ত করেছে। ভলডেমর্টকে হত্যা করতে চাইলে প্রথমে হরক্রাক্সগুলোকে ধ্বংস করতে হবে। বছরের শেষ দিকে সেভেরাস স্নেইপ প্রফেসর ডাম্বলডোরকে হত্যা করে। বইয়ের শেষে, হ্যারি পরবর্তী বছর হগওয়ার্টসে ফিরে না আসার সিদ্ধান্ত নেয় এবং হরক্রাক্সগুলোকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা করে। === মূল কাহিনী === ডাম্বলডোরের মৃত্যুর পর লর্ড ভলডেমর্ট ক্ষমতা দখলের সকল আয়োজন সম্পন্ন করে এবং জাদু মন্ত্রনালয় দখল করে। হ্যারি, রন হারমায়োনি ভোলডেমর্টের অবশিষ্ট তিনটি হরক্রাক্স খুঁজে বের করে ধ্বংস কারার জন্য হগওয়ার্টস স্কুলে ফিরে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের কাছে হরক্রাক্স বিষয়ক তেমন কোন তথ্য না থাকলেও, তারা ধারণা করে যে বাকী তিনটি হরক্রাক্স হচ্ছে হগওয়ার্টসের দুই প্রতিষ্ঠাতা হেলগা হাফলপাফ রোয়েনা র‌্যাভেনক্লর দুইটি বস্তু এবং ভোল্ডেমর্টের সাপ নাগিনী। হাফলপাফ র‌্যাভেনক্লর বস্তু দুইটির অবস্থান অজানা এবং সাপটি ভোল্ডেমর্ট তার কাছে সুরক্ষিত করে রেখেছে। হরক্রাক্স খোঁজা শুরু করার পর তারা ধীরে ধীরে ডাম্বলডোরের অতীত ইতিহাস এবং স্নেইপের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারে। হ্যারি, রন হারমায়োনি ভলডেমর্টের হরক্রাক্সগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম সালাজার স্লিদারিনের লকেট হরক্রাক্সটি জাদু মন্ত্রণালয় থেকে উদ্ধার করে। তারা গড্রিক গ্রিফিন্ডরের তলোয়ারটিও উদ্ধার করে। এই তলোয়ারটি স্বল্পসংখ্যক কয়েকটি বস্তুর মধ্যে অন্যতম যা হরক্রাক্স ধ্বংস করতে সক্ষম। তারপর তারা তলোয়ারটি দ্বারা লকেটটি ধ্বংস করে। তাদের এই যাত্রায় তারা একটি রহস্যময় প্রতীকের সাথে পরিচিত হয়। জেনোফিলিয়াস লাভগুড নামের একজন অদ্ভুত জাদুকর তাদের জানায় যে, এই প্রতীকটি আসলে '''ডেথলী হ্যালোস''' এর প্র্তীক। ডেথলী হ্যালোস বলতে তিনটি রহস্যময় বস্তুকে বোঝায়। এগুলো হল- দ্য রিসারেকশান স্টোন বা পুনর্জন্মী পাথর অর্থাৎ একটি পাথর যা মৃতকে জীবিত করতে পারে, দ্য এল্ডার ওয়ান্ড বা একটি অপরাজেয় জাদুদন্ড এবং দ্য ইনভিজিবিলিটি ক্লোক বা একটি প্রকৃত অদৃশ্য হওয়ার আলখাল্লা। হ্যারি জানতে পারে যে ভোল্ডেমর্ট এল্ডার ওয়ান্ডটি খুঁজছে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, হরক্রাক্সগুলো খুঁজে বের করা এল্ডার ওয়ান্ডটির চেয়েও জরুরি। তারা গ্রিংগটস জাদুর ব্যাংকে বেল্লাট্রিক্স লেস্ট্র্যাঞ্জ এর ভল্ট ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং হেলগা হাফলপাফের কাপ হরক্রাক্সটি উদ্ধার করে। এসময় হ্যারি জানতে পারে যে আরেকটি হরক্রাক্স হগওয়ার্টসে লুকানো আছে, এবং হ্যারি, রন হারমায়োনি হগওয়ার্টসে প্রবেশ করে। তারা সেখানে রোয়েনা র‌্যাভেনক্লর ডায়াডেম হরক্রাক্সটি খুঁজে পায় এবং উভয় হরক্রাক্স ধ্বংস করে। এই বইটি শেষ হয় '''ব্যাটল অফ হগওয়ার্টস''' বা হগওয়ার্টসের যুদ্ধ এর মাধ্যমে। হ্যারি, রন হারমায়োনি এবং অন্যান্য ছাত্রছাত্রী জাদুকর সম্প্রদায়ের সদস্যরা ভোল্ডেমর্টের উত্থানের বিরোধিতা করে এবং ভোল্ডেমর্ট, তার ডেথ ইটার অন্যান্য জাদুর প্রাণীদের হাত থেকে হগওয়ার্টসকে রক্ষা করে। বেশ কয়েকটি প্রধান চরিত্র যুদ্ধের প্রাথমিক ধাক্কায় নিহত হয়। হ্যারি আবিষ্কার করে যে, ভোল্ডেমর্ট যখন হ্যারিকে শিশু অবস্থায় আক্রমণ করেছিল, তখন ভোল্ডেমর্ট অনিচ্ছাকৃতভাবে হ্যারিকে একটি হরক্রাক্সে পরিণত করে এবং ভোল্ডেমর্টকে ধ্বংস করতে হলে হ্যারিকেও মারা যেতে হবে। হ্যারি ভোল্ডেমর্টের কাছে আত্মসমর্পন করে। ভোল্ডেমর্ট হ্যারির উপর কিলিং কার্স বা মৃত্যুশাপ ছুড়ে যা হ্যারিকে জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি একটি স্থানে প্রেরণ করে। সেখানে হ্যারির অ্যালবাস ডাম্বলডোর এর সাথে দেখা হয় এবং তিনি তার কাছে ব্যাখ্যা করে বলেন যে, যেহেতু ভোল্ডেমর্ট তার পুনর্জন্মের সময় হ্যারির রক্ত ব্যবহার করেছিল, তাই হ্যারি ভোল্ডেমর্টের যে কোন প্রকার ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষিত। এবং কিলিং কার্সের ফলে হ্যারির মধ্যে থাকা ভোল্ডেমর্টের হরক্রাক্সটি ধ্বংস হয়েছে কিন্তু হ্যারি ইচ্ছা করলে তার দেহে ফিরে যেতে পারবে। তখন, হ্যারি তার দেহে ফিরে আসে এবং যুদ্ধ পুনরায় শুরু হয়। এরপর নেভিল লংবটম নাগিনীকে হত্যার মাধ্যমে সর্বশেষ হরক্রাক্সটি ধ্বংস করলে, হ্যারি ভোল্ডেমর্টকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। === এপিলগ === এপিলগটিতে ভোল্ডেমর্টের মৃত্যুর উনিশ বছর পরের কিংস ক্রস স্টেশনের একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। হ্যারি জিনি তাদের দুই ছেলে জেমস সিভিয়াস অ্যালবাস সেভেরাসকে হগওয়ার্টসে পাঠাতে আসে। তাদের সাথে তাদের মেয়ে লিলি লুনাও ছিল। রন হারমায়োনিও তাদের মেয়ে রোজ ছেলে হুগোকে নিয়ে সেখানে আসে। == রাউলিং এর সংযোজনা == ''ডেথলি হ্যালোস'' বইয়ের প্রচ্ছদ ''ডেথলি হ্যালোস'' বইটি প্রকাশ হওয়ার পর রাউলিং বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, অনলাইন চ্যাট, এবং তার নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্যান্য চরিত্রসমূহের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন, যা তিনি বইটিতে সংযুক্ত করেননি। তিনি বলেন যে, হ্যারি জাদু মন্ত্রনালয় একজন অরর হিসেবে যোগ দেয় এবং পরবর্তীকালে ''অরর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়। সে সিরিয়াস ব্ল্যাকের মোটর সাইকেলটি তার কাছে সংরক্ষণ করে। কিন্তু, ভলডেমর্ট নিহত হবার পর থেকে সে পার্সেলটাং কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। জিনি উইজলি একসময় হোলিহেড হার্পিস কুইডিচ দলে খেলত, কিন্তু পরবর্তীকালে সে অবসরগ্রহণ করে এবং হ্যারিকে বিয়ে করে পরবর্তীকালে, সে ডেইলি প্রফেটের সিনিয়র কুইডিচ বিশ্লেষক হিসেবে যোগ দেয়। রন উইজলি কিছুদিনের জন্য তার ভাই জর্জের সাথে উইজলি'স উইজার্ড হুইজেসে কাজ করত, পরে সে হ্যারির সাথে অরর হিসেবে যোগ দেয়। হারমায়োনি তার বাবা মাকে অস্ট্রেলিয়ায় খুঁজে পায় এবং তাদের উপর থেকে মেমোরি চার্ম তুলে নেয়। প্রথমে সে মন্ত্রণালয়ের প্রাণিদের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ'' বিভাগে যোগ দেয় এবং হাউজ এলফদের জীবনযাপন নীতির বিশাল পরিবর্তন সাধন করে এবং তাদের অবস্থার উন্নয়ন করে। পরে সে ''জাদুর আইন প্রণয়ন'' বিভাগে যোগ দেয় এবং বিশুদ্ধ রক্তের প্রাধান্য সংবলিত আইনগুলোকে পরিবর্তন করে। এছাড়া হ্যারি, রন হারমায়োনির মধ্যে সেই একমাত্র যে হগওয়ার্টসে তাদের সপ্তম বর্ষে ফিরে এসেছিল। এরপর রাউলিং প্রকাশ করেন যে, ডাম্বলডোর একজন সমকামি ছিলেন এবং তরুণ বয়সে গেলার্ট এর সাথে তার সম্পর্ক ছিল। এরপর রাউলিং উইজলিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, জর্জ উইজলি রনের সাহায্যে উইজলি'স উইজার্ড হুইজেসকে সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। সে অ্যাঞ্জেলিনা জনসনকে বিয়ে করে এবং ফ্রেড রোক্সানা নামে তাদের দুই ছেলেমেয়ে হয়। এরপর তিনি বলেন, লুনা লাভগুড একজন পরিবেশবিদ হিসেবে কাজ শুরু করে এবং সহকর্মী রলফ স্ক্যামান্ডার কে বিয়ে করে। তাদের লরক্যান লিস্যান্ডার নামে দুই জমজ ছেলে হয়। রাউলিং আরো বলেন, ড্রেকো ম্যালফয় অ্যাস্টোরিয়া গ্রিনগ্রাসকে বিয়ে করে এবং তাদের স্করপিয়াস নামে এক ছেলে হয়। পার্সি উইজলি অড্রি নামের একজনকে বিয়ে করে এবং মলি লুসি নামে দুই মেয়ের বাবা হয়। ফিরেঞ্জ নিষিদ্ধ বনে অন্যান্য সেনট্যারদের কাছে ফিরে যায়। আমব্রিজ মাগল বংশজাতদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয় এবং তাকে আজকাবানে বন্দী করা হয়। চো চ্যাং একজন মাগলকে বিয়ে করে। নেভিল লংবটম হগওয়ার্টস এর হার্বোলজি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয় এবং হান্না অ্যাবটকে বিয়ে করে। বিল ফ্লেউর উইজলি ভিক্টয়ের, ডমিনিক লুইস নামে তিন ছেলেমেয়ের বাবা মা হয়। কিংসলে শ্যাকলবোল্ট পরবর্তী স্থায়ী জাদুমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।পার্সি উইজলি তার উচ্চপদস্থ সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকে। শ্যাকলবোল্ট আজকাবান থেকে ডিমেন্টরদের সরিয়ে নেন। হগওয়ার্টসে স্লিদারিন হাউজ তার পূর্ববর্তী পিউর ব্লাড ধারণা থেকে কিছুটা সরে আসে। এছাড়া ডিফেন্স অ্যাগেইনস্ট দ্য ডার্ক আর্টস বিষয়ের উপর প্রদত্ত ভলডেমর্টের অভিশাপ তার মৃত্যুর সাথে সাথে অকার্যকর হয়ে পড়ে। হ্যারি মাঝেমাঝে এই বিষয়ের উপর লেকচার দেওয়ার জন্য হগওয়ার্টসে আসত। এছাড়া হ্যারি হেডমাস্টারের অফিসেসেভেরাস স্নেইপ এর একটি পোর্ট্রেট স্থাপনের ব্যবস্থা করে এবং স্নেইপের প্রকৃত আনুগত্য জনসমক্ষে প্রকাশ করে। == অধ্যায়সমূহ == ''ডেথলি হ্যালোসে'' মোট ৩৬ টি অধ্যায় এবং একটি এপিলগ রয়েছে। এগুলো হল- ১। ডার্ক লর্ডের উত্থান ২। স্মৃতির পাতা থেকে ৩। ডার্সলিদের বিদায় ৪। সাত পটার ৫। যোদ্ধার পতন ৬। পায়জামায় পিশাচ ৭। অ্যালবাস ডাম্বলডোরের উইল ৮। বিয়ের অনুষ্ঠান ৯। লুকানোর জায়গা ১০। ক্রেচারের কাহিনী ১১। ঘুষ ১২। জাদুই শক্তি ১৩। মাগল বংশজাত নিবন্ধন কমিশন ১৪। চোর ১৫। গবলিনের প্রতিশোধ ১৬। গড্রিক'স হলো ১৭। বাথিল্ডার গোপনীয়তা ১৮। অ্যালবাস ডাম্বলডোরের জীবন মিথ্যাসমূহ ১৯। রূপালী হরিণ ২০। জেনোফিলিয়াস লাভগুড ২১। তিন ভাইয়ের কাহিনী ২২। ডেথলি হ্যালোস ২৩। ম্যালফয় প্রাসাদ ২৪। জাদুদন্ড প্রস্তুতকারী ২৫। শেল কটেজ ২৬। গ্রিনগটস ২৭। সর্বশেষ লুকানোর জায়গা ২৮। হারানো আয়না ২৯। হারানো মুকুট ৩০। সেভেরাস স্নেইপের সেকিং ৩১। হগওয়ার্টসের যুদ্ধ ৩২। এল্ডারের জাদুদন্ড ৩৩। প্রিন্সের কাহিনী ৩৪। আবারো বন ৩৫। কিংস ক্রস ৩৬। পরিকল্পনার ভুল এপিলগ- উনিশ বছর পরে == ইতিহাস == === নামকরণ === বইটির নাম প্রকাশের কিছুকাল পূর্বে জে কে রাউলিং ঘোষণা করেন যে তিনি তার বইয়ের জন্য তিনটি নাম বিবেচনা করছেন। চূড়ান্ত নাম ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলী হ্যালোস'' ২১ ডিসেম্বর রাউলিংয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।পরবর্তীকালে একটি লাইভ চ্যাটে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাউলিং বলেন, অন্য যে দুইটি নাম তিনি বিবেচনা করেছিলেন সেগুলো হল ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য এল্ডার ওয়ান্ড'' এবং ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য পিভারেল কোয়েস্ট''। == রূপায়ন == === চলচ্চিত্র === ''প্রধান নিবন্ধঃ হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস (চলচ্চিত্র)'' ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস'' এর উপর একটি দুই পর্বের চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। এর পরিচালক হিসেবে থাকছেন আগের দুটি চলচ্চিত্র ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য হাফ-ব্লাড প্রিন্স'' ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অফ দ্য ফিনিক্স'' এর পরিচালক ডেভিড ইয়েটস। প্রথম পর্বটি মুক্তি পাবে ১৯ নভেম্বর ২০১০ এবং দ্বিতীয় পর্বটি মুক্তি পাবে ১৫ জুলাই ২০১১। ২০১০ সালের জুন মাসে এর চিত্রায়ণ শেষ হবে। === ভিডিও গেমস === ইলেকট্রনিক আর্টস ''হ্যারি পটার'' সিরিজের অন্যান্য বইগুলোর মত ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস'' বই চলচ্চিত্রের কাহিনীর অবলম্বনে ভিডিও গেমস তৈরি করবে; যা চলচ্চিত্রটির সাথে ২০১০ সালে মুক্তি পাবে। == অনুবাদ == মূল নিবন্ধঃ অনুবাদে হ্যারি পটার বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী পাঠকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ায় ''হ্যারি পটার'' সিরিজের অন্য বইগুলোর মত ''ডেথলি হ্যালোসও'' বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটির সর্বপ্রথম অনুবাদ ইউক্রেনীয় ভাষাতে ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। (ইউক্রেনীয় ভাষায়ঃ ''Гаррі Поттер смертельні реліквії'') বইটি সুয়েডীয় ভাষায় ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য রেলিক্স অফ ডেথ'' (''Harry Potter och নামে অনূ্দিত হয়। ফরাসি ভাষাতেও একই নামে বইটি প্রকাশিত হয়। (''Harry Potter et les reliques de la mort''). ২০০৮ সালের ২৬ জানুয়ারি বইটি পোলিশ ভাষায় ভিন্ন আরেকটি নাম ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ইনসাইনিয়া অফ ডেথ'' (''Harry Potter Insygnia Śmierci'') নামে প্রকাশিত হয়। বইটির হিন্দি ভাষার সংস্করণ ''হ্যারি পটার অর মওত কে তোহফে'' () বা ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গিফটস অফ ডেথ'' নামে ২০০৮ সালের ২৭ জুন প্রকাশিত হয়। মঞ্জুল পাবলিকেশন বইটি প্রকাশ করে। === বাংলা ভাষায় অনুবাদ === অঙ্কুর প্রকাশনী ''হ্যারি পটার'' সিরিজের বইগুলোকে বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় প্রকাশ করেছে। এই ধারাবাহিকতায় সিরিজের অন্যান্য বইগুলোর মত সপ্তম সর্বশেষ বই ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস'' এর বাংলা সংস্করণ ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অঙ্কুর সর্বপ্রথম বাংলাদেশে প্রকাশ করে। মহসীন হাবিব বইটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন। বইটির টাইটেল হিসেবে এর মূল ইংরেজি নাম ''হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস'' অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বইটিতে মোট ৬৫৬ পৃষ্ঠা রয়েছে। == আরো দেখুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Harry Potter at Bloomsbury.com web site U.K. publisher book information Harry Potter at Scholastic.com web site U.S. publisher book information Harry Potter at Raincoast.com web site Canadian publisher book information Harry Potter at Allen Unwin web site Australia-New Zealand publisher book information দশকের ফ্যান্টাসি উপন্যাস উপন্যাস উপন্যাস কর্পোরেশন বই প্রকাশনা বই পটার বই'''৩০ নং তমলুক (লোকসভা কেন্দ্র)''' ভারতের ৫৪৩টি সংসদীয় কেন্দ্রের অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি নিয়ে এই লোকসভা কেন্দ্রটি গঠিত হয়েছে। উক্ত জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রই এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ==বিধানসভা কেন্দ্র== সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের অধ্যাদেশ অনুযায়ী ২০০৬ সালে নিম্নলিখিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি নিয়ে ৩০ নং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রটি পুনর্গঠিত হয়: তমলুক (২০৩ নং বিধানসভা কেন্দ্র) পাঁশকুড়া পূর্ব (২০৪ নং বিধানসভা কেন্দ্র) ময়না (২০৬ নং বিধানসভা কেন্দ্র) নন্দকুমার (২০৭ নং বিধানসভা কেন্দ্র) মহিষাদল (২০৮ নং বিধানসভা কেন্দ্র) হলদিয়া (তফসিলি জাতি) (২০৯ নং বিধানসভা কেন্দ্র) নন্দীগ্রাম (২১০ নং বিধানসভা কেন্দ্র) সীমানা পুনর্নির্ধারণের পূর্বে নিম্নলিখিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল: পাঁশকুড়া পূর্ব (২০১ নং বিধানসভা কেন্দ্র), তমলুক (২০২ নং বিধানসভা কেন্দ্র), ময়না (২০৩ নং বিধানসভা কেন্দ্র), মহিষাদল (২০৪ নং বিধানসভা কেন্দ্র), সূতাহাটা (তফসিলি জাতি) (২০৫ নং বিধানসভা কেন্দ্র), নন্দীগ্রাম (২০৬ নং বিধানসভা কেন্দ্র) নরঘাট (২০৭ নং বিধানসভা কেন্দ্র)। ==সাংসদ== লোকসভা মেয়াদ লোকসভা কেন্দ্র সাংসদের নাম রাজনৈতিক দল প্রথম ১৯৫২-৫৭ তমলুক সতীশচন্দ্র সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দ্বিতীয় সতীশচন্দ্র সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস তৃতীয় সতীশচন্দ্র সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস চতুর্থ সতীশচন্দ্র সামন্ত বাংলা কংগ্রেস পঞ্চম সতীশচন্দ্র সামন্ত বাংলা কংগ্রেস ষষ্ঠ সুশীলকুমার ধাড়া ভারতীয় লোক দল সপ্তম সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অষ্টম সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নবম সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দশম সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) একাদশ জয়ন্ত ভট্টাচার্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দ্বাদশ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) চতুর্দশ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) চতুর্দশ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) পঞ্চদশ শুভেন্দু অধিকারী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ষোড়শ শুভেন্দু অধিকারী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচন দিব‍্যেন্দু অধিকারী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ==নির্বাচনী ফলাফল== === ২০১৬ উপনির্বাচন=== ===২০১৪ সাধারণ নির্বাচন=== ===২০০৯=== ২০০৯ সালের পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলিতে এই লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিচে উদ্ধৃত হল: বছর বিজয়ী দ্বিতীয় স্থানাধিকারী প্রার্থী দল প্রার্থী দল ১৯৫১ সতীশচন্দ্র সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ত্রিপতি ঋষিকেশ কেএমপিপি ১৯৫৭ সতীশচন্দ্র সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গোবিন্দচন্দ্র ভৌমিক সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক ১৯৬২ সতীশচন্দ্র সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গোবিন্দচন্দ্র ভৌমিক সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক ১৯৬৭ সতীশচন্দ্র সামন্ত বাংলা কংগ্রেস জি. ভৌমিক ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৭১ সতীশচন্দ্র সামন্ত বাংলা কংগ্রেস অরুণা আসফ আলি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ১৯৭৭ সুশীল কুমার ধাড়া ভারতীয় লোকদল সতীশচন্দ্র সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৮০ সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) শ্যামদাস ভট্টাচার্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আই) ১৯৮৪ সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) শরদিন্দু সামন্ত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৮৯ সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) জয়ন্ত ভট্টাচার্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৯১ সত্যগোপাল মিশ্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) জয়ন্ত ভট্টাচার্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৯৬ জয়ন্ত ভট্টাচার্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ১৯৯৮ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ১৯৯৯ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ২০০৪ লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) শুভেন্দু অধিকারী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস == পঞ্চদশ লোকসভা == == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == লোকসভা কেন্দ্রগুলির তালিকা লোকসভা কেন্দ্রবিশ্বের মানচিত্রে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল যেসব দেশে মুসলিমরা বাস করেন তাদের একত্রে '''মুসলিম বিশ্ব''' বলে। মুসলিমদের সমগ্র মনন, অবস্থান অস্তিত্ব জনিত পরিস্থিতিকে মুসলিম জাহান বলা হয়। ২০১৭ সালে, বিশ্বের জনসংখ্যার ১.৮ বিলিয়নের বেশি বা প্রায় ২৪.১% মুসলমান ছিল। এর মধ্যে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় ৬২%, আফ্রিকায় %, সাব-সাহারান আফ্রিকায় ১৫%, ইউরোপে প্রায় ৩% এবং আমেরিকায় ০.৩%। == ইতিহাস == ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু হয় ৬১২ সালে। ৬২২সালে মদীনায় প্রথম মুসলিম অধ্যুশিত রাজ্য তৈরি হয়। ৬৩২ সালের মধ্যে মুহাম্মাদ(সঃ) আরবের অধিকাংশ অধিকারে আনেন।এরপর রশিদীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা হয়। এই সময় অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা যায়। এরপ্র উমাইয়া বংশের শাসন শুরু হয়। তার পর আব্বাসীয় বংশ আসে। এরমধ্যে ইসলাম স্পেন থেকে চীন সীমান্ত অব্ধি ছড়িয়ে যায়। এরপর আফগান শাসকরা ভারত আক্রমণ করেন পরে উপমহাদেশেও মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর তুর্কিশক্তির উত্থান হয়। ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ বাধে। স্পেনে পুনরায় খ্রিষ্টীয় শাসন হয়। এরমধ্যে উসমানীয় তুর্কিদের হাতে পুর্ব রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়। তারপর বেশিরভাগ মুসলিম রাষ্ট্রই সাম্রাজ্যবাদের কবলে পড়ে। == বর্তমান পরিস্থিতি == মুসলিম প্রধান দেশসমূহে ধর্মীয় অবস্থা। == তালিকা == মুসলিম অধ্যষিত দেশগুলির এক তালিকা দেওয়া হল। ক্রম দেশ জনসংখ্যা মুসলিম প্রধান শাখা ধর্ম এবং দেশ সরকারের ধরন সামরিক অধিকার (সক্রিয় সৈন্য) জিডিপি (পিপিপি) প্রতি মাথাপিছু (ইউএস$) 123 123 123 123 ২২৯,৯৬৫,০০০ ৮৬.১% সুন্নি অজানা রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৩১৬,০০০ ৪,১৪৬.৩৮ ১৭২,৮০০,০০০ ৯৭% সুন্নি ইসলামী প্রজাতন্ত্র অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৫২৮,০০০ ২,৫৯২ ১৬২,২২১,০০০ ৮৯% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম নামে গণতন্ত্র ১২০,০০০ ১,৩৭৮ ১৫৪,২৭৯,০০০ ৫০% সুন্নি None রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৭৮,৫০০ ২,০৩৫ ৭৭,১০০,০০০ ৯০% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৪৫০,০০০ ৫,৪৯১ ৭১,৫১৭,১০০ ৯৯.৮% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ সংসদীয় গণতন্ত্র ৫১৪,৮৫০ ১২,৮৮৮ ৭০,৪৯৫,৭৮২ ৯৮% শিয়া ইসলামী প্রজাতন্ত্র অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র এবং ধর্মীয় শাসন ৫৪৫,০০০ ১০,৬২৪ ৩৯,৩৭৯,৩৫৮ ৭০% সুন্নি None স্বৈরতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ১০৪,৫০০ ২,১৭২ ৩৩,৭৬৯,৬৬৯ ৯৯% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ১২৭,৫০০ ৬,৫৩৮ ১০ ৩২,৭৩৮,৩৭৬ ৯৯% সুন্নি ইসলামী প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৭০,০০০ ৭২৪ ১১ ৩৩,৭২৩,৪১৮ ৯৯% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ১৯৬,৩০০ ৪,০৭৬ ১২ ২৮,২২১,১৮১ ৯৭% Shi'a রাষ্ট্র ধর্ম সংসদীয় গণতন্ত্র ২৫৪,৪১৮ ৩,৬০০ ১৩ ২৭,৭৩০,০০০ ৬০.৪% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম সংসদীয় গণতন্ত্র and নির্বাচিত রাজতন্ত্র ১১০,০০০ ১৩,৩১৫ ১৪ ২৭,৬০১,০৩৮ ১০০% সুন্নি ইসলামী প্রজাতন্ত্র রাজতন্ত্র ১৯৯,৫০০ ২৩,২৪৩ ১৫ ২৭,৩৭২,০০০ ৮৮% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৫৩,০০০ ২,৩৪৪ ১৬ ২৩,০১৩,৩৭৬ ৯৯% সুন্নি/শিয়া ইসলামী প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৬৫,০০০ ২,৩৩৫ ১৭ ১৯,৪০৫,০০০ ৯০% সুন্নি None স্বৈরতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ২৯৬,০০০ ৪,৪৪৮ ১৮ ১৫,২১৭,৭১১ ৫৭% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৬৫,৮০০ ১১,০৮৬ ১৯ ১৩,২৭২,৬৭৯ ৯০% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ সংসদীয় গণতন্ত্র ৫,৩০০ ৬৬৬ ২০ ১৩,২২৮,০০০ ৫০% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৬,০০০ ১,২৫৩ ২১ ১১,৯৯৫,৪০২ ৯০% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৭,৩৫০ ১,০৩১ ২২ ১১,৬৫৮,০০০ ৯৪% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৯,৪০০ ১,৬৮৫ ২৩ ১০,৩৮৩,৫৭৭ ৯৮% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৩৫,০০০ ৭,৪৭৩ ২৪ ১০,২১১,৪৩৭ ৮৫% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ সামরিক শাসন ৯,৭০০ ১,০৭৪ ২৫ ৯,৫৫৮,৬৬৬ ৯৯.৯% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম Coalition government ১০,০০০ ৬০০ ২৬ ৮,৬৭৬,০০০ ৯৩.৪% শিয়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৯৫,০০০ ৭,৬৫৬ ২৭ ৭,২১৫,৭০০ ৯৭% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৬,০০০ ১,৮৪১ ২৮ ৬,২৯৪,৭৭৪ ৬০% সুন্নি None রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ১৩,০০০ ৬৯২ ২৯ ৬,১৭৩,৫৭৯ ৯৭% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম Jamahiriya Revolution ৭৬,০০০ ১২,২৭৭ ৩০ ৫,৫৬৮,৫৬৫ ৯৫% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ১০০,৭০০ ৪,৮৮৬ ৩১ ৫,৪৩২,৭৪৬ ৭৬% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ৫০,৫০০ ৩৭,২৯৩ ৩২ ৫,৩৫৬,৮৬৯ ৭৫% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ১২,৫০০ ৩৩ ৫,১১০,০২৩ ৮৯% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ Parliamentary republic ২৬,০০০ ৫,১৫৪ ৩৪ ৫,০৪১,৬৯০ ৫৪% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র ৩০,৩৫০ ১,৬৭৫ ৩৫ ৪,১৯৬,৪৫৩ ৬০% সুন্নি/শিয়া None সংসদীয় গণতন্ত্র ৭২,১০০ ১১,২৭০ ৩৬ ৩,৩৯৯,৬৩৭ ৮৫% সুন্নি রাষ্ট্র ধর্ম সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ১৫,৫০০ ৩৯,৩০৫ ৩৭ ৩,১৭০,০৪৮ ৭৯.৯% সুন্নি অজানা Parliamentary republic ৯,৫০০ ৬,৮৯৭ ৩৮ ৩,১২৪,০০০ ৯৯.৯৯% সুন্নি ইসলামী প্রজাতন্ত্র সামরিক শাসন ১৫,৭৫০ ২,০০৮ ৩৯ ২,৫৭৭,০০০ ৯৩% ইবাদী রাষ্ট্র ধর্ম রাজতন্ত্র ৪১,৭০০ ৩,৯৬৭ ৪০ ২,১০০,০০০ 90% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ Parliamentary republic ১,৮০০ ৪১ ১,৭০০,০০০ ৯০% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় প্রজাতন্ত্র 800 ১,৩২৬ ৪২ ১,০৪৬,৮১৪ ৮১% শিয়া রাষ্ট্র ধর্ম সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ১১,২০০ ৩২,৬০৪ ৪৩ ৭৯৮,০০০ ৯৮% সুন্নি দেশ ধর্ম Federal republic ১,১২৫ ৪৪ ৭৪৪,০২৯ ৭৭.৫% সুন্নি দেশ ধর্ম রাজতন্ত্র ১২,৪০০ ৮০,৮৭০ ৪৫ ৪৯৬,৩৭৪ ৯৪% সুন্নি ধর্মনিরপেক্ষ অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ৯,৮৫০ ২,২৭১ ৪৬ ৩৮১,৩৭১ ৬৭% সুন্নি দেশ ধর্ম রাজতন্ত্র ৭,০০০ ৫১,০০৫ ৪৭ ৩৫০,০০০ ১০০% সুন্নি দেশ ধর্ম অর্ধ-রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্র ১,০০০ ৪,৬০৪ == তথ্যসূত্র =='''মিস্টার বিন''' (ইংরেজি: Mr. Bean) একটি ব্রিটিশ ১৪টি পর্ব বৈশিষ্ট্য হাস্যরস টেলিভিশন ধারাবাহিক নাটক। এতে রোয়ান অ্যাটকিনসন প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। রোয়ান অ্যাটকিনসন, তার দুই জন সহকর্মী রবিন দ্রিসকল এবং রিচার্ড কুরটিসের সাথে একে তৈরি করেন। এর একটি পর্ব বেন এলটনও লিখেছেন। এটি প্রথম সম্প্রচার করা হয়, ১লা জানুয়ারি ১৯৯০ সালের আইটিভি-তে এবং এর শেষ পর্ব সম্প্রচার করা হয়, ১৫ই নভেম্বর ১৯৯৫ সালে যার শিরোনাম ছিল "হেয়ার বাই মিস্টার বিন অফ লন্ডন"। গোলাপ ড'ওর সহ, অনেক সংখ্যক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পায়। বিশ্বের ২০০টি দেশে অনুষ্ঠান বিক্রি করা হয়েছে, এবং দুইটি ফিল্ম এবং একটি অ্যানিমেটেড ব্যঙ্গচিত্র স্পিন-অফ তৈরিতে অনুপ্রাণিত করেছে। == পুরস্কার == প্রথম পর্ব গোল্ডেন রৌজ পুরস্কার জিতে, পরে ১৯৯১ সালে আরোও দুইটি গুরুত্বপূ্র্ণ পুরস্কার জিতে মন্টেরোতে গোলাপ ড'ওর আলো বিনোদন উৎসবে। যুক্তরাজ্যে, "মিস্টার বিনের অভিশাপ" পর্বে BAFTA পূরস্কারের একটি সংখ্যকের জন্য মনোনয়ন করা হয়েছিল; ১৯৯১ সালে "সর্বোত্তম আলো বিনোদন অনুষ্ঠান", ১৯৯২ সালে "সর্বোত্তম কৌতুক" (অনুষ্ঠান অথবা ধারাবাহিক পর্ব), এবং অ্যাটলিনসন তিন বার মনোনয়ন করা হয়েছিল "সর্বোত্তম আলো বিনোদন কার্যকারিতা" এর জন্য ১৯৯১, ১৯৯২ এবং ১৯৯৪ সালে। "মিস্টার বিন" নরওয়েজিয় কৌতুক পূরস্কারও জয় করেছিল "Tidleg Sædavgang "। == ভিডিও মুক্তি পেয়েছে == যুক্তরাজ্যে (অঞ্চল ২), মিস্টার বিনের পর্বগুলো ২০০৪ সালে ইউনিভার্সাল পিকচার্স ইউকে থেকে একটি বার্ষিক ভিত্তিকের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দুই বৈশিষ্ট্য ছবিসহ, সব কয়টি পর্ব এখন পাওয়া যাচ্ছে এবং অন্যান্য অতিরিক্ত কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (অঞ্চল ১), মিস্টার বিনের পর্বগুলো ২০০৩ সালে এ&ই হোম ভিডিও মধ্যেমে সব কয়টি পর্ব পাওয়া যাচ্ছে "দ্য হোল বিন" নামে। তার জনপ্রিয়তা বিশ্বজোড়া। === ডিভিডি মুক্তি পেয়েছে === ডিভিডির নাম পর্ব মুক্তির তারিখ নোট মিস্টার বিন: দ্য হোল বিন ১৪ (বিশেষ পর্ব) ২৯ এপ্রিল, ২০০৩ অঞ্চল ২। ১৪টি পর্ব, দুইটি কমিক রিলীফ স্কেচ্ এবং দুইটি পরিচালকের কেটে ফেলা স্কেচ্। '''ভলিউম''' ডিভিডির নাম পর্ব মুক্তির তারিখ নোট মিস্টার বিন ভলিউম ১লা নভেম্বর ২০০৪ পর্ব মিস্টার বিন ভলিউম ৩১শে অক্টোবর ২০০৫ পর্ব মিস্টার বিন ভলিউম ১৩ই নভেম্বর ২০০৬ পর্ব মিস্টার বিন ভলিউম ১৯শে মার্চ ২০০৭ পর্ব মিস্টার বিন ভলিউম ১২ই নভেম্বর ২০০৭ পর্ব মিস্টার বিন সংগ্রহ ১৪ ১২ই নভেম্বর ২০০৭ ১৪টি সম্পূর্ণ টিভি পর্ব মিস্টার বিন বড়োদিনের উৎসবের সংগ্রহ ১৪ (চলচ্চিত্র) ১২ই নভেম্বর ২০০৭ ১৪টি সম্পূর্ণ টিভি পর্ব, ''মিস্টার বিন'স হলিডেই'' এবং ''বিন দ্য আলটিমাট ডিজাসটার মুভি'' মিস্টার বিন সম্পূর্ণ সংগ্রহ ১৪ ২৬ (ব্যঙ্গচিত্র) (চলচ্চিত্র) ১২ই নভেম্বর ২০০৭ ১৪টি সম্পূর্ণ টিভি পর্ব, ''মিস্টার বিন'' অ্যানিমেটেড টিভি ধারাবাহিক ২৬টি পর্ব, ''মিস্টার বিন'স হলিডেই'' এবং ''বিন দ্য আলটিমাট ডিজাসটার মুভি'' মিস্টার বিন চরম সংগ্রহ ১৪ (ব্যঙ্গচিত্র) (চলচ্চিত্র) পরিচালকের কেটে ফেলে স্কেচ্। ১৬ই ডিসেম্বর ২০০৮ ১৪টি সম্পূর্ণ টিভি পর্ব,''মিস্টার বিন'' অ্যানিমেটেড টিভি ধারাবাহিক ৯টি পর্ব, ''মিস্টার বিন'স হলিডেই'' এবং ''বিন দ্য আলটিমাট ডিজাসটার মুভি এবং পরিচালকের কেটে ফেলে স্কেচ্'' মিস্টার বিন ভলিউম ১৭ই নভেম্বর ২০০৮ পর্ব মিস্টার বিন ভলিউম ১৭ই নভেম্বর ২০০৮ পর্ব মিস্টার বিন ভলিউম ১৭ই নভেম্বর ২০০৮ পর্ব মিস্টার বিন সর্বোত্তম বিট ১৭ই নভেম্বর ২০০৮ প্রধান বৈশিষ্ট্য '''মিস্টার বিনের সর্বোত্তম''' ডিভিডির নাম পর্ব মুক্তির তারিখ নোট দ্য বেষ্ট অফ মিস্টার বিন ২৩শে নভেম্বর ১৯৯৯ এনবিসি ইউনিভার্সাল দ্য বেষ্ট অফ মিস্টার বিন ২৯শে আগষ্ট ২০০৬ এ&ই হোম ভিডিও === ভিএইচএস ফরম্যাট === ভিএইচএস এর নাম পর্ব দ্য আমেইজিং আডভেনচারস অফ মিস্টার বিন দ্য ইকসাইটিং এসকাপেইডস অফ মিস্টার বিন দ্য টেরাবল টেইলস অফ মিস্টার বিন দ্য মেরি মিসহ্যাপস অফ মিস্টার বিন দ্য পেরিলোয়াস প্রুসুউটস অফ মিস্টার বিন আনসীন বিন দ্য ফইনাল ফ্রলিকস অফ মিস্টার বিন দ্য বেষ্ট বিটস অফ মিস্টার বিন পর্ব ক্লিপ দ্য কমপ্লীট মিস্টার বিন (ভলিউম ১) দ্য কমপ্লীট মিস্টার বিন (ভলিউম ২) মেরি ক্রিসমাস মিস্টার বিন == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Official ''Mr. Bean'' website বিন টেলিভিশন ধারাবাহিক'''ওহাইও নদী চিংড়ি''' বা '''ওহাইয়ো চিংড়ি''' () (বৈজ্ঞানিক নাম: হচ্ছে স্বাদু পানিতে প্রাপ্ত একপ্রকার সামুদ্রিক চিংড়ি। মেক্সিকো উপসাগর আটলান্টিক মহাসাগর সংলগ্ন ড্রেইনেজ বেসিনগুলো জুড়ে এই চিংড়ি পাওয়া যায়। সচরাচর মাছ ধরার জন্য (বিশেষ করে মাগুর মাছ) টোপ হিসেবে এই চিংড়ি ব্যবহৃত হয়। উত্তর আমেরিকায় প্রাপ্ত স্বাদু পানির চিংড়ির মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। == বিবরণ == ওহাইও চিংড়ির গায়ের রং হালকা ধূসর এবং ওপরে ছোট ছোট নীল দাগ থাকে। এটি দৈর্ঘ্যে পর্যন্ত লম্বা হয়। এর প্রথম জোড়ার পাগুলো বাঁকানো, এবং দ্বিতীয় জোড়া পা প্রথম জোড়া থেকে বড়। এর রোস্ট্রাম ঢেউ আকৃতি, এবং এতে দাঁতের পরিমাণ ১৩। == বিস্তৃতি == এই প্রজাতিটি সম্ভবত নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে ফ্লোরিডার দিকে উত্তর আমেরিকার আটলান্টিক উপকূল জুড়ে পাওয়া যায়। এছাড়াও মিজুরি থেকে লুইজিয়ানা হয়ে আরো পশ্চিমেও এর বিস্তৃতি থাকতে পারে। প্রচলিত নামানুসারে ওহাইও নদী চিংড়ি সাধারণত ওহাইও নদীতে পাওয়া যায় না। ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত ওহাইও নদীতে এর উপস্থিতি ছিলো, এবং তার নমুনা ইন্ডিয়ানার কানেলটনে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে এর বিস্তৃতি মিসিসিপি নদী থেকে মিজুরির সেইন্ট লুইস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বাঁধ, পানির আন্তবেসিন পরিবর্তন, এবং অন্যান্য মানবসৃষ্ট কারণে এই অঞ্চল থেকে প্রজাতিটির সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়। প্রায় ৫০ বছর পর, ২০০১ সালের মে মাসে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের জোপা নামক স্থান থেকে এর দুটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এটি নির্দেশ করছে যে, প্রজাতিটি তার প্রাক্তন আবাসে ফিরে আসছে, অথবা নমুনা নেবার পদ্ধতিটি খুব একটা কার্যকর নয়। == প্রজনন == অন্যান্য প্রজাতির মতোই, ওহাইও চিংড়ি শুককীটকে অবশ্যই সমুদ্রের লোনা পানিতে বাস করতে হয়, এবং বড় হবার পর তাকে স্বাদুপানিতে চলে যেতে হয়। এটি হয় নদীতে স্রোতের স্বাধীন গতিবেগের দ্বারা। এই পানি প্রযোজ্য বয়সে তাদেরকে বসবাসের উপযুক্ত স্থানে স্থানান্তরিত হতে সহায়তা করে। স্ত্রী চিংড়ি ডিম বহন করে নদী থেকে সমুদের দিকে যাত্রা করে, যেনো শুককীট প্রদানের সময় তা সমুদ্রে অবস্থান করে। এজন্য স্ত্রী চিংড়িও নদীর পানির গতিবেগের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ২০০৮ সালে ইউনিভার্সিটি অফ লুইজিয়ানা অ্যাট লাফায়েতের পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, শুককীট স্বাদুপানিতে পাঁচ দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। গবেষকরা এও বলেছেন যে, বাঁধ অন্যান্য মানবসৃষ্ট বাঁধের কারণে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ স্রোতের দিক ব্যাহত হয়, যে কারণে ওহাইও নদীতে এই চিংড়ির দুষ্প্রাপ্য উপস্থিতির প্রাথমিক কারণ। == তথ্যসূত্র =='''আনোয়ার হোসেন''' নামটি দিয়ে বোঝানো হতে পারে আনোয়ার হোসেন (আলোকচিত্রী), বাংলাদেশী আনোয়ার হোসেন (অভিনেতা), বাংলাদেশী অভিনেতা। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ আনোয়ার হোসেন (বীর উত্তম), মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত। মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, (বীর উত্তম), মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত। আনোয়ার হোসেন (বীর প্রতীক), মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত। আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সাম্যবাদী শহীদ বিপ্লবী। আনোয়ার হোসেন মনির, বাংলাদেশী ক্রিকেটার। *আনোয়ার হোসেন (জেনারেল) সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। *আনোয়ার হোসেন খান বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ। লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত। *আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী মুক্তিযোদ্ধা। বীর প্রতীক। *আনোয়ার হোসেন (ক্রিকেটার) বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ২০০২ টেস্ট ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।'''ইউটু''' ডাবলিন, আয়ারল্যান্ডের একটি রক ব্যান্ড। ইউটুর সদস্যরা হলেন বোনো (ভোকালএবং গিটার্‌ দ্য এজ (গিটার, কি-বোর্ড এবং ভোকাল), এডাম ক্লেটন (বেজ গিটার) এবং ল্যারি মুলেন জুনিয়র (ড্রামস এবং পারকাশন) ব্যান্ডটি ১৯৭৬ সালে মাউন্ট টেম্পল সেকন্ডারি স্কুলে গঠিত হয় এবং সদস্যেরা সবাই সে সময়ে ছিলেন নিতান্তই সঙ্গীতে আগ্রহী কয়েকজন কিশোর। চার বছরের মধ্যে তারা আইল্যান্ড রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং তাদের প্রথম অ্যালবাম ''বয়'' মুক্তি পায়। ১৯৮০র দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই তারা আন্তর্জাতিক পরিচিতি লাভ করেন। তবে তারা রেকর্ড বিক্রির চেয়ে লাইভ পার্ফর্মেন্সের কারণেই অধিকতর জনপ্রিয় ছিলেন। অবস্থার পরিবর্তন ঘটে ১৯৮৭ সালে, যখন তাদের অ্যালবাম ''দ্য জশুয়া ট্রি'' মুক্তি পায়, যা ''রোলিং স্টোন'' পত্রিকার মতানুযায়ী ব্যান্ডটিকে ''হিরো থেকে সুপারস্টারে'' পরিণত করে। তাদের ১৯৯১ সালের অ্যালবাম ''আখটুং বেইবি'' এবং পাশাপাশি জু টিভি ট্যুর ছিল ব্যান্ডটির জন্যে সঙ্গীত ভাবধারার পুনরাবিষ্কারের। ব্যান্ডিটির সদস্যদের নিজেদের অনুভূত হওয়া সাঙ্গীতিক নিশ্চলতা এবং ১৯৮০র শেষ দিকের বিরূপ সমালোচনার জবাব দিতে ইউটু তাদের সুর পরিবেশনায় ড্যান্স মিউজিক এবং অল্টারনেটিভ রক এর সন্নিবেশ ঘটায়, যার মাধ্যমে তারা তাদের পূর্ববর্তী শ্লেষ আত্মবিষাদপূর্ণ ভাবভঙ্গিমায় প্রভূত পরিবর্তন সাধন করেন। ১৯৯০ এর দশকে তাদের নিজেদের নিয়ে নানান চলে। ২০০০ সালে থেকে ইউটু অনেকখানি প্রচলিত ধারার সঙ্গীতে মনোনিবেশ করে, যা তাদের পূর্বকার সাঙ্গীতিক অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি। ইউটু এখন পর্যন্ত ১২ টি স্টুডিও অ্যালবাম মুক্তি দিয়েছে এবং তারা জনপ্রিয় সঙ্গীতের ধারায় সর্বাধিক বিক্রিত এবং আলোচিত ব্যান্ডদের মধ্যে অন্যতম। তারা পর্যন্ত ২২ টি গ্রামি অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে, যা অন্য যেকোন ব্যান্ডের তুলনায় অধিক এবং তাদের ১৫ কোটিরও অধিক রেকর্ড বিক্রিত হয়েছে। ২০০৫ সালে ব্যান্ডটি রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেমে স্থান করে নেয়। ''রোলিং স্টোন'' ম্যাগাজিন ইউটু কে ''সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ শিল্পীর তালিকা''য় ২২ নম্বরে স্থান দেয়। তাদের ক্যারিয়ার জুড়ে বিভিন্ন সময়ে ইউটুর সদস্যরা ব্যান্ড ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন মানবিক অধিকার মানবসেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ওয়ান/তথ্য কর্মসূচি, প্রোডাক্ট রেড এবং দ্য এজের মিউজিক রাইজিং কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == U2 Official Website সালের সঙ্গীত দল সালের সঙ্গীত দল সালের সঙ্গীত দল সালের সঙ্গীত দল সালের সঙ্গীত দল অল্টারনেটিভ রক দল রক মিউজিক দল পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার বিজয়ী সঙ্গীতশিল্পী'''জাপান জাতীয় ফুটবল দল''' আন্তর্জাতিক ফুটবলে জাপানের প্রতিনিধিত্ব করে। দলটি নিয়ন্ত্রণ করে জাপানি ফুটবল সংস্থা জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। জাপানি এর সমর্থকদের গণমাধ্যমের কাছে জাপানি ফুটবল দল ''সকার নিপ্পন দাইহিয়ো'' নামে পরিচিত। এর অর্থ হচ্ছে ''জাপানের ফুটবল প্রতিনিধি''। এটিকে সংক্ষেপে ''নিপ্পন দাইহিয়ো'' বা ''জাপানের প্রতিনিধি'' নামেও ডাকা হয়। যদিও দলটির কোনো আনুষ্ঠানিক বা স্বীকৃত কোনো ডাকনাম নেই, তাই প্রায় সময়ই এটি কোচের দল হিসেবে কোচের নামানুসারেই পরিচিত পায়। উদাহরণস্বরূপ, কোচ ইভিকা ওসিম যখন দায়িত্বে ছিলেন, তখন দলটিকে ডাকা হতো ''ওসিম জাপান'' নামে। সাম্প্রতিককালে দলটিকে ''সামুরাই ব্লু'' ডাকনামে ডাকা হচ্ছে। জাপান এশিয়ার ফুটবল বা আন্তর্জাতিক ফুটবল দলগুলোর মাঝে সবচেয়ে সফল একটি দল হিসেবে পরিগণিত। দলটি তিনবার এশিয়ার আঞ্চলিক ফুটবল প্রতিযোগিতা এএফসি এশিয়ান কাপ জয় করেছে। এছাড়াও দলটি ধারাবাহিকভাব গত চারটি ফিফা বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলে আসছে। বর্তমানে দলটির প্রধান প্রশিক্ষক বা কোচ হচ্ছেন তাকাশি ওকাদা। তিনি এর আগেও ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপেও জাপানের কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। == বর্তমান সদস্য == খেলার তারিখ: ১৫ জুন, ২০১৩ প্রতিপক্ষ: উরুগুয়ে প্রতিযোগিতা: ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ খেলা গোল সংখ্যা ১১ জুন, ২০১৩ পর্যন্ত সঠিক ইতালীয় কোচ আলবার্তো জাচ্চেরোনি জুন, ২০১৩ তারিখে ২৩-সদস্যবিশিষ্ট দলের নাম ঘোষণা করেন। দলটিই ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ধারণী এএফসি চতুর্থ রাউন্ডের জন্য ইরাকের বিরুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Japan Football Association Japan Football Association Japan Samurai Blue Japan Adidas Japan FIFA জাতীয় ফুটবল দলযাকে মাঝে মাঝে '''স্টোভপাইপ জেট''' বা '''এথোডিড''' বলা হয়, হল জেট ইঞ্জিনের একটি প্রকার যা ইঞ্জিনের গতিকে কাজে লাগিয়ে আগত বাতাসকে সংকুচিত করে, কোন রোটরি কম্প্রেসারের ব্যবহার ছাড়াই। র‌্যামজেট শূন্য বায়ুগতিতে কোন থ্রাস্ট তৈরি করতে পারে না, তাই এটি কোন থেমে থাকা এয়ারক্রাফটকে সচল করতে অক্ষম। যথেষ্ট পরিমাণ গতিবেগ থাকলেই কেবল র‌্যামজেট ভালোভাবে কাজ করতে পারে এবং সাধারণত ম্যাক এর আশেপাশ গতি থাকলেই এটি সবচেয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করে। ধরনের জেট ইঞ্জিনের গতি ম্যাক এর মতো উঠতে পারে। == বহিঃসংযোগ == The Boeing Logbook: 2002 2004 Ramjet Performance Primer GIRD-08 information Design notes on ramjet powered helicopter বিষয়শ্রেণী:জেট ইঞ্জিনওপেন সোর্স সফটওয়্যার সমর্থিত প্যানডোরা গেমিং কনসোল '''ভিডিও গেইম কনসোল''' () একটি স্বতন্ত্র গেমিং ডিভাইস। ডিভাইসটি কম্পিউটার বা টেলিভিশনের সাথে যুক্ত করে উচ্চমানের রেজুলেশনের বিভিন্ন ভিডিও গেইম খেলা যায়। পঞ্চাশের দশকে সর্বপ্রথম কম্পিউটার গেইম বাজারে আসলেও ম্যাগনাভক্স নামক স্বতন্ত্র ভিডিও গেইম কনসোল বাজারে আসে ১৯৭২ সালে। রাফ এইচ বায়ার নামক একজন প্রকৌশলী এটি আবিষ্কার করেছিলেন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপি ভিডিও গেইমের বাজার কয়েকশ কোটি ডলারের। পিএস থ্রি, নিনটেন্ডো, এক্সবক্স সহ বর্তমানে অনেক ভিডিও গেইম কনসোল বাজারে রয়েছে। সম্প্রতি নিনটেন্ডো বিশ্বের প্রথম ত্রিমাত্রিক ভিডিও গেইম কনসোল বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Videogame Systems Overview and Guides Videogame Systems Television Tropes Idioms ভিডিও গেইম কনসোল'''দেবীগঞ্জ মহিলা কলেজ''' পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি মহিলা কলেজ। == ইতিহাস == কলেজটি ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে স্থাপিত হয়। ২০০২ সালে কলেজটি মানবিক, বিজ্ঞান ব্যবসায় শিক্ষা শাখা নিয়ে ৩৭ জন শিক্ষক কর্মচারীসহ এমপিওভুক্তি লাভ করে। == == বর্তমানে কলেজটিতে স্নাতক পার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজের বর্তমান ছাত্রী সংখ্যা এক সহস্রাধিক এবং শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ৫২ জন। ==তথ্যসূত্র== জেলার কলেজ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''রামপ্রসাদ সেন''' (১৭১৮ বা ১৭২৩ ১৭৭৫) ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট বাঙালি শাক্ত কবি সাধক। বাংলা ভাষায় দেবী কালীর উদ্দেশ্যে ভক্তিগীতি রচনার জন্য তিনি সমধিক পরিচিত; তার রচিত "রামপ্রসাদী" গানগুলি আজও সমান জনপ্রিয়। রামপ্রসাদের জীবন সংক্রান্ত নানা বাস্তব অলৌকিক কিংবদন্তি বাংলার ঘরে ঘরে প্রবাদবাক্যের মতো প্রচারিত। তবে নানা সূত্র থেকে তার জীবন সম্পর্কে কিছু ঐতিহাসিক তথ্যও পাওয়া যায়। রামপ্রসাদ সেন জন্মগ্রহণ করেছিলেন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের এক তান্ত্রিক পরিবারে। বাল্যকাল থেকেই কাব্যরচনার প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ লক্ষিত হত। পরবর্তীকালে তিনি তন্ত্রাচার্য যোগী কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তার রচিত ভক্তিগীতিগুলি তার জীবদ্দশাতেই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভে সমর্থ হয়। নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রামপ্রসাদ সেনের উল্লেখযোগ্য রচনা হল ''কালীকীর্তন'', ''কৃষ্ণকীর্তন'' ''শক্তিগীতি''। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত ধারা বাউল বৈষ্ণব কীর্তনের সুরের সঙ্গে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগরাগিণীর মিশ্রণে তিনি বাংলা সংগীতে এক নতুন সুরের সৃষ্টি করেন। ''রামপ্রসাদী'' সুর নামে প্রচলিত এই সুরে পরবর্তীকালেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বহু সংগীতকার গীতিরচনা করেছেন। == জীবনী == বিভিন্ন সূত্র থেকে রামপ্রসাদ সেনের যে জীবনকথা সংগৃহীত হয়েছে, তার একটি বড়ো অংশই হল লোকমুখে প্রচারিত কিংবদন্তি। যদিও এর সঙ্গে নানা ঐতিহাসিক বাস্তব তথ্যেরও সংমিশ্রণ ঘটেছে। === প্রথম জীবন === কলকাতা শহরের ২৫ মাইল উত্তরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত হালিশহর গ্রামে (বর্তমানে শহর) এক তান্ত্রিক বৈদ্য পরিবারে রামপ্রসাদ সেনের জন্ম। তার জন্মের প্রকৃত তারিখটি জানা যায় না। তবে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে অনুমিত হয় যে, তার জন্ম হয়েছিল ১৭১৮ অথবা ১৭২৩ সালে। রামপ্রসাদের পিতা রামরাম সেন ছিলেন একজন আয়ুর্বৈদিক চিকিৎসক সংস্কৃত পণ্ডিত। রামপ্রসাদের মা সিদ্ধেশ্বরী দেবী ছিলেন রামরাম সেনের দ্বিতীয়া পত্নী। সেকালের রীতি অনুযায়ী, বাল্যকালে রামপ্রসাদকে একটি সংস্কৃত টোলে শিক্ষালাভের জন্য প্রেরণ করা হয়। সেখানে তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ, সাহিত্য, ফার্সি হিন্দি ভাষা শিক্ষা করেন। ছেলেবেলা থেকেই কাব্যরচনা নতুন নতুন ভাষাশিক্ষায় তার আগ্রহ ছিল প্রবল। রামরাম সেন চেয়েছিলেন যে, তার পুত্রও পারিবারিক চিকিৎসক বৃত্তি গ্রহণ করুক। কিন্তু রামপ্রসাদের সেদিকে আগ্রহ ছিল না। বরং আধ্যাত্মিক জীবনযাপনেই তিনি অধিকতর সুখী ছিলেন। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে তার পরিবারবর্গ সর্বাণী নামে এক বালিকার সঙ্গে বাইশ বছর বয়সী রামপ্রসাদের বিবাহ দেন। বিবাহের পর পারিবারিক প্রথানুযায়ী নবদম্পতি কুলগুরু মাধবাচার্যের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেন। কথিত আছে, দীক্ষাগ্রহণকালে গুরু তার কানে মন্ত্রপ্রদান করলে তিনি দেবী কালীর অনুরক্ত হয়ে পড়েন। এক বছর পর তার গুরুর মৃত্যু হয়। এরপর রামপ্রসাদ তান্ত্রিক যোগী পণ্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ ছিলেন বঙ্গদেশে কালী আরাধনার প্রবর্তক এবং সুপ্রসিদ্ধ শাক্ত তন্ত্রগ্রন্থ তন্ত্রসারের রচয়িতা। আগমবাগীশ রামপ্রসাদকে তন্ত্রসাধনা কালীপূজার পদ্ধতি শিক্ষা দেন। === চাকুরিবৃত্তি === রামপ্রসাদের পিতামাতা তাকে উপার্জনক্ষম করে তুলতে চাইলেও, রামপ্রসাদ অধিকাংশ সময়ই সাধনায় অতিবাহিত করতেন। এমতাবস্থায় রামরাম সেনের মৃত্যু হলে দারিদ্র্যের বশবর্তী হয়ে রামপ্রসাদকে বিষয়কর্মে প্রবৃত্ত হতে হয়। কলকাতায় এসে দুর্গাচরণ মিত্র নামে এক ধনীর কাছারিতে মাসিক ত্রিশ টাকা বেতনে কেরানির কাজ শুরু করেন তিনি। কথিত আছে, কাছারির হিসাবের খাতায় সদ্যরচিত শ্যামাসঙ্গীত লিখতে শুরু করলে, অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের মালিকের নিকট রামপ্রসাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। কিন্তু দুর্গাচরণ মিত্র গানগুলি পড়ে রামপ্রসাদের কবিত্বশক্তিতে মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি কবিকে কেরানির কাজ থেকে অব্যহতি দিয়ে স্বগ্রামে প্রেরণ করেন এবং তার মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেন। === সাধনা কাব্যরচনা === গ্রামে ফিরে রামপ্রসাদ কঠোর সাধনায় মগ্ন হন। জানা যায়, এই সময় তিনি আকণ্ঠ গঙ্গাজলে নিমজ্জিত অবস্থায় শ্যামাসঙ্গীত গাইতেন। তান্ত্রিক প্রথা অনুযায়ী, তন্ত্রসাধনার আদর্শ পবিত্র এক পঞ্চবটীর (বট, বেল, আমলকি, অশোক অশ্বত্থ গাছের সম্মিলিত রূপ) তলায় পঞ্চমুণ্ডীর আসনে (সাপ, ব্যাঙ, খরগোশ, শৃগাল মানুষের করোটীর দ্বারা সৃষ্ট আসন) বসে তিনি ধ্যান সাধনা করতেন। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী কালী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে তাকে দর্শন দিয়েছিলেন। নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় রামপ্রসাদের গান শুনে মুগ্ধ হন। তিনি নিজেও ছিলেন কালীভক্ত। তাই রামপ্রসাদকে তিনি সভাকবির মর্যাদা দেন। রামপ্রসাদ অবশ্য মহারাজের রাজসভায় বিশেষ আসতেন না। তিনি তন্ত্রসাধনা কালীপূজাতেই অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করতেন। কৃষ্ণচন্দ্র তাকে ১০০ একর (০.৪০ বর্গকিলোমিটার, ০.১৬ বর্গমাইল) নিষ্কর জমি প্রদান করেন। এর প্রতিদানে রামপ্রসাদ তার কাব্য কৃষ্ণচন্দ্রকে উৎসর্গ করেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদকে ''কবিরঞ্জন'' উপাধিও প্রদান করেছিলেন। মহারাজের অন্তিম সময়ে রামপ্রসাদ তার পাশে থেকে তাকে কালীর নামগান শুনিয়েছিলেন। শোনা যায়, নবাব সিরাজদ্দৌলা সুফি সন্তেরাও রামপ্রসাদের আধ্যাত্মিক সংগীতে মুগ্ধ হন। নবাবের অনুরোধে রামপ্রসাদ একবার তার সভাতেও গিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। === মৃত্যু === বৃদ্ধ বয়সে রামপ্রসাদের দেখাশোনা করতেন তার পুত্র রামদুলাল পুত্রবধূ ভগবতী। রামপ্রসাদের মৃত্যু নিয়ে একটি কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। রামপ্রসাদ প্রতি বছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপূজা করতেন। একবার সারারাত পূজা গানের পর সকালে কালীপ্রতিমা মাথায় করে নিয়ে বিসর্জনের পথে বের হন রামপ্রসাদ। ভক্তগণ তার পিছন পিছন বিসর্জন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। স্বরচিত শ্যামাসঙ্গীত গাইতে গাইতে গঙ্গার জলে প্রতিমা বিসর্জনার্থে অবগাহন করেন রামপ্রসাদ। প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই তার প্রাণ বহির্গত হয়। মনে করা হয়, এটি ১৭৭৫ সালের ঘটনা। == কিংবদন্তি == বাংলার ঘরে ঘরে নানান কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। এগুলির মধ্যে রামপ্রসাদের বেড়া বাঁধার গল্পটি বেশ জনপ্রিয়। এই কাহিনি অনুসারে, কালী রামপ্রসাদের কন্যা জগদীশ্বরীর রূপে এসে কবিকে ঘরের ভাঙা বেড়া বাঁধতে সাহায্য করেছিলেন। রামপ্রসাদ পরে বুঝতে পারেন যে, তার ইষ্টদেবীই কন্যার বেশে এসে তাকে সাহায্য করেন। আরেকটি জনপ্রিয় কিংবদন্তি হল বারাণসী যাত্রাকালে রামপ্রসাদের দেবী অন্নপূর্ণার দর্শন লাভ। একবার তিনি গঙ্গাস্নান সেরে নিত্যপূজার কাজে চলেছেন, এমন সময় একটি সুন্দরী মেয়ে তার কাছে গান শোনার আবদার ধরে। পূজার দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে রামপ্রসাদ মেয়েটিকে একটু অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু পরে ফিরে এসে তাকে আর দেখতে পান না। পরে তিনি ধ্যানে এক দিব্যজ্যোতি দর্শন করেন এবং দেবীর কণ্ঠস্বর শোনেন, "আমি অন্নপূর্ণা (...) আমি বারাণসী থেকে তোর গান শুনতে এসেছিলাম। কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি।" রামপ্রসাদ নিজের উপর ক্রুদ্ধ হন। তখনই দেবী অন্নপূর্ণাকে গান শোনাবার মানসে কাশীধামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। কিন্তু ত্রিবেণী সংগমে এসে তার পুনরায় দিব্যজ্যোতি দর্শন হয়। দেবীর কণ্ঠে তিনি শুনতে পান, "এখানেই আমাকে গান শোনা। (...) বারাণসীই আমার একমাত্র নিবাস নয়, আমি সমগ্র জগৎ চরাচরে অবস্থান করি।" হালিশহরে গঙ্গা তীরবর্তী তার নামাংকিত 'রামপ্রসাদ ঘাটে' তার একটি আবক্ষ মূর্তি আছে। == কাব্য তার প্রভাব == চিত্র:Kali রামপ্রসাদ সেনের আরাধ্যা দেবী অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলার ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হলেন রামপ্রসাদ সেন। তিনিই বাংলায় ভক্তিবাদী শাক্তধর্ম দেবী কালীর লীলাকীর্তন শ্যামাসংগীতের ধারাটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন। রামপ্রসাদ সেনই প্রথম কবি যিনি এই প্রকার গভীর ভক্তিসহকারে দেবী কালীর লীলাকীর্তন গান রচনা করেন। তার গানেই প্রথম কালীকে স্নেহময়ী মাতা এমনকি ছোটো মেয়ের রূপেও দেখা যায়। তার পরে একাধিক শাক্ত কবি এই কালীভক্তি প্রথাটিকে উজ্জীবিত করে রাখেন। কীর্তন বাংলার লোকসঙ্গীত ধারার বাউল গানের সঙ্গে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুরের মিশ্রণে রামপ্রসাদ বাংলা সংগীতে এক নতুন সুর সৃষ্টি করেন। পরবর্তী দেড়শো বছরে শতাধিক কবি সংগীতকার এই সুরে গান রচনা করেছিলেন। তার কাব্য ছিল "মধুর, আটপৌরে অসংস্কৃত"। যদিও এই সব গান লোকসুরের বদলে শাস্ত্রীয় ধারায় গাওয়ারই রীতি প্রচলিত ছিল। একই ধারায় সংগীতরচনাকারী তার দুই বিশিষ্ট উত্তরসূরি হলেন কমলাকান্ত মহেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। রামপ্রসাদের গান ''রামপ্রসাদী'' নামে পরিচিত। তৎকালীন বাংলায় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, আর্থিক দুরবস্থা গ্রামীণ সংস্কৃতির অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে এই কালীভক্তি আন্দোলনের উদ্ভব হয়। তার গানেও এই সকল ঘটনার প্রভাব সুস্পষ্ট। এই কারণে, তার জীবদ্দশাতেই গানগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। রামপ্রসাদের রচনাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বা ''কালিকামঙ্গল'' (অষ্টাদশ শতাব্দীর ষষ্ঠ অথবা সপ্তম দশক), ''কালীকীর্তন'', ''কৃষ্ণকীর্তন'' নামক অসম্পূর্ণ খণ্ডকাব্য ''শক্তিগীতি''। ''কালীকীর্তন'' গ্রন্থে গীতিকবিতা আখ্যানমূলক কবিতার মাধ্যমে উমার জীবনকাহিনি বর্ণিত হয়েছে। ''কৃষ্ণকীর্তন'' অসম্পূর্ণ রচনা। এই গ্রন্থে গান কবিতার মাধ্যমে কৃষ্ণের জীবনকথা বর্ণিত হয়েছে। এর সম্পূর্ণ অংশটি পাওয়া যায় না। রাজকুমারী বিদ্যা রাজকুমার সুন্দরের বহুপ্রচলিত প্রেম পরিণয়কাহিনি অবলম্বনে রচিত। সেই যুগে এই কাহিনিটি বাংলায় খুবই জনপ্রিয় ছিল। রামপ্রসাদ লিখেছেন, বিদ্যা সুন্দরে প্রেম পরিণয় দেবী কালীর সহায়তায় ঘটেছিল। ''শক্তিগীতি'' রামপ্রসাদের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য প্রসিদ্ধতম রচনা। এই গানগুলির মধ্যে দেবী কালীর প্রতি তার গভীর প্রেম শ্রদ্ধাবোধ প্রস্ফুটিত হয়েছে। ''শক্তিগীতি''-র গানগুলির কালীর সঙ্গে কবির সম্পর্ক মা সন্তানের সম্পর্ক। এখানে দেবীর মনুষ্যসন্তান কবি তার মায়ের সঙ্গে ভাবভালবাসা, এমনকি কোথাও কোথাও কলহ পর্যন্ত করেছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস প্রায়শই রামপ্রসাদী গান গাইতেন। রামপ্রসাদ ছিলেন তার প্রিয় কবি। তার গাওয়া রামপ্রসাদীগুলি গ্রন্থে মুদ্রিত হয়েছে। এই গ্রন্থে লেখা আছে, ''"...তিনি (রামকৃষ্ণ) ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত করতেন কমলাকান্ত রামপ্রসাদের লেখা দিব্যজননীর লীলাসঙ্গীত গেয়ে। এই আনন্দময় গানগুলি ঈশ্বরের প্রত্যক্ষ ভাবের বর্ণনাকারী... ''" পরমহংস যোগানন্দও রামপ্রসাদ তাঁর ভক্তিগীতির গুণগ্রাহী ছিলেন। তিনিও প্রায়ই এই গানগুলি গাইতেন। ভগিনী নিবেদিতা রামপ্রসাদ সেনের সঙ্গে ইংরেজ কবি উইলিয়াম ব্লেকের তুলনা করেন। দিব্যজননীর উদ্দেশ্যে রচিত রামপ্রসাদের একটি গান নিম্নরূপ: ::মন রে কৃষি কাজ জান না। এমন মানব-জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা।। কালীনামে দেওরে বেড়া, ফসলে তছরূপ হবে না। সে যে মুক্তকেশীর শক্ত বেড়া, তার কাছেতে যম ঘেঁসে না।। অদ্য অব্দশতান্তে বা, ফসল বাজাপ্ত হবে জান না। আছে একতারে মন এইবেলা, তুই চুটিয়ে ফসল কেটে নে না।। গুরুদত্ত বীজ রোপণ ক’রে, ভক্তিবারি তায় সেচ না। ওরে একা যদি না পারিস মন, রামপ্রসাদকে সঙ্গে নে না।। অপর একটি গানে রামপ্রসাদ তীর্থযাত্রা আনুষ্ঠানিকতার উপরে স্থান দিয়েছেন ভক্তিকে। এই গানে জগজ্জননী কালীর পাদপদ্মকেই মানব জীবনের সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষিত বস্তু মনে করা হয়েছে: ::আর কাজ কি আমার কাশী? মায়ের পদতলে পড়ে আছে, গয়া গঙ্গা বারাণসী।। হৃৎকমলে ধ্যানকালে, আনন্দসাগরে ভাসি। ওরে কালীপদে কোকনদ, তীর্থ রাশি রাশি।। কালীনামে পাপ কোথা, মাথা নাই তার মাথাব্যথা। ওরে অনলদাহন যথা করে তুলারাশি।। গয়ায় করে পিণ্ডদান, পিতৃঋণে পায় ত্রাণ। ওরে যে করে কালীর ধ্যান, তার গয়া শুনে হাসি।। কাশীতে মঁলেই মুক্তি, বটে শিবের উক্তি। ওরে সকলের মূল ভক্তি, মুক্তি হয় মন তার দাসী।। নির্বাণে কি আছে ফল, জলেতে মিশায় জল। ওরে চিনি হওয়া ভাল নয়, চিনি খেতে ভালবাসি।। কৌতুকে প্রসাদ বলে, করুণানিধির বলে। ওরে চতুর্বর্গ করতলে, ভাবিলে রে এলোকেশী।। রামপ্রসাদের পদাবলি আজও বাংলায় জনপ্রিয়। মা তোমারে বারে বারে জানাব আর দুঃখ কত ভাসিতেছি দিবানিশি দুঃখ-নীরে স্রোতের শ্যাওলার মত। কালীপূজার সময় এই গানগুলি নিয়মিত গাওয়া হয়। গবেষক সোমা চক্রবর্তী লিখেছেন, তাঁর গান আজও "বেতারে সম্প্রচারিত হয় এবং কলকাতার পথেঘাটে আবালবৃদ্ধবণিতা, ব্যবসায়ী, পণ্ডিত, নিরক্ষর, সন্ন্যাসী, গৃহস্থ যুবকেরা তাঁর গান গেয়ে থাকেন।" ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, পান্নালাল ভট্টাচার্য, রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, অজয় চক্রবর্তী প্রমুখ শিল্পীরা রামপ্রসাদী গানের বিশিষ্ট গায়ক। আজও এই গানের সহজ সরল সুরে মুগ্ধ হয়ে অনেকে অশ্রুবিসর্জন করে থাকেন। == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == Project Gutenberg etext == অতিরিক্ত পঠন == ''Singing to the Goddess: Poems to Kali and Uma from Bengal'', Ramprasad Sen, Translated by Rachel Fell McDermott () Ramprasad: Plural Reading of Text পেসাদী সঙ্গীত: একটি অনেকান্ত পাঠ-প্রস্তাবনা == বহিঃসংযোগ == Poems of Ramprasad: poetseers.org Ramprasad Vita কবি কবি চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যক্তিত্ব'''অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ড ইনকর্পোরেটেড''' (ইংরেজীতে: Activision Blizzard) (সাবেক '''অ্যাকটিভিশন () একটি মার্কিন ভিডিও গেম কোম্পানি। অ্যাকটিভিশন এবং ব্লিজার্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি দুইটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান হল অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ড। অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ডের অধিকাংশই ফ্রেঞ্চ কোম্পানি ভিভেনডি-এর মালিকানাধীন। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে অ্যাকটিভিশন এবং ভিভেনডি কোম্পানিদ্বয়ের একত্রীকরণের ফলে অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ড সৃষ্টি হয়। এই একত্রীকরণে ব্যয় হয় প্রায় ১৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উভয় কোম্পানিই ভেবেছিল যে এই একত্রীকরণের ফলে গঠিত কোম্পানিটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ভিডিও গেম নির্মাতা হবে এবং ভিডিও গেম শিল্পে বিশ্বের অন্যতম প্রধান প্রধান কোম্পানিতে পরিণত হবে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অ্যাকটিভিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্লিজার্ড অফিশিয়াল ওয়েবসাইট যুক্তরাষ্ট্রের ভিডিও গেম কোম্পানি'''মেটাল ব্লেড রেকর্ডস''' একটি রেকর্ড লেবেল যা ব্রায়ান স্লাগেল ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এর অফিসগুলো আছে আমেরিকা, জার্মানি জাপানে। এই লেবেল আমেরিকায় সনি বিএমজি মিউজিক ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে আমেরিকায় অ্যালবাম বাজারজাত করে। আগে ১৯৮৮-১৯৯৩ সালে ওয়ার্নার ব্রস. রেকর্ডস আমেরিকায় তাদের প্রকাশিত অ্যালবাম বাজারজাত করত। মেটাল ব্লেড রেকর্ডসের শিল্পীরা বিলবোর্ডে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়, যেমন-আমন আমার্থ, ট্রাবল, অ্যাজ আই লে ডাইয়িং, স্লেয়ার, ক্যানিবাল করপস, দ্যা ব্ল্যাক ডাহলিয়া মার্ডার, ফেটস ওয়ারনিং, লিজি বরডেন, এ্যানভিল, জব ফর কাউবয় আনআর্থ। গো গো ডলস একমাত্র মেটাল ব্লেড শিল্পী যাদের অ্যালবাম গোল্ড প্লাটিনাম এ্যাডওয়ার্ড পেয়েছে এখন পর্যন্ত নন মেটাল শিল্পী হয়ে তাদের সাথে চুক্তিতে আছে। আমেরিকায় তাদের অফিস হলো আগোরা হিলসে। == বহিঃসংযোগ == মেটাল ব্লেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রেকর্ড লেবেল লেবেল'''কংসাবতী প্রকল্প''' পশ্চিমবঙ্গের একটি জলাধার সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্প '''কংসাবতী সেচ প্রকল্প''' বা '''কংসাবতী জলাধার প্রকল্প''' নামেও পরিচিত। ১৯৫৬ সালে ভারতের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে বর্তমান পশ্চিম পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া হুগলি জেলার ৩,৪৮৪.৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় জলসেচের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পে কংসাবতী নদীর পাশাপাশি শিলাবতী ভৈরববাঁকি নদীর জলও সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার কাছে একটি ৩৮ মিটার উঁচু এবং ১০,০৯৮ মিটার লম্বা জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের কাছে ১৮৭২ সালে নির্মিত কংসাবতীর একটি জলাধারও এই প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয়। == পাদটীকা == প্রায়৮লক্ষ একর জমিতে চাষাবাদ হবে। ---- অর্থনীতি সেচব্যবস্থা জেলা'''পাঁচমুড়া''' হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার অন্তঃপাতী একটি গ্রাম। এই গ্রামটি উক্ত জেলার খাতড়া মহকুমার তালড্যাংরা পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। বিষ্ণুপুর শহর থেকে দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি বাঁকুড়ার ঘোড়া নামে পরিচিত এক ধরনের টেরাকোটা লোকশিল্পের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে এই শিল্পকর্মটি ভারতীয় হস্তশিল্পের জাতীয় প্রতীক। ==ভূগোল== পাঁচমুড়া গ্রামটি অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই গ্রামের গড় উচ্চতা পাঁচমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ জনগণনা গ্রামগুলি হল: নূতনগ্রাম, দন্ডুরিয়া, ধোবাজোড়, বাঁশপোকা, কানাইপুর, রাধানগর, আমজোড়, পাঁচমুড়া, আধকারা, কুকুতিয়া, জয়পুর, লালবাঁধ, দেউলভিড়া, ভেতুয়াডাঙা, জামবেদিয়া, রসিয়াগাড়া, শ্যামসুন্দরপুর তাতার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পাঁচমুড়ার মোট জনসংখ্যা ৩,৭১৯। এর মধ্যে ১,৮৫৪ জন (৫০%) পুরুষ এবং ১,৮৬৫ জন (৫০%) মহিলা। এঁদের মধ্যে ৪২৫ জনের বয়স ছয় বছরের কম। পাঁচমুড়ার ২,৫২৫ জন (অন্যূন ছয় বছর বয়সীদের মধ্যে ৭৬.৬৫%) সাক্ষর। ==বাঁকুড়ার ঘোড়া== বাঁকুড়ার ঘোড়া নামে পরিচিত টেরাকোটা লোকশিল্পটি অল ইন্ডিয়া প্রতীক। পাঁচমুড়া গ্রামে উৎপাদিত এই শিল্পকর্মটি সারা বিশ্বে ভারতীয় লোকশিল্পের প্রতীক হিসেবে গৃহসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাঁচমুড়ায় ড. পশুপতি মণ্ডলের নেতৃত্বে স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে ১৯৬৫ সালে পাঁচমুড়া মহাবিদ্যালয় নামে একটি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজে বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, রসায়ন, গণিত হিসাববিদ্যায় সাম্মানিক পাঠক্রম এবং কলা, বিজ্ঞান বাণিজ্য বিভাগে সাধারণ পাঠক্রম চালু রয়েছে। কলেজটি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জেলার গ্রাম'''ওয়াল্টার "ওয়াল্ট" হুইটম্যান''' (ইংরেজি: '''Walter "Walt" Whitman''') (৩১ মে, ১৮১৯ ২৬ মার্চ, ১৮৯২) ছিলেন একজন মার্কিন কবি, প্রাবন্ধিক সাংবাদিক। মানবতাবাদী হিসেবে প্রসিদ্ধ হুইটম্যান তার রচনায় তুরীয়বাদ বাস্তবতাবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন। হুইটম্যান সর্বাধিক প্রভাবশালী মার্কিন কবিদের অন্যতম। তাকে মুক্তছন্দের জনকও বলা হয়। তার রচনা সেযুগে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করে। বিশেষত তার কাব্যসংকলন ''লিভস অফ গ্রাস'' মাত্রাতিরিক্ত অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হয়। হুইটম্যানের জন্ম লং আইল্যান্ডে। তিনি নিজের কবিতা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, সরকারি করণিক বৃত্তি এবং আমেরিকান গৃহযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক শুশ্রুষাকারীর কাজও করেন। কর্মজীবনের প্রথম ভাগে তিনি ''ফ্র্যাঙ্কলিন ইভান্স'' (১৮৪২) নামে একটি টেম্পারেন্স উপন্যাস রচনা করেন। ১৮৫৫ সালে তিনি নিজের অর্থে তার প্রধান গ্রন্থ ''লিভস অফ গ্রাস'' প্রকাশ করেন। এই কাব্যের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের পাঠযোগ্য এক আমেরিকান মহাকাব্য রচনা। ১৮৯২ সালে মৃত্যুর পূর্বাবধি তিনি নানাভাবে এই কাব্যটিকে পরিবর্ধিত পরিমার্জিত করেছিলেন। জীবনের শেষ পর্বে একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি নিউ জার্সির ক্যামডেনে চলে যান। সেখানেই ৭২ বছর বয়সে তার জীবনাবসান হয়। তার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় বহু সাধারণ মানুষ অংশ নেন। হুইটম্যানের কবিতার সঙ্গে সঙ্গে তার যৌনপ্রবৃত্তির বিষয়টিও বহু আলোচিত। জীবনীকারদের মধ্যে তার যৌনতাবোধ নিয়ে তর্ক থাকলেও, তিনি সাধারণত সমকামী বা উভকামী হিসেবে বর্ণিত হন। যদিও কোনো পুরুষের সঙ্গে হুইটম্যানের যৌন অভিজ্ঞতা ছিল কিনা, সে নিয়েও তার জীবনীকারদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। সারাজীবনই হুইটম্যান ছিলেন রাজনীতি সচেতন। তিনি উইলমট প্রোভিসোর সমর্থক ছিলেন এবং সাধারণভাবে দাসত্বপ্রথার বিস্তারের বিরোধিতা করেন। তার কবিতায় জাতিগোষ্ঠীগুলি সম্পর্কে সমতাবাদী সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়। এক সময়ে তিনি দাসত্বপ্রথা বিলোপের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দাসত্ববিলোপবাদী আন্দোলনকে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর মনে করতে শুরু করেন। == জীবন সাহিত্যকর্ম == === প্রারম্ভিক জীবন === ১৮১৯ সালের ৩১ মে, লং আইল্যান্ডের টাউন অফ হান্টিংটনের অন্তঃপাতী ওয়েস্ট হিলসে ওয়াল্ট হুইটম্যান জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাতার নাম ছিল ওয়াল্টার লুসিয়া ভন ভেলসর হুইটম্যান। তারা কোয়াকার চিন্তাধারার অনুগামী ছিলেন। হুইটম্যান ছিলেন তার পিতামাতার নয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। নামকরণের অব্যবহিত পরেই, পিতার নামের সঙ্গে তার নামের পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য তার ডাকনাম "ওয়াল্ট" রাখা হয়। ওয়াল্টার হুইটম্যান সিনিয়র তার সাত পুত্রের মধ্যে তিন জনের নামকরণ করেন মার্কিন নেতা অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, জর্জ ওয়াশিংটন টমাস জেফারসনের নামানুসারে। তার জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম ছিল জেস এবং এক পুত্র নামকরণের পূর্বেই মাত্র ছয় মাস বয়সে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তার ষষ্ঠ তথা কনিষ্ঠ পুত্রের নাম ছিল এডওয়ার্ড। চার বছর বয়সে হুইটম্যান তার পরিবারের সঙ্গে ওয়েস্ট হিলস থেকে ব্রুকলিনে চলে আসেন। এখানে আর্থিক কারণে তাদের বারংবার বাসস্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছিল। হুইটম্যান তার স্মৃতিচারণাতেও খারাপ আর্থিক অবস্থার দরুন এক অশান্ত বিষন্ন ছেলেবেলার ছবি এঁকেছেন। অবশ্য ছেলেবেলার একটি আনন্দঘন মুহুর্তের কথাও তিনি জানান। ১৮২৫ সালের জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে ব্রুকলিনে একবার তাকে শূন্যে তুলে ধরা হয়েছিল এবং সেই সময় মার্কুইস ডে লাফায়েট তার গালে চুমু খান। এগারো বছর বয়সে হুইটম্যান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর তিনি পরিবারের সাহায্যার্থে কাজকর্মের চেষ্টা করতে থাকেন। প্রথমে তিনি দুইজন আইনজীবীর অফিস বয় হিসেবে কাজ করেন। এরপর ''প্যাট্রিয়ট'' নামে স্যামুয়েল ই. ক্লিমেন্টস সম্পাদিত লং আইল্যান্ডের সাপ্তাহিক সংবাদপত্রে শিক্ষানবিশি ‘পেইন্টার’স ডেভিল’-এর কাজ করেন। এখানেই হুইটম্যান প্রিন্টিং প্রেসের কাজ টাইপসেটিং শিক্ষা করেন। কোনো কোনো সংখ্যার পৃষ্ঠা ভরানোর জন্য এই সময় তিনি কিছু "sentimental bits"-ও রচনা করে থাকবেন। ক্লিমেন্টস তার দুই বন্ধু এই সময় এলিয়াস হিকসের কবর খুঁড়ে তার মাথাটির প্লাস্টার মল্ড তৈরি করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর কিছুকাল পরেই ক্লিমেন্টস ''প্যাট্রিয়ট'' পত্রিকার কাজ ছেড়ে দেন, সম্ভবত এই বিতর্কের জেরেই। === প্রারম্ভিক কর্মজীবন === হুইটম্যান, ২৮ বছর বয়সে পরের গ্রীষ্মে হুইটম্যান ব্রুকলিনে এরাস্টাস ওরদিংটন নামে অপর এক প্রিন্টারের হয়ে কাজ করেন। সেই বসন্তে তার পরিবার ওয়েস্ট হিলে ফিরে যায়। কিন্তু হুইটম্যান থেকে যান এবং অগ্রণী হুইগ সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ''লং-আইল্যান্ড স্টার''-এর সম্পাদক অ্যালডেন স্পুনারের দোকানে একটি কাজ নেন। এখানে কাজ করার সময়ই হুইটম্যান স্থানীয় গ্রন্থাগারের একজন নিয়মিত পৃষ্টপোষক হয়ে ওঠেন। এই সময় তিনি শহরের এক বিতর্ক সমিতির সদস্য হন এবং নাট্যাভিনয় দেখা শুরু করেন। ''নিউ ইয়র্ক মিরর'' পত্রিকায় বেনামে তার প্রথম যুগের কয়েকটি কবিতাও ছাপান। ১৮৩৫ সালের মে মাসে ষোলো বছর বয়সে তিনি ''লং-আইল্যান্ড স্টার'' ব্রুকলিন পরিত্যাগ করেন। চলে আসেন নিউ ইয়র্ক সিটিতে। এখানে তিনি কম্পোসিটরের কাজ শুরু করেন। অবশ্য জীবনের পরবর্তী পর্বে পৌঁছে তিনি ঠিক কোথায় এই কাজ করতেন, তা স্মরণ করতে পারেননি। তিনি অন্য কাজের সন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সেই অঞ্চলের মুদ্রণ প্রকাশন অঞ্চলটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তার অন্য কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ১৮৩৭-এর আতঙ্কের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক দুরবস্থা। ১৮৩৬ সালের মে মাসে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে যোগ দেন। এঁরা সেই সময় লং আইল্যান্ডের হ্যাম্পস্টেডে বসবাস করছিলেন। ১৮৩৮ সালের বসন্ত পর্যন্ত হুইটম্যান এখানে ওখানে স্কুল শিক্ষকতার কাজও করেন। তবে শিক্ষকতার কাজে তিনি বিশেষ তৃপ্তি পাননি। কয়েকবার শিক্ষকতার প্রচেষ্টার পর, হুইটম্যান ফিরে যান নিউ ইয়র্কের হান্টিংটনে। এখানে তিনি নিজের সংবাদপত্র ''লং আইল্যান্ডার'' প্রকাশ করেন। হুইটম্যান শুধুমাত্র এই সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, মুদ্রক বিতরকই ছিলেন না, তিনি তা ঘরে ঘরে পৌঁছেও দিতেন। দশ মাস পর তিনি কাগজটি এ. ও. ক্রোওয়েলকে বিক্রি করে দেন। ক্রোওয়েল ১৮৩৯ সালের ১২ জুলাই তার নিজের প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশ করেন। হুইটম্যান প্রকাশিত কাগজটির কোনো কপি আজ আর পাওয়া যায় না। ১৮৩৯ সালের গ্রীষ্মে কুইনসের জামাইকায় তিনি জেমস জে. ব্রেন্টন সম্পাদিত ''লং আইল্যান্ড ডেমোক্র্যাট'' পত্রিকায় টাইপসেটারের কাজ পান। অনতিকাল পরেই তিনি সেই কাজ ছেড়ে দেন এবং ১৮৪০ সালের শীত থেকে ১৮৪১ সালের বসন্ত পর্যন্ত আর একবার শিক্ষকতা করার চেষ্টা করেন। এই সময় ১৮৪০ সালের শীত থেকে ১৮৪১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত তিনটি সংবাদপত্রে তিনি "সান-ডাউন পেপারস—ফ্রম দ্য ডেস্ক অফ স্কুলমাস্টার" নামে দশটি সম্পাদয়ীকের একটি সিরিজ প্রকাশ করেন। এই প্রবন্ধগুলিতে তিনি এমন এক চেতনার অভিব্যক্তি শৈলী ব্যবহার করেন যা তার সারাজীবনের সাহিত্যকর্মের পরিচায়ক হয়ে ওঠে। মে মাসে হুইটম্যান নিউ ইয়র্কে চলে আসেন। প্রথমে তিনি পার্ক বেঞ্জামিন, সিনিয়র রুফুস উইলমট গ্রিসওল্ডের অধীনে ''নিউ ওয়ার্ল্ড'' পত্রিকায় একটি ছোটোখাটো কাজ পান। এরপর তিনি বিভিন্ন সংবাদপত্রে স্বল্প সময়ের কাজ চালিয়ে যান। ১৮৪২ সালে তিনি ''অরোরা'' এবং ১৮৪৬ সাল থেকে ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত ''ব্রুকলিন ইগল'' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। সমগ্র ১৮৪০-এর দশক জুড়ে তিনি অনেকগুলি ফ্রিল্যান্স কবিতা কথাসাহিত্য নানা পত্রিকায় প্রকাশ করেন। ১৮৪৮ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির রক্ষণশীল বা "হাঙ্কনার্স" শাখার বিরুদ্ধে দলের "বার্নবার্নার" শাখার পক্ষাবলম্বন করেন। ''ব্রুকলিন ইগল'' পত্রিকার মালিক আইজ্যাক ভ্যান অ্যান্ডেন হাঙ্কার শাখার অনুগামী ছিলেন। এর ফলে তিনি পত্রিকায় তার কাজটি খোয়ান। ১৮৪৮ সালে হুইটম্যান ফ্রি সয়েল পার্টির প্রতিষ্ঠা সম্মেলনের একজন ডেলিগেট হন। == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == Callow, Philip. ''From Noon to Starry Night: Life of Walt Whitman''. Chicago: Ivan R. Dee, 1992. Kaplan, Justin. ''Walt Whitman: Life''. New York: Simon and Schuster, 1979. Loving, Jerome. ''Walt Whitman: The Song of Himself''. University of California Press, 1999. Miller, James E., Jr. ''Walt Whitman''. New York: Twayne Publishers, Inc. 1962 Reynolds, David S. ''Walt Whitman's America: Cultural Biography''. New York: Vintage Books, 1995. Stacy, Jason. ''Walt Whitman's Multitudes: Labor Reform and Persona in Whitman's Journalism and the First'' Leaves of Grass, ''1840-1855''. New York: Peter Lang Publishing, 2008. == বহিঃসংযোগ == Walt Whitman: Online Resources at the Library of Congress The Walt Whitman Archive includes all editions of "Leaves of Grass" in page-images and transcription, as well as manuscripts, criticism, and biography Walt Whitman Page by Camden County, New Jersey Historical Society Walt Whitman household in NJ in 1880 census Walt Whitman letters from the Civil War taken from the 'Wound Dresser' Poems by Walt Whitman An extensive collection of Whitman's poetry Poets.org Biography, related essays, poems, and reading guides from the Academy of American Poets MS Lowell 15. Whitman, Walt, 1819-1892. Passage to India autograph manuscript; Washington, 1870. 21s. (21p.) Houghton Library, Harvard University. '''Sites''' Walt Whitman Birthplace State Historic Site Walt Whitman Camden Home Historic Site Walt Whitman's grave site at Find Grave.com জন্ম মৃত্যু শতাব্দীর দার্শনিক পুরুষ প্রাবন্ধিক পুরুষ সাংবাদিক মানবতাবাদী বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি দার্শনিক কবি আধ্যাত্মিক লেখক ইউনিটারিয়ান লেখক ইগল যুক্তরাষ্ট্রের এলজিবিটি লেখক নিউ জার্সির ব্যক্তিত্ব (গ্রাম), নিউ ইয়র্কের ব্যক্তিত্ব কাউন্টি, নিউ ইয়র্কের ব্যক্তিত্ব গৃহযুদ্ধের ব্যক্তিত্ব সংশয়বাদী লেখক আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্কের লেখকব্রিটিশ বাংলাদেশী হচ্ছে এমন ব্যাক্তিবর্গ যাদের উৎস হলো বাংলাদেশ এবং যারা অভিবাসনের পর ব্রিটেনে বসবাস করছেন নাগরিক অধিকার বলে নাগরিকত্ত্ব পেয়েছেন বা তাদের বাবা-মা এটা লাভ করেছেন ;তারাও ব্রিটিশ বাংলাদেশী।৭০-এর দশকে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী সিলেট, ঢাকা থেকে এসেছেন ব্রিটেনে, যা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ধনী জেলা। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক বাস করছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হেমলেটে যা অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ৩৩ ভাগ। লন্ডনে বসবাস করা এই জনসংখ্যাকে অবশ্য ব্রিটিশ বলার চেয়ে লন্ডনী নামেই বেশি ডাকা হয়। ওল্ডহ্যাম, বার্মিংহাম, লুটন ব্র্যাডফোর্ডতেও উল্লেখযোগ্যক সংখ্যক বাংলাদেশী বাস করেন। ম্যানচেস্টার, নিউক্যাসেল, কার্ডিফ কিছু সংখ্যক বাংলাদেশী বাস করেন। বাংলাদেশীরা অভিবাসী জনসংখ্যার ভেতরে অন্যতম বড় দল এবং তারা অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল তরুণতম দল।২০০১ সালের আদমসুমারী পরিসংখ্যান অফিস থেকে ২০০৬ সালের পাওয়া চিত্র থেকে দেখা যায় যে ব্রিটেনে প্রায় ৩০০০০০ বাংলাদেশী বসবাস করে। বর্তমানে অনুমান করা হয় যে প্রায় ৫৫০০০০ বাংলাদেশী এখানে বসবাস করছে। যাদের মধ্যে ৯৫% অভিবাসী সিলেটি। বাংলাদেশীরা একটি বড় সমসত্ত্ব সম্প্রদায় তৈরি করেছে। এখানে বেকার সমস্যা বাড়ছে জনসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশী স্বাস্থ্যগত সমস্যাও রয়েছে।. বর্তমানের বাংলাদেশী প্রজন্ম একটি উন্নতিলাভ করা প্রজন্ম যারা মূলধারার ব্যবসা-বাণিজ্য রাজনীতিতে তাদের জায়গা করে নিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সম্প্রদায়রা এখানে সাম্প্রতিককালে আসা শুরু করলেও বাংলাদেশী সিলেটিরা এখানে সুপ্রতিষ্ঠিত। == ইতিহাস == বাঙ্গালীরা ১৯ শতকে ব্রিটেনে আসা শুরু করে। ১৮৭৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে সিলেটি বাংলাদেশীরা রাঁধুনি হিসেবে এখানে আসে রেঁস্তরাতে কাজ করার জন্য। লেখক ক্যারোলাইন অ্যাডামস নথিভুক্ত করেন যে ১৯২৫ সালে একজন হারিয়ে যাওয়া বাঙ্গালী তার অন্য সঙ্গীদের খোঁজ করছিল। প্রথম দিকের আসা বাংলাদেশীদের আগমনটা ছিল "শিকল অভিবাসন" প্রক্রিয়ায়, যেখানে সিলেটের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা বাঙ্গালীরা তাদের নিয়ে আসতে থাকেন।সংঘর্ষ থেকে পালাতে, ভালো কাজের খোজে ভালো থাকা-খাওয়ার জন্য তারা এভাবে আসতে থাকেন। ৫০ ৬০-এর দশকে চাকুরীর খোঁজে বাঙ্গালী মানুষজন ইংল্যান্ডে আসতে থাকেন। বেশির ভাগ বাঙ্গালী টাওয়ার হেমলেট বিশেষ করে ব্রিকলেন স্পিটালফিল্ডের চারিদিকে তারা স্থায়ী হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় অনেক সিলেটি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। অনেকে আবার সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসেন এখানে। সত্তরের দশকে ব্রিটেনের পরিবর্তিত অভিবাসন আইন আরও বেশি বাংলাদেশির পক্ষে ব্রিটেনে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশিরা নবোদ্যমে ব্রিটেন গমন সেখানে বসতি স্থাপন শুরু করেন। এই নতুন অভিবাসীরা প্রাথমিক ভাবে নিম্ন আয়ের খাতগুলোতে নিযুক্ত হয়েছিলেন- কর্মস্থল প্রধানত ছিল মাঝারি দক্ষতাবিশিষ্ট শ্রম প্রয়োজন হয় এমন কারখানা বস্ত্রশিল্প। ব্রিটেনে দক্ষিণ এশীয় খাবার, যা যুক্তরাজ্যে মূলত ভারতীয় খাবার হিসেবে প্রসিদ্ধ, এর প্রসার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পর বাংলাদেশিদের অনেকেই ক্যাফে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেন। এখান থেকেই লন্ডনের ব্রিক লেন আশপাশের এলাকায় বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ ছোট দোকানের প্রসার শুরু হয়। একই সাথে পূর্ব লন্ডনে ধীরে ধীরে বাংলাদেশি সংস্কৃতি জীবনযাত্রার প্রভাব অবস্থান দৃঢ় হতে থাকে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের একটি বড় অংশ লন্ডনের ব্রিক লেন অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। জায়গাটি '''বাংলা টাউন''' নামে খ্যাত শুরুর দিকের বাংলাদেশিরা মূলত টাওয়ার হ্যামলেটস আশপাশের অঞ্চলের ছোট কামরাবিশিষ্ট বাসস্থানে বসবাস করতেন। এদের মাঝে পুরুষরা অধিকাংশই ছিলেন স্বল্পশিক্ষিত এবং ইংরেজি ভাষায় অদক্ষ। এর ফলে স্থানীয় ইংরেজিভাষীদের সাথে সহজে মনের ভাব প্রকাশে এরা অক্ষম ছিলেন। অপর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার ফলে এরা ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষাও গ্রহণ করতে পারছিলেন না। এদের অনেকেই স্থানীয় কিছু ব্রিটিশের ব্যবসায়িক লক্ষ্যে পরিণত হন। দূর্বল মালিকানার অনেক বাড়ি সময়ে ব্রিটিশ মালিকরা সিলেটি অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করা শুরু করেন। সত্তরের দশকের শেষভাগে ব্রিক লেন একটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত হয়। সময়ই অঞ্চলটির ভূতপূর্ব ইহুদি সমাজের আধিপত্যের পতন ঘটছিল। এক্ষেত্রে ব্রিক লেনে বাংলাদেশিরা মূলত ইহুদি অভিবাসীদেরকে প্রতিস্থাপন করছিলেন। পূর্ব লন্ডনে বাংলাদেশিদের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যের ফলে ইহুদিরা লন্ডনের অন্যান্য অঞ্চলে সরে যেতে থাকেন। অবশ্য দীর্ঘদিন যাবত বসবাসকারী ইহুদিদের অনেকেই ব্রিটেনের মূলধারার সাথে মিশে যেতে শুরু করেছিলেন। ব্রিক লেন আশপাশের অঞ্চলে ইহুদিদের মূল ব্যবসা যেমন বেকারি গয়নার দোকান, এগুলো যথাক্রমে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ শাড়ীর দোকানে পরিণত হয়। প্রশস্ত সিনেগাগগুলোর (ইহুদি উপাসনালয়) অনেকগুলোই পরিণত হয় বাংলাদেশিদের কাপড়ের কারখানায়। ফোরনিয়ার স্ট্রিট ব্রিক লেনের সংযোগস্থলে অবস্থিত অধুনা গ্রেট লন্ডন মস্ক, যেটি অঞ্চলে জামে মসজিদ হিসেবে বেশি খ্যাত, এই ভবনটিই আগে স্পাইটালফিল্ড সিনেগাগ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। উল্লেখ্য যে এই ভবনটি লন্ডনের পরিবর্তনশীল অভিবাসী সমাজের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। ভবনটি ১৭৪৩ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি ফরাসি প্রটেস্ট্যান্ট গির্জা হিসেবে। ১৮১৯ সালে এই গির্জাকে মেথডিস্ট চ্যাপেলে পরিণত করা হয়। উনিশ শতাব্দীতে লন্ডনে ইহুদি অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে এই ভবনেই ১৮৯৮ সালে স্পাইটালফিল্ড সিনেগাগ স্থাপন করা হয়। পরে জামে মসজিদ স্থাপনের আগে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ভবনটি কিনে নেন। ব্রিক লেন অঞ্চলে আগে থেকেই বর্ণবাদী সন্ত্রাসের নজির ছিল, পরে বাংলাদেশি অভিবাসীরাও যার শিকার হয়েছেন। মূলত ১৯৩০ সালে ফ্যাসিস্ট রাজনীতিক অসওয়াল্ড মোসলের নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসের সূত্রপাত হয়। তিনি ব্ল্যাক শার্ট নামক একটি দল পরিচালনা করতেন, যেটি সময়ে অঞ্চলে ইহুদিদের অভিবাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিল। বাংলাদেশি সিলেটিদের উত্থান ঘটার পরও কাছাকাছি বেথনাল গ্রিন অঞ্চলে ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামক সংগঠন অভিবাসন-বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করছিল। এছাড়া কিছু শ্বেতাঙ্গ তরুণ স্কিনহেড পরিচয়ে সংগঠিত হয়ে অঞ্চলের বাংলাদেশি অভিবাসীদে উপর বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলা চালাতো। এই হামলাগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশি শিশুদেরকে উত্ত্যক্ত করা, তাদের দেখলে গায়ে থুতু ছিটানো, পথেঘাটে কর্মজীবি নারীদের উপর আক্রমণ করা, বাংলাদেশি মালিকানাধীন ঘরবাড়ি দোকানপাটে আক্রমণ ভাংচুর ইত্যাদি। সময়ে বাংলাদেশি শিশুদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্কুলগমন ব্যাহত হতে থাকে। মা-বাবারা বর্ণবাদী আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে শিশুদেরকে বাড়িতে অবস্থান করতে বাধ্য করতেন। বর্ণবাদী হামলার আশঙ্কায় কর্মজীবি বহির্গামী বাংলাদেশি সিলেটি নারীরা একা চলাফেরা থেকে বিরত থাকতেন এবং যেখানেই যেতে কয়েকজন একসাথে যেতেন। বর্ণবাদীদের দ্বারা অগ্নিসংযোগের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট নির্বিশেষে বাংলাদেশি মালিকানাধীন যেকোন ভবনে বিশেষ অগ্নিনির্বাপক সতর্কতা অবলম্বন করা হত। এই সময় বাংলাদেশি অভিবাসীদের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে লন্ডনে অগ্নিসহ চিঠির বাক্সের প্রচলন ঘটে। মে, ১৯৭৮ তারিখে ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি বস্ত্র শ্রমিক আলতাব আলী তিন ব্রিটিশ কিশোরের আক্রমণে নিহত হন। বর্ণবাদী এই হামলাটি অ্যাডলার স্ট্রিট ওয়াইটচ্যাপেল রোডের সংযোগস্থলে ঘটে, যখন আলতাব কাজ থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এই হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশি অভিবাসীরা ঘুরে দাঁড়ান। তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে পুরো ব্রিক লেন অঞ্চল বন্ধ করে দেন। তাদের মূল দাবী ছিল ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামক বর্ণবাদী যুব সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি তরুণরা বাংলাদেশ ইয়ুথ মুভমেন্ট গঠন করেন। ১৪ মে তারিখে সাত হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আলতাব আলীর কফিন নিয়ে হাইড পার্কের উদ্দেশ্যে মিছিল বের করেন। এরই মাঝে কিছু বাংলাদেশি তরুণ ন্যাশনাল ফ্রন্টের বিরুদ্ধে স্থানীয় ছোট ছোট দল গড়ে তুলেন এবং বর্ণবাদী ব্রিটিশ তরুণদের চিহ্নিত করে তাদের উপর একাধিক হামলা চালান। সেই থেকে আলতাব আলীর নামটি বর্ণবাদবিরোধী মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ ছিল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশীয় কোন জনসমষ্টির প্রথম সংগঠিত আন্দোলন। এই আন্দোলন অধুনা ব্রিটিশ বাংলাদেশি সমাজের ঐক্য স্বকীয়তাবোধেরও শিকড়ের গভীরে অবস্থান করছে। ঘটনার পর হত্যাকান্ডের স্থান অর্থাৎ অ্যাডলার স্ট্রিট সংলগ্ন একটি উদ্যানের নাম দেওয়া হয় আলতাব আলী পার্ক। ১৯৯৩ সালে এককালের বর্ণবাদী, বর্তমানে অতিডান রাজনৈতিক দল ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টির আক্রমণে কিছু বাংলাদেশি ছাত্র প্রচন্ড আহত হলে বাংলাদেশিরা অনুরূপ আন্দোলন গড়ে তুলে তার জবাব দেন। ১৯৮৮ সালে সেইন্ট অ্যালবানস শহরের পৌর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের সিলেট শহরের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে। সিলেট হতে আগত বাংলাদেশিরা সেইন্ট অ্যালবানস শহরের বৃহত্তম অভিবাসী সমাজ হওয়াতে শহর কর্তৃপক্ষ তাদের সন্মানে এই আনুষ্ঠানিকতার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের এপ্রিলে লন্ডন বোরো অফ টাওয়ার হ্যামলেটস নগর পরিষদ স্পাইটালফিল্ডের সংসদীয় আসনের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিবর্তন করে '''স্পাইটাল ফিল্ড বাংলাটাউন''' নাম প্রদান করে। এই নাম প্রদানের দিনটি অঞ্চলের রাস্তাঘাট ল্যাম্পপোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার লাল সবুজ রং ব্যবহার করে উদযাপন করা হয়। উল্লেখ্য ইতমধ্যেই অঞ্চলের প্রতি পাঁচজন অধিবাসীর তিনজন ছিলেন সিলেটি বাংলাদেশি বংশোদ্ভুদ। == অবদান == রুশনারা আলী প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপি অনেক বাংলাদেশী মনে করে যে তাদের ব্রিটিশ সমাজের সাথে মিলে চলা উচিত।তারা স্থানীয়ভাবে রাজনীতিতে অনেক সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার জাতীয়ভাবেও বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন।২০১০ সালে লেবার পার্টি থেকে রুশনারা আলী প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ১০০০০ ভোটের ব্যবধানে। হাউজ অব লর্ডসে প্রবেশকারী প্রথম বাংলাদেশী মুসলিম হলেন মানযিলা পলা উদ্দিন।আনোয়ার চৌধুরী প্রথম বাংলাদেশী ব্রিটিশ হাই কমিশনার ছিলেন ২০০৪ সালে বাংলাদেশে। ডক্টর মুহম্মদ আব্দুল বারী বর্তমানে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের চেয়ারম্যান যা সবচেয়ে বড় মুসলিম সংগঠন দেশের। মুরাদ কোরেশী একজন শ্রমিক রাজনীতিবিদ গ্রেট লন্ডন অ্যাসেম্বলীর সদস্য। বিবিসির শিশুদের জন্য অনুষ্ঠান ব্লু পিটারে কনি হক দীর্ঘদিন উপস্থাপনা করেছেন। লিসা আজিজ স্কাই নিউজে তাসমিন লুসিয়া খান বিবিসি নিউজ নিনা হোসেন আইটিভি বিবিসি লন্ডনে উপস্থাপনা করেছেন। শেফালী চৌধুরী আফসান আজাদ দুইজনই হ্যারি পটার সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।মামজি একজন হিপহপ আর এন বি শিল্পী প্রথম বাংলাদেশী যিনি তার সিঙ্গেল ওয়ান মোর ড্যান্স প্রকাশ করেছেন। একজন তারকা শেফ হলেন টমি মিয়া। আকরাম খান একজন নৃত্যশিল্পী কোরিওগ্রাফার। রুনা ইসলাম একজন সিনেমা শিল্পী চিত্রশিল্পী। == তরুণ দল == একটি দল গ্লোব টাউন ম্যাসিভ তরুণ বাংলাদেশীরা ইংল্যান্ডে নানা দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তারা এলাকার দখল নিয়ে একে অপরের সাথে মারামারি করে।তারা ফ্যাশনেবল জামা, জুতা ব্র্যান্ডের পোশাক পরিধান করে এবং দামী মোবাইল সেট ব্যবহার করে। ২৬ থেকে ২৭ টার মতো দল আছে সেখানে এবং প্রায় ২৫০০ মতো তরুণ ছেলে মেয়ে এসবের সাথে জটিত।এসব দুষ্ট দলেরা তাদের নামের শেষে পসি বা ম্যাসিভ ব্যবহার করে।এরকম দু’টি দল হলো স্টিফানি গ্রীন পসি ব্রিক লেন ম্যাসিভ। আরো ছোট দল হলো বেঙ্গল টাইগারস বেথনাল গ্রীন বয়েজ ক্যানন স্ট্রীট পসি শ্যাডওয়েল ক্রু। অতীতে এসব দল ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি উঁচু শ্রেণীর ড্রাগ ব্যবহার করত।যাই হোক তাদের আগ্রহ পরিবর্তিত হয়ে এখন জায়গা দখলের ওপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে।তারা এসব মারামারিতে সামুরাই তলোয়ার, কিচেন ছুরি মাংস কাটার ছুরি ব্যবহার করে যদিও তারা আগ্নেয়াস্ত্র খুব কমই ব্যব। তারা একবার উৎসাহিত হয়ে তাদের ব্রিকলেন থেকে সব সাদা চামড়ার যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ করে দিতে চেয়েছিল। তারা আবার ডায়েট নিয়ন্ত্রণ করে পর্ক খেতে চায় না অ্যালকোহলও নেয় না। কিন্তু বিনোদনের জন্য ড্রাগ নেয় যেমন হেরোইন। === জনসংখ্যা === ১৫৩৮৯৩ জন বাংলাদেশী লন্ডনে থাকে যা মোট ইংল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদের ৫৪.৩৭%। টাওয়ার হেমলেটে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী থাকে যা এলাকার মোট লোকের ৩৩.৫%। ২৩২০০ বাঙ্গালী থাকে বামিংহামে, ১১০০০ বাংলাদেশী থাকে ওল্ডহ্যামে ৭৬৪১ জন থাকে লুটনে ।৫৩% ব্রিটিশ বাংলাদেশীর জন্ম বাংলাদেশে। ৩৮ ভাগের বয়স ১৬ বছরের নিচে ৫৯ ভাগ ১৬ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে মাত্র ৩% লোকের বয়স ৬৪ বছরের ওপরে ব্রিটিশ বাংলাদেশীর ৬৪% হলো পুরুষ মানুষ। == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == Ali, M. (2003). ''Brick Lane''. London: Black Swan. Swadhinta Trust CRONEM (2006). ''Tales of Three Generations of Bengalis in Britain: Bengali Oral History Project'' University of Surrey. Clarke, C; Peach, C. and Vertovec, (1990). ''South Asians overseas migration and ethnicity'' Cambridge; New York Cambridge University Press. Eade J; Momen (1995). ''Bangladeshis in Britain national database.'' Centre for Bangladeshi Studies. Hussain, (2005). ''Writing Diaspora: South Asian Women, Culture, and Ethnicity'' Ashgate Publishing, Ltd. Abbas, T. (2005). ''Muslim Britain: Communities Under Pressure'' Zed Books. Phillipson C., Ahmed N., Ahmed N. R., Latimer J. (2003). ''Women in Transition: Study of the Experiences of Bangladeshi Women Living in Tower Hamlets'' The Policy Press. Dorling D., Thomas B. (2004). ''People and Places: 2001 Census Atlas of the UK'' The Policy Press. Kershen, J. (2002). ''Food in the Migrant Experience'' Ashgate. Marks L., Worboys M. (1997). ''Migrants, Minorities, and Health'' Routledge. Gregory E., Williams A. (2000). ''City Literacies'' Routledge. Simpson A. A., Simpson A. (2007). ''Language and National Identity in Asia'' Oxford University Press. Loury G. C., Modood T., Teles S. T. (2005). ''Ethnicity, Social Mobility, and Public Policy: Comparing the USA and UK'' Cambridge University Press. Gilbert P. K. (2002). ''Imagined Londons'' SUNY Press. Shakur T, D'Souza K. (2003). ''Picturing South Asian Culture in English: Textual and Visual Open House Press. Iredale R. R., Guo F., Rozario S. (2003). ''Return Migration in the Asia Pacific'' Edward Elgar Publishing. == বহিঃসংযোগ == ব্রিটিশ বাংলাদেশী সংবাদ বাংলাদেশ হাই কমিশন UK in Bangladesh ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন British Bangladeshi Who's Who 2008 Street Food London's Brick Lane Down the Surma Origins of the Diaspora Bondor Bazar to Brick Lane Subject Guide on Bangladeshi London'''দ্য ব্ল্যাক ডাহলিয়া মার্ডার''' একটি আমেরিকান হেভি মেটাল ব্যান্ড যা ২০০১ সালে মিশিগানের ওয়াটারফোর্ড শহরে গঠিত হয়। তারা পর্যন্ত ৪টি পূর্ণাঙ্গ স্টুডিও অ্যালবাম বের করেছে বর্তমানে মেটাল ব্লেড রেকর্ডস-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ আছে। তাদের ব্যান্ডের নাম রাখা হয়েছে এলিজাবেথ শর্টের অমীমাংসিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যাকে ব্ল্যাক ডাহলিয়া নামেও ডাকা হয়। ২০০১ সালের জানুয়ারীতে ব্যান্ডটি তাদের প্রথম ডেমো বের করে যার নাম হোয়াট হরিবল নাইট টু হ্যাভ কার্স। ২০০৩ সালে দ্য ব্ল্যাক ডাহলিয়া মার্ডার মেটাল ব্লেড রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। ব্যান্ডটির ২য় অ্যালবাম মিয়াসমা ১১৮ নাম্বার অবস্থানে আসে বিলবোর্ডে। তাদের ৩য় অ্যালবাম নকট্যার্নাল বিলবোর্ডে ৭২ নাম্বার অবস্থানে আসে ২০০৭ সালে। তারপর তারা তাদের মাইস্পেস-এ ঘোষণা দেয় যে তারা ক্যানিবাল করপস ব্যান্ডের সাথে আমেরিকা সফরে বের হবে তাদের অ্যালবামটির প্রচারণার জন্য ব্যবসায় মেটাল ব্লেড রেকর্ডসের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করতে। এই যাত্রায় আরো অংশ নেয় দ্য রেড কর্ড, এয়ন, দ্য অ্যাবসেন্স গোটহোর। ২০০৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ব্যান্ডটি তাদের ৪র্থ অ্যালবাম ডিফ্লোরেট বের করে যা ৪৩তম অবস্থানে চলে আসে বিলবোর্ড ২০০তে। তার চিল্ড্রেন অব বডম স্কেলেটনউইচ ব্যান্ডের সাথে সফর করে অ্যালবামটির প্রচারণায়। দ্য ব্ল্যাক ডাহলিয়া মার্ডার মূলত মেলোডিক ডেথ মেটাল, মেটালকোর, এবং ডেথকোর ধারার গান পরিবেশন করে। ব্যান্ডটি ডেথ মেটাল ধারার গানের শব্দ ধরনও অনুসরণ করে থাকে। তাদের গানে ব্ল্যাস্ট বীটের ব্যবহারও লক্ষণীয়। মাইস্পেসে তাদের ভাষ্য অনুযায়ী তারা কারকাস, অ্যাট দ্য গেটস, ডার্কেনে, ডিসেকশন, ডার্কথ্রোন, মরবিড এ্যাঞ্জেল, দ্য হন্টেড, ইন ফ্লেমস, ডাইমেনশন জিরো, আয়রন মেইডেন, মেটালিকা মেগাডেথের গানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত, ব্যান্ডের ভোকাল ট্রেভর স্ট্রনার্ড তার গায়কীতে উচ্চমাত্রার চিৎকারের সাথে সাথে ডেথ মেটালের মতো গর্জনও দিতে পারেন। == বর্তমান সদস্য == ট্রেভর স্ট্রনার্ড ব্রায়ান এসচবাচ রায়ান নাইট রায়ান ব্রাট উইলিয়ামস শ্যানন লুকাস == ডিস্কোগ্রাফি == আনহলোড (২০০৩) মিয়াসমা (২০০৫) নকট্যার্নাল (২০০৭) ডিফ্লোরেট (২০০৯) == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মাইস্পেসে দ্য ব্ল্যাক ডাহলিয়া মার্ডার মেটাল সঙ্গীত দলকালভৈরব মন্দির '''কালভৈরব মন্দির''' বাংলাদেশের জেলায় অবস্থিত অন্যতম ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মূলত এটি শ্রীশ্রী কালভৈরবের মূর্তি। শ্রী শ্রী কালভৈরব হচ্ছে হিন্দু দেবতাবিশেষ। শিবের অংশ থেকে বা দেহ থেকে জাত ভৈরববিশেষ। ধারণা করা হয় যে, ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি বা বিগ্রহ হিসেবে শ্রীশ্রী কালভৈরবের অবস্থান। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র হিসেবে মূর্তিটির অবস্থান শহরের অদূরে মেড্ডা এলাকায়। তিতাস নদীর কূল ঘেঁষে অবস্থিত কালভৈরব একটি ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী মন্দির হিসেবে বিখ্যাত। মন্দিরটির প্রধান আকর্ষণই হচ্ছে কালভৈরব বা শিব মূর্তি। সুবিশাল মূর্তিটির উচ্চতা ২৮ ফুট। বিশাল আকৃতিবিশিষ্ট চোখ ধাঁধানো মূর্তিটি ১৯০৫ সালে তৈরী করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম দর্শনে যে কেউই ভয় পেয়ে যেতে পারেন বিরাট আকারের মূর্তি দেখে। মূর্তিটির ডান পাশে রয়েছে একটি কালী মূর্তি এবং বাম পাশে পার্বতী দেবী। == ইতিহাস == কথিত আছে যে, কাশীশ্বর দেবাদিদেব মহাদেব একদিন নিজ শরীরের অংশ থেকে কালভৈরবের সৃষ্টি করেন এবং তার প্রতি কাশীধাম রক্ষার ভার প্রদান করে বলেন, পূর্বে ব্রহ্মার পাঁচটি মুখ ছিল। তিনি নিজ কন্যাভিগমন পাপে লিপ্ত হয়ে কাশীধামে সমাগত হলে কালভৈরব মহাদেবের নির্দেশ অনুসারে নিজ বাম হাতের নখের অংশ দিয়ে ব্রহ্মার এক মুখ ছেদন করেন। সেই হতে ব্রহ্মা চতুর্মুখ হলেন এবং যে স্থানে তার মুণ্ড পতিত হয়েছিল তা কপালমোচনতীর্থ নামে খ্যাত হয়। কালীশ্বর শ্রীশ্রী কালভৈরবের আবির্ভাবের পর স্বপ্নে আদেশ পেয়ে স্থানীয় দূর্গাচরণ আচার্য মাটি দিয়ে নির্মাণ করেন এই অতি বিরাটাকার কালভৈরবের বিগ্রহ। তিনি ছিলেন ফুলবাড়িয়া গ্রামের স্থায়ী অধিবাসী এবং প্রখ্যাত মৃন্ময়মূর্তি প্রস্তুতকারক শিল্পী। এছাড়াও, তিনি মূর্তির পাশে নির্মাণ করেন শিবের স্ত্রী পার্বতীর মূর্তি। দুর্গাচরণ প্রথমে তিতাস পঞ্চবঢী মূলে মূতিটি স্থাপন করে পুজার্চনার ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি স্থানীয় ভক্তবৃন্দের আন্তরিক সহায়তায় পূজা-অর্চনা শুরু করেন তখন থেকেই, যা নিয়মিতভাবে প্রচলিত হয়ে আসছিল ১৯৭১ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কালভৈরবের বিগ্রহটি পাক হানাদার বাহিনীর নজরে এলে তারা বৈদ্যুতিক ডিনামাইটের আঘাতে শিব পার্বতী মূর্তির অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরে বিশ্ববরেণ্য দার্শনিক ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী মহারাজের অনুপ্রেরণায় স্থানীয় কর্মীদের নিরলস কঠোর প্রচেষ্টা এবং সর্বস্তরের জনগণের সাহায্য সক্রিয় সহযোগিতায় সূদীর্ঘ চার বছর কাজের পর আবারো ২৪ ফুট উঁচুবিশিষ্ট উপমহাদেশের বিশালতম এই কালীশ্বর শ্রীশ্রী কালভৈরবের বিগ্রহ মন্দির পুণরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রীশ্রী কালভৈরব মূর্তিটির পাশে ছিল শ্রীশ্রী কৈলাশ্বেশ্বর শিবলিঙ্গ, যা ১০৫ বছরের পুরনো। এটি ১১ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি। মন্দিরের বাম পাশে এই শিবলিঙ্গ মন্দিরটি আলাদা ভবনে অবস্থিত। ১২ জুন, ২০০৯ইং তারিখে মন্দিরের তালা ভেঙে ভোররাতে শত বছরের পুরনো শিবলিঙ্গটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। ১৯ অক্টোবর, ২০০৯ইং তারিখে কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গটি তিন মাস পর উদ্বার করে র‌্যাব-৯ এর সদস্যরা। শহরের পুনিয়াউট এলাকা থেকে শিবলিঙ্গটি উদ্বার করা হয়। পাচারের অভিযোগে করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে র‌্যাব এর একটি চৌকস দল তাদের কাছে কষ্টি পাথরটি কিনতে যায় মূর্তিটি কোটি টাকা মূল্য দিয়ে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলে জনকে গ্রেফতার করে সদর থানায় সোপর্দ করে। কালভৈরব মন্দিরের প্রধান বিগ্রহ কালভৈরব == অবস্থান == কালভৈরব মন্দিরের স্থানটি সরাইলের বিখ্যাত জমিদার নূর মোহাম্মদ দান করেছিলেন। শহর প্রতিষ্ঠার পূর্বে মেড্ডা ছিল তিতাস তীরবর্তী বাজার। এই মন্দিরের মূল কালভৈরবের বয়স প্রায় তিনশ' বছর। শহরের উত্তর সীমানায় শান্ত তিতাস নদীর পশ্চিম পার্শ্বে মেড্ডা গ্রামের এই জায়গা তখন ছিল পঞ্চবটের জন্য বিখ্যাত। সেখানেই পঞ্চবটির মূলে স্ব-মহিমায় আবির্ভূত হন কালীশ্বর শ্রীশ্রী কালভৈরব। == অনুষ্ঠানমালা == প্রতি বছর বাংলা সালের ফাল্গুনী শুক্লা সপ্তমী তিথিতে চার দিনব্যাপী পূজা, হোমযজ্ঞ প্রতিষ্ঠা উৎসব অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পূজা অনুষ্ঠানে ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইংল্যান্ড, জাপান, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পূজারীরা ভিড় জমান। দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটকও এখানে ভিড় করেন সময়। উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এছাড়াও, প্রতিদিনই দর্শনার্থী পূজারীদের ভিড় লেগেই থাকে। == ব্যবস্থাপনা == প্রাচীনতম মন্দির হিসেবে শ্রীশ্রী কালভৈরব মন্দিরে রয়েছে প্রধান আকর্ষণ শ্রীশ্রী কালভৈরব বিগ্রহ। এছাড়াও, দেবী পার্বতী, কালী মূর্তি, শ্রীশ্রী কৈলাশ্বেশ্বর শিবলিঙ্গ, সরস্বতী দেবী প্রভৃতি। কালের স্বাক্ষী হিসেবে রযেছে সুদৃশ্যমান এক জোড়া মঠ। এছাড়াও, শ্রীশ্রী কালভৈরব নাটমন্দির, দূর্গামন্দির ইত্যাদি। এগুলোর তত্ত্বাবধান মন্দির পরিচালনায় একটি সুদক্ষ পরিচালনা কমিটি রয়েছে। এছাড়াও, পূজা-অর্চনা, নিত্যকর্মসহ অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদনের জন্য পুরোহিত তার পরিবার মন্দিরের অভ্যন্তরে অবস্থান করেন। মন্দিরের ভেতরে শ্রীশ্রী কালভৈরবের বিগ্রহটি লোহার ফটকে সর্বদাই তালাবদ্ধ থাকে। এর সামনে রয়েছে দান বাক্স। যে-কেউই সাধ্যমত অর্থ প্রদান করতে পারেন যা মন্দির রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুসাঙ্গিক কাজে ব্যয় করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ণে ব্যবস্থাপনায় মন্দিরভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। == তথ্যসূত্র == সরল বাঙালা ব্যাকরণ, সুবলচন্দ্র মিত্র, নিউ বেঙ্গল প্রেস প্রাইভেট লিঃ, কলিকাতা, ১৯৯৫। ==বহিঃসংযোগ== স্থাপনা ধর্ম জেলা'''অমিয়া দত্ত''' (জন্ম: ১৯১৮ মৃত্যু: এপ্রিল ২৭, ১৯৪৯) বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামের সক্রিয় কর্মী সমাজসেবী। == প্রাথমিক জীবন == অমিয়া দত্ত ১৯১৮ সালে বিক্রপুরের (বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলা) বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম অতুলচন্দ্র গুহ এবং মাতা প্রিয়লতা গুহ। মাত্র ১২ বছর বয়সে অমিয়ার পিতা মারা যান। এবং এক বছর পরে মাত্র ১৩ বছর বয়সে অষ্টমশ্রেনীতে পড়ার সময় ঢাকা কালেকটরেটের কর্মী রবীন্দ্র মোহন দত্তের সাথে অমিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কারনে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়। তবে বিয়ে হয়ে গেলেও তিনি প্রায়ই বজ্রযোগিনী গ্রামে এসে থাকতেন। এসময় তিনি তার এলাকায় স্বাধীনতা সংগ্রামে বিপ্লবীদের কর্মকান্ড এবং গ্রামের লোকজনের বিপ্লবীদের সহায়তা করা এসব কিছু দেখে অমিয়ার মনে স্বদেশীকতা এবং দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয়; তিনি প্রভাবিত হন বিপ্লবী ভাবধারায়। অমিয়ার ছোট ভাই রবি গুহ ছাত্রাবস্থাতেই কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। ভাইয়ের কাছে তিনি দিক্ষা নেন। গোপনে গোপনে পারিবারিক অণুশাসনের উপেক্ষা করেই পার্টির কাজ করতে শুরু করেন। == কর্মজীবন == বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি এড়িয়ে ১৯৪৩ সালে অমিয়া দত্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। বছর দূর্ভিক্ষের সময় ঢাকা শহরের সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, নারিন্দা, ওয়ারি, তাঁতিবাজার প্রভৃতি একালায় অমিয়া দত্তের নেতৃত্বে ''মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি'' ত্রাণের কাজে সক্রিয় উদ্যোগ নেয়। ঘরকন্যার সব কাজ করেও অমিয়া ত্রাণ শিবিরে দুঃস্থ অসহায় নারীদের আশ্রয়দানের কাজের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। গেণ্ডারিয়ায় অবস্থিত অনাথ শিশু ভবনটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল তার। বিক্রমপুরের আরেক প্রখ্যাত সমাজসেবী কংগ্রেসনেত্রী আশালতা সেনের কাছ থেকে তিনি ব্যাপারে বহু সাহায্য পেয়েছিলেন। ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সরকার আন্দামান জেল থেকে কয়েকজন বন্দীকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে এলে তাদের মধ্যে কয়েকজন কমরেড গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেন। অসুস্থদের ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঢাকায় তখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে। পার্টি থেকে অমিয়াকে অসুস্থ বন্দীদের সাথে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দিলে মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় পুলিশের চোখ এড়িয়ে নার্সের বেশে তিনি পার্টির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, চিঠি এবং তথ্য আদান-প্রদান করতেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় অমিয়ার পরিবার ভারতে চলে যান। প্রথমে হাওড়ার কদমতলায় পরে বাজেশিবপুরে বাসা ভাড়া করেন। সেখানে গিয়েও তিনি পার্টি এবং মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের ডুবরী ভেরী গ্রামের আন্দোলনে অনেক কৃষক শহীদ হন। এই সময়ে ব্যাপক ধরপাকরে বহু কমিউনিস্ট কারারুদ্ধ হন। জেলে অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মর্যাদার দাবীতে তারা জেলের ভেতরেই সংগ্রাম শুরু করেন। সময় তাদের সমর্থনে বিভিন্ন সংগঠন থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। ২৭ এপ্রিল রাজবন্ধীদের মর্যাদা মুক্তির দাবিতে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি কলকাতার ভারতসভা হলে সমাবেশের আয়োজন করে। পরিকল্পনা মোতাবেক তদানিন্তন মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধানচন্দ্র রায়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে ভারতসভা হল থেকে কয়েকশত মহিলার দৃপ্ত মিছিল বৌবাজার কলেজ স্ট্রিট সংযোগস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে লিতকা সেন, প্রতিভা গাঙ্গুলী, গীতা মুখোপাধ্যায়সহ অমিয়া দত্ত নিহত হন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মৃত্যু সমাজসেবক জন্ম জেলার ব্যক্তি মার্কসবাদী'''পুরনুলুলু জাতীয় উদ্যান''' বা '''পুরনুলুলু ন্যাশনাল পার্ক''' পশ্চিম অষ্ট্রেলিয়ার কিংবারলে অঞ্চলে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। স্থানটি ১৯৮৭ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষিত হয়। == তথ্যসূত্র == == বাড়তি পঠন == Hoatsan, Dean et al.(1997) ''Bungle Bungle Range Purnululu National Park, East Kimberley, Western Australia guide to the rocks, landforms, plants, animals, and human impact'' Canberra Australian Geological Survey Organisation. == বহিঃসংযোগ == World heritage listing for Purnululu National Park Purnululu National Park Gallery জাতীয় উদ্যানকলকাতার ময়দান অঞ্চলে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি '''মাতঙ্গিনী হাজরা''' (১৮৬৯–১৯৪২) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক মহান বিপ্লবী নেত্রী। ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তদনীন্তন মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার সামনে ব্রিটিশ ভারতীয় পুলিশের গুলিতে তিনি শহিদ হয়েছিলেন। তিনি "গান্ধীবুড়ি" নামে পরিচিত ছিলেন। == প্রাথমিক জীবন স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ == মাতঙ্গিনী হাজরার প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। শুধু এটুকুই জানা যায় যে, ১৮৬৯ সালে তমলুকের অদূরে হোগলা নামে একটি ছোটো গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল। দারিদ্র্যের কারণে বাল্যকালে প্রথাগত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন মাতঙ্গিনী। অতি অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তিনি মাত্র আঠারো বছর বয়সেই নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হয়েছিলেন। মেদিনীপুর জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল নারীদের এই আন্দোলনে যোগদান। ১৯০৫ সালে প্রত্যক্ষভাবে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মাতঙ্গিনী হাজরা। মতাদর্শগতভাবে তিনি ছিলেন একজন গান্ধীবাদী। ১৯৩২ সালে মাতঙ্গিনী আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন। সেই সময়ে তিনি লবণ আইন অমান্য করে গ্রেফতারবরণ করেছিলেন। অল্পকাল পরেই অবশ্য তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর মকুবের দাবিতে প্রতিবাদ চালিয়ে গেলে আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। এই সময় তিনি বহরমপুরের কারাগারে ছয় মাস বন্দী ছিলেন। তিনি হিজলি বন্দি নিবাসেও বন্দি ছিলেন কিছুদিন। মুক্তিলাভের পর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্যপদ লাভ করেন এবং নিজের হাতে চরকা কেটে খাদি কাপড় বানাতেও শুরু করেন। ১৯৩৩ সালে মাতঙ্গিনী শ্রীরামপুরে মহকুমা কংগ্রেস অধিবেশনে যোগ দিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় আহত হন। == ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশগ্রহণ == ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেস সদস্যেরা মেদিনীপুর জেলার সকল থানা অন্যান্য সরকারি কার্যালয় দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল জেলা থেকে ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদ করে এখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। প্রধানত মহিলা স্বেচ্ছাসেবক সহ ছয় হাজার সমর্থক তমলুক থানা দখলের উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের করে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৭৩ বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরা। শহরের উপকণ্ঠে মিছিল পৌঁছলে রাজপুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই আদেশ অমান্য করে মাতঙ্গিনী অগ্রসর হলে তাকে গুলি করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাতঙ্গিনী এগিয়ে চলেন এবং পুলিশের কাছে আবেদন করেন জনতার উপর গুলি না চালাতে। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের মুখপত্র ''বিপ্লবী'' পত্রিকার বর্ণনা অনুযায়ী, ফৌজদারি আদালত ভবনের উত্তর দিক থেকে মাতঙ্গিনী একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। পুলিশ গুলি চালালে তিনি অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের পিছনে রেখে নিজেই এগিয়ে যান। পুলিশ তিনবার তাকে গুলি করে। গুলি লাগে তার কপালে দুই হাতে। তবুও তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপরেও বারংবার তার উপর গুলিবর্ষণ করা হয়। কংগ্রেসের পতাকাটি মুঠোর মধ্যে শক্ত করে উঁচিয়ে ধরে ''বন্দেমাতরম'' ধ্বনি উচ্চারণ করতে করতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। == উত্তরাধিকার == তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার স্বদেশের জন্য মাতঙ্গিনী হাজরার মৃত্যুবরণের দৃষ্টান্তটিকে সামনে রেখে মানুষকে বিপ্লবের পথে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিল। উল্লেখ্য, এই সমান্তরাল সরকারটি ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সফলভাবে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়। পরে গান্ধীজির অনুরোধে এই সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে অসংখ্য স্কুল, পাড়া রাস্তার নাম মাতঙ্গিনী হাজরার নামে উৎসর্গ করা হয়। স্বাধীন ভারতে কলকাতা শহরে প্রথম যে নারীমূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল, সেটি ছিল মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি। ১৯৭৭ সালে কলকাতার ময়দানে এই মূর্তিটি স্থাপিত হয়। তমলুকে ঠিক যে জায়গাটিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন, সেই জায়গাটিতেও তার একটি মূর্তি আছে। ২০০২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের ডাকবিভাগ মাতঙ্গিনী হাজরার ছবি দেওয়া পাঁচ টাকার পোস্টাল স্ট্যাম্প চালু করে। == তথ্যসূত্র == স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন বিপ্লবী ইতিহাস জন্ম মৃত্যু মেদিনীপুর জেলার ব্যক্তিত্ব ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন বিপ্লবী'''সমবায়''' একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেটি একদল সদস্য তাদের সম্মিলিত কল্যাণের জন্য পরিচালনা করেন। আন্তর্জাতিক সমবায় মৈত্রী (International Co-operative Alliance) তাদের সমবায় পরিচিতি নির্দেশিকাতে সমবায়ের সংজ্ঞা দিয়েছে এই ভাবে যে, সমবায় হল সমমনা মানুষের একটি স্বশাসিত সংগঠন যা নিজেদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে এবং লক্ষে অংশীদারত্ব ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ব্যবসা পরিচালনা করে। একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান এমনও হতে পারে যেখানে ব্যবসাটি এর সুবিধাভোগী সকলে সমভাবে নিয়ন্ত্রণ করে অথবা তারাই এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সমবায় ভিত্তিক ব্যবসা নিয়ে শিক্ষার যে ধারায় পড়ানো হয় তা 'সমবায় অর্থনীতি' নামে পরিচিত। == ইতিহাস == সমবায় সমিতির ইতিহাস প্রায় মানবসভ্যতার ইতিহাসের ন্যায় প্রাচীন। বর্তমানের সমবায় সমিতির সাংঠনিক রূপ প্রতিষ্ঠিত হয় ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের কিছু পূর্বেই। ১৭৬১ সালে সর্বপ্রথম ফেনউইক উইভারস সোসাইটি গঠন করা হয় স্থানীয় তাঁতীদের ঋণসুবিধা, শিক্ষা অভিবাসন সুবিধা দেবার জন্য। পরবর্তীতে শুধু ইংল্যান্ডেই এক হাজারের অধিক সমবায় প্রতিষ্ঠান কর্মকান্ড শুরু করে। == মূলনীতি == সমবায় সংগঠনগুলো কার্যকর ভাবে দক্ষতার সাথে পরিচালনার লক্ষ্যে আন্তজাতিক সমবায় মৈত্রী (International Co-operative Alliance) কর্তৃক সমবায় পরিচিতি নির্দেশিকাতে ৭টি মূলনীতি ঘোষণা করেছে। স্বতঃস্ফূর্ত অবাধ সদস্যপদ (Voluntary and open Membership) সদস্যের গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ (Democratic Member Control) সদস্যের আর্থিক অংশ গ্রহণ (Member Economic Participation) স্বায়ত্বশাসন স্বাধীনতা (Autonomy and Independence) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ তথ্য (Education, Training Information) আন্তঃসমবায় সহযোগিতা (Co-operation among Co-operative) সমাজিক অঙ্গীকার (Concern for Community) == আইনগত ভিত্তি == === বাংলাদেশ === বাংলাদেশের ২০০১ সালে প্রণীত সমবায় আইন/২০০১ ১৪ ধারা অনুযায়ী সমবায় সমিতিগুলো স্বতন্ত্র আইনগত ভিত্তি রয়েছে এবং এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা (Body Coorporate)। এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩-এর (খ) অনুচ্ছেদে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। == তথ্যসূত্র =='''থেভেনিন’স থিওরাম''' অনুযায়ী বর্তনী তত্ত্বে সরল বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কে যে কোন প্রকার বিভব উৎস, বিদ্যুৎ উৎস এবং রোধকের সমাবেশের দুপ্রান্ত বিশিষ্ট বৈদ্যুতিক বর্তনী একটি মাত্র বিভব উৎস এবং সিরিজে থাকা একটি রোধক বিশিষ্ট বৈদ্যুতিক বর্তনীর সমমানের হবে।একক ফ্রিকুয়েন্সি বিশিষ্ট এসি বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কে এটার প্রয়োগ করা যায় ,তবে সেখানে ইম্পিডেন্স হবে শুধু মাত্র রোধক হবে না।১৮৫৩ সালে এই তত্ত্ব প্রথম আবিষ্কার করেন জার্মান বিজ্ঞানী হারমান ভন এটা ১৮৮৩ সালে পুনঃআবিষ্কার করেন ফ্রেঞ্চ টেলিগ্রাফ প্রকৌশলী লিওন চার্লস থেভেনিন (১৮৫৭–১৯২৬)।). এই তত্ত্ব অনুযায়ী বিভব উৎস এবং রোধক বিশিষ্ট একটি বৈদ্যুতিক বর্তনীকে আমরা পরিণত করতে পারি থেভেনিনের সমমানের বৈদ্যুতিক বর্তনীতে; যা একটি সোজা পদ্ধতি বৈদ্যুতিক বর্তনীকে বিশ্লেষণ করার জন্য। থেভেনিনের সমমানের বৈদ্যুতিক বর্তনী ব্যবহৃত হতে পারে একটি ভালো মডেল হিসেবে একটি পাওয়ার সাপ্লাই অথবা ব্যাটারিতে, যেখানে রোধক উপস্থাপন করবে অন্তর্গত ইম্পিডেন্স এবং বিভব উৎস উপস্থাপন করবে তড়িতচ্চালক শক্তিকে।এই বর্তনীতে থাকবে একটি আদর্শ বিভব উৎস সিরিজে সাথে থাকবে একটি আদর্শ রোধক। যেকোন ব্ল্যাক বক্সে আছে একটি মাত্র বিভব উৎস, বিদ্যুৎ উৎস এবং অন্যান্য রোধ যা পরিণত হতে পারে থেভেনিনের সমমানের বৈদ্যুতিক বর্তনীতে যাতে থাকবে একটি মাত্র বিভব উৎস এবং রোধ == থেভেনিনের সমমানের বৈদ্যুতিক বর্তনীর হিসাব == থেভেনিনের সমমানের বৈদ্যুতিক বর্তনীর হিসাব করতে রোধ বিভবের মান জানা জরুরি, তাই আমাদের দুইটি ইকুয়েশন দরকার। নিম্ন লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে আমরা সহজেই এটা পেতে পারিঃ আউটপুট বিভব নির্ণয় কর, ''V''AB যখন খোলা বর্তনী শর্তে কোন বহিঃস্থ বৈদ্যুতিক লোড থাকবে না, মানে অসীম রোধ থাকবে। ওটা হলো ''V''Th। আউটপুট বিদ্যুৎ নির্ণয় কর, ''I''AB যখন আউটপুট প্রান্তগুলো সংযুক্ত করা থাকবে, মানে লোড রোধের মান হবে শূণ্য। ''R''Thসমান ''V''Thভাগ ''I''AB এই সমমানের বর্তনী হলো বিভব উৎস সাথে বিভব ''V''Th যার সাথে সিরিজে থাকবে একটি রোধ ''R''Th। দুই নম্বর ধাপটি হবেঃ প্রতিস্থাপিত করুন বিভব উৎস শর্ট সার্কিটের সাথে এবং বিদ্যুৎ উৎস উন্মুক্ত করুন। নির্ণয় কর প্রান্তের মাঝখানের রোধ, যা হলো ''R''Th থেভেনিনের সমমানের বৈদ্যুতিক বিভব হলো মূল বর্তনীর আউটপুট প্রান্তের বিভব। থেভেনিনের সমমানের বৈদ্যুতিক বিভব নির্ণয় করতে ভোল্টেজ ভাগের সূত্রটা প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ যখন একটা প্রান্তকে আমরা ধরব''V''out এবং অপরটা হবে গ্রাউন্ড। থেভেনিনের সমমানের রোধ হলো বর্তনীর পেছনে তাকিয়ে আমরা যে রোধ পাই এবং প্রান্তের মাঝখানে মান নির্ণয় করে।এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রথমেই সবকয়টা বৈদ্যুতিক উৎস এবং বিদ্যুৎ উৎসকে তাদের অন্তঃস্থ রোধ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা।একটি আদর্শ বিদ্যুৎ উৎসে এটা মানে হলো বিদ্যুৎ উৎস উন্মুক্ত করা এবং আদর্শ বিভব উৎসে এটা মানে বিভব উৎসকে শর্ট সার্কিটের সাথে প্রতিস্থাপিত করা। রোধ নির্ণয় করতে হবে সিরিজ প্যারালাল সূত্র প্রয়োগ করে প্রান্তের মাঝখানে।এই পদ্ধতি কার্যকর শুধুমাত্র মুক্ত উৎসের জন্য।নির্ভরশীল উৎসের জন্য আমরা এবং প্রান্তের মাঝে একটা পরীক্ষামূলক উৎস স্থাপন করব এবং উৎসের মাঝে বিভব এবং বিদ্যুৎ নির্ণয় করব। == উদাহরণ == ধাপ 0: মূল বর্তনী ধাপ ১: সমমানের আউটপুট বিভব নির্ণয় ধাপ ২: সমমানের রোধ নির্ণয় ধাপ ৩: সমমানের বর্তনী উদাহরণে সমমানের বিভব নির্ণয়ঃ :: :: উল্লেখ্য যে ''R''1কে গণ্য করা হয়নি এবং উপরের হিসাব করা হয়েছে উন্মুক্ত শর্তে এবং প্রান্তের মাঝে। যার মানে কোন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়নি R1-এ; যারফলে কোন বিভবের পরিবর্তন হয়নি এই অংশে) সমমানের রোধ নির্ণয়ঃ :: :: == নরটনের সমমানের বর্তনীতে পরিবর্তন == right একটি নরটনের সমমানের বর্তনী থেভেনিনের বর্তনীর সাথে জড়িত নিচের ইকুয়েশনগুলোর মাধ্যমে: == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Origins of the equivalent circuit concept Thevenin's theorem at ECE 209: Review of Circuits as LTI Systems At end, shows application of Thévenin's theorem that turns complicated circuit into simple first-order low-pass filter voltage divider with obvious time constant and gain. বর্তনীএকটি তান্ত্রিক আচারবিশেষ। দক্ষিণাচারে নাস্তিক্যবাদী অস্বীকার করা হয়। এই আচারের বিপরীতে হিন্দুধর্মের সাধারণ সামাজিক রীতিবিরুদ্ধ তান্ত্রিক আচারটি "বামাচার" নামে পরিচিত। সংস্কৃত ''দক্ষিণ'' শব্দের আক্ষরিক অর্থ "ডান"। সংস্কৃত ''আচার'' শব্দটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এন. এন. ভট্টাচার্য লিখেছেন, ''আধ্যাত্মিক প্রাপ্তি সামর্থ্য ভেদে এক এক জনের এক এক রকম হয়... "আচার" সাধারণত সাত প্রকার বেদ, বৈষ্ণব, শৈব, দক্ষিণ, বাম, সিদ্ধান্ত কৌল। এই সাতটি আচার মূলত দক্ষিণ বাম এই দু'টি প্রধান বিভাগের অন্তর্গত। আচারগুলির প্রকৃতি বর্গীকরণ নিয়ে নানা ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে।'' তন্ত্রশাস্ত্র ''ব্রহ্মযামল'' অনুযায়ী, তন্ত্রাচারের তিনটি প্রধান ধারা রয়েছে। যথা, দক্ষিণাচার, বামাচার মধ্যমাচার। এই তিনটি আচার তিন গুণের বৈশিষ্ট্য। দক্ষিণাচার সত্ত্বগুণ, বামাচার রজঃগুণ মধ্যমাচার তমোগুণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনটি ধারার ধর্মাচারণের পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। হিন্দুধর্মের মূলধারার সন্ন্যাসধর্ম ধ্যানপ্রক্রিয়া দক্ষিণাচারের অঙ্গ। == আরও দেখুন == তন্ত্র == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == Bhattacharya, N. N. ''History of the Tantric Religion''. Second Revised Edition. Manohar Publications, Delhi, 1999. Macdonell, Arthur Anthony. ''A Practical Sanskrit Dictionary''. Munshiram Monoharlal Publishers. 1996 Edition. দর্শন তন্ত্র'''শাহিরয়ার নাফীস আহমেদ''' (জন্ম মে, ১৯৮৬ ঢাকা) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০৫ সালে তার অভিষেক ঘটে। বাংলাদেশ দলের প্রথম ইংল্যান্ড সফরে তিনি দলভুক্ত হন যদিও তার আগে মাত্র ৫টি প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তার আগে তিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেন। তার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সুযোগ ঘটে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে তিনি ৭৫ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। নাফিস বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক শতক করেন যা এখনও বজায় আছে। তার প্রথম টেস্ট শতক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফতুল্লায় যা বাংলাদেশের টেষ্ট ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই টেষ্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৩৫৫ রান করে যা প্রথম দিনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন। == ক্যারিয়ার == শাহরিয়ার নাফিস একজন বাঁহাতি বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান। জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয় ২০০৫ এর ইংল্যান্ড ট্যুরে। ২০০৬ এর এপ্রিলে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান। একই বছর অগাস্টে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সাক্ষাৎ পান। অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান। টুর্নামেন্টেই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিনি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করেন। নবেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আবারও শতক হাঁকান তিনি। ২০০৮ এর জুনে তিনি ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লী্গে (আইসিএল) খেলতে ভারত যান। কর্ত্‌পক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে যাওয়ায় বোর্ড তাকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি আইসিএল-এর সাথে সম্পর্কছিন্ন করেন। ফলশ্রুতিতে ২০১০ এর অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে তিনি আবারও দলে জায়গা পান। দু'ম্যাচে তিনি যথাক্রমে ৩৫ ৭৩ রান করেন। দুটোতেই বাংলাদেশ দল জয় পায়। ইনজুরি কাটিয়ে তামিম দলে ফেরায় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে নাফিসকে আবারও সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে হয়। == টুকরো == নাফিস ঢাকার বিখ্যাত সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০১ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। এখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। নাফিস আশরাফুল খুবই ভালো বন্ধু। দুজনেই ওয়াহিদুল গণির শিষ্য ছিলেন। নাফিস, সাবেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার নির্বাচকমন্ডলীর অন্যতম সদস্য ফারুক আহমেদের ভাতিজা হন। == পুরস্কার == ২০০৬ আইসিসি’র বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের জন্য মনোনীত ২০০৬ বিসিবি বছরের সেরা ক্রিকেটার ২০০৬ বিসিবি বছরের সেরা ব্যাটসম্যান ২০০৬ আলো বর্ষসেরা == আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি == === টেস্ট ক্রিকেট সেঞ্চুরি === In the column '''Runs''', indicates being '''not out''' The column title '''Match''' refers to the '''Match Number''' of the player's career Test Centuries of Shahriar Nafees Runs Match Against City/Country Venue Year '''১''' 138 Fatullah, Bangladesh Narayanganj Osmani Stadium 2006 === এক দিনের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি === In the column '''Runs''', indicates being '''not out''' The column title '''Match''' refers to the '''Match Number''' of the player's career One Day International Centuries of Shahriar Nafees Runs Match Against City/Country Venue Year '''১''' 118* 22 হারারে, Zimbabwe হারারে স্পোর্টস ক্লাব ২০০৬ '''২''' 123* 28 Jaipur, India Sawai Mansingh Stadium ২০০৬ '''৩''' 105* 29 খুলনা, বাংলাদেশ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ২০০৬ '''৪''' 104* 40 St. John's, Antigua Antigua Recreation Ground ২০০৭ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ক্রিকইনফো পরিসংখ্যান ক্রিকেটআর্কাইভ পরিসংখ্যান ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী ক্রিকেটার বিভাগের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার রয়েল বেঙ্গলসের ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার'''হিমাংশু কুমার দত্ত''' (১৯০৮ ১৫ নভেম্বর ১৯৪৪) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি সুরকার। তার সমসাময়িক কিংবদন্তি সুরকারদের মধ্যে তিনি তার অনন্য সুমধুর কম্পোজিশনের জন্য প্রসিদ্ধ। তার সুরারোপিত গানগুলো সাধারণত “হিমাংশু দত্তের গান” হিসেবে পরিচিত। বাংলা সংগীতে অবদানের জন্য ঢাকার সরস্বত সমাজ তাকে ‘সুরসাগর’ খেতাবে ভূষিত করে। তিনি একজন সুগায়কও ছিলেন। == প্রারম্ভিক জীবন == হিমাংশু দত্তের মা একজন প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। খুব ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি আসক্তি বা অনুরক্ততা প্রকাশ পায় হিমাংশু দত্তের। গানের প্রতি তার দূর্বলতায় সুকণ্ঠী সুগায়িকা মা তাকে সংগীতের প্রাথমিক তালিম দেন। ১৯২৪ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স বা ম্যাট্রিক পাস করেন। অতঃপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকেই ১৯২৬ সালে আই.এস.সি. এবং বি.এ. ডিগ্রী লাভ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে ছাত্র থাকা অবস্থাতেই হিমাংশু তার গানের জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেন। == গানে সুর প্রদান == ছোটবেলায় কুমিল্লার এক ধর্মমন্দিরে ভজন গান পরিবেশন করে সকলকে আশ্চর্য বিমোহিত করেন হিমাংশু। পারিবারিক কোন জলসায় কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান না গেয়েও চতুর্দিকে তার গানের দীপ্তি খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। হিমাংশু তার সহপাঠী সুবোধ পুরকায়স্থের লেখা বেশিরভাগ গানে সুর দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি অজয় ভট্টাচার্য এবং বিনয় মুখোপাধ্যায়ের অনেক গানে সুরারোপ করে বিশিষ্ট সুরকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার গানের সুরে রাগ-সংগীতের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় এবং করুণ রসের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। == জনপ্রিয় গানসমূহ == আলোছায়া দোলা আবেশ আমার যায় উড়ে কোন ফাল্গুনে খুঁজে দেখা পাইনে যাহার ডাক দিয়ে যায় কেগো আমার বাজিয়ে বাঁশি তব স্মরণখানি তুমি তো বঁধু জান নতুন ফাগুন যবে বরষার মেঘ ডাকে ঝড় বরিষণে মম মন্দিরে তোমারই পথ পানে চাহি *চাঁদ কহে চামেলি গো *রাতের দেউলে জাগে বিরহী তারা *রাতের ময়ূর ছড়ালো যে পাখা *ছিল চাঁদ মেঘের পারে == উপাধি লাভ সম্মাননা == বাংলা সংগীতে হিমাংশু দত্তের অসামান্য অবদান দক্ষতার জন্য ১৯৩০ সালে ঢাকার সরস্বত সমাজ তাকে ''সুরসাগর'' উপাধিতে ভূষিত করে। বাংলা সঙ্গীতের অমর সুরকার হিমাংশু দত্তের অবদানের কথা স্বীকার করে জীবনমুখী গানের স্রষ্টা কবীর সুমনের গাওয়া '''তোমাকে চাই''' গানের একটি কলি "..... ভুলে যাওয়া হিমাংশু দত্তের সুরে সেই কবেকার অনুরোধের আসরে ......." কথাটি শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন। == আরো দেখুন == ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু সুরকার কণ্ঠশিল্পী জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''বাজারজাতকরণ গবেষণা''' () হলো বাজারজাতকরণের অধীনে পরিচালিত গবেষণা, যা বাজার সম্বন্ধে বাজারজাতকারীকে সম্যক ধারণা দিতে সহায়তা করে। এটি বাজারজাতকরণের অন্যতম একটি সহায়ক কার্যক্রম। সংজ্ঞায়নের দিক থেকে: -নরেশ কে. মালহোত্রা == বাজারজাতকরণ গবেষণার শ্রেণীবিভাগ == বাজারজাতকরণ গবেষণা মূলত ভাগে আলোচিত হয়। এর প্রত্যেক ভাগের আবার উপবিভাগ রয়েছে। '''সমস্যা সনাক্তকরণ গবেষণা''' :# গবেষণা :# বাজার অংশীদারিত্ব গবেষণা :# ভাবমূর্তি গবেষণা :# বাজারের বৈশিষ্ট্য গবেষণা :# বিক্রয় বিশ্লেষণাত্মক গবেষণা :# পূর্বাভাস গবেষণা :# গবেষণা '''সমস্যা সমাধানের গবেষণা''' :# বাজার বিভক্তিকরণ গবেষণা :# পণ্য গবেষণা :# মূল্য গবেষণা :# প্রসার গবেষণা :# বণ্টন গবেষণা == বাজারজাতকরণ গবেষণা প্রক্রিয়া == বাজারজাতকরণ গবেষণা একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটি কতিপয় ধারাবাহিক ধাপে সম্পন্ন হয়। নিম্নে এগুলো তুলে ধরা হলো: '''ধাপ ১: সমস্যা সনাক্তকরণ''' '''ধাপ ২: সমস্যার প্রেক্ষিতে ধারণার উন্নয়ন''' '''ধাপ ৩: গবেষণা নকশা প্রণয়ন''' গবেষণা নকশা প্রণয়ণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অতিক্রম করতে হয়: প্রয়োজনীয় উপাত্তের সংজ্ঞা নিরূপণ মাধ্যমিক উপাত্ত বিশ্লেষণ গুণগত গবেষণা পরিমাণগত উপাত্ত সংগ্রহের পদ্ধতি মাপজোখ মাপকাঠি বাছাই প্রশ্নপত্র নকশায়ন নমুনা প্রক্রিয়া স্যাম্পলের আকার উপাত্ত বিশ্লেষণের পরিকল্পনা '''ধাপ ৪: মাঠকর্ম বা উপাত্ত সংগ্রহ''' '''ধাপ ৫: তথ্য প্রস্তুতকরণ বিশ্লেষণ''' '''ধাপ ৬: প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ এবং উপস্থাপন''' এই ধাপগুলোর ধারাবাহিক পরিসমাপ্তির মাধ্যমে একটি গবেষণা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গবেষণা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে কার্যক্রমের সেখান থেকেই সূত্রপাত হয়। == বাজারজাতকরণ গবেষণা নৈতিকতা == বাজারজাতকরণ গবেষণা সংশ্লিষ্ট থাকে ৪টি পক্ষ। এই পক্ষসমূহের মধ্যে নৈতিক আচরণ একটি সুস্থ সমাজের প্রতি গবেষণা পরিচালনায় সহায়তা করবে। ''গবেষণাকারী'' অবশ্যই এমনভাবে গবেষণা পরিচালনা করবেন, যাতে সত্য চিত্রটিই উঠে আসে। ''মক্কেল'' যে উদ্দেশ্যে গবেষণা করিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য সৎ হবে এবং সমাজের জন্য অকল্যাণকর হবে না। গবেষণার গভীরতা নিশ্চিত করার স্বার্থে তথ্য প্রদানকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী গোপন রাখা হবে। ভুল তথ্য প্রদান করবেন না। আর ''জনগণ'' গবেষণা ফলাফলকে যৌক্তিক অর্থে গ্রহণ করবেন। উন্নত দেশগুলোতে গবেষণা সংশ্লিষ্ট কোড অফ কন্ডাক্ট বা আচরণগত নীতিমালা রয়েছে, যার ভিত্তিতে গবেষণা সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ আচরণ করেন এবং গবেষণার নৈতিক সুফল নিশ্চিত করেন। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আচরণগত নীতিমালা মেনে চলে এবং গবেষণাকে সমাজের উপকারী করতে প্রচেষ্টা চালায়। উদাহরণস্বরূপ: আমেরিকান মার্কেটিং এসোসিয়েশন-এর একটি কোড অফ এথিক্স বা নৈতিকতা বিধিমালা রয়েছে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Consumer Confidential: Get paid to shop at Money.CNN.com'''বড়তলা বিধানসভা কেন্দ্র''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি অধুনালুপ্ত বিধানসভা কেন্দ্র। সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, বড়তলা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রটি ২০১১ সালে অবলুপ্ত হয়েছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি দমদম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল। == ফলাফল == === ১৯৭৭-২০০৯ === ২০০৬ ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধন পাণ্ডে ১৫৮ নং বড়তলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আরএসপি-র কল্যাণ মুখোপাধ্যায়কে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। জাতীয় কংগ্রেসের ১৯৯৬ ১৯৯১ সালে সাধন পাণ্ডে আরএসপি-র পরিমল রাউতকে এবং ১৯৮৭ সালে আরএসপি-র সুনীল সেনগুপ্তকে পরাজিত করেন। ১৯৮২ সালে আরএসপি-র নিখিল দাসকে পরাজিত করে এই কেন্দ্রের বিধায়ক হন কংগ্রেসের অজিত কুমার পাঁজা। ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের অজিত কুমার পাঁজাকে পরাজিত করেছিলেন আরএসপি-র নিখিল দাস। === ১৯৫১-১৯৭২ === ১৯৭২ ১৯৭১ সালে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের অজিত কুমার পাঁজা জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৬৯ ১৯৬৭ সালে এখান থেকে জেতেন আরএসপি-র নিখিল দাস। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের অমরেন্দ্রনাথ বসু এখান থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে বড়তলা ছিল দুটি কেন্দ্র। বড়তলা উত্তর থেকে কংগ্রেসের সুধীরচন্দ্র রায়চৌধুরী বড়তলা দক্ষিণ থেকে কংগ্রেসের অমরেন্দ্রনাথ বসু সেবার জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৫২ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে বড়তলা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন কংগ্রেসের নির্মলচন্দ্র দে। == পাদটীকা == অধুনালুপ্ত বিধানসভা কেন্দ্র বিধানসভা কেন্দ্র'''পার্থ পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাক্তন শিল্প বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, শিল্প পুনর্গঠন পরিষদীয় বিভাগের মন্ত্রী। তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দলের রাজনীতিবিদ। ২০১১ সালের ২০ মে তিনি মমতা নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেন। ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি বিধানসভার শাসক তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপনেতা নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে পুনরায় ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে তিনি বেহালা পশ্চিম থেকেই ৫৯,০২১ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে একটানা তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজনেস স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি অ্যান্ড্রু ইউল সংস্থার এক প্রাক্তন এইচআর প্রফেশনাল। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে সরকার গঠন করার পর তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা স্কুলশিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী হন। ==আরও দেখুন== সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিপরিষদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের রাজনৈতিক দলের তালিকা == পাদটীকা == ব্যক্তি রাজনীতিবিদ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ'''ইন্দাবা''' হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার জুলু ঝোসা সম্প্রদায়ের ইজিন্দুনা বা হেডম্যানদের গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স বা সভা। ধরনের সমজাতীয় সভা '''ইন্দযাবা''' নামে সোয়াজি সম্প্রদায়ের মাঝেও অণুশীলন হয়। ইন্দাবা শুধুমাত্র হেডম্যানদের নিয়ে অথবা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়েও অণুষ্ঠিত হয়। ইন্দাবা একটি জুলু ভাষার শব্দ যার ইংরেজি প্রতিশব্দ "বিজনেস" অথবা "ম্যাটার"। ইন্দাবা শব্দটি দক্ষিণ অফ্রিকার সর্বত্রই ব্যবহার করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে সমাবেশ বা মিটিং-এর সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। == ইন্দাবা স্কাউটিং == ইন্দাবা শব্দটি এখন স্কাউট আন্দোলনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। ইন্দাবা হচ্ছে স্কাউট লিডারদের সমাবেশ। বিশ্ব স্কাউট ইন্দাবা হচ্ছে সারা বিশ্বের স্কাউট লিডার বা স্কাউট মাস্টারদের সমাবেশ। কাবদের সমাবেশ ক্যম্পুরি, স্কাউটদের সমাবেশ জাম্বুরি, রোভারদের সমাবেশ মুট-এর মতো স্কাউট লিডারদের সমাবেশের জন্য “ইন্দাবা” শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৪৯ সালে নরওয়েতে অণুষ্ঠিত ১২তম বিশ্ব স্কাউট কনফারেন্সে আফ্রিকা থেকে ঘুরে আসা লর্ড রোওয়াল্যান ইন্দাবা আয়োজনের প্রথম প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। ব্রিটিশ স্কাউট অ্যসোসিয়েশনের লর্ড রোওয়াল্যান উল্লেখ করেন যে, অনেক লিডার প্যাক মিটিং ট্রুপ মিটিং ক্রু মিটিং-এ কাজ করে থাকেন যারা সবসময় সমাবেশে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান না সুতরাং লিডারদের নিয়ে সমাবেশ করা দরকার যা আফ্রিকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রচলিত ইন্দাবার আদলে হবে। সেই থেকে এই শব্দটি স্কাউট আন্দোলনের সাথে জড়িত। === বিশ্ব স্কাউট ইন্দাবা === এখন পর্যন্ত ৩টি বিশ্ব স্কাউট ইন্দাবা অণুষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের গিলওয়েল পার্কে প্রথম, ১৯৫৭ সালের জুন মাসে যুক্তরাজ্যের সুট্টন কল্ডফিল্ড-এ দ্বিতীয় এবং ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে নরওয়ের ওমেন-এ তৃতীয় বিশ্ব স্কাউট ইন্দাবা অণুষ্ঠিত হয়। === বাংলাদেশে ইন্দাবা === বাংলাদেশ স্কাউটস-এর ব্যবস্থাপনায় ০৫-০৯ মে, ২০০৫ জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মৌচাক গাজীপুরে ১ম জাতীয় ইন্দাবা অণুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্কাউটস, বরিশাল অঞ্চলের ব্যবস্থাপনায় পরিচালনায় ০৫-০৯ অক্টোবর ২০০৪ পর্যন্ত বিএম স্কুল বরিশালে প্রথম আঞ্চলিক ইন্দাবা অণুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্কাউটস, বরিশাল অঞ্চলের পরিচালনায় বরিশাল জেলার ব্যবস্থাপনায়, বরিশাল জিলা স্কুল বরিশাল ১৮-২১ জুন ২য় আঞ্চলিক ইন্দাবা অণুষ্ঠিত হয়। ইন্দাবায় ৬৫ জন কাব স্কাউট লিডার ২০ জন কর্মকর্তা, জন সাপোর্ট স্টাফসহ মোট ৯০ জন অংশহগ্রহণ করেন এবং রূপাতলী চর ছখিনা নামক দুটি সাব-ক্যাম্পে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। == তথ্যসূত্র =='''আইভি লীগ''' (ইংরেজীতে: Ivy League) হল যুক্তরাষ্ট্রের আটটি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি অ্যাথলেটিক সম্মেলন। এই আটটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে একটি গ্রুপ হিসেবে পরিচয় প্রদানের ক্ষেত্রেও “আইভি লীগ” নামটি ব্যবহৃত হয়। আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো: ব্রাউন ইউনিভার্সিটি, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, কর্নেল ইউনিভার্সিটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া, ডার্টমাউথ কলেজ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটি। আইভি লীগের একটি দ্যোতনা হল, এটি একইসঙ্গে এই আটটি শিক্ষাগত উৎকর্ষ, শিক্ষার্থী ভর্তিতে নৈর্বাচনিকতা সামাজিক আভিজাত্য প্রকাশ করে। ১৯৫৪ সালে ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম বিভাগীয় সম্মেলন গঠনের পরে আইভি লীগ- পরিভাষাটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। তবে বর্তমানে পরিভাষাটি কেবল অ্যাথলেটিকসের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই, এটি বর্তমানকালে বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন উচ্চশিক্ষা শিক্ষাগত উৎকর্ষের পরিচয়বাহক। এছাড়া জনসাধারণের দৃষ্টিতে এই লীগের অন্তর্ভুক্ত দেশের এবং বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত। ইউ.এস. নিউজ এ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ম্যাগাজিন প্রকাশিত কলেজ র্যাং কিং-এ প্রতিনিয়তই আইভি লীগের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থাকে। এই আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটিই যুক্তরাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়, ব্যতিক্রম শুধু কর্নেল ইউনিভার্সিটি, যেটি ১৮৬৫-তে প্রতিষ্ঠিত হয়। আইভি লীগের সবকয়টি প্রতিষ্ঠানই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থিত। এগুলো কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক সরকার থেকে প্রতি বছরই গবেষণা অন্যান্য খাতে ব্যাপক অনুদান লাভ করে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ =='''সুমিতা দেবী''' (জন্মঃ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬ মৃত্যুঃ জানুয়ারি, ২০০৪) বাংলাদেশের প্রথিতযশা চলচ্চিত্র শিল্পী বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশের (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের) মানিকগঞ্জ জেলায় তার জন্ম। প্রকৃত নাম হেনা ভট্টাচার্য্য। চলচ্চিত্রকার ফতেহ লোহানী আসিয়া ছবিতে হেনা নাম পাল্টিয়ে সুমিতা দেবী রাখেন। ধর্ম্মান্তরিত হয়ে তার নতুন নামকরণ হয় নিলুফার বেগম। খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান ছিলেন তার স্বামী। == ব্যক্তিগত জীবন == ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সুমিতা দেবী। তখন তার নাম ছিল হেনা ভট্টাচার্য্য। ''অমূল্য লাহিড়ী'' নামীয় এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হলেও পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম পথিকৃৎ প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবি জহির রায়হানের সাথে পরিচিত হন। সুমিতা দেবী পরবর্তীকালে ধর্মান্তরিত হন তার নতুন নামকরণ হয় ''নিলুফার বেগম''। অতঃপর তিনি জহির রায়হানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৬১ সালে। তাদের সংসারে দু'টো পুত্র সন্তান রয়েছে। ''অনল রায়হান'' তাদেরই একজন। বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ''ফতেহ লোহানী'' কর্তৃক আসিয়া ছবিতে নাম পাল্টিয়ে '''সুমিতা দেবী''' রাখা হয়েছিল। বিয়ের পরও চলচ্চিত্র শিল্পে পূর্বের সুমিতা দেবী নাম নিয়েই পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন সক্রীয় কর্মী ছিলেন সুমিতা দেবী। ২০০০ সালে তিনি আশিক মোস্তফা পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ''ফুলকুমার'' ছবিতে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন। == চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ == ১৯৫০ দশকের শেষ দিকে সুমিতা দেবী ঢাকার চলচ্চিত্র শিল্প বা ঢালিউডের অন্যতম নায়িকা ছিলেন। ''আসিয়া'' ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবনের শুভ সূচনা ঘটে তার। তার পরবর্তী ছবি ছিল ''আকাশ আর মাটি''। উভয় ছবিরই পরিচালক ছিলেন ''ফতেহ লোহানী''। সুমিতা দেবী উক্ত ছবির নাম ভূমিকায় অসামান্য অভিনয় করে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। আসিয়া ছবিটি ১৯৬০ সালের শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র হিসাবে ''প্রেসিডেন্ট পদক'' লাভ করেছিল। সুমিতা দেবী তার চলচ্চিত্র জীবনে প্রায় চার দশক কাল সময় অতিবাহিত করেছিলেন। নায়িকার প্রধান চরিত্রে অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশটি। বাংলা ছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও, শতাধিক চলচ্চিত্রে সহ-নায়িকা কিংবা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। স্মরণীয় চলচ্চিত্র হিসেবে সুমিতা দেবী দেশ তোমার আমার ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি ১৯৫৯ সালের যা ''আসিয়া'' ছবির পূর্বে মুক্তি পায়। কখনো আসেনি, সোনার কাজল, কাঁচের দেয়াল, এই তো জীবন, দুই দিগন্ত, বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, অভিশাপ, ওরা ১১ জন, সুজন সখী, আমার জন্মভূমি ইত্যাদি তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। কখনো আসেনি চলচিত্রে আনিস সুমিতা দেবী তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বাংলাদেশ বেতার (সাবেক রেডিও বাংলাদেশ), বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং মঞ্চ নাটকেও সমান তালে অংশগ্রহণ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সুমিতা দেবী ৫টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। সেগুলো হলো আগুন নিয়ে খেলা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, আদর্শ ছাপাখানা এবং নতুন প্রভাত। == চলচ্চিত্রের তালিকা == +অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহ ক্রমিক নং চলচ্চিত্রের নাম অভিনয়ে পরিচালক মুক্তিলাভের তারিখ ১। দেশ তোমার আমার আনিস, সুমিতা দেবী এহতেশাম জানুয়ারি, ১৯৫৯ ২। আকাশ আর মাটি আমিন, প্রবীর কুমার, সুমিতা দেবী ফতেহ লোহানী ২৪ জুলাই, ১৯৫৯ ৩। মাটির পাহাড় সুমিতা দেবী ১৯৫৯ ৪। আসিয়া শহীদ, সুমিতা দেবী ফতেহ লোহানী ১৯৬০ ৫। কখনো আসেনি আনিস, সুমিতা দেবী জহির রায়হান ২৪ নভেম্বর, ১৯৬১ ৬। সোনার কাজল খলিল, সুমিতা দেবী ১৯৬২ ৭। সঙ্গম (উর্দু) খলিল, সুমিতা দেবী জহির রায়হান ১৯৬৩ ৮। কাচের দেয়াল আনোয়ার হোসেন, সুমিতা দেবী ১৯৬৩ ৯। দুই দিগন্ত আনোয়ার হোসেন, সুমিতা দেবী ১৯৬৪ ১০। ধূপ ছাঁও (উর্দু) এজাজ, সুমিতা দেবী ১৯৬৪ ১১। এই তো জীবন রহমান, সুমিতা দেবী ১৯৬৪ ১২। বেহুলা সুমিতা দেবী জহির রায়হান ১৯৬৬ ১৩। অভিশাপ সুমিতা দেবী ১৯৬৭ ১৪। আগুন নিয়ে খেলা সুমিতা দেবী ১৯৬৭ ১৫। অশান্ত প্রেম হায়দার শফী, সুমিতা দেবী ১৯৬৮ ১৬। জনম জনম কি পিয়াসি সুমিতা দেবী ১৯৬৮ ১৭। আমার জন্মভূমি সুমিতা দেবী আলমগীর কুমকুম ১৯৭৩ ১৮। ওরা এগারো জন সুমিতা দেবী চাষী নজরুল ইসলাম ১৯৭২ ১৯। সুজন সখী সুমিতা দেবী খান আতাউর রহমান ১৯৭৬ ২০। চিত্রা নদীর পারে সুমিতা দেবী তানভীর মোকাম্মেল ১৯৯৯ ২১। ফুলকুমার (স্বল্পদৈর্ঘ্য) সুমিতা দেবী আশিক মোস্তফা ২০০২ == সাফল্য গাঁথা == +সম্মাননা পুরস্কার ক্রমিক নং বিবরণ সাল ১। পাকিস্তানের সমালোচক পুরস্কার ১৯৬২ ২। নিগার পুরস্কার (কাচের দেয়াল) ১৯৬৩ ৩। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার ৪। বাংলাদেশ টেলিভিশন রিপোর্টার সমিতি পুরস্কার ৫। আগরতলা মুক্তিযোদ্ধা পুরস্কার ২০০২ ৬। জনকণ্ঠ গুণীজন এবং প্রতিভা সম্মাননা ২০০২ ৭। চলচ্চিত্রম ফিল্ম সোসাইটি পুরস্কার ২০০২ == মৃত্যু == সুমিতা দেবী জানুয়ারি, ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মিরপুর শহীদ বুদ্ধজীবী গোরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। == আরো দেখুন == চলচ্চিত্র জহির রায়হান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দেশ তোমার আমার == বহিঃসংযোগ == ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে সুমিতা দেবী নীরবেই পেরিয়ে গেলো জহির রায়হানের অর্ন্তধান দিবস কখনো আসেনি: কখনো আসে নাই কিংবদন্তি ফার্স্ট লেডি সুমিতা দেবী == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অভিনেত্রী থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাধিস্থ'''বেতর''' ছিল বাংলার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র। অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার শিবপুর-সংলগ্ন অঞ্চল অতীতে বেতর নামে পরিচিত ছিল। আধুনিক কলকাতা শহর গড়ে উঠেছিল মূলত সুতানুটি, গোবিন্দপুর কলিকাতা গ্রাম তিনটিকে কেন্দ্র করে। কিন্তু এই তিনটি গ্রামের বাইরেও কলকাতায় হুগলি নদীর অপর পাড়ে হাওড়ায় মোট চারটি বর্ধিষ্ণু অঞ্চলের অস্তিত্ব ছিল। এগুলি হল চিৎপুর, সালকিয়া, কালীঘাট বেতর। অতীতের নামকরা বাণিজ্যকেন্দ্র বেতর সপ্তদশ শতাব্দীতে লুপ্ত হয়ে যায়। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে বিপ্রদাস পিপলাইয়ের লেখা মনসামঙ্গল কাব্যে এই অঞ্চলের প্রথম বিশ্বাসযোগ্য ভৌগোলিক বিবরণ পাওয়া যায়। এই সময় হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ে ব্যান্ডেল সপ্তগ্রামের মাঝখানে অবস্থিত সাতগাঁ বা সপ্তগ্রাম ছিল একটি প্রধান বন্দর। সেই যুগে নদীর নিম্ন অববাহিকায় একই পাড়ে অবস্থিত বেতড় ছিল একটি বিরাট বাজার-শহর। এখানে থেমে যাত্রীরা যাত্রার প্রয়োজনীয় রসদপাতি কিনে নিতেন এবং এখানকার বিখ্যাত মন্দিরে দেবী চণ্ডীর উদ্দেশ্যে পুজো দিতেন। চিৎপুর কলিকাতা গ্রাম পেরিয়ে পৌঁছতে হত চিৎপুরে। সেই যুগে সুতানুটি গোবিন্দপুর গ্রামদুটির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কালীঘাট ছিল একটি ছোটো ধর্মস্থান। ভেনিসীয় পর্যটক সিজার ফ্রেডেরিক ১৫৬৩ থেকে ১৫৮১ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে প্রাচ্য পর্যটন করেছিলেন। ফ্রেডেরিকের রচনা থেকে সেকালের ভারত তথা বাংলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর, বন্দর কথা জানা যায়। তিনি লিখেছেন, “উজানে সাতগাঁওয়ে আসার আগে বেতর নামে একটি জায়গা আছে। তার উত্তরে নদী বেশ সংকীর্ণ এবং তাতে জলও কম।” বেতর শহরটি হারিয়ে গেলেও, বেতরের বিখ্যাত বেতাইচণ্ডীর মন্দিরটি আজও আছে। == তথ্যসূত্র == ইতিহাস ইতিহাস জেলাCloud computing logical diagram '''ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing)''' হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে (বিশেষত ইন্টারনেট) কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা। ক্লাউড কম্পিউটিং কোনো নির্দিষ্ট টেকনোলজি নয়, বেশ কয়েকটি টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটা ব্যবসায়িক মডেল বা বিশেষ পরিসেবা। এই মডেলে ব্যবহারকারী বা ক্রেতার চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু চলমান প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিভিন্ন রিসোর্স এবং সার্ভিস বিশেষভাবে বাজারজাত করা হয় বা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। উন্নত পরিসেবাটি কিছু কম্পিউটারকে গ্রিড সিস্টেম এর মাধ্যমে সংযুক্ত রাখে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ('''NIST''') অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংজ্ঞা নিম্নরূপ- "Cloud computing is model for enabling ubiquitous, convenient, on-demand network access to shared pool of configurable computing resources (e.g., networks, servers, storage, applications, and services) that can be rapidly provisioned and released with minimal management effort or service provider interaction." অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স যেমন- নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, প্রোগ্রাম সেবা প্রভৃতি সহজে, ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান বা ভাড়া দেয়ার সিস্টেমই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। == == ক্লাউড কম্পিউটিং কম্পিউটিং শক্তি, অনলাইন পরিসেবা, ডাটা অ্যাক্সেস এবং ডাটা স্পেস প্রদান করে যেখানে পরিসেবাগুলি ব্যবহারে ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ে গভীর ভাবে জানার দরকার পড়েনা, পরিসেবা হিসাবে যে কেউ ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করতে পারেন। ঠিক যেমন বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে বিদ্যুৎ কী করে সংগৃহীত হয় তা জানার দরকার হয় না। ক্লাউড কম্পিউটিং কম্পিউটার ব্যবহারের কতগুলো সমন্বিত উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে। === ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সম্মিলিত প্রযুক্তি === ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে গ্রিড কম্পিউটিং প্যারালাল কম্পিউটিং ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং ডিস্ট্রিবিউটেড, গ্রিড কম্পিউটিং এবং প্যারালাল কম্পিউটিং এর সাথে ক্লাউড কম্পিউটিং এর চরিত্রগত মিল কম। == বৈশিষ্ট্য == The National Institute of Standards and Technolo (NIST) ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের নিুলিখিত ৫টি প্রধান বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন- '''On-demand ক্রেতা চাহিবা মাত্রই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সার্ভিস বা সেবা দিতে পারবে। ক্রেতা তার ইচ্ছামতো যখন খুশি তার চাহিদা বাড়াতে কমাতে পারবে। যেমন- ক্রেতা সার্ভার ব্যবহারের সময়, নেটওয়ার্ক স্টোরেজ প্রভৃতি তার চাহিদা বা প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবে। '''Broad Network Access''': ক্রেতা একটা স্ট্যান্ডার্ড বা সার্বজনীন প্রযুক্তিতে ব্যবহারযোগ্য ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ কিংবা ভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে সক্ষম হবে হবে। যেমন- ব্যবহারকারী একই সাথে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ওয়ার্কস্টেশন প্রভৃতি ডিভাইস ব্যবহার করার সুবিধা পাবে। '''Resource Pooling''': ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি সংস্থাপন, পরিবর্তন বা আপগ্রেট করতে পারবে। '''Rapid Elasticity''': ব্যবহারকারী যেকোনো সময় তার চাহিদার প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ বাহ্যিক যেকোনো সুযোগ-সুবিধা, সেবার পরিধি, প্রভৃতি দ্রুত যথোপযুক্তভাবে নির্ধারণ করা বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখতে পারবে। অনেকক্ষেত্রে এটি সম্পপাদন করার ব্যবস্থা রাখা যায়। '''Measured Service''': বিভিন্ন পর্যায়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ রক্ষণাবেক্ষেণের কাজ করা যায়। যেমন- স্টোরেজ প্রসেসিং, নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ, ইউজার অ্যাকাউন্ট প্রভৃতি কাজ সহজভাবে সম্পন্ন করা যায়। বিভিন্ন রিসোর্সের কাজ, ক্ষমতা ব্যবহারের মাত্রা নিরূপণ প্রভৃতি কাজ সার্ভিস প্রোভাইডার ব্যবহারকারী উভয়ই দিক থেকে পর্যবেক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। == ইতিহাস == ক্লাউড কম্পিউটিং এর ইতিহাস শুরু ১৯৬০ সাল থেকে। ২০১০ সালে The Rackspace Cloud এবং NASA মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস ব্যবহার শুরু করে। এভাবেই ক্লাউড কম্পিউটিং জন সাধারণের মুঠোয় আসতে শুরু করে। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত ধারণা জন্ম সেই ষাটের দশকে। সে সময় কোনো একটি কোম্পানি Multics নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম বানানোর পরিকল্পনা করেছিলো, প্রাথমিক দিকে ধারণাটি ছিল এমন, প্রতি শহরে একটি বা দুইটি মেগা কম্পিউটার থাকবে, আর ইলেকট্রিকের বা ডিশের লাইন নেয়ার মতো সবাই সেখান থেকেই কম্পিউটারের লাইন নিবে। প্রত্যেকে ঘরে শুধু থাকবে টিভির মতো একটি যন্ত্র কীবোর্ড। মূলত সেযুগে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের দাম কমে যাবার ফলে “কম্পিউটারের লাইন” নেয়ার প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। ফলে সে সময় ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা সফল হয়নি। নব্বই দশকের দিকে শুরু হয় গ্রিড কম্পিউটিংয়ের ধারণা। তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গবেষণার জন্য নতুন করে কেন্দ্রীয় কম্পিউটার ব্যবস্থার প্রয়োজীনয়তা দেখা দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সুপার কম্পিউটার সেন্টারে বড় বড় কম্পিউটার ক্লাস্টার বসানো হয়েছিল। যেমন- Oak Ridge National Lab, National Center for Supercomputing Applications, San Diego Supercomputing Center ইত্যাদি। এসব কম্পিউটার ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের গবেষণা করতেন। প্রতিটি ক্লাস্টারে ছিল হাজার থেকে শুরু করে ২০-৩০ হাজার কম্পিউটার নোড। কিন্তু সমস্যাটা ছিল এরকম, এগুলো ব্যবহার করতে হলে সুপারকম্পিউটার সেন্টারে অ্যাকাউন্ট পেতে হবে, আর কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য রীতিমত আবেদন করে জানাতে হতো। তার উপরে ধীরে ধীরে বিজ্ঞানীদের আরো অনেক বেশি প্রসেসর বা কম্পিউটার নোডের প্রয়োজন হতে থাকলো। তখন একটি সুপারকম্পিউটার সেন্টারে এতগুলো কম্পিউটার ছিল না। এই সমস্যাটা এড়াবার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ভাবলেন, ইলেকট্রিক পাওয়ার গ্রিডের মতোই একটা জাতীয় কম্পিউটার গ্রিড বানানো হবে। অর্থাৎ এই বিচ্ছিন্ন একই সিস্টেমের অধীনে নিয়ে আসা হলো, আর আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্টের বদলে কেন্দ্রীয়ভাবে সব কাজ করা হলো। ফলে কোনো বিজ্ঞানীর অনেক কম্পিউটারের দরকার হলে একাধিক সেন্টারের কম্পিউটার ক্লাস্টার থেকে সেটা দেয়ার সহজ ব্যবস্থা হলো। এই সিস্টেমের নাম দেয়া হলো আর এই পদ্ধতির মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারের নাম দেয়া হলো গ্রিড কম্পিউটিং, যা থেকে মূলত তৈরি হয় ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ধারণা। ২০০৫-৬ সাল থেকে শুরু হয় আমাজন ডট কমের ইলাস্টিক কম্পিউটিং ক্লাউড বা (EC2)। এর পর থেকে আইবিএম, মাইক্রোসফট, গুগল থেকে শুরু করে অনেক কোম্পানি ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। == নামকরণ == ক্লাউড মানে মেঘ, রূপক ধর্মী হিসাবে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিলো। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে সার্ভিস দাতার তত্ত্বাবধানে সকল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার থাকবে, ক্রেতা বা ব্যবহারকারী শুধু ছোট কম খরচের একটি ডিভাইসের মাধ্যমে তারমাধ্যম বা তারবিহীন মাধ্যমে সার্ভিসদাতার মূল কম্পিউটার বা সার্ভারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে কম্পিউটিংয়ের কাজ সম্পদন করে থাকে। মূল কম্পিউটার যেহেতেু ক্রেতা বা ব্যবহারকারী থেকে অনেক দূরে থাকে ফলে সার্ভিসদাতার অবকাঠামো, রিসোর্সসমূহ সব প্রক্রিয়া ক্রেতা বা ব্যবহারকারীর কাছে অনেকটা অদৃশ্যমান মনে হয়। ফলে ক্রেতা বা ব্যবহারকারীর কাছে এসব সার্ভিস অনেকটা মেঘ ('''Cloud''') কিংবা কল্পনার কোনো রাজ্য থেকে পাওয়ার মতো মনে হয়। নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম আঁকার সময়ে ক্রেতা সার্ভারের মাঝের ইন্টারনেটের অংশটিকে অনেক আগে থেকেই মেঘের ('''Cloud''') ছবি দিয়ে বোঝানো হতো। আবার সিস্টেম ডায়াগ্রামে জটিল সাংগঠনিক কোনো বিষয় সম্পর্কে ধারণার জন্য ক্লাউড বা মেঘের মতো প্রতীক ব্যবহার করা হয়। সেই থেকেই ক্লাউড কম্পিউটিং কথাটি এসেছে। যেসব ক্রেতার অল্প সময়ের জন্য তথ্য রাখার জায়গা বা কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহারের প্রয়োজন, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় সর্বনিু বা শূন্য পর্যায়ে রাখার প্রয়োজন, সর্বশেষ প্রজন্মের কম্পিউটার প্রয়োজন কিংবা অর্থের বিনিময়ে অন্যের তত্ত্বাবধানে তথ্য রাখার প্রয়োজন, মূলত তারাই ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে সেবাদাতার কাছ থেকে কম্পিউটার সার্ভিস বা স্টোরেজ স্পেস ভাড়া নিয়ে থাকেন। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারী থেকে সংগৃহীত উপাত্ত কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াকরণ করে রিমোট (দূর বা বহুদূর থেকে) সার্ভিস প্রদান করা হয়। == সার্ভিসসমূহ (Services) == বিভিন্ন ধরনের মৌলিক কাঠামো অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং নিুলিখিত ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে। সার্ভিসগুলো হলো- অবকাঠামেগত সেবা as এখানে ভাড়া দেয়া হয় অবকাঠামো। মানে সার্ভারের উপরে যে ভার্চুয়াল মেশিন চালানো হয়, সেগুলোই ক্লায়েন্টরা ভাড়া নেয়। সেই মেশিনে ক্লায়েন্ট নিজের ইচ্ছামতো সফটওয়্যার বসাতে পারে। আমাজন ইলাস্টিক কম্পিউটিং ক্লাউড (EC2) এর উদাহরণ। (EC2)-তে ডেটা সেন্টারের প্রতি সার্ভারে থেকে ৮টি ভার্চুয়াল মেশিন চলে, ক্লায়েন্টরা এইগুলো ভাড়া নেয়। ভার্চুয়াল মেশিনে নিজের ইচ্ছামতো উইন্ডোজ বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম বসানো যায়। ব্যাপারটা অনেকটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার দূর থেকে চালানোর মতো। কোন ধরনের সফটওয়্যার বসানো হবে, কীভাবে কাজ চালানো হবে, কম্পিউটারগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, সবকিছু ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেবা '''(Platform as এখানে সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া না দিয়ে ভাড়া দেয়া হয় প্ল্যাটফর্ম, যার উপরে ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে। ক্লাউড প্রোভাইডার এখানে ভার্চুয়াল মেশিনগুলোর উপরে আরেকটা লেয়ার যোগ করতে পারে। ব্যবহারকারী Application Programming Interface-API ব্যবহার করে এই প্ল্যাটফর্ম লেয়ারের নানা সার্ভিস কনফিগার ব্যবহার করতে পারে। গুগলের অ্যাপ ইঞ্জিন এর একটা উদাহরণ। সফটওয়্যার সেবা '''(Software as এটি ক্লাউডভিত্তিক এমন একটা সেবা, যেখানে ইউজার ক্লাউডের উপরে চলছে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। উদাহরণ হিসেবে Google Docs এর কথাই ধরা যাক। ইন্টারনেট ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে Google Docs দিয়ে মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব কাজই করা যায় (যেমন- ডকুমেন্ট, স্প্রেডশীট, প্রেজেন্টেশন)। গুগল এই অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারটি আমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। সফটওয়্যারটি চলছে গুগলের ক্লাউডের উপরে। এতে সুবিধা হলো, ব্যবহারকারীকে সিপিইউ বা স্টোরেজের অবস্থান, কনফিগারেশন প্রভৃতি জানা কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রয়োজন নেই। তাদের হাতে রেডিমেড সফটওয়্যার এবং সার্ভিস পৌঁছে যাচ্ছে। সফটওয়্যার কোথায়, কীভাবে চলছে তা গুগলের দায়িত্ব। নেটওয়ার্ক সেবা '''(Network as এই সেবাটি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীকে আন্তঃক্লাউড নেটওয়ার্ক বা ট্রান্সপোর্ট কানেকটিভিটি সুবিধা প্রদান করে। এটি ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক কম্পিউটার রিসোর্স অনুযায়ী ব্যবহারকারীকে রিসোর্স ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করে। এই সার্ভিসের বিভিন্ন মডেলের মধ্যে VPN (Virtual Private Network), BoD (Bandwidth on Demand), Mobile Network Virtualization উল্লেখযোগ্য। == সুবিধাসমূহ == ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিধাসমূহ '''(Advantages of Cloud Computing):''' অপারেটিং কস্ট বা পরিচালন ব্যয় হ্রাস: বড় কোনো কোম্পনির ক্লাউডে কম্পিউটার ভাড়া নিলে লোকাল মেশিন ব্যবহারে খরচ অর্ধেক হবে। তার উপরে সুবিধা হলো, অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার চালাবার জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ বা কম্পিউটার কক্ষ ঠাণ্ডা রাখার প্রয়োজন নেই। অফিসে লো-কনফিগারেশনের কিছু মেশিন আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকলেই হবে। অফিসের সাধারণ মানের কম্পিউটার দিয়ে ক্লাউডের ভার্চুয়াল মেশিনগুলোকে অ্যাক্সেস করা যাবে। যেহেতু মেশিনগুলো ভাড়াপ্রদানকারী কোম্পানির অধীনে, তাই সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ঝামেলা খরচ কোনোটিরই প্রয়োজন হবে না। উপরন্তু কোনো সময় অফিস বন্ধ থাকলে ক্লাউডের মেশিনগুলো ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কারণ ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে নো-ইউজ-নো-পে মডেল। স্টাটআপ কস্ট বা প্রারম্ভিক খরচ হ্রাস সাধারণত ব্যবসার শুরুতেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে কম্পিউটার কেনার কাজে বিনিয়োগের একটা অংশ ব্যয় করতে হয়। অথচ ক্লাউড ব্যবহার করলে ভাড়ার ভিত্তিতে কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়। ফলে একবারে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে না। ব্যবসায় ক্ষতি হলে বা ব্যবসায় পরিবর্তন করলে সহজেই ক্লাউড কোম্পানির সাথে ভাড়ার চুক্তি বাতিল করা যায়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কম পুঁজিতে ব্যবসা ছোট কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদোগ্যে একটা সার্ভিস দিতে গেলে শুরুতেই সার্ভার ভাড়া নিতে হতো বা সার্ভার কিনতে হতো। এই প্রযুক্তির ফলে এখন কোনোটাই করা লাগবে না। ক্লাউড ব্যবহার করে শুধু মাসিক ভাড়ার টাকাটা হাতে নিয়েই স্বল্প র্পুঁজির যে কেউ ব্যবসা শুরু করতে পারে। গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক প্রভৃতির মতো বৃহৎ সার্ভিস দিতে কিছুদিন আগ পর্যন্ত প্রয়োজন হতো বড় একটা ক্লাস্টার বা ডেটা সেন্টার। কিন্তু বর্তমানে শুরুতে ক্লায়েন্ট বা ব্যবহারকারী কম থাকলে আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে ২/১টা সার্ভার ভাড়া নিলেই চলবে। ক্লায়েন্ট বাড়লে ক্লাউড থেকে বেশি সার্ভার ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া নেয়া যাবে। বিশেষ কোনো সময়ে কিংবা রাতে কম ব্যবহারকারী থাকলে সিস্টেম সেট-আপ করে সার্ভারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাজন ডট কমের ক্লাউড ব্যবহার করে। বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী গবেষকদের সুবিধা কোনো বিষয়ে গবেষণার জন্য অল্প সময় বা মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য অনেক বেশি কম্পিউটার প্রয়োজন হলে ক্লাউড কম্পিপউটার ভাড়া দিয়ে সহজেই কাজটি সম্পন্ন করা যায়। ১০ বছর আগে হলে উন্নত বিশ্বের বৃহৎ গবেষণাগার ছাড়া এটা করা সম্ভব হতো না। কিন্তু এখন আমাজনের ক্লাউডে ঘণ্টায় মাত্র সেন্ট দিয়ে কম্পিউটার ভাড়া করা যায়। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর বিজ্ঞানীদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য না থাকলেও ভাড়া নিয়ে সহজেই কম খরচেই গবেষণার কাজ করা যায়। == মডেল == বিভিন্ন ধরনের ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মডেল হচ্ছে- পাবলিক ক্লাউড '''(Public cloud)''': পাবলিক ক্লাউড হলো এমন ক্লাউড, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ যে টাকা দিবে, সেই সার্ভিস পাবে, এমন ক্লাউডকে বলা হয় পাবলিক ক্লাউড। যেমন- আমাজনের EC2। এসব ক্লাউডে সুবিধা হলো যে কেউ এর সেবা নিতে পারে। আর অসুবিধাটা হলো একই জায়গায় একাধিক ক্লায়েন্ট ব্যবহারের ফলে নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে। কমিউনিটি ক্লাউড '''(Community cloud''': কমিউনিটি ক্লাউডও শেয়ার করা হয় অনেকের মাঝে, পাবলিক ক্লাউডের মতোই যে টাকা দেয়, সেই সার্ভিস পায়। তবে পার্থক্য হলো একটি ক্ষুদ্রতর কমিউনিটির লোকজনই এর সুবিধা নিতে পারে। ধরা যাক, ঢাকা সেনানিবাসে শুধু অফিসার সৈনিকদের জন্য একটা ক্লাউড বসানো হলো, তাহলে কেবল অফিসার সৈনিকরাই এর সার্ভিস নিতে পারবে। তখন এটি পাবলিক ক্লাউড না হয়ে হবে প্রাইভেট ক্লাউড। সুবিধা হলো, কমিউনিটির মধ্যে ইউজার সীমাবদ্ধ থাকে বলে এখানে সিকিউরিটির কোনো সমস্যা নেই। আর অসুবিধা হলো এখানে ক্লায়েন্টের সংখ্যা সীমিত বলে খরচ বেশি পড়ে। প্রাইভেট ক্লাউড '''(Private Cloud)''': প্রাইভেট ক্লাউডকে ক্লাউড বলা চলে কিনা এই নিয়ে মতভেদ আছে। এই রকম ক্লাউড হলো কোনো বড় সংস্থার নিজের নানা সার্ভিস চালাবার জন্য নিজের ডেটা সেন্টারকেই ক্লাউড মডেলে ব্যবহার করা। সমস্যা হলো, এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে, নিজস্ব ডেটা সেন্টার বসাতে হচ্ছে এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজস্ব জনবল রাখার প্রয়োজন পড়ে। তবে বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এর সুবিধা হচ্ছে, কোনো বড় কোম্পানিতে ১০টা ডিপার্টমেন্ট থাকলে ১০টা ডেটা সেন্টার না বসিয়ে একটাকেই ক্লাউড মডেলে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাচ্ছে। ধরা যাক, বাংলাদেশ সরকার তার সব মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার ব্যবহারের খরচ কমাতে চায়। সে ক্ষেত্রে একটা সরকারি প্রাইভেট ক্লাউড ভালো সমাধান হতে পারে। হাইব্রিড ক্লাউড '''(Hybrid Cloud)''': হাইব্রিড ক্লাউড হলো পাবলিক আর প্রাইভেটের সংমিশ্রণ। এখানে প্রাইভেট ক্লাউড দিয়ে প্রাথমিক চাহিদা মেটানো হয়, আর প্রাইভেট ক্লাউডের ধারণক্ষমতা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে পাবলিক ক্লাউডের সাহায্য নেয়া হয়। পাবলিক ক্লাউডের চেয়ে হাইব্রিড ক্লাউডের খরচ বেশি, কারণ স্থানীয়ভাবে অনেক স্থাপনা বানাতেই হচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে কাজ করিয়ে নেয়ার সুবিধাগুলো থাকছে, তার সাথে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোরও একটা ব্যবস্থা এখানে থাকছে পাবলিক ক্লাউডে পাঠানোর মাধ্যমে। == ব্যবহার == ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুগল এর বিভিন্ন প্রয়োগ যেমন জিমেইল, পিকাসা থেকে শুরু করে পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যবহার। ২০০৫-৬ সাল থেকে শুরু হয় আমাজন ডট কমের ইলাস্টিক কম্পিউটিং ক্লাউড বা (EC2)। এর পর থেকে আইবিএম, মাইক্রোসফট, গুগল থেকে শুরু করে অনেক কোম্পানি ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক প্রভৃতির মতো বৃহৎ সার্ভিস দিতে কিছুদিন আগ পর্যন্ত প্রয়োজন হতো বড় একটা ক্লাস্টার বা ডেটা সেন্টার। কিন্তু বর্তমানে শুরুতে ক্লায়েন্ট বা ব্যবহারকারী কম থাকলে আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে ২/১টা সার্ভার ভাড়া নিলেই চলবে। ক্লায়েন্ট বাড়লে ক্লাউড থেকে বেশি সার্ভার ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া নেয়া যাবে। বিশেষ কোনো সময়ে কিংবা রাতে কম ব্যবহারকারী থাকলে সিস্টেম সেট-আপ করে সার্ভারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারের যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাজন ডট কমের ক্লাউড ব্যবহার করে। সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি চিকিৎসা মানবকল্যাণেও এটি এক অনন্য সঙ্গী। এক কথায় ক্লাউড কম্পিউটিং এনেছে অনন্য বিপ্লব। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অবশ্য ক্লাউডের সুবিধা পেতে হলে কিছু সমস্যা এখনো রয়েছে। যেমন- ক্রেডিট কার্ড ব্যবস্থা সহজলভ্য না হওয়া, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফারের ব্যবস্থা না থাকা কিংবা উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা প্রভৃতি। ক্লাউড ডেটা সেন্টার বিদেশে থাকতে হবে এমন কথা নেই। কম খরচে কম্পিউটার কিনে বাংলাদেশেই ক্লাউড ডেটা সেন্টার বানানো সম্ভব। এতে সাবমেরিন ক্যাবল কাটা যাওয়ার আশঙ্কা নেই কিংবা পেমেন্ট লেনদেনের ঝামেলা বা ঝুঁকি নেই। == টিকা == Source: Higher Secondary ICT by Narandra Nath Biswas Publisher-Jahan Publiction Edition-2019'''লাউড় রাজ্য''' পৌরাণিক যুগের কামরূপ রাজ্যের উপরাজধানী হিসেবে খ্যাত শ্রীহট্টের প্রাচীন রাজ্য। এর স্থপতি ছিলেন রাজা ভগদত্ত। পৌরাণিক যুগে সিলেটসহ বাংলার এক বিশাল ভূখণ্ড কামরুপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পর্যায়ক্রমে ভগদত্ত রাজার বংশীয় ১৯ জন ঐতিহাসিক নৃপতি ভগদত্তের পরে শ্রীহট্ট অঞ্চলে রাজত্ব করেছেন। ঐতিহাসিক মুমিনুল হকের মতে, প্রাচীন লাউড় রাজ্য কামরূপ থেকে পৃথক (৭৫০ খ্রিস্টাব্দ) হওয়ার পর প্রায় দশম শতকে লাউড় রাজ্য, জয়ন্তীয়া গৌড় রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে শাসিত হয়। == ভৌগোলিক অবস্থান == পৌরাণিক যুগে শ্রীহট্ট ভূমি রাজ্যে গণ্য ছিল। লাউড় রাজ্যের চতুঃসীমা ছিল পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ, পূর্বে জৈন্তিয়া, উত্তরে কামরূপ সীমান্ত দক্ষিণে বর্তমানে পর্যন্ত। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পরবর্তী সময়ে সিলেট অঞ্চলের ভৌগোলিক রুপরেখার পরিবর্তন ঘটলে লাউড় রাজ্যের সীমানা বর্তমান সমগ্র সুনামগঞ্জ জেলা, হবিগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার কিয়দাংশে সীমা বিস্তার হয়। == ইতিহাস == কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলী তথ্যাবলী থেকে জানা যায়, অতি প্রাচীনকালে সিলেটসহ বাংলার এক বিশাল ভূখণ্ড কামরূপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এর রাজধানীর নাম ছিল কামরূপ রাজ্যের শাসক ছিলেন রাজা ভগদত্ত। ঐতিহাসিকদের মতে সুনামগঞ্জের লাউড় পরগণায় রাজা ভগদত্তের উপরাজধানী ছিল। জনশ্রুতি পুরাকীর্তি ইত্যাদির ভিত্তিতে বলা হয় লাউড় সিলেটের প্রাচীন রাজ্য, যা বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার আওতায় পড়ে। ধারণা করা হয়, মহাভারত যুদ্ধে নিহত রাজা ভগদত্তের পরে তাঁর বংশীয় ১৯ জন ঐতিহাসিক নৃপতি লাউড় অঞ্চলে রাজত্ব করেছেন। নিধনপুরের তাম্রলিপি সূত্রে বলা হয় ভাস্করভর্মন খ্রিস্টীয় ৬৫০ অব্দ পর্যন্ত অঞ্চলের রাজত্ব করেন। ভাস্করবর্মনের পর স্লেচ্ছাদিনাথ শালস্থম্ভ (৬৫০-৬৭৫) দ্বারা বর্মনদের সিংহাসন অধিকৃত হয়। শালস্থম্ভের পর রাজা হর্ষবর্মন (রাজত্বকাল, ৭৩০-৭৫০) অত্র রাজ্যে রাজত্ব করেন। ব্রহ্মপুত্র পরবর্তী সমস্ত রাজ্যসমুহে হর্ষবর্মণের সময় বিরাট ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির অভিমত রয়েছে। এসময় সমস্ত বঙ্গদেশ ভিন্ন ভিন্ন খণ্ড রাজ্যে বিভক্ত হয় এবং তখন সিলেটের প্রাচীন লাউড় রাজ্য কামরূপ থেকে বিভক্ত হয়ে একটি পৃথক স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়। দশম শতাব্দীতে লাউড়, গৌড় জয়ন্তীয়া এই তিন রাজ্যে বিভক্ত ছিল সিলেট। পরবর্তীকালে (দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে) বিজয় মাণিক্য নামে জনৈক হিন্দু রাজা লাউড় রাজ্যে রাজত্ব করেন। এসময় রাজা বিজয় মাণিক্যের লাউড় রাজ্যের সীমানা বর্তমান সমগ্র সুনামগঞ্জ জেলা ময়মনসিংহ জেলা এবং হবিগঞ্জ জেলার কিয়দাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে রাজা বিজয় মাণিক্য জগন্নাথপুরের পান্ডুয়ায় (পেরুয়া) একটি রাজ্য স্থাপন করেন। অঞ্চলের নামানুসারে নাম রাখেন পান্ডুয়া রাজ্য। রাজা বিজয় মাণিক্যের রাজত্ব কালে বঙ্গের ব্রাহ্মণরা রাজা বল্লান সেন কর্তৃক অপমানিত হয়ে লাউড় রাজ্যে আশ্রয় নেয়। রাজা বিজয় মাণিক্য জগন্নাথপুর অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে ব্রাহ্মদের স্থাপনা গড়ে দেন। বিজয় মাণিক্যর পরে লাউড় জগন্নাথপুর রাজ্যে কে বা কারা শাসক ছিলেন তা অজ্ঞাত। তেরশত শতাব্দীর পর চৌদ্দ'শ সালের প্রথমার্ধে কাত্যায়ন গোত্রিয় দিব্য সিংহ নামে নৃপতি লাউড়ে রাজত্ব করেন। তখন লাউড়ের রাজধানী নবগ্রামে স্থানান্তর হ্য়। সময় লাউড় এবং জগন্নাথপুর রাজ্য অনেক জ্ঞানী পুরুষের আবির্ভাবে প্রফুল্লিত হয়েছিল। রাজ্যের রাজমন্ত্রী কুবেরাচার্য ছিলেন একজন সুপণ্ডিত ব্যক্তি। যার জ্ঞানের চর্চা ভারতবর্ষের অন্যতম বিদ্যাপীঠ নবদ্বীপ পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত ছিল। এছাড়া উক্ত রাজ্যের নবগ্রামে মাধবেন্দ্রপুরী নামে আরেক জন জ্ঞানী সাধু পুরুষ বসবাস করতেন। এই মাদেবন্দ্রপুরির কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করে লাউড়ের যুবরাজ রমানাথ বা রামা মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যেচার্য সারা ভারতবর্ষে স্মরণীয় হয়ে আছেন। রমানাথ সিংহ উপযুক্ত হলে রাজা দিব্য সিংহ রাজ্যভার তাঁর পুত্র রমানাথকে দিয়ে, শান্তি সাধনায় তিনি তাঁর মন্ত্রীতনয় অদ্বৈত্যের আখড়া শান্তিপুরে চলে যান। সেখানে থেকে অদ্বৈত্যের উপদেশে বৈষ্ণবীধর্ম গ্রহণ করেন এবং সাহিত্য চর্চায় মনোযুগী হয়ে বাংলা ভাষায় বিঞ্চুভক্তি শাস্ত্র গ্রন্থ সহ আরও কয়েকটি গ্রন্থের অনুবাদ করেন। অতপর অদ্বৈত্য বাল্যলিলা গ্রন্থ রচনা করে কৃষ্ণদাস নামে আখ্যাত হন। রাজা দিব্য সিংহের পুত্র রামানাথ সিংহের তিন পুত্র ছিল। এই তিন পুত্রের মধ্যে একজন কাশীবাসি হন এবং এক পুত্রকে লাউড়ের রাজ সিংহাসনে বসিয়ে; রামানাথ সিংহ তাঁর অন্য পুত্র কেশবের সাথে জগন্নাথপুরে আসেন। জগন্নাথপুর এককালে বর্তমান ভৌগোলিক সীমানার চেয়ে আরো বড় ছিল। সেই দ্বাদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত জগন্নাথপুর রাজ্য লাউড়ের শাখা-রাজ্য ছিল, এবং বংশানুক্রমে লাউড় নৃপতিগণ কর্তৃক শাসিত হ্য়। দিল্লী সম্রাটদের রেকর্ডে জগন্নাথপুর রাজ্য লাউড়ের এজমালি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হত। শ্রীহট্রের ইতিবৃত্তে বর্ণিত যে, উক্ত লাউড় রাজ্য সকল সময় স্বাধীন ছিল। ঐতিহাসিক ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টারের মতে, সম্ভবত ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে লাউড় রাজ্য স্বাধীনতা হারায় এবং মোগলরা এর নিয়ন্ত্রক হন। == তথ্যসুত্র == জেলা ইতিহাস প্রাচীন রাজ্য প্রাচীন রাজ্য'''সিলেট সিটি কর্পোরেশন''' ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সিটি কর্পোরেশন, "সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইন, ২০০১" অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয় অথবা বলা যায় সিটি কর্পোরেশন স্থাপনকল্পে উক্ত আইন প্রণীত হয়। এই সিটি কর্পোরেশন এলাকা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণার্থে একটি স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত৷ পরবর্তিকালে এই আইন ২০০২ সংশোধিত হয়ে হয় "সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন ২০০২"। ==ওয়ার্ড== == প্রশাসনিক কর্মকর্তা == যেকোনো সিটি কর্পোরেশনের মতোই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কর্তাব্যক্তি হচ্ছেন মেয়র। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে এর মেয়র পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান। বর্তমান মেয়র হলেন আরিফুল হক চৌধুরী। এছাড়া অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন কমিশনার অন্যান্য সাধারণ কর্মচারীগণ। == পুরস্কার অর্জন == প্রতিষ্ঠার পরে সিলেট সিটি কর্পোরেশন জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে গঠনমূলক সাফল্যের স্বাক্ষর রাখায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে ৪৫ দিন বয়সের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশুর জন্ম নিবন্ধনকারী সফল ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই সিটি কর্পোরেশন প্রথম হবার গৌরব অর্জন করে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইন, ২০০১, সিলেট সিটি কর্পোরেশন জেলা সিটি কর্পোরেশন'''মানবাধিকার দিবস''' জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সাল থেকে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এছাড়াও, 'সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে' বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারিখকে নির্ধারণ করা হয়। সার্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণা ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবরূপে সৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ অর্জন। == জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত == ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৭তম পূর্ণ অধিবেশনে ৪২৩(৫) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সদস্যভূক্ত দেশসহ আগ্রহী সংস্থাগুলোকে দিনটি তাদের মতো করে উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়। মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরণের তথ্যচিত্র কিংবা চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রধানতঃ দিনের সাধারণ ঘটনা। ঐতিহ্যগতভাবে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে প্রতি পাঁচ বৎসর অন্তর 'জাতিসংঘের মানব অধিকার ক্ষেত্র পুরস্কার' প্রদান করা হয়। এছাড়া নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান কার্যক্রমও এদিনেই হয়ে থাকে। == প্রতিপাদ্য বিষয় == ২০০৬ সালে মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল 'দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে অবস্থান', যা ছিল মানব অধিকার সংক্রান্ত। অনেকগুলো বক্তৃতা-বিবৃতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রদান করা হয়েছিল। তন্মধ্যে ৩৭টি দেশ নিয়ে গড়া জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নিম্নের বিবৃতিটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্যঃ- == তারিখে ভিন্নতা == ১৯৪৮ সাল থেকে প্রতি বৎসরের ১০ই ডিসেম্বর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা গুরুত্বের সাথে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। দিবসটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত এবং বিশ্বের সর্বত্র পালিত হয়। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকায় শার্পেভিল গণহত্যাকে স্মরণ করে দিবসটি উদযাপিত হয় ২১ মার্চ। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ বিশ্ব দিবস তালিকা == বহিঃসংযোগ == জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস দিবস ছুটির দিন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন'''টেরাবাইট''' হল ডিজিটাল তথ্য স্টোরেজের জন্য একাধিক একক বাইট। এটি স্টোরেজ ডিভাইসসমূহের ধারণক্ষমতার একক। আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতিতে প্রেফিক্স টেরার অর্থ ১০১২, সুতরাং টেরাবাইট হয় ১০০০ ০০০০ ০০০ ০০০ বাইট অথবা ট্রিলিয়ন অথবা ১০০০ গিগাবাইট। টেরাবাইট বাইনারি প্রেফিক্সতে ০.৯০৯৫ টেবিবাইট, অথবা ৯৩১.৩২ গিগাবাইট। এককের প্রতীক হল '''TB''' বা '''TByte'''। কিন্তু ''Tb'' বলতে বুঝায় টেরাবিট। পেবিবাইট =১০২৪ টেরাবাইট টেরা বাইট =১০২৪ গিগাবাইট, ১০৪৮৫৭৬ মেগাবাইট, ১০৭৩৭৪১৮২৪ কিলোবাইট, ১০৯৯৫১১৬২৭৭৭৬ বাইট। পেন ড্রাইভ, স্মার্ট কার্ড, মাল্টিমিডিয়া কার্ড (এমএমসি), মেমোরি স্টিক, কমপ্যাক্ট ফ্লাস কার্ড, পিকচার এক্সডি কার্ড বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত এর ক্ষুদ্রতা ধারণক্ষমতার জন্য, এসডি কার্ড ইত্যাদি সব কার্ড-এর মানই মেগাবাইট দ্বারা হিসাব করা হয়। এছাড়া গ্রাফিক্স কার্ড, র‌্যাম, এগুলো তো আছেই। == তথ্যসূত্র == একক'''সংবাদ''' বলতে মুদ্রণজগৎ, সম্প্রচার কেন্দ্র, ইন্টারনেট অথবা তৃতীয় পক্ষের মুখপাত্র কিংবা গণমাধ্যমে উপস্থাপিত বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের একগুচ্ছ নির্বাচিত তথ্যের সমষ্টি যা যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। সংবাদ হচ্ছে সমসাময়িক ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য। বিভিন্ন গণমাধ্যমের (media) মাধ্যমে: মানুষের মুখে মুখে (word of mouth), ছাপা প্রক্রিয়া (postal systems), পোস্ট করার মাধ্যমে (postal systems), বেতার টিভি দূর যোগাযোগ (electronic communication) বা কোন ঘটনার স্বাক্ষ্য দ্বারা সংবাদ সরকরাহ করা হয়। সংবাদ পরিবেশনের সাধারণ বিষয়গুলোর মধ্যে যুদ্ধ, সরকার, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি, ব্যবসা, ফ্যাশন, এবং বিনোদন ক্রীড়াবিষয়ক ঘটনা, অদ্ভুত বা অস্বাভাবিক ঘটনা রয়েছে। সরকারি ঘোষণা, রাজকীয় অনুষ্ঠন সম্পর্কে অবগত করা, আইন, কর, গণ স্বাস্থ্য, এবং অপরাধীদের বিষয়ে ধারণা’র বর্ণনা প্রাচীন কাল থেকে সংবাদ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। সংবাদ সম্পর্কে জানা তা ভাগাভাগি করার আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে এবং তথ্য ভাগাভাগি করে মানুষ তা পূরণ করে। কখনো কখনো সরকারি যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং গুপ্তচর নেটওয়ার্ক দ্বারা চালিত হয়ে প্রযুক্তিগত এবং সামাজিক উন্নয়ন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার গতি বাড়িয়ে দিতে পারে সেইসাথে এর আধেয়কে প্রভাবিত করতে পারে। সংবাদপত্রের নিবিড়ভাবে সংযুক্ত যে ধারার সংবাদের সঙ্গে আমরা পরিচিত তা কোর্টের ইশতেহার হিসেবে চীনে উদ্ভূত হয়, পরবর্তীতে কাগজ ছাপাখানার দ্বারা পরিমার্জিত হয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। == উৎপত্তি রহস্য == একটি সূত্র দাবী করছে যে, চতুর্দশ শতাব্দীতে ''নিউ'' শব্দের বহুবচন হিসেবে ''নিউজ'' বা সংবাদ শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহার করা হতো। মধ্যযুগীয় ইংরেজী হিসেবে নিউজ শব্দটির সমার্থক ছিল নিউইজ (newes), ফরাসী শব্দ নোভেলেজ (nouvelles) এবং জার্মান শব্দ নিউয়েজ (neues)। লোকমুখে 'নিউজ' শব্দটিকে বিশ্লেষণ করা হয় ''এন'' (নর্থ), ''ই'' (ঈষ্ট), ''ডব্লিউ'' (ওয়েস্ট) এবং ''এস'' (সাউথ)। জেসিকা গ্যারিটসন ফিঞ্চ (Jessica Garretson Finch) ১৮৯০ সালে বার্নার্ড কলেজে (Barnard College) পড়ানোর সময় “সমসাময়িক ঘটনাবলী” ("current events") ব্যাকাংশটি আবিষ্কার করেন। '''নতুনত্ব''' সংবাদ "news") শব্দটির অন্তর্নিহিত অর্থের মতো "news") এর সাধারণ গূঢ়ার্থ হচ্ছে নতুন তথ্য উপস্থাপন। 910 সংবাদ বিষয়ে এই নতুনত্ব বিষয়টিকে এমন একটি অনির্দিষ্ট গুণ দিয়েছে যা এটিকে ইতিহাসের অতি সর্তকতামূলক অনুসন্ধান এবং বা অন্যান্য পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিষয় থেকে আলাদা করেছে।91012 '''ইতিহাস''' সপ্তদশ শতকের শুরুর দিকে সংবাদপত্রের সূচনা ঘটে। এর পূর্বে সংক্ষিপ্ত সরকারি ঘোষণা বা ইস্তেহার এবং রাজার আজ্ঞা প্রধান প্রধান নগরগুলোতে প্রকাশিত হতো। প্রথম লিখিতভাবে সংবাদ বা খবরের ব্যবহার মিশরে সু-সংগঠিতভাবে প্রবর্তন হয়েছিল। খ্রীষ্ট-পূর্ব ২৪০০ বছর পূর্বে ফারাও শাসন আমলে বর্তমানকালের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম কুরিয়ার সার্ভিসের আদলে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রসারনের উদ্দেশ্যে ডিক্রী বা আদেশনামা প্রচারের ব্যবস্থা করা হতো। প্রাচীন রোমের ''এক্টা ডিওরনা'' বা সরকারের তরফে জুলিয়াস সিজার কর্তৃক ঘোষিত ইস্তেহার জনগণের উদ্দেশ্যে তৈরী করতেন। এগুলো ধাতব পদার্থ অথবা পাথরের সাহায্যে জনগণের সম্মুখে প্রচার করা হতো। চীনের সরকারশাসিত প্রথমদিককার সময়ে সংবাদ শীট আকৃতিতে তৈরী করা হতো। এটি ''টিপাও'' নামে পরিচিত ছিল। দ্বিতীয় তৃতীয় শতাব্দীতে হ্যান রাজবংশের শেষদিককার সময়কালে আদালতের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা হতো। ৭১৩ থেকে ৭৩৪ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে ত্যাং রাজবংশের আমলে ''কাইয়ুন জা বাও'' (আদালতের ইস্তেহার) নামে সরকারীভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। এটি সিল্কের উপর হস্তলিখিত ছিল। সরকারী কর্মীরাই এটি প্রচারের উদ্দেশ্যে পড়ার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল। ১৫৮২ সালে মিং রাজত্বকালের শেষদিকে ব্যক্তিগতভাবে সংবাদ প্রকাশের প্রথম তথ্যসূত্র প্রয়োগের উল্লেখ করা হয়। আধুনিক ইউরোপের শুরুর দিকে আন্তঃসীমান্ত এলাকায় পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিকল্পে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে হস্তলিখিত সংবাদের কাগজ ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫৫৬ সালে ভেনিস প্রজাতন্ত্রীয় সরকার প্রথমবারের মতো মাসিক ''নটিজি স্ক্রিট'' প্রকাশ করে। এর মূল্য ছিল এক ''গেজেটা''। == সংবাদপত্র == মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহ্যগতভাবেই অধিকাংশ বৃহৎ শহরে সকাল এবং বিকালে সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো। প্রচারমাধ্যমের সম্প্রসারণ এবং সংবাদের ক্ষেত্র অসম্ভবরকমভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ বিকালের সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে কেবলমাত্র সকালেই সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। সকালে সংবাদপত্র প্রকাশের ফলে কম ক্ষতি হয়। মূলতঃ সংবাদের গুণগত মান দৃষ্টিভঙ্গীই এতে সম্পৃক্ত। সাধারণতঃ সংবাদ ৫টি ''ডব্লিউ'''র উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়। ''হু, হুয়াট, হোয়েন, হোয়ার, হুয়াই'' ছাড়াও আরও একটি ডব্লিউ (হাউ) রয়েছে। এগুলোকে ভিত্তিমূল হিসেবে ধরে যে-কোন বিষয় বা ঘটনা নিয়ে সংবাদ তৈরী করা সম্ভবপর। এশব্দগুলোর মাধ্যমে সংবাদ অনুসন্ধান কার্যক্রমের পর আর কোন প্রশ্ন বাকী থাকে না। প্রথম পৃষ্ঠায় সাধারণতঃ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ উপস্থাপন তথ্য পরিবেশনকে সবিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। এরফলে ব্যস্ত পাঠকেরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই তাদের অভিষ্ট সংবাদের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে থাকেন। ক্যাবল নিউজ চ্যানেল হিসেবে বিবিসি নিউজ, ফক্স নিউজ, এমএসএনবিসি, সিএনএন সংবাদের গুরুত্ব অনুসারে প্রচারের ব্যবস্থা করে। ১৬০৫ সালে প্রকাশিত ''রিলেশন অলার ফুর্নেমেন আন্ড গেডেনঙ্কুরডিগেন বিশ্বের ১ম সংবাদপত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। == সংবাদ সংস্থা == পৃথিবীর প্রাচীনতম সংবাদ সংস্থা হিসেবে এজেন্সী ফ্রান্স-প্রেস বা এএফপি'র নাম সর্বজনস্বীকৃত। এটি ১৮৩৫ সালে ফরাসী অনুবাদক এবং বিজ্ঞাপনী সংস্থার এজেন্ট চার্লস-লুইস হাভাস কর্তৃক ''এজেন্সী হাভাস'' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। == মাধ্যম == বর্তমানে সংবাদপত্রে মুদ্রণের জন্য নিউজরুম বা বার্তাকক্ষে ফোন ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি একজন প্রতিবেদক টাইপ করে তার প্রতিবেদন নিউজরুম বা বার্তাকক্ষে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। সাধারণত তারের মাধ্যমে কিংবা হস্তলিখিত সংবাদ নির্দিষ্ট সংস্করণে প্রকাশের জন্য কিংবা অন্যান্য সংবাদের সাথে প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়। == সর্বশেষ সংবাদ == আজকাল ''সর্বশেষ সংবাদ'' বা ''ব্রেকিং নিউজ'' নামে সংবাদের নতুন একটি অংশবিশেষ কিংবা পরিভাষার জন্ম হয়েছে। এটি বাণিজ্যিকভাবে প্রচারণার জন্য ''ইউনাইটেড স্টেটস্‌ ক্যাবল নিউজ সার্ভিসে'' দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় প্রকাশিত হয়। স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সাহায্যে সেবায় বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়। এছাড়াও বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা বিবিসি সর্বশেষ সংবাদ ই-মেইলের সাহায্যে গ্রাহককে প্রেরণ করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন শহর বা দেশে যে ঘটনাগুলো প্রতিটি মুহূর্তে ঘটছে তা দ্রুত প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। এতে রেডিও বা বেতার, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়। ==আরও দেখুন== গণমাধ্যম == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মাধ্যম সংস্থা ওয়েবসাইট'''মেঘনা উপজেলা''' বাংলাদেশের একটি উপজেলা। এটি কুমিল্লা জেলার অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা সরকারের প্রশাসনিক অঞ্চল। সাধারণত পাকিস্তান আমলের থানা কে উপজেলায় উন্নীত করা হয়েছে। মেঘনা উপজেলা একটি নবগঠিত প্রশাসনিক অঞ্চল। অর্থাৎ পার্শ্ববর্তী উপজেলাসমূহের অংশ নিয়ে এই উপজেলা গঠন করা হয় ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই উপজেলার প্রধান সরকারি কর্মকর্তা। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩মে জুন প্রথম মেঘনা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার গঠিত হয়। == আয়তন অবস্থান == মেঘনা উপজেলার আয়তন ৯৯.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। এটি মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বে কাঁঠালিয়া নদী দাউদকান্দি উপজেলা, পূর্বে কাঁঠালিয়া নদী তিতাস উপজেলা, উত্তর-পূর্বে কাঁঠালিয়া নদী হোমনা উপজেলা, উত্তরে মেঘনা নদী নারায়ণগঞ্জ জেলার মেঘনা নদী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদী মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা অবস্থিত। == প্রশাসনিক এলাকা == মেঘনা উপজেলায় সবকয়টি এলাকা গ্রাম এবং এটি সম্পূর্ণ চরাঞ্চল। উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মেঘনা থানার আওতাধীন। ;ইউনিয়নসমূহ: ১নং চন্দনপুর ২নং চালিভাঙ্গা ৩নং রাধানগর ৪নং মানিকারচর ৫নং বড়কান্দা ৬নং গোবিন্দপুর ৭নং লুটেরচর ৮নং ভাওরখোলা == ইতিহাস == ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১৬ তারিখ মেঘনার বাস্তবায় হয়েছিলো। হোমনার টি ইউনিয়ন এবং দাউদকান্দির টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিতো হয়েছিলো মেঘনা। এখন মোট টি ইউনিয়ন সহ ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোটার। == জনসংখ্যার উপাত্ত == == শিক্ষা == শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৩.৩৪%; পুরুষ ৩৮.০৪%, মহিলা ২৯.৯২%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫১, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: লুটেরচর মফিজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৯) মানিকের চর কলেজ (১৯৭০), দৌলত হোসেন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৮), মানিকের চর এল এল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৬), সোনার চর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৯), মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭), চন্দনপুর এম হাইস্কুল (১৯৭১)। == অর্থনীতি == এটি একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। মানুষের প্রধান জীবিকার সূত্র কৃষি এবং মৎস। প্রবাসী বাংলাদেশী হিসাবে কাজ করছে অনেকেই। == বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব == ১।আপেল মাহমুদ (বিখ্যাত সুরকার গীতিকার) ২। আজিজুল হাকিম (নাটক অভিনেতা) ৩। জনাব মোঃ রুবেল শিকদার (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক) সাতঘড়িয়া কান্দি ==বিবিধ == এলাকা: ৯৮.৪৭ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যা: লক্ষ (আনুমানিক) জনঘনত্ব: ৯৮৫ জন প্রতি বর্গ সংখ্যা: ৮টি মৌজা: ৪১টি সরকারী হাসপাতাল: ১টি, চিকিৎসা ক্লিনিক: ৪টি। হাটবাজার; ১৭টি। ডাকঘর: ৫টি। পোস্টকৌড:৩৫১৫। == জনপ্রতিনিধি == সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা সংসদ সদস্য রাজনৈতিক দল ২৪৯ কুমিল্লা-১ মেঘনা উপজেলা এবং দাউদকান্দি উপজেলা মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == == বহিঃসংযোগ == জেলার উপজেলা উপজেলা'''দুশমন দুনিয়া কা''' () এটি ১৯৯৬ সালের একটি বলিউড চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মেহমুদ এবং প্রযোজনা করেছেন অশোক মিশ্র। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন নবাগত লায়লা মেহদিন, মঞ্জুর আলী জীতেন্দ্র এছাড়াও শাহরুখ খান সলমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে আবির্ভূত হন। == শ্রেষ্ঠাংশে == জীতেন্দ্র মহেশ ঠাকুর মনজুর আলী লাকি সুমালাথা রেশমা লায়লা মেহদিন লতা শাহরুখ খান বাদ্রু (বিশেষ ভূমিকায়) সলমান খান সলমান (বিশেষ ভূমিকায়) জনি লিভার প্রধান শিক্ষক ফরিদা জালাল মহিলা আশ্রয় এর ম্যানেজার == সংগীত == === সাউন্ড ট্র্যাক === == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্রচিত্র:Sepp Blatter at signing of agreement creating FIFA Ballon d’Or in Johannesburg 2010-07-05 জোহানেসবার্গে ''ফিফা বালোঁ দর'' পদক প্রবর্তন উপলক্ষে ফিফা প্রধান সেপ ব্ল্যাটার চুক্তিপত্র তুলে ধরছেন '''ফিফা বালোঁ দর''' (, "Golden Ball") এক ধরনের ফুটবল পদক যা বিশ্ব ফুটবলের প্রধান সংগঠন ফিফা কর্তৃক পরিচালিত হয়। এটি সাংবার্ষিকভাবে পূর্বের বছরের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনকারী বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ফুটবল খেলোয়াড়কে পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে। পুরুষ বিভাগে বালোঁ দর পদক প্রদান করা হয়ে থাকে। ভোটাভুটির মাধ্যমে বিশ্বের সেরা ফুটবল খেলোয়াড়কে নির্বাচন করা হয়। আন্তর্জাতিক ফুটবল দলগুলোর কোচ অধিনায়ক-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রীড়া সাংবাদিকগণ তাদের স্ব-স্ব ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে যোগ্যতম খেলোয়াড়কে খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করেন। == প্রেক্ষাপট == ফিফা বালোঁ দর পুরস্কারটি ২০১০ সাল থেকে প্রবর্তিত হয়েছে। ফ্রান্সের দ্বি-সাপ্তাহিক পত্রিকা ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃক প্রদেয় বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার পদক একীভূত হয়ে ''ফিফা বালোঁ দর'' পদক হিসেবে বর্তমানে পরিচিতি লাভ করেছে। তন্মধ্যে বর্তমানে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার পদকটি মহিলাদের মাঝে প্রদান করা হয়। অভিষেক বর্ষেই পুরস্কার পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা তথা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। স্মর্তব্য যে, তিনি এর পূর্বের বছরও বালোঁ দর পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। ২০১১ সালে মেসি পুণরায় পদক পেয়ে ধারাবাহিকভাবে ৪র্থবারের মতো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেছেন। == পদক বিজয়ীদের তালিকা == === বিজয়ীদের তালিকা === চিত্র:Lionel Messi, বালোঁ দরের প্রথম তিনবার পুরস্কার লাভ করেন লিওনেল মেসি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ২০১৩ ২০১৪ সালের ফিফা বালোঁ দর পুরস্কার পান বছর ক্রম খেলোয়াড় দল '''২০১০''' '''১ম''' '''লিওনেল মেসি''' ২য় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বার্সেলোনা ৩য় জাভি বার্সেলোনা '''২০১১''' '''১ম''' '''লিওনেল মেসি''' ২য় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ৩য় জাভি বার্সেলোনা '''২০১২''' '''১ম''' '''লিওনেল মেসি''' ২য় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ৩য় ইনিয়েস্তা বার্সেলোনা '''২০১৩''' '''১ম''' রোনালদো''' '''রিয়াল মাদ্রিদ''' ২য় লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ৩য় রিবেরি বায়ার্ন মিউনিখ '''২০১৪''' '''১ম''' রোনালদো''' '''রিয়াল মাদ্রিদ''' ২য় লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ৩য় ম্যানুয়েল নয়্যার বায়ার্ন মিউনিখ '''২০১৫''' '''১ম''' '''লিওনেল মেসি''' ২য় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ৩য় নেইমার বার্সেলোনা === ক্লাব পর্যায়ে === ক্লাবের নাম ১ম স্থান ২য় স্থান ৩য় স্থান এফসি বার্সেলোনা (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) (২০১০, ২০১৩, ২০১৪) (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) রিয়াল মাদ্রিদ (২০১৩, ২০১৪) (২০১১, ২০১২, ২০১৫) বায়ার্ন মিউনিখ (২০১৩, ২০১৪) === দেশ অনুযায়ী === দেশ ১ম স্থান ২য় স্থান ৩য় স্থান (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) (২০১৩, ২০১৪) (২০১৩, ২০১৪) (২০১১, ২০১২, ২০১৫) (২০১০) (২০১০, ২০১১, ২০১২) (২০১৩) (২০১৪) (২০১৫) === ব্যক্তিগত পর্যায়ে === খেলোয়াড়ের নাম ১ম স্থান ২য় স্থান ৩য় স্থান লিওনেল মেসি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা জাভি হার্নান্দেজ ফ্রাংক রিবেরি ম্যানুয়েল নয়্যার নেইমার == সম্মানসূচক বালোঁ দর (প্রি দনর) == ২০১৪ সালে পেলেকে সম্মানসূচক বালোঁ দর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তিনি তিনবার ব্রাজিলকে ফিফা বিশ্বকাপ জয়ে সহায়তা করেন। কিন্তু তিনি ফিফা কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে কোন পুরস্কারে ভূষিত হননি। ঐসময় কেবলমাত্র ইউরোপভিত্তিক দলগুলোর ফুটবলাররা প্রকৃত বালোঁ দর পুরস্কার জয়লাভের জন্য বিবেচিত হতেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == == আরও দেখুন == ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার পদক পুরস্কার কোচ অধিনায়ক লিওনেল মেসি পুরস্কার প্রবর্তিত পুরস্কার ট্রফি পুরস্কার'''সরকারী কর্ম কমিশন''' একটি স্বায়িত্বশাসিত সংস্থা যার দায়িত্ব সরকারি চাকুরীতে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা। এটিকে ইংরেজিতে '''পাবলিক সার্ভিস কমিশন''' হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি একটি সাংবিধানিক স্বাধীন সংস্থা। পাকিস্তান আমলের সরকারী কর্ম কমিশনের উত্তরাধিকার হিসাবেই বাংলাদেশে গঠিত হয়েছিল সরকারী কর্ম কমিশন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশের সরকারী কর্ম কমিশন গঠিত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭ থেকে ১৪১ পর্যন্ত অনুচ্ছেদে সরকারী কর্ম কমিশন গঠনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বর্ণিত আছে। একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন সদস্য সমবাযে পাঁচ বৎসর মেয়াদের জন্য কমিশন গঠিত হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করেন। বর্তমানে ড. মোহাম্মদ সাদিক এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত আছেন। == ইতিহাস == বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুসারে প্রথমাবস্থায় টি 'পাবলিক সার্ভিস কমিশন' গঠন করে, যা '''পাবলিক সার্ভিস কমিশন (প্রথম)''' এবং '''পাবলিক সার্ভিস কমিশন (দ্বিতীয়)''' নামে অভিহিত হয়; কিন্তু পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করত: উভয় কমিশনকে একত্রিত করে '''বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন''' নামে একটিমাত্র কমিশন পদ্ধতি চালু করা হয়। == সংক্ষিপ্ত তথ্য == বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন বা বিপিএসসি একটি সাংবিধানিক এবং স্বাধীন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এই কমিশনের প্রধানের পদবী হবে চেয়ারম্যান। সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদ বলে এই কমিশন গঠিত হয়েছে। বর্তমান বিসিএস ক্যাডার সংখ্যা ২৬টি। এর আগে এটি ছিল ২৭টি। উপমহাদেশে প্রথম সরকারি কর্মকমিশন গঠিত হয়েছিল ১৯২৬ সালে। বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস কমিশন গঠিত হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান ছিলেন অধ্যাপিকা তাহমিদা বেগম। এই কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন ড- কিউ এম বজলুল করিম। == চেয়ারম্যান == == তথ্যসূত্র == মাসিক কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, জানুয়ারি ২০১২, পৃষ্ঠা-৫৩। == বহিঃসংযোগ == বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের তথ্যতীর্থ প্রতিষ্ঠান সরকার সরকারী কর্ম কমিশন'''সালমা সোবহান''' (জন্ম: আগস্ট ১১, ১৯৩৭ মৃত্যু: ডিসেম্বর ২৯, ২০০৩)বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার। তিনি একাধারে শিক্ষক, আইনবিদ, গবেষক, সমাজকর্মী, সর্বোপরি একজন মানবহিতৈষী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। == জন্ম প্রাথমিকজীবন == সালমা সোবহানের পুরো নাম সালমা রাশেদা আক্তার বানু। তিনি ১৯৩৭ সালের আগস্ট ১১ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. ইকরামুল্লাহ ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্র সচিব। তার মা শায়েস্তা ইকরামুল্লাহ ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম মহিলা সংসদ সদস্যদের অন্যতম। তার মা-বাবা দু'জনই রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার শ্বশুরও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সালমা সোবহানের স্বামী বাংলাদেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তার তিন ছেলেন হলেন তৈমুর সোবহান, বাবর সোবহান জাফর সোবহান। == শিক্ষাজীবন == সালমা সোবহানের শিক্ষা জীবন শুরু হয় ইংল্যান্ডের ওয়েস্টনবার্ট স্কুলে। পরবর্তীকালে ১৯৫৮ সালে কেমব্রিজের গির্টন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৯ সালে লিংকন'স ইন থেকে বার এট' সনদপ্রাপ্ত হন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৬২ সালে। ১৯৫৮ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি ব্যারিস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। == কর্মজীবন == সালমা সোবহান কর্মজীবনের শুরুতেই ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের মেসার্স সারিজ অ্যান্ড বিচেনো ল' ফার্মে লিগ্যাল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে বিয়ে হওয়ার পর তিনি ঢাকা চলে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ঢাকা আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল' অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া)-র গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যনত্ম সুপ্রীমকোর্ট ল' রিপোর্টসের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি এবং আরও জন সম্বিলিত প্রয়াসে গঠিত হয় মানবাধিকার সংগঠন 'আইন সালিশ কেন্দ্র' (আসক)। ১৯৮৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আসকে বিনা পারিশ্রমিকে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। নারীদের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তার নামে ‌'সালমা সোবহান সাংবাদিকতা ফেলোশিপ' প্রদান করা হয়। == প্রকাশিত গ্রন্থ == Legal Status of Women in Bangladesh, BILIA (১৯৭৫) Peasants Perception of Law, BRAC (১৯৮১) No Better Option Women Industrial Workers, (Co- authored), UPL (১৯৯৮) এছাড়াও তিনি একটি উপন্যাস এবং তিনটি ছোট গল্প রচনা করেছিলেন। == পুরস্কার স্বীকৃতি == অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার (২০০০) হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড, নিউইয়র্ক (২০০১) == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == গুণীজন জন্ম মৃত্যু শিক্ষাবিদ মানবাধিকার কর্মী শিক্ষক সমাজসেবক সমাজকর্মী বিষয়শ্রেণী:২০ শতকের বাংলাদেশি আইনজীবীজগন্নাথ হলের ছাদ ধসে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ '''ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস''' প্রতি বছরের ১৫ অক্টোবর পালিত হয়। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ অক্টোবর প্রাচীন জগন্নাথ হলের একটি আবাসিক ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়লে সংঘটিত হয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারায় ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী অতিথি। এরপর থেকেই সাংবার্ষিক ভিত্তিতে দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। চিত্র:October Smriti হলের ছাদ ধসে নিহতদের স্মরণে নির্মিত অক্টোবর স্মৃতি ভবন পরবর্তিকালে ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের সম্মানে জগন্নাথ হলে অক্টোবর স্মৃতি ভবন নামে একটি ভবন নির্মিত হয়। == তথ্যসূত্র == বিশ্ববিদ্যালয়'''ফেব্রুয়ারি ৩১,''' আধুনিক পাশ্চাত্য (সংশোধিত গ্রেগরিয়ান) ক্যালেন্ডার, ব্যবহৃত একটি কল্পনিক তারিখ। উদাহারণ হিসাবে কখনো কখনো এটি ব্যবহার করা হয়, প্রেক্ষাপট নির্বিশেষে কৃত্রিম এবং ডাটা বাস্তব না এমন তথ্য উপস্থাপন করার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারি ৩০ তারিখটিও একইভাবে এবং একই ধরনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যদিও কিছু ক্যালেন্ডারে সঠিকভাবেই ফেব্রুয়ারি ৩০ তারিখটি ব্যবহার করা হয়। == স্বেচ্ছাকৃত ব্যবহারের উদাহরণ == ওহিওর প্রাচীন মিশন চার্চ কবরস্থানে দেখা যাচ্ছে, "খ্রিস্টিনা হাগ" এর এই সমাধিতে তার মৃত্যুর তারিখ ৩১শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৯ অক্সফোর্ডের সেন্ট এর গির্জার কবরখানা মধ্যে সমাধিস্তম্ভ, যেখানে লেখা আছে: হাউন্ডস্লো, জন্ড। সারাহ, তার স্ত্রী ৩১.২.১৮৩৫; ছয় শিশু, শৈশব মারা যায়;এন, জন হাউন্ডস্লো, স্ত্রী। ৬.১১.১৮৯০ == জন্ম == উইলিয়াম ম্যালি। ''রিপ্লি'স বিলিভ ইট অর নট!'' যে ম্যালি, "তার ক্লিফেন, আয়ারল্যান্ডের জন্ম সনদ অনুযায়ী, ''১৮৫৩ সালের ৩১''' তারিখে জন্মগ্রহন করেছেন"।'' == আরও দেখুন == জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি ৩০ মার্চ == তথ্যসূত্র =='''বজলুর রহমান''' (৩ আগস্ট ১৯৪১ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮) বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ২০১২ সালে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। == জন্ম শিক্ষাজীবন == বজলুর রহমানের জন্ম ১৯৪১ সালের আগস্ট ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার চরনিয়ামতপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন। == কর্মজীবন == বজলুর রহমান ১৯৬১ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে সংবাদে যোগদান করেন এবং শুরু হয় সাংবাদিকতা। কিছুদিন পর তিনি সংবাদের সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। আমৃত্যু তিনি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাড়া তিনি সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকে কিছুদিন কাজ করেছেন। তার অংশগ্রহণ ছিলো মুক্তিযুদ্ধ, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ছেষট্টির দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে অনিয়ম, গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে তিনি ছিলেন ঢাকা ছাত্র। তখন তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে। এছাড়া ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ববাংলার মুক্তিসনদ দফা দাবি ঘোষণা করার পর বজলুর রহমান তা সক্রিয়ভাবে সমর্থন এবং এর পক্ষে সামগ্রিক জনমত গঠনে প্রচারাভিযান চালান। তিনি বাসসের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া প্রেস ইনস্টিটিউট, প্রেস কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। == মৃত্যু == বজলুর রহমান ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। == পুরস্কার সম্মাননা == সাংবাদিকতায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে। == আরও দেখুন == সাংবাদিকতায় স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী'''ল্যাম্বডা অরিয়নিস''' (λ Ori, Orionis) তারাটি কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলের একটি তারা। এটি '''মেইসা''' (Meissa বা '''হেকা''' (Heka) নামেও পরিচিত। মাইসা নামটি আরবি আল মাইসান থেকে এসেছে যার অর্থ উজ্জ্ব্ল বা দীপ্তিময়। মিথুন রাশির অপর একটি তারা আল হেনা কে এই নাম দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোন একটা ভুলে ল্যাম্বডা অরিয়নিসকেও এই নামে প্রথম ডাকা হয়েছিল, এরপর থেকে এই তারাটিকে আল মেইসা নামেই ডাকা হয়। এই তারাটির আসল নাম আল হাকাহ যার অর্থ হেকার উৎস. ল্যাম্বডা অরিয়নিস একটি বিরাট তারা যা ও৮ শ্রেণীর এবং এর আপাত প্রভার মান ৩.৫৪। এটি সূর্যের ভরের ২৮ গুণ বড় এবং সূর্যের ব্যাসার্ধের ১০ গুণ বড়। এর উপরি পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা ৩৫,০০০ কে. যার কারণে এই তারাটিকে নীলাভ বর্ণের দেখায়। ল্যাম্বডা অরিয়নিস ক্ষীণ এক্স-রে এর উৎস যার ঔজ্জ্ব্ল্যের মান ১০৩২ erg s−১ এবং এর শক্তিমাত্রার সর্বোচ্চ নির্গমণ ০.২-০.৩ কেইভো যা নির্দেশ করে এই এক্স-রে এর উৎস হচ্ছে নাক্ষত্রিক বায়ু। এই তারাটি ৫০ লক্ষ বছর পুরনো অঞ্চলেরএকটি তারা যে অঞ্চলটির নাম ল্যাম্বডা অরিয়নিস গুচ্ছ। ল্যাম্বডা অরিয়নিস মূলতঃ একটি দ্বৈত তারা যার কৌণিক বিচ্ছেদের মান ৪.৪১ আরকসেকেন্ড এবং কৌনিক অবস্থান ৪৩.১২° (১৯৩৭) ক্ষীণ তারাটির আপাত প্রভার মান ৫.৬১ এবং এটি বি০.৫ শেণীর একটি তারা। এর অপর একটি তারা ল্যাম্বডা অরিয়নিস সি যা টাইপ-এফ শ্রেণীর। এই তারাটি কম ভরের একটি তারা যা সম্ভবত বাদামীবামন তারা। == তথ্যসূত্র == বস্তু নাম সাথে তারা (সমষ্টি) তারা বিষয়শ্রেণী:বি টাইপ প্রধান-ক্রম তারাthumb '''২০১১–২০১২ এর সিরীয় অভ্যুত্থ্যান''' মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ায় চলমান একটি সহিংস অভ্যুত্থান। অনেকে একে আরবের বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান তথা আরব বসন্তের অংশ হিসেবে দেখেন। ২০১১ সালের ২৬শে জানুয়ারি সিরিয়ায় শুরু হওয়া দেশব্যাপী গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন এক সময় অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের দাবী ছিল রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের পদত্যাগ, তার সরকারের ক্ষমতাচ্যুতি এবং সিরিয়া দীর্ঘ দশকের আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টি (আরবি নাম: ''হিয্‌ব আল-বা'ত আল-আরাবি আল-ইশতিরাকি- কুত্‌র সুরিয়া'') শাসনের পতন। অভ্যুত্থান ঠেকাতে সিরীয় সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এবং তাদের বাহিনী বেশ কিছু শহর অবরোধ করে বর্ণনা মতে, যে সৈন্যরা সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল সিরীয় সেনাবাহিনী তাদেরকে হত্যা করেছে। সিরীয় সরকার দেশে সরকারি দলদ্রোহিতা অস্বীকার করেছে এবং সশস্ত্র কয়েকটি দলকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্ত করে। ২০১১ সালের শেষদিকে বেসামরিক জনগণ সেনাবাহিনীর দলত্যাগী সৈন্যরা আলাদা যোদ্ধা দল গঠন করে সিরীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে। বিদ্রোহীরা ''আল-জায়িশ আল-সুরিল হুর'' বা ''ফ্রি সিরিয়ান আর্মি'' নামে একটি নামের অধীনে একত্রিত হয়ে দিনদিন আরও সংঘবদ্ধ আক্রমণ করতে থাকে। অবশ্য তাদের বেসামরিক অংশটির সংগঠিত নেতৃত্বের অভাব ছিল। অভ্যুত্থানের পেছনে কেউ কেউ বর্ণবাদের ইন্ধন আছে বলে দাবী করেছেন যদিও দু'পক্ষের কেউই তাদের কাজে বর্ণবাদের কোন ভূমিকা অস্বীকার করেছে। বিদ্রোহীদের অধিকাংশ সুন্নি মুসলিম যেখানে ক্ষমতাসীন সরকারের অধিকাংশ ব্যক্তি আলাবি (শিয়াদের একটি গোত্র) মুসলিম। উল্লেখ্য সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার ৭৪% সুন্নি, ১২% আলাবি এবং ১০% খ্রিস্টান। জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন উৎসের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ৯,১০০–১১,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে যার অধিকাংশই বিদ্রোহী দলের অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে সশস্ত্র বাহিনীর নিহত হয়েছে ২,৪৭০–৩,৫০০ জন। এর চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ বিদ্রোহীকে আটক করা হয়েছে। সিরীয় সরকারের ভাষ্যমতে মৃতের সংখ্যা ৫,৭০০–৬,৪০০ যার মধ্যে ২,০০০–২,৫০০ জনই সেনাবাহিনীর, ৮০০ জনের বেশি বিদ্রোহী এবং ৩,০০০ বেসামরিক মানুষ। সরকার বিদ্রোহীদেরকে "সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে ৪০০-রও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। সিরীয় সরকার অবশ্য এই তথ্যকে অস্বীকার করেছে এবং জাতিসংঘ বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ভুল তথ্য পেয়েছে বলে দাবী করেছে। পাশাপাশি, ৬০০-র বেশি আটক ব্যক্তি রাজনৈতিক বন্দি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে। ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুসারে ৪০০-র বেশি শিশু নিহত হয়েছে। অনেক উৎস বলছে এর বাইরে আরও প্রায় ৪০০ শিশুকে কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। সহিংসতা থেকে বাঁজতে হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী জর্ডান, লেবানন এবং তুরস্কে পালিয়ে গিয়েছে। সরকার-বিরোধী গোষ্ঠীকেও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে আছে নির্যাতন, অপহরণ, অবৈধভাবে মানুষকে আটক করা, বেসামরিক লোক, শাবিহা সৈন্য হত্যা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইরানী কয়েকজন ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের অনুসন্ধান কমিশন ২০১২-র ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উপস্থাপন করেছে। এতে বলা হয়েছে বেসামরিক মানুষকে ঘরছাড়া করার পেছনে বিদ্রোহীদেরও হাত রয়েছে। আরব লীগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ''কোঅপারেশন কাউন্সিল ফর অ্যারাব স্টেটস অফ দ্য গাল্‌ফ'' (জিসিসি) এবং বেশ কিছু দেশ বিদ্রোহীদের দমনে সরকারের সহিংস পন্থা অবলম্বনকে ধিক্কার জানিয়েছে। চীন রাশিয়া সরাসরি ধিক্কার জানানো থেকে বিরত থেকেছে এই যুক্তিতে যে, তা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের সামিল হবে। অবশ্য, অধিকাংশ দেশই অন্য দেশের সিরিয়াতে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। আরব লীগ সরকারের সহিংস পথ অবলম্বনের কারণে তাদের সংস্থা থেকে সিরিয়ার সদস্যপদ বাতিল করেছে। অবশ্য ২০১১-র ডিসেম্বরে লীগ সিরিয়ায় একটি পর্যবেক্ষক মিশন পাঠায় সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে। সমস্যা সমাধানের শেষ চেষ্টা হিসেবে জাতিসংঘ প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি বিশেষ এনভয় সিরিয়ায় পাঠায়, কিন্তু বাশার আল-আসাদের সাথে আলোচনার পর কোন সমঝোতা ছাড়াই আনানকে সিরিয়া ত্যাগ করতে হয়। == তথ্যসূত্র =='''আমার আছে জল''' এটি ২০০৮ সালের একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেন কথাসাহিত্যিক চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদ। চলচ্চিত্রটি তার নিজের লেখা উপন্যাস ''আমার আছে জল'' অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, মীম, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন, পীযূষ মুনমুন আহমেদ, সালেহ আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ডাক্তার এজাজ আহমেদ। == কাহিনীর সারাংশ == == চরিত্রসমূহ == ফেরদৌস সাব্বির বিদ্যা সিনহা সাহা মীম দিলশাদ জাহিদ হাসান জামিল মেহের আফরোজ শাওন নিশাত পীযূযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের আইজি (অবসর প্রাপ্ত) মুনমুন আহমেদ সালেহ আহমেদ আলীম জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় দোকানদার ডাক্তার এজাজ আহমেদ ওসি কামরুল == সম্মাননা == === আন্তর্জাতিক সম্মাননা === === জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার === == আরও দেখুন == আগুনের পরশমণি দুই দুয়ারী শ্রাবণ মেঘের দিন চন্দ্রকথা শ্যামল ছায়া ঘেটু পুত্র কমলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == আমার আছে জল অলমুভি আমার আছে জল রটেন টমেটোস চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র আহমেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র ধারণকৃত চলচ্চিত্র আহমেদ অভিনীত চলচ্চিত্র'''কালো হাঁস''' (''Aythya fuligula'') () বা '''ঝুঁটি হাঁস''' Anatidae (অ্যানাটিডি) গোত্রের অন্তর্গত ''Aythya'' গণের মাঝারি আকৃতির এক প্রজাতির ডুবুরি হাঁস। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় কোটি লাখ বর্গ কিলোমিটার। গত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা কমে গেলেও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছায় নি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. কালো হাঁসকে Least Concern বা আশঙ্কাহীন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। বিশ্বে ২৬ লাখ থেকে ২৯ লাখ পূর্ণবয়স্ক কাল হাঁস আছে। == বিস্তৃতি == প্রায় সমগ্র ইউরেশিয়া আফ্রিকার কিছু কিছু অঞ্চল পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি। স্বভাবে এরা প্রধানত পরিযায়ী। তবে মধ্য উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে কালো হাঁস সাধারণত স্থায়ী। বাংলাদেশ আর ভারতে যে কালো হাঁস দেখা যায় তারা পরিযায়ী হয়ে আসে। শীতের সময়ে ভূমধ্যসাগর, কৃষ্ণ সাগর, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ আর এশিয়ার পশ্চিমাংশে এদের সবচেয়ে বড় দলগুলোর দেখা মেলে। == বিবরণ == পূর্ণবয়স্ক পুরুষ কালো হাঁস একমাত্র মাঝারি হাঁস যাকে দেখতে সাদাকালো মনে হয়। পুরুষ হাঁসের সারা দেহ কালো, কেবল পেটের দিক ডানার নিচের দিক বাদ দিয়ে যা ধবধবে সাদা। এছাড়া কপোলের ক্ষুদে ক্ষুদে পালকগুলো কাল, তবে রোদ বা আলো পড়লে চিক চিক করে। পুরুষ হাঁসের ঘাড়ের উপর নুইয়ে পড়া ঝুঁটি থাকে। স্ত্রী হাঁসের আকৃতি পুরুষ হাঁসের মতই, তবে পালক বাদামী বা তামাটে মেশানো বাদামী। উভয় হাঁসেরই চঞ্চু নীলচে-ধূসর, চঞ্চুর সম্মুখভাগে ত্রিকোণাকৃতির কালো দাগ থাকে। স্ত্রী হাঁসের চঞ্চুর নিচের কিছু পালক সাদা। এরা দৈর্ঘ্যে কমবেশি ৪৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে ১.১ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়। == আবাসস্থল == তৃণসম্বৃদ্ধ নিম্নভূমি জলাশয় কালো হাঁসের প্রিয় আবাস। বিশেষত যেসব জলাশয়ের গভীরতা ৩-৫ মিটার সেসব জলাশয়ে এরা বসবাস করে, ১৫ মিটারের বেশি গভীর জলাশয় এড়িয়ে চলে। মিঠাপানির হ্রদ, বড় বিল দিঘী, কম স্রোতসম্পন্ন প্রশস্ত নদী, জনহীন চর, উপযুক্ত আবাসযুক্ত উপকূলীয় এলাকা, সামুদ্রিক দ্বীপ এবং মোহনাগুলোতে এদের প্রায়ই দেখা যায়। স্বাভাবিক বাসস্থানের পানি যদি জমে বরফ হয়ে যায় বা এরকম বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হলেই কেবল কালো হাঁস শক্তিশালী স্রোতযুক্ত জলাশয় বা গভীর সমুদ্রে নামে। == আচরণ প্রজনন == কেবল মধ্য উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে কালো হাঁস সাধারণত স্থায়ী, পরিযায়ী নয়। অন্যান্য অঞ্চলের হাঁস অধিকাংশই পরিযায়ী স্বভাবের। পরিযায়ী হাঁসেরা এপ্রিলের শেষে প্রজনন অঞ্চলে ফিরে আসে। এসময় এরা পৃথক জোড়ায় অথবা ছাড়াছাড়া ভাবে একই দলে ঘুরে বেড়ায়। এসময় এরা বাসা বানায় ডিম পাড়ে। স্ত্রী হাঁস বাসায় থেকে ১৪টি সবজে-ধূসর ডিম পাড়ে। শুধুমাত্র স্ত্রী হাঁস ডিমে তা দেয়। ডিম পাড়ার ২৩-২৫ দিন পর ডিম ফুটে ছানা বের হয়। কালো হাঁসের ছানা অনেকসময় একই জলাশয়ে শ’খানেক বাসা দেখা যায়, যদিও বাসাগুলো কলোনি করে থাকে না। ডিম ফুটে গেলে পুরুষ হাঁসেরা দল বেঁধে উষ্ণতর অঞ্চলে চলে যায়। এটা জুনের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত ঘটে। স্ত্রী হাঁসের পরিযায়ন প্রায় এক মাস পরে ঘটে। শীতের সময়ে অত্যধীক দলবদ্ধভাবে থাকে, একেকটি দলে হাজারের মত সদস্য একসাথে ঘুরে বেড়ায়। ''Aythya fuligula'' === বাসা === কালো হাঁসেরা তৃণ দিয়ে বাসা বানায়। পানিতে ভাসমান অবস্থায়, উঁচু ঘাসসমৃদ্ধ ভূমিতে অথবা দ্বীপে এরা বাসা করে। অনেকসময় গঙ্গাকবুতর গাংচিলের সাথে উন্মুক্ত ভূমিতেও বাসা বানায়, বিশেষ করে শিকারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। বাসা ডাঙায় হলে তা সাধারণত পানির খুব কাছে হয়। == খাদ্যাভ্যাস == কালো হাঁস পানিতে ডুব দিয়ে শামুক, ঝিনুক, গুগলি অন্যান্য মলাস্ক খায়, এগুলো এদের প্রধান খাদ্য। এছাড়া এরা জলজ উদ্ভিদের বীজ মূলও খায়। পানিতে ভাসমান পোকামাকড়, উদ্ভিদ জলজ আগাছা এদের খাদ্য। কালো হাঁস পানির গভীরের জলজ পোকামাকড়, উভচর ছোট মাছ খায়। ==চিত্রশালা== File:Tufted Duck pangolakha Wildlife Sanctuary East Sikkim India male, Sikkim, India File:Tufted Duck File:Tufted ducks (Aythya fuligula) male males, Farmoor Reservoir, Oxfordshire File:Tufted duck (aythya Farmoor Reservoir, Oxfordshire File:Tufted duck (Aythya fuligula) WWT London Wetland Centre File:Aythya fuligula MWNH 1014.JPG|Eggs in the collection of Museum Wiesbaden File:Vigg (Aythya fuligula) of 2000 tufted ducks in Ystad port, 16 January 2016 == আরও দেখুন == স্মিউ হাঁস মান্দারিন হাঁস == তথ্যসূত্র == পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি'''আহমেদ হোসেন''' (জন্ম: অজানা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। == জন্ম শিক্ষাজীবন == আহমেদ হোসেনের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কুসুমপাড়া গ্রামে। তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বাস করতেন ঠাকুরগাঁওয়ে। তার বাবার নাম আছাদ আলী মাস্টার এবং মায়ের নাম জমিলা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম মতিয়া খানম। তাদের পাঁচ ছেলে দুই মেয়ে। == কর্মজীবন == আহমেদ হোসেন চাকরি করতেন ইপিআরে। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন ঠাকুরগাঁও ইপিআর উইংয়ে। তখন তার পদবি ছিল হাবিলদার। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে যুদ্ধ করেন নম্বর সেক্টরের ভজনপুর সাব-সেক্টরে। রানীর বন্দর, চাম্পাতলী, খানসামা, পঞ্চগড়, নুনিয়াপাড়াসহ আরও কয়েক স্থানে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। ২৮ জুলাই নুনিয়াপাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি আহত হন। সুস্থ হয়ে পুনরায় যুদ্ধে যোগ দেন। == মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা == ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বোদা-পঞ্চগড় সড়কের পাশে ময়দানদিঘি আক্রমণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দুর্ভেদ্য বাংকার প্রতিরক্ষা তৈরি করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিল। মুক্তিবাহিনী মিত্রবাহিনী দুপুরে একযোগে আক্রমণ চালাল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থানে। মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি দলে বিভক্ত। একটি বড় দলের নেতৃত্বে আহমেদ হোসেন। তারা বেশির ভাগ ইপিআর সদস্য। চারদিকে প্রচণ্ড অবিরাম গুলি, ট্যাংকের ঘড় ঘড় শব্দ, কামান-মর্টারের গোলাবর্ষণ। মহা এক ধ্বংসযজ্ঞ। ডানে-বাঁয়ে প্রায় আধা মাইলের বেশি এলাকাজুড়ে চলছে যুদ্ধ। আহমেদ হোসেনের ওপর দায়িত্ব তাদের মূল আক্রমণকারী দলকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণ থেকে রক্ষা করার। ছাড়া পাকিস্তানি সেনারা এদিক-সেদিক ছড়িয়ে পড়লে বা পেছন দিয়ে প্রতি আক্রমণের চেষ্টা চালালে তাদের আটকাতে হবে। তা না হলে যুদ্ধে বিজয় কষ্টকর হয়ে পড়বে। আহমেদ হোসেন সহযোদ্ধাদের নিয়ে সেই দায়িত্বটা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে পালন করতে থাকলেন। পাকিস্তানি সেনাদের বেশ কয়েকটি প্রতি আক্রমণ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করলেন। তার সহযোদ্ধাদের বীরত্বে ব্যর্থ হয়ে গেল পাকিস্তানিদের সব প্রচেষ্টা। বিকেলের দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সকল প্রতিরোধ ভেঙে পড়ল। পিছিয়ে যেতে থাকে তারা। মিত্রবাহিনীর ট্যাংকগুলো ঢুকে পড়ে পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিরক্ষা অবস্থানে। দখল হয়ে গেল শত্রুর একটি বড় ঘাঁটি। ময়দানদিঘি আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিত্রবাহিনীও যোগ দেয়। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে ছিল কয়েকটি ট্যাংক। মুক্তিযোদ্ধাদের মূল শক্তি ছিলেন ইপিআর সদস্যরা। তারা সংখ্যায় ছিলেন ৭০-৭৫ জন। আর ছিলেন স্বল্প মুক্তিযোদ্ধারা। সব মিলে সংখ্যা ২০০। তারা কয়েকটি দলে বিভক্ত ছিলেন। একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন আহমেদ হোসেন। == পুরস্কার সম্মাননা == বীর প্রতীক == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == বিষয়শ্রেণী:বীর প্রতীক জেলার মুক্তিযোদ্ধা:''একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন নূরুল হক।'' '''নূরুল হক''' (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে। == জন্ম শিক্ষাজীবন == নূরুল হকের জন্ম যশোর জেলার সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের ইছালী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. শমসের আলী মোল্লা এবং মায়ের নাম রাহেলা বেগম। তাঁর স্ত্রীর নাম শাহানারা বেগম। তাঁদের এক ছেলে দুই মেয়ে। == কর্মজীবন == নূরুল হক চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। তখন তাঁর পদবি ছিল হাবিলদার। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। যশোরের বেনাপোলে যুদ্ধ করার পর ভারতে যান। পুনর্গঠিত হওয়ার পর যুদ্ধ করেন নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। তখন তাঁর পদবি ছিল নায়েব সুবেদার। == মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা == ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিলেট এমসি কলেজে শেষ রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নিঃশব্দে অবস্থান নিতে থাকলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান ঘিরে। মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি দলে বিভক্ত। একটি দলে আছেন নূরুল হক। কিছুক্ষণ পর সকাল হলো। চারদিক আলোয় ক্রমে উজ্জ্বল হচ্ছে। পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের দেখেও বুঝতে পারল না, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। একটু পর সেখানে শুরু হলো প্রচণ্ড যুদ্ধ। ভোর চারটায় এমসি কলেজের টিলার ওপরে এসে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুর গতিবিধি লক্ষ করা শুরু করেন। পজিশন না নিয়েই ছয়টা মেশিনগান দিয়ে তিন দিক থেকে ফায়ার শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। শত্রুপক্ষে বেশ কিছু হতাহতের পর তারা আরও উঁচু টিলায় অবস্থান নেন এবং তাদের সব শক্তি টিলার ওপর নিয়োগ করে। এতে ডি বি কোম্পানির যথেষ্ট ক্ষতিসাধিত হয়। প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার ফয়েজসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। এমসি কলেজের যুদ্ধে নূরুল হক যথেষ্ট বীরত্ব সাহস প্রদর্শন করেন। যুদ্ধের একপর্যায়ে তিনি আহত হন। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। এতে তিনি দমে যাননি। গুলিবিদ্ধ হয়েও অনেকক্ষণ যুদ্ধ করেন। পরে সহযোদ্ধারা তাঁকে উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেন ফিল্ড হাসপাতালে। এর আগে কামালপুর যুদ্ধেও শেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে তিনি আহত হয়েছিলেন। ৩১ জুলাই ওই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। গুয়াহাটিতে চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় যুদ্ধে যোগ দেন। == পুরস্কার সম্মাননা == বীর বিক্রম == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == বিষয়শ্রেণী:বীর বিক্রম'''জাতীয় অলিম্পিক কমিটি''' () বা '''এনওসি''' হচ্ছে বৈশ্বিকভাবে অলিম্পিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত জাতীয় পর্যায়ের সংস্থা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির নিয়ন্ত্রণাধীনে থেকে কমিটি অলিম্পিক ক্রীড়ায় খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ পরিচালনায় দায়বদ্ধ। ইচ্ছে করলে কমিটি ভবিষ্যতে নিজ দেশে অলিম্পিক গেমস আয়োজনের লক্ষ্যে স্বাগতিক শহরের নাম প্রেরণ করতে পারে। এছাড়াও, অ্যাথলেটদের মানোন্নয়ন, কোচ কর্মকর্তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্যে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে থাকে। দক্ষিণ সুদান জুলাই, ২০১১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও অদ্যাবধি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি গঠন করতে পারেনি। == কমিটির তালিকা == ২০১১ সালের তথ্য মোতাবেক বিশ্বে ২০৪টি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি রয়েছে। স্বাধীন দেশসহ অন্যান্য ভৌগোলিক এলাকায় অবস্থান করে কমিটিগুলো প্রতিনিধিত্ব করছে। তন্মধ্যে জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৯২টি স্বাধীন দেশ এবং ১২টি রাজ্য রয়েছে। রাজ্যগুলোর অলিম্পিক কমিটির বিবরণ নিম্নরূপঃ- তাইওয়ান চাইনিজ তাইপে'র প্রতিনিধিত্ব করছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চারটি উপনিবেশ আমেরিকান সামোয়া, গুয়াম, পুয়ের্তো রিকো এবং ইউনাইটেড স্টেটস ভার্জিন আইল্যান্ডস একত্রে ভার্জিন আইল্যান্ডস নামে আইওসি-তে প্রতিনিধিত্ব করছে। তিনটি ব্রিটিশ উপনিবেশ বারমুদা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস এবং কেম্যান আইল্যান্ড। নেদারল্যান্ডের ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের উপনিবেশ আরুবা। নেদারল্যান্ডস এন্টিলেজ অলিম্পিক কমিটি জুলাই, ২০১১ সালে তাদের কমিটির মর্যাদা হারায়। ২০১০ সালে কমিটির অবলোপনের প্রেক্ষাপটেই এটি হয়েছে। গণচীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং। নিউজিল্যান্ডের সহযোগী রাষ্ট্র কুক দ্বীপপুঞ্জ। == মহাদেশীয় বিভাজন == জাতীয় অলিম্পিক কমিটির সকল সদস্যই জাতীয় অলিম্পিক কমিটি সংগঠনের সদস্য। সংঘকে আবার পাঁচটি মহাদেশীয় সংগঠন পর্যায়ে বিভাজন ঘটানো হয়েছেঃ- মহাদেশ সংগঠন এনওসি পুরনো সদস্য নতুন সদস্য 180px আফ্রিকা জাতীয় অলিম্পিক কমিটি সংগঠন ৫৩ মিশর (১৯১০) ইরিত্রিয়া (১৯৯৯) প্যান আমেরিকান স্পোর্টস অর্গ্যানাইজেশন ৪১ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৮৯৪) ডোমিনিকা (১৯৯৩)সেন্ট কিট্‌স নেভিস (১৯৯৩)সেন্ট লুসিয়া (১৯৯৩) এশিয়া অলিম্পিক কাউন্সিল ৪৪ জাপান (১৯১২) তিমুর-লেসতে (২০০৩) ইউরোপীয় অলিম্পিক কমিটি ৪৯ ফ্রান্স (১৮৯৪) মন্টেনিগ্রো (২০০৭) ওশেনিয়া জাতীয় অলিম্পিক কমিটি ২৭ অস্ট্রেলিয়া (১৮৯৫) টুভালো (২০০৭) == বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা == বাংলাদেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি হিসেবে বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিনিধিত্ব করছে। সংস্থার সদর দফতর ঢাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা বা বিওএ ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়া অলিম্পিক সংস্থা-সহ ১৯৮০ সালে এটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির স্বীকৃতি পায়। == তথ্যসূত্র == অলিম্পিক কমিটি কমিটি কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ক্রীড়া'''ডাট্টি রক''' () হচ্ছে জামাইকান ড্যান্সহল গায়ক সন পল-এর দ্বিতীয় অ্যালবাম। এটি নভেম্বর ১২, ২০০২ সালে মুক্তি পায়। এতে রয়েছে দুইটি ইউএস #১ গান, গেট বিজি এবং বিয়ন্সের সাথের '''বেবি বয়''', যা কিনা টানা সাপ্তাহ প্রথম স্থান দখল করে ছিল। এছাড়া টপচার্টে ঝড় তোলা অনন্যা গানগুলো হল '''গিমি দ্যা লাইট''' (Gimme the Light), '''গেট বিজি''' (Get Busy), '''আ'ম স্টিল ইন লাভ উইথ ইউ''' (I'm Still in Love with You) এবং '''লাইক গ্লু''' (Like Glue)। অ্যালবামটির মুক্তির প্রথম সাপ্তাহে ৬৫,০০০ কপি বিক্রি হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হন। সারা বিশ্বে অ্যালবামটি ৬০ লক্ষ কপির বেশি বিক্রি হয়, তার মধ্যে ইউএসএ-তে বিক্রি হয় ২০ লক্ষ কপিরও অধিক। একই বছর সন পল আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য উপযুক্ত করে অ্যালবামটির সম্পাদিত সংস্করণ মুক্তি দেন, যা থেকে সকল ব্যাঙ্গ ট্র্যাক এবং "ইট'স অন" গানটি সরিয়ে ফেলে, সংযুক্ত করা হয় বিয়ন্স নোয়েলস-এর সাথে তার টপচার্ট শীর্ষস্তানধারী '''বেবি বয়''' গানটি। অ্যালবামটির জন্য সন ২০০৪ সালে গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। == চার্টের অবস্থান == চার্টের নাম অবস্থান Australian ARIA Albums Chart ২২ French Albums Chart ২০ Swiss Albums Chart U.S. ''Billboard'' 200 Irish Charts U.S. ''Billboard'' Top R&B/Hip-Hop Albums U.S. ''Billboard'' Top Rap Albums Canadian Albums Chart UK Albums Chart ১১ Germany Albums Top 50 ১০ Swiss Music Charts == তথ্যসূত্র == অ্যালবাম বিষয়শ্রেণী:সন পলের অ্যালবামকঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞানএ, '''ইলেকট্রনিক ব্যান্ড গঠন''' (অথবা কেবল 'ব্যান্ড গঠন') একটি কঠিন পদার্থের শক্তি এর একটি নির্দিষ্ট অংশ বর্ণনা কোরে যাকে বলা হয় '''' 'শক্তির ব্যান্ডের'''''। কঠিন মধ্যে একটি ইলেক্ট্রন এর ("অনুমোদিত ব্যান্ড") থাকতে পারে, এবং শক্তির একটি নির্দিষ্ট সীমায় ব্যান্ড শূন্যস্থানএ ("নিশিদ্ধ ব্যান্ডের") অস্তিত্য থাকতে পারে, আবার তা নাও থাকতে পারে। '''ব্যান্ড তত্ত্ব''' মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের শক্তি ব্যান্ডের অস্তিত্বের স্বীকার করে নিয়ে কঠিন বস্তুর আচরণ ব্যাখ্যা করা হয়। একটি উপাদান এর ব্যান্ড গঠন থেকে অনেক কঠিন বস্তুর শারীরিক বৈশিষ্ট্য যেমন, ব্যাখ্যা করে বৈদ্যুতিক রোধ এবং অপটিক্যাল বিশোষণ সফলভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। ব্যান্ড আরো বৃহৎ মাপের আণবিক কক্ষপথ তত্ত্ব এর সীমা হিসেবে দেখা যেতে পারে একটি কঠিন বস্তু ঘনিষ্ঠভাবে ফাঁকযুক্ত আণবিক কক্ষপথ গুলি একটি ব্যান্ড যা প্রদর্শিত হবে সৃষ্টি। ব্যান্ড গঠন অবপতন ডাইন্যামিক্যাল তত্ত্ব এর কোয়ান্টাম যান্ত্রিক ইলেক্ট্রন তরঙ্গ একটি সাময়িক স্ফটিক জাফরি সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট স্ফটিক সিস্টেম এবং Bravais জাফরি ​​থেকে প্রমান করা যায়। == কেন ব্যান্ড উপকরণ সঞ্চাল == ইলেকট্রন গুলি হল একটি একক বিচ্ছিন্ন পরমাণু এর পারমাণবিক কক্ষপথ যা একটি স্বতন্ত্র সেট গঠন শক্তি স্তর গুলি ব্যাপৃত করা। যদি বেশ কিছু পরমাণু একসাথে এনে একটি অণু গঠন করা হয়, তাহলে তাদের পারমাণবিক অর্বিটাল গুলো বিভক্ত হয়, যেমন একটি সংযোজিত দোলন. এই একটি সংখ্যা উৎপন্ন আণবিক কক্ষপথ পরমাণুর সংখ্যার সমানুপাতিক। যখন একটি পরমাণু সংখ্যক (অণুক্রম অথবা অধিক) একত্রে একটি কঠিন বস্তু গঠন করে আনা হয়, তখন অরবিটালের সংখ্যা হয় অতিশয় বৃহৎ। এর ফলে, শক্তি তাদের মধ্যে পার্থক্য হয়ে খুব কম। সুতরাং, স্বতন্ত্র বিচ্ছিন্ন পরমাণু শক্তি স্তরের চেয়ে কঠিন বস্তুর মধ্যে মাত্রা ক্রমাগত শক্তির ব্যান্ড বেশি গঠন হয়। যাইহোক, ''ব্যান্ড ফাঁক'' গঠনে যতই পরমাণু লাগুক না কেন, শক্তির কিছু অন্তরে কোন অর্বিটাল থেকে না। একটি শক্তি ব্যান্ড মধ্যে, শক্তির মাত্রা একটি কাছাকাছি কন্টিনাম গঠন। প্রথম, একটি কঠিন শক্তি স্তর গুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ ইলেকট্রনের সর্বদা ফোটন এর (পরমাণুর vibrations)এর সাথে শক্তি বিনিমইয়ের সঙ্গে তুলনীয়। দ্বিতীয়ত, এটা শক্তি অনিশ্চয়তার কারণে সঙ্গে তুলনীয় Heisenberg অনিশ্চয়তা নীতির, সময় এর কারণে দীর্ঘ অন্তর. এর ফলে, শক্তি স্তরের মধ্যে বিচ্ছেদ কোন ফলাফল হয়না। Several approaches to finding band structure are discussed below. == গ্রন্থপঞ্জি == == আরও পড়ুন == by Jacob Millman and Arvin Gabriel, Tata McGraw-Hill Edition. ''Solid State Physics'', by Neil Ashcroft and N. David Mermin, ''Elementary Solid State Physics: Principles and Applications'', by M. Ali Omar, ''Electronic and Optoelectronic Properties of Semiconductor Structures Chapter and 3'' by Jasprit Singh, ''Electronic Structure: Basic Theory and Practical Methods'' by Richard Martin, ISBN 978052178285 ''Condensed Matter Physics'' by Michael P. Marder, ''Computational Methods in Solid State Physics'' by Nemoshkalenko and N.V. Antonov, ''Elementary Electronic Structure'' by Walter A. Harrison, in the theory of metals'' by Walter A. Harrison, W.A. Benjamin (New York) 1966 Tutorial on Bandstructure Methods by Dr. Vasileska(2008) == আরও দেখুন == Bloch waves Nearly-free electron model Free electron model Empty Lattice Approximation Fermi gas Fermi surface Band Gap Effective mass '''''k·p''''' method Local-density approximation Dynamical theory of diffraction কঠিন অবস্থা পদার্থবিজ্ঞান Kronig-Penney model Anderson's rule Dynamical Mean Field Theorycrop খনি, মধ্য চিঞ্চা দ্বীপপুঞ্জ, পেরু '''গুয়ানো''' মূলত সামুদ্রিক পাখি, গুহাবাসী বাদুড় বা সীলের স্তুপীকৃত বর্জ্য বা বিষ্ঠা। গুয়ানো শব্দটি মূলত স্প্যানিশ শব্দ যা কেচুয়া শব্দ ''উয়ানো'' থেকে উদ্ভূত। উচ্চ মাত্রার নাইট্রোজেন আর ফসফরাস থাকার কারণে আর অজৈব রাসায়নিক পদার্থের অনুপস্থিতির জন্য উৎকৃষ্ট সার হিসেবে গুয়ানোর গুরুত্ব অপরিসীম। বারুদের অন্যতম উপাদান নাইট্রাস গুয়ানোতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যেসব মাটিতে জৈব পদার্থের অভাব রয়েছে, গুয়ানো সার প্রয়োগে সেসব মাটির উৎপাদন ক্ষমতা বহুলাংশে বাড়ানো যায়। গুয়ানে পানকৌড়ি ঐতিহাসিকভাবে গুয়ানো উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এই প্রজাতির গুয়ানো অন্যসব সামুদ্রিক পাখির গুয়ানোর তুলনায় নাইট্রোজেনে বেশি সম্বৃদ্ধ। এছাড়া পেরুভিয়ান প্যালিকেন (''Pelecanus thagus'') আর পেরুভিয়ান বুবিও (''Sula variegata'') উৎকৃষ্ট গুয়ানো উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। == উপাদানসমূহ == গুয়ানোর মূল উপাদান হচ্ছে অ্যামোনিয়াম অক্সালেট আর ইউরেট, এছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট। অন্যান্য উপাদানের মধ্য রয়েছে ভূমিজ লবণ উপাদান। পাখির গুয়ানোতে রয়েছে ১১ থেকে ১৬ শতাংশ নাইট্রোজেন, থেকে ১২ শতাংশ ফসফরিক এসিড এবং থেকে শতাংশ পটাশ। বাদুড় আর সীলের গুয়ানোতে পাখির গুয়ানোর তুলনায় গুণাগুণ কম থাকে। == ইতিহাস == গুয়ানো শব্দটির উৎপত্তি আন্দিজ পর্বতমালা অঞ্চলের কেচুয়া ভাষা থেকে। কেচুয়া ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে "সামুদ্রিক পাখির বিষ্ঠা"। সে অঞ্চলের লোকেরা মাটির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য পেরুর সমুদ্র উপকূল থেকে গুয়ানো সংগ্রহ করত। ইনকা সম্রাটেরা গুয়ানোকে বেশ গুরুত্ব দিত। গুয়ানো পাওয়া যায় এমন অঞ্চলে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল এবং যারা পাখিদের উত্ত্যক্ত করত তাদের এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হত। পেরুর উপকূলীয় অঞ্চল দ্বীপসমূহ পাথুরে আর দুর্গম হওয়াতে মানুষ আর শিকারী প্রাণীর প্রকোপ থেকে এসব এলাকা সুরক্ষিত। যার ফলে পাখিরা এখানে কলোনি করে বসবাস করতে শুরু করে আর শতাব্দীর পর শতাব্দী এসব পাখির বিষ্ঠা জমে জমে প্রকাণ্ড সব বিষ্ঠার পাহাড় গড়ে ওঠে। নির্মিত পেরুভিয়ান বুবির বাসা ১৮০২ সালে আলেকজান্ডার ফন হামবোল্ট পেরুর কালাওয়ে সার হিসেবে গুয়ানোর গুণাগুণ এর উপাদান নিয়ে গবেষণা করেন এবং বিষয়ে তার লেখালেখির মাধ্যমেই ইউরোপবাসী গুয়ানো সম্বন্ধে প্রথম জানতে পারে == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ProAbonos Jamaican Bat Guano and Cave Preservation দ্রব্য'''লাল ফৌজ''' () সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপ্লবাত্মক সমাজতান্ত্রিক যোদ্ধাদের দল যারা ১৯১৮-১৯২২ সালে ছড়িয়ে পড়া রুশ গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের জাতীয় পর্যায়ের সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়। ১৯৩০-এর দশকে লাল ফৌজ বিশ্বের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে "লাল ফৌজ'''"''' শব্দগুচ্ছটি ব্যাপকভাবে ব্যবহারসহ বিরাট পরিচিতি লাভ করেছিল। যারা সমাজতন্ত্র পছন্দ করতেন না তারা লাল শব্দটি নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করেন। অতীতে যে-কোন ধরনের বামপন্থী সামরিক দলকে নির্দেশ করার জন্য লাল ফৌজ শব্দ ব্যবহার করা হত। তাদের ভাষায় লাল ফৌজ হচ্ছে সমাজতন্ত্রের বিস্তারের প্রক্রিয়াতে সহায়ক সামরিক সংগঠন যা প্রাথমিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। == ইতিহাস == চিত্র:Red Guard Vulkan ফ্যাক্টরীতে রেড গার্ডের একটি দল সেপ্টেম্বর, ১৯১৭ সালে ভি. আই. লেনিন লিখেছিলেন, একই সময়ে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ইম্পেরিয়াল রাশান আর্মির অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছিল। রুশ সাম্রাজ্যের পুরুষ জনগোষ্ঠীর ২৩% সৈনিক হিসেবে যোগদান করেছিলেন যার সংখ্যা প্রায় ১৯ মিলিয়ন। তাদের অধিকাংশের কাছেই কোন অস্ত্র ছিল না। তারা দূরবর্তী সেনা ঘাঁটি থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতো। জার জেনারেল নিকোলাই ডুখুনিন হিসেব করে দেখলেন যে, মিলিয়ন সৈনিক পলাতক অবস্থায় রয়েছে, ১.৮ মিলিয়ন মারা গেছেন, মিলিয়ন আহত অবস্থায় এবং মিলিয়ন কারাগারে বন্দী অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। ১০ মিলিয়ন ব্যক্তি অশ্বারোহী সৈনিক হিসেবে রয়েছেন। কমিশারদের জনসংঘ ২৮ জানুয়ারি, ১৯১৮ সালে রেড আর্মি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের ধারনামাফিক রেড আর্মি গঠন হবে শ্রেণী-সচেতন এবং শ্রমিক শ্রেণীর সেরা উপাদানগুলো নিয়ে। রুশ প্রজাতন্ত্রের আঠার বছর বয়সের ঊর্ধ্বেকার সকল জনগোষ্ঠী এর সদস্য হবে। অক্টোবর বিপ্লব, সোভিয়েত ক্ষমতা গ্রহণ এবং সমাজতান্ত্রিক ধারা প্রবর্তনে এর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয় অনবদ্য। সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী রঙের মাধ্যমে রেড আর্মিকে চিত্রিত করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬ সালে বিপ্লবের প্রতীককে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ঐদিনই রেড আর্মি'র নতুন নামকরণ করা হয় সোভিয়েত আর্মি (Советская Армия, Sovetskaya Armiya)। == চীন-সোভিয়েত যুদ্ধ == চীন প্রজাতন্ত্র আগ্রাসী মনোভাবসম্পন্ন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ১৯২৯ সালে চীন-সোভিয়েত যুদ্ধের সূচনা ঘটে। ফলাফলস্বরূপ ১৯৩৭ সালে জিনজিয়াং যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সোভিয়েত ইউনিয়ন জিনজিয়াং অঞ্চল দখল করে। রেড আর্মি তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সক্ষমতা অর্জন করে। তারা মাঞ্চুরিয়ান চীনের পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ ভার নেয় এবং জিনজিয়াংয়ে সফলতার সাথে প্রাক-সোভিয়েত ক্ষমতা প্রয়োগ করে। == শীতকালীন যুদ্ধ == মার্চ, ১৯৪০ সালে রেড আর্মি সৈনিকেরা কুক্ষিগত ফিনিশ ব্যানার প্রদর্শন করছে। শীতকালীন যুদ্ধে (, সোভিয়েত ইউনিয়ন ফিনল্যান্ড একে-অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার মাত্র মাস পূর্বে ৩০ নভেম্বর, ১৯৩৯ সালে সোভিয়েত আক্রমণের মাধ্যমে এর সূচনা ঘটে। সোভিয়েতদের অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে পোল্যান্ড দখল হয়ে যায়। ১৩ মার্চ, ১৯৪০ সালে মস্কো শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শীতকালীন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এর প্রেক্ষাপটে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ সোভিয়েত আক্রমণকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করে। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে জাতিপুঞ্জ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোভিয়েত বাহিনী ফিনদের তুলনায় তিন গুণ বেশি সৈনিক ছিল, ত্রিশ গুণ বেশী বিমান এবং শতগুণ বেশী ট্যাঙ্ক নিয়ে আক্রমণে অগ্রসর হয়। যুদ্ধ শুরু হবার পূর্ব মুহুর্তে স্বলকালের জন্যে ১৯৩৭ সালে সোভিয়েত নেতা ইওসিফ স্তালিনের গ্রেট পার্জ নীতি গ্রহণের ফলে রেড আর্মি তাদের নৈতিক মনোবল দক্ষতা হারায়। ত্রিশ হাজারেরও অধিক সেনা কর্মকর্তা প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন কিংবা কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। তাদের অধিকাংশই ছিল শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা। এরফলে, ১৯৩৯ সালে রেড আর্মিতে অনভিজ্ঞ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা অধিষ্ঠিত হয়েছিল। এসকল কারণে এবং উচ্চ প্রত্যাশা শক্ত নৈতিক মনোবলের কারণে ফিনিশ বাহিনী সোভিয়েত অধিগ্রহণের কার্যকালকে বিলম্বিত করতে সক্ষম হয় যা সোভিয়েতদের ভাবনার বিপরীত চিত্র ছিল। প্রথম তিন-চার মাসে ফিনিশ বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে রেড আর্মির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়, যার তুলনায় তাদের কম ক্ষতি হয়েছিল। == দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ == দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপীয় অঞ্চলে মিত্রশক্তির বিজয়ের সাথে রেড আর্মির নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক পরিচিতি পায়। তারা প্রায় ৮০% একীভূত জার্মান সেনাবাহিনী উয়েমা এবং পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডে অধিকাংশ নাৎসী বাহিনীর সাজস্তাফেল শাখা কর্তৃক সৃষ্ট বাফেন-এসএস সদস্যদেরকে পরাভূত করেছিল। == তথ্যসূত্র == সেনাবাহিনী বাগবৈশিষ্ট স্থাপিত সামরিক ইউনিট এবং গঠন সেনাবাহিনী দলগুলোর সামরিক চরমপন্থী সদস্যবর্গ:''একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন মতিউর রহমান।'' '''মো. মতিউর রহমান''' (জন্ম: অজানা, মৃত্যু: ১৯৯৪ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। == জন্ম শিক্ষাজীবন == মো. মতিউর রহমানের জন্ম নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম তোরাব আলী এবং মায়ের নাম আফিয়া খাতুন। তার স্ত্রীর নাম মিনা রহমান। তাদের চার মেয়ে, এক ছেলে। == কর্মজীবন == মো. মতিউর রহমান চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৫ বালুচ রেজিমেন্টে। এর অবস্থান ছিল যশোর সেনানিবাসে। ১৯৭১ সালের মার্চে ছুটিতে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ৩০ মার্চ ময়মনসিংহে সমবেত দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যোগ দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে ভারতে যান। == মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা == কাঁচপুর সেতু পেরিয়ে বামে নরসিংদী গামী সড়ক যার মাঝামাঝি পাঁচদোনা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে পাঁচদোনায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বড় যুদ্ধ হয়। সে যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মো. মতিউর রহমান। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ইপিআর বাহিনীর সদস্য। পাঁচদোনায় সড়কের দুই ধারে ছিল ঝোপঝাড় এবং এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা আত্মগোপন করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় দুঃসাহসী কয়েকজন গ্রামবাসী। অন্যদের সঙ্গে মো. মতিউর রহমানও ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে সড়কে নজর রেখেছিলেন। একসময় তিনি দেখতে পান, সড়কে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেনাবাহী লরি। পেছনে ছিলো আরও কয়েকটি সেনাবাহী গাড়ি। এর আগে গত কয়েক দিন পাকিস্তানি সেনারা ঢাকা আশপাশ এলাকায় তেমন কোনো প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়নি। তাই জনশূন্য পথে তারা বেশ নিশ্চিন্ত মনেই আসছিল। সামনের লরিগুলো অস্ত্রের আওতায় আসামাত্র মো. মতিউর রহমান সংকেত দেন অন্যদের। সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্টার দলের ছোড়া তিনটি মর্টারের গোলার একটা গোলা পড়ে লরির ওপর। একই সময় গর্জে ওঠে অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে থাকা মেশিনগান অন্যান্য অস্ত্র। তখন পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এবং প্রথম ধাক্কাতেই হতাহত হয় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। কিছুক্ষণ পর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। মো. মতিউর রহমান সহযোদ্ধাদের নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে শত্রু পাকিস্তানি সেনাদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখেন এবং সে সময়ে তার সাহসিকতা দেখে সহযোদ্ধারা আরও উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ চলে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। হতাহত হয় শতাধিক সেনা এবং তিনটি লরি অচল হয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে হতাহত সেনাদের সচল লরি গাড়িতে নিয়ে তারা সন্ধ্যার আগেই পশ্চাদপসরণ চলে যায়। পরদিন সেখানে আবারও যুদ্ধ হয়। == পুরস্কার সম্মাননা == বীর প্রতীক == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == বিষয়শ্রেণী:বীর প্রতীক মৃত্যু'''মোগাদিশু''' (; ''''; literally "The Seat of the Shah") অতি পরিচিত '''এক্সামার''', সোমালিয়ার সবচেয়ে বড় শহর এবং রাজধানী। এটি ভারত মহাসাগরের বেনাদির উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। শতাব্দীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে শহরটি কাজ করেছে। ৯ম বা ১০ম শতকের শুরুতে, আরবরা এবং পারস্যরা ব্যবসায়ীরা অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। মধ্যযুগীয় স্বর্ণ যুগের সময়, মোগাডিশু সোমালি-আরব মুযাফফার রাজবংশ দ্বারা শাসিত হত, আজুরান রাজ্যের একটি জায়গিরদার। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Benadir Regional Administration Transitional Federal Government of Somalia Mogadishu at Google Maps রাজ্যের রাজধানী মহাসাগর মিলেনিয়ামে প্রতিষ্ঠিত জনবহুল স্থান জনবহুল স্থান উপকূলবর্তী জনবহুল স্থান বন্দর শহর মহাসাগরের বন্দরসমূহ এবং পোতাশ্রয়সমূহ'''টেবিল টেনিস''' বা '''পিং পং''' () বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদদের নিকট অত্যন্ত পরিচিত। ব্যক্তিগত কিংবা দলগত বিষয় হিসেবে খেলা টেবিলের উপরের অংশে খেলতে হয়। এছাড়াও, খেলার উপকরণ হিসেবে ব্যাট, ছোট বল, জাল এবং টেবিলের প্রয়োজন পড়ে। ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডে টেবিল টেনিসের উৎপত্তি ঘটে। আধুনিক অলিম্পিকে ক্রীড়া ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয়। বিশ্বের অধিকাংশ সেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় চীন দেশের জন্মগ্রহণকারী। অন্যদিকে, ইউরোপীয় দেশের মধ্যে জার্মানি অন্যতম। আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিস ফেডারেশন বা আইটিটিএফ টেবিল টেনিসের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন, হংকং এবং তাইওয়ানে খেলার আনুষ্ঠানিক নাম হচ্ছে ''পিং পং কিউ'' (乒乓球)। অন্যদিকে জাপানে খেলাটি ''তাক্কিও'' (卓球) নামে পরিচিত। == ব্যবহৃত উপকরণাদি == আন্তর্জাতিক আইনে খেলার উপযোগী '''বলের''' ওজন ২.৭ গ্রাম এবং ব্যাসার্ধ্য ৪০ মিলিমিটার হবে। ৩০.৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা থেকে বল আদর্শ স্টিলের পাতে ফেললে বলটি ২৪-২৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় বাউন্স খাবে। বায়ুপূর্ণ সেলুলয়েড বা সমগোত্রীয় প্লাস্টিক পদার্থ দিয়ে বল তৈরী করতে হবে। এর রং হবে সাদা কিংবা কমলা রঙের। টেবিলের রঙের উপর নির্ভর করে বলের রঙের ব্যবহার ঘটবে। যেমন: সাদা বল সহজেই সবুজ কিংবা নীল রঙের টেবিলে দৃশ্যমান হয়। তারকাখচিত চিহ্ন বলের মান নির্দেশক। তিন তারকাখচিত বল সর্বোচ্চ মানের এবং তা আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্যবহৃত '''টেবিলের''' দৈর্ঘ্য ২.৭৪ মিটার, প্রস্থে ১.৫২ মিটার এবং ৭৬ সেন্টিমিটার উচ্চতাবিশিষ্ট হবে। ম্যাসোনাইট জাতীয় একপ্রকারের হার্ডবোর্ড কিংবা সমমানের কাঠ দিয়ে তৈরী টেবিলের আচ্ছাদন মসৃণ হতে হবে। টেবিলটি ১৫.২৫ সেন্টিমিটার উচ্চতাবিশিষ্ট জাল দিয়ে সমানভাবে বিভক্ত হবে। আইটিটিএফ টেবিলের রঙ সবুজ অথবা নীল নির্ধারণ করেছে। সাধারণ বিনোদন পার্কে কংক্রিট দিয়ে তৈরী টেবিলও মাঝে মাঝে দেখা যায়। খেলোয়াড়ের হাতলে ধরার উপযোগী করে একদিকে কিংবা উভয় দিকে কাঠের '''র‌্যাকেট''' রাবার দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। আনুষ্ঠানিকভাবে আইটিটিএফ পারিভাষিকভাবে র‌্যাকেট, ব্রিটেনে ব্যাট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টে প্যাডেল নামে ডেকে থাকে। র‌্যাকেটের কাঠের অংশ ব্লেডে কাঠ, কর্ক, গ্লাস ফাইবার, কার্বন ফাইবার, অ্যালুমিনিয়াম ফাইবার এবং কেভলারও কখনো কখনো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে আইটিটিএফের ধারা মোতাবেক ব্লেডের ৮৫% ঘণত্ব অবশ্যই প্রাকৃতিক কাঠ দিয়ে তৈরী হতে হবে। জাপানে সাধারণ কাঠ হিসেবে বলসা, লিম্বা, সাইপ্রেস অথবা হিনোকি জাতীয় কাঠ ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। ব্লেডের গড়পড়তা দৈর্ঘ্য ৬.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ইঞ্চি হবে। == হাতলে ধরার কৌশল == টেবিল টেনিসে খেলোয়াড়গণ তাদের ব্যাট বা র‌্যাকেটের হাতলে বিভিন্নভাবে ধরতে পারেন। তবে র‌্যাকেটের হাতল ধরাকে প্রধান দু'টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো পেনহোল্ড এবং শ্যাকহ্যান্ড। টেবিল টেনিসের প্রচলিত নিয়ম-কানুনে র‌্যাকেটের হাতল কোন ধরনের পদ্ধতিতে ধরতে হবে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনাপত্র তুলে ধরা হয়নি। == স্ট্রোকের প্রকারভেদ == টেবিল টেনিসে সাধারণতঃ আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক কৌশল ভাঙ্গার জন্য স্ট্রোক প্রয়োগ করা হয়। আক্রমণাত্মক কৌশলের মধ্যে রয়েছে স্পিড ড্রাইভ, লুপ, ফ্লিক, স্ম্যাশ। রক্ষণাত্মক কৌশলের মধ্যে রয়েছে পুশ, চপ, ব্লক, লব। == প্রতিযোগিতা == প্রতিযোগিতামূলক খেলা হিসেবে টেবিল টেনিস এশিয়া এবং ইউরোপসহ অধুনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতারূপে বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপ, বিশ্বকাপ টেবিল টেনিস, অলিম্পিক্‌স, আইটিটিএফ প্রো ট্যুর অন্যতম। এছাড়াও, মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা হিসেবে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ, ইউরোপ টপ-১২, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ এবং এশিয়ান গেমস উল্লেখযোগ্য। চীনে জন্মগ্রহণকারী খেলোয়াড়েরা ১৯৫৯ সাল থেকে পুরুষদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপে ৬০ শতাংশ শিরোপা জয় করেছেন। অপরদিকে, ১৯৭১ সাল থেকে মহিলাদের প্রতিযোগিতায় চীনা খেলোয়াড়গণ তিনটি প্রতিযোগিতা বাদে বিশ্ব সবগুলোই নিজেদের দখলে রেখেছেন। এছাড়া, অন্যান্য শক্তিশালী দলরূপে পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলো রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে অস্ট্রিয়া, বেলারুশ, জার্মানি, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, সুইডেন এবং তাইওয়ান। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Official website of USA Table Tennis Official ITTF website ক্রীড়া ক্রীড়াসমূহ বিনোদন উদ্ভবিত ক্রীড়া'''নীলডানা পাতা বুলবুলি''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Chloropsis (), '''নীলডানা হরবোলা''' বা '''সবুজ বুলবুলি''' Chloropseidae (ক্লোরোপসিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত ''Chloropsis'' (ক্লোরোপসিস) গণের এক প্রজাতির সবুজ বৃক্ষচারী পাখি। নামে ''বুলবুলি'' হলেও এরা আসলে বুলবুল গোত্রের পাখি নয়। ''হরবোলা'' হওয়ার কারণ এরা বিভিন্ন পাখি প্রাণীর ডাক চমৎকার নকল করতে পারে। নীলডানা পাতা বুলবুলির বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ''কোচীন-চীনের সবুজ পাখি'' (গ্রিক: ''kholoros'' সবুজ, ''opsis'' চেহারা; লাতিন কোচীন-চীনের, ভিয়েতনামের পূর্ব নাম)। দক্ষিণ এশিয়ার পূর্ব প্রান্ত থেকে ইন্দোনেশিয়ার জাভা পর্যন্ত এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের বিস্তৃতি। বিগত কয়েক বছরে এদের সংখ্যা কমছে, তবে আশঙ্কাজনক হারে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রজাতিটি সংরক্ষিত। == বিস্তৃতি == নীলডানা পাতা বুলবুলির মূল আবাস দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ভিয়েতনাম জুড়ে এদের বিস্তৃতি। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সিলেটের গহীন বনে এদের দেখা মেলে। == উপপ্রজাতি == নীলডানা পাতা বুলবুলির মোট সাতটি উপপ্রজাতি সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উপপ্রজাতিগুলো হচ্ছে: ''C. c. chlorocephala'' (Walden, 1871) পূর্ব বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারত (আসাম) থেকে মায়ানমার পশ্চিম থাইল্যান্ড পর্যন্ত এরা বিস্তৃত। ''C. c. kinneari'' (B. P. Hall Deignan, 1956) দক্ষিণ চীন (দক্ষিণ ইউনান প্রদেশ), উত্তর ইন্দোচীন উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ড এদের বিচরণস্থল। ''C. c. auropectus'' (Wells et al., 2003) দক্ষিণ ইন্দোচীন দক্ষিণ-পূর্ব থাইল্যান্ড এদের প্রধান বিচরণক্ষেত্র। ''C. c. serithai'' (Deignan, 1946) এদের বিচরণ উত্তর মালয় উপদ্বীপে সীমাবদ্ধ। ''C. c. moluccensis'' (J. E. Gray, 1831) এদের প্রধান আবাস দক্ষিণ মালয় উপদ্বীপ, সুমাত্রা তৎসংলগ্ন দ্বীপগুলোতে এবং উত্তর নাতুনা দ্বীপ। পূর্বে বর্ণিত তিনটি উপপ্রজাতি একত্রিত করে এই উপপ্রজাতিটির উদ্ভব হয়েছে। পূর্ববর্তী উপপ্রজাতিগুলো হল: ''C. c. ''C. c. billitonis'' এবং ''C. c. natunensis''। ''C. c. viridinucha'' (Sharpe, 1877) উত্তর বোর্নিও ছাড়া সমগ্র বোর্নিওতে বিস্তৃত। ''C. c. (J. F. Gmelin, 1789) মনোনিত উপপ্রজাতি, স্থানীয় আবাস জাভায়। ''C. c. nigricollis'' নামে আরও একটি উপপ্রজাতির সন্ধান নথিপত্রে পাওয়া গেলেও পরবর্তীকালে তা মনোনিত উপপ্রজাতির সাথে একীভূত করা হয়। ভারত শ্রীলঙ্কায় বসবাস করা জার্ডনের পাতাবুলবুলিকে (''C. jerdoni'') নীলডানা পাতা বুলবুলির একটি উপপ্রজাতি হিসেবে গণ্য করা হত। == বিবরণ == নীলডানা পাতা বুলবুলি পাতার মত সবুজ রঙের নীলচে ডানার ছোট বৃক্ষচারী পাখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ১৮ সেন্টিমিটার, ডানা ৮.৪ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ২.১ সেন্টিমিটার, পা ১.৮ সেন্টিমিটার লেজ ৬.৫ সেন্টিমিটার। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির পিঠ দেহতল কচি পাতার মত সবুজ। পুরুষ স্ত্রী পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মুখ থুতনি কালো। মুখের চারিদিক গলা হলদে রঙের। মাথার চাঁদি ঘাড়ের পেছন দিক হলদে-সবুজ। কাঁধ, ডানার প্রান্ত-পালক লেজের পালকের পাশ অনুজ্বল নীল। স্ত্রী পাখির থুতনি গলা নীলচে-সবুজ। কাঁধ, ডানার প্রান্ত-পালক লেজের পালকের পাশ পুরুষ পাখির মত অনুজ্বল নীল। পুরুষ স্ত্রী পাখি উভয়ের চোখ বাদামি। পা পায়ের পাতা স্লেট ধূসর। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির চেহারা স্ত্রী পাখির মত। কেবল কপাল, মাথার চাঁদি ঘাড়ের পেছনের অংশ সবুজ। নীলডানা পাতা বুলবুলি তার গায়ের রঙের জন্য প্রকৃতিতে খুব সহজে মিশে যেতে পারে। সে কারণে ঘন বনে এদের খুঁজে বের করা বেশ শক্ত == স্বভাব == ১৮৮১ সালে অঙ্কিত চিত্র নীলডানা পাতা বুলবুলি চিরসবুজ বন, পত্রপতনশীল বৃক্ষের অরণ্য বড় বাগানে বিচরণ করে। সচরাচর একা, জোড়ায় বা পারিবারিক দলে থাকে। প্রধানত ফুলগাছে খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। ফুলের মধু, ফল, শুঁয়োপোকা, পিঁপড়া পরাগায়নে সহায়তা করে এমন পোকা-মাকড় এদের প্রধান খাদ্য। প্রায়ই প্রতিযোগী পাখিকে নিজের এলাকা থেকে এরা তাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের তীব্র শব্দ শিস দিয়ে ডাকতে পারে। অন্যসব পাতা বুলবুলির মত এরাও বনের পাখি কাঠবিড়ালীর ডাক অবিকল অনুকরণ করতে পারে। সে কারণে এদের আরেক নাম হরবোলা। === প্রজনন === মে থেকে সেপ্টেম্বর নীলডানা পাতা বুলবুলির প্রধান প্রজনন ঋতু। স্ত্রী পুরুষ দু'জনে মিলেই বাসা বানায়। গাছের সরু মূল, ঘাস আঁশের সঙ্গে মাকড়শার জাল জড়িয়ে বাসা সাজায়। সচরাচর ঘন বনে বাসা বাঁধে। বাসা প্রকৃতির সাথে এমনভাবে মিশে থাকে যে হঠাৎ শনাক্ত করা বেশ কষ্টকর। বাসা সাধারণত ভূমি থেকে ৬-১০ মিটার উঁচুতে হয়। বাসা বানানো হয়ে গেলে ২-৩ টি ডিম পাড়ে। ডিমের বর্ণ ফিকে পীত কিংবা পাটকিলে-সাদা। ডিমে বেগুনি বা লালচে-বাদামি দাগ থাকে। ডিমের মাপ ২.১ ১.৫ সেন্টিমিটার। == বহিঃসংযোগ == নীলডানা পাতা বুলবুলির আরও আলোকচিত্র, Oriental Bird Images. == তথ্যসূত্র == পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি'''পাতা বুলবুলি''' () হচ্ছে পাসেরিফর্মিস বর্গের অন্তর্গত কয়েক প্রজাতির সবুজ বৃক্ষচারী পাখি। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে এদের দেখা যায়। হরবোলা নামে এরা বেশি পরিচিত। কারণ এরা বনের পাখি বিভিন্ন প্রাণীর স্বর অবিকল অনুকরণ করতে পারে। পৃথিবীতে কেবলমাত্র তিনটি গোত্রের পাখিরা ইন্দোমালয় পরিবেশবলয়ের অন্তর্গত, পাতা বুলবুলিরা তাদের একটি। পূর্বে এদেরকে ফটিকজল নীলপরীদের সাথে ইরেনিডি গোত্রের অন্তর্গত বলে মনে করা হত। বর্তমানে এদের গোত্রের অন্তর্গত মনে করা হয়। গোত্রের এরাই একমাত্র সদস্য। এদের সবার গণ == বিবরণ == পাতা বুলবুলিরা ছোট বৃক্ষচারী পাখি। এদের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ২১ সেন্টিমিটার সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য ১৪ সেন্টিমিটার। ওজন ১৫ গ্রাম থেকে ১৮ গ্রামের মধ্যে। নামে বুলবুল হলেও এরা আসলে বুলবুল নয়। আকৃতিগত দিক থেকে বুলবুলদের সাথে মিল থাকায় এবং শরীরের রঙ কচি পাতার মত সবুজ হওয়ায় এদের নাম হয়েছে পাতা বুলবুলি। স্ত্রী পুরুষ পাতা বুলবুলির চেহারা প্রধানত ভিন্ন। ভিন্নতার মাত্রা কোন কোন প্রজাতিতে বেশি, আবার কোনটাতে কম। যেমন-কমলাপেট পাতা বুলবুলির স্ত্রী আর পুরুষ দেখতে একেবারে ভিন্ন হলেও ফিলিপাইনের পাতা বুলবুলির স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে তেমন কোন ভিন্নতা নেই। ভিন্নতা সাধারণত মুখ ঠোঁটের চারপাশে দেখা যায়। পুরুষের হয়তো কালো বা নীল মুখোশ অথবা ছোপ থাকে। স্ত্রী পাতা বুলবুলিদের ক্ষেত্রে রঙের পরিমাণ উজ্জ্বলতা বেশ কম থাকে। এদের ঠোঁট সরু বাঁকা। ঠোঁট প্রায় মাথার সমান। ঠোঁটের আগায় ফুলের মধু খাওয়ার উপযোগী খাঁজ থাকে। নাকের ছ্যাঁদা ডিম্বাকার, ডানা গোলাকার, পা খুব খাটো। == প্রজাতিসমূহ == '''গোত্র: ক্লোরোপসিডি''' ** ফিলিপাইনের পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis flavipennis'' ** হলদেগলা পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis palawanensis'' ** বড় সবুজ পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis sonnerati'' ** ছোট সবুজ পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis cyanopogon'' ** নীলডানা পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis *** জার্ডনের পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis jerdoni'' *** বোর্নিওর পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis kinabaluensis'' ** সোনালি-কপাল পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis aurifrons'' *** সুমাত্রার পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis (aurifrons) media'' ** কমলাপেট পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis hardwickii'' ** নীলমুখো পাতা বুলবুলি, ''Chloropsis venusta'' পাতা বুলবুলি সবুজ পাতা বুলবুলি সবুজ পাতা বুলবুলি cochinchinensis পাতা বুলবুলি Chloropsis-Male পাতা বুলবুলি পাতা বুলবুলি পাতা বুলবুলি Image:Orange bellied পাতা বুলবুলি == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Leafbirds Internet Bird Collection-এ পাতা বুলবুলির আলোকচিত্র, ভিডিও এবং ডাক।'''টিউলিপ''' (; বৈজ্ঞানিক নাম: ''Tulipa'') পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়াও এটি বাগানে কিংবা জমিতেও চাষ করা হয়। অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায়। গৃহের অঙ্গসৌষ্ঠব বৃদ্ধিকারী ফুল হিসেবে এর সুনাম রয়েছে। বর্ষজীবি কন্দযুক্ত প্রজাতির গাছটি লিলিয়াসিয়ে পরিবারভূক্ত উদ্ভিদ। সংকরায়ণসহ টিউলিপের সকল প্রজাতিকেই ''টিউলিপ'' নামে ডাকা হয়। ''টিউলিপ'' প্রায় ১৫০ প্রজাতিতে বিভাজ্য এবং অগণিত সংকর প্রজাতি রয়েছে। == বিবরণ == টিউলিপ বর্ষজীবি বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। এটি মুকুল থেকে জন্মায়। বিভিন্ন প্রজাতিতে এর উচ্চতা ভিন্নরূপ হয়। সচরাচর ইঞ্চি (১০ সে.মি.) থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮ ইঞ্চি (৭১ সে.মি.) পর্যন্ত উচ্চতাসম্পন্ন হয়। অধিকাংশ টিউলিপই ডাঁটা থেকে একটিমাত্র মুকুলের মাধ্যমে বিকশিত হয়। কিন্তু কিছু প্রজাতিতে (যেমন ''টিউলিপা কয়েকটি ফুল হতে পারে। জমকালো আড়ম্বরপূর্ণ ফুলগুলো সাধারণতঃ কাপ কিংবা তারার আকৃতি হয়ে থাকে। এর তিনটি পুষ্পদল এবং তিনটি বহিঃদল রয়েছে। ফলে এর অভ্যন্তরভাগ গাঢ় রঙের দেখায়। টিউলিপে খাঁটি নীলাভ রঙ ব্যতীত বিভিন্ন রঙের হয়। এর ফল মোড়কে ঢাকা থাকে যা অনেকটা ক্যাপসুল আকৃতির। দুই সারিতে বীজ থাকে। হাল্কা থেকে ঘন বাদামী বর্ণের বীজগুলো খুবই পাতলা আবরণবিশিষ্ট। টিউলিপের ডাঁটায় অল্প কিছু পাতা থাকে। বৃহৎ প্রজাতিতে অনেকগুলো পাতা থাকতে পারে। সাধারণতঃ দুই থেকে ছয়টি পাতা থাকে। প্রজাতিভেদে পাতার সংখ্যা সর্বোচ্চ ১২টি হতে পারে। পাতাগুলো নীলাভ সবুজ রঙের হয়। == আর্থিক উপযোগিতা == অটোম্যান সাম্রাজ্যে চাষাবাদ শুরু হলেও পরবর্তীকালে নেদারল্যান্ডে বাণিজ্যধর্মী আবাদ শুরু হয়। হল্যান্ড বিশ্বের প্রধান টিউলিপ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত। বার্ষিক তিন বিলিয়নেরও অধিক টিউলিপ কন্দ উৎপাদন করে রপ্তানী আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসরূপে বিবেচিত। নেদারল্যান্ডের সাথে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। চাষাবাদ প্রণালীকে প্রায়শঃই ডাচ টিউলিপ নামে আখ্যায়িত করা হয়। টিউলিপকে ঘিরে শিল্প গড়ে উঠেছে এবং টিউলিপ উৎসব পালন করা হয়। দু'টি প্রধান কারণে টিউলিপ উৎপাদন করা হয় (ক) ফুল উৎপাদন এবং (খ) শুষ্ক কন্দ উৎপাদন। উদ্যান, বাগান, গৃহে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কন্দ উৎপাদন করা হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ফুলের বিনিময় মূল্য প্রায় এগার হাজার মিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল করে রাখছে। == উৎপত্তি == পামির মালভূমি এবং হিন্দুকুশ পর্বতমালার এলাকা থেকে উদ্ভূত হয়ে কাজাখস্তানে স্থানান্তরিত হয় যা পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান, ইউরোপের দক্ষিণাংশ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়ার আনাতোলিয়া থেকে ইরানের পূর্বাংশ, চীনের উত্তর-পূর্বাংশ এবং জাপানে উদ্ভিদ পাওয়া যায়। টিউলিপের সাথে হল্যান্ডের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ষোড়শ শতাব্দী থেকে টিউলিপের চাষ হয়ে আসছে। টিউলিপকে ইরান তুরস্কে ফার্সি ভাষায় ''লালে'' নামে ডাকা হয়। ধারনা করা হয় যে, টিউলিপের অনেক প্রজাতির আদি আবাসস্থল হিসেবে এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় গড়ে উঠেছে। পারস্যে লাল টিউলিপকে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়। লাল টিউলিপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কালো অংশের মাধ্যমে হৃদয় ভেঙ্গে খানখান কয়লার ন্যায় পুড়ে যাওয়া এবং হলুদ টিউলিপ বিনিময় করাকে আশাহীন সম্পূর্ণভাবে নিরাশাগ্রস্ত আকারে তুলে ধরা হতো। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Canadian National Capital Commission: The Gift of Tulips Information about 3700 tulip names The systematic value of nuclear genome size for “all” species of Tulipa L. (Liliaceae) The infrageneric nomenclature of Tulipa (Liliaceae) ঋণকৃত শব্দসমূহ বিষয়শ্রেণী:ফুল উদ্ভিদ উদ্ভিদ উদ্ভিদ উদ্ভিদ উদ্ভিদ উদ্ভিদ'''সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ''' (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। == জন্ম শিক্ষাজীবন == সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদের জন্ম হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং মায়ের নাম সৈয়দা মাহমুদা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম কাইসার নাহার আহমেদ। তাদের দুই ছেলে এক মেয়ে। == কর্মজীবন == সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি করতেন। কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৫৩ পদাতিক ব্রিগেডের ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের মেডিকেল অফিসার হিসেবে সংযুক্ত হন। মার্চ মাসে ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট সিলেটের খাদিমনগরে মোতায়েন ছিল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ এবং ওই রেজিমেন্টের আরেকজন বাঙালি সেনাকর্মকর্তা পাঞ্জাব রেজিমেন্টের হাতে বন্দী পরে আহত হন। রেজিমেন্টের একজন পাঠান সেনাকর্মকর্তা তাদের সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার বদান্যতা এবং হাসপাতালের পরিচালক ডা. সামসুদ্দীন আহমদের তাৎক্ষণিক সুচিকিৎসায় তিনি বেঁচে যান। এপ্রিল হাসপাতাল থেকে তিনি বাড়ি যান। ওই দিনই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ডা. সামসুদ্দীনকে হত্যা করে। সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ কিছুদিন পর ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে তাকে নম্বর সেক্টরের চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ‘এস’ ফোর্সের চিকিৎসক হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। অনেক যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেন। দুই-তিনবার অস্ত্র হাতে সম্মুখযুদ্ধেও অংশ নেন। == মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা == ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুদ্ধ যখন তীব্রতর হচ্ছিল, তখন শহীদ আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসার বন্দোবস্ত ছিল না। পরে আহত অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য মুক্তিবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রতিটি সেক্টরে ছিল একটি বা দুটি হাসপাতাল এবং সাব-সেক্টরে ফিল্ড মেডিকেল ইউনিট। এরই ধারাবাহিকতায় নম্বর সেক্টরে তখন দুটি হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একটি হোজামারাতে। এটি ছিল ৩০ শয্যার। আরেকটি আশ্রমবাড়িতে। সেটি ছিল ১০ শয্যার। চিকিৎসক হিসেবে যাঁরা নিয়োজিত ছিলেন, তাদের মধ্যে সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ অন্যতম। নম্বর সেক্টরে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রথমে তিনি তাঁবুতে হাসপাতালের ভিত্তি স্থাপন করেন। হাসপাতালের চিকিৎসা ছিল অনেক কার্যকর ভালো। অসাধ্য সাধনের মতো নানা কাজ করেন তিনি। আহত অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ঠিক রাখতে তিনি তার সহযোগীরা তখন যে অবদান রেখেছেন, তা সত্যিই স্মরণীয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় প্রতিদিনই তার কাছে পাঠানো হতো। কেউ গুলিবিদ্ধ, কেউ শেলের স্প্লিন্টারে আঘাতপ্রাপ্ত। আহত যতই হন না কেন, যাঁরা সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমদের চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন তারা চাঙা হয়ে উঠতেন। বেশির ভাগই বেঁচে যেতেন এবং সুস্থ হতেন। ওষুধপত্র স্বল্পতা সত্ত্বেও কয়েকজন ছাড়া কেউ তখন মারা যাননি। == পুরস্কার সম্মাননা == বীর প্রতীক == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:বীর প্রতীক ব্যক্তি'''ইনোসেন্স অব মুসলিমস''' () যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত একটি বিতর্কিত চলচ্চিত্র ট্রেইলার। ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ চলচ্চিত্রের পরিচালক নিজেকে স্যাম বাসিল নামে পরিচয় দেন। প্রাথমিকভাবে ১৪ মিনিটের দুটি ভিডিও ক্লিপ ২০১২ সালের জুলাইতে ইউটিউবে আপলোড করা হয়। স্যাম বাসিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে নানা কথা বলেন। নির্মিত হওয়ার পর প্রায় তিন মাস আগে হলিউডের একটি থিয়েটারে প্রথম চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়। চলচ্চিত্রটির আরবি ভাষায় ডাবিং করা সংস্করণ মুক্তি পায় এবং মিসরের একটি টেলিভিশনে এর ভিডিও ফুটেজ প্রচারিত হওয়ার পর সারাদেশে মুসলমানরা বিক্ষোভ শুরু করে। == পটভূমি == হলিউডের ভিন থিয়েটার যেখানে সিঙ্গেল স্ক্রীন হয়েছিল। ইনোসেন্স অব মুসলিমস চলচ্চিত্রের পরিচালক বাসিল জানিয়েছেন চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে ১০০ জন ইহুদি মোট পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দিয়েছেন। চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন ৬০ জন অভিনেতা ৪৫ জন কলাকুশলী। ওই চলচ্চিত্র নিয়ে লিবিয়া মিসরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন তিনি। চলচ্চিত্রটির অভিনেতা কলাকুশলীদের কয়েকজন দাবি করেন, ইসলাম ধর্মকে অবমাননাকারী সংলাপগুলো তাদের আসল সংলাপ নয়। এগুলো পরে সংযোজন করা হয়েছে। স্টিভ ক্লেইন যিনি কলাকুশলীদের একজন চলচ্চিত্রের সঙ্গে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততার খবর নাকচ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাসিল নামটি পরিচালকের ছদ্মনাম। ছাড়া অন্য দুজন মার্কিন নাগরিক নিজেদের ওয়েবসাইটে এর প্রচারণা চালিয়েছিলো। তাদের একজন হলো খ্রিষ্টীয় চরমপন্থী যাজক টেরি জোনস এবং অন্যজন ওয়াশিংটনের আইনজীবী মরিস সাদেক (ইনি এক মিসরীয় বংশোদ্ভূত কপটিক খ্রিস্টান)। একদল নতুন কলাকুশলীর সহায়তায় খুবই কাচা অদক্ষ হাতে নির্মাণ করা হয়েছে ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নামের বিতর্কিত চলচ্চিত্রটি। == মার্কিন পদক্ষেপ == চিত্র:A protest against an anti-Islamic ফিল্মের বিরুদ্ধে বাহরাইনের প্রতিবাদকারীরা। সারা বিশ্বের মুসলিমদের ধর্মীয় চেতনায় চরমভাবে আঘাত করার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা বা কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন হিলারি ক্লিনটন। চলচ্চিত্রটির প্রতিক্রিয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষিত থাকায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। হিলারি বলেন, পৃথিবীর বড় বড় ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উপহাস করা হয়েছে। কিন্তু একে সহিংস আচরণের পক্ষে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিশ্বের বড় বড় ধর্ম যেকোনো অবমাননার তুলনায় অনেক শক্তিশালী। এসব আক্রমণ প্রতিহত করেই ধর্মগুলো শত শত বছর ধরে টিকে আছে। তিনি আরও বলেছেন, অনেকের চিন্তা-চেতনায় যতই আঘাত করুক না কেন, আমরা কোনো নাগরিককে স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারি না। বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও। == বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া == দেশ তথ্য মার্কিন চলচ্চিত্রকারের তৈরি ‘দ্য ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ চলচ্চিত্র ইন্টারনেটে প্রচার করার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, চলচ্চিত্রটি ইসলাম ধর্ম ইসলামের নবী মুহাম্মদ কে কলঙ্কিত করেছে। চলচ্চিত্রটির ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বাংলাদেশ খুবই উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নাম করে কোনো কোনো মহল এই ভিডিওচিত্রটির পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করছে। ঘৃণা বাড়ানোর প্ররোচনা দেওয়া কখনই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অণুভূতির প্রতি এভাবে অসম্মান করা কোনোভাবেই সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না এবং ধরনের কাজকে অবশ্যই ক্ষমা করা যায় না।’ চলচ্চিত্র ইনোসেন্স অব মুসলিমস প্রচার করায় ভিডিও আদান-প্রদানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সকে হত্যা করা হয়েছে। লিবিয়ার জাতীয় পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ আল মাগরিয়েফ অভিযোগ করেছেন, বেনগাজিতে মার্কিন কূটনৈতিক মিশনে হামলায় বিদেশিদের হাত থাকতে পারে। এই ঘটনার ব্যাপারে পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ভিডিওটির প্রচার ইউটিউব নিজেরাই বন্ধ রেখেছে। মিসরের প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিল বলেছেন, কায়রোতে বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ অর্থ পেয়ে মার্কিন দূতাবাসে হামলা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে থাকতে পারে। উত্তাল ছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের করাচিতে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ হয়। সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। চলচ্চিত্র ইনোসেন্স অব মুসলিমস প্রচার করায় ভিডিও আদান-প্রদানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ভারতে নির্দিষ্ট ভিডিওটির প্রচার ইউটিউব নিজেরাই বন্ধ রেখেছে। হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী আফগানিস্তানের কাবুলের রাস্তায় বিক্ষোভ করে। তারা যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ‘ক্যাম্প ফিনিক্স’ সামরিক ঘাঁটিতে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। চলচ্চিত্র ইনোসেন্স অব মুসলিমস প্রচার করায় ভিডিও আদান-প্রদানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এক বিবৃতিতে ইসলাম অবমাননাকর সিনেমা তৈরির নিন্দা জানিয়েছেন। ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্ম সংস্কৃতির মধ্যে সংঘাত বাধানো হচ্ছে বলে বিবৃতি দেয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে নির্দিষ্ট ভিডিওটির প্রচার ইউটিউব নিজেরাই বন্ধ রেখেছে। ইয়েমেনের শত শত শিক্ষার্থী রাজধানী সানার রাস্তায় বিক্ষোভ করে। তারা দেশ থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি এবং ইয়েমেনের মাটিতে মার্কিন মেরিন সেনা উপস্থিতির তীব্র নিন্দা জানায়। সুদানে মার্কিন দূতাবাস থেকে অপরিহার্য নয়—এমন কর্মীদের দেশটি ছাড়তে বলা হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তায় দেশটিতে মার্কিন সেনা পাঠাতে ওয়াশিংটনের অণুরোধ প্রত্যাখ্যান করে সুদান। বিক্ষুব্ধ মানুষ শুক্রবার খার্তুমে মার্কিন দূতাবাসে হামলা করায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ওই সেনা পাঠাতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। হামলার আশঙ্কায় তিউনিসিয়ায় মার্কিন দূতাবাস থেকে অপরিহার্য নয়—এমন কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নাগরিকদের আপাতত দেশটিতে না যেতেও সতর্ক করা হয়েছে। মরক্কোর রাজধানী রাবাতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ইসলামভীতি ছড়িয়ে দেয়ার মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় বিক্ষোভকারীরা জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে জড়ো হয়ে মার্কিন পতাকায় আগুন দিয়েছে। রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস বিতর্কিত চলচ্চিত্র ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ কে উগ্রপন্থী ঘোষণা করেছে। এক মুখপাত্র জানিয়েছেন চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য এখন প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস আদালতের শরণাপন্ন হবে। তবে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বিতর্কিত চলচ্চিত্রের কোন তথ্য বা বিতরণ প্রতিহত করতে ফেডারেল ম্যাস কমিউনিকেশন্স ওয়াচডককে প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস নির্দেশ দিয়েছে। ফেডারেল ম্যাস কমিউনিকেশন্স ওয়াচডক ইতোমধ্যেই রাশিয়ান ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানদের চলচ্চিত্রটিকে ব্লক করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। == হিজবুল্লাহর প্রতিক্রিয়া == যে সব দেশে চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ইসলামকে অবমাননা করে নির্মিত ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ চলচ্চিত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন লেবাননভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রভাবশালী নেতা শেখ হাসান নসরুল্লাহ। তিনি মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশে মুসলিম সরকারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিক্ষোভ করারও আহ্বান জানিয়েছেন। হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত আল-মানার টেলিভিশনে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে নসরুল্লাহ এক সপ্তাহজুড়ে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি ইনোসেন্স অব মুসলিমস চলচ্চিত্রটিকে ইসলামের জন্য ‘নজিরবিহীন’ অবমাননা বলে আখ্যা দেন। নসরুল্লাহ মন্তব্য করেন, সালমান রুশদির বই দ্য স্যাটানিক ভার্সেস এবং মহানবী (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে ডেনমার্কের পত্রিকায় ছাপা কার্টুনের চেয়েও এটা জঘন্য কাজ। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রটির সঙ্গে সরাসরি যারা জড়িত এবং যারা তাদের সমর্থন দিয়েছে এবং রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদের সবাইকে ধরতে হবে, শাস্তি দিতে হবে এবং বর্জন করতে হবে। নসরুল্লাহ আরও বলেন, ইসলামকে অবমাননা করার মুখে মুসলিমরা নীরব থাকবে না—বিশ্বকে এটা জানানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশে মুসলিম সরকারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিক্ষোভ করারও আহ্বান জানান তিনি। হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, ইসলামের অবমাননা করে তৈরি চলচ্চিত্রের পুরোটা প্রকাশ করা হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। নসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ইসলামের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝতে হবে, চলচ্চিত্র পুরোটা প্রকাশ করা হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। চলচ্চিত্রের নির্মাতা নাকুলা বাসিলে নাকুলা তার পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == YouTube channel of Sam Bacile with two videos apparently comprising extracts from the film, uploaded in July 2012. "US police quiz anti-Islam video suspect" (video) from ''al Jazeera's'' protests live blog Beware of Even Numbers The film ‘Innocence of Muslims’ and the dangerous failing of the media on Tablet Magazine ধর্ম সংশ্লিষ্ট বিতর্ক প্রতিকৃতিচিত্র:Zoologisk museum Copenhagen Strix ধূসর প্যাঁচার মুখগোলক পক্ষীবিজ্ঞানে '''মুখগোলক''' বলতে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখির চোখের চারিদিকের পালকগুলোর গোলাকার বিন্যাস্ততাকে বোঝায়। প্যাঁচাদের মধ্যে মুখগোলক সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সাধারণত পাখিদের দুই চোখকে ঘিরে অর্ধবৃত্তাকারে মুখগোলক বিন্যাস্ত থাকে। এর মূল উদ্দেশ্য হল দূরবর্তী শব্দ তরঙ্গ যাতে খুব সহজে পাখিদের কানে এসে পৌঁছে। কেবল শব্দ নয়, দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণের কাজেও এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ শারীরিক সুবিধার ফলে প্যাঁচারা খুব সহজে গর্তে, গাছের খোঁড়লে, তুষারের নিচে এমনকি ঘন ঘাসে শিকারের অবস্থান নিখুঁতভাবে নির্ণয় করতে পারে। প্যাঁচা ছাড়াও রাখালভুলানি বা কাপাসিদেরও ছোটখাটো মুখগোলক থাকে। তবে প্যাঁচাদের তুলনায় এদের মুখগোলক অতটা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। রাখালভুলানিরা শব্দ পেলে তাদের বর্ধিষ্ণু পালক খাড়া করে সুনির্দিষ্টভাবে শব্দটি শোনার চেষ্টা করে। বড় ধূসর প্যাঁচার মুখগোলক পৃথিবীতে শবচেয়ে বড়। লক্ষ্মী প্যাঁচার মুখগোলকের পরিধি প্রায় ১১০ মিলিমিটার। == গ্রন্থপঞ্জি == Jemima Parry-Jones (2001). ''Understanding Owls: Biology, Management, Breeding, Training''. David Charles, p. 20. Robert E. Simmons (2000). ''Harriers of the World: Their Behavior and Ecology''. Oxford University Press, pp. 53–56. শারীরবিদ্যা'''মুক্তপেশা''' (), কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে মু্ক্তভাবে কাজ করাকে বোঝায়। যারা এধরনের কাজ করেন তাদের বলা হয় "মুক্তপেশাজীবী" ()। এধরনের কাজে যেমন কোনো নির্দিষ্ট মাসিক বেতনভাতা নেই তেমনি সবসময় কাজ পাওয়ারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে স্বাধীনমনা লোকদের আয়ের জন্য এটা একটা সুবিধাজনক পন্থা। আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মুক্তপেশার কাজগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসেই তাদের কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। পেশার মাধ্যমে অনেকে প্রচলিত চাকরি থেকে বেশি আয় করে থাকেন, তবে তা আপেক্ষিক। কাজ হওয়াতে পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি হাজারো ক্লায়েন্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে। == কাজের ধরণ == মুক্তপেশার কাজের পরিধি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী এধরনের কর্মপদ্ধতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: লেখালেখি অনুবাদ: নিবন্ধ ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ছোট গল্প, গল্প এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ভাষান্তরকরণ উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিকতা: যারা এবিষয়ে দক্ষ তারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির, চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি জনসংযোগ করে থাকেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন: লোগো, ওয়েবসাইট ব্যানার, ছবি সম্পাদনা, অ্যানিমেশন ইত্যাদি। ওয়েব ডেভলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবভিত্তিক সফ্‌টওয়্যার তৈরি, হোস্টিং ইত্যাদি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং: ডেস্কটপ প্রোগ্রামিং থেকে ওয়েব প্রোগ্রামিং সবই এর আওতায় পড়ে। ইন্টারনেট মার্কেটিং: বাজারজাতকরণ কার্যক্রম, যেমন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিপণন। গ্রাহক সেবা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহককে টেলিফোন, ইমেইল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহাজ্যে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা। প্রশাসনিক সহায়তা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি* প্রশাসনিক সহায়তা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি। মুক্তপেশার চর্চায় বিশ্বব্যপী বিভিন্ন ওয়েবসাইট তাদের সেবা বিস্তৃত করেছে, এবং এসব মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের (মিডিয়া) মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ক্রেতা এবং ভোক্তা উভয়েই। এসব ওয়েবসাইটে যে-কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেদের কাজের বিবরণ জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন, এবং অপরপক্ষে যে-কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে বিজ্ঞাপিত কাজের জন্য উপযুক্ত মনে করলে আবেদন করেন। এদের উভয়ের মধ্যে লেনদেনকৃত পরিমাণ অর্থের একটা অনুপাত এসকল মধ্যস্থ ব্যবসায়ী ওয়েবসাইটগুলো গ্রহণ করে, এবং এটাই তাদের মুনাফা। অনলাইনভিত্তিক এরকম কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইভআরআর, গুরু ইত্যাদি। == তথ্যসূত্র =='''নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারীদের তালিকায়''' () পর্যন্ত বিশ্বের ৫১ জন (৫২বার) নারী স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন; যেখানে পুরুষদের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংখ্যা ৮০৭ জন। == পদার্থ == বর্ষ ছবি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশ অবদান ১৯০৩ 75px মারি ক্যুরি বেকেরেল আবিষ্কৃত বিকিরণের উপর সফল যৌথ গবেষণা ১৯৬৩ 75px মারিয়া নিউক্লিয় শক্তিস্তরের গঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ৩. ২০১৮- ডোনা দিও স্ট্রিকল্যাণ্ড (কানাডা)-তিনি লেজার রশ্মির বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রণী "চাপার্ড পালস এমপ্লিফিকেশন" এর উন্নয়ন ঘটানোর জন্য জেরার মুরুর সাথে যুগ্মভাবে নোবেল অর্জন করেন। == রসায়ন == বর্ষ ছবি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশ অবদান ১৯১১ 75px মারি ক্যুরি রেডিয়াম এবং পোলোনিয়াম আবিষ্কার ১৯৩৫ 75px আইরিন জোলিও-ক্যুরি নতুন তেজস্ক্রিয় মৌল আবিষ্কার ১৯৬৪ 75px ডরোথি ক্রোফুট হজকিন জৈব রাসায়নিক উপাদানে এক্স-রে রশ্মি প্রয়োগে সাফল্য ২০০৯ 75px আডা ই. ওনাথ "জীব কোষে অবস্থিত রাইবোজোমের গঠন ক্রিয়া" == চিকিৎসাবিদ্যা == বর্ষ ছবি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশ অবদান ২০১৪ 75px মে-ব্রিট মোজের মস্তিষ্কের অবস্থান বোঝার প্রক্রিয়ার রহস্য সমাধান == সাহিত্য == == শান্তি == বর্ষ ছবি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশ অবদান ১৯০৫ 75px বের্থা ফন সুটনার অস্ট্রিয়া এবং হাঙ্গেরি ১৯৩১ 75px জেইন অ্যাডাম্‌স যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৬ 75px এমিলি গ্রিন বল্‌চ্‌‌ যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৬ 75px মাইরিয়াড কোরিগান উত্তর আয়ারল্যান্ড 75px বেটি উইলিয়ামস ১৯৭৯ 75px মাদার তেরেসা ভারত ১৯৮২ 75px আলভা মিরদলযুগ্মভাবে অ্যালফোনসো গার্সিয়া রোব্‌লস সুইডেন "জাতিসংঘে নিরসন সংক্রান্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অবদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণের করেন" ১৯৯১ 75px অং সান সু কি মায়ানমার ১৯৯২ 75px রিগোবার্টা মেঞ্চু গুয়াতেমালা ১৯৯৭ 75px জোডি উইলিয়ামস যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ 75px শিরিন এবাদি ইরান মানবাধিকার গণতন্ত্র রক্ষায় ভূমিকার জন্য। তিনি বিশেষত নারী শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন। ২০০৪ 75px ওয়াংগারি মাথাই কেনিয়া ২০১১ 75px এলেন জনসন সারলিফ লাইবেরিয়া নারীদের অধিকার রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলন করার জন্য 75px লেহমাহ বয়ই 75px তাওয়াকেল কারমান ইয়েমেন #২০১৮- নাদিয়া মুরাদ বাসে তাহা (ইরাক)- যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো "নাদিয়াস ইনিসিয়েটিভ" গঠনের জন্য যুগ্মভাবে (ডেনিস মুকওয়েগে এর সাথে) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। == অর্থনীতি == == তথ্যসূত্র =='''রামোন ডেল ফিরো ম্যাগসেসে''' (জন্ম: ৩১ আগস্ট, ১৯০৭ মৃত্যু: ১৭ মার্চ, ১৯৫৭) জাম্বালেসের ইবা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের ৭ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ১৯৫৭ সালে সেবুতে ডগলাস সি-৪৭ এর বিমান দূর্ঘটনায় মৃত্যুমুখে পতিত হন। মোটরগাড়ী শিল্পের প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে গেরিলা নেতা হিসেবে সাফল্য অর্জন করায় পরবর্তীকালে জাম্বালেস প্রদেশের সামরিক গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর লিবারেল পার্টির পক্ষ অবলম্বন করে দুই মেয়াদে জাম্বালেসের কংগ্রেসম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতি এলপিডো কুইরিনো তাকে হিসেবে নিযুক্ত করেন। ন্যাশিওনালিস্তা পার্টির পক্ষ হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন '''রামোন ম্যাগসেসে'''। তিনি ছিলেন বিংশ শতকে জন্মগ্রহণকারী প্রথম ফিলিপিনো রাষ্ট্রপতি। == প্রারম্ভিক জীবন == রামোন ডেল ফিরো ম্যাগসেসে ৩১ আগস্ট, ১৯০৭ সালে জাম্বালেস প্রদেশের রাজধানী আইবাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ''এক্সকুইল ম্যাগসেসে'' পেশায় ছিলেন কামার এবং মা ''পারফেক্টা ডেল ফিরো'' ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। স্যান নার্সিকোর জাম্বালেস একাডেমিতে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯২৭ সালে তিনি ফিলিপাইন প্রাক-প্রকৌশল পাঠ্যক্রমে ভর্তি হন। নিজ গাড়ীর ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে প্রকৌশল শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯২৮-১৯৩২ সাল পর্যন্ত জোস রিজাল নিয়ন্ত্রণাধীন জোস রিজাল কলেজে বাণিজ্যে ডিগ্রী লাভ করেন। শিক্ষাজীবন সমাপণান্তে একটি বাস কোম্পানীতে প্রকৌশলী হিসেবে এবং একটি দোকানে সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। == দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ == দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে ম্যাগসেসে ফিলিপাইন সেনাবাহিনীর ৩১তম পদাতিক বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালে বাটান অঞ্চল জাপানী বাহিনী অধিগ্রহণ করে। সেখানে ম্যাগসেসে পলায়ন করে পাহাড়ে আশ্রয় নেন। জাপানী বাহিনীর হাত থেকে কমপক্ষে চারবার গ্রেফতার এড়ান তিনি। ওয়েস্টার্ন লুজান গেরিলা বাহিনী গঠন করে এপ্রিল ১৯৪২ সালে ক্যাপ্টেন হিসেবে কমিশন্ডপ্রাপ্ত হন। তিন বছর তিনি কর্নেল মেরিলের নিয়ন্ত্রণাধীন খ্যাতনামা গেরিলা দল জাম্বালেসের স্যান মার্সেলিনোর সয়াং এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনা করেন। সেখানে তার কোডনেম ''চো'' হিসেবে প্রথমত সাপ্লাই অফিসার এবং পরবর্তীকালে কমান্ডাররূপে ১০,০০০ গেরিলার এক শক্তিশালী বাহিনীর দায়িত্ব পান। জাম্বালেস উপকূলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট হন এবং আমেরিকান বাহিনী আসার পর ফিলিপাইন কমনওয়েলথ ট্রুপসের সাথে ২৯ জানুয়ারি, ১৯৪৫ সালে একযোগে কাজ করেন। == পরিবার == ১৯৩২ সালে লুজ ম্যাগসেসেকে (বিবাহ-পূর্ব বেনজন) বিয়ে করেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে টেরেসিতা বেনজন-ম্যাগসেসে (জন্ম: ২৯৩৪), মিলাগ্রোস মিলা বেনজন-ম্যাগসেসে (জন্ম: ১৯৩৬) এবং রামোন জান জুনিয়র (জন্ম: ১৯৩৮)। ম্যাগসেসের বংশধরদের বেশ কয়েকজন আত্মীয়-পরিজন পরবর্তীকালে নিজ গুণে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন রামোন ম্যাগসেসে, জুনিয়র, পুত্র; সাবেক কংগ্রেস সদস্য এবং সিনেটর জিনারো ম্যাগসেসে, ভাই; সাবেক সিনেটর ভিসেন্টে ম্যাগসেসে, চাচা; কংগ্রেস সদস্য এবং জাম্বালেস রাজ্যের সাবেক গভর্নর জেবি ম্যাগসেসে, ভাইয়ের নাতি; রাজনীতিবিদ। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Ramon Magsaysay on the Presidential Museum and Library Ramon Magsaysay on the Official Gazette Stanley J. Rainka Papers Finding Aid, 1945–1946, AIS.2009.04, Archives Service Center, University of Pittsburgh. (Correspondence with Ramon Magsaysay) রাষ্ট্রপতি জন্ম মৃত্যু নেতা রোমান ক্যাথলিক পরিবার পার্টির রাজনীতিবিদ বিরোধী ফিলিপিনো প্রকৌশলী সার্ভিস ক্রস বিজয়ী'''বাস্কেটবল''' () অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। গোলাকৃতি, কমলা রঙের বল দিয়ে অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃস্থ উভয় প্রকার মাঠেই খেলা হয়ে থাকে। দলগত ক্রীড়া হিসেবে বাস্কেটবলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোর্টে উলম্বভাবে স্থাপিত একটি বাস্কেট বা ঝুড়িতে বল নিক্ষেপের মাধ্যমে পয়েন্ট সংগ্রহ করা। নির্দিষ্ট আইন-কানুন অনুসরণ করে সর্বাধিক পয়েন্ট সংগ্রহকারী দল খেলায় বিজয়ী ঘোষিত হয়। সাধারণতঃ প্রত্যেক দলে জন খেলোয়াড় থাকে। চতুর্ভূজ আকৃতির বাস্কেটবল কোর্টের উভয় দিকের শেষ প্রান্তে বাস্কেট ঝুলিয়ে রাখা হয় যা রিম নামে পরিচিত। বাস্কেটবল খেলার প্রধান উপকরণ হিসেবে বলকেও বাস্কেটবল নামে আখ্যায়িত করা হয়। ১৮৯১ সালে মেসাচুসেটসের স্প্রিংফিল্ডের ড. জেমস নাইজস্মিথ নামীয় একজন অধ্যাপক ক্রীড়া উদ্ভাবন করেন। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বাস্কেটবল বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের অন্যতম ক্রীড়া হিসেবে বিবেচিত। প্রমিলা বাস্কেটবলও সমান জনপ্রিয়; তবে পুরুষদের তুলনায় কম জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। == রেফারী == আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল এবং কলেজ বাস্কেটবল খেলায় রেফারী ''প্রধান কর্মকর্তা'' হিসেবে বিবেচিত হন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন এক বা দুইজন আম্পায়ার। ন্যাশনাল বাস্কেটবল এসোসিয়েশনে প্রধান কর্মকর্তাকে ক্রু চিফ এবং অন্য দু'জন কর্মকর্তাকে রেফারীরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। বাস্কেটবল খেলায় সকল কর্মকর্তাকেই প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে আখ্যায়িত করলেও সমষ্টিগতভাবে তারা কর্মকর্তা অথবা ভুল ব্যাখ্যায় রেফারী বলে ডাকা হয়। == গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌স == ১৯৩৬ সালে বাস্কেটবলকে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌সের পুরুষ বিভাগের ক্রীড়ারূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয় অদ্যাবধি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পদক প্রদানের পূর্বে ১৯০৪ সালে প্রদর্শনী আকারে অলিম্পিকে উপস্থাপন করা হয়। ১৯৭৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌সে প্রথমবারের মতো প্রমিলা বাস্কেটবলের অন্তর্ভুক্তি ঘটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে সফল দেশ হিসেবে অলিম্পিকের বাস্কেটবলে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে আসছে। পুরুষ বিভাগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭টি প্রতিযোগিতার মধ্যে ১৪ বার স্বর্ণপদক লাভ করে। তন্মধ্যে ১৯৩৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত দলটি একাধারে বার জয়ী হয়। এছাড়াও, মার্কিনী প্রমিলা দলটি বারের মধ্যে বার জয়ী হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তারা একনাগাড়ে বার জয়লাভ করে। == আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা == ফিবা বা আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল সংস্থা ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে আর্জেন্টিনা, গ্রীস, ইতালি, লাতভিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া এবং সুইজারল্যান্ড এই আটটি দেশ সদস্য ছিল। সময় সংস্থায় কেবলমাত্র সৌখিন খেলোয়াড়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হতো। এর সমার্থক শব্দগুচ্ছ ফরাসী ভাষা ''ফেদারেশিও ইন্টারনেশিওনালে ডি বাস্কেটবল এমেচার'' থেকে উদ্ভূত হয়ে ফিবা পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে ২১৩টি দেশের জাতীয় বাস্কেটবল সংস্থা এর সদস্য। দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে রয়েছে ইংরেজি, ফরাসী, জার্মান, রুশ এবং স্প্যানিশ ভাষা। == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:দল ক্রীড়াসমূহ উদ্ভাবন ভূমিকাচিত্র:James Duke House B. Duke House on Fifth Avenue, New York '''জেমস বুকানন ডিউক''' আধুনিক সিগারেটের উদ্ভাবক। সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ংকরতম উদ্ভাবন বলা যায় একে। বিংশ শতাব্দীতে প্রায় ১০ কোটি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই সিগারেট। == প্রাথমিক জীবন == Statue of James Buchanan চ্যাপেলএর সামনে জেমস বুকানন ডিউকের মূর্তি। ডিউক ১৮৮০ সালে ২৪ বছর বয়সে তামাকের ব্যবসা শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ডারহামে। যন্ত্রের সাহায্যে নিখুঁতভাবে উৎপাদিত আধুনিক সিগারেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জেমস বনস্যাক নামের একজন প্রকৌশলীর উদ্ভাবিত যন্ত্র সিগারেট উৎপাদনে বিপ্লব এনেছিল। এই যন্ত্র উদ্ভাবনের আগে চুরুট পাইপ ব্যবহার করে তামাক সেবন করা হতো। তামাক চিবিয়েও খাওয়া হতো। == ব্যবসায়িক জীবন == চ্যাপেলএর সামনে জেমস বুকানন ডিউকের মূর্তি। এই মার্কিন নাগরিক ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন তামাক বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান টোব্যাকো (বিএটি)। সিগারেটের অব্যাহত বিশ্বায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বিএটি। তাই ডিউককে ‘মৃত্যুর সওদাগর’ বলেন অনেকেই। ডারহামের ট্রিনিট্রি কলেজকে তিনি ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়েছিলেন। তার নামানুসারে ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ হয় ডিউক ইউনিভার্সিটি। ইতিহাসবিদ জর্ডান গুডম্যান বলেন, ডিউককে নায়ক খলনায়ক উভয় বিশেষণই দেওয়া যেতে পারে। ব্যবসায় ব্যাপক সাফল্য বিবেচনায় তাকে নায়ক বলা যেতেই পারে। আর ধূমপানকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বড় সমস্যা তিনিই তৈরি করেছেন। ভয়াবহ পরিণতি বিবেচনায় ডিউককে তুলনা করা যেতে পারে মারণাস্ত্র একে-৪৭ আবিষ্কারক কালাশনিকভ, পারমাণবিক বোমার আবিষ্কারক জে রবার্ট ওপেনহাইমার ডিনামাইটের আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেলের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড গবেষক রবার্ট প্রক্টর বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর উদ্ভাবন সিগারেট। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ ==এই পাতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পরিসংখ্যান রেকর্ডের তালিকা দেয়া আছে। == টেস্ট == ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্টের রেকর্ড পরিসংখ্যানসমূহ এখানে দেয়া হল। === ব্যাটিং রেকর্ড === '''সবোচ্চ দলীয় রান''' রান ওভার রান রেট ইনিংস প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ টেস্ট নং. রিপোর্ট ফল '''৫৫৬''' ১৪৮.৩ ৩.৭৪ ঢাকা ১৬ নভেম্বর ২০১২ ২০৫৭ (স্কোরকার্ড) '''হার''' '''৪৮৮''' ১৪৯.৩ ৩.২৬ চট্টগ্রাম জানুয়ারি ২০০৫ ১৭৩৩ (স্কোরকার্ড) '''জয়''' '''৪২৭''' ১২৩.৩ ৩.৪৫ ফতুল্লা এপ্রিল ২০০৬ ১৭৯৭ (স্কোরকার্ড) '''হার''' '''৪১৯''' ১১৭.১ ৩.৫৭ ঢাকা ২০ মার্চ ২০১০ ১৯৫৬ (স্কোরকার্ড) '''হার''' '''৪১৬''' ১৩৫.৩ ৩.০৭ '''গ্রস আইলেট ''' ২৮ মে ২০০৪ ১৭০১ (স্কোরকার্ড) '''ড্র''' '''বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় রান''' রান ওভার রান রেট ইনিংস দল মাঠ তারিখ টেস্ট নং. রিপোর্ট '''৬৪৮/৯ডি''' ২০০.৩ ৩.২৩ খুলনা ২১ নভেম্বর ২০১২ ২০৬০ (স্কোরকার্ড) '''৬১০/৩ডি''' ১৫৩ ৩.৯৮ ঢাকা ২৫ মে ২০০৭ ১৮৩৩ (স্কোরকার্ড) '''৫৯৯/৬ডি''' ১৩৮.৩ ৪.৩২ চট্টগ্রাম ১২ মার্চ ২০১০ ১৯৫৪ (স্কোরকার্ড) '''৫৯৪/৩ডি''' ১৭৬.৫ ৩.৩৫ চট্টগ্রাম ডিসেম্বর ২০১১ ২০২২ (স্কোরকার্ড) '''৫৮৩/৭ডি''' ১৬১.১ ৩.৬১ চট্টগ্রাম ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৮৬৫ (স্কোরকার্ড) '''সর্বনিম্ন দলীয় রান''' রান ওভার রান রেট ইনিংস প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ টেস্ট নং. রিপোর্ট ফল '''৬২''' ২৫.৪ ২.৪৪ কলম্বো জুলাই ২০০৭ ১৮৩৮ (স্কোরকার্ড) '''হার''' '''৮৬''' ২৭.৪ ৩.১০ কলম্বো ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৫ ১৭৬৪ (স্কোরকার্ড) '''হার''' '''৮৭''' ৩১.৫ ২.৭৩ ঢাকা ডিসেম্বর ২০০২ ১৬৩০ (স্কোরকার্ড) '''হার''' '''৮৯''' ৩২.৩ ২.৭৩ কলম্বো ২৫ জুন ২০০৭ ১৮৩৭ (স্কোরকার্ড) '''হার''' '''৯০''' ৩৬.৪ ২.৪৫ কলম্বো সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৫৬১ (স্কোরকার্ড) '''হার''' === বোলিং রেকর্ড === ====সর্বাধিক উইকেট==== খেলোয়াড় ম্যাচ ইনিংস উইকেট এভারেজ ইকোনমি বেস্ট ফিগার '''সাকিব আল হাসান''' ৫৪ ৯১ '''২০১''' ৩১.৪৫ ৩.১ ৭/৩৬ মোহাম্মদ রফিক ৩৩ ৪৮ '''১০০''' ৪০.৭৬ ২.৭৯ ৬/৭৭ '''তাইজুল ইসলাম''' ২২ ৪০ '''৯৪''' ৩১.১০ ৩.১৫ ৮/৩৯ মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩৬ ৫১ '''৭৮''' ৪১.৫২ ৩.২৪ ৪/৬০ '''মেহেদী হাসান মিরাজ''' ১৭ ৩১ '''৭২''' ৩৩.১২ ৩.২৫ ৬/৭৭ ''সর্বশেষ আপডেট ২৪ নভেম্বর ২০১৮''. ====এক ইনিংসে সবচেয়ে ভাল বোলিং==== খেলোয়ার ফিগার ওভার প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ '''তাইজুল ইসলাম''' '''৮/৩৯''' ১৬.৫ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ২৫ অক্টোবর ২০১৪ '''সাকিব আল হাসান''' '''৭/৩৬''' ২৫.৫ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম ১৭ অক্টোবর ২০০৮ এনামুল হক জুনিয়র '''৭/৯৫''' ৩৬.০ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ১৪ জানুয়ারী ২০০৫ শাহাদাত হোসেন '''৬/২৭''' ১৫.৩ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ২২ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ '''সাকিব আল হাসান''' '''৬/৩৩''' ১৭.০ সাবিনা পার্ক, কিংস্টন, জ্যামাইকা ১২ জুলাই ২০১৮ ''সর্বশেষ আপডেট ১৫ নভেম্বর ২০১৮''. ====এক ম্যাচে সবচেয়ে ভাল বোলিং ফিগার==== খেলোয়ার ফিগার ওভার প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ '''মেহেদি হাসান মিরাজ''' '''১২/১৫৯''' ৪৯.৩ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,ঢাকা ২৮ অক্টোবর ২০১৬ এনামুল হক জুনিয়র '''১২/২০০''' ৭৩.০ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,ঢাকা ১৪ জানুয়ারী ২০০৫ '''তাইজুল ইসলাম''' '''১১/১৭০''' ৬৮.১ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট নভেম্বর ২০১৮ '''সাকিব আল হাসান''' '''১০/১২৪''' ৫৯.০ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, খুলনা নভেম্বর ২০১৪ '''সাকিব আল হাসান''' '''১০/১৫৩''' ৫৩.৫ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,ঢাকা ৩০ আগস্ট ২০১৭ '' সর্বশেষ আপডেট ১৫ নভেম্বর ২০১৮''. ====সবচেয়ে বেশিবার উইকেট লাভ==== খেলোয়ার উইকেট লাভ ইনিংস ওভার সংখ্যা সবচেয়ে ভালো ফিগার সময়কাল '''সাকিব আল হাসান''' '''১৮''' ৯১ ২০৯৯.২ ৭/৩৬ ২০০৭-বর্তমান '''তাইজুল ইসলাম''' '''৭''' ৪০ ৯২৭.২ ৮/৩৯ ২০১৪-বর্তমান মোহাম্মদ রফিক '''৭''' ৪৮ ১৪৫৭.২ ৬/৭৭ ২০০০-২০০৮ '''মেহেদি হাসান মিরাজ''' '''৫''' ৩১ ৭৩২.১ ৬/৭৭ ২০১৬-বর্তমান শাহাদাত হোসেন '''৪''' ৬০ ৮৯৬.৪ ৬/২৭ ২০০৫-২০১৫ '''এছাড়াও আরো সাতজন ক্রিকেটার একবার করে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। এনামুল হক জুনিয়র তিনবার এবং রবিউল ইসলাম সোহাগ গাজী দুবার করে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন।''' '' সর্বশেষ আপডেট ১৫ নভেম্বর ২০১৮. ====এক ম্যাচে ১০ উইকেট লাভ==== খেলোয়ার ১০ উইকেট লাভ ইনিংস ওভার সংখ্যা সবচেয়ে ভালো ফিগার সময়কাল '''সাকিব আল হাসান''' '''২''' ৮৯ ২০৮১.২ ১০/১২৪ ২০০৭-বর্তমান এনামুল হক জুনিয়র '''১''' ২৬ ৫৯২.৩ ১২/২০০ ২০০৩-২০১৩ '''মেহেদি হাসান মিরাজ''' '''১''' ২৯ ৭০৯.১ ১২/১২৯ ২০১৬-বর্তমান '''তাইজুল ইসলাম''' '''১''' ৩৮ ৮৯৬.০ ১১/১৭০ ২০১৪-বর্তমান '' সর্বশেষ আপডেট ১৫ নভেম্বর ২০১৮. == আরও দেখুন == বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ক্রিকেট বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক তালিকা'''গ্যাংনাম স্টাইল''' হল (, দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক অনুযায়ী ১৮তম কে-পপ একক শিল্পী সাই। তার ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবাম সাই (ছয় বিধি) এর প্রথম একক অ্যালবাম, পর্ব হিসেবে গানটি জুলাই ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জেন চার্টে নম্বর এক হিসেবে আত্মপ্রকাশ পেয়েছে ছিল। ২১শে ডিসেম্বর, ২০১২ সালে "গ্যাংনাম স্টাইল" ইউটিউব এর প্রথম ভিডিও যা বিলিয়ন মানুষ দেখেছে। জাস্টিন বিবারের "বেবি" একক গানটির পরেই এটি সাইটির সর্বাধিক দেখা ভিডিও ছিল। ১৭ই জুলাই, ২০১৩ সালে পর্যন্ত ইউটিউব ১,৭৪৬ বিলিয়ন মানুষ দেখেছে। বর্তমানে ইউটিউবের এক নম্বর সর্বাধিক প্রদর্শনীত ভিডিও। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে গ্যাংনাম বলে একটা এলাকা আছে। সেখানকার বিলাসবহুল জীবনযাপনকারীদের ব্যঙ্গ করেই গান গাওয়া হয়েছে। গানটির কথা যতটা না মজার, তার চেয়ে বেশি অদ্ভুত দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গীতশিল্পী সাইয়ের ঘোড়া-নাচ। অদ্ভুতুড়ে নৃত্যশৈলী কাঁপিয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্ব। == সর্বোচ্চ দেখা ভিডিও == এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৮০ কোটি ৮০ লাখ বার। ৫৪ লাখ ব্যক্তি ইউটিউবে গ্যাংনাম স্টাইলকে পছন্দ করেছেন। ফলে গানটি এখন গিনেস বুকের পাতায় স্থান পেয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে কিশোর সঙ্গীতশিল্পী জাস্টিন বিবারের গাওয়া ‘বেবি’ সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউব ভিডিও ছিল। বিবারের ম্যানেজার স্কুটার ব্রনের টুইটার অ্যাকাউন্টে গানটি পোস্ট করা পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র গ্যাংনাম জ্বরে আক্রান্ত। == গ্যাংনাম জ্বর == ২০১২ সালের জুলাইয়ে রিলিজ হওয়ার পর গ্যাংনাম জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব। এরই ধারাবাহিকতায় সাইয়ের গাওয়া গান এখন ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও। শুধু সঙ্গীতপ্রেমীরাই নয়, টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ফিলিপাইনের কারাবন্দিরা, চীনের জনপ্রিয় শিল্পী আই ওইওই, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, চীনা রোবট, বলিউডের নায়ক অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানসহ মহাতারকাদের অনেকে এখন গ্যাংনাম জ্বরে আক্রান্ত। গান নিয়ে অনেক জায়গায় প্যারোডি ভিডিও বানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ইটন কলেজের ছাত্ররা এবং টিভি সিরিজ স্টার ট্রেকের ভাষা লিংঅনে গ্যাংনাম স্টাইল গাওয়া প্যারোডি বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Kirsten Acunaon: Here's the English Translation of "Gangnam Style", ''Business Insider'', September 19, 2012 ভাষায় গান কোরীয় গান বিষয়শ্রেণী:সাই গান গান'''কালো এমন একটি ধারণা যেখানে অন্যান্য বিভিন্ন বর্ণের জনগোষ্ঠীর তুলনায় কালো বর্ণের জনগনকে "শ্রেষ্ঠ" বলে বিবেচনা করা হয়। == কালো শ্রেষ্ঠত্ববাদ তত্ত্ব == কালোদের শ্রেষ্ঠ বর্ণ হিসেবে ধারনা প্রদানকারী যেবস তত্ত্ব বর্তমানে প্রচলিত আছে তার সবগুলোই গত কয়েক দশকে প্রচারিত; প্রাচীন তত্ত্বগুলো বর্তমানে আর প্রচলিত নয়। বর্তমানে যেসব তত্ত্ব প্রচলিত সেগুলোর কোন কোনটিতে দাবী করা হয় যে, এর তত্ত্বগত মূল হচ্ছে: অন্য বর্ণের লোক অপেক্ষা এই বর্ণের লোকদেরকে পছন্দ করা হয়েছে ধর্মীয় মতেই; যেমন: নেশন অব ইসলাম বা কালো ইসরায়েলিটস-এ। আবার, অন্য স্থানে দাবী করা হয় অতিরিক্ত পার্থিব স্বত্বভোগের; যেমন বা নেশন অব ইসলাম। কালোদের বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা আলোচনায় দুটি বিষয় আলোচিত হয়ে থাকে; মেলানিন তত্ত্ব এবং বৈশ্বয়িক === মেলানিন তত্ত্ব === কালো শ্রেষ্ঠত্ববাদ ধারণার সমর্থকরা মেলানিন তত্ত্বকে বিশ্বাস করে থাকেন। এই তত্ত্বর মূল কথা হচ্ছে যে, ত্বকের কালোত্ব মেলানিনের স্তরের কারণে বুদ্ধিমত্ত্বা আবেগ নির্ভর সংবেদশশীল হয়। এই তত্ত্বটি কিছু আফ্রিকান আমেরিকা প্রচার করেছেন বলে দাবী করা হয়। == ধরণার প্রসারে নির্ভর করে গড়ে ওঠা সংগঠন (বর্তমানে কার্যকর) == === নেশন অব ইসলাম === ===নিউ ব্লাক প্যান্থার পার্টি=== === ইউনাইটেড ন্যুওয়াউবিয়ান নেশন্স অব মুরস্‌ === === ট্রিবু কা === ===অন্যান্য দল=== ==== নেশন অব ইয়াহয়ুহ ==== === বুবু শান্তি === == সাদা দলের সাথে সখ্যতা == == আরও জানতে == সাদা কালো স্বতন্ত্রবাদীতা সেমেটিক-বিরোধী মেলানিন মেলানিন তত্ত্ব বর্ণ বুদ্ধিমত্ত্বা বর্ণবাদ শ্রেষ্ঠত্ববাদ ঘৃণাবাদী দল কালো জাতীয়তাবাদ ব্লাক পাওয়ার ব্লাক পাওয়ার মাউরী গ্যাং == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == ''Scientists Find DNA Change That Accounts For White Skin'' (Washington Post Staff Writer Friday, December 16, 2005; A01) Biotechnology ''Magic Melanin: Spreading Scientific Illiteracy to Minorities'' (CSICOP article on melanin theory and associated pseudoscience) Institute for the Study of Academic Racism (ISAR): African American Racism in the Academic Community Annual World Melanin Conference TIME Magazine Teaching Reverse Racism Uncommon Ground: The Black African Holocaust Council and Other Links Between Black and White Extremists শ্রষ্ঠত্ববাদ আমেরিকান আফ্রিকান জনগণ'''সুনান-এ-ইবনে মাজাহ''' () হাদীস বিষয়ক প্রধান ছয়টি গ্রন্থের বা সিহাহ সিত্তাহ-এর একটি, যা ইমাম ইবনে মাজাহ কর্তৃক সংকলিত। == বর্ণনা == এই গ্রন্থে ৪,০০০ টি হাদীস রয়েছে যা ৩২ টি খন্ডে ১,৫০০ টি অধ্যায়ে বিভক্ত। == দর্শন == সুন্নি মতানুসারে এই গ্রন্থটি হাদীস বিষয়ক প্রধান ছয়টি গ্রন্থের একটি। == আরও দেখুন == সুন্নি হাদিস গ্রন্থ *সহীহ বুখারী *সহীহ মুসলিম == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Sunan ibn Majah সুনান-এ-ইবনে মাজাহ -এর ইংরেজী অনুবাদ সাহিত্য সংকলন'''নিষিদ্ধ নগরী''' () () ছিল চীনা সাম্রাজ্যিক প্রাসাদ যা মিং রাজবংশ থেকে চিং রাজবংশের শেষ পর্যন্ত ছিল। এটি চীনের বেইজিং শহরের মাঝে অবস্থিত। বর্তমানে এটি একটি '''প্রাসাদ জাদুঘর'''। প্রায় ৫০০ বছর ধরে, এটি সম্রাটদের এবং তাদের পরিবারের পাশাপাশি চীনা সরকারের আনুষ্ঠানিক এবং রাজনৈতিক কেন্দ্র বাড়ি হিসেবে কাজ করেছে। ১৪০৬ থেকে ১৪২০ সালে নির্মিত জটিল ভবনসমূহ ৭২০,০০০ বর্গ মিটার (৭,৮০০,০০০ বর্গ ফুট) জুড়ে ৯৮০ ভবন নিয়ে গঠিত। জটিল প্রাসাদ ঐতিহ্যগত চীনা চমৎকার স্থাপত্য যা পূর্ব এশিয়াসহ অন্যত্র সাংস্কৃতিক এবং স্থাপত্যকে প্রভাবিত করেছে। ১৯৮৭ সালে নিষিদ্ধ নগরীকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়, এবং ইউনেস্কো কর্তৃক সংরক্ষিত প্রাচীন কাঠের কাঠামোর বৃহত্তম সংগ্রহ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়। ১৯২৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ নগরী রাজপ্রাসাদ জাদুঘরের অধীন রয়েছে, যার শিল্পকর্ম হস্তনির্মিত বিশাল সংগ্রহ মিং এবং চিং রাজবংশের সাম্রাজ্যিক সংগ্রহ উপর নির্মিত হয়েছে। জাদুঘরের পূর্বের সংগ্রহ এখন তাইপের জাতীয় রাজপ্রাসাদ জাদুঘরে অবস্থিত। উভয় জাদুঘর প্রথম দিকে একই প্রতিষ্ঠানের ভবন ছিল, কিন্তু চীনা গৃহযুদ্ধের পরে এটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। == নাম == নিষিদ্ধ নগরী অনেক নামে পরিচিত ছিল। সবচেয়ে প্রচলিত, ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনা ''জিজিন চেং'' ()। "''জিজিন চেং''" নামের অনেক অর্থ রয়েছে। ''জি'' বা "পাপল" বলতে ধ্রুবতারা বোঝানো হয়েছে, যা প্রাচীন চীনে জিউই তারা বলা হতো এবং ঐতিহ্যগত চীনা জ্যোতিষশাস্ত্রে ছিল স্বর্গীয় সম্রাটের বাসস্থান। স্বর্গীয় পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, জিউই সীমানা () ছিল স্বর্গীয় সম্রাট তার পরিবার রাজ্য। নিষিদ্ধ নগরী হচ্ছে পৃথিবীতে বসবাসকারী সম্রাটের বাসস্থান, যা ছিল তার পার্থিব প্রতিমূর্তি। ''জীন'', বা "''নিষিদ্ধ"'', বলতে বোঝাতে চেয়েছে যে, সম্রাটের অনুমতি ব্যতিত সেখানে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারতো না। "চেং" অর্থ প্রাচীরবেষ্টিত শহর। আজ, চীনে স্থানটি ''Gùgōng'' () নামে অতি পরিচিত, যার অর্থ "প্রাক্তন প্রাসাদ"। এই ভবন অবস্থিত জাদুঘরটি "প্রাসাদ জাদুঘর" () হিসাবে পরিচিত। == ইতিহাস == পর্যটকরা File:Forbidden city 05.jpg|প্রাসাদ জাদুঘরে স্থাপত্যশিল্প File:Ceiling of building in Imperial garden Forbidden বাগানের ভবনের একটি দৃশ্য File:Forbidden City August 2012 সিংহাসন একটি, যেখানে সাম্রাজ্যিক সিংহাসন রাখা আছে ছাদ সজ্জা File:Hydrant Verbotene Stadt.jpg|একটি ধারক যা আগুন লাগলে ব্যবহার করা হতো == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == প্রাসাদ জাদুঘর অফিসিয়াল সাইট (ডিজিটাল প্রাসাদ জাদুঘর) জাতীয় প্রাসাদ জাদুঘর (তাইপেই) অফিসিয়াল সাইট নিষিদ্ধ নগরী, একটি ফোটোগ্রাফিক সফর নিষিদ্ধ নগরীর কৃত্রিম উপগ্রহ আলোকচিত্র ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র প্যানোগ্রাফিইশ (৩৬০ ডিগ্রী চিত্র) নিষিদ্ধ নগরী জুড়ে জটিল বিবরণের চিত্র প্রতিষ্ঠান স্থাপত্য স্থাপত্য বিষয়শ্রেণী:মিং রাজবংশ স্থাপত্য স্থাপত্যবিষয়ক ইতিহাস -এ জাদুঘর শিল্পকলা জাদুঘর এবং গ্যালারিসমূহ প্রাসাদ রাজকীয় বাসস্থান বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান -এ দর্শক আকর্ষণ জেলা, বেইজিং -এ মেজর জাতীয় ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক স্থানসমূহ'''জুলিয়াস রবার্ট ওপেনহেইমার''' (; জন্ম: ২২ এপ্রিল, ২০০৪ মৃত্যু: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী বিজ্ঞান সম্পর্কীয় প্রশাসক ছিলেন। লস এলামোজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে পরিচালক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে আণবিক বোমার উন্নয়নে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বার্কলে এলাকায় অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিরও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কিন্তু নিরাপত্তা বিষয়ক শুনানীতে তার বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের পরামর্শকের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে থেকে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা তার স্বপক্ষে অবস্থান নেন। এছাড়াও, রাজনৈতিক এবং নৈতিকতাকে বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্তে সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দাজ্ঞাপন করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ম্যানহাটন প্রকল্পের সাহায্যে প্রথম আণবিক বোমা আবিষ্কারের জন্যে এনরিকো ফার্মির পাশাপাশি তাকেও ''আণবিক বোমার জনকরূপে'' আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ১৬ জুলাই, ১৯৪৫ তারিখে নিউ মেক্সিকোতে ট্রিনিটি টেস্ট নামে পরিচিত প্রথম আণবিক বোমার সফল পরীক্ষামূলক পর্যায়ের পর ওপেনহেইমার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতা থেকে উদ্বৃতি দিয়ে বলেছিলেন: নভেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তা প্রকাশ করা হয়েছিল। কথাই পরবর্তীকালে ১৯৫৮ সালে রবার্ট জাঙ্কের ''ব্রাইটার দেন থাউজেন্ড সানস: পার্সোনাল হিস্ট্রি অব দি অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টস'' শীর্ষক পুস্তকে বিবৃত করা হয়েছিল। পুস্তকের একাংশে ওপেনহেইমারের স্বাক্ষাৎকারে ওপেনহেইমার তা পুণরায় ব্যক্ত করেছিলেন। == প্রারম্ভিক জীবন == ২২ এপ্রিল, ১৯০৪ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। জার্মান অভিবাসী পিতা জুলিয়াস ওপেনহেইমার ভাগ্যান্বষণে ১৮৮৮ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে আসেন। টেক্সটাইল শিল্পে আমদানী-রফতানীর ব্যবসা করতেন সফলকাম হয়েছিলেন। মা এলা ফ্রাইডম্যান ছিলেন একজন চিত্রকর। ১৯১২ সালে পরিবারটি ১৫৫, রিভারসাই ড্রাইভ, ওয়েস্ট ৮৮তম স্ট্রীটের নিকটবর্তী, ম্যানহাটন আবাসিক এলাকার দ্বাদশ তলায় স্থানান্তরিত হন। পরিবারে পাবলো পিকাসো এবং এডোয়ার্ড ভুইলার্দসহ ভিনসেন্ট ভ্যান গগের কমপক্ষে তিনটি প্রকৃত চিত্রকর্মের সংগ্রহ রয়েছে। রবার্ট হেইমারের ফ্রাঙ্ক ওপেনহেইমার নামীয় ছোট একটি ভাই ছিল। তিনিও পরবর্তীকালে পদার্থবিদ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক-পূর্ব শ্রেণীতে অধ্যয়রত অবস্থায় ওপেনহেইমার ল্যাটিন, গ্রীক, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠেন। ১৯২৫ সালে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি গবেষণাকর্মের জন্যে ইংল্যান্ড যান। ক্যামব্রিজ ক্যাভেন্ডিস ল্যাবরেটরিতে লর্ড আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের তত্ত্বাবধানে আণবিক গঠন বিষয়ে গবেষণা চালান। ক্যাভেন্ডিস ল্যাবরেটরিতে অবস্থানকালে তিনি পারমাণবিক গবেষণার উন্নয়নে ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময়ের সুযোগ পান। এরপর ম্যাক্স বর্নের ছত্রচ্ছায়াও তিনি অধ্যাপনা করেন। সেখানে তিনি নিলস বোর এবং পি.এ.এম. দিরাক প্রমূখ প্রথিতযশা পদার্থবিদদের সাহচর্য্য পান। ১৯২৭ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। লেইডেন এবং জুরিখের বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলোয় সংক্ষিপ্ত পরিদর্শন শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন ওপেনহেইমার। এরপর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যাপনা করেন। ১৯৩১ সালে তার মাতা মারা যান। ফলে তিনি বাবার কাছাকাছি ছিলেন নিয়মিতভাবে ক্যালিফোর্নিয়া ভ্রমণ করতেন। ১৯৩৭ সালে মারা গেলে তিনি তার ভাই ফ্রাঙ্ক $৩৯২,৬০২ মার্কিন ডলার প্রাপ্ত হন। তিনি তার নিজের সমূদয় অংশ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শিক্ষার্থীদের বৃত্তির জন্য একটি দলিল সম্পাদন করেন। == রাজনৈতিক জীবন == ১৯২০-এর দশকে ওপেনহেইমার নিজেকে বৈশ্বিক বিষয়াবলী থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন ওপেনহেইমার। সংবাদপত্র পাঠ করা কিংবা রেডিও শোনায় আগ্রহবোধ হয়নি তার। কেবলমাত্র আর্নেস্ট লরেন্সের সাথে হাঁটার সময় ১৯২৯ সালের ওয়াল স্ট্রীট বিপর্যয়ের কথা ছয় মাস পর শুনেছেন। এছাড়াও, তিনি ১৯৩৬ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত কোন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। কিন্তু ১৯৩৪ সালের পরই তিনি রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। নাজি জার্মানি থেকে চলে আসা জার্মান পদার্থবিদদের জন্যে নিজ বেতনের তিন শতাংশ পরিমাণ সমমানের বার্ষিক $১০০ ডলার অর্থ তাদের সহায়তার জন্যে প্রদান করেছেন। ১৯৩৪ সালে ওয়েস্ট কোস্ট ওয়াটারফ্রন্ট স্ট্রাইকে তিনি এবং মেলবা ফিলিপস, বব সার্বারসহ তার কতিপয় ছাত্র মিছিলে অংশ নেন। ওপেনহেইমার সার্বারকে পুণঃপুণঃ বার্কলেতে একটি পদে ঢোকানোর চেষ্টা চালালে বার্জ কর্তৃক আটকানো হয়। বার্জ মনে করেন যে, 'একজন ইহুদীই বিভাগের জন্যে যথেষ্ট।' জার্মানিতে অ্যাডলফ হিটলারের উত্থানের পরপরই তিনি রাজনীতিতে আগ্রহান্বিত হন। ১৯৩৬ সালে স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় প্রজাতন্ত্রটির পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। সময় তিনি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবান্বিত হয়েছিলেন। ১৯৩৭ সালে তার পিতার মৃত্যুর ফলে তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠনে যুক্ত হন। জোসেফ স্টালিনের নিয়ন্ত্রণাধীন রুশ বৈজ্ঞানিকগণ তার সদস্যপদ কেড়ে নেয়। এরপর তিনি আর কখনো সংগঠনে যুক্ত হননি। একই সময়ে তিনি জোরপূর্বক সাম্যবাদ গণতান্ত্রিক দর্শনে প্রবেশ করেন। == ম্যানহাটন প্রকল্প == ১৯৩৯ সালে নাজি জার্মানি কর্তৃক পোল্যান্ড দখল করা হয়। বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এবং লিও জিলার্ড মার্কিন সরকারকে সতর্ক করে দেন যে যদি নাজিরা পারমাণবিক বোমা তৈরী করে তাহলে তা সমগ্র মানবজাতির জন্য ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। প্রেক্ষিতে ওপেনহেইমার প্রকৃতিপ্রদত্ত ইউরেনিয়াম থেকে ইউরেনিয়াম-২৩৫ পৃথকীকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। কেননা, ধরনের পারমাণবিক বোমা নির্মাণের জন্যে ইউরেনিয়াম-২৩৫ প্রয়োজন। আগস্ট, ১৯৪২ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনী ব্রিটিশ এবং মার্কিন পদার্থবিদদের নিয়ে পারমাণবিক শক্তির সন্ধানে সংস্থা গঠনের চেষ্টা চালায় যা পরবর্তীকালে ম্যানহাটন প্রকল্প নামে পরিচিত। এর কর্মপন্থা নির্ধারণে ওপেনহেইমারকে প্রকল্প গঠন এবং ল্যাবরেটরির প্রশাসকরূপে মনোনীত করা হয়। ১৯৪৩ সালে নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের সান্তা ফে'র নিকটবর্তী লস অ্যালামোজ এলাকাকে নির্ধারণ করেন। উল্লেখ্য এলাকাটিতে ওপেনহেইমার তার শৈশবকাল অতিক্রম করেন একটি বোর্ডিং স্কুলে। জার্মানির আত্মসমর্পণের পর ১৬ জুলাই, ১৯৪৫ সালে বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রচেষ্টায় নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের আমোগোর্ডো এলাকায় প্রথম আণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে ওপেনহেইমার তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। ১৯৪৭ সালে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি'র প্রধান হন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সাধারণ পরামর্শক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কমিটিই ১৯৪৯ সালে হাইড্রোজেন বোমা নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের পরপরই অক্টোবর, ১৯৪১ সালে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট আণবিক বোমা নির্মাণে আপদকালীন প্রকল্প অনুমোদন করেন। মে, ১৯৪২ সালে জাতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা কমিটির সভাপতি জেমস বি. কন্যান্ট প্রকল্পের প্রধান হিসেবে রবার্ট ওপেনহেইমারকে নিযুক্ত করেন। ইউরোপীয় পদার্থবিদ তার ছাত্র রবার্ট সারবার, এমিল কোনোপিনস্কি, ফেলিক্স ব্লচ, হান্স বেটে এবং এডওয়ার্ড টেলারকে নিয়ে আণবিক বোমার জন্যে কি কি করতে হবে তার হিসাব এবং কি কি স্তরে সাজাতে হবে তার নির্দেশনা দেন। == নিরাপত্তা শুনানী == জে. এডগার হুবারের পরিচালনায় এফবিআই বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব থেকেই ওপেনহেইমারকে অনুসরণ করে আসছিল। বার্কলেতে সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার সাথে সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ এবং কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে তার ভাই ''ক্যাথেরিন পিউনিং হ্যারিসন'' নামীয় স্ত্রীর সাথে তার নৈকট্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিই এর প্রধান কারণ। ১৯৪০-এর দশকের শুরুতে তাকে তার বাড়ি এবং অফিসে পর্যবেক্ষণ করা হতো, ফোনে নজরদারী এবং ডাক যোগাযোগে ব্যবহৃত চিঠিও খোলা হতো। এছাড়াও, রাজনৈতিক শত্রুরূপে বিবেচিত আণবিক শক্তি সংস্থার সদস্য লুইজ স্ট্রজ কর্তৃক তাকে হাইড্রোজেন বোমা উদ্ভাবনে নিষ্ক্রিয়তা; স্ট্রজের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ রফতানীতে বিরুদ্ধাচরণকে 'ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ভিটামিনের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ' বাক্য প্রয়োগকেও এর জন্যে দায়ী করা হয়। ব্যাপারটি অস্পষ্টই রয়ে গেছে যে, ওপেনহেইমার ১৯৪২ সালে কিছুসংখ্যক বন্ধুদের সাথে আণবিক অস্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। তার উক্ত বন্ধুবর্গ সোভিয়েত সরকারের গুপ্তচরবৃত্তির সাথে জড়িত ছিল। ঘটনাই পরবর্তীকালে ক্যালিফোর্নিয়া এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ১৯৫৪ সালে নিরাপত্তাবিষয়ক শুনানীতে আলোচনায় অংশগ্রহণকে তিনি ''মিথ্যায় ভরপুর'' নামে আখ্যায়িত করেন। ২১ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত মার্কিন সামরিক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্যতা এবং অতীতে কমিউনিস্টদের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে। এছাড়াও, সোভিয়েত গুপ্তরচদের সাথে সম্পর্ক বজায় হাইড্রোজেন বোমা নির্মাণে বাঁধার কথা তুলে ধরা হয়। নিরাপত্তা শুনানীতে স্পষ্টভাবে অভিযুক্ত করা যায়নি। কিন্তু, সামরিক নিরাপত্তা বিষয়ে তার অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। এরফলে তার সাথে পারমাণবিক শক্তি কমিশনের পরামর্শক পদের চুক্তিনামা বাতিল করা হয়। ঘটনাটি ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে। ম্যানহাটন প্রকল্পে কর্মরত ৪৯৩ জন বিজ্ঞানী একযোগে স্বাক্ষর সহকারে তাদের প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করে। ওয়ার্নার ভন ব্রাউন কংগ্রেসনাল কমিটিকে ওপেনহেইমারের মতামতকে সংজ্ঞায়িত করেছেন 'যদি ইংল্যান্ডে তার মতামত প্রকাশ করা হতো, তাহলে তিনি নাইট পদবীধারী হতেন।' আমেরিকার বিজ্ঞানীদের সংগঠন দ্রুততার সাথে তার সাহায্যে এগিয়ে আসে এবং বিচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘটায়। ফলে রবার্ট ওপেনহেইমার বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের প্রতীকিতে পরিণত হন যিনি বৈজ্ঞানিকদের আবিষ্কারের সাথে নৈতিকতাজনিত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়েছেন প্রেতাত্মাদের শিকারে পরিণত হয়েছেন। জীবনের বাকী দিনগুলোয় তিনি বিজ্ঞান এবং সমাজের মধ্যকার সম্পর্ক নির্ণয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যান। ২০ মে, ২০০৯ তারিখে উড্রো উইলসন ইনস্টিটিউটে একটি সেমিনারে কেজিবি'র সংগ্রহশালা থেকে ভাসিলিয়েভের নোটবইয়ের উপর ব্যাপক বিশ্লেষণ করা হয়। জন আর্ল হেনেজ, হার্ভে ক্লের এবং আলেকজান্ডার ভাসিলিয়েভের মতে ওপেনহেইমার কখনো সোভিয়েত ইউনিয়নে তথ্য পাচারের সাথে জড়িত ছিলেন না। তবে কেজিবি প্রাণপনে চেষ্টা করেছিল তাকে দলে টেনে নেয়ার জন্যে। কিন্তু তারা কখনো সফলকাম হয়নি। ওপেনহেইমার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। বরঞ্চ ম্যানহাটন প্রকল্প থেকে অনেক লোককে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ আচরণের জন্যে বের করে দিয়েছেন তিনি। == সম্মাননা == ১৯৬৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন ওপেনহেইমারকে আণবিক শক্তি কমিশনের প্রদেয় এনরিকো ফার্মি পুরস্কার প্রদান করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ইনস্টিটিউট ফর স্টাডি থেকে অবসর নেন। এর পরের বছরই গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেহাবসান ঘটে তার। বৈজ্ঞানিক হিসেবে ওপেনহেইমার তার ছাত্র এবং সহকর্মীদের কাছে প্রথিতযশা গবেষক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। শিক্ষকতা পেশায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি আধুনিক তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রয়েছেন। কারণ তার বৈজ্ঞানিক বিষয়াবলী প্রায়শঃই দ্রুততার সাথে পরিবেশ পাল্টে দিতো। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয়ে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থাকেননি; ফলে তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্যতা অর্জন করেননি। তারপর কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কীয় তত্ত্বটি পুরস্কারের দাবীদার হতো যদি তিনি বেঁচে থাকতেন যা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। ৬৭০৮৫ ওপেনহেইমার নামীয় একটি তারাকে তার সম্মানে নামাঙ্কিত করা হয়। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == এডওয়ার্ড টেলার নিকিতা ক্রুশ্চেভ হেনরি কিসিঞ্জার রিচার্ড ফাইনম্যান ভের্নার কার্ল হাইজেনবের্গ এডওয়ার্ড মিল্‌স পারসেল চেন নিং ইয়াং ফার্মি হেঁয়ালি সিন-ইতিরো তোমোনাগা ম্যানহাটন প্রকল্প উইলিস ল্যাম্ব হান্স বেটে == বহিঃসংযোগ == Biography and online exhibit created for the centennial of his birth PBS American Experience ''The Trials of J. Robert Oppenheimer'' Was Oppenheimer member of the Communist Party? documents on the question On Atomic Energy, Problems to Civilization audio file of UC Berkeley talk, November 1946 Oppenheimer talking about the experience of the first bomb test (video file, "Now am become death, destroyer of worlds.") Scanned and declassified government documents relating to the Oppenheimer Hearings and H-Bomb decision জন্ম মৃত্যু ইহুদি শিক্ষাবিদগণ কলেজ, ক্যামব্রিজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানী বিশ্বযুদ্ধের মার্কিন মানুষ বংশোদ্ভূত মার্কিন মানুষ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অনুষদ বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সিতে ক্যান্সারে মৃত্যু ফের্মি পুরস্কার প্রাপক Culture Fieldston School alumni সোসাইটির বিদেশী সদস্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী for Advanced Study faculty of the Institute for Advanced Study অজ্ঞানবাদী মার্কিন বিজ্ঞানী প্রকল্পের মানুষ বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে মানুষ for Merit recipients অজ্ঞানবাদী পদার্থবিজ্ঞানী of California, Berkeley faculty প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিজ্ঞানী প্রকৌশলী of the Légion d'honneur পদার্থবিদ দার্শনিক সোসাইটির সদস্য'''ফ্রান্সেস্ক ‘‘টিটো’’ ভিলানোভা বায়ো''' (; ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ ২৫ এপ্রিল ২০১৪) একজন প্রাক্তন স্পেনীয় ফুটবলার এবং ম্যানেজার। তিনি মূলত মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতেন। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় সেল্তা দে বিগোর হয়ে তিনটি মৌসুমে ২৬টি খেলায় মাঠে নেমেছিলেন ভিলানোভা। পেশাদার খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার শেষ করে তিনি পেপ গার্দিওলার অধীনে বার্সেলোনার সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। চার বছরে ১৪টি শিরোপা জিতা দলের অংশ ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে গার্দিওলার প্রস্থানের পর তিনি বার্সেলোনার ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথম মৌসুমেই তার অধীনে দল লা লিগা শিরোপা জিতে। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে, অসুস্থতার কারণে তিনি ম্যনেজারের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর ১০ মাস পর ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল তিনি মৃত্যু বরণ করেন। == খেলুড়ে ক্যারিয়ার == ১৯৯০ সালে, বার্সেলোনার যুব প্রকল্প থেকে বের হওয়ার পর, প্রথম দলে বেশি জায়গা না পাওয়ায় ভিলানোভা দল ছেড়ে দেন। ১৯৯১–৯২ মৌসুমে, তিনি স্থানীয় তৃতীয় সারির দল ফিগুয়েরেসে যোগদান করেন। পরের মৌসুমে, তিনি প্রথম সারির দল সেল্টা ভিগোতে যোগ দেন। দলে তিনটি মৌসুম কাটালেও, তাকে খুব কমই মাঠে নামতে দেখা যায়। ১৯৯৫ সালে, ভিলানোভা দ্বিতীয় সারির দল বাদায়োজ-এ যোগ দেন এবং ৩৩ খেলায় গোল করেন। ১৯৯৬–৯৭ মৌসুমে টিটো যোগ দেন মায়োর্কায়। সেখানে তিনি ১০ খেলায় শূন্য গোল করেন। এছাড়া, তিনি লেইদা এলচে ক্লাবের হয়েও খেলেন। সর্বশেষ ২০০০–০১ মৌসুমে গ্রেমনেটের হয়ে খেলে ভিলানোভা অবসর গ্রহণ করেন। লেইদাতে খেলার সময়, ১৯৯৮ কোপা কাতালুনিয়ায়, বার্সেলোনার বিপক্ষে একটি খেলায় মাঠে নামেন ভিলানোভা। খেলায় বার্সেলোনার তৎকালীন প্রধান কোচ লুইস ফন গালের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করেন তারই সহকারি জোসে মরিনহো। খেলায় টিটো একটি গোল করেন। এতে করে, ম্যানেজার হিসেবে মরিনহোর বিপক্ষে, প্রথম গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। == কোচিং ক্যারিয়ার == ২০০৩–০৪ মৌসুমে স্পেনের চতুর্থ লীগের দল এফসি প্যালাফ্রুগেলের কোচ হিসেবে ভিলানোভা তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্যালাফ্রুগেল তখন কাতালান লীগে অবনমন আতঙ্কে ভুগছিল। তেরেসা এফসি-তে টেকনিক্যাল পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর তাকে বার্সেলোনা বি দলে গার্দিওলার অধীনে সহকারি ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়, দলটি তখন চতুর্থ সারিতে খেলছিল। ২০০৮ সালের গ্রীষ্মে, বার্সেলোনা বি দলকে তৃতীয় সারিতে উন্নীত করিয়ে দিলে, গার্দিওলাকে ফ্রাংক রাইকার্ডের পরিবর্তে মূল দলের প্রধান ম্যানেজার ভিলানোভাকে জোহান নেস্কেনস-এর পরিবর্তে সহকারি ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্যাম্প ন্যুতে তার প্রথম মৌসুম ছিল বার্সেলোনার ইতিহাসে সেরা মৌসুম। মৌসুমে বার্সেলোনা প্রথম স্পেনীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জেতে। এছাড়াও এক পঞ্জিকাবর্ষে সম্ভাব্য ছয়টি শিরোপার সবকয়টিই জেতে তারা। ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল, সংবাদ সম্মেলনে বার্সেলোনা গার্দিওলার প্রস্থান নিশ্চিত করে, এর সাথে তারা ভিলানোভাকে গার্দিওলার উত্তরসূরি ঘোষণা করে। ১৫ জুন, ভিলানোভা বার্সার সাথে দুই বছরের চুক্তি সাক্ষর করেন। ২৫ এপ্রিল ২০১৪ অনুসারে। দল কার্যকাল শুরু কার্যকাল শেষ রেকর্ড বার্সেলোনা জুলাই ২০১২ ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ বার্সেলোনা জানুয়ারি ২০১৩ ২৩ জানুয়ারি ২০১৩ বার্সেলোনা এপ্রিল ২০১৩ ১৯ জুলাই ২০১৩ মোট == সম্মাননা == === সহকারী === ;বার্সেলোনা লা লিগা: ২০০৮–০৯, ২০০৯–১০, ২০১০–১১ কোপা দেল রে: ২০০৮–০৯, ২০১১–১২ স্পেনীয় সুপার কাপ: ২০০৯, ২০১০, ২০১১ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ: ২০০৮–০৯, ২০১০–১১ উয়েফা সুপার কাপ: ২০০৯, ২০১১ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: ২০০৯, ২০১১ === ম্যানেজার === ;বার্সেলোনা লা লিগা: ২০১২–১৩ === একক === মিগুয়েল মুনোজ ট্রফি: ২০১২–১৩ == স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যু == ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর, বার্সেলোনা প্রকাশ করে, ভিলানোভা দ্বিতীয়বারের মত প্যারোটিড লালাগ্রন্থির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। তার রোগ প্রথম নির্ণয় করা হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে, ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর। ২০ ডিসেম্বর, ভিলানোভার অস্ত্রোপচার করা হয় এবং এরপর তাকে ছয় সপ্তাহ ধরে কেমোথেরাপি রেডিওথেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়। সময়ে তার পরিবর্তে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তার সহকারী জর্দি রাউরা। ২৫ মার্চ ভিলানোভা স্পেনে ফিরে আসেন। ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই, শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ভিলানোভা বার্সেলোনার ম্যানেজারের পদ থেকে ইস্তফা দেন। ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল, ক্যান্সার জটিলতার কারণে ভিলানোভা মৃত্যু বরণ করেন। এর এক সপ্তাহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == এফসি বার্সেলোনা প্রোফাইল BD Futbol প্রোফাইল Transfermarkt প্রোফাইল বার্সেলোনা ম্যানেজার জন্ম মৃত্যু ফুটবলার ফুটবলার মধ্যমাঠের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লা লিগা খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:লা লিগা ম্যানেজার ফুটবল ম্যানেজার দিভিশন ফুটবলার দিভিসিওন বি ফুটবলার বার্সেলোনা অ্যাথলেটিক ফুটবলার দে বিগো ফুটবল খেলোয়াড় বাদাহোস খেলোয়াড় মায়োর্কা ফুটবল খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:ইউএ গিয়েদা ফুটবল খেলোয়াড় সিএফ খেলোয়াড় গ্রেইমনেট ফুটবল খেলোয়াড়ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড এগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড''' এর সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে "সাবিনকো"। এটি বাংলাদেশ সৌদী আরবের মধ্যকার একটি যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানী, যার অংশীদারীত্ব উভয় পক্ষের ক্ষেত্রেই অর্ধাংশ (৫০ ৫০) করে। == প্রতিষ্ঠার ইতিহাস == বাংলাদেশ কোম্পানী এ্যাক্ট ১৯২৩ অনুসারে এটি ১৯৮৪ সালে ২৪ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। সাবিনকো ১৯৮৬ সাল থেকে এদেশে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। ফিনান্সিয়াল ইনিস্টিটিউশন এ্যাক্ট ১৯৯৩ অনুসারে ১৯৯৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট থেকে নন-ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল ইনিস্টিটিউশন হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার লাইসেন্স লাভ করে। == লক্ষ্য উদ্দেশ্য == এর মূল লক্ষ্য বাংলাদেশে শিল্প কৃষি ভিত্তিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরী এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। == কার্যক্রম == এই প্রতষ্ঠানটির পেইড আপ মূলধন ৬০ মিলিয়ন ডলার। এর প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে: সৌদি বাংলা ফিস ফিড লিমিটেড == আরও দেখুন == == বহি:সংযোগ == অফিসিয়াল ওয়েব সাইট বাংলাপিডিয়ায় ইংরেজী ভার্সন == তথ্যসূত্র == আর্থিক প্রতিষ্ঠান'''সৈয়দ হামজা''' (জন্ম: ১৭৫৫ মৃত্যু: ১৮১৫) সপ্তদশ শতাব্দীর একজন বাঙালি কবি সাহিত্যিক। তিনি পুথিঁ সাহিত্যিক হিসেবে সমধিক পরিচিত। ==জন্ম== সৈয়দ হামজা পশ্চিমবঙ্গ এর হুগলি জেলার ভুরশুট পরগনার উদনা গ্রামে সৈয়দ হামজার পৈতৃক নিবাস ছিল। == সাহিত্যকীর্তি == ''মধুমালতী'' (১৭৮৮) পুথিঁ (বাংলা) ''আমীর হামজা'' (১৭৯৫) ''হাতেম তাই'' == বহি:সংযোগ == বাংলাপিডিয়ায় ইংরেজী ভার্সন == তথ্যসূত্র == কবি জন্ম মৃত্যু সাহিত্য'''সিন্ধু হিন্দোল''' কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে এই গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা "বাহার নাহার"-কে (হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী শামসুন নাহার) উৎসর্গ করেন। == কবিতার তালিকা == সিন্ধুঃ প্রথম তরঙ্গ সিন্ধুঃ দ্বিতীয় তরঙ্গ সিন্ধুঃ তৃতীয় তরঙ্গ গোপন প্রিয়া অনামিকা বিদায় স্মরণে পথের স্মৃতি উন্মনা অতল পথের যাত্রী দারিদ্র্য বাসন্তি ফাল্গুনী মঙ্গলাচরণ বধু-বরণ অভিযান রাখী-বন্ধন চাঁদনী-রাতে মাধবী-প্রলাপ দ্বারে বাজে ঝঞ্জার জিঞ্জির == তথ্যসূত্র == নজরুল ইসলামের রচনা'''শ্রীশচন্দ্র (জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৩ মৃত্যু: ?, ১৯৬৬) ছিলেন তদানীন্তন পাকিস্তান গণ-পরিষদের সদস্য। একাধারে তিনি ছিলেন শিক্ষক, আইনজীবি, ভারতবিভাগ প্রস্তাবের ঘোরবিরোধী। ঢাকার চুরাইন (সম্ভবতঃ জুরাইন) এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল নবীনচন্দ্র। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতবর্ষে চলে যান। তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভাবধারায় প্রভাবান্বিত ছিলেন। হিন্দু জাতিভেদ প্রথা ছুঁৎমার্গের ঘোর বিরোধী ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে বন্যা, দুর্ভিক্ষ এবং মহামারীতে সেবাকাজে জড়িয়েছেন নিজেকে। প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তার তথা গান্ধীজীর পরিকল্পিত বুনিয়াদী শিক্ষা-প্রসারে ব্যাপক উৎসাহী ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। == প্রারম্ভিক জীবন == ১৮৯৩ সালে নারায়ণগঞ্জ স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে ঢাকা জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৮৯৫ সালে এফ.এ., ১৮৯৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বি.এ. ১৯০৪ সালে বি.এল. পাশ করেন। কলেজ জীবনে বিপ্লবী অনুশীলন দলের ব্যায়াম সমিতিতে যোগ দিয়েছিলেন। অতঃপর ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে নারায়ণগঞ্জ স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। সেখানে তিনি ইতিহাস গণিত বিষয় পড়াতেন। তারপর থেকে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে সক্রিয় হন। ঢাকা ষড়যন্ত্র, বরিশাল ষড়যন্ত্র গৌহাটি গুলিবর্ষণ মামলায় উকিলরূপে আসামীপক্ষ সমর্থন করেন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে আইন ব্যবসায় ছেড়ে দেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসকে স্বরাজ্য দল গঠনে প্রভূতঃ সাহায্য করেন। == রাজনৈতিক জীবন == ১৯২৬ সালে একটি বক্তৃতার জন্য তিনি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯২৮ সালে কলকাতা কংগ্রেসে গান্ধীজীর ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস দাবি প্রস্তাবের প্রবল বিরোধিতা করেন। ১৯৩২ সালে পুণরায় ডুর্নো গুলিবর্ষণ মামলায় তাকে আবারো কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ১৯৩৫ সালে ঢাকা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৪২ সালে ভারত-ছাড় আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। ভারতবিভাগ প্রস্তাবের ঘোরতর বিরোধিতা করেছেন। ভারত বিভাজনের পর তিনি পাকিস্তানে থেকে যান। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান গণ-পরিষদের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তানের প্রতিনিধিরূপে বিভিন্ন বৈদেশিক সম্মেলনে যোগ দেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু ব্যক্তি বিপ্লবী কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''পাবলো হাভিয়ের জাবালেতা হিরোদ''' (; জন্ম ১৬ জানুয়ারি ১৯৮৫) একজন আর্জেন্টাইন ফুটবলার, যিনি রাইট ব্যাক হিসেবে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলে খেলেন। জাবালেতা উভয় দলের হয়েই ফুল ব্যাক হিসেবে খেলেন এবং মাঠে নিজের অনমনীয় খেলার ধরনের কারণে সুপরিচিত। == ক্লাব কর্মজীবন == === সান লরেঞ্জো === জাবালেতার জন্ম আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ক্লাব আতলেতিকো সান লরেঞ্জো দেল আলমাগ্রোতে। ২০০২ সালে তিনি দলের যুব একাডেমী থেকে বের হন। ১২ বছর বয়সে তিনি স্থানীয় ক্লাব অব্রাস সানিতারিয়াসের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে শুরু করলেও, পরবর্তীতে তিনি মাঝমাঠের ডান পার্শ্বে চলে যান। === এস্পানিয়োল === ২০০৫ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপরই তিনি মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে যোগ দেন আরসিডি এস্পানিয়োলে। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে, জাবালেতা কাঁধের ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। ফলে তাকে প্রায় তিন মাস মাঠের বাহিরে থাকতে হয়। অবশ্য ততদিনে তিনি নিজেকে প্রথম একাদশের একজন নিয়মিত সদস্যে পরিণত করেন। === ম্যানচেস্টার সিটি === চিত্র:Pablo Zabaleta ready to throw vs সিটির হয়ে খেলছেন জাবালেতা। ২০০৮ সালের গ্রীষ্মে জুভেন্টাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জাবালেতা যোগ দেন প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার সিটিতে। সম্পর্কে তিনি বলেন, “ম্যানচেস্টার সিটির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা অসম্ভব।” মেডিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট জাবালেতা সিটির সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সিটিতে জাবালেতার যোগদানের পরের দিনই আবু ধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ ক্লাবটিকে কিনে নেয়। ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ম্যানচেস্টার সিটিতে জাবালেতার অভিষেক হয়। সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে চেলসির বিপক্ষে খেলায় সিটি ১–৩ গোলে পরাজিত হয়। অক্টোবর, লিভারপুলের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লীগে নিজের চতুর্থ খেলায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জাবালেতাকে। খেলায় সিটি ২–৩ গোলে পরাজিত হয়। ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি, সিটির হয়ে প্রথম গোল করেন জাবালেতা। তার একমাত্র গোলেই উইগান অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে জয় লাভ করে সিটি। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর, ফুলহামের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৪–১ গোলে জয়ের খেলায় জাবালেতা একটি গোল করেন যা প্রিমিয়ার লীগে তার দ্বিতীয় গোল। খেলায় তিনি কার্লোস তেবেসের একটি গোলে সহায়তাও করেন। ২০১১ সালের জানুয়ারি, সিটির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় নিজের ১০০তম খেলায় বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জাবালেতা। ব্ল্যাকপুলের বিপক্ষে খেলায় সিটি ১–০ গোলে জয় লাভ করে। ১৫ জানুয়ারি, উভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে জাবালেতা একটি গোলে সহায়তা করেন। খেলায় ৪–৩ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে সিটি। এই জয়ের ফলে লীগে শীর্ষস্থানে উঠে আসে সিটি। অবশ্য ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে ফর্মহীনতার কারণে লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে তারা। ২০১১ সালের মে, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে সিটির হয়ে জয়সূচক গোল করেন জাবালেতা। এটি ছিল মৌসুমে তার দ্বিতীয় গোল এবং এই জয়ের ফলে চতুর্থ স্থান লাভের দৌড়ে লিভারপুল এবং টটেনহ্যামের চেয়ে সাত পয়েন্ট এগিয়ে যায় সিটিজেনরা। ২০১১ সালের ১৪ মে, এফএ কাপের ফাইনালে খেলায় ৮৮তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন জাবালেতা। স্টোক সিটিকে ১–০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১১ সালের গ্রীষ্মে, প্রকাশিত হয় যে ফরাসি ক্লাব রোমা জাবালেতার সাথে চুক্তি করতে আগ্রহী। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় যে জাবালেতা বিক্রয়ের জন্য নয়। ২০১১ সালের জুলাইয়ে, জাবালেতা সিটির সাথে তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করে। ২০১১ সালের অক্টোবর, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলেন এবং ম্যানচেস্টার সিটি ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২৩ অক্টোবর, নগর প্রতিদ্বন্দী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিটিজেনদের ১–৬ গোলে জয়ের খেলায় মিকাহ্ রিচার্ডসের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জাবালেতা। ২০১১ সালের নভেম্বরে, জাবালেতা সিটির সাথে তার চুক্তির মেয়াদ ২০১৫ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত বাড়িয়ে নেন। সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি খুব ভাল একটি দলে আছি, এবং আমি ক্লাব, দল এবং সমর্থকদের জন্য আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা করিনি, খুব দ্রুতই উত্তর দিয়েছি কারণ আমি চুক্তি করতে খুবই আগ্রহী ছিলাম।” ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল, ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট খেলেন জাবালেতা খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ১–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। মৌসুমের শেষ খেলায় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩–২ গোলের নাটকীয় জয় পায় সিটি। সিটির পক্ষে প্রথম গোলটি করেন জাবালেতা। এই জয়ের ফলে ১৯৬৮ সালের পর প্রথম বারের মত প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জিতে ম্যানচেস্টার সিটি। ডিসেম্বর ২০১২ এবং জানুয়ারি ২০১৩ উভয় মাসের জন্যই ম্যানচেস্টার সিটির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন জাবালেতা। এছাড়া জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভিনসেন্ট কোম্পানির ইনজুরির সময় তিনি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২–১৩ মৌসুমের পিএফএ বর্ষসেরা দলে জায়গা করে নেয়া ম্যানচেস্টার সিটির একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন জাবালেতা। ২০১৩ এফএ কাপের ফাইনালে, খেলার ৮৪তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জাবালেতাকে। খেলায় উইগান ১–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। ফলে শিরোপা হাতছাড়া হয় সিটিজেনদের। একটি দূর্দান্ত মৌসুম কাটানোর পর জাবালেতা ২০১২/১৩ ইতিহাদ ম্যানচেস্টার সিটি এফসি বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। == আন্তর্জাতিক কর্মজীবন == চিত্র:Ricardo Quaresma (L), Pablo Zabaleta (R) Portugal vs. Argentina, 9th February হয়ে খেলছেন জাবালেতা। ১৪ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পান জাবালেতা। তিনি অসংখ্য যুব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে রয়েছে ২০০৩ এবং ২০০৫ সালের ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ২০০৫ সালের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় অর্জেন্টিনা। যুব দলগুলোর হয়ে ৭৫টি খেলায় মাঠে নামেন জাবালেতা এবং ২০০৫ সাল থেকে সিনিয়র দলের হয়ে খেলছেন তিনি। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ফুটবলে স্বর্ণপদক জয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। অবশ্য ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য দিয়েগো মারাদোনার ঘোষিত আর্জেন্টিনা দলে তিনি ছিলেন না। তবে বর্তমানে তিনি নিজেকে দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত করেছেন। ২০১১ সালের জুন, নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায় জাবালেতা প্রথম বারের মত আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। == ব্যক্তিগত জীবন == জাবালেতার জন্ম আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে। শৈশবে তার বাবা জর্জ তাকে ফুটবলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তার বয়স যখন ১৫ তখন তার মা মারা যান। জাবালেতার বুকে তার মা’র নাম লেখা একটি ট্যাটু আছে। ২০১১ সালে, জাবালেতার বাবা আর্জেন্টিনায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। ফলে ম্যানচেস্টার সিটি জাবালেতাকে অনির্দিষ্ট কালের ছুটি প্রদান করে। == কর্মজীবন পরিসংখ্যান == ১১ মে ২০১৪ অনুসারে। ক্লাব মৌসুম লীগ ঘরোয়া কাপ আন্তর্জাতিক কাপ মোট উপস্থিতি গোল 15px 15px উপস্থিতি গোল 15px 15px উপস্থিতি গোল 15px 15px উপস্থিতি গোল 15px 15px সান লরেঞ্জো ২০০২–০৩ ১১ ২০০২–০৪ ২৭ ২০০৪–০৫ ২৮ মোট ৬৬ ১৩ ৭৯ ১৩ এস্পানিয়োল ২০০৫–০৬ ২৭ ৩৯ ১০ ২০০৬–০৭ ২০ ৩২ ১৩ ২০০৭–০৮ ৩২ ১৪ মোট ৭৯ ২৮ ১২ ১৬ ১০৭ ৩৭ ম্যানচেস্টার সিটি ২০০৮–০৯ ২৮ ১১ ৪১ ২০০৯–১০ ২৭ ২০১০–১১ ২৬ ১১ ৪৫ ১০ ২০১১–১২ ২২ ৩২ ২০১২–১৩ ৩০ ৩৭ ২০১৩-১৪ ৩১ ৪৪ মোট ১৬৪ ৩২ ৩১ ৩৮ ২৩৩ ৪৩ '''কর্মজীবনে সর্বমোট''' ৩০৯ ১৯ ৬২ ৪২ ৫৯ ১৫ ৪১০ ২০ ৯৩ == সম্মাননা == === ক্লাব === ;স্যান লরেঞ্জো দি অ্যালমাগ্রো কোপা সুদামেরিকানা: ২০০২ ;আরসিডি ইস্প্যানিয়োল কোপা দেল রে: ২০০৫–০৬ ;ম্যানচেস্টার সিটি প্রিমিয়ার লীগ: ২০১১–১২ এফএ কাপ: ২০১০–১১; রানার-আপ ২০১২–১৩ এফএ কমিউনিটি শিল্ড: ২০১২ === আন্তর্জাতিক === ;আর্জেন্টিনা অলিম্পিক স্বর্ণপদক: ২০০৮ === একক === প্রিমিয়ার লীগ পিএফএ বর্ষসেরা দল: ২০১২–১৩ ইতিহাদ বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০১২–১৩ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ম্যানচেস্টার সিটি প্রোফাইল প্রিমিয়ার লীগ প্রোফাইল Trnsfermarkt প্রোফাইল জন্ম ব্যক্তি ফুটবলার ইস্প্যানিয়োল ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:লা লিগা খেলোয়াড় সিটি ফুটবলার লীগ খেলোয়াড় ফুলব্যাক গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলার কোপা আমেরিকার খেলোয়াড় ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়'''রেদওয়ান রনি''' বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য টিভি নাটক চলচ্চিত্র পরিচালক নির্মাতা। তিনি নাটক এবং ছায়াছবি নির্মাণ করেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ''চোরাবালি'' মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। == জন্ম শিক্ষাজীবন == রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করার পর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। == ব্যাক্তিগত জীবন == রেদওয়ান রনি ২১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম আয়েশা প্রেমা। == কর্মজীবন == ''রেদওয়ান রনি'' নিয়মিত ভাবে নির্মাণ করছেন নাটক, ছায়াছবি। এককভাবে তার প্রথম কাজ টেলিফিল্ম উড়োজাহাজ’। এটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১১ সালে নির্মাণ শুরু করেন তার প্রথম পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চোরাবালি। অপরাধ থ্রিলার ধারার এই চলচ্চিত্রটি ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর, দর্শক মহলে দারুন সাড়া ফেলে এটি। কিন্তু, কয়েকটি বিষয় দৃশ্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের তোপের মুখেও পড়তে হয়। এমনকি শেষ দৃশ্যে পুরনো দিনের চলচ্চিত্রের একঘেয়েমীর সমালোচনার ফলে তিনি সেই দৃশ্যটি বাদ দিয়ে নতুন দৃশ্য সংযোজন করে পুনরায় মুক্তি দেন। == উল্লেখযোগ্য নাটক == টেলিভিশনে মোট নাটকের সংখ্যা এক পর্ব টিভি ড্রামা, টেলিফিল্ম ছোট বড় ধারাবাহিক সব মিলিয়ে ১০০'র বেশি। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য: হাউসফুল এফএনএফ রেডিও চকলেট == উল্লেখযোগ্য ছায়াছবি == চোরাবালি ২০১২ মরিচিকা (নির্মাণাধীন তে তুই রাজাকার (চলচ্চিত্র) নির্মাণাধীন আইসক্রিম- ২০১৬ ==টিভি ড্রামা টেলিফিল্ম== উড়োজাহাজ তালা শুনছেন একজন রেডিও জকির গল্প জননী সাহসিনী ১৯৭১ এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি (যৌথ পরিচালনা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাথে) প্রুফ রিডার বেহালা উচ্চতর শারীরিক বিগ্গান ভালোবাসা ১০১ ==বিশেষ ধারাবাহিক ৫-৭ পর্ব )== বিহাইন্ড দ্য সিন মানিব্যাগ বাঘবন্দি ==দীর্ঘ ধারাবাহিক== হাউসফুল এফএনএফ == পুরস্কার সম্মাননা == শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১২ বেস্ট ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার ২০০৯ টিভি হাউসফুল বাংলাদেশ কালচারাল রিপোটার্স এসোসিয়েশন (বিসিআরএ) অ্যাওয়ার্ড বেস্ট ডিরেক্টর অব দ্য ইয়ার ২০১ -( চলচ্চিত্র) চোরাবালি কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজিএফবি) অ্যাওয়ার্ড == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == ব্যক্তি পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক পুরস্কার বিজয়ী'''বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ''' বিভিন্ন সময়ে দেশ বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ করে থাকে। পর্যন্ত যারা বাংলা একডেমি ফেলোশিপ পেয়েছেন তাঁরা হলেন: == ফেলোশিপগণ == মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, কবি গোলাম মোস্তফা, কবি জসীমউদ্দীন, বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, খান বাহাদুর আহ‌্ছানউল্লা, শেখ রেয়াজউদ্দীন আহমদ, শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন, নুরন্নেছা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী, মোজাম্মেল হক, খোদাবক্স সাঁই, আরজ আলী মাতুব্বর, মজিবর রহমান বিশ্বাস, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, মনীন্দ্র নাথ সমাজদার, লুৎফর রহমান খান, প্রফেসর কামালুদ্দীন আহমদ, শিল্পী সফিউদ্দীন আহমদ, শিল্পী কামরুল হাসান, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, আবদুল আহাদ, প্রফেসর আজিজুর রহমান মল্লিক, প্রফেসর শাহ ফজলুর রহমান, প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইব্রাহীম, প্রফেসর মুহম্মদ শামস-উল হক, প্রফেসর মোহাম্মদ নূরুল হক, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, আ.ফ.মু. আবদুল হক ফরিদী, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন, ফিরোজা বেগম, কলিম শরাফী, প্রফেসর খান সারওয়ার মুরশিদ, আ.ন.ম. গাজীউল হক, প্রফেসর এ. এফ. সালাহ্উদ্দীন আহমদ, বারীণ মজুমদার, লুৎফর রহমান সরকার, আবদুল লতিফ, নূরজাহান বেগম, ওয়াহিদুল হক, প্রফেসর রেহমান সোবহান, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইদুর, আবদুল হালিম বয়াতী, আবদুল মতিন, অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ, প্রফেসর বেগজাদী মাহমুদা নাসির, প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফেরদাউস খান, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, ফেরদৌসী রহমান, প্রফেসর ডাঃ নূরুল ইসলাম, প্রফেসর ইকবাল মাহমুদ, রাহিজা খানম ঝুনু, প্রফেসর ড. এম শমশের আলী, প্রফেসর এম এইচ খান, ডা. এম কিউ কে তালুকদার, শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ মহাথের, ড. উইলিয়ম রাদিচে, কাজী আজহার আলী, অধ্যাপক কাজী আবদুল ফাত্তাহ্, অধ্যাপক ডা. টি. এ. চৌধুরী, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, প্রফেসর ড. এম ইন্নাস আলী, প্রফেসর ড. এ. এম. হারম্নন অর রশীদ, প্রফেসর ড. মোজাফ্ফর আহমদ, শিল্পী মু. আবুল হাশেম খান, শিল্পী সোহরাব হোসেন, প্রকৌশলী ড. নূরম্নদ্দীন আহমদ, প্রকৌশলী ড. মোঃ কামরম্নল ইসলাম, অধ্যাপক মুশার্রফ হোসেন, শিল্পী সুধীন দাশ, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক সোহ্রাবউদ্দিন আহ্মদ, প্রফেসর নজরম্নল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, অধ্যাপক অমলেশ চন্দ্র মন্ডল, নূরম্নল ইসলাম কাব্যবিনোদ, আমানুল হক, শিল্পী ইমদাদ হোসেন, রওশন আরা বাচ্চু, বি এম মূসা, আতাউস সামাদ, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক এ. বি. এম. আবদুল লতিফ মিয়া, ড. আকবর আলী খান, ফেরদৌসী মজুমদার, বিবি রাসেল, মুহাম্মদ হাবিবুলস্নাহ পাঠান, মোঃ আবদুস সামাদ মন্ডল, প্রফেসর কাজুও আজুমা, ক্লিনটন বুথ সিলি, আতিকুল হক চৌধুরী, প্রফেসর এ.বি.এম. হোসেন, কামাল লোহানী, জামিল চৌধুরী, ড. এনামুল হক, প্রফেসর সাহানারা হোসেন, মুসত্মাফা জামান আববাসী, রশীদ তালুকদার, রামেন্দু মজুমদার, লায়লা হাসান, ফরিদা পারভীন। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেনকে এই সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। == তথ্যসূত্র == একাডেমির সম্মানিত ফেলোএকটি থালায় বিভিন্ন ধরনের চিজ। গৌদা চিজের গোল্ডেন হুইল '''চিজ''' এক ধরনের খাবার যাতে রয়েছে প্রোটিন এবং দুধের চর্বি, সাধারণত গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়ার দুধ থেকে এটি তৈরি করা হয়। এটি দুধের প্রধান প্রোটিন কেসিন থেকে তঞ্চন বা জমাট বাঁধার মাধ্যমে তৈরি করা হয়। দুধে এনজাইম (রেনেট) যোগ করার ফলে দুধে জটবন্ধন হয়ে ছানায় পরিণত হয়। ছানাগুলোকে আলাদা করে ছেঁকে নিয়ে একত্রে করে চূড়ান্ত চিজের রূপ দেওয়া হয়। যদিও অনেক চিজের ভিতরে অথবা পুরো চিজেই মন্ড (নরম) থাকে। বিভিন্ন ধরণের চিজ দেখা যায় এবং তা শতাধিক প্রকারের হতে পারে। এদের বিভিন্ন রকমের নকশা, রঙ, স্বাদ, গন্ধ রয়েছে যা নির্ভর করে দুধের উৎস অর্থাৎ যে প্রাণীর দুধ তার খাদ্যাভাসের উপরেও নির্ভর করে। অনেক সময় অপাস্তুরিত বা পাস্তুরিত করা, চর্বির পরিমাণ, নির্দিষ্ট কোন ব্যক্টেরিয়া, কতক্ষণ যাবৎ তা প্রক্রিয়া করা হয়েছে এগুলোর উপরও চিজের ধরন নির্ভর করে। অনেকে ঘ্রাণের জন্য এতে পুদিনা পাতা বা অন্যান্য পাতা, মসলা এবং কাঠের ধোঁয়া দিয়ে থাকে। == টীকা এবং তথ্যসূত্র == ;টীকা ;তথ্যসূত্র == বহিঃসংযোগ == University of Guelph Food Science Cheese Site Cheese Making Illustrated The science behind homemade cheese. Cheese.com includes an extensive database of different types of cheese. Different classifications of cheese with notes on varieties. Fromagedumois U.S.-based Blog about different world cheeses, with an emphasis on region and preparation. Tout Un Fromage French Blog about cheese and... only cheese. পণ্য২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী বাংলা চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি ২২ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হয়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড এবং প্রধান ভুমিকায় অভিনয় করেছেন ফেরদৌস নিপুন। এছাড়াও কয়েকটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেখা চৌধুরী, রবিউল আলম, তনয় ওয়াহিদা সাবরিনা। ==শ্রেষ্ঠাংশে== ফেরদৌস ময়েজ নিপুন রেখা চৌধুরী রবিউল আলম তনয় ওয়াহিদা সাবরিনা == চলচ্চিত্র উত্সবে অংশগ্রহন == ''অন্তর্ধান'' চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে অংশ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছে। গান্ধীনগর চলচ্চিত্র উত্সব ২০১২ দিল্লির জাগরণ চলচ্চিত্র উত্সব ২০১২ পাকিস্তান চলচ্চিত্র উত্সব ২০১২ সর্বশেষ কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সব ২০১২ ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র দশকের নাট্য চলচ্চিত্র‎যুক্তরাষ্টের পরেই জিডিপি এবং ক্রয়ক্ষমতার দিক দিয়ে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনিতী। এটি বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারক এবং দ্বিতীয় আমদানিকারক দেশ। বিগত ৩০ বছর ধরে চীন প্রায় ১০% প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের মতে ২০১১ সালে চীন মাথাপিছু ভিত্তিতে সারা বিশ্বে নোমিনাল জিডিপির দিক দিয়ে ৯০ তম, এবং জিডিপির(PPP)দিক দিয়ে ৯১ তম অবস্থানে ছিল। চীনের মধ্যাঞ্চলের চেয়ে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে বেশি শিল্পায়ন হতে দেখা যায়। == অর্থনিতীর ইতিহাস == == অর্থনিতীতে সরকারের ভূমিকা == == ব্যাপ্টিক অর্থনৈতীক প্রবনতা == == খাতসমূহ == === কৃষিখাত === === খনিজ === === শিল্প === === সেবাখাত === == অবকাঠামো পতিবেশ == == তথ্যসূত্র =='''মার্তিন মনতয়া তরালবো''' (জন্ম ১৪ এপ্রিল ১৯৯১) একজন স্পেনীয় ফুটবলার যিনি লা লিগার দল ভ্যালেন্সিয়া হয়ে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলেন। == ক্লাব ক্যারিয়ার == মনতয়া ১৯৯১ সালে বার্সেলোনা প্রদেশের গাবা পৌরসভায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্থানীয় দল ক্লাব দি ফুটবল গাবায় খেলা শুরু করেন এবং বছর বয়সে বার্সেলোনার যুব একাডেমী লা মাসিয়াতে যোগ দেন। সেখানে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ২০০৯ সালে তিনি বি দলে সুযোগ পান। ২০০৯–১০ মৌসুমে দলের হয়ে তিনি ২২ খেলায় অবদান রাখেন। ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, বার্সেলোনার সিনিয়র দলে তার অভিষেক হয়। মায়োর্কার বিপক্ষে খেলায় তিনি আদ্রিয়ানো করেইয়ার বদলি হিসেবে নামেন এবং বার্সেলোনা ৩–০ ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২০১১ সালের মার্চের শেষের দিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ভ্যালেন্সিয়া মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে মনতয়াকে কিনতে চায়। ৩০ এপ্রিল, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে খেলায় মনতয়া বার্সেলোনার প্রথম একাদশে জায়গা পান। তবে সে খেলায় বার্সেলোনা ২–১ গোলে পরাজিত হয় এবং খেলার প্রথম দিকে ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে তাকে মৌসুমের অবশিষ্ট অংশ সাইড-লাইনে বসে কাটাতে হয়। ২০১১–১২ মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই রিজার্ভ দলে কাটাতে হয় মনতয়ার। মূল দলে তিনি প্রথম জায়গা পান ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি, কোপা দেল রে-এর দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় লেগের ওসাসুনার বিপক্ষে খেলায়। যেখানে বার্সেলোনা ২–১ গোলে জয় লাভ করে। দানি আলভেস এর ইনজুরির কারনে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পুরো ৯০ মিনিটই খেলেন তিনি। খেলায় বার্সেলোনা অ্যাথলেতিক বিলবাওকে ৩–০ গোলে পরাজিত করে। ২০১৩ সালের জুন, ২০১২–১৩ মৌসুমের শেষ লীগের খেলায় মালাগার বিপক্ষে মনতয়া বার্সেলোনার হয়ে একটি গোল করেন। খেলায় বার্সেলোনা ৪–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। == আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার == ২০১১ সালে স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ দলে মনতয়ার অভিষেক হয়। ম্যানেজার লুইস মিলা তাকে বছর উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব ২১ জন্য দলে নেন। প্রত্যেকটি খেলায়ই তিনি মাঠে নামেন এবং স্পেন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট, স্পেনের মূল দলের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক চিলি এবং লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে খেলার জন্য তাকে দলে নেন। == ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান == ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ অনুসারে। ক্লাব মৌসুম লীগ কাপ ইউরোপ অন্যান্য মোট উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল বার্সেলোনা বি ২০০৮–০৯ ২০০৯–১০ ২৩ ২৩ ২০১০–১১ ৩০ ৩০ ২০১১–১২ ২১ ২১ '''মোট''' ৭৫ ৭৫ বার্সেলোনা ২০১০–১১ ২০১১–১২ ১০ ২০১২–১৩ ১৫ ২৪ ২০১৩–১৪ ১৩ ১৯ ২০১৪-১৫ ১২ '''মোট''' ৪৫ ১৪ ৬৭ ইন্তারনাজিওনালে (ধারে) ২০১৫-১৬ Total ক্যারিয়ারে সর্বমোট ১২৩ ১৫ ১৪৭ == সম্মাননা == === ক্লাব === ;বার্সেলোনা লা লিগা (৩): ২০১০–১১, ২০১২–১৩, ২০১৪-১৫ কোপা দেল রে: ২০১১–১২, ২০১৪-১৫; রানার-আপ ২০১৩-১৪ স্পেনীয় সুপার কাপ: ২০১৩; রানার-আপ ২০১২ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ: ২০১৪-১৫ === দেশ === ;স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব ২১ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ: ২০১১, ২০১৩ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == এফসি বার্সেলোনা প্রোফাইল BDFutbol প্রোফাইল Futbolme প্রোফাইল Transfermarkt প্রোফাইল জন্ম ব্যক্তি ফুটবলার ফুটবলার ডিফেন্ডার বিষয়শ্রেণী:লা লিগা খেলোয়াড় দিভিশন ফুটবলার দিভিসিওন বি ফুটবলার বার্সেলোনা ফুটবলার বার্সেলোনা অ্যাথলেটিক ফুটবলার অলিম্পিক ফুটবলার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলার(বৈজ্ঞানিক frontalis'') যা ‘নীল-কপালি গির্দি’ নামেও পরিচিত এক ধরনের ছোট আকারের পাখি। এই পাখি সাধারণত ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা যায়। ==গ্যালারি== Image:Blue fronted Redstart- Male Himachal I2 IMG 3517.jpg|Male at Mailee Thaatch (10,500 ft.) in Kullu-Manali Distt. of Himachal Pradesh, India Redstart female in Pangot, Uttarkhand, in Pangot, Uttarkhand, India == তথ্যসূত্র == পাখি পাখি পাখি'''পেদ্রো এলিজের রোদ্রিগেজ লেদেস্মা''' (, জন্ম ২৮ জুলাই ১৯৮৭), সাধারণত '''পেদ্রো''' নামে পরিচিত, একজন স্পেনীয় ফুটবলার যিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এর দল চেলসি এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। == ক্লাব ক্যারিয়ার == === বার্সেলোনা === বার্সেলোনার যুব দলের ২০০৭ সালে ২০০৬/০৭ এবং কাপ লীগ চ্যাম্পিয়ন ছিল পরিশেষে একটি লক্ষ্য -anotando. দেরী বার্সেলোনা "সি" দ্বারা এবং পরে পাশ করার পর 2007/08 সালে তার অন্তর্ধান পেপ গার্দিওলা, আদেশ, বার্সেলোনা বি jumped যেখানে তৃতীয় বিভাগ চ্যাম্পিয়নশিপ স্পেন এবং পরিচালিত বিভাগ বৃদ্ধি দ্বিতীয় দলের জন্য তার আগমনের তা তার ভবিষ্যত রেসিং ক্লাব Portuense.11 ঋণ চালু ছিল যে করলো যখন গার্দিওলা নিজেকে এবং জুয়ান কার্লোস Rojo, যৌবনে তার প্রশিক্ষক দ্বারা অনুমোদিত হয় বার্সেলোনা প্রথম দলের সঙ্গে তার আত্মপ্রকাশ বার্সার Gimnastic Tarragona.12 থেকে হারিয়ে যা কোপা Catalunya, চূড়ান্ত সময়, সেপ্টেম্বর 11, 2007 ছিল খেলা শেষ তিন মিনিটের মধ্যে স্যামুয়েল ইতো প্রতিস্থাপন, রিয়েল Murcia, দেরী সান্তিয়াগো Ezquerro, 13 একটি আঘাত এবং প্রথম বিভাগ মধ্যে যে একই দিনে আত্মপ্রকাশ পরে জানুয়ারী 12, 2008 তিনি বার্সেলোনার কল প্রবেশ বার্সার চার গোল দ্বারা প্রভাবিত যখন cero.14 থেকে 2008/09 মৌসুমে, নতুন কোচ, পেপ গার্দিওলা, স্কটল্যান্ড পর্যায় থেকে একটি মিটিং amistoso16, একটি বার্সার শার্ট সালে তার প্রথম লক্ষ্য অর্জন যা স্কটিশ পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে প্রথম দল, 15 preseason করতে তাকে তলব ক্লাব camisetas.9 এর silkscreen উপর নাম "পেড্রো" দ্বারা তার সঙ্কুচিত "Pedrito" পরিবর্তন কিছুদিন পরেই, আগস্ট 13, 2008, তিনি সাইন ইন করুন ক্রোকাও বিরুদ্ধে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ এর আগের বৃত্তাকার, একটি সভায় একটি স্টার্টার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন. 2014 সালে ক্লাবের পেড্রো. যে মৌসুমে তিনি 13 উপস্থিতি, এবং তিনি 27 apariciones.9 সঙ্গে কোচ লুইস এনরিক খেলোয়াড়দের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক ছিল যেখানে Segunda বি, বার্সেলোনার "বি" ছিল যেখানে প্রথম দল, straddling খেলার তিনি FC বার্সেলোনা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মধ্যে রোম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ চূড়ান্ত চূড়ান্ত তলব করা হয়. এটা এইভাবে আঘাত সময় শেষ মিনিটে বাজানো, 92 'এ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা প্রতিস্থাপিত. আগস্ট 16, 2009 তিনি ফলাফল ম্যাচ শেষ, সান Mames অ্যাথলেটিক বিলবাও বিরুদ্ধে, স্পেন এর সুপার প্রথম পা বার্সেলোনার দ্বিতীয় লক্ষ্য হয়ে উঠছে, প্রথম দলের শার্ট সঙ্গে তার প্রথম অফিসিয়াল গোল করেন একই সপ্তাহে -2.17 75 মিলিয়ন euros.18 এর একটি buyout দফা জুন 2014 পর্যন্ত প্রথম ব্লাউগ্রানা বিন লাদেনের তার প্রথম পেশাদার চুক্তি স্বাক্ষর আগস্ট 29, 2009, দ্বিতীয় ওভারটাইম (116 সোজা সময়) 26 মিনিট তাকে সুপার কাপ ফুটবল Barcelona.19 চ্যাম্পিয়ন শিরোনাম দিয়েছে লক্ষ্য, লিওনেল মেসি থেকে একটি পাস, উপর স্কোর সেপ্টেম্বর 29, 2009 তিনি বার্সেলোনার 2-0 বিজয় দিয়েছেন যা এফসি ডায়নামো কিয়েভ, বিরুদ্ধে 76 তম মিনিটে তার প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ গোল করেন. 19 ডিসেম্বর 2009 তিনি একটি ইকুয়ালাইজার বার্সেলোনার বিজয় অবদান ব্লাউগ্রানা দলের জয় হবে, যা Abu Dhabi অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে টুন দে লা প্লাটা বিরুদ্ধে 89 মিনিট লিওনেল মেসির বুকের সঙ্গে একটি লক্ষ্য সঙ্গে ওভারটাইম. সুতরাং, হলদে একই বছরের মধ্যে ছয় বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় স্কোর পরিচালিত. মে 28, 2011 চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিরুদ্ধে বার্সার বক্সে 3-1 শেষ হবে 27 মিনিট পর প্রথম লক্ষ্য রান করে তার দলের বিজয়, অবদান অনেক। ====চেলসি==== ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও পেদ্র ২০ অগাস্ট ২০১৫তে প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন চেলসিতে চার বছরের চুক্তিতে প্রায় £১৯ মিলিয়নএ যোগ দেন।তিনি এর তিন দিন পর তার চেলসিএর হয়ে অভিষেক ঘটে যেখানে তিনি তার প্রথম গোল পান এবং একটি আসসিস্ত করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == এফসি বার্সেলোনা প্রোফাইল BDFutbol প্রোফাইল জাতীয় দলের তথ্য ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ প্রোফাইল Transfermarkt প্রোফাইল জন্ম ব্যক্তি ফুটবলার উইঙ্গার ফরোয়ার্ড় বিষয়শ্রেণী:লা লিগা খেলোয়াড় বার্সেলোনা অ্যাথলেটিক ফুটবলার বার্সেলোনা ফুটবলার দিভিসিওন বি ফুটবলার দিভিশন ফুটবলার বার্সেলোনা বি ফুটবলার বার্সেলোনা সি ফুটবলার ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় বিশ্বকাপ বিজয়ী খেলোয়াড় ইউরো ২০১২ খেলোয়াড় ইউরোপীয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী খেলোয়াড় ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের খেলোয়াড়'''মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম''' (জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তবে, ক্রিকেট মাঠে তিনি '''জহুরুল ইসলাম''' নামেই সর্বাধিক পরিচিত খেলোয়াড়। আবার কখনোবা স্কোরশীটে তাকে তার ডাক নাম ''অমি''-তে চিহ্নিত করা হয়। মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি ঘটলেও মাঝে মাঝে ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং এবং উইকেট-রক্ষকেরও দায়িত্ব পালন করে থাকেন তিনি। ২০১০ সালের ২০ মার্চ তারিখে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার। ২১ জুলাই, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == ২০০২/০৩ মৌসুমে রাজশাহী বিভাগীয় দলের মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান। দলে তিনি ২০০৬/০৭ মৌসুম পর্যন্ত সময় কাটান। একই মৌসুমে বাংলাদেশ দলের পক্ষ হয়ে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ৮৭ রান করেন। নিজ বিভাগীয় দলের হয়ে দু’টি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করেন। তার একটি ছিল বরিশাল বিভাগীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে। একদিনের খেলায় ঢাকা বিভাগীয় দলের বিরুদ্ধে তার করা ৭১ রান সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। ১০ মার্চ, ২০১০ তারিখে রকিবুল হাসানের আকস্মিকভাবে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত হবার সুযোগ ঘটে জহুরুলের। মিরপুরে অনুষ্ঠিত অভিষেক টেস্টে শূন্য রানে আউট হলেও পরের ইনিংসে ৪৩ রান করেছিলেন। জাতীয় ক্রিকেট লীগের খেলায় রাজশাহী বিভাগের পক্ষ হয়ে সবচেয়ে বেশী ৯৬৫ রান করে ৬৮.৯২ গড়ে। এছাড়াও ২০০৯/১০ মৌসুমে দলের শিরোপা জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর ২০১২–১৩ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর ২০১২–১৩ ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিভাগের ক্রিকেটার রাজশাহীর ক্রিকেটারমানুষের দুটি হাতের দুটি পৃষ্ঠ '''হাত''' (ইংরেজীঃ Hand) হল মানুষ, সিম্পাঞ্জি, বানর,লেমুর প্রভৃতি নরবানরদের বাহুর প্রান্তে অবস্থিত বহুআঙুলি বিশিষ্ট একটি অঙ্গ যা কোন বস্তুকে আঁকরে ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়। অল্প কিছু মেরুদন্ডী যেমন কোয়ালাকে মনে করা হয় যে তাদের হয় হাত বা থাবা রয়েছে। হাত হল পরিবেশের সাথে শরীরের যোগাযোগের জন্য প্রধান গঠনী। এটি দ্বারা কোন প্রানী ছোট তুলে নেয়া বা বড় বস্তু উত্তোলনের কাজে ব্যবহার করা হয়। হাতের আঙ্গুলের ডগাতে শরীরের সমস্ত স্নায়ুর শেষ প্রান্ত এসে ঘনসন্নিবেশিত হয়েছে, যা পরিবেশের উদ্দিপনা দ্রুত গ্রহনে সারা প্রদানের অন্যতম মাধ্যম। প্রকৃতপক্ষে মানুষের স্পর্শানুভুতির প্রধান কেন্দ্রস্থল হল হাত। প্রতিটি হাত শরীরের অন্যান্য জোড় অঙ্গের ন্যায় প্রত্যেকটি আলাদাভাবে মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, এতে করে এক হাতে যেসকল কাজ করা হয় যেমন কলমের মাধ্যমে লেখা, সেগুলি সঠিকভাবে সম্পাদন করা সম্ভব হয়।'''এডওয়ার্ড মরড্রেক বা এডওয়ার্ড মরডেক''' ১৯ শতকের ইংরেজ অভিজাত মানুষ এডওয়ার্ড মরডেক। ঊনিশ শতকে জন্ম নেয়া একজন হতভাগ্য মানুষ, যে দু'টো মাথা নিয়ে জন্মেছিলো। সাধারণ মানুষের চেহারা কেবল সামনের দিকেই থাকে, অথচ এই মানুষটার মাথার পেছনেও আর একটা চেহারার অস্তিত্ব ছিলো। সেই অস্তিত্বটা হাসতো, কাঁদতো আর উদ্ভট উদ্ভট শব্দ করতো। এবং এডওয়ার্ডের কোন কন্ট্রোল ছিলো না মাথাটার ওপর! সে নিজেই একটা আলাদা অস্তিত্ব হয়ে উঠেছিলো। এডওয়ার্ডের ধারণা ছিলো এটা শয়তানের মাথা"। রাতের বেলা যখন এডওয়ার্ড ঘুমাতে যেতো, তখন বাড়তি জিনিসটা নাকি ফিসফিস করে কিছু একটা বলতো তাকে! ডাক্তারদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছিলো বাড়তি মাথাটা কেটে ফেলার জন্যে,কিন্তু কেউ সাহস করে উঠতে পারেনি।এবং মাত্র ২৩ বছর বয়সে যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে এডওয়ার্ড আত্নহত্যা করে বসে! তার অবস্থা অনেকটা পেসকেল পিনন চেং টিজো পিং এর মতো ছিলো। দ্য বুক অফ লিস্টস এর ১৯৭৬ সালের প্রকাশনায় মারডেক পিনন উভয়ই পৃথিবীর ১০ জন মানুষের মধ্যে স্থান করে নেন যাদের অতিরিক্ত চেহারা বা অঙ্গ আছে। এডওয়ার্ড মরডেকের এই অবস্থা প্রতিষ্ঠা করা খুব কঠিন কারণ তার জন্ম মৃত্যুর কোন নথি-পত্র পাওয়া যায় নি এবং তার আত্মহত্যা আত্মহত্যার স্থান নিয়েও দ্বন্দ্ব আছে। তার ঘটনার অধিকাংশ মৌখিকভাবে প্রচলিত। ১৮৯৬ সালে ''অ্যানোমালিস এন্ড কিউরিওসিটিস মেডিসিনি'' নামক একটি নিবন্ধে তার সম্পর্কে লেখার পর তিনি এখন অনেক নাটক,লেখা গানের বিষয়বস্তুতে পরিনত হন। যাইহোক, কিছু কিছু সময় তার এই গল্পকে অনেকেই মিথ্যা হিসেবে আক্ষায়িত করে। কারণ তাদের মতে ঘটনাটি ছিল অনেকটা কাল্পনিক এর কোন মেডিকেল ব্যাখ্যা ছিল না-অনেক বছর ধরে লোকমুখে প্রচলিত ছিল বলে এটি সত্য ঘটনার মত মনে হয়েছে। '''টম ওয়েটস''' ''অ্যালাইস'' অ্যালবামে এডওয়ার্ড মারডেককে নিয়ে একটি গান লেখেন যার শিরোনাম হলো, “পুওর এডওয়ার্ড”। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ =='''র‌্যাম্বো ৩''', ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান অ্যাকশন চলচ্চিত্র। এই ছবির কল্পকাহিনী গড়ে উঠেছে আফগানিস্তানে সোভিয়েত যুদ্ধের সময়কার। র‌্যাম্বো সিরিজের এটি তৃতীয় চলচ্চিত্র। আগের দুলি হলো ফার্স্ট ব্লাড (১৯৮২) ব্লাড পার্ট (১৯৮৫)। রিচার্ড ক্রিনা ২০০৩ সালে মারা যাওয়ার পর সিরিজের সর্বশেষ চলচ্চিত্র র‍্যাম্বো (২০০৮) মুক্তি পায়। == কাহিনী == থাইল্যান্ডের আমেরিকান দূতাবাস থেকে কর্নেল ট্রটম্যান রবার্ট গ্রিগস নামে তার একজন সঙ্গী জন র‌্যাম্বোর (সিলভেস্টার স্ট্যালোন) খোঁজে বের হয়। অনেক খোজাঁখোজির পর তারা র‌্যাম্বোকে ব্যাংককের একটি ওয়ারহাউসে বাজিতে মল্লযুদ্ধ করতে দেখে। কিন্তু তারা সেখানে র‌্যাম্বোর সাথে কথা বলতে পারে না। অবশেষে তারা র‌্যাম্বোকে ব্যাংককের বাইরে একটি নির্মানাধীন মন্দিরে কাজ করা আবস্থায় খুঁজে পায়। সেখানে গ্রিগ র‌্যাম্বোকে আফগানিস্তানে ট্রটম্যানের সাথে মিশনে যেতে প্রস্তাব করে। কিন্তু র‌্যাম্বো প্রস্তাবে রাজি না হয়ে সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কর্নেল ট্রটম্যানের নেতৃত্তে কিছু সৈন্য রাতে আফগানিস্তানের পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে আর্মি ট্রাক নিয়ে যাচ্ছে এমন সময় সোভিয়েত বিমান তাদের উপর আক্রমণ চালায় ট্রটম্যানকে বন্দি করে। রবার্ট গ্রিগস র‌্যাম্বোর সাথে দেখা করে জানায় তাদের ট্রটম্যানের ব্যাপারে কিছু করার নেই। তখন র‌্যাম্বো ট্রটম্যনকে উদ্ধারের জন্য যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। গ্রিগসের দেয়া তথ্য মতে র‌্যাম্বো আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে উপস্থিত হয় মুসা গনি নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সাথে দেখা করে। মুসা গনি তাকে অস্ত্র সরবরাহ করে আফগানিস্তানের সশ্রস্ত্র উপজাতি গোষ্ঠীর কাছে নিয়ে যায়। কারণ তারাই জানে কর্নেল ট্রটম্যানকে কোথায় রাখা হয়েছে। পথিমধ্যে তারা একবার মরু ঝড়ের কবলে পরে। এদিকে বন্দি ট্রটম্যানকে আঞ্চলিক কমান্ডার কর্নেল জাইসনের কাছে হাজির করা হয়। কর্নেল জাইসন তাকে জেরা শুরু করে এবং নির্যাতন করে। কর্নেল জাইসন তার গুপ্তচরের কাছ থেকে খবর পায় ট্রটম্যানকে উদ্ধারের জন্য জন র‌্যাম্বো নামে একজন লোক আফগানিস্তানের উপজাতিয় অঞ্চলে আসছে। র‌্যাম্বো গনিকে নিয়ে উপজাতিয় নেতাদের সাথে আলোচনায় বসে কিভাবে সোভিয়েত ক্যাম্প আক্রমণ করা যায়। র‌্যাম্বো সাথে সাথে আক্রমণ করতে চাইলে মাসোউদ নামে একজন নেতা তাকে ব্যাখ্যা করে কেন তারা র‌্যাম্বোর সাথে আক্রমণে যেতে পারবেনা। এদিকে উপজাতিয়দের সাথে যখন র‌্যাম্বো আফগানিস্তানের জাতীয় খেলা খেলতে ব্যাস্ত এমন সময় সোভিয়েত বিমান বাহিনী ওই এলাকা আক্রমণ করে। অনেকে নিহত আহত হয়। র‌্যাম্বো একটি সামরিক হেলিকাপ্টার ধংস্ব করে। সোভিয়েত আক্রমণের পর উপজাতিরা এলাকা ছেড়ে সীমান্তের দিকে চলে যায়। র‌্যাম্বো গনি মিলে সোভিয়েত দুর্গ থেকে ট্রটম্যানকে উদ্ধার করার জন্য যায়। দূর্গের কাটাতারের বেড়া অতিক্রম করার সময় তারা দেখতে পায় ১০ বছরের একটি উপজাতি ছেলেও তাদের পিছু নিয়ে এসেছে যার সাথে তাদের উপজাতি এলাকায় দেখা হয়েছিল। দূর্গে ঢুকে তারা বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড রেখে দেয় একপর্যায়ে র‌্যাম্বো বাচ্চাটি আহত হয়। তারপর বাচ্চাটিকে গনির সাথে দিয়ে তাদের চলে যেতে বলে। র‌্যাম্বো পুনরায় দূর্গে প্রবেশ করে ট্রটম্যানসহ অন্য আফগানিস্তানের বন্দিরে উদ্ধার করে। র‌্যাম্বো ট্রটম্যান একটি খোলা মাঠ দিয়ে হাটছিল এমন সময় সোভিয়েত বাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে তাদের আত্মসর্ম্পন করতে বলে কিন্তু র‌্যাম্বো ট্রটম্যান আত্মসর্ম্পন না করে গুলি ছুড়তে থাকে। গুলাগুলির একপর্যায়ে সেখানে উপজাতিয় যোদ্ধারা উপস্থিত হয় এবং সোভিয়েত কমান্ডার কর্নেল জাইসন মারা যায়। কর্নেল ট্রটম্যান জন র‌্যাম্বো গাড়ি করে চলে যায়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র স্ট্যালোন অভিনীত চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র'''মরিচা বা কাকটুরী বা বন কার্পাস বা ইপিকাক''' (ইংরেজিঃ Tropical Milkweed, Blood Flower or Mexican Butterfly Weed) একটি চিরসবুজ, খাড়া কাণ্ড বিশিষ্ঠ, বহুবর্ষজীবী ছোট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি সাধারনত জঙ্গলে জন্মাতে দেখা যায়। মরিচা ফুল প্রাকৃতিকভাবে উষ্মমন্ডলে যেমন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ পূর্ব এশিয়ার প্রায় সকল দেশেই পাওয়া যায়। এছাড়া ফুলচাষীরা এই গাছ বাড়ির বাগানে টবে রোপন করে থাকে। == বর্ননা == গুল্ম জাতীয় এই গাছটি সাধারনত মিটার (৩.৩ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পত্র সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত অনূর্ধ্ব দেড় সেন্টিমিটার লম্বা, পত্রফলক ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার, সুস্পষ্টভাবে বল্লমাকার, দুদিকে ক্রমান্বয়ে সরু, পাতলা ঝিল্লিময় মসৃণ। পাতা বিপ্রতীপ কাঁচা সবুজ রঙের। এই গাছের গোড়া থেকেই ডালপালা জন্মায়। পুষ্পমঞ্জরিতে থেকে ১০টি করে ফুল থাকে। মঞ্জরিদণ্ড প্রায় সাত সেন্টিমিটার উঁচু। দলমণ্ডল উজ্জ্বল, গাঢ়-রক্তিম-লাল মসৃণ। পরাগধানী প্রায় আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা। প্রস্ফুটনকাল প্রায় বর্ষব্যাপ্ত। ফল লম্বাটে, আগা চোখা, পরিপক্ব হলে আপনাআপনিই ফেটে যায়। ভেতরটা মসৃণ কোমল তুলায় পূর্ণ। == গ্যালারি == with parachute close up Image:Asclepias curassavica 1854.jpg|Flower closeup Image:Mexican Butterfly Weed Asclepias curassavica Ants with ants feeding on the nectar caterpillars feeding on Milkweed. Image:Milkweed Asclepias curassavica 'Silky Gold' Flowers curassavica'' 'Silky Gold' == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Jepson Manual Treatment USDA Plants Profile'''বাঘ ছাগল খেলা''', গ্রামীন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা সাধারনত শিশুরা খেলে থাকে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ছেলে মেয়ে উভয়ই খেলা খেলে থাকে। এই খেলাটি কোন কোন জায়গায় '''অ্যাঙ্গা অ্যাঙ্গা খেলা''' নামেও পরিচিত। == নিয়মকানুন == বাঘ ছাগল খেলায় প্রথমে মাটিতে দাগ কেটে বৃত্ত তৈরি করা হয়। এরপর দল থেকে একজনকে বাঘ নির্বাচন করা হয় এবং দলের বাকী খেলোয়াড় ছাগল হিসেবে বৃত্তের ভেতর অবস্থান করে। বাঘের কাজ হলো বৃত্তের বাইরে থেকে, বৃত্তের ভেতর আক্রমণ করা এবং একটি ছাগল ছিনিয়ে নেয়া। এভাবে বাঘ একজন একজন করে নিয়ে তার দল ভারী করে। শেষ পর্যন্ত যে ছাগল বৃত্তের ভেতরে টিকে থাকতে পারে, সে পরবর্তী দানের জন্য বাঘ নির্বাচিত হয়। বাঘ, ছাগদলকে আক্রমণ করার সময় বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করে। এবং কোন ছাগলকে আক্রমণ করলে ছাগদলের অন্য সদস্যরা তাকে টেনে ধরে রাখে। খেলা চলতে থাকে দুই পক্ষের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে, বাঘ প্রথমে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে থাকে, অ্যাঙ্গা, অ্যাঙ্গা। এরপর ছাগলরা সমস্বরে বলে, “কান্দো ক্যান?” এভাবে কথোপকথনের মাঝেই বাঘ ছাগদলকে আক্রমণ করে। == তথ্যসূত্র == গ্রামীণ খেলাধুলা'''অটোমোবিলি ল্যাম্বরগিনি এসপিএ''' একটি ইতালীয় বিলাসবহুল স্পোর্টসকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেটি অডির মাধ্যমে ভক্সওয়াগেন এর একটি সাবসিডিয়ারি। ==ইতিহাস== দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি ইতালিয়ান বিমান বাহিনীরতে একজন মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। কাজের জন্য তাকে রোডস নামক একটি নির্জন দ্বীপে থাকতে হয়েছিল, যেখানে তিনি নানা বিমান অন্যান্য ধ্বংসপ্রাত যানবাহনের মেরামতের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্নত যানবাহনের পরিত্যক্ত যন্ত্রাদি ছিল যা দিয়ে তাকে ধ্বংসপ্রাপ্ত যানবাহনগুলোকে মেরামত করতে হত। ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি কিছুদিনের মাঝেই এই কাজে এতোটাই দক্ষ হয়ে গেলেন যে তিনি সেখানকার সবথেকে সেরা মেকানিক হয়ে উঠলেন এবং সেখান থেকেই তিনি ল্যাম্বরগিনি ট্রাক্টর তৈরির সিধান্ত নিলেন।ট্রাক্টর কথাটি শুনে নিশ্চই অবাক হচ্ছেন। তাহলে পড়তে থাকুন। আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন! এখানেই আয়রন ম্যান সিনেমার টনি স্টার্ক এর সাথে তার মিল, টনি স্টার্ক যেমন আয়রন ম্যান সিনেমায় কিডন্যাপ হয়ে গোহাতে থাকা অবস্থায় নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর বানিয়ে ফেলেছিলেন যা কিনা কেবল মুভিতেই স্বম্ভব, তেমনি ল্যাম্বরগিনি নির্জন দ্বীপে থাকা অবস্থায় গাড়ি নির্মাণে তার হাতে খড়ি করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি মেকানিক হিসেবে যে অভিজ্ঞতা বানিয়েছিলেন তা যুদ্ধের পর বাড়ি ফিরে এসে কাজে লাগাতে শুরু করেন। যুদ্ধের পর তিনি নানা পরিত্যক্ত যানবাহনের নানা যন্ত্রাংশ জোগাড় করে শুরু করে দিলেন তার নামের ব্র্যান্ডের ট্রাক্টর বানানো। যা বাজারে তখনকার সময়ে প্রচুর নামডাক করে।আর অল্প সময়ের মাঝেই ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনির ভাগ্য খুলে যায়। শুরু হয় ল্যাম্বরগিনি ব্র্যান্ডের। তখনকার সময়ে বিখ্যাত ব্র্যান্ড ফেরারীর ২৫০জিটি মডেলের একটি গাড়ির মালিক ছিলেন ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি তার গাড়িতে সমস্যা হওয়ায় সে একদিন তার গাড়িটিকে মেরামত করারনোর উদ্দেশে ফেরারীর হেড কোয়ার্টার নিয়ে যান। সেখান থেকে গাড়িটি মেরামত করে পাঠানোর পর তিনি দেখলেন যে তার গাড়িটিতে যে পার্টসটি বদলিয়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে তা তিনি নিজের কোম্পানির ট্রাক্টর বানাতে ব্যবহার করেন। এটা দেখে তিনি এঞ্জো ফেরারীকে পার্টসটি বদলিয়ে দেয়ার জন্য বিনীতভাবে বলেন এতে এঞ্জো ফেরারী ক্ষেপে যায় এবং ক্ষেপে গিয়ে তাকে বলে তুমি একজন ট্রাক্টর নির্মাতা তুমি কি বুঝব স্পোর্টস কার এর!” কথাতেই কেল্লা ফতে! ফেরুসিও ল্যাম্বরগিনি এই অপমান ম্যানে নিতে পারেননি ।বাড়িতে এসেই শুরু করলেন নিজের কোম্পানির জন্য স্পোর্টস কার এর এর ডিজাইন। আর মাত্র চার মাসের মধ্যেই বানিয়ে ফেললেন নিজের কোম্পানির প্রথম স্পোর্টস কারটি। তার বানানো প্রথম ল্যাম্বরগিনি গাড়িটির মডেল ছিল ==তথ্যসূত্র== ব্র্যান্ড নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গাড়ি নির্মাতা'''.এজি''' এন্টিগুয়া বার্মোডার জন্য ইন্টারনেট প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় সংকেত এবং ডোমেইন সাফিক্স। == দ্বিতীয় তৃতীয় স্তরের নিবন্ধন == নিবন্ধন শুরু হয় সরাসরি দ্বিতীয় লেভেল অথবা তৃতীয় লেভেল থেকে .কম.এজি, .ওআরজি.এজি, .নেট.এজি, অথবা .এনওএম.এজি থেকে। কে নিবন্ধন করতে পারবে কে পারবেনা এমন ধরাবাধা কোন নীতিমালা নেই। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == List of .AG Registrars IANA .ag whois information কোড টপ-লেভেল ডোমেইন'''''ফিফ ১১''''' (উত্তর আমেরিকায় '''''ফিফা সকার ১১''''') ইলেকট্রনিক আর্টসের ফিফা গেম সিরিজের একটি ভিডিও গেম। গেমটি প্রস্তুত করেছে ইয়ে কানাডা এবং ইএ স্পোর্টসের লেবেলের অধীনে বিশ্বব্যাপী প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তর আমেরিকায়, ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় এবং অক্টোবর ইউরোপে এর উইই এবং নিন্টেন্ডো ডিএস ছাড়া অন্য সকল সংস্করণ অবমুক্ত করা হয়েছে। উইই সংস্করণ অক্টোবর উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে এবং ডিএস সংস্করণ অক্টোবর অবমুক্ত হয়েছে। ফিফা গেম সিরিজে এবারই প্রথম পিসি, এক্সবক্স ৩৬০ এবং প্লেস্টেশন সংস্করণে একই গেম ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। গেমে ধারাভাষ্য করেছেন মার্টিন টেইলের এবং অ্যান্ডি গ্রে। গেমটি ইতিবাচক সাড়া পায় এবং গোল্ডেন জয়স্টিক পুরস্কারে রেকর্ড সংখ্যক (২.০৬ মিলিয়ন) ভোট পেয়ে বর্ষসেরা ক্রীড়া গেমের পুরস্কার জিতে। == নতুন বৈশিষ্ট্যসমূহ == '''পরবর্তী প্রজন্মের গেমপ্লে ইঞ্জিন (পিসি)''': ফিফা ১১-এর পিসি, এক্সবক্স ৩৬০ এবং প্লেস্টেশন সংস্করণে একই গেম ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। দুই বোতামের নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা যা ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ গেমে ছিল তা ফিফা ১১-তেও আছে। '''ফিফা ওয়ার্ল্ড (পিসি)''': এর মাধ্যমে খেলোয়াড়রা তাদের অনলাইন অবতার সম্পাদনা করতে পারবেন এবং বিশ্বব্যাপী অন্যান্য খেলোয়াড়দের সাথে লিডারবোর্ডে জায়গা করে নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন। '''পিসি উন্নতিসাধন''': নেক্সট-জেন মেনু উপস্থাপন ব্যবহার করা হয়েছে। ফিফা ১০ সংস্করণের ম্যানেজার মোডের উন্নতিসাধন করা হয়েছে। বি প্রো মৌসুম সম্পূর্ণভাবে নতুন করে মেরামত করা হয়েছে। একটি নতুন অনুশীলন মাঠ দেওয়া হয়েছে যা একটি মোড প্রস্থান করার পর পাওয়া যাবে। নতুন প্রো ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ যোগ করা হয়েছে। নতুন ভার্চুয়াল প্রো গেম মোড যোগ করা হয়েছে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে খেলোয়াড়রা তাদের ইচ্ছামত গেম ফেস তৈরি করে সেগুলো ডাউনলোড করে ভার্চুয়াল প্রো গেম মোডে ব্যবহার করতে পারেন। ৩৬০° ড্রিবলিংও যোগ করা হয়েছে। খেলোয়াড়রা তাদের নিজেদের কৌশল তৈরি করেও খেলতে পারেন। '''প্রো পাসিং (পিএস৩, এক্সবক্স ৩৬০)''': একটি নতুন পাসিং পদ্ধতি। কন্ট্রোল প্যাড হাতে গেমারের সঠিকতা, মাঠে খেলোয়াড়ের অবস্থা এবং দক্ষতা প্রতিটি পাসের সঠিকতা নির্ণয় করে দেয়। '''ক্রিয়েশন সেন্টার (পিএস৩, এক্সবক্স ৩৬০)''': একটি নতুন ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপলিকেশন যা ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন বিষয়বস্তু তৈরি করার সুযোগ করে দেয়। ব্যবহারকারীরা এসব বিষয়বস্তু তাদের কনসোলে ডাউনলোড করে তাদের বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারেন। এই অ্যাপলিকেশনের মাধ্যমে তৈরিকৃত দল, খেলোয়াড় এবং অন্যান্য সামগ্রী সম্পাদনা করা যায়। খেলোয়াড়দের পূর্বের তুলনায় আরও গভীরভাবে সম্পাদনা করা সম্ভব। আকৃতি, সাজসরঞ্জাম এবং গুনাবলি নির্বাচন করে খেলোয়াড় তৈরি করা যায়। '''ক্যারিয়ার মোড''': বি প্রো মোট এবং ম্যানেজার মোডকে ক্যারিয়ার মোডে একত্রীত করা হয়েছে। এই মোড থেকে একজন গেমার শুধু খেলোয়াড় বা শুধু ম্যানেজার বা খেলোয়াড় ম্যানেজার উভয় মোড বেছে নিয়ে ১৫ মৌসুমেরও বেশি সময় ধরে খেলতে পারবেন। ক্যারিয়ার মোডের অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে। নতুন খেলোয়াড়ের সাথে চুক্তি করার সময় ব্যবহারকারীকে ক্লাবের সাথে স্থানান্তর ফি-তে একমত হতে হবে। এছাড়া, খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত চাহিদাগুলোর সাথেও একমত হতে হবে। আবার ক্লাবটি একজন খেলোয়াড়ের জন্য দুইটি দলের ফি-এর সাথেও সম্মত হতে পারে। == লীগ এবং দল == === লীগ === ফিফা ১১-তে ২৪টি দেশের ৩১টি লাইসেন্সকৃত লীগ রয়েছে (দ্বিতীয় বিভাগ সহ), এবং ৩৪টি জাতীয় দল রয়েছে। ** এ-লীগ ** অস্ট্রিয়ান ফুটবল বুন্দেসলীগা '''বেলজিয়াম''' ** বেলজিয়ান প্রো লীগ '''ব্রাজিল''' ** ক্যাম্পিওনাতো ব্রাজিলেইরো সিরি '''চেক রিপাবলিক''' ** গ্যামব্রিনাস লীগা '''ডেনমার্ক''' ** ডেনিশ সুপারলিগা '''ইংল্যান্ড''' ** প্রিমিয়ার লীগ ** ফুটবল লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ ** ফুটবল লীগ ওয়ান ** ফুটবল লীগ টু '''ফ্রান্স''' ** লীগ ** লীগ '''জার্মানি''' ** ** ২. '''প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড''' ** লীগ অফ আয়ারল্যান্ড প্রিমিয়ার ডিভিশন '''ইতালি''' ** সিরি ** সিরি বি '''দক্ষিণ কোরিয়া''' ** কে-লীগ '''মেক্সিকো''' ** প্রিমেরা দিভিশন দি ডিএস-এ নেই) ** এরিদিভিজি '''নরওয়ে''' ** টিপেলিগেইন '''পোল্যান্ড''' ** এক্সত্রাকলাসা '''পর্তুগাল''' ** পর্তুগিজ লীগা(নিন্টেন্ডো ডিএস-এ নেই) '''রাশিয়া''' ** রাশিয়ান প্রিমিয়ার লীগ(নিন্টেন্ডো ডিএস-এ নেই) ** স্কটিশ প্রিমিয়ার লীগ '''স্পেন''' ** লা লিগা ** সেগুন্দা দিভিশন '''সুইডেন''' ** আলস্ভেনস্কান ** সুইস সুপার লীগ '''তুরস্ক''' ** সুপার লীগ ** মেজর লীগ সকার ** === জাতীয় দল === কোরিয়া রিপাবলিক (নিন্টেন্ডো ডিএস-এ নেই) ;'''পাদটীকা:''' :1 লাইসেন্সহীন জাতীয় দল। == সংগীত == আর্দ্রিয়ান লাক্স "ক্যান্ট স্লিপ" অ্যানা টিজোক্স "১৯৭৭" ক্যারিবু "ওদেসা" কার্লোত্তে গেইন্সবোর্গ "ট্রিক পোনি" কোক কুইব টাউন "এল বম্বো" ক্রোমিও "ডোন্ট টার্ন দ্য লাইটস অন" ড্যান ব্ল্যাক "ওয়ান্ডার" ডাপুন্তোবিত ":০ (দস পুন্তো কেরো)" ডাম ডাম গার্লস "ইট অনলি টেকস ওয়ান নাইট" ইবোনি বোনস "ওয়ারিয়র্স" গরিলাজ "রিনস্টোন আইজ" গ্রুভ আর্মার্ডা "পেপার রোম্যান্স" হাউল "কনট্রোলার" জোনসি "অ্যারাউন্ড আস" জাম্প জাম্প ডান্স ডান্স "হোয়াইট পিকেট ফেন্সেস" লেডিট্রন "এস অফ এইচজেড" এলসিডি সাউন্ডসিস্টেম "আই ক্যান চেঞ্জ" লিংকিন পার্ক "ব্ল্যাকআউট" লোক্নভিল "সান ইন মাই পকেট" মালাচাই "স্নোফ্লেক" মালুকা "এল তাইগেরাসো" মার্ক রনসন ফিচারিং সাইমন লি বন এবং উইলি "রেকর্ড কালেকশন" ম্যাসিভ অ্যাট্যাক "স্প্লিটিং দ্য অ্যাটোম" এমজিএমটি "ফ্ল্যাশ ডেলিরিয়াম র‍্যাম ডি ড্যাম "ফ্ল্যাশ ব্যাকস" স্কিসর সিস্টার্স "ফায়ার উইথ ফায়ার" দ্য ব্ল্যাক কিজ "টাইটেন আপ" দ্যা পিংকার টোনস "স্যাম্পলেম" টিউলিপা রুইজ "এফেমেরা" টু ডোর সিনেমা ক্লাব "আই ক্যান টক" উই আর সায়েন্টিস্টস "রুলস ডোন্ট স্টপ" ইয়াসেয়ার "ওয়ান" জেমারিয়া "দ্য স্পেস এহেড" == আইওএস সংস্করণ == == ডেমো == == আলটিমেট টিম == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ইএ স্পোর্টস ফুটবল ভিডিও গেম আর্টস গেম বিষয়শ্রেণী:ইএ স্পোর্টস গেম (ভিডিও গেম ধারাবাহিক) গেম গেম গেম পোর্টেবল গেম বিষয়শ্রেণী:উইই গেম গেমস ৩৬০ গেম ডিএস গেম গেম'''ইলিয়াস শাহী বংশ''' মধ্যযুগে বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজবংশ যা বাংলাকে চৌদ্দ এবং পনের শতকে শাসন করেছে। ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ যিনি দিল্লির অধীন থেকে বাংলাকে মুক্ত করে বাংলায় স্বাধীন সুলতানী কায়েম করেন। শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ যদিও তার রাজধানী পান্ডুয়ায় স্থাপন করেন পরবর্তীতে ১৪৫৩ সালে নাসিরউদ্দীন মাহমুদ সেই রাজধানীকে লখনৌতি তে স্থাপন করেন। ১৪১৫ সালে ইলিয়াস শাহি বংশকে পরাজিত করে রাজা গণেশ রাজ্য দখল করে নেন। রাজা গণেশের পুত্র যাদু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জালাল উদ্দীন মোহাম্মদ শাহ নাম ধারণ করেন এবং তার পিতার উত্তরসুরি হন। তার পুত্র শামসউদ্দীন আহমেদ শাহ পরবর্তীকালে মৃত্যুবরণ করলে শামসউদ্দীন ইলিয়াস শাহের উত্তরশুরী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ পুনরায় ইলিয়াস শাহী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ইলিয়াস শাহী বংশের শেষ উত্তরসুরি জালালউদ্দিন ফাতেহ শাহ তার হাবশী সেনাপতি কর্তৃক নিহত হলে ইলিয়াস শাহী বংশের সমাপ্তি ঘটে। == শাসকদের তালিকা == ধারনকৃত নাম ব্যাক্তিগত নাম রাজত্বকাল ''সুলতান শামসুদ্দীন'' ইলিয়াস শাহ ১৩৪২-১৩৫৮ ''সুলতান'' সিকান্দার শাহ ১৩৫৮-১৩৯০ ''সুলতান গিয়াসউদ্দীন'' আজম শাহ ১৩৯০-১৪১১ ''সুলতান সাইফউদ্দীন'' হামজা শাহ ১৪১১-১৪১৩ ''সুলতান'' মোহাম্মদ শাহ ১৪১৩ ''সুলতান শিহাবউদ্দীন'' ১৪১৩-১৪১৪ ''সুলতান আলাউদ্দীন'' আলাউদ্দীন ফিরোজ শাহ ১৪১৪-১৪১৫ ''সুলতান নাসিরউদ্দীন আবুল মোজাফ্ফর'' মাহমুদ শাহ ১৪৩৫-১৪৫৯ ''সুলতান রোকনউদ্দীন'' বার্বাক শাহ ১৪৫৯-১৪৭৪ ''সুলতান শামসউদ্দীন আবুল মোজাফ্ফর'' ইউসুফ শাহ ১৪৭৪-১৪৮১ ''সুলতান'' দ্বিতীয় সিকান্দার শাহ ১৪৮১ ''সুলতান জালালউদ্দীন'' ফাতেহ শাহ ১৪৮১-১৪৮৭ ১৪৮৭ সালে হাবসি সেনাপতি ইলিয়াস শাহী বংশের বিলোপ ঘটান এবং নিজে ক্ষমতা দখল করে নেন। == তথ্যসূত্র == ==আরো দেখুন== বাংলায় ইলিয়াস শাহী শাসন == বহিঃসংযোগ == Banglapedia Iliyas Shah The Iliyas Shahi Dynasty রাজবংশ ইতিহাস ইতিহাস ভারতের ইতিহাস শাসক সালতানাত মুসলিম রাজবংশ'''স্টিভেন চু''' (জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) একজন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৯৭ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। == জীবনী == চু মিসৌরির সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রোচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে গণিতে বিএ এবং পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ইউনিভার্সিটি অব বার্কলে থেকে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএচডি ডিগ্রি অর্জনের পর চু আরো দুই বছর ইউনিভার্সিটি অব বার্কলেতে ডক্টরেটোত্তর গবেষণা করেন। এরপর তিনি বেল ল্যাবসে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। ২০০৪ সালের অগাস্টে তিনি লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরীর পরিচালক নিযুক্ত হন। তিনি একই সাথে ইউনিভার্সিটি অব বার্কলের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ এবং মলিকুলার সেল বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Secretary of Energy Steven Chu at United States Department of Energy The Nobel Prize in Physics 1997 from Nobel Prize with biography, lecture, diploma, photos, symposia and links Bio from Lawrence Berkeley National Laboratory ** Solutions for Global Warming, Berkeley University, November 13, 2007 includes link to event on YouTube ** BP Makes Berkeley World Center for Biofuels press release on the BP collaboration February 16, 2007 ** Alternative Energy Sources March 28, 2005, Chu's PowerPoint presentation Boulder’s physicists give Chu thumbs-up Article on other Nobel laureates' reactions to Chu as Secretary of Energy Biography and Bibliographic Resources, from the Office of Scientific and Technical Information, United States Department of Energy জন্ম ব্যক্তি নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী পদার্থবিজ্ঞানী বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী বংশোদ্ভূত আমেরিকান রাজনীতিবিদ শিক্ষক অব বার্কলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অব বার্কলের শিক্ষক পদার্থবিজ্ঞানী প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''মৈত্রেয় বুদ্ধ''' () বলতে বৌদ্ধ ধর্মের ভবিষ্যতের অনাগত বুদ্ধকে বোঝানো হয়ে থাকে। বৌদ্ধ ঐতিহ্যানুসারে, বোধিসত্ত্ব মৈত্রেয় ভবিষ্যতে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে বুদ্ধত্ব লাভ করবেন। বৌদ্ধ পুথিগুলি অনুযায়ী, মৈত্রেয় বর্তমান বুদ্ধ গৌতম বুদ্ধের উত্তরসূরী। ভবিষ্যতে অধিকাংশ মানুষ ধর্ম ভুলে গেলে মৈত্রেয় আবির্ভূত হবেন বলে থেরবাদ, মহাযান বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মের সাহিত্যগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ==বরপ্রাপ্তির ঘটনা== খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে (১৫৩০ খৃঃ) থাইল্যান্ডের ভিক্ষু শ্রীমত্‍ ফ্রা রতন পঞঞা স্থবির কর্তৃক দেশিত "জিনকাল মালীপকরণ" নামক পুস্তক হতে জানা যায় যে,আমাদের ভবিষ্যত বুদ্ধ আর্য মৈত্রেয় মারজয়ী তথাগত মহুত সম্যক সম্বুদ্ধ হতে বুদ্ধ হওয়ার বর প্রাপ্ত বুদ্ধের বর প্রাপ্তির পর তিনি ষোল অসংখ্যেয় কালসহ লক্ষাধিক কল্প পারমী পূর্ণ করেছেন।বর্তমানে তিনি তুষিত স্বর্গে (১৩) অবস্থান করেছেন।ভবিষ্যতে জগতে তিনি সম্যক সম্বুদ্ধরূপে আবির্ভূত হবেন ==আবির্ভাবের সময়== মানুষের আয়ু তাদের অকুশল কর্মের প্রভাবে ত্রূমে ১০ বত্‍সরে এসে পৌঁছবে এবং কুশল কর্মের প্রভাবে তাদের আয়ু বাড়তে থাকবে।যখন তাদের আয়ু ৮০ হাজার বত্‍সর হবে তখন জগতে মৈত্রেয় বুদ্ধের আর্বিভাব হবে।কিন্তু অটঠকথায় উল্লেখ আছে যে,সংবর্ত কল্পে (৩০) বুদ্ধের আবির্ভাব হয় না।তাহলে মানুষেয় আয়ু অসংখ্যেয় বত্‍সর হয়ে আবার যখন ত্রূমে ৮০ হাজার বত্‍সর হবে তখন জগতে আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের আর্বিভাব হবে।গৌতম বুদ্ধ আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের সময়ের কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই।তবে অনাগতবংশ গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে,আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ দশ কোটি বত্‍সর পর জগতে আবির্ভূত হবেন।কিন্তু অটঠকথা মতে ইহাতে অনেক শত সহস্র বত্‍সরেয় কোটিগুণ বুঝায়।আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব ষোল অসংখ্যেয় কালসহ লক্ষাধিক কল্প পারমী পরিপূর্ণ করে বর্তমানে তুষিত স্বর্গে অবস্থান করতেছেন।তিনি সেখানে স্মৃতিমান হয়ে অবস্থান করতেছেন।তিনি তার পূর্বজন্ম সম্বন্ধে অবগত আছেন।তিনি তুষিত স্বর্গে দেবতাদের আয়ুষ্কাল পর্যন্ত অবস্থান করবেন।এখানকার দেবতাদের আয়ুষ্কাল ৫৭ কোটি ৬০ লক্ষ বত্‍সর।জগতে বুদ্ধরূপে আবির্ভাব হওয়ার এক হাজার বছর পূর্বে দেব ব্রক্ষাগণ তার আবির্ভাবের ঘোষণা দেবেন।এই ঘোষণাকে "বুদ্ধ কোলাহল" বলা হয়। ==প্রতিসন্ধি গ্রহণ== আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব তুষিত দেবলোক হতে চ্যুত হয়ে স্মৃতিমান সম্প্রজ্ঞান সমন্বিত অবস্থায় মাতৃগর্ভে প্রবেশ প্রতিসন্ধি গ্রহণকালে নিম্নলিখিত আশ্চর্য অদ্ভুত ঘটনার আবির্ভাব হবে।যখন বোধিসত্ত্ব তুষিত দেবলোক হতে চ্যুত হয়ে মাতৃকুক্ষিতে প্রবেশ এবং শ্রমণ ব্রাহ্মণ দেব মনুষ্য সহিত এই পৃথিবীতে দেবতাগণের দেবানুভাব অতিক্রম করে অপরিমিত মহান আলোকের প্রকাশ হবে।অনন্ত ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন লোকান্তরিক নিরয় যে স্থানে মহাবলশালী চন্দ্র সূর্যের কিরণ প্রবেশ করতে অক্ষম,সে স্থান দেবতাগণের দেবতানুভাব অতিক্রম করে অপরিমিত মহান আলোকের প্রকাশ হবে।যে সকল প্রাণী স্থানে উৎপন্ন তারা আলোকে পরস্পর জানতে সক্ষম হবে, “ওহে অন্যান্য প্রাণীও স্থানে উৎপন্ন হয়েছে।দশ সহস্র জগৎ সম্পন্ন এই ব্রক্ষান্ড কম্পিত হবে,প্রকম্পিত হবে,সঞ্চারিত হবে।এ দেবতাগণের দেবানুভাব অতিক্রম করে অপরিমেয় বিপুল দীপ্ত বিশ্বে প্রাদুর্ভূত হবে।এইরূপ অদ্ভুত ঘটনার আবির্ভাব হবে।আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব মাতৃকুক্ষিতে প্রবিষ্ট হলে তার রক্ষার জন্য চার দেবপুত্র আগমন করবেন যাহাতে মনুষ্য অথবা অমনুষ্য কেহই বোধিসত্ত্ব অথবা তার মাতার কোন অনিষ্ট সাধন করতে না পারে।বোধিসত্ত্ব মা্তৃকুক্ষিতে প্রবিষ্ট হলে তার মাতা স্বভাবতঃ শীলবর্তী মদ্যপান হতে বিরত হবেন এবং তিনি পুরুষের প্রতি রাগোপসংহিত চিত্ত উৎপাদন করবেন না।তিনি রক্তচিত্ত পুরুষের প্রভাবের অতীত মাতা পঞ্চেন্দ্রিয়ের পরিতৃপ্তিরূপে সুখের অধিকারী হবেন এবং এই সুখের উপকরণরুপ ভোগ্য বস্তুসমূহের দ্বারা পরিবেষ্টিত সেবিত হয়ে বিহার করবেন।তিনি কোন প্রকার রোগাক্রান্ত হবেন না,অক্লান্ত দেহে সুখ অনুভব করবেন।কুক্ষিগত বোধিসত্ত্বকে সর্বাঙ্গ সর্বেন্দ্রিয় সম্পন্ন দেখতে পাবেন। ==শারিরীক গঠন অন্যান্য বৈশিষ্ট্য== ভগবান আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের আয়ুষ্কাল হবে বিরাশি (৮২) হাজার বৎসর,তিনি উচ্চতায় অষ্টাশি (৮৮) হাত হবেন।প্রস্থে পঁচিশ (২৫) হাত হবেন এবং উচ্চতা প্রস্থানুযায়ী অন্যান্য বিষয়ের দৈর্ঘ্য প্রস্থ হবে।পায়ের তলা হতে হাটু পর্যন্ত তার পরিমাপ হবে বাইশ (২২) হাত,হাটু হতে নাভিমন্ডলের পরিমাণ হবে বাইশ (২২) হাত,নাভিমন্ডল হতে কন্ঠাস্থির পরিমাণ হবে বাইশ (২২) হাত,কন্ঠাস্থি হতে মস্তকশীর্ষ পর্যন্ত পরিমাপ হবে বাইশ (২২) হাত,তার উভয় বাহুদ্বয়ের দৈর্ঘ্য হবে পাঁচ (৫) হাত,প্রত্যেক আঙ্গুল হবে চার (৪) হাত,প্রত্যেক হাতের তালু পাঁচ (৫) হাত,নাকের উচ্চতা সাত (৭) হাত,প্রত্যেক চক্ষুগর্ত সাত (৭) হাত,প্রত্যেক চক্ষু সাত (৭) মধ্যে ফাঁক পাঁচ (৫) হাত,প্রত্যেক কান সাত (৭) হাত এবং প্রত্যেক কানের পরিধি পঁচিশ (২৫) হাত হবে।তিনি বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণ এবং অশীতি অনুব্যঞ্জন যুক্ত হবেন।চন্দ্র সূর্য আলোক উজ্জ্বলতার মধ্যে সুবর্ণ তারকার ন্যায় তার শরীর হতে ষড়রশ্মি (৩১) নির্গত হবে।এই ষড়রশ্মি দশ সহস্র চক্রবাল পর্যন্ত আলোকিত করবে।সর্বক্ষণ বুদ্ধের রশ্মি বিদ্যমান থাকবে এবং দিবারাত্রির মধ্যে তারতম্য প্রত্যক্ষ করতে অসম্ভব হয়ে পড়বে।জনসাধারণ জলপদ্ম স্থলপদ্মের পাতা পাঁপড়ি দেখে এবং পক্ষীদের কলরব শুনে সন্ধ্যা এবং সূর্যাস্ত নির্ণয় করবে।মানুষেরা পক্ষীর কলরব শুনে সূর্যোদয় এবং সকাল সম্বন্ধে অবগত হবে এবং বাহির হয়ে জল পদ্ম স্থল পদ্মের পাতা পাঁপড়ির উন্মোচন দেখে দিবা সম্বন্ধে অবগত হবে।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ যখন মাটিতে পা স্থাপন করবেন তখন তার পাদতল হতে ত্রিশ হাত বহিঃ পাঁপড়ি,পঁচিশ হাত অন্তঃ পাঁপড়ি,ষোল হাত পুষ্পবৃন্ত,দশ হাত পুষ্প রেণু বিশিষ্ট পদ্ম প্রস্ফুটিত হবে।জনসাধারণ বাণিজ্য কৃষিকার্যে নিয়োজিত না হয়েও সুস্বাদু ভাত খেয়ে কোন রোগবালাই ছাড়া স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করবে।বুদ্ধের মহিমায় এবং করুণায় জনসাধারণ ধর্মের প্রতি উৎসাহিত হয়ে সংসার হতে মুক্ত হয়্র সুন্দর কাপড়ে অলংকারে সুসজ্জিত হবে।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের পারমীর পরিপূর্ণ করার সময় অন্যান্য বুদ্ধের হতে সম্পূর্ণ পারমীর বৈশিষ্ট্যের জন্য একইরূপ হবে। ==জন্মগ্রহণ== আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ চক্রবর্তীরাজা শঙ্খের রাজধানী কেতুমতী (বর্তমান বারাণসী) নগরে জন্মগ্রহণ করবেন।তখন জম্বুদ্বীপে ৮৪ হাজার নগর থাকবে।নব্বই কোটি রাজপুত্র পরিধি হবে লক্ষ লীগ।কেতুমতী নগর কন্টক বিহীন স্বচ্ছ সবুজ তৃণাবৃত থাকবে।এই তৃণের উচ্চতা হবে আঙ্গুলের মত এবং উহা নরম কাপড়ের মত সুকোমল হবে।আবহাওয়া সব সময় অনুকূলে থাকবে।বৃষ্টিপাত সময়োপযোগী হবে এবং বাতাস অতি উষ্ণ হবে না,অতি শীতল হবে না।নদ-নদী পুষ্করিনীতে জল পূর্ণ থাকবে।মটর এবং শিমের আকৃতিতে মসৃণ শ্বেত বালুরাশি হবে।সমস্ত জম্বুদ্বীপ ফুলে ফুলে সজ্জিত থাকবে।গ্রামে নিগমে জনসাধারণ খুব কাছাকাছি বসবাস করবে।তারা শান্ত নিরাপদ এবং নিঃশংক থাকবে।তাদের প্রীতি,সুখ আনন্দ মুখর আয়োজন অনুষ্ঠান হবে।তাদের খাদ্য পানীয় প্রচুর পরিমাণে রাজধানী অলকানন্দের ন্যা্য জম্বুদ্বীপ সদা উল্লাসিত থাকবে।কেতুমতী ১২ লীগ লম্বা এবং লীগ প্রস্থ জম্বুদ্বীপের পদ্ম প্রস্ফুটিত পুষ্করিনী জল পক্ষে সহজেই পুষ্কারিনীতে সকল সময়ে উঠতে নামতে কোন অসুবিধা হবে না।কেতুমতী নগরের সপ্ত রং সজ্জিত সাত সারি তাল গাছ থাকবে।কেতুমতী শহরের অভ্যন্তরে পীত লোহিত শ্বেত কল্পতরু (২৪) সজ্জিত থাকবে।এই কল্পতরু হতে স্বর্গীয় মনিরত্ন ঝুলতে থাকবে এবং ইচ্ছানুযায়ী ধন-সম্পদ কল্পতরু হতে পাওয়া যাবে।এই কেতুমতী নগরে শঙ্খ নামে একজন চক্রবর্তী রাজার আবির্ভাব হবে।অতীত জন্মে তিনি তার পিতা একজন পচ্চেক বুদ্ধের জন্য একটা পর্ণকুটির তৈরী করে দিয়েছিলেন।তারা পচ্চেক বুদ্ধকে এখানে তিন মাস বর্ষাবাসের জন্য আহবান করেছিলেন এবং বর্ষাবাসের পর ত্রিচীবর (৩৫) দান করেছিলেন।এই পর্ণকুটিরে সাতজন পচ্চে বুদ্ধ(৩৫) কে এইভাবে বসবাস করার জন্য অনুরোধ পর তারা তাবতিংস দেবলোকে উৎপন্ন হয়েছিলেন।শক্র তার পিতাকে মর্তে মহাপনাদ রাজপুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করার অনুরোধ করেন।দেবতাদের মধ্যে স্থপতি বিশ্বকর্মা মহাপনাদের জন্য একটা প্রাসা্দ নি্র্মাণ করেছিলেন।গৌতম বুদ্ধের সময় মহাপনাদ ভদ্দজী স্থবির ছিলেন।এক সময় গঙ্গা নদীর তলদেশ হতে মহাপনাদের প্রাসাদ স্বোদর হয়ে এসেছিল।এই প্রাসাদ ভবিষ্যত শঙ্খের জন্যে অপেক্ষা করছে।এই শঙ্খরাজ অতীত জন্মে পচ্চেক বুদ্ধকে পর্ণকুটির নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।যখন চক্রবর্তী শঙ্খ জগতে আবির্ভূত হবেন,তখন কেতুমতী নগরের মধ্যস্থলে মহাপনাদ প্রাসাদ বের হয়ে আসবে।এই প্রাসাদ এত চোখজ্বলসানো যে উহার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা কঠিন হবে।রাজা শঙ্খ সপ্তরত্নের অধিকারী বিনায়ক রত্ন।রাজার শীল প্রভাবে রাজ্যে কল্পতরুর আবির্ভাব হবে।রাজ্যের জনসাধারণের শীল প্রভাবে বিনা চাষে স্বয়ং জাত তন্ডুল উৎপন্ন হবে।উহা এবং কনবদ্ধ তুষবিহীন হবে।কেতুমতী বাসীদের যে যত তন্ডুল চাইবে,সে তত পরিমাণ তন্ডুল পাবে।কেতুমতী বাসীগণ অত্যন্ত ধনী হবে,তারা মানসিক শারিরীক দিক দিয়ে অত্যন্ত সুখী হবে।রাজা শঙ্খের ৮৪ হাজার নর্তকী থাকবে।তার এক সহস্র পুত্র থাকবে।তার শ্রেষ্ঠ পুত্র তার প্রধান মন্ত্রী হবে।রাজা বিনা অস্ত্রে বিনা যুদ্ধে ধর্মানুসারে সসাগরা জম্বুদ্বীপ জয় করবেন।আর্য মৈত্রে্য বুদ্ধ কেতুমতী রাজ্যর এক বিখ্যাত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করবেন।তার পিতার নাম হবে সুব্রক্ষ।তিনি চক্রবর্তী রাজা শঙ্খের প্রধান পুরোহিত হবেন।তার মাতার নাম হবে মৈত্রেয় বুদ্ধের গৃহী নাম হবে অজিত।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ কেতুমতী নগরের এক অরণ্যে জন্মগ্রহণ করবেন।তার মাতা ব্রক্ষবতীর দন্ডায়মান অবস্থায় বুদ্ধের জন্ম হবে।তিনি যখন মাতৃকুক্ষি হতে নিষ্ক্রান্ত হবেন,প্রথমে দেবগণ তাকে গ্রহণ হতে নিষ্ক্রান্ত হয়ে ভূমিস্পর্শে আসার আগে দেবগণ তাকে গ্রহণ করে তার মাতার সম্মুখে স্থাপন করে হউন,আপনার মহাশক্তি সম্পন্ন পুত্র জন্মগ্রহণ যখন তার মাতৃকুক্ষি হতে নিষ্ক্রান্ত হবেন তখন তিনি সুনির্মল অথবা কোন প্রকার অশুচি দ্বারা লিপ্ত হবেন না।মাতৃকুক্ষি হতে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে অন্তরীক্ষ হতে দুটা জল ধারা নির্গত হবে একটা শীতল,অপরটা উষ্ণ।এই জল ধারায় বোধিসত্ত্ব তার মাতার প্রক্ষালন কার্য সম্পন্ন হবে।তারপর তিনি সমপাদদোপরি স্থিত হবেন এবং উত্তরাভিমুখী হয়ে সপ্ত পদ গমন করবেন।দেবগণ তার মস্তকপরি শ্বেতছত্র ধারণ করবেন।তিনি সর্বদিকে দৃষ্টিপাতপূর্বক এই মহত্ব ব্যঞ্জক বাক্য উচ্চারণ করবেন-এই পৃথিবীতে আমি অগ্র,আমি জ্যেষ্ঠ এবং আমি শ্রেষ্ঠ।ইহাই আমার সর্বশেষ জন্ম আর আমার পুনঃজন্ম জন্মের সাথে এবংশ্রমণ ব্রাহ্মণ দেব-মনুষ্য সহিত এই পৃথিবীতে দেবগণের দেবানুভাব অতিক্রম করে অপ রিমেয় বিপুল দীপ্তি বিশ্বে প্রাদুর্ভূত হবে।অনন্ত ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন লোকান্তরিক নিরয় যে স্থানে মহাবলশালী চন্দ্র সূর্যের কিরণ প্রবেশ করতে অক্ষম,সে স্থানেও দেবগণের দেবানুভাব অতিক্রম করে অপরিমেয় বিপুল দীপ্তি প্রাদুর্ভূত হবে।যে সকল প্রানী স্থানে উৎপন্ন হয়েছে তারাও এই আলোকে পরস্পরকে জানতে সক্ষম হবে ওহে,অন্যান্য প্রাণীও এই স্থানে উৎপন্ন হয়েছে।দশ সহস্র জগৎ সম্পন্ন ব্রক্ষান্ড কম্পিত হবে,প্রকম্পিত হবে,সঞ্চারিত হবে।দেবতাগণের দেবতানুভাব অতিক্রম করে অপরিমেয় বিপুল দীপ্তি বিশ্বে প্রাদুর্ভূত হবে।আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্বের জন্মের পর নৈমিত্তিক ব্রাহ্মণ তাকে দেখে তার বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।এই বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণ সমন্বিত ব্যক্তির মাত্র দুই গতি,অন্য গতি নাই।যদি তিনি গৃহবাসী হন,তাহলে তিনি চক্রবর্তী রাজা হবেন,ধার্মিক ধর্মরাজ চতুরন্ত বিজেতা হন,তার রাজ্য শান্তি দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হয়,তিনি সপ্ত রত্নের অধিকারী সুর বীর শত্রু সেনা মর্দনক্ষম সহস্রাধিক পুত্র লাভ করেন।তিনি এই সসাগরা পৃথিবী দন্ড অস্ত্রবিনা ধর্ম্মানুসারে জয় করে বাস করেন।যদি তিনি গৃহত্যাগ করে প্রবজ্যা আশ্রয় নেন,তাহলে জগতে তিনি মায়াবরণ মুক্ত অর্হৎ সম্যক সম্বুদ্ধ হন।নৈমিত্তিক ব্রাক্ষণদের ভবিষ্যৎ বাণী শুনে বোধিসত্ত্বের পিতা সুব্রক্ষ তাকে যাতে সংসার ত্যাগী সন্ন্যাসী হতে না পারেন তজ্জন্য সচেষ্ট হবেন।তিনি তার ভোগ বিলাসের বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ==গৃহীজীবন== আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব আট হাজার বৎসর গৃহী জীবন যাপন করবেন।তার জন্য চারটা প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে।যথা-(১) (৪)ছন্দক।তার শত সহস্র নর্তকী পরিচারিকা থাকবে।আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্বের স্ত্রীর নাম হবে চন্দ্রমুখী এবং তার পুত্রের নাম হবে ব্রক্ষবর্ধন।আট হাজার বৎসর গৃহীজীবন যাপনের পর একদিন আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব কেতুমতী নগরের উদ্যানভূমি দর্শনার্থে সারথী নিয়ে রথে যাত্রা করবেন।তার রথ স্বর্গীয় সুষমন্ডিত প্রাসাদের মত দেখাবে।তিনি চার প্রকার নিমিত্ত দেখে সংসার জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হবেন।চারনিমিত্ত হল-(১)জরাগ্রস্থ বৃদ্ধ জীর্ণ ব্যক্তি,(৩)মৃত ব্যক্তি শ্মশানের দিকে বহন করার দৃশ্য (৪)প্রব্রজিত সন্ন্যাসী।এই চারনিমিত্ত দেখে সংসারত্যাগের জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব হবেন। বুদ্ধত্ব লাভ== আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব এবং কশ্যপ বুদ্ধের মত আপন প্রাসাদ নিয়ে মহাভিনিষ্ক্রমন করবেন।বুদ্ধবংশ অর্থকথায় উল্লেখ আছে যে,উদ্বায়ী ভাসমান প্রাসাদ হয় এবং যে বোধিবৃক্ষ মূলে বোধিসত্ত্ব বুদ্ধ হবেন সেই বৃক্ষে পরিবেষ্টিত হয়ে পৃথিবীতে নেমে আসেন।প্রাসাদের মহিলাবৃন্দ নিজ নিজ ইচ্ছামত প্রাসাদ ত্যাগ করে চলে যায়।বোধিসত্ত্ব বোধিবৃক্ষ মূলে একাকী ধ্যান মগ্ন হন।আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব প্রাসাদে অবস্থান করে যখন কথা চিন্তা করবেন,এই প্রাসাদ আকাশে উত্থিত হবে এবং বোধিসত্ত্বের সপরিষদ এই প্রাসাদে অবস্থান করবেন।তখন দশ সহস্র চক্রবালে দেবগণ পুষ্প দিয়ে তাকে পূজা ৮৪ হাজার নগরের এবং দেশের জনগণ তাকে ফুল সুগন্ধি দিয়ে পূজা করবেন,অসুর পুরীর রাজাগণ আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্বের প্রাসাদ পাহাড়া দেবেন। নাগরাজগণ বোধিসত্ত্বকে মূল্যবান মনি দিয়ে পূজা করবেন।সুপর্ণ রাজাগণ তাদের গলার মনিরত্ন খচিত মালা উপহার দেবেন।গন্ধর্বগণ তাকে নৃত্য বাদ্য সহকারে সম্মান প্রদর্শন সহিত কেতুমতী রাজ্যের চক্রবর্তী রাজসহ সকল রাজপরিষদ রাজা মহাসত্ত্বের মহিমায় সকল পরিষদ প্রবজ্যা গ্রহণ করবেন।তারা মহাসত্ত্বের সহিত বোধিবৃক্ষের মূলে সমবেত হবেন তখন মহাব্রক্ষা ষাট লীগ বিশিষ্ট শ্বেতছত্র নিয়ে বোধিসত্ত্বের মস্তকোপরি উত্তোলন করবেন।দেবরাজ শক্র বিজুত্তর শঙ্খধ্বনি করবেন।যাম স্বর্গের দেব রাজ সুযাম চমরীধেনুর পূচ্ছানির্মিত পাখা দিয়ে বোধিসত্ত্বকে পূজা করবেন।তুষিত স্বর্গের দেবপুত্র সন্তষিত মনিরত্নময় পাখা পঞ্চসিখ স্বর্গীয় বীণা বেলুপণ্ড নিয়ে বাজাতে দেবগণ প্রাসাদের চারদিকে বেষ্টন করে অবস্থান করবেন এবং প্রাসাদ পাহাড়া দেবেন।এই স্থানের বোধিসত্ত্বের সম্মুখে পশ্চাতে পাশে থেকে তার সহিত গমন করবেন।এইভাবে মহাজাকজমকে বোধিসত্ত্ব দেব মনুষ্য পরিবেষ্টিত হয়ে আকাশে প্রাসাদোপরি অবস্থান করবেন।এই সময়ে মহাব্রক্ষা ব্রক্ষলোক হতে অবতরণ করবেন এবং তার ঋদ্ধিবলে অষ্টপরিষ্কার (৩৬) সৃষ্টি করে বোধিসত্ত্ব্কে অর্পণ তার মাথার কেশ কর্তন করে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দেবেন।তারপর তিনি মহাব্রক্ষা প্রদত্ত অষ্টপরিষ্কার পরিধান করে প্রবজ্জিতরূপে সজ্জিত হবেন।এই বোধিবৃক্ষস্থলে বোধিসত্ত্ব সাতদিন কঠোর সাধনা সহিত আগত মনুষ্যগণ প্রবজ্যা গ্রহণ করে নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করে সাধনায় মগ্ন হবেন।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের বোধিবৃক্ষ হবে নাগেশ্বর বৃক্ষ।এই বৃক্ষ উচ্চতায় ১২০ হাত এবং চার প্রধান শাখা থাকবে উহাদের ১২০ হতে ১৩০ হাত হবে।তাহা ছাড়া এই বৃক্ষের দুই হাজার ছোট ছোট শাখা থাকবে।এই শাখাগুলি অগ্রভাগ নিম্নমুখী থকবে এবং সর্ব সময়ে নড়তে থাকবে।এই বৃক্ষে চক্রের মত বড় বড় নাগফুলে শোভিত থাকবে।এই পুষ্পের পুষ্পরেণু স্বর্গীয় সুগন্ধে সুবাসিত করে রাখবে।এই সুবাসিত সুগন্ধ বাতাসের অনুকূলে প্রতিকূলে প্রবাহিত হয়ে দশ লীগ বেষ্টিত এলাকায় বিস্তৃত থাকবে।এই বৃক্ষের পত্রগুলি সকল ঋতুতে গাঢ় সবুজ থাকবে এবং পুষ্প মানুষের দিকে বিস্তৃত থাকবে।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ তার পরিবারের লোকজনসহ বন্ধু-বান্ধব রাজপরিষদকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিনিষ্ক্রমণ করবেন।তাদের মধ্যে চতুরঙ্গ সেনা এবং চর্তুবর্ণ পরিষদ থাকবে এবং তারা প্রবজ্যা গ্রহণ করবে।তার সহিত ৮৪ হাজার রাজপুত্র এবং ৮৪ হাজার ত্রিদেবজ্ঞ ব্রাক্ষণও থাকবেন।বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসিদত্ত পুরাণ বিজয় অপরিমিত গৃহপতি,সুদত্ত জনৈক মহৎ ব্যক্তি,বিসাখ যশবতী দম্পতি প্রভৃতি থাকবেন।তাহা ছাড়া সামাজিক বিভিন্ন পদবিধারী লোকজন তার সহিত থাকবেন।বুদ্ধদের চারটি অপরিবর্তিত স্থান স্থান প্রবর্তনের স্থান দেশনার প্র মর্তে অবতরণের স্থান সাংকাশ্য (৪)শ্রাবস্তীর বুদ্ধের দীর্ঘকাল অবস্থানের স্থান গন্ধকুটি বিহার।আর্য মৈত্রেয় বোধিসত্ত্ব বুদ্ধত্ব লাভের দিন পায়সান্ন গ্রহণ করবেন।তারপর বোধিবৃক্ষের মূলে ঘাস প্রসারিত করে নির্দিষ্ট আসনে বসবেন।প্রথমে তিনি আনাপান স্মৃতিপ্রস্থান অনশীলন করবেন।তখন মার তার সৈন্যসহ বোধিসত্ত্বকে ধ্যান চ্যুত করতে অগ্রসর হবেন।কিন্তু বুদ্ধের পারমী পূরণের প্রভাবে মার পরাজিত হয়ে দুঃখিত মনে বোধিবৃক্ষের স্থান হতে প্রস্থান পর তিনি আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ নামে অভিহিত হবেন।সম্বোধি প্রাপ্তির পর আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ বোধিবৃক্ষের চারপাশে সাত সপ্তাহ বিমুক্তি সুখে অতিবাহিত করবেন।তারপর তিনি তার অধীত ধর্ম প্রচারের জন্য মহাব্রক্ষা কর্তৃক অনুরুদ্ধ হবেন। ==ধর্মপ্রচার== আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ নাগবনে সর্ব প্রথম ধর্ম প্রবর্তন করবেন।এই নাগবন কেতুমতী নগরের ঋষিপত্তন নামক স্থানে অবস্থিত।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ ধর্ম প্রবর্তন কালে একশত লীগ বিস্তৃত স্থানে মহাজনতা সম্মেলন হবে।সেই সময়ে দেবলোক হতে দেবতাগণ সম্মেলনে যোগদান করবেন।ধর্মচক্র প্রবর্তনকালে একশত কোটি সত্ত্বের ধর্মচক্ষু উন্মিলিত হবে।চতুরার্য সত্য প্রকাশের আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের এটা প্রথম অভিসময় (৩৭)।চক্রবর্তী রাজা শঙ্খ তার জন্য মনিরত্ন প্রাসাদ বুদ্ধ প্রমুখ ভিক্ষু সংঘকে দান করবেন।তিনি দরিদ্র,দুঃস্থ এবং ভিক্ষুকদের অকাতরে দান দেবেন।রাজা তার নব্বইশত কোটি পরিষদসহ তার স্ত্রীকে নিয়ে বুদ্ধের নিকট উপনীত হবেন।তারা সকলে ‘এহি ভিকখু’ বা ‘এস ভিক্ষু’ বলার সাথে সাথে অষ্টপরিষ্কার পরিবৃত হয়ে পরিণত হবেন।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের এটাই হবে দ্বিতীয় অভিসময়।যখন আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের তৃতীয় অভিসময় বা সম্মেলন হবে তখন দেব-মনুষ্য অর্হৎ বিষয়ে আলোচনার জন্য তার নিকট সমবেত হবেন।তখন আশি কোটি সত্ত্বের ধর্মচক্ষু উৎপন্ন হবে।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের সময়ে অর্হৎদের তিনটা সন্নিপাদ (৩৮) বা সম্মেলন হবে।প্রথম সন্নিপাদ (৩৮) লক্ষ কোটি অর্হৎ ভিক্ষু উপস্থিত থাকবেন।অন্যান্য বুদ্ধের ন্যায় আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ মাঘী পূর্ণিমায় প্রাতিমোক্ষ (৩৯) উদ্দেশ্যের সময় এই সম্মেলন হবে।এই সম্মেলনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-(১)এই সময়ে উপস্থিত সকল ভিক্ষু ‘এহি ভিকখু’ হবেন,(২)তারা ষড়াভিজ্ঞ (৪০) হবেন,(৩)তারা পূর্বঘোষণা ছাড়াই উপ স্থিত হবেন,(৪)পঞ্চদশ দিবসে এই উপসোথ অনুষ্ঠিত হবে।দ্বিতীয় সন্নিপাদ হবে,বর্ষাবাসের প্রবারণা (৪১) পূর্ণিমায়।তখন নব্বই কোটি অর্হৎ ভিক্ষু উপস্থিত থাকবেন।তৃতীয় সন্নিপাদ হবে যখন আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ হিমবন্ত প্রদেশের গন্ধমাদন ঢুলু অঞ্চলে নির্জনে বাস করতে যাবেন।তখন অর্হৎদের সংখ্যা হবে আশি লক্ষ কোটি।অন্য সময়ে আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ ষড়াভিজ্ঞ সম্পন্ন এবং ঋদ্ধিপ্রাপ্ত লক্ষ কোটি ভিক্ষুদের দ্বারা পরিবৃত্ত থাকবেন।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ অনেক লোকের ধর্মচক্ষু উৎপন্নের জন্য তার ধর্মদেশনা করে গ্রামে গঞ্জে ঘুরতে থাকবেন।অনেকে তার নিকট ত্রিশরণাগমন করবেন,অনেকে পঞ্চশীলে প্রতিষ্ঠিত হবেন এবং অনেকে দশশীলে প্রতিষ্ঠিত হবেন,অনেকে তার নিকট উপসম্পদা গ্রহণ করে চতুর্বিধ ফল সমাপত্তি লাভ করবেন।অনেকে বিদর্শন জ্ঞান,অষ্ট এবং ষড়াভিজ্ঞ লাভ করবেন।বুদ্ধের দেশনা বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হবে।বুদ্ধ কোন ব্যক্তি অর্হৎ প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখে সেই ব্যক্তির জন্য মুহুর্তে লক্ষ লীগ পথ অতিক্রম করবেন।এমনকি সত্ত্বগণ যাহাতে নিম্ন যোনিতে উৎপন্ন না হয়,সেই জন্য তিনি তাদের সমুত্তেজিত রাখতে প্রচেষ্টা করবেন।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের অগ্রশ্রাবক হবেন চক্রবর্তীরাজা শঙ্খ।তার প্রবজিত নাম হবে অশোক।তার দ্বিতীয় অগ্রশ্রাবক হবেন উপস্থাপক হবেন সীল।বুদ্ধের প্রধান মহিলা শিষ্যা হবেন সীহা।বুদ্ধের প্রধান মহিলা শিষ্যা হবেন পদুমা সুমনা।বুদ্ধের প্রধান গৃহী উপাসক হবেন সুমন শঙ্খ এবং গৃহী উপাসিকা হবেন যশবতী সংঘা।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ কোথাও গমন করলে বিপুল সংখ্যক দেবতা বুদ্ধের সম্মান করতে করতে তার সহিত গমন করবেন।কামাবচর ভূমির দেবতাগণ,নাগ সুপর্ণগণ সজ্জিত মণি মুক্তা দিয়ে তৈরী করে পরিধান করবেন।স্বর্ণ রৌপ্য মণি প্রবাল প্রভৃতি দিয়ে তৈরী আটটি গলার মালা থাকবে।বিভিন্ন রং সজ্জিত শত শত পতাকা উড়তে থাকবে।চাঁদোয়ার অলংকিত মনিরত্নগুলি চন্দ্রের মত দেখাবে।এইগুলি মনিরত্ন খচিত এবং বাজনার দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে।তখন দেব মনুষ্যলোকীয় সুগন্ধ পুষ্প ধূপে ভরপুর থাকবে।বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাবান হয়ে তারা বুদ্ধের গুণকীর্তন করতে থাকবে।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের শীল গুণে বিভিন্ন প্রকার অলৌকিক ঘটনা ঘটবে।এই সব অলৌকিক ঘটনা দর্শন করে অনেকে মৃত্যুকেও তুচ্ছ জ্ঞান করে বুদ্ধের শরণাপন্ন হবে।তাতে অনেকে ভব যন্ত্রণা হতে মুক্ত হবেন এবং যদি কেহ মুক্ত হতে না পারেন,তবে স্বর্গে গমনের পথ প্রশস্ত করতে পারবেন।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ সময়োপযোগী বিনয় বিধান নির্দেশ করবেন প্রয়োজনে অন্যান্য সত্ত্বদের উপযোগী তিনি জাতক বর্ণনা করবেন।তিনি তার নিকট বুদ্ধবংশ প্রকাশ করবেন।অন্যান্য বুদ্ধের মত তিনি তার প্রাত্যহিক বুদ্ধকৃত্য সম্পাদন করবেন।তিনি আগন্তুক ভিক্ষুদেরকে স্বাগত জানিয়ে তাদের কুশলাদি জিজ্ঞেস করবেন।তিনি নিমন্ত্রিত স্থানে বর্ষাবাস করবেন এবং নিমন্ত্রিত ব্যক্তিকে জানিয়ে সেই স্থান ত্যাগ করবেন।তিনি প্রত্যেক দিবারাত্রি বুদ্ধকৃত্য সম্পাদন করবেন এবং রাত্রি প্রথম যামে ধ্যান করে দ্বিতীয় যামে শয্যা গ্রহণ করবেন এবং তৃতীয় যামে দেবতাদের সহিত কথোপকথন করবেন।বুদ্ধগণ ধর্মদেশনাকালে আদিতে শীল,মধ্যে আর্যমার্গ অবসানে নির্বাণ সম্বন্ধীয় ধর্মদেশনা করে থাকেন।সেই হেতু বলা হয়েছে-যোধম্মং দেসেতি আদি কল্যাণং মজঝো কল্যাণং পরিয়োসানে চুল হস্তি পদোপম সূত্রে আছে-আদি মিহং দস্মেয়্য মজমে সগগং কল্যাণং এসাকধিক সন্ঠিতরীতি।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ সম্বন্ধে এই কথা প্রযোজ্য। বুদ্ধগণ অনিত্য ধর্মের অধীন,তাদেরকেও মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধকেও পরিনির্বাণে নির্বাপিত হতে হবে।সকল বুদ্ধগণ পরিনির্বাণের পূর্বে মাংস রস গ্রহণ করে থাকেন।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধ পরিনির্বাণের পূর্বে মাংস রস গ্রহণ করবেন।বুদ্ধের পরিনির্বাণের পূর্বে ২,৪০০,০০০ কোটি সত্ত্ব (অরহত্ব) প্রাপ্ত হবেন।আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের পরিনির্বাণের বিপাক কর্মজ রূপের প্রভাবে কোন দেহাবশেষ থাকবে না।তিনি নির্বাণ ধাতুতে নির্বাপিত হবার সাথে সাথে তার আর কোন অবশিষ্ট থাকবে না। ==ধর্মের আয়ুষ্কাল== অনাগত বংশে উল্লেখ আছে যে,আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের ধর্মের আয়ুষ্কাল হবে লক্ষ ৮০ হাজার বৎসর।কিন্তু অর্থকথায় উল্লেখ আছে যে,আর্য মৈত্রেয় বুদ্ধের ধর্ম লক্ষ ৮০ হাজার বৎসর বিদ্যমান থাকবে। == পাদটীকা == ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== The Maitreya Project, building huge statue of Maitreya in Kushinagar, India April 2010 Smithsonian Magazine Article About the Future Buddha Ariya Ajita Metteyya The Story of the Coming Buddha: Ariya Metteyya'''.ইটি''' ইথিওপিয়ার কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন ইন্টারনেট প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় সংকেত ডোমেইন সাফিক্স। নিবন্ধন সরাসরি তৃতীয় স্তরে গ্রহণ করা হয়। == দ্বিতীয় স্তরের ডোমেইন নাম == দ্বিতীয় স্তরের কিছু ডোমেইন নাম অনুমোদিত। '''.com.et''', ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য '''.gov.et''', সরকারি সংস্থার জন্য '''.org.et''', অলাভজনক বেসরকারি সংস্থার জন্য '''.edu.et''', শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য '''.net.et''', নেটওয়ার্ক বিষয়ক কম্পানির জন্য '''.biz.et''', বাণিজ্যের জন্য '''.name.et''', সতন্ত্র নামের ক্ষেত্রে '''.info.et''', যে কোন ব্যবহারের জন্য == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == IANA .et whois information Ethio-Internet Domain Name Service কোড টপ-লেভেল ডোমেইন'''চেং পু সাই''' (সরলীকৃত চীনা: 张保仔; ঐতিহ্যবাহি চীনা: 張保仔; পিনয়িন: Zhāng Bǎozǎi; জন্ম: ১৭৮৩ ১৮২২) ছিলেন ১৯-শতকের একজন হংকং ভিত্তিক চীনা জলদস্যু। তিনি ''চেং পু/চেং পাও/জেং বাও'' নামেও পরিচিত। চেং পু সাই অর্থ হল, ''চেং পু দ্য কিড''। হংকং-এর কিছু কিছু জায়গা চেং পু সাই-এর সাথে সম্পর্কিত যেমন, চেং পু সাই গুহাঃ এটি চাং চাউ দ্বীপে অবস্থিত। কথিত রয়েছে চেং পু সাই তার লুট করা সমস্ত ধন-রত্ন এই গুহায় লুকিয়ে রাখতেন। চেং পু সাই দেবী টিন হাউ-এর জন্য কয়েকটি মন্দির নির্মাণ করেন। == জীবনী == চেং পু সাই-এর পিতা ছিলেন একজন জেলে যিনি জিনহাই, জিয়াংম্যানে বসবাস করতেন। তার বয়স যখন ১৫ বছর তখন জলদস্যু চেং প্রথম তার স্ত্রী চিং শী তাকে অপহরন করেন। তিনি অপহরনকারীদের পালিত পুত্র হিসেবে লালিত-পালিত হতে থাকেন। এরপর চেং পু তার পালিত পিতা-মাতার পেশা জলদস্যুতাকেই তার নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। চেং পু সাই কুইং রজবংশের সময় গুয়াংডংর উপকূলবর্তী এলাকাতে সক্রিয় ছিলেন। এটি বলা হয়ে থাকে যে, তার অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৫০,০০০+ এবং তার বহরে ৬০০টি দ্রুতগামী জাহাজ ছিল। জলদস্যুতায় তার অন্যতম সহযোগী ছিলেন চাই কিয়ান। এরপর চাই কিয়ানকে কুইং সরকার হত্যা করে চেং পু সাইকে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়। শর্ত সাপেক্ষে চেং পু সাই চীন সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন কুইং ইমপেরিয়াল নেভির ক্যাপ্টেন মনোনীত হন। তিনি তার জীবনের বাকী সময় অন্য জলদস্যুদের সাথে যুদ্ধ করে সরকারকে সহয়তা করে কাটিয়েছেন। == গণসংস্কৃতিতে == ১৯৭৩ সালের হংকং অ্যাকশন চলচ্চিত্র '''দ্য পাইরেট (দ্য হাই দাও)''' -এর প্রধান চরিত্র ছিল চেং পু সাই। ১৯৮৩ সালের হংকং অ্যাকশন চলচ্চিত্র '''প্রোজেক্ট অ্য''' -এর একটি চরিত্র চেং পু সাইকে নিয়ে। পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান: অ্যাট ওয়ার্ল্ড’স এন্ড চলচ্চিত্রটির জলদস্যু সাও ফেং চরিত্রটি চেং পু সাই -এর অনুকরণে সৃষ্টি। হংকং -এ '''অ্যামাজিং রেস ১৭''' দল ''লেগ ১০ এপিসোড ১০'' চলার সময় গুহাটি ভ্রমণ করেছিলেন। জাপানি কার্টুন সিরিজ ওয়ান পিস -এর স্ক্রেচম্যান অ্যাপু চরিত্রটি চেং পু সাই -এর অনুকরনে তৈরি। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Cheung Po Tsai Cave at Pictures of the cave জন্ম মৃত্যু জলদস্যু'''রিচার্ড জন রবার্টস''' একজন ব্রিটিশ প্রাণরসায়নবিদ এবং আণবিক জীববিজ্ঞানী। তিনি ১৯৯৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। == জীবনী == রবার্তস শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে ১৯৬৫ সালে বিএসসি এবং ১৯৬৯ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। == তথ্যসূত্র == ব্যাচেলর সোসাইটির ফেলোগণ নোবেল বিজয়ী জন্ম ব্যক্তি জীববিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''কুরাইশ বংশ''' (, '''কুরাঈশ''' বা '''কোরায়েশ)''' ছিল আরবের একটি শক্তিশালী বণিক বংশ। বংশটি মক্কার অধিকাংশ অংশ আর কাবা নিয়ন্ত্রণ করত। ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদ কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। ==সম্পর্কিত বংশ== বানু কিনানাহ বানু হথাইল বানু সুলায়ম বানু তামিম বনি আসাদ থাকিফ বানু হাওয়াজিন বানু ঘাতাফান কুরাইশ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ইতিহাস গোত্রস্বাধীনতা লাভের পর ভারত স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম ১৯৪৮ খৃষ্টাব্দের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে। == প্রতিযোগী == ক্রীড়া পুরুষ মহিলা বিভাগ অ্যাথলেটিকস্‌ ১০ বক্সিং সাইক্লিং ফিল্ড হকি ২০ ফুটবল ১৮ সাঁতার ওয়াটার পোলো ভারোত্তোলন কুস্তি == পদকপ্রাপ্তদের তালিকা == পদক নাম ক্রীড়া বিভাগ লেসলি ক্লডিয়াসকেশব দত্তওয়াল্টার ডিসুজালরি ফ্রান্সিসজেরি গ্ল্যাকেনআখতার হুসেনপ্যাট্রিক জ্যানসেনআমীর কুমারকিষণ লাললিও পিন্টোযশবন্ত সিং রডরিগেজবলবীর সিং দোসাঞ্জরনধীর সিং সিংদিগ্বিজয় সিংত্রিলোচন সিংম্যাক্সি ভাজ ফিল্ড হকি পুরুষদের প্রতিযোগিতা == 30px অ্যাথলেটিকস্‌ == প্রতিযোগী বিভাগ হিট কোয়ার্টার ফাইনাল সেমিফাইনাল ফাইনাল সময় স্থান সময় স্থান সময় স্থান সময় স্থান এরিক প্রভাকর পুরুষদের ১০০ মিটার দৌড় ১১.০ অগ্রসর হতে পারেননি জিম ভিকার্স পুরুষদের ১১০ মিটার হার্ডল ১৪.৭ প্রযোজ্য নয় অগ্রসর হতে পারেননি সাধু সিং পুরুষদের ১০ কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতা প্রযোজ্য নয় অগ্রসর হতে পারেননি পুরুষদের ৫০ কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতা প্রযোজ্য নয় শেষ করতে পারেননি ছোটা সিং পুরুষদের ম্যারাথন প্রযোজ্য নয় শেষ করতে পারেননি প্রতিযোগী বিভাগ যোগ্যতা নির্ধারণ ফাইনাল ফলাফল স্থান ফলাফল স্থান গুরনাম সিং পুরুষদের হাই জাম্প ১.৮৭ ১.৮০ ১৮ বলদেব সিং পুরুষদের লং জাম্প ৭.০০০ ১১ অগ্রসর হতে পারেননি হেনরি রেবেলো পুরুষদের ট্রিপল জাম্প ১৪.৬৫০ NM প্রতিযোগী বিভাগ যোগ্যতা নির্ধারণ ফাইনাল ফলাফল স্থান ফলাফল স্থান নাট সিং সোমনাথ পুরুষদের হাতুড়ি ছোঁড়ার প্রতিযোগিতা ৪১.৩৬ ২৩ অগ্রসর হতে পারেননি ==link= বক্সিং== ;পুরুষ প্রতিযোগী বিভাগ ৩২ স্তর ১৬ স্তর কোয়ার্টার ফাইনাল সেমিফাইনাল ফাইনাল প্রতিপক্ষফল প্রতিপক্ষফল প্রতিপক্ষফল প্রতিপক্ষফল প্রতিপক্ষফল স্থান রবীন ভট্ট ফ্লাইওয়েট '''হার''' অগ্রসর হতে পারেননি বাবু লাল বান্টামওয়েট '''জয়''' '''হার''' অগ্রসর হতে পারেননি বিনয় বসু ফেদারওয়েট '''হার''' অগ্রসর হতে পারেননি জিন রেমন্ড লাইটওয়েট '''হার''' অগ্রসর হতে পারেননি রোনাল্ড ক্র্যান্টসন ওয়েল্টারওয়েট '''হার''' অগ্রসর হতে পারেননি জন নট্টাল মিডলওয়েট '''হার''' অগ্রসর হতে পারেননি ম্যাক যোয়াসিম লাইট হেভিওয়েট '''হার''' অগ্রসর হতে পারেননি == 30px সাইক্লিং == == 30px হকি == ভারতীয় ফিল্ড হকি দল লেসলি ক্লডিয়াস কেশব দত্ত ওয়াল্টার ডিসুজা লরি ফার্নান্ডেজ রঙ্গনাথন ফ্রান্সিস জেরি গ্ল্যাকেন আখতার হুসেন প্যাট্রিক জ্যানসেন আমীর কুমার কিষণ লাল লিও পিন্টো যশবন্ত সিং রাজপুত লতিফ-উর-রহমান রেজিনাল্ড রডরিগেজ বলবীর সিং দোসাঞ্জ রনধীর সিং জেন্তলে গ্রহনন্দন সিং দিগ্বিজয় সিং ত্রিলোচন সিং ম্যাক্সি ভাজ ১৯৪৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফিল্ড হকিতে প্রথম বারের জন্য ভারত গ্রেট ব্রিটেনের মুখোমুখি হয়। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত ভারত ফিল্ড হকিতে ছিল তার পূর্বতন শাসকদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী। এই দল হকিতে দেশের হয়ে একমাত্র স্বর্ণ পদক জয় করে। ;এ বিভাগের খেলা র‍্যাঙ্ক দল খেলা জয় অমীমাংসিত হার গোল দেয় গোল খায় পয়েন্ট ১. ১৯ '''৬''' '''৯:১''' '''৮:০''' '''২:০''' ২. ১২ '''৩''' ১:৯ ১:১ ৩:২ ৩. ১০ '''২''' ০:৮ ১:১ ১:১ ৪. '''১''' ০:২ ২:৩ ১:১ ;সেমিফাইনাল '''''' '''২ ১''' ;ফাইনাল '''''' '''৪ ০''' == 30px সাঁতার == প্রতিযোগী বিভাগ হিট সেমিফাইনাল ফাইনাল সময় স্থান সময় স্থান সময় স্থান শচীন নাগ ১০০ মিটার ফ্রীস্টাইল ১:০৩.৮ ৩৪ অগ্রসর হতে পারেননি আইজাক মনসুর ১০০ মিটার ফ্রীস্টাইল ১:০৬.৪ ৩৮ অগ্রসর হতে পারেননি দিলীপ মিত্র ১০০ মিটার ফ্রীস্টাইল ১:০৬.৯ ৩৯ অগ্রসর হতে পারেননি বিমল চন্দ্র ৪০০ মিটার ফ্রীস্টাইল ৫:৩৮.৬ অগ্রসর হতে পারেননি ১৫০০ মিটার ফ্রীস্টাইল ২২:৫২.৯ অগ্রসর হতে পারেননি খামলিললাল শাহ ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ১:১৯.৯ অগ্রসর হতে পারেননি প্রদীপ মিত্র ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ১:২৪.৫ অগ্রসর হতে পারেননি প্রফুল্ল মল্লিক ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ৩:১৪.৯ অগ্রসর হতে পারেননি == 30px ওয়াটার পোলো == ভারতীয় ওয়াটার পোলো দল গোরা শীল সমরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অজয় চট্টোপাধ্যায় সুহাস চট্টোপাধ্যায় দ্বারকাদাস মুখোপাধ্যায় দুর্গা দাস যামিনী দাস শচীন নাগ আইজাক মনসুর জাহান আহির এই বিভাগে ভারত নবম স্থান অধিকার করে। ;পুরুষ ;প্রথম পর্ব ;সি বিভাগ স্থান দল খেলা জয় অমীমাংসিত হার গোল দেয় গোল খায় পয়েন্ট ১. ২৬ '''৪''' '''১২:১''' '''১৪:০''' ২. ১৬ '''২''' ১:১২ '''৭:৪''' ৩. ২১ '''০''' ০:১৪ ৪:৭ ;দ্বিতীয় পর্ব ;এইচ গ্রুপ স্থান দল খেলা জয় অমীমাংসিত হার গোল দেয় গোল খায় পয়েন্ট ১. ১৭ '''৪''' '''৫:২''' '''''১২:১''''' ২. ১৩ '''২''' ২:৫ '''১১:১''' ৩. ২৩ '''০''' ''১:১২'' ১:১১ == 30px ফুটবল == রিচমন্ড পার্ক অলিম্পিক ক্যাম্পে ভারতীয় ফুটবল খেলোয়াড়দের খালি পায়ে অনুশীলন ভারতীয় ফুটবল দল তালিমারেন আও সাত্তার বশীর রবি দাস আহমেদ মহম্মদ খান শৈলেন্দ্রনাথ মান্না সাহু মেওয়ালাল তাজ মহম্মদ মহাবীর প্রসাদ বলরাম পরব রামচন্দ্র সরঙ্গপানি রমন কেঞ্চাপ্পা বরদারাজ ধনরাজ কাইজার অনিল নন্দী সন্তোষ নন্দী ভার্গেস সঞ্জীব উচিল বজ্রভেলু ভারতীয় ফুটবল দল প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৯৪৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে। এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা খালি পায়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামে। ফরাসীরা প্রথমে এগিয়ে গেলেও ভারতীয় ফুটবলার সরঙ্গপানি রমন ৭০ মিনিটে সমতা ফেরান। এর পরে ভারত দুটি পেনাল্টির সুযোগ পেলেও সেখান থেকে গোল করতে অসমর্থ হয়। শেষ মিনিটে ফরাসী ফুটবলার রেনে পারসিলঁ গোল করে ভারতকে পরাস্ত করে। এই খেলায় খালি পায়ে ভারতের খেলা দর্শকদের মন জয় করে নেয়। ;প্রথম পর্ব == 30px ভারোত্তোলন == প্রতিযোগী বিভাগ মিলিটারী প্রেস ক্লীন অ্যান্ড জার্ক স্ন্যাচ মোট স্থান ফল স্থান ফল স্থান ফল স্থান ড্যানিয়েল পন মনি পুরুষদের ফেদারওয়েট ৮৫ ১৩ ১১০ ১৮ ৮৫ ১৬ ২৮০ ১৬ দন্ডমুদি রাজাগোপাল পুরুষদের হেভিওয়েট ৯২.৫ ১৬ ১২২.৫ ১৬ ৯০ ১৬ ৩০৫ ১৬ == 30px কুস্তি == == তথ্যসূত্র == গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে দেশসমূহ ভারত'''মনু মুখোপাধ্যায়''' ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র টেলিভিশনের বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি ১লা মার্চ, ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। == জীবনী == মনু মুখোপাধ্যায় ১৯৪৬ সালে ভারতী বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। তিনি কলকাতা অন্তর্গত মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র মৃণাল সেনের ''নীল আকাশের নীচে''। চলচ্চিত্রটি ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায়। তিনি মৃণাল সেন ছাড়াও বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায় রোল্যান্ড জোফির সাথেও কাজ করেছেন। == অবদান == === চলচ্চিত্র === বছর চলচ্চিত্রের নাম পরিচালক সহশিল্পী প্রযোজনা মুক্তি পায়নি ''সুদামা দ্য হাফ ম্যান'' ১৯৫৯ ''নীল আকাশের নীচে'' মৃণাল সেন কালী মনজু দে, স্মৃতি বিশ্বাস হেমন্ত বেলা প্রোডাকশনস্‌ ১৯৬৩ ''উত্তরায়ণ'' ১৯৬৯ ''শেষ থেকে শুরু'' ১৯৭২ ''নায়িকার ভূমিকায়'' ১৯৭৩ ''মর্জিনা আবদুল্লাহ'' ১৯৭৩ ''সোনার খাঁচা'' ১৯৭৩ ''অশনিসংকেত'' সত্যজিৎ রায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায় বলাকা মুভিজ্‌ ১৯৭৪ ''ফুলেশ্বরী'' ১৯৭৬ ''মৃগয়া'' মৃণাল সেন মিঠুন চক্রবর্তী, মমতা শঙ্কর, অনুপ কুমার উদয় ভাস্কর ইন্টারন্যাশনাল ১৯৭৭ ''সফেদ ঝুট'' ১৯৭৯ ''গণদেবতা'' ১৯৭৯ ''জয় বাবা ফেলুনাথ'' সত্যজিৎ রায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, হারাধন সন্তোষ দত্ত, সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় আর.ডি.বি. প্রোডাকশনস্‌ ১৯৮০ ''দাদার কীর্তি'' তরুণ মজুমদার মহুয়া রায়চৌধুরী, তাপস পাল, দেবশ্রী রায়, সন্ধ্যা রায় রাম সিনে আর্টস ১৯৮১ ''সাহেব'' ১৯৮২ ''মেঘমুক্তি'' ১৯৮২ ''খেলার পুতুল'' ১৯৮১ ''ইমন কল্যাণ'' ১৯৮৩ ''প্রতিদান'' ১৯৮৯ ''স্মৃতি হাতরাই'' ১৯৯০ ''সতী'' ১৯৯০ ''গণশত্রু'' সত্যজিৎ রায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, দীপংকর দে, মনোজ মিত্র এনএফডিসি ১৯৯১ ''সজনী গো সজনী'' ১৯৯২ ''শ্বেত পাথরের থালা'' ১৯৯৩ ''কাচের পৃথিবী'' ১৯৯৪ ''তবু মনে রেখো'' ১৯৯৭ ''দামু'' ১৯৯৯ ''সিরাজ'' ১৯৯৯ ''অনু'' ২০০০ ''সজনী আমার সোহাগ'' ২০০১ ''নদীর পাড়ে আমার বাড়ি'' ২০০২ ''দুখীরাম'' ২০০২ ''দেশ'' ২০০২ ২০০২ ''অবৈধ'' ২০০৩ ''পাতালঘর'' অভিজিৎ চৌধুরী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ২০০৫ ''রাজি আঙ্কেল'' ২০০৮ ''সেদিন দুজনে'' ২০০৮ ''জনতার আদালত'' ২০০৯ ''সকালের রঙ'' সুভময় চট্টোপাধ্যায় চূর্ণী গাঙ্গুলী, তরঙ্গ সরকার শ্রাবন্তী দাস ২০১০ ''একা একা'' ২০১০ ''বন্ধু এসো তুমি'' ২০১০ ''বাঁশিওয়ালা'' ২০১১ ''পূর্ণ ব্রক্ষ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ'' ২০১১ ''ভোরের পাখি'' ২০১২ ''স্পর্শ'' ২০১২ ''কেউ বলে বুড়ো ভাম, কেউ বলে'' ২০১৩ ''হলুদ পাখির ডানা'' কনোজ দাস দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়, রিমঝিম গুপ্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনুরাধা রায় দর্প ফিল্ম প্রোডাকশনস্‌ আসছে ''বেঙ্গল ঘটি ফাটাফাটি'' আসছে ''বাকিটা ব্যক্তিগত'' প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্য ঋত্বিক চক্রবর্তী, মাধবী মুখোপাধ্যায়, সুপ্রিয় দত্ত তারা ফিল্মস্‌ আসছে ''সুদামা দ্য হাফ ম্যান'' রাজিব বল === টেলিভিশন === নাম সহশিল্পী চ্যানেল ''মামা ভাগনে'' এটিএন বাংলা ''বয়েই গেলো'' পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে জি বাংলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == == আরো দেখুন == সত্যজিৎ রায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জন্ম অভিনেতা ব্যক্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা অভিনেতা'''সারাহ মার্কিন স্কি জাম্পার। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক স্কি ফেডারেশনের (এফআইএস) ওয়ার্ল্ড স্কি চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় নারীদের একক স্কি জাম্পিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সারাহ। == জন্ম শিক্ষা == ১৯৯৪ সালে সল্ট লেক সিটিতে জন্ম সারাহার। পার্ক সিটি উচ্চবিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে দ্য উইন্টার স্পোর্টস স্কুল ইন পার্ক সিটিতে ভর্তি হন এবং সেই সাথে চলতে থাকে স্কি ডাইভিং প্রশিক্ষণ। == পুরস্কার == বর্তমানে পার্ক সিটি নরডিক স্কি ক্লাবের সদস্য সারাহ ২০১১-১২ এফআইএস স্কি জাম্পিং ওয়ার্ল্ড কাপ প্রতিযোগিতায় এককভাবে ছয়টি বিভাগে জয়ী হয়েছেন। ছাড়া ২০১২-১৩ সালের একই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত চারটি বিভাগে জয়ী হয়েছেন সারাহ। == গ্যালারি == Sarah Hendrickson Sarah Hendrickson Sarah Hendrickson Sarah Hendrickson Sarah Hendrickson VISA 2013.JPG Sarah Hendrickson CC10Vi Sarah Hendrickson 46Crop.JPG| WJC10 Mattel Runggaldier Hendrickson Podium 231.JPG| Sarah Bernardi 2012.JPG| Zakopane 2012 womens continental cup podium.jpg| Podium Wolrdcup Predazzo 2012-01-14 2.JPG| Podium Wolrdcup Predazzo 2012-01-15 7.JPG| Podium Wolrdcup Hinterzarten 2013-01-12 2.JPG| CC10Vi Sarah Hendrickson 21.JPG| CC10Vi Sarah Hendrickson 36.JPG| Hendrickson interview Sarah Hendrickson 2012 Predazzo.JPG| == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Sarah Hendrickson National Team skier profile at জন্ম ব্যক্তি স্কি জাম্পার'''.এইচএম''' অস্ট্রেলিয়ার মনুষ্যবসতিহীন হেয়ার্ড এবং ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপপুঞ্জের কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন, ইন্টারনেট প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় সংকেত ডোমেইন সাফিক্স। এই টপ লেভেল ডোমেইনের ব্যবহার খুবই কম; যারা ব্যবহার করেন তারও এই দ্বীপের বাইরের বাসিন্দা। এই ডোমেইনের নিবন্ধন অফিস যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর ডেনভোরে অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়া সরকারের এই দ্বীপের সরকারি ওয়েবসাইট হলো heardisland.aq যা এন্টার্কটিক ডোমেইন এবং .এইচএম এর সাথে সম্পর্কিত নয়। == বহিঃসংযোগ == IANA .hm whois information .hm domain registration website Official Australia government site about Heard Mcdonald Islands, heardisland.aq কোড টপ-লেভেল ডোমেইন'''সাক্ষরতা''' বলতে সাধারণত অক্ষর বোঝায়। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পরিধি। এখন শুধু স্বাক্ষর জ্ঞান থাকলেই সাক্ষরতা বলা চলে না। বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিসরে "সাক্ষরতা" শব্দের প্রথম উল্লেখ দেখা যায় ১৯০১ সালে লোক গণনার অফিসিয়াল ডকুমেন্টে। শুরুতে স্ব অক্ষরের সঙ্গে অর্থাৎ নিজের নাম লিখতে যে কয়টি বর্ণমালা প্রয়োজন তা জানলেই তাকে স্বাক্ষর বলা হতো। ১৯৪০-এর দিকে পড়ালেখার দক্ষতাকে সাক্ষরতা বলে অভিহিত করা হতো। ষাটের দশকে পড়া লেখার দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে সহজ হিসাব-নিকাশের যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষই স্বাক্ষর মানুষ হিসেবে পরিগণিত হতো। আশির দশকে লেখাপড়া হিসাব-নিকাশের পাশাপাশি সচেতনতা দৃশ্যমান বস্তুসামগ্রী পঠনের ক্ষমতা সাক্ষরতার দক্ষতা হিসেবে স্বীকৃত হয়। বর্তমানে সাক্ষরতার সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা, ক্ষমতায়নের দক্ষতা, জীবন নির্বাহী দক্ষতা, প্রতিরক্ষায় দক্ষতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতাও সংযোজিত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৬২.৬৬ ভাগ। হিসাব বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত। উইকোপিডিয়া এবং ইউনেস্কোর তথ্য মতে, বাংলাদেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৪৭.৫০ ভাগ। বিশ্বে র‌্যাংকিং-এ এর অবস্থান ১৬৪ তম। প্রথমে রয়েছে জর্জিয়া। সাক্ষরতার হার ১০০ ভাগ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যৌথভাবে কিউবা, ইস্টোনিয়া এবং পোল্যান্ড। এদের সাক্ষরতার হার ৯৯.৮০ ভাগ। ৯৯.৭০ ভাগ সাক্ষরতা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বারবাডোস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৮তে। সাক্ষরতার হার ৯৯ ভাগ। প্রতিবেশী দেশ ভারত পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১৪৭ ১৬০-এ। সাক্ষরতার হার ৬১.০০ ৪৯.০০ ভাগ। সাক্ষরতায় সর্বনিম্নে অবস্থানকারী দেশ বারকিনো ফ্যাসো। ১৭৭-এ অবস্থানকৃত দেশটির সাক্ষরতার হার ২৩.৬০ ভাগ। ১৭৬ স্থানে রয়েছে মালি। সাক্ষরতার হার ২৪.০০ ভাগ। বছর সাক্ষরতার বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার পাচ্ছে ৪টি দেশ। এগুলো হলো ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জাম্বিয়া। সাক্ষরতা একটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার সঙ্গে সাক্ষরতার আর সাক্ষরতার সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে দেশের সাক্ষরতার হার যত বেশি সে দেশ তত উন্নত। স্বাক্ষর জাতি সচেতন জাতি। শিক্ষা সাধারণত তিনটি উপায়ে অর্জিত হয়।। আনুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক। যারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বা যারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পায়নি তাদের স্বাক্ষরতার জন্য শিক্ষা দেয়া হয়। বাংলাদেশে সরকারি প্রচেষ্টার বাইরে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের হারকে বৃদ্ধি করতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। আসুন আমরা সচেতন হই। ==আরও দেখুন== সাক্ষরতার হার অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা'''সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জুন, ১৯৯৬''', জুন ১২, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ২৮১জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ ৮১টি দল থেকে মোট ২৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে এককভাবে সরকার গঠন করে। উক্ত নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থীরা ০.৬৭% এবং দলীয় প্রার্থীরা ৭৪.৮২% ভোট লাভ করে। == ফলাফল == দল ভোট আসন +/- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৫,৮৮২,৭৯২ ৩৭.৪ ১৪৬ নতুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ১৪,২৫৫,৯৮৬ ৩৩.৬ ১১৬ -১৮৪ জাতীয় পার্টি ৬,৯৫৪,৯৮১ ১৬.৪ ৩২ নতুন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩,৬৫৩,০.১৩ ৮.৬ নতুন ইসলামী ঐক্য জোট ৪৬১,৫১৭ ১.১ নতুন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (র‌ব) ৯৭,৯১৬ ০.২ নতুন ৭৪টি অন্যান্য দল ৬৬২,৪৫১ ১.৬ সতন্ত্র ৪৪৯,৬১৮ ১.১ -৯ অবৈধ/খালি ভোট '''মোট''' '''১০০''' '''৩০০''' '''০''' উৎস: Nohlen ''et al.'' ;কিছু তথ্য মোট ভোট কেন্দ্র ২৫,৯৫৭ মোট ভোটর ৫,৬৭,১৬,৯৩৫ ** পুরুষ ২,৮৭,৫৯,৯৯৪ ** মহিলা ২,৭৯,৫৬,৯৪১ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সংসদ নির্বাচন'''জেনিফার টুর চ্যায়েস''' মাইক্রোসট রিসার্চ নিউ ইংল্যান্ড যেটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং মাইক্রোসফট রিসার্চ নিউইয়র্ক সিটির ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাণিতিক পদার্থবিদ্যা বিষয়ে পিএইচডি করেন তিনি। ইউসিএলএ এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। == শিক্ষা কর্ম == জেনিফার টুর চ্যায়েস যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেড়ে উঠেছেন। তার মা-বাবা ইরান থেকে এসে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছেন। ১৯৯৩ সালে ক্রিস্টিয়ান বোর্গসকে বিয়ে করেন। দুজনে মিলে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন থিওরি গ্রুপ। তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠান। তিনি নেটওয়ার্কের মডেল বৈশিষ্ট্য এবং ফেজ ট্রানজিশন নিয়ে কাজ করেন। প্রায় ১২০টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন তিনি তাছাড়া ২৫টি উদ্ভাবনের পেটেন্ট আছে তার নামে। == পরিচিতি == জেনিফার টুর চ্যায়েস ২০১২ সালে পেয়েছেন উইমেন অব ভিশন অ্যাওয়ার্ড, যেটি আনিতা বোর্গ ইনস্টিটিউট ফর উইমেন অ্যান্ড টেকনোলজি তাকে পুরস্কার দেয়। === পুরস্কার সন্মান === ফেলো, অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (২০১০) ফেলো, অফ দ্যা আমেরিকান ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি (২০১২) == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Jennifer Tour Chayes homepage গণিতবিদ পদার্থবিজ্ঞানী প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যক্তি গাণিতিক সোসাইটির ফেলোগণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী অব ওয়াশিংটনের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র কম্পিউটার বিজ্ঞানী কম্পিউটার বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া অনুষদ'''মাপিমি সাইলেন্ট জোন''' বা '''নীরব ভূমি''' () হলো মেক্সিকোতে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় মরুভূমি অঞ্চল। এটি মেক্সিকোর ''বোলসন দে মাপিমির'' কাছাকাছি ''মাপিমি বাইয়োসপেরি রিজার্ভে'' অবস্থিত। এই স্থানটি নিয়ে বিদেশী অনেক কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে। কল্পকাহিনীমতে, অঞ্চলে বেতার তরঙ্গ কাজ করে না এবং কোন চলন্ত গাড়ির ইঞ্জিন হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। == ইতিহাস == ১৯৭০ সালের জুলাইয়ে গ্রীন নদীর কাছে ইউএস মিলিটারি বেস থেকে অ্যাথেনা নামক একটি মিসাইল পরীক্ষার জন্য হুয়াইট সেন্ডস মিসাইল রেঞ্জের উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করা হয় কিন্তু মিসাইলটি নিয়ন্ত্রন হারায় এবং মাপিমি মরুভূমি এলাকায় ভূপতিত হয়। রকেটটি কোবলেট আইসোটোপ বহনের জন্য দুটি ছোট কনন্টেইনার বহন করছিল। ইতোমধ্যে, বিশেজ্ঞদের একটি দল রকেটটির পতিত হওয়ার স্থানটি পরিদর্শনে আসে এবং অনুসন্ধান চলে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত। অবশেষে রকেটটি পাওয়া যায় এবং ধ্বংসাবশেষ বহনের জন্য ছোট একটি রাস্তা তৈরি করা হয়। মার্কিন সেনাদের উদ্ধার তৎপরতার সময়ই মূলত বেতার তরঙ্গ অন্যান্য কাহিনীগুলো জনপ্রিয়তা অর্জন করে। গবেষকদের মতে কোন অজানা শক্তি মিসাইলটি ধ্বংস করেছে অথবা ইউএস মিলিটারির আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে নিয়ন্ত্রন করে মিসাইলটি এখানে পতিত করা হয়েছে। == তথ্যসূত্র == স্থান'''মার্খা নদী''' ভারতের জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত জাংস্কার নদীর একটি উপনদী। == ভূগোল == মার্খা নদী ভারতের জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের লাদাখ অঞ্চলের একটি নদী। এই নদী কাং ইয়াৎজে পর্বতের নিকট দিয়ে স্তোক কাংরি পর্বতের দক্ষিণ দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে সিন্ধু নদের উপনদী জাংস্কার নদীতে মিলিত হয়। == ভ্রমণ == মার্খা নদী উপত্যকা লাদাখ অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় ট্রেকিং অঞ্চল। পশ্চিমদিক থেকে স্পিতুকের নিকটে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৯৮০ মিটার উচ্চতায় স্থানাঙ্কে অবস্থিত গান্ডা গিরিবর্ত্ম হয়ে অথবা পূর্ব দিক থেকে হেমিসের নিকটে গোংমারু গিরিবর্ত্ম হয়ে এই নদী উপত্যকায় যাওয়া যায়। == তথ্যসূত্র == নদী কাশ্মীরের নদী'''ময়দান মেট্রো স্টেশন''' হল কলকাতা মেট্রোর একটি স্টেশন। এই স্টেশনটি জওহরলাল নেহেরু রোড মিডলটন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। কলকাতার বৃহত্তম উদ্যান ময়দানের নামে এই স্টেশনটি নামাঙ্কিত। স্টেশনের নিকটবর্তী কলকাতার দুটি প্রধান দর্শনীয় স্থান হল ময়দান ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব কমান্ডের প্রধান কার্যালয় ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ। == পাদটীকা == == বহিঃসংযোগ == মেট্রো স্টেশন'''মার্টিন কারপ্লাস''' () (জন্ম:১৫ই মার্চ, ১৯৩০) একজন অস্ট্রীয় বনশোদ্ভূত মার্কিন তাত্ত্বিক রসায়নবিজ্ঞানী। তিনি হার্ভার্ড থিওডোর উইলিয়াম রিচার্ডস অধ্যাপক। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ সালে বিএ এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ১৯৫৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার পিএইচডি উপদেষ্টা ছিলেন লিনাস পাউলিং। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Publications Karplus research group at Harvard University Biophysical Chemistry Laboratory at University of Strasbourg Biography at Michigan State University website Martin Karplus photography website জন্ম ব্যক্তি রসায়নবিদ নোবেল বিজয়ী বংশোদ্ভূত মার্কিন মানুষ রসায়নবিদ ইহুদি নোবেল বিজয়ী সোসাইটির বিদেশী সদস্য রসায়নবিদ কোয়ান্টাম আণবিক বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য ফেলোগণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিক্ষক মার্কিন বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য বিজয়ী রসায়নবিদ রসায়নবিদ অনুষদ অনুষদ অনুষদ ল্যাংমিউয়র অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী পাউলিং অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী'''এলিয়ানর ক্যাটন''' (; জন্ম: ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫) কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের বিশিষ্ট মহিলা লেখক। তিনি তার নিজস্ব দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য লুমিনারিজের জন্য ২০১৩ সালের ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। == প্রারম্ভিক জীবন == ক্যাটনের বাবা নিউজিল্যান্ডীয় স্নাতকের ছাত্র হিসেবে ওয়েস্টার্ন অন্টারিও ছাত্র হিসেবে কানাডায় ডক্টরেট অর্জনের জন্য পড়াশোনা করেন। সেখানেই ক্যাটনের জন্ম হয়। ছয় বছর বয়সে তার পরিবার নিউজিল্যান্ডে ফিরে আসেন ক্রাইস্টচার্চে বড় হন ক্যাটন। অতঃপর বার্নসাইড হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। আইওয়া রাইটার্স ওয়ার্কশপ কর্তৃক ২০০৮ সালে ফেলোশীপ লাভ করেন। ২০০৯ সালে ''সাহিত্যে বর্ষসেরা সোনালী তরুণী'' হিসেবে বিবেচিত হন। বর্তমানে তিনি অকল্যাণ্ডে বসবাস করছেন ম্যানুকাউ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে সৃষ্টিশীল লেখা বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। == সাহিত্য-কর্ম == স্নাতকোত্তর শ্রেণীর অভিসন্দর্ভ হিসেবে ২০০৮ সালে দ্য রিহিয়ার্সাল শিরোনামে তিনি তার প্রথম উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাসে শিক্ষক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ব্যক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য লুমিনারিজ ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়। ১৮৬৬ সালে নিউজিল্যান্ডের সোনার খনিকে কেন্দ্র করে রচনা করা হয়। উপন্যাসটি ২০১৩ সালের ম্যান বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পায় মাত্র ২৮ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ লেখক হিসেবে ক্যাটন বুকার পুরস্কার বিজয়ী হন। এছাড়াও, ২৭ বছর বয়সে ম্যান বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন তিনি। ৮৩২ পৃষ্ঠায় রচিত ''দ্য লুমিনারিজ'' বুকার পুরস্কারের ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সাহিত্য-কর্ম হিসেবে পুরস্কার জয় করে। বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি রবার্ট ম্যাকফারল্যান মন্তব্য করেন যে, ''এ সাহিত্য-কর্মটি অতিশয় উজ্জ্বল কর্ম হিসেবে বিবেচিত। এটি প্রকৃতই দীপ্তময় কর্ম। এটি ব্যাপক এবং কোনরূপ বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।'' ১৫ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে লন্ডনের গিল্ডহলে ডাচেস অব কর্নওয়ালের কাছ থেকে এলিয়ানর ক্যাটন পুরস্কার গ্রহণ করবেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ''Sunday Times'', July 2009 ''Excerpts from Eleanor Catton's Reading Journal'', 2007 "Interview with Eleanor Catton" লেখক জন্ম ব্যক্তি লেখিকা ঔপন্যাসিক ছোটগল্প লেখক পুরস্কার বিজয়ী লেখিকা'''অ্যাশটন জেমস ইটন''' (ইংরেজী ভাষায়: Ashton James Eaton; জন্ম ২১ জানুয়ারি, ১৯৮৮) একজন মার্কিন ডিক্যাথলেট এবং অলিম্পিক বিজয়ী। তিনি অলিম্পিকের ডিক্যাথলন এবং হেপ্ট্যাথলন উভয় ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী। ইটন বিশ্বের দ্বিতীয় ডিক্যাথলেট যিনি অলিম্পিকের ডিক্যাথলন ইভেন্টে ৯০০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছেন। ইটন অরেগণ ট্র্যাক ক্লাব এলিটের হয়ে প্রতিযোগিতা করেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের অরেগণ ভিত্তিক একটি অ্যাথলেটিক ক্লাব। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ অরেগণে পাঁচবার অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০১১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ইটন তার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেন। এই ডিক্যাথলন ইভেন্টে তিনি একটি রৌপ্য পদক অর্জন করেন। পরের বছরে ইটন তার নিজের হেপ্ট্যাথলনের রেকর্ড ভেছে ২০১২ বিশ্ব ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ডিক্যাথলনেরও বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন কেকর্ড করেন। বিশ্ব রেকর্ড করার পর লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ইটন সহজেই স্বর্ণ পদক অর্জন করেন। == ব্যক্তিগর জীবন == ১৯৮৮ সালের ২১ জানুয়ারি অরেগণের পোর্টল্যান্ডে ইটন জন্মগ্রহণ করেন। ইটন তার বাবা রোসলিন ইটন এবং মা টের্যা্ন্স ইটনের একমাত্র সন্তান। তার বাবা এবং তার মা ইউরোপিয়ান বংশোদ্ভূত। ইটনের নানা জিম ইটন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ফুটবল খেলতেন। ইটনের বাবাও এই খেলাটি খেলতেন। এছাড়া ইটনের মাও একজন অ্যাথলেট এবং নৃত্যশিল্পী ছিলেন। ইটনের দুই বছর বয়সে তার বাবা-মা পৃথক হন তার মা অরেগণের লা পিনে স্থানান্তরিত হন। খুব কম বয়স থেকেই ইটন অ্যাথলেট ছিলেন। তিনি ফুটবল, বাস্কেটবল, দৌড়, সকার এবং রেসলিং খেলতেন। পঞ্চম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় তার মা অরেগণের বেন্ড শহরে চলে আসেন। এখানে ইটন মাউন্টেন ভিউ হাই স্কুলে ভর্তি হন। তার বিষয় ছিল ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড। তার কোচ ছিলেন টেট মেটক্যাফ এবং জন নোস্টার। ২০০৬ সালে তিনি অরেগণের প্রাদেশিক হাই স্কুল ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে শিরোপা অর্জন করেন ৪৮.৬৯ সেকেন্ডে এবং লং জাম্পে ২৪ ফিট ০.২৫ ইঞ্চিতে। ২০০৬ এর বসন্তে মেটক্যাফ ইটনকে ডিক্যাথলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। এর আগে কখনো ইটন ডিক্যাথলনের নাম শুনেননি। মেটক্যাফ ইটনকে পরামর্শ দেন একটী ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যেখানে ডিক্যাথলন প্রোগ্রাম খুব ভালো। ইটন ইউনিভার্সিটি অফ অরেগণ বেছে নেন এবং সেখানে ভর্তি হন। ইটন কানাডিয়ান অ্যাথলেট ব্রায়ান ঠিসানকে বিয়ে করেন। == আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার == === ২০০৮-২০০৯ === ২০০৮ যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক ট্রায়ালস-এ ইটন ৮,১২২ পয়েন্ট অর্জনের মাশ্যমে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ২০০৯ যুক্তরাষ্ট্র আউটডোর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ইটন ডিক্যাথলন ইভেন্টে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এসময় তিনি ৮,০৭৫ পয়েন্ট লাভ করেন। এর মাধ্যমে তিনি বার্লিনে অনুষ্ঠিত ২০০৯ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস, চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি ৮,০৬১ পয়েন্ট পেয়ে ১৮ত্ম স্থান লাভ করেন। === ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক === ==== ট্রায়ালস ==== ২০১২ যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক ট্রায়ালস-এর ডিক্যাথলন ইভেন্টে ইটন ডিক্যাথলনের বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ পয়েন্টের মধ্যে প্রথম দুইটি লাভ করেন। তিনি ১০০-মিটার স্প্রিন্টে লং জাম্পে প্রথম স্থান লাভ করেন। শট পুটে পঞ্চম, হাই জাম্পে প্রথম এবং ৪০০-মিটের প্রথম স্থান অর্জন করেন। ডিক্যাথলনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর চেয়ে ইটনের পয়েন্ট ৩০০-এরও বেশি ছিল। ইভেন্টের দ্বিতীয় দিনে ইটন ১১০-মিটার হার্ডেলস-এ প্রথম স্থান এবং ডিসকাস থ্রো-তে অষ্টম স্থান লাভ করেন। পোল ভোল্টে তিনি প্রথম হন। এছাড়া ১৫০০-মিটার দৌরে তিনি নিজস্ব সেরা স্কোড় ৪:১৪.৪৮ পেয়ে প্রথম হন। তিনি পূর্ববর্তি বিশ্ব রেকর্ড ৯০২৬ পয়েন্ট ভেঙে ৯০৩৯ পেয়ে নতুন রেকর্ড করেন। এছাড়া তিনি অ্যাথলেটিকসে উত্তর আমেরিকার পূর্ববর্তি ৮৮৯১ রেকর্ডও ভেঙে ফেলেন। ==== অলিম্পিক ==== ২০১২ অলিম্পিকে ইটনের প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তারই দলের সদস্য ট্রেই হার্ডি। ইটনের ১০০-মিটারে ১০:৩৫ সেকেন্ড ছিল ঐদিনের সর্বোচ্চ। লং জাম্পে তার ৮:০৩ সেকেন্ড ছিল অন্য সবার চেয়ে বেশি। শট পুটে তিনি তার নিজস্ব সেরার চেয়ে মাত্র্য ১২ সে.মি কম ছিল। ৪০০ মিটারে ইটন সর্বোচ্চ পয়েন্ট লাভ করেন। প্রথম দিন শেষে ইটনের মোট পয়েন্ট ছিল ৪৬৬১, যা তার প্রতিদ্বন্দ্বী হার্ডির চেয়ে ২২০ পয়েন্ট বেশি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ইটন হার্ডি ১১০-মিটার হার্ডেলস-এ একই পয়েন্ট লাভ করেন। ডিসকাস থ্রো-তে ইটনের চেয়ে হার্ডি ১২০ পয়েন্ট বেশি অর্জন করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইটনের পয়েন্টের দিক থেকে ১০০ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। পোল ভোল্টে তিনি তৃতীয় হন। জ্যাভেলিন থ্রতে ইটন তার নিজস্ব সেরা অর্জন করেন। এছাড়া ১৫০০-মিটার দৌরেও তিনি নিজস্ব সেরা লাভ করেন। === ২০১৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ === মস্কোতে অনুষ্ঠিত ২০১৩ বিশ্ব ডিক্যাথলন ইভেন্টে ৮৮০৯ পয়েন্ট পেয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == USATF profile for Ashton Eaton University of Oregon bio: Ashton Eaton জন্ম ক্রীড়াবিদ ব্যক্তি অ্যাথলেটিকস পদক বিজয়ী পদকজয়ী ক্রীড়াবিদ'''ভামতী''' হল অদ্বৈত বেদান্তের একটি উপশাখা। এই উপশাখার নামটি আদি শঙ্করের লেখা ব্রহ্মসূত্র ভাষ্যের উপর বাচস্পতি মিশ্রের টীকার নাম থেকে উদ্ভূত। মৈথিলি লোককথা থেকে জানা যায়, ভামতী হল বাচস্পতি মিশ্রের স্ত্রীর নাম। বাচস্পতি মিশ্র যখন এই টীকাটি রচনা করছিলেন, তখন তার স্ত্রী কোনো দাবি না রেখেই নিরন্তর তার সেবা করেছিলেন। বাচস্পতি মিশ্র এতই ব্যস্ত ছিলেন যে, ভুলেই গেছিলেন তার স্ত্রী আছে। টীকা রচনার কাজ শেষ করার পর তিনি ভামতীকে জিজ্ঞাসা করেন, "তুমি কে?" ভামতী উত্তর দেন, "আমি আপনার স্ত্রী।" বাচস্পতি মিশ্র নিজের স্ত্রীকে কতটা অবহেলা করেছেন দেখে দুঃখিত হন। তাই তিনি তার টীকাটি নিজের স্ত্রীর নামে নামাঙ্কিত করেন। বাচস্পতি মিশ্র শঙ্করের চিন্তাধারার সঙ্গে মণ্ডন মিশ্রের মতের মিলন ঘটাতে চেয়েছিলেন। ভামতী শাখাটি তাত্ত্বিক মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই মতে জীব হল অবিদ্যার উৎস। == পাদটীকা == === ই-সূত্র === == বহিঃসংযোগ == Brahmasutra Bhashya, with Bhamati of Vachaspati Misra, Kalpataru of Amalananda and Parimala of Appaya Dikshita বেদান্ত(; ভারতীয় বৌদ্ধধর্মে প্রচলিত তিনটি যানের একটি। অর্থ প্রত্যেকবুদ্ধ বা প্রত্যকেই বুদ্ধ হতে পরার সক্ষ্মতা রাখে ধরনের মতবাদ। == প্রাচীন বৌদ্ধ সম্প্রদায় == বেশ কিছু প্রাচীন বৌদ্ধ সম্প্রদায় শ্রবকযানকে নিয়ে তিনটি যানের চিন্তাভাবনা করেছেন। যেমন বৈভাষিক সর্বাস্তিবাদীরা শ্রবকযান, বোধিসত্ত্বযান এই তিনটি যানের মাধ্যমে বৌদ্ধ আচার পালনের কথা বলেছেন। ধর্মগুপ্তকরা বোধিসত্ত্বযানকে পৃথক বলে আখ্যা দিয়েছেন। == মহাযান == খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতকে অভিধর্ম নিয়ে রচিত অভিধর্মসমুচ্চয় গ্রন্থে অসঙ্গ বর্ণনা দিয়েছেন। ইন্দ্রিয় মধ্যমমানের বলে বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে তাঁরা চর্চা করে নিজেদের মুক্তিতে সচেষ্ট। এর বিপরীতে দুর্বল ইন্দ্রিয় এবং মহাযানপন্থীদের উন্নত ইন্দ্রিয়ের কথা বলা হয়েছে। যেখানে শ্রবকযানপন্থী শুধুমাত্র নিজেদের মুক্তির চিন্তা করে থাকেন, সেখানে মহাযানপন্থীরা তাঁদের বিপরীতে নিজেদের মুক্তির পাশাপাশি সমস্ত জীবজগতের মুক্তির চিন্তা করে থাকেন। এই গ্রন্থে বলা হয়েছে যে গন্ডারের শৃঙ্গের মত বা একলা বিজয়ীর মত একা বা ছোট দলে বসবাস করে থাকেন। == তথ্যসূত্র ==মার্শাল '''জোসিপ ব্রজ টিটো''' (; সিরিলিক: Јосип Броз Тито; জন্ম: মে, ১৮৯২ মৃত্যু: মে, ১৯৮০) সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। একাধারে তিনি যুগোস্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৪৫ থেকে মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত দুর্দণ্ড প্রতাপে দেশ পরিচালনা করেন। কমিউনিস্ট নামীয় রাজনৈতিক দলের তিনি সদস্য ছিলেন। তার অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বলয়ে অবস্থান করে যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠন করা। পরবর্তীতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া। যুগোস্লাভিয়ার বিবাদমান বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীকে একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু তার মৃত্যুর এক দশকের মধ্যে তা গৃহযুদ্ধের রূপান্তরিত হয়ে দেশটি ভেঙ্গে যায়। == প্রারম্ভিক জীবন == তিনি তৎকালীন অংশ হিসেবে বর্তমান ক্রোয়েশিয়ার কুমরোভেচ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মা ছিলেন স্লোভাক বাবা ছিলেন ক্রোয়েশিয় গ্রামীণ কৃষক। জীবনের শুরুতে তালাকর্মী হিসেবে টিটো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯১৪-১৯১৮ মেয়াদে সংঘটিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রীয় সেনাবাহিনীতে নন-কমিশন্ড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সময়ের যুদ্ধে আহত হলে তিনি প্রতিপক্ষের হাতে আটক হন যুদ্ধবন্দী হিসেবে রাশিয়ায় প্রেরিত হন। সেখানেই তিনি সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার প্রতি আকৃষ্ট হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা নেয়ায় যুদ্ধশেষে তিনি সম্মানিত হন। ১৯১৭ সালে অনুষ্ঠিত রুশ বিপ্লবে বলশেভিকদের পক্ষাবলম্বন করেন টিটো। যুদ্ধের পর তিনি ক্রোয়েশিয়ায় ফিরে আসেন অবৈধভাবে কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। এসময়ে তিনি ধাতবমিস্ত্রী হিসেবে কর্মরত অবস্থায় শ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। অবৈধভাবে কমিউনিস্ট পার্টির সংগঠক হিসেবে কর্মকালীন সময়ে তিনি ছদ্মনাম হিসেবে টিটো নাম গ্রহণ করেন। এরফলে তিনি ১৯২৮ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত কারাভোগ করেন। টিটো নাম ধারণ করে পুণরায় মস্কো ফিরে যান ইন্টারন্যাশনাল (কোমিনটার্ন, পরবর্তীতে কোমিনফর্ম) নামীয় সাম্যবাদী দলের হয়ে কাজ করেন। ১৯৩৬ সালে কোমিনটার্ন টিটোকে যুগোস্লাভিয়ায় প্রেরণ করে সমাজতান্ত্রিক দল গঠন করার জন্যে। পরের বছর যুগোস্লাভ কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। কোমিনটার্ন নীতির সাথে একাত্মতা পোষণ পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস রাখেন তিন। অন্যান্য যুগোস্লাভ জাতীয়তাবাদের উপর সার্বিয় আধিপত্যবাদের সমালোচনা করেন। যুগোস্লাভিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নে নাজি জার্মানির আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে টিটো সর্ব-দলীয় যুগোস্লাভ সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। আগ্রাসী জার্মান, ক্রোয়েশিয় ফ্যাসিবাদী সার্বিয় জাতীয়তাবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেন। প্রাথমিকভাবে রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় জার্মানির বিপক্ষে যুদ্ধ করে তার বাহিনী। ১৯৪২ সালে তিনি আঞ্চলিক সরকার গঠন করেন। এরফলে তাকে সার্বিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সেন্টিক দলের সাথে সংঘর্ষে অবতীর্ণ হতে হয়। বিদ্রোহী দলগুলোর সাথে একত্রিত করার সফলতাবিহীন প্রারম্ভিক প্রচেষ্টা পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন ব্যক্ত করে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়। == রাজনৈতিক জীবন == প্রথমদিকে টিটো জোসেফ স্ট্যালিনের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। কিন্তু সোভিয়েত নেতা স্ট্যালিন তার কিছু কর্মকাণ্ডে সমালোচনা করলে তিনি স্ট্যালিনের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এরফলে ১৯৪৮ সালে যুগোস্লাভ দল কোমিনফর্ম থেকে বহিষ্কৃত হয় সোভিয়েত প্রাধান্য অথবা যুগোস্লাভিয়ার স্বাধীনতা দুটি পছন্দের যে-কোন একটিকে বেছে নিতে বলা হয়। তিনি স্বাধীনতাকেই বেছে নেন যা যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সমাদৃত হয়। সময় ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলছিল। টিটো মার্কসবাদের মানবতা দিক বিবেচনায় এনে শ্রমিকদের স্ব-ব্যবস্থাপনা উদার অর্থনৈতিক পুণঃগঠনের প্রস্তাব আনেন। দলীয় কার্যকলাপকে বিকেন্দ্রীয়করণ সরকারের ক্ষমতাও এর আওতাধীন ছিল। ফলশ্রুতিতে প্রজাতন্ত্রে জাতীয়তাবাদী প্রবণতা নবরূপে বৃদ্ধি পায়। মার্চ, ১৯৪৫ সালে টিটো স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী হন। বছরের শেষদিকে জার্মানরা যুদ্ধে পরাভূত হলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি একীভূত হয় টিটোর সরকার দেশের পূর্ণ কর্তৃত্বভার গ্রহণ করে। রাজতন্ত্র অথবা প্রজাতন্ত্রের বিষয়ে কোনরূপ সংবিধান প্রণয়ন ব্যতিরেকেই টিটো একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ১৯৪৫-১৯৬৩ মেয়াদকালে যুগোস্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০-এর দশকে এশীয় আফ্রিকার দেশগুলোর নেতৃবর্গসহ ভারত মিশরের রাজনীতিবিদদের সাথে নিয়ে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ধারণা তুলে ধরেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠার উদ্যোগী ভূমিকা নেন। এদেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে মুক্ত ছিল। প্রত্যেক দেশই নিজস্ব ধ্যান-ধারণা সিদ্ধান্ত নিতে পারতো এবং যথাসাধ্য ঠাণ্ডা যুদ্ধ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছিল। == তথ্যসূত্র == ;Notes ;Footnotes ;Bibliography Pavlowitch, Stevan K. Tito, ''Yugoslavia's Great Dictator; Reassessment'', London, Hurst, 1992. Swain, Geoffrey. ''Tito: Biography''. London, I.B. Tauris, 2010. == বহিঃসংযোগ == প্রধানমন্ত্রী জন্ম মৃত্যু যুদ্ধকালীন নেতা রাজনীতিবিদ বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতা বলশেভিক'''ড. আবুল খায়ের''' (জন্ম: অজানা মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) ঢাকা ইতিহাস বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এবং একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার আল-বদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অংশ হিসাবে তিনি অপহৃত পরে শহীদ হন। আবাসিক এলাকা ফুলার রোডের ৩৫/বি নম্বর বাসা থেকে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে তাকে অপহরণ করা হয়। ৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবুল খায়ের সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। == জন্ম শিক্ষাজীবন == মো. আবুল খায়েরের জন্ম পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে, এপ্রিল ১৯২৯। বাবা আবদুর রাশেদ, মা সৈয়দা ফখরুননেছা। পিরোজপুর সরকারি স্কুল থেকে ১৯৪৫-এ প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাস করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭-এ প্রথম বিভাগে আইএ পাস করে ভর্তি হন ঢাকা এখান থেকে ১৯৫০ সালে ইতিহাসে অনার্স (দ্বিতীয় শ্রেণিতে তৃতীয়) এবং ১৯৫১ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ এবং ১৯৬২ সালে আমেরিকান ইতিহাসে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। == কর্মজীবন == ডঃ খায়ের ১৯৫৫ সালে ঢাকা লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তার শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় বরিশালের চাখার ফজলুল হক কলেজে। ১৯৫৩-৫৪ পর্যন্ত এই কলেজে শিক্ষকতা করে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক নিযুক্ত হন। পরে রিডার (বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক) পদে উন্নীত হন। == পরিবার == মো. আবুল খায়েরের স্ত্রী সাঈদা বেগম। তার তিন ছেলে এক মেয়ে। ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাশেদুল ইসলাম। মেয়ে হোমায়রা ইয়াসমীন। == তথ্যসূত্র == মৃত্যু শহীদ বুদ্ধিজীবী শিক্ষক প্রাক্তন শিক্ষার্থী জেলার ব্যক্তি শিক্ষাবিদপেনা জাতীয় প্রাসাদ '''পেনা জাতীয় প্রাসাদ''' (পর্তুগীজ: Palácio Nacional da Pena) পর্তুগালের সিন্ট্রা শহরের সাও পেদ্রো ডি পেনাফেরিম –এ অবস্থিত একটি রোমান্টিকটিস প্রাসাদ। এই প্রাসাদ সিন্ট্রা শহরের একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত, রৌদ্রজ্জ্বল দিনে এই প্রাসাদটি লিসবন থেকে এবং শহরের অন্যান্য স্থান থেকে সহজেই দেখা যায়। এটি একটি জাতীয় স্থাপনা এবং এটি মাধ্যমে ১৯ শতকের রোমান্টিসজিমের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এটি ইউনেস্কো’র তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্য এবং পর্তুগালের সপ্তাশ্চর্যের একটি। এছাড়া এই প্রাসাদটি সরকারী অনুষ্ঠান অথবা পর্তুগীজ রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতির সারকারী অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়। == ইতিহাস == এই প্রাসাদটির ইতিহাস শুরু হয় মধ্যযুগে, যখন চ্যাপেল আওয়ার লেডি অব পেনা’কে উৎসর্গ করে সিন্ট্রা শুহরের পাহাড়ের উপর এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। ঐতিহ্য অনুযায়ী বলা হয়, কুমারী ম্যারি আবির্ভূত হওয়ার পর এই প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। তোরন উপর থেকে প্রাসাদের তোলা ছবি সেতেয়ি প্সরাসাদের তোরণের নিচ থেকে তোলা পেনা প্রাসাদ ১৪৯৩ সালে, রাজা জন II, তার স্ত্রী রাণি লিওনর এর সাথে তীর্থযাত্রা করার পর, তার প্রতিজ্ঞা পূরণ করেন। তার উত্তরাধিকার রাজা ম্যানুয়েল I, এই পবিত্র স্থাপনাটি তার অনেক প্রিয় ছিল। তিনি সন্নাসী জেরমোর কর্তৃক আদেশ পাওয়ার ফলে এই স্থানে একটি আশ্রম তৈরী করার জন্য অর্থ দান করেন। শতকে পেনা অনেক ছোট ছিল, ধ্যানের জন্য উপযুক্ত স্থান, ওখানে সর্বোচ্চ ১৮ জন সন্নাসী থাকতে পারত। ১৮ শতকে, আশ্রমটি বজ্রপাতে একেবারেই ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। যাহোক এটা ছিল লিসবনের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প। এর কিছুদিন পর আশ্রমটি সংস্কার করার জন্য উচ্চহারে ট্যাক্স আরোপ করা হয়। যদিও “চ্যাপেল” একটি মার্বেল পাথরের সুন্দর কারুকাজ এবং নিকোলাউ চানটেরিন এর সমাধী) যা ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় নি। অনেক দশক ধরে ধ্বংসাবশেষের কোন সংস্কার করা হয় নি, যদিও তখনও ওগুলো যুবরাজ ফেরদিনান্দকে আশ্চর্য করত। ১৮৩৮ সালে, যুবরাজ ফেরদিনান্দ রাজা হওয়ার পর, সিদ্ধান্ত নেন পুরাতন আশ্রমটি সংস্কার করবেন। এবং সংস্কার কাজ চলতে থাকে ১৮৪২-১৮৫৪ পর্যন্ত। যদিও এর সংস্কারকাজ ১৯৪৭ এর দিকে প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। রাজা ফেরদিনান্দ এবং রাণি মারিয়া II, স্থাপনার সাজসজ্জা প্রতীকিকরণে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ১৮৮৯ সালে এই স্থাপনাটি পর্তুগীজ সরকার ক্রয় করে নেন। এবং ১৯১০ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনের পর এই স্থাপনাকে জাতীয় স্থাপনার স্বীকৃতি যাদুঘরে পরিণত করা হয়। এই প্রাসাদে পর্তুগালের সর্বশেষ রাণী অ্যামেলিয়া তার অন্তিম দিনগলো কাটান, তার স্মৃতিগুলো যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। প্রাসদটি খুবই দ্রুত পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তা পর্তুগালের সবচেয়ে ভ্রমনবিলাস্থানে পরিণত হয়। সময়ের সাথে সাথে এর লাল হলুদ রঙ ঝাপসা হয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক বছর এটা দেখতে ধুসর রঙের ছিল। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এই প্রাসাদ পুনরায় রঙ করা হয় এবং তার আগের রঙ পুনরুদ্ধার করা হয়। ১৯৯৫ সালে, প্রাসাদটি এর বাগান, আশপাশ এলাকাকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যে তালিকাভুক্ত করে। == গঠন == গোলাকার অঙ্গন, চ্যাপেল এবং ক্লক টাওয়ার এই প্রাসাদের গঠন শৈলীতে রোমান্টিসজিমের পূর্ণ বহইপ্রকাশ ঘটেছে। এই স্থাপনায় অভিপ্রেতভাবে অনেক ধরনের কারুকাজ অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে যেমনঃ নব্য গোথিক, নব্য ম্যানুলাইন, নব্য ইসলামী এবং নব্য রেনেসাঁ ইত্যাদির কারুকাজের সমাবেশ দেখা যায় এই স্থাপনায়। প্রায় পুরো প্রাসাদটি পাথরের উপরের অবস্থিত। গঠঙ্গত দিক থেকে প্রাসাদটি চারটি অংশে ভিবক্তঃ প্রাসাদের ভিত এবং এর দুইটা প্রবেশ তোরণসহ (যার একটি তোরণ একটি একটি ঝুলন্ত সেতু দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে) এর চারপাশের দেয়াল পুনরুদ্ধারকৃত পুরাতন স্থাপনা এবং ক্লক টাওয়ার চ্যাপেলের সামনের অংশ মরিশ টাওয়ারসহ প্রাসাদের সমান অংশ এবং এর গোলাকৃতি বেষ্টনীসহ ক্যাথেড্রাল ধরনের সজ্জিত ভেতরের অংশ === সম্মেলন কক্ষ ক্লক টাওয়ার === হাইরোনোমাইট মঠ, খাবারের ঘর (ডাইনিং রুম), চ্যাপেলের অবশিষ্ট অংশ যথাসম্ভব সংরক্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে যাদুঘরে। এর সংরক্ষিত সব মূল্যবান জিনিস একটি নতুন চত্বরসহ একটি এলাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে যার মধ্যে একটি ক্লক টাওয়ার বিদ্যমান। রাণী চত্বর থেকে পুর এলাকার সবচেয়ে ভাল ছবি তোলা যায়। এই চত্বরে একটি সূর্য-ঘড়ি একটি কামান সংযুক্ত আছে। ক্লক টাওয়ারটির নির্মাণকাজ ১৮৪৩ সালে সমাপ্ত হয়। == অভ্যন্তর == পেনা প্রাসাদটি অভ্যন্তরভাগ রাজকীয় পরিবারের জন্য গ্রীষ্মকালীন বাসস্থানের উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে। এই প্রাসাদে বহু মূল্যবান রাজকীয় সংগ্রহ বিদ্যমান যেমনঃ অভ্যন্তরভাগের ১৯ শতকের বিভিন্ন ছবি সম্পন্ন টাইলস দ্বারা আবৃত দেয়াল, ত্রোম্প-ল’ইয়েল এর রঙিন দেয়াল ইত্যাদি। Image:Pena Palace schloss খাবারের ঘর Image:Pena Palace Noble কক্ষ Image:Pena Palace == পেনা পার্ক == কুইন্স বাগানের একটি ঝরণা পেনা হল ২০০ হেক্টর বিশিষ্ট একটি বিশাল বন, যা পুরো প্রাসাদকে ঘিরে আছে। পার্কটি তৈরী করেন রাজা ফেরদিনান্দ II, প্রাসাদ তৈরীর সময়। রাজা এই বাগানটি তৈরীতে বিভিন্ন দেশ থেকে গাছ আনেন। এই বাগান তৈরীর জন্য উত্তর আমেরিকা ম্যাগনোলিয়া, সেকুউইয়া, ল'সন্স সাইপ্রাস আরো অনেক প্রজাতী গাছপালা আনেন == আরো দেখুন == পর্তুগালের ইতিহাস পর্তুগালের পর্যটন পর্তুগাল ভূগোল পর্তুগাল রাজনীতি == বহিঃসংযোগ == IPPAR The Portuguese Architectonic Heritage Institute's page about the palace Sintra Parks Info about the Pena Palace on the Sintra Town Hall website (Portuguese) প্রাসাদ রাজকীয় বাসস্থান স্থাপত্যএলিফ্যান্ট গুহার প্রবেশদ্বার স্নানাগার স্নানাগারের প্রতিমা '''গোয়া গাজাহ''', বা '''এলিফ্যান্ট গুহা''', ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে উবুদ এর নিকট অবস্থিত, যা নির্মাণ করা হয় ৯ম শতাব্দীতে। এটি উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। == নির্মাণভূমির বর্ণনা == এই গুহার বাইরের অংশে বিভিন্ন ভয়ঙ্কর চেহারা বিশিষ্ট প্রাণী রাক্ষসের মূর্তি বিদ্যমান যা ঠিক গুহার প্রবেশদ্বারে ঢুকতে অবস্থিত।এই গুহাটিতে হিন্দু বৌদ্ধ চিত্রাবলী রয়েছে। যেমন গুহায় শিবের প্রতীক লিঙ্গ যোনি এবং গণেশের চিত্র রয়েছে। নদীর তীরে স্তূপ চৈত্য়ে রয়েছে মূর্তি, বৌদ্ধধর্মের চিত্রাবলী। কোন এক সময়ে এখানকার প্রাথমিক প্রাণীর মূর্তি ছিল হাতীর, তাই একে ""এলিফ্যান্ট গুহা"" নামেও ডাকা হয়। এই স্থানটির নাম ১৩৬৫ সালে লিখিত জাভানিজ কবিতা পাওয়া যায়। এখানে বিদ্যমান বৃহৎ স্নানাগারটিতে নির্মানের পর থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত কোন খননকাজ পরিচালনা করা হয়নি। এটি অশুভ আত্মাকে তাড়ানোর উদ্দেশ্য প্রদর্শিত হয়। == বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান লাভ == এই স্থানটি ১৯৯৫ সালের ১৯ অক্টোবর ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক বিভাগে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। == বহিঃ সংযোগ == == টীকা == == আরো দেখুন == ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস। ইন্দোনেশিয়ার ভূগোল ইন্দোনেশিয়ার ধর্মবিশ্বাস == তথ্যসূত্র == Elephant Cave UNESCO World Heritage Centre Accessed 2009-03-06. পর্যটন আকর্ষণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ভবন এবং কাঠামো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিন্দু মন্দির'''ম্যাক্স ফার্দিনান্দ পেরুতয''' একজন অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আণবিক জীববিজ্ঞানী। তিনি ১৯৬২ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। == জীবনী == পেরুতয কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। == সম্মাননা == অর্ডার অব মেরিট অর্ডার অব দ্য কম্প্যানিয়নস অব অনার কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ১৯৬৩ ফেলো অব দ্য রয়েল সোসাইটি রয়েল মেডেল, ১৯৭১ কপলি মেডেল, ১৯৭৯ == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু বিজ্ঞানী নোবেল বিজয়ী রসায়নবিদ বিজয়ী রসায়নবিদ'''দেওঘর জেলা''' () হল ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২৪টি জেলার অন্যতম। এই জেলার সদর শহর হল দেওঘর। এই জেলা সাঁওতাল পরগনা বিভাগের অংশ। ১৯৮৩ সালের জুনা সাবেক সাঁওতাল পরগনা জেলার দেওঘর মহকুমাটিকে জেলায় উন্নীত করা হয়। বৈদ্যনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ এই জেলায় অবস্থিত। == ভূগোল == দেওঘর জেলাটি জঙ্গল পাহাড়ে আকীর্ণ। উচ্চভূমি অঞ্চলে চাষবাস হয়। জেলার জমি উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ঢালু। অজয় নদ এই জেলার অন্যতম প্রধান নদী। দেওঘর, মাধুপুর, জামুয়া, চরাকমারা, পালোজোরি, দেবীপুর, সারওয়ান, সারাথ, কারোন, মোহানপুর, রোহনি, বাবানগাউয়া, ঘোরলাশ, জসিডি, কোরিডি, রাইডি এই জেলার উল্লেখযোগ্য শহর। জেলায় গ্রীষ্মে খুব গরম পড়ে। বর্ষায় বৃষ্টিও প্রচুর হয়। শীতকাল শুষ্ক খুব ঠান্ডা থাকে। == অর্থনীতি == ২০০৬ সালে ভারত সরকার ২৫০টি সবচেয়ে অনগ্রসর জেলার তালিকায় দেওঘরকে অন্তর্ভুক্ত করে। ঝাড়খণ্ডের যে ২১টি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে অনুদান পায়, দেওঘর জেলা তার মধ্যে অন্যতম। == বিভাগ == এই জেলা দশটি ব্লকে বিভক্ত: দেওঘর জেলা দেওঘর সদর, মোহানপুর, সারাওয়ান, সারাথ, পালোজোরি, মধুপুর, কারোন, সোনারাই থারি, দেবীপুর, মারগোমন্ডপ বাঘমারি। জেলায় তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র আছে: মধুপুর, সারাথ দেওঘর। মধুপুর দেওঘর গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্র এবং সারাথ দুমকা লোকসভা কেন্দ্রের অংশ। == জনপরিসংখ্যান == ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, দেওঘর জেলার জনসংখ্যা ১,৪৯১,৮৭৯। এই জনসংখ্যা গাবোন রাষ্ট্র বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের প্রায় সমান। ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলার স্থান ৩৩৭তম। এই জেলার জনঘনত্ব ২০০১-২০১১ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৮.০২%। দেওঘর জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯২১ জন নারী। জেলার সাক্ষরতার হার ৬৬.৩৪% ==ভাষা== দেওঘর জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ == পাদটীকা == == বহিঃসংযোগ == Babadham Official Website List of places in Deoghar establishments in India জেলা'''উচ্চ সিয়াং জেলা''' হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। এটি ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে চতুর্থ সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা। ১৯৯৯ সালে পূর্ব সিয়াং জেলা ভেঙে এই জেলা গঠিত হয়। == ভূগোল == ইংকিয়ং এই জেলার সদর শহর। জেলার মোট আয়তন আয়তনে এই জেলা রাশিয়ার নিউ সাইবেরিয়া দ্বীপের প্রায় সমান। উচ্চ সিয়াং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র মৌলিং জাতীয় উদ্যান এই জেলায় অবস্থিত। == বিভাগ == অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার তুতিং-ইংকিয়ং মারিয়াং-গেকু কেন্দ্র দুটি এই জেলায় অবস্থিত। এই দুটি কেন্দ্রই অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অংশ। == জনপরিসংখ্যান == ২০১১ সালের জনগণনা অণুসারে, উচ্চ সিয়াং জেলার জনসংখ্যা ৩৫,২৮৯। এই জনসংখ্যা লেইকেনস্টেইন রাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান। ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে আয়তনের হিসেবে এই জেলার স্থান ৬৩৭তম। জেলার জনঘনত্ব ২০০১-২০১১ দশকে জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫.৭৭%। উচ্চ সিয়াং জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৮৯১ জন নারী। জেলার সাক্ষরতার হার ৫৯.৯৪%. এই জেলার অধিবাসীরা মূলত আদি মেম্বা উপজাতির মানুষ। আদি উপজাতির মানুষেরা দোনি-পোলো ধর্ম মেম্বা উপজাতির মানুষেরা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের অণুসারী। === ভাষা === এই জেলার প্রধান ভাষা হল সিনো-তিব্বতি ভাষাগোষ্ঠীর আদি ভাষা। এই ভাষা তিব্বতি লাতিন হরফে লেখা হয়। == প্রাণী উদ্ভিদ == ১৯৮৬ সালে উচ্চ সিয়াং জেলায় মৌলিং জাতীয় উদ্যান গঠিত হয়। এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন == পাদটীকা == == বহিঃসংযোগ == Official website List of Places in Upper-Siang প্রদেশের জেলা প্রদেশ'''সর্বধর্ম মহাসন্ধি বোধিচিত্ত একটি সংস্কৃত বৌদ্ধ তন্ত্র বিশেষ। বর্তমানে এর তিব্বতী সংস্করণটির অস্তিত্ব একমাত্র বর্তমান। == সাধারণ বর্ণনা == এই তন্ত্রে বজ্রসত্ত্বের সাথে সামন্তভদ্র নামক আদিবুদ্ধের কথোপকথনের বর্ণনা রয়েছে, যেখানে সামন্তভদ্র বজ্রসত্ত্বের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এই তন্ত্র অতিযোগযানের চিত্তবর্গ তত্ত্বের মূলতন্ত্র বিশেষ। নামক সংকলনগ্রন্থে এই তন্ত্রকে প্রথমেই স্থান দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে বিখ্যাত তিব্বতী র্ন্যিং-মা পন্ডিত এই তন্ত্র সম্বন্ধে () নামক টীকাভাষ্য রচনা করেন। == বিবরণ == এই তন্ত্রে সামন্তভদ্র উল্লেখ করেছেন যে তিনি সকল জীব, জগত বুদ্ধের সার এবং তাকে জানলে বাস্তবকে জানা যায়। নিজেকে জানতে গেলে বোধিচিত্তকে মুক্তি দিতে হয়। এই বোধিচিত্ত শাশ্বত, আলোকপ্রাপ্ত এবং একে ধ্বংস করা যায় না। এর মাধ্যমে জগতের সমস্ত চাহিদা পরিপূর্ণ হয়। বোধিচিত্তের মাধ্যমে উদ্ভূত জ্ঞান হল মৌলিক, কার্যকারণ সম্পর্ক রহিত মন হতে উদ্ভূত। == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == ''The Supreme Source'', C. Norbu, A. Clemente (Snow Lion Publications, Ithaca, NY, 1999) Skora, Kerry Martin (1996). ''A Review of The Sovereign All-Creating Mind-The Motherly Buddha: Translation of the Kun byed rgyal po'i mdo'', by E. K. (1992). SUNY Series in Buddhist Studies. Albany: State University of New York Press. The Review was published '''within''' ''Philosophy East and West''. Vol.46 No.1. January 1996. University of Hawaii Press. pp. 107–116. Source: (accessed: Sunday July 6, 2008) Rabjam, Longchen (Longchenpa) (1987, 2000). ''You Are the Eyes of the World''. trans by Kennard Lipman Merrill Peterson and with an introduction by Namkhai Norbu). Snow Lion Publications; Revised Edition. তন্ত্র() (১১৮২ ১২৫১) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মসম্প্রদায় সা-স্ক্যা ষষ্ঠ ছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় তার জ্ঞানের জন্য তিনি '''সাক্য পন্ডিত''' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। == পরিবার == সা-স্ক্যা তৃতীয় পৌত্র চতুর্থ এবং পঞ্চম ভ্রাতা () পুত্র ছিলেন। তার মাতার নাম ছিল ()। == শিক্ষা == পঞ্চম প্রধান শিষ্য ছিলেন। তিনি গ্সাং-ফু বৌদ্ধবিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু () ছাড়াও () এবং () নামক বৌদ্ধ পন্ডিত তাকে শিক্ষাদান করেন। তিনি বিখ্যাত কাশ্মীরি বৌদ্ধ পন্ডিত শাক্যশ্রীভদ্রের নিকট ১২০৮ খ্রিষ্টাব্দে দীক্ষাগ্রহণ করে তার নিকট অভিধর্ম, বিনয়, প্রজ্ঞাপারমিতা, মধ্যমক, ব্যাকরণ, তর্কবিদ্যা কাব্যশাস্ত্র সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন। ১২৪০ খ্রিশটাব্দে সাক্য পন্ডিত স্ক্যিদ-গ্রোং যাত্রা করে তর্কযুদ্ধে হরিনন্দ নামক বৌদ্ধ পন্ডিতকে পরাজিত করেন। == খোদান খানের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ == ১২৪৪ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গোল সম্রাট ওগেদেই খানের পুত্র খোদান খানের আমন্ত্রণে সাক্য পন্ডিত তার ভ্রাতা () দুই পুত্র () এবং () সঙ্গে নিয়ে তিন বছর ধরে লিয়াংঝৌ যাত্রা করেন। লিয়াংঝৌ পৌঁছে তিনি খোদান খানের চর্মরোগের চিকিৎসা করে তাকে নিরাময় করেন। খোদান খান তার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন এবং সাক্য পন্ডিতকে তিব্বতের শাসনকর্তা নিযুক্ত করলে তিনি তিব্বতের অন্যান্য নেতাদেরকে মঙ্গোল সম্রাটের কাছে সমর্পণ করার অনুরোধ করেন। কিন্তু এই আবেদনে বিশেষ সাড়া পাওয়া যায় নি। যাই হোক, সাক্য পন্ডিতের সঙ্গে খোদান খানের সম্পর্ক তিব্বতের রাজনৈতিক ইতিহাসে ম্ছোদ-য়োন () বা পুরোহিত পৃষ্ঠপোষকের সম্পর্কের সূচনা করেন। == রচনা == তিনি প্রায় একশতের ওপর গ্রন্থ রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল- () () () () () () () () () সা-ব্র্তাগ-পা () () () () () () () () () () () () () () () () () () () () () () == অনুবাদকর্ম == সাক্য পন্ডিত শাক্যশ্রীভদ্রের সাথে ধর্মকীর্তির এবং সংঘশ্রীর সাথে শঙ্করানন্দের অনুবাদ করেন। তিনি চন্দ্রগোমীর অমরসিংহের অমরকোশ দন্ডীনের কাব্যদর্শও অনুবাদ করেন। তার অন্যান্য অনুবাদকর্মগুলি হল গণচক্রবিধি, প্রভৃতি। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == গ্রন্থের আংশিক অনুবাদ সাক্য পন্ডিতের সংক্ষিপ্ত জীবনী সাক্য পন্ডিতের বিখ্যাত উক্তি == আরো পড়ুন == Davidson, Ronald. 2005. Tibetan Renaissance. New York: Columbia University Press. Dungkar Lobzang Khrinley. 2002. Dunkar Tibetological Great Dictionary (Dung dkar tshig mdzod chen mo). Beijing: China Tibetology Publishing House. Gold, Jonathan. 2008. The Dharma's Gatekeepers: Sakya Paṇḍita on Buddhist Scholarship in Tibet. Albany: State University of New York Press. Jackson, David. 1983. “Commentaries on the Writings of Sa Skya Paṇḍita: Bibliographical Sketch” in The Tibet Journal Vol VIII no 3. Jackson, David. 1987. The Entrance Gate to the Wise (Section III): Sa-skya Paṇḍita on Indian and Tibetan Traditions of Pramāṇa and Philosophical Debate. Vienna: Arbeitskreis für Tibetische und Buddhistische Studien. van der Kuijp, Leonard. 1983. Contributions to the Development of Tibetan Buddhist Epistemology from the Eleventh to the Thirteenth Century. Weisbaden: Verlag. Roerich, George, trans. 1976. The Blue Annals. Delhi: Motilal Banarsidas. Sakyapa Ngawang Kunga Sonam. 2000. Sakya Dungrab Chenmo. In Holy Biographies of the Great Founders of the Glorious Sakya Order. Trans and ed Lama Kalsang Gyeltsen, Ani Kunga Chodron, and Victoria Huckenpahler. Silver Spring, MD: Sakya Puntsok Ling Publications. Sakya Paṇḍita. 2002. Clear Differentiation of the Three Codes: Essential Distinctions among the Individual Liberation, Great Vehicle, and Tantric Systems. Jared Rhoton, trans. New York: SUNY Series in Buddhist Studies. Stearns, Cyrus. 2001. Luminous Lives: The Story of the Early Masters of the Lam ‘bras Traditions in Tibet. Boston: Wisdom Publications. Stearns, Cyrus. 2006. Taking the Path as the Result: Core Teachings of the Sakya Lamdre Tradition. Somerville, MA: Wisdom Publications. ত্রিজিন জন্ম মৃত্যু শাসক'''অমৃতা খান''' (ইংরেজি: '''Amrita Khan''') (জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৭) বাংলাদেশী অভিনেত্রী এবং মডেল। TVC এর নাচের মাধ্যমে তিনি মিডিয়াতে প্রথম পা রাখেন ২০০২ সালে। তিনি একটি নাটকেও কাজ করেছেন যার নাম "উনিশ বছর পরে"। ২০১৩ সালে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তার অবির্ভাব ঘটে রয়েল এবং অনিক দু'জন নতুন পরিচালকের যৌথ পরিচালনায় "গেইম" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালের ২রা জানুয়ারি। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপন চিত্রেও অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া সালমান শাহ এবং মৌসুমী অভিনীত চলচ্চিত্র "অন্তরে অন্তরে"-এর রিমেক চলচ্চিত্রে তিনি বর্তমানে কাজ করছেন, রিমেকের পরিচালক আতিক রহমান। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == অমৃতা খান ১৯৯৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বংশগত আদি নিবাস টাঙ্গাইলে, তার জন্মের সময় তার বাবা সাতক্ষীরাতে কর্মরত ছিলেন। == অভিনয় জীবন == অমৃতা খান অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র "গেইম", এটি ২০১৫ সালের ২রা জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে। চলচ্চিত্রে পদার্পণ করার আগে তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপন চিত্র এবং মিউজিক ভিডিও-তে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি "অন্তরে অন্তরে" রিমেক-এ ছাড়াও আরো ''গুম'', এবং ''অজান্তে ভালবাসা'' ''মিশন আফ্রিকা'' নামের তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করবেন। == চলচ্চিত্রের তালিকা == ছবির নাম চরিত্র সহ তারকা পরিচালক মুক্তির তারিখ নোটস ''গেইম'' অমৃতা নীরব, ইরফান খান রয়েলল অনিক ২রা জানুয়ারি ২০১৫ অভিষেক ছবি ''অন্তরে অন্তরে'' ঝিনুক নীরব আতিক রহমান ............ ''গুম'' মুক্তি প্রতিক্ষীত ''অজান্তে ভালবাসা '' সায়মন সাদিক যে রানা মুক্তি প্রতিক্ষীত == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি মডেল এবং অভিনেত্রি অভিনেত্রী অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী'''২০১৪ আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাই-পর্ব''' () অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে ১৪ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চূড়ান্ত বাছাই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানীয় দুইটি দল আয়ারল্যান্ড আফগানিস্তান ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা লাভ করে। বাছাই-পর্বের মাধ্যমে ২০০৯-১৪ বিশ্ব ক্রিকেট লীগের সমাপণ ঘটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাটি শুরুতে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। প্রতিযোগিতায় স্কটল্যান্ড তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। পাশাপাশি দলটি একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার মর্যাদা পায়। সংযুক্ত আরব আমিরাত দল দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি দলটি একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার মর্যাদা পায়। বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন না করলেও প্রতিযোগিতায় ৩য় ৪র্থ স্থানলাভকারী হংকং এবং পাপুয়া নিউগিনি দল প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকের মর্যাদা পায়। এছাড়াও, প্রতিযোগিতায় বাজে ফলাফলের প্রেক্ষিতে আইসিসি’র সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস, কেনিয়া এবং কানাডা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওডিআই মর্যাদা হারায়। কিন্তু নেদারল্যান্ডস দল স্কটল্যান্ডের পরিবর্তে ২০১৪ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করে। ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাই-পর্বে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল শিরোপা লাভ করেছিল। ১০টি দেশের জাতীয় ক্রিকেট দল প্রতিযোগিতায় করে। == ধরণ == আইসিসি’র সিদ্ধান্ত মোতাবেক অংশগ্রহণকারী ১০টি দলকে দুই গ্রুপে বিভক্ত করে করতে হবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ৩টি দলকে নিয়ে সুপার সিক্স পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দল দুইটি ফাইনালে খেলাসহ ১৪-দল নিয়ে গড়া ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও শীর্ষস্থানীয় ৪টি দল পরবর্তী বছরের জন্য একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মর্যাদাপ্রাপ্ত সদস্য হবে। ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ৮ম স্থানীয় দল একই স্থানে থাকবে অথবা দ্বিতীয় বিভাগে অবনমিত হবে। == অংশগ্রহণকারী দলসমূহ == ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ সমাপণের পর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা থেকে ইতোমধ্যেই আয়ারল্যান্ড আফগানিস্তান ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাকী ছয়টি দলসহ ২০১১ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগের তৃতীয় চতুর্থ স্থান অধিকারী এবং ২০১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ তৃতীয় বিভাগের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই-পর্বে অবতীর্ণ হবে। দল যোগ্যতা ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপে ৩য় স্থান ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপে ৪র্থ স্থান ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপে ৫ম স্থান ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপে ৬ষ্ঠ স্থান ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপে ৭ম স্থান ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপে ৮ম স্থান ২০১১ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগে ৩য় স্থান ২০১১ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগে ৪র্থ স্থান ২০১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ তৃতীয় বিভাগে ১ম স্থান ২০১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ তৃতীয় বিভাগে ২য় স্থান == স্থান == ক্রাইস্টচার্চ লিঙ্কন মাউন্ট মাউঙ্গানুই হ্যাগলে ওভাল বার্ট সাটক্লিফ ওভাল বে ওভাল Capacity: N/A Capacity: N/A Capacity: N/A 150px 150px New Plymouth রঙ্গিওরা কুইন্সটাউন Pukekura Park Rangiora Recreation Ground Queenstown Events Centre Capacity: N/A Capacity: N/A Capacity: N/A 150px 150px == আম্পায়ার == তিনজন ম্যাচ রেফারিসহ ১৪ সদস্যবিশিষ্ট আম্পায়ার প্রতিযোগিতার খেলাগুলো পরিচালনা করবেন। তন্মধ্যে আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকা থেকে মারাইজ ইরাসমাসও খেলা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। বাদ-বাকী সকলেই আইসিসির সহযোগী অনুমোদন লাভকারী দেশের খেলা পরিচালনায় নিযুক্ত আম্পায়ার তালিকা থেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ;আম্পায়ার আহসান রাজা বিলি বাউডেন যোহান ক্লোয়েত মারাইজ ইরাসমাস ক্রিস গাফানি শন জর্জ মাইকেল গফ বিনীত কুলকার্নি মিক মারটেল এনামুল হক পিটার নিরো টিম রবিনসন জোয়েল উইলসন রুচিরা পল্লিয়াগুরু ;ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো রোশন মহানামা দেব গোবিন্দজী == খেলোয়াড় == জিমি হংস্র (অঃ) হারভির বাইদোয়ান ট্রিভিন খুররম চৌহান পার্থ দেশাই নিখিল দত্ত জেরেমি গর্ডন রুবিন্দু গুনাসেকেরা নিতিশ কুমার উসমান লিমবাদা সেসিল পারভেজ রাজা-উর-রেহমান জুনাইদ সিদ্দিকী জিশান সিদ্দিকী হামজা তারিক জেমস এটকিনসন (অঃ) তানভির আফজাল ইরফান আহমেদ নাদিম আহমেদ হাসিব আমজাদ ওয়াকাস বরকত মার্ক চ্যাপম্যান মার্ক ফার্গুসন বাবর হায়াত আইজাজ খান নিজাকত খান কোর্টনি ক্রুজার অঙ্কুর শর্মা ম্যানজিন্দের সিং মার্ক রাইট পারস খডকা (অঃ) প্রদীপ আইরি পৃথু বাস্কোতা বিনোদ ভান্ডারি মহেশ ছেত্রি শক্তি গৌচান সম্পাল কামি অবিনাশ কর্ণ সুবার খাকুরেল জ্ঞানেন্দ্র মল্ল অনিল মণ্ডল জীতেন্দ্র মুখিয়া সাগর পান বসন্ত রেগমি শরদ বিশ্বকর কাইল কোয়েতজার (অঃ) রিচি বেরিংটন ফ্রেডি কোলম্যান ম্যাথু ক্রস গর্ডন ড্রামন্ড গর্ডন গুডি মজিদ হক মনিব ইকবাল মাইকেল লিস্ক ম্যাট মচন ক্যালাম ম্যাকলিওড প্রিস্টন মমসেন সাফিয়ান শরীফ রবার্ট টেলর আইয়ান ওয়ার্ডল খুররম খান (অঃ) আমজাদ আলী শাইমান আনোয়ার নাসির আজিজ সালমান ফারিস মঞ্জুলা গুরুজ আমজাদ জাভেদ রোহন মোস্তফা মোহাম্মদ নাভিদ স্বপ্নীল পাতিল আহমেদ রাজা কামরান শাহজাদ বিক্রান্ত শেঠি শদীপ সিলভা চিরাগ সুরি রাকেপ প্যাটেল (অঃ) রাগিব আগা ডানকান অ্যালান তন্ময় মিশ্র ইরফান করিম জেমস এগোচি অ্যালেক্স ওবান্দা কলিন্স ওবুয়া নেহেমিয়া ওধিয়াম্বো নেলসন ওধিয়াম্বো টমাস ওদোয়ো লামেক ওনিয়াঙ্গো এলিজাহ ওটিয়েনো মরিস অউমা স্টিভ টিকোলো হিরেন বরাইয়া সারেল বার্গার (অঃ) স্টিফেন বার্ড জেবি বার্গার জেসন ডেভিডসন গারহার্ড ইরাসমাস শালাকো গ্রোয়েনওয়াল্ড লুইস লাজিঙ্গা জেপি কোতজে জান্ডার পিচার্স বার্নার্ড শোলজ নিকোলাস শোলজ জেজে স্মিট ক্রিস্টি ভিলজোয়েন এলপি ভ্যান ডার ওয়েসথুইজেন ক্রেইগ উইলিয়ামস পিটার বোরেন (অঃ) ওয়েসলি বারাসি মুদাচ্ছার বুখারী ডান ভ্যান বাঙ্গ আতসে বারম্যান বেন কুপার টিম গ্রুইজটার্স ভিভিয়ান কিংমা আহসান মালিক পল ভ্যান মিকেরেন স্টিফেন মাইবার্গ মাইকেল রিপন পিটার সিলার মাইকেল সোয়ার্ট এরিক সোয়ারজিনস্কি ক্রিস আমিনি (অঃ) চার্লস আমিনি মাহুরু দাই উইলি গাভেরা রেমন্ড হাওদা গেরেইন্ত জোন্স ক্রিস কেন্ট বানি ভাগি মোরিয়া কিলা পালা পিপি রাহো লেগা সিয়াকা টনি উরা আসাদ ভালা নরম্যান ভানুয়া জ্যাক ভারে ডেভিস আরিনাইতি (অঃ) ব্রায়ান মাসাবা ডিউসডেডিট মুহুমুজা রজার মুকাসা ফিলিমন সেলোয়া বেঞ্জামিন মুসোকে আব্রাম মুতিয়াগাবা ফ্রাঙ্ক সুবুগা প্যাট্রিক ওচান ফারুক ওচিমি রিচার্ড ওকিয়া রেমন্ড ওটিম হামজা সালেহ লরেন্স সেমাতিম্বা চার্লস ওয়াইসা == প্রস্তুতিমূলক খেলা == ---- ---- ---- ---- ---- ---- ---- ---- ---- == গ্রুপ পর্ব == === গ্রুপ === ==== পয়েন্ট তালিকা ==== দল +১.৬৬৩ '''৬''' +১.০৬৯ '''৬''' +০.৮৪৮ '''৬''' −২.০৬৬ '''২''' −১.৫৬৭ '''০''' সুপার সিক্স পর্বে উত্তীর্ণ দলসমূহ ==== খেলার সময়সূচী ফলাফল ==== === গ্রুপ বি === ==== পয়েন্ট তালিকা ==== দল +১.০৯৫ '''৬''' +০.৫৭৪ '''৬''' +০.৪০১ '''৪''' +০.৩৭০ '''৪''' −২.২৫৯ '''০''' সুপার সিক্স পর্বে যোগ্যতালাভকারী দলসমূহ ==== খেলার সময়সূচী ফলাফল ==== == স্থান নির্ধারণী খেলা == == সুপার সিক্স == === পয়েন্ট তালিকা === দল +০.৭৩৭ '''৮''' +০.৪৯৫ '''৮''' +০.৫৬৮ '''৬''' −০.৪৯৫ '''৪''' −০.২০১ '''২''' −১.০৩৫ '''২''' চিহ্নিত দলগুলো ফাইনাল খেলাসহ ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা লাভ করে। === খেলার সূচীপত্র ফলাফল === == ফাইনাল == == চূড়ান্ত অবস্থান == অবস্থান দল ১ম ২য় ৩য় ৪র্থ ৫ম ৬ষ্ঠ ৭ম ৮ম ৯ম ১০ম == পরিসংখ্যান == === সর্বাধিক রান === খেলোয়াড় দল খেলা ইনিংস রান গড় সর্বোচ্চ ১০০ ৫০ খুররম খান '''৫৮১''' ৭২.6২ ১৩৮ প্রিস্টন মমসেন '''৫২০''' ৮৬.৬৬ ১৩9* কালাম ম্যাকলিওড '''৪০১''' ৫৭.১২ ১৭৫ স্বপ্নীল পাতিল '''৩৬৪''' ৫২.০০ ৯৯* ইরফান আহমেদ '''৩৬৩''' ৭২.৬০ ১০০* ওয়েজলি বারেসি '''৩১৮''' ৭৯.৫০ ১৩৭* এরিক সারজিনস্কি '''৩১৭''' ১৫৮.৫০ ১২৯* === সর্বাধিক উইকেট === খেলোয়াড় দল খেলা ওভার উইকেট গড় সেরা বোলিং ৪-উইঃ ইকোনোমি হাসিব আমজাদ ৬৩ '''২০''' ১৫.৪০ ৪/৩৩ ৪.৮৮ লুইজ ক্লাজিঙ্গা ৫০.৪ '''১৮''' ১৪.৮৮ ৫/৩৬ ৫.২৮ মঞ্জুলা গুরুগে ৬৫ '''১৬''' ১৮.৩১ ৪/৩৯ ৪.৫০ ইয়ান ওয়ার্ডল ৭০.১ '''১৬''' ২৩.৩৭ ৩/৩২ ৫.৩৩ ক্রিস্টি ভিলজোয়েন ৫৩.৫ '''১৪''' ১৯.০০ ৪/৩৩ ৪.৯৪ খুররম চৌহান ৪৭.৫ '''১৪''' ২০.৬৪ ৫/৬৮ ৬.০৪ সাফিয়ান শরীফ ৭২.২ '''১৪''' ২৩.৯২ ৪/৫৫ ৪.৬৩ == তথ্যসূত্র == 2014 ICC World Cup Qualifier, Source: icc-cricket.com World Cricket League structure Scotland wash hands of WCQ tournament == আরও দেখুন == ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল == বহিঃসংযোগ == Official website Tournament website on ESPN Cricinfo ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব বিশ্ব ক্রিকেট লীগ নিউজিল্যান্ডীয় ক্রীড়া'''এবিসি''' (ইংরেজি: ABC) একটি জেনারেল পারপাস প্রোগ্রামিং ভাষা। নেদারল্যান্ডস্থ সিডব্লিউআই (CWI) এর তিন প্রোগ্রামিং ভাষা বিশেষজ্ঞ, লিও গিউর্টস, ল্যাম্বার্ট মার্টিন্স এবং স্টিভ পেম্বারটন, এই ভাষাটির উন্নয়ন করেন। প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে সাথে প্রোগ্রামারদের জন্য একটি এবিসি আইডিই বা ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট উন্নয়ন করা হয় তখন। এবিসি প্রোগ্রামিং ভাষাটিকে বেসিক (BASIC), প্যাস্ক্যাল (Pascal) এডব্লিউকে (AWK)-এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উন্নয়ন করা হয়েছিল। এবিসি একটি হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা। এই ভাষাটি সিস্টেমস প্রোগ্রামিংয়ের জন্য নয়, মূলত: শিক্ষাদান বা প্রটোটাইপিংয়ের জন্য উন্নয়ন করা হয়েছিল। == বৈশিষ্ট্য == এবিসি প্রোগ্রামিং ভাষাটির ৫টি মৌলিক ডাটা টাইপ রয়েছে। পাইথন, পিএইচপি ইত্যাদি হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষার মত এবিসিতেও ভেরিয়েবল বা চলক ঘোষণা করার প্রয়োজন হয় না। টপ-ডাউন প্রোগ্রামিং পদ্ধতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন পাওয়া যায় এবিসিতে। এই প্রোগ্রামিং ভাষায় আরবিট্রারি প্রিসিশন এরিথমেটিক, অসীম আকৃতির লিস্ট স্ট্রিং ইত্যাদি সুবিধাদি ছাড়াও নবীন প্রোগ্রামারদের জন্য অনেক সহজবোধ্য সুবিধা পাওয়ায় যায়। এবিসি প্রোগ্রামিং ভাষার উন্নয়নকারীরা দাবী করেন কোন বিশেষ কাজের জন্য এই প্রোগ্রামিং ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম একই কাজের জন্য লিখিত প্যাস্কেল বা সি প্রোগ্রামের চাইতেও অনেক সংক্ষিপ্ত আকারের হয়ে থাকে। তারা আরও দাবী করেন; প্রোগ্রামিংয়ে পূর্ব জ্ঞান সম্পন্ন যে কারো পক্ষে মাত্র ঘণ্টায় এবিসি প্রোগ্রামিং ভাষাটি শেখা সম্ভব। এবিসিতে লিখিত প্রোগ্রাম সি বা প্যাস্কেলে লিখিত প্রোগ্রামের চাইতেও অনেক বেশি পঠনযোগ্য। এবিসি মূলত একটি মনোলিথিক প্রোগ্রামিং ভাষা। জাতীয় ভাষা মডিউলার প্রোগ্রামিং ভাষার বিপরীত। মডিউলার প্রোগ্রামিং পদ্ধতিতে সাধারণত একটি বৃহৎ প্রোগ্রামকে ছোট ছোট মডিউলে বিভক্ত করা যায় পরবর্তীকালে সেই সব মডিউলগুলোকে একত্রে সন্নিবেশিত করে সম্পূর্ণ প্রোগ্রাম প্রস্তুত করা যায়। অপর দিকে মনোলিথিক ভাষায় প্রোগ্রামকে এরকম ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে কাজ করা সম্ভব নয়। ফলে ছোট আকৃতির প্রোগ্রামের জন্য মনোলিথিক ভাষাগুলো উপযোগী হলেও বৃহৎ বহুমুখী তৈরিতে জাতীয় ভাষাগুলো সম্পূর্ণ ব্যর্থ বা অকার্যকর। এবিসি প্রোগ্রামিং ভাষাটির আরেকটি বড় দুর্বলতা হল এই ভাষাটিতে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বা গুই তৈরি করার কোন সুবিধা নেই। এবিসি সরাসরি ফাইল সিস্টেম অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে না। == প্রভাব == পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষার জনক গুইডো ভ্যান রস্যিউম আশির দশকে এবিসি প্রোগ্রামিং ভাষায় কাজ করেন। এর ফলাফল স্বরূপ পরবর্তী সময়ে তার উন্নয়নকৃত পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষাটির উপর এবিসির প্রচুর প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে পাইথন এবিসির সিনট্যাক্সের মধ্যে প্রভূত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। == এবিসি আইডিই == এবিসি উন্নয়নকারীরা এই প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে সাথে এর প্রোগ্রামারদের সুবিধার্থে একটি ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট বা আইডিইর উন্নয়ন করেছেন যা সম্পাদনা, পরামর্শ, একধিক ওয়ার্কস্পেস ব্যবহারের সুবিধা, স্ট্যাটিক ভেরিয়েবল সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করে থাকে। বর্তমানে এবিসি এর ১.০৫.০২ সংস্করণ প্রচলিত রয়েছে। এবিসি ভাষাটি ইউনিক্স (UNIX), ডস (DOS), আটারি এবং অ্যাপল ম্যাকিন্টোশ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়। == উদাহরণ == নিচে এবিসি প্রোগ্রামের একটি উদাহরণ দেয়া হল: PUT {} IN collection FOR line IN document: FOR word IN split line: IF word not.in collection: INSERT word IN collection RETURN collection == তথ্যসূত্র == ভাষা() (১১৮৯-১২৫৮) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মসম্প্রদায় ব্কা'-ব্র্গ্যুদ ধর্মীয় গোষ্ঠীর এক বিখ্যাত বৌদ্ধপন্ডিত ছিলেন। == শৈশব == দক্ষিণ তিব্বতের ল্হো-ব্রাগ অঞ্চলে ১১৮৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় ম্গোন-পো-দ্পাল ()। তার জন্মের পর আর্থিক অনটনের কারণে তার পিতা মাতা মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তার মাতা এক ধনী চিকিৎসকের সঙ্গে নতুন করে সংসার বাঁধেন তাকে তার পিতার দায়িত্বে রেখে যান। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তার পিতা অপুষ্টিজনিত কারণে রোগ ভোগের পর মৃত্যুবরণ করেন। ফলে খুব অল্প বয়সে জীবিকার সন্ধান শুরু করতে হয়। == শিক্ষা সাধনা == ষোল বছর বয়সে তিনি লাসা শহরে যাত্রা করে জাগতিক বিষয়ের ওপর বিতৃষ্ণার ফলে বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। এরপর তিনি র্বা-লুং বৌদ্ধবিহারে নামক ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রথম নিকট শিক্ষালাভ করেন। ১২১১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু হলে তিনি ম্খার-ছু অঞ্চলে তিন বছর সাধনা করেন। এরপর তিনি বহু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জলন্ধর পৌঁছন। এই স্থানে বেশ কিছু দিন সাধনার পর তিনি লাহুলের মধ্য দিয়ে তিব্বত ফিরে আসেন। এরপর তিনি ফোম-ল্হা-খাব () নামক স্থানে তিন বছর নেপাল সীমান্তে র্গোদ-ত্শাং () নামক স্থানে সাত বছর সাধনা করেন। == শেষ জীবন == শেষ জীবনে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধবিহার নির্মাণ করেন। তিনি স্তোদ-'ব্রুগ নামক এক প্রথার প্রচলন করেন। এছাড়া তিনি তার অনুগামীদের উপদেশ দেন যাতে তারা বৌদ্ধ বিহারের সজ্জার জন্য অর্থ সংগ্রহ না করে সেই সময়ে একাকী সাধনায় মনোনিবেশ করেন। তার অন্যতম প্রধান শিষ্য ছিলেন == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন == The crystal mirror of philosophical systems: Tibetan study of Asian religious thought Thuken Losang Chökyi Nyima; translated by Geshé Lhundub Sopa with E. Ann Chávez and Roger R. Jackson; special contributions by Michael Sweet and Leonard Zwilling; edited by Roger R. Jackson. Boston: Wisdom Publicatiaons; Montreal: In association with the Institute of Tibetan Classics, 2009. (web) Roerich, George, trans. 1996. The Blue Annals. 2nd ed. Delhi: Motilal Banarsidas, pp. 680–87. Tucci, Giuseppe. 1971. “Travels of Tibetan Pilgrims in the Swat Valley.” In Opera Minora. Rome: Giovanni Bardi, pp. 373–83. 唐景福: 中国藏传佛教名僧录: 甘肃民族出版社, ১৯৯১ অনলাইন পড়ুন) 拉科•益西多杰: 藏传佛教高僧传略, 青海人民出版社, ২০০৭ অনলাইন) জন্ম মৃত্যু কাগ্যু'''মামনুন হাসান ইমন''' (সংক্ষেপে '''ইমন'''; জন্ম: ২৮ মে ১৯৮৩) হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। ইমন তার কর্মজীবন শুরু করেন তৌকির আহমেদ পরিচালিত ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ''দারুচিনি দ্বীপ'' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। == অভিনয় জীবন == ইমন অভিনীত ২০১০ সালের ''গহিনে শব্দ'' ছবিতে অভিনয়ের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি বেশ কিছু পুরস্কার লাভ করেন; যেমন: ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল, সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল, এবং সাইলেন্ট রিভার ফিল্ম ফেস্টিভাল। এছাড়াও তিনি লালটিপ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত এবং আলোচিত হয়েছেন। ২০১৩ সালে বাংলাভিশন এর জন্য নির্মিত একটি রোমাঞ্চর গল্পের ভিত্তিতে তৈরী "ভ্যালেন্টাইন" শিরোনামের একটি নাটক এর শুটিং কাতারে অনুষ্ঠিত হয়। নাটকটিতে ইমন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সারিকা, শাহনুর। এটি হল ইমন এবং সারিকার জুটির প্রথম নাটক। == চলচ্চিত্র সমূহ == বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা পরিচালক টীকা ২০০৭ দারুচিনি দ্বীপ সনজু তৌকির আহমেদ প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ''এক বুক ভালবাসা'' ইমন ইস্পাহানি আরিফ জাহান ২০১০ ''গহীনে শব্দ'' খালিদ হাসান মিঠু ২০১২ ''লাল টিপ'' অর্ণব স্বপন আহমেদ ২০১৫ ''পদ্ম পাতার জল'' তন্ময় তানসেন ২০১৬ পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী রায়ান খান ২০১৭ ''পরবাসিনী'' ইমন স্বপন আহমেদ ২০১৯ ''পাসওয়ার্ড'' রুশো মালেক আফসারী == পুরস্কার মনোনয়ন == বছর পুরস্কার বিভাগ মনোনীত কর্ম ফলাফল ২০০৮ মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা ''এক বুক ভালোবাসা'' ২০১০ মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা ''গহীনে শব্দ'' ২০১১ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড চ্যানেল আই পুরস্কার সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা ''গার্মেন্টস কন্যা'' ২০১৯ ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার সেরা পার্শ্ব অভিনেতা ''পাসওয়ার্ড'' == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == চলচ্চিত্র অভিনেতা চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা ব্যক্তি ব্যক্তি জন্ম'''মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট''' বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য সীমিত ভূমি মৃত্তিকা সম্পদের যুক্তিযুক্ত লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং মৃত্তিকা পরিবেশ সুরক্ষা। ==ইতিহাস== এটি পাকিস্তান ভূমি জরিপ কর্মসূচীর পরিদপ্তরের পূর্ব পাকিস্তান শাখা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৮২তে এটির আধুনিকায়ন করা হয় এবং মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ==পরিচালনা== মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠানে- *৪টি বিভাগ; প্রশাসন, কার্টোগ্রাফী, ডাটা প্রসেসিং অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকেল এবং পাবলিকেশন অ্যান্ড রেকর্ড শাখাসহ *৯টি শাখা, *৬টি আঞ্চলিক কার্যালয়, *১৫টি আঞ্চলিক গবেষণাগার, *২১টি জেলা কার্যালয় এবং *২টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া কৃষকের মৃত্তিকা নমুনা সরেজমিনে পরীক্ষা করে ফলাফলের ভিত্তিতে সুষম মাত্রার সার সুপারিশ করার লক্ষ্যে ১০টি ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগার রয়েছে। ==লক্ষ্য== (১) মৃত্তিকা ভূমি সম্পদের ইনভেন্টরি তৈরী। (২) ভূমি মৃত্তিকা সম্পদের সক্ষমতাভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস। (৩) ভূমি মৃত্তিকা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য সেবা গ্রহণকারীর উপযোগী নির্দেশিকা, পুস্তিকা এবং সহায়িকা প্রণয়ন। (৪) সমস্যাক্লিষ্ট মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা। (৫) শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়নে সহায়তা। ==তথ্যসূত্র== রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সংগঠনদ্য ''ফলিং ম্যান'' '''দ্য ফলিং ম্যান''' হল এসোসিয়েটেড প্রেস-এর আলোকচিত্রী ''রিচার্ড ড্রিউ'' কর্তৃক ধারণ করা একটি আলোকচিত্র। আলোকচিত্রে দেখা যায় নিউ ইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ১১ই সেপ্টেম্বর -এর হামলার সময় স্থানীয় সকাল ৯:৪১:১৫টায় একজন লোক নর্থ টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ছেন। যদিও আলোকচিত্রের ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি তবে মনে করা তিনি হলেন তাদের মধ্যে একজন যারা হামলার সময় উপরের তলায় আটকা পরেছিলেন। তিনি হয় জীবন বাঁচানোর জন্য বা হামলার ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য লাফ দিয়েছিলেন। অনেকে বিশ্বাস করেন ঐদিন হামলার সময় কমপক্ষে ২০০ জন লোক টাওয়র থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন যদিও কেউ কেউ সংখ্যাটিকে অর্ধেক বা আরো কম বলে মনে করেন। কর্মকর্তারা হামলার প্রারম্ভে যারা ভবন ধ্বসের মধ্যে পরেছিলেন তাদের দেহ শনাক্ত করতে পারেননি। হামলায় অংশগ্রহণকারী অপহরণকারীরা ছাড়া লাফিয়ে পড়া প্রত্যেকেই একরকম বাধ্যতামূলকভাবে আত্মহত্যা করেছেন। নিউ ইয়র্ক সিটির মেডিকেল পরীক্ষক বলেন, ব্যধ্যতামূলক আত্মহত্যাকারীরা ঘটনার দিন সকালে অফিসে গিয়েছিল এবং তারা আগুন ধরার ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া বা আগুনের শিখার ফলে বাধ্য হয়ে লাফিয়ে পড়েছিল। আলোকচিত্রে লাফিয়ে পড়া ব্যক্তিকে তার ডান পাশ থেকে দেখা যায় তিনি উপরের টাওয়ার থেকে সোজা নিচে পড়ছেন। তার পতনের বেশ কয়েকটি চিত্র ধারণ করা হয় দেখা যায় তিনি পতনের সময় বাতাসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। আলোকচিত্রী বলেন অন্তত দুটি ক্ষেত্রে, সংবাদপত্রে ছবিটি ছাপা হওয়ার পর এটি সমালোচনার মধ্যে পড়েছে কিছু কিছু পাঠক ছবিটিকে বিরক্তিকর হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সামাজিক সংস্কৃতিকভাবে ছবিটি ব্যপক প্রভাব ফেলে, ''মোর তত্বীয় কলেজের'' অধ্যাপক মার্ক ডি. থম্পসন বলেন, “এটি সম্ভবত একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে হতাশাপূর্ণ একটি চিত্র যা শিল্পকলা, সাহিত্য বা জনপ্রিয় সঙ্গীতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।” == পদটীকা == == তথ্যসূত্র == ''৯/১১: দ্য ফলিং ম্যান'' (মার্চ ১৬, ২০০৬), চ্যানেল ৪। == আরো পড়ুন == == বহিঃসংযোগ == NPR interview with Esquire magazine writer Tom Junod, August 21, 2003 মৃত্যু প্রেস ১১-এর হামলা বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির ভবন স্থাপনা আলোকচিত্র'''এর্নস্ট বরিস কাইন''' () একজন জার্মান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রাণরসায়নবিদ। তিনি ১৯৪৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। == জীবনী == কাইন ১৯০৬ সালের ১৯ জুন বার্লিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রেডরিখ গোল্যান্ড হপকিন্স এর অধীনে ফসফোলিপিড নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিই ১৯৩৫ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর রোগতত্ত্বের প্রভাষক নিযুক্ত হন। == তথ্যসূত্র == নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মৃত্যু জন্ম'''জুনিয়াস রিচার্ড জয়াবর্ধেনে''' (; জন্ম: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯০৬-মৃত্যু: নভেম্বর, ১৯৯৬) সিলনের (বর্তমান: শ্রীলঙ্কা) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট আইনজীবী সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। শ্রীলঙ্কায় সংক্ষেপে তিনি '''জেআর''' নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৯ মেয়াদকালে তিনি শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন সিলনের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর তিনি কয়েক দশক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বে আসীন ছিলেন। ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির দীর্ঘদিনের সদস্য জয়াবর্ধনে ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে জয়লাভে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী হন। একবছর পর সংবিধান পরিবর্তনপূর্বক তিনি দেশের প্রথম নির্বাহী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করেন। == রাজনৈতিক জীবন == তার পিতা মাননীয় বিচারক ''ইউগিন উইলফ্রেড জয়েবর্ধনের'' একাদশ সন্তান ছিলেন জুনিয়াস রিচার্ড জয়েবর্ধনে। বাবা সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন। সিলনের প্রথিতযশা পরিবারে জন্ম নেয়ায় বৈধ পেশার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন জয়েবর্ধনে। মা ''অ্যাগনেস হেলেন ডন ফিলিপ বিজেবর্ধেনা'' ছিলেন অভিজাত বণিক পরিবারের মেয়ে। ১৯৩২ সালে কলম্বোর সিলন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৪৩ সালের পূর্ব-পর্যন্ত ব্যারিস্টার হিসেবে আইন-চর্চা করেন। এরপর তিনি সিলন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টিতে যোগ দেন ১৯৪৩ সালে স্টেট কাউন্সিলের নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৪৮ সালে সিলন ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে স্বাধীনতা পরবর্তী সংস্কারবাদী ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির সরকারে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দলে তিনি ডি.এস. সেনানায়েকে পরে তার পুত্র ডাডলি সেনানায়েকের পর দ্বিতীয় পদমর্যাদাধারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এছাড়াও, ১৪৮-৫৩ এবং ১৯৬০ সালে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫৩-৫৬ মেয়াদে খাদ্য কৃষি মন্ত্রী, ১৯৬৫-৭০ মেয়াদে ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ডাডলি সেনানায়েকের মৃত্যুজনিত কারণে তিনি ইউএনপি’র নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করেন এবং ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে তার দল গুরুত্বপূর্ণ জয় পায়। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রপতি মহিন্দ রাজাপক্ষ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট == বহিঃসংযোগ == The JAYEWARDENE Ancestry The WIJEWARDENA Ancestry Website of the Parliament of Sri Lanka Official Website of United National Party (UNP) J.R. Jayewardene Centre 95th Birth Anniversary Remembering the most dominant Lankan political figure. by Padma Edirisinghe J.R. Jayewardene by Ananda Kannangara President JRJ and the Export Processing Zone By K. Godage Methek Kathawa '''Divaina''' Methek Kathawa '''Divaina''' রাষ্ট্রপতি জন্ম মৃত্যু অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল পার্টির নেতা ব্যক্তি বৌদ্ধ নেতা (শ্রীলঙ্কা) আইনজীবী ক্রিকেটার রাজনীতিবিদ পরিবার আন্দোলনের মহাসচিব বিরোধী শ্রীলঙ্কান'''মারিয়ানো গঞ্জালো আন্দুহার''' (; জন্ম ৩০ জুলাই ১৯৮৩) একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার যিনি সিরি এর ক্লাব নাপোলির হয়ে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন। == কর্মজীবন == == তথ্যসূত্র == == বহিসংযোগ == আর্জেন্টাইন প্রিমেরা পরিসংখ্যান ইএসপিএন পরিসংখ্যান পরিসংখ্যান জন্ম ব্যক্তি ফুটবলার গোলরক্ষক ফুটবলার চিত্তা দে পালের্মো খেলোয়াড় দে লা প্লাতা ফুটবলার কাতানিয়া খেলোয়াড় নাপোলি খেলোয়াড় দিভিসিওন আর্জেন্টিনা খেলোয়াড় ফুটবলার ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় কোপা আমেরিকার খেলোয়াড় ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়'''আরামবাগ হাই স্কুল''' হুগলীর আরামবাগের সবচেয়ে প্রাচীন স্কুল। এটি স্থাপিত হয়েছে ১৮৬১ সালে। এটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পরিষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত। ২২ ডিসেম্বর ১৯৪৫ সালে এই স্কুলটি কলকাতা সাহায্য অনুমোদন পেয়েছ। এটি দ্বারকেশবর নদীর তীরে অবস্থিত। == ইতিহাস == ১৮৬১ সালে ইংরেজি শিক্ষাদান জন্য ব্রিটিশ সরকার স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করে। মার্চ, ১৯৪৫ তারিখে, বিদ্যালয় (সম্পূর্ণরূপে এডেড) বেতন ঘাটতি প্রকল্প অধীনে আসে। ২২ ডিসেম্বর, ১৯৪৫ তারিখে, স্কুলের কলকাতা রেজিস্ট্রার দ্বারা স্বীকৃত এবং এডেড ছিল। জেলার বিদ্যালয়'''সুরেশ বিশ্বাস''' (১৮৬১ ২২ সেপ্টেম্বর ১৯০৫) একজন নদিয়া জেলার বাসিন্দা তথা ভারতীয় অভিযাত্রী যিনি ব্রাজিলের গৃহযুদ্ধে লড়েছিলেন। == প্রারম্ভিক জীবন == ১৮৬১ সালে বঙ্গের নদিয়া জেলার নাথপুরে গিরিশচন্দ্র বিশ্বাসের প্রথম পুত্র সুরেশচন্দ্র বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন। সুরেশের জন্ম দিন মাস পাওয়া যায় না। বয়সকালে তিনি এই তথ্য জানার জন্য পিতৃব্যকে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু তার পিতৃব্য কি উত্তর দিয়েছিলেন তা জানা যায় না। সুরেশের জন্মস্থান নাথপুর গ্রামটি কৃষ্ণনগর থেকে ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ইছামতীর তীরে অবস্থিত। তার পিতা গিরিশচন্দ্র সরকারি দপ্তরে সামান্য বেতনের চাকরি করতেন। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে সুরেশ ছিলেন জ্যেষ্ঠ। তার পরিবার ছিল গৌরাঙ্গের উপাসক। শৈশব থেকে সুরেশ ছিলেন দুরন্ত দুঃসাহসী। যখন তার বয়স মাত্র দুই, তিনি একবার অনায়াসে একটি ২০ ফুট উঁচু মইয়ে উঠে পড়েন। আর একবার একটি বিড়ালের মুখে থেকে একটি কাঠবিড়ালীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বিড়ালটি তাকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিলে তাকে কয়েকমাস শয্যাশায়ী থাকতে হয়। সুরেশের আর একটু বড় হতে তার পিতা গিরিশবাবু কলকাতার বালিগঞ্জে একটি বাড়ি কিনে সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন। সুরেশকে তিনি ভবানীপুরের লন্ডন মিশন কলেজে ভর্তি করে দেন। == কর্মজীবন == === ভারত === গৃহত্যাগের পর সুরেশ চাকরির সন্ধান করতে লাগলেন। কিন্তু তার শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় তিনি কোথাও কোন চাকরি পেলেন না। অবশেষে তিনি যখন হতাশ হয়ে পড়েছেন তখন তিনি স্পেন্সেস হোটেলে একটি ট্যুরিস্ট গাইডের চাকরি পেলেন। গাইডের কাজে জাহাজ ঘাটে ঘন ঘন যাতায়াতের ফলে তার বিলেত যাওয়ার বাসনা হল। তিনি বিলেত যাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু ফলপ্রসূ হল না। অবশেষে তিনি আপাততঃ বিলেতযাত্রার বাসনা স্থগিত রেখে সমুদ্রযাত্রা করে বিদেশভ্রমণের পরিকল্পনা করলেন। জাহাজে করে প্রথমে তিনি রেঙ্গুনে গিয়ে উঠলেন। সেখানে চাকরির চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর রেঙ্গুনের পাট চুকিয়ে তিনি চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। সেখানে অতি সস্তায় একটি বাড়ি ভাড়া করে চাকরির সন্ধান করতে লাগলেন। যে কোন কাজের জন্য চেন্নাইয়ে খ্রীষ্টানদের দোরে দোরে জন্য ঘুরলেন, কিন্তু কোন কাজ জুটল না। অবশেষে প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থায় এক ফিরিঙ্গির কাছে বাড়ির পরিচারকের কাজ পেলেন। সেখানে মাসকতক থাকার পর কলকাতায় ফিরে আসেন। কলকাতায় সুরেশের খাদ্য বাসস্থানের সমস্যা ছিল না। লন্ডন মিশন কলেজের অধ্যক্ষ আসটন তাকে কলেজের বোর্ডিংয়ে আগের মতই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এর মধ্যে তিনি অকদিন পিতা পিতৃব্যের অনুপস্থিতিতে মায়ের সাথে দেখা করে আসেন। এদিকে তার কোন স্থায়ে চাকরি জুটল না। তিনি গঙ্গার জেটিতে জেটিতে ঘুরতেন জাহাজের ক্যাপ্টেনদের সাথে মেলামেশা করতেন। একদিন তার বি এস এন কোংরের ক্যাপ্টেনের সাথে আলাপ হল। বহু অনুনয় বিনয়ের পর ক্যাপ্টেন সুরেশকে ফেরার সময় বিলেতে নিয়ে যেতে রাজি হলেন। ১৮৭৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সুরেশ বি এন এস কোংরের সহকারী স্টুয়ার্ডের পদে যোগ দিয়ে বিলেতযাত্রা করেন। === ইউরোপ === জাহাজ লন্ডনে নোঙর করলে সুরেশ প্র্থমে তিন সপ্তাহ শহরটা ঘুরে দেখলেন। অবশেষে জাহাজ ছাড়বার সময় হলে সুরেশ বিলেতে থেকে যাওয়া মনস্থির করলেন। জাহাজের এক সহকর্মী বোসেনের সহায়তায় লন্ডনের ইষ্ট এন্ডে বসবাসের জন্য সস্তায় একটি ঘর ঠিক করলেন। চাকরি জোটানো দূরস্থান, সুরেশ তার বিলেত জীবনের প্রথম কয়েকদিনেই তার অর্জিত সমস্ত অর্থ মদ নারীসঙ্গে উড়িয়ে দিলেন। কপর্দকশূন্য অবস্থায় সংবাদপত্র বিক্রেতার কাজে যোগ দিলেন। তারপর কিছু দিন মুটের কাজ করলেন। তারপর ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলে ফেরিওয়ালার কাজ করলেন। এই সময় তিনি স্বচেষ্টায় লেখাপড়া শুরু করে প্রথাগত শিক্ষার অভাব কিছুটা মেটাতে শুরু করলেন। এই সময়ে কেন্টে অবস্থানকালে দৈবাৎ এক সার্কাস দলের সাথে সুরেশের যোগাযোগ হয়। তিনি সার্কাসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সার্কাসের ম্যানেজার তাকে পরীক্ষা করতে চান। সুরেশ সার্কাসের সব চেয়ে বলশালী ব্যক্তিকে কুস্তিতে পরাজিত করে সার্কাসে চাকরি পান। বেতন থাকা খাওয়া বাবদ সপ্তাহে ১৫ সিলিং। সাসেক্সে সার্কাস দল তাঁবু ফেললে সুরেশ সার্কাসে খেলা দেখান এবং প্রথম দিন থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ক্রমে তিনি বন্য পশু বিশেষতঃ সিংহকে বশ করার খেলায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। ১৮৮০ সালে সার্কাস দলের সাথে ইংল্যান্ড ভ্রমণকালে প্রসিদ্ধ হিংস্র পশু বশকারী প্রফেসর জামবাখের সাথে তার পরিচয় ঘটে। জামবাখ ছিলেন তৎকালীন ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পশু বশকারী। জামবাখের প্রস্তাবে সুরেশ সার্কাসের চাকরি ছেড়ে তার নিজস্ব পশুশালায় সহকারীরূপে যোগ দেন। সেখানে বছর দুয়েক কাজ করার পর পুনরায় সার্কাসে যোগ দেন। ১৮৮২ সালে লন্ডনের এক প্রদর্শনীতে বাঘ সিংহের খেলা দেখিয়ে জগৎজোড়া খ্যাতি লাভ করেন। তিনি সার্কাস দলের সঙ্গে ইউরোপ যাত্রাকালে জার্মানির হামবুর্গে বিশিষ্ট পশু প্রশিক্ষক গাজেনবাখের সাথে পরিচিত হন এবং সার্কাসের চাকরি ছেড়ে অধিক বেতনে গাজেনবাখের পশুশালার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর তিনি অধিকতর বেতনে জো কার্ল নামক জনৈক ব্যক্তির পশুশালার দায়িত্ব নেন। কিয়ৎকাল পশু প্রশিক্ষকের কাজ করার পর পুনরায় সার্কাসে যোগ দেন। ১৮৮৫ সালে জার্মানিতে অবস্থানকালে পুর্বের সেই জার্মান যুবতীর সাথে তার দেখা হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের কথা যুবতীর আত্মীয়গণ জানতে পারলে তারা সুরেশের প্রাণ সংহার করার জন্য উদ্যত হন। সুরেশ জার্মানি পরিত্যাগ করলে তারা ইউরোপের নগরে নগরে লোক লাগিয়ে সুরেশের অনুসন্ধান করতে থাকেন। সুরেশ ওয়েল নামক জনৈক হিংস্র পশু প্রদর্শনকারীর দলে চাকরি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পলায়ন করেন। সার্কাস দলের সঙ্গে তিনি মেক্সিকো হয়ে ব্রাজিলের রাজধানী রিও দি জেনেরিও-তে উপনীত হন। === ব্রাজিল === ব্রাজিলে সার্কাসে হিংস্র পশুর খেলা দেখানোর পাশাপাশি সুরেশ অঙ্ক, দর্শন রসায়নের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। কিছুকাল পরে ব্রাজিলের রাজকীয় পশুশালার প্রশিক্ষক রক্ষকের পদ শূন্য হলে সুরেশ সার্কাসের চাকরি ছেড়ে সেখানে যোগদান করেন। এই সময় সুরেশের সাথে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কন্যার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন তার প্রেমিকা তাকে বলেন যে তাকে সৈনিক বেশে বড় সুন্দর দেখাবে। ২৫ বছরের তাজা যুবক সুরেশ তার প্রণয়িণীর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রাজিল সম্রাটের অধীনে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং কঠোর অনুশীলন আরম্ভ করেন। পরের বছর তিনি কর্পোরাল পদে উন্নীত হয়ে একটি ছোট সৈন্যদলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে সান্তাক্রুজে চলে যান। তারপর রিও দি জেনেরিও-র হাসপাতালের দায়িত্ব পান। হাসপাতালে থাকাকালীন তিনি অস্ত্রপচার শিক্ষা করেন এবং তাতে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন। ১৮৮৯ সালে তার সেনাবাহিনীতে তিন বছরের বাধ্যতামূলক মেয়াদ ফুরোলেও সুরেশ সেনাবাহিনীতেই থেকে যান। তিনি অশ্বারোহী থেকে পদাতিক শ্রেণীতে পরিবর্তন করে বন্দুক চালনা শিক্ষা করেন। এই সময়ে তিনি উক্ত চিকিৎসক কন্যাকে বিবাহ করেন। কর্পোরাল থেকে তিনি ক্রমে প্রথম সার্জেন্টের পদে উন্নীত হন। ১৮৯২ সালে তার প্রথম পুত্রের জন্ম হয়। ১৮৯৩ সালে তিনি প্রথম লেফ্‌টানেন্টের পদে উন্নীত হন। ১৮৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রাজিলে এক ভয়ানক রাষ্ট্রবিপ্লবের সূচনা হয়। সাধারণতন্ত্রের নৌবাহিনী রাজধানী রিও দি জেনেরিও-কে ঘিরে তুমুল গোলাবর্ষণ করতে থাকে। সুরেশ স্থলাবাহিনীর সেনাপতির অধীনে থেকে স্থলস্থ দুর্গগুলি রক্ষা করতে থাকেন। স্থলবাহিনী দুর্গ রক্ষায় সাহসিকতার পরিচয় পেয়ে বিদ্রোহী নৌবাহিনী সরাসরি রাজধানী অধিকার এক প্রকার অসম্ভব বিবেচনা করে রিও দি জেনেরিও-র শহরতলি নিথেরয় আক্রমণ করল। উপর্যুপরি গোলাবর্ষণ করে নিথেরয় সম্পূর্ণ বিদ্ধস্ত করে নৌসেনাগণ তীরে অবতরণ করে নিথেরয় অধিকার করতে উদ্যত হলেন। তখন রাত্রিকাল। ঘোর অন্ধকারের মধ্যে বিদ্রোহী সেনাগণ নিথেরয়ে উত্তর দিক থেকে প্রবেশ করলে শহরের রক্ষার দায়িত্ব থাকা স্থল সেনাগণের সাথে তুমুল যুদ্ধ বাধল। উভয়পক্ষে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও বিদ্রোহী নৌসেনাগণ নিথরয়ের দখল নিতে উদ্যত হল। এমত অবস্থায় স্থলবাহিনীর সেনাপতির আহ্বানে মাত্র ৫০ জন সৈন্য নিয়ে নিথেরয় রক্ষার জন্য এগিয়ে এলেন সুরেশ। শেষ রাতে শত্রু ঘাঁটিতে সুরেশ তার সঙ্গীরা আক্রমণ করেন এবং সুরেশের দৃঢ় সংকল্প অসামান্য সামারিক পারদর্শিতার জোরে শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করেন নিথেরয়ের যুদ্ধে জয়লাভ করেন। নৌবিদ্রোহ দমন হয়। কালে সুরেশ সেনাবাহিনীতে থেকে কর্ণেল পদে উন্নীত হন। == শেষ জীবন == সুরেশ রিও দি জেনেরিও-র এক সম্ভান্ত সম্মানীয় ব্যক্তির মর্যাদা পান। তার একটি কন্যা সন্তানও জন্মায়। তিনি সেখানে সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে থাকেন। পিতৃব্যর সাথে পত্র দ্বারা যোগাযোগ রাখতেন সুরেশ। তার কীর্তি কাহিনীর কথা স্বদেশে পৌঁছোয় তিনি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। ১৯০৫ সালে তার মৃত্যু হয়। == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু জেলার ব্যক্তি'''ফুয়াদ আল মুক্তাদির''' জন্মঃ আগস্ট ৬, ১৯৮০) এককথায় '''ফুয়াদ''' নামে পরিচিত। একজন বাংলাদেশী সুরকার। == শৈশব == ফুয়াদ ১৯৮৮ সালে আট বছর বয়সে বাংলাদেশ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে যান এবং ওখানে একটি জুনিয়র স্কুলে ভর্তি হন। তিনি সবসময় সঙ্গীত নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন এবং অবশেষে ১৯৯৩ সালে তিনি একটি ব্যান্ড দল “যেফির” গঠন করেন মধু, হিমেল, শুমন এবং ফ্রেডকে সাথে নিয়ে। ১৯৯৯ সালে ব্যান্ড ভেঙে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা অনেকগুলো গান রেকর্ড করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বাংলাদেশী বসবাসকারীদের জন্য দুইটি এলবাম মায়া এবং মায়া বের করেন। == ক্যারিয়ার == যেফির ব্যান্ড ছেড়ে আসার তার প্রথম রেকর্ড হল “রি-এভুলেশন”। অবস্কুর ব্যান্ডের কীবোর্ড বাদক সোহলে আজিজের সহায়তায় এই এলবামটি বের হয়। এই এলবামটিতে প্রধান গায়ক গৌণ গায়কের গাওয়া ১৪ টি গান অন্তর্ভুক্ত আছে। এই এলবামে আসল গানের পাশাপাশি একই গানের রিমিক্স গান অন্তর্ভুক্ত আছে। লিটুর “সিলতি” অনীলা নাজ চৌধুরীর “ঝিলমিল”, আমরিন মুসার “ভ্রমর কইয়ো” এবং “মন চাইলে মন” এর রি-মিক্সড গান এই এলবামে অন্তর্ভুক্ত আছে। ফুয়াদ’স ভ্যারিয়েশন নং. ২৫ প্রযোজিত হয় ২০০৬ সালে। ২০০৬ সালে এরপর জি-সিরিজ এবং আরশির ব্যনারে এই এলবামে আরো দুইটি নতুন গান অন্তর্ভুক্ত করে পূর্বের এলবামটি ভ্যারিয়েশন নং. ২৫.২ নামে পুনরায় বের করা হয়। এই এলবামের কয়েকটি গানের নাম হলঃ পুনমের “নবীনা” রাজিব/ফুয়াদের “নিটোল পায়ে” এবং বাপ্পা মজুমদারের “কোন আশ্রয়”। ফুয়াদের “বন্য” এলবামটি বের হয় ২০০৭ সালে জি-সিরিজের ব্যানারে। এই এলবামের কয়েকটি গানের নাম হলঃ উপলের “তোর জন্য আমি বন্য”, ফুয়াদ/বিসপের “বন্য র‍্যাপ”, ফুয়াদের “জংলী”, দা-দুষ্ট নাম্বার” এবং নিটোল পায়ে (লাইভ)। ফুয়াদ আরো কিছু এলবামে কাজ করেছেন। যেমনঃ সুমন অনীলা’র “এখনো আমি”, তপুর (যাত্রী’র কন্ঠে) “বন্ধু হবে কি?”, ফুয়াদ ফিচারিং কনা, ফুয়াদ ফিচারিং মালা, ফুয়াদ ফিচারিং মিলা “রি-ডিফাইন্ড” এবং ফুয়াদ ফিচারিং বিভিন্ন শিল্পী “ক্রমান্বয়” বের হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে। তিনি শেরিন, অনীলা, সুমন, তপু এবং অন্যান্য শিল্পীদের বিভিন্ন একক মিক্সড এলবামেও কাজ করেছেন। == তথ্যসূত্র == "Nokia announces “Play Project” to remake Feedback classics." ''The Daily Star''. "Breaking the Musical Status Quo." ''Star Weekend Magazine''. == বহিঃসংযোগ == জন্ম‏ সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব গায়ক সঙ্গীতশিল্পী গীতিকার সুরকার'''পান্না ঘোষ''' () (জন্ম: ১১ নভেম্বর ১৯৮৯, রাজশাহী) হলেন একজন বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার যিনি বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে থাকেন। তিনি একজন ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যান। == প্রাথমিক জীবন == আয়শা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায় ১৯৮৯ সালের ১১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == === একদিনের আন্তর্জাতিক === পান্নার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর আয়ারল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে। === টি২০ আন্তর্জাতিক === পান্নার টুয়েন্টি ২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা মহিলা ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে। === এশিয়ান গেমস === বাংলাদেশ ২০১০ সালে চীনের গুয়াংচুতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসের মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চীন জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রৌপ্য পদক লাভ করে। পান্না উক্ত প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম একজন খেলোয়াড় ছিলেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ইএসপিএন ক্রিকইনফো খেলোয়াড় প্রোফাইল ক্রিকেট আর্কাইভ খেলোয়াড় প্রোফাইল জন্ম মহিলা ক্রিকেটার'''মাসুমা জুনায়েদ আশরাফ ফারোজী''' নামে পরিচিত '''মাসুমা জুনায়েদ''' () (জন্ম: ২১ নভেম্বর ১৯৮৯) হলেন একজন পাকিস্তানী আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেটার যিনি পাকিস্তান জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন। মাসুমা হলেন একজন বাহাতি ব্যাটসমম্যান এবং বাহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। == খেলোয়াড়ী জীবন == === একদিনের আন্তর্জাতিক === মাসুমার একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় অভিষেক হয় মে ২০০৯ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধে। === টি২০ আন্তর্জাতিক === মাসুমার ২০১০ সালের চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অংশ ছিলেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ESPN Cricinfo Cricket archive জন্ম ব্যক্তি মহিলা ক্রিকেটারমেজর জেনারেল '''ইব্রাহিম হাবিবুল্লাহ''' () ছিলেন একজন ভারতীয় সেনাবাহিনী জেনারেল এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমী (ভারত) এর সেনানায়ক। তিনি ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার সাঁজোয়াযুক্ত কর্পসের একটি অংশ হিসাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ''১৬ তম লাইট ক্যাভেলরী'' কমিশন লাভ করেন। একাডেমীর হাবিবুল্লাহ হলকে তার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করে নির্মাণ করা হয়। == তথ্যসূত্র == ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমী হাবিবুল্লাহ হল ওয়েব পৃষ্ঠা == বহিঃসংযোগ == ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা একাডেমী কমান্ডেন্ট গ্যালারি == আরও দেখুন == ভারত হায়দ্রাবাদ, ভারত মুসলিম'''থিওডোর হ্যারল্ড মাইম্যান''' একজন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি লেজার এর উদ্ভাবক। মাইম্যানের লেজার পরবর্তীকালে আরো অনেক ধরনের লেজার এর আবিষ্কারে পথ প্রদর্শন করে। এই উদ্ভাবনের জন্য মাইম্যান একটি প্যাটেন্টের অধিকারী হন এবং অনেক পুরস্কার সম্মানে ভূষিত হন। == জীবনী == মাইম্যান ১৯২৭ সালের ১১ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো অ্যাট বোল্ডার থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্সে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ১৯৫১ সালে মাস্টার অব সায়েন্স এবং ১৯৫৫ সালে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিএইচডি উপদেষ্টা ছিলেন উইলিস ল্যাম্ব। == পুরস্কার স্বীকৃতি == সদস্য, ন্যশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স সদস্য, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং ফেলো, আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি ফেলো, অপটিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকা ফেলো, সোসাইটি অব ফটো-অপটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স == তথ্যসূত্র == প্রাক্তন শিক্ষার্থী অব কলোরাডো বোল্ডারের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ওল্ফ পুরস্কার বিজয়ী প্রাইজ বিজয়ী'''সরোবজিত লাডডা''' (); (জন্ম: ১০ জুলা্ই ১৯৮৬) হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার যিনি পাঞ্জাব ক্রিকেট দলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে থাকেন। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং লেগব্রেক বোলার। তিনি ২০১৩ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ-এ কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অংশ ছিলেন। == আইপিএল == সরোবজিত ২০১৩ সালের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অন্যতম একজন খেলোয়াড় ছিলেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম থেকে মানুষ ক্রিকেটার ব্যক্তি নাইট রাইডার্স ক্রিকেটার (ভারত) ক্রিকেটার ডেয়ারডেভিলস ক্রিকেটার সবুজ ক্রিকেটার'''এ এম ফজিল''' (); (জন্মঃ ১৯৫৩, কেরালা) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক, এবং চিত্রনাট্যকার। তিনি মালায়ালম সিনেমা তার কাজের জন্য সুপরিচিত। == প্রাথমিক জীবন== তার পিতা তাকে একজন ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু স্কুল কলেজের অতিরিক্ত পাঠক্রম কার্যক্রম তার সময় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তিনি নাটক লিখেছেন এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে তাদের মঞ্চস্থ করেন এবং এই দলের সম্ভবত জনতার আনন্দ দিতে সামর্থ্য হয়েছিল। ==কর্মজীবন== ১৯৮০ দশকের পর থেকে ফজি ৩০টিরও বেশি সিনেমাতে পরিচালনা করেছেন। ফজিল অসংখ্য মালায়ালম ছায়াছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি তামিল ছায়াছবিতেও কাজ করেছেন। == ব্যক্তিগত জীবন == ফজিল রোজিনাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে; ফাহাদ ফজিল এবং ইসমাইল ফজিল। এছাড়াও আহমদো এবং ফাতিমা নামে দুজন কন্যা সন্তানও রয়েছে। তার পুত্র ফাহাদ ফজিল মালায়ালম সিনেমার একজন সুপরিচিত অভিনেতা। == চলচ্চিত্রের তালিকা == === নির্দেশিত ছায়াছবি === বছর ছায়াছবি ভাষা শ্রেষ্ঠাংশে ২০১১ ''লিভিং টুগেদার'' মালায়ালম হেমন্ত, জিনোপ ক্রিসান, শ্রীলেখা, শ্রীজিত বিজয় ২০০৯ ''মস এন্ড ক্যাট'' মালায়ালম দিলীপ, বেবী নিবেদীতা, অশ্বতী অশোক, রহমান ২০০৫ ''ওরু নাল ওরু কানাবু'' তামিল শ্রীকান্ত, সোনিয়া আগরওয়াল ২০০৪ মালায়ালম মোহনলাল, নয়নতারা, মুখেশ === প্রযোজিত ছায়াছবি === বছর ছায়াছবি ভাষা শ্রেষ্ঠাংশে ২০০৪ মালায়ালম মোহনলাল, নয়নতারা, মুখেশ ২০০৩ ''ক্রোনকিক ব্যাচেলার'' মালায়ালম মাম্মূত্তী, রম্ভা, মুখেশ, ভাবনা == পুরস্কার == ;জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৩ শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় চলচ্চিত্র জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পথ্য বিনোদন প্রদান কেরালা রাজ্য ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস ১৯৯৩: শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় চলচ্চিত্র জন্য কেরালা স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড ১৯৮৬: জনপ্রিয় এবং নান্দনিক মানের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ''এন্নিন্নুম ১৯৭৪: জনপ্রিয় এবং নান্দনিক মানের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ''নক্কেথা ধুরেথু কান্নুম নাততু'' ১৯৮৩: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১৯৮৩: শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''ইন্তি ১৯৮০: জনপ্রিয় এবং নান্দনিক মানের সঙ্গে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ''মনজিল বিরিনজা পুক্কাল'' ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস সাউথ ১৯৮৫: তামিল মধ্যে শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''পুভ পচুদাভা'' == আরও দেখুন == সেলিম আহমেদ ড্যানিশ আসলাম == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী মুসলিম পুরস্কার দক্ষিণ বিজয়ী চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র বিভাগে হোলসাম বিনোদন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী পরিচালক'''নিওপ্লাজম''' (ইংরেজি: Neoplasm, গ্রীক: νεο- ''neo-'', "নতুন" πλάσμα ''plasma'', "সৃষ্টি") '''টিউমার''' হল কোষের অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে সৃষ্ট অস্বাভাবিক বৃদ্ধির আগে,কোষ বৃদ্ধির একটি অস্বাভাবিক প্যাটার্ন মেটাপ্লাসিয়া কিংবা ডিসপ্লাসিয়া অতিক্রম করে। যাই কিংবা ডিসপ্লাসিয়া নিওপ্লাসিয়া হবেই,এমন কোন কথা নেই। নিওপ্লাস্টিক কোষের বৃদ্ধি স্বাভাবিক কোষের থেকে অনেক বেশি যা সমন্বয় বজায় রাখতে পারে না।এটির পরিবর্তনকারি উদ্দীপনা অপসারণ করলে আগের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় না।এর ফলে টিউমার হয়। নিওপ্লাসিয়া কারসিনোমা ইন সিটু(Carcinoma in Situ) কিংবা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার এই তিন রকম হতে পারে। == প্রকারভেদ == নিওপ্লাসিয়া বিনাইন,সম্ভাব্য বিনাইন কিংবা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার এই তিন রকম হতে পারে। বিনাইন টিউমার এক জায়গায় থাকে এবং ক্যান্সারে পরিণত হয় না। ম্যালিগন্যান্ট নিওপ্লাজম কার্সিনোমা অন্তর্ভুক্ত. তারা আক্রমণ ধ্বংস করে না,কিন্তু যথেষ্ট সময় পেলে ক্যান্সারে পরিণত হয়। *ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে সামগ্রিকভাবে ক্যান্সার বলে। তারা পার্শ্ববর্তী টিস্যু আক্রমণ ধ্বংস করে এবং শেষ পর্যন্ত পোষক কে বধ করে। == সংজ্ঞা == যেহেতু নিওপ্লাজম একটি ভিন্নধর্মী রোগ,তাই এটির সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া কঠিন ।তবে ব্রিটিশ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আর.এ.উইলিস এর সংজ্ঞা বহুল প্রচলিত," নিওপ্লাজম হল টিস্যুর অস্বাভাবিক সমষ্টি যার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীন এবং স্বাভাবিক টিস্যুর মত নয় এবং যা পরিবর্তনকারি উদ্দীপনা অপসারণ করলে আগের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় না।" === ক্লোন ধর্ম=== নিওপ্লাস্টিক টিউমার প্রায়ই একাধিক ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত কিন্তু তাদের ক্রমাগত বৃদ্ধি একটি একক নিওপ্লাস্টিক কোষের উপর সাধারণত নির্ভরশীল.এই কোষগুলোকে ক্লোনাল বলে ধরে নেয়া হয় -কারণ, তারা একটি একক জনক কোষ( single progenitor cell) থেকে অবতীর্ণ হয়. === নিওপ্লাসিয়া বনাম টিউমার === == কারণসমূহ == == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == রোগবিদ্যা চিহ্ন অপসারণ পদ্ধতি'''স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস''', যেটি স্ট্যানফোর্ড বিজনেস স্কুল, স্ট্যানফোর্ড জিএসবি অথবা জিএসবি নামে পরিচিত, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর পেশাদার অনুষদসমূহের মধ্যে অন্যতম। স্ট্যানফোর্ড জিএসবি এমবিএ, এমএসএক্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে। ইউএস নিউজ এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুসারে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নম্বর বিজনেস স্কুল। ==পটভূমি== ১৯২৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ==পূর্ণকালীন এমবিএ প্রোগ্রাম== ===র‍্যাংকিং=== ===এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি=== ===নতুন পাঠ্যসূচী=== ===পূর্ণকালীন এমএসএক্স প্রোগ্রাম=== ===এমবিএ এবং এমএসএক্স প্রোগ্রামের মধ্যে পার্থক্য=== '''এমবিএ এবং এমএসএক্স প্রোগ্রামের মধ্যে পার্থক্য''' স্ট্যানফোর্ড এমবিএ প্রোগ্রাম স্ট্যানফোর্ড এমএসএক্স প্রোগ্রাম পূর্ণকালীন,২১ মাস প্রোগ্রাম পূর্ণকালীন, ১১ মাস প্রোগ্রাম academic quarters academic quarters প্রতি ক্লাসে ৪০০ শিক্ষার্থী ৮৩ স্লোন ফেলো (mid-career managers/execs) ৪২% আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ৬৭% আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কাজের অভিজ্ঞতা: গড়ে বছর কাজের অভিজ্ঞতা: গড়ে ১২ বছর, ন্যূনতম বছর ১৫% এর পূর্বে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি থাকে ৪৭% এর পূর্বে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি থাকে এমবিএ ডিগ্রি প্রদান করে ম্যানেজমেন্টে এমএস ডিগ্রি প্রদান করে ==প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক== স্ট্যানফোর্ড জিএসবি অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বিজনেস স্কুলের সাথে সম্পর্ক আছে। এটি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল এর সাথে কিছু এক্সিকিউটিভ শিক্ষা কর্মসূচী পরিচালিত করে। এটি এমআইটি স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট এবং লন্ডন বিজনেস কুল এর সাথে স্লোন ফেলো কর্মসূচী সমন্বয় করে। ==বিখ্যাত শিক্ষার্থী== স্টিভ বলমার জন ফিট্‌জেরাল্ড কেনেডি বিনোদ খোসলা ==তথ্যসূত্র=='''তাপস পাল''' () (জন্ম ১৯৫৮) হচ্ছেন একজন বাঙালি অভিনেতা। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। তিনি ২০০৯ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকেট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে এমপি হন। ২০১৪ সালে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনের কিছুদিন আগে একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তাপস পাল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। উক্ত সভায় তিনি নিজেকে "চন্দননগরের মাল" বলে পরিচয় দেন এবং জানান যে তিনি পকেটে "মাল" নিয়ে ঘুরে বেড়ান। এছাড়া তিনি ছেলে পাঠিয়ে বিরোধী পক্ষের সমর্থকদের ধর্ষণ করে দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। পরে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরী হলে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। ২০১৬ সালের শেষ ভাগে তাপস পাল আবার সংবাদ শিরোণামে আসেন। রোজ ভ্যালি নামে একটি চীট ফান্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই সময়ে তাকে একটি পরচুলা পড়তে দেখা যায় যা সম্ভবতঃ তিনি তার বিখ্যাত ছবি মেজ বউ তে পড়েছিলেন। ==শিক্ষা== তাপস পাল বর্ধমান অধিনে হুগলী মহসিন কলেজ থেকে জীববিজ্ঞানে গ্রাজুয়েট করেন। ==চলচ্চিত্র জীবন== পালের প্রথম সিনেমা আসে ১৯৮০ সালে, তরুণ মজুমদার পরিচালিত ''দাদার কীর্তি'' চলচ্চিত্রে। তিনি ''ভালোবাসা ভালোবাসা'' এবং ''গুরুর দক্ষিণা'' ইত্যাদি অন্যান্য অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ==তাপস পালের চলচ্চিত্রের তালিকা== Film Co-actors Year Director ''দাদার কীর্তি'' Mahua Roychoudhury, দেবশ্রী রায়, Sandhya Roy 1980 তরুণ মজুমদার ''সুরের ভুবনে'' Indrani Dutta, Rupa Ganguly, Prosenjit Chatterjee ১৯৯২ Prabir Mitra ''মায়া মমতা'' Chumki Chowdhury ১৯৯৩ Anjan Choudhury ''সমাপ্তি'' দেবশ্রী রায় ১৯৮৩ Bijoy Bos ''চোখের আলোয়'' দেবশ্রী রায় ১৯৮৯ Sachin Adhikari ''অন্তরঙ্গ'' Satabdi Roy ১৯৮৮ Dinen Gupta ''সাহেব'' Mahua Roychoudhury, মাধবী মুখোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত ১৯৮১ Bijoy Basu ''পর্বত প্রিয়'' Mahua Roychoudhury, দেবশ্রী রায় ১৯৮৪ Dipranjan Bose ''দিপার প্রেম'' ১৯৮৪ ''অবোধ''(Hindi) Madhuri Dixit ১৯৮৪ Hiren Nag ''Baidurya Rahosya'' Moonmoon Sen ১৯৮৫ Tapan Singha ''অনুরাগের ছোঁয়া'' Mahua Roychoudhury ১৯৮৬ Johor Biswas ''পথভোলা'' ১৯৮৬ তরুণ মজুমদার ''Bhalobasha Bhalobasha'' দেবশ্রী রায় ১৯৮৬ তরুণ মজুমদার ''আশীর্বাদ'' Mahua Roychoudhury 1986 Biresh Chattopadhyay ''Guru Dakshina'' Satabdi Roy ১৯৮৭ Anjan Choudhury ''আগমন'' Sandhya Roy, দেবশ্রী রায় ১৯৮৮ তরুণ মজুমদার ''প্রতীক'' Chiranjit, Soumitra Chatterjee, রাখী ১৯৮৮ Prabhat Roy ''আপন আমার আপন'' Satabdi Roy ১৯৯০ তরুণ মজুমদার ''বলিদান'' Raakhee ১৯৯০ Anil Ganguly ''পরশমণি'' Satabdi Roy, Sandhya Roy ১৯৮৮ তরুণ মজুমদার ''সুরের আকাশে'' দেবশ্রী রায় ১৯৮৭ Biresh Chatterjee ''নীলিমায় নীল'' Indrani Halder ১৯৯১ Biresh Chatterjee ''Sangharsha'' Prosenjit Chatterjee, Ranjit Mallick, Chumki Chowdhury ১৯৯৫ Haranath Chakraborty ''উত্তরা'' ২০০০ বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ''ঋণ মুক্তি'' দেবশ্রী রায়, Mousumi Chatterjee ২০০০ Dinen Gupta ''মন্দ মেয়ের উপাখ্যান'' Samata Das ২০০২ বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ''Mayer Anchal'' Prosenjit Chatterjee, Ranjit Mallick ২০০৩ Anup Sengupta ''শুধু ভালোবাসা'' Jisshu Sengupta, Rachana Banerjee, Samata Das ২০০৫ Raj Mukherjee ''Shikar'' Koel Mallick, Amitabh Bhattacharjee, Rajesh Sharma ২০০৬ Saran Dutta ''I Love You'' Dev Payel Sarkar ২০০৭ Ravi Kinagi 8:08 Er Bongaon Local Swastika Mukherjee, Sonali Chowdhury, Anamika Saha ২০১২ Debaditya ''Challenge 2'' Dev, Pooja Bose ২০১২ Raja Chanda ''Khiladi'' Ankush Hazra, Nusrat Jahan ২০১৩ Ashok Pati == তথ্যসূত্র == জন্ম চলচ্চিত্রে অভিনেতা ব্যক্তি রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:২১ শতকের ভারতীয় রাজনীতিবিদ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ'''সামিরা রেড্ডি''' (জন্ম ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮০) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি সাধারণত তেলেগু এবং বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তাকে বাংলা চলচ্চিত্র, তেলেগু চলচ্চিত্র, মালায়ালাম চলচ্চিত্র এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এছাড়া তিনি '''ভারানাম আয়্যিরাম''', '''বেদী''' এবং '''ভেত্তাই''' সহ কিছু তামিল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ==শৈশব== সামিরা ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮০ সালে অন্ধ্র প্রদেশের রাজামুন্দ্রিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা চিন্তা পলী (সি.পি.) রেড্ডি, একজন ব্যবসায়ী, তার মা নক্ষত্র রেড্ডি, একজন গৌদ সরস্বত ব্রাহ্মণ, যাকে মাধ্যমে তার কন্যা নিকির নামে পরিচিত, একজন এবং একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। তার দুই বোন, মেঘনা রেড্ডি, একজন প্রাক্তন ভিজে এবং সুপারমডেল, এবং সুষমা রেড্ডি, একজন বলিউড অভিনেত্রী এবং মডেল, উভয়ই তার বড়। তিনি মুম্বাইয়ের মাহিমে অবস্থিত বোম্বে স্কটিশ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক এবং স্নাতক সম্পন্ন করেন সিদেনহাম কলেজ থেকে। সামিরা নিজের সম্পর্কে বলেন, "Tomboy" এবং "the ugly duckling in the family", "I was plump, had glasses and my glam quotient was rather low till was 19"। ==কর্মজীবন== সামিরাকে প্রথম দেখা যায় ১৯৯৬ সালে পঙ্কজ উদাসের গজল "অর আহিস্তা" এর ভিডিওতে, যখন তিনি তার স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে সবার নজর কাড়েন '''মেনে দিল তুজকো দিয়া''' (২০০২) সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে। ২০০৪ সালে তিনি '''মসাফির''' সিনেমায় অভিনয় করেন। রেড্ডিকে তামিল চলচ্চিত্রে দেখা যায় গৌতম মেমন পরিচালিত '''ভারানাম আয়্যিরাম''' সিনেমায়, সুরিয়া শিবকুমারের বিপরীতে। ব্লকবাস্টার হিট হয়। রেড্ডির আত্মবিশ্বাসী অভিনয়ের ফলে তিনি সমালোচকদের কাছে প্রসংশিত হন। 341x341px তিনি গৌতম মেননের দুইটি সিনেমা '''ইয়োহান আধ্যায়্যাম''' এবং '''ধ্রুব নাটচাথিরাম''' তে অভিনয়ের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন, কিন্তু সিনেমা দুইটি শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেন। ==অন্যান্য কার্যকলাপ== রেড্ডি ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত মিস শ্রীলঙ্কা অনলাইন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে কাজ করেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== রেড্ডি আমেরিকান টক শো কুইন অপরাহ উইনফ্রের অনেক বড় ভক্ত। তিনি পরমেশ্বর গোদরেজ কর্তৃক আয়োজিত অপরাহ উইনফ্রের সম্মানে স্বাগত অনুষ্ঠানে তিনি তার সাথে দেখা করেন। একজন টেলিভিশন তারকা হিসেবে তিনি সামিরা শাড়ি পড়া দেখে অনুপ্রাণিত হন, সামিরা তাকে ভারত থেকে যাওয়ার পূর্বে একই শাড়ি উপহার দেন। সামিরা ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি অক্ষয় ভাদ্রেকে বিয়ে করেন। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্য সংস্কৃতিতে সম্পন্ন হয়। ==চলচ্চিত্র== বছর চলচ্চিত্র চরিত্র ভাষা টীকা ২০০২ '''মেনে দিন তুজকো দিয়া''' আনভেশ হিন্দি ২০০৩ '''ডারনা মানা হ্যায়''' আনভেশ হিন্দি ২০০৪ '''প্লান''' আনভেশ হিন্দি ২০০৪ '''মুসাফির''' স্যাম হিন্দি ২০০৫ '''নরসিমহুদু''' আনভেশ তেলেগু ২০০৫ '''জয় চিরঞ্জীব''' আনভেশ তেলেগু ২০০৫ '''নো এন্ট্রি''' আনভেশ হিন্দি কেমিও ২০০৬ '''ট্যাক্সি নাম্বার ৯২১১''' আনভেশ হিন্দি ২০০৬ '''অশোক''' আনভেশ তেলেগু ২০০৬ '''নক্সা''' আনভেশ হিন্দি ২০০৭ আনভেশ হিন্দি ২০০৭ '''ফুল এন্ড ফাইনাল''' আনভেশ হিন্দি ২০০৭ '''আমি, যশিন আর মধুবালা''' আনভেশ বাংলা ২০০৮ '''রেস''' আনভেশ হিন্দি ২০০৮ '''ওয়ান টু থ্রি''' আনভেশ হিন্দি ২০০৮ '''কালপুরুষ''' সুপ্রিয়া বাংলা ২০০৮ '''সূর্য্য এস/ও কৃষ্ণা''' মেঘনা তেলেগু ২০০৮ '''ভারানাম আয়্যিরাম''' মেঘনা তামিল মনোনীত, বিজয় সেরা নবাগতা অভিনেত্রী ২০০৯ '''দে ধানা ধান''' মানপ্রিত হিন্দি ২০১০ '''আসল''' সারাহ্‌ তামিল ২০১০ '''ওরু নাল ভারুম''' মীরা মালয়ালম ২০১০ '''রেড এলার্ট: দ্য ওয়ার ইউথইন''' লক্ষ্মী হিন্দি ২০১০ '''আক্রোশ''' হিন্দি ২০১০ '''মহাযুদ্ধ রাম''' সীতা হিন্দি ২০১১ '''নাদুনিসি নায়গাল''' সুকন্যা তামিল ২০১১ '''বেদী''' পারু তামিল ২০১২ '''ভেত্তাই''' বসন্তী তামিল ২০১২ '''তেজ''' মেঘা হিন্দি ২০১২ '''চক্রভ্যু''' হিন্দি '''কুন্দা খোলা''' বিশেষ উপস্থিতি ২০১২ '''কৃষ্ণাম ভান্দে জগদ্গুরুম''' তেলেগু বিশেষ উপস্থিতি ২০১৩ লক্ষী কন্নড় ২০১৪ '''নাম''' হিন্দি পরবর্তী চলচ্চিত্র ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী‎ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী‎ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী অভিনেত্রী প্রদেশের ব্যক্তিত্ব'''লিভারপুল''' (ইংরেজি: Liverpool) মারর্সি মোহনার পূর্বাঞ্চলীয় মারর্সিসাইড, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্যের একটি শহর এবং মহানাগরিক পৌরসভা। ১২০৭ সালে এটি পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৮৮০ সালে একে শহরের মর্যাদা দেয়া হয়। ২০১১ সালে লিভারপুল সিটি কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত হিসেবে জনসংখ্যা ছিল ৪৬৬.৪১৫ এবং এটি লিভারপুল শহর অঞ্চলের বৃহত্তর শহুরে এলাকার কেন্দ্র। ঐতিহাসিকভাবে, লিভারপুল একটি অংশ ছিলো। প্রধান বন্দর হিসেবে শহরের অবস্থা দ্বারা মূলত এর নগরায়ন এবং সম্প্রসারণ সঙ্ঘটিত ​​হয়। ১৮ শতক থেকে, আটলান্টিক দাসব্যবসার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগগুলির সাথে মিলিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড এবং মূল ভূখন্ড ইউরোপ থেকে বাণিজ্য, লিভারপুলের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ঘটায়। এছাড়াও বিশেষ করে অবকাঠামোগত পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভাবন এবং প্রবর্তিন, পরিবহন, সাধারণ নির্মাণ, এবং জনস্বাস্থ্য সামাজিক সংস্কারের জন্যে লিভারপুল পরিচিত। লিভারপুল প্রবর্তন ঘটেছে রেলওয়ে, ফেরি এবং গগনচুম্বী অট্টালিকার, পাশাপাশি একসঙ্গে প্রাণী শিশু সুরক্ষার প্রথম বিদ্যালয়, অন্ধদের প্রথম বিদ্যালয় এবং কর্মরত মানুষদের এবং মেয়েদের জন্যে। লিভারপুল ছিল সমুদ্রে মাছ ধরার নৌকার নিবন্ধিত বন্দর। আরএমএস টাইটানিক, এবং ''টাইটানিক'' শব্দ, জাহাজের স্টার্নে লিভারপুল দেখা যেতে পারে। লিভারপুলের অধিবাসীদের হিসাবে উল্লেখ করা হয়, কিন্তু কথ্য ভাষায় তারা "স্কোসার" নামে পরিচিত, এক্ষেত্রে স্থানীয় খাবার স্ট্যুর একটি ধরন "স্কোস" উল্লেখ করা যায়। "স্কোস" শব্দটি এছাড়াও লিভারপুলের স্বরাঘাতে এবং উপভাষার সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছে। == সরকার == === মেয়র এবং স্থানীয় কাউন্সিল === Allerton and Hunts Cross Anfield Belle Vale Central Childwall Church Clubmoor County Greenbank Croxteth Everton Fazakerley Greenbank Kensington and Fairfield Kirkdale Knotty Ash Mossley Hill Norris Green Old Swan Picton Princes Park Riverside Speke-Garston St Michaels Tuebrook and Stoneycroft Warbreck Wavertree West Derby Woolton Yew Tree == ভূগোল == === আবহাওয়া === ==উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি== ==লিভারপুল সম্পর্কে উদ্ধৃতসমূহ== *"Lyrpole, alias Lyverpoole, pavid towne, hath but chapel... The king hath castelet there, and the Earl of Darbe hath stone howse there. Irisch merchants cum much thither, as to good haven... At Lyrpole is smaul custom payed, that causith marchantes to resorte thither. Good marchandis at Lyrpole, and much Irish yarrn that Manchester men do buy there..." John Leland (antiquary), ''Itinery'', c. 1536–39 *"Liverpoole is one of the wonders of Britain... In word, there is no town in England, London excepted, that can equal it for the fineness of the streets, and the beauty of the buildings." Daniel Defoe ''A tour thro' the Whole Island of Great Britain'', 1721–26 *"One of the neatest, best towns have seen in England." John Wesley. ''Journal'', 1755 *"I have not come here to be insulted by set of wretches, every brick in whose infernal town is cemented with an African's blood." Actor George Frederick Cooke (1756–1812) responding to being hissed when he came on stage drunk during visit to Liverpool. *"That immense City which stands like another Venice upon the water...where there are riches overflowing and every thing which can delight man who wishes to see the prosperity of great community and great empire... This quondam village, now fit to be the proud capital of any empire in the world, has started up like an enchanted palace even in the memory of living men." Thomas Erskine, 1st Baron Erskine, 1791 *"I have heard of the greatness of Liverpool but the reality far surpasses my expectation" Prince Albert, ''speech'', 1846 *"Liverpool…has become wonder of the world. It is the New York of Europe, world city rather than merely British provincial." ''Illustrated London News'', 15 May 1886 *"Liverpool is the 'pool of life' C.G. Jung, ''Memories, Dreams, Reflections'', 1928 *"The centre is imposing, dignified and darkish, like city in rather gloomy Victorian novel...We had now arrived in the heart of the big city, and as usual it was almost heart of darkness. But it looked like big city, there was no denying that. Here, emphatically, was the English seaport second only to London. The very weight of stone emphasised that fact. And even if the sun never seems to properly rise over it, like big city to proclaim itself big city at once..." J.B. Priestley, ''English Journey'', 1934 *"...if Liverpool can get into top gear again there is no limit to the city's potential. The scale and resilience of the buildings and people is amazing it is world city, far more so than London and Manchester. It doesn't feel like anywhere else in Lancashire: comparisons always end up overseas Dublin, or Boston, or Hamburg. The city is tremendous, and so, right up to the First World War, were the abilities of the architects who built over it…… The centre is humane and convenient to walk around in, but never loses its scale. And, in spite of the bombings and the carelessness, it is still full of superb buildings. Fifty years ago it must have outdone anything in England." Ian Nairn, ''Britain's Changing Towns'', 1967 == আন্তর্জাতিক সংযোগগুলি == === যমজ শহর === লিভারপুলের যমজ শহর শহর: Cologne, জার্মানি (১৯৫২) ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড (১৯৯৭) সাংহাই, চীন (১৯৯৯) রিউ দি জানেইরু, ব্রাজিল (২০০৩) Medan, ইন্দোনেশিয়া পেনাং, মালয়েশিয়া ===বন্ধুত্ব সংযোগসমূহ=== লিভারপুলের বন্ধুত্ব সংযোগ রয়েছে (আনুষ্ঠানিক সংবিধান ছাড়াই) নিম্নলিখিত শহরের সাথে: ফ্রান্স হ্যালিফ্যাক্স, কানাডা হাভানা, কিউবা লা প্লাতা, আর্জেন্টিনা মেমফিস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র Minamitane, জাপান নেপলস, ইতালি নিউ অর্লিন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওডেসা, ইউক্রেইন্ Ponsacco, ইতালি Râmnicu Vâlcea, রোমানিয়া ভালপারাইসো, চিলি ===কনস্যুলেট=== ১৭৯০ সালে লিভারপুলে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলা হয়, এবং এটি প্রায় দুই শতাব্দী ধরে কর্মক্ষম ছিল। লিভারপুলে নিম্নলিখিত দেশগুলির দূতাবাস পরিচালিত হয়: হাঙ্গেরি ইতালি নেদারল্যান্ড নরওয়ে সুইডেন থাইল্যান্ড == আরও দেখুন == 1911 Liverpool general transport strike 2008 European Amateur Boxing Championships লিভারপুল স্টেডিয়ামে La Princesse, the giant mechanical spider roaming the streets in September 2008 বিগ ডিগ (লিভারপুল) Culture in Liverpool List of films and television shows set in Liverpool লিভারপুলের হোটেলের তালিকা আন্তর্জাতিক উদ্যান উৎসব লিভারপুল পোর্ট উইলিয়ামসন টানেল লিভারপুল ফুটবল ক্লাব এভার্টন ফুটবল ক্লাব ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত, লিভারপুল == তথ্যসূত্র == === টীকা === === গ্রন্থতালিকা === == আরও পড়ুন== ''Liverpool'', Dixon Scott, 1907 ''A History of Liverpool'', Ramsay Muir, 1907 ''Bygone Liverpool'', Ramsay Muir, 1913 ''Bygone Liverpool'', David Clensy, 2008. ''Liverpool 800'', John Belchem, 2006. ''Beatle Pete, Time Traveller'', Mallory Curley, 2005. ''Chinese Maria Lin Wong, 1989. ''Writing Liverpool: Essays and Interviews'', edited by Michael Murphy and Rees Jones, 2007. == বহিঃসংযোগ == Summary of the Liverpool City Region Liverpool Pictorial Liverpool City Council Official Liverpool European Capital of Culture website Official Liverpool Tourism Site Origins of the name Liverpool প্রতিষ্ঠিত পশ্চিম ইংল্যান্ডের স্থানীয় সরকার জেলা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান শহর বন্দর শহর নগর সাগরের বন্দর শহর নগর বিষয়শ্রেণী:১৩ শতাব্দীর প্রতিষ্ঠিত জনবহুল স্থান জনবহুল উপকূলবর্তী স্থান পশ্চিম ইংল্যান্ডের শহর'''ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা''' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-এর সাউথ ক্যারোলাইনা অংগরাজ্যের কলাম্বিয়া শহরে অবস্থিত একটি গবেষণাকেন্দ্রিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩৫০ টি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয় এবং স্নাতক, স্নাতকোত্তর পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হ্য় টি ক্যাম্পাস রয়েছে এবং এর অধীনে ১৪ টি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মূল ক্যাম্পাসটি কলাম্বিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৩৫৯ একর জুড়ে অবস্থিত। ফল ২০১৩ সেমিস্টারে সবগুলো ক্যাম্পসে সর্বমোট ৪৬,৬৭২ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়, যার ৩২,২৬৪ জন মূল ক্যাম্পাসে অধ্যয়নরত রয়েছে। ==ইতিহাস== ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০১ সালের ১৯শে ডিসেম্বর, সাউথ ক্যারোলাইনা কলেজ হিসেবে। এর উদ্যোক্তা ছিলেন তদানীন্তন গভর্নর জন ড্রেটন। ১৮০৫ সালের ১০ জানুয়ারি জন ছাত্র নিয়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। কলেজের প্রথম আচার্য (প্রেসিডেন্ট) ছিলেন ব্যাপটিস্ট প্রচারক এবং ধর্মতাত্ত্বিক রেভারেন্ড জোনাথন ম্যাক্সি। ইতিপূর্বে তিনি ব্রাউন দ্বিতীয় এবং ইউনিয়ন কলেজের তৃতীয় আচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমেরিকান গৃহযুদ্ধের সূচনালগ্নে সাউথ ক্যারোলাইনা কলেজের স্নাতকেরা ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, যার কারণে প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র দক্ষিণের প্রতীক হয়ে ওঠে। ===গৃহযুদ্ধ এবং পুনর্গঠন (১৮৬১-১৮৯১)=== ১৮৬২ সালের ২৫শে জুন রাজ্য সরকারের অণুমতিক্রমে কনফেডারেট সরকার কলেজ ভবনগুলো অধিগ্রহণ করে এবং হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। কলেজের ছাত্রেরা সেনাবাহিনীতে যোগদান করলে কলেজটি ছাত্র-স্বল্পতার সম্মুখীন হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৮৬৩ সালের ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করেন। ১৮৫০ সালের সাউথ ক্যারোলাইনা কলেজ ১৮৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনিয়ন সেনাবাহিনী কলাম্বিয়া এসে পৌঁছায় এবং ২৪শে মে কলেজটি অধিগ্রহণ করে। অনিশ্চিত ভবিষ্যত সত্ত্বেও ১৯শে জুন ইউনিয়ন বাহিনীর জেনারেল জন পোর্টার হ্যাচ কলেজটি যথাশীঘ্র পুনরায় চালু করার আহবান জানিয়ে এর প্রাক্তন অধ্যাপকদের চিঠি দেন। ৩০শে জুন সাউথ ক্যারোলাইনার ভারপ্রাপ্ত গভর্নর হয়ে আসেন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন পেরি, যিনি কলেজ কর্তৃপক্ষকে পুনর্বহাল করেন। সাউথ ক্যারোলাইনার দারিদ্র্যমোচনের জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন এবং রাজ্যসভার প্রতিনিধিদের সাথে ব্যাপারে যোগাযোগ করেন। ১৮৬৫ সালের ১৯শে ডিসেম্বর রাজ্যের সাধারণ সভায় ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা প্রতিষ্ঠার জন্যে বিল পাশ হয়। পাখির চোখে দেখা সাউথ ক্যারোলাইনা কলেজের আদি-ক্যাম্পাস, হর্সশু (১৮৭২) ১৮৬৮ সালে র‍্যাডিকেল রিপাবলিকানেরা রাজ্য সরকার গঠন করার পর নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয় এবং এক্ষেত্রে র‍্যাডিকেলদের রাজনৈতিক সামাজিক মতবাদের সুস্পষ্ট প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। গভর্নরের বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৮৬৯ সালে দরজা গাত্রবর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৮৭৩ সালের ৭ই অক্টোবর হেনরি হাইনে (পরবর্তীতে সাউথ ক্যারোলাইনার স্টেট সেক্রেটারি) প্রথম কালো শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। এর প্রতিবাদে তিনজন অধ্যাপক চাকুরিতে ইস্তফা দেন, প্রায় সকল ছাত্র ক্লাস বর্জন করে। এসময় ছাত্রসংখ্যা ৮-এ নেমে আসে, যাদের অধিকাংশই ছিলেন অধ্যাপকদের সন্তান। ছাত্রসংখ্যা বাড়ানোর জন্য হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু ছাত্রকে সাউথ ক্যারোলাইনাতে নিয়ে আসা হয়। ছাড়া ভর্তিচ্ছুদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হয় এবং একটি বিশেষ বৃত্তি (২০০ ইউএস ডলার) ঘোষণা করে বিল পাশ হয়। র‍্যাডিকেল রিপাবলিকানদের সংস্কারবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে চরমপন্থী কিছু গোষ্ঠী (ডেমোক্র্যাট পার্টির অতি-রক্ষণশীল অংশ) মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এরা সমষ্টিগতভাবে রিডিমার বা পরিত্রাতা নামে পরিচিত ছিল। ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা (যার ৯০% ছাত্রই ছিল কালো) তাদের রোষের শিকার হয়। ১৮৭৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টি বিজয়ী হলে রিডিমারদের উদ্যোগে ১৮৭৭ সালের ৭ই জুন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের বছর মার্চ মাসে পুন্রায় চালু করার উদ্যোগ গৃহীত হয়। তবে এবার সাদা এবং কালো শিক্ষার্থীদের জন্য দুইটি পৃথক কলেজ সৃষ্টির প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। ফলশ্রুতিতে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা সাদা ছাত্রদের জন্য সাউথ ক্যারোলাইনা কৃষি কারিগরি কলেজ (South Carolina College of Agriculture and Mechanical Arts) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অপরদিকে কালো শিক্ষার্থীদের জন্য কলাম্বিয়া থেকে দূরে অরেঞ্জবার্গে ক্ল্যাফলিন কলেজ নামক একটি পৃথক তৈরি করা হয়। ===কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৯১ ১৯৪৪)=== এলাকার কৃষিজীবী জনগণের চাপের মুখে কৃষিবিদ্যা কলেজে রূপান্তরিত করা হলেও তা প্রত্যাশিত সাফল্যের মুখ দেখেনি। ১৮৭৭ সালে পুনরায় কলেজটিকে মর্যাদায় উন্নীত করা হয়, যদিও ছাত্র-স্বল্পতার কারণে কয়েক বছরের মধ্যেই, ১৮৯১ সালে, আবারও তাকে কলেজের স্তরে নামিয়ে আনা হয়। তৎকালীন গভর্নর বেন টিলম্যানের অসহযোগিতা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটায়। সকল বিপর্যয় সত্ত্বেও ১৮৯৩ সালে কলেজে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য বিল পাশ হয়। ১৮৯৪ সালে কলেজের পাঠক্রমে ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশল বিভাগ যুক্ত হয়। ১৯০২ সালের গভর্নর ইলেকশনে জয়লাভ করে ডানকান ক্লিঞ্চ হেওয়ার্ড পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেন। ১৯০৬ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে রাজ্য সরকার স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যকার টানাপোড়েনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে বেগ পেতে হয়। ১৯১৭ সালে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা সাউথ ক্যারোলাইনার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে Southern Association of Colleges and Schoolsএর অণুমোদন (Accreditation) লাভ করে। প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সাময়িকভাবে নৈবাহিনীর একটি কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। তবে কলেজের পড়ালেখা অন্যান্য কার্যকলাপে নৌ-সেনাদের অংশগ্রহণ ক্যাম্পাসের নতুন আকর্ষণ হয়ে দাঁড়ায়। ===পূর্ণাংগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৪৪ বর্তমান)=== দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর যুদ্ধ-ফেরত তরুণেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে থাকে, যা ছাত্র-সংখ্যা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। ১৯৫২ সালে ডোনাল্ড রাসেল আচার্য হিসেবে আসেন। তিনি পাঠক্রম অবকাঠামোর উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনটি ("রাসেল হাউজ") তার নাম বহন করে চলেছে। ১৯৫৭ সালে ফ্লোরেন্সে প্রথম পরিবর্ধিত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৯ সালে বোফোর্ট, ল্যাংকাস্টার কনওয়েতে এবং ১৯৬১ সালে আইক্যানে আরো ৫টি পরিবর্ধিত ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে। ষাটের দশকের শুরু থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বর্ণবৈষম্য দূর করার দাবি উঠতে থাকে। দক্ষিণের আরো টি (ক্লেমসন, আলাবামা মিসিসিপি) পদাংক অণুসরণ করে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা ১৯৬৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তিনজন কালো ছাত্রকে ভর্তি করে। ক্রমশ আরো ছাত্র যোগ হয় দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বর্ণবৈষম্যের অবসান ঘটে। সত্তরের দশকে আয়ালেন্ডেল, স্পার্টানবার্গ, ইউনিয়ন ইউএসসি'র পরিবর্ধিত ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে। ছাড়াও ১৯৭৩ সালে ক্লেমসন সামটার ক্যাম্পাসটি অধিগ্রহণ করে। ১৯৭৭ সালে জেমস হোল্ডারম্যান আচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার 'ক্যারোলাইনা প্ল্যান' এবং পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি একটি পূর্ণাংগ, আন্তর্জাতিক গবেষণা মর্যাদায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়। সময় আন্তর্জাতিক নেতা পন্ডিতদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয় মুখর হয়ে ওঠে। তবে হোল্ডারম্যান-এর বিদায় প্রীতিকর হয়নি। সাংবাদিকতার ছাত্র পল পারকিন্স বিদেশাগত খন্ডকালীন অধ্যাপক জেহান সাদাতের (মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের স্ত্রী) পারিশ্রমিক জানতে চাইলে হোল্ডারম্যান অপারগতা প্রকাশ করেন। এর জের ধরে সাংবাদিকদের তদন্তে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের সংবাদ বেরিয়ে এলে, ১৯৯০ সালে, হোল্ডারম্যান পদত্যাগ করেন পরবর্তী দুই দশকে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা শিক্ষা গবেষণায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছয়। ==ক্যাম্পাস== ককপিট। স্টেডিয়ামে খেলার মধ্য-বিরতিতে আর্মড ফোর্স এপ্রিসিয়েশন ডে উদযাপন (১৯৯৮) ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা ক্যাম্পাস সুদৃশ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নানান স্থাপনায় সজ্জিত। ক্যাম্পাসের আদি অবস্থান, যা হর্সশু নামে পরিচিত, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর তালিকা National Register of Historic Places-এ জায়গা করে নিয়েছে। ক্যাম্পাসের আরো এগারোটি ভবন গৃহযুদ্ধের সময় থেকে আজ পর্যন্ত টিকে আছে। ২০০২ সালে স্থাপিত কলোনিয়াল লাইফ এরেনা। ১৮,০০০ আসনে সজ্জিত মিলনায়তন সাউথ ক্যারোলাইনার বৃহত্তম বর্তমান ক্যাম্পাসের উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে লংস্ট্রিট থিয়েটার, থমাস কুপার লাইব্রেরি, রাসেল হাউজ, ক্যারোলাইনা কলিজিয়াম (মিলনায়তন), স্ট্রম থার্মন্ড ওয়েলনেস এন্ড ফিটনেস সেন্টার (ব্যায়ামাগার), কোগার সেন্টার ফর আর্টস, গ্রীকপল্লী, কলোনিয়াল লাইফ এরেনা, ম্যাককিসিক জাদুঘর, ২৪টি আবাসিক হল, এবং অসংখ্য একাডেমিক ভবন গবেষণাগার। ক্যাম্পাস থেকে এক মেইল দূরত্বে রয়েছে প্রধান মাঠ, স্টেডিয়াম, যা ভক্তদের কাছে ককপিট নামে পরিচিত। ছাড়াও খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে আবাসিক সুবিধা, আরো বেশ কয়েকটি মাঠ ব্যায়ামাগার। শিক্ষার্থীদের লাঘবের জন্য রয়েছে একটি আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র, থমসন হেলথ সেন্টার। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যাতায়াতের সুবিধার্থে নিজস্ব বাস সার্ভিস রয়েছে যা ৭টি রুটে যাত্রী আনা-নেওয়া করে। ছাড়াও সান্ধ্যকালীন শাটলেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ==গবেষণা== 'কার্নেগি ফাউন্ডেশন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অফ টিচিং' যুক্তরাষ্ট্রের যে ৬২ টি সরকারি ৩২টি বেসরকারি 'অত্যন্ত গবেষণা-প্রবণ' (Research institution with very high reserach activity) বলে চিহ্ণিত করেছে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা তার একটি। ২০১৩ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় ২২০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের গবেষণা অণুদান লাভ করে। ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনার গবেষণা কার্যক্রমকে মোটা দাগে চারটি অংশে ভাগ করা যায়-- (Health sciences), উন্নত বস্তুবিদ্যা (Advanced materials), শক্তি(Energy), এবং পরিবেশ সংরক্ষণ (Environment and গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এখানে ১২৫ টি গবেষণা ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। গবেষণা কার্যক্রম একাধারে আঞ্চলিক জাতীয় উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। সাউথ ক্যারোলাইনা অংগরাজ্যের ৪৬ টি কাউন্টি থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩০,০০০ শিক্ষার্থী ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনায় ভর্তি হয়। ছাড়াও যুক্ত্রাষ্ট্রের ৫০ টি অংগরাজ্য এবং বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশ থেকে শিক্ষার্থী এখানে পড়তে আসে। ২০১৩ সালের ফল সেমিস্টার নাগাদ শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান নিম্নরূপ-- *স্নাতক-শ্রেণিঃ ৮৩% স্নাতকোত্তর অন্যান্যঃ ১৭% *নারীঃ ৫৭%, পুরুষঃ ৪৩% *পূর্ণকালীনঃ ৮২%, খন্ডকালীনঃ ১৮% *আন্তর্জাতিকঃ ৩.৪% ==খেলাধুলা== ভক্তদের সাথে সাউথ ক্যারোলাইনা মাসকট ককি (২০০৭) ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনা ক্লাব, অন্তঃ আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করে। প্রতিযোগে (Southeast Conference, SEC) অংশগ্রহণের জন্য ১৯ টি দল রয়েছে। দলগুলো বেসবল, বাস্কেটবল, ফুটবল, টেনিস, গল্‌ফ, সাঁতার ঘোড়দৌড়সহ নানা ধরনের খেলায় অংশ নিয়ে থাকে। দলগুলোকে সাউথ ক্যারোলাইনা গেমককস (Gamecocks) বা 'লড়াকু মোরগ' বলে ডাকা হয়। নামটি আমেরিকান বিপ্লবের সাউথ ক্যারোলাইনা অঞ্চলের কুশলী যোদ্ধা থমাস সামটারের স্মৃতিবহন করে, প্রতিপক্ষ বৃটিশদের কাছে যার ডাকণাম ছিল গেমকক। গেমককস যাবতকালের মধ্যে (২০১৪) আটটি দলগত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ব্যক্তি পর্যায়ে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় মধ্যে ২০১০ ২০১১-এর বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। ছাড়াও ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলাইনার খেলোয়াড়েরা অলিম্পিকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য -- টনিক ৪০০ মি. রেসে বাহামার পক্ষে স্বর্ণজয়ী (২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকস, ২০০৫ আলিন বেইলি ৪x১০০ মি. রিলে রসে স্বর্ণজয়ী জামাইকা দলের সদস্য (২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকস, ২০০৯ শ্যানন জনসন মহিলা বাস্কেটবলে স্বর্ণজয়ী যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্য (২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকস, ২০০২ *এডাম এভারেট বেসবলে স্বর্ণজয়ী যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্য (২০০০ সিডনি অলিম্পিকস) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== *অফিসিয়াল ওয়েবপাতা দ্য ডেইলি গেমকক বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়'''আলমাস আকরাম''' (); () (জন্ম: ১৫ এপ্রিল ১৯৮৮) হলেন একজন নানকানা সাহিব থেকে পাকিস্তানী জাতীয় নারী ক্রিকেটার। তিনি একজন অল-রাউন্ডার খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় নারী ক্রিকেট দল এর হয়ে ভূমিকা রাখছেন। ==খেলোয়াড়ী জীবন== আলমাসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এরপর তিনি আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০০৯ সালে খেলেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পাশাপাশি ঘরোয়া পর্যায়েও ভাল খেলছেন। == আরও দেখুন == সানা মীর == তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি সাহিব জেলা থেকে মানুষ লোক মহিলা ক্রিকেটার'''ইউসি বার্কলি কলেজ অব কেমিস্ট্রি''' হলো ইউনিভার্সিটি অব বার্কলি এর ১৪টি স্কুল কলেজের মধ্যে অন্যতম। এর রসায়ন বিভাগ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এবং উৎপাদনশীল, যেখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে। সিবোরজিয়াম মৌলটি এই এই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান গ্লেন থিওডোর সিবোর্গ এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। ==ডিগ্রি== এই কলেজ তিনটি উপস্নাতক ডিগ্রি প্রদান করে কেমিকৌশল, রসায়ন এবং কেমিক্যাল বায়োলজি। ==শিক্ষকবৃন্দ== কলেজের বর্তমান শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর ১০ জন সদস্য, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস এর ২৮ জন সদস্য এবং আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর ৩৩ জন সদস্য। শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে জন ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স বিজয়ী রয়েছেন। ==বিখ্যাত শিক্ষক== মেলভিন কেলভিন উইলিয়াম ফ্রান্সিস জিওক ডাডলি হের্শবাখ ইউয়ান ৎসে লি গিলবার্ট নিউটন লুইস কেনেথ স্যানবর্ন পিটজার উইলার্ড ফ্রাঙ্ক লিব্বী গ্লেন থিওডোর সিবোর্গ *রজার ওয়াই. তিসিয়েন ==বিখ্যাত শিক্ষার্থী== হ্যারল্ড ক্লেটন ইউরি উইলিস ল্যাম্ব হেনরি টাউব গর্ডন মুর রবার্ট কার্ল টমাস চেক ==তথ্যসূত্র== শিক্ষা বিষয়শ্রেণী:সান ফ্রান্সিসকোর বে এরিয়ার বিজ্ঞান প্রযুক্তি ১৮৭২-এর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান ১৮৭২-এ প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি প্রতিষ্ঠিত'''শেখ রাসেল''' (অক্টোবর ১৮, ১৯৬৪ আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র। ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব হত্যার সময় সপরিবারে তাকেও হত্যা করা হয়। == প্রাথমিক জীবন == শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ শেখ রেহানা। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ==হত্যাকাণ্ড== ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে শেখ মুজিব, তার পরিবার এবং তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যাক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, "আমি মায়ের কাছে যাব"। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন "আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দিন"। == স্মৃতিচিহ্ন == === শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র === শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য ''শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র'' প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ক্লাব। ১৯৯৫ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ। ১৯৮৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন যাতে করে এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্রিয়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বন্ধবন্ধুর আদর্শ ধারন করে এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত। ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থসূত্র== ''আমি মায়ের কাছে যাবো-শেখ রাসেল'', নওশের আলী হিরা, নিউ শিখা প্রকাশনী, ঢাকা। ==বহিঃসংযোগ== শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:শেখ পরিবার নেতার সন্তান'''শিবকুমার শর্মা''' (জন্ম ১৩ জানুয়ারি ১৯৩৮)) হলেন একজন ভারতীয় সন্তুর বাদক। শিবকুমার শর্মার অভাবনীয় প্রতিভার জন্য তাকে পন্ডিৎ ডাকা হয়। সন্তুর হল ভারতের জম্মু কাশ্মীর অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র। শিবকুমার শর্মা == প্রাথমিক জীবন == শিবকুমার শর্মা ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি ভারতের জম্মুতে একটি সম্ভ্রান্ত সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা উমা দত্ত শর্মা ছিলেন একজন প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই শিবকুমার শর্মা তার বাবার কাছ থেকে সংগীত তবলার উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। উমা দত্ত শর্মা সন্তুর নিয়ে অনেক গবেষণা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে তার ছেলেকে তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের সন্তুর বাদক হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই চিন্তা থেকে শিবকুমার শর্মাকে তের বছর বয়স থেকেই সন্তুরের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে বম্বেতে শিবকুমার শর্মা জীবনে প্রথম বারের মত জনসম্মুখে সনুর বাজান। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == www.santoor.com Official Site জন্ম ব্যক্তি যন্ত্রশিল্পী প্রাপক বাদক'''ডোটী জেলা''' ), হচ্ছে নেপালের সুদূর পশ্চিমাঞ্চল বিকাস ক্ষেত্রের সেতী অঞ্চলের একটি জেলা। এই জেলার আয়তন দীপায়ল হচ্ছে এই জেলার সদরদপ্তর। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এজেলার লোকসংখ্যা হচ্ছে ২০৭,০৬৬ জন এবং ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার লোকসংখ্যা ২১১,৭৪৬ জন। == ভৌগলিক উপাত্ত == == জনসংখ্যার উপাত্ত == == ইতিহাস == == প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ == == বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ == == আরো দেখুন == নেপালের বিকাস ক্ষেত্রগুলি নেপালের অঞ্চলসমূহের তালিকা == তথ্যসূত্র == জেলা'''আবদুস সাত্তার''' নামটি দিয়ে বোঝানো হতে পারে আবদুস সাত্তার (রাষ্ট্রপতি), –বাংলাদেশের সাবেক রাস্ট্রপতি। আবদুস সাত্তার (বীর উত্তম), –মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আবদুস সাত্তার (বীর বিক্রম), –মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আব্দুস সাত্তার (রাজনীতিবিদ), –ময়মনসিংহ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার (টাঙ্গাইলের রাজনীতিবিদ) –১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য। *আবদুল সাত্তার আকন –বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা বাগেরহাট-৪ থেকে দুইবার (১৯৯১ ২০০১) জাতীয় সংসদ সদস্য। আবদুস সাত্তার মন্ডল, রাজশাহী-৪ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএনপির রাজনীতিবিদ।পরচুলার নিদর্শন '''পরচুলা''' বা নকল চুল এক ধরনের কৃত্রিম মস্তকের আবরণ বিশেষ, যা মানুষের চুল, পশুর চুল বা কৃত্রিম তন্তু দ্বারা নির্মিত এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যানুসারে বা অভিনয়ের সময় পরিধান করা হয়। যে সকল ব্যক্তিদের মাথায় চুল থাকেনা, তারাও পরচুলা ব্যবহার করে থাকেন। ==প্রাচীন ব্যবহার== প্রাচীন মিসরে পরচুলের বিশেষ ব্যবহার ছিল। তারা পরচুল পরত যাতে তাদের মাথায় রোদ না লাগে। রোদের তাপ থেকে রক্ষা পেতে তারা এই চুল পরত। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ''Royal Hairpieces'' (WikiTree), brief account of royal wigs throughout history and around the globe. বিষয়শ্রেণী:চুল'''ফ্রাঁসোয়া জিয়ান ডোমিনিক আরাগো''' (), সহজভাবে '''ফ্রাঁসোয়া আরাগো''' (; কাতালান ভাষা: ''ফ্রান্সেস আরাগো'', (১৭৮৬-১৮৫৩), একজন ফরাসি গণিতবিদ, পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ, ফ্রিম্যাসন, কার্বোনারি এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। == প্রথম জীবন এবং কাজ == আরাগো ৩০০০-এর একটি ছোট গ্রান এস্টাজেলে জন্মগ্রহণ করেন। স্থানটি ফ্রান্সের '''' -এ জন্মগ্রহণ করেন যেখানে তার পিতা পুদিনার কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। চার ভাইয়ের মধ্যে আরাগোই ছিলেন জ্যেষ্ঠ। জিয়ান (১৭৮৮-১৮৩৬) উত্তর আমেরিকায় যান এবং মেক্সিকোর সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। জ্যাকুয়েস এত্তিনে ভিক্টর (১৭৯৯-১৮৫৫) লুইস দ্য ফ্রেসিনেট-এর ''ইউরেনি'' আবিষ্কারের অভিযানে (১৮১৭-১৮২১) যোগ দেন এবং ফ্রান্সে ফিরে আসার পর নিজেকে সাংবাদিকতা এবং নাটক-এর সাথে যুক্ত করান। চতুর্থ ভাই, এত্তিনে ভিনসেন্ট দে (১৮০২-১৮৯২) সম্পর্কে বলা হয়ে তাকে যে তিনি অনরে দ্য বালজা্কের সাথে ১৮২২ থেকে ১৮৪৭ সালের মধ্যকালে ''বিরাগের সাথে মৈত্রী করেন এবং বহুসংখ্যক হালকা ধাঁচের নাটকীয় টুকরো রচনা করেন, বস্তুত মৈত্রীবিষয়ক। সামরিক স্বাদ পাবার উদ্দেশ্যে ফ্রাঁসোয়া আরাগোকে পারপিগ্নান পৌর কলেজে পাঠানো হয়। এখানে তিনি গণিতে্র ওপর শিক্ষা নিতে শুরু করেন এবং স্কুল পলিটেকনিক এর এনট্র্যান্সের জন্য প্রস্তুতি নেন। আড়াই বছরের মধ্যেই তিনি পরীক্ষার জন্য বলে দেয়া সব বিষয়ের জন্য প্রস্তুত হন এবং আরো বেশি পড়াশোনা করেন। তোউলৌসে পরীক্ষাকালীন তিনি জে. এল. ল্যাগরেঞ্জ সম্পর্কে জ্ঞান দেখিয়ে তার পরীক্ষককে বিস্ময়াভূত করে দেন। ১৮০৩ সালের শেষের দিকে আরাগো প্যারিসের স্কুল পলিটেকনিকে প্রবেশ করেন তবে তিনি আবিষ্কার করেন যে সেখানকার অধ্যাপকেরা জ্ঞান প্রদানে বা শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম নন। তার লক্ষ্য ছিল আর্টিলারি সেবা এবং ১৮০ সালে সাইমন পোসেন-এর পরামর্শ সুপারিশে তিনি প্যারিস মানমন্দিরের সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত হন। এখানে তিনি পিয়েরে-সাইমন ল্যাপলেস-এর সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। মাধ্যাহ্নিক চাপ জনিত পরিমাপের জন্য বাইওট কর্তৃক তার প্রভাব আরো সুবিস্তৃত হয়ে। এই পরিমাপের কাজ শুরু হয়ে জে.বি.জে. ডিলামব্রের মাধ্যমে এবং ১৮০৪ সালে পি.এফ.এ. মিশাইনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাময়িক বিরতিসহ চলে। আরাগো বাইওট ১৮০৬ সালে প্যারিস ত্যাগ করেন এবং স্পেনের পর্বতসমূহের ওপর অভিযান পরিচালনা করতে যান। সর্বদক্ষিণের বিন্দু ফোরমেন্টেরার অক্ষাংশ নির্ণয়ের পর আবারও প্যারিসে চলে আসেন। আরাগোন ১৮০৯ সাল পর্যন্ত তাদের কাজ চালিয়ে যান। মিটারের প্রকৃত দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের জন্য তিনি মাধ্যাহ্নিক চাপ নির্ণয় করতে চান। বাইওটের চলে যাবার পর স্পেনবর্ধিত ব্যালেরিক দ্বীপে ফরাসি প্রবেশ রাজনৈতিক খামিরা ডেকে আনে এবং মানুষ গালাৎজো পর্বতের (কাতালান: Mola de l'Esclop) ওপর গোলাবর্ষণকে সেনা আক্রমণমূলক আরাগোর কাজ বলে মনে করেন। তাদের প্রতিক্রিয়া ছিল এমন যে তিনি বেলভারের দুর্গে জুন, ১৮০৮ সালে নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। ২৮শে জুলাই তিনি একটি মাছ ধরার জাহাজে করে দ্বীপ থেকে পালিয়ে যান এবং একটি রোমাঞ্চকর অভিযানের পর তিনি ৩রা আগস্ট আলজিয়ার্স পৌছান। সেখান থেকে তিনি মারসেইলি পর্যন্ত একটি যাত্রা করেন। ১৬ই আগস্ট মারসেইলির একেবারে কাছে এসে এটি এক স্প্যানিশ জলদস্যুদের হাতে পড়ে। বাকি সদস্যদের মত তাকেও রোজেস নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে এক বায়ুকলে এবং এরপর এক দুর্গে তাকে বন্দী করা হয়। তিনি সেখানেই ছিলেন, যদ্দিন না ফরাসিদের হাতে শহর পড়ে এবং বাকি বন্দীদের পালামোস নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি মাসের জেলভোগের পর আরাগো এবং অন্যান্যরা আলজিয়ার্সের দে এর চাওয়ামত মুক্তি দেয়া হয়। ২৮শে নভেম্বর তারা আবারও মারসেইলির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। কিন্তু তাদের বন্দর যখন দৃষ্টিসীমায়, ঠিক তখনই এক উত্তরে বাতাসের কবলে পড়ে তারা বোউজি, আফ্রিকার উপকূলে চলে যান। স্থান থেকে সমুদ্রে আলজিয়ার্স যাত্রা তিন মাসের এক ফালতু দেরি বয়ে নিয়ে আসবে; আরাগো তাই স্থলপথেই যাত্রা শুরু করলেন। এক মুসলিম ইমাম তাকে রাস্তা চিনিয়ে দেয় এবং ক্রিসমাস-এর দিন গন্তব্যে পৌছান। ছয়মাস পর ২১শে জুন, ১৮০৯ সালে তিনি আলজিয়ার্স থেকে আবারও মারসেইলির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাকে এক একঘেয়ে অনাত্মীয় পরিপার্শ্বের মধ্য দিয়ে ল্যাজারেট্টোতে পৌছতে হয়, যতদিন না সকল সমস্যা দূর হয়েন যায়। আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ডট-এর কাছ থেকেই তিনি প্রথম চিঠি পান; এবং এর মাধ্যমে তার সাথে সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে। আরাগোর ভাষায়, "চল্লিশ বছর ধরে এই সম্পর্ক কোন প্রকার মেঘের উৎপাত ছাড়াই বহাল ছিল।" == শেষ দিনগুলো == আইফেল টাওয়ারের ৭২টি নামের মধ্যে অবস্থিত তাঁর নাম। আরাগো শেষ পর্যন্ত একজন ধারাবাহিক প্রজাতান্ত্রিক ছিলেন এবং ১৮৫২ সালের অভ্যূত্থানের পর ডায়াবেটিসে ভোগার ফলে এবং এরপর শ্বেতরোগ যা ড্রপসির মাধ্যমে মারাত্মক হয়ে ওঠে, তিনি জ্যোতির্বিদ হিসেবে তার পদ ত্যাগ করেন এবং আনুগত্যের শপথ নেন। তৃতীয় নেপোলিয়ন বলে দিয়েছিলেন যে বুড়ো মানুষকে কোনক্রমেই যেন বিরক্ত করা না হয় এবং তার যা ইচ্ছা সে যেন তাই করতে পারে। ১৮৫৩ সালের গ্রীষ্মে আরাগোর শারীরবিদেরা তাকে হাওয়া বদলানোর উপদেশ দিলে তিনি পূর্ব পিয়েরেনেস-এর দিকে যাত্রা করেন। তবে এই পরামর্শ কোন কাজে আসে না এবং তিনি প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন। প্যারিসের বিখ্যাত পিয়েরে ল্যাচাইজ সমাধিক্ষেত্রে তাকে দাফন করা হয়, মঙ্গল গ্রহের জ্বালামুখ এবং চাঁদ এবং নেপচুনের একটি বলয় তার এবং টুয়েন্টে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নামানুসারে রাখা হয়েছে। আইফেল টাওয়ারে খোদাইকৃত ৭২টি নামের মধ্যে তার নাম রয়েছে। == প্রকাশনা == Division Arago পিয়েরে ল্যাচাইজ সমাধিক্ষেত্রে আরাগোর কবর আরাগোর কাজগুলো তার মৃত্যুর পর জে.এ.ব্যারেল-এর হাত ধরে ১৭টি ভলিউমে প্রকাশিত হয়। পৃথকভাবেও ''জনপ্রিয় (''Astronomie populaire'') ভলিউমে, ''জীবনী'' (''Notices ভলিউমে, ''বৈজ্ঞানিক প্রমাণ'' (''Indices ভলিউমে, ''বৈজ্ঞানিক অভিযান'' (''Voyages ভলিউমে, ''বৈজ্ঞানিক টোমেস'' (''Grimoires ভলিউমে, ''মিশ্রণ'' (''Mélanges'') ভলিউমে এবং ''বিশ্লেষণাত্নক টেবিল এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি (ছবিসহ)'' ভলিউমে প্রকাশিত হয়। আরাগোর কাজের নিম্নলিখিত অংশগুলো ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়েছেঃ ''ধূমকেতু আখ্যান'' (''Treatise on Comets''), লেখাঃ দি. কোল্ড, সি.বি. (লন্ডন, ১৮৩৩); ডব্লিউ.এইচ. স্মিথ গ্রান্ট কর্তৃক অনূদিত হয়েছে (লন্ডন, ১৮৬১ ''জেমস ওয়াট এর বাখান'' (''Euloge of James Watt''), লেখাঃ মুরহেড (লন্ডন, ১৮৩৯); ব্রাহাম কর্তৃক অনূদিত, টীকাসহ বিষয়ক লোকপ্রিয় লেকচার'' (''Popular Lectures on Astronomy''), লেখাঃ ওয়াল্টার কেলি রেব. এল. টমলিনসন (লন্ডন, ১৮৫৪); ড. ডব্লিউ.এইচ. স্মিথ অধ্যাপক আর. গ্রান্ট কর্তৃক অনূদিত, ভ. (লন্ডন, ১৮৫৫) ''আরাগোর আত্মজীবনী'' (''Arago's Autography''), রেভারেন্ড বাডেন পাওয়েল কর্তৃক অনূদিত (লন্ডন ১৮৫৫, ৫৮) ''আরাগো রচিত রচনা'' (''Arago's Meteorological Essays''), আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ডট-এর ভূমিকা সহ, কর্নেল এডওয়ার্ড সাবাইন এর নির্দেশ মোতাবেক (লন্ডন, ১৮৫৫) '' আরাগো লিখিত বৈজ্ঞানিক ব্যক্তিদের জীবনী'' (''Arago's Biographies of Scientific Men''), স্মিথ, পাওয়েল গ্রান্ট কর্তৃক অনূদিত, ভ. (লন্ডন, ১৮৫৭) == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == ওয়াল্টার বেইলি, '' আরাগোর ঘূর্ণন উৎপাদন করতে একটি মোড''. ২৮শে জুন, ১৮৭৯. (দর্শন ম্যাগাজিনঃ তাত্ত্বিক পরীক্ষামূলক এবং ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের একটি জার্নাল. টেইলর ফ্রান্সিস., ১৮৭৯) == বহিঃসংযোগ == Arago ১৯১১ সালে ব্রিটানিকা'' প্রায় সব পাতার বিষয়বস্তুর মূল সূত্র Obituary ''রয়েল সোসাইটির মাসিক নোটিশ'', ১৮৫৪, ভলিউম ১৪, পৃষ্ঠা ১০২ প্যারিসে অবস্থানের উপর ভিত্তি ''দ্য ভিঞ্চি কোড''-এ অপব্যবহার হয়েছে যা প্রকৃত ওলন্দাজ অঙ্কনশিল্পী জ্যান ডিবেটস (১৯৪১) কর্তৃক জ্যোতির্বিদ ফ্রাঁসোয়া আরাগো (১৭৮৬-১৮৫৩) এর উদ্দেশ্যে এক শ্রদ্ধাঞ্জলী S.V. আরাগো দ্য স্টাডি এসোসিয়েশন (ওলন্দাজ) টোয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রাঁসোয়া আরাগোর নামানুসারে রাখা হয়েছে। জন্ম মৃত্যু ব্যক্তিত্ব জ্যোতির্বিদ নাস্তিক শতাব্দির ফরাসি রাজনীতিবিদ সালের ফরাসি অভ্যূত্থানকালীন ব্যক্তিত্ব পদার্থবিদ গণিতবিদ ল্যাচাইজ সমাধিক্ষেত্রে দাফনকৃত ব্যক্তিত্ব বিজ্ঞানী শতাব্দির ফরাসি গণিতবিদ সরকারপ্রধান সালের সাংবিধানিক সংসদ সদস্য সোসাইটির বিদেশি সদস্য পিটার্সবার্গ বিজ্ঞান একাডেমির সম্মানসূচক সদস্য মেডাল বিজেতা রয়েল সোসাইটির সম্মানিত ফেলোগণ আর্টস এবং বিজ্ঞান একাডেমির ফেলোগণ'''হার্ভার্ড স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস''' হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর একটি স্কুল, যেটি প্রকোউশল, ফলিত বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে হার্ভার্ডের শিক্ষা গবেষণা প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে। ==ওভারভিউ== হার্ভার্ডে প্রকৌশল ফলিত বিজ্ঞান এর সূচনা ঘটে ১৮৪৭ সালে লরেন্স সায়েন্টিফিক স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় হার্ভার্ড স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস। ==অ্যাকাডেমিকস এবং গবেষণা== উপস্নাতকেরা কম্পিউটার বিজ্ঞান (ব্যাচেলর অব আর্টস এবং সেকেন্ডারি ফিল্ড হিসেবে), ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সেস (ব্যাচেলর অব আর্টস এবং ব্যাচেলর অব সায়েন্স, দুটিই এবিইটি দ্বারা অ্যাক্রেডিটেড) এবং ফলিত গণিতে (ব্যাচেলর অব আর্টস এবং সেকেন্ডারি ফিল্ড হিসেবে) ডিগ্রি নিতে পারে। উপস্নাতক পর্যায়ে এই ডিভিশনটি ফলিত গণিত, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, রাসায়নিক প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, তড়িৎ প্রকৌশল, পরিবেশ বিজ্ঞান প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশলে মাস্টার অব সায়েন্স, মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পিএইচডি প্রদান করে। ==ইতিহাস== ==তথ্যসূত্র== প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ প্রতিষ্ঠিত উপবিভাগ প্রতিষ্ঠান ২০০৭-এ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ১৯৫৫-এ প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি স্কুল প্রতিষ্ঠান ১৮৪৭-এ প্রতিষ্ঠিত'''মার্ক অ্যান্থনি টেলর''', এও (; জন্ম: ২৭ অক্টোবর, ১৯৬৪) নিউ সাউথ ওয়লসের লিটনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ''টাবি'' বা ''টাবস'' ডাকনামে পরিচিত '''মার্ক টেলর''' অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার উত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বৈশ্বিক পরিচিতি পেয়েছেন। তার অধিনায়কত্ব ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অত্যন্ত কার্যকরী। কিন্তু তুলনামূলকভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে তিনি তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি। == খেলোয়াড়ী জীবন == তিনি ১৯৭২ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়াগা ওয়াগা এলাকায় স্থানান্তরিত হন। এরপর তিনি লেক আলবার্ট ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেন। ১৯৮৫ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। সফল অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারের উত্তরসূরী হিসেবে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার দলের অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব পালন করেন। টেস্ট ক্রিকেটসহ একদিনের আন্তর্জাতিক দলে অধিনায়কত্ব করলেও ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া দল পরাভূত হলে তাকে ওডিআইয়ের অধিনায়কত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ১০৪টি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ১৯টি শতক ৪০টি অর্ধ-শতকে গড়া ৭,৫২৫ রান করেন ৪৩.৪৯ রান গড়ে। ফার্স্ট স্লিপে অবস্থান করে চমকৎকার ফিল্ডারের ভূমিকা পালন করেন। ১৫৭ ক্যাচ লুফে নিয়ে টেস্ট রেকর্ড স্থাপন করেন। পরবর্তীতে রাহুল দ্রাবিড় তা ভেঙ্গে দেন। ''ক্যাপ্টেন গ্রাম্পি'' ডাকনামে পরিচিত অ্যালান বর্ডারের কাছ থেকে তিনি সর্বদাই অকুণ্ঠ সমর্থন কুড়িয়েছেন। টেলরের পূর্বসূরী স্টিভ ওয়াহও অস্ট্রেলিয়া দলকে সাজিয়েছেন অগণিত রেকর্ড সৃষ্ট করেছেন। == কীর্তিগাঁথা == বর্ডারের আমলে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অগ্রযাত্রার সূচনা ঘটে যা টেলরের অধিনায়কত্বে চলমান থাকে। ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের কাছে পরাজয়ের পর টেলরের দল স্বদেশ বিদেশের প্রত্যেকটি টেস্ট দলের বিপক্ষে সিরিজে জয়ী হয়। ব্যতিক্রম ছিল ভারতে সিরিজ জয়। ক্রিকেটের বাইবেলরূপে স্বীকৃত উইজডেন বিষয়ে মন্তব্য করে যে, টেলর এমনভাবে কথা বলতেন যে তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের মানকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছেন যা সকল স্তরের ক্রিকেটারদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্ডার অস্ট্রেলিয়া দলের পরাজয়কে রোধ করছেন কিন্তু টেলর দলকে বিজয়ী দলে রূপান্তর ঘটিয়েছেন। টেলর দলের উত্যক্ততারোধে সচেষ্ট হন যা বহিঃর্বিশ্বে বেশ সুনামহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরফলে অন্য যে-কোন সময়ের অস্ট্রেলীয় দলের তুলনায় বেশ সুনাম অর্জন করে। তিনি সর্বমোট ৫০ টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তন্মধ্যে দলের জয় ২৬, পরাজয় ১৩ বাদ-বাকী ১১ টেস্ট ড্র হয়। ডন ব্র্যাডম্যান ভিভ রিচার্ডসের দল ছাড়া সাফল্য পূর্বেকার পঞ্চাশ বছরের মধ্য ব্যাপক সাফল্যবাহক। == অবসর == অ্যাশেজ সিরিজের পর ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ তারিখে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন টেলর। অস্ট্রেলিয়া ডে উপলক্ষে ১৯৯৯ সালে তিনি বর্ষসেরা অস্ট্রেলীয় হিসেবে ঘোষিত হন। ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস পদক এবং ২০০১ সালে শতবার্ষিকী পদকে ভূষিত হন তিনি। সেপ্টেম্বর, ২০০২ তারিখে মার্ক টেলর, জন ডাইসন, ফিল এমরি, মাইক হুইটনি জিওফ লসনকে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে আজীবন সদস্যরূপে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। একই বছর টেলরকে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়াও, ২০০৩ সালে তাকে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’র কর্মকর্তারূপে গণ্য করা হয়। বর্তমানে তিনি নাইন নেটওয়ার্কে ক্রিকেট কাজ করছেন। প্রধানতঃ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলাগুলোয় দায়িত্বে রয়েছে। এরফলে তিনি তার পরিবারের সাথে আরও অধিক সময় ব্যয় করতে পারছেন। সাইমন ও’ডনেলের সাথে দ্য ক্রিকেট শো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ ফুজিৎসু মুখপত্র হিসেবে দায়িত্ব নিয়োজিত রয়েছেন মার্ক টেলর। সিডনি অঞ্চলসহ এনএসডব্লিউ ক্যাথলিক প্রাইমারি স্কুলের মার্ক টেলর শিল্ড ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় টেলর উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। নভেম্বর, ২০১১ তারিখে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবের অনুশীলনী মাঠ ওয়েইতারা ওভালের নাম পরবির্তন করে মার্ক টেলর ওভাল নামে পরিবর্তন করা হয়। তিনি ক্লাবের সাবেক প্রধান স্তরের অধিনায়ক আজীবন সদস্যরূপে রয়েছেন। == তথ্যসূত্র == == পাদটীকা == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বর্ষসেরা ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার ধারাভাষ্যকার অস্ট্রেলীয় পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে প্রবেশকারী ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রবেশকারী অব দি অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া ক্রীড়া পদক বিজয়ী'''এলিহু থমসন''' একজন ইংরেজ প্রকৌশলী এবং উদ্ভাবক। ==জীবনী== এলিহু থমসন ১৮৫৩ সালের ২৯ মার্চ ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৫৮ সালে তার পরিবার ফিলাডেলফিয়ায় চলে যায়। তিনি ১৮৭০ সালে সেন্ট্রাল হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। তিনি ১৮৭৬ সালে সেন্ট্রাল হাই স্কুলের রসায়নের চেয়ার হন। তিনি এডউইন জে হিউস্টন এর সাথে থমসন-হিউস্টন ইলেক্ট্রিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯২ সালে এটি এডিসন জেনারেল ইলেক্ত্রিক কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে জেনারেল ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে পরিণত হয়। তিনি ১৮৮৯ থেকে ১৮৯০ সাল পর্যন্ত আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স এর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। থমসন ৬৯৬টি প্যাটেন্টের অধিকারী। তিনি ১৯২০ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ==পুরস্কার সম্মাননা== *আইইই এডিসন মেডেল, ১৯০৯ সম্মানসূচক এমএ, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৯০, সম্মানসূচক পিএইচডি, টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৯২ সম্মানসূচক ডিএসসি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৯৯) ==তথ্যসূত্র== জন্ম ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট পেনসিলভেনিয়া থেকে মানুষ ম্যাসাচুসেটস থেকে মানুষ থেকে মানুষ মেডেল অব অনার বিজয়ী প্রাক্তন শিক্ষার্থী উদ্ভাবক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু এডিসন মেডেল বিজয়ী ক্রেসন মেডেল বিজয়ী মেডেল বিজয়ী'''হলি লুইস কলভিন''' (জন্ম: সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ চিচেস্টার) একজন ইংরেজ প্রমিলা ক্রিকেটার এবং বর্তমান ইংল্যান্ড জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলা সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার রেকর্ড নিজের ঝুলিতে ভরেছেন। ==খেলোয়াড়ী জীবন== ===স্কুল পর্যায়=== একজন ডান হাতি ব্যাটসম্যান এবং ধীরগতির বা-হাতি বোলার হিসেবে কলভিন মূলত ওয়েস্টবার্ন হাউস স্কুল, ওয়েস্ট সাসেক্স উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মাত্র বছর বয়স থেকে ১ম একাদশে ১০০এর উপর গড় নিয়ে খেলাধুলা শুরু করেন। ওয়েস্টবুর্ন হাউস এর পরে কলভিন ব্রাইটন কলেজে ছেলেদের দলের মধ্যে খেলার মাধ্যমে ইংল্যান্ড নারীদের অধিনায়ক ক্লেয়ার কনর এর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। ২০০৪ সালে লর্ডস তাভিনার্সে অনূর্ধ্ব-১৫ কাপে ১,০০০ অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে শুধুমাত্র মেয়েদের ভিতরে কলভিন এবং সহকর্মী ব্রাইজটোনিয়ন সারাহ টেলর ছিলেন। == ব্যক্তিগত জীবন == কলভিন, ১০ জিসিএসই, ৩টি এএস লেভেলের পরীক্ষায় এবং এএস তার এ-লেভেল পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেন। ২০০৯ সালে তিনি ডরহম প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিয়ষে পড়াশুনা শুরু করেন; যেটি ক্রিকেট এক্সেলেন্স ইংল্যান্ডের চারটি সেন্টার একটিতে সংযুক্ত করা হয়। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == ECB profile মহিলা ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি মহিলা টেস্ট ক্রিকেটার মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার মহিলা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার'''''রোমা, চিত্তা আপের্তা''''' বা '''''রোম, উন্মুক্ত শহর''''' (, বাংলা: ''রোম, উন্মুক্ত শহর'') ১৯৪৫ সালের ইতালীয় নাট্য চলচ্চিত্র। সের্গিও এমিইডি এবং আলবার্তো কনসিগলিওর গল্প অবলম্বনে রোবার্তো রোসেলিনি পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ছিলেন, আলডো ফ্যাবরিজি, আনা মাগনানি, মার্সেলো পাগলিরো এবং হ্যারি ফিয়েস্ট। ইংরেজি সাবটাইটেলসহ মুক্তির নাম ছিলো, '''ওপেন সিটি'''। ইতালীয় নয়াবাস্তববাদের নতুন দিগন্তের সূচনা হয় এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যান্ড প্রাইজ, ইতালীয় ন্যাশনাল সিন্ডিকেট অব ফিল্ম জার্নালিস্ট থেকে সিলভার রিবনসহ বিভিন্ন পুরস্কার জেতে এই চলচ্চিত্র। ইতালীতে মুক্তির পূর্বে, ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই চলচ্চিত্র নিউ ইয়র্কে মুক্তি দয়ো হয়। একটি বিখ্যাত দৃশ্যে আনা মাগনানি ১৯৪৪ সালে নাৎসি বাহিনী অধিকৃত রোমের (আগস্ট ১৪, ১৯৪৩ সালের পরে ওপেন সিটি) প্রেক্ষাপট বিস্তৃত হয়েছে এ-চলচ্চিত্রে। সে সময়ে জার্মান গেস্টাপো শহরে ঢুকে পড়ে। সেখানে তৎকালীন অন্যতম প্রথাবিরোধী জর্জিও ম্যানফ্রেডিকে তারা খুঁজে পায়। এদিকে ম্যানফ্রেডি তাদের কাছ থেকে পালাতে থাকে। সে তার বন্ধু ফ্রান্সেসকোর কাছে যায় এবং বন্ধুর বাগদত্তা পিনার কাছে সাহার্য চায়। পিনা তাকে নিয়ে যায় পাদ্রী ডন পিয়াত্রোর কাছে। পিনা এবং পিয়াত্রো দু'জন মিলে ম্যানফ্রেডিকে শহর থেকে পালাতে সাহার্য করতে থাকে। এদিকে পিয়াত্রোকে কাজে লাগাতে চায় গেস্টাপো। তারা মনে করে, পিয়াত্রোকে ধর্মীয় বিশ্বাসের মাধ্যমে ভোলানো সম্ভব। তবে পিয়াত্রো বিশ্বাস করতেন, অন্যকে সাহার্য করাই ঈশ্বরকে সাহার্য করা। কিন্তু এতো চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ম্যানফ্রেডি পালাতে ব্যর্থ হন। পিনার বোন এবং ম্যানফ্রেডির প্রাক্তন প্রেমিকা মারিনানেশার লোভে পড়ে ম্যানফ্রেডিকে জার্মানদের হাতে ধরিয়ে দেন। পিয়াত্রো চোখের সামনে ম্যানফ্রেডির অত্যাচার এবং মৃত্যু দেখে। তবু তিনি গেস্টাপোর সাথে হাত মেলায় না। ফলে ডন পিয়াত্রোকে তারা হত্যা করে। == অভিনয়ে == আলডো ফ্যাবরিজি ডন পিয়াত্রো পেলিগ্রিনি আনা মাগনানি পিনা মার্সেলো পাগলিরো জর্জিও ম্যানফ্রেডি, ডাকনাম: লুইগি ফেরারীস্ Vito Annicchiarico মার্সেলো, পিনা'র ছেলে Nando Bruno অগস্তিনো, the Sexton হ্যারি ফিয়েস্ট মেজর বার্গম্যান গোইভানা গালিট্টি ইনগ্রিড Francesco Grandjacquet ফ্রান্সেসকো Eduardo Passarelli neighborhood Police Sergeant মারিয়া মিচি মারিনা মারি Carla Rovere Lauretta, পিনা'র বোন Carlo Sindici পুলিশ কমিশনার Joop van Hulzen Captain Hartmann Ákos Tolnay অস্ট্রীয় পলাতক আলবার্তো তাভাযি প্রিস্ট == উৎপাদন == == বিতরণ == == পুরস্কার == '''বিজয়''' কান চলচ্চিত্র উৎসব: গ্র্যান্ড প্রাইজ; রোবার্তো রোসেলিনি; ১৯৪৬ ইতালীয় ন্যাশনাল সিন্ডিকেট অব ফিল্ম জার্নালিস্ট (''Sindacato Nazionale dei Giornalisti Cinematografici Italiani''): সিলভার রিবন (''Nastro d'Argento''); সেরা চলচ্চিত্র; সেরা পাশ্ব অভিনেত্রী, আনা মাগনানি; ১৯৪৬ ন্যাশনাল বোর্ড অফ রিভিউ: সেরা অভিনেত্রী; আনা মাগনানি; সেরা বিদেশী চলচ্চিত্র, ইতালী; ১৯৪৬ নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ডস: সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র, ইতালী; ১৯৪৬ ==আরো দেখুন== ==তথ্যসূত্র== ==আরো পড়ুন== David Forgacs. ''Roma città aperta''. London: British Film Institute, 2000. ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র দশকের যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র দশকের রাজনৈতিক চলচ্চিত্র দশকের নাট্য চলচ্চিত্র দশকের স্বাধীন চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র সাদাকালো চলচ্চিত্র যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নব্যবাস্তববাদী চলচ্চিত্র বিরোধী চলচ্চিত্র সম্পর্কিত চলচ্চিত্র বিশ্বযুদ্ধের প্রতিরোধ আন্দোলন সম্পর্কিত চলচ্চিত্র ক্যাথলিকবাদ সম্পর্কিত চলচ্চিত্র বিশ্বযুদ্ধের ইতালিয় প্রচারাভিযান চলচ্চিত্র নাৎসি পটভূমিতে চলচ্চিত্র রোসেলিনি পরিচালিত চলচ্চিত্র ফেলিনির চিত্রনাট্য দর বিজয়ী সম্পর্কে চলচ্চিত্র'''রিপারিয়ান প্লাজা''' হল ব্রিসবন, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক জেলার মধ্যে অবস্থিত একটি ৫৩তম তলা বিশিষ্ট আকাশচুম্বী ভবন। ভবন এর কমুনিকেশন স্পায়ার এবং তার বাড়ির ছাদ থেকে ২০০ মিটার (৬৬০ ফুট) থেকে উচ্চতা ২৫০ মিটার (৮২০ ফুট) অবস্থান করেছে। চূড়া থেকে মাপা হলে এটি শহরের সবচেয়ে উচ্চতম ভবন এবং বাড়ির ছাদ থেকে মাপা হলে এটি চতুর্থ উচ্চতম ভবন। এটি একটি মিশ্র ব্যবহারের জন্য ভবন, সাথে রয়েছে স্থল থেকে ১১টি গাড়ী পার্ক ব্যবস্থা, ২৫ বাণিজ্যিক মাত্রা এবং ১২টি আবাসিক মাত্রাতে মূলত ৫০টি পেন্থহাউজ এ্যাপার্টমেন্ট ঘর। মিনারের উপরে হল একটি ৫০ মিটার (১৬০ ফুট) কমুনিকেশন স্পায়ার। বাণিজ্যিক আবাসিক বিভাগগুলির মধ্যে একটি সুইমিং পুল সহ একটি চিত্তবিনোদন কেন্দ্র ৩৯তম তলায় অবস্থিত। কার্পাক একটি স্ক্রুর ন্যায় পেঁচান বর্ধনের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। ভবনটিতে ৩,৫০০ ম২ (৩৮,০০০ বর্গ ফুট) সর্বমোট একটি উন্মুক্ত প্লাজা এবং বিহার স্থান রয়েছে। উপরের প্লাজার স্তরের সিয়ানা বার ডাইনিং লাউঞ্জে উপস্থিত রয়েছে। ==ভাড়াটেরা== অফিস ভাড়াটেদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উইলসন এইচটিএম এবং ফার্ম ক্লেটন ইউটিজেডকে। কেপিএমজি এর ব্রিসবেন অফিসে ভবনের ১৪ তম তলা থেকে ১৯ তলা পর্যন্ত দখল করেন। জন পিয়ার্স সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কালেকশন হাউস এর কাছাকাছি "টপ পেন্থহাউস" এর জন্য $৬.৭ মিলিয়ন পরিশোধ করেন। ==গ্যালারী== Image:Brisbane Riparian স্তর থেকে রিপারিয়ান প্লাজা প্লাজা এবং শহরের কেন্দ্রস্থল ভবন ব্রিসবেন নদী থেকে ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == Riparian Plaza official site Riparian Plaza apartments Riparian Plaza Structural Engineers Statement সিডলার ভবন কেন্দ্রীয় ব্যবসা জেলা মধ্যে অ্যাপার্টমেন্ট ভবন মধ্যে অফিস ভবন সালে সম্পূর্ণ বাড়ি এবং কাঠামো বিষয়শ্রেণী:২০০ ২৪৯ মিটার মধ্যে আকাশচুম্বী মধ্যে আকাশচুম্বী ভবন স্থাপনা'''ওমর আলী''' () (২০ অক্টোবর ১৯৩৯ ডিসেম্বর ২০১৫) একজন বাঙালি বাংলাদেশী রোম্যান্টিক কবি যিনি ষাট দশকের কবি হিসেবে চিহ্নিত। তিনি তার রচিত প্রেমের কবিতাসমূহের জন্য বিখ্যাত। শ্যামবর্ণা স্বাস্থ্যবতী আদিম বাঙালি নারীকে তিনি তার সমস্ত দিয়ে আবিষ্কার করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তার কবিতায় গ্রাম বাংলার মাটির অকৃত্রিম সোঁদা গন্ধ মেলে। প্রেয়সীর সংস্পর্শ, মিলন বিরহ, অফুরন্ত প্রকৃতি সৌন্দর্যের রোমান্টিক অনুকল্পে তার কাব্য বাঙময় হয়েছে। == জন্ম, শিক্ষাজীবন কর্মজীবন == তিনি হাম্মাদিয়া হাই স্কুল থেকে ১৯৫৫ সনে প্রবেশিকা, কায়েদে আযম কলেজ থেকে ১৯৬২ সনে উচ্চ মাধ্যমিক, এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে ১৯৬৫ সনে স্নাতক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সনে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে বাঙলায় স্নাতকোত্তর করেন। পেশাগত জীবনে তিনি অধ্যাপক ছিলেন। সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজ পাবনা থেকে ১৯৯৭ সনের ২১ অক্টোবর অবসর গ্রহণ করেন। == প্রকাশনা == ওমর আলীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ''এদেশে শ্যামল রঙ রমণীর সুনাম শুনেছি'' প্রকাশিত হয় ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে। এছাড়াও তার প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ হচ্ছে "অরণ্যে একটি লোক" (১৯৬৬), "আত্মার দিকে" (১৯৬৭), "সোনালি বিকেল" (১৯৬৫), "নদী""(১৯৬৯), "নরকে বা স্বর্গে" (১৯৭৫), "বিয়েতে অনিচ্ছুক একজন" (১৯৭৫), "প্রস্তর যুগ তাম্র যুগ" (১৯৭৪), "স্থায়ী দুর্ভিক্ষ সম্ভাব্য প্লাবন" (১৯৭৫), "তেমাথার শেষে নদী" (১৯৭৪), "নিঃশব্দ বাড়ি" (১৯৭৩), "কিছুদিন" (১৯৮০), "ডাকছে সংসার" (১৯৮৫), "যে তুমি আড়ালে" (১৯৮৭), "ফুল পাখিদের দেশ" (১৯৮৩), "ফেরার সময়" (১৩৯৬), "স্বদেশে ফিরছি" (১৯৭৯), "একটি গোলাপ" ১৯৬৮, "লুবনা বেগম" (১৯৯৩), "প্রসারিত করতল" (১৯৯২), "ছবি" (১৯৯০), "শুধু তোমাকে ভালো লাগে" (১৯৯৪), "তোমাকে দেখলেই" (১৯৯৫), "ভালোবাসার দিকে" (১৯৯১), "এখনো তাকিয়ে আছি" (১৯৮৭), "ভালোবাসার প্রদীপ" (১৯৯৬), "হৃদয় ছুঁয়ে আছে ঝড়" (১৯৯৮), "গ্রামে ফিরে যাই" (১৯৯৮), "আমার ভেতরে খুব ভাঙচুর হচ্ছে" (২০০১), "শ্রেষ্ঠ কবিতা" (২০০২)। ===উপন্যাস=== কুতুবপুরের হাসনা হেনা" (১৯৮২) এবং খান ম্যানসনের মেয়ে" (১৯৬২)। == পুরস্কার == একুশে পদক (মরণত্তর) ২০১৭ বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৮১, বন্দে আলী মিয়া পুরস্কার ১৯৮৮, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ১৯৯১ == আরও দেখুন == ২০১৭-এর একুশে পদক বিজয়ীগণ। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু পদক বিজয়ী কবি কবি প্রাক্তন শিক্ষার্থী একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী কবিদের তালিকা'''তানজানীয় লালঠুঁটি ধনেশ''' (''Tockus ruahae'') হল লাল ঠোঁটওয়ালা ধনেশ প্রজাতির পাখি। এদের প্রধান বাসস্থান হল মধ্য তানজানিয়া। পূর্বে এদের উত্তরাঞ্চালীয় লালঠুঁটি ধনেশের সগোত্র বিবেচনা করা হতো। ==তথ্যসূত্র== ==বহি:সংযোগ == পাখির ডাক ==আরো পড়ুন== *Kemp, A.C. and W. Delport. 2002. Comments on the status of subspecies in the red-billed hornbill (Tockus complex (Aves: Bucerotidae), with the description of new taxon endemic to Tanzania. Annals of the Transvaal Museum 39: 1–8. *Delport, W., A.C. Kemp, and J.W.H. Ferguson. 2004. Structure of an African Red-billed Hornbill (Tockus erythrorhynchus rufirostris and T. e. damarensis) hybrid zone as revealed by morphology, behavior, and breeding biology. Auk 121: 565-586. পাখি এর প্রাণীসমূহ() (১৫৬৩-১৬৩৬) তিব্বতের বৌদ্ধবিহারের ষোড়শ প্রধান বা ঙ্গোর-ছেন ছিলেন। ==সংক্ষিপ্ত জীবনী== ১৫৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের () নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল () এবং মাতার নাম ছিল ()। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় ()। বারো বছর বয়সে বৌদ্ধবিহারে নামক দ্বাদশ ঙ্গোর-ছেনের নিকট তিনি শিক্ষার্থীর শপথ এবং উনত্রিশ বছর বয়সে নামক ত্রয়োদশ ঙ্গোর-ছেনের নিকট ভিক্ষুর শপথ গ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষক ছিলেন নামক চতুর্দশ ঙ্গোর-ছেন, নামক পঞ্চদশ ঙ্গোর-ছেন, () নামক ঝ্বা-লু বৌদ্ধবিহারের অষ্টাদশ প্রধান প্রভৃতি। ১৬১৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বৌদ্ধবিহারের ষোড়শ প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এই পদে তিনি পাঁচ বছর থাকেন। তার উল্লেখযোগ্য শিষ্য ছিলেন () নামক অষ্টাদশ ঙ্গোর-ছেন, নামক বাইশতম ঙ্গোর-ছেন, () নামক ঝ্বা-লু বৌদ্ধবিহারের বাইশতম প্রধান প্রভৃতি। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু'''সমর ধনেশ''' (''Penelopides samarensis'') হল একধরনের ধনেশ যারা বিউসেরোটিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এদেরকে প্রধানত দেখতে পাওয়া যায় সমর, ক্যালিকন, লেটে এবং বহল প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জতে। এদের প্রধান অবস্থান পূর্ব-মধ্য ফিলিপাইন। ওয়ালসরোড হল একমাত্র জায়গা যেখানে এদেরকে দেখতে পাওয়া যায় ফিলিপাইনের বাইরেও। এখানে একটা পুরুষ ধনেশ রাখা আছে। ==তথ্যসূত্র== Kemp, A. C. (2001). Family Bucerotidae (Hornbills). pp. 436–523 in: del Hoyo, J., Elliott, A., Sargatal, J. eds. (2001). ''Handbook of the Birds of the World.'' Vol. 6. Mousebirds to Hornbills. Lynx Edicions, Barcelona. পাখি এর প্রাণীসমূহমহারাজ সংবরণ সূর্যকন্যা তপতীর পুত্র ছিলেন কুরু রাজা কুরুর বংশধরদের '''কৌরব''' বলা হয় কিন্তু মহাভারতে বিশেষভাবে দুর্যোধন এবং তার শত ভাইকে কৌরব আর কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তাদের পক্ষকে কৌরবপক্ষ বলা হয়েছে ==কৌরবদের তালিকা== কৌরবদের তালিকা নামের প্রথম বর্ণ অনুসারে সাজানো হল- অভয় অনুবিন্দ অনুদর অনাধৃষ্য অপরাজিত আদিত্যকেতু আলোলুপ আয়োবাহু উপচিত্র উপনন্দ উগ্র উগ্রায়ুধ উগ্রশ্রবা উগ্রসেন ঊর্ণনাভ কবচী কণকায়ু কনকাঙ্গদ কর্ণ কুণ্ডভেদী কুণ্ডজ কণ্ডোধর চিত্র চিত্রক চিত্রাক্ষ চারু চিত্রাঙ্গদ চিত্রবাহু চিত্রবর্মা চিত্রচাপ জলসন্ধ জরাসন্ধ দুরাধন দুর্জয় দুর্যোধন দুঃশাসন দুঃসহ দুঃশল দুর্মুখ দুর্দ্ধর্ষ দুষ্প্রধর্ষ দুর্মর্ষণ দুষ্কর্ণ দুর্মদ দুষ্প্রহর্ষ দুর্বিরোচন দীর্ঘলোচন দীর্ঘবাহু দৃঢ়রথ দৃঢ়হস্ত দৃঢ়ায়ুধ দৃঢ়বর্মা দৃঢ়ক্ষত্র দৃঢ়সন্ধ দণ্ডী দণ্ডধার ধনুর্গ্রহ নাগদত্ত নামধেয় নন্দ নিষঙ্গী প্রমথ পদ্মনাভ পণ্ডিতক বহ্বাশী বলাকী বাতবেগ বিশালাক্ষ বিরাবী বীর বীরবর বীরবাহু বিবিংশতি বিকর্ণ বিন্দ বিবিৎসু বিকট ব্যুঢ়োরু ভীমবেগ ভীমবল ভীমবিক্রম ভীমরথ ভীমশর মহাবাহু মহারথ মহোদর শম সুলোচন সুবাহুক সুষেণ সবর্মা সুকুণ্ডল সেনাপতি সোমকীর্তি সত্যসন্ধ সহস্রবাক সুহস্তক সুবর্চা সেনানী রৌদ্রকর্মা ==তথ্যসূত্র== চরিত্র'''জিজিয়া''' '''' হলো ইসলামি রাষ্ট্রে ইসলামি আইনের অনুকূলে স্থায়ীভাবে বসবাসরত অমুসলিমদের জনপ্রতি বাৎসরিক ধার্যকৃত কর। মুসলিম ফকীহগণের অভিমত এই যে, অমুসলিমদের মধ্যে করদাতাকে প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন, কর্মক্ষম পুরুষ হতে হবে। মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, উন্মাদ, দাসদের নিস্কৃতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুসতামিনস অমুসলিম বিদেশী যে অস্থায়ী মুসলিম দেশে আশ্রয় নেয় এবং যে অমুলিমরা সামরিক বাহিনীতে যোগদান করতে তাদের চায় এবং যদি তারা দিতে অসমর্থ তবে তাদের এই কর থেকে নিস্কৃতি দেওয়া হয়েছে। হাদিসেও জিজিয়া কর সম্পর্কে উল্লেখ আছে, কিন্তু পরিমাণ উল্লেখ নেই। ফকীহগণ এই বিষয়ে একমত যে, পূর্বে মুসলিম শাসকরা বাইজেন্টাইন এবং সাসানীয় সাম্রাজ্যে এটি আদায় করতেন। ইসলামি ইতিহাসে এর প্রয়োগ বিভিন্ন রকম দেখা যায়। অনেক সময় জিজিয়াকে খারাজ এর সাথে সাধারণ কর হিসাবে আদায় করা হয়েছে। এবং ইসলামি রাজনীতিতে রাজস্ব আদায়ের প্রধান উৎস ছিল। জিজিয়া কর করদাতার সামর্থ্য অনুসারে বাৎসরিকভাবে নির্ধারিত হতো। বিভিন্ন সময় স্থান, কাল ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে ভিন্ন সময় ধার্যকৃত কর এর পরিমাণ ভিন্ন হয়েছে। প্রসঙ্গে কুরআনের সুরা তওবার ২৯ আয়াতে বলা হয়েছে, উসমানীয় তুরস্কে ১৯শ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত জিজিয়া বলবৎ ছিল। মুসলমানদের বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বিভাগে যোগদান করতে হতো বলে তার পরিবর্তে অমুসলমানদের ওপর একটি কর ধার্য করা হয়। কিন্তু সকল ধর্মের নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক পেশা প্রবর্তিত হওয়ার পর এই করেরও বিলোপ হয়। মধ্য যুগে পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম শাসিত দেশেও অমুলমানদের ওপর জিজিয়া কর ধার্য করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে আকবর এটা রহিত করেন, কিন্তু সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে এটা পুনঃপ্রবর্তিত হয়। == তথ্যসূত্র == ==আরো দেখুন== খারাজ জিহাদ ইহুদি ==বহিঃসংযোগ== jizya ''Encyclopædia Britannica'' The Fair Logic of jizyah Jasser Auda আইন বিষয়শ্রেণী:কর অর্থনীতি আইনের পরিভাষা অন্যান্য ধর্ম'''বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকো-পার্ক, সীতাকুণ্ড''' () বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত একটি বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে ১৯৯৮ সালে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ৮০৮.০০ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যটি গঠিত। ১৯৯৬ একরের পার্কটি দুই অংশে বিভক্ত। ১,০০০ একর জায়গায় বোটানিক্যাল গার্ডেন ৯৯৬ একরজায়গা জুড়ে ইকোপার্ক এলাকা। জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এবং পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বন বিভাগের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা পার্কটিতে রয়েছে বিরল প্রজাতির গাছপালা, হাজারো রকমের নজরকাড়া ফুলের গাছ, কৃত্রিম লেক নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র্য। রয়েছে সুপ্তধারা সহস্রধারা ঝর্ণা সহ ঝিরিপথের ছোট-বড় বেশ কয়েকটি ঝর্ণা, পিকনিক স্পট, বিশ্রামের ছাউনি। == বিবরণ == ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের প্রথম এবং এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ইকোপার্ক বোটানিক্যাল গার্ডেনটির অবস্থান। মূল ফটক পেরিয়ে একটু এগোলেই রয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিস্তম্ভ। কবি এসেছিলেন পাহাড়ের জনপদে। এরই বিস্তারিত লেখা আছে স্তম্ভটির পাশে সাঁটানো সাইনবোর্ডে। এর কিছুদূর এগোলে ম্যাপে পার্কটির দর্শনীয় স্থান নির্দেশিত রয়েছে। সেখানে নির্দেশিত পথ ধরে দেড় কিলোমিটার এগোলে সুপ্তধারা ঝর্ণার সাইন বোর্ড ‘সুপ্তধারা ঘুমিয়ে পড়ি জেগে উঠি বরষায়’। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড়ি ট্রেইল পেরিয়ে দেখা পাবেন অনিন্দ্যসুন্দর ঝর্ণা ‘সুপ্তধারা’র। আবার এক কিলোমিটার পর্যন্ত গেলে চোখে পড়বে সহস্রধারা ঝর্ণার সাইন বোর্ড। এই এক কিলোমিটার পথে রয়েছে পিকনিক স্পট, ওয়াচ টাওয়ার, হিম চত্বর। সেখানে সেট করা চেয়ারে বসে দূর সমুদ্রের রূপ চোখে পড়বে। সহস্রধারা ঝর্ণা দেখে এসে বোটানিকাল গার্ডেনের উত্তরে গেলে চোখে পড়বে পাহাড় আর পাহাড়। সহস্র ধারা সুপ্তধারা ঝর্ণা থেকে বহমান জলকে কৃত্রিম বাঁধ তৈরির মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম লেক। পার্কটির মূল আকর্ষণ চন্দ্রনাথ মন্দির। টিকেট কাউন্টার থেকে মন্দির পর্যন্ত কিলোমিটারের পথ পায়ে হেঁটে অথবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায়। মন্দিরের নিচে থেকে পাহাড়ি পথে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে উঠলে দেখা মিলবে মন্দিরের। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজায় মগ্ন থাকেন এখানে। ফাল্গুনে শিবসংক্রান্তি পূজার সময় দেশ বিদেশের কীর্তনে মুখর হয়ে ওঠে পুরো চন্দ্রনাথ == উদ্ভিদবৈচিত্র্য == এখানে চোখ পড়বে পাহাড়ে জন্মানো নানা প্রজাতির ফুল। এখানে রয়েছে দুর্লভ কালো গোলাপসহ প্রায় ৩৫ প্রকার গোলাপ, জবা, নাইট কুইন, পদ্ম, স্থলপদ্ম, নাগবল্লী, রঙ্গন, রাধাচূঁড়া, কামিনী, কাঠ মালতী, অলকানন্দা, বাগানবিলাস, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, ফনিকা মিলে রয়েছে ১৫০ জাতের ফুল। == জীববৈচিত্র্য == এখানে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আর বন্যপ্রাণীর। পার্কটিতে রয়েছে মায়া হরিণ, বানর, হনুমান, শূকর, সজারু, মেছোবাঘ, ভালুক, বনরুই বনমোরগ। এছাড়াও আছে দাড়াঁশ, গোখরা, কালন্তি, লাউডগাসহ নানা প্রজাতির সাপ জলজ প্রাণী। ==গ্যালারি== Bird's Eye view from Chandranath পাহাড় হতে প্রাকৃতিক দৃশ্য Suptodhara ঝর্ণা The relentless Shahasradhara ঝর্ণা Sunset at Botanical Garden and Eco Park গার্ডেনে সূর্যাস্ত Where livelihood is so tough.jpg|ঝর্ণা Lili Pond, Botanical Garden and Eco-Park, Sitakunda (01).jpg|জল এলাকা Hill প্রকৃতি == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জেলার দর্শনীয় স্থান বনাঞ্চল সংরক্ষিত এলাকা বোটানিক্যাল গার্ডেন'''উমিয়া ডিজাইন ইনস্টিটিউট''' () বা '''ইউআইডি''' হল উমিয়া অধীন একটি ইনস্টিটিউট। ইউআইডি ১৯৮৯ সালে কার্যক্রম শুরু করে এবং ইন্ড্রাস্টিয়াল ডিজাইনের জন্যই মূলত নকশাকৃত সজ্জিত। এটি উমিয়া কেন্দ্রীয় শহরের একটি অংশ চারুকলা অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের ঠিক মাঝে অবস্থিত। ইউআইডি-ই একমাত্র ইনস্টিটিউট যা বিজনেসউইকের শীর্ষ ৬০টি ডিজাইন ইনস্টিটিউটের (সারা বিশ্বের মধ্যে) মধ্যে স্থান করে নিতে পেরেছে পরপর তিনবার (২০০৬, ২০০৭ ২০০৯)। এবং ২০১০ সালে বিশ্বের ১৮টি চমৎকার ডিজাইন স্কুলের মধ্যে একটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১১ সালে ইউআইডি "ইউরোপা আমেরিকা" অঞ্চলের মধ্যে ডিজাইন ইনস্টিটিউট হিসেবে রেড ডট ইনস্টিটিউট কর্তৃক স্বীকৃতি পায় এবং ২০১২ সালে ইউআইডিন প্রথম অবস্থানে চলে আসে। == শিক্ষা == === ব্যাচেলর প্রোগ্রাম === ইনস্টিটিউট একটি তিন-বছরের ডিজাইন প্রোগ্রামের আয়োজন করে যা ব্যাচেলর ডিগ্রী (১৮০ ক্রেডিট) দিয়ে থাকে। (শুধুমাত্র সুইডীয়তে) === স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম === এখানে তিনটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশেষায়িত দুই-বছরের স্নাতকোত্তর কর্মসূচী (১২০ ক্রেডিট) চালু আছে। এই প্রোগ্রামগুলো হল প্রোডাক্ট ডিজাইন, উন্নতমানের প্রোডাক্ট ডিজাইন, মিথস্ক্রিয়া ডিজাইন এবং পরিবহন ডিজাইন। === এক বছরের কোর্সসমূহ === ইউআইডি'তে দুইটি ফুলটাইম এক বছরের কোর্স (উভয়ই ইংরেজিতে) দেওয়া হয়। অন্য কোন একাডেমিক ক্ষেত্রে একটি পূর্ববর্তী ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন ভূমিকা (৬০ ক্রেডিট) চালু আছে যা নকশা ক্ষেত্রের মধ্যে বিশেষজ্ঞ বা ভবিষ্যতে নকশা গবেষনার জন্য প্রস্তুত করতে ইচ্ছুকদের ডিগ্রীপ্রদান করে থাকে। ডিজাইন সংযোগ (৬০ ক্রেডিট) শিল্পক্ষেত্রের ডিজাইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের উপর একটি বিশেষায়িত কোর্স। === গবেষণা পিএইচডি স্টাডিজ === ইনস্টিটিউট এছাড়াও ডিজাইন রিসার্চ গ্রুপ এবং ভলভো রিসার্চ প্রোগ্রাম (এসইটি)-এর মধ্যে প্রয়োগমূলক গবেষণা এবং উন্নয়নের কাজ পরিচালনা করা হয়। ২০০১ এর শরৎ থেকে ডিজাইন ইন্সটিটিউট শিল্প নকশাবিষয়ক গবেষণার ওপর ডক্টরেট দেওয়া হয় (ইংরেজিতে)। == আরো দেখুন == *উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় *চারুকলা অনুষদ, উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় *স্থাপত্য অনুষদ, উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় *উমিয়া প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট *ব্যবসায় অর্থনীতি বিভাগ, উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == pdstuts+ সারা বিশ্বের ১৮টি অসাধারণ ডিজাইন ইনস্টিটিউট বিজনেসউইক-এর সারা বিশ্বের ৩০টি অসাধারণ ডিজাইন ইনস্টিটিউটের তালিকা, ২০০৯ বিজনেসউইক-এর সারা বিশ্বের ৬০টি অসাধারণ ডিজাইন ইনস্টিটিউটের তালিকা, ২০০৬ বিজনেসউইক-এর সারা বিশ্বের ৬০টি অসাধারণ ডিজাইন ইনস্টিটিউটের তালিকা, ২০০৭ বিএ ডিজাইন এম অ্যাডভান্সড প্রোডাক্ট ডিজাইন এম ইন্টার‍্যাকশন ডিজাইন এম পরিবহন ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন ভূমিকা, বছরের কোর্স ডিজাইন সংযোগ, বছরের কোর্স প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়'''বড়পেটা''' (উচ্চারণ: bə(r)ˈpeɪtə bə(r)ˈpi:tə () হচ্ছে ভারতের আসাম রাজ্যের বড়পেটা জেলার জেলা সদরদপ্তর। এটি গুয়াহাটি থেকে উত্তর পশ্চিমে এবং পশ্চিম আসামের একটি প্রধান শহর। ==ভৌগোলিক অবস্থান== বরপেটা ২৬.৩২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বরপেটার গড় উচ্চতা ৩৫ মিটার (১১৪ ফুট)। মানস জাতীয় উদ্যান থেকে এর দূরত্ব ৪৪ কিঃমিঃ। ব্রহ্মপুত্র নদীর দুই মূল উপনদী চাউলখোয়া এবং মরা নদী বরপেটা নগরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == জেলার দাপ্তরিক ওয়েবসাইট জেলার শহর শহরসুইডেনের উমিয়ার মারিয়েম মাঝে অবস্থিত একটি সবুজ অঞ্চল। এই অঞ্চল বড় লন দ্বারা পরিচিত। এই পার্কটি ছোট একটি নদী কয়েকটি পুকুর নিয়ে গঠিত যা সাধারণ গ্রীষ্মে হাঁসের বাসভূমিতে পরিণত হয়। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছরই মারিয়েম রাউন্ডারস এসিড-এর আয়োজন করে থাকে। == গলফ অঞ্চল == মারিয়েমে উমিয়া ডিস্ক গলফ ক্লাব অবস্থিত। এটি ১৮টি গর্ত নিয়ে গঠিত। এখানের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই সীমানা ঠিক রাখা হয় এবং সাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। ১৯৮০ সালে এই সীমানা ঠিক করা হয় এবং মাত্র ৯টি গর্ত ছিল। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই ১৮টি গর্ত প্রস্তুত করা হয়। ২০১১ সালের এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে এখানে প্রায় ৫০০ জন মানুষের জমায়েত হয়েছিল। ধীরে ধীরে এখানে লোকজমায়েত বেড়ে যাচ্ছে। == তথ্যসূত্র == পার্ক'''জাভাদ নেকুউনাম''' (; জন্ম: সেপ্টেম্বর ১৯৮০, রেয়, ইরান) হচ্ছেন ইরানি ফুটবলার যিনি বর্তমানে কুয়েতি ক্লাব কুয়েত এসসি জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সাধারণত সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হয়ে খেলে থাকেন, কিন্তু এর পাশাপাশি পাসিং দক্ষতা, রক্ষণশীলতা শক্তিশালী দীর্ঘমাপের শটের জন্য বিখ্যাত। তিনি তার ফুটবলীয় জীবনের দীর্ঘ সময় ইরানের ক্লাব ''পাস তেহরান'' স্পেনীয় ক্লাব ''ওসাসানুর'' হয়ে খেলেছেন। ওসাসানুতে তিনি ১৭৪ খেলায় ২৬ গোল করেন। তার ডাকনাম ''নেকু''; তিনি জাতীয় দলের হয়ে ১৩০-এর অধিক ম্যাচ খেলে ৩৭টি গোল করেন। তিনি একধিকা বড় টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করেন এর মধ্যে রয়েছে ২০০২ ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ। == ক্যারিয়ার == ==== ক্লাব ==== === আন্তর্জাতিক === সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩০ মে অবধি পর্যন্ত হালনাগাদকৃত পরিসংখ্যান: ইরান বছর উপস্থিতি গোল ২০০০ ২০০১ ১১ ২০০২ ২০০৩ ১১ ২০০৪ ১৮ ২০০৫ ১১ ২০০৬ ১১ ২০০৭ ২০০৮ ২০০৯ ২০১০ ২০১১ ১০ ২০১২ ২০১৩ ২০১৪ সর্বমোট ১৩৮ ৩৭ == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ওসাসানু প্রোফাইল বিডিফুটবলে প্রোফাইল প্রোফাইল ব্যক্তি জন্ম ফুটবলার ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড় ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়'''ব্যাকস্ট্রিট বয়েস''' (ইংরেজীতে: Backstreet Boys) একটি মার্কিন বয় ব্যান্ড। ১৯৯৩ সালে ফ্লোরিডার অর্লান্ডোতে এই গ্রুপটি গঠিত হয়। এর সদস্য হলেন এ. যে. ম্যাকলিন, হাউয়ি ডরো, নিক কার্টার, কেভিন রিচার্ডসন এবং ব্রায়ান লিট্রেল। তারা তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যালবাম ''ব্যাকস্ট্রিট বয়েস'' -এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে। পরবর্তী বছরে তারা দ্বিতীয় অ্যালবাম ''ব্যাকস্ট্রিটস ব্যাক'' প্রকাশ করে। এটিও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তারা চূড়ান্ত খ্যাতি অর্জন করে ১৯৯৯ সালে তাদের তৃতীয় অ্যালবাম ''মিলেনিয়াম'' প্রকাশের মাধ্যমে। ২০০০ সালে বের হয় তাদের ''ব্ল্যাক এন্ড ব্লু'' অ্যালবামটি। পরবর্তী দুই বছর অসক্রিয় থাকার পর ২০০৫ সালে তারা বের করেন ''নেভার গন'' অ্যালবামটি। ২০০৬ সালে কেভিন রিচার্ডসন ব্যাকস্ট্রিট বয়েস ছেড়ে দেন। এরপরে চার সদস্যের গ্রুপ হিসেবে ব্যাকস্ট্রিট বয়েস দুইটি অ্যালবাম: ২০০৭ সালে ''আনব্রেকেবল'' ২০০৯ সালে ''দিস ইজ আস'' প্রকাশ কর। ২০১২ সালে রিচার্ডসন স্থায়ীভাবে পুনরায় ব্যাকস্ট্রিট বয়েস-এ যোগ দেন। ২০১৩ সালে ব্যাকস্ট্রিট বয়েস তাদের বিশ বছর পূর্তি উদযাপন করে এবং ''ইন ওয়ার্ল্ড লাইক দিস'' অ্যালবাম প্রকাশ করে। ব্যাকস্ট্রিট বয়েস বিশ্বব্যাপী ১৩০ মিলিয়নের বেশি রেকর্ড বিক্রয় করেছে, যা তাদেরকে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যবসায়িক সফল বয় ব্যান্ড এবং বিশ্বের অন্যতম ব্যবসায়িক সফল সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের প্রথম নয়টি অ্যালবামই বিলবোর্ড ২০০ তালিকার সেরা দশে স্থান করে নিয়েছে, যা আর কোন বয় ব্যান্ড করতে পারেনি। ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল হলিউড ওয়াক অব ফেম- তারা স্থান করে নেয়। ==অ্যালবাম সমূহ== ''ব্যাকস্ট্রিট বয়েস'' (১৯৯৬) ব্যাক'' (১৯৯৭) ''মিলেনিয়াম'' (১৯৯৯) ''ব্লাক এন্ড ব্লু'' (২০০০) ''নেভার গন'' (২০০৫) ''আনব্রেকেবল'' (২০০৭) ''দিস ইজ আস'' (২০০৯) ''ইন এ্য ওয়াল্ড লাইক দিস'' (২০১৩) ''ডিএনএ'' (২০১৯) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বয় ব্যান্ড ভোকাল গ্রুপ'''বাংলা কবিতা''' এর উৎপত্তি হয়েছিলো মূলত পালি এবং প্রাকৃত সংস্কৃতি এবং সামাজিক রীতি থেকে। এটি বৈদিক ধর্মীয় ধর্মানুষ্ঠান এবং বৌদ্ধ ধর্ম জৈন ধর্ম এর রীতিনীতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পরস্পর বিরোধি ছিলো। তবে আধুনিক বাংলার সংস্কৃত ভাষা ভাষার উপর ভিত্তি করেই তৈরী হয় নি। == ইতিহাস == চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম কাব্য তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতম রচনা এটি। খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তা হচ্ছেন লুই পা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, গুণ্ডরীপা, চাটিলপা, ভুসুক পা, কাহ্নপাদ, কাম্বলাম্বরপা, ডোম্বীপা, শান্তিপা ,মহিত্তাপা, বীণাপা, সরহপা, শবর পা, আজদেবপা, ঢেণ্ঢণপা, দারিকপা, ভাদেপা, তাড়কপা, কঙ্কণপা জঅনন্দিপা, ধামপা, তান্তীপা, লাড়ীডোম্বীপা। ==মধ্যযুগ== বাংলা সাহিত্যের ১২০০-১৩৫০ খ্রি. পর্যন্ত সময়কে “অন্ধকার যুগ” হিসেবে চিহ্নিত। এই সময় রচিত হয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন যার রচয়িতা বডুচন্ডিদাশ এছাড়া বৈষ্ণব পদাবালী সাহিত্যের কবিগণ হলেন বিদ্যাপতি, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, যশোরাজ খান চাঁদকাজী, রামচন্দ বসু, বলরাম দাস, নরহরি দাস, বৃন্দাবন দাস, বংশীবদন, বাসুদেব, অনন্ত দাস, লোচন দাস, শেখ কবির, সৈয়দ সুলতান, হরহরি সরকার, ফতেহ পরমানন্দ, ঘনশ্যাম দাশ, গয়াস খান, আলাওল, দীন চন্ডীদাস, চন্দ্রশেখর, হরিদাস, শিবরাম, করম আলী, পীর মুহম্মদ, হীরামনি, ভবানন্দ প্রমুখ কবি। মধ্যযুগের কাব্যধারা মনসামঙ্গলের কবিগণ, চন্ডীমঙ্গলের কবিগণ, ধর্মমঙ্গলের কবিগণ, কালিকামঙ্গলের কবিগণ নানাভাবে বাংলা কবিতায় অবদান রেখেছেন। মঙ্গল কাব্যের বিখ্যাত কবিগণ হচ্ছেন কানাহরি দত্ত, নারায়ন দেব, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপলাই, মাধব আচার্য, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, ঘনরাম চক্রবর্তী, শ্রীশ্যাম পন্ডিত, ভরতচন্দ্র রায় গুনাকর, ক্ষেমানন্দ, কেতকা দাস ক্ষেমানন্দ, দ্বিজ মাধব, আদি রূপরাম, মানিক রাম, ময়ূর ভট্ট, খেলারাম, রূপরাম, সীতারাম দাস, শ্যামপন্ডিত, দ্বিজ বংশী দাস, দ্বিজ প্রভারাম। বৈষ্ণবপদাবলি ধারার কবি বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস, দীন চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস মহাকাব্য: অনুবাদ কবিতার খ্যাতিমার কবিরা হলো: সংস্কৃত রামায়ণ মহাভারত, মহাকাব্যদুটির শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কবি হচ্ছেন যথাক্রমে কৃত্তিবাস ওঝা কাশীরাম দাস। অন্যান্য অনুবাদক হচ্ছেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী, চন্দ্রাবতী অদ্ভুতাচার্য, ভবানীদাস প্রমুখ। রোমান্টিক কাব্য: (অনুবাদ) বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে মুসলমান রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্যধারা হচ্ছে রোমান্সমূলক কাব্য। ইউসুফ-জুলেখা শাহ মুহম্মদ সগীর, পদ্মাবতী আলাওলের, মধুমালতী- মুহাম্মদ কবীর দৌলত কাজীর লায়লী-মজনু দৌলত উজির বাহরাম খা দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের উল্লেখ যোগ্য কবিরা হলো: বৃন্দাবন দাস, কৃষ্ণদাস কবিরাজ রামপ্রসাদ, দাশু রায়, সৈয়দ হামজা ফকির গরীবুল্লাহ প্রমুখ। ==আধুনিক যুগ== ১৮০০- বর্তমান, চলমান। মধ্য আধুনিক যুগের মধ্যে যিনি সেতুবন্ধন তৈরি করেন তিনি হলেন যুগ সন্ধি ক্ষণের কবি: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯)। মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) মধ্যযুগীয় পয়ারমাত্রা ভেঙে কবি প্রবেশ করেন মুক্ত ছন্দে। রচনা করেন সনেট। লাভ করেন, আধুনিক কবিতার জনকের খ্যাতি। ভোরের পাখি ইউরোপীয় ভাবধারার রোমান্টিক গীতি কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪)। মহিরুহ বৃক্ষের ন্যায় বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)। মহাকাব্য ব্যতিত সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তিনি খ্যাতির স্তম্ভটি প্রতিষ্ঠা করেননি। রবীন্দ্রানুসারী ভাবধারার অন্যান্য কবিরা হলো: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, যতীন্দ্রমোহন বাগচী। বিশ শতকের শুরুতে কবিতায় পঞ্চপুরুষ করেন, তারা হলো মোহিতলাল মজুমদার, কাজী নজরুল ইসলাম যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত আধুনিক কবিতার স্বর্ণযুগ: রবীন্দ্র ভাবধারার বাইরে এসে দশক প্রথার চালু করেন তিরিশের পঞ্চপান্ডব কবি: অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-৮৭), জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-৭৪), বিষ্ণু দে (১৯০৯-৮২), সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-৬০)। == আধুনিক কবিতার জন্ম == == আরও দেখুন == *হাংরি আন্দোলন *বাংলাদেশী কবি তালিকা == তথ্যসূত্র == সাহিত্য কবিতা সংস্কৃতিহংসেশ্বরী কালীমন্দির '''হংসেশ্বরী কালীমন্দির''' পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার বাঁশবেড়িয়া নামক স্থানে অবস্থিত একটি বিখ্যাত কালী মন্দির। ==বিবরণ== রাজা নৃসিংহদেব ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে হংসেশ্বরী কালীমন্দিরের নির্মাণ শুরু করেন এবং তার মৃত্যুর পর ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দে তার বিধবা পত্নী রাণী শঙ্করী মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন করেন। এই মন্দিরে তেরোটি রত্ন মিনার প্রতিটি প্রস্ফুটিত পদ্মের ন্যায় নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহের উচ্চতা ৭০ ফুট। গোলাকার বেদীর ওপর পাথরে নির্মিত শায়িত শিব মূর্তির নাভি থেকে উদ্গত প্রস্ফুটিত পদ্মের ওপর দেবী হংসেশ্বরীর মূর্তি নির্মিত। দেবীমূর্তি নীলবর্ণা, ত্রিনয়নী, চতুর্ভূজা, খড়্গধারিণী নরমুণ্ডধারিণী। এই মন্দিরের পাশেই টেরাকোটা নির্মিত অনন্ত বাসুদেব মন্দির অবস্থিত। দুটি মন্দিরই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত। চিত্র:অনন্ত বাসুদেব বাসুদেব মন্দির, বাঁশবেড়িয়া, হুগলী মাতা হংসেশ্বরী দেবীর মন্দিরে নিত্য পূজাপাঠের ব্যবস্থা আছে। ভক্তজন প্রতিদিন মাতাকে ভোগ নিবেদন করতে পারেন। দ্বিপ্রহরে মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ থাকে ,সেই কারনে তখন মাতৃ বিগ্রহ দেখা যায় না -- যদিও মূল মন্দিরে প্রবেশের কোন বাধা নাই। বেলা আড়াই ঘটিকায় পুনরায় গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়। তখন মাতৃ প্রতিমা দর্শন করা যায় এবং মায়ের কাছে পূজা নিবেদনও করা যায়। ভক্তজন মায়ের ভোগ অন্ন গ্রহণ করতে চাইলে সকাল দশটার মধ্যে মন্দিরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। == তথ্যসূত্র == ==আরো পড়ুন== Sikha Banerjee, Story of the Hanseswari Temple, Banshberia", from ''Chitrolekha International Magazine on Art and Design'', Vol. 2, No. 1, 2012 Special Issue on the Temples of Bengal. কালীমন্দির জেলার মন্দির'''লীনা জুমানি''' (); হলেন একজন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী এবং মডেল। তিনি ২০০৯ সালের "কই আপনে কো হে" ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে মিডিয়াতে আবির্ভূত হন। ==কর্মজীবন== লীনা ভারতীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক "বন্দিনী" তে খেমি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার চরিত্র খেমি ছিল একটি দরিদ্র গ্রাম্য পরিবারের মেয়ের। এরপর তিনি সুহাসি চরিত্রে কই আপনে কো হ্যায় তে অভিনয় করেন। এছাড়াও তিনি "তুঝ সাং প্রীত লাগি সাজনা" ধারাবাহিকে আহট বিশেষ উপস্থিতি এবং "তেরে লিয়ে" তে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তিনি প্রধান নায়িকা চরিত্রে "গঙ্গা কি ধিজ" ধারাবাহিকে পাখি ভূমিকায় অভিনয় করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি "ছোটি সে জিন্দেগী" ধারাবাহিকে ইরা চরিত্রে অভিনয় করছেন। তার অন্যান্য চরিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে; পুনোর বিবাহতে পরিধি, পিয়া কা ঘার প্যায়ারা লাগেতে পিয়া এবং অমিতা কি অমিতে অন্তরা। ==ব্যাক্তিগত জীবন== লীনা ১৯৮৯ সালের ১৬ই জুলাই তারিখে ভারতের গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন এবং আহমেদাবাদে বেড়ে ওঠেন। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== ;টেলিভিশন ২০০৯ ''কই আপনে কো হ্যায়'' ২০০৯–১০ ''বন্দিনী'' ২০০৯ ''বেয়তাব দিল কি তামান্না হ্যায়'' ২০১০ ''তুঝ সাঙ প্রীত লাগি সাজনা'' ২০১০ ''আহট'' ২০১০ ''তেরে লিয়ে'' ২০১০–২০১১ ''গঙ্গা কি ধীজ'' ২০১১ ''এক নায়ি ছোটি সি জিন্দেগী'' ২০১২ ''আদালত'' ২০১২ ''হাম নে লি হ্যায় শপথ'' ২০১২–২০১৩ ''পুনর বিবাহ'' ২০১২ ''কাইরি'' ২০১৩ ''মাদভেঞ্চারস এআরএয়াই ডিজিটাল'' ২০১৩ ''পিয়া কা ঘার প্যায়রা লাগে'' ২০১৩ ''অমিতা কা অমিত'' ২০১৪ ''হাল্লা বোল'' ২০১৪ ''গুস্তাক দিল'' ;চলচ্চিত্র ২০১৩ ==তথ্যসূত্র== জন্ম ব্যক্তি অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রীবাগদাদের বৃত্তাকার শহর '''বাগদাদের বৃত্তাকার শহর''' হল বাগদাদের মূল প্রানকেন্দ্র। আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর ৭৬২-৭৬৭ খ্রিষ্টাব্দে আব্বাসীয় রাজধানী হিসেবে এটি স্থাপন করেন। আব্বাসীয় সময়ে এর নাম ছিল '''শান্তির শহর''' (আরবি: ''মদিনাতুস সালাম'') বাইতুল হিকমাহ নামক বিখ্যাত গ্রন্থাগার এখানে অবস্থিত ছিল। == External links == Al-Mansur's Round City of Baghdad in "archnet" website Baghdad (Madinat al-Salam) in "islamic art" website খিলাফতের অধীন বাগদাদ দালান কাঠামো সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত দশকের স্থাপত্য স্থাপত্য রাজধানী খিলাফতের অধীন ইরাক'''গামা পালোয়ান''' (২২ মে ১৮৮০ ১৯৬৩) (), জন্ম নাম গোলাম মুহাম্মদ গুরজার (), ছিলেন একজন বিখ্যাত পালোয়ান বা কুস্তিগির। পাঞ্জাবের অমৃতসরে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯১০ এর ১৫ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট ভারতীয় সংস্করণ তাকে প্রদান করা হয়। ৫০ বছরের কর্মজীবনে তিনি অপরাজেয় হিসেবে টিকে ছিলেন। তাকে তার সময়ের শ্রেষ্ঠ পালোয়ান হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তিনি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তান চলে যান। ==প্রথম জীবন== গোলাম মুহাম্মদের পাঞ্জাবি ডাকনাম ছিল "গামা"। একটি মুসলিম গুরজার পরিবারে তিনি জন্ম নেন। খ্যাতনামা কুস্তিগির মুহাম্মদ আজিজ তার পিতা। মধ্য প্রদেশের দেশীয় রাজ্য দাতিয়ার শাসক মহারাজা ভবানি সিং তরুণ কুস্তিগির তার ভাই ইমাম বখশের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ১০ বছর বয়সে যোধপুরে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করার মাধ্যমে তিনি প্রথম নজরে আসেন। এই প্রতিযোগিতায় চারশতের বেশি কুস্তিগির অংশ নেয়। তরুণ গামা শেষে টিকে থাকা পনেরজন কুস্তিগিরের অন্যতম ছিলেন। এসময় যোধপুরের মহারাজা অসাধারণ প্রাণশক্তি জ্যেষ্ঠ কুস্তিগিরদের সামনে তার দক্ষতার গামাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। ==কর্মজীবন== ===প্রশিক্ষণ খাদ্যাভাস=== গামা পালোয়ানের দৈনিক চর্চার মধ্যে ছিল তার সহযোগী ৪০ জন কুস্তিগীরের সাথে মল্লযুদ্ধ। তিনি প্রতিদিন দশ লিটার দুধ, দেড় পাউন্ড এলমন্ড পেস্ট মিশ্রিত শক্তিবৃদ্ধিকারী পানীয় সেসাথে ফলের রসসহ অন্যান্য খাবার খেতেন। উচ্চ প্রোটিন উচ্চ শক্তির খাবার তার পেশির জন্য সহায়ক হয়। ===১২০০ কেজি পাথর উত্তোলন=== ২২ বছর বয়সে বরোদায় তিনি ১২০০ কেজি পাথর উত্তোলন করেন। পাথরটি বরোদা জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। এটি আড়াই ফুট উচু। এতে খোদাই করে লেখা আছে যে এই পাথর ১৯০২ সালের ২৩ ডিসেম্বর গোলাম মুহাম্মদ উত্তোলন করেন। তিনি বরোদায় কুস্তি প্রতিযোগীতায় আসেন। কিন্তু কোনো ম্যাচ না পাওয়ায় ১২০০ কেজির পাথর উত্তোলন করেন এবং কিছু দূর বহন করেন। ===রহিম বখশ সুলতানি ওয়ালার সাথে প্রথম লড়াই=== ১৯ বছর বয়সে গোলাম মুহাম্মদ গুজরানওয়ালার (বর্তমান পাঞ্জাব, পাকিস্তান মুসলিম কুস্তিগীর ভারতীয় কুস্তি চ্যাম্পিয়ান মধ্যবয়সী রহিম বখশ সুলতানি ওয়ালাকে চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। ফুট উচু খুব ভালো রেকর্ডধারী রহিম ৫ফুট ইঞ্চি উচ্চতার গামাকে সহজে হারিয়ে দেবেন বলে মনে হয়েছিল। রহিমের একমাত্র দুর্বলতা ছিল তার বয়স। তিনি তার কর্মজীবনের শেষসীমায় পৌছে গিয়েছিলেন। তাদের লড়াই চার ঘন্টা ধরে চলে এবং শেষ পর্যন্ত ড্র হয়। রহিম বখশের সাথে প্রতিযোগীতা গামার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর তাকে ভারতীয় কুস্তি প্রতিযোগীতার পরবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়। প্রথমবার গামা খেলেন। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি আগ্রাসী হন। নাক কান থেকে বেশ রক্তপাত হওয়ার পরও তিনি রহিম বখশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হন। ===জন বুল বেল্ট জয়=== ===রহিম বখশ সুলতানি ওয়ালির সাথে চূড়ান্ত লড়াই=== ===বিজকুর সাথে পুনরায় লড়াই=== ===বলরাম হিরামন সিং যাদবের সাথে লড়াই=== ==মৃত্যু== ==বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ== ==প্রভাব== ==আরও দেখুন== *পালোয়ানি *কুস্তি *ভোলু পালোয়ান *হানিফ পালোয়ান *দারা সিং *পেশাদার কুস্তি *আকরাম পালোয়ান *আসলাম পালোয়ান *প্রেমচাঁদ ডোগরা *নাথমল পালোয়ান *গোবার গোহো *গুজজার ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== The Lion of the Punjab Gama in England, 1910 By Graham Noble The Lion of the Punjab Part II: Stanislaus Zbyszko By Graham Noble The Lion of the Punjab Part III: London, 1910 By Graham Noble The Lion of the Punjab Part IV: Aftermath by Graham Noble Subaltern Bodies and Nationalist Physiques: Gama the Great and the Heroics of Indian Wrestling by Joseph Alter, Department of Anthropology at the University of Pittsburgh, Pennsylvania, USA The Great Gama on The Great Gama on The Great Gama by Glenn Harrison Wrestling biography জন্ম মৃত্যু জনগণ জনগণ জনগণ জনগণ পেশাদার কুস্তিগির ব্যায়মবীর অব পারফরমেন্সের গ্রহিতা জনগণ অব পারফরমেন্স ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব'''ইসলামী পরকালবিদ্যা''' হল ইসলামী বিদ্যার একটি শাখা, যেখানে '''ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ''' (আরবি: ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ "‏বাংলা: পুনুরুত্থান দিবস") বা (আরবি:‎‏ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺪﻳﻦ‎ বাংলা: বিচার দিবস") সম্পর্কে অধ্যয়ন করা হয়। মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বিশ্বজগৎ ধ্বংস করবেন, মানব জ্বিন দেহের পুনুরুত্থান ঘটাবেন, তাদের বিচার করবেন এবং চিরস্থায়ীভাবে কর্মফল প্রদান করবেন। == ইমান বা বিশ্বাসের ছয়টি বিষয় == বিচার অথবা পুনুরুত্থান দিবস, "আল-ক্বিয়ামাহ" হল ইসলামের ছয়টি বিশ্বাসের মধ্যে একটি। কুর'আন হাদীসে, এবং আল-গাজ্জালি, ইবনে কাসীর, ইবনে মাজাহ, ইমাম বুখারী, এবং ইবনে খুযাইমাহ' ইসলামী তাফসীরবিদগণের তাফসীরসমূহে (ধারাবর্ননা) সে সময়ের অসহনীয় যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি কথা বলা হয়েছে। কিয়ামত বা বিচার দিবসকে বিবেচনা দিবস (the Day of reckoning), প্রতীক্ষিত ঘন্টা (the Hour) শেষ দিবসও (the Last Day) বলা হয়ে থাকে। বিচার বা পুনুরুত্থান দিবস, আল-ক্বিয়ামাহ হল ইসলামের ছয়টি (সুন্নি) বা সাতটি (শিয়া) আকিদার (মূলনীতির) একটি অংশ। === কুরআনে শেষ বিচার === কুরআনে শেষ বিচারের বর্ননা রয়েছে এবং সম্পর্কিত আয়াতসমূহের বহুসংখ্যক তাফসির বা ব্যাখ্যা রয়েছে। সকল আয়াতসমূহের সারকথা নিম্নরুপ: এই নির্দিষ্ট সময়টি শুধু আল্লাহ পাক'ই জানেন। নবী হজরত মুহাম্মদ একে এগিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন না। যারা মারা গিয়েছিল তারা মনে করবে যে, জন্ম মৃত্যুর মধ্যকার একটি স্বল্প সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। তখন আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আল্লাহ সকলকে পুনুরুত্থিত করবেন, এমনকি তারা যদি পাথর এবং লোহায় রুপান্তরিত হয় তবুও। যারা মিথ্যা দেবদেবীকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করেছিল তারা পরকালে শাস্তি ভোগ করবে। == তিনটি পর্যায় == শেষ বিচারে আগে তিনটি ধাপ বা পর্যায় আছে। == বড় লক্ষণসমূহ == মিথ্যা মসীহ বা মসীহ দজ্জাল; একচোখ অন্ধ, একচোখ সুস্থ এবং বিশাল ক্ষমতা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে এবং নিজেকে আল্লাহ বলে দাবি করবে। ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ। মানুষ মদীনা ত্যাগ করবে, খাঁটি মুমিনগণ মাহদীকে অণুসরণ করবে এবং কাফিররা করবে দাজ্জালকে। দাজ্জালকে হত্যা এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দ্বিতীয় আসমান থেকে ঈসা (আঃ) এর প্রত্যাবর্তন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি পৃথিবী শাসন করবেন। ইয়া'জুজ এবং মা'জুজ নামক অবাধ্য প্রাণীর দুটি গোত্র যারা যুলকারণাইনের সাহায্যে বন্দী হয়েছিল তারা বেরিয়ে আসবে। মক্কায় আক্রমণ করা হবে এবং কাবাঘর ধ্বংস করা হবে। দক্ষিণ দিক থেকে এক সুখকর বাতাসের আগমণ যার স্পর্শে সকল মুমিনের প্রশান্তিময় মৃত্যু ঘটবে। মানুষ কুরআন ভুলে যাবে এবং কেউ এর আয়াত স্মরণ করবে না। ইসলামী জ্ঞান লোপ পাবে যেখানে কেউ কালেমা "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" পাঠ করবে না, কিন্তু তার পরিবর্তে বৃদ্ধ লোকেরা না বুঝে "আল্লাহ, আল্লাহ" বলে বিড়বিড় করবে। দাব্বাতুল আরদ নামক পশু মানুষের সাথে কথা বলার জন্য ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসবে। মানুষ রাস্তাঘাটে 'গাধাদের মত' ব্যভিচার করবে। একটি বিশাল কালো ধোঁয়ার মেঘ পৃথিবীকে ঢেকে ফেলবে। পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠবে। ইস্রাফিল (আঃ) এর প্রথম শিঙ্গার ফুকে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু ছাড়া সবকিছু ধ্বংস হবে চল্লিশ দিন নীরবতা থাকবে। দ্বিতীয় ফুকে সকল মৃত মানুষ পুনরুত্থিত হবে এবং একটি অগ্নিকুন্ড তাদের বিচারের জন্য হাশরের মাঠে একত্রিত করবে। == ছোট লক্ষণসমূহ == কেয়ামতের ৭৭টি ছোট লক্ষণ: সময় খুব দ্রুত বয়ে যাবে। বুখারী, মুসলিম, আহমাদ ভাল কাজ হ্রাস পাবে। বুখারী মানুষ কৃপণ হয়ে যাবে। বুখারী খুন এবং হত্যা বেড়ে যাবে। বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ, আহমাদ ভুল ব্যক্তিকে ক্ষমতা কর্তৃত্ব দেওয়া হবে। বুখারী সততা হারিয়ে যাবে। বুখারী জ্ঞানের বিলোপ অজ্ঞতার বৃদ্ধি। বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ, আহমাদ ফোরাত নদীর তল থেকে একটি স্বর্ণের পাহাড় সিলগালা করে দেয়া হবে, কেউ তা থেকে কিছু নেবে না। ৩০ জন ভন্ড নবীর আগমণ। বুখারী একই ধর্মের দুটি বৃহত্তর ধর্মীয় দল একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটাবে। বুখারী মুসলিম ভুমিকম্প বৃদ্ধি পাবে। বুখারী মুসলিম সম্পদের প্রাচুর্য এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে যাকাত নেয়ার মত লোক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। বুখারী যখন লোকেরা বড় বড় দালান তৈরি করতে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লেগে যাবে। বুখারী কোন এক লোক কবরের পাশে দিয়ে হেটে যাবে আর আশা করবে যদি সে নিজে সেখানে থাকতে পারতো। বুখারী মুসলিমদের দ্বারা কনস্টানটিনোপল বিজয়। আহমাদ, মুসলিম গাছ পাথর ইহুদির বিরুদ্ধে লড়তে মুসলিমদের সাহায্য করবে। মাদকদ্রব্য গ্রহণ ব্যাপক বিস্তার লাভ করবে। বুখারী মুসলিম ব্যভিচার অবৈধ যৌন সম্পর্ক সহজ হয়ে যাবে। বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেড়ে যাবে, এমনকি একজন পুরুষের বিপরীতে হবে পঞ্চাশজন মহিলা হবে। বুখারী, মুসলিম, আহমদ মানুষ মসজিদের ক্ষমতার জন্য কঠোর সংগ্রাম করবে। ভাল মানুষেরা প্রতারিত হবে। ইবন মাজাহ যাকাত প্রদানকে সবাই বোঝা মনে করবে এবং কৃপণতা বেড়ে যাবে; দান করা হবে অনিচ্ছুকভাবে। তিরমিযী, ইবন মাজাহ নেতাগণ আল্লাহর বিধান অণুযায়ী শাসন করবেন না। শুধু ধনীরাই লাভের ভাগ পাবে, গরিবেরা পাবে না। তিরমিযী নিকৃষ্টতম লোকেরা জনগণের নেতা হবে। == মাহাদি == ইবন-আল-আরাবী অঙ্কিত হাশরের ময়দানের মানচিত্র ইমাম মাহদী (আরবী: مهدي‎,পথ প্রদর্শক) হচ্ছে কেয়ামতের পুর্বে আগমনকারী মুসলমানদেরকে নেতৃত্ব দানকরী শাসক,১ যিনি পৃথিবীতে সাত অথবা নয় বছর শাসন করবেন। তার কথা হাদিসের (ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদের বাণী) বহু জায়গায় বলা হয়েছে। তিনি মদিনায় জন্মগ্রহণ করবেন এবং তাকে দেখতে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ-এর মত লাগবে। যখন তার আগমনের সময় হবে তখন পৃথিবীতে অনেক নামধারী ইমাম মাহদির ছড়াছড়ি থাকবে। তার আগমন কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত।২৩৪ == ঈসা (আঃ)== ==দাজ্জাল== ===দাজ্জালের পরিচয়=== নবী (স) দাজ্জালকে স্বপ্নে দেখে তার শারীরিক গঠনের বর্ণনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, দাজ্জালকে চেনার সবচেয়ে বড় আলামত হল তার কপালে কাফির (كافر) লেখা থাকবে। '''(সহীহ বুখারী, হাদীস সংখ্যা- ৭১৩১)''' অপর বর্ণনায় আছে তার কপালে (ك ر) এই তিনটি বর্ণ লেখা থাকবে। প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিই তা পড়তে পারবে। '''(সহীহ মুসলিম- কিতাবুল ফিতান)''' ===দাজ্জালের বর্তমান অবস্থান=== ফাতেমা বিনতে কায়েস (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ===দাজ্জালের ক্ষমতা=== *'''এক স্থান হতে অন্য স্থানে দ্রুত পরিভ্রমণ''' নাওয়াস বিন সামআন থেকে বর্ণিত। নবী (স) কে দাজ্জালের চলার গতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে '''তিনি বলেন''', *'''দাজ্জালের সাথে থাকবে '''নবী (স) বলেন''', *'''জড় পদার্থ দাজ্জালের ডাকে সাড়া দেবে''' '''নবী (স) বলেন''' *'''মু’মিন যুবককে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করা''' '''নবী (স) বলেন''', ===দাজ্জালের বের হবার স্থান=== '''নবী (স) বলেন''', হাদীসটি হাসান। ===দাজ্জালের পৃথিবীতে অবস্থান=== সাহাবীগণ রাসূল (স) কে জিজ্ঞেস করেছেন দাজ্জাল পৃথিবীতে কত দিন অবস্থান করবে। উত্তরে '''তিনি বলেছেন''', ''“সে চল্লিশ দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে এক মাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে”। আমরা বললাম, “যে দিনটি এক বছরের মত দীর্ঘ হবে সে দিন কি এক দিনের নামাযই যথেষ্ট হবে?” উত্তরে তিনি বললেন, “না, বরং তোমরা অনুমান করে সময় নির্ধারণ করে নামায পড়বে”।'' '''(সহীহ মুসলিম- কিতাবুল ফিতান)''' ===দাজ্জাল মক্কা-মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না=== সহীহ হাদীসের বিবরণ অনুযায়ী, দাজ্জালের জন্যে মক্কা মদীনাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। মক্কা মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর সকল স্থানেই সে প্রবেশ করবে। বিস্তারিত দেখুন দাজ্জালের বর্তমান অবস্থান শীর্ষক অনুচ্ছেদটিতে অন্য একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়, '''নবী (স) বলেন''', ''“দাজ্জাল আসবে। অবশেষে মদীনার এক পার্শ্বে অবতরণ করবে। (এ সময় মদীনা) তিনবার কেঁপে উঠবে। তখন সকল কাফির মুনাফিক বের হয়ে তার নিকট চলে আসবে”।'' '''(সহীহ বুখারী, হাদীস সংখ্যা- ৭১২৪)''' ===দাজ্জালের অনুসারীগণ=== '''নবী (স) বলেন''', ''“ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইহুদী দাজ্জালের অনুসরণ করবে। তাদের সবার পরনে থাকবে সেলাই বিহীন চাদর”।'' '''(সহীহ মুসলিম- কিতাবুল ফিতান)''' ===দাজ্জালের শেষ পরিণতি=== সহীহ হাদীসের বিবরণ অনুযায়ী, ঈসা ইবনে মারইয়াম (আ) এর হাতে দাজ্জাল নিহত হবে। বিস্তারিত বিবরণ এই যে, মক্কা-মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর সকল দেশেই সে প্রবেশ করে ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। সামান্য সংখ্যক মুমিনই তার এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে। ঠিক সে সময় দামেস্ক শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এক মসজিদের সাদা মিনারের উপর ঈসা (আ) আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। মুসলমানগণ তার পার্শ্বে একত্রিত হবে। তাদেরকে সাথে নিয়ে তিনি দাজ্জালের দিকে রওনা দিবেন। দাজ্জাল সে সময় বায়তুল মাকদিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। অতঃপর ঈসা (আ) ফিলিস্তিনের লুদ্দ শহরের দ্বারপ্রান্তে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন এবং তাকে হত্যা করবেন। '''(সহীহ মুসলিম- কিতাবুল ফিতান)''' ===দাজ্জাল সম্পর্কিত অন্যান্য হাদীস=== নাওয়াস বিন সামআন (রা) বলেন, ''“একদা রাসূল (স) সকাল বেলা আমাদের কাছে দাজ্জালের বর্ণনা করলেন। তিনি তার ফিতনাকে খুব বড় করে তুলে ধরলেন। বর্ণনা শুনে আমরা মনে করলাম নিকটস্থ খেজুরের বাগানের পাশেই সে হয়ত অবস্থান করছে। আমরা রাসূল (স) এর নিকট থেকে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমরা আবার তাঁর কাছে গেলাম। এবার তিনি আমাদের অবস্থা বুঝে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমাদের কি হল?” আমরা বললাম, “হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি যেভাবে দাজ্জালের আলোচনা করেছেন তা শুনে আমরা ভাবলাম হতে পারে সে খেজুরের বাগানের ভিতরেই রয়েছে”। নবী (স) বললেন, “দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের উপর আমার আরো ভয় রয়েছে। আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকতেই যদি দাজ্জাল আগমন করে তাহলে তোমাদেরকে ছাড়া আমি একাই তার বিরুদ্ধে ঝগড়া করব। আর আমি চলে যাওয়ার পর যদি সে আগমন করে তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজেকে হেফাযত করবে। আর আমি চলে গেলে আল্লাহই প্রতিটি মুসলিমকে হেফাযতকারী হিসেবে যথেষ্ট”।'' '''(তিরমিজী- কিতাবুল ফিতান)''' হাদীসটি সহীহ। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা) বলেন, ''“নবী (স) লোক সমাবেশে দাঁড়ালেন এবং মহান আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলেন। এরপর তিনি দাজ্জাল প্রসঙ্গে বললেন, “তার সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে সতর্ক করছি। এমন কোন নবী নেই যিনি তাঁর কওমকে বিষয়ে সতর্ক করেননি। তবে তার সম্পর্কে আমি তোমাদের এমন একটি কথা বলব যা কোন নবীই তাঁরা জাতিকে বলেননি। তা হল যে, সে কানা হবে আর আল্লাহ্‌ অবশ্যই কানা নন”।'' '''(সহীহ বুখারী, হাদীস সংখ্যা- ৭১২৭)''' আয়িশাহ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, ''“আমি রসূলুল্লাহ (স) কে নামাযের ভিতরে দাজ্জালের ফিত্‌না থেকে আশ্রয় চাইতে শুনেছি”।'' '''(সহীহ বুখারী, হাদীস সংখ্যা- ৭১২৯)''' তিনি নামাযের শেষ তাশাহুদে বলতেন, ''“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব, জাহান্নামের আযাব, জীবন-মরণের ফিতনা এবং মিথ্যুক দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই”।'' '''(সহীহ বুখারী, হাদীস সংখ্যা- ১৩৭৭)''' ==ইয়াজুজ মাজুজ== ===ইয়াজুজ মাজুজের পরিচয়=== সহীহ হাদীস থেকে জানা যায়, তারা আদম (আ) এর বংশধর। প্রমাণ স্বরূপ সহীহ বুখারীর হাদীসটি উল্লেখযোগ্য। '''নবী (স) বলেন''', সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাদের মধ্যে সেই একজন কে”? তিনি বললেন, ===ইয়াজুজ মাজুজের আগমন=== কুরআন সহীহ হাদীসের বর্ণনা থেকে যা জানা যায়, তাহলো কিয়ামতের পূর্বমুহূর্তে তারা মানব সমাজে চলে এসে ব্যাপক অশান্তি বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। '''রাসূল (স) বলেন''', তবে নির্দিষ্টভাবে তাদের আগমন হবে ঈসা (আ) এর আগমন এবং দাজ্জালকে পরাজিত করার পর। '''নবী (স) বলেন''', বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মূল হাদীসের যে অংশে ইয়াজুজ মাজুজ প্রসঙ্গ এসেছে শুধুমাত্র ততটুকুই উল্লেখিত হয়েছে। ===কুরআন সহীহ হাদীসে ইয়াজুজ মাজুজ=== কুরআন মাজীদের সূরাহ আল-কাহ্‌ফে ইয়াজুজ মাজুজের বিবরণ এসেছে। '''আল্লাহ তা’আলা বলেন''', কিয়ামতের পূর্বে পাহাড় ভেদ করে ইয়াজুজ মাজুজের আগমন সম্পর্কে '''আল্লাহ্‌ তা’আলা অন্যত্র বলেন''', যায়নাব বিনতে জাহাশ (রা) হতে বর্ণিত। == প্রধান ঘটনা সমূহ == সহীহ হাদীস বলছে দাজ্জাল একজন মানুষ হবে, যে কিনা ঘন কোঁকড়ানো চুলওয়ালা এবং এক চোখের মনি উল্টানো এবং অন্য চোখ কানা বিশিষ্ট কুতসিৎ চেহারার। যাকে ঈসা (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে মেরে ফেলবেন।আশাকরি সহীহ হাদিস ছাড়া অন্য কোন গল্পের বই পড়ে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, কারণ এতে করে ইসলামের ভাব মূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। ইয়াজূজ-মাজূজ সম্পর্কে ইসরাঈলী রিওয়ায়াতে ঐতিহাসিক কিসসা-কাহিনীতে অনেক ভিত্তিহীন কথাবার্তা প্রচলিত রয়েছে। কোন কোন তাফসীর বিদও এগুলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন, কিন্তু স্বয়ং তাঁদের কাছেও এগুলো নির্ভরযোগ্য নয়। কুরআন তাদের সংক্ষিপ্ত অবস্থা বর্ণনা করেছে এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সম্পর্কে উম্মাতকে অবহিত করেছেন। ঈমান বিশ্বাস স্থাপনের বিষয় ততটুকুই, যতটুকু কুরআনও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তাফসীর, হাদীস ইতিহাসবিদগণ এর অতিরিক্ত যেসব ঐতিহাসিক ভৌগোলিক অবস্থা বর্ণনা করেছেন, সেগুলি বিশুদ্ধও হতে পারে এবং অশুদ্ধও হতে পারে। ঐতিহাসিকগণের বিভিন্নমুখী উক্তিগুলো নিছক ইঙ্গিত অণুমানের উপর নির্ভরশীল। এগুলো শুদ্ধ কিংবা অশুদ্ধ হলেও তার কোন প্রভাব কুরআনের বক্তব্যের উপর পড়ে না। সহীহ হাদিস দুটি নিন্মে পেশ করা হলোঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর এক ভাষণের কম বেশি অংশ দাজ্জালের ঘটনার বর্ণনায় এবং সে দাজ্জাল হতে ভয় প্রদর্শনেই কাটিয়ে দেন। সে ভাষণে তিনি একথাও বলেনঃ দুনিয়ার প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত এর অপেক্ষা বড় হাঙ্গামা আর নেই। সমস্ত নবী (আঃ) নিজ নিজ উম্মাতকে সতর্ক করে গেছেন। আমি সর্বশেষ নবী এবং তোমরা সর্বশেষ উম্মাত। সে নিশ্চিতরূপে তোমাদের মধ্যেই আসবে। যদি আমার জীবদ্দশায় সে এসে পড়ে তবে তো আমি তাকে বাধা দান করব। আর যদি আমার পরে আসে তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার আক্রমণ হতে নিজেকে বাঁচাতে হবে। আমি আল্লাহ তা'আলাকেই প্রত্যেক মুসলমানের অভিভাবক করে যাচ্ছি। সে সিরিয়া ইরাকের মথ্যবর্তী স্থানে বের হবে। সে ডানে বামে খুব ঘুরা ফেরা করবে। হে জনমন্ডলী ওহে আল্লাহর বান্দাগণ! দেখ, তোমরা অটল থাকবে। জেনে রেখো, আমি তোমাদেরকে তার এমন পরিচয় জানিয়ে দিচ্ছি যা অন্য কোন নবী স্বীয় উম্মাতকে জানিয়ে যাননি। সে প্রথমত দাবী করবে- "আমি নবী।" সুতারাং তোমরা স্মরণ রেখো আমার পরে আর কোন নবী নেই। অতঃপর এচেয়ে বেড়ে গিয়ে বলবেঃ "আমি আল্লাহ।" অতএব তোমরা জেনে রেখো, আল্লাহকে এই চোখে কেউ দেখতে পারে না। মৃত্যুর পর তখায় তাঁর দর্শন লাভ ঘটতে পারে। আরও স্মরণ রেখো যে, সে এক চক্ষুবিশিষ্ট হবে এবং তোমাদের প্রভু এক চক্ষুবিশিষ্ট নন। তার চক্ষুর মধ্যবর্তী স্থানে "কাফির" লিখিত থাকবে যা প্রত্যেক শিক্ষিত অশিক্ষিত মোটকথা প্রত্যেক ঈমানদারই পড়তে পারবে। তার সাথে আগুন থাকবে বাগান থাকবে। তার আগুন হবে আসলে জান্নাত এবং বাগানটি হবে প্রকৃত পক্ষে জাহান্নাম। তোমাদের মধ্যে যাকে সে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে সে যেন আল্লাহ তা'আলার নিকট সাহায্য প্রার্থণা করে এবং সূরা কাহাফের প্রাথমিক আয়াতগুলো পাঠ করে। যেমন ইবরাহীম (আঃ)- এর উপর নমরূদের আগুন শান্তিদায়ক হয়েছিল। তার এক হাঙ্গামা এও হবে যে, সে এক বেদুঈনকে বলবে "আমি যদি তোমার মৃত পিতা-মসাতাকে জীবিত করতে পারি তবে কি তুমি আমাকে প্রভূ বলে স্বীকার করবে।" এমন সময় দু'জন শয়তান তার পিতা-মাতার আকারে প্রকাশিত হবে এবং তাকে বলবে- "বৎস! এটাই তোমার প্রভূ! সুতরাং তাকে মেনে নাও।" তার আর একটা ফিৎনা এও হবে যে, তাকে একটি লোকের উপর জয়যুক্ত করা হবে। সে তাকে করাত দ্বারা ফেড়ে দু'টুকরো করে দেবে। তারপর সে জনগণকে বলবেঃ আমার বান্দাকে তোমরা দেখ, এখন আমি তাকে জীবিত করব। কিন্তু সে পুনরায় কথাই বলবে যে, তার প্রভূ আমি ছাড়া অন্য কেউ। অতঃপর দুর্বৃত্ত তাকে উঠা-বসা করাবে এবং বলবেঃ "তোমার প্রভূ কে?" সে উত্তরে বলবেঃ "আমার প্রভূ আল্লাহ এবং তুমি তার শত্রু দাজ্জাল। আল্লাহর শপথ! এখন তো আমার পূর্বাপেক্ষাও বেশি বিশ্বাস হয়েছে। (ইবনু মাজাহ) দাজ্জালের আবির্ভাব ধ্বংস নাওয়াস ইবনু-সামআন (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদিন ভোর বেলা দাজ্জালের আলোচনা করলেন। আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি তার সম্পর্কে এমন কিছু কথা বললেন, যার দ্বারা মনে হচ্ছিল যে, সে নেহায়াতই তুচ্ছ নগণ্য (উদাহরণতঃ সে কানা হবে।) পক্ষান্তরে কিছু কথা এমন বললেন, যার দ্বারা মনে হচ্ছিল, তার ফিৎনা অত্যন্ত ভয়াবহ কঠোর হবে।(উদাহরণতঃ জান্নাত দোযখ তার সাথে থাকবে এবং অন্যান্য আরও অস্বাভাবিক ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা ঘটবে।) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বর্ণনার ফলে (আমরা এমন ভীত হয়ে পড়লাম), যেন দাজ্জাল খেজুর গাছের ঝাড়ের মধ্যেই রয়েছে।(অর্থৎ, অদূরেই বিরাজমান রয়েছে।) বিকালে যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে উপস্থিত হলাম, তখন তিনি আমাদের মনের অবস্থা আঁচ করে নিলেন এবং জিজ্ঞেসা করলেনঃ তোমরা কি বুঝেছ? আমরা আরয করলামঃ আপনি দাজ্জালের আলোচনা প্রসঙ্গে এমন কিছু কথা বলেছেন, যাতে বোঝাযায়, তার ব্যপারটি যেহেতু তুচ্ছ এবং আরও কিছু কথা বলেছেন, যাতে মনে হয় সে খুব শক্তিসম্পন্ন হবে এবং তার ফিৎনা হবে খুব গুরুতর। এখন আমাদের মনে হয়েছে যে, যেন সে আমাদের নিকটেই খেজুর গাছের ঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ তোমাদের সম্পর্কে আমি যেসব ফিৎনার আশঙ্কা করি, তন্মধ্যে দাজ্জালের তুলনায় অন্যান্য ফিৎনা অধিক ভয়ের যোগ্য। যদি আমার জীবদ্দশায় সে আবির্ভূত হয়, তবে আমি নিজে তার মুকাবিলা করব। পক্ষান্তরে সে যদি আমার পরে আসে, তবে প্রত্যেকেই নিজ নিজ সামর্থ্য অণুযায়ী তাকে পরাভূত করার চেষ্টা করবে। আমার অণুপস্থিতিতে আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক মুসলমানের সাহায্যকারী। (তার লক্ষন এই যে) সে যুবক, ঘন কোঁকড়ানো চুলওয়ালা হবে। তার একটি চক্ষু উপরের দিকে উথিত হবে। (এবং অপর চক্ষু হবে কানা।) যদি আমি (কুৎসিত চেহারার) কোন ব্যক্তিকে তার সাথে তুলনা করি, তবে সে হচ্ছে আবদুল উযযা উবনু কুতনা। (জাহিলিয়াত যুগে কুৎসিত চেহারার 'বনু-খুযাআ' গোত্রের লোকটির তুলনা ছিল না।) যদি কোন মুসলমান দাজ্জালের সম্মুখীন হয়ে যায়, তবে সূরা কাহাফের প্রথম আয়াতগুলো পড়ে নেয়া উচিত। দাজ্জাল সিরিয়া ইরাকের মধ্যবর্তী স্থা থেকে বের হয়ে চতুর্দিকে হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা তার মুকাবিলায় সুদৃঢ় থাক। আমরা আরয করলামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ), সে কতদিন থাকবে। তিনি বললেনঃ সে চল্লিশ দিন থাকবে, কিন্তু প্রথম একদিন এক বছরের সমান হবে। দ্বিতীয় দিন এক মাসের এবং তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের সমান হবে। অবশিষ্ট দিনগুলো সাধারণ দিনের মতই হবে। আমরা আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ), যে দিনটি এক বছরের সমান হবে, আমরা কি তাতে শুধু এক দিনের (পাঁচ ওয়াক্ত) নামাযই পড়ব? তিনি বললেনঃ না; বরং সময়ের অণুমান করে এক বছরের নামায পড়তে হবে। আমরা আরয করলামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সে কেমন দ্রুত গতিতে সফর করবে? তিনি বললেনঃ সে মেঘ খন্ডের মত দ্রুত চলবে, যার পিছনে অণুকূল বাতাস থাকে। দাজ্জাল কোন সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে তাকে মিথ্যা ধর্মবিশ্বাসের প্রতি দাওয়াত দেবে। তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলে সে মেঘমালাকে বর্ষণের আদেশ দেবে। ফলে, বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং মাটিকে আদেশ দেবে; ফলে শস্য-শ্যামলা হয়ে যাবে। তাদের চুষ্পদ জন্তু তাতে চরবে। সন্ধ্যায় যখন জন্তুগুলো ফিরে আসবে, তখন তাদের কুঁজ পূর্বের তুলনায় উঁচু হবে এবং স্তন দুধে পরিপূর্ণ থাকবে। এরপর দাজ্জাল অন্য সম্প্রদায়ের কাছে যাবে এবং তাদেরকেও কুফরের দাওয়াত দেবে। কিন্তু তারা তার দাওয়াত প্রত্যাখ্যা করবে। সে নিরাশ হয়ে ফিরে গেলে সেখানকার মুসলমানরা দুর্ভিক্ষে পতিত হবে।তাদের কাছে কোন অর্থ-কড়ি থাকবে না। সে শস্যবিহীন অণুর্বর ভূমিকে সম্বোধন করে বলবে। তোর গুপ্তধন বাইরে নিয়ে আয়। সেমতে ভূমির গুপ্তধন তার পেছনে পেছনে চলবে- যেমন মৌমাছিরা তাদের সরদারের পেছনে পেছনে চলে। অতঃপর দাজ্জাল একজন ভরপুর যুবক ব্যক্তিকে ডাকবে এবং তাকে তরবারির আঘাতে দিখন্ডিত করে দেবে। তার উভয় খন্ড এতটুকু দূরত্বে রাখা হবে; যেমন তীর নিক্ষেপকারী তার লক্ষবস্তুর মাঝখানে থাকে। অতঃপর সে তাকে ডাক দিবে। সে (জীবিত হয়ে) দাজ্জালের কাছে আনন্দ চিত্তে চলে আসবে। ইতি মধ্যে আল্লাহ তা'আলা ঈসা (আঃ) কে নামিয়ে দিবেন তিনি দু'টি রঙিন চাদর পরে দামিস্ক মাসজিদের পূর্ব দিককার সাদা মিনারে ফেরেশতাদের পাখার উপর পা রেখে অবতরণ করবেন। তিনি যখন ম্তক অবনত করবেন, তখন তা থেকে পানির ফোঁটা পড়বে। (মনে হবে যেন এখনই গোসল করে এসেছেন।) তিনি যখন মস্তক উঁচু করবেন, তখনও মোমবাতির মত স্বচ্ছ পানির ফোঁটা পড়বে। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস তাঁর দৃষ্টির সমান দূরত্বে পৌঁছাবে। ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে খুঁজতে খুঁজতে বাবুল্লুদ্দে গিয়ে তাকে ধরে ফেলবেন। (এই জনপদটি এখনও বাইতুল মুকাদ্দাসের অদূরে নামেই বিদ্যমান) সেখানে তাকে হত্যা করা হবে। এরপর তিনি জনসমক্ষে আসবেন, স্নেহভরে মানুষের চেহারায় হাত বুলাবেন এবং তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদার সুসংবাদ শোনাবেন। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করবেনঃ আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে এমন লোক বের করব, যাদের মুকাবিলা করার শক্তি কারও নেই। কাজেই আপনি মুসলমানদেরকে সমবেত করে তূর পর্বতে চলে যান। (সে মতে তিনি তাই করবেন।) অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ইয়াজূজ-মাজূজের রাস্তা খুলে দেবেন। তাদের দ্রুত চলার কারণে মনে হবে যেন উপর থেকে পিছলে নীচে এসে পড়ছে। তাদের প্রথম দলটি তাবরিয়া উপসাগরের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা পানি পান করে এমন অবস্থা করে দেবে যে, দ্বিতীয় দলটি এসে সেখানে কোন দিন পানি ছিল, একথা বিশ্বাস করতে পারবে না। ঈসা (আঃ) তাঁর সঙ্গীরা তূর পর্বতে আশ্রয় নেবেন। অন্য মুসলমানরা নিজ নিজ দুর্গে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেবে। পানাহারের বস্তুসামগ্রী সাথে থাকবে, কিন্তু তাতে ঘাটতি দেখা দেবে। ফলে একটি গরুর মাথাকে একশ' দীনারের চাইতে উত্তম মনে করা হবে। ঈসা (আঃ) অন্যান্য মুসলমানরা কষ্ট লাঘবের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন। (আল্লাহ দু'আ কবুল করবেন।) তিনি মহামারী আকারে রোগ-ব্যধি পাঠাবেন। ফলে, অল্প সময়ের মধ্যেই ইয়াজূজ-মাজূজের গোষ্ঠী সবাই মরে যাবে। অতঃপর ঈসা (আঃ) সঙ্গীদেরকে নিয়ে তূর পর্বত থেকে নীচে নেমে এসে দেখবেন পৃথিবীতে তাদের মৃতদেহ থেকে অর্ধ হাত পরিমিত স্থানও খালি নেই এবং মৃতদেহ পঁচে অসহ্য দুর্গণ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। (এ অবস্থা দেখে পুনরায়) ঈসা (আঃ) তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর দরবারে দু'আ করবেন (যেন এই বিপদও দূর করে দেয়া হয়।) আল্লাহ তা'আলা দু'আও ক্ববুল করবেন এবং বিরাট আকৃতির পাখি প্রেরণ করবেন, যাদের ঘাড় উটের ঘাড়ের মত। তারা (মৃতদেহগুলো উঠিয়ে যেখানে আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, সেখানে ফেলে দেবে।) কোন কোন রিওয়াতে রয়েছে মৃতদেহগুলো সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। এরপর বৃষ্টি বষিত হবে। কোন নগর বন্র বৃষ্টি থেকে বাদ থাকবে না। ফলে সমগ্র ভূ-পৃষ্ঠ ধৌত হয়ে কাচের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ভূপৃষ্ঠকে আদেশ করবেনঃ তোমার পেটের সমূদয় ফল-ফুল উদগীরণ করে দাও এবং নতুনভাবে তোমার বারকাতসমূহ প্রকাশকর। ফলে তাই হবে এবং এমন বারকাত প্রকাশিত হবে যে, একটি ডালিম একদল লোকের আহারের জন্য যথেষ্ট হবে এবং মানুষ তার ছাল দ্বারা ছাতা তৈরী করে ছায়া লাভ করবে। দুধে এতো বারকাত হবে যে, একটি উষ্ট্রির দুধ একদল লোকের জন্য, একি গাভীর দুধ এক গোত্রের জন্য এবং একটি ছাগলের দুধ একটি পরিবারর জন্য যথেষ্ট হবে। চল্লিশ বছর যাবত এই অসাধারণ বারকাত শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকার পর যখন কিয়ামাতের সময় সমাগত হবে; তখন) আল্লাহ তা'আলা একটি মনোরম বায়ু প্রবাহিত করবেন। এর পরশে সব মুসলমানের বগলের নিচে বিশেষ এক প্রকার রোগ দেখা দেবে এবং সবাই মৃত্যুমুখে পতিত হবে; শুধু কাফির দোষ্ট লোকেরাই অবশিষ্ট থেকে যাবে। তারা ভূ-পৃষ্ঠে মত খোলাখুলি অপকর্ম করবে। তাদের উপরই কিয়ামাত আসবে। (মুসলিম) == মদীনা পরিত্যাগ/মক্কা ধ্বংস/পৃথিবীতে পশু == == কিয়ামতে সৎ অসৎ ব্যক্তিদের পৃথকীকরণ == == মৃতদের পুনুরুত্থান == == খ্রিষ্টধর্মের সঙ্গে তুলনা == == সাহিত্যে ইসলামী পরকালবিদ্যা == ইবনে আন নাফীস পরকালবিদ্যা সম্পর্কে তার ''Theologus Autodidactus'' গ্রন্থে (১২৭০ সালে বিজ্ঞান এবং ইসলামিক দর্শন থেকে ব্যাখ্যা করেন কিভাবে কিয়ামতে বিশ্বাস করতে হয়। == আরও দেখুন == ফেরেশতা গগ্‌ == তথ্যসূত্র == == উৎস্য == "''Fath al-bârî fî sharh sahîh al-bukhârî''" (from ''Sahih al-Bukhari'' by Ibn Hajr al-Asqalani). Esposito, John, ''The Oxford Dictionary of Islam'', Oxford University Press, 2003, Richard C. Martin, Said Amir Arjomand, Marcia Hermansen, Abdulkader Tayob, Rochelle Davis, John Obert Voll, ''Encyclopedia of Islam and the Muslim World'', MacMillan Reference Books, 2003, == বহিঃসংযোগ == কিয়ামতের ভয়াবহতা তারপর The Physics of The Day of Judgment 'Ilmu Ākhir al-Zamān: Knowledge of The Later Days পরকালবিদ্যা'''বিপিনের সংসার''' বিখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস। == বিবরণ == == কাহিনী সংক্ষেপ == এই উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে ব্রিটিশ ভারত এর ইংরেজ শাসন আমলের শেষ সময়ে পশ্চিমবঙ্গ এর গ্রামীণ পটভূমিতে। == চরিত্রসমূহের তালিকা == বিপিন মানী মনোরমা শান্তি বীণা পটল কামিনী পিসী জমিদার অনাদি চৌধুরী বিশ্বেশ্বর চক্রব্ররত্তী মতি বাগদী বিপিনের মা বলাই == বহিঃসংযোগ == উপন্যাস উপন্যাস'''আকীদা''' (, বহুবচন: আকা'ইদ, কখনো কখনো উচ্চারণ করা হয় আকীইদাহ, আক্বিদাহ) এটি একটি ইসলামী পরিভাষা যার অর্থ 'কিছু মূল ভিত্তির উপর বিশ্বাস'। বিশ্বাস বা ধর্মবিশ্বাস বুঝাতে মুসলিম সমাজে সাধারণত দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয়: ঈমান আকীদা। কুরআন কারীম হাদীস শরীফে সর্বদা 'ঈমান' শব্দটিই ব্যবহার করা হয়েছে। 'আকীদা' ব্যবহৃত হয় নি। দ্বিতীয় হিজরী শতক থেকে তাবিয়ী (সাহাবীদের ছাত্র) পরবর্তী যুগের ঈমামগণ (ধর্মীয় নেতা) ধর্মবিশ্বাসের খুটিনাটি বিষয় আলোচনার জন্য 'ঈমান' ছাড়াও অন্যান্য কিছু পরিভাষা ব্যবহার করেন। এসকল পরিভাষার মধ্যে রয়েছে 'আল-ফিকহুল আকবার', 'ইলমুত তাওহীদ', 'আস-সুন্নাহ', 'আশ-শরীয়াহ', 'উসূলুদ্দীন', 'আল-আক্বীদাহ' ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে 'আকীদাহ' শব্দটিই অধিক প্রচলিত। ==ইসলামী আকীদার উৎস== ইসলামী আকীদার একমাত্র উৎস হচ্ছে ওহী। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে দু প্রকারের ওহী প্রেরিত হয়েছে কিতাব (কুরআন) সুন্নাত (হাদীস)। কুরআন অনুসারে আল্লাহ রাসূলের প্রতি কিতাব হিকমত অবতীর্ণ করেছেন। হিকমতকে রাসূলের সুন্নাহ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। কুরআনের সাথে সুন্নাহর পার্থক্য হল, সুন্নাহর শব্দাবলী আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। তবে উভয়টিরই তথ্যসমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত। কর্ম বা আমলের বিষয়ে ইসলামের বিধান নির্ণয়ে কিয়াস বা অনুমানের উপরে নির্ভর করা যায়। কিন্তু ইসলামী বিশ্বাস গায়েব বা অদৃশ্য বিষয়ের উপর। মুসলিম পণ্ডিতদের মতে, সকল বিষয়ে মানুষ ওহীর নির্দেশনা ছাড়া অনুমান করে অথবা গবেষণা করে কোনো সমাধান দিতে সক্ষম নয়। এছাড়া ওহীর ব্যাখ্যা সেভাবেই করতে হয়, যেভাবে সাহাবী তাবেয়ীগণ ব্যাখ্যা করেছেন। ===হাদীসের প্রকারভেদ=== মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যে হাদীসের মধ্যে ৫টি শর্ত পূরণ হয়েছে তাকে '''সহীহ হাদীস''' বলা হয় হাদীসের সকল বর্ণনাকারী সৎ বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীদের নির্ভুল বর্ণনার ক্ষমতা পূর্ণরূপে বিদ্যমান প্রত্যেক বর্ণনাকারী তার উর্ধ্বতন বর্ণনাকারী থেকে হাদীসটি স্বকর্ণে শুনেছেন বলে প্রমাণিত অন্যান্য প্রামাণ্য বর্ণনার বিপরীত নয় বলে প্রমাণিত সনদগত বা অর্থগত কোনো সুক্ষ্ম ত্রুটি নেই বলে প্রমাণিত দ্বিতীয় শর্তে সামান্য দুর্বলতা থাকলে হাদীসটি '''হাসান''' বলে গণ্য হতে পারে। শর্তগুলোর অবর্তমানে হাদীসটি '''যয়ীফ বা দুর্বল''' অথবা '''মাউযূ বা বানোয়াট''' হাদীস বলে গণ্য হতে পারে। ইসলামে দুর্বল বানোয়াট হাদীস আকীদা আমলের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। ====সহিহ হাদীসের প্রকারভেদ==== বর্ণনাকারীদের সংখ্যার দিক থেকে মুহাদ্দিসগণ সহীহ বা বিশুদ্ধ হাদীসকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন যেসকল হাদীস সাহাবীগণের যুগ থেকে সংকলন পর্যন্ত সকল স্তরে অনেক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তাকে '''মুতাওয়াতির বা অতি প্রসিদ্ধ হাদীস''' বলা হয়। যেসকল হাদীস সাহাবীগণের যুগ থেকে সংকলন পর্যন্ত কোনো যুগে অল্প কয়েকজন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন তাকে '''আহাদ বা খাবারুল ওয়াহিদ হাদীস''' বলা হয়। আকীদার ক্ষেত্রের মুতাওয়াতির বা অতি প্রসিদ্ধ হাদীস দ্বারা সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করা যায়। অন্যদিকে খাবারুল ওয়াহিদ হাদীস দ্বারা সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করা না গেলেও তা কার্যকর ধারণা প্রদান করে। কর্ম বিষয়ক বৈধ, অবৈধ ইত্যাদি বিধিবিধানের ক্ষেত্রে এই ধরনের হাদীসের উপরে নির্ভর করা হয়। আকীদার মূল বিষয় প্রমাণের জন্য সাধারণত এরূপ হাদীসের উপর নির্ভর করা হয় না। তবে মূল বিষয়ের ব্যাখ্যায় এর উপর নির্ভর করা হয়। কুরআনে উল্লেখিত বা মুতাওয়াতির হাদীসের মাধ্যমে জানা কোনো বিষয় অস্বীকার করলে তা কুফরী হিসেবে গণ্য হয়। আর খাবারুল ওয়াহিদের মাধ্যমে জানা বিষয় অস্বীকার করলে তা বিভ্রান্তি হিসেবে গণ্য হয়। মুসলিমরা বিশ্বাস করে কুরআন পুরোপুরিই বর্ণিত। কেউ একটি শব্দকেও সমার্থক কোনো শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করেন নি। অন্যদিকে হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সাহাবী তাবিয়ীগণ অর্থের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতেন। তারা প্রয়োজনে একটি শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করতেন। ===বিশুদ্ধ হাদীসের উৎস=== অল্প সংখ্যক মুহাদ্দিস কেবলমাত্র সহীহ হাদীস সংকলনের চেষ্টা করেন। অধিকাংশ মুহাদ্দিস, মুফাসসির আলিম সনদসহ হাদীস উল্লেখ করলে তা সহীহ না বানোয়াট তা বলার প্রয়োজন মনে করতেন না। আল্লামা ইবনুস সালাহ বলেন আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানী বলেন ==ইসলামী আকীদা বিষয়ক গ্রন্থ== ইসলামী আকীদা বিষয়ে প্রথম বই লেখেন ইমাম আবু হানিফা। বইটি "ফিকহুল আকবর" নামে পরিচিত। আকীদা বিষয়ে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাচীন কয়েকটি বই হল ইমাম আহমাদ লিখিত "আস-সুন্নাহ", ইমাম আবু দাউদ সুলাইমান লিখিত "আস-সুন্নাহ", ইমাম আবু জাফর ত্বহাবী লিখিত "আকীদাতু আহলিস সুন্নাহ", ইমাম ইবনে তাইমিয়া লিখিত "আল আক্বীদাতুল ওয়াসেত্বীয়া", ইমাম ইবনু রজাব হাম্বালী লিখিত "কিতাবুত তাওহীদ" ইত্যাদি। ইমাম ইবনে আবীল ইয আল-হানাফী ইমাম ত্বহাবীর লেখা আকীদার বইয়ের ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেছেন যা "শারহুল আকীদা আত্-ত্বহাবীয়া" নামে পরিচিত। ==বিশ্বাসের ছয়টি স্তম্ভ== ইসলামী দৃঢ় বিশ্বাস বা বিশ্বাসের ছয়টি স্তম্ভ এসেছে কুরআন সুন্নাহ থেকে (আরকান আল-ঈমান)। যা সব মুসলমানদের দ্বারা গৃহীত হয়েছে। বিশ্বাসের স্তম্ভগুলো হল: আল্লাহকে বিশ্বাস ফেরেস্তাগণকে বিশ্বাস আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক প্রেরিত কিতাবসমূহে বিশ্বাস (কুরআনসহ) আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক প্রেরিত সকল নবী এবং রাসুলকে বিশ্বাস আখিরাত বা পরকালে বিশ্বাস তাকদীরে বিশ্বাস উমার (রা.) বলেন, ==আল্লাহ সম্পর্কে ইসলামী আকীদা== ===একমাত্র স্রষ্টা প্রতিপালক=== ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহ্ মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা। কুরআনে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহ্ একমাত্র রব। '''রব''' () বলা হয় তাকে যিনি সৃষ্টি করেন, পরিচালনা করেন এবং মালিকানা যাঁর জন্য। কুরআনে বলা হয়েছে, ===একমাত্র উপাস্য=== মুসলিমরা আরও বিশ্বাস করে আল্লাহ্ই একমাত্র ইলাহ্ তথা সত্য উপাস্য। '''ইলাহ্''' () অর্থ হলো: সম্মান বড়ত্বের কারণে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় যার ইবাদত করা হয়। আর ইবাদত বা উপাসনা সেই সব কাজকে বলা হয়, যা কোনো ইলাহ্-র সন্তুষ্টি লাভের আশায় অথবা তার অসন্তুষ্টির ভয়ে করা হয়। কুরআনে বলা হয়েছে, মক্কার মূর্তিপুজারিরা লাত, মানাত, উজ্জাসহ বিভিন্ন মূর্তির উপাসনা করত। এগুলোর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ===নাম গুণাবলী=== কুরআনে বা হাদীসে আল্লাহর অনেকগুলো সুন্দর নাম গুণের উল্লেখ রয়েছে। মুসলিমরা আল্লাহ্-র নাম গুণগুলোর কোনোটি অস্বীকার করে না, সৃষ্টবস্তুর সাথে সাদৃশ্য দেয় না, গুণগুলোর ধরন নির্ধারণ করে না। (এরকম বলে না যে আল্লাহ্-র হাত মানুষের হাতের মত, মানুষ যেভাবে শুনে আল্লাহও সেভাবে শোনেন ইত্যাদি) ==ফেরেশতাদের সম্পর্কে ইসলামী আকীদা== ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে নূর বা আলো দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তারা আল্লাহর নির্দেশ পালনে রত আছেন। কুরআনে বলা হয়েছে, হাদীস অনুসারে জিব্রাইলের দিগন্ত জুড়ানো ছয়শত ডানা রয়েছে। কয়েকজন ফেরেশতার কাজ সম্পর্কে হাদীসে জানা যায়। যেমন- ওহী বহনের দায়িত্বে আছেন জিব্রাইল, শিংগায় ফুঁ দেওয়ার দায়িত্বে আছেন ইস্রাফিল, বৃষ্টি বর্ষণের দায়িত্বে আছেন মিকাইল, জাহান্নামের দায়িত্বে আছেন মালিক, মৃত্যুর দায়িত্বে আছেন মালাকুল মাউত। এছাড়াও মুসলিমরা বিশ্বাস করে প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে দুইজন করে ফেরেশতা থাকে। ফেরেশতাদ্বয় ব্যক্তির আমলসমূহ লিপিবদ্ধ করেন। ==নবী-রসূল সম্পর্কে ইসলামী আকীদা== ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক জাতির জন্য একজন মানুষকে রাসূল (বার্তাবাহক) করে পাঠিয়েছেন যারা তাদেরকে তাওহীদের আহ্বান জানান। আল্লাহ তাদেরকে যে বাণী দিয়ে প্রেরণ করেছেন তারা তার কোনো অংশ গোপন বা পরিবর্তন করেননি। ভিন্ন রাসূলের ক্ষেত্রে বিধিবিধান আইন-কানুন ভিন্ন হতে পারে। এক রাসূলের উম্মতের উপর যে ইবাদাত ফরজ করা হয়েছে তা অন্য রাসূলের উম্মতের উপরে ফরজ করা হয়নি। আবার এক রাসূলের উম্মতের উপরে যে বিষয়গুলো হারাম করা হয়েছে তা অন্য রাসূলের উম্মতের জন্য হয়তো হালাল করা হয়েছে। কুরআন হাদীসে রাসূলদের মধ্যে কারো কারো নাম জানা যায়। যেমন- মুহাম্মদ, ঈসা, দাউদ, মূসা, ইব্রাহিম, নূহ। তবে সব নবী-রাসূলদের নাম তাদের বর্ণনা জানানো হয়নি। কুরআন অনুসারে সর্বশেষ রাসূল হচ্ছেন মুহাম্মদ। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহ তাকে অন্য নবীদের উপর বেশ কিছু বিশেষত্ব দিয়েছেন। তাকে সমস্ত জিন মানুষের নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। ==আসমানী গ্রন্থ সম্পর্কে ইসলামী আকীদা== মুসলিমরা বিশ্বাস করে, আসমানী কিতাবসমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে, তাওরাতের ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে, কিতাবসমূহের মধ্যে কয়েকটির নাম কুরআনে বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- কুরআন, তওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর, সহিফায়ে ইব্রাহিম সহিফায়ে মূসা। মুসলিমদের বিশ্বাস অনুসারে, শেষ আসমানী কিতাব কুরআন পূর্বের কিতাবসমূহের সত্য বিষয়গুলোর সত্যায়ন করে, কিতাবগুলোতে যেসব বিকৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে। ==তাকদীর সম্পর্কে ইসলামী আকীদা== মহাবিশ্বে যা কিছু ঘটবে আল্লাহ তাআলা তার পূর্বজ্ঞান অনুসারে সেসব কিছু নির্ধারণ করে রেখেছেন এরূপ বিশ্বাসকে '''তাকদীর''' বলা হয়। মুসলিমরা বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে জানেন এবং তিনি লওহে মাহফুজে আকাশমণ্ডলী পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে সবকিছু লিখে রেখেছেন। কোনো কিছুই আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে ঘটে না। সবকিছুর জাত-বৈশিষ্ট্য আল্লাহরই সৃষ্টি। মানুষের ইচ্ছা ক্ষমতা আল্লাহর ইচ্ছা ক্ষমতার অনুবর্তী। ==আখিরাত/পরকাল সম্পর্কে ইসলামী আকীদা== মুসলিমরা বিশ্বাস করে, পার্থিব জীবন শেষ হয়ে মৃত্যু কবর জীবনের মাধ্যমে অন্য জগত শুরু হবে। একসময় কিয়ামত সংঘটিত হবে, তারপর পুনরুত্থান, হাশর হিসাব-নিকাশের পর ফলাফল প্রাপ্ত হয়ে জান্নাতীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে যাবে। ===কবর=== ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর তাকে তার রব, দীন শেষনবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন করা হবে। মানুষ তাদের কর্ম অনুসারে কবরে শাস্তি বা শান্তি ভোগ করবে। মৃত ব্যক্তি কবর জীবনের শাস্তি অথবা শান্তি প্রাপ্ত হবে, যদিও তাকে ভূগর্ভস্থ করা না হয়। ===কিয়ামতের পুর্বাভাস=== ইসলাম অনুসারে কিয়ামত বা মহাপ্রলয়ের পূর্বে এর পুর্বাভাস বা আলামত প্রকাশ পাবে। আলেমগণ আলামতগুলোকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছেন: 1. ছোট আলামত: ছোট পুর্বাভাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা বেড়ে যাবে, বড় বড় অট্টালিকা নিয়ে রাখালদের গর্ব করা, নারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, অধিক হত্যা হওয়া, ব্যভিচার অন্যায় কাজ অধিক মাত্রায় হওয়া, নবুয়তের মিথ্যা দাবিদারদের আত্মপ্রকাশ, ইউফ্রেটিস নদী থেকে স্বর্ণের পাহাড় আবিষ্কৃত হওয়া ইত্যাদি। 2. বড় আলামত: বড় পুর্বাভাস দশটি। যেগুলো এখনো প্রকাশিত হয় নি। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে কিয়ামতের পূর্বে ইমাম মাহদী দাজ্জালের আগমন ঘটবে। ঈসা আ. আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। তিনি খৃষ্টানদের ক্রুশ ভেঙ্গে দিবেন, দাজ্জাল শুকর হত্যা করবেন। জিযিয়া করের আইন রহিত করবেন। ইসলামী শরী‘আত অনুসারে বিচার পরিচালনা করবেন। একসময় ইয়াজুজ-মাজুজ বের হবে। তাদের ধ্বংসের জন্য তিনি দুআ করবেন, তারপর তারা মারা যাবে। তিনটি বড় ভূমিকম্প হবে। পূর্বে একটি, পশ্চিমে একটি, জাযিরাতুল আরবে একটি। আকাশ থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া নেমে এসে সকল মানুষকে ঢেকে নিবে। পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হবে। একটি অদ্ভুত চতুস্পদ জন্তু বের হবে। ইয়ামানের আদন থেকে ভয়ানক আগুন বের হয়ে মানুষদের শামের দিকে নিয়ে আসবে। ===কিয়ামত, হাশর, হাউয=== ইসলামী আকীদা অনুসারে, ইসরাফীল শিঙ্গায় ফুৎকার দিলে কিয়ামত হবে, অর্থাৎ বিশ্বজগৎ ধ্বংস হবে। প্রথম ফুৎকার দেওয়ার সাথে সাথেই আল্লাহ যা জীবিত রাখবেন তাছাড়া সকল সৃষ্টজীব মারা যাবে। দ্বিতীয় ফুৎকার দেওয়ার সাথে সাথেই পৃথিবী সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যত সৃষ্টজীবের আর্বিভাব হয়েছিল, তারা সকলেই জীবিত হয়ে উঠে দাঁড়াবে। এরপর তাদের হিসাব-নিকাশের জন্য ময়দানে একত্রিত করা হবে। এই একত্রিত করাকে হাশর বলা হয়। ময়দানে অবস্থানকালে সূর্য তাদের নিকটবর্তী হবে। উত্তপ্ত কঠিন অবস্থান দীর্ঘ হওয়ায় শরীর থেকে নির্গত ঘামে হাবু-ডুবু খাবে তাদের (ভালো-মন্দ) কর্ম অনুপাতে। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, হাউয নামের একটি সুপ্রশস্ত পানির ধারা আল্লাহ্ নবীকে হাশরের মাঠে দান করেছেন। হাউযের পানি দুধের চেয়ে সাদা, বরফের চেয়ে ঠাণ্ডা, মধুর চেয়ে অধিক মিষ্টি, মিশকের চেয়ে সুগন্ধি। যে ব্যক্তি তা থেকে একবার পানি পান করবে, সে আর কখনও পিপাসার্ত হবে না। ===শাফায়াত=== মানুষ বিচার দিবসের ভয়াবহ বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে তাদের রবের নিকট সুপারিশ পেশ করার চেষ্টা করবে। শেষনবী তাদের জন্য সুপারিশ করবেন। কিয়ামতের দিন পাপীদের ক্ষমা করা পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হবে। নবী-রাসুল, ফেরেশতা নেককার ব্যক্তিরা সুপারিশ করার অনুমতি পাবে। কুরআন সিয়াম সুপারিশ করবে বলেও হাদিসে উল্লেখ আছে। যে ব্যক্তিদের প্রতি স্বয়ং আল্লাহ সন্তুষ্ট রয়েছেন, তাদের ছাড়া অন্য কারো জন্য কেউ সুপারিশ করবে না। ===মীযান, পুল সিরাত, কানত্বারাহ্=== আল্লাহ বিচার দিবসে মীযান স্থাপন করবেন, বান্দাদের আমল মাপার তাদের কর্মের প্রতিদান প্রদানের জন্য। এর দুটি পাল্লা রশি রয়েছে। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী পুল সিরাত হলো জাহান্নামের উপর স্থাপিত পুল, যা অন্ধকারাছন্ন ভয়ের পথ। এর উপর দিয়ে মানুষ জান্নাতের দিকে অতিক্রম করবে। কেউ অতি দ্রুত অতিক্রম করবে আবার কেউ অনেক ধীর গতিতে তাদের কর্ম অনুসারে। পুল সিরাতের দুই ধারে হুকের মত অসংখ্য কাঁটা থাকবে। পুল সিরাত হবে তরবারীর চেয়ে ধারালো, চুলের চেয়ে সূক্ষ্ম পিচ্ছিল জাতীয়। অনেকে মুখ থুবড়ে জাহান্নামের তলদেশে নিক্ষিপ্ত হবে। মুমিনেরা পুলসিরাত অতিক্রম করে কানত্বারাতে অবস্থান করবে। এখানে জান্নাতে যাওয়ার পূর্বে একে অপরের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করে পরিশুদ্ধ হবে। এরপর জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। ===জান্নাত, জাহান্নাম=== মুসলিমরা বিশ্বাস করে জান্নাত জাহান্নাম বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে এবং সর্বদা থাকবে। জান্নাতবাসীদের নি‘আমত শেষ হবে না, অনুরূপ জাহান্নামীদের মধ্যে যার ব্যাপারে আল্লাহ চিরস্থায়ী শাস্তির ফায়সালা করেছেন তার শাস্তি কখনও শেষ হবে না। ইসলাম অনুসারে, জান্নাত হলো অতিথিশালা, যা আল্লাহ মুত্তাকীদের জন্য তৈরি করে রেখেছেন। সেখানে রয়েছে প্রবাহিত নদী, সুউচ্চ কক্ষ, মনোলোভা রমণীগণ। আরো রয়েছে এমন সব সামগ্রী যা কোনো দিন কোনো চক্ষু দেখে নি, কোনো কর্ণ শ্রবণ করে নি, আর কোনো মানুষের অন্তরেও কোনো দিন কল্পনায় আসে নি। জান্নাতে মুমিনদের জন্য সব চাইতে বড় নি‘আমত হলো আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখা। সবচেয়ে উন্নত উত্তম জান্নাত হল, জান্নাতুল ফিরদাউস আল-আ‘লা। এর ছাদ হলো আল্লাহর ‘আরশ। জান্নাতের সুগন্ধি চল্লিশ বৎসর দূরত্বের রাস্তা থেকে পাওয়া যাবে। জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে, প্রত্যেক দরজার পার্শ্বের দৈর্ঘ্য ‘মক্কা’ থেকে ‘হাজর’ এর দূরত্বের সমান। জান্নাতে নূন্যতম মর্যাদার অধিকারী যে হবে তার জন্য দুনিয়া আরো দশ দুনিয়ার পরিমাণ জায়গা হবে। আর জাহান্নাম হল শাস্তির ঘর যা আল্লাহ কাফির অবাধ্যদের জন্য তৈরি করে রেখেছেন। তার পাহারাদার হবে নিষ্ঠুর নির্দয় ফিরিশতারা। কাফিরদের খাদ্য হবে যাক্কুম (কাঁটাযুক্ত) আর পানীয় হবে পুঁজ, দুনিয়ার আগুনের তুলনায় ৭০ গুণ তাপমাত্রার আগুনে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। জাহান্নামের সাতটি দরজা হবে। ==অধিকতর পঠন== ==তথ্যসূত্র== শব্দ এবং শব্দসমষ্টি পরিভাষা'''জাবান সাহাবী''' () বা জাবান আবু মাইমুন (Arabic: جابان أبو ميمون) বা জাবান আল কুর্দি (Arabic: جابان الکوردي) ছিলেন মুহাম্মদ (সা) এর একজন সাহাবী। হিজরতের ১৮ বছর পর তিনি তার স্বদেশ কুর্দিস্তান ফিরে আসেন এবং ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত হন। হাদিসশাস্ত্রের পন্ডিত ইবনে হাজার আসকালানি তার Finding the truth in Judging the Companions গ্রন্থে জাবান সাহাবীর বর্ণনাকৃত ১০ টি হাদিস উল্লেখ করেছেন। তার পুত্র আবু বাসির একজন তাবিইন ছিলেন। সাহাবা'''টমাস লর্ড''' (জন্ম: ২৩ নভেম্বর, ১৭৫৫ মৃত্যু: ১৩ জানুয়ারি, ১৮৩২) একজন পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার ছিলেন। ১৭৮৭ থেকে ১৮০২ সময়কালের মধ্যে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ১৮১৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খেলার জগতে ফিরে আসেন। মিডলসেক্স দলের সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) গ্রাউন্ড স্টাফ বোলারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে, লর্ড’স ক্রিকেট মাঠের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। == প্রারম্ভিক জীবন == লর্ড ইয়র্কশায়ারের থির্স্কে (বর্তমান: টাউন মিউজিয়াম) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী জোতদার ছিলেন। পরবর্তীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। নরফোকের ডিসে লর্ডের পরিবার স্থানান্তরিত হন সেখানেই লর্ড বড় হতে থাকেন। শৈশবেই তিনি বাড়ী থেকে লন্ডনে চলে যান ইসলিংটনের হোয়াইট কন্ডুইট ক্লাবের বোলার সাধারণ পরিচর্যায় নিযুক্ত হন। == কর্মজীবন == ১৭৮০ সালের দিকে লর্ড প্রখম খেলতে শুরু করেন। কিন্তু, আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রথম অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৩১ মে, ১৭৮৭ তারিখে। ডরসেট স্কয়ারের বর্তমান অবস্থানে অবস্থিত তার নিজ মাঠে (যা বর্তমানে লর্ড’স ওল্ড গ্রাউন্ড নামে পরিচিত) মিডলসেক্সের হয়ে এসেক্সের বিপক্ষে খেলেন। লর্ড কোনদিন নিজেকে খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি ঘটাতে পছন্দ করেননি। কিন্তু ১৭৯০-এর দশকে খেলায় তাকে অত্যন্ত উঁচুমানের বোলাররূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। সর্বোপরি এটি সত্য যে, তার প্রতিপক্ষীয় দল সর্বদাই উচ্চ মানদণ্ডের অধিকারী ছিল না। ১৭৮৬ সালে হোয়াইট কন্ডুইট ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় সদস্য উইচিলসি’র ৯ম আর্ল জর্জ ফিঞ্চ রিচমন্ডের ৪র্থ ডিউক চার্লস লেনক্সের দ্বারা প্রভাবান্বিত হন। তারা লর্ডকে তাদের ক্লাবের জন্য আরও ব্যক্তিগত স্থান খুঁজে বের করতে বললেন। এছাড়াও, কোন ক্ষতির সম্ভাবনা পূরণের জন্য তারা তাকে নিশ্চয়তা প্রদান করলেন। মে, ১৭৮৭ সালে লর্ড ডরসেট স্কয়ারে সাত একর জমির (২৮,০০০ বর্গমিটার) সন্ধান পান সেখানেই তিনি প্রথম মাঠ নির্মাণ শুরু করেন। হোয়াইট কন্ডুইট সেখানে নিজেদের আস্তানা গাড়ে নতুন প্রতিষ্ঠিত মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের সাথে একীভূত হয়। ১৮১০ সালে প্রথম মাঠের লিজের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এরপর লর্ড আরও দু’টি মাঠ ৮০ বছর মেয়াদে লিজ নেন। ১৮০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় মাঠটি বর্তমানে লর্ড’স মিডল গ্রাউন্ড নামে পরিচিত। সেন্ট জন’স উড ক্রিকেট ক্লাব এখানে প্রথম খেলতে আসে। ক্লাবটিও পরবর্তীকালে এমসিসি’র সাথে একীভূত হয়। ১৮১১ সালে মিডল গ্রাউন্ডে এমসিসি’র সদর দফতর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮১৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মাঠটিকে রিজেন্ট’স খালের জন্য আদেশবলে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। == লর্ড’স তৃতীয় মাঠ == তারপর লর্ড সেন্ট জন’স উডের পাশে মাঠ নির্মাণ করেন। এরজন্য তাকে বেশ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ১৮১৪ সালে এর নির্মাণ কার্য শেষ হয়। অর্থ তহবিল গঠনসহ মাঠের পাশে গৃহনির্মাণের উন্নয়নের প্রেক্ষিতে অনুমতির পর তিনি মাত্র ১৫০ বর্গগজ খেলার মাঠের জন্য পান। তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লর্ডকে প্রখ্যাত এমসিসির সদস্য, বিখ্যাত ব্যাটসম্যান ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পরিচালক উইলিয়াম ওয়ার্ডের কাছ থেকে ৫,০০০ ধার করতে হয়েছিল। স্বত্ত্বাধিকার পরিবর্তিত হওয়া স্বত্ত্বেও অদ্যাবধি মাঠটি লর্ড’সের নাম অনুসারে পরিচিতি পাচ্ছে। == অবসর == ১৮৩০ সাল পর্যন্ত লর্ড সেন্ট জন’স উডে বসবাস করতেন। হ্যাম্পশায়ারের ওয়েস্ট মিওন এলাকায় ১৮৩২ সালে দেহাবসান ঘটে লর্ডের। ওয়েস্ট মিওনের সেন্ট জন’স চার্চে তাকে সমাহিত করা হয়। এলাকায় একটি বাড়ির নামকরণ তার নামে রাখা আছে যা বিখ্যাত হ্যাম্বলডন ক্রিকেট ক্লাব থেকে অল্প কয়েক মাইল দূরে। তার পুত্র টমাস লর্ড, জুনিয়র মেরিলেবোনে ২৭ ডিসেম্বর, ১৭৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনিও একজন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার ছিলেন। == বহিঃসংযোগ == Cricinfo page on Thomas Lord CricketArchive MCC site == আরও পড়ুন == Harry Altham, ''A History of Cricket, Volume (to 1914)'', George Allen Unwin, 1926. Derek Birley, ''A Social History of English Cricket'', Aurum, 1999. Rowland Bowen, ''Cricket: History of its Growth and Development'', Eyre Spottiswoode, 1970. Samuel Britcher, ''A list of all the principal Matches of Cricket that have been played (1790 to 1805)''. G. B. Buckley, ''Fresh Light on 18th Century Cricket'', Cotterell, 1935. H. T. Waghorn, ''The Dawn of Cricket'', Electric Press, 1906. Arthur Haygarth, ''Scores Biographies, Volume (1744-1826)'', Lillywhite, 1862. John Major, ''More Than Game: the story of cricket's early years'', Harper Collins, 2007. ''Lord's 1787-1945'' by Sir Pelham Warner ISBN 1-85145-112-9. ক্রিকেটার জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ইটোনিয়ান্সের ক্রিকেটার'''ইথাইন''' যার আরেকটি নাম একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। এর গাঠনিক সংকেতে কার্বন -কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান। ত্রিবন্ধনের একটি সিগমা দুটি পাই বন্ধন। কার্বন কার্বন বন্ধনের দৈর্ঘ্য ০.১২১ ন্যানোমিটার এটি সাধারণ অবস্থায় গাস/তরল। এর রাসায়নিক সংকেত C2H2 ইথাইন অবস্থান সমানুতা প্রদর্শন করে। এটার আকৃতি সরল রৈখিক। ==ইথাইনের উৎস== প্রকৃতিতে ইথাইনের উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন। মিথেনকে ১৫০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে এসিটিলিন বা ইথাইন পাওয়া যায়। এসিটিলিনের সাথে উপজাত হিসেবে হাইড্রোজেন পাওয়া যায়। এই ইথাইন থেকে ইথাইন উৎপাদন করা সম্ভব। চুনাপাথরকে ১০০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে ভেঙে ক্যালসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হয়। একে কোক বা কয়লা (C) সহ উত্তপ্ত করলে ক্যালসিয়াম কার্বাইড (CaC2) উৎপন্ন হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড সাধারণ তাপমাত্রায় পানিতে আদ্রবিশ্লেষিত হয়ে ইথাইন উৎপন্ন করে। ইথাইন থেকে শৃংখল বিক্রিয়ায় উচ্চতর এলকাইন ইথাইন তৈরী করা সম্ভব। ==ইথাইনের শিল্পোৎপাদন== ইথাইল ডাই হ্যালাইড যেমন ইথাইল ডাই ব্রোমাইডের সাথে এলকোহলিয় পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে প্রথমে ইথেন এবং পরে ইথাইন উৎপন্ন হয়। ইথাইল টেট্রা হ্যালাইডকে জিংকসহ পাতন করলে ইথাইন উৎপন্ন হয়। ==ইথাইনের ধর্ম== ইথাইন অণুর ত্রিবন্ধনযুক্ত কার্বন পরমাণুদ্বয় sp সংকরিত হয়। এই দুটো কার্বন পরমাণুর sp সংকর অরবিটাল পরস্পর অধিক্রমন দ্বারা কার্বন-কার্বন সিগমা বন্ধন গঠন করে। প্রতিটি কার্বনের উপর লম্বভাবে অবস্থিত দুটি করে p-অরবিটাল পার্শ্বিক অধিক্রমন করে দুটি কার্বন-কার্বন পাই বন্ধন (π) গঠন করে। এভাবে কার্বন পরমাণুদ্বয় একটি সিগমা দুটি পাই বন্ধন অর্থাৎ ত্রিবন্ধন দ্বারা যাউক্ত হয়ে ইথাইন অণু সৃষ্টি করে। ===ভৌত ধর্ম=== ইথাইন গ্যাসীয় পদার্থ। ব্রোমিনের লাল দ্রবন ধীরে ধীরে বর্ণহীন করে ফেলতে পারে। এর উপস্থিতিতে পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট দ্রবণ বর্ণহীন হয়। এমোনিয়াম সিলভার নাইট্রেট দ্রবণের সাথে বিক্রিয়ায় সিলভার এলকানাইডের সাদা অধঃক্ষেপ পড়ে। ===রাসায়নিক বিক্রিয়া=== ইথানের রাসায়নিক বিক্রিয়া অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন ইথিনের অনুরূপ। এরা ইলেক্ট্রনাকর্ষী যুত বিক্রিয়া দেয়। এই বিক্রিয়ার কারণ পাই বন্ধনের হালকাভাবে বিরাজিত পাই ইলেকট্রন। পাই বন্ধনের ইলেকট্রণ মেঘমালার সংস্পর্শে এসে ইলেকট্রন আকর্ষী বিকারক এসে সংযুক্ত হয়ে অন্তর্বর্তী কার্বোনিয়াম আয়ন গঠন করে যা পরবর্তীতে বিকারকের কেন্দ্রাকর্ষী অংশ দ্বারা প্রশমিত হয় এবং যুত যৌগ গঠন করে। ইথিনের তুলনায় ইথানের অসম্পৃক্ততা বেশী। কারণ ইথিনে একটি পাই বন্ধন থাকে কিন্তু ইথাইনে দুটি পাই বন্ধন থাকে। ইথেন বা ইথিনের অম্লধর্ম নেই বললেই চলে কিন্ত ইথাইন অম্লধর্মী। এর কারণ ইথাইন অণুর কার্বন পরমাণুর sp সংকরন ইথাইন পাঁচ ধরনের বিক্রিয়া প্রদর্শন করে। যুত বিক্রিয়া প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া জারণ বিক্রিয়া ওজোনীকরণ বিক্রিয়া পরিমারকরণ বিক্রিয়া ==ইথাইনের ব্যবহার== ইথাইনকে বিভিন্ন ধরনের পলিমার উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ==আরো পড়ুন== ইথান্যাল ইথানোন ইথানল ইথিন ইথেন ==তথ্য উৎস==() (১৭৩০-১৭৯৪) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স ষষ্ঠ () উপাধিধারী বৌদ্ধ লামা ছিলেন। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের () নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল () এবং মাতার নাম ছিল মিগ-য়াগ ()। ছয় বছর বয়সে তাকে সে-রা বৌদ্ধবিহার নিয়ে যাওয়া হলে ষষ্ঠ পাঞ্চেন লামা তাকে () নামক পঞ্চম () উপাধিধারী বৌদ্ধ লামার পুনর্জন্ম রূপে চিহ্নিত করেন সপ্তম দলাই লামা তাকে দীক্ষা প্রদান করেন। এই সময় () নামক তৃতীয় ল্চাং-স্ক্যা হো-থোগ-থু () এবং () নামক প্রথম ফুর-ল্চোগ () তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষক ছিলেন। () নামক ষষ্ঠ 'ফাগ্স-পা-ল্হা () তাকে ল্চাগ্স-রা () বৌদ্ধবিহারের প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন। এরপর তিনি বৌদ্ধবিহারে () ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে সে-রা বৌদ্ধবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষালাভ করেন। এই সময় সপ্তম দলাই লামা এবং () নামক চুয়ান্নতম তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষালাভের শেষে সপ্তম দলাই লামা তাকে দেন চোখোর বৌদ্ধবিহারের প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন। তারা অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য সপ্তম দলাই লামা তাকে ''এর্দিনাই পণ্ডিত হুতুক্তু'' এবং ''চক্র হুতুক্তু'' উপাধি প্রদান করেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু টুলকু() (১৭২৮-১৭৯১) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স দ্বিতীয় () উপাধিধারী বৌদ্ধ লামা ছিলেন। তিনি তিব্বতের আমদো অঞ্চলের বৌদ্ধবিহারের () একাদশ প্রধান ছিলেন। == জন্ম শিক্ষা == ১৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের আমদো অঞ্চলের () নামক স্থানে একতি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল () এবং মাতার নাম ছিল গ্নাম-স্ক্যিদ ()। পাঁচ বছর বয়সে স্তোং-'খোর () বৌদ্ধবিহারে () নামক এক বৌদ্ধ ভিক্ষু তাকে উপাসকের শপথ প্রদান করেন। তেরো বছর বয়সে তিনি তার খুল্লতাত () নামক এই বিহারের প্রধানের নিকট শিক্ষার্থীর শপথ গ্রহণ করেন। ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তাকে বৌদ্ধবিহার নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে () নামক প্রথম () উপাধিধারী বৌদ্ধ লামার পুনর্জন্ম রূপে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়। এই বিহারে (), (), (), (), () প্রভৃতি লামার নিকট শিক্ষালাভ করেন। ১৭৪৯ খ্রিষ্টাব্দে () নামক তৃতীয় ল্চাং-স্ক্যা হো-থোগ-থু () তাকে ভিক্ষুর শপথ প্রদান করেন। ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মধ্য তিব্বত যাত্রা করে দ্রেপুং বৌদ্ধবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ে গোমাং মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে ভর্তি হন। এই সময় সপ্তম দলাই লামা, ষষ্ঠ পাঞ্চেন লামা, () নামক একত্রিশতম প্রভৃতি বিখ্যাত লামারা তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষক ছিলেন। == পরবর্তী জীবন == ১৭৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গোনলুং বৌদ্ধবিহার এবং ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি স্কু-'বুম বৌদ্ধবিহারের প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। ১৭৬৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরবর্তী দুই বছর তিনি চীন মঙ্গোলিয়ায় বসবাস করেন। এই সময় এই দুই অঞ্চলের শাসকদের সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরে তিনি নোমিনহান উপাধি এবং ঙ্গাবা খোতসে নামক স্থানের অধিকার লাভ করেন। ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ১৭৯১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্লা-ব্রাং অঞ্চলে একটি চিকিৎসা বিদ্যালয়, ১৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে স্কু-'বুম বৌদ্ধবিহারে মৈত্রেয়কে উতসর্গীকৃত একটি স্বর্ণ মন্দির এবং ঙ্গাবা অঞ্চলে গোমাং বৌদ্ধবিহার স্থাপন করেন। ১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দে তাকে () বিহারের প্রধান হিসেবে অধিষ্ঠিত করা হয়। তার উল্লেখযোগ্য শিষ্য ছিলেন () নামক বাষট্টিতম (), () নামক তৃতীয় থু'উ-ব্ক্বান (), () নামক বৌদ্ধবিহারের পঞ্চদশ প্রধান, () নামক বৌদ্ধবিহারের ষোড়শ প্রধান, () নামক বৌদ্ধবিহারের সপ্তদশ প্রধান, () নামক বৌদ্ধবিহারের চব্বিশতম প্রধান, () নামক বৌদ্ধবিহারের ছাব্বিশতম প্রধান, () নামক বৌদ্ধবিহারের আঠাশতম প্রধান, () নামক বৌদ্ধবিহারের চুয়াল্লিশতম প্রধান প্রভৃতি। == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == *Nietupski, Paul. 2011. Labrang Monastery: Tibetan Buddhist Community on the Inner Asian Borderlands, 1709-1958. Plymouth: Lexington Books, pp. 127–132, ff. *Khetsun Sangpo. 1973. Biographical Dictionary of Tibet and Tibetan Buddhism. Dharamsala: LTWA, Vol. 5, pp. 667. জন্ম মৃত্যু ঝেপা ত্রিপা'''আসরের নামাজ''' (; ''সালাতুল আসর'') মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্যতম। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে এটি তৃতীয়। এটি বিকেলের সময় আদায় করা হয়। ==রাকাআত সংখ্যা== আসরের নামাজ চার রাকাত সুন্নত চার রাকাত ফরজ নিয়ে গঠিত। ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়। তবে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে চার রাকাত ফরজকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত করতে পারেন। নামাজ ওয়াক্ত পড়তে হবে। ==আরও দেখুন== *অজু *ফজরের নামাজ *যোহরের নামাজ *মাগরিবের নামাজ *ইশার নামাজ *জুমার নামাজ *ঈদের নামাজ ==তথ্যসূত্র=='''হুজায়ফা বিন মিহসান আল বারকি''' ). ছিলেন মুহাম্মদ (সা) এর অন্যতম সাহাবী। খলিফা আবু বকরের সময় তিনি ওমানের গভর্নর ছিলেন। ==রিদ্দার যুদ্ধ== ৬৩২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে আবু বকর হুজায়ফা বিন মিহসানকে ওমানের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। এখানকার বাসিন্দা আজদ গোত্র তাদের নেতা লাকিত বিন মালিকের অধীনে বিদ্রোহ করে। কিছু সূত্র অনুযায়ী লাকিত নিজেকে নবী দাবি করেছিল। হুজায়ফা ওমান প্রবেশ করার পর লড়াই করার জন্য যথেষ্ট সৈনিক না থাকায় খলিফার কাছ থেকে বাড়তি সেনা আসারা আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং খলিফার কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠান। খলিফা ইকরিমা ইবনে আবি জাহলকে তার সাহায্যার্থে প্রেরণ করেন। ইকরিমা ইয়ামামা থেকে ওমানের দিকে যাত্রা করেন। তাদের দুজনের সম্মিলিত বাহিনী দাবার যুদ্ধে লাকিত বিন মালিককে পরাজিত করে। লাকিত যুদ্ধে নিহত হয়। ওমানের গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার পর হুজায়ফা সেখানে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেন। ইকরিমাকে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তিনি পার্শ্ববর্তী দাবা অঞ্চলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নিয়োজিত হন। বিদ্রোহ চালিয়ে যাওয়া আজদ গোত্রের সদস্যদের তিনি দমন করেন। == তথ্যসূত্র == *''The information in this article is based on that in its Arabic equivalent''. সেনাপতি সাহাবা বিষয়শ্রেণী:বনু বারিক'''রামমোহন কলেজ''' ভারতের পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহরের একটি স্নাতক স্নাতকোত্তর কলেজ। এটি কলকাতা অধীনে। সিটি কলেজ থেকে এই কলেজের উৎপত্তি, পশ্চিম বঙ্গের পুরাতন প্রথম শ্রেণীর কলেজগুলির মধ্যে একটি। এটি ১০২/১, রাজা রামমোহন রায় স্মরনী, কলকাতায় অবস্থিত। ==ইতিহাস== আনন্দমোহন বসু, পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী, রমেশচন্দ্র দত্ত রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ মত সম্ভ্রান্ত ব্রাম্মন মিলে ১৮৮১ সালে সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় পরে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা অনুমোদিত হয়ে ''রামমোহন কলেজ'' হিসাবে পুনঃস্থাপিত হয়। ==লক্ষ্য== প্রতিষ্ঠাতা অনুযায়ী কলেজ উদ্দেশ্য ছিল সর্বোচ্চ এবংবিস্তৃত অর্থে শিক্ষার মাধ্যমে মন, হৃদয় এবং শরীরের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আস্তিকতার মাধ্যমে মানুষের ভাল এবং ঈশ্বরের গরিমা প্রচার করা। ==ক্যাম্পাস== কলেজটি জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা। কলেজের উজ্জ্বল ফলাফলের রেকর্ড রয়েছে। এটি সিটি গ্রুপের একটি কলেজ, যেটি সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজ, কলকাতা অধীনে নিবন্ধিত ব্রাহ্ম সমাজ শিক্ষা সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত হয়। ==বিভাগ== ইংরেজি বাংলা হিন্দি সংস্কৃত ইতিহাস দর্শন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বাণিজ্য পদার্থ বিজ্ঞান রসায়ন গণিত অর্থনীতি ভূগোল শিক্ষা উদ্ভিদবিজ্ঞান প্রাণিবিজ্ঞান শারীরবিদ্যা ==তথ্যসূত্র== ==আরও দেখুন== কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ==বহিঃ সংযোগ== অফিশিয়াল ওয়েবসাইট কলেজ কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ() তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের উনআশিতম বা প্রধান ছিলেন। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == তিব্বতের খাম্স অঞ্চলের স্নাং-ব্জাং () নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। যৌবনে তিনি দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের শার-র্ত্সে () গ্যুতো তন্ত্র মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি এই দুই মহাবিদ্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের উনআশিতম প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন এবং চার বছর এই পদে থাকেন। == তথ্যসূত্র == ==আরো পড়ুন== *Khetsun Sangpo. 1973. Biographical Dictionary of Tibet and Tibetan Buddhism. Dharamsala: LTWA, Vol. 6, p. 208. ত্রিপা'''ফিতরা''' বা আরবী শব্দ, যা ইসলামে '''যাকাতুল ফিতর''' (ফিতরের যাকাত) বা '''সাদাকাতুল ফিতর''' (ফিতরের সদকা) নামে পরিচিত। '''ফিতর''' বা '''ফাতুর''' বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়। নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। ইবনে উমর (রাঃ) থেকে জানা যায়ঃ فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم- زكاة الفطر صاعاً من تمر أو صاعاً من شعير، على الذكر والأنثى والصغير والكبير والحر والعبد من المسلمين، وأمر أن تؤدى قبل خروج الناس للصلاة” متفق عليه রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মুসলমানের যাকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন এক ‘সা’ পরিমাণ খেজুর বা যব ফরজ করেছেন। তিনি লোকদের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন। ==ফিতরার বিধান== ===কে ফিতরা দেবে=== ছাদাক্বাতুল ফিতর মুসলমান নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, সকলের জন্য আদায় করা ফরয। মর্মে হাদীছে এসেছে, عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ فَرَضَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمَرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيْرٍ عَلَى الْحُرِّ وَالْعَبْدِ وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى وَالصَّغِيْرِ وَالْكَبِيْرِ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوْجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ. ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতের ক্রীতদাস স্বাধীন, নারী পুরুষ, ছোট বড় সকলের উপর মাথা পিছু এক ছা‘ পরিমাণ খেজুর বা যব যাকাতুল ফিৎর হিসাবে ফরজ করেছেন এবং তা ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন’। ঈদের দিন সকালেও যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তার জন্য ফিৎরা আদায় করা ফরয নয়। আবার ঈদের দিন সকালে কোন বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হ’লে তার পক্ষ থেকে ফিৎরা আদায় করা ফরয। ছাদাক্বাতুল ফিতর হ’ল জানের ছাদাক্বা, মালের নয়। বিধায় জীবিত সকল মুসলিমের জানের ছাদাক্বা আদায় করা ওয়াজিব। কোন ব্যক্তি ছিয়াম পালনে সক্ষম না হ’লেও তার জন্য ফিৎরা ফরয। ===কে ফিতরা পাবে=== গরীব, দুঃস্থ, অসহায়, অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিকে ব্যক্তিকে ফিতরা প্রদান করা যাবে। ====কাজের লোককে ফিতরা দেয়া==== বেতনভুক্ত কাজের ব্যক্তির পক্ষে ফিতরা প্রদান করা মালিকের উপর আবশ্যক নয়। তবে মালিক ইচ্ছে করলে কাজের লোককে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন। তবে তিনি বেতন বা পারিশ্রমিক হিসেবে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন না। ==যা দিয়ে ফিতরা দেয়া যাবে== আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন: “আমরা-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে যাকাতুল ফিতর বের করতাম এক সা খাদ্য দ্রব্য কিংবা এক সা যব কিংবা এক সা খেজুর কিংবা এক সা পনীর কিংবা এক সা কিশমিশ। এই হাদীসে খেজুর যব ছাড়া আরও যে কয়েকটি বস্তুর নাম পাওয়া গেল তা হল: কিশমিশ, পনীর এবং খাদ্য দ্রব্য। উল্লেখ থাকে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিগত হওয়ার পরে মুআবীয়া (রাযিঃ)-এর খেলাফতে অনেকে গম দ্বারাও ফিতরা দিতেন। ====ছাদাক্বাতুল ফিতরের পরিমাণঃ==== প্রত্যেকের জন্য মাথাপিছু এক ছা‘ খাদ্যশস্য যাকাতুল ফিৎর হিসাবে বের করতে হবে। ‘ছা’ হচ্ছে তৎকালীন সময়ের এক ধরনের ওযন করার পাত্র। নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগের ছা‘ হিসাবে এক ছা‘-তে সবচেয়ে ভাল গম কেজি ৪০ গ্রাম হয়। বিভিন্ন ফসলের ছা‘ ওযন হিসাবে বিভিন্ন হয়। এক ছা‘ চাউল প্রায় কেজি ৫০০ গ্রাম হয়। তবে ওযন হিসাবে এক ছা‘ গম, যব, ভুট্টা, খেজুর ইত্যাদি কেজি ২২৫ গ্রামের বেশী হয়। ইরাকী এক ছা‘ হিসাবে কেজি ৪০০ গ্রাম অথবা প্রমাণ সাইজ হাতের পূর্ণ চার অঞ্জলী চাউল। বর্তমানে আমাদের দেশে এক ছা‘তে আড়াই কেজি চাউল হয়। অর্ধ ছা‘ ফিতরা আদায় করা সুন্নাত বিরোধী কাজ। মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর যুগে মদীনায় গম ছিল না। সিরিয়া হ’তে গম আমদানী করা হ’ত। তাই উচ্চ মূল্যের বিবেচনায় তিনি অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা দিতে বলেন। কিন্তু বিশিষ্ট ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) সহ অন্যান্য ছাহাবীগণ মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর এই ইজতিহাদী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশ প্রথম যুগের আমলের উপরেই কায়েম থাকেন। যারা অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা আদায় করেন, তারা মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর রায়ের অনুসরণ করেন মাত্র। ইমাম নবভী (রহঃ) বলেন, সুতরাং অর্ধ ছা‘ ফিৎরা আদায় করা সুন্নাহর খেলাপ। রাসূল (ছাঃ) যাকাতের ফিতরার যে হার নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা রদবদল করার অধিকার কারো নেই। ব্যাপারে ওমর (রাঃ) একটি ফরমান লিখে আমর ইবনে হাযম (রাঃ)-এর নিকটে পাঠান যে, যাকাতের নিছাব প্রত্যেক নিছাবে যাকাতের যে, হার তা চির দিনের জন্য আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এতে কোন যুগে, কোন দেশে কমবেশী অথবা রদবদল করার অধিকার কারো নেই। ===খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা দেয়া=== সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায় খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা প্রদানের কথা। যেহেতু চাল বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রধান খাদ্য সেহেতু চাল দিয়েও ফিতরা প্রদান করা যাবে। চালের বদলে ধান দিয়ে ফিতরা দিতে হলে ওজনের ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। কারণ এক সা ধান এক সা চালের সম মূল্যের হবে না। কুরআন থেকে জানা যায়ঃ لا تيمموا الخبيث منه تنفقون لستم بآخذيه إلآ أن تغمضوا فيه তোমরা খাদ্যের খবিস (নিকৃষ্ট) অংশ দ্বারা আল্লাহর পথে খরচ করার সংকল্প করিও না। অথচ তোমরা স্বয়ং উহা গ্রহণ করিতে প্রস্তুত নও। তবে ধানের থেকে চাল দিয়ে ফিতরা প্রদান করা উত্তম। নিম্নোক্ত কিয়াস থেকে এই ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়ঃ যবের উপর কেয়াস (অনুমান) খাটাইয়া ধানের ফিতরা জায়েয হইবে না, কারণ ধান আদৌ আহার্য সামগ্রী ‘তাআম’ নয়। আহার্য বস্তুর উপর কিয়াস করিয়া যব বা খুর্মার ফিতরা দেওয়া হয় না মনসূস কুরআন বা হাদীসে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখিত) বলিয়াই দেওয়া হইয়া থাকে। তাআম বা আহার্য সামগ্রীরূপে ফিতরা দিতে হইলে এক সা চাউল দিতে হইবে। ===টাকা দিয়ে কি ফিতরা দেয়া === মুহাম্মদ (সঃ) এর যুগে মুদ্রা হিসেবে দিরহাম প্রচলিত ছিলো। দিরহামের দ্বারা কেনা কাটা, দান খয়রাত করা হতো। তবু সাহাবী খুদরী বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায় মুহাম্মদ (সঃ) খাদ্য বস্তু দিয়ে ফিতরা প্রদান করতেন। এজন্য মুসলমান পন্ডিতদের বড় অংশ টাকা দিয়ে ফিতরা প্রদানের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করেন। ইমাম আহমদ (রঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের বরখেলাফ হওয়ার কারণে আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, তা যথেষ্ট হবে না। ==সা এবং অর্ধ সা== ফিতরা প্রদানের পরিমাপ সংক্রান্ত আলোচনায় '''সা''' বহুল আলোচিত শব্দ। সা হচ্ছে আরবদেশে ওজন বা পরিমাপে ব্যবহৃত পাত্র। বাংলাদেশে যেমন ধান পরিমাপের জন্য একসময় কাঠা ব্যবহৃত হত। একজন মাঝামাঝি শারীরিক গঠনের মানুষ অর্থাৎ অধিক লম্বা নয় এবং বেঁটেও নয়, এই রকম মানুষ তার দুই হাত একত্রে করলে যে অঞ্জলি গঠিত হয়, ঐরকম পূর্ণ চার অঞ্জলি সমান হচ্ছে এক সা। হাদিস থেকে সুস্পষ্ট জানা যায় মুহাম্মদ (সঃ) এক সা পরিমাণ ফিতরা প্রদানের কথা। মুহাম্মদ (সঃ) এবং চার খলিফার মৃত্যুর পরে মুআবিয়া (রাঃ) ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফা নির্বাচিত হন এবং ইসলামী রাষ্ট্রের রাজধানী মদিনা থেকে দামেস্ক স্থানান্তরিত করেন, তখন তারা গমের সাথে পরিচিত হন। সে কালে সিরিয়ার গমের মূল্য খেঁজুরের দ্বিগুণ ছিল। তাই খলিফা মুয়াবিয়া একদা হজ্জ বা উমরা করার সময় মদীনায় আসলে মিম্বরে বলেন: ''আমি অর্ধ সা গমকে এক সা খেজুরের সমতুল্য মনে করি।'' লোকেরা তার এই কথা মেনে নেয়। এর পর থেকে মুসলিম জনগনের মধ্যে অর্ধ সা ফিতরার প্রচলন শুরু হয়। ==আরো পড়ুন== ইসলাম যাকাত ঈদুল ফিতর ==তথ্য উৎস== ভাষার লেখা রয়েছে এমন নিবন্ধ'''ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়''' নীলফামারী জেলার অন্যতম পুরাতন বিদ্যালয়। এটি ডোমার উপজেলা সদরের ডোমার পৌরসভার নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। বর্তমানের এটি দিনাজপুর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন রয়েছে। ==ইতিহাস== এটি ১৯১৯ সালে ডোমার উপজেলা সংলগ্ন চিকনমাটি মৌজায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯২১ সালে তৎকালীন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়ে ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। শুরুতে বালক-বালিকাদের একত্রে শিক্ষা চালু থাকলেও ১৯৫৯ সালে বালক বালিকাদের আলাদাভাবে পাঠ দান করার জন্য দুটি শিফট চালু করা হয়। ==শিক্ষা== ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রদের পাঠদানের ব্যাবস্থা রয়েছে। নবম শ্রেণী থেকে ছাত্রদের পাঠদানের জন্য বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যাবসায় শিক্ষা তিনটি আলাদা আলাদা শাখা রয়েছে। এছাড়াও ছাত্রদের জন্য ভোকেশনাল পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে। সংখ্যা=== ৮৬৯জন ==শিক্ষক মন্ডলীর তালিকা== মোঃ রবিউল আলম (প্রধান শিক্ষক) মোঃ রুহুল আমিন (সহকারী প্রধান শিক্ষক) মোঃ জিন্নাত হোসেন(সহকারী শিক্ষক) মোছাঃ ফাতেমা মনছুরা(সহকারী শিক্ষক) মোছাঃ মালা জেসমিন(সহকারী শিক্ষক) ভক্তি বিনোদ রায়(সহকারী শিক্ষক) মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ(সহকারী শিক্ষক) বিশ্বনাথ রায়(সহকারী শিক্ষক) মোছাঃ মাছুমা আকতার(সহকারী শিক্ষক) মোছাঃ ফাতেমা খাতুন(সহকারী শিক্ষক) মোছাঃ আকতার জাহান পারভীন(সহকারী শিক্ষক) মোঃ মেহের উল হোসেন(সহকারী শিক্ষক) মোঃ জাবেদুল ইসলাম(সহকারী শিক্ষক) হারুন-অর রশিদ(সহকারী শিক্ষক) মোঃ শাহীনুর ইসলাম(সহকারী শিক্ষক) মোছাঃ মনিরা খাতুন(সহকারী শিক্ষক) যোগেন্দ্র নাথ রায়(সহকারী শিক্ষক) মোঃ শিক্ষক) ==কৃতী ছাত্র== ডক্টর মোঃ মাশুকুল হক (সহকারী অধ্যাপক,রসায়ন বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) তুষার কান্তি রায় (ঢাকা প্রাণরসায়নের প্রাক্তন ছাত্র, জাপানের গিফু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডায়াবেটিক্সের এর উপর পিএইচডি) ==তথ্যসূত্র== জেলার বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত'''ইউরাল''' বা '''উরাল''' বলতে বোঝানো যেতে পারেঃ *ইউরাল (অঞ্চল) **ইউরাল পর্বতমালা **ইউরাল নদী **ইউরাল ফেডালেল ডিস্ট্রিক **ইউরাল অর্থনৈতিক অঞ্চল *ইউরাল (কম্পিউটার) *ইউরালস ওয়েল, একটি তেলের ব্যান্ড *ইউরাল গাড়ি কারখানা (ব্যান্ড নাম "ইউরাল"): **ইউরাল-৩৭৫ডি, ইউরাল গাড়ি কারখানা দ্বারা নির্মিত একটি সামরিক ট্রাক **ইউরাল-৪৩২০, ইউরাল গাড়ি কারখানা দ্বারা নির্মিত একটি সামরিক ট্রাক **ইউরাল-৫৩২৩, ইউরাল গাড়ি কারখানা দ্বারা নির্মিত একটি সামরিক ট্রাক *আইএমজেড-ইউরাল, একটি রুশ মোটর সাইকেল প্রস্তুতকারক *মুরাত ইউরাল (জ. ১৯৮৭), সুইস ফুটবল খেলোয়াড় *ইউরাল (অধ্যুষিত এলাকা), রাশিয়ার অধ্যুষিত এলাকা *ইউরাল (জাহাজ), দুইটি রুশ জাহাজডিউই দশমাংশ শ্রেণীবিভাগ হলো দশটি শ্রেণীতে গঠিত গ্রন্থাগার শ্রেণীবিভাগের একটি পদ্ধতি, যার প্রতিটি বিভাগ দশটি ভাগে বিভক্ত। উদাহরণস্বরূপ, শ্রেণী ৬০০ ("প্রযুক্তি") অন্তর্ভুক্ত করে বিভাগ ৬৩০ ("কৃষি এবং সংক্রান্ত অন্যান্য প্রযুক্তির"), যা অধ্যায় ৬৩৬ ("পশুপালন") অন্তর্ভুক্ত করে। == শ্রেণী ০০০ সাধারণ == *'''০০০ সাধারণ **০০০ কম্পিউটার বিজ্ঞান, জ্ঞান এবং সাধারণ কাজ **০০১ জ্ঞান **০০২ বই ''(যেমন, বই সম্পর্কে মেটা রচনা)'' **০০৩ পদ্ধতি **০০৪ উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান **০০৫ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, প্রোগ্রাম এবং উপাত্ত **০০৬ বিশেষ কম্পিউটার পদ্ধতি **০০৭ অনির্ধারিত **০০৮ অনির্ধারিত **০০৯ অনির্ধারিত *'''০১০ গ্রন্থপঞ্জি **০১০ গ্রন্থপঞ্জি **০১১ গ্রন্থপঞ্জি **০১২ ব্যক্তিবর্গের গ্রন্থপঞ্জি **০১৩ অনির্ধারিত **০১৪ অজ্ঞাতনামা কাজের গ্রন্থপঞ্জি **০১৫ নির্দিষ্ট স্থানের কাজের কাজ গ্রন্থপঞ্জি **০১৬ নির্দিষ্ট বিষয়ের কাজের উপর গ্রন্থপঞ্জি **০১৭ সাধারণ বিষয় ক্যাটালগ **০১৮ লেখক, তারিখ ইত্যাদি অনুযায়ী সাজানো ক্যাটালগ **০১৯ অভিধান ক্যাটালগ *'''০২০ গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান **০২০ গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান **০২১ গ্রন্থাগার সম্পর্ক == আরও দেখুন == *ডিউই দশমাংশ শ্রেণীবিভাগ *লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস শ্রেণীবিন্যাস *তুলনামূলক ডিউই এবং লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস বিষয় শ্রেণীবিভাগ *ওসিএলসি *ওয়ার্ল্ডক্যাট == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ওসিএলসি ওয়েবসাইট ডিউই দশমাংশ শ্রেণীবিভাগের সম্পূর্ণ archival) মূল ডিউই শ্রেণীবিভাগ'''আমীরুল ইসলাম''' (জন্ম এপ্রিল ১৯৬৪, ঢাকা) বাংলাদেশের একজন শিশুসাহিত্যিক, যিনি ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তাকে বলা হয় আধুনিক বাংলা শিশু সাহিত্যের রূপকার। দীর্ঘ তিরিশ বছর ধরে লিখছেন ছোটদের জন্য। == ব্যক্তিগত জীবন == আমীরুল ইসলামের জন্ম এপ্রিল ১৯৬৪, লালবাগ ঢাকায়। তার পিতা প্রয়াত সংবাদকর্মি সাইফুর রহমান এবং মা আনজিরা খাতুন। তার বড় চাচা হাবীবুর রহমান ছিলেন খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক। ছেলেবেলায় পরিবারের সবাই তাকে ডাকত টুলু নামে। পরিবার বন্ধুমহলে তিনি এখনও ওই নামেই পরিচিত। কৌতুকপ্রিয়, আড্ডাবাজ, জীবন-রসিক ভোজনপ্রিয় আমীরুল ইসলাম ঘুরেছেন পৃথিবীর প্রায় বিখ্যাত সব শহর। প্রিয় শখ বই পড়া, পুরনো বই চিত্রকলা সংগ্রহ, দাবা খেলা, রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত। == শিক্ষাজীবন == আমীরুল ইসলাম প্রাক প্রাথমিক পাঠ সম্পন্ন করেন নিজ বাড়িতে, বাবার কাছে। ১৯৭২ সালে পুরান ঢাকায় অবস্থিত ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকেই নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন ঢাকা == কর্মজীবন == অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলার কিশোরদের পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হিসাবে কর্মরত ছিলেন পাঁচ বছর। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশোর পত্রিকা আসন্ন সম্পাদনা করেছেন দশ বছর। এরপর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে যুক্ত আছেন চ্যানেল আইয়ের সাথে। বর্তমানে তিনি চ্যানেল আইয়ের জেনারেল ম্যানেজার (অনুষ্ঠান) হিসাবে কর্মরত। == সাহিত্য == আমীরুল ইসলাম বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সফল শিশু সাহিত্যিক। তাকে বলা হয় আধুনিক শিশু সাহিত্যের রূপকার। দীর্ঘ তিরিশ বছর ধরে লিখছে ছোটদের জন্য। রূপকথা তার প্রিয় বিষয়। তাই রূপকথা নিয়ে লিখেছেন নতুন নতুন বই। প্রতিটি লেখায় রয়েছে নতুনত্বের স্বাদ। পুরনো রূপকথা নতুন ঢংয়ে লেখার ক্ষেত্রে তার বিকল্প বাংলা সাহিত্যে আর একজনও নেই। তিনি সবচেয়ে বেশি খ্যাতি পেয়েছেন ছড়া লেখে। বিষয়বৈচিত্র্য সংখ্যা বিচারে বাংলা ছড়াসাহিত্যেও তার সমকক্ষ কেউ নাই। ছড়া ছাড়াও তিনি ছিখেছেন গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ। তার প্রথম বই খামখেয়ািলী। বইটি যখন প্রকাশিত হয় তখন তার বয়স বিশ বছর। ওই বয়সেই তিনি বইটির জন্য অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। তার আগে এতো অল্প বয়সে এই পুরস্কার আর কেউ পাননি। == পুরস্কার == বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ২০০৬ সিকান্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৪ নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ২০০৩ ছোটদের পত্রিকা পুরস্কার, ২০০৭ পদক্ষেপ পুরস্কার, ২০০৫ ছোটদের মেলা পুরস্কার, ২০০৯ ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল পুনর্মিলনী সম্মাননা পুরস্কার, ২০১১ কবি শামসুর রাহমান সাহিত্য পুরস্কার, ২০১১ অন্নদা শঙ্কর সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতা ২০১১ কবি হাবীবুর রহমান সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪ == উল্লেখযোগ্য রচনাবলী == === উপন্যাস === অচিন জাদুকর (১৯৮৫) আমাদের গোয়েন্দাগিরি (১৯৯২) রুঝুমপুর (১৯৯২) আশ্চর্য এক অ্যাডভেঞ্চার (১৯৯২) ফানুসের দেশে অ্যাডভেঞ্চার (১৯৯৪) পিচ্চি ভূতের বাহাদুরি (১৯৯৫) একাত্তরের মিছিল (১৯৯৭) মৌ ভালো থেক (১৯৯৮) === গল্প === আমি সাতটা (১৯৮৫) এক যে ছিল (১৯৮৭) দশ রকম দশটা (১৯৮৯) সার্কাসের বাঘ (১৯৮৯) ভূত এলা শহরে (১৯৯২) অমি ওয়ান অমি টু (১৯৯২) রোবট রহস্য (১৯৯২) আমি মুক্তিযোদ্ধা হতে চাই (১৯৯৩) লুথাদ্বীপের রহস্য (১৯৯৪) শাদা ভূত কালো ভূত (১৯৯৬) === ছড়া === খামখেয়ালি (১৯৮৪) যাচ্ছেতাই (১৯৮৭) রাজাকারের ছড়া (১৯৮৯) আমার ছড়া (১৯৯২) == আরোও দেখুন == == বহিঃসংযোগ == == তথ্যসূত্র == জন্ম একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী() (মৃত্যু-১৯৩২) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের একানব্বইতম বা প্রধান ছিলেন। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে তিব্বতের খাম্স অঞ্চলের য়া-রা () নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সে-রা বৌদ্ধবিহার বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্যুতো তন্ত্র মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি গ্যুতো তন্ত্র মহাবিদ্যালয় এবং দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহার শার-র্ত্সে () মহাবিদ্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯২৭ দ্গা'-ল্দান বৌদ্ধবিহারের একানব্বইতম প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এই পদে তিনি ছয় বছর থাকেন। == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == *Khetsun Sangpo. 1973. Biographical Dictionary of Tibet and Tibetan Buddhism. Dharamsala: LTWA, Vol. 6, pp. 220. মৃত্যু ত্রিপা() (১৮৭২-১৯৩৫) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের র্ন্যিং-মা পঞ্চম উপাধিধারী বৌদ্ধ লামা ছিলেন। তিনি র্দ্জোগ্স-ছেন বৌদ্ধবিহার নামক র্ন্যিং-মা অন্যতম প্রধান বৌদ্ধবিহারের নবম প্রধান ছিলেন। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের খাম্স অঞ্চলের চামদো নামক স্থানের নিকটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল () এবং মাতার নাম ছিল ()। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় ()। () নামক বিখ্যাত বৌদ্ধ সাধক তাকে () নামক উপাধিধারী বৌদ্ধ লামার পুনর্জন্ম রূপে চিহ্নিত করে র্দ্জোগ্স-ছেন বৌদ্ধবিহার নিয়ে যান। (), (), (), পদ্মবজ্র, () প্রভৃতি বিখ্যাত লামারা তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষক ছিলেন। র্দ্জোগ্স-ছেন বৌদ্ধবিহারকে উন্নত করার জন্য তারা সারা জীবন উত্সর্গ করেন। তিনি এই বিহারের শ্রী সিংহ মহাবিদ্যালয়কে তিব্বতের অন্যতম বিখ্যাত ধর্ম পরিণত করেন। ==তথ্যসূত্র== ==আরো পড়ুন== *Nyoshul Khenpo. 2005. Marvelous Garland of Rare Gems. Richard Barron, trans. Junction City, California: Padma Publication, pp. 428–431. *Tulku Thondup. 1996. Masters of Meditation and Miracles: The Longchen Nyingthig Lineage of Tibetan Buddhism. Boston: Shambhala, pp. 256–257. জন্ম মৃত্যু দ্রুবওয়াং'''সীমা বিশ্বাস''' () ভারতীয় চলচ্চিত্র অসমের থিয়েটার জগতের এক সুপরিচিত অভিনেত্রী। তিনি শেখর কাপুরের ''ব্যান্ডিট কুইন'' নামক চলচ্চিত্রে ফুলন দেবীর চরিত্রে অভিয়ন করেন। বলিউড তথা ভারতের অন্যান্য চলচ্চিত্র জগতে তার যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। ১৯৯৬ সনে তিনি ব্যান্ডিট কুইন চলচ্চিত্রে করা অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর রজক কমল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০০০ সাল সংগীত নাটক একাডেমী পুরস্কার ২০০৬ সালে দীপা মেহেতার ''ওয়াটার'' চলচ্চিত্রে শকুন্তলা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য জেনী পুরস্কার লাভ করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রীর পত্র নাটকরে একটি দৃশ্যে অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জিবিত বা মৃত নাটকরে একটি দৃশ্যে অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস ==ব্যক্তিগত জীবন শিক্ষা== অসমের নলবাড়ি জেলায় সীমা বিশ্বাসের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জগদীশ বিশ্বাস মাতার নাম মীরা বিশ্বাস। তিনি নলবারী মহাবিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর তিনি দিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে ভর্তি হন।। বছর চলচ্চিত্র চরিত্র ১৯৮৮ ''অমসিনী'' সারদা ১৯৯৪ ''ব্যান্ডিট কুইন'' ফুলন দেবী ১৯৯৬ ''খামোশী: দ্য মিউজিক্যাল'' ফ্লেভি জে. ব্রিগেঞ্জা ১৯৯৭ ''লেডিজ অনলি'' ১৯৯৮ ''হাজার চৌরাশী কী মা'' সমুর মাতৃ ১৯৯৯ ''বিনধাস্ত'' সি বি আই অফিছার ''সমর'' দুলারী ২০০১ ''ধ্যাসপ্রভা'' মালতী কারভে ২০০২ ''দিওয়াঙ্গী'' মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ''কোম্পানি'' রানীবাই ''গর্ব: দ্য ওয়ন্ড'' তনয়া ২০০৩ ''বুম'' ভারতী ''ভূত'' বাই ''ইয়ারকাই'' নেন্সীর ননদ ''পিঞ্জর'' পাগল মহিলা ২০০৪ ''কায়া তারন'' শিষ্টার আগাঠা ''দোবারা'' ''এক হসীনা থী'' চি পি মালতী বৈদ্য ''হনন'' মিছেছ হীরালাল ২০০৫ ''ওয়াটার'' শকুন্তলা ''মুম্বাই গডফাদার'' ''দ্য হোয়াইট ল্যান্ড'' সুধার মা ২০০৬ ''বিবাহ'' রমা ''শূণ্যতা'' প্রধান ''জিন্দগী রক্‌স'' ২০০৭ ''সোফিয়া'' দ্যা মেদাম ''কামাগাতা মারু'' ''অমল'' স্বপ্না আগরওয়াল ২০০৮ ''স্টাইকার '' সিদ্ধার্থের মা ''সৌর্য্য'' কেপ্টেইন জাভেদ খানের মা ''কুকিং উইথ ষ্টেলা'' ষ্টেলা ''হেভেন অন আর্থ'' ২০০৯ ''ইয়ে মেরা ইন্ডিয়া'' বাই ২০১০ ''লালবাগ পারেল'' মাতৃ ২০১১ ''কুইনস ডেস্টিনি অব ড্যান্স'' আম্ম ''পতংগ'' সুধা ২০১২ ''মিডনাইট্‌স চিলড্রেন'' মেরী ==পুরস্কার সন্মাননা== ;জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৫: '''বিজয়ী''' শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ''ব্যান্ডিট কুইন'' ;ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ১৯৯৬: '''বিজয়ী''' শ্রেষ্ঠ নারী অভিষেক ''ব্যান্ডিট কুইন'' ==তথ্যসূত্র== জন্ম ব্যক্তি ব্যক্তি অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী() ছিল উপমহাদেশের একটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত। খিস্ট্রীয় আনুমানিক অষ্টম শতাব্দীতে পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামে স্থাপিত হয়েছিলো ধারণা করা হয়। মূলত ছিল নালন্দা মতোন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা পূর্ববঙ্গে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম বিষয়ে শিক্ষা মতবাদ প্রচারের কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হতো। ত্রয়োদশ শতাব্দির এক সংঘাতে বিহারের নালন্দা বিহার ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে পূর্ব দেশীয় বৌদ্ধ পণ্ডিত মণ্ডলীদের অনেকেই পণ্ডিতবিহারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাল সাম্রজ্যের বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান পণ্ডিতবিহারে কিছুকাল অবস্থান অধ্যয়ন করেছিলেন। পণ্ডিতবিহারে অধ্যাপকগণ তাদের অধ্যাপনা, অধ্যয়ন যোগ সাধনার পাশাপাশি অবসর-অবকাশে যে সকল গান-দোঁহা রচনা করেছিলেন তাই পরবর্তীকালে চর্যাপদ নামে বাংলা ভাষা কাব্যের আদি নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত লাভ করে। পণ্ডিতবিহারের পূর্বে এবং পরবর্তীকালে আনুমানিক আঠারো শতকের মধ্যকাল পর্যন্ত অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ==অবস্থান== পণ্ডিতবিহারের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন মত প্রচলিত রয়েছে। প্রাপ্ত কিছু স্মারক নিদর্শন অনুযায়ী তিব্বত বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ শরচ্চন্দ্র দাস প্রমুখ পণ্ডিত গবেষকবৃন্দের অনুমান, অষ্টম শতাব্দীতে চট্টগ্রাম মহানগরের বর্তমান জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন পাহাড়ে অবস্থান ছিল। অনেকের মতে ধারণা করা হয় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার চক্রশালায় অথবা আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ের দক্ষিণাংশে ঝিওরী হাজিগাঁও গ্রামে আবার অনেকের মতে সীতাকুণ্ড উপজেলার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থান ছিল। তবে অধিকাংশ মতের ভিত্তিতে দেয়াঙ পাহাড়েই অবস্থান ছিল বলে অনেক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। ফেব্রুয়ারি ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে আনোয়ারার দেয়াঙ পাহাড়স্থ ঝিওরী হাজিগাঁও গ্রামের সীমান্ত থেকে ৬৬টি পিতলের বুদ্ধমূর্তি আবিষ্কৃত হয়, যা এই স্থানে অবস্থান সম্পর্কে প্রমাণ নিশ্চিত করে। == ইতিহাস বিলুপ্তি == লিপি পণ্ডিতবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন পটিয়ার চক্রশালা নিবাসী ব্রাহ্মণসন্তান তিলপাদ। "তিলপাদ" নামের উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যায় যে, তার হিন্দু জীবনের যোগসাধন সঙ্গিনী তিল পিষে জীবন ধারণ করতেন বলে তিনি তিলপাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করার পর প্রজ্ঞাভদ্র নাম গ্রহণ করেন এবং পণ্ডিতবিহারের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন। মগধের প্রধান আচার্য নরতোপা পণ্ডিতবিহারে প্রজ্ঞাভদ্রের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। লুই পা, শবর পা, লাড় পা, অবধূত পা, অমোঘনাথ, ধর্মশ্রী, মৈন, বুদ্ধজ্ঞান পা, অনঙ্গবজ্র প্রমুখ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য এবং পণ্ডিতগণ পরিদর্শকরূপে অথবা অধ্যাপকরূপে পণ্ডিতবিহারে বিহারে এসেছিলেন। গবেষকদের অনুমান, বিভিন্ন বৌদ্ধ পণ্ডিতগণ এই বিহারে সমবেত হয়েছিলেন বলে সম্ভবত পণ্ডিতবিহার নামকরণ হয়েছিল। পণ্ডিতবিহারের বিলুপ্তি হবার কারণ সম্পর্কে জানা যায় না। খিস্ট্রীয় আনুমানিক অষ্টম শতাব্দীতে পণ্ডিতবিহার অস্তিত্ব ছিলো বলে ধারণা করা হয়। ১০৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রহ্মদেশের রাজা অনর হট চট্টগ্রাম পট্টিকারা রাজ্য জয় করার পর তৎকালীন প্রচলিত মহাযান বৌদ্ধমত উচ্ছেদ করে হীনযান বা থেরবাদ বৌদ্ধমত প্রচার করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১২৩০ খ্রিষ্টাব্দে সমতটের বৌদ্ধ রাজা দামোদর দেব (১২৩০-১২৫৩ খ্রিষ্টাব্দ) পট্টিকারাসহ চট্টগ্রাম জয় করেন এবং ১২৫৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অত্র অঞ্চলে রাজত্ব করেন। ঐতিহাসিভাবে জানা যায় রাজা দামোদর দেবের রাজত্বকালীন সময়ে পণ্ডিতবিহারের অস্তিত্ব উজ্জ্বল ছিল। পরবর্তী শতাব্দীর ১৩৪০ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁওয়ের সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের (১৩৩৮-১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ) সেনাপতি কদলখাঁ গাজী চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানিদের বিতাড়িত করেন এবং চট্টগ্রামকে সর্বপ্রথম মুসলিম শাসন আওতায় নিয়ে আসেন। ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চট্টগ্রাম ছিল বাংলার স্বাধীন সুলতান আফগান শাসনভুক্ত। ধারণা করা হয় সময়েই পণ্ডিতবিহারের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। আরাকানের ইতিহাস সূত্রে পাওয়া যায়, সে সময়েও আরাকানের রাজারা কখনো সাময়িককালের জন্য, কখনো সম্পূর্ণ মেয়াদে অধিকার করে চট্টগ্রাম অঞ্চল শাসন করেছিলেন। ১৫৮০ খ্রিষ্টাব্দে আরাকান রাজ মিনফালং আফগান সেনানী শাসক জামাল খান পন্নীকে পরাজিত করে সমগ্র চট্টগ্রাম অঞ্চল আরাকান রাজ্যভুক্ত করেন। সে সময়কাল থেকে ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম একাধারে আরাকানের রাজ্যভুক্ত ছিল। পণ্ডিতবিহারের অস্তিত্ব সে সময়কালেও ছিল বলে ঐতিহাসিকগণ ধারণা করেন। ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খাঁ নিজ পুত্র বুজুর্গ উমেদ খাঁকে তার প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন এবং তাকে অভিযানে পাঠান চট্টগ্রাম অঞ্চলে। ১৬৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি মোগল যোদ্ধারা আনোয়ারা উপজেলার চাটিগাঁ দুর্গ দখল করে মগদের বিতাড়িত করেন। সকল যুদ্ধবিগ্রহে চট্টগ্রামের প্রাচীন বন্দর শহর দেয়াঙ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ধারণা করা কর এরই ফলস্বরূপ এবং কালের বিবর্তনে পণ্ডিতবিহারের বিলুপ্তি ঘটে। == পুনঃপ্রতিষ্ঠা == ঐতিহাসিক পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। যার ফল স্বরুপ ২০১২ সালে বর্তমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি দল সরেজমিন আনোয়ারার দেয়াঙ পাহাড় অঞ্চলে পণ্ডিতবিহারের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করেছেন। মূলত চীন, জাপান, থাইল্যান্ড শ্রীলংকার যৌথ অর্থায়নে প্রায় দেড়শ একর পাহাড়ি ভূমিতে এই পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যেটির দেশের অন্যান্য মতোন পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হবে। == আরো পড়ুন == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == চট্টগ্রাম পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দৈনিক সমকাল জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য'''আলফ্রেড টেনসন, প্রথম ব্যারন টেনসন''', এফআরএস (৬ আগস্ট ১৮০৯ অক্টোবর ১৮৯২) ছিলেন রাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রেট ব্রিটেন আয়ারল্যান্ডের কবি। ==প্রাথমিক জীবন== টেনসন, সমের্স্বি লিংকনশায়ার, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টেনিসনের একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু এটি একটি আর্যা এবং রাজকীয় বংশ ছিল। তার পিতা, জর্জ ক্লেটন টেনিসন (১৭৭৮-১৮৩১), গির্জার রেক্টর পোপ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। রেভারেন্ড জর্জ ক্লেটন টেনিসন একটি বৃহৎ পরিবারের ধনী এবং উচ্চতর একজন মানুষ ছিলেন। আলফ্রেড টেনিসন এর মা, এলিজাবেথ ফ্য্ত্ছে (১৭৮১-১৮৬৫), স্টিফেন ফ্য্ত্ছে (১৭৩৪-১৭৯৯), সেন্ট জেমস চার্চ প্রতিনিধির কন্যা ছিলেন। টেনিসন এবং তার দুই বড় ভাই কিশোর বয়স থেকেই কবিতা চর্চা করত। এবং তাদের তিন জনের এক্তি করে কবিতা সংগ্রহ করা হয় যেটা স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত হয় তখন আলফ্রেডের বয়স ছিল মাত্র ১৭। যাদের মধ্যে এক জন কবি চার্লস টেনিসন টার্নার এবং অন্য জন ফ্রেডেরিক টেনিসন। ==আংশিক কাজের তালিকা== ''পোয়েমস্ চাইফ্লাই লিরিকাল'' থেকে (১৮৩০): ** ''নাথিং উইল ডাই'' ** ''অল থিংস্ উইল ডাই''' ** ''দ্য ডাইং সোয়ান'' ** ''দ্য ক্রাকেন'' ** ''মারিআনা'' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== "Tennyson", poem by Florence Earle Coates Tennyson's Grave, Westminster Abbey Poems by Alfred Tennyson Tennyson index entry at Poets' Corner Biography Works (public domain) Online copy of ''Locksley Hall'' Selected Poems of A. Tennyson The Twickenham Museum Alfred Lord Tennyson in Twickenham Farringford Holiday Cottages and Restaurant, Home of Tennyson, Isle of Wight Settings of Alfred Tennyson's poetry in the Choral Public Domain Library The Louverture Project: Anacaona poem by Alfred Tennyson Poem about the Taíno queen. Selected Works at Poetry Index Sweet and Low Recording of Tennyson reciting "The Charge of the Light Brigade" জন্ম মৃত্যু কবি পরিবার'''কুইচা''' বা '''কুঁইচা''' '''কুঁচে''', '''কুঁচে মাছ''', '''কুচিয়া''', '''কুইচ্চা''' বা '''কুচে বাইম''' () একটি ইল-প্রজাতির মাছ। পরিবারের অন্তর্গত এই মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ''Monopterus cuchia'' বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত। ==শারীরিক গঠন== কুঁচে মাছের দেহ লম্বা এবং নলাকার। এদের লেজ খাড়াখাড়ি ভাবে চাপা এবং প্রান্তের দিকে ক্রমশ সরু। মাছটির ত্বক স্যাঁতস্যাঁতে পিচ্ছিল। এদের বক্ষ, শ্রোণী, পায়ু পুচ্ছ পাখনা অনুপস্থিত হলেও অতি ক্ষুদ্র একটি পৃষ্ঠ পাখনা আছে। কুঁচে মাছের শরীরের আঁইশ অতি ক্ষুদ্র, গোলাকার এবং অষ্পষ্ট; লম্বালম্বিভাবে সজ্জিত। এদের দেহ গাঢ় বাদামী রংয়ের; উদর হালকা লাল এবং পার্শ্ব রেখার উপরের অংশে লেজে অসংখ্য ক্ষুদ্র গোলাকার ফোঁটা থাকে। লম্বায় এরা ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই মাছটির শারীরিক সক্ষমতা বেশ। ==আবাস== এই মাছটি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, মায়ানমার অঞ্চলে পাওয়া যায়। ভারতীয় উপমহদেশের ভারত বাংলাদেশের পাহাড়ী অঞ্চলের অগভীর খাল, বিল, হাওড়, বাওড়, পুকুর মাটির গর্তে বাস করে। শুকনো মৌসুমে পুকুর কিংবা ডোবায় যখন পানি শুকিয়ে যায় তখন এরা কাদার নিচে অনেক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। ==খাদ্যাভ্যাস== এর প্রধাণ খাদ্য বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ। এছাড়াও জলজ পোকা প্রাণী খায়। এরা খুব রাক্ষুসে স্বভাবের মাছ। ==বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ== আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে এখনও আশংকাজনক বলে চিহ্নিত। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের মাছের তালিকা বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছের তালিকা ==তথ্যসূত্র== মাছ মাছ মাছ পানির মাছ মাছ মাছ মাছ'''বন টেপারি''' () (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Physalis minima'') হচ্ছে সোলানাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি। এটি প্যানট্রপিক্যাল বাৎসরিক আগাছা, যা পরিপুষ্টতার সময় ২০-৫০ সেমি উঁচু হয়। বনটেপারির ভেতর একটিমাত্র ফল হয়, পাকলে লাল হয়, ভেতরে অনেকগুলি ছোট বীজ থাকে। চীনদেশে সালাদে ব্যবহার করা হয়, খেতে সুস্বাদু, টকটক। এর ফলের চারদিকে কাগজমতো আবরণ থাকে যা পাকলে বাদামি বর্ণের হয়। ফল পাকার পর ফলটি মাটিতে ঝরে পড়ে। আকৃতিগত সাদৃশ্যের কারণে এর আরেক নাম চায়নিজ ল্যান্টার্ন। এর ভেষজ গুণ আছে। বন টেপারির ফল == চিত্রশালা == Physalis minima fruit from Kerala 20090520.jpg Physalis.jpg ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলসের উদ্ভিদ বর্ণিত উদ্ভিদ উদ্ভিদ উদ্ভিদ উদ্ভিদ'''ভাতুরিয়া ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাও জেলার হরিপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == অবস্থান == == প্রশাসনিক এলাকা == == ইতিহাস == == জনসংখ্যার উপাত্ত == == শিক্ষা == == অর্থনীতি == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == রাজা গণেশ (শাসনকাল ১৪১৫) ছিলেন বাংলার একজন হিন্দু শাসক। তিনি বাংলার ইলিয়াস শাহি রাজবংশকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসেন। তার গড় এখনো রাজা গণেশের গড় হিসেবে এই ইউনিয়নে পরিচিত। গড়টির ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। == বিবিধ == '''পাথর কালী মেলা''' বসে এই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কুলিক নদীর ধারে। কালীপূজার পরের শুক্রবার এই এলাকায় মেলা বসে। আর মেলা উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যুগ যুগ ধারে দুই বাংলার হাজারো মানুষ স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে কুশল বিনিময় করেন। == আরও দেখুন == ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == ভাতুরিয়া ইউনিয়নের সরকারি ওয়েবসাইট জেলার ইউনিয়ন উপজেলার ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নিবন্ধ'''মহেন্দ্র বরা''' (; অসমের একজন কবি-সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার, শিক্ষাবিদ সমালোচক। ১৯৮৭ সনে তিনি অসম সাহিত্য সভার পাঠশালা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছিলেন।। ==জন্ম== ১৯২৯ সনের ২২ আগষ্ট তারিখে ডিব্রুগড় জেলার টিংখাং নামক স্থানে মহেন্দ্র বরার জন্ম হয়। তার পিতার নাম ইন্দ্রেশ্বর বরা মাতার নাম লীলাবতী বরা। ==শিক্ষা== মহেন্দ্র বরা সৈখোয়া, মাকুম লাহরওয়ালা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ডিব্রুগডের জর্জ ইন্সটিউটর থেকে হাইস্কুলের শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সনে শিবসাগর হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৪৯ সনে কটন কলেজ থেকে তৃতীয় স্থানে আই.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫১ সনে সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৩ সনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭১ সনে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ==সন্মান পুরস্কার== বর্ষ পুরস্কার সংস্থান ১৯৬৮ রাষ্ট্রীয় কবি সন্মান আকাশবাণী ১৯৪৯ দুখুরাম স্মারক পুরস্কার গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৩ কেরালার মহাকবির আসন স্মারক পুরস্কার ১৯৮৩ মোহনরাম শর্মা স্মারক পুরস্কার ১৯৮৩ রঘুনাথ চৌধারী স্মারক পুরস্কার শংকরদেব পুরস্কার *১৯৮৩ সনে বঙাইগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সভার কবি সন্মিলনীতে সভাপতিত্ব করেন। *১৯৮৭ সনে অসম সাহিত্য সভার পাঠশালা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ==মৃত্যু== ১৯৯৬ সনে মহেন্দ্র বরা মৃত্যুবরন করেন। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:অসম সাহিত্য সভার সভাপতি শিক্ষাবিদ কবি প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''হুমায়ুন কবির''' এবং প্রায় এই ধরনের নামের বানান দ্বারা বোঝানো হতে পারে হুমায়ুন কবির –ভারতের শিক্ষামন্ত্রী, রাজনীতিবিদ লেখক। হুমায়ুন কবির (কবি) –বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ কবি। *হুমায়ূন কবির (রাজনীতিবিদ) বাংলাদেশী আইনজীবী রাজনীতিবিদ। == আরও দেখুন == হুমায়ুন কবীর চৌধুরী –বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। হুমায়ুন কবীর বালু –বাংলাদেশী সাংবাদিক। হুমায়ূন কবীর ঢালী –বাংলাদেশের একজন শিশুসাহিত্যিক।() হল সুফি আবুল নাজিব সোহরাওয়ার্দি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সুফি তরিকা। এটি সুন্নি ইসলামের অন্তর্গত এবং এতে শাফি মাজহাব মানা হয়। এই তরিকা নিজের সিলসিলা জুনায়েদ আল বোগদাদী আল-গাজ্জালির মাধ্যমে আলি ইবনে আবি তালিবের সাথে সম্পর্কিত করে। ==তথ্যসূত্র== ==আরও পড়ুন== Anna Suvorova, ''Muslim Saints of South Asia'', Routledge Curzon, 2004 ==বহিঃসংযোগ== History of the Order তরিকা দর্শন'''জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ''' (جمعیت علمائے ہند, ভারতীয় ওলামা সংঘ) ভারতের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ইসলামি সংগঠন। ১৯১৯ সালে মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা হুসাইন আহমেদ মাদানি, মাওলানা আহমেদ সাইদ দেহলভি, মুফতি কিফায়েতুল্লাহ দেহলভি, মুফতি মুহাম্মদ নাইম লুধিয়ানভি, মাওলানা আহমেদ লাহোরি, মাওলানা বশির আহমেদ ভাট্টা, মাওলানা সৈয়দ গুল বাদশা, মাওলানা হিফজুর রেহমান সিউহারভি মাওলানা আবদুল বারি ফিরাঙ্গি মেহলি কর্তৃক এটি গঠিত হয়। জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিল। জমিয়ত পুরো ভারতজুড়ে বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানের একটি উর্দু দৈনিক পত্রিকা ''আল জমিয়ত'' রয়েছে। জাতীয়তাবাদী দর্শনের পেছনে জমিয়তের ধর্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তাদের মতে ভারতের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকা ভারতীয় মুসলিমদের কর্তব্য। ==তথ্যসূত্র== 5: ==বহিঃসংযোগ== Jamiat Ulema Hind: the official website branch of jamiat ulema hind in mysore: the official website Ulama Haq Channel on Youtube in the memory of Jamiat Ulama Hind প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় সংগঠন ইসলাম ইসলামি সংগঠন'''আরব জাতি''' (, ''আরব'') বা আরবি ভাষী জাতি অন্যতম প্রধান জাতিগোষ্ঠী। মূলত পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, আফ্রিকার শিং নামক অঞ্চল আরব বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এই জাতির আবাসস্থল। এদের মধ্যে লেবানিজ, সিরিয়ান, আমিরাতি, কাতারি, সৌদি, বাহরাইনি, কুয়েতি, ইরাকি, ওমানি, জর্ডানি, ফিলিস্তিনি, ইয়েমেনি, সুদানি, আলজেরিয়ান, মরক্কান, তিউনিসিয়ান, লিবিয়ান মিশরীয়রা রয়েছে। আরব জাতির মধ্যে নানা জাতির মশ্রণ রয়েছেন। তাদের পূর্ববর্তী উৎস বিভিন্ন। ভাষা, সংস্কৃতি রাজনৈতিক ঐতিহ্য আরবদের ঐক্যের উপাদান হিসেবে কাজ করে। ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== {Ankerl, Guy} Coexisting Contemporary Civilizations: Arabo-Muslim, Bharati, Chinese, and Western. INU PRESS, Geneva, 2000. Touma, Habib Hassan. ''The Music of the Arabs''. Portland, Oregon: Amadeus P, 1996. Lipinski, Edward. ''Semitic Languages: Outlines of Comparative Grammar'', 2nd ed., Orientalia Lovanensia Analecta: Leuven 2001 Kees Versteegh, ''The Arabic Language'', Edinburgh University Press (1997) The Catholic Encyclopedia, Robert Appleton Company, 1907, Online Edition, K. Night 2003: article Arabia History of Arabic language(1894), Jelsoft Enterprises Ltd. The Arabic language, National Institute for Technology and Liberal Education web page (2006) Hooker, Richard. "Pre-Islamic Arabic Culture." WSU Web Site. June 1999. Washington State University. Owen, Roger. "State Power and Politics in the Making of the Modern Middle East 3rd Ed" Page 57 ==আরও পড়ুন== Price-Jones, David. ''The Closed Circle: an Interpretation of the Arabs''. Pbk. ed., with new preface by the author. Chicago: I. R. Dee, 2002. xiv, 464 p. pbk Ankerl, Guy. ''Coexisting Contemporary Civilizations: Arabo-Muslim, Bharati, Chinese, and Western.'' INU PRESS, Geneva, 2000. ==বহিঃসংযোগ== Arab League (Arabic) বিষয়শ্রেণী:আরব আফ্রিকা জাতি জাতি'''রিচার্ড মিলার ফ্লানাগান''' (জন্ম: ১৯৬১) তাসমানিয়ার লংফোর্ডে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক। দি ইকোনোমিস্টের মতে, ‘তিনি তাঁর সময়কালের সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিকদের একজন-রূপে গণ্য করা হয়। তাঁর প্রত্যেকটি উপন্যাসই ব্যাপকভাবে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম এবং তিনি অগণিত পুরস্কার সম্মাননা লাভের অধিকারী।’ এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন। ২০১৪ সালে দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ শিরোনামে ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনার জন্য তিনি ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। উপন্যাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে একদল অস্ট্রেলীয় যুদ্ধবন্দীকে কেন্দ্র করে রচিত হয়। যুদ্ধবন্দীদের রেললাইন নির্মাণে তাদের অভিজ্ঞতার চিত্র ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। == প্রারম্ভিক জীবন == তাসমানিয়া লংফোর্ডে জন্মগ্রহণকারী ফ্লানাগান ছয় ভাই-বোনের মধ্যে পঞ্চম। ১৮৪০-এর দশকে আয়ারল্যান্ড থেকে তার পূর্ব-পুরুষগণ অস্ট্রেলিয়ায় বসত গড়েন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মার রেলওয়ের মৃত্যু থেকে তার বাবা প্রাণে রক্ষা পান। তার তিন ভাইয়ের একজন অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলের সংবাদদাতা মার্টিন ফ্লানাগান। তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলের দূরবর্তী খনি শহর রোজবেরিতে তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়। == রচনাসমগ্র == ১৯৯৪ সালে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ‘ডেথ অব রিভার গাইড’ রচনা করেন। উপন্যাসে আলজাজ কোসিনি নামীয় এক নদীপথ প্রদর্শনকারীর কাহিনী বিবৃত হয়েছে। সে তার স্ত্রী পরিবারের অন্যান্যদের পাশাপাশি অন্যান্যদের জীবন বাঁচায়। পরবর্তীতে সে জলে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। উপন্যাসটি সম্পর্কে টাইমস লিটারেরি সাপ্লিম্যান্ট অস্ট্রেলীয় লেখনীতে সর্বাপেক্ষা নতুন ধারার সূত্রপাত ঘটেছে বলে অভিহিত করে। তার পরবর্তী বই ‘দ্য সাউন্ড অব ওয়ান হ্যান্ড ক্ল্যাপিং’ ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থে এক স্লোভেনীয় অভিবাসীর জীবন-চিত্র সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি ব্যাপকভাবে বিক্রিত বইয়ের মর্যাদা পায়। কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই ১৫০,০০০ কপির বেশি বিক্রি হয়। ফ্লানাগানের প্রথম দুইটি উপন্যাসই ‘কিরকাস রিভিউজ’ হিসেবে ঘোষিত হয় অস্ট্রেলিয়া বাইরে চমৎকার গল্প-কাহিনীর শীর্ষস্তরে পৌঁছায়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ABC.net.au Transcript of interview with Ramona Koval on The Book Show, ABC Radio National from Byron Bay Writers Festival, July 2007 Interview with Phillip Adams, Late Night Live, ABC Radio National Articles and videos at The Monthly ঔপন্যাসিক জন্ম ব্যক্তি পুরস্কার বিজয়ী লেখক চলচ্চিত্র পরিচালক'''ইয়ান থর্প''' (জন্ম: ১৩ অক্টোবর, ১৯৮২) নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় সাঁতারু। অলিম্পিক গেমসে তিনি পাঁচটি স্বর্ণপদক জয় করেন। একমাত্র সাঁতারু হিসেবে বিশ্ব এক আসরে ছয়টি সোনা জয় করে রেকর্ড গড়েন। তিনি তার বৃহৎ পদযুগলের জন্য পরিচিতি পেয়েছেন। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারু হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। জন্মকালীন সময়ে তিনি ৪.১ কেজি ওজন ০.৫৯ মিটার উচ্চতা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হন। ১২ জুলাই, ২০১৪ তারিখে প্রকাশিত হয় যে, থর্প সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == == বহিঃসংযোগ == Grand Slam International profile Ian Thorpe Ian Thorpe's Fountain For Youth সাঁতারু জন্ম ব্যক্তি আত্মজীবনীকার গেমসে অস্ট্রেলীয় প্রতিযোগী গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী অস্ট্রেলীয় গেমসে রৌপ্যপদক বিজয়ী অস্ট্রেলীয় সাবেক বিশ্বরেকর্ডধারী ফ্রিস্টাইল সাঁতারু গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সাঁতারু গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পদক বিজয়ী গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পদক বিজয়ী ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী অস্ট্রেলীয় স্বর্ণপদক বিজয়ী অস্ট্রেলীয় রৌপ্যপদক বিজয়ী অস্ট্রেলীয় অলিম্পিক পদক বিজয়ী অস্ট্রেলীয় সাঁতারু ক্রীড়া পদক বিজয়ী পদক বিজয়ী কমনওয়েলথ গেমসের সাঁতারু কমনওয়েলথ গেমসের সাঁতারু গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সাঁতারু'''জুবায়ের হোসেন''' (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫) জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশী ক্রিকেটার। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য জুবায়ের লেগব্রেক বোলিং করে থাকেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম লেগ-স্পিনার তিনি। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়েও পারদর্শী তিনি। ''লিখন'' ডাকনামে পরিচিত জুবায়ের এর পূর্বে বাংলাদেশ দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও অংশগ্রহণ করেছেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। বাংলাদেশের ৭৪তম টেস্ট ক্রিকেটার জুবায়ের প্রথম দিনেই জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে প্রথমে ব্রেন্ডন টেলরকে পরবর্তীতে সিকান্দার রাজাকে আউট করে ৫৮ রানের বিনিময়ে উইকেট পান। খেলায় তার দল উইকেটে জয়লাভ করে। সিরিজের তৃতীয় চূড়ান্ত টেস্টের তৃতীয় দিনে তার পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি বাংলাদেশ দলকে বেশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়। তার অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্যে জিম্বাবুয়ে দল ৩৭৪ রানে গুটিয়ে যায় ৩য় দিনশেষে বাংলাদেশ ১৫২ রানে এগিয়ে যায়। জুবায়ের ২০ ওভার বোলিং করে ৯৬ রানে উইকেট পান। ব্রেন্ডন টেলর, সিকান্দার রাজা, ক্রেগ আরভিন, এল্টন চিগুম্বুরা নাতসাই মুশাঙউই তার শিকারে পরিণত হন। == টেস্টে পাঁচ-উইকেট প্রাপ্তি == পরিসংখ্যান খেলা প্রতিপক্ষ মাঠ শহর দেশ সাল ফলাফল '''১''' ৫/৯৬ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম চট্টগ্রাম বাংলাদেশ ২০১৪ চলমান == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি টেস্ট ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার২০১২ অক্টোবরে, শিনকানসেন ট্রেইন '''শিনকানসেন''' (; মানে "নতুন শুঁড় লাইন") হল একটি উন্নত রেলগাড়ির উচ্চগতি রেল প্রযুক্তি যা জাপানে বিকাশ করা। জাপানে বর্তমানে জাপান রেলওয়ে গ্রুপ দ্বারা শিনকানসেন চালনা করা হচ্ছে। শিনকানসেনের প্রথম সংস্করণ হল ''তৌকাইদৌ শিনকানসেন'' () যার চালনার বিস্তার ৫১৫কিঃমিঃ ছিল টোকিও থেকে ওসাকা পর্যন্ত ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে। বর্তমানে শিনকানসেনের চালনার বিস্তার হল ২,৩৮৭কিঃমিঃ। শিনকানসেন উচ্চগতির বিশ্বরেকর্ড ধরে ৫৮১কিঃমিঃ/ঘঃ। বছরের পর বছর ধরে শিনকানসেনের অনেক সংস্করণ উন্নত করা হয়েছে। শিনকানসেন গড়ে ৩৮৪ মিলিয়ন যাত্রী বছরে বহন করতে পারে। == ইতিহাস == == প্রযুক্তি == == সমস্যা == === শব্দ দূষণ === === ভূমিকম্প === === ভারি তুষারপাত === == শিনকানসেনের লাইনসমূহ == == শিনকানসেনের সংস্করণসমূহ == == জাপানের বাইরে শিনকানসেনের প্রযুক্তি == == আরো দেখুন == জাপানের পরিবহন ব্যবস্থা == তথ্যসূত্র == রেল পরিবহন'''ড্রীম টাউন, নোবিতা Land Nobita Town) জাপানি মাঙ্গা জনপ্রিয় টেলিভিশন আনিমে সিরিজ ডোরেমনের ১৯৭৯ সালের প্রথম পর্ব। যেটির কাহিনী লিখেছেন ফুজিকো এফ. ফুজিও। পর্বটি শুরু হয় নোবিতা কে নিয়ে নোবিতা প্রচুর বিরক্ত হয়ে যায়। তখন সুনিও তাদের ডজবল খেলার আমন্ত্রণ জানায়। যতখনে নোবিতারা পৌছায় সেখান নানা লৌহার জিনিস জিনিস। তখন ডোরেমনের কাজে সাহায্য চাই। ডোরেমন একটি ম্যানুফেকসার বিল্ডিং ক্যামেরা বের করে। তারা শহরটি তৈরীতে সফল হয়। এবং তার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু কাল্পনিক শহরটি নোবিতার মা দ্বারা নষ্ট হয়। পর্ব শেষে ডোরেমন এবং নোবিতা সব ময়লা পরিষ্কার করে। ==তথ্যসূত্র==alt=Written version of the Basmala '''বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (আরবী: بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ)''' একটি আরবী বাক্যবন্ধ যার অর্থ '''পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে'''।, সংক্ষেপে বলা হয় পবিত্র কুরআন শরীফের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা তওবা ব্যতিরেকে অন্য বাকি ১১৩টি সূরা শুরু করা হয়েছে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" দিয়ে। এছাড়া হাদীস থেকে জানা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মাদ প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" বলতেন। অনেক কাজে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" বলা বা লেখার নির্দেশনা রয়েছে। বিধানগত বিচারে এটা মাসনূন বা মুস্তাহাব হলেও এর তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। == বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম == উচ্চারণ বাংলা অনুবাদ '''বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম''' '''অনন্ত করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে''' == তাৎপর্য == rendering of the Basmala in the shape of pear তাফসির-ই-ইবনে আবি হাতিমে রয়েছে, ‘উসমান বিন আফফান রা: রাসূলুল্লাহ (সা:) কে ‘বিসমিল্লাহ’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, এতে আল্লাহ তায়ালার নাম। আল্লাহর বড় নাম এবং এই বিসমিল্লাহর মধ্যে এতদূর নৈকট্য রয়েছে যেমন রয়েছে চুর কালো অংশ সাদা অংশের মধ্যে। ইবনে মরদুওয়াইর তাফসিরে রয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, আমার ওপর এমন একটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে যার মতো আয়াত হজরত সুলাইমান ছাড়া অন্য কোনো নবীর ওপর অবতীর্ণ হয়নি। আয়াতটি হলো, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’। হজরত জাবির রা: বর্ণনা করেন, যখন আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন পূর্ব দিকে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়, বায়ুমণ্ডলী স্তব্ধ হয়ে যায়, তরঙ্গ বিুব্ধ সমুদ্র প্রশান্ত হয়ে ওঠে, জন্তুগুলো কান লাগিয়ে শয়তানকে বিতাড়ন করে এবং বিশ্বপ্রভু স্বীয় সম্মান মর্যাদার কসম করে বলেন, ‘যে জিনিসের ওপর আমার নাম নেয়া যাবে তাতে অবশ্যই বরকত হবে। (তাফসির ইবনে কাসির) == শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার দোয়া == একটি ব্যক্তিগত চিঠিতে বিসমিল্লাহ। ১০-১১ শতাব্দী বিসমিল্লাহ দিয়েই সব কাজ শুরু করতে হয়। কাজ কথার শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে, যে কাজ বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা না হয় তা কল্যাণহীন বরকতশূন্য থাকে। এর মাধ্যমে কাজের শুরুতে আল্লাহর আনুগত্য করা হয় এবং মানুষের অমতা বিনয় ভাব প্রকাশ পায়। বাক্যের মাধ্যমে কর্ম শুরু করলে শয়তানের অসওয়াসা থেকে মুক্ত থাকা যায়। বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করলে আল্লাহ তাকে করুণা করেন, হেফাজতে রাখেন কাজে বরকত দান করেন। আনাস রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহর নামে বের হলাম, আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম, আমার কোনো উপায় নেই, মতা নেই আল্লাহ ছাড়া’ তখন তাকে বলা হয় তুমি পথ পেলে, উপায় পেলে রা পেলে। তারপর শয়তান তার থেকে দূর হয়ে যায়। তখন আর এক শয়তান শয়তানকে বলে, তুমি লোকটিকে কেমন পেলে? তখন সে বলে, তাকে হেদায়েত দেয়া হয়েছে, পথ দেয়া হয়েছে রা করা হয়েছে’ (মিশকাত হা-২৪৪৩) সুসার বু-ফাতাতা মসজিদের ভিত্তি শিলালিপির শুরুতে বিসমিল্লাহ্‌। ৯ম শতাব্দী হুজায়ফা (রা:) বলেন, নবী করীম সা: বলেছেন, ‘শয়তান সেই খাদ্যকে নিজের জন্য হালাল করে নেয়, যে খাদ্যের ওপর বিসমিল্লাহ বলা হয় না।’ (মুসলিম হা-২০১৭, আবু দাউদ হা-৩৭৬৬) জাবির (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘বিসমিল্লাহ বলে তুমি তোমার দরজা বন্ধ করো। কারণ শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। বিসমিল্লাহ বলে বাতি নিভিয়ে দাও। একটু কাঠখড়ি হলেও আড়াআড়িভাবে বিসমিল্লাহ বলে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখো। বিসমিল্লাহ বলে পানির পাত্র ঢেকে রাখো।’ (বুখারি হা-৩২৮০, মুসলিম হা-২০১২, আবু দাউদ হা-৩৭৩১, তিরমিজি হা-২৮৫৭) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে, সে বলবে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবিনাশ শায়তানা অজান্নিবিশ শায়তানা মা রাজাকতানা’ (অর্থাৎ) আল্লাহর নামে মিলন শুরু করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং শয়তানকে দূরে রাখো, আমাদের মাঝে কোনো সন্তান নির্ধারণ করলে শয়তান কখনো তার কোনো তি করতে পারবে না।’ (বুখারি হা-১৪৩৪, আবু দাউদ হা-২১৬১, তিরমিজি হা-১০৯২, ইবনু মাজাহ হা-১৯১৯)। == গুরুত্ব বরকত == আয়েশা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কোনো ব্যক্তি খাদ্য খাবে সে যেন বিসমিল্লাহ বলে। যদি বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায় তাহলে সে যেন বলে, বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু’ (আবু দাউদ হা-৩৭৬৭, ইবনু মাজাহ হা-৩২৬৪)। বিসমিল্লাহর গুরুত্ব বরকত অপরিসীম। বিসমিল্লাহ না বলার কারণে একটি হালাল খাদ্য আমাদের জন্য হারাম হয়ে যায়, আবার বিসমিল্লাহ না বলার কারণে নেক নিয়ত থাকলেও অনেক কর্মে বরকত না হওয়ায় অসন্মানিত হতে হয়। কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হলে সে কাজে আল্লাহর রহমত বরকত অবতারিত হতে থাকে। শয়তান সেখানে অবস্থান নিতে পারে না। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর কাছে প্রথম ওহি নাজিলের সময়ও এই উত্তম বাক্য পড়ানো হয়েছিল। == প্রথম সূরা == লিপিতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস বলেন, ‘জিবরাইল (আ:) সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন, তা হচ্ছে জিবরাইল (আ:) বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনি আশ্রয় চান। মুহাম্মদ (সা:) বললেন, আমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই। অতঃপর জিবরাইল (আ:) বললেন, হে নবী! আপনি বলুন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। অতঃপর জিবরাঈল (আ:) বললেন, ইকরা' বিসমি… অর্থাৎ আপনি পড়–ন, আপনার প্রতিপালকের নামে, যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা:) বলেন, এটাই প্রথম সূরা, যা আল্লাহ তায়ালা জিবরাইল (আ:) এর মাধ্যমে মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি অবতীর্ণ করেন।’ (ত্বাবারি, তাফসির ইবনু কাছির হা-২৬৩) == সূচনাবাক্য == ‘বিসমিল্লাহ’ হলো সব কাজের সূচনাবাক্য। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের শুরুতেও বিসমিল্লাহ বলতে হবে। বিসমিল্লাহ দিয়েই সূরা শুরু করা হয়েছে। আল্লাহর নির্দেশিত ইসলামি বিধান মতে সমর্থিত কাজ শুরুর প্রাক্কালেই ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হয়। কিন্তু অন্যায় কাজ ইসলামবহির্ভূত কর্মের জন্য ‘বিসমিল্লাহ’ বলা আল্লাহদ্রোহিতার শামিল। অমূল্য অতুলনীয় এই বাক্যের মাধ্যমে আলাহর আনুগত্য প্রকাশ পায়। সুন্দর মাধুর্যমণ্ডিত এই শব্দমালা কর্মের আগে প্রকাশ করার মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্ত আমল সম্পাদন করা এবং ইসলামী সংস্কৃতির অনুসরণ করা যায়। এটিকে অস্বীকার বা মানা না হলে কর্ম অর্থহীন হয়ে যায়। মহানবী (সা:) বলেছেন ‘প্রত্যেক ভালো কাজের শুরুতে যদি ‘বিসমিল্লাহ’ বলা না হয় তা হলে তা অসম্পূর্ণ নিম্নমানের থেকে যায়।’ (আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ)। == ক্যালিগ্রাফিতে বিসমিল্লাহ == ইসলামিক ক্যালিগ্রাফিতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম প্রচুর লেখা হয়। স্ক্রিপ্টে আরবি Arabic calligraphy File:The Bismillah India.jpg|মুঘল সাম্রাজ্যের লিপিবিদ্যায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম দেখা যাচ্ছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আল্লাহ দয়ালু File:Basmala kufi.svg| কুফিক স্ক্রিপ্টের মধ্যে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আঁকা, কায়রোয় ইসলামী জাদুঘর থেকে ৯ম শতাব্দী File:Bismillah রাহমানির রাহীম == আরও দেখুন == কালেমা আল ফাতিহা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == শর্তাবলী শব্দ এবং শব্দসমষ্টি লিপিবিদ্যা() (১৮৫২-১৯১২) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স চতুর্থ () উপাধিধারী বৌদ্ধ লামা ছিলেন। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের আমদো অঞ্চলের ঝ্বা-দ্মার () নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল বান-য়ান () এবং মাতার নাম ছিল মা-গ্চিগ ()। কম বয়সে তাকে () নামক তৃতীয় () উপাধিধারী বৌদ্ধ লামার পুনর্জন্ম রূপে চিহ্নিত করা হয়। চার বছর বয়স থেকে তিনি লা-মো-ব্দে-ছেন () বৌদ্ধবিহারে শিক্ষালাভ করেন এবং আট বছর বয়সে () নামক এক ভিক্ষুর নিকট শ্রমণের শপথ গ্রহণ করেন। () এবং () নামক দুই বৌদ্ধ ভিক্ষু এই সময় তার শিক্ষক ছিলেন। উনিশ বছর বয়সে তিনি () বৌদ্ধবিহারে (), (), () প্রভৃতি ভিক্ষুদের নিকট শিক্ষালাভ করেন। এই সময় তিনি () নামক লামার নিকট জ্যোতিষশাস্ত্র, () নামক লামার নিকট চিকিৎসাশাস্ত্র এবং () নামক লামার নিকট ব্যাকরণ সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন। শিক্ষালাভের শেষে তিনি দীর্ঘ পনেরো বছর সাধনায় লিপ্ত থাকেন। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি () বৌদ্ধবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। ত্রয়োদশ দলাই লামা তার বৌদ্ধধর্ম সম্বন্ধে জ্ঞানে মুগ্ধ হয়ে তাকে পণ্ডিত উপাধি প্রদান করেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু ঝামারম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান থেকে উদ্ধৃতাংশ, সোমবার, ২৬ নভেম্বর ১৯১৭। ইংরেজি ভাষায় এটিই প্রথম সূত্র যা সাইকস পিকট চুক্তি বলে পরিচিত হয়। '''সাইকস-পিকট চুক্তি''', সরকারিভাবে যা '''এশিয়া মাইনর চুক্তি''' বলে পরিচিত, ছিল যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের মধ্যকার একটি গোপন চুক্তি। এতে রাশিয়ারও সম্মতি ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পরাজয়ের পর মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আতাতের উদ্দেশ্য এতে বিবৃত হয়। ১৯১৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯১৬ সালের মার্চের মধ্যে এই চুক্তির আলোচনা চলে। ১৯১৬ সালের ১৬ মে এটির উপসংহারে পৌছায়। এই চুক্তির আওতায় আরব উপদ্বীপের বাইরে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আরব প্রদেশগুলো ভবিষ্যত ব্রিটিশ ফরাসি নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবাধীন অঞ্চলে বিভক্ত হয়। ফরাসি পক্ষে কূটনৈতিক ফ্রাঙ্কোস জর্জ পিকট ব্রিটিশ পক্ষে স্যার মার্ক সাইকস এতে সমঝোতা করেন। সাইকস পিকট চুক্তিতে রাশিরার জারপন্থি সরকার কম গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হিসেবে ছিল। পরবর্তীতে ১৯১৭ সালের অক্টোবরে রুশ বিপ্লবের পর বলশেভিকরা চুক্তিটি প্রকাশ করে। ফলে ব্রিটিশরা বিব্রত হয়। অন্যদিকে আরবরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং প্রকাশিত হওয়ায় তুর্কিরা আনন্দিত হয়। ==অঞ্চল বন্টন== ব্রিটেনকে জর্ডান নদী সমুদ্রের মধ্যবর্তী অঞ্চল, জর্ডান, দক্ষিণ ইরাক এবং হাইফা এক্রের বন্দরসহ ক্ষুদ্র এলাকা বরাদ্দ দেয়া হয় যাতে ভূমধ্যসাগরে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফ্রান্সকে দক্ষিণপূর্ব তুরস্ক, উত্তর ইরাক, সিরিয়া লেবানন বরাদ্দ দেয়া হয়। রাশিয়া ইস্তানবুল, তুরস্কের প্রণালী উসমানীয় আর্মেনীয় ভিলায়েত পাওয়ার কথা ছিল। এসকল এলাকার ভেতরের বিষয়বস্তুর বিষয়ে পক্ষগুলোর স্বাধীনতা ছিল। আন্তর্জাতিক প্রশাসন নির্ধারণের জন্য আরো আলোচনা আশা করা হচ্ছিল। ==তথ্যসূত্র== ==আরও পড়ুন== The Sykes–Picot Agreement Sykes–Picot agreement text at UNISPAL Sykes-Picot from Yale Mid East Author ফ্রান্স উসমানীয় সিরিয়া যুক্তরাজ্য ভিলায়াত ভিলায়েত চুক্তি চুক্তি সম্পাদিত চুক্তি বিশ্বযুদ্ধের চুক্তি'''ডেভিড জেনকিন্স হাউস''' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালোরিনার গ্যাস্টোনিয়ায় অবস্থিত হল একটি ঐতিহাসিক বাড়ি। যেটি এই বাড়িটিকে নির্মাণ করা হয়েছিল ১৮৬৬ থেকে ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। এটার নির্মাতা হলেন ডেভিড জেনকিন্স যিনি একজন রাজনৈতিক নেতা এবং ১৮৬৮ থেকে ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত উত্তর কারোলিনায় রাজ্য কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমানে এই বাড়িটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। এই বাড়িটিকে ১৯৭৮ সালে ঐতিহাসিক এলাকার তালিকায় তালিকা ভুক্ত করা হয়। ==তথ্যসূত্র== প্রতিষ্ঠিত'''সৌম্য শান্ত সরকার''' (জন্ম: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩) সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশ এ-দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল, ঢাকা খুলনা বিভাগ দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলেছেন। বামহাতি ব্যাটসম্যান '''সৌম্য সরকার''' ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী। == প্রারম্ভিক জীবন == ৪-৭ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগে তার অভিষেক ঘটেছিল। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স দলের পক্ষে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে খেলেছেন। ক্রিকেটার না হলে তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ৫ম শেষ একদিনের আন্তর্জাতিকে তার অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি ১৮ বলে বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান সংগ্রহ করেন। একই খেলায় তার সাথে তাইজুল ইসলামেরও অভিষেক হয়। খেলায় বাংলাদেশ দল উইকেটে জয় পেয়ে ৫-০ ব্যবধানে জিম্বাবুয়ে দলকে বাংলাওয়াশ করে। ২২ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে তিনি তার প্রথম ওডিআই শতক হাঁকান। মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওডিআইয়ে ১১০ বল মোকাবেলা করে অপরাজিত ১২৭* রান তোলেন। তার ইনিংসটিতে ছয়টি ছক্কা ১৩টি চারের মার ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের (৬৪) সাথে জুটি গড়ে মূল্যবান ১৪৫ রান সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে মুশফিকুর রহিমের (৪৯*) সাথে ৯৭ রান তোলেন। এরফলে তার দল ১০ ওভারেরও বেশি বল বাকী থাকতে উইকেটের সহজ জয় পায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো বাংলাওয়াশ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। ২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে তারও অভিষেক ঘটে। কিন্তু মাত্র বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে রান আউটের শিকার হন তিনি। খেলায় অবশ্য সাকিব সাব্বির রহমানের ক্রীড়ানৈপুণ্যে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে উইকেটের বিরাট জয় পায়। == ক্রিকেট বিশ্বকাপ == ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে বিসিবি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে তিনিও দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। মার্চ, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৫ম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩য় উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে (১০৩) সাথে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। খেলায় তিনি ৪০ রান সংগ্রহ করেন। এরপর মুশফিকুর রহিমের ঝড়োগতিতে ৭৭ বলে ৮৯ রানের সুবাদে একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলগতভাবে সর্বোচ্চ রান তোলে। পরবর্তীতে রুবেল হোসেনের প্রশংসনীয় বোলিংয়ে (৪/৫৩) বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধানে জয়ী হওয়াসহ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। == আন্তর্জাতিক শতকসমূহ == কলামের '''রান''', চিহ্ন দ্বারা '''অপরাজিত''' বোঝান হয়েছে কলামের শিরোনাম '''ম্যাচ''' দ্বারা খেলোয়াড়ের '''ম্যাচ সংখ্যা''' উল্লেখ করা হয়েছে ===একদিনের আন্তর্জাতিক শতকসমূহ=== সৌম্য সরকারের একদিনের আন্তর্জাতিক শতকসমূহ রান ম্যাচ প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ বছর ফলাফল '''১''' ১২৭* ১০ ঢাকা, বাংলাদেশ শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২০১৫ বিজয়ী '''২''' ১১৭ ৩৫ চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ২০১৮ বিজয়ী == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == তামিম ইকবাল ২০১৪-১৫ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সেঞ্চুরির তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার‎ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার লিমিটেডের ক্রিকেটার বিভাগের ক্রিকেটার বিভাগের ব্যক্তি ক্রিকেটার রাজশাহীর ক্রিকেটার ব্যক্তি ক্রিকেটার হিন্দু টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্রিকেটার দলের ক্রিকেটার দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিকেটার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটার রাইডার্সের ক্রিকেটার অব রূপগঞ্জের ক্রিকেটার'''কামিল আল-হুসাইনি''' (, বা '''কামেল আল-হুসাইনি''') (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ ৩১ মার্চ ১৯২১) ছিলেন একজন সুন্নি মুসলিম ধর্মীয় নেতা এবং জেরুজালেমের গ্র্যান্ড মুফতি। তিনি ১৯০৮ সাল থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। কামিল আল হুসাইনি জেরুজালেমের প্রথম গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ তাহির আল-হুসাইনির পুত্র। ১৯০৮ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর তিনি তার উত্তরসুরি হন। রাজনৈতিক দিক থেকে তিনি তার পিতার চেয়ে ভিন্নপন্থি ছিলেন। ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ মেন্ডেটের সময় তিনি ইহুদি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতার পক্ষে ছিলেন। ব্রিটিশরা তাকে আপিল আদালতের চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে উচ্চতর ওয়াকফ কমিটির নেতা নিয়োগ দেয়। তার মৃত্যুর পর তার ভাই মুহাম্মদ আমিন আল-হুসাইনি তার উত্তরসুরি হন। ==তথ্যসূত্র== *Zvi Elpeleg (1992, David Harvey, trans.). ''The Grand Mufti Haj Amin al-Hussaini, Founder of the Palestinian National Movement'' (London: Frank Cass) ==বহিঃসংযোগ== Palestinian Personalities: Al-Husseini, Kamel মৃত্যু গ্র্যান্ড মুফতি বিচারক জন্ম বিচারক পরিবারআগভান দোর্জিয়েভ '''আগভান দোর্জিয়েভ''' (১৮৫৪-১৯৩৮) তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের দ্গে-লুগ্স সম্প্রদায়ের একজন রুশ বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন। তিনি ত্রয়োদশ দলাই লামার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তার সঙ্গে রুশ সাম্রাজ্যের কূটনৈতিক সমন্বয়কারী ছিলেন। তিব্বতে রুশ নাগরিক হিসেবে তার উপস্থিতি ভারতে অবস্থিত ব্রিটিশদের মধ্যে প্রাচ্যে রুশ সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ সম্বন্ধে আশঙ্কার সৃষ্টি করে। সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে দাতসান গুঞ্জেচোইনেই রাশিয়ার প্রথম বৌদ্ধ মন্দির স্থাপন এবং ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গোলিয়া তিব্বত সরকারের মধ্যে মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তিনি বিখ্যাত। == তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা == আগভান দোর্জিয়েভ ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে উনিশ বছর বয়সে তিব্বতের দ্রেপুং বৌদ্ধবিহার গোমাং মহাবিদ্যালয়ে বৌদ্ধধর্ম সম্বন্ধে শিক্ষালাভের জন্য ভর্তি হন। পনেরো বছর শিক্ষালাভের পর তিনি ত্সানিদ খেনপো উপাধলাভ করেন। ১৯১০-এর দশকের শেষ ভাগ পর্যন্ত তিনি ত্রয়োদশ দলাই লামার আধ্যাত্মিক উপদেষ্টা এবং বিতর্কের সঙ্গী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন সহযোগীতে পরিণত হন। == দলাই লামার দূত == ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে আগভান দোর্জিয়েভ গোমাং মহাবিদ্যালয়ের জন্য অর্থসাহায্যের জন্য সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে গেলে প্রাচ্যবিদ এস্পার উখটমস্কির সংস্পর্শে আসেন, যিনি তাকে জারের সঙ্গে সাক্ষাত ঘটাতে সাহায্য করেন। ১৮৯০-এর দশক থেকে দোর্জিয়েভ রাশিয়াকে উত্তর দিকে কিংবদন্তী রাজ্য শম্ভালের সঙ্গে তুলনা করে কাহিনী প্রচার করতে শুরু করেন যে জার দ্বিতীয় নিকোলাস তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম রক্ষা করতে চান। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের বসন্তকালে ত্রয়োদশ দলাই লামা দোর্জিয়েভের সঙ্গে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদলকে জারের নিকট প্রেরণ করেন। তারা জারের সঙ্গে ক্রিমিয়ার লিভাদিয়া প্রাসাদে জারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং সেখান থেকে রুশ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লাসা ফিরে আসেন। ==ব্রিটিশদের সন্দেহ== ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের গভর্নর-জেনারেল লর্ড কার্জন বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে রাশিয়া তিব্বতের মধ্যে গোপণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে ভারতে ব্রিটিশ রাজ বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি তিব্বতে উপস্থিত আগভান দোর্জিয়েভকে রুশ সরকারের কর্মচারী গুপ্তচর বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিব্বতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে রাশিয়া মধ্য এশিয়ার বাণিজ্যপথগুলি নিজের অধীনস্থ করতে চায়, এই আশঙ্কায় ব্রিটিশদের তিব্বত অভিযান সংগঠিত হয়। ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে দোর্জিয়েভ ত্রয়োদশ দলাই লামাকে মঙ্গোলিয়ার উর্গা শহরে পালিয়ে যেতে রাজী ক্রাতে সক্ষম হন। ব্রিটিশদের তিব্বত অভিযানের সময় দোর্জিয়ভ লাসার অস্ত্রাগার গ্যানৎসে শহরের দুর্গ থেকে সামরিক কার্যকলাপের দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু দোর্জিয়েভ প্রকৃতই একজন রুশ গুপ্তচর ছিলেন কিনা এবিষয়ে তথ্যপ্রমাণের অভাব রয়েছে। == নির্মাণ == ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে জারের অনুমতিতে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে দাতসান গুঞ্জেচোইনেই নামে একটি বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ করেন। এছাড়া ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আতসাগাতের বিহারে একটি চিকিৎসা নির্মাণ করেন, যা দ্রুত বুরয়াতিয়ায় তিব্বতী চিকিৎসাশাস্ত্র চর্চার একটিই কেন্দ্র হয়ে ওঠে। চুক্তি== ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে দোর্জিয়েভ দুইজন তিব্বতী প্রতিনিধি উর্গা শহরে মঙ্গোলিয়া তিব্বত সরকারের মধ্যে মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে তিব্বত মঙ্গোলিয়া উভয় রাষ্ট্র একে অপরকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং চীনের শাসনাধীনে না থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আদৌ দোর্জিয়েভের ওপর সরকারিভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা এখনো বিতর্কিত বিষয়। ==বিপ্লবোত্তর রাশিয়ায়== রুশ বিপ্লবের পরে দোর্জিয়েভকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, কিন্তু সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের কয়েকজন বন্ধুদের সাহায্যে তিনি ছাড়া পান। তার নির্মিত দাতসান গুঞ্জেচোইনেই বৌদ্ধ মন্দিরটিতে লুঠপাট চালানো হয়। দ্রুত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে দোর্জিয়েভ সমবায় খামারে পরিণত পরিকল্পনা জমা দেন। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে বুরয়াতিয়ার সকল বিহারকে জাতীয়করণ করে ভিক্ষুদের হাত থেকে প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের সংগঠনগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর জোসেফ স্তালিনের মহান শুদ্ধিকরণের সময় তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের চক্রান্ত এবং মঙ্গোলঙ্গো জাপানীদের হয়ে গুপ্তচরগিরির অভিযোগ আনা হয়। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে জানুয়েরী পুলিশ হেপাজতে জেল হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তাকে চেলুতাইয়ের নিকটের জঙ্গলে একটি গুপ্ত সমাধিস্থানে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যুর বাহান্ন বছর পরে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই মে তথ্যপ্রমাণের অভাবের কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা রদ করে দেওয়া হয়। == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন== Andreyev, Alexandre (1996). "Soviet Russia and Tibet: Debacle of Secret Diplomacy." ''The Tibet Journal''. Vol. XXI, No. 3. Autumn 1996, pp. 4–34. Bernstein, Anya (2006). "Pilgrims, Fieldworkers, and Secret Agents: Buryat Buddhologists and Eurasian Imaginary." Bray, John (1996). Book Review of: Snelling, John. (1993). ''Buddhism in Russia: The Story of Agvan Dorzhiev Lhasa's Emissary to the Tsar.'' Element Books. ''The Tibet Journal''. Vol. XXI, No. 3. Autumn 1996, pp. 71–73. Kuleshov, Nikolai S. ''Russia's Tibet File, the unknown pages in the history of Tibet's independence'', (first edition 1996), edited by Alexander Berzin and John Bray, LTWA, Samten, Jampa. (2010). "Notes on the Thirteenth Dalai Lama's Confidential Letter to the Tsar of Russia." In: ''The Tibet Journal'', Special issue. Autumn 2009 vol XXXIV n. 3-Summer 2010 vol XXXV n. 2. "The Earth Ox Papers", edited by Roberto Vitali, pp. 357–370. Znamenski, Andrei. (2011). ''Red Shambhala: Magic, Prophecy, and Geopolitics in the Heart of Asia''. Quest Books. জন্ম মৃত্যু তিব্বতী বৌদ্ধ'''আবুল কালাম আজাদ''' (জন্ম: জানুয়ারি, ১৯৩৩ মৃত্যু: ডিসেম্বর ১৫, ১৯৭১ একজন বাংলাদেশী গণিতবিদ শিক্ষাবিদ ছিলেন। ষাটের দশকে গণিতজ্ঞ হিসেবে তার নাম দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। লন্ডনের রাজকীয় আবহাওয়াবিজ্ঞান সমিতি, যুক্তরাজ্যের ফলিত গণিত সমিতি বোস্টনের আবহাওয়াবিজ্ঞান সমিতির ফেলো ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেশীয় দোসরদের একটি দল তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। == প্রাথমিক জীবন শিক্ষা == আবুল কালাম আজাদের জন্ম কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। শিক্ষাজীবনে গণিতের ছাত্র ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। আজাদ ছাত্রজীবনে বরাবরই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে রেকর্ড ভাঙ্গা নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদক পান। ==কর্মজীবন == বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আজাদ ফ্লাইং অফিসারের পদমর্যাদা নিয়ে অধ্যাপক হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনী একাডেমীতে যোগ দেন। সেখান থেকে প্রশিক্ষণের জন্য তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়। বিমান বাহিনীতে তার মেধা এবং কৃতিত্ব অবাঙ্গালীরা ভালো চোখে দেখেনি। এজন্যে তার চাকুরির মেয়াদ তারা হঠাৎ শেষ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে তিনি তখন ঢাকায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সভাপতির কাছে চাকুরীর সন্ধান চেয়ে চিঠি লেখেন। চিঠির উত্তরে তিনি সাক্ষাৎকারের সুযোগ পান এবং পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তরল পদার্থসম্পর্কিত বলবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা, ফলিত গণিতে এমএসসি এবং ম্যাথবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে ১৯৫৮ সালের নভেম্বর মাসে সরকারি কলেজের অঙ্কের লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। পরে সরকারি জগন্নাথ কলেজের গণিত বিভাগে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন। জগন্নাথ কলেজে একপর্যায়ে গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হন। ১৯৬৮-৬৯ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৭০ সালে ঢাকা অধীন ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি টিচিং-এ যোগ দেন। নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এখানে অধ্যাপনা করেন। আবুল কালাম আজাদ ছাত্রজীবনে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। শিক্ষকতাকালে (১৯৫৮-৭১) দেশের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছেন। একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে নানা কর্মসূচিতে নানাভাবে সহায়তা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অবরুদ্ধ ঢাকায় তিনি পরিবারসহ থেকে যেতে বাধ্য হন। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে না পারলেও যখনই পেরেছেন গোপনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কাজ করেছেন। ==পারিবারিক জীবন== অবিবাহিত আবুল কালাম আজাদ মা, চার ভাই চার বোনসহ থাকতেন ঢাকার আজিমপুরে। ভাইবোনদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তার বাবা বেঁচে না থাকায় তিনিই ছিলেন তাদের অভিভাবক। অবরুদ্ধ জীবনের মধ্যে তাকে ভাইবোনদের আগলে রাখতে হয়েছে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পরিবারের সবাইকে বেঁচে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন। আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত ছিলেন, দেশ একদিন স্বাধীন হবেই। যুদ্ধের পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলেও এই স্বাধীনতা তিনি দেখে যেতে পারেননি। == মৃত্যু == দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক দিন আগে, ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেশীয় দোসরদের একটি দল তাকে আটক করে অজ্ঞাত এক স্থানে নিয়ে যায়। বদর বাহিনীর পাঁচটি খুনী ১৫ই ডিসেম্বর সকালে তাদের বাসায় ঢুকে পড়ে। প্রথমে তারা আজাদের সামনে রিভলবার ধরে তাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে অকারণ তল্লাসী চালায়। তারপর নিরপরাধ আজাদকে বাসি মুখে ধরে নিয়ে যায়। ছোট বোনটি তখন তাদের পায়ে ধরেছিল। মা, বার বার তাদের বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, বাবা তোমরা বাঙ্গালী, তোমরাও আমার ছেলে, ওকে তোমরা ছেড়ে দাও। কিন্তু কেউ তার কথা শোনেনি, নরপশুরা এই নারীকে প্রতিবারই প্রচণ্ড ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। সেদিন তিন ঘণ্টার জন্য সান্ধ্য আইন উঠে যায়। স্বাধীনতার পর তার পরিবারের সদস্যরা রায়ের বাজার বধ্যভূমি সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। তখন আজাদের ছোট ভাই ‘ইভনিং পোস্ট’ –এর সম্পাদক হাবিবুল বাশার, বড় ভগ্নিপতি ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সির মালিক গোলাম রসুল আজাদের সন্ধান নেওয়ার জন্যে নানাভাবে চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে পাওয়া গেল ১৭ই ডিসেম্বর বিকেলে, ডঃ রাব্বি সহ আরো কয়েকজন জ্ঞানীগুণীর লাশের পাশে। == সম্মাননা == ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিতে রেকর্ড ভাঙ্গা নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদক পান। ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে শিক্ষায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে। গণিতশাস্ত্রে পাণ্ডিত্যের জন্যে তিনি লন্ডনের রাজকীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান সমিতি, যুক্তরাজ্যের ফলিত গণিত সমিতি এবং বোস্টনের আবহাওয়া বিজ্ঞান সমিতির ফেলো নির্বাচিত হন। == তথ্যসূত্র == ==আরও পড়ুন== ''শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ'' রশিদ হায়দার সম্পাদিত। ''শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারক ডাকটিকিট (প্রথম পর্যায়) প্রকাশ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা'' (১৯৯১)। ''বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ৮ম খণ্ড'' ৫০৮-৫০৯ নং পৃষ্ঠা। ১৯৭৩ সালের জাতীয় দিবসে সাপ্তাহিক বিচিত্রার বিশেষ সংখ্যা। ==বহি:সংযোগ== ''বুদ্ধিজীবী হত্যা'', বাংলাপিডিয়া, এশিয়াটিক সোসাইটি। শিক্ষাবিদ জন্ম মৃত্যু শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিক্ষক গবেষণায় একুশে পদক বিজয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ব্যক্তি'''এক্সেস টাইম''' হল একটি বৈদ্যুতিক সিস্টেমে রিকোয়েস্ট পাঠানো এবং রিকোয়েস্ট সমাপ্ত হওয়ার মধ্যকার সময়। আরো সহজে বলতে গেলে একটি সিস্টেমে যদি ডেটা চাওয়া হয় এবং সেই ডেটা পেতে যতটুকু সময় লাগে তাকে এক্সেস টাইম বলে। একটি দূরযোগাযোগ ব্যবস্থায়, এক্সেস টাইম বলতে এক্সেস করতে যে প্রচেষ্টা করা হয় এবং তা যখন সফল হয় তাকে বুঝায়। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে, এটা হল ডেটা পাওয়ার জন্য চাওয়া বা স্টোর করা এবং তা কত সময়ে সমাপ্ত হল বা স্টোর করতে শুরু করল সেই সময়কে বুঝায়।'''হিফরশি''' (ইংরেজিতে: HeForShe) জাতিসংঘের ইউএন ওমেন কর্তৃক গৃহীত একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করা। নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বৈষম্য প্রতিরোধে পুরুষদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠাই হিফরশি উদ্যোগের উদ্দেশ্য। জাতিসংঘ বিশ্বাস করে যে, ‘লিঙ্গ অসমতার প্রভাব সব ধরণের মানুষের উপরে সামাজিক, আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে পড়ে। এটি কাটিয়ে উঠতে পুরুষদের প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’ নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হিফরশি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ইউএন ওমেন শুভেচ্ছা দূত এবং ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন বক্তৃতা রাখেন। বক্তৃতায় ওয়াটসন পুরুষ সমাজকে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ইউএন ওমেন তাদের এই প্রচারণায় ১০০০০০ পুরুষকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে। এর তিনদিনের মধ্যেই ইউএ ওমেন লক্ষ্যটি অর্জন করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, অভিনেতা ম্যাট ডেমন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনসহ আরো কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের এই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। হিফরশি ওয়েবসাইটে একটি ম্যাপ ব্যবহার করা হয় যাতে বিশ্বব্যাপী যত পুরুষ হিফরশি প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করবে, তাদের সংখ্যা এবং যে অবস্থান থেকে প্রতিজ্ঞাটি করা হয় তা প্রদর্শন করা হয়। ২০১৫ সালের জুলাই নাগাদ ইউএন ওমেন এই প্রচারণায় প্রায় বিলিয়ন পুরুষকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণে সম্পৃক্ত করার জন্য কাজ করছে। এছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ হতে লিঙ্গ সমতা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হিফরশি সুশীল সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনলাইনসহ বিভিন্ন উপায়ে কাজ করবে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট অধিকার'''নাফাখুম জলপ্রপাত''' বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। মারমা ভাষায় ''খুম'' মানে জলপ্রপাত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। ==অবস্থান== বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে এই জলপ্রপাতটি অবস্থিত। বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি একটি মারমা অধু্যসিত এলাকা। বান্দরবন হতে ৭৯ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত থানচি। সাঙ্গু নদীর পাড়ে অবস্থিত থানচি বাজার। এই সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রীর দিকে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে হয় নৌকা বেঁয়ে। কারণ নদীটি রেমাক্রী হতে থানচির দিকে ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে এসেছে এবং এই জন্য এখানে অনেক স্রোত থাকে। নদীর কিছুদূর পর পর ১-২ ফুট এমন কি কোথাও কোথাও ৪/৫ ফুট পর্যন্ত ঢালু হয়ে নিচে নেমেছে। নদীর দুপাশে সবুজে মোড়ানো উচু উচু পাহাড় রয়েছে। কোন কোন পাহাড় এতই উচু যে তার চূড়া ঢেকে থাকে মেঘের আস্তরে। সবুজে ঘেরা সে পাহাড়ে মাঝে মাঝে দু একটি উপজাতী বসতঘর দেখা যায়। পাহাড়ের ঢালুতে টিন আর বেড়ার ঘর গুলো মারমা ভাষায় বলে ‘খুম’ মানে হচ্ছে জলপ্রপাত। রেমাক্রি থেকে তিন ঘন্টার হাঁটা পথ দূরত্বে এই জলপ্রপাত। ==পরিবহণ ব্যবস্থা== বান্দরবান শহর থেকে থানচি উপজেলা সদরের দূরত্ব ৭৯ কিঃমিঃ। রিজার্ভ চাঁদের গাড়ীতে বান্দরবান থেকে থানচি যেতে সময় লাগে ঘন্টা। বর্ষায় ইঞ্জিনবোটে থানচি থেকে তিন্দু যেতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা। তিন্দু থেকে রেমাক্রি যেতে লাগবে আরও আড়াই ঘন্টা। শীতের সময় ইঞ্জিন বোট চলার মত নদীতে যথেষ্ট গভীরতা থাকেনা। তখন ঠ্যালা নৌকাই একমাত্র বাহন। রেমাক্রি বাজার থেকে দুইভাবে নাফাখুম-এ যাওয়া পথ আছে। এক ঘন্টা উঁচু-নীচু পাহাড়ী পথ মাড়িয়ে (পাহাড় ডিঙিয়ে) তারপর রেমাক্রি খালের পাড় ধরে বাকিটা হেঁটে এই পথে চার ঘন্টা লাগে নাফাখুমে পৌঁছাতে। এতে রেমাক্রি খাল ক্রস করতে হয় তিন বার এবং শেষের দিকে সাঁতার পানি পেরুতে হয়। অপরদিকে আবার পাহাড় না ডিঙিয়ে গোটা পথই রেমাক্রি খালের পাশ দিয়েও যাওয়া যায়। ==আবাসন ব্যবস্থা== রাতে থাকার জন্য যেতে হয় তিন্দু, রেমাক্রি। মারমাদের বাঁশ-কাঠের বাড়ীতে সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। ==চিত্রশালা== File:Nafa-khum waterfalls at জলপ্রপাত File:নাফাখুম ঝর্ণা Nafakhum জলপ্রপাত জলপ্রপাত থেকে দৃশ্য File:Sangu নদী == আরও দেখুন == *বাংলাদেশের জলপ্রপাতসমূহের তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বান্দরবান জেলার সরকারি ওয়েব জেলা তথ্য বাতায়ন জলপ্রপাত জেলার দর্শনীয় স্থান'''স্যার জন বেরি জ্যাক হবস''' (; জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৮২ মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) কেমব্রিজে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯০৮ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ৬১ টেস্ট খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। অভিমত, '''জ্যাক হবস''' ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছেন। তিনি ‘দ্য মাস্টার’ ডাকনামে পরিচিতি পেয়েছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাঝে-মধ্যে ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন তিনি। কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, কভার পয়েন্টে দক্ষ ফিল্ডার ছিলেন। ১৯১৯ সালে ‘দ্য টাইমস’ কভার অঞ্চলে ফিল্ডিংয়ে জ্যাক হবসের ক্ষিপ্রতায় দুইজন দীর্ঘদিনের দণ্ডায়মান জনপ্রিয় ক্রিকেটার গিলবার্ট জেসপ সিড গ্রিগরি’র সাথে তুলনামূলকভাবে স্বল্প পরিচিত ভার্নন রয়েলকে সমমান হিসেবে চিত্রিত করে। == প্রারম্ভিক জীবন == ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৮২ তারিখে কেমব্রিজে হবস জন্মগ্রহণ করেন। জনৈক কাঠুরে জন কুপার ফ্লোরা মাটিল্ডা বেরি দম্পতির ১২ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ তিনি। দারিদ্রতার মধ্যে বড় হন শহরের নিম্নবিত্ত এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। তার শৈশবকালের অধিকাংশ সময়ই সঙ্গে অতিবাহিত হয়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হবস শৈশবকাল থেকেই ক্রিকেটের সাথে জড়িত ছিলেন ক্রিকেট খেলাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। ক্রিকেটপ্রেমী সিনিয়র হবস তার কর্মজীবনে প্রভাববিস্তার করে তাকে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। ১৮৯৯ সালে জেসাস কলেজের মাঠকর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন আম্পায়ারিত্ব করতে থাকেন। == কাউন্টি ক্রিকেট == প্রারম্ভিক পর্যায়ে তার ব্যাটিং তেমন আশাপ্রদ না হলেও ১৯০১ সালের দিকে আকস্মিক উন্নতি ঘটে। এরফলে স্থানীয় দলগুলোর দৃষ্টি তার দিকে নিবদ্ধ হয়। ইংরেজ ব্যাটসম্যান টম হেওয়ার্ডের সহযোগিতায় সারে দলে অংশগ্রহণের আবেদন মঞ্জুর হয় তার। পরবর্তীতে সারে দলের পক্ষে খেলার উপযোগী হন অভিষেক ঘটা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৮৮ রান করেন। পরের খেলাতেই দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করে বসেন। পরবর্তী মৌসুমগুলোয় নিজেকে সফলতম কাউন্টি খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯০৮ সালে ব্যাটিং উপযোগী পরিবেশ থাকা স্বত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে কম রান তুলেন। তাস্বত্ত্বেও জেন্টলম্যান ভার্সাস প্লেয়ার্সের মধ্যকার খেলায় তিনি ৮১ রান তুলেন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৪০-এর অধিক গড়ে রান সংগ্রহ করেন এবং সারের পক্ষে ছয়টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। সব মিলিয়ে মৌসুমের প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় তিনি ৩৭.৩৩ গড়ে ১,৯০৪ রান করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন তিনি। প্রেক্ষিতে উইজডেন মন্তব্য করে যে, ‘বর্তমান সময়ে টম হেওয়ার্ড জনি টিল্ডসলে ছাড়া ইংল্যান্ডে তাঁর তুলনায় অন্য কোন ভালোমানের পেশাদার ব্যাটসম্যান নেই’। কাউন্টি ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ঢংয়ে খেলতে শুরু করেন যা ১৯১৪ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রয়্যাল ফ্লাইং কোরের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯১৯ সালে ক্রিকেট খেলা শুরু হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে তিনি খেলায় অংশ নিতেন। কারণে তার কর্মজীবন হুমকির সম্মুখে পড়ে। ১৯২১ সালে ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড সফরে আসে। হেডিংলি টেস্ট শুরুর পূর্বে তিনি কারণে নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। ফলশ্রুতিতে, ওয়ালি হার্ডিঞ্জ তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯২১ মৌসুমের অধিকাংশ সময়ই খেলা থেকে তাকে দূরে সরে থাকতে হয়। ১৯২৩ সালের ভেজা মৌসুমে কম সফলতা পান। হবস বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হন জেন্টলম্যান ভার্সাস প্লেয়ার্সের মধ্যকার উভয় খেলাতেই সফলকাম হতে পারেননি। তখনও তিনি তার অস্ত্রোপচার পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার সাথে লড়াই চালাচ্ছিলেন। উইজডেন লক্ষ্য করে যে, তিনি আরও একবার একটি ইনিংসের শুরুর দিক থেকেই দ্রুতলয়ে রান সংগ্রহের দিক ধাবিত হচ্ছিলেন। তাস্বত্ত্বেও, সমারসেটের বিপক্ষে তার শততম প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করেন। এরফলে ডব্লিউ. জি. গ্রেস টম হেওয়ার্ডের পর তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মাইলফলকে পৌঁছেন। মৌসুমে ৩৭.৯৫ গড়ে তিনি সর্বমোট ২,০৮৭ রান সংগ্রহ করেন। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == ১৯০৮ সালে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে তার ডাক আসে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি তার অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৩ রান সংগ্রহ করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে মিশ্র সাফল্য আসলেও দক্ষিণ আফ্রিকার গুগলি বোলারদের বিপক্ষে সফলতা পান। ১৯১১-১২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে তিনটি সেঞ্চুরি করে ফেলেন। এরফলে তাকে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদা এনে দেয়। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হবস অনেকগুলো উদ্বোধনী জুটি গড়েন। তন্মধ্যে সারে দলের পক্ষে টম হেওয়ার্ড অ্যান্ডি স্যান্ডহাম এবং ইংল্যান্ডের পক্ষে উইলফ্রেড রোডস হার্বার্ট সাটক্লিফ তার সহযোগী ছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে হার্বার্ট সাটক্লিফের সাথে উদ্বোধনী জুটি রান সংগ্রহের গড়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টিকে রয়েছে। অসুস্থতা থেকে খেলার জগতে ফিরে এসে তিনি আরও কার্যকরী রক্ষণাত্মক খেলার দিকে মনোযোগী হন। এরফলে টেস্ট ঘরোয়া উভয় ধরনের ক্রিকেটেই তিনি সফলকাম হন যা অবসরগ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত বজায় ছিল। এসময়েই তার অধিকাংশ দর্শনীয় ইনিংস আসে। == খেলার ধরন == দ্রুত পায়ের কাজের উপর ভিত্তি করে জ্যাক হবসের খেলোয়াড়ী জীবনের সফলতা গড়ে উঠে। তিনি অনেক ধরনের শট খেলায় পারদর্শীতা দেখান বলকে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রেরণে সক্ষম ছিলেন। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গুগলি বোলারদেরকে সফল স্বার্থকভাবে মোকাবেলায় পারদর্শী ছিলেন। ক্রিকেট জীবনের শুরুতেই গড়ে উঠা নতুন ধরনের বোলিংকে তিনি সাদরে মোকাবেলা করতেন। কার্যকরী প্রতিরক্ষামূলক ব্যাটিংয়ের পাশে মিশ্র ধ্রুপদী শটের মিলন ঘটান তিনি। ব্যাটিং অনুপযোগী পীচে তিনি অধিক সফলকাম হন। == অর্জনসমূহ == ১৯০৯ ১৯২৬ সালে উইজডেন কর্তৃক দুইবার বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন। কেবলমাত্র তিনি পেলহাম ওয়ার্নার দুইবার সম্মাননায় অভিষিক্ত হতে পেরেছেন। ১৯৬৩ সালে নেভিল কারদাস উইজডেনের শততম সংখ্যায় পূর্বেকার ১০০ বছরের সেরা ছয় খেলোয়াড়ের একজনরূপে তাকে অন্তর্ভূক্ত করেন। সাম্প্রতিককালে ২০০০ সালে অভিজ্ঞ ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে গড়া জুড়ি বোর্ডে তাকে ২০শ শতাব্দীর সেরা পাঁচ উইজডেন ক্রিকেটারের একজনরূপে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ২০০৯ সালে ক্রিকেট ঐতিহাসিক লেখক কর্তৃক ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা দলের অন্যতম সদস্যরূপে নির্বাচিত করে। এছাড়াও, ক্রিকেটের ইতিহাসে বৈশ্বিকভাবে একই ধরনের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলে তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত হবসের টেস্ট ব্যাটিং গড় ৫৬.৯৪ ৫,০০০ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। তন্মধ্যে, ৫,০০০ টেস্ট রান সংগ্রহকারী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে হার্বার্ট সাটক্লিফ লেন হাটনের পর তার ব্যাটিং গড় তৃতীয়। তার খেলোয়াড়ী জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যে শীর্ষস্থানীয় টেস্ট রান সংগ্রাহক ছিলেন। অবসরগ্রহণকালীন তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন। ১৯১০ থেকে ১৯২৯ সময়কালে তার টেস্ট ব্যাটিং গড় ছিল ৬৫.৫৫। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে হবস তার ব্যাটিং রেটিংয়ের চূড়ায় আরোহণ করেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৪২ পয়েন্ট নিয়ে যার মান ১০০০ রেটিং পয়েন্টের। এরফলে ১৯১২ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত তিনি ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। মাঝখানে সপ্তাহখানেকের জন্য হার্বি টেলর একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে অবস্থানে ছিলেন। == ব্যক্তিগত জীবন == অ্যাডা নাম্নী এক রমণীর সাথে ৫৬ বছরের বৈবাহিক জীবন অতিক্রম করেন। দম্পতি সারে থেকে সংগৃহীত অর্থ, বাণিজ্যিক চুক্তি ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত অর্থ দিয়ে বাদ-বাকী জীবন অতিবাহিত করেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর সাংবাদিকতার দিকেও ঝুঁকে পড়েন তিনি। ১৯৫৩ সালে নাইট উপাধি লাভ করেন। প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তিনি সম্মাননা লাভ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর কয়েকমাস পর ২১ ডিসেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে ৮১ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেম উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার == গ্রন্থপঞ্জী == == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু থেকে ১৯১৮ সময়কালীন ইংরেজ ক্রিকেটার থেকে ১৯৪৫ সময়কালীন ইংরেজ ক্রিকেটার ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রবেশকারী ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার বর্ষসেরা ক্রিকেটার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার শতাব্দীর সেরা ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:এস. এইচ. কোচর‌্যান একাদশের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রীড়াবিদ ভার্সাস সাউথের ক্রিকেটার খেতাবপ্রাপ্ত ক্রিকেট খেলোয়াড় কর্মকর্তা ব্যাচেলর ক্রিকেটার বিশ্বযুদ্ধের ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা ১নং ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার এয়ার ফোর্সের ক্রিকেটার ক্রিকেটার'''পিটার কার্ল ডেভিড চেজ''' (জন্ম: অক্টোবর, ১৯৯৩) ডাবলিনে জন্মগ্রহণকারী উদীয়মান আইরিশ ক্রিকেটার। '''পিটার চেজ''' আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রতিনিধিত্ব করছেন। পাশাপাশি ডারহাম কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবেও খেলছেন। পিটার চেজ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিং করেন তিনি। আগস্ট, ২০১৪ সালে বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == নায়ল ও’ব্রায়ান আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলসমূহ == বহিঃসংযোগ == ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারলিমা, মে ১৯৬৩ '''অ্যান্টোনিও লিমা দস সান্তোস''' () যিনি ''লিমা'' নামে অধিক পরিচিত, (জন্মঃ জানুয়ারি ১৮, ১৯৪২) হলেন ব্রাজিলিয় ফুটবল খেলয়াড়। তিনি ব্রাজিল দলের হয়ে ৬টি ক্যাপ অর্জন করেছেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ব্রাজিলের হয়ে ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। তিনি এফসি দলের ৭০০টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি জুভেন্টাস, সান্তোস, ফ্লুমিনিজ এবং পর্তুগুয়েসা সান্তিস্তা ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == লিমা জন্ম ব্যক্তি ফুটবলার আন্তর্জাতিক ফুটবলার ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়'''স্পেনীয় চড়ুই''' বা '''উইলো চড়ুই''' (''প্যাসার হল একধরনের প্যাসারিফর্মিস পাখি যা চড়ুই পরিবার প্যাসেরিডের অন্তর্ভুক্ত। এদেরকে প্রধানত পাওয়া যায় ভূমধ্য বেসিনে এবং দক্ষিণপশ্চিম এবং মধ্য এশিয়াতে। এদের পাতি চড়ুইয়ের সাথে বেশ সাদৃশ্য আছে, এবং এই দুই প্রজাতি তাদের "জৈবিক মিক্স-আপে" বেশ ঘনিষ্ঠ মেলামেশা দেখায়, যা এই প্রজাতিগুলোর শ্রেণিবিন্যাস জটিল করে দেয়। == বর্ণনা == ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে মহিলা চড়ুই স্পেনীয় চড়ুই হলো বড়ো আকারের চড়ুই, দৈর্ঘ্যে ১৫-১৬ সেমি (৫.৯-৬.৩ ইঞ্চি), এবং এদের ওজন ২২-৩৬ গ্রাম (০.৮–১.৩ oz)। এগুলো অল্প বড়ো এবং ভারি পাতি চড়ুইয়ের থেকে, এবং এদের হাল্কা লম্বা এবং সূচালো ঠোঁট হয়। পুরুষগুলো একদম পাতি চড়ুইয়ের মতোন দেখতে এবং এদের পালকের গঠন এবং আকারও একইরকম হয়, কিন্তু এদের পার্থক্য বোঝা যায় নীচের দিকের অংশের রঙ দেখলে। স্পেনীয় চড়ুইদের ক্ষেত্রে এর রঙ অনেকটা গাঢ় এবং কালো স্ট্রাইপ থাকে, এদের রঙ বাদামী হয় ধূসরের তুলনায়, এবং ধূসর গালের বদলে সাদা রঙের গাল হয়। The female is effectively inseparable from house sparrow in its plumage, which is grey-brown overall but more boldly marked. The female has light streaking on its sides, pale cream supercilium, and broad cream streaks on its back. == তথ্যসূত্র == == বহির্সংযোগ == Media related to the Spanish sparrow ইন্টারনেট পাখি কালেকশনে Spanish sparrow আরকাইভে-এ Metzmacher, M.(1985) Stratégies adaptatives des oiseaux granivores dans une zone semi-aride. Le cas des moineaux domestiques ''Passer domesticus'' L. et des moineaux espagnols ''Passer TEMM. Metzmacher M. (1986 c). Organisation de la reproduction chez le Moineau espagnol ''Passer en zone semi-aride. ''L'Oiseau et la Revue Française 56 229-262. পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি পাখি সাহারার পাখিকানাডার একটি আবাসিক বৈদ্যুতিক মিটার '''কিলোওয়াট ঘন্টা''' শক্তির একটি একক (প্রতীক kWh, kW·h, or kW যা ১০০০ ওয়াট-ঘন্টা, বা ৩.৬ মেগাজুলের সমান। যদি শক্তি একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে নির্দিষ্ট হারে (ক্ষমতা) প্রবাহিত বা ব্যবহৃত হয় তাহলে মোট শক্তির পরিমাণ হবে ক্ষমতা (কিলোওয়াাট) এবং সময়ের (ঘন্টা) গুণফলের সমান। কিলোওয়াট-ঘন্টা সাধারণত বৈদ্যুতিক মিটার দ্বারা ভোক্তাদের মাঝে বিতরণকৃত শক্তির জন্য একটি বিলিং একক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ==সংজ্ঞা== কিলোওয়াট-ঘন্টা (প্রতীক kWh) এক ঘন্টার জন্য ব্যয়িত শক্তি এক কিলোওয়াট (১কিলোওয়াট) শক্তির সমতুল্য একটি একক। :: এক ওয়াট জুল সে এর সমান। এক কিলোওয়াট-ঘন্টা ৩.৬ মেগাজুলের সমান, যা এক ঘন্টা ধরে এক হাজার ওয়াট হারে কাজ করলে যে শক্তি রুপান্তর হয় তার সমান। শক্তির আন্তর্জাতিক একক (এস আই) হচ্ছে জুল। সময় এস আই একক নয় তাই বলা যায় কিলোওয়াট ঘন্টা শক্তির আন্তর্জাতিক একক নয়। ==রূপান্তর== জুল ওয়াট ঘন্টা কিলোওয়াট ঘন্টা ইলেকট্রনভোল্ট ক্যালরি জুল কেজি·মি২ সে−২ ২.৭৭৭৭৮ ১০−৪ ২.৭৭৭৭৮ ১০−৭ ৬.২৪১ ১০১৮ ০.২৩৯ ওয়াট ঘন্টা ৩৬০০ ০.০০১ ২.২৪৭ ১০২২ ৮৫৯.৮ কিলোওয়াট ঘন্টা ৩.৬ ১০৬ ১০০০ ২.২৪৭ ১০২৫ ৮.৫৯৮× ১০৫ ইলেকট্রনভোল্ট ১.৬০২ ১০−১৯ ৪.৪৫× ১০−২৩ ৪.৪৫ ১০−২৬ ৩.৮২৭ ১০−২০ ক্যালরী ৪.১৮৬৮ ১.১৬৩ ১০−৩ ১.১৬৩ ১০−৬ ২.৬১৩× ১০১৯ ==তথ্যসূত্র==তৃতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজী '''তৃতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজী''' (২২শে জানুয়ারি, ১৮৫৬- ২১শে জানুয়ারি, ১৮৯২) জুনাগড় রাজ্যের নবম নবাব ছিলেন। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == তৃতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজী জুনাগড় রাজ্যের অষ্টম নবাব দ্বিতীয় মহম্মদ মহবত খানজীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। তার মাতার নাম ছিল লাডলি বিবি। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে সেপ্টেম্বর পিতার মৃত্যু হলে তিনি জুনাগড় রাজ্যের সিংহাসনে আসীন হন। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে তিনি আমীর বখতে বেগম এবং উমরাও বখতে বেগম নামক দুইজন অভিজাত মহিলাকে বিবাহ করেন। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বালাসিনোর রাজ্যের নবাব মহম্মদ জোরাওয়ার খানজীর কন্যা দোসি বিবিকে বিবাহ করেন। ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই ফেব্রুয়ারি তিনি চতুর্থবার বিবাহ করেন। == তথ্যসূত্র == নবাব জন্ম মৃত্যু'''রাণী সর্বাণী''' ছিলেন বৃহত্তর রাজশাহীর একটাকিয়া রাজবংশের কন্যা এবং সাঁতোরের হিন্দু জমিদার মহারাজা রামকৃষ্ণ সান্যালের পত্নী। মাত্র দশ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ হয়েছিল সাঁতোরের রাজপরিবারে। ১৭২০ সালে একুশ বছর বয়সে নিঃসন্তান বিধবা হয়ে তিনি পরবর্তী সাতসট্টি বছর অসাধারণ যোগ্যতাসহ রাজ্য শাসন করেন। তাঁর বলবুদ্ধি তেজস্বিতা সিংহের ন্যায় ছিল বলে কথিত আছে। ==কর্মদক্ষতা== সাঁতোড়ের রাজবংশ স্থানীয় চৌদ্দ পরগণার জমিদার ছিলেন। রাজস্ব ছাড়াও তাঁদের সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা মুনাফা ছিল; কিন্তু অপব্যয় হেতু মহারাজ রামকৃষ্ণের প্রচুর ঋণ হয়েছিল, এমনকি ভৃত্যদের বেতন জ্ঞাতি কুটুম্বদের ভাতাও বাকী পড়েছিল। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর অল্পবয়সি রমণীর রাজত্ব হওয়ায় কর্মচারীরা রাজসম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু একমাসের মধ্যেই মৃত স্বামীর শ্রাদ্ধের ব্যয় এবং সমস্ত জমিদারীর আয়-ব্যয়ের তিনি হিসাব গ্রহণ করেন এবং অল্পকালের মধ্যেই স্বামীকৃত সব দেনা পরিশোধ করেন। পূর্বে আমলাদের কাছ থেকে বহুদিন পর পর আয়-ব্যয়ের নিকাশ নেওয়া হত; তাতে হিসাবে অনেক বেনিয়ম হত। রাণী সর্বাণী আমলাদের দৈনিক নিকাশের নিয়ম করেন। এতে রাজস্বের বৃদ্ধি ঘটে। তিনি মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে আট পরগণা নিলামে কিনে সম্পত্তিও বৃদ্ধি করেছিলেন। এছাড়া সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য রাজকোষে তিন কুঠুরী ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। ==তথ্যসূত্র== ইতিহাস'''প্রথম মহম্মদ সলাবত খানজী''' (মৃত্যু- মে, ১৮২০) বালাসিনোর রাজ্যের তৃতীয় নবাব ছিলেন। == সংক্ষিপ্ত জীবনী == প্রথম মহম্মদ সলাবত খানজী বালাসিনোর রাজ্যের দ্বিতীয় নবাব প্রথম মহম্মদ জামিয়াত খানজীর পুত্র ছিলেন। পিতার মৃত্যু হলে তিনি বালাসিনোর রাজ্যের নবাব হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন। কোন সন্তান না থাকায় তিনি তার পিসতুতো ভ্রাতা মহম্মদ আবিদ খানজীকে রাজ্যের পরবর্তী নবাব হিসেবে মনোনীত করেন। == তথ্যসূত্র == নবাব মৃত্যু'''রায়পুর''' বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তর্গত রায়পুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == রায়পুর ইউনিয়নের আয়তন ৬.৬৭ বর্গ কিলোমিটার। এটি আয়তনের দিক থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। == জনসংখ্যা == রায়পুর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ১৫,৫১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭,৯৬১ জন এবং নারী ৭,৫৩৯ জন। == অবস্থান সীমানা == রায়পুর উপজেলার উত্তরাংশে রায়পুর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের পশ্চিমে দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়ন, দক্ষিণে চর মোহনা ইউনিয়ন, পূর্বে রায়পুর পৌরসভা, উত্তর-পূর্বে চর পাতা ইউনিয়ন এবং উত্তরে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়ন অবস্থিত। == ইতিহাস == ১৯৯৭ সালে চর পাতা ইউনিয়ন ভাগ হয়ে তার কিছু অংশ রায়পুর পৌরসভার সাথে যুক্ত হয় এবং বাকি অংশ নিয়ে ১০নং রায়পুর ইউনিয়ন এবং ৫নং চর পাতা ইউনিয়ন নামে দুটি আলাদা ইউনিয়ন গঠন করা হয়। == প্রশাসনিক কাঠামো == রায়পুর ইউনিয়ন রায়পুর উপজেলার আওতাধীন ১০নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম রায়পুর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৫নং নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর-২ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == রায়পুর ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৫২%। ইউনিয়নে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা, ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == রায়পুর উপজেলা রায়পুর থানা লক্ষ্মীপুর জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নিবন্ধ'''লিটল বয়''' () হচ্ছে এক ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রের সাংকেতিক নাম। এটিই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহৃত পারমাণবিক বোমা। এটি দিয়ে ১৯৪৫ সালের আগস্ট জাপানের হিরোশিমা নগরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ==নামকরণ== ম্যানহাটন প্রোজেক্টের তিনটি পারমাণবিক বোমার নামকরণ করেছিলেন লস এলমস ল্যাবরেটরির প্রাক্তন শিক্ষার্থী রবার্ট সারবার। এগুলোর আকৃতির কারণে তিনি এই নামকরণ করেন। ==তথ্যসূত্র=='''ইয়ারপুর''' ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার উস্থি থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামের উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি হল খানে খোদা মসজিদ। == খানে খোদা মসজিদ== খানে খোদা মসজিদ বা জঙ্গলকাটি মসজিদের প্রতিষ্ঠাকাল অষ্টাদশ শতক বলে অণুমিত হয়। ১৭ ফুট ইঞ্চি ১৭ ফুট ইঞ্চি মাপের গম্বুজ সহ মসজিদের উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। মসজিদের অব্যন্তরে ফুট ইঞ্চি ফুট ইঞ্চি ফুট ইঞ্চি আয়তনের গর্ভগৃহ অবস্থিত। মসজিদ নির্মাণে ৬.৮ ইঞ্চি ৪.৫ ইঞ্চি ১.৫ ইঞ্চি আয়তনের আয়তাকার ইট ব্যবহৃত হয়েছে। মসজিদের শীর্ষে চারকোণে একটি করে চারকোণা টারেট বর্তমান। == তথ্যসূত্র == চব্বিশ পরগণা জেলার প্রত্নস্থলহল একটি নদী যেটি ইয়ামানাশি এবং সিজ্যুকো প্রিফেকচার অবস্থিত।এটি জাপানের নদী। ফুজি নদীর দৈঘ্য এবং জলবিভাজিক ৩৯৯০² বগকিলোমিটার।এই নদী বিশ্বে বেশি পরিচিত নয়।এটি ফুজি শহরের কাছাকাছি অবস্থিত নদী।ফুজি নদী, মোগামি নদী আর কুমা নদী জাপানের তিন প্রখ্যাত ক্ষিপ্র প্রবাহের নদী।এই নদীটি আকাশি পর্বতমালার নাকোগিরি পর্বত থেকে উৎপত্তি ইয়ামানশি নদী কামানশি নদী হিসেবে পরিচিত এবং ফুয়ফুকি নদী ইচিকাওয়ামিসাতো শহরে মিলিত হয়েছে।সেখানে এর নাম পরির্বতন হয় ফুজি নদী হিসেবে।এরপরে এটি মাউন্ট ফুজির পাদদেশে প্রবাহিত হয় এবং ফুজি শহরের সুরুগা উপসাগরের মোহনায় মিলিত হয়।ফুজি নদীর তীরে ১১৮০ সালে ফুজিকাওয়া যুদ্ধ হয়।যেটি গেমপেই যুদ্ধের প্রথম দিকের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ।১৯২৭ সালে ফুজি নদীর জাপানের সেরা ১০০০ প্রাকৃতিক ভূচিত্রের অন্যতম হিসেবে স্বিকৃতি লাভ করে।এটি জাপানের সোয়া কালের সংস্কৃতি পরিচয় বহন করে। == তথ্যসূত্র == নদী'''নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যান''' হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। ১৯৮৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকারিভাবে ঘোষিত হয় এই জাতীয় উদ্যান। ==অবস্থান== ==জলবায়ু== ==পর্যটন== Tangta Camp, Thusum beat, Neora Valley National Park,West Bengal,India Alu bari Camp,Neora Valley National Park,West Bengal, India Tangta Camp, Thusum beat, Neora Valley National Park,West Bengal,India এই জাতীয় উদ্যানে খয়ের, শিশু, শিরীষ প্রভৃতি বৃক্ষ দেখা যায়। প্রাণীর ভেতরে দেখা যায় বাংলা বাঘ, চিতাবাঘ, বনবিড়াল কালো ভাল্লুক, কাঠবিড়ালি, লাল পাণ্ডা, দেশি বনরুই, সম্বর হরিণ, গোরাল, বন ছাগল বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ইত্যাদি। ==আরও দেখুন== পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষিত অঞ্চল অসমের সংরক্ষিত অঞ্চলসমূহ বাংলাদেশের সংরক্ষিত এলাকার তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == UNESCO World Heritage Centre Tentative List পর্যটনকেন্দ্র বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য জেলা জাতীয় উদ্যান'''জোসেফ "জো" সাট্রিয়ানি''' (জন্ম জুলাই ১৫, ১৯৫৬) হলেন মার্কিন ইন্সট্রুমেন্টাল রক গিটারবাদক এবং বহু-বাদ্যযন্ত্র বাদক। কর্মজীবনের প্রথম দিকে সাট্রিয়ানি তার সাবেক ছাত্র স্টিভ ভাই, ল্যারি ল্যালন্ড, রিক হানল্ট, কার্ক হ্যামেট, এন্ডি টিমন্স, চার্লি হান্টার, কেভিন ক্যাডোগেন, এবং আলেক্স স্কোলনিক প্রমুখের গিটার শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন; পরবর্তীতে তিনি একক সঙ্গীত জীবন গড়ে তোলেন। তিনি ১৫ বার গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড মনোনীত হন এবং তার একক অ্যালবাম কোটির বেশি কপি বিক্রয় হয় এবং তিনিই সর্বকালের বেশি বিক্রিত ইন্সট্রুমেন্টাল রক গিটারবাদক। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Joe Satriani Universe community Real "Guitar Hero" Joe Satriani turns Teacher at Audio Interview with Joe Satriani on Guitar Jam Daily, June 2007 Part of Audio Interview with Joe Satriani on Guitar Jam Daily, July 2007 Joe Satriani 2006 Modern Guitars Magazine Interview with Brian D. Holland Interview with Joe Satriani by Musician's Friend Joe Satriani live pictures Joe Satriani guitar video workshop Joe Satriani Artist Page at Guitar Video Channel জন্ম গায়ক'''১২ ফাল্গুন''' বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ফাল্গুন মাসের ১২তম এবং বছরের ৩১৭তম দিন। বছর শেষ হতে ৪৮ দিন (অধিবর্ষে ৪৯ দিন) অবশিষ্ট রয়েছে। == ইতিহাস == == ঘটনাবলী == ১৯৫২ইং ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ঢাকায় প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। কয়েক দিন পরেই এটি পুলিশ ধ্বংস করে দেয়। == জন্ম == ১৭৮৬ইং ভিলহেল্ম গ্রিম, জার্মান লেখক। ১৯৩৯ইং জামাল নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী গণিতবিদ। ১৯৪০ইং ডেনিস ল, স্কটল্যান্ডের একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৪৩ইং জর্জ হ্যারিসন, বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট। ১৯৫৫ইং স্টিভ জবস, অ্যাপল কম্পিউটার এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। == মৃত্যু == ১৯৯৩ইং ববি মুর, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়। ২০০১ইং ক্লদ শ্যানন, মার্কিন গণিতবিদ, তড়িৎ কম্পিউটার প্রকৌশলী বিজ্ঞানী। == ছুটি এবং অন্যান্য == == বহিঃসংযোগ == পঞ্জিকার দিন'''৭ মাঘ''' বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে মাঘ মাসের ৭ম এবং বছরের ২৮২তম দিন। বছর শেষ হতে ৮৩ দিন (অধিবর্ষে ৮৪ দিন) অবশিষ্ট রয়েছে। == ইতিহাস == == ঘটনাবলী == ১৮৪১ইং হংকংব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আওতাধীন হয়। ১৯৩৪ইং আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্‌ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু। ১৯৬৯ইং তৎকালীন (বর্তমান বাংলাদেশে) পুলিশ কর্তৃক আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান নিহত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য ঘটনাটি বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিল বলে ইতিহাসবেত্তাদের ধারণা। শহীদ আসাদকে ঘিরেই বাংলাদেশের আধুনিক কবি শামসুর রাহমান রচনা করেছেন আসাদের শার্ট কবিতাটি। ২০০৯ইং মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান হিসেবে বারাক ওবামা'র রাস্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ। == জন্ম == ১৮৭৩ইং ইয়োহানেস ভিলহেল্ম ইয়েনসেন, ডেনীয় ঔপন্যাসিক, কবি এবং প্রাবন্ধিক। ১৯৪৯ইং ইয়োরান প্যাশন, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮১ইং ওয়েন হারগ্রিভস, একজন ইংরেজ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৮৭ইং হাফিজ খান, সফটওয়্যার ডেভেলাপার এবং প্রোগ্রামার. == মৃত্যু == ১৯৬৯ইং আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান: বাংলাদেশ) একজন শহীদ ছাত্রনেতা। ১৯৯৩ইং অড্রে হেপবার্ন, খ্যাতিমান মার্কিন অভিনেত্রী। ১৯৯৪ইং স্যার আলেক্সান্ডার ম্যাথিউ বাজবি, একজন স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ম্যানেজার। == ছুটি এবং অন্যান্য == == বহিঃসংযোগ == পঞ্জিকার দিন বিষয়শ্রেণী:মাঘবাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা। == আয়তন == রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার আয়তন ২১.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার জনসংখ্যা ৫৩,০৩৩। এর মধ্যে পুরুষ ২৭,২৪৪ জন এবং মহিলা ২৫,৭৮৯ জন। == অবস্থান সীমানা == রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে পৌরসভার অবস্থান। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে পৌরসভার দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। এর পূর্বে মরিয়মনগর ইউনিয়ন স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন; উত্তরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন, পারুয়া ইউনিয়ন পোমরা ইউনিয়ন; পশ্চিমে পোমরা ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে বেতাগী ইউনিয়ন, কর্ণফুলি নদী, সরফভাটা ইউনিয়ন শিলক ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রতিষ্ঠাকাল == রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজনীতিবিদ খলিলুর রহমান চৌধুরী সহ অত্র অঞ্চলের সুশীল সমাজের একান্ত প্রচেষ্টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জুলাই ৮, ২০০০ সালে এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা গঠিত হয়। তখন পৌরসভার পৌর প্রশাসক হিসেবে জনাব খলিলুর রহমান চৌধুরীকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র। == প্রশাসনিক এলাকা == রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা জাতীয় সংসদের ২৮৪নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৭ এর অংশ। পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার আওতাধীন। এটি একটি 'খ' শ্রেণীর পৌরসভা। এটি ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। ওয়ার্ডভিত্তিক পৌরসভার এলাকাসমূহ হল: ওয়ার্ড নং গ্রাম/এলাকার নাম ১নং ওয়ার্ড উত্তর নোয়াগাঁও ২নং ওয়ার্ড দক্ষিণ নোয়াগাঁও ৩নং ওয়ার্ড ইছাখালী ৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঘাটচেক ৫নং ওয়ার্ড উত্তর ঘাটচেক ৬নং ওয়ার্ড রাঙ্গুনিয়া ৭নং ওয়ার্ড মুরাদনগর ৮নং ওয়ার্ড সৈয়দবাড়ী ৯নং ওয়ার্ড ইছামতি == শিক্ষা ব্যবস্থা == রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় সাক্ষরতার হার ৭০%। পৌরসভায় ৩টি কলেজ, ২টি মাদ্রাসা, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == ;কলেজ রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ হাসিনা জামাল ডিগ্রী কলেজ রাঙ্গুনিয়া মহিলা কলেজ ;মাদ্রাসা রাঙ্গুনিয়া নুরুল উলুম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা আহমদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ;মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘাটচেক উচ্চ বিদ্যালয় বেগম ইকবাল জাকির হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় রাঙ্গুনিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ;প্রাথমিক বিদ্যালয় উত্তর ঘাটচেক হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কুলকুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘাটচেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছদর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাকির হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দক্ষিণ নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দক্ষিণ সৈয়দবাড়ী সফিয়া বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধর্মানন্দ বৌদ্ধ অনাথালয় রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নুরুল উলুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেগম ইকবাল জাকির হোসেন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেগম জাকির একাডেমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধ্য নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মোরাদের ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সৈয়দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সৈয়দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ;কিন্ডারগার্টেন উপজেলা শিশুমেলা কেজি স্কুল কুলকুরমাই হরদয়া কেজি স্কুল ঘাটচেক কেজি স্কুল মুরাদপুর রহমানিয়া তা'লিমুল কোরআন একাডেমী রাঙ্গুনিয়া আইডিয়াল কেজি স্কুল রাঙ্গুনিয়া প্রি-ক্যাডেট কেজি স্কুল সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল == যোগাযোগ ব্যবস্থা == রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার প্রধান সড়ক মহাসড়ক। সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে। == স্বাস্থ্য == রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছাখালী এলাকায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ১টি উপজেলা কমপ্লেক্স রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে। == নদ-নদী == রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার দক্ষিণ পাশ দিয়ে কর্ণফুলি এবং মধ্যাংশ দিয়ে ইছামতি নদী বয়ে চলেছে। == হাট-বাজার == রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার প্রধান প্রধান হাট/বাজারগুলো হল রোয়াজার হাট, গোচরা বাজার, ইছাখালী বাজার এবং গোডাউন গরুর বাজার। == কৃতি ব্যক্তিত্ব == খলিলুর রহমান চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ। জাকির হোসাইন –– পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। == জনপ্রতিনিধি == বর্তমান পৌর মেয়র: আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার == আরও দেখুন == রাঙ্গুনিয়া উপজেলা রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা চট্টগ্রাম জেলা == তথ্যসূত্র == স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পৌরসভা সমূহের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জেলার পৌরসভা উপজেলা'''ডেভিড উইলিয়াম গ্রিগরি''' (; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৮৪৫ মৃত্যু: আগস্ট, ১৯১৯) নিউ সাউথ ওয়েলসের ফেইরি মিডো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী উনিশ শতকের বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান '''ডেভ গ্রিগরি''' ১৮৭৭ থেকে ১৮৭৯ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের সৌভাগ্য অর্জন করেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলে খেলেছেন তিনি। == প্রারম্ভিক জীবন == গ্রিগরি ক্রিকেট পরিবার থেকে এসেছেন। তার বাবা এডওয়ার্ড উইলিয়াম গ্রিগরি আট সামর্থ্যবান ক্রিকেটারের জন্ম দেন। তন্মধ্যে পাঁচজনই ১৮৬১ থেকে ১৮৮৪ সালের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে আন্তর্জাতিক কিংবা খেলায় অংশ নিয়েছেন। এডওয়ার্ডের সর্বমোট বিশজন বংশধর নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ক্রিকেট অন্যান্য ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৮৬৬ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে প্রথম অংশগ্রহণ করেন। ১৮৮৩ সালের শুরুতে ক্রিকেট জগৎ থেকে অবসর নেয়ার পূর্বে দলের পক্ষে ৩৮ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৪.৫৭ গড়ে ব্যাট হাতে রান তোলেন। তন্মধ্যে, অভিষেক খেলার প্রথম বলেই শূন্য রান সংগ্রহ করেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == ১৮৭৭ থেকে ১৮৭৯ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের মধ্যকার স্বীকৃতপ্রাপ্ত প্রথম তিন টেস্টে দলের নেতৃত্ব দেন। সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ভিক্টোরিয়ার আম্পায়ার জর্জ কোল্টহার্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থানের ফলে ১৮৭৯ সালে সিডনিতে দাঙ্গা বেঁধে যায়। সময়কার মানদণ্ডে আন্তর্জাতিক খেলাগুলোয় তিনি অধিক সফলতা পেয়েছেন। নিজ দেশেই তিনি ক্রিকেট খেলাটিকে উপভোগ করেছেন বেশী। মার্চ, ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে তিনি তার নিজস্ব সর্বোচ্চ ৪৩ রান তোলেন। কিন্তু প্রথম টেস্টে এবং দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। == অধিনায়কত্ব == ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে কোনরূপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার তথা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বপ্রথম টেস্টে অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব পেয়েছিলেন গ্রিগরি। পরবর্তীতে জর্জ বেইলি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিরল নজির স্থাপন করেন। == অবসর == খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সম্পাদক মনোনীত হন। এছাড়াও ২৭ জানুয়ারি, ১৮৯২ তারিখে একটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারিত্ব করেন। সিডনির তুরামুরা এলাকায় ১৯১৯ সালে তার দেহাবসান ঘটে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == হার্বি কলিন্স গ্রাহাম ইয়ালপ অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা ১৮৭৬-৭৭ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড সফর == গ্রন্থপঞ্জী == Clowes, C. ''150 Years of NSW First-class Cricket'', Sydney, 2007. == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার ক্রিকেট প্রশাসক ক্রিকেট আম্পায়ার টেস্ট ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে আগত ক্রিকেটার'''মেট্রো সিনেমা''' হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের এসপ্ল্যানেড অঞ্চলে জওহরলাল নেহেরু রোডে অবস্থিত একটি ইউনিপ্লেক্স সিনেমা হল ঐতিহ্যবাহী ভবন। এই হলের মালিক। == ইতিহাস == কলকাতায় তাদের চলচ্চিত্রের বিপণনের জন্য এই সিনেমা হল তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। ১৯৩৪ সালে নিউ ইয়র্কের টমার ল্যাম্ব (স্কটিশ বংশোদ্ভুত) এই হলের নকশা প্রস্তুত করেন। ১৯৩৫ সালে এই হল চালু হয়। ''ওয়ে আউট ওয়েস্ট'' সিনেমাটি এই হলে প্রদর্শিত প্রথম সিনেমা। ১৯৪০-এর দশকে লাইটহাউস হল নির্মিত হওয়ার আগে মেট্রোই ছিল কলকাতার আধুনিকতম সিনেমা হল। == মাল্টিপ্লেক্সে পরিবর্তন == ২০১২ সালের জুন মাসে কলকাতা পৌরসংস্থার হেরিটেজ কমিশন এই হলটিকে মাল্টিপ্লেক্সে পরিণত করার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। == আরও দেখুন == প্রিয়া সিনেমা == পাদটীকা == == বহিঃসংযোগ == সিনেমা হল'''কমলা ঢাক লতা''' (), (দ্বিপদ নাম: '''''Pyrostegia venusta''''') হচ্ছে বিগ্নোনিয়াসি পরিবারের ''Pyrostegia'' গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের প্রজাতি। এটি ব্রাজিলের স্থানীয় প্রজাতি, কিন্তু বর্তমানে বাগানের প্রজাতি হিসেবে বিখ্যাত। ==বর্ণনা== কমলা ঢাক লতা নমনীয়, পত্রমোচি, ঝুলন্ত শাখাবহুল লম্বা লতা। এদের যৌগপত্র ১-পক্ষল, জোড়পক্ষ, উপর মসৃণ। পাতা ৪-৭ সেমি লম্বা, শীর্ষপাতা শাখায়িত আকর্ষিতে রূপান্তরিত। শীত বসন্তে ফুল ফোটে। ==ইতিহাস== ১৮৬৩ সালে জন মিয়ের্স এই প্রজাতির প্রথম বিবরণ দেন। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== বর্ণিত উদ্ভিদ'''ব্র্যাডলি জন হজ''' (; জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৪) ভিক্টোরিয়ার স্যান্ড্রিংহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ডানহাতি ব্যাটিংয়ের অধিকারী ব্রাড হজ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে খেলছেন। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে ডানহাতি অফ-স্পিন বোলিং করে থাকেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে তিনি মাত্র টেস্ট ২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। সেন্ট বেডে'স কলজের প্রাক্তন ছাত্র '''ব্র্যাড হজ''' ঘরোয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == ১৯ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ান বুশর‌্যাঞ্জার্স দলে অভিষেক ঘটে তার। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স তাকে 'গ্লোভলিক' ডাকনামে নামাঙ্কিত করেন। এছাড়াও তিনি 'বাঙ্কি' ডাকনামে পরিচিত ছিলেন। ২০০০ ২০০১ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগ ক্রিকেটে র‌্যামসবটম ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ছিলেন। তন্মধ্যে ২০০১ সালে ক্লাবের পক্ষে ব্যাটিং রেকর্ড ভঙ্গ করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে চমকপ্রদ ব্যাটিং করে রান সংগ্রহ করেছেন। ২০ সেঞ্চুরিসহ ৫,৫৯৭ রান করে অস্ট্রেলিয়ার আন্তঃরাজ্যের সীমিত ওভারের একদিনের খেলায় রেকর্ড গড়েন। এছাড়াও, শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ১০,৪৭৪ রান করে সর্বাধিক রানের মালিক হন। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর অবশেষে নভেম্বর, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অভিষিক্ত হন। অস্ট্রেলিয়া দলে তার দেরীতে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে, এরজন্য নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণই দায়ী। হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৫-০৬ মৌসুমের টেস্ট সিরিজে ৩৯৪তম ব্যাগি গ্রিন পড়েন তিনি। ১৯ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় দিনে ৯১* রানে অপরাজিত থাকার পর পরদিন তিনি অপরাজিত ২০৩* সংগ্রহ করেন। তার ইনিংসে অস্ট্রেলীয় সমর্থকদের কাছ থেকে অধিনায়ক রিকি পন্টিং বেশ সমালোচিত হন। তাদের ধারণা যে, দ্বি-শতকের ফলে পন্টিং ইনিংস ডিক্লেয়ার করতে দেরী করেন। যার কারণে, খেলা ড্রয়ে পরিণত হয়। == ক্রিকেট বিশ্বকাপ == ১৮ মার্চ, ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে হজ হল্যান্ডের বিপক্ষে তার প্রথম ওডিআই শতরান করেন। ছক্কা চারের মারে ৮৯ বলের তিনি ১২৩ রান তোলেন। তন্মধ্যে শেষ ২৮ বলে তুলেছিলেন ৭৩ রান। এছাড়াও মাইকেল ক্লার্কের সাথে ৪র্থ উইকেট জুটিতে রেকর্ডসংখ্যক ২০৪ রান সংগ্রহ করেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ মনোনীত হন। কিন্তু, পরের খেলাতেই তাকে বাদ দিয়ে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অবশ্য পরবর্তীতে শেন ওয়াটসনের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে তাকে পুণরায় প্রথম একাদশে নেয়া হয়। ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও চূড়ান্ত দলে ঠাঁই হয়নি তার। == অবসর == জানুয়ারি, ২০১২ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া থেকেও অবসর নেন। এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি মনে করি এখন সময় হয়েছে বিদায় নেয়ার। এরফলে নতুনদের খেলার সুযোগ ঘটবে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == স্টুয়ার্ট ক্লার্ক পেশাওয়ার জালমি কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০১৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড় নিলাম == বহিঃসংযোগ == বুশরেঞ্জার্সে ব্র্যাড হজ জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট কোচ স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটার প্রিমিয়ার লীগের কোচ ক্রিকেটার তুস্কার্স কেরালার ক্রিকেটার নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটার আমাজন ওয়ারিয়র্সের ক্রিকেটার এরাবিয়ান্সের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ডিস্ট্রিক্টসের ক্রিকেটার জালমির ক্রিকেটার স্টার্সের ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার রেনেগেডসের ক্রিকেটার রয়্যালসের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট ডান্ডির ক্রিকেটার বার্নার্সের ক্রিকেটার ক্রিকেটার (অস্ট্রেলিয়া) থেকে আগত ক্রিকেটার সিক্সার্সের ক্রিকেটার কিটস নেভিস প্যাট্রিয়টসের ক্রিকেটার'''খাটসারা''' হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর ব্লকের অন্তর্গত একটি গ্রাম। এই গ্রামটি জয়নগর থানার আওতাধীন। == শিব মন্দির== খাটসারা গ্রামে ঊনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত তিনটি পশ্চিমমুখী আটচালা শিব মন্দির মন্দির অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু, তাঁর ভ্রাতা কৃপারাম বসু ভগিনী ভুবনেশ্বরী দেবী নিজেদের নামে এই মন্দির তিনটি নির্মাণ করেন। === দক্ষিণ দিকের শিবমন্দির === ১২ ফুট ইঞ্চি ১০ ফুট ইঞ্চি মাপের ২৮ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দক্ষিণ দিকের শিবমন্দির ১২১৫ বঙ্গাব্দ বা ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। মন্দিরের নকশাযুক্ত প্রবেশপথে খিলান বহু-পত্রাকৃতি বিশিষ্ট। ফুট ১.৫ ইঞ্চি ফুট ইঞ্চি মাপের গর্ভগৃহের ছাদ মন্দিরটি ২২ সেন্টিমিটার ১১ সেন্টিমিটার ৪.৫ সেন্টিমিটার মাপের পাতলা ইট দিয়ে নির্মিত। শ্লেটপাথরে সংস্কৃত ভাষায় বাংলা হরফে প্রতিষ্ঠালিপি উৎকীর্ণ রয়েছে, লিপিটি নিম্নরূপ === মধ্যের শিবমন্দির === ১৩ ফুট ইঞ্চি ১২ ফুট মাপের ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট উত্তর দিকের শিবমন্দির ১২০৭ বঙ্গাব্দ বা ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। এই মন্দিরের প্রবেশপথে পোড়ামাটির পদ্ম, চক্র জ্যামিতিক অলঙ্করণ লক্ষ্য করা যায়। ফুট ১.৫ ইঞ্চি ফুট ইঞ্চি মাপের গর্ভগৃহের ছাদ === উত্তর দিকের শিবমন্দির === ১৩ ফুট ইঞ্চি ১২ ফুট মাপের ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট উত্তর দিকের শিবমন্দির ১২০৭ বঙ্গাব্দ বা ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। এই মন্দিরে পোড়ামাটির পদ্ম, চক্র ইত্যাদি নকশা লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের প্রবেশপথে কালো পাথরের গোবরাটে চন্দ্রমুখী ফুলের একটি সুন্দর নকশা দেখা যায়। == তথ্যসূত্র == চব্বিশ পরগণা জেলার প্রত্নস্থল'''সাদাকা''' বা '''সদকা''' (, বহুবচন '''' একটি ইসলামি পরিভাষা। এর মাধ্যমে স্বেচ্ছা দানকে বোঝানো হয়। এটি অতিরিক্ত দান। যাকাতের মত সাদাকা বাধ্যতামুলক নয়। যাকাত প্রদানের বাইরে ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে সাদাকা করা হয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে উত্তম যেকোনো কাজে সাদাকার অর্থ ব্যয় করা যায়। ইমাম জুরজানী (র) বলেন, "এমন দানকে সাদাকা বলে যার মাধ্যমে আল্লাহ্‌রর নিকট সওয়াব আশা করা হয়।" ইবনে মানজুর বলেছেন, "সাদাকা বলা হয় যেটা দান করা হয় গরীব মিসকিনদের জন্য মহান আল্লাহ্‌র নিমিত্তে।" ==আরও দেখুন== *খুমুস *যাকাত ==তথ্যসূত্র== ==আরও পড়ুন== ইসলামে সদকার গুরুত্ব, বাবর আলী, দৈনিক কালের কণ্ঠ পরিভাষাতালিক লিপির একটি নমুনা '''তালিক লিপি''' আরবি লিপির একটি ক্যালিগ্রাফিক শৈলী। ফারসি ভাষার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য এর প্রণয়ন করা হয়েছে। পারস্যায়িত সমাজগুলোতে এই লিপির ব্যাপক ব্যবহার ছিল। পরে নাস্তালিক লিপি দ্বারা তা প্রতিস্থাপিত হয়। তুর্কি ভাষা এবং অনেক সময় আরবি ভাষায় নাস্তালিককে তালিক বলে উল্লেখ করা হয়। ==তথ্যসূত্র== লিপি চারুলিপি চারুলিপি'''আবদুস সালাম মুহাম্মদ আরিফ আলজুমাইলি''' ('''') (২১ মার্চ ১৯২১ ১৩ এপ্রিল ১৯৬৬) ছিলেন ইরাকের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। ১৯৬৩ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৫৮ সালের ১৪ জুলাই সংঘটিত অভ্যুত্থানে ইরাকের হাশেমি রাজতন্ত্র উৎখাত করায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== জন্ম মৃত্যু ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:আরব জাতীয়তাবাদি রাষ্ট্রপ্রধান ফিল্ড মার্শাল রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:আরব সোশ্যালিস্ট ইউনিয়ন (ইরাক) রাজনীতিবিদ আরব জাতীয়তাবাদি বিপ্লবী'''দাগনভূঁইয়া পৌরসভা''' বাংলাদেশের ফেনী জেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা। == আয়তন == দাগনভূঁইয়া পৌরসভার আয়তন ১৪.৪০ বর্গ কিলোমিটার। == অবস্থান সীমানা == দাগনভূঁইয়া উপজেলার মধ্যাংশে দাগনভূঁইয়া পৌরসভার অবস্থান। পৌরসভার উত্তরে পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে রামনগর ইউনিয়ন, দক্ষিণে দাগনভূঁইয়া ইউনিয়ন এবং পূর্বে দাগনভূঁইয়া ইউনিয়ন মাতুভূঁইয়া ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রতিষ্ঠাকাল == == প্রশাসনিক এলাকা == দাগনভূঁইয়া পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম দাগনভূঁইয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৬৭নং নির্বাচনী এলাকা ফেনী-৩ এর অংশ। == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দাগনভূঁইয়া পৌরসভার জনসংখ্যা ৩৩,৫৭৪ জন। == শিক্ষা == == অর্থনীতি == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == দাগনভূঁইয়া উপজেলা দাগনভূঁইয়া থানা ফেনী জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জেলার পৌরসভা উপজেলা'''ফ্রেড অট্টো রবশাহম''' (২৯ জুন ১৯৪৩– ২৬ মার্চ ২০১৫) ছিলেন নওরীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।তিনি ইতালীয় চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ==চলচ্চিত্র== ১৯৬৮ ''বারবারেলা'' ১৯৬৯ ''ফ্লাসব্যাক'' ১৯৬৯ ''নেল জিয়োরোনো দেল সাইনোর'' ১৯৭১ ''ব্লাক কিলার'' ১৯৭৩ ''সেপলতা ভিভা'' ১৯৭৩ ''ইনগ্রিড সুল্লা স্ট্রাদা'' 1974 ''Il figlio della sepolta viva'' *১৯৭৪ ''লুক্রেজিয়া গিয়োভানে'' ১৯৭৪ ''ক্যারামবোলা'' ১৯৭৫ ''সো ইয়ং, সো লাভলী,সো ভিকিউস...'' ২০০৭ ''ন্যাচারাল বোর্ন স্টার'' == বহিঃযোগ== Dagbladet Fred was once film star Norwegian film foundation on Natural born star জন্ম মৃত্যুপ্রজাতন্ত্রের সবচেয়ে লম্বা ভবনের তালিকা''' ম্যাসোডিয়ায় অবস্থিত উচ্চতর ভবনের র‌্যাঙ্ক নির্দেশ করছে। ম্যাসেডোনিয়ার সবচেয়ে উচুঁ ভবনটির নাম হল ''এম আর টি সেন্টার'' যা প্রায় ২৩০ ফুট (৭০ মিটার) উচুঁ। দেশটিতে বিশ্বের ২৩ টি -সবচেয়ে উঁচু তলার বাড়ির রয়েছে। == সবচেয়ে উচুঁ বিল্ডিং == এই তালিকা ম্যাসেডোনিয়া এর সবচেয়ে উচুঁ দশটি ভবনের। শুধুমাত্র সম্পন্ন ভবন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এখানে। র‌্যাঙ্ক নাম অবস্থান উচ্চতাফুট মিটার তলা সাল পাদটিীকা এম আর টি সেন্টার স্কপিয়ে ২৩০/ ৭০ ২৬ ১৯৮৪ ম্যাসেডোনিয়ার সবচেয়ে লম্বা ভবন এ্যারোড্রম টাওয়ার স্কপিয়ে ২১ ৩= টাওয়ার কারপস টা্ওয়ার স্কপিয়ে ১৯ ৩= টাওয়ার কারপস টা্ওয়ার স্কপিয়ে ১৯ ৩= টাওয়ার কারপস টা্ওয়ার স্কপিয়ে ১৯ সুমা কুমানোভো Kumanovo ১৮ নোভা ম্যাকেডনিজা প্রেস হাউজ স্কপিয়ে ১৭ ১৭ তলা অ্যালেক্সান্ডার ম্যাকডনস্কি হোটেল স্কপিয়ে ১৫+২ ১৯৭৯ উচ্চ (ভূমি) মেঝে মধ্যবর্তী তলা +১৫ তালার গ্রাডস্কি জিড স্কপিয়ে ১৪ ১৯৭১ মূল সূত্র emporis.com == সবচেয়ে উচুঁ ভবন যা নির্মানাধীন == র‌্যাঙ্ক নাম অবস্থান উচ্চতাফুট মিটার তলা সাল পাদটিীকা ১= স্কাই সিটি টাওয়ার স্কপিয়ে ৪২৭/ ১৩৬ ৪২ ২০১৪/২০১৫ ১= স্কাই সিটি টাওয়ার স্কপিয়ে ৪২৭/ ১৩৬ ৪২ ২০১৪/২০১৫ ১= স্কাই সিটি টাওয়ার স্কপিয়ে ৪২৭/ ১৩৬ ৪২ ২০১৪/২০১৫ ১= স্কাই সিটি টাওয়ার স্কপিয়ে ৪২৭/ ১৩৬ ৪২ ২০১৪/২০১৫ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == SkyscraperPage ম্যাসেডোনিয়া ভবন চিত্র Emporis.com ম্যাসেডোনিয়া পৃষ্ঠা প্রজাতন্ত্র'''সাধু মথি লিখিত সুসমাচার''' (; অপর নাম '''মথিলিখিত সুসমাচার''' বা সংক্ষেপে '''মথি''') হল নূতন নিয়মের প্রথম পুস্তক। এই পুস্তকে পাওয়া যায়, মসিহ যিশুকে কীভাবে ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং শেষে কীভাবে তিনি সমগ্র বিশ্বে সুসমাচার প্রচারের জন্য নিজের শিষ্যদের প্রেরণ করেছিলেন। অধিকাংশ গবেষকই মনে করেন যে, মথিলিখিত সুসমাচারটি ৮০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৯০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে রচিত হয়। যদিও এই সুসমাচারটি ৭০ থেকে ১১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে রচিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। অল্পসংখ্যক গবেষক মনে করেন যে, এটি ৭০ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে রচিত হয়েছিল। এই পুস্তকের অজ্ঞাতনামা লেখক সম্ভবত ছিলেন কোনও পুরুষ ইহুদি। তিনি মতবিশ্বাসের দিক থেকে প্রথাগত প্রথা-বহির্ভূত ইহুদি মূল্যবোধের মধ্যবর্তী সীমারেখায় অবস্থান করছিলেন এবং সমসাময়িক কালের বিতর্কিত শাস্ত্রের ব্যবহারিক বিধানগত দিকগুলি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। এই পুস্তকটি একটি মার্জিত সেমিটিক "সিনাগগ গ্রিক" ভাষায় রচিত। পুস্তককার তিনটি প্রধান সূত্র থেকে এই পুস্তকের বিষয়বস্তু গ্রহণ করেছেন: মার্কলিখিত সুসমাচার, কিউ সূত্র নামে পরিচিত বাণীর একটি তাত্ত্বিক সংকলন এবং এম সূত্র বা ‘বিশেষ ম্যাথিউ’ নামে পরিচিত একটি উপাদান, যা তার নিজের সমাজের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিল। মথিলিখিত সুসমাচারটি মার্কলিখিত সুসমাচারের একটি সৃজনশীল পুনর্ব্যাখ্যা। এই পুস্তকে যিশুর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তার কার্যকলাপও উল্লিখিত হয়েছে এবং তার দিব্য প্রকৃতি উন্মোচিত করার জন্য কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তনও আনা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মার্কলিখিত সুসমাচারে রয়েছে, এক ‘যুবক’ যিশুর সমাধিস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। মথিলিখিত সুসমাচারে দেখানো হয়েছে তিনি এক জ্যোতির্ময় স্বর্গদূত। যিশুর দিব্য প্রকৃতি ম্যাথিয়ান সমাজের একটি প্রধান প্রসঙ্গ ছিল। এটি ছিল ইহুদি প্রতিবেশীদের থেকে তাদের পৃথক করার ব্যাপারে একটি আবশ্যিক উপাদান। মার্কলিখিত সুসমাচারে যিশুর পার্থিক জীবদ্দশার পূর্ববর্তী প্রকাশিত ঘটনাবলি, তার দীক্ষা রূপান্তরের সময়কালে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। কিন্তু মথিলিখিত সুসমাচারে আরও দূরে যাওয়া হয়েছে। এই সুসমাচারে যিশুকে জন্মাবধিই ঈশ্বরপুত্র তথা পুরাতন নিয়মের মসিহ-সংক্রান্ত পরিপূর্ণতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ==রচনা প্রেক্ষাপট== প্যাপিরাস ৪, মথিলিখিত সুসমাচারের শিরোনাম (ευαγγελιον κ̣ατ̣α μαθ᾽θαιον (euangelion kata Maththaion)) সহ একটি প্রচ্ছদপৃষ্ঠার খণ্ড। খ্রিস্টীয় ২য় শতাব্দীর শেষভাগে বা ৩য় শতাব্দীর প্রথমভাগে রচিত এই প্যাপিরাসটিই মথিলিখিত সুসমাচারের প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপি শিরোনাম। প্যাপিরাস ৩৭, মথি ২৬-এর একটি প্যাপিরাস, খ্রিস্টীয় ৩য় শতাব্দী। মথি লিখিত সুসমাচার বা অন্যান্য সুসমাচারের মতো প্রাচীন বইগুলিতে রচয়িতার কোনো সাক্ষর পাওয়া যায় না। বিভিন্ন সময়ে অনুলিখিত লিপিকরদের কপিতে এই বইগুলি পাওয়া যায়। লিপিকরেরা কপি করার সময় স্থানীয় ঐতিহ্যগুলিকে বাইবেলের মধ্যে ঢোকানোর জন্য, বা সংশোধনের জন্য, বা ধর্মতত্ত্বকে সুবোধ্য করার জন্য, অথবা অন্য ভাষায় অনুবাদ করার সময় সেই ভাষায় বাইবেলকে স্বচ্ছন্দ করে তোলার জন্য নানা পরিবর্তন আনতেন। এই সব ক্ষেত্রে লিপিকরদের সাক্ষর অনুলিপিগুলিতে থাকে না। নূতন নিয়মের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পাণ্ডুলিপির প্রাচীনতম উদাহরণদুটি হল কোডেক্স ভ্যাটিক্যানাস কোডেক্স সিনাইটিকাস। অধিকাংশ গবেষকের মতে, এগুলি "মার্কাস হাইপোথেসিস"। অর্থাৎ, সাধু লুক লিখিত সুসমাচারের মতো এটি সাধু মার্ক লিখিত সুসমাচার অবলম্বন করে শেষোক্ত সুসমাচারটির রচনা শেষ হওয়ার পর (খ্রিস্টীয় ৬০-৭৫ অব্দ) লেখা হয়। ===লেখক=== মথি লিখিত সুসমাচারের লেখকের নাম জানা যায় না। বইতে লেখকের নামের উল্লেখ নেই। বইয়ের নামে "মথি লিখিত" শব্দবন্ধটি খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর কোনো এক সময়ে যুক্ত হয়েছিল। বইটি যে সন্ত মথির রচনা, এই কিংবদন্তির সূত্রপাত প্রথম যুগের খ্রিস্টান বিশপ প্যাপিয়াসের (১০০-১৪০ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। চার্চ ঐতিহাসিক ইউসেবিয়াস (২৬০-৩৪০ খ্রিষ্টাব্দ) তার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন: "মথি ওর্যাকলগুলি (''লজিয়া'': যিশুর বাণী বা যিশু-সম্পর্কিত উপাখ্যান) হিব্রু ভাষায় ('' Hebraïdi dialektōi'') সংকলন করেছিলেন, এবং প্রত্যেকটিকে ব্যাখ্যা সম্ভবত অনুবাদ) করেছিলেন খুব সতর্কভাবে।" সাধারণভাবে মনে করা হয়, মথি লিখিত সুসমাচারটি হিব্রু বা আরামিক ভাষায় সন্ত মথির দ্বারা প্রথমে লিখিত হয়েছিল পরে গ্রিক ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। কিন্তু কোথাও লেখক দাবি করছেন না যে তিনি কোনো ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। তাছাড়া মথির গ্রিক ভাষাটির মধ্যেও "পুনর্কথনের ভঙ্গিতে অনুবাদের ছাপ স্পষ্ট।" বিশেষজ্ঞেরা প্যাপিয়াসের বক্তব্যটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন: হয়তো মথি দুটি সুসমাচার লিখেছিলেন। তার মধ্যে একটি এখন হারিয়ে গিয়েছে। সেটি হিব্রুতে লেখা ছিল। অন্যটি গ্রিক ভাষায় লেখা হয়েছিল। বা হয়তো ''লজিয়া'' ঠিক সুসমাচার নয়, বাণী-সংকলন। বা হয়তো ''dialektōi'' প্যাপিয়াস বোঝাতে চেয়েছিলেন মথি হিব্রু ভাষায় নয়, বরং ইহুদি ধাঁচে সুসমাচারটি লিখেছিলেন। প্রচলিত মতটি হল, প্যাপিয়াস যে সুসমাচারটির কথা বলেছেন, সেটি আমাদের জানা মথি লিখিত সুসমাচার নয়। সাধারণত মনে করা হয় আরামিক বা হ্রিব্রুতে নয়, মথি এটি লিখেছিলেন গ্রিক ভাষায়। ===সূত্র=== মথি-লিখিত সুসমাচারের সূত্রগুলির অন্যতম হল মার্ক-লিখিত সুসমাচার, কিউ সূত্র নামক ‘সাধারণ প্রথা’ মথি-লিখিত সুসমাচারের নিজস্ব উপাদান এম সূত্র। অধিকাংশ আধুনিক গবেষকের মতে, মার্ক-লিখিত সুসমাচারটিই প্রথম রচিত সুসমাচার। তারা মনে করেন ম্যাথিউ (যিনি মার্কের ৬৬১টি চরণের মধ্যে ৬০০টি চরণ গ্রহণ করেছিলেন) এবং লুক উভয়েই মার্ক-লিখিত সুসমাচার থেকে নিজের রচনার প্রধান প্রধান উপাদানগুলি গ্রহণ করেছিলেন। যদিও মথি-লিখিত সুসমাচারের রচয়িতা মার্ক-লিখিত সুসমাচারের উপাদান শুধুমাত্র অনুকরণ করেনন, তিনি স্বাধীনভাবে এই সূত্রটি সম্পাদনা করেছেন। তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন ইহুদি প্রথায় যিশুর স্থান নির্ধারণের উপর এবং যিশুর শিক্ষার একটি বৃহৎ অংশ তার সুসমাচারে যুক্ত করেছেন। মথি মার্ক-লিখিত সুসমাচারে প্রায় ২২০টি অতিরিক্ত যে চরণ পাওয়া যায়, তা মার্ক-লিখিত সুসমাচারে নেই। এগুলি গৃহীত হয়েছে দ্বিতীয় এক সূত্র থেকে। এই সূত্রটি যিশুর উক্তিসমূহের একটি প্রকল্পিত সংকলন। গবেষকেরা এই সূত্রের নাম দিয়েছেন ‘কুয়েল’ (জার্মান ভাষায় যার অর্থ ‘সূত্র’) বা কিউ সূত্র। দ্বিসূত্র প্রকল্পনা (মার্ক কিউ) নামে পরিচিত এই মতবাদ থেকে আরেকটি মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে। এটিকে বলা হয় ‘বিশেষ মথি’ বা এম সূত্র। অর্থাৎ, মথি-লিখিত সুসমাচারের নিজস্ব উপাদান। এটি হয় একটি পৃথক সূত্র, অথবা এটি রচয়িতার চার্চ থেকে এসেছে, অথবা রচয়িতা নিজে এগুলি রচনা করেছেন। এছাড়াও রচয়িতা নিজে গ্রিক শাস্ত্রগুলিকে অপসারিত করেছেন। অধিকাংশই কোনো পরিচিত সংস্করণ, (বুক-স্ক্রোল (ইসাইয়ার পুস্তক, গীতসংহিতা ইত্যাদির গ্রিক অনুবাদ) বা ‘টেস্টিমনি সংগ্রহ’ (খণ্ডিত রচনার সংগ্রহ) কোনো আকারেই যা নেই)। প্যাপিয়াস যদি ঠিক হয়, তবে সম্ভবত লেখকের নিজস্ব সম্প্রদায়ের মৌখিক উপাখ্যানগুলি যুক্ত হয়েছে। এই সূত্রগুলি মূলত গ্রিক ভাষায় রচিত হয়েছিল। এর অধিকাংশই কোনো পরিচিত সংস্করণে পাওয়া যায় না। যদিও কোনো কোনো গবেষকের অতে, এই মূল নথগুলি সম্ভবত হিব্রু বা আরামিক সূত্র থেকে গ্রিক ভাষায় অনূদিত হয়। ===প্রেক্ষাপট সময়=== অধিকাংশ গবেষকের মতে, মথিলিখিত সুসমাচার রচিত হয়েছিল খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দীর শেষ ভাগে। অর্থাৎ, এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের খ্রিস্টানদের রচনা। ৭০ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ইহুদি-রোমান যুদ্ধের (৬৬-৭৩ খ্রিষ্টাব্দ) সময় রোমানদের দ্বারা জেরুজালেম মন্দির ধ্বংস এই অনুমানের অন্যতম প্রমাণ। এখান থেকেই ইহুদি মেসিহা নাজারেথের যিশু একটি পৃথক ধর্মব্যবস্থার অ-ইহুদি চরিত্র হয়ে উঠলেন। ঐতিহাসিকভাবে, মথিলিখিত সুসমাচারের রচনাকাল ততটা স্পষ্ট নয়। কোনো কোনো আধুনিক গবেষক মনে করেন, এই সুসমাচার আরও আগে রচিত হয়েছিল। ম্যাথিউ যে খ্রিস্টান গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন, ১ম শতাব্দীর অনেক খ্রিস্টানের মতো, সেটিও তখনও একটি বৃহত্তর ইহুদি গোষ্ঠীর অংশ ছিল। তাই তাদের ইহুদি-খ্রিস্টান বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। ইহুদিদের এই বৃহত্তর জগতের সঙ্গে ম্যাথিউয়ের সম্পর্ক এখনও গবেষণা বিতর্কের বিষয়। প্রধান প্রশ্নটি হল, যদি ম্যাথিউ এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হন তবে, ম্যাথিউরা তাদের ইহুদি শিকড় কতটা কেটে ফেলতে পেরেছিলেন। ম্যাথিউদের গোষ্ঠী অন্যান্য ইহুদি গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ অবশ্যই ছিল। সবাই এই বিষয়ে একমত যে, ম্যাথিউদের গোষ্ঠী যিশুকে মসিহা ধর্মীয় বিধানের প্রামাণ্য ব্যাখ্যাকর্তা মনে করতেন এবং সেই থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাথ হয়। যিশু যে পুনরুজ্জীবিত হয়েছিলেন এবং তার মাধ্যমে যিশুর প্রামাণ্যতার দিব্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এই বিশ্বাসও উক্ত বিরোধের কারণ ছিল। মথিলিখিত সুসমাচারের রচয়িতা সম্ভবত সিরিয়ার (অ্যান্টিওচ, রোমান সিরিয়ার বৃহত্তম শহর এবং সাম্রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। এই শহরের উল্লেখ প্রায়ই করা হয়েছে) গ্রিক-ভাষী ইহুদি খ্রিস্টান একটি গোষ্ঠীর জন্য লিখেছিলেন। মার্কলিখিত সুসমাচারে ইহুদি রীতিনীতির বর্ণনা থাকলেও, এই বইতে তা পাওয়া যায় না। অন্যদিকে লুক-লিখিত সুসমাচারে যিশুকে আদি পিতা আদমের বংশধর প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা দেখা গেলেও, এখানে তাকে ইহুদি জাতির জনক আব্রাহামের বংশধর অবধিই দেখানো হয়েছে। মথিলিত সুসমাচারের তিনটি অনুমিত সূত্রের মধ্যে একমাত্র তার নিজের গোষ্ঠীর ‘এম’ সূত্রটিই শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি সংগঠিত গোষ্ঠী হিসেবে ‘চার্চ’ বা ‘ইক্লেসিয়া’র উল্লেখ করেছে। ‘এম’-এর বিষয়বস্তু থেকে অনুমান করা হয় যে, এই গোষ্ঠী ইহুদি আইন রক্ষার ব্যাপারে কঠোর মনোভাবাপন্ন ছিল। তারা মনে করতেন ‘সত্যতা’ (ইহুদি আইনের প্রতি আনুগত্য) রক্ষার ব্যাপারে তাদের স্ক্রাইব ফরিশিদের ছাড়িয়ে যেতে হবে। একটি ইহুদি-খ্রিস্টান গোষ্ঠীর মধ্যে থেকে লিখতে গিয়ে অন্যান্য ইহুদিদের থেকে তারা পৃথক হয়ে পড়েন। ক্রমশ সদস্যতা দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে তারা অ-ইহুদি হয়ে উঠতে থাকেন। ময়াথিউ তার সুসমাচারটিকে এমন এক দৃষ্টিকোণ থেকে লেখেন যাতে ‘ইহুদি অ-ইহুদি একসঙ্গে একটি গোষ্ঠী বা চার্চের মধ্যে বিকাশলাভ করতে পারে।’ ==গঠন বিষয়বস্তু== মাইনাসকিউল ৪৪৭-এ মথি লিখিত সুসমাচারের সূত্রপাত। ===গঠন=== সুসমাচারগুলির মধ্যে একমাত্র মথি লিখিত সুসমাচারেই আখ্যানবস্তুর পাঁচটি ভাগকে পাঁচটি কথোপকথন দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি কথোপকথনের শুরু হয়েছে “যখন যিশু সমাপ্ত করলেন...” এই ভাবে (দেখুন মথি লিখিত সুসমাচারের পাঁচটি কথোপকথন)। কোনো কোনো গবেষক মনে করেন, এর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুরাতন নিয়মের প্রথম পাঁচটি পুস্তকের সমান্তরাল একটি পুস্তক সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্যরা মনে করেন, এর মাধ্যমে মসিহা-রূপী যিশুর ধারণাটিকে কেন্দ্র করে একটি ত্রিস্তর ভঙ্গিমা গড়ে তোলা হয়েছে। কারোর মতে এটি সারা বছর প্রতি সপ্তাহে পড়ার জন্য এটি এক-একটি সেট; আবার কেউ এর মধ্যে কোনো পরিকল্পনাই দেখেন না। ডেভিস অ্যালিসন তাদের বহুল ব্যবহৃত টীকায় ‘ত্রয়ী’র (সুসমাচারে তিন ভাগে বিষয় ভাগ করার প্রবণতা) ব্যবহারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। রিচার্ড টমাস ফ্রান্স অপর একটি প্রভাবশালী টীকায় গালিল থেকে জেরুজালেম পর্যন্ত একটি ভৌগোলিক আন্দোলনের কথা বলেছেন। গালিলে যিশুর আবির্ভাবেই গল্পের সমাপ্তি এই অনুমানের কারণ। ===মুখবন্ধ: বংশলতিকা, যিশুর জন্ম শৈশব === মথি লিখিত সুসমাচার শুরু হয়েছে এই বাক্য দিয়ে, “যিশু খ্রিস্টের বংশলতিকা গ্রিক ভাষায়, ‘জেনেসিস’”। এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রিক ভাষায় পুরাতন নিয়মের আদিপুস্তকের (২:৪) প্রতিধ্বনি করা হয়েছে। এই বংশলতিকায় যিশুকে আব্রাহাম রাজা ডেভিডের বংশধর হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং তাঁর কুমারী গর্ভে জন্মের সঙ্গে জড়িত নানা অলৌকিক কাহিনির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজা হেরোদের শিশু হত্যা, জোসেফ মেরির মিশরে পলায়ন পরে নাজারেথে ফিরে আসার উপাখ্যান। ===প্রথম উপাখ্যান কথোপকথন=== এখানে প্রথম আখ্যানটি বর্ণিত হয়েছে। জন যিশুকে দীক্ষা দেন এবং পবিত্র আত্মা তাঁর উপর নেমে আসেন। ঊষর প্রান্তরে ৪০ দিন যিশু প্রার্থনা ধ্যান করলেন। শয়তান তাঁকে প্রলোভিত করল। গালিলে বাণী অলৌকিক কর্মের দ্বারা তাঁর প্রথম শিষ্যমণ্ডলী গঠন করলেন। পর্বতচূড়ায় তিনি প্রথম বাণীপ্রচার করলেন। এটিই যিশুর শৈলোপদেশ নামে পরিচিত। এই উপদেশে তিনি স্বর্গরাজ্যের নীতিগুলি বললেন। উপদেশ শুরু হয়েছিল “ধন্য তারা...” এই শব্দবন্ধের মাধ্যমে। উপদেশের শেষে তিনি মনে করিয়ে দিলেন স্বর্গরাজ্যের ডাকে সাড়া দেওয়ার ফল চিরন্তন। উপদেশের শ্রোতৃমণ্ডলী অবাক হল। এরপর সুসমাচারের দ্বিতীয় উপাখ্যানে চলে যাওয়া হয়েছে। ===দ্বিতীয় উপাখ্যান কথোপকথন=== সুসমাচারে যিশুর প্রামাণ্য বাক্যগুলি তিন ধরনের তিনটি অলৌকিক কর্মের দিকে গেল। এগুলি দুই ধরনের শিষ্যত্ব কাহিনির (দ্বিতীয় উপাখ্যান) সঙ্গে পরস্পর-সংযুক্ত। এরপর রয়েছে ধর্মপ্রচার যন্ত্রণাভোগের কথা। যিশু বারো জন শিষ্যকে সংগঠিত করলেন ইহুদিদের মধ্যে ধর্মপ্রচার, অলৌকিক কর্ম সাধন যে স্বর্গরাজ্য আসছে তার ভবিষ্যদবাণী করার জন্য। তিনি শিষ্যদের যাত্রাপথে ভারী বোঝা বা লাঠি নিতে অথবা জুতো পরতে বারণ করলেন। ===তৃতীয় উপাখ্যান কথোপকথন=== যিশুর বিরোধীরা অভিযোগ করল যে তার অলৌকিক কর্মগুলি শয়তানের শক্তিতে বলীয়ান। অন্যদিকে যিশু অভিযোগ করলেন যে তার বিরোধীরা পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধাচারণ করছেন। এই কথোপকথন একাধিক রূপক আখ্যানের গুচ্ছ। এই কাহিনিগুলিতে যিশু ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বের কথা ঘোষণা করে শিষ্যদের স্বর্গরাজ্যের ধর্মগ্রন্থের শিক্ষা অনুধাবন করার আহ্বান জানিয়েছেন (ম্যাথিউ ‘স্বর্গরাজ্য’ ধারণায় ’ঈশ্বর’ নামক পবিত্র শব্দটি ব্যবহার করেননি; বরং ‘স্বর্গরাজ্য’ কথাটি ব্যবহার করেছেন। ইহুদিরা ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করেন না। এটি সেই প্রথাটিকে প্রতিফলিত করছে।) ===চতুর্থ উপাখ্যান কথোপকথন=== চতুর্থ উপাখ্যান অংশে প্রকাশিত হয়েছে, যিশুর ক্রমবর্ধমান বিরোধিতা শেষ পর্যন্ত জেরুসালেমে তার ক্রুশবিদ্ধকরণের দিকে যায় এবং তার শিষ্যেরাও তার অনুপস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন। চার্চের প্রতি নির্দেশিকায় দায়িত্ব নম্রতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। (মথি ১৬:১৩-১৯-এ এই অংশটি পাওয়া যায়। এখানে সাইমনকে সদ্য পিতর নামে (πέτρος, ''petros,'' অর্থাৎ ‘পাথর’) চিহ্নিত করা হয়েছে। পিতর যিশুকে ‘খ্রিস্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র’ বলে অভিহিত করেছেন এবং যিশু বলেছেন এই (πέτρα, ''petra'') উপর তিনি তার চার্চ গঠন করবেন এই অংশ থেকেই পোপতন্ত্র কর্তৃত্ব দাবি করে। ==পাদটীকা== ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== ===টীকা=== ===সাধারণ গ্রন্থপঞ্জি=== in in in in in ==বহিঃসংযোগ== list of online translations of the Gospel of Matthew: (opens at Matt.1:1, NIV) textual commentary on the Gospel of Matthew Detailed text-critical discussion of the 300 most important variants of the Greek text (PDF, 438 pages). Early Christian Writings ''Gospel of Matthew:'' introductions and e-texts. Matthew King James Version'''নান অব দ্য অ্যাবাভ''' () ''উপরের কোনটিই নয়'', সংক্ষেপে নোটা () বা '''''এগেইন্সট অল''''' () বা () ভোট কিছু বিচারব্যবস্থায় বা প্রতিষ্ঠানে একটি ব্যালট মনোনয়ন যার মাধ্যমে কোন ভোটদাতা একটি নির্বাচন-এর সকল প্রার্থীদের অসমর্থন করার মতকে প্রকাশের সুযোগ পায়। এটা এই নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা যে, কোন নির্বাচনে না ভোট এর মাধ্যমে মনোনয়নদের নির্বাচনে অসম্মতিতে সম্মতি জানানোর আধিকারও ভোটদাতাদের দরকার। যে সমস্ত দেশে প্রমিত পদ্ধতি হিসেবে ব্যালটে ''নান অব দা এবাভ''-কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভারত ("নান অব দ্য অ্যাবাভ"), গ্রীস (λευκό, সাদা, কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্কহীন, কেবলমাত্র প্রতীকী।) ইউ. এস. স্টেট অব নেভাদা (নান অব দ্য ক্যান্ডিডেটস), ইউক্রেন (Проти всіх), স্পেন (ভোটো এন ব্ল্যাংকো), এবং কলোম্বিয়া (ভোটো এন ব্ল্যাংকো), ব্যালটে (Против всех) মনোনয়ন ছিল যেটি ২০০৬ সালে বিলুপ্ত করা হয়। বাংলাদেশ ২০০৮ সালে না ভোটের মনোনয়ন চালু করে। পাকিস্তান ২০১৩ সালের পাকিস্তান নির্বাচনের ব্যালট পেপারে এই সুযোগটি রাখলেও পরে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন একে বাতিল করে দেয়। যখন "নান অব দ্য অ্যাবাভ" ব্যালটে তালিকাভুক্ত করা হয়, তখন ভোটের অধিকাংশ নোটাতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে যেক্ষেত্রে নোটা নির্বাচনে "বিজয়ী" হতে পারে। সেক্ষেত্রে কতগুলি প্রথাগত পদ্ধতি বলবত হতে পারে যেমন, অফিস খালি থাকা, বিভিন্ন অফিস ভরে থাকা, পুননির্বাচন অথবা এর কোন ফালাফল না থাকতে পারে, যেমন, ভারত-এ বা ইউ. এস. স্টেট অব নেভাদা তে দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট প্রাপকই জয়ী গণ্য হয়। ==ভারত== ভারতের নির্বাচন কমিশন ২০০৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট-কে জানায় যে তারা "নান অব দ্য অ্যাবাভ" যা সরকার সাধারণত বিরোধিতা করে -একে ভোটারদের জন্য ব্যালটে মনোনীত করতে চায়। পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ নামে একটি বেসরকারি সংগঠন এর সমর্থনে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নামে বিবৃতি দায়ের করে। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আমল করেন যে "নান অব দ্য অ্যাবাভ"-কে নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তি করা উচিত এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যন্ত্রে এর জন্য বোতাম রাখতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন, যাতে ভোটে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়াছে নাকি তা লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচন কমিশন আরো ব্যাখ্যা করেছে যে যদিও "নোটা" হিসেবে পড়া ভোট গণনা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ফলাফল পরিবর্তন করা হবে না। "নোটা" ভোটকে মোট বৈধ ভোট গণনার জন্য এবং নিরাপত্তা আমানত বাজেয়াপ্তকরণ বিষয়ের নির্ধারক হিসাবে বিবেচনা করা হবে না। ২০১৪ সালের ভারতের সাধারণ নির্বাচনে, ১.১ শতাংশ "নোটা" ভোট পড়েছে যা কিনা ৬০ লক্ষাধিক ভোট। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী সংস্কারে নোটার প্রচার Rainbow Coalition NOTA on Ballot Random Selection of Man Woman from pool of NOTA electorate following first past the post win নোটার ভোটার গ্রীন পার্টি অব ক্যালিফোর্নিয়া বনাম জোন্স মামলা (১৯৯৫) রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন নোটা বিষয়ক প্যারোডি সাইট জিওফ রবিনসনের ওয়েবসাইট টেনিসিতে নোটা নোটা পার্টি, যুক্তরাজ্য স্পেনের শূন্য আসন Movimiento Ciudadano por el Voto en Blanco Computable Escaños en Blanco Spain নো ক্যান্ডিডেট ডিজার্ভস মাই ভোট! পার্টি, যুক্তরাজ্য নোটার প্রচার উরুগুয়েতে নোটার প্রচার কানাডায় ভোটদান অসম্মতি পদ্ধতি'''অলাভজনক সংগঠন''' ('''এনপিও''', এছাড়াও '''অ-ব্যবসায়িক সত্তা''' হিসাবে পরিচিত) হলো একটি সংগঠন যা উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য অর্জন করতে সংগঠনের পরিচালক (বা সমতূল্য) কর্তৃক লাভ বা লভ্যাংশ হিসেবে উদ্বৃত্ত আয় বিতরণের পাশাপাশি উদ্বৃত্ত আয় ব্যবহার করে থাকে। এটি বিতরণ বাধ্যতা হিসাবে পরিচিত। == কার্যাবলী == ব্যবস্থাপনা বিধান দায়বদ্ধতা এবং নিরীক্ষণ বিধান সত্তা অবলোপনের ব্যবস্থা কর্পোরেট এবং ব্যক্তিগত দাতাদের করের স্থিতি প্রতিষ্ঠাতার করের অবস্থা == আরও দেখুন == সম্প্রদায় সংগঠন ধনসংগ্রহ অলাভজনক সংগঠনের গুরু পারস্পরিক সংগঠন অ-বাণিজ্যিক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) অলাভজনক সংগঠন এবং পাবলিক তথ্য ব্যবহারের সুযোগ অলাভজনক খাত অলাভজনক প্রযুক্তি পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সামাজিক অর্থনীতি সমর্থনকারী সংগঠন (দাতব্য) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অলাভজনক আইন ==তথ্যসূত্র== == আরও পড়ুন == Snyder, Gary R., ''Nonprofits: On the Brink How Nonprofits have lost their way and some essentials to bring them back'', 2006. P. Hartigan, 2006, 'It's about people, not profits', ''Business Strategy Review'', Winter 2006 ==বহিঃসংযোগ== এনজিও ভারত এইড ফর চেন্জ আওয়ার কমিউটিনি অস্ট্রেলিয়ান অলাভজনক খাতের সম্পদ প্রকারভেদ পরিভাষাভারতের রোহিত শর্মা একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে দুইবার দুইশত বা তদূর্ধ্ব রান সংগ্রহ করেছেন। '''একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্বি-শতক রান''' এপ্রিল, ২০১৫ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৫জন ব্যাটসম্যান মোট ছয়বার দুইশত বা তদূর্ধ্ব রান সংগ্রহ করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত ১০টি দলের মধ্যে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানগণ কীর্তিগাথা রচনা করেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতীয় ক্রিকেট প্রতিভা শচীন তেন্ডুলকর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে দ্বি-শতক হাঁকিয়েছেন। ২০১০ সালে গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এরপর থেকে এপ্রিল, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৫জন ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, মার্টিন গাপটিল, রোহিত শর্মা ক্রিস গেইল কৃতিত্বের দাবীদার। তন্মধ্যে ভারত থেকেই চারজন ব্যাটসম্যান সম্মাননা লাভ করেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বাধিক ব্যক্তিগত ২৬৪ রান করেছেন রোহিত শর্মা। ১৪ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি এই বিরল রেকর্ড স্থাপন করেন। এছাড়াও তিনি সর্বমোট দুইবার দ্বি-শতক হাঁকান। অন্যদিকে, ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দুইবার দ্বি-শতক রান এসেছে। তন্মধ্যে, মার্টিন গাপটিল সর্বাধিক অপরাজিত ২৩৭* রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বিশ্বকাপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বি-শতক করেছেন। == নির্দেশিকা == '''*''' দিয়ে ব্যাটসম্যানের অপরাজিত থাকাকে নির্দেশ করে। '''তারিখ''' দিয়ে খেলা শুরুর তারিখকে নির্দেশ করে। দিয়ে তৎকালীন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ওডিআই রানকে নির্দেশ করে। == দ্বি-শতক রান == নং রান ব্যাটসম্যান পক্ষে প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ ২০০* ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়াম, গোয়ালিয়র ২১৯ হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ইন্দোর ২০৯ এম চিনাস্বামী স্টেডিয়াম, ব্যাঙ্গালোর ২৬৪ ইডেন গার্ডেনস, কলকাতা ২১৫ ম্যানুকা ওভাল, ক্যানবেরা ২৩৭* ওয়েলিংটন রিজিওন্যাল স্টেডিয়াম, ওয়েলিংটন == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == সেঞ্চুরি টেস্ট ক্রিকেটে ত্রি-শতকের তালিকা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাট্রিকের তালিকা একদিনের আন্তর্জাতিকে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের তালিকা == বহিঃসংযোগ == Highest Individual ODI Scores (from Cricinfo) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রেকর্ডসমূহ তালিকা'''বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট''' বাংলাদেশের অন্যতম পুরাতন বৃহত্তম সরকারি বহুমুখী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বরিশাল শহরের আলেকান্দা পলিটেকনিক রোডে অবস্থিত। ১৯৬২ সালে এই পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বছর মেয়াদী কোর্স পরিচালনা করে থাকে। == ইতিহাস== বাংলাদেশে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার প্রত্যয়ে ১৯৬২ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার ৫টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। এর মধ্যে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম। অন্য চারটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সিলেট, রংপুর, বগুড়া পাবনায় প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন তড়িৎ প্রকৌশল, পুরকৌশল শক্তি প্রকৌশল তিনটি প্রযুক্তি অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে আরও ৪টি প্রযুক্তি অনুষদ চালু করে। এগুলো যথাক্রমে কম্পিউটার প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল এবং প্রকৌশল। বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একাডেমিক ভবন পুকুর ==অবকাঠামো== বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গন মাঠ == শিক্ষা কার্যক্রম== বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে বর্তমানে বছর মেয়াদী কোর্স চালু রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক প্রযুক্তির ছাত্র-ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবে পাঠ্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের জন্য একটি অকারিগরি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সকালে দুপুরে দুই শিফটে পাঠদান করা হয়। === অনুষদ === কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদ পুরকৌশল (সিভিল) অনুষদ ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশল অনুষদ ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল অনুষদ যন্ত্র প্রকৌশল অনুষদ শক্তি প্রকৌশল অনুষদ প্রকৌশল অনুষদ★ট্যুরিজম এ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট অনুষধ★ #_____ছাত্রাবাস দুটি ছাএবাস এবং একটি ছাত্রীনিবাস আছে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''বনু উমাইয়া''' () মক্কার কুরাইশ বংশের একটি শাখা গোত্র। এটি উমাইয়া ইবনে আবদ শামস থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। বনু উমাইয়ার সাথে মক্কার আরেক গোত্র বনু হাশিমের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। রাশিদুন খিলাফতের পরবর্তী উমাইয়া খিলাফত বনু উমাইয়ার সদস্য সাহাবি মুয়াবিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ==সদস্য== *উসমান ইবনে আফফান *আবু সুফিয়ান *মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান *ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ==আরও দেখুন== *আরবের গোত্র *বনু আব্বাস *বনু হাশিম *উমাইয়া খিলাফত ==তথ্যসূত্র== বিষয়শ্রেণী:বনু উমাইয়া গোত্র বিষয়শ্রেণী:আরব গোষ্ঠী বংশের শাখা'''মড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়''' বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলায় অবস্থিত একটি সরকারী বিদ্যালয়। == অবস্থান == বাংলাদেশের বগুড়া জেলা শহর হতে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্বে এবং গাবতলী উপজেলা হতে প্রায় কিলোমিটার দক্ষিণে গোলাবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যালয়টি অবস্থিত। == ভবনের বর্ণনা == বিদ্যালয়ে মোট তিনটি ভবন রয়েছে। প্রথম দ্বিতল ভবনটির নাম ''পল্লী কবি জসিম উদ্দিন ভবন''। এর পাশেই রয়েছে ''বেগম রোকেয়া ভবন'' ''কাজী নজরুল ইসলাম ভবন'' নামে দুইটি একতলা ভবন। অত্র ভবন সমূহে সর্বমোট ১১টি কক্ষ রয়েছে, যার মধ্যে ৯টি শ্রেনীকক্ষ, ১টি অফিস কক্ষ এবং ১টি স্টোর রুম রয়েছে। == ইতিহাস == মড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্রিটিশ শাসনআমলে ১৯১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এক স্থানীয় আলোচনায় ভিত্তিতে মহর উল্লাহ প্রামাণিক নামক একজন ব্যক্তির ৪০ শতাংশ জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিদ্যালয়ের জন্য মড়িয়া বড় পুকুর পাড়ে জায়গা নির্ধারিত হয়। ১৯১৫ সালে তিন কক্ষ বিশিষ্ট ছন টিন দ্বারা বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় ''মড়িয়া গ্রাম্য পাঠশালা'' এবং জন শিক্ষক এবং ২১ জন ছাত্র নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টিকে সরকারী করণ করা হয় এবং ৫৮ বছর পর নাম পরিবর্তন করে ''মড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়'' রাখা হয়। এরপর বিদ্যালয়ে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট অধাপাকা ঘর নির্মিত হয়। ২০০১ সালে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়, যার তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ২০০১ সালে এবং বাকি একতলা ২০০৩ সালে নির্মিত হয়। আরেকটি কক্ষ বিশিষ্টি একতলা ভবন ২০০৫ সালে নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালে শেষ একটি দিকক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়টি ২০১১ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ==শিক্ষক ছাত্রছাত্রী== বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন, যার মধ্যে জন পুরুষ এবং জন মহিলা। বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭৮৮ জন যার মধ্যে ৩৯২ জন ছাত্র এবং ৩৯৬ জন ছাত্রী। বিদ্যালয়ে জন সরকারি বেতনভুক্ত পিয়ন এবং একজন বিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিলে বেতন প্রদানকৃত পিয়ন রয়েছে। == অর্জন == ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পাশের হার ছিল যথাত্রমে ৯২.৭২ ৯৭.৩২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫৫ ৩৭ জন। ===অনান্য সাফল্য=== ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টূর্ণামেন্টে বিদ্যালয়টি উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়, এছাড়া ২০১০, ২০১১, ২০১৩ সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে চাম্পিয়নশীপ অর্জন করে। বিদ্যালয় কাব স্কাউট সংগঠন সক্রিয়। পর্যন্ত বিদ্যালয় থেকে জন শিক্ষার্থী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ পুরস্কার অর্জন করেছে। এছাড়া বিগত ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর একজন ছাত্র বাংলাদেশ স্কাউটসের পক্ষ থেকে ভারত সফর করে এসেছে। ==তথ্যসূত্র== প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জেলার বিদ্যালয় উপজেলা'''মোহাম্মদ হাসিবুল হোসেন''' (জন্ম: জুন, ১৯৭৭) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন ‘শান্ত’ ডাকনামে পরিচিত '''হাসিবুল হোসেন'''। == প্রারম্ভিক জীবন == পিতা সামরিকবাহিনীর কর্মকতা ছিলেন। সে সুবাদে ঢাকার ক্যান্টমেন্টে শৈশবকাল কাটে তার। অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের সাথে খেলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সংস্পর্শ ঘটে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অনেকগুলো বছর খেলেন। ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য তিনিই একমাত্র ভরসা ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আশার আলো হওয়া স্বত্ত্বেও বহুভাবে বোলিংয়ের চেষ্টা করে সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হন। বিশেষ করে, বোলিংয়ের শেষ মুহুর্তে তার পা যথাযথভাবে ক্রিজে পড়তো না। তার ফলো-থ্রোতেও ধারাবাহিকতা ছিল না। ফলে, তিনি কেবলমাত্র স্বল্পকালীন সময়ে সফলতা পেয়েছেন। সম্ভাবনাময় ক্রিকেট জীবন পূর্ণাঙ্গতা পায়নি তার। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফির সফল সমাপ্তিতে তিনি সর্বমোট ১১ উইকেট পান। তারপরও তার সফলতম মূহুর্ত আসে কেনিয়ার বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় লেগ-বাইয়ের মাধ্যমে জয়সূচক রানে। মার্চ, ২০০০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ক্লাব ক্রিকেটের খেলা পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান জহুর এলাহী’র সাথে ধাক্কা খেয়ে হাঁটুতে চোট পান। ঘটনাটি স্বাভাবিক হলেও স্টেডিয়ামে আবাহনী কলাবাগানের সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়ায় পরিণত হয়। == খেলোয়াড়ী জীবন == ১৯৯৫ সালে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেক খেলায় প্রথম ওভারেই রোশন মহানামাকে আউটের মাধ্যমে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় কেনিয়ার বিপক্ষে ৪/৫৬ লাভ করে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ২০০০ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সফলতা দেখান তিনি। কিন্তু, মার্চ, ২০০০ সালে হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তার বোলিং আর আগের মতো হয়নি। টেস্ট ক্রিকেটে গড়পড়তা সাফল্য পেয়েছেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচ টেস্টে অংশ নিলেও ইনিংসে কখনো দুইয়ের অধিক উইকেট পাননি। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলায় অংশ নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সদাগোপান রমেশকে বোল্ড করে স্বান্তনাসূচক প্রথম টেস্ট উইকেট পান তিনি। দেশের অন্যতম ফাস্ট বোলার হিসেবে বেশ কয়েক বছর দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে আঘাতপ্রাপ্তি বোলিংয়ে ছন্দ হারানোর ফলে তার বোলিংয়ের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে ২০০৩ সালে নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা হারান। কিন্তু, ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে ভারতের বিপক্ষে আকস্মিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। কিন্তু ভারতীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র শেওয়াগের নতুন বলে প্রতি আক্রমণের শিকার হন তিনি। মাত্র ওভার বোলিং করে ৫৩ রান দিয়ে কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন তিনি। == ক্রিকেট বিশ্বকাপ == ১৯৯৯ সালের গ্রীষ্মে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেন। এডিনবরায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২/২৬ পান বিশ্বকাপে দলের প্রথম জয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। সমগ্র প্রতিযোগিতায় চার খেলায় অংশ নিয়ে তিনি তিন উইকেট শিকার করেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ক্লাব ক্রিকেটে খেলা শেষে অবসর নেয়ার পর ব্যবসায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন হাসিবুল। সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার রঞ্জন দাসের পরিচালনায় এক ক্রিকেট একাডেমির সাথে সম্পৃক্ত তিনি; যাতে মেহরাব হোসেনও কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == হাবিবুল বাশার সুমন বাংলাদেশী টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা ২০০০-০১ ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর == বহিঃসংযোগ == ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিভাগের ক্রিকেটার কমনওয়েলথ গেমসের ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারহরিত তারা, কুমবুম, গ্যানসে, তিব্বত, ১৯৯৩। শুক্লতারা মূর্তি, কর্ম কাগ্যু ধর্মকেন্দ্র। পদ্মধারিণী তারার চিত্র, অষ্টম শতাব্দী, বরোবুদুর, জাভা, ইন্দোনেশিয়া। '''তারা''' (, Tib. སྒྲོལ་མ, Drolma) বা '''আর্যতারা''' হলেন মহাযান বৌদ্ধধর্মের একজন নারী বোধিসত্ত্ব, যিনি বজ্রযান বৌদ্ধধর্মে একজন নারী বুদ্ধের মর্যাদা পান। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে তাকে '''জেতসুন দোলমা''' (তিব্বতি ভাষা:''rje btsun sgrol ma'') বলা হয়। তিনি "নির্বাণ-জননী" হিসেবে পরিচিত। তারা কাজ কীর্তির গুণাবলির সাফল্যের প্রতিনিধি। জাপানে তিনি "তারা বোসাতসু" (多羅菩薩) নামে পরিচিত। চীনা বৌদ্ধধর্মে তিনি ''দৌলাও পূসা'' নামে (多羅菩薩) স্বল্প-পরিচিত। তারা একজন তান্ত্রিক ধ্যান দেবী। বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের তিব্বতি শাখাটি তার ধ্যান অনুশীলন করে আন্তরিক গুণাবলির বিকাশ এবং দয়া শূন্যতার বাইরের, অন্তরের এবং গোপন শিক্ষা অনুধাবনের জন্য। একই শ্রেণীর বুদ্ধ বা বোধিসত্ত্বগণের গোষ্ঠীনাম হিসেবেও ''তারা'' শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বোধিসত্ত্বেরা প্রায়শই বৌদ্ধ গুণাবলির উপমা হিসেবে ব্যবহৃত হন। সেই দিক থেকে এই ধারণাটি আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। তারার সুপরিচিত রূপগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য: হরিত তারা, (শ্যামাতারা) বোধিপ্রাপ্ত ক্রিয়াকর্মের বুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। *শুক্লতারা, (সীতাতারা) দয়া, দীর্ঘজীবন, আরোগ্যদান শান্তি হিসেবে পরিচিত; এছাড়াও চিন্তাচক্র বা কল্পতরু চক্র হিসেবেও পরিচিত। *রক্ততারা, (কুরুকুল্লা) সকল ভাল জিনিস চুম্বকীকরণের সঙ্গে যুক্ত ভয়াবহ রূপ। *কৃষ্ণতারা, শক্তির সঙ্গে যুক্ত। *পীততারা, (ভৃকুটি) সম্পদ বিকাশের সঙ্গে যুক্ত। নীলতারা, ক্রোধের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। চিত্তমণি তারা, তারার একটি রূপ যা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের গেলাগ শাখায় সর্বোচ্চ যোগ তন্ত্রে বহুলভাবে প্রচলিত। এঁর গাত্রবর্ণ সবুজ দেখানো হয় এবং প্রায়শই হরিত তারার সঙ্গে এক হিসেবে দেখানো হয়। খদিরববনী তারা, দক্ষিণ ভারতের খদিরবনী বনে ইনি নাগার্জুনের সামনে আবির্ভূতা হয়েছিলেন বলে কথিত আছে। এঁকে প্রায়শই "২২তম তারা" বলা হয়। বৌদ্ধধর্মের কোনো কোনো সম্প্রদায়ে "একুশ তারা" স্বীকৃত। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের চারটি সম্প্রদায়ই সকালে ''একুশ তারা স্তোত্র'' আবৃত্তি করে। কোনো কোনো বৌদ্ধ সম্প্রদায় হিন্দুধর্মে তারার মন্ত্র একই: ওঁ তারে তুত্তারে তুরে স্বাহা। তিব্বতি প্রথা অনুসারে তিব্বতি বৌদ্ধরা এটিকে উচ্চারণ করে “ওঁ তারে তু তারে তুরে সোহা”। ==বৌদ্ধ দেবী রূপে তারার অভ্যুত্থান== তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে '''তারা''' হলেন দয়া কার্যের একজন বোধিসত্ত্ব। তিনি হলেন অবলোকিতেশ্বরের নারী মূর্তি। কোনো কোনো সৃষ্টি উপাখ্যান অনুসারে তিনি অবলোকিতেশ্বরের চোখের জল থেকে উৎপন্ন হয়েছেন: তারা নির্বাণদাত্রী রূপেও পরিচিত। কারণ তিনিই সেই স্বর্গীয় দেবী যিনি সংসারের দুঃখে তপ্তদের কান্না শুনতে পান। তারার উৎস হিন্দু না বৌদ্ধ সেটি অস্পষ্ট। নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। মল্লার ঘোষ মনে করেন, তার উৎস হিন্দু পুরাণ শাস্ত্র। সেখানে তাদের দেবী দুর্গার একটি রূপ বলা হয়েছে। আধুনিক কালে বৌদ্ধধর্ম হিন্দুধর্মের শাক্ত সম্প্রদায়ে (দশমহাবিদ্যার অন্যতম দেবী রূপে) তার পূজা হয়। পরবর্তীকালের বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ (খ্রিস্টীয় ৫ম-৮ম শতাব্দী) তারাকে বোধির দয়ার প্রতিমূর্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে। যে প্রাচীনতম মূর্তিটিকে তারামূর্তি হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে সেটি বৌদ্ধ মঠ চত্বর ইলোরা গুহায় (অধুনা ভারতের মহারাষ্ট্রে অবস্থিত) খ্রিস্টীয় ৭ম শতকে নির্মিত হয়েছিল। উত্তরপূর্ব ভারতে পাল সাম্রাজ্যের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে (খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দী) তারা পূজা জনপ্রিয় হয়। ৮ম শতাব্দীতে পাল সাম্রাজ্যে তন্ত্রের অভ্যুত্থানের সঙ্গে সঙ্গে তারা খুব জনপ্রিয় এক বজ্রযান দেবীতে পরিণত হন। পদ্মসম্ভবের মাধ্যমে ভারতীয় বৌদ্ধধর্ম তিব্বতে পৌঁছালে তারার পূজানুশীলন তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। এরপর থেকে তাকে “সকল বুদ্ধগণের মা” হিসেবে গণ্য করা হতে থাকে। এটি অনেকটা হিন্দুধর্মের মাতৃকাদেবী ধারণার অনুরূপ। দেবী হোক, বা বুদ্ধ হোক বা বোধিসত্ত্বই হোক, তারা তিব্বত (এবং উত্তর ভারতে নির্বাসিত তিব্বতি সম্প্রদায়ে), মঙ্গোলিয়া, নেপাল ভুটানে বেশ জনপ্রিয়। সারা বিশ্বের অধিকাংশ বৌদ্ধ সম্প্রদায় তারা পূজা করে। (আরও দেখুন, গুয়ানয়িন, চীনা বৌদ্ধধর্মে অবলোকিতেশ্বরের নারীরূপ)। আধুনিক কালে হরিত তারা শুক্লতারা সম্ভবত তারার সবচেয়ে জনপ্রিয় মূর্তি। হরিত তারা খদিরবনী তারা সাধারণত ভয়ের থেকে রক্ষার সঙ্গে যুক্ত। আটরকম দ্বন্দ্ব থেকে রক্ষার সঙ্গেও তারা যুক্ত: সিংহ (= অহংকার), বুনো হাতি (= অজ্ঞান), আগুন (= ঘৃণা ক্রোধ), সাপ (= ঈর্ষা), চোর ডাকাত (= ভুল মত, গোঁড়া মতবাদ সহ), বন্ধন (= লোভ কার্পণ্য), বন্যা (= কামনা বন্ধন) অপদেবতা দানব (= যে দ্বন্দ্ব বিভ্রান্ত করে)। দীর্ঘজীবনের তিন দেবীর একজন হিসেবে শুক্লতারা (বা সরস্বতী) দীর্ঘজীবনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি রোগ প্রতিরোধ করেন এবং এভাবেই দীর্ঘজীবন দান করেন। তিনি দয়ার প্রতীক। তার গাত্রবর্ণ সাদা এবং তিনি চাঁদের বলে উজ্জ্বল বলে কথিত। Image:Javanese The Buddhist Goddess Tara Walters দেবী তারা'', ৯ম শতাব্দী, সোনা রুপো। ওয়াল্টার্স আর্ট মিউজিয়াম File:White Tara.jpg|সিতা (শুক্ল) তারা, ওনডোর গেগিন, জানাবাজার, মঙ্গোলিয়া, ১৭শ শতাব্দী। File:Maldivian তারা ৩০ মিটার উচ্চ খোদাই চিত্র, ৯ম শতাব্দী। মালদ্বীপের মালের জাদুঘরে রক্ষিত। File:OM TARE TU TTARE.svg|তারা মন্ত্র''ওঁ তারে তুত্তারে তুরে স্বাহা'' রঞ্জন তিব্বতি লিপির লাঞ্জা রূপভেদে। ==বৌদ্ধ বোধিসত্ত্ব ধারণার উৎস== একাধিক কাহিনিতে বোধিসত্ত্ব রূপে তারার উৎসের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি গল্পে বিশেষ ভাবে বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে নারীদের আগ্রহের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। ২১শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নারীবাদ গবেষকদের আলোচনার বিষয়ও হয়ে উঠেছে এটি। হরিত তারা, ৮ম শতাব্দী। এই প্রাচীন মূর্তিতে তাঁকে শ্যামাতারা বা হরিত তারা রূপে দেখা যায়। কথিত আছে, এই মূর্তিতে তিনি অনুগামীদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। ব্রুকলিন মিউজিয়াম। এই গল্পে বলা হয়েছে, এক তরুণী রাজকুমারী ভিন্ন এক লক্ষ লক্ষ বছর আগেকার ভিন্ন এক জগতে বাস করতেন। তার নাম ছিল ইয়েশে দাওয়া। এই নামের মানে হল ‘প্রাগৈতিহাসিক চেতনা’। অনেক যুগ ধরে তিনি তোন্যো দ্রুপা নামে পরিচিত সেই জগতের বুদ্ধের পূজা করেন। এই বুদ্ধ তাকে বোধিচিত্ত বা এক বোধিসত্ত্বের হৃদয়-মানস সম্পর্কে কিছু বিশেষ উপদেশ দেন। এরপর কিছু ভিক্ষু তার কাছে এসে বলেন, তার বোধিলাভের স্তর অনুসারে এরপর তাকে প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি পুরুষ রূপে জন্মগ্রহণ করেন। তবেই তার ভবিষৎ অগ্রগতি সম্ভব হবে। তখন রাজকুমারী ভিক্ষুদের বলেন, বোধির দৃষ্টিকোণ থেকে এমন কোনো শর্ত নেই। কেবলমাত্র ‘দুর্বল মনস্ক জগৎবাসীরাই’ লিঙ্গকে বোধিলাভের পথে বাধা মনে করে। তিনি ব্যথিত চিত্তে লক্ষ্য করেন যে, নারীরূপা সত্ত্বাগুলির উন্নতির জন্য খুব কম লোকই কাজ করতে আগ্রহী। তাই তিনি সংসার ধ্বংসের আগে এক নারী বোধিসত্ত্ব রূপে জন্মগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। তারপর তিনি একটি প্রাসাদে কয়েক লক্ষ বছর ধরে ধ্যান করেন এবং এই অনুশীলনের শক্তিতে লক্ষ লক্ষ সত্ত্বা দুঃখ থেকে মুক্ত হয়। এর ফলে তোন্যো দ্রুপা তাকে বলেন যে এরপর থেকে তিনি তারা দেবীর রূপে আগামী জগৎগুলিতে সর্বোচ্চ বোধির প্রতিনিধিত্ব করবেন। এই উপাখ্যানকে স্মরণ করে দলাই লামার একটি উক্তি উল্লেখনীয়। ১৯৮৮ সালে নিউপোর্ট বিচে কমপ্যাশনেট অ্যাকশন নামক এক সম্মেলনে তিনি বলনে, বৌদ্ধধর্মে একটি সত্যিকারের নারীবাদী আন্দোলন আছে। এটি দেবী তারার সঙ্গে যুক্ত। তিনি বোধিচিত্ত বা বোধিসত্ত্বের হৃদয়-মানস অনুসন্ধান করে যাঁরা পূর্ণ বোধিলাভের চেষ্টা করছেন তাঁদের দিকে তাকান এবং তিনি অনুভব করেন খুব কম লোকই নারীরূপে বুদ্ধত্ব অর্জন করতে চান। তাই তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, “আমি নারীরূপে বোধিচিত্ত জাগ্রত করব। কারণ, এই পথে আমার সম্পূর্ণ জীবন এক নারীর। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমি নারীরূপে জন্ম নেবো এবং আমার সর্বশেষ জন্মে যখন আমি বুদ্ধত্ব অর্জন করব, তখনও আমি নারীই থাকব। এরপর তারা এমন কিছু ধারণা গ্রহণ করেন, যা নারী অনুশীলনকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে এবং বোধিসত্ত্ব রূপে তার উত্থানকে নারীদের প্রতি মহাযান বৌদ্ধধর্মের সহজগম্যতা হিসেবেও দেখা যেতে পারে। ভারতে খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এটি বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। ==ত্রাণকর্ত্রী রূপে তারা== হারিত তারা, নেপাল, ১৪শ শতাব্দী। তামায় গিলটি করা মূর্তি, দামি অপেক্ষাকৃত অল্প দামি পাথরে অলংকৃত। (৫১.৪ সেন্টিমিটার), দ্য মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম অফ আর্ট, লুইস ফাইভ। বেল ফাউন্ড, ১৯৬৬, ৬৬.১৭৯। তারা একাধিক নারীসুলভ আদর্শের প্রতীক। তিনি দয়া সহানুভূতির মা। তিনিই সূত্র অর্থাৎ, বিশ্বের নারীমূর্তি। তিনি স্নেহ সহানুভূতির জন্মদাত্রী এবং জন্মমৃত্যুর চক্রের কারণ খারাপ কর্মের হাত থেকে মুক্তিদাত্রী। সৃষ্টিশক্তিকে তিনি সৃষ্টি করেন, নাড়াচাড়া করেন এবং তার প্রতি হাস্য করেন। শিশুর প্রতি মায়ের যেমন স্নেহ, সকল সত্ত্বার প্রতি তারার তেমনই স্নেহ। হারিত তারার মূর্তিতে তিনি সাংসারিক বিশ্বের সকল দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সাহায্য করেন এবং সেই ধরনের পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেন। শ্বেততারার রূপে তিনি মাতৃস্নেহ প্রকাশ করেন এবং মানসিক শারীরিকভাবে আহত সত্ত্বাদের আরোগ্যলাভে সাহায্য করেন। রক্ততারার রূপে সৃষ্ট বস্তুর নির্বাচনী ক্ষমতার শিক্ষা দেন এবং শেখান কিভাবে সাধারণ কামনাবাসনাকে দয়া প্রেমে রূপান্তরিত করতে হয়। নীলতারা বা একজটীর রূপে তিনি ন্যিংমা শাখার একজন রক্ষাকর্ত্রী। এই রূপে তিনি ভয়ংকরী ক্রোধী এক নারীশক্তি। ধর্মক্ষেত্রে বাধাসমূহকে ধ্বংস করতে, সৌভাগ্য আনয়নে এবং শীঘ্র আধ্যাত্মিক জাগরণের জন্য তাকে আবাহন করা হয়। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে তার ২১টি প্রধান রূপ। প্রত্যেক রূপ এক-এক রং শক্তির। প্রত্যেকটিই কিছু না কিছু নারীসুলভ গুণের প্রতীক। অধ্যাত্ম জগতের সাধক তাদের সাহায্য চাইলে তারাই সর্বাধিক সাহায্য করেন। তারার নারীসুলভ আদর্শগুলির অন্যতম হল তিনি ডাকিনীদের সঙ্গে লীলা করেন।জন ব্লোফেল্ড তার ''বোধিসত্ত্ব অফ কমপ্যাসন'' গ্রন্থে লিখেছেন, তারাকে প্রায়ই ষোলো বছরের কন্যারূপে দেখানো হয়। ধর্মের অনুশীলনকারীরা যখন গভীরভাবে নিজেদের ধর্মপথে নিয়ে যান, তখন তারা তাদের মধ্যে আবির্ভূত হন। তিব্বতি উপাখ্যানে দেখা যায়, তারা আত্ম-অহমিকা দেখে হাসেন। যারা নারীশক্তিকে অবহেলা করে, তাদের জীবনে তিনি নানা বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করেন। থিনলে নোরবু ''ম্যাজিক ড্যান্স: দ্য ডিসপ্লে অফ দ্য সেলফ-নেচার অফ দ্য ফাইভ উইসডম ডাকিনীজ'' বইতে বলেছেন, এটি একধরনের ‘লীলামানস’। তারার ক্ষেত্রে বলা হয়, তার লীলামানস সেই সব ব্যক্তিদের মনকে মুক্ত করে, যাঁদের মন দ্বৈতবাদী বৈষম্যের দ্বারা গভীরভাবে বদ্ধ থাকে। মুক্তমনস্কতা গ্রহণেচ্ছু হৃদয় দেখলে তিনি খুশি হন। এই ধরনের মানুষকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই আশীর্বাদ করেন। সেই আশীর্বাদে সেই হৃদয় উন্মুক্ত হয় এবং তার শক্তি এঁদের আধ্যাত্মিক উন্নতির সহায়ক হয়। নারীসুলভ এই গুণগুলি পরবর্তীকালে ভারতীয় মহাযান বৌদ্ধধর্মে অভিব্যক্ত হয় এবং তিব্বতে বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের উন্মেষের সময় তারা, দাকিনী, প্রজ্ঞাপারমিতা অন্যান্য স্থানীয় বিশেষ দেবীর মধ্যে প্রকাশিত হয়। তারার পূজা শুরু হওয়ার পর তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রার্থনা, স্তোত্র মন্ত্র যুক্ত হয়। এগুলির উৎস ভক্তিমূলক চাহিদা। তারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মগুরুরা একাধিক সাধন বা তান্ত্রিক ধ্যান অনুশীলন পদ্ধতি রচনা করেন। তাকে পূজার দুটি উপায়ের জন্ম হয়। সাধারণ মানুষ সাধারণ অনুশীলনকারী একটি উপায়ে জাগতিক জীবনের দুঃখমোচনের জন্য তার কাছে প্রার্থনা করেন। অন্য উপায়টিতে তিনি তান্ত্রিক দেবী। এই উপায়ে তান্ত্রিক যোগী সন্ন্যাসীরা তার গুণাবলি নিজেদের মদ্যে জাগরিত করার জন্য, তার মাধ্যমে তার গুণাবলির সূত্রে পৌঁছাতে, বোধিপ্রাপ্ত হতে, বোধিপ্রাপ্ত দয়া বোধিপ্রাপ্ত মন পেতে তার সাধনা করেন। ==তান্ত্রিক দবী রূপে তারা== কেন্দ্রে হারিত তারা (সময় তারা যোগিনী) কোণে নীল, রক্ত, শ্বেত পীততারার মূর্তি সহ ১৮শ শতাব্দীর পূর্ব তিব্বতি থাঙ্কা, রুবিন মিউজিয়াম অফ আর্ট। পদ্মসম্ভবের সময় থেকে তারা তান্ত্রিক দেব যোগের কেন্দ্র। পদ্মসম্ভব ইয়েশে সোগ্যালকে রক্ততারার অনুশীলন পদ্ধতি দিয়েছিলেন। তিনি তাকে বলেন, এটিকে ধনসম্পত্তির মতো গোপন রাখতে। ২০শ শতাব্দীতে আপোং তেরতন নামে এক বিশিষ্ট ন্যিংমা লামা এটিকে প্রথম পুনরুদ্ধার করেন। বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুসারে, এই লামাই সক্যপ শাখার বর্তমান প্রধান সক্য তিরজিন রূপে পুনরায় জন্মগ্রহণ করেছেন। আংপং তেরতনকে চিনতেন এমন এক ভিক্ষু এই পদ্ধতি সক্য তিরজিনকে দেন এবং তিনিই এটি চাগদুদ তুলকু রিংপোচকে দেন, যিনি এটি তার পাশ্চাত্যের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকাশ করেন। মার্টিন উইলসন তার ''ইন প্রেইজ অফ তারা'' গ্রন্থে তারা তন্ত্রগুলির বিভিন্ন শাখার উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন তারা-সংক্রান্ত ধর্মগ্রন্থগুলি তান্ত্রিক সাধন হিসেবে ব্যবহৃত হত। উদাহরণস্বরূপ, কর্ম কাগ্যুর মানব পিতা তিলোপার (৯৮৮-১০৬৯) কাছে একটি তারা সাধন প্রকাশিত হয়। বিশিষ্ট অনুবাদক তথা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের কদমপা শাখার প্রতিষ্ঠাতা অতীশ ছিলেন তারা ভক্ত। তিনি তারার একটি স্তোত্র তিনটি তারা তন্ত্র রচনা করেন। মার্টিন উইলসনের গ্রথে একটি তালিকা রয়েছে যেখানে বিভিন্ন শাখার তারা তন্ত্রগুলির উৎস দেখানো হয়েছে। তবে তারার তান্ত্রিক অনুশীলন ৭ম শতাব্দীর পর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আজ পর্যন্ত বজ্রযান বৌদ্ধধর্মে তারা এক গুরুত্বপূর্ণ তান্ত্রিক দেবী। বর্তমানে তারা অনুশীলন হয় একজন ইষ্টদেবতা (থাগ দাম, য়িদাম) হিসেবে। অনুশীলনকারীরা তাকে বুদ্ধ জ্ঞানের এক প্রত্যক্ষ মূর্তি হিসেবে দেখেন। জন ব্লোফেল্ড তার ''দ্য তান্ত্রিক মিস্টিজম অফ টিবেট'' গ্রন্থে লিখেছেন: ==তারার সাধন== যে সকল সাধনে তারাকে য়িদম বা ধ্যানদেবী হিসেবে দেখানো হয়েছে সেগুলি হয় বিস্তারিত নয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এগুলির অধিকাংশের শুরুতে তার স্তব রয়েছে। এই স্তবে তাকে আবাহন করা হয়েছে এবং তার শরণ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তার মন্ত্র পাঠ করা হয়েছে। এরপর সাধনের ফলে প্রাপ্ত বোধি উৎসর্গ করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর অতিরিক্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রার্থনা বা সাধনের সূত্রপাত যে লামা করেছিলেন, তার দীর্ঘজীবনের প্রার্থনা করা হয়েছে। অনেক তারা সাধনকে বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের জগতের প্রারম্ভিক ধর্মানুশীলন হিসেবে দেখা হয়। যদিও এই দেবীকে আবাহনের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়েছে তা বৌদ্ধধর্মের সকল শাখারই সূক্ষ্ম শিক্ষা। দুটি উদাহরণ হল জাবটিক দ্রোলচক চিমে পাকমে ন্যিংটিক। ==আরও দেখুন== *নৈরাত্মা *একুশ তারা স্তোত্র ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== নারী তন্ত্র বুদ্ধ অতিলৌকিক সত্ত্বা'''দৌলতখান পৌরসভা''' বাংলাদেশের ভোলা জেলার অন্তর্গত দৌলতখান উপজেলার একটি নগরভিত্তিক স্থানীয় সরকার সংস্থা। ১৯৯৮ সালে পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি ‘‘খ’’ শ্রেনীর পৌরসভা। ==ইতিহাস== ১৯৯৮ সালে ‘‘গ’’ শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে দৌলতখান পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এটি “খ” শ্রেণীতে উন্নীত হয়। ==প্রশাসনিক অবকাঠামো== দৌলতখান পৌরসভার আয়তন ২.৫০ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে চরপাতা ইউনিয়ন, পূর্বে ভবানীপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণে সৈয়দপুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে চরখলিফা ইউনিয়ন অবস্থিত। টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভাটি গঠিত। ৯টি ওয়ার্ডে ৯জন সাধারণ আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জন সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। মাননীয় মেয়র সম্মানিত কাউন্সিলরগণ জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ==জনসংখ্যা== ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, দৌলতখান পৌরসভা এলাকার জনসংখ্যা ৩০,১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫,২০২ জন মহিলা ১৪,৯১০ জন এবং বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পৌর এলাকায় হোল্ডিং সংখ্যা মোট হোল্ডিং সংখ্যা ৩,৫০০ টি। ==মেয়রগণের তালিকা== আলী আজম মুকুল, মেয়র মোঃ জাকির হোসেন তালুকদার, মেয়র (কার্যকাল ২০১৪ বর্তমান) শিক্ষার জন্য দৌলতখান পৌর এলাকায় ২টি ডিগ্রী কলেজ, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদ্রাসা, ৩টি কিন্ডারগার্টেন সহ আরো বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == জেলার পৌরসভা উপজেলা'''পঞ্চম বেদ''' ধারণাটির মাধ্যমে এমন একটি ধর্মগ্রন্থকে বোঝায় যেটি চারটি আনুশাসনিক বেদের অন্তর্গত না হলেও গুরুত্ব মর্যাদার দিক থেকে বেদের সমতুল্য। বেদ-উত্তর যুগে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থকে পঞ্চম বেদ বলে দাবি করা হয়। হিন্দুধর্মে এই ধর্মগ্রন্থ বা বেদের নিত্যতা সার্বভৌমত্বের সমতুল্য জ্ঞান করা হয়। এই ধারণাটি প্রাচীন। উপনিষদে প্রথম এই ধারণার উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে আধুনিক সংস্কৃত অ-সংস্কৃত ভাষায় রচিত একাধিক গ্রন্থকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। == সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ: পঞ্চম বেদ == ছান্দোগ্য উপনিষদে (৭।১। ২) প্রথম পঞ্চম বেদের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই উপনিষদে ইতিহাস পুরাণকে পঞ্চম বেদ বলা হয়েছে, ''ইতিহাসপুরাণং পঞ্চমং বেদম্‌'' ‘ইতিহাস’ শব্দটি এখানে হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ, মহাভারতেই এই গ্রন্থটিকে ‘পঞ্চম বেদ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বেদের সংকলক ব্যাসদেবকে মহাভারতের রচয়িতা মনে করা হয়। মহাভারতে বলা হয়েছে, এই মহাকাব্য নতুন যুগের নতুন বেদ। এটি সকল ব্যক্তির উপযুক্ত এবং চতুর্বেদের সমতুল্য এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেদ অপেক্ষাও মহত্তর। অপর হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণকেও পঞ্চম বেদ বলে দাবি করা হয়। পুরাণ সাহিত্যেও একই ধরনের দাবি করা হয়েছে। পুরাণগুলিতে ইতিহাসের সঙ্গে বা ইতিহাস ছাড়াই নিজেদের পঞ্চম বেদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে পুরাণে ‘পুরাণ বেদ’ কথাটি পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণে ছান্দোগ্য উপনিষদের বক্তব্যটিকে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ব্রহ্মার চার মুখ থেকে চার বেদ উৎপন্ন হয়। তারপর তার পঞ্চম মুখ বা সকল মুখ থেকে ইতিহাস-পুরাণের সৃষ্টি। এরপর ভাগবত পুরাণ নিজেকে ব্যাসদেবের শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুরাণ বলে ঘোষণা করেছে। স্কন্দপুরাণেও একই ভাবে বলা হয়েছে যে পুরাণ সাহিত্য পঞ্চম বেদ এবং সেই জন্য এই সাহিত্যের ধর্মগ্রন্থ হওয়ার যোগ্যতা আছে। নাট্যশাস্ত্র নামে একটি কলাতত্ত্ব নিজেকে পঞ্চম বেদ বলেছে (১। ৪)। যদিও এটি প্রথাগতভাবে গন্ধর্ববেদ নামে একটি সামবেদীয় উপবেদ। নাট্যশাস্ত্রে উল্লিখিত হয়েছে, এটি ব্রহ্মার কথিত এবং এতে চার বেদের সব উপকরণই আছে। চার বেদ সকল বর্ণের জন্য নয়। কিন্তু নাট্যশাস্ত্র সবার জন্য। নাট্যশাস্ত্রের মূল উপজীব্য হল ধর্মীয় উপাখ্যানগুলিকে নাটক বা সংগীতের মাধ্যমে উপস্থাপিত করে মানুষকে পবিত্র চিন্তার দিকে টেনে আনা। পঞ্চম বেদ রূপে গণ্য অন্যান্য গ্রন্থগুলির মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি আয়ুর্বেদ। == অ-সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ: বৈদিকায়ণ == স্থানীয় ভাষায় লেখা একাধিক ধর্মগ্রন্থকে বেদের সমতুল্য মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৭শ শতাব্দীতে অবধি ভাষায় রচিত রামায়ণ রামচরিতমানস কাব্যটিকে ভক্তেরা পঞ্চম বেদ বা হিন্দি বেদ মর্যাদা দেন। তারা মনে করেন, কলিযুগে এই গ্রন্থ বেদের সমতুল্য বা বেদ অপেক্ষা মহত্তর। একাধিক তামিল গ্রন্থকে অনুগামীরা নতুন বেদ, তামিল বেদ বা দ্রাবিড় বেদ বলে থাকেন। তামিল বৈষ্ণব ভক্তিবাদী সম্প্রদায় আলোয়ারগণ তিরুবায়মোলি গ্রন্থটিকে এই মর্যাদা দিয়ে থাকেন। পরবর্তীকালে সাধারণভাবে দিব্য প্রবন্ধম এই মর্যাদা পেয়েছে। লীলাতিলকম নামে ১৪শ শতাব্দীর কেরল মণিপ্রবলম ব্যাকরণ গ্রন্থের মতো ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থও এই দাবি করেছে। নাট্যশাস্ত্রের মতো, লেখকেরা তিরুবায়মোঝি গ্রন্থের মতো গ্রন্থকেও পঞ্চম বেদ বলেছেন। তাদের মতে, চার বেদ শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের জন্য। কিন্তু এই নতুন তামিল বেদ সকল বর্ণের জন্য রচিত। একই ভাবে তামিল শৈব সম্প্রদায় তেবরম নামে স্তোত্র সংগ্রহকে তামিল বেদ বলেছেন। তামিল শৈবরা যেমন তেবরমকে সংস্কৃত বেদের সমতুল্য মর্যাদা দিয়েছেন, তেমনই বৈষ্ণবরা তাদের ধর্মগ্রন্থকে অনুরূপ মর্যাদা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিরুক্কুরাল নামে একটি নীতিবাদী উক্তিসঞ্চয়নকে তামিল বেদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এটি সম্ভবত প্রথম শতাব্দীর রচনা। বইটি তামিল বেদ নামেই পরিচিত। ==আরও দেখুন== উপবেদ জাতবেদ ==তথ্যসূত্র== বিষয়শ্রেণী:বেদ আন্দোলন'''জিহান মুবারক''' (জন্ম: ১০ জানুয়ারি, ১৯৮১) ওয়াশিংটন, ডিসিতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন বংশোদ্ভূত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি। == প্রারম্ভিক জীবন == স্কুল ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে রান পেয়েছেন। তার ব্যাটিংয়ের ধরন অনেকাংশেই ব্রায়ান লারা’র সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। বিশেষতঃ স্পিনারদের বিপক্ষেই তার ব্যাট ঝলসে উঠেছে বেশী। রয়্যাল কলেজ কলম্বোয় পড়াশোনা করেন মুবারক। কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্যাল সায়েন্সে ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। ডাম্বুলায় ক্রিকেট সম্পর্কীয় প্রশিক্ষণ শিবিরে সাবেক ক্রিকেটার অর্জুনা রানাতুঙ্গা অরবিন্দ ডি সিলভা’র দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। এরপরই তিনি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় তারকায় পরিণত হন। == খেলোয়াড়ী জীবন == জুলাই, ২০০২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। বছরেরই নভেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও অংশ নেন তিনি। অভিষেকের পর রঞ্জিত ফার্নান্দো মন্তব্য করেন যে, মুবারকের ব্যাটিং যেন গতিময় কবিতা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের মধ্যে পেশাদারী পর্যায়ে উত্তরণের জন্য তাকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার রয়েল বেঙ্গলসের ক্রিকেটার এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটার প্রাক্তন শিক্ষার্থী কলেজ, কলম্বোর প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুর্স ট্রুপার্সের ক্রিকেটার এক্সপ্রেসের ক্রিকেটার'''মহিপাল সরকারি কলেজ''' (পূর্বনাম: '''গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, ফেনী''') বাংলাদেশের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেটি ফেনী জেলা সদরে অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সাল থেকে বর্তমান নামে পরিচিতি লাভ করে। == প্রতিষ্ঠার ইতিহাস == ১৯৫৯ সালের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের নির্দেশনা অণুসারে তৎকালীন সরকার পূর্ব পাকিস্তানের ১৬টি জেলা সদরে 'গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট' স্থাপন করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ফলশ্রুতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা 'এউএসএইড'-এর আর্থিক কারিগরী সহায়তায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, বরিশাল এবং সিলেট জেলা শহরে ১৯৬৫ হতে ১৯৬৭ সালের মধ্যে এই কমার্র্শিয়াল ইনস্টিটিউটসমূহ স্থাপিত হয়। == শিক্ষা কার্যক্রম == এই প্রতিষ্ঠানটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে দুই বছর মেয়াদী ষ্টাডিজ' (ডিআইবিএস) নামে একটি কর্মমূখী শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করা হয়। == ফলাফল == অত্র প্রতিষ্ঠানের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিআইবিএস পরীক্ষায় ৫০০(পাঁচশত) জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে ৪৪৯(চারশত ঊনপঞ্চাশ) জন পাস করে, যার মধ্যে ৭৪ জন A+ এবং ৩৫৩জন গ্রেড পায়। পাশের গড় হার ছিল প্রায় ৯০% এবং ২০১৪ সালের ডিআইবিএস পরীক্ষায় ৫৪৩(পাঁচশত তেতাল্লিশ) জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে ৪৩৩ (চারশত তেত্রিশ) জন পাস করে, যার মধ্যে ১০২ জন A+ এবং ৩২৫জন গ্রেড পায়। পাশের হার ছিল প্রায় ৭৯.৭৪%। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের গভঃ কমার্শিয়াল তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == 'গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, ফেনী'-এর তথ্য বাতায়ন। জেলার কলেজ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ'''১৯৮৮-র বন্যা''' ছিলো বাংলাদেশে সংঘটিত প্রলংকারী বন্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। মাস জুড়ে সংঘটিত এই বন্যায় দেশের প্রায় ৬০% এলাকা ডুবে যায় এবং স্থানভেদে এই বন্যাটি ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। এটি ছিলো এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষয়-ক্ষতিময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বিশ্বব্যাপী গণ-মাধ্যমেও সেই সময় এই দুর্যোগটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়। == সংগঠিত হওয়ার কারণ == এই প্রলংকারী বন্যাটি সংগঠিত হওয়ার মূল কারণ ছিলো সারা দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং একই সময়ে (মাত্র তিন দিনে) দেশের তিনটি প্রধান নদীর পানি প্রবাহ একই সময় ঘটায় নদীর বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়। == ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ == এই বন্যায় বাংলাদেশের প্রায় ৮২,০০০ বর্গ কিমি (সমগ্র দেশের ৬০% এরও অধিক) এলাকা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। == পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া == ১৯৮৬ সালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত সারফেস ওয়াটার সিমুলেশন মডেলিং প্রোগ্রাম (SWSMP) ১৯৮৮-র ভয়াবহ বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে DHI এর কারিগরী নির্দেশনায় সারফেস ওয়াটার মডেলিং সেন্টার (SWMC) নামে পেশাদারী ইন্সটিটিউট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা ২০০২ সালে আগস্ট থেকে ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (iwm) নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ দীর্ঘস্থায়ী বন্যার পরে বাংলাদেশ সরকার বন্যার কারণ নির্ণয় প্রতিকারের জন্য নেয়া ২৬টি বন্যা কর্মপরিকল্পনা (ফ্যাপ) সমীক্ষায় ইউএসএআইডি-এর কারিগরি সহায়তায় সম্পাদিত পরিবেশগত সমীক্ষা (ফ্যাপ ১৬) এবং ভৌগোলিক তথ্য পদ্ধতি (জিআইএস) সমীক্ষা (ফ্যাপ ১৯)-র মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পানি খাতে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়, যা পরবর্তীতে 'ইজিআইএস প্রকল্প'-এ পরিণত হয় এবং নেদারল্যান্ড সরকারের কারিগরি সহায়তায় ২০০২ সালে 'সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস' (সিইজিআইএস) ট্রাস্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। == তথ্যসূত্র == প্রাকৃতিক দুর্যোগফরাসী ভাষায় ফেট ডে লা মিউজিক-আর বাংলায় বিশ্ব সংগীত দিবস ২১ জুন পালিত হয় '''বিশ্ব সংগীত দিবস''' বহু বছর ধরেই এই দিনে ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ফ্রান্স। এভাবে, ১৯৮২ সালে এসে ফেস্টিভ্যাল 'ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে'-তে রূপ নেয়। 'গান হতে হবে মুক্ত; সংশয়হীন'- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই বিশ্বের ১১০টি দেশ যোগ দেয় এই আন্দোলনে। ১৯ বছরের পথপরিক্রমায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পায় এটি। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, স্থানীয়ভাবে অথবা ফরাসি দূতাবাসের সহায়তায় জুনের ২১ তারিখে পালন করা হয় 'ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে'। == ইতিহাস == ১৯৮২ সালে ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং সর্বপ্রথম বিশ্ব সংগীত দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। ১৯৮৫ সালের ২১ জুন প্রথম গোটা ইউরোপ এবং পরে সারা বিশ্ব এই সংগীত দিবস পালন করে। এরপর থেকে দিনটি বিশ্ব সংগীত দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর প্রথম থেকেই আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দিবসটি পালন করে আসছে। == গ্যালারি == Fête de la musique Genève place neuve.JPG == বহিঃসংযোগ == The French Culture Ministry's website on the ''Fête de la Musique'' (in French, international section also available in English) ==তথ্যসূত্র== সংস্কৃতি সংস্কৃতি বিষয়শ্রেণী:জুন উদ্‌যাপনভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার সোনারপুর থানার অন্তর্গত একটি প্রত্নস্থল। ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দে কবি অযোধ্যারাম দাস রচিত মহীরাবণ পালা নামক পুঁথিতে এই গ্রামের উল্লেখ রয়েছে। == লক্ষ্মণসেনের তাম্রশাসন == ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে গোবিন্দপুর গ্রামের কালা-কর্পূর পুকুর থেকে সেন সম্রাট লক্ষ্মণসেনের তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হয়। ১১৮১ খ্রিষ্টাব্দে উৎকীর্ণ এই তাম্রলিপিটি সংস্কৃত ভাষায় প্রাকৃত লিপিতে ৫৩টি লাইন খোদিত রয়েছে। এই শাসন থেকে জানা যায় যে, লক্ষ্মণসেন রাজ্যাভিষেকের দ্বিতীয় বর্ষে ব্যাসদেব শর্মণ নামক একজন বাৎস্যগোত্রীয় সাম্বেদীয় ব্রাহ্মণকে বর্ধমানভুক্তির অন্তর্গত জাহ্নবী বা ভাগীরথী নদীর তীরে পশ্চিম খাটিকায় বেতড্ডচতুরকে বিডদারশাসন গ্রামটি নিষ্কর সম্পত্তি হিসেবে দান করেন। লক্ষ্মণসেনের সান্ধিবিগ্রহিক নারায়ণ দত্ত এই দানে দূতের কাজ করেন। == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == চব্বিশ পরগণা জেলার প্রত্নস্থলহযরত '''রাবেয়া বসরী''' () ছিলেন একজন মহিলা মুসলিম সাধক এবং সুফী ব্যক্তিত্ব। ==জীবনী== ইরাকের বসরা নগরীতে এক দরিদ্র পল্লীতে জন্ম হয়েছিল এই ধর্মভীরু হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.)-এর। হযরত রাবেয়া বসরীর জন্ম তারিখ নিয়ে বহু মতভেদ রয়েছে। তিনি ৯৫ হিজরী, মতান্তরে ৯৯ হিজরির ৭১৯ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ইরাকের বসরা নগরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইসমাঈল এবং মাতার নাম মায়ফুল। তারা দরিদ্র ছিলেন বটে তবে পরম ধার্মিক আল্লাহভক্ত ছিলেন। রাবেয়া বসরী ছিলেন ভদ্র, নম্র সংযমী। সেই সাথে প্রখর বুদ্ধিমত্তার অধিকারিনী ছিলেন তিনি। সব সময় গভীর চিন্তায় ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন। রাগ, হিংসা, অহংকার তার চরিত্রকে কখনো কলুষিত করতে পারেনি। মোট কথা আল্লাহর একজন প্রকৃত ওলী হবার জন্য যা যা গুণাবলি থাকা প্রয়োজন সকল গুণের অধিকারিনী ছিলেন হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.)। হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.) সকল বিপদ-আপদকে পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতেন। আর কেনdgfdreersই বা মনে করবেন না। কারণ জগতে যারাই আল্লাহর বন্ধু হতে চেয়েছেন তাদেরকে ঈমানের কঠিন অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছে। প্রেক্ষিতেই আল্লাহ্ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন। “তোমরা কি ধারণা করেছ এমনিতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ্ তা’য়ালা অবগত আছে তোমাদের মাঝে কে জিহাদ করছে আর কে ধৈর্য ধারণ করছে” সূরা আলে ইমরান: ১৪২। রাবেয়া বসরী দাসত্ব জীবনও অতিবাহিত করেছেন। তার মনিব ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রকৃতির লোক। বিরামহীন সে কাজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকতো। মনিবের নির্ধারিত কাজ শেষ করার পর মহান রবের ইবাদতে মশগুল হয়ে যেতেন। মূলত রাবেয়া বসরীর উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভ করা। আল্লামা ফরিদ উদ্দীন সাত্তারের মতে, এক রাতে রাবেয়া যখন আরাধনায় লিপ্ত ছিলেন, তখন তার মাথার ওপর কোনো শিকল দিয়ে বাঁধা ছাড়াই একটি ঝাড়বাতি জ্বলছিল। যার আলো বিচ্ছুতি হয়ে ঘরের চারপাশ আলোকিত হয়ে গেল। ঘটনা দেখে মনিবের পাষান হৃদয় গলে গেল। মনে মনে বললো, হায়! আমি কাকে আমার ঘরে দাসী বানিয়ে রেখেছি। সে তো সামান্য নারী হতে পারে না। সে আল্লাহর প্রিয়জন। পরদিন সকালে মনিব রাবেয়া বসরীকে দাসত্ব জীবন থেকে মুক্ত করলেন। হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.) একাডেমিকভাবে লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি। তবে খুব অল্প বয়সেই মা-বাবার কাছ থেকে কুরআন, হাদীস, ফিকহ্ শাস্ত্রের ইলম হাসিল করেছিলেন। শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে তার কখনো কোনো সংকোচ ছিল না। মা-বাবাকে খুব অল্প বয়সেই তিনি হারান। জীবনে চলার পথে বহু কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। তারপরও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কখনো পিছপা হননি। সে সসময়ের একজন মহান সাধক ছিলেন ইমাম হাসান বসরী (রহ.)। রাবেয়া তার কাছে গিয়ে ইলমে তাসাউফ মারেফাতের সুক্ষ্মজ্ঞান অর্জন করেন। পরবর্তী জীবনে রাবেয়া একজন কবি হিসেবেও প্রসিদ্ধ লাভ করেন। রাবেয়া বসরী (রহ.)-এর জীবন থেকে অনেক কারামত প্রকাশিত হয়েছে। এরকম অলৌকিক কর্মকাণ্ডের সংখ্যাও কম নয়। তার মধ্য থেকে একটি কারামত হচ্ছে একদিন রাবেয়া ফোরাত নদীর তীরে বসে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন; এমনি সময় তৎকালীন শ্রেষ্ঠ সাধক হযরত হাসান বসরী (রহ.) সেখানে হাজির হলেন। তিনি তার জায়নামাযখানি পানিতে বিছিয়ে দিলেন এবং রাবেয়াকে ডেকে বললেন, এসো রাবেয়া, আমরা দাঁড়িয়ে দু’রাকাত নামায আদায় করি। (এখানে হাসান বসরীর ইচ্ছে ছিল রাবেয়া তার আসনখানি ডুবে যাওয়া হতে রক্ষা করতে পারে কিনা)। রাবেয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে তার জায়নামাযটিকে শূন্যলোকে উড়িয়ে ছিলেন এবং রাবেয়া নিজে উড়ে সেখানে বসে বললেন, জনাব আসুন, যদি পারেন এখানে এসে দু’রাকাত নামায আমরা আদায় করি। তবে ঘটনাটিকে অনেকেই মিথ্যা বলেছেন। আল্লাহর নবী-রসূল ওলীদের বহু অলৌকিক ঘটনা রয়েছে। এসব তাদের নিজেদের ইচ্ছা ক্ষমতায় হয়না, আল্লাহর ইচ্ছা ক্ষমতায় হয়। এই মহিয়সী নারী ১৮৫ হিজরী মোতাবেক ৮০১ খ্রিষ্টাব্দে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। ==দর্শন== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Sufimaster.org Teachings Sufi == বহিঃসংযোগ == সুফি অতীন্দ্রিয়বাদী নারী ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:আরব নারী জন্ম মৃত্যু কবি'''মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন''' ''''; '''', এখানে "EY" দ্বারা "ইরেতজ ইজরায়েল" (ইসরায়েলের ভূমি) বোঝানো হয়) ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর উসমানীয় সাম্রাজ্যের দক্ষিণ সিরিয়া অংশ থেকে আলাদা করা এবং ব্রিটিশ প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত একটি ভৌগলিক অঞ্চল। ১৯২০ থেকে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ব্রিটিশ বেসামরিক প্রশাসন ফিলিস্তিন পরিচালনা করে। এসময় অঞ্চলটি প্যালেস্টাইন তথা ফিলিস্তিন বলে পরিচিত ছিল। তবে অন্যান্য নামও প্রচলিত ছিল যার মধ্যে রয়েছে মেন্ডেটরি বা মেন্ডেট প্যালেস্টাইন, ব্রিটিশ প্যালেস্টাইন এবং ব্রিটিশ মেন্ডেট অব প্যালেস্টাইন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আরবদের উত্থান এবং জেনারেল এডমন্ড এলেনবির নেতৃত্বধীন অভিযান তুর্কিদেরকে লেভান্ট থেকে তাড়িয়ে দেয়। যুক্তরাজ্য চুক্তিতে সম্মত হয় যে আরবরা উসমানীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে আরব স্বাধীনতায় তারা সমর্থন দেবে। উভয় পক্ষ এই চুক্তি নিয়ে ভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা পোষণ করত। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স সাইকস-পিকট চুক্তির আওতায় অধিকৃত অঞ্চল নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেয়ার কথা বলা হয় যা আরবদের চোখে বিশ্বাসঘাতকতা বলে গণ্য হয়। এছাড়াও বেলফোর ঘোষণাতে ফিলিস্তিনি ইহুদিদের জন্য জাতীয় আবাসভূমির কথা উল্লেখ করায় পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়। যুদ্ধ শেষে অধিকৃত শত্রু অঞ্চল প্রশাসন নামক নতুন সামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাবেক উসমানীয় সিরিয়ায় এই প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশরা ১৯২২ সালের জুন মাসে লীগ অব নেশনস থেকে ফিলিস্তিনের জন্য মেন্ডেট লাভ করে। সাবেক উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিকৃত অঞ্চলগুলো নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত পরিচালনার জন্য মেন্ডেট প্রথা চালু করা হয়েছিল। ব্রিটেনকে প্রদত্ত মেন্ডেটে দুটি অঞ্চল ছিল, একটি জর্ডান নদীর পশ্চিম অংশ যা ফিলিস্তিন বলে পরিচিত ছিল। এই অংশ ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত সরাসরি ব্রিটিশ শাসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আরেকটি অংশ ছিল পূর্ব তীরের ট্রান্সজর্ডান আমিরাত যা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছিল। হেজাজের হাশেমি পরিবার ট্রান্সজর্ডানের শাসনভার পায় এবং ১৯৪৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। মেন্ডেটের প্রকৃতি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া অঞ্চলের নাম নিয়ে আলোচনায় প্রতীয়মান হয়। লীগ অব নেশনসের স্থায়ী মেন্ডেট কমিশনের নবম অধিবেশন অনুযায়ী: ::"কর্নেল সাইমস ব্যাখ্যা করেছেন যে দেশটি ইউরোপীয়রা ‘প্যালেস্টাইন’ এবং আরবরা ‘ফিলিস্তিন’ বলে উল্লেখ করে। দেশটির জন্য হিব্রু নাম ছিল ‘ইসরায়েলের ভূমি’ এবং ইহুদি আকাঙ্ক্ষাকে পূরণের জন্য সরকার একমত হয়েছে যে সকল সরকারি দলিলে হিব্রু অক্ষরে লেখা “ফিলিস্তিন” এর পরে নামটির (ইহুদি নাম) আদ্যক্ষর থাকবে। পাল্টা দাবি হিসেবে কিছু আরব রাজনীতিবিদ পরামর্শ দিয়েছেন যে দেশটিকে ‘দক্ষিণ সিরিয়া’ বলে ডাকা উচিত যাতে আরেকটি আরব রাষ্ট্রের সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ফুটে উঠে"। ব্রিটিশ মেন্ডেট সময়কালে এই অঞ্চলে দুইটি প্রধান জাতীয়তাবাদি আন্দোলন সৃষ্টি হয় যার একটি ইহুদিদের মধ্যে এবং আরেকটি আরবদের মধ্যে শুরু হয়েছিল। আরব ইহুদিরা একে অন্যের বিপক্ষে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়। ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আরব বিদ্রোহ সংঘটিত হয় এবং ইহুদিরা বিদ্রোহ করে। পরবর্তীতে সংঘটিত ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৯ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। মেন্ডেটরি প্যালেস্টাইন ভূখন্ডকে ভাগ করে নতুন গঠিত ইসরায়েল গঠন করা হয়। পশ্চিম তীর জর্ডান কর্তৃক একীভূত হয় এবং গাজা উপত্যকা মিশরীয় সামরিক অধিকারের আওতায় চলে যায়। ==গ্যালারি== অভিযানে জেনারেল এলেনবির চূড়ান্ত এই অঞ্চলে ব্রিটেশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে File:Field Marshal Allenby British troops Jerusalem dec 11 সৈনিকদের সাথে ফিল্ড মার্শাল এলেনবির জেরুজালেমে প্রবেশ, ১১ ডিসেম্বর ১৯১৭ File:Big Gen Watson Mayor Jerusalem Dec ওয়াটসনের সাথে জেরুজালেমের মেয়রের সাক্ষাত, ডিসেম্বর ১৯১৭ File:Ottoman surrender of Jerusalem যুদ্ধের পর ব্রিটিশদের কাছে উসমানীয়দের আত্মসমর্পণ, ডিসেম্বর ১৯১৭ File:GPO, পোস্ট অফিস, জাফা সড়ক, জেরুজালেম Tower জাদুঘর, ব্রিটিশ মেন্ডেটের সময় জেরুজালেমে নির্মিত File:Central Post Office in পোস্ট অফিস, জাফা ব্যাংক File:Western Wall Jerusalem 1933.jpg|পশ্চিম দেয়াল, ১৯৩৩ File:British Mandate tribunal মেন্ডেটের সর্বো‌চ্চ সামরিক ট্রাইবুনাল, জেরুজালেম File:PikiWiki Israel 612 YMCA ওয়াইএমসিএ, ব্রিটিশ মেন্ডেটের সময় নির্মিত "বেভিনগ্রাড", তারের বেড়ার পেছনে রুশ কম্পাউন্ড File:British mailbox যুগের ডাকবাক্স, জেরুজালেম খ্রিষ্টাব্দের মুদ্রা 01.jpg|চলাচল কারফিউ পাস, ব্রিটিশ সামরিক কমান্ডার কর্তৃক ইস্যুকৃত, পূর্ব ফিলিস্তিন, ১৯৪৬ ==আরও দেখুন== আর্নে‌স্ট বেভিন ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ মেন্ডেটের পাসপোর্ট চুক্তি (১৯১৯) হার্বা‌র্ট‌ ডোবিগিন ফিলিস্তিনের হাইকমিশনার ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণা ভূগর্ভস্থ বন্দীদের জাদুঘর ফিলিস্তিন কমান্ড ফিলিস্তিন পাউন্ড ফিলিস্তিনের ডাক ইতিহা রুশ কম্পাউন্ড টেগার্টে‌র দেয়াল সার্জেন্টের ঘটনা ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== Bayliss, Thomas (1999). ''How Israel Was Won: Concise History of the Arab–Israeli Conflict''. Lexington Books. Bethell, Nicholas ''The Palestine Triangle: the Struggle Between the British, the Jews and the Arabs, 1935–48'', London: Deutsch, 1979 Paris, Timothy J. (2003). ''Britain, the Hashemites and Arab Rule, 1920–1925: The Sherifian Solution''. London: Routledge. Sherman, Days: British Lives in Palestine, 1918–1948'', Thames Hudson. Vareilles, Guillaume (2010). ''Les frontières de la Palestine, 1914–1947'', Paris, L'Harmattan. ==আরও পড়ুন== Wright, Quincy, '' The Palestine Problem'', Political Science Quarterly, Vol. 41, No. (September, 1926), pp. 384–412, via JSTOR Hanna, Paul Lamont, British Policy in Palestine", Washington, D.C., American Council on Public Affairs, (1942) Miller, Rory, ed. ''Britain, Palestine and Empire: The Mandate Years'' (2010) Ravndal, Ellen Jenny. "Exit Britain: British Withdrawal From the Palestine Mandate in the Early Cold War, 1947–1948," ''Diplomacy and Statecraft,'' (Sept 2010) 21#3 pp 416–433. Roberts, Nicholas E. "Re-Remembering the Mandate: Debates and Revisionist History in the Study of British Palestine," ''History Compass'' (March 2011) 9#3 pp 215–230. Kamel, Lorenzo. "Whose Land? Land Tenure in Late Nineteenth- and Early Palestine", "British Journal of Middle Eastern studies" (April 2014), 41, 2, pp 230–242. ===প্রাথমিক উৎস=== Golani, Motti, ed. ''The End of the British Mandate for Palestine, 1948: The Diary of Sir Henry Gurney'' (2009). ==বহিঃসংযোগ== British Mandate (1917–1948) at the Jewish History Resource Center, Dinur Center for Research in Jewish History, Hebrew University of Jerusalem. history of Palestine, Israel and the Arab-Israeli conflict Map of Population Distribution by Ethnicity 1946 Map of Land Ownership in Palestine 1945 Map of 1947 UN division প্যালেস্টাইন বিষয়শ্রেণী:লীগ অব নেশনস মেন্ডেট সাম্রাজ্য ইতিহাস প্রাক্তন দেশ ইতিহাস ইতিহাস ইতিহাস ইতিহাস ফিলিস্তিন জাতিসংঘ ভূমিতে রাজনৈতিক অংশ লেভান্ট প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র অঞ্চল এশিয়ায় বিলুপ্ত'''হিন্দু মন্দির''' হল হিন্দুদের দেব-উপাসনার স্থান। ‘মন্দির’ বা ‘দেবালয়’ বলতে বোঝায় ‘দেবতার গৃহ’। মানুষ দেবতাকে একত্রে নিয়ে আসার জন্য হিন্দুধর্মের আদর্শ প্রতীকগুলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত ভবন বা স্থানকেই ‘মন্দির’ বলা হয়। জর্জ মিশেলের মতে, হিন্দু মন্দির এমন একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র যেখানে মায়ার জগৎ থেকে মানুষ তীর্থযাত্রী বা পূণ্যার্থীর বেশে জ্ঞান সত্যের জগতের সন্ধানে আসেন। স্টেলা ক্র্যামরিসচের মতে, হিন্দু মন্দিরের প্রতীকতত্ত্ব গঠনভঙ্গিমা বৈদিক ঐতিহ্যের মধ্যেই নিহিত আছে। একটি মন্দিরের মধ্যে হিন্দু বিশ্বতত্ত্বের সকল ধারণার সন্ধান পাওয়া যায়। এরমধ্যে ভাল, মন্দ মানবিক দিকগুলির সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুর কালচক্র ধারণা এবং পুরুষার্থ ধারণার সব কিছুই প্রতীকের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ধর্ম, কাম, অর্থ, মোক্ষ, কর্ম ভক্তির দার্শনিক ধারণাগুলিও প্রতীকের মাধ্যমে মন্দিরে উপস্থিত থাকে। হিন্দু মন্দিরে প্রতীকের মাধ্যমে উপস্থিত আধ্যাত্মিক আদর্শগুলির কথা পাওয়া যায় ভারতের প্রাচীন সংস্কৃত (যেমন, বেদ, উপনিষদ্‌ ইত্যাদি)। অন্যদিকে মন্দিরের গঠনভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত, তা বর্ণিত হয়েছে সংস্কৃত (যেমন, বৃহৎসংহিতা, বাস্তুশাস্ত্র ইত্যাদি)। মন্দিরের নকশা, অলংকরণ, পরিকল্পনা নির্মাণশৈলীর মধ্যে প্রাচীন প্রথা রীতিনীতি, জ্যামিতিক প্রতীকতত্ত্ব এবং হিন্দুধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নিজস্ব বিশ্বাস মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। হিন্দু মন্দিরগুলি হিন্দুদের আধ্যাত্মিক গন্তব্য। সেই সঙ্গে মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন শিল্পকলা, সম্প্রদায়গত উৎসব আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। অঞ্চল সম্প্রদায়ভেদে মন্দিরগুলির গঠনভঙ্গিমা নির্মাণশৈলীর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। তা সত্ত্বেও হিন্দু মন্দিরগুলির মধ্যে কিছু সাধারণ মৌলিক ধারণা, প্রতীকতত্ত্ব বিষয়গত মিল দেখা যায়। মন্দিরের প্রাচুর্য দেখা যায় মূলত দক্ষিণ এশিয়া (প্রধানত ভারত নেপাল) এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে (প্রধানত কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপাঞ্চল মালয়েশিয়া)। ফিজি, মরিশাস, গুয়ানা, সুরিনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপ উত্তর আমেরিকায় যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য সেখানেও প্রচুর মন্দির গড়ে উঠেছে। হিন্দু মন্দিরের বর্তমান অবস্থা বহিরাকৃতির মধ্যে কয়েক সহস্রাব্দ ধরে বিবর্তনশীল হিন্দু শিল্পকলার মিশ্রণ চোখে পড়ে। খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দীর পর থেকে হিন্দুধর্ম ইসলামের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলে আসছে, তারও প্রভাব হিন্দু মন্দিরগুলির উপর পড়েছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হিন্দু মন্দির হল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, চারধাম মন্দির-চতুষ্টয় (পুরী জগন্নাথ মন্দির, রামনাথস্বামী মন্দির, দ্বারকাধীশ মন্দির, বদ্রীনাথ মন্দির), ছোটো চারধাম মন্দির-চতুষ্টয় (বদ্রীনাথ মন্দির, কেদারনাথ মন্দির, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী), জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরসমূহ, ৫১টি শক্তিপীঠ মন্দিরসমূহ, তিরুপতি বালাজি মন্দির, কামাখ্যা মন্দির ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কয়েকটি বিখ্যাত মন্দির হল কালীঘাট মন্দির, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, বেলুড় মঠ, তারাপীঠ মন্দির, তারকেশ্বর মন্দির ইত্যাদি। বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত মন্দির হল ঢাকেশ্বরী মন্দির। ==গুরুত্ব তাৎপর্য== হিন্দু মন্দিরগুলি শিল্পকলা, ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ হিন্দু জীবনদর্শনের এক সংমিশ্রণ। এগুলি হল একটি পবিত্র ক্ষেত্রের মধ্যে মানুষ, দেবতা পুরুষের (ব্রহ্ম) মিলনকেন্দ্র। ৯X৯ (৮১) গ্রিড-বিশিষ্ট ‘পরম সায়িক’ নকশা দেখা যায় বৃহদাকার প্রথাগত হিন্দু মন্দিরগুলিতে। হিন্দু মন্দির নির্মাণে যে বিভিন্ন প্রকার গ্রিড ব্যবহৃত হয়, এটি তার মধ্যে অন্যতম। এই ধরনের মন্দির হল সামঞ্জস্যপূর্ণ আকৃতির মন্দির। এখানে প্রত্যেকটি সমকেন্দ্রিক নকশার বিশেষ গুরুত্ব আছে। ‘পৈশাচিক পাদ’ নামে পরিচিত বাহ্যিক নকশাটি অসুর বা অশুভের প্রতীক। অন্যদিকে ভিতরের ‘দৈবিক পাদ’ নকশাটি দেবতা বা শুভের প্রতীক। শুভ অশুভের মধ্যে এককেন্দ্রিক ‘মানুষ পাদ’ মানবজীবনের প্রতীক। প্রতিটি নকশা ‘ব্রহ্মপাদ’কে ঘিরে থাকে। ব্রহ্মপাদ সৃষ্টিশক্তির প্রতীক। এখানেই মন্দিরের প্রধান দেবতার মূর্তি থাকে। ব্রহ্মপাদের একেবারে কেন্দ্রস্থলটি হল ‘গর্ভগৃহ’। এটি সবকিছু সবার মধ্যে অবস্থিত ব্রহ্মের প্রতীক। প্রাচীন ভারতীয় মন্দিরকে বলা হয়েছে ‘তীর্থ’। এটি একটি পবিত্র ক্ষেত্র যার পরিবেশ নকশা হিন্দু জীবনদর্শনের প্রতিটি ধারণাকে প্রতীকের মাধ্যমে প্রকাশ করে। জীবন সৃষ্টি রক্ষার প্রতিটি বিশ্বজনীন উপাদান হিন্দু মন্দিরে উপস্থিত আগুন থেকে জল, দেবতার মূর্তি থেকে প্রকৃতি, পুরুষ থেকে নারীসত্ত্বা, অস্ফুট শব্দ ধূপের গন্ধের থেকে অনন্ত শূন্যতা বিশ্বজনীনতা সবই মন্দিরের মূল আদর্শের অন্তর্গত। সুজান লেওয়ান্ডোস্কি বলেছেন, সবকিছুই এক এবং সবকিছুই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত এই বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই হিন্দু মন্দির নির্মাণের মূল নকশাটি প্রস্তুত করা হয়। ৬৪-গ্রিড বা ৮১-গ্রিড গাণিতিকভাবে নির্মিত স্থান শিল্পকলায় মণ্ডিত স্তম্ভের মধ্য দিয়ে তীর্থযাত্রীকে স্বাগত জানানো হয়। মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলি যেমন অর্থ (উন্নতি, সম্পদ), কাম (বিনোদন, যৌনতা), পুরুষার্থ (সদ্গুণ নৈতিক জীবন) মোক্ষ (জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্তি, আত্মজ্ঞান) এগুলির অনুসন্ধানে মানুষকে প্রবুদ্ধ করার জন্য স্তম্ভগুলি খোদাইচিত্র বা মূর্তিতে শোভিত থাকে। মন্দিরের কেন্দ্রে, সাধারণত দেবতার নিচে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপরে বা পাশে, খানিকটা ফাঁকা জায়গা রাখা হয়। এখানে কোনো অলংকরণ থাকে না। এটি সর্বোচ্চ উপাস্য ব্রহ্ম বা পুরুষের প্রতীক। ব্রহ্ম নিরাকার, সর্বত্রব্যাপী, সবকিছুর মধ্যে যোগসূত্ররূপী সবকিছুর সারবস্তু। হিন্দু মন্দিরের উদ্দেশ্য ব্যক্তির মনকে পবিত্র করা ভক্তের আত্মজ্ঞান জাগরিত করা। বিশেষ পদ্ধতিগুলি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরের প্রধান দেবতা এই আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রের বৈচিত্র্যের পরিচায়ক। হিন্দুধর্মে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় চেতনার মধ্যে কোনো বিভাজনরেখা নেই। সেই অর্থে, হিন্দু মন্দিরগুলি শুধু পবিত্র স্থানই নয়, ধর্মনিরপেক্ষ স্থানও বটে। এগুলির অর্থ উদ্দেশ্য আধ্যাত্মিক জীবনের বাইরে সামাজিক রীতিনীতি দৈনিক জীবনের ক্ষেত্রেও প্রসারিত হয়ে এগুলিকে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান করে তুলেছে। কোনো কোনো মন্দির বিশেষ বিশেষ উৎসবের জন্য বিখ্যাত। সেখানে নৃত্য গীতের মাধ্যমে শিল্পের চর্চা করা হয়। আবার হয় বিবাহ, অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ ইত্যাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠানও পালিত হয়। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক জীবনেও হিন্দু মন্দিরগুলি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক হিন্দু রাজবংশের বংশপরম্পরার সঙ্গে হিন্দু মন্দিরের যোগাযোগ আছে। আবার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গেও অনেক হিন্দু মন্দির অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। ==স্থাপত্য== প্রায় সব হিন্দু মন্দিরই দুই ধরনের হয়ে থাকে: গৃহ বা প্রাসাদ। গৃহ-আকৃতির মন্দিরগুলি সাধারণ আকারের হয়। এগুলি দেবতার সাধারণ গৃহ। মন্দির হল সেই উপাসনালয়, যেখানে ভক্তেরা এমনভাবে দেবতাকে দর্শন করতে আসেন, যেমনভাবে তারা আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে যান। হিন্দুধর্মের ভক্তিবাদী শাখায় মন্দির হল পূজার স্থান। পূজার মাধ্যমে ভক্তরা দেবতাকে শ্রদ্ধা জানান, ঈশ্বরকে ডাকেন এবং অধ্যাত্মচিন্তার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। হিন্দুধর্মের অন্যান্য শাখায় মন্দিরে ভক্তেরা জপ, ধ্যান, যোগ বা শাস্ত্রপাঠের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উপাস্যের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। প্রাসাদ-আকৃতির মন্দিরগুলি বিরাট আকারের হয়। এগুলি স্থাপত্যের এক-একটি অসাধারণ নমুনা। এখানেও ভক্তেরা একই উদ্দেশ্যে একই ভাবে দেবতার উপাসনা করেন। ===স্থান=== প্রাচীন সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, মন্দির স্থাপনের উপযুক্ত স্থান হল জলাশয় উদ্যানের কাছে কোনো ভূখণ্ডে। যেখানে পদ্ম অন্যান্য ফুল ফোটে, হংস অন্যান্য পাখিরা চরে বেড়ায় এবং পশুরা কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই আশ্রয় নিতে পারে, এমন স্থানই মন্দির স্থাপনের উপযুক্ত। উক্ত ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, এই ধরনের জায়গাতেই দেবতারা খেলা করেন। তাই এই জায়গাই মন্দির নির্মাণের উপযুক্ত স্থান। :দেবতারা খেলা করেন সেখানেই, যেখানে হ্রদ আছে, :যেখানে পাতার ছাউনি ভেদ করে সূর্যের আলো এসে পড়ে, :এবং যেখানে স্বচ্ছ জলে চলে বেড়ায় হংসের দল। :তাদের বুক এখানে ওখানে ছুঁয়ে যায় শ্বেতপদ্ম। :যেখানে হংস অন্যান্য পাখির ডাক শোনা যায় :এবং পশুরা নিকটবর্তী নদীর তীরে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেয়। :দেবতারা সেখানে খেলা করেন যেখানে নদীর অলংকার হংসের ধ্বনি, :জল তাদের বস্ত্র, বহমান সেই জল, :কর্ণের কুণ্ডল তীরের পুষ্পিত বৃক্ষরাজি, :নদীর মোহনা তাদের ওষ্ঠাধর, :উত্থিত বালুচর তাদের স্তন হংসপাখা তাদের ক্ষৌমবস্ত্র। :দেবতারা সর্বদা খেলা করেন যেখানে বন আছে, নদী আছে, পর্বত ঝর্ণা আছে, প্রমোদ-উদ্যানে ভরা নগরী আছে। ::বৃহৎসংহিতা ১। ৬০। ৪-৮|খ্রিস্টীয় ৩য়-৬ষ্ঠ শতাব্দী সাধারণত নদীসংগম, নদীতীর, হ্রদ বা সমুদ্র উপকূল হিন্দু মন্দির স্থাপনের উপযুক্ত স্থান বলে বিবেচিত হলেও ''বৃহৎসংহিতা'' বা ''পুরাণ'' শাস্ত্রগুলিতে বলা হয়েছে প্রাকৃতিক জলাশয় নেই এমন স্থানেও মন্দির নির্মাণ করা যেতে পারে। তবে সেখানে মন্দিরের সামনে বা বাঁ দিকে কৃত্রিম জলাশয় নির্মাণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম কোনো রকম জলাশয়ই মন্দিরের পাশে না থাকে তবে মন্দির বা দেবতা প্রতিষ্ঠার সময় প্রতীকীভাবে জলের কল্পনা করতে হয়। পুরাণ'' (তৃতীয় খণ্ড, অধ্যায় ৯৩) অনুসারে, মন্দিরের মধ্যে, পাথর কেটে, পর্বতচূড়ায় যেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোরম, পর্বতের ঢালে যেখান থেকে সুন্দর উপত্যকা দেখা যায়, বনে, আশ্রমে, উদ্যাএর পাশে বা শহরের রাস্তার মোড়ে নির্মাণ করা যায়। হিন্দু মন্দিরের প্রাচীন নির্মাতারা (অর্থাৎ, বসতি-বিজ্ঞান। সংস্কৃত ভাষায় ‘বাস’ শব্দের অর্থ বসবাস করা এবং ‘তু’ শব্দের অর্থ ‘তুমি’) নামে এক স্থাপত্য শাস্ত্র রচনা করেছিলেন। এর অন্তর্গত ছিল বাস্তুবিদ্যা বা বসবাস-সংক্রান্ত জ্ঞান। মন্দির অনেকগুলি বাস্তুশাস্ত্র রয়েছে। যেমন, তাক্কুর পেরু রচিত একটি শাস্ত্রে কোথাও কিভাবে মন্দির নির্মাণ করা উচিত তা বর্ণিত হয়েছে। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে এই ধরনের সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাস্তুশাস্ত্রে গৃহনির্মাণ, নগর-পরিকল্পনা, এবং কিভাবে উপযুক্ত গ্রাম, শহর রাজ্যগুলি প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে মন্দির, জলাশয় উদ্যান নির্মাণ করতে পারে তা লিপিবদ্ধ আছে। বারনেটের মতে, এই ধরনের মন্দির গ্রন্থগুলি শুধুমাত্র তাত্ত্বিক আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, না সেগুলির বাস্তবক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ ঘটেছিল, তা স্পষ্ট বোঝা যায় না। তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, নগর পরিকল্পনা মন্দির নির্মাণ হিন্দু সামাজিক আধ্যাত্মিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ শিল্পকলার চূড়ান্ত নিদর্শন। প্রাচীন ভারতে হিন্দু মন্দির পরিকল্পনা নির্মাণের জন্য অনেক শাস্ত্রগ্রন্থ রচিত হয়েছিল। এগুলিতে মন্দিরগুলিকে পরিপূর্ণ করে তোলার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল (উপরে)। তবে শিল্পীদের স্বাধীনতা দেওয়া হত পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য এবং নিজেদের সৃষ্টিশীলতাকে মুক্তভাবে প্রকাশ করার জন্য। মন্দির আরেকটি শাস্ত্র হল খ্রিস্টীয় ৯ম বা ১০ম শতাব্দীতে ওড়িশার রামচন্দ্র ভট্টারক কৌলাচার রচিত এই গ্রন্থে মন্দির প্রতীকতত্ত্বের প্রত্যেকটি দিককে জ্যামিতিক আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন, মানবজীবনের ১৬টি অনুভূতিকে ১৬ ধরনের নারীমূর্তি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ব ভারতের মন্দিরগুলিতে এই ধরনের শৈলী বিশেষ জনপ্রিয়। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে রচিত শাস্ত্রগুলিতে আবার অন্য ধরনের স্থাপত্যশৈলী গৃহীত হয়। যেমন, পশ্চিম ভারতের সৌরাষ্ট্র প্রথার মন্দিরগুলিতে নারীমূর্তি, অভিপ্রকাশ আবেগগুলি ৩২ ধরনের ‘নাটকস্ত্রী’ মূর্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ''শিল্পপ্রকাশ'' শাস্ত্রে ১২ ধরনের হিন্দু মন্দিরের উল্লেখ আছে। ''পঞ্চরাত্র প্রসাদ প্রসাধন'' ''শিল্প রত্নাকর'' গ্রন্থে আরও অধিক সংখ্যক মন্দিরশৈলীর উল্লেখ পাওয়া যায়। উত্তরপশ্চিম ভারতের রাজস্থান অঞ্চলে যে প্রাচীন সংস্কৃত মন্দির-নির্মাণ শাস্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সূত্রধর মণ্ডনের (অর্থাৎ, মন্দির পরিকল্পনা নির্মাণ শাস্ত্র)। দক্ষিণ ভারতের মন্দির-নির্মাণ শাস্ত্রগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ''মানসর''। এটি আনুমানিক খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে প্রচলিত হয়েছিল। দক্ষিণ মধ্য ভারতে প্রচলিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃত মন্দির-নির্মাণ শাস্ত্র পদ্ধতি'' খ্রিস্টীয় ৯ম শতাব্দীতে প্রচলিত হয়। এটিতে মন্দির নির্মাণ শিল্পের বর্ণনা পাওয়া যায়। উত্তর ভারতে বরাহমিহিরের ''বৃহৎসংহিতা '' একটি জনপ্রিয় মন্দির-নির্মাণ শাস্ত্র। খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত এই গ্রন্থে ‘নাগর’ শৈলীর মন্দিরের নকশা নির্মাণপদ্ধতির বর্ণনা পাওয়া যায়। কলিঙ্গ শৈলীর হিন্দু মন্দিরের বিভিন্ন উপাদান। হিন্দু মন্দির নির্মাণের বিভিন্ন শৈলী আছে। কিন্তু প্রত্যেকটি শৈলীই একটি সাধারণ জ্যামিতিক আদর্শ, ধারণার প্রতীকতত্ত্ব মূল ধর্মবিশ্বাসের অভিপ্রকাশের উপর ভিত্তিতে রচিত হয়েছে। ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== *Stella Kramrisch, ''Hindu Temple'', *Michael W. Meister, ''Encyclopaedia of Indian Temple Architecture'', *George Michell, ''The Hindu Temple: An Introduction to Its Meaning and Forms'', *Ram Rāz, Henry Harkness (1834), on Hindu Temple Vimana, Pillars and Śilpa Śastras ==বহিঃসংযোগ==টেক্সটাইল শিক্ষা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি সম্ভাবনাময় দিক। টেক্সটাইল শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে টেক্সটাইল শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ইন্সটিটিউট গড়ে উঠেছে। ==সরকারী টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান== *বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল শিক্ষার বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। *ঢাকা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর *খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা *মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল *চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম *বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী *পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা *শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল *ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,ঝিনাইদহ *বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কালিহাতী, টাংগাইল (সাবেক বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল টেকনোলজি) অংশীদার=== জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট এই ইনস্টিটিউটটি নিটার নামে পরিচিত। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি ইউনিট এর অধীনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে এখানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বি.এস.সি ডিগ্রী প্রদান করা হয়। বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয় এর অধীনে এবং BTMA দ্বারা পরিচালিত নিটার বর্তমানে বাংলাদেশ এর দ্বিতীয় বৃহত্তম টেক্সটাইল শিক্ষাবিষয়ক ইনস্টিটিউট। যথাবিধ অনুযায়ী নিটার পূর্বে একটি সরকারি ইনস্টিটিউট ছিল যার নাম TIDC। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ এর সর্বপ্রথম এবং একমাত্র সরকারি-বেসরকারি অংশীদার এর সম্পৃক্ততায় একটি টেক্সটাইল শিক্ষাবিষয়ক ইনস্টিটিউট। === ইনস্টিটিউট === দিনাজপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, পুলহাট, দিনাজপুর টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বাজিতপুর, টাঙ্গাইল বরিশাল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, গৌরনদী, বরিশাল নাটোর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, নাটোর রংপুর টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, রংপুর চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, চট্টগ্রাম ==বেসরকারি টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান== বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এ্যান্ড টেকনোলজি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিটি ইউনিভার্সিটি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ গ্রীন ইউনিভার্সিটি আইডিয়াল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ==তথ্যসূত্র== টেক্সটাইল শিক্ষা শিক্ষা ব্যবস্থা'''তৃতীয় ইয়াজদিগার্দ''' (ফারসি: یزدگرد سوم) (ইয়াজদিগার্দ শব্দের অর্থ “দেবতার সৃষ্টি”) ছিলেন পারস্যের সাসানীয় সাম্রাজ্যের অষ্টাত্রিংশ শেষ জরথুষ্ট্রীয় সম্রাট (ইরানের সর্বশেষ সম্রাট হচ্ছেন মুহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভী)। তিনি ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পারস্য সাম্রাজ্যের সম্রাট ছিলেন। তার পিতার নাম ছিল শাহরিয়ার যিনি ছিলেন সম্রাট দ্বিতীয় খসরুর এক পুত্র। সম্রাট তৃতীয় ইয়াজদিগার্দের শাসনামলে পারস্য সাম্রাজ্য অনেক দুর্বল হয়ে উঠে। ইয়াজদিগার্দের সিংহাসন আরোহণের এক বছর পর পারস্য সাম্রাজ্যে মুসলিম আরবরা খলীফা হযরত আবু বকর (رضي الله عنه)-এর অধীনে সামরিক অভিযান চালায়। ৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে খলীফা হযরত ওমর ইবনে আল-খাত্তাব (رضي الله عنه)-এর শাসনামলে তৃতীয় ইয়াজদিগার্দের পতন হয়, যার ফলে পারস্য সাম্রাজ্য ইসলামী খিলাফতের অধীনে আসে। ==তথ্যসূত্র== ইতিহাস সংস্কৃতি রাজা'''ওলাইচণ্ডী''' হলেন একজন হিন্দু লৌকিক দেবী। ইনি '''ওলাদেবী''', '''ওলাবিবি''' বা '''বিবিমা''' নামেও পরিচিত। ইনি কলেরার দেবী এবং অসুর ময়ের পত্নী। বঙ্গ (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য) অঞ্চলের অধিবাসীরা ওলাইচণ্ডীর পূজা করে। উক্ত অঞ্চলের হিন্দু মুসলমান উভয় ধর্মাবলম্বীর কাছেই এই দেবী সম্মানীয়া। সাধারণত বাংলায় তাঁর ছয় বোন বনদেবী/বনবিবি (কলেরার দেবী), আজগাইবিবি, ঝোলাইবিবি আসানবিবির সঙ্গে তাঁর পূজা হয়।১ কোনো কোনো আধুনিক গবেষকের মতে ‘সাতবিবি’ নামে পরিচিত এই সাত দেবী আসলে হিন্দু সপ্তমাতৃকার (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী অন্যান্য) রূপান্তর। তবে সপ্তমাতৃকা সাতবিবির মধ্যে প্রায় কোনো সাদৃশ্য নেই বললেই চলে। ভারতে সাত দেবীর পূজা যে সুপ্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, তার প্রমাণ অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের অন্তর্গত সিন্ধু সভ্যতার মহেঞ্জোদাড়ো শহরের টেরাকোটা সিলমোহরে দেখা যায়। এই সিলমোহরে সাতজন নারীকে একসঙ্গে দণ্ডায়মান অবস্থায় দেখা যায়। ওলাইচণ্ডী বাংলার লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। বিভিন্ন ধর্ম সংস্কৃতির মধ্যে তাঁর পূজা প্রচলিত। ==দেবী== লোক বিশ্বাস অনুসারে, ওলাইচণ্ডী ময়াসুরের পত্নী। ময়াসুর হিন্দু পুরাণের অসুর, দানব, রাক্ষস দৈত্যদের রাজা স্থপতি। ভক্তেরা তাঁকে কলেরার হাত থেকে ত্রাণকর্ত্রী দেবী মনে করেন। রোগ মহামারীতে আক্রান্ত অঞ্চলে তাঁর পূজা হয়। বাংলায় কলেরাকে বলা হয় ‘ওলাওঠা’। সেই থেকেই এই দেবীর নাম ‘ওলাইচণ্ডী’। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ওলাইচণ্ডীকে লক্ষ্মী সরস্বতীর মিলিত মূর্তি মনে করে। তাঁর গায়ের রং গাঢ় হলুদ। তিনি নীল শাড়ি গয়না পরে থাকেন। মূর্তিতে তাঁর কোলে একটি শিশুকে দেখা যায়। মুসলমানরা তাঁকে ‘ওলাবিবি’ বা ‘বিবিমা’ বলে। এই নামটি এসেছে ''বিবির গান'' আখ্যান থেকে। এই আখ্যান অনুসারে, তিনি এক কুমারী মুসলমান রাজকন্যার সন্তান। তিনি অলৌকিক উপায়ে অদৃশ্য হয়ে যান এবং পরে দেবী রূপে আবির্ভূত হন। তাঁর আবির্ভাবের কারণ ছিল তাঁর দাদামশাইয়ের (‘বাদশা’) রাজ্যের মন্ত্রীদের সন্তানদের আরোগ্য দান। তাঁর মাথায় থাকে মস্তকাবরণী, গলায় গলবস্ত্র গয়না। পায়ে তিনি নাগরার জুতো মাঝে মাঝে মোজা পরেন। এক হাতে তিনি একটি জাদুদণ্ড ধরে থাকেন। এই দণ্ডের মাধ্যমে তিনি তাঁর ভক্তদের রোগ দূর করেন। ==সামাজিক প্রভাব== ওলাইচণ্ডী বাংলার লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, তিনি হিন্দু দিব্য জননী ধারণার সঙ্গে একেশ্বরবাদী ইসলামিক আল্লাহ্‌-ধারণার মিশ্রণ। সম্ভবত ১৯শ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে কলেরার দেবী রূপে ওলাইচণ্ডীর পূজা শুরু হয়। ওলাইচণ্ডীর গুরুত্ব সাম্প্রদায়িক বর্ণব্যবস্থার সীমারেখাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও আধুনিক যুগে কলেরার চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়ে পড়ায় ওলাইচণ্ডীর পূজাও সীমিত হয়ে এসেছে। ==আরও দেখুন== চণ্ডী *উলাই চণ্ডী ==তথ্যসূত্র== হিন্দুধর্ম ইসলাম সংস্কৃতি লৌকিক দেবদেবী লৌকিক দেবদেবী'''ইউনাইটেড সুগার মিলস লিমিটেড''' বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান একটি চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান; স্থানীয় বাজারে এই কোম্পানির পণ্যটি ''ফ্রেশ সুগার'' (Fresh Sugar) নামে প্রচলিত। == অবস্থান == বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের মেঘনা ঘাট এলাকায় এই শিল্প কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। == ইতিহাস == ২০০৫ সালে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়। == অবকাঠামো == এই বৃহদায়তন চিনি পরিশোধন কারখানা, বর্জ্য পরিশোধনাগার, অফিস আবাসন ভাবনের সমন্বয়ে গঠিত। == উৎপাদন ক্ষমতা == এই মিলটি আমদানীকৃত র' সুগার থেকে দৈনিক ২,৫০০ মে. টন এবং বার্ষিক ৭,৫০,০০০ মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি উৎপাদনে সক্ষম। == উৎপাদিত পণ্য == ইউনাইটেড সুগার মিলস বিদেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি ('র সুগার) আমদানী করে তা পরিশোধন (রিফাইন্ড) করে প্যাকেটজাত করার মাধ্যমে বাজারজাত করে থাকে এবং স্থানীয় চাহিদার ২১ শতাংশ এককভাবে পূর্ণ করে। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের চিনি কলগুলোর তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == ইউনাইটেড সুগার মিলস লিমিটেড-এর ওয়েব সাইট। বাংলাদেশের চিনি কলগুলোর নাম যোগাযোগের ঠিকানা। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি চিনিকল জেলা'''''বিন রোয়ে''''' (ইংরেজি: ''Without Crying'') হল শাহজাদ কাশ্মীরি মোমিনা মুরাদ পরিচালিত ২০১৫ সালের একটি পাকিস্তানি চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন মোমিনা মুরাদ এবং অভিনয়ে ছিলেন অভিনেত্রী মাহিরা খান, অভিনেতা হুমায়ুন সায়িদ, আরমিনা খান, জেবা বখতিয়ার, জাভেদ শেইখ এবং আরও অনেকে। হাইসাম হুসাইন চলচ্চিত্রটির একটি সঙ্গীতের পরিচালনা করেছেন। ২০১৫র ১৮ই জুন ঈদুল ফিতরের দিন চলচ্চিত্রটি জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পায়। মুক্তির আগে পরে বক্স অফিস সমালোচকদের কাছে ছবিটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। চলচ্চিত্রটি পাকিস্তানি লেখক ফারহাত ইশতিয়াকের '''বিন রোয়ে আসু''' নামক উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে, যার কাহিনী সাবা ইরতিজা নামক দম্পতি এবং তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সাবার অজ্ঞাত বোন সামানের ত্রিভুজ প্রেম কে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। == অভিনয় == মাহিরা খান সাবা চরিত্রে হুমায়ুন সায়িদ ইরতাজা চরিত্রে আরমিনা খান সামান, সাবাড় বড় বোন চরিত্রে জেবা বখতিয়ার সাবা এবং সানামের বাবা চরিত্রে জাভেদ শেইখ সাবা এবং সানামের মা চরিত্রে জাহানজেব খান জাফর চরিত্রে আজরা মানসুর দাদী চরিত্রে আদিল হুসাইন "বাল্লে বাল্লে" নামক গানে বিশেষ উপস্থিতি চরিত্রে == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== চলচিত্র চলচ্চিত্র নাট্য চলচ্চিত্র রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্র উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রথম চলচ্চিত্রভাই () (১৮৮৯ ১১ মে, ১৯১৫) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। তিনি ১৯১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর লর্ড হার্ডিঞ্জকে আক্রমণ করে আহত করার কাজে জড়িত ছিলেন। বিচারে অন্যান্য তিনজনের সঙ্গে তার মৃত্যু দণ্ডাদেশ হয়। আমবালা জেলে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন। আরেক বিপ্লবী ভাই পরমানন্দ তার চাচাত ভাই। ভাই পরমানন্দ গদর পার্টির নেতা ছিলেন। ==লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর আক্রমণ বিচারে ফাঁসি== আমীর চাঁদ বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর আক্রমণের নেতা ছিলেন রাসবিহারী বসু। বসন্ত বিশ্বাস বোমা নিক্ষেপ করে সুকৌশলে পলায়ন করতে পেরেছিলেন। এই মামলায় বিচারে বালমুকুন্দ ছাড়াও অপর তিনজন আমীর চাঁদ, অবোধবিহারী বসন্ত বিশ্বাসের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয় ১৯১৫ সালের ১১ মে আমবালা জেলের ভেতর। ==জন্ম== বালমুকুন্দের জন্ম ঝিলাম জেলার কারাইলা গ্রামে। তার পিতার নাম ভাই মথুরা দাস। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী রাজনীতিবিদরাষ্ট্র অনুযায়ী মৃত্যু হার (২০০৯ সালের সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক পরিসংখ্যান)। প্রবন্ধটি '''স্থূল মৃত্যু হার অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা'''র দুটি সংস্করণকে অন্তর্ভুক্ত করছে। == == কোনও নির্দিষ্ট সময় পরিধিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যাকে সময় পরিধিতে জনসংখ্যার ব্যক্তি-সময় দিয়ে ভাগ করলে স্থূল মৃত্যু হার পাওয়া যায়। ব্যক্তি-সময় হল কোনও পর্যবেক্ষণ সময় পরিধির মধ্যে পরিগণিত জনসংখ্যা এবং সময় পরিধির গুণফল। যেমন, কোনও স্থানে বছর ধরে পরিগণিত জনসংখ্যা যদি হয় ৩০০০ তাহলে স্থানে বছরে ব্যক্তি-বছর হবে ৩০০০×২=৬০০০। ''বছর প্রতি ১,০০০ জনসংখ্যা প্রতি মৃত্যুর সংখ্যা'' -একক হিসাবে একে প্রকাশ করা হয়। প্রথম তালিকাটি অরগানাইজেশান ফর ইকনমিক কোঅপারেশান এন্ড ডেভলপমেন্ট (ওইসিডি) -এর "২০১১ বার্ষিক পরিসংখ্যান"-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০১১ স্থূল মৃত্যু হার -এ ২৩৬টি রাষ্ট্র এবং অঞ্চলসমূহ তালিকাভুক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় তালিকাটি সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক-এর ২০১৩ সালের পরিগণনার উপর ভিত্তি করে তৈরি। পরাধীন অঞ্চলসমূহ এবং সম্পূর্ণরূপে স্বীকৃত হয়নি এমন রাষ্ট্রকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। == রাষ্ট্রসমূহ == '''ওইসিডি-এর দ্বারা ২০১১-র তালিকা''' '''সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক-এর দ্বারা ২০১৩-র তালিকা''' ক্রম রাষ্ট্র মৃত্যু হার (বছর প্রতি ১,০০০ জনসংখ্যা প্রতি মৃত্যুর সংখ্যা) ২১.৫ ১৮.২ ১৮.০ ১৫.৮ ১৫.৮ ১৫.৭ ১৫.৩ ১৫.২ ১৫.২ ১০ ১৪.৭ ১১ ১৪.৫ ১২ ১৪.৫ ১৩ ১৪.৫ ১৪ ১৪.৫ ১৫ ১৪.৩ ১৬ ১৪.২ ১৭ ১৪.০ ১৮ ১৩.৯ ১৯ ১৩.৮ ২০ ১৩.৬ ২১ ১৩.৫ ২২ ১৩.৫ ২৩ ১৩.৫ ২৪ ১৩.৫ ২৫ ১৩.২ ২৬ ১৩.১ ২৭ ১২.৯ ২৮ ১২.৯ ২৯ ১২.৯ ৩০ ১২.৩ ৩১ ১২.৩ ৩২ ১১.৮ ৩৩ ১১.৭ ৩৪ ১১.৬ ৩৫ ১১.৫ ৩৬ ১১.৪ ৩৭ ১১.৩ ৩৮ ১১.২ ৩৯ ১১.১ ৪০ ১১.১ ৪১ ১১.১ ৪২ ১১.০ ৪৩ ১০.৭ ৪৪ ১০.৪ ৪৫ ১০.৪ ৪৬ ১০.৩ ৪৭ ১০.৩ ৪৮ ১০.২ ৪৯ ১০.০ ৫০ ৯.৯ ৫১ ৯.৯ ৫২ ৯.৯ ৫৩ ৯.৮ ৫৪ ৯.৮ ৫৫ ৯.৭ ৫৬ ৯.৭ ৫৭ ৯.৭ ৫৮ ৯.৭ ৫৯ পাপুয়া নিউগিনি ৯.৬ ৬০ ৯.৬ ৬১ ৯.৬ ৬২ ৯.৬ ৬৩ ৯.৫ ৬৪ ৯.৫ ৬৫ ৯.৫ ৬৬ ৯.৪ ৬৭ ৯.৪ ৬৮ ৯.৩ ৬৯ ৯.৩ ৭০ ৯.৩ ৭১ ৯.২ ৭২ ৯.২ ৭৩ ৯.১ ৭৪ ৯.১ ৭৫ ৯.১ ৭৬ ৯.০ ৭৭ ৯.০ ৭৮ ৮.৯ ৭৯ ৮.৯ ৮০ ৮.৮ ৮১ ৮.৮ ৮২ ৮.৮ ৮৩ ৮.৮ ৮৪ ৮.৭ ৮৫ ৮.৭ ৮৬ ৮.৬ ৮৭ ৮.৬ ৮৮ ৮.৬ ৮৯ ৮.৪ ৯০ ৮.৪ ৯১ ৮.৪ ৯২ গ্রাঞ্জি ৮.৪ ৯৩ কিরিবাতি ৮.৩ '''''' '''৮.৩''' ৯৪ ৮.৩ ৯৫ ৮.২ ৯৬ ৮.২ ৯৭ ৮.২ ৯৮ ৮.২ ৯৯ ৮.১ ১০০ ৮.১ ১০১ ৮.১ ১০২ ৮.১ ১০৩ ৮.১ ১০৪ ৮.১ ১০৫ ৮.১ ১০৬ বারবাডোস ৮.০ ১০৭ ৮.০ ১০৮ ৭.৯ ১০৯ ৭.৯ ১১০ ৭.৯ ১১১ কিউরাসাও ৭.৯ ১১২ ৭.৯ ১১৩ ৭.৮ ১১৪ ৭.৮ ১১৫ ৭.৭ ১১৬ ৭.৭ ১১৭ ৭.৭ ১১৮ ৭.৭ ১১৯ ৭.৬ ১২০ ৭.৬ ১২১ ৭.৬ ১২২ ৭.৫ ১২৩ ৭.৫ ১২৪ ৭.৪ ১২৫ ৭.৪ ১২৬ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, মার্কিন ৭.৪ ১২৭ ৭.৪ ১২৮ ৭.৩ ১২৯ ৭.৩ ১৩০ ৭.৩ ১৩১ ৭.২ ১৩২ ৭.২ ১৩৩ ৭.১ ১৩৪ ৭.১ ১৩৫ ৭.১ ১৩৬ ৭.১ ১৩৭ ৭.০ ১৩৮ ৭.০ ১৩৯ ৬.৯ ১৪০ ৬.৯ ১৪১ এল সালভাডর ৬.৯ ১৪২ ৬.৯ ১৪৩ ৬.৯ ১৪৪ ৬.৯ ১৪৫ ৬.৯ ১৪৬ ৬.৮ ১৪৭ ৬.৭ ১৪৮ ৬.৬ ১৪৯ ৬.৬ ১৫০ ওয়ালিস ফুটুনা ৬.৬ ১৫১ ৬.৬ ১৫২ ৬.৫ ১৫৩ ৬.৫ ১৫৪ ৬.৫ ১৫৫ ৬.৫ ১৫৬ ৬.৫ ১৫৭ সেন্ট বারথেলিমি ৬.৪ ১৫৮ ৬.৩ ১৫৯ ৬.৩ ১৬০ ৬.৩ ১৬১ ৬.৩ ১৬২ ৬.৩ ১৬৩ ৬.২ ১৬৪ ৬.২ ১৬৫ ৬.১ ১৬৬ ৬.১ ১৬৭ ৬.০ ১৬৮ ৬.০ ১৬৯ ৬.০ ১৭০ ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ৬.০ ১৭১ ৫.৯ ১৭২ ৫.৯ ১৭৩ ৫.৯ ১৭৪ ৫.৯ ১৭৫ ৫.৮ ১৭৬ ৫.৮ ১৭৭ ৫.৮ ১৭৮ ৫.৮ ১৭৯ ৫.৭ ১৮০ ৫.৭ ১৮১ ৫.৬ ১৮২ ৫.৬ ১৮৩ ৫.৬ ১৮৪ ৫.৫ ১৮৫ ৫.৫ ১৮৬ ৫.৫ ১৮৭ ৫.৪ ১৮৮ ৫.৪ ১৮৯ ৫.৩ ১৯০ ৫.৩ ১৯১ ৫.২ ১৯২ ৫.২ ১৯৩ ৫.২ ১৯৪ ৫.১ ১৯৫ ৫.১ ১৯৬ ৫.০ ১৯৭ ৫.০ ১৯৮ ৫.০ ১৯৯ ৫.০ ২০০ ৪.৮ ২০১ নুভেল কালেদোনইয়া ৪.৮ ২০২ ৪.৭ ২০৩ ৪.৬ ২০৪ ৪.৫ ২০৫ ৪.৫ ২০৬ ৪.৫ ২০৭ ৪.৪ ২০৮ ৪.৪ ২০৯ ৪.৩ ২১০ ৪.২ ২১১ ৪.২ ২১২ ৪.২ ২১৩ সিন্ট মার্টেন ৪.২ ২১৪ ৪.১ ২১৫ ৪.১ ২১৬ ৪.০ ২১৭ ৪.০ ২১৮ ৩.৯ ২১৯ সেন্ট মার্টিন ৩.৯ ২২০ ৩.৬ ২২১ ৩.৫ ২২২ ভার্জিন আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ৩.৫ ২২৩ ৩.৪ ২২৪ ৩.৩ ২২৫ ৩.৩ ২২৬ অ্যাঙ্গুইলা ৩.৩ ২২৭ ৩.২ ২২৮ ৩.১ ২২৯ ৩.১ ২৩০ ৩.০ ২৩১ ২.৯ ২৩২ ২.৩ ২৩৩ ২.০ ২৩৪ ১.৮ ২৩৫ ১.১ ২৩৬ ০.৯ রাষ্ট্র মৃত্যু হার (বছর প্রতি ১,০০০ জনসংখ্যা প্রতি মৃত্যুর সংখ্যা) ১৪.৩৫ ১১.৮৬ ১৪.৪২ ৭.৯৬ ১৫.০২ ১০.১২ ১২.৫৪ ১২.৫৭ ১১.২৬ ১৭.৩৬ ১৩.৯৫ ১৩.১৭ ১৩.২০ ১১.৪০ ১৪.৮৫ ১৩.৯৭ ১৩.৫৫ ১৫.৭৫ ১৪.৭৭ ১৪.২২ ১৩.০৭ ১৪.৩১ ৯.৪১ ১৩.৬৮ ১৩.৭৭ ১৩.৬০ ১৩.৬৫ ১২.২১ ১৩.৩৩ ১২.৭১ ১৩.১১ ৮.৭৫ ৯.১২ ৮.৪১ ১১.৫১ ১১.২৬ ১১.০৩ ১১.৮৬ ১২.০৬ ১০.৫৪ ৮.৮৭ ৭.৩৮ ৮.৬৪ ১১.৪৮ ৯.৯৪ ১১.১৭ ৯.৮০ ১২.৬১ ৭.৮৬ ৯.৯৯ ১১.০১ ১০.০১ ১০.৯১ ১১.১২ ৯.১৫ ১০.৯০ ১০.৭০ ১০.২১ ১০.২২ গ্রাঞ্জি ৮.৬১ ১০.৪২ ১০.৩১ ৯.৩৩ ৮.৯৪ ১০.৩১ ৮.৮৫ ৭.১২ ১০.১৭ ৮.২৮ ৯.২৭ ৯.৬৯ ৮.৫৯ ৮.৫৯ ৮.৪৩ ৭.৬০ ৬.৯৬ ৯.২১ ৭.৫৯ ৭.৫৩ ৫.৬৭ ৮.৫০ ৮.০৫ ৯.৫২ ৯.০০ ৮.৪৮ ৮.৬৭ ৮.০০ ৯.৫৩ ৯.১৭ ৮.০৮ ৮.৯৬ ১২.৯১ ৮.১৭ ৮.৫২ ৬.৫৫ ৭.৭৮ বারবাডোস ৮.৪০ ৮.৫১ ৮.৮৪ ৮.৩৯ ৭.১৮ ৭.১১ ৮.০৯ ৭.৯৭ পৃথিবী ৭.৯৯ ৮.৩০ ৭.১০ ৮.৪২ ৭.৮৮ ৭.০৬ ৭.৮৬ কিরিবাতি ৭.২৪ ৬.৫২ ৬.৪১ ৮.২৩ ৮.২০ ৮.০০ ৬.৬৯ ৬.৬৪ ৭.৯৭ ৪.২০ ৭.৩৯ ৭.৩৫ ৬.৮৮ ৬.৮৯ ৭.৯০ ৭.৪৭ ৭.৫৮ ৭.৩১ ৬.৬৭ ৭.২৫ ৬.৬৮ ৯.১৮ ৮.৯৭ ৬.৮৯ ৬.৮৩ ৭.০৬ পাপুয়া নিউগিনি ৬.৫৪ ৭.০৭ ৬.৩৮ ৭.২১ ৭.৩৯ ৬.৮৩ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, মার্কিন ৭.৯৫ ৭.০১ ৭.২২ ৬.৭৯ ৬.৬৩ ৫.৯৪ ৬.৫১ ৬.১৮ ৬.৩১ ৬.২২ ৫.৯৪ ৫.৯৭ ৬.০১ ৫.৯৮ ৬.১১ ৮.০১ ৬.৭৩ ৬.২৮ ৫.৭০ ৬.৫০ ৬.৬৭ ৫.৮৬ ৫.৯৩ ৭.৬৮ ৫.৩৩ ৫.৯৪ নুভেল কালেদোনইয়া ৫.৩৯ ৫.৯৬ ৬.৩৬ ৫.৩৩ ৬.১৫ এল সালভাডর ৫.৬৫ ৪.৭৮ ৫.৫২ ৫.০৯ ৫.২৯ ৪.৪৬ ৫.৯০ ৫.২৩ ৪.৮৭ ৪.৯৫ ৪.৭৯ ৪.৬৫ ৪.৯৭ ৪.৮৭ ৫.০৩ ৫.৩০ ৪.৯৪ ৪.৮৫ ৪.৭৩ ৩.৪১ ৪.৩১ ৩.৬৭ ৪.২৭ ৪.২৭ ৪.৬১ ২.৬৫ ভার্জিন আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ৪.৮৯ অ্যাঙ্গুইলা ৪.৪৪ ৪.৪৪ ৫.০৬ ৩.০৬ ৪.৬২ ৩.৮৮ পশ্চিম তীর/ফিলিস্তিনী অঞ্চলসমূহ ৩.৫৩ ৩.৪০ ৩.৮০ ৩.৯৭ ৩.৫৬ গাজা অঞ্চলসমূহ ৩.১৫ ৩.৪৩ ২.৮০ ৩.৩২ ১.৫৪ ২.১৪ ৩.৫২ ২.০১ ==আরও দেখুন== *শিশু মৃত্যু হার অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা ==পাদটীকা== তালিকা অনুযায়ী মৃত্যু'''চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী''' (১৮৯৪ ১৯১৫) () ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। তিনি পূর্ণচন্দ্র দাসের সহকর্মী পূর্ণচন্দ্র পরিচালিত গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন মাদারিপুর সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি বিপ্লবী বাঘা যতীনের নেতৃত্বে পরিচালিত বুড়ি বালামের তীরে খণ্ডযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। == প্রারম্ভিক জীবন == চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে ৬ই ডিসেম্বরে মাদারিপুরের রাজৈর উপজেলাধীন খালিয়া গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম পঞ্চানন রায়চৌধুরী এবং মাতার নাম সুখদা সুন্দরী দেবী। পিতা পঞ্চানন রায়চৌধুরী মাদারিপুর শহরে অনারারী ম্যাজিস্ট্রট ছিলেন। চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী প্রথমে থালিয়া হাই স্কুলে এবং পরে মাদারিপুর হাই স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় মাদারিপুর সমিতির (১৯১০খ্রি.) বিপ্লবী সদস্য হয়েছিলেন। ==বিপ্লবী কর্মকাণ্ড== ডিসেম্বর ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ফরিদপুর ষড়যন্ত্র মামলায় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচ মাস জেল খাটেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫ তারিখে কলকাতা সমাবর্তন দিবসে রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিস ইনস্পেকটর সুরেশ মুখার্জিকে কয়েকজন সহকর্মীর সাহায্যে হত্যা করেন। বিপ্লবী যতীন মুখার্জীর সহকর্মী হিসেবে জার্মানি, জাপান, আমেরিকা ডাচ ইন্ডিজ থেকে অস্ত্রশস্ত্র আমদানির চেষ্টা করেন। ==বুড়ি বালামের তীরে খণ্ডযুদ্ধ== ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর গভীর রাত্রে বাঘা যতীন বা যতীন মুখার্জী নিজের সাময়িক আস্তানা মহলডিহাতে ফিরে এলেন। সঙ্গে '''চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী''', জ্যোতিষচন্দ্র পাল, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত এবং নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত। সেপ্টেম্বর সারাদিন কেটে গেল গভীর জংগলে। সারারাত পায়ে হেঁটে সেপ্টেম্বর ভোরবেলা পৌঁছলেন বালেশ্বরের বলরামগড়িতে বুড়িবালাম (উড়িষ্যায় একে বলে নদীর উপকণ্ঠে। সাঁতার কেটে নদীর ওপারে গিয়ে যুদ্ধের পক্ষে মোটামুটি উপযুক্ত শুকনো এক ডোবার মধ্যে আশ্রয় নিলেন। বিপরীতপক্ষে চার্লস টেগার্ট, কমান্ডার রাদারফোর্ড, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিলভি অসংখ্য সশস্ত্র পুলিস সামরিক বাহিনী নিয়ে হাজির হয়েছিল। পরীখার আড়ালে বাঘা যতীনের নেতৃত্বে পাঁচজন, হাতে মাউজার পিস্তল। যুদ্ধ শুরু হলে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে শহীদ হলেন চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী। পরে ১৯১৫ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারের রায়ে মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত এবং নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তকে প্রাণদণ্ড দেয়া হয়। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে ডিসেম্বর তাদের দুজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জ্যোতিষচন্দ্র পালও বেশিদিন বাঁচেননি। পুলিশের নির্মম অত্যাচারে আন্দামান সেলুলার জেলে কুঠরিবদ্ধ অবস্থায় উন্মাদ হয়ে যান। বহরমপুর উন্মাদ আশ্রমে ১৯২৪ সালের ডিসেম্বর তার মৃত্যু ঘটে। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ স্বাধীনতার বিপ্লবী আন্দোলন'''এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস''' (ইংরেজিতে: Empire Awards) একটি বার্ষিক ব্রিটিশ পুরস্কার যা কোন ব্যক্তিকে চলচ্চিত্রে সবিশেষ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়। বিজয়ীকে এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস মূর্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। ১৯৯৬ সালে এই পুরস্কারটির প্রচলন করে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র বিষয়ক ম্যাগাজিন এম্পায়ার। সেসময় পুরস্কার বিজয়ী ম্যাগাজিনটির পাঠকদের ভোটে নির্বাইত হত। ২০তম এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস হল সবচেয়ে সাম্প্রতিক এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস প্রদান অনুষ্ঠান। ২০১৪ সালের সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা অভিনেতাদের মধ্য থেকে এর বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। ১৪তম পুরস্কার অনুষ্ঠান থেকে এটি আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে হুইস্কি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেমসন আইরিশ হুইসকি, তাই তখন থেকে এই পুরস্কারটি জেমসন এম্পায়ার অ্যাওয়ার্ডস নামেও পরিচিতি পায়। ==তথ্যসূত্র== ==References== ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র পুরস্কারভারত ক্রিকেট দল পূর্ব-নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সফর করছে। সফরে দলটি একটি প্রস্তুতিমূলক খেলাসহ তিনটি টেস্টে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অবতীর্ণ হবে। ২৭ জুন তারিখে শ্রীলঙ্কার প্রথিতযশা ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তার অবসরের কথা ঘোষণা করেন। বিসিসিআই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে ভারতের চূড়ান্ত সময়সূচী ঘোষণা করেছিল। শুরুতেই শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতিমূলক খেলার মাধ্যমে সফর শুরু হয়। এরপর তিন টেস্টের সিরিজ শুরু হবে। গালে, পি সারা ওভাল এসএসসি কলম্বোতে টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। আগস্ট, ২০১৫ তারিখ ভারত দল শ্রীলঙ্কায় অবতরণ করে। == দলীয় সদস্য == অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অঃ) দুষ্মন্ত চামিরা দীনেশ চন্ডিমাল বিশ্ব ফার্নান্দো রঙ্গনা হেরাথ ডিমুথ করুনারত্নে থারিন্ডু কৌশল জিহান মুবারক দিলরুয়ান পেরেরা কুশল পেরেরা নুয়ান প্রদীপ ধাম্মিকা প্রসাদ কুমার সাঙ্গাকারা কৌশল সিলভা উপুল থারাঙ্গা লাহিরু থিরিমানে কোচ: মারভান আতাপাত্তু বিরাট কোহলি (অঃ) বরুণ আরন রবিচন্দ্রন অশ্বিন শিখর ধাওয়ান ভুবনেশ্বর কুমার অমিত মিশ্র চেতেশ্বর পুজারা অজিঙ্কা রাহানে লোকেশ রাহুল ঋদ্ধিমান সাহা (উইঃ) ইশান্ত শর্মা রোহিত শর্মা হরভজন সিং মুরালি বিজয়১ উমেশ যাদব স্টুয়ার্ট বিনি২ কোচ: ডানকান ফ্লেচার হামস্ট্রিংয়ের আঘাতে ভারতের মুরালি বিজয় প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন না। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর পূর্বে স্টুয়ার্ট বিনিকে ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। == প্রস্তুতিমূলক খেলা == === তিনদিনের শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশ ভারতীয় একাদশ === == টেস্ট সিরিজ == শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সময় অনুযায়ী (ইউটিসি+০৫:৩০) === ১ম টেস্ট === === ২য় টেস্ট === === ৩য় টেস্ট === == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Series home at ESPN Cricinfo ভারতীয় ক্রিকেট শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর'''ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া''' (, অস্ট্রিয়ার নয়টি রাজ্যের অন্যতম। এর রাজধানী লিনৎস। ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ার সাথে জার্মানি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে। এছাড়া অস্ট্রিয়ার লোয়ার অস্ট্রিয়া, স্টিরিয়া এবং সলজবুর্গ রাজ্যগুলোড় সাথেও সীমানা রয়েছে। ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ার ভৌগোলিক আয়তন, ১১,৯৮২ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ১.৪৩৭ মিলিয়ন। আয়তনের দিক থেকে এটি অস্ট্রিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম এবং জনসংখ্যা দিক থেকে তৃতীয়। ==ইতিহাস== ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া দীর্ধকাল পুণ্য রোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম রাজ্য ডাচি অব স্টিরিয়ার অধীনে ছিল। ১৩শ শতক থেকেই ইন্স নদীর তীরে অবস্থিত অন্যতম বৃহৎ জনবসতি ছিল ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ায়। তবে ‘ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া’ নামটির প্রথম ব্যবহার ঘটে ১২৬৪ সালে। ১৪৯০ সালে পুণ্য রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকাকালে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া স্বায়ত্তশাসন লাভ করে। ১৫৫০ পর্যন্ত অঞ্চলটিতে আধিক্য ছিল। ১৫৬৪ সালে লোয়ার অস্ট্রিয়া এবং বোহেমিয়ান অঞ্চলগুলোর সাথে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া পূণ্য রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট দ্বিতীয় ম্যাক্সিমিলানের শাসনে চলে যায়। ১৭শ শতকের প্রথমাংশে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া কয়েক বছর বাভারিয়ার অধীনে ছিল। ন্যাপোলিয়নিক যুদ্ধে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া ফরাসি সেনাবাহিনীর দখলে চলে যায়। ১৯১৮ সালে পতন ঘটলে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ার নামকরণ হয় ওবেরুসটেরাইখ। অ্যাডলফ হিটলার-এর জন্ম ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ার ব্রাউনআউ আম ইন শহরে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ার একাংশ যুক্তরাষ্ট্রের এবং অপর অংশ সোভিয়েত পরাশক্তির অধীনে ছিল। বর্তমানে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়া, অস্ট্রিয়ার শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল। দেশটির মোট রপ্তানি পণ্যের এক-চতুর্থাংশ ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ায় উৎপাদিত হয়। ==প্রশাসনিক অঞ্চল== Bezirke ঐতিহ্যগতভাবে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়াতে চারটি অঞ্চল রয়েছে: হাউসরুকফিরটেল, ইনফিরটেল, মুলফিরটেল এবং ট্রাউনফিরটেল। প্রশাসনিকভাবে ঊর্ধ্ব অস্ট্রিয়ায় ১৫টি জেলা রয়েছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== সরকারি ওয়েবসাইট রাজ্য'''বেলিন্ডা বেনসিচ''' (; জন্ম: ১০ মার্চ, ১৯৯৭) ফ্ল্যাউইল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী উদীয়মান প্রমিলা সুইস টেনিস তারকা। ডব্লিউটিএ ট্যুরে দুইবার একক দুইবার দ্বৈতে শিরোপা লাভ করেছেন তিনি। এছাড়াও আইটিএফ সার্কিটে দুইবার একক দুইবার দ্বৈতে শিরোপা জয় করেছেন। ১৭ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে তিনি তার নিজস্ব সেরা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং ১২-তে পৌঁছেন। এছাড়াও, ১৭ আগস্ট, ২০১৫ তারিখে দ্বৈত র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭০-এ পৌঁছেন। == প্রারম্ভিক জীবন == ১৯৬৮ সালে চেকোস্লোভাকিয়া থেকে অভিবাসিত হয়ে সুইজারল্যান্ডে আবাস গড়েন। বাবার সাহচর্যেই তিনি টেনিসে হাতেখড়ি লাভ করেন। তার বাবাই কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সুইস টেনিস তারকা মার্টিনা হিঙ্গিসের মা মেলানি মলিটর মাঝে-মধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। বেনসিচ স্লোভাক নাগরিকত্বের অধিকারী। তার পিতা-মাতা স্লোভাক। পিতা ইভান ব্রাতিস্লাভা মা মোচিনক এলাকা থেকে এসেছেন। মাত্র বছর বয়সে মেলানি মলিটরের টেনিস স্কুলে খেলতে শুরু করেন। এরপর বছর বয়স থেকে দৈনিকভিত্তিতে মলিটরের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। এছাড়াও, ফ্লোরিডায় অবস্থিত নিক বলেত্তিয়েরি একাডেমি থেকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == ২০১২ সালে ফেড কাপে সুইজারল্যান্ড দলের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে। ২০১৩ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন উইম্বলেডন বালিকাদের এককের শিরোপা জয়ে সক্ষমতা দেখান। ২০১২ ২০১৩ সালের ইউএস ওপেন ২০১২ সালের উইম্বলেডন তিনবার বালিকাদের দ্বৈত প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিয়েছেন। ২০১৪ সালের ইউএস ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোই অদ্যাবধি তার সেরা ফলাফল হিসেবে বিবেচিত। বিশ্বের সাবেক ১নং খেলোয়াড় জেলেনা জাঙ্কোভিচসহ শীর্ষ দশের দুই খেলোয়াড়কে পরাজিত করে সফলতা পেয়েছিলেন তিনি। এরফলে তিনি শীর্ষ ৪০-এর বাঁধা প্রথমবারের মতো ডিঙ্গোতে সক্ষম হন। ২০১৫ সালে এইগন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো শিরোপা লাভ করেন। ফাইনালে আগ্নিয়েস্কা রাদভানিস্তাকে হারিয়ে শীর্ষ ২০-এর কোটায় পৌঁছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা সাফল্য হিসেবে ২০১৫ সালের রজার্স কাপে শীর্ষ দশের চার খেলোয়াড় ক্যারোলিন ওজনিয়াস্কি, আনা ইভানোভিচ, বিশ্বের ১নং খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস সিমোনা হালেপকে হারান শিরোপা জয় করেন। == সম্মাননা == ১৭ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে ডব্লিউটিএ’র বর্ষসেরা নবাগত হিসেবে মনোনীত হন বেনসিচ। বিচারকদের সম্ভাব্য ৫৮ ভোটের মধ্যে তিনি ৫৬ ভোট পান। এছাড়াও, ৪৬% সমর্থকদের ভোট পান তিনি। বছর শেষে তিনি বিশ্বের ৩৩নং র‌্যাঙ্কিংধারী খেলোয়াড় হন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Official website মহিলা টেনিস খেলোয়াড় জন্ম ব্যক্তি বংশোদ্ভূত সুইস ব্যক্তি ওপেন জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন এককে গ্র্যান্ড স্ল্যাম (টেনিস) চ্যাম্পিয়নশিমলা থেকে কিন্নর জেলা যাওয়ার পথের নকশা '''কিন্নর''' ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের প্রশাসনিক বারোটি জেলার একটি। জেলাটি তিনটি প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত। পু, কল্পা এবং নিচর এবং পাঁচটি তহশিল (জেলা) আছে। রিকং পিও কিন্নর জেলার সদরদপ্তর; এখান থেকে কিন্নর কৈলাশ পর্বত, (যাকে ভগবান শিবের আবাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়) দেখা যায়। ২০১১ সালের হিসাবে লাহুল এবং স্পিতির পরে কিন্নর জেলা হিমাচল প্রদেশের ১২ টি জেলার মধ্যে দ্বিতীয় জনবহুল জেলা। কিন্তু এই জেলায় নয়টি ভাষা ব্যবহৃত হয়। কল্পাগ্রাম থেকে ৭৯ফুটের একশিলা স্তম্ভ সমেত কিন্নর কৈলাশ। ==সাধারণ== কিন্নর, রাজ্যের রাজধানী শিমলা থেকে দুর। এটি পূর্ব তিব্বত সীমান্তবর্তী এবং হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এটির তিনটি উচ্চ পর্বত পরিসর আছে ,জান্সকার, হিমালয় এবং ধৌলাধর যেগুলি শতদ্রু স্পিতি,বাস্পা এই তিনটি উপত্যকা এবং তাদের শাখাগুলিকে পরিবেষ্টন করে আছে।পাহাড়ের ঢলানগুলি পুরু কাঠ, ফলের বাগান, মাঠ ছবির মত একটা পল্লীতে মোড়া। কিন্নর কৈলাশ পর্বতের শিখরে একটি বিখ্যাত প্রাকৃতিক শিলা শিবলিঙ্গ আছে।এই জেলাটি ১৮৮৯ সালে বহিরাগতের নিকট, প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।পুরানো রোড,শতদ্রু নদীর তীর ধরে কিন্নর উপত্যকার মধ্য দিয়ে গিয়ে,পরিশেষে শিপকি লা গিরিবর্ত্মে তিব্বত প্রবেশ করে। শুধুমাত্র এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী সব বয়সের মানুষকে আকর্ষণ করে তা নয়।এখানকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, রীতিনীতি ইত্যাদিও মানুষকে সমানভাবে আকর্ষণ করে।এখানকার মানুষের গভীর বিশ্বাস সংস্কৃতি আছে,সাধারণত, বৌদ্ধ হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী।তারা বিশ্বাস করেন নির্বাসনে থাকার সময় পাণ্ডবগণ এসে এই জায়গায় বসবাস করেছিলেন(কারমু গ্রাম)। হাজার বছরের পুরানো বৌদ্ধমঠ আজও এখানে বর্তমান।বৌদ্ধ হিন্দু উভয় ধর্মের মানুষেরা শান্তিতে একত্রে বসবাস করেন যা প্রথাগত ভ্রাতৃত্ব বন্ধুত্বের প্রতীক। আপেল, চিলগোজা(বাদামী) এবং অন্যান্য শুকনো ফল এখানে উৎপাদিত হয়।উচ্চ ভূখণ্ডর জন্য এখানে দুঃসাহসিক ক্রীড়ার সুবিধা। ট্রেকিং রুটের মধ্যে 'কিন্নর কৈলাশের পরিক্রমা' একটি। == ভূগোল == জনসংখ্যার হিসাবে,কিন্নর ভারতের ক্ষুদ্রতম জেলার একটি। এটি একটি পাহাড়ী এলাকা,যার ব্যাপ্তি এটি কিন্নর কৈলাশের জন্য বিখ্যাত যে পর্বতটি হিন্দুদের নিকট অত্যন্ত পবিত্র।এটি তিব্বত সীমান্তের নিকট অবস্থিত। ==জনগণ== বর্তমান দিনের কিন্নরবাসী, একটি সমসত্ব বা একই জাতিপ্রকৃতির নয়, বরঞ্চ তাদের আকৃতি বিশেষ আঞ্চলিক এবং জাতিগত বৈচিত্রের প্রদর্শন করেন। জাতিগত সাংস্কৃতিক বণ্টনটি একটু ভাল করে বোঝার জন্য কিন্নর জেলা তিনটি আঞ্চলিক অংশে বিভক্ত করা যেতে পারে। নিম্ন কিন্নর, কিন্নর জেলার রামপুর বুশহর শহরের সঙ্গে সীমারেখায় চোরা এবং নিচর সাঙলা উপত্যকাসমূহ সহ কল্পা নিয়ে গঠিত। নিম্ন কিন্নরের মানুষেরা, প্রাথমিকভাবে ভূমধ্যসাগরীয় প্রকৃত ধরনের হয়।সংলগ্ন শিমলা জেলার বসবাসরত মানুষ, যাদের সাথে তাদের কিছু সম্বন্ধ আছে, তাদের থেকে এদের পার্থক্য করা কঠিন। নিম্ন কিন্নর জেলার মানুষের বেশিরভাগই হিন্দু, যদিও নৃ-ঐতিহাসিক কারণে বৌদ্ধ প্রভাব ক্রমবর্ধমান হয়েছে। মধ্য কিন্নর,মুরাং তহসিল সহ কনম এবং কল্পার মধ্যবর্তী এলাকা নিয়ে গঠিত। মধ্য কিন্নরের মানুষেরা মিশ্র বর্ণগত সন্তানসমূহ।কি ছুজনেরা মঙ্গোলীয় ধরনের এবং কিছুজনের মধ্যে ভূমধ্যসাগরীয় বৈশিষ্ট্য আছে।কিছু ক্ষেত্রে নানারকম মাত্রার উপরিউক্ত দুই ধরনের সংমিশ্রনের বৌদ্ধ এবং হিন্দু।অনেকের উভয় ধর্মের প্রতিই বিশ্বাস আছে। অধিকাংশ ঘরেই বৌদ্ধ পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। উচ্চ কিন্নর, জেলার অবশিষ্ট উত্তর-পূর্ব অংশ নিয়ে গঠিত,পো (শহর) এবং হাংরাং উপত্যকার মধ্যবর্তী এলাকা।হাংরাং উপত্যকা তিব্বতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। উচ্চ কিন্নরের মধ্যে সর্বপ্রধান মঙ্গোলীয় প্রকৃতির হয় ,যদিও ভূমধ্যসাগরীয় বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে কিছু মানুষজন পু-র কাছাকাছি এলাকায় দেখা যায়।কিছু ব্যক্তির আকৃতি বিভিন্ন মাত্রায় ভূমধ্যসাগরীয় এবং মঙ্গোলীয় উপাদানের মিশ্রণ প্রদর্শন করে। তবে হাংরাং উপত্যকার মানুষ প্রায় সর্বজনীন মঙ্গোলীয় প্রকৃতির হয়। তারা বেশিরভাগই মহাযান বৌদ্ধ ধর্ম পালন করেন। কিন্নরবাসী সঙ্গীত, নৃত্য গান গাওয়ায় খুবই অনুরাগী। কিন্নর সমাজের দুটি বিস্তৃত পেশাগত গোষ্ঠী আছে কৃষক বিভিন্ন জাতি বংশোদ্ভুত। এই গোষ্ঠীগুলি হল এবং তফসিলি জাতি।কানেতগণ প্রধানত এই অঞ্চলের চাষী সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত এবং তারা সম্মানসূচক উপাধি নেগী ব্যবহার করেন।কানেতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণী আছে।কানেতের প্রথম শ্রেণীতে পঞ্চাশের মতন উপ-জাতি আছে,দ্বিতীয় শ্রেণীতে সতেরটি উপ-জাতি আছে এবং তৃতীয় শ্রেণীতে তিনটি উপ-জাতি আছে,যারা কুমোরের কাজ করেন। ওয়াজা কানেতগণ, তৃতীয় শ্রেণীর অন্তর্গত এবং কানেতদের মধ্যে নিম্নস্থ মনে করা হয়। বৃত্তি উপর ভিত্তি করে দুটি তফসিলি শ্রেণী এক দল জামাকাপড় বানান,অন্যদিকে আর এক শ্রেনী প্রাথমিকভাবে কামারের কাজ করেন। একটি তৃতীয় শ্রেণী/বর্ণ যারা ছুতোরের কাজ করেন। তফসিলি জাতিতে কামার ছুতার, তাঁতিদের থেকে নিজেদের উচ্চতর মানেন। ==কিন্নরের ভাষাসমূহ== শিক্ষাবিদ জগতে,মূল ভাষাটি 'কিন্নরী বা কান্নরী' হিসাবে পরিচিত। এটা এখন পর্যন্ত অসংহত গবেষণায় পাওয়া,একটি তিব্বতী বর্মণ ভাষা। স্থানীয়রা যদিও অঞ্চলের সব কটি ভাষার ক্ষেত্রেই এই শব্দটি ব্যবহার করেন।তারা শুধু, -স্কাদ শব্দটির আগে যেখানে ভাষাটি বলা হয় সেই অঞ্চলের নাম জুড়ে দেন। হিমালয়ের ভূদৃশ্য, নাকো লেক, এবং গ্রাম দেখা যাচ্ছে ২০১৫ সালের জুন মাসে নাকো গ্রাম ২০১৫ সালের জুন মাসে কল্পা হিমাচল প্রদেশের কিন্নর উপত্যকায় শতদ্রু নদী কিন্নরে স্বাগতম == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Official Web site of kinnaur DISTRICT PROFILE CULTURAL TOURISM HERITAGE OF THE DISTRICT book on Kinnaur and its people Government's district website The Himalayas -2003.htm Photo Documentation of Lahul-Spiti and 2003 24 pages of Information by Hindubooks About the 'Nako Research and Preservation Project (NRPP)' of the Vienna University, Austria Account of Koonawur etc., by Alexander Gerard (1841) Rakcham village in Kinnaur Murmur of the Lonely Brook book by Debashis Dey based on Kinnaur and the practice of Polyandry Photo Gallery of Kinnaur and Spiti Winter 2013 প্রদেশের শহর প্রদেশের জেলা ভারতের প্রতিষ্ঠিত'''রংপুর-২''' হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি রংপুর জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২০ নং আসন। ==সীমানা== রংপুর-২ আসনটি রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা বদরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। ==নির্বাচিত সাংসদ== নির্বাচন সদস্য দল ১৯৭৩ আফসার আলী আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭৯ মোহাম্মদ আমিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ আনিসুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৮ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন হায়দার ১৯৯১ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ১৯৯১ উপ-নির্বাচন পরিতোষ চক্রবর্তী জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জুন ১৯৯৬ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ উপ-নির্বাচন আনিসুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০১ মোহাম্মদ আলী সরকার ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ২০০৮ আনিসুল ইসলাম মন্ডল জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ২০১৪ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ আহসানুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == নির্বাচন == === ২০১০-এর দশকে নির্বাচন === বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী বিনা নির্বাচিত হন। === ২০০০-এর দশকে নির্বাচন === === ১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন === জুন ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পাঁচটি আসনে দাড়ান: রংপুর-২, রংপুর-৩, রংপুর-৫, রংপুর-৬, কুডিগ্রাম-৩। সবগুলি আসনে জয়ী হবার পর, তিনি রংপুর-৩ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেন; এর ফলে বাকী চার আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আনিসুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ জেল থেকে পাঁচটি আসনের নির্বাচনে দাড়ান: রংপুর-১, রংপুর-২, রংপুর-৩, রংপুর-৫, রংপুর-৬। সবগুলি আসনে জয়লাভের পর তিনি রংপুর-৩ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার বেছে নেন, ফলে বাকি চার আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পরিতোষ চক্রবর্তী নির্বাচিত হন। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসন জেলা'''ঢাকা-১৯''' হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি ঢাকা জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৯২নং আসন। ==সীমানা== ঢাকা-১৯ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া ইয়ারপুর আশুলিয়া বিরুলিয়া বনগাঁও ইউনিয়ন এবং সাভার ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ==ইতিহাস== ২০০১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ করার পর, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে জনসংখ্যার পরিবর্তন প্রতিফলিত করার জন্য জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে এই নির্বাচনী আসন সৃষ্টি করে। ২০০৮ সালে পুনর্নির্ধারণের ফলে ঢাকা মহানগর এলাকায় ৭টি নতুন আসন যোগ করা হয়েছিল, যার ফলে রাজধানীতে আসন সংখ্যা ১৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০টি-তে দাড়িয়েছিল। পূর্বে বিদ্যমান ঢাকা-১২ থেকে এই নতুন নির্বাচনী এলাকা গড়ে উঠে। ২০১৪ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী এলাকার সীমানা হ্রাস করে। পূর্বে সাভার উপজেলার আরেকটি ইউনিয়ন পরিষদ, কন্দিয়া এই সীমানার অন্তর্ভুক্ত ছিল। == নির্বাচিত সাংসদ == নির্বাচন সদস্য দল ২০০৮ তালুকদার মোহাম্মদ তৌহীদ জং মুরাদ আওয়ামী লীগ ২০১৪ এনামুর রহমান আওয়ামী লীগ ২০১৮ এনামুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১৪=== ২০১৪ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদলীয় নেতারা নির্বাচনের বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে এনামুর রহমান বিনা জয়লাভ করেন। ===২০০৮=== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসনহল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৪৮নং আসন। ==সীমানা== ময়মনসিংহ-৩ আসনটি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ==নির্বাচিত সাংসদ== নির্বাচন সদস্য দল ১৯৭৩ নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭৯ এএফএম নাজমুল হুদা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ১৯৮৬ নুরুল আমিন খান পাঠান জাতীয় পার্টি ১৯৮৮ নুরুল আমিন খান পাঠান জাতীয় পার্টি ১৯৯১ নজরুল ইসলাম সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯২ উপ-নির্বাচন রওশন আরা নজরুল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ এএফএম নাজমুল হুদা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জুন ১৯৯৬ এএফএম নাজমুল হুদা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০১ মজিবুর রহমান ফকির বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮ মজিবুর রহমান ফকির বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৪ মজিবুর রহমান ফকির বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৬ উপ-নির্বাচন নাজিম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ নাজিম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == নির্বাচন == === ২০১০-এর দশকে নির্বাচন === ২০১৬ সালের মে মাসে মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাজিম উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হন। === ২০০০-এর দশকে নির্বাচন === === ১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন === নজরুল ইসলাম সাংসদ থাকা অবস্থায় মারা যান। অক্টোবর ১৯৯২ সালের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর. বেগম নির্বাচিত হন। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসন জেলাহল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি জামালপুর জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৩৯নং আসন। ==সীমানা== জামালপুর-২ আসনটি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ==নির্বাচিত সাংসদ== নির্বাচন সদস্য দল ১৯৭৩ রাশেদ মোশাররফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭৯ রাশেদ মোশাররফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ রাশেদ মোশাররফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৮ আশরাফ উদ দৌল্লাহ পালোয়ান জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ১৯৯১ রাশেদ মোশাররফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সুলতান মাহমুদ বাবু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জুন ১৯৯৬ রাশেদ মোশাররফ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০১ সুলতান মাহমুদ বাবু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০৮ ফরিদুল হক খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৪ ফরিদুল হক খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ ফরিদুল হক খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == নির্বাচন == === ২০১০-এর দশকে নির্বাচন === === ২০০০-এর দশকে নির্বাচন === === ১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন === == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসননিকেফোরোস''' () একজন ইন্দো-গ্রিক রাজা ছিলেন, যিনি আনুমানিক ১১০ হতে ১০০ পারোপামিসাদাই আরাখোশিয়া অঞ্চল শাসন করেন। সিনিয়র মনে করেন যে, তিনি ১৩০ থেকে ১২০ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন। == হেলিওদোরাস স্তম্ভ == ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের বিদিশা শহরে অবস্থিত হেলিওদোরাস স্তম্ভে উৎকীর্ণ লিপিতে আন্তিয়াল্কিদাস নিকেফোরোসের উল্লেখ রয়েছে। এই শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, তক্ষশীলার বাসিন্দা দিওনের পুত্র তথা ইন্দো-গ্রিক শাসক আন্তিয়াল্কিদাস নিকেফোরোসের দূত হেলিওদোরাস শুঙ্গ সম্রাট ভগভদ্রের শাসনকালে বিদিশা নগরীতে উপস্থিত হয়ে বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে এই স্তম্ভ স্থাপন করেন। এই স্তম্ভে উৎকীর্ণ লিপি নিম্নরূপ- মূল ব্রাহ্মী লিপি দেবনাগরী লিপিতে বাংলা প্রতিলিপিকরণ left ''देवदेवस वासुदेवस गरुडध्वजो अयम्'' ''करितो इय हेलियोदरेण भग-'' ''वतेन दियस्य पुत्रेण तखशिलकेन'' ''योनदतेन आगतेन महाराजस ''अंतलिकितस उपमता संकासम्-रणो ''काशिपुत्रस भगभद्रस त्रातारस ''वसेन चतुदशेन राजेन वधमानस" দেবদেবস বাসুদেবস গরুড়ধ্বজো অয়ম্‌ করিতো ইয় হেলিয়োদরেণ ভগ- বতেন দিয়স্য পুত্রেণ তখশিলকেন যোনদতেন আগতেন মহারাজস অন্তলিকিতস উপমতা সংকাসম্‌-রণো কাশিপুত্রস ভগভদ্রস ত্রাতারস বসেন চতুদশেন রাজেন বধমানস == মুদ্রা == আন্তিয়াল্কিদাস নিকেফোরোস বেশ কিছু দ্বিভাষী মুদ্রা প্রচলন করেন। তাঁর দ্বারা প্রচলিত রৌপ্য মুদ্রায় ম্যাসিডনিয় চ্যাপ্টা কাউসিয়া টুপি বা ষাঁড়ের শিং যুক্ত হেলমেট পরিহিত অবস্থায় তাঁর প্রতিকৃতি দেখতে পাওয়া যায়। কোন কোন মুদ্রায় তাঁর বর্শা নিক্ষেপরত চিত্র রয়েছে। মুদ্রাগুলিতে এক পিঠে গ্রিক লিপিতে ''বাসিলেওস নিকেফেরোউ অপর পিঠে খরোষ্ঠী লিপিতে ''মহারাজস জয়ধরস উৎকীর্ণ রয়েছে। এমন কিছু কিছু ব্রোঞ্জ মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে, যার এক পিঠে লুসিয়াস আনিকেতোসের চিত্র অপর পিঠে আন্তিয়াল্কিদাস নিকেফোরোসের চিত্র মুদ্রিত রয়েছে। এই দুই ইন্দো-গ্রিক শাসক নিজেদের মধ্যে মৈত্রীসূত্রে আবদ্ধ হন বলে উইলিয়াম উডথর্প টার্ন মনে করেন। অপর ঐতিহাসিকদের মতে, লুসিয়াস আনিকেতোসের মুদ্রায় আন্তিয়াল্কিদাস নিকেফোরোস নিজের চিত্র নাম উৎকীর্ণ করিয়েছিলেন বলেই এই ধরনের মুদ্রা সৃষ্টি হয়েছিল। এর সঙ্গে এই দুই শাসকের মিত্রতার কোন সম্পর্ক নেই। == তথ্যসূত্র == শাসকহল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি কুড়িগ্রাম জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৬নং আসন। ==সীমানা== কুড়িগ্রাম-২ আসনটি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা, ফুলবাড়ি উপজেলা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। ==নির্বাচিত সাংসদ== নির্বাচন সদস্য দল ১৯৮৬ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় পার্টি ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ মোঃ উমর ফারুক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০১ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ২০০৮ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ২০০৯ উপ-নির্বাচন জাফর আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৪ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ২০১৮ পনির উদ্দিন আহমেদ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) == নির্বাচন == === ২০১০-এর দশকে নির্বাচন === বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিনা নির্বাচিত হন। === ২০০০-এর দশকে নির্বাচন === ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তিনটি আসনে দাড়ান: রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-২ ঢাকা-১৭। সবগুলি আসনে জয়ী হবার পর, তিনি ঢাকা-১৭ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেন; এর ফলে বাকী দুই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এপ্রিল ২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাফর আলী নির্বাচিত হন। === ১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন === == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসনবরিশাল বিভাগে মসজিদের তালিকা- == ঝালকাঠী জেলা == গালুয়া পাঁকা মসজিদ, রাজারপুর উপজেলা খাঁনবাড়ি জামে মসজিদ == পটুয়াখালী জেলা == শ্রীরামপুর মসজিদ, শ্রীরামপুর উপজেলা মসজিদ বাড়িয়া মসজিদ কাছিছিড়া মসজিদ উত্তর ধরান্দি মসজিদ (শিকদার বাড়ি মসজিদ) আমিরুল্লা মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদ == পিরোজপুর জেলা == মমিন মসজিদ (টিনসেড কাঠের মসজিদ), মঠবাড়িয়া উপজেলা == বরগুনা জেলা == বিবিচিনি শাহী মসজিদ, বেগাতি উপজেলা == বরিশাল জেলা == কসবা মসজিদ কমলাপুর মসজিদ কড়াপুর মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ নসরত গাজী জামে মসজিদ *(কাগাশুরা বাজার জামে মসজিদ)* == ভোলা জেলা == ==আরও দেখুন== রাজশাহী বিভাগের মসজিদের তালিকা রংপুর বিভাগের মসজিদের তালিকা খুলনা বিভাগের মসজিদের তালিকা চট্টগ্রাম বিভাগের মসজিদের তালিকা ঢাকা বিভাগের মসজিদের তালিকা সিলেট বিভাগের মসজিদের তালিকা ==তথ্যসূত্র== মসজিদের তালিকাহল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১১২নং আসন। ==সীমানা== পটুয়াখালী-২ আসনটি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা নিয়ে গঠিত। ==নির্বাচিত সাংসদ== নির্বাচন সদস্য দল ১৯৭৩ শাহজাদা আব্দুল মালেক খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭৯ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ আ. স. ম. ফিরোজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৮ মোঃ রুহুল আমিন জাতীয় পার্টি ১৯৯১ আ. স. ম. ফিরোজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ইয়াকুব আলী শরীফ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০১ শহিদুল আলম তালুকদার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০৮ আ. স. ম. ফিরোজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ আ. স. ম. ফিরোজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == নির্বাচন == === ২০১০-এর দশকে নির্বাচন === বিরোধীদলগুলি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলে আ. স. ম. ফিরোজ বিনা নির্বাচিত হন। === ২০০০-এর দশকে নির্বাচন === === ১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন === == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসন জেলা'''নাজনীন হাসান চুমকি''' (জন্ম: একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, পরিচালক। তিনি ২০০৬ সালে ঘানি চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্য চলচ্চিত্রের মধ্যে লালন উল্লেখ্যযোগ্য। ==প্রাথমিক জীবন== চুমকি চুয়াডাঙ্গায় তার প্রাথমিক জীবন অতিবাহিত করেন। সেখানে অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে তিনি মঞ্চে অভিনয় শুরু। ==ক্যারিয়ার== ==ক্যারিয়ার== ==চলচ্চিত্রে আগমন== ১৯৯৬ সালে চুমকি উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায় আগমন করেন এবং জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। ১৯৯৯ সালে তিনি প্রথম ''যেতে যেতে অবশেষে'' টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। চুমকি মঞ্চকে বেশী ভালোবাসতেন তাই প্রথমে টিভি নাটকে অভিনয় করতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, স্ক্রিপ রাইটার, পরিচালক। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী জেলার ব্যক্তিহল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২২৪নং আসন। ==সীমানা== সুনামগঞ্জ-১ আসনটি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা, তাহিরপুর উপজেলা, জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। ==নির্বাচিত সাংসদ== নির্বাচন সদস্য দল ১৯৭৩ আবদুল হেকিম চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭৯ সৈয়দ রফিকুল হক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ১৯৮৬ বরুণ রায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৮ (মধ্যবর্তী নির্বাচন) বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা জাতীয় পার্টি ১৯৯১ নজির হোসেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ নজির হোসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জুন ১৯৯৬ সৈয়দ রফিকুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০১ নজির হোসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০৮ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৪ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == নির্বাচন == === ২০১০-এর দশকে নির্বাচন === === ২০০০-এর দশকে নির্বাচন === === ১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন === == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসন জেলা'''বৈশালী''' ছিল প্রাচীন ভারতের একটি শহর। এটি বর্তমানে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের বিহার রাজ্যের তিরহুত বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রত্নক্ষেত্র। বৈশালী ছিল লিচ্ছবির রাজধানী। উল্লেখ্য, খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে লিচ্ছবি ছিল বজ্জি রাষ্ট্রসংঘের (মহাজনপদ) অন্তর্গত প্রথম অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৯ অব্দে বৈশালী প্রজাতন্ত্রের কুণ্ডলগ্রামে ২৪তম জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই অঞ্চলটি তাই জৈনদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩ অব্দে এখানেই গৌতম বুদ্ধ মৃত্যুর আগে তার শেষ উপদেশ দিয়েছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৩ অব্দে রাজা কালাশোক এখানেই দ্বিতীয় বৌদ্ধ সঙ্গীতির আয়োজন করেছিলেন। তাই বৌদ্ধদের কাছেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। বৈশালীতে একটি সুসংরক্ষিত অশোকস্তম্ভ রয়েছে। এই স্তম্ভের শীর্যে একটি মাত্র এশীয় সিংহের মূর্তি দেখা যায়। গৌতম বুদ্ধ একাধিকবার বৈশালীতে এসেছিলেন। তার সমসাময়িক কালে বৈশালী ছিল একটি সমৃদ্ধ বর্ধিষ্ণু শহর। এই জনবহুল শহরে খাদ্যদ্রব্যের প্রাচুর্য দেখা যেত। এই শহরে ৭,৭০৭টি প্রমোদ উদ্যান এবং সমসংখ্যক পদ্ম পুকুর ছিল। এই শহরের রাজনর্তকী আম্রপালি তার সৌন্দর্যের জন্য খ্যাত ছিলেন। এই শহরের সমৃদ্ধির পিছনে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। শহরে তিনটি প্রাচীর ছিল। প্রাচীরগুলির তিন স্থানে নজরদারির জন্য স্তম্ভসহ দরজা ছিল। শহরের বাইরে থেকে হিমালয় পর্বতমালা পর্যন্ত মহাবন নামে একটি বিশাল প্রাকৃতিক বন পরিব্যাপ্ত ছিল। শহরের কাছে গোসিঙ্গলশাল নামে আরও একটি বন ছিল। চীনা পর্যটক ফাহিয়েন (খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতাব্দী) হিউয়েন সাংয়ের ভ্রমণবিবরণীতে বৈশালী শহরের কথা উল্লিখিত হয়েছে। এই বিবরণ অনুসারে ১৮৬১ সালে পুরাতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহাম অধুনা বিহারের বৈশালী জেলার বাসরাহ গ্রামটিকে প্রাচীন বৈশালী নগর হিসেবে চিহ্নিত করেন। ==ব্যুৎপত্তি== বৈশালী নামটি এসেছে মহাভারতের রাজা বিশালের নাম থেকে। এই শহরের অপর নাম ‘বিশালা’। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীর থেরবাদী বৌদ্ধ টীকাকার পণ্ডিত বুদ্ধঘোষের মতে, এই শহরটি বিশাল হওয়ার জন্য এই শহরের নামকরণ হয়েছিল ‘বৈশালী’। ==ইতিহাস== বজ্জি বা বৃজি মহাজনপদ, খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দ। বৈশালীর বুদ্ধ দেহাবশেষ স্তুপের কাছে অভিষেক পুষ্করিণী। বৌদ্ধ জৈনধর্মের উত্থানের আগে থেকেই বৈশালী বর্ধিষ্ণু প্রজাতান্ত্রিক লিচ্ছবি রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল। সেই যুগে বৈশালী ছিল একটি প্রাচীন মহানগরী এবং প্রজাতান্ত্রিক বৈশালী রাজ্যের রাজধানী। উল্লেখ্য, বৈশালী রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল হিমালয় পর্বতমালা থেকে আধুনিক বিহার রাজ্যের সমগ্র গাঙ্গেয় উপত্যকা। যদিও বৈশালীর প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে খুব অল্পই জানা গিয়েছে। বিষ্ণুপুরাণে বৈশালীর ৩৪ জন রাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে প্রথম রাজার নাম নভগ। মনে করা হয়, মানবাধিকার সংক্রান্ত কোনো কারণে তিনি সিংহাসন ত্যাগ করেন এবং ঘোষণা করেন: “আমি এখন মাটির এক স্বাধীন চাকা, আমার জমির অধিপতি।” তালিকার সর্বশেষ রাজার নাম সুমতি। মনে করা হয়, তিনি হিন্দু দেবতা রামের পিতা দশরথের সমসাময়িক ছিলেন। বৈশালী প্রজাতন্ত্রেই মহাবীরের জন্ম হয়েছিল। কথিত আছে, বৈশালীতেই গৌতম বুদ্ধ তার সর্বশেষ উপদেশ প্রদান করেছিলেন এবং নিজের পরিনির্বাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রাচীন ভারতের বিশিষ্ট রাজনর্তকী আম্রপালি বৈশালীর অধিবাসী ছিলেন। বিভিন্ন লোককথা বৌদ্ধ সাহিত্যে তার উল্লেখ পাওয়া যায়। আম্রাপালি গৌতম বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। লিচ্ছবি গোষ্ঠীর বিশিষ্ট রাজা মনুদেব বৈশালীতে আম্রপালির নৃত্য দেখে তাকে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন। ==বুদ্ধের বৈশালীতে আগমন== বৈশালীর বৌদ্ধবিহার বৈশালী শহরের সঙ্গে বুদ্ধের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। সন্ন্যাস গ্রহণের মানসে কপিলাবস্তু ত্যাগ করার পর তিনি প্রথমে বৈশালীতে এসেছিলেন এবং রামপুত্র উদ্রক অলার কালামের কাছে আধ্যাত্মিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। বোধিলাভের পর বুদ্ধ প্রায়ই বৈশালীতে আসতেন। বৈশালী প্রজাতন্ত্রের আদলেই তিনি ভিক্ষু সংঘ গঠন করেন। মাসি মহাপ্রজাপতি গৌতমীকে সংঘে গ্রহণ করে এখানেই তিনি ভিক্ষুণী সংঘ স্থাপন করেন। এখানেই তিনি শেষ বর্ষাবাস (বর্ষাকালীন অবস্থান) করেছিলেন এবং নিজের মহাপরিনির্বাণের (শেষবারের মতো জগত পরিত্যাগ) কথা ঘোষণা করেছিলেন। বুদ্ধ কুশীনগরে দেহত্যাগ করেছিলেন। কুশীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে বৈশালীতে জনসাধারণের কাছে তিনি নিজের ভিক্ষাপাত্র রেখে যান। বোধিলাভের পাঁচ বছর পর বুদ্ধ বৈশালীতে এসে বর্ষাবাস করেছিলেন। বৌদ্ধ থেরবাদী টীকাগুলিতে বুদ্ধের এই আগমনের প্রেক্ষাপটের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। বৈশালীতে সাত হাজার সাত জন রাজা বাস করতেন। প্রত্যেকেরই প্রচুর অনুগামী, অনেক প্রাসাদ প্রমোদ উদ্যান ছিল। খরার সময় একবার খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ কমে যায়। প্রচুর সংখ্যায় লোক প্রাণ হারান। পচনশীল মৃতদেহের গন্ধে ভূতপ্রেত আকৃষ্ট হতে থাকে এবং অনেকেই আন্ত্রিক রোগে আক্রান্ত হন। জনসাধারণ শাসক রাজকুমারের কাছে অভিযোগ জানান। তিনি সাধারণ সভা ডাকেন। সেখানে স্থির হয় বুদ্ধকে তাদের শহরে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বুদ্ধ সেই সময় রাজগৃহের বেলুবনে অবস্থান করছিলেন। তাই রাজগিরের রাজা বিম্বিসারের বন্ধু তথা বেশালির যাজকের পুত্র লিচ্ছবি মহালিকে বিম্বিসারের কাছে পাঠানো হয়। তিনি বিম্বিসারকে অনুরোধ করেন বুদ্ধকে বৈশালীতে যাওয়ার জন্য রাজি করাতে। বিম্বিসার তাকেই বুদ্ধের কাছে প্রেরণ করেন। মহালির কথা শুনে বুদ্ধ বৈশালীতে যেতে রাজি হন। তিনি পাঁচ হাজার ভিক্ষু নিয়ে বৈশালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। রাজগৃহ থেকে গঙ্গা পর্যন্ত পথটি বিম্বিসার সাজিয়ে দেন এবং পথকষ্ট লাঘবের জন্য যথোচিত ব্যবস্থা করেন। তিনি নিজেও বুদ্ধের সঙ্গে সঙ্গে আস্নে। পাঁচ দিনের যাত্রা শেষে বুদ্ধ যখন গঙ্গাতীরে উপস্থিত হন, তখন বিম্বিসার কণ্ঠ অবধি জলে নেমে বুদ্ধকে বিদায় জানান। গঙ্গার অপর পাড়ে লিচ্ছবিরা বুদ্ধকে আরও সম্মান প্রদর্শন করেন। বুদ্ধ বজ্জিতে প্রবেশ করা মাত্র ঝড় ওঠে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে। গঙ্গাতীর থেকে বৈশালী অবধি পথ অতিক্রম করার পর নগরে প্রবেশ করলে সক্ক তাকে অভ্যর্থনা জানান। দেবতাদের দেখতে পেয়ে ভূতপ্রেত ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় বুদ্ধ আনন্দকে রতন সুত্ত শিক্ষা দেন এবং বলেন শহরের তিন প্রাচীরের মধ্যে ঘুরে সেই সুত্ত পাঠ করতে। আনন্দ রাতে সেই সুত্ত পাঠ করলে নগরবাসীর সকল দুঃখ দূর হয়। সমবেত জনতার সামনে বুদ্ধ নিজে রতন সুত্ত পাঠ করেন। চুরাশি হাজার সত্ত্বা এই সময় বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে। সাত দিন একাদিক্রমে এই সুত্ত পাঠ করার পর বুদ্ধ বৈশালী ত্যাগ করেন। লিচ্ছবিরা গঙ্গাতীর অবধি বুদ্ধের সঙ্গে আসেন এবং তাকে আরও সম্মান প্রদর্শন করেন। নদীতে দেবতা নাগেরাও বুদ্ধকে সম্মান জানান। অপর পাড়ে বিম্বিসার অপেক্ষা করছিলেন। বুদ্ধ সেখানে পৌঁছালে বিম্বিসার বুদ্ধকে আবার রাজগৃহে ফিরিয়ে নিয়ে যান। সেখানে ফিরে বুদ্ধ শঙ্খ জাতকের কাহিনি শোনান। বুদ্ধ ঠিক কতবার বৈশালীতে এসেছিলেন তা জানা যায় না। তবে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থগুলি পাঠ করলে অনুমিত হয়, তিনি বেশ কয়েকবার বৈশালীতে আসেন। বিভিন্ন বিনয় গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থটি বৈশালীতে প্রদত্ত হয়েছিল। সর্বশেষ প্রেক্ষাপটের আগমনটি সম্ভবত দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিল। এই সময় বুদ্ধ ভিক্ষুদের নির্দেশ দিয়েছিলেন লিচ্ছবি বুদ্ধের উপর তাদের ভিক্ষাপাত্র স্থাপন করতে। বৈশালীতে অন্যান্য বিনয় নিয়মাবলিও রচিত হয়। কপিলাবস্তু থেকে একবার বৈশালীতে আসার পথে মহাপজাপতি গোতমী পাঁচশো শাক্যনারীকে নিয়ে তাকে অনুসরণ করেন। আনন্দের অনুরোধে ব্দধ তাদের সংঘে প্রবেশের অনুমতি দেন। ধর্মগ্রন্থগুলির বর্ণনা অনুসারে, কুশিনরে যাওয়ার পথে বুদ্ধ শেষবার বেশালিতে আসেন। অবস্থানের শেষ দিন ভোজনের পর বুদ্ধ নিদ্রার জন্য কাপাল চেতিয়ায় আনন্দের কাছে যান। সেখানে কথাপ্রসঙ্গে তিনি আনন্দকে বৈশালীর সৌন্দর্য, উদেনা চেতিয়া, গোতমক চেতিয়া, সত্তমবক চেতিয়া, বাহুপুত্ত চেতিয়া সারনদদ চেতিয়ার কথা বলেন। একটি কপিনয়হ চেতিয়ার উল্লেখও পাওয়া যায়। এই সবকটি আগে স্থানীয় দেবতাদের স্থান ছিল। বৈশালীতে বুদ্ধের আগমনের পর এগুলি বৌদ্ধ ধর্মস্থানে পরিণত হয়। বৈশালীর কাছে অন্যান্য মঠেরও (যেমন পাতিকারাম, বালিকারাম) উল্লেখ পাওয়া যায়। বৈশালীতে লিচ্ছবিদের দেহাবশেষ স্তুপ। বৈশালীতে এলে বুদ্ধ সাধারণত কুতগরসলে থাকতেন। তবে মনে করা হয়, কখনও কখনও তিনি উক্ত স্থানগুলিতেও অবস্থান করতেন। কাপালা চেতিয়ায় শেষবার অবস্থানের সময় বুদ্ধ তিন মাসের মধ্যে দেহত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরদিন বৈশালী ছেড়ে ভন্ডগমে যাওয়ার আগে তিনি “হাতির মতো নিজের শরীরটিকে একবার দেখেন।” এর আগের বর্ষায় তিনি বৈশালীর উপকণ্ঠে বেলুবগমে ছিলেন। সেই সময় ভিক্ষুরা বৈশালীতে বা বৈশালীর আশেপাশে ছিল। বস্‌সয়ে প্রবেশের আগের দিন আম্রপালি বুদ্ধ ভিক্ষুদের ভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ভোজের পর আম্রপালি তার অম্ববন সংঘকে দান করেন। যে সকল প্রধান সুত্ত বৈশালীতে প্রচারিত হয়েছিল, সেগুলি হল মহালি, মহাসিহনাদ, কুল সক্কক, মহা সক্কক, তেবিজ্জ, বচ্ছগোত্ত, সুনক্কহট্ট রতন। বুদ্ধের দেহত্যাগের পর তার দেহাবশেষের একাংশ বৈশালীতে একটি স্তুপে রক্ষিত হয়। একশো বছর পর বৈশালী আবার বৌদ্ধদের আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়। এই সময় বজ্জিপুত্তক ‘দশ ধারণা’র অবতারণা করেন এবং এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে বালিকারামে দ্বিতীয় বৌদ্ধ সঙ্গীতি আয়োজিত হয়। ==বৈশালীতে জৈনধর্ম== শ্বেতাম্বর জৈনরা বলেন, সর্বশেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর বৈশালীর ক্ষত্রিয়কুণ্ডে রাজা সিদ্ধার্থ রানি ত্রিশীলার পুত্র রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই প্রতিপালিত হন। বৈশালী ছিল জৈন নির্গ্রন্থদের একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। কথিত আছে, মহাবীরের পরবর্তী জীবনের বিয়াল্লিশটি বর্ষা তিনি বৈশালীতে অতিবাহিত করেছিলেন। ==বৈশালীতে বিশিষ্ট বৌদ্ধ ধর্মস্থান== কুতগরসল বিহার আনন্দ স্তুপ, কোলহুয়া, বৈশালী। এখানে একটি অশোকস্তম্ভ আছে। লিচ্ছবিদের নির্মিত বুদ্ধের চিতাভস্ম স্তুপ, বৈশালী। ==তথ্যসূত্র== ==আরও পড়ুন== ==বহিঃসংযোগ== তীর্থস্থান ভারতীয় শহর ইতিহাস প্রত্নস্থল পূর্বতন রাজধানী বৌদ্ধ তীর্থস্থান(রাজত্বকাল ৪২২-৪৪৬ খ্রিস্টাব্দ) কামরূপ রাজ্য শাসনকারী বর্মণ রাজবংশের চতুর্থ রাজা ছিলেন। == পরিচিতি == আসামের নিধানপুর অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ভাস্করবর্মণের তাম্রলিপিগুলি থেকে বর্মণ রাজবংশের রাজা বলবর্মণ তাঁর রাণী রত্নাবতীর পুত্র কল্যাণবর্মণের নাম জানা যায়। তাঁর পত্নীর নাম ছিল গন্ধর্ববতী পুত্রের নাম ছিল গণপতিবর্মণ। ঐতিহাসিকদের মতে ডবাক রাজ্য কল্যাণবর্মণের রাজত্বকালে কামরূপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। == পাদটীকা == ==তথ্যসূত্র== রাজবংশহল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৯২নং আসন। ==সীমানা== চট্টগ্রাম-১৫ আসনটি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলা এবং সাতকানিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ==নির্বাচিত সাংসদ== নির্বাচন সদস্য দল ১৯৭৩ শাহ-ই-জাহান চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭৯ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ১৯৮৬ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় পার্টি ১৯৯১ সুলতানুল কবির চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জুন ১৯৯৬ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০১ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০০৮ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০১৪ আবু রেজা মুহাম্মাদ নেজামুদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৮ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == নির্বাচন == === ২০১০-এর দশকে নির্বাচন === === ২০০০-এর দশকে নির্বাচন === === ১৯৯০-এর দশকে নির্বাচন === == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সেফোস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" জেলার জাতীয় সংসদীয় আসন২ভিত্তিক লগারিদমের লেখচিত্র অক্ষের (আনুভূমিক অক্ষ) বিন্দুতে ছেদ করে এবং এবং বিন্দু দিয়ে অতিক্রম করে।. উদাহরণস্বরূপ, কারণ রেখাটি ক্রমশ অক্ষের নিকটবর্তী হতে থাকে কিন্তু কখনও yঅক্ষের সাথে মিলিত হয় না বা ছেদ করে না।. একটি পূর্ণাঙ্গ 3-ary ট্রি ব্যবহার করে এর সূচকগুলো প্রত্যক্ষ করা যায় এবং লগারিদমের সাথে সেগুলো কিভাবে সম্পর্কিত তা বোঝা যায়। গণিতের ক্ষেত্রে '''লগারিদম''' হলো সূচকের বিপরীত প্রক্রিয়া। এর অর্থ কোনো সংখ্যার লগারিদম হলো সেই সূচক যেটাকে একটি নির্ধারিত মানের, (ভিত্তি) ঘাত হিসাবে উন্নীত করলে প্রথমোক্ত সংখ্যাটি পাওয়া যায়। সাধারণ ক্ষেত্রে লগারিদম একটি সংখ্যা (ভিত্তি) কতবার গুণ করা হলো সেটা গণনা করে। উদাহরণস্বরূপ, ১০০০ এর ১০ ভিত্তিক লগের মান ৩, এর অর্থ হলো ১০ এর ঘাত উন্নীত করলে ১০০০ পাওয়া যায় ()। এখানে ১০ সংখ্যাটি বার গুণ করলে ১০০০ পাওয়া যায়। আরও সাধারণভাবে বলা যায়, কোনো ধনাত্মক প্রকৃত সংখ্যাকে যেকোনো প্রকৃত ঘাতে উন্নীত করলে সবসময় ধনাত্মক ফল পাওয়া যায়, সুতরাং যে কোনো দুটি ধনাত্মক প্রকৃত সংখ্যা এবং এর লগারিদম নির্ণয় করা যায় যেখানে সংখ্যাটি এর সমান নয়। এর ''ভিত্তি''ক লগকে প্রকাশ কর হয় এভাবে এবং এর মান একটি অনন্য প্রকৃত সংখ্যা এমন যে, :. উদাহরণস্বরূপ, যেহেতু তাহলে আমরা পাই ভিত্তিক লগারিদমকে (অর্থাৎ বলা হয় সাধারণ লগারিদম, বিজ্ঞান প্রকৌশল বিদ্যায় এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। প্রাকৃতিক লগারিদম এর ভিত্তি হলো একটি গাণিতিক ধ্রুবক (); সহজ ডেরিভেটিভ (derivative) এর কারণে গণিত পদার্থবিদ্যায় এর বিস্তৃত ব্যবহার রয়েছে। দ্বিমিক লগারিদম ভিত্তি হিসাবে ব্যবহৃত হয় (অর্থাৎ এবং এটা সাধারণভাবে কম্পিউটার বিজ্ঞান ব্যবহৃত হয়। গণনা সহজ করার জন্য সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে জন নেপিয়ার লগারিদম এর সূচনা করেন। স্লাইড রুল এবং লগ সারণি ব্যবহার করে সহজে গণনার জন্য নাবিক, বৈজ্ঞানিক, প্রকৌশলী এবং অন্যান্যরা খুব দ্রুতই এগুলো গ্রহণ করেন। বিরক্তিকর বহুসাংখ্যিক গুণনের ধাপসমূহ লগারিদমের নিয়মে একটি সরল যোগে পরিণত হয়। লগারিদমের নিয়মানুযায়ী সংখ্যাসমূহের গুণফলের লগারিদম এর মান সংখ্যাগুলোর একক লগারিদমের মানের যোগফল। অর্থাৎ এখানে and সকলে ধনাত্মক এবং বর্তমানের লগারিদমের ধারণা এসেছে লেওনার্ড অয়লার নিকট থেকে, যিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে লগারিদমকে সূচক অপেক্ষকের সূচক ফাংশন সাথে সম্পর্কযুক্ত করেন। যেকোন জটিল সংখ্যাকে A.eiø, A≥0, আকারে প্রকাশ করা যায়। এই ধারণা থেকেই ঋণাত্মক সংখ্যা জটিল সংখ্যার লগারিদম সংজ্ঞায়িত করা যায়। তাহলে একটি জটিল সংখ্যা হলে যদি এর মডুলাস |z|, আর্গুমেন্ট হয় তবে ln(z)=ln|z| +iø, এখন একটি জটিল সংখ্যার অসংখ্য আর্গুমেন্ট থাকে। কাজেই বলা যায় কোন সংখ্যার লগারিদমের অসংখ্য মান থাকতে পারে। তবে তার মুখ্য মান কেবল একটি। যেমন, যদি ধনাত্মক সংখ্যা হয়, তবে |z|=z, মুখ্য আর্গুমেন্ট ø=0, কাজেই এর স্বাভাবিক লগারিদমের মুখ্য মান ln(z). ==লগারিদম অভেদক== সূত্র উদাহরণ গুণ ভাগ ঘাত মূলবা '''ধ্রুবদেবী''' গুপ্ত সম্রাট রামগুপ্ত দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পত্নী ছিলেন। == উৎস জীবনী == ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে সিলভিয়ান লেভি রামচন্দ্র গুণচন্দ্র নামক দুই জৈন লেখক দ্বারা রচিত ''নাট্যদর্পণ'' নামক একটি সংস্কৃত গ্রন্থ থেকে বিশাখদত্ত রচিত নামক একটি সংস্কৃত নাটকের ছয়টি শ্লোক প্রকাশ করেন। এই বছরই একাদশ শতাব্দীর মালবের রাজা ভোজ রচিত নামক দুইটি গ্রন্থ থেকে নাটকের তিনটি শ্লোক আবিষ্কৃত হয়। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম অমোঘবর্ষের সঞ্জন তাম্রলিপির একটি শ্লোক বাণভট্ট রচিত ''হর্ষচরিতের'' একটি ছোট টীকা থেকে নাটক সম্বন্ধে আরো কিছু তথ্য উদ্ধার করেন। এই সকল শ্লোক একত্র করে নাটকের বক্তব্য বোঝা সম্ভব হয়েছে। নাটক থেকে জানা যায় যে, গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রামগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করেন তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের বাগদত্তা ধ্রুবস্বামিণীকে বলপূর্বক বিবাহ করেন। পশ্চিমী ক্ষত্রপদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পশ্চিমী ক্ষত্রপ শাসক তৃতীয় রুদ্রসিংহের দাবী মেনে রামগুপ্ত ধ্রুবস্বামিণীকে তার নিকট সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত নিজে রাণী ধ্রুবস্বামিণীর ছদ্মবেশে তৃতীয় রুদ্রসিংহের নিকট যান তাকে হত্যা করেন। ফলে, পশ্চিমী ক্ষত্রপ রাজ্য গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে তিনি রামগুপ্তকেও হত্যা করে সিংহাসনে আরোহণ করেন ধ্রুবস্বামিণীকে বিবাহ করেন। যদিও ঐতিহাসিকেরা বিশাখদত্ত বর্ণিত এই ঘটনার সত্যতা সম্বন্ধে নিশ্চিত নন। কিন্তু প্রথম কুমারগুপ্তের বিলসাদ স্তম্ভলিপিতে ''মহাদেবী ধ্রুবদেবী'' এবং বৈশালীর টেরাকোটা শীলমোহরে মহাদেবী ধ্রুবস্বামিণীর উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া বিদিশায় আবিষ্কৃত কিছু তাম্র মুদ্রা লিপিতে রামগুপ্তের উল্লেখ রয়েছে। == তথ্যসূত্র == সম্রাজ্ঞী'''আতাপাত্তু মুদিয়ান্সেলাগে চামারি জয়াঙ্গানী''' (জন্ম: ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০) গোকারেল্লা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট মহিলা ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সহঃ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এরপূর্বে নিয়মিত অধিনায়ক শশীকলা শ্রীবর্ধনে’র আঘাতজনিত কারণে স্বল্পকালের জন্য দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ছিলেন। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলে থাকেন '''চামারি আতাপাত্তু'''। == খেলোয়াড়ী জীবন == ২০১৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড মহিলা দলের বিপক্ষে দ্রুত অর্ধ-শতক করে সবিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন চামারি আতাপাত্তু। খেলায় তার দল জয়লাভ করেছিল। তার নেতৃত্বে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা দল জয় পায়। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == পুনম রাউত শশীকলা শ্রীবর্ধনে শ্রীলঙ্কা জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল ২০১৪ আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ ২০১৪ এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট মহিলা মহিলা ক্রিকেটার জন্ম ব্যক্তি মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার মহিলা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার মহিলা ক্রিকেট অধিনায়ক যুব ক্রিকেট ক্লাবের মহিলা অধিনায়ক গেমসের ক্রিকেটে পদক বিজয়ী এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটার'''বেকার স্ট্রিট''' হলো লন্ডনের শহরের মেরিলেবোনে অবস্থিত একটি রাস্তা। রাস্তাটি স্থপতি উইলিয়াম বেকারের নামে নামকরণ করা হয়, যিনি ১৮ শতকে রাস্থাটি নির্মাণ করেন। রাস্থাটি বিখ্যাত ডিটেকটিভ চরিত্র শার্লক হোমসের জন্য সব থেকে বেশি পরিচিত। কারণ শার্লক হোমস ''221B Baker Street'' এই ঠিকানায় বসবাস করতেন। এই এলাকাটি একটি আভিজাত্য এলাকা এবং এটি লন্ডনের একটি ব্যাস্ততম রাস্তা। শার্লক হোমসের বাড়ি ১৯৭১ সালে বেকার স্ট্রিটের লিয়র্ডস ব্যাংকে একটি দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। == উল্ল্যেখযোগ্য স্থাপনা == ৫৫ বেকার স্ট্রিট ১৮৩৫ সালে, প্রথম মোমের জাদুঘর বিখ্যাত মাদাম তুসো এই বেকার স্ট্রিটে স্থাপন করা হয়। ১৯৩৫ সালে, বিখ্যাত ভাস্কর জেমস ফিল্যান্স ৮২ নং বেকার স্ট্রিটে বসবাস করতে আসেন। বেকার স্ট্রিট রেল স্টেশন বিখ্যাত ব্যান্ড "দ্য বিটল্‌স" এর "এপল বুটিক" নামক একটি কাপড়ের দোকান ৯৪ বেকার স্ট্রিটে স্থাপন করা হয়। যা ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। == গনমাধ্যমে == বিখ্যাত উপন্যাস চরিত্র যেমন শার্লক হোমস, শার্লক হোনড, ডেনজার মাউস, জেমস ব্লাক সহ আরো অনেক সুপরিচিত উপন্যাসের পটভূমি ছিল বেকার স্ট্রিট। "বেকার স্ট্রিট" গ্যারি রাফেরটির গাওয়া একটি বিখ্যাত গান, যা ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে, ''"দ্যা ব্যাং জব" ''নামক একটি চলচিত্র মুক্তি পায় যেটি ছিল, ১৯৭১ সালে বেকার স্ট্রিটের লিয়র্ডস ব্যাংকে সংগঠিত একটি দুধর্ষ ব্যাংক ডাকাতির চলচিত্রায়ন। == তথ্য সূত্র =='''হরিহরণ অনান্থ সুব্রামানি''' (; জন্মঃ এপ্রিল ১৯৫৫) হলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন নেপথ্য গায়ক। তিনি মালায়ালম, কন্নড, মারাঠি, ভোজপুরি এবং তেলুগু চলচ্চিত্রের একজন প্রতিষ্ঠিত গজল গায়ক, এবং ভারতীয় ফিউশন সঙ্গীতের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি। তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পুরস্কারসহ দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:গজল গায়ক সঙ্গীতশিল্পী গজল গায়ক চলচ্চিত্রের গায়ক প্রাপক'''৩২ নং ওয়ার্ড, কলকাতা পৌরসংস্থা''' হল কলকাতা পৌরসংস্থার নং বরোর একটি প্রশাসনিক বিভাগ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের উত্তরাংশের কাঁকুড়গাছি বাগমারি অঞ্চলের কিয়দংশ নিয়ে এই ওয়ার্ডটি গঠিত। এই ওয়ার্ডটি মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ==বিবরণ== ৩২ নং ওয়ার্ডের সীমানা নিম্নরূপ: উত্তর দিকে পূর্ব রেল নিউ ক্যানাল ক্রসিং, বিধাননগর রোড বাগমারি রোড; পূর্ব দিকে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস; দক্ষিণ দিকে বারীন ঘোষ সরণি সতিন সেন সরণি এবং পশ্চিম দিকে পূর্ব রেল লাইন বাগমারি রোড। ==নির্বাচনী ফলাফল== নির্বাচনের বছর ওয়ার্ড পৌর-প্রতিনিধির নাম রাজনৈতিক দল ২০০৫ ৩২ নং ওয়ার্ড রূপা বাগচী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) রূপা বাগচী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ==তথ্যসূত্র== পৌরসংস্থার ওয়ার্ডপোস্তার পুরনো এলাকা। '''পোস্তা''' বা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের মধ্যাংশের একটি অঞ্চল। অতীতে এই অঞ্চলে বাঙালি ব্যবসায়ীদের বসতি এলাকা ছিল। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী বড়বাজার এলাকার সঙ্গে এটিও মাড়োয়ারি অধ্যুষিত অঞ্চল।এখানে বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল, নুন, খাদ্যশস্য, মশলা, চিনি বনস্পতির পাইকারি বাজার রয়েছে। ==ইতিহাস== পোস্তা অঞ্চলের নামকরণ করা হয় হুগলি নদীর পোস্তা ঘাটের নামানুসারে। সেকালে এই অঞ্চলটি বাঙালি ব্যবসায়ী ব্যাংকারদের বসতি অঞ্চল ছিল। এঁদের ঐশ্বর্য সম্পদ ছিল বাংলার ইতিহাসে কিংবদন্তি। এঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত ধর ওরফে নুকু ধর। তিনি হুগলি জনপদের পতনের পর সেখান থেকে সুতানুটিতে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। কথিত আছে, তিনি ইংরেজ শাসকদের মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য নয় লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। তিনি রবার্ট ক্লাইভকে নিয়মিত টাকা ধার দিতেন। জানা যায়, নবকৃষ্ণ দেব তাঁর কাছে চাকুরিপ্রার্থী হয়ে এলে, তিনিই নবকৃষ্ণ দেবের সঙ্গে ইংরেজদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং তারা তাঁকে চাকুরি দেন। নুকু ধরের দৌহিত্র সুখময় রায় (?-১৮১১) তাঁর দাদামশায়ের সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিলেন। কারণ, তাঁর মা ছিলেন নুকু ধরের একমাত্র সন্তান এবং তিনি ছিলেন তাঁর দাদামশায়ের একমাত্র দৌহিত্র। ইংরেজরা নুকু ধরকে ‘রাজা’ উপাধি দিতে গেলে, নুকু ধর তাঁর দৌহিত্রকে সেই উপাধি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সুখময় রায় রাজা উপাধি পান এবং পোস্তা রাজবাড়ি স্থাপন করেন। যদিও বর্তমানে শহরের উন্নয়ন রাস্তা নির্মাণের জন্য এই রাজবাড়ির কিয়দংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনটি প্রাচীন বাড়ি এখনও এখানে রয়েছে। এগুলি হল: রাজবাড়ি, লালবাড়ি ঠাকুরবাড়ি। পোস্তা রাজবাড়ি এক সময় কটক থেকে পুরী পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করেছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে। কোনো কোনো মতে, সুখময় রায়ের অর্থসাহায্যে উলুবেড়িয়া থেকে পুরী পর্যন্ত এই রাস্তাটি নির্মিত হয়। তিনি সমাজসেবামূলক কাজেও প্রচুর অর্থ দান করেছিলেন। তিনি ব্যাংক অফ বেঙ্গলের একজন পরিচালক এবং এলিজা ইম্পের দেওয়ান ছিলেন। এরপর তাঁকে ‘মহারাজা’ উপাধি দেওয়া হয়। যে সময় পোস্তা রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সময় সাধারণ মানুষ জোড়াসাঁকো অঞ্চলের বাইরে গিয়ে বসবাস করতে ভয় পেত। এমনকি আশেপাশের এলাকাতেও মগ জলদস্যু, চোর ডাকাতদের ভয় ছিল। পোস্তা রাজবাড়ির সদস্যরা তাঁদের নিজস্ব শক্তি জনবলের সাহায্যে সেই সব ভয় অতিক্রম করে পোস্তা অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন। ==অর্থনীতি== ===পাইকারি বাজার=== পোস্তা অঞ্চলটি আগে আমপোস্তা নামে পরিচিত ছিল। কারণ, এটি ছিল আমের পাইকারি বাজার। এই বাজারটি আজ আর নেই। এখানকার আমপোস্তা যেমন আমের পাইকারি বাজার ছিল, তেমনই ডালপোস্তা ছিল ডালের পাইকারি বাজার আলুপোস্তা ছিল আলুর পাইকারি বাজার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোস্তা-বড়বাজার পাইকারি বাজারটি কোনা অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু এখানকার ব্যবসায়ীরা ওই অঞ্চলে পরিকাঠামোগত অসুবিধার কারণে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। ভিশন ২০২৫ নামে একটি ২০ বছরের পরিকল্পনা অনুসারে কলকাতা মহানগর অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে পোস্তা বাজারটিকে রাজারহাট নিউটাউনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সেই অঞ্চলে এই স্থানান্তরনের জন্য যথেষ্ট পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। ==প্রশাসন== পোস্তা একটি বাণিজ্যিক এলাকা কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত একটি থানা। এই অঞ্চলে অপরাধ প্রবণতা বেশি। ==সংস্কৃতি== বাঙালি কবি শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায় তাঁর ''আবোলতাবোল'' গ্রন্থের একটি জনপ্রিয় কবিতায় পোস্তার উল্লেখ করেছেন: :শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে, :তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে... ==চিত্রকক্ষ== image:Kolkata ঠাকুর ভবনের প্রবেশ দ্বার, দর্পনারায়ণ ঠাকুর স্ট্রিট image:Kolkata মালপত্রবাহী গাড়ির চলাচল image:Kolkata অঞ্চলের একটি ব্যস্ত রাস্তা image:Kolkata অঞ্চলে বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি ==তথ্যসূত্র== ==আরও দেখুন== নাখোদা মসজিদ অঞ্চল'''লি ডাক আহ''' (; জন্ম: ডিসেম্বর, ১৯২০) থু থিন-হু প্রদেশের ফু লক জেলায় জন্মগ্রহণকারী ভিয়েতনামের সাবেক জেনারেল বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ মেয়াদকালে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এর পূর্বে ১৯৮০-এর দশকে কম্বোডিয়ায় ভিয়েতনামী সেনাবাহিনী পরিচালনা করেন। তিনি রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গীর অধিকারী হিসেবে পরিচিত। ঘরোয়া নীতি বাস্তবায়নে দলকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। == সামরিক জীবন == আগস্ট, ১৯৪৫ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। অক্টোবর, ১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত সাই গন-চো লন প্রশাসনিক অঞ্চলসহ ৭ম ৮ম সামরিক অঞ্চলের চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন তিনি। ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ সালে ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে দক্ষিণ ভিয়েতনামে ভিয়েত কং নামে পরিচিত পিপলস লিবারেশন আর্মড ফোর্সের চিফ অব স্টাফ ছিলেন। জেনারেল পদে থাকাবস্থায় ১৯৮০-এর দশকে গণপ্রজাতন্ত্রী কম্পুচিয়ায় ভিয়েতনাম বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। খেমার রুজদের কাছ থেকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষাকল্পে পাঁচটি প্রধান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। অজনপ্রিয় কেফাইভ পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রধান রূপকার তিনি। এরপর তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন সরকারি দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বে থাকাবস্থায় ভিয়েতনামের রাজনীতিতে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গীতে অগ্রসর হন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত কম্বোডিয়া চীনের সাথে ভিয়েতনামের নীতি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। নভেম্বর, ১৯৯১ সালে চীনের সাথে ভিয়েতনামের বৈদেশিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সাথে সম্পৃক্ত হন। প্রথম ভিয়েতনামী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৩৮ বছর পর রাষ্ট্রীয়ভাবে বেইজিং সফর করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ দক্ষিণ চীন সাগরের সীমানা নিয়েও তিনি কথা বলেন। সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ সালে নতুন প্রবর্তিত রাষ্ট্রপতি পদে তিনি নির্বাচিত হন। প্রতীকি পদ হলেও তার আমলে এটি বেশ গুরুত্ব পায়। == অবসর == ১৯৯৬ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বড়ধরনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ফলে হাসপাতালে স্থানান্তরিত হন। কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের পর সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান ট্রান ডাক লং তার স্থলাভিষিক্ত হন। == তথ্যসূত্র == == গ্রন্থপঞ্জী == Bolton, Kent (1999): "Domestic Sources of Vietnam's Foreign Policy: Normalizing Relations with the United States". in Thayer, Carlyle A., Amer, Ramses (ed.): ''Vietnamese Foreign Policy in Transition''. Institute of Southeast Asian Studies, Singapore Thayer, Carlyle A. (1999): "Vietnamese Foreign Policy: Multilateralism and the Threat of Peaceful Evolution". in Thayer, Carlyle A., Amer, Ramses (1999): ''Vietnamese Foreign Policy in Transition''. Institute of Southeast Asian Studies, Singapore Wurfel, David (1999): "Between China and ASEAN: The Dialectics of Recent Vietnamese Foreign Policy". in Thayer, Carlyle A., Amer, Ramses (ed.): ''Vietnamese Foreign Policy in Transition''. Institute of Southeast Asian Studies, Singapore রাষ্ট্রপতি জন্ম ব্যক্তি যুদ্ধের সামরিক কর্মকর্তা যুদ্ধের ব্যক্তিত্ব কম্পুচিয়া কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিবিদ কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য'''সেজোং দা গ্রেইট'''(জন্মঃ মে ১৫, ১৩৯৭ এপ্রিল ৮, ১৪৫০ রাজত্বকাল ১৪১৮-১৪৫০) ছিলেন কোরিয়ার জোসন রাজবংশের চতুর্থ রাজা। জন্মগ্রহণ করেন পারিবারের দেয়া নাম ''“ই ড”'' নামে। তিনি ছিলেন রাজা তেজং এর তৃতীয় ছেলে। তিনি ১৪১৮ সালে সিংহাসন অধিগ্রহণ করেন। তার রাজত্বের প্রথম চার বছর তাইজং শাসনকার্য পরিচালনা করেন এবং এরপর তার শ্বশুর, এবং ঘনিষ্ঠদের হত্যা করা হয়। সেজং কোরিয়ান দর্শনকে চাঙ্গা করে তুলেন এবং প্রধান প্রধান আইন সংশোধন করেন। তিনি কোরিয়ান লিপি “হাঙ্গুল” তৈরি করেন, বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি অগ্রসরে উৎসাহ প্রধান করেন, এবং জারি প্রকাশ করেন সমৃদ্ধি স্থির উন্নতি করতে। তিনি উত্তরে সামরিক অভিযান বরখাস্থ করেন এবং সামিন নীতি জারি করেন যাতে ঔপনিবেশিকরা আকর্ষিত হয়। দক্ষিণে জাপানী আক্রমণকারীদের বশ করেন এবং টুশিমা দ্বীপ দখল করেন। তার রাজত্বের ১৪১৮ থেকে ১৪৫০ এ, শাসক হিসাবে ছিলেন ১৪২২ থেকে ১৪৪২ এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ১৪৪২ থেকে ১৪৫০ তার ছেলে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মুনজং এর সময়ে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। যদিও ''“দা গ্রেইট”''/ "大王" উপাধি গোরিও এবং জোসন রাজবংশের সকল শাসককেই দেয়া হয় কিন্তু এটি গুনাগাত এবং সেজং এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ==প্রাথমিক জীবন == সেজং জন্মগ্রহণ করেন ১৩৯৭ সালের ১৫ই মে, রাজা তাইজং এর তৃতীয় ছেলে। যখন তার বয়স বার তখন তিনি ''যুবরাজ চুংইয়ং'' হন। তরুণ যুবরাজ হিসাবে সেজং তার বাকি দুই ভাইয়ের চেয়ে বিভিন্ন পড়াশুনায় পারদর্শি হন এবং তার পিতার বিশেষ অধিকারভোগ করেন। তাইজং এর তৃতীয় ছেলে হিসাবে সেজং এর সিংহাসন উত্তরণ ছিল অনন্য। তাইজং এর বড় ছেলে ইয়াংইয়ং কে ১৪০৪ সালে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ইয়াংইয়ং এর মুক্তমণা এবং শিকারের নেশা অবসর সময় কাটানোর ফলে তাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী থেকে সরানো হয় ১৪১৮ সালে। তাইজং এর দ্বিতীয় ছেলে যুবরাজ হায়রইয়াং তার ছোট ভাই সেজং এর উন্নতির জন্য হয়ে যায়। ইয়াংইয়ংকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী থেকে সরানোর ফলে তাইজং তাড়াতাড়ি তার ছোট ছেলেকে সিংহাসনে বসানো প্রতিয়মান হয়ে উঠে। সরকারী কর্মকর্তাদের সরানো হয় যারা ইয়াংইয়ংকে সরানোর জন্য বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু তাইজং এর অবসরের পরও তিনি সরকারের নীতিতে প্রভাব ফেলতে থাকেন। সেজং ১৪২২ সালে তার পিতার মৃত্যুর পরই সিংহাসনে প্রকৃতভাবে অধিগ্রহণ করেন। ==কৃতিত্ব == এর উপর ভিত্তি করে রাজনীতি শুরু=== রাজা সেজং শাসনকার্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন সকল স্তরের মানুষকে বেসামরিক কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ দিয়ে। অধিকন্তু তিনি সরকার পরিচালনা করে কনফুশিয়ানিজম অনুযায়ী এবং তিনি জনগণকে উৎসাহ দেন কনফুশিয়ানিজম অনুযায়ী আচরণ করতে। যার ফলে কনফুশিয়ানিজম হয়ে যায় সামাজিক আদর্শ। তিনি কনফুশিয়ানিজম এর উপর কিছু বইও প্রকাশ করেন। প্রথমদিকে তিনি বৌদ্ধ ধর্মকে কে দমন করেন সিওল এর সকল বৌদ্ধ ভিক্ষুকে নিষিদ্ধ করে, আয়তনে বহুলাংশে বৌদ্ধ পুরোহিতদের ক্ষমতা এবং সম্পদ কমান, কিন্তু পরবর্তিতে তিনি তার কার্যকলাম প্রশমিত করেন বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে। ===বৈদেশিক নীতি === চীনের রাজা মিং এর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে তিনি কিছু সফল চুক্তি সম্পন্ন করেন যা জোসনকে লাভবান করে। মঙ্গোলিয়ার জুরকেইন সম্প্রদায় এর সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে তিনি কোরিয়ার উত্তর দিকের উপদ্বীপে দশটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপিত করেন। তিনি জাপানের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখেন তিনটি বন্দর খুলে দিয়ে তাদের সাথে বাণিজ্য করতে। কিন্তু তিনি তুশিমিয়া দ্বীপ আক্রমণ করেন সৈন্যবাহিনী দ্বারা যেন তিনি দক্ষিণ সাগরে(পূর্ব চীন সাগর) জলদস্যুতা থামাতে পারেন কেননা তুশিমিয়া দ্বীপ জলদস্যুদের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। চীনা সম্রাট রাজসভা পর্যালোচনা করছেন কুজু খেলার মাধ্যমে, একটি প্রাচীন চীনা খেলা যেটি কোরিয়ায়ও খেলা হত সেজং দা গ্রেইট এর রাজত্বকালে ===কোরিয়ান সৈন্যবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি=== রাজা সেজং ছিলেন একজন সফল সামরিক পরিকল্পনাকারী। তিনি বিভিন্ন সামরিক নীতির সৃষ্টি করেন তার রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য, সাহায্য করেন কোরিয়ার সামরিক প্রযুক্তিকে অগ্রগতি সাধনের জন্য, যার মধ্যে কামান উন্নয়নও ছিল। বিভিন্ন ধরনের মর্টার এবং অগ্নি তীর পরীক্ষা তার সাথে বারুদের ব্যবহার। ১৪১৯ সালের মেতে, তার পিতা রাজা তেজং এর উপদেশ এবং নির্দেশনায় ''“গিহায় পূর্ব আক্রমণ”'' লক্ষস্থির করেন, এই সামরিক আক্রমণের চূড়ান্ত লক্ষ ছিল জাপানী জলদস্যুদের সরানো যারা তুশিমিয়া দ্বীপ থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এই আক্রমণে ২৪৫ জন জাপানী মারা যায় এবং লড়াইয়ে আরও একশ দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে ১৮০ জন কোরিয়ান সৈন্য মারা যায়। এই আক্রমণের মাধ্যমে অপহৃত ১৪৬ জন চীনা এবং জন কোরিয়ানকে মুক্ত করা হয়। ১৪১৯ এর সেপ্টেম্বরে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি দেয়া হয় যেখানে কোরিয়ান সৈন্য কোরিয়ায় ফিরে আসে কিন্তু “গিহায় সন্ধি” স্বাক্ষরিত হয় ১৪৪৩ সালে যেখানে তুশিমিয়ার দাইমো প্রতিশ্রুতি দেন জোসনের রাজাকে রাজস্ব দিতে, প্রত্যাবর্তনে জোসন রাজসভা সো গৌত্রকে পুরুষ্কার দেয় যে তারা জাপান এবং কোরিয়ার মধ্যে লেনদেন বা বাণিজ্য করতে পারবে। ১৪৩৩ সালে সেজং একজন বিশিষ্ট জেনারেল কিম জংসোকে উত্তরে পাঠান জুরকেইন সম্প্রদায় বিনাশ করতে। কিমের সৈন্যরা কয়েকটি কেল্লা দখল করে এবং উত্তর দিকে কোরিয়ার রাজত্ব বাড়ায়, সোঙ্গোয়া নদী পর্যন্ত। চারটি দুর্গ এবং ছয়টি ঘাঁটি নির্মাণ করা হয় জনগণকে জুরকেইন থেকে সুরক্ষা দিতে। ===বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি=== একটি আধুনিক পূনর্গঠন এবং জাং ইয়ং-সিল এর জলঘড়ি সেজংকে কৃতিত্ব দেয়া হয় তার রাজত্বকালে বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির জন্য। তিনি কৃষকদের সাহয্য করতে চেয়েছিলেন তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে কৃষকদের জন্য একটি হস্তপুস্তক তৈরি করার। যার নাম নংসা জিকসিওল যেটিতে বিভিন্ন কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য ছিল, তিনি বিজ্ঞানীদের বলেছিলেন কোরিয়ার বিভিন্ন রাজ্য থেকে সংগ্রহ করার জন্য। এই পদ্ধতিগুলোর প্রয়োজন ছিল নতুন গৃহীত প্রণালী বজায় রাখতে যাতে নিবিড়, একটানা চাষ হয় কোরিয়ান কৃষিতে। তার শাসনকালে জাং ইয়ং-সিল হয়ে উঠেন একজন বিশিষ্ঠ আবিষ্কারক। জাং প্রকৃতগতভাবে সৃজনশীল এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ ছিলেন। কিন্তু জাং সমাজের সবচেয়ে নিম্নস্তরে ছিলেন। তাইজং, সেজং এর পিতা, জাং এর দক্ষতা লক্ষ করেন এবং তাৎক্ষণিক তাকে সিওলের রাজদরবারে ডাকেন। জাংকে একটি রাজপদে নিয়োগ দেন এবং তার আবিষ্কারে তহবিল প্রদান করেন, রাজ কর্মকর্তাগণ এর প্রতিবাদ করেন বিশ্বাস করে যে নিম্নস্তরের একজন লোক পরিষদবর্গের ক্ষমতার মধ্যে আসা উচিৎ নয়। সেজং বিশ্বাস করেন জাং এর মেধাকে এবং তার সামর্থকে সমর্থন করেন। জাং গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন করেন জলঘড়ি, জৌতির্বিদ্যার গোলক, সুন্দাইল(যেটি সময় নির্দেশ করে)। ১৪৪২ সালে জাং বিশ্বের প্রথম রেইন গজ উদ্ভাবন করেন এবং নাম দেন চিউগজি; এটি ছিল সেজং এর ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মুঞ্জং এর ধারণা। কোরিয়ান গোলক যেটি প্রথম নির্মাণ করেন বিজ্ঞানী জাং ইয়ং-সিল জোসন রাজবংশের রাজা সেজং এর রাজত্বকালে সেজং চেয়েছিলেন কোরীয় দিনপঞ্জিকা পদ্ধতি সংশোধন করতে, যেটি তৈরি হয়েছিল চীনা রাজধানীর সময়ের উপর ভিত্তি করে। সেজং কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মত তার জ্যোতির্বিদদের নিয়োগ দেন দিনপঞ্জিকা তৈরির জোসনের রাজধানী সিওল এর উপর ভিত্তি করে। এই নতুন পদ্ধতিতে কোরিয়ান জ্যোতির্বিদরা সঠিকভাবে সূর্য এবং চন্দ্রবস্থার সময় গণনা করতে পারেন। সেজং এর সময় কোরিয়াদের নিজস্ব চিকিৎসাবিদ্যার উন্নতি হয় যেটি চীনের চিকিৎসা থেকে আলাদা। ==সাহিত্য == সেজং জোসনের কৃষকদের কৃষি উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল ছিলেন তাই তিনি কৃষকদের কর কমিয়ে দেন। এর ফলে কৃষকরা কর নিয়ে চিন্তা কম করত এবং তাদের শস্য উৎপাদন বিক্রয়ে বেশি দৃষ্টি দিত। যখন রাজপ্রসাদে অতিরিক্ত খাবার থাকত তখন রাজা সেজং তা গরীব চাষী বা কৃষকদের প্রদান করতেন যাদের তা প্রয়োজন ছিল। ১৪২৯ সালে রাজা সেজং এর তত্ত্বাবধানে নংশা-জিকসিওল বই লিখা হয়। এটি ছিল কোরিয়ান প্রথম বই কৃষি, কৃষিবাণিজ্যের সাথে রোপণ, উত্তলণ এবং মৃত্তিকা প্রণালী এর উপর। বেশিরভাগ রাজ কর্মকর্তা এর বিরোধিতা করেন হাঙ্গুল লিপি ব্যবহারের জন্য এতে নিম্ন শ্রেণির লোকেরা শিক্ষিত হয়ে যাবে এবং একজন আরেকজনের সাথে লিখিত যোগাযোগ করতে পারবে। সেজং এর ব্যক্তিগত লিখাও ছিল উচ্চ বিবেচনাধীন। তিনি রচনা করেন জনপ্রিয় “ইয়ংবি ইউচিওন গা”(সংস অব ফ্লায়িং ড্রাগন”, ১৪৪৫), সেকোবো সাংজিওল(বৌদ্ধের জীবনী, ১৪৪৭), অরিং চিওং-গাং জিগক(১৪৪৭) এবং দংগুক জিওং-উন(১৪৪৭)। ১৪২০ সালে সেজং গায়ংবকাগাং প্রাসাদে প্রতিষ্ঠা করেন “হল অব অর্থিস” যেটি গঠিত হয় রাজার দ্বারা নির্বাচিত পণ্ডিতদের মাধ্যমে। এটি অনেকগুলো পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রয়াস অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে “হানমিন জিংগিওম” এর সংকলন। ==হাঙ্গুল== “হানমিন জিংগিওম ইনহায়” রাজা সেজং দা গ্রেইট গভীর প্রভাব ফেলেন কোরিয়ার ইতিহাসে হাঙ্গুল লিপিকে পরিচিত করে দেয়ার জন্য, এটি কোরিয়ান ভাষার নিজস্ব লিপি। হাঙ্গুল সৃষ্টির আগে, কোরিয়ান লোকেরা(সে সময় জোসনের লোকেরা নামে পরিচিত ছিল) প্রাচীন চীনা বর্ণ ব্যবহার করত প্রাথমিকভাবে লেখার জন্য, শত বছর ধরে ইদু, হাংচা, গুগইয়ো এবং গাকপিল ইত্যাদি লিপি ব্যবহার করত লেখার জন্য। কোরীয় এবং চীনের ভাষার মধ্যে ভিত্তিগত পার্থ্যক্য, থাকার ফলে বেশিরভাগ বর্ণই শেখার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু চাইনিজ বর্ণ লিখতে শেখা আরো কষ্টকর ছিল নিম্নশ্রেণীর লোকদের জন্য, যাদেরকে প্রায়ই শিক্ষার সুযোগ দেয়া হয় না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য, রাজা সেজং তৈরি করেন অনন্য বর্ণ যেটি হাঙ্গুল নামে পরিচিত যাতে সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষের জন্য শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া।। তার লক্ষ ছিল কোরিয়ার নিজস্ব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা এই অসাধারণ লিপি দ্বারা। প্রতিটি হাঙ্গুল ধ্বনি উচ্চারনের জন্য মুখ, জিহবা এবং দাঁতের সহজ চিত্র ব্যবহার করেন।তিনি কোরিয়াকে নিজস্ব ঐতিহ্যের পরিচিতি দিতে অনন্যনকশার আদলে লিপি তৈরির প্রয়াস নিয়েছিলেন। রৈখিক বর্ণের তুলনায় নকশার আদলে তৈরি বর্ণ সন্নিবিদ্ধ থাকে। ১৪৪৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হওয়া হাঙ্গুল বর্তমানে যে কেউ মাত্র কয়েকদিনেই শিখতে পারে। ==মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার== The tomb of Sejong the Great located in Yeoju, Gyeonggi Province, South Korea. রাজা সেজোং বহুমূত্র জটিলতায় অন্ধত্ব বরণ করেন এবং ১৪৫০ সালে মারা যান। তাকে ইয়োং সমাধি মন্দিরে (; সমাধিত করা হয়। রাজা সেজোং এর পরে তার স্থানে অভিষিক্ত হন তার বড় পুত্র মুঞ্জং। তবে রাজা সেজং পূর্বেই ধারণা করেছেন, তার অসুস্থ পুত্র খুব বেশি দিন দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। তাই মৃত্যু শয্যায় দরবারে বিদ্বানদের বলে যান তার কনিষ্ঠ রাজ দৌহিত্র দানজং এর দেখভাল করতে। দুই বছর পরেই রাজা সেজং এর ভবিষ্যৎবানী সত্য হয়। মাত্র বারো বছর বয়সে জসুন আমলের ষষ্ঠ রাজা হিসেবে রাজা দানজোং আত্মপ্রকাশ করেন। তবে রাজা সেজং এর দ্বিতীয় পুত্র সেজো ১৪৫৫ সালে দানজোং এর কাছ থেকে রাজ ক্ষমতা করায়ত্ত করে নেয়। ছয়জন মন্ত্রীর একটি দল পুনরায় দানজোংকে সিংহাসনে বসানোর পরিকল্পনা করলে রাজা সেজো তাদের বিদ্বানদের কক্ষ রহিত করেন। তিনি দানজোং এবং রাজা সেজং এর আমলের বেশ কিছু মন্ত্রীদের মৃত্যুদন্ড দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওল সেজং স্ট্রীট এবং সেজং সেন্টার রাজা সেজং এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। ২০০৮ সালে কেবিএস চ্যানেলে ''রাজা সেজং দ্যা গ্রেট'' নামক ঐতিহাসিক নাটকে রাজা সেজং এর জীবনী তুলে ধরা হয়। ==পরিবার== *পিতা: জোসনের রাজা তাইজং(태종) *মাতা: রাণী উয়োন গিয়ং উয়াং হু (원경왕후 민씨, জুলাই ১১, ১৩৬৫ জুলাই ১০,১৪২০) *পরিবারঃ রাণী সোহন ওয়াং হু সিম (소헌왕후 심씨, সেপ্টেম্বর ২৮,১৩৯৫ মার্চ ২৪, ১৪৪৬) ## হিয়াং মুনজোং, প্রথম পুত্র ## ঈউ, সেজো, দ্বিতীয় পুত্র ## ইয়োং, আনফিয়ং এর জ্যেষ্ঠ রাজপুত্র (이용 안평대군, অক্টোবর ১৮-১৪১৮- নভেম্বর ১৮,১৪৫৩), তৃতীয় পুত্র ## গু, ইমইয়ংএর জ্যেষ্ঠ রাজপুত্র (이구 임영대군, জানুয়ারী ৭,১৪২০- জানুয়ারি ২১,১৪৬৯), ৪র্থ পু্ত্র ## ইয়েও, গোয়ানফিয়ং এর জ্যেষ্ঠ রাজপুত্র (이여 광평대군, ১৪২৫-১৪৪৪), ৫ম পুত্র ##ঈ ঈউ, গিয়মসং এর জ্যেষ্ঠ রাজপুত্র (이유 금성대군, মার্চ ২৮,১৪২৬-অক্টোবর ২১,১৪৫৭),ষষ্ঠ পু্ত্র ## ইম, ফিয়ং-উয়োন এর জ্যেষ্ঠ রাজপুত্র (이임 평원대군, ১৪২৭-১৪৪৫) ৭ম পুত্র ## ঈয়েওম, ইয়েওং-উং এর জ্যেষ্ঠ রাজপুত্র (이염 영응대군, ১৪৩৪-১৪৬৭), ৮ম পুত্র ## রাজকন্যা জংসো (정소공주, ১৪১২-১৪২৪), ১ম কন্যা ## রাজকন্যা জং-উই (정의공주, ১৪১৫-১৪৭৭), ২য় কন্যা ==সরকারিভাবে মরনোত্তর উপাধি== হাঞ্জাঃ 世宗莊憲英文睿武仁聖明孝大王 হাঙ্গুলঃ 세종장헌영문예무인성명효대왕 ইংরেজিঃ King Sejong Jangheon Yeongmun Yemu Inseong Myeonghyo the Great ==বর্তমান কোরিয়ান মুদ্রায়== ১০,০০০ দক্ষিণ কোরীয় ওন নোটে রাজা সেজোং এর প্রতিকৃতি রাজা সেজোং পৃথিবীর ছয়জন ভাষাবিদদের একজন যার প্রতিকৃতি জাতীয় মুদ্রায় এসেছে। ==ভাষ্কর্য এবং জাদুঘর প্রদর্শনী== ২০০৯ সালে রাস্তায় ঠিক সওউলের সেজোং সেন্টারের সামনে ভাস্কর কিম ইয়োং-উয়োনের শিল্পকর্ম রাজা সেজোং এর একটি সাড়ে নয় মিটার উচ্চতার ব্রোঞ্জের ভাষ্কর্য স্থাপন করা হয়। ভাস্কর্যটির স্তম্ভমূলের নিচে দিয়ে ৩২০০ মিটার বর্গমিটার আয়তনের ভূগর্ভস্ত জাদুঘর, "রাজা সেজোং এর গল্প"তে ঢোকার ব্যবস্থা রয়েছে। ==আরো দেখুন== কোরিয়া হাঙ্গুল কনফুসীয় ধর্ম ==পাদটিকা== ==তথ্যসূত্র== *Kim, Yung Sik. (1998). "Problems and Possibilities in the Study of the History of Korean Science," ''Osiris'' (2nd series, Volume 13, 1998): 48–79. ==বহিঃলিংক== প্রাক চসুন সময়কালে রাজা সেজোং এর কনফুসীয়ান নৈতিকতা চার দুর্গ এবং ছয় পোস্টের অবস্থান রাজা সেজোং কোরিয়ান ১০০০ উওন ব্যাংকনোটে'''ঘাঘট নদী''' বা '''ঘাঘট নদ''' বাংলাদেশের উত্তর অংশে প্রবাহিত একটি নদী। এটি বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ রাজশাহী বিভাগের নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৩৬ কিলোমিটার। এর অবস্থাভেদে ৫০ থেকে ২৫০০ কিউসেক। ==ব্যুৎপত্তি== ঘাঘট নদী নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নদীটি সর্পিল গতিতে গাইবান্ধা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফুলছড়ি ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিলিত হয়েছে। ==পরিবেশ বিপর্যয়== ঘাঘট নদ থেকে স্থানীয়ভাবে রংপুর অঞ্চলে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে মাটি কাটা হয় এবং বালু তোলা হয়। মাটি-বালু কাটার কারণে বর্ষার পানি ঘোরপাক খায়, নদএর পাড় ভেঙ্গে যায়, এলাকার কৃষকের জমি নদে মিশে যায়। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== জেলার নদী জেলার নদী'''নেপুলিন হ্রদ''' হল মানুষের তৈরি একটি স্বাদু পানির হ্রদ যা সাসেক্স সিটির ওয়ান্টেজ টাউনশিপ, নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। পাপাকাটিং খাঁড়ির জল বিভাজিকায় অবস্থিত, ওয়ালকিল নদীর একটি উপনদী, একটি নামহীন পাহাড়ি ঢলের বাঁধ তৈরি করার সময় হ্রদটি ১৯৫০ সালে বেসরকারি আবাসন উন্নয়নের অংশ হিসেবে তৈরি হয়। ঢলটি বর্তমানে নেপুলাকাটিং খাঁড়ি নামে পরিচিত, ২০০২ সালের আগে এটির কোন নামকরণ করা হয়নি। == বর্ণনা == নেপুলিন হ্রদ একটি মনুষ্যসৃষ্ট হ্রদ যা সৃষ্টি হয়েছে নেপুলাকাটিং খাঁড়ির বাঁধ তৈরির মাধ্যমে, একটি ছোট পাহাড়ি ঢল, ২০০২-এর আগে যার কোন নাম ছিলনা। খাঁড়িটির উৎস নেপুলিন হ্রদের উত্তর দিক থেকে প্রায় ০.৪ মাইল (০.৬ কিমি) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এই উৎসগুলি কাউন্টি রুট ৬৫০ (লিবারটি ভিল রোড)-এর অল্প দূরে, মোটামুটিভাবে লিবার্টি ভিলের হ্যমলেট, ওয়ান্টেজ টাউনশিপ এবং সাসেক্স বর্গের মাঝামাঝিতে অবস্থিত। লেক নেপুলিনের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০৯ ফুট (১৫৫ কি.মি.) উচ্চতায়। হ্রদটি একটি আবাসিক এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে যা ওয়ালকিল নদীর একটি উপনদী, পাপাকাটিং খাঁড়িতে পতিত হবার আগে এটি বাঁধ থেকে দক্ষিণপূর্বে ১.৫ মাইল (২.৪ কি.মি.) প্রবাহিত হয়েছে। খাঁড়ি, হ্রদ এবং এর জলবিভাজিকা কিটাটেনই উপত্যকায় অবস্থিত, যার নিচে মারটিন্সবারগ ফরমেশনের কালো শিলা চুনাপাথর এবং তুষারের মত মাটি রয়েছে। নিউ জার্সি ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন (NJDEP) এর মতে, পাপাকাটিং খাঁড়ির জলবিভাজিকায় দুটি উন্নত হ্রদ গোষ্ঠী নেপুলিন হ্রদ কাছাকাছি অবস্থিত ক্লোভ এক্রেস হ্রদ পাপাকাটিং খাঁড়ির পানিতে ফসফরাস বয়ে আনার কাজ করে। এই ফসফরাস বহন শুরু হতে পারে আবাসিক বাগান গুলিতে সার প্রয়োগের ফলে, কাছাকাছি কৃষিকাজ করায়, অথবা হ্রদের পাশে বিশাল হাঁসের পাল বসবাস করার ফলে। == ইতিহাস == ১৯৫০ সালে, একটি আবাসন কোম্পানি সাসেক্স বর্গ হ্রদ নেপুলিনের পশ্চিম দক্ষিণে একটি নামহীন পানির ঢলে বাঁধ নির্মাণ করে। হ্রদটি একটি পরিকল্পিত বেসরকারি আবাসন প্রকল্পের মাঝখানে ছিল। মূল ডেভেলপারের একজনের শিশুর নাম থেকে হ্রদের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে, ওয়ান্টেজ টাউনশিপ হ্রদটিকে সাবেক অ-লাভজনক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্জন করে এবং টাউনশিপ নিবাসীদের বিনোদনের জন্য কিছু এলাকা মনোনীত করে। সম্পত্তিটি অর্জন করার পর, পৌরসভা এনজেডিইপি থেকে নেওয়া ১.২ মিলিয়ন ডলারের মাধ্যমে বাঁধ পুনঃনির্মাণ ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব পেয়েছিল। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Wallkill River Watershed Management Group বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সির হ্রদBangladeshi Flag'''সাকলাইন সজিব''' '''অবস্থান''' বোলার '''ব্যাটিংএর ধরণ''' বাহাতি ব্যাট '''বোলিং ধরন''' লেফট আর্ম অর্থোডক্স '''ফার্স্ট ক্লাস''' '''লিস্ট এ''' '''ম্যাচ সংখ্যা''' ৩১ ৩৩ ১৪ '''সর্বমোট রান''' ২১৭ ৭৪ '''ব্যাটিং গড়''' ৭.৭৫ ১৪.৮০ ৬.০০ '''১০০/৫০''' -/- -/- -/- '''সর্বোচ্চ স্কোর''' ৪৬ ১৫* ৪* '''সর্বমোট বল''' ৭১৩৫ ১৫৪৪ ২৬৪ '''উইকেট''' ১৬৯ ৪৮ ১৩ '''বোলিং গড়''' ১৯.৮৮ ২২.৬৪ ২৬.৬৯ '''ইনিংসে উইকেট''' ১২ '''ম্যাচে ১০ উইকেট''' '''সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার''' ১৩/১১৩ ৪/১৭ ৩/২২ ১৬/- ১০/- ১/- অভিষেক: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সর্বশেষ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সূত্র: ক্রিকইনফো '''সাকলাইন সজিব''' একজন প্রথম শ্রেণীর এবং তালিকার বাংলাদেশী খেলোয়াড়। তার অভিষেক হয় রাজশাহী বিভাগীয় দলের জন্য ২০০৬/০৭ সালে, তার ফার্স্ট ক্লাষ অভিষেক ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলের সাথে ১৭ রান করে, তার সর্বোচ্চ বলিং ফিগার হল ২৬ রানে উইকেট যা হয়েছিল খুলনা বিভাগীয় দলের বিপক্ষে। == বহিঃসংযোগ == ক্রিকইনফো প্লেয়ার প্রোফাইল 28x28px 25x25px ''বাংলাদেশী এই খেলোয়াড়ের জীবন বৃত্তান্ত অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।'' ক্রিকেটার রাজশাহীর ক্রিকেটার ব্যক্তি বিভাগের ক্রিকেটার'''সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গনি কলেজ''' বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার একটি পুরোনো ঐতিহ্যবাহী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা সদরে এই কলেজটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি স্নাতক (পাস) শ্রেণিতে শিক্ষা দান করা হয়। == প্রতিষ্ঠার পটভুমি == উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী উপজেলা পাটগ্রামের স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষার সুযোগ দানের লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালে কলেজ স্থাপনের জন্য এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবী মোঃ জসমুদ্দিন সরকার এবং কাজী আব্দুল গনী একত্রে একখন্ড জমি দান করেন; যেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই কলেজটি। == ক্যাম্পাস == কলেজ ক্যাম্পাসটি বাইপাস সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত। == অনুষদ বিভাগসমুহ == এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী বছর মেয়াদী স্নাতক (পাস) শ্রেণীতে শিক্ষা দান করা হয়। === উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী === মানবিক বিভাগ বিজ্ঞান বিভাগ ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ === স্নাতক (পাস) শ্রেণী === কলা অনুষদ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ == একাডেমিক সুযোগ সুবিধা == === একাডেমিক ভবন === === লাইব্রেরী === === বোটানিক্যাল গার্ডেন === == কলেজের সুযোগ সুবিধা == === হোস্টেল === === খেলার মাঠ === === মসজিদ === == সহশিক্ষা কার্যক্রম == কলেজে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে: বি. এন. সি. সি. মহাস্তানগড় রেজিমেন্ট এর অধীনে এই কলেজে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর একটি পুরুষ প্লাটুন রয়েছে। রোভার স্কাউট বাংলাদেশ স্কাউটস-এর অধীনে এই কলেজে একটি রোভার স্কাউট ইউনিট রয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি-এর অধীনে এই কলেজে একটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট রয়েছে। == সাংস্কৃতিক কার্যক্রম == প্রতি বছর এই কলেজে বাংলা নববর্ষ-এর অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও এখানে দেখা যায়। == কৃতি শিক্ষার্থী == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == 'সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গনি কলেজ'-এর তথ্য বাতায়ন। প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার কলেজ শিক্ষা বোর্ডের অধিভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ডের অধিভূক্ত সাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত সাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় অধিভূক্ত কলেজ'''ফোক সিঙ্গার''' হচ্ছে '''ম্যাডই ওয়াটার্সের''' চতুর্থ স্টুডিও অ্যালবাম। এটি ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাসে 'চেস রেকর্ডস' কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামটিতে ওয়াটার্স ছিলেন অ্যাকুইস্টিক গিটারে, স্ট্রিং বাস ব্যাক করেছেন উইলি ডিক্সন, ড্রামসে ছিলেন ক্লিফটন জেমস এবং বাডি গাই ছিলেন অ্যাকুইস্টিক গিটারে। এটিই হচ্ছে ওয়াটার্সের একটিমাত্র সম্পূর্ণ অ্যাকুইস্টিক অ্যালবাম। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাস হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ফোক সিঙ্গার অসংখ্যবার পুন:প্রকাশ হয়েছে এবং অতিরিক্ত গানও যুক্ত করা হয়েছে। কোন দেশের চার্টে না থাকা সত্ত্বেও, ''ফোক সিঙ্গার'' সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। অধিকাংশ সমালোচক এই অ্যালবামটির উচ্চ মানের সাউন্ড সিস্টেমের প্রশংসা করেছেন, বিশেষত রিমাস্টারড ভার্শনটির এবং যন্ত্রসঙ্গীতের। এই অ্যালবামটি ২০০৩ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রকাশিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ৫০০ অ্যালবাম এর তালিকায় ২৮০তম অবস্থানে ছিল। == পটভূমি == নিউপোর্ট জ্যাজ ফেস্টিভাল এবং আমেরিকা সফরে সফলভাবে পারফর্ম করার পর চেস রেকর্ডস ওয়াটার্সকে একটি নতুন অ্যালবামের জন্য গান রেকর্ড করতে উৎসাহ দেয়। এই রেকর্ডিংটির আগে, অনেক সঙ্গীতজ্ঞ ওয়াটার্সের ব্যান্ড ছেড়ে যায় এবং অনেকেই যোগ দেয়। অ্যান্ড্রু স্টিফেন্স, যিনি নিউপোর্টের সময় ছিলেন, পরবর্তীতে তার বদলে অনেকেই তার জায়গায় আসে। ওয়াটার্সের জুনিয়র ব্যান্ডে উইলি "বিগ আই" স্মিথ যুক্ত হয়, পরবর্তীতে ফ্রান্সিস ক্লে তার জায়গায় আসেন। প্যাট হেয়ার তার স্ত্রী মিসেস উইঞ্জেকে হত্যা করার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হন। জেলে থাকাকালীন তিনি সাউন্ডস ইনকারসিরেইটেড নামক একটি ব্যান্ড গঠন করেন। হেয়ারের পরিবর্তে জেমস "পি উই" ম্যাডিসন সহ আরও অনেকেই এখানে গিটার বাজিয়েছেন। তিনি ছিলেন হেয়ার থেকে ভিন্ন। তিনি ডানহাতি গিটার বামহাতে বাজাতেন। ম্যাডিসন পরবর্তীকালে আসা কিছু অতিরিক্তই গানে গিটার বাজিয়েছেন। যেটি অবশ্য স্যামি ল্যাহর্নও করেছিলেন। ল্যাহর্ন নারকোলেপ্সি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। যদিও এলভিন বিশপ বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বিশ্বাস করেন যে, তিনি শুধুমাত্র একজন মদ্যপ ছিলেন। ইলেকট্রিক গিটারিস্ট বাডি গাই, যিনি ১৯৬৩ সালে ব্লুস ফরম বিগ বিলস কোপাকাবানাতে চেস রেকর্ডস-এ গান গেয়েছিলেন, তাকে ভাড়া করা হয়। গাই লুইজিয়ানা থেকে আসার অল্প কিছুদিনের মাঝেই ওয়াটার্স দ্বারা আবিষ্কৃত হন। == রেকর্ডিং == ফোক সিঙ্গার হচ্ছেএকটি আনপ্লাগড রেকর্ডিং যেটি তার পূর্ববর্তী অ্যালবাম থেকে ভিন্ন ধরনের। এটি একটি ইলেকট্রিক ব্লুজ সাউন্ডের ফিচার। এই অ্যালবামটির নাম ''ফোক সিঙ্গার'' রাখা হয়েছিল চেস রেকর্ডস দ্বারা, কারণ যখন এটি রেকর্ড করা হয়েছিল তখন লোকসঙ্গীত অনেক বিখ্যাত ছিল। লোকসঙ্গীতের সমর্থকদের আকৃষ্ট করার জন্য চেস দুইজন অ্যাকুইস্টিক গিটারিস্টকে নিয়ে আরও একটি অ্যাকুইস্টিক অ্যালবাম রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বাডি গাইকে দ্বিতীয় গিটারিস্ট হিসেবে ভাড়া করা হয়েছিল, অন্য গিটারিস্টটি অতিরিক্ত গানে বাজিয়েছিল। গাই ফিল লাইক গোয়িং হোম নামক সর্বশেষ গানটি ব্যতীত সবগুলু গানেই ওয়াটার্সের সাথে একসাথে গিটার বাজিয়েছিলেন। রেকর্ডিংটি ১৯৬৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিকাগোতে অবস্থিত টাল মার রেকর্ডিং স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয়েছিল এবংপ্রযোজনা করেছিলেন উইলি ডিক্সন। মূল এলবামটি মুক্তির সময় অ্যালবামটিতে ৯টি গান ছিল, এগুলুর অধিকাংশই ছিল ধীর সুরের, শুধুমাত্র "গুড মর্নিং লিটল স্কুলগার্ল" গানটি ছিল উচ্চসুরের। রেকর্ডিং করার সময় ওয়াটার্স তার গুনগুন এবং দীর্ঘশ্বাস দ্বারা তার গানগুলুতে আরও অনেক মনোমুগ্ধকর করেছিলেন। == মুক্তি ভ্রমণ == মূল অ্যালবামটি ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাসে চেস রেকর্ডস কর্তৃক মুক্তি পেয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন ধরনের সিডিতে বিভিন্ন ধরনের অতিরিক্ত গানসহ এর অনেকগুলু ভার্সন মুক্তি পেয়েছিল। এগুলুর মধ্যে সর্বপ্রথম সিডি ভার্সনটি ''মোবাইল ফিডেলিটি সাউন্ড ল্যাব'' কর্তৃক ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এটিতে "দ্যা সেম থিং" এবং "ইউ কান্ট লুজ হোয়াট ইউ নেভার হ্যাড" নামক দুইটি অতিরিক্ত গান ছিল। ১৯৯৯ সালের রিমাস্টারড ভার্শনটিতে পাঁচটি অতিরিক্ত গান ছিল। গানগুলু হচ্ছে "দ্যা সেম থিং" "ইউ কান্ট লুজ হোয়াট ইউ নেভার হ্যাড" "মাই জন দ্যা কনকিউরর রুট" "শর্ট ড্রেস ওম্যান" এবং "পুট মি ইন ইউর লে অ্যাওয়ে"। ফোক সিঙ্গার রেকর্ড করার একমাস পর দ্বিতীয় ''আমেরিকান ফোক ব্লুস ফেস্টিভাল'' শুরু হয়েছিল। সতেরটি অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল লন্ডনে। বাকিগুলু যথাক্রমে বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ডেনমার্ক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওয়াটার্স লন্ডনে "মাই ক্যাপ্টেন" গানটি দিয়ে শুরু করে এবং একই ধারাবাহিকতায় ফাইভ লং ইয়ারস, ব্লো ওয়াইন্ড ব্লো, ট্রাবল নো মোর, মাই হোম ইজ ইন দ্যা ডেল্টা এবং গো টু মোজো গানগুলু গেয়েছিলেন। == সমালোচনা == একটি সমকালীন পর্যালোচনায়, ''ডাউন বিট'' ম্যাগাজিন লিখেছিল যে ফোক সিঙ্গার একটি বৃহত্তর ত্রুটিতে ভুগছে। তাদের মতে, "তিনি কেবলমাত্র ক্ষমতার নিকটবর্তী আসা শুরু করেছেন এবং "ইউ গনা নিড মাই হেল্প" "মাই হোম ইজ ইন দ্যা ডেল্টা" এর মত করে উত্তরোত্তর নিজের মেধায় উন্নতি করে যাচ্ছেন।" একটি অতীত পর্যালোচনা অনুযায়ী, অলমিউজিক এর কাব কোডা আরও অনেক উৎসাহী ছিলেন। তিনি মনে করতেন, রেকর্ড এর শব্দগুলো আরও অনেক চমৎকার এবং অত্যাবশ্যক ছিল। এই অ্যালবামটি ২০০৩ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রকাশিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ৫০০ অ্যালবাম এর তালিকায় ২৮০তম অবস্থানে ছিল। বলা হয়ে থাকে, এই অ্যালবাম এর আনপ্লাগড গানগুলু ছিল সবার সেরা। ১৯৯৪ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের একজন সমালোচক লিখেছিলেন, "...... ভাল মানসম্পন্ন ব্লুজ অ্যালবাম খুব কমই রয়েছে, কিন্তু ম্যাডই ওয়াটার্সের ''ফোক সিঙ্গার'' অবশ্যই একটি ভাল অ্যালবাম। ওয়াটার্সের গানে একটি আশ্চর্যরকমের গভীর, শক্তিশালী এবং একটি সূক্ষ্ম কণ্ঠ রয়েছে, যখন তিনি তার গিটারে প্রাণবন্ত সুর তুলেন, তখন আপনার মনে হবে যেন আপনি স্টুডিওতেই বসে আছেন....." == গানের তালিকা == "মাই হোম ইজ ইন দ্যা ডেল্টা" (ওয়াটার্স) ৩:৫৮ "লং ডিসট্যান্স" (ওয়াটার্স) ৩:৩০ "মাই ক্যাপ্টেন" (উইলি ডিক্সন) ৫:১০ "গুড মর্নিং লিটল স্কুলগার্ল" (সনি বয় উইলিয়ামসন) ৩:১২ "ইউ গনা নিড মাই হেল্প" (ওয়াটার্স) ৩:০৯ "কোল্ড ওয়েদার ব্লুস" (ওয়াটার্স) ৪:৪০ "বিগ লেগ ওম্যান" (জন টেম্পল) ৩:২৫ "কান্ট্রি বয়" (ওয়াটার্স) ৩:২৬ "ফিল লাইক গোয়িং হোম" (ওয়াটার্স) ৩:৫২ === ১৯৯৩-এর বোনাস ট্র্যাক === "দ্যা সেম থিং" (ডিক্সন) ২:৫৭ "ইউ কান্ট লুজ হোয়াট ইউ নেভার হ্যাড" (ওয়াটার্স) ২:৪৬ === ১৯৯৭-এর বোনাস ট্র্যাক === "দ্যা সেম থিং" (ডিক্সন) ২:৫৭ "ইউ কান্ট লুজ হোয়াট ইউ নেভার হ্যাড" (ওয়াটার্স) ২:৪৬ "মাই জন দ্যা কনকিউরর রুট" (ডিক্সন) ২:২২ "শর্ট ড্রেস ওম্যান" (জন টি ব্রাউন) ২:৪৯ "পুট মি ইন ইউর লে অ্যাওয়ে" (এল .জে. ওয়েলচ) ২:৫৬ == ব্যক্তি == কৃতিত্ব অলমিউজিক থেকে সংযোজিত করা হয়েছে। === গায়ক === *ম্যাডি ওয়েটার্স কম্পোজার, গিটার, কণ্ঠ *বাডি গাই গিটার *স্যামি লোহর্ন গিটার *জেমস মেডিসন গিটার *অতিস স্পান– হারমনিকা, পিয়ানো *ফ্রান্সিস ক্লে ড্রামস *ক্লিফটন জেমস ড্রামস *এস.পি. ল্যারি ড্রামস *উইলি ডিক্সন ব্যাস *মিল্টন রেক্টার ব্যাস *জনি টেম্পল কম্পোজার *জে.টি. ব্রাউন ক্ল্যারিনেট, টেনার সেক্সোফোন === প্রযোজনা === *উইলি ডিক্সন প্রযোজক *রাল্ফ বেস প্রযোজক *রন মালো ইঞ্জিনিয়ার *ভারটান শৈল্পিক নির্দেশনা, পূণঃশৈল্পিক নির্দেশনা *বব স্নিডার সমন্বয়কারী, লাইন টীকাগ্রহণকারী *ম্যারি ক্যাথেরিন আলডিন লাইন টীকাগ্রহণকারী *ডন ব্রোনস্টেইন কাভার নকশা, অলোকচিত্র *জিম মার্শাল অলোকচিত্র *বেথ স্টেম্পেল রিইস্যু প্রযোজক *অ্যান্ডি ম্যাকাই রিইস্যু প্রযোজক *এরিক লেবসন মার্কেটিং *জনি লি রিইস্যু নকশা *ম্যারি মুরাকামি রিইস্যু নকশা == তথ্যসূত্র == ;গ্রন্থপঞ্জি ভাষার অ্যালবাম'''ইয়েয়ামা ভাষা''' মূলত দক্ষিণ রাউকিউয়ান দের ভাষা (Southern Ryukyuan language)। এই ভাষায় কথা বলে ইয়েয়ামা দ্বীপের লোকজন। জাপানের দক্ষিণতম অধিষ্ঠিত দ্বীপ এটি, যার জনসংখ্যা মাত্র ৫০,০০০ (২০১১ অনুসারে) ইয়েয়ামা দ্বীপের অবস্থান মিয়াকো দ্বীপ Miyako Islands, রাউকাউস Ryukyus এর দক্ষিণপশ্চিম এবং তাইওয়ানের পূর্বে। ইয়েয়ামা অনেক কাছে মিয়াকোর, স্থানীয় অনেকে এই ভাষায় অচেনা। জাপানি নীতি অনুযায়ী ৬০বছরের নিচে কেউ এই ভাষা বাহিরে ব্যবহার করতে পারবে না যেহেতু এই ভাষা শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে তবে এই ভাষাই তাদের প্রধান ভাষা। শুধু মাত্র গান এবং তাদের নিজস্ব রীতি-নীতি অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারবে তবে বাহিরে না। এই যুগে প্রায় সবাই জাপানিজ ভাষাই ব্যবহার করে, ইয়েয়ামা দ্বীপে পর্যটন শিল্প হওয়ায় অনেক বাহিরের লোক আসে তাই তাদের ভাষাতেও পরিবর্তন এসেছে। ==উপভাষা== ইয়েয়ামা ভাষার প্রধান তিনটি উপভাষা আছে যা এই দ্বীপ বিবেচিত করেই আলাদা হয়েছে। এবং এই দ্বীপের আশে-পার্শেই ব্যবহার হয় এই ভাষা দ্বীপ অনুসারে নাম করন। *ইশিগাকি (Ishigaki) *ইরিওমোতি (Iriomote) *তাকিটোমি (Taketomi) যদিও ইয়েয়ামা দ্বীপের লোক জন শুধু ইয়েয়ামা ভাষাতেই কথা বলে। ==ইতিহাস== রাউকাউন ভাষা এসেছে প্রতো-জাপোনিক (Proto-Japonic) থেকে যখন তারা রাউকাউস দ্বীপে চলে আসেন। ৮ম শতাব্দীর দিকে নারা কালের সময় তাদের ভাষার পরিবর্তন আসে এবং নার কালের ভাষার কিছুটা এই ভাষায় পাওয়া যায় এখনও যেমন জাপানিজ ভাষায় পি (p) শব্দটা হয়ে গেছে এইচ (h) যদিও তার মানে পি ধরা হয় ইয়েয়ামা ভাষায়। প্রতো-জাপোনিক বর্তমান জাপানিজ ইয়েয়ামা "Field (ক্ষেত্র)" ''para'' ''hara'' ''paru'' "Boat(নৌকা)" ''pune'' ''fune'' ''puni'' "Dove(পায়রা)" ''pato'' ''hato'' ''patu'' ইয়েয়ামা ভাষা অনেক রক্ষণশীল এবং তাদের উচ্চারণ কিছুটা আলাদা তবে তারা তাদের ভাষার প্রতি অনেক সচেতন। তাদের ভাষা জাপান ভাষা থেকে কিছুটা আলাদা ব্যাকরণ দিক দিয়ে যেমন আদি জাপান ভাষায় স্বরবর্ণ ছিলো বর্তমান জাপান ভাষায় এইটা কমে নিয়ে আসা হয়েছে পাঁচটায়, কিন্তু ইয়েয়ামা ভাষায় স্বরবর্ণ মাত্র তিনটি। বর্তমান জাপান ভাষায় ই(E) উচ্চারন ইয়েয়ামা ভাষায় আই(I) উচ্চারণেই তারা বালে। আবার জাপান ভাষায় (O) উচ্চারণ তারা (U) বলে। বর্তমান জাপানিজ ইয়েয়ামা "Thing(বস্তু)" ''mono'' ''munu'' "Seed(বীজ)" ''tane'' ''tani'' "First time(প্রথমবার)" ''hajimete'' ''hajimiti'' ওকিনাওয়া Okinawa দ্বীপের এরকম অনেক ভাষা হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। বলা হয়ে থেকে জাপান থেকে ওকিনাওয়া দ্বীপের দূরত্ব অনেক হওয়ায় তাদের ভাষায় বর্তমান সময়ের পরিবর্তন খুব একটা দেখা না গেলেও ইয়েয়ামা ভাষায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ==আরো দেখুন== *জাপান *আনিমে *জাপানি ভাষা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== *The sources for this article do not contain any information regarding the number of native speakers. *Nordhoff, Sebastian; Hammarström, Harald; Forkel, Robert; Haspelmath, Martin, eds. (2013). "Yaeyama". Glottolog. Leipzig: Max Planck Institute for Evolutionary Anthropology. ভাষার লেখা রয়েছে এমন নিবন্ধ এশিয়া'''সিঙ্গাপুর উদ্ভিদ উদ্যান''' হচ্ছে একটি ১৫৬ বছর বয়েসী গ্রীষ্মমন্ডলীয় বাগান যেটি সিঙ্গাপুরের প্রধান বিক্রয় কেন্দ্রের উপকন্ঠ বরাবর অবস্থিত। এটি তিনটি বাগানের একটি এবং একমাত্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় বাগান, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে চিহ্নিত। উদ্ভিদ উদ্যানটি ২০১৩ সাল থেকে এশিয়ার সর্বাধিক আকর্ষণীয় উদ্যান হিসাবে ট্রিপএডভাইজর ট্রাভেলার্স চয়েস আওয়ার্ডস সম্মননা প্রাপ্ত। এটি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক উদ্যান পর্যটন পুরস্কারের উদ্বোধনী বছরের 'বছরের উদ্যান' হিসাবে ঘোষিত হয়, এবং ২০০৮ সালে ম্যালিয়ান তিন তারকা রেটিং হিসাবে ভূষিত হয়। == চিত্রশালা == Orchids in the National Orchid Garden ''Phalaenopsis orchid growing in mist house waterfall in the Ginger Gardens Office Building (Botany Hall 1) at the redeveloped Tanglin Core One of the newer attractions is the Saraca Stream in the Tanglin Core area The lush lawns of Palm Valley are popular spot for picnics and outdoor concerts SSO Concert at the Singapore Botanic Gardens Chopin monument, just south of Symphony Lake Replica of the ancient or giant clubmosses at the Evolution Garden Singapore Botanic Gardens logo, পাম File:$5 tree.JPG| The Tembusu tree (''Faraea fragrans'') featured on the reverse of the Singaporean five-dollar bill at Lawn E, Singapore Botanic Gardens Margaret Thatcher'' Yuen-Peng McNeice Bromeliad Collection Bae Yong-joon'', an orchid cultivar named after the South Korean actor Miss Joaquim, the national flower of Singapore File:Cygnus Atratus atratus in the Eco-Lake Sun Garden (formerly known as the Sun Rockery) of Swans'' sculpture installed in May 2006 at Swan Lake Botany Centre Blocks, with view of ''Calophyllum inophyllum'' and one of the wooden sculptures dotted around the complex. File:Ginger in File:Girl on Swing (1984) by Sydney Harpley, Singapore Botanic Gardens on Swing ''(1984), bronze statue by British sculptor Sydney Harpley == আরও দেখুন == উদ্ভিদ উদ্যানের তালিকা; সিঙ্গাপুরের উদ্যানের তালিকা; সিঙ্গাপুরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকা; পেনাং উদ্ভিদ উদ্যান (একই ধরণের ইতিহাস-সমৃদ্ধ মালয়শিয়ার পেনাং-এর একটি উদ্ভিদ উদ্যান); সিঙ্গাপুরের পর্যটন। == তথ্যসূত্র == National Heritage Board (2002), ''Singapore's 100 Historic Places'', Archipelago Press, Singapore Botanic Gardens (1989), ''Visions of Delight: The Singapore Botanic Gardens through the ages'', by Bonnie Tinsley, Tien Wah Press, Singapore, == বহিঃসংযোগ == Singapore Botanic Gardens the UNESCO World Heritage Site Singapore Botanic Gardens Official site Jacob Ballas Children's Garden My Destination Singapore Video VT of Botanic Gardens National Parks Board website Virtual Reality preview of the Singapore Botanic Gardens বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান পর্যটন আকর্ষণ উদ্যান প্রতিষ্ঠিত উদ্ভিদ উদ্যান'''মালদ্বীপ জাতীয় ক্রিকেট দল''' আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মালদ্বীপ-এর প্রতিনিধিত্ব করে। যদিও তারা ২০০১ সালের পূর্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-এর অনুমোদিত সদস্য ছিল না, কিন্তু তারা ১৯৯৬ সালে প্রবেশের পর থেকে প্রতিটি এসিসি ট্রফিতে অংশ নেয়। তবে তারা কখনই টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড অতিক্রম করতে পারে নি। এসিসি ট্রফি এলিট চ্যালেঞ্জ এই দুটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে গেলে ২০০৬ এসিসি ট্রফির পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মালদ্বীপ চ্যালেঞ্জ বিভাগে অংশ নেয়। ২০০৯ সালে তারা ৩য় হয় এবং ২০১০ সালে সৌদি আরবকে উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এটি তাদের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বিজয়। ==টুর্নামেন্ট ইতিহাস== ===এসিসি ট্রফি=== ১৯৯৬: গ্রুপ পর্যায় ১৯৯৮: গ্রুপ পর্যায় ২০০০: গ্রুপ পর্যায় ২০০২: গ্রুপ পর্যায় ২০০৪: গ্রুপ পর্যায় ২০০৬: গ্রুপ পর্যায় ২০০৯ চ্যালেঞ্জ: ৩য় স্থান ২০১০ চ্যালেঞ্জ: বিজয়ী ===এশিয়ান গেমস=== *২০১০: গ্রুপ পর্ব *২০১৪: গ্রুপ পর্ব ==রেকর্ড এবং পরিসংখ্যান== এসিসি টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত। ===সর্বোচ্চ রানকারী=== আফজাল ফাইয ৯৩ চীন, পিটিআই স্কুল, চিয়াং মাই, ১৭ জানুয়ারি ২০০৯ শাহফ্রাজ জালীল- ৭৯ চীন, পিটিআই স্কুল, চিয়াং মাই,, ১৭ জানুয়ারি ২০০৯ আব্দুল্লাহ শহীদ ৭৭ বনাম কাতার থাইল্যান্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, ব্যাংকক, ডিসেম্বর ২০১০ আব্দুল্লাহ শহীদ ৫৭বনাম বাহরাইন ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশন গ্রাউন্ড, সিঙ্গাপুর, জুন ২০১৪ মোহাম্মদ রিশওয়ান ৫৪* বনাম ভুটান আইসিসি একাডেমি মাঠ#১, দুবাই, অক্টোবর ২০১২ ===সেরা বোলিং ফিগার=== ইসমাইল নিহাদ ৬/১০ বনাম চীন, পিটিআই স্কুল, চিয়াং মাই, ১৭ জানুয়ারি ২০০৯ আব্দুল্লাহ শহীদ ৫/১৫ বনাম ব্রুনাই, ২০১০ পিটিআই স্কুল, চিয়াং মাই, ডিসেম্বর ২০১০ মোহাম্মদ মাহফুজ ৪/৬ বনাম ইরান, পিটিআই স্কুল, চিয়াং মাই, ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ মোহাম্মদ মাহফুজ ৪/৮ বনাম চীন, জিমখানা ক্লাব, চিয়াং মাই, ডিসেম্বর ২০১০ আব্দুল্লাহ শহীদ ৪/১৩ বনাম থাইল্যান্ড, জিমখানা ক্লাব, চিয়াং মাই, ২১ জানুয়ারি ২০০৯ ==বর্তমান স্কোয়াড== :''নিম্নের তালিকায় ২০১৪ এশিয়ান গেমসে অংশ নেয়া মালদ্বীপের ১৫ জন খেলোয়াড়ের নাম রয়েছে:'' আহমেদ ফয়েজ (অ) ইসমাইল আলী মোহাম্মদ আযম আবদুল ঘানি মিহুসান হামিদ আহমেদ হাসান হাসান ইব্রাহিম শাফরাজ জালীল (উই) ইব্রাহিম নাশাথ আদম নাফিস নিশাম নাসির মোহাম্মদ রিশওয়ান (উই) মোহাম্মদ সাফী লীম শাফীগ আব্দুল্লা শহীদ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== মালদ্বীপ ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেট দল ক্রিকেট জাতীয় ক্রীড়া দলসমূহ ক্রিকেট দল ক্রিকেটে মালদ্বীপ'''সাখিয়াজিন এলবেগদর্জ''' (, জন্ম: মার্চ, ১৯৬৩) জেরেগ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী মঙ্গোলিয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এরপূর্বে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মঙ্গোলিয়ায় গণতন্ত্রের প্রধান রূপকার তিনি। তাকে দেশের উদীয়মান অর্থনীতি বিকাশে অন্যতম প্রধান দিকপাল হিসেবে বর্ণনা করা হয়। == প্রারম্ভিক জীবন == পরিবারের আট ভাইয়ের সর্বকনিষ্ঠ তিনি। সীমান্তবর্তী এলাকায় ১৯৩৯ সালের খালখিন গোল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে তার পরিবার আর্দেনেত সিটিতে চলে আসেন। সেখানকার বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন ১৯৮১ সালে পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৮১-৮২ অর্থ বছরে আর্দেনেত কনসার্ন নামের কপার আকরিক খনি প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ১৯৮২ সালে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হন। উলান ওদ নামীয় সেনাবার্তায় কবিতা পাঠান। এতে সেনা কর্তৃপক্ষ বেশ আগ্রহান্বিত হন। এরফলে ১৯৮৩ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মিলিটারী পলিটিক্যাল ইনস্টিটিউটে সেনা সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পান। ১৯৮৮ সালে সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর উলান ওদ সংবাদপত্রে কাজ করতে শুরু করেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হবার প্রথম মেয়াদের পর ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বুল্ডার্স ইকোনমিক ইনস্টিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করেন। এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ বৃত্তি নিয়ে পড়েন। ২০০২ সালে জন এফ. কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পান। == রাজনৈতিক জীবন == ২০ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন। এবার জোট সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান। ২১ নভেম্বর, ২০০৫ তারিখে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশ উলানবাটারে এলবেগদর্জের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাতে মিলিত হন। সময় তিনি তার সম্বন্ধে বলেন যে, বিশ্ব গণতন্ত্রের উন্নয়নে আপনার ন্যায় ব্যক্তিদের প্রয়োজন। ২৪ মে, ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৫১.২১% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এখবায়ার পেয়েছিলেন ৪৭.৪১% ভোট। অতঃপর ১৮ জুন, ২০০৯ তারিখে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। == মূল্যায়ণ == ১৯৯০ সালে মঙ্গোলিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে ভূমিকা রাখেন। এরফলে দীর্ঘ ৭০ বছর পর সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত হয় মঙ্গোলিয়া। এছাড়াও, ১৯৯২ সালে দেশের খসড়া সংবিধানের সহঃউদ্যোক্তা ছিলেন যাতে গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা মুক্ত বাজার অর্থনীতির দিক-নির্দেশনা ছিল। তার সমর্থকদের কাছে তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং "গণতন্ত্রের সোনালী চড়ুই পাখী' নামে পরিচিত তিনি। দেশের প্রধান স্বাধীন সংবাদপত্র আর্দচিলালের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এছাড়াও, মঙ্গোলিয়ার প্রথম স্বাধীন টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তার শাসনামলে দূর্নীতি উৎপাটন, পরিবেশ সংরক্ষণ, মহিলাদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, বিচারব্যবস্থা পুণঃগঠন, নাগরিক সম্পৃক্ততা, অর্থনৈতিক উদারনীতি গ্রহণ বেসরকারীকরণ, সম্পত্তির অধিকার, মৃতদণ্ডের সাজা বিলোপনের ন্যায় বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে। == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন == *Beech, Hannah (20 August 2012). Hesitant Steppes. ''Time Magazine''. Retrieved 23 June 2013. *Diamond, Larry.; Fukuyama, Francis.; Krasner, Stephen (24 September 2012). Mongolia's Next Challenge. ''The Wall Street Journal''. Retrieved July 2013. *Gillet, Kit (13 September 2012). Though Not Yet open, Huge Mine is Transforming Mongolia. ''The New York Times''. Retrieved July 2013. == বহিঃসংযোগ == President Tsakhiagiin Elbegdorj ''official website of the Office of the President of Mongolia'' রাষ্ট্রপতি জন্ম ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পার্টির (মঙ্গোলিয়া) রাজনীতিবিদ সাংবাদিক রাজনীতিবিদ বিপ্লবী লেখক'''হাবিবউল্লাহ খান''' (৩ জুন ১৮৭২ ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯) ছিলেন আফগানিস্তানের আমির। ১৯০১ থেকে ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি আমির ছিলেন। তিনি উজবেকিস্তানের সমরকন্দে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ছিলেন তার পিতা আমির আমির আবদুর রহমান খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র। হাবিবউল্লাহ খান আফগানিস্তানকে আধুনিক করতে চেয়েছিলেন। তিনি আফগানিস্তানে আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা চালান। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে হাবিবউল্লাহ খান হাবিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি সামরিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশে তিনি সংস্কার কার্যক্রম চালান। তিনি আইন ব্যবস্থার সংস্কার করেন এবং অনেক কঠোর শাস্তির প্রথা বন্ধ করেন। তবে তার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা আবদুল লতিফকে ধর্মত্যাগের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তাকে কাবুলে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়। অন্যান্য সংস্কারের মধ্যে ছিল দমনমূলক অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ব্যবস্থা ভেঙে দেয়া। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানীয় জার্মান পক্ষ আফগানিস্তানকে নিজেদের দলে আনার প্রচেষ্টা চালালেও তিনি আফগানিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থায় রাখতে সক্ষম হন। তিনি ব্রিটিশ ভারতের সাথে উত্তেজনা কমিয়ে আনেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্য মিত্রতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারি সফরে যান। ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি লাগমান প্রদেশে শিকারের সময় হাবিবউল্লাহ খান নিহত হন। তার ভাই নাসরুল্লাহ খান এরপর তার উত্তরসুরি হন। তিনি মাত্র একসপ্তাহ ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তিনি হাবিবউল্লাহ খানের তৃতীয় সন্তান আমানউল্লাহ খান কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত বন্দী হন। ==সম্মাননা== *নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ সেইন্ট মাইকেল এন্ড সেন্ট জর্জ (জিসিএমজি) ১৮৯৬ *নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য বাথ (জিসিবি) ১৯০৭ ==তথ্যসূত্র== ==উৎস== Ancestry.com জন্ম মৃত্যু আমির বাদশাহ ব্যক্তি রাজা আফগান রাজনীতিবিদ ব্যক্তি নিহত ব্যক্তি নাইটস গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য বাথ নাইটস গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ সেইন্ট মাইকেল এন্ড সেইন্ট জর্জ'''জহিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়''' () হচ্ছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সুতিয়াখালীতে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রায় একর জমির উপর অবস্থিত। ১৯৪৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। == ইতিহাস == জহিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থানীয় শিক্ষার উন্নয়নের চিন্তা থেকে স্থানীয় শিক্ষনুরাগী সমাজহিতৈষী ব্যক্তিগনের উদ্যাগে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। == ক্যাম্পাস == সুতিয়াখালীতে জহিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনসমূহ। ছাত্রছাত্রীদের কোলাহলে প্রায় একর বিশিষ্ট ক্যাম্পাসটিকে করে তুলেছে সজীব প্রাণবন্ত। স্কুলে রয়েছে ৪টি ভবন। == == == একাডেমিক কোর্স == == স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনসমূহ == == বহিঃসংযোগ == == তথ্যসূত্র == প্রতিষ্ঠিত জেলার বিদ্যালয় সদর উপজেলা'''শাহ আশরাফ হুতাক''', (পশতু, দারি, উর্দু, আরবি: ('''শাহ আশরাফ গিলজি''' নামেও পরিচিত) () (মৃত্যু ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন আবদুল আজিজ হুতাকের পুত্র এবং চতুর্থ হুতাক শাসক। সাফাভি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় তিনি মাহমুদ হুতাকের সেনাপ্রধান ছিলেন। তিনি গুলনাবাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৭২৫ খ্রিষ্টাব্দে মাহমুদ হুতাক মারা যাওয়ার পর তিনি ক্ষমতা লাভ করেন। তার শাসনামলে তুর্কি, রুশ পার্সিয়ান বাহিনীর ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে হুতাক সাম্রাজ্যের অবনতি ঘটে। আশরাফ হুতাক রুশ তুর্কিদের প্রতিহত করেন। তিনি কিরমানশাহর নিকটে একটি যুদ্ধে উসমানীয়দের পরাজিত করেছিলেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়। আশরাফের প্রতিনিধি দাবি করেন যে আশরাফ হুতাক পূর্বাঞ্চলীয় বিশ্বের খলিফা হবেন এবং উসমানীয় সুলতান পশ্চিমাঞ্চলীয় বিশ্বের খলিফা হবেন। এর ফলে উসমানীয়রা অসন্তুষ্ট হলেও উসমানীয়দের দক্ষ কূটনৈতিকতার কারণে হামাদানে ১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দে শেষপর্যন্ত একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৭২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে দামগানের যুদ্ধে দ্বিতীয় তাহমাস্পের সেনাপতি নাদির শাহ আশরাফ গিলজির বাহিনীকে পরাজিত করেন। ফলে আফগানরা বিতাড়িত হয়ে আফগানিস্তানে পিছু হটে। ==মৃত্যু== পিছু হটার সময় মীর মহব্বত খান বালুচের হাতে আশরাফ খান ধরা পড়েন নিহত হন। আশরাফ হুতাকের মৃত্যুর ফলে পারস্যে হুতাক শাসন সমাপ্ত হয়। তবে আফগানিস্তান হুসাইন হুতাকের অধীনে ছিল। পরে ১৭৩৮ খ্রিষ্টাব্দে নাদির শাহ কান্দাহার জয় করেন। ==আরও দেখুন== *হুতাক রাজবংশ *ইরানের ইতিহাস *আফগানিস্তানের ইতিহাস ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== An Outline Of The History Of Persia During The Last Two Centuries (A.D. 1722–1922) Hotak Rule ব্যক্তি মৃত্যু সাল অজানা আফগান ব্যক্তি'''বিঙ্কি''' (১৯৭৫ ২০ জুলাই ১৯৯৫) ছিল একটি মেরু ভালুক; যে অ্যাংকারিজ এর আলাস্কা চিড়িয়াখানাতে বাস করতো। একে আলাস্কার উত্তরে ঢালু অঞ্চলে এতিম ভালুক হিসেবে পাওয়া গিয়েছিল। একে চিড়িয়াখানাতে নিয়ে আসার পর এটি চিড়িয়াখানার এক প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল। ১৯৯৪ সালে সে দুইজন দর্শককে মারার কারনে টেলিভিশন চ্যানেলের আওতায় আসে। ১৯৯৫ সালে পরাশ্রয়ী রোগ সারকোসাইসটোসিস -এ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। == প্রাথমিক জীবন == ১৯৭৫ সালের বিঙ্কিকে আলাস্কার ক্যাপ বিউফোর্টের উত্তর ঢালু উঞ্চলে এতিম ভালুক হিসেবে পাওয়া যায়। আলাস্কা ডিপার্টমেন্ট অব ফিশ এন্ড গেম একে রক্ষা করেছিল। একে আলাস্কা শিশু চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আলাস্কা চিড়িয়াখানাতে পাঠানো হয় যেখানে সে খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। ১৯৭৬ সালে বিঙ্কির রক্ষক বলেছেন যে, বিঙ্কি অভিনেতা ছিল এবং যখন তার দর্শকরা সন্ধ্যা হলে চলে যেত তখন সে কাঁদতো। বিঙ্কিকে প্রাথমিকভাবে ১৩ফুটX২০ফুট ডিম্বাকার ঘরে রাখা হতো যেখানে সে খুব তাড়াতাড়ি অনেক বড় হয়ে ওঠে। বিঙ্কির বড় হওয়ার জন্য চিড়িয়াখানায় নতুন ঘর বানাতে কর্তৃপক্ষের ১৫০,০০০ লক্ষ ডলার প্রয়োজন ছিল। কর্তৃপক্ষ বিঙ্কিকে মিলাউকী চিড়িয়াখানা তে পাঠাতে ভয় পেয়েছিল। একটি ফান্ডরাইজার এবং উন্মুক্ত ঘর বসানো হলো পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহ করার জন্য। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং ব্যবসায়িকরা অর্থ দান করতো। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় শহর চিড়িয়াখানার জমিন ১০০,০০০ ডলারে লীজ নেয় এবং শর্ত ছিল চিড়িয়াখানাকে বছরে ৫৫ কিস্তিতে প্রতি বছরে ২,৫০০ ডলার দিতে হবে। বিঙ্কির নতুন থাকার জায়াগা ১৯৭৭ সালের মে মাস থেকে শুরু হয়। একই বছরে ক্যাল ওর্থিংটন -এর একটি ডিলারশিপ বাণিজ্যে 'মাই ডগ স্পট' হিসেবে দেখা দেয়। বিঙ্কি যখন যৌন পরিপক্বতা লাভ করে তখন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ওকলাহোমা'র টুলসা চিড়িয়াখানা থেকে মিমি নামের একটি স্ত্রীভালুক নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। যখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে তখনই মিমি একটি ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে টুলসা চিড়িয়াখানাতেই মৃত্যুবরণ করে। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দু'টি জমজ মেরু ভালুক (নুকা, যে ছিল মেয়ে এবং সিকু, যে ছিল ছেলে) এনে বিঙ্কির বসবাসের স্থানে রাখে। বিঙ্কি সিকুর সাথে খারাপ আচরণ করতো বলে সিকুকে মেক্সিকো'র মোরলিয়া চিড়িয়াখানাতে ১৯৮১ সালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এবং পূর্ণবয়স্ক বিঙ্কির ওজন ছিল ১,২০০ পাউন্ড। বিঙ্কি আক্রমণকারী ভালুক ছিল। সে চিড়িয়াখানার একজন কর্মীর আঙ্গুল কামড়ে দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে বিঙ্কির রক্ষক বলেছেন, == মারধর, যশ এবং মৃত্যু == ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে ২৯ বছর বয়সী একজন অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক 'ক্যাথরিন ওয়ারবার্টন' সুরক্ষা সীমানার উপর লাফিয়ে বিঙ্কির বাসস্থানের খুব কাছাকাছি চলে আসে বিঙ্কির একটি ছবি তোলার জন্য। কিন্তু সুরক্ষা সীমানার সামনে চলে আসার কারণে বিঙ্কি তাকে আঁকড়ে ধরলো এবং এবং মারাত্মকভাবে জখম করলো যার ফলে অস্ট্রেলিয়ান পর্যটকের একটি পা ভেঙে গিয়েছিল। আরেকজন পর্যটক ঘটনাটি ধারণ করে নিল একটি টেপ-এ। বিঙ্কি মহিলার একটি জুতো তিন দিন ধরে রেখে দিয়েছিল; সে জুতোটি কামড়াতো এবং পরবর্তীতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিঙ্কি থেকে সেই জুতো উদ্ধার করে নেয়। মহিলাকে আক্রমণ করার পরের দিন আলাস্কা স্টার এর একজন ফটোগ্রাফার 'রব ল্যামান' বিঙ্কির একটি ছবি তুলে নেয় এবং পরবর্তীতে প্রায় সকল সংবাদপত্রেই এই ছবি প্রকাশিত হলো এবং পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করা হলো। ওয়ার্টবনের আরেকটি জুতো 'বার্ড ক্রীক'র পাশে গিয়ে পড়েছিল এবং জুতোটি পুড়িয়ে ফেলার আগে সেখানেই ছিল। ছয় সপ্তাহ পরে বিঙ্কি আরেকটি মারামারির সাথে যুক্ত হয়ে যায়। স্থানীয় ১৯ বছর বয়সী এক মাতাল যুবক বিঙ্কি'র বাসস্থানের খুব কাছাকাছি চলে আসে এবং এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যুবকটি বিঙ্কির পুলে গোসল করতে চাচ্ছিল। তাই বিঙ্কি যুবককে মারধর করে পা ভেঙে দেয় এবং পরে যুবকটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এটা নিশ্চিত হতে পারেনি যে বিঙ্কিই ছিল আক্রমনকারী। তবে এই ঘটনার পর বিঙ্কির মুখে রক্ত লেগে থাকতে দেখা যায়। এই আক্রমণের পরে বিঙ্কি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গুলোর নজর আকর্ষন করে। বিঙ্কির জুতো হাতে ছবি এবং একটি স্লোগান ব্যবহার করে টি-শার্ট, মগ, এবং বাম্পার স্টিকার ব্যবহার করা হতো। স্লোগানটি ছিলঃ আরেকজন পর্যটক পাঠাবে, সেও বহুদূরে পালাবে। স্থানীয় সম্পাদকরা মারামারির দু'টি ঘটনার পর বিঙ্কিকে সামর্থন করতে লাগলো এবং যুক্তি দেখালো মেরু ভালুকের ভয়ংকর রূপকে সবার সম্মান করা উচিত। চিড়িয়াখানার পরিচালক স্যামি সিওয়েল ওয়ার্টবর্নের কাজটির সমালোচনা করে অ্যাংকারিজ ডেইলি নিউজকে বলেন, "সে চিড়িয়াখানার আইন ভঙ্গ করেছে এবং ভালুকের স্বাভাবিক জীবন বিপন্ন করেছে।" যদিও আক্রমণের ঘটনার পর সিওয়েল প্রাথমিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তবে পরবর্তীতে তিনি দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য বিঙ্কির বাসস্থানের চারপাশে মজবুত করে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরী করেন। ১৯৯৫ সালের ১৪ই জুলাই বিঙ্কির সঙ্গীনি (নুকা) সাকোসাইটোসিস নামক পরজীবী রোগে আক্রান্ত হয়ে যকৃতের কার্যক্ষমতা হারিয়ে মারা যায়। কিছু সময় পরে বিঙ্কির দেহেও একই রোগের লক্ষণ দেখা যায় এবং ২০ জুলাই সকালে বিঙ্কির খিঁচুনি উঠে মৃত্যুবরণ করে। বিঙ্কির দর্শকরা তার খালি বাসস্থানের সামনে ফুলের তোড়া দিয়ে যেত এবং চিড়িয়াখানার মেমোরিয়াল সার্ভিস লক্ষ্য করলো বিঙ্কির কিছু খারাপ কর্মকান্ড সত্ত্বেও ভক্তরা তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছিল। বিঙ্কিকে চিড়িয়াখানার মাটিতেই সমাহিত করা হয়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Animal Planet video report on the first mauling, including footage of the attack itself Associated Press footage of first maulingকুতুব মিনার স্থাপনাসমূহ দিল্লীর দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। লাল বেলেপাথরে নিৰ্মিত এই মিনারটির উচ্চতা ৭২.৫ মিটার (২৩৮ ফুট)। মিনারটির পাদদেশের ব্যাস ১৪.৩২ মিটার (৪৭ ফুট) এবং শীৰ্ষঅংশের ব্যাস ২.৭৫ মিটার (৯ ফুট)। ত্ৰয়োদশ শতাব্দীর প্ৰথম দিকে এই মিনারের নিৰ্মাণকাৰ্য সমাপ্ত হয়। মিনার প্ৰাঙ্গনে আলাই দরজা (১৩১১), আলাই মিনার (এটি অসমাপ্ত মিনারের স্তূপ, এটা নিৰ্মাণের কথা থাকলেও, নিৰ্মাণকাৰ্য সমাপ্ত হয়নি), কুব্বত-উল-ইসলাম মসজিদ (ভারতের প্ৰাচীনতম মসজিদসমূহের অন্যতম, যেসব বৰ্তমানে আছে), ইলতোতমিসের সমাধি এবং একটি লৌহস্তম্ভ আছে। একাধিক হিন্দু এবং জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে এই মিনার নিৰ্মিত হয় বলে কথিত আছে। অনুমান করা হয় যে ভারতে ইসলাম শাসনের প্ৰথম দিকে বহিরাগত আক্ৰমণে এই মন্দিরসমূহ ধ্বংসপ্ৰাপ্ত হয়েছিল। প্ৰাঙ্গন কেন্দ্ৰস্থল ৭.০২ মিটার (২৩ ফুট) উচ্চতাবিশিষ্ট যেখানে চকচকীয়া লৌহস্তম্ভ আছে, যা আজপৰ্যন্ত একটু মরচে ধরে নাই। এই লৌহস্তম্ভে সংস্কৃত ভাষায় দ্বিতীয় চন্দ্ৰগুপ্তের একটা লেখা আছে। ১১৯২ সালে '''কুতুবউদ্দিন আইবেক''' এই মিনারের নিৰ্মাণ কাজ আরম্ভ করেছিলেন। ইলতোতমিসের রাজত্বকালে (১২১১-৩৮) মিনারের কাজ শেষ হয়। আলাউদ্দিন খিলজীর রাজত্বকালে (১২৯৬-১৩১৬) এটার প্রাঙ্গণ এবং নির্মাণ নিৰ্মাণকাৰ্য সম্পাদন হয়। পরবৰ্তীকালে বজ্ৰপাতে মিনার ক্ষতিগ্ৰস্থ হয় যদিও তার সংস্কার করা হয়েছিল। ইসলামিক স্থাপত্য এবং শিল্পকৌশলের এক অনবদ্য প্ৰতিফলন হিসাবে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকার (iv) বিভাগে এই প্রাঙ্গণ বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মৰ্যাদা লাভ করে। ==আলাই দরজা== Close up of the inscriptions on entrance arch, Alai Darwaza built by Alauddin Khilji ==কুতুব মিনার== Qutb Minar and Alai Darwaza (Alai Gate), the entrance to the Quwwat-Ul-Islam Mosque == কুব্বত-উল-ইসলাম মসজিদ == 300px Qubbat-ul-Islam mosque started in 1193 CE by to mark his victory over Rajputs Intricate stone carvings on the cloister columns at Quwwat ul-Islam Mosque, Qutb complex, Delhi Resembles Hindu Temple Pillars Pillars taken from Hindu temples. ==লৌহস্তম্ভ== Iron pillar in the Qutb Complex == সমাধিস্তম্ভ == Tomb of Imam Zamin ===ইলতোতমিসের সমাধিস্তম্ভ=== ==আলাউদ্দীন খিলজীর সমাধিস্তম্ভ মাদ্রাসা == Alauddin Khilji's ''Madrasa'', which also has his tomb to the south, ca 1316 AD ==আলাই মিনার== == গ্যালারী == map of the Qutb complex (click to see legend) from the destroyed Jain temples File:Tomb of Imam Zamin, next of Alai Darwaza, Qutb minar of Imam Zamin, Qutub Minar Complex File:Plaque at Qutub at Qutub Minar. File:Qutb Minar from the Quwwuatul ul-Islam mosque, Qutb view of Qutb Minar, with Jain temple reused pillar in view File:Close-up of upper storeys of Qutb Minar.jpg|Upper storeys of Qutb Minar, in white marble and sandstone File:Interior of Alai Darwaza, Qutb Minar of Alai Darwaza, resembling Timber ornamentation, Qutb complex File:Tomb of Alauddin Khilji, Qutub Minar complex, Delhi.jpg|Tomb of Alauddin Khilji, Qutub Minar complex File:Upper design in qutb minar design in Qutb Minar Complex File:Qutub minar.JPG|The Qutb Minar and surrounding ruins. tomb of the Emperor Shah 'Alam at the dargah of Qutb-Sahib at Mahrauli; watercolor by Seeta Ram File:Qutb Mosque Arch Ruin.jpg|Qutb Mosque Arch Ruin view of the Qutub Minar Grounds File:Qutub Minar, Qutb complex, Delhi August 2015 (1).JPG|The Qutb Minar, looking up from its foot File:Qutub Minar, Qutb complex, Delhi August 2015 (3).JPG|The entrance to the Qutb Minar. Upper half taken to show closeup of the designs on top of the gate. File:Qutub Minar, Qutb complex, Delhi August 2015 (5).JPG|High resolution details of the calligraphy on one side of the Qutb Minar File:Qutub Minar, Qutb complex, Delhi August 2015 (6).JPG|Looking towards the Minar from under the adjoining ruins of an arch. ==তথ্যসূত্র== ==গ্ৰন্থ সংযোগ== ''The World heritage complex of the Qutub'', by R. Aryan Books International, 2005. ==বহিঃ সংযোগ== Entry in the UNESCO World Heritage Site List Quwwat Al-Islam Mosque Corrosion resistance of Delhi iron pillar Nondestructive evaluation of the Delhi iron pillar ''Current Science'', Indian Academy of Sciences, Vol. 88, No. 12, 25 June 2005 (PDF) Photo gallery of the Qutb complex বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান'''এসএমএস ফ্রেড্রিক কার্ল''' ছিল একটি জার্মান সাঁজোয়া যুদ্ধজাহাজ যা নির্মিত হয় ১৯ শতকের প্রথমদিকে ইম্পেরিয়াল জার্মান নেভির জন্য। এটি ছিল প্রিঞ্জ এডেলবারট ক্লাসের দ্বিতীয় জাহাজ। এটি নির্মিত হয়েছিল হামবুর্গের ব্লম এন্ড ভস শিপইয়ার্ডে। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯০১ সালে এবং শেষ হয় ১৯০৩ সা্লের ডিসেম্বরে যাতে লেগেছিল প্রায় ১৫,৬৬৫,০০০ মার্ক্স। এই জাহাজটির ছিল চারটি অস্ত্রযুক্ত মেইন ব্যাটারি এবং এটি সর্বোচ্চ বেগে ছুটতে সক্ষম ছিল। জাহাজটি জার্মান নৌবহরে যুক্ত হয় তার টর্পেডো ট্রেনিং জাহাজ হিসেবে ১৯০৯ সালে কমিশন পাবার পূর্বেই। ১৯১৪ সালের আগস্টে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে একে পুনরায় যুদ্ধক্ষেত্রে নামানো হয় বাল্টিক সাগরে রিয়ার এডমিরাল বেহরিং-এর ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে। এর যুদ্ধজাহাজ হিসেবে কর্মক্ষমতা শেষ হয়ে যায় যখন এটি একজোড়া রাশিয়ান মাইনের আক্রমণে পড়ে মেমেলে স্থানাঙ্ক: মাইনের আঘাতে জাহাজটির ভয়াবহ ক্ষতিসাধন হয়, যদিও জাহাজটি খুব ধীরে ডুবার কারনে বেশিরভাগ ক্রু'ই জাহাজ থেকে নিরাপদে নেমে যেতে সক্ষম হয়; শুধু সাতজন এই ঘটনায় নিহত হন। == নির্মাণ == ''প্রিন্জ অ্যাডালবার্ডের লাইন ড্রয়িং ''; গাড়কৃত অংশগুলি জাহাজের রক্ষাকবচযুক্ত অংশকে নির্দেশ করে। ফ্রেড্রিক কার্লেকে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল প্রাথমিকভাবে ইরসাজ কনিগ উইলহেম নামে এবং এটি তৈরি হয়েছিল ব্লম এন্ড ভস নামক হ্যামবার্গে অবস্থিত শিপইয়ার্ডে ১৫৫ নম্বর নির্মাণ নম্বরে। এই জাহাজের তলি পাতা হয়েছিল ১৯০০ সালে এবং তা অবশেষে পানিতে যাত্রা করে ১৯০২ এর ২২শে জুন। যদিও বিভিন্ন ফিটিং কাজ সম্পন্ন হয় ১২ ডিসেম্বর, ১৯০৩ এ। এর নির্মাণে জার্মান সরকারকে খরচ করতে হয় প্রায় ১৫,৬৬৫,০০০ গোল্ডমার্ক। ফ্রেড্রিক কার্ল নির্মাণের সময় ছিল এবং মালবহনকৃত অবস্থায় যার দৈর্ঘ্য ছিল একটি বীম এবং ড্রাফ্‌ট সম্মুখে। এর তিনটি উলম্বিক ট্রিপল এক্সপানশন ইঞ্জিন বাষ্পীয় ইঞ্জিন) প্রায় ক্ষমতালাভ করতে সক্ষম ছিল এবং সর্বোচ্চ গতিতে যেতে সক্ষম। এটি কয়লা বহন করতে সক্ষম যা সর্বোচ্চ পাড়ি দিতে সাহায্য করবে গতিতে এটি সজ্জিত ছিল চারটি বন্দুক দিয়ে যা দুইটি যমজ সারিতে (gun turrets) অবস্থিত ছিল জাহাজের প্রতিদিকে। এছাড়াও এতে ১০টি SK L/40 বন্দুক, ১২ টি বন্দুক এবং ৪টি নিমজ্জিত টর্পেডো টিউব যার একটি গলুইয়ে এবং একটি পিছনভাগে এবং দুইটি দুই বিমে অবস্থিত ছিল। == কর্ম ইতিহাস == মধ্যচ্ছেদ এসএমএস ফেডরিখ কার্ল-এর মিনিয়েচাররূপে জার্মান জাদুঘরে ''ফ্রেড্রিক কার্ল'' নৌবাহিনীতে যোগদান করে ১২ ডিসেম্বর, ১৯০৩ সালে তার কমিশন পাবার পরপরই। একে সক্রিয় নৌবহরের ক্রুজার ডিভিশনের ১নম্বর সাব ডিভিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়। Frauenlob, Arcona এবং Hamburg এর মতো হাল্কা ক্রুজারের সাথে ফ্রেড্রিক কার্ল এর সাবডিভিশনকেও যোগ করা হয় স্কয়াড্রন এ। ফ্রেড্রিক কার্ল ছিল রিয়ার এডমিরাল স্মিটের (Schmidt) ফ্ল্যাগশিপ, যিনি ছিলেন ক্রুজার ডিভিশনের কমান্ডার। একটি দ্বিতীয় সাবডিভিশন যোগ করা হ্য় স্কয়াড্রন এর সাথে যাতে ছিল একটি অস্ত্র সজ্জিত ক্রুজার এবং তিনটি হাল্কা ক্রুজার। ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯০৬-এ ফ্রাঞ্জ ভন হিপার জাহাজের কমান্ড গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ফ্রেড্রিক কার্লে থাকা বন্দুকযোদ্ধারা শ্রেষ্ঠ নিশানাবাজ বহর হিসেবে কাইজার পুরস্কার লাভ করে ১৯০৭-এ। হিপার ১৯০৮ সাল পর্যন্ত এই জাহাজকে নেতৃত্ব দেন। ফ্রেড্রিক কার্ল মার্চ ১, ১৯০৯ পর্যন্ত নৌবহরে সক্রিয় ছিল যখন একে টর্পেডো ট্রেনিং এর জন্য নিয়ে চলে আসা হয়। পরবর্তীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একে পুনরায় সক্রিয় যুদ্ধে নিয়গ দেওয়া হয় ক্রুজার ডিভিশনে বাল্টিক সাগরে। অক্টোবর ১৯১৪ তে ফ্রেড্রিক কার্ল ছিল প্রথম জার্মান যুদ্ধজাহাজ যা সমুদ্রপ্লেন বহন করছিল। প্রাথমিকভাবে জাহাজটি দুইটি প্লেন বহন করছিল এবং কাজের জন্য এর কোন আলাদা মডিফিকেশন করা হয়নি। একে রিয়ার এডমিরাল বেহরিং-এর ফ্ল্যাগশিপ বানানো হ্য়, যিনি ছিলেন বাল্টিক সাগরে জার্মানদের কমান্ডার। স্কয়াড্রনের বেস ছিল ডানযিগের নেউফা'রয়াসেরে। জার্মান নৌ কমান্ডার জানতেন যে ব্রিটিশ সাবমেরিন বাল্টিক সাগরে রয়েছে, তাই তিনি বেহরিংকে আদেশ দেন লিবাউতে রাশিয়ান পোর্ট আক্রমণ করতে যাতে সেটি ব্রিটিশ সাবমেরিন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে না পারে। রাশিয়ান নেভি সেসময় বাল্টিক সাগরে মাইন যুদ্ধের সুচনা করেছিল। রাশিয়ানরা মেমেল, পিল্লাউ এবং অন্যান্য জার্মান পোর্টে অক্টোবর ১৯১৪ অনেক মাইন পুঁতে রাখে যা জার্মান নেভি টেরও পায়নি। এই সময়ে ফ্রেড্রিক কার্ল ব্যস্ত ছিল লিবাউতে তার সমুদ্রপ্লেনের কর্মকান্ড নিয়ে। বেহরিং-এর উপর আদেশ ছিল নভেম্বরে লিবাউতে আক্রমণের যা খারাপ আবহাওয়ার কারনে ১৬ তারিখ পর্যন্ত বিলম্বিত হয়। ১৭ তারিখ সকালে ফ্রেড্রিক কার্ল যখন ৩০ নটিক্যাল মাইল বেগে মেমেলের দিকে ধাবিত হচ্ছিল তখন এর সাথে দুইটি রাশিয়ান মাইলের সংঘর্ষ ঘটে। জাহাজটি কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত ভেসে থাকতে সক্ষম হয়, যে সময়ে জাহাজের ক্রু রা জাহাজ ত্যাগ করতে পারে। এদিকে অপারেশন পূর্বপরিকল্পিত সময়েই শুরু হয় এবং লিবাউতে ব্লকশিপ ডুবাতে সক্ষম হয়। ফ্রেড্রিক কার্লের ক্রুরা জাহাজ ত্যাগের পর ৬৩০ জাহাজটি ডুবে যায়। ঘটনায় সাতজন মারা যায়। == মিডিয়ায় == ফ্রেড্রিক কার্লের নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনা রাশিয়ান মুভি এডমিরালে ফুটিয়ে তোলা হয়, যেখানে রাশিয়ান এডমিরাল আলেক্সান্ডার কলচাক একটি জাহাজকে রাশিয়ান মাইনফিলডের ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হন। ==টীকা== ;পদটীকা *জার্মান যুদ্ধ জাহাজগুলো প্রভিশনাল নামে অর্ডার করা হতো। নতুন যুক্ত হওয়া জাহাজের জন্য বরাদ্দ হত একটি অক্ষর নাম হিসেবে আর কোন পুরান বা হারান জাহাজের বদলি হিসেবে অর্ডার করা জাহাজের নামের আগে যুক্ত হত "এরসাজ ..জাহাজের নাম...." ;টীকা ==তথ্যসূত্র== ;বই ;জার্নাল'''তন্ময় মিশ্র''' (; জন্ম ২২ ডিসেম্বর ১৯৮৬) একজন সাবেক কেনীয় ক্রিকেটার। তিনি হলেন একজন ডানহাতি আক্রমণাত্মক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বুলাওয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৬ সালে কেনিয়ার পক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেটার ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার চার্জার্সের ক্রিকেটার চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ক্রিকেটার'''তুঁত রেশম''' বা বোমবিক্স মোরি (ইংরেজি: ''Bombyx mori'') আর্থ্রোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্ত ইনসেক্টা শ্রেণীর লেপিডটেরা বর্গের পতঙ্গ। রেশম পোকার ইংরেজি সাধারণ নাম সিল্ক ওর্য়াম (Silk Worm) তবে এই প্রজাতির রেশম পোকার প্রধান খাদ্য তুঁত গাছের পাতা বলে এদেরকে তুঁত রেশম পোকা বা Mulerry Silkworm বলে। ==তুঁতজাত রেশম পোকার জীবন চক্র== রেশম পোকার জীবনে চারটি পর্যায়। তা হল ডিম, শূককীট, মূককীট পূর্ণাঙ্গ পোকা। পূর্ণাঙ্গ পোকার নাম মথ। পোকারা নিশাচর অর্থাৎ রাতের বেলায় চলাফেরা করে। পোকার রঙ উজ্জ্বল নয়। স্ত্রী মথ পাতা বা কাগজের উপর চরে বেড়ায়। পুরুষ(উপরে) এবং স্ত্রী(নিচে) মথের মিলন দেহের অভ্যন্তরে নিষিক্তকরণ সংঘটিত হয়। কোকুন থেকে পূর্ণাঙ্গ মথ বের হওয়ার সাথে সাথে পুরুষ মথ স্ত্রী মথের সাথে মিলিত হয় এবং এদের মিলনকাল কমবেশি থেকে ঘণ্টা এবং মিলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সাধারণত পুরুষ মথ মারা যায়। ===ডিম পাড়া=== মিলনের পরপরই স্ত্রী মথ কাগজ বা পাতায় ডিম পাড়া শুরু করে এবং স্ত্রী মথ সাধারণত ৪০০-৫০০ ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ ফ্যাকাশে হলুদ। ===ডিম ফোটা=== প্রায় ১০ দিন পর ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। শূককীট দুষ্টু ছেলের মত চঞ্চল। সে বেজায় ছুটোছুটি করে আর গ্রোগাসে গিলতে থাকে। তুঁত গাছের পাতা কুচি কুচি করে কেটে এদের খেতে দিতে হয়। ===খোলস উন্মোচন=== শূককীট কয়দিন পর পর চারবার খোলস বদলায়। খোলস বদলানোকে মোল্টিং বলে। মোল্টিং অর্থ ত্বক পরিবর্তন। শূককীট বড় হলে বাদামী লাল রঙের দেখায়। শূককীট চতুর্থবার খোলস বদলানোর পর মূককীটে পরিণত হতে শুরু করে। ===পিউপা=== সময় এদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শূককীট, মূককীটকে যে বাঁশের ডালায় গালা হয় তার নাম চন্দ্রকী। চন্দ্রকীতে অনেকগুলো কুঠুরি থাকে। ===কোকুন=== শূককীট দেহের ভিতরে একটি লম্বা রেশম গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে থাকে এক প্রকার রস। নালী দিয়ে রস মুখের বাইরে আসে। নালীর নাম স্পিনারেট (Spinneret)। বাতাসের সংস্পর্শে রস শক্ত হয়ে যায়। মূককীট মিনিটে ৬৫ বার মুখ ঘুরিয়ে রস দিয়ে দেহের চারপাশে আবরণ তৈরি করে। এই রসকে সাধারণ কথায় মুখের লালা বলে। আবরণসহ মূককীটকে গুটি বলে। গুটির ইংরেজি নাম কুকুন (Cocoon)। গুটির মধ্যে মুককীটের অদ্ভুত রূপান্তর ঘটে। এই পরিবর্তনকে মেটামরফসিস (Metamorphosis) বলে। মূককীট পরিবর্তিত হয়ে সুন্দর মথের রূপ ধারণ করে। ===পূর্ণাঙ্গ মথের আবির্ভাব=== পিউপা দশায় পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের ফলে উদরীয় ক্ষণপদ আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হবার সাথে দু’জোড়া পাখা তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইহা পূর্ণাঙ্গ মথে পরিণত হয়। মথই রেশম পোকার পূর্ণাঙ্গ অবস্থা। ==তথ্যসূত্র=='''নো বেটার''' হল নিউজিল্যান্ডের গায়িকা লর্ডের একটি গান, যা তার প্রথম প্রকাশিত স্টুডিও অ্যালবাম পিওর হিরোইন (২০১৩)-এর বর্ধিত ভার্সন থেকে নেওয়া হয়েছে। অ্যালবামের প্রচারণামূলক হাতিয়ার হিসাবে ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ কর্তৃক গানটি ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মুক্তি পেয়েছিল। নো বেটার একটি ইলেক্ট্রপপ, হিপহপের উপাদানে ট্রিপ হপ গাথা, যার মধ্যে লর্ড একটি মায়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। ==পটভূমি== নো বেটার গানটি লিখেছেন লর্ড (তার জন্ম নাম ''এলা দিয়ে) এবং জোয়েল লিটল। ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর গানটি আইটিউন স্টোরে একক ডিজিটাল ডাউনলোড হিসাবে মুক্তিপায়। এককটি আইটিউন স্টোরের ক্রিসমাস প্রমোশন ১২ দিনের পুরস্কারের একটি অংশ হিসাবে ১৯ ডিসেম্বর বিনামূল্যে প্রযোজ্য ছিল। ==সংকলন== নো বেটার হল একটি ইলেক্ট্রপপ, হিপহপের উপাদানে ট্রিপ হপ গাথা। গানটি পিওর হিরোইন অ্যালবামের অন্যান্য গানের মত একটি অনুরুপ সুগম্ভীর, যাতে লর্ডের কোমল কণ্ঠ এবং নুন্যতম উৎপাদন সমন্বিত হয়েছে। এতে ওজি বেসলাইনের প্রয়োগ এবং যন্ত্রানুসুঙ্গে পালসিং সাইথিসিসারস, হুইটনে অব হিটফিক্স অনুসারে একে তৈরি করেছে একটি স্বপ্নিল সুরের গান। গীতীয়ভাবে, লর্ডের গানের বৈশিষ্ট, উদযাপন একটি মায়া যা ঋতু পরিবর্তনে গভীর হয়। প্রথম স্লোকে সে গায়, We roll in every summer when there's strength in our numbers And your breath's hot and gross but kiss you like lover", কোরাস গাওয়ার সময় অনুচ্চ বিট আরও তীব্র হয়ে উঠে, তখন লর্ড গেয়ে ওঠে, "Go all the way Have your fun, have it all". ==রিসিপশন== ==গানের তালিকা== *'''ডিজিটাল ডাউনলোড''' #"নো বেটার" ২:৫০ #"রয়েলস" ৪:০৩ ==মুক্তির ইতিহাস== অঞ্চল ফরমেট তারিখ লেভেল অস্ট্রেলিয়া Digital download 13 December 2013 Universal Music বেলজিয়াম ফিনল্যান্ড জার্মানি ভারত আয়ারল্যান্ড নিউজিল্যান্ড পতুর্গাল স্পেন সুইজার‌ল্যান্ড যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ=='''লোবোসা''' () অ্যামিবোজোয়া পর্বের একটি উপপর্ব। == বর্ণনা == সাধারণতঃ সমস্ত ফ্ল্যাজেলা বিহীন, ভোঁতা কন্দাকৃতি সিউডোপড যুক্ত অ্যামিবোজোয়া প্রজাতিকে লোবোসা উপপর্বের অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে টমাস চাও তাঁদের গবেষণাপত্রে মত দেন যে, আর্ক্যামিবা মাইসিটোজোয়া লোবোসা উপপর্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত এবং পার্কোলোজোয়া এই উপপর্বের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। ==তথ্যসূত্র==১৯৮২ সালে বিশ্ব ব্যাংকের বৃত্তি প্রোগ্রাম শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা স্নাতক পড়াশোনার ব্যাপারে সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়। এটি একটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে দেওয়া হয়। বর্তমানে দুই ধরনের বৃত্তি চালু আছে: যুগ্ম জাপান বিশ্বব্যাংক গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ প্রোগ্রামে জাপানি সরকার এবং বিশ্ব ব্যাংকের থেকে তহবিল চালানো হয়; বৃত্তি অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সদস্য দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হয়। ''রবার্ট এস এমসিনামারা ফেলোশিপ'' প্রোগ্রামে যোগ্য দেশসমূহ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজে তরুণদের গবেষকদের উৎসাহী করা হয় গবেষনা নিবন্ধ তৈরি করতে। ''রিসার্চ গ্রান্ট'' একটি প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বা গবেষণা কেন্দ্রে একটি থেকে ১০ মাসের সময়সীমার জন্য বাসভবন খরচ বহন করা হয়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == World Bank scholarship website ব্যাংকনিউ ইয়র্ক স্টেট রুট ১০৮(এনওয়াই ১০৮) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অবস্থিত, একটি রাজ্য মহাসড়ক। এনওয়াই ১০৮, ১.৭২ মাইল লম্বা। রাস্তাটি দক্ষিণের সিআর ১১ থেকে শুরু হয়ে, উত্তরের এনওয়াই ২৫এ গিয়ে শেষ হয়। এনওয়াই ১০৮, ১৯৩২ সালে তৈরী করা হয়। রাস্তাটি আজ অবধি বিদ্যমান রয়েছে। ==রাস্তার বিবরণ== NY 108 northbound in Cold Spring Harbor এনওয়াই ১০৮, ১.৭২ মাইল লম্বা। রাস্তাটি দক্ষিণের সিআর ১১ থেকে শুরু হয়ে, উত্তরের এনওয়াই ২৫এ গিয়ে শেষ হয়। এনওয়াই ১০৮, ১৯৩২ সালে তৈরী করা হয়। ==ইতিহাস== এনওয়াই ১০৮, ১৯৩২ সালে তৈরী করা হয়। রাস্তাটি আজ অবধি বিদ্যমান রয়েছে। ==মূখ্য অংশবিশেষ== ==আরও দেখুন== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== NY 108 (Greater New York Roads)নিউজিল্যান্ডের বেশিরভাগ স্থান-নাম এসেছে মাওরি ব্রিটিশ উৎস থেকে। দুটি দলই বিখ্যাত ব্যক্তি, ঘটনা, তাদের আদি নিবাস, তাদের জাহাজ, অথবা এলাকার বৈশিষ্ট অনুসারে স্থানের নাম রেখেছে। মাওরিরা নিউজিল্যান্ড দেশটির জন্য কোনো সামগ্রিক নাম রাখে নি, তবে উপনিবেশ পরবর্তীকালে আওতেয়ারোয়া (সাধারণ অনুবাদে ‘দীর্ঘ শ্বেত মেঘ’ বলা হয়) নামটি বিভিন্ন যায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। ডাট মানচিত্রকাররা দ্বীপপুঞ্জের নাম রাখে নোভা জিল্যান্ডিয়া এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশ অভিযাত্রী জেমস কুক এর ইংরেজীকরণ করেন নিউজিল্যান্ড। ইউরোপীয়রা আঠারো শেষে উনিশ শতকের শুরু দিকে বেশ কিছু মাওরি আদি নাম বদলে নতুন নাম রাখে। ১৮৯৪ সালে সরকারী সংশোধনী ১৯৪০ এর মধ্যভাগে নিউজিল্যান্ডের ভৌগোলিক পরিষদ মূল মাওরি নামগুলিকে উৎসাহিত করে, যদিও সেগুলোর ভুল বানান ভুল উচ্চারণ চলতে থাকে। বর্তমানে বেশ কিছু নামের বিকল্প অথবা ইংরেজি মাওরি দৈত নাম অথবা, খুব অল্প কিছু দৈত মাওরি অথবা দৈত ইংরেজিতে আছে। যদিও বেশিরভাগ নাম সরকার স্বীকৃত নয়, কিন্তু যদি সেগুলো কোনো কর্তৃপক্ষীয় প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয় তবে তাকে প্রামাণ্য নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়। নিউজিল্যান্ডের উপনিবেশিক নামগুলো দেয়া হয়েছে যায়গাটির কোনো মজার কোনো অবস্থান থেকে যা বিনোদনদায়ক, বা বিজ্ঞাপনী স্লোগান, বা কোনো পূর্ণ নামের সংক্ষেপণ করে। কিছু যায়গার নাম রাখা হয়েছে জনপ্রিয় হলিউড সিনেমা দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস থেকে, যায়গাটির সাথে মুভির সম্পর্ক বোঝানোর জন্য, যেন তা আকর্ষণ সৃষ্টি করে। == Country and main islands == ১৬৫৭ সালের মানচিত্রে "নোভা জিল্যান্ডিয়া'র পশ্চিম উপকূল চিহ্নিত করা হয়েছে'''চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ''' ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলার একটি মহাবিদ্যালয়। এটি চকবাজার মতি টাওয়ারের ৫ম তলায় অবস্থিত। কলেজটির সাবেক অবস্থান ছিল চকবাজারের দেব পাহাড়ে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলেজটিতে পড়াশুনা করতে পারে। ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে কলেজটি ১৮তম স্থানে ছিল। সেই সূত্র মতে, কলেজটি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ১৮তম এবং ননএমপিও ভূক্ত কলেজের তালিকায় ১ম স্থানে রয়েছে। ==অবস্থান== অত্র কলেজটি চট্টগ্রাম জেলার চকবাজার থানার মতি টাওয়ারের ৫ম তলায় অবস্থিত। এটি পূর্বে চকবাজারের দেব পাহাড়ে অবস্থিত। ==ইতিহাস== অত্র কলেজটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ==অবকাঠামো== ==ক্যাম্পাস== ==সহ-শিক্ষা কার্যক্রম== ==আরও দেখুন== == তথ্যসূত্র == জেলার কলেজ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত'''ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার''' (ক্যাবি নামেও সংক্ষেপিত) একটি সাইকেল বিনিময় পদ্ধতি যেটা ওয়াশিংটন ডিসি, আরলিংটন কাউন্টি, ভার্জিনিয়া, দ্য সিটি অফ ভার্জিনিয়া এবং মন্টগোমারী কাউন্টি, ম্যারিল্যান্ডকে সেবা দিয়ে থাকে। এটার ৩০০ এর বেশি স্টেশন ২৫০০ সাইকেল আছে যার সবগুলো স্থানীয় সরকারী মালিকানাধীন এবং আল্টা বাইসাইকেল শেয়ার এর সাথে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব এর চালিত হয়। যতদিন না নিউইয়র্ক সিটির সিটি বাইক মে’২০১৩ থেকে কাজ শুরু করে ততদিন পর্যন্ত এটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সাইকেল বিনিময় সেবা যা শুরু হয় ২০১০ এর সেপ্টেম্বরে। ==ইতিহাস== ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের একটি পথপ্রদর্শক স্মার্টবাইক ডিসি সাইকেল বিনিময় সেবা ২০০৮ সালে শুরু করে ১০টি স্টেশন এবং ১২০টি বাইসাইকেল নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এমন সেবা প্রথম নিয়ে আসা এই পদ্ধতি আর পরিধি বাড়াতে পারেনি। এর একটা কারণ খরচ এবং নতুন স্টেশন বসানোর জটিলতা কারণ প্রতি স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ সংস্থার দরকার পড়ত। ২০১১ এর জানুয়ারীতে স্মার্টবাইক ডিসি এর কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়। ইস্টার্ন মার্কেট মেট্রো স্টেশনের কাছে ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের ভাড়ার স্টেশন তারপর ডিসি পরিবহন বিভাগ আরলিংটন কাউন্টি, ভার্জিনিয়ার সাথে যুক্ত হয় ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার প্রতিষ্ঠা করতে যা একটি নতুন সেবা কিন্তু পরিচালিত হয় আল্টা বাইক শেয়ারের সাথে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারত্বের ভিত্তিতে। ৪০০টি সাইকেল ৪৯ টি স্টেশন নিয়ে এই নতুন সেবাটি শুরু হয় সেপ্টেম্বর’২০১০ থেকে। ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাবদ মোট খরচ হয় মিলিয়ন ইউ এস ডলার।এর মধ্যে ১০০ টি স্টেশনের জন্য প্রথম বছরের পরিচালনা খরচ ২.৩ মিলিয়ন ডলার। পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রথম বছরের পরিচালনা খরচের একটা অংশ ব্যায়িত হয় যক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগের মিলিয়ন ডলারের অনুদান থেকে। আরলিংটন কাউন্টির প্রথম বছরের পরিচালনা খরচ ৮৩৫০০০ ডলার যা জনগনের অনুদান থেকে সংগ্রহ করা হয়। তবে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ভার্জিনিয়ার রেল গণপরিবহন বিভাগের অনুদান, আরলিংটন কাউন্টি ক্রিস্টাল সিটি ব্যবসা উন্নতকরন বিভাগ পটোম্যাক ইয়ার্ড পরিবহন ব্যবস্থাপনা সমিতির ভর্তুকি। ২০১১ এর এপ্রিলে ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের প্রশাসকেরা বলেন যে তারা চান অর্জিত আয় প্রতিষ্ঠানিটির বার্ষিক পরিচালনা ব্যয়ের ৫০% বহন করুক। এছাড়াও কলম্বিয়ার একটি বিভাগ ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের স্টেশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৫০০০০০ ডলার আয়ের পরিকল্পনা করেছিল। ২০১১ এর ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার কলম্বিয়া বিভাগে ১০০ টি স্টেশন এবং পেন্টাগন সিটি, পটোম্যাক সিটি, আরলিংটন নেইবোরহুডের ক্রিস্টাল সিটিতে ১৪টি স্টেশন বসানোর মাধ্যমে বর্ধিত হয়। ২০১১ এর সেপ্টেম্বরে ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার ঘোষণা দেয় এটা এর একবছরের কর্মকান্ডে ১৮০০০ সদস্যের কাছে পৌছিয়েছে এবং এটাতে এক মিলিয়ন ভ্রমণ হয়েছে যা কিনা প্রাথমিক প্রত্যাশার দ্বিগুন। ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার ক্রমাগত বর্ধিত হতে থাকে যার ফলে আরো স্টেশন সাইকেলের প্রয়োজন পড়ে। স্থানীয় চাহিদার ব্যাপারে পরিকল্পনাবিদের হিসাব অনুযায়ী প্রতিটা এলাকার পরিবহন সংস্থা ভাড়ার স্টেশনের অবস্থান মজুদকৃত সাইকেলের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেন। এটার বেশিরভাগ ব্যবহারকারী নগরকেন্দ্রের আশেপাশে বসবাসকারী ছিল। পূর্বদিকের দরিদ্র অংশ তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহার করত। ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস ন্যাশনাল মলের মত বৃহৎ যেসব সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা করত সেসব জায়গায় ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারকে স্টেশন স্থাপন করতে নিষেধ করত। যাহোক, এই সংস্থা পরবর্তীতে মত পরিবর্তন করে এবং বলে যে তারা ভবিষ্যৎ বৃদ্ধির জন্য নতুন স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করবে। অনুমোদিত পাচটি স্টেশনের মধ্যে প্রথম দুইটির উদ্বোধন হয় ন্যাশনাল মলে। সময়টা মার্চ ১৬, ২০১২, ন্যাশনাল চেরী ব্লোজম ফেস্টিভ্যালের কিছু আগে। এছাড়াও, ২০১২ এর মার্চে আরলিংটন কাউন্টি সরকার ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারকে ৫৫০ লাল হেলমেট এবং দুটি করে নিরাপত্তা লাইট প্রদান করে উৎসাহদানের অংশ হিসেবে। ==বর্ধিতকরণ== নিউ ইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের প্রদর্শন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্টেশন ২০১০ এ, একজন স্থানীয় পরিবহন কর্মকর্তা বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এই পদ্ধতিটি পুরো ডিসি এলাকা পর্যান্ত বিস্তৃত হতে পারে এবং এর ৫০০০ এর মত সাইকেল থাকতে পারে। ২০১১ এর শরৎকালে, পরিবহন বিভাগ বছরের মধ্যে ৩২টি স্টেশন যোগ করার ১৮টি বর্তমান স্টেশন বর্ধিত করার ঘোষণা দেয়। এবং ২০১২ তে ৫০টি নতুন স্টেশন যোগ করার কথাও বলে। আরলিংটন কাউন্টিও ২০১১ এর শরতের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রোজিলিন এবং ব্যালস্টন পাড়ার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ধরে ৩০টি স্টেশন যোগ করার কথা বলে এবং ২০১২ এর মধ্যে আরও ৩০টি যোগ করতে বলে। ২০১১ এর অক্টোবরে, পার্শ্ববর্তী শহর ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়া ২০১২ এর মধ্যে ওল্ড টাউন কার্লাইল পাড়ার ৬টি স্টেশনে ৫৪টি সাইকেল প্রদানের ২০১৩ তে ৬টি অতিরিক্ত স্টেশন যোগ করার পরিকল্পনা অনুমোদন করে। তাতে পরিচালনা ব্যয় ১০০৪৪০ ডলার ধরে প্রথম বছরের মোট খরচ হবে ৪০০০০০ ডলার। প্রথম আটটি স্টেশন হয় ২০১২ এর আগস্টে। একইভাবে মেরীল্যান্ডের মন্টোগোমারীতে ২০০টি সাইকেল ২০টি স্টেশন বসানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করে। তারা এগুলো ওয়াশিংটন মেট্রোর কাছে রকভিল শেডি গ্রুভ এবং রকভিল টাউন সেন্টার মন্টোগোমারী কলেজের মত অধিক গাড়ির গন্তব্যময় জায়গাগুলোতে বসানোর পরিকল্পনা করে। এই বৃদ্ধির খরচগুলো বহন করার কথা হয় ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন ট্রান্সপোর্টেশন প্ল্যানিং বোর্ডের ১.২৮৮ মিলিয়ন ডলারের অনুদান স্থানীয় জনগনের দেয়া ৬৮৮০০০ ডলার থেকে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ কাউন্টির দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ৪০০টি সাইকেল নিয়ে ৫০ টি স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করে যার মধ্যে বেথেসডা, সিলভার স্প্রিং, ফ্রেন্ডশীপ হাইটস টাকোমা পার্কও অন্তর্ভুক্ত। বাইসাইক্লিং বিশেষজ্ঞরা সাবধান করেছিলে এটা বলে যে এই স্টেশনগুলোর গুচ্ছগুলো একে অন্যের থেকে অনেক দূরে দূরে হতে পারে এমনকি পার্শ্ববর্তী ওয়াশিংটনের স্টেশনগুলোর বৃহৎ নেটওয়ার্ক থেকেও দূরে হতে পারে। আবার এটাও চিন্তার বিষয় ছিল যে, প্রত্যাশিত ব্যবহারকারীর সংখ্যার চেয়ে কাউন্টিতে সাইকেলের রাস্তার সঙ্খ্যা অনেক কম। এতকিছু চিন্তা সত্বেও মন্টোগোমারী কাউন্টি ২০১৩ এর মে মাসে তাদের প্রথম স্টেশনটি বসায়। ২০১২ এর সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংযোজনগুলো চারটি এলাকাতে ২৮৮টি স্টেশন ২৮০০টি সাইকেলের একটি বিশাল রূপ পায়। ২০১৫ এর আগস্টে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরবরাহকারীর দেউলিয়াত্বপনার কারণে ৬০টি স্টেশন যোগ করা হবে। ==প্রযুক্তি== ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের স্বয়ংক্রিয় ভাড়ার সুবিধাগুলো চলে সৌরশক্তি দিয়ে s. ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার মনট্রিল ভিত্তিক কোম্পানী বিক্সি এর ডিজাইনকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করে। ভাড়ার স্টেশনগুলো স্বয়ংক্রিয় এবং সৌর প্যানেল চালিত। এতে তারা যেখানেই জায়গা আছে সেখানেই এই স্টেশনগুলো বসাতে পারে। একটি তারবিহীন তথ্য সংযোগকারী ভাড়ার জায়গা স্টেশন ছাউনিগুলোকে একটি কেন্দ্রীয় বাইক ট্র্যাকিং বিলিং ডাটাবেজের সাথে সংযুক্ত করে রাখে। ব্যবহারকারীরা ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের ওয়েবসাইট স্মার্টফোন এপ্লিকেশনের মাধ্যমে জানতে পারে কোথায় কোথায় স্টেশনগুলো আছে এবং কতটি ভাড়ার উপযোগী সাইকেল আছে। প্রতিটি সাইকেল ডকের একটি মেরামত বাটন আছে। কোন সাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ঠিকঠাক কাজ না করলে ব্যবহারকারীরা এটা টিপে জানান দেয়। যদি কোন সাইকেল স্টেশনে জমা দেয়া না যায় তবে ব্যবহারকারীরা ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারকে জানাবে-এটাই প্রত্যাশা করা হয়। আর তারা সাইকেলটির ব্যাপারে দায়ী থাকেন যতক্ষণ না সাইকেলটি ফেরত দেয়া হচ্ছে। লাল রঙের সাইকেলগুলো ছেলে মেয়ে সবার জন্য এবং এতে আছে তিনটি গিয়ার, একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য সিট, সামনে একটি ঝুড়ি এবং পিছনে দুটো লাল লাইট যা সাইকেল যখন গতিশীল তখন জ্বলে। আল্টা বাইক শেয়ারের ভ্যানগুলো সাইকেলগুলোকে বিভিন্ন স্টেশনে বণ্টন করতে মেরামতের জন্য তুলে নিয়ে আসতে ব্যবহৃত হয়। ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার বাজে আবহাওয়া ছাড়া সারাবছর দেখাশোনা করে যা অন্যরা করেনা। ২০১১ এর মে তে, ছয়টি জমা দেয়ার জায়গা সহ একটি স্টেশন বসাতে এদের ৪১৫০০ ডলার ১৪টি জমা দেয়ার জায়গা সহ এক একটি স্টেশন বসাতে ৪৯৩০০ ডলার করে খরচ হয়। প্রতিটি সাইকেলের খরচ পড়ে ১০০০ ডলার এবং একটি সাইকেল্র পিছনে সারাবছর খরচ হয় ১৮৬০ ডলার। ==ভাড়ার পদ্ধতি== ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের ব্যবহারকারীরা ডুপন্ট সার্কেল পাড়াতে ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের পাচঁটি ভাড়া দেয়ার পদ্ধতি আছে। অনিয়মিত ব্যবহারকারীরা যেকোন বাইক স্টেশন থেকে একটি ২৪ ঘন্টার পাস (৭ ডলারে) বা তিন দিনের পাস (১৫ ডলারে) কিনতে পারেন। স্টেশন ছাউনিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী একটি কোড পায় যা দিয়ে সে একটি সাইকেল তালামুক্ত করতে পারে। ব্যবহারকারীরা মাসিক (২৫ ডলার), বার্ষিক (৭৫ ডলার), বার্ষিক কিস্তির (৮৪ ডলার, প্রতি মাসে ডলার) ভিত্তিতে অনলাইনেও নিবন্ধিত হতে পারেন। যেকোন ব্যবহারকারী ৩০ মিনিট পর্যন্ত অসংখ্যবার বিনামূল্যে ঘুরতে পারেন। সময় গোনা হবে যে মুহুর্তে তিনি সাইকেলটি নিয়েছেন সে সময় থেকে যে সময়ে দিচ্ছেন সে সময় পর্যন্ত। বড় ভ্রমণগুলো প্রতি অতিরিক্ত আধা ঘন্টার জন্য ভাড়া বাড়াতে থাকে ১.৫ থেকে ডলার পর্যন্ত। মূল্য নির্ধারনটি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে মানুষ দূরে অবসর ভ্রমণের চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ভ্রমণ করতে বেশী উৎসাহিত হয়। যদি একটি জমাদেয়ার স্টেশন পরিপূর্ণ থাকে বিনামূল্যে ১৫ মিনিট অতিরিক্ত দেয়া হয় যাতে তারা অন্য স্টেশনে জমা দিতে পারে। যদি ব্যবহারকারীরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাইকেল জমা দিতে না পারে তবে তাদের ক্রেডিট কার্ডে প্রতিস্থাপন বাবদ ১০০০ ডলার জরিমানা করা হয়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ক্যাপিটাল বাইকশেয়ারের পরিসংখ্যান ক্যাপিটাল বাইকশেয়ার ট্রেকার'''ঐতিহাসিক বস্তুবাদ''' ()হচ্ছে সমাজজীবনের অনুশীলনে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ। সামাজিক জীবনধারা এবং সমাজ সমাজের ইতিবৃত্তের বিচারে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ ব্যবহারকে বলে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ। কার্ল মার্কস "ঐতিহাসিক বস্তুবাদ" অভিধাটি নিজে প্রয়োগ করেননি। তিনি যে শব্দগুচ্ছ প্রয়োগ করেছেন তা হচ্ছে ''ইতিহাসের বস্তুবাদী ধারনা''। ইতিহাসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদী তত্ত্ব হচ্ছে সমাজব্যাখ্যার পদ্ধতি। মার্কসের কাছে সমাজের বৈপ্লবিক রূপান্তরণের জন্যই সমাজের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভূত হয়। মার্কস এঙ্গেলস ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যার প্রথম প্রবক্তা। সমাজের দার্শনিক ব্যাখ্যায় মার্কসবাদ যে মৌলিক বিপ্লব ঘটিয়েছিলো এটা ছিলো তার ভিত্তি। ==ইতিহাস সম্বন্ধে মার্কসবাদী ধারনা== ==তথ্যসূত্র== মার্কস তত্ত্ব মতবাদ পরিভাষা তত্ত্ব রাজনীতি ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মতবাদএনএক্সটি''' হল ডাব্লিউডাব্লিউই এর জন্য পেশাদারি কুস্তি উন্নয়নমূলক শাখা। এটা উইন্টার পার্ক, ফ্লোরিডায় অবস্থিত। এটার প্রতিষ্ঠাতা ট্রিপল এইচ (পল লেভেসকিউ)। ২০১২ সালের আগষ্ট মাস থেকে ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত এটা ছিল স্বতন্ত্র। কিন্তু এটা ডাব্লিউডাব্লিউ এর উন্নায়নমূলক শাখা। ২০১৩ সালের জুন মাসে এনএক্সটি রেসলিং এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সকল কন্টেন্ট স্থান্তর করা হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, এনএক্সটি টেলিভিশন সিরিজ শুরু করে। যেটা ডাব্লিউডাব্লিউই নেটিওয়ার্ক প্রচার করা হয়। উন্নায়নমূলক শাখা হওয়া সত্ত্বেও, উচ্চ শ্রেণির কুস্তির জন্য এনএক্সটি প্রশংসিত। ==বর্তমান চ্যাম্পিয়ন== চ্যাম্পিয়নশীপ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাজত্ব জয়ের তারিখ Daysheld এলাকা নোট এনএক্সটি চ্যাম্পিয়নশীপ 85px ববি রুড জুলাই ৪, ২০১৫ Sumida, Tokyo, Japan Defeated Shishuke nakamura at The Beast in the East. এনএক্সটি ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়নশীপ 85px Dash Wilder and Scott Dawson 1(1,1) October 22, 2015 Winter Park, Florida Defeated The Vaudevillains by submission. Aired on November 11. এনএক্সটি নারী চ্যাম্পিয়নশীপ 85px বেইলি আগস্ট ২২, ২০১৫ Brooklyn, New York Defeated Sasha Banks at NXT TakeOver: Brooklyn. ==তথ্যসূত্র== কুস্তি'''শুশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়''' বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয়ের মূল অবকাঠামোটি যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে; বর্তমানে একটি অস্থায়ী গৃহে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। == অবস্থান == এই বিদ্যালয়টি ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনয়িনের শুশুয়া গ্রামে অবস্থিত। বর্তমানে স্কুলটি রামাইল গ্রামে অবস্থিত। এর ইএইআইএন নম্বর ১১৪০২২। == ইতিহাস == == অবকাঠামো == সরকার কর্তৃক এখানে ১৭,৫০,০০০ টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভবন তৈরি করে দেয়া হয়েছিলো যা বর্তমানে যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ==কৃতিত্ব == == কৃতি শিক্ষার্থী == == তথ্যসূত্র == জেলার বিদ্যালয়'''''ব্রেইভ নিউ ওয়ার্ল্ড''''' ইংরেজ উপন্যাসিক অ্যালডাস হাক্সলির একটি উপন্যাস যেটি ১৯৩১ সালে লেখা হয় এবং ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটির স্থান -কাল ২৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ লন্ডনে উপন্যাসে যেটি ৬৩২ এফ— আফটার ফোর্ড)। এই উপন্যাসে পুনরুৎপাদন প্রযুক্তি, স্লিপ লার্নিং, মনস্তাত্ত্বিক কৌশল এবং ক্ল্যাসিকাল কন্ডিশনিং এর উন্নতির কথা বলা হয়েছে যা একসাথে সমাজকে গভীরভাবে পরিবর্তন করতে ব্যবহার করা হয়। হাক্সলি এই বইয়ের প্রতিউত্তর দেন তার ''ব্রেইভ নিউ ওয়ার্ল্ড রিভিজিটেড (১৯৫৮)'' প্রবন্ধে এবং তার শেষ উপন্যাস ''আইল্যান্ড (১৯৬২)'' এ। ১৯৯৯ সালে মডার্ণ লাইব্রেরী ''বিংশ শতাব্দীর ইংরেজি ভাষার ১০০ উৎকৃষ্ট উপন্যাস'' এর তালিকায় ব্রেইভ নিউ ওয়ার্ল্ডকে পঞ্চম স্থান দেন। ২০০৩ সালে রবার্ট ম্যাকক্রাম, যিনি দ্য অবজার্ভারের জন্য লেখেন, ব্রেইভ নিউ ওয়ার্ল্ড উপন্যাসটিকে ''দ্য টপ 100 গ্রেটেস্ট নোভেলস অফ আল টাইম'' এর তালিকায় ৫৩-তম স্থানে অন্তর্ভুক্ত করেন। এবং উপন্যাসটি বিবিসির ''দ্য বিগ রিড'' জরিপে ৮৭- তম স্থানে তালিকাভূক্ত করা হয়। ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস"(লাল)" স্থানগুলোকে খৎনা প্রবন এলাকা বোঝানো হয়েছে '''পুরুষ খৎনা''' বা '''পুরুষ বা বা '''পুংলিঙ্গ (লাতিন অর্থ হল "চারদিক থেকে কেটে ফেলা") হল একটি অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে মানব শিশ্নের অগ্রচর্ম (প্রিপিউস) অপসারণ। প্রক্রিয়ায় সাধারণত, অগ্রচর্মটিকে ভাজ খুলে প্রসারিত করা হয় এবং পেনিস গ্ল্যান্স বা শিশ্নের গোলাকার অগ্রভাগ হতে অপসারণ করা হয়। ব্যাথা মানসিক চাপ কমাতে অনেক সময় আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় বা প্রচলিত এনেস্থেশিয়া দিয়ে অবশ করে নেয়া হয়। জন্য, সাধারণ এনেস্থেশিয়া হল একটি উপায়, এবং কোন বিশেষ চর্মচ্ছেদন অস্ত্র ছাড়াই অস্ত্রপাচার সম্পন্ন করা যেতে পারে। প্রায়শই এটি ধর্মীয় সাংস্কৃতিক কারণে নবজাতক শিশুদের উপর ঐচ্ছিক শল্যচিকিৎসা হিসেবে সম্পাদন করা হয়, কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে একে সমস্যা নিরাময় রোগ প্রতিরোধজনিত কারণে ডাক্তারি পরামর্শ হিসেবে নির্দেশ করা হয়। অসুস্থতাজনিত ফিমোসিস বা লিঙ্গের অগ্রচর্ম স্থায়ীভাবে সরু হওয়ার দরুন তা প্রসারিত না হওয়ার সমস্যা, স্থায়ী বালানোপস্থিটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী মূত্রনালিজনিত প্রদাহের (ইউটিআই'স) জন্য এটি একটি চিকিৎসা; কিছু নির্দিষ্ট জননাঙ্গের আকারজনিত অস্বাভাবিকতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এটি করতে নিষেধ করা হয়ে থাকে। খৎনার কারনে লিঙ্গের সংবেদনশীলতা কমে যায় এবং বেশি সময় যৌন কার্য করতে পারে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য সংগঠনসমূহ নবজাতক খৎনাকে উপকারিতাবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ থেকে শুরু করে প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য উপকারী ঝুঁকি হ্রাসকারী পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বিবেচনা করে থাকেন। কোন প্রধান স্বাস্থ্য সংগঠনই বিশ্বের সকল নবজাতকের জন্য খৎনার পরামর্শও দেয় না (আফ্রিকার কিছু এলাকার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া পরামর্শ ব্যতীত), আবার এই চিকিৎসাকে নিষিদ্ধও করে না। অসুস্থতাবিহীন শিশু অথবা নবজাতকদের খৎনার বিষয়ে রোগীর অবগত সম্মতি মানবাধিকারকে কেন্দ্র করে এযাবৎ বহু নীতিশাস্ত্রগত আইনি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। এটি প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত যে, পুরুষ খৎনা সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে বিপরীতকামী পুরুষদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উচ্চমাত্রার এইচআইভি সংক্রমিত অঞ্চলগুলোতে সম্প্রসারিত এইচআইভি কর্মশালার অংশ হিসেবে বিবেচনাপ্রসূত খৎনার পরামর্শ দিয়ে থাকে। পুরুষদের সঙ্গে যৌনসংগমকারী পুরুষদের ক্ষেত্রে খৎনার ফলে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসের প্রমাণ ততটা পরিষ্কার নয়। উন্নত বিশ্বেও এইচআইভি প্রতিরোধে এর ব্যবহারের কার্যকারিতা একইভাবে অস্পষ্ট। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি'র দ্বারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার হার কমাতে এবং মূত্রনালিপথের প্রদাহ পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার উভয়ের ঝুঁকি কমাতে খৎনা সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে, আনুষ্ঠানিক খৎনা এই সকল অবস্থা প্রতিরোধের জন্য কার্যকর হিসেবে স্বীকৃত নয়। গবেষণায় অন্যান্য যৌনবাহিত সংক্রমণ প্রতিরোধে খৎনার ভবিষ্যৎ কার্যকারিতার প্রমাণও অস্পষ্টই রয়ে গেছে। ২০১০ সালের বিশ্বব্যাপী ডাক্তারদের দ্বারা সম্পাদিত খৎনার একটি সমীক্ষা পর্যালোচনায় ১.৫% নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে ৬% বয়স্ক শিশুর ক্ষেত্রে অস্ত্রপাচার পরবর্তী বিলম্বিত জটিলতা এবং অল্প কিছু শিশুর ক্ষেত্রে বড়মাপের জটিলতা খুঁজে পাওয়া গেছে। রক্তক্ষরণ, প্রদাহ এবং প্রয়োজনের অধিক বা কম পরিমাণ চর্ম অপসারণ হল পরিলক্ষিত সবচেয়ে সাধারণ জটিলতা। অনভিজ্ঞ শল্যচিকিৎসকদের করা অপরিচ্ছন্ন বা অপরিশোধিত অস্ত্রের দ্বারা অস্ত্রপাচারের ক্ষেত্রে জটিলতার হার সবচেয়ে বেশী থাকে, অথবা শিশুর বয়স যদি বেশী হয় তখন। যৌন খৎনার কোন নেতিবাচক প্রভাব পাওয়া যায় নি।মধ্য এশিয়ায় সম্পাদিত একটি বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পুরুষ হল খৎনাকৃত অর্থাৎ তাদের খৎনাকর্ম সম্পাদিত হয়েছে। মুসলিম বিশ্বে এবং ইসরাইলে (যেখানে এটি একটি ধর্মীয় বাধ্যতামূলক কর্ম), যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া আফ্রিকার কিছু অংশে এটি সবচেয়ে বেশী প্রচলিত; সেই তুলনায় ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অংশ এবং এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলেই এটি বিরল। খৎনার মূল উৎপত্তি কখন কোথায় ঘটেছিল তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না; সবচেয়ে প্রাচীন তথ্যভিত্তিক প্রমাণ অনুযায়ী প্রাচীন মিশরেই এর উৎপত্তি ঘটে। এর উৎপত্তি সম্পর্কে বহু তত্ত্বের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার অন্যতম হল এটি একটি ধর্মীয় উৎসর্গবিশেষ এবং একটি বালকের বয়ঃপ্রাপ্তিতে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বয়স বৃদ্ধির সাংস্কৃতিক প্রথা। ইহুদিধর্মে এটি ধর্মীয় প্রথার একটি অংশ এবং ইসলাম ধর্ম, কপ্টিক খ্রিষ্টধর্ম ইথিওপীয় অর্থোডক্স গির্জায় এটি একটি প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় আচার। == প্রতিহত == যেসব শিশুর জননাঙ্গে অস্বাভাবিকতা আছে; যেমন তার মুত্রনালির আরম্ভের জায়গাটা যদি ভুলভাবে বিন্যাসিত হয় (যাকে হাইপোসপাডিয়া এবং এপিসপোডিয়া বলা হয়), যদি শিশ্নের মাথায় বক্রতা সৃষ্টি হয় (করোডি) অথবা জননাঙ্গ দ্ব্যার্থবোধক হয় তবে পুনর্গঠনমুলক অপারেশনের জন্য লিঙ্গত্বক প্রয়োজন। আর তখন শিশুদের খৎনা করাকে প্রতিহত করা হয়। যেসব শিশুরা বালপ্রৌঢ় (৮ মাসের পুর্বে যাদের জন্ম হয়) হিসেবে জন্ম নেয়, বা যাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না, তাদেরও খৎনা করা হয় না। যদি কোনো শিশুর বা বয়োপ্রাপ্তের পারিবারিক ইতিহাসের কোনো সদস্যের রক্তপাত জনিত ডিসঅর্ডার (হিমোফিলিয়া) থাকে, তবে তার রক্ত স্বাভাবিক ভাবে জমাট বাধবে কিনা, তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই খৎনা করা উচিত। ==বিরুপ প্রভাব== অভিজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা নবজাতকে খৎনা করাটা সাধারণত নিরাপদ খৎনায় সাধারণত জটিলতা সৃষ্টি হয় রক্তপাত বন্ধ না হলে, অধিক অথবা অনধিক লিঙ্গত্বক অপসারণে ইনফেকশন হলে। শতাংশ ক্ষেত্রে লঘু জটিলতা তৈরী হয়, তীব্র জটিলতা কমই তৈরী হয়। সুনির্দিষ্টভাবে কী পরিমাণ জটিলতা তৈরী হয়, তা নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ বিষয়ে পর্যাপ্ত উপাত্ত সবসময় নথিবদ্ধ হয় না। জটিলতার সম্ভাবনা তখনি বাড়ে, যদি অনভিজ্ঞ কারো দ্বারা খৎনা করা হয় অথবা শিশুর বয়স যদি অনেক হয়ে যায়। তীব্র জটিলতা খুব কমই হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৫০০ জনে জন শিশুর হেন জটিলতা তৈরী হয়। এই জটিলতার কারণে কেও মারা গিয়েছে, এমনটা সমাজে খুবই বিরল। শুধুমাত্র একটা প্রতিবেদনে এরকম উল্লেখ পাওয়া যায়। অন্যান্য জটিলতা হতে পারে, যেমন বারিড শিশ্ন, করেডে, ফাইমোসিস, স্কিন ব্রিজ, মেটাল স্টেনোসিস হতে পারে। এই জটিলতা গুলো হাসপাতালে না গিয়েই কৌশলে সারিয়ে তুলা যায়। ===ব্যথা=== খৎনা নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। নবজাতকরা এই তীব্র ব্যথার পাশাপাশি ঔষুধে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায়। ===যৌনাচারণে প্রভাব=== উচ্চ পর্যায়ের প্রমাণ থেকে এটা দেখা গিয়েছে খৎনা করলে তা শিশ্নের স্পর্শকাতরতা হ্রাস করে না, যৌনাচারণে ক্ষতি করে না অথবা যৌন প্রশান্তি হ্রাস করে না। ২০০৩ সালের সিস্টেমিক রিভিউ থেকে দেখা গিয়েছে খৎনা যৌন প্রশান্তিতে বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করে না, সঙ্গমের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাথার উপদ্রব ঘটায় না, অকাল বীর্যপাত অথবা নপুংসতা সৃষ্টি করে না, বা কামভাবে কোনো প্রতিকুলতা সৃষ্টি করে না। যাইহোক, এই গবেষনাগুলো এটাও বলেছে, বিদ্যমান তথ্য উপাত্ত অনেকটাই সাধারণ। ২০১৩ সালের সিস্টেমিক রিভিউ থেকে বলা হয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের প্রমাণ থেকে খৎনা করালে যৌন প্রশান্তিতে কোনো বিরুপ প্রভাব পরবে এমনটা দেখা যায় নি। ২০১৭ সালের সিস্টেমিক রিভিউ এবং মেটা এনালাইসিস থেকে দেখা গিয়েছে খৎনা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশনে প্রভাব ফেলে না। প্রভাব=== খৎনা করার পর আচরণগত প্রভাব লক্ষিত হয়, যেমন শিশুর ঘুম বিন্যাসে, বিরক্তবোধ তৈরী হয়, খাবা খাওয়ার ক্ষেত্রে এবং পিতামাতার সাথে বন্ধনে প্রভাব পরে। কিছু মানুষ যারা শৈশবে খতনা করেছে তাদের কেও কেও একে "উৎক্রমণ, নিপীড়ন, অঙ্গহানি এবং যৌন লাঞ্চনা" বলে অভিহিত করেছে। == আরও দেখুন == *লিঙ্গাগ্রচর্ম পুনঃস্থাপন *নারী খৎনা *পুরুষ-খৎনার ইতিহাস *খৎনা-বিতর্ক *পুরুষ-খৎনার নৈতিকতা *লিঙ্গত্বক ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== ==বহিঃসংযোগ== Videos of infant circumcision: using Plastibell, Gomco clamp and Mogen clamp (all from Stanford Medical School) Xhosa circumcision from National Geographic অস্ত্রপাচার প্রক্রিয়াকরণ প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা শিশু কর্তৃক অপসারণ প্রক্রিয়া জননাঙ্গের অস্ত্রপাচার বিশ্বাস, ঐতিহ্য আন্দোলন'''রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ''' বাংলাদেশের রাজশাহী শহরের কাজীহাটাতে অবস্থিত একটি স্বায়ত্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে থাকে। ==ইতিহাস== ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অধীনে ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা মহানগরী সহ দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে ১১টি মডেল স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাঝে ঢাকা মহানগরীতে ৫টি, বাকী ৫টি বিভাগীয় শহরে ৫টি এবং বগুড়াতে একটি বিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির এক সভায় প্রকল্পটি গৃহীত হয় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীতে টি (মোহাম্মদপুরে ১টি, মিরপুরের রূপনগরে ১টি, শ্যমপুরে ১টি, লালবাগে ১টি) এবং রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল খুলনায় ১টি করে মোট ৯টি মডেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাকি দু’টি প্রতিষ্ঠান (ঢাকা বগুড়ায়) বর্তমানে বিয়াম ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। ২০০৬ সালে রাজশাহী শহরের কাজীহাটা এলাকায় রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ ব্যয় কোটি ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভর্তির ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য ষষ্ঠ দশম শ্রেনীর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩ সালে আন্ত: মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাথমিক শাখায় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ==অবকাঠামো== রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর মূল একাডেমিক ভবনটি পাঁচ তলা। এতে ৭১টি কক্ষ, ১০টি বিজ্ঞানাগার, ৫০টি কম্পিউটার সমৃদ্ধ ১টি ল্যাব, একটি লাইব্রেরী ব্যয়ামাগার রয়েছে। চতুর্ভুজ আকৃতির ভবনটির মাঝখানে একটি বাগান সামনের দিকে খোলা মাঠ রয়েছে। ভবনের উত্তর পাশে অধ্যক্ষ মহোদয়ের জন্য দোতলা বাসভবন রয়েছে। কলেজের ভিতরের দৃশ্য ==শিক্ষা কার্যক্রম== === প্রাথমিক === === মাধ্যমিক === === উচ্চ মাধ্যমিক === এই কলেজে এস,এস,সি, পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেনীতে বিজ্ঞান, মানবিক ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচ,এস,সি) কার্যক্রম যশোর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ==শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রম== অনুষ্ঠান পালন শরীরচর্চা শিক্ষা লাইব্রেরি অনুশীলন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষা সফর দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ কলেক বার্ষিকী প্রকাশ == উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী == ==আরও দেখুন== রাজশাহী কলেজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সরকারি আজিজুল হক কলেজ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার কলেজ জেলার বিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''উপ্পাদা জামদানি শাড়ী''' একপ্রকারের সিল্কজাত হাতে বোনা শাড়ী, যা অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পূর্ব গোদাবরী জেলার অঞ্চলে পাওয়া যায়। উপ্পাদা বুনন পদ্ধতিকে জামদানি বলা হয় এবং এটি খুবই পুরানো বুনন পদ্ধতি। এই ফেব্রিক উতকৃষ্ট মানের এবং স্বমহিমায় বিরাজমান। উপ্পাদা জামদানি শাড়ির আঁচল সিল্কের উপর সোনালী এবং রূপোলী জরির কাজের জন্য বিখ্যাত এবং এই শাড়ি হাল্কা ওজনবিশিষ্ট হয়। এই হস্তশিল্প ভারতের ভৌগোলিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। == শব্দপ্রকরন == ''জামদানি'' পার্সিয়ান শব্দজাত Jam (জাম) যার অর্থ ফুল (flower) এবং Dani (দানি) কথাটির অর্থ হল পাত্র (Vase)। == নামকরনের ইতিহাস == উপ্পাদা জামদানি বুননের উৎপত্তি ৩০০ বছরেরও আগে। ভারতে এই প্রকার সিল্ক জামদানি বুননের পৃষ্টপোষক হলেন পিটাপুরাম, ভেঙ্কাটাগিরি এবং বব্বিলি অঞ্চলের মহারাজারা। এই উপ্পাদা শাড়ী রাজকীয় পরিবারের মহিলারা শুধুমাত্র ব্যবহার করতেন এবং রাজপরিবার ব্যতীত অন্য কোন পরিবারের এই শাড়ি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ছিল। সেই সময় এই উপ্পাদা জামদানি শাড়ি শুধুমাত্র সুতি দিয়ে তৈরী হত এবং সেই শাড়িতে বিশুদ্ধ সোনা এবং রূপোর জরি ব্যবহার করা হতো। ঘনশ্যাম সারোদে একজন বয়ন শিল্পী ১৯৮৮ সালে এই পুরানো বয়ন পদ্ধতিকে নতুন করে পূনঃআরোপিত করেন এবং এই নতুন ব্যান্ড ''উপ্পাদা জামদানি শাড়ী'' হিসাবে তৈরী হয়। ভারতে এই জামদানি বুনন বয়ন শিল্পের জগতে বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত। ভিক্টোরিয়া এবং লন্ডনের অ্যালবার্ট জাদুঘরে জামদানি কাজের সুন্দর সুন্দর শাড়ি সংরক্ষিত আছে। ==ভৌগোলিক অবস্থান== উপ্পাদা জামদানি সিল্ক বিশেষত উপ্পাদা গ্রাম, কথাপাল্লি, আমিনাবাদ, মুলাপেটা, কোমারাগিরি ছাড়াও ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পূর্ব গোদাবরী জেলার সমগ্র কথাপাল্লি এলাকার উৎপাদন। == অভিনবত্ব == উপ্পাদা জামদানি সিল্ক শাড়ি বুননে, কাপড়ের উপর নক্সাগুলি পুরোপুরি হাতের কাজ করা অন্যান্য বুননের মতো কোন যান্ত্রিক ব্যাপার নেই। তাই এই শাড়ি বুনতে অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। একটা শাড়ি বুনতে দুজন কারিগরের এক মাস বা তার বেশি সময় লাগে৷ এই বুননে আদা, জালা এবং বিভিন্ন থ্রিলস এর ব্যবহার হয় ফলে এই শাড়ির জমিতে বুননের সময়ই নক্সা হয়ে যায় এবং এই নক্সা গুলি হাত দিয়ে আলাদা করে স্পর্শ করা যায় না। শাড়ির এই নক্সাগুলি স্পষ্ট দেখা যায় এমনকি এই নক্সা শাড়ির উলটো পিঠেও দেখা যায়। জামদানি কাজে সারা কাপড়ের সামনে এবং পিছনে বিভিন্ন বৈষম্যধর্মী সুতোয় ঢেউ খেলানো ভাবে কাজ থাকে। এই উপ্পাদা শাড়ির জমিতে জামদানি নক্সা করা থাকে এবং আঁচলটি সম্পূর্ন খাঁটি জরির কাজ দেখা যায়। সাধারনতঃ পাখী (টিয়া পাখি এবং ময়ূর), পশু এবং ফুলের নক্সা দেখা যায়। পশুদের মধ্যে হাতির নক্সার প্রচলন অনেক বেশী। == চিত্রশালা == == তথ্যসূত্র == ভৌগোলিক ইঙ্গিত'''১৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার''' বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত ১৮তম আয়োজন; যা ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সমূহের জন্য দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি দেয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি জাতীয় প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে থাকে। এই বছর দুটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট ১৯টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়। == বিজয়ীদের তালিকা == === মেধা পুরস্কার === পুরস্কারের নাম বিজয়ী চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হাবিবুর রহমান খান (প্রযোজক) ''পদ্মা নদীর মাঝি'' শ্রেষ্ঠ পরিচালক এ. জে. মিন্টু ''বাংলার বধু'' শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ''পদ্মা নদীর মাঝি'' শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী চম্পা ''পদ্মা নদীর মাঝি'' শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী আনোয়ারা ''বাংলার বধু'' শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী অনিক ''মৌসুমী'' শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালখ আজাদ রহমান ''চাঁদাবাজ'' শ্রেষ্ঠ গীতিকার হাসান ফকরী ''চাঁদাবাজ'' ''বাংলার বধু'' শ্রেষ্ঠ পুরুষ সঙ্গীত শিল্পী আজাদ রহমান ''চাঁদাবাজ'' শ্রেষ্ঠ নারী সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভিন ''অন্ধ প্রেম'' ===কারিগরী পুরস্কার=== পুরস্কারের নাম বিজয়ী চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার এ. জে. মিন্টু ''বাংলার বধু'' শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার কাজী হায়াৎ ''চাঁদাবাজ'' শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক এআর জাহাঙ্গীর ''অবুজ সন্তান'' শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা সেলিম আল দ্বীন ''একাত্তরের যীশু'' শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দিন ফারুক ''পদ্মা নদীর মাঝি'' শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলু শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক তাজউদ্দিন ভুইয়া ''মৌসূমি'' শ্রেষ্ঠ নিত্য পরিচালক মাসুম বাবু ''দোলা'' শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ''পদ্মা নদীর মাঝি'' ===বিশেষ পুরস্কার=== শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পপি (ত্যাগ) বিশেষ পুরস্কার নাজির আহমেদ (মরণোত্তর) == তথ্যসূত্র== চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) চলচ্চিত্র পুরস্কার'''গুন্টুর সান্নাম''' বা '''Capsicum annuum var. Longhum''' হচ্ছে সুপরিচিত ঝালসমূহের মধ্যে অন্যতম এবং পৃথিবীব্যাপী এই জাতের ঝালের চাহিদা ব্যাপক। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টুর জেলা এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যের ওয়ার‍্যাঙ্গেল খাম্মাম জেলার বিস্তৃত জমিতে গুন্টুর ঝাল চাষ করা হয়। ==উৎপত্তি== গুন্টুর সাম্মাম ঝাল হচ্ছে '''ক্যাপসিকাম এন্নাম''' প্রজাতির ঝাল। মসলা এবং সবজি হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাণিজ্যিক ভাবে গুন্টুর সাম্মাম ঝালের চাষাবাদ করা হয়। ভারতীয়দের মধ্যে মাথাপ্রতি ব্যবহৃত মশলার বড় অংশ ঝুড়ে আছে ঝাল। প্রায় ৪০০ বছর ধরে ভারতবর্ষে ঝালের চাষ হচ্ছে। ঝাল উৎপাদনে ভারতের বৈশ্বিক অবস্থান শীর্ষে। ভারতে উৎপাদিত মোট ঝালের ৪৬% উৎপাদিত হয় অন্ধপ্রদেশ রাজ্যে এবং ঝাল উৎপাদনে অন্ধ্রপ্রদেশ ভারতের শীর্ষস্থান অধিকারকারী রাজ্য। ঝালটির নামই প্রমাণ করে যে এটি অন্ধপ্রদেশের মৌলিক ঝাল। ঝালের উপর গবেষণার জন্য তিন দশক পূর্বে অন্ধ্র প্রদেশ সরকার গুন্টুরে একটি আঞ্চলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। বর্তমান সময়ে ঝাল সেখানকার প্রধান অর্থকরী ফসল এবং এই জাতের ঝালের চাষাবাদ তাদের জীবিকার উৎস হিসেবে পরিণত হয়েছে। ==ব্যুৎপত্তি== তেলেগু শব্দ '''সাম্মাম''' অর্থ চিকন। নামের দ্বারাই ফলের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। গুন্টুর সাম্মাম অর্থ হচ্ছে গুটুর অঞ্চলে উৎপাদিত চিকন ঝাল। ==বৈশিষ্ট্য== ==চাষাবাদ== গুন্টুর ঝালের প্রধান ফলন মৌসুম হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে মে। বছরে প্রায় ২৮০,০০০ টন গুন্টুর সান্নাম ঝাল উৎপন্ন হয়। সর্বোচ্চ ফলন পেতে একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় গুন্টুর সান্নাম ঝালের চাষাবাদ সম্পন্ন করতে হয়। ফসলটি উচ্চমাত্রায় রোগাক্রান্ত হয় তাই ভালো ফলন পেতে বিশেষ যত্ন এবং লক্ষ্য প্রয়োজন। Guntur Sannam Factsheet চাষাবাদ অঞ্চল অন্দ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, রাজস্থান, আসাম চাষাবাদ সময় জানুয়ারী থেকে এপ্রিল অথবা ডিসেম্বর থেকে মে ASTA Colour Value ৩২.১১ ঝালের মাত্রা ০.২২৬% বার্ষিক উৎপাদন ২৮০,০০০ টন === অঞ্চল ভেদে উৎপাদন === ভৌগলিক অঞ্চল হিসেবে গুটুর সান্নাম ঝাল প্রধানত অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলাতেই আবাদ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাতকরণ করা হয়। তবে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল যেমন প্রকাশম, ওয়ারাঙ্গেল এবং খাম্মাম জেলায়ও গুন্টুর সাম্মাম ঝালের চাষ হয়। গুন্টুর সাম্মাম ঝালের বৃদ্ধির জন্য উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া উপযোগী এবং পাকার সময়ে শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন। ==তথ্যসূত্র== বিষয়শ্রেণী:ঝাল'''অ্যাশলি রলিজাবেথ ফ্লেয়ার''' (জন্ম: এপ্রিল ৫, ১৯৮৬) একজন আমেরিকান পেশাদারি কুস্তিগির। তিনি ডাব্লিউডাব্লিউই এর সাথে চুক্তিবদ্ধ, সেখানে তিনি রিং নাম '''শার্লট''' হিসেবে কুস্তি লড়েন এবং তিনি প্রথম এবং প্রাক্তন ডাব্লিউডাব্লিউই নারী চ্যাম্পিয়ন। তিনি সর্বশেষ ডাব্লিউডাব্লিউই ডিভাস চ্যাম্পিয়ন। এটা তার ডিভাস চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রথম রাজত্ব। তিনি ডাব্লিউডাব্লিউই হল অব ফেমার রিক ফ্লেয়ার এর কন্যা এবং ডেভিড ফ্লেয়ার এবং রিড ফ্লেয়ার এর বোন২০১৪ সালে, ''প্রো রেসলিং ইলাস্ট্রাটেড'' কর্তৃক তাকে বছরের সেরা রকি নামকরণ করা হয়েছিল। তিনি এখন Smakdown live এর সাথে চুক্তি বদ্ধ আছেন। == প্রারম্ভিক জীবন == শার্লট, উত্তর ক্যারোলিনায় রিক ফ্লেয়ার এবং তার তৎকালীন স্ত্রী এলিনাবাথের কন্যা ফ্লেয়ার জন্ম গ্রহণ করে। ফ্লেয়ারের একজন সৎ বড় বোন আছে, মেগান, এবং একজন সৎ- বড় ভাই আছে, ড্যাভিড, ২০১৩ সালের মার্চে তার ছোট ভাই রিড মারা যান। প্রোভিডেন্স হাই স্কুলে পড়ার সময় ভলিবলে ফ্লেয়ার দুইটি এনসিএইচএসএএ এ-স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করেছিল, ২০০৪-২০০৫ পর্যন্ত তিনি দলনেতা এবং বছর সেরা শিক্ষার্থী ছিলেন। বোন, উত্তর ক্যারোলিনার উত্তর ক্যারোলিনা স্টেট পূর্বে স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, ২০০৮ সালের বসন্তে সেখানে তিনি পাবলিক সম্পর্কে বিজ্ঞানে ব্যাচেলার স্নাতক করেন। কুস্তিগির হওয়ার পূর্বে ফ্লেয়ারকে পেশাদার প্রশিক্ষক হিসেবে প্রত্যায়িত করা হয়েছিল। == পেশাদারি কুস্তি কর্মজীবন == === ডাব্লিউডাব্লিউই === ==== এনএক্সটি (২০১২–২০১৫) ==== ২০১২ সালের ১৭মে, ফ্লেয়ার ডাব্লিউডাব্লিউই এর সাথে উন্নায়ন শাখার চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হয়, এবং তাদের উন্নায়ন শাখার, ডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটিতে যোগ দান করেন। তিনি '''শার্লট''' রিং নাম গ্রহণ করেন, এবং ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই টেলিভিশনে প্রচারিত তার ম্যাচ হয়েছিল, সেই ম্যাচে সে বেইলিকে পরাজিত করে। ২০১৩ সালের শেষের দিকে, বেইলিকে নিয়ে দল গঠন করেন এবং ''এনএক্সটি'' সেপ্টেম্বরের পর্বে তারা দুইজন মিলে আকসানা আলিসিয়া ফক্সকে পরাজিত করে। ১০ অক্টোবরের ''এনএক্সটি'' পর্বে, স্যানটানা গ্যারেট এর বিরুদ্ধে শার্লটের ম্যাচে বেইলি তার আনুসঙ্গী হয়, সেটা শার্লট জয় লাভ করে। ম্যাচকালীন সময় "বিএফএফএস (বিউটিফুল, ফিয়ারস ফিমেলস)" (সামার রেই এবং সাশা ব্যাংকস) রিং আসে এবং বেইলি দল যোগ দান করতে বলে এবং তারা শার্লটকে বিরক্ত করে। যাইহোক, ১৩ নভেম্বরের ''এনএক্সটি'' পর্বে, শার্লট বেইলিকে আক্রমণ করে এবং বিএফএফসে যোগদান করে, এবং নিজেকে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে খলনায়িকা তে প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে শার্লট ইঞ্জুরির জন্য প্রায় দুই মাস অনুপস্থিত থাকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি শার্লট ফিরে আসেন আর ব্যাংকস আর সামারের অনুষঙ্গী হন। ফেব্রুয়ারিতে, রিনি ইয়ং এর সাথে এনএক্সটি নারী চ্যাম্পিয়ন পেইজের সাক্ষাতকারের সময় শার্লট মুখোমুখি হয় এবং নিজেকে পরবর্তী চ্যালেঞ্জার হিসেবে ঘোষণ করা হয়। প্রধান রোস্টারে সামারের উন্নতির ফলে, শার্লট এবং ব্যাংকস বেইলি এবং নাটিলার সাথে তার গঠিত জোটের বিরুদ্ধে ঝগড়া শুরু করে। ২৭ মার্চের ''এনএক্সটি পর্বে'', ব্যাংকসের হস্তক্ষেপেরে পর মাধ্যমে নাটালিয়া শার্লটকে পরাজিত করে। ২৪ এপ্রিলের ''এনএক্সটি'' পর্বে শার্লট আর পেইজের ঝগড়া শেষ হয়, যখন শার্লট আর ব্যাংকস মিলে ইমা আর পেইজকে পরাজিত করে। মে মাসের প্রথমদিকে, শার্লট চ্যাম্পিয়নহীন এনএক্সটি নারী চ্যাম্পিয়নশীপ টূর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন, প্রথম রাউন্ডে ইমাকে পরাজিত করেছে, সেমি-ফাইনালে অ্যালেক্সা ব্লিসকে পরাজিত করে, এনএক্সটি টেকওভারে নাটালিয়াকে পরাজিত করে, এবং প্রথমবারের মত এনএক্সটি নারী চ্যাম্পিয়নশীপ জয় লাভ করে। চার মাস অনুপস্থিতির পর, জুন এর ''এনএক্সটি'' পর্বে সামার রেই ফিরে আসে, বেইলিকে বিক্ষেপী আক্রমণ করে আর শার্লটকে জিততে সাহায্য করে। ম্যাচটির পরে, বিএফএফএস বেইলিকে আক্রমণের চেষ্টা করে কিন্তু পেইজ আর ইমা ফিরে এসে বেইলিকে রক্ষা করে। তাদের বিবাদেএ জন্য ১২ জুনের ''এনএক্সটি'' পর্বে ছয়- নারী ট্যাগ টিম ম্যাচ দেওয়া হয়। যেটিতে বেইলি শার্লটকে পিন করে জিতে যায়, ফলে বিএফএফএস হেরে যায়। জুলাই এর ''এনএক্সটি'' পর্বে, শার্লট বেইলির বিরুদ্ধে ট্যাগ টিম ম্যাচে শাস্তি পায়, সেখানে সে এবং ব্যাংকস মিলে বেইলি এবং বেকি লাইঞ্চকে পরাজিত করে। ম্যাচ শেষে শার্লট ব্যাংকস রেখে চলে যায়, আর বেইলি ব্যাংকসকে আক্রমণ করে। তার পরে রাতে ব্যাকস্টেজে ব্যাংকস বিএফএফএস অফিসিয়াল ভাবে ত্যাগ করে। ২০১৫ সালের মার্চে সাশা ব্যাংক এর সাথে হাউজ শোতে কুস্তি লড়াই করতেছে ২৪ জুলাই এর ''এনএক্সটি'' পর্বে, শার্লট সফলভাবে সামার রেই এর কাছ থেকে চ্যাম্পিয়িনশীপ রক্ষা করে। এরপর শার্লট এনএক্সটি টেকওভার: ফ্যাটাল ফোর-ওয়েতে বেইলিকে পরাজিত করে নিজের চ্যাম্পিয়নশীপ সফলভাবে রক্ষা করে, পরে ব্যাংকস বেইলিকে আক্রমণ করতে গেলে শার্লট ব্যাংকসকে আক্রমণ করে, অক্টোবরের পুনঃম্যাচে শার্লট বেইলিকে পরাজিত করে, ম্যাচ শেষে শার্লট বেইলি কুলাকুলি করে এবং হাত মেলাই। পরে শার্লট আর বেইলি মিলে ব্যাংকস এবং বেকি লাইঞ্চের সাথে ঝগড়া শুরু করে। ডিসেম্বরের ডাব্লিউডাব্লিউই এর প্রধান রোস্টার ''র'' এর স্লামি অ্যাওয়ার্ড বিশেষ পর্বে তার অভিষেক হয়। সেখানে তিনি নাটালিয়া দ্বারা পরাজিত হন। ১১ ডিসেম্বরের এনএক্সটি টেভার: আর এভুলিয়েশন শার্লট ব্যাংকসকে হারিয়ে তার চ্যাম্পিয়নশীপ রক্ষা করে। এবং ২৫ ডিসেম্বর তাদের পুনঃম্যাচ হয়। এবং ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারির ''এনএক্সটি'' পর্বে পুনঃম্যাচ আবারো অনুষ্ঠিত হয়। এনএক্সটি টেকওভার: রিভাল এ, ফ্যাটাল ফোর-ওয়ে ম্যাচে সাশা ব্যাংকের কাছে তার চ্যাম্পিয়নশীপ হারান, এছাড়াও ম্যাচে বেকি লাইঞ্চ এবং বেইলি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২৫৮ দিনে শার্লটের রাজত্ব শেষ হয়। মার্চের ''এনএক্সটি'' পর্বের পুনঃম্যাচে সে তার চ্যাম্পিয়িনশীপ পুনরায় জিততে ব্যর্থ হয়। ২০ মার্চ এনএক্সটি টেকওভার: আনস্টপ্যাবলে, শার্লট এবং বেইলি মিলে ইমা এবং ড্যানা ব্রুকিকে পরাজিত করে। জুলাই এর ''এনএক্সটি'' পর্বে, শার্লট পুনরায় ইমা আর ব্রুকিকে পরাজিত করে, এই সময় সে সাশা ব্যাংকের সাথে দল গঠিন করে, ম্যাচ পরে শার্লট সাশা ব্যাংককে এনএক্সটি নারী জন্য চ্যালেঞ্জ করলে ব্যাংকিস গ্রহণ করে। জুলাই ১৫ এর ''এনএক্সটি'' পর্বে ব্যাংকস শার্লটকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়নশীপ রক্ষা করে, তারপরে দুইজন কুলাকুলি করে এবং সাশা শার্লটের উচু করে ধরে যেটি সম্মান প্রতীক। ====ডিভাস চ্যাম্পিয়ন == ব্যক্তিগত জীবন == ফ্লেয়ার থোমাস ল্যাটিমারকে বিবাহ করে, ভালো পরিচিত ব্রাম হিসেবে, তিনি বর্তমানে টোটাল ননস্টপ অ্যাকশান রেসলিং (TNA) কাজ করেন। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ফ্লোরিডা প্রদেশে তাদের ডিভোর্স হয়। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর চ্যাপেল হিল, উত্তর ক্যারোলিনায় পুলিশের উপর হামলার জন্য ফ্লেয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে তাকে ৪৫ দিনের কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং $২০০ ডলার জরিমানা করা হয়। == কুস্তিতে == '''Finishing moves''' ** ''বোউ ডাউন টু দ্য কুইন'' ''Natural Selection'' (ফরওয়ার্ড সামারসল্ট কাটার, মাঝেমাঝের দড়ির উপর থেকে) ** ''ফিগার এইট'' (ব্রিজিং ফিগার-ফোর লেগলক) '''Signature moves''' ** ব্যাকপ্যাকেট স্টানার, মাঝেমাঝে দৌড়ানোর সময় অথবা পাল্টা আঘাত হিসেবে ব্যবহৃত হয় ** বিগ বুট ** ''শার্লট'স ওয়েব'' (Split-legged evasion transitioned into bridging inverted roll-up) ** Figure-four headscissors, sometimes transitioned into multiple push-up facebusters ** নীলিং হ্যাংম্যান'স নেকব্রেকার ** থিএত্রিক্স্ এর সাথেক্নাইফ এজ চোপ, adopted from her father ** রানিং জাম্পিং নী ড্রপস adopted from her father ** মুনসাল্ট ** সীটাউট ঊইলব্যারো ফেসবাষ্টার ** সামারসল্ট সেনটন **স্পেয়ার ** সুইং নেকব্রেকার ** '''"ড্যাডি'স লিটল (ন্যাচার) গার্ল"''' ** '''"ন্যাচার গার্ল"''' ** "দ্য ফ্লেয়ার অব এনএক্সটি" ** "দ্য ডার্টিস্ট ডিভা ইন দ্য গেম" ** '''রিক ফ্লেয়ার''' '''প্রবেশ উদ্ভোদনী সঙ্গীত''' ** "হ্যাভ ঈট মাই ওয়ে" (এনএক্সটি) ** স্পাইডার রকেটস কর্তৃক "গোয়িং ডাউন" (এনএক্সটি) ** সিএফও$ কর্তৃক মে ২৯, ২০১৪–বর্তমান) == চ্যাম্পিয়নশীপ এবং সম্মান == '''''প্রো রেসলিং ** রকি অব দ্য ইয়ার (২০১৪) ** PWI ranked her '''6''' of the top 50 female singles wrestlers in the PWI Female 50 in 2015 '''''Wrestling Observer Newsletter''''' ** Worst Feud of the Year (2015) Team PCB vs. Team B.A.D. vs. Team Bella ** ডাব্লিউডাব্লিউই ডিভাস চ্যাম্পিয়নশীপ (৪ বার, ** এনএক্সটি নারী চ্যাম্পিয়নশীপ (১ বার) == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি মহিলা পেশাদার কুস্তিগির'''ইসরার আলী''' (; জন্ম: মে, ১৯২৭ মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি, ২০১৬) ব্রিটিশ ভারতের জলন্ধরে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট পাকিস্তানী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে অংশ নেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে বাহাওয়ালপুরের সদস্য হিসেবে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে পাঞ্জাব দলের বিপক্ষে খেলেন। খেলায় ৫৮ রানে উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি দুইটি টেস্টে অংশ নিয়েছেন। এরপর ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নীচের সারির ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী বোলার হিসেবে খেলেন। ২৫.৬৬ গড়ে উইকেট পান। তন্মধ্যে লেস ফাভেলকেই চারবার আউট করেন। == দেহাবসান == ২২ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে আসলাম খোখারের দেহাবসানের পর তিনি পাকিস্তানের সর্বাপেক্ষা বয়োঃজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == ক্লাইভ রাইস অ্যান্ডি গ্যানটিউম ২০১৬ এশিয়া কাপ পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু অঞ্চলের (পাকিস্তান) ক্রিকেটার ক্রীড়াবিদ পাঞ্জাবের ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার বংশোদ্ভূত পাকিস্তানী টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার অঞ্চলের (পাকিস্তান) ক্রিকেটার'''পটুয়াখালী নদী''' বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২৫০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক পটুয়াখালী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর নদী নং ৪৮। ==প্রবাহ== পটুয়াখালী নদীটি পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর উপজেলার পৌরসভার লাউকাঠি ইউনিয়নে প্রবহমান লোহালিয়া নদী হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা একই জেলার এবং সদর উপজেলার ইটাবাড়িয়া ইউনিয়ন অতিক্রম করে একই জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে নদীতে নিপতিত হয়েছে। নদীতে সারাবছর পানিপ্রবাহ থাকে এবং ছোটবড় নৌযান চলাচল করে। তবে বর্ষাকালে পানিপ্রবাহ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়। এই নদীটির উজানের প্রশস্ততা ভাটির তুলনায় অধিক। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় প্রবাহিত হওয়ায় নদীটি জোয়ার ভাটার প্রভাবে প্রভাবিত। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== জেলার নদী সদর উপজেলা উপজেলানদ''' বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা এবং বাংলাদেশের মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪৫ মিটার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ভৈরব-কপোতাক্ষ নদের প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর নদী নং ৭০। ==প্রবাহ== ভৈরব-কপোতাক্ষ নদটি মুর্শিদাবাদ জেলার চরকুশবাড়িয়ার কেছে জলাঙ্গী নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর নদীটি মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরবর্তী পর্যায়ে নদ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে ইছামতী-কালিন্দী নদীতে নিপতিত হয়েছে। নদীটি মৌসুমি প্রকৃতির। বর্ষাকালে নদীটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির প্রবাহ অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। সময় নদীর তীরবর্তী অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। নদীটি জোয়ার ভাটার প্রভাবে প্রভাবিত। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা পশ্চিমবঙ্গের নদনদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== নদী নদী আন্তর্জাতিক নদী জেলার নদী জেলার নদী জেলার নদী সদর উপজেলা উপজেলা উপজেলা'''২৫ মুহররম''' () ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের পঁচিশতম দিন এবং একই সঙ্গে হিজরী বছরেরও ২৫তম দিন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি চন্দ্রের আবর্তনের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে এই মাস ২৯ অথবা ৩০ দিনে সমাপ্ত হয়। == ঘটনাবলী == == জন্মদিন == == মৃত্যদিন == ৯৫ হিজরী শিয়া ইসলামের চর্তুথ ইমাম ইমাম জয়নাল আবেদিন, মারবিয়ান কর্তৃক শহীদ হন। == ছুটী অন্যান্য == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সাইট এএফপি। পঞ্জিকার দিন দিনতারিখ'''রাজশাহী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়''' রাজশাহী কোর্ট অঞ্চলের হেলেনাবাদে মডেল স্কুল হিসাবে ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সরকার স্থাপন করে। এটি হেলেনাবাদ গার্লস স্কুল নামেও স্থানীয়ভাবে পরিচিত। ==ইতিহাস== ১৯৬৭ সালের জানুয়ারী যশোরের অধিবাসী আলহাজ্জ এতিমন নেছা প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন। স্কুল প্রতিষ্ঠা লগ্নে তিনি হেলেনাবাদ সরকারি কলোনীতে বাস করতেন। ১৯৬৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী তারিখে মিসেস মমতাজ জাহান, অশ্বিনীকুমার শাহা হাসিনা রহমান সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। এই চার জনই ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক। মোঃ আশরাফ মুংলী (সাঁওতাল) নামের দুজন পিয়ন ছিলেন। ১৯৬৭ সালের মার্চে ৬ষ্ঠ হতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলটি যাত্রা শুরু করে। বিদ্যালয় নির্মাণ না হওয়ার কারণে প্রধান শিক্ষিকার বাসভবনে ক্লাস হতো। ১৯৬৮ সালে একাডেমিক ভবনে ক্লাশ শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে নবম, ১৯৬৯ সালে দশম শ্রেণী খোলা হয় এবং ১৯৭০ সালে এই স্কুলের ছাত্রীরা প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ১৯৬৯ সালেই বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম কেন্দ্র হয়। ==অবকাঠামো এবং প্রশাসন== এইচ (H) প্যাটার্নের দু ব্লক বিশিষ্ট স্কুল ভবনটির জমির পরিমাণ ৬.৬৬ একর। স্কুল চত্বরে তিন তলা বিশিষ্ট ৪৮ আসনের একটি ছাত্রী হোস্টেল প্রধান শিক্ষকের একটি বাসভবন আছে। এক জন প্রধান শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক সংখ্যা ২৬ জন। রাজপাড়া মহল্লায় অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এক সময় এই স্কুলের অধীনে ছিল। ==আরো দেখুন== রাজশাহী কলেজ নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল রাজশাহী লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয় == তথ্যসূত্র == জেলার বিদ্যালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত'''দিল্লী''' ভারতের রাষ্ট্রীয় রাজধানী অঞ্চল যা ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পরিচালিত হয়। দিল্লী কে এগারোরি জেলায় ভাগ করা হয়েছে নিচে তার তালিকা দেওয়া হল। নয়টি জেলায় বিভক্ত দিল্লীর পুরনো মানচিত্র মধ্য দিল্লী ভারতের প্রতিরক্ষা অর্থ মন্ত্রকগৃহ. == জেলাগুলির তালিকা == ক্রমাঙ্ক জেলা সদরদপ্তর মহকুমা নতুন দিল্লী কনৌট প্যালেস চানক্যপুরী কন্টনমেন্ট বসন্ত বিহার উত্তর দিল্লী নারেলা মডেল টাউল নারেলা আলিপুর উত্তর-পশ্চিম দিল্লী কাঞ্জাওয়ালা রোহিণী কাঞ্জাওয়ালা সরস্বতী বিহার পশ্চিম দিল্লী রজৌরি বাগান প্যাটেল নগর পাঞ্জাবী বাগ রজৌরি বাগান দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লী দ্বারকা দ্বরকা নাজফগড় কাপাসেরা দক্ষিণ দিল্লী সাকেত সাকেত হৌজ খাস মেহরাউলি দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লী ডিফেন্স কলোনি ডিফেন্স কলোনি কালকাজি সরিতা বিহার মধ্য দিল্লী দরিয়াগঞ্জ কোতওয়ালি সিভিল লাইন্স করোল বাগ উত্তর-পূর্ব দিল্লী সীলমপুর সীলমপুর যমুনা বিহার কারওয়াল নগর ১০ শহদরা শহদরা শহদরা সীমাপুরী বিবেক বিহার ১১ পূর্ব দিল্লী প্রীত বিহার গান্ধনগর প্রীত বিহার ময়ূর বিহার == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == ভারতের জেলাসমূহ পাঞ্জাবের জেলাগুলির তালিকা == বহিঃসংযোগ == জেলাসমূহের তালিকা সম্পর্কিত তালিকা'''মিলেনিয়াম পার্ক''' কলকাতায় গঙ্গা নদীর পূর্ব তীরে রেলওয়ে ক্লাবের বিপরীতে ফেয়ারলি ঘাট থেকে ২.৫ কিমি দূরে অবস্থিত একটি বিনোদন উদ্যান। এই পার্ক বা উদ্যানটি গড়ে উঠেছে। ২০০০ বছর অর্থাৎ খ্রিস্ট বছর গণনার হিসেবে দ্বিতীয় সহস্রাব্দকে ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখার জন্যেই তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) উদ্যোগে নতুন সহস্রাব্দের উপহার হিসাবে স্ট্র্যান্ড রোড হুগলি নদীর মাঝে এই 'মিলেনিয়াম পার্ক' তৈরি হয়। দ্বিতীয় সহস্রাব্দ অর্থাৎ ২০০০ খ্রিস্টাব্দ শুরু হওয়ার আগেই ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর এটির উদ্বোধন হয়। বড়ো পার্ক তৈরি করার মতো জায়গা এখানে নেই। তবুও মানুষজনের চাহিদা মেনে অল্প পরিসরে হলেও, পার্কের উত্তর দিকে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুমতিতে তাদেরই জায়গায় বেশ কিছুটা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এই সম্প্রসারিত অংশে শিশুদের জন্যে বেশ কয়েকটা মজাদার 'রাইড' তৈরি করা হয়। যেখানে প্রত্যেক রবিবার এবং ছুটির দিনে অসংখ্য শিশু তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে মজা নিতে আসে। দ্বিতীয় সহস্রাব্দের এই স্মরণীয় পার্কের মূল প্রবেশদ্বারটা তৈরি করে দিয়েছে স্বনামধন্য টাটা শিল্পগোষ্ঠী। তাই মিলেনিয়াম পার্কের তোরণকে মানুষ বলে 'টাটা গেট'। এই উদ্যানটি হল গঙ্গাতিরের সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের প্রথম পর্ব। উদ্যানটি সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গঙ্গাতিরের সৌন্দর্য বাড়াবার জন্যে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তার অঙ্গ হিসেবে এই পার্কেও সুদৃশ্য আলোর ব্যবস্থা করেছে। দিনে তো বটেই, এমনকি রাতেও মিলেনিয়াম পার্ক আলোকোজ্জ্বল দেখায়। == আরও দেখুন == *কলকাতা আই *গঙ্গা তীরের সৌন্দর্য্যবর্ধন ==তথ্যসূত্র== উদ্যান'''হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম''' () ভারতের অন্যতম প্রধান স্টেডিয়াম। '''এইচপিসিএ স্টেডিয়াম''' নামে পরিচিত স্টেডিয়ামটি হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা শহরে অবস্থিত। রঞ্জি ট্রফি অন্যান্য সীমিত ওভারের খেলাগুলোয় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট দল মাঠে অংশ নিয়ে থাকে। এছাড়াও, কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব দল আইপিএলের খেলাগুলোয় তাদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৪৫৭ মিটার (৪,৭৮০ ফুট ইঞ্চি) উপরে স্টেডিয়ামটির অবস্থান। এর পিছনেই হিমালয় পর্বতমালা রয়েছে। == ইতিহাস == ২০০৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক দল হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারত দলের বিপক্ষে মোকাবেলা করে। জানুয়ারি, ২০১৩ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড বনাম ভারতের মধ্যকার প্রথম ওডিআই অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ভারত উইকেটে পরাজিত হয়েছিল। এরপর ১৭ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৯ রানে স্বাগতিক ভারত পরাজিত করে। নভেম্বর, ২০১৫ সালে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম, জেএসসিএ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম, হোলকার স্টেডিয়াম এবং ড. ওয়াই.এস. রাজশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সাথে স্টেডিয়ামটিতেও ছয়টি নতুন টেস্ট মাঠরূপে ঘোষণা করা হয়। ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ ধর্মশালায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। ===একদিনের আন্তর্জাতিক=== ২০১৩ সালে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় ভারত ইংল্যান্ডের মধ্যে। টিম ব্রেসনান ৪৫ রানে ৪টি উইকেট নেন যা এই মাঠে সবচেয়ে ভালো ব্যাক্তিগত অবদান। ২০১৪ সালে ভারত এই মাঠে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয় লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান করে যা মাঠে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর। বিরাট কোহলি ১১৪ বলে '''১২৭''' রান করেন যা এই মাঠে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত স্কোর। ২০১৬ সালে নিউজিলান্ড দল ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ১৯০ রানে অল আউট হয়ে যায় যা এই মাঠে সর্বনিম্ন দলগত স্কোর। == আইসিসি টুয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ == ২১ জুলাই, ২০১৫ তারিখে বিসিসিআই কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা আয়োজনে আটটি মাঠের একটিরূপে ধর্মশালার নাম ঘোষণা করে। ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে আইসিসি প্রতিযোগিতার সময়সূচী ঘোষণা করে। এতে গ্রুপ এ’র সবগুলো খেলা আয়োজনের কথা জানায়। তন্মধ্যে, মধ্যকার খেলাও এখানে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির সাবেক পরিচালক ডেভ হোয়াটমোর তার আমলেই স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা আয়োজনের উপযোগী হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন। == তথ্যসূত্র == টেস্ট ক্রিকেট মাঠ২০১৬ দক্ষিণ এশীয় গেমসে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ভারতের গুয়াহাটিতে উশু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারত ১১ টি স্বর্ণ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে। ==পদক অর্জনকারী== Women's Taijiquan Taijijian L. Sanatombi Chanu 18.62 সবিতা রাই 17.70 Komal Emmanuel 14.16 Men's Taijiquan Taijijian M. Gyandash Singh 18.53 Hari Prashad Gole 17.62 মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ কিশোর 16.80 Men's Taolu Daoshu Gunshu চিরাগ শর্মা 18.42 বিশ বুদ্ধ মাগার 17.76 মোহাম্মদ ওয়ালিদ আজমল 15.35 Women's Taolu Nanquan নিমা ঘারতি মাগার 16.91 Swechcha Jatav 16.33 Mubashra Akhtar 12.70 Men's Taolu Nanquan M. Punshiva Meitei 18.60 যুবরাজ থাপা 17.66 H. M. P. Manuranga 16.51 Women's Nanquan Nandao নিমা ঘারতি মাগার 16.91 Swechcha Jatav 16.33 Mubashra Akhtar 12.70 Men's Nanquan Nangun M. Punshiva Meitei 18.60 যুবরাজ থাপা 17.66 H. M. P. Manuranga 16.51 Women's Taolu Changquan Y.Sapna Devi 9.45 সুশমিতা থাপা 8.72 নাজিয়া পারভেজ 6.30 Men's Taolu Changquan P.L.H. Lakshan 8.86 Bijay Sinjali 8.80 Anjul Namdeo 8.66 ==পদক তালিকা== 11 16 10 10 12 মোট ১৬ ১৬ ২৫ ৫৭ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == দক্ষিণ এশীয় গেমস দক্ষিণ এশীয় গেমসের ইভেন্টসমূহ'''গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন''' হচ্ছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন তিস্তা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস হাওর এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতির মাধ্যমে যাত্রীসেবা প্রদান করে। ==যাত্রী পরিবহন== গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে চারটি আন্তঃনগর ট্রেনে আসনসংখ্যা ১৭৮টি হলেও প্রতিদিন ৮০০০ যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। == ইতিহাস == == বহিঃসংযোগ == == গ্যালারি == == তথ্যসূত্র == জেলার রেলওয়ে স্টেশন বিভাগের রেলওয়ে স্টেশন রেলওয়ে স্টেশন উপজেলা'''গলমাছি''' বা '''নলিমাছি'''কে ধান ফসলের সাধারণ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর পোকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পোকার আক্রামণের ফলে ধান গাছের মাঝখানের পাতাটা পিঁয়াজ পাতার মত নলাকার হয়ে যায়। জন্য পোকার ক্ষতির নমুনাকে ‘পিঁয়াজ পাতা গল’ বা ‘নল’ বলা হয়ে থাকে। গলের বা নলের প্রথমাবস্থায় রং হালকা উজ্জ¦ল সাদা বলে একে ‘সিলভার শুট’ বা ‘রূপালী পাতা’ বলা হয়। ==আকার আকৃতি== পেঁয়াজ পাতা গল বড় বা ছোট হতে পারে। ছোট হলে সনাক্ত করতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। গল হলে সে গাছে আর শীষ বের হয় না। তবে গাছে কাইচ থোড় এসে গেলে গলমাছি আর গল সৃষ্টি করতে পারেনা। পূর্ণ বয়স্ক গলমাছি দেখতে একটা মশার মত। স্ত্রী গলমাছির পেটটা উজ্জল লাল রঙের হয়। ==স্বভাব== এরা রাতে আলোতে আসে, কিন্তু দিনের বেলায় বের হয় না। স্ত্রী গলমাছি সাধারণতঃ পাতার নীচের পাশে ডিম পাড়ে, তবে মাঝে মধ্যে পাতার খোলের উপরও ডিম পাড়ে। গলমাছির বাৎসরিক বংশবৃদ্ধি মৌসুমী আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। শুষ্ক মৌসুমে গলমাছি নির্জীব থাকে এবং ঝরা ধান বা ঘাসের মধ্যে পুত্তলী অবস্থায় বেঁচে থাকে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই পূর্ণ বয়স্ক গলমাছি তৎপর হয়ে ওঠে এবং ঘাস জাতীয় বিকল্প গাছের খাদ্য খেয়ে এক বা একাধিক বংশ অতিক্রম করে। ঘাস জাতীয় গাছে গলমাছির এক একটি জীবনচক্র সম্পূর্ণ হতে ৯-১৪ দিন এবং ধানের ওপর ৯-২৪ দিন সময় লাগে। ==ক্ষতির প্রকৃতি== ধানের চারা অবস্থা থেকে যদি আক্রমণ শুরু হয় তাহলে কাইচ থোড় অবস্থা আসা পর্যন্ত সময়ে পোকা কয়েকবার জীবনচক্র সম্পূর্ণ করতে পারে। যে সমস্ত অঞ্চলে শুধু শুষ্ক বর্ষা মৌসুম বিদ্যমান, সে সব অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমের আগাম ধান ক্ষতি এড়িয়ে যেতে পারে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে রোপণ করলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বর্ষা মৌসুমে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকলে শুষ্ক মৌসুমে সেচের আওতাভুক্ত ধানক্ষেত আক্রান্ত হতে পারে। ==দমন ব্যবস্থাপনা== আলোক ফাঁদের সাহায্যে পূর্ণবয়স্ক গলমাছি ধরে ধ্বংস করা যেতে পারে। শতকরা ভাগ পিঁয়াজ পাতার মতো হয়ে গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করে গলমাছি দমন করা হয়। ==আরো দেখুন== কীটতত্ত্ব == তথ্যসূত্র =='''১৯৪৭ আসাম ভূমিকম্প''' ২৯ জুলাই ১৩:৪৩ ইউটিসি সময়ে সৃষ্টি হয় যার প্রাবল্য ছিল ৭.৩ রিখটার স্কেল। ভূমিকম্পের অবস্থান ছিল ব্রিটিশ ভারত এবং চীন প্রজাতন্ত্র সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে,যা তখনও তিব্বত শাসনাধীন ছিল না। কিছু-কিছু সূত্রমতে এই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ভারত-শাসিত এলাকায় আবার কিছু সূত্র বলে এই ভূমিকম্প চীন-ভারত-শাসিত এলাকায় হয়েছিল। চীনা সাহিত্যমতে, তিব্বত এর নাং প্রদেশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। ডিব্রুগড়, যোরহাট এবং তেজপুর অঞ্চলের কিছু দেয়ালে ফাঁটল দেখা গিয়েছিল। গুয়াহাটিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথাও শুনা যায়। ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব প্রায় ১.৫×১০২০ এনএম বলে বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়। তবে ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়া ভালভাবে জানা যায় নি। ==আরো দেখুন== ভূমিকম্প ==তথ্যসূত্র== দূর্যোগ ভূমিকম্প ভূমিকম্প ইতিহাস ভূমিকম্প'''সিয়েরা লিওন জাতীয় ফুটবল দল''' হল সিয়েরা লিওনের একটি জাতীয় ক্রীড়া দল যা আন্তর্জাতিক ফুটবলে সিয়েরা লিওনের প্রতিনিধিত্ব করে। দলটি সিয়েরা লিওন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। সিয়েরা লিওন জাতীয় দল পশ্চিম আফ্রিকান ফুটবল ইউনিয়ন এবং কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল প্রতিনিধিত্ব করলেও ফিফা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা এখনও অর্জন করেনি। ==ইতিহাস == সিয়েরা লিওন জাতীয় ফুটবল দল প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে নিজেদের মাঠে অপর ব্রিটিশ উপনিবেশ নাইজেরিয়ার সাথে ১০ আগস্ট ১৯৪৯ সালে এবং গোলে পরাজিত হয়েছিল। ১৯৫৪ সালে অন্য ব্রিটিশ উপনিবেশ এবং ব্রিটিশ শাসিত জাতিসংঘ টেরোটরি গোল্ড কোস্ট ট্রান্স ভোল্টা টোগোল্যান্ড (বর্তমান ঘানা) এর সাথে এবং গোলে পরাজিত হয়েছিল। ২২ এপ্রিল ১৯৬১ সালে নাইজেরিয়ার মাঠে পুনরায় নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হয় এবং ম্যাচেও গোলে পরাজিত হয়। ১২ নভেম্বর ১৯৬৬ সালে, ব্রিটিশ উপনিবেশ বহির্ভূত প্রথম দল স্বাগতিক লাইবেরিয়া সাথে খেলে এবং প্রথম কোন ম্যাচে গোলে ড্র করে। এক সপ্তাহ পরে লাইবেরিয়ার সাথে দ্বিতীয় ম্যাচে গোলে পরাজিত হয়। ১৩ জানুয়ারি ১৯৭১ সালে সিয়েরা লিওন প্রথম অ-আফ্রিকান দেশ পূর্ব জার্মানি বি দলের সাথে খেলে। ম্যাচে সিয়েরা লিওন গোলে জয়ী হয়। সিয়েরা লিওন আফ্রিকার বাইরে এবং প্রথম এশীয় দল হিসাবে চীনের সাথে খেলে। ১৯৭৪ সালের এপ্রিল অনুষ্ঠিত খেলায় গোলে চীনের নিকট পরাজিত হয়। ==সিয়েরা লিওন ফুটবল আর্কাইভ == ==আফ্রিকা নেশনস কাপ রেকর্ড == ==সিডিউল == ==বর্তমান স্কোয়াড == ==তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ == Sierra Leone Football Association official site Sierra Leone at FIFA.com Sierra Leone at লিওন জাতীয় ফুটবল দল লিওনে ফুটবল লিওনের জাতীয় ক্রীড়া দল'''ভাদ্রা ইউনিয়ন''' হচ্ছে একটি ইউনিয়ন পরিষদ যেটি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার অন্তর্গত। এটি টাঙ্গাইল শহরের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এর উত্তরে ধুবরিয়া, নাগরপুর মামুদনগর; দক্ষিণ পূর্বে দৌলতপুর উপজেলা;এবং পশ্চিমে দপ্তিয়র। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত আদমশুমারি ২০১১ অনুযায়ী, ভাদ্রা ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২১,৯৫০ জন। এই ইউনিয়নে মোট ঘরসংখ্যা ৫১০১ টি। ==শিক্ষা== ভাদ্রা ইউনিয়নের গড় সাক্ষরতার হার শতকরা ৪১.৩ ভাগ (পুরুষ-৪৬.২%, মহিলা-৩৬.৯%)। ==আরও দেখুন== টাঙ্গাইল ==তথ্যসূত্র== বিভাগের জনবহুল স্থান জেলার জনবহুল স্থান উপজেলার ইউনিয়ন() হচ্ছে গ্রুপের একটি ওষুধ। এই ওষুধ মুখে সেবন করতে হয় এবং সেবনের এক ঘণ্টার মধ্যে কাজ শুরু করে ছয় থেকে বারো ঘণ্টা পর্যন্ত এর কার্যকারিতা বজায় থাকে সাধারণ মধ্যে ঝিমুনি, মনোযোগহীনতা, উত্তেজনা অন্যতম এটা আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। দীর্ঘকাল ব্যবহারে এই ওষুধের প্রতি নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। গর্ভাবস্থায় সেবনে ভ্রূণের ক্ষতি হয় এটা GABAA রিসেপ্টরের উপর কাজ করে এবং গাবা (GABA) নামক কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। == তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Rx-List Clonazepam Poisons Information Monograph Clonazepam FDA prescription insert বিষয়শ্রেণী:ঔষধ'''আংস্ট''' (জার্মান ভাষা আক্ষরিক অর্থ ''আতঙ্ক'' বা ''ভয়'') হল জার্মান ঔপন্যাসিক ছোটগল্পকার স্তেফান ৎসোয়াইক রচিত একটি বিখ্যাত বড়গল্প বা নভেলা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্ববর্তী জার্মান মধ্যবিত্ত সমাজের পটভূমিতে রচিত এই গল্পটি লেখা হয় ১৯১৩ সালে, কিন্তু এর প্রথম প্রকাশকাল ১৯২০ সাল। ==সারসংক্ষেপ== ''ইরেনা ভাগনার'', এক মধ্যবয়স্কা (প্রায় ত্রিশ) মধ্যবিত্ত আট বছরের বিবাহিতা দুই সন্তানের জননী রমণী, এই গল্পের প্রধান চরিত্র। তার একজন গোপন প্রেমিক আছে। বুর্জোয়া মধ্যবিত্ত জীবনের নিস্তরঙ্গ দৈনন্দিকতার তীব্র একঘেয়েমি থেকে মুক্তির স্বাদ পেতে রোমাঞ্চের খোঁজেই তার এই প্রেমিকচয়ন। কিন্তু যখনই সে সেই প্রেমিকের সাথে একান্তে সময় কাটিয়ে বেরিয়ে আসে, এক তীব্র আতঙ্ক এসে তার সর্বশরীর সত্ত্বা গ্রাস করে যদি তার স্বামী কোনওভাবে জেনে যায় তার এই মিথ্যাচরণ। একদিন প্রেমিকের সাথে একান্তে সময় কাটিয়ে যখন সে তার অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসছে, সিঁড়ির তলায় বাড়ি থেকে বেরনোর দরজার মুখে তার সাথে দেখা হয়ে যায় এক কুৎসিত মহিলার। সে ইরেনার পথ আটকে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করে, ইরেনা তার প্রেমিককে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। মহিলার নাছোড় অভিযোগের মুখে কার্যত দিশেহারা বোধ করে ইরেনা তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে হাতের মুঠোয় যা টাকা উঠে আসে তাই দিয়ে কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচে। বাড়ি ফিরে সে একটি চিঠিতে তার প্রেমিককে জানায় আর সে তার সাথে দেখা করতে পারবে না। কিন্তু প্রেমিক তার উত্তরে বিধ্বস্ত বোধ করে যে আবেগময় চিঠি লেখে, তাতে তার সিদ্ধান্ত টলে যায় সে তার সাথে এক নিকটস্থ কাফেতে দেখা করবে বলে ঠিক করে। দেখা হলে সে তাকে তার এই অদ্ভুত আচরণের কারণ সম্বন্ধে কিছুই জানায় না, শুধু তাকে প্রেমিকসুলভ এক প্রবল উদ্বেগের মধ্যে রেখে দিয়ে রোমান্সের খেলায় সেই মুহূর্তে বিজয়গর্বে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু বাড়ির দরজার মুখে আবার সেই মহিলার মুখোমুখি হয়ে মুহূর্তে তার সব গর্ব উবে যায় আগের সেই তীব্র আতঙ্ক এসে তাকে গ্রাস করে। সে বুঝতে পারে মহিলা তার নাম, পরিচয়, বাসস্থান, সব কিছুই জানে। ফলে স্বামীর কাছে তার পৌঁছে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। নিজের কাছে সেইমুহূর্তে যা টাকাকড়ি ছিল সবকিছু দিয়ে সে কোনওরকমে মহিলাকে তখনকার মতো বিদেয় করে ঘরে ফিরে আসে তারপর তিনদিন আর ঘর ছেড়ে বেরোয় না। তার এই অদ্ভুত আচরণ সকলেরই চোখে পড়ে। তৃতীয় দিন তাকে স্বামীর সাথে এক বলনাচের আসরে যেতে হয়, সেখানে সে নেশাগ্রস্তের মতো নাচে। কিন্তু নাচতে নাচতেই সে লক্ষ করে, তার স্বামী কেমন যেন অবিশ্বাসের চোখে তাকে দেখছে। বাড়ি ফিরে রাতে সে স্বপ্ন দেখে, সেই মহিলা এসে তার স্বামীর কাছে সবকিছু ফাঁস করে দিয়েছে। পরের দিন সে এক চিঠি পায়, যাতে তার কাছে ১০০ ক্রাউন (মুদ্রা) দাবি করা হয়। সে সাথে সাথে তা পত্রবাহককে দিয়ে দেয়। কিন্তু তাকে বিদায় করে সে যখন খাবার টেবিলে ফিরে আসে, দেখে তাড়াহুড়োতে সে সেই চিঠিটা খোলা অবস্থায় টেবিলের উপরই ফেলে রেখে গেছে। তাড়াতাড়ি সে সেটা তুলে নেয় পুড়িয়ে ফেলে। কিন্তু পরে তার স্বামীর কথাবার্তায় তার সন্দেহ হয়, সে নিশ্চয়ই কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে। বিকেলবেলায় সে হাঁটতে বেরলে তার প্রেমিকের সাথে তার পথে দেখা হয়, কিন্তু এবার সে তাকে এড়িয়ে যায়। পরেরদিন সে আবার একটা চিঠি পায়, যেখানে এবার ২০০ ক্রাউন দাবি করা হয়েছে। এবারও সে কোনও আপত্তি না করে টাকাটা দিয়ে দেয়। এরপর একদিন যখন সে বাড়ি ফেরে, দেখে তার স্বামী বাচ্চাদের সাথে খেলা করছে। খেলতে খেলতে বাচ্চা মেয়েটি ছেলেটির একটা খেলনা ভেঙে ফেলে। এর জন্য কে দোষী তা বুঝতে যখন সে তার স্বামীর সাথে কথা বলছে, আবার স্বামীর কথায় তার মনে হয়, স্বামী কিছুটা আন্দাজ করেছে। কিছুক্ষণ পর দরজায় ঘন্টার শব্দে দরজা খুলে সে আবার সেই মহিলার দেখা পায়। এবার তার দাবি তার এনগেজমেন্ট রিং। প্রথমে সে কিছুতেই এটা দিতে চায়নি, কিন্তু ঠিক সেই সময় তার স্বামী সেখানে এসে পড়ায় তড়িঘড়ি তা দিয়ে মুক্তি পায়। পরের দিন সে শহরে বেড়াতে বেরোয়, কিন্তু সারাটা পথ তার কেবলি মনে হতে থাকে, তার স্বামী তাকে অনুসরণ করছে। শেষপর্যন্ত তার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। সে ঠিক করে, তার প্রেমিকের কাছে গিয়ে সে তাকে মহিলার সাথে কথা বলতে অনুরোধ করবে। কিন্তু যখন সে এতদিন পর আবার তার প্রেমিকের দরজায় এসে উপস্থিত হয়, সে আর তাকে চিনতে পারে না। ইরেনা বোঝে, সে ইতিমধ্যেই একজন নতুন প্রেমিকা জোগাড় করে নিয়েছে। নিরুপায় বোধ করে সে কেমিস্টের দোকানে গিয়ে নিজেকে শেষ করার উদ্দেশ্যে কিছু বিষ সংগ্রহ করে। ঠিক সেই সময় তার স্বামী এসে উপস্থিত হয় তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। এতদিনে সে জানতে পারে, পুরো বিষয়টিই সাজানো। তার স্বামীই তাকে তার ওই গোপন প্রেমিকের কাছ থেকে সরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে একজন অভিনেত্রীকে ভাড়া করেছিল। তারফলেই তার এই দুর্দশা। ==চরিত্রাবলী== এই উপন্যাসের মূল চরিত্র চারজন। এদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নীচে দেওয়া হল ''ইরেনা ভাগনার'' উপন্যাসের মূল চরিত্র। সমগ্র গল্পটি একে ঘিরেই আবর্তিত হয়। আট বছরের বিবাহিতা দুই সন্তানের জননী। আধুনিকা ফ্যাশনেবল। বুর্জোয়া মধ্যবিত্ত জীবনের একঘেয়ে নিস্তরঙ্গতায় ক্লান্ত তার থেকে বেরিয়ে আসতেই অবৈধ প্রেমের রোমাঞ্চের সন্ধানী। আবার একই সাথে প্রতিষ্ঠিত মধ্যবিত্ত জীবনের নিশ্চিন্ততার আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে আসতেও নারাজ। এই টানাপোড়েনই তার আতঙ্কের উৎস, ব্ল্যাকমেলিং'এর সামনে পড়ে যা অসহনীয় রূপ ধারণ করে গল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলে। ''ফ্রিৎস ভাগনার'' ইরেনার স্বামী। প্রতিষ্ঠিত পারিবারিক সামাজিক মূল্যবোধের প্রতিনিধি। গল্পের ঘটনাপঞ্জীর পিছনে আসল মাথা সেই, যদিও তা পাঠকের সামনে উন্মোচিত হয় একেবারে শেষে। ব্ল্যাকমেলার মহিলা বড়সড় চেহারা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ যুক্ত এই মহিলা ইরেনার বিপরীতে আশ্চর্য ঠাণ্ডা মাথার এক মহিলা। একেবারে শেষে তার অভিনেত্রী সত্ত্বার পরিচয় ফাঁসের আগে পর্যন্ত এডুয়ার্ডের প্রাক্তন প্রেমিকা ইরেনার প্রতি তার প্রবল জিঘাংসামূলক আচরণ ব্ল্যাকমেলিং সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য। ''এডুয়ার্ড'' ইরেনার গোপন প্রেমিক। প্রথম যখন ইরেনা তার কাছ থেকে সরে আসার চেষ্টা করে, তখন তার আচরণ ছিল যথেষ্ট বিশ্বস্ত। কিন্তু মাত্র ক'দিনের মধ্যেই সে অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ==সমালোচনা== আপাতদৃষ্টিতে গল্পটির বিষয়বস্তু ত্রিকোণ প্রেম সেই সঞ্জাত টানাপোড়েন। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সাইকোলোজিকাল নভেলা, যার মূল উপজীব্য মানুষের অন্তরজগতের জটিলতা। বহিরঙ্গের আধুনিক আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা ঝোড়ো আবেগ, অবদমিত আকাঙ্খা এই বাইরের ভিতরের দুই বিপরীতমুখী জগতের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরির ব্যর্থতা কীভাবে এক একেকটি জীবনকে অন্ধকার খাদের কিনারার দিকে ঠেলে নিয়ে যায়, গল্পটির পরতে পরতে উঠে আসে তারই এক জীবন্ত আখ্যান। ইরেনার জীবন সামাজিক অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ, নিস্তরঙ্গ, সাবলীল। কিন্তু তার অবদমিত প্রেম সেই সঞ্জাত রোমাঞ্চের আকাঙ্খা নিরুপায় তাকে বারেবারে টেনে নিয়ে যায় গোপন অভিসারের পথে। কিন্তু, সে জানে, এর ফলে তার সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার গুরুতর সম্ভাবনা আছে। আর সেই জানাটাই তার অজানা আতঙ্কের উৎস, যা ব্ল্যাকমেলিং'এর মুখোমুখি হয়ে তীব্র হয়ে ওঠে তাকে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দেয়। তার স্বামী ফ্রিৎসের ভূমিকা এখানে সিগমুন্ড ফ্রয়েড বর্ণিত সুপার ইগোর। সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে নিজের কাছে, বাচ্চাদের কাছে এবং শেষপর্যন্ত সামাজিক পারিবারিক মূল্যবোধই টিকে যায়, যদিও তার আগে ভিতরের অপূরিত আকাঙ্খা বাইরের নিরাপদ সামাজিক জীবনের অসহনীয় টানাপোড়েনে ছিন্নভিন্ন ইরেনা পৌঁছে যায় প্রায় ধ্বংসের কিনারায়। যে ভয়াবহ আতঙ্কের এক আবহ সমগ্র উপন্যাসটির পাঠকালীন ইরেনার মন থেকে উঠে এসে পাঠকমনকেও গ্রাস করে বসে, তা আসলে ভিতরের বাইরের মধ্যে এই চলমান দ্বন্দ্ব্বেরই প্রতীক। এর শিকার আমরা প্রত্যেকেই। আর ঠিক এই জায়গাতে এসেই ব্যক্তি ইরেনা তার প্রতিবেশকে ছাপিয়ে গিয়ে এই আতঙ্কের অনুভূতি হয়ে ওঠে সার্বজনীন, দাঁড় করিয়ে দেয় তা আমাদের নিজেদের মুখোমুখি। এছাড়াও অন্যান্য যেসব বিষয়বস্তু এই গল্পে উঠে আসে, সেগুলি হল আধুনিক সভ্যজীবন তার সংকট ভালোবাসাহীন বিবাহ বা দেখাশোনা করে বিয়ের সমস্যা আত্মহত্যা ব্ল্যাকমেলিং'এর মুখোমুখি মানুষের আচরণ এছাড়াও নারীবাদী সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গীতেও এই উপন্যাসটির অন্যরকম পাঠও সম্ভব। ===লিখনশৈলী গল্পকথন=== সমগ্র গল্পটি যদিও প্রথম পুরুষে রচিত অ-নামী এক গল্পকথকের (''narrator'') বয়ানে আমাদের সামনে ঘটনাপঞ্জী উন্মোচিত হয়, পাঠকের সামনে উপস্থিত সমগ্র ছবিটিই ইরেনাকেন্দ্রিক। তার প্রতিটি চলাফেরা, চিন্তাভাবনা, কথাবার্তা অত্যন্ত খুঁটিনাটি সহযোগে বিশদে বর্ণিত হয় অর্থাৎ এক্ষেত্রে গল্পকথনের রূপ অন্যদিকে ফ্রিৎস বা ব্ল্যাকমেলার মহিলার রূপ, ব্যবহার, আচরণ কথাবার্তা তুলে ধরা হয় ইরেনার দৃষ্টিতে। ফলে তাদের আপাত নৈর্ব্যক্তিক বর্ণনার মধ্যেও স্বাভাবিকভাবেই ইরেনার দৃষ্টিভঙ্গীর মিশেল থাকে। অর্থাৎ পাঠকের সামনে সমগ্র ঘটনাবলী উপস্থিত হয় উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইরেনার মাধ্যমেই। পাঠক তার ব্যক্তিগত অনুভূতির মাধ্যমেই অন্য সবকিছুকে অবলোকন করে, সেই অনুভূতি পাঠকমনেও সঞ্চারিত হয়। আবার যেহেতু পুরো কথনটিই তৃতীয় এক নামহীন কথকের বয়ানে, যার নিজের অবস্থান গল্পের ঘটনাবলীর বাইরে, একধরণের ব্যক্তি-ঊর্ধ্ব দৃষ্টিভঙ্গীর আভাস একইসাথে প্রতিমুহূর্তে পাঠককে সচেতন করে তোলে সেই ব্যক্তিগত দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধেও। অবশ্য গল্পকথনের এই ধরন নিয়েও সুক্ষ্ম এক খেলা চলে। মাঝে মাঝেই সেখানে সামনে চলে আসে সরাসরি ইরেনার নিজের বয়ান, অর্থাৎ কথনের রূপ সেখানে বদলে গিয়ে পরিণত হয় উত্তম পুরুষে, ইরেনার ব্যক্তি ''আমিতে''। বিশেষ করে তার স্বামী বা ব্ল্যাকমেলার মহিলার সাথে কথোপকথনের মুহূর্তে এই বয়ান ব্যবহৃত হয়। ফলে ইরেনার ব্যক্তিগত অনুভূতির সাথে পাঠকের একাত্মতার মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে তার গোপন প্রেমিক এডুয়ার্ডকে আমরা কখনোই তেমন সরাসরি দেখি না, তার আচারআচরণ, কথাবার্তা উঠে আসে হয় রিপোর্টের ভঙ্গিমায়, কথাচ্ছলে অথবা তার স্বামী বা ব্ল্যাকমেলার মহিলার সাথে কথোপকথনের মুহূর্তে প্রসঙ্গক্রমে। অর্থাৎ, যদিও সমস্ত ঘটনাক্রমের কেন্দ্রে তার সাথে এই গোপন অভিসারটির অবস্থান, পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় এই মূল ঘটনাটির চেয়ে বেশি করে ইরেনার মনে তার প্রভাবের উপর। ফলে ঘটনাবিশেষকে ছাপিয়ে সামনে এগিয়ে আসে একধরণের সার্বজনিনতা, পাঠক নিজে যার মধ্যে নিজেকেও আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। গল্পটির শিরোনামও ''আংস্ট'' বা 'আতঙ্ক'। অর্থাৎ এই সার্বজনীন অনুভূতিটিই এর ফোকাসবিন্দু। ইরেনার ঘটনা শুধুমাত্র তার এক উদাহরণ মাত্র। গল্পকথনের সময়ে নামহীন কথকের ব্যবহৃত বাক্যগুলিও প্রায়শই এমনভাবে সামনে আসে, যেন মনে হয় পাঠককে সরাসরি সম্বোধন করেই গল্পটি বলা হচ্ছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে গল্পটির বৃহত্তর পরিসীমার মধ্যে পাঠক নিজেও অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে। ফলে গল্পের সার্বজনীন পরিধিই আরও বৃদ্ধি পায়। এই বড়গল্পটি বহুবার চলচ্চিত্ররূপ লাভ করেছে। এগুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্যগুলি হল ১৯২৮ঃ আংস্ট (''আংস্ট ডি শোয়েরা স্টুন্ডা আইনার ফ্রাউ''); পরিচালনা হানস স্টাইনহফ; অভিনয়ে এলগা ব্রিঙ্ক, হেনরি এডওয়ার্ডস, গুস্তাফ ফ্র্যোলিখ। ১৯৩৬ঃ আংস্ট (''লা প্যোর'') পরিচালনা ভিক্তর তুরজানস্কি ১৯৫৪ঃ আংস্ট (''লা পাউরা''); পরিচালনা রোবের্তো রোসেলিনি; অভিনয়ে ইনগ্রিড বার্গমান, মাটিয়াস ভিমান, এডিথ শুলৎসা-ভেস্টরুম এবং ক্লাউস কিন্সকি। ১৯৯২ঃ আংস্ট (লা প্যোর'') পরিচালনা দানিয়েল ভিইন; অভিনয়ে নিকোলা ফারোঁ, মরিস বাকে, সিনসিয়া দ্য পন্তি এবং হানস ৎসিশলার। ==নাট্যরূপ== স্তেফান ৎসোয়াইকের লেখা এই উপন্যাসটি ছোট হলেও এর নাট্য সম্ভাবনা বিপুল। তারই সাথে সামঞ্জস্য রেখে একাধিকবার একে নাট্যরূপদান করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ''কোয়েন টাখেলেট''-এর প্রস্তুত এর নাট্যরূপটি। এই নাট্যরূপটিই আরো কিছুটা পরিমার্জনা করে ২০১০ সালের ২৮ জুন সালৎসবুর্গ নাট্যমেলায় অভিনীত হয়। এক্ষেত্রে পরিচালক ''ইয়োসি ভাইলার'' ৎসোয়াইকের মূল গল্পের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত থেকেও সময় পটভূমিকে ১৯০০ সালের ভিয়েনা থেকে সরিয়ে এনে স্থাপন করেছেন বর্তমানে। গল্পটির বিষয়বস্তুর সার্বজনিনতা কালোত্তির্ণতার এ' এক বড় প্রমাণ। ==তথ্যসূত্র== উপন্যাস ভাষার উপন্যাসভারতীয় বাঙালি লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত ১৯৮৮ সালের একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে ''দেশ'' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে আগস্ট, ১৯৮৮ সালে কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের জন্য ১৯৮৯ সালে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ==জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে== ''মানবজমিন'' উপন্যাসসের উপর ভিত্তি করে একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটক নির্মাণ করেছিলেন বাংলাদেশি নির্মাতা মুরাদ পারভেজ। নাটকটি ২০১০ সালের জুন থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত এনটিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছিল। ==পুরস্কার== সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৯) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== মানবজমিন গুডরিড্‌স উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর উপন্যাস উপন্যাস মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাসবাংলাদেশ নিম্নভূমির দেশ। বাংলাদেশে শুধুমাত্র দক্ষিণ পূর্বে চট্টগ্রামে পাহাড়, উত্তর পূর্বে সিলেটে নিচু পাহাড় এবং উত্তর উত্তর-পশ্চিমে কিছু উচ্চভূমি আছে। নিচে বাংলাদেশের ৩০০০ ফুটের উপরের পাহাড় চূড়াসমূহের একটা তালিকা দেওয়া হলো। ==৩০০০ ফুটের অধিক চূড়াসমূহের তালিকা== '''ক্রম''' '''নাম''' '''উচ্চতা''' '''অবস্থান''' '''টীকা''' তাজিংডং বা বিজয় বেসরকারি নাম সাকা হাফং থানচি, বান্দরবান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া'''। ২০০৬ সালে ইংরেজ পর্যটক গিঞ্জ ফুল্লেন চূড়ায় আরোহণ করেন। জো তল্যাং/মোদক মুয়াল| থানচি, বান্দরবান ২০০৫ সালে বাংলাদেশী পর্যটক সুব্রত দাস নিতিশ এবং বিজয় সঙ্কর কর চূড়ায় আরোহণ করেন। দুমলং| বিলাইছড়ি, রাঙামাটি রাঙামাটির সর্বোচ্চ চূড়া। ২০১১ সালে নেচার অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব দ্বারা চূড়া অভিযানের সময় উচ্চতা মাপা হয়। থানচি, বান্দরবান ২০১২ সালে এই পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করা হয় কেওক্রাডং| রুমা, বান্দরবান বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় ট্রেকিং রুট। মাইথাই জামা হাফং| বিলাইছড়ি, রাঙামাটি ২০১৪ সালে বিডি এক্সপ্লোরার দ্বারা চূড়া অভিযানের সময় উচ্চতা মাপা হয়। থিংদৌল তে ত্ল্যাং| রুমা, বান্দরবান Highest peak of Lowmbok row range. ২০১২ সালে বিডি এক্সপ্লোরার দ্বারা চূড়া অভিযানের সময় উচ্চতা মাপা হয়। মুখ্রা থুথাই হাফং| বিলাইছড়ি, রাঙামাটি ২০১৩ সালে উচ্চতা পরিমাপ করা হয় রুমা, বান্দরবান This flat mountain top once used as hide out place by separatist group from Mizoram. 10 রুমা, বান্দরবান ২০১২ সালে বিডি এক্সপ্লোরার দ্বারা চূড়া অভিযানের সময় উচ্চতা মাপা হয়। 11 মাপা হয়নি বিলাইছড়ি, রাঙামাটি 12 থানচি, বান্দরবান Most south-east corner peak of Bangladesh. Elevation measured during the joint expedition of Sangu source by D-way expeditors Nature Adventure Club in 2011. == তথ্যসূত্র == ভূগোল পর্বত'''ভাটিখাইন''' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == ভাটিখাইন ইউনিয়নের আয়তন ৫৪১ একর (২.১৯ বর্গ কিলোমিটার)। এটি পটিয়া উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভাটিখাইন ইউনিয়নের লোকসংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ প্রায় হাজার এবং মহিলা প্রায় হাজার। == অবস্থান সীমানা == পটিয়া উপজেলার মধ্যভাগে ভাটিখাইন ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় কিলোমিটার। ইউনিয়নের পশ্চিমে বড়লিয়া ইউনিয়ন, দক্ষিণে ছনহরা ইউনিয়ন, পূর্বে কচুয়াই ইউনিয়ন এবং উত্তরে পটিয়া পৌরসভা অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == ভাটিখাইন ইউনিয়ন পটিয়া উপজেলার আওতাধীন ১৪নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম পটিয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৯নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১২ এর অংশ। ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল: বাকখালী করল ভাটিখাইন ঠেগরপুনি == শিক্ষা ব্যবস্থা == ভাটিখাইন ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৬০.২৫%। ইউনিয়নে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি দাখিল মাদ্রাসা ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == ;মাধ্যমিক বিদ্যালয় করল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নলিনীকান্ত মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট ;মাদ্রাসা হযরত মির্জা আলী লেদু শাহ (রহ.) দাখিল মাদ্রাসা ;প্রাথমিক বিদ্যালয় করল সুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পূর্ব ভাটিখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাটিখাইন হাকিম সরকারি প্রাথমিক বিদালয় == যোগাযোগ ব্যবস্থা == ভাটিখাইন ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। == ধর্মীয় উপাসনালয় == ভাটিখাইন ইউনিয়নে ১০টি মসজিদ, ১৬টি মন্দির ৭টি বিহার রয়েছে। == খাল নদী == ভাটিখাইন ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে শ্রী মাই খাল, বগাহরা খাল এবং মরা খাল। == হাট-বাজার == ভাটিখাইন ইউনিয়নের প্রধান হাট/বাজার হল ভাটিখাইন পোলের গোড়া (শ্মশান কালীর হাট) বাজার। == দর্শনীয় স্থান == বুড়া গোঁসাইর মন্দির লোকনাথ মন্দির == কৃতী ব্যক্তিত্ব == আবদুল বারেক চৌধুরী –– বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজনীতিবিদ। কেদারনাথ দাশগুপ্ত –– ব্যারিস্টার, লেখক স্বদেশী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ বুদ্ধিজীবী। তপন চৌধুরী –– সংগীত শিল্পী। বিমল কান্তি বড়ুয়া –– জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। == জনপ্রতিনিধি == বর্তমান চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বখতিয়ার == আরও দেখুন == পটিয়া উপজেলা পটিয়া থানা চট্টগ্রাম জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''তেলোটাকি''' বা '''রাগা''', '''চ্যাং''', '''ঘাইরা''' বা '''গাচুয়া''' (বৈজ্ঞানিক নাম: '''''Channa () হচ্ছে চান্নিডি পরিবারের ''Channa'' গণের স্বাদুপানির একটি মৎস্য প্রজাতি। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত। ==বর্ণনা== দেহ সম্মুখে প্রায় চোঙাকৃতির এবং পশ্চাতে চাপা। পাখনার কিনারা কমলা বর্ণের দাগ টানা আছে। ==বিস্তৃতি== বাংলাদেশের মিঠাপানির অঞ্চলে পাওয়া যায়। এছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, পাকিস্তানের স্বাদুপানিতে পাওয়া যায়। ==বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ== আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। ==চিত্রশালা== Image:Channa বুকের দিক। ডের আঁকা ১৮৮৯ সালের চিত্র। ==বহিঃসংযোগ== == আরও দেখুন == বাংলাদেশের মাছের তালিকা বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছের তালিকা বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা ==তথ্যসূত্র== মাছ মাছ লংকার মাছ বর্ণিত প্রাণী মাছ মাছ মাছ মাছ মাছ মাছ মাছ মাছবাহার কলেজ''' ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় অবস্থিত। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মরহুম হাবিবুল্লাহ্‌ বাহার সাহেবের স্ত্রী আনোয়ারা বাহার চৌধুরী এই কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে এই কলেজে উচ্চ-মাধ্যমিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা), স্নাতক (পাস) কোর্স ১৬টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ৯টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স এবং বিবিএ প্রফেশনাল কোর্স কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রকৌশল বিষয়ে অনার্স চালু রয়েছে।। কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত। == ইতিহাস == == স্নাতক শ্রেণীর বিষয় সমূহ == == তথ্য সূত্র == জেলার কলেজ'''মহারাষ্ট্র সরকার''' বা '''মহারাষ্ট্র রাজ্য শাসন''' পশ্চিম ভারতীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের স্থানীয় সরকার। ভারতের অন্যসব সরকারের মতো এখানেও বিধানসভার সদস্যগণ পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। মহারাষ্ট্র সরকার সর্বমোট ২৮৮টি বিধনসভা আসন নিয়ে গঠিত। মহারাষ্ট্রর সরকার একটি দ্বিকাক্ষিক সরকার যথাঃ বিধানসভা বিধান পরিষদ।সংসদীয় ব্যবস্থায় যদি হয়, সরকারি দলের, জোট বা সমাবেশ সদস্যদের যারা ​​সংখ্যাগরিষ্ঠ কমান্ডের গ্রুপ দ্বারা গঠিত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাদের মধ্যে থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়। == মন্ত্রী পরিষদ == ডিসেম্বর ২০১৪ অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র সরকারে ১৮ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ১২ জন রাজ্য মন্ত্রী আছে। ===ক্যাবিনেট মন্ত্রী === মন্ত্রী চিত্র আসন দল পোর্টফলিও শিক্ষাগত যোগ্যতা দেবেন্দ্র ফড়নবিস Nagpur South West ভারতীয় জনতা পার্টি মুখ্যমন্ত্রী, গৃহমন্ত্রী, সাধারণ প্রশাসন, নগরউন্নয়ন, আইন ন্যায়, পর্যটন, তথ্য জন সম্পর্ক, প্রাক্তন কর্মচারী কল্যাণ Graduate Professional Management diploma in methods and techniques of project management, Berlin, D.S.E. Berlin, Year of Passing 1998, LLB 5-year Course Pass from Dr. Ambedkar Law College, Amravati Road, Nagpur, RSTM Nagpur University in 1992 একনাথ খড়সে Muktainagar Bharatiya Janta Party Revenue, Rehabilitation Relief Works, Earthquake Rehabilitation, Minorities Development and Wakf, Agriculture, Animal Husbandry, Dairy Development and Fisheries and State Excise 12th Pass B.Com IIIrd Year (Imcomplete) from L. R. T. University Akola in 1973-74 সুধির Ballarpur Bharatiya Janta Party Finance Planning and Forests Post Graduate M.Phil From Nagpur University In 1990 বিনোদ তাওড়ে বোরিবালি Bharatiya Janta Party School Education, Sports Youth Welfare, Higher Technical Education, Marathi Language, Cultural Affairs Graduate Professional B.E. (Electronics) From Sant Dnyaneshwar Vidyapeeth, Pune, 1984, HSC From Parle College,Vile Parle, SSC From St.Anthony High School, Santacruz, Mumbai, Year-1978 প্রকাশ মেহতা Ghatkopar East Bharatiya Janta Party Housing, Mining and Labor 10th Pass 10th Std, Gurukul High School, Ghatkopar east Mumbai 400077 Chandrakant Patil Member Of Maharashtra Legislative Council Bharatiya Janta Party Co-operation, Marketing and Textiles and Public works (excluding public undertakings) Post Graduate B.Com., M.Com. 1985, 1988, 1995-Nagpur Vidyapeeth Pankaja Munde Parli Bharatiya Janta Party Rural Guarantee Scheme and Women and Child Development Graduate S.S.C. 1994,Saraswati Vidyalay, Parali, Vai, H.S.C.1996, Jaihinde College, Mumbai, B.Sc.1999, Ramnarayan Ruiya, Mumbai Vishnu Savara Vikramgad Bharatiya Janta Party Tribal development Graduate B.Com., Pune University, Year 1973 গিরিশ বাপাট Kasba Peth Bharatiya Janta Party Food, Civil Supplies and Consumer Protection, Food and Drugs Administration and Parliamentary Affairs Graduate B.Com Pune University ১০ গিরিশ মহাজন Jamner Bharatiya Janata Party Water Resources 12th Pass SSC from New English School Jamner, Pune Board in 1976, HSC from Arts and Commerce College Jamner Pune Board in 1978, S.Y. B.Com from Arts and Commerce College Jamner Pune University in 1982 ১১ Diwakar Raote Member Of Maharashtra Legislative Council Shiv Sena Transport 10th Pass S.S.C., L.S.G.D., S.S.C. From Mumbai Board 1962 ১২ Subhash Desai Member Of Maharashtra Legislative Council Shiv Sena Industries, Ports, Employment Self-Employment 10th Pass SSC Diploma in journalism and Public Relations 13 Ramdas Kadam Member Of Maharashtra Legislative Council Shiv Sena Environment 10th Pass SSC From Yashwantrao Chavan High School, Mumbai Board in 1971 14 Eknath Shinde Shiv Sena Public Works (including Public Undertakings) 10th Pass 11 pass yr 1981 new English high school 15 Chandrashekhar Krishnarao Bawankule Kamthi Bharatiya Janta Party Energy, New and Renewable Energy 12th Pass B.S.C (Second Year) Dharampeth Science College nagpur, March 1981, Nagpur University. 16 Babanrao Lonikar Partur Bharatiya Janta Party Water Supply and Sanitation 5th Pass 5th passed from District Govt. Primary School Loni, Taluka Patur, Dist. Jalna, 1973 17 Dr. Deepak Sawant Member Of Maharashtra Legislative Council Shiv Sena Public Health and Family Welfare Doctorate Ph.D. from Shivaji University in 2009, M.A. (political science) from Shivaji University in 2002, M.A. (English) from Osmania University in 1985 18 Rajkumar Sudamji Badole Arjuni Morgaon Bharatiya Janta Party Social Justice and Special Assistance Graduate M.A. Part 1, From Nagpur University In 1996 and DCEV degree From Nagpur Vidhipeetha in 1983 ===রাজ্য মন্ত্রী=== মন্ত্রী দল পোর্টফলিও শিক্ষাগত যোগ্যতা দিলীপ কাম্বলে Pune Cantonment Bharatiya Janta Party Social Justice and Special Assistance Graduate B.A from Pune University, Abasheb College in 1989 বিদ্য ঠাকুর Goregaon Bharatiya Janta Party Women and Child Development, Food, Civil Supplies and Consumer Protection, Food and Drugs Administration 8th Pass Kudilal Govindram Sekseria Sarvodaya School, Year 1977 Ram Shankar Shinde Karjat Jamkhed Bharatiya Janta Party Home (Rural), Marketing, Public Health and Tourism Post Graduate M.Sc in 1992, B.Ed in 1994-95, B.Sc in 1990 Vijay Sidramappa Deshmukh North Solapur Bharatiya Janta Party Public Works (Public Undertakings), Transport, Labour and Textiles Graduate B.com. from Sangmeshwar College Solapur Shivaji Vidhyapith Kolhapur year 1978, S.S.C. from Sidheshwar High School Solhapur Maharashtra State Board of Secondary Higher Secondary Education Pune Divisional Board 1972 Sanjay Dulichand Rathod Digras Shiv Sena Revenue Graduate Professional B.Com University Yavatmal from 1993, B.P.ed from Subhedar Ramji Ambedkar health Education University Nagpur 1995 Dadaji Dagadu Bhuse Malegaon Outer Shiv Sena Co-operation 12th Pass Diploma in civil engineering, Shaskiya tantraniketan Dhule, Maharashtra, Board of technical examination. July 1983 Vijaybapu Shivtare Purandar Shiv Sena Water Resources and Water Conservation 10th Pass S.S.C Karmveer Bhaurao Ta Purander,Dist Pune Pass Year 1975, D.M.D. Father Aglen College YEar 1977, D.M.E. Five Semister ,Bhagubai Mafatlal Politechinque Mumbai, Pass Year 1981 Deepak Vasant Kesarkar Sawantwadi Shiv Sena Finance, Rural Development Graduate B.com Shree. Pancham Khemraj Mahavidyalay, Sawantwadi, Mumbai University, 1975 Ambrishrao Raje Satyavanrao Atram Aheri Bharatiya Janta Party Tribal Development Graduate Professional Business Law and HRM Level 4, University of Central England, Brirmingham Business School United Kingdom, Passing year 2006 ১০ Ravindra Dattaram Waikar Jogeshwari East Shiv Sena Housing, Higher and Technical Education Graduate B.Sc from Patkar College, Goregaon, Mumbai University in 1982 ১১ Dr. Ranjit Patil Member of Maharashtra Legislative Council Bharatiya Janta Party Home (Urban), Urban Development, General Administration, Law and Judiciary and Parliamentary Affairs Post graduate MBBS GMC Nagpur From Nagpur University 1986, M.Sc. From GMC Nagpur University 1990 ১২ Pravin Pote Member of Maharashtra Legislative Council Bharatiya Janta Party Industries and Mining, Environment, Public Works (excluding public undertaking) Graduate B.Com. from Kesharbbai Lahoti College Amravati University == তথ্যসূত্র == সদরদপ্তর'''বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী''' উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি রাজশাহী শহর থেকে ২০ মাইল দূরে পদ্মা নদীর পূর্ব পাড়ে সারদায় অবস্থিত। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক একাডেমীটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ==ইতিহাস== ==অবকাঠামো== যাবতীয় স্থাপনা সহ ২৪২.৬৬ একর এলাকা বেষ্টিত সম্পত্তি ১৯১০ সালে ব্রিটিশ সরকার ২৫০০০ টাকায় ক্রয় করে। পুলিশ অফিসার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মেজর এইচ চামনীর ওপর একাডেমী স্থাপনের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ১৯১২ সালের জুলাই মাসে একাডেমী প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ২০ মাইল পূর্বে পদ্মাপাড়ের সারদাহ্-এর বড়কুঠি ব্যবহার হচ্ছে অফিসার্স মেস হিসেবে আর ছোটকুঠি হলো প্রিন্সিপালের বাসভবন। এছাড়াও রয়েছে আরো প্রাচীন ইমারত। ==কোর্স সমূহ== মৌলিক কোর্স এসপি, সার্জেন্ট, সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবলদের জন্য রিফ্রেশার্স কোর্স ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট, প্রধান কনস্টেবলদের জন্য বিশেষ কোর্স ইন্সপেক্টর, প্রধান কনস্টেবল, কনস্টেবল এবং অন্যান্য বিভাগের সদস্যদের জন্য ডিএডি, এনএসআইদের জন্য বিশেষ কোর্স বনরক্ষীদের জন্য বিশেষ কোর্স ==তথ্যসূত্র== জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত'''''আরুণ''''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Heliophorus epicles (Godart)'') এক প্রজাতির ছোট আকারের প্রজাপতি যার শরীর ডানা উজ্জ্বল সোনালী রঙের এবং এদের উপরের ডানা ধাতব নীলচে বেগুনী রঙ দেখা যায়। এরা ‘লাইসিনিডি’ গোত্রের এবং 'লাইসিনিনি' উপগোত্রের সদস্য। == আকার == আরুন এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ২৮-৩৪ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। ==উপপ্রজাতি == ভারতে প্রাপ্ত আরুন এর উপপ্রজাতি হল- ''Heliophorus epicles latilimbata'' Fruhstorfer, 1908 Himalayan Purple Sapphire == বিস্তার == ভারতে একমাত্র হিমালয়ে ২০০০ থেকে ৭০০০ ফুট উচ্চতায় এদের দেখা পাওয়া যায়। এছাড়া কুমায়ুন হিমালয় থেকে দক্ষিণ মায়ানমার অবধি এদের দেখা পাওয়া যায়। প্রধানত ঘন জঙ্গলে এরা বসবাস করে। == বর্ণনা == স্ত্রী আরুণ প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:- আরুণের পিছনের ডানা করাতের দাঁতের মতো আকৃতি বিশিষ্ট। ডানা মুড়ে বসলে এদের ডানার নিচের পিঠ উজ্জ্বল সোনালি বর্ণের এর ধার বরাবর চওড়া লাল পাড় দেখা যায়। এই লাল পাড় পিছনের ডানা থেকে সামনের ডানা অবধি টানা বিস্তৃত এবং পিছনের ডানায় বেশি চওড়া। এই পাড়ের চারপাশে আবার কালো পাড় দিয়ে ঘেরা এবং এই কালো পাড় ভেদ করে কতগুলি লাল অগ্নিশিখার মতো দাগ দেখা যায়। পুরুষ প্রজাপতির প্রসারিত ডানা ধাতব নীলচে বেগুনী রঙের হয় এবং তা চওড়া কালো পাড় দিয়ে ঘেরা। স্ত্রী প্রজাপতির ক্ষেত্রে কালচে বাদামি দুটি ডানার উপর কমলা ছোপ দেখা যায়। পুরুষ স্ত্রী উভয়েরই ডানার নিম্নতল উজ্জ্বল হলুদ এবং ডিসক্যাল অংশে কোনো দাগ নেই, তবে মাঝেমধ্যে এদের বেস লালরঙা প্রান্তিক অঞ্চলের মধ্যভাগে কিছু বুটি বা ফোঁটা দেখা যায়। ডানার নিম্নতলের প্রান্তিক অঞ্ছলের বর্ণ কালচে ঘন লাল রঙ অতি সুস্পষ্ট এবং পিছনের ডানা থেকে সামনের ডানার শীর্ষভাগ অবধি প্রান্ত বরাবর অবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যমান। পিছনের ডানার নিম্নতলে কোনো সুস্পষ্ট কালো ছোপ চোখে পড়ে না। পুরুষ আরুণের ডানার উপরিপৃষ্ট কালচে উজ্জ্বল বর্ণ। সামনের ডানার উপরিতলে ১.৫ মিলিমিটারের বেশি চওড়া পাড় রয়েছে। কখনো কখনো সেলের বাইরের দিকে একটি কমলা রঙের অংশ চোখে পড়ে। পিছনের ডানার উপরিতলে রক্তবর্ণ অঞ্চল অপেক্ষাকৃত কম। এর প্রান্তিক লাল বর্ণ অতি সুস্পষ্ট আকর্ষণীয়। পুরুষদের সামনের ডানা বসার সময় শীর্ষভাগ টার্মেন (প্রান্তভাগ) সোজা অণুভূমিক থাকে। স্ত্রী আরুণের ডানার উপরিতল কালচে বাদামি। সামনের ডানার উপরিতলে ডিসক্যাল অঞ্চলে চওড়া কমলা ছোপ থাকে এবং পিছনের ডানার উপরিপৃষ্টে কমলা রঙের প্রান্তিক বন্ধনী থাকে। == বৈশিষ্ট্য == === ডিম === === শূককীট === ==== আহার্য উদ্ভিদ ==== আরুনের শুককীট ''Rumex hastatus'', Polygonum sp.ইত্যাদি গাছের পাতার রসালো অংশ আহার করে। === মূককীট === == চিত্রশালা == Image:Mating pair of Heliophorus epicles Godart, 1823 Purple Sapphire WLB DSC 4295.jpg|স্ত্রী এবং পুরুষ আরুণ সংগমরত অবস্থায় == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == প্রজাপতি প্রাপ্ত লাইসিনিডি গোত্রের প্রজাপতি প্রাপ্ত লাইসিনিডি গোত্রের প্রজাপতি'''ইহসান ইলাহী জহির''' (উর্দু: احسان الہی ظہیر) (৩১ মে, ১৯৪৫ ৩০ মার্চ, ১৯৮৭) একজন বিখ্যাত পাকিস্তানি ইসলামী ধর্মতত্ত্ববিদ, বক্তা আহলে হাদিস আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তিনি একটি গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়ের বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যুবরণ করেন। ==জীবনী== ==দৃষ্টিকোণ== আল্লামা জহির বিশ্বাস করতেন শিয়ারা ইসরায়েলি এজেন্ট এবং তিনি শিয়াদের মুসলিম মনে করতেন না ==মৃত্যু== একটি বক্তৃতা দিতে গিয়ে মঞ্চে রোপণ করা বোমা বিস্ফোরণে পাকিস্তানের এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যু হয়। এজন্য অনেকসময় তার নামের সাথে ‘শহীদ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সমগ্র পাকিস্তানে তিনি খুব জনপ্রিয় এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ==রচনা== আল-কাদিনিয়াহ, আহমদিয়া মতবাদ খণ্ডন (১৩৭৬ হিঃ) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== আমাজন ডটকমে আল কাদিনিয়াহ জন্ম মৃত্যু ব্যক্তি ইসলামী প্রাক্তন শিক্ষার্থী পণ্ডিত সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব'''জেটামিটার''' (; এসআই প্রতীক: '''Zm''') হল দূরত্ব তুলনা করার জন্য একটি দৈর্ঘ্য, যা ১০২১ মিটার (১ Zm বা ১১০.০০০ আলোক বর্ষ) থেকে শুরু হয়। '''১ Zm থেকে কম দূরত্ব''' ১.৭ Zm ১৭৯,০০০ আলোক বর্ষ আকাশগঙ্গার বৃহত্তম স্যাটেলাইট ছায়াপথ, বৃহৎ ম্যাজেলানীয় মেঘ থেকে দূরত্ব। ২.০ Zm ২১০,০০০ আলোক বর্ষ ছোট ম্যাজেলানীয় মেঘ থেকে দূরত্ব। ২.৮ Zm ৩০০,০০০ আলোক বর্ষ এনজিসি ২৪১৯ থেকে দূরত্ব, যা আকাশগঙ্গার সবচেয়ে দূরবর্তী গোলীয় ক্লাস্টারের একটি। ৮.৫ Zm ৯০০,০০০ আলোক বর্ষ লিও (বামন ছায়াপথ) থেকে দূরত্ব, যা আকাশগঙ্গার সুদূরতম পরিচিত স্যাটেলাইট ছায়াপথ। '''১০ Zm থেকে বেশি দূরত্ব''' == তথ্যসূত্র == (দৈর্ঘ্য) অনুক্রমসমূহ''Prunus avium'', মিষ্টি চেরি যা বুনো চেরি নামে পরিচিত ''' চেরি''' হল "প্রুনাস" গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রকার ফল বাণিজ্যিকভাবে যে চেরির জাত চাষ করা হয় তা মূলত Prunus avium(প্রুনাস অভিয়াম) বুনো চেরি ফসলি মাঠে চাষের অযোগ্য যদিও ব্রিটিশ দীপপুঞ্জতে Prunus avium কে বুনো চেরি বলা হয় চেরি== ''Prunus cerasus'' '''চেরির''' অনেক জাত উপপ্রজাতির অন্তর্ভুক্ত এই উপপ্রজাতি উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে অভিযোজিত তাছাড়াও দুটি প্রজাতি আমেরিকাতে, তিনটি প্রজাতি ইউরোপের দেশগুলোতে এবং বাকিগুলো এশিয়ার জন্য অভিযোজিত চেরি অপর একটি উপপ্রজাতি হল প্যডাস(Padus) prunus avium প্রজাতির চেরি মিষ্টি চেরি বা (বুনো চেরি) নামে পরিচিত যা মানুষ খেয়ে থাকে আবার Prunus cerasus প্রজাতির চেরি টক চেরি নামে পরিচিত ==চেরির চাষ== চেরির চাষযোগ্য জাতের মধ্যে prunus avium এবং prunus cerasus অন্যতম p.cerasus জাতের চেরির স্বাদ টক তাই এটি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় এই দুটি জাতেরই উৎপত্তি ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়াতে এদের ক্রস পলিনেশন ঘটে না সেচকাজ, স্প্রে, অতিবৃষ্টির প্রভাব, শিলাবৃষ্টির প্রভাব চেরি উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে এজন্য চেরির ক্রয়মূল্য অন্য ফলের চেয়ে বেশি তাছাড়া সারা বিশ্বে চেরির চাহিদা বেশি চেরি গাছের ফলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে ফলকে হাত দ্বারা তোলা হয় ==পুষ্টিগুণ == চেরির পুষ্টিগুণ অনেক এজন্য অনেকে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত রাখেন ==তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ =='''রাজনৈতিক আমূল সংস্কারবাদ''' (বা সহজভাবে, ভাষায়, '''আমূল সংস্কারবাদ''') পরিভাষাটি সেই সকল রাজনৈতিক মূলনীতিকে নির্দেশ করে যেগুলো বৈপ্লবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজ কাঠামো পরিবর্তন এবং মৌলিক পন্থায় মূল্যবোধ কাঠামোকে বদলানোর দিকে নজর দেয়। এর মূল ইংরেজি শব্দ র‍্যাডিকেল এসেছে ল্যাটিন শব্দ র‍্যাডিক্স (মূল) থেকে, তবে গোটা রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝার জন্য ১৮শ শতক থেকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে র‍্যাডিকেল শব্দটি ব্যবহৃত হওয়ায় শব্দটির সংজ্ঞার্থ বদলে গেছে এবং অদ্যবধি বৈপ্লবিক সমাজ পরিবর্তনের সমার্থক "শিকড়ে/আমূল পরিবর্তন" সংজ্ঞার্থটি বজায় রেখেছে। ঐতিহাসিকভাবে, আমূল সংস্কারবাদ বলতে এককভাবে শুধুমাত্র সংস্কারবাদী বামপন্থীদের (দুর-বামপন্থী রাজনীতি বিষয়শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত বোঝানো হতো এবং কখনোবা দুর ডানপন্থী রাজনীতিকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হত, যদিও বৈপ্লবিক বিষয়বস্তু এগুলোর মাঝে উপস্থিত ছিল; উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম হল যুক্তরাষ্ট্র যেখানে সংস্কারবাদ বলতে সংস্কারবাদী ডান এবং সংস্কারবাদী বামদের মধ্যকার রাজনৈতিক চরমপন্থিদেরকে বোঝানো হত। রাজনৈতিক মতবাদ বর্ণালির প্রথাগত সংজ্ঞানুযায়ী, রাজনৈতিক বর্ণালীর ডানপন্থায় সংস্কারবাদের বিপরীত পরিভাষা ১৯ শতকের অব পলিটিকাল সাইন্স'' (১৮৮১, ১৮৮৯) এর মতে "আমূল সংস্কারবাদ বৈশিষ্ট্য তাদের মূলনীতির তুলনায় তাদের প্রয়োগবিধির উপর অধিক নির্ভরশীল।" রক্ষণশীলগণ প্রায়শই সংস্কারবাদ শব্দটিকে ব্যবহার করে, যেখানে আবার সমসাময়িক বামপন্থী সংস্কারবাদীরা একে রক্ষণশীল অর্থে ব্যবহার করে; কারণে আমূল সংস্কারবাদী, সংস্কারবাদ এবং রাজনৈতিক আমূল সংস্কারবাদ বলতে দুর বাম, (কট্টর ডান, এবং সংস্কারবাদী বাম), এবং দুর ডান (কট্টর ডান, সংস্কারবাদী ডান) দেরকে বোঝানো হয়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== The and Collection at the Library of Congress contains materials on Radical Movements. আন্দোলন তত্ত্ব দর্শন'''সিদ্ধার্থ মালহোত্রা''' (জন্ম ১৬ জানুয়ারি ১৯৮৫) একজন ভারতীয় অভিনেতা এবং মডেল। ১৮ বছর বয়সে মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা সিদ্ধার্থ ২০১০ সালে করণ জোহরের সহকারী পরিচালক হিসেবে মাই নেম ইজ খান চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ২০১২ সালে করণ জোহর পরিচালিত স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ারে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জীবনে পা রাখেন। এই সিনেমায় অভিনয়ের সুবাদে তিনি ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড ফর বেস্ট মেল ডেব্যু মনোনয়ন পান। ==জীবন== ===প্রারম্ভিক জীবন, চলচ্চিত্র অভিষেক এবং সাফল্য অর্জন (১৯৮৫-২০১৫)=== মালহোত্রা ভারতের দিল্লির একটি পাঞ্জাবী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তার পিতা সুনীল মালহোত্রা এবং মা রাইমা মালহোত্রা। তিনি দিল্লীর ডন বস্কো স্কুল, বিড়লা বিদ্যা নিকেতন এবং শহীদ ভগত সিং কলেজে লেখা পড়া করেন। ১৮ বছর বয়সে মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১২ সালে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ারে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবনের সূচনা ঘটে। চিত্র:Sidharth Malhotra Hasee Toh তোহ ফাসির জন্য প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা == কর্মজীবন == ইচ্ছাছিলো বড় ধরনের ডাইরেক্টর হবে কিন্তু তা আর হলো না করনের অনুরোধে স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার অভিনয় করলো ,তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। == চলচ্চিত্র == মারজাভান (২০১৯) আইয়ারী (২০১৮) বার বার দেখো (২০১৬) ব্রাদার্স (২০১৫) স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার (২০১২) ==তথ্য সূত্র== == বহিঃসংযোগ == ব্যক্তি জন্ম ভারতীয় পুরুষ অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা ব্যক্তি ব্যক্তি অভিনেতা পুরুষ মডেল'''দবকা''' (দোবোকা বা ডবকা নামে পরিচত শহরটি ভারতবর্ষের আসাম রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে নগাঁও জেলাতে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল। == জনপরিসংখ্যান == ''' ভারতীয় আদমশুমারি:'''- দবকার জনসংখ্যা ছিল ১১,০৪৩। পুরুষদের জনসংখ্যা ৫১% এবং অপরপক্ষে মহিলাদের হার ৪৯%। দবকার সাক্ষরতার হার ৮৫% যা জাতীয় গড় ৬৬.৫% এর তুলনায় অনেক বেশী পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৮% এবং মহিলাদের মধ্যে এই হার ৭৯%। এই শহরের বছরের কম বয়সীদের জনসংখ্যা ১২% ''' ভারতীয় আদমশুমারি:'''- দবকা শহরের মোট জনসংখ্যা ১৩,১১৮ যার মধ্যে ৬,৬৭৫ জন পুরুষ এবং ৬,৪৪৩ জন মহিলা। (০-৬) বছরের শিশুর সংখ্যা ২,১১৮, মোট জনসংখ্যার ১৬.১৫ মহিলা লিঙ্গ অনুপাত ৯৬৫, যেখানে রাজ্যের গড় লিঙ্গ অনুপাত ৯৫৮। তাছাড়া দবকাতে শিশু লিঙ্গ অনুপাত ১,০২১, তুলনায় আসাম রাজ্যের গড় ৯৬২ জন। সাক্ষরতার হার ৭৬.৭৩%, রাজ্যের গড় ৭২.১৯% এর তুলনায় বেশী। পুরুষ মহিলা সাক্ষরতার হার যথাক্রমে ৮১.৩৮%, ৭১.৮৬%। == ভৌগোলিক অবস্থান == দবকা গড় সমুদ্রতল থেকে প্ৰায় ৬১ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ৩৬ নং জাতীয় মহাসড়ক দবকাকে নগাঁও এবং ডিমাপুর শহরের সাথে যুক্ত করেছে। চারিদিকেতে বেষ্টিত পাহাড় শহরটিকে আসামের সুন্দর শহরে পরিণত করেছে। == সংস্কৃতি == দবকার সংস্কৃতি ঐতিহ্যগত উৎসব, খাদ্য, সঙ্গীত এবং নাটমন্দিরের একটি মিশ্রণ। শহরটি আসামের অন্যান্য শহরের তুলনায় আকার প্রাচুর্যে নানাবিধ খাদ্য, বিনোদন রাত্রি জীবনের সঙ্গে একটি মিশ্রিত এবং বিচিত্র জীবনধারা উপলব্ধি করায়। দবকার ইতিহাস সংস্কৃতির, ধর্মের এবং খাবার সহাবস্থানের বিচিত্র পরিসীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে শহরে নেতৃত্বাধীন হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকেই আসামের সর্বাঙ্গ থেকে মানুষদের অভিপ্রয়াণের কারণে শহরটির সংস্কৃতির একটি অনন্য মিশ্রণ। হিন্দুদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যার সাথে এখানকার বাসিন্দাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান দবকার বাসিন্দারা উভয় পাশ্চাত্য এবং ভারতীয় উৎসব উদযাপন করে। শহরটির কিছু জনপ্রিয় উৎসবের মধ্যে রয়েছে দীপাবলী, দোল, ঈদ, বড়দিন, নবরাত্রি, গুড ফ্রাইডে, বিহু, মহরম, দুর্গাপূজা এবং মহাশিবরাত্রি। == অর্থনীতি == হোজাই পর দোবোকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক আগর রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি প্রযুক্তিগত শহর এবং ব্যাংকক, লাওস, সিঙ্গাপুরের মতই দবকা আসামের উন্নত শহরের অন্যতম শহরটি আসামের সর্বোচ্চ মাথাপিছু আয় দিক থেকে দশম স্থান অর্জন করেছে। নিম্ন শ্রেণীর পরিবারের বেশিরভাগই ধান চাষ, গম চাষ, আখ চাষের সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছেন। যদিও বিপুল পরিমাণের চাল উৎপাদনের তুলনায় অতি সামান্য জমি। নীচু পাহাড়ের অন্তরালে মাটির প্রাকৃতিক উর্বরতা উল্লেখযোগ্যভাবে চাষ উৎপাদনে গতিবৃদ্ধপ্রাপ্ত করে তুলে। == আরো দেখুন == হোজাই জেলা মারকাজ একাডেমী ভিরগূ ইন্দ == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== দবকার উপগ্রহ মানচিত্র দবকা বিষয়ে জেলা'''হেরা পঞ্চমী''' হল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের অন্তর্গত পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দিরের একটি উৎসব। এই উৎসবটি রথযাত্রা উৎসবের একটি অঙ্গ। আষাঢ় মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিটি ‘হেরা পঞ্চমী’ নামে পরিচিত। এটি হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর উৎসব হিসেবে পরিচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, রথযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ তার ভ্রাতা বলরাম ভগিনী সুভদ্রাকে নিয়ে রথযাত্রায় বের হন। জগন্নাথের পত্নী মহালক্ষ্মী মন্দিরেই থেকে যান। এতে মহালক্ষ্মী জগন্নাথের উপর ক্রুদ্ধ হন এবং গুণ্ডিচা মন্দিরে একটি পালকিতে করে সুবর্ণ মহালক্ষ্মী রূপে এসে যত শীঘ্র সম্ভব মন্দিরে ফেরার জন্য জগন্নাথকে ভয় দেখান। মহালক্ষ্মীকে তুষ্ট করার জন্য জগন্নাথ তাকে ‘আজ্ঞা মালা’ (সম্মতির মালা) উপহার দেন। মহালক্ষ্মীকে ক্রুদ্ধ থেকে সেবকেরা গুণ্ডিচার প্রধান দরজাটি বন্ধ করে দেন। মহালক্ষ্মী নকচন দ্বার দিয়ে প্রধান মন্দিরে ফিরে আসেন। একটি স্বতন্ত্র প্রথা অনুসারে, মহালক্ষ্মী তার অন্যতম অনুচরকে জগন্নাথের রথ নান্দীঘোষের একটি অংশ ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। গুণ্ডিচা মন্দিরের বাইরে একটি তেঁতুল গাছের পিছনে লুকিয়ে তিনি এটি দেখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি লুকিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসেন এবং হেরা গোহরি পথ নামে একটি আলাদা পথে মন্দিরে প্রবেশ করেন। এই অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য পুরীতে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। == ইতিহাস == জগন্নাথ মন্দিরের হেরা পঞ্চমী উৎসবের উল্লেখ স্কন্দপুরাণে পাওয়া যায়। মন্দিরের ইতিহাস অনুসারে, এই উৎসব শুরু হয়েছিল রাজা কপিলেন্দ্র দেবের রাজত্বকালে। তার আগে হেরা পঞ্চমী মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে প্রতীকী উপায়ে পালিত হত। মাদলা পাঁজি অনুসারে, রাজা কপিলেন্দ্র দেব সেই প্রথার পরিবর্তে সোনার মহালক্ষ্মী মূর্তি গড়িয়ে বর্তমান উপায়ে উৎসবটির প্রচলন ঘটান। ==তথ্যসূত্র== == আরও দেখুন == গুণ্ডিচা মন্দিরে রথযাত্রার অনুষ্ঠান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উৎসব অনুষ্ঠানগুলির তালিকা উৎসব ধর্মীয় উৎসব উৎসব'''কালিম''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Papilio এক প্রজাতির বড় আকারের প্রজাপতি। এরা ‘প্যাপিলিওনিডি’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং সমগ্র এশিয়া মহাদেশ জুড়েই এর বিস্তার। == উপপ্রজাতি == স্ত্রী কালিম এর রোমুলাস দশা কালিমের উপপ্রজাতিগুলি হল ঃ- ''P. p. alcindor'' Oberthür, 1879 Buton, Salayer Sulawesi ''P. p. alphenor'' Cramer, 1776 Philippines ''P. p. javanus'' Felder, 1862 Bali, Bangka, Biliton, Java southern Sumatra ''P. p. ledebouria'' Eschscholtz, 1821 Philippines ''P. p. liujidongi'' Huang, 2003 Yunnan ''P. p. mandane'' Rothschild, 1895 western China ''P. p. messius'' Fruhstorfer, 1909 Lombok ''P. p. nicanor'' C. R. Felder, 1865 Bachan, Halmahera, Morotai, Obi Ternate ''P. p. nikobarus'' C. Felder, 1862 Nicobar Islands ''P. p. pasikrates'' Fruhstorfer, 1908 Philippines (Batanes) Taiwan ''P. p. perversus'' Rothschild, 1895 Sangir Talaud ''P. p. polycritos'' Fruhstorfer, 1902 Banggai, Sula Is. ''P. p. polytes'' Linnaeus, 1758 Indo-China, China Taiwan ''P. p. romulus'' Cramer, 1775 India, Burma Ceylon ''P. p. sotira'' Jordan, 1909 Sumbawa ''P. p. steffi'' (Page Treadaway, 2003) Bongao, Sibutu Tawitawi in the Philippines ''P. p. stichioides'' Evans, 1927 South Andamans ''P. p. theseus'' Cramer, 1777 Sumatra Borneo ''P. p. timorensis'' C. R. Felder, 1864 Babar Islands, Wetar, Leti, possibly Timor ''P. p. tucanus'' Jordan, 1909 Tukangbesi Islands ''P. p. vigellius'' Fruhstorfer, 1909 Bawean == আকার == কালিমের প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৯০-১০০ মিলিমিটার দৈর্ঘের হয়। == বিস্তার == সমগ্র এশিয়া মহাদেশ তথা পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়নামার, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ এবং পশ্চিম চীনদেশ, তাইওয়ান, হংকং, জাপান, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্বোডিয়া, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, পূর্ব মালয়েশিয়ার দ্বীপ সমূহ, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশ, ফিলিপাইন্স এবং উত্তর মেরিয়ানা (সাইপান) অঞ্চল এই প্রজাপতির প্রাপ্তিস্থল। ভারতবর্ষের জয়ন্তী নদীর চরে এবং সুন্দরবনের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এদের দেখতে পাওয়া যায়। ==বিবরণ== এদের রং ঘন কালো হয় এবং নিচের ডানার মধ্যবর্তী অংশ বরাবর সাদা দাগের সারি দেখা যায়। এদের আকার সাধারণত ৯০-১০০ মিমি. হয়ে থাকে। ===পুরুষ=== পুরুষ প্রজাপতিদের শুধুমাত্র একক রূপান্তর হয়ে থাকে। এদের রং সাধারণত গাঢ় হয়। ডানার পেছনের প্রান্তের সঙ্গে সোয়ালো পাখির ল্যাজের সাদৃশ্য আছে উপরের ডানার কৌণিক প্রান্ত বরাবর সাদা দাগ দেখতে পাওয়া যায় এবং এগুলোর আকার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে। নীচের ডানার প্রক্ষিপ্ত অংশে সম্পূর্ণ চাক্তির মত লম্বাটে সাদা পটি দেখতে পাওয়া যায়। প্রান্তীয় অর্ধচন্দ্রাকৃতি লাল দাগ কখনো কখনো দেখা যায়। পুরুষরা স্ত্রীদের থেকে আকারে সাধারণত ছোট হয়, যদিও এর ব্যাতিক্রম আছে। জলবায়ু অঞ্চলের উপর নির্ভর করে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের আকারেই যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ===স্ত্রী=== স্ত্রী প্রজাপতিদের ক্ষেত্রে একাধিক রূপান্তর হয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ায়, সাধারণত তিন ধরনের রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়। রূপ'''==== এই রূপান্তরটি পুরুষদের অনুরূপ হয়ে থাকে। পার্থক্য শুধুমাত্র লাল অর্ধচন্দ্রাকৃতি দাগের মাধ্যমে যা অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। তিন ধরনের রূপের মধ্যে এদের সংখ্যা সবচেয়ে কম। এরা সাধারণত সেই সব জায়গায় থাকে যেখানে আলতে বা আলসিন্দুরা থাকে না। হিমাচল প্রদেশের সিমলা সংলগ্ন অঞ্চলে এদের বিশেষভাবে দেখা যায়। যদিও যদিও কয়েকটি ক্ষেত্রে এদের সঙ্গে রোমুলাস রূপের প্রজাপতির দেখাও পাওয়া গেছে। রূপ'''==== এদের সাধারণত ''আলতের'' অনুকরণকারী হিসাবে দেখা যায়। যেখানে ''আলতেরা'' উড়ে বেড়ায় সেখানে এদের দেখা পাওয়া যায়। রূপ'''==== এদের আবার ''আলসিন্দুরা'' প্রজাপতিদের অনুকরণকারী হিসাবে দেখা যায় যদিও এই ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় না কারণ পূর্ববর্তী রূপটি তার অনুকরণীয় প্রজাপতির থেকে নিষ্প্রভ। শরীরের রঙের ভিত্তিতে খুব সহজেই এদের আলাদা করা যায়। এক্ষেত্রে মডেল গুলির দেহ লাল রঙের এবং এদের অনুকরণকারীদের দেহের রং হয় কালচে File:Male mormon cyrus.jpg| পুরুষ '''''সাইরাস'' রূপ''' File:Common Mormon at Gunma Insect (পুরুষ বা স্ত্রী) '''''সাইরাস'' রূপ''' File:Papilio polytes stichius by রূপ''' File:Common Mormon Papilio polytes Female Form Romulus by '''''রোমুলাস'' রূপ''' File:Open wing position of Female Papilio polytes Linnaeus, 1758 Common Mormon WLB IMG 0981.jpg|স্ত্রী '''''রোমুলাস'' রূপ''' File:Common Mormon পূর্বরাগ == আচরণ == পুরুষ প্রজাপতিরা স্ত্রী প্রজাপতিদের থেকে তুলনামূলকভাবে দ্রুত বেগে ওড়ে এদের সাধারনত দলবদ্ধ ভাবে স্যাঁতস্যাঁতে মাটি থেকে রস আহরণ করতে দেখা যায়। ডানা মেলে এরা সূর্যের তাপ আহরন করে ফুলের মধু এদের বিশেষ পছন্দ। কালিম সাধারণত স্বল্প বৃক্ষাচ্ছাদিত অঞ্চলে থাকা পছন্দ করে। পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষত কমলালেবু এবং লাইম এর বাগানে বর্ষা এবং বর্ষা-পরবর্তী মাসগুলিতে এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। == চিত্রশালা == Image:Early stage of caterpillar of Common Mormon Papilio polytes WLB DSC 01 19.jpg|শূককীট এর প্রথম দশা Image:First Stage of Pupa of Common Mormon Papilio polytes WLB DSC 0395.jpg|মূককীট এর প্রথম দশা Image:Pupa of Common Mormon Papilio polytes WLB DSC 0418.jpg|মূককীট == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == প্রজাপতি প্রাপ্ত প্যাপিলিওনিডি গোত্রের প্রজাপতি প্রাপ্ত প্যাপিলিওনিডি গোত্রের প্রজাপতি‎জুলাই ২০১৬, স্থানীয় সময় রাত ০৯:২০ মিনিটে, নয়জন হামলাকারী ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত ''হলি আর্টিসান বেকারিতে'' গুলিবর্ষণ করে। হামলাকারীরা বোমা নিক্ষেপ কয়েক ডজন মানুষকে জিম্মি করে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের বোমাবর্ষণের ফলে অন্তত চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানায় হামলার সময় তারা "আল্লাহু আকবার" (আল্লাহ সর্বশক্তিমান) ধ্বনি উচ্চারণ করে গুলি ছুড়ে বোমা ফাটায়। এই ঘটনায় মোট আটাশ জন মানুষ নিহত হয়, যাদের মধ্যে সতের জন বিদেশী, দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ছয় জন বন্দুকধারী। পরবর্তীতে বন্দুকধারীদের এক জনকে বন্দী করা হয় এবং ১৩ জন জিম্মিকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব এবং যৌথবাহিনী কর্তৃক মুক্ত করা হয়। ==পটভূমি== ২০১৩ সাল থেকে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ব্লগার এবং ধর্মনিরপেক্ষদের উপর হামলা বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বর ২০১৫ সাল থেকে, এদেশে এই ধরনের ৩০টি আক্রমণের ঘটনা ঘটে; আইএসআইএস (যা ''ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট'', ''ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড আল-শাম'' বা ''দায়েশ'' নামেও পরিচিত) যার মধ্যে ২১টির দায় স্বীকার করে। গুলশান ঢাকার একটি বিত্তশালী এলাকা এবং এখানে অনেক বিদেশী দূতাবাস অবস্থিত। ==আক্রমণ== আক্রমণ স্থানীয় সময় ৯টা ২০ মিনিটের দিকে শুরু হয়। অন্তত সাতজন হামলাকারী রেস্টুরেন্টে বোমা, বন্দুকসহ প্রবেশ করে এবং একজন আক্রমণকারীর হাতে একটি তলোয়ার ছিল। ঢোকার পর রেস্টুরেন্টে জিম্মি করার আগে গুলি ছুড়তে থাকে বোমা ফাটায়, জিম্মিদের বেশীরভাগ ছিল বিদেশী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সাথে তাদের গোলাগুলি হয়, এতে দুই জন পুলিশ নিহত হয় আরো অনেক আহত হয়। পরে পুলিশ রেস্টুরেন্টে প্রায় এলাকা ঘেরাও করে রাখে এবং একটি উদ্ধার অভিযানের পরিকল্পনা করে। সময় পুলিশ মাইকে বারবার জিম্মিদের ছেড়ে দিয়ে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে জঙ্গিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তিনটি শর্ত দেয়: ডেমরা থেকে আটক জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দিতে হবে। তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে দিতে হবে। ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের এই অভিযান- স্বীকৃতি দিতে হবে। রেস্টুরেন্টে ভিতর থেকে ছবি টুইটারে আইএসআইএল-পন্থী অ্যাকাউন্টগুলি থেকে প্রচার হয় এবং এতে কয়েকটি লাশ রক্তের দাগ মেঝের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। == উদ্ধার অভিযান == সরকার প্রধানের নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী 'অপারেশন থান্ডারবোল্ট' পরিচালনা করে। জুলাই শুক্রবার রাত থেকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থানরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাবসহ যৌথভাবে অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোর নেতৃত্বে ঘটনা শুরুর পরদিন, শনিবার, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অপারেশন শুরু করে ১২-১৩ মিনিটে ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৪টি পিস্তল, একটি ফোল্ডেডবাট একে-২২, ৪টি অবিস্ফোরিত আইআইডি, একটি ওয়াকিটকি সেট ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ==হতাহত== বিশ জন বিদেশী নাগরিক, ছয় জন বন্দুকধারী এবং দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার রাতেই নিহত হন। বিদেশীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। যেখানে আরও পঞ্চাশ জন, যাদের বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য, আহত হন। নিহতদের মধ্যে দুই জন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন, যাদের একজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার, এবং অন্যজন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। নিহতদের মধ্যে জাপানি ইতালীয় নাগরিক ছিল। ১৯ বছর বয়সী এক ভারতীয় নাগরিকও নিহত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করে যে নিহতদের সকলে বিদেশী ছিল, এবং তারা অপরাধীরা যাদের "ধারালো অস্ত্র দ্বারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল"। এদের মধ্যে যারা কুরআন থেকে একটি আয়াত বলতে পেরেছিল শুধুমাত্র সেসকল অ-মুসলিমরা রক্ষা পেয়েছিল। পরে মৃতদেহগুলির মাঝে বেকারির একজন শেফের লাশ শনাক করা হয়। জুলাই ২০১৬ তারিখে বেকারির একজন আহত কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নিহতদের মধ্যে সাত জন জাপানি নাগরিক ছিল পাঁচ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী যাদের জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির সাথে যুক্ত ছিল। সেই সময় নারীদের মধ্যে একজন গর্ভবতী ছিলেন। তরিশি জৈন, ভারতীয় জাতীয়তার, বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া ১৯ বছর বয়সী ছাত্রীকেও হত্যা করা হয়। নিহত জিম্মিদের জাতীয়তা দেশ সংখ্যা '''সর্বমোট''' ২৪ মৃতদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: সামরিক যৌথ বাহিনী দ্বারা উদ্ধার অভিযানের সময় নিহত পাঁচজন সন্ত্রাসী হল: আহতদের মধ্যে ২৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত মহানগরসহ ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দুই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজন পরিদর্শক। ইতালীয় মারিও জিরো বাংলাদেশে আসেন এবং ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ইতালীয় ব্যক্তির লাশ নিয়ে ইতালিতে ফিরে যান। ময়নাতদন্তে পাওয়া যায় যে ইতালীয় নাগরিককে হত্যার আগে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়। মৃত্যুর আগে কয়েকজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় কয়েকজনের শরীরের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে তারা ধীরে ধীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। নয় ইতালীয় নাগরিক "মন্থর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু" ভোগ করে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে। এই হামলার সাতজন জাপানী নাগরিকের লাশ দেখতে তাদের সনাক্ত করার জন্য জাপানি নাগরিকদের স্বজনরা বাংলাদেশে আসেন, তাদের সঙ্গ দেন জেষ্ঠ্য উপ সেইজি কিহারা। তাদের সাথে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেশটির দাতা সংস্থা জাইকার কয়েকজন কর্মকর্তাও আসেন। ঢাকার বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় যেখানে জাপানের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাসাতো থাকেন। জুলাই সাত জাপানী নাগরিকের লাশ নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটে একটি বিমান জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। ==আইএসআইএস-এর দায় স্বীকার== ইসলামিক স্টেটের অধিভুক্ত, আমেক সংবাদ সংস্থা, এই হামলার দায় স্বীকার করে এবং ২০ জনকে হত্যার দাবি জানায়। ঘটনার পর তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করে এবং হুমকি দেয় এটি সবেমাত্র শুরু ভবিষ্যতে আরো হামলা হবে। == প্রতিক্রিয়া == এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি একে ধর্ম মানবতার অবমাননা বলে মন্তব্য করেন। তার মতে ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং ইসলামের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত্। তিনি বলেন “দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যে কোন মূল্যে আমরা চক্রান্ত প্রতিহত করব।” রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এছাড়া তিনি জিম্মি সংকটের অবসানে যৌথ অভিযানে অংশ নেয়া যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনসি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “আমাদের মূল্যবোধ ঘৃণা সন্ত্রাস থেকে অনেক শক্তিশালী।” এছাড়া তিনি এই ঘটনাকে “বেদনাদায়ক ক্ষতি” বলে মন্তব্য করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি জাপানিদের জীবিত উদ্ধারে ঢাকাস্থ দূতাবাসে নির্দেশনা দেয়ার কথা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান এবং তিনি এটিকে “দুঃখজনক” হিসেবে আখ্যা দেন। এছাড়া অন্যান্য জাপানি সরকারি কর্মকর্তা সংস্থা যাদের মধ্যে ফুমিও কিশিদার, মন্ত্রিসভার মুখ্য সহকারী সচিব কোইচি হাগুইদা, মন্ত্রিসভার সহকারী সচিব ইয়োশিহিদে সুগা, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই ঘটনায় তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন “ঢাকায় আক্রমণ আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি এবং আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই।” মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সমগ্র বিশ্ব এর মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার কথা বলেন। পোপ ফ্রান্সিস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং এই ধরনের হামলাকে “স্রষ্টা মানবতার বিরুদ্ধে আঘাত” বলে মন্তব্য করেন। ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ঢাকায় সন্ত্রাসী ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন “তার দেশ সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশের জনগণ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি বার্তা পেয়েছে, সেটি হলো সেদেশের সরকার কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-কে প্রশ্রয় দেবে না।” == আরও দেখুন == ইরানের দূতাবাস অবরোধ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== গুগল মানচিত্রে বেকারির প্যানোরামিক চিত্র ২১শ শতাব্দী বাংলাদেশ আক্রমণ গণহত্যা আক্রমণ গণহত্যা অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ আইএসআইএস সন্ত্রাসী ঘটনা আরোপিত সন্ত্রাসী আক্রমণ'''পুরাশ কানপুর হরিদাস নন্দী মহাবিদ্যালয়''' হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার অন্তর্গত মুন্সিরহাটে অবস্থিত একটি স্নাতকস্তরীয় কলেজ। এটি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। এই কলেজের বিভাগগুলি হল: *বিজ্ঞান বিভাগ: রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিত, কম্পিউটার বিজ্ঞান, জীববিদ্যা প্রাণিবিদ্যা। *কলা বাণিজ্য বিভাগ: বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন বাণিজ্য। পুরাশ কানপুর হরিদাস নন্দী মহাবিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত। ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এই কলেজজে গ্রেড দিয়েছে। ==তথ্যসূত্র== প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত জেলার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ'''শান্তা''' রামায়ণের একটি চরিত্র। অযোধ্যাপতি দশরথ তার প্রধানমহিষী কৌশল্যার প্রথম সন্তান হলেন শান্তা। রাম, ভরত, লক্ষ্মণ এবং শত্রুঘ্নের জন্মের পিছনে শান্তা তার স্বামী ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির অবদান আছে। দশরথ কৌশল্যার মেয়ে হয়ে জন্মালেও অঙ্গরাজ রোমপাদ তার মহিষী বর্ষিণী (যে সম্পর্কে কৌশল্যার বোন) তাকে দত্তক নেয়। ঋষি বিভাণ্ডক অপ্সরা উর্বশীর পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গকে বিবাহ করে শান্তা তার পালক পিতার রাজ্যকে খরামুক্ত করেন। পরবর্তীকালে শান্তা রাজা দশরথের অনুরোধে ঋষ্যশৃঙ্গ পুত্রকামাষ্টি যজ্ঞ করেন। যার ফলে কৌশল্যা দশরথের অন্য দুই স্ত্রী কৈকেয়ী সুমিত্রাও গর্ভধারন করেন। কথিত আছে বিভাণ্ডক মুনির তপস্যা ভঙ্গ করতে দেবরাজ ইন্দ্র উর্বশীকে পাঠালে অপ্সরা মুনিকে প্রেমজালে আবদ্ধ করেন মুনির ঔরসে উর্বশীর গর্ভে ঋষ্যশৃঙ্গ জন্মায়। পুত্রের জন্মের পর উর্বশী স্বর্গে ফিরে গেলে বিভাণ্ডকের মনে খুব ক্রোধ জন্মায়। তাই সে নিজের পুত্রকে নারীদের সংশ্রব থেকে দূরে রাখার জন্য এক নির্জন গভীর অরণ্যে প্রবেশ করেন। সেই থেকে ঋষ্যশৃঙ্ঙ্গ একা বেড়ে ওঠে প্রকৃতির কোলে। রোমপাদ একবার এক ব্রাহ্মণ অপমান করায় সে তাকে অভিশাপ দেয় যে রাজ্যে খরা নেমে আসুক। তখন শান্তা অনেক অনুনয় করলে ব্রাহ্মণ বলেন যে জন্মের পরমূহুর্ত থেকে যে পুরুষ কোন নারীকে দর্শন করেনি সে যদি অঙ্গ্রাজ্যে এসে শান্তাকে বিবাহ করে তবেই বৃষ্টি নামবে। ফলে অনেক তপস্যা কষ্ট স্বীকার করে শান্তা ঋষ্যশৃঙ্গকে পরিণয় করে অবশেষে ব্রাহ্মণের অভিশাপ থেকে রাজ্যকে রক্ষা করেন। ==তথ্যসূত্র== চরিত্র২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন মিজানুর রহমান দীপু। বিশাল ফিল্মসের ব্যানারে ছায়াছবিটি প্রযোজনা করেছেন পরিচালক মিজানুর রহমান দীপু নিজেই। যুবরাজ সেলিম আর নর্তকী আনারকলির প্রেমকাহিনী নিয়ে নির্মিত ছায়াছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল রানা, মান্না, শাবনূর। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসিমা খান, চন্দ্রিমা, টেলি সামাদ, নাসরীন, নাসির খান এবং অনেকে। এটি চিত্রনায়ক মান্না অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি ২০১২ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। == কাহিনী সংক্ষেপ == == শ্রেষ্ঠাংশে == সোহেল রানা সম্রাট জাহাঙ্গীর মান্না যুবরাজ সেলিম শাবনূর আনারকলি নাসিমা খান চন্দ্রিমা টেলি সামাদ নাসরীন নাসির খান == নির্মাণ নেপথ্য == মোঘল-এ-আযম ছায়াছবিটির শ্যুটিং শুরু হয় ২০০৩ সালে এবং শ্যুটিং শেষ হয় ২০০৭ সালে। কিছু অংশের শ্যুটিং ডাবিং শেষ করতে আরও তিন বছর লেগে যায়। অবশেষে ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর চলচ্চিত্রটি সারাদেশে মুক্তি পায়। == সঙ্গীত == মোঘল-এ-আযম ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। === গানের তালিকা === জীবন তুচ্ছ গোধুলি চলে যেওনা প্রেম করেছি ভয় কেন আর == পুরস্কার == '''জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার''' শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক ইমদাদুল হক খান (গানঃ জীবন তুচ্ছ) == আরও দেখুন == শিরি ফরহাদ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র'''দক্ষিণ কামরূপ মহাবিদ্যালয়''' (; অসমের কামরূপ জেলার অন্তর্গত মির্জার একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষানুষ্ঠান। মহাবিদ্যালয়টি গুয়াহাটি অধীনস্থ ==ইতিহাস== ১৯৬১ সনে দক্ষিণ কামরূপ মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। ২০০৫ সনে মহাবিদ্যালটি প্রাদেশীকরন করা হয়। ==অবস্থিতি== দক্ষিণ কামরূপ মহাবিদ্যালয় কামরূপ জেলার মির্জায় অবস্থিত লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬কি:মি: পশ্চিমে মালিয়াটা পাহাড়ের নিকটে অবস্থিত। ==পাঠ্যক্রম== দক্ষিণ কামরূপ মহাবিদ্যালয়ে নিমোক্ত পাঠ্যক্রমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। উচ্চতর মাধ্যমিক (কলা বিজ্ঞান) *স্নাতক কলা বিজ্ঞান) *স্নাতকোত্তর (অসমীয়া) *BMC *B. VOC ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== মহাবিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটভাইস-এডমিরাল '''সৈয়দ মুহাম্মদ আহসান''' () (১৯২১ ১৯৮৯) ছিলেন পাকিস্তানের ৪র্থ‌ নৌবাহিনী প্রধান এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। তিনি পাকিস্তানের নৌ গোয়েন্দা বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন। পাশাপাশি নৌবাহিনীকে আধুনিক করায় আর ভূমিকা ছিল। নৌ গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে তিনি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় নৌ গোয়েন্দাদের অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ==জন্ম শিক্ষাজীবন== সৈয়দ মুহাম্মদ আহসান ১৯২১ সালে ব্রিটিশ ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি উর্দুভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি হায়দ্রাবাদের নিজাম কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ==কর্মজীবন== ১৯৩৮ সালে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনে সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি আটলান্টিক মহাসাগর, ভূমধ্যসাগর ভারত মহাসাগরে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। আরাকানে সংঘটিত একটি নৌযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তিনি ''ডিস্টিঙ্গুইশড সার্ভিস ক্রস'' খেতাব পান। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের লিভারপুলের একটি টেকনিকাল স্কুলের ইন্সট্রাক্টর নিযুক্ত হন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের এডিসি ছিলেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর এডিসি হন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসের নৌবাহিনীর এটাশে ছিলেন। ১৯৬২ সালে তিনি রিয়ার এডমিরাল হন। ১৯৬৪ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি নৌবাহিনীর প্রধান হন। পরের বছর ১৯৬৭ সালে তিনি ভাইস এডমিরাল পদে উন্নীত হন। ==পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর== ১৯৬৯ সালে ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারি করার পর সেপ্টেম্বর সৈয়দ মুহাম্মদ আহসান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। তিনি গভর্নরের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ১৭ ডিসেম্বর যথাক্রমে জাতীয় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কালক্ষেপণের ফলে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ১৯৭১ সালের মার্চ ইয়াহিয়া খান আসন্ন অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক গণ বিক্ষোভ দেখা দেয়। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর সৈয়দ মুহাম্মদ আহসানের স্থলে সাহেবজাদা ইয়াকুব খানকে গভর্নর নিয়োগ দেয়া হয়। ==সম্মাননা== সৈয়দ মুহাম্মদ আহসান ১৯৫৮ সালে আজম'', ১৯৬৯ সালে এবং আজম'' খেতাব লাভ করেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Admiral Syed Mohammad Ahsan নৌবাহিনীর এডমিরাল চীফ অব নেভাল স্টাফ ব্যক্তি সাবেক শিক্ষার্থী জন্ম মৃত্যু পাকিস্তানের গভর্নর যুদ্ধ ১৯৭১ এর এডমিরাল বিশ্বযুদ্ধের ভারতীয় সামরিক ব্যক্তিত্বএন্টিলস''' (ওলন্দাজ: ''Nederlandse Antillen'' Papiamentu: ''Antia Hulandes'') নেদারল্যান্ডস রাজ্যের একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র ছিল। রাষ্ট্রটি ক্যারিবিয়ান সাগরের কিছু দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। দ্বীপপুঞ্জটি '''ডাচ এন্টিলস''' নামেও পরিচিত ছিল। নেদারল্যান্ডস এন্টিলস গঠিত হয় ১৯৫৪ সালে ডাচ উপনিবেশ কিউরাসাও এবং অধীনস্ত এলাকা থেকে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের জন্য এবং ২০১০ সালে বিলুপ্ত করা হয়। == ভৌগলিক জোট == নেদারল্যান্ডস এন্টিলসের দ্বীপসমূহ লেজার এন্টিলস দ্বীপ চেইনের একটি অংশ। এটি দুটি ক্ষুদ্রতর দ্বীপপুঞ্জ গ্রুপে বিভক্ত, যার উত্তর গ্রুপটি লীওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের অংশ এবং পশ্চিম গ্রুপটি লীওয়ার্ড এন্টিলসের অংশ। উইনওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে এর কোন অংশ নেই। === লেসার এন্টিলসে এর অবস্থান === === লীওয়ার্ড এন্টিলসে এর অবস্থান === === জলবায়ু === == ইতিহাস == === বিলুপ্তি === == রাজনৈতিক জোট == পতাকা নাম রাজধানী আয়তন মুদ্রা দাপ্তরিক ভাষা মন্তব্য 40x40px কিউরাসাও Willemstad 444 নেদারল্যান্ডস এন্টিলসীয় গিল্ডার ওলন্দাজ পাপিয়ামেন্টো নেদারল্যান্ডস এন্টিলসের রাজধানী 40x40px বোনাইর Kralendijk 294 মার্কিন ডলার ওলন্দাজ পাপিয়ামেন্টো 40x40px সিন্ট মার্টেন ফিলিসবার্গ 34 নেদারল্যান্ডস এন্টিলসীয় গিল্ডার ওলন্দাজ ইংরেজি Were parts of the island territory of the Windward islands until January 1983 40x40px সিন্ট এউস্তাতিউস Oranjestad 21 মার্কিন ডলার ওলন্দাজ ইংরেজি 40x40px সাবা 13 মার্কিন ডলার ওলন্দাজ ইংরেজি 40x40px আরুবা Oranjestad 193 আরুবান ফ্লোরিন ওলন্দাজ পাপিয়ামেন্টো Seceded on January 1986 40x40px Willemstad 999 == আরও দেখুন == ব্রিটিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্যানিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফ্রেঞ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্প্যানিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেদারল্যান্ডস এন্টিলস সম্পর্কিত নিবন্ধের তালিকা == টীকা == == তথ্যসূত্র == Borman, সি (2005) '' Het Statuut voor het Koninkrijk'', Deventer: ক্লুঅয়ের. Oostindie, G. এবং Klinkers আই (2001) ''Het Koninkrijk inde Caraïben: een korte geschiedenis ভ্যান het Nederlandse 1940-2000''. আমস্টারডাম: আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস. == বহিঃসংযোগ == সরকার GOV.an Main governmental site Antillenhuis Cabinet of the Netherlands Antilles' Plenipotentiary Minister in the Netherlands Central Bank of the Netherlands Antilles সাধারণ তথ্য Netherlands Antilles from ''UCB Libraries GovPubs'' ইতিহাস Method of Securing the Ports and Populations of All the Coasts of the Indies from 1694. The last five pages of the book are about life, economy and culture of the Netherlands Antilles. দেশ অঞ্চল'''শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইবনে আব্দুর রহমান আল-সাখাভী''' (আরবী: شمس الدين محمد بن عبدالرحمن السخاوي‎‎, ৮৩১-৯০২ হিঃ) ছিলেন একজন সম্মানিত মুসলিম মুহাদ্দিস বা হাদিসশাস্ত্রবিদ এবং ইতিহাসবিদ। তিনি ১৪২৮ খ্রিষ্টাব্দে কায়রো-তে জন্মগ্রহণ করেন। মিসরের আল-সাখা নামক অঞ্চলে তার বাড়ি হওয়ায় তিনি আল-সাখাভী নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি বিশেষত হাদীস, তাফসীর, সাহিত্য ইতিহাসের উপর লিখতেন। আল-সাখাভী শাফেয়ী আইনে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে ইবনে হাজার আসকালানি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন যা তার লেখাতে ফুটে উঠে। তিনি ১৪৯৭ খ্রিষ্টাব্দে মদীনাতে মৃত্যুবরণ করেন। == রচনাসমূহ == আল-তুহফাহ আল লাতিফা ফি তারিখ মদীনায় আল শারীফাহ (التحفة اللطيفة في تاريخ المدينة الشريفة): মদিনা আল মুনাওয়ারা সম্পর্কে। ফাতহুল মুগিস বি শারহে আলফিয়াত আল-হাদীস আল-দাওয়া আল-লামি লি আহলি আল কারনি আল তাসী আল-জাওাহীর ওয়া আল-দুরার ফি তারজামাত শাইখুল ইসলাম ইবনে হাজর আল-মাকাসিদ আল হাসানা ''আশরাতু ছা’আহ -যা সম্প্রতি মুহাম্মদ আল আকীল দ্বারা তাহকিক-সহ পুনর্মুদ্রিত হয়েছে।'' ''আল-রিহলাহ আল হালাবিয়াহ ওয়া তারাজিমিহা (الرحلة الحلبية وتراجمها)'' ''আল-রিহলাহ আল মাক্কিয়াহ (الرحلة المكية) '' ''আল-রিহলাহ আল সেকান্দারিয়াহ (الرحلة السكندرية)'' '' আল-বালাদানিয়াত আল আলিয়াত (البلدنيات العليات)'' ''বুঘায়েত আল রাভি বি-মান আখান্দা আনহু আল সাখাভী (بغية الراوي بمن أخذ عنه السخاوي) অথবা আল-ইমতিনান বি-শুয়াইখ মুহাম্মদ ইবনে আব্দ আল-রাহমান (الامتنان بشيوخ محمد بن عبد الرحمن): তাঁর সকল শিক্ষকের তালিকাবদ্ধ নামের অভিধান।'' == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু ইতিহাসবিদ সুন্নি মুসলিম পণ্ডিতজৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে, '''শীতলনাথ''' ছিলেন বর্তমান কালচক্রার্ধের (অবসর্পিণী যুগ) ১০ম তীর্থঙ্কর। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, তিনি কর্ম ধ্বংস করে এক মুক্ত আত্মা বা সিদ্ধে পরিণত হয়েছিলেন। জৈনরা বিশ্বাস করেন, শীতলনাথ ভদ্রিকাপুরী বা ভদ্দিলপুরের ইক্ষ্বাকু রাজবংশের রাজা দৃধরথ রানি সুনন্দার সন্তান ছিলেন। ভারতীয় জাতীয় পঞ্জিকা অনুসারে, মাঘ মাসের কৃষ্ণা দ্বাদশীর দিন তার জন্ম হয়েছিল। শীতলনাথ তার প্রতীক স্বস্তিক (দিগম্বর মতে) বা শ্রীবৎস (শ্বেতাম্বর মতে), পিলুরিখা বৃক্ষ, ব্রহ্ম যক্ষ এবং মানবী (দিগম্বর মতে) বা অশোকা (শ্বেতাম্বর মতে) যক্ষীর সঙ্গে যুক্ত। ==জীবন== জৈন বিশ্বাস অনুসারে, বর্তমান কালচক্রার্ধের ১০ম তীর্থঙ্কর হলেন শীতলনাথ। জৈন বিশ্বাস অনুসারে, তিনি কর্ম ধ্বংস করে এক মুক্ত আত্মা বা সিদ্ধে পরিণত হয়েছিলেন। জৈনরা বিশ্বাস করেন, শীতলনাথ ভদ্রিকাপুরী বা ভদ্দিলপুরের ইক্ষ্বাকু রাজবংশের রাজা দৃধরথ রানি সুনন্দার সন্তান ছিলেন। ভারতীয় জাতীয় পঞ্জিকা অনুসারে, মাঘ মাসের কৃষ্ণা দ্বাদশীর দিন তার জন্ম হয়েছিল। শীতলনাথ তার প্রতীক স্বস্তিক (দিগম্বর মতে) বা শ্রীবৎস (শ্বেতাম্বর মতে), পিলুরিখা বৃক্ষ, ব্রহ্ম যক্ষ এবং মানবী (দিগম্বর মতে) বা অশোকা (শ্বেতাম্বর মতে) যক্ষীর সঙ্গে যুক্ত। ==প্রধান মন্দির== পাকবিড়া জৈন মন্দির, পুরুলিয়া শীতলনাথ মন্দির, কলকাতা শীতলনাথ মন্দির, মধুবন, গিরিডি শীতলনাথ মন্দির, জয়সলমির দূর্গ, জয়সলমির, রাজস্থান ==ছবি== Shitalnath Temple, মন্দির, মধুবন, গিরিডি Sheetalnath Temple with Fountain Sheetalnath Temple and Garden Complex Kolkata 2014-02-23 মন্দির, কলকাতা ==আরও দেখুন== *জৈনধর্মে ঈশ্বর *অরিহন্ত (জৈনধর্ম) *জৈনধর্ম ==পাদটীকা== ==তথ্যসূত্র== রাজবংশ'''ডাউনলোড স্টুডিও''' হলো একটি ডাউনলোড ম্যানেজার যেটি কন্সিয়েভা লিমিটেড কর্তৃক তৈরিকৃত বাজারজাতকৃত। ডাউনলোড স্টুডিওর সাহায্যে যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোডের পাশাপাশি অনলাইনে লাইভ অডিও, ভিডিও দেখা এবং শোনা যায়। ডাউনলোড স্টুডিও ২০০৪ সালে ‘পিসি ম্যগাজিন’-এর ''সেরা ডাউনলোড ম্যানেজার'' পুরস্কার লাভ করে। == বৈশিষ্ট্য == ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা ওয়েব ব্রাউজার, ফ্লক ব্রাউজার, গুগলক্রোম ব্রাউজার, নেটস্কেপ, ম্যাক্সথন, নেটক্যাপটর এবং এভান্ট ব্রাউজারের সাথে এটি সহজেই যুক্ত হয়ে কাজ করে; এফটিপি ওয়েবসাইট থেকে সহজে ডাউনলোড করতে পারে; অনেকগুলো ফাইল ডাউনলোড করতে পারে; ইউটিউব এর মত জনপ্রিয় সাইট থেকে ফ্লাশ ফাইল এফএলভি ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারে; ডাউনলোড করার পর সয়ংক্রিয় ভাবে জিপ ফাইলগুলোকে আনজিপ করতে পারে; রেপিডশেয়ার মেগাআপলোড এর মত হোস্টিং সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারে; শাউটকাস্ট সার্ভার থেকে ডিজিটাল মিডিয়া ডাউনলোড করতে পারে; *লাইভ ব্রডকাস্ট এর পাশাপাশি অডিও, ভিডিও স্ট্রিমিং করতে পারে; সার্চইঞ্জিন এর ফলাফল ডাউনলোড করতে পারে; একটি দিনের নির্দিষ্ট সময়ে ডাউনলোড করতে পারে; ডাউনলোড থামিয়ে আবার পুনরায় শুরু করার সুবিধা রয়েছে; এফটিপি এক্সপ্লোরার এবং ভিজ্যুয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে; ফ্লাশগট -এর সুবিধা রয়েছে। == আরও দেখুন == Download acceleration List of download managers Comparison of download managers == বহিঃসংযোগ == ম্যানেজার'''বড় আহ্নিক মন্দির''' পুঠিয়া মন্দির চত্বরের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত মন্দির। এটি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় অবস্থিত। পুঠিয়ার রাজারা এটি নির্মাণ করেন। == অবস্থান == রাজশাহী জেলা সদর হতে ৩২ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশেই এর অবস্থান। এর ঠিক উত্তর পাশে ছোট গোবিন্দ মন্দির অবস্থিত। পুর্বমুখী এই মন্দিরে পাশাপাশি তিনটি কক্ষ আছে। মাঝের কক্ষটি তুলনামুলকভাবে বড় এবং পাশের কক্ষ দুইটি বর্গাকৃতির সম আয়তনের। এই কক্ষ দুইটিতে একটি করে সরু প্রবেশ পথ আছে। মন্দিরের পুর্ব দিকে তিনটি খিলান দরজা এবং উপরে দৌচালা আকৃতির ছাদ আছে। আয়তাকার মন্দিরের উত্তর, দক্ষিণ পশ্চিম পাশের দেয়াল সমতল এবং সেখানে কোন অলংকরণ নেই। তবে সাম্নের দিকের দেয়াল পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা সজ্জিত। ==চিত্রশালা== Big Annik Temple 3.jpg|বড় আহ্নিক মন্দির যাওয়ার রাস্তাপথ Interior of Bara Ahnik Mandir, ভেতরের অংশ Terracotta of Bara Ahnik Mandir, গায়ে মাটির ফলকে অলংকরণ Ceiling of Bara Ahnik Mandir, ছাদ Bara Anhik Mandir পেছনের দিক ==আরো দেখুন== বাংলার মন্দির স্থাপত্য রত্ন শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি) চালা শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি) == তথ্যসূত্র == মন্দির স্থাপত্য জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার মন্দির275x275px রসায়ন বিদ্যায় যখন কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবনে দ্রবীভূত পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা হয় তখন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে নতুন রাসায়নিক ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, এই পদ্ধতিকে (ইংরেজিঃ Electrolysis) বলে। তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতি খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন ধাতু উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তড়িৎবিশ্লেষণে তড়িৎশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। == ইতিহাস == ১৭৮৫ঃ মার্টিনাস ভন মারুম জেনারেটর ব্যবহার করে টিন, দস্তা এবং অ্যান্টিমনি প্রস্তুত করেন। ১৮০০ঃ উইলিয়াম নিকোলসন অ্যান্থনি চার্লিসলে জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন তৈরী করেন। ১৮০৮ঃ স্যর হামফ্রে ডেভি পটাশিয়াম (১৮০৭), সোডিয়াম, বেরিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আবিষ্কার করেন। ১৮২১ঃ উইলিয়ামস থমাস ব্র্যান্ডে আবিষ্কার করেন লিথিয়াম। ১৮৩৩ঃ মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎ বিশ্লেষণের দুইটি সূত্র প্রণয়ন করেন। ১৮৭৫ঃ গ্যালিয়াম আবিষ্কৃত হয়। ১৮৮৬ঃ ফ্লুরিন আবিষ্কৃত হয়। ১৮৮৬ঃ অ্যালুমিনা থেকে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের হল-হেরোল্ট পদ্ধতি আবিষ্কার হয়। ১৮৯০ঃ সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড প্রস্তুতির কাস্টনার ক্যালনার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়। == কর্ম পদ্ধতি == তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কোন আয়নিক পদার্থের দ্রবণ বা তার গলিত অবস্থার মধ্য দিয়ে সমক্ষ তড়িৎ প্রবাহ (Direct Current) পাঠালে তড়িৎদ্বারে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় এবং পদার্থের বিয়োজন হয়ে নতুন ধর্মের পদার্থ উৎপন্ন হয়। জন্যে প্রয়োজনীয় হলঃ (১) তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ, (২) সমক্ষ তড়িৎ প্রবাহের উৎস এবং (৩) দুইটি তড়িৎদ্বার ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণ। অ্যানোডে ('''A''') ক্লোরাইড (Cl−) জারিত হয়ে ক্লোরিন উৎপন্ন করে। ক্যাথোডে ('''C''') জল বিজারিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে উদাহরণ স্বরূপ, ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপাদনের জন্য সোডিয়াম ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবনকে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয়। ব্রাইনের সম্পৃক্ত দ্রবণকে একটি প্রকোষ্ঠে প্রেরণ করা হয় যেখানে ক্লোরাইড আয়ন অ্যানোডে জারিত হয়, ইলেকট্রন হারিয়ে ক্লোরিন গ্যাস তৈরী করেঃ 2Cl− Cl2 2e− ক্যাথোডে জল থেকে উৎপন্ন ধনাত্বক হাইড্রোজেন আয়ন হাইড্রোজেন গ্যাস এবং হাইড্রোক্সাইড আয়ন উৎপন্ন করেঃ 2H2O 2e− H2 2OH− মেমব্রেন সেলের মেমব্রেনটি আয়ন ভেদী এজন্য একে আয়ন-এক্সচেঞ্জ মেমব্রেন বলে। এই মেমব্রেন সোডিয়াম আয়নকে (Na+) অপরপার্শ্বে যেতে দেয় যেখানে হাইড্রোক্সাইড আয়নের সাথে বিক্রিয়া করে কস্টিক সোডা (NaOH) প্রস্তুত করে। ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণের সামগ্রিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপঃ 2NaCl 2H2O Cl2 H2+ 2NaOH == তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্রাবলী == === ফ্যারাডের প্রথম সূত্র === মাইকেল ফ্যারাডে 1832 সালে তার পরীক্ষা দ্বারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় যেকোন তড়িৎদ্বারে সংঘটিত রাসায়নিক পরিবর্তনের পরিমাণর অথবা কোন তড়িৎদ্বারে উৎপন্ন পদার্থের পরিমাণ তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত মোট তড়িতের সমানুপাতিক। অর্থাৎ, অথবা, যেখানে, একটি স্থির সংখ্যা যা তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের ওপর নির্ভরশীল। === ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্র === গলিত বা দ্রবীভূত বিভিন্ন তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে একই পরিমান তড়িৎ প্রবাহ বা একই পরিমান বিদ্যুৎ আধান সমান সময়ের জন্যে প্রবাহিত করলে তবে তড়িৎ দ্বারে জমাকৃত বা দ্রবীভূত পদার্থের ভর ওই পদার্থ সমূহের তড়িৎ রাসায়নিক তুল্যাংকের সমানুপাতিক হবে। === ফ্যারাডের সুত্রের প্রযোজ্যতা প্রয়োগ === ফ্যারাডের তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্রাবলী কেবল মাত্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের ওপর প্রযোজ্য। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের ভৌত অবস্থা গলিত বা দ্রবীভূত হওয়া আবশ্যিক। এই সূত্রগুলির ওপর চাপ, তাপমাত্রা এবং দ্রাবক এবং দ্রবনের ঘনত্ব কোন প্রভাব ফেলে না। === ফ্যারাডের সূত্রের সীমাবদ্ধতা === ফ্যারাডের সূত্রাবলী ইলেকট্রনীয় পরিবাহীর (যেমন, ধাতু) ওপর প্রযোজ্য নয়। একসঙ্গে একাধিক তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের উপস্থিতির ফলে একাধিক বিক্রিয়া সংঘটিত হলে গণনায় ত্রূটি দেখা দিতে পারে। == ব্যবহার == তড়িৎ বিশ্লেষণ মূলত ধাতু নিষ্কাশনে ব্যবহার হয়। অ্যালুমিনিয়াম, লিথিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার এই পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয়। বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ যেমন, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, সোডিয়াম ক্লোরেট, পটাশিয়াম ক্লোরেট, ট্রাই ফ্লুরো অ্যাসেটিক এসিড তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও ক্লোরিন এবং হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদনে তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক ধাতুর ওপর আরেক ধাতুর প্রলেপ দেওয়ার জন্য তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। == আরও দেখুন == মাইকেল ফ্যারাডে ব্রাইনের তড়িৎবিশ্লেষণ == তথ্যসূত্র == রসায়ন যৌগ বিষয়শ্রেণী:ভৌত রসায়ন ইতিহাস ধর্ম'''বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড''' হলো বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক সঞ্চয়ের লক্ষে প্রবর্তিত এক প্রকার কাগুজে মুদ্রা পদ্ধতি। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রাইজবন্ড চালু করে। সরকারের পক্ষে প্রাইজবন্ডের যাবতীয় কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক (সরকারী, আধা-সরকারী বেসরকারী ব্যাংক), ক্যাশ অফিস ডাকঘর থেকে কেনা ভাঙানো যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোথাও প্রাইজবন্ডের লেনদেন সাধারণত বেআইনী। == ইতিহাস == পৃথিবীতে প্রথম প্রাইজবন্ড চালু হয় আয়ারল্যান্ডে ১৯৫৬ সালে, এবং একই বছর যুক্তরাজ্যে এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়াম বন্ড নামে ছাড়া হয়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মূলত জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির করার লক্ষ্যে ব্যবস্থা চালু করে। প্রাইজবন্ড বিক্রি করে সরকার সরাসরি জনগণের কাছ থেকে ঋণ নেয় এবং তা কিনে সরকার সে ঋণ পরিশোধ করে থাকে। বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড ভাগ্যপরীক্ষা পরিষদের সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মাছুম পাটোয়ারীর ভাষ্যমতে দেশে বর্তমানে মোট কোটি ৪০ লাখ টি প্রাইজবন্ড রয়েছে। == মূল্যমান == বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১০ ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হয়, তারপর ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়। ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হওয়ার পর পূর্বের ১০ ৫০ টাকা মূল্যমানেরগুলো ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়। সাধানরত একজন ব্যক্তি ৪৫ লাখ টাকার সমপরিমান প্রাইজবন্ড কিনতে পারেন। == ভাগ্যপরীক্ষা == বছরে চারবার প্রাইজবন্ডের ভাগ্যপরীক্ষা বা ড্র (draw) অনুষ্ঠিত হয়, তারিখগুলো হল: ৩১ জানুয়ারি ৩০ এপ্রিল ৩১ জুলাই ৩১ অক্টোবর তবে উক্ত তারিখগুলোর কোনটিতে কোন সাপ্তাহিক ছুটি (বর্তমানে শুক্র শনিবার) বা সরকারি ছুটি আদেশে/ঐচ্ছিক), অথবা অন্য কোন কারনে প্রাইজবন্ডের ভাগ্যপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে না পারলে পরবর্তী কার্যদিবসে তা সম্পন্ন করা হয়। প্রাইজবন্ড কেনার দুই মাস পার হওয়ার পরই কেবলমাত্র এটি ভাগ্যপরীক্ষার আওতায় আসে। ভাগ্যপরীক্ষার পূর্বে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে চেয়ারম্যান করে একটি পরিষদ গঠন করা হয়। ভাগ্যপরীক্ষার ফলাফল সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইট অথবা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। গত ৩১ জুলাই ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ৯৬ তম (এখন পর্যন্ত সর্বশেষ) ভাগ্যপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। == পুরস্কারের অর্থ == বর্তমানে প্রতিটি সিরিজের জন্য ৪৬টি পুরস্কার বিদ্যমান রয়েছে, যার মোট অর্থের পরিমান ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। পুরস্কার কয়টি অর্থের পরিমান (প্রতিটি) প্রথম একটি লাখ টাকা দ্বিতীয় একটি লাখ ২৫ হাজার টাকা তৃতীয় দুটি লাখ টাকা করে চতুর্থ দুটি ৫০ হাজার টাকা করে পঞ্চম ৪০টি ১০ হাজার টাকা করে ভাগ্যপরীক্ষার দুই বছর পর্যন্ত প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ দাবি করতে হয়, অন্যথায় অর্থ তামাদি হয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়। ভাগ্যপরীক্ষায় জেতার পর মূল প্রাইজবন্ডসহ সরকারের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হয়। প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের অর্থ করমুক্ত নয় আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৫৫ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৯৯ সালের জুলাই থেকে অর্থের ওপর সরকারকে ২০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হয়। == তথ্যসূত্র == ব্যাংক সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়'''''বাংলাদেশী আইডল''''' () ডেল্টা বে প্রোডাকশন ডিস্ট্রিবিউটর প্রাঃ লিঃ এর সৌজন্য একটি টেলিভিশন গানের প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানটি একটি নতুন বাংলাদেশী বেসরকারি টিভি এসএ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই আইডল অনুষ্ঠানটি আমেরিকার রিয়াল আইডল শো পপ ডল ''Pop Idol) '' কে অনুসরন করা হয় অনুষ্ঠানটি প্রতি শুক্রবার রাত ৮ঃ৩০ সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এবং প্রতি শনিবার রাত ৮ঃ৩০ পুনঃপ্রচার করা হয় == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন ==প্রতি বছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিষয়ের উপর ঘবেষণা করে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে একটি তালিকা প্রকাশ করে। সে তালিকায় বিভিন্ন সূচকে কোন দেশের অবস্থান কত এবং বিগত বছরগুলোতে কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে তা উল্লেখ থাকে। এমনকি মাঝে-মাঝে সে তথ্যের উপর বিশ্লেষণ করে পরবর্তী বছরগুলোতে তার কি পরিমান পরিবর্তন হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়। নিম্নে বিশ্বের কোন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম তার একটি তালিকা দেওয়া হল: সূচক বিষয় বিবেচিত দেশের সংখ্যা স্কোর স্কেল শীর্ষস্থান অর্জনকারী দেশ (স্কোর) নিন্মে অবস্থানকারী দেশ (স্কোর) বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫(স্কোর) পরিবর্তন ঘবেষণা পরিচালনা প্রকাশক প্রকাশনার সন/তারিখ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থনৈতিক মুক্তি ১৭৮টি ১২১তম হংকং উত্তর কোরিয়া ১৩৭তম ভাগ কম চিন্তন গোষ্ঠী হেরিটেজ ফাউন্ডেশন হেরিটেজ ফাউন্ডেশন দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৬ তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়ন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সুবিধা ১৬৭টি দক্ষিণ কোরিয়া ১৪৪তম অপরিবর্তিত জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ২০১৫ বৈশ্বিক শান্তি সহিংসতার মাত্রা, অভ্যন্তরীণ বহির্মুখী সহিংসতা সামরিক শাসন ১৬২টি আইসল্যান্ড সিরিয়া ৮৪তম ১৪ ধাপ এগিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিস গ্লোবাল পিস ইনডেক্স-২০১৫ জুন ১৭, ২০১৫ মানব উন্নয়ন আয়ু, শিক্ষা মাথাপিছু আয় ১৮৮টি ১৩৬তম নরওয়ে নাইজার ১৪২তম (০.৫৭০) অপরিবর্তিত জাতিসংঘ জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫ মানব সূচকে উন্নয়ন শিক্ষা অথবা প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডে সক্রিয়তা, দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা, নারী-পুরুষ বৈষম্য ১৩০টি ১০৪তম পিছিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৬ দুর্নীতি সরকারি খাতের দুর্নীতির মাত্রা ১৭৫টি ডেনমার্ক (৯২) সোমালিয়া উত্তর কোরিয়া (৮) ১৪৫তম (২৫) স্কোর কম ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ওয়েরবসাইট, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৪ সন্ত্রাসের ঝুঁকি রাজনৈতিক, সামাজিক সহিংস কর্মকাণ্ড ১২৪টি ইরাক (১০) ২৩তম (৫.২৫) ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস এ্যান্ড পিস ২০১৫ মানব মূলধন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য শিক্ষাদান, উন্নয়ন প্রতিভার বিকাশ ফিনল্যান্ড ১০৪তম (৫৭.৮৪) ধাপ এগিয়েছে ২০১৬ গুড কান্ট্রি ইনডেক্সে বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, নিরাপত্তা শান্তি, জলবায়ুর পরিবর্তন, স্বাস্থ্য সমতা বজায় ১৬৩টি সুইডেন ১২১তম ব্রিটিশ গবেষক সিমন আনহোল্‌থ ২০১৬ রাষ্ট্রীয় ভঙ্গুরতা সামাজিক অর্থনৈতিক (জনতাত্ত্বিক চাপ, উদ্বাস্তু আভ্যন্তরীণ বাস্তচ্যুতি সমস্যা, গ্রুপ অসন্তোষ, মানবাধিকার ব্রেইন ড্রেইন, অসম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামগ্রিক অর্থনীতি) এবং রাজনৈতিক সামরিক (রাষ্ট্রের বৈধতা গ্রহণযোগ্যতা, পাবলিক সার্ভিসের গুণগত মান, মানবাধিকার আইনের শাসন, নিরাপত্তা কৌশল, এলিট শ্রেণীর দাপট এবং বাহ্যিক শক্তির হস্তক্ষেপ) ১০ সোমালিয়া ফিনল্যান্ড ৩৬তম (৮.৯) ভঙ্গুরতা কমেছে ফান্ড ফর পিস ২০১৬ গড় আয়ু স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ১৪০টি জাপান (মহিলা: ৮৬.৬) সিয়েরা লিওন (মহিলা: ৫০.৮, পুরুষ: ৪৯.৩) ৮১তম (মহিলা: ৭৩.১, পুরুষ: ৭০.৬) বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ স্ট্যাটিসটিকস: মনিটরিং হেলথ ফর দ্য এসডিজিস’ ২০১৬ নাগরিকদের ভালো থাকার অনুভূতি বা সন্তুষ্টি ৯৫তম ২০১৬ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা খাদ্যনিরাপত্তা, দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, টেকসই কৃষি উন্নয়ন, সামাজিক সেবা, অবকাঠামো, লিঙ্গসমতা, কন্যাশিশু নারীর ক্ষমতায়ন ১৪৯টি সুইডেন (৮৪.৫) সেন্ট্রাল আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ১১৮তম (৪৪.৪) সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন্স নেটওয়ার্ক বারটেলসম্যান স্টিফটাং এসডিজি ইনডেক্স অ্যান্ড ড্যাশবোর্ডস শীর্ষক প্রতিবেদন ২০১৬ শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ১৬১টি ১৫৫তম ২০১৬ নেটওয়ার্ক প্রস্তুতি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ব্যবহার ১৩৯টি সিঙ্গাপুর ১১২তম ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম নেটওয়ার্কড রেডিনেস ইনডেক্স ২০১৬ স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ ১৯০টি ১৮৯তম ২০১৬ পরিবেশবান্ধব সুখী দেশ নাগরিকদের সন্তুষ্টি, গড় আয়ু, পরিবেশের ওপর প্রভাব বৈষম্য ১৪০টি শাদ (১২.৮) কোস্টারিকা (৪৪.৭) ৮ম (৩৮.৪) নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন ২০১৬ সামাজিক অগ্রগতি মৌলিক মানবিক চাহিদা (পুষ্টি, মৌলিক চিকিৎসা, উচ্চশিক্ষা), সুযোগ প্রদান (জীবনধারণের উপজীব্য, ব্যক্তি অধিকার) উন্নতির ভিত্তি (তথ্য যোগাযোগ, মৌলিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ) ১৩৩টি সুইডেন মধ্য আফ্রিকা ১০০তম (মৌলিক মানবিক চাহিদা: ৯৭, সুযোগ: ১১৫, উন্নতির ভিত্তি রচনা: ৯৫) এক ধাপ পিছিয়েছে সোশ্যাল প্রোগ্রেস ইমপারেটিভ ২০১৫ গণতন্ত্র ১৬৭টি ১০ নরওয়ে উত্তর কোরিয়া ৮৬তম (৫.৭৩) একধাপ পিছিয়েছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ইকোনমিস্টের গবেষণা বিশ্লেষণধর্মী বিশেষ ইউনিট ২০১৫ মুক্ত গণমাধ্যম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১৮০টি ফিনল্যান্ড ইরিত্রিয়া ১৪৪তম (৪৫.৯৪) দুই ধাপ এগিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক-২০১৬ এর প্রতিবেদন ২০১৬ সন্ত্রাসবাদ সন্ত্রাসবাদের ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তিত কৌশল, নাশকতা বা হামলার ধরন, যেসব সন্ত্রাসী সংগঠন বা দল জড়িত, দেশটির জাতীয় পর্যায়ে আর্থ-রাজনৈতিক বিরূপ প্রভাব ইত্যাদি ১৬২টি ইরাক (১০) ২৫তম দুই ধাপ এগিয়েছে দি ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস ওয়েবসাইট, দি ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস ২০১৬ ২০৫০ সালের বিশ্ব অর্থনীতি ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার ভিত্তিতে জিডিপির আকার, অন্যটি হলো বাজার বিনিময় হারের ভিত্তিতে জিডিপির আকার ২৩তম প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস পুষ্টি ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ইফপ্রি'র তৈরি প্রতিবেদন লিঙ্গবৈষম্য অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নারীর ক্ষমতায়ন ১৪৫টি আয়বৈষম্য: ৬৪তম (০.৭০৪), স্বাস্থ্য: ৯৫তম (০.৯৭১), শিক্ষা: ১০৯তম (০.৯৪৮), রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন: অষ্টম (০.৪৩৩) স্বাস্থ্য: ২৭ ধাপ এগিয়েছে, শিক্ষা রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন: দুই ধাপ এগিয়েছে, উচ্চ শিক্ষা: এক ধাপ পিছিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বিশ্ব লিঙ্গবৈষম্য প্রতিবেদন, ২০১৫ ১৮ নভেম্বর, ২০১৫ দক্ষ মানবসম্পদ শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান ১৩০টি ১০০ ফিনল্যান্ড ১০৪তম (৫৭.৮৪) পাঁচ ধাপ পিছিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম গ্লোবাল হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স ২০১৬ নাজুক দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, যুদ্ধ, শান্তি চুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৭৮টি ফিনল্যান্ড সোমালিয়া ৩৬তম চার ধাপ এগিয়েছে দ্য ফান্ড ফর পিস ২০১৬ দারিদ্রতা দরিদ্র মানুষের সংখ্যা (১২.৯) দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে বিশ্ব ব্যাংক ২০১৬ বাসোপযোগী নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা এডুকেশন রির্সোস, অবকাঠামো, পরিবেশ ১৪০টি অষ্ট্রেলিয়া সিরিয়া ১৩৭তম দুই ধাপ এগিয়েছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২০১৬ জাতীয় পানি নিরাপত্তা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এশীয় পানি উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি এপ্রিল, ২০১৩ জিডিপি ৪৫তম ক্রয়ক্ষমতা ৩৩তম অর্থনৈতিক সম্ভাবনা গ্যালপ বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা অপুষ্টি, শিশু মৃত্যুহার, শিশু হত্যা শিশু বৃদ্ধিরোধ ১১৮টি মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (৪৪.৩) ৯০তম (২৭.১) ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমেছে আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০১৬ স্বাস্থ্য কর্মক্ষমতা ১৮৮টি দি লানস্যাট ২০১৫ গ্লোবাল চেঞ্জ রেডিনেস ইনডেক্স ১২৭টি ৮৬তম ২২ ধাপ এগিয়েছে কেপিএমজি গ্লোবাল চেঞ্জ রেডিনেস ইনডেক্স ২০১৫ মানব দারিদ্রতা জীবনযাত্রার মান জাতিসংঘ বৈশ্বিক যুবক উন্নয়ন কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নাগরিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন ১৮৩টি জার্মানি (০.৮৭১) মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (০.৩১৬) ৭৭তম (০.৪৯২) অপরিবর্তিত কমনওয়েলথ লন্ডন সচিবালয় ২১ অক্টোবর, ২০১৬ কোথায় জন্ম নেয়া যে দেশ স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ সমৃদ্ধ জীবনের শ্রেষ্ঠ সুযোগ প্রদান করে ৮০টি ৮০ ৭৭তম (৭৭) ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২০১৩ == তথ্যসূত্র == অর্থনীতি'''ডেভোনিয়ান যুগ''' হল একটি ভূতাত্ত্বিক যুগ যা সিলুরিয়ান যুগের শেষ অর্থাৎ ৪১.৯২ কোটি বছর আগে থেকে কার্বনিফেরাস যুগের আরম্ভ অর্থাৎ ৩৫.৮৯ কোটি বছর আগে পর্যন্ত চলেছিল। ইংল্যান্ডের ডেভন অঞ্চল থেকে প্রথম এই যুগের পাথরের প্রাপ্তি গবেষণার সুবাদে অঞ্চলটির নামে যুগের নামকরণ হয়েছে। ডেভোনিয়ান যুগে প্রথম স্থলচর জীবকুলের অভিযোজনীয় বিকিরণ লক্ষ্য করা যায়। ডাঙায় প্রথম ফার্ন জাতীয় উদ্ভিদের বিস্তার আরম্ভ হয় এবং ক্রমশ মহাদেশসমূহে বিস্তীর্ণ অরণ্যের সৃষ্টি হয়। মধ্য ডেভোনিয়ানে অনেক উদ্ভিদ প্রজাতির দেহে পাতা প্রকৃত মূলের আবির্ভাব হয়, এবং যুগের শেষভাগে প্রথম বীজ সম্বলিত উদ্ভিদের দেখা মেলে। বিভিন্ন প্রজাতির স্থলচর সন্ধিপদীও বংশবৃদ্ধি করে। জলভাগে মাছেদের বহুসংখ্যক প্রজাতির আবির্ভাব ঘটার ফলে ডেভোনিয়ানকে ক্ষেত্রবিশেষে '''মাছের যুগ''' বলা হয়ে থাকে। প্রথম রশ্মিযুক্ত পাখনাবিশিষ্ট রশ্মিহীন পাখনাবিশিষ্ট মাছেরা বিবর্তিত হয়, এবং প্ল্যাকোডার্মরা সমস্ত জলীয় পরিবেশে আধিপত্য কায়েম করে। চতুষ্পদ প্রাণীকুলের পূর্বসূরী মাছেরা ডাঙায় চার পায়ে গমনের চেষ্টা করতে থাকে, আর তাদের শক্তিশালী বক্ষ শ্রোণী পাখনা থেকে যথাক্রমে অগ্রপদ পশ্চাৎপদের বিবর্তন হয়। মহাসাগরে আদিম হাঙরেরা পূর্ববর্তী অন্ত্য অর্ডোভিশিয়ান সিলুরিয়ান যুগের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। প্রথম অ্যামোনাইট জাতীয় কম্বোজের বিবর্তন হয়। ট্রাইলোবাইট, কম্বোজ-সদৃশ ব্র্যাকিওপড বিরাট বিরাট প্রবাল প্রাচীর সমূহও তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। আজ থেকে ৩৭.৫ কোটি বছর আগে নতুন প্রজাতির বিবর্তনের হার আকস্মিকভাবে কমে যায়, ফলে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এই ঘটনাকে বিলুপ্তি ঘটনা আখ্যা দেওয়া উচিত কি না তা সংশয়ের বিষয়। এই সংকটের সময় সমস্ত প্ল্যাকোডার্ম এবং প্রোটিডা বর্গের সামান্য কিছু প্রজাতি ছাড়া সমস্ত ট্রাইলোবাইট লোপ পায়। সমসাময়িক ভৌগোলিক বিশেষত্বের মধ্যে দক্ষিণের অতিমহাদেশ গণ্ডোয়ানা, উত্তরের মহাদেশ সাইবেরিয়া মধ্যবর্তী মহাদেশ ইউরামেরিকার কথা বলা যায়। ==চর্চার ইতিহাস== ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে ডেভন কাউন্টির নামানুসারে এই যুগের নামকরণ করা হয়েছে। এই কাউন্টি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রাচীন পাথর জীবাশ্মের শ্রেণীকরণ করতে গিয়ে পুরাজীববিদদের মধ্যে এক দীর্ঘস্থায়ী বিবাদের সূত্রপাত হয়। বিবদমান দুই পক্ষের একদিকে ছিলেন রডারিক মার্চিসন অ্যাডাম সেজ্‌উইক এবং অপর দিকে ছিলেন হেনরি দে লা বেশ জর্জ বেলাস গ্রীনাফ। মার্চিসন সেজ্‌উইক বিবাদে জয়লাভ করেন। এই ধরনের বিবাদের ইতিহাস ঘাঁটলে বোঝা যায় পুরাকালীন যুগবিভাগের ধারণা কতখানি আপেক্ষিক অনিশ্চিত। ডেভন প্রদেশের টর্কে অঞ্চলের লুমাটন প্রস্তরক্ষেত্রে প্রাপ্ত পাথর ডেভোনিয়ান যুগের নির্ধারণে মূল ভূমিকা নিয়েছিল। যাই হোক, ডেভোনিয়ান যুগের প্রারম্ভিক অন্তিম পর্যায়গুলির নমুনা বিভিন্ন পাথরের স্তরে সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও সেগুলির যথার্থ বয়স এখনও নির্ণয় করা যায়নি। আন্তর্জাতিক স্তরবিদ্যা কমিশনের মতানুসারে (২০০৪) ৪১.৯২ কোটি বছর আগে সিলুরিয়ান যুগের শেষ থেকে ৩৫.৮৯ কোটি বছর আগে কার্বনিফেরাস যুগের আরম্ভ পর্যন্ত ডেভোনিয়ানের বিস্তার। উনবিংশ শতাব্দীর লেখাপত্রে ডেভোনিয়ানকে "প্রাচীন লাল যুগ" বলা হত, কারণ যুক্তরাজ্যের প্রাচীন লাল বেলেপাথরের স্তর থেকেই এই যুগ সংক্রান্ত প্রথম আবিষ্কারগুলি করা গিয়েছিল। ডেভোনিয়ানের আরেকটা জনপ্রিয় ডাকনাম হল "মাছের যুগ", কারণ এই যুগে প্রথম মাছেদের অনেকগুলো গোত্রের বিবর্তন বিভাজন ঘটে। ভ্রান্তিবশত ডেভোনিয়ানকে "গ্রীনহাউস যুগ"-ও বলা হয়েছে, কারণ ডেভোনিয়ানের প্রাথমিক নমুনাগুলোর বেশির ভাগ পাওয়া গিয়েছিল পশ্চিম ইউরোপ পূর্ব উত্তর আমেরিকা থেকে, আর যুগে অঞ্চলগুলো নিরক্ষরেখার অনেক কাছে থাকায় প্রাপ্ত পাথরে প্রবাল দ্বীপ উষ্ণ জলবায়ুর অন্যান্য নিদর্শন ছিল। প্রকৃতপক্ষে ডেভোনিয়ানের জলবায়ু উপযুগভেদে অঞ্চলভেদে বিপুল বৈচিত্র্যের প্রমাণ দেয়। যেমন, আদি ডেভোনিয়ানে সাইবেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা চীনে ঊষর জলবায়ু থাকলেও আফ্রিকা দক্ষিণ আমেরিকায় উষ্ণ আর্দ্র জলবায়ু ছিল। অন্ত্য ডেভোনিয়ানে সামগ্রিকভাবে গ্রহের আর্দ্রতা বাড়ে মরুভূমির পরিমাণ হ্রাস পায়। == জলবায়ু == ডেভোনিয়ান যুগে জলবায়ু ছিল মোটের উপর উষ্ণ, এবং খুব সম্ভবত সমগ্র যুগে পৃথিবীতে কোনও হিমবাহের অস্তিত্ব ছিল না। নিরক্ষরেখা থেকে মেরু অঞ্চল পর্যন্ত তাপমাত্রার যে বিরাট পার্থক্য এখন দেখা যায়, তা ডেভোনিয়ানে ছিল অনেক কম। নিরক্ষরেখা সন্নিহিত অঞ্চলে আদি ডেভোনিয়ানে ঊষর জলবায়ু ছিল। কনোডন্ট অ্যাপালাইট থেকে নির্ণীত ক্রান্তীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার মানচিত্র অনুযায়ী আদি ডেভোনিয়ানে গ্রহের গড় তপমাত্রা ছিল ৩০° সে (৮৬° ফা)। সদ্য বিবর্তিত বন-জঙ্গল ক্রমশ মাটিচাপা পড়ার মাধ্যমে ডেভোনিয়ান যুগে বায়ুমণ্ডলের অনেকখানি কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ভূপৃষ্ঠে আটক হয়, ফলে গোটা আদি ডেভোনিয়ান উপযুগ ধরে গ্রহের গড় উষ্ণতা হ্রাস পায়। এভাবে মধ্য ডেভোনিয়ানে প্রায় ৫° সে (৯° ফা) তাপমাত্রা কমেছিল। অন্ত্য ডেভোনিয়ানে আবার তাপমাত্রা বেড়ে আদি ডেভোনিয়ানের কাছাকাছি চলে যায়; এই উষ্ণায়নের কারণ জানা যায়নি (কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ এই সময় বাড়েনি), তবে মহাদেশীয় আবহবিকার উদ্ভিদের বণ্টন ইত্যাদির হিসেব থেকে অন্ত্য ডেভোনিয়ান উষ্ণায়নের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই উষ্ণায়ন জাতীয় প্রবাল প্রাচীর সৃষ্টিকারী সংবেদনশীল প্রাণীকুলের বিলুপ্তির কারণ হয়ে থাকতে পারে। == পুরাভূগোল == ডেভোনিয়ান যুগে ভূপৃষ্ঠের টেকটনিক সক্রিয়তা বেশি ছিল। ইউরামেরিকা গণ্ডোয়ানা মহাদেশ দুটি এই যুগে কাছাকাছি আসে। আদি ডেভোনিয়ানে মকরক্রান্তি রেখা সন্নিহিত অঞ্চলে লরেন্‌শিয়া বাল্টিকা মহাদেশের মিলনের ফলে ইউরামেরিকা তথা লরাশিয়া (লরেশিয়া নয়) অতিমহাদেশের সৃষ্টি হয়। এই অঞ্চলের ঊষর জলবায়ুর প্রমাণ পাওয়া যায় অধিক জারিত হেমাটাইট মিশ্রিত লাল বেলেপাথরের স্তর থেকে। নিরক্ষরেখার কাছে ইউরামেরিকা গণ্ডোয়ানার পাত দুটি পরস্পরের খুব কাছে এসে জুড়ে যেতে আরম্ভ করে; এইভাবেই পরবর্তী অতিমহাদেশ প্যানজিয়ার গঠনপ্রক্রিয়া আরম্ভ হয়। এই সংঘর্ষের ফলে অ্যাপালেশিয়ান পর্বতমালার উচ্চতা বাড়ে এবং গ্রেট ব্রিটেন ক্যালিডোনিয়ান পর্বতমালার উত্থান আরম্ভ হয়। উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের ভূগাঠনিক সক্রিয়তা ছিল অপেক্ষাকৃত কম। এই অঞ্চলটি ডেভোনিয়ান যুগে পলিসঞ্চয়শীল অগভীর উপকূলীয় সমুদ্র, বিভিন্ন নদীর ব-দ্বীপ প্রভৃতি দ্বারা অধ্যুষিত ছিল। বর্তমানে এগুলো আইডাহো নেভাদা রাজ্যের অংশ। অন্ত্য ডেভোনিয়ানে মহাদেশীয় পাতের কিনারায় অনেকগুলো আগ্নেয় দ্বীপের সৃষ্টি হয়, যা ক্রমশ ভূভাগে আলোড়ন সৃষ্টি করে কার্বনিফেরাস যুগে অ্যান্টলার গিরিজনির সূত্রপাত ঘটায়। বিশ্ব জুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ছিল বেশি, এবং অধিকাংশ ভূভাগ ছিল অগভীর সমুদ্রে নিমজ্জিত। এই সমস্ত স্থানে ক্রান্তীয় প্রবাল প্রাচীর গঠনকারী জীবকুলের বাস ছিল। সুগভীর সুবিশাল প্যানথলসা অতিমহাসাগর অবশিষ্ট পৃথিবীকে আচ্ছাদিত রেখেছিল। বিভিন্ন উপযুগে সৃষ্ট অন্যান্য ছোট মহাসাগরের মধ্যে ছিল প্যালিও-টেথিস, প্রোটো-টেথিস, রাইক মহাসাগর উরাল মহাসাগর। শেষোক্তটি সাইবেরিয়া বাল্টিকা মহাদেশের সংঘর্ষের সময় বুজে যায়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== দ্য ডেভোনিয়ান টাইম্‌স ডেভোনিয়ান যুগ সংক্রান্ত একটি উৎকৃষ্ট নিয়মিত হালনাগাদকৃত উৎস ইউসি বার্কলি সাইট কর্তৃক ডেভোনিয়ান যুগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। ডেভোনিয়ান জীবাশ্মের কিছু উদাহরণ ইতিহাস'''হাসিবুর রেজা কল্লোল''' হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, সংংবাদ প্রযোজক। তিনি শাকিব খান পাওলি দাম অভিনীত সত্তা চলচ্চিত্রটি পরিচালনার জন্য পরিচিত লাভ করেন। == প্রাথমিক জীবন == কল্লোল বাংলাদেশের যশোর জেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক মাতার নাম হাসিনা মমতাজ হাসি। তিনি যশোর মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন, এরপর তিনি যশোর ক্যান্টমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== হাসিবুর রেজা কল্লোল বিয়ে করেন জেসমিন আখতার বিথীকে। এই দম্পত্তির সত্তা রেজা শিল্প রেজা নামে দুই সন্তান রয়েছে। ==কর্মজীবন == তিনি আলোকচিত্রী হিসেবে দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আলোকচিত্রী সংবাদ প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য গণমাধ্যম যেমন একুশে টেলিভিশন, বাংলাভিশন, বৈশাখী টেলিভিশন প্রভৃতি। পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন নাটক নাটকের চিত্রনাট্য এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। অন্ধ নিরাঙ্গম, সত্তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সত্তা চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশী সুপারস্টার শাকিব খান এবং ভারতীয় অভিনেত্রী পাওলি দাম অভিনয় করেন। == চলচ্চিত্র == অন্ধ নিরাঙ্গম (২০১০) সত্তা (২০১৭) সত্তা চলচ্চিত্রটি দেশ বিদেশে বিভিন্ন চলচ্চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়েছে। ভারতবর্ষের শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত "গ্লোবাল সিনেমা ফেস্টিভ্যাল ২০১৯ প্রদর্শিত হয়েছে। == পুরস্কার == ১১ তম জাতীয় পুরস্কার (আলোকচিত্রে) অন্ধ নিরাঙ্গম জন্য '১৪ তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড' লাভ করেছেন। অন্ধ নিরাঙ্গম এর জন্য বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন সম্মাননা *সত্তা'র জন্য ষষ্ঠ বেঙ্গল ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড, কলকাতা BTEF ভ্রমণ মূলক পুরস্কার অর্জন করেছেন। আজতক ফিল্ম এচিভারস এ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ডিরেক্টর, মুম্বাই বাচসাস সুবর্ণজয়ন্তী চলচ্চিত্র পুরস্কার: হাসিবুর রেজা কল্লোল "সত্তা" ছায়াছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরষ্কার লাভ করেন। উল্লেখ্য তার "সত্তা" চলচ্চিত্র আরো পাঁচটি বিভাগে বাচসাস পুরষ্কার অর্জন করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা: শাকিব খান, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার, শ্রেষ্ঠ গায়ক: জেমস, শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মমতাজ, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (পার্শ্ব চরিত্রে): নাসরিন রিমঝিম মধুর সঙ্গীত পুরস্কার পরিচালক হিসেবে (সত্তা) ==তথ্যসূত্র =='''মানু আত্রি''' (জন্ম ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯২) একজন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়ার যিনি সম্প্রতি ডাবলস এবং মিক্সড ডাবলস বিভাগে প্রতিদবন্ধীতা করছেন। পুরুষ ডাবলস বিভাগে মানুর বর্তমান পার্টনার জিষ্ণু স্যানাল এবং এর পূর্বত্তন ডাবলস পার্টনার বি এস রেড্ডি। মিক্সড ডাবলস মানুর বর্তমান পার্টনার এন সিকি রেড্ডি এবং পূর্বতন পার্টনার ছিলেন কে মনীষা। মানু আত্রি ২০১৪ এশিয়ান গেমসে প্রতিদবন্ধীতা করেছেন। == প্রতিযোগিতার নথিবদ্ধ বিবরন == ক্রমিক সংখ্যা সাল টুর্নামেন্ট Categorie পার্টনার ২০১১ Kenya International Men's doubles জিষ্ণু স্যানাল ২০১৩ Tata Open India International Challenge Men's doubles বি এস রেড্ডি ২০১৪ Tata Open India International Challenge Mixed doubles এন সিকি রেড্ডি ২০১৪ Tata Open India International Challenge Men's doubles বি এস রেড্ডি ২০১৫ Lagos International 2015 Men's doubles বি এস রেড্ডি International Challenge tournament International Series tournament == তথ্যসূত্র == গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ব্যক্তি জন্ম'''মীর কাসেম আলী''' (৩১ ডিসেম্বর ১৯৫২ সেপ্টেম্বর ২০১৬) ছিলেন বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ী তথা রাজনীতিবিদ জামায়েতে ইসলামী বাংলাদেশের অন্যতম নেতা। ২০১৪ সালের ২রা ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। == জীবনী == পিতা তৈয়ব আলী মাতা রাবেয়া বেগমের দ্বিতীয় সন্তান মীর কাসেম আলী ১৯৫২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাসেম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আধা-সামরিক বাহিনী আলবদরের তৃতীয় প্রধান নেতা যারা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সমর্থন করেছিলো তাদের হয়ে গণহত্যা, লুণ্ঠনসহ মানবতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত ছিল। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর প্রধান অর্থ জোগানদাতা ছিলেন। দলটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। == ব্যবসা == মীর কাসেম আলী ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। তিনি দিগন্ত মিডিয়া গ্রুপেরও চেয়ারম্যান ছিলেন যেটি দিগন্ত টেলিভিশন পরিচালনা করত। এছাড়াও তিনি ইবনে সিনা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা রাবিতা আল-আলম আল ইসলাম নামের এনজিও-এর পরিচালক। এসবের বাইরে তিনি অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, আল্লামা ইকবাল সংসদ, ইসলামীক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগং, দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর স্ট্রেটেজি পিস স্টাডিস-এর পরিচালনা পর্ষদের সাথে যুক্ত ছিলেন। ==বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ== ১৯৭১ সালে মীর কাসেম চট্টগ্রাম কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। সাথে সাথে তিনি চট্টগ্রাম ছাত্র সংঘেরও সভাপতি ছিলেন। একই বছরের ৬ই নভেম্বর তিনি পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রাদেশিক কার্যনির্বাহী কমিটিতে যুক্ত হন। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় আধা-সামরিক বাহিনী আলবদর। যারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা করত বাঙালি উপর নির্যাতন করত। মীর কাসেম ছিলেন সেসময়কার আলবদরের তৃতীয় প্রধান ব্যক্তি। যুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম আলবদর শাখা আন্দরকিল্লার মহামায়া ভবনটি একটি হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে দখল করে নাম পরিবর্তন করে ডালিম হোটেল নামকরণ করা হয়। সেসময় ডালিম হোটেল নামের এই ভবনটি ইন্টারোগেশন ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। মীর কাসেমের বিচারের সময় মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাইদ মোহাম্মদ ইমরান সাক্ষ্য দেন যে, এটি মূলত মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের জন্য নির্যাতন কেন্দ্র জেলখানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। মুক্তিবাহিনীর সদস্য জসিম, তনু রঞ্জিত দাশ এখানে নিহত হন বলেও সাক্ষ্যে উঠে আসে। বর্ণনা অনুসারে মীর কাসেম যখন ভবনটিতে আসতেন তখন পাহারাদাররা বলতো, !মীর কাসেম এসেছে, কমান্ডার এসেছে”। == তথ্যসূত্র == রাজনীতিবিদ মৃত্যু জন্ম ইসলামী অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ বাংলাদেশী জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিবিদ'''ভেলোর'''() হল দক্ষিণ ভারত এর তামিলনাড়ু রাজ্যের ভেলোর জেলার একটি শহর জেলার সদর দপ্তর।শহরটি রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ১৪৫ কিলোমিটার ব্যাঙ্গালোর শহর থেকে ২১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।শহরটির মোট আয়তন ৮৭.৯১৫ বর্গ কিলোমাটার।এটি রাজ্যের নবম বৃহত্তম শহর।শহরটি ''ফোর্ট সিটি বা দূর্গের শহর'' হিসাবে পরিচিত।এছাড়া শহরটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে জগৎ বিখ্যাত। ==ইতিহাস== ভেলোর বিদ্রোহ ==ভূগোল== ভেলোর শহরটি ১২.৫৫ উত্তর ৭৯.০৮ পূর্বে অববস্থিত।সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির উচ্চতা ২১৬ মিটার।ভেলোর পূর্ব ঘাট পর্তব থেকে উৎপন্ন পালার নদীর তীযে গড়ে উঠেছে।শহরটি রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। ==জনসংখ্যা== ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুয়ায়ি শহরটির মোট জনসংখ্যা ৪,৮৬,৯৬০ জন।এই জনসংখ্যার হিসাবে শহরটি তামিলনাড়ুর নবম বৃহত্তম শহর।২০০১ সালে শহরটিতে মোট জনসংখ্যা ছিল ৪,২৩,০০০ কিছু বেশি। ==পরিবহন ব্যবস্থা== ভেলোর শহর শহরটি হাইওয়ের বা ৪৬ নং জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত।চেন্নাই এর সঙ্গে ভেলোরের বাস যোগাযোগ রয়েছে।এছাড়া শহরটির রেল স্টেশন দ্বারা চেন্নাই ,ব্যাঙ্গালোর ,মাদুরাই কোয়েম্বাটুর শহরের সঙ্গে যোগাযোগ সাধিত হয়।ভেলোর শহরের বিমান যোযগাযোগ চেন্নাই বিমানবন্দর দ্বারা ঘটে। ==অর্থনীতি== ভেলোর শহরে চর্ম শিল্প চর্মদ্রব এক বিরাট শিল্প গড়ে উঠেছে।এই শহর থেকে দেশের চর্ম শিল্পের এক বিরাট অবদান রয়েছে।এখান থেকে চর্ম দ্রব বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। ==তথ্যসূত্র== শহর'''''বিগ বস হাল্লা বোল''''' হলো বিগ বস ৮-এর একটি সিরিজ। এটি বিগ বস ৮-এর সাথে সম্পর্কিত। এটি জানুয়ারী ২০১৫ হতে কালারস-এ সম্প্রচারিত হয়। ৩১ জানুয়ারী ২০১৫-এ এর ফাইনাল আয়োজিত হয়। ফাইনালে জন চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের পর, জানুয়ারী ২০১৫-এ বিগ বস ৮-এর আরেকটি সিরিজ ''বিগ বস হাল্লা বোল'' শুরু করা হয়। এটা মূল অনুষ্ঠানের সাথে মিশে যায় এবং একই ঘরে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। পুরাতন আসরের জন প্রতিযোগী বিগ বস ৮-এর জন চ্যাম্পিয়নের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য এই ঘরে প্রবেশ করে। সালমান খান বজরঙ্গি ভাইজান ছবির শুটিং-এ ব্যস্ত থাকার কারণে, ''বিগ বস হাল্লা বোলের'' জন্য ফারাহ খানকে নতুন উপস্থাপক নির্ধারণ করা হয়। এই সিরিজটি অভিনেতা গৌতম গুলাটি জয়লাভ করে এবং অভিনেত্রী কারিশমা তান্না প্রথম রানার আপ হয়। এই সিরিজটিতে ভারতে বিগ বসের নিম্নমুখিতা লক্ষ্য করা যায়। শুরুতে সেলিব্রেটিদের সাথে পুরানো আসরের প্রতিযোগীদের এই আয়োজন প্রাথমিক মিডিয়া এবং দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেললেও পরবর্তীতে এর রেটিংস দাঁড়ায় ২.৮২-এ। যা এই অনুষ্ঠানের সর্বকালের সর্বনিম্ন টিআরপি। এই সিরিজটি দর্শক জনপ্রিয়তা এত হারায় যে, এই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানায় যে, এই সিরিজের ফাইনালের ফলাফল নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় যে ভোট আসে তা শুধু পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণি ভোট হতে কম নয়, তা এই আসরেরই উচ্ছন্ন ভোটের থেকে কম। আরেকটি বার্তায় জানানো হয় যে, এই সিরিজের চ্যাম্পিয়ন এবং প্রথম রানার আপের মধ্যে ভোটের পার্থক্য ছিল অনেক কম। ''বিগ বস হাল্লা বোলের'' উপস্থাপক ফারাহ খান ==''বিগ বস হাল্লা বোল''== ১৫তম সপ্তাহে বিগ বস জানায় যে তারা তাদের বিগ বস ৮কে আর সপ্তাহ বর্ধিত করবে। জানুয়ারীর ফাইনালে তারা বিগ বস ৮-এর জন চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করবে, এবং তারা বিগ বস হাল্লা বলের সদস্য হবে। কালারসের সিইও রাজ নায়ক বলেন: এই সিরিজটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানুয়ারী ২০১৬ হতে শুরু হয়। এই সিরিজটিতে জন চ্যালেঞ্জার ছিল যাদেরকে "হাল্লা বোল চ্যালেঞ্জার" হিসেবে অবিহিত করা হতো। চ্যালেঞ্জাররা হলেন: এজাজ খান, সম্ভাবনা শেঠ, মেহেক চেহেল, রাহুল মহাজন এবং সানা খান। সানা হলেন এই সিরিজে প্রবেশকারী সর্বশেষ প্রতিযোগী। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বে ৯৯তম দিনে এজাজ ঘরে প্রবেশ করে। এই নতুন অনুষ্ঠানটির ফরম্যাট ছিল "চ্যাম্পিয়ন বনাম চ্যালেঞ্জার", যেখানে ১০ জন প্রতিযোগী ছিলেন এবং এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ফারাহ খান। তার অংশগ্রহণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে ফারাহ বলেন: ==ব্রডকাস্ট সিন্ডিকেশন== দেশ নেটওয়ার্ক প্রচারের তারিখ সিন্ডিকেশন প্রকার উৎস ভারত কালারস অফ যুক্তরাজ্য কালারস ইউকে আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেশন ==আয়োজন পরিদর্শন== আয়োজন '''সপ্তাহ ১- সপ্তাহ মনোনয়ন লাক্সারি বাজেটের কাজ হাইলাইট হস্তান্তর উচ্ছেদ সাক্ষাৎকার ==বাসিন্দা== কারিশমা তান্না হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি গ্র্যান্ড মাস্তি চলচ্চিত্রে "উন্নাতি"র চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গৌতম গুলাটি হলেন একজন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেতা। তিনি স্টার প্লাস-এ সম্প্রচারিত দিয়া অর বাতি হাম নাটকে "ভিকরাম রাঠি"র চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিস বস ৮-এর জন্য তিনি উক্ত নাটকটি ছেড়ে দেন। প্রীতম সিং হলেন একজন রেডিও জকি। তিনি বিগ বস ৮-এর প্রথম কয়েক সপ্তাহ সিক্রেট সোসাইটির সদস্য হিসেবে ঘরে বসবাস করেন। আলী কুলি মির্জা হলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বলিউডে অভিষেক করেন রোঁর: টাইগার্স অফ দ্য সুন্দরবনস চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ডিম্পি গাঙ্গুলি হলেন দ্য ব্যাচেলরের ভারতীয় সংস্করণের দ্বিতীয় আসরের বিজয়ী। তিনি ২০১০ সালে এই আসরেরই আরেক প্রতিযোগী রাহুল মহাজনকে বিবাহ করেন। পুরনো আসরের জন প্রতিযোগী এই আসরে বিজয়ী হওয়ার অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে পুনারায় এই খেলায় আসেন। এখানে জন প্রতিযোগী দ্বিতীয় আসর হতে এবং জন করে প্রতিযোগী পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম আসর হতে আসেন। প্রথম, তৃতীয় এবং চতুর্থ আসর হতে কোন প্রতিযোগী এই খেলার অন্তর্ভুক্ত হয় নি। এজাজ খান হলেন একজন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেতা। তিনি বিগ বসের সপ্তম আসরের প্রতিযোগী ছিলেন, সেখানে তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। মেহেক ছেহেল হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, মডেল। তিনি বিগ বসের সপ্তম আসরের প্রতিযোগী ছিলেন, সেখানে তিনি রানার আপ হন। রাহুল মহাজন হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। তিনি ২০১০ সালে এই আসরেরই আরেক প্রতিযোগী ডিম্পি গাঙ্গুলিকে বিবাহ করেন। সম্ভাবনা শেঠ হলেন একজন ভারতীয় আইটেম গার্ল। তিনি বিগ বসের দ্বিতীয় আসরের প্রতিযোগী ছিলেন, সেখানে তিনি দশম হন। সানা খান হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, মডেল এবং নৃত্যশিল্পী। তিনি বিগ বসের ষষ্ঠ আসরের প্রতিযোগী ছিলেন, সেখানে তিনি তৃতীয় হন। ==অতিথি== সপ্তাহ অতিথি মন্তব্য '''২''' মহেশ ভাট, আলি ফাযাল এবং গুরমিত চৌধুরী খামশিয়া চলচ্চিত্রের প্রচারণার জন্য। '''৩''' মল্লিকা শেরাওয়াত দ্য ডার্টি পলিটিক্স চলচ্চিত্রের প্রচারণার জন্য। '''৪''' জনারধন বাবা (শুধুমাত্র আভ্যন্তরীণ অতিথি হিসেবে) এজাজ খান (শুধুমাত্র আভ্যন্তরীণ অতিথি হিসেবে) '''ফাইনাল''' মালাইকা অরোরা খান সোনাক্ষী সিনহা সিদ্ধার্থ নিগম এবং তার দল ''চাক্রাভারতিন অশোক সম্রাট'' এর প্রচারণার জন্য। রোহিত শেঠি, হুসাইন সানা খান এবং আশিস চৌধুরী ''খাতরো কে খিলাড়ী (ষষ্ঠ আসর)'' এর প্রচারণার জন্য। রজত শর্মা ==প্রতিযোগীর অবস্থা== বাসিন্দা '''দিন ১''' '''দিন ৪''' '''দিন ১১''' '''দিন ১২''' '''দিন ১৯''' '''দিন ২৫''' আলী চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার চূড়ান্ত প্রতিযোগী ডিম্পি চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত প্রতিযোগী গৌতম চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত প্রতিযোগী কারিশমা চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত প্রতিযোগী প্রীতম চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার চূড়ান্ত প্রতিযোগী সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার রাহুল চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন সানা চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন মেহেক চ্যালেঞ্জার চ্যাম্পিয়ন এজাজ চ্যালেঞ্জার পূর্ববর্তী আসরের জন প্রতিযোগী অষ্টম আসরের জন চ্যাম্পিয়নের সাথে মোকাবেলা করার জন্য ঘরে প্রবেশ করে। লাক্সারি বাজেট কাজের ভিত্তিতে, মেহেক পদোন্নতি হয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের এবং গৌতম পদাবনতি হয়ে চ্যালেঞ্জার দলের সদস্য হয়। তারা উভয়ই তাদের দলের বহুমতে ভালো এবং খারাপ কর্তা নির্বাচিত হয়। লাক্সারি বাজেট কাজের ভিত্তিতে, সম্ভাবনা পদোন্নতি হয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের এবং ডিম্পি পদাবনতি হয়ে চ্যালেঞ্জার দলের সদস্য হয়। সম্ভাবনা নিজেই নিজেকে সবচেয়ে ভালো কর্তা এবং ক্যাপ্টেন কারিশমা ডিম্পিকে সবচেয়ে খারাপ কর্তা নির্বাচিত করে। চ্যালেঞ্জার দল লাক্সারি বাজেট কাজে জয়ের পর খাবারের বদলে হস্তান্তর পছন্দ করে। এর ফলে সানা পদোন্নতি হয়ে চ্যাম্পিয়ন দলে এবং কারিশমা পদাবনতি হয়ে চ্যালেঞ্জার দলের সদস্য হয়। তারা উভয়েই চ্যালেঞ্জার দ্বারা নির্বাচিত হয়। চ্যালেঞ্জার দল বিগ বসের দেওয়া কাজে জয়লাভ করে। এরই প্রেক্ষিতে চ্যালেঞ্জার দলের সকলে চ্যাম্পিয়নে এবং চ্যাম্পিয়ন দলের সকলে চ্যালেঞ্জারে পরিণত হয়। সম্ভাবনা ঘর হতে নিষ্কাশিত হওয়ার পর বাকি সকল সদস্য চূড়ান্ত প্রতিযোগী হিসেবে ঘোষিত হয়। ==ভোটিং ইতিহাস== সপ্তাহ সপ্তাহ সপ্তাহ সপ্তাহ দিন ১৫ দিন ১৮ দিন ২২ ফাইনাল ভোট: উচ্ছেদ রক্ষা উচ্ছেদ গৌতম ''যোগ্যনয়'' কারিশমা,ডিম্পি কারিশমা আলী, সম্ভাভনা '''বিজয়ী''' (দিন ২৮) কারিশমা গৌতম,ডিম্পি জন্য আলী,প্রীতম '''রানার আপ''' (দিন ২৮) প্রীতম কারিশমা,ডিম্পি গৌতম কারিশমা,ডিম্পি ''পদচারণা'' (দিন ২৮) আলী রাহুল,ডিম্পি গৌতম গৌতম,কারিশমা ''উচ্ছন্ন''(দিন ২৭) ডিম্পি কারিশমা,প্রীতম রাহুল সম্ভাভনা,প্রীতম ''উচ্ছন্ন''(দিন ২৭) সম্ভাভনা ''যোগ্যনয়'' ''যোগ্যনয়'' কারিশমা,প্রীতম কারিশমা গৌতম,ডিম্পি ''উচ্ছন্ন''(দিন ২৪) রাহুল ''যোগ্যনয়'' ''যোগ্যনয়'' কারিশমা,প্রীতম ডিম্পি ''উচ্ছন্ন''(দিন ২১) মেহেক ''যোগ্যনয়'' ''উচ্ছন্ন''(দিন ১৭) সানা ''যোগ্যনয়'' ''যোগ্যনয়'' '''মেহেক''' ''উচ্ছন্ন''(দিন ১৪) এজাজ ''যোগ্যনয়'' ''নির্গত''(দিন ২) মন্তব্য ''৩'' ''৪'' ''৫'' ''৬'' ''৭'' জনগণের ভোটেরবিপক্ষে নির্গত '''এজাজ''' ''কেউ না'' উচ্ছন্ন ''উচ্ছেদবাতিল'' '''সানা''' '''মেহেক''' '''রাহুল''' '''সম্ভাভনা''' '''ডিম্পি''' '''আলী''' '''প্রীতম''' '''কারিশমা''' '''গৌতম''' নিয়মিত মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বাসিন্দাদের দ্বারা সরাসরি মনোনীতদের নির্দেশ করে। যেসকল বাসিন্দারা মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় নিরাপদদের নির্দেশ করে। *: এজাজ ফাইনালের পূর্বে ৯৯তম দিনে ঘরে প্রবেশ করে, কিন্তু তিনি হাল্লা বোল চ্যালেঞ্জার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তার উপস্থিতি ঘরের কোনো কাজে কোনো প্রভাব ফেলেনি। *: প্রথম দিনে, বাসিন্দারা মুখোমুখি মনোনয়নের সম্মুখীন হয়। যেখানে তারা জনের পরিবর্তে জনকে মনোনয়ন করে। এজাজের নির্গত হওয়ার পর, সপ্তম দিনের উচ্ছেদ বাতিল করা হয়। *: চ্যালেঞ্জার নামক বাসিন্দারা মনোনয়ন করার যোগ্য নয়। শুধু চ্যাম্পিয়ন নামক বাসিন্দারা মনোনয়ন করতে পারবেন, সেই সাথে তারা সকলেই উচ্ছন্ন হওয়ার মনোনয়ন থেকে নিরাপদ। *: সানা উচ্ছন্ন হওয়ার পর "বিগ বোম" দ্বারা মেহেককে উচ্ছন্ন হওয়ার জন্য মনোনয়ন করে। *: লাক্সারি বাজেট কাজে জয়ের ফলে প্রীতম নিরাপদ হয়। কারিশমাকে একটি বিশেষ পাওয়ার দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে তিনি যেকোনো প্রতিযোগীকে সরাসরি মনোনয়ন করতে পারবে। স্বেচ্ছায় লাক্সারি বাজেট কাজ থেকে বের হয়ে আসার ফলে তিনি এই পাওয়ারটি লাভ করে। এই পাওয়ারটি ব্যবহার করে কারিশমা আলীকে মনোনয়ন করে। *: সকল প্রতিযোগীকে তার বিপরীত দল হতে দুইজন সদস্যকে উচ্ছন্ন হওয়ার জন্য মনোনয়ন করতে হবে। *: জন চূড়ান্ত প্রতিযোগী মনোনীত হয়ে যায়। ==ভোট গণনা== প্রাপ্তমনোনয়ন উচ্ছেদমোকাবেলা ভোট: উচ্ছেদ রক্ষা উচ্ছেদ গৌতম কারিশমা প্রীতম আলী ডিম্পি সম্ভাভনা ১৩ রাহুল মেহেক সানা এজাজ :লাল নম্বরগুলো বাসিন্দাদের দ্বারা উচ্ছেদ হওয়া থেকে বাঁচার জন্য মনোনয়নকে নির্দেশ করে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বিষয়শ্রেণী:বিগ বস বিষয়শ্রেণী:বিগ বসের আসরসমূহজেসাস নাবাস একজন স্পেনের পেশাদার ফুটবলার। তিনি ম্যানচেস্টার সিটির রাইট উইঙ্গার। সে খুব দ্রুত বল ড্রিবলিং করতে পারদর্শী। == ক্রীড়াজীবন == === সেভিয়া === জেসাস নাবাস ১৫ বছর বয়সে সেভিয়ায় যুবদলে যোগ দেয়। ২০০৩-০৪ সালে সে মুল দলে জায়গা পায়। === ম্যানচেস্টার সিটি === ২০১৩ সালের জুন ১৪.৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময় ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেয়। ২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট ক্লাবের হয়ে অভিষেক হয়। == তথ্যসূত্র == Gol! Spain turn to nervous Jesus Navas "Ranking DB 2006–2007" (in Spanish). Don Balón. Archived from the original on November 2007. Retrieved May 2007. == বহিঃসংযোগ == Jesús Navas profile at BDFutbol National team data Jesús Navas career statistics at Soccerbase Jesús Navas at Jesús Navas FIFA competition record জন্ম ব্যক্তি সিটি ফুটবলার ফুটবলারকেনিয়া ক্রিকেট দল ২০০৬ সালের মার্চ মাসে চারটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ আসে। চার ম্যাচের সিরিজে তারা সবকটি ম্যাচ বাংলাদেশের নিকট হারে। ==ওডিআই সিরিজ== ===১ম ওডিআই=== ===২য় ওডিআই=== ===৩য় ওডিআই=== ===৪র্থ ওডিআই=== == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে সিরিজের পাতা ক্রিকেট দলের বিদেশ সফর বাংলাদেশী ক্রিকেট মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট মৌসুমসমষ্টি উন্নয়ন ব্লক''' পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার চাঁচল মহকুমার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক বিভাগ। হরিশ্চন্দ্রপুর তহশিলটি দুটি ভাগে বিভক্ত নং ব্লক উত্তরাংশ নিয়ে গঠিত এবং নং ব্লকটি দক্ষিণাংশ নিয়ে গঠিত। এই ব্লকের সদরদপ্তর হরিশ্চন্দ্রপুরে অবস্থিত। ==ভূগোল== হরিশ্চন্দ্রপুর নং ব্লক দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এই ব্লকটি মালদা জেলার একবারে উত্তরাংশে, উত্তরে রয়েছে বিহার। ব্লকটির মত আয়তন হলো ১৭১.৪০ বর্গ কিলোমিটার। == গ্রাম পঞ্চায়েত == হরিশ্চন্দ্রপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি হলো: কুশিদা, বড়ই, রাশিদাবাদ, তুলশিহাটা, ভিঙ্গলে, মাহেন্দ্রপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের জনসংখ্যা ১৯৯,৪৯৩। এর মধ্যে ১০৩,১৮৩ জন পুরুষ ৯৬,৩১০ জন মহিলা। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের ১৯৯,৪৯৩ জনের মধ্যে ৮৮,৫৯১ জন স্বাক্ষর। তার মধ্যে ৫০,১৯৬ জন পুরুষ ৩৮,৩৯৫ জন মহিলা। == তথ্যসূত্র == জেলার ব্লক জেলার প্রশাসনিক বিভাগ ব্লক জেলার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকচিত্র:1776 Rennell Dury Wall Map of Bihar and Bengal, India Geographicus বিহার প্রদেশ এর ম্যাপ, ইস্ট ইন্ডিয়া মেজর জেমস রেনেল কতৃক জরিপকৃত ১৭৭৬ সালে প্রকাশিত|বাংলা বিহার প্রদেশ এর ম্যাপ, '''ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রকৌশী''' মেজর '''জেমস রেনেল''' কতৃক জরিপকৃত ১৭৭৬ সালে প্রকাশিত right225x225px এটি '''চম্পা বিবির মাজার''' নামেই বেশি পরিচিত পুরনো ঢাকার চকবাজার থানার সোয়ারীঘাটের চম্পাতলী এলাকার নামকরণ করা হয় চম্পা বিবির নামানুসারে ।তার পরিচয় সমন্ধে সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় নি ।তিনি ছিলেন শায়েস্তা খাঁর '''উপপত্নী ''' বা '''পালিত কন্যা'''। মুনশী রহমান আলী তায়েশ (গবেষক) তার উর্দু ভাষায় রচিত ‘তাওয়ারিখে ঢাকা’ ডক্টর শরফুদ্দীন কতৃক অনুবাদকৃত বইয়ে সমাধিসৌধটির '''ধ্বংস''' সমন্ধে লিখেছেন, '''"পাদ্রী শেফার্ড ওটা ধ্বংস করে দিয়েছেন।''' শেফার্ড বোধহয় কবরটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন। '''"''' এটি ঘটেছিল ১৮১৬ সালে মিশনারি লিওনারদ কতৃক ছোট কাটরায় ইংরাজি স্কুল খোলার পর মুঘল সাম্রাজ্য, এর সর্বাধিক ব্যাপ্তি অবস্থায় ,১৭০৭ সাল। == মুঘল সাম্রাজ্য শায়েস্তা খাঁ == দ্যা অক্সফোর্ড স্টুডেন্টস হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া বইয়ে নবাব শায়েস্তা খাঁর চিত্র '''মুঘল সাম্রাজ্য''' (, ছিল ভারত উপমহাদেশের একটি অধিকাংশ অঞ্চলজুড়ে মুঘল সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। মুঘল সাম্রাজ্য পারস্যের ভাষা, শিল্প সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ছিল।ভারত উপমহাদেশে মুঘলরা অনন্য স্থাপত্য শৈলী দান করেছে। এসময়ে নির্মিত অনেক স্থাপত্য নিদর্শন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। তাজমহল মুঘল স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যান্য বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে হুমায়ুনের মাজার, ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ লাহোর দুর্গ। '''শায়েস্তা খাঁ''' মোগল আমলের এক জন বিখ্যাত সুবাদার বা প্রাদেশিক শাসক ছিলেন। তার খ্যাতি মূলত বাংলার সুবাদার হিসাবে। দু'দফায় সর্বমোট ২২ বছর তিনি বাংলা শাসন করেন। প্রথমে ১৬৬৪ থেকে ১৬৭৮ সাল এবং দ্বিতীয় বার ১৬৮০ থেকে ১৬৮৮ সাল। তার শাসনামলে ঢাকায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় এবং এই প্রদেশে মুঘল শাসনের শ্রেষ্ঠ সময় অতিবাহিত হয়।শায়েস্তা খাঁ ঢাকা ছেড়ে দিল্লিতে ফিরে যাবার আগে ঢাকাকে স্থানীয় বাণিজ্য, রাজনীতি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান। তার কল্যাণে ঢাকা একটি ছোট দাপ্তরিক কেন্দ্র থেকে বৃহত্ উন্নত শহরে পরিণত হয়।শায়েস্তা খাঁ মসজিদটি তার তৈরি একটি সুবৃহত্ কীর্তি যা তার প্রাসাদ সমতলে তৈরি করা হয়েছিল। বাংলা মুঘল স্থাপত্য কীর্তির মিশ্রণে তৈরি এই ঐতিহাসিক পুরাকীর্তিটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত হয়েছে।ঢাকার লালবাগে শায়েস্তা খাঁর সদর দপ্তর ছিল। পুরনো ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার নির্মিত স্থাপত্য তার স্থাপত্যপ্রীতির পরিচায়ক। == ছোট কাটরা == ছোট কাটরার টাওয়ার '''কাটরা''' বা '''কাটারা''' এর আরবি ফরাসি অর্থ হলো বা অবকাশযাবন কেন্দ্র বাংলাদেশের ঢাকায় মুঘল শাসনামলে দুটি অন্যন্য কাটরা নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে একটি হলো বড় কাটারা অপরটি হলো ছোট কাটারা।ইসলামি সংস্কৃতিতে নির্মাণ একটি পূণ্যের কাজ হিসেবে গণ্য করা হতো তাই সওয়াবের আশায় শাসকরা অনেক সরাইখানা নির্মাণ করেছিলেন বলে ইতিহাসে রয়েছে এগুলো সাধারণত বাণিজ্য পথের পাশে নির্মাণ করা হতো সাধারণত প্রয়োজনীয় প্রাঙ্গন বিশিষ্ট ইমারত যার খিলান সারিযুক্ত বারান্দা দিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে রাখা হতো ।বারান্দার পাশেই থাকতো অতিথিদের কক্ষ যেখানে পরিব্রাজক ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার পথে সাময়িক আশ্রয় নিতেন বোঝাবহনকারী পশু, গাড়ি অন্যান্য সামগ্রি খোলা প্রাঙ্গণে রাখা হতো কাটরাগুলোতে পরিব্রাজকদের জন্য ঘুমাবার স্থান, রান্নাঘর, গোসলখানা, মসজিদ এমনকি আগত বসবাসকারীদের জন্য হাসপাতালও থাকতো মুঘল ঢাকার সরাই বা কাটরাগুলো পরবর্তীতে বোর্ডিং হাউজ বা বাজার রূপে পরিবর্তিত হয়েছিল যার অনেকগুলোই এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে যেমন মৌলভীবাজারে মুকিম কাটরা,বকশীবাজার কাটরা, মুগলটুলী কাটরা, মায়া কাটরা, নবাব কাটরা, নাজির কাটরা, রহমতগঞ্জ কাটরা এবং বাদামতলী কাটরা। কারওয়ান বাজারেও একগুচ্ছ কাটরা ছিল ।এক সময় বড় কাটরার তোরণে ফার্সি ভাষায় শাদুদ্দিন মুহম্মদ সিরাজী লিখিত একটি পাথরের ফলক লাগানো ছিল যার মাধ্যমে এর রক্ষনাবেক্ষনের ব্যয় নির্বাহের উপায় সম্পর্কে জানা যায়। সুবেদার শায়েস্তা খান '''ছোট কাটারা''' নির্মাণ করেছিলেন। আনুমানিক ১৬৬৩ ১৬৬৪ সালের দিকে ইমারতটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং এটি ১৬৭১ সালে শেষ হয়েছিল। এটির অবস্থান ছিল বড় কাটারার পূর্বদিকে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। ইমারতটি দেখতে অনেকটা বড় কাটারার মত হলেও এটি আকৃতিতে বড় কাটারার চেয়ে ছোট এবং কারণেই হয়তো এর নাম হয়েছিল ছোট কাটারা। তবে ইংরেজ আমলে এতে বেশ কিছু সংযোজন করা হয়েছিল। শায়েস্তা খানের আমলে ছোট কাটরা নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।বড় কাটরার মতো এটিতেও ছিল দুটো তোরণ, একটি উত্তরে অপরটি দক্ষিণে। দক্ষিণের তোরণটিই ছিল প্রধান তোরণ। আয়তাকার কাটরার দক্ষিণ বাহুর দুই কোণায় দুটো আটকোণা বুরুজ বা টাওয়ার ছিল। উভয় তোরণেরই অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মুগল রীতিতে নির্মিত ত্রিতলবিশিষ্ট দক্ষিণ তোরণ এবং তিন জানালাযুক্ত সুউচ্চ কোণার টাওয়ারগুলোর সাথে পরবর্তী ইংরেজ আমলের সংস্কাররীতি মিশে এগুলো ঔপনিবেশিক চিহ্নও ধারণ করেছে। ১৬৭১ খ্রিষ্টাব্দ শায়েস্তা খাঁ ছোট কাটরার ভেতরে '''চম্পা বিবির সমাধিসৌধ''' নির্মাণ করেন ।১৭১৬ সালে মুঘল রাজধানী পরিবর্তনের পর থেকে ছোট কাটরা মুঘল ঢাকা এর গুরুত্ব হারাতে থাকে ।১৮২২সালের '''চার্লস ডয়েল''' এর বর্ণনাও কাটরার সৌন্দর্যের সাক্ষ্য দেয় এবং তখনও এর বাসিন্দারা ;ছিল দরিদ্র ১৮১৬ সালে লিওনারদ (একজন মিশনারি ছোট কাটরায় ঢাকার '''প্রথম ইংরাজি স্কুল''' খুলেছিলেন ১৮৫৭ সালে, এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকার প্রথম নরমাল স্কুল। উনিশ শতকের শেষ দিকে অথবা বিশ শতকের প্রথম দিকে ছোট কাটরা ছিল নবাব পরিবারের দখলে। এবং তাতে তখন কয়লা চুণার কারখানার কাজ' চলত। == জীবনী == ছোট কাটরার প্রবেশদ্বারের উপরের অংশ জাহাঙ্গীরনগর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের '''অধ্যাপক ড. কে এম শাহনাওয়াজে'''র মতে চম্পা বিবি হলেন শায়েস্তা খাঁর পালিত কন্যা ।বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের ঢাকা বিশেষজ্ঞ "ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী" গ্রন্থের লেখক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতে চম্পা বিবি হলেন শায়েস্তা খানের 'উপপত্নী' তারা যুক্তি দিয়েছেন যে যেহেতু চম্পা বিবি ছোট কাটরায় বাস করতেন এবং পরী বিবি শায়েস্তা খাঁর কন্যা তাই এটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী এই যুক্তিটা গ্রহণ করা হয়, কারণ ছোট কাটরা নির্মিত হয় ১৬৬৪ সালে এবং সমাধিসৌধটির শিলালিপি কতৃক জানা যায়, এর নির্মাণ হয় ১৬৭১ সালে।ইতিহাস থেকে তার সমন্ধে খুবই কম জানা যায় যেহেতু ছোট কাটরা অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হত তাই এতে সুবা বাংলার অনেক অতিথি,ও আত্মীয়স্বজনরা থাকতেন এবং শায়েস্তা খানও অবসর সময় কাটাতেন তার সেবাযত্নের জন্য সেবিকা উপপত্নীরাও থাকতেন ।ধারনা করা হয় সেই উপপত্নীদের ভেতরই একজন হলেন চম্পা বিবি যাকে তিনি অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি পছন্দ করতেন। সমাধিসৌধটি নির্মাণের এটিই কারণ এটা জানা যায় যে শায়েস্তা খানের বাঙ্গালী বংশধররা চম্পা বিবির পর দীর্ঘ দিন ছোট কাটারায় বসবাস করেছিলেন ।বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের ঢাকা বিশেষজ্ঞ "'''ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী'''" গ্রন্থের লেখক '''অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের''' মতে চম্পা বিবি হলেন শায়েস্তা খানের 'উপপত্নী' তারা যুক্তি দিয়েছেন যে যেহেতু চম্পা বিবি ছোট কাটরায় বাস করতেন এবং পরী বিবি শায়েস্তা খাঁর কন্যা তাই এটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশী এই যুক্তিটা গ্রহণ করা হয়, কারণ ছোট কাটরা নির্মিত হয় ১৬৬৪ সালে এবং সমাধিসৌধটির শিলালিপি কতৃক জানা যায়, এর নির্মাণ হয় ১৬৭১ সালে। ইতিহাস থেকে তার সমন্ধে খুবই কম জানা যায় যেহেতু ছোট কাটরা অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হত তাই এতে সুবা বাংলার অনেক অতিথি,ও আত্মীয়স্বজনরা থাকতেন এবং শায়েস্তা খানও অবসর সময় কাটাতেন তার সেবাযত্নের জন্য সেবিকা উপপত্নীরাও থাকতেন ।ধারনা করা হয় সেই উপপত্নীদের ভেতরই একজন হলেন চম্পা বিবি যাকে তিনি অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি পছন্দ করতেন। সমাধিসৌধটি নির্মাণের এটিই কারণ এটা জানা যায় যে শায়েস্তা খানের বাঙ্গালী বংশধররা চম্পা বিবির পর দীর্ঘ দিন ছোট কাটারায় বসবাস করেছিলেন == স্থাপত্যকর্ম == === বহিরাংশ === ছোট কাটরা ভবনটি আয়তাকৃতির এবং এর বাইরে থেকে পরিমাপ ১০১.২০ মি ৯২.০৫ মি এবং ভেতরে ৮১.০৭ মি ৬৯.১৯ মি। বাইরের প্রাচীর ০.৯১ মি থেকে মি পুরু এবং এর প্রতিরক্ষা বুরুজের দেয়াল যেখানে সব চেয়ে পুরু সেখানে ১.২২ মিটার। এটি বড় কাটরার পরিকল্পনা অনুসারে তৈরী তবে আকৃতিতে অপেক্ষাকৃত ছোট। শায়েস্তা খাঁ পরবর্তীতে এর চত্বরেই চম্পা বিবির সমাধিসৌধটি নির্মাণ করেছিলেন === === ভেতরে চম্পা বিবির মাজার রয়েছে সমাধিসৌধটির একটি গম্বুজ চারটি কোনা প্রতিপাশে ২৪ ফুট দৈর্ঘ্য ছিল পূর্বে একটি ছোট মসজিদ এক গম্বুজ বিশিষ্ট চম্পা বিবির সমাধিসৌধ ছিল পাদ্রী শেফার্ড মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন।। এটি পরবর্তীতে প্রত্নতত্ত্ববিদ দের দ্বারা পুনর্গঠন করা হয়েছিল কিন্তু এখন চম্পাতলী এলাকার ঘিঞ্জি দোকান গুলোর মধ্যে হারিয়ে গেছে ১৮১৭ সালে চার্লস ডয়েলের অঙ্কিত চিত্র থেকে বোঝা যায় এটি ছিল কয়েক তবক ওয়ালা সসার আকৃতির গম্বুজওয়ালা সমাধিসৌধ == বর্তমান অবস্থা == বর্তমানে ছোট কাটারা বা চম্পা বিবির সমাধিসৌধ বলতে এখন কিছুই বাকি নেই শুধু একটি ভাঙা ইমারত ছাড়া। যা শুধু বিশাল তোরণের মত সরু গলির উপর দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে অসংখ্য দোকান এমন ভাবে ঘিরে ধরেছে যে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে মুঘল আমলের এমন একটি স্থাপত্য ছিল। এখানে পর্যটকরা তেমন একটা আসেন না কারণ সমাধিসৌধটি এখন নেই এবং মাজার চত্বরটি দখল হয়ে গেছে ।ছোট কাটরার প্রবেশদ্বারের দুই পাশের দেয়াল প্রধান সড়কটি দখল হয়েছে এবং বহুতল ভবন নির্মাণ হয়ে গেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রনে থাকলেও তারা তেমন কোন ভুমিকা নেয়নি ।রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) এর মানচিত্রে কাটরা দুটি বিশেষ অঞ্চলের মর্যাদা পায়নি তবে মাজারের মূল স্থানটি রয়েছে == আরও পড়ুন == ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী", পরিবর্ধিত ৩য় সংস্করণ, ফেব্রুয়ারি ২০০০, অনন্যা প্রকাশনালয়, ঢাকা, শামসুর রাহমান "স্মৃতির শহর", ফেব্রুয়ারি ২০০০ জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন, পৃষ্ঠা:৫৩, ISBN 984560093 স্থাপত্য বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা-২ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। তাওয়ারিখে ঢাকা মুনশী রহমান আলী তায়েশ ডক্টর এ. এম. এম. শরফুদ্দীন দিব্য প্রকাশ ঢাকা কোষ ,এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ সোসাইটি অব বাংলাদেশ ঢাকা সমগ্র ১-৫ ,মুনতাসীর == ছবির গ্যালারি == File:Choto katra Dhaka by Ragib.jpg| ছোট কাটারার ধ্বংসাবশেষ কাটারার ধনুকৃতি খিলান শায়েস্তা খাঁ শায়েস্তা খাঁ ছোট কাটারার অভ্যন্তর দৃশ্য। কাটারার উপর দৃশ্য File:Sha'istah Khán.jpg| শায়েস্তা খাঁ ছোট চিত্র-১ ছোট কাটরার পার্শ্ব দৃশ্য ছোট কাটরার কোতয়ালী ছোট কাটরার উপরের অংশ == আরও দেখুন == শায়েস্তা খাঁ *পুরনো ঢাকা *ছোট কাটারা *কাটরা (ঢাকা) *বড় কাটারা *পান্থশালা *মুঘল সাম্রাজ্য *মুঘল স্থাপত্য *বাংলার ইতিহাস *ঢাকার ইতিহাস *ঢাকা *লালবাগের কেল্লা *হোসেনী দালান *শায়েস্তা খাঁর মসজিদ *সাত গম্বুজ মসজিদ *মীর জুমলা *বাংলার নবাব *আওরঙ্গজেব *মুঘল-ই-আজম == তথ্যসূত্র == Ahmed, Nazimuddin, Buildings of the British Raj in Bangladesh, Edited by John Sanday, University Press Limited, 1st Edition, Page no. 46-49, Mamun, Muntasir, Dhaka: Smriti Bismritir Nagari, 3rd Edition, Page No: 201-206, Rahman, Mahbubbur. ''City of an Architect''. Dhaka: Delvistaa Foundation. Ahmed, Nazimuddin, Islamic Heritage of Bangladesh (Dhaka, 1980: Ministry of Information and Broadcasting) ভবন স্থাপনা স্থাপত্য জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা'''মসজিদকুঁড় মসজিদ''' খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দর্শনীয় স্থান। মসজিদটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ এর খুব কাছেই রয়েছে সুন্দরবন। ==ইতিহাস== ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। পূর্বে অঞ্চলটি বন বিভিন্ন গাছ-পালায় ভরপুর ছিলো। পরবর্তীতে খননকার্য সম্পাদনা করে মাটির নিচের এই মসজিদটি আবিষ্কার করা হয়। মসজিদটি আবিষ্কারের সময় সেখানে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি বলে এর নির্মাণ-এর সময় সম্পর্কেও সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে মসজিদটি আবিষ্কৃত হয় বলে একে মসজিদকুঁড় নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তবে মনে করেন, মসজিদটি খুব সম্ভবত খান জাহানের শাসনামলে তৈরি করা হয়েছিল। ==অবকাঠামো== মসজিদকূঁড় মসজিদটির প্রতিটি দেয়াল প্রায় ফুট প্রশস্ত। এছাড়াও এটি বর্গাকারে নির্মাণ করা হয়েছিল যার বাইরে ভেতরের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৫৪ ৩৯ ফুট। মসজিদটির সামনে রয়েছে তিনটি দরজা অভ্যন্তরে রয়েছে পাথরের তৈরি চারটি স্তম্ভ। দেয়াল স্তম্ভ মিলিয়ে তিনটি সারিতে তিনটি করে মোট ৯টি গম্বুজ রয়েছে। ==আরো দেখুন== বাংলাদেশের মসজিদের তালিকা == তথ্যসূত্র == স্থাপত্য জেলার মসজিদ জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা'''রেজা খোদা মসজিদ''' বা '''ছয় গম্বুজ মসজিদ''' বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। ==অবস্থান== রেজা খোদা মসজিদটি ছয় গম্বুজ মসজিদ নামেও পরিচিত। খান জাহান আলীর মাজারের উত্তর পশ্চিম দিকে ঠাকুর দিঘির কাছে অবস্থিত। ==নির্মাণশৈলী== ১৫ শতকে নির্মিত রেজা খোদার মসজিদের দেয়ালে কিছু অংশ টিকে আছে। মসজিদটির ১.৭৪ মিটার মোটা দেয়ালসহ এর বাইরের দিকের পরিমাপ ১৬.৫ মিটার ১২.৪ মিটার পূর্বদিকে তিনটি এবং উত্তর দক্ষিণে দুটি করে খিলানের সাহায্যে তৈরি দরজা ছিলো। পূর্বদিকের প্রধান দরজার উচ্চতা ছিল প্রায় ৪.৭২ মিটার। মসজিদের চারকোণে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ ছিল। পূর্বদিকের দরজাগুলোর সোজাসুজি পশ্চিম দেয়ালে তিনটি অলঙ্কৃত মিহরাব নির্মিত হয়েছিল, যা এখনও বিদ্যমান আছে। মাঝের মেহরাবটি অন্য দুটির তুলনায় বড়। প্রতিটি মেহরাবের র্পাশ্বে জাঁকালোভাবে অলঙ্কৃত অষ্টভুজাকৃতির দেয়াল সন্নিহিত স্তম্ভ রয়েছে। বাতাস চলাচলের সুবিধার জন্য দেয়ালের ফাঁকে টেরাকোটার জালি স্থাপন করা হয়েছিলো। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা জেলার মসজিদবাংলাদেশের ফরিদপুরের পল্লী কবি জসীম উদ্‌দীন সংগ্রহশালার সামনের দিক। ছবিটি দূর থেকে নেওয়া। '''পল্লী কবি জসীম উদ্‌দীন সংগ্রহশালা''' একটি ব্যক্তিভিত্তিক জাদুঘর। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরের অদূরে ২০১৫তে এটি নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এটির সাজসজ্জার কাজ চলছে এবং ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের শেষভাগে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। পল্লী কবি জসীম উদ্‌দীন-এর স্মৃতি রক্ষার্থে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এই সংগ্রহশালাটি স্থাপন করেছে। বিভাগের জাদুঘর স্মৃতি জাদুঘরFJ Bertuch (1747–1822). গ্রিক পুরাণে, একটি ফিনিক্স বা Phenix (Greek: φοῖνιξ phoinix; Latin: phoenix, phœnix, fenix) একটি দীর্ঘায়ু পাখি যার চক্রাকারভাবে দ্বিজ বা নবজন্ম হয়। কিছু গ্রন্থ মতে, রূপকথার পক্ষি বিশেষ পুনর্জন্মের আগে ১,৪০০ বছর ধরে বসবাস করতে পারে। ==পৌরাণিক কাহিনী== পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে পবিত্র অনল প্রভা থেকে ফিনিক্স পাখির সৃষ্টি। ফিনিসীয় পুরাণ, চাইনিজ পুরাণ, গ্রিক পুরাণ এবং প্রাচীন মিসরীয়দের বর্ণনায়ও ফিনিক্স পাখির উল্লেখ পাওয়া গেছে। প্রাচীন গ্রিক পুরাণ অনুসারে ফিনিক্স হল এক পবিত্র ‘অগ্নিপাখি’। আর এটি এমনই একটি পবিত্র আগুনের পাখি, যার জীবনচক্র আবর্তিত হয় হাজার বছর ধরে। যমদূত আসার ঠিক আগেই ফিনিক্স পাখি নিজের বাসা নিজেই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আর নির্মমভাবে দগ্ধীভূত এই পাখি এবং তার বাসার ভস্ম থেকেই জন্ম নেয় নতুন জীবন।প্রাণ পায় নতুন জীবনের, শুরু হয় আবারও জাতিস্মর ফিনিক্সের অবিনাশী যাত্রা। ফিনিশিয় সভ্যতাই নাকি প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনা করেছিল। ফিনিশিয় সভ্যতা প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনা করলেও অন্যান্য সভ্যতার ধর্মীয় পুরাণে বৃহৎ পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যেমন, ভারতে দেবতা বিষ্ণুর বাহন গরুড়, প্রাচীন মিশরে বেনু বা বেন্নু। মিশরীয় মিথ এই বেনু পাখি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ==তথ্যসূত্র== Google books == বহিঃসংযোগ == পৌরাণিক প্রাণী'''বড়দেশ্বরী মন্দির''' বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা। এটি মূলত পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি প্রাচীন মন্দির বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি সংরক্ষিত প্রত্নতত্ত্ব। বদেশ্বরী মন্দিরটি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের দেঃ ভিঃ বদেশ্বরী মৌজার প্রায় ২.৭৮ একর জমিতে (মন্দির পার্শবর্তী অংশসহ) অবস্থিত। হিন্দু ধর্মের ১৮টি পুরাণের মধ্যে স্কন্দ পুরাণ একটি। সেই স্কন্দ পুরাণে কাশি উঃ ৮৮তে বর্ণিত আছে রাজা দক্ষ একটি যজ্ঞানুষ্ঠান করেছিলেন। ভোলানাথ শিব রাজা দক্ষের জামাই ছিলেন। রাজা দক্ষ কখনই শিবকে জামাই হিসেবে মেনে নেননি। কারণ মহাবীর শিব সর্বদাই ছিলেন উদাসীন এবং নেশা ধ্যানগ্রস্থ। উক্ত যজ্ঞানুষ্ঠানে মুনি-ঋষিগণ অন্যান্য দেবতাগণ নিমন্ত্রিত হলেও রাজা দক্ষ জামাই তথা দেবী দুর্গা (পার্বতী /মহামায়া) এঁর স্বামী ভোলানাথ শিব নিমন্ত্রিত ছিলেন না। কথা শিবের সহধর্মিনী জানা মাত্রই ক্ষোভে দেহ ত্যাগ করেন। শিব তার সহধর্মিনীর মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে উন্মাদ হয়ে তার সহধর্মিনীর শব দেহটি কাঁধে নিয়ে পৃথিবীর সর্বস্তরে উন্মাদের ন্যায় ঘুরতে থাকেন এবং প্রলয়ের সৃষ্টি করেন। সে মুহূর্তে স্বর্গের রাজা বিষ্ণুদেব তা সহ্য করতে না পেরে স্বর্গ হতে একটি সুদর্শনচক্র নিক্ষেপ করেন। চক্রের স্পর্শে শবদেহটি ৫১টি খন্ডে বিভক্ত হয়। শবের ৫১টি খন্ডের মধ্যে বাংলাদেশে পড়ে ০২টি খন্ড। একটি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এবং অপরটি পঞ্চগড় এর বদেশ্বরীতে। মহামায়ার খন্ডিত অংশ যে স্থানে পড়েছে তাকে পীঠ বলা হয়। বদেশ্বরী মহাপীঠ এরই একটি। উক্ত মন্দিরের নাম অনুযায়ী বোদা উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে। করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে নির্মিত বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দিরটি এখনও প্রত্নতাত্বিক ঐতিহ্যের নিদর্শন বহন করে। ==আরো পড়ুন== ভিতরগড় দূর্গ মির্জাপুর শাহী মসজিদ আটোয়ারী ইমামবাড়া ঢোলহাট মন্দির জামালপুর জামে মসজিদ রামসাগর মন্দির সীতাকোট বিহার ==চিত্রশালা== File:একটি উঁচু প্ল্যাটফর্মের ওপর সুদৃশ্য বড়দেশ্বরী মন্দিরটি অবস্থিত.jpg|এক নজরে বড়দেশ্বরী মন্দির File:সামনের প্রবেশ তোরণ দেখলেও মোটামুটি ধারণা করা সম্ভব বহুদিন এটি লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলো.jpg|ভেতর থেকে তোলা সামনের প্রবেশ তোরণ File:ইতিহাস পুরাণ ছাপিয়ে বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দিরটি বর্তমানে একটি প্রত্নতাত্বিক আধুনিক অলঙ্করণ File:বড়দেশ্বরী মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি নবনির্মিত পাশে নবনির্মিত মন্দির File:বড়দেশ্বরী মন্দিরের সামনেই বিশাল একটি বর্ষীয়ান সামনেই বিশাল গাছ ==তথ্যসূত্র== জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা জেলার মন্দির'''চন্ডী মুড়া''' কুমিল্লা জেলা সদরে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি জেলা সদর থেকে কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ==অবকাঠামো== চন্ডী মুড়ার উচুঁ ঢিবির উপর অবস্থিত। মন্দিরের প্রবেশ পথে রয়েছে ১৪২টি সিঁড়ি। সিঁড়ির শেষ মাথায় মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথ। স্থানীয় জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধ রাজা দেব খড়গ তার স্ত্রী প্রতীভা দেবীর অনুরোধে তার স্মৃতিকে অমর করে রাখতে এখানে চন্ডী মন্দির এর পাশে আরও একটি শিব মন্দির নির্মাণ করেন। এর মধ্যে চন্ডী মন্দিরে স্বরসতী শিব মন্দিরে শিবকে স্থাপন করে দুজনের আলাদা আলাদা পূজা আর্চনা করা হত। বিভিন্ন উৎসবে মন্দির প্রাঙ্গণে মেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও মন্দিরের পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন যেগুলো ধর্মীয় আচার আলোচনার কাজে ব্যবহার করা হয়। মন্দিরে উঠার সিঁড়ির পাশে রয়েছে আরও একটি নট মন্দির। বর্তমানে মন্দিরে পূজা আর্চনার পাশাপাশি অনেক পর্যটকরা ভিড় জমান এর ঐতিহাসিক প্রাচীন ইতিহাসের কারনে। মন্দিরের গায়ে পাওয়া শিলালিপি থেকে অনেকেই ধারণা করে হিন্দু ধর্মের আভির্বাবেরও পূর্বে মন্দিরটি এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ==চিত্রশালা== Dome design, Chondimura.jpg চন্ডী মুড়া.jpg Door of chondi temple, Chondimura.jpg Dome of Chondimura temple.jpg Chondimura temple.jpg Pillar of the entrance of Chondimura.jpg == তথ্যসূত্র == স্থাপত্য জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা জেলার মন্দির'''নুনগোলা ঢিবি''' বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের হাসিলবাগ গ্রামে পীরপুকুর ঢিবি থেকে ২০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। == ইতিহাস == নুনগোলা মসজিদ বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯৪ সালে এই স্থানে খনন কাজ পরিচালনা করে একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পায়। গম্বুজটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। চারপাশের দেয়ালগুলো টিকে আছে নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত। ধারণা করা হয়, এটি ছিল একটি বাদশাহ-কি-তখত বা রাজকীয় গ্যালারি, যা পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত। === নামকরণ === ঢিবিটির পূর্ব দিকে নুনগোলা দিঘী নামে একটি বড় আয়তাকৃতির পুকুর রয়েছে। এই নুনগোলা দিঘীর জন্য ঢিবিটি নুনগোলা ঢিবি মসজিদটি নুনগোলা মসজিদ নামে পরিচিত। == অবকাঠামো == নুনগোলা ঢিবিটি বর্গাকৃতির। প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ২৩ মিটার। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে উন্মোচিত মসজিদটি বর্গাকৃতির। মসজিদটির প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ভিতরের দিকে ৬.৮০ মিটার এবং বাইরের দিকে ৯.১৮ মিটার। এটি বারোবাজারে আবিস্কৃত মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। পশ্চিমে দিকে কেবলা দেয়ালে তিনটি অর্ধ বৃত্তকার মেহরাব রয়েছে। মেহরাব তিনটি বিভিন্ন ফুল লতাপাতার নকশা দিয়ে সজ্জিত। মসজিদের বাইরের দিকে উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি কক্ষ রয়েছে। সম্ভবত মসজিদ নির্মাণের সময় কক্ষটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কক্ষের পশ্চিম দেয়ালে ২.০৫ মিটার চওড়া একটি দরজা রয়েছে। দেয়ালে শামুকের চিহ্ন বিদ্যমান। == চিত্রশালা == চিত্র:Jhenaidah NunGolaMoshjid 20Mar14 IMG মসজিদ চিত্র:Jhenaidah NunGolaMoshjid 20Mar14 IMG মসজিদ চিত্র:Jhenaidah NunGolaMoshjid 20Mar14 IMG মসজিদ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা'''সাত মঠ''' বাংলাদেশের ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার একটি প্রাচীন মঠ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। ==অবস্থান== এটি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলা শহরের পশ্চিমে বাঁশপাড়ায় অবস্থিত। এটি আট একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। ==বিবরন== ছাগলনাইয়ার হিন্দু জমিদার বিনোদ বিহারির বাড়িটি আট একর জায়গাজুড়ে নির্মিত। বর্তমান উপজেলা শহরের বাঁশপাড়ায় এর অবস্থান। বাড়ির পাশে রয়েছে সাতটি চিতা মন্দির। এজন্য এর নাম সাত মন্দির বাড়ি বা রাজবাড়ি বা সাত মঠ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। ১৯৪৮ সালের দিকে জমিদার বিনোদ বিহারি কলকাতা চলে যান। বাড়িটি রেখেই তিনি চলে যান। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে বসবাস করেন। এটি ফেনী জেলার প্রাচীন একটি মন্দির বা মঠ। == চিত্র প্রদর্শনী== Feni ShathMoth MG 3796.jpg| Feni ShathMoth MG 3800.jpg| Feni ShathMoth MG 3801.jpg| Feni ShathMoth MG 3803.jpg| ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ == জেলার মন্দির মঠ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা উপজেলা জেলার দর্শনীয় স্থান'''শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে''' বা '''শ্রী জয়েবর্ধেনেপুরা কোট্টে''' (এছাড়াও শুধু '''কোট্টে''' নামেও পরিচিত) হল শ্রীলঙ্কার প্রশাসনিক রাজধানী পরিকল্পিত নতুন শহর। পূর্বে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে ছিল, ১৯৮২ সালে কলম্বো থেকে শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে স্থানান্তর করা হয়। == ইতিহাস == == মিউনিসিপালিটি কাঠামো == ১৯৩০ এর দশকে রাজাগিরিয়ার একটি আধুনিক বিল্ডিংকে কেন্দ্র করে কোট্টে গ্রামীণ উন্নয়ন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটাই পরে কোট্টে আরবান কাউন্সিলে পরিনত হয়। ১৯৯৭ সালে কোট্টে আরবান কাউন্সিলকে শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে মিউনিসিপালিটি কাউন্সিলে রুপান্তরিত করা হয় এবং এর প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন চন্দ্র সিলভা। ===জোন সমূহ=== *পিটা কোট্টে *ইথুল কোট্টে *নাবালা *নুগেগোদা *রাজাগিরিয়া == জনসংখ্যা == কোট্টে হল এমন একটি শহর যা বহু জাতিগোষ্ঠী বহু ধর্মের লোকের মিলনস্থল। এখানে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ সিংহলী জাতিভভুক্ত সাথে তামিল, মুসলমান, মালয় এবং বারঘের মিশ্রিত (বেশিরভাগ মুসলমান ভারতীয় তামিলরা রাজাগিরিয়া এলাকায় বসবাস করে)। ==তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== University of Sri Jayawardenepura 1400-1565 A. শহর জনবহুল এলাকা রাজধানী(; ''তরঙ্গ বাহিত হচ্ছে'') ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মণি রত্নম পরিচালিত একটি তামিল চলচ্চিত্র। মাধবন এবং শালিনী অভিনীত এই চলচ্চিত্রে বিবাহিত জীবনের সমস্যার আলোকপাত করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন এ. আর. রহমান। চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ দৃশ্যতেই কেন্দ্রীয় চরিত্র কার্তিকের (মাধবন) এবং শক্তির (শালিনী) অতীতের কাহিনী দেখায়। কার্তিক এবং শক্তি (শালিনী) তাদের একে অপরের পিতামাতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করে এবং বিয়ে করে। ''আলাইপায়ুদে'' দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয় এবং সাধারণ মানুষের মনেও জায়গা করে নেয় এটির সুন্দর সঙ্গীত এবং ভালো কাহিনীর জন্যে। ২০০০ সালে তামিল বক্স অফিসে ব্যাপক হিট হয়েছিল আলাইপায়ুদে। ২০০১ সালে চলচ্চিত্রটি 'বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রিমিয়ার হয়। ভারতের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি প্রদর্শনী হওয়া ছাড়াও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এটির প্রদর্শনী হয়। চলচ্চত্রটি তেলুগু ভাষায় অনুবাদ করে 'সখী' নামে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ২০০২ সালে আলাইপায়ুদের হিন্দি পুনর্নির্মাণ ''সাথিয়া'' মুক্তি পায় যেটি পরিচালনা করেছিলেন মণি রত্নমের সাবেক সহকারী 'শাদ আলী' এবং ওখানে বিবেক ওবেরয় এবং রাণী মুখার্জী মাধবন এবং শালিনীর চরিত্রে পুনরায় অভিনয় করেন। ==বিষয়বস্তু== কার্তিক ভরদ্বাজন (মাধবন) ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক, সে তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি সফটওয়্যার কম্পানী খুলেছে কার্তিক একদিন তার এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে শক্তি সেলভারাজ (শালিনী) নামের একটি মেয়েকে দেখে পছন্দ করে ফেলে, মেয়েটি মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজে পড়ে তারা লোকাল ট্রেনে প্রায়ই মুখোমুখি হয় এবং শক্তি একসময় কার্তিককে একটু একটু পছন্দ করা শুরু করে কার্তিক তার পিতা-মাতাকে শক্তিদের বাসায় পাঠায় বিয়ে বিষয়ে আলাপ করার জন্য, তবে কার্তিকের মা-বাবার আচরণে শক্তির মা-বাবা ক্ষুব্ধ হয় এবং কার্তিকের মা-বাবা তাদের বাসা থেকে চলে যায় শক্তি কেরালা চলে যায়, আলাদা থাকার সময় শক্তি কার্তিক অনুধাবন করতে পারে যে তারা একে অপরকে কতটা ভালোবাসে কার্তিক এবং শালিনী গোপনে পরিবারের অমতে বিয়ে করে তবে শক্তি এবং কার্তিকের মা-বাবারা এই বিয়ে সম্বন্ধে জেনে ফেলে আর তাদেরকে একে অপরকে বাসায় ঢুকতে মানা করে কার্তিক-শালিনী আলাদা বসবাস করা শুরু করে, তবে তারা ধীরে ধীরে টের পেয়ে যায় যে সংসার চালানো কত কষ্টের চলচ্চিত্রের কাহিনী এভাবে এগোতে থাকে কার্তিক একসময় শক্তিকে পাত্তা না দেওয়া শুরু করে। শক্তি বড় ধরনের মানসিক আঘাত পায় আর একদিন রাস্তায় অন্যমনষ্ক হয়ে হাঁটার সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, কার্তিক হাসপাতালে যেয়ে তাকে তার ভালোবাসা প্রকাশ করে ==অভিনয়ে== *আর. মাধবন কার্তিক ভরদ্বাজন *শালিনী কুমার শক্তি সেলভারাজ *বিবেক শক্তির আত্মীয় *জয়সুধা শক্তির মাতা *স্বর্ণমাল্য পূর্ণি *অরবিন্দ স্বামী রাম (অতিথি চরিত্র) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== রোটেন টমেটোজে আলাইপায়ুদে ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র দশকের তামিল ভাষার চলচ্চিত্র'''রাষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞান কেন্দ্র''' (ইংরাজী: National Centre for Biological Sciences), সংক্ষেপে ব্যাঙ্গালোরএ অবস্থিত জীববিজ্ঞানএর গবেষণার জন্য বিশেষীকৃত একটি গবেষণা কেন্দ্র। কেন্দ্রটি ভারত সরকারএর পারমানবিক শক্তি বিভাগ (Department of Atomic Energy, DAE) এর অধীন টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ইংরাজী: '''Tata Institute of Fundamental Research'''), সংক্ষেপে TIFR-র এক অংশ। NCBS-র মূল মন্ত্র হল জীব বিজ্ঞানের অগ্রণী ক্ষেত্রসমূহের উচ্চস্তরীয় গবেষণা এবং অধ্যয়ন। কেন্দ্রীয় সংকায় সদস্যদের গবেষণার ক্ষেত্রসমূহ একক অণু(ইংরাজী: single molecule)র থেকে তন্ত্র জীববিজ্ঞান (ইংরাজী: systems biology) থেকে প্রধানতঃ চারটি বিভাগে বিভক্ত। এর পরও রাষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞান কেন্দ্র iBioর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার গবেষণা পদক্ষেপ বাড়ানোর জন্য অন্যান্য কয়েকটি উদ্যম, যেমন- চিকিৎসা এবং রোগ সম্পর্কীয় গবেষণার সহযোগিতা কার্যক্রমের পরিকল্পনা করেছে। কাণ্ড কোষ(ইংরাজী: stem cell)এর গবেষণা চলতে থাকা ভারতবর্ষের তিনট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞান কেন্দ্র অন্যতম। ==ইতিহাস== ১৯৯২ সালে গান্ধী কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ক্যাম্পাসের একাংশে রাষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞান কেন্দ্র স্থাপিত হয়৷ =গবেষণার ক্ষেত্র= জৈব-রসায়ন, এবং (Biochemistry, Biophysics, Bioinformatics) কোষবিজ্ঞান (Cellular Organisation Signalling) বংশতত্ত্ব বিজ্ঞান (Genetics Development) নিউরো-বায়োলজি (Neurobiology) জৈবপ্রক্রিয়া সম্পর্কীয় মডেলিং (Theory and Modelling of Biological Systems) তথা Ecology and Evolution) ==বিভিন্ন পাঠ্যক্রম== *পোস্ট ডক্টরাল পাঠ্যক্রম (POST DOCTORAL PROGRAM) *ডক্টরাল পাঠ্যক্রম (PhD PROGRAM) *INTEGRATED PhD PROGRAM *iBIO PROGRAM *MD-PhD PROGRAM স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম (MSc PROGRAM) ==তথ্য সংগ্রহ== শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''পূর্ব তিমুরের বিমানবন্দরের তালিকা''' হিসাবে এখানে পূর্ব তিমুরে অবস্থান অনুসারে (স্থানীয় ভাষায়ঃ তালিকা সন্নিবেশিত হলো। __TOC__ == বিমানবন্দরসমূহ == অবস্থিত শহর ICAO IATA বিমানবন্দরের নাম এ্যাটাউরো দ্বীপ WPAT AUT এ্যাটাউরো বিমানবন্দর বাউকাউ WPEC BCH কাক্যুঙ বিমানবন্দর দিলি WPDL DIL '''রাষ্ট্রপতি নিকোলাউ লোবাটো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর''' (কমোরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) ফুইলোরো WPFL এ্যাবিস্যু বিমানক্ষেত্র মালিয়ানা WPMN MPT মালিয়ানা বিমানবন্দর ওকোশি WPOC OEC ওকোশি বিমানবন্দর সুএ্যাই WPDB UAI '''সুএ্যাই বিমানবন্দর''' (কভালিমা বিমানবন্দর) ভিকিউকিউ WPVQ VIQ ভিকিউকিউ বিমানবন্দর '''বোল্ড''' করে লেখা বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাসমূহ সেবা প্রদাণ করে থাকে। == আরও দেখুন == পূর্ব তিমুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা == তথ্যসূত্র == Aeronautical Information Publication (AIP) from Timor-Leste Civil Aviation Department includes IATA codes Great Circle Mapper: East Timor IATA and ICAO codes World Aero Data: East Timor IATA codes তিমুরের বিমানবন্দর তিমুর সম্পর্কিত তালিকাগুয়াহাটীর নবগ্রহ মন্দির৷ চিত্র-সপ্তশ্রী চৌধুরী '''নবগ্রহ মন্দির''' অসমএর গুয়াহাটী মহানগরের চিত্রাচল পাহাড় (নবগ্রহ পাহাড়)এ অবস্থিত এক প্রাচীন মন্দির৷ এখানে সূর্যকে ধরে ন'টা গ্রহের শিলাচিহ্ন আছে৷ এখানে থাকা বিভিন্ন গ্রহের শিলাচিহ্নগুলি হল- সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল, রাহু, শনি, কেতু, বৃহস্পতি, বুধ এবং শুক্র৷ ==ইতিহাস== এই মন্দির অতি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যসম্পন্ন৷ নবগ্রহ মন্দিরের সঙ্গে অনেক কিংবদন্তি এবং জনশ্রুতি জড়িত হয়ে আছে৷ এই মন্দির কবে কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। এই মন্দিরের প্রাংগণে থাকা এক শিলালিপি অনুসারে ১৭৫২ সালে আহোম স্বর্গদেউ রাজেশ্বর সিংহ মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করিয়েছিলেন বলে জানা যায়৷ ১৮৯৭ সালের বিরাট ভূমিকম্পে এই মন্দিরটির বিস্তর ক্ষতি হয় এবং পরে ধর্মপ্রাণ রাজার সহযোগিতায় পুনর্নির্মাণ করা হয়৷ নবগ্রহ মন্দিরর মূল দেবতাসকল ==মন্দিরের কার্যপন্থা== মন্দিরে দৈনিক নবগ্রহের পূজা-পাঠ হওয়ার সঙ্গে প্রতি বছর মাঘ-ফাগুনের সংক্রান্তিতে মহা সমারোহে তিনদিন ধরে মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়৷ এই মন্দিরে কোনো বলি-বিধানের ব্যবস্থা নেই, যদিও ছাগল, হাঁস ইত্যাদি উৎসর্গ করার সাথে ব্যক্তিগত যাগ-যজ্ঞ হোম ইত্যাদি করা হয়৷ ==তথ্য সংগ্রহ== ==বাহ্যিক সংযোগ== আহরণ করা তারিখ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১ আহরণ করা তারিখ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১ মন্দির'''বুরখান খাল্ডুন''' (সিরিলিক ভাষায়: Бурхан Халдун) উত্তর-পূর্ব মঙ্গোলিয়ার খেন্টাই অঞ্চলের একটি খেন্টাই পর্বত। পর্বতটিকে বা এই স্থানকে চেঙ্গিস খানের জন্মস্থান বলে ধারণা করা হয় এবং এখানেই তার সমাধিস্থল অবস্থিত। এই স্থানে অন্য একজন বিখ্যাত বীর সাবুতাইয়ের জন্মস্থান। পর্বতটি ১৯৯২ সালে প্ৰতিষ্ঠিত এলাকাটি খান খেন্টাই কঠোরভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলের একটি অংশ। যদিও চেঙ্গিস খানের পূৰ্বেও পর্বতটিকে পবিত্ৰ মনে করা হত, চেঙ্গিস খান এই পর্বতটিকে মঙ্গোলিয়ার সবথেকে পবিত্ৰ পৰ্বত আখ্যা দেয়ার পর এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। জুলাই ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে এই পৰ্বতকে "মহান বুরখান খাল্ডুন পৰ্বত এবং চারপাশের পবিত্ৰ পরিবেশ" উপাধিতে ঘোষণা করে। ১৯৫৫ সালে পর্বতটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা করা হয় এবং সেই সাথে পর্বতটিকে রাষ্ট্ৰীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই স্থানের অনন্য জৈববৈচিত্র্য মধ্য এশিয়া প্রান্তের উদ্ভিদজগতের সাথে মিশ্রিত। এমনকি ৫০ প্ৰজাতির প্রানী এবং ২৫৩ প্ৰজাতির পাখি নিয়ে অনন্য। == অবস্থান == বুরখান খাল্ডুন উত্তর-পূর্ব মঙ্গোলিয়ার খেন্টাই পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত। পর্বতটি ১৯৯২ সালে প্ৰতিষ্ঠিত এলাকাটি খান খেন্টাই কঠোরভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলের একটি অংশ। == ভূগোল == বুরখান খাল্ডুন অৰ্থ ঈশ্বর পৰ্বত (সিরিলিক ভাষায়) এবং এই পৰ্বতকে খেন্টাই পর্বত খান (অৰ্থাৎ খেন্টাই পর্বতশৃঙ্গের রাজা) বলা হয়। এটি উত্তর-পূর্ব মঙ্গোলিয়ার খেন্টাই অঞ্চলের একটি খেন্টাই পর্বতের অন্যতম। এই অঞ্চলটি সর্বোচ্চ পৰ্বতসমূহের অন্যতম, যার উচ্চতা এবং পৰ্বতটির আকার বাঁকানো। এই পৰ্বত থেকে অনেক নদী বয়ে গেছেঃ অনন এবং খেরলেন নদী আমুরে পতিত হয়, যা গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে; এবং টূল, খারা এবং ইয়েরু নদী উত্তরমুখী হয়ে সেলেংগে নদী|সেলেংগেতে মিশেছে, যা পরবর্তীতে গিয়ে আর্কটিক মহাসাগরে নিঃশেষ হয়েছে। এই স্থানের অনন্য জীববৈচিত্র্যর কারণে এই অঞ্চলকে "সাইবেরিয়ান চিরহিমায়িত ভূমি থেকে বৃহৎ তৃণভূমি পর্যন্ত পরিবৰ্তন অঞ্চল" হিসেবে সঙ্গায়িত করা হয়। ==ইতিহাস== চেঙ্গিস খান মেরকিট (মঙ্গোলদের একটা প্রধান উপজাতীয় সংঘ (''খাংলিং''))এর সাথে যুদ্ধে পরাজিত হন এবং বুরখান খাল্ডুন পৰ্বতের পবিত্ৰ পরিপার্শ্বের মধ্যে আশ্রয় নিয়ে মৃত্যু থেকে রক্কা পান। একজন বৃদ্ধ মহিলা এবং আরো কয়েক জন তাকে রক্ষা করে। ==বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান== জুলাই ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে এই পৰ্বতকে "মহান বুরখান খাল্ডুন পৰ্বত এবং চারপাশের পবিত্ৰ পরিবেশ" নামে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৩৯তম অধিবেশনে ঘোষণা করা হয়, যা এলাকা জুড়ে ছিল এবং অতিরিক্ত তার সাথে অন্তর্ভুক্ত ছিল, বিগত কয়েক সহস্রাব্দ ধরে চলে আসা অনন্য পৰ্বত পূজা এবং প্ৰকৃতি পূজার সাংস্কৃতিক পরম্পরার জন্য চতুৰ্থ শ্রেণীতে এবং ঐতিহাসিক এবং সাহিত্যিক মহাকাব্যে বিশাল গুরুত্বের পরিচিতির জন্যে ষষ্ঠ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ==ধর্মীয় তাৎপর্য== একটি অভো এই পর্বতটির একটি আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে যা মঙ্গোলিয়ার অন্য কোন পর্বতের ক্ষেত্রে দেখা যায় না, এবং "মঙ্গোলিয়ার যাযাবর লোকদের জীবন যাত্রার ঐতিহ্য এবং প্রথাগত পদ্ধতি"কে পূর্ণভাবে প্রতিনিধিত্ব করে মঙ্গোলিয়ার জাতিসত্বার “দোলনা” প্রতীকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ==উদ্ভিদজগত== এই পর্বতে যেসব উদ্ভিদ পাওয়া যায় তামধ্য এশিয়া তৃনভূমির অন্তর্গত এবং তাইগা সরলবর্গীয় বনাঞ্চলের দ্বারা গঠিত। মঙ্গোলিয়ান লাল বইয়ে ২৮ টি উদ্ভিদ প্রজাতি লিপিবদ্ধ হয়েছে, ১৫ টি খুবই বিরল প্রজাতি, এবং ২৮ টি বিরল প্রজাতি। আইইউসিএন লাল তালিকায় যেসব উদ্ভিদ লিপিবদ্ধ হয়েছে সেগুলো এখানে পাওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে: টি মারাত্মকভাবে বিপন্ন প্রজাতি, ৪টি বিপন্ন প্রজাতি এবং ৮টি ক্ষতির সম্মুখীন প্রজাতি। ==প্রানীজগত== খেন্টাই জেলার বুরখান খাল্ডুন পর্বতের প্রানী ভৌগলিক অঞ্চলে "ছয়টি বর্গের ২৭ টি গণের ৫০ প্রজাতির বেশি রয়েছে, প্রজাতির হাইমেনপেট্রা, চার প্রজাতির ল্যাগোমরফা, ১৯ প্রজাতির তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণী, ১৩ প্রজাতির শিকারি, পাঁচ প্রজাতির খরওয়ালা প্রাণী, এক প্রজাতির সরীসৃপ, এবং ২৫৩ প্রজাতির পাখি বিদ্যমান। ==তথ্যসূত্র== ==পাঠ্যপুস্তক== ==বহিঃসংযোগ== Doncroner.com Unesco.org পর্বত প্রদেশসম্পর্ক''' হল ইন্দোনেশিয়া এবং কাতারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। দুটি দেশেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। ইন্দোনেশিয়া বৃহত্তম দেশ। দোহায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস রয়েছে। পক্ষান্তরে জাকার্তায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস। দুটি দেশই ওআইসির সদস্যরাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়া কাতার উল্লেখজনক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষরকৃত ক্ষেত্রেগুলোর মধ্যে বিমানপথে যোগাযোগ, পর্যটন এবং কৃষিখাতের সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য। == উচ্চক্ষেত্রের সফর == তেল প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্ভারের কারণে কাতার পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি। ইন্দোনেশিয় রাষ্ট্রপতি সুশিলো ব্যাম্বাং ইউধন্য দোহায় ২০০৬ সালে প্রথম সফর করেন। সফরের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ইন্দোনেশিয়ায় কাতারের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি ২০০৯ সালে জাকার্তায় সফর করেন। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বালি ডেমোক্রেসি ফোরাম চলাকালীন কাতারের প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন জসিম বিন জাবের আল থানি আবারও ইউধন্যর সাথে সাক্ষাৎ করেন। == বাণিজ্য বিনিয়োগ == ২০১১ সালে দুইদেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৮৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, ২০১০ সালের চেয়ে যা ছিল ৫.২% বেশি। বাণিজ্যের পরিমাণ কাতারের পক্ষেই ছিল, বছরের পর বছর ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকার ফলে। এর কারণ ছিল দুটি; প্রথমত ইন্দোনেশিয় পণ্যের চাহিদা তৈরি করার মত জনসংখ্যা বা আঞ্চলিক অবস্থা কোনোটাই কাতারের নেই। দ্বিতীয়ত ইন্দোনেশিয়ার ক্রমবর্ধিষ্ণু তেলের চাহিদা, যা তাদের অধিক পরিমাণে তেল আমদানি করতে বাধ্য করে। ইন্দোনেশিয়া কাতারে যেসকল পণ্য রপ্তানি করে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফার্নিচার, অফিসসম্পর্কিত সামগ্রি, কাগজ, ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রি এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য। কাতারের বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ইন্দোনেশিয়া। ২০১০ সালের মে মাসে কাতার হোল্ডিংস নামক কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির একটি সংগঠন বিলিয়ন ইউএস ডলারের একটি ইন্দোনেশিয় ফান্ড গড়ে তোলে। ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ কোম্পানি পিটি ইন্দোসাত এর ৬৫ শতাংশের অংশীদার কিউটেল নামক একটি কাতারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ইন্দোনেশিয়ার বেশকিছু কোম্পানি কাতারে বিনিয়োগ করেছে, তার সবই মূলত তেলসম্পর্কিত। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পিটি পারটামিনাও রয়েছে, যা কাতারের নং সেক্টরের তেলক্ষেত্র এবং গ্যাসব্লক পরিচালনা করে থাকে। == অভিবাসী কর্মকর্তা == বর্তমানে কাতারে প্রায় ৪০ হাজার ইন্দোনেশিয় কর্মকর্তা রয়েছে। তাদের কেউ কেউ তেলখাতে কাজ করে, আবার কেউ গৃহকর্মী হিসেবেও কাজ করে। কাতার ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাদের নিয়ে থাকে, বিশেষত তেলক্ষেত্রে এবং সেবিকা হিসেবে। ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিক মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, ২০১৪ সালের শুরুর দিকে কাতার কর্মস্থলের হাজারের মত শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে লোক নেয়। তারা কাজ খুঁজে পায় তেল গ্যাস শিল্পক্ষেত্রে, হোটেল পর্যটনশিল্পে, নির্মাণশিল্পে এবং সেবিকা হিসেবে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == দোহা, কাতারে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত কাতার দূতাবাস সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক'''সৌদি আরবের সামরিক বাহিনী ''' () হলো রাজকীয় সৌদি আরব বিমান প্রতিরক্ষা রাজকীয় সৌদি আরব নৌ প্রতিরক্ষা বাহিনী,রাজকীয় সৌদি আরব বিমান বাহিনী রাজকীয় সৌদি আরব সেনাবাহিনী সমন্বয়ে সেদি আরবের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Ministry of Defense and Aviation, official website Royal Saudi Land Forces, official website Saudi Arabian National Guard, official website Strategic Missiles Force, official website General Intelligence Presidency, official website The Royal Saudi Air Force Paper Tiger, Minus the Tiger বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী সামরিক বাহিনী'''কুসুম দোলা''' (ইংরেজি: Dangle Yolk) স্টার জলসায় সম্প্রচারিত একটি জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক।১২ এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক, মধুমিতা সরকার সহ আরো অনেকে। == কাহিনী == ইমন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তার কন্যা। অন্য গ্রাম থেকে পুলিশের নতুন পদে যোগ দিতে এসেছিল। নতুন পুলিশ হিসেবে গ্রামের লোকজন থেকে সম্বর্ধনা পেল। এক সন্ত্রাসি হামলায় ইমন এর বাবাকে মেরে ফেলল।ইমন খুব বিপদে পড়ল। কি করবে বুঝে উঠতে পারল না। গল্পটা তিন জন চরিত্র ইমন রণজয় আর রূপকথার জীবন নিয়ে গড়ে উঠেছে যারা জীবনের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত এর মধ্যে দিয়ে চলছে। এক পর্যায়ে ইমন এতিম হয়ে যায়। সে রণজয় কে বিবাহ করে। ==অভিনয়ে== মধুমিতা সরকার ইমন ঋষি কৌশিক রনো অপরাজিতা ঘোষ দাস রুপকথা ==বিশেষ== বাংলা টেলিভিশন নাটকের ইতিহাসে কুসুম দোলা হচ্ছে প্রথম নাটক যেটি প্রচার হবার আগেই উইকি পেজ তৈরি করা হয়েছিল == তথ্যসূত্র== ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক জলসায় প্রচারিত ধারাবাহিকসম্পর্ক''' হল আলজেরিয়া এবং সাইপ্রাস রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। আলজেরিয়া, বৈরুতে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে সাইপ্রাসে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করছে, আর ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে সাইপ্রাসে আলজেরিয়া নিজেদের প্রতিনিধিত্ব করছে। উভয় দেশই ভূমধ্যসাগর সংঘের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। ==আনুষ্ঠানিক বৈঠক== ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে সাইপ্রাসে নিযুক্ত আলজেরিয়ার বৈরুত-ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম বেনাউদা হাসি সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি তাসোস পাপাদোপাউলোসের কাছে নিজের বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার সময় জানায় যে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবিদেলআজিজ বৌতেফ্লিকা আলজেরিয়া এবং সাইপ্রাসের মধ্যকার সম্পর্ক জোরালো করণে তার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে সাইপ্রাসের রাষ্ট্রদূত মিনাস হাজিমিশেল আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবদেলআজিজ বৌতেফ্লিকার কাছে নিজের বৃত্তান্ত জমা দেন। তিনি সাইপ্রাসে জাতিসংঘ-ঘোষিত কাঠামো এবং জোটনিরপেক্ষ কার্যক্রম পরিচালনায় আলজেরিয়ার সহায়তার জন্য তাকে ধন্যবাদ দেন, এবং সেইসাথে দ্বিপাক্ষিক বন্ধন আরো সুদৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেন। আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বলেন যে তিনি দুইদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে খুবই আনন্দিত, তবে তিনি এও জানান যে তার দেশ প্রজাতন্ত্রী সাইপ্রাসের পুনঃএকত্রীকরণের পক্ষে। তিনি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরো বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। ইউএন রেজোল্যুশন অনুযায়ী সাইপ্রাসের পুনঃএকত্রীকরণে আলজেরিয়া অনবরত সমর্থন দিয়ে গেছে। ২০০৫ সালের এপ্রিলে তুরস্কের আব্দুল্লাহ গালের সাথে রাষ্ট্রপতি বৌতেফ্লিকার সাক্ষাৎ হয়। বৌতেফ্লিকা জানায় যে তিনি সাইপ্রাস সমস্যায় তুরস্ককে সমর্থন করছেন এবং সমস্যার সমাধানে যা করা উচিত বলে মনে করা হয়, তার সব তুরস্ক করছে। ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে আলজেরিয়ার তার গ্রীক সাইপ্রিয়ট মিত্রের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলজেরিয়ার সাইপ্রাসে সফর করেন। ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি গ্লাফকস ক্লেরিডেস আলজেরিয়ার নতুর রাষ্ট্রদূত আহমেদ বৌদেহরির কাছ থেকে বৃত্তান্ত গ্রহণ করেন। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাইপ্রিয়ট রাষ্ট্রপতি আলজেরিয়া, সেনেগাল এবং কুয়েতের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা আঞ্চলিক বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন। ==চুক্তি, বাণিজ্য বিনিয়োগ== সাইপ্রাস এবং আলজেরিয়া নানাবিধ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে আলজেরিয়া এবং সাপ্রাইস দুই দেশের মধ্যকার সামুদ্রিক বিনিময়ের একটি কাঠামোর ব্যাপারে মতৈক্যে পৌছান। জাহাজের মুক্ত চলাচলের উপর বাধানিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয় এবং বন্দরে উভয়দেশের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়েও আলোচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে আলজেরিয়া এবং সাইপ্রাস দুইদেশের মধ্যকার আকাশপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সঠিক কাঠামো নির্মাণের ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০০ সালের জুলাইয়ে আলজেরিয় সংবাদদাতা প্রতিষ্ঠান এপিএস সাইপ্রাসের সংবাদদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে; যার মাধ্যমে ইংরেজি সংবাদ এবং ধারণকৃত চিত্রসমূহ বিনিময় করা যাবে। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে আলজেরিয় ফার্ম সোনাট্র্যাক এবং সাইপ্রাসের তেল কোম্পানি ম্যাডেক্স পেট্রোলিয়াম দক্ষিণ-পূর্ব আলজেরিয়ার ইলিজি অববাহিকার বোর্জ ওমর ইদ্রিসের উত্তরে তেল সন্ধানের ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সাইপ্রাসের দ্বীপপুঞ্জের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন থেকে খনিজ তেল গ্যাস আহরণের এক অনন্য সহযোগী হিসেবে আলজেরিয়া দেখছে সাইপ্রাস। অন্যান্য সহযোগী হিসেবে লিবিয়া, রাশিয়া রয়েছে। চুক্তির সম্পূর্ণ অংশ এখনও পাবলিক ডোমেইনে দেওয়া হয়নি। ==তথ্যসূত্র== == আরো দেখুন == আলজেরিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক সাইপ্রাসের বৈদেশিক সম্পর্ক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কএটি হল উত্তর কোরিয়ার একটি সার্বজনীন ছুটির তালিকা।আরো দেখুন কোরীয় বর্ষপঞ্জী তাদের ঐতিহ্যবাহী ছুটি সমূহের তালিকা সম্পর্কে জানতে। == ইতিহাস == অতীতে উত্তর কোরিয়া ছুটির দিনগুলোতে সরকার কতৃক প্রদত্ত রেশন এর ওপর নির্ভরশীল ছিল। সম্প্রতি বানিজ্যিকরন এর ফলে মানুষ তাদের অর্থ সংরক্ষন দ্রব্য ক্রয় করতে সক্ষম হয়।. == তালিকা == ১ম লুনার মাসের ১৫তম দিন তারিখ বাংলা নাম তাৎপর্য মন্তব্য স্থানীয় নাম ১লা জানুয়ারি ''' নববর্ষ''' জর্জিয় বছরের প্রথম দিন পালন। ১৫ই জানুয়ারি '''হাঙ্গুল দিবস''' কোরীয় ভাষার নিজেস্ব বা স্থানীয় বর্ণমালা হিসেবে হাঙ্গুল এর উদ্ভাবন (১৪৪৩) প্রচার(১৪৪৬)এর ফলে এই দিনটি পালন করা হয়।রাজা সেজোং, এই লিপির উদ্ভাবক কোরীয় ইতিহাসের একজন সম্মানিত শাষক ছিলেন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি '''জেনারালিসিমো দিবস''' এইদিনে কিম জং "জেনারালিসিমো" খেতাব অর্জন করে এবং গনতান্ত্রিক কোরিয়ার প্রধান সেনাপতি হন(২০১২). ১৬ই ফেব্রুয়ারি '''Day of the Shining Star (ko)''' কিম জং এর জন্মদিন ২রা মার্চ '''বৃক্ষরোপণ দিবস''' সারাদেশব্যপী বৃক্ষরোপণ করা হয়। ৮ই মার্চ '''আন্তর্জাতিক নারী দিবস''' ১২তম লুনার মাসের শেষ দিন '''সেওটডাল জিউমিয়াম''' কোরীয় বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী কোরীয় নববর্ষ। ১ম লুনার মাসের ১ম দিন '''সিউলাল''' কোরীয় নববর্ষ, কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী দিন ১৫ই এপ্রিল '''সুর্য দিবস''' কিম ইল-সাং এর জন্মদিন। দিন 태양절 ২১ শে এপ্রিল '''কাং পান সক এর জন্মদিন''' কিম ইল-সাং এর মায়ের জন্মদিন উৎযাপন ২৫শে এপ্রিল ''' সামরিক ভিত্তি দিবস''' কিম ইল-সাং তার গেরিলা বাহিনী প্রতিষ্ঠা ককরেন ৮ই ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ সালে যাকে কোরিয়ার পিপলস আর্মি বলা হয়। 인민군 창건일 ১ম লুনার মাসের ১৫তম দিন '''দেবরিয়াম''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১ম লুনার মাসের ১ম দিন কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৩য় লুনার মাসের ৩য় দিন কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী শীত শুরুর ১০৫ তম দিন '''হান্সিক''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৪র্থ লুনার মাসের ৮ম দিন '''ছপেইল''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১লা মে শ্রমিক দিবস শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সামাজিক অর্জনকে উৎযাপন ৬ই জুন '''কোরীয় শিশু সংগঠন দিবস''' ১৯৪৬ সালের কোরীয় শিশু সংগঠন এর শুরু উৎযাপন ৫ম লুনার মাসের ৫ম দিন '''সুরিনাল''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী জুলাই '''সেনাবাহিনী দিবস''' একটি নতুন বন্ধের দিন তৈরী হয় ২৪শে জুন ২০১৬ সালে অর্ডিন্যান্স নং.১১৭৭ এর দ্বারা।কোরীয় পিপলস আর্মি এর ভিত্তি উদ্বোধন (৩রা জুলাই ১৯৯৯ সালে) উৎযাপন ২৭শে জুলাই '''মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ''' কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তি ১৯৫৩ সালে। 조국해방전쟁 승리 기념일 ১৫ই আগষ্ট '''স্বাধীনতা দিবস''' ১৯৪৫ সালে কোরিয়ার মুক্তির পর প্রতিষ্ঠিত 조국해방기념일 ২৫শে আগষ্ট '''সংগুন এর দিন''' একটি নতুন বন্ধের দিন যা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এই দিনে কিম ইল-জং সিউল রিউ ক্যং শু রক্ষক দের পর্যবেক্ষণ করেন যারা কোরীয় পিপলস আর্মির ১০৫তম বিভাগ। তাদেরকে সবসময় "সংগুন এর শুরুর বিপ্লবিক নেতৃত্ব" বলা হয় তাদের সরকারের দ্বারা 광명성절 ৯ঈ সেপ্টেম্বর '''প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দিবস''' ১৯৪৮ সালে কোরিয়ার প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে উৎযাপন 인민정권 창건일 ৬ষ্ঠ লুনার মাসের ১৫তম দিন '''য়ুদু''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৭ম লুনার মাসের ৭ম দিন '''ছিলসেওক''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৭ম লুনার মাসের ১৫তম দিন '''বেকজাং''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৮ম লুনার মাসের ১৫তম দিন '''হাংগাওই''' কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১০ অক্টবর '''পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবস''' ১৯৪৫ সালে কোরিয় ওয়াকার্স পার্টি প্রতিষ্ঠা। 노동당 창건일 ৯ম লুনার মাসের ৯ম দিন কোরীয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী নভেম্বর এর ২য় রবিবার মাতৃ দিবস সকল মাদের প্রতি সম্মান রেখে ২০১২ সাল হতে পালিত ২০শে ডিসেম্বর '''ডংজি''' শীতের আগমন,কোরিয় বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী। ২৪শে ডিসেম্বর '''কিম জং-সুক এর জন্মদিন''' কিম জং-ইল এর মায়ের জন্মদিন উৎযাপন ২৭শে ডিসেম্বর '''সংবিধান দিবস''' ১৯৯৮ সালে উত্তর কোরিয়ার সংবিধান ঘোষনা ৩১ শে ডিসেম্বর '''নতুন বছরের সূচনা''' জর্জীয় বর্ষের শেষ উৎযাপন। == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুসারে সরকারি ছুটির দিন'''টাইগার হপ্পার''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Ochus subvittatus (Moore)'') এক প্রজাতির ছোট আকারের প্রজাপতি যার শরীর ডানা বাদামী রঙের। এরা ‘হেসপেরায়িডি’ গোত্রের এবং 'হেসপেরায়িনি' উপগোত্রের সদস্য। == আকার == টাইগার হপ্পার এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ২২-২৫মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। == উপপ্রজাতি == ভারতে প্রাপ্ত টাইগার হপ্পার এর উপপ্রজাতিসমূহ হল- ''Ochus subvittatus subradiatus'' Moore, 1878 Khasi Tiger Hopper == বিস্তার == ভারতে সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ, ভুটান, নেপাল, মায়ানমার এর বিভিন্ন অঞ্চলে এদের দেখা যায়। == বর্ণনা == প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:- টাইগার হপ্পার এর ডানার উপরিতল কালচে অথবা কালচে বাদামী, এক বা একাধিক উজ্জ্বল হলুদ ডোরা বা দাগ এবং কালচে শিরা যুক্ত। সামনের ডানার নিম্ন পৃষ্ঠ কালচে বাদামি। কোস্টাল অংশে, বেস থেকে টার্মেন অবধি বিস্তৃত উজ্জ্বল হলুদ দাগ বর্তমান। পিছনের ডানার নিম্নতল মূলতঃ হলুদ বর্ণের যাতে কালচে বাদামি অথবা কালচে দাগ এবং ডানার প্রান্তশেষ বরাবর কালো অথবা কালচে বাদামী ছোপ চোখে পড়ে। == চিত্রশালা == == তথ্যসূত্র == প্রজাপতি প্রাপ্ত হেসপেরায়িডি গোত্রের প্রজাপতি'''আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল''' (秋田県? ''আকিতা কেন্‌'') হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর তোওহোকু অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এর রাজধানী আকিতা নগর। == ইতিহাস == দুই প্রাচীন প্রদেশ দেওয়া মুৎসুর অংশবিশেষ নিয়ে বর্তমান আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়েছে। পূর্বে অবস্থিত ওওউ দেওয়া পর্বতমালা দ্বারা দেশের বাণিজ্য, রাজনীতি ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন আকিতা ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মূলত শিকারী-জোগাড়ে যাযাবর জনগোষ্ঠীর বাসস্থান ছিল। বর্তমান আকিতা অঞ্চলের প্রথম ঐতিহাসিক উল্লেখ পাওয়া যায় ৬৫৮ খ্রিঃ, যখন হিরাফু বংশের আবে অথবা আবে নো হিরাফু বর্তমান আকিতা নোশিরো নগর অঞ্চলে স্থানীয় এযো উপজাতির উপর প্রভুত্ব কায়েম করেন। তৎকালীন কোশি প্রদেশের শাসক হিরাফু মোগামি নদীর পাড়ে এক দুর্গ নির্মাণ করে এখানে জাপানি জাতির প্রথম জনপদ গড়ে তোলেন। ৭৩৩ খ্রিঃ বর্তমান আকিতা নগরের তাকাশিমিযু অংশে একটি নতুন সামরিক ঘাঁটি নির্মিত হয় এবং উন্নত সড়ক পরিকাঠামো বানানো হতে থাকে। পরবর্তীতে এই ঘাঁটিরই নাম হয় আকিতা দুর্গ। হোনশু দ্বীপের উত্তর অংশ থেকে স্থানীয় এযো উপজাতিকে সমূলে উৎখাত করার সময় এই অঞ্চলকে জাপান সাম্রাজ্যের মূল ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আকিতা দুর্গের মালিকানা বহুবার হস্তান্তরিত হয়। তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের আমলে এটিকে সাতাকে পরিবারের জিম্মায় অর্পণ করা হয়। এই পরিবার ২৬০ বছর ধরে আকিতার শাসক থাকে এবং এদের হাতে আকিতার কৃষি খনিজ সম্পদ উত্তোলন ব্যবস্থার উন্নতি হয়। এখনও অবধি এই দুটি ক্ষেত্রই আকিতার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তোকুগাওয়া আমল পর্যন্ত অঞ্চলটি দেওয়া প্রদেশের অংশ হিসেবে গণ্য হত। ১৮৭১ খ্রিঃ মেইজি পুনর্গঠনের সময় দেওয়া প্রদেশের পুনর্বিন্যাস হয়। পুরোনো দাইমিয়ো খামারগুলি বাজেয়াপ্ত করে প্রশাসনিক সংস্কার হয়। ফলে বর্তমান নাম সমেত আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের সৃষ্টি হয়। হেইয়ান যুগের বিখ্যাত ওয়াকা কবি ওনো নো কোমাচি আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত য়ুযাওয়া নগরে জন্মেছিলেন বলে কথিত আছে। == ভূগোল == ওগা উপদ্বীপে সুর্যাস্ত হোনশু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের পশ্চিমে রয়েছে জাপান সাগরের উপকূল এবং অন্য তিন দিকে রয়েছে অন্য চারটি প্রশাসনিক অঞ্চলের সীমানা: উত্তরে আওমোরি, পূর্বে ইওয়াতে, দক্ষিণ-পূর্বে মিয়াগি এবং দক্ষিণে য়ামাগাতা। আকিতা আয়তাকার; এর বিস্তৃতি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৮১ কিমি এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১১১ কিমি। ওওউ পর্বত এর পূর্ব সীমা নির্দেশ করে এবং উচ্চতর দেওয়া পর্বত তার সমান্তরালভাবে কিছুটা পশ্চিমে অর্থাৎ প্রশাসনিক অঞ্চলের মাঝ বরাবর বিস্তৃত। আকিতার উপকূলের এক বিশেষ অংশ হল ওগা উপদ্বীপ। == তথ্যসূত্র == প্রশাসনিক অঞ্চল'''বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম''' () (Arabic: درة الملاعب সৌদি আরবের প্রধান বৃহত্তম স্টেডিয়াম। সৌদি আরবের স্টেডিয়াম সমূহের মধ্যে মুক্তা হিসেবে পরিচিত। মূলত এখানে এখন ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এখানে এথলেটিক খেলার সুযোগ সুবিধাও আছে। ==নামকরণ== সৌদি বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ এর সম্মানার্থে এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়। == প্রাথমিক কথা == বাদশা ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর দর্শকধারন ক্ষমতা ৬৮,৭৫২ জন। স্টেডিয়ামটি দৈর্ঘে ১১৬ গজ এবং প্রস্থে ৭৪ গজ। এই স্টেডিয়ামের ছাদ পৃথিবীর দীর্ঘতম ছাদগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৮৯ সালের ফিফা যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচসহ বেশ কয়েকটি খেলার ভেণ্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো এটি। কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কে ''FIFA 13'', ''FIFA 14'', ''FIFA 15'' ,'' FIFA 16 এবং '' FIFA 17 এর মত ভিডিও গেমে যুক্ত করা আছে। স্টেডিয়ামটি বানাতে মোট খরচ হয়েছিলো ৫১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। == অবকাঠামো == স্টেডিয়ামের ছাদ ৪৭,০০০ বর্গফুট এলাকা ধারণ করে আছে। ২৪৭ মিটার ব্যাসের ২৪ টি স্তম্ভ বৃত্তাকারে স্থাপন করে এর ভারবহন করা হয়। বিশাল ছাতা স্টেডিয়ামের বসার জায়গায় সূর্যের আলো পড়তে দেয় না। এখানে সর্বপ্রথম মাজেদ আব্দুল্লাহ গোল করেন। এখানে একটি রাজকীয় ব্যালকনী বানানো হয়েছিলো যেখানে দাঁড়িয়ে বাদশাহ ফাহাদ খেলা দেখতেন। এই মনোরম স্টেডিয়ামের স্থপতি হলেন মাইকেল কে সি চিয়াহ। ==গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন== ===ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ=== ১৯৯২, ১৯৯৫ এর কিং ফাহাদ কাপ (যা পরবর্তীতে ফিফা কনফেডারেশন কাপ নামাঙ্কিত হয় ১৯৯৭ এর কনফেডারেশন কাপ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। == আরো দেখুন == সৌদি আরব ==তথ্যসূত্র== স্টেডিয়াম আরবের ফুটবল মাঠ ভবন স্থাপনা আরবের খেলাধুলাবর্ণের লিখন চিত্র '''কপিরাইটের চিহ্নে বর্ণ''' '''C''' (সি) লাতিন বর্ণমালার তৃতীয় বর্ণ। ইংরেজী ভাষায় বর্ণটির উচ্চারণ ''cee'' )। == ইতিহাস == আরবী''ǧīm'' হিব্রু''gimel'' গ্রীক ''Gamma'' ইটুরিয়ানC সনাতন ল্যাটিন (G) Phoenician gimel Arabic Gim Hebrew gimel Greek Gamma Etruscan Old Latin "C" বর্ণের উদ্ভব সেমেটিক gimel বা "G" থেকে ধারনা করা হয় প্রতীকটি মিশরীয় চিত্রলিপি থেকে নেওয়া হয়েছে কেউ কেউ বলেন সেমেটিক gimel অর্থ উট এই gimel এর চিত্রলিপি উটের মাথা এবং ঘাড়ের মত বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে == প্রতিলিপিকরণে ব্যবহার == ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ⟨c⟩ এর উচ্চারন ভিন্নতা == অন্যান্য ব্যবহার == রোমান সংখ্যায় দিয়ে ১০০ বোঝায় দিয়ে রাসায়নিক মৌল কার্বণ কে প্রকাশ করা হয় == সম্পর্কযুক্ত বর্ণ == === পূর্ব উদ্ভব === সেমেটিক বর্ণ Gimel,যা থেকে নিম্নোক্ত বর্ণ এসেছে ** গ্রীক বর্ণ Gamma,রএখান থেকে এসছে *** ল্যাটিন বর্ণ G, যা ল্যাটিন থেকে এসেছে সম্পর্কীয় ধ্বনীতাত্ত্বিক শব্দ ** ** প্রাসারিত কিছু বৈশিষ্ট্যসূচক প্রতীক C̈ c̈ === চিহ্ন এবং প্রতীক === কপিরাইট প্রতীক ডিগ্রী সেলসিয়াস সেন্ট কোলন (মুদ্রা) ব্রাজিলিয়ান কুজেরিও (মুদ্রা) ঘানার মুদ্রা ইউরোপিয়ান মুদ্রার একক CE দ্বৈত কালোবর্ন == কম্পিউটার কোড == এছাড়াও DOS, উইন্ডোজ, আইএসও-৮৮৫৯ এবং এনকোডিংগুলির ম্যাকিনটোশ পরিবারসহ আসকি ভিত্তিক এনকোডিংগুলির জন্য। == অন্যান্য উপস্থাপনা == ==তথ্যসূত্র== মৌলিক লাতিন অক্ষরসমূহ'''গামাচ্চি বিথানাগে হাসিনি মাদুশিকা পেরেরা''' (জন্ম: ২৭ জুন, ১৯৯৫) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা শ্রীলঙ্কান প্রমিলা ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। এছাড়াও, '''হাসিনি পেরেরা''' দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। একদিনের আন্তর্জাতিক টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশ নিচ্ছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে কম্বাইন্ড প্রভিন্স উইম্যান, পালিঙ্ক স্পোর্টস ক্লাব উইম্যান, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট উইম্যান’স একাদশে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে ডানহাতে মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং করেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে সিলেটে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে টি২০আইয়ের অভিষেক হয় তার। একই বছরের ১৫ অক্টোবর কলম্বোয় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেক ঘটে। মে, ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ সিরিজে উদেশিকা প্রবোধ্যানি’র সাথে ১৪ সদস্যের দলে ঠাঁই হয় তার। তারা যথাক্রমে প্রসাদানি বীরাক্কোডি সান্দুনি আবেবিক্রেমা’র স্থলাভিষিক্ত হন। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের মহিলাদের টুয়েন্টি২০ এশিয়া কাপে খেলার জন্য তাকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রতিযোগিতার দশম খেলায় তিনি ৫৯ বলে ৫৫ রান তুলে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে ৭৫ রানের ব্যবধানে জয়ে সহায়তা করেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ২৩ মে, ২০১৭ তারিখে ইনোকা রাণাবীরার অধিনায়কত্বে শ্রীলঙ্কা দলের ১৫-সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে তিনিও অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == ইনোকা রাণাবীরা শ্রীলঙ্কা জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল ২০১৬ মহিলাদের টুয়েন্টি২০ এশিয়া কাপ == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রীড়াবিদ মহিলা ক্রিকেটার মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার মহিলা ক্রিকেট অধিনায়ক মহিলা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার'''এ কে এম শহীদুল হক''' একজন বাংলাদেশের পুলিশ অফিসার এবং বর্তমান মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)। তিনি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন নরকলিকাতা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। == কর্মজীবন == জনাব শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কল্যাণে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম সিরাজগঞ্জ জেলায় কার্যভার পালন করেছেন। ডিআইজি হিসেবে পুলিশ রাজশাহী রেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন সফল পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং এর অন্যতম প্রবর্তক হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং ধারণাকে জনগণের প্রতি জনপ্রিয় করে তোলেন। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে পুলিশ এবং কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন উদঘাটন, জনগনের নিরাপত্তা আইন এবং সমাজের নানা জটিল সমস্যা সমাধানে তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে তিনি যোগদান করেন। আইজিপি পদে পদোন্নতি লাভের পূর্বে তিনি সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল (প্রশাসন অপারেশন) হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। == সম্মাননা == ২০১২ সালে আমেরিকার নিউ জার্সি রাজ্যের মেয়র তাকে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করেন। কর্মজীবনে অসামান্য অবদান কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতির জন্য তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) ভূষিত হয়েছেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন- কম্বোডিয়া, এঙ্গোলা এবং সুদানে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে জাতিসংঘের শান্তি পদকেও ভূষিত হন। == গ্রন্থসমূহ == জনাব কে এম শহীদুল হক বিপিএম, বিপিএম বিভিন্ন গ্রন্থের রচয়িতা। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে-'Police and Community with Concept of Community Policing’, ‘কমিউনিটি পুলিশিং কি এবং কেন’, ‘বাংলাদেশ পুলিশ সারগ্রন্থ 'Community Policing Concept', Aims and Objectives’ এবং ‘Bangladesh Police Hand Book' ইত্যাদি। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== নবনিযুক্ত আইজিপি কে এম শহীদুল হক নিউজ ইনসাইডে আইজিপি কে এম শহীদুল হক ntvbd.com ব্যক্তি পুলিশ মহাপরিদর্শক'''সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী''' (জন্ম: মে, ১৯৩৫) বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রমিলা রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাতীয় সংসদের উপনেতা। তিনি পরিবেশ বনমন্ত্রী হিসেবেও পূর্বে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপপ্রাপ্ত হন এবং একই সময়ে তিনি বাংলাদেশ গার্ল-গাইড এসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ ''সিলভার এলিফ্যান্ট পদক'' লাভ করেন। তিনি ২০০০ সালে আমেরিকান ইনস্টিটিউট কর্তৃক ''ওমেন অব দি ইয়ার'' নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। == ব্যক্তিজীবন == ১৯৩৫ সালের মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩শে নভেম্বর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। == রাজনৈতিক জীবন == ১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত৷ ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন। তিনি ফরিদপুরের কৃষাণপুর ইউনিয়ন (ফরিদপুর-২; নগরকান্দা, সালতা সদরপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন। === দুর্নীতির অভিযোগ === ২০০৮ সালের ১০ই জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাজেদা চৌধুরী’র বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ১.৩৮ মিলিয়ন টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ দাখিল করে। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে ২০০৮ সালের ১৮ই নভেম্বর বাংলাদেশ হাইকোর্ট মামলাটি স্থগিত করেন, পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আবারও ওঠে। হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। ২০১০ সালের ২৯শে নভেম্বর হাইকোর্ট মামলায় চৌধুরীর বিরুদ্ধের অভিযোগ সুসংগঠিত না হওয়ায় মামলাটি থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। == আরো দেখুন == বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ == তথ্যসূত্র == ব্যক্তি জন্ম মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী সংসদের মহিলা সদস্য বাংলাদেশী নারী মন্ত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:নবম জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:দশম জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য'''তারেন খানম''' একজন ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তা, এবং BritBangla-এর পরিচালক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া তিনি Department of Energy and Climate Change (DECC) এর একজন উপদেষ্ঠা। == প্রাথমিক জীবন == তারেম খানম পরিবেশ বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন এবং জনসংযোগ ডিপ্লোমা করেছেন। == কর্মজীবন == ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে তারেন খানম অন্যান্যদের সাথে BritBangla প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষ ভয়েস, তাদের মতামত আকাঙ্ক্ষা, এবং এটি একসঙ্গে সদৃশমনা মানুষ মাধ্যমে সামাজিক দাতব্য ঘটনা.তারেন খানমের আয়োজন সামাজিক, শিক্ষাগত, এবং তহবিল বৃদ্ধিকারী ঘটনা হিসেবে BritBangla প্রচার করে। তারেন খানম স্বাস্থ্য বিভাগের (ডি এইচ) একজন নীতি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। মার্কিন দূতাবাস লন্ডন এর আমন্ত্রনে তিনি International Visitors Leadership Programme অংশগ্রহণ করেন। তিনি ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। মুসলিম নেতৃত্ব এবং রাজনীতিতে তার প্রভাব,বিশেষত যুব নেতৃত্বের বিকাশে তিনি কাজ করেন। খানমের এখন জন্য কাজ করেন Department of Energy and Climate Change (DECC) তে। তারেন খানম জন অ্যাডামস সোসাইটিতে যোগাযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। == পুরস্কার স্বীকৃতি == ২০১৫ সালের জুন মাসে তারেন খানম কে একটি ব্রিটিশ এম্পায়ার পদক (BEM) দ্বারা ভূষিত করা হয়। ২০১৫ সালে তার জন্মদিনে সম্মান দেওয়ার জন্য উক পদক দেওয়া হয়। == আরো দেখুন == ব্রিটিশ বাংলাদেশী ব্রিটিশ বাংলাদেশী ব্যক্তিদের তালিকা == তথ্যসূত্র == মুসলিম ব্যক্তি'''ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৯৬''' ১১শ লোকসভার সদস্যদের নির্বাচন করতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নির্বাচনের ফলাফল এক ওলমা সংসদ দিতে সক্ষম হয়েছিল ফলস্বরূপ ১৯৯৮ সালে ভারতবর্ষে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হয়েছিল। মাত্র বছরের ব্যবধানে দেশটি ৩জন প্রধান মন্ত্রী লাভ করেছিল। মোট ৫৪৫টি লোকসভার আসনের ভিতরে ৩৩২জন সদস্যের সমর্থন পেয়ে সংযু্ক্ত মোর্চার নেতা এইচ ডি দেবে গৌড়া ভারতের ১৪তম প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন। ==পটভূমি== ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সরকারের প্রধান মন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাও বিভিন্ন কেলেংকারী সরকারী কাজ সুচারুরূপে পরিচালনা করতে না পারার দোষে অভিযুক্ত হয়ে পরবর্তী নির্বাচনের মুখোমুখি হয়েছিল। তাঁর কার্যকালে ৭জন কেবিনেট সদস্যই পদত্যাগ করেছিল। স্বয়ং রাওর বিপক্ষেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ১৯৯৫ত কংগ্রেস থেকে চলে গিয়ে অর্জুন সিং নারায়ণ দত্ত তিওয়ারী অখিল ভারতীয় ইন্দিরা কংগ্রেস (তিওয়ারী) দল গঠন করেছিল। ==ফলাফল== এই নির্বাচনটিতে জন-সাধারণ এক অস্পষ্টরায় দিয়েছিল যার ফল ছিল এক ওলমা সংসদ। সমীক্ষকরা কংগ্রেসের এরকম শোচনীয় ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রী রাওর ব্যক্তিগত অজনপ্রিয়তা দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করেছিল। বিজেপি লোকসভার বৃহত্তম দল ছিল যদিও এই দলটির লাভ করা জনপ্রিয় ভোটের কোনো হার বৃদ্ধি হওয়া ছিল না বা নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পাওয়াও ছিল না। দস্তুর মতে, রাষ্ট্রপতি শংকর দয়াল শর্মাবিজেপির নেতা অটল বিহারী বাজপায়ীকে সরকার গঠন করতে আহ্বান জানান। ১৫ মের দিন শপথ গ্রহণ করা নতুন প্রধান মন্ত্রীকে সপ্তাহর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে দেওয়া হয়। এই সময়সীমার মধ্যে বিজেপি এক মোর্চা সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক মুসলমান দলগুলির সমর্থন লাভ করার প্রচেষ্টা চলালে যদিও দলটির কিছু নীতি-আদর্শের প্রতি শংকা থাকার জন্যই এই কাজে সফল হয়নি৷ ২৮ মে তারিখে বাজপেয়ী বুঝতে পারেন যে, বিজেপি লোকসভার ৫৪৫জন সদস্যর মধ্যে ২০০র অধিক সদস্যের সমর্থন লাভ করা সম্ভব নয়। তাই আস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার সাথে বাজপায়ী পদত্যাগ করেন তারপর ১৩ দিনে সরকারের পতন ঘটে। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সরকার গঠন করতে মন করেনি। তার সাথে দলটি জনতা দল প্রমুখ্য বহু ছোট ছোট দলকে একত্রিত করে গঠিত করা সংযুক্ত মোর্চাকে সমর্থন জানাতে সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধান মন্ত্রীরূপে শপত নেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি দেবে গৌড়াই। কিন্তু এবছর কংগ্রেস সমর্থন উঠিয়ে নেয়, যার ফলে সরকারটি সংকটের মুখে পড়ে। অবশেষে পুনর্নিবাচন এড়িয়ে চলতে দু'পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হয়। এই বোঝাপড়া শেষে কংগ্রেস একজন নতুন নেতা ইন্দের কুমার গুজরাল-এর অধীনে গঠন হওয়া সংযুক্ত মোর্চা সরকারটিকে সমর্থন করতে রাজী হয়। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি কংগ্রেসের সাথে আলোচনা না করে গ্রহণ করতে বাধা আরোপ করা হয়। ১৯৯৭র ২১ এপ্রিলে গুজরাল প্রধান মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করেন। গুজরাল যদিও কংগ্রেসের থেকে তিক্ত ব্যবহার পেয়েছিলেন, তথাপি দলটির সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গুজরাল কংগ্রেস থেকে নয়, তাঁর নিজের দল 'জনতা দল'-এর থেকেই অসুবিধা পান। 'সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন' বা সি.বি.আই বিহারের রাজ্যপাল এ. আর. কিডওয়াই থেকে পশুখাদ্য ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব-এর বিরুদ্ধে গোচর তেরার জন্য অনুমতি চাইলেন রাজ্যপাল গোচর তেরার অনুমতি দিলেন। সংযুক্ত মোর্চার ভিতর থেকে তথা বাহির থেকেও যাদবের পদত্যাগের জন্য দাবী উঠল। যাদব এই দাবী মানি নেন নি। পশুখাদ্য কেলেংকারীর তদন্তের দায়িত্বে থাকা সি.বি.আইর সঞ্চালক যোগীন্দর সিংকে বদলি করা হয়। ফলস্বরূপ যাদবকে সরকারী রক্ষণাবেক্ষণ দিতে বলে বহু প্রধান মন্ত্রী আঙুল তুললেন এরফলে লালু প্রসাদ যাদব জনতা দলের মধ্যে তাঁর আধিপত্য কমে আসছে বলে অনুভব করাতে দলটিকে বিভাজন ঘটান জুলাই ১৯৯৭এ রাষ্ট্রীয় জনতা দল বলে নতুন একটা গঠন করে। জনতা দলের ৪৫জন সাংসদের ১৭জন নতুন দলটিতে যোগদান করে অবশ্য যাদবের এই নতুন দলটি সংযুক্ত মোর্চার অংশীদার হয়। ২৮ আগষ্ট ১৯৯৭তে জৈন কমিশনের প্রতিবেদন সরকারের হাতে জমা দেওয়া হয়। ১৬ নভেম্বর ১৯৯৭এ এই প্রতিবেদন সংবাদ মাধ্যে প্রকাশ করি দেয়। জৈন কমিশনের প্রতিবেদনে রাজীব গান্ধীর হত্যা ষড়যন্ত্রে দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাঝাগম (ডি এম কে) জড়িত থাকা বলে উল্লেখ থাকার অভিযোগ উঠে। সেই অছিলাতে কংগ্রেস মোর্চা সরকার থেকে ডি এম কে দলের মন্ত্রীদেরকে অত্যন্ত হেঁচা প্রয়োগ করে। সংযুক্ত মোর্চা এই হেঁচাতে সহমত হয় নি ২৮ নভেম্বর ১৯৯৭এ গুজরাল রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র দাখিল করেন ডিসেম্বর ১৯৯৭এ ১১শ লোকসভা ভঙ্গ করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গুজরাল ১১ মাস প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন। এর মধ্যে মাস তিনি তদারকী প্রধান মন্ত্রী হয়েছিলেন মোর্চার ফলাফল=== '''এপ্রিল-মে ১৯৯৬, লোকসভা নির্বাচনের সারাংশ''' দল মোর্চা ভোট প্রাপ্ত ভোটর পরিবর্তন আসন পরিবর্তন ভারতীয় জনতা পার্টি 67,950,851 20.29 +0.18 161 +41 ভারতীয় জনতা পার্টির সহযোগী দল সমতা পার্টি শিব সেনা হরিয়ানা বিকাশ পার্টি ——+0.69+0.23 268153 ——+11+2 ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস 96,455,493 28.80 -7.46 140 -92 রাষ্ট্রীয় মোর্চা জনতা দল সমাজবাদী পার্টি তেলেগু দেশম —-3.76—-0.02 79461716 —-13—+3 বাম মোর্চা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বিপ্লবী সমাজবাদী পার্টি অল ইণ্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক 52321253 —-3-2+1— তামিল মানিলা কংগ্রেস 7,339,982 2.19 20 দ্রাবিড়া মুন্নেত্রা কড়গম 7,151,381 2.14 +0.05 17 +17 বহুজন সমাজ পার্টি 13,453,235 4.02 +2.41 11 +9 অন্যান্য বিজয়ী দল শিরোমণি আকালি দল অসম গণ পরিষদ অল ইণ্ডিয়া ইন্দিরা কংগ্রেস (তিবারী) ইণ্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ অল ইণ্ডিয়া মুসলিমেন অটোনমাস স্টেট ডিমাণ্ড কমিটি মধ্যপ্রদেশ বিকাশ কংগ্রেস সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রণ্ট ইউনাইটেড গোয়ানস্ ডেমোক্রেটিক পার্টি কেরেলা কংগ্রেস (মণি) ঝারখণ্ড মুক্তি মোর্চা কর্ণাটক কংগ্রেস পার্টি মহারাষ্ট্রবাদী গোমণ্টক পার্টি 288542111111111 থেকেজিত দল 15,395,309 4.61 নির্দলীয় 21,041,557 6.28 +2.12 +8 মনোনীত '''মোট''' '''100%''' '''545''' Source: Electoral Commission of India, Statistical Report on General Elections, 1996 to the 11th Lok Sabha সংযুক্ত মোর্চা=== মোর্চা দল আসন ভোটর সংযুক্ত মোর্চাআসন: 192'''ভোটর %:~28.52% রাষ্ট্রীয় মোর্চা 79 14.33 বাম মোর্চা 52 9.10 তামিল মানিলা কংগ্রেস 20 2.19 দ্রাবিড়া মুন্নেত্রা কড়গম 17 2.14 অসম গণ পরিষদ 0.76 অন্যান্য ক্ষুদ্র দল 19 প্রযোজ্য নয় Source: Muse Journal ===দেবে গৌড়ার নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা সরকারের সমর্থন=== সরকারের সমর্থন বাড়ানো মোর্চা/ দল সংযুক্ত মোর্চা (192)ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (140) '''মোট''': 332 ভোট (61.1%) ===ইন্দের কুমার গুজরালর নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা সরকারের সমর্থন=== সরকারের সমর্থন বাড়ানো মোর্চা/ দল সংযুক্ত মোর্চা (178)ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (140) '''মোট''': 318 ভোট (58.7%) St. Petersburg Times ==তথ্যসূত্র== রাজনীতি সাধারণ নির্বাচন'''আফ্রিকান ক্রেক''' (ক্রেক্স এগরেজিয়া) হচ্ছে '''রেইল''' পরিবারভুক্ত পাখি যাদের সাব-সাহারান আফ্রিকার সকল অংশেই দেখতে পাওয়া যায়। ক্রেক আংশিক অভিবাসী, বৃষ্টি শুরু হলে এরা বিষুব অঞ্চল থেকে সরে আসে। এরা সাধারণত ঘাসের মধ্যে অথবা উচু ফসলের ভূমিতে বাসা বাঁধে। আফ্রিকান ক্রেকের শ্রেণীবিন্যাস খুবই জটিল। এদের নিকটাত্মীয় হচ্ছে কর্ণ ক্রেক যাদের বাস হচ্ছে ইউরোপ এবং এশিয়ায় কিন্তু শীতকালে আফ্রিকায় অভিবাসী হয়ে চলে আসে। প্রথম দিকে আফ্রিকান ক্রেককে মোজাম্বিক থেকে সংগৃহীত নমুনার উপর ভিত্তি করে ১৮৫৪ সালে উইলহেম পিটারস একে অরটিগোমেট্রা এগরেজিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন। ==বর্ণনা== আফ্রিকান ক্রেক হচ্ছে ক্কুদ্রাতির ক্রেক পাখি। এরা লম্বায় ২০-১৩ সেমি এবং পাখার বিস্তৃতি ৪০-৪২ সেমি। পুরুষ পাখি জলপাই-বাদামী রঙের, উপরে কালো ছোঁপ। এদের মাথা, গলা, বুক নীলচে ধূসর। চোখ লাল, ঠোঁট লালচে। ওড়ার পাখনা গাঢ় ধূসর। ==বাসস্থান== সাব-সাহারান আফ্রিকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়, সেনেগালের পূর্বাংশ থেকে কেনিয়া, দক্ষিণাংশ থেকে জুলু-নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকায় এদের বাস। দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকায় যেখানে বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটারের কম হয় সেখানে এদের দেখতে পাওয়া যায় না। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Videos, photos and sound recordings at the Internet Bird Collection African Crake. ''The Atlas of Southern African Birds''. *BirdLife International 2012. ''Crex egregia''. The IUCN Red List of Threatened Species. Version 2014.3. Downloaded on April 2015.'''কামদেব''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Calophyllum polyanthum'') হচ্ছে ক্যালোফিলাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ। Wall. ex Choisy এই প্রজাতিটি ১৮৬১ সালে রেকর্ড করেন। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত। ==বিবরণ== কামদেব একটি চিরসবুজ গাছ। এটি আকারে মাঝারি আকৃতির হয়, এই গাছের প্রচুর শাখা-প্রশাখা আছে। এর বাকল লম্বালম্বি খাঁজযুক্ত এবং রঙের দিক থেকে হতে পারে বৈচিত্র যেমন হলুদ, ধূসর, বাদামি বা কালো।পাতার আকার সাড়ে থেকে সাড়ে ১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা পুরু। এই ফুল পুষ্পবৃন্ত সরু, থেকে ১০ মিলিমিটার লম্বা হয়। বৃত্যংশ চারটি।এর পুংকেশর অসংখ্য। ফল ঝুলন্ত রসাল হয়। বীজ ডিম্বাকৃতি, বাদামি রঙের হয়। কাঠের রং লালচে বাদামি। ==বিস্তৃতি== এই গাছের আদি নিবাস ভারত, থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম চীন। ==আরো দেখুন== বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের তালিকা ==তথ্যসূত্র== উদ্ভিদ উদ্ভিদ রক্ষিত উদ্ভিদ উদ্ভিদ'''কুমলাল নদী''' বা '''নাউতারা নদী''' বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫৯ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক কালুদাহা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর নদী নং ২০। ==প্রবাহ== এই নদী টি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং সেখান থেকেই এর নামকরণ হয় নাউতারা নদী। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== জেলার নদী উপজেলা উপজেলা'''বেলান নদী''' বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক বেলান নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর নদী নং ৮৮। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== জেলার নদী সদর উপজেলা উপজেলা উপজেলানীল মুখো মধুখাদক (ইংরেজী নামঃ ব্লু ফেসড হানিইটার), দ্বিপদ নাম এন্টোমাইজন সায়ানোটিস, ব্যানানাবার্ড (কলা পাখি) নামেও পরিচিত, মেলিফ্যাজিডি পরিবারের প্যাসারিন জাতের পাখি। এন্টোমাইজন গণের এরাই একমাত্র সদস্য। নীল মুখো মধু খাদক সম্পর্কে প্রথম বর্ণনা করেন ১৮০১ সালে জন ল্যাথাম বর্ননা করেন। এরা প্রাণীজগতের কর্ডাটা পর্বের পক্ষী বর্গের সদস্য। এদের গণ নাম এন্টোমাইজেন এবং প্রজাতি নাম সায়ানোটিস। ==বর্ণনা== এদের দৈর্ঘ্য এবং গড়ে লম্বা, প্রাপ্তবয়স্ক ব্লু ফেসড হানি ইটারের ডানার বিস্তৃতি এবং ওজন ==বাসস্থান== ==তথ্য সূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Blue-faced honeyeater videos, photos and sounds on the Internet Bird Collection Sound recording of blue-faced honeyeater on Cornell Laboratory of Ornithology's Macaulay Library website Meliphagoidea Highlighting relationships of Meliphagidae on Tree Of Life Web Project'''''সিলেটের অর্থনীতি''''' গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে এই অঞ্চলটি ''বাংলাদেশের কৃষি রাজধানী'' হিসেবে পরিচিত। বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য সিলেটকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবেও দেখা হয়। আয়তন এবং উৎপাদন উভয়ের ভিত্তিতে, এই অঞ্চলটিতে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ চায়ের বাগান অবস্থিত। যাইহোক, এই অঞ্চল উচ্চবিলাসি হোটেল এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের প্রসার এবং বিনিয়গের জন্য বেশী পরিচিত। ২০১৪ হিসাব মতে, সিলেটের নামিক মাত্রায় গ্রোস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট ছিল $২১.৬০ বিলিয়ন ডলার এবং পাওয়ার প্যারীটি ক্রয়ে $৪৯.৬ বিলিয়ন ডলার, যা নেপাল এবং আফগানিস্তান এর সমান। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় ২৩% জেলা অবদান রাখছে। এছাড়া পাহাড়ে প্রান্তরে বেড়ে ওঠা কৃষি ব্যবস্থাপনা যেমন; চা, ধান, মাছ, কমলা, লেবু, আনারস, বাশঁ, আম, ইত্যাদি এই অঞ্চলের মানুষের অনন্য অবলম্বন। ==অর্থনীতি== সিলেট অঞ্চল বাংলাদেশের একটি সবথেকে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে প্রচুর গ্যাসের মজুত রয়েছে এবং বাংলাদেশের একমাত্র তেল ক্ষেত্র সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত। ===প্রাকৃতিক গ্যাস=== সিলেটে প্রচুর পরিমাণে আবিষ্কৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত রয়েছে। সিলেট অঞ্চলে মোট আটটি গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত। এই অঞ্চলে মজুত গ্যাসের মোট পরিমাণ প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট। জালালাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড এর মতে, এই কোম্পানির বার্ষিক রাজস্ব আয় ৫৬৬ কোটি। সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে একটা বড় অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, সিলেটের প্রতি ৩০ জনের এক জন প্রবাসী, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরের রেমিট্যান্স ছিল প্রায় $১০ বিলিয়ন ডলার। ===পর্যটন=== শ্রীমঙ্গলের একটা বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল সিলেট বাংলাদেশের একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা। এই অঞ্চল পর্যটকদের প্রাকৃতিক এবং বাণিজ্যিক বিভিন্ন ভাবে আকৃষ্ট করে। এই অঞ্চলটি বাংলাদেশের সবথেকে বিলাসবহুল কতিপয় হোটেল, রিসোর্ট এবং শপিং মলের বাসভূমি। সিলেটের ঐতিহাসিক ''''সুরমা'''' নদী বাংলাদেশের মৎস সম্পদের একটা বড় অংশ রয়েছে হাওরাঞ্চলে, তন্মধ্যে হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সিলেটের অসংখ্য হাওর অঞ্চলের মাছের চাহিদা পূরণ করে। নদী ছাড়া 'জলাশয় হিসেবে' সিলেট বিভাগে প্রায় ৪৬টি হাওর রয়েছে। সিলেটের হাওর গুলোতে হেমন্ত কালে অনেকাংশে জল জমাট থাকে। জল জমাট অংশ গুলো বিল হিসেবে খ্যাত এবং বিল হতে রুই, কাতলা, বোয়াল, ঘাগট ইত্যাদি জাতীয় মাছ পাওয়া যায়। হাওর গুলোর মধ্যে প্রসিদ্ধ; হাকালুকি হাওর, জাওয়া হাওর, টাঙ্গুয়া হাওর, শণির হাওর, টগার হাওর, ডেকার হাওর, ঘুঙ্গি জুরির হাওর, মইয়ার হাওর, শউলার হাওর, বানাইয়ার হাওর, দেখার হাওর, জিলকার হাওর ইত্যাদি ====হাকালুকি হাওর==== '''হাকালুকি হাওর''' বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি। এর আয়তন ১৮,১১৫ হেক্টর, তন্মধ্যে শুধুমাত্র বিলের আয়তন ৪,৪০০ হেক্টর, যেখান থেকে অঞ্চলের মানুষের মাছের চাহিদা অনেকাংশে মেটানো হয়। ====টাঙ্গুয়ার হাওর==== টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে, বাংলাদেশ সরকার এই হাওরের মাছ থেকে ৭,০৭৩,১৮৩ টাকার রাজস্ব মুনাফা অর্জন করে। হাওরের বিখ্যাত মাছের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় মহাশোলের কথা। এছাড়াও প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির উভচর, প্রজাতির কচ্ছপ, প্রজাতির গিরগিটিসহ নানাবিধ প্রাণীর বাস, এই হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওর ===চা শিল্প=== মালনী ছড়া চা বাগান সিলেট সিলেট ঐতিহ্যগতভাবে একটি চা উৎপাদনকারী এলাকা। বিস্তীর্ণ সুরমা উপত্যকা সারি সারি চা বাগান এবং ক্রান্তীয় বনে ভরপুর। পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি চা বাগান দেখতে পাওয়া যায় বলে '''শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানী বলা হয়'''। এজন্য '''বাংলাদেশ চা রিসার্চ ইন্সটিটিউট''' (BTRI) এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে, বাংলাদেশে ১৭২ টি বাণিজ্যিক চা বাগানের মধ্যে, সিলেটে ১৫০টির বেশী চা বাগান রয়েছে। আয়তন এবং উৎপাদন উভয়ের ভিত্তিতে, এই অঞ্চলটিতে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ তিনটি চা বাগান অবস্থিত। এখানে ৩০০,০০০ এরো অধিক কর্মী কাজ করে, যার ৭৫% হচ্ছে নারী। এই শিল্প বৈশ্বিক চা উৎপাদনের ৩% যোগান দেয়, এবং মিলিয়নের অধিক লোকের কর্মসংস্থান যোগায়। tea garden একটি চা বাগান। পাটের পরেই চা বাংলাদেশের দ্বিতীয় রপ্তানিকারক অর্থনৈতিক ফসল। এই শিল্প দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের ১%। সিলেট বিভাগের চারটির জেলার মধ্যে- মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সিলেট এই তিনটিই চা উৎপাদনকারী জেলা। ==আরো দেখুন== *বাংলাদেশের অর্থনীতি *সাত রং চা ==তথ্যসূত্র== জেলা অর্থনীতি'''জোয়েল স্ট্যানলি এঙ্গেল''' একজন মার্কিন প্রকৌশলী। ==জীবনী== এঙ্গেল ১৯৩৬ সালের ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। সিটি কলেজ অব নিউ ইয়র্ক থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এমআইটি থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ১৯৫৯ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অব ব্রুকলিন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এঙ্গেল ১৯৫৯ সালে বেল ল্যাবসে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে স্যাটেলিয়াট বিজনেস সিস্টেমসের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইঞ্জিনিয়ারিং নিযুক্ত হন। ==পুরস্কার সম্মাননা== আইইইই আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল মেডেল ১৯৮৭ ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ১৯৯৪ চার্লস স্টার্ক ড্র্যাপার প্রাইজ ২০১৩ ==তথ্যসূত্র== ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''মেধা ঘোষ''' ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব অগ্নিকন্যা। ==জন্ম পরিবার== মেধা ঘোষ ১৯২৩ সালে হাওড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মহতাব ঘোষ। পেশায় ডেপুটি ম্যজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি ১৯৩৬ সালে অকালে মারা যান। ==শিক্ষাজীবন== ১৯৪২ সালে তিনি বি.এসসি পড়ছিলেন। সে সময় রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে যান। ১৯৪৬ সালে তিনি বি পাস করেন। দেশ স্বাধীনতা লাভের পরে তিনি লন্ডনে গিয়ে 'সোশ্যাল সায়েন্স' এর উপর ডিপ্লোমা নিয়ে আসেন। ==রাজনৈতিক জীবন== ১৯৪২ সালে তিনি বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স নামক বিপ্লবী দলে যোগদান করেন। বিপ্লবী উজ্জলা মজুমদারের সান্নিধ্যে এসেই সশস্ত্র বিপ্লববাদে হাতেখড়ি হয়। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে তিনি যোগদান করেন। সে সময় তিনি অর্থ সংগ্রহ, গোপন ইস্তেহার রচনা বিলি করেছেন। স্বদেশী কাজের জন্য পুলিশ তার সাথে নানা ষড়যন্ত্র করে। এর জন্য জেলে যেতে হয়। ১৯৪৫ সালে মার্চ মাসে গভীর রাত্রে বাড়ি তল্লাসি করে পুলিশ। কিছু প্রমাণ করতে না পারলেও নিরাপত্তা আইনে তাকে জেল বন্দি করে রাখে। ডিসেম্বর মাসে জেল থেকে মুক্তি পান। ১৯৪৬ সালে 'ফরওয়ার্ড ব্লক' কাজ করতে থাকেন। ==তথ্যসূত্র== জন্ম ভারতীয় নারী বিপ্লবী বিপ্লবী জেলার ব্যক্তি'''মুহররম ২৬''' () ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহররমের ছাব্বিশতম দিন এবং একই সঙ্গে হিজরী বছরেরও ২৬তম দিন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি চন্দ্রের আবর্তনের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে এই মাস ২৯ অথবা ৩০ দিনে সমাপ্ত হয়। == ঘটনাবলী == == জন্মদিন == == মৃত্যদিন == == ছুটী অন্যান্য == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == সাইট এএফপি। পঞ্জিকার দিন দিনতারিখ'''ডা. ফজলুল হাজেরা কলেজ''' হল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ১১ নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ কাট্টলি, চট্টগ্রামে অবস্থিত। ==ইতিহাস== একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির কাজে ফজলুল আমিন কাজে নেমে পড়েন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরিতে এগিয়ে আসেন তৎকালীন প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রি। কলেজটি প্রতিষ্ঠার জন্য ১.৭০ একর জায়গা দেওয়া হয়। এভাবেই, ১৯৮৮ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এর যাত্রা শুরু করে। ==শিক্ষা== সর্বপ্রথম কলেজটি শুধুমাত্র কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে কলেজটি বিএ, বিএসএস, বিবিএস কোর্সসমূহ জাতীয় অধীনে শুরু করে। এমন কি ডিগ্রি পর্যায়ে এটি শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করে। ==ব্যবস্থাপনা== ==কৃতি শিক্ষার্থী== ==আরো দেখুন== চট্টগ্রামের কলেজসমূহের তালিকা ==তথ্যসূত্র== জেলার কলেজ মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ‎মসজিদের প্রার্থনা কক্ষ '''কোটা ইস্কানদার মসজিদ '''() মালয়েশিয়ার জোহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। জোহর রাজ্যে এটি দ্বিতীয় রাজ্য মসজিদ। ''সুলতান আবু বকর রাষ্ট্র মসজিদের'' পরে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৬ই জুন তারিখে মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। এর নামকরণ করা হয় জোহরের সুলতান ''মরহুম সুলতান ইস্কানদার ইবনি আল-মরহুম সুলতান ইসমাইল'' এর নামে। এখানে প্রায় হাজার মানুষ একত্রে নামায পড়তে পারেন। == ইতিহাস == মসজিদটি ''UEM Builders Berhad'' এবং ''Cahaya Jauhar Sdn Bhd'' দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। ২০১২ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং কাজ শেষ করে ২০১৫ সালের ১৬ জুন নামাযের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মসজিদের নকশায় আধুনিকতার সাথে ইসলাম ধর্মীয় কৃষ্টির মিলন ঘটেছে। আদর্শগতভাবে এখানে ইসলামের সুন্নী রীতির শাফেঈ মাযহাব পালন করা হয়। == স্থাপত্য == এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর সাথে ইসলামী ভাবগাম্ভীর্যের মিশ্রণে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে রয়েছে বেশ কিছু সুউচ্চ ৬টি মিনার, বৃক্ষদ্বারা শোভিত বাগান, গম্বুজ, ফোয়ারা ইত্যাদি। মসজিদের জলাশয়টি সূর্যালোক প্রতিফলক হিসেবে বানানো। এখানে অমুসলিমদের জন্য একটি অংশ রাখা হয়েছে। সেখানে তারা অবাধে যাতায়াত করতে পারে। == কার্যক্রম == মসজিদটি সপ্তাহের প্রতিদিন খোলা থাকে। এখানে ওয়াক্ত নামায আদায় করা হয়। প্রতি শুক্রবার এখানে নামাযের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। == আরও দেখুন == ইসলাম মালয়েশিয়া == তথ্যসূত্র == মসজিদ সংক্রান্ত নিবন্ধ বাহরুর মসজিদ সালে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ'''ক্রিমিয় তাতার উইকিপিডিয়া''' হচ্ছে অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার ক্রিমিয় তাতার ভাষার সংস্করণ। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু হয় এই উইকিপিডিয়ার এবং অনুযায়ী এই উইকিপিডিয়ায় মোট টি নিবন্ধ, জন ব্যবহারকারী, জন প্রশাসক টি ফাইল আছে এবং সর্বমোট সম্পাদনা সংখ্যা টি। ==ইতিহাস== জানুয়ারী ১২, ২০০৮ ১ম নিবন্ধ জানুয়ারী ২১, ২০০৮ ৫৫৭ নিবন্ধ অক্টোবর, ২০, ২০১০ ১০০০ নিবন্ধ মে ১৬, ২০১৪ ৪০৩৫ নিবন্ধ ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == ক্রিমিয় তাতার উইকিপিডিয়ার পরিসংখ্যান ক্রিমিয় তাতার উউইকিপিডিয়া ক্রিমিয় তাতার উইকিপিডিয়ার মোবাইল সংস্করণ অনুযায়ী উইকিপিডিয়া'''মেসিডোনিয় উইকিপিডিয়া''' হচ্ছে অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার মেসিডোনিয় ভাষার সংস্করণ। মেসিডোনিয় উইকিপিডিয়া ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে এবং অনুযায়ী এই উইকিপিডিয়ায় মোট টি নিবন্ধ, জন ব্যবহারকারী, জন প্রশাসক টি ফাইল আছে। মেসিডোনিয় উইকিপিডিয়ায় উইকিপিডিয়ানদের সম্মিলিত সম্পাদনার সংখ্যা টি। ==ইতিহাস== ==তথ্যসূত্র == == বহিঃ সংযোগ == Macedonian Wikipedia ম্যাসেডোনীয় উইকিপিডিয়ার মোবাইল সংস্করণ অনুযায়ী উইকিপিডিয়া'''কোরীয় হচ্ছে অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার কোরীয় ভাষার সংস্করণ। কোরীয় উইকিপিডিয়া ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করে এবং অনুযায়ী এই উইকিপিডিয়ায় মোট টি নিবন্ধ, জন ব্যবহারকারী, জন প্রশাসক টি ফাইল আছে। কোরীয় উইকিপিডিয়ায় উইকিপিডিয়ানদের সম্মিলিত সম্পাদনার সংখ্যা টি। ==ইতিহাস== ==তথ্যসূত্র == ==বহিঃ সংযোগ == The Korean Wikipedia কোরীয় উইকিপিডিয়ার মোবাইল সংস্করণ অনুযায়ী উইকিপিডিয়াকোন দশমিক সংখ্যার যদি কয়েকটি সংখ্যার পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে তাকে পৌনঃপুনিকতা বলে।। যেমন কোন সংখ্যা কে যদি নয় দিয়ে ভাগ করা হল। যেমন ১১÷৯= দেখা যাচ্ছে এখানে দসমিকের পরে এর পুনরাবৃত্তি ঘটছে। অসিম পর্যন্ত তাই এইটি পুনরাবৃত্তি বারবার চলবে। কিন্তু এই সংখ্যাকে ভগ্নাংশতে প্রকাশ করা যায় তাই এই মুলদ সংখ্যা। উপরিউক্ত সংখ্যা যদি ভগ্নাংশ তে প্রকাশ করতে হয় তাহলে পুনপনিক সংখ্যা একবার লিখে তার উপর ফোঁটা চিহ্ন দিতে হবে এবং দশমিক উঠিয়ে সেটির সাথে অপুনপনিক সংখ্যা বিয়োগ করতে হবে এবং সেটাকে নয় দিয়ে ভাগ করতে হবে অর্থাৎ (১২-১)÷৯= ১১÷৯ বিষয়াবলী'''ডেনমার্ক বাংলাদেশ''' রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে ডেনমার্ক সরকার একটি দূতাবাস স্থাপন করে। একই সাথে বাংলাদেশও ডেনমার্কে রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করেছে। ডেনমার্কের স্টকহোমে বাংলাদেশের দূতাবাস অবস্থিত। == উন্নয়ন সহায়তা == বাংলাদেশের স্বাধীনতাউত্তর সময়ে ডেনমার্ক উন্নয়ন সহায়তায় অংশ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশে পরিবহন, পানি পরিবহন, কৃষি, মৎস্য, গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে সহায়তা প্রদান করে। ডেনমার্ক বাংলাদেশের মানবাধিকার নাগরিক সমাজকেও সহায়তা প্রদান করে। == অর্থনৈতিক লেনদেন == ডেনমার্ক বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক লেনদেন সংঘটিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য ডেনমার্কে রপ্তানী করে ১০০ মিলিয়ব ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য আমদানী করেন। রপ্তানীজাত এসব পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়াও বিভিন্ন অপ্রচলিত পণ্য যেমন ঔষধ সামগ্রী, সিরামিক, পাটজাত পন্য ইত্যাদি আছে। ডেনমার্কে বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি সমুদ্রগামী জাহাজও রপ্তানী করা হয়েছে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি বাজার সম্প্রসারণেও কাজ করা হচ্ছে। == ডেনমার্কের সবুজ প্রযুক্তি == সৌর বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বাসা-বাড়ি কলকারখানায় উন্নত জ্বালানী ব্যবস্থাপনা, অপচয় রোধসহ জ্বালানীর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডেনমার্কের সবুজ প্রযুক্তি (গ্রীন টেকনোলজি) বাংলাদেশে নিয়ে যেতে কাজ শুরু করেছে। এই ব্যাপারে ডেনমার্ক বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। == চুক্তি == ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ ডেনমার্কের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ মেরামতের ওপর একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে উভয় দেশ পরস্পরকে জাহাজ নির্মাণে সহায়তা করবে। এরপর ১৯৭৮ সালে উভয় দেশ মাছ বিপণন পরিকল্পনার ওপর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ২০১৬ সালে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে ৭২২.২৯ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। == আরো দেখুন == সম্পর্ক দক্ষিণ সুদান-বাংলাদেশ সম্পর্ক লিওন সম্পর্ক বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ক == তথ্যসূত্র == দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক'''আংকেল স্যাম গেটস এরাউন্ড''' হল ১৯৪১ সালের একটি গান। যেটি কম্পোজ করেছেন রাফ রেইনার। গানটির কথা লিখেছেন লিও রবিন। গানটি মূলত তৈরি হয়েছিল ক্যাডেট গার্ল চলচ্চিত্রটির জন্য গানটির মধ্যে আংকেল স্যাম একজন ব্যক্তি যিনি পুরো দেশের মানুষকে সাহায্য করে বেড়ান। ক্যাডেট গার্ল চলচ্চিত্রটির মধ্যে গানটি শেফার্ড স্ট্রাডউইক দ্বারা পরিবেশিত হয়েছিল। ==তথ্যসূত্র=='''জিল্লুর রহমান''' (জন্ম: ১০ জুলাই, ১৯৪৮ মৃত্যু:১১ জানুয়ারি, ২০১১) একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতা ==প্রাথমিক জীবন== জিল্লুর রহমান ১৯৪৮ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। == কর্ম জীবন == জিল্লুর রহমান চলচ্চিত্রকার নারায়ন ঘোষ মিতার সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। মিতা পরিচালিত দীপ নেভে নাই (১৯৭০) ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের সঙ্গে তিনি জড়িত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথমবারের মত চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম হল মিস লোলিতা। == চলচ্চিত্রের তালিকা == === পরিচালক === নিষিদ্ধ প্রেম (২০০৭) সিস্টেম (২০০৬) মিস ললিতা (১৯৮৫) আঁচলবন্দি আয়নামতি সুখতারা মোহনবাঁশী গরিবের ওস্তাদ === অভিনেতা === স্বামী ভাগ্য (২০১২) বাজারের কুলি (২০১২) বাজাও বিয়ের বাজনা (২০১০) এভাবেই ভালোবাসা হয় (২০১০) মায়ের চোখ (২০১০) টপ হিরো (২০১০) স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা (২০০৯) সমাধি (২০০৮) বাবার জন্য যুদ্ধ (২০০৮) শত্রু শত্রু খেলা (২০০৭) মাতৃত্ব (২০০৫) ভণ্ড নেতা (২০০৪) ভাইয়ের শত্রু ভাই (২০০৪) চেয়ারম্যান (২০০১) গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮) == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জিল্লুর রহমান ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ (ইংরেজি) জিল্লুর রহমান বাংলা মুভি ডেটাবেজ জন্ম মৃত্যু চলচ্চিত্র পরিচালক জেলার ব্যক্তি'''চাপাতি''' ('''চপাতি''', '''চাপ্পাতি, ছাপ্পাতি, চাপাথি, চাপ্পাথি '''নামেও পরিচিত''')''' একধরনের রুটি যা ভারতীয় উপমহাদেশের দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানএবং শ্রীলঙ্কায় খুবই জনপ্রিয়। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসীদের জন্য চাপাতি সারা বিশ্বেই পরিচিত। বিশেষ করে হিন্দু ব্যবসায়ীদের হাত ধরে মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে চাপাতি বিস্তৃতি লাভ করেছে। == ইতিহাস == চাপাতি শব্দটি হিন্দী চপত (चपत) থেকে এসেছে যার অর্থ চ্যাপ্টা। चपत দিয়ে ঐহিত্যগতভাবে এই রুটি তৈরীর পদ্ধতিকে বোঝায়। দুই হাতের তালুর মাঝে রেখে থাপড়ে থাপড়ে গোলাকার রুটি তৈরী করা হয়। প্রতি থাপড়ে ময়দার তালটি একবার করে ঘোরে। ১৬ শতকে মুঘল সম্রাট আকবরের জীবনীকার আবুল ফজল এর লেখা আইন আকবরিতে চাপাতির কথা উল্লেখ আছে। == রন্ধন == আটা, লবন এবং পানি মিশিয়ে নরম খামি তৈরী করা হয়। এই খামি থেকে চাপাতি তৈরী করা হয়। গমের আটায় চাপাতি ভালো হয়। ঐতিহ্যগতভাবে রুটি এবং ভাত তৈরীর সময় লবন ব্যবহার করা হয় না। == ছবি প্রদর্শনী == File:Men Ogling Woman Making Chapati LACMA শিল্পীর অসম্পূর্ণ ছবি। যাতে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা চাপাতি বানাচ্ছেন। ১৭৭৫, রাজস্থান,ভারত File:2 Chapati warm and ready to be রান্না করা চাপাতি যা পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত File:Fulka Roti like ball.jpg|চাপাতি খোলা আগুনেই ছেঁকা হয় এরপর তা "তাওয়াতে" রান্না হয় File:Tava Roti 02.jpg| মাত্রই রান্না করা চাপাতি File:Tiffin wallah তরকারির সাথেও চাপাতি খাওয়া হয় তৈরি হচ্ছে File:Roti Perfect Gujarati Fulka Roti.JPG| গুজরাটি চাপাতি, যেটিকে ফুলকাও বলা হয়। এটি তূলনামূলক চিকন File:An Athesthtic চাপাতি, যেটি "সাপাটি" নামেও পরিচিত File:Chuni Roti.jpg|চাপাতি বাটারের সাথেও পরিবেশিত হয় সাথে চাপাতি File:Cooking chapati (sp) on open flame.JPG| তাওয়াতে রাঁধার পর তা খোলা আগুনে পোড়ানো হয় File:Matar Panir mit Chapati Mutter Paneer with পরিন দ্বারা পরিবেশিত চাপাতি File:Chapati with egg roast.jpg|ডিমের রোস্টের সাথে চাপাতি File:Pilau, beans আফ্রিকাতেও চাপাতি খাওয়া হয়। == তথ্যসূত্র == রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী ক্লিপযুক্ত নিবন্ধ রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী রুটি রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী রুটি রন্ধনশৈলী রুটি রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী প্রদেশী রন্ধনশৈলী'''গন্দর নদী''' বা '''গুণ্ডরী নদী''' বা '''তাররা নদী''' বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি একটি সরু প্রকৃতির জলধারা। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং প্রকৃতি সর্পিলাকার। নদীটিতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই। == উৎপত্তি == গন্দর নদী বর্তমানে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকাইল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের বিল হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। == বর্তমান প্রবাহ == অতঃপর এই নদী জলধারা হরিপুর উপজেলার আমগাও, ডাঙ্গীপাড়া, ভাতুরিয়া এবং হরিপুর ইউনিয়ন অতিক্রম করে রায়গঞ্জ মহকুমার রায়গঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মহিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। অতঃপর নদীটি বাহর, ভগতগাঁও, মহিপুর, বারধারা, ধুসমল, রুনিয়া, আদিয়ার, ডুমারিয়া, ফাজিলপুর, মকদমপুর গ্রামে জাতীয় মহাসড়ক ১২ অতিক্রম করে শীতলপুর গ্রামে নাগর নদীতে নিপতিত হয়েছে। ==তীরবর্তী স্থাপনা== শিহিপুরের মুন্সীগঞ্জ হাট এবং মশানগাঁও হাট এই নদীর তীরে অবস্থিত। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== নদী আন্তর্জাতিক নদী নদী জেলার নদীবাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে জনগণকে সঞ্চয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় জাতীয় সঞ্চয় স্কীমের মাধ্যমে আহরণ করার উদ্দেশ্যে এবং সাধারনের নির্ঝঞ্ঝাট অর্থ বিনিয়োগের পথ প্রশস্থ করার অন্য নাম সঞ্চয়পত্র। বৃহত্তর দৃষ্টিকোনে, সাধারন মানুষের হাতে জমানো টাকা লম্বা সময়ের জন্যে ফেলে না রেখে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগে মুনাফা লাভ, দেশের বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠী যেমন- মহিলা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আর্থিক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আসার সুযোগ এবং সরকারের সঞ্চয় স্কীমের মাধ্যমে আহরিত অর্থ দ্বারা জাতীয় বাজেট ঘাটতি পূরণ করার সুযোগ। বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাণিজ্যিক ব্যাংক ডাকঘর থেকে সব সঞ্চয়পত্র কেনা নগদায়ন করা যায়। ==কেন সঞ্চয়পত্র== অর্থ বিনিয়োগের নির্ঝঞ্ঝাট ঝুঁকিমুক্ত। মেয়াদ শেষে এগুলো থেকে ভালো অঙ্কের মুনাফা পাওয়া যায়। মুনাফার হার এফডিআরের সুদ থেকেও বেশি। জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও ভাঙানো যায় (সে ক্ষেত্রে মুনাফার হার কিছুটা কম হয় তবে যেকোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে বেশি)। বর্তমানে বাংলাদেশে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র প্রচলিত আছে। ৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র। ===বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র (৫-বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র) === পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র; মুনাফার হার মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এটি দেশের সবচেয়ে পুরোনো সঞ্চয়পত্র, চালু হয় ১৯৭৭ সালে। দেশের যে কোনো নাগরিক এটা কিনতে পারেন। বাজারে ১০, ৫০, ১০০ ৫০০ টাকা; ১০০০, ৫০০০, ১০০০০, ২৫০০০ ৫০০০০ টাকা এবং লাখ, লাখ ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়। ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ যৌথ নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। তবে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নির্ধারিত নেই। সঞ্চয়পত্র (৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র)=== তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। চালু হয় ১৯৯৮ সালে। পাওয়া যায় লাখ, লাখ, লাখ ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মতো এটিও সবাই কিনতে পারেন। এই সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। ===পরিবার সঞ্চয়পত্র=== পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র; মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। সঞ্চয়পত্রটি বিক্রি হয় ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, লাখ, লাখ, লাখ ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে। ২০০৯ সালে চালু হওয়া সঞ্চয়পত্র থেকে মাসিক মুনাফা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। তবে সবাই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন না। কেবল ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী যে কোনো বয়সী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নারী পুরুষরা সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। ===পেনশনার সঞ্চয়পত্র=== পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই শ্রেণিতে ৫০ হাজার, লাখ, লাখ ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। ২০০৪ সালে চালু হওয়া সঞ্চয়পত্র থেকে তিন মাস পরপরও মুনাফা তোলা যায়। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী সন্তানেরাই শুধু সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এছাড়া '''ডাকঘর সঞ্চয়পত্র''' নামে আরও একটি সঞ্চয়পত্র স্কীম রয়েছে যা শুধুমাত্র ডাকঘর থেকে লেনদেন করা হয়। তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বর্তমানে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা নগদায়ন করা যায়। যে কেউ এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। ==কারা কিনতে পারেন== বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রঃ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক একক বা যৌথ নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন পরিবার সঞ্চয়পত্রঃ কিনতে পারেন নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ নারী), ৬৫ বছর তদুর্ধ্ব বয়সের যে কোনো নাগরিক একক নামে কিনতে পারেন। পেনশনার সঞ্চয়পত্রঃ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, প্রতিষ্ঠানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এলপিআরে থাকা অবস্থায় প্রাপ্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড চূড়ান্ত অবসর নেওয়ার পর আনুতোষিকের টাকা দিয়ে পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। পারিবারিক পেনশনের আওতায় তাদের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। কোনো প্রতিষ্ঠান সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে না। তবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের আয়ের ১০ শতাংশ অর্থ দিয়ে শুধু '''৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র''' কেনা যায়। যে কোনো সঞ্চয়পত্র নাবালকের পক্ষে কিংবা যুগ্ম নামে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি কিনতে পারেন। == কীভাবে কিনতে হয় == বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্র কিনতে পাওয়া যায়। নগদ টাকা চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। ক্রেতা নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট আকারের সত্যায়িত ছবি লাগে। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর অন্তর্ভুক্তির জন্য মূল কপি দেখাতে হয়। ==অন্যান্য== সঞ্চয়পত্র চুরি হলে বা হারালে বা অন্য কোনোভাবে নষ্ট হলে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যে অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা, সেই অফিসে বিষয়টি অবগত করে 'ডুপ্লিকেট' সঞ্চয়পত্র পাওয়া যাবে। গ্রাহক চাইলে সঞ্চয়পত্র স্থানান্তর করে নিতে পারেন, অর্থাৎ কোনো গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কিনে তা স্থানান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য যে কোনো অফিসে নিতে পারেন এবং সেখান থেকে সুবিধা নিতে পারবেন। একইভাবে অন্যান্য ব্যাংকের বেলায়ও স্থানান্তর করা যায়। ==আরও দেখুন== জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বাংলাদেশ ডাকবিভাগ অনলাইন(ইংরেজি ভাষায়) বাংলাদেশ ব্যাংক (ইংরেজি ভাষায়) ব্যাংক সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়'''জায়লস্কর''' বাংলাদেশের ফেনী জেলার অন্তর্গত দাগনভূঁইয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == জায়লস্কর ইউনিয়নের আয়তন ২২.০৮ বর্গ কিলোমিটার। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জায়লস্কর ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৪১,৫৬৬ জন। == অবস্থান সীমানা == দাগনভূঁইয়া উপজেলার পূর্বাংশে জায়লস্কর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের দক্ষিণে মাতুভূঁইয়া ইউনিয়ন, পশ্চিমে পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন রাজাপুর ইউনিয়ন, উত্তরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন এবং পূর্বে ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == জায়লস্কর ইউনিয়ন দাগনভূঁইয়া উপজেলার আওতাধীন ৮নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম দাগনভূঁইয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৬৭নং নির্বাচনী এলাকা ফেনী-৩ এর অংশ। এটি ১৬টি মৌজায় বিভক্ত। ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল: খুশীপুর উত্তর নেয়াজপুর দক্ষিণ নেয়াজপুর উত্তর লালপুর দক্ষিণ লালপুর আলামপুর দক্ষিণ জায়লস্কর হীরাপুর দক্ষিণ বারাহিগোবিন্দ উত্তর বারাহিগোবিন্দ উত্তর জায়লস্কর ইয়ারপুর (নুরুল্যাপুর) চাঁনপুর ধর্মপুর সোনাপুর আহম্মদপুর ওমরপুর এনায়েতপুর রামচন্দ্রপুর মাছিমপুর == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == জায়লস্কর উচ্চ বিদ্যালয় মুঈনীয়া চিশতীয়া স্কুল এন্ড কলেজ সিলোনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == জায়লস্কর ইউনিয়নের প্রধান হাট-বাজার ৪টি। == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == বর্তমান চেয়ারম্যান: মামুনুর রশিদ মিলন == আরও দেখুন == দাগনভূঁইয়া উপজেলা দাগনভূঁইয়া থানা ফেনী জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নিবন্ধ'''বীরাঙ্গনা: উইমেন অব ওয়ার''' একটি ব্রিটিশ একাঙ্কিকা নাটক। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া নির্যাতিতা মহিলাদের না বলা সত্য কাহিনী এতে তুলে ধরা হয়েছে। যুদ্ধে দুই লক্ষেরও অধিক মহিলা ধর্ষণ নির্যাতনের শিকারে পরিণত হন। যুদ্ধের নায়িকাদের দৃষ্টিভঙ্গীকে বর্ণনাধর্মী নাটকীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে উৎসর্গ করা হয়েছে। == কুশীলব == *লিসা গাজী মরিয়ম *অমিত রহমান বহুবিধ লুক্কায়িত চরিত্র *পরিচালক: ফিলিজ ওজকান *নকশাকার অঙ্কনশিল্পী: কেইটলিন অ্যাবট *আলোকসজ্জ্বাকার (ইংরেজি সংস্করণ): সালভাতোর স্কোলো *আলোকসজ্জ্বাকার (বাংলা সংস্করণ): নাসিরুল হক খোকন *ভিডিওগ্রাফার: ফাহমিদা ইসলাম *শব্দ চিত্রায়ণ: আহসান রেজা খান *আর্টওয়ার্ক: কেইটলিন অ্যাবট (নায়েব উদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে মূল স্থিরচিত্র) *প্রযোজক: কমলা কালেকটিভের বাফি শার্প *ভোকাল: সোহিনি আলম *কণ্ঠশিল্পী: ফয়সাল গাজী *মূল কবিতা: তারফিয়া জয়জুল্লাহ == কাহিনী ক্ষেত্র == বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার লোককাহিনী কমলার গল্পের বর্ণনার মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর এতে গ্রাম্য কিশোরী মরিয়মের গল্প (লিসা গাজী) সম্পর্কে বলা হয়। মরিয়মের সবেমাত্র নতুন বিয়ে হয়েছে প্রথম সন্তান আগমনের প্রতীক্ষারত অবস্থায় ছিল। তারপর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে মরিয়ম পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে ধৃত হন। গ্রাম্য জীবন থেকে মরিয়ম আটক হয় তাকে নির্যাতন শিবিরে প্রেরণ করা হয়। তার গল্পে প্রথমদিককার টুকরো স্মৃতিতে সংযুক্তি ছিল: বাড়ীর কাছের পুকুরে সাঁতার শেখা; এলাকার ছেলেকে বিয়ে করা যাকে সে ‘তেঁতুল মানুষ’ নামে ডাকতো; সন্তান ধারনের প্রথম অনুভূতি। শিবিরে থাকাকালে অন্যান্য মহিলাদের সাথে গল্প করার কথা বলেন। তারা প্রত্যেকেই হত্যা, অপহরণ ধর্ষণের বিষয়ে নিজেদের দুঃখের কাহিনী তুলে ধরতো। == পটভূমি == ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর যুদ্ধ কৌশলের অংশ হিসেবে মহিলারা ধর্ষণের শিকারে পরিণত হন। বীরাঙ্গনা শব্দের অর্থ হচ্ছে সাহসী নারী বা বীর নারী। হিসেব করে দেখা গেছে যে, দুই লক্ষেরও অধিক নারী বালিকা পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের বাংলাদেশী সহযোগী কর্তৃক ধর্ষণ যৌন নির্যাতনের শিকার হন। যুদ্ধ শেষ হবার পর হাজার হাজার নারী এবং বালিকাদেরকে নির্যাতন শিবির সেনা ব্যারাক থেকে উদ্ধার করা হয়। পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর যুদ্ধ কৌশলের অংশ হিসেবে ধর্ষণ করা হয়। গবেষকেরা বলেছেন, বাংলাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এরফলে অগণিত যুদ্ধশিশুর জন্ম হয় নির্যাতনের শিকার মহিলাদেরকে সমাজচ্যূত করা হয়। ‘বীরাঙ্গনা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘সাহসী নারী’ বা ‘যুদ্ধের নায়িকা’। যখন লিসা গাজীর বয়স ১৭, তখন তার বাবা একটি গল্প শোনাচ্ছিলেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ শেষ হবার পর তার বাবা রাস্তা পারাপারের সময় নারীপূর্ণ ট্রাকের বহর দেখতে পান। তারা তাদের গ্রামের বাড়ী থেকে ধৃত হন নির্যাতন শিবিরে তাদেরকে রাখা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুকালীন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ছিলেন। অবশেষে মুক্ত দাঁড়ানো অবস্থায় ট্রাকগুলোতে তিনি তাদেরকে শয়ে শয়ে দেখেন। == উন্নয়ন == বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ারের ভিত্তি লিসা গাজীর ধারনা গবেষণার উপর গড়ে উঠেছে। এছাড়াও, তিনি নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তার রচিত নাটকের অন্যতম নাটক এটি। ২০১০ সালে গাজী বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ২১ বীরাঙ্গনার সাথে সাক্ষাৎকার নেন তাদের পরিচিতি চলচ্চিত্রাকারে সংরক্ষণ করেন। আগস্ট, ২০১৩ সালে গাজী তার লন্ডনভিত্তিক থিয়েটার আর্ট কোম্পানি কমলা কালেক্টিভকে সাথে নিয়ে নারীদের কাছে যান। তাদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে একটি আরএন্ডডি পরিবেশিত নাটকের সূচনা ঘটে। ভিডিওগ্রাফারের সহায়তায় পাঁচ বীরাঙ্গনার বক্তব্যকে ঘিরে তারা তা চলচ্চিত্রায়ণ করে। স্থানীয় নাট্যরচয়িতাকে নিয়ে একাঙ্কিকা নাটক রচনার উপযোগী পাণ্ডুলিপি তৈরিতে অগ্রসর হয়। তাদেরকে চরিত্রাকারে নাটকে সন্নিবেশন করা হয়। নাটকের মাধ্যমে কমলা কালেক্টিভের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এপ্রিল, ২০১৪ সালে বার্মিংহাম মেইলে গাজী বলেন, ‘আমার নাটক পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ নির্যাতনের শিকার হাজার হাজার নারীর কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরেছে। সমাজব্যবস্থা নারীদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাঁদের গল্পে নীরব ভূমিকা পালন করেছে তাঁদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছে। সামাজিকভাবে একটি রক্ষণশীল সমাজে ধর্ষণের কলঙ্ক সমষ্টিগত লজ্জ্বা খুবই ব্যাপক ছিল। দূর্দশাগ্রস্ত নারীরা নির্যাতনের বিষয়ে নিজেদেরকে তুলতে পারেনি। যদি তা করতো তাহলে তাঁরা নিজেদের লোকদের কাছেই অবমাননার শিকারে পরিণত হতো। নাটকটি কেবলমাত্র সাংস্কৃতিকভাবেই গুরুত্ত্বপূর্ণ নয়; বরং শিক্ষাগতভাবেও এর তাৎপর্য রয়েছে। বীরাঙ্গনারা এখন বয়সের ভারে ন্যূহ মৃত্যু তাঁদের দরজায় কাড়া নাড়ছে এবং তাঁদের মৃত্যুর পাশাপাশি তাঁদের গল্পেরও সমাপ্তি ঘটবে। তাঁরা দীর্ঘকাল নীরব রয়েছেন বিশ্ববাসীর কাছে এখন তাঁদের গল্প শোনা অত্যন্ত প্রয়োজন।’ == নির্মাণ == ‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার’ ফিলিজ ওজকানের পরিচালনায় এবং সামিনা লুৎফা লিজা গাজীর চিত্রনাট্যে নির্মিত হয়েছে। নাটক নির্মাণে বীরাঙ্গনাদের অন্তর্মুখী অভিব্যক্তিকে বৈষয়িক অনুভূতিরূপে তুলে ধরে তাদের সকল গল্পকে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা ছিল যুদ্ধকালীন যুদ্ধ-পরবর্তী সময়কালীন। এটি বীরাঙ্গনাদের ধর্ষণ, আটকানো, নির্যাতনের গল্পকে ঘিরে চিত্রিত। যুদ্ধকালীন যৌন নির্যাতনের শিকারে পরিণত নারীদেরকে তৎকালীন সরকারের সম্মাননা প্রদানের বিষয়ও এতে রয়েছে। এতে বাংলা পল্লীগাঁথার অ্যানিমেশন ফ্ল্যাশব্যাকের ন্যায় মিশ্র মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। শেষদিকে বীরাঙ্গনা মহিলাদের ক্যামেরায় তাদের সরাসরি বক্তব্য ভিডিও ফুটেজে ধারন করে দীর্ঘসময় দেখানো হয়। এতে সম্মান হারানোর ন্যায় কলঙ্কজনক অধ্যায়ের ফলে তাদের সন্তানদের উপহাসের পাত্র হওয়াসহ শেষকৃত্যে কারও না আসার বিষয়ে কথা বলা হয়। == মঞ্চায়ন == ২০১৩ সালে ঢাকায় নির্বাচিত দর্শকমণ্ডলীর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার জন্যে আরএন্ডডি পরিবেশনা ‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার’ প্রদর্শিত হয়। আগস্টের শেষে ‘বীরাঙ্গনা: ব্রেভ ওম্যান’ শীর্ষক গবেষণা উন্নয়নের চলচ্চিত্রায়ণ প্রদর্শনের পর পরিবেশনা যুক্তরাজ্য অন্যান্য দেশে চালুর ঘোষণা দেয়। মার্চ, ২০১৪ সালে ঢাকার স্বাধীনতা যুদ্ধ যাদুঘরে কমলা কালেক্টিভ তাদের পরিবেশনা প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ করে। এপ্রিল লন্ডনে প্রথম নাট্যানুষ্ঠান করে। ওল্ডহাম, বার্মিংহাম লীডসে প্রদর্শনের পূর্বে লন্ডনের লস্ট থিয়েটারে এটি মঞ্চস্থ হয়। ডিসেম্বর, ২০১৪ সালে পরিবেশনা গুলশান ক্লাব, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল, সিরাজগঞ্জের মনসুর হল এবং চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মঞ্চস্থ হয়েছিল। == সম্মাননা == ‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার’ লন্ডনভিত্তিক মর্যাদাপূর্ণ থিয়েটার পুরস্কার হিসেবে অফি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। নাটকটি ডেফি ঐতিহ্যগত শ্রেণীতে নাটককে তালিকায় নেয়া হয়। == প্রতিক্রিয়া == রেডহটকারি.কম বলে যে, ‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার নির্মাণের ফলে শতশত হাজারো হাজারো মহিলাকে সময়ে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ নির্যাতনে শক্ত প্রয়োজনীয় ভিত্তি এনে দিয়েছে। আকরাম খান বলেন, নাটকটি শুধুমাত্র সাংস্কৃতিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়; বরং শিক্ষাগতভাবেও সমধিক গুরুত্ত্বপূর্ণ ইতিহাসের পর্দায় ঢেকে যাওয়া নৃশংসতাকে পুণরায় উন্মোচন করেছে।’ ‘দ্য পাবলিক রিভিউজের’ ক্রিস্টোফার হং কর্তৃক নাটকটি ৩.৫/৫ রেট পায় তিনি বলেন, ‘... এটি নিন্দা জানাতে কার্পণ্য করেনি বরং যা করতে বলা হয়েছে তা তাঁদের অর্জিত গল্প বলার দিকে সাধারণ দৃষ্টিপাত করেছে।’ দ্য ডেইলি স্টারের সৌরভ দে বলেন, ‘৬০-মিনিটের নাটকটি বেশ জোড়ালো ছিল। এতে কৃত্রিমতা বা অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে উপস্থাপন করা হয়নি অভিনয়শৈলীর কোন স্থানেই দর্শকদেরকে বিরক্তির পর্যায়ে নিয়ে যায়নি। পরিবেশনা দেশের বিভিন্ন অংশে মঞ্চস্থ করার ফলে বীরাঙ্গনারা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ফিরে পাবেন বলে বিশ্বাস করেন। কমলা কালেক্টিভ নিশ্চিতভাবেই ইতিহাসের উপেক্ষিত চতুর্থ বিষয়টি তাদের শিল্পকলার অংশ হিসেবে ধরে তুলতে স্বার্থকতা দেখিয়েছেন।’ দ্য গার্ডিয়ানের তাহমিমা আনাম একে ‘একটি শক্তিশালী নতুন নাটক ... যুগান্তকারী পরিবেশনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। দ্য স্টেজ একে ‘উজ্জ্বল প্রভাবিত বিষয়’ বলে। ওয়ান ওয়ার্ল্ডের ড্যানিয়েল নেলসন বলেন, ‘এটি ভাবনার প্রয়োগ মৃত্যুদণ্ডতুল্য কাহিনীতুল্য।’ == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধর্ষণ নাটক নাটক নাটক স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক নাটক স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিণাম গাজীর নাটক'''সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড মেরিন সংরক্ষিত এলাকা''' () বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি সংরক্ষিত এলাকা। ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৩৮০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে এই সংরক্ষিত এলাকাটি গঠিত। ==অবস্থান== সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হচ্ছে একটি ১৪ কিলোমিটার ব্যাপী বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রের গভীর খাদ। গভীরতম এই উপত্যকা রেকর্ড আয়তন প্রায় ১৩৪০ মিটার। এখানকার ডুবো গিরিখাত বঙ্গ পাখার অংশ, যা বিশ্বের বৃহত্তম ডুবো গিরিখাত। ==ইতিহাস== গঙ্গা -ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরেরর ভেতরে একটি গভীর খাদের মত জায়গা।এটি গঙ্গা খাদ নামে পরিচিত। এখানে কয়েক প্রজাতির ডলফিন, হাঙ্গরসহ বিচিত্র জাতের বড় বড় মাছ পাওয়া যায়।জেলেরা তাদের বাঁশের হিসাব 'বাম'অনুযায়ে কোন হিসাব না পেয়ে নাম রাখেন 'না বাম'।এটি বিশ্বের বড় ১১টি বড় উপত্যকার একটি। কথিত অাছে, এখানেই ১৮৬৩ সালে গ্যাডফ্লাই নামে একটা ২১২ টন ওজন বিশিষ্ট গানবোট ভারত থেকে ইংল্যান্ডে বিপুল পরিমাণ ধনরত্ন নিয়ে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ডু্বে যায়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য সংরক্ষিত এলাকাটি-২ মাইকোটক্সিন '''হলুদ বৃষ্টি''' হল ১৯৮১ সালে গঠিত একটি রাজনৈতিক ঘটনার বিষয়, যেখানে মার্কিন রাষ্ট্রের আলেকজান্ডার হেগ সোভিয়েত ইউনিয়ন কে অভিযুক্ত করে টি-২ মাইকোটক্সিন ভিয়েতনাম লাওসের মধ্যে কমিউনিস্ট রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহ দমনের যুদ্ধে সরবরাহ করার জন্য। শরণার্থীরা একটি চটচটে হলুদ তরল প্লেন বা হেলিকপ্টার থেকে পরাড় বর্ণনা দিয়েছিল, যাকে পরবর্তীতে "হলুদ বৃষতিতেবলা হয়। দশ হাজারেরও বেশি মানুষ এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহাররের ফলে নিহত হয়েছে বলে মার্কিন সরকার দাবি করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন এই দাবি অস্বীকার করে এবং শুরুর দিকে জাতিসংঘ তদন্ত মীমাংসাহীন ছিল। একদল স্বাধীন বিজ্ঞানী দ্বারা অনুমিত রাসায়নিক এজেন্টর কিছু নমুনা সরবরাহ করা হয়, যেখানে বলা হয় "হলুদ বৃষ্টি" হল ''মউমাছি'' নিষ্কাশিত মৌমাছির বৃহৎ ঝাঁকে থেকে জারিত পরাগরেণু ভরা বিষ্ঠা। অন্যান্য বিজ্ঞানীরা শরণার্থীদের অ্যাকাউন্টের নির্ভুলতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং মার্কিন সরকার দ্বারা উপস্থাপিত রাসায়নিক বিশ্লেষণ কে নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করে। এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমান বলে যে হলুদ বৃষ্টি একটি সোভিয়েত রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত নয়। তবে বিষয়টি বিতর্কিত রয়ে যায় এবং মার্কিন সরকার এই অভিযোগ প্রত্যাহার করেননি, এই বলে যে বিষয়টি পুরোপুরি সমাধান করা হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে অনেক মার্কিন দলিল শ্রেণীবদ্ধ রয়েছে। == অভিযোগ == ১৯৭৫ সালে লাওস উত্তর ভিয়েতনামের ঘটনায় অভিযোগটি উঠে, যখন দুই সরকার, সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা সমর্থিত ছিল এবং যুদ্ধ শুরু করে হ্মোঙ উপজাতির লোকদের উপর, যারা ভিয়েতনাম যুদ্ধএর সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ ভিয়েতনাম এর পক্ষাবলম্বন করেছিল। শরণার্থীরা মনে করে রাসায়নিক যুদ্ধবিগ্রহ হয়েছিল ছোট উড়ন্ত বিমান বা হেলিকপ্টার হামলায়, বিভিন্ন রিপোর্ট একটি হলুদ, তৈলাক্ত তরলের কথা বলা হয় যাকে বলে "হলুদ বৃষ্টি"। সেই দাবি উন্মুক্ত করে খিঁচুনি, অন্ধত্ব, এবং রক্তপাত সহ শারীরিক উপসর্গ এবং স্নায়বিক। ১৯৭৮ সালে ঠিক একি রকম রিপোর্ট পাওয়া যায় কম্বোডিয়ার ভিয়েতনামী আক্রমন থেকে ও। ১৯৯৭ সালে ইউ এস আর্মি মেডিকেল বিভাগের দ্বারা প্রকাশিত বই থেকে জানা যায় যে, লাওস, কম্বোডিয়া আফগানিস্তানে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হামলার বর্ণনা ছিল বৈচিত্র্যময় এবং সেখানে ছিল করা ক্যানিস্টার এবং স্প্রে, উদো যাত্রীর সঙ্গের নিজলটবহর, আর্টিলারি শেল, রকেট গ্রেনেড যা তরল, ধুলো, গুঁড়ো, ধোঁয়া বা "পোকার-মত" হলুদ, লাল, সবুজ, সাদা বা বাদামি রঙের ফোঁটা উৎপন্ন করে। ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আলেকজান্ডার হেগ ঘোষণা করে যে: সোভিয়েত ইউনিয়ন তার মিত্ররা লাওস, কাম্পুচিয়া এবং আফগানিস্তানে প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার খবরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন কিছু সময়ের জন্য শংকিত। বর্আতমানে আমরা একটি শারীরিক প্রমাণ পেয়েছি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে, যা বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, অস্বাভাবিক উচ্চ মাত্রাসম্পন্ন তিন ক্ষমতাশালী পদার্থ যা অঞ্চলের জন্য ক্ষতিকর নয় কিন্তু মানুষ এবং পশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সোভিয়েত ইউনিয়ন এই অভিযোগগুলো কে একটি "বড় মিথ্যা" হিসাবে বর্ণনা করে এবং পালাক্রমে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য মার্কিন সরকার কে অভিযুক্ত করে। জাতিসংঘ আমেরিকান অভিযোগ টি পাকিস্তান থাইল্যান্ডে তদন্ত করার অনুরোধ জানায়। এটি গঠিত হয় জন ডাক্তার এবং বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে, যারা সাক্ষী সহ সাক্ষাত্কার দেয় এবং নমুনা সংগ্রহ করে আফগানিস্তান কম্বোডিয়া থেকে আসা পারপরটেড দের থেকে। যাইহোক, সাক্ষাতকার টি হয় পরস্পরবিরোধী এবং নমুনার বিশ্লেষণ মীমাংসাহীন ছিল। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা দুই উদ্বাস্তুদের পরীক্ষা করে, যারা নিজেদের রাসায়নিক হামলার পর প্রতিক্রিয়া ভুগছেন বলে দাবী করেন, কিন্তু এর পরিবর্তে তাদের ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা তারা যাচাই করতে পারেনি কিন্তু অবস্থাগত প্রমাণে লক্ষনীয় "কিছু স্থানে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার কিছু সম্ভাব্য বাছাই ইঙ্গিতপূর্ণ"। ১৯৮৩ এবং ১৯৮৪ সালে মার্কিন মাইকোটক্সিন বিশ্লেষকেরা বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে রিপোর্ট করে এবং বলে অল্প পরিমাণে মাইকোটক্সিনস মানে বিলিয়ন প্রতি পরিসীমা অংশে ট্রেস মিলিয়ন ট্রাইখোথেন্স প্রতি বিলিয়ন পরিসীমা অংশে সর্বনিম্ন মাইকোটক্সিন সীমা সনাক্তকরণ সম্ভব। যাইহোক, এই রিপোর্টে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকার কারনে সৃষ্টি হয় একটি "দীর্ঘায়িত এবং ঝাঁজালো সময়ে, বিশ্লেষণ বৈধতা নিয়ে বিতর্ক"। ২০০৩-চিকিৎসা পর্যালোচনা খেয়াল করে যে এই বিতর্ক খারাপ কিছু ঘটাতে পারে যেহেতু "যদিও বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি শুরুতে বিতর্কিত ছিল, তারা এখনো যথেষ্ট সংবেদনশীল পরিবেশে ট্রাইখোথেন্স দূষণ কম মাত্রা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে"। == প্রাথমিক তদন্ত == মিনেসোটা সি জে মিরচা একটি বায়োকেমিক্যাল তদন্ত পরিচালনা করেন। == বিকল্প ব্যাখ্যা == === মৌমাছি হাইপোথিসিস === মৌমাছি ফোঁটা ফোঁটা করে অনুরূপ "হলুদ বৃষ্টি" ১৯৮৩ সালে, হার্ভার্ড জীববিজ্ঞানী এবং জৈব অস্ত্র প্রতিপক্ষের ম্যাথিউ মেসেলসন এবং তার দল দ্বারা এই অভিযোগ করা হয়েছে, যারা লাওস ভ্রমণ করে এবং একটি পৃথক তদন্ত করে। মেসেলসনের দল লক্ষ করে যে, ট্রাইখোথেন্স মাইকোটক্সিনস স্বাভাবিকভাবেই একটি অঞ্চলে ঘটবে। তিনি একটি বিকল্প প্রস্তাব করেন যে, হলুদ বৃষ্টি হল মৌমাছির নিরীহ গাদ। মৌমাছি হাইপোথিসিস প্রকাশ্য হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে সেপ্টেম্বর চিনের জিয়াংসু প্রদেশে এর উপর একটি সাহিত্য অনুসন্ধান প্রকাশিত হয়। যাইহোক, চীনা বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে ফোঁটা মৌমাছি থেকে এসেছিল। == আরো দেখুন == *Agent Orange *Red rain in Kerala *Sverdlovsk anthrax leak *Aral smallpox incident *Allegations of biological warfare in the Korean War == আরও পড়া == == বহিঃসংযোগ == The Yellow Rain Affair Matthew Meselson and Julian Robinson Note from History: Yellow Rain Defense Treaty Ready Inspection Readiness Program Union–United States relations Union–Vietnam relations of Laos of Vietnam administration controversies in the United States weapons attacks operations controversies chemical weapons program'''ই-৯''' (E-9) হচ্ছে বিশ্বের ৯-টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম যার লক্ষ্য হচ্ছে ইউনেস্কোর “সবার জন্য শিক্ষা (Education for All)” উদ্যোগের লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা। এই ই-৯ (E-9) এর হচ্ছে Education এবং দ্বারা নয়টি দেশকে উপস্থাপন করে। এই নয়টি দেশ হচ্ছেঃ বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তান। এই দেশগুলো পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যাকে উপস্থাপন করে এবং পৃথিবীর প্রাপ্ত বয়স্ক নিরক্ষর লোকের ৭০% এই দেশগুলোতে বাস করে। এই উদ্যোগের সম্মেলন ১৯৯৩ সালে ভারতের নতুন দিল্লিতে শুরু করা হয়। এই উদ্যোগ বর্তমানে একটি ফোরামে পরিণত হয়েছে যা সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করে। এই ফোরাম তাদের নিজেদের মধ্যে সু-অনুশীলন বিনিময় করে এবং “সবার জন্য শিক্ষা” সম্পর্কিত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন। ==আর্থ-সামাজিক অবস্থা== ই-৯ দেশসমূহ আর্থসামাজিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আগ্রগতি করেছে। ব্রাজিল, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং মেক্সিকো জি-২০ এর সদস্য। এর মধ্যে মেক্সিকো ওইসিডি সদস্য এবং চীন বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ব্রাজিল এবং ভারতও সেরা দশ অর্থনীতির দুইটি দেশ। ইন্দোনেশিয়ার উন্নয়নও খুব দ্রত হচ্ছে। ১৯৯৩ এই ফোরামের সদস্য দেশসমূহের নমিনাল জিডিপি ছিলো পৃথিবীর মোট নমিনাল জিডিপির ১৬.৫% যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৩০%। ==তথ্যসূত্র== সংগঠনদ্বিমুখী innerspring বক্স-বসন্ত ভিত্তির ওপর তোশক. বোনা বুটি কভার. (প্রস্তুতকারী Shifman Mattress) '''তোশক''' হল এক প্রকার বড় প্যাড যা শায়িত দেহের ভার বহন করে এবং বিছানা এর অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।তোশক সাধারণত গদি দ্বারা তৈরি করা হয় বা মোটা নরম কিংবা কাঠামো ভিত্তিক লোহার স্প্রিং দ্বারা তৈরি করা হয়। কিছু তোশক আবার বায়ু বা পানি দ্বারা ভর্তি করে তৈরি করা হয়। তোশক শব্দটি বাংলায় ফরাসি শব্দ থেকে আগত। তোশক এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ''mattress, আরবি শব্দ ''matrah'' থেকে এসেছে যার অর্থ "নিচে ফেলানো কিছু" বা "সেই জায়গা যেখানে কিছু ফেলানো হয়"।ক্রুসেড এর সময় ইউরোপিয়ানরা আরবীয়দের মেঝেতে জাজিম পেতে শোয়ার পদ্ধতি আয়ত্ত্ব করে। তোশক শক্ত কাঠামো বিশিষ্ট বিছানা এর ওপর পাতা হয়, বিছানা এর ভিত্তি হিসেবে বা একটি মোটা কাঠ অথবা বাক্স বসানো ভিত্তির সাথে উভয় মোটা গদি হিসেবে এবং একক ভিত্তি ইউনিট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডিভানদের অন্তত একটি স্প্রিংযুক্ত স্তর থাকে যার সাথে অন্যান্য তোশক তৈরির সরঞ্জামাদিও থাকে। সেটা সেকেন্ডারি তোশক হিসেবে বা সরণশীল উপরের স্তর হিসেবে সরবরাহ করা হতে পারে। প্রাথমিক তোশকগুলো তৈরি হতো খড়, পালক বা ঘোড়ার চুল সহ বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা।বিশ শতক এর প্রথমার্ধে, উত্তর আমেরিকা কর্তৃক বিক্রিত একটি তোশকের স্প্রিং এর মজ্জার সাথে তুলার ব্যাটিং বা আঁশ ভর্তি ছিল।আধুনিক তোশক গুলোতে সাধারণত অন্তঃস্প্রিং ভিত্তি কিংবা ল্যাটেক্স, ভিসকোয়েলাস্টিক বা অন্যান্য নমনীয় পলিইউরেথিন ফোম থাকে।অন্যান্য ভর্তির সামগ্রীর মধ্যে কুণ্ডলীর ওপর বসানো অন্তরক প্যাড রয়েছে যা বিছানা এর সজ্জার স্তর গুলোকে অন্তঃস্প্রিং এর সংস্পর্শে আসা থেকে রোধ করে, সাথে সাথে বিছানা এর উপরের সজ্জার স্তরে একটি পলেস্টারের নরম আবরণ তৈরি করে।১৮৯৯ সালে জেমস মার্শাল প্রথম স্বতন্ত্রভাবে মোড়ানো স্প্রিং এর কুণ্ডলীযুক্ত তোশক পরিচিত করান যা সাধারন ভাবে মার্শাল কয়েলস্ নামে পরিচিত।তোশক পানি কিংবা বায়ু দ্বারা বা বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক আঁশ যেমন ফুটোন দ্বারাও ভর্তি করা এশিয়াতে কাপোক এবং দক্ষিন এশিয়াতে কোইর হল তোশক তৈরির সাধারণ উপাদান। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় বহুল বিক্রিত তোশক স্প্রিং এর মজ্জা যুক্ত তবে সম্পূর্ণ ফোম যুক্ত বিছানা এবং হাইব্রিড বিছানা, যাদের আরামদায়ক স্তরের মধ্যে স্প্রিং মজ্জা এবং ভিস্কো-ইলাস্টিক বা ল্যাটেক্স এর মতো উচ্চ মানের ফোম উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকে, সেসব তোশকের ওপর লোকের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরোপে পলিইউরেথিন ফোমের মজ্জা এবং ল্যাটেক্স এর মজ্জা খুবই জনপ্রিয় এবং বিক্রিত তোশকের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। == নির্মাণকৌশল == প্রচলিত তোশক দুটি প্রাথমিক অংশ নিয়ে গঠিত– একটি "কেন্দ্র" বা "সমর্থন স্তর" এবং "শয়ন স্তর" বা "আরামদায়ক স্তর"। এই দুটি অংশকে একসাথে একটি মোটা বস্ত্রে মোড়া হয়। একে বলা হয় ''ticking.'' শয়ন স্তরগুলো সমর্থন স্তুরগুলোকে ঢেকে রাখে এবং আরাম প্রদান করে। শয়ন স্তরটি তিনটি অংশ দ্বারা গঠিত। যথা ইন্সুলেটর, মধ্য শয্যা এবং কুইল্ট। তোশক সাধারণত বানানো হয় বেড সাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস এর সাথে মিল রাখার জন্য যা বাজারের ভিন্নতায় বিভিন্নরকম হয়ে থাকে। == প্রকারভেদ == Innerspring mattresses commonly consist of just the spring core, and the top and bottom upholstery layers. The core of the mattress supports the sleeper’s body. Modern spring mattress cores, often called "innersprings," are made up of steel coil springs, or "coils." The gauge of the coils is another factor which determines firmness and support. Coils are measured in quarter increments. The lower the number, the thicker the spring. In general, higher-quality mattress coils have 14-gauge (1.63 mm) diameter. Coils of 14 to 15.5-gauge (1.63 to 1.37 mm) give more easily under pressure, while 12.5-gauge (1.94 mm) coil, the thickest typically available, feels quite firm. Connections between the coils help the mattress retain its shape. Most coils are connected by interconnecting wires; encased coils are not connected, but the fabric encasement helps preserve the mattress shape. There are four types of mattress coils: '''Bonnell coils''' are the oldest and most common. First adapted from buggy seat springs of the 19th century, they are still prevalent in mid-priced mattresses. Bonnell springs are knotted, round-top, steel wire coil. When laced together with cross wire helicals, these coils form the simplest innerspring unit, also referred to as Bonnell unit. '''Offset coils''' are an hourglass type coil on which portions of the top and bottom convolutions have been flattened. In assembling the innerspring unit, these flat segments of wire are hinged together with helical wires. The hinging effect of the unit is designed to conform to body shape. LFK coils are an unknotted offset coil with cylindrical or columnar shape. '''Continuous coils''' (the Leggett Platt brand name is "Mira-coil") is an innerspring configuration in which the rows of coils are formed from single piece of wire. They work in hinging effect similar to that of offset coils. '''Marshall coils,''' also known as wrapped or encased coils or '''pocket springs''', are thin-gauge, barrel-shaped, knotless coils individually encased in fabric fabric from man-made, nonwoven fiber. Some manufacturers precompress these coils, which makes the mattress firmer and allows for motion separation between the sides of the bed. As the springs are not wired together, they work more or less independently: the weight on one spring does not affect its neighbours. More than half the consumers who participated in survey had chosen to buy pocket spring mattresses. ====শয়ন স্তর সমূহ==== Upholstery layers cover the mattress and provide cushioning and comfort. Some manufacturers call the mattress core the "support layer" and the upholstery layer the "comfort layer." The upholstery layer consists of three parts: the insulator, the middle upholstery, and the quilt. The insulator separates the mattress core from the middle upholstery. It is usually made of fibre or mesh and is intended to keep the middle upholstery in place. The middle upholstery comprises all the material between the insulator and the quilt. It is usually made from materials which are intended to provide comfort to the sleeper, including flexible polyurethane foam (which includes convoluted "egg-crate" foam), visco-elastic foam, latex foam, felt, polyester fiber, cotton fiber, wool fiber and nonwoven fiber pads. In Europe and North America, mattress makers have begun incorporating gel-infused foams, soft-solid gels layered over foam, and poured gels in the top comfort layer of the bed. The quilt is the top layer of the mattress. Made of light foam or fibres stitched to the underside of the ticking, it provides soft surface texture to the mattress and can be found in varying degrees of firmness. ====ভিত্তি==== There are three main types of foundation or bed base: traditional box spring consists of rigid frame containing extra heavy duty springs. This foundation is often paired with an innerspring mattress, as it extends the life of the spring unit at the mattress's core. An all-wood foundation usually has seven or eight support slats disposed below paperboard or beaverboard. This foundation, variously called "no-flex", "low-flex" or unit, as well as an "ortho box", provides support similar to platform foundation. All-wood foundations have become increasingly prevalent as U.S. mattress makers shifted to super-thick, one-sided mattresses. grid-top foundation is combination of steel and wood. Typically the measurements of foundation will be about 1-2" shorter than the measurement of mattress. ====প্রচ্ছদ বস্ত্র==== Ticking is the protective fabric cover used to encase mattresses and foundations. It is usually designed to coordinate with the foundation border fabric and comes in wide variety of colors and styles. Mattress fabrics can be knits, damask or printed wovens, or inexpensive nonwovens. During the past decade, along with the rise in popularity of all-foam beds, stretchy knit ticking on the bed's top panel has become standard look on both innerspring and foam beds. Most ticking is made with polyester yarns. More expensive mattress fabrics may contain combination of polyester with rayon, cotton, silk, wool or other natural yarns. Until the early 2000s, beds were normally upholstered with single fabric. This was usually damask ticking or, for inexpensive bedsets, nonwoven fabric covering all surfaces of the mattress and foundation. Today's bedsets are covered with up to six different fabrics: better quality circular knit or woven damask on the top panel—the bed's sleeping surface; matching or contrasting usually woven fabric on the border of the mattress; matching or contrasting usually woven fabric on the foundation side panels; 'non-skid' woven or non-woven fabric on the surface of the foundation and reverse side of the mattress; and nonwoven dust cover on the under side of the foundation. Some North American mattress producers are beginning to use furniture upholstery fabrics on the bed's borders giving beds more European, home furnishings look. ===ফোমের তোশক=== All-foam mattresses use different weights and densities of flexible polyurethane foams and visco-elastic foams or memory foam, and latex rubber foams. number of mattress manufacturers have incorporated polyurethane and visco-elastic foams with portion of plant-based content. All-foam mattresses are often paired with platform bases. ====ল্যাটেক্স ফোম==== Latex foam in mattresses is generally blend of the latex of the Hevea brasiliensis tree and synthetic latex, which is derived from petrochemicals and other substances and fillers. There are, however, natural latex mattresses that leave out chemicals. Latex foam is produced using either the Talalay or the Dunlop process. Each provides different feel. Dunlop is generally firmer foam, Talalay is softer. While the Dunlop process produces denser foam, the Talalay process produces lighter one that has more air in it. If you were to weigh each as latex cores, the Dunlop foam would be heavier because it has more latex in it. Talalay is more expensive as its production is more resource intensive. Natural latex foam has higher latex content than synthetic latex, however, "100% natural latex foam" is misleading. ====মেমোরি ফোম==== Memory foam mattresses use conforming visco-elastic foam over firmer polyurethane base foam. Some innerspring mattresses have memory foam in their upholstery layer. Different feels and comfort levels are achieved by varying the thickness, weight and formulation of the visco-elastic foams and the base foams. Latex and memory foam mattresses each provide unique feel. This type of mattress is good at relieving pressure on painful joints. Many memory foam mattresses are more expensive than standard spring mattresses. Memory foam is affected by temperature. In cool bedroom, memory foam mattress will feel firmer than it does in warm bedroom. Memory softens and conforms to the sleeper in response to body temperature and body weight. Traditional memory foam molds to the body creating depression the sleeper must roll out of when changing sleep positions. Mattress manufacturers have responded to this issue by using "faster response" memory foams. They spring back more quickly when the sleeper moves. Foam mattresses are also known to generally "sleep warmer" than innerspring mattresses. Mattress makers have addressed the issue with "open-cell" memory foams, pinhole cored memory foam, gel-infused memory foams, channel-cut foam cores, reticulated foam support layers and other technologies to improve air circulation through all-foam beds. ====উচ্চ ঘনত্বের ফোম==== Similar to memory foam mattresses, high density foam mattress uses more compact foam typically made from polyurethane. This kind of foam is made largely from open cells that are packed together tightly. High density foam mattresses offer comfort and longevity because they are more dense than traditional foam mattress. High density foam mattresses that have an innerspring system last even longer and eliminate mattress sagging. ===ব্লাডারের তোশক=== Mattresses can also be made from bladders of some fluid, notably water or air. These date to antiquity goatskin bladders filled with water were used in Persia at least as early as 3600 BCE and gained increased popularity in the 20th century with improved manufacturing. ====বায়ুর তোশক==== Air mattresses use one or more air chambers instead of springs to provide support. Quality and price can range from inexpensive ones used occasionally for camping, to high-end luxury beds. Air mattresses designed for typical bedroom use cost about the same as inner-spring mattresses with comparable features. Air bladder construction varies from simple polyethylene bag to internally baffled, multiple chambers of latex (vulcanized rubber) or vinyl with bonded cotton exteriors. Mattresses may have layer of foam above the air chambers for added cushioning, and may be enclosed in cover. Some such beds are termed soft-sided air beds. Permanent use "airbeds" became popular particularly after market leader Select Comfort began major marketing campaign around 2001. The original airbed was manufactured by Comfortaire in 1981, which was later purchased by Select Comfort. There are several other manufacturers. Some allow independent adjustment of each side of the bed. They are made in variety of models from basic, no-frills ones that measure about 7" in height, to high-profile, 15" tall hybrids that contain several types of foam, pillow tops, and digital pumps with memory for individual pressure settings. Studies suggest that beds are better for back pain. mattresses for medical use have special control mechanisms. In the 1990s self-adjusting air beds that automatically change their pressure periodically, or inflate and deflate several air chambers alternately, were introduced. The intention of these periodic changes is to reduce problems with decubitus ulcers (bed sores), though the effectiveness of these techniques was still being researched. Air mattresses for camping are available which are filled with foam which itself provides little support, but expands when the air valve is opened allowing air to enter, so the mattress (nearly) inflates by itself. This is especially useful for campers who carry their equipment as, unlike with normal air mattresses, no pump is needed for inflating. Available brands include Aerobed, Coleman, Therm-a-Rest and others. The U.S. Consumer Product Safety Commission advises consumers not to let infants sleep on air mattresses. This is motivated by reports of deaths, mostly infants younger than months of age, who were placed to sleep on air mattresses, and either suffocated in face down position on an air mattress or died due to suffocation after falling into gaps between the mattress and bed frame, or the mattress and adjacent furniture or wall. ====পানিভর্তি তোশক==== waterbed is mattress with water in its interior instead of metal coils or air. Waterbeds can be lined with different layers of fiber to achieve the level of firmness the user desires. Waterbeds are well known for providing support to the spine and other body parts, similar to the other mattress types. There are several options of support which range up to 100% waveless, where the user does not notice he/she is lying upon waterbed. == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ ==The 2006 NASA ST5 spacecraft antenna. This complicated shape was found by an evolutionary computer design program to create the best radiation pattern. It is known as an evolved antenna. কম্পিউটার বিজ্ঞান অপারেশন গবেষণায় '''জিনভিত্তিক অ্যালগরিদম''' অর্থাৎ বংশগতিগত সমাধান-পদ্ধতি প্রাকৃতিক নির্বাচন পদ্ধতি অনুসরণে আবিষ্কৃত যা পদ্ধতির অন্তর্গত বংশগতিগত সমাধান-পদ্ধতি সাধারণত অপ্টিমাইজেশন বা সর্বানুকূলকরণ এবং অনুসন্ধান সমস্যাবলির সমাধানে ব্যবহার করা হয় যা পরিবর্তন, ক্রসওভার এবং নির্বাচন অপারেশনের উপর নির্ভর করে == References == অ্যালগরিদমপদার্থবিজ্ঞানে '''শক্তির নিত্যতা''' সূত্র বলে যে বিশ্বের মোট শক্তির পরিমান ধ্রুবক শক্তি অবিনশ্বর, শক্তি সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না এক রূপ থেকে শক্তিকে কেবলমাত্র অন্য রূপে রূপান্তরিত করা যায় যেমন, একটি ডিনামাইট এর লাঠির বিস্ফোরণের ফলে রাসায়নিক শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় শক্তির নিত্যতা সূত্রের অনুযায়ী প্রথম ধরনের অবিরাম গতি যন্ত্র তৈরী করা অসম্ভব কারণ বহিরাগত শক্তি সরবরাহ ছাড়া কোনো সংস্থা তার আশেপাশে সীমাহীন শক্তি সরবরাহ করতে পারে না ==ইতিহাস== Gottfried Leibniz ৫৫০ এর সময়কার প্রাচীন দার্শনিকদের ধারণা ছিল যে কিছু অন্তর্নিহিত পদার্থ সংরক্ষণ করে সবকিছু তৈরী হয়েছে কিন্তু আমরা যেটাকে ভর-শক্তি হিসেবে জানি সেটা এভাবে শনাক্ত করা যায় না (যেমন, থালেস এটাকে জল ভেবেছিলেন) এমপেডোক্লেস ৪৯০-৪৩০) এর মতে চার উপাদান (পৃথিবী, বায়ু, জল, অগ্নি) দিয়ে গঠিত এই সকল উপাদানের ক্রমাগত মিশ্রণ বা পরিবর্তনেই ব্ৰহ্মাণ্ড গঠন হয়েছে ১৬০৫ সালে সাইমন স্টেভিনাস প্রথম ধরনের অবিরাম গতি যন্ত্রের উপর বেশ কিছু স্থিতিবিদ্যা সংক্রান্ত প্রশ্নের সমাধান করেন ১৬৩৮ সালে গ্যালিলিও বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন এর মধ্যে 'বিঘ্নিত দোলক' এর বিশ্লেষণও ছিল, যেখানে শক্তির সংরক্ষণ নীতি মেনে স্থিতিশক্তি থেকে গতিশক্তিতে রূপান্তর হয় এবং গতিশক্তি থেকে স্থিতিশক্তিতে রূপান্তর হয় বিধি বিধি'''কালিম্পং জেলা ''' (; ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। নিম্ন হিমালয়-এ অবস্থিত। গড় উচ্চতা দার্জিলিং জেলার কালিম্পং মহকুমা ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে পৃথক ভাবে কালিম্পং জেলা হিসাবে পরিচিত হয়। কালিম্পং জেলার সদর দপ্তর কালিম্পং শহরের উপকণ্ঠে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৭ মাউন্টেন ডিভিশন অবস্থিত। কালিম্পং-এর পরিচিতি রয়েছে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য। এগুলির অধিকাংশ ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত হয়। চীনের তিব্বত আগ্রাসন ভারত-চীন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত এই শহর ছিল ভারত-তিব্বত বাণিজ্যদ্বার। ১৯৮০-র দশক থেকে কালিম্পং প্রতিবেশী দার্জিলিং পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কালিম্পং তিস্তা নদীর ধারে একটি শৈলশিরার উপর অবস্থিত। মনোরম জলবায়ু সহজগম্যতা একে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র করেছে। উদ্যানপালনে কালিম্পং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নানাপ্রকার অর্কিড দেখা যায়। এখানকার নার্সারিগুলিতে হিমালয়ের ফুল, স্ফীতকন্দ (tubers) রাইজোমের ফলন চলে। কালিম্পং-এর অর্থনীতিতে এই ফুলের বাজার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নেপালি, অন্যান্য আদিবাসী উপজাতি ভারতের নানা অংশ থেকে অভিনিবেশকারীরা শহরের প্রধান বাসিন্দা। কালিম্পং বৌদ্ধধর্মের একটি কেন্দ্র। এখানকার জ্যাং ঢোক পালরি ফোডাং বৌদ্ধমঠে বহু দুষ্প্রাপ্য তিব্বতি বৌদ্ধ পুঁথি রক্ষিত আছে। ==নামের উৎপত্তি== ''কালিম্পং'' নামের সঠিক উৎস অজ্ঞাত। সর্বজনগ্রাহ্য মত হল, তিব্বতি ভাষায় ''কালিম্পং'' মানে ''রাজার মন্ত্রীদের সভা (বা বেড়া)''। কথাটি এসেছে ''কালোন'' (''রাজার মন্ত্রী'') ''পং'' (বেড়া) শব্দদুটি থেকে। অন্য মতে, লেপচা ভাষায় ''কালিম্পং'' শব্দটির অর্থ ''যে শৈলশিরায় আমরা খেলা করি''। অতীতে এখানে স্থানীয় আদিবাসীদের গ্রীষ্মকালীন আসর বসত। পাহাড়ের অধিবাসীরা এই অঞ্চলকে ''কালিবং''-ও (''কালো নাল'' (spur)) বলে থাকেন। ''দি আনটোল্ড অ্যান্ড আননোন রিয়ালিটি অ্যাবাউট দ্য লেপচাস'' গ্রন্থের রচয়িতা কে পি তামসাং-এর মতে, ''কালিম্পং'' কথাটি এসেছে ''কালেনপাং'' শব্দ থেকে, লেপচা ভাষায় যার অর্থ ''গোষ্ঠীর ছোটো পাহাড়'' ("Hillock of Assemblage")। শব্দটি প্রথমে হয় ''কালীবাং''। পরে আরও বিকৃত হয়ে হয় কালিম্পং। অন্য মতে, এই অঞ্চলে বহুল প্রাপ্ত তান্তব উদ্ভিদ কাউলিম-এর নামানুসারে এই অঞ্চলের নাম হয়েছে মহুকুমা নতুন জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশের পর জেলার নামও রাখা হয় কালিম্পং। ==ইতিহাস== ==নদ নদী== রাংপো নদী মেরং নদী রাসেল নদী রংবং নদী রেচি নদী রামবং নদী সাবুকতান নদী নুন চু রাংলো নদী চামাং নদী মহাকা নদী তিস্তা নদী রিরিউং নদী ঋষিখোলা নদী রামথি নদী রেল্লিখোলা নদী জলঢাকা নদী খুমানি নদী রঙ্গো নদী চেল নদী ডালিং নদী লিস নদী নেওড়া নদী ঘিস নদী ==প্রশাসনিক এলাকা== এই কালিম্পং জেলা একটি মহুকুমা (কালিম্পং মহকুমা), কালিম্পং পুরসভা এবং কালিম্পং-১, কালিম্পং-২ গোরুবাথান ব্লক তিনটি নিয়ে গঠিত। এই ব্লকে ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। কালিম্পং এই মহকুমার সদর শহর। কালিম্পং পুরসভা ছাড়াও এই মহকুমা ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত অবস্থিত। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কালিম্পং-১, কালিম্পং-২ গোরুবাথান ব্লকের অধীনস্থ।১ ===ব্লক=== ====কালিম্পং-১ ব্লক==== কালিম্পং-১ ব্লক ১৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: বং, কালিম্পং, সামালবং, তিস্তা, ড. গ্রাহামস হোমস, নিম্ন এছায়, সামথার, নিমবং, ডুংরা, উচ্চ এছায়, সেওকবির, ভালুকহোপ, ইয়াংমাকুম, পাবরিংটার, সিনডেপং, কাফের কানকে বং, পুডুং এই ব্লকের একমাত্র থানা। ব্লকের সদর কালিম্পং। ====কালিম্পং-২ ব্লক==== কালিম্পং-২ ব্লক ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: দালাপচন্দ, কাশিয়ং, লোলে, লিংসেইখা, গিতাব্লিং, লাআ-গিতাবেয়ং, পেয়ং, কাগে, লিংসে, শাংসে, পেডং স্যাকিয়ং শান্তুক। এই ব্লকে কোনো থানা নেই। ব্লকের সদর আলগোরা। ====গোরুবাথান ব্লক==== গোরুবাথান ব্লক ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। এগুলি হল: দালিম, গোরুবাথান-২, পাটেংগোডাক, টোডেটাংটা, গোরুবাথান-১, কুমাই, পোখরেবং, স্যামসিং, আহালে, নিম রোঙ্গো।এই ব্লকে দুটি থানা রয়েছে। যথা, গোরুবাথান জলঢাকা।ব্লকের সদর ফাগু। ===বিধানসভা কেন্দ্র=== সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের সুপারিশ অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্রগুলি যে সীমানা পুনর্নির্ধারিত হয়েছে, সমগ্র মহকুমাটি নিয়ে কালিম্পং বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত হয়েছে। এই বিধানসভা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ==ভাষা== ==আরও দেখুন== পূর্ব বর্ধমান জেলা পশ্চিম বর্ধমান জেলা ঝাড়গ্রাম জেলা ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == জেলা জেলাকিরীটেশ্বরী মন্দির '''কিরীটেশ্বরী মন্দির''' হল হিন্দুধর্মের শাক্ত মতের পবিত্র তীর্থ শক্তিপীঠগুলির অন্যতম। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ কোর্ট রোড রেলওয়ে স্টেশনের মাইল দূরে 'কিরীটকণা' (বা 'কিরীটকোণা') গ্রামে অবস্থিত। রাঢ় বাংলার প্রাচীন পীঠস্থানগুলির মধ্যে কিরীটকণা অন্যতম; যদিও বর্তমান মন্দিরটি বেশি পুরানো নয়। এই মন্দিরের নিকটে একাধিক মন্দির আছে। তান্ত্রিকমতে, এখানে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর 'কিরীট' অর্থাৎ মুকুটের কণা পতিত হয়েছিল। যেহেতু এখানে দেবীর কোনও অঙ্গ পতিত হয়নি, তাই এই স্থানকে অনেক তন্ত্রবিদ্ 'পূর্ণ পীঠস্থান' না বলে 'উপপীঠ' বলে থাকেন। এই পীঠে দেবী 'বিমলা' এবং তার ভৈরব 'সম্বর্ত' নামে পূজিত হন। == লোকবিশ্বাস == কিরীটেশ্বরী মা লোকবিশ্বাস অনুসারে, শক্তিপীঠ নামাঙ্কিত তীর্থগুলিতে দেবী সতীর দেহের নানান অঙ্গ অলঙ্কার প্রস্তরীভূত অবস্থায় রক্ষিত আছে। "শক্তি" অর্থাৎ প্রত্যেক "পীঠস্থানে" পূজিতা দেবী, যিনি দাক্ষায়ণী, দুর্গা বা পার্বতীর বিভিন্ন রূপ; "ভৈরব" অর্থাৎ দেবীর স্বামী (সঙ্গী), যারা প্রত্যেকেই শিবের বিভিন্ন রূপ; "দেহ খণ্ড বা অলঙ্কার" অর্থাৎ সতী দেবীর শরীরের বিভিন্ন অংশ বা অলঙ্কার যা ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র দ্বারা ছেদনের পর সেই "পীঠস্থানে" পতিত হয়েছিল। সাধারণত ৫১টি শক্তিপীঠের কথা বলা হয়ে থাকলেও, শাস্ত্রভেদে পীঠের সংখ্যা অবস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। ==বিবরণ== আসল কিরীটেশ্বরী মন্দির ভৈরবের মন্দির শাক্তধর্মে এই স্থান একটি প্রাচীন মহাপীঠ হিসাবে প্রসিদ্ধ। পাঠান-মুঘল শাসনকালেও এই স্থানের খ্যাতি ছিল। রিয়াজুস সালতীন গ্রন্থে রেনেলের কাশীমবাজার দ্বীপের মানচিত্রে কিরীটকোণাকে 'তীরতকোণা' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পৌষ মাসের প্রতি মঙ্গলবার এখানে দেবী কিরীটেশ্বরীর মেলা বসে। মন্দিরে দেবীর কোনও প্রতিমূর্তি নেই, একটি উঁচু পাথরের উপর বেদী আছে; এই বেদীর উপর আরেকটি ছোট বেদী আছে যা দেবীর কিরীট বলে পূজা করা হয়। কিরীটেশ্বরী মন্দিরের চারিদিকে অনেক ছোট-ছোট মন্দির আছে; তারমধ্যে একটি চারচালা মন্দিরকে সপ্তদশ শতাব্দীর তৈরি বলে মনে করা হয়। রাজা রাজবল্লভের প্রতিষ্ঠিত শিবমন্দিরও এখানে আছে। গ্রামের মধ্যে গুপ্তমঠ নামে এক নতুন মন্দিরে কিরীটেশ্বরীর পূজার ব্যবস্থা আছে। নাটোরের সাধন-অনুরাগী রাজা রামকৃষ্ণ বড়নগর থেকে এখানে আসতেন। এখনও দুটি পাথরখণ্ড দেখা যায়, যার উপর বসে রাজা রামকৃষ্ণ সাধনা করতেন। কথিত আছে মুর্শিদাবাদের নবাব মীর জাফর আলী খান কুষ্ঠরোগগ্রস্ত হলে শেষ জীবনে তার হিন্দু দেওয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী কিরীটেশ্বরী দেবীর চরণামৃত পান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। অনেকের মতে দেবীর ভৈরব 'সম্বর্ত' বলে যে মূর্তিটি পূজা করা হয়, সেটি আসলে একটি বুদ্ধমূর্তি। যা মূর্তি রাঢ়ের এই অঞ্চলের সঙ্গে বৌদ্ধসংস্কৃতির পরিচয় দেয়। ১১৭৭ বঙ্গাব্দে বিজয়রাম সেন রচিত 'তীর্থ-মঙ্গল' কাব্যে কিরীটেশ্বরীর বর্ণনা আছেঃ কিরীটেশ্বরী পূজা দিতে গেলা শীঘ্রগতি। কথোগুলি বাত্রী গেলা কর্ত্তার সংহতি।। মহাসরঞ্জাম সঙ্গে গিয়া কিরীটকোণা। দেবীকে প্রণাম কৈল দিয়া কিছু সোনা।। ষোড়শোপচারে পূজা কৈল ভগবানে। দক্ষিণা করিলা কত কৈল বিতরণে।। ==তথ্যসূত্র== মন্দির স্থাপত্য হিন্দু মন্দির জেলার মন্দির তীর্থ'''ইসলামি আরবি হল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের অধিভুক্ত প্রথম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন যুগোপযোগী করতে এই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ==ইতিহাস== ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাস করা হয় বহুল প্রতিক্ষিত এফিলিয়েটিং (স্বতন্ত্র) ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে মাদরাসা শিক্ষাধারার ফাজিল/স্নাতক পর্যায়ের ডিগ্রী প্রদান করা হয়। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন আধুনিকায়ন, ফাজিল/স্নাতক, পর্যায়ে অনুমোদন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষাঙ্গনগুলোর তদারকি পরিবীক্ষণ এবং পরীক্ষা পরিচালনাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আরবি জন্য আইন প্রণয়ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, গত আগস্ট ২০১২ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। এটি জাতীয় মতো অনুমোদনকারী বা এ্যাফিলিয়েটিং ক্ষমতাসম্পন্ন ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ==শিক্ষাক্রম== সরকার ২০১০ সালে দেশের নামকরা ৩১টি মাদ্রাসায় অনার্স প্রোগ্রাম চালু করে। শুরু থেকে ৫টি বিষয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ আদ-দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ আল আদাবুল আরবি (আরবি সাহিত্য) ইসলামের ইতিহাস। এই অনার্স ছাড়া মাদ্রাসা ফাজিল (পাস), ফাজিল (স্নাতক) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা কার্যক্রম যেগুলো এযাবৎ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ছিল, এখন থেকে ইসলামি আরবি অধিনে পরিচালিত হবে। তবে সরকারী কারিকুলাম অনুযায়ী না চলার কারণে দেশের কওমী মাদরাসাগুলো এই অধীনে পরিচালিত হবে না। == অধিভুক্ত মাদ্রাসা == ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মাদ্রাসাগুলো হলোঃ কামিল মাদ্রাসা ২০৫টি, ফাজিল (সম্মান) ৩১টি, ফাজিল (অনার্স/পাস) ১০৪৯টি, সরকারি মাদ্রাসা ৩টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে এক লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৫ ছাত্রী। আর শিক্ষক রয়েছেন ২২ হাজার ৯২১ জন। ==আরও দেখুন== সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ওয়েবসাইট বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''জন ডিকসন কার''' (১৯০৬ ১৯৭৭) ছিলেন একজন আমেরিকান গোয়েন্দা কাহিনী লেখক। '''কার্টার ডিকসন''', '''কার ডিকসন''' '''রজার ছদ্মনামে তিনি লিখতেন। স্বর্ণযুগের হুডানইটের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে কারকে গণ্য করা হয়; জটিল, কাহিনী-চালিত গল্প, যেখানে ধাঁধা সবকিছুর মূল। এক্ষেত্রে তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন গ্যাসটশ লেরক্স এবং জি কে চেস্টারটনের ফাদার ব্রাউন গল্পগুলো দ্বারা।তিঅঁই ছিলেন তথাকথিত লকড-রুম মিস্ট্রির গুরু, যেসব গল্পে গোয়েন্দাকে আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব কোনো অপরাধের তদন্ত করতে হয়। ''দি হলো ম্যান''কে ভাবা হয় কারের মাস্টারপিস; ১৯৮১ সালে ১৭ জন রহস্যলেখক সমালোচকদের একটি পরিষদ এটিকে সর্বকালের সেরা লকড-রুম মিস্ট্রি হিসেবে নির্বাচিত করে। কার ঐতিহাসিক রহস্যকাহিনীও লিখতেন। ইংল্যান্ডে কয়েক বছর বাস করা কারকে প্রায়শই রহস্যলেখকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তার অধিকাংশ (সব নয়) উপন্যাসের অকুস্থল ইংরেজ রাজ্য, বিশেষত পল্লীগ্রাম, গ্রাম্য জমিদারি এবং ইংরেজ চরিত্র। তার সর্বাধিক পরিচিত দুটো গোয়েন্দা চরিত্রই ইংরেজ: ড. গিডেয়ন ফেল এবং স্যার হেনরি মেরিভেল। যুক্তরাষ্ট্রে পেনসিলভানিয়ার সংসদ সদস্য উডা নিকোলাস কারের সন্তান কার পটসটাউনের দ্য হিল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট করেন ১৯২৫ সালে এবং হেভারফোর্ড কলেজে ১৯২৯ সালে। ১৯৩০ দশকের শুরুতে তিনি ইংল্যান্ডে বাস করতে থাকেন, সেখানে ইংরেজকন্যা ক্লারিস ক্লিভেসকে বিয়ে করেন। সেখানেই শুরু হয় তার রহস্যকাহিনী লেখার জীবন। পরে ১৯৪৮ সালে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এই লেখক যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন। ১৯৫০ সালে কারের লেখা আর্থার কোনান ডয়েলের জীবনী তাকে দুটো পুরস্কার এনে দেয়- মিস্ট্রি রাইটার্স অফ আমেরিকার এডগার পুরস্কার; এবং দ্বিতীয়টি ১৯৭০ সালে রহস্যলেখক হিসেবে তার ৪০ বছরের কর্মজীবন উপলক্ষে। ১৯৬৩ সালে তাকে এমডব্লিউএ-এর গ্র্যান্ড মাস্টার পুরস্কারও দেওয়া হয়। ব্রিটিশ ডিটেকশন ক্লাবে যোগদান করতে পারা মাত্র দুজন আমেরিকানের একজন ছিলেন কার। ১৯৬৩-এর বসন্তের শুরুতে নিউইয়র্কের মামারোনেক শহরে থাকাকালীন সময়ে কার স্ট্রোকের শিকার হন, ফলে তার দেহের বাম পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। তিনি একহাতে লিখতে থাকেন এবং কয়েক বছর রহস্য গোয়েন্দা গল্পের বইয়ে ভূমিকা লেখেন, পত্রিকায় কলাম লেখেন, "দ্য জুরি বক্স" থেকে শুরু করে ''এলেরি কুইনের মিস্ট্রি ম্যাগাজিন'' পর্যন্ত। ঘটনাক্রমে কার আবার দক্ষিণ ক্যারোলিনায় বাস করতে থাকেন,এবং ফুসফুসের ক্যান্সারে সেখানে মৃত্যবরণ করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৭ সালে। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু গোয়েন্দা কাহিনী লেখক'''কাইসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর''' হল ওসাকা শহরের একটি বিমানবন্দর। জাপানের কানসাই শহরের সমুদ্রের বুকে একটি কৃত্রিম দ্বীপে বিস্ময়কর বিমানবন্দর অবস্থিত। কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে এটি পরিচিত। ওসাকা উপসাগরের মাঝামাঝি সাগরের বুকে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ইতালীয় স্থপতি রেনযো পিয়ানো এর নকশা করেন। সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ সালে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্ভোধন করা হয়। ওসাকা বিমানবন্দরের অতিমাত্রায় ভিড় থেকে মুক্তি লাঘবের জন্য কানসাইতে এই বিমানবন্দরটি তৈরি করা হয়। জাপানের অন্যতম ব্যস্ত একটি এয়ারপোর্ট বর্তমানে কানসাই, কারণ এতে প্রতি সপ্তাহে ৪৯৯টি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ থেকে। ==ইতিহাস== ১৯৬০ সালে কানসাই শহরের সাথে টোকিওর বাণিজ্য কমে গেলে নতুন একটি বিমানবন্দরের পরিকল্পনা করে কর্তৃপক্ষ। ওসাকা বিমানবন্দরকে বাড়ানো যাচ্ছিল না কিংবা তার আশেপাশেও নির্মাণ করা যাচ্ছিল না কারণ এতে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা বাড়বে। বিকল্প কোন ব্যবস্থার চিন্তা থেকে সমুদ্রের বুকে তৈরি করা হয় এই বিমানবন্দর। ==নির্মাণ== কৃত্রিম দ্বীপটি কিলোমিটার লম্বা এবং ২.৫ কিলোমিটার চওড়া। প্রকৌশলীরা একে এমনভাবে নির্মাণ করেন যেন ভূমিকম্প কিংবা টাইফুনে ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। দ্বীপ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে শেষ হয় ১৯৮৯ সালে। দ্বীপটি নির্মাণ করা হয় ৪৮০০০ কংক্রিটের ব্লক দ্বারা। ১৯৯৫ সালের ভূমিকম্পে সামান্য কিছু ক্ষতি ছাড়া বিমানবন্দরটি তেমন কিছুই হয়নি। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সমুদ্রের বুকে থাকা এই বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য রয়েছে রেল, বাস যোগাযোগ মাধ্যম। দ্বীপের মাঝে অবস্থিত বলে মনে করবেন না এতে আধুনিক জীবনের সুযোগ সুবিধা নেই, একটি আধুনিক বিমানবন্দরের যে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে থাকে তার সবটাই পাবেন। এতে রয়েছে তিনটি টার্মিনাল। বর্তমানে এর সাথে কার্গো অপারেশন ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে। ==গন্তব্য== ===যাত্রী পরিবহন=== ===কার্গো=== ==তথ্যসূত্র== বিমানবন্দর'''মতলব পৌরসভা''' বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত একটি পৌরসভা। == আয়তন == মতলব পৌরসভার আয়তন ৪১ বর্গ কিলোমিটার। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মতলব পৌরসভার জনসংখ্যা ৭০,৮৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৪,৭৩০ জন এবং মহিলা ৩৬,১১০ জন। == অবস্থান সীমানা == মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব পৌরসভার অবস্থান। পৌরসভার উত্তরে কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়ন, পশ্চিমে কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়ন কাদলা ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে পূর্বে কড়ইয়া ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রতিষ্ঠাকাল == গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের সরকার বিভাগ কর্তৃক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ মতলব পৌরসভা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পৌরসভার প্রথম পৌর প্রশাসক নিযুক্ত হন মতলব উত্তর উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তৎকালীন মতলব উপজেলাধীন মতলব উত্তর মতলব দক্ষিণ ইউনিয়নদ্বয়ের ২২টি মৌজা ২০টি গ্রাম নিয়ে অর্থাৎ সাবেক মতলবগঞ্জ বাজার এর সবকটি গ্রাম নিয়েই মতলব পৌরসভার প্রশাসনিক এলাকা বিস্তৃত। পুরোনো ইউনিয়ন পরিষদ বাদ দিয়ে নতুন ভবনে পৌরসভাটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। == প্রশাসনিক এলাকা == মতলব পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। পৌরসভার প্রশাসনিক কার্যক্রম মতলব দক্ষিণ থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৬১নং নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-২ এর অংশ। == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == শিক্ষা == মতলব পৌরসভার সাক্ষরতার হার ৫৪.৬১%। ;শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মতলব সরকারি কলেজ মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় == অর্থনীতি == মূলত কৃষি, ব্যবসা এবং বৈদেশিক রেমিটেন্স থেকে পৌরসভার অর্থনীতি নির্ভরশীল। == কৃতী ব্যক্তিত্ব == মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী। মোঃ নুরুল হুদা –– বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী। হুমায়ূন কবীর ঢালী –– শিশু সাহিত্যিক। == জনপ্রতিনিধি == পৌর মেয়র: মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন == আরও দেখুন == মতলব দক্ষিণ উপজেলা মতলব দক্ষিণ থানা চাঁদপুর জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জেলার পৌরসভা দক্ষিণ উপজেলা'''চিন্ময় কুমার ঘোষ''' ('''শ্রী চিন্ময়''' নামে বেশি পরিচিত, ২৭ আগস্ট, ১৯৩১ ১১ অক্টোবর, ২০০৭), ছিলেন একজন মহাত্মা হিন্দুধর্মের সংস্কারক। ১৯৬৪ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি চলে যান এবং সেখানে যোগ ধর্ম চর্চা শুরু করেন। চিন্ময় নিউ ইয়র্কের কুইন্স শহরে প্রথম মেডিটেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরে ৬০টি দেশে তার অনুসারীর পরিমাণ দাড়ায় ৭,০০০। এছাড়া লেখক, শিল্পী, কবি সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে তিনি বিভিন্ন কনসার্ট মেডিটেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তিনি দৌড়, সাঁতার ভার উত্তোলনের মত আথলেটিকের সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি ম্যারাথন অন্যান্য দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন এবং তিনি নিজেও দৌড়বিদ ছিলেন। পরবর্তীতে হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে ভার উত্তোলনে মনোনিবেশ করেন। ==প্রাথমিক জীবন== চিন্ময় ১৯৩১ সালের ২৭ আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ১৯৪৩ সালে অসুস্থতার কারণে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং এর কয়েক মাস পর তার মাও মারা যান। ১৯৪৪ সালে ১২ বছর বয়সী চিন্ময় শ্রী অরবিন্দ আশ্রমে তার ভাই বোনদের কাছে চলে যান। সেখানে তার বড় ভাই হৃদয় চিত্ত আগেই ছিল। আশ্রমে তিনি পরবর্তী ২০ বছর বিভিন্ন আধ্যাত্মিক কার্যক্রম, যেমন ধ্যান, বাংলা ইংরেজি সাহিত্য অধ্যয়ন, আশ্রমের কাজ করেন। চিন্ময় প্রায় আট বছর আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক নলিনী কান্ত গুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। তিনি তার লেখাগুলো বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিতেন। যৌবনে দৌড়রত অবস্থায় চিন্ময় চিন্ময় মাদার তেরেসা ==শিল্পকলা== ===শিল্পকর্ম=== চিন্ময় ১৯৭৪ সালে কানাডার অত্তাওয়া ভ্রমণকালে অঙ্কন শুরু করেন। তিনি তার এই শিল্পকর্মের নাম দেন ''ঝর্ণা কলা''। তার শিল্পকর্মের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে বৈশ্বিক একাত্মতা বৈশ্বিক শান্তি। তার শিল্পকর্ম প্যারিসের ল্যুভ্র সংগ্রহালয় ইউনেস্কোর অফিস, লন্ডনের ভিক্টোরিয়া মিউজিয়াম, আলবার্ট মিউজিয়াম মল গ্যালারি, সাংক্‌ত পিতেরবুর্গের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট, নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিদ্যমান। শ্রী চিন্ময়ের আর্ক্রাইলিক ===সঙ্গীত=== চিন্ময়ের অনুসারীদের মতে, তিনি বাংলায় এবং ইংরেজি ভাষায় গীতসহ সহস্রাধিক সঙ্গীতের সুর করেছেন। তার মধ্যে অনেকগুলো গান গীত পান্ডুলিপি আকারে শ্রী চিন্ময়ের গান এবং অডিও আকারে রেডিও শ্রী চিন্ময়ে প্রকাশিত হয়। তিনি জ্যামাইকাতে দুইটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৭৬ সালে ''মিউজিক ফর মেডিটেশন'' নামে একটি ফোকওয়ে রেকর্ডস অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ===কাব্য=== শ্রী চিন্ময় সেন্টার অনুসারে, চিন্ময় ১২০,০০০ এর অধিক কবিতা লিখেছেন। এর মধ্যে অনেকগুলো কবিতা হল সুক্তির মত ছোট কিন্তু পুর্ণাঙ্গ ছত্র, যেমন "আমরা সত্যই অসীম, যদি আমরা চেষ্টা করার সাহস করি এবং আস্থা রাখি"। চিন্ময় ধ্রুপদী ধাঁচের কাব্যের কয়েকটি ভলিউম প্রকাশ করেন। ২০০১ সালে চিন্ময় জাতিসংঘে "ডায়লগ অ্যামং সিভিলাইজেশন্স থ্রো পোয়েট্রি"র প্রচারণা হিসেবে তার কবিতা আবৃতি করেন। ২০১০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের গভর্নর ডেভিড প্যাটারসন ৯/১১ এর নবম বার্ষিকীতে আশা নিয়ে রচিত চিন্ময়ের তিনটি কবিতা আবৃতি করেন। ''ইয়োগা অ্যান্ড দ্য স্প্রিরিচুয়াল লাইফ'' (১৯৭৪, অম পাবলিকেশন্স) ''দ্য ইনার প্রমিজ: পাথ্‌স টু সেলফ পারফেকশন'' (১৯৭৪, ওয়াইল্ডউড হাইজ) ''সমাধি অ্যান্ড সিদ্ধি: দ্য সামিট্‌স অফ গড লাইফ'' (১৯৭৪, অম পাবলিকেশন্স) ''দ্য ড্যান্স অফ লাইফ ভলিউম -২০'' (১৯৭৪, অগ্নি প্রেস) দ্য সুপারন্যাচারাল অ্যান্ড দ্য বিয়োন্ড'' (১৯৭৫, অম পাবলিকেশন্স) ''এভারেস্ট (১৯৭৭, অম পাবলিকেশন্স) ''দ্য সোল্‌স এভলূশন'' (১৯৭৭, অগ্নি প্রেস) ''ইনার অ্যান্ড আউটার পিস'' (১৯৮৪, পিস পাবলিশিং) ''দ্য মাস্টার অ্যান্ড দ্য ডিসাইপল ইনসাইট্‌স ইনটু দ্য গুরু-ডিসাইপল রিলেশনশিপ'' (১৯৮৫, অগ্নি প্রেস) ''অ্যা চাইল্ড্‌স হার্ট অ্যান্ড অ্যা চাইল্ড্‌স ড্রিমস'' (১৯৮৬, অম পাবলিকেশন্স) ''বিয়োন্ড উইদিন'' (১৯৮৮, অগ্নি প্রেস) ''মেডিটেশন: ম্যান-পারফেকশন ইন (১৯৮৯, অম পাবলিকেশন্স) ''অন উইংস অফ সিলভার ড্রিমস'' (১৯৯০, অম পাবলিকেশন্স) ''কুন্দলিনি: দ্য মাদার-পাওয়ার'' (১৯৯২, অম পাবলিকেশন্স) ''গার্ডেন অফ দ্য সোল'' (১৯৯৪, হেলথ কমিউনিকেশন ইন.) ''মাই লাইফ্‌স সোল-জার্নি'' (১৯৯৪, অম পাবলিকেশন্স) ''গড ইজ...'' (১৯৯৭, অম পাবলিকেশন্স) ''দ্য উইংস অফ জয়: ফাইন্ডিং ইউওর পাথ টু ইনার পিস'' (১৯৯৭, সিমন অ্যান্ড শুস্টার) ''উইজডম অফ শ্রী চিন্ময়'' (২০০০, মতিলাল বানারসিদাশ পাব.) ''পাওয়ার উইদিন সিক্রেট্‌স অফ স্পিরিচুয়ালিতি অ্যান্ড অকাল্টিজম'' (২০০৭, গুরু নোকা পাবলিকেশন্স) (২০০৭, নিউ হল্যান্ড পাবলিশিং) ''অ্যা সিলেকশন অফ সংস কম্পোজড বাই শ্রী চিন্ময়, ভলিউম ১'' (২০০৯, শ্রী চিন্ময় সেন্টার) ''দ্য জুয়েলস অফ হ্যাপিনেস'' (২০১০, ওয়াটকিন্স পাবলিশিং) ''স্পোর্ট অ্যান্ড মেডিটেশন'' (২০১৩, দ্য গোল্ডেন শোর) (স্পেনীয় ভাষায়) ''জারদিন দেল আলমা'' (১৯৯৪, এডিটরিয়াল সিরিও) ===কাব্য=== ''দ্য ড্যান্স অফ লাইফ'' (১৯৭৩) ''দ্য উইংস অফ লাইট'' (১৯৭৪) ''টেন থাউজেন্ড ১০০ ভলিউম (১৯৭৯-১৯৮৩, অগ্নি প্রেস) ''টোয়েন্টি সেভেন থাউজেন্ড ২৭০ ভলিউম (১৯৮৩-১৯৯৮, অগ্নি প্রেস) ''সেভেন্টি সেভেন থাউজেন্ড সার্ভিস-ট্রীজ'' ৫০ ভলিউম (১৯৯৮-২০০৭, অগ্নি প্রেস) ''মাই ক্রিসমাস নিউ ইয়ার ভেকেশন ৫১ ভলিউম (২০০০-২০০৭, অগ্নি প্রেস) ===নাটক=== ''শ্রী রামচন্দ্র'' (১৯৭৩) ''দ্য সিঙ্গার অফ দ্য ইটার্নাল বিয়োন্ড'' (১৯৭৩) ''সিদ্ধার্থ বিকামস দ্য বুদ্ধা'' (১৯৭৩) ''দ্য সন'' (১৯৭৩) ''লর্ড গৌরঙ্গ লাভ ইনকার্নেট'' (১৯৭৩) ''ড্রিংক, ড্রিংক, মাই মাদার্‌স নেক্টার'' (১৯৭৩) ''দ্য হার্ট অফ অ্যা হলি ম্যান'' (১৯৭৩) ''সুপ্রীম স্যাক্রিফাইস'' (১৯৭৩) ''দ্য ডিসেন্ট অফ দ্য ব্লু'' (১৯৭৪) ==পুরস্কার সম্মাননা== চিন্ময় প্রাপ্ত প্রধান প্রধান পুরস্কার সম্মাননাসমূহ হল: '''বিশ্ব সমদূত''', ১৯৯০ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষু কর্তৃক প্রদত্ত। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম অ-বৌদ্ধ যিনি এই পুরস্কার লাভ করেন। '''মহত্মা গান্ধী বিশ্ব ঐক্য পুরস্কার''', ১৯৯৬ সালে ভারতীয় বিদ্যা ভবন থেকে মার্টিন লুথার কিংয়ের স্ত্রী করেটা স্কট কিংয়ের সাথে যৌথভাবে। '''ফ্রেড লেবো পুরস্কার''', ১৯৯৬ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যারাথন পরিচালক অ্যালান স্টেনফেল্ড রোম ম্যারাথনের সভাপতি উমবের্তো সিল্‌ভেস্ট্রির হাত থেকে। '''হিন্দু অফ দ্য ইয়ার''', ১৯৯৭ সালে এবং '''হিন্দু রেনেসাঁ পুরস্কার'', ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন হিন্দুজম টুডে থেকে যোগ ব্যায়াম শিক্ষা প্রদানের জন্য। '''পিলগ্রিম অফ পিস পুরস্কার''', ১৯৯৮ সালে 'ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অফ আসিসি ফর পিস অ্যামং পিপল্‌স' থেকে। '''মাদার তেরেসা পুরস্কার''', ২০০১ সালে মেসিডোনিয়ার রাষ্ট্রপতি বরিস ত্রাজ্‌কোভস্কি কর্তৃক প্রদত্ত। '''মেডেল অফ অনার ফর দ্য কজ অফ পিস অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ অ্যামং ন্যাশনস''', ২০০৪ সালে জাতিসংঘের ভিয়েতনামীয় রাষ্ট্রদূত লি লুওং কর্তৃক প্রদত্ত। '''অনারারি ডক্টরেট অফ হিউম্যানিটিজ ইন পিস স্টাডিজ''', ২০০৫ সালে কম্বোডিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সায়েন্স কাউন্সিল কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত। '''২০১২ ক্লাস অফ অনারিজ''', আন্তর্জাতিক ম্যারাথন সাঁতার হল অফ ফেম, ৩৮ বার ইংলিশ চ্যানেল পাড় হওয়ার জন্য শ্রী চিন্ময় ম্যারাথন দলকে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== SriChinmoy.org Obituary of Sri Chinmoy at The Independent Obituary of Sri Chinmoy at The Guardian জন্ম মৃত্যু হিন্দু বাঙালি কবি বাঙালি কবি ভারতীয় কবি হিন্দু ধর্মীয় নেতা জেলার হিন্দু ধর্ম সংস্কারক পুরুষ কবি পুরুষ কবি নেতা ধর্মীয় নেতা'''সারি গোয়াইন নদী''' বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৮৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১১৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক সারি গোয়াইন নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর নদী নং ৭৯। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== নদী আন্তর্জাতিক নদী জেলার নদী উপজেলা উপজেলা সদর উপজেলা উপজেলা'''বিঙেনের হিলডেগার্ড''' (ইংরেজি Hildegard of Bingen), সাধু বেনেডিক্টের পর্যায় (; ১০৯৮ ১৭ সেপ্টেম্বর ১১৭৯), যিনি '''সাধু হিলডেগার্ড''' এবং '''রাইনের নামেও পরিচিত, ছিলেন বেনেডিক্টীয় পর্যায়ের একজন জার্মান মঠ-পরিচালিকা। তিনি একাধারে একজন লেখিকা, সঙ্গীত রচয়িতা, দার্শনিক, খ্রিস্টান আধ্যাত্মবাদী, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা এবং বহুশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন। জার্মানিতে তাকে বিজ্ঞানসম্মত প্রাকৃতিক ইতিহাস গবেষণার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়। হিলডেগার্ডকে ১১৩৬ সালে তার সহযোগী নানরা "ম্যাজিস্ট্রা" নির্বাচিত করেন। তিনি ১১৫০ সালে রুপের্টসবের্গ এবং ১১৬৫ সালে আইবিঙেন শহরে মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। Hildegard তিনি ''ওর্দো ভির্তুতুম'' (Ordo Virtutum) নামের একটি ধর্মীয় নাটক রচনা করেন, যা সম্ভবত এখন পর্যন্ত টিকে আছে এরকম সবচেয়ে পুরনো নৈতিকতা নাটক তিনি ধর্মতত্ত্ব, উদ্ভিদবিদ্যা ঔষধবিদ্যা সংক্রান্ত রচনা, চিঠিপত্র, গণপ্রার্থনা সঙ্গীত, কবিতা লিখেছেন। একই সাথে তিনি তার গ্রন্থ স্কিভিয়ুসের রুপের্টসবের্গ পান্ডুলিপির ক্ষুদ্রাকৃতির অলংকরণগুলিও পরিদর্শন করেন এছাড়াও তিনি লিংগুয়া ইগনোতা নামের একটি নির্মিত ভাষা উদ্ভাবন করেন। রোমান ক্যাথলিক গির্জার বিভিন্ন শাখা তাকে বহু শতাব্দী ধরেই সাধু হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছে। ২০১২ সালের অক্টোবর পোপ ১৬শ বেনেডিক্ট তাকে মরণোত্তর ডক্টর অফ চার্চ উপাধি দেন। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:১২শ শতকের সঙ্গীত রচনাকারী রোমান ক্যাথলিক সাধু'''পঙ্কজ রায়''' (; জন্ম: ৩১ মে, ১৯২৮ মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি, ২০০১) ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৬০ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবেও সুনাম ছিল তার। == প্রারম্ভিক জীবন == বাংলা ক্রিকেট দলের পক্ষে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। উদ্বোধনী খেলাতেই তিনি সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখান। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বমোট তিনি ৩৩টি শতকের সন্ধান পেয়েছেন। ৪২.৩৮ গড়ে ১১,৮৬৮ রান তুলেছেন। == খেলোয়াড়ী জীবন == ১৯৫১ সালে ভারত দলের সদস্যরূপে দিল্লিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেক ইনিংসটিতে মাত্র ১২ রান তুললেও সিরিজে তিনি দুইটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। পরবর্তী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ড সফরে যান। কিন্তু সফরে তার ব্যাটিং নৈপুণ্য আহামরি কিছু ছিল না। ইনিংসের পাঁচটিতেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে আসেন। তন্মধ্যে, ফ্রাঙ্ক টাইসনের প্রথম-শ্রেণীর অভিষেক উইকেট হিসেবে নিজেকে যুক্ত করেন। এছাড়াও, ওল্ড ট্রাফোর্ডে জোড়া শূন্য পান। তবে ভারতের পক্ষে পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ১৭৩ তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। ১৯৫৯ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান। কিন্তু টেস্টটিতে তার দল পরাজিত হয়েছিল। == অজর্নসমূহ == চেন্নাইয়ে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে বিনু মানকড়ের সাথে ৪১৩ রানের জুটি করে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১১ জানুয়ারি, ১৯৫৬ তারিখে তাদের সংগৃহীত রান ৫২ বছর টিকেছিল। তাদের মধ্যকার রেকর্ডটি পরবর্তীতে ২০০৭-০৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটিতে গ্রেইম স্মিথ (২৩২) নিল ম্যাকেঞ্জি (২২৬) ৪১৫ রান তুলে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন। তিনি ১৯৭৫ সালে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন। তার ভাতিজা অম্বর রায় পুত্র প্রণব রায় ভারতের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == ফ্রাঙ্ক টাইসন অজিত ওয়াড়েকর ২০০৭-০৮ দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রিচি বেনো’র পাঁচ-উইকেট লাভের তালিকা == বহিঃসংযোগ == "Extracting history from myth" by Suresh Menon জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় ইউনিভার্সিটিজের ক্রিকেটার থেকে আগত ক্রিকেটার পদ্মশ্রী প্রাপক অঞ্চলের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ক্রিকেটার'''ভোলাখাল নদী''' বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের কক্সবাজার জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৯০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক ভোলাখাল নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী নং ১১। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের নদীর তালিকা বাংলাদেশের বড় নদীসমূহ ==তথ্যসূত্র== জেলার নদী উপজেলা উপজেলা'''দুপচাঁচিয়া ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নের ভৌগোলিক পরিচিতি কোড (জিও কোড) হল ৫০.১০.৩৩.২৭। == ইতিহাস == == ভৌগলিক অবস্থান আয়তন == দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর হতে চার দিকে অবস্থিত ইউনিয়নের মোট আয়তন ৪০৯৫ একর বা ১৬.৫৭ বর্গকিলোমিটার। == প্রশাসনিক এলাকা == দুপচাঁচিয়া ইউনিয়ন মৌজা/গ্রাম নিয়ে গঠিত। মৌজা সমুহ ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত। গ্রামসমূহ হল == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দুপচাঁচিয়া ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৯৯৩১ জন, যার মধ্যে পুরুষ হল ৯৯৮৫ জন এবং নারী হল ৯৯৪৬ জন। == শিক্ষা সংস্কৃতি == দুপচাঁচিয়া ইউনিয়নের গড় সাক্ষরতা হার ৪৬.৭%। তার মধ্যে নারী শিক্ষার হার ৪৪.১% এবং পুরুষ শিক্ষার হার ৪৯.৪%। এখানকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেঃ == অর্থনীতি যোগাযোগ == দুপচাঁচিয়া ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের ইউনিয়ন বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার রাজশাহী বিভাগ == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== দুপচাঁচিয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন উপজেলার ইউনিয়ন জেলার ইউনিয়ন'''আন্দামান সর্প ঈগল''' (''Spilornis elgini'') accipitridae পরিবারের একটি শিকারি পাখি। পাখিটি ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি স্থানীয় পাখি। এর প্রাকৃতিক আবাসস্থল প্রায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বা ক্রান্তীয় আর্দ্র নিম্নভূমি বন এবং প্রায় ক্রান্তীয় বা ক্রান্তীয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। == চিত্রসমূহ == File:Andaman Serpent-Eagle বনাঞ্চলের একটি গাছে আন্দামান সর্প ঈগল File:Andaman Serpent-Eagle আন্দামান সর্প ঈগল File:Andaman Serpent Eagle.jpg|গাছে বসে আছে আন্দামান সর্প ঈগল == তথ্যসূত্র == পাখি'''সিলভার কার্প''' (বৈজ্ঞানিক নাম: molitrix'') (ইংরেজি: '''silver carp''') হচ্ছে পরিবারের গণের একটি স্বাদুপানির মাছ। ==বর্ণনা== দেহ রুপালী বর্ণের ছোট ছোট আঁশে আবৃত। দেহ শক্তিশালী, লম্বা চ্যাপ্টা, মাথার সামনের ভাগ ছোট নীচের চোয়াল সামান্য প্রসারিত। চোখ ছোট। মাথার পরের অংশ গলা থেকে শুরু করে জননছিদ্র পর্যন্ত অঙ্গদেশ খাঁজকাটা। ==বিস্তৃতি== মাছের আদি নিবাস চীন দেশে রাশিয়ার আমুর নদীতে। তাছাড়াও বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশে এই মাছ চাষ হয়। ==বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ== আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকায় এই প্রজাতিটি অন্তর্ভুক্ত নয়। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের মাছের তালিকা বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছের তালিকা বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা ==তথ্যসূত্র== মাছ মাছ মাছ পানির মাছ'''তিয়শ্রী ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নের ভৌগোলিক পরিচিতি কোড (জিও কোড) হল ৩০.৭২.৫৬.৮৪। == ইতিহাস == == ভৌগলিক অবস্থান আয়তন == মদন উপজেলা সদর হতে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ইউনিয়নের মোট আয়তন ৬৮৫৮ একর বা ২৭.৭৬ বর্গকিলোমিটার। == প্রশাসনিক এলাকা == তিয়শ্রী ইউনিয়ন ১৩ মৌজা/গ্রাম নিয়ে গঠিত। মৌজা সমুহ ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত। গ্রামসমূহ হল —শিবপাশা, তিয়শ্রী, বাড়িউড়া, বাগজান, কুটুরীকোনা, তপাইরকোনা, শ্রীধরপুর, কাওয়ালীবিন্নী, দড়িবিন্নী, সাইতপুর, মাঠুরা, ধুবাওয়ালা, কৃষ্ণপুর, বালালী, বাঘমারা == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী তিয়শ্রী ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৮৮৬১ জন, যারা ৩৮৯১ টি পরিবারে বসবাস করে, যার মধ্যে পুরুষ হল ৯৪৩৭ জন এবং নারী হল ৯৪২৪ জন। == শিক্ষা সংস্কৃতি == তিয়শ্রী ইউনিয়নের গড় সাক্ষরতা হার ৩০.৫%। তার মধ্যে নারী শিক্ষার হার ২৯.০% এবং পুরুষ শিক্ষার হার ৩২.০%। এখানকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেঃ বালালী বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বাঘমারা উচ্চ বাঘমারা শাহজাহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমী, বি বি এস কলেজ। Reference by Kamrul hasan robin son of jammat talukder == অর্থনীতি যোগাযোগ == তিয়শ্রী ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের ইউনিয়ন বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ময়মনসিংহ বিভাগ == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== তিয়শ্রী ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন বিষয়শ্রেণী:মদন উপজেলার ইউনিয়ন জেলার ইউনিয়ন'''গিলি পুঁটি''' বা '''সোনালী পুঁটি''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Puntius gelius'') (ইংরেজি: '''Golden barb''') হচ্ছে পরিবারের ''Puntius'' গণের একটি স্বাদুপানির মাছ। ==বর্ণনা== দেহ মাঝারি চাপা। শরীর লালচে-বাদামি বর্ণের হয়। এদের লেজের উপর কালো ডোরা থাকে এবং সামনের পৃষ্ঠ পাখনার গোড়ায় গাঢ় কালো ফোঁটা। ==বিস্তৃতি== বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান অঞ্চলে মাছ পাওরা যায়। ==বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ== আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সম্পর্কে বাংলাদেশে উপাত্তের অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের মাছের তালিকা বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছের তালিকা বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা ==তথ্যসূত্র== পানির মাছ মাছ মাছ মাছ'''বস২''' বা বস ২: ''ব্যক টু রুল'' হল ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটি ২০১৩ সালে মুক্তি প্রাপ্ত বস চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় পর্ব বা অংশ। এই পর্বের চলচ্চিত্রের কাহীনি সম্পূর্ন মৌলিক। চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন জিৎ, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, নুসরাত ফারিয়া মাজহার। এই চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালের ২৩ জুন পশ্চিমবঙ্গ (ভারত) ২৫ জুন বাংলাদেশে মুক্তি পায়। চলচিত্রটি পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দিনেই টাকা আয় করে। ==অভিনেতা== জিৎ সূর্য শুভশ্রী গাঙ্গুলী রুশা নুসরাত ফারিয়া মাজহার আয়েশা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত কৌশিক সেন অমিত হাসান কমল হাসন মোহনলাল পঙ্কজ কপূর ==গল্প== ==শুভ মুক্তি== বস চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালের ২৩ জন মুক্তি পায়।এই চলচ্চিত্রটি পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) ১৭০ টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশে ১০০ টির বেশি পেক্ষাগৃহে মোট ২৭০ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় একই সঙ্গে। ==তথ্যসূত্র== যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:জিৎ গাঙ্গুলীর সুর করা চলচ্চিত্র'''গুঞ্জা পাইকান''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Mooreana এক প্রজাতির ছোট আকারের প্রজাপতি যার শরীর ডানা খয়রি-বাদামী রঙের এবং এদের পিছনের ডানায় চওড়া হলুদ পটি দেখা যায়। এরা ‘হেসপেরায়িডি’ গোত্রের এবং 'পায়ারজিনি' উপগোত্রের সদস্য। == আকার == গুঞ্জা পাইকান এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৪০-৪৫ মিলিমিটার দৈর্ঘের হয়। ==উপপ্রজাতি == ভারতে প্রাপ্ত গুঞ্জা পাইকান এর উপপ্রজাতি হল- ''Mooreana trichoneura pralaya'' Moore, 1865 Yellow-veined Flat == বিস্তার == ভারতে সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার এর বিভিন্ন অঞ্চলে এদের দেখা যায়। == বর্ণনা == প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:- এর ডানার উপরিপৃষ্ঠ কালচে বাদামী বর্নের। সামনের ডানার উপরিভাগের বর্হিঃঅর্ধে কিছু সংখ্যক সাদা কাঁচের মতো ছোপ এবং ডোরা দাগ রয়েছে। পিছনের ডানার উপরিপৃষ্ঠে একসারি কালো গোঁজের মতো আকৃতি বিশিষ্ট ডিসকাল ছোপ বিদ্যমান এবং টর্নাস অংশ হলুদ রংগের। নীচের ডানার নীম্নতল ভীষন রকম হলদে সাদা। == আচরণ == এরা দ্রুত ওড়ে। সাধারনত এদের পাতার নীচের তলে ডানা মেলে বসে থাকতে দেখা যায়। ডানা বন্ধ অবস্থায় এদের খুব কম দেখা যায়। গুঞ্জা পাইকানরা ২৫০০ফুট উচ্চতা পর্যন্ত দেখা যায় এবং এরা নিচু ঝপ-ঝাড় জঙ্গল পছন্দ করে। অনেকসময় পাখীর বিষ্ঠার উপর এরা বসে থাকে। তবে ফুলের মধুর প্রতি আসক্তি কম। == চিত্রশালা == == তথ্যসূত্র == প্রজাপতি প্রাপ্ত হেসপেরায়িডি গোত্রের প্রজাপতি প্রাপ্ত হেসপেরায়িডি গোত্রের প্রজাপতি'''ছোট শিংঘী''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Amblyceps mangois'') (ইংরেজি: '''Indian Torrent catfish''') হচ্ছে পরিবারের ''Amblyceps'' গণের একটি স্বাদুপানির মাছ। ==বর্ণনা== ==বিস্তৃতি== এই প্রজাতির মাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং মায়ানমারে পাওয়া যায়। ==বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ== আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সম্পর্কে বাংলাদেশে উপাত্তের অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের মাছের তালিকা বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছের তালিকা ==তথ্যসূত্র== পানির মাছ মাছ মাছ মাছ মাছ মাছ'''বিপ্রদাশ বড়ুয়া''' বাংলাদেশের অন্যতম একজন খ্যাতিমান লেখক। তিনি অনেক গল্প-উপন্যাস লিখেছেন == জন্ম == তিনি চট্টগ্রামের ইছামতী গ্রামে ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। == শিক্ষা কর্ম জীবন == তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে এম ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি শিশু একাডেমি তে কর্মরত ছিলেন এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। == সাহিত্যকর্ম == ছোটগল্প ** যুদ্ধজয়ের গল্প ** গাঙচিল শিশুতোষ গল্প ** সূর্য লুঠের গান উপন্যাস ** মুক্তিযোদ্ধারা শিশুতোষ উপন্যাস ** রোবট ফুল ফোটানোর রহস্য প্রবন্ধ ** কবিতায় বাকপ্রতিমা নাটক ** কুমড়োলতা পাখি জীবনী ** বিদ্যাসাগর (১৯৮৮) ** পল্লীকবি জসীমউদ্দীন == পুরস্কার == বিপ্রদাশ বড়ুয়া নিম্নোক্ত পুরস্কারসূহ পেয়েছেন: অগ্রনী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (২ বার) বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন (১ বার) == তথ্যসূত্র == লেখক ভাষার লেখকখালাসীরা জাহাজে পণ্য বোঝাই করছে '''এফওবি''' (ইংরেজি: FOB), "ফ্রি অন বাণিজ্যিক আইনে উল্লেখিত একটি পরিভাষা, যেখানে পণ্য সরবরাহে বিক্রেতার পরিবর্তে ক্রেতা নিজ দায়িত্বে, খরচ, এবং পণ্য পরিবহনের সময়কালীন ঝুঁকি গ্রহণ করে। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স কতৃক প্রকাশিত ইনকোটার্মস ২০১০ অনুসারে, এফওবি শুধুমাত্র অ-কন্টেইনারকৃত সমুদ্র মালবাহী অথবা অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে। এফওবি পরিভাষা কখনি মালিকানা নির্ধারণ বা পরিবর্তন করে না। ইনকোটার্মস অনুসারে পণ্যের মালিকানা স্বাধীনভাবে বিদ্যমান থাকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে, পণ্যের মালিকানা নির্ধারিত হয় বিল অব লেডিং অথবা চালান অনুসারে। এফওবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আধুনিক স্থানীয় পণ্য পরিবহনের নীতিমালার আওতায় পড়ে যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লিখিত, বিক্রেতা পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে জাহাজযোগে প্রেরণের কোন খরচ বহন করবে না। == ইনকোটার্মস == ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স কতৃক প্রকাশিত ইনকোটার্মস ২০১০ অনুসারে, এফওবি শুধুমাত্র সমুদ্র মাল পরিবহনে ব্যবহৃত বা প্রয়োগ হবে এবং শাব্দিক পরিভাষায় "ফ্রি অন বোর্ড", এবং সর্বদা পণ্য বোঝাইয়ের বন্দরের সাথে সংযুক্ত থাকবে। জেটিতে জাহাজ বোঝাই করা হচ্ছে == উত্তর অ্যামেরিকা == উত্তর অ্যামেরিকায়, এফওবি বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে লিখিত আকারে নির্ধারিত হয় যেখানে পণ্যের দায় দায়িত্ব বিক্রেতা হতে ক্রেতার প্রতি হস্তান্তরিত হয়।এফওবি অর্থ সুতরাং পণ্যের পরিবহন বাবদ সংঘটিত হওয়া কোন ব্যয়ভার বিক্রেতা কতৃক বহন করা হয়না। == ফ্রেট অন বোর্ড == কিছু সুত্র দাবী করে, এফওবি অর্থ "ফ্রেট অন বোর্ড"। কিন্তু এটা যুক্তিযুক্ত নয়। ইনকোটার্মস এর কোন সংস্করণেই "ফ্রেট অন বোর্ড" এর কোন প্রকার উল্লেখ নাই, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিফর্ম কমার্শিয়াল কোড কোনপ্রকার সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা "ফ্রেট অন বোর্ড" কোনপ্রকার স্বীকৃত শিল্প পরিভাষা নয়। "ফ্রেট অন বোর্ড" এর ব্যবহার বা প্রয়োগ বিভ্রান্তির সুযোগ তৈরি করতে পারে। == তথ্যসূত্র == বাণিজ্য'''অপারেশন টোয়াইলাইট''' শব্দযুগোল ইংরেজী শব্দ Operation Twilight থেকে নেওয়া হয়েছে, Operation অর্থ শক্তিপ্রয়োগ আর Twilight অর্থ গোধূলি বা সন্ধ্যা, কিন্তু অপারেশন টোয়াইলাইট শব্দযুগোল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দল (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশন বিশেষায়িত কমান্ডো দল) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহলে জঙ্গী বিরোধি অভিযানের নামকরন করেন, এই অভিযানটিতে জঙ্গী দমনে সেনাবাহিনী সময় নেয় টানা ১১১ ঘণ্টা এই অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা তাদের জীবন বাঁজি রেখে ২৫ মার্চ দুপুরে অত্যান্ত দক্ষতার সহিত পাঁচ তলা বাড়িটির প্রতি তলায় ৬টি করে মোট ৩০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৮টি ফ্ল্যাটে বসবাসকারী ৭৮ জন জিম্মিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে যাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ২১ শিশু ছিলো অপারেশন টোয়ালাইট’এ নিহত জঙ্গির সংখ্যা চার, মাত্র চারজন জঙ্গীকে দমন করতে (প্রায় পাঁচ দিন) দীর্ঘ সময় লাগার পিছনে কারন হিসেবে প্রেসব্রিফিংয়ে সেনা সদর দপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, "প্রথম দিনের ঘটনা। বাড়িটির কলাপসিবল গেটের সামনে একটি বড় বালতির মধ্যে বিস্ফোরক ছিল। ওটা যখন ডেটোনেট করেছে, তখন পুরো কলাপসিবল গেটটা উড়ে এসে পাশের বিল্ডিংয়ে পড়েছে। ওখানে আমাদের তিন চারজন সদস্য ছিলেন, তারা ছিটকে গেছেন। পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠেছে। এরকম এক্সপ্লোসিভ ভেতরে আরও থাকতে পারে।" ২৫ মার্চ ২০১৭ সালে আতিয়া মহল থেকে ২০০ গজ দূরে আতিয়া মহলের বাইরের জঙ্গীদের বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন। এছাড়া আহত হন র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ ৪৪ জন। অপারেশন টোয়াইলাইট শুরুর আগের ঘটনা সম্পর্ক্যে ব্রিগেডিয়ার ফখরুল বলেন, ”গত ২৪ মার্চ রাত দেড়টার দিকে পুলিশ সদস্যরা সিলেটের শিববাড়ির পাঠানপাড়া সড়কের পাশের আতিয়া মহলটি ঘিরে ফেলে। রাত সাড়ে ৪টার দিকে তারা নিশ্চিত হন আতিয়া মহলের নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে। পুলিশ সদস্যরা তখন আতিয়া মহলের নিচতলার ছয়টি কক্ষ বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় এবং ভবনের মূল প্রবেশ পথের কলাপসিবল গেইটে তালা লাগিয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এসময় পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা তাদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। তখন জঙ্গিদের দক্ষতা আটাশটি পরিবারের নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াতের সহায়তা কামনা করে সিলেট পুলিশ”। == তথ্যসুত্র =='''দীপক চ্যাটার্জী''' বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র যার স্রষ্টা সমরেন্দ্রনাথ পান্ডে ওরফে শ্রী স্বপনকুমার। == চরিত্র চিত্রণ == পঞ্চাশের দশকে শুরু হওয়া, শ্রী স্বপনকুমার লিখিত দীপক চ্যাটার্জীর গোয়েন্দা সিরিজ তৎকালীন পাঠক মহলে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা সাফল্য পেয়েছিল। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্রগুলির অন্যতম দীপক সাধারনভাবে বাংলা গোয়েন্দা কাহিনীর জগতে অকুলীন পাল্প ফিকশন হিসেবে খ্যাত। যদিও তিন, চার দশক ধরে দীপকের কাহিনীর বই বাজারে তীব্র চাহিদা হয়। বটতলার বই হিসেবে খ্যাত হলেও জনপ্রিয়তা এবং বিক্রিতে দীপক চ্যাটার্জী সবার উপরে ছিলেন। তার সহকারীর নাম রতনলাল। তার শত্রুরা ছিল ড্রাগন, কালো নেকড়ে, মিসট্রিম্যান, কেউ আবার বাজপাখি। দীপককে অনেক জায়গায় প্রায় হাস্যকরভাবে অতিমানবের আকার দিয়েছেন লেখক, সে সবরকম প্রতিকূল পরিস্থিতি বিপদের জাল কেটে বেরিয়ে আসে এবং অপরাধীকে পরাস্ত করে। দীপক অন্ধকারে লক্ষ্যভেদে, যুযুৎসু, তলোয়ার চালনায়, ছদ্মবেশ নিতে সিদ্ধহস্ত। এই বর্ণনায় নানা অবাস্তব তথ্য ফাঁক থাকা সত্বেও গল্পগুলি পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। == লেখক পরিচিতি == দীপক চ্যাটার্জী নামক গোয়েন্দার সৃষ্টিকর্তার আসল নাম সমরেন্দ্র নাথ পাণ্ডে বা এস এন পান্ডে। তিনি আর জি কর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পড়তেন। এস এন পান্ডের নামে চিকিৎসা বিদ্যার ওপরেও বই আছে একাধিক। স্বপনকুমার নামে এই রহস্য-রোমাঞ্চ কাহিনীগুলি তিনি লিখতেন। আবার তিনি শ্রীভৃগু নামেও জ্যোতিষ মহলে খ্যাত ছিলেন। == সিরিজ প্রকাশনা == দীপক গোয়েন্দার 'বাজপাখি সিরিজ', 'রহস্য কুহেলিকা সিরিজ’ ‘ক্রাইম ওয়ার্ল্ড সিরিজ’, 'কালরুদ্র সিরিজ', 'রাজেশ সিরিজ', 'ড্রাগন সিরিজ’ 'বিশ্বচক্র সিরিজ' আর ‘কালনাগিনী সিরিজ' ইত্যাদি নিয়ে প্রায় ২০ টি সিরিজে বের হয়। কোনো কোনো সিরিজে একশোর কাছাকাছি গোয়েন্দা কাহিনী লেখেন স্বপনকুমার এই গোয়েন্দাকে নিয়ে।আপার চিত্‍পুর রোডে অবস্থিত প্রকাশক জেনারেল লাইব্রেরির কৃষ্ণচন্দ্র গুপ্ত কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায় কেষ্টবাবু নামে খ্যাত ছিলেন) প্রকাশ করেন গোয়েন্দা নায়ক দীপক চ্যাটার্জির সিরিজ৷ প্রকাশিত হতো ছোট চটি বই আকারে প্রতিমাসে একটা করে, দাম ছিল সস্তা, মাত্র চল্লিশ পয়সা৷ দেব সাহিত্য কুটির, মহেশ পাবলিকেশন, আদিত্য পাবলিকেশন থেকেও তার বই প্রকাশিত হয়েছে। কাহিনীর অনেক জায়গাই বর্নিত হয় দেশে বা বিদেশে। রেঙ্গুন সহ বার্মাদেশের বিভিন্ন জায়গা বারংবার ঘুরে ফিরে এসেছে দীপকের সিরিজে। বইগুলির প্রচ্ছদ অঙ্কন কর‍তেন বিখ্যাত কমিকস চিত্রকর কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। == তথ্যসূত্র == সাহিত্যের কাল্পনিক চরিত্র চরিত্রএকজন পূজারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছেন। '''পূজারী''' বা '''অর্চক''' হলেন হিন্দু মন্দিরের ধর্মযাজক। শব্দটি সংস্কৃত পূজা শব্দ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ উপাসনা করা। পূজারীগণ পূজা, আরতি, মূর্তির যত্ন নেওয়া সহ মন্দিরের নিত্যকর্মসমূহ সম্পাদন করেন। সাধারণত ব্রাহ্মণ বর্ণের হিন্দুরাই পূজারী হয়ে থাকেন। নারী বা পুরুষ যে কেউ পূজারী হতে পারেন। == আরও দেখুন == *পণ্ডিত *পুরোহিত ==তথ্যসূত্র== ধর্মLength, Width উদাহারণস্বরুপ আয়তাকার বস্তুটির ক্ষেত্রে অক্ষ বরাবর পরিমাপকে বলে দৈর্ঘ্য, অক্ষ বরাবর পরিমাপকে বলে প্রস্থ এবং বরাবর পরিমাপকে বলা হয় উচ্চতা। জ্যামিতিক পরিমাপে, '''দৈর্ঘ্য''' হল একটি বস্তুর সর্বশেষ বর্ধিত মাত্রা। আন্তর্জাতিক পরিমাপ ব্যবস্থা অনুসারে দৈর্ঘ্য হল সেই পরিমাণ যা মাত্রার দূরত্বকে প্রকাশ করে। অন্যভাবে বলতে গেলে "দৈর্ঘ্য" হল, একটি বস্তুর মাত্রার পরিমাপক। উদাহরণস্বরূপ, একটি তারকে এর দৈর্ঘ্য বরাবর এমনভাবে কাটা যেতে পারে যাতে এটি এর পুরুত্বের চেয়ে ছোট হয়। দৈর্ঘ্যকে অবশ্যই আলাদা চিন্তা করতে হবে উচ্চতা থেকে, যা উল্লম্ব দিকে পরিমাপ ব্যবস্থা এবং প্রস্থ বা প্রসার থেকে, যেটি দূরত্বের পরিমাপ প্রকাশ করে পাশাপাশি দুটি প্রান্তের মধ্যে যা বস্তুর দৈর্ঘ্যের সাথে সমকোণে থাকে। দৈর্ঘ্য হল শুধুমাত্র একটি মাত্রার পরিমাপক, অপরদিকে ক্ষেত্রফল হল দুইটি মাত্রার পরিমাপ (দৈর্ঘ্যের বর্গগুণ) এবং আয়তন হল তিনটি মাত্রার পরিমাপ (দৈর্ঘ্যের ঘনফল)। অধিকাংশ পরিমাপ ব্যবস্থায়, দৈর্ঘ্যের এককটি হল ভিত্তি একক, যেটি থেকে অন্যান্য এককের সংজ্ঞায়ন করা হয়। পরিমাপের এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ইম্পেরিয়াল পরিমাপের ০.৬২১৩৭ মাইলের সমান। == ইতিহাস == পরিমাপ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন থেকে মানুষের যাযাবর জীবনযাপন থেকে বসতি স্থাপন শুরু করে এবং নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার শুরু করে, জমির মালিকানার নিয়ম তৈরি হয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করে। যেহেতু সমাজ আরও প্রযুক্তিমূখী হয়ে উঠছে, তাই বহুমুখী কাজের ক্ষেত্রগুলোতে আরও সূক্ষ্ম পরিমাপ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যার রেঞ্জ মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স থেকে অন্তরীক্ষ পর্যন্ত। দৈর্ঘ্য পরিমাপে ব্যবহৃত '''প্রাচীনতম এককটি প্রাচীন বিশ্বে''' পরিচিত ছিল "এক হাত" পরিমাপ হিসাবে যার পরিমান ছিল বাহুর কনুই থেকে আঙুলের ডগা পর্যন্ত। এই পরিমাপকে এরপর আরও ভেঙ্গে ছোট মাপ যেমন ফুটে পরিণত করা হত, হাত (৪ ইঞ্চির হাত আজও ঘোড়ার উচ্চতা প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়) বা আঙ্গুল কিংবা দুটি একই সাথে দীর্ঘ দূরত্ব মাপার একক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মানুষের বিভিন্ন মাপের হাতের কারণে এই দীর্ঘ দূরত্বের মাপ যথেষ্ট পরিবর্তন হতে পারে। আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রকাশিত হবার পর থেকে দৈর্ঘ্যকে সকল রেফারেন্স তলে আর পরম ভাবা হয় না। কারণে কোন একটি রেফারেন্স তলে থাকা এক মিটার লম্বা স্কেল অপর একটি রেফারেন্স তলে সমান হয় না যদি সেটি প্রথম তলের সাথে আপেক্ষিক বেগে চলতে থাকে। এর মানে হল একটি বস্তুর দৈর্ঘ্য পরিবর্তনশীল হতে পারে পর্যবেক্ষকের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। == একক == ব্যবহারিক বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে, যখন একজন "দৈর্ঘ্যের একক" এর কথা বলে, তখন "দৈর্ঘ্য" শব্দ দ্বারা "দূরত্ব" কে বুঝানো হয়। দৈর্ঘ্য পরিমাপে ব্যবহার করা হয় এমন বেশ কিছু একক রয়েছে। অতীতে, দৈর্ঘ্যের এককের মাপ বের করা হত মানব দেহের অংশের দৈর্ঘ্যের পরিমাপ থেকে, দূরত্ব অতিক্রম করতে কত কদম ফেলতে হয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বা জায়গাগুলি মধ্যে দূরত্ব, বা ইচ্ছামত কিছু সুনির্দিষ্ট বস্তুর দৈর্ঘ্যের উপর। আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি (এসআই) অনুসারে, দৈর্ঘ্যের মৌলিক একক হল মিটার এবং যা এখন আলোর গতি পরিপ্রেক্ষিতে সংজ্ঞায়িত করা হয়। সেন্টিমিটার এবং কিলোমিটার, মিটার থেকে উদ্ভূত করা হয়, এগুলোও সর্বজনীনভাবে ব্যবহৃত একক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত একক, ইংরেজী বা ইম্পেরিয়াল একক ব্যবস্থার সাধারণভাবে ব্যবহৃত দৈর্ঘ্যের একক হল ইঞ্চি, ফুট, গজ এবং মাইল। মহাশূন্যের বিশালতা মধ্যে দূরত্ব বোঝাতে, সাধারণত পৃথিবীতে ব্যবহৃত এককের তুলনায় অনেক বড় একক ব্যবহার করা হয় এবং জ্যোতির্বিদ্যার এককের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আলোকবর্ষ এবং পারসেক। == আরও দেখুন == মাত্রা দূরত্ব ক্রম অনুসারে (দৈর্ঘ্যের) মাত্রাগুলো পরস্পর প্রতিক্রিয়াশীল দৈর্ঘ্য স্মুট দৈর্ঘ্যের একক == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:ভৌত পরিমাপযোগ্য বৈশিষ্ট্য'''মতিউর রহমান মল্লিক''' (জন্ম: ১লা মার্চ ১৯৫০ মৃত্যু: ১২ আগস্ট ২০১০) হলেন একজন বাংলাদেশী কবি, সাহিত্যিক, সংগীত শিল্পী, সুরকার গীতিকার। তিনি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পর মল্লিক দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব যিনি ইসলামী ধারায় অসংখ্য গান কবিতা রচনা করেছেন। তাকে অনেকেই '''সবুজ জমিনের কবি''' '''মানবতার কবি''' বলে থাকেন। ==জন্ম প্রাথমিক জীবন == মতিউর রহমান মল্লিক ১৯৫০ সালের ১লা মার্চ বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুন্সি কায়েম উদ্দিন মল্লিক স্থানীয় জারীগানের দলের জন্য গান লিখতেন। মাতা আয়েশা বেগম। তৎকালীন রেডিওতে কবি ফররুখ আহমদ যে সাহিত্য আসর পরিচালনা করতেন সেই আসরে মল্লিকের বড় ভাই কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। পিতা মাতার সান্নিধ্যে থেকে তিনি গানের প্রাথমিক জীবন শুরু করেন। প্রাথমিক জীবনে রেডিওতে গান শুনে শুনে গান লেখা শুরু করেন। তখনকার তার প্রায় সকল গানই ছিল প্রেমের গান। পরবর্তীতে ইসলামী আদর্শে প্রভাবিত হয়ে ইসলামী ধারায় গান লেখা শুরু করেন। মল্লিক বারুইপাড়া সিদ্দীকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ==কর্মজীবন== কর্মজীবনে কবি মতিউর রহমান মল্লিক সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক, ‘বিপরীত উচ্চারণ’ সাহিত্য সংকলনও সম্পাদনা করেছেন, মাসিক কলম পত্রিকার সম্পাদক এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সংস্কৃতি কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। মতিউর রহমান মল্লিক শৈশব থেকেই বিভিন্ন ধরনের সংগঠন গড়ে তুলতে থাকেন। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় সমমনা সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলেন ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী। তারপর একে একে তার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের শহর, নগর, গ্রাম, গঞ্জ, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যায়ল মাদরাসায় গড়ে ওঠে একই ধারার অসংখ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ বিশ্বের যেখানেই বাংলাভাষাভাষী মুসলমান রয়েছে সেখানেই গড়ে উঠেছে একই ধারার বহু সাংস্কৃতিক সংগঠন। ==প্রকাশিত গ্রন্থ অন্যান্য== প্রচার বিমুখ ব্যক্তিটি কাজ করেছেন মানুষের জন্য,মানবতার জন্য, বিশ্বাসের জন্য। ছোট বড় সবার জন্য লিখেছেন তিনি। তার লেখা অনেক কিন্তু কমই প্রকাশিত হয়েছে। ব্যক্তিগত সফলতার চেয়ে আদর্শিক সফলতার কথাই বেশি ভেবেছেন। তার ভক্ত শুভাকাঙ্খীদের আকুল আকতিতে কথা সুর নিয়ে মাঝে উৎসাহের কারণে কিছু কাজকে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করেছেন।- #নীষন্ন পাখির নীড়ে প্রকাশন #সুর-শিহরণ (ইসলামি গানের বই) #যত গান গেয়েছি (ইসলামি গানের সঙ্কলন) #ঝংকার (গানের বই) #আবর্তিত তৃণলতা (কাব্যগ্রন্থ) মোনালিসা প্রকাশন #তোমার ভাষার তীক্ষ্ন ছোরা (কাব্যগ্রন্থ) বাংলা সাহিত্য পরিষদ #অনবরত বৃক্ষের গান (কাব্যগ্রন্থ) মোনালিসা প্রকাশন #চিত্রল প্রজাপতি (কাব্যগ্রন্থ) প্রফেসর’স পাবলিকেশন্স #নির্বাচিত প্রবন্ধ (প্রবন্ধের বই) #রঙিন মেঘের পালকি (ছোটদের ছড়ার বই) জ্ঞান বিতরণী #প্রতীতি এক (ইসলামি গানের ক্যাসেট) #প্রতীতি দুই (ইসলামি গানের ক্যাসেট) #প্রাণের ভিতরে প্রাণ (গীতিকাব্য) উল্লেখযোগ্য। অনুবাদক হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ''পাহাড়ি এক লড়াকু'' নামে আফগান মুজাহিদদের অমর কীর্তিকলাপ তার বিখ্যাত অনুবাদ উপন্যাস যা কিশোকণ্ঠের পাঠকরা মন উজার করে পড়তেন নিয়মিত। মহানায়ক (উপন্যাস) ছাড়াও হযরত আলী আল্লামা ইকবালের মতো বিশ্বখ্যাত মুসলিম কবিদের কবিতাও অনুবাদ করেছেন তিনি। ==স্বীকৃতি== সাহিত্যকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি বহু পুরস্কার সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। কবি মতিউর রহমানের প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরস্কার সম্মাননাঃ সাহিত্য পুরস্কার সবুজ-মিতালী সংঘ, বারুইপাড়া, বাগেরহাট স্বর্ণপদক জাতীয় সাহিত্য পরিষদ, ঢাকা সাহিত্য পদক কলমসেনা সাহিত্য পুরস্কার, ঢাকা সাহিত্য পদক লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদ সাহিত্য পদক রাঙামাটি সাহিত্য পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সাহিত্য পদক খানজাহান আলী শিল্পীগোষ্ঠী, বাগেরহাট সাহিত্য পদক সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ, বাগেরহাট প্যারিস সাহিত্য পুরস্কার বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ, ফ্রান্স বায়তুশ শরফ সাহিত্য পুরস্কার বায়তুশ শরফ আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম ইসলামী সংস্কৃতি পুরস্কার ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রাম সাহিত্য পুরস্কার বাংলা সাহিত্য পরিষদ, ফ্রান্স। কিশোরকণ্ঠ সাহিত্য পুরস্কার। ==মৃত্যু== মতিউর রহমান মল্লিক ১১ আগস্ট ২০১০ সালে বুধবার রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনী সমস্যায় ভুগছিলেন। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু গীতিকার কবি সাহিত্যিক'''ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নের ভৌগোলিক পরিচিতি কোড (জিও কোড) হল ৫০.৬৯.৫৫.২৬। == ইতিহাস == == ভৌগলিক অবস্থান আয়তন == নলডাঙ্গা উপজেলা সদর হতে পূর্ব দিকে অবস্থিত ইউনিয়নের মোট আয়তন ৬৩১৮ একর বা ২৫.৫৭ বর্গকিলোমিটার। == প্রশাসনিক এলাকা == ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন মৌজা/গ্রাম নিয়ে গঠিত। মৌজা সমুহ ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত। গ্রামসমূহ হল সড়কুতিয়া, আবদানপুর, কোমরপুর, বারিয়াহাটী, কাশিয়াবাড়ি, ইয়ারপুর, ব্রক্ষপুর, বাঙ্গালখলসী, শেখপাড়া, হলুদঘর, ছাতারভাগ, ধনোকরা ইত্যাদি। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ছিল ২০৮০৩ জন, যারা ৫৪৭১ টি পরিবারে বসবাস করে, যার মধ্যে পুরুষ হল ১০৩৭২ জন এবং নারী হল ১০৪৩১ জন। == শিক্ষা সংস্কৃতি == ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের গড় সাক্ষরতা হার ৫২.৮%। তার মধ্যে নারী শিক্ষার হার ৫০.৫% এবং পুরুষ শিক্ষার হার ৫৫.৩%। এখানকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেঃ == অর্থনীতি যোগাযোগ == ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের ইউনিয়ন বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার রাজশাহী বিভাগ == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন উপজেলার ইউনিয়ন জেলার ইউনিয়ন'''বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন'''- বিপিসি (Bangladesh Petroleum হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারি মালিকানাধীন একটি রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠান। এটি অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত জ্বালানি তেল লুব্রিকেন্ট আমদানি, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধন এবং জ্বালানি তেল লুব্রিকেন্ট অন্যান্য পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য বিতরণ বিপণনের জন্য ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ (নং-৮৮, ১৩/ ১১/১৯৭৬) বলে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট (আইন) ১৯৭৪ অনুযায়ী দেশে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ উৎপাদন, পরিশোধন এবং বিপণনের ক্ষমতা কেবলমাত্র সরকারের ওপর ন্যস্ত। ==দায়িত্ব== *অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ সংগ্রহ আমদানি *অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম প্রক্রিয়াকরণ এবং বিভিন্ন মানের পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন *পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠা করা *বেইসস্টক (basestock) প্রয়োজনীয় অ্যাডিটিভসমূহ (aditives) উৎপাদন এবং লুব্রিকেন্টসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি করা *ব্লেন্ডিং-এর মাধ্যমে লুব্রিকেন্ট তেল উৎপাদন *ব্যবহূত লুব্রিকেন্টসমূহ পুনঃ ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা *রিফাইনারির অবশিষ্টসমূহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা *পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য মজুতের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন তার বাস্তবায়ন *আন্তঃমহাদেশীয় তেলবাহী জাহাজ (অয়েল ট্যাংকার) সংগ্রহ নির্মাণ *পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য বিপণনের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি তার সম্প্রসারণ *দেশে পেট্রোলিয়াম আমদানি, মজুত, বিতরণ এবং বিপণনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর বা কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করা *বিপিসির অধীনস্থ কর্মকান্ড সমন্বয় পরিবীক্ষণ করা সহ সরকার নির্দেশিত অন্য যে কোন দায়িত্ব পালন করা। ==সংস্থা== বিপিসির অধীনে আটটি কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে: দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইষ্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল); তিনটি তেল বিতরণ বিপণন কোম্পানি যথা- পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড এবং মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড; দুটি লুব্রিকেন্ট ব্লেন্ডিং প্লান্ট- ইষ্টার্ন লুব্রিকেন্ট ব্লেন্ডার্স লিমিটেড স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড; একটি এলপিজি বোতলজাতকরণ বিতরণ প্লান্ট- এলপি গ্যাস লিমিটেড এবং একটি বিটুমিন উৎপাদন কোম্পানি- অ্যাসফল্টিক বিটুমিন প্লান্ট। ==বিবিধ== স্থানীয় বাজারের জন্য জ্বালানি তেল আমদানি, পরিশোধন এবং বিতরণের দায়িত্ব ছাড়াও বিপিসি নিকট অতীতে জ্বালানি তেলের মান উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে। ১৯৯৯ সালের জুলাই থেকে বিপিসি সীসামুক্ত পেট্রোল তেল এবং সামান্য পরিমাণ সালফার সমৃদ্ধ ডিজেল তেল দেশের বাজারে বিপণনের জন্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনেরর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ইষ্টার্ণ রিফাইনারির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, বিজনেস উইক বিপিসিতে প্রতিবেদন সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি'''আবু মেনা''' (''আবু মিনা বানান করা হয়''; ছিল একটি শহর, আশ্রম কমপ্লেক্স এবং প্রাচীন মিশরের খৃস্টান তীর্থ কেন্দ্র। প্রায় ৪৫ কিমি (২৮ মা) দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত। ১৯৭৯ সালে এর ধ্বংসাবশেষ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। খুব সামান্য ধ্বংসাবশেষ টিকে আছে কিন্তু অধিকাংশ প্রধান ভবন যেমন বিখ্যাত ব্যাসিলিকা সহজেই পরিলক্ষিত হয়। সাম্প্রতিককালে এই এলাকায় চাষাবাদের জন্য পানি সেচ করার ফলে ভূমিতে পানির মাত্রা বেড়ে গেছে। ফলশ্রুতি তে পুরোনো স্থাপনার বেশ কিছু ধ্বসে গেছে অথবা যাওয়ার দশায় আছে। ২০০১ সালে সাইটটি বিপদাপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় সংযুক্ত করা হয়। অধিকাংশ বিপদাপন্ন সাইটে কর্তৃপক্ষকে জোর করে ভবনের গোড়ায় বালু দিতে বাধ্য করা হয়। == ইতিহাস == খ্রিষ্ট এবং আবট মেনাস, ষষ্ঠ শতকের মিশরীয় দেবতা মেনাস ৩য় শতকের শেষ ৪র্থ শতকের প্রথম দিকে শহীদ হন। ৫ম শতাব্দী এবং তার পরের বিভিন্ন উদ্ধৃতি থেকে তাঁর কবর এবং গির্জা সম্পর্কে সামান্য পার্থক্যে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। তার শরীরের অপরিহার্য অংশ উঠের পিঠে করে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মারেওতিস খালের পেছনের মরুভূমিতে। চলার পথে উট বার বার থেমে যেতে থাকে। কিছুতেই তাদের নড়ানো যাচ্ছিলো না। এটাকে ঐশ্বরিক নিদর্শন ভেবে তার দেহাবশেষ সেখানেই সমাধিস্থ করা হয়। গল্পটির অধিকাংশ বর্ণনা মতে সমাধির অবস্থান সবাই ভূলে যায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় রাখাল বালক অলৌকিক ভাবে এটা পূন: আবিষ্কার করে। ইথিয়পীয় থেকে: সেইন্ট মিনাসের সমাধিস্থল প্রকাশের ইচ্ছা করলেন। এবং সেইমরুভূমিতে মেষ পালকেরা থাকতো, এবং একদিন রোগাক্রান্ত একটি ভেড়া সেই স্থানে গেলো, এবং সেই স্থানের ক্ষুদ্র প্রসবণে নিজের শরীর ডুবিয়ে রাখে এবং সে এর মধ্যে গড়াতে থাকে এবং সাথে সাথে রোগমুক্ত হয়। এবং যখন মেষপালক এটা দেখলো এবং অলৌকিকত্ব বুঝতে পারলো এবং অতীব অবাক হলো। সে সমাধি থেকে কিছু ধুলো নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে রোগগ্রস্ত মেষের গায়ে লাগিয়ে দিলো। এভাবে সে সব মেষকে সুস্থ করে তুললো। যারা রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে তার কাছে আসতো সে তাদেরকে এভাবে সুস্থ করতো। আর্কাদিয় শাসনামলে স্থানীয় বিশপ ছোট গীর্জাভবনে জনতার উপচে পড়া লক্ষ করে পূর্বাঞ্চলের সম্রাটকে লিখলেন। সম্রাট বড় আকারে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের আদেশ দিলেন। প্রথমে তিনটি প্রধান গির্জা সম্প্রসারণ করা হবে। এন্টিক যুগের শেষের দিকে আবু মিনা মিশরের নেতৃত্বস্থানীয় তীর্থস্থানে রূপান্তরিত হয়। == প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন == প্রাচীন সাইটের পাশে আধুনিক খ্রিস্টীয় মঠ। সাইটটি ১৯০৫ থেকে ১৯০৭ সালের মধ্যে প্রথম খনন করা হয়। এই খননে একটি বৃহদাকৃতির ব্যসিলিকা গির্জা, সংলগ্ন সেইন্টের শবাশেষ গৃহ এবং রোমান স্নানাগার আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী খননকাজ চালানো হয় যা ১৯৯৮ সালে শেষ হয়। সাম্প্রতিককালের খননে গরীব তীর্থযাত্রীদের থাকার বৃহৎ স্থান আবিষ্কৃত হয়েছে যেখানে নারী এবং পুরুষের জন্য পৃথক থাকার জায়গা ছিলো। গ্রেট ব্যাসিলিকার একটি চত্বরে সম্ভবত হেগুমেনস অথবা আবোটের গৃহ ছিলো। খননে জেনোডোকেইন আবিষ্কৃত হয়েছে যেখানে তীর্থযাত্রী দের অভ্যর্থনা জানানো হয় যা মূলত একটি কবরখানা ছিলো। ==চিত্রশালা == File:Artifacts at Abu Mena (II).jpg| File:Artifacts at Abu Mena (IV).jpg| File:Artifacts at Abu Mena (VII).jpg| File:Basilica of The Crypt at Abu Mena (II).jpg| File:Basilica of The Crypt at Abu Mena (III).jpg| File:Basilica of The Crypt at Abu Mena (V).jpg| File:Baths at Abu Mena (II).jpg| File:Baths at Abu Mena (V).jpg| File:Baths at Abu Mena (XXI).jpg| File:Landscape at Abu Mena (II).jpg| File:Pilgrimage Center at Abu Mena (II).jpg| File:Pilgrimage Center at Abu Mena (IV).jpg| File:Religious Complex at Abu Mena (VI).jpg| File:Ruins of the Great Basilica at Abu Mena (III).jpg| File:Ruins at Abu Mena (VIII).jpg| == হুমকি == ২০০১ সালে স্থানীয় পানির তালিকা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনেস্কো সাইটটিকে বিপদাপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। সাইটটির চারপাশের কাদামাটি নরম হয়ে গিয়ে ভবনের গোড়ার ভিত্তিকে দুর্বল করে ফেলে। ফলশ্রুতিতে কিছু স্থাপনা ঝুঁকে পড়েছে এবং কিছু ধ্বসে গেছে। ==তথ্যসূত্র == ==বহি:সংযোগ== আবু মিনা, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে। প্রত্নস্থল সাবেক জনবহুল এলাকা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বসতি শতাব্দীতে স্থাপিত খ্রিস্টান মঠ অর্থোডক্স মঠ হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত গির্জা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার ৪র্থ শতাব্দীর স্থাপনা দর্শনীয় স্থান'''উদীচী সম্মেলনে বোমা হামলা''' বাংলাদেশে সংগঠিত একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এই নৃশংস হত্যাকান্ডটিতে ১০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়। == স্থান সময় == ১৯৯৯ সালের মার্চ তারিখে যশোর টাউন হল মাঠে এই বোমা হামলাটি সংগঠিত হয়। == ঘটনার বিবরণ == ১৯৯৯ সালের মার্চ তারিখে যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথমদিনের অনুষ্ঠান সফলভাবে সমাপনের পর তারিখ ছিলো সমাপনী অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে বাউল গানের আসরে দুই দফা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১০ জন সাংস্কৃতিক কর্মী দর্শক প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আহত হন আরো অগণিত মানুষ। নিহতরা হলেনঃ নূর ইসলাম, নাজমুল হুদা তপন, সন্ধ্যা রানী ঘোষ, ইলিয়াস মুন্সী, শাহ আলম বাবুল, বুলু, রতন রায়, বাবুল সূত্রধর, শাহ আলম রামকৃষ্ণ। == মামলা বিচার == ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর উদীচী হত্যাকাণ্ড মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ ২৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সে সময় তরিকুল ইসলামের আবেদনে উচ্চ আদালত তাঁর নাম বাদ দেয়। ২০০৬ সালের ৩০ মে যশোরের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বিচারের রায়ে এই মামলার ২৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়। এই রায়ের পর বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুনঃতদন্তের আবেদন করলে সিআইডিকে মামলাটির বর্ধিত তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়া হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নান ১৯ নভেম্বর আদালতে উদীচী বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তির পর পুলিশ হরকাতুল জিহাদের আরো দুই সদস্যকে আটক করে। ২০০৯ সালে সরকার নিম্ন আদালতের রায়ের (২০০৬ সালের রায়) বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। ২০১১ সালের মে সরকারের দায়ের করা আপিলটি বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গ্রহণ করেন খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পুনরায় আত্মসমর্পণের জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন। ২০১১ সালের ২০ জুন এ–সংক্রান্ত একটি আদেশ যশোর বিচারিক হাকিম আদালতে পৌঁছালে, ২১ জুন মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত খালাসপ্রাপ্ত ২৩ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এর মধ্যে তিন আসামি মহিউদ্দিন আলমগীর, আহসান কবীর হাসান মিজানুর রহমান মিজানের মৃত্যু হওয়ায় ২০ জন বাকি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন বিভিন্ন সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। আসামিদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম মিন্টা, শরিফুল ইসলাম লিটু সোহরাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করায় তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৪ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম খুন হন। একই মাসে শফিকুল ইসলাম মিন্টা আটক হন পরে তিনি জামিন লাভ করেন। বর্তমানে জীবিত সকল আসামি জামিনে মুক্ত আছেন। == তথ্যসূত্র == বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ঘটনা বাংলাদেশ দশকে ইসলামী সন্ত্রাসী ঘটনাসাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। সম্ভবত এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি কাব্যধর্মী উপন্যাস। ==চরিত্র== নবকুমার শর্ম্মা- সপ্তগ্রামনিবাসী যুবক কাপালিক- যোগসাধক সন্ন্যাসী, কপালকুণ্ডলার প্রতিপালক কাপালিক কর্তৃক পালিতা কন্যা, নবকুমারের দ্বিতীয়া স্ত্রী অধিকারী- দেবালয়ের সেবক বা পুরোহিত প্রথম পত্নী শ্যামাসুন্দরী- নবকুমারের ভগিনী জাহাঁঙ্গীর মেহেরউন্নিসা- ঐতিহাসিক চরিত্র ==আখ্যানবস্তু== প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে নবকুমার এক জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়েন। সেখানে এক কাপালিক তাকে বলি দিতে উদ্যত হয়। তখন কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা তার প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। স্থানীয় মন্দিরের অধিকারীর সহায়তায় নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে বিয়ে করে নিজের বাড়ি সপ্তগ্রামে ফিরে আসেন। পথে মতিবিবি বা লুৎফউন্নিসা নামে এক বিদেশী রমণীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়। কপালকুণ্ডলা বাল্যকাল থেকে জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে কাপালিকের কাছে বড় হওয়ায় স্বাভাবিক সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে অপরিচিত ছিলেন। নবকুমারের বাড়িতে তিনি ধীরে ধীরে সমাজের মানুষজন তাদের আচারআচরণ সম্পর্কে ধারণা পেলেন। কপালাকুণ্ডলা নাম বদলে তার নাম রাখা হল মৃন্ময়ী। মতিবিবি বা লুৎফউন্নিসা আসলে নবকুমারের প্রথমা স্ত্রী পদ্মাবতী ছিলেন। পরে সপরিবারে মুসলমান হয়ে আগ্রা চলে যান। পথে নবকুমারকে দেখে তিনি পুনরায় তাকে স্বামীরূপে লাভ করতে উৎসুক হন এবং সপ্তগ্রাম চলে আসেন। পদ্মাবতীর পরিচয় জানার পর নবকুমার তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এদিকে কাপালিক কপালকুণ্ডলাকে বধ করতে সপ্তগ্রাম চলে আসে। তার হাত ভেঙে যাওয়ায় সে পদ্মাবতীর সাহায্য চায়। পদ্মাবতী ব্রাহ্মণবেশ ধারণ করে কপালকুণ্ডলাকে সব খুলে বলে এবং নবকুমারকে ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করে। ব্রাহ্মণবেশী পদ্মাবতীর সাথে কপালকুণ্ডলাকে দেখতে পেয়ে নবকুমার তাকে ভুল বুঝে খুব কষ্ট পান। আর কাপালিক সুযোগ বুঝে সুরাপান করিয়ে নবকুমারকে উস্কে দিতে থাকেন। শেষপর্যন্ত নবকুমার আর কপালকুণ্ডলার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্য দিয়ে উভয়েই জীবনের চরম উপসংহারে উপনীত হয়। ==সুভাষিত উক্তি== উপন্যাসের কিছু অবিস্মরণীয় উক্তি বাংলা ভাষায় সুভাষিত উক্তি রূপে বহুল ব্যবহৃত চর্চিত হয়। যেমন: তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? ==চলচ্চিত্র নির্মাণ== ১৯৩৩ সনে প্রেমাঙ্কুর আতর্থীর পরিচালনায় কপালকুণ্ডলা চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। এতে অভিনয় করেন উমাশশী, দুর্গাদাস মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, মলিনা দেবী, নিভাননা দেবী, অমর মল্লিক, অমূল্য মিত্র প্রমুখ। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== উপন্যাস চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস সাহিত্য'''ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয''' () হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়, যেটি বাংলাদেশে ধর্মীয় কার্যাবলী, অনুষ্ঠান, ভবন এবং হজ্জের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ==ইতিহাস== বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ধর্ম বিষয়ক কার্যক্রম প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শুরু হয়। অতঃপর মন্ত্রণালয়ের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ছিল। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (Ministry of Religious Affairs) একটি পৃথক মন্ত্রণালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বিগত মার্চ, ১৯৮৪ সালে মন্ত্রণালয়টির নামকরণ করা হয় Ministry of Religious Affairs and Endowment. পরবর্তীতে ১৪ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে উক্ত নাম পরিবর্তন করে পুনরায় মন্ত্রণালয়ের নামকরণ করা হয় Ministry of Religious Affairs তথা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৯৮০ সালে কার্যক্রম শুরুর পর হতে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় হিসেবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, হজ্জ অফিস ঢাকা, হজ্জ অফিস, জেদ্দা/ মক্কা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে সরকারের ধর্ম বিষয়ক সকল কার্যক্রম পরিচালনাসহ দপ্তরগুলোর কার্যক্রমের মনিটরিং সমন্বয় করে থাকে। ==ভিশন== ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ। ==মিশন== ধর্মীয় মূল্যবোধ নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সার্বজনিন সমাজ প্রতিষ্ঠা। ==উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী== ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ওয়াক্ফ প্রশাসন, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম সংক্রান্ত গবেষণা তত্ত্বাবধান, উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা অনুদান প্রদান এবং অর্থ সংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ; হজনীতি, হজ প্যাকেজ ঘোষণা, দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পাদন হজযাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থাপনাসহ হজ ওমরাহ গমন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম এবং তীর্থ ভ্রমণ, বিদেশে গমনকারী এবং বিদেশ থেকে আগত ধর্মীয় প্রতিনিধিদল সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ; সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ওয়াক্ফ এস্টেট-দেবোত্তর সম্পত্তি পরিচালনায় সহায়তা প্রদান; ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন গবেষণা প্রকাশনার ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, দাতব্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা প্রদান; ধর্ম এবং ধর্মীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার সংলাপের আয়োজন এবং অংশগ্রহণ; বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থা সংগঠনসমূহের সাথে যোগাযোগ, সম্পর্ক স্থাপন, সম্পর্কের উন্নয়ন, চুক্তি দলিল সম্পাদন, সমঝোতা এবং কনভেনশন সংক্রান্ত কার্যক্রম; ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন, গবেষণা পরিচালনা, দুর্নীতি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা, ভ্রাতৃত্ববোধ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জোরদারকরণ; বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় সংগঠনের সংস্কার, অনুদান প্রদান, চাঁদ দেখাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপলক্ষ্য এবং উৎসব উদ্যাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম; দুস্থ পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান। ==পরিচালকের দপ্তর== *ওয়াকফ প্রশাসন *খ্রিস্টীয় ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট *বাংলাদেশ হজ্জ অফিস *বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ==ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ== এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা ১৯৭৫ সালে মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় যা ইসলামের মূল্যবোধ আদর্শগুলি প্রচার করে এবং সেইসব মূল্য আদর্শের সাথে সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলি পরিচালনা করে। ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত, যা টি বিভাগীয় অফিস এবং ৬৪ টি জেলা কার্যালয়, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কেন্দ্র এবং ২৯ ইসলামী মিশন সেন্টার দ্বারা সমর্থিত। মহাপরিচালক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী। ==হিন্দু ট্রাস্ট== হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা যা হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণ এবং হিন্দু মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ==বিতর্ক== মন্ত্রণালয় হজ্জ ব্যবস্থাপনা দুর্নীতির অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== সরকারের মন্ত্রণালয়'''অশোকনগর রোড''' রেল স্টেশন শহরের একটি প্রাথমিক রেল হাব সাধারণত এখানকার মানুষেরা এই রেল স্টেশনকেই ব্যবহার করেন কলকাতা শহর শহরতলিতে আসার জন্য। এই স্টেশনের ব্যস্ততম সময় হল সকালবেলা এবং সন্ধ্যেবেলা।এই স্টেশনে টি প্লাটফর্ম রয়েছে এর ।এই প্লাটফর্ম দুটি পার্শীয় প্লাটফর্ম। এই রেল স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন ৩৫ জোড়া ট্রেন চলাচল করে(২০১৫)। ==অবস্থান== স্টেশনটি সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় মিটার উচুতে অবস্থিত। স্টেশনটি অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার অন্তর্গত।ওই স্টেশনটির পূর্ববর্তী স্টেশন হল গুমা পরবর্তী স্টেশন হল হাবরা রেলওয়ে স্টেশন।স্টেশনটি বৃহত্তর হাবরা বা হাবরা নগর বা হাবরা শহরপুঞ্জের অন্তর্গত। == বৈদ্যুতীকরণ== অশোকনগর রোড রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে। ১৯৭২ সালে এই রেলপথে বৈদ্যুতীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। ==আরও দেখুন== ==তথ্যসূত্র== চব্বিশ পরগণা জেলার রেল স্টেশন'''খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়''' বাংলাদেশের একটি এটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্টিত হয়ে ২০১৫ সালে পঞ্চাশ বর্ষে পদার্পণ করেছে। == ইতিহাস == ১৯৩৮ সালে নাটোরের মহকুমা প্রশাসক জনাব পানাউল্লাহ আহম্মদ সাহেবের পল্লীমঙ্গল কর্মসূচিতে অনুপ্রানিত হয়ে গ্রামের জনগণ খুবজীপুর গ্রাম্য সমিতি গঠন করেন। ১৯৩৮ সালে ইদিল উদ্দিন সরকার বাড়ির বৈঠকখানায় কয়েকজন ছাত্র নিয়ে একটি স্কুল চালু করেন। এর কয়েক মাস পড়ে গ্রামের জুম্মা ঘরের পাশে নদীর তীরে একটি নিম্ন মাইনর স্কুল স্থাপন করা হয় এবং তাকে শিক্ষক নিযুক্ত করা হয়। তার মাসিক বেতন ছিল পাঁচ টাকা। ১৯৪২ সালে স্কুলটিকে উচ্চ প্রাইমারি স্কুলে উন্নীত করা হয় এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে শ্রীপুর গ্রামের মো: কফিলউদ্দিন সরকার জিটি সাহেবকে নিয়োগ করা হয়। অন্য জন শিক্ষক ছিলেন- ইদিল উদ্দিন সরকার, মাও: বাহারউদ্দিন সরকার, তারাপদ বিশ্বাস এফ.এ.এম মোবারাক আলী মিয়া। এইভাবে কয়েক বছর চলার পর স্কুলটিকে ১৯৪৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি এম.ই স্কুলে রূপান্তরিত করা হয় এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পান গ্রামের ছেলে জনাব কাজেমুদ্দিন। ১৯৪৮ সালের দিকে যখন ইন্টারমিডিয়েট পাস প্রধান শিক্ষক না থাকায় সরকারি মঞ্জুরি পাওয়া যাচ্ছিল না সেই সময়ে রাজশাহী কলেজে বি.এস.সি পড়ুয়া এম.এ হামিদ সাহেবকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় এবং স্কুল মঞ্জুরি প্রাপ্ত (০৮/১২/১৯৪৯) হয়। এম.এ হামিদ সাহেবের অবর্তমানে কাজেম উদ্দিন সরকার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ১৯৫১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জনাব কাজেম উদ্দিন ইন্তেকাল করায় তারাপদ বিশ্বাস প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গ্রামের জনগণ এবং এম.এ হামিদ সাহেবের সহযোগিতায় ১৯৬২ সালে এম.ই স্কুলকে জুনিয়র হাইস্কুলে এবং ১৯৬৫ সালে হাইস্কুলে রুপান্তরিত করা হয়। এই স্কুল থেকে ১৯৬৭ সালে ১ম ব্যাচ এস,এস,সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং সবাই সাফল্যের সাথে পাস করেন। == অবকাঠামো == ১৯৬৯ সালে স্কুলটি বাই লেটারাল হাইস্কুল হিসেবে উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হয় এবং এই কর্মসূচির আওতায় প্রদত্ত অর্থে একটি দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ কর্তৃক মূল ভবন থেকে পূর্ব দিকে ৮০ ফুট ৩০ ফুট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সরকারি অর্থাযনে দ্বিতীয় তলায় আরও তিনটি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। ২০০৫ সালে প্রমোট কর্তৃক ১টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কক্ষ সংখ্যা ২০ টি। প্রায় সহস্রাধিক ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়া করছে। ;শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্কুলে নির্মিত হয়েছে একটি শহীদ মিনার। ;লাইব্রেরী বিদ্যালয়টিতে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী আছে যেখানে বই সংখ্যা প্রায় হাজার। ছাত্র-ছাত্রীদের বই পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য বই পড়ার প্রতিযোগীতাসহ অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। == তথ্যসূত্র == সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক-২০১৫; খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার বিদ্যালয়'''''বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট''''' (ইংরেজি: Beauty and the Beast; বাংলা অনুবাদ: সুন্দরী দানব) ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যানিমেশন সঙ্গীতধর্মী রোম্যান্টিক নাট্য চলচ্চিত্র। ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্সের ব্যানারে নির্মিত চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন গ্যারি ট্রোসডেল কার্ক ওয়াইজ। এটি ডিজনির ৩০তম অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র এবং ডিজনির রেনেসাঁ যুগে মুক্তিপ্রাপ্ত তৃতীয় চলচ্চিত্র। ছবিটি জঁ-মারি লেপ্রিন্স দ্য বিউমন্ত রচিত ''একই নামের'' ফরাসি রূপকথার গল্প এবং জঁ কক্টিউ পরিচালিত ১৯৪৬ সালের ''একই নামের ফরাসি চলচ্চিত্র'' থেকে অনুপ্রাণিত। ছবিটির প্রধান চরিত্রসমূহে কণ্ঠ দিয়েছেন পেইজ ওহারা, রবি বেনসন, রিচার্ড হোয়াইট, জেরি ওরবাক, ডেভিড ওগডেন স্টিয়ার্স, অ্যাঞ্জেলা লান্সবেরি। ১৯৯১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় এবং পরে ১৩ নভেম্বর এল ক্যাপিটান থিয়েটারে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়। ২২ নভেম্বর সারা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিপ্রাপ্ত $২৫ মিলিয়ন বাজেটের ছবিটি সারা বিশ্বে $৪২৫ মিলিয়ন আয় করে। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা কমেডি চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে প্রথম অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র হিসেবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। ছবিটি এর শীর্ষ সঙ্গীত "বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর শ্রেষ্ঠ মৌলিক গানের জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করে। ==কুশীলব== পেইজ ওহারা ''বেল'', বইয়ের পোকা এক যুবতী যে রোমাঞ্চ ভালোবাসে এবং তার বাবাকে বাঁচাতে দানবের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে। রবি বেনসন ''দানব রাজকুমার'', যুবক রাজকুমার যে তার উদ্ধত্যের কারণে দানবে পরিণত হয়েছিল। রিচার্ড হোয়াইট ''গ্যাস্টন'', দাম্ভিক শিকারি যে বেলকে যে কোন উপায়ে পেতে উন্মুখ। জেরি ওরবাক ''লুমিয়ে'', দয়ালু কিন্তু বিদ্রোহী খানসামা যে মোমবাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। ডেভিড ওগডেন স্টিয়ার্স গৃহকাজের প্রধান যে ঘড়িতে রূপান্তরিত হয়েছিল। অ্যাঞ্জেলা লান্সবেরি ''মিসেস পটস'', প্রাসাদের রাধুনী যে চায়ের কেটলিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। ব্র্যাডলি পিয়ার্স ''চিপ'', মিসেস পটসের ছেলে যে চায়ের কাপে রূপান্তরিত হয়েছিল। রেক্স এভারহার্ট ''মরিস'', বেলের উদ্ভাবক বাবা। জেসি কর্টি ''লে ফো'', গ্যাস্টন দুর্ব্যবহার করলেও তার সাথে লেগে থাকে। কিমি রবার্টসন ''ঝাড়ু'', প্রাসাদের পরিচালিকা লুমিয়ের প্রেমিকা, যে ঝাড়ুতে রূপান্তরিত হয়। হাল স্মিথ ''ফিলিপ'', বেলের বেলজিয়ান ঘোড়া। জো অ্যান ওর্নি ''ওয়ার্ডরোব'', প্রাসাদের ফ্যাশনের দায়িত্বে নিযুক্ত পূর্বে অপেরা গায়িকা ছিল। ম্যারি কে বার্গম্যান কেথ সৌসি ''বিম্বেটস'', সিলি গার্ল নামে পরিচিত যারা গ্যাস্টনের পিছে লেগে থাকে। ব্রায়ান কামিংস ''স্টোভ'', প্রাসাদের পাচক যে স্টোভে রূপান্তরিত হয়েছিল। আলভিন এপস্টেইন ''বই বিক্রেতা'', বেলের শহরের একজন বই বিক্রেতা। টনি জে "মসিয়ে দার্ক'', গ্যাস্টন বেলকে পাওয়ার জন্য তাকে ঘুষ প্রদান করে। আলেক মার্ফি ''বেকারী মালিক", বেলের শহরের বেকারী মালিক। ফ্রাঙ্ক ওয়েলকার ''সুলতান'', প্রাসাদের পোষা কুকুর। ==সঙ্গীত== বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট চলচ্চিত্রের গানের সুর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অ্যালান মেনকেন হাওয়ার্ড অ্যাশম্যান। গানের কথা লিখেছেন টিম রাইস। গানগুলো পরে ২০১৭ সালের ''একই নামের'' চলচ্চিত্র সংস্করণের ব্যবহৃত হয়। ===গানের তালিকা=== ==মুক্তি== বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট চলচ্চিত্রের অসম্পূর্ণ সংস্করণের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় ১৯৯১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে। সম্পূর্ণ ছবিটি ১৩ নভেম্বর এল ক্যাপিটান থিয়েটারসহ কয়েকটি থিয়েটারে সীমিত মুক্তি দেওয়া হয় এবং পরে ২২ নভেম্বর বৃহৎ পরিসরে মুক্তি দেওয়া হয়। ছবিটি ১৯৯২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতার বাইরে বিশেষ প্রদর্শনীতে দেখানো হয়। ==পুরস্কার মনোনয়ন== পুরস্কার আয়োজনের তারিখ বিভাগ মনোনীত ফলাফল '''গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার''' ১৯ জানুয়ারি ১৯৯২ সেরা সঙ্গীতধর্মী বা কমেডি চলচ্চিত্র ডন হান শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর অ্যালান মেনেকেন শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান অ্যালান মেনেকেন হাওয়ার্ড অ্যাশম্যান "বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট" গানের জন্য অ্যালান মেনেকেন হাওয়ার্ড অ্যাশম্যান "বি আওয়ার গেস্ট" গানের জন্য '''একাডেমি পুরস্কার''' ৩০ মার্চ ১৯৯২ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ডন হান শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর অ্যালান মেনেকেন শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান অ্যালান মেনেকেন হাওয়ার্ড অ্যাশম্যান "বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট" গানের জন্য অ্যালান মেনেকেন হাওয়ার্ড অ্যাশম্যান "বি আওয়ার গেস্ট" গানের জন্য অ্যালান মেনেকেন হাওয়ার্ড অ্যাশম্যান "বেল" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রহণ টেরি পর্টার, মেল মেটকাফ, ডেভিড জে হাডসন, ডক কেইন ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র দশকের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র দশকের কমেডি নাট্য চলচ্চিত্র দশকের সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিওজের চলচ্চিত্র ডিজনি পিকচার্স চলচ্চিত্র ওয়াইজ পরিচালিত চলচ্চিত্র ট্রোসডেল পরিচালিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ডন হান প্রযোজিত চলচ্চিত্র বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট চলচ্চিত্র অভিষেক চলচ্চিত্র অ্যান্ড দ্য বিস্ট অবলম্বনে চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র কমেডি নাট্য চলচ্চিত্র সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্রের তালিকাভুক্তি চলচ্চিত্র অবলম্বনে চলচ্চিত্র গ্লোব পুরস্কার (সেরা সঙ্গীতধর্মী বা কমেডি চলচ্চিত্র) বিজয়ী চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র মৌলিক সুরের জন্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র মৌলিক গানের জন্য একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র'''মোহাম্মদ আলী''' নামটি নিম্নের ব্যক্তিবর্গকে নির্দেশ করতে পারেঃ মোহাম্মদ আলী –জনপ্রিয় বক্সার। মোহাম্মদ আলী (বীর প্রতীক) –বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী (মুক্তিযোদ্ধা) –বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম শহীদ *মোহাম্মদ আলী (রাজনীতিবিদ) –বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। == স্থাপনা == মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মসজিদ –ফেনী জেলার সদরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম –বগুড়ার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। == আরও দেখুন == মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ –রাজনীতিবিদ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। মোহাম্মদ আলী বগুড়া –একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী –একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। মোহাম্মদ আলী মুর্তুজা –বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর নবম উপাচার্য ছিলেন। মোহাম্মদ আলী সরকার বাংলাদেশের রংপুর জেলার একজন রাজনীতিবিদ।'''মারিজান কাপ''' (; জন্ম: জানুয়ারি, ১৯৯০) পূর্ব কেপের পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান প্রমিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও, সিডনি সিক্সার্স, সারে স্টার্স এবং নর্দান্সের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করে থাকেন ‘কাপি’ ডাকনামে পরিচিত মারিজান কাপ। == খেলোয়াড়ী জীবন == দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলে অন্তর্ভূক্তির পর থেকে পর্যন্ত ৪৬টি ওডিআই এবং ৪০টি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। ১০ মার্চ, ২০০৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে। একই বছরের ১৬ জুন তারিখে একই দলের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন। বছর পর ১৬ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় অভিষেক ঘটে তার। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == সুন লুস ২০১৭ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ২০১৬-১৭ দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর == বহিঃসংযোগ == == গ্যালারী চিত্র == জন্ম ব্যক্তি কোস্টের মহিলা ক্রিকেটার প্রভিন্সের মহিলা ক্রিকেটার আফ্রিকান মহিলা ক্রিকেটার আফ্রিকার মহিলা টেস্ট ক্রিকেটার আফ্রিকার মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার আফ্রিকার মহিলা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ওম্যানের ক্রিকেটার এলিজাবেথের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক লাভকারী স্টার্সের ক্রিকেটার সিক্সার্সের (ডব্লিউবিবিএল) ক্রিকেটার'''গ্রাহাম পল থর্প''', এমবিই (; জন্ম: আগস্ট, ১৯৬৯) সারে এলাকার ফার্নহামে জন্মগ্রহণকারী সাবেক প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন '''গ্রাহাম থর্প'''। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারীসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালনসহ স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সময়কালে ঠিক ১০০টি টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। == প্রারম্ভিক জীবন == স্বভাবজাত ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলতে থাকেন। দাঁড়ানোর ভঙ্গীমা পরিবর্তনের ফলে বড় দুই ভাইয়ের পক্ষে তাকে আউট করা বেশ দুঃসাধ্য বিষয় ছিল। এর প্রধান কারণ ছিল লেগ সাইডে বামহাতে ব্যাটিং করার ফলে বাগানের সীমানা রেখা বেশ ছোট ছিল। ১৯৮৮ সালে সারে দলের পক্ষে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়। == খেলোয়াড়ী জীবন == আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১১৪* রানের মনোমুগ্ধকর সেঞ্চুরি করেন। জুলাই, ১৯৯৩ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি। নভেম্বর, ২০০০ সালে লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরিতে তিনি কেবলমাত্র এক চারের মার মেরেছিলেন। তার ইনিংসটিতে সাতটি তিন, ১২টি দুই এবং ৫১টি এক রান ছিল। তবে, ৩০১ বলে ১১৮ রান করে আউট হবার পূর্বে আরও একটি বাউন্ডারি ছিল। এরফলে তার ইনিংসটি স্বল্পসংখ্যক বাউন্ডারিতে গড়া টেস্ট ক্রিকেট সেঞ্চুরিতে পরিণত হয়। তাস্বত্ত্বেও উচ্চমানের স্ট্রোকের মারের জন্যও তার সুনাম রয়েছে। ২০০২ সালে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে নিজস্ব সেরা অপরাজিত ২০০* রান করেন ২৩১ বল মোকাবেলা করে। সময় অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের সাথে জুটি গড়ে ৫১ ওভারে ২৮১ রান সংগ্রহ করেন। == ব্যক্তিগত সমস্যা প্রত্যাগমন == ২০০২ মৌসুমে থর্পের বৈবাহিক জীবন নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন টেবলয়েড সংবাদপত্রে নিয়ে মুখরোচক খবর প্রকাশিত হতে থাকে। এরফলে তার খেলায় মারাত্মক প্রভাববিস্তার করে। ধারাবাহিকভাবে বিদেশ সফরে ব্যস্ত থাকায় পারিবারিক সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাকে। ফলশ্রুতিতে একদিনের খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার অস্ট্রেলিয়া সফরের বিষয়ে মন পরিবর্তন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি পুরোপুরি সফর থেকে দূরে রাখেন নিজেকে। ২০০৩ সালে পারিবারিক সমস্যা সমাধানের পর পুণরায় ইংল্যান্ড দলে ফিরে আসেন। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে নিজ মাঠ ওভালে খেলতে নামেন। স্থানীয় বীরকে উষ্ণ স্বাগতঃ জানায় দর্শককূল। থর্প চমকপ্রদ ১২৪ রানে ইনিংস খেলেন যাতে ইংল্যান্ড অপ্রত্যাশিতভাবে জয় পেয়ে সিরিজ ড্রয়ে সক্ষম হয়। জুন, ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি তার শততম চূড়ান্ত টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। দুই বছরের ব্যবধানে তিনি ৫৬.৩৭ গড়ে ১৬৩৫ রান তুলেছিলেন। == অবসর == জুলাই, ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলী অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে কেভিন পিটারসনকে তার স্থলাভিষিক্ত করলে তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন। দল ঘোষণার পর ইংল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি ডেভিড গ্রেভেনি মন্তব্য করেন যে, ‘একজন নির্বাচক হিসেবে আমার সময়কালে সিদ্ধান্তটি সর্বাপেক্ষা কঠিনতর ছিল’। টেস্ট থেকে অবসর নেয়ার আরও দুই মাস পর ঘরোয়া ক্রিকেটে সারে দল থেকে অবসর নেন আগস্ট, ২০০৫ সালে। গ্রাহাম থর্পের খেলোয়াড়ী জীবনের লেখচিত্র। == কোচিং == অবসর নেয়ার পর ২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে পরবর্তী দুই মৌসুমের জন্য নিউ সাউথ ওয়েলসের ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দেন। সময় সিডনি ফার্স্ট গ্রেড প্রতিযোগিতায় ইউটিএস-বালমেইন দলের পক্ষে খেলেন। ম্যাথু মটকে কোচের মর্যাদায় আসীন করার প্রেক্ষিতে তাকে ২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডের সাউথ ওয়েলসের সহকারী কোচ হিসেবে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। == অর্জনসমূহ == ১৯৯৮ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন। ১৭ জুন, ২০০৬ তারিখে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) পদবীতে তাকে ভূষিত করা হয়। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড দলের ভারত সফরে প্রথম টেস্ট থেকে বিবিসি রেডিও’র টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল অনুষ্ঠানে বিশ্লেষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। একই সিরিজে স্কাই স্পোর্টসের বিশেষ মুহুর্ত অনুষ্ঠানেও তাকে খেলা বিশ্লেষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যায়। ক্রিকেট সাময়িকী স্পিন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট মান্থলীতে ডিসেম্বর, ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত লিখছেন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == ইয়ান থর্প ডমিনিক কর্ক সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ২০০৫ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে উইকেট লাভকারী দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার থেকে ২০০০ সময়কালীন ইংরেজ ক্রিকেটার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদক বিজয়ী ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ক্রিকেট কোচ বর্ষসেরা ক্রিকেটার ক্রিকেট অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার ব্যক্তিত্ব ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার ক্রিকেটারপৌরনিতি হলো নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। প্রাচীন গ্রীসে নাগরিক নগর রাষ্ট্র ছিল অবিচ্ছেদ্য। সময় ছোট অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠত নগর রাষ্ট্রীয় কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করত, তাদের নাগরিক বলা হত।দাস,মহিলা বিদেশিদের সুযোগ ছিলনা। নাগরিকের আচরণ নিয়ে আলোচনাই হলো পৌরনীতির বিষয়বস্তু। বর্তমানে একদিকে নাগরিকের ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে,অন্যদিকে নগর-রাষ্ট্রের স্থলে বৃহৎ আকারের জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।রাষ্ট্র প্রদত্ত নাগরিকের মর্যাদাকে নাগরিকতা বলা হয় নাগরিকতা রাষ্ট্রের সাথে জড়িত সবই "পৌরনীতির" বিষয়বস্তু। ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ই.এম. হোয়াইট যথার্থই বলেছেন,"পৌরনীতি হলো জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা, যা নাগরিকের অতীত, বর্তমান ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়,জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সাথে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে"।'''সুন্দরবন ইউনিয়ন, মংলা''' বাংলাদেশের মংলা উপজেলার একটি ইউনিয়ন যা দাপ্তরিকভাবে ৫নং সুন্দরবন ইউনিয়ন, মংলা পরিষদ নামে পরিচিত। == আয়তন== সুন্দরবন ইউনিয়নের মোট আয়তন ৩৫.৫৫ (বর্গ কিঃ মিঃ)। ==পরিসংখ্যান== ==গ্রামসমূহ== বাঁশতলা, বৈদমারী, পাখীমারা, :বাঁশতলা, দিয়ারখন্ড, কাটাখালী, হোগলাবুনিয়া, দিগরাজ, বুড়বুড়িয়া, ঢালীরখন্ড, দামেরখন্ড, দোয়ারীয়ারা, তেঘরিয়া, আগা মাদুরপাল্টা, মাদুরপাল্টা, উ:বাজিকরের খন্ড, বাজিকরের খন্ড, কচুবুনিয়া, বরইতলা, গোগলাবুনিয়াণ। কাটাখালি ==তথ্যসূত্র == বিভাগের ইউনিয়ন জেলার ইউনিয়ন উপজেলা উপজেলার ইউনিয়ন''' খড়গপুর রেল বসতি''' বা '''খড়গপুর রেলওয়ে সেটেলমেন্ট''' (ইংরেজি: Kharagpur Railway Settlement), ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি শহর। ==জনসংখ্যা উপাত্ত== ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী খড়গপুর রেল বসতির মোট জনসংখ্যা ছিল ৮২,৭৩৫ টি, যার মধ্যে ৪১,৩৮৮ জন (৫০%) পুরুষ এবং ৪১,৩৪৭ জন (৫০%) মহিলা ছিলেন।৬ বছরের কম বয়সী জনসংখ্যা ছিল ৭,২৫৭।খড়গপুর রেল বসতিতে মোট স্বাক্ষরের সংখ্যা ৬১,৫৭১ (৬ বছর ধরে জনসংখ্যার ৭৪.৪২%) ছিল। ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে খড়গপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জনসংখ্যা ৮৮,৩৩৯ জন।এর মধ্যে পুরুষ ৫১%, এবং নারী ৪৯%।এখানে সাক্ষরতার হার ৭৮%,। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৫%, এবং নারীদের মধ্যে ৭১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে খড়গপুর রেলওয়ে সেটেলমেন্ট এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরর জনসংখ্যার ৯% হন বছর বা তার কম বয়সী। ==আরও দেখুন== আমলাগোরা ==তথ্যসূত্র== শহরVideo of single beating cardiomyocyte, taken from an open-access article co-authored by Yamanaka. Isolating cells by cell type is an important step in stem cell therapy. '''শিনিয়া ইয়ামানাকা''' একজন জাপানি নোবেল বিজয়ী স্টেম সেল গবেষক। তিনি ইউনিভার্সিটি অব সান ফ্রান্সিস্কো এর অ্যানাটমির অধ্যাপক। ==জীবনী== ইয়ামানাকা কোবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে এমডি এবং ওসাকা সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৯৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ওসাকা সিটি ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ==তথ্যসূত্র== জন্ম বিজয়ী'''আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড''' () বাংলাদেশের একটি বণিজ্যিক ব্যাংক যেটি মূলতঃ ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবসায় জড়িত। == ইতিহাস == এই ব্যাংকটি ১৯৮৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বছরেরই ২০ মে থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। == আরও দেখুন == বাংলাদেশ ব্যাংক; বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। বীমা ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত'''সবরমতী জংশন ''' পশ্চিম রেল-এর অধীন একটি জংশন স্টেশন এবং ভারতের গুজরাট রাজ্যের প্রধান শহর আহমেদাবাদ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি জংশন।এটি আহমেদাবাদ -মেহসান রেললাইনের জংশন।মহাত্মা গান্ধীর প্রতিষ্ঠিত সাবর্মি আশ্রমের কাছাকাছি অবস্থিত জন্য রেল স্টেশনটি আরও থেকে যাত্রা করে সমস্ত ট্রেনের জন্য ব্রডগেজ লাইন এবং মেহসান লাইনের জন্য মিটার-গেজ ট্র্যাক সবরমতী স্টেশনে চলু রয়েছে।মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে সবরমতী মিটার গেজ টার্মিযনাসকে এখন গান্ধীগ্রাম নামকরণ করা ট্রেনগুলির জন্য সবরমতীতে বিশেষ ইয়ার্ড ব্যবস্থা রয়েছে।শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সাবরামতি রেলওয়ে স্টেশনটি ট্রেনের অবতরণ এবং অবসানের জন্য একটি অতিরিক্ত টার্মিনাল হিসাবে উন্নয়নের প্রস্তাব করা হচ্ছে।রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, সাবরামতী রেলওয়ে স্টেশনকে আহমেদাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের একটি বিকল্প স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Sabarmati Junction Railway Station Sabarmati Junction Railway Station Rail Info রেল'''সীতারামপুর স্টেশন ''' (কোড এসটিএন) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম সীমান্ত পাহাড়ী এলাকা আসানসোলের নিয়ামতপুর এবং সীতারামপুরের আশেপাশে সেবা প্রদান করে।সীতারামপুর জংশন ভারতীয় রেলওয়ে রেলপথের আসানসোল রেল বিভাগের অন্তর্গত। সীতারামপুর জংশন ভারতের মেট্রোপলিটান এলাকার সঙ্গে, দিল্লি-কলকাতা মেইন লাইনের মাধ্যমে মুগলসরাই-পাটনা রুট এবং গ্র্যান্ড কর্ড রুট দিয়ে ২৩.৪৩ উত্তর ৮৬.৫৩ পূর্ব- অবস্থিত। সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৯৯ মিটার (৩২৫ ফুট)। সীতারাম রেল স্টেশনের রেল নির্দেশিকা বোর্ড ==ইতিহাস== রেলপথের মাধ্যমে কয়লা চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে, একটি নতুন রেললাইন, গ্র্যান্ড কর্ড, সীতারামপুর থেকে মুগলসরাই পর্যন্ত স্থাপিত হয়।সেই সময়ে, সীতারামপুর দেশের বৃহত্তম বাষ্প ইঞ্জিনের শেড এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ইয়ার্ড ।এখন বাষ্প ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার ফলে বাষ্প ইঞ্জিন শেড বন্ধ আছে। ==পরিষেবা== এই স্টেশনে উপলব্ধ রয়েছে অপেক্ষা কক্ষ, রিজার্ভেশন কাউন্টার, চাকা এবং চাকার যানবাহনের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি প্রবেশের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এখানে এটিএম, শৌচালয়, চায়ের দোকান, বইয়ের দোকান রয়েছে। স্টেশনের প্লাটফর্মকে যুক্ত করেছে ফুট ওভার ব্রীজ। ==তথ্যসূত্র== জংশন রেলওয়ে স্টেশন বর্ধমান জেলার রেল স্টেশন'''মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ''' (জন্ম: অজানা মৃত্যু: ২০০৮) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। == জন্ম শিক্ষাজীবন == মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার বদলকোট গ্রামে। তার বাবার নাম ফজলুল হক মুন্সি এবং মায়ের নাম জমিলা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম আমেনা বেগম। তার চার ছেলে দুই মেয়ে। == কর্মজীবন == পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে চাকরি করতেন মো. শহীদুল্লাহ। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন ঢাকায়। ২৫ মার্চ রাতে তিনি কুর্মিটোলায় ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেন। বাঙালি সহকর্মী ওয়ারেন্ট অফিসার মজিদসহ একজনকে পাকিস্তানি সেনারা তার চোখের সামনেই গুলি করে হত্যা করে। কয়েক দিন পর তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে নিজ এলাকায় গিয়ে স্থানীয় সঙ্গে যোগ দেন। পরে ভারতে যান। ভারতের আগরতলায় থাকার সময় তিনি মুক্তিবাহিনীর নবগঠিত বিমান উইংয়ে যোগ দেন। বিমান উইংয়ে যোগ দেওয়ার আগে আগরতলায় মুক্তিবাহিনীর একটি ক্যাম্পে সংগঠক প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। ভারত সরকার সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি বিমান দেয়। একটি ডিসি বা ডাকোটা, একটি অটার অপরটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার। এর মধ্যে শেষের দুটি যুদ্ধবিমানের উপযোগী ছিল না। মো. শহীদুল্লাহসহ কয়েকজন বিমান দুটিকে যুদ্ধবিমানের উপযোগী করেন। == মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা == ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মধ্যরাতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক অপারেশন যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করে। এত দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ স্থল জলে সীমাবদ্ধ ছিল। মুক্তিবাহিনীর বিমান উইং গঠিত হওয়ার পর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে পাকিস্তানিরা ত্রিমুখী আক্রমণের শিকার হতে থাকে। ডিসেম্বর দুটি স্থানে একযোগে আক্রমণ পরিচালিত হয়। চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারির কাছের তেল ডিপো গোদনাইলের তেল ডিপো। এই দুই ডিপোতে পাকিস্তানিরা বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল যুদ্ধের জন্য মজুত রেখেছিল। এসব ডিপো থেকে তাদের স্থল, নৌ আকাশযানের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকবার চেষ্টা করেও তেল ডিপোর ক্ষতি সাধনে ব্যর্থ হন। সে দিনের আক্রমণে তেল ডিপো দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বেশির ভাগ জ্বালানি পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। এতে পাকিস্তানিদের মনোবল ভেঙে পড়ে। সেদিন ভারতের তেলিয়ামুড়া থেকে রাতে আকাশে উড়ে একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার। তাতে ছিলেন তিনজন। দুইজন পাইলট একজন গানার। দলে মো. শহীদুল্লাহ ছিলেন গানার। পাইলট সুলতান মাহমুদ (বীর উত্তম) বদিউল আলম (বীর উত্তম)। তাদের গন্তব্য ছিল নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল। হেলিকপ্টারটি রাতের অন্ধকারে কুমিল্লা-ঢাকা মহাসড়ক লক্ষ্য করে দাউদকান্দির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তারপর দ্রুত ঢাকার ডেমরার কাছে এসে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দক্ষিণে গোদনাইলের দিকে রওনা হলো। হেলিকপ্টারে প্রস্তুত হয়ে ছিলেন মো. শহীদুল্লাহ। লক্ষ্যস্থলের কাছে যাওয়া মাত্র তিনি তেলের ট্যাংকার লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করলেন। মুহূর্তের মধ্যেই ট্যাংকারগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা আকাশ গ্রাস করে ফেলল। বিস্ফোরণের শব্দে জেগে ওঠা মানুষ পাকিস্তানি সেনারা অবাক বিস্ময়ে দেখতে থাকল আগুনের লেলিহান শিখা। == পুরস্কার সম্মাননা == বীর প্রতীক == তথ্যসূত্র == == বহি:সংযোগ == বিষয়শ্রেণী:বীর প্রতীক মৃত্যু'''সুজয় ঘোষ''' হলেন একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার। ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ''ঝংকার বিটসের'' মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। তার পরিচালিত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল ''হোম ডেলিভারি'' (২০০৫), ''আলাদিন'' (২০০৯), ''কহানী'' (২০১২), ''কহানী ২'' (২০১৬)। ==প্রাথমিক জীবন== সুজয় ১৯৬৬ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেন্ট জেমস স্কুলে পড়াশুনা করেন। তিনি কোলকাতার ভবানীপুরে বাস করতেন এবং পরে তার ১৩ বছর বয়সে তিনি লন্ডনে চলে যান। সেখানে তিনি কুইন এলিজাবেথ কলেজ ডার্লিংটনে তার লেভেল সম্পন্ন করেন। তিনি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ==কর্মজীবন== সুজয় রয়টার্সের দক্ষিণ এশীয় মিডিয়া প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। এসময়ে তিনি একটি গল্পের চিত্রনাট্য রচনা করেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সালে তিনি রয়টার্সের চাকুরী ছেড়ে দেন। সুজয়ের পরিচালনায় অভিষেক হয় ২০০৩ সালে অল্প বাজেটের ''ঝংকার বিটস'' দিয়ে। রাহুল দেব বর্মণকে উৎসর্গ করা চলচ্চিত্রটি অবিশ্বাস্যভাবে হিট হয়। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ''হোম ডেলিভারি'' (২০০৫) বক্স অফিসে আশাব্যঞ্জক সাফল্য লাভ করে নি। তার পরিচালিত তৃতীয় চলচ্চিত্র ফ্যান্টাসীধর্মী ''আলাদিন'' (২০০৯)। এতে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন, রিতেশ দেশমুখ, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সুনীল দত্ত। ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তার পরিচালিত চতুর্থ চলচ্চিত্র ''কহানী'' (২০১২)। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন বিদ্যা বালান। ছবিটি বাণিজ্যিক সফলতা অর্জন করে এবং সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। সুজয় শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পরিচালক পুরস্কার লাভ করেন। পরের বছর ২০১৩ সালে তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত শেষ চলচ্চিত্র প্রধান চরিত্র ব্যোমকেশ বকশীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্র দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে। ২০১৬ সালে তিনি ''কহানী''র অনুবর্তী পর্ব ''কহানী ২: দুর্গা রানী সিং'' নির্মাণ করেন। ছবিটি তেমন ব্যবসাসফল হয় নি। ==ব্যক্তিগত জীবন== সুজয় বৈশালীকে বিয়ে করেন। বৈশালী একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তাদের দুই সন্তান। কন্যা দিয়া এবং পুত্র অগ্নি একজন রাগবি খেলোয়াড়। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা টীকা পরিচালক প্রযোজক চিত্রনাট্যকার অভিনেতা ২০০৩ ''ঝংকার বিটস'' ২০০৫ ''হোম ডেলিভারি'' ২০০৯ ''আলাদিন'' ২০১২ ''কহানী'' '''বিজয়ী:''' শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার '''বিজয়ী:''' ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পরিচালক পুরস্কার '''বিজয়ী:''' জি সিনে পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কাহিনী ২০১৩ ''অনামিকা'' ''কহানী''র তেলেগু তামিল ভাষার পুনঃনির্মাণ ২০১৩ ''সত্যান্বেষী'' ব্যোমকেশ বকশী চরিত্রে ২০১৪ ''ব্যাং ব্যাং!'' ২০১৫ ''অহল্যা'' স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০১৬ ''কহানী ২: দুর্গা রানী সিং'' ২০১৫ ''অহল্যা ২'' ==পুরস্কার মনোনয়ন== পুরস্কার বছর পুরস্কারের বিভাগ মনোনীত চলচ্চিত্র ফলাফল '''জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার''' ২০১৩ শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য ''কহানী'' '''ফিল্মফেয়ার পুরস্কার''' ২০১৩ শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''কহানী'' শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য '''আইফা পুরস্কার''' ২০১৩ শ্রেষ্ঠ পরিচালক ''কহানী'' '''জি সিনে পুরস্কার''' ২০০৪ শ্রেষ্ঠ নবাগত পরিচালক ''ঝংকার বিটস'' শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ ২০১২ শ্রেষ্ঠ কাহিনী ''কহানী'' শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র পরিচালক ভাষার চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র প্রযোজক চলচ্চিত্র অভিনেতা পুরুষ চিত্রনাট্যকার পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী চিত্রনাট্য বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''এল গুগুন্স''' () নাটক। এছাড়াও এটি '''মাচো রাতোন''' নামে পরিচিত। এটি প্রাক-কলম্বীয় নিকারাগুয়ার প্রথম সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডরূপে এর সবিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এটি লাতিন আমেরিকার অন্যতম রীতিবিরুদ্ধ ঔপনিবেশিকযুগের কাজ হিসেবে বিবেচিত নিকারাগুয়ার পরিচিতিমূলক প্রচলিত সেরা শৈল্পিক নিদর্শনস্বরূপ যাতে সঙ্গীত, নৃত্যকলা থিয়েটারের সংমিশ্রণ ঘটেছে। এর সম্মানার্থে রাজধানী ম্যানাগুয়ার কেন্দ্রস্থলে গোলাকার চত্ত্বরে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কারাজো ডিপার্টমেন্টের দিরিম্বা পৌর এলাকার স্যান সেবাস্তিয়ানের সম্মানে আয়োজিত গণভোজন চলাকালে এল গুগুন্স প্রদর্শন করা হয়। == ইতিহাস == ষোড়শ শতাব্দীতে জনৈক লেখক মঞ্চ নাটকটি রচনা করেছিলেন। এরফলে পশ্চিম গোলার্ধ্বের দেশগুলোয় সর্বাপেক্ষা প্রাচীন আদিবাসী মঞ্চ/নৃত্যধর্মী কাজের স্বীকৃতি পেয়েছে। পরবর্তীতে লোকমুখে শতাব্দীর পর শতাব্দী এটি টিকে থাকে। অবশেষে এর লিখিতরূপে প্রকাশ পায়। ১৯৪২ সালে প্রথমবারের মতো গ্রন্থাকারে গুগুন্স প্রকাশিত হয়। প্রথম লিখিত সংস্করণে নাটকের ৩১৪ চরণ ছিল। নহুয়াতল স্পেনীয় উভয় ভাষায় প্রথম লেখা হয়েছিল। == পটভূমি == নাটকের নামটি এর প্রধান চরিত্র ‘এল গুগুন্সে’র নামানুসারে হয়েছে। নহুয়াতল শব্দ ‘হুহু’ শব্দ থেকে শব্দটি আহুত হয় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘বয়ষ্ক ব্যক্তি’ বা ‘জ্ঞানী ব্যক্তি’। নাটকে সর্বমোট ১৪টি চরিত্র রয়েছে। তন্মধ্যে, তিনটি আদিবাসী মেস্তিজো জনগোষ্ঠীর। গুগুন্স (ও তার পুত্রদ্বয়) ** ডন ফরসিকো ** ডন অ্যাম্ব্রোসিও স্পেনীয় সরকারের প্রতিনিধি: গভর্নর তাসতুয়ান্স ক্যাপ্টেন আলগুয়াসিল মেয়র দ্য রয়্যাল ক্লার্ক দ্য রয়্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মহিলা: ডোনা সুচে মালিঞ্চে (তার সহযোগী দুই ভদ্রমহিলা) মাচো-মোতো, মাচো-ভিজো, মাচো-মোহিনো (চার ভারবাহী পশু; ‘মাচো’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে) এটি স্পেনীয় ভাষায় রচনা করা হয়েছে। সাথে কিছু নিকারাও (পিপিল) শব্দের সংমিশ্রণ ঘটেছে। এরফলে কখনো এটি মিশ্রিত বা ক্রিয়ল ভাষা হিসেবে দাবী করা হয়। তবে এর স্বপক্ষে কোন প্রামাণ্য দলিল নেই। == মূল্যায়ণ == এল গুগুন্স নিকারাগুয়ার পল্লীসাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। সেলক্ষ্যে, ইউনেস্কো এটিকে মৌখিক স্পর্শবিহীন মানবধর্মী ঐতিহ্যরূপে ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে মধ্য আমেরিকার একমাত্র দেশ এবং লাতিন আমেরিকার ছয় দেশের অন্যতম দেশ হিসেবে নিকারাগুয়া ইউনেস্কো কর্তৃক দুইটি সেরা শৈল্পিক নিদর্শনের দাবীদার হয়। এল গুগুন্সে আর্থিক বিষয়াদির ন্যায় তুচ্ছ অথচ মূল কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা কিংবা সরকারী জবাবদিহিতার বিষয়কে প্রতীকী অর্থে সংবাদপত্রসমূহের সম্পাদকীয় কলামে প্রায়শঃই উদ্ধৃতি দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও, নির্বাচনে প্রকৃত ভোটের বিষয় নিয়েও এর প্রয়োগ করা হয়। ১৯৯০ সালে এফএসএলএন দলের অপ্রত্যাশিত পরাজয়ে গুগুন্স শব্দের ব্যবহার হয়েছে। এল গুগুন্সকে নিকারাগুয়ার ঐতিহ্যবাহী শিল্প হিসেবে সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা থাকা স্বত্ত্বেও নাটকটির পটভূমিতে জীবনধারাকে নেতিবাচক অর্থে নেয়া হয়েছে যাতে প্রায়শঃই রাজনৈতিক বক্তব্যের লম্বা হাতরূপে আখ্যায়িত করা হয়। এর বিপরীতক্রমে জাতীয় উন্নয়নের বর্তমান ধারায় কঠোর পরিশ্রম, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি পণ্যদ্রব্য রপ্তানী ব্যাপকভাবে অর্থবহ করে তুলেছে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == ক্যাল অর্কো রুবেন দারিও নোরা অস্তোর্গা আইজিল জনগোষ্ঠী কোটপেক কালদেরা ইনকা সড়ক ব্যবস্থা রোমেলিয়া অ্যালারকন ফোলগার‎‎ == গ্রন্থপঞ্জী == *Brinton, Daniel Garrison (1883), The Güegüence: comedy ballet in the Nahuatl-Spanish dialect of Nicaragua. Philadelphia: D. G. Brinton. online at archive.org) == বহিঃসংযোগ == El Güegüense Diriamba, Nicaragua Video of El Güegüense Diriamba, Nicaragua Video of El Güegüense dance show in Masaya Video of El Güegüense in the Managua parade Video of El Güegüense show Video of El Güegüense 10-minute show Diriamba, Nicaragua থিয়েটার স্পর্শবিহীন মানবীয় অমূল্য সম্পদের নিদর্শন'''কুমকুম করোঞ্জী '''(বৈজ্ঞানিক নাম: ''Parasarpa একপ্রকারের মাঝারী আকৃতির প্রজাপতি যার মূল শরীর চকোলেট বর্ণের এবং ডানায় চওড়া সাদা পটি অথবা ব্যান্ড দেখা যায়। এরা নিমফ্যালিডি পরিবার এবং লিমেনিটিডিনি উপগোত্রের সদস্য। == আকার == কুমকুম করোঞ্জীর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৭৫-৮৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। == উপপ্রজাতি == ভারতে প্রাপ্ত কুমকুম করোঞ্জীর উপপ্রজাতি হল- ''Parasarpa dudu dudu'' Westwood, 1850 Sylhet White Commodore == চিত্রশালা == == তথ্যসূত্র == প্রজাপতি প্রাপ্ত নিমফ্যালিডি গোত্রের প্রজাপতি'''কাস্কো ভিয়েজো''' () পানামা সিটির ঐতিহাসিক জেলারূপে পরিচিত। এছাড়াও জেলাটি '''কাস্কো অ্যান্টিগু''' বা '''স্যান ফিলিপ''' নামেও পরিচিতি পাচ্ছে। ১৬৭৩ সালে জেলাটির গোড়াপত্তন ঘটে বসতি স্থাপন করা হয়। ১৫৭১ সালে কাছাকাছি থাকা মূল পানামা সিটি ধ্বংস হবার পর, ১৬৭১ সালে পানামা ভিয়েজোর প্রতিষ্ঠা পায়। এরপরই জেলাটির উৎপত্তি ঘটে। পরেরটি অবশ্য জলদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে এর ঐতিহাসিক গুরুত্বতার কারণে প্যারিসভিত্তিক ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভূক্তি ঘটে। == ইতিহাস == পানামা সিটি ১৫ আগস্ট, ১৫১৯ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। একশত বায়ান্নো বছর এর স্থায়িত্ব ছিল। জানুয়ারি, ১৬৭১ সালে শহরের গভর্নর জুয়ান পেরেজ দে গুজমানের শাসনামলে শহরটিতে আগুন লেগে যায়। এরপূর্বে জলদস্যু সরদার হেনরি মর্গ্যান শহরটিতে আক্রমণ করে ব্যাপক লুটতরাজ পরিচালনা করেন। ১৬৭২ আসলে অ্যান্টোনিও হার্নান্দেজ দে কর্ডোবা নতুন শহরের অবকাঠামো নির্মাণে অগ্রসর হন। ২১ জানুয়ারি, ১৬৭৩ তারিখে তিনি এর সন্ধান পান। এই শহরটি সম্পূর্ণভাবে উপত্যকায় নির্মিত হয়েছে যার চারদিকে সাগর দিয়ে ঘেরা মজবুত দেয়াল তৈরি করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নিশ্চায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এই স্থানটি সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। আধুনিক পানামা নগরীর প্রথম প্রতিষ্ঠান ভবন রয়েছে। এছাড়াও এটি কাস্কো ভিয়েজো নামে পরিচিত যার স্পেনীয় অর্থ হচ্ছে প্রাচীন শহর। == উল্লেখযোগ্য নিদর্শন == লা ক্যাটেড্রাল মেট্রোপলিটনা পানামা শহরের প্রধান ক্যাথলিক গির্জা। এল পালাসিও দে লাস গারজাস পানামার রাষ্ট্রপতির সরকারী কার্যালয় বাসস্থান। সেন্ট আসিসি ফ্রান্সিসের গির্জা ধর্মীয় পীঠস্থান স্যান হোসের গির্জা লা মার্সেদের গির্জা সান্তো ডোমিঙ্গো: দ্য ফ্লাট আর্কের গির্জা ধর্মীয় পীঠস্থান যিশু সম্প্রদায়ের গির্জা ধর্মীয় পীঠস্থান বিংশ শতাব্দীতে গড়ে উঠা পালাসিও মিউনিসিপাল পালাসিও ন্যাশিওনাল পানামা জাতীয় থিয়েটার পানামা খাল জাদুঘর পালাসিও বলিভার গঙ্গোরা হাউজ প্লাজা বলিভার প্লাজা হেরেরা প্লাজা দে ফ্রান্সিয়া প্লাজা দে লা == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == অফেলিয়া হুপার ত্রিদেশীয় সীমানা চগ্রেস জাতীয় উদ্যান দ্বিতীয় দিয়েগো ডে আলমাগ্রো কোস্টা রিকার প্রশাসনিক বিভাগসমূহ == বহিঃসংযোগ == == গ্যালারী চিত্র == File: Museo del খাল জাদুঘর File: দে লা File: Casco viejo de ফ্রান্সিস্কো গির্জা File: Teatro Nacional থিয়েটার File:Compañia de jesus.jpg|যিশু সম্প্রদায় File:Convento Arco Chato ডোমিঙ্গোর পবিত্র পীঠস্থান File:Arco chato panama.jpg|আর্চ চাতো File:Altar de oro de San Jose.jpg|স্যান হোস গির্জা File:Casco viejo হাউজ ন্যাশিওন্যাল File:Palacio de las দে লাস গার্জাস File: গঞ্জোরা File: Panama Catedral ক্যাথেড্রাল File:Plano Panamá 1789.jpg|১৭৮৯ সালে পানামার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানচিত্র কেন্দ্রস্থল ইতিহাস সিটি সিটির পর্যটন আকর্ষণ জনবহুল এলাকা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান'''ওসমানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়''' বাংলাদেশের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। == অবস্থান == বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত মীরসরাই উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। == ইতিহাস == ১৯৭৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। == পরিচালনা ব্যবস্থা == == == বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ। বর্তমানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে। == অবকাঠামো == == কার্যক্রম == বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে। == কৃতিত্ব ফলাফল == বিগত বছরে বিদ্যালয়ের পাশের হার ৯০%। == কৃতী শিক্ষার্থী == == আরও দেখুন == মীরসরাই উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঅধ্যাপক '''স্বরোচিষ সরকার''' (জন্ম: ২০ অক্টোবর, ১৯৫৯) একজন বিশিষ্ট আভিধানিক বৈয়াকরণ। তিনি বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ এর অন্যতম লেখক সম্পাদক। তার সম্পাদিত অভিধানসমূহের মধ্যে বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান এবং বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান অন্যতম। বর্তমানে তিনি রাজশাহী ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ-এর অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। জুলাই ২০১৫ থেকে জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। == জন্ম কর্মজীবন == অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকারের জন্ম বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারি গ্রামে। তিনি বাংলা একাডেমীর কর্মকর্তা (১৯৯২-২০০০) হিসেবে তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা করেছেন। ২০০১ সাল থেকে তিনি বাংলা ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত গবেষণা-পত্রিকা ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ জার্নাল-এর সহযোগী সম্পাদক (২০০১ থেকে ২০১৩) সম্পাদকের (২০১৪ থেকে ২০১৭) দায়িত্ব পালন করে আসছেন। == প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ == স্বরোচিষ সরকারের গবেষণামূলক গ্রন্থ ''অস্পৃশ্যতা বিষয়ে জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ২০০৫ সালে তাকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। ২০১৩ সালে কবিগান বিষয়ক গবেষণাগ্রন্থ ''কবিগান: ইতিহাস রূপান্তরের'' জন্য তিনি মধুসূদন পদক লাভ করেন। ২০১৪ সালে 'গোলাম মুরশিদ-এর সাথে যৌথভাবে সম্পাদিত বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান একটি বহুল আলোচিত অভিধান এবং একটি ঐতিহাসিক কাজ হিসেবে স্বীকৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ: মুকুন্দদাস (জীবনীগ্রন্থ, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৮৭, ২য় সং ১৯৯৯) যোগেশচন্দ্র বাগল (জীবনীগ্রন্থ, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৩) গিরিশচন্দ্র বড়ুয়া (জীবনীগ্রন্থ, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৪) বাংলাদেশের ফসল (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৪) বাংলা সাহিত্যে সংস্কারচেতনা: মুসলমান সমাজ (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৫, ২য় সং ঢাকা: শোভাপ্রকাশ, ২০১০) অস্পৃশ্যতা বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ (ঢাকা: প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা, ২০০৫; ২য় সং ঢাকা: কথাপ্রকাশ, ২০১৮) একাত্তরে বাগেরহাট: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস (ঢাকা: সাহিত্য বিলাস, ২০০৬; ২য় সং ঢাকা: কথাপ্রকাশ, ২০১৫) বিশ শতকের মুক্তচিন্তা (ঢাকা: প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা, ২০০৮) ভাবনা নিয়ে ভাবনা: জনপ্রিয় বইয়ের আলোচনা (ঢাকা: সাহিত্যবিলাস, ২০১০) বাংলাদেশের কোষগ্রন্থ শব্দসন্ধান (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০১০) অকারণ ব্যাকরণ (ঢাকা: শোভাপ্রকাশ, ২০১১, ২য় সং ঢাকা: কথাপ্রকাশ, ২০১৯) কবিগান: ইতিহাস রূপান্তর (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০১১) সর্বস্তরে বাংলা ভাষা: আকাঙ্ক্ষা বাস্তবতা (ঢাকা: কথাপ্রকাশ, ২০১৫) ''অনুবাদ গ্রন্থ'' পূর্ববাংলার ভূমিব্যবস্থা (ঢাকা: ইউনির্ভাসিটি প্রেস লিমিটেড, ২০০৪) বাংলা একাডেমি বৈশাখী লোক-উৎসব প্রবন্ধ (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৩) বাংলা একাডেমি সহজ বাংলা অভিধান (সহযোগী সম্পাদক, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৫) বাংলা একাডেমি সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান (সহযোগী সম্পাদক, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৬) বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (সহযোগী সম্পাদক, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০০০) পালি-বাংলা অভিধান (দুই খণ্ড, ঢাকা: বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ২০০১ ২০০৮) বাংলা একাডেমি ইংরেজি-বাংলা অভিধান (সহযোগী সম্পাদক, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০০২) কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন: মফিজউদ্দীন আহমদ স্মারকগ্রন্থ (সহযোগী সম্পাদক, রাজশাহী, ২০০৩) জন্ম যদি তব বঙ্গে: সারোয়ার জাহান স্মারকগ্রন্থ (সহযোগী সম্পাদক, রাজশাহী, ২০০৫) প্রীতিকুমার মিত্র স্মারকগ্রন্থ (রাজশাহী: আইবিএস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০৯) বিশ শতকের বাংলা (রাজশাহী: আইবিএস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১০) বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (সহযোগী সম্পাদক, দুই খণ্ড, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০১১) বঙ্গ বাংলা বাংলাদেশ: সনৎকুমার সাহা সম্মাননাগ্রন্থ (সহযোগী সম্পাদক, ঢাকা: সময় প্রকাশন, ২০১২) বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান (৩ খণ্ড, সহযোগী সম্পাদক, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০১৪) জাগরণ অভ্যুদয় (রাজশাহী: আইবিএস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৫) ভাষানীতি ভাষা-পরিকল্পনা (রাজশাহী: আইবিএস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৫) #বাংলাদেশের আদিবাসী জাতিসত্তার আত্মপরিচয় (রাজশাহী: আইবিএস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৮) #বাঙালি জাতিবর্ণের উৎস সন্ধান: নমঃশূদ্র পৌণ্ডক্ষত্রিয় কৈবর্ত রাজবংশী (ঢাকা: মাদার্স পাবলিকেশন্স, ২০১৯) #গোলাম মুরশিদ সংবর্ধনা গ্রন্থ (ঢাকা: কথাপ্রকাশ, ২০১৯) ''অনুলিখন গ্রন্থ'' মাহমুদ নূরুল হুদা: আমার জীবনস্মৃতি (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ১৯৯৯) == সম্মাননা == বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পদক (২০০৩) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অ্যাওয়ার্ড (২০০৫) অনুভব পদক (২০০৭) মহাকবি মধুসূদন পদক (২০১৩) == আরো দেখুন == বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান কবিগান বাংলা অভিধানের তালিকা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের তালিকা ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ == বহিঃসংযোগ == ... রাজশাহী অফিসিয়াল ওয়েবপেজ == তথ্যসূত্র == ব্যক্তি প্রাবন্ধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থীযুদ্ধ''' (, যেটি ইতালিতে ''Guerra di Libia'' বা "লিবীয় যুদ্ধ" নামে পরিচিত) ছিল ১৯১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯১২ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইতালি অটোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে ইতালি অটোমান সাম্রাজ্যের কাছ থেকে ত্রিপোলিতানিয়া দোদেকানিজ দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেয়। দখলকৃত ত্রিপোলিতানিয়া পরবর্তীতে ইতালীয় লিবিয়া নামে পরিচিত হয়। এই যুদ্ধটির পরিসর ক্ষুদ্র হলেও এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, এই যুদ্ধে ইতালীয়দের নিকট তুর্কিদের শোচনীয় পরাজয় বলকান অঞ্চলে উগ্র জাতীয়তাবাদের বিস্তার ঘটায়। অটোমান সাম্রাজ্যের সামরিক দুর্বলতার সুযোগে ইতালির সঙ্গে অটোমানদের যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই বলকান লীগ অটোমান সাম্রাজ্যের ওপর আক্রমণ চালায় এবং প্রথম বলকান যুদ্ধের সূচনা ঘটায়। == পটভূমি == ১৮৭৭–১৮৭৮ সালের যুদ্ধে রাশিয়ার নিকট তুরস্কের পরাজয়ের পর ১৮৭৮ সালে অনুষ্ঠিত বার্লিন কংগ্রেসে ইতালি লিবিয়ার ওপর কর্তৃত্ব দাবি করে। এসময় যুক্তরাজ্য ফ্রান্স যথাক্রমে তিউনিসিয়া সাইপ্রাস দখল করে নিলে ইতালীয় কূটনীতিকরা সম্মেলনে ব্যাপারে তাঁদের সরকারের আপত্তির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ফরাসিরা জবাব দেয় যে, ত্রিপোলির ওপর ইতালির কর্তৃত্ব মেনে নিতে তারা প্রস্তুত। ১৯০২ সালে ইতালি ফ্রান্স একটি গোটন চুক্তিতে স্বাক্ষর করর এবং চুক্তির মাধ্যমে একে অপরকে ত্রিপোলিতানিয়া মরক্কোয় ইচ্ছেমতো হস্তক্ষেপ করার স্বাধীনতা প্রদান করে। কিন্তু ইতালীয় সরকার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে গড়িমসি করে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে লিবিয়ার ভূগোল সম্পদ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান সীমিতই থেকে যায়। ইতালীয় প্রচারমাধ্যম ১৯১১ সালের মার্চের শেষদিকে লিবিয়া আক্রমণের সমর্থনে একটি বড় ধরনের প্রচারাভিযান আরম্ভ করে। তারা কল্পিতভাবে লিবিয়াকে খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ, পানিসমৃদ্ধ এবং মাত্র ৪,০০০ অটোমান সৈন্য দ্বারা সুরক্ষিত বলে বর্ণনা করে। তারা লিবিয়ার জনসাধারণ অটোমানদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ইতালীয়দের প্রতি বন্ধুসুলভ বলেও প্রচারণা চালায়। সম্ভাব্য আক্রমণাভিযানটি কেবল "সামরিক কুচকাওয়াজে"র চেয়ে একটু বেশি হবে বলে তারা মত প্রকাশ করে। ইতালীয় সরকার প্রথমদিকে দ্বিধান্বিত ছিল, কিন্তু সেবছরের গ্রীষ্মে তারা আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং প্রধানমন্ত্রী জিওভান্নি জিওলিত্তি লিবিয়ায় সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মনোভাব যাচাই করেন। ইতালীয় জনমতের ওপর সমাজতান্ত্রিক দলের ব্যাপক প্রভাব ছিল। কিন্তু দলটি বিরোধী দলে ছিল এবং এই বিষয়ে নিজেরাও দ্বিধাবিভক্ত ছিল। দলটি অকার্যকরভাবে লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কাজ করে। ইতালির ভবিষ্যৎ ফ্যাসিবাদী নেতা বেনিতো মুসোলিনি এসময় একজন বামপন্থী সমাজতন্ত্রী ছিলেন এবং শক্তভাবে যুদ্ধবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন। গায়েতানো সালভেমিনি এবং লিওনে কায়তানি ইতালীয় সংসদেও অনুরূপভাবে যুদ্ধের বিরোধিতা করেন। == সামরিক অভিযান == === প্রাথমিক রণকৌশল === === লিবিয়ায় ইতালীয় সৈন্যবাহিনীর অবতরণ === === পরিখা যুদ্ধ === === নৌযুদ্ধ === === গেরিলা যুদ্ধ === == যুদ্ধাপরাধ == == লুজান চুক্তি == == আরো দেখুন == প্রথম বলকান যুদ্ধ লিবীয় প্রতিরোধ আন্দোলন দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধ == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== Turco-Italian War at Turkey in the First World War website Map of Europe during Italo-Turkish War at omniatlas.com'''মির্জা মহল''' (Hindi: मृधमहल or ''Mridha Mohol Jomidarbari'') আক্ষরিক অর্থে '''রাজপুত্রের প্রাসাদ''' (ফার্সী "''মীর্জা''" (میرز) মানে রক্তের রাজপুত্র এবং "''মহল''" (محل) মানে প্রসাদ যা নাটোরের জমিদারদের দ্বারা পরিচালিত ছিল এটি ১৮৮৬ সালে জহির শাহ মির্জা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এটি ১৮৯৭ আসাম ভূমিকম্প এর ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং মির্জা জাফর এর পুনর্নির্মাণ করেন এটির অবস্থান বাংলাদেশ এর (নাটোর জেলা রাজশাহী বিভাগ) এবং পূর্বে এটি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এর অন্তর্ভুক্ত ছিল == আরো দেখুন == নাটোর রাজবাড়ী নাটোর রাজবাড়ী উত্তরা গণভবন == তথ্যসূত্র == জেলার দর্শনীয় স্থান প্রাসাদ'''সুয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়''' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। == অবস্থান == প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নে অবস্থিত। == ইতিহাস == ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। == ব্যবস্থাপনা == == শিক্ষকবৃন্দ == বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব কাজী ফজলুল হক। এছাড়া আরো ২৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। == অবকাঠামো == বিদ্যালয় ভবনটি একটি ত্রিতল ভবন। == শিক্ষা কার্যক্রম == বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে বার শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে। == কৃতিত্ব ফলাফল == বিগত বছরের পাশের হার ৮৫%। == কৃতী শিক্ষার্থী == == আরো দেখুন == ফটিকছড়ি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''রাজবন্দীর জবানবন্দী''' কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত একটি প্রবন্ধ। নজরূল সম্পাদিত অর্ধ-সাপ্তাহিক ধূমকেতু ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে। সেই পত্রিকায় প্রকাশিত নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে নিষিদ্ধ হয়। নজরুলকে জেলে আটক করে রাখার পর তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি লিখিতভাবে আদালতে উপস্থাপন করেন চার পৃষ্ঠার বক্তব্য। তাই '''রাজবন্দীর জবানবন্দী''' নামে পরিচিত। ১৯২৩ সালের জানুয়ারি কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে বসে তিনি এই চার পৃষ্ঠার জবানবন্দী রচনা করেন। পরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা যেমন, ধুমকেতু, প্রবর্তক, উপাসনা ইত্যাদি তে ১৯২৩ সালেই তা প্রকাশিত হয়। '''রাজবন্দীর জবানবন্দী''' আমার উপর অভিযোগ, আমি রাজবিদ্রোহী। তাই আমি আজ রাজকারাগারে বন্দী এবং রাজদ্বারে অভিযুক্ত। এক ধারে রাজার মুকুট; আর ধারে ধূমকেতুর শিখা। একজন রাজা, হাতে রাজদণ্ড; আর জন সত্য, হাতে ন্যায়দণ্ড। রাজার পক্ষে_ নিযুক্ত রাজবেতনভোগী রাজকর্মচারী। আমার পক্ষে_ সকল রাজার রাজা, সকল বিচারকের বিচারক, আদি অন্তকাল ধরে সত্য_ জাগ্রত ভগবান। আমার বিচারককে কেহ নিযুক্ত করে নাই। মহাবিচারকের দৃষ্টিতে রাজা-প্রজা, ধনী-নির্ধন, সুখী-দুঃখী সকলে সমান। এর সিংহাসনে রাজার মুকুট আর ভিখারির একতারা পাশাপাশি স্থান পায়। এঁর আইন_ ন্যায়, ধর্ম। সে-আইন কোনো বিজেতা মানব কোনো বিজিত বিশিষ্ট জাতির জন্য তৈরি করে নাই। সে-আইন বিশ্ব-মানবের সত্য উপলব্ধি হতে সৃষ্ট; সে-আইন সার্বজনীন সত্যের, সে-আইন সার্বভৌমিক ভগবানের। রাজার পক্ষে_ পরমাণু পরিমাণ খণ্ড-সৃষ্টি; আমার পক্ষে_ আদি অন্তহীন অখণ্ড স্রষ্টা। রাজার পেছনে_ ক্ষুদ্র, আমার পেছনে_ রুদ্র। রাজার পক্ষে যিনি, তাঁর লক্ষ্য স্বার্থ, লাভ অর্থ; আমার পক্ষে যিনি তাঁর লক্ষ্য সত্য, লাভ পরমানন্দ। রাজার বাণী বুদ্বুদ, আমার বাণী সীমাহারা সমুদ্র। আমি কবি, অপ্রকাশ সত্যকে প্রকাশ করবার জন্য, অমূর্ত সৃষ্টিকে মূর্তি দানের জন্য ভগবান কর্তৃক প্রেরিত। কবির কণ্ঠে ভগবান সাড়া দেন। আমার বাণী সত্যের প্রকাশিকা, ভগবানের বাণী। সে-বাণী রাজবিচারে রাজদ্রোহী হতে পারে, কিন্তু ন্যায়বিচারে সে-বাণী ন্যায়-দ্রোহী নয়, সত্য-দ্রোহী নয়। সে-বাণী রাজদ্বারে দণ্ডিত হতে পারে, কিন্তু ধর্মের আলোকে, ন্যায়ের দুয়ারে তাহা নিরপরাধ, নিষ্কলুষ, অম্লান, অনির্বাণ সত্য-স্বরূপ। সত্য স্বয়ংপ্রকাশ। তাহাকে কোনো রক্ত-আঁখি রাজ-দণ্ড নিরোধ করতে পারে না। আমি সেই চিরন্তন স্বয়ম-প্রকাশের বাণী, যে বীণায় চির-সত্যের বাণী ধ্বনিত হয়েছিল। আমি ভগবানের হাতের বীণা। বীণা ভাঙলেও ভাঙতে পারে, কিন্তু ভগবানকে ভাঙবে কে? একথা ধ্রুব সত্য যে, সত্য আছে, ভগবান আছেন_ চিরকাল ধরে আছে এবং চিরকাল ধরে থাকবে। যে আজ সত্যের বাণী রুদ্ধ করছে, সত্যের বাণীকে মূক করতে চাচ্ছে, সেও তাঁরই এক ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র সৃষ্টি অণু। তারই ইঙ্গিত-আভাসে, ইচ্ছায় সে আজ আছে, কাল হয়ত থাকবে না। নির্বোধ মানুষের অহঙ্কারের আর অন্ত নাই; সে যাহার সৃষ্টি, তাহাকেই সে বন্দী করতে চায়, শাস্তি দিতে চায়। কিন্তু অহঙ্কার একদিন চোখের জলে ডুব্বেই ডুব্বে! যাক, আমি বলছিলাম, আমি সত্য প্রকাশের যন্ত্র। সে-যন্ত্রকে অপর কোনো নির্মম শক্তি অবরুদ্ধ করলেও করতে পারে, ধ্বংস করলেও করতে পারে; কিন্তু সে-যন্ত্রে যিনি বাজান, সে-বীণায় যিনি রুদ্র-বাণী ফোটান, তাঁকে অবরুদ্ধ করবে কে? সে বিধাতাকে বিনাশ করবে কে? আমি মর, কিন্তু আমার বিধাতা অমর। আমি মরব, রাজাও মরবে, কেননা আমার মতন অনেক রাজবিদ্রোহী মরেছে, আবার এমনি অভিযোগ আনয়নকারী বহু রাজাও মরেছে, কিন্তু কোনো কালে কোনো কারণেই সত্যের প্রকাশ নিরুদ্ধ হয়নি_ তার বাণী মরেনি। সে আজও তেমনি ক'রে নিজেকে প্রকাশ করছে এবং চিরকাল ধরে করবে। আমার এই শাসন-নিরুদ্ধ বাণী আবার অন্যের কণ্ঠে ফুটে উঠবে। আমার হাতের বাঁশি কেড়ে নিলেই সে বাঁশির সুরের মৃত্যু হবে না; কেননা আমি আর এক বাঁশি নিয়ে বা তৈরি করে তাতে সুর ফোটাতে পারি। সুর আমার বাঁশির নয়, সুর আমার মনে এবং আমার বাঁশি সৃষ্টির কৌশলে। অতএব দোষ বাঁশিরও নয় সুরেরও নয়; দোষ আমার, যে বাজায়; তেমনি যে বাণী আমার কণ্ঠ দিয়ে নির্গত হয়েছে, তার জন্য দায়ী আমি নই। দোষ আমারও নয়, আমার বীণারও নয়; দোষ তাঁর যিনি আমার কণ্ঠে তাঁর বীণা বাজান। সুতরাং রাজবিদ্রোহী আমি নই; প্রধান রাজবিদ্রোহী সেই বীণা-বাদক ভগবান। তাঁকে শাস্তি দিবার মতো রাজ-শক্তি বা দ্বিতীয় ভগবান নাই। তাঁহাকে বন্দী করবার মতো পুলিশ বা কারাগার আজও সৃষ্টি হয় নাই। রাজার নিযুক্ত রাজ-অনুবাদক রাজভাষায় সে-বাণীর শুধু ভাষাকে অনুবাদ করেছে, তাঁর প্রাণকে অনুবাদ করেনি। তাঁর অনুবাদে রাজ-বিদ্রোহ ফুটে উঠেছে, কেননা তার উদ্দেশ্য রাজাকে সন্তুষ্ট করা, আর আমার লেখায় ফুটে উঠেছে সত্য, তেজ আর প্রাণ। কেননা আমার উদ্দেশ্য ভগবানকে পূজা করা; উৎপীড়িত আর্ত বিশ্ববাসীর পক্ষে আমি সত্য তরবারি, ভগবানের আঁখিজল। আমি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি নাই, অন্যায়ের বিরুদ্ধ বিদ্রোহ করেছি। আমি জানি এবং দেখেছি_ আজ এই আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় একা আমি দাঁড়িয়ে নেই, আমার পশ্চাতে স্বয়ং সত্যসুন্দর ভগবানও দাঁড়িয়ে। যুগে যুগে তিনি এমনি নীরবে তাঁর রাজবন্দী সত্য-সৈনিকের পশ্চাতে এসে দণ্ডায়মান হন। রাজনিযুক্ত বিচারক সত্য বিচারক হতে পারে না। এমনি বিচার-প্রহসন করে যেদিন খ্রিস্টকে ত্রুক্রশে বিদ্ধ করা হল, গান্ধীকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হল, সেদিনও ভগবান এমনি নীরবে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের পশ্চাতে। বিচারক কিন্তু তাঁকে দেখতে পায়নি, তার আর ভগবানের মধ্যে তখন সম্রাট দাঁড়িয়েছিলেন, সম্রাটের ভয়ে তার বিবেক, তার দৃষ্টি অন্ধ হয়ে গেছিল। নইলে সে তার বিচারাসনে ভয়ে বিস্ময়ে থরথর করে কেঁপে উঠত, নীল হয়ে যেত, তার বিচারাসন সমেত সে পুড়ে ছাই হয়ে যেত। বিচারক জানে আমি যা বলেছি, যা লিখেছি তা ভগবানের চোখে অন্যায় নয়, ন্যায়ের এজলাসে মিথ্যা নয়। কিন্তু তবু হয়ত সে শাস্তি দেবে, কেননা সে সত্যের নয়, সে রাজার। সে ন্যায়ের নয়, সে আইনের। সে স্বাধীন নয়, সে রাজভৃত্য। তবু জিজ্ঞাসা করছি_ এই যে বিচারাসন_ কার? রাজার, না ধর্মের? এই যে বিচারক, এর বিচারের জবাবদিহি করতে হয় রাজাকে, না তার অন্তরের আসনে প্রতিষ্ঠিত বিবেককে, সত্যকে, ভগবানকে? এই বিচারককে কে পুরস্কৃত করে? রাজা না ভগবান? অর্থ না আত্মপ্রসাদ? শুনেছি, আমার বিচারক একজন কবি। শুনে আনন্দিত হয়েছি। বিদ্রোহী কবির বিচার বিচারক কবির নিকট। কিন্তু বেলাশেষের শেষ-খেয়া প্রবীণ বিচারককে হাতছানি দিচ্ছে, আর রক্ত-ঊষার নব-শঙ্খ আমার অনাগত বিপুলতাকে অভ্যর্থনা কচ্ছে; তাকে ডাকছে মরণ, আমায় ডাকছে জীবন; তাই আমাদের উভয়ের অস্ত-তারা আর উদয়-তারার মিলন হবে কি-না বলতে পারি না। না, আবার বাজে কথা বললাম। আজ ভারত পরাধীন। তার অধিবাসীবৃন্দ দাস। এটা নির্জলা সত্য। কিন্তু দাসকে দাস বললে, অন্যায়কে অন্যায় বললে রাজত্বে তা হবে রাজদ্রোহ। তো ন্যায়ের শাসন হতে পারে না। এই যে জোর করে সত্যকে মিথ্যা, অন্যায়কে ন্যায়, দিনকে রাত বলানো_ একি সত্য সহ্য করতে পারে? শাসন কি চিরস্থায়ী হতে পারে? এতদিন হয়েছিল, হয়ত সত্য উদাসীন ছিল বলে। কিন্তু আজ সত্য জেগেছে, তা চক্ষুষ্মান জাগ্রত-আত্মা মাত্রই বিশেষরূপে জানতে পেরেছে। এই অন্যায় শাসন-ক্লিষ্ট বন্দী সত্যের পীড়িত ক্রন্দন আমার কণ্ঠে ফুটে উঠেছিল বলেই কি আমি রাজদ্রোহী? ক্রন্দন কি একা আমার? না_ আমার কণ্ঠে উৎপীড়িত নিখিল-নীরব ক্রন্দসীর সম্মিলিত সরব প্রকাশ? আমি জানি, আমার কণ্ঠের প্রলয়-হুঙ্কার একা আমার নয়, সে যে নিখিল আত্মার আমায় ভয় দেখিয়ে মেরে ক্রন্দন থামানো যাবে না। হঠাৎ কখন আমার কণ্ঠের এই হারাবাণীই তাদের আরেক জনের কণ্ঠে গর্জন করে উঠবে। আজ ভারত পরাধীন না হয়ে যদি ইংল্যান্ডই ভারতের অধীন হতো এবং নিরস্ত্রীকৃত উৎপীড়িত স্বীয় জন্মভূমি উদ্ধার করবার জন্য বর্তমান ভারতবাসীর মতো অধীর হয়ে উঠত, আর ঠিক সেই সময় আমি হতুম এমনি বিচারক এবং আমার মতোই রাজদ্রোহ অপরাধে ধৃত হয়ে এই বিচারক আমার সম্মুখে বিচারার্থ নীত হতেন, তাহলে সে সময় এই বিচারক আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা বলতেন, আমিও তাই এবং তেমনি করেই বলছি। আমি পরম আত্মবিশ্বাসী। তাই যা অন্যায় বলে বুঝেছি, তাকে অন্যায় বলেছি, অত্যাচারকে অত্যাচার বলেছি, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছি, _কাহারো তোষামোদ করি নাই, প্রশংসার এবং প্রসাদের লোভে কাহারো পিছনে পোঁ ধরি নাই, _আমি শুধু রাজার অন্যায়ের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করি নাই, সমাজের, জাতির, দেশের বিরুদ্ধে আমার সত্য-তরবারির তীব্র আক্রমণ সমান বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে, _তার জন্য ঘরে-বাইরের বিদ্রূপ, অপমান, লাঞ্ছনা, আঘাত আমার উপর অপর্যাপ্ত পরিমাণে বর্ষিত হয়েছে, কিন্তু কোনো কিছুর ভয়েই নিজের সত্যকে, আপন ভগবানকে হীন করি নাই, লোভের বশবর্তী হয়ে আত্ম-উপলব্ধিকে বিক্রয় করি নাই, নিজের সাধনালব্ধ বিপুল আত্মপ্রসাদকে খাটো করি নাই, কেননা আমি যে ভগবানের প্রিয়, সত্যের হাতের বীণা; আমি যে কবি, আমার আত্মা যে সত্যদ্রষ্টা ঋষির আত্মা। আমি অজানা অসীম পূর্ণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার অহঙ্কার নয়, আত্ম-উপলব্ধির আত্ম-বিশ্বাসের চেতনালব্ধ সহজ সত্যের সরল স্বীকারোক্তি। আমি অন্ধ-বিশ্বাসে, লাভের লোভে, রাজভয় বা লোকভয়ে মিথ্যাকে স্বীকার করতে পারি না। অত্যাচারকে মেনে নিতে পারি না। তাহলে যে আমার দেবতা আমায় ত্যাগ করে যাবে। আমার এই দেহ-মন্দিরে জাগ্রত দেবতার আসন বলেই তো লোকে এ-মন্দিরকে পূজা করে, শ্রদ্ধা দেখায়, কিন্তু দেবতা বিদায় নিলে শূন্য মন্দিরের আর থাকবে কী? একে শুধাবে কে? তাই আমার কণ্ঠে কাল-ভৈরবের প্রলয়-তূর্য বেজে উঠেছিল; আমার হাতের ধূমকেতুর অগি্ন-নিশান, দুলে উঠেছিল, সে সর্বনাশা নিশান-পুচ্ছে মন্দিরের দেবতা নট-নারায়ণ রূপ ধরে ধ্বংস-নাচন নেচেছিল। ধ্বংস-নৃত্য সব সৃষ্টির পূর্ব-সূচনা। তাই আমি নির্মম নির্ভীক উন্নত শিরে সে নিশান ধরেছিলাম, তাঁর তূর্য বাজিয়েছিলাম। অনাগত অবশ্যম্ভাবী মহারুদ্রের তীব্র আহ্বান আমি শুনেছিলাম, তাঁর রক্ত-আঁখির হুকুম আমি ইঙ্গিতে বুঝেছিলাম। আমি তখনই বুঝেছিলাম, আমি সত্য রক্ষার, ন্যায় উদ্ধারের বিশ্ব-প্রলয় বাহিনীর লাল সৈনিক। বাংলার শ্যাম শ্মশানের মায়া নিদ্রিত ভূমে আমায় তিনি পাঠিয়েছিলেন অগ্রদূত তূর্যবাদক করে। আমি সামান্য সৈনিক, যতটুকু ক্ষমতা ছিল তা দিয়ে তাঁর আদেশ পালন করেছি। তিনি জানতেন ... ... প্রথম আঘাত আমার বুকেই বাজবে, তাই আমি এবারকার প্রলয় ঘোষণার সর্বপ্রথম আঘাতপ্রাপ্ত সৈনিক মনে করে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করেছি। কারাগার-মুক্ত হয়ে আমি আবার যখন আঘাত-চিহ্নিত বুকে, লাঞ্ছনা-রক্ত ললাটে, তাঁর গিয়ে লুটিয়ে পড়ব, তখন তাঁর সকরুণ প্রসাদ চাওয়ার মৃত্যুঞ্জয় সঞ্জীবনী আমায় শ্রান্ত, আমায় সঞ্জীবিত অনুপ্রাণিত করে তুলবে। সেদিন নতুন আদেশ মাথায় করে নতুন আমি, আবার তাঁর তরবারি-ছায়াতলে গিয়ে দণ্ডায়মান হব। সেই আজো-না-আসা রক্ত ঊষার আশা, আনন্দ, আমার কারাবাসকে_ অমৃতের পুত্র আমি, হাসিগানের কলোচ্ছ্বাসে স্বর্গ ক'রে তুলবে। চিরশিশু প্রাণের উচ্ছল আনন্দের পরশমণি দিয়ে নির্যাতন লোহাকে মণিকাঞ্চনে পরিণত করবার শক্তি ভগবান আমায় না চাইতেই দিয়েছেন। আমার ভয় নাই, দুঃখ নাই; কেননা ভগবান আমার সাথে আছেন। আমার অসমাপ্ত কর্তব্য অন্যের দ্বারা সমাপ্ত হবে। সত্যের প্রকাশ-পীড়া নিরুদ্ধ হবে না। আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগি্ন-মশাল হয়ে দগ্ধ করবে। আমার সারথি হবেন এবার স্বয়ং রুদ্র ভগবান। অতএব, মাভৈঃ, ভয় নাই। কারাগারে আমার বন্দিনী মায়ের আঁধার-শান্ত কোল অকৃতী পুত্রকে ডাক দিয়েছে। পরাধীন অনাথিনী জননীর বুকে হতভাগ্যের স্থান হবে কি না জানি না, যদি হয় বিচারককে অশ্রু-সিক্ত ধন্যবাদ দিব। আবার বলছি, আমার ভয় নাই, দুঃখ নাই। আমি 'অমৃতস্য পুত্রঃ' আমি জানি_ অত্যাচারীর সত্য পীড়ন আছে তার আছে ক্ষয়; সেই সত্য আমার ভাগ্য-বিধাতা যার হাতে শুধু রয়।' প্রেসিডেন্সি জেল, কলিকাতা। ৭ই জানুয়ারি, ১৯২৩। রবিবার_দুপুর। == আরও দেখুন == == তথ্যসূত্র == নজরুল ইসলাম'''আনিছুল হক চৌধুরী''' একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে রংপুর-২ আসনে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। == জন্ম == আনিছুল হক চৌধুরী রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। == ব্যক্তিগত জীবন == আনিছুল হক চৌধুরীর সহধর্মিনীর নাম বেগম নিহার চৌধুরী। তাদের জন সন্তানের মধ্যে জন ছেলে জন মেয়ে। ==তথ্যসূত্র== মৃত্যু জেলার রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ'''শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার''' বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের শিশু শিল্পীদের জন্য সর্বাপেক্ষা সম্মানীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার; যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অংশ হিসাবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে। প্রথমবারের মত এই পুরস্কার অর্জন করেন মাস্টার আদনান ''মেঘের অনেক রং'' (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের জন্য। সর্বাধিক তিনবার এই পুরস্কার অর্জন করেন প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। দুইবার এই পুরস্কার অর্জন করেন আজাদ রহমান শাকিল। ==বিজয়ী সঙ্গীত পরিচালক== ===১৯৭০-এর দশক=== বছর সঙ্গীত পরিচালক চলচ্চিত্র মন্তব্য ১৯৭৬ আদনান ''মেঘের অনেক রং'' ১৯৭৭ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেওয়া হয় নি ১৯৭৮ আজাদ রহমান শাকিল সুমন ''ডুমুরের ফুল'' ''অশিক্ষিত'' ১৯৭৯ ইলোরা গহর সজীব ''সূর্য দীঘল বাড়ী'' ===১৯৮০-এর দশক=== বছর সঙ্গীত পরিচালক চলচ্চিত্র মন্তব্য ১৯৮০ আজাদ রহমান শাকিল ''ডানপিঠে ছেলে'' ১৯৮১ কোন পুরস্কার দেয়া হয় নি ১৯৮২ বিন্দী হুসাইন ''লাল কাজল'' ১৯৮৩ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেয়া হয় নি ১৯৮৪ আঁখি আলমগীর ''ভাত দে'' ১৯৮৫ জয় ''রামের সুমতি'' ১৯৮৬ কামরুন্নাহার আজাদ স্বপ্না ''মায়ের দাবী'' ১৯৮৭ রাসেল সুবর্ণ শিরীন ''রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত'' ১৯৮৮ তুষার ''আগমন'' ১৯৮৯ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেয়া হয় নি ===১৯৯০-এর দশক=== বছর সঙ্গীত পরিচালক চলচ্চিত্র মন্তব্য ১৯৯০ দোদুল ''লাখে একটা'' ১৯৯১ জয়সন ''সান্ত্বনা'' ১৯৯২ বেবি সিমী ''উচিত শিক্ষা'' ১৯৯৩ অনিক ''অবুঝ সন্তান'' ১৯৯৪ শিলা আহমেদ ''আগুনের পরশমণি'' ১৯৯৫ তন্ময় ''অন্য জীবন'' ১৯৯৬ অরুণ সাহা ''দীপু নাম্বার টু'' ১৯৯৭ নিশি ''দুখাই'' ১৯৯৮ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেয়া হয় নি ১৯৯৯ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেয়া হয় নি ===২০০০-এর দশক=== বছর সঙ্গীত পরিচালক চলচ্চিত্র মন্তব্য ২০০০ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেয়া হয় নি ২০০১ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেয়া হয় নি ২০০২ রাসেল ফরাজী ''মাটির ময়না'' ২০০৩ প্রিয়াংকা ''কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি'' ২০০৪ অমল ''দূরত্ব'' ২০০৫ হৃদয় ইসলাম ''টাকা ২০০৬ প্রার্থনা ফারদিন দিঘী ''কাবুলিওয়ালা ২০০৭ শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পীর পুরস্কার দেয়া হয় নি ২০০৮ প্রার্থনা ফারদিন দিঘী ''১ টাকার বউ'' ২০০৯ সৈয়দা ওয়াহিদা সাবরীনা ''গঙ্গাযাত্রা'' ===২০১০-এর দশক=== বছর সঙ্গীত পরিচালক চলচ্চিত্র মন্তব্য ২০১০ প্রার্থনা ফারদিন দিঘী ''চাচ্চু আমার চাচ্চু'' ২০১১ সেমন্তী ''খণ্ড গল্প ১৯৭১'' ২০১২ মামুন ঘেটুপুত্র কমলা ২০১৩ স্বচ্ছ ''একই বৃত্তে'' ২০১৪ আবির হোসেন অংকন ''বৈষম্য'' ২০১৫ যারা যারিব ''প্রার্থনা'' ==পরিসংখ্যান== ===একাধিকবার বিজয়ী=== ;৩ বার প্রার্থনা ফারদিন দিঘী ;২ বার আজাদ রহমান শাকিল ==তথ্যসূত্র== চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বৎসর হালনাগাদ করা দরকার এমন নিবন্ধ'''জন হুবার''' (জন্ম: ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭৯) হলেন একজন মার্কিন পেশাদার কুস্তিগীর এবং অভিনেতা। তিনি বর্তমানে সাথে সংযুক্ত রয়েছেন, যেখানে তিনি ডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন ব্র্যান্ডে '''লুক হারপার''' নামে কুস্তি করেন। তিনি পূর্বে স্বাধীন সার্কিটে তার কর্মের জন্য পরিচিত ছিলেন, তখন তিনি '''ব্রডি লি''' নামে পরিচিত ছিলেন। স্বাধীন সার্কিটের উল্লেখযোগ্য প্রমোশন হলো: চিকারা এবং স্কয়ারড সার্কেল রেসলিং (২সিডাব্লিউ)। জাতীয়ভাবে, তিনি সংক্ষিপ্তভাবে রিং অফ অনারে (আরওএইচ) এবং জাপানের ড্রাগন গেটে (ডিজি) কুস্তি করেছেন। তিনি সাবেক এনএক্সটি ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়ন তার দ্য ওয়েট ফ্যামিলির আরেক সদস্য এরিক রোয়ানের সাথে, বারের ডাব্লিউডাব্লিউই আন্তঃমহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন এবং বারের ডাব্লিউডাব্লিউই স্ম্যাকডাউন ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়ন তার দ্য ওয়েট ফ্যামিলির সদস্য ব্রেই ওয়াট এবং রেন্ডি অরটনের সাথে। তিনি তখন ফ্রিবার্ড নিয়মে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তিনি প্রথম কুস্তিগীর হিসেবে ডাব্লিউডাব্লিউই এবং ডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটি উভয় রোস্টারে ট্যাগ টিম চ্যাম্পিয়ন হন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ব্যক্তি জন্ম পুরুষ পেশাদার কুস্তিগির'''নূরিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা''' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। == অবস্থান == প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে অবস্থিত। == ইতিহাস == ১৯৬৯ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শাহসুফি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল আবছার মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং মাদ্রাসার জন্য জমি দান করেন শাহসুফি হাজী মোহাম্মদ বদিউজ্জামান। == ব্যবস্থাপনা == মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর জনাব আলহাজ্ব ড. মুহাম্মদ ইনাম উল হককে সভাপতি করে ১১ জন বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ রয়েছে। == শিক্ষকবৃন্দ == মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জনাব মাওলানা মোহাম্মদ নুরুন্নবী জেহাদী। == অবকাঠামো == মাদ্রাসার মূল ভবনটি একটি চারতলা ভবন। == শিক্ষা কার্যক্রম == প্রতিষ্ঠানে সহ-শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। মাদ্রাসায় আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষালাভের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। == ফলাফল কৃতিত্ব == বিগত বছরের পাশের হার ৯৬%। প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠান থেকে আলিম, দাখিল, জেডিসি ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে শিক্ষার্থীরা ফলাফল করে আসছে। == আরো দেখুন == সীতাকুণ্ড উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানহচ্ছে ক্লাডিস্টিক্সের উপর গবেষণা করা-মাসে মাসে প্রকাশিত পিয়ার রিভিউ হওয়া বিজ্ঞাননির্ভর সাময়িকী। এটি উইলি হেনিগ সোসাইটির পক্ষে উইলি ব্ল্যাকওয়েল প্রকাশ করে থাকে। ''Cladistics'' যেসব পেপার প্রকাশ করে, তা বিবর্তন, সিস্টেমেটিক্স, এবং ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজির সাথে সম্পৃক্ত। প্রাকৃতিকভাবে বিজ্ঞানের দর্শন ধারণা; (যা জন্তু থেকে ব্যাকটেরিয়ার উপর প্রায়োগিক ভাবে আলোচনা করে), এধরনের উভয় বিষয়ে পেপার প্রকাশ করা হয়। জিনোমিক্স এবং জীবাশ্মবিদ্যার গবেষণা সংক্রান্ত পেপারও প্রকাশ করা হয়। এখানে পাচ ধরনের পেপার প্রকাশিত হয়, যথা: রিভিউ সাময়িকী, দৈনিক পেপার, ফোরাম পেপার, সম্পাদকের কাছে চিঠি এবং বইয়ের রিভিউ। ২০১৪ সালের ''সাময়িকী সাইটেশন রিপোর্ট'' অনুসারে এর ইমপ্যাক্ট ফ্যক্টর ৬.২১৭। যা বিবর্তনমুলক ৪৬ টি সাময়িকী গুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠতম। এর প্রধান সম্পাদক ডেনিস ডব্লিউএম. স্টিভেনসন (Dennis Wm. Stevenson)। == বহিঃস্থ সংযোগ == Willi Hennig Society সাময়িকী ভাষার সাময়িকী academic journals established in 1985 journals associated with learned and professional societies জীববিজ্ঞানমূলক সাময়িকী'''সাদাফ মোহাম্মদ সাইয়েদ''' যিনি '''সধা''' নামে পরিচিত হচ্ছেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি মূলত দক্ষিণ ভারতীয় ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তার গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০০২ সালের তেলুগু চলচ্চিত্র 'জয়ম', 'আন্নিয়ান' (২০০৫, তামিল) এবং ২০০৭ এর 'উন্নালে উন্নালে' (তামিল)। ২০০২ সালে তার তেলুগু চলচ্চিত্র জয়ম ভালো ব্যবসা করতে পেরেছিল এবং এটির মাধ্যমেই তার চলচ্চিত্রে পদচারণা শুরু হয়, পরিচালক তেজা তাকে এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== সধা মহারাষ্ট্রের একটি মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তার বাবা একজন চিকিৎসক এবং মাতা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। ==চলচ্চিত্রে কর্মজীবন== তেলেগু ভাষার জয়ম চলচ্চিত্রে অভিনয় পর সধা অভিনীত গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র ছিলো তামিল চলচ্চিত্র অভিনেতা বিক্রম এর সঙ্গে আন্নিয়ান চলচ্চিত্রে অভিনয়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মুসলিম ব্যক্তি অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পুরস্কার দক্ষিণ বিজয়ীএই তালিকা মূলত ৭.৫ কোটি বা ততোধিক রেকর্ড বিক্রয়ের দাবিকৃত সঙ্গীত শিল্পীদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। ==সংজ্ঞা== সমস্ত শিল্পী এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ==খ্যাতনামা বিক্রয় শিল্পী== ===২৫ কোটি বা ততোধিক রেকর্ড=== চিত্র:The Fabs.JPG|দ্য বিটল্‌স প্রেসলি চিত্র:Michael Jackson in 1988.jpg|মাইকেল জ্যাকসন চিত্র:Madonna Rebel Heart Tour 2015 Stockholm (23051472299) চিত্র:Elton John 2011 Shankbone 2.JPG|এলটন জন জেপেলিন চিত্র:পিংক ফ্লয়েডের পাঁচ সদস্য.jpg|পিংক ফ্লয়েড প্রকৃত যাচাই এবং সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ পর্যায় নিশ্চিত করতে, এই তালিকার সংবাদ সংস্থা এবং সঙ্গীত শিল্প সম্পর্কিত সংস্থা বিক্রয় পরিসংখ্যান উৎস হিসেবে ব্যবহুত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: যেমন এমটিভি, ভিএইচওয়ান, ''বিলবোর্ড'' এবং ''রোলিং স্টোন''। নিচের সারণির সর্বমোট প্রত্যয়িত এককের পরিসংখ্যান অ্যালবাম, একক এবং ভিডিওর প্রত্যয়িত এককের (ডিজিটাল ডাউনলোড সহ) উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। সারণিতে বাজারের ক্রম ''খুচরা মূল্যের'' উপর ভিত্তি করে: প্রতিটি বাজার যথাক্রমে তালিকাভুক্ত, বৃহত্তম বাজার সবচেয়ে উপরে এবং সর্বনিম্ন বাজার নিচে প্রদর্শিত হয়েছে। শিল্পী দেশ বাজার সক্রিয় সময়কাল প্রথম তালিকাভুক্ত রেকর্ড মুক্তির বছর ধরণ সর্বমোট প্রত্যয়িত বাজার থেকে) দাবিকৃত বিক্রয় দ্য বিটল্‌স যুক্তরাজ্য ১৯৬০–১৯৭০ ১৯৬২ রক পপ ৬০ কোটি৫০ কোটি এলভিস প্রেসলি যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৪–১৯৭৭ ১৯৫৪ রক অ্যান্ড রোল পপ কান্ট্রি ৬০ কোটি৫০ কোটি মাইকেল জ্যাকসন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৪–২০০৯ ১৯৭১ পপ রক ড্যান্স সৌল রিদম অ্যান্ড ব্লুজ ৩৫ কোটি৩০ কোটি ম্যাডোনা যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯–বর্তমান ১৯৮২ পপ ড্যান্স ইলেকট্রোনিকা ৩০ কোটি২৭.৫ কোটি এলটন জন যুক্তরাজ্য ১৯৬৪–বর্তমান ১৯৬৯ পপ রক ৩০ কোটি২৫ কোটি লেড জেপেলিন যুক্তরাজ্য ১৯৬৮–১৯৮০ ১৯৬৯ হার্ড রক ব্লুজ রক ফোক রক ৩০ কোটি২০ কোটি পিংক ফ্লয়েড যুক্তরাজ্য ১৯৬৫–১৯৯৬, ২০১৪ ১৯৬৭ প্রগ্রেসিভ রক সাইকেডেলিক রক ২৫ কোটি২০ কোটি উপরে প্রত্যয়িত বিক্রয়ের কলামে বাজার অন্তর্ভুক্ত, যা ১০০,০০০ এবং ততোধিক শংসাপত্র ধারণকারী উপাত্ত প্রতিনিধিত্ব করে। ===২০ কোটি থেকে ২৪.৯ কোটি রেকর্ড=== চিত্র:MariahGMA ক্যারি চিত্র:Celine Dion Concert Singing Taking Chances 2008.jpg|সেলিন ডিওন চিত্র:ACDC In Tacoma চিত্র:Whitney Houston Welcome Home Heroes হাস্টন চিত্র:Stones members রোলিং স্টোন্‌স ===১২ কোটি থেকে ১৯.৯ কোটি রেকর্ড=== চিত্র:Taylor Swift 2012.jpg|টেইলর সুইফট চিত্র:Garth Brooks on World Tour ব্রুকস চিত্র:Eminem DJ Hero.jpg|এমিনেম চিত্র:U2 on Joshua Tree Tour 2017 Brussels 8-1-17.jpg|ইউটু চিত্র:Bruno Mars, Las Vegas 2010.jpg|ব্রুনো মার্স চিত্র:Kanye West at the 2009 Tribeca Film ওয়েস্ট ===১০ কোটি থেকে ১১.৯ কোটি রেকর্ড=== পেরি বিবার চিত্র:Adele 2016.jpg|আডেল চিত্র:Tony Bennett Lady GaGa, Cheek to Cheek Tour 06 edited.jpg|লেডি গাগা চিত্র:Metallica at The O2 Arena London চিত্র:Jay-Z Shawn 'Jay-Z' Carter Foundation Carnival (crop 2).jpg|জে-জেড চিত্র:Bon Jovi 1.jpg|বন জভি ===৮ কোটি থেকে ৯.৯ কোটি রেকর্ড=== চিত্র:B'Z Best Buy Theater montage.jpg|B'z টোয়েইন চিত্র:Coldplay Viva La Vida Tour in Hannover August 25th রিডা চিত্র:Ayumi Hamasaki 2007.jpg|আয়ুমি হামাসাকি হ্যালেন ==টিকা== ==তথ্যসূত্র== বিষয়ক কার্যক্রম''' কারসানদাস পে অ্যান্ড ইউজ ''' হল কৃষ্ণদেব ইয়্যাগনিক লিখিত এবং পরিচালিত একটি ২০১৭ রোমান্টিক কমেডি গুজরাটি চলচ্চিত্র।ছবিটি ইতিবাচক পর্যালোচনাগুলির জন্য খোলা এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিল। ==গল্প== চলচ্চিত্রের নায়ক তিলক, যিনি তার ছোট ভাই সুন্দরকে চালনা পরিচালনা করেন এবং টয়লেট ব্যবহার করেন।তিলক এবং জয়া প্রথম দেখাতেই তাদের মধ্যে প্রেম ঘটবে।জয়া (দাক্ষা জোশি) হল ছিনতীর জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং ছয় সন্তানের মধ্যে আম্বা।চিনুবা একটি অটো রিকশা চালক।ধীরে ধীরে তিলক জয়া রোমান্টিক সমীকরণ গড়ে ওঠে এবং তাদের উভয়েরই জানা যায় না যে, তাদের উভয়েরই একে অপরের জন্য কত গভীর স্নেহ। জয়া এর বাবা এই আবিষ্কার করেছেন এবং তিনি সম্পর্ক গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নন।তিলককে জয়া এর বাবা তায়োক কে চ্যালেঞ্জ করে সমাজে তার গুরুত্ব প্রমাণ করতে। ==শেষ্ঠাংশে== ময়ূর চৌহান- তিলেকের দাক্ষা জোশি- জয়া হেমং শাহ সুন্দর == প্রযোজনা == এই চলচ্চিত্রটির দৃশ্য ধারন আহমেদাবাদ বোদোদের বিভিন্ন স্থানে গুলি করা হয়। ==শুভ মুক্তি== ১৯ মে ২০১৭ তারিখে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র। গুজরাট মুম্বাইয়ের ১৪৪ পেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটি। পরে এই চলচ্চিত্রটি অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পায়। ==প্রতিক্রিয়া == ইতিবাচক রিভিউতে চলচ্চিত্র পেয়েছে ।টাইমস অব ইন্ডিয়ার পাঁচের মধ্যে এটি চার দিয়েছে এবং এর গল্প এবং দিকটির প্রশংসা করেছে। দেশগ্রামের জয়েশ আধারুরা ৩/৫ রেট দিয়েছিলেন এবং উল্লেখ করেছেন, ''চিত্তাকর্ষক স্টার-ট্রান্সড প্রেমের গল্প, চমত্কার পারফরম্যান্স এবং আমাদের আতিথেয়তার জন্য একটি আশ্চর্যজনক চোখ।'' ===বক্স অফিস === চলচ্চিত্রটি কোটি টাকা এবং নিট উপার্জন ছিল প্রথম সপ্তাহে ২.২৩ কোটি টাকা। পরের দিন এটি ২.৪৮ কোটি টাকা। এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৪,৫৭৯ ডলার আয় করেছে। ==তথ্যসূত্র== চলচ্চিত্র'''সেন্ট্রাল ক্যালকাটা পলিটেকনিক''', পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরের একটি সরকারি পলিটেকনিক।এই পলিটেকনিক কলেজ পশ্চিমবঙ্গের টেকনিক্যাল শিক্ষা কাউন্সিলের সাথে যুক্ত, এবং নিউ দিল্লির এআইসিটিই (AICTE), দ্বারা স্বীকৃত।এই পলিটেকনিক কলেজটিতে ডিপ্লোমা কোর্সে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ==বিবরণ== ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার সময় সেন্ট্রাল কলকাতা পলিটেকনিক অন্য দুটি ইনস্টিটিউটের সাথে একটি স্পনসর্ড ইনস্টিটিউট ছিল: ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেটারিং টেকনোলজি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর টেকনিকাল ট্রেসিং এন্ড সরকার ১৯৭৪ সালে ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব নেয়। পলিটেকনিক কলেজটিতে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স টেলিযোগাযোগ এবং ডিপ্লোমা কোর্সে ডিপ্লোমা কোর্স এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স প্রদান করে।এটি মেডিকেল ইলেকট্রনিক্স মধ্যে পোস্ট ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে।এই কোর্স এআইসিটিই AICTE) এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় কারিগরী পরিষদ দ্বারা স্বীকৃত হয়। ==বিভাগ== বিভাগ আসন যন্ত্র প্রকৌশল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ৬০ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ৬০ ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকোমনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ৩০ পোস্ট ডিপ্লোমা ইন মেডিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৫ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (part-time) ৬০ ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং (part-time) ৬০ ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকোমনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (অস্থায়ী) ৪০ ==তথ্যসূত্র=='''রানাঘাট কলেজ''' হল নদীয়া জেলার শহর রানাঘাটে প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজ বা মহাবিদ্যালয়।এই কলেজটি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এই কলেজে বিজ্ঞান কলা বিষয়ে ডিগ্রি কোর্স করানো হয়।কলেজটি কল্যাণী অনুমোদিত। বর্তমানে এই কলেজে কোনো বৈধ ছাত্র ইউনিয়ন নেই। এই কলেজের ইউনিয়ন এবিভিপি নেতা দীপ্তরাজ সরকার কে নিগ্রহের জন্য শিরোনামে আসে। ==পঠন-পাঠন== ===বিজ্ঞান বিভাগ=== *রসায়ন *পদার্থবিজ্ঞান *গণিত উদ্ভিদবিজ্ঞান প্রাণিবিদ্যা শারীরবিদ্যা পরিসংখ্যান ==কলা বানিজ্য বিভাগ== বাংলা ইংরেজি *সংস্কৃতি *ইতিহাস *ভূগোল *রাজনীতিবিজ্ঞান *দর্শনশাস্ত্র *অর্থনীতি বাণিজ্য '''অধ্যক্ষ''' রাণাঘাট কলেজের শেষ '''অধ্যক্ষ''' (প্রিন্সিপাল) ছিলেন গৌরাঙ্গ মোহন সরকার ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে অবসরপ্রাপ্ত বর্তমানে অধ্যক্ষ অরূপ কুমার মাত্তি ==আরও দেখুন== কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত কলেজগুলির তালিকা ==তথ্যসূত্র== বিশ্ববিদ্যালয়'''কার্জন গেট''' হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থাপত্ব। বিজয় চাঁদ রোড এবং গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের পার্শ্ববর্তী স্থানে অবস্থিত, এটি ১৯০২/১৯০৩ সালে মহারাজা বিজয় চন্দ মহাথের মহিমা উপলক্ষে নির্মিত হয়েছিল। সাবেক রাজপ্রাসাদটি গেট থেকে কিমি দূরে অবস্থিত। লর্ড কার্জনের ১৯০৪ সালে বর্ধমানের ভ্রমণের মহিমা এবং গৌরব গুরুর নামটি কার্জন গেট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গেটের আর্ক টি গোল আকৃতির কলাম দ্বারা সমর্থিত। তিনটি নারী মূর্তি, তলোয়ার, নৌকা এবং কাঁঠার কাঁধে হাতে হাতে, কৃষি বাণিজ্যের অগ্রগতিতে আর্কাইভের উপর। দরজার উপরের অংশে বিশ এক দৃষ্টান্ত রয়েছে। কাঠামোটি ইতালির রাজধানীর নির্মিত একটি গেটের দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে নির্মিত হয়েছিল। স্বাধীনতার পর, গেটটি বিজয় তোরন নামে পরিচিত ছিল, তবে এটি এখনও কার্জন গেট হিসাবে জনপ্রিয়, বা বরং বাংলা উচ্চারণ করজান গেট। ১৯৭৪ সাল থেকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনসম্পদ বিভাগ দ্বারা গেটটি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ==তথ্যসূত্র== দর্শনীয় স্থাপত্ব গেট'''হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন''' হল হাওড়া ময়দানে কলকাতা মেট্রো রেলের একটি স্টেশন। এই স্টেশনটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া শহরে অবস্থিত।এই ভূগর্ভস্থ স্টেশন হাওড়া পৌর স্টেডিয়াম এবং হাওড়া শরৎ সদনের কাছে অবস্থিত। এটি কলকাতা মেট্রো লাইন -এর টার্মিনাস। ==স্টেশন == ===গঠন=== কলকাতা মেট্রোর লাইন ২-এর অন্তর্গত সিটি সেন্টার মেট্রো স্টেশনটি গঠনগতভাবে ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশন। === স্টেশন বিন্যাস === '''জি''' রাস্তার স্তর প্রস্থান প্রবেশ '''এল১''' মধ্যবর্তী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন এজেন্ট, মেট্রো কার্ড ভেন্ডিং মেশিন, ক্রসওভার '''এল২''' পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং ১, দরজা বাম খুলবে দিকে →ট্রেন প্রান্তিক→ →দিকে হাওড়া← পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং ২, দরজা বাম খুলবে '''এল২''' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== মেট্রো স্টেশন'''রুবি ক্রসিং ''' বা রুবি মোড় কলকাতা শহরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এটি যাদবপুর থানার উত্তরে ই.এম. বাইপাস ক্রসিং (অদ্বিতিকা নামে পরিচিত) নামে পরিচিত। ==যোগাযোগ== রুবি ক্রসিং কলকাতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্টগুলির মধ্যে একটি। পশ্চিম সড়কটি বাইপাসের দ্বারা যুক্ত করে গড়িয়াহাটের সঙ্গে এবং পূর্ব সড়কটি খুব দ্রুত উন্নয়নশীল আনন্দপুর ইস্ট কলকাতা টাউনশিপ অংশকে সংযুক্ত করে। উত্তর রাস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট, সাইন্স সিটি ক্রসিং, এবং আরো উত্তর দিক সড়কটি এয়ারপোর্ট, রাজারহাট এবং সল্টলেক নিয়ে যায় দক্ষিণ রাস্তাটি সন্দুরপুর, পটুয়া, গড়িয়া আরও দক্ষিণ সোনারপুর এবং বারুইপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে নিয়ে যায়। ==উন্নয়ন== টয়োটা, ইমামি, পাসপোর্ট অফিসের মতো প্রধান অফিস এলাকায় এসে পৌঁছেছে। পাশেই আনন্দাপুরের অবস্থিত লম্বা আবাসিক সুউচ্চু ভবন প্রকল্পগুলির মধ্যে -আরবানা একটি। হোটেল গেটওয়ে এই ক্রসিং-এ অবস্থিত। এটি শহরের পাঁচ তারকা হোটেলের একটি। রুবি জেনারেল হাসপাতাল। এই এলাকাটিতে রুবি জেনারেল হাসপাতালের মতো বিখ্যাত হাসপাতাল রয়েছে, যেখান থেকে ক্রসিংয়ের নাম, ডিসান হাসপাতাল এবং ফোর্টিস হাসপাতাল। কলকাতার "নিউ ডালহৌসি" হিসাবে এখন রুবি ক্রসিং নামে পরিচিত, কারণ নতুন অফিসগুলি আসছে এবং এর প্রধান অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন রাস্তা প্রশস্তকরন এবং নির্মাণাধীন নতুন মেট্রো রুট। ==তথ্যসূত্র == রাস্তা'''সায়মন লভে''' (১৯৪৩ সালের ২৮ আগষ্ট) হচ্ছেন একজন তিনি মস্তিষ্কের গঠন এবং যৌন অভিমুখিতার উপর তার কাজ গবেষণার জন্য বিখ্যাত। ==ব্যক্তিগত জীবন== সায়মন ১৯৪৩ সালের ২৮ আগষ্ট ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রকাশ্যে নিজেকে সমকামী বলতেন। ==শিক্ষা এবং পেশা== *ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড (বি.এ. ন্যাচারাল সায়েন্স, ১৯৬৬) *গটিংগ্যান বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানক (পিএইচডি, নিউরোএনাটমি, ১৯৭১) *হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল (পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো, ১৯৭২-১৯৭৪) সায়মন ১৯৭৪-১৯৮৪ পর্যন্ত হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে নিউরোবায়োলজির নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি এরপর ১৯৮৪-১৯৯৩ পর্যন্ত সক ইনস্টিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চে কাজ করেছেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। প্রথমদিকে তার কাজগুলো প্রাণি বিশেষ করে বিড়ালের ভিজুয়াল কর্টেক্সের উপর ছিল। ২০০৩ সালে তিনি স্ট্যানফোর্ড প্রভাষক এবং মানব যৌনতা পাঠের ডিরেক্টর (পরিচালক) ছিলেন। ==আইএনএএইচ৩ নিয়ে গবেষণা== ১৯৯১ সালে সায়মন বিজ্ঞান জার্নালে "A difference in hypothalamic structure between heterosexual and homosexual men" (সমকামি বিসমকামী পুরুষের মধ্যে হাইপোথ্যালামিক গঠনে পার্থক্য) নামে নিবন্ধ প্রকাশ করেন। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সমকামী বিসমকামী পুরুষের মস্তিষ্কের এন্টেরিয়র ৩য় ইনারশিয়াল নিউক্লিয়াসে (INAH3) গড়পড়তায় পার্থক্য আছেঃ সমকামী পুরুষের তুলনায় বিসমকামী পুরুষে এটি দুইগুণ বড় হয়। সমকামী পুরুষের আইএনএএইচ৩ এর আকার নারীর সমান। সায়মন লিখেছিলেন যে; এই অন্বেষণ এটাই সূচিত করেছে যে আইএনএএইচ৩ যৌন অভিমুখিতার সাথে অন্ততপক্ষে পুরুষের জন্য ডিমরফিক (dimorphic) এবং এটাই প্রস্তাবনা করে যে, যৌন অভিমুখিতার একটি জৈব সাবস্ট্রেট আছে।" সায়মন আরো বলেন, "স্যাম্পলে থেকে দেখা যাওয়া, ব্যতিক্রমের অস্তিত্ব (বিষমকামী পুরুষে INAH3 নিউক্লি আকারে ছোট এবং সমকামী পুরুষে INAH3 আকারে বড়) এটাই সুচিত করে যে, যৌন অভিমুখিতার জন্য কেবল INAH3 এর আকার দায়ী নয়। প্রযুক্তিগত ভুলের কারণেও এই ব্যতিক্রমী ফলাফল আসতে পারে-এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।" সায়মনের অন্বেষণ; বিস্তৃতিপরিসরে আলোচিত হয়। সায়মনের ভালোবাসার মানুষ এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শোকাছন্ন সায়মন; তাকে এবং সায়মনের সমকামিতাকে এই গবেষণার সাথে মুক্তভাবে সম্পর্কিত করেন। সায়মন ১৯৯৪ সালে সাক্ষাৎকারে তার অন্বেষণ নিয়ে ওঠা প্রশ্ন নিয়ে বলেন: আমি কী খুঁজে পেয়েছি, তার তুলনায় এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে; আমি কী খুঁজে পাইনাই। আমি এটা প্রমাণ করি নাই, সমকামিতা জিনগত, বা জিনগত কারণে মানুষ সমকামী হয়। আমি এটা দেখানোর চেষ্টা করি নাই, সমকামী পুরুষ এভাবেই জন্মায়, মানুষ আমার গবেষণা নিয়ে সবচেয়ে সাধারণ এই ভুলটাই করছে। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে সমকামিতার কেন্দ্রস্থল অন্বেষণ করি নাই। যদি তুলনা করা হয়, তাহলে INAH3 এর- মস্তিষ্কের একক গে নিউক্লিয়াস হবার তুলনায় নিউক্লির শিকলের একটি অংশ: যা নারী পুরুষের যৌন স্বভাব নিয়ন্ত্রণ করে;- এমনটা হবার সম্ভাবনা বেশি।." কিছু সমালোচকরা সায়মনের পরিমাপ যথার্থ এবং নিখুত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তারা পর্যবেক্ষণে বলেন, টিস্যুর অংশে (স্লাইস) এই গঠন (স্ট্রাকচার) দেখা খুবই দুরূহ এবং সায়মন কোষের সংখ্যা গণণার পরিবর্তে এর ঘনত্ব পরিমাপ করেছেন। ন্যান্সি অরডোভার Nancy Ordover) লিখেছেন যে, সায়মন স্যম্পলের পরিমাণের স্বল্পতা এবং অপর্যাপ্ত যৌনতার ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য সমালোচিত হন। == কাজ == *সায়মন লভে (১৯৯৩). ''The Sexual Brain'' (মস্তিষ্কের যৌনতা) ক্যাম্ব্রিজ: এমআইটি প্রেস. *সায়মন লভে, নোনাস (১৯৯৫). ''City of Friends: Portrait of the Gay and Lesbian Community in America'' (বন্ধুদের শহর: যুক্তরাষ্ট্রে নারী পুরুষ সমকামীদের একটি পোট্রেইট) ক্যাম্ব্রিজ: এম আইটি প্রেস। *সায়মন লভে (১৯৯৬). ''Queer Science: The Use and Abuse of Research into Homosexuality'' (সমকামী বিজ্ঞান: সমকামিতা নিয়ে গবেষণার প্রয়োগ এবং অপপ্রয়োগ) ক্যাম্ব্রিজ :এমআইটি প্রেস। *সায়মন লভে (১৯৯৭). ''Albrick's Gold''. London: Headline Book Publishing. *Sieh K, সায়মন লভে (১৯৯৮). ''The Earth in Turmoil: Earthquakes, Volcanoes, and Their Impact on Humankind'' (দুর্যোগে পৃথিবী: ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, এবং মানবজাতির উপর তার প্রভাব) নিউইয়র্ক W.H. Freeman. *Koerner, D, সায়মন লভে (২০০০). ''Here Be Dragons: The Scientific Quest for Life'' (হতে পারে ড্রাগন এখানেও আছে: বহিঃজার্গতিক প্রাণের বৈজ্ঞানিক অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস. *Freed, C, LeVay, (২০০২). ''Healing the Brain: Doctor's Controversial Quest for Cell Therapy to Cure Parkinson's Disease''. New York: Times Books. *এস লিভ্যায়, (২০০৮). ''When Science Goes Wrong'' (যখন বিজ্ঞান ভুল করে), Plume. *এস লিভ্যায়, Baldwin (চতুর্থ পুনমুদ্রণ). ''human sexuality'' (মানব যৌনতা) Sunderland: Sinauer Associates. *এস লিভ্যায়, Baldwin J, Baldwin (২০১৫ সালে তৃতীয় পুনমুদ্রণ). ''Discovering Human Sexuality'' (মানুষের যৌনতা কিভাবে এল, তার আবিষ্কার) Sunderland: Sinauer Associates. *এস লিভ্যায়, (২০১৬ সালে দ্বিতীয় পুনমুদ্রণ). ''Gay, Straight, and the Reason Why: The Science of Sexual Orientation'' (কি কারণে সমকামী বিসমকামী: যৌন অভিমুখিতা নিয়ে বিজ্ঞান) নিউ ইয়র্ক: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস *LeVay S, (২০১৩). ''The Donation of Constantine: Novel''. Los Angeles: Lambourn Books. == তথ্যসূত্র == ==বহিঃস্থ সংযোগ== LeVay's home page ব্যক্তি স্নায়ুবিজ্ঞানী জন্ম'''মুপ্পোছড়া ঝর্ণা''' রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বাঙ্গালকাটা নামক জায়গায় অবস্থিত। মুপ্পোছড়া ঝর্ণাটিতে একটি মাত্র ঝরা থাকলেও প্রস্থের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় ঝর্ণা। == অবস্থান == রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলাটি কাপ্তাই লেকের প্রান্তে অবস্থিত। সড়ক পথে এই উপজেলার সাথে কোন সংযোগ পথ নেই। কাপ্তাই উপজেলা হতে শুধুমাত্র নৌ-পথে এই উপজেলায় পৌছানো সম্ভব। দূর্গম পার্বত্য এলাকা হিসাবে এই উপজেলায় রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়, আর রয়েছে ছোট বড় প্রচুর ঝর্ণা। বিলাইছড়ি চাকমা শব্দ থেকে উৎপত্তি। চাকমা উপজাতীয় অর্থে বিলাই এর অর্থ বিড়াল আর ছড়ি এর অর্থ পাহাড় হতে প্রাবাহিত ঝর্ণা বা ছড়া। মুপ্পোছড়া ঝর্ণাটি বিলাইছড়ির অন্যতম বৃহত্তম ঝর্ণা। এটির অবস্থান বাঙ্গালকাটা স্থানটিতে বিলাইছড়ি হতে নৌ পথে যাওয়া সম্ভব। আর বাঙ্গালকাটা হতে মুপ্পোছড়া ঝর্ণা শুধুমাত্র পায়ে হেটে যাওয়া সম্ভব। == বিশেষ নির্দেশিকা == বিলাইছড়ি উপজেলাটি পার্বত্য অঞ্চলের অংশ হওয়ায় স্থানটিতে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের মানুষ প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয়পত্র, কিংবা পাসপোর্টের ফটোকপি, কিংবা যে কোন পরিচয়পত্র সাথে থাকতে হয়, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রদর্শন সাপেক্ষে ওই সকল এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। == চিত্রশালা == ঝর্ণা ঝর্ণা এর পাশের ঝর্ণা এর পাশের ঝরা == আরও দেখুন == *বাংলাদেশের জলপ্রপাতসমূহের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃ সংযোগ == বিলাইছড়ি উপজেলা জলপ্রপাত উপজেলার দর্শনীয় স্থান জেলার দর্শনীয় স্থান'''টয়লেট: এক প্রেম কথা''' ২০১৭ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষা চলচ্চিত্র, যা পরিচালনা করেন শ্রী নারায়ণ সিং। অক্ষয় কুমার এবং নিরঞ্জ পান্ডে দ্বারা সহযোগিতায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। মুখ্য ভূমিকাতে অক্ষয় কুমার এবং ভূমি পেডেনকার অভিনয় করেছেন এবং অনুপম খের, সুধীর পাণ্ডে এবং দিব্যেন্দু শর্মা সহকারি ভূমিকা অভিনয় করেছেন। ছবিটি ১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে নির্মূলকরণের উপর জোর দিয়ে, চলচ্চিত্রটি শৌচালয় ব্যবহারের অবস্থার উন্নতির জন্য সরকারি প্রচারাভিযানের সমর্থনে একটি ব্যঙ্গাত্মক হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রটি এটি ভারতের আর্থিকভাবে একটি সফল চলচ্চিত্র। সিনেমাটি চীনেও রিলিজ পায়। ==গল্প== ভালবাসার বিয়ে কেশব(অক্ষয়) পর কেশবের বাসায় ওঠে জয়া।কিন্তু কেশবের বাসায় টয়লেট নেই বলে সমস্যা হয় তার।এভাবে এগিয়ে যায় গল্প। ==কুশীলব== অক্ষয় কুমার কেশভ শর্মা। ভূমি পেড়নেকর জয়া শর্মা (জোশি) দিব্যেন্দু শর্মা- নারায়ণ ("নারু") শর্মা অনুপম খের দিনাথ ("ডিজে কাকা") জোশি সুধীর পান্ডে পণ্ডিত বিমলনাথ শর্মা ("পণ্ডিতজি" বা "ভিমু"), কেশভ নারুর বাবা আতাউল শ্রীভাস্স্তু আতাউল জোশী, জয়ার পিতা আয়েশা রাজা মিশ্র, যাদবের মায়ের চরিত্রে বিদ্যা জোশী রাজেশ শর্মা মাথুর শুভা খোপ রামধারী ("দাদী") শর্মা, কেশভের নাতি শচীন ছাদেখার পরিচালক (ক্যামিও) সানা খান অক্ষয় কুমারের নামহীন প্রেমিকা (ক্যামিও) ==চলচ্চিত্রের ভিত্তি== ছবিটি সিদ্ধার্থ সিং গারমা ওয়াহালের, ২০১৩ সালের হিন্দি চলচ্চিত্র গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলার লেখক, এবং সত্যিকারের ঘটনা নিয়ে কিছু মিল রয়েছে যা ১৯ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কার ভক্তি তার স্বামীর বাড়ি থেকে ২০১২ সালে পালিয়ে গিয়েছিল যখন কোন টয়লেট ছিল না। সিনেমার শেষ হওয়ার আগে, টয়লেটটি উল্লেখ করে যে এটি মধ্য প্রদেশের অরিতা নারের গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে, যিনি টয়লেটে অভাবের কারণে তার স্বামী শিবমরের বাড়িতে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ==বিতর্ক== একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রভিনা ভায়াস নির্মাতাদের কাছে একটি আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন, দাবি করে যে 'টয়লেট- এক প্রেম কাথা' তার ডকুমেন্টারী 'মানিনি' থেকে দৃশ্য সংলাপ ছাপিয়েছে, একই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। ==স্যাটেলাইট সত্ত্ব== জী স্টুডিও দ্বারা চলচ্চিত্রের স্যাটেলাইট অধিকার গৃহীত। টয়লেট: এক প্রেম কথা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে ডিডি ন্যাশনালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের প্রচার হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২২ শে অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চলচ্চিত্রটির উদ্বোধন করা হয়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র দশকের হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র দশকের ব্যঙ্গধর্মী চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র ব্যঙ্গধর্মী চলচ্চিত্র নারী সম্পর্কে চলচ্চিত্রএই '''শিয়া মুসলমানদের তালিকা''' শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য শিয়া মুসলমানদের। == বিজ্ঞানী, দার্শনিক গণিতবিদ == আল ফারাবি আহমেদ ইবনে ইউসুফ আল মাসুদি আলী ইবনে রিদওয়ান ইবনে নাদিম নাসির আল দীন তুসী খলিল ইবনে আহমেদ == লেখক == ইবনে রুমি মীর আনিস মীর তকি মীর মির্জা গালিব হাফিজ == রাজনীতিবিদ == আলী সালমান আবিদ হুসাইন আকবর খান আমির কবির জুলফিকার আলী ভুট্টু নূরী আল মালিকি বিসমিল্লাহ খান মীর আনিস মুহাম্মাদ মুসা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সৈয়দ আহমেদ সৈয়দ নুরুল হাসান সৈয়দ মাহমুদ খান সেলিম আলী == আরও দেখুন == সুন্নি মুসলমানদের তালিকা মুসলমানদের তালিকা == তথ্যসূত্র ==জাপানের চিবায় একটি বাইসাইকেল পার্কিং লটের বাইরে একটি সতর্কবাণী "আঁকড়ে ধরা থেকে সতর্ক হোন" যৌনতার ক্ষেত্রে, '''আঁকড়ে ধরা''' হলো কোনো ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোনো অনিচ্ছুক ব্যক্তিকে যৌন কামনা তাড়িত হয়ে স্পর্শ বা আদর করা। অনেক সমাজে শব্দটি নেতিবাচক অর্থ বহন করে, এবং যৌন আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে যে অঙ্গগুলো সবচেয়ে বেশি আঁকড়ে ধরা হয় সেগুলো হল নিতম্ব, স্তন, যোনি ঊরু। যারা আঁকড়ে ধরে, তারা সাধারণত হাত ব্যবহার করে, তবে শরীরের অন্য কোনো অঙ্গও ব্যবহার করতে পারে। আঁকড়ে ধরার ঘটনা বিশ্বব্যাপী ঘটে। কোনো কোনো দেশে এটি একটি নিয়মিত ঘটনা। কিছু কিছু দেশে ভিড়ের মধ্যে বা জনাকীর্ণ স্থানে নারীদের নিতম্ব আঁকড়ে ধরা বা নিতম্বে চাপড় মারা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অনেক দেশে কোনো ব্যক্তির শরীরের যে কোনো অংশ আঁকড়ে ধরা বেআইনি, এবং প্রায় সকল দেশেই এটি অগ্রহণযোগ্য আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ইতালিতে টুরুষ কর্তৃক নারীদের নিম্নাঙ্গ চেপে ধরা একটি দৈনন্দিন বিষয় ছিল, কিন্তু 'আঁকড়ে ধরা' শব্দগুচ্ছটি তখন প্রচলিত ছিল না। জাপানে বাস ট্রেনে নারীদের আঁকড়ে ধরার ঘটনা এত বেশি ঘটে যে সেখানকার কর্তৃপক্ষ 'আঁকড়ে ধরা'র বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে, যা প্রচারমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ আরম্ভ হয়েছে। ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অংশে নারীদের প্রকাশ্যে আঁকড়ে ধরা বা যৌন হয়রানি করাকে সাধারণত ইভটিজিং নামে অভিহিত করা হয়। == জাপান == জাপানে যেসব পুরুষ প্রকাশ্যে নারীদের আঁকড়ে ধরে তারা ''চিকান'' (痴漢, チカン, or ちかん) নামে পরিচিত; এবং এই শব্দটি দ্বারাই জাপানে 'আঁকড়ে ধরা'কে বুঝানো হয়। জনাকীর্ণ ট্রেন নারীদের আঁকড়ে ধরার একটি সাধারণ স্থান এবং ২০০১ সালে পরিচালিত একটি জরিপ অনুযায়ী, ট্রেনে যাতায়াতকারী ৭০ শতাংশের বেশি ছাত্রীকে আঁকড়ে ধরা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কিছু রেলওয়ে কোম্পানি কেবল নারীদের জন্য যাত্রীবাহী গাড়ি চালু করেছে। জনাকীর্ণ ট্রেন নারীদের আঁকড়ে ধরার একটি দৈনন্দিন স্থান হলেও আরেকটি এরকম স্থান হচ্ছে বাইসাইকেল পার্কিং অঞ্চলসমূহ, যেখানে সাইকেলের তালা খোলার জন্য ঝুঁকে থাকা নারীরা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এই সমস্যাটি পুরুষদের ভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। জাপানে যে কোনো মামলায় শাস্তিপ্রদানের হার প্রায় ৯৯ শতাংশ। এজন্য নির্দোষ ব্যক্তিরা আদালতে তাদের নির্দোষিতা প্রমাণ করতে সমস্যার মুখোমুখি হয়। তবে জাপানের ফৌজদারি আদালতগুলো ঐতিহ্যগতভাবে আঁকড়ে ধরার মামলাগুলোর প্রতি তেমন গুরুত্ব দিত না। কেবল সাম্প্রতিক সময়ে এই সামাজিক সমস্যাটি সমাধান করার রক্ষ্যে তারা এসব মামলায় কঠোর সাজা দিতে শুরু করেছে। == আরো দেখুন == == তথ্যসূত্র == বিষয়শ্রেণী:যৌন অপরাধসৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের (জন্ম: ১৯৫৮) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং কুমিল্লা-১১ (পূর্ববর্তী কুমিল্লা-১২) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি অষ্টম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন এবং প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক। == জন্ম শিক্ষা == ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা সৈয়দ মাজহারুল হক হায়দারি ছিলেন একজন ইসলামী ধর্মীয় প্রচারক, বক্তা পণ্ডিত। তার বক্তৃতাগত দক্ষতার জন্য তিনি বাংলার সরকার কর্তৃক 'হায়দারি' উপাধিতে ভূষিত হন। তার মা, আকসির-ই-জাহান চৌধুরানী, চট্টগ্রামের 'কাশগর' মুসলিম জমিদার পরিবারের সদস্য। ডাঃ তাহেরের পাঁচ ভাই তিন বোন। তিনি পঞ্চম শ্রেণী অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে সরকারী বৃত্তি লাভ করেন। বৃহত্তর কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। == পারিবারিক জীবন == তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ হাবিবা আক্তার চৌধুরী, এমবিবিএস, এম-ফিলের সাথে বিয়ে করেন, যিনি ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি ইমাজিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ফুলসুতি, ফরিদপুর থেকে একজন প্রভাবশালী পরিবার থেকে এসেছেন। দম্পতির তিন মেয়ে এবং একটি ছেলে আছে। == ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা == তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তিনি সংগঠনে যোগদানের দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের 'সদস্য' হন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা সভাপতি ঢাকা শহরের শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যয়নের সময় তাহের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের (ঢামেকসু) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি কুমিল্লা এসোসিয়েশন ফর মেডিকেল স্টুডেন্টস এর সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন এবং অবশেষে ১৯৮৫-৮৬ এবং ১৯৮৬-৮৭ সেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। == আন্তর্জাতিক সংগঠনে সম্পৃক্ততা == ডাঃ তাহের ১৯৮৮-৯২ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ফেডারেশন অফ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন (আইআইএফএসও) এর এশিয়ার ডিরেক্টর নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯২-১৯৯৫ পর্যন্ত আইআইএফএসও এর নির্বাচিত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইআইএফএসও'র মহাসচিবের পাশাপাশি তিনি একই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার ওয়ামী (বিশ্বব্যাপী মুসলমান যুব পরিষদ) -এর পরিচালক ছিলেন। == তথ্যসূত্র == জাতীয় সংসদ সদস্য জন্ম ব্যক্তি জেলার রাজনীতিবিদ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''ধনঞ্জয় (১৪ আগস্ট, ১৯৬৫ ১৪ আগস্ট ২০০৪) একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন যিনি ভারতে একুশ শতকে সন্ত্রাসবিরোধী অপরাধী না হয়েও মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হন। ==ইতিহাস== ১৪ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে কলকাতার আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। ১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী হেতাল পারেখ ধর্ষণ হত্যার অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ==বিতর্ক== মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা নিয়ে জনসাধারণর বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং সংবাদ পত্রের গুরুত্ব সহকারে তা প্রকাশ হতে থাকে। ধনঞ্জয় কে বিচারে দোষী প্রমাণিত করার জন্য পর্যাপ্ত সাক্ষি প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় নি। যা ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু'''হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়''' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। == অবস্থান == প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত। == ইতিহাস == ১৯৭০ সালে জনাব ইব্রাহিম ফকির নামের এক দানবীরের দানকৃত ভূমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। == শিক্ষকবৃন্দ == বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল মান্নান। এছাড়া আরো অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। == শিক্ষা কার্যক্রম == প্রতিষ্ঠানে সহ-শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ১১ শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে। == ফলাফল কৃতিত্ব == বিগত বছরের পাশের হার ৮৫%। == আরো দেখুন == পটিয়া উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''ইলমী গবেষণা ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি''' (‎, এছাড়াও '''ইলমী গবেষণা ফতোয়া বিষয়ক সাধারণ প্রেসিডেন্সি''' হিসাবেও পরিচিত) হল সৌদি আরবের বাদশাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একমাত্র সরকারী ফতোয়া বিষয়ক ইসলামিক প্রতিষ্ঠান। এটি সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের জন্য ইসলামী আইনশাস্ত্র বা ফিকাহর বিধিবিধান এবং গবেষণাকর্ম প্রস্তুত করেন। সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ ধর্মীয় বিষয়ে সৌদি বাদশাহকে পরামর্শ দেন। মুসলিম বিশ্বে ইলমী গবেষণা ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি খুবই সম্মানিত সুপরিচিত একটি নাম। সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের একটি অংশ এই কমিটি। সৌদি আরবের ফিকাহ বিষয়ক সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ উলামাগণ এর সদস্য এবং সৌদি আরবের প্রধান মুফতি এর প্রধান। কুরআনুল কারীম, সহীহ হাদিস এবং সালাফে সালেহীনের ইলমের আলোকে উনারা সারা বিশ্বের মুসলিমদেরও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান প্রধান হচ্ছেন আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ আল আশ-শাইখ। উনার আগে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন আব্দুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায। প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলায় একাডেমিক গবেষণা ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সবোর্চ্চ ইসলামী গবেষণা পরিষদ ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। == প্রতিষ্ঠা == সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল ইবনে আব্দুল আজিজ কর্তৃক ২৯শে আগস্ট, ১৯৭১ সালে (০৮ই রজব ১৩৯১ হিজরী) একটি রাজকীয় আদেশের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের পাশাপাশি এই কমিটিও প্রতিষ্ঠিত হয়। আদেশটির চতুর্থ ধারা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট বিষয়ে ফতোয়ার জন্য স্থায়ী কমিটির কাছে অনুরোধ করে চিঠি লেখা যায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থায়ী কমিটি শুধুমাত্র সৌদি আরবের নয় বরং অন্যান্য অনেক দেশের মুসলিমদের ইসলামী শরিয়াহর বিধিবিধানের বিভিন্ন প্রশ্নের মতামতসহ জবাব দিয়েছেন, একই সঙ্গে হাদিস (নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর আদর্শ), ইবাদত আক্বীদা (বিশ্বাস) বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন। স্থায়ী কমিটি তাদের ফতোয়াতে সর্বদাই সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা অর্জনের চেষ্টা করেন। সমস্ত ফতোয়া ইসলামী জ্ঞানের তিনটি উত্স থেকে উদ্ভূত হয় কুরআনুল কারীম, সহীহ সুন্নাহ এবং সঠিকপথে পরিচালিত রাসূলুল্লাহর (সা:) সাহাবীগণের (রাঃ) ইলম। ফতোয়া লেখকগণ সাধারণত একটি সমস্যা সম্পর্কে সকল সম্ভাব্য ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি যাচাই করেন এবং তারপর তাদের ইলম অনুযায়ী যেই মতামতটি দলিল অনুযায়ী সর্বাধিক বিশুদ্ধ তা বর্ণনা করেন। কমিটির দ্বারা জারিকৃত ফতোয়া ৩২টি ভলিউমে সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। == কর্তৃপক্ষ == ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে এক সরকারি আদেশে, বাদশাহ আব্দুল্লাহ সর্বোচ্চ উলামা পরিষদকে বাড়িয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট করেন এবং শুধু হানবালি মাযহাবের নয়, বরং সৌদি আরবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চারটি সুন্নি ফিকহী মাযহাব থেকেই উলামাদের সদস্যপদ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করেন যে, সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সকল সদস্যই একই আক্বীদা (বিশ্বাস) পোষণ করেন। ২০১০ সালে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ ঘোষণা করেন যে, সৌদি আরবে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত উলামাগণই ফতোয়া জারি করার অনুমতি পাবেন, উদাহরণস্বরূপ ২১ সদস্যের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ যেটি দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং (চার বা পাঁচজন) স্থায়ী কমিটির সদস্য, যাদেরকে সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ থেকেই আনা হয়। সালেহ বিন মোহাম্মদ আল-লুহায়দানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ কর্তৃক গঠিত একটি নতুন কমিটি ফতোয়া প্রদানের কাজটি তত্ত্বাবধান করেন এবং অননুমোদিত আলেমদের ফতোয়া প্রদান থেকে বিরত রাখেন। সকল ইমাম দাঈগণকে ইসলামীক বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ফতোয়া মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়, তাদের শুক্রবারের খুৎবায় ফতোয়া ব্যাখ্যা করতে বলা হয় এবং অমান্যকারীকে সাবধান করা হয়। ২০১০ সালে সৌদি আলেম মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ পরিচালিত ইসলামী ফতোয়ার ওয়েবসাইট সৌদি আরবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কারণ এটি স্বাধীনভাবে ফতোয়া জারি করছিল। ২০১৭ সালে আবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়। == সদস্য == '''বর্তমান''' ২০১৪ সালের শুরুতে কমিটির সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন: শাইখ আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ আল আশ-শাইখ (প্রধান) শাইখ আব্দুল্লাহ ইবনে ঘুদাইয়ান (উপ প্রধান) শাইখ আব্দুল্লাহ ইবনে কুদ শাইখ আব্দুল্লাহ ইবনে মুনির শাইখ সালেহ আল-ফাওজান '''প্রাক্তন''' শাইখ আব্দুল আজিজ ইবনে বায শাইখ আব্দুল্লাহ ইবনে জিবরীন শাইখ মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম আল আশ শেখ == আরও দেখুন == আল্লাহ ইসলাম ফতোয়া সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ, সৌদি আরব == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == অফিসিয়াল ওয়েবসাইট স্থায়ী কমিটির সারাংশ টুইটার সংগঠন'''সুখ মন্দির''' হল পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী শহর ভুবনেশ্বরে অবস্থিত পরিত্যক্ত এবং অব্যবহৃত একটি মন্দির। মন্দিরটি সপ্তরাহাকে উৎসর্গ করা হয় এবং ঊর্ধ্বাঙ্গায় দিক্লাদের মহিলা সমকক্ষের উপস্থিতি। এটি উড়িষ্যা মন্দির নির্মানের ঐতিহ্যের পরিপক্ক পর্যায়ে নির্মিত হয়েছিল। ==অবস্থান== সুখ মন্দির শংকরানন্দ স্ট্রিটে, উত্তরাজ বাবু সাহী, ওল্ড টাউন, ভুবনেশ্বর অবস্থিত। বিন্দুসাগর ট্যাংকের দক্ষিণ বাঁধ থেকে ৫০.০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দির পশ্চিমে দিকে সম্মুখীন হয়। মন্দির ব্যবহার করা হয় না কিন্তু মন্দির বহির্গামী দেয়ালের ভাস্কর্যের অভিলাষগুলি নির্দেশ করে যে মন্দিরটি মূলত ভগবান শিবের জন্য নিবেদিত ছিল। যদিও মন্দিরটি স্থাপত্য এবং ভাস্কর্যের মতো, এটি পরিত্যক্ত এবং ব্যবহার করা হয় না। বর্তমান স্থলভাগের নিচে ১.৮০ মিটার নীচে মন্দিরটি অবস্থিত। == বয়স== ক) সঠিক তারিখ: ১৩ তম শতাব্দী। খ) আনুমানিক তারিখ: গঙ্গা শাসন == সম্পত্তির প্রকার== পূর্ববর্তী বিল্ডিং গঠন ল্যান্ডস্কেপ সাইট ট্যাঙ্ক: বিল্ডিং প্রকার: মন্দির গঠন: রেখা দেউল == তাতপর্য== ;ঐতিহাসিক তাতপর্য: উড়িষ্যা মন্দিরের নির্মানের পরিপক্ক পর্যায়ে নির্মিত হয়েছিল মন্দিরটি। ==মন্দিরের বর্ণনা== '''আশেপাশে''': মন্দিরের পূর্বদিকে ভবানীশংকর মন্দিরটি প্রায় ৫০ মিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত, মন্দিরের প্রাচীরের ডান পাশে শঙ্করনন্দ স্ট্রিট, উত্তরে সারী দেউল এবং দক্ষিণে আবাসিক ভবন। ;ওরিয়েন্টেশন: মন্দিরটি পশ্চিম মুখী। স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য (পরিকল্পনা উত্তোলন): পরিকল্পনায়, মন্দিরের একটি উদ্যান রয়েছে এবং একটি সমুখ বারান্দা রয়েছে। এই বারান্দা সপ্তরার কেন্দ্রীয় রাহা নামে পরিচিত, যা উভয় পক্ষের অনুরুহ, অরুঠ কণিক প্যাগার দ্বারা স্থাপিত হয়। বীমাকৃতি পরিমাপ ৫.৮০ বর্গ মিটার এবং লম্বা পোরচ পরিমাপ ০.৯০ মিটার দৈর্ঘ্য। কোষ ২.৪০ বর্গ মিটার পরিমাপ। উঁচুতে, বীমাকৃতির রেখার ক্রম অনুসারে ১১ মিটার উঁচুতে নীচ থেকে উপরে পাঁচগুণ বিভাজনের সাথে, বড ৩.৫০ মিটার। ভিত্তিতে পঞ্চগড়, উচ্চতা ০.৮৭ মিটার করা হয়েছে পাঁচটি মৌলিক ছাঁচনির্মাণ খুর, কুঁড়া, পান, কানি এবং বসন্ত ভিত্তি থেকে। তালা জংহ এবং ঊর্ধ্বাঙ্গা পরিমাপের ০.২০ মিটার প্রতি তিনটি ছাঁচনির্মাণ বন্দনা ০.৩২ মিটার পরিমাপ করা হচ্ছে। দশ মোল্ডিংস গঠিত ব্যারান ০.৮৭ মিটার পরিমাপ। গদি এবং মস্তকা যথাক্রমে ৫.০০ মিটার এবং ২.৫০ মিটার। ==রাহা কুলুঙ্গি== পরিপক্ক পর্যায়ের মন্দিরগুলিতে স্বাভাবিকভাবেই, তিনদিকে তলাঘাঘাতে রাহা অংকগুলি অবস্থিত, যা বর্তমানে খালি। খালি অংকগুলি উচ্চতা ০.৯০ মিটার উচ্চতা ০.৪৫ মিটার প্রস্থ এবং ০.২৩ মিটার গভীরতা। ==আলংকারিক বৈশিষ্ট্য== গন্ডের ভিতরে, একটি বড় রেখা আনাসীখার রয়েছে যার মস্তকাটি রাধা পগাতে উর্ধ্বতা সিমার প্রায় স্পর্শ করছে। গদিটি চৈতন্য ভাবধারার এবং স্ক্রল নকশা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। রাহা অরুঠ প্যাগার মধ্যে যৌথভাবে, কমলা রচনাগুলি বরন্দা থেকে বিকি পর্যন্ত উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়। কানিকার পগায় দশটি ভূমি-আমলা দ্বারা বিশিষ্ট হিসাবে দশটি মন্দির। প্রতিটি ভূমিতে চারটি ভূমি বারান্দা রয়েছে। খুর্যকে শৈলীশূন্য চিত্তি নকশার সাথে সজ্জিত করা হয় এবং পলাভূমির অন্যান্য চারটি ছাঁচনির্ভর স্ক্রোলের সাহায্যে তৈরি করা হয়। খানা নকশায় রহা নীচের ছয়টি গরবিকের নীচে পাওয়া যায় যা উভয় পক্ষের নাগা-নাগি তীরগুলি দ্বারা নির্মিত। রাহা অংকনগুলি পুষ্পশোভিত নকশা এবং কক্ষ উভয় পক্ষের দুই নারী পরিসংখ্যান সঙ্গে সজ্জিত করা হয়। গজ-লক্ষ্মী লালিতানের মধ্যে বসা রয়েছে। কুলুঙ্গি এর আর্কাইভরা একটি শট এর ব্যান্ড সঙ্গে সজ্জিত করা হয়। একটি খাকড়া মুন্ডির দ্বারা রাহা কুলুঙ্গিটি উৎকৃষ্ট হয় যা ধারাবাহিক ধারাবাহিক উপায়ে লেপন এবং স্ক্রোল কাজ করে। খাকারা মুন্ডির উপরে কালশা গজাক্রান্ত নামে একটি মুকুট পরিহিত হয়। গন্ডের টিয়ার এবং সজ্জিত কাজ নকশা সঙ্গে সজ্জিত করা হয়। তালা জঙ্গ এবং ঊর্ধ্বাঙ্গা মুন্ডি নানসে সজ্জিত। বাঁধানার তিনটি ছাঁচ রয়েছে এবং স্ক্রল কাজ এবং জালি মোটিফ দিয়ে সজ্জিত। গঙ্গা বাতাসগুলি তোলা জঙ্গার পঙ্গু সংযোগে পাওয়া যায়। টালা জঙ্ঘা ঊর্ধ্ব জঙ্ঘা নিজ নিজ মাউন্ট এবং বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যায় লাল জঙ্গি দিক্লালগুলিতে, যখন তাদের মহিলা সমকক্ষগুলি স্বাভাবিক আইকনোগ্রাফিক বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে চিত্রিত হয়। ঝগড়া প্রজন্ম এবং বর্ধিত বারান্দাগুলির সাথেও জাগাত্তা মোটিফগুলি পাওয়া যায়। বেবিতে, বেবি ভৈরবগুলি পাহাড়ের ডান দিকের উপরে এবং দো-পঞ্চা সিংহের কোণে অবস্থিত। দোঞ্জজ্বঃ ২.০০ মিটার ১.৪৫ মিটারের মধ্যে তিনটি উল্লম্ব ব্যান্ড রয়েছে পুসখার, নড়াশহ এবং লতাক্ষেত্র থেকে বহির্ভাগ থেকে অভ্যন্তর পর্যন্ত। লালতাবিম্বরে, গজ-লক্ষ্মী পাডমেশনে বসে আছে। ঝড়ের ভিত্তিটির দ্বারপাল্লা ০.৩৫ মিটার ০.১৬ মিটার পরিমাপের ঘরের সাপেক্ষে সভিত দ্বাপড়লগুলি বামদিকে ত্রিভুজ এবং বামদিকের ডানদিকের ত্রিভুজ ধারণ করে। লিন্টেল: দরজার জোয়ারের উপরে আর্কট্রেভের ২.১৩ মিটার দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয় নবগরাজগুলির সাথে। রবি তার উভয় হাতেই কমপক্ষে অধিষ্ঠিত আছেন, রাহু অর্ধচন্দ্রকে এবং কেতু সাপের লেজে। ==শর্ত বিবরণ== X| ফাইন্যান্স কমিশনের পুরস্কার অধীনে উড়িষ্যা স্টেট পুরাতত্ত্ব দ্বারা মেরামত করা হয়েছে মন্দিরটির। == গ্রেড (এ বি সি)== স্থাপত্য: একটি ঐতিহাসিক: সি সি সামাজিক সাংস্কৃতি: সি == সমস্যা== পৃষ্ঠতল এবং তার আশপাশ গাছপালা বৃদ্ধি। স্থানীয় জনগন সাংস্কৃতিক সম্পত্তিকে একটি পাবলিক শৌচালয়ে রূপান্তর করার ফলে পর্যটকেরা মন্দিরটি এরিয়ে চলে। ঐতিহ্য জন্য সম্মান এবং উদ্বেগ একটি অর্থে আকাঙ্ক্ষা করে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। পার্শ্ববর্তী ঘরের সংলগ্ন দেয়াল এবং সরি দেওলের সংমিশ্রণ দেওয়াল মন্দিরটি বন্ধ করে দেয়। বিচ্ছিন্ন এবং আলগা ভাস্কর্য: স্কিমওয়ার্কের সাথে সজ্জিত সজ্জাগুলির সামনে একটি মন্দিরের টুকরা রয়েছে। == আরও দেখুন == ভুবনেশ্বরের মন্দিরসমূহের তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == হিন্দু মন্দির মন্দির'''লেসলি আলেক্সান্ডার গেডস''' একজন তড়িত প্রকৌশলী এবং শারীরতত্ত্ববিদ। ==জীবনী== গেডস ১৯২১ সালের ২৪ মে স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িত প্রকৌশলে ব্যাচেলর্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বেলর কলেজ অব মেডিসিন থেকে শারীরতত্ত্বে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ম্যাকগিলে তড়িত প্রকৌশল এবং নিউরফিজিওলজি এর ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ডেন্টাল ব্রাঞ্চ এর শারীরতত্ত্বের অ্যাডজাঙ্কট অধ্যাপক এবং টেক্সাস অ্যান্ড এম ভেটেরিনারি কলেজের শারীরতত্ত্বের অ্যাডজাঙ্কট অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বেলর কলেজ অব মেডিসিনে শারীরতত্ত্বের অধ্যাপক এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে পারডু বিশ্ববিদ্যালয় যোগদান করেন। তিনি এখানে এর অধ্যাপক এবং হিলেনব্র্যান্ড বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার এর পরিচালক ছিলেন। তিনি ২২টি প্যাতেন্টের অধিকারী। তিনি ১৯৮৫ সালে টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয় যোগদান করেন। ==পুরস্কার সম্মাননা== আইইইই ইঞ্জিনিয়ারিং ইন মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজি সসাইটি ক্যারিয়ার অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ১৯৮৬ আউটস্ট্যান্ডিং এডুকেটর অ্যাওয়ার্ড, আমেরিকান সসাইটি ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন (১৯৮৯) আইইইই এডিসন মেডেল, ১৯৯৪ ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন, ২০০৬ সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৭১ ==তথ্যসূত্র== শিক্ষক শিক্ষক প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''ভারতেশ্বর শিব মন্দির''' ভারতের ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে অবস্থিত ৫ম শতকের একটি শিব মন্দির। এর অধিষ্টিত দেবতা হলো একটি চক্রাকার যৌনি পীঠস্থ শিবলিঙ্গ। ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি, যেমনঃ শিবরাত্রি, এখানে উদ্‌যাপিত হয়। এই মন্দিরটি কল্পনা চক থেকে লিঙ্গরাজ মন্দিরের অভিমুখী রাস্তার বাম দিকে এবং রামেশ্বর মন্দিরের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত। মন্দিরটিতে কলিঙ্গান ক্রমের একটি রেখা চূঁড়া আছে। এটি অদ্যাবধি টিকে থাকা ওড়িশার প্রাচীনতম মন্দিরগুলির একটি। == ইতিহাস == ৬ষ্ঠ শতকে শৈলদভব শাসনামলে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে রাজ্যের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এর উন্নয়নে কাজ করছে। == স্থাপনা == কলিঙ্গীয় ধাঁচে রেখা বিমানে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। মূল মন্দিনের নিকটে অবস্থিত লহ্মণভারা মন্দিরের দেয়ালে এবং এর স্থাপনার ধরন দেখে ধারণা করা হয়েছে মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল ৬ষ্ঠ খ্রিষ্টাব্দ হতে পারে। == আরও দেখুন == ভুবনেশ্বরের মন্দিরসমূহের তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ভারতেশ্বর মন্দিরের স্থির চিত্র। ভারতেশ্বর মন্দিরের ভিডিও চিত্র। বিষয়শ্রেণী:শিব মন্দির হিন্দু মন্দির মন্দির'''ড. মজাহারুল হক''' হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ। শিক্ষায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে তাকে “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়। == জন্ম পারিবারিক পরিচিতি == মজাহারুল হকের জন্ম নোয়াখালীর সোনাপুরে হলেও তার পৈতৃক বাড়ী ফেণী জেলার সোনাগাজী উপজেলার আহমদপুর গ্রামের প্রখ্যাত মুন্সীবাড়ি। তার পিতার নাম মুন্সী সিরাজুল হক। == শিক্ষাজীবন == == কর্মজীবন == মজাহারুল হক ঢাকা অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে “বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি”র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। == মৃত্যু == == পুরস্কার সম্মননা == শিক্ষা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় তাকে। == আরও দেখুন == শিক্ষায় স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষক স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী'''আমিস''' (চীনা: 阿美族; পিনয়িন: āměi-zú; এছাড়াও '''আমি''' বা তাইওয়ানের একটি অস্ট্রোনেশীয় জাতিগত গোষ্ঠী। তারা একটি অস্ট্রোনিয়ান ভাষা '''আমিস'''-এ কথা বলে, এবং তারা তাইওয়ানিয় আদিবাসীদের মধ্যে ১৬ টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি। আমিরের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলটি সেন্ট্রাল পর্বতমালা এবং উপকূলীয় পর্বতমালার (হুআতং উপত্যকা) মধ্যে দীর্ঘ, সংকীর্ণ উপত্যকায়; প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় সমভূমি (উপকূলীয় পর্বতমালার পূর্বে) হেন্চচুন উপদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত করে। 140x140পিক্সেল ২০১৭ অক্টোবরে আমিসদের জনসংখ্যা ছিল ২০৮,১৬৪। ২০১৪ সালে আমিসদের জনসংখ্যা ছিল ২০০৬০৪। এরা তাইওয়ানের মোট আদিবাসী জনসংখ্যার প্রায় ৩৭.১% গঠন করে, এবং এইভাবে তাইওয়ানের বৃহত্তম আদিবাসী গোষ্ঠী তৈরি করে। আমিসরা মূলতঃ জেলে হয় তাদের উপকূলীয় অবস্থানের জন্য। তারা ঐতিহ্যগতভাবে মাতৃকুলভিত্তিক হয়। ঐতিহ্যগত আমিস গ্রামগুলি আদিবাসী গোষ্ঠীর জন্য অপেক্ষাকৃত বড় ছিল, সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ জনের মধ্যে থাকত। আজকের তাইওয়ানে, আমিসরা "শহুরে আদিবাসী" গুলির সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং দ্বীপটির চারপাশের অনেক শহুরে সম্প্রদায় গড়ে তুলেছে। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে, আমিস হান এবং অন্যান্য আদিবাসীদের সঙ্গে অসবর্ণ বিবাহও করেছে। তাইওয়ানে আমিসদের স্থান == পরিচয় এবং শ্রেণীবিন্যাস == আমিররা সাধারণত নিজেদেরকে '''পংকহ''' হিসাবে চিহ্নিত করে, যার মানে "মানব" বা "আমাদের ধরনের মানুষ"। যাইহোক, আজকের তাইওয়ানে, '''আমিস''' শব্দটি আরো বেশি ব্যবহৃত হয়। এই নামটি আমিস শব্দ থেকে আসে, যার অর্থ "উত্তর"। এখনও শিক্ষাগত বৃত্তে কোনও ঐক্যমত্য নেই যে কিভাবে "আমিস" শব্দতি পংককাদের ডাকার জন্য ব্যবহার করা হয়। একটি ধারণা হল মূলত পুয়ামারাই পংকহকে ডাকত, কারণ পংকহ তাদের উত্তরে বসবাস করত। আরেকটি ধারণা ধরেছে যে, তিতুং সমভূমিতে বসবাসকারীরা নিজেদের "আমিস" বলে ডাকে কারণ তাদের পূর্বপুরুষ উত্তর থেকে এসেছে। পরের ব্যাখ্যাটি ''বেনজোকু চোসা হকুটুশু''তে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এরা নৃতাত্ত্বিকদের দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা '''ফালানগা আমিস''' থেকে এসেছে, যারা আজকের চেনগোং থেকে তিতুং সমভূমিতে থাকে। তাদের নিকটতম জেনেটিক আত্মীয় ফিলিপিনস বলে মনে করা হয়। ''তাইওয়ানীয় আদিবাসী ইতিহাস: আমিস'' অনুযায়ী, আমিসকে পাঁচটি শ্রেণীতে শ্রেণীভুক্ত করা হয়: '''উত্তর গোষ্ঠী''' সমভূমিতে অবস্থিত) '''মধ্যম গোষ্ঠী''' (উপকূলীয় পর্বতমালার পশ্চিমে অবস্থিত) '''উপকূলীয় গোষ্ঠী''' (উপকূলীয় পর্বতমালার পূর্বে অবস্থিত) '''ফালাংও''' '''গোষ্ঠী''' (চেঙ্গং এবং টাইটুং সমভূমিতে অবস্থিত) '''হেংচুন''' '''গোষ্ঠী''' (হেংচুন উপদ্বীপে অবস্থিত) উল্লেখ্য, এই শ্রেণিবিন্যাস, যদিও ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে, নিছক ভৌগোলিক বণ্টন এবং জাতিগত স্থানান্তর উপর ভিত্তি করে বানানো। এটি সংস্কৃতি, ভাষা, এবং দেহের মধ্যে পার্থক্য মেনে করা নয়। == অন্যান্য তথ্য == আমিরপ্রথা আনুযায়ী পরিবারের বিষয়গুলির সাথে পারিবারিক অর্থনৈতিক ব্যাপার মহিলা গৃহকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত হয়। 301x301পিক্সেল === নবান্ন উৎসব === আমিরদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান হল নবান্ন উৎসব। আমিররা নবান্ন উৎসবের মাধ্যমে দেবতাদের কাছে মানুষের ধন্যবাদ এবং উপচয় দেখায় এবং আগামী বছরে ফসলের জন্য প্রার্থনা করে। এটি প্রতি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে স্থান নেয়।আমিস লোক কেন্দ্র == আরো দেখুন == তাইওয়ানের জনসংখ্যা তাইওয়ানীয় আদিবাসী আমিস লোক কেন্দ্র == তথ্যসূত্র == ভাষার লেখা রয়েছে এমন নিবন্ধ(Nepal Bhasa: राजमति) ১৯৯৫ সালে নেপালি ভাষায় তৈরি একটি চলচিত্র ''সিলুতে'' নেপালি ভাষায় তৈরি এটিই প্রথম চলচিত্র যা ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় ''রাজামাতি'' চলচিত্রটি কাঠমুন্ডু তে রাজামাতি নামের একজন অভাগা Newar বালিকা সম্পর্কিত যিনি সিরিজভাবে ব্যর্থ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গল্পটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো বাল্যবেসে জনপ্রিয় নিউয়ার সমাজের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। রাজামতীর জন্ম ইটাম বাহায় তাহা নানীতে, এটি কাঠমান্ডুর কেন্দ্রীয় ঐতিহাসিক এবং পবিত্র অঞ্চল == অভিনয়ে == হিসিলা মহরজান রাজামাতি চরিত্রে, শ্রী কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠা, মানিরাজ লাওত, মাদান কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠা,হরি বানশা আচার্যা এবং গণেশ রাম লাচ্ছি == সঙ্গীত == == তথ্যসূত্র == প্যারামিটার থাকা উদ্ধৃতিসহ পাতা চলচ্চিত্র'''আওয়ারান জেলা''' (বেলুচি এবং হচ্ছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণে অবস্থিত একটি জেলা। এটি ১৯৯২ সালের নভেম্বরে একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে; কিন্তু পূর্বে এটি খুজদার জেলার একটি উপবিভাগ ছিল। আওয়ারান এর পুরাতন নাম ছিল কোলওয়া। জেলাটিকে প্রদেশটি সবথেকে দরিদ্রতম জেলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি বেলুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণে অবস্থিত, আওয়ারান জেলার দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিম থেকে গুয়ারার জেলা কর্তৃক সীমানাযুক্ত করা হয়েছে। এটির পূর্ব দক্ষিণে লাস্বেলা জেলা অবস্থিত, পশ্চিমে কেছ জেলা এবং পাঞ্জুর জেলা অবস্থিত। খাজার জেলা সর্ব উত্তরপূর্ব এবং উত্তরে অবস্থিত খারান জেলা। ==প্রশাসনিক বিভাগ== জেলাটি প্রশাসনিক উপবিভাজনগুলি নিম্নবর্ণিত তিনটি তহসিলগুলিতে বিভক্ত হয়েছে, যা আটটি ইউনিয়ন পরিষদে হিসেবে বিভাজন করা হয়েছে। আওয়ারান ** আওয়ারান ** গিসকর ** তীরতাজ জাল ঝাও ** ক্যাম্প জাহু ** কোরাক মাস্কাই ** গজ্জার ** নকজো ** পরওয়ার ==জনসংখ্যার উপাত্ত== নিম্নে জেলাটির জনসংখ্যা তুলে ধরা হলঃ ১৯৮১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১১০,৩৫৩ ১৯৯৮সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ১১৮,১৭৩ ২০০৭ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ৪৮০,০০০ এর উপরে আওয়ারাকান এলাকার জনসংখ্যার প্রায় ৯৮% এর উপরে মানুষ জিকরি সম্প্রদায়ের মুসলিম বসবাস করে থাকে। এখানকার প্রধান উপজাতিগুলি হল বিজেনজো, মুহাম্মদ হাসানী, সাজ্জাদি, সিয়াপেড, মিরওয়ানি, রাখছানি, মুসিয়ানী, সুমালানী মেনল বসবাস করে থাকে। ১৯৯৮ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার অংশের মানুষ প্রধান ভাষা ছিল বেলুচি। এর আগের আদমশুমারী অর্থ্যাৎ ১৯৮১ সালের আদমশুমারি তথ্যানুযায়ী আওয়ারনের উপবিভাগগুলির ৮% পরিবারের প্রথম ভাষা হিসেবে ব্রাহুই ছিল অন্যতম। ==কৃষি== আওয়ারান এখনো পর্যান্ত সেখানকার স্থানে উসিস নামে বিশেষভাবে পরিচিত। এটির বার্ষিক গড় উৎপাদন প্রায় ১৫,০০০ টন। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে পেঁয়াজ বড় ধরনের খাদ্যশষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে যেখানে এটির আনুমানিক বার্ষিক উৎপাদন ৫৩,০০০ টন। গম এবং বার্লি অন্যান্য প্রধান খাদ্যশষ্য হিসেবে অবদান রাখছে। খরিফ ফসল হিসেবে ফল ডাল রয়েছে। ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== ==বহিঃসংযোগ== Awaran District at District Awaran Balochistan Police জেলা প্রদেশের জেলা'''বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র''' একটি প্রামাণিক গ্রন্থ যা ১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত তথ্যভান্ডার হিসাবে স্বীকৃত। == সজ্জ্বা== এই বিশালাকার গ্রন্থটি মোট ১৬টি খন্ডে প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও ১৫ খন্ড প্রকাশিত হয়েছে। এই ১৫টি খন্ডে রয়েছেঃ প্রথমখন্ড: পটভূমি (১৯০৫-১৯৫৮); দ্বিতীয় খন্ড: পটভূমি (১৯৫৮-১৯৭১); তৃতীয় খন্ড: মুজিবনগর: প্রশাসন; চতুর্থ খন্ড: মুজিবনগর: প্রবাসী বাঙালিদের তৎপরতা; পঞ্চম খন্ড: মুজিবনগর: বেতার মাধ্যম; ষষ্ঠ খন্ড: মুজিবনগর: গণমাধ্যম; সপ্তম খন্ড: পাকিস্তানি দলিলপত্র (সরকারি বেসরকারি); অষ্টম খন্ড: গণহত্যা, শরণার্থী শিবির প্রাথমিক ঘটনা; নবম খন্ড: সশস্ত্র সংগ্রাম (১); দশম খন্ড: সশস্ত্র সংগ্রাম (২); একাদশ খন্ড: সশস্ত্র সংগ্রাম (৩); দ্বাদশ খন্ড: বিদেশি প্রতিক্রিয়া, ভারত; ত্রয়োদশ খন্ড: বিদেশি প্রতিক্রিয়া: জাতিসংঘ বিদেশি রাষ্ট্র; চতুর্দশ খন্ড: বিশ্ব জনমত; পঞ্চদশ খন্ড: সাক্ষাৎকার। এবং অপ্রকাশিত খন্ডটিতে অন্তর্ভূক্ত থাকবে ষোড়শ খন্ড: কালপঞ্জী, গ্রন্থপঞ্জী নির্ঘণ্ট। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র বাংলাপিডিয়ায় সংরক্ষিত নিবন্ধ। স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য'''সিরানুশ (; জন্ম: জানুয়ারি ১৯৮৭), পেশাগতভাবে '''সিরুশো''' (), নামেও পরিচিত, হচ্ছেন একজন আর্মেনিয়ীয় গায়িকা, যিনি সঙ্গীত জগতে প্রায় ২০ বছর ধরে সক্রিয় রয়েছেন। তার বাদ্যযন্ত্র শৈলীর আধুনিক ঐতিহ্যগত শব্দগুলো আধুনিক বিশ্ব সঙ্গীতের সঙ্গে মিশ্রিত ধরনের প্রতিফলন করে। সিরুশো তার গান "লুসাব্যাটস"-এর জন্য মাত্র বছর বয়সে তার প্রথম পুরস্কার জয়লাভ করেন। ২০০২ সালে সিরুশোর প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম, "সিরুশো" মুক্তি পায়। তার দ্বিতীয় অ্যালবাম "শেরাম" ২০০৫ সালে মুক্তি পায়। একই বছরে, আর্মেনীয় সঙ্গীতের সেরা অ্যালবাম এবং প্রথম আর্মেনীয় জাতীয় সঙ্গীত পুরস্কার জয়লাভ করেন। একই সাথে তাকে "সেরা নারী পারফরমার" পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ২০০৮ সালে, বিবিসি তাকে তার সাফল্যের জন্য আর্মেনিয়ার একটি "জাতীয় ধন" হিসাবে বর্ণনা করেছে। তিনি ২০০৭ সালের ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতার জন্য আর্মেনিয়ান প্রতিনিধি হয়ে উপস্থিত হওয়ার পর অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, এবং বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় আর্মেনিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে সিরুশো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেন। সিরুশো আর্মেনিয়াকে "কেলে, কেলে" গানের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করেন, যা তিনি আর্মেনিয়ার প্রযোজক এইচ.এ. সাথে মিলে লিখেছেন। "কেলে, কেলে" গানটি সমস্ত বিশ্বজুড়ে ভক্তরা অনুসরণ করে, বিশেষত গ্রিক ভাষার অঞ্চলে। এই গানটি ইউরোভিশনের জন্য জনপ্রিয় গানে পরিণত হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্রিক রেডিওতে গ্রীক ক্লাবগুলোর জন্য তিনি নিয়মিতভাবে গান পরিবেশন করেছেন এবং সাইপ্রাসের এক্স ফ্যাক্টর নামক টেলিভিশন সিরিজের একটি পর্ব "কেলে, কেলে" গানের "ইয়ার্হেন রিমিক্স" সংস্করণটি পরিবেশন করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে সিরুশোর একক "প্রোগোমেশ" মুক্তি পায়, যার পরে তিনি তার একক গান প্রাগোমেশের নামে নতুন হস্তনির্মিত রৌপ্য গহনাও চালু করেন, যা আধুনিক ফ্যাশনের প্রবণতা অনুসরণ করে আর্মেনিয়ার সংস্কৃতি কারুকার্যের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তা সংরক্ষণ করে। সিরুশো ওয়ার্ল্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে প্রথমবারের মতো প্রথম আর্মেনিয় শিল্পী হিসেবে প্রগোমেশের গানের মাধ্যমে টি পুরস্কারে জন্য মনোনীত হন। অক্টোবর ২০১৩ সালে, ডাব্লিউ ম্যাগাজিনে সিরুশোকে "৬ অ-আমেরিকান মূর্তি" হিসেবে অভিহিত করে। ব্রাজিলের বিয়ন্সে, সার্বিয়ার লেডি গাগা"কেও উক্ত তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তালিকাটির লেখক, কেভিন ম্যাকগারি বলেন, "সম্ভবত সিরুশোকে বিশ্বের কাছে একটি শব্দ এবং ভাষা বলে মনে হবে যা পশ্চিমের বেশির ভাগ এলাকায় এখনো সকলের কাছে অপরিচিত।" ২০১৭ সালে সিরুশোকে "আর্মেনিয়ার সম্মানিত শিল্পী" হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়, যেটি তাকে রাষ্ট্রপতি সেরহ্ সার্জসন নিজে প্রদান করেছেন। ==আরো দেখুন== *ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ== অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যক্তি জন্মসম্পর্ক''' (Malay: ''Hubungan Iran–Malaysia"; Persian: ''روابط ایران مالزی") ইরান এবং মালয়েশিয়া এর মধ্যকার বর্তমান এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ইরান এর একটি দূতাবাস রয়েছে, অন্যদিকে ইরান এর রাজধানী তেহরান মালয়েশিয়ার একটি দূতাবাস রয়েছে। উভয় দেশই অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর সদস্য এবং তারা নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক এবং অন্যান্য সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য এই দুটি সংস্থাকে ব্যবহার করেছে। বর্তমানে ইরান মালয়েশিয়ার মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। == ইতিহাস == মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা লাভের পূর্ব থেকেই ইরান মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মালয় উপদ্বীপ পারস্যের প্রভাব কয়েক শতাব্দী আগে থেকেই লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও পারস্য মালয়ের মধ্যে বাণিজ্য হওয়ার বিভিন্ন প্রমাণও পাওয়া যায়। এছাড়াও মালয় উপদ্বীপ ইরানের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল এবং মালয় অঞ্চলে পারস্যের একটি প্রভাব ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় মালয় ভাষায় রচিত অথবা অনূদিত পারস্য সাহিত্য এর নিদর্শন দেখে। আর এসব থেকেই বোঝা যায় অঞ্চল দুটির মধ্যে কয়েক শতাব্দী পূর্ব থেকেই সম্পর্ক ছিল ==অর্থনৈতিক সম্পর্ক == উভয় দেশই বহু সংখ্যক শিল্প প্রকল্পে অর্থায়ন এবং সমন্বয় করেছে। এগুলোর অধিকাংশই অবশ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে। ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে, সিরিয়ায়, ইরান মালয়েশিয়া ভেনেজুয়েলা এর সাথে একটি বহুমাত্রিক তেল শোধনাগার নির্মাণ ব্যবহারের বিষয়ে চুক্তি করে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশদুটি, ইরানের দূরবর্তী সামুদ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিলিয়ন (৬০০ কোটি) মার্কিন ডলার এর চুক্তি করে। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে, দুই দেশ নিজেদের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে। ওই একই বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ইরানের ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এনআইওসি) এবং মালয়েশিয়ার বুখারি ইন্টারন্যাশনাল ভেনচারস (বিআইভি) এর মাঝে গ্যাস ক্ষেত্র সন্ধান এবং মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। বাণিজ্যে সুবিধার জন্য উভয় দেশ তাদের ব্যাংকিং লেনদেনকে সংযুক্ত করেছে এবং নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের পাশাপাশি চীনা ইউয়ান এবং জাপানি ইয়েন ব্যবহারে সম্মত হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় ৫০০০ ইরানি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করতে গেলেও, মালয়েশিয়ার মাত্র ১৫ জন ছাত্রছাত্রী ইরানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিল। == তথ্যসূত্র == সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্পর্কসম্পর্ক''', আজারবাইজান এবং রোমানিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে রোমানিয়ার এবং রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট-এ আজারবাইজানের দূতাবাস রয়েছে। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি রোমানিয়া সফরে যান এবং সে সময় দুই দেশের মধ্যে ৫০টির অধিক পৃথক চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ==ইতিহাস== আজারবাইজান এর ডাকটিকিট, ২০১৪ সোভিয়েত ইউনিয়ন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন আজারবাইজান রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পর, ১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর রোমানিয়া আজারবাইজানের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। এর পর ১৯৯২ সালের ১৯ জুন দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকলেও, তাদের মূল লক্ষ্য হল বাণিজ্য এবং শক্তি উৎপাদন খাত। এছাড়াও উভয় দেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে (যেমনঃ নিয়মিত আলোচনা, বাণিজ্য প্রতিনিধি নির্বাচন ইত্যাদি) দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং রোমানিয়ার ক্ষেত্রে তা প্রায় গুন বেশি। আজারবাইজান থেকে প্রায় ১৬১ মিলিয়ন (১৬.১ কোটি) মার্কিন ডলার-এর বাণিজ্য পণ্য রপ্তানি হলেও, রোমানিয়া এর ক্ষেত্রে তা মাত্র ৩১.৮৩ মিলিয়ন (৩.১৮ কোটি) মার্কিন ডলার। ন্যাটো তে, আজারবাইজানের সদস্যপদ প্রদানের লক্ষ্যে, একই সংস্থার সদস্য রোমানিয়া শক্ত অবস্থান নেয়। দেশটি বাণিজ্য এবং নৌপথ এর ক্ষেত্রে আজারবাইজানের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে। ==চুক্তি== ২০০০ সালে, প্রতিরক্ষা সমন্বয়ের বিষয়ে আজারবাইজান রোমানিয়া চুক্তি সাক্ষর করে। ২০০৪ সালে এই দুই দেশ, একইরকমভাবে তথ্য আদান প্রদানের উপর আরেকটি চুক্তি সাক্ষর করে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে, রোমানিয়ার শক্তি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল আজারবাইজান সফর করে। সফরে আজারবাইজানের প্রতিনিধি দল এবং রোমানীয় প্রতিনিধি দল, গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করে এবং পাশাপাশি, ইউরোপে শক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় বৃদ্ধির উপর জোর দেন। ==রাষ্ট্রীয় সফর== ২০০৪ সালে আজারবাইজানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ রোমানিয়ায় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যান। এই সফরে আজারবাইজান এর রাষ্ট্রপতি রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জঙ্গিবাদ দমন-এর বিষয়ে দুই দেশের সমন্বয় করা। এছাড়াও আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতির সফরে ১১ টি পৃথক চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই সফরেই আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি, আজারবাইজানের নবগঠিত দূতাবাস ভবনের উদ্ভোদন করেন। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == বুখারেস্টে আজারবাইজান দূতাবাস রোমানীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: বাকুতে রোমানীয় দূতাবাস এর দিক আজারবাইজানে রোমানিয়ার সফর সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্পর্ক'''ফতোরদা স্টেডিয়াম''' মারগাও এর তথা রাজ্যের প্রধান স্টেডিয়াম। মূলত ফুটবল খেলার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। ==১৯৯৯ সাফ গোল্ড কাপ== ১৯৯৯ সালে টুর্নামেন্টের মূল ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ==২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ২০১৬ সালে টুর্নামেন্টের মূল ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ==২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব== এই মাঠে ভারত জাতীয় ফুটবল দল-এর একটি ঘরের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় মায়ানমার-এর বিরুদ্ধে ম্যাচটি অমীমাংসিত শেষ হয়। ফুটবল স্টেডিয়াম'''ডগলাস ভিভিয়ান পারসন রাইট''' (; জন্ম: ২১ আগস্ট, ১৯১৪ মৃত্যু: ১৩ নভেম্বর, ১৯৯৮) কেন্টের সিডকাপ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ থেকে ১৯৫৭ সময়কালে কেন্ট ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে লেগ স্পিনার হিসেবে খেলেছেন '''ডগ রাইট'''। == প্রারম্ভিক জীবন == কেন্টের বোলার টিচ ফ্রিম্যানের সম্মানার্থে তার শুরুরদিকের খেলোয়াড়ী জীবন বাঁধাগ্রস্থ হয়। তবে, ১৯৩৬ সালে ফ্রিম্যানের বোলিংশৈলী দূর্বলতম হতে থাকলে ডগ রাইট তার স্থান দখল করেন। ১৯৩৭ সালে দুইবার হ্যাট্রিক করেন। ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। হেডিংলির নির্জীব উইকেটেও বেশ ভালো বোলিং করেন। তবে ত্রুটিপূর্ণ ফিল্ডিংয়ের কারণে তেমন সফলতা পাননি। মৌসুমের শীতকালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন তিনি। ১৯৩৯ সালে রাইটের অগ্রযাত্রা আকাশচুম্বী হয়ে পড়ে। তন্মধ্যে দুইবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। সমারসেটের বিপক্ষে ১৬/৮০ ব্রিস্টলে বিপক্ষে নির্জীব উইকেটে ৯/৪৭ পান। ব্যাট হাতেও অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। ৪৯০ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ১৯৩৬ সালে বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তার ব্যাটিং নিম্নগামী হয়ে পড়ে। তাস্বত্ত্বেও নিচেরসারিতে অবস্থান করে বেশ ভালো করতেন। তন্মধ্যে, ১৯৫৫ সালে ১১ নম্বরে ব্যাটিং করে বিপক্ষে ৬৬ রান তুলেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। যুদ্ধে অনেক বোলারের দেহাবসান ঘটে। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের জন্য অন্যতম পছন্দের বোলার ছিলেন। == টেস্ট ক্রিকেট == অস্ট্রেলিয়ায় অবতরণের পর রাইটকে ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু, দৌড়ানোর ভঙ্গীমায় তাকে সমস্যায় পড়তে হয় নো বল শুনতে হয়। কমপক্ষে চারবার ব্র্যাডম্যানকে আউট করার সুযোগ পেলেও কারণে আউট করতে পারেননি। তাস্বত্ত্বেও, ২৩ উইকেট নিয়ে উভয় দলের মধ্যে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন যা নিকটতম বোলারের চেয়ে পাঁচটি বেশী ছিল। তবে, এজন্য তাকে উইকেট পিছু ৪৩.০৪ রান গুণতে হয়। এছাড়াও, ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে ৩৩.৩১ গড়ে ৫১ উইকেট নিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বাগ্রে ছিলেন। ব্রিসবেনের প্রথম টেস্টে নিস্প্রাণ উইকেটে ৫/১৬৭ লাভ করলেও অস্ট্রেলিয়া ৬৪৫ রান তুলে। পরবর্তী তিন টেস্টে ইংরেজ অধিনায়ক ওয়ালি হ্যামন্ড রক্ষণাত্মক ফিল্ডিংয়ে অগ্রসর হন। সিডনির দ্বিতীয় টেস্টে ১/১৬৯ পান। সর্বাপেক্ষা দূর্ভাগ্যের শিকার হন তিনি। এক ওভারেই চারবার হ্যামন্ডের হাত ফসকে যায়। মেলবোর্নের তৃতীয় টেস্টে লেগের দিক দিয়ে আসা বলকে সোজা মারার চেষ্টা চালান ব্র্যাডম্যান। প্যাডের শীর্ষে লাগে। রাইট গডফ্রে ইভান্স আবেদন জানালেও ব্র্যাডম্যান অপরাজিত থাকেন। তবে, এক আলোকচিত্রশিল্পী একগুচ্ছ স্থিরচিত্রে ভিন্ন বিষয় চলে আসে। == অ্যাশেজ সিরিজ == ১৯৫০-৫১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে পুণরায় অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এবারও দূর্ভাগ্য নো বল তার পিছু ছাড়েনি। ব্রিসবেনের প্রথম টেস্টে নীল হার্ভের বিপরীতে অপূর্ব বোলিং করেন। স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে হার্ভে ছক্কা হাঁকালেও গুগলিতে ব্যাট স্ট্যাম্প উভয়ই পরাস্ত হয়। চূড়ান্ত ইনিংসে ৭৭/৯ থাকাবস্থায় জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের আরও ১১৫ রানের দরকার পড়ে। শেষ উইকেটে লেন হাটনের সাথে ৪৫ রান যুক্ত করেন। মধ্যাহ্নভোজনের পূর্বে জ্যাক ইভারসনের শেষ চার বল সোজা ব্যাট দিয়ে ঠেকান। প্রথম তিন বল আটকালেও রে লিন্ডওয়ালের বলে স্কয়ার লেগ অঞ্চলে রানে আউট হন। সিডনির তৃতীয় টেস্টে কেন্টের দলীয় সঙ্গী গডফ্রে ইভান্সের কারণে শূন্য রানে বিদায় নেন তিনি। মাংসপেশীতে টান পড়ায় সিরিজের একমাত্র স্পিন উপযোগী পিচে মাত্র কয়েক ওভার বোলিং করার পর শুধুই ফিল্ডিংয়ে অংশ নিতে হয় তাকে। রে লিন্ডওয়ালের বলে ট্রেভর বেইলির বৃদ্ধাঙ্গুলে আঘাত হানলে ইংল্যান্ড মাত্র তিনজন বোলার নিয়ে আক্রমণে নামে। খেলায় ইংল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে পরাভূত হয়। সুস্থ হবার পর অ্যাডিলেডের চতুর্থ টেস্টে রাইট মাঠে নামেন। ৪/৯৯ লাভ করেন রাইট। স্পিনের বিপক্ষে পারদর্শী আর্থার মরিসই কেবলমাত্র তাকে মোকাবেলায় সমর্থ হন। ইংল্যান্ডের ইনিংসে ২১৯/৯ থাকা অবস্থায় লেন হাটনের সাথে যোগ দেন। শেষ উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। ইয়র্কশায়ারের ব্যাটসম্যান হাটন অপরাজিত ১৫৬ রান তুলেন তিনি করেন ১৪ রান। সিরিজটিতে ৪৫.৪৫ গড়ে ১১ উইকেট পান। নিউজিল্যান্ডে তিনি আরও উইকেট তুলে নেন ২৫.৫৭ রান খরচায়। == কাউন্টি ক্রিকেট == আগস্ট, ১৯৫৩ সালে রাইটকে কেন্টের প্রথম পেশাদার অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। ১৯৫৬ সালে রাইট পঞ্চাশ উইকেটও তুলতে পারেননি। তবে, মিডলসেক্সের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। উইজডেন মন্তব্য করে যে, আট উইকেট শিকারে পরিণত হওয়া ব্যাটসম্যানদের অধিকাংশই রাইটের চব্বিশ বছরের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবনের সূচনায় জন্মগ্রহণ করেননি। তার লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে তারা যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হননি। == অবসর == ১৯৫৭ সালের শুরুতে রাইট মন্তব্য করেন যে, দ্বিতীয়বারের মতো আর্থিক সুবিধা গ্রহণে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে অপারগ তিনি। মধ্য-জুলাইয়ে খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে উইজডেন তার খেলোয়াড়ী জীবন নিয়ে পর্যালোচনা করে গুগলি বোলার্স এন্ড ক্যাপটেন রিটায়ার শিরোনামে নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চার্টারহাউজ স্কুলে কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। == মূল্যায়ণ == উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে রেকর্ডসংখ্যক সাতবার হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। কেন্টের পক্ষে ১৯ মৌসুম খেলেছেন। ১৯৫৩ সালের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ক্লাবের প্রথম পেশাদার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ডন ব্র্যাডম্যানের মতে, অস্ট্রেলিয়া সফরে আসা সিডনি বার্নসের পর তিনি সেরা লেগ স্পিনার ছিলেন। অন্যদিকে কিথ মিলারের অভিমত, বিল ও’রিলি’র পর তিনি সেরা লেগ স্পিনার ছিলেন। ১৯৪৬-৪৭ ১৯৫০-৫১ মৌসুমে দুইবার অস্ট্রেলিয়া সফরে যান তিনি। তবে দূর্ভাগ্যের শিকার হন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক বোলার হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ১৩ নভেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে বছর বয়সে কেন্টের ক্যান্টারবারি এলাকায় তার দেহাবসান ঘটে। == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন == Clif Cary, ''Cricket Controversy, Test matches in Australia 1946-47'', T. Werner Laurie Ltd, 1948 J.H. Fingleton, ''Brown and Company, The Tour in Australia'', Collins, 1951 Bill O'Reilly, ''Cricket Task-Force, The Story of the 1950-1951 Australian Tour'', Werner Laurie, 1951 E.W. Swanton, ''Swanton in Australia with MCC 1946–1975'', 1975 == আরও দেখুন == কলিন কাউড্রে অব্রে ফকনার ফ্রেডি ব্রাউন ১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে উইকেট লাভকারী নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট অধিনায়ক ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটারসম্পর্ক''' ইন্দোনেশিয়া এবং সুদান এর মাঝে বিদ্যমান, দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। পাশাপাশি তাদের মধ্যকার বিদ্যমান বর্তমান এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ককেও নির্দেশ করে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় সুদানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অন্যদিকে সুদানের রাজধানী খার্তুম ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। উভয় রাষ্ট্রই মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র এবং উভয় রাষ্ট্রই অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর সদস্য। ==ইতিহাস== দুই দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বেই উভয় দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক শুরু হয়। ১৯১০ সালে সুদান থেকে একজন ওলামা, শেখ আহমাদ সুরকাতি, তৎকালীন ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ আসেন এবং আল ইরসিয়াদ ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা চালু করেন। এই সংস্থা সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা প্রদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং -এ অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সুদানের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। যদিও সেই সময় সুদান ব্রিটিশ-মিশর শাসনে অধীনে ছিল। তবে সে সময়, ইন্দোনেশিয়া সুদানকে, মিশরের থেকে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে সুদানের স্বতন্ত্রতার প্রতি সমর্থন জানায়। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে, ইন্দোনেশিয়া সুদানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপরই খার্তুমে, ইন্দোনেশিয়া নিজেদের দূতাবাস স্থাপন করে। যদিও ১৯৬৭ সালে, অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য এই দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি আবার এই দূতাবাস চালু হয়। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, জাকার্তায়, সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এক রাষ্ট্রীয় সফরে, দুই দেশ রাজনীতি, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক খাতে নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে সম্মত হয়। ==বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ== ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস কোম্পানি পার্তামিনা এবং একটি বেসরকারি কোম্পানি মেডকো এনার্জি ইন্টারন্যাশনাল, সুদানে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করছে। তেল হল, ইন্দোনেশিয়ায়, সুদানের প্রধান রপ্তানি পণ্য। অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়া, আসবাবপত্র, গাড়ির ব্যাটারি, সিমেন্ট, কাগজ প্রভৃতি পণ্য সুদানে রপ্তানি করে। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে, ইন্দোনেশিয়া এবং সুদান, কৃষি চাষাবাদ বিশয়ে একটি যুগ্ম কারিগরি কমিটি গঠন করে। নিজেদের টেক্সটাইল শিল্প এবং খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টি সুরক্ষিত করার জন্য ইন্দোনেশিয়া সুদানের কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যেসকল ক্ষেত্রে বিনিয়োগে ইন্দোনেশিয়া আগ্রহী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তুলা, চিনি এবং চাল প্রভৃতি। ==তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস, খার্তুম, সুদান সুদান দূতাবাস, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্পর্কদ্বিতীয় সংযোগ সেতু''' (মালয়: লালুণ কেদুয়া চীনা: 第二 通道) মালয়েশিয়ার জোহরের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সংযোগকারী একটি সেতু। সিঙ্গাপুরে, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুয়স দ্বিতীয় লিঙ্ক হিসাবে পরিচিত হয়। জোহর-সিঙ্গাপুর কসওয়েতে যানজট কমাতে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল এবং জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে যানবাহন চলাচল শুরু করে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সিঙ্গাপুরের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গওহ চোক টং এর সাথে তার সমকক্ষ রাষ্ট্রপতি ডঃ মাহাথির মোহাম্মদ, যিনি তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ব্রিজ তানজুন কুপ্যাং, জোহর থেকে সিঙ্গাপুরের তুয়াতে জালান আহমদ ইব্রাহিমের কাম্পং লাদংকে দ্বৈত তিনটি লেন ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত করে। জলের উপর সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১,৯২০ মিটার (৬,৩০০ ফুট)। মালয়েশীয় পার্শ্বে, সেতুটি সেকেন্ড লিংক এক্সপ্রেসওয়ে (মালয়: লেবেহারা লালন কেডুয়ার সাথে সংযুক্ত করা হয় E3 লিংকডুয়া এক্সপ্রেসওয়ে নামেও পরিচিত, যা উত্তর-দক্ষিণ এক্সপ্রেসওয়ে ই২, সেনাই বিমানবন্দর এবং তামান পার্লিং জোহর বাহরুর মাধ্যমে সম্প্রতি জোহর বাহুর পার্কওয়ে ই৩ নামে পরিচিত। সিঙ্গাপুরে, সেতু আয়র রাজা এক্সপ্রেসওয়ে সংযোগ করে। মালয়েশিয়ায় চেকপয়েন্টটি সুলতান আবু বকর সি আইকিউ কমপ্লেক্স নামে পরিচিত। সিঙ্গাপুরের চেকপয়েন্টটি টাওস চেকপয়েন্টটি নির্মিত হয়েছিল ১৯.৬ হেক্টর (৪৮ একর) জমির মালিকানাধীন এস ৪৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। সিপিজি কর্পোরেশন দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে, এটি কংক্রিটের ৫৪,০০০ ঘনমিটার (১৯,০০,০০০ ঘনফুট ফু) এবং ১৮,০০০ টন (২০,০০০ শর্ট টন) পুনর্বহাল ইস্পাত ব্যবহার করে, এবং স্থাপত্য নকশা ডিজাইন এবং শ্রেষ্ঠ বিল্ডিং ডিজাইন পুরস্কার জিতেছে সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট এবং বিল্ডিং এবং নির্মাণ কর্তৃপক্ষ যথাক্রমে। দ্বিতীয় লিংক বরাবর ভ্রমণ উভয় নির্দেশাবলী মধ্যে মসৃণ ট্রাফিক কারণে কসওয়ে তুলনায় কম সময় নেয়; তবে, উৎসবকালীন সময়ে (বিশেষ করে চীনা নববর্ষ, হরি রায়, ক্রিসমাস দীপলি) মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের ঘন ট্র্যাফিক উভয় সেতুতে ব্যাপক জ্যাম সৃষ্টি হয়। উডল্যান্ডস এর সমতুল্যদের মতই, তুয়স চেকপয়েন্টটি কেবল একটি যানবাহন চক্র পয়েন্ট হিসাবে মনোনীত করা হয়, ভ্রমণকারীরা পাদদেশে চেকপয়েন্টে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং বিদ্যমান ক্রস-সীমান্ত বাস পরিষেবাগুলি ব্যবহারের জন্য বুন লে বা জুরং ইস্ট বাস ইন্টারচেঞ্জে যেতে হবে। ==ইতিহাস== মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিতীয় সংযোগ স্থাপনের ধারণাটি প্রথমত ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে জোহরের ওস্তমান সাতের মেন্টেরি বেজারের মাধ্যমে উত্থাপিত হয়েছিল। জহর বহুর থেকে তার দূরবর্তী প্রেক্ষাপটে গেল্যাং পেতাহ একটি টেকসই সাইট হিসেবে উত্থাপিত হয়েছিল, এবং কস্তার উপর ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক জ্যাম মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। মালয়েশিয়ার ফেডারেল সরকার ওথমানের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জোহর রাজ্য সরকার দ্বিতীয় লিংক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। == প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যাবলী == '' ব্রিজের বিশেষ উল্লেখ '' '' 'সামগ্রিক দৈর্ঘ্য সেতু' '': '' 'মালয়েশিয়ার জলের মধ্যে দৈর্ঘ্য' '': '' 'নির্মাণের সময়' '': অক্টোবর 1994 থেকে অক্টোবর 1997 '' মোট দৈর্ঘ্য '' '': '' 'কংক্রিট মোট ভলিউম' '': '' ইস্পাত পুনর্বহাল মোট ওজন '' ': '' মোট বনভোজন বাক্সের সংখ্যা '' ': 840 ইউনিট '' 'দীর্ঘতম স্প্যান' '': '' 'ন্যাভিগেশন চ্যানেল' '' '' মালয়েশিয়ার প্রধান নৌচিকিত্সা চ্যানেল '': দ্বারা উচ্চতর '' মালয়েশিয়ান সেকেন্ডারি ন্যাভিগেশন চ্যানেল '': দ্বারা উচ্চতর '' সিঙ্গাপুরের ন্যাভিগেশন চ্যানেল '': দ্বারা ==তথ্যসূত্র== সেতু সেতু'''ডিম মাখন''' (, হচ্ছে মাখন এবং কাটা শক্ত সিদ্ধ ডিমের মিশ্রণ। এটা এস্তোনীয় রন্ধনশৈলী এবং ফিনীয় রন্ধনশৈলীর একটা সবচেয়ে জনপ্রিয় স্প্রেডস (ছড়ানোযোগ্য খাবার)। ফিনল্যান্ডে, ডিম মাখনকে সাধারণত কারেলিয়ান মাংসের বড়ার উপর ছড়িয়ে পরিবেশন করা হয়। এস্তোনিয়ায়, ডিম মাখন এবং ''লেইব'' (কৃষ্ণাভ রাই ব্রেড) ঐতিহ্যগতভাবে ইস্টার সানডের ভোজের সময় পরিবেশনের জন্য রাখা হয়। ==আরো দেখুন== মাখন খাবারের তালিকা মাংসের বড়ার তালিকা ছড়ানোযোগ্য খাবারের তালিকা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী পদ সমন্বিত খাদ্য খাদ্যসম্পর্ক''', ইরান এবং শ্রীলঙ্কা এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৬১ সালে এই দুই দেশের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে, শ্রীলঙ্কার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে, শ্রীলঙ্কার রাজধানী, কলম্বোতে ইরানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। ==ইতিহাস== পাকিস্তান এর রাজধানী ইসলামাবাদ অবস্থিত শ্রীলঙ্কার দূতাবাসের মাধ্যমে, ১৯৬১ সালে ইরান শ্রীলঙ্কার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তবে সে সময় শ্রীলঙ্কার নাম ছিল ''সিলন''। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের শ্রীলঙ্কা, ইরানের রাজধানী তেহরান-এ তাঁদের দূতাবাস স্থাপন করে। এর আগ পর্যন্ত, পাকিস্তানে, শ্রীলঙ্কার দূতাবাসের মাধ্যমেই এই দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষিত ছিল। তবে ১৯৭৫ সালেই ইরান শ্রীলঙ্কায় তাঁদের দূতাবাস চালু করে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে এই দূতাবাস অবস্থিত। মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় সফরে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে, প্রথম এশিয়া সফর শুরু করেন তিনি এই শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি, মহিন্দ রাজাপক্ষও, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, ইরানকে গুরুত্বের সাথে দেখেছেন। ==উন্নয়ন== শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করে, ইয়ান, শ্রীলঙ্কার উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। ২০১০ সালে, ইরান, শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল প্রোভিন্সে একটি, ৯০-১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার জন্য সম্মত হয়। এছাড়াও ইরান, শ্রীলঙ্কার তেল শোধনাগারেও বিনিয়োগ করেছে এবং ইরানের এই বিনিয়োগ, শ্রীলঙ্কার তেল উৎপাদনের সক্ষমতাকে প্রায় দ্বিগুণ করেছে। শ্রীলঙ্কার গ্রামে বিদ্যুতায়ন এর ক্ষেত্রেও ইরান শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা করেছে। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের কারণে, বর্তমানে, ইরান, শ্রীলঙ্কার সর্ববৃহৎ সাহায্যদাতা। ==সশস্ত্র বাহিনী== শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের সময় শ্রীলঙ্কা সরকার, ইরানের কাছে, নিম্ন সুদে ঋণ চায়। তাঁদের এই ঋণ চাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সামগ্রী ক্রয়, এবং চালকবিহীন যুদ্ধবিমান ক্রয়। লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম, শ্রীলঙ্কা বিমানবাহিনীর উপর মারাত্মক এক হামলা চালানোর পরপরই, শ্রীলঙ্কা সরকার ইরানের কাছে ঋণ চাওয়ার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইরান, শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিতে সম্মত হয় এবং একইসাথে, যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য, শ্রীলঙ্কার নির্বাচিত কয়েকজন কর্মকর্তাকে ইরানে প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। শ্রীলঙ্কার এই গৃহযুদ্ধের সময়, ইরানের সহায়তার জন্য, শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী উইমাল ভীরাওয়ান্সা ইরানকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, "যখন পৃথিবীর অন্য অনেক দেশ শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে, তখন ইরান শ্রীলঙ্কার পাশে থেকেছে। ==তথ্যসূত্র== সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্পর্ক'''কে জি মুস্তফা''' (১৯২৮-২০১০) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, কলামিস্ট ভাষা সৈনিক। তিনি বাংলাদেশ সরকার কতৃক একুশে পদকে ভূষিত। তার পুরো নাম খোন্দকার গোলাম মুস্তফা। তিনি ১৯২৮ সালে সিরাজগঞ্জের কুড়িপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার ওয়াসিউজ্জামান এবং মায়ের নাম ==শিক্ষা== কে জি মুস্তফা ১৯৪৪ সালে সিরাজগঞ্জের বনোয়ারীলাল বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ-এ ভর্তি হন কিন্তু পরে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ইন্টারমেডিয়েটে ভর্তি হন এবং ইসলামিয়া কলেজ থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন, ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় এসে কে জি মুস্তাফা ভর্তি হন ঢাকা কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ধর্মঘটের সঙ্গে সহযোগিতা করার কারণে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের তৃতীয় আহ্বায়ক হিসেবে গ্রেপ্তার হন। আর 'শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে' বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ==কর্মজীবন== ===রাজনীতি=== কে জি মুস্তফা কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনার সূত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পরিচিত হন এবং অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সেই সুবাদেই মূলত: তিনি রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হন। ১৯৪৮ সালে বামপন্থীদের উদ্যোগে শত পুলিশি বাধা-বিপত্তির মুখে গোপনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগ গঠিত হয়। গাজীউল হক, আবদুল মতিন, অলি আহাদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, রাজশাহীর আতাউর রহমান, আমিনুল ইসলাম বাদশা প্রমুখের সাথে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগ গঠনের প্রস্তুতিপর্বে তিনিও অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন। ===ভাষা সৈনিক=== ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত লেবাননে এবং ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কে.জি মুস্তফা। ==ব্যক্তিগত জীবন== কে জি মুস্তফার স্ত্রীর নাম সাবেরা খাতুন শামসুন আরা (১৯৩৪-২০১২), যিনি সাবেরা মুস্তফা নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। সাবেরা মুস্তফা ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাদের তিন সন্তান। যথাক্রমে: শামস মুস্তফা (অর্থনীতিবিদ), সাবির মুস্তফা (বিবিসি বাংলা সার্ভিস এর প্রধান) সিপার মুস্তফা (আইনজীবি)। ==সাংবাদিকতা== দেশ বিভাগের আগে থেকেই কে জি মুস্তফা পেশা হিসাবে সাংবাদিকতাকে গ্রহণ করেন এবং ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়েই কলকাতার দৈনিক আজাদ পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার পরও আজাদ পত্রিকাটি ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। কিছুকাল পরে পত্রিকাটি চলে আসে ঢাকায়। ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় এসে কে জি মুস্তাফা ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পুনরায় চাকরি নেন আজাদ পত্রিকায়। পরবর্তীকালে তিনি দৈনিক ইনসাফ, দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলাদেশ অবজারভার, দৈনিক পূর্বকোণ সংবাদ পত্রিকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। নব্বই দশকের শেষদিকে তিনি দৈনিক মুক্তকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তান ফেডারেল জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সভাপতি এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া সাপ্তাহিক ইরাক টুডে ডেইলি বাগদাদ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসাবেও তিনি কাজ করেন। দেশের সাংবাদিকতার উন্নয়ন বিকাশে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সাংবাদিক নেতা হিসাবেও তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। ==স্বীকৃতি সম্মাননা== কে জি মুস্তাফা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানজনক একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি অসংখ্য পুরস্কার সম্মাননা অর্জন করেন। ==মুত্যু== কে জি মুস্তাফা ২০১০ সালের ০৮ ফেব্রুয়ারি কিডনীজনিত অসুস্থ্যতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে ছিলেন। তিনি কিডনি হৃদরোগ সমস্যাসহ বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। একমাস পর চিকিৎসা অবস্থায় ১৩ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু সাংবাদিক পদক বিজয়ী''' বেলাকোবার চমচম''' পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের মধ্যে এক অতি জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। বেলাকোবার চমচম এক বিশেষ ধরনের মিষ্টি। এটি সাধারণ চমচম থেকে আলাদা। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির বেলাকোবা নামক স্থানে এই বিশেষ প্রকৃতির চমচম প্রথম তৈরি হয় বলেই এই মিষ্টি বেলাকোবার চমচম নামে প্রসিদ্ধ। এটি ছানার তৈরি একপ্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার। ==ইতিহাস== ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ময়মনসিংহ জেলার টাঙ্গাইল মহকুমার অন্তর্গত ধলেশ্বরী নদীতীরস্থিত পোড়াবাড়ি অঞ্চলের চমচমের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমের এই মিষ্টি পোড়াবাড়ির চমচম নামে খ্যাত হয় সারা বাংলায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের বলি হয়ে ওপার বাংলার টাঙ্গাইল থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নিয়েছিযেন বেশ কিছু ছিন্নমূল মিষ্টান্ন শিল্পীরা। টাঙ্গাইল পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাওয়ার ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের বসতি ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের বেলাকোবায় চলে আসেন দুই বন্ধু ধীরেন সরকার কালিদাস দত্ত। ওই দুই মিষ্টান্ন শিল্পীর হাত ধরে বেলাকোবার চমচমের পথ চলা শুরু। টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের রহস্যময় রেসিপি এই দুই টাঙ্গাইল বাসীর হাত ধরে বেলাকোবা পাড়ি দেয় এবং কালক্রমে চিরাচরিত ঘরানা ছেড়ে নতুন ভাবে বেলাকোবার চমচম রূপে আত্মপ্রকাশ করে। রেল লাইন বেলাকোবাকে আড়াআড়ি দুই ভাগে ভাগ করেছে। বর্তমানে রেললাইনের দুই পারে দুই প্রবাদপ্রতিম চমচমশিল্পীর দুটি পৃথক চমচমের দোকান রয়েছে। কালক্রমে এঁদের হাত ধরেই বেলাকোবার চমচম এর খ্যাতি ক্রমশ বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিদেশে পাড়ি দেয়। এই দুটি দোকান ছাড়াও বেলাকোবায় একাধিক চমচমের দোকান রয়েছে। এই চমচমকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের তত্ত্বাবধানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে একটি পর্যটন শিল্পের আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। ==প্রস্তুত প্রণালী== বেলাকোবার চমচমের প্রধান উপাদান হল ছানা, ময়দা, চিনির রস খোয়া ক্ষীর। পোড়াবাড়ির চমচমের ঘরানার সাথে বেলাকোবার চমচমের ঘরানার কতকগুলি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। পোড়াবাড়ির চমচমের বৈশিষ্ট হলো কড়াপাক। কিন্তু, বেলাকোবায় চমচমে কড়াপাকের সাথে যুক্ত হয় অধিক পরিমাণে ক্ষীর। পেল্লাই আকারের গোলাপি চমচমে বরফের কুচির মত ছড়িয়ে দেওয়া হয় ক্ষীরের দানা। লোক মুখে বেলাকোবার চমচম নামে ছড়িয়ে পড়লো সেই মিষ্টান্ন। ==জনপ্রিয়তা== উত্তরবঙ্গ তথা পশ্চিমবঙ্গ সর্বত্রই বেলাকোবার চমচম জনপ্রিয়। এই চমচমই বেলাকোবার অন্যতম পরিচিতি। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি শহরের বহু মিষ্টির দোকানেই বেলাকোবার চমচম পাওয়া যায়। দোকানগুলিতে 'এখানে বেলাকোবার চমচম পাওয়া যায়' লেখা পোষ্টার টাঙানো থাকে। বেলাকোবার চমচম জনপ্রিয় হওয়ার কারণে কোন কোন দোকানদার স্থানীয় চমচমকে বেলাকোবার চমচম বলে বিক্রি করেন। জলপাইগুড়ি জেলায় ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ বেলাকোবার চমচম। শিকারপুরে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানীর মন্দির বা কাছেই ভ্রামরী দেবীর মন্দির দর্শন করতে এসে পর্যটকরা বেলেকোবার চমচমের খোঁজ করেন। এছাড়া বেলাকোবার চমচমের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অনেক দেশেই বেলাকোবার চমচম রপ্তানি করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বেলাকোবার চমচমের একজন বিশিষ্ট গুণগ্রাহী। ==বর্তমান অবস্থা== ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিকারপুর, বোদাগঞ্জ গজলডোবাকে কেন্দ্র করে একটি নতুন পর্যটন সার্কিটের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনায় বেলাকোবার চমচমকে পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১৭ সালে রসগোল্লা জি আই স্বীকৃতি পাওয়ার পর বেলাকোবার চমচমের সাথে জড়িত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী কারিগররা বেলাকোবার চমচমের জি আই স্বীকৃতির ব্যাপারে আশাবাদী হন। বেলাকোবার চমচমের জি আই স্বীকৃতির আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর জলপাইগুড়ি জেলা শিল্প কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে বলা হয় জি আই স্বীকৃতির ব্যাপারে উদ্যোগী হতে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ির লিগাল এড ফোরামের সহযোগিতায় বেলাকোবা নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে বেলাকোবায় নাগরিক কনভেনশন ডাকা হয়। কনভেনশনের পর বেলাকোবা নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে বেলাকোবার চমচমের জি আই স্বীকৃতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয় জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসকের কাছে। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বেলাকোবার চমচমের জি আই স্বীকৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় স্বীকৃতির ব্যাপারে বিধানসভায় সরব হওয়ার আশ্বাস দেন। == আরও দেখুন == মিষ্টি দই ছানাবড়া নবদ্বীপের লাল দই বাবরসা == তথ্যসূত্র == মিষ্টি জেলা'''আবু ধাবি ভারতীয় স্কুল''' হল (এডিআইএস) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবি শহরে ভারতীয় (সিবিএসই) পাঠ্যক্রমের শিক্ষা প্রদানের সবচেয়ে বড় বেসরকারি স্কুলগুলির মধ্যে একটি। স্কুল পরিচালিত হয় একটি অনারারি বোর্ড অফ গভর্নরস, যার মধ্যে প্রধান চেয়ারম্যান ড.বি.র.শেঠী আছেন। এই স্কুলটি কোনও লাভের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং এর সুবিধাগুলি সম্প্রদায়ের সেবায় নিবেদিত হয়, যা ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ইউ.এ.এ-তে প্রধান প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিয়োগ দেয়, এইচ ই। নবদীপ সিং সুরি। স্কুল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, নিউ দিল্লি, ভারত থেকে অনুমোদিত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃত এবং আবু ধাবি। স্কুল স্থান এবং আকার সেরা এক স্থান। == অবস্থান== আবু ঢাবি ভারতীয় স্কুল আবু ঢাবি শহরের সমস্ত অংশ থেকে সহজেই সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য আল সালাম স্ট্রিট (৮ স্ট্রিট) এবং নিউ কর্নিশের কাছে আবুধাবীতে শাবিয়া মুরুর এলাকার ২৩ রাস্তার উপর অবস্থিত। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইউএএ বাড়িতে অবস্থিত। == ইতিহাস == আবু ঢাবি ভারতীয় স্কুলটি প্রাথমিকভাবে ১৯৭৫ সালে পুরানো ভারতীয় সমাজ কেন্দ্র (আইএসসি) চত্বরে অবস্থিত ছিল। ১৯৮০ সালে লাতিন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি এইচ শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সহায়তায় স্কুলটি নিজের ক্যাম্পাস ধারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য ভাল শিক্ষাগত সুযোগসুবিধা প্রদানের জন্য শাবিয়া মুড়োর এলাকার একটি বড় ভূখন্ডের জমি দান করেছে। আবুধাবি ইন্ডিয়ান স্কুল বক্তৃতা করেছেন যে ব্যক্তিত্ব আবদুল কালাম, কিরণ বেদী, প্রতিভা পাতিল, কাপিল সিবাল, স্যাম পিত্রোদা, আনন্দ কুমার ইত্যাদি। == শিক্ষাবিদগণ== স্কুল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, নিউ দিল্লি থেকে অনুমোদিত, এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আবুধাবীর দ্বারা স্বীকৃত। স্কুলটি কিন্ডারগার্টেন থেকে বর্গক্ষেত্র থেকে পূর্ণকালীন শিক্ষা প্রদান করে। ছেলেমেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ক্লাস থেকে) পৃথক করা হয়। এসএসসি-স্তরের মধ্যে রয়েছে ফরাসি এবং হিন্দি এবং বিশেষ আরবি এইচএসসি-স্তরের বিশেষজ্ঞরা গণিত জীববিজ্ঞান কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং গণিত ইনফরম্যাটিক্স প্র্যাকটিসেস সমাজবিজ্ঞান সাইকোলজি এভিয়েশনের সাথে বিজ্ঞান স্ট্রীম অন্তর্ভুক্ত করে। ==ক্যাম্পাস== ক্যাম্পাসের জমি এবং আবুধাবীতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে সংযুক্ত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন সভাপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের দেওয়া। ==তথ্যসূত্র== আরব আমিরাত'''মার্গারিটা ভ্লাদিমিরভনা লেভিয়েভা''' (; জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১৯৮০) হলেন একজন রুশ-মার্কিন অভিনেত্রী। সোভিয়েত ইউনিয়নে জন্মগ্রহণকারী এই অভিনেত্রী দ্য ইনভিজিবল, এবং স্প্রেডের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করার আগে একজন প্রতিযোগিতামূলক জিমন্যাস্টিক ছিলেন। টেলিভিশনে, তিনি রিভেঞ্জে ফাউক্স অমান্ডা ক্লার্ক বাস্তব এমিলি থর্নের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত হন। দ্য ব্ল্যাকলিস্টে জিনা জ্যানাটাকস এবং সম্প্রতি এইচবিও সিরিজ দ্য ডিউসে 'অ্যাবিগেল "এবি" পার্কার' চরিত্রে জেমস ফ্রাঙ্কোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন। ==ক্যারিয়ার== মার্গারিটা লেভিয়েভা ২০০৫ সালে অ্যান্ড অর্ডার: ট্রায়াল বাই জুরিতে একজন অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৫ সালে নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন তাকে "নিউ ইয়র্কের ৫০ জন সর্বাধিক সুন্দর ব্যক্তি"দের মধ্যে একজন বলে অভিহিত করে। ২০০৬ সালে, তিনি ফক্স সিরিজ, ভেনিশডে অভিনয় করেছেন। তার একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দি ইনভিজিবল, স্বাধীন চলচ্চিত্র "বিলি'স চয়েস", এবং "নয়েজ"-এ অভিনয় করেছেন, যেখানে তিনি টিম রবিনস, ব্রিজেট মোনাহান এবং উইলিয়াম হার্টের মতো অভিনেতাদের সাথে অভিনয় করেছেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== মার্গারিটা লেভিয়েভা সোভিয়েত ইউনিয়নের রুশ সোভিয়েত মার্কিন সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের লেনিংরাদে (এখন সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়ান ফেডারেশন) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি রুশ ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে, তিনি রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি যখন ১১ বছর বয়সী ছিলেন, তার মা তাকে এবং তার জমজ ভাইদের নিয়ে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের শেপসহেড বেতে স্থানান্তরিত হয়ে যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের পর তিনি আরও কয়েক বছর পর্যায়ক্রমিক জিমন্যাস্টিকসে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখেন এবং এই ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেন, কিন্তু তিনি ইউএস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি; তখন তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পাননি এবং তার পরিবার সেই সময়ে অনথিভুক্ত অভিবাসী ছিল। তিনি সিকোকাস, নিউ জার্সির একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করেন। মার্গারিটা লেভিয়েভা এনওয়াইউ অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং একজন ফ্যাশন ক্রেতা হিসাবে কাজ করেন। তিনি অভিনয়ের ক্ষেত্রে তার আগ্রহ অব্যাহত রাখেন এবং উইলিয়াম এস্পার স্টুডিওতে মেইসনার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে, মার্গারিটা লেভিয়েভা এবং অভিনেতা সেবাস্টিয়ান স্ট্যান স্প্রেড নামে একটি চলচ্চিত্রে একসাথে অভিনয় করেন। একটি সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়েছিল যে, তারা সম্পর্কের মধ্যে আছেন, কিন্তু তারা সবসময়ই নিজেদের ভালো বন্ধু হিসেবে সম্বধিত করেছেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ব্যক্তি জন্ম বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সির অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির অভিনেত্রী পিটার্সবার্গের অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:রুশ ইহুদি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি টেলিভিশন অভিনেত্রী ইহুদি অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যক্তিত্ব বের ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:রুশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে সোভিয়েত প্রবাসী ইহুদি ব্যক্তিত্ব'''সদাশিব গণপতরাও সাধু শিন্দে''' (; জন্ম: ১৮ আগস্ট, ১৯২৩ মৃত্যু: ২২ জুন, ১৯৫৫) বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫২ সময়কালে ভারতের পক্ষে সাত টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ঘটে তার। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ স্পিনার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন '''সাধু শিন্দে''' নামে পরিচিত '''সদাশিব শিন্দে'''। == প্রারম্ভিক জীবন == ১৯৪৩-৪৪ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫/১৮৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে সকলের নজর কাড়েন। মহারাষ্ট্রের পক্ষে দীর্ঘ ৭৫.৫ ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি। খেলায় বোম্বের বিজয় মার্চেন্ট অপরাজিত ৩৫৯* রান তুলেছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে মহারাষ্ট্র, বোম্বে বরোদরার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সদাশিব শিন্দে। প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ২৩০ উইকেট পেয়েছেন। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == ১৯৪৬ সালে ভারত দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। সফরে তিনি ৩৯ উইকেট পেয়েছিলেন। লর্ডসে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। শেষ উইকেট জুটিতে রুসি মোদি’র সাথে ৪৩ রান তুলেন। তবে বল হাতে খুব কমই সফলতা পেয়েছিলেন। পরবর্তী পাঁচ বছরে আর একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে অংশ নেন। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে অনুষ্ঠিত টেস্টে বড় ধরনের সফলতা পান। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথমদিনে মধ্যাহ্নবিরতির পর তৃতীয় পরিবর্তনে বোলিংয়ের জন্য ডাক আসে তার। গুগলিতে ডন কেনিয়নের মাঝের স্ট্যাম্প উপড়ে যায়। জ্যাক রবার্টসনকে এলবিডব্লিউ করার পর ডোনাল্ড কার লেগ ব্রেক বোলিংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেট-রক্ষক নানা জোশি’র হাতে ধরা পড়েন। পর্যায়ে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৮-২-১৬-৩। চা বিরতির পর আরও তিন উইকেট লাভ করলে দিন শেষ হবার পাঁচ মিনিট পূর্বে ইংল্যান্ড ২০৩ রানে গুটিয়ে যায়। ইনিংসে সিন্ধে ৬/৯১ লাভ করেন। ভারত ইনিংসে বেশ এগিয়ে যায়। তবে শিন্দের বোলিংয়ে সাতবার সুযোগ হাতছাড়া হয়। অধিকাংশই জোশি অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা দত্তরাও গায়কোয়াড় ফেলে দেন। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ড দল খেলা রক্ষা করতে সমর্থ হয়। সিন্ধে রান আউটের শিকার হন। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। সুভাষ গুপ্তের দূর্বল বোলিংশৈলীই মূলতঃ তার অন্তর্ভূক্তির কারণ ছিল। সফরে ৩৯ উইকেট লাভ করেন। লিডসের হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পিটার মে’র উইকেটই তার সর্বশেষ শিকার ছিল। == অর্জনসমূহ == কমপক্ষে দশ ইনিংসে অংশগ্রহণকারী মাত্র দুইজন টেস্ট ক্রিকেটারের একজনরূপে নিজস্ব সর্বোচ্চ রানের তুলনায় ব্যাটিং গড়ে অতিক্রম করতে সমর্থ হন তিনি। অন্যজন হচ্ছেন পাকিস্তানী সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার অন্তাও ডি’সুজা। == ব্যক্তিগত জীবন == ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। কন্যা প্রতিভা পওয়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শরদ পওয়ারের পত্নী। মাত্র ৩২ বছর বয়সে টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দেহাবসান ঘটে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == সুভাষ গুপ্তে অন্তাও ডি’সুজা ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু অঞ্চলের ক্রিকেটার অঞ্চলের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটারএটি অসাধারণ বর্ণানুক্রমিক তালিকার উল্লেখযোগ্য নারীবাদী অর্থনীতিবিদ, নারীবাদী অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান, অতীত বর্তমানের বিশেষজ্ঞ। উইকিপিডিয়াতে জীববিজ্ঞানী নিবন্ধের সাথে শুধু অর্থনীতিবিদ তালিকাভুক্ত আছে। ==মহিলা অর্থনৈতিক ব্যাক্তিত্ব== ==আ== Bina Agarwal (জন্ম- ১৯৫১), ভারতীয় উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ। Randy Albelda (জন্ম- ১৯৫৫), আমেরিকান শ্রম কল্যাণ অর্থনীতিবিদ; তার গবেষণা স্বার্থে লিঙ্গ জাতি, সরকারী নীতি, করের অর্থনীতি, এবং দারিদ্র্য। Sabina Alkire, নৈতিকতা একটি সুদ সঙ্গে কল্যাণ অর্থনীতিবিদ। Iulie Aslaksen, নরওয়েজিয়ান পরিবেশ অর্থনীতিবিদ। Anila Skariah, ভারতীয় উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ। ==ব== Eudine Barriteau (জন্ম-১৯৫৪), বার্বাডোসের নিতা ব্যারো ইউনিটে বার্বাডিয়ান লিঙ্গ সরকারি নীতি এবং ডেপুটি প্রিন্সিপালের অধ্যাপক। Robin L. অর্থনীতি বিভাগের আমেরিকান অধ্যাপক Amrita Basu (জন্ম-১৯৫৩), American academic specializing in South Asian politics, with particular interest in women's movements and other social movements Carolyn Baylies (1947–2003), American sociologist, active in international development Lourdes Benería (born 1937), Spanish professor of economics at Cornell University's Department of City Regional Planning Barbara Bergmann (1927–2015), American, with an interest in social policy and equality Margunn Bjørnholt (born 1958), Norwegian sociologist, economist, and social psychologist Heather Boushey (born 1970), American senior economist with the Center for American Progress ===C=== Cecilia Conrad (born 1955), academic with particular interest in the effects of race and gender on economic status ===D=== Séverine Deneulin (born 1974), senior lecturer in International Development at the Department of Social and Policy Sciences, University of Bath ===E=== Diane Elson (born 1946), British gender and development social scientist ===F=== Marianne Ferber (1923–2013), American feminist economist, one of the first to confront Gary Becker's work on economics and the family Nancy Folbre (born 1952), focuses on family economics, non-market work and the economics of care Sakiko Fukuda-Parr (born 1950), Japanese development economist ===G=== Jayati Ghosh (born 1955), Indian development economist Suman Ghosh (born 1972), Bengali film director and associate professor of economics at Florida Atlantic University Alicia Girón, Mexican president of the International Association for Feminist Economics (IAFFE) 2014–2015 ===H=== Lawrence Haddad (born 1959), British development economist Heidi Hartmann (born 1945), American founder and president of the Institute for Women's Policy Research (IWPR), research organization created to conduct women-centered, public policy research. Susan Himmelweit (born 1948), British emeritus professor of economics for the Open University in the UK; member of the editorial boards of ''Feminist Economics'' and ''Journal of Women, Politics Policy'' Jane Humphries (born 1948), British professor of economic history and Fellow of All Souls College at the University of Oxford ===J=== Devaki Jain (born 1933), Indian feminist writer Jacqueline Jones (born 1948), American social historian ===K=== Naila Kabeer (born 1950), British social economist, research fellow and writer Ravi Kanbur (born 1954), British former director and lead author of the World Bank's World Development Report Deniz Kandiyoti (born 1944), emeritus professor in development studies at the School of Oriental and African Studies, University of London Edith Kuiper (born 1960), assistant professor of economics at State University of New York at New Paltz ===M=== Martha MacDonald, Canadian professor of economics, St Mary's University, Halifax, Nova Scotia, Canada Deirdre McCloskey, American professor of economics, history, English, and communication at the University of Illinois at Chicago (UIC) Ailsa McKay (1963–2014), professor of economics at Glasgow Caledonian University; advisor to the United Nations John Stuart Mill (1806–1873), British philosopher, political economist and civil servant ===N=== Julie A. Nelson (born 1956), professor of economics at the University of Massachusetts Boston ===O=== Şemsa Özar, Turkish president of the International Association for Feminist Economics (IAFFE) 2015–2016 ===P=== Virginia Penny (1826-1914), independent scholar from Louisville, Kentucky ===R=== Ingrid Robeyns (born 1972), Dutch-Belgium, chair of the Ethics of Institutions at Utrecht University, Faculty of Humanities and the associated Ethics Institute Yana van der Meulen Rodgers (born 1966), Dutch professor and graduate director within the Women's and Gender Studies department of Rutgers University ===S=== *Souad al-Sabah (born 1942), Kuwaiti economist and writer Jolande Sap (born 1963), Dutch GreenLeft politician and former educator and civil servant Kimberley Scharf (born 1965), professor of public economics and public policy at Warwick University, Elected Member of the Royal Economic Society's Women's Committee and Editor-in-Chief of International Tax and Public Finance Stephanie Seguino, American professor of economics at the College of Arts and Sciences, University of Vermont (UVM), Burlington, Vermont Amartya Sen (born 1933), Indian Nobel Prize winning economist and philosopher Jean Shackelford (born 1946), American professor of economics emerita at Bucknell University, Lewisburg, central Pennsylvania Rhonda Sharp (born 1953), Australian adjunct professor of economics at the University of South Australia and project team leader and chief researcher of the university's Hawke Research Institute and Research Centre for Gender Studies Agneta Stark (born 1946), Swedish vice chancellor of Dalarna University, Sweden Myra Strober (born 1940), American professor of education, emerita, for the school of education, at Stanford Graduate School of Business, Stanford, California ===T=== Irene Tinker (born 1927), American founding Board president of the International Center for Research on Women, founder and director of the Equity Policy Center and co-founder of the Wellesley Center for Research on Women Rosalba Todaro, Chilean economist and senior researcher at the Centro de Estudios de la Mujer (Women's Studies Centre) in Santiago, Chile ===W=== Marilyn Waring (born 1952), New Zealand politician Beatrice Webb (1858–1943), English sociologist, economist, socialist, labour historian and social reformer ===Y=== Brigitte Young (born 1946), Austrian professor emeritus of international political economy at the Institute of Political Science, University of Münster, Germany'''কুরান ওয়া মুঞ্জান জেলা''' পূর্ব আফগানিস্তানের বাদাখশন প্রদেশের ২৮ টি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা। জেলাটি হিন্দুকুশ পর্বতমালার পাশাপাশি অবস্থান করছে এবং জনসংখ্যার প্রায় ৮,০০০ জন বাসিন্দাদের বসতবাড়ি রয়েছে এখানে। জেলাটির প্রশাসনিক কেন্দ্র হচ্ছে কুরান ওয়া মুঞ্জান। ২০১৫ সালের ২৬ শে অক্টোবর হিন্দুকুশ পর্বতমালায় যে ভূমিকম্পটি হয়েছিল তা এখান থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== আফগানিস্তান তথ্য ব্যবস্থাপনা পরিষেবার মানচিত্র প্রদেশের জেলা'''কেনেডি ক্লেমেন্টস''' (জন্ম জানুয়ারী ২১, ২০০৭) একজন কানাডিয়ান শিশু অভিনয় শিল্পী। তিনি ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অভিপ্রায় এবং রোমাঞ্চকর কাহিনী সমৃদ্ধ মার্কিন চলচ্চিত্র "পল্টেরজিস্ট" এর ২০১৫ সালের পুননির্মিত সংস্করণ ''পল্টেরজিস্ট'' "মেডিসন বোয়েন" এবং মার্কিন পারিবারিক হাস্যরস চলচ্চিত্র ''জিঙ্গেল অল দ্য ওয়ে ২'' "নোয়েল" চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সবার নিকট পরিচিত। ==প্রাথমিক জীবন== কেনেডি তার পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তার দুজন কনিষ্ঠ সহোদর রয়েছে, তারা হলেন: টেটাম (জন্ম ২০০৯) এবং লকল্যাণ (জন্ম ২০১১)। তিনি বর্তমানে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যানকুভার শহরে বসবাস করছেন, এবং একই প্রদেশের স্যারে শহরে অবস্থিত "স্ট্রিট নাইটস একাডেমি অব ড্যান্স" (এসকে) এবং "প্রজেক্ট ড্যান্স চিলি ওয়াক" (পিডিসি) নামক নাচের স্কুলে নৃত্য শিল্পী হিসেবে নাচ করছেন। তার "ক্রমি" নামে একটি হিপহপ নাচের দল রয়েছে, যেটি তার বন্ধু রমি সানচেজ কে সাথে নিয়ে গঠিত। তার প্রিয় রং নীল, তিনি এমটি তার "মিউজিকাল এল ওয়াই" নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপে তার নিজেস্ব একাউন্টে ব্যক্ত করেছেন। ==চলচ্চিত্র সমূহ== ===চলচ্চিত্র=== সাল শিরোনাম ভুমিকা মন্তব্য ২০১০ ''এ্য ফ্যামিলা থ্যাংসগিভিং'' এ্যামি ছোট পর্দার চলচ্চিত্র ২০১২ ''ইটস ক্রিসমাস, ক্যারল!'' এমা ছোট পর্দার চলচ্চিত্র ২০১৩ ''টুইস্ট অব ফেইত'' সারাহ্ ফিশার ছোট পর্দার চলচ্চিত্র ২০১৩ ''কামিং হোম ফর ক্রিসমাস'' সামান্তা ভিডিওর সাথে সংযুক্ত ২০১৩ ''ওয়ের'' পিটারের বোন অস্বীকৃত ২০১৪ ''জিঙ্গেল অর দ্য ওয়ে ২'' নোয়েল ভিডিওর সাথে সংযুক্ত ২০১৫ ''পল্টেরজিস্ট'' মেডিমন বোয়েন ২০১৮ ''গিলট্রাড'স ড্রয়েলিং'' পরে যোগ করা হবে সংক্ষিপ্ত ===ছোট পর্দায়=== সাল শিরোনাম ভূমিকা মন্তব্য ২০১১ ''৫'' জেনিফার হার্টসওয়েল পর্ব: "আনইজি লাইস দ্য হেড" ২০১৩ ''মোটিভ'' ছোট মেয়েটি পর্ব: "প্যুশওভার" ২০১৩ ''ইভ অব ডিসট্রাকসন'' লেনা টি পর্ব ২০১৩ ''রোগ্'' রুবি টি পর্ব ২০১৫ ''ওয়েোয়ার্ড পাইনস্'' জেনি পর্ব: "চয়েসেস্" ২০১৬ ''সেকেন্ড চান্স'' লিসা পর্ব: "ওয়ান মোর নোচ্" ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর কানাডীয় অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী'''ডিসেম্বর ২০১৭'''-এ বিশ্বব্যাপী সংঘটিত ঘটনার সংক্ষিপ্ত-সার। ==ঘটনাবলী== === ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ (রবিবার) === ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১ম সাফ অনূর্ধ্ব ১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয় করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৫ নারী দল == মৃত্যু == === ডিসেম্বর ২০১৭ (সোমবার) === ইয়েমেনের সাবেক রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত হয়েছেন। == তথ্যসূত্র =='''মসাগ্রাম রেল স্টেশন''' কলকাতা শহরতলি রেলের হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের একটি জংশন স্টেশন। মসাগ্রাম হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি শহর। এটি মসাগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে রেল পরিসেবা প্রদান করে। লাইন হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন মসাগ্রাম স্টেশনকে একটি জংশন স্টেশনে পরিনত করে। রেল স্টেশনটির কাছাকাছি দামোদর নদ প্রবাহিত হয়েছে। ==ইতিহাস == হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের তুলনায় কম দূরত্বে হাওড়ার সঙ্গে বর্ধমানের সংযোগ ঘটায়। লাইনটি ১৯১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। ==বৈদ্যুতীকরণ == কর্ড লাইন ১৯৬৪-৬৬ সালে বিদ্যুতায়িত হয়। ==যাত্রী চলাচল == প্রায় ৩,০০০ যাত্রী প্রতিদিন মাসগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ব্যবহার করে। লাইন== ১১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ (৭৩ মাইল) লাইন মসাগ্রামের কাছে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দামোদর নদের উপর ৫১০ মিটার দীর্ঘ (১,৬৭০ ফুট) রেল সেতু নির্মিত হয়েছে এবং শেষ সেক্টরে কাজ করে, নতুন লাইন প্রকল্প ১৬ এপ্রিল ২০১৩ উদ্বোধন করা হয়। ==তথ্যসূত্র== বর্ধমান জেলার রেল স্টেশন শহরতলি রেল'''এডনা পারভায়েন্স''' (ইংরেজি: Edna Purviance, ২১ অক্টোবর, ১৮৯৫ ১৩ জানুয়ারি, ১৯৫৮) ছিলেন একজন নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি মূলত চার্লি চ্যাপলিনের চলচ্চিত্রের প্রধান নারী ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি আট বছরে চ্যাপলিনের ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== ওলগা এডনা পারভায়েন্স ১৮৯৫ সালের ২১ অক্টোবর নেভাডার প্যারাডাইস ভ্যালিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা লুইসা রাইট ডেভি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজ অভিবাসী এবং পিতা ম্যাডিসন (ম্যাট) গেট্‌স পারভায়েন্স ছিলেন পশ্চিম খনি উত্তোলন ক্যাম্পে মার্কিন মদবিক্রেতা। যখন এডনার বয়স তিন, তার পরিবার নেভাডার লাভলকে চলে যায়, সেখানে তারা একটি হোটেল ক্রয় করে। ১৯০২ সালে তার পিতামাতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার মাতা পরবর্তীতে জার্মান রবার্ট নার্নবের্গারকে বিয়ে করেন। নার্নবের্গার ছিলেন একজন পানির পাইপ বসানোর মিস্ত্রী। এডনা পিয়ানো বাজানোর প্রতিভা নিয়ে বেড়ে ওঠেন। ১৯১৩ সালে তিনি লাভলক ত্যাগ করেন এবং সান ফ্রান্সিস্কোতে তার বিবাহিত বোন বেসির নিকট চলে যান এবং সেখানে একটি ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে একটি কলেজে অধ্যয়ন করেন। ==কর্মজীবন== ১৯১৫ সালে মোশন পিকচার ম্যাগাজিনের ফটোপ্লে: দ্য অ্যারস্টোকেট ১৯১৫ সালে পারভায়েন্স সান ফ্রান্সিস্কোতে একটি প্রতিষ্ঠানের সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই বছর চার্লি চ্যাপলিন এসানের নাইলস স্টুডিওডে চলে আসার পর তার ''আ নাইট আউট'' চলচ্চিত্রের জন্য প্রধান নারী ভূমিকার জন্য একজন অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। তার এক সহকারী পারভায়েন্সকে সান ফ্রান্সিস্কোর টেট্‌স ক্যাফেতে তাকে দেখেন এবং এই চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে কাজের জন্য তার কথা ভাবেন। চ্যাপলিন তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। পারভায়েন্স প্রথমে ভেবেছিলেন হাস্যরসাত্মক চরিত্রের ক্ষেত্রে তিনি খুবই গম্ভীর, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এই কাজের জন্য নির্বাচিত হন। ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সালে এসানে, মিউচুয়াল ফার্স্ট ন্যাশনালের চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় চ্যাপলিন পারভায়েন্স প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। পারভায়েন্স চ্যাপলিনের ৩৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ''দ্য ট্রাম্প'' (১৯১৫), ''দি ইমিগ্র্যান্ট'' (১৯১৭), ''দ্য কিড'' (১৯২১)। চ্যাপলিনের সাথে তার শেষ চলচ্চিত্র ছিল ''আ ওম্যান অব প্যারিস'' (১৯২৩)। এটি ছিল তার প্রথম প্রধান নারী চরিত্রে কাজ। চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হয় এবং পারভায়েন্সের অভিনয় জীবনের সমাপ্তি ঘটে। পরবর্তীতে তিনি ''আ ওম্যান অব দ্য সি'' (মুক্তি পায় নি), এবং ফরাসি চলচ্চিত্র ''এদুকেশন দ্য প্রিন্স'' (১৯২৭) অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== ''দ্য (১৯১৭) চলচ্চিত্রে পারভায়েন্স যদিও পারভায়েন্স বেশ কয়েক বছর চার্লি চ্যাপলিনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন, তিনি ১৯৩৮ সালে প্যান-মার্কিন উড়োজাহাজের পাইলট জন স্কোয়ারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৪৫ সালে পারভায়েন্সের মৃত্যু পর্যন্ত তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ থাকে। ==মৃত্যু== পারভায়েন্স কণ্ঠনালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ১৩ জানুয়ারি হলিউডের মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন কান্ট্রি হাউজ অ্যান্ড হসপিটালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে গ্লেন্ডেলের গ্র্যান্ড ভিউ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রিতে সমাধিস্থ করা হয়। ==জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে== ১৯৯২ সালে ''চ্যাপলিন'' ২০১০ সালে ''ম্যাডক্যাপ মেবল'' চলচ্চিত্রে তাকে চিত্রায়িত করা হয়। ''চ্যাপলিন'' চলচ্চিত্রের তার ভূমিকায় অভিনয় করেন পেনেলোপে অ্যান মিলার এবং ''ম্যাডক্যাপ মেবল'' কেটি ম্যাগুইয়ার। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== ''দ্য পনশপ'' (১৯১৬) চলচ্চিত্রে পারভায়েন্স। স্বল্পদৈর্ঘ্য বছর শিরোনাম ভূমিকা টীকা ১৯১৫ ''আ নাইট আউট'' প্রধান খাদ্য পরিবেশকের স্ত্রী প্রথম চলচ্চিত্র ''দ্য চ্যাম্পিয়ন'' এডনা, প্রশিক্ষকের কন্যা ''ইন দ্য পার্ক'' নার্স ''আ জিটনি এলোপমেন্ট'' এডনা ''দ্য ট্রাম্প'' চাষীর কন্যা ''বাই দ্য সি'' টুপিওয়ালার প্রেমিকা ''ওয়ার্ক'' ''আ ওম্যান'' কন্যা ''দ্য ব্যাংক'' এডনা ''সাংহাইড'' জাহাজ মালিকের কন্যা ''আ নাইট ইন দ্য শো'' স্টলে মহিলা ''বারলেস্ক অন কারমেন'' কারমেন ১৯১৬ ''দ্য ফ্লোরওয়াকার'' ব্যবস্থাপকের সচিব ''পুলিশ!'' কন্যা ''দ্য ফায়ারম্যান'' প্রধানের প্রেমিকা ''দ্য ভ্যাগাবন্ড'' চুরি হওয়া কন্যা ''দ্য কাউন্ট'' মিস মানিব্যাগ্‌স ''দ্য পনশপ'' কন্যা ''বিহাইন্ড দ্য স্কিন'' তরুণী ''দ্য রিংক'' তরুণী ১৯১৭ ''ইজি স্ট্রিট'' মিশন কর্মী ''দ্য কিউর'' তরুণী ''দি ইমিগ্র্যান্ট'' অভিবাসী ''দি তরুণী ১৯১৮ ''আ ডগ্‌স লাইফ'' বার গায়িকা ''ট্রিপল ট্রাবল'' ''সোল্ডার আর্ম্‌স'' ফরাসি তরুণী ''দ্য বন্ড'' চার্লির স্ত্রী ১৯১৯ ''সানিসাইড'' গ্রাম্য বেলে ''আ ডেজ প্লেজার'' মা ১৯২১ ''দি আইডল ক্লাস'' স্ত্রী ১৯২২ ''পে ডে'' ফোরম্যানের কন্যা পূর্ণদৈর্ঘ্য বছর শিরোনাম ভূমিকা টীকা ১৯২১ ''দ্য কিড'' মা ১৯২৩ ''দ্য পিলগ্রিম'' মিস ব্রাউন ''আ ওম্যান অব প্যারিস'' মারি সেন্ট ক্ল্যের ১৯২৬ ''আ ওম্যান অব দ্য সি'' জোন মুক্তি পায় নি এবং মুদ্রনটি হারিয়ে গেছে ১৯২৭ ''এদুকেশন দ্য প্রিন্স'' ১৯৪৭ ''মসিয়ে ভেরদোয়া'' পার্টি অতিথি অনুল্লেখ্য ১৯৫২ ''লাইমলাইট'' মিসেস পার্কার অনুল্লেখ্য ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Edna and research site Edna Purviance at Then Now জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন কৌতুকাভিনেতা বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি সমাধিস্থ চলচ্চিত্র কৌতুকাভিনেতা অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ক্যান্সারে মৃত্যু'''ডাক সংক্রান্তি''' হল হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী আশ্বিন মাসের শেষ দিনে সমগ্র রাঢ়-বাংলার গ্রামীন হিন্দু কৃষক সমাজের পালনীয় একটি লৌকিক উৎসব। এই সময় ধান্যক্ষেত্রে ফুল ধরা সবুজ ধানগাছকে গর্ভিণীজ্ঞানে পূজা করা হয় এবং সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয়। তাছাড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে কিংবদন্তির 'ডাক পুরুষ'-এর আশীর্বাদ লাভ করার কামনা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, উত্তর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুর এমনকি উড়িষ্যাতেও 'ডাক সংক্রান্তি' পালিত হয়। তবে স্থানভেদে উৎসবের দিনটির হেরফের ঘটে। ==ডাক পুরুষ== বঙ্গীয় কৃষক সমাজের কিংবদন্তি অনুযায়ী, দূর অতীতে বাংলায় এক বলবীর্যবান মন্ত্রৌষধি জ্ঞানী মহাপুরুষ জন্মেছিলেন। তিনি প্রতিবছর আশ্বিন মাসের সংক্রান্তির আগের রাতে নির্দিষ্ট শুভলগ্নে লাঠি জ্বলন্ত মশাল হাতে বীরত্বব্যঞ্জক ভঙ্গিতে ভয়ঙ্কর শব্দ করতে করতে বিধাতাপুরুষের কাছে যেতেন এবং তার কাছে পার্থিব মানুষদের শারীরিক সাংসারিক দুঃখের বিষয়গুলি ব্যক্ত করে সেসব দুঃখ থেকে পরিত্রাণের উপদেশ আশীর্বাদ মর্ত্যধামে নিয়ে আসতেন। পৃথিবীর মানুষের সংবাদ নিয়ে স্বর্গধামে গমন করতেন বলেই তার নাম 'ডাক পুরুষ'। আবার অন্যমতে, পূর্বরাত্রে নির্দিষ্ট সময়ে পল্লীবাসীকে ডেকে উন্মুক্ত প্রান্তরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক কসরত বা ব্যায়াম এবং মন্ত্রৌষধির শিক্ষা দিতেন। অনেক পণ্ডিতের মতে, এই ডাকপুরুষ পূর্ববঙ্গের মানুষ ছিলেন। ==উৎসব পালনের রীতি== ডাকপুরুষের কিংবদন্তির স্মৃতিকে জিইয়ে রাখতে এখনও রাঢ়-বঙ্গের কোন কোন অঞ্চলের যুবকরা বছরের ঐদিন মাঠে গিয়ে সারারাত কুস্তি, লাঠিখেলা, মশাল জ্বালানো প্রভৃতি ক্রীড়া-কৌতুক করে থাকেন এবং রাতশেষে নদী বা পুকুরে স্নান করে পাত্রভরে 'ডাক জল' নিয়ে বাড়িতে আসেন। কৃষক পরিবারের প্রত্যেকে নিমপাতা তালশাঁস খেয়ে জল পান করেন। তাদের বিশ্বাস, এটিই হল ডাকপুরুষের আদেশ বা বাণী এবং এতে সারাবছর তাদের শরীরস্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ডাক-সংক্রান্তির দিন অনেক জায়গায় ধান্যক্ষেত্রে লৌকিক দেবী 'গাড়সে ষষ্ঠী'র পূজা করা হয় এবং ভোরবেলা 'ধানে ডাক' দেওয়া হয়। ঐদিন সমস্ত কৃষিকাজ বন্ধ থাকে। উৎসবের তিন-চার দিন আগে থেকে বাছাই করা শুকনো পাটকাঠি আঁটি বেঁধে রাখা হয়। উৎসবের পূর্বরাত্রে মশাল জ্বেলে গ্রামের কৃষকরা ঘুরে বেড়ায় এবং 'ওহো ওহো' শব্দ করে আনন্দ প্রকাশ করে। সকালে প্রজ্জ্বলিত মশালের শেষাংশ একত্র করে বৃহৎ অগ্নিকুণ্ড সৃষ্টি করে গা-হাত-পা-মুখ গরম করে। ভোরবেলা অল্পবয়সী ছেলেরা বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে কুলো পিটিয়ে নিম্নোক্ত ছড়া আবৃত্তি করে গোটা গ্রামকে জাগিয়ে তোলে "আশ্বিন যায় কার্তিক আসে মা লক্ষ্মী গর্ভে বসে আমন ধানের সার বসে। এপারের পোকামাকড় ওপারেতে যায় ওপারের শিয়াল কুকুরে ধরে ধরে খায়। হোঃ হো হো—।" উৎসবের দিন কৃষকবধূরা ঘরে ঘরে নতুন আউশ ধানের তণ্ডুলের গুড়োর সাথে নারকেল গুড় দিয়ে পিঠে তৈরি করে আত্মীয়বর্গের সঙ্গে আনন্দোৎসব পালন করেন। ==উৎসব পালনের রকমফের== পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম অঞ্চলে কার্তিক মাসের শেষদিনে 'ডাক সংক্রান্তি' উদযাপিত হয়। এদিন স্থানীয় অধিবাসীরা ধানগাছের কাছে গিয়ে বলেন— 'ধান ফুলো, ধান ফুলো—'। বাঁকুড়াতে কার্তিক সংক্রান্তিকে 'মাথান ষষ্ঠী'ও বলা হয়। মেদিনীপুর অঞ্চলে ঐদিন ধানক্ষেতে শরকাঠি পোঁতার সময় কৃষকরা ছড়া বলেন— "অন্ সরষে শশার নাড়ি যারে পোকা ধানকে ছাড়ি এখানে আছে খুদমালিকা এখানে আছে ওল মহাদেবের ধ্যান করে বলরে হরিবোল।" ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== হিন্দু উৎসব সংস্কৃতিশামসুদ্দীন আবি আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনে আব্দুল হাদি আল-মাকদিসি আল-হাম্বালী রহঃ () '''ইবনে আব্দুল হাদি '''নামে সমাধিক পরিচিত '''('''দামেস্ক, ১৩০৫ (৭০৫ হিজরি) ১৩৪৩ (৭৪৪ হিজরি)''')''' লেভান্টের একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস এবং হাম্বলী বিদ্বান ছিলেন। তার সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি ছিলেন তৎকালীন কালের ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাস্ত্রের মনীষী "মুজাদ্দিদ" ইবনে তাইমিয়াহ রহঃ এর ছাত্র। ইবনে আব্দুল হাদি নামের আরও একজন বিদ্বান ছিলেন, তারা দু'জনই এসেছিলেন একই পরিবার থেকে, তার নাম ছিল ইউসুফ বিন আব্দুল হাদি (মৃত্যু ৯০৯ হিজরি)। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == হাম্বলী জন্ম মৃত্যু ব্যক্তিত্ব'''টনি ডায়েস''' হলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা নির্দেশক। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে চার শতাধিক নাটক, ধারাবাহিক আর টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সেগুলো হল ''মেঘের কোলে রোদ'' (২০০৮) এবং ''পৌষ মাসের পিরীত'' (২০১৬)। ==কর্মজীবন== ১৯৮৯ সালে "নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে" যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবনের পথচলা শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে তার টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয়। ২০০৮ সালে ''মেঘের কোলে রোদ'' চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ডায়েসের বড় পর্দায় অভিষেক হয়। নারগিস আক্তার পরিচালিত চলচ্চিত্রটি এইডস বিষয়ক সচেতনতা নিয়ে নির্মিত। এতে তিনি রিয়াজ পপির সাথে অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে তিনি নারগিস আক্তার পরিচালিত ''পৌষ মাসের পিরীত'' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি নগেন্দ্রনাথ মিত্র রচিত ''রস'' গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন পপি প্রিয়াংকা। ২০১৭ সালে প্রায় চার বছর পর তিনি সৈয়দ জামিম নির্দেশিত ''অনাহূত'' টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। নাটকটি চিত্রায়িত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। নাটকটি ঈদুল আযহায় এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়। ==পারিবারিক জীবন== তিনি ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রিয়া ডায়েসকে বিয়ে করেন। তাদের মেয়ের নাম অহনা। ২০০৮ সালের শেষের দিকে তিনি তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বর্তমানে মেয়ে অহনা এবং স্ত্রী প্রিয়া ডায়েসসহ নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের হিকসভিল শহরে বাসবাস করছেন টনি ডায়েস। তিনি সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== ''মেঘের কোলে রোদ'' (২০০৮) ''পৌষ মাসের পিরীত'' (২০১৬) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা মঞ্চ অভিনেতা'''মেহমেদ জিল্লি''' (২৫ মার্চ ১৬১১ ১৬৮২), যিনি '''ইভলিয়া সেলেবি''' () নামেই অধিক পরিচিত, হলেন একজন অটোমান পরিব্রাজক যিনি উসমানীয় সাম্রাজ্য সংলগ্ন এলাকা চল্লিশ বছরেরও অধিক সময় ভ্রমণ করে সে সম্পর্কিত ভ্রমণবৃত্তান্ত ("Book of Travel") নামক বইটিতে লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন। প্রাক-১৯৩৪ সালে তার্কিশ নাম হিসাবে ব্যবহৃত ''সেলেবি'' শব্দটি একটি সন্মানসূচক সম্বোধন যার দ্বারা ''ভদ্রলোক'' বুঝানো হয়। == জীবনী == সেলেবি ১৬১১ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের কনস্টান্টিনোপল অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা-মাতা উভয়ই উসমানীয় সাম্রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মে জড়িত ছিল। == আরও দেখুন == সিয়াহাতনাম। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু'''ব্রিটিশ কলাম্বিয়া''' () বা '''কোলোঁবি ব্রিতানিক''' () উত্তর আমেরিকার কানাডা রাষ্ট্রের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি প্রদেশ। এটি পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্বে রকি পর্বতমালার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। ২০১৭ সালে প্রদেশটির জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক ৪৮ লক্ষ; এটি কানাডার তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল প্রদেশ। এই অঞ্চলের প্রথম ব্রিটিশ বসতি ছিল ফোর্ট ভিক্টোরিয়া, এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৩ সালে, যা পরে ভিক্টোরিয়া শহরে উন্নীত হয়। পরবর্তীকালে, মূল ভূখন্ডে ফ্রেজার ক্যানিয়ন গোল্ড রাশ এর প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া উপনিবেশ (১৮৫৮-১৮৬৬) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রিচার্ড ক্লেমেন্ট মুডি এবং রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স, কলাম্বিয়া ডিটাচমেন্ট দ্বারা। মুডি ছিলেন সেই ব্রিটিশ উপনিবেশের ভূমি শ্রম এর চীফ কমিশনার এবং প্রথম ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেফটেন্যান্ট গভর্নর: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের "বহির্বিশ্বে পশ্চাদ্ধাবন" ব্রিটিশ কলাম্বিয়াকে রূপান্তর করার জন্য এবং প্রশান্ত মহাসাগরের আশেপাশে "দ্বিতীয় আরেকটি ইংল্যান্ড" খুজে পাওয়ার জন্য তাকে লন্ডনে ঔপনিবেশিক অফিস কর্তৃক হস্ত-নির্বাচিত করা হয়। মুডি সেখানে স্থান নির্বাচন করে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ঐতিহাসিক রাজধানী নিউ ওয়েস্টমিনস্টার প্রতিষ্ঠা করেন, এবং আরো প্রতিষ্ঠা করেন কারিবো রোড স্ট্যানলি পার্ক, এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অস্ত্রের কোট (কুলচিহ্ন) এর প্রথম সংস্করণটির ডিজাইন করেন, পোর্ট মুডি তার নামে রাখা হয়। ১৮৬৬ সালে, ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া উপনিবেশের অংশ হয়ে ওঠে, এবং ভিক্টোরিয়া একীভূত উপনিবেশিক রাজধানী হয়ে ওঠে। ১৮৭১ সালে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া কানাডার ষষ্ঠ প্রদেশ হয়ে ওঠে। এর ল্যাটিন উপভাষায় নীতিবাক্যটি হচ্ছে "Splendor sine without Diminishment")। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ১৮৭১ সালে ব্রিটিশ দখল থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রথম জাতি, যারা এই ভূমির মূল অধিবাসী ছিল, তাদের এই ভূমিতে বা অঞ্চলে কমপক্ষে ১০,০০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসা বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং আদিবাসী খেতাব বা উপাধি আদালতের কার্যক্রমের মাধ্যমে আবার আইনি রাজনৈতিক প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। লক্ষণীয়ভাবে, সিলহকোট'ইন জাতি কানাডার সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত (উইলিয়াম সিলহকোট'ইন জাতি বনাম ব্রিটিশ কলাম্বিয়া) অনুযায়ী আদিবাসী খেতাব বা উপাধিকে তাদের অঞ্চলের একটি অংশে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার রাজধানী হল ভিক্টোরিয়া, এটি কানাডার পনেরতম বৃহৎ মহানগরী, যেটির নামকরন করা হয়েছে রাণী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে যিনি আসল ইউরোপীয় উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই প্রদেশের বৃহত্তম শহরটি হল ভ্যানকুভার, কানাডার তৃতীয় বৃহত্তম মহানগরী এলাকা, পশ্চিম কানাডার বৃহত্তম এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরপশ্চিমের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। অক্টোবর ২০১৩-এ, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ৪.৬ মিলিয়ন (যাদের মধ্যে ২.৫ মিলিয়ন ছিল গ্রেটার ভ্যানকুভারে)। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অর্থনীতি বিচিত্র প্রকৃতির, সেবা উৎপাদন খাত প্রদেশটির জিডিপিতে সর্বাধিক ভূমিকা রাখে। এটি দুটি আন্তর্মহাদেশীয় রেলওয়ের শেষ প্রান্ত, এবং ২৭টি মেরিন কার্গো যাত্রীবাহী টার্মিনালের স্থল। যদিও এই প্রদেশের বিশাল ভূ-পৃষ্ঠের মাত্র ৫% এরও কম জমি আবাদী (অর্থাৎ চাষাবাদের যোগ্য), প্রদেশটি কৃষিভিত্তিক সমৃদ্ধ (বিশেষতঃ ফ্রেজার এবং ওকানগাঁও উপত্যকায়) কারণ উপকূলের কাছে মৃদু আবহাওয়া এবং নির্দিষ্ট আশ্রয়স্থলে দক্ষিণ উপত্যকা অবস্থিত। এখানকার জলবায়ু বাইরে বিনোদন পর্যটনে ব্যাপকভাবে উৎসাহ যোগায়, যদিও এর অর্থনৈতিক মূলধনের দীর্ঘ সময় ধরে প্রধান অবলম্বন সম্পদ নিষ্কাশন, মূলত লগিং, চাষ এবং খনি আহরন। ভ্যানকুভার, প্রদেশের বৃহত্তম শহর, অনেক পশ্চিমা-ভিত্তিক প্রাকৃতিক সম্পদ আহরন সংস্থাগুলির সদর দপ্তর রয়েছে এখানে। এটি জাতীয় গড় আয় এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। যখন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া উপকূল অংশে হালকা আবহাওয়া বিরাজমান, প্রদেশটির অধিকাংশ জায়গায় কানাডার অন্যান্য স্থানের মতোই বরফ-ঠান্ডা আবহাওয়া পরিলক্ষিত হয়। উত্তর অভ্যন্তর অঞ্চলে সাবআর্কটিক জলবায়ু বিরাজ করে ফলে, সেখানে শীতকাল খুব ঠান্ডা হয়। ভ্যানকুভারের জলবায়ু বেশিরভাগ কানাডিয়ান শহরগুলির শীতল জলবায়ুর মতোই, জানুয়ারিতে রাতের বেলার তাপমাত্রা গড় হিসাবে হিমাঙ্কের উপরে থাকে। ==জনসংখ্যার উপাত্ত== বছর জনসংখ্যা পাঁচ বছর পরিবর্তন দশ বছর পরিবর্তন মধ্যে স্থানপ্রদেশে ১৮৫১ ৫৫,০০০ n/a n/a ১৮৬১ ৫১,৫২৪ n/a −৬.৩ ১৮৭১ ৩৬,২৪৭ n/a −৩৫.৩ ১৮৮১ ৪৯,৪৫৯ n/a ৩৬.৪ ১৮৯১ ৯৮,১৭৩ n/a ৯৮.৫ ১৯০১ ১৭৮,৬৫৭ n/a ৮২.০ ১৯১১ ৩৯২,৪৮০ n/a ১১৯.৭ ১৯২১ ৫২৪,৫৮২ n/a ৩৩.৭ ১৯৩১ ৬৯৪,২৬৩ n/a ৩২.৩ ১৯৪১ ৮১৭,৮৬১ ২৬.৮ ১৭.৮ ১৯৫১ ১,১৬৫,২১০ ২১.৭ ৪২.৫ ১৯৫৬ ১,৩৯৮,৪৬৪ ২০.০ n/a ১৯৬১ ১,৬২৯,০৮২ ১৬.৫ ৩৯.৮ ১৯৬৬ ১,৮৭৩,৬৭৪ ১৫.০ ৩৪.০ ১৯৭১ ২,১৮৪,৬২০ ১৬.৬ ৩৪.১ ১৯৭৬ ২,৪৬৬,৬১০ ১২.৯ ৩১.৬ ১৯৮১ ২,৭৪৪,৪৬৭ ১১.৩ ২৫.৬ ১৯৮৬ ২,৮৮৩,৩৭০ ৫.১ ১৬.৯ ১৯৯১ ৩,২৮২,০৬১ ১৩.৮ ১৯.৬ ১৯৯৬ ৩,৭২৪,৫০০ ১৩.৫ ২৯.২ ২০০১ ৩,৯০৭,৭৩৮ ৪.৯ ১৯.১ ২০০৬ ৪,১১৩,৪৮৭ ৫.৩ ১০.৪ ২০১১ ৪,৪০০,০৫৭ ৬.৯ ১২.৬ ২০১৬ ৪,৬৪৮,০৫৫ ৪.৫ ৯.৬ ==শহর== জনসংখ্যায় দশটি বৃহত্তম মহানগর এলাকা সম্প্রদায় (মেট্রো এলাকা অন্তর্ভুক্ত) ২০১১ ২০০৬ ভ্যানকুভার ২,৩১৩,৩২৮ ২,১১৬,৫৮১ ভিক্টোরিয়া ৩,৪৪,৬১৫ ৩,৩০,০৮৮ কেলেওনা এবটসফোর্ড কামলোপস নানাইমো চিলিওয়াক প্রিন্স জর্জ ভারনন কোর্টনায় জনসংখ্যায় দশটি বৃহত্তম পৌরসভা পৌরসভা ২০১১ ২০০৬ ভ্যানকুভার সারে (মেট্রো ভ্যানকুভার) বার্নাবে (মেট্রো ভ্যানকুভার) রিচমন্ড (মেট্রো ভ্যানকুভার) এবটসফোর্ড কোকুইটলাম (মেট্রো ভ্যানকুভার) কেলেওনা সানিচ (গ্রেটার ভিক্টোরিয়া) ল্যাংলি পৌরসভা (মেট্রো ভ্যানকুভার) ডেলটা (মেট্রো ভ্যানকুভার) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকারের ওয়েবসাইট পর্যটন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্রিটিশ কলাম্বিয়া তথ্য নিউজরুম বিসি পরিসংখ্যান ইনফোলিন সাপ্তাহিক ডাইজেস্ট অনলাইন ফটো ডাটাবেস সহ প্রাদেশিক আর্কাইভ ভ্যানকুভার পাবলিক লাইব্রেরী; ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং য়ুকনের ঐতিহাসিক ফটোগ্রাফ ভ্যানকুভার পাবলিক লাইব্রেরী থেকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বহুসংস্কৃতির আলোকচিত্র সন্ধানযোগ্য ফটো ডাটাবেস ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকারি অনলাইন মানচিত্র সংরক্ষণাগার প্রদেশ১''''' ছিল একটি দুই-পাটাতন বিশিষ্ট ফেরী যা ২০১২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের মেঘনা নদীতে একটি কার্গোবাহী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়, এই দুর্ঘটনার ফলে ১৪৭জন লোক প্রাণ হারায়। ==পটভূমি== প্রথমদিকের রিপোর্টে বলা হয় ২০০ যাত্রী নিয়ে কার্গো জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যাওয়া ফেরীতে ৩০জন লোক নিহত হয়েছে এবং ডজনের মতো লোক অজ্ঞাত রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পাশে মুন্সিগঞ্জ জেলার মেঘনা নদীতে ফেরীটি উল্টে গিয়ে ৭০ ফুট (২১ মি) পানির নিচে ডুবে যায়। ==উদ্ধার কার্য== ফেরীটিতে প্রায় ২০০ যাত্রী ছিল, যদিও যাত্রীর সঠিক তালিকা করা ছিল না। বেঁচে যাওয়াদের মধ্য থেকে ৩৫ জনকে পানি থেকে টেনে তোলা হয়েছিল, আরো ৪০ জন সাঁতরে তীরে এসে উঠে। ডুবুরীদের সহায়তায় মোট ১১২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। নৌযানটিকে সংস্কারের জন্য তোলা হলে আরো ৪টি লাশ নদীতে ভেসে উঠে। ১১০ জনের দেহ উদ্ধার করার পরও ৬১ জন নিরুদ্দেশ ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৭ জনে। ==আরো দেখুন== ২০১২-এ জাহাজ ডুবির তালিকা ২০০৯ বাংলাদেশ ফেরী দুর্ঘটনা ==তথ্যসূত্র== ফেরী সামুদ্রিক ঘটনা সামুদ্রিক ঘটনা বাংলাদেশমানচিত্রে পশ্চিমের বিভেদে এভিগোঁ এর সমর্থকদেরকে লাল এবং রোম এর সমর্থকদেরকে নীল রং চিহ্নিত করা হয়েছে। পিসা এর পরিষদ (১৪০৯) এর আগ পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপে এরকম ভাঙ্গন ছিল। হলুদ রং দ্বারা চিহ্নিত অঞ্চলে সমর্থনের পরিবর্তনশীল ছিল। ধূসর বর্ণের অঞ্চলগুলো ক্রিসচেনডম বা খ্রিষ্টীয় শাসনাধীনে ছিল না, এই অঞ্চলগুলো ছিল মুসলিম শাসনের অধীনে, যেমন কিংডম অফ গ্রেনাডা। '''পশ্চিমী ক্যাথলিক গির্জার বিভেদ''' () হচ্ছে পশ্চিম ইউরোপে ক্যাথলিক গির্জার মধ্যকার একটি বিভেদ যা ১৩৭৮ থেকে ১৪১৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এই সময়ে একই সাথে তিনজন ব্যক্তি নিজেকে পোপ বলে দাবী করেন। এই বিভেদটির সূত্রপাত কোন ধর্মতাত্ত্বিক অনৈক্যের দ্বারা চালিত হয় নি, বরং চালিত হয়েছিল রাজনীতির কারণে। আর এই বিভেদের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল কনস্ট্যান্সের পরিষদের মধ্য দিয়ে। পোপের আসন অর্জন লাভের প্রতিযোগিতার কারণে চার্চের মর্যাদা সেইসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কখনও কখনও এই ঘটনাকে বিরাট বিভেদ বলা হয়ে থাকে, কিন্তু "বিরাট বিভেদ" শব্দটির দ্বারা সাধারণত ১০৫৪ সালের পূর্ব-পশ্চিম বিভেদকেই বোঝানো হয়ে থাকে, যার ফলে খ্রিষ্টধর্ম পশ্চিমের রোমান ক্যাথলিক চার্চ আর পূর্বের অর্থোডক্স চার্চে ভাগ হয়ে যায়। == বিভেদের উৎস == পোপের ক্ষমতাকে বলা হয় পাপাসি। পশ্চিমের রোমান চার্চে বিভেদের সূচনা হয় ১৩৭৭ সালের ১৭ জানুয়ারিতে একাদশ গ্রেগরির তত্ত্বাবধানে রোমে পাপাসি ফেরার পরে, যিনি এভিগোঁ পাপাসির (Avignon Papacy) সমাপ্তির পর আসেন। এই এভিগোঁ পাপাসি (ফ্রান্সের এভিগোঁ ভিত্তিক বলে এই নামকরণ) ছিল দুর্নীতির জন্য বিখ্যাত, আর খ্রিষ্টীয় শাসনাধীন অঞ্চলের একটি বড় অংশকে এটি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল। এর কারণ ছিল চার্চে ফরাসী প্রভাব এবং চার্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিউরিয়ার ক্ষমতা সম্পদ বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা। ১৩৭৮ সালে পোপ একাদশ গ্রেগরির মৃত্যুর পর পোপ হিসেবে একজন রোমানকে (হলি রোমান এম্পায়ার বা পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য থেকে) নির্বাচনের জন্য রোমানরা দাঙ্গা শুরু করে। একই সময়ে ইতালিয়দের একটি বড় দল ইতালিয় পোপ (ইতালির স্বাধীন অঞ্চলগুলো থেকে) নির্বাচনের জন্য দাবী করেন। ১৩৭৮ সালের এপ্রিলে কার্ডিনালগণ ইতালিয় জনগণের বল প্রয়োগে একজন নেপলিতানকে (ইতালির নেপলস এর অধিবাসী) নির্বাচিত করেন। ব্যারি অঞ্চলের আর্চবিশপ ষষ্ঠ আরবানকে (আসল নাম বারটোলোমিও প্রিগনানো) পোপ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আরবান ছিলেন এভিগোঁ এর পাপাল চ্যান্সারির একজন সম্মানিত পরিচালক, কিন্তু তার পোপ হিসেবে তিনি সন্দেহজনক সংস্কারপন্থী বলে প্রমাণিত হন, আর সেই সাথে রাগলে তিনি সহিংস হয়ে উঠতেন। যেসব কার্ডিনালগণ তাকে নির্বাচিত করেছিলেন তারা খুব শীঘ্রই তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অনুতাপ করা শুরু করেন। এদের অনেকেই রোম থেকে এনাগনিতে চলে যান। তারা এরপর একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বরে জেনেভার রবার্টকে প্রতিদ্বন্দ্বী পোপ হিসেবে নির্বাচিত করেন। রবার্ট নিজে সপ্তম ক্লিমেন্ট নামে আত্মপ্রকাশ করেন এবং এভিগোঁ এর পাপাল কোর্টে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই দ্বিতীয় নির্বাচনের ফলে চার্চে হুলস্থুল কাণ্ড লেগে যায়। এর আগেও পাপাসি পদের দাবীতে দেখা গিয়েছিল যাদেরকে বলা হত। কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের দ্বারা পোপ আর এন্টিপোপকে নিযুক্ত করা হত। কিন্তু এই প্রথমবারের মত এক্ষেত্রে চার্চের একটা নির্দিষ্ট গ্রুপই একজন পোপ আর একজন এন্টিপোপ এর সৃষ্টি করল। এটা ইউরোপীয়দেরকে ভীষণ বিভ্রান্ত করে দেয়, যারা পোপকে সবসময়ই পবিত্র এবং অনেক সম্মানিত হিসেবে ভেবে এসেছে। এখন দুইজন একসাথে পোপ হবার ফলে তাদের পক্ষে এদের মধ্যে যেকোন একজনকে বিশ্বাস করাটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। এই দ্বন্দ্বের ফলে খুব দ্রুতই চার্চের সমস্যাটি ইউরোপের কুটনৈতিক সমস্যায় পরিণত হয়, আর এর ফলে সমগ্র ইউরোপই (পশ্চিমের ক্যাথলিক চার্চ শাষিত ইউরোপ) দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। প্রত্যেক অঞ্চলের রাজাদেরকেই এই দুইজনের মধ্যে একজনকে স্বীকৃতি দেবার জন্য বেছে নিতে হয়েছিল। এভিগোঁ: ফ্রান্স, এরাগন, ক্যাস্টাইল লিও, সাইপ্রাস, বারগন্ডি, স্যাভয়, নেপলস, স্কটল্যান্ড ওয়েলসের ওয়েইন গ্লেন্ডরের বিদ্রোহী দল এভিগোঁ এর পোপকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। রোম: ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, ফ্ল্যান্ডার্স, হলি রোমান এম্পায়ার, হাংগেরি, আয়ারল্যান্ড (বৃটিশদের অধীনে), নরওয়ে, পর্তুগাল, পোল্যান্ড (পরবর্তীতে সুইডেন, রিপাবলিক অফ ভেনিস এবং উত্তর ইতালির অন্যান্য শহর রোমের পোপকে স্বীকৃতি দেয়। আইবেরিয়ান পেনিনসুলায় তখন ফারনানদিন যুদ্ধ চলছিল, আর পর্তুগালে তখন ১৩৮৩-১৩৮৫ সংকট চলছিল, যার ফলে সেইসময়ের রাজ্যের বিরোধীরা পাপাল অফিসের প্রতিদ্বন্দ্বী দাবীকর্তাকে সমর্থন করেন। == ফলাফল == কনস্ট্যান্সের পরিষদে কার্ডিনালের ঘোষণাপত্র প্রদান পোপ ষষ্ঠ আরবান এবং এন্টিপোপ সপ্তম ক্লিমেন্টের মৃত্যুর পরও এই বিভেদের অবসান ঘটেনি। ১৩৮৯ সালে রোমে নবম বনিফেস পোপ হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন, এদিকে ১৩৯৪ সালে এভিগোঁতে এন্টিপোপ হিসেবে ত্রয়োদশ বেনেডিক্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে তাদের স্বীকৃতিদানকারী অঞ্চলসমূহে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। রোমের পোপ বনিফেসের ১৪০৪ সালে মৃত্যুর পর, রোমান মন্ত্রণাসভার আটজন কার্ডিনাল প্রস্তাব করেন যাতে এন্টিপোপ বেনেডিক্ট পদত্যাগ করলে যাতে তারা নতুন কোন পোপকে নির্বাচিত না করেন। কিন্তু বেনেডিক্টের দূতগণ বেনেডিক্টের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবকে অস্বীকার করেন। এর ফলে রোমান কার্ডিনালগণ পোপ সপ্তম ইনোসেন্টকে পোপ হিসেবে নির্বাচিত করেন। ডাচ ঐতিহাসিক জোহান হুইজিংগা বলেন, পশ্চিমের বিভেদ নিয়ে ভীষণ দলাদলির কারণে একরকম ধর্মান্ধ ঘৃণাও তৈরি হয়। তিনি তার গ্রন্থ ''দ্য ওয়েনিং অফ দ্য মিডল এজেস -'' এরকম কিছু ঘটনা তুলে ধরেন যা থেকে বিষয়টা স্পষ্ট হতে পারে। তদকালীন ফ্ল্যান্ডার্সের ব্রুজ শহর (বর্তমান বেলজিয়ামের অন্তর্গত) এভিনোঁ এর এন্টিপোপের আনুগত্যে চলে গেলে, সেখানকার প্রচুর লোক শহর ত্যাগ করে রোমের পোপ আরবান এর সমর্থনকারী অঞ্চলে চলে যায়। ১৩৮২ সালের রুজবেকের যুদ্ধে ফ্রান্স ফ্লেমিংদের বিরুদ্ধে ওরিফ্লেম ব্যানার ব্যবহার করে। ওরিফ্লেম ব্যানার কেবল মাত্র ধর্মযুদ্ধের মত পবিত্র কারণেই ব্যবহার করা হত। ফ্লেমিংরা আরবান এর সমর্থক বা আরবানিস্ট ছিল বলে ফ্রেঞ্চরা তাদেরকে বিভেদকারী ভিন্ন সম্প্রদায়ের হিসেবে দেখত। বলপূর্বক বা কূটনীতিকভাবে এই বিভেদের পরিসমাপ্তির জন্য চেষ্টা করা হয়। ফরাসী রাজশক্তি নামে এন্টিপোপ ত্রয়োদশ বেনেডিক্ট এর সমর্থনকারী ছিল, কিন্তু তারাও তার উপর পদত্যাগের জন্য জোড় দেয়া শুরু করে। কিন্তু এসবের কিছুই কাজ করেনি। চার্চ এর পরিষদ থেকে বিভেদ মেটানোর প্রথম চেষ্টা করা হয় ১৩৭৮ সালে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয় নি, কেননা চার্চের ক্যানন আইন অনিসারে একমাত্র পোপই পরিষদের ডাক দিতে পারেন। এরপর পিয়েরে ডি'এইলি এবং জ্যাঁ গারসনের মত ধর্মতাত্ত্বিকগণ এবং ফ্রান্সিসকো জাবারেলা এর মত ক্যানন আইনজীবী মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে অধিকতর মঙ্গলের জন্য ক্যানন আইনের বিরুদ্ধে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর উভয় অংশের কার্ডিনালগণই একটি চুক্তিতে সম্মত হন যেখানে বলা হয় এন্টিপোপ বেনেডিক্ট এবং পোপ দ্বাদশ গ্রেগরি স্যাভোনায় সাক্ষাত করবেন ১৪০৪ সালে পোপ বনিফেসের মৃত্যুর পর সপ্তম ইনোসেন্ট পোপ হয়ে আসেন, তিনি ১৪০৬ সালে মৃত্যুবরণ করলে কার্ডিনালগণ দ্বাদশ গ্রেগরিকে পোপ হিসেবে নির্বাচিত করেন।)।পোপ এন্টিপোপের সাক্ষাতের চুক্তি হলেও শেষ মুহূর্তে তারা তাদের মত পরিবর্তন করেন। এরফলে উভয়পক্ষের কার্ডিনালগণই তাদের পোপকে পরিত্যাগ করেন। এরপর ১৪০৯ সালে পিসায় (বর্তমান ইতালিতে) একটি চার্চ পরিষদ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এই বিভেদের সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এর পঞ্চদশ অধিবেশনে, ১৪০৯ সালের জুনে, পিসার পরিষদে পোপ এবং এন্টিপোপ উভয়কেই বিভেদকারী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মবিরোধী, এবং কলঙ্কপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে পদচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা দ্বিতীয় আরেকজনকে এন্টিপোপ হিসেবে নির্বাচিত করেন, যা আবার নতুন সমস্যা তৈরি করে দেয়। এই এন্টিপোপ হচ্ছেন পঞ্চম আলেকজান্ডার। তিনি তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত খুব কম সময়ের জন্য এন্টিপোপ এর মর্যাদায় ছিলেন (১৪০৯ সালের ২৬ জুন থেকে ১৪১০ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত)। তার মৃত্যুর পর ত্রাবিংশ জন এন্টিপোপ হন। তিনি কয়েকজনের সমর্থন পেলেও সকলের সমর্থন লাভ করতে পারেন নি। == সমাধান == শেষ পর্যন্ত পিসার এন্টিপোপ ত্রাবিংশ জন ১৪১৪ সালে কনস্ট্যান্সে (বর্তমান জার্মানির দক্ষিণে কনস্টানজ নামে পরিচিত, তদকালিন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যে অবস্থিত ছিল) বিষয়টির সমাধানের জন্য আরেকটি পরিষদ ডাকেন। পোপ দ্বাদশ গ্রেগরি পরিষদের অনুমোদন দান করেন, আর এর মাধ্যমে পরিষদের বৈধতাকে নিশ্চিত করা হয়। ধর্মতাত্ত্বিক জ্যাঁ গারসন এর উপদেশে সভা পোপ দ্বাদশ গ্রেগরি এবং এন্টিপোপ ত্রাবিংশ জনের পদত্যাগ নিশ্চিত করে। তারা ১৪১৫ সালে পদত্যাগ করেন। তবে আরেকজন এন্টিপোপ ত্রয়োদশ বেনেডিক্টকে পদত্যাগ করতে বলা হলে তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। তার জেদের কারণে কনস্ট্যান্সের পরিষদ তাকে বিভেদকারী সাম্প্রদায়িক বলে ঘোষণা করে, এবং তাকে ১৪১৭ সালের ২৭ জুলাই চার্চ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাকে কেবল মাত্র কিংডম অফ এরাগন (বর্তমান স্পেইনে) সমর্থন করত বলে তিনি এরাগনে পলায়ন করেন এরাগনরাজ পঞ্চম আলফনসো এর সুরক্ষায় ১৪২৩ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাকি জীবন কাটান। ত্রয়োদশ বেনেডিক্টকে চার্চচ্যুত করার পর ১৪১৭ সালে পোপ পঞ্চম মার্টিনকে পোপ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, আর এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমের বিভেদের অবসান হয়। একমাত্র এরাগন রাজ্য ছাড়া সকলেই পোপ পঞ্চম মার্টিনকে স্বীকৃতি দান করে। ত্রয়োদশ বেনেটিক্টের অনুগত সকল আর্চবিশপ এন্টিপোপ হিসেবে চতুর্দশ বেনেডিক্টকে (বারনার্ড গারনিয়ের) নির্বাচিত করেন, আর তারপর এন্টিপোপ হিসেবে অষ্টম ক্লিমেন্টকে নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু কার্যকরভাবে পশ্চিমের বিভেদের অবসান হয়ে গিয়েছিল। ১৪২৯ সালে অষ্টম ক্লিমেন্ট পদত্যাগ করেন এবং পঞ্চম মার্টিনকে পোপ হিসেবে স্বীকার করে নেন। এরপর থেকে রোমান পোপদের ধারাই বৈধ ধারা হিসেবে স্বীকৃত হয়, কিন্তু উনিশ শতকের আগ পর্যন্ত এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছিলই। পোপ দ্বিতীয় পায়াস (মৃত্যু ১৪৬৪ সাল) আদেশ জাড়ি করেন যে, পোপ কখনও পরিষদের (কাউন্সিলে) আবেদন করতে পারবেন না যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচিত পোপ ছাড়া আর অন্য কেউ কোন পোপ নির্বাচনকে বাতিল না করতে পারেন। পঞ্চদশ শতকে এরকম কোন সমস্যা আর দেখা যায় নি, আর তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আর কোন পুনরালোচনা করতে হয়নি। ইতিহাসে পোপ পদের বিকল্প দাবীকর্তাদেরকে এন্টিপোপ বলা হয়। এভিগোঁ এর এন্টিপোপদেরকে রোম কর্তৃক বাতিল করে দেয়া হয়, কিন্তু পিসার পোপদেরকে বাতিল করা হয়নি। আর তাই পিসার পোপ পঞ্চম আলেকজান্ডার এর নামের কারণে ১৪৯২ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করা রদ্রিগো বর্জা রেগনাল নাম গ্রহণ করেন ষষ্ঠ আলেকজান্ডার। শেষবারের মত মৃত্যুর পূর্বেই পদত্যাগ গ্রহণ করা পোপ হচ্ছেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট, যিনি ২০১৩ সালে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তার পূর্বে পোপ দ্বাদশ গ্রেগরিই ১৪১৫ সালে মৃত্যুর পূর্বে পদত্যাগ গ্রহণ করা শেষ পোপ ছিলেন। দ্বাদ্বস গ্রেগরি ১৪১৫ সালে পদত্যাগ গ্রহণ করেন, কিন্তু ১৪১৭ সালে তার মৃত্যুর পূর্বের বছর পোপের পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পরেই পঞ্চম মার্টিন পোপ হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। == টীকা == == তথ্যসূত্র == ''The Three Popes: An Account of the Great Schism'', by Marzieh Gail (New York, 1969). ''The Great Schism: 1378'', by John Holland Smith (New York 1970). ''The Origins of the Great Schism: study in fourteenth century ecclesiastical history'', by Walter Ullmann (Hamden, Conn: Archon Books, 1967 (rev. of 1948 original publication)) strongly partisan for Urban VI. ''A Companion to the Great Western Schism (1378-1417)'', ed. Joëlle Rollo-Koster and Thomas Izbicki (Leiden: Brill, 2009). ''McGill, Sara Ann. (2009). Babylonian Captivity the Great Western Schism.'' == বহিস্থ সূত্র == The Age of the Great Western Schism Catholic Encyclopedia article ইতিহাস ইতিহাস ধর্ম'''যোগদা সৎসঙ্গ পালপাড়া মহাবিদ্যালয়''' হল পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পালপাড়া গ্রামে অবস্থিত একটি স্নাতক লিবারাল আর্টস কলেজ। এই কলেজটি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। ১৯৮১ সালের আগে কলেজটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। এই কলেজের বিভাগগুলি হল: ;বিজ্ঞান বিভাগ: রসায়ণ, কম্পিউটার বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, গণিত, জীববিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, শারীরবিদ্যা। ;কলা বিভাগ: বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি। ==স্বীকৃতি== ২০১২ সালে যোগদা সৎসঙ্গ পালপাড়া মহাবিদ্যালয়টি ন্যাশানাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক) কর্তৃক শ্রেণীর কলেজ হিসেবে পুনরায় স্বীকৃত হয়। এছাড়াও কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== যোগদা সৎসঙ্গ পালপাড়া মহাবিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত কলেজ মেদিনীপুর জেলার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়'''ওরিয়েন্ট এয়ারওয়েজ''' () হল ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা, যেটি পরবর্তীতে পিআইএ এবং এর ধারাক্রমে বাংলাদেশ বিমানের মূল পরিষেবা দানকারী সংস্থা। এটি ১৯৪৬ সালে ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ভারত বিভক্তির পর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়। এই পরিবহন কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইস্পাহানি গ্রুপের কর্ণধার মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি। == প্রতিষ্ঠার ইতিহাস == দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরই ১৯৪৬ সালে এই বিমান পরিষেবা কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের করকাতায়। পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার সকল বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থাকে একীভূত করে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স গঠন করলে এটিও ১৯৫৫ সালের ১১ মার্চ বিলুপ্ত হয়ে যায়। == আরও দেখুন == ইস্পাহানি গ্রুপ; পিআইএ; বাংলাদেশ বিমান। == তথ্যসূত্র == প্রতিষ্ঠিত বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান পরিবহন সংস্থা'''নওয়াব সিরাজুল ইসলাম''' (১৮৪৫ ১৯২৩) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনজীবী সমাজসেবক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভুমিকা রাখেন। == জন্ম পারিবারিক পরিচিতি == সিরাজুল ইসলাম ১৮৪৫ সালে তৎকালীন নবীনগরের পিয়ারাকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী মুহম্মদ কাজেম। == শিক্ষাজীবন == == সমাজসেবায় অবদান == ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষভাবে প্রচেষ্টা চালান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯১২ সালে গঠিত নাথান কমিশন-এর একজন সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বেল ইসলামিয়া ছাত্রাবাস, বরিশাল প্রতিষ্ঠায়ও বিশেষ ভুমিকা রাখেন। == আরও দেখুন == নাথান কমিশন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == নওয়াব সিরাজুল ইসলাম বাংলাপিডিয়া হতে সংকলিত নিবন্ধ। নাথান কমিশন বাংলাপিডিয়া হতে সংকলিত নিবন্ধ। জন্ম মৃত্যু'''বাংলা গড়''' বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপনা। এটি মূলত ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত। ==আবস্থান== রানীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় কিলোমিটার উত্তরে এবং নেকমরদ থেকে প্রায় কিলোমিটার পূর্বদিকে কাতিহার-পীরগঞ্জ উপজেলা যাওয়ার রাস্তায় বাংলা গড় অবস্থিত।এই গড়ের ভিতর দিয়েই একটি পাকা রাস্তা সংযুক্ত। ==বিবরণ== রানীশংকৈল উপজেলার এই গড়টি বিচিত্র। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা আয়তাকার। এর পূর্ব পশ্চিম দেয়ালের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য হবে কিলোমিটারের চেয়ে কিছু বেশি এবং উত্তর দক্ষিণ দেয়াল হবে প্রায় এক কিলোমিটার। মাটির তৈরি দেয়ালগুলি এখনও প্রায় মিটার উচু এবং দেয়ালের উপরিভাগ প্রায় মিটার চওড়ী। দেয়ালগুলির বাইরে আছে প্রায় ১২ মিটার চওড়া পরিখা। এককালে সেই পরিখা খুবই গভীর ছিল বােধ হয়। কিন্তু সব পরিখা এখন ভরাট হয়ে গেছে। এই গড়ের ইটের রং ঝামা ইটের মত কালো। ==তথ্যসূত্র== ==আরো পড়ুন== বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা জেলার দর্শনীয় স্থান উপজেলা জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা'''ভারতীয় ৫০০ টাকা ব্যাঙ্কনোট''' (₹ ৫০০) ভারতীয় টাকার একটি মূল্য। বর্তমান ৫০০ টাকায নোট, ১০ নভেম্বর, ২০১৬ থেকে প্রচলিত হওয়া, মহাত্মা গান্ধী নতুন সিরিজের একটি অংশ। অক্টোবর ১৯৯৭ এবং নভেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে প্রচলিত মহাত্মা গান্ধী সিরিজের ব্যাঙ্কনোটগুলি নভেম্বর, ২০১৬ সালে বন্ধ করা হয়। ১৩ জুন, ২০১৭ তারিখে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক শীঘ্রই নতুন ৫০০ নোট বাজারে ছাড়ে, কিন্তু পুরাতন বেশী আইনি দরপত্র চলতে থাকবে। নকশাটি মহাত্মা গান্ধী (নিউ) সিরিজের বর্তমান নোটের অনুরূপ, ব্যতীত অন্য কোনও ইনসেট 'এ' নিয়ে আসবে না। ==ইতিহাস== মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রচলিত ব্যাঙ্ক নোট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অক্টোবর ১৯৮৭ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক) দ্বারা ৫০০ টাকার নোটভুক্তি করা হয়। নোটটিতে প্রধানত ভারতের প্রতীক অশোক স্তম্বের পরিবর্তে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি ব্যবহারা হয়। এই নকশার জনপ্রিয়তার ফলে অন্যান্য ভারতীয় নোটের নকশার শেষ প্রান্তে এবং প্রথম মহাত্মা গান্ধীর সিরিজ নোটগুলির প্রবর্তন ঘটে। নভেম্বর, ২০১৬ সালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এবং জাল নোটের সমস্যা মোকাবেলার একটি উপায় হিসেবে মহাত্মা গান্ধীর সিরিজের ৫০০ নোটের অবমূল্যায়ন ঘোষণা করেন। ১০ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে, আগের ব্যাংক নোটটি নগদ অর্থের মহাত্মা গান্ধী নতুন সিরিজের একটি নতুন ৫০০ নোটের পরিবর্তন করা হয় পুরাতোন ৫০০ নোটের সঙ্গে। ==মহাত্মা গান্ধী নতুন সিরিজ== ==ভাষা== অন্যান্য ভারতীয় টাকার নোটগুলির মতো, ৫০০ টাকার নোটের পরিমাণ (মূল্য) ১৭ টি ভাষায় লেখা আছে। নোটের পিছনে, টাকার মূল্য ইংরেজী এবং হিন্দি ভাষাতে লেখা হয়। বিপরীতটি একটি ভাষা প্যানেল যা ২২ টি অষ্টম তফসিলভুক্ত ভাষার মধ্যে ১৫ টি রাজ্য ভাষা নোটের তালিকা প্রদর্শন করে ভাষা প্রদর্শিত হয়। প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত ভাষাগুলি হল আসামি, বাংলা, গুজরাটি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কঙ্কনি, মালয়ালাম, মারাঠি, নেপালী, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সংস্কৃত, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সরকারি ভাষাসমূহ (নীচে শেষ হয়) ভাষা ৫০০ ইংরাজী Five hundred rupees হিন্দি ১৫ টি রাজ্য স্তরে/ অন্যান্য সরকারি ভাষা (ভাষা প্যনেলের ভাষাসমূহ) অসমীয়া বাংলা গুজরাটি কন্নাড় কাশ্মীরি কঙ্কনি মালয়ালম মারাঠি নেপালী ওড়িয়া পাঞ্জাবী সংস্কৃত তামিল তেলেগু উর্দু ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== টাকার নোট'''ডেভিড স্ট্যানলি স্টিল''' (; জন্ম: ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪১) ব্রাডলির স্টক-অন-ট্রেন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারীসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন 'ক্রাইম' ডাকনামে পরিচিত '''ডেভিড স্টিল'''। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আট টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। অস্ট্রেলীয় ডেনিস লিলি জেফ থমসন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং, ওয়েন ড্যানিয়েল ভ্যানবার্ন হোল্ডারের ন্যায় প্রথিতযশা ফাস্ট বোলারদের বোলিং আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছেন। দীর্ঘদিন কাউন্টি ক্রিকেটে পক্ষে অংশ নিয়ে অবসরের প্রস্তুতিকালে ১৯৭৫ সালে টনি গ্রেগ ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি যখন ইংল্যান্ড দলে প্রবেশ করেন, তখন ইংরেজ ক্রিকেট দল গভীর সঙ্কটে নিপতিত ছিল। ১৯৭৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজে এর প্রভাব দেখা যায়। মাঠে নামার সময় তাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক কেরানী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। == খেলোয়াড়ী জীবন == ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সময়কালে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৭৯ সালে ক্লাবটির অধিনায়কের দায়িত্ব পান। তবে, স্বল্পকাল পরই ছয় সপ্তাহ পর অধিনায়কত্ব করা থেকে নিজ নামকে প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ১৯৭৫ সালে লর্ডসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ডেভিড স্টিলের। প্যাভিলিয়ন থেকে তার ব্যাট হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে টয়লেটে ব্যাটটিকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে মাঠে নামলেও প্রথম টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইমড আউট হন। একবার ব্যাটিং করার জন্য ক্রিজে আসার পর ফাস্ট বোলার জেফ থমসন তাকে অস্ট্রেলীয় সংস্কৃতিতে অভ্যর্থনা জানান। থমসন তাকে বলেন, আমরা কেন এখানে এসেছি? মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০, ৪৫, ৭৩, ৯২, ৩৯ ৬৬ রান তুলে স্বীয় শক্তিমত্তা, সাহস ধৈর্য্যের পরিচয় দেন। তার টেস্ট অভিষেক হবার পূর্বে ক্যাপ পরিধান অনুষ্ঠানে অধিনায়ক টনি গ্রেগ তার হাতে অশ্রুকণা ফেলে বলেন, এই ব্যক্তি আমৃত্যু আমার জন্য লড়াই করে যাবে। পরের বছর ট্রেন্ট ব্রিজে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভীতিপ্রদ ফাস্ট-বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। মৌসুমের শীতকালে স্পিন বোলিংয়ে দূর্বলতা থাকার কারণে তাকে ভারত সফরের বাইরে রাখা হয়েছিল। এরপর তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরে যান। ১৯৮৪ সালে নর্দাম্পটনে খেলা শেষে বাইশ সহস্রাধিক রান তুলেন। == সম্মাননা == ১৯৭৫ সালে ভোটের মাধ্যমে বিবিসি বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মনোনীত হন। পরের বছর ১৯৭৬ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন ডেভিড স্টিল। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == জিম লেকার জিওফ মিলার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট অধিনায়ক ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বর্ষসেরা ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বিজয়ী'''নরেন্দ্রনাথ দেব''' (জন্ম: নভেম্বর ৭, ১৯২৬; উলিপুর উপজেলা কুড়িগ্রাম জেলা) ভারত উপমহাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি আবিষ্কার হচ্ছে “পা চালিত নলকূপ”। ইংরেজিতে “Treadle Pump” নামের এই যন্ত্রটি “ঢেকি কল” নামেই অধিক পরিচিত। স্বল্প ব্যয়ে কাঠের তৈরি প্রেস, ধান মাড়াই যন্রর, পশুশক্তি চালিত ডাল ভাঙ্গার মেশিনসহ অনেক আবিষ্কারই তার পরিশ্রমের ফল। ব্যক্তিগত জীবন তিনি উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে আর লেখাপড়া করতে পারেননি '''''উদ্ভাবক নরেন্দ্রনাথ দেব'''''। তারপর কাশিমবাজার মহারাজা এস্টেটে বছর চাকরি করেন। কিন্তু আবিষ্কারের নেশা চাকরির ধরাবাঁধা নিয়মে আবদ্ধ রাখতে পারেনি তাকে। সময় ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরে করেন বিড়ির ব্যবসা। বিড়ির লেবেল ছাপানোর জন্য আবিষ্কার করেন কাঠ দিয়ে তৈরি পা-চালিত '''প্রেস'''। এরপর উলিপুর বাজারে ছোট একটি লেদ মেশিন বসিয়ে শুরু করেন নতুন ব্যবসা। পরে কাঠের উন্নত '''ট্রেডল প্রেস''' তৈরি করে বাজারজাতও করেন। কিছুদিন বাদে পরীক্ষামূলকভাবে '''স্টিম ইঞ্জিন''' উদ্ভাবন করে চমকে দেন। ধান সিদ্ধ, ধান ভানাসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যায় এই ইঞ্জিন। তার পরিকল্পনা ছিল সৌরশক্তি ব্যবহার করে ইঞ্জিনটি চালানো। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা বেশিদূর এগোয়নি। তার অন্যান্য আবিষ্কারের মধ্যে ছিল দোতলায় পানি তোলার জন্য কম খরচে '''মোটরচালিত টিউবওয়েল, হুইল টিন দিয়ে বার্লি তৈরির মেশিন, ডাল ভাঙ্গার অটোমিল''' ইত্যাদি। ১৯৭৭ সালে ট্রেডল পাম্প বা ঢেঁকিকল উদ্ভাবন করে রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত হন এবং একটি বে-সরকারী সংস্থার ব্যয়ে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, নেপালসহ একাধিক দেশ ভ্রমন করেন। '' উলিপুরের বিজ্ঞানি নরেন দেব আর নেই, বিভিন্ন মহলের শোক, এই নিয়ে আগামীকাল বিকেল ৪টায় রেডিও চিলমারী প্রচার করবে একটি দূর্লভ সাক্ষাতকার।'' রেডিও চিলমারী প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ সাল ''ট্রেডল পাম্প'র উদ্ভাবক নরেন্দ্রনাথ আর নেই।'' কালের কন্ঠ- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ সাল। '' বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো পা চালিত নলকূপের আবিষ্কারক উলিপুরের নরেন্দ্রনাথ দেব।'' উলিপুর (ডট) কম-রকাশ: ৩১ মে ২০১৭২০১৭ সাল ==তথ্যসূত্র == জন্ম জেলার ব্যক্তি উদ্ভাবক'''অরুণাচল মুরুগানান্থম''' (জন্ম ১৯৬৩) হচ্ছেন ভারতের পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত যিনি প্যাডম্যান নামে পরিচিত। তিনি নারীদের জন্য সুলভে প্যাড বা স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। তিনি তার উদ্ভাবিত যন্ত্র ১০৬টি দেশে উৎপাদন কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পণা করছেন ==ব্যক্তিজীবন == ১৯৬২ সালে তামিল নাড়ুর কোয়ম্বাত্তুরে অরুণাচলম মুরুগণন্থমের জন্ম। সংসারে অভাবের কারণে মাত্র ১৪ বছরেই স্কুলের পাঠ শেষ হয়| শ্রমিক‚ মজুর‚ ঝালাই নানা রকমের কাজ করে সংসারকে দাঁড় করিয়ে বিয়ে করতে দেরি হয়ে যায়| ৩৬ বছর বয়সে ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেছিলেন| ==আবিষ্কার== বিয়ের পরে তার জগৎ তখন শুধু বৌকে ঘিরে আবর্তিত হয় একদিন দেখলেন তার কাছ থেকে কী যেন একটা লুকোচ্ছে স্ত্রী শান্তি জোর করে কেড়ে নিয়ে দেখেন শান্তির হাতে একটা নোংরা ন্যাকড়া এত নোংরা‚ ওটা দিয়ে অরুণের স্কুটার মুছতেও ইচ্ছে করবে না। অবাক হয়ে জানতে চাইলেন শান্তি কী করবে ওটা দিয়ে কুণ্ঠিত উত্তর এল‚ ওটা আসলে ওইসব দিনের জন্য বুঝতে পেরে যেন আকাশ থেকে পড়লেন অরুণ রজঃস্বলা অবস্থায় এই জিনিস ব্যবহার করে তার স্ত্রী শুনলেন‚ নামী কোম্পানির স্যানিটরি ন্যাপকিন কিনলে টান পড়বে সংসারে| অরুণ জেনে বিস্মিত হলেন তার গ্রামের কোনও মহিলা স্যানিটরি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না প্রতি মাসে রক্তাক্ত হওয়ার দিনগুলোয় তাদের ভরসা বাতিল ন্যাকড়া‚ কাগজ| রক্তমাখা নোংরা কাপড়ও ধুতে হয়‚ শোকাতে হয় সবার আড়ালে| সব জেনে অরুণাচলমের জিদ চেপে যায়| কিছু একটা করতেই হবে| দোকান থেকে কিনলেন স্যানিটরি প্যাড দেখলেন‚ সামান্য তুলো আর কাপড়ের ওই জিনিস বেচে সংস্থাগুলো মুনাফা করছে ৪০ গুণ তাঁতির ছেলে অরুণাচলম নিজেই বাড়িতে বানালেন বৌকে বললেন ব্যবহার করতে, ননদকে এবং গ্রামের মহিলাদের দিতে। কিন্তু মহিলারা কেউ তাকে এটা ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া জানালো না। শেষে অরুণাচলম ঠিক করলেন নিজেই ব্যবহার করবেন ছোটবেলার এক বন্ধুর ছিল মাংসর দোকান সেখান থেকে নিতেন ছাগলের রক্ত একটা ফুটবলকে বানালেন ব্লাডার দুটো ছিদ্র করলেন সেখানে তাতে ভরলেন রক্ত সেই রক্ত ভর্তি ব্লাডার কোমর থেকে ঝুলিয়ে দু পায়ের মাঝে রাখতেন অরুণাচলম উপরে আবরণ হিসেবে তার তৈরি প্যাড তার উপরে সাদা ধুতি পরা লুঙ্গির মতো করে| এইভাবে দিনভর থাকতেন অরুণ সব কাজ করতেন চাপ পড়ত ব্লাডারে দেখতেন কতটা রক্ত কতক্ষণ ধরে শুষতে পারছে তার তৈরি প্যাড ওই ব্লাডারটাকে অরুণাচলম মনে করতেন তার নিজেরই দেহের ব্লাডার যাতে একাত্ম হতে পারেন মেয়েদের সমস্যার সঙ্গে গ্রামের পুকুরে সবার সামনে কাচতেন রক্তাক্ত ধুতি। সবাই ধরে নিল প্রেতাত্মা ভর করেছে একঘরে হতে হল ‘পাগলামি‘ ছাড়াতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে গেলেন স্ত্রী বোনের বিয়ে হয়ে গেছিল ঘর ছাড়লেন বিধবা মা এতেও হল না বিদ্রূপ আর কটূক্তিতে গ্রাম ছাড়তে হল অরুণাচলমকে। সব চলে গেল| কিন্তু নিজের সঙ্কল্প ছাড়লেন না অরুণ| কাজ নিলেন এক অধ্যাপকের বাড়িতে| তার সাহায্যে চিঠি লিখলেন বিভিন্ন সংস্থাকে। ফোনের বিল বেরিয়ে গেল হাজার টাকা কিন্তু কেউ জানাল না কীভাবে তৈরি হয় স্যানিটরি প্যাড। প্রায় দু বছরের চেষ্টায় গাছের চালের মণ্ড থেকে ফাইবার নিয়ে কম খরচে প্যাড বানাতে সক্ষম হলেন অরুণাচল কিন্তু শুধু হাতে তো আর হবে না একটা যন্ত্র একান্ত দরকার| অনেক ভেবেচিন্তে বানালেন কমদামি যন্ত্র। খরচ মাত্র ৬৫ হাজার টাকা তাতে তৈরি হল স্যানইটরি ন্যাপকিন কোয়ম্বাত্তুরের এক কম্পানি রাজি হল তার প্রযুক্তিতে কম দামি প্যাড বানাতে লড়াইয়ের সাড়ে পাঁচ বছর পরে ধীরে ধীরে ফিরে পেতে লাগলেন হৃত সম্মান ফিরে এলেন স্ত্রী, মা। অরুণ এখন প্যাড বানানোর কম দামি যন্ত্র বানান দেশের ২৩ টা রাজ্যের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে গেছে সেই যন্ত্র তাতে প্যাড বানান মহিলারাই। খুব অল্প দামে‚ বা বেশিরভাগ সময় বিনামূল্যে সেই প্যাড বিলি করা হয় গ্রামে| এছাড়াও অরুণের তৈরি জয়শ্রী ইন্ডাস্ট্রিজ আছে| তাদের তৈরি স্যানিটরি প্যাড কেনে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ==অর্জন== মাদ্রাজ আইআইটি-র মাধ্যমে অরুণের আবিষ্কার যায় জাতীয় প্রতিযোগিতায় সৃজনশীলতার সেই মঞ্চে ৯৪৩ টি আবিষ্কারের মধ্যে অরুণাচলমের যন্ত্র প্রথম হয় অরুণ এখন বক্তৃতা করেন নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে| হার্ভার্ড বক্তৃতা দিয়েছেন এই স্কুলছুট রাষ্ট্রপতির হাত থেকে গ্রহণ করেছেন পদ্মশ্রী ২০১৪ সালে টাইম পত্রিকার বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে তিনি স্থান করে ==জনপ্রিয় মাধ্যমে== সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে অরুণাচল পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন যার মধ্যে আছে বোম্বের আইআইটি, আহমেদাবাদের আইআইএম, ব্যাঙ্গালোরের আইআইএম এবং হাভার্ড। টেড টকেও তিনি অংশ নিয়েছেন। অমিত বীরমানির পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র ''মেন্সট্রুয়াল ম্যান'' এর বিষয়বস্তু ছিলেন তিনি। তার জীবনকাহিনী নিয়ে নির্মিত প্যাডম্যান চলচিত্রে অক্ষয় কুমার অভিনয় করেছেন। ==তথ্যসূত্র == স্বাস্থ্য জন্ম ব্যক্তি ব্যক্তি'''চণ্ডীচরণ সেন''' (জন্ম: জানুয়ারি ১৮৪৫ মৃত্যু: ১০ জুন ১৯০৬) একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক অনুবাদক। তিনি মূলত দেশপ্রেমভিত্তিক উপন্যাসের জন্য বিখ্যাত। ==প্রথম জীবন== চণ্ডীচরণ সেন পূর্ববঙ্গের বাখরগঞ্জ জেলার বাসণ্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নিমচাঁদ সেন মাতা গৌরী দেবী। তিনি ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতায় ফ্রি চার্চ ইন্স্টিটিউশনে (ডাফ কলেজ) কিছুদিন অধ্যয়ন করেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য বরিশাল ফিরে যান। পরে ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় এসে গৃহশিক্ষকতা করে আইন পরীক্ষা পাস করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি রামতনু লাহিড়ী, দুর্গামোহন দাস প্রভৃতি ব্রাহ্ম নেতাদের সংস্পর্শে আসেন। তিনি পঁচিশ বছর বয়সে ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন। তিনি কিছুদিন বরিশালে আইন ব্যবসা করেন। ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকারী কর্মচারী হিসাবে প্রথমে মুন্সেফ শেষে সাবজজ পদ প্রাপ্ত হন এবং বিচারপতি হিসাবে কৃতিত্বের পরিচয় দেন। ==সাহিত্য কর্ম== বাংলা সাহিত্যে "আঙ্কল টম্‌স্ ক্যাবিন"-এর "টমকাকার কুটীর" (১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত) নামক অনুবাদেই তার প্রথম প্রসিদ্ধি। এর পরে তিনি ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা রূপে নাম করেন। "মহারাজা নন্দকুমার" (১৮৮৫), "দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ" (১৮৮৬), "অযোধ্যার বেগম" (১৮৮৬), "ঝান্সীর রানী" (১৮৮৮) প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। স্বদেশপ্রেম ছিল তার সাহিত্যের প্রধান বিষয়। দেশপ্রেম ভিত্তিক গ্রন্থগুলির মাধ্যমে তিনি ইংরেজ আধিপত্যের প্রথম অবস্থার ঘটনার নির্ভীক তথ্য নির্ভর বিবরণ দিয়ে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করেন। চণ্ডীচরণ "মহারাজ নন্দকুমার" গ্রন্থের জন্য ইংরেজ সরকার দ্বারা দণ্ডিত হন। তিনি "জীবনগতি নির্ণয়" "লঙ্কাকান্ড" নামক দুটি বিদ্রুপাত্মক কাব্য রচনা করেছিলেন। বিখ্যাত কবি কামিনী রায় ছিলেন তার জ্যোষ্ঠা কন্যা। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু অনুবাদক ঔপন্যাসিক'''কঙ্কাবতী দেবী''' (জন্ম: ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ মৃত্যু: ২১ জুন ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ) একজন গায়িকা এবং অভিনেত্রী ছিলেন। ==প্রথম জীবন== কঙ্কাবতী দেবীর জন্ম হয় বিহারের মজঃফরপুরে। পিতা গঙ্গাধরপ্রসাদ সাহু ছিলেন সঙ্গীতরসিক। বাড়ির পরিবেশের প্রভাবে ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতের প্রতি কঙ্কাবতীর আকর্ষণ দেখা দেয়। বেথুন কলেজে বি পড়বার সময় তিনি রবীন্দ্রনাথের সংস্পর্শে আসেন এবং জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তার সাথে 'গৃহপ্রবেশ' নাটকের মাসির ভূমিকায় অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। এম পড়বার সময় অসুস্থতার জন্য পড়াশোনায় ছেদ পড়ে এবং রঙ্গমঞ্চে যোগদানের সিদ্ধান্ত করেন। ==অভিনয় জীবন== শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সাথে 'দিগ্বিজয়ী' নাটকে ভারত নারীর ভূমিকায় অভিনয় থেকে তার পেশাদারী অভিনয় জীবনের শুরু হয়। এরপর 'সীতা', 'যোগাযোগ', 'পল্লীসমাজ', 'টকী অফ টকীজ', 'চন্দ্রগুপ্ত' প্রভৃতি নাটকে শিশিরকুমারের সহঅভিনেত্রীরূপে অভিনয়জগতে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে শিশিরকুমারের দলের সাথে আমেরিকা যান। শিশিরকুমারের পরিচালিত কয়েকটি চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেন। 'চাণক্য' চলচ্চিত্রটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগেই ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুন কঙ্কাবতীর মৃত্যূ হয়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== আইএমডিবি তে কঙ্কাবতীর জীবনী জন্ম মৃত্যু অভিনেত্রী'''আরিয়ান রায়''' হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা যিনি আঞ্চলিক চলচ্চিত্র, টিভি সিরিয়াল এবং নাট্যশালায় অভিনয় করেছেন। তিনি একটি সাম্প্রতিক স্বাধীন সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র, বাটারপ্লাইস অব ওয়ার-এ কাজ করেছেন, সমালোচকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র আবার অনেক পুরস্কার জিতেছে। তিনি কয়েকটি মূলধারার চলচ্চিত্র যেমন বিরসা দাশগুপ্ত কর্তৃক ওয়ান, জুলফিকার সঙ্গে জাতীয় পুরস্কার অর্জিত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি আবার তার প্রথম আবির্ভাবিত চলচ্চিত্রে অরিজিৎ সিং-এর সাথে কাজ করেছেন। এইসব ছাড়াও, তিনি অনেক বিখ্যাত আঞ্চলিক পরিচালক যেমন অনিক দত্ত, রিঙ্গো ব্যানার্জী-এর সাথেও কাজ করেছেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== আরিয়ান রায়ের আধিকারিক ওয়েবসাইট'''বিউবনিক প্লেগ''' () হল ''ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস'' নামক প্লেগ রোগের তিনটি প্রকারের একটি। জীবাণুর সংস্পর্শে আসার থেকে দিনের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। উপসর্গগুলো হল জ্বর, মাথাব্যথা, বমি। ত্বকের যে স্থান দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করে তার নিকটবর্তী লসিকাগ্রন্থি ফুলে যায় ব্যথা হয়। মাঝেমধ্যে ফোলা লসিকাগ্রন্থি ফেটে যেতে পারে। প্লেগ রোগের তিনটি রূপভেদ যেমন বিউবনিক প্লেগ, সেপটিসেমিক প্লেগ নিউমোনিক প্লেগ এর মধ্যে কোনটিতে আক্রান্ত হবে তা নির্ভর করে শরীরে জীবাণু প্রবেশের ধরনের উপর। বিউবনিক প্লেগ সাধারণত ছোট প্রাণী থেকে আক্রান্ত মক্ষিকার মাধ্যমে ছড়ায়। এটা প্লেগে আক্রান্ত প্রাণীর মৃতদেহ থেকে নির্গত তরল পদার্থ থেকেও ছড়াতে পারে। বিউবনিক প্লেগের ক্ষেত্রে, মক্ষিকা ত্বকে কামড়ালে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে লসিকানালীর মাধ্যমে লসিকাগ্রন্থিতে পৌছায় ফলে লসিকা ফুলে যায়। রক্ত, থুতু বা লসিকাগ্রন্থিতে জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করে রোগ নির্ণয় করা যায়। প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে যেমন যেসব এলাকায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেখানে জনগণকে মৃত প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা প্লেগ প্রতিরোধে টীকার কার্যকারিতা খুব একটা নেই। জেনটামাইসিন, বা ডক্সিসাইক্লিন প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা না করালে প্লেগ আক্রান্ত রোগীর ৩০% থেকে ৯০% রোগীই মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যু হলে সাধারণত দশ দিনের মধ্যেই হয়। চিকিৎসা সত্ত্বেও মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ১০%। সারাবিশ্বে প্রতিবছর প্রতিবেদনকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬৫০ জন তন্মধ্যে প্রায় ১২০ জন মৃত্যুবরণ করে। একবিংশ শতাব্দীতে আফ্রিকায় এই রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। প্লেগকে ব্ল্যাক ডেথ এর কারণ হিসেবে মনে করা হয় যা এশিয়া, ইউরোপ আফ্রিকায় চতুর্দশ শতাব্দীতে মহামারী আকারে দেখা দেয় যাতে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ প্রাণ হারায়। যার ২৫%-৬০% লোকই ছিল ইউরোপীয়। সে সময় বহুসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ মৃত্যুবরণ করায় শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেয় ফলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পায়। কোনোকোনো ঐতিহাসিক এই ঘটনাকে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের সন্ধিক্ষণ বোলে বিবেচনা করেন। ''bubonic'' শব্দটি গ্রিক শব্দ βουβών থেকে উদ্ভূত যার অর্থ "কুঁচকি" (groin)। স্ফীত লসিকাগ্রন্থিকে বুঝাতে "buboes" শব্দটিও ব্যবহৃত হয়। ==উপসর্গসমূহ== রক্ত ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়া বিউবনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগীর ছবি দেখানো হয়েছে যার নাকের অগ্রভাগ, ঠোঁট, হাতের আঙুলে টিস্যু নেক্রোসিস হয়েছে এবং তার অগ্রবাহুতে কালশিরে পড়েছে। এক সময় ব্যক্তিটির সমগ্র শরীরেই কালশিরে পড়েছিল। বিউবনিক প্লেগের সবচেয়ে সুপরিচিত লক্ষণ হল এক বা একাধিক সংক্রমিত, স্ফীত ব্যথাযুক্ত লসিকা গ্রন্থি যা বিউবো নামে পরিচিত। "ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস" নামক ব্যাক্টেরিয়া মক্ষিকার কামড়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের পর নিকটবর্তী লসিকা গ্রন্থিতে বসতি গড়ে এবং বংশবিস্তার করে। বিউবোগুলো সাধারণত বগল, ঊরুর ঊর্ধ্বভাগ, কুঁচকি ঘাড় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এছাড়া হাত পায়ের আঙুল, ঠোঁট নাকের অগ্রভাগের টিস্যুতে গ্যাংগ্রিন হয়। কামড়ভিত্তিক হওয়ায় বিউবনিক প্লেগেই প্রথম প্রকাশ পায়। বিউবনিক প্লেগের উপসর্গসমূহ ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ পায়। উপসর্গসমূহ নিম্নরূপঃ *শীত শীত অনুভূতি *অসুস্থতা-বোধ *উচ্চমাত্রায় জ্বর *মাংসপেশি সংকোচন *খিঁচুনি *মসৃণ, স্ফীত, ব্যথাযুক্ত লসিকা গ্রন্থি বা বিউবো যা কুঁচকিতে বেশি দেখা যায় তবে বগল বা ঘাড়েও থাকতে পারে। প্রায়শ প্রাথমিক সংক্রমনের নিকটবর্তী স্থানে বেশি দেখা যায়। *আক্রান্ত লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার আগেই ব্যথা হতে পারে। *হাত পায়ের আঙুল, ঠোঁট নাকের অগ্রভাগের টিস্যুতে গ্যাংগ্রিন হয়। অন্যান্য লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, অনবরত রক্তবমি (হিমাটেমেসিস), হাত-পা ব্যথা হওয়া, কাশি রোগী জ্যান্ত থাকা অবস্থাতেও ত্বকের ক্ষয় বা পচনের ফলে সৃষ্ট তীব্র ব্যথা। এছাড়া প্রচণ্ড ক্লান্তি, পেটের সমস্যা, লেন্টিকিউলি (সারা দেহে ছড়িয়ে থাকা কালো দাগ), চিত্তবৈকল্য বা প্রলাপ বকা গাঢ় নিদ্রা বা অচেতন অবস্থা। ==কারণ== ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস'' নামক ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত একটা ওরিয়েন্টাল র্যা ফ্লি (''Xenopsylla cheopis'') এর চিত্র যার অন্ত্রে জীবাণুগুলো কালো পিণ্ড আকারে দেখা যাচ্ছে। অন্ত্রের সম্মুখভাগ ''Y. pestis'' এর বায়োফিল্ম দ্বারা অবরুদ্ধ থাকে ফলে যখন মক্ষিকা অসংক্রমিত পোষকের রক্ত খাওয়ার চেষ্টা করে তখন অন্ত্র থেকে জীবাণু উদ্গিরণের মাধ্যমে কামড়ানোর স্থানে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। বিউবনিক প্লেগ হল ''Xenopsylla cheopis'' নামক সংক্রমিত র্যাষট ফ্লির কামড়ের ফলে সৃষ্ট লসিকাতন্ত্রের একটি সংক্রমণ। খুব বিরল কিছু ক্ষেত্রে যেমন সেপটিসেমিক প্লেগ, সরাসরি সংক্রমিত টিস্যু বা আরেকজন সংক্রমিত ব্যক্তির কফের সংস্পর্শে আসলে রোগটি ছড়াতে পারে। মক্ষিকাটি গৃহ ক্ষেতের ইঁদুরের দেহে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং তার পোষকটি মারা গেলে আরেকটি শিকারের সন্ধান করে। ব্যাক্টেরিয়াটি মক্ষিকার কোনো ক্ষতি করে না যা এক পোষক থেকে আরেক পোষকে জীবাণুর বিস্তারে সহায়তা করে। জীবাণুগুলো মক্ষিকার অন্ত্রে জড়ো হয়ে একটি পিণ্ডের মতো বায়োফিল্ম তৈরি করে। অন্ত্রের সম্মুখভাগ ''Y. pestis'' এর বায়োফিল্ম দ্বারা অবরুদ্ধ থাকে ফলে যখন মক্ষিকা অসংক্রমিত পোষকের রক্ত খাওয়ার চেষ্টা করে তখন অন্ত্র থেকে জীবাণু উদগিরণের মাধ্যমে কামড়ানোর স্থানে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। ব্যাক্টেরিয়া মক্ষিকার কামড়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের পর নিকটবর্তী লসিকা গ্রন্থিতে বসতি গড়ে এবং বংশবিস্তার করে। ''ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস'' ব্যাক্টেরিয়া ফ্যাগোসাইটোসিস ঠেকাতে পারে এমনকি ফ্যাগোসাইটের অভ্যন্তরে বংশবিস্তার করতে পারে তাদেরকে হত্যাও করতে পারে। কিছুদিনের মধ্যে লসিকা গ্রন্থিতে রক্তপাত হয়ে স্ফীত হয় টিস্যুগুলো নেক্রোসিস হয়। কখনোকখনো বিউবনিক প্লেগ প্রাণঘাতী সেপটিসেমিক প্লেগে রূপান্তরিত হতে পারে। প্লেগ ফুসফুসেও ছড়াতে পারে সেক্ষেত্রে এটি নিউমোনিক প্লেগ নামে পরিচিত। ==রোগ নির্ণয়== প্লেগ রোগ নির্ণয় নিশ্চিতকরণে ল্যাবোরেটরি পরীক্ষা প্রয়োজন। রোগীর নমুনা কালচার করে ''Y. pestis'' ব্যাক্টেরিয়া শনাক্ত করে এই রোগ নিশ্চিত করা সম্ভব। সংক্রমণের প্রাথমিক শেষ পর্যায়ে রোগীর সিরাম পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া র্যাণপিড ডিপস্টিক টেস্টের মাধ্যমে ব্যাক্টেরিয়ার অ্যান্টিজেন শনাক্ত করে তৃণমূল পর্যায়ে খূব দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যায়। পরীক্ষার জন্য নিম্নলিখিত জায়গা থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়: বিউবো: স্ফীত লসিকা গ্রন্থি বিউবনিক প্লেগের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ। সুচ দিয়ে লসিকা গ্রন্থি থেকে তরল নমুনা নেওয়া হয়। রক্ত ফুসফুস ==চিকিৎসা== বিউবনিক প্লেগের চিকিৎসায় বিভিন্ন প্রকারের ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে যেমন স্ট্রেপটোমাইসিন জেনটামাইসিন, (বিশেষত ডক্সিসাইক্লিন) ফ্লুরোকুইনোলোন যেমন চিকিৎসা পাওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুহার প্রায় ১-১৫%, তবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুহার বেড়ে ৪০-৬০% হতে পারে। প্লেগে আক্রান্ত রোগীর খুব দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন এবং মৃত্যু প্রতিহত করার জন্য প্রথম লক্ষণ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেয়া উচিত। অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন, শিরাভ্যন্তরীণ তরল প্রয়োগ শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা করা।যে সকল ব্যক্তি নিউমোনিক প্লেগ রোগীর সংস্পর্শে আসবে তাদেরকে প্রতিষেধমূলক দিতে হবে। বিউবনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে স্ট্রেপটোমাইসিন ব্যবহার করে নাটকীয় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। ==ইতিহাস== ===প্রথম মহামারী=== পূর্বাঞ্চলীয় রোমান সাম্রাজ্যে (বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য) প্রথম প্লেগ দেখা যায় যা সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান এর নামানুসারে জাস্টিনিয়ানের প্লেগ নামকরণ করা হয়। সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান প্লেগে আক্রান্ত হলেও ব্যাপক চিকিৎসায় তিনি বেঁচে যান। উক্ত মহামারীতে প্রায় আড়াইকোটি(৬ষ্ঠ শতাব্দীর মহামারী) থেকে পাঁচ কোটি লোক প্রাণ হারায়। ঐতিহাসিক প্রকোপিয়াস তার হিস্ট্রি অব দ্যা ওয়ারস গ্রন্থের ২য় ভলিউমে প্লেগের সাথে তার নিজের লড়াই উদীয়মান সাম্রাজ্যের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে লিখেছিলেন। ৫৪২ খ্রিষ্টাব্দের বসন্তকালে, প্লেগ কনস্টান্টিনোপলে পৌঁছে বন্দর থেকে বন্দরে ভূমধ্যসাগরের চারিদিকে ছড়াতে থাকে। পরবর্তীতে পূর্বদিকে এশিয়া মাইনর পশ্চিমদিকে গ্রিস ইতালি পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। সম্রাট জাস্টিনিয়ানের প্রচেষ্টায় বিলাসবহুল পণ্যদ্রব্য আমদানি-রপ্তানি হওয়ায় পণ্যদ্রব্য স্থানান্তরের কারণে দেশের অভ্যন্তরে প্লেগ ছড়িয়ে যায় এবং তার রাজধানী বিউবনিক প্লেগের প্রধান রপ্তানিকারকে পরিণত হয়। প্রিকোপিয়াস ''সিক্রেট হিস্ট্রি'' গ্রন্থে জাস্টিনিয়ানকে পিশাচ সম্রাট হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন যে, জাস্টিনিয়ান হয় নিজে প্লেগের স্রষ্টা ছিলেন নতুবা তার পাপকর্মের জন্য শাস্তি পাচ্ছিলেন। ===দ্বিতীয় মহামারী=== তুরনাই এর নাগরিকদের দ্বারা প্লেগে মৃতদের কবর দেওয়ার চিত্র। এটা ''The Chronicles of Gilles Li Muisis'' (1272–1352) থেকে নেওয়া একটি অনুচিত্র। Bibliothèque royale de Belgique, MS 13076-77, f. 24v. ১৭২০-১৭২১ সালে ফ্রান্সের মার্তিগুই শহরে বিউবনিক প্লেগে মৃতদের একটি গণকবর। মধ্যযুগের শেষদিকে (১৩৪০-১৪০০) ইউরোপে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। ১৩৪৭ সালে কুখ্যাত বিউবনিক প্লেগের মহামারী হয় যা প্রায় একতৃতীয়াংশ লোকের প্রাণহানি ঘটায়। ইতিহাসে এটি ব্ল্যাক ডেথ নামে পরিচিত। কতক ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন যে, সময় সমাজের লোকজন অনেক বেশি হিংস্র হয়ে উঠে কারণ বিশাল মৃত্যুহার জীবনকে সস্তা করে দেয় ফলে যুদ্ধ-বিগ্রহ, অপরাধ, গণবিদ্রোহ নিপীড়নের হার বৃদ্ধি পায়। ব্ল্যাক ডেথ উৎপত্তি লাভ করে মধ্য এশিয়ায় ইতালিতে ছড়ায় পরবর্তীতে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে যায়। আরব ঐতিহাসিক ইবনে আল-ওয়ারদনি আলমাকরিজি বিশ্বাস করতেন যে ব্ল্যাক ডেথের উৎপত্তি হয়েছিল মঙ্গোলিয়ায়। চীনা প্রতিবেদনেও ১৩৩০ সালের শুরুর দিকে মঙ্গোলিয়ায় ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ২০০২ সালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে এটা ১৩৪৬ সালের শুরুর দিকে স্টেপি এলাকায় শুরু হয়েছিল যেখানে প্লেগের জীবাণু কাস্পিয়ান সাগরের তীর হতে দক্ষিণ রাশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মঙ্গোলীয়রা চীন ইউরোপের মধ্যে অবস্থিত বাণিজ্য পথ, সিল্ক রোড, বন্ধ করে দেয় যা পূর্ব রাশিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথের বিস্তার থামিয়েছিল। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাফা এলাকায় অবস্থিত ইতালীয় বণিকদের সর্বশেষ বাণিজ্য স্টেশনে মঙ্গোলদের হামলার মাধ্যমে মহামারীর সূত্রপাত ঘটে। ১৩৪৬ সালের শেষের দিকে প্লেগ দেয়াল অবরোধকারীদের মধ্যে ছড়ায় পরে তাদের মাধ্যমে শহরের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। বসন্তের আগমন ঘটলে ইতালীয় বণিকরা তাদের জাহাজে পালিয়ে যায় এবং নিজেদের অজান্তেই তারা ব্ল্যাক ডেথ বহন করে নিয়ে যায়। মক্ষিকার মাধ্যমে ইঁদুরে বাহিত হয়ে, প্লেগ প্রথমত কৃষ্ণ সাগরের আশে পাশের লোকদের মাঝে ছড়ায় এবং তারপর লোকজন এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় পালানোর কারণে ইউরোপের বাকি অংশে ছড়িয়ে যায়। ===তৃতীয় মহামারী=== উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে প্লেগ পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। পূর্ববর্তী দুটি প্রদুর্ভাবের মতো, এবারও পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে চীনের ইউনান প্রদেশে শুরু হয়েছিল যেখানে প্লেগের কয়েকটা প্রাকৃতিক উৎস রয়েছে। প্রথম প্রাদুর্ভাবটি ঘটেছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে। ছড়ানোর পূর্বে কয়েক বছর ধরে রোগটি দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে অবস্থান করেছিল। চীনের ক্যান্টন শহরে, ১৮৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত প্রায় আশি হাজার লোকের মৃত্যু হয়। হংকংয়ের নিকটবর্তী শহরের সাথে প্রত্যহ পানি যাতায়াত থাকায় প্লেগ সেখানে খুব দ্রুত ছড়ায় এবং দুই মাসের মধ্যে ২,৪০০ জনেরও অধিক লোক মারা যায়। আধুনিক মহামারী হিসেবে পরিচিত তৃতীয় মহামারী উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিককার সময়ে জাহাজ পথে সারাবিশ্বের বন্দর নগরীতে ছড়িয়েছিল। ১৯০০-১৯০৪ সালের দিকে সান ফ্রান্সিস্কোর চাইনাটাউনে প্লেগ আক্রমণ হয়েছিল। এবং ১৯০৭-১৯০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ওকল্যান্ড ইস্ট বে এলাকায় ছড়ায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রাদুর্ভাবটি ঘটেছিল ১৯২৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। বন্য ইঁদুরে রোগটি এখনো বিদ্যমান থাকায় তদের সংস্পর্শে আসলে মানুষেও ছড়াতে পারে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মহামারীটি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল বলে বিবেচনা করা হয় যখন বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর মৃতের সংখ্যা ২০০ তে নেমে এসেছিল। ১৯৯৪ সালে ভারতে পাঁচটি প্রদেশে প্রায় ৭০০ জন (৫২ জন মৃত সহ) প্লেগে আক্রান্ত হয়। সেসময় ভারতীয় লোকজন প্লেগের হাত থেকে বাঁচার জন্য এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে চলে যেতে থাকে। ২০০১ সাল থেকে এক দশক ধরে জাম্বিয়া, ভারত, মালাউই, আলজেরিয়া, চীন, পেরু গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র দেশসমূহে সর্বাধিক প্লেগ রোগী ছিল যার মধ্যে শুধু গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রেই ১,১০০ জনেরও বেশি প্লেগ রোগী রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিকট প্রতিবছর প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ রোগীর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জ্ঞানস্বল্পতার কারণে মাদাগাস্কারে নিয়মিতভাবে মহামারী হয়। ১৯০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর গড়ে জন সহ ১০৩৬ জন প্লেগে আক্রান্ত হয়। ২০১৫ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে ১৬ জন প্লেগে আক্রান্ত হয় তন্মধ্যে ইয়সমাইট ন্যাশনাল পার্কে জন ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনাগুলো সাধারণত নিউ মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলের পল্লি এলাকায়, উত্তর অ্যারিজোনা, দক্ষিণ কলোরাডো, দক্ষিণ অরেগন দূরের পশ্চিম নেভাডায় হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে, মাদাগাস্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে প্লেগ প্রাদুর্ভাব নিয়ে প্রতিবেদন পেশ করে যেখানে ওই দেশে সাম্প্রতিক যে কোনো প্রাদুর্ভাবের তুলনায় রোগী মৃতের সংখ্যা বেশি ছিল। তবে অধিকাংশ রোগীই বিউবনিকের পরিবর্তে নিউমোনিক প্লেগে আক্রান্ত ছিল। ==সমাজ সংস্কৃতি== প্লেগ রোগটি প্রথম দেখা দেওয়ার পর থেকে এর প্রাদুর্ভাবের সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর মাপকাঠি সামাজিক অভ্যুত্থানের বিষয়টি ঐতিহাসিক গল্পের বর্ণনায় প্রধান বিষয় হিসেবে স্থান পেয়েছে। চসার, বোক্কাচ্চো, পেত্রার্কের কাজসহ অনেক সমসাময়িক উৎসে বর্ণিত উল্লেখিত ব্ল্যাক ডেথ ওয়েস্টার্ন ক্যাননের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। বোকাচ্চোর লেখা দ্যা দেকামেরোন নামক গল্প গ্রন্থটি একটা ফ্রেম স্টোরির (যেখানে এক গল্পের মধ্যে দ্বিতীয় আরেকটি গল্প বলা হয়) জন্য বিখ্যাত যেখানে একজন ব্যক্তির গল্প বলা হয়েছে যে ব্ল্যাক ডেথের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ইতালির ফ্লোরেন্স শহর থেকে পালিয়ে নির্জন গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। প্লেগের বছরগুলোতে জীবিত ছিলেন এমন ব্যক্তির মুখ থেকে বর্ণনাকৃত চাঞ্চল্যকর কাহিনিমূলক ঘটনা বিভিন্ন শতাব্দী সংস্কৃতিতে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। পরবর্তী কাজসমূহ যেমন আলবেয়ার কামুর উপন্যাস ''দা প্লেগ'' অথবা ইংমার বারিমান-এর চলচ্চিত্র ''দ্য সেভেন্থ সিল'' –এ প্রেক্ষাপট হিসেবে মধ্যযুগীয় বা আধুনিক সময়ের কোনো শহরে বিউবনিক প্লেগকে দেখানো হয়েছে, যেটার মূলবক্তব্য হল প্লেগের সময় বিভিন্ন সমাজ, প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির ভাঙন, মৃত্যুর সাথে সাংস্কৃতিক মানসিক অস্তিত্বের লড়াই এবং সময়াময়িক নৈতিক আধ্যাতিক প্রশ্নের ব্যাপারে প্লেগের রূপকাশ্রয়ী ব্যবহার। যুদ্ধ=== প্লেগকে বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের প্রাথমিক উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হয় কারণ চতুর্দশ শতাব্দীতে সৈন্যরা প্লেগ মহামারী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শহর গ্রামের দেওয়ালের ওপারে প্লেগে আক্রান্ত মৃতদেহগুলোকে নিক্ষেপ করতো। পরবর্তীতে দ্বিতীয় চীন-জাপানযুদ্ধে রাজকীয় জাপানি সৈন্যরা প্লেগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এগুলো সরবরাহ করেছিল জাপানি আর্মির মেডিকেল অফিসার শিরো ইশির ইউনিট ৭৩১ যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের পূর্বে মানবশরীরে পরীক্ষা চালানো ১৯৪১ সালে, রাজকীয় জাপানি বিমানবাহিনী চীনের নিংবো শহরে বিউবনিক প্লেগ জীবাণু বহনকারী মক্ষিকার বোমা ছুড়েছিল। খাবারোভস্ক যুদ্ধাপরাধ বিচার-এর সময় অভিযুক্ত যেমন মেজর জেনারেল কিয়াশি কাওয়াশিমা সাক্ষ্য দেন যে, ১৯৪১ সালে, ইউনিট ৭৩১ এর ৪০ জন সদস্য চীনের চ্যাংদ এলাকায় প্লেগবাহী মক্ষিকা নিক্ষেপ করেছিল যা পরে এলাকায় প্লেগ মহামারী ছড়ায়। ==আরো দেখুন== *চর্ম রোগসমূহের তালিকা *মহামারীর তালিকা *মিয়াজমা তত্ত্ব *প্লেগ *প্লেগ ডাক্তার ==তথ্যসূত্র== ==আরো পড়ুন== ==বহিঃসংযোগ== রোগআইন-ই-আকবরির অস্ত্রাগারের ছবি মুঘল অস্ত্রশস্ত্রের বিবর্তন শুরু হয় মুঘল বাদশাহ বাবর, আকবর, আওরঙ্গজেব এবং (মহীশূরের বাঘ) টিপু সুলতানের আমলে। কয়েক শতাব্দী ধরে চলা মুঘল জয়রথ টেনে নিয়ে চলা মুঘল সেনাবাহিনী নানান ধরণের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে- যার মধ্যে তরবারি, তীর-ধনুক, ঘোড়া, হাতি, পৃথিবীর বৃহত্তর কামানগুলোর একাংশ, মাস্কেট বন্দুক (muskets) 'ফ্লিন্টলক ব্লান্ডারবাস' বন্দুক (flintlock blunderbusses) উল্লেখযোগ্য। == যুদ্ধের সরঞ্জামাদি == === আক্রমণে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র === ==== খাটো অস্ত্রসমূহ ==== 337x337px বেশিরভাগ অশ্বারোহী সৈনিকগণ কাছাকাছি দূরত্বে যুদ্ধ করার জন্য মূলত খাটো অস্ত্রশস্ত্রের (kotah-yaraq) উপর নির্ভরশীল ছিল। এই খাটো অস্ত্রসমূহ মূলত ৫টি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল: ঢাল-তলোয়ার, গদা, যুদ্ধ-কুঠার, বল্লম এবং খঞ্জর। বেশি দূরত্বের আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হতো তীর-কামান, বন্দুক বা তিফাংক এবং পিস্তল। গোলন্দাজ (তোপখানা) বাহিনীতে ব্যবহৃত হতো ক্ষেপণাস্ত্র। স্বাভাবিকভাবেই কোনো ব্যক্তিই একা এসব অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে যেত না বরং একটি বিশাল সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অংশে এসকল অস্ত্রই কারো না কারো দ্বারা ব্যবহৃত হতো। যে পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র একজন মুঘল সেনা ব্যবহার করতো তার বর্ণনা পাওয়া যায় জবানিতে। ছিলেন নিজামের সেনাবাহিনীর একজন ক্ষুদ্র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। তিনি তার প্রতিরক্ষা সহচরকে বলেন: “চমৎকার দুইটি অতীব দৃষ্টিনন্দন ঘোড়া আছে এই জমাদারের, যে কিনা নিজে সোনার লেস দেয়া সবুজ ইংলিশ ব্রড কাপড়ের (দ্বিগুণ চওড়া উন্নতমানের পশমি বস্ত্র) তৈরি পোশাকে শোভিত ছিল এবং তার পরনে আরও ছিল খুবই জাঁকালো কারুকার্যখচিত বেল্ট। মহিষের চামড়ায় তৈরি স্বর্ণমণ্ডিত গম্বুজের ন্যায় একটি ঢাল ছিল তার পিঠে, তার হাতে অস্ত্রহিসেবে ছিল দুইটি তরবারি একটি খঞ্জর, ইংলিশ পিস্তল (রিভলভার) রাখার অস্ত্রবন্ধনী, এবং তার বন্দুকটি তার নফরের দ্বারা তার সামনে পরিবাহিত হচ্ছিল।” ===== তরবারি ===== তরবারি রাখার সাধারণত ছিল চওড়া এবং খুব সুন্দরভাবে কারুকাজ করা। মুঘল যুগের প্রকৃত সৌন্দর্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এর তরবারিগুলো। অশ্বারোহীরা কাঁধে ঝোলানো বেল্টের মাধ্যমে তরবারি বহন করতো। তবে বাকীরা তাদের তরবারি তিনটি ফিতেওয়ালা একটি কোমরবন্ধনীতে করেই বহন করতো। বিভিন্ন রকমের ফলা (ব্লেড) শাহ্‍জাদা দারা শেকোর তরবারি তরবারির খাপ (৮ নং), লন্ডনের ভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্টস মিউজিয়ামে রাখা। শমশের- এটি অনেকটা নিমচার (আরব, পারসিক তুর্কীদের পুরনো আমলের খাটো, বাঁকা একধারী তলোয়ারবিশেষ ন্যায় একটি বাঁকানো অস্ত্র। এর আকৃতি এটির হাতলের ক্ষুদ্রাকারই নির্দেশ করে এটি পুরোপুরিই কাটাকাটির উপযুক্ত একটি অস্ত্র। এটি তৈরি হতো স্টিল দিয়ে। ধূপ- ধূপ একপ্রকার সোজা তরবারি। দক্ষিণাঞ্চল এর এই তরবারিকে মুঘলবাহিনীতে স্থান দেয়া হয়। এই তরবারিটি প্রায় চার ফুট লম্বা এবং বেশ চওড়া ফলার অধিকারী ছিল এবং এর হাতল এর দুইদিকে ছিল আনুভূমিক অতিরিক্ত অংশ যার জন্য এটিকে অনেকটা ক্রসের মতো দেখাতো। সার্বভৌমত্ব উচ্চমর্যাদার প্রতীক এই অস্ত্রটিকে নানান রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত করা হতো, যেখানে একজন মানুষ তার মনিবের সামনে মখমলে মোড়া এই তলোয়ারটিকে উঁচুতে তুলে ধরে রাখতো। এছাড়াও দরবারে আসীন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির বালিশেও শোভা পেত এই তরবারিটি। এই ধরণের তরবারি সফল সৈনিক, মহান অভিজাত ব্যক্তি এবং দরবারের প্রিয়পাত্রদের জন্য উচ্চমর্যাদার বিষয় ছিল। এটিও স্টিল দিয়ে তৈরি ছিল। *খান্দাঃ খান্দা একপ্রকার সোজা তরবারি। এটি প্রায় ধূপের ন্যায় দেখতে। *সিরোহিঃ এটিও একপ্রকার নিমচাসদৃশ তরবারি। ভারতীয় এই তলোয়ারের ধারাল ফলা দিয়ে কারো মাথায় উল্লম্বভাবে আঘাত করা হলে তা শরীরকে কোমর পর্যন্ত ফালি করে দিতো এবং শরীরে আঘাত করা হলে তা শরীরকে দ্বিখন্ডিত করে দিতে সক্ষম ছিল। এই তরবারির ফলা অনেকটা দামেস্কে ব্যবহৃত ফলার ন্যায় আকৃতির এবং কিছুটা বাঁকানো, সাধারণ তরবারির চেয়ে এটি ছিল হালকা এবং অপেক্ষাকৃত সরু। দামেস্কের ইস্পাত দিয়ে সিরোহী নামক স্থানে এই তরবারিটি তৈরি হতো। *পাটাঃ পাটা একপ্রকার সরু ফলাযুক্ত, সোজা তরবারি। এর হাতলের ভেতরে রাখা ক্রসবারের মাধ্যমে এটি ধরতে হতো এবং এর বাহিরের আবরণ ধাতব দস্তানার ন্যায় সুরক্ষা দিতো। এটিও ইস্পাতের তৈরি। মুহররম শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের এখন তলোয়ার ঘোরাতে দেখা যায়। *গুপ্তিঃ গুপ্তি একপ্রকার সোজা তরবারি যা হাঁটতে সহায়ক লাঠির আবরণের ন্যায় খাপে পুরে রাখা হতো। এটি ছিল তিন ফুট লম্বা এবং এই তরবারির হাতল মাথা সুফিদের ব্যবহৃত অস্ত্র ‘ফকিরস ক্রাচ’ এর সাথে মিলসম্পন্ন ছিল। ব্যক্তিবর্গের শক্তিমন্ত বিনম্রতার প্রতীক হিসেবে স্টিলনির্মিত এই অস্ত্রটি ব্যবহৃত হতো। ===== মুঘল ঢালসমূহ ===== রয়্যাল অন্টারিও মিউজিয়ামে রাখা ইস্পাত, সোনা, সিল্ক চামড়ার তৈরি সপ্তদশ শতকে প্রস্তুতকৃত মুঘল ঢাল যা উত্তর ভারতে ব্যবহৃত হতো।- DSC04543 একজন তলোয়ারবাজের সরঞ্জামাদির অবিচ্ছেদ্য অংশ তরবারি এর সঙ্গী ঢাল। যুদ্ধের সময় বাম হাতে ধরা ঢাল এর এই ব্যবহার শেষ হলে কাঁধে ঝুলিয়ে রাখা হতো। সাধারণত ঢালগুলো চামড়া কিংবা ইস্পাতের তৈরি এবং এর ব্যাস ছিল ১৭-২৪ ইঞ্চির (৪৩০-৬১০ মিলিমিটার) মধ্যে। ইস্পাতের তৈরি ঢালগুলো খুবই জমকালো কারুকার্যপূর্ণ ছিল এবং এই কাজগুলো ছিল সোনা দিয়ে করা। অপরপক্ষে চামড়ার তৈরি ঢালগুলোয় স্বর্ণ রৌপ্যমণ্ডিত উঁচু অংশ, অর্ধচন্দ্র অথবা তারকা আকৃতির উঁচু অংশ বসানো থাকতো।কিছু কছু ঢাল সাম্বার হরিণ, মহিষ, নিলগাই, হাতি অথবা গণ্ডারের চামড়া দিয়ে তৈরি হতো যার মধ্যে গণ্ডারের চামড়ানির্মিত ঢালই বেশি মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত ছিল। ব্রাহ্মণ সেনারা নানান রঙ করা ৪০-৫০ পরত চওড়া সিল্কের তৈরি ঢাল ব্যবহার করতো। ঢালের নানান প্রকারভেদঃ *চিরওয়াহ এবং তিলওয়াহ- এই ঢালগুলো সেসব তলোয়ারবাজ (শমশেরবাজ) অথবা যোদ্ধাবাহিনীর দ্বারা ব্যবহৃত হতো যারা মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৪২-১৬০৫) যুদ্ধযাত্রার সময় তার সঙ্গী হতো। *তরবারিযুদ্ধে ব্যবহৃত ঢাল ছোট গোলাকৃতির এর ঢালগুলি কঞ্চি অথবা বাঁশের তৈরি। এর আকৃতি অনেকটা মসুরডাল এর হওয়ায় এটিকে ডাল হিসেবে ডাকা হতো এটিকে ডাল হিসেবে ডাকা হতো। এছাড়াও মারু বা সিংগৌটা নামক অদ্ভুতুড়ে ঢালগুলো তৈরি হতো কৃষ্ণসার হরিণের শিং ইস্পাত সহযোগে। হরিণের শিং মোড়া হতো ইস্পাতে এবং শিংদুটো মিলিত হতো এর ভোঁতা প্রান্তভাগে। সাইন্তি একপ্রকার ঢাল যা অসিযুদ্ধে প্রতিপক্ষের আঘাত ঠেকাতে ব্যবহৃত হতো। ==== আনুষ্ঠানিক গদা ==== চোব নামক আনুষ্ঠানিক গদা। *গুর্জঃ এটি একপ্রকার খাটো হাতলের গদা যার শেষে তিনটি বড় গোলাকৃতি বল রয়েছে এবং এই অস্ত্রটি সাধারণত বেশ গণ্যমান্য পদমর্যাদার মুঘলযোদ্ধার অস্ত্রাগারের অংশ ছিল। *শ্বাসবুরঃ এরই আরেকটি প্রকরণ হলো- শ্বাসবুর তথা ফুসফুসভেদী (ফুসফুস ছিন্নকারী)। এটির অনেকটা গুর্জেরই মতো গোলাকার মাথা ছিল। এছাড়াও এসদৃশ আরো কিছু গদা হচ্ছে- ধারা, গারগাজ এবং খান্ডলি ফাঁসি। *ধারাঃ কোলহাপুর থেকে আগত ধারা নামক গদাটির ছয়টি ফলাযুক্ত মাথা এবং অস্টভুজাকৃতির ইস্পাতের সরু-হাতল ছিল। এটি লম্বায় ছিল দু ফুট (০.৬১ মিটার)। *গারগাজঃ এটি ছিল অথবা ৭টি ফলাযুক্ত মাথাবিশিষ্ট এবং এর হাতলের চারিপাশ ঘেরা ছিল ঝুড়ির মতোন অংশে (basket hilt) যা জাতকে সুরক্ষা দিতো। এটি দৈর্ঘ্যে ২.৪-২.১০ ইঞ্চি (৬১-৫৩ মিলিমিটার) ছিল। *খুন্ডলি ফাঁসিঃ এটি এটি এক ইঞ্চি (২৫ মিলিমিটার) লম্বা ছিল এবং এর হাতলের মাথা ছিল ফাঁকা *কস্তনীঃ এটি এমন একপ্রকার অস্ত্র যা পুস্ত-খার (পিঠ খামচে আহতকারো অস্ত্র) এর ন্যায় গদা শ্রেণীভুক্ত। হাতের আকৃতিতে বানানো এই অস্ত্রটি ইস্পাতের তৈরি। *খার-ই-মাছই বা ‘মাছের মেরুদন্ডীয় কাঁটাঃ এই গদার সোজা মাথার দুপাশ থেকে ইস্পাতনির্মিত কণ্টকের ন্যায় ধারালো অংশ বেরিয়ে থাকতো। *গুজবাগঃ গুজবাগ নামক অস্ত্রটি ছিল হাতি নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণ দেবার কাজে ব্যবহৃত এক প্রকার অস্ত্র (অঙ্কুশ)। ===== যুদ্ধ-কুঠার ===== ১) লাঠির ভেতরে লুকিয়ে রাখা ছোরা (Dagger Crutch বা fakir's crutch) বা ভিক্ষুকের ক্রাচ তথা লাঠি, ২) তাবার (যুদ্ধকুঠার), ৩) অষ্টফলাযুক্ত ঢেউ খেলানো গদা, ৪) তাবার নামক যুদ্ধকুঠার, ৫) জাঘনাল (যুদ্ধকুঠার), ৬) লাঠির ন্যায় তরবারি (মুঘল আমলের) সূঁচাল মাথা এবং দুইধারবিশিষ্ট ফলাওয়ালা কুঠারের নাম ছিল 'জাঘনল' তথা কাকের চঞ্চু। দ্বিমাথাযুক্ত কুঠার যার হাতলের একপাশে চওড়া ফলাবিশিষ্ট এবং অন্যপাশে তীক্ষ্ণ ফলাবিশিষ্ট ব্লেড থাকলে তাকে তাবার জাঘনল বলা হতো। লম্বা হাতলযুক্ত 'তারানগালাহ' নামক আরও একপ্রকারের কুঠারও ব্যবহৃত হতো। তাবারের হাতল ছিল সাধারণ ১৭-২৩ ইঞ্চি (৪৩০-৫৮০ মিলিমিটার) লম্বা এবং এর মাথা ছিল একদিকে ৫-৬ ইঞ্চি (১৩০-১৫০ মিলিমিটার) অন্যদিকে ৩-৫ ইঞ্চি (৭৬-১২৭ মিলিমিটার) দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট। কিছু কিছু কুঠারের মাথা ছিল এবং তার হাতলের একটি অংশ ছোরা লুকিয়ে রাখার জন্য ফাঁপা রাখা হতো। ‘বাসোলাহ’ নামক কুঠারটি ছিল অনেকটা বাটালির ন্যায় দেখতে এবং প্রচুর কারুকার্যপূর্ণ রূপোর কুঠারগুলো সভাসদবৃন্দ দরবারে প্রদর্শনার্থে বহন করতেন। ===== বর্শা ===== মুঘল আমলের রাইফেল, বর্শা এবং হাতলযুক্ত বাঁকা ফলকওয়ালা ভারী তলোয়ার যা অশ্বারোহীদের দ্বারা ব্যবহৃত হতো। এই ধরণের অস্ত্রের নানান ধরণের প্রকরণ ছিল। অশ্বারোহী সেনারা সাধারণত ঘোড়সওয়ারদের বিশেষ শর ব্যবহার করতো এবং পদাতিক সেনা সম্রাটের দরবার ঘিরে থাকা রক্ষীরা অন্য ধরণের বর্শা ব্যবহার করতো। এছাড়াও জ্যাভেলিন বা খাটো বর্শা, যা ছুঁড়ে মারা যেতো, তারও ব্যবহার থাকার প্রমাণ মিলেছে, বিশেষত মারাঠাদের মধ্যে। *নেজাহ্ঃ নেজাহ্ ছোট ইস্পাতনির্মিত মাথা লম্বা বাঁশের তৈরি হাতলযুক্ত একপ্রকার অশ্বারোহী সেনার বর্শা যা কিনা নেজাহ্-বাজান করে বহন করা হতো। মারাঠা অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডারেই এই অস্ত্রটি বেশি দেখা যেতো এবং বলা হয় কোনো শত্রুপক্ষের অশ্বসেনাবাহিনীই এগুলোর মুখোমুখি হলে টিকে থাকতে সক্ষম ছিল না। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রায় ২০,০০০-৩০,০০০ বর্শা শত্রুসেনার উদ্দেশ্যে তৈরি রাখা হতো এবং এগুলোকে এমন আঁটসাঁটভাবে প্রস্তুত রাখা হতো যেন শরবিদ্ধ মানুষের সারির মাঝে কোনো স্থান ফাঁকা (যেখানে বর্শা পৌঁছয়নি) না থাকে। যদি অশ্বারোহী সেনারা এই সকল ওপর দিয়ে একে অতিক্রম করার চেষ্টা করতো তাহলে এগুলোয় থাকা বর্শার ফলা আগুয়ান সেনাদের মাঝে সংঘর্ষ ঘটিত হয়ে সেনারা অশ্বচ্যুত হয়ে যেতো। অশ্বসেনা আক্রমণের সময় যদি নেজাহ্ এর সহিত শত্রুসেনার অস্ত্রের সংঘর্ষ হতো তাহলে তার পরিণামস্বরূপ এতো বেশি জোরে শদব হতো যে প্রতিপক্ষের ঘোড়াগুলো ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে উল্টো ঘুরে গিয়ে প্রচণ্ড বেগে দৌড়ে পালাতো। সাধারণত অশ্বারোহী একজন মানুষ তার মাথার ওপরে তুলে হাতের বাহুর সাথে সমান্তরালে বর্শা ধরতেন। বাঁশ ইস্পাত সহযোগে অস্ত্রটি তৈরি হতো। *বার্ছাহ্ঃ বার্ছাহ্‍ও একপ্রকার মুঘল অস্ত্র যা কিনা মারাঠাদের দ্বারাও ব্যবহৃত হতো। লৌহ বা ইস্পাতনির্মিত মাথা হাতলযুক্ত এই ভারী বর্শাটি পদাতিক সৈন্যদের দ্বারাই ব্যবহৃত হতো, কেননা, ঘোড়সওয়ারদের ব্যবহারের জন্য এটি বেশ ভারী ছিল। *সাঙঃ সাঙ ছিল পুরোপুরি লৌহনির্মিত বর্শা যা সাধারণত বার্ছাহ্ এর চেয়ে খাটো হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা ৭.১১ ফুট (২.১৭ মিটার) পর্যন্তও লম্বা হতো এবং এই লম্বা বর্শাগুলোর মাথার দৈর্ঘ্য ছিল ২.৬ ফুট (০.৭৯ মিটার)। অস্ত্রটির ছিল লম্বা, সরু তিন থেকে চারটি মাথা, ইস্পাতের হাতল এবং এর হাত দিয়ে ধরবার অংশটি ছিল মখমলমোড়া। *সাইন্থিঃ এর হাতল ছিল সাঙ এর চেয়ে খাটো আকৃতির। *সেলারাহ্ঃ সাইন্থির চেয়ে চেয়ে লম্বা কিন্তু সাঙ এর চেয়ে খাটো মাথা হাতলবিশিষ্ট এই বর্শা। *বল্লমঃ এই বর্শা তথা শরগুলো ক্রমশ বেঁকে তীক্ষ্ণ হওয়া মাথা কাষ্ঠনির্মিত হাতলযুক্ত এবং এগুলো লম্বায় ছিল ৫.১১ ফুট (১.৫৬ মিটার), যার মধ্যে ১৮ ইঞ্চি (৪৬০ মিলিমিটার) ছিলো এর ফলার দৈর্ঘ্য। পদাতিক সৈন্যদের দ্বারা ব্যবহৃত বল্লম ছিল চওড়া মাথাযুক্ত এক খাটো আকারের বর্শা। *পান্ডি-বল্লমঃ শূকর শিকারে ব্যবহৃত এই বর্শাটি অনেকটা ''Aspidistra elatior'' গাছের পাতার ন্যায় দেখতে ফলা এবং বাঁশের হাতলে তৈরি ছিল। বর্শাটির সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছিল ৮.৩ ফুট (২.৫ মিটার) যার মধ্যে ফলার দৈর্ঘ্য ছিল ২.৩ ফুট (০.৭০ মিটার)। *পাঞ্জমুখঃ পাঁচটি মাথাবিশিষ্ট এই বর্শাটি গুজরাটের লোকেরা ব্যবহার করতো। *লাঙ্গেঃ এই একপ্রকার মুঘল শর যা চারটি চারকোনে থাকা মাথা একটি ফাঁপা হাতলযুক্ত ছিল। *গার্হিয়াঃ এটি ছিল সম্ভবত দীর্ঘ শূলাকৃতির বল্লম, জাভেলিন কিংবা বর্শাশ্রেণীর অস্ত্র। *আলমঃ এটি একপ্রকার বর্শা (সুচারুরূপে নিখুঁত বা চমৎকার)। *কন্টঃ এক প্রকারের বর্শা। *গান্দাসাঃ এটি বড়শির ন্যায় বাঁকানো বর্শা কিংবা প্রান্তভাগে ফলাযুক্ত কুঠার যার ইস্পাতের ফলা লম্বাকৃতির দণ্ডের অগ্রভাগে লাগাবো থাকতো। গ্রামের চৌকিদার বা গ্রাম্য রক্ষীর দ্বারা এটি ব্যবহৃত হতো। ===== খঞ্জর এবং ছুরি ===== এগুলো ছিলো নানান আকৃতি প্রকারের, যার প্রত্যেকটিই পৃথক পৃথক নামে অভিহিত ছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে ব্যবহৃত মুঘল সাম্রাজ্যের ছোরা, যার রয়েছে পানির ন্যায় অবয়বযুক্ত ইস্পাতের ফলা এবং নেফ্রাইটের হাতল। হাতলে সোনা, চুনি এবং পান্নাখচিত কারুকার্য রয়েছে। অবস্থান: ফ্রিয়ার গ্যালারি অফ আর্ট- DSC05186 *কাটারা তথা কাটারিঃ এটি হালকা ওজনবিশিষ্ট আক্রমণে ব্যবহার্য ছোরা যা কিনা অনেকটা ফরাসী poignard (ছোট সরু আকৃতির ছোরাবিশেষ) এর সমতুল্য এবং ভারতে কিছুটা বিচিত্রও বটে। এর হাতলের দুইটি অংশ হাত এবং বাহুর কিঞ্চিৎ অংশকে সুরক্ষা দেবার জন্য বাহু বরাবর দুই পাশে প্রসারিত। এই অস্ত্রটির মোটা ফলা এবং দ্বিমুখী ধারালো কাটার অংশ রয়েছে যা হাতল অংশে প্রস্থে ইঞ্চি (৭৬ মিলিমিটার) এবং ফলাযুক্ত দৃঢ় অংশে ইঞ্চি (২৫ মিলিমিটার)। এর ফলাটিকে বাঁকানো যেতো না এবং এটি এতটাই শক্ত ছিলো যে ধাতবনির্মিত শক্ত বর্ম ব্যতীত অন্য কোনো কিছুই এটিকে আটকাতে পারতো না। একটি কাটারার পুরো দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি (৫৬০ মিলিমিটার) পর্যন্ত হতে পারে যার অর্ধাংশ জুড়েই এর ফলার উপস্থিতি। ফলার ডানদিকে হাতলটির সাথে একটি ক্রসবার যুক্ত ছিল যার মাধ্যমে অস্ত্রটিকে এমনভাবে ধরা যেতো যাতে এটিকে শুধুমাত্র সম্মুখভাগে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়। এই অস্ত্রগুলির কিছু কিছু ছিল হালকা বাঁকানো আবার কিছু ছিলো কাঁটাচামচের ন্যায় ভাগ করা অংশযুক্ত কিংবা দুইটি ফলাযুক্ত। ফলাগুলি হতো নানান রকমের যার দৈর্ঘ্য ৯-১৭.৫ ইঞ্চির (২৩০-৪৪০ মিলিমিটার) এর মধ্যে হতো। *জমাধারঃ এগুলির কাটারার ন্যায় একই হাতল থাকলেও এদের ফলাগুলো ছিল চওড়া সোজা, যেখানে কাটারার ফলা সোজা বা বাঁকানো উভয় রকমই হতো। জমাধার কাটারির সোজা ফলা এবং তরবারি কিংবা সাধারণ চাকুর ন্যায় হাতল ছিল। *খঞ্জরঃ এটিও পয়েগনার্ডের ন্যায় ছোরাবিশেষ যার হাতল ছিল তরবারির ন্যায় এবং এর ফলাগুলো ছিলো দ্বি-বাঁকযুক্ত। অস্ত্রটি ছিল ১২ ইঞ্চি (৩০০ মিলিমিটার) লম্বা। অস্ত্রটির উদ্ভব হয় তুর্কিদের কাছে, তারা এটিকে উঁচু করে তুলে ধরে কিংবা তাদের ডানপাশে বহন করতো। তবে মাঝে মাঝে পারস্যদেশীয় লোকজন ভারতীয়রাও এটি পরিধান করতো এবং ভারতীয়রা বাঁ পাশে এটিকে বহন করতো। এগুলো ছিলো চার প্রকারের্: জামহাক, ঝাম্বওয়াহ্, বাঙ্ক এবং নরসিং মথ। এগুলোর প্রতিটিই প্রায় খঞ্জরের ন্যায় দেখতে ছিল যদিও কিছু খোটখাটো ব্যতিক্রম পাওয়া যেতো। প্রধানত তুর্কিরা ব্যবহার করতো, কখনো কখনো পারস্যদেশীয় ভারতীয়রাও। *বিছুয়া এবং খাপওয়াহ্ঃ বিছুয়া অর্থ বিচ্ছু, এই ধরনের ছুরিগুলোর বেশ ঢেউয়ের ন্যায় বাঁকা ফলা ছিল, অপরপক্ষে, খাপওয়াহ্ ছিলো একধরনের ছোরা। এটি দেখতে মারাঠাদের ব্যবহৃত জাম্বওয়াহান্দ এর ন্যায় প্রায় একইরকম ছিল। *পেশকাজঃ এটি একপ্রকার চোখা পারস্যের ছোরা যার ফলার ধারালো অংশটি বাঁকানো কিন্তু অন্যপার্শ্ব সোজা (straight back) এবং কোনোপ্রকার আচ্ছাদনবিহীন সোজা হাতলযুক্ত। তবে কখনো কখনো এর ফলা বাঁকানো কিংবা দুবার বাঁকানো থাকতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতলে সুরক্ষা আচ্ছাদনও থাকতো। *কারুদঃ কারুদের আগমন আফগানদের হাত ধরে- এটি অনেকটা কসাইয়ের ছুরির ন্যায় দেখতে এবং এটি খাপে পুরে রাখা হতো। কারুদের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছিল ২.৬ ফুট (০.৭৯ মিটার), যার মধ্যে এর ফলার দৈর্ঘ্যই ছিল ফুট (০.৬১ মিটার)। ‘গুপ্তি-কারুদ’ নামক ছুরিটি লাঠিতে পুরে লুকিয়ে রাখা হতো এবং কামচি-কারুদ ছিলো চাবুকাকৃতির স্থিতিস্থাপক ছুরি। চাকু বাঁকিয়ে লুকিয়ে রাখা যায় এমন ছুরিবিশেষ (clasp knife) ছিল পাঞ্জাবিদের দ্বারা যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্র। কাশঘরের মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত ছুরিবিশেষ। এটি তরবারির ন্যায় লম্বা এবং শের-মাহি নামক (lion-fish) মাছের হাড় দিয়ে তৈরি হাতল বিশিষ্ট এই ধারালো অস্ত্রটি ‘আসোব’ তথা কাঁধ থেকে ঝোলানো বেল্টে ঝুলিয়ে বহন করা হতো। এই যুদ্ধ-ছুরিটি কাশঘরের লোকেরা ব্যবহার করতো। ==== ==== তীর-ধনুক, ম্যাচলক বন্দুক, পিস্তল এবং কামানসহ চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের অস্তিত্ব ছিল। অশ্বারোহী সৈন্যদের কাছে প্রধানত ধনুক থাকতো কেননা মুঘল অশ্বারোহী সেনারা তাদের ধনুর্বিদ্যার জন্য সর্বজনবিদিত ছিল। কথিত কিংবদন্তী আছে যে, তীর ধনুক সরাসরি জান্নাত থেকে ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে আনিত হয় এবং তিনি সেটি হযরত আদম (আ.) কে দেন। ব্যক্তিগত অস্ত্রগুলো পদমর্যাদার বলে ছিলো এরূপে নিম্ন থেকে উচ্চস্তরে বিভক্ত ছিল: ছোরা, তরবারি, বর্শা এবং সর্বোচ্চ মর্যাদার অস্ত্র তীর-ধনুকবিশিষ্ট সেনা। যদিও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার তখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, তীর-ধনুকের ব্যবহার এর চমৎকার নির্মাণ কাঠামো সহজে ব্যবহার্যতার দরুণ অস্টাদশ শতাব্দী জুড়ে বিরাজ করেছিল। ১৮৫৭ সালে ভারতীয় বিপ্লবের (সিপাহী বিদ্রোহ) সময় বিপ্লবীরা বেশমাত্রায় তীর-ধনুকের ব্যবহার করেছিল। ম্যাচলক- এটি একপ্রকার ভারী এবং নিঃসন্দেহে কার্যকরী সমরাস্ত্র যা পদাতিক সৈন্যের জন্য বরাদ্দ ছিল যেখানে পিস্তলের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। মুঘল গোলন্দাজ যদিও এর খরচাপাতির অঙ্কটা অনেক বেশি ছিল তবুও শত্রুপক্ষের লড়াকু যুদ্ধহাতির বিরুদ্ধে এটি অত্যন্ত কার্যকরী ছিল এবং এটির ব্যবহার অনেকগুলি দোদুল্যমান বিজয়কে নিশ্চিত করেছিল। বাবুরের গোলন্দাজবাহিনী ষোড়শ শতাব্দীতে ইব্রাহীম লোদীর সেনাবাহিনীকে পরাভূত করার পর থেকে পরবর্তী মুঘল সম্রাটগণ যুদ্ধাঙ্গনে গোলন্দাজবাহিনীর ব্যবহারকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মানসূচক রণাস্ত্র হিসেবে দেখতে শুরু করেন। ===== তীর-ধনুক ===== তীর-ধনুক হুক্কা-পাইপ হাতে ধরা অবস্থায় মুহম্মদ শাহ্‍ এর দণ্ডায়মান চিত্র। নিজস্ব অস্ত্রচালনায় পারদর্শী হিসেবে সুবিদিত মুঘল অশ্বসেনারা তীর-ধনুকে সজ্জিতাবস্থায় বন্দুকধারী সৈন্যদের চেয়ে নিক্ষেপক অস্ত্রছোঁড়ায় প্রায় তিনগুণ দ্রুত ছিলেন। আদর্শ মুঘল তীর-কামান (ধনুক) ছিল প্রায় ফুট (১.২ মিটার) লম্বা এবং দ্বিবাঁকযুক্ত আকৃতির, যার হাতে ধরার স্থল ছিল মখমলে মোড়া। প্রাণীর শিং, কাঠ, বাঁশ, হাতির দাঁত এবং কখনো কখনো ইস্পাত দিয়েও এটি তৈরি করা হতো। কয়েক ছড়া মোটা তার দিয়ে টানা হতো মুঘল ধনুকের অবতল পার্শ্ব (টানাবস্থায় উত্তল) যেন তা স্থিতিস্থাপকতা বলের যোগান দেয়। তীরের পেটের অংশটি ছিলো সুন্দরভাবে ঘন কালো রঙে পালিশ করা মহিষ কিংবা জংলি ছাগলের শিং দিয়ে তৈরি। এর সাথে শক্ত কাঠের পাতলা পাতের ন্যায় অংশ আঠা দিয়ে লাগানো থাকতো। ধনুকের অগ্র পশ্চাত্‍ শীর্ষে চল অনুসারে সাপের মাথার আকৃতি দেয়া হতো, শিং এর তৈরি অংশটিতে কোনো কারুকার্য করা হতো না এবং কাঠের তৈরি পিঠের অংশ সোনায় মোড়ানো পাখি, ফুল-ফল, লতাপাতা ইত্যাদির চিত্রবিচিত্র অলংকরণে শোভিত ছিল। পর্যটকদের বহনকৃত ভারতীয় ধনুক প্রদর্শনী কিংবা বিনোদনকার্যে ব্যবহৃত হতো। এই ধরণের ধনুকগুলো মহিষের শিং দিয়ে তৈরি হতো, দুইটি একই রকমভাবে বাঁকা শিং বাঁকিয়ে এটি তৈরি করা হতো যার প্রতিটির বাইরের দিকের প্রান্তভাগে কাঠের তৈরি সূক্ষ অগ্রভাগ ছিল জ্যা পরাবার কাজে ব্যবহারের জন্য। শিং দুটির অপর প্রান্তভাগের অংশদুটি একসাথে এনে শক্ত কাঠের টুকরোর সাথে কষে বেঁধে ফেলা হতো। এই কাঠের টুকরোটি ধনুকের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করতো এবং এটিকে বাম হাত দিয়ে ধরা হতো। ধনুক তৈরির পর এগুলোকে মাপমতো প্রাণীজ তন্তুওতে মোড়ানো হতো এবং তার ওপর মিহি দড়ি মুড়ে পাতলা আবরণ দেয়া হতো অন্তিম কার্য হিসেবে রঙ বার্নিশের চূড়ান্ত প্রলেপ দেয়ার পূর্বে। ধনুর্গুণ বা জ্যাগুলো কখনো কখনো সাদা সিল্কের শক্তিশালী সুতো দিয়ে তৈরি হতো যা পরষ্পর পেঁচিয়ে ১.২৫ সেন্টিমিটার (০.৪৯ ইঞ্চি) ব্যাসার্ধের সিলিন্ডারের ন্যায় আকৃতি তৈরি করতো। একই বস্তু দ্বারা মধ্যিখানে তিন থেকে চার ইঞ্চি পেঁচানো হতো এবং এই মধ্যভাগেই রক্তাভ লাল কিংবা অন্যরঙের বড় বড় ফাঁসযুক্ত বস্তু জটিল গিঁটের মাধ্যমে যুক্ত থাকতো। এই জাঁকালো ফাঁসগুলো তখন সাদা সিল্কের বিপরীতে লক্ষণীয় রঙবৈচিত্র্য প্রকাশ করতো। ধনুকের জ্যা যেখানে লাগানো হতো সেই অংশটি মূল্যবান রত্নপাথরখচিত বড় রিং আকৃতির হতো এবং এই মূল্যবান রত্নটি পদমর্যাদার পদাধিকারবল অনুসারে নানাবিধ হতো যেমন: স্ফটিক, জেডপাথর, হাতির দাঁত, শিং, মাছের কাঁটা/হাড়, সোনা কিংবা লৌহ। ====== বিশেষায়িত ধনুক ====== *চার্খঃ এটি একপ্রকার আড়ধনুক যা চার্খ গোত্রীয় মানুষেরা ব্যবহার করতো। *তক্ষ কামানঃ এটি একপ্রকার ছোট ধনুক। এটি আধুনিক গুলতির ন্যায় ছোট ছোট গুলি ছোঁড়ার ধনুক যা ছোট ছেলেরা পরিণতপ্রায় ফসলের থেকে পাখি তাড়াতে ব্যবহার করতো। *গোভানঃ এগুলোও গুলতির ন্যায় যেগুলো বানদাহ্ এর নেতৃত্বে শিখদের ১৭১০ সালে করা আক্রমণ থেকে জালালাবাদ শহরের প্রতিরক্ষাকল্পে গ্রামবাসী সমবেত হবার সময় সাথে এনেছিল। *কামথাহ্ঃ মধ্যভারতের ভীল জনগোষ্ঠীর দ্বারা ব্যবহৃত লম্বা ধনুকবিশেষ। এরা ধনুকটিকে তাদের পা দিয়ে ধরে ধনুর্গুণ (চিল্লাহ্) হাত দিয়ে টেনে ধরে এবং এতটাই শক্তি দিয়ে তীর ছুঁড়তে পারে যে তা হাতির চামড়া পর্যন্ত ভেদ করে যেতে পারে। ভীলদের প্রধান অস্ত্র ছিল কাম্পতি তথা বাঁশের ধনুক, যার জ্যা ছিল বাঁশের স্থিতিস্থাপক ছালের তৈরি পাতলা অংশ। ৬০টি কাঁটাযুক্ত তীর যা তূণীর ভেতর একগজ লম্বা, এবং যেগুলি মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হতো সেগুলোয় হাতলের সাথে চোখা মাথাযুক্ত ছিল যেটি মাছের গায়ে আঘাত করতো। তীরের মাথা এবং হাতল লম্বা সূত্রের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতো যেন পানির পৃষ্ঠদেশে হাতলটি ভেসে থাকে। *নওয়াকঃ এটি একপ্রকার চোঙবিশেষ যার মধ্য দিয়ে তীর ছোঁড়া হতো, নওয়াক পাখি মারার কাজে ব্যবহার করা হতো। এটি হয় একটি আড়ধনুকের ন্যায় কিংবা কিছুটা সাধারণ ধনুকের অংশবিশেষের ন্যায় দেখতে। এটি মালয়দের তৈরি ফুঁ দিয়ে বিষাক্ত তীর ছোড়ার ফুঁ-চোঙ নয়। এটির চোঙের বিভিন্ন নমুনা থেকে এর দৈর্ঘ্য পাওয়া গেছে ৬.৬-৭.৬ ফুট (২-২.৩ মিটার) এবং এতে তারা একফুট লম্বা তীর ব্যবহার করতো। *তুফাক-ই-দাহানঃ এটি একপ্রকার ফুঁ-চোঙ যা ফাঁপা চোঙাকৃতির অংশ দিয়ে দম তথা বাতাসের জোরে কাদামাটির ছোট বল ছুঁড়তে ব্যবহৃত হতো। তীরগুলো ছিল দুই প্রকৃতির: সাধারণকার্যে ব্যবহার্যগুলি তৈরির নিমিত্তে নলখাগড়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল এবং যেগুলো বাঘের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতো সেগুলি ছিলো কাঠের হাতলবিশিষ্ট। নলখাগড়াভিত্তিক তীরগুলির মাথা রজনের মাধ্যমে হাতলে লাগানো থাকতো এবং কাঠের হাতলযুক্ত তীরের ক্ষেত্রে হাতলে ছিদ্র করে লোহিত-তপ্ত তীরের মাথা সেখানে বলপূর্বক ঢুকিয়ে দেয়া হতো। ভারতীয় জাদুঘরের কিছু কিছু তীর. (ব্যাখ্যা প্রয়োজন কোনগুলির) ২.৪ ফুট (০.৭৩ মিটার) লম্বা, একটি উদাহরণস্বরূপ, ১৮৫৭ সালে লখনৌতে পাওয়া একটি তীর, ছয় ফুট (১.৮ মিটার) পর্যন্ত লম্বা ছিল এবং এর জন্য স্বাভাবিক গড়পড়তা ধনুকের চেয়ে বড় আকৃতির ধনুক প্রয়োজন ছিল। তীরে যে পালকগুলি ব্যবহার করা হতো তা প্রায়শই কালো সাদার মিশেলে হতো (আবলাক), যেখানে তীরের মাথা বা ফলা হতো সাধারণত ইস্পাতের যদিও ভীলরা হাড়নির্মিত তীরের মাথা ব্যবহার করতো। ===== ম্যাচলক বন্দুক ===== বৃহৎ আকৃতির ম্যাচলক বন্দুক নিয়ে মুঘল সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা তুংফাং হিসেবে পরিচিত ম্যাচলক বন্দুকটির আদি অবস্থা থেকে তার প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন মুঘল সম্রাট আকবর। তবে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এটিকে তীর ধনুকের চেয়ে কম গুরুত্বের চোখে দেখা হতো। ম্যাচলক বন্দুক সাধারণত পদাতিক সেনার এখতিয়ারাধীনই রাখা হতো, যারা কিনা মুঘল সেনাপতিদের তথ্যানুসারে ঘোড়সওয়ার সেনাদের তুলনায় নিম্নস্তরভুক্ত সৈন্য হিসেবে বিবেচিত ছিল। অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগের পূর্বে যতদিন না ফরাসী এবং ইংরেজ সেনারা পদাতিক সেনাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং শৃঙ্খলাচর্চা উন্নতির পদক্ষেপ নিলে সেটিকে পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করে ভারতেও এর চল শুরু হয়। সম্রাট আকবরের ম্যাচলক বন্দুকগুলোর দুটি ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ছিল দু দুরকম: ৬৬ ইঞ্চি (১,৭০০ মিলিমিটার) এবং ৪১ ইঞ্চি (১,০০০ মিলিমিটার)। গোটানো ইস্পাতের পাত দুইপ্রান্ত ঝালাইয়ের মাধ্যমে একত্রিত করে এগুলোকে তৈরি করা হতো। সম্ভবত এরও আগে দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে ফরাসি ইংরেজদের সংসর্গে আসার জন্য ফ্লিন্ট-লক অস্ত্র ব্যবহারের সূচনা হয়েছিল। ম্যাচলকের ব্যারেলগুলোর ধাতব শরীর আরো বিশদ স্বর্ণ রৌপ্যের কারুকাজপূর্ণ ছিল, যে অংশটি শরীরে ভর দিয়ে রেখে তা চালাতে হতো (অস্ত্রের হাতল কিংবা ভিত্তি) সেখানে ধাতব নকশা খচিত ছিল কিংবা বার্ণিশ, রঙ কিংবা বিভিন্ন জিনিসের টুকরো দিয়ে তা সাজানো হতো। কখনো কখনো অস্ত্রটির ভিত্তিতে সোনার স্ফীত অংশ খচিত বা শোভিত থাকতো কিংবা পেছনভাগে হাতির দাঁত অথবা আবলুস কাঠের ঢাকনির ন্যায় আবরণ লাগানো থাকতো। ব্যারেল সাধারণত হাতলের সাথে ধাতব চওড়া বন্ধনী কিংবা ইস্পাত, পিতল, রূপা অথবা স্বর্ণের তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকতো। চওড়া বন্ধনীগুলো অনেকসময় হতো ছিদ্রযুক্ত কিংবা কখনোবা তাতে খোদাইয়ের কাজ করা থাকতো। ভিত্তি কিংবা হাতলগুলো হতো দুই ধরণের: প্রথমত, সরু, কিঞ্চিত বাঁকা এবং সকল অংশেই সমান প্রস্থযুক্ত এবং দ্বিতীয়ত, নিখুঁতভাবে অনেকটা বাঁকানো এবং হাতে ধরার স্থানে সরু, তবে পশ্চাত্‍ভাগে কিছুটা চওড়া। ব্যবহার ব্যতিরেকে ম্যাচলকগুলোকে রক্তলাল কিংবা সবুজরঙা খোলসে ভরে বহন করা হতো। পুরো সরঞ্জামাদির সেটটিতে থাকতো একটি পাউডার ধারক, গুলি রাখার থলে, যুদ্ধশিঙা (সিঙ্গরা), পোড়াবার দড়ি, চকমকি পাথর এবং ইস্পাত যেখানে সবমিলিয়ে সম্পূর্ণ জিনিসটি প্রায়শই একটি মখমলের বেল্টে রাখা হতো যাতে করা থাকতো সোনার সূচিকর্ম। যেসব আধারে করে পাউডার এবং মাস্কেট বলসমূহ (একপ্রকারের গুলি) বহন করা হতো সেগুলো ছিল বেশ ভারী এবং তাই বহনের পক্ষে বেশ কস্টকর, এবং যেহেতু মুঘলসেনারা কখনোই কার্তুজ ব্যবহার করেনি তাদের অস্ত্র লোড করতে অপেক্ষাকৃত দেরী হতো। কোনো কোনো সৈন্য একাই প্রায় বিশ গজেরও বেশি আগুন ধরাবার ফিতে বা দড়ি বহন করতো যা কিনা দেখতে অনেকটা প্যাঁচানো সুতোর বলের মতো ছিল। ====== বিশেষায়িত বন্দুকসমূহ ====== *ক্যাইলেটকঃ এক অদ্ভুত অত্যন্ত লম্বা এবং ভারী ম্যাচলক বন্দুক। এই বন্দুকটিকে প্রায়ই হাতের বাহুর নিচে পরিবহন করা হতো। *জাযাইল বা জাযাইরঃ এগুলো ছিল দুর্গদেয়ালে ব্যবহৃত বন্দুক কিংবা কাঠামোর সাহায্যে বিভিন্নদিকে ঘুরিয়ে ব্যবহার করা যায় এমন তোপ যেগুলো কিনা যুদ্ধসেনাদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলন্দাজবাহিনীর দ্বারা ব্যবহৃত কামানের মাঝামাঝি অস্ত্রবিশেষ এবং এতে দুই ধরণের অস্ত্রেরই বৈশিষ্ট্য গুণাগুণ বিদ্যমান ছিল। জাযাইলের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৭-৮ ফুট (২.১-২.৪ মিটার)। বিভিন্ন ক্যালিবারের (বন্দুকের ব্যারেলের ছিদ্রের ব্যাস) ম্যাচলকগুলো ভারতের স্থানীয় অধিবাসীদের দ্বারা দেয়ালে ব্যবহার্য যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো, এগুলো সহজেই ঘুরানো বা নাড়ানো যায় এমন কব্জার ওপর বসানো থাকতো এবং এগুলো থেকে প্রায় এক পাউন্ডেরও (০.৪৫ কেজি) কম ওজনের গোলা ছোঁড়া হতো। যুদ্ধ ময়দানে কখনো কখনো এগুলোকে উটের পিঠে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া হতো। দুই বা ততোধিক আউন্স ওজনধারী হতো ভারতীয় জাযাইলের গোলাগুলি। জিনযাল বা ভারী ম্যাচলক সাধারণত দুর্গ প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহৃত হতো। এগুলো এক থেকে তিন আউন্স ওজনের গোলা বহনে সক্ষম ছিল। এগুলোর ব্যারেল বা নলগুলো ছিল বৃহদাকার, মধ্যবর্তী কালক্ষেপন ব্যতীত একেবারে ব্যবহার করার পক্ষে বেশ ভারী। অনেকগুলিরই লোহার তৈরি প্রায় এক ফুট লম্বা দাঁড়ার ন্যায় অংশ ছিল, যা সরু মুখনলের অদূরে ক্ষুদ্র পিভটের ওপর যুক্ত ছিল। দেয়াল, ঝোপ কিংবা মাটি যেখানেই রাখা হোক না কেনো এটি ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করতো। মাটিনির্মিত দুর্গ বিশেষত বুন্দেলখন্ডে, অবরুদ্ধ সেনারা অসাধারণ করদক্ষতার সাথে কাজ করেছিল, এমনকি বেশ অনেক দূরত্বও তারা প্রায় নির্ভুলভাবে মাথায় কিংবা হৃদপিণ্ডের নিকটে নিশানাবিদ্ধ করেছিল যা প্রায় লক্ষ্যচ্যুত হয়নি বললেই চলে। ভারতীয়দের ব্যবহৃত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের ছোট বেলনাকৃতির প্রকোষ্ঠ ছিল এবং সেগুলোর ছিদ্র হতো ছোট, বল আকৃতির গুলিগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভরবেগপ্রাপ্ত হতো। ঘোর-দাহান এক ধরণের জাযাইলের প্রকরণ। এই নাম এর নলের উল্টানো কিংবা চওড়াকৃত মুখকেই নির্দেশ করে। === পিস্তল === পিস্তলগুলিকে ‘তামানচাহ্’ নামে ডাকা হতো। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে পিস্তল ভারতে ব্যবহৃত হতো, কিছুক্ষেত্রে যে কোনো মূল্যে এর ব্যবহারই প্রচলিত ছিল। উদাহরণস্বরূপ, ১৭২০ সালের অক্টোবর মাসে হুসেইন আলি খানের আত্মীয়- এক তরুণ সৈয়দ, তাঁরই হত্যার উদ্দেশ্যে প্রেরিত এক গুপ্তঘাতককে পিস্তলের এক গুলিতে হত্যা করেন। পিস্তল উচ্চপদস্থ সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, খুব কম সংখ্যক সৈন্যেরই ইউরোপীয় পিস্তল এবং তাবানচাহ্ ব্যবহারের সুযোগ ছিল। *শেরবাচাহ্ঃ এই ছোট বন্দুক তথা ব্লান্ডারবাস বন্দুকের আগমন ঘটে পিস্তলের পর। সম্ভবত নাদির শাহ্ এর সৈন্যবাহিনী (১৭৩৮) কিংবা আহমাদ শাহ্ আবদালী এর সেনাবাহিনীর (১৭৪৮-১৭৬১) হাত ধরে ভারতবর্ষে এর আগমন ঘটে। অষ্টাদশ শতকের শেষের এক-চতুর্থাংশে লখনৌ এর কার্যে এক দল পারসিক ঘোড়া নিয়োজিত ছিল যেগুলোকে একত্রে ডাকা হতো- ‘শেরবাচাহ্’ নামে। সম্ভবত তারা এই যুদ্ধাস্ত্র থেকেই এই নাম দিয়েছিল, যা দিয়ে তাদের অস্ত্রসজ্জিত করা হতো। কিংবা এই নামের পেছনে তাদের সম্ভাব্য হিংস্রতা এবং শত্রুপক্ষের রক্তের জন্য তাদের রক্তপিপাসু মনোভাবও দায়ী হতে পারে। ==== গোলন্দাজবাহিনী ==== রত্নাম্ভর দুর্গ আক্রমণের সময় বলদ কর্তৃক পাহাড়ের ওপরে টেনে তোলা হচ্ছে অবরোধ বন্দুক। Fort মুঘল সৈন্যবাহিনী বেশ বড় পরিসরের গান পাউডার বা বারুদভিত্তিক অস্ত্র ব্যবহার করতো যেগুলো ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের চেয়ে বড় ছিল। এর মধ্যে রকেট ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে চলমান বন্দুক এমনকি চৌদ্দ ফুটেরও (৪.৩ মিটার) বেশি লম্বা সুবিশাল কামানও ছিল যা কিনা একদা "বিশ্বের সর্বাধিক বিশালকায় অস্ত্র" হিসেবে বিবেচিত ছিল। এই ধরণের ভারী এবং হালকা গোলন্দাজবাহিনী আকারে বিভক্ত ছিল। যুদ্ধময়দানে ব্যবহৃত চলমান কিছু কিছু ইতিহাসবিদ মুঘল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় সামরিক শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এসকল সেনাদলকে তাদের অধিকাংশ প্রতিপক্ষের তুলনায় অনন্যভাবে আলাদা হিসেবে গণ্য করেছেন। এছাড়াও এটি ছিল সম্রাটের পদমর্যাদার প্রতীক, তাই সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ যাত্রাগুলোতে গোলন্দাজবাহিনীর একাংশ সর্বদা মুঘল সম্রাটের সঙ্গে সঙ্গে চলতো। প্রতিপক্ষের হাতিসমূহ যেগুলো কিনা ভারতীয় উপমহাদেশের যুদ্ধগুলোতে অত্যধিক পরিমাণে দেখা যেতো, সেগুলোর মোকাবেলায় মুঘলরা মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে গোলন্দাজ সেনাদের ব্যবহার করতো। তবে যদিও কামানের নিশানাভেদ আরো নিখুঁত করার উদ্দেশ্যে সম্রাট আকবর নিজেই ব্যক্তিগতভাবে তার কামানবাহী রথসমূহের নকশা করেন, তবুও মুঘল গোলন্দাজবাহিনীর ছোঁড়া গোলাসমূহ সবচেয়ে কার্যকরী ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের হাতিগুলোকে ভয় দেখাতেই। প্রতিপক্ষ সৈন্যদলে এভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলাই মুঘল সেনাবাহিনীকে তাদের শত্রুর ওপর বিজয় হাসিলে ভূমিকা রাখতো। প্রাণীজ-উত্‍স থেকে তৈরি কব্জাসমৃদ্ধ সক্ষম তোপগুলো মুঘল যুদ্ধবিগ্রহের একটি বৈশিষ্ট্যে পরিণত হতেছিল যার ভিত্তি ছিল ৬.৭ ফুটেরও (২ মিটার) বেশি লম্বা দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট, যা থেকে ছোঁড়া গোলার ব্যাস ৩.৮-৪.৭ ইঞ্চি (৯৯-১১৯ মিলিমিটার)। == গ্যালারি == File:1526-First Battle of Panipat-Ibrahim Lodhi and Babur.jpg|ষোড়শ শতাব্দীর মুঘল যুদ্ধদৃশ্য। File:A Mughal শতাব্দীতে অঙ্কিত মুঘল সৈনিক। File:Tanding figure of an শতাব্দীর মুঘল সেনা কর্মকর্তা। File:Elephants pushing cannons drawn by শতকের মাঝামাঝি সময়ে, কোটা নামক স্থানে হাতির দল বলদের দ্বারা টানা কামানে ধাক্কা দিচ্ছে। == টীকা == এই নিবন্ধটি William Irvine এর লেখা 'The army of the Indian Moghuls: its organization and administration' শীর্ষক রচনা থেকে লেখা হয়েছে। এটি ১৯০৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং বর্তমানে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের নিকট উন্মুক্তকৃত। == তথ্যসূত্র == Richards, J.F. (1995). The Mughal Empire. ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস. ISBN 9780521566032. সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনী সৈন্য অস্ত্র-শস্ত্র সমূহ'''ফিরোজা বেগম চিনু''' (জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সংরক্ষিত নারী আসন-৩৩ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমাবস্থায় নির্বাচিত অপর ৪৭ জন সদস্যের সাথে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ “সংসদ সদস্য” পদে নির্বাচিত হন। == জন্ম পারিবারিক পরিচিতি == == শিক্ষাজীবন == == কর্মজীবন == == রাজনৈতিক জীবন == == সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড == == পুরস্কার, স্মারক সম্মাননা == == আরও দেখুন == ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪; বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যদের তালিকা। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মাননীয় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত জীবনী। ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক প্রকাশিত ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। জন্ম ব্যক্তি মুসলিম জেলার ব্যক্তি বাংলাদেশী নারী বিষয়শ্রেণী:দশম জাতীয় সংসদ সদস্য সংসদের মহিলা সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ'''যাজি বিটজ''' (জন্ম জুন ১, ১৯৯১) হলেন একজন জার্মান বংশোদ্ভূত, মার্কিন অভিনেত্রী, যিনি হাস্যরস দৃশ্যকাব্যের মার্কিন চলচ্চিত্র ''আটলান্টা'তে "ভ্যানেসা" নামক ভূমিকাটির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এছাড়াও ২০১৬ সালে, তিনি মার্কিন সম্প্রচার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেটফ্লিক্স-এর হাস্যরস দৃশ্যকাব্যের সাহিত্য সংকলনমূলক ধারাবাহিক ''ইজি'' আবির্ভূত হয়েছেন। বিটস, ২০১৮ সালে মুক্তি পেতে যাওয়া কল্পবিজ্ঞান দৃশ্যকাব্য সমৃদ্ধ জনপ্রিয় মার্কিন চলচ্চিত্র ডেডপুল ২-এ জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থ্যা মার্ভেল কমিকস এর একটি চরিত্র নিসা টুরম্যান ডমিনো ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ==প্রাথমিক জীবন== বিটজের জন্ম, ১৯৯১ সালের ১লা জুন তথা শনিবার, জার্মানীর রাজধানী বার্লিন শহরে। তার জার্মান পিতা একজন আসবাবপত্র নির্মাতা এবং তার আফ্রিকা-মার্কিন একজন সমাজ সেবক। শিশুকাল থেকেই বিভিন্ন কমিউনিটি নাট্যমঞ্চ এবং স্থানীয় মঞ্চায়নে অভিনয় করার কারণে, যাজি তার গ্রেড স্কুলে এর মধ্যে আনন্দ খুজে পেয়েছিলেন এবং একজন মেয়ে হিসেবে অভিনয় করার মাধ্যমে বেড়ে উঠেন। যাজি নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটন পৌরসভার উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত আপটাউন-এ লালিত-পালিত হন, সেখানে অবস্থিত তাদের বাসভবনে তার পিতা-মাতার সাথে ইংরেজী এবং জার্মান উভয় ভাষাতেই ভাবের আদান প্রদান করার মাধ্যমে। তিনি "মস্কোটা নিউ স্কুল", দ্য হার্লেম স্কুল অব আর্টস এবং লাগার্ডিয়া আর্টস হাই স্কুল থেকে প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। তিনি নিউ ইয়র্ক রাজ্যের সারাটোজা শহরে অবস্থিত স্কিডমোর কলেজ-এ পড়াশোনা করেন, যেখান থেকে তিনি ফরাসী ভাষায় একটি স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== বিটজ বর্তমানে নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটন পৌরসভার উত্তর অংশে অবস্থিত হার্লেম নামক স্থানে বসবাস করছেন, যেখানে তিনি কয়েকটি নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক চলচ্চিতে কাজ করছেন। তিনি মার্কিন এবং জার্মানের দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। ==চলচ্চিত্র সমূহ== সাল শিরোনাম ভূমিকা মন্তব্য ২০১৩ ''দ্য ক্রোকোট্টা'' দ্য ক্রোকোট্টা সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র ২০১৪ ''বিস্টস'' এলি সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র ২০১৫ ''অ্যপলসস্'' রেইন ২০১৫ ''ডাবল বাইন্ড'' বেইলি সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র ২০১৬–বর্তমান ''আটলান্টা'' ভেনেসা "ভ্যান" কিফার টি পর্ব ২০১৬ ''মার্গট ভার্সেস লিলি'' এলি ছোট পর্দার শল্প পর্বের ধারাবাহিক ২০১৬ ''ওলভস'' ভিক্টোরিয়া ২০১৬ ''ফাইন্ডিং হার'' কেইশা ২০১৬ বেস্ট ফ্রেন্ড ফরেবার'' ইভানা সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র ২০১৬–১৭ ''ইজি'' নোয়েলি টি পর্ব ২০১৭ ''সলার্স পয়েন্ট'' কোর্টনী ২০১৭ ''জিওস্টরর্ম'' ডানা ২০১৮ ''ডেডপুল ২'' নিসা টুরম্যান ডমিনো চিত্রায়নের পরবর্তী কাজ চলছে ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম থেকে আগত ব্যক্তি ব্যক্তি অভিনেত্রী অভিনেত্রী অভিনেত্রী বংশধর জার্মান ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জার্মান ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী জার্মান অভিনেত্রীফটিকছড়ি উপজেলায় অবস্থিত এই প্রাথমিক বিদ্যালয় টি। ফটিকছড়ি পৌরসভার নং ওয়ার্ডে হাজী আনোয়ার আলী সওদাগর বাড়ীর সামনে এই বিদ্যালয়টি। চট্রগ্রাম খাগড়াছড়ি হাইওয়ের নিকটে বিবিরহাট বাজারের পশ্চিমে প্রসিদ্ধ বাড়ী হাজী আনোয়ার আলী সওদাগর বাড়ীর ফটকে এই বিদ্যালয়টি। চট্রগ্রাম বিভাগীয় হিসাব অনুযায়ী ফটিকছড়ি উপজেলাসদর উত্তর চট্রগ্রাম বিভাগের আওতাভুক্ত। ফটিকছড়ি খুবই প্রসিদ্ধ একটি জায়গা। বর্তমানে প্রধান ফটিকছড়ি সদর পৌরসভাধীন। ফটিকছড়ি পৌরসভা নামে পরিচিত প্রধান উপ-জেলাসদরটি। পৌরসভার প্রধান ফটক এবং ফটিকছড়ি উপজেলার প্রসিদ্ধ স্থান এবং প্রসিদ্ধ বাড়ী হাজী আনোয়ার আলী সওদাগর বাড়ীর সংলগ্ন আনোয়ার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। চট্রগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়কপথ এর সংলগ্ন ফটিকছড়ি, বিবির হাট বাজারের প্রধান ফটক স্থানে এইটি হাজী আনোয়ার আলী সওদাগরের স্মৃতিপট হিসেবে স্থাপিত। হাজী আনোয়ার আলী সওদাগরের পরিবারবর্গ বিদ্যালয়টি তাদের বাড়ীর সামনে স্থাপিত করেছেন এবং সংলগ্ন জামে মসজিদ এবং স্থানীর শিশু কিশোদের জন্য ফোরকানীয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেছেন, এছাড়া সকলের সাহায্যকেন্দ্র হিসেবে হাজী আনোয়ার আলী সওদাগরের পরিবারবর্গ কাজ করে যাচ্ছেন। উত্তর চট্রগ্রামে হাজী আনোয়ার আলী সওদাগর প্রসিদ্ধ জমিদার, ব্যাবসায়ী, সমাজ সেবক এবং বিশিষ্ট দানবীর ছিলেন। উত্তর চট্রলায় খুব প্রসিদ্ধ তিনি এবং তার পরিবার। তিনি তার পরিবারপরিজনদের জন্য বিস্তৃত স্টেইট ওয়াক্‌ফনামা করে দিয়েছেন এবং এলাকাজুড়ে এবং ফটিকছড়ি উপজেলা জুড়ে তাদের বিশাল স্টেইট রয়েছে। কিছু স্টেইট কবরস্থান হিসেবে ব্যাবহার করার জন্য দান করেছেন প্রধান ফটিকছড়ি সদরে যেটা বর্তমানে হামজার টিলা নামে পরিচিত। তাদের বিশাল স্টেইটের মধ্যে একটি হলো বরবিল স্টেইট, উত্তর ফটিকছড়ি। ফটিকছড়ি উপজেলাধীন আনোয়ার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়'''হংকং-এর ইতিহাস''' বলতে ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি ব্যবসায় বন্দরকে বুঝায়। প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হয় এই অঞ্চলে পুরা প্রস্তর যুগ থেকে বসতি ছিল এবং পরবর্তিতে কিন সাম্রাজ্যকালীন (২২১-২০৬ খ্রিস্টপূর্ব) চীনের সাম্রাজ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়। মৎসশিকার বা চাষের গ্রাম এবং লবণ উৎপাদনের অঞ্চল হিসেবে গোড়াপত্তন হয়, পরবর্তিতে হংকং একটি গুরুত্বপূর্ণ মুক্ত বন্দরে এবং অবশেষে একটি প্রধান আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। == প্রাগৈতিহাসিক যুগ == প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হয় ৩০ হাজারেরও বেশি সময় ধরে হংকং-এ মানুষের পদচারণা। ওয়াং তেই টাং এর অন্তর্গত সাই কুং-এ আদিম প্রস্তর যুগের পাথরের তৈরী সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে। সাই কুংয়ে পাওয়া পাথরের সরঞ্জামগুলো সম্ভবত একটি পাথরের সরঞ্জাম তৈরীর স্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে। বহির্মুখী দ্বীপ উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর খোদাইও পাওয়া গেছে, সম্ভবত সাথে সেগুলি সম্পর্কিত। আদিম প্রস্তর যুগ থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ ফলাফলগুলি জানা যায় হংকং-এর সবচেয়ে প্রাচীন বসতিগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওয়াং তেই টাং (黃 峒)। == চীনের শাসনামল (২২১ খ্রিস্টপূর্ব ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ) == ১৮৬৬ সালে বাওয়ান কাউন্ট্রির ম্যাপ। এখানে দেখা যাচ্ছে যে হংকং এবং শেনঝেন, কিং সাম্র্যাজ্যের বাওয়ান কাউন্টির একটি অংশ হিসেবে ছিল কিন রাজবংশের সময়ে (২২১ -২০৬ এখনকার হংকংকে নিয়ে গঠিত অঞ্চলটি চীনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং অঞ্চলটি প্রাচীন নানিয়ে রাজ্যের অধীনে (২০৩-১১১ দৃঢ়ভাবে একত্রীকৃত ছিল। কিন রাজবংশের সময়, জিন রাজবংশের শাসনামলের আগ পর্যন্ত অঞ্চলটি প্যানুও প্রদেশের অধীনে শাসিত হয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইঙ্গিত করে যে হান সাম্রাজ্যের সময় (২০৬ খ্রিস্টপূর্ব ২২০ খ্রিষ্টাব্দ) জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৫০-এর দশকে, পূর্ব হান সাম্রাজ্যে (২৫-২২০ খ্রিষ্টাব্দ) ''লেই চেং ইউকে মন্দির'' খনন করা হয় এবং প্রায় ২০০০ বছর আগে হংকংয়ে লবণের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করেন, যদিও অকাট্য কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। হান সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে মিং সাম্রাজ্য (১৩৬৮-১৬৪৪) পর্যন্ত ''তাই পো''-এর সমুদ্র ''তাই পো হৈ'' ছিল চীনের প্রধান মুক্তা শিকার পোতাশ্রয়, দক্ষিণ হান (৯১৭-৯৭১) এর সময়ে এই কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে আসে। চিন সাম্রাজ্য এর সময় থেকে তাং সাম্রাজ্যের গোড়ার দিক পর্যন্ত হংকং বাওয়ান কাউন্ট্রি কর্তৃক শাসিত হয়ে ছিল। তাং সাম্রাজ্যের অধীনে কুয়াংতুং অঞ্চল একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র হিসাবে উদিত হয়েছিল। তুয়েন মান অঞ্চলটি বন্দর, নৌ ঘাঁটি, লবণ উত্পাদন কেন্দ্র এবং পরে মুক্তো শোষণের জন্য একটি ঘাঁটি হিসাবে কাজ করতো, যা এখন হংকং এর একটি নতুন রাজ্য। লানতাও দ্বীপও লবণ উত্পাদন কেন্দ্র ছিল, যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে লবণ চোরাচালানকারীরা হাঙ্গামা করতো। তং রাজবংশের মাঝামাঝি সময়ে থেকে মিং রাজবংশ পর্যন্ত হং কং ডংগুয়ান কাউন্টি দ্বারা শাসিত ছিল। ১২৭৬ সালে মঙ্গোল আক্রমণের সময়, দক্ষিণাঞ্চলীয় সং রাজবংশের আদালত ফুচিয়েনে চলে যায়, তারপর লানতাও দ্বীপে এবং পরবর্তীতে বর্তমানের কাউলোন শহরে চলে যায়। সং সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট ঝাও বিং ১২৭৮ সালের ১০ মে মাত্র বছর বয়সে লানতাও দ্বীপের মাই ইও এর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। কাউলোনে সাং অং তৈ কর্তৃক এট ঘটনার স্মরণার্থ উত্সব হয়েছিল। ১২৭৯ সালের ১৯ মার্চ ওয়ামেনের যুদ্ধে তার পরাজয়ের পরে মউন্ট ওয়াতে (কুয়াংতুং এর আধুনিক ওয়ামেন শহর) শিশু সম্রাট তার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডুবে আত্মহত্যা করে। একজন বীরের নামে তুং চুং উপত্যকার নামকরণ করা হয়, যিনি সম্রাটের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। সম্রাটের একজন কর্মকর্তা হাও অং-কে আজও হংকং-এ উপাসনা করা হয়। মঙ্গোলদের সময়ে হংকং এর জনসংখ্যার প্রথম বারের মত হঠাৎ বৃদ্ধি পায়, কারণ চীনা শরণার্থীরা এই এলাকায় প্রবেশ করেছিল। অনেক শরণার্থী যুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষের জন্য তারিত হয়ে এসেছিল। অন্যরা কর্মের সন্ধানে এসেছিল। কুয়াংতুং, ফুচিয়েন এবং চিয়াংশির হাও, তাং, পাং, লিউ এবং মান এই পাঁচ চীনা বংশধরেরা নতুন অঞ্চল্গুলোতে বসবাস শুরু করে এবং অবশেষে পুণ্টি ভাষী হয়ে ওঠে। অভিবাসন এবং কৃষির বিকাশ সত্ত্বেও, এই অঞ্চল ছিল পাহাড়ী এবং একইসাথে নিষ্ফলা। মানুষকে জীবিকার জন্য নির্ভর করতে হত লবণ, মুক্তা এবং মৎস্য ব্যবসায়ের উপর। কিছু গোষ্ঠী দস্যু, প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী এবং বন্য পশুর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য প্রাচীর বেস্টিত গ্রাম নির্মাণ করেছিল। চিং রাজবংশের চীনা জলদস্যু চেং পো তাসাই হংকং এর একজন কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। মিং রাজবংশের সময় হং কং জিনান কাউন্টি দ্বারা শাসিত হয়েছিল। চিং সাম্রাজ্যের সময় হং কং জিনান কাউন্টির অধীনেই শাসিত হয়েছিল এবং ব্রিটিশদের উপনিবেশের পূর্ব পর্যন্ত এটি বহাল ছিল। সামরিক চৌকি এবং বাণিজ্যিক বন্দর হিসাবে হংকং অঞ্চলটি বিশ্বের মনোযোগ কাড়ে। কাংজি সম্রাট কর্তৃক অনুমোদিত বিখ্যাত পরিষ্করণ নীতির পরে অনেক হাক্কা জনতা চীনের অভ্যন্তর থেকে জিনান কাউন্টিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল, যার মধ্যে আধুনিক হংকং অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ সরকার নতুন অঞ্চলগুলো এবং নতুন কোওলনে উপনিবেশ স্থাপনের আগে পুন্টি, হাক্কা, টানকা এবং হক্কিয়েন জনতা বহু বছর ধরে হংকংয়ে স্থানান্তরিত হয়ে অবস্থান করছিল। তারা হংকং এর আদিবাসী বাসিন্দা। পুন্টি এবং হক্কিয়েন নতুন অঞ্চলগুলোতে বসবাস করতো, যেখানে টানক এবং হাক্কা উভয়ই নতুন অঞ্চলগুলোতে এবং হংকং দ্বীপে বসবাস করতো। হংকংয়ের উপরে ব্রিটিশদের বিবরণী থেকে জানা যায় "অদ্যাবধি অজ্ঞাত সময়" থেকে হংকংয়ে টানকা হোক্লোরা বসবাস করে আসছে। আমেরিকাতে বর্ণিত আছে হংকং-এ হোক্লা টিনকা এর বসবাস "প্রাগৈতিহাসিক কাল" থেকে। ১৮৪১ সালের ২৬ জানুয়ারি যখন অধিকৃত কেন্দ্রগুলো ইউনিয়নের পতাকা উত্থাপিত হয়েছিল, তখন হংকং দ্বীপের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭,৪৫০, বেশিরভাগই ছিল উপকূলবর্তী গ্রামে বসবাসকারী টানকা জেলে এবং হাক্কা চারকোল দহনকারী। ১৮৫০ সালে তাইপিং বিদ্রোহের কারণে অনেক চীনা জনতা চীন থেকে হংকং-এ চলে আসতে চেয়েছিল। চীনের মূল ভূখণ্ডে বন্যা, টাইফুন এবং দুর্ভিক্ষের মতো ঘটনা কারণে পালাবার স্থান হিসেবে হংকং প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। == ঔপনিবেশিক হংকং যুগ (১৮০০ ১৯৩০) == ব্রিটেন চীনের মধ্যে হংকং সম্পর্কিত চুক্তি বৈঠক '''তারিখ''' '''চুক্তি''' '''ফলাফল''' '''টিকা''' ২০ জানুয়ারি ১৮৪১ চুয়েনপি সম্মেলন গ্রেট্ ব্রিটেন থেকে হংকং দ্বীপের প্রাথমিক স্বত্বত্যাগ অন্তর্ভুক্ত গ্রিন আইল্যান্ড এবং এপ লেই চাউ। হংকং দ্বীপের স্বত্বত্যাগের আগে, এই অঞ্চলটি জিনান কাউন্টি কর্তৃক শাসিত হয়েছিল ২৯ আগস্ট ১৮৪২ নানজিং চুক্তি হংকং দ্বীপের স্বত্বত্যাগ, গ্রেট্ ব্রিটেনের মুকুট উপনিবেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ ১৮ অক্টোবর ১৮৬০ বেইজিং সম্মেলন কউলোনের স্বত্বত্যাগ কউলোন উপদ্বীপের স্বত্বত্যাগের আগে গং সুয়েন চাউ সহ বাউন্ডারি স্ট্রিটের দক্ষিণ দিকের অঞ্চল জিনান কাউন্টি শাসন করেছিল জুলাই ১৮৯৮ দ্বিতীয় বেইজিং সম্মেলন নতুন অঞ্চলগুলির ইজারা জিনান কাউন্টির নতুন কউলোন, লানতাও এবং দূরবর্তী দ্বীপগুলিসহ শেনঝেন নদীর দক্ষিণ দিক ১৮৮৮ সালের হংকং, কুয়াংচৌ এবং মাকাও এর জার্মান মানচিত্র পিকিং চুক্তি ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বাণিজ্য চীন থেকে চা আমদানি আমদানি উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। ব্রিটিশরা যখন ঘড়ি এবং হাত ঘড়ির মত বিলাসবহুল জিনিসপত্র রপ্তানি করে তখনও বাণিজ্যে ভীষণ ভারসাম্যহীনতা বিরাজমান ছিল। চীন ব্যপক পরিমাণে রূপার চাহিদা তৈরি করেছিল, যা বিপুল পরিমাণে পণ্য হিসেবে নিয়ে আসা ব্রিটিশদের জন্য দুরূহ ছিল। বাণিজ্য ভারসাম্য চীনে আফিম রপ্তানিতে মাধ্যমে এসেছিল, ব্রিটেনে আফিমের বৈধতা এবং যুক্তরাজ্যের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উৎপাদন এবং পরবর্তীতে ভারতের অনেক বেশী পরিমাণে উৎপাদিত হয়। একজন চীনা কমিশনার লিন জেক্সু, রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে কুইং রাজ্যের আফিমের বাণিজ্য বিরোধী বক্তব্য প্রদান। প্রথম আফিম যুদ্ধ ১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ১৮৪১ সালের ২৫ জানুয়ারি ব্রিটেন হংকং দ্বীপে দখল করে নেয় এবং এটি সামরিক ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করে। চীন পরাজিত হয় এবং ১৮৪২ সালের ২৯ আগস্ট নানকিং চুক্তির মাধ্যমে হংকং বৃটেনের কাছে সমর্পণ করতে বাধ্য হয়। হংকং বৃটিশ সাম্রাজ্যের ক্রাউন কলোনিতে পরিণত হয়। খ্রিস্টান মিশনারিগণ হংকং-এ অনেক স্কুল গীর্জা স্থাপন করে। ১৮৬৫ সালে চার্চ মিশন সোসাইটি ওয়েস্ট পয়েন্টে অবস্থিত সেন্ট স্টিফেন'স আংলিকান চার্চ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০০ সালে লন্ডন মিশনারি সোসাইটি মিড লেভেলে অবস্থিত ইং ওয়া বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৭ সালে লন্ডন মিশনারি সোসাইটি চীনের জন্য হংকং মেডিসিন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৮২৯ সালে সান ইয়াত-সেন প্রথম দুজন স্নাতকদের মধ্যে অন্যতম। কলেজটি হংকং স্কুল অব মেডিসিনের পথিকৃৎ ছিল, যা ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হংকং কলেজ অব মেডিসিন ফর চাইনিজে পড়াশোনা করার সময় ইয়েন হক-লিং, চান জিউ-বাক ইয়াও লিট, সান ইয়াত-সেন, সহপাঠীদের নিয়ে কিং সাম্রাজ্যকে উৎখাত করার পরিকল্পনা প্রচার করতে শুরু করেন। কিংদের কাছে এই চার ছাত্র ডাকু হিসেবে পরিচিত ছিল। এই কলেজে পড়ার সময় সান সাই গির্জা (道濟會堂, ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন) লন্ডন মিশনারি উপস্থিত থাকতেন। সান ১৯১১ সালে চীনা বিপ্লবে নেতৃত্ব দেন, যা চীনকে সাম্রাজ্য থেকে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তর করে। ১৮৯৯ সালের এপ্রিলে কাম টিনের অধিবাসীরা উপনিবেশিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। তারা কট হিং ওয়াই-এ একটি প্রাচীরবদ্ধ গ্রামে নিজেদেরকে প্রতিহত করেছিল। ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী বেশ কয়েকটি অসফল আক্রমণের পর তারা লোহার গেটটি ধ্বংস করে খুলতে সমর্থ হয়। তখন গেটটি প্রদর্শনীর জন্য লন্ডনে পাঠানো হয়। ১৯২৪ সালে টাং গোত্রের দাবী অনুসারে গেটটি শেষ পর্যন্ত ১৯২৫ সালে ১৬ তম গভর্নর স্যার র্যাজিনাল্ড স্টাব্স ফেরত পাঠায়। ১৮৬২ সালে প্রথম গ্যাস কোম্পানির পরে খুব দ্রুতই ১৮৯০ সালে প্রথম বৈদ্যুতিক কোম্পানি এসেছিল। রিকশাকে বাস, ফেরি, ট্রাম এবং বিমানের জন্য রাস্তা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। প্রতিটি শিল্প বৃহত্তর রূপান্তর এবং বিকাশের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। ফ্রেডেরিক স্টুয়ার্টের প্রচেষ্টায় পশ্চিমা ধাঁচের শৈলীশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার অগ্রগতি সাধন করেছিলেন। পতনশীল কিং রাজবংশ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সময় চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে হংকং-কে পৃথক করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। প্রথম বড় পরিসরে ব্যাংক (এইচএসবিসি ব্যাংক) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক শহরের বীজ উপ্ত হয়েছিল। ১৮৯৪ সালে তৃতীয় বারের মত বিউবনিক প্লেগের সংক্রমণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরে। এটি পিক রিজার্ভেশন অর্ডিন্যান্স তৈরির সাথে জাতিগত অঞ্চলবিভাজনের অছিলা হিসেবে এবং প্রথম হাসপাতালের গুরুত্ব উপলব্ধির অন্তরায় ছিল। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে উপনিবেশে সম্ভাব্য আক্রমণের ভয়, ৬০,০০০ চীনাকে প্রস্থান করতে বাধ্য হয়েছিল। যাইহোক, হংকং এর জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল এবং ১৯১৬ সালে জনসংখ্যা ৫৩০,০০০ থেকে ১৯২৫ সালে ৭২৫,০০ তে উন্নীত হয়েছিল। অথচ ১৯২০ এর দশক ১৯৩০-এর দশকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সংকট হংকংকে জাপান সাম্রাজ্যের সাথে কৌশলগত আক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রাখা হয়েছিল। == কাউলোন এবং নতুন অঞ্চল ব্রিটিশদের ইজারা দেওয়া == ১৯ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে হংকং-এ ব্রিটিশরা তাদের মুক্ত বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে দিন দিন খুব চিন্তিত হয়ে পরেছিল। এটি ছিল একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যার বেষ্টিত এলাকা চীনা ননিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। ব্রিটিশরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে হংকংয়ের আশেপাশের কম উৎপাদনশীল জমির ইজারা দেওয়া হবে, যা দ্বীপটিকে আক্রমণের জন্য কম বিপজ্জনক করবে। ১৮৬০ সালে দ্বিতীয় অ্যামফিয়ার যুদ্ধের শেষে, যুক্তরাজ্যের কাউলোন উপদ্বীপের উপর একটি চিরস্থায়ী শুল্ক লাভ করে, যেখানে চীনের মূল ভূখন্ড হংকং দ্বীপের মাঝে একটি সংকীর্ণ জলপ্রণালী ছিল। এই চুক্তিটি বেইজিং সম্মেলনের অংশ ছিল, যা এই বিরোধের অবসান ঘটায়। ১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এবং চীনা সরকার পিকিং এর দ্বিতীয় সম্মেলন স্বাক্ষর করেন, যা হংকংয়ের পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলির জন্য "নিউ টেরিটরিস" নামে ৯৯ বছরের ইজারা চুক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইজারাটি প্রায় ২৫০ এর অধিক ছোট দ্বীপের উপরে ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণ প্রদান করেছিল। এর পরিবর্তে ৯৯ বছর পরে চীন দ্বীপপুঞ্জ আবার ফিরে পাবে এমন প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল। ১৯৮৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী জহো জিয়াং সিনো-ব্রিটিশ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, যেখানে ব্রিটেন মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর শুধুমাত্র নতুন রাজ্য নয় বরং কউলোন এবং হংকংকেও ফিরে দেয়ার জন্য রাজি হয়। চীন "এক দেশ, দুই নীতি" শাসন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, যার অধীনে পঞ্চাশ বছর হংকং এর নাগরিকরা পুঁজিবাদ এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করতে পারবে। যে স্বাধীনতা চীনের মুল ভূখন্ডে নিষিদ্ধ। ১৯৯৭ সালের জুলাই ইজারা শেষ হয়ে যায় এবং গ্রেট ব্রিটেন সরকার হংকং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের কাছে নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে। == জাপানি দখল যুগ (১৯৪০ এর দশক) == জাপান ১৯৪১ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হংকং দখল করে নিয়েছিল। এই নির্দিষ্ট সময় '৩ বছর এবং মাস' অর্থনীতিকে নিরূদ্ধ করে দিয়েছিল। পার্ল হারবার আক্রমণের আট ঘণ্টা পরে, ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর শুরু হওয়া ব্রিটিশ, কানাডিয়ান, ভারতীয় এবং হংকং স্বেচ্ছাসেবক প্রতিরক্ষা বাহিনী সাকা টাকাসি দ্বারা পরিচালিত জাপানী আক্রমণকে প্রতিহত করেছিল জাপান যুদ্ধের প্রথম দিনে আকাশ সীমায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে এবং প্রতিরক্ষামূলক বাহিনী ব্যপক সংখ্যায় ছিল। ব্রিটিশ এবং ভারতীয়রা জিন ড্রিনকার্স লাইন থেকে পিছিয়ে পড়ে এবং একইভাবে কাউলোনে ভারী গগনচারী গোলাবর্ষণ এবং কামানের গোলাগুলির বেড়াজাল পিছিয়ে পড়ে। হংকং দ্বীপে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলতেই থাকে। কানাডিয়ান উইনিপেগ ওয়াং ''নাই চং গ্যাপে'' প্রচন্ড মুখে পড়ে, যা দ্বীপের উত্তর নির্জন দক্ষিণাংশের মধ্যবর্তী অংশ ছিল। ১৯৪১ সালের ২৫ ডিসেম্বর স্থানীয়দের কাছে ''কালো বড়দিন'' হিসেবে চিহ্নিত। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মার্ক আইচিসন ইয়াং ব্যক্তিগতভাবে পেনিনসুলা হোটেলের তৃতীয় তলায় জাপানি সদর দপ্তরে আত্মসমর্পণ করে। হংকংয়ের প্রথম জাপানি গভর্নর হন ইসোগাই রেনসুকে। জাপানি দখলদারিত্বের সময়, এবং খাদ্য বৈষম্য দৈনন্দিন জীবনে খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। হংকং ডলার বহন হয়ে যায় অবৈধ, যা সাম্রাজ্যিক জাপানি সেনাবাহিনী প্রশাসনের দ্বারা জারিকৃত জাপানী সামরিক ইয়েন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল এবং যার কোন রিজার্ভ ছিল না। যদিও হংকংয়ের নারী নির্যাতনের উল্লেখ করার মত ঘটনা খুব কম ছিল, তবে কিছু প্রত্যক্ষদর্শী অনুযায়ী হাজার হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হতে থাকতে পারে। জাপানী দখলদারিত্বের সাড়ে তিন বছরের মধ্যে আনুমানিক ১০,০০০ হংকং নাগরিককে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়, অন্যদিকে অনেকেই নির্যাতন, ধর্ষণ বা লুটপাট শিকার হয়। এই সময়ের একটি বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ফিলিপ স্নো বলেন যে জাপানিরা সৈন্যদের খাদ্য সংরক্ষণের জন্য বেসামরিক নাগরিকদের রেশনের খাবার রেখে দিত, সাধারণভাবেই এই অনাহার থেকে চীনা মূল ভূখন্ডে অনেকে দুর্ভিক্ষে এবং রোগ-শোকের কবলে পড়ে। কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় চীন জাপানের যুদ্ধের কারণে চীনের মূল ভূখন্ডে পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি তখন হংকং-এ চলে এসেছিল। ১৯৪৫ এর শেষে হংকং যুগ্মভাবে ব্রিটিশ চীনা সৈন্য কর্তৃক মুক্ত হয়। হংকংয়ের জনসংখ্যা কমে ৬০০,০০০ দাঁড়ায়; প্রাক যুদ্ধের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম প্রায় ১৬ মিলিয়নে মানুষ খাদ্যাভাব অভিবাসনের অপ্রাতুলতা মুখে পড়ে। ১৯৪২ সালে চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের কারনে হংকং-এ আরেকটবার জনসংখ্যার আরেকবার বিস্ফোরণ ঘটে। চীনের মুল ভূখন্ড থেকে হাজার হাজার শরণার্থী হংকং-এ প্রবাসিত হয়েছিল এবং কোরীয় যুদ্ধের কারনে যুক্তরাস্ট্র চীনের মূল ভূখণ্ডে বাণিজ্যের নিষেধাজ্ঞা জারি না হওয়া পর্যন্ত এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সম্মুখগামী মহালম্ফ এর সময় আরও শরণার্থী এসেছিল। ==জাপানি দখল পরবর্তি সময়== দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশ্বজুড়ে উপনিবেশায়ন ভাঙতে শুরু করে। তবুও, ব্রিটেন হংকংকে কৌশলগত কারনে রেখেছিল। তার শাসন সংহত করার জন্য জনগণের প্রয়োজন মেটাতে সাংবিধানিক পরিবর্তন, ইয়াং প্ল্যান প্রস্তাব করা হয় যাতে উপনিবেশায়ন ভাঙনের মুখে পড়তে না হয়। চীনের অস্থিরতার কারনে এবং রাজনৈতিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার ফলে সেসময় সেখানে যৎসামান্য পরিবর্তন এসেছিল, যা মূল ভূখন্ডের এই পরিবর্তনের কারনে হংকংয়ে তার একটি প্রবাহ সৃষ্টি করেছিল। ==আধুনিক হংকং== ===ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আধুনিক হংকং (১৯৫০ এর দশক থেকে ১৯৯৭)=== ====১৯৫০ এর দশক==== ১৯৫০ এর দশকে ভিক্টোরিয়া, হংকং চীনের মূল ভূখন্ড বিশেষ কর সাংহাই থেকে আশা শরণার্থীরা বিশাল জনশক্তির সাথে সাথে যে দক্ষতা মূলধন এনেছিল, সেটি অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছিল। একই সময়ে, অনেক বিদেশি সংস্থাগুলো সাংহাই থেকে হংকং-এ তাদের অফিসের স্থান পরিবর্তন করে। অভূতপূর্ব উন্নয়নের সাথে সাথে হংকং স্থানীয় আড়ত থেকে শিল্প এবং উত্পাদনমুখী শহরে পরিণত হয়। প্রথম দিকে শিল্পকেন্দ্রে ছোট জায়গায় তৈরি করা যায় যেমনঃ বোতাম, কৃত্রিম ফুল, ছাতা, কাপড়, এনামেলওয়ার, পাদুকা, প্লাস্টিক এসব তৈরি করে দিনের বেশিভাগ সময় ব্যয় করত। ক্রমবর্ধমান অভিবাসীদের আবাসনের জন্য সারা দেশ জুড়ে বিশাল আকারের শিবির গড়ে উঠেছিল। তবে শিবিরগুলি আগুন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মুখে পড়েছিল, যা ''শেক কিপ মে ফায়ারের'' মত বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। গভর্নর আলেকজান্ডার গ্রান্টহ্যাম আদর্শ হিসাবে "বহু বহুতল ভবন" পরিকল্পনার সংগে সহমত পোষণ করেন। এর ফলে আকাশচুম্বী দালানগুলোর সূত্রপাত ঘটেছিল। পাবলিক হাউজিংয়ের মৌলিক শর্তগুলি মধ্যে ছিল সাম্প্রদায়িক রান্নার সুবিধা, যেখানে কিছু পরিবার একটি জায়গায় রান্না করত। বড় পর্দার সিনেমায় প্রথাগত ক্যান্টোনিজ অপেরার ফলে জীবনের অন্যান্য দিক পরিবর্তিত হয়েছিল। পর্যটন শিল্প আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। উত্তর প্রান্ত পরিচিত পেয়েছিল "ক্ষুদ্র সাংহাই" (小上海) হিসেবে, অনেকেই মন থেকে এটিকে চীনের সাংহাই এর প্রতিস্থাপক হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছিল। ====১৯৬০ এর দশক==== ১৯৬০ এর দশকে কাউলোন শহর এবং ভিক্টোরিয়া, হংকং উত্পাদন শিল্পটি জনসংখ্যার বড় অংশ নিয়োগে একটি নতুন দশকের সূচনা করেছিল। এই সময়কালটি হংকংয়ের অর্থনীতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট বলে বিবেচনা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আবাসন ব্যবসা নতুন করে গড়ে উঠেছিল এবং প্রথমবারের মতো বিশদ নির্দেশনা বা মূলনীতি জারি করা হয়েছিল। যদিও হংকংয়ের কম জিডিপি নিয়ে শুরু করেছিল, এটি টেক্সটাইল শিল্পকে অর্থনীতির উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে প্রযুক্ত করেছিল। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব হংকং-কে একটি নতুন রাজনৈতিক পর্যায়ে হনিয়ে গিয়েছিল। ১৯৬৭ সালের দাঙ্গার মতো ঘটনাগুলির জন্য ঘরে তৈরি বোমা এবং বিশৃঙ্খলার দিয়ে রাস্তা পরিপূর্ণ হয়েছিল। পুলিশ এবং ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞরা প্রায় আট হাজার ঘরে তৈরি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছিল। প্রতি আটটি বোমার মধ্যে একটি ছিল প্রকৃত বোমা। লোকজন বাড়ির তুলনায় কারখানাগুলিতে বেশি সময় কাটানোয় পারিবারিক মূল্যবোধ এবং চীনা ঐতিহ্য হুমকির মুখে পড়েছিল। সময়ের অন্যতম একটি সমস্যা ছিল পানি সংকট এবং অত্যন্ত কম মজুরির সাথে দীর্ঘ কর্মঘণ্টা। ১৯৬৮ সালের হংকং ফ্লুর কারণে জনসংখ্যার ১৫% আক্রান্ত হয়েছিল। সমস্ত সংগ্রামের ভেতর দিয়েই "মেড ইন হংকং" কে সস্তা নিম্ন মানের পণ্য থেকে উচ্চ মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে যেতে পেরেছিল। ====১৯৭০ এর দশক==== ১৯৭০ এর দশকে কাউলোন শহর এবং ভিক্টোরিয়া, হংকং ১৯৭০ এর দশকের শুরুর দিকে একই কাজের জন্য নারী পুরুষের সমান মজুরি এবং সমান সুবিধা পাওয়ায় দিতে উন্মুক্তভাবে ব্রিটিশ হংকং সরকার অস্বীকার করেছিল। হংকং চীনা সিভিল সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের 香港政府華員會 সভাপতি (১৯৬৫-৬৮) লেসলি ওয়াহ-লেউং চুং (鍾華亮, ১৯১৭-২০০৯) পুরুষদের এবং মহিলাদের জন্য সমান বেতন প্রতিষ্ঠায় এবং বিবাহিত মহিলাদের স্থায়ী কর্মচারী হওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছিলেন। এর আগে, একজন মহিলার বিয়ে হয়ে গেলে তার চাকরি স্থায়ী থেকে অস্থায়ীতে পরিবর্তিত হয় যেত, এরই সাথে তিনি পেনশন সুবিধা হারাতেন। তাদের অনেকে চাকুরিও হারাতেন। যেহেতু সাবিকারা বেশিরভাগই ছিল মহিলা, অধিকারের এই উন্নতি বিবাহিত নারীদের সেবিকা পেশার জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। ১৯৭০ এর দশকে সরকার সরকারি আর্থিক সাহায্যকৃত শিক্ষা ছয় বছর থেকে নয় বছরে সম্প্রসারণ এবং হংকং-এ স্থানীয় উদ্যান ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। মূল চীনা ভূখণ্ডের বাজার এবং ক্রমবর্ধমান মজুরি উত্তরের দেয় অনেক নির্মাতাকে উত্তরে নিয়ে এসেছিল। হংকং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি বাণিজ্যিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তার অবস্থানকে সংহত করেছিল। উচ্চ জীবন প্রত্যাশা, সাক্ষরতা, প্রতি-মাথাপিছু আয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা ২০তম শতাব্দীর শেষ চার দশকের হংকং-এর কৃতিত্বের প্রমাণ দেয়। এছাড়া উচ্চ আয় কারণে বেসরকারি আবাসন ব্যবসা সূচনা লাভ করে আর এর নেতৃত্বে ছিল প্রথম আবাসন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ''তাইকো সিং''। এই সময়ে মধ্যে উচ্চ আবাসিক ভবন নির্মাণে একটি উথান দেখা যায়, অনেকের বাড়ি হংকংয়ের আকাশসীমা এবং দৃশ্যের অংশ হয়ে উঠেছিল। পুলিশ বাহিনীর মধ্যে দুর্নীতি রুখতে ১৯৭৪ সালে মারি ম্যাকলেহস দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাধীন কমিশন আইসিএসি প্রতিষ্ঠা করেন। দুর্নীতির পরিমাণ এত ব্যাপক ছিল যে অনেক পুলিশের আবেদনের করে প্রসিকিউশনের বিরোধিতা করেছিল। প্রথমদিকে পুলিশ বাহিনীর আইসিএসি প্রতি বিরোধিতা সত্ত্বেও, হংকং তার দুর্নীতি বিরোধী প্রচেস্টায় সফল হয়েছিল, অবশেষে বিশ্বের কম দূর্নীতিগ্রস্থ দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়। ১৯৮০ দশকে ভিক্টোরিয়া, হংকং ==== ১৯৮০-এর দশক ==== ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার আশা করেছিলেন যে পিআরসি সরকারের উন্মুক্ততা এবং মূল ভূখন্ডে অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে ব্রিটিশ শাসন অব্যাহত থাকবে। চীন-ব্রিটিশ বৈঠকে এক যুগ্ম ঘোষণায় স্বাক্ষর করে এবং এর ফলে ডেং জিয়াওপিং এক দেশের দুই নীতির ধারণা বাস্তব রূপ পায়। রাজনৈতিক সংবাদ প্রচার মাধ্যমকে শাসন করছিল, যখন আবাসন ব্যবসা একটি বড় উত্থান ঘটেছিল। অর্থনৈতিক বিশ্বের তখন ত্রাস চলছিল, যা নীতি পরিবর্তনে এবং ব্ল্যাক সানডে সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূ্মিকা রেখেছিল। হংকংয়ের সিনেমা আন্তর্জাতিক মানচিত্রে দারুণ সময় অতিবাহিত করেছিল। সময় বড় তারকাদের মধ্যে ছিল জ্যাকি চ্যান চা ইন-ফ্যাট। সংগীত বিশ্বে অনিতা মুই এবং লেসলি চেং মতো নতুন ক্যান্টপ তারকাদের দল দেখেছিল। ==== ১৯৯০-এর দশক ==== ১৯৯০ এর দশকে ভিক্টোরিয়া, হংকং ১৯৯০ সালের এপ্রিল হস্তান্তরের পর হংকং মৌলিক আইন আনুষ্ঠানিকভাবে হংকং এসএআর-এর ক্ষুদ্র-সংবিধান হিসাবে স্বীকৃত পায়। বেইজিং-এর সমর্থক গোষ্ঠী মৌলিক আইনকে স্বাগত জানায় এবং উল্লেখ করে এটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণতান্ত্রিক আইনী ব্যবস্থা। গণতান্ত্রিক দলগুলো এটিকে যথেস্ট গণতান্ত্রিক নয় বলে সমালোচনা করে। ১৯৯২ সালের জুলাইয়ে ক্রিস প্যাটেনকে ব্রিটিশ গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি সেই বছরের সাধারণ নির্বাচনে তার সংসদীয় আসন হারানোর পূর্বে প্যাটেন কনজারভেটিভ পার্টির সভাপতি ছিলেন। প্যাটেন গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রবর্তন করেন, যা বিধানিক কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, ফলে বেইজিং-এ পিআরসি সরকারের সাথে সম্পর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠে। এটি পিআরসির জন্য যথেষ্ট বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এটি মূল আইন লঙ্ঘনের মত করে দেখা হচ্ছিল। ১৯৯৭ সালের জুলাই হংকংকে যুক্তরাজ্য কর্তৃক গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ক্রিস প্যাটেনের সংস্কারের অধীনে নির্বাচিত পুরাতন আইন পরিষদ প্রাদেশিক আইন পরিষদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, যার সদস্যগণকে পিআরসি সরকার নিয়োগ দিয়েছিল। ডিসেম্বরে তুং চি ওয়া পিআরসির সরকার কর্তৃক নিযুক্ত সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন এবং হংকং-এর প্রধান নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ব্রায়ান হুক উল্লেখ করেন যে ব্রিটিশরা অন্য উপনিবেশগুলিতে গৃহীত গণতান্ত্রিক পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যাবে না। পরিবর্তে তারা পৌরসভা আইন পরিষদের মাধ্যমে একাধিক সংস্কারের প্রবর্তন করে। ফলে সিভিল সার্ভিসের সিনিয়র ঊর্ধ্বতন পদে বৃটিশদের আধিপত্য ছিল। শক্তিশালী ব্রিটিশ এবং চীনা ব্যবসায়িক সম্প্রদায় আরো পরিবর্তনের বিপক্ষে ছিল এবং গণতন্ত্রের বিকাশ চায় নাই, কারণ চীন স্বাধীনতা আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করতে পারে। পণ্ডিতরা সম্মত হন যে ব্রিটিশ হংকং-এ একটি সুশৃঙ্খল দক্ষ পরিকাঠামো, একটি খুব ভাল শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তুলেছে এবং এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। যখন দায়িত্ব নেয় এইচকেএসআর (হংকং স্পেশাল রিজিওন) এর প্রধান নির্বাহী তুং চি ওয়া উন্নতির ধারা বজায় রাখতে নীতি সচিবের পুরো দল পুনর্নির্বাচিত করেন। ১৯৯৭ সালের পর অপরিবর্তিত ১৯৯৭ সালের পর পরিবর্তন দীর্ঘ সময়ের কোন সাধারণ নির্বাচন না হওয়ার ব্রিটিশ অভ্যাস হংকংয়ের লাগরিকেরা অপরিবর্তিত রেখেছিল। ইংরেজি এখনও সব স্কুলের মধ্যে শেখানো হয়। যাইহোক অনেক স্কুল সমান্তরালভাবে ম্যান্ডারিন ক্যান্টোনিজ এবং ইংরেজির ভাষায় শিক্ষা দেয়। মূল ভূখণ্ডের সীমান্ত আগেই মতই চৌকি দেত্তয়া অব্যহত আছে। হংকং আগের মতই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমনঃ আইওসি, এপেক এবং ডব্লুটিও এর সদস্য আছে। হংকং তার বিদেশী দেশ অঞ্চলগুলির সাথে নিজস্ব বিমানচালনা দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আলোচনা বজায় রাখে। হংকং এবং চীনের মূল ভূখন্ডের মধ্যে ফ্লাইটগুলি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হিসাবে বিবেচনা করা হয় (বা চীনের মূল ভূখন্ডে সাধারণত আন্তঃঞ্চলীয় ফ্লাইট হিসাবে পরিচিত) হংকং এসএআর পাসপোর্টধারীরা ইউরোপ উত্তর আমেরিকার দেশগুলিতে সহজেই প্রবেশ করতে পারে, যেখানে মূল ভূখণ্ডের নাগরিকরা সেই সুবিধা পায় না। মূল ভূখন্ডের নাগরিকরা হংকংয়ে শুধুমাত্র পিআরসির সরকার থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। ১৯৯৭ সালের পর অনেক সাবেক ঔপনিবেশিক নাগরিক এখনও ব্রিটিশ জাতীয় (বিদেশী) এবং ব্রিটিশ নাগরিক পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন। চীনের মূল ভূখণ্ডের তুলনায় এখানে বেশি রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সহ। হংকংয়ের মোটরগাড়ির চলাচল চীনের মূল ভূখন্ডের মতো নয়, এখানে বাম দিকে চলাচল করে। সর্বশেষ ঘানা (এছাড়াও একটি প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশ) ১৯৭৪ সালে বাম দিকে ট্র্যাফিক থেকে ডান হাত ট্রাফিকে পরিবর্তন করে। বৈদ্যুতিক প্লাগ (BS1363), টিভি সম্প্রচার (PAL-I) এবং যুক্তরাজ্যের অন্যান্য প্রযুক্তিগত মানগুলি এখনও হংকং-এ ব্যবহার করা হয়। তবে টেলিফোন কোম্পানি হংকংতে ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড (BS6312) টেলিফোন সকেট স্থাপন বন্ধ করে দেয়। চীনের মূল ভূখন্ড ডিজিটাল টিভির মান হংকং-এর মত পরিগ্রহণ করেছিল। হংকং মূল ভূখণ্ড থেকে একটি পৃথক আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড (+৮৫২) এবং টেলিফোন নম্বর পরিকল্পনাকে ধরে রেখেছে। হংকং এবং মূলভূমিগুলির মধ্যে থাকা কলগুলির জন্য এখনও আন্তর্জাতিক ডায়ালিং প্রয়োজন হয়। সাবেক ব্রিটিশ সামরিক কসরত, মার্চিং এবং হুকুমের ইংরেজি শব্দগুলি সব বেসামরিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সমস্ত শাস্ত্রীয় সেবাগুলিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। চীনের পিএলএ যোদ্ধারা (চীনের সশস্ত্র বাহিনী) হংকং-এ তাদের নিজস্ব বেধনিকা ম্যান্ডারিন ভাষায় হুকুম দিয়ে দেয়। হংকং এখনও ব্রিটিশ তারিখ পদ্ধতি ব্যবহার করে। রানী ভিক্টোরিয়া এবং কিং জর্জ এর মত ব্রিটিশদের সমস্ত মূর্তি রয়ে গিয়েছে। "কুইন্স রোড", "কিংস রোড" এই ধরনের রাস্তার নাম রয়ে গিয়েছে। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী এখন ১২০০ সদস্যে বিশিস্ট একটি নির্বাচন কমিটি দ্বারা নির্বাচিত হয়, যারা প্রধানত পেশাগত খাত এবং হংকং-এ চীনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়। সব পাবলিক অফিস এখন পিআরসি এবং হংকং এসএআর এর পতাকা উড়ায়। কেন্দ্রীয় পতাকাটি শুধু ব্রিটিশ দূতাবাস এবং অন্যান্য ব্রিটিশ প্রাঙ্গণের বাইরে উড়ানো যায়। দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর প্রতিকৃতি হংকংয়ের টাকা, ডাকটিকিট এবং পাবলিক দপ্তর থেকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। রয়েল হংকং ইয়ট ক্লাবের ব্যতিক্রম ছাড়া 'রয়্যাল' শিরোনাম প্রায় সব প্রতিষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। 'ক্রাউন' এর আইনি সূত্র 'স্টেট' এর সূত্র দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। আর যেসব ব্যারিস্টার কুইনের কৌঁসুলি নিযুক্ত হয়েছিল, তারা বর্তমানে জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি হিসেবে পরিচিত। অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার এর পরিবর্তে গ্র্যান্ড বাউহিনিয়া মেডেল প্রবর্তনের সাথে সাথে ব্রিটিশ সম্মান ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি স্থানীয় সম্মান ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। রানির জন্মদিন এবং অন্যান্য উপলক্ষের ছুটিগুলো পিআরসি জাতীয় দিবস এবং হংকং এসএআর প্রতিষ্ঠা দিবস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় অনেক ব্রিটিশ শৈলী স্তম্ভ বক্সগুলি হংকংয়ের রাস্তা থেকে সরানো হয় এবং সিঙ্গাপুর শৈলীতে সবুজ হংকং পোস্ট বাক্স দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। কিছু উদাহরণ রয়ে গেছে, কিন্তু নতুন রং করা হয়েছে। ব্রিটিশ নাগরিকরা (বাসস্থান অধিকার ব্যতিত) হংকংয়ে ভিসা ছাড়াই অনধিক এক বছরের জন্য কাজ করতে সক্ষম ছিল; এই নীতি ১৯৯৭ সালের এপ্রিল পরিবর্তন করা হয়। হংকং এর আঞ্চলিক সংগীত গড সেইভ দ্য কুইন থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের কুচকাওয়াজে পরিবর্তন করা হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ক্যান্টোনিজে পড়ানো বাধ্যতামূলক, যদি না শিক্ষা বিভাগের অনুমোদন হয়। মাধ্যমিক শিক্ষা ইংরেজি মডেলের পাঁচ বছরের পড়াশোনা থেকে সরে গিয়ে চীনা মডেলে বছরের বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাট্রিকুলেশন এর সাথে বছরের নিম্ন মাধ্যমিক এবং সাথে আরও বছরের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা চালু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা তিন বছর থেকে বাড়িয়ে চার করা হয়। ২০১২ সালে, ম্যান্ডারিন হংকংয়ে ক্যান্টোনেস এর পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা হিসেবে ইংরেজির জায়গায় নিয়ে নেয়। সেতুর কাজ ২০০৯ সালে শুরু হয় এবং ২০১৭ সালের নভেম্বরে এর কাজ শেষ হয় (হস্তান্তরের ২০ বছরেরও বেশি সময় পরে)। === চীনা শাসনের অধীনে আধুনিক হংকং (১৯৯৭-এর পর থেকে বর্তমান) === ২০০০ এর দশকে কাউলোনের উত্তর অংশ এবং ভিক্টোরিয়া, হংকং নতুন সহস্রাব্দ একটি ঘটনাবহুল পরম্পরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যারা আগে থেকেই হস্তান্তরের বিরুদ্ধে ছিল, তারা সমন্বয় করে বসবাস করতে শুরু করে। ধারা ২৩ বিতর্কিত হয়ে ওঠে এবং সেসময় হংকংয়ের বিভিন্ন অংশে কম করে হলেও ৭৫০,০০০ সংখ্যক জনগণ (যেখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬,৮০০,০০০) দৃঢ়ভাবে এর বিরুদ্ধে অগ্রসর হয়। ২০০৩ সালে সরকার শ্বাসকস্টজনিত প্রাদুর্ভাবের জন্য কাজ করে। ৯০ এর শেষের দিকে আরও একটি স্বাস্থ্যগত সংকট, বার্ড ফ্লু মহামারী (H5N1) ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং এতে লক্ষ লক্ষ মুরগি এবং অন্যান্য গৃহপালিত পক্ষিসমূহ ধ্বংস হয়ে যায়। এই পক্ষি হত্যা গোটা বিশ্বের নজরে পড়েছিল। একই সময়ে, অর্থনীতি অচলাবস্থা সমন্বয় করার চেষ্টা চলছিল। অল্প সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক অবস্থা উত্তপ্ত হতে শুরু করে এবং প্রধান নির্বাহীর অবস্থান সাংস্কৃতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে ব্যবস্থাপক হিসেবে হুমকির মুখে পড়ে। হংকং ডিজনিল্যান্ড, লানতাও এই সময়ের মাঝেই চালু করা হয়। ২০০৯ সালে হংকং দেশব্যাপী আরেকটি ফ্লুর মুখে পড়েছিল, যার ফলে দুই সপ্তাহের জন্য স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হকাউলোন, সুয়েন ওয়ান এবং ভিক্টোরিয়া প্রত্যেক জায়গায় আকশচুম্ব্বি অট্টালিকাকে সাথে নিয়ে হংকংয়ের আকশচুম্ব্বি অট্টালিকাগুলো বাড়তেই থাকে। ২০০৩ সালে নির্মিত ৪১৫ মিটার (১,৩৬২ ফুট) উঁচু ৮৮ তলা বিশিস্ট দুইটি দুটি আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা কেন্দ্রকে ২০১০ সালে নির্মিত ৪৮৪ মিটার (১,৫৮৮ ফুট) উঁচু ১১৮ তলা বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রকে টপকে যায়। আরেকটি উল্লেখ করার মত অট্টালিকা হচ্ছে সুয়েন ওয়ান এর ৩২০ মিটার (১,০৫১ ফুট) উচ্চতা বিশিষ্ট লিনা টাওয়ার। হংকং-এর পতাকা ব্রিটিশদের অধীনে থাকাকালীন হংকং-এর পতাকা == আরও দেখুন == চীনের ইতিহাস == তথ্যসূত্র == == আরো পড়ুন == Butenhoff, Linda. ''Social movements and political reform in Hong Kong'', Westport: Praeger 1999, Carroll, John M. ''A Concise History of Hong Kong'' (2007) Clayton, Adam. ''Hong Kong since 1945: An Economic and Social History'' (2003) Snow, Philip. ''The Fall of Hong Kong: Britain, China, and the Japanese Occupation (2004) excerpt and text search excerpt and text search Kam C. Wong, Policing in Hong Kong: History and Reform (CRC: Taylor and Francis, 2015) === প্রাথমিক সূত্র === == বহিঃসংযোগ == হংকং-এর ইতিহাস জাদুঘরের ওয়েবসাইট ইতিহাস'''নরম জল''' হল পৃষ্ঠ জলের কম আয়ন ঘনত্ব বিশিষ্ট অংশ এবং বিশেষ করে নমর জলে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়ন কম থাকে। নরম জল স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টি হয়ে থাকে, যেখানে বৃষ্টিপাত হয়, নদীর তলদেশের গঠন কঠিন, অযৌক্তিক এবং কম ঘনত্বের ক্যালসিয়াম পাথরের তৈরি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যুক্তরাজ্যের ওয়েলল্যান্ডের স্নোডোননিয়া এবং স্কটল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য অঞ্চলে এই ''নরম জল'' পাওয়া যায়। শব্দটি জলকে নরম করার প্রক্রিয়া দ্বারা উৎপাদিত জলের বর্ণনা করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও এই ধরনের জলকে আরো সঠিকভাবে নরম জল বলে। এই ক্ষেত্রে জলয়ে সোডিয়াম এবং বাইকার্বনেট আয়নের ঘনত্ব উচ্চ মাত্রায় থাকতে পারে। নরম জলের কয়েকটি ক্যালসিয়াম আয়ন কারণে, জামাকাপর ধৌয়ার কাজে কোনো বাধা নেই এবং কোনও সাবান ফেনা স্বাভাবিক ধৌতকরনে গঠিত হয় না। একইভাবে, নরম জল গরম করা হলে ক্যালসিয়াম আয়ন উৎপাদন করে না। এই ঘটনা থেকে নরম জল কঠিন জলের পার্থ্যক করা হয়। যুক্তরাজ্যে, জলে ৫০ মিলিগ্রাম/লি থেকে কম ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের ঘনত্ব বিশিষ্ট জলকে নরম জল বলা হয়। ৫০ মিলিগ্রাম/লি ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের জলকে বলা হয় কঠিন জল। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ মিলিগ্রাম/লি ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বিশিষ্ট জলকে নরম জল হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। ==কঠোরতার উৎস== জলের কঠিনতা মাল্ট্যালেন্ট ক্রিয়া ঘনত্ব দ্বারা নির্ধারিত হয়। কঠিন জলের মধ্যে পাওয়া প্রচলিত ক্যালশিয়াম আয়ন (Ca2+) এবং ম্যাগনেশিয়াম (Mg2+) অন্তর্ভুক্ত। এই আয়ন জলবাহী স্তরের মধ্যে খনিজ থেকে লেচিং দ্বারা একটি জল সরবরাহে প্রবেশ করে। সাধারণ ক্যালসিয়াম ধারণকারী খনিজ ক্যালসাইট এবং জিপ্সাম হয়। একটি সাধারণ ম্যাগনেসিয়াম খনিজ হল ডলোমাইট (যার মধ্যে ক্যালসিয়ামও রয়েছে)। বৃষ্টির জল এবং পাতিত বা নিঃসৃত জল হল '''নরম জল''', কারণ এদের মধ্যে আয়নের পরিমান কম। জটিল ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলগুলি ক্ষুদ্র দূরত্বের উপর বিভিন্ন মাত্রার জলের স্তর উৎপন্ন করতে পারে। ==স্বাস্থ্যের প্রভাব== স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ অনেক প্রাণীর মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়ন স্বাভাবিক বিপাকের জন্য প্রয়োজন হয়। নরম জলে এই আয়ন অভাবের ফলে এই নরম জল পানে আকস্মিক কার্ডিয়াক মৃত্যুর সহ স্বাস্থ্যগত বিষয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বিষয়শ্রেণী:জল'''২০১৮ নিদাহস ট্রফি''' হচ্ছে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। এটি হচ্ছে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ যেখানে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা প্রতিযোগিতা করে। প্রত্যেক দল বিপরীত দলের সাথে ২টি করে ম্যাচ খেলে, যেখান থেকে ২টি দল ফাইনালের জন্য উত্তীর্ণ হয়। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০তম বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট নিশ্চিত করে যে, এই সিরিজের খেলাগুলো টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক হবে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে, এই সিরিজের সময়সূচী এবং ভেন্যু ঘোষণা করা হয় সকল ম্যাচ কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ==দলীয় সদস্য== সাকিব আল হাসান (অধিঃ) মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (সহ অধিঃ) তাসকিন আহমেদ লিটন দাস আরিফুল হক মেহেদী হাসান নুরুল হাসান আবু হায়দার রুবেল হোসেন তামিম ইকবাল নাজমুল ইসলাম আবু জায়েদ ইমরুল কায়েস মুশফিকুর রহিম (উইঃ) মুস্তাফিজুর রহমান সাব্বির রহমান সৌম্য সরকার রোহিত শর্মা (অধিঃ) শিখর ধাওয়ান (সহঃ অধিঃ) যুজবেন্দ্র চাহাল দীপক হুডা দিনেশ কার্তিক (উইঃ) মনীশ পাণ্ডে রিষভ পান্ট (উইঃ) অক্ষর প্যাটেল লোকেশ রাহুল সুরেশ রায়না বিজয় শঙ্কর মোহাম্মদ সিরাজ ওয়াশিংটন সুন্দর শার্দুল ঠাকুর জয়দেব উনাদকট দিনেশ চান্ডিমাল (অধিঃ) সুরঙ্গা লাকমল (সহ অধিঃ) আমিলা আপন্সো দুষ্মন্ত চামিরা আকিলা ধনঞ্জয় ধনঞ্জয়া ডি সিলভা দানুষ্কা গুণতিলকা জীবন মেন্ডিস কুশল মেন্ডিস কুশল পেরেরা থিসারা পেরেরা নুয়ান প্রদীপ দাসুন শানাকা উপুল থারাঙ্গা ইসুরু উদানা ==পয়েন্ট তালিকা== ==টি২০আই সিরিজ== ===১ম টি২০আই=== ===২য় টি২০আই=== ===৩য় টি২০আই=== ===৪র্থ টি২০আই=== ===৫ম টি২০আই=== ===৬ষ্ঠ টি২০আই=== ==ফাইনাল== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে নিদাহস ট্রফি বাংলাদেশী ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেট শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতালিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির ভিটুরিভিয়ান ম্যান, এইহজিপির লোগো দ্যা '''হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট''' (এইচজিপি) একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকল্প। এই প্রকল্পে মানুষের ডিএনএর নিউক্লিওটাইড বেইস পেয়ারের সিকোয়েন্স বের করার জন্য শুরু করা হয়। একই সাথে, দৈহিক এবং কার্যক্ষমের দিক থেকে সকল জিনের ম্যাপিং এবং তা সনাক্ত করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এখন অব্দি বিশ্বের সবচেয়ে বড় একসাথে দলগতভাবে করা জীববৈজ্ঞানিক প্রকল্প এটি। ১৯৮৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এই ধারণা প্রথম নিয়ে আসলেও প্রকল্পটি সত্যিকার অর্থে শুরু হয় ১৯৯০ সালে এবং শেষ হয় ২০০০ সালে। দেশটির সরকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) এর মাধ্যমে প্রকল্পটির অর্থায়ন করে। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে একাধিক দল এই কাজে সম্পৃক্ত ছিল। একই সময়ে সেলেরা কর্পোরেশন, বর্তমানে সেলেরা জিনেটিক্স একই ধরনের প্রকল্পে হাত লাগায়, যা ১৯৯৮ সালে শুরু হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জাপান, ফ্রান্স, জার্মানী, চীন কানাডার মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্রে এই প্রকল্পের কাজ চলে। == হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট == === ইতিহাস === দ্য হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট একটি ১৫ বছরব্যাপী সরকারি অর্থায়নে প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল ১৫ বছরের মধ্যে মানুষের সম্পূর্ন ডিএনএ সিকুয়েন্স বের করা। ১৯৮৫ সালের মে মাসে, রবার্ট সিনশাইমার একড়ি ওয়ার্কশপে মানুষের জিনোম সিকুয়েন্সিং করার আলোচনা করেন। তবে একাধিক কারনে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ এই প্রকল্পে আগ্রহী ছিল না। একই বছরের মার্চে, সান্তা দে ওয়ার্কশপে চার্লস দেলিসি এবং ডেভিড স্মিথ এই ধারনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। একই সময় একটি বিজ্ঞান রচনায় রেনাটো ডুলবেকো সম্পূর্ন মানব জিনের সিকুয়েন্সিং এর কথা উল্লেখ করেন। দুই মাস পরে জেমস ওয়াটসন কোল্ড স্প্রিং হারবর ল্যাবরেটরিতে এই ব্যাপারে একটি ওয়ার্কশপে পরিচালনা করেন। === ফলাফল === ২০০১ সালের খসড়া ২০০৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিকুয়েন্স থেকে নিম্নোক্ত তথ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়ঃ অন্যান্য স্তন্যপায়ীর সাথে মানুষের প্রোটিন-কোডিং সংখ্যা মিলে। প্রায় ২২ হাজার ৩০০টি প্রোটিন কোডিং জিন মানুষের রয়েছে। মানব জিন পূর্বের করা ধারণার চেয়েও বেশি একে অপরের সাথে মিলে বা আইডেন্টিকাল। খসড়া প্রকাশিত হওয়ার সময়কাল পর্যন্ত মেরুদন্ডী প্রাণীর জন্য নির্দিষ্ট শতাংশের চেয়েও কম প্রোটিন ফ্যামিলি এতে পাওয়া গেছে। === অর্জন === লন্ডনের ওয়েলকাম কালেকশনে প্রদর্শনরত প্রথম বই আকারে প্রকাশিত হিউম্যান জিনোমের প্রিন্টআউট ১৯৯০ সালে মানুষের জিনের তিন বিলিয়নের বেশি রাসায়নিক সাংগঠনিক উপাদানের বিন্যাস সনাক্তকরণের পদক্ষেপ হিসেবে হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট শুরু করা হয়। এতে করে বিভিন্ন রোগের জিনেটিক মূল এবং এসব রোগের চিকিৎসা খুঁজে বের করার প্রয়াস চালানো যাওয়ার সুযোগ থাকে। মানুষের জিনোমে প্রায় ৩.৩বিলিয়ন বেইস-পেয়ার আছে, এটা বিবেচনায় নিয়ে এই প্রজেক্টকে একটি মেগাপ্রজেক্ট হিসেবে নেয়া হয়েছিল। জিনোম বিন্যাস হাতে আসার সাথে পরবর্তী ধাপ ছিল ঠিক কোন সব বিন্যাস সাধারণভাবে বহুল প্রচলিত রোগ যেমন বহুমূত্র বা ক্যান্সার হয় এবং এসবে চিকিৎসাপদ্ধতি বের করা। সেই আমলে প্রতিটি রোগীর আলাদা আলাদাভাবে জিন বিন্যাস করা অনেক খরচের ব্যাপার ছিল। তাও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ একটি সহজ রাস্তা খুঁজে বের করে। তারা শুধুমাত্র সেসমস্ত অংশ খুঁজে বের করে যে অংশগুলোতে বেশিরভাগ ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু বেশিরভাগ প্রচলিত রোগই সাধারণ, তাই মনে করা হয়েছিল, জিনের সাধারণ অংশটুকুতেই এর এসব রোগের কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে। ২০০২ সালে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ ইউরোপীয়ান, পশ্চিম এশিয়ান এবং আফ্রিকান মানুষের সাধারণ ভিন্নতা খুঁজে পেতে হ্যাপম্যাপ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। সম্পূর্ণ মানবজিনোম প্রায় ১৫০,০০০ বেস-পেয়ার দৈর্ঘ্যে ছোট ছোট অংশে ভাঙ্গা হয়। এই টুকরগুলো ব্যাক্টেরিয়াল কৃত্রিম ক্রোমোজোম ভেক্টর দ্বারা জোড়া লাগানো হয়। এই ব্যাক্টেরিয়াল কৃত্রিম ক্রোমজোম জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতির মাধ্যমে নকশা করা হয়। এই ভেক্টর বহন করা ক্রোমোজমকে ব্যাক্টেরিয়ার প্রবেশ করা হয়। এতে ডিএনএ রেপ্লিকেশন পদ্ধতিতে ব্যাক্টেরিয়া জিনগুলোর কপি প্রস্তুত করে। এই সমস্ত ছোট ছোট টুকরোগুলো "শটগান" প্রজেক্টের মাধ্যমে আলাদা আলাদাভাবে সিকুএন্সিং করা হয় এবং সারিবদ্ধ করা হয়। সম্পূর্ন প্রজেক্টের খরচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, মার্কিন যুক্তরাজ্যের একটি দাতব্য সংস্থা- দি ওয়েলকাম ট্রাস্ট এবং সারাবিশ্বের একাধিক সংস্থা বহন করে। জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে দি হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে বিস্তর ভূমিকা রাখে। == উন্নতি == প্রাপ্ত জিনোম ডাটার ব্যাখ্যা এবং গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে। তবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য চিকিৎসা জীবপ্রকৌশলীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম। হিউম্যান জীনোম প্রজেক্ট সম্পূর্ণভাবে শেষ হোয়ার আগেই এরকম ধারণার স্বপক্ষে যুক্তি পাওয়া গেছে। মাইরিয়াড জিনেটিক্সের মতো একটি কোম্পানি ইতিমধ্যেই জিনেটিক পরীক্ষা ব্যক্তগত পর্যায়ে শূরু করেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন স্তন ক্যান্সার, যকৃতের অসুখ,তঞ্চন জটিলতা ইত্যাদির ঝুঁকি আগে থেকেই সনাক্ত করা যায়। এছাড়াও ক্যান্সার, আলঝেইমারের মতো রোগের কারণ খুঁজে পাওয়া সুযোগ অনেক উঁচু মাত্রায় বেড়ে গেছে। বিবর্তনের গবেষণায় বিভিন্ন প্রাণীর ডিএনএ সিকুয়েন্সিং নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিবর্তন সংক্রান্ত প্রশ্নে আণবিক জীববিজ্ঞান ফ্রেমে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দেয়া সম্ভব। রাইবোসম, বিভিন্ন অঙ্গাণুর উন্নতি, ভ্রুণের উন্নয়ন এবং মেরুদণ্ডী প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইত্যাদির বিবর্তনীয় দিক নিয়ে বিশদ আলোচনার সুযোগ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ট্রিটিয়াম এস্টিভিয়ামের জিনেটিক গঠনের উপর করা গবেষনা থেকে গাছের বিবর্তনে গৃহস্থালীর প্রভাব নিয়ে গভীর জ্ঞান অর্জিত হয়েছে। এরকম বিবর্তনের জন্য ঠিক কোন লোসাই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে, এসব যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জিন সিকুয়েন্সিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। == নীতি, আইনগত এবং সামাজিক ইস্যু == মানব জিনোম প্রজেক্ট নিয়ে একাধিক নীতিগত, আইনত এবং সামাজিক দুশ্চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে, জিনেটিক কোডের ভিত্তিতে মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টির একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। সবচেয়ে বেশি রকমের আশঙ্ককা করা হয় স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে। মানুষের মাঝে এই আশঙ্কা জন্মে যে, জিন সংকেতের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট রোগের সম্ভাবনা থাকলে ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা বা এই সেবা থেকে বৈষম্য করার হার বেড়ে যাবে। ১৯৯৬ সালে এই কারনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন ব্যক্তির নিজস্ব অনুমতি ছাড়া তাকে সনাক্ত করা যায় এরকম জিনগত তথ্য চিকিতসার্থে বা চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের নিমিত্ত হস্তান্তর বা প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই প্রজেক্ট বিশাল অবদান রাখলেও কিছু লেখকের মতে, এই সিকুয়েন্সিং সামাজিকভাবে যে চাপ তৈরি করেছে তার প্রতি আলোকপাত করেছেন। তাদের মতে, "রোগের আণবিক দিক তুলে ধরে চিকিৎসা সম্পন্ন করার প্রক্রিয়ার যে নতুন ধারণা তৈরি হয়েছে তা নতুন প্রজন্মের ডাক্তারদের প্রতি রোগীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষার তৈরি করে। == তথ্যসূত্র == ট্রাস্ট'''ইন্দ্রমোহন রাজবংশী''' একজন বাংলাদেশী লোকগানের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি গান গেয়ে থাকেন। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়ে নিজেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে সংগীত বিভাগে একুশে পদক লাভ করেন। ==প্রাথমিক জীবন== ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর জন্ম বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে। তার পরিবার পাঁচ পুরুষ ধরে গানের সাথে জড়িত। ==কর্মজীবন== ইন্দ্রমোহন রাজবংশী সংগীত কলেজে লোকসঙ্গীত বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তিনি বাংলাদেশ লোকসংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন ইত্যাদিতে তিনি অনেক গান গেয়েছেন। ১৯৬৭ সালে চেনা অচেনা চলচ্চিত্রের গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন। ==মুক্তিযুদ্ধে অবদান== ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মনস্থির করেন। কিন্তু পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় সম্মুখ যুদ্ধে তিনি যেতে পারেন নি। পাকিস্তানিরা সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করায় ইন্দ্রমোহন রাজবংশী নিজের নাম পরিচয় গোপন করে পাকিস্তানিদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন কিছুদিন। পরবর্তীতে সেখান থেকে চলে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গান গাওয়া শুরু করেন। ==গান সংগ্রহ== ইন্দ্রমোহন রাজবংশী গান গাওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকগান সংগ্রহ করতেন। তিনি এক হাজারেরও বেশি কবির লেখা কয়েক লক্ষ গান সংগ্রহ করেছেন। ==পুরস্কার== ইন্দ্রমোহন রাজবংশী সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন। == পরিবার == ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর স্ত্রীর নাম দীপ্তি রাজবংশী পুত্র রবীন রাজবংশী। তারা নিজেরাও লোকগানের সাথে জড়িত। ==তথ্যূত্র== জেলার ব্যক্তি গীতিকার পদক বিজয়ী লোকশিল্পী'''নাটালি এলিন লিন্ড''' (জন্ম জুন ২১, ১৯৯৯) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ছোট পর্দার ধারাবাহিকে তার চরিত্রের জন্য পরিচিতি লাভ করেন, যেগুলোর মধ্যে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি'তে প্রচারিত হাস্যরস ধারাবাহিক ''দ্য গোল্ডবার্গস''-এ ডানা কাল্ডওয়েল এবং আরেক মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স-এ প্রচারিত অপরাধমূলক দৃশ্যকাব্যের ধারাবাহিক ''গোথাম'' সিলভার সেন্ট ক্লাউড হিসেবে আবর্তক ভূমিকায়, এছাড়াও ফক্স-এ প্রচারিত ধারাবাহিক ''দ্য গিফ্টেড''-এ তার ভূমিকা লওরেন স্ট্রাকারও অন্যতম। ==প্রাথমিক জীবন== লিন্ডের জন্ম হয়, ১৯৯৯ সালের ২১শে জুনে, তিনি মার্কিন প্রযোজক জন লিন্ড এবং মার্কিন অভিনেত্রী বারর্বারা এলিন উডসের সবচেয়ে বড় কন্যা। তার দু'জন ছোট বোন রয়েছে, তারা হলেন এলিভিয়া এবং এমিলি, তরাও অভিনেত্রী। ==কর্মজীবন== লিন্ড, মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল উব্লিউবি-এ প্রচারিত দৃশ্যকাব্যিক ধারাবাহিক ''ওয়ান ট্রি হিল''-এ অভিনয় করার মাধ্যমে অভিনয় জীবনে আত্বপ্রকাশ করেন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি'তে প্রচারিত হাস্যরস ধারাবাহিক ''দ্য গোল্ডবার্গস''-এ ডানা কাল্ডওয়েল হিসেবে অভিনয় করে থাকেন, এছাড়াও তিনি ''ক্রিমিনাল মাইন্ডস'', ''আইকার্লি'', ''উইজার্ডস অব ওয়েভালি পেলেস'', এবং এর মত মার্কিন ধারাবাহিক সমূহে অতিথি ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তিনি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স-এ প্রচারিত অপরাধমূলক দৃশ্যকাব্যের ধারাবাহিক ''গোথাম''-এর দ্বিতীয় সিজন থেকে সিলভার সেন্ট ক্লাউড হিসেবে আবর্তক ভূমিকায় অভিনয় করা শুরু করেন, যেটি ২০১৫ সালের ২১শে সেপ্টেম্বরে প্রথম টেলিভিশনে দেখানো শুরু করে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে লিন্ড, মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স প্রচারিত গিফ্টেড নামক টেলিছবিতে গবেষণাগারে জন্ম এবং লালিতপালিত মানুষ হিসেবে "লওরেন স্টাকার" ভূমিকায় অভিনয় করেন, এই চরিত্রটি মূলত "এক্সম্যান" চলচ্চিত্র থেকে প্রাপ্ত একটি চরিত্র, যেটি ২০১৭ সালের মে মাসে একটি ধারাবাহিক হিসেবে প্রচার করা শুরু হয়। == চলচ্চিত্র সমূহ == ছোট পর্দা এবং চলচ্চিত্রের ভূমিকা সমূহ সাল শিরোনাম ভূমিকা মন্তব্য ২০০৬ ''ওয়ান ট্রি হিল'' এলিশিয়া পর্ব: "অল দিস থিংস আই হেভ ডান" ২০০৮ ''আর্মি ওয়াইফস'' ছোট রক্সি লিব্লেন্চ পর্ব: "গ্রেট এক্সপেক্টটেশন" ২০১০ এলিক্সিস সোবোল পর্ব: "জাম্পিং এট শ্যাডোজ" ২০১০ ''আইকার্লি'' ব্রি পর্ব: "আই সেল পেনি টিস" ২০১০ ''ক্রিমিনাল মাইন্ডস'' কায়লা বেনেট পর্ব: "সেইফ হেভেন" ২০১০ ''নভেম্বর ক্রিস্টমাস'' গ্রান্ডিনি পাইরেট ছোট পর্দার চলচ্চিত্র ২০১০ ''ব্লাড ডান সাইন মাই নেইম'' বো তাইসন চলচ্চিত্র ২০১০ ''কাবুম'' প্রথার শিকার চলচ্চিত্র ২০১১ ''উইজার্ডস অব ওয়েভেরি প্লেস'' মারিসা পর্ব: "উইজার্ডস ভার্সেস এন্জেলস" ২০১২ ''প্লেডেট'' ওলিভ ভেলেন্টাইন ছোট পর্দার চলচ্চিত্র; নাটালি লিন্ড হিসেবে ২০১৩ ''ডিয়ার ডাম্ব ডায়রী'' ক্লারি বেন্ডারহায়েড ছোট পর্দার চলচ্চিত্র; অস্বীকৃত ২০১৩–২০১৭ '''' ডানা কাল্ডওয়েল আবর্তক ভূমিকায়, ২২ টি পর্ব ২০১৪ ''মকিংবার্ড'' জেকব'স ফ্রান্ড #৪ চলচ্চিত্র ২০১৫ ''মার্ডার ইন দ্য ফারস্ট'' ডেইজি পর্ব: "স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন" ২০১৫ ''গোথাম'' সিলভার সেন্ট ক্লাউড আবর্তক ভূমিকায়, টি পর্ব ২০১৬ ''শিকাগো ফায়্যার'' লওরেল পর্ব: "নোবাডি এল্স ইজ ডাইয়িং টুডে" ২০১৭ ''আইজম্বি'' উইনস্লো সুটস্লিফি পর্ব: "জম্বি নোস বেস্ট" ২০১৭–বর্তমান ''দ্য গিফ্টেড'' লওরেন স্ট্রাকার মূল ভূমিকায় ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মার্কিন অভিনেত্রী শিশু অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী ব্যক্তি যোগ করা হয়নিএকটি 'ককেশীয় জাতির' মাথার খুলি (স্বাস্থ্য এবং মেডিসিন জাতীয় যাদুঘর) '''ককেশীয় জাতি''' (এছাড়াও কাকোকিওড বা ইউরোপিড) ঐতিহাসিকভাবে জৈবিক ট্যাক্সন হিসেবে বিবেচিত মানুষের গোষ্ঠীভুক্ত, যা ঐতিহাসিক জাতি শ্রেণিবদ্ধ ব্যবহারগুলির উপর ভিত্তি করে ব্যবহৃত হয়, সাধারণত ইউরোপের কয়েকটি বা সমস্ত প্রাচীন এবং আধুনিক জনসংখ্যার অন্তর্ভুক্ত থাকে, ককেশাস, এশিয়া মাইনর, উত্তর আফ্রিকা, আফ্রিকা হর্ন, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া। জৈব নৃবিজ্ঞানে, কাকোকিওডকে বিভিন্ন অঞ্চলগুলির ফিনোটাইপিকভাবে অনুরূপ গোষ্ঠীর জন্য একটি ছাতা শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা কঙ্কাল শরীরবিজ্ঞান এবং বিশেষ করে ক্র্যানিয়াল মোরাফোলজি, ত্বকে টোনের উপরে। এভাবে আদি আধুনিক "কাকোকিওড" জনসংখ্যাটি সাদা থেকে গাঢ় বাদামী রঙে বর্ণিত ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মূল শব্দ ককেশীয় এছাড়াও প্রায়ই "সাদা" বা "ইউরোপীয় বংশবৃত্তান্তের" জন্য একটি সমার্থক হিসাবে একটি ভিন্ন, সামাজিক প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। ==তথ্যসূত্র=='''জিন্দা জান জেলা''' আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত একটি অন্যতম জেলা। ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী জেলাটির সীমানা উত্তরে গুলরান জেলা কুশক জেলা, পূর্বে ইঞ্জিল জেলা গুজারা জেলা, দক্ষিণে আদরাস্কান জেলা এবং পশ্চিমে ঘুরিয়ান জেলা কোহশান জেলা বিদ্যমান রয়েছে। ২০০২ সালের আদমশুমারীর আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী জিন্দা জান জেলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫,৫০০ এর মত। জেলাটির কেন্দ্রীয় শহর হল হরি নদীর উপত্যকায় অবস্থিত জেন্দেহ জান। == কৃষিক্ষেত্র== নিম্নবর্ণিত সারণিটিতে জেলার সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে মোট জমির পরিমাণ প্রদর্শন করে। মোট বাষ্পীকৃত বৃষ্টিনির্ভর বন (হেক্টর) ২৪,১২০ ১৬,৬০০ ৭,৫২০ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বসতিসমূহের মানচিত্র আইএমএমএপি, সেপ্টেম্বর ২০১১ প্রদেশের জেলাবাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় ৬৯ হিজরি সনে নির্মিত একটি মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মসজিদটির কেবল ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট থাকায় এটি স্থানীয়ভাবে হারানো মসজিদ নামে পরিচিত। এই মসজিদটিকে বাংলাদেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ বলে ধারণা করা হয়। ==অবস্থান== সুপ্রাচীন এই মসজিদটি মহাসড়কের কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় অবস্থিত। ==ইতিহাস== লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনয়নের রামদাস মৌজায় বহুদিন ধরে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। জঙ্গলের নাম ছিল মজদের আড়া। স্থানীয় ভাষায় আড়া শব্দের মানে জঙ্গলময় স্থান। জঙ্গল পরিস্কার করার সময় প্রাচীনকালের কিছু ইট বেরিয়ে আসে। এমনিভাবে মাটি ইট সরাতে গিয়ে একটি মসজিদের ভিত খুঁজে পাওয়া যায়। এখানের একটি প্রচিীন শিলালিপির পাঠ থেকে মসজিদের প্রতিষ্ঠাকাল ৬৯ হিজরি জানা গেছে। ==শিলালিপি== মসজিদের ধ্বংসস্তূপের ভিতরে ৬’’×৬’’×২’’ আকারের একটি শিলালিপি পাওয়া যায়। লিপিটিতে আরবি ভাষায় ষ্পষ্টাক্ষরে লেখা আছে মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ, হিজরি সন ৬৯”। লিপিটি থেকে বোঝা যায় যে মসজিদটি প্রায় ৬৯০ খ্রিস্টাব্দের দিকে নির্মিত হয়েছিল। শিলালিপিটি বর্তমানে রংপুরের তাজহাট জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ==গবেষণা== ১৯৮৭ সালের প্রথমভাগে স্থানীয়রা সাংবাদিক গবেষকদের কাছে হারানো মসজিদ সম্পর্কে অবহিত করেন। তখন শতাধিক গবেষক, প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসবিদ এখানে গবেষণা করতে ছুটে আসেন। টাইগার ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা টিম স্টিল লালমনিরহাটের মসজিদটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন। প্রথাগত ইতিহাস অনুযায়ী ১০০০ শতকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সুফিদের প্রথম আগমন ঘটে। ১১০০ থেকে ১২০০ শতকে সুফিদের মাধ্যমে পূর্ববাংলায় ইসলামের প্রচার প্রসার শুরু হয় এবং তাঁদের হাতেই এই অঞ্চলে প্রথম মসজিদ নির্মাণ হয়। তাই এত আগে এখানে মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি আশ্চর্যজনক। টিম স্টিল তখন আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ আর্কিওলজিস্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানকার ইসলামের ইতিহাস সংক্রান্ত গবেষকগণ বলেন অনেক রোমান জার্মান ইতিহাসবিদের লেখায় আরব রোমান বণিকদের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় নৌ-বাণিজ্যের সূত্রে আসা-যাওয়ার কথা জানা যায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি চলমান গবেষণায় অববাহিকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে। টিম স্টিল পঞ্চগড়ের ভিটাগড়ে প্রাচীন নগরের নিদর্শন পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যাপক শাহনেওয়াজের গবেষণা থেকেও সহায়তা পান। তিনি মনে করেন মসজিদটি নির্মাণের ইতিহাস খুঁজে পেলে হয়তো বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্ব সভ্যতার সম্পর্কের আরেক ইতিহাস জানার পথ উন্মোচিত হবে। মসজিদটি ২১ ফুট চওড়া এবং ১০ ফুট লম্বা ছিল। এর চারটি স্তম্ভ ছিল, যার দুটি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত। == গ্যালারি == চিত্র:Lost Mosque in Bangladesh 1.jpg|নতুন মসজিদ চিত্র:Majader চিত্র:Lost Mosque in Bangladesh 4.jpg|মুল অংশ চিত্র:Lost Mosque in Bangladesh চিত্র:Lost Mosque (16).jpg|মুল অংশ চিত্র:Lost Mosque in Bangladesh 6.jpg|প্রাচীণ মিম্বার চিত্র:Lost Mosque in Bangladesh 5.jpg|বর্তমান মিম্বার ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Ancient mosque unearthed in Bangladesh জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার মসজিদ'''শারীরগত আধুনিক মানুষ''' শব্দটি ''হোমো সেপিয়েন্সের'' অন্তর্গত সমসাময়িক মানুষের ফেনোটাইপ বিস্তারযুক্ত অঙ্গসংস্থানের সঙ্গে প্রাচীন অবলুপ্ত মানুষের প্রকৃতিগত পার্থক্য নিরুপণ করতেই ব্যবহৃত হয়। ৩,১৫,০০০ বছর আগে হোমো সেপিয়েন্স তার প্রাচীন বলিষ্ঠ পূর্বসূরীদের (''হোমো ''হোমো ইরেকটাসে''র শাখা) থেকে নবরূপ প্রাপ্ত হয়। এর কিছু সময় পর থেকেই আধুনিক মনুষ্যপ্রজাতি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকাতে শিকারী-সংগ্রাহক জনগোষ্ঠীই সর্বপ্রথম বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে; যদিও আধুনিক মানুষের নিজেদের মধ্যে এবং আধুনিক প্রাচীন মানুষের মধ্যে প্রচুর বিমিশ্রণ সংঘটিত হয়েছে। ব্যবহারিক আধুনিকতা, যেমন ভাষাগত উন্নতি, অবয়ব শিল্পের বিকাশ এবং ধর্মের প্রাথমিক রূপের উন্নয়ন প্রভৃতি আজ থেকে ৪০,০০০ বছর আগে শুরু হয়; এটি ছিল আপার প্যালিওলিথিক যুগ (আফ্রিকায় যা পরবর্তী প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত ছিল)। == নামকরণ শ্রেণীবিন্যাস == ট্যাক্সোনমিক প্রজাতি হিসেবে সমসাময়িক মনুষ্য জনগোষ্ঠীর দ্বিপদী নাম হল ''হোমো সেপিয়েন্স''। এই প্রজাতিটি এর একটি ''হোমো'' গণ থেকে প্রায় ২,০০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ বছর আগে উদ্ভুত হয়। “শারীরগত আধুনিক মানুষ” শব্দটি বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহৃত হয়, “শারীরগত আধুনিক” হোমো সেপিয়েন্স –এর থেকে মত প্রাচীন মানবকে পার্থক্য নিরূপণ করতে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯০এর দশকের জনপ্রিয় প্রথা অনুযায়ী, ''হোমো সেপিয়েন্স নামক ''হোমো সেপিয়েন্সের'' উপ-প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হত, যেখানে শারীরগত আধুনিক মানুষ (অথবা ইউরোপীয় প্রাক্‌-আধুনিক মানুষ) বলতে ক্রো-ম্যাগনন বা ''হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্স'' বোঝাতো। এই প্রকার নামকরণ অনুযায়ী (যেখানে হোমো সেপিয়েন্স বলা হত), “শারীরগত আধুনিক হোমো সেপিয়েন্স” বলতে ইউরোপীয় প্রাক্‌-আধুনিক মানুষ বোঝানো হত। আলাদা প্রজাতি (''হোমো হিসেবে নামকরণ করা খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে, যাতে ইউরোপীয় পরিপ্রেক্ষিতে “শারীরগত আধুনিক মানুষ” বলতে ''হোমো সেপিয়েন্স'' বোঝায় (কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনভাবেই এই প্রশ্নের মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি)। হোমো সেপিয়েন্সের এই সংকীর্ণ সংজ্ঞায়, ২০০৩ সালে আবিষ্কৃত, ''হোমো সেপিয়েন্স ইডাল্টু''ও, “শারীরগত আধুনিক”-এর একই ছত্রতলে পড়ে। আধুনিক মানবগোষ্ঠীর উত্তরসূরীদের একটি বৈধ প্রজাতি হিসেবে ''হোমো সেপিয়েন্স ইডাল্টু''র স্বীকৃতি, সমসাময়িক মানুষের ''হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্স'' প্রজাতি নামটিকেই সমর্থন করে। সুবিধার জন্য, “শারীরগত আধুনিক মানুষ”কে ‘প্রাক্‌’ কিংবা ‘বলশালী’ বনাম কিংবা ‘কৃশকায়’ উপশাখায় বিভক্ত করা হয়। “কৃশকায় শারীরগত আধুনিক মানুষের” আবির্ভাব ৫০,০০০ ৩০,০০০ বছর আগে মানুষের আকারগত ক্ষুদ্রতর হওয়া এবং অধিকতর সরু অস্থির আবির্ভাবকেই সূচিত করে। লক্ষ বছরের মধ্যে বসবাসরত তালিকার অন্তর্গত প্রয়োজন জনগোষ্ঠী বয়স শ্রেণীবিন্যাস ''হোমো সেপিয়েন্স'' ৩,০০,০০০ বছর বর্তমান modern হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্স ১০,০০০ বছর বর্তমান আধুনিক লাল হরিণ গুহা মানব ১০ হাজার বছর মিশ্র (?) ''হোমো সেপিয়েন্স ইডাল্টু'' লক্ষ ১.৬ লক্ষ বছর "প্রাক্‌" আধুনিক ডেনিসোভান্স্‌ লক্ষ ৪০ হাজার বছর প্রাচীন ''হোমো ১.৯ লক্ষ ৫০ হাজার বছর প্রাচীন ''হোমো ২.৫ লক্ষ ৪০ হাজার বছর প্রাচীন ''হোমো লক্ষ ১.২৫ লক্ষ প্রাচীন ''হোমো ইরেকটাস্‌ (সোলো মানব) –১.৪ লক্ষ(?) প্রাচীন ''হোমো লক্ষ লক্ষ প্রাচীন == শারীরগত দিক == === সাধারণ গঠন === সাধারণভাবে আধুনিক মানুষ তাদের পূর্বসুরী প্রাচীন মানবগোষ্ঠীর থেকে শারীরিকভাবে দূর্বল। মানবপ্রজাতি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল; আধুনিক মানুষ বেশ শক্তসমর্থ লক্ষণবিশিষ্ট হতে পারে, এবং প্রাক্‌-আধুনিক মানুষ তার চেয়েও বেশি বলশালী হতে পারে। তবুও, আধুনিক মানুষ আর প্রাচীন মানুষের এবং ডেনিসোভান্স্‌) মধ্যে বেশ কিছু শারীরগত পার্থক্য রয়েছে। === করোটিগত গঠন === হোমো সেপিয়েন্স (বাঁদিকে) এবং হোমো (ডানদিকে) করোটির গঠনগত তুলনা (ক্লিভল্যান্ডের প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাদুঘরে) তুলনাকৃত বৈশিষ্ট্যগুলি হল করোটির আকার, কপাল, ব্রো-রিজ, নাসিকার হাড়, অভিক্ষেপ, গালের হাড়ের কৌণিক অবস্থান, চিবুক এবং অক্সিপিটাল রেখান্যাস করোটিতে ঘাড়ের কাছে অক্সিপিটাল বান কম পরিমাণে থাকে; অক্সিপিটাল বান হল ঘাড়ের পেশীর কাছে একটি অস্থি স্ফীতি যা ক্ষেত্রে প্রকটভাবে দেখা যায়। আধুনিক মানুষের, এমনকি এর পূর্বসুরীদেরও, প্রাচীন মানুষের তুলনায় বৃহত্তর পুরোমস্তিষ্ক রয়েছে, যাতে মস্তিষ্ক চক্ষুর পিছনে না থেকে তার উর্ধ্বভাগেও অবস্থান করতে পারে। এর ফলে কপাল সাধারণত (যদিও সবসময়ে নয়) আয়তনে বৃহৎ হয়, এবং ব্রো রিজ সংকুচিত হয়। প্রাক্‌-আধুনিক মানুষ এবং কিছু বর্তমান মানবগোষ্ঠীরও বড় ব্রো রিজ রয়েছে, কিন্তু প্রাচীন মানুষের থেকে সেগুলি আলাদা, কারণ প্রাচীন মানবগোষ্ঠীর অক্ষিগোলকের ওপর একটি গর্ত বা খাঁজ তৈরি হয়েছে যা প্রতিটি চোখের ওপর সংযোগরেখার মধ্যে দিয়ে একটি খাঁজ তৈরি করেছে। এটি সংযোগরেখাটিকে একটি কেন্দ্রীয় অংশ দুটি প্রান্তীয় অংশে বিভক্ত করেছে। আধুনিক মানুষের ক্ষেত্রে, এর মধ্যে কেবল কেন্দ্রীয় অংশটিই রক্ষিত আছে (যদি আদৌ তা থাকে)। এটিই প্রাচীন মানব গোষ্ঠীর সঙ্গে এদের পার্থক্য, প্রাচীন মানুষের এই ব্রো রিজটি যথেষ্ট বড় এবং অবিভক্ত। আধুনিক মানুষের সাধারণত একটি খাড়া, এমনকি উল্লম্ব কপাল দেখা যায়, যেখানে তাদের পূর্বসুরীদের কপাল একেবারেই পশ্চাৎ নতিযুক্ত। ডেসমণ্ড মরিসের মতে, উল্লম্ব কপাল মানুষের ক্ষেত্রে ভ্রূ-সঞ্চালন এবং কপালের ত্বক সংকোচনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যোগাযোগস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। === চোয়াল গঠন === প্রাচীন মানুষের সঙ্গে তুলনা করলে, শারীরগত আধুনিক মানুষ ক্ষুদ্রতর, ভিন্ন আকৃতির দাঁতের অধিকারী। এর ফলে এদের নিম্নচোয়ালের অস্থি ক্ষুদ্রতর হয় যার ফলে অবশিষ্ট চোয়ালরেখা বেরিয়ে থাকে যা চিবুকটিকে স্পষ্ট করে তোলে। চোয়ালের কেন্দ্রীয় অংশ চিবুকটিকে একটি ত্রিকোণাকৃতি গঠন দান করে যার শীর্ষভাগকে মেন্টাল ট্রিগন বা চিবুক-ত্রিকোণ নামে পরিচিত, এটি প্রাচীন মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। বিশেষত বর্তমান জনগোষ্ঠীতে, আগুন যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে চোয়ালের পেশীর সংখ্যা কমে গেছে এবং চোয়াল হয়ে পড়েছে রোগা কৃশকায়। প্রাচীন মানুষের তুলনায়, আধুনিক মানুষ ক্ষুদ্রাকার নিকৃষ্টতর মুখমণ্ডলের অধিকারী। === দেহ কঙ্কালের গঠন === পূর্বতম এবং সবথেকে শক্তিশালী আধুনিক মানুষের দেহ কঙ্কালও তুলনায় কম মজবুত ছিল থেকে আমরা যেটুকু জানতে পারি), যেহেতু তাদের কঙ্কালে অত্যাবশ্যকীয় আধুনিক উপাদান বর্তমান ছিল। হাত পায়ের লম্বা অস্থির ক্ষেত্রে, দূরবর্তী অস্থিগুলি (রেডিয়াস/আলনা এবং টিবিয়া/ফিবুলা) নিকটবর্তী অস্থির চাইতে (হিউমেরাস এবং ফিমার) কিছুটা ছোট অথবা একই দৈর্ঘ্যের। ক্ষেত্রে দূরবর্তী অস্থিগুলি ক্ষুদ্রতর, সাধারণত মনে করা হয় যে এগুলি শীতল আবহাওয়ার সাথে অভিযোজিত কারণেই এমন হয়েছে। মেরু অঞ্চলে বসবাসকারী কিছু আধুনিক মানবগোষ্ঠীর মধ্যেও এই একই অভিযোজন দেখা যায়। == বিবর্তন == হোমিনান্‌দের করোটি চিত্র:Homo ইরেকটাস'' চিত্র:Homo এরগাস্টার্‌'' চিত্র:Homo habilis-KNM ER 1813.jpg|''হোমো হ্যাবিলিস্‌'' চিত্র:Homo skull front Smithsonian Museum of Natural History চিত্র:Homo sapiens Combe === ছড়িয়ে পড়বার আনুমানিক সময় === হোমিনিনস্‌ থেকে হোমো প্রজাতির উদ্ভব ৩০ লক্ষ বছর আগে কোন এক সময় শুরু হয়েছিল। জীবাশ্ম হিসেব অনুসারে, ১৮ লক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ বছর আগে হোমো ইরেকটাসের আবির্ভাবের সময় থেকে করোটির আয়তন দ্বিগুণ হয়ে ৮৫০ কিউবিক সেমি হয়ে যায়। মনে করা হয়, হোমো ইরেকটাস এবং হোমো এরগাস্টার প্রথম আগুন জটিল যন্ত্রের ব্যবহার শেখে। আধুনিক মানুষ হোমো হোমো রোডেসিয়েন্‌সিস অথবা হোমো থেকে বিবর্তিত হয় এবং ১,০০,০০০ থেকে ৫০,০০০ বছর আগে হোমো ইরেকটাস, হোমো ডেনিসোভা, হোমো এবং হোমো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্থান অধিকার করে। প্রায় লক্ষ বছর আগে মরক্কো থেকে প্রাপ্ত জেবল ইরহোদের জীবাশ্ম হল শারীরগত আধুনিক মানুষের প্রাচীনতম জীবাশ্ম। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাক্‌-আধুনিক মানুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পূর্ব আফ্রিকায় প্রাপ্ত ওমো অবশেষ যা ১,৯৫,০০০ বছর আগেকার এবং এখানে মাথার করোটির পার্শ্বস্থ দুটি অংশ, বাহু, পা, পায়ের পাতা এবং পেলভিস অস্থি পাওয়া গেছিল। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায়, প্রস্তর যুগের খোই-সান মানুষের কঙ্কালের জিনোমের সাথে অন্যান্য আধুনিক আফ্রিকান জনগোষ্ঠীর তুলনা করে এটা বোঝা যায় যে পশ্চিম আফ্রিকান মান্ডিনকা জনগোষ্ঠী থেকে আনুমানিক ৩,৫৬,০০০ বছর আগে খোই-সান জনগোষ্ঠী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে; এর ফলে বোঝা গেল আধুনিক মানুষের উৎপত্তি আগে যা ভাবা হত তা তার চেয়ে প্রাচীন। অন্যান্য জীবাশ্মগুলির মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়ার হার্টোয় ১,৬০,০০০ বছর আগেকার প্রস্তাবিত ''হোমো সেপিয়েন্স ইডাল্টুর'' জীবাশ্ম এবং ইজরায়েলে ৯০,০০০ বছর আগেকার ''স্খুল হোমিনিডস্‌''। পশ্চিম সাইবেরিয়ায় ৪৫,০০০ বছর আগেকার উস্ট-ইশিম মানুষের অবশেষই হল প্রাচীনতম যার থেকে সম্পূর্ণ জিনোম বের করা সম্ভব হয়েছে। ImageSize width:450 height:125 PlotArea left:40 right:25 bottom:20 top:5 AlignBars justify Colors id:green id:nil value:gray(0.9) id:era id:age id:period1 id:period3 value:gray(0.8) background bar Period from:-2000000 till:2013 TimeAxis ScaleMajor unit:year start:-2000000 ScaleMinor unit:year increment:20000 start:-2000000 PlotData= align:center textcolor:black fontsize:8 width:5 shift:(0,-5) bar: from:-2000000 till:end width:35 color:period3 bar: from:-2000000 till:end width:15 color:white bar: at:-2000000 color:period3 shift:(-20,7) text:Genus~Homo bar: color:period3 from:-200000 till:-1800000 at:-1800000 shift:(0,8) text:H. erectus at:-1800000 text:H. ergaster at:-1800000 shift:(0,-24) text:H. georgicus bar: color:period3 from:-1400000 till:end at:-1400000 shift:(0,-16) text:H. habilis bar: color:period3 from:2013 till:-200000 at:-200000 text:H. sapiens bar: color:period3 from:-1200000 shift:(0,4) till:-800000 text:H. antecessor bar: color:period3 from:-29000 till:-230000 at:-230000 shift:(0,-10) text:H. bar: color:period3 from:-230000 till:-600000 at:-600000 shift:(0,5) width:5 text:H. heidelbergensis bar:Events color:nil at:-77000 shift:(0,5) text:Toba at:-640000 shift:(0,5) text:3rd Y. Caldera at:-1300000 shift:(0,5) text:2nd Y. Caldera bar:Events color:nil from:-13000 till:2013 from:-781000 till:-13000 '''আনুমানিক সন-তারিখ, বিশদে জানবার জন্য অন্যান্য নিবন্ধ দেখুন''' (''২,০০,০০০ খ্রীঃপুঃ থেকে ২০১৩ খ্রীঃ পর্যন্ত (আংশিক) ব্যাখ্যামূলক প্রতীকচিহ্ন'') === হোমো ইরেকটাস থেকে উদ্বর্তন === মধ্য প্যালিওলিথিক যুগের হোমো সেপিয়েন্সের জাতিজনির একটি মডেল। অনুভূমিক অক্ষটি ভৌগোলিক অবস্থান নির্দেশিত করে; এবং উল্লম্ব অক্ষটি সময়কে (হাজার বছর পূর্বেকার) নির্দেশ করে। দেখা যাচ্ছে, হোমো ডেনিসোভান্স্‌, এবং হোমো সেপিয়েন্সে মিশে যাচ্ছে। লক্ষ বছর ব্যাপী হোমো সেপিয়েন্সের বিস্তারের ফলে ডেনিসোভান্স্‌ এবং অনির্দিষ্ট প্রাচীন আফ্রিকান হোমিনিন্স্‌ পুনরায় হোমো সেপিয়েন্সের বংশে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এর সাথে, আধুনিক আফ্রিকান জনগোষ্ঠীতে নানা বিমিশ্রণের ঘটনারও ইঙ্গিত রয়েছে। প্রাচীন মানুষের বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রকারভেদ (যাদের সকলেই ''হোমো ইরেকটাস'' থেকে প্রায় ১৮ লক্ষ বছর আগে আবির্ভুত হয়) থেকে ''হোমো সেপিয়েন্সের'' তুলনামূলক সমরূপ একক প্রজাতিতে উদ্বর্তন বিষয়ে ১৯৮০র দশকে উত্থাপিত দুটি ভিন্ন মডেল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয় “আধুনিক আফ্রিকান উৎস” নামক মডেলে দাবি করা হয়, আফ্রিকায় হোমো সেপিয়েন্সের আবির্ভাব হয় একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে যা বিস্তৃত হয় এবং অন্যান্য সকল মনুষ্য প্রজাতিকে অবলুপ্ত করে দেয়; অন্যদিকে, “বহুস্থানিক বিবর্তন” মডেলে দাবি করা হয়, প্রাচীন মানুষের মধ্যে স্থানিক বৈশিষ্ট্যগুলির অস্তিত্ব বজায় ছিল যা ধীরে ধীরে ক্লাইনাল পরিবর্তন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে জিন সঞ্চরণ, জিন প্রবাহ এবং প্লিস্টোসিন পর্বে নির্বাচনের মাধ্যমে আধুনিক মানব বৈচিত্র্যের দিকে উপনীত হয়। ২০০০-এর শূন্য দশকে জন-জিনবিদ্যার মাধ্যমে সন-তারিখ প্রাপ্ত হওয়ায় আরো বিশদ পরিষ্কার ছবি পাওয়া গেছে যার ফলে উপরোল্লিখিত দুটি প্রতিযোগী তত্ত্বের একটি মধ্যবর্তী অবস্থানে আসা গেছে সাম্প্রত প্রসারই আধুনিক মানব উৎপত্তির মূলাংশ গঠন করেছে, তবে স্থানীয় প্রাচীন মানবের সাথে মিশ্রণের ঘটনাও এই মানবের উৎপত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত (২০১৭ সালের হিসেব অনুযায়ী) হোমো সেপিয়েন্সের অন্তত দুটি পরিযাণ ঘটেছিল। এর প্রথমটি ঘটেছিল ১,৩০,০০০ এবং ১,১৫,০০০ বছর আগে কোন এক সময়ে এবং দ্বিতীয়টি ঘটেছিল ৭৭,০০০ বছর আগে যা তোবা কারণে ঘটেছিল বলে মনে করা হয়; এই দলটি তথাকথিত দক্ষিণ পথ ধরে এশিয়ার দক্ষিণ সমুদ্রোপকূল বরাবর এগিয়ে চলে এবং ৬৫,০০০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া অধিকার করে; এর একটি পূর্বতন শাখা প্রায়-প্রাচ্য এবং ইউরোপে প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে বসতিস্থাপন করে। আফ্রিকার মধ্যে, এরও আগে একটি বহির্মুখী অভিগমন দেখা গিয়েছিল এবং তা ছিল ১,৫০,০০০ বছরেরও আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্য আফ্রিকার পশ্চিম এবং পূর্ব আফ্রিকার অধিবাসীদের মধ্যে; সম্ভবত এটি ৩,০০,০০০ আগে শুরু হয়ে থাকতে পারে। অতএব সবথেকে স্বতন্ত্র জিনগত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সমসাময়িক মানব জনগোষ্ঠী হল দক্ষিণ আফ্রিকার শারীরগত আধুনিক মানুষের মধ্যে নিরন্তর মিশ্রণ প্রক্রিয়া চলবার কারণে আধুনিক জনগোষ্ঠীর মাতৃগত পিতৃগত দিক থেকে সবথেকে ঘনিষ্ঠ পূর্বসুরীর কাল আন্দাজ করা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে উঠেছে ইভ এবং আদম)। ২০১৩ সালে একটি প্রাচীন বংশ আবিষ্কৃত হওয়ার সাথে সাথে ওয়াই ক্রোমোজোমাল আদমের বয়সকে ৩,০০,০০০ বছর আগে বলে হিসাব করা হয়। প্রাচীন মানুষ থেকে কোন অথবা ডিএনএর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি (যার ফলে সর্বাধুনিক পিতৃগত মাতৃগত বংশের কালসীমা ৫,০০,০০০ বছর আগে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে)। === প্রাক-''হোমো সেপিয়েন্স'' === পঞ্চম স্খুল (১,০০,০০০ খ্রীঃপুঃ) যাতে প্রাচীন এবং আধুনিক ধারার মিশ্রণ দেখা যাচ্ছে। মধ্য প্যালিওলিথিক নামটি হোমো সেপিয়েন্সের প্রথম আবির্ভাবের সময় (প্রায় ৩,০০,০০০ বছর আগে) এবং পূর্ণ আচরণগত আধুনিকত্বের আবির্ভাবের সময়ের (প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে) মধ্যবর্তী সময়কে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। অনেক প্রাক্‌-আধুনিক মানুষের মধ্যে (যেমন, ওমো, হার্টো, স্খুল এবং পেস্টেরা কু ওয়েস) প্রাচীন এবং আধুনিক ধারার মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পঞ্চম স্খুলের স্পষ্ট ব্রো রিজ এবং একটি অভিক্ষিপ্ত মুখমণ্ডল রয়েছে। যদিও, এদের মাথার করোটি হল গোলাকার এবং থেকে স্বতন্ত্র এবং আধুনিক মানুষের মাথার করোটির অনুরূপ। অধুনা জানা গেছে, যে উত্তর সাহারা এবং আফ্রিকার বাইরের অঞ্চলের আধুনিক মানুষের মধ্যে কিছু প্রাচীন মানবের মিশ্রণ ঘটেছে, যদিও পঞ্চম স্খুলের মত প্রাক্‌-আধুনিক মানুষের শক্তিশালী ধারার ফলেই এই মিশ্র বংশের উৎপত্তি নাকি তা প্রাচীন কোন ধারার অবশেষ, তা এখনও অমীমাংসিত। শারীরগত আধুনিক মানুষের “কৃশকায়” অথবা দূর্বলভাবে গঠিত কঙ্কালের সাথে বর্দ্ধিত জনসংযোগ এবং “সম্পদ পরিবহন”সহ তার জীবনযাত্রার অন্যান্য দিকগুলিও জড়িয়ে রয়েছে। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে মানব মস্তিষ্কের বিকাশের, বিশেষত পুরোমস্তিষ্কের বিকাশের, কারণ হল “মানবদেহে বিপাকীয় উপাদানের অত্যন্ত দ্রুত বিবর্তন...এর সাথে সাথে পেশী শক্তির চূড়ান্ত অবক্ষয়। মস্তিষ্কে এবং পেশীতে লক্ষ্যণীয়রকমের দ্রুত বিপাকীয় পরিবর্তন, এবং তার সাথে অনন্য মানব জ্ঞান দক্ষতা পেশীকার্যের হ্রাস, মানব বিবর্তন পদ্ধতিতে সমান্তরাল ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়”। শনিনজেন বল্লম এবং এদের আনুষঙ্গিক অবশেষ থেকে বোঝা যায় যে এরা আজ থেকে ৩,০০,০০০ বছর আগেই জটিল প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করেছিল এবং এটাই ছিল সক্রিয় (বড় রকমের) শিকারের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ। হোমো পূর্ব-পরিকল্পনা করা, চিন্তা করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার মত মেধাগত জ্ঞানগত দক্ষতা ছিল এবং তা ছিল একেবারেই আধুনিক মানুষের মত। == পরবর্তী প্যালিওলিথিক == প্রাক্‌কালীন শারীরগত আধুনিক মানুষ আধুনিক অথবা বর্তমান মানুষের মতই আচরণ করত কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ আছে। আচরণগত আধুনিকতার মধ্যে লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্যগুলি হল সম্পূর্ণ সুগঠিত ভাষা (যার জন্য বিমূর্ত চিন্তার ক্ষমতা থাকা দরকার), শিল্পগত প্রকাশ, ধার্মিক আচরণের প্রাথমিক রূপ, বর্ধিত জনসংযোগ এবং প্রাথমিক বসতিস্থাপন এবং পাথর, হাড় অথবা হরিণের শিং থেকে যন্ত্রের উদ্ভব। ইউরেশিয়ায় আধুনিক মানুষের দ্রুত বিস্তার থেকে যে যুগ শুরু, তাকে পরবর্তী প্যালিওলিথিক যুগ বলে অভিহিত করা হয়; এই সময়ে প্যালিওলিথিক শিল্পের প্রথম আবির্ভাব ঘটে এবং তার ফলে গুহাচিত্রের বিকাশ ঘটে এবং প্রযুক্তিগত উন্নতি লক্ষ্য করা যায়, বল্লম-নিক্ষেপের মত কার্যকলাপ এই সময়ে লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তী প্যালিওলিথিক ৫০,০০০ থেকে ৪০,০০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এবং এই সময় থেকেই মত প্রাচীন মানুষের অবলুপ্তি ঘটতে থাকে। “আচরণগত আধুনিকতা” শব্দটি কিছুটা বিতর্কিত। পরবর্তী প্যালিওলিথিক যুগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়, কিন্তু কিছু পণ্ডিত ২,০০,০০০ বছর আগে ''হোমো সেপিয়েন্স'' আবির্ভাবের সময়কাল থেকেই “আচরণগত আধুনিকতা” শব্দটি ব্যবহার করবার পক্ষপাতী, আবার কেউ কেউ ৫০,০০০ বছর আগে দ্রুত বিকাশের সময়ের বৈশিষ্ট্য হিসেবে এই শব্দটি ব্যবহার করেন। বলা যায় যে আচরণগত আধুনিকতা একটা ধীর ক্রমান্বয়ী প্রক্রিয়া। ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে জানানো হয়েছে যে ২০০২ সালে ইজরায়েলের মিসলিয়া গুহায় প্রাপ্ত ১,৮৫,০০০ বছর আগেকার আধুনিক মানব অবশেষই হল তাদের আফ্রিকা বহির্গমনের পূর্বতম নিদর্শন। ইওরোপে প্রাপ্ত সর্বপ্রাচীন ''হোমো সেপিয়েন্স'' (শারীরগত আধুনিক মানুষ) হল “ক্রো-ম্যাগনন” (ফ্রান্সে আবিষ্কৃত স্থানটির নামানুসারে) যারা ৪০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ বছর আগে আবির্ভুত হয়। এদেরকে এদের পূর্বসুরী বিপরীতে “ইওরোপীয় প্রাক্‌-আধুনিক মানুষ” নামেও অভিহিত করা হয়। আফ্রিকান পরবর্তী ইউরেশিয় প্যালিওলিথিকের সমতুল যুগ পরবর্তী প্রস্তর যুগ হিসেবে পরিচিত যা প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯শ শতকের শেষভাগে ইওরোপে আচরণগত আধুনিকতার সবথেকে স্বচ্ছ নিদর্শন পাওয়া যায়, যেমন ভেনাস মূর্তি এবং থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য হস্তনির্মিত শিল্পকর্ম; আরো সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় জানা যাচ্ছে সান নামক তৎকালীন বস্তু সংস্কৃতির আবশ্যিক উপাদানগুলি অন্ততপক্ষে ৪০,০০০ বছর আগেও উপস্থিত ছিল, এগুলি ছিল আজকের দিনে ব্যবহৃত খননকার্য চালানোর যন্ত্রের মত, যেমন উটপাখির ডিমের খোলা দিয়ে তৈরি পুঁতি, হাড় দিয়ে তৈরি তীরের ফলা যাতে নির্দিষ্ট প্রস্তুতকারকের চিহ্ন লাল গৈরিক রঙে খোদিত থাকত এবং ছিল বিষ প্রলেপক। আরো একটি জ্ঞাতব্য তথ্য হল, যে “৭৫ হাজার বছর আগে মধ্য প্রস্তর যুগে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লম্বস গুহা থেকে উদ্ধারকৃত পাথরের হস্তনির্মিত বস্তুর গঠনগত বৈশিষ্ট্য সবথেকে ভাল বোঝা যায় প্রেশার ফ্লেকিং বা চাপের মাধ্যমে ফলক তোলার মধ্যে দিয়ে। এই পদ্ধতিটি উত্তপ্ত সিলক্রিটের ওপরে স্টিল বে’এর দ্বিমুখী চূড়া নির্মাণের সময় ব্যবহৃত হত।" প্রেশার ফ্লেকিং এবং বস্তুকে উত্তপ্ত করার পদ্ধতিটি প্রাক্‌-ইতিহাসে আরো পরবর্তীযুগের বলে আগে ধারণা করা হত এবং উভয় পদ্ধতিই প্রাকৃতিক বস্তুর ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি আচরণগত আধুনিক দিককে সূচিত করে। আফ্রিকান অঞ্চলগুলির পাশাপাশি গুহা অঞ্চলের গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে “সাংস্কৃতিক এবং বৌদ্ধিক চরিত্র আধুনিক মানুষের মধ্যে কখন দেখা গেল তা নিয়ে বিতর্কের” দিন হয়ত শেষ হয়ে আসছে, কারণ “বৃহৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তি” যার জন্য “অগাধ বিশ্বাস এবং ভাষার ব্যবহার দরকার হয়” তা পিনাকল পয়েন্টের নং সাইটে পাওয়া গেছে। এটা প্রায় ৭১,০০০ বছর আগেকার নিদর্শন। গবেষকদের মতে তাঁদের গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে মাইক্রোলিথিক প্রযুক্তি প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই উৎপত্তি লাভ করেছিল এবং তা অত্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে বিবর্তিত হয় (প্রায় ১১,০০০ বছর), এবং তারপর তা উত্তপ্তকরণের জটিল প্রযুক্তির সঙ্গে মিশে যায় যা প্রায় ১,০০,০০০ বছর ধরে চলেছিল। আফ্রিকার উন্নত প্রযুক্তি ছিল আদি স্থায়ী; আফ্রিকার খননকৃত অঞ্চলের একটি ছোট নিদর্শনই হল যেকোন ধারণা করা ‘ফ্লিকারিং’ নকশার সবচেয়ে ভাল ব্যাখ্যা।” এর ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে উপ-সাহারান আফ্রিকার পরবর্তী প্রস্তর যুগের সংগ্রাহকের দল আজ থেকে অন্ততপক্ষে ৫০,০০০ বছর আগে আধুনিক জ্ঞান আচরণে উন্নীত হয়েছিল। মনে করা হয়, এই আচরণগত পরিবর্তন ১,৩৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ বছর আগের একটি জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট শুষ্ক শীতল পরিবেশের ফলশ্রুতি হিসেবে ঘটেছে। এর ফলে অন্তর্দেশীয় খরার কারণে মানবদলগুলি শামুক অন্যান্য সম্পদে আকীর্ণ সমুদ্রতীরবর্তী নিম্ন জলাভূমি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। হিমবাহের মধ্যে প্রচুর জল আটকে থাকায় সমুদ্রতল অত্যন্ত নীচু ছিল, এবং এই ধরনের জলাভূমি অঞ্চলগুলি ইউরেশিয়ার দক্ষিণ তট বরাবর বিস্তৃত ছিল। ভেলা নৌকার আবিষ্কারের ফলে বহির্দেশীয় দ্বীপসমূহ অন্বেষণ এবং সমুদ্রতট বরাবর ভ্রমণ সহজ হয়, এবং এরই ফলে নিউ গিনি পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়াও সম্ভব হয়। == তথ্যসূত্র == M. Anne Katzenberg, Shelley R. Saunders (eds.), ''Biological Anthropology of the Human Skeleton'' (2008) Fred H. Smith, James C. Ahern, ''The Origins of Modern Humans: Biology Reconsidered'' (2013)। == বহিঃসংযোগ == === সাধারণ তথ্য === Lev A. Zhivotovsky, Noah A. Rosenberg, and Marcus W. Feldman "Features of Evolution and Expansion of Modern Humans, Inferred from Genomewide Microsatellite Markers" Am. jr. of Human Genetics, May 2003; 72(5), pp 1171–1186. Early And Late "archaic"homo Sapiens And "anatomically Modern" Homo Sapiens. hawaii.edu. Keith L. Hunley, Meghan E. Healy, and Jeffrey C. Long: "The global pattern of gene identity variation reveals history of long-range migrations, bottlenecks, and local mate exchange: Implications for biological race" American Journal of Physical Anthropology: Special Issue: Race Reconciled: How Biological Anthropologists View Human Variation Volume 139, Issue 1, pages 35–46, May 2009 আধুনিক মানুষের উৎপত্তি: বহুঅঞ্চল না আফ্রিকার বাইরে? হোমো ইরেক্টাস সরঞ্জাম ব্যবহার এবং অভিযোজন. public.wsu.edu. প্রারম্ভিক মানব বিবর্তন: আধি মানব সংস্কৃতি; প্রারম্ভিক আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্স. palomar.edu. মানব সময়রেখা (interactive) স্মিথসোনিয়ান, প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাতীয় যাদুঘর। === প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাদুঘর === Species; Human Family Tree. si.edu. স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের মানব উৎসের প্রোগ্রাম আমাদের প্রাথমিক মানব পরিবার পরিদর্শন করুন। nhm.ac.uk. ''হোমো স্যাপিয়েন্স''। mnsu.edu লাল তালিকার ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত প্রজাতি বিবর্তন প্রস্তরযুগসম্পর্ক''' বলতে জার্মানি এবং ব্রুনাইয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে বোঝানো হয়। ব্রুনাইয়ের দূতাবাস বার্লিনে, এবং জার্মানির দূতাবাস বন্দর সেরি বেগাওয়ানে অবস্থিত। == ইতিহাস == উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক ১লা মে ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫-তে, সুলতান হাসসান আল-বলকিয়াহ সর্বপ্রথম ব্যক্তিগত সফরে জার্মানিতে যান এবং ১৯৯৮ সালে একটি রাষ্ট্রীয় সফরে যান, যেখানে সরকারি সফরে ২০০২ ২০১১ সালে আবারো পরিদর্শন করেন। অপরদিকে, চ্যান্সেলর হেলমুট কোল একটি সরকারি সফরে ১৯৯৭ সালে ব্রুনাই আসেন। == অর্থনৈতিক সম্পর্ক == ব্রুনাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জার্মানিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে, যা ২০১১ সালে উভয়ের বাণিজ্যকে আনুমানিক ৩৪.৬ কোটি €তে উন্নীত করে। জার্মানি মূলত ব্রুনাইয়ে যানবাহন, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য এবং ভারী উপকরণাদি রপ্তানি করে থাকে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগে উৎসাহপ্রদান প্রতিকূল প্রতিরোধ চুক্তিতেও সংশোধন আনা হয়। == শিক্ষা সম্পর্ক == জার্মানি এবং ব্রুনাইয়ের মধ্যে একটি শিক্ষার্থী বিনিময় প্রোগ্রাম পরিচালিত হয় যার অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে ব্রুনাইয়ের একদল শিক্ষার্থী জার্মান অধ্যয়নের জন্য যায়। == আরো পড়ুন == Germany, Brunei to discuss 'a whole range of issues' দ্য ব্রুনেই টাইমস ==তথ্যসূত্র== দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক'''কুন্দুজ জেলা''' () উত্তর আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের কেন্দ্রস্থল বা প্রাদেশিক রাজধানী কুন্দজ শহরে অবস্থিত একটি জেলা। ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী জেলাটির পশ্চিমে চর দারা জেলা, উত্তরে কালে-ই-জাল জেলা ইমাম সাহেব জেলা, পূর্বে আর্কী জেলা খান আবাদ জেলা এবং দক্ষিণে আলী আবাদ জেলা এর সীমানা ঘিরে রেখেছে। ২০০৬ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুযায়ী, এখানকার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৫৪,১০০ জন এর মত। এখানকার রাস্তাগুলি মানসম্মত এবং প্রায় সকল গ্রামগুলিত প্রবেশযোগ্য।শহর থেকে প্রায় কিমি দক্ষিণ পূর্বে একটি বিমানবন্দর অবস্থান করছে। ==তথ্যসূত্র== এআইএমএস থেকে জেলার মানচিত্র ==বহিঃসংযোগ== জেলার মানচিত্র. Aims.org.am প্রদেশের জেলা'''বার্গী-ই মাতাল জেলা''' ('''বার্গে মাতাল জেলা''', '''ব্রাগামাতাল জেলা''', আফগানিস্তানের নুরিস্তান প্রদেশের একটি জেলা। এটি মূলত কোনার প্রদেশের একটি অংশ ছিল এবং এরপর ২০০১ সালে নতুনভাবে নুরিস্তান প্রদেশে স্তানান্তর করা হয়। ==সীমানা== বার্গি মাতাল জেলা নিম্নোক্ত অঞ্চলসমূহ সীমানা ঘিরে রেখেছে: পশ্চিমে এবং উত্তর-পশ্চিমে বাদাখশন প্রদেশের কুরান ওয়া মুঞ্জান জেলা অবস্থিত। পাকিস্তানের প্রদেশের চিত্রল জেলা অবস্থান করছে উত্তর পূর্ব দিকে দক্ষিণে কামদেশ জেলা এবং দক্ষিণ পশ্চিমে পারুন জেলা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== *Crowley, Michael (22 September 2009) "Dying For Barge Matal" ''The New Republic'' *Cavendish, Julius (13 November 2009) "Barge Matal: It's Place We Never Want to Go Back To", ''The Independent'' প্রদেশের জেলা'''অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার''' বাংলাদেশের শিশুসাহিত্য নিয়ে কাজ করা লেখকদের জন্য একটি পুরস্কার যা বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়। ১৯৮১ সালে অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে এটি ‘অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার’ নামে দেয়া হতো। == ইতিহাস == অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তিত হয় ১৯৮১ সালে। ২০০৭ সাল থেকে এটি ‘অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার’ নামে দেয়া হতো। ২০০৮ সাল থেকে এর নাম করা হয় ‘অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার’। বাংলা বছর অনুযায়ী প্রকাশিত বইয়ের ওপর ভিত্তি করে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর ৭টি শাখায় পুরস্কার দেয়া হয় যার মধ্যে কবিতা-ছড়া-গান, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ, নাটক বই অলংকরণ ইত্যাদি। পুরস্কার হিসেবে ১৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। == পুরস্কারসমূহ == == বছর অনুযায়ী == ===১৪১৮ বঙ্গাব্দ=== ''পরীর নূপুর'', লেখক: রাশেদ রউফ। কবিতা, ছড়া, গান ''ছড়ায় নতুন রূপকথা'', লেখক: খালেদ হোসাইন। কবিতা, ছড়া, গান ''উড়াল বালক'', লেখক: মোহিত কামাল। গল্প, উপন্যাস, রূপকথা ''মাদার টেরিজা'', লেখক: কাজী কেয়া। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ ''আমাদের বনের প্রাণী'', লেখক: তপন চক্রবর্তী। ''ফুল ভাসানো চম্পানদী'', অলংকরণ: নাসিম আহমেদ। বই অলংকরণ ===১৪১৯ বঙ্গাব্দ=== ''মাঠের ছবি ঘাটের ছবি'', লেখক: হাসনাত আমজাদ। কবিতা, ছড়া, গান ''নোটুর সেভেনটি ওয়ান'', লেখক: দন্ত্যস রওশন। গল্প, উপন্যাস, রূপকথা ''মঙ্গলদেশ'', লেখক: হানিফ খান। নাটক ''পুতুল রানির ছড়া'', অলংকরণ: মনিরুজ্জামান পলাশ। বই অলংকরণ ''মহাকাশের বিজ্ঞান খেলা'', লেখক: শেখ আনোয়ার। ===১৪২০ বঙ্গাব্দ=== ''সোনায় মোড়া ছড়া'', লেখক: আখতার হুসেন। কবিতা, ছড়া, গান ''পুতলি ছেলেধরা'', লেখক: দীপু মাহমুদ। গল্প, উপন্যাস, রূপকথা ''পথ চলাতেই আনন্দ'', লেখক: ফারুক হোসেন। অনুবাদ, ভ্রমণকাহিনি ''কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার'', লেখক: সোহেল আমিন বাবু। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ ''রবীন্দ্রনাথ কবিতা থেকে নাটিকা'', লেখক: বাবর আলী। নাটক ''মেঘের হাতি'', অলংকরণ: বিপ্লব চক্রবর্তী। বই অলংকরণ দেওয়া হয়নি, লেখক: ===১৪২১ বঙ্গাব্দ=== রোমেন রায়হান ইমতিয়ার শামীম তপন বাগচী মনসুর আজিজ মোমিন উদ্দীন খালেদ ===১৪২২ বঙ্গাব্দ=== ইমদাদুল হক মিলন মাহফুজুর রহমান পলাশ মাহবুব রীতা ভৌমিক আলী আসগর হাসান খুরশীদ রুমী আশিক মুস্তাফা সব্যসাচী মিস্ত্রী ===১৪২৩ বঙ্গাব্দ=== আবুল মোমেন মশিউর রহমান মোশতাক আহমেদ মারুফুল ইসলাম আহমাদ উল্লাহ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী মিজানুর রহমান কল্লোল জামিল বিন সিদ্দিক উত্তম সেন == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == অগ্রণী ব্যাংক শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার পুরস্কার'''ললিতা লাজমী''' ১৯৩২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ভারতীয় চিত্রশিল্পী। ললিতা একজন স্ব-শিক্ষিত শিল্পী এবং কোনও আনুষ্ঠানিক শিল্প প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেনি। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনেতা, গুরু দত্তের বোন। ১৯৯৪ সালে তিনি লন্ডনের নেহেরু সেন্টারে ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী আয়োজিত গুরু দত্ত চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত ছিলেন। == কর্মজীবন == তিনি ষাটের দশকের প্রথম দিকে পেইন্টিং শুরু করেন, যখন তিনি মুম্বাইয়ের জাহাঙ্গীর আর্ট গ্যালারিতে একটি গ্রুপ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। একই গ্যালারিতে তিনি ১৯৬১ সালে তার প্রথম একক প্রদর্শনী করেছিলেন। দশক ধরে কর্মজীবনে তিনি জাতীয় আন্তর্জাতিক উভয় স্তরের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন। তার কাজ ভারত, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রদর্শিত হয়েছে। ললইতা লজমী ভারত যুক্তরাজ্যে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি মুম্বাইয়ের প্রফেসর পল লিজারিনের গ্রাফিক কর্মশালায় তার কাজের প্রদর্শন করেন এবং তার দুটি উপন্যাস "ভারত উৎসব" ১৯৮৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্বাচিত হয়।। তার কাজটি বিভিন্ন বিখ্যাত আর্ট গ্যালারীতে প্রদর্শিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চেন্নাইয়ের পৃথ্বী আর্ট গ্যালারী, পুন্ডোল আর্ট গ্যালারী, অপেরা গ্যালারি, মুম্বাইয়ের পুন্ডুল গ্যালারী, আহমেদাবাদের হুথেসিং সেন্টার ফর ভিস্যুয়াল আর্ট, নিউ দিল্লির আর্ট হেরিটেজ, জার্মানির গ্যালারি গে, কলকাতার প্রিন্ট এক্সপিউশন ম্যাক্স মুলার ভবন ইত্যাদি। তার দলগত কয়েকটি প্রদর্শনীতে রয়েছে মুম্বাইয়ের সিনকো, দ্য দেখার রুম, নিউ দিল্লির থিঙ্ক স্মল, আর্ট আলিভ গ্যালারী, এবং ব্যাঙ্গালোরের দ্য ফেমিনাইন আই, গ্যালারী সারা আরাকাল। তার প্রাথমিক কাজ অনেক আত্মজীবনীমূলক উপাদান প্রদর্শন করে এবং পরে তার কাজ পুরুষদের এবং মহিলাদের মধ্যে লুকানো টান প্রতিফলিত হয়েছে। লজমী তার কাজের মধ্যে মা কন্যা মধ্যে একটি প্রাকৃতিক বন্ধন প্রদর্শিত করেছেন। তিনি আমির খান-এর ২০০৭ সালের তারে জামিন পার নামে একটি বলিউডের চলচ্চিত্রে অতিথি অভিনয় করেন এবং অমল পালেকারের একটি নাটকের জন্য পোশাক নকশাও করেন। চলচ্চিত্রের নায়ক, বছর বয়সী বাচ্চা ইশান তার পড়াশোনার সাথে সংগ্রাম করে, কিন্তু তাকে একটি চমৎকার চিত্রশিল্পী হিসেবে দেখানো হয়। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রটিতে গ্রাফিক্স শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন == পুরস্কারসমূহ == ১৯৯৭ ভারতীয় স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সমসাময়িক ভারতীয় নারীদের শিল্পীকর্ম দেখান জন্য অকল্যাণ্ড-এ আইসিসিআর ট্রাভেল গ্রান্ট আর্ট মিলস কলেজ প্রদর্শনী দ্বারা সংগঠিত। ক্যালিফোর্নিয়া ১৯৮৩ জার্মানির আইসিসিআর ট্রাভেল গ্রান্ট ১৯৭৯ বোম্বে আর্ট সোসাইটি, মুম্বাই ১৯৭৮ রাষ্ট্র শিল্প প্রদর্শনী পুরস্কার ১৯৭৭ বোম্বে আর্ট সোসাইটি পুরস্কার (নির্মিত শিল্পকর্মের) ১৯৭৭ আইসিসিআর ট্রাভেল গ্রান্ট অন অকল্যাণ্ড, ক্যালিফোর্নিয়া তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ভারত সরকারের জুনিয়র ফেলোশিপের প্রাপক ছিলেন। == ব্যক্তিগত জীবন == ললিতা লজমীর পিতা ছিলেন একজন কবি এবং তার মা ছিলেন বহুভাষী লেখিকা। তার কন্যা কল্পনা লজমী হলেন হিন্দি চলচ্চিত্র পরিচালক। লাজমী দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্পন স্কুল এবং কনভেন্ট অব যিশু অ্যান্ড মেরি-এ শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে নিজের শিল্পসম্মত কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ করার জন্য জে জে স্কুল অফ আর্টে নিজের আর্ট মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ললিথা লজমির রচনাগুলি নৃত্য শিল্পের ন্যাশনাল গ্যালারী এবং ভারতের সিএসএমভিএস মিউজিয়ামে এবং ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংগ্রহ করা হয়েছে। == তথ্যসূত্র == জন্ম ব্যক্তিU.S. soldiers from the 10th Mountain Division providing security in Asadabad '''আসাদাবাদ জেলা''' আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের ১৫টি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা। এটি আসাদাবাদ শহরের অন্তর্ভুক্ত যেটি জেলাটির কেন্দ্রীয় অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। জেলাটি কুনার প্রদেশের পাশাপাশি অবস্তান করছে। এছাড়াও এটি প্রদেশের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থান করছে। জেলাটির মধ্যে ১২ টি বড় এবং ছোট মিলিয়ে গ্রাম রয়েছে, তবে অধিকাংশ এলাকা পর্বতমালায় বেষ্টিত হয়ে আছে যার ফলে চাষের জন্য যথেষ্ট জমি এখানে সহজলভ্য নয়। ==জনসংখ্যার উপাত্ত== ২০০২ সালের আদমশুমারীর আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী জেলাটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫২,৪৭২, যার মধ্যে প্রায় সকলেই পশতু সম্প্রদায়ের। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== AIMS District Map District profile প্রদেশের জেলাদক্ষিণ ওসেটিয়ায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের মানচিত্র এই পাতাটি '''দক্ষিণ ওসেটিয়ায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনসমূহের একটি তালিকা'''। দক্ষিণ ওসেটিয়া ১৯৯১ সালে জর্জিয়া থেকে ভেঙ্গে সৃষ্টি হয় এবং ২০০৮ সালের দক্ষিণ ওসেটিয়া যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়। আবখাজিয়া, নাউরু, নিকারাগুয়া, রাশিয়া, এবং ভেনেজুয়েলা দক্ষিণ ওসেটিয়াকে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে, রাজধানী শহর ৎ্‌স্খিনভালিতে দুটি দূতাবাস একটি কার্যালয় রয়েছে। ভেনেজুয়েলা এবং নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূতরা মস্কোয় বসবাস করেন। == দূতাবাসসমূহ == ৎ্‌স্খিনভালি == কার্যালয় == == অনাবাসিক দূতাবাসসমূহ== (মস্কো) (মস্কো) ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Ministry of Foreign Affairs of the Republic of South Ossetia ওসেটিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক দেশ অনুযায়ী কূটনৈতিক মিশনের তালিকা ওসেটিয়ার তালিকা'''ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন''' খুলনা বিভাগের অন্তর্গত সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদরের একটি ইউনিয়ন। ==অবস্থান আয়তন== ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের আয়তন ৬৫২৭ একর। ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণে আগরদাঁড়ী ইউনিয়ন রয়েছে। ==জনসংখ্যা== ২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৩০,৯১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫,৭৫৫ জন এবং মহিলা ১৫,১৬৩ জন। ==প্রশাসনিক কাঠামো== ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আওতাধীন ১১নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নে তিনটি হাট-বাজার রয়েছেঃ ঝাউডাঙ্গা বাজার, মাধবকাটি বাজার এবং আখড়াখোলা বাজার। ==শিক্ষা ব্যবস্থা== ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৫১.১৮%। ইউনিয়নে ১টি কলেজ, ১টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ==ধর্মীয় অবকাঠামো== ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৫টি মসজিদ, ৫টি মন্দির, ২টি ঈদগাহ রয়েছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের তথ্য বাতায়ন সদর উপজেলার ইউনিয়ন বিভাগের ইউনিয়ন'''চার আসিয়াব জেলা''' (, ''চাহার আসিয়াব'' '''চার আসিয়াব''', '''চাহার আসিয়ব''', '''চারাসাব''', অথবা কাবুল শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার (৭ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত একটি জেলা এবং আফগানিস্তানের কাবুল প্রদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থান করছে। ২০০২ সালের ইউএনএইচসিআর আধিকারিক এর হিসাব অনুযায়ী এখানকার আনুমানিক জনসংখ্যা প্রায় ৩২,৫০০ জন এর মত। জেলাটি জনসংখ্যা দিক থেকে তাজিক সম্প্রদায়ের লোকের সংখ্যাগরিষ্টতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও পশতু সম্প্রদায় লোক বসাবাস করে থাকে এবং কিছু সংখ্যক হাজারা সম্প্রদায়ের লোকও রয়েছে। ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী জেলাটির সীমানা দক্ষিণে লোগার প্রদেশ, পশ্চিমে ওয়ার্দাক প্রদেশ, উত্তর-পশ্চিমে পাঘমান জেলা, উত্তরে কাবুল এবং পশ্চিমে বাগরামী মুসাহী জেলা ঘিরে রয়েছে। চার আশিয়াব জেলার সদর দপ্তর হল কালা-ই মালিক যেটি মূলত জেলার পশ্চিমে অবস্থান করছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== চার আসিয়াব জেলার মানচিত্র (উৎস: এআইএমএস) প্রদেশের জেলা'''জোন ক্রফোর্ড''' (; জন্ম: লুসিল ফে লেসিউয়ার, ২৩শে মার্চ, আনু. ১৯০৪ ১০ই মে, ১৯৭৭) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র টেলিভিশন অভিনেত্রী। নর্তকী মঞ্চের শোগার্ল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রের সেরা নারী তারকার র‍্যাংকিংয়ে ১০ম স্থান অধিকার করেন। ক্রফোর্ড ১৯২৫ সালে সাথে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের চুক্তি করেন। ১৯৩০-এর দশকে ক্রফোর্ডের তুমুল তার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করে, এবং পরবর্তীতে তার এমজিএমের সহকর্মী নর্মা শিয়েরার গ্রেটা গার্বোর চেয়ে অধিক সময় জনপ্রিয়তা ধরে রাখেন। ক্রফোর্ড প্রায়শই কর্মঠ নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন, যে প্রণয় সফলতা অর্জন করে। এই গল্পগুলো মহামন্দাকালীন দর্শকদের কাছে এবং নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ক্রফোর্ড হলিউডের অন্যতম স্বনামধন্য চলচ্চিত্র তারকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নারী হয়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে তার চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হলে তাকে "বক্স অফিস পয়জন" উপাধি পেতে হয়। ১৯৪০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি আবার সফলতা পেতে থাকেন। সময়ে তার বড় সাফল্য ছিল ''মিলড্রেড পিয়ার্স'' (১৯৪৫)। এতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ''পজেস্‌ড'' (১৯৪৭) ''সাডেন ফিয়ার'' (১৯৫২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরও দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৫০ ১৯৬০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্র টেলিভিশনে কাজ করতে থাকেন। তিনি ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র ''হোয়াটেভার হ্যাপেন্ড টু বেবি জেন?''-এ দিয়ে বক্স অফিস সাফল্য অর্জন করেন। এই ছবিতে তিনি তার দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী বেটি ডেভিসের সাথে অভিনয় করেন। হাল লেসিউয়ার ক্রফোর্ডের ভাই। ক্রফোর্ড চারবার বিয়ে করেন। তার প্রথম তিনটি বিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়, এবং শেষেরটিতে তার স্বামী আলফ্রেড স্টিল মারা যান। তিনি পাঁচটি সন্তান দত্তক নেন, যার একটিকে তার মা পুনরায় নিয়ে যায়। ক্রফোর্ডের বড় দুই সন্তান ক্রিস্টিনা ক্রিস্টফারের সাথে তার সম্পর্ক ছিল রুক্ষ। ক্রফোর্ড তাদের দুজনকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। ক্রফোর্ডের মৃত্যুর পর ক্রিস্টিনা ''মাম্মি ডিয়ারেস্ট'' (১৯৭৮) শিরোনামে একটি স্মৃতিকথা লিখেন। ==টীকা== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন ব্যবসায়ী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন লেখিকা বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্কে রোগ সংক্রান্ত মৃত্যু বিতর্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী নারী নৃত্যশিল্পী নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বেতার অভিনেত্রী ব্যবসায়ী লেখিকা বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কার বিজয়ীক্যারিফিলাস পরিবারের ৩০০ প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি প্রজাতি। এটি মূলত ইউরোপ এশিয়ার স্থানীয় হলেও, দক্ষিণ থেকে উত্তর আফ্রিকায় এর বিস্তৃত কিছু প্রজাতি এবং উত্তর আমেরিকার একটি প্রজাতি (D. repens) রয়েছে। প্রচলিত নামের মধ্যে '''carnation''' (''D. '''পিংক''' (''D. plumarius'' সম্পর্কিত প্রজাতি) এবং '''সুইট উইলিয়াম''' (''D. barbatus'') অন্তর্ভুক্ত। ===উপবিভাগ=== অন্তর্ভুক্ত হাইব্রিড; 'Devon Xera' ফায়ার স্টার ডায়ান্থাস 'John Prichard' ==চিত্রশালা== চিত্র:Nelken Juni 2003.JPG|White cultivar of ''Dianthus barbatus'' চিত্র:Sweet barbatus (2).JPG|Dark red cultivar of ''Dianthus barbatus'' চিত্র:Starr 070730-7932 Dianthus caryophyllus'' চিত্র:Dianthus চিত্র:Dianthus carthusianorum চিত্র:Dianthus monspessulanus 6.JPG|Carnation ''D. চিত্র:Starr 070730-7934 Dianthus চিত্র:Flor GDFL caryophylus'' (red) চিত্র:Dianthus seed heads চিত্র:Dianthus shinanensis in eboshidake shinanensis'' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== The Plant List'''দোহাজারী বিমানঘাটি''' হচ্ছে একটি প্রাক্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বিমান বাহিনীর যুদ্ধকালীন বিমানঘাটি যা বাংলাদেশের দোহাজারীর নিকটে বার্মা ক্যাম্পেইন ১৯৪৪-১৯৪৫ সময়ে ব্যবহার হত। ==ইতিহাস == দোহাজারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বিমান বাহিনীর দশম বিমানবাহিনীর ১ম সমর কার্গো গ্রুপের বিমান সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৫ মে, ১৯৪৫ সালের মধ্যকার সময়ে বার্মায় প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হত। ২য় ৪র্থ সমর কার্গো গ্রুপের স্কোয়ার্ডন সি-৪৬ কমান্ডো বিমান পরিচালনা করে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ৩১ অক্টোবর ঘাটিটি বন্ধ করে দেয়া পর্যন্ত বিমানঘাটিতে অবস্থান করেছিল। যুদ্ধ শেষে ঘাটিটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এবং সাম্প্রতিককালে এটি কৃষিকাজে ব্যবহার হয়। ==তথ্যসূত্র== Dohazari keyword search অকেজো বিমানবন্দর ভারত প্রতিষ্ঠিত বিমানবন্দর পরিত্যক্ত বিমানবন্দর'''ভারতীয় পতাকাবিধি''' () হল ভারতের জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া নিয়ম। ভারতীয় মানক ব্যুরো এই পতাকা উৎপাদনের পদ্ধতি নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন স্থির করে দিয়েছে। জাতীয় পতাকার উৎপাদনের অধিকার কেবল খাদী উন্নয়ন গ্রামীণ শিল্প কমিশ্যন-এর হাতে ন্যস্ত। ১৯৬৮ সালে প্রথমবারের জন্য পতাকাবিধিটি গৃহীত করা হয়েছিল। এই বিধিটি ২০০৮ সালে সংশোধন করা হয়। == ইতিহাস== ২০০২ সালে ভারতীয় পতাকাবিধি গৃহীত করা হয়: ''Provisions of the Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act'', 1950 (No.12 of 1950) ''Prevention of Insults to National Honour Act'', 1971 (No. 69 of 1971)। ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারী থেকে ''ভারতীয় পতাকাবিধি, ২০০২'' হিসাবে এই বিধি কার্য্যকারী করা হয়। ভারতীয় পতাকাবিধি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে :- *'''প্রথম ভাগ''': ভারতের জাতীয় পতাকার বিবরণ। *'''দ্বিতীয় ভাগ''': প্রশাসনিক, ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান শিক্ষানুষ্ঠান সমূহের দ্বারা ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী। *'''তৃতীয় ভাগ''': কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকার এবং এর সঙ্গে জড়িত সংস্থানসমূহের দ্বারা ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী। == বিবরণ == ভারতের জাতীয় পতাকা '''ভারতের জাতীয় পতাকা''' হ’ল মধ্যস্থলে চব্বিশটি দণ্ডযুক্ত নীল "অশোকচক্র" সহ গেরুয়া, সাদা সবুজ আনুভূমিক আয়তাকার ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই গণপরিষদর একটি অধিবেশনে এই পতাকার বর্তমান রূপটি ভারত অধিরাজ্যর সরকারী পতাকা হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তীকালে ইহা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকার মর্যাদা লাভ করে। ভারতে এই পতাকাকেে সাধারণত "ত্রিরঙ্গা" বা "ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা" বলা হয়। পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার দ্বারা অঙ্কিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর "স্বরাজ" পতাকার ভিত্তিতে এই পতাকার নক্সা প্রস্তুত করা হয়েছিল। পতাকা উৎপাদনের জন্য একমাত্র খাদী নামের হস্তচালিত তাঁতবস্ত্র ব্যবহার করা যায়। তুলা, রেশম ঊল বাদ দিয়ে অন্য কোনো খাদীর কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। পতাকা উৎপাদনে দুই ধরনের খাদী ব্যবহার করা হয় প্রথমটি হ’ল খাদী-বান্টিং, যা দিয়ে পতাকার মূল অংশটি প্রস্তুত করা হয় এবং দ্বিতীয়টি হ’ল পাতলা বাদামী রঙের খাদী-ডাক বস্ত্রখণ্ড, যা পতাকাকেে পতাকাদণ্ডের দড়ির সাথে ধরে রাখে। খাদী-ডাক এক অপ্রচলিত বয়নপদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে তিনটি সূতা একসঙ্গে জালের আকারে বোনা হয়। উল্লেখ্য, প্রচলিত বয়নপদ্ধতিতে দুটি সূতাকে একসঙ্গে বোনা হয়। খাদী-ডাক অত্যন্ত দুর্লভ এক বয়নপদ্ধতি। ভারতে এক ডজনের কম বয়নশিল্পী এই ধরনের বয়নে সক্ষম। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, প্রতি সেন্টিমিটারে ১৫০টি সূতার বেশি বা কম থাকতে পারবে না, প্রতি সেলাইতে চারটি করে সূতা থাকবে এবং এক বর্গফুট পতাকার ওজন ২৫ গ্রামের বেশি বা কম হওয়া চলবে না। +পতাকার আকার আকার দৈর্ঘ্য প্রস্থ (মিঃমিঃ) অশোক চক্রের আকার (মিঃমিঃ) ৬৩০০ ৪২০০ ১২৯৫ ৩৬০০ ২৪০০ ৭৪০ ২৭০০ ১৮০০ ৫৫৫ ১৮০০ ১২০০ ৩৭০ ১৩৫০ ৯০০ ২৮০ ৯০০ ৬০০ ১৮৫ ৪৫০ ৩০০ ৯০ ২২৫ ১৫০ ৪০ ১৫০ ১০০ ২৫ == পতাকাবিধি == ২০০২ সালের পূর্বাবধি ভারতের সাধারণ নাগরিকগণ জাতীয় ছুটির দিনগুলির বাইরে অন্য সময়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অধিকারী ছিল না। শিল্পপতি নবীন জিন্দাল পতাকাবিধি ভঙ্গ করে তার কার্য্যালয় ভবনের শীর্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাতে পতাকাটি বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে এই ধরনের বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। জিন্দাল দিল্লী উচ্চতম ন্যায়ালয়-এ একটি জনস্বার্থ মামলা দাখিল করে। তার বক্তব্য ছিল, পূর্ণ মর্যাদা যথাযথ ব্যবহারবিধি অনুসরণ করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন তার নাগরিক অধিকারে পড়ে; কারণ এই দেশের প্রতি তার ভালবাসা ব্যক্ত করার এটি একটা উপায়। বিষয়টি দিল্লী উচ্চতম ন্যায়ালয় পর্যন্ত হস্তান্তরিত হলে সর্বোচ্চ আদালত ভারত সরকারকে এই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি স্থাপনের নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় কেবিনেট জাতীয় পতাকাবিধি সংস্কার করে এবং ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বিধি আরম্ভ হয়। এই নতুন পতাকাবিধি অনুযায়ী মর্যাদা, গৌরব সম্মান অক্ষুন্ন রেখে যে কোনো নাগরিক বছরের যে কোনো দিনেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবে। অন্যদিকে, ভারতীয় সংঘ বনাম যশোবন্ত শর্মা বিচারে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় যে, জাতীয় পতাকাবিধি বিধিবদ্ধ আইন না হলেও এই বিধির বিধিনিষেধসমূহ জাতীয় পতাকার গৌরবরক্ষার্থে অবশ্য পালনীয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অধিকার পরম অধিকার নয়; এটি এক অর্জিত অধিকার এবং সংবিধানের ৫১ নং ধারা অনুযায়ী একে মান্য করা উচিত। === পতাকার সম্মান === বেঙ্গালুরুর বিধানসৌধের ওপর ভারতের জাতীয় পতাকা রাষ্ট্রীয় প্রতীক ভারতীয় আইন অনুসারে জাতীয় পতাকার ব্যবহার সর্বদা "মর্যাদা, আনুগত্য সম্মান" ("dignity, loyalty and respect") সহকারে হওয়া উচিত। "প্রতীক নাম (অপব্যবহার রোধ) আইন, ১৯৫০" ("The Emblems and Names (Prevention of Improper Use) Act, 1950") অনুসারে জারি করা "ভারতীয় পতাকা বিধি ২০০২" ("Flag Code of India 2002") পতাকার প্রদর্শনী ব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা বহন করে। সরকারী বিধিত বলা হয়েছে যে, জাতীয় পতাকা কখনো মাটি বা জলকে স্পর্শ করবে না; একে টেবিলক্লথ হিসাবে বা কোনো প্লেটফর্মের সামনে আচ্ছাদন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না; জাতীয় পতাকায় কোনো মূর্তি, নামলিপি বা শিলান্যাস প্রস্তর আটকানো যাবে না ইত্যাদি। ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা বস্ত্র, ইউনিফর্ম বা সাজপোশাক হিসাবে ব্যবহার করা যেত না। ২০০৫ সালের জুলাই সরকার পতাকাবিধি সংশোধন করে বস্ত্র বা ইউনিফর্ম হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করে। যদিও নিম্নাবরণ বা অন্তর্বাস হিসাবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এছাড়া, গাড়ির কভার বা ডিঙিত মেরুবা রুমাল জাতীয় পতাকা বা অন্য কোনো প্রতীকচিহ্ন অঙ্কন করা নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে উল্টো অবস্থায় পতাকা উত্তোলন, কোনো পানীয়তে ডুবিয়ে বা উত্তোলনের আগে ফুলের পাপরির বাইরে অন্য কোনো বস্তু তাতে বাঁধা বা পতাকাটিতে কোনো কিছু লেখাও নিষিদ্ধ। === পতাকা ব্যবহার === পতাকার সঠিক প্রদর্শনী জাতীয় পতাকার ব্যবহার প্রদর্শনী সংক্রান্ত একাধিক প্রথা অনুসরণ হয়। মুক্ত আকাশের তলায় সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলিত হয় এবং সূর্যাস্তের সময় নামিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারী ভবনে রাতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রীতি আছে। জাতীয় পতাকা কখনও উল্টো অবস্থায় বর্ণনা করা, প্রদর্শিত করা, বা উত্তোলন করা অনুচিত। প্রথা অনুসারে পতাকাটি ৯০ ডিগ্রীর বেশি আবর্তিত করা যায় না। যেকোনো ব্যক্তি পতাকাকেে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত এবং বাঁদিক থেকে ডানদিকে বইয়ের পাতা পড়ার মত "পড়তে" পারে এবং আবর্তিত হওয়ার পর যেন এই বৈশিষ্ট্যের ব্যতিক্রম না হয়। ফাটা-ছেঁড়া বা অপরিষ্কার অবস্থায় পতাকার প্রদর্শনী অপমানজনক। পতাকাদণ্ড বা উত্তোলন দড়ির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য; এগুলি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়। === দেওয়াল প্রদর্শনী === কোনো স্টেডিয়াম ইত্যাদির দেওয়ালে দুটি পরস্পর অভিমুখী পতাকাদণ্ডে গেরুয়া ভাগটি উপরে রেখে অনুভূমিকভাবে পতাকাদুটিকে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হয়। ক্ষুদ্রাকার পতাকাদণ্ডে পতাকা প্রদর্শিত করলে দণ্ডটিকে দেওয়ালে কৌণিকভাবে স্থাপন করে তাকে রুচিসম্মতভাবে টাঙাতে হয়। পরস্পর পাশাপাশি দুটি পতাকাদণ্ডের উপরে দুটি জাতীয় পতাকা একত্রে প্রদর্শিত হলে দণ্ডদুটির অভিমুখ পরস্পরের দিকে রাখতে হয় এবং পতাকাদুটি পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করতে হয়। জাতীয় পতাকা টেবিল, লেকটার্ন, ষ্টেডিয়াম বা ভবনের আচ্ছাদনরূপে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি প্রদর্শনীর খাতিরে রেলিংএ লাগানোও নিষিদ্ধ। === অন্যান্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে === অন্যান্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকা একসাথে প্রদর্শন করার নিয়ম বাইরের অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে একসাথে প্রদর্শিত হওয়ার সময়ে পতাকা উত্তোলনের একাধিক রীতি অনুসরণ হয়। বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয় পতাকার সম্মানের প্রতি। এর অর্থ লেটিন বর্ণমালা অনুযায়ী বর্ণানুক্রমে যেদিকে একাধিক দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় সেদিকে অন্যান্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখা হয় জাতীয় পতাকাকেে। সমস্ত পতাকা যেন সমান আকারের হয় কোনো পতাকাই যেন ভারতীয় পতাকা থেকে বড় না হয়, তার প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়। প্রত্যেক দেশের পতাকা পৃথক পৃথক পতাকাদণ্ডে থাকে। একটি দণ্ডে একটি পতাকার বাইরে অন্য একটি পতাকার প্রদর্শনী নিষিদ্ধ। অনুমতিক্রমে স্বাভাবিক দেশভিত্তিক বর্ণানুক্রমিক পতাকার সারীর শুরুতে শেষে ভারতের পতাকা রাখা যায়। যদি আবদ্ধ বৃত্তে একাধিক জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী করতে হয়, তাহলে বৃত্তটি ভারতের পতাকার ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে আরম্ভ করতে হয়; অন্যান্য পতাকা ভারতীয় পতাকার পর থাকে এবং শেষের পতাকাটি ভারতীয় পতাকার শেষে থাকে। ভারতের জাতীয় পতাকা সর্বাগ্রে উত্তোলিত সর্বশেষে অবনমিত হয়। পরস্পরর পাশাপাশি হয়ে অন্য জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শিত হওয়ার সময়ে ভারতের জাতীয় পতাকার সম্মুখভাগ এবং অন্য পতাকার ডানদিকে (দর্শকর বাঁদিকে) স্থাপিত হয়। অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের পতাকার ক্ষেত্রে জাতীয় পতাকাকেে উভয় দিকেই রাখা যায়। সাধারণভাবে সম্মুখ অভিমুখে সর্ব দক্ষিণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রীতি আছে। === অন্যান্য পতাকার সঙ্গে === কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপনের বেনার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকা একসাথে প্রদর্শন করার নিয়ম কর্পোরেট পতাকা বা বিজ্ঞাপনর বেনার জাতীয় অন্যান্য পতাকার সঙ্গে একসাথে প্রদর্শিত করতে হলে, পতাকাবিধি অনুযায়ী, পতাকাসমূহ পৃথক পৃথক দণ্ডে স্থাপন করার নিয়ম আছে; ভারতের জাতীয় পতাকা সেই ক্ষেত্রে এই পতাকাসমূহের মধ্যস্থলে অথবা দর্শকের দৃষ্টির থেকে সর্বদিকে অথবা পতাকামণ্ডলীতে অন্য পতাকার তুলনায় অন্ত:ত এক পতাকা-প্রস্থ উচ্চতায় প্রদর্শিত হয়। জাতীয় পতাকার দণ্ড এই মণ্ডলীতে সবগুলির আগে থাকে। যদি একটি পতাকাদণ্ডে সবগুলি পতাকা প্রদর্শিত করতে হয়, তবে জাতীয় পতাকা সবচেয়ে উপরে থাকে। অন্যান্য পতাকার সঙ্গে শোভাযাত্রার সময়ে ব্যবহৃত হলে, জাতীয় পতাকা শোভাযাত্রার সামনে অথবা সমাভিমুখী পতাকার সারিতে ব্যবহৃত হলে শোভাযাত্রার ডানদিকে অবস্থান করে। === অন্তর্দ্বার প্রদর্শনী === অন্তর্দ্বার প্রদর্শনীতে ভারতীয় জাতীয় পতাকার প্রদর্শন করার নিয়ম কোনো সভাকক্ষে সভানুষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রকার অন্তর্দ্বার জনসমাবেশের সময় বিধি অনুসারে পতাকাটি ডানদিকে (দর্শকের বাঁদিকে) রাখতে হয়। অর্থাৎ, সভাকক্ষে বক্তার কাছে প্রদর্শিত করতে হলে একে বক্তার ডানদিকে রাখতে হয়। অন্য সময়ে এটিকে শ্রোতার ডানদিকে রাখতে হয়। পতাকাটির গেরুয়া রং শীর্ষে রেখে পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় প্রদর্শিত করা হয়। ষ্টেডিয়ামের দেওয়ালে লম্বভাবে প্রদর্শিত করতে হলে গেরুয়া ভাগটিকে দর্শকের দৃষ্টি অনুযায়ী বাঁদিকে রাখা হয়; পতাকার দড়িটি শীর্ষে স্থাপন করা হয়। === কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান প্রদর্শনী === শোভাযাত্রা বা কুচকাওয়াজর সময়ে ভারতের জাতীয় পতাকার ব্যবহার অন্য পতাকার সঙ্গে কোনো শোভাযাত্রা বা কুচকাওয়াজ করতে হলে জাতীয় পতাকাকে অন্য পতাকার মাঝে বা ডানদিকে আলাদাভাবে রাখা হয়। মূর্তি, স্মৃতিস্তম্ভ বা নামলিপি উন্মোচনের অঙ্গ হিসাবে একে ব্যবহার করা যায় না। জাতীয় পতাকার দ্বারা এটিকে ঢাকাও যায় না। পতাকার সম্মানের অঙ্গ হিসাবে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সন্মুখে একে অবনত করা যায় না, রেজিমেন্টাল পতাকা বা প্রতিষ্ঠানিক পতাকা সম্মান প্রদর্শনের অঙ্গ হিসাবে অবনত করা হতে পারে। পতাকা উত্তোলন বা অবনমন অনুষ্ঠানের সময়, অথবা কুচকাওয়াজ বা রিভিউর সময়, উপস্থিত ব্যক্তিবর্গকে পতাকার দিকে মুখ করে উঠে দাঁড়াতে হয়। পদমর্যাদা থাকা ব্যক্তিদেরকে যথাবিধি অভিবাদন জানানো হয়। পতাকার সারি ব্যবহৃত হলে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গকে পতাকাসমূহ পার হওয়ার সময় উঠে দাড়িয়ে সম্মান বা অভিবাদন জানাতে হয়। যেকোনো পদাধিকারী সেলুট না জানালে অভিবাদন গ্রহণ করা যায় না। জাতীয় সংগীত বাজাবার পরেই পতাকা অভিবাদন অনুষ্ঠিত হয়। === যানবাহনে প্রদর্শনী === কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল লেফট্যানেন্ট গভর্নরগণ, মুখ্যমন্ত্রীগণ, কেবিনেট মন্ত্রীগণ এবং ভারতীয় সংসদ রাজ্য বিধানসভার জুনিয়র কেবিনেট সদস্যগণ, লোকসভা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষগণ, রাজ্যসভা রাজ্য বিধানপরিষদের চেয়ারমেনগণ, দিল্লী উচ্চতম ন্যায়ালয় উচ্চ ন্যায়ালয়ের বিচারপতিগণ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী নৌবাহিনীর ফ্লেগ-রেঙ্ক আধিকারিকবৃন্দ নিজের যানবাহনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অধিকারী। তারা যখনই প্রয়োজন বোধ করবেন, তখনই তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে পতাকাটি একটি পতাকাদণ্ডে গাঁথা থাকে। দণ্ডটি বনেটের সামনে-মধ্যদিকে অথবা গাড়ীর সামনে-ডানদিকে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে। যখন সরকারী গাড়ীতে কোনো বিদেশী পদাধিকারী ভ্রমণ করেন, তখন তার দেশের পতাকা গাড়ীর সামনে-আগে এবং ভারতের জাতীয় পতাকা গাড়ীর সামনে-ডানদিকে প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণে গলে তাদের বিমানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। যে দেশে ভ্রমণ করতে যাওয়া হয়, সেই দেশের জাতীয় পতাকাও বিমানে উত্তোলন করা হয়। তথাপি মধ্যে অন্য কোনো দেশে অবতীর্ণ হলে সৌজন্য স্মারক হিসাবে সেই দেশের জাতীয় পতাকাও উত্তোলনের রীতি আছে। রাষ্ট্রপতি দেশের মধ্যে কোনো স্থানে ভ্রমণে গেলে বিমানের যে দিক দিয়ে ওঠা নামা করেন সেইদিকে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রপতি যখন বিশেষ রেলে দেশর কোনো স্থানে যান, তখন ড্রাইভার ইঞ্জিনে যে থেকে ট্রেনটি ছাড়ছে সেই দিকে মুখ করে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত করে। বিশেষ ট্রেনটি যখন নিশ্চল অবস্থায় থাকে বা কোনো স্টেশনে ঢোকার জন্য প্রবেশ করে কেবল তখন জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়। == অর্ধনমন == কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির নির্দেশিকা অনুসারে শোকের চিহ্ন হিসাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার রীতি আছে; রাষ্ট্রপতি সেইক্ষেত্রে শোককালীন সময়সীমাও নির্ধারিত করে দেন। অর্ধনমিত করার আগে পতাকাটি একবার সম্পূর্ণভাবে উত্তোলিত করা হয়। আর সূর্যাস্তর সময়ে অবনমিত করার আগেও এবার সম্পূর্ণ উত্তোলিত করে তারপর অবনমিত করা হয়। কেবলমাত্র জাতীয় পতাকাটি অর্ধনমিত করা হয়; অন্যান্য পতাকা স্বাভাবিক উচ্চতায় থাকে। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে সমগ্র দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়। লোকসভার অধ্যক্ষ উচ্চতম ন্যায়ালয়ের প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে দিল্লীতে কোনো কেন্দ্রীয় কেবিনেট মন্ত্রীর মৃত্যুতে দিল্লী রাজ্যের রাজধানীতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়। মৃত্যুতে দিল্লীতেপতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়। রাজ্যপাল, লেফটেনেন্ট গভর্নর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মৃত্যুতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়। এছাড়া, কোনো পদাধিকারীর মৃত্যুসংবাদ এলে যদি পরদিন সূর্যোদয়র আগে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন না হয় তবে পরদিন থেকে জাতীয় পতাকা উপরে উল্লিখিত স্থানকাল অনুসারে অর্ধনমিত থাকে। অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া স্থলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়। গণতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস, গান্ধী জয়ন্তী জাতীয় সপ্তাহ (৬-১৩ এপ্রিল), রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস বা ভারত সরকার নির্ধারিত অন্য কোনো জাতীয় উৎসবের দিন কেবলমাত্র মৃতের শরীর যে ভবনে সুরক্ষিত থাকে সেই ভবন বাদে অন্য কোনো স্থানে অর্ধনমিত রাখা হয় না। এই ক্ষেত্রে শরীর ভবনের থেকে অপসৃত হলে পতাকা সম্পূর্ণরূপে উত্তোলন করা হয়। কোনো স্বতন্ত্র ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের নির্দেশ অনুসারে বিদেশী পদাধিকারীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হতে পারে। যদিও, কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের মৃত্যুর পর উপরে উল্লেখিত দিনগুলিতে ভারতীয় দূতাবাস জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারে। রাষ্ট্রীয়, সামরিক বা কেন্দ্রীয় অর্ধসামরিক বাহিনীর অন্ত্যেষ্টিতে মৃতদেহ বা কফিনের উপর আচ্ছাদিত করা হয়। গেরুয়া রংটি মৃতদেহ বা কফিনের উপরদিকে থাকে। তথাপি পতাকাটি কবরস্থ বা চিতাতে ভষ্ম করা যায় না। == বিনষ্টীকরণ == জাতীয় পতাকা ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা অপরিষ্কার হলে, একে ফেলে দেওয়া বা অমর্যাদায় নষ্ট করা যায় না। একে লোকচক্ষুর অন্তরালে পুড়িয়ে বা পতাকার মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্য কোনো পন্থায় নষ্ট করা হয়। এর বাইরেও গঙ্গাতে বিসর্জন দেওয়া হয় বা সসম্মানে কবরস্থ করেও একে বিনষ্ট করা যায়। ==আরও দেখুন== ভারতের জাতীয় পতাকা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Flag Code of India সরকারএটি বাংলাদেশের কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত কুমিল্লা মহানগরীর নাগরিকদের বিনোদনের জন্য একটি চিড়িয়াখানা চিড়িয়াখানা হল প্রাথমিকভাবে শুষ্ক সুবিধা প্রদানকারী স্থান যেখানে প্রাণীদের পরিবেষ্টন সীমাবদ্ধ থাকে এবং জনসাধারণের নিকট তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। কুমিল্লা চিড়িয়াখানার ঘোড়া ==ইতিহাস== ১৯৮৬ সালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি মৌজায় জেলা প্রশাসকের বাংলোর পাশে ১০.১৫ একর জমিতে কুমিল্লা চিড়িয়াখানা বোটানিক্যাল গার্ডেন গড়ে তোলা হয়। জেলা পরিষদ ভূমির মালিক জেলা প্রশাসন, ব্যবস্থাপনায় রয়েছে। ==পশুপাখি== বর্তমান মাত্র ১৬টি পশুপাখি এখানে রয়েছে, সাতটি ভিন্ন প্রজাতির বানর, দুইটি ভাল্লুক, দুটি জলকুক্কুট, দুই মিশরীয় মুরগি, একটি পাইথন এবং একটি খরগোশ। ==গ্যালারি== File:A kingfisher is waiting to catch fish at Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (1).jpg| File:A monkey on the tree at Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13.jpg| File:Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (1).jpg| File:Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (10).jpg File:Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (11).jpg File:Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (17).jpg File:Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (3).jpg File:Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (5).jpg File:Comilla Zoo Botanical Garden 2018-01-13 (9).jpg ==তথ্যসূত্র== বাংলা নিউজ২৪ দৈনিক আমাদের সময় জেলার দর্শনীয় স্থান বোটানিক্যাল গার্ডেন'''ব্রাডফোরর্ড বিকারক''' একটি বিকারক যা অজানা দ্রবণে প্রোটিনের (আমিষজাত খাদ্য) উপস্থিতি ঘনমাত্রা নির্নয় করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ==নামকরণ== ম্যারিয়ন এম. ব্রাডফোরর্ড ১৯৭৬ সালে এই পরীক্ষা উদ্ভাবন করেন এবং তার নামানুসারে এই পরীক্ষা বিকারকের নামকরণ হয়। ==কর্ম পদ্ধতি == এই বিকারক প্রোটিনের (আমিষজাত খাদ্য) দ্রবণের সাথে বিক্রিয়া করে রঙ পরিবর্র্তীন করে যা বর্ণালিবীক্ষণ বিশ্লেষণ যন্ত্রের এনালাইজার) মাধ্যমে পরীক্ষা করে দ্রবণে প্রোটিনের ঘনমাত্রা নির্নয় করে। ==তথ্যসূত্র== খাদ্য উপাদান পরীক্ষা'''স্টিভেন ক্রেন''' () (১ নভেম্বর ১৮৭১ জুন ১৯০০) ছিলেন একজন মার্কিন কবি, উপন্যাসিক ছোট গল্পের লেখক। তিনি আধুনিক সমালোচকদের দ্বারা তার প্রজন্মের সবচেয়ে উদ্ভাবনী লেখক হিসেবে স্বীকৃত। == প্রাথমিক জীবন এবং পটভূমি == ১৭ বছর বয়সে ইউনিফর্মে ক্যাডেট স্টিভেন ক্রেন। ১৮৫২ সালের নভেম্বরে স্টিভেন ক্রেন নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি জন্মগ্রহণ করেন, পিতা, জোনাথন টাউনলি ক্রেন এবং মাতা, মেরি হেলেন পিক ক্যাপেন। তিনি তাদের চৌদ্দ শেষ সন্তান। ৪৫ বছর বয়সে, হেলেন ক্রেন তার আগের চার সন্তানের প্রাথমিক মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিল, যাদের প্রত্যেকের এক বছরের জন্মের সময় মারা গিয়েছিল। পরিবার নামকরণ করে "স্টিভি", তিনি আটজন জীবিত ভাই বোন-মেরি হেলেন, জর্জ পিক, জনাথন টাউনলি, উইলিয়াম হুইচ ক্রেন, উইলিয়াম হাউ, এগনেস এলিজাবেথ, এডমন্ড বাররান, উইলবার্ ফিস্ক, এবং লুথার। তিনি শিশু হিসাবে, প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন এবং ক্রমাগত ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হতেন। ডিসেম্বর ১৮৭৯ সালে, তিনি ক্রিসমাসের জন্য একটি কুকুর পাওয়ার জন্য একটি কবিতা লিখেছিলেন। এনটাইটেল্ড "I'd Rather Have –", এটি তার প্রথম জীবিত কবিতা। তিনি ১৮৮০ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত নিয়মিতভাবে স্কুলে ভর্তি হননি, কিন্তু ছয় সপ্তাহের মধ্যে দুইটি শ্রেণী পূরণ করার জন্য তাকে কোন অসুবিধা হয়নি। ১৮৮০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ৬০ বছর বয়সে ডাঃ ক্রেন তার পিতা মারা যান; তখন তিনি আট বছর বয়সী ছিলেন। তার পিতার মৃত্যুর পর, তার মা নিউ ইয়র্কের কাছে রোজভিলে চলে যান, তার বড় ভাই এডমুন্ডের তত্ত্বাবধানে তাকে রেখে, তিনি সাসেক্স কাউন্টিতে চাচাতো ভাইদের সাথে বসবাস করা শুরু করেন। তিনি পরের কয়েক বছর পোর্ট জার্ভিসের তার ভাই উইলিয়ামের সাথে বসবাস করেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম পরিচিত কাহিনীটি লিখেছিলেন, "আঙ্কেল জেক এবং দ্য বেল হ্যান্ডেল"। ১৮৮৫ সালের শেষের দিকে, তিনি টেন্টন থেকে মাইল (১১ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বের একটি সহশিক্ষা বোর্ডের স্কুলে পেনিন্টন সেমিনারীতে ভর্তি হন। দুই বছর পর, ক্যাপ্টেন ক্লাইভারকে কলেজের জন্য পেনিন্টন ছেড়ে চলে যান, একটি আধা সামরিক স্কুল। এক সহপাঠী তাকে একটি অত্যন্ত শিক্ষিত এবং অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে মনে করতেন, তিনি কপালে গণিত বিজ্ঞানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারতেন কিন্তু ইতিহাস সাহিত্যের জ্ঞানের ক্ষেত্রে তার সহকর্মী শিক্ষার্থীদের ", তার প্রিয় বিষয়গুলি। তিনি কখনও কখনও বেসবল খেলতে ক্লাস বাদ দিতেন। তিনি স্কুলের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। তিনি ছাত্র ব্যাটেলিয়ন মর্যাদাক্রম দ্রুত বেড়ে উঠছিলেন। এক সেমিস্টারের পরে স্যারকেউস ইউনিভার্সিটিতে চলে যান। == পরিবার এবং কর্মজীবন == ক্রেন লেখক হিসাবে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছিল, নিউ ইয়র্ক সংবাদপত্রে বিভিন্ন স্কেচ এবং বৈশিষ্ট্য নিবন্ধ দিতেন। তার ছদ্মনাম ছিল "জনস্টন স্মিথ"। তার উপন্যাস, "Maggie: Girl of the প্রকাশনার জন্য এটি প্রত্যাখ্যান করায় তিনি তার মাতা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এটি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি $৮৬৯ ব্যয় করে উপন্যাসের ১,১০০ কপি ছাপান, প্রথমে প্রশংসার সত্ত্বেও সেরকম বিক্রি হয়নি, তিনি বিষণ্ণ এবং নিঃস্ব হয়ে ওঠেন; শেষ পর্যন্ত একশত কপি তিনি দিয়ে দেন। ১৮৯৬, ২৪ বছর বয়সে, তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন,কিন্তু একটি অত্যন্ত প্রচারিত ঘটনা 'ডোরা ক্লার্ক' নামে একটি সন্দেহভাজন পতিতাবৃত্তি সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।" এভারগ্রিন কবরস্থানের মধ্যে স্টিভেন ক্রেন এর সমাধিস্তম্ভ কিউবা যুদ্ধের প্রতিনিধি হিসাবে তিনি যাত্রা করেন জ্যাকসনভিলে, ফ্লোরিডা। সেখানে তার কোরা টেলরের সাথে দেখা এবং প্রেম। পরে তারা অক্সটাইড, রাভেন্সব্রুকে বসতি স্থাপন করেন। নিজেদেরকে মিঃ এবং মিসেস ক্রেন হিসেবে উল্লেখ করলেও, দম্পতি ইংল্যান্ডে খোলাখুলিভাবে থাকতেন, কিন্তু ক্রেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তার বন্ধুদের পরিবারের কাছ থেকে সম্পর্ককে গোপন রাখেন। ২৮শে মে, দম্পতি বেনডেন ওয়েইলে এসেছিলেন, ব্ল্যাক ফরেস্টের প্রান্তে একটি স্বাস্থ্য স্পাতে। তার দুর্বল অবস্থার সত্ত্বেও তিনি তার উপন্যাস,'The O'Ruddy', সমাপ্তি ঘটানোর অসম্পূর্ণ পর্বগুলির নির্দেশ অব্যাহত দিয়ে যাছিলেন। তিনি ২৮ জুন, ১৯০০ সালের জুন মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর ইচ্ছা অনুসারে তিনি টেলরকে তার সব কিছু দিয়ে যান, যিনি তাঁর মৃতদেহ সমাহিত করতে নিউ জার্সিতে নিয়ে যান এবং এভারগ্রিন কবরস্থানে তাকে কবর দেওয়া হয়, যা এখন হিলসাইড, নিউ জার্সিতে। ===প্রাথমিক উৎস=== *Crane, Stephen. 1972. ''The Complete Poems of Stephen Crane''. Ed. Joseph Katz. Ithaca: Cornell University Press. *Crane, Stephen. 1993. ''The Open Boat and Other Stories''. New York: Courier Dover Publications. *Crane, Stephen. 1895. ''The Red Badge of Courage''. New York: D. Appleton Company. ===দ্বিতীয় উৎস=== *Bassan, Maurice. 1967. "Introduction". ''Stephen Crane: Collection of Critical Essays''. Englewood Cliffs, N.J.: Prentice-Hall, Inc. *Beer, Thomas. 1926. ''Stephen Crane'' (New York: Knopf) *Beer, Thomas. 1972. ''Stephen Crane: Study in American Letters''. New York: Knopf. *Benfey, Christopher. 1992. ''The Double Life of Stephen Crane''. New York: Knopf. *Bergon, Frank. 1975. ''Stephen Crane's Artistry''. New York: Columbia University Press. *Berryman, John. 1962. ''Stephen Crane''. New York: Meridian. *Bloom, Harold. 1996. ''Stephen Crane's The Red Badge of Courage''. New York: Chelsea House Publishers. *Bloom, Harold. 2002. ''Stephen Crane''. New York: Chelsea House Publishers. *Cavitch, Max. 2008. "Stephen Crane's Refrain." ESQ, Vol. 54. 33-53. *Cazemajou, Jean. 1969. ''Stephen Crane''. Minneapolis: University of Minnesota Press. *Conrad, Joseph. 1967. "His War Book". ''Stephen Crane: Collection of Critical Essays''. Ed. Maurice Bassan. Englewood Cliffs, N.J.: Prentice-Hall, Inc. *Davis, Linda H. 1998. ''Badge of Courage: The Life of Stephen Crane''. New York: Mifflin. *Delbanco, Nicholas. ''The Art of Youth: Crane, Carrington, Gershwin and the Nature of First Acts.'' New York: Houghton 2013 *Gibson, Donald B. 1988. ''The Red Badge of Courage: Redefining the Hero''. Boston: Twayne Publishers. *Gibson, Donald B. 1968. ''The Fiction of Stephen Crane''. Carbondale: Southern Illinois University Press. *Gullason, Thomas A. 1961. "Thematic Patterns in Stephen Crane's Early Novels". Fiction'', Vol. 16, No. 1. Berkeley: University of California Press. *Hoffman, Daniel. 1967. "Crane and Poetic Tradition". ''Stephen Crane: Collection of Critical Essays''. Ed. Maurice Bassan. Englewood Cliffs, N.J.: Prentice-Hall, Inc. *Katz, Joseph. 1972. "Introduction". ''The Complete Poems of Stephen Crane''. Ithaca, N.Y: Cornell University Press. *Knapp, Bettina L. 1987. ''Stephen Crane''. New York: Ungar Publishing Co. *Kwiat, Joseph J. 1987. "Stephen Crane, Commonplace Experience and Artistic Transcendence". ''Journal of Modern Literature'', Vol. 8, No. 1. Bloomington, Indiana: Indiana University Press. *Linson, Corwin K. 1958. ''My Stephen Crane''. Syracuse: Syracuse University Press. *Nagel, James. 1980. ''Stephen Crane and Literary University Park: Pennsylvania State University Press. *Perosa, Sergio. “Naturalism and Impressionism in Stephen Crane’s Fiction,” ''Stephen Crane: Collection of Critical Essays'', ed. Maurice Bassan (Englewood Cliffs: Prentice-Hall 1966). *Robertson, Michael. 1997. ''Stephen Crane, Journalism, and the Making of Modern American Literature''. New York: Columbia University Press. *Rogers, Rodney O. 1969. "Stephen Crane and Impressionism". Fiction'', Vol. 24, No. 3. Berkeley: University of California Press. *Schaefer, Michael W. 1996. ''A Reader's Guide to the Short Stories of Stephen Crane''. New York: G.K. Hall Co. *Shulman, Robert. 1978. "Community, Perception, and the Development of Stephen Crane: From ''The Red Badge'' to 'The Open Boat'". American Literature, Vol. 50, No. 3. Duke, N.C.: Duke University Press. *Sorrentino, Paul. 2006. ''Student Companion to Stephen Crane''. Westport, Conn.: Greenwood Press. *Sorrentino, Paul. 2014. ''Stephen Crane: Life of Fire''. Cambridge, MA: Belknap Press. *Splendora, Anthony. "Book Review, ''Stephen Crane: Life of Fire'', by Paul Sorrentino," ''The Humanist,'' Vol. 75, No. (July/August 2015), pp. 46–47 *Splendora, Anthony. "''Dead Tilt'': Playing for Keeps at 'The Blue Hotel,' the Prize and the Price," ''Janus Head'', Vol. 14 Issue 2, pp. 135–157. *Weatherford, Richard M. 1997. "Introduction". ''Stephen Crane: The Critical Heritage''. New York: Routledge. *Wertheim, Stanley. 1997. ''A Stephen Crane Encyclopedia''. Westport, Connecticut: Greenwood Press. *Wertheim, Stanley and Paul Sorrentino. 1994. ''The Crane Log: Documentary Life of Stephen Crane, 1871–1900''. New York: G. K. Hall Co. *Wolford, Chester L. 1989. ''Stephen Crane: Study of the Short Fiction''. Boston: Twayne Publishers. ==বহিঃসংযোগ== Stephen Crane's collected journalism at The Archive of American Journalism ''The Red Badge of Courage'' Site "Syracuse and Civil War Masterpiece," by Rick Burton == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু সাংবাদিক ছোট গল্প লেখক'''ছত্রপতি রাজারাম মহারাজ বিমানবন্দর''' বা কোলহাপুর বিমানবন্দর (আইএটিএ: কেএলএইচ, আইসিএও: ভিএপিপি) ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কোলহাপুরের অবস্থিত একটি বিমানবন্দর। এটি কোলহাপুর শহর থেকে কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বা উজ্জলাওয়াড়িতে অবস্থিত। ==ইতিহাস== জানুয়ারী ১৯৩৯ সালে, '''ভারতের বিমান পরিবহন''' নামে একটি বেসরকারী বিমান সংস্থা, জুহু বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে এসে (যে সময়ে মুম্বাইয়ের এয়ারপোর্ট ছিল) কোলহাপুরের রাজকীয় সংস্থার জন্য বিমান পরিষেবা চালু করেছিল। এই পরিষেবাটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোলহাপুর মহারাজা, সম্মানীয় ছত্রপতি রাজারাম মহারাজ কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়, যারা এই প্রকল্পে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এবং তারা এই বিমান সংস্থার কাছে একটি ভর্তুকি দিয়েছিলেন, পাশাপাশি তার রাজধানীতে প্রয়োজনীয় বিমান পরিষবার সুবিধা প্রদানের জন্য। বর্তমান কোলহাপুর বিমানবন্দরটি ১৯৭৮ সালে পরিচালনা শুরু করা হয় এবং ১৬ এপ্রিল, ১৯৯৭ সালে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) থেকে মহারাষ্ট্র শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (এমআইডিসি)- এর কাছে বিমানবন্দরটির ইজারা দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং ২০১২ সালের মে মাসে বিমানবন্দর পরিচালনার দায়ভার থেকে মুক্তি পেতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়। মহারাষ্ট্র সরকার তখন আগস্ট ২০১৩ সালে বিমানবন্দরটিকে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। ==কোলহাপুর বিমানবন্দর টার্মিনাল== বিমানবন্দরটির টার্মিনাল ভবনটি শুধু মাত্র অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিচালনা করে। ===অন্তর্দেশীয় প্রান্তিক=== বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ ভারতের প্রধান শহরগুলিতে সরাসরি সেবা পরিচালনা করে। মহারাষ্ট্রের প্রধান ক্ষুদ্র শহর এবং অন্যান্য রাজ্যগুলির সাথে শহরটি সংযোগ করে এমন অনেকগুলি উড়ান রয়েছে। অনেক বিমান সংস্থাগুলি যেমন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার ডেকন, এবং অন্যান্য বিমান সংস্থা দেশের প্রধান শহরগুলিতে তাদের সরাসরি উড়ান পরিচালনা করে। এই এয়ারপোর্টটি অতি আধুনিক ব্যাগজার্জ হ্যান্ডলিং পরিষেবাগুলির চালু আছে। এছাড়া বিমানবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য চমৎকার সুবিধা প্রদান করা হয়। ===কোলহাপুর বিমান বন্দরে সুবিধাসমূহ=== ব্যাগ পরিষেবা: এখানে বিমানবন্দরে, যাত্রীকে বিমানবন্দর ব্যবহারকালীন সময়ে ব্যাগ সুরক্ষা সুবিধা প্রদান করা হয়। ==আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্প== ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা '''এএআই''' বিমানবন্দরে রাতে অবতরণ সুবিধা স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে এবং মুম্বাই পুনে বিমানবন্দরে বিমান রাখার সমস্যা কমানোর জন্য কোলাপুর বিমানকে রাত্রীকালীন বিমান রাখার জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ==বিমান সংস্থা এবং গন্তব্যস্থল== ==শহরের সাথে সংযোগ== '''বাস''': কোলহাপুরের বাস স্ট্যান্ড থেকে মাত্র ৯.৪ কিলোমিটার দূরে কোলহাপুর বিমানবন্দর অবস্থিত। ১৩ মিনিটের মধ্যে বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস যাত্রার দ্বারা এই দূরত্ব অতিক্রম করা যায়। '''রেল''': কোলহাপুর বিমানবন্দর থেকে কোলহাপুর রেলওয়ে স্টেশন প্রায় ৯.৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটা বিমানবন্দর থেকে প্রায় রেল স্টেশনে পৌঁচ্ছতে ১৭ মিনিট সময় লাগে এবং এটিই বিমানবন্দরের নিকটবর্তীতম রেল স্টেশন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বিমানবন্দর বিমানবন্দরBrazilian states by area. ব্রাজিলে ২৭টি রাজ্য রয়েছে, () যেগুলো হচ্ছে ব্রাজিলের ফেডারেল রাজ্য, ব্রাসিলিয়া ব্রাজিলের অন্যতম প্রধান শহর রাজধানী। নীচে এই রাজ্যগুলির তালিকা দেয়া হল। এছাড়াও জনসংখ্যা ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে যথাক্রমে এটি বিশ্বের ৬ষ্ঠ এবং ৫ম বৃহত্তম দেশ। ৮,৫১৫,৭৬৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০৮,৯৪২,০০০ জন। ক্রম রাজ্য এলাকা (কিমি২) মোট তুলনীয় দেশ ১৮.৩১ ১৪.৬৫ ১০.৬১ ৬.৮৯ ৬.৬৩ ৪.১৯ ৩.৯৯ ৩.৯০ ৩.৩১ ১০ ৩.২৬ ১১ ২.৯৫ ১২ ২.৯১ ১৩ ২.৭৯ ১৪ ২.৬৩ ১৫ ২.৩৪ ১৬ ১.৯৩ ১৭ ১.৭৫ ১৮ ১.৬৮ ১৯ ১.১৫ ২০ ১.১২ ২১ ০.৬৬ ২২ ০.৬২ ২৩ ০.৫৪ ২৪ ০.৫১ ২৫ ০.৩৩ ২৬ ০.২৬ ২৭ ০.০৭ '''মোট''' '''''' '''১০০.০''' ==টীকা এবং তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Brazil, area Area'''ট্যাংরার কালী''' বা '''চীনা কালী''' পূর্ব কলকাতার ট্যাংরায় ভারতীয় চীনাদের প্রতিষ্ঠিত কালী। আনুমানিক ৬০ বছর আগে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া চীনারা টেরিটি বাজার অঞ্চলেও থাকেন। কলকাতায় চীনারা চা শিল্পের জন্য এসেছিলো। পরে চিনি শিল্পের হাত ধরেও তাদের আগমন হয়। পরবর্তীতে তারা ক্রমে বাঙালি সংস্কৃতিতে থাকতে থাকতে তাদের নিজেস্ব সংস্কৃতির সাথে বাঙালি সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরে। তারই একটি উদাহরণ এই ট্যাংরার কালী। ==ইতিহাস== ষাট বছর আগে একজন চীনা ভদ্রলোক এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ধর্মে ছিলেন চৈনিক বৌদ্ধ। বর্তমানে তার তৃতীয় পুরুষ এই মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। তবে পূজার দায়িত্বে একজন হিন্দু পুরোহিত আছেন। মন্দিরের ইতিহাস প্রায় ষাট বছরের। সিঁদুর মাখানো দুটো কালো পাথর গাছের নিচে পূজা হতো। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই পাথর পুজো করতেন। পরবর্তীতে চৈনিকরাও সেটি অনুসরণ করা শুরু করেন। মন্দিরের বর্তমান প্রধান আইসন। বেশিরভাগ চৈনিক বাসিন্দাই বৌদ্ধ বা খ্রিষ্ঠান। তবুও তারা কালী ঠাকুরকে খুব মান্যতা দেয়।সেই থেকেই এই কালী মন্দির তাদের সংস্কৃতির অন্তর্গত হয়ে পড়ে। ==পুজোর ভোগ== এখানে ভোগ হিসাবে মা কালীকে চাইনিজ খাবার দেওয়া হয়। তবে সেই নুডুলস নিরামিষ। অন্য সকল পূজার মতো ফল প্রসাদের সাথে নুডুলসকেও প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয়। ==তথ্যসূত্র== ==আরও দেখুন== কালী (দক্ষিণাকালী) একান্ন পীঠ কেওড়াতলা মহাশ্মশান দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি কালীমন্দির দর্শনীয় স্থান মন্দির কালীমন্দির'''জুহু বিমানবন্দর''' (আইসিএও: ভিএজেজে) ভারতের মুম্বাই মহানগরীর উচ্চমানের আবাসিক এলাকা জুহুতে অবস্থিত। এটি ছোট সাধারণ বিমান। বিমানবন্দরটি বিমান পরিবহন এবং হেলিকপ্টার পরিষেবার জনওয ব্যবহার করা হয়। ১৯২৮ সালে ভারতের প্রথম বেসামরিক বিমান চলাচল ঘাঁটি হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জুহু বিমানবন্দর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং আগে মুম্বই শহরের প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে কাজ করেছিল। ১৯৪৮ সালে বাণিজ্যিক উড়ানগুলি জুহু বিমানবন্দরের কিমি পূর্বে নির্মিত বড় আকারের আরএএফ সান্তারাক্রুজ বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৩২ সালে জেআরডি টাটা জহুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে, এবং ভারতের প্রথম তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক মেল পরিষেবা উদ্বোধন করে। আজ, জুহু বিমানবন্দ মুম্বাই থেকে সব হেলিকপ্টার পরিষঘবা পরিচালনা করে। এই বিমানবন্দরে বোম্বে ফ্লাইং ক্লাব এবং বেশ কয়েকটি এক্সিকিউটিভ এবং হাল্কা বিমান এবং গ্লাইডারও রয়েছে। ২৮ শে সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে, বিমানবন্দরটি থেকে বড় আকারের বিমান চালনার জন্য ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই), কর্তৃক বিমানবন্দরের সম্প্রসারন এবং বিমানবন্দরের রানওয়ে সমুদ্রের মধ্যে প্রসারিত করার প্রস্তাব দেয়, তবে পরিবেশ বন মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটিকে খারিজ করে এবং নির্মানের অনুমতি দেয়নি। ২০১১ সালের নিউ কোস্টাল রেগুলেশন জোন (সিআরজেড) নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় রাস্তাঘাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণা করেছিল যে, আবার সমুদ্রের মধ্যে জুহু বিমানবন্দরে রানওয়েটি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করবে। ==ইতিহাস== বিমানবন্দরটি ১৯২৮ সালে একটি উন্মুক্ত এয়ারফিল্ড হিসেবে চালু হয়। এটি শিক্ষার জন্য, বোম্বাই ফ্লাইং ক্লাবের দ্বারা শিক্ষণ, আনন্দ-ভ্রমণ এবং বিমান ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্লাবের কর্মকান্ড সীমিত ছিল, কারণ জুহুর বিমানবন্দর বর্ষার সময় ব্যবহারের উপযুক্ত ছিল না। ১৯৩২ সালের বিমানবন্দরের ভূমি ভাগের অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যদিও ওই বছর বর্ষার সময় বিমানবন্দরটি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত ছিল না। ভারতে সিভিল এভিয়েশন পিতা জে.আর.ডি টাটা, ১৯ শে অক্টোবর, ১৯৩২ সালে, পস মথ বিমানে করাচিতর ড্রইং রোডের বিমানবন্দরের থেকে অহমেদাবাদ বিমানবন্দর হয়ে জুহু বিমানবন্দরে মেইল পাঠানোর জন্য তার প্রথম যাত্রা শুরু করে। টাটা এয়ারমেল সার্ভিসের নামটি বলা হয় পুণে, বেল্লারী এবং মাদ্রাজ রুটে পরিচালিত এই একই মেল পরিষেবাকে। এই বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া জন্মস্থান দিয়েছে। ১৯৩২ সালে জন বিমানচালক, টি পিস্টন ইঞ্জিন উড়োজাহাজ, একটি পুস মথ এবং একটি লেপার্ট মথের সাথে জন অভিভাবক মেকানিক ছিল বিমান সংস্থা। বিমানবন্দরে দুটি বিটুমিনাস রানওয়ে রয়েছে। যার মধ্যে একটি পূর্ব থেক পশ্চিম অভিমুখে এবং অন্যাটি থেকে অভিমুখে ১৯৩৬ সালে স্থাপিত হয়। এই সময়ে বর্ষাকালের সময় বিমানবন্দরটি জলমগ্ন হওয়ার কারণে উড়ানগুলিকে পুনাতে স্থানান্তর করা হতো। ১৯৩৯ সালে বিমানবন্দরের জন্য একটি তৃতীয় রানওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, কিন্তু পরিকল্পনা সফল হয়নি। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং এর আগে শহরের বিমানবন্দর হিসেবে কাজ করেছিল। রানওয়ে ০৮/২৬, আরব সাগর দিকে নির্দেশ করছে ==বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করার চ্যালেঞ্জ== ==বর্তমান অবস্থা== ==দুর্ঘটনা এবং ঘটনা== ==সংস্কৃতি এবং মিডিয়া== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বিমানবন্দর বিমানবন্দর'''মুনড্রু মুদিচ্চু''' হচ্ছে ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল চলচ্চিত্র যেটা পরিচালনা করেন তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের খ্যাতনামা পরিচালক কৈলাস বলচন্দ। চলচ্চিত্রটিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের তিন কিংবদন্তী কামাল হাসান, রজনীকান্ত এবং শ্রীদেবী যদিও তখনকার চলচ্চিত্র জগতে তারা প্রায়ই অপরিচিতই ছিলেন। চলচ্চিত্রটিতে রজনীকান্ত একজন দুশ্চরিত্র খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটির কাহিনী হচ্ছে এরকম যে, বালাজী নামের একটা ছেলে তার এক বন্ধু প্রসাদের সাথে মেসে থাকে, মেসেরই পাশের দালানে সেলভী নামের এক তরুণী তার বড় বোনের সাথে থাকে। বালাজীর সেলভীর সাথে পরিচয়, ভালো লাগা, বন্ধুত্ব এবং প্রেম হয়ে যায়; এটা প্রসাদের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে একদিন বালাজী আর সেলভীকে নিয়ে নৌকা ভ্রমণে বের হয়, বালাজী হঠাৎ করে পানিতে পড়ে যায় আর প্রসাদ যে সাঁতার জানে কিন্তু ইচ্ছা করেই বালাজীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনা কারণ সে সেলভীর সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চায় মনে মনে অনেক আগে থেকেই। প্রসাদ সেলভীর প্রতি দয়ালু হয়ে যায় এবং সেলভী তার বাড়ীতে আসে এবং একটি দাসী হিসেবে জীবনযাপন করে। প্রসাদ তার বাবা এবং তার ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে বসবাস করে। তার পিতা চান সেলভী যেন প্রসাদকে বিয়ে করে। সেলভী মনে মনে প্রসাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, সেলভী প্রসাদের বাবাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রসাদের বাবার সাথে বিয়ে করার পর, সে প্রসাদের ওপর প্রতিশোধের জন্য তার 'মা' অবস্থা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং যখন ফিরে আসে তখন তাকে হকচকিয়ে দেয়। চলচ্চিত্র তামিল ভাষায় লাইন দিয়ে শেষ হয়, যা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়: "যখন একটি বীজ অঙ্কুরের সময় হয়, যদি বিবেক অনুশোচনা করতে না পারে এবং শুধুমাত্র এই ঘটনার পরেই বিবেকের উপস্থিতি হয়! যখন বিবেক স্বার্থপরতার জন্য নিজের সাথে ঘৃণা করে; অপরাধী এর চোখ, তার উন্মাদতা তার বিবেকের হবে! ==অভিনয়ে== *কামাল হাসান বালাজী *শ্রীদেবী সেলভী *রজনীকান্ত প্রসাদ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র'''কেভিন আন্তোনিও জোয়েল গিসলাইন মিরায়াস কাস্তিয়ো''' (জন্ম: অক্টোবর ১৯৮৭), সাধারণভাবে '''কেভিন মিরায়াস''' (), হলেন একজন বেলজীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি এভার্টন হতে অলিম্পিয়াকোস ধারে এবং বেলজিয়াম জাতীয় দলের হয়ে একজন উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। মিরায়াস লীগ ১-এর ক্লাব লিলির হয়ে ২০০৪ সালে তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। অতঃপর ২০১০ সালে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের হয়ে খেলার পুর্বে তিনি হয়ে খেলেন। তিনি অলিম্পিয়াকোসের হয়ে খেলার সময় সফলতার মুখ দেখেন, উক্ত ক্লাবের হয়ে তিনি ৫২ ম্যাচে ৩৪টি গোল করেছেন। তিনি অলিম্পিয়াকোসের হয়ে দ্বিতীয় মৌসুমে তিনি ২৫ ম্যাচে ২০টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার পান। তার অসাধারণ খেলা প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব এভার্টনের নজর কাড়ে। এর ফলে ২০১২ সালে গ্রীষ্মে তিনি মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে এভার্টনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। মিরায়াস ২০০৭ সালে বেলজিয়ামের জ্যেষ্ঠ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেন। তিনি এপর্যন্ত বেলজিয়ামের হয়ে ৫০-এর অধিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি বেলজিয়ামের বেশ কয়েকটি যুব পর্যায়ে বেলজিয়াবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এবং ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় বেলজিয়ামের হয়ে খেলছেন। ==সম্মাননা== ===ক্লাব=== ;অলিম্পিয়াকোস *সুপারলীগ গ্রিস (২): ২০১০–১১, ২০১১–১২ *গ্রিক ফুটবল কাপ (১): ২০১১–১২ ===ব্যক্তিগত=== *সুপারলীগ গ্রিস সর্বোচ্চ গোলদাতা (১): ২০১১–১২ *সুপারলীগ গ্রিস মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় (১): ২০১১–১২ *প্রিমিয়ার লীগ মাসের সেরা গোল (১): মে ২০১৩ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== কেভিন মিরায়াস *বেলজীয় এফএ-এ কেভিন মিরায়াস জন্ম ব্যক্তি ফুটবলার প্রবাসী বেলজীয় ওএসসি খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:AS Saint-Étienne players F.C. players F.C. players যুব আন্তর্জাতিক ফুটবলার অনূর্ধ্ব-২১ আন্তর্জাতিক ফুটবলার আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:লীগ খেলোয়াড় Greece players লীগ খেলোয়াড় people of Spanish descent প্রবাসী খেলোয়াড় প্রবাসী ফুটবলার প্রবাসী ফুটবলার নিবাসী বিদেশী ফুটবলার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফুটবলার footballers of Belgium from Liège উইঙ্গার ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (NSEC) স্থাপন করা হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান আদর্শের কথা মনে রেখে। নেতাজী বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃত স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর হল শিক্ষা প্রযুক্তি। ১৯৯৮ সালে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ এবং ইনস্টিটিউট কম্পিউটার প্রকৌশলীর (ভারত) সহযোগিতায় কলেজটি স্থাপন করা হয়। কলেজটি শুরু হয়, তিনটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স দিয়ে এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম স্ব-নির্ভর প্রকৌশল কলেজ। কলেজটি শুরু থেকেই কল্যাণী অধিভুক্ত ছিল। ২০০২ সালে কলেজটি সদ্য নির্মিত পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি সম্বন্ধযুক্ত হয়। == ক্যাম্পাস == প্রধান ভবন প্রশাসনিক ভবন নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তার ক্যাম্পাসটি কলকাতার দক্ষিণ ভাগে টেকনো সিটি, গড়িয়া, কলকাতায় পরিচালনা করে। ইনস্টিটিউটটি রেলপথ রাস্তাঘাট উভয়ের মাধ্যমে শহরের অন্য অংশের সাথে সংযুক্ত আছে। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল কলকাতা শহরতলি রেলওয়ের বিভাগের গড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এবং সবচেয়ে কাছের বাস টার্মিনাস হয় গড়িয়া স্টেশন বাস স্ট্যান্ড। ধলুয়া প্রধান সড়কটি গড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ইনস্টিটিউটকে সংযোগ করে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনটি কলেজকে কলকাতা মেট্রো রেলের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন অংশে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিজ্ঞান ব্লক == ভর্তি == ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (WBJEE) এবং JEE(প্রধান) এর উপর ভিত্তি করে বি.টেক ভর্তি নেওয়া হয়। এম.টেক ভর্তি নেওয়া হয় গেট পরীক্ষা এবং একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। এমসিএতে ভর্তি জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে জে সি (জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফর কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন) নামক রাজ্য স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হয়। পিএইচডি তে, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির ব্যক্তিগত ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হয়। নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাংগঠনিক কাঠামো == প্রশাসন == সকল অনুষদ সদস্য, রেজিস্ট্রার, গ্রন্থাগারিকদের নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিল গঠিত। দিন-প্রতিদিন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য সিনিয়র অনুষদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত একাডেমিক কমিটি। ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে নিয়মিত আলাপ আলোচনা হয়। বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতামত বিনিময়ের জন্য নিয়মিতরূপে বৈঠক হয়। == শিক্ষাবিদ == পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (WBUT) এবং টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটিতে এই কলেজটি অধিভুক্ত। যে সমস্ত কোর্সগুলি সঞ্চালন করা হয় সেগুলি ডাবলুবিইউটি অধীনে, অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE) দ্বারা অনুমোদিত এবং ন্যাশনাল বোর্ড স্বীকৃতি(এন বি এ) দ্বারা স্বীকৃত। === পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় === পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা কলেজের যে বিভাগগুলি অধিভুক্ত সেগুলি হল: ==== ডিপার্টমেন্ট অব ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ==== ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৪ সালে এন বি দ্বারা স্বীকৃত। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: ইলেকট্রনিক্স কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (বি. টেক) স্নাতকোত্তর: কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (এম. টেক) ==== ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ==== ২০০৬ সালে ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধীনে ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং গঠিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে এটা একটি পূর্ণাঙ্গ আলাদা বিভাগ হয়। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: ইলেকট্রনিক্স ও, যন্ত্রানুষঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং (বি. টেক) ==== ডিপার্টমেন্ট অফ বায়ো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ==== ২০০২ সালে ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধীনে বায়ো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গঠিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে এটা একটি পূর্ণাঙ্গ আলাদা বিভাগ হয় যারা বি. টেক প্রোগ্রাম বায়ো মেড ইঞ্জিনিয়ারিং বি. টেক প্রোগ্রাম পরিচালনা করেন। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: বায়ো-মেডিকেল টেক) ==== কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ ==== ১৯৯৮ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৪ সালে, এন বি দ্বারা স্বীকৃত হয়। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (বি. টেক) পোস্ট গ্রাজুয়েট: কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং (এম. টেক) ==== তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ ==== ১৯৯৮ সালে বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৭ সালে এন বি দ্বারা স্বীকৃত হয়। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: তথ্য প্রযুক্তি (বি. টেক) ====বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি বিভাগ ==== ১৯৯৮ সালে বিভাগের শুরু, ২০০৪ সালে এন বি এ, দ্বারা স্বীকৃত। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বি. টেক) পোস্ট গ্রাজুয়েট: নিয়ন্ত্রণ এবং যন্ত্রানুষঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং (এম. টেক) পোস্ট গ্রাজুয়েট: পাওয়ার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং (এম. টেক) ==== ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ==== ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং গঠন করা হয় ২০১২ সালে। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (বি. টেক) ==== ডিপার্টমেন্ট অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ==== মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গঠিত হয় ২০১২ সালে। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বি. টেক) ==== ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন এবং ব্যবস্থাপনা ==== ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। '''কোর্স:''' আন্ডার গ্রাজুয়েট: বিসিএ, বিবিএ পোস্ট গ্রাজুয়েট: এমসিএ, এমবিএ === টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় === এই টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ভারত) দ্বারা স্বীকৃত। টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি অধিভুক্ত কলেজের বিভাগগুলি হল: সেলুলার অটোমাটাতে ডক্টরেট প্রোগ্রাম (পিএইচডি) ওয়েব বুদ্ধিমত্তা, ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং, নিউরাল নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম এবং কম্পাইলার নকশা. ==== ডিপার্টমেন্ট অব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ==== বৈদ্যুতিক শক্তি সিস্টেমে ডক্টরেট প্রোগ্রাম (পিএইচডি),, বৈদ্যুতিক মেশিন এবং নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশল। ==== ডিপার্টমেন্ট মৌলিক প্রকৌশল বিজ্ঞান ==== ৩-বছরের স্নাতক প্রোগ্রাম যাতে বিজ্ঞানের সব শাখার বিষয়ে পড়ান হয় যা প্রকৌশল ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। == স্বীকৃতি == NSEC নিম্নলিখিত শিক্ষা সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৮- ২০০২) পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ভারত) অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন ন্যাশনাল বোর্ড স্বীকৃতি (এন বি এ) মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ভারত সরকার == ফিনিক্স সরকারী কারিগরি ক্লাব == ফিনিক্স লোগো ফিনিক্সের বিভিন্ন কার্যকরী স্তম্ভ: জনসংযোগ দল, সৃজনশীল দল, ডাটাবেস দল, ওয়েব দল, সি দল, ফটোগ্রাফি দল ইত্যাদি। এছাড়া সাংগঠনিক তিনটি বড় ঘটনা ('''Avenir''' বার্ষিক টেক উল্লাসের, আন্তঃ কলেজ কুইজ প্রতিযোগিতা এবং ইন্ট্রা কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা) ছাড়া বর্তমানে ফিনিক্সে যে ফোরামগুলি আছে সেগুলি হল '''সি ফোরাম''', '''এবং রোবনিক্স ফোরাম''', '''এবং এসএসপিডি ফোরাম''' এবং '''ওয়েব ডিজাইনিং ফোরাম'''. ক্লাবের নীতিবাক্য ''"আসুন, উন্নত হওয়া যাক"''। === উইকি একাডেমী === এই কলেজে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন, ভারতের সহযোগিতায় কলকাতায় প্রথম উইকি একাডেমি গঠিত হয়। অনুষ্ঠানটিতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। === সিএসই প্রাক্তন ছাত্র সংগঠন === সিএসই প্রাক্তন ছাত্র সংগঠনটি, সিএসই বিভাগের প্রাক্তনী, ছাত্র এবং অনুষদের সাথে সংযোগ করার যোগাযোগ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। এটি গঠিত হয়েছিল কলেজের কর্মসূচিগুলি সমর্থন এবং সেগুলিকে শ্রেষ্ঠত্বে উন্নীত করার কাজে সিএসই বিভাগকে, সেইসাথে তার গ্লোবাল সম্প্রদায়কে নিয়োজিত করার জন্য সমিতি সারা বছরব্যাপী সেমিনার/আলোচনার মত প্রাক্তনীদের উপযুক্ত বিভিন্ন কার্যকলাপ আয়োজন করে। সমিতি এছাড়াও আয়োজন, তার বার্ষিক পুনর্মিলন "Melange" অক্টোবর মাসে, প্রতি বছর. == আরও দেখুন == পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন ন্যাশনাল বোর্ড স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ভারত) == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == প্রশিক্ষণ প্লেসমেন্ট সেল NSEC অফিসিয়াল ওয়েব পোর্টাল নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ফিনিক্স কারিগরি ক্লাব ফিনিক্স অফিসিয়াল ওয়েবসাইট NSEC সিএসই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট NSEC ECE অ্যালামনাই Assiciation অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একটি টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ, হার্ডকোর, কলেজ ''টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ NSEC লিঙ্ক'' প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''মাছ চাষ''' বা '''মৎস্যচাষ''' হল সাধারণত খাবারের জন্য পুকুরে বা জলাভূমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করা। এটি জলজ চাষের প্রধান রূপ এবং এই চাষ সামুদ্রিক প্রাণীর সাথে হতে পারে। একটি সুবিধা যা বিনোদনমূলক মাছ ধরার জন্য বা একটি প্রজাতির প্রাকৃতিক সংখ্যার পরিপূর্ণ করার জন্য ছোট মাছেদের ছাড়ার ব্যবস্থাকে সাধারণত মাছের হ্যাচারি হিসাবে উল্লেখ করা হয়। বিশ্বব্যাপী, মাছ চাষে উৎপাদিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাছ প্রজাতি হলো কার্প, তিলাপিয়া, স্যালমন ক্যাটফিশ। মাছ মাছ থেকে পাওয়া প্রোটিনের চাহিদা বাড়ছে, যার ফলে বন্য মৎস্যচাষে বিস্তৃত ভাবে মাছ উৎপাদন হচ্ছে। চীনে বিশ্বের মোট মাছ চাষের ৬২% হয়ে থাকে। ২০১৬ সাল নাগাদ পৃথিবীর মোট উৎপাদিত সীফুডের মধ্য জলজ পালনে ৫০% এর অধিক সীফুড উৎপাদিত হয়। মংসাশী মাছ যেমন স্যালমন চাষ করা হয় সবসময় বন্য মৎস্যচাষের উপর নির্ভরতা কমাতে। ২০০৮ সালে এফএও দ্বারা রেকর্ডকৃত ৩৩.৮ মিলিয়ন টন মাছ চাষ হয় এবং এর বিশ্বব্যাপী আয় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। == প্রধান প্রজাতি== ২০১৩ সালে এফএও পরিসংখ্যান অনুযায়ী শীর্ষ উৎপাদিত (হিসাব মিলিয়ন টনে) ১৫ টি মাছের প্রজাতি প্রজাতি পরিবেশ টন (মিলিয়ন) পরিমাণ (ইউএস$, বিলিয়ন) গ্রাস কার্প মিষ্টি জল ৫.২৩ ৬.৬৯ সিলভার কার্প মিষ্টি জল ৪.৫৯ ৬.১৩ কমন কার্প মিষ্টি জল ৩.৭৬ ৫.১৯ নাইলোটিকা মিষ্টি জল ৩.২৬ ৫.৩৯ মোটামাথা কার্প মিষ্টি জল ২.৯০ ৩.৭২ কাতলা (ভারতীয় কার্প) মিষ্টি জল ২.৭৬ ৫.৪৯ ক্রুসিয়ান কার্প মিষ্টি জল ২.৪৫ ২.৬৭ আটলান্টিক স্যালমন সমুদ্র ২.০৭ ১০.১০ রুই মিষ্টি জল ১.৫৭ ২.৫৪ মিল্কফিশ মিষ্টি জল ০.৯৪ ১.৭১ রেইনবো ট্রাউট মিষ্টি জল, নোনা জল, সমুদ্র ০.৮৮ ৩.৮০ Wuchang bream মিষ্টি জল ০.৭১ ১.১৬ কালো কার্প মিষ্টি জল ০.৫০ ১.১৫ নর্দান স্নেকহেড মিষ্টি জল ০.৪৮ ০.৫৯ আমুর ক্যাটফিশ মিষ্টি জল ০.৪১ ০.৫৫ ==ধরন== জলজ পালনে স্থানীয় ভাবে সালোকসংশ্লেষের (ব্যাপক) ব্যবহার এবং বাইরের খাদ্য সরবরাহ (নিবিড়) করে যে মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। === ব্যাপক জলজ পালন=== '' একোয়া-বয় '', একটি নরওয়েজিয়ান লাইভ মাছ ক্যারিয়ারটি মেরিন হরভেট স্কটল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে মাছ খামারের জন্য ব্যবহৃত হয় ক্রমবর্ধমান খাদ্য দ্বারা সীমাবদ্ধ, কারণে সাধারণভাবে জুপল্যাঙ্কটন পেলাগিক শ্যাত্তলাগুলি বা বেন্টিক প্রাণী, যেমন কবচী প্রাণী এবং মলাস্কা'কে খাদ্য হিসাবে খাওয়ান হয়। তেলাপিয়া ফিল্টার সরাসরি ভোজন, যা উচ্চ উৎপাদন সম্ভব করে তোলে পটাশ, ফসফরাস, নাইট্রোজেন এবং মতো কৃত্রিম সারের মিশ্রণের সাথে পুকুরের জলে সার প্রয়োগ করে সালোকসংশ্লেষ বৃদ্ধি করা যায়। আরেকটি সমস্যা হল অ্যালগি ব্লুম। যখন তাপমাত্রা, পুষ্টির সরবরাহ এবং উপলভ্য সূর্যালোক শেওলা বৃদ্ধির জন্য অনুকূল হয়, তখন শেওলা একটি এক্সপোনেনশিয়াল হারে বৃদ্ধি করে, অবশেষে পুষ্টিকর পদার্থ কমে যায় এবং মাছ মরতে থাকে। ক্ষয়প্রাপ্ত অতিরিক্ত শৈবাল বা অ্যালগি পুকুরের জলে সূর্য্যরশ্মির প্রবেশ আটকে দেওয়ায়, জলে অক্সিজেন কমে যাওয়ার ফলে জৈববস্তুটি অক্সিজেনকে নিঃশেষ করে দেয় কারণ এটি জৈব অজৈব সলিউশনের (যেমন অ্যামোনিয়াম আয়ন) সাথে দূষিত করে, যা (এবং প্রায়শই) মাছের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। একটি বিকল্প হল একটি জলাভূমি ব্যবস্থা ব্যবহার করা, যেমন স্পেনে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক মাছের খামার ভিটা লা পালমা। পুকুরে সমস্ত উপলব্ধ খাদ্য ব্যবহার করার জন্য, পুকুরে মাছ চাষের ক্ষেত্রে মাছের প্রজাতি এমন ভাবে বেছে নেয় যে ওই মাছ গুলি পুকুরের থাকা খাদ্র বস্তু গ্রহণ করবে। উদাহরণস্বরূপ, যেমন ফিলিপড শেত্তলার জন্য তিলাপিয়া, এবং জুওপল্যাঙ্কন ফিডার এর জন্য গ্রাস কার্প চাষ করা হয়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ=='''জোশুয়া ২৫ মার্চ ১৯৯৩) হলেন একজন অস্ট্রেলীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি এ-লীগ ক্লাব সিডনি এফসি এবং অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় অথবা একজন রাইট ব্যাক হিসেবে খেলেন। তিনি তার ইতালীয় উত্তরাধিকারী সূত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। ==ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান== ===ক্লাব=== ক্লাব মৌসুম লীগ কাপ মহাদেশীয় মোট বিভাগ উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল গোল্ড কোস্ট ইউনাইটেড ২০১০–১১ এ-লীগ ২০১১–১২ ১২ ১২ মোট ১৪ ১৪ নিউক্যাসেল জেটস ২০১২–১৩ এ-লীগ ২২ ২২ ২০১৩–১৪ ২৪ ২৪ Total ৪৬ ৪৬ ফিওরেন্তিনা ২০১৪–১৫ সিরি এম্পোলি (ধার) ২০১৪–১৫ কমো (ধার) ২০১৫–১৬ সিরি বি ২১ ২১ সিডনি এফসি ২০১৬–১৭ এ-লীগ ২৬ ৩১ ২০১৭–১৮ ১১ ১৬ মোট ৩৭ ১০ ৪৭ ্মোট ১২১ ১০ 0০ ১৩১ অস্ট্রেলিয়া সাল উপস্থিতি গোল ২০১৩ ২০১৪ মোট ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি ফুটবলার প্রবাসী ফুটবলার খেলোয়াড় ফুটবলার বি ফুটবলার Coast United FC players Jets FC players ফিয়োরেন্তিনা খেলোয়াড় F.C. players 1907 players FC players প্রবাসী ফুটবলার people of Italian descent আন্তর্জাতিক ফুটবলার মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ফুলব্যাক'''খুমুকচম সঞ্জিতা চানু'''(), (জন্ম অগাস্ট ১৯৯৪) ভারতীয় ভারোত্তোলক। কাকিং খুনো, কাকিংহ জেলা, মণিপুর জন্মগ্রহণ করেন, তিনি দুইবার কমনওয়েলথ গেমস কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন করেছেন। ২০০৯ সালে কমনওয়েলথ গেমস ২০১৪ গ্লাসগো এবং ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ২০১৮ গোল্ড কোস্টের নারীদের 48 কিলোগ্রাম এবং ৫৩ কিলোগ্রাম ওজনের ওজনে চনু স্বর্ণপদক জিতেছে। কমনওয়েলথ গেমসের ৮৪ কিলোগ্রামের রেকর্ডটি তিনি হ'ল আংশিক ওজন শ্রেণিতে স্নাচ সেগমেন্টের জন্য।'''লিডস''' (; পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের পশ্চিম ইয়র্কশায়ার অঞ্চলের বৃহত্তম শহর। জনসংখ্যার বিচারে এটি লন্ডন এবং বার্মিংহামের পরে সমগ্র যুক্তরাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী এখানে প্রায় লক্ষ ৮১ হাজার লোকের বাস। ১৩শ শতকে এটি একটি ক্ষুদ্র ম্যানরীয় বারো বা জেলা শহর ছিল। বর্তমানে এটি একটি মহানাগরিক জেলায় পরিণত হয়েছে। ১৬শ শতকে শহরটি এয়ার নদীর তীরে অবস্থিত একটি ছোট হাটবাজারভিত্তিক শহর ছিল। ১৭শ ১৮শ শতকে লিডস পশম উৎপাদন বাণিজ্যের এক প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়। শিল্প বিপ্লবের সময় পশম প্রধান শিল্প হলেও এখানে তিসি, প্রকৌশল, লোহার ঢালাইখানা, ছাপাখানা এবং অন্যান্য শিল্পকারখানার বদৌলতে এটি একটি প্রধান শিল্পশহরে পরিণত হয়। এটির সম্প্রসারণ ঘটে এবং আশেপাশের গ্রামগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়ে ২০শ শতকের মাঝামাঝি নাগাদ লিডস একটি জনবহুল নগরে পরিণত হয়। বর্তমানে শহরটি যুক্তরাজ্যের ৪র্থ বৃহত্তম নগর অঞ্চলের ভেতরে অবস্থিত, যে অঞ্চলে প্রায় ২৬ লক্ষ লোকের বাস। লিডসের প্রাইয় তিন-চতুর্থাংশ কর্মজীবী বেসরকারী খাতে কাজ করেন, যেটি যুক্তরাজ্যের শহরগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ এরকম অনুপাত। এখানে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এটি যুক্তরাজ্যের চতুর্থ সর্বোচ্চ ছাত্র জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহর। অর্থনীতির নিরিখে এটি যুক্তরাজ্যের ৪র্থ বৃহত্তম নগর লন্ডনের পরে লিডস যুক্তরাজ্যের ২য় বৃহত্তম আইনি ব্যাংকিং কেন্দ্র। এখানে ৩০টিরও বেশি জাতীয় আন্তর্জাতিক ব্যাংকের শাখা আছে। এমনকি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের একমাত্র আঞ্চলিক শাখাটিও এখানে অবস্থিত। লিডস যুক্তরাজ্যের ৩য় বৃহত্তম শিল্প-উৎপাদন কেন্দ্র; এখানে ১৮০০ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৩৯ হাজার কর্মচারী কাজ করে যারা স্থানীয় অর্থনীতিতে শত কোটি পাউন্ড পরিমাণ অবদান রাখে। শিল্পগুলির মধ্যে প্রকৌশল, ছাপাখানা প্রকাশনা, খাদ্য পানীয়, রাসায়নিক দ্রব্যাদি এবং চিকিৎসা প্রযুক্তি প্রধান। ==তথ্যসূত্র== অ্যান্ড দ্য হাম্বারের শহর'''রুসলান মুমতাজ''' (জন্ম: অগস্ট, ১৯৮২) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা মডেল। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্র টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অভিনয় করেন। ২০০৭ সালে ''এমপি৩: মেরা পহেলা পহেলা প্যার'' ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০১৩ সালে ''কহতা হ্যায় দিল জী লে জরা'' ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন টেলিভিশনে। রুসলান হলেন মারাঠি অভিনেত্রী অঞ্জনা মুমতাজের পুত্র। == ফিল্মোগ্রাফি টেলিভিশন অনুষ্ঠান == ;চলচ্চিত্র +Key চিহ্নিত ছবিগুলি এখনও মুক্তি পায়নি বছর ছবি ভূমিকা প্রাসঙ্গিক তথ্য ২০০৭ ''এমপি৩: মেরা পহেলা পহেলা প্যার'' রোহন চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনেতা ২০০৯ ''তেরে সঙ্গ্‌'' কবীর ২০১০ ''জানে কাহাঁ সে আয়ি হ্যায়'' দেশ ২০১১ ''অ্যালার্ট ২৪X৭'' নিজের ভূমিকায় ২০১২ ''ডেঞ্জারাস ইশক'' রাহুল ২০১৩ ''আই ডোন’ট লাভ ইউ'' যুবান ২০১৩ ''মাস্তাং মামা'' মামা ২০১৪ ''রোমিও ইডিয়ট জাটনি জুলিয়েট'' চলচ্চিত্রায়ন চলছে ২০১৬ ''খেল তো অব শুরু হোগা'' ব্যাঙ্ক সিকিউরিটি গার্ড ;টেলিভিশন বছর টেলিভিশন অনুষ্ঠান ভূমিকা ২০১৩-২০১৪ ''কহতা হ্যায় দিল জী লে জরা'' ধ্রুব যশবর্ধন গোয়েল ২০১৪ ''এনকাউন্টার'' প্রবীণ যোশী ২০১৪ ''কার্টেন রেইজার অফ অ্যামেজিং স্পাইডার ম্যান ২'' নিজের ভূমিকায় (সঞ্চালক) ২০১৪ ''ইয়ে হ্যায় আশিকী'' (পর্ব ৭০) কবীর খান ২০১৫ ''এমটিভি বিগ এফ'' (মরসুম ১, পর্ব ৩) অভিমন্যু সিং ২০১৬ ''বালিকা বধূ'' কৃষ ২০১৭ ''এক বিবাহ অ্যায়সা ভি'' রবি পারমার ২০১৭ ''এমটিভি বিগ এফ'' (মরসুম ২, পর্ব ৭) তন্ময় অরোরা ২০১৭ ''বিক্রম ভট্ট’জ লেট’স প্লে'' কার্তিক ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি পুরুষ মডেল চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা'''জন গারফিল্ড''' (ইংরেজি: John Garfield; জন্ম: '''ইয়াকব ইউলিয়াস গারফিঙ্কল''', মার্চ ১৯১৩ ২১ মে ১৯৫২) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি মূলত পিতাশ্রেণীয়, বিদ্রোহী শ্রমিক শ্রেণীয় কাজ করে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। মহামন্দা সময়কালে নিউ ইয়র্কে দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা গারফিল্ড ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে গ্রুপ থিয়েটারের সদস্য হন। ১৯৩৭ সালে তিনি হলিউডে আসেন এবং ওয়ার্নার ব্রসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এই স্টুডিওর চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি লাভ করেন। গারফিল্ড ''ফোর ডটারস্‌'' (১৯৩৮) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে এবং ''বডি অ্যান্ড সোল'' (১৯৪৭) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল হাউজ কমিটি অন আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিজ (এইচইউএসি) তাকে কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ করলে তিনি তাদের অভিযোগ প্রত্যাখান করেন এবং "নাম বলা" থেকে বিরত থাকার কারণে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবনে ইতি ঘটে। অনেকে ধারণা করেন এই ঘটনার চাপে তিনি মাত্র ৩৯ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মার্লোন ব্র্যান্ডো, মন্টগামারি ক্লিফট জেমস ডিনের মত গারফিল্ডকে পদ্ধতিগত অভিনয়ের পূর্বসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ==জীবনী== ===প্রারম্ভিক জীবন=== গারফিল্ড ১৯১৩ সালের ৪ঠা মার্চ নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনের রিভিংটন স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম ইয়াকব ইউলিয়াস গারফিঙ্কল। তার পিতা দাভিদ গারফিঙ্কল মাতা হান্নাহ রুশ ইহুদি ছিলেন। গারফিল্ড ইড্ডিশ থিয়েটার জেলায় বেড়ে ওঠেন। ===ওয়ার্নার ব্রস.=== গারফিল্ড বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে ব্যর্থ হওয়ার পর মাইকেল কার্টিজের ''ফোর ডটারস্‌'' (১৯৩৮) চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পান। এই ছবিতে বিয়োগান্ত তরুণ সুরকার চরিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই কাজের সফলতার পর ওয়ার্নার ব্রস. গারফিল্ডের সাথে তাদের চুক্তি নবায়ন করে এবং তাকে পার্শ্ব চরিত্রের পরিবর্তে তারকা হিসেবে কাজের সুযোগ দেয়। তারা ''দে মেড মি ক্রিমিনাল'' (১৯৩৯) ছবিতে শিরোনামের উপর তার নাম দেখা যায়। এই সময়ে তিনি "বি" শ্রেণির আইল্যান্ড'' ছবিতে অভিনয় করেন। ওয়ার্নার ব্রস. তাদের নতুন তারকাকে আর কোন স্বল্প-বাজেটের চলচ্চিত্রে কাজ করানোর পরিবর্তে "এ" শ্রেণির একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ১০০,০০০ মার্কিন ডলার যোগ করে এবং পরিচালক মাইকেল কার্টিজকে নতুন দৃশ্য পরিচালনার জন্য ডাকা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গারফিল্ড কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে লানা টার্নারের বিপরীতে ''দ্য পোস্টম্যান অলওয়েজ রিংস টুয়াইস'' (১৯৪৬), জোন ক্রফোর্ডের বিপরীতে ''হিউমারেস্ক'' (১৯৪৬), অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র অ্যাগ্রিমেন্ট'' (১৯৪৭)। শেষোক্ত চলচ্চিত্রে তিনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ''বডি অ্যান্ড সোল'' (১৯৪৭) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন এবং এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ==পুরস্কার মনোনয়ন== '''মনোনীত:''' শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ''ফোর ডটারস'' (১৯৩৮) '''মনোনীত:''' শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ''বডি অ্যান্ড সোল'' (১৯৪৭) হলিউড ওয়াক অব ফেম ==চলচ্চিত্রের তালিকা== বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম মূল শিরোনাম চরিত্র টীকা ১৯৩৮ ''ফোর ডটারস্‌'' ''Four Daughters'' মিকি বোর্ডেন ১৯৩৯ ''দে মেড মি ক্রিমিনাল'' ''They Made Me Criminal'' জনি ব্র্যাডফিল্ড আইল্যান্ড'' ''Blackwell's Island'' টিম হেডন ''জুয়ারেজ'' ''Juarez'' পোরফিরিও ডিয়াজ ''ডটারস্‌ কারেজিয়াস'' ''Daughters Courageous'' গ্যাব্রিয়েল লোপেজ ''ডাস্ট বি মাই ডেসটিনি'' ''Dust Be My Destiny'' জো বেল ১৯৪০ ''ক্যাসল অন দ্য হাডসন'' ''Castle on the Hudson'' টমি গর্ডন বিকল্প শিরোনাম: ''ইয়ার্স উইদাউট ডেজ'' ''স্যাটারডেস চিলড্রেন'' ''Saturday's Children'' রিমস রোসন ''ফ্লোয়িং গোল্ড'' ''Flowing Gold'' জন আলেকজান্ডার জনি ব্লেক ''ইস্ট অব দ্য রিভার'' ''East of the River'' জোসেফ এনরিকো "জো" লরেঞ্জো ১৯৪১ ''দ্য সি উল্‌ফ'' ''The Sea Wolf'' জর্জ লিচ ''আউট অব দ্য ফগ'' ''Out of the Fog'' হ্যারল্ড গফ ''ডেঞ্জারাসলি দে লিভ'' ''Dangerously They Live'' ডক্টর মাইকেল "মাইক" লুইস ১৯৪২ ''টরটিল্লা ফ্ল্যাট'' ''Tortilla Flat'' ড্যানিয়েল "ড্যানি" আলভারেজ ১৯৪৩ ''এয়ার ফোর্স'' ''Air Force'' সার্জেন্ট জো উইনোকি, অ্যারিয়েল গানার ''দ্য ফলেন স্প্যারো'' ''The Fallen Sparrow'' জন "কিট" ম্যাকিট্রিক ''থ্যাংক ইওর লাকি স্টার্স'' ''Thank Your Lucky Stars'' স্বয়ং (ক্ষণিক চরিত্রাভিনয়) ''ডেস্টিনেশন টোকিও'' ''Destination Tokyo'' উল্‌ফ ১৯৪৪ ''বিটুইন টু ওয়ার্ল্ডস'' ''Between Two Worlds'' টম প্রায়র ''হলিউড ক্যান্টিন'' ''Hollywood Canteen'' স্বয়ং (ক্ষণিক চরিত্রাভিনয়) ১৯৪৫ ''প্রাইড অব দ্য মেরিনস্‌'' ''Pride of the Marines'' আল স্মিট ১৯৪৬ ''দ্য পোস্টম্যান অলওয়েজ রিংস টুয়াইস'' ''The Postman Always Rings Twice'' ফ্র্যাঙ্ক চেম্বারস ''নোবডি লিভস ফরেভার'' ''Nobody Lives Forever'' নিক ব্লেক ''হিউমারেস্ক'' ''Humoresque'' পল বোরি ১৯৪৭ ''বডি অ্যান্ড সোল'' ''Body and Soul'' চার্লি ডেভিস অ্যাগ্রিমেন্ট'' ''Gentleman's Agreement'' ডেভ গোল্ডম্যান ১৯৫১ ''হি র‍্যান আল দ্য ওয়ে'' ''He Ran All the Way'' নিক রোবি অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা ডেমোক্র্যাট বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট ইহুদি অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা মঞ্চ অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:রুশ ইহুদি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি'''ডমরু''' () একটি ছোট আকারের দ্বিমুখী ড্রাম। এই বাদ্যযন্ত্র সাধারনত হিন্দু ধর্ম এবং "তিব্বতীয় বৌদ্ধ ধর্ম"-এ ব্যবহৃত হয়। ডমরুর উৎপত্তি প্রাক-বৈদিক কালে হওয়া বলে জানা যায়। কথিত আছে, এই বাদ্যযন্ত্র মহাদেবের বাদ্য ছিল। ডমরু সর্বপ্রথম তাল-বাদ্য বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন। ডমরুকে '''ডুগডুগি''' বলেও ডাকা হয়। একটা তিব্বতীয় ডমরু ==বিবরণ== ডমরুর অবয়ব কাঠের মাধ্যমে নির্মিত। মুখ দুটি বৃত্তাকার এবং চামড়ায় ঢকা। মুখ দুটির থেকে বাদ্যখনর মাঝের অংশের ব্যাস কম; মাকুর মত। ডমরুর মাঝে, দুধারে দুটি টোপোলা আকৃতির গাঁঠি থাকা দুগাছি সুতো বাঁধা থাকে। ডমরুর গায়ের মধ্যে হাত ধরে ডমরুটি ঘোরালে সেই টোপোলা দুটি ছাল দুটির যথাস্থানে আঘাত করে শব্দ ধ্বনির সৃষ্টি করে। ==ব্যবহার== পুরাকালের ধর্মানুষ্ঠানে এই বাদ্যের ব্যবহার হত। আজকাল কোনো কোনো ধর্মানুষ্ঠানে এই বাদ্য ব্যবহার করা ছাড়াও বিশেষত ভালুক নাচ, বাঁদর নাচ এবং সাপ নাচাতে ডমরু বাজাতে দেখা যায়। বাজীকর মন্ত্রের বাদ্য রূপেও এই বাজনাটি ব্যবহার করে। ==তথ্যসূত্র== ==আরও দেখুন== তিন তাল (তবলা) ==বহিঃসংযোগ== Damaru drum on Damaru works School of Tibetan Healing Chod'''শিলিগুড়ি (বিধানসভা কেন্দ্র)''' ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ==এলাকা== ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ২৬ নং শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি থেকে ৩০ এবং ৪৫ থেকে ৪৭ নং ওয়ার্ডগুলি শিলিগুড়ি পৌরসংস্থার অন্তর্গত। শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি নং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ==বিধানসভার বিধায়ক== নির্বাচনবছর কেন্দ্র বিধায়ক রাজনৈতিক দল ১৯৫১ তেঞ্জিং ওংডি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জর্জ মার্ভেট নির্দল ১৯৫৭ শিলিগুড়ি সত্যেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি তেঞ্জিং ওংডি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৬২| জগদীশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৬৭| অরুণ কুমার মৈত্র ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রেম থাপা অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ অরুণ কুমার মৈত্র ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অরুণ কুমার মৈত্র ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বীরেন বোস ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) বীরেন বোস ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) গৌর চক্রবর্তী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অশোক ভট্টাচার্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অশোক ভট্টাচার্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০১| অশোক ভট্টাচার্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০৬| অশোক ভট্টাচার্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০১১| রুদ্র নাথ ভট্টাচার্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ৩১ থেকে ৪৪ নং ওয়ার্ড শিলিগুড়ি পৌরসংস্থার বিধানসভা কেন্দ্রএর অন্তর্গত। ==২০১৬ নির্বাচন== পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৬, সিপিআই (এম) -এর অশোক ভট্টাচার্য তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের ভাচুং ভুটিয়াকে পরাজিত করেন। ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১১=== পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১১, তৃণমূল কংগ্রেসের রুদ্র নাথ ভট্টাচার্য তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই (এম) -এর অশোক নারায়ণ ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেন। ===২০০৬=== পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন,২০০৬, সিপিআই (এম) -এর অশোক ভট্টাচার্য তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের নান্তু পালকে পরাজিত করেন। ===২০০১=== ২০০১ সালের নির্বাচনে, সিপিআইএমের অশোক ভট্টাচার্য তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশান্ত নন্দীকে পরাজিত করেন। ===১৯৯৬=== ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে, সিপিআইএমের অশোক ভট্টাচার্য নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রশান্ত নন্দীকে পরাজিত করেন। ===১৯৭৭-২০০৬=== ২০০৬ ২০০১ ১৯৯৬ এবং ১৯৯১ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে, সিপিআই (এম) -এর অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন, কংগ্রেসের নান্তু পাল, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশান্ত নন্দী, কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকার এবং কংগ্রেসের প্রশান্ত নন্দীকে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। ১৯৮৭ সালে সিপিআই (এম) -এর গৌর চক্রবর্তী, কংগ্রেসের প্রশান্ত নন্দীকে পরাজিত করেন। ১৯৮২ সালে এবং ১৯৭৭ সালে সিপিআই (এম) -এর বীরেন বোস কংগ্রেসের কৃষ্ণেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী অরুণ কুমার মৈত্র উভয়কে পরাজিত করেন। ===১৯৫১-১৯৭২=== কংগ্রেসের অরুণ কুমার মৈত্র ১৯৭২ এবং ১৯৭১ সালে বিজয়ী হন। ১৯৬৯ সালে আইজিএল-এর প্রেম থাপা জয়ী হন। কংগ্রেসের অরুণ কুমার মৈত্র ১৯৬৭ সালে জয়ী হন। কংগ্রেস জগদীশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ১৯৬২ সালে জয়ী হন। ১৯৫৭ সালে, শিলিগুড়ি কেন্দ্র একটি যৌথ আসন ছিল এবং (এসটি) জন্য সংরক্ষিত ছিল। ১৯৫৭ সালে সিপিআইর সত্যেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার এবং কংগ্রেসের তেঞ্জিং ওংডি জয়ী হন। ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন, যৌথ আসন ছিল। ১৯৫১ সালে কংগ্রেসের তেঞ্জিং ওংডি এবং নির্দলের জর্জ মার্ভেট জয়ী হন। ==তথ্যসূত্র== বিধানসভা কেন্দ্র জেলার রাজনীতি'''ফাঁসিদেওয়া (বিধানসভা কেন্দ্র)''' ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই আসনটি (এসটি) জন্য সংরক্ষিত। ==এলাকা== ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ২৭ নং ফাঁসিদেওয়া (এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রটি ফাঁসিদেওয়া এবং খড়িবাড়ি সিডি ব্লক এর অন্তর্গত। ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রটি নং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ==বিধানসভার বিধায়ক== নির্বাচনবছর কেন্দ্র বিধায়ক রাজনৈতিক দল ১৯৫১ তেঞ্জিং ওয়াংডি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জর্জ মার্ভেট নির্দল ১৯৫৭ শিলিগুড়ি সত্যেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি তেঞ্জিং ওয়াংডি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৬২ ফাঁসিদেওয়া তেঞ্জিং ওয়াংডি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৬৭| তেঞ্জিং ওয়াংডি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ইশ্বর চন্দ্র তিরকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ইশ্বর চন্দ্র তিরকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ইশ্বর চন্দ্র তিরকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পাট্রাস মিঞ্জ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) পাট্রাস মিঞ্জ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) প্রকাশ মিঞ্জ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) প্রকাশ মিঞ্জ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) প্রকাশ মিঞ্জ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০১| প্রকাশ মিঞ্জ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০৬| ছোটন কিসকু ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০১১| সুনিল চন্দ্র তিরকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ==২০১৬ নির্বাচন== পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৬, কংগ্রেসের সুনীল চন্দ্র তিরকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কারোলাস লারকাকে পরাজিত করেন। ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১১=== পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১১, কংগ্রেসের সুনিলচন্দ্র তিরকে তার নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই (এম) -এর ছোটন কিসকুকে পরাজিত করেন। ===১৯৭৭-২০০৬=== ২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই (এম) -এর ছোটন কিসকু ফাঁসিদেওয়া (এসটি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস মমলা কুজুরকে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। ২০০১ সালে সিপিআই (এম) -এর প্রকাশ মিঞ্জ কংগ্রেসের মমলা কুজুরকে পরাজিত করেন। ১৯৯৬ সালে সিপিআই (এম) -এর প্রকাশ মিঞ্জ কংগ্রেসের ছাবিলাল মিঞ্জকে পরাজিত করেন এবং ১৯৯১ এবং ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের ঈশ্বরচন্দ্র তিরকে পরাজিত করেন। ১৯৮২ সালে সিপিআই (এম) -এর পাট্রাস মিঞ্জ ঈশ্বরচন্দ্র তিরকে কে পরাজিত করেন এবং ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের চ্যাকো টোরেস সোরেঙ্গকে পরাজিত করেন। ===১৯৬২-১৯৭২=== ১৯৭২, ১৯৭১ এবং ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের ঈশ্বরচন্দ্র তিরকে জয়ী হন। ১৯৬৭ এবং ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের তেনজিং ওয়াংডি জয়ী হন। এর আগে ফাঁসিদেওয়া আসন বিদ্যমান ছিল না। ১৯৫৭ সালে সিপিআই এর সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার এবং কংগ্রেসের তেনজিং ওয়াংডি শিলিগুড়ি যৌথ আসন জয়লাভ করেন। ==তথ্যসূত্র== বিধানসভা কেন্দ্র জেলার রাজনীতি'''আকরাফ হাকিমি মুহ''' (; জন্ম: নভেম্বর ১৯৯৮), '''আকরাফ''' নামেই অধিক পরিচিত, হলেন স্পেনে জন্মগ্রহণকারী মরক্কোর একজন পেশাদার ফুটবলার, যিনি স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং মরক্কো জাতীয় দলের হয়ে একজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। যদিও তিনি মূলত একজন রাইট ব্যাক, তবুও তিনি মাঝে মাঝে একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিসেবেও খেলে থাকেন। ==আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার== ===জ্যেষ্ঠ=== ২০১৮ সালের ১৭শে মে তারিখে, তিনি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের মরক্কো দলে স্থান পান।. ==কেরিয়ার পরিসংখ্যান== ===ক্লাব=== ক্লাব মৌসুম প্রতিযোগিতা লীগ কাপ মহাদেশীয় অন্যান্য1 মোট উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল উপস্থিতি গোল রিয়াল মাদ্রিদ বি ২০১৬–১৭ সেহুন্দা বিভাগ বি ২৮ ২৮ রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৭–১৮ লা লিগা ১৭ ক্যারিয়ার মোট ৩৭ ৪৫ এখানে স্পেনীয় সুপার কাপ, উয়েফা সুপার কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ অন্তর্ভুক্ত। মরক্কো সাল উপস্থিতি গোল ২০১৬ ২০১৭ ২০১৮ মোট ==সম্মাননা== ;রিয়াল মাদ্রিদ *উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ: ২০১৭–১৮ *ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: ২০১৭ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Real Madrid profile জন্ম ব্যক্তি from Madrid ফুটবলার আন্তর্জাতিক ফুটবলার ফুটবলার people of Moroccan descent footballers দিভিশন ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:লা লিগা খেলোয়াড় Madrid Castilla footballers মাদ্রিদ সি.এফ. খেলোয়াড় ফুলব্যাক ডিফেন্ডার ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়'''আমির আবেদজাদেহ''' (, জন্ম: ২৬ এপ্রিল ১৯৯৪) হলেন একজন ইরানী পেশাদার ফুটবলার, যিনি পর্তুগিজ ক্লাব মারিতিমো এবং ইরান জাতীয় দলের হয়ে একজন গোলরক্ষক হিসেবে খেলেন। তিনি হচ্ছেন সাবেক ইরানী গোলরক্ষক আহমদ রেজা আবেদজাদেহের ছেলে। ==আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার== ===জ্যেষ্ঠ=== ২০১৭ সালের ৫ই নভেম্বর তারিখে, আবেদজাদেহ পানামা এবং ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য সর্বপ্রথম ইরান দলে ডাক পান। ২০১৮ সালের মে মাসে, তিনি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ইরান দলে ডাক পান। ==সম্মাননা== ;পেরসেপোলিস *ইরান প্রো লীগ: ২০১৩–১৪ (রানার-আপ) *হাজফি কাপ: ২০১২–১৩ (রানার-আপ) ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি footballers expatriate footballers expatriates in Portugal from Tehran গোলরক্ষক County SC players বিষয়শ্রেণী:OC Pateadores Blues players F.C. players Tigers F.C. players Marítimo players Development League players Soccer League players soccer players in the United States প্রবাসী ফুটবলার ফিফা বিশ্বকাপের খেলোয়াড়'''উনা কাস্তিয়া চ্যাপলিন''' (স্পেনীয়: Oona Castilla Chaplin; জন্ম: ৪ঠা জুন ১৯৮৬) হলেন একজন স্পেনীয় অভিনেত্রী। তিনি এইচবিও টেলিভিশনের ''গেম অব থ্রোনস'' ধারাবাহিকে তালিসা মাইগার চরিত্রে, এবং ''দ্য ক্রিমসন ফিল্ড'' ''ট্যাবু'' ধারাবাহিকে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। উনা অভিনেত্রী জেরাল্ডিন চ্যাপলিনের কন্যা, চলচ্চিত্র নির্মাতা অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের নাতনী এবং মার্কিন নাট্যকার ইউজিন ওনিলের প্র-পৌত্রী। তার মাতামহী উনা ওনিলের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়। ==প্রারম্ভিক জীবন== উনা কাস্তিয়া চ্যাপলিন ১৯৮৬ সালের ৪ঠা জুন মাদ্রিদে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা জেরাল্ডিন চ্যাপলিন একজন ইঙ্গ-মার্কিন অভিনেত্রী এবং তার পিতা পাত্রিসিও কাস্তিয়া একজন চিলীয় চিত্রগ্রাহক। তার পিতামহী একজন মাপুচে। তার মাতামহী উনা ওনিলের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়। তিনি তার শৈশব কাটান স্পেন, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড কিউবাতে। তার মায়ের চলচ্চিত্রে কাজের সুবাদে তাকে সেসব দেশ ঘুরতে হয়। শৈশব থেকেই তিনি ব্যালে, সালসা ফ্লামেঙ্কো নাচের চর্চা শুরু করেন। উনার শেন নামে এক সৎ ভাই রয়েছে। শেন তার মা স্পেনীয় পরিচালক কার্লোস সরার সন্তান। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর স্পেনীয় অভিনেত্রী বংশোদ্ভূত স্পেনীয় ব্যক্তি বংশোদ্ভূত স্পেনীয় ব্যক্তি বংশোদ্ভূত স্পেনীয় ব্যক্তি পরিবার বংশোদ্ভূত স্পেনীয় ব্যক্তি অভিনেত্রী একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী২০১৭ সালে ভানেসা রেডগ্রেভ। '''ভানেসা রেডগ্রেভ''' সিবিই (ইংরেজি: Vanessa Redgrave; জন্ম: ৩০শে জানুয়ারি ১৯৩৭) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেত্রী রাজনৈতিক কর্মী। তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে একটি একাডেমি পুরস্কার, টেলিভিশন অভিনয়ের জন্য দুটি এমি পুরস্কার এবং মঞ্চে অভিনয়ের জন্য একটি টনি পুরস্কার লাভ করেন। ফলে তিনি অভিনয়ের ত্রিমুকুট বিজয়ী অভিনয়শিল্পীদের একজন। এছাড়া তিনি দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০০৩ সালে তার নাম আমেরিকান থিয়েটার হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ২০১০ সালে তাকে বাফটা ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। ভানেসা অভিনয়শিল্পী পরিবার রেডগ্রেভ পরিবারের একজন। তিনি স্যার মাইকেল রেডগ্রেভ লেডি রেডগ্রেভের (অভিনেত্রী র‍্যাচেল কেম্পসন) কন্যা এবং লিন রেডগ্রেভ করিন রেডগ্রেভের বোন। পরিচালক টনি রিচার্ডসনের প্রাক্তন স্ত্রী এবং নাতাশা রিচার্ডসন জোয়েলি রিচার্ডসনের মাতা, ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেমা রেডগ্রেভের ফুফু এবং অভিনেতা লিয়াম নিসনের শ্বাশুড়ি। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যক্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী শেকসপিয়ারীয় অভিনেত্রী অভিনেত্রী অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী চলচ্চিত্র) বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী টেলিভিশন) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:টনি পুরস্কার বিজয়ী এমি পুরস্কার বিজয়ী ফেলো টিভি অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী বিভাগে ভল্পি কাপ বিজয়ী ডেস্ক পুরস্কার বিজয়ী অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার বিজয়ী অলিভিয়ে পুরস্কার বিজয়ী থিয়েটার হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি'''অ্যালান ওয়ার্ড''' (; জন্ম: ১০ আগস্ট, ১৯৪৭) ডার্বিশায়ারের ড্রোনফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৬ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার, লিচেস্টারশায়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ডারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ডার্বিশায়ারের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পক্ষে খেলেন। ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি তার সময়কালে জন স্নো’র বিকল্প ছিলেন। আঘাতে জর্জড়িত থাকায় স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার অভাবে তিনি তার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == ১৯৬৬ সালে ডার্বিশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে অ্যালান ওয়ার্ডের। ১৯৬৯ সালে ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট গড়ে শীর্ষস্থান আরোহন করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৭০ সালে আন্তর্জাতিক দলের সদস্যরূপে গ্যারি সোবার্স গ্রেইম পোলক সমৃদ্ধ বহিঃবিশ্ব একাদশের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন তিনি। ১৯৭৩ সালে সানডে লীগের খেলায় বোলিং করতে অস্বীকৃতি জানান। ফলশ্রুতিতে, ডার্বিশায়ারের অধিনায়ক ব্রায়ান বোলাস তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন। ১৯৭৬ সালে অখুশীভরা মন নিয়ে কাউন্টি দল ত্যাগ করেন। == টেস্ট ক্রিকেট == ২৪ জুলাই, ১৯৬৯ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে অ্যালান ওয়ার্ডের। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে রে ইলিংওয়ার্থের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। দলটি ওয়ার্ড-স্নো’র উদ্বোধনী বোলিংয়ে আলোকচ্ছটা ছড়ায়। তবে, স্নো একত্রিশ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখেন। অন্যদিকে ওয়ার্ড আবারও আঘাতের কবলে পড়েন। ফলশ্রুতিতে, বব উইলিসকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। দলের বাইরে অবস্থানের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ টেস্ট খেলা ছিল। খেলায় তিনি চার উইকেট দখল করলেও ব্যাট হাতে বাঁধার প্রাচীর গড়ে তুলেন। শেষদিনে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারদের রুখে দিয়ে এক ঘন্টা ব্যাটিং করলেও শূন্য রানে বিদায় নেন। == অবসর == ১৯৭৬ সালে যোগ দেন। কিন্তু দলটিতে কার্যতঃ তিনি তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। ১৯৭৮ সালে নীরবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানান অ্যালান ওয়ার্ড। == ব্যক্তিগত জীবন == ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত অ্যালান ওয়ার্ডের ডেভিড ওয়ার্ড নামীয় এক সন্তান ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করে। তিনিও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার'''থৌবাল জেলা''' (Pron:/ˈθɑʊbɑːl orˈθɑʊbəl/) উত্তর-পূর্ব ভারতে মণিপুর রাজ্যের ষোলটি জেলার মধ্যে অন্যতম। এই জেলা উত্তরে সেনাপতি জেলা,পূর্বে উখরুল চান্ডেল জেলা,দক্ষিণে চূড়াচাঁদপুর বিষ্ণুপুর জেলা এবং পশ্চিমে ইম্পল পূর্ব ইম্ফল পশ্চিম জেলা দ্বারা সীমাবদ্ধ। জেলার আয়তন ৫১৯ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী থৌবালের জনসংখ্যা ৪২২,১৬৮ জন জেলার সদর দপ্তর থৌবাল শহর। ১৮৯১ সালের এপ্রিলে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, মণিপুরের সর্বশেষ স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল থৌবালের খোংজম-এ। == ইতিহাস == ১৯৮৩ সালের মে মাসে, এই জেলাটি অস্তিত্বলাভ করে, যখন পূর্ববর্তী মণিপুর কেন্দ্রীয় (পরে ইম্ফল জেলা) জেলার থৌবাল সাব-ডিভিশন এর সমস্ত প্রশাসনিক ইউনিটের সাথে একটি নতুন জেলা হিসেবে গঠন করা হয়। পরবর্তীতে, ১৯৮৩ সালের নভেম্বর মাসে, থৌবাল জেলাকে কাকচিং ওয়াইখং মহকুমায় বিভক্ত করা হয়, বর্তমানে থৌবালের তিনটি মহকুমা রয়েছেঃ থৌবাল, লিলং এবং কাকচিং। == ভৌগোলিক অবস্থান == মণিপুর উপত্যকার পূর্ব ভাগের বৃহত্তর অংশ দখল করে রয়েছে থৌবাল জেলা। জেলার আকৃতিটি একটি অনিয়মিত ত্রিভূজ যার ভূমিজ বাহুটি উত্তর দিকে। জেলাটি ২৩° ৪৫' ২৪° ৪৫' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯৩° ৪৫' ৯৪° ১৫' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।জেলার গড় উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৭৯০ মিটার। কয়েকটি টিলা এবং নিম্ন উচ্চতার পাহাড়ের দ্বারা জেলাটিকে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে, পুনম পাহাড় সমুদ্র পৃষ্ঠের থেকে ১০০৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। === নদী হ্রদ === ইম্ফল এবং থৌবাল হল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নদী যা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। থৌবাল নদী উখরুলের পাহাড়ী অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং ইম্ফল নদীর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনদ।।এটি মায়াং ইম্ফলের কাছে ইরোং ইম্ফলের সাথে যোগদানের পূর্বে ইয়াছিপোক থৌবালের মধ্য দিয়ে যায়। ইম্ফল নদী সেনাপতি জেলার পাহাড়ে উতপন্ন হয়ে, দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। এটি থৌবাল জেলার উত্তর এবং পশ্চিম সীমানা গঠন করে। জেলার অন্যান্য নদীগুলি হল ওয়াংজিং, আওং এবং সেকমাই। এই নদীগুলি উখরুল জেলার পাহাড়ে উৎপন্ন হয়। খাঙ্গাবোকের মধ্য দিয়ে আরং নদী প্রবাহিত হয় এবং খারুংপাতের মোহনায় মিশে যায়।অন্যদিকে লৌসিপাতের মোহনায় মিলিত হওয়ার পূর্বে,ওয়াংজিং নদী পশ্চিমে হেইরোক ওয়াংজিংয়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। File:Thoubal ছোট ছোট পাহাড় মধ্যে, Thoubal জেলার অংশটি লোকতাক লেকের অঞ্চলের একটি অংশ এবং এই এলাকায় বেশ কয়েকটি অগভীর এবং বৃষ্টিতে সৃষ্ট হ্রদ রয়েছে, যাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হ্রদগুলি হচ্ছে খাড়ুং, ইকোপ, পামলেন, লাউসি নংংংও। জেলার উত্তরের অংশে ওয়াইথু লেক গঠিত হয় যা পশ্চিমে ওয়াইথু পাহাড়ের মধ্যে এবং পূর্বের গ্রাম ধান ক্ষেত্রের মধ্যে সংগ্রহ করা নিষ্কাশনী জলের দ্বারা গঠিত। File:The Loktak Lake.jpg|মাছ ধরার লোকটাক লেক File:Pumlen Lake 201312 1.jpg|Pumlen লেক === জলবায়ু === তুলনামূলকভাবে প্রচুর এবং ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সাথে জেলার একটি মধ্যম জলবায়ু রয়েছে। বর্ষাকালন জুন মাসে শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকে। আংশিক বৃষ্টিপাত অক্টোবর পর্যন্ত চলতে থাকে।ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে শীতকাল। শীতকালে হালকা বৃষ্টিপাত ঘটে উত্তরপূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে।শীতের সময় গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪-৬°সি হয় কখনও কখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচেও চলে যায়। এপ্রিল মে এখানে গ্রীষ্ম ঋতু যখন গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২-৩৫ °সি, কখনো কখনো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭°সি কাছাকাছি যায়। অনিয়মিত ঝড়বৃষ্টি ঘটতে থাকে এই মাসে। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৮৩.৮৯ মিলিমিটার। == অর্থনীতি == File:Green paddy field.jpg|সবুজ ধান ক্ষেত্র, Thoubal জেলা মণিপুরের এই জেলায়, কৃষি জীবিকার জন্য, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। জেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় 70 শতাংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষি কার্যক্রমের সাথে জড়িত।উর্বর উপত্যকা এবং থৌবাল জেলার ভূসংস্থান প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম সেচের জন্য ভাল সুযোগ প্রদান করে। চাষের আওতাভুক্ত মোট ভূমি এলাকার ৯০ শতাংশের বেশি অঞ্চলে ধানচাষ হয়। জেলার মাটি উর্বর এবং ইম্ফল বাঁধ থেকে সেচ সুবিধাগুলির সাহায্যে দোফসলী চাষ জেলায় ব্যাপকভাবে চর্চা করা হয়। কয়েকটি অঞ্চলে এমনকি তিন-ফসলী চাষের প্রচলনও রয়েছে- প্রথম ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে বা মার্চের প্রথমার্ধে ধান ফসল, জুলাই মাসে আগস্টের শুরুতে দ্বিতীয় ধান ফসল এবং নভেম্বর মাসে সরিষার বীজ, ডাল ইত্যাদির তৃতীয় ফসল। থৌবাল জেলায় উতপাদিত অন্যান্য ফসল আখ, তৈলবীজ, ভুট্টা, আলু, ডাল, মরিচ ইত্যাদি। মণিপুরের বৃহত্তম আখ উতপাদক হল এই জেলা। এর চাষ মূলত থৌবাল, ওয়াংজিং, কাকচিং, কাকচিং খুনোউ এবং ওয়াবাগাইতে সীমিত। যদিও সারা জেলাতেই ভুট্টা চাষ হয়, তবে সেরাউ, প্যালেল এবং কাকচিং বেল্টের প্রধান ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ করা হয়।তৈলবীজ, প্রধানত সরিষা বীজ, সব জেলা জুড়ে পাওয়া যায়।সম্প্রতি সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সব্জি যেমন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বিভিন্ন ধরনের মটরশুঁটি, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি চাষ করা হয়। উদ্ভিজ ফসলের মধ্যে, আনারস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং নিম্ন পাহাড় পাহাড়ের ঢালগুলিতে চাষ করা হয় যা প্রধানত ওয়াইনউইউ পাহাড় পরিসরে এবং শারম পাহাড়ে চাষ করা হয়। থৌবাল জেলা্র অর্থনীতির অন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র পশুপালন। থৌবাল জেলায় পালিত গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীসমূহ হলো গরু, মোষ, ছাগল, ঘোড়া প্যানি, শূকর, কুকুর ইত্যাদি। দুগ্ধ উৎপাদন, গবাদি পশুর ভাল প্রজাতির প্রজনন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। সম্প্রতি একটি দুগ্ধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান খাঙ্গাবক খুলতে পরিকল্পনা করা হয়। খুনবাওকে ট্যুলে মণিপুর জুড়েই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে, (শেন্নেপল্টকাস অচুতাস) স্থানীয়ভাবে কৌঁচা নামেও পরিচিত। হস্তশিল্পেও কুনকা ব্যবহার করা হয়। কৌনটি আসনবিন্যাস মাদুর (ফক), মোড়া, চেয়ার, গদি এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারুশিল্পের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া জেলার অর্থনীতিতে মৎস্যচাষের-ও অবদান রয়েছে।জেলার প্রচুর সংখ্যক মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা প্রদান করে মাছধরা। মাছধরা সাধারণত টেন্থা, লেইশেংথেম, ওয়াবগাই, খাইগাবক, কাকিং-খুনো এবং ওয়াংগু গ্রামে প্রচলিত হয়। === পর্যটন === ===খোংজম=== এটি থৌবালের জেলা সদর দফতর (ইম্ফল থেকে 32 কিলোমিটার) দক্ষিণে 10 কি.মি. উপরে অবস্থিত। এটিই সেই জায়গা যেখানে মণিপুরী ব্রিটিশ সৈন্যদের মধ্যে মণিপুরের স্বাধীনতার শেষ যুদ্ধের লড়াই হয়েছিল। খংজোম যুদ্ধ স্মারক পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে এবং খেবা পাহাড়ের উপরে পাওনা ব্রজবাসীর মূর্তিটি নির্মিত হয়েছে। প্রতি বছর ২৩শে এপ্রিল খোংজম দিবস পালিত হয়। ===সুগ্নু=== থৌবাল থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে, চারটি জেলা থৌবাল, বিষ্ণুপুর জেলা, চূড়াচাঁদপুর চাঁদলের সংযোগস্থলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। এটি থেকে ইম্ফল নদীর খুব সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। এটি ইম্ফল-সুগুনু রাজ্য মহাসড়কে অবস্থিত। সুন্নাউর কাছাকাছি সেরু মন্দিরটি মণিপুরের বিখ্যাত তীর্থস্থান গুলির মধ্যে একটি। ===ওয়েথাউ=== জায়গাটি তার সুন্দর সৌন্দর্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েথাউ হ্রদকে কেন্দ্র করে পাহাড়-পার্শ্বে একটি পরিদর্শন বাংলো আছে। জায়গাটি এর সুস্বাদু আনারসের জন্য সুপরিচিত। এই স্থানে 'নেভন' নামে পরিচিত একরকম স্থানীয় মাছ পাওয়া যায়, যা অত্যন্ত সুস্বাদু। File:Waithou লেক ===কাকচিং=== এটি কাকচিং উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় সদর দপ্তর এবং জেলা শহরের সবচেয়ে বড় শহর থৌবালের পাশে বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ এবং চালের বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র। এই জায়গাটি ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে সহজেই পাওয়া যায় এবং অন্যান্য রাজ্য মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত। কাকচিং ইকো-পার্ক কাকচিং পাহাড়ের উপরে নির্মিত একটি সুন্দর পার্ক। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, থৌবালের জনসংখ্যা, ৪২২,১৬৮ জন, যা প্রায় মাল্টা রাষ্ট্রের সমান। এটি ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ৫৫৫ তম স্থান অধিকার করে জনসংখ্যার বিচারে জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ।২০০১-২০১১ দশকে, জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হার ছিল ১৫.৪৮%. জেলার লিঙ্গ অনুপাত ১০০৬ জন মহিলা প্রতি ১০০০ পুরুষে এবং এর সাক্ষরতার হার ৭৬.৬৬%. == পরিবহণ == এই জেলায় পরিবহন ব্যাবস্থা ভাল। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর গ্রামগুলি জেলা সদর এবং অন্যান্য উপ-বিভাগীয় সদর দফতরের সাথে ভালভাবে যুক্ত। থৌবাল থেকে ্কাকচিং এবং অন্যান্য জায়গাগুলিতে নিয়মিত ট্যাক্সি চলে। === সড়ক === যেহেতু এশীয় মহাসড়ক এএইচ -১ জেলার মধ্য দিয়ে যায়, এই জেলার রাস্তা সংযোগ ভাল। এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি এই মহাসড়কের সাথে যুক্ত। এই জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মহাসড়কগুলি মায়াই-লম্বি সড়ক, সড়ক এবং ইম্ফল ইয়াওরিপোক সড়ক ইত্যাদি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জেলা সড়কগুলি ইম্ফল সড়ক, সেকমাই রাস্তা, ওয়াংজিং-হেরোক -মাকি সড়ক, সড়ক, রাস্তা, কাকিং-মাচী সড়ক, পল্লেল-চাঁদল সড়ক, সড়ক, রোড ইত্যাদি। == শিক্ষা == থৌবাল কলেজ == স্বাস্থ্য == File:District == প্রশাসনিক বিভাগ == জেলাটিতে দুটি মহকুমা রয়েছেঃ থৌবাল লিলং জেলাটিতে ১০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে; কেন্দ্রগুলি হল: লিলং, থৌবাল, ওয়াংখেম, হেরোক, খাগাওবক, ওয়াগাগাই, কাকিং, হিয়াংগল সুগুনু। থৌবাল এবং কাকচিং নগর নগরগুলি এবং লিলং, ওয়াংজিং, ইয়াছিপোক, ওয়াইখং, হিয়াংলম এবং সুগুনু হল অবিভক্ত জেলার অন্য ছোট শহর। === থৌবাল জেলা্র গুরুত্বপূর্ণ অফিস === উপ-কমিশনার অফিস, Thoubal Athokpam জেলা সড়ক পরিবহন অফিস, Thoubal Athokpam মিনি সচিবালয় কমপ্লেক্স, Thoubal Athokpam জেলা হাসপাতালে Khangabok টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বিএসএনএল Khangabok জেলা মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র Khangabok জেলা সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ সদর দপ্তর Khangabok জেলা সিভিল কোর্ট Khangabok জেলা ধান গবেষণা কেন্দ্র Khangabok জেলা রেশম গবেষণা কেন্দ্র Khangabok ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া Khangabok আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস, Thoubal গণপূর্ত বিভাগের Thoubal জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, Thoubal বিএসএনএল অফিসে Kakching LIC অফিস Kakching === ব্যাংক, Thoubal জেলা === এসবিআই Thoubal Athokpam. এসবিআই Kakching ইউনাইটেড ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া -Thoubal ইউনাইটেড ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া Kakching ভারতীয় বিদেশী ব্যাংক Thoubal HDFC ব্যাংক, Thoubal Athokpam. আইসিআইসিআই ব্যাংকের কাছাকাছি, ডিসি অফিস, Thoubal Athokpam. MSCD ব্যাংক, Thoubal BOI Thoubal Achouba == ক্রীড়া স্থল == Thoubal জেলা টেবিল টেনিস ইন্ডোর স্টেডিয়াম, Thoubal বসু স্থল Khangabok Kodompokpi ফুটবল স্টেডিয়াম Wangjing DSA স্থল Kakching == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক লিঙ্ক == Thoubal জেলা ওয়েবসাইট জেলা সংখ্যালঘু ঘনীভূত জেলা'''জাহ্নবী কাপুর''' (জন্ম মার্চ ১৯৯৭) হলেন একজন ভারতীয় বলিউড চলচ্চিত্রের উদীয়মান অভিনেত্রী। তিনি ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রীদেবীর কন্যা। হিন্দি চলচ্চিত্র "ধড়ক" দিয়ে তার বলিউডে অভিষেক হয়। ==জীবনের প্রথমার্ধ== ==কর্মজীবন== ২০১৮ সালে ''ধড়ক'' চলচ্চিত্র দিয়ে জাহ্নবীর বলিউডে অভিষেক হয়। ছবিটি নাগরাজ মঞ্জুলের মারাঠি ভাষার ''সৈরাট'' ছবির হিন্দি পুনর্নির্মাণ। প্রথম ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন আরেক নবাগত ঈশান খট্টর। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== ফিল্ম বা শো যা এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা নোট ২০১৮ ''ধড়ক'' পার্থভী সিং রাঠোর সেরা মহিলা আত্মপ্রকাশ জন্য জি সিনে পুরষ্কার ২০২০ ''গুঞ্জন সাক্সেনা'' গুঞ্জন সাক্সেনা উৎপাদন পরবর্তি ২০২০ ''রুহি আফজা'' রুহি অরোরা আফসানা বেদী উৎপাদন পরবর্তি ২০২০ ''ঘোস্ট স্টোরিজ'' ঘোষণা করা হবে নেটফ্লিক্স সংহিতা ফিল্ম; জোয়া আখতার এর সেগমেন্ট< == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== বলিউড হাঙ্গামা তে জাহ্নবী কাপুর ব্যক্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জন্ম ব্যক্তি ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর অভিনেত্রী'''বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থট''' (বিআইআইটি) বাংলাদেশে অবস্থিত একটি গবেষণা ভিত্তিক চিন্তাধারা প্রতিষ্ঠান, যা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থটে নিবন্ধিত। বিআইআইটি গভীরতম শিক্ষার জন্য সংশ্লেষিত শিক্ষা, সংস্কৃতি নৈতিকতা গবেষণার সাথে জরিত। এটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে এটি বেসরকারি সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। == নেতৃত্ব == বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী শাহ আব্দুল হান্নান এর সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি বিআইআইটি ট্রাস্টের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। == অবস্থান সেবা == প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী কুষ্টিয়ায় বিভাগীয় কার্যালয় আছে। বিআইআইটির একটি সমৃদ্ধ লাইব্রিরী রয়েছে। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== রকমারি.কমে বই কিনুন বিআইআইটি ওয়েবসাইট ভিত্তিক ইসলামী সংগঠন'''দাভিদ দি দোনাতেল্লো''' (বাংলায়: দোনাতেল্লোর দাভিদ) হল ''লাক্কাদেমিয়া দেল সিনেমা ইতালিয়ানো'' (ইতালীয় চলচ্চিত্র একাডেমি) কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক চলচ্চিত্র পুরস্কার। ইতালীয় ভাস্কর দোনাতেল্লোর দাভিদ মূর্তির নামানুসারে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়। ১৯৫৬ সাল থেকে ইতালীয় এবং বিদেশি চলচ্চিত্রের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে ২২টি বিভাগে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটি একাডেমি পুরস্কার বা অস্কারের সমতুল্য। ==ইতিহাস== একাডেমি পুরস্কারের মানদণ্ড অনুসরণ করে ১৯৫৫ সালে দাভিদ দি দোনাতেল্লো প্রবর্তিত হয়, ১৯৫৬ সালের ৫ই জুলাই রোমে প্রথমবার এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সভাপতি শুরু সমাপ্ত টীকা ইতালো জেমিনি ১৯৫৫ ১৯৭০ এইতেল মোনাকো ১৯৭১ ১৯৭৭ পাওলো গ্রাস্‌সি ১৯৭৮ ১৯৮০ জিয়ান লুইজি রোন্দি ১৯৮১ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৫ নভেম্বর ২০০৯ থেকে আজীবন সভাপতি জুলিয়ানো মনতান্দো নভেম্বর ২০১৬ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ নভেম্বর ২০১৬ থেকে সভাপতি পিয়েরা দেতাস্‌সিস জানুয়ারি ২০১৮ পদ সৃষ্টি ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে নির্বাচিত সভাপতি শিল্প নির্দেশক ==পুরস্কারের বিভাগ== শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ পরিচালনা শ্রেষ্ঠ নবাগত পরিচালক শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য শ্রেষ্ঠ প্রযোজক শ্রেষ্ঠ অভিনেতা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রহণ শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল ইফেক্টস শ্রেষ্ঠ সুর শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান শ্রেষ্ঠ সেট নকশা শ্রেষ্ঠ পোশাক শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জা শ্রেষ্ঠ চুলবিন্যাস শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র দাভিদ জোভানি পুরস্কার ==রহিতকরণ করা পুরস্কার== শ্রেষ্ঠ বিদেশি পরিচালক শ্রেষ্ঠ বিদেশি অভিনেতা শ্রেষ্ঠ বিদেশি অভিনেত্রী শ্রেষ্ঠ ইউরোপীয় চলচ্চিত্র ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইতালীয়) প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি) চলচ্চিত্র পুরস্কার চলচ্চিত্র পুরস্কার'''এ কে এম মাইদুল ইসলাম''' (জন্ম: ২৯ মে, ১৯৪৩ মৃত্যু: ১০ মে, ২০১৮) বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ==জন্ম শিক্ষাজীবন== ১৯৪৩ সালের ২৯ মে একেএম মাইদুল ইসলাম মুকুল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আবুল কাসেম ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার। তিনি পাকিস্তানের সারগোদা বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। ==কর্মজীবন== শিক্ষাজীবন শেষে তার পারিবারিক ব্যবসা ‘কাসেম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে’ যোগ দেন। পেশায় ব্যবসায়ী কে এম মাইদুল ইসলাম রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ২০০৮ ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ছাড়া তিনি দুই বার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ==মৃত্যু== তিনি ১০ মে ২০১৮ সালে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ==তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু পার্টির রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:নবম জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:দশম জাতীয় সংসদ সদস্য'''কোচাশহর ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা হতে ৫.৫ কিলোমিটার পূর্বে ইউনিয়নটি অবস্থিত। কোচাশহর ইউনিয়ন কুটির শিল্পে উন্নত। এখানে ১৯৬০-এর দশক থেকে সুয়েটার, মুজা, মাফলার ইত্যাদি তৈরি হয়ে আসছে। ==ইতিহাস== ==প্রশাসনিক এলাকা== ==জনসংখ্যার উপাত্ত== ==স্বাস্থ্য== ==শিক্ষা == ==কৃষি== ==অর্থনীতি== ==কৃতি ব্যক্তিত্ব == ==দর্শনীয় স্থান== ==বিবিধ == ==আরও দেখুন== ==বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন জেলার ইউনিয়ন বিভাগের ইউনিয়ন'''তাহজীব আলম সিদ্দিকী''' (জন্ম: ২৩ জুলাই ১৯৭৫) বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ==জন্ম শিক্ষাজীবন== তাহজীব আলম সিদ্দিকীর পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর উ: পাড়া এলাকায়। তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ==কর্মজীবন== পেশার ব্যবসায়ী তাহজীব আলম সিদ্দিকী রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ==তথ্যসূত্র == ==বহি:সংযোগ== ১০ম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের তালিকা জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:দশম জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য'''জর্জ এডওয়ার্ড চ্যালেঞ্জার''' (ইংরেজি: George Edward Challenger) হচ্ছেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েল রচিত একটি ফ্যান্টাসি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী সিরিজের গল্পসমূহের প্রধান কাল্পনিক চরিত্র। কোনান ডয়েলের বিশ্লেষণধর্মী চরিত্র শার্লক হোমসের সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী চরিত্র প্রফেসর চ্যালেঞ্জার হলেন আক্রমণাত্মক, উগ্র স্বভাবের, কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকারী ব্যক্তিত্ব। শার্লক হোমসের মতো প্রফেসর চ্যালেঞ্জার চরিত্রটিও বাস্তব মানুষদের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে— এক্ষেত্রে কোনান ডয়েলের বন্ধু পার্সি ফউসেট নামের একজন অনুসন্ধানকারী এবং উইলিয়াম রাদারফোর্ড নামের একজন শারীরতত্ত্বের অধ্যাপক, যিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনান ডয়েলের চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়নকালীন সময়ে লেকচার দিতেন। == তথ্যসূত্র == Martin Booth, The Doctor, the Detective and Arthur Conan Doyle, 1997, London: Hodder Stoughton: Daniel Stashower, Teller of Tales: The Life of Arthur Conan Doyle, 1999, New York: Henry Holt and Company: == বহিঃসংযোগ == "The Complete Professor Challenger" "দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড" "দ্য পয়জন বেল্ট" "দ্য ল্যান্ড অব মিস্ট" "দ্য ডিসইনটিগ্রেশন মেশিন" "When the World Screamed" চরিত্র'''অ্যার্পিন হোভেনেসিয়ান''' (; জন্ম ডিসেম্বর ১৯৮৩, একজন আর্মেনিয়ার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, প্রাক্তন মন্ত্রি আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রের এবং বর্তমানে ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পরিষদের। তিনি এছাড়াও আর্মেনিয়ার প্রথম নারী যিনি ন্যায়বিচার মন্ত্রী পদে নিযুক্ত ছিলেন। == প্রাথমিক জীবন == অ্যার্পিন হোভেনেসিয়ান ডিসেম্বর ১৯৮৩ ইয়েরেভান, আর্মেনিয়ান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে জন্মগ্রহণ করেন। == শিক্ষা == ২০০০-২০০৪ "ইয়েরেভান স্টেট ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অব ল" থেকে স্নাতক। ২০০৪-২০০৬ -ইয়েরেভান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ল" থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৬-২০০৯ ইয়েরেভান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ল" থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং আইন বিজ্ঞানের প্রার্থী। == কর্মজীবন == ২০০৩-২০০৬ আর্মিনিয়া প্রজাতন্ত্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের স্টাফের বিচারিক সংস্কার বিভাগের ক্রমিক এক্সিকিউটিভ সার্ভিসের সংস্কারের বিভাগের প্রথম শ্রেণীর একজন বিশেষজ্ঞ। ২০০৬-২০০৭ নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ। ২০০৭ ইয়েরেভান স্টেট ইউনিভার্সিটির সিভিল ডিপার্টমেন্টের লেকচারার। ২০০৭-২০০৮ আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের স্টাফ লিগ্যাল অ্যাক্টেস বিভাগের উপ প্রধান। মে ১৯, ২০০৮ সেপ্টেম্বর ৩০, ২০০৮ আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির চীফ অফ স্টাফের সহকারী। ২০০৮-২০১১ জাতীয় পরিষদের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা। মে, ২০১২ রিপাবলিকান পার্টি অফ আর্মেনিয়া থেকে আনুপাতিক নির্বাচনী পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত উপসচিব। সেপ্টেম্বর, ২০১৫ আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রপতি সার্জ সার্জসন একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করে অ্যার্পিন হোভেনেসিয়ানকে ন্যায়বিচারের মন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন। এপ্রিল ২, ২০১৭- জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি অফ আর্মেনিয়া থেকে জাতীয় পরিষদের একজন ডেপুটি পদে নির্বাচিত হন। মে ১৯, ২০১৭ আরএ জাতীয় পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। ৭৩ জন সংসদ সদস্য অ্যার্পিন হোভেনেসিয়ানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এবং ২২ জন বিপক্ষে। ১০০ জন সংসদ সদস্য ভোটে দানে অংশ নেন, যার মধ্যে টি ভোট অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। == ব্যক্তিগত জীবন == অ্যার্পিন হোভেনেসিয়ান অবিবাহিত। তিনি আর্মেনিয়ার রাজনীতিতে আরো বেশি করে নারীকে জড়িত করার সমর্থক এবং আর্মেনিয়াতে অপেক্ষাকৃত ভাবে কম সংখ্যক মহিলা প্রতিনিধির আইনি বৈষম্যের কারণে নয়, তবে নারীর মনোবিজ্ঞানের জন্য। == সমালোচকরা == পূর্বে কারাবাসকৃত নাগরিক আর্থার সার্জসনের মৃত্যুর জন্য তাকে সমালোচনা করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের, ১৭ মার্চে, ইয়ারভেনের একটি বিক্ষোভের অংশগ্রহণকারীরা বিচারপতি হোভেনেসিয়ানের বিচার নিয়ে দাবি জানায় পাশাপাশি সকল তদন্তকারীদের বিচার চায় যারা সার্জসেনকে আটক রাখার আদেশ দেয়, যা পরোক্ষভাবে আর্থার সার্জসনের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। == তথ্যসূত্র == জন্মহচ্ছে ৩৫ থেকে ৩২ লক্ষ বছরের পুরাতন একটি (প্লায়োসিন) হোমিনিন প্রজাতি। যার জীবাশ্ম ১৯৯৯ সালে মীভ লিকের নের্তৃত্বে কেনিয়ার তুর্কানা হ্রদের পশ্চিম পারে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কেও কেও একে প্রজাতি প্লাটিওপস''''' বলে সংজ্ঞায়িত করেছে কেওবা একে আফারেন্সিস'' প্রজাতিরই অংশ বলে উল্লেখ করেছে। তবে লিকি (২০০১) এই জীবাশ্মকে একটি নতুন হোমিনিন প্রজাতি এবং গণ বলে প্রস্তাব করেন। ২০১৫ সালে লোমেকুইতে প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় আবিষ্কারের পর গবেষকরা বুঝতে পারেন প্ল্যাটিওপ্স্'' পাথর দিয়ে দ্রব্যাদি তৈরীতে সক্ষম ছিল। যা থেকে বুঝা যায়, এই প্রজাতি এযাবৎকালের হোমিনিন প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন প্রজাতি যারা পাথরের সামগ্রী ব্যবহার করতে পারত। ==নামকরণ এবং বর্ণনা== প্ল্যাটিওপ্স্'' প্রজাতির গণ নামকরণ করা হয়েছে, কারণ জীবাশ্মটি কেনিয়াতে পাওয়া গিয়েছে। আর জীবাশ্মের খুলির মুখ চ্যাপ্টা হওয়ায় প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে। এখানে ''প্ল্যাটাস'' শব্দটি এসেছে গ্রিক থেকে যার অর্থ "চ্যাপ্টা" এবং অপর গ্রিক শব্দ ''অপসিস'' অর্থ "দেখতে যেমন"। তাই প্রজাতির নামকরণের ভাষাগত প্রকৃত অর্থ দাঁড়ায় "কেনিয়ার চ্যাপ্টামুখো মানব"। প্রাপ্ত জীবাশ্ম থেকে অনুমান করা হয়, ''অঃ আফারেন্সিস'' এর বিকাশকালে প্রজাতিতে এতদিন ধরে যা ভাবা হত; তার চেয়ে বেশি বৈচিত্র্য ছিল। সেই দুরবর্তী একই সময়ে হোমিনিনের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির সদস্যরা বসবাস করত। তারা কেমন পরিবেশে থাকত, এটা নিয়ে বিভিন্ন ধারণা প্রস্তাব করা হয়েছে। সেসময়কার পরিবেশ, সেসময়ে অন্যান্য প্রাণীদের চলাফেরা তার উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হয়, এই প্রজাতি তৃনভুমি এবং জঙ্গল উভয় এলাকায় বাস করত। এই স্বভাব তার নিকটাত্মীয় ''অঃ আফারেন্সিস'' থেকে ভিন্ন। ল্যায়েটোলি, তানজানিয়া, এবং ইথিওপিয়ার হাদারে প্রাপ্ত জীবাশ্ম থেকে অনুমান করা হয়েছে, ''অঃ আফারেন্সিস'' গাছে গাছে চড়ে বেশিরভাগ সময় কাটাত। == তথ্যসুত্র== ==বহিঃস্থ সংযোগ== The flat faced man of Kenya (Nature) BBC Science article about importance of Kenyanthropus Platyops picture of at the American Museum of Natural History Human Timeline (Interactive) Smithsonian, National Museum of Natural History (August 2016). primates taxa described in 2001 কেনিয়া mammals of Africaদক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল দুইটি টেস্ট ক্রিকেট, পাঁচটি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং একমাত্র টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা সফর করে, যা জুলাই থেকে আগস্ট ২০১৮-এ অনুষ্ঠিত হয়। ==দলীয় সদস্য== টেস্ট ওডিআই টি২০আই দিনেশ চান্ডিমাল (অধিঃ) সুরঙ্গা লাকমল (অধিঃ) আকিলা ধনঞ্জয় ধনঞ্জয় ডি সিলভা নিরোশন ডিকওয়েলা (উইঃ) দানুষ্কা গুণতিলকা রঙ্গনা হেরাথ দিমুথ করুনারত্নে লাহিরু কুমারা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস কুশল মেন্ডিস দিলরুয়ান পেরেরা কুশল পেরেরা কাসুন রাজিথা লক্ষ্মণ সন্দাকান রোশেন সিলভা ফাফ দু প্লেসিস (অধিঃ) হাশিম আমলা তেম্বা বাভুমা কুইন্টন ডি কক (উইঃ) থিওনিস ডি ব্রায়েন ডিন এলগার হেনরিক ক্লাসেন কেশব মহারাজ এইডেন মার্করাম লুঙ্গি এনগিডি ভার্নন ফিল্যান্ডার কাগিসো রাবাদা তাব্রাইজ শামসী ডেল স্টেইন শন ফন বার্গ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অধিঃ) আকিলা ধনঞ্জয় ধনঞ্জয় ডি সিলভা নিরোশন ডিকওয়েলা (উইঃ) প্রবাথ জয়াসুরিয়া শিহান জয়াসুরিয়া লাহিরু কুমারা সুরঙ্গা লাকমল কুশল মেন্ডিস কুশল পেরেরা থিসারা পেরেরা কাসুন রাজিথা সুরঙ্গা লাকমল লক্ষ্মণ সন্দাকান দাসুন শানাকা উপুল থারাঙ্গা ফাফ দু প্লেসিস (অধিঃ) হাশিম আমলা জুনিয়র দালা কুইন্টন ডি কক (উইঃ) জেপি ডুমিনি রিজা হেনড্রিক্স হেনরিক ক্লাসেন কেশব মহারাজ এইডেন মার্করাম ডেভিড মিলার উইয়ান মুল্ডার লুঙ্গি এনগিডি অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইও কাগিসো রাবাদা তাব্রাইজ শামসী অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অধিঃ) দিনেশ চান্ডিমাল (উইঃ) আকিলা ধনঞ্জয় ধনঞ্জয় ডি সিলভা বিনুরা ফার্নান্দো শিহান জয়াসুরিয়া লাহিরু কুমারা শিহান মাদুশঙ্কা কুশল মেন্ডিস কুশল পেরেরা কাসুন রাজিথা থিসারা পেরেরা লক্ষ্মণ সন্দাকান দাসুন শানাকা উপুল থারাঙ্গা ইসুরু উদানা জেফ্রি ভ্যান্ডারসে জেপি ডুমিনি (অধিঃ) হাশিম আমলা জুনিয়র দালা কুইন্টন ডি কক (উইঃ) রিজা হেনড্রিক্স হেনরিক ক্লাসেন কেশব মহারাজ এইডেন মার্করাম ডেভিড মিলার উইয়ান মুল্ডার লুঙ্গি এনগিডি অ্যান্ডিল ফেহলাকওয়াইও কাগিসো রাবাদা তাব্রাইজ শামসী ওডিআই সিরিজের জন্য স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় হিসেবে শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারত্নে, নিশান পিরিস, ইসুরু উদানা এবং জেফ্রি ভ্যান্ডারসে নামকরণ করা হয়েছে। ==প্রস্তুতিমূলক খেলা== ===দুই দিনের ম্যাচ: শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা=== ===একদিনের ম্যাচ: শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা=== ==টেস্ট সিরিজ== ===১ম টেস্ট=== ===২য় টেস্ট=== ==ওডিআই সিরিজ== ===১ম ওডিআই=== ===২য় ওডিআই=== ===৩য় ওডিআই=== ===৪র্থ ওডিআই=== ===৫ম ওডিআই=== ==টি২০আই সিরিজ== ===একমাত্র টি২০আই=== ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আফ্রিকা ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর'''লিয়নি উদ্যান''' (''Lioni Aygi'')), '''তোখমাখ''' () হিসাবে পরিচিত, একটি সর্বসাধারণের জন্য উদ্যান, আর্মেনিয়ার রাজধানি ইয়েরেভানে অবস্থিত। এটি রাজধানী শহরের পূর্ব ইরিবুনী জেলা এর ১৭ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। উদ্যানটি তে একটি কৃত্রিম হ্রদ, আছে যার নাম 'ভার্দারি', যার আচ্ছাদন হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ২০১০-২০১১ সালে, উদ্যান সম্পূর্ণরূপে লিওন সিটি কাউন্সিলের সরাসরি সহায়তা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করা হয়। ২০১১ সালের, জুলাই মাসে, লিওন শহরের মেয়র, জেরার্ড কালাম এবং ইয়েরেভানের মেয়র কারেন কারাপেতহানের উপস্থিতিতে এটি পুনরায় চালু করা হয়েছিল। দুই শহরগুলির মধ্যে অংশীদারিত্বের প্রতীক হিসাবে লিওন শহরের নামে এই উদ্যানকে পুনরায় নামকরণ করা হয়। == ভার্দারি হ্রদ == অষ্টম শতাব্দী বি.সি তে উরারতুর রাজা আরগিশ্তি সময়কালে কৃত্রিম হ্রদের উত্স খুজে পাওয়া যায়। ১৫৭৮ সালে, ইয়েরেভানের তুর্কি শাসক মাহমেট খান তোখমাখের কর্তৃক হ্রদটি পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং তখন থেকে এটি "তোখমাখ হ্রদ" নামে পরিচিত ছিল। সোভিয়েত সময়কালে হ্রদের নামকরণ করা হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির যুবদলের নামে। ২০০০ সাল থেকে, হ্রদ বর্তমান নামে পরিচিত। ==অ্যালবাম== ইয়েরেভানের লিয়নি উদ্যানে ভার্দারি হ্রদ File:Lyon park, the প্রধান প্রবেশদ্বার File:Lyon Park, উদ্যান File:Vardavar lake, File:Vardavar lake1, হ্রদ == তথ্যসূত্র == উদ্যান'''২০১৮ জিম্বাবুয়ে ত্রি-দেশীয় সিরিজ''' একটি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা যেটি ২০১৮ সালের থেকে জুলাই জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান জিম্বাবুয়ের মধ্যকার একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ ছিল। ==দলীয় সদস্য== অ্যারন ফিঞ্চ (অধিঃ) অ্যালেক্স কেরি (সহ অধিঃ, উইঃ) অ্যাস্টন অ্যাগার ট্রাভিস হেড নিক ম্যাডিনসন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝাই রিচার্ডসন কেন রিচার্ডসন ডার্সি শর্ট বিলি স্ট্যানলকে মার্কাস স্টইনিস মিচেল সুইপসন অ্যান্ড্রু টাই জ্যাক উইল্ডারমথ সরফরাজ আহমেদ (অধিঃ, উইঃ) শাহীন আফ্রিদি আসিফ আলী হাসান আলী মোহাম্মাদ আমির ফাহিম আশরাফ শাহিবজাদা ফারহান মোহাম্মদ হাফিজ শাদাব খান উসমান শিনওয়ারি শোয়েব মালিক মোহাম্মদ নওয়াজ হারিস সোহেল হুসেইন তালাত ফখর জামান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিঃ) রায়ান বুর্ল ব্রায়ান চারি চামু চিভাভা এলটন চিগুম্বুরা টেন্ডাই চিসোরো কাইল জার্ভিস ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ব্রান্ডন মাভুটা সলোমন মিরে পিটার মুর ক্রিস্টোফার এমপফু তারিসাই মুসাকান্ডা ব্লেসিং মুজারবাণী রায়ান মারে জন নিয়ুম্বু ডোনাল্ড তিরিপানো ম্যালকম ওয়ালার সেফাস ঝুয়াও ==পয়েন্ট তালিকা== ==টি২০আই সিরিজ== ===১ম টি২০আই=== ===২য় টি২০আই=== ===৩য় টি২০আই=== ===৪র্থ টি২০আই=== ===৫ম টি২০আই=== ===৬ষ্ঠ টি২০আই=== ===ফাইনাল=== ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট পাকিস্তানি ক্রিকেট জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর'''ড্রিম লীগ সকার''' একটি ফুটবল ভিডিও গেম যা ''ফার্স্ট টাচ'' নামক গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দ্বারা আইওএস এবং অ্যানড্রয়েডের জন্য নির্মিত প্রকাশিত। ডিসেম্বর ২০১১ সালে এটি ঘোষণা করা হয় এবং ডিসেম্বর ২০১১ সালে আইওস প্ল্যাটফর্ম এর জন্য প্রকাশিত হয়। ২৯ নভেম্বর ২০১৩ সালে এটি অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল প্লে স্টোরে প্রকাশ করা হয়। ==গেমপ্লে== এই গেমসে একজন ব্যবহারকারীকে ''ড্রিম এফসি'' নামক ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।বাস্তবের সদৃশ সব ''ফুটবল খেলোয়াড়'' থাকে।প্রথমে এলোমেলোভাবে বিভিন্ন একটি স্কোয়াড ব্যবহারকারীকে দেওয়া হয়।ইচ্ছে করলে দলের নাম,কিটস বা লোগো পরিবর্তন করা যাবে। আস্তে আস্তে টাকা-পয়সা দিয়ে আরো খেলোয়াড় কেনা যায় এবং নিজের খেলোয়াড়দের ক্ষমতা বাড়ানো যায়।প্রথমে কম ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট একটি স্টেডিয়াম দেওয়া হয়।সেটাকেও টাকার বিনিময়ে বড় করা যায়। গেমসটিতে ছয়টি স্তর আছে:একাডেমী ডিভিশন,ডিভিশন ৩,ডিভিশন ২,ডিভিশন ১,জুনিয়র এলিট ডিভিশন এলিট ডিভিশন।একজন খেলোয়াড় একাডেমী ডিভিশন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর এলিট ডিভিশনে যাওয়ার চেষ্টা করে।এলিট ডিভিশনও জয় করলে আরো টুর্নামেন্ট যেমন ইন্টারন্যাশনাল কাপ অলস্টার কাপ খেলা যায়।এগুলো জেতার পর ফার্স্ট টাচ চ্যালেঞ্জ আল্টিমেট চ্যালেঞ্জ ম্যাচ খেলা যায়।প্রথমটায় ব্যবহারকারী ফার্স্ট টাচ ইউনাইটেডের মধ্যে খেলা হয়।আর আল্টিমেট চ্যালেঞ্জে ঠিক নিজের খেলোয়াড়ের মতো খেলোয়াড় একই ক্ষমতাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের সাথে খেলা হয়। বাস্তব ব্যবহারকারীদের সাথে ''ড্রিম লীগ অনলাইন'' মোডে খেলা যায়। একটি ওয়াইফাই কানেকশনের দ্বারা নিজের পরিচিত ব্যবহারকারীদের সাথেও মোকাবেলা করা যায়। গেমসটি বিনামূল্যে খেলা যায়,তবে কিছু জিনিস বাস্তব টাকার বিনিময়ে কেনা যায়। ==আপডেট== ===ড্রিম লীগ সকার ২০১৬=== কভার কস্তা এরন রামসে। যাদের জন্য প্রকাশিত:আইওএস আ্যন্ড্রয়েড প্রকাশের তারিখ:২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ উৎস: ===ড্রিম লীগ সকার ২০১৭=== কভার কস্তা এরন রামসে। যাদের জন্য প্রকাশিত:আইওএস আ্যন্ড্রয়েড প্রকাশের তারিখ:২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ উৎস: ===ড্রিম লীগ সকার ২০১৮=== কভার বেল আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা যাদের জন্য প্রকাশিত:আইওএস আ্যন্ড্রয়েড প্রকাশের তারিখ:১৭ নভেম্বর ২০১৭ ==গ্রহণ== গেমটি সম্পর্কে বেশির ভাগ সমালোচক ব্যবহারকারী ভালো মন্তব্য গেমটিকে ১০ এর মধ্যে দেয়। তবে এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। গেমটি ২০১৬ সালের অন্যতম সেরা গেম ছিলো বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে ১০০ মিলিয়ন এর অধিক ডাউনলোড হয়েছে। ==তথ্যসূত্র== গেম গেম ভিডিও গেম (অপারেটিং সিস্টেম) গেম'''ফ্রঁসোয়া মোরিস আদ্রিয়াঁ মারি মিতেরঁ''' (; ২৬ অক্টোবর ১৯১৬ জানুয়ারি ১৯৯৬) ১৯৮১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ফ্রান্সের পার্তি সোসিয়ালিস্ত তথা সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৮১ সালে ফরাসি পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথম বামপন্থী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর বছরের মেয়াদ পূর্ণ করার পর ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে পুনরায় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। মিতেরঁ ফ্রান্সে মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্ত ঘোষণা করেন, সাপ্তাহিক কর্মসপ্তাহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩৯ কর্মঘণ্টায় নামিয়ে আনেন এবং বেতার টেলিভিশনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ হ্রাস করেন। জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোলের সাথে মাস্ট্রিখট চুক্তি সম্পাদন করে ইউরোপীয় একীভবনকে অগ্রসর করেন। তার সময়ে ফ্রান্সে সংস্কৃতি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়। তার আমলে ফ্রান্সের একটি নতুন বিশালাকার জাতীয় গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালে মিতেরঁ প্রথম একমাত্র ফরাসি রাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে (এদিত ক্রেসোঁ) নিয়োগ দান করেন। মিতেরঁ ১৯৯৬ সালে প্যারিসে প্রস্থিত গ্রন্থির কর্কটরোগের (প্রোস্টেট ক্যানসার) কারণে মৃত্যুবরণ করেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু আইনজীবী রাষ্ট্রপতি'''মারিয়া বাশির''' আফগানিস্তানের একমাত্র যিনি ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ি দেশের এমন একটি অবস্থানকে ধরে রাখেন। তালেবান, দুর্নীতিবাজ পুলিশ, মৃত্যু হুমকি,ব্যর্থ হত্যাকাণ্ডের প্রচেষ্টা হওয়ার মত ঘটনার পনের বছরেরও বেশি আফগানিস্তানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতা তার হয়েছে তিনি তাদের সবাইকে দেখেছেন। তালেবানদের সময় তাকে কাজ করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যখন তিনি তার বাসায় স্কুল শিক্ষা অবৈধভাবে মেয়েদেরকে প্রদান করতেন। তালেবান যুগের পরে, তাকে চাকুরিতে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয় এবং ২০০৬ সালে হেরাত প্রদেশের প্রধান প্রসিকিউটর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। নারীর দুর্নীতি নিপীড়ন নির্মূলের উপর তার প্রধান লক্ষ্য ছিল, তিনি ২০১০ সালে প্রায় ৮৭ টি মামলা একাই পরিচালনা করেছেন। তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে, তাকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাশির ২০১১ সালের টাইম ১০০ তালিকায় প্রকাশিত হয় যা টাইম দ্বারা গঠিত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একটি বার্ষিক তালিকা। ==প্রথম জীবন শিক্ষা== ==ব্যক্তিগত জীবন== ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তি জন্ম পুরস্কার সাহসী নারী পুরস্কার প্রাপক আইনজীবী'''ওড়িয়া ব্রেইল''' হচ্ছে ভারতী ব্রেইল লিপিসমূহের মধ্যে অন্যতম। হিন্দি ''æ'' এর পরিবর্তে ওড়িয়া ''ẏ'' বর্ণটি ছাড়া, ভারতীয় অন্যান্য বর্ণমালার মানের জন্যও উপযোগী। == বর্ণমালা == বর্ণমালাসমূহ নিম্নরূপ। মুদ্রিত রূপ আইএসও ai au ব্রেইল মুদ্রিত রূপ আইএসও r̥ r̥̄ l̥ l̥̄ ব্রেইল মুদ্রিত রূপ আইএসও kh gh ব্রেইল মুদ্রিত রূপ আইএসও ch jh ব্রেইল মুদ্রিত রূপ ଡ଼ ଢ଼ আইএসও ṭh ḍh ṛh ব্রেইল মুদ্রিত রূপ আইএসও th dh ব্রেইল মুদ্রিত রূপ আইএসও ph bh ব্রেইল মুদ্রিত রূপ ୱ/ଵ আইএসও ব্রেইল মুদ্রিত রূপ আইএসও ব্রেইল দুটি যুক্তবর্ণ, মুদ্রিত রূপ କ୍ଷ ଜ୍ଞ আইএসও kṣ jñ ব্রেইল পূর্ণ মাত্রাবর্ণ, মুদ্রিত রূপ କ୍ କଂ କଃ କଁ କଽ আইএসও হসন্ত অনুস্বার বিসর্গ চন্দ্রবিন্দু অবগ্রহ ব্রেইল ==বিরামচিহ্ন == Bharati দেখুন ==তথ্যসূত্র== ব্রেইল বর্ণমালা ভাষাসবচেয়ে বেশি কথ্য প্রথম ভাষা (এল১) দ্বারা ভারতের রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভারতে শত শত ভাষা রয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয় ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় (৭৭%) ইন্দো-আর্য শাখা, দ্রাবিড় (২০.৬১%), অস্ট্রোশিয়াটিক (মুন্ডা) (১.২%), অথবা চীন -তিবেটান (০.৮%) শাখার অন্তর্গত। এছাড়াও হিমালয়ের কিছু ভাষা এখনো অপরিচিত আছে। এসআইএল এথনোলজু ভারতের জন্য ৪১৫ টি জীবিত ভাষার তালিকা করেছে। ==সংক্ষিপ্ত বিবরণ== ভারতের ২৩ টি সাংবিধানিক স্বীকৃত সরকারি ভাষা রয়েছে। হিন্দি এবং ইংরেজী সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। রাজ্য সরকার নিজ নিজ দাপ্তরিক ভাষা ব্যবহার করে। ২০১১ সালে ভারতের জনগণনা অনুযায়ী ভাষাভাষী সর্বোচ্চ সংখ্যা দ্বারা নিম্নরূপ ভাষাগুলি: হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, তেলুগু, তামিল, গুজরাটি, উর্দু, কন্নড়, ওড়িয়া, মালয়ালম। ==স্থানীয় বক্তার সংখ্যা অনুসারে ভাষা== ===দশ লক্ষের অধিক বক্তা=== +'''ভারতে ভাষাভাষী সংখ্যা অনুসারে প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় ভাষা''' (২০০১ সালের আদমশুমারি) '''ভাষা''' ''' প্রথম ভাষাহিসাবে বক্তার সংখ্যা''' '''প্রথম ভাষাহিসাবে বক্তার সংখ্যা'''র শতকরা হিসাব মোট জনসংখ্যার হিসাবে ''' দ্বিতীয় ভাষাহিসাবে বক্তার সংখ্যা''' ''' তৃতীয় ভাষাহিসাবে বক্তার সংখ্যা''' ''' মোট ভাষাভাষী''' মোট ভাষাভাষী হিসেবে মোট জনসংখ্যার শতাংশ হিন্দি ৪২,২০,৪৮,৬৪২ ৪১.০৩% ৯,৮২,০৭,১৮০ ৩,১১,৬০,৬৯৬ ৫৫,১৪,১৬,৫১৮ ৫৩.৬০ ইংরেজী ২,২৬,৪৪৯ ০.০২% ৮,৬১,২৫,২২১ ৩,৮৯,৯৩,০৬৬ ১২,৫৩,৪৪,৭৩৬ ১২.১৮ বাংলা ৮,৩৩,৬৯,৭৬৯ ৮.১০% ৬৬,৩৭,২২২ ১১,০৮,০৮৮ ৯,১১,১৫,০৭৯ ৮.৮৬ তেলেগু ৭,৪০,০২,৮৫৬ ৭.১৯% ৯৭,২৩,৬২৬ ১২,৬৬,০১৯ ৮,৪৯,৯২,৫০১ ৮.২৬ মারাঠি ৭,১৯,৩৬,৮৯৪ ৬.৯৯% ৯৫,৪৬,৪১৪ ২৭,০১,৪৯৮ ৮,৪১,৮৪,৮০৬ ৮.১৮ তামিল ৬,০৭,৯৩,৮১৪ ৫.৯১% ৪৯,৯২,২৫৩ ৯,৫৬,৩৩৫ ৬,৬৭,৪২,৪০২ ৬.৪৯ উর্দু ৫,১৫,৩৬,১১১ ৫.০১% ৬৫,৩৫,৪৮৯ ১০,০৭,৯১২ ৫,৯০,৭৯,৫১২ ৫.৭৪ কন্নড় ভাষা ৩,৭৯,২৪,০১১ ৩.৬৯% ১,১৪,৫৫,২৮৭ ১৩,৯৬,৪২৮ ৫,০৭,৭৫,৭২৬ ৪.৯৪ গুজরাটি ৪,৬০,৯১,৬১৭ ৪.৪৮% ৩৪,৭৬,৩৫৫ ৭,০৩,৯৮৯ ৫,০২,৭১,৯৬১ ৪.৮৯ ওড়িয়া ৩,৩০,১৭,৪৪৬ ৩.২১% ৩২,৭২,১৫১ ৩,১৯,৫২৫ ৩,৬৬,০৯,১২২ ৩.৫৬ মালায়ালম ৩,৩০,৬৬,৩৯২ ৩.২১% ৪,৯৯,১৮৮ ১,৯৫,৮৮৫ ৩,৩৭,৬১,৪৬৫ ৩.২৮ সংস্কৃত ১৪,১৩৫ (মোট জনসংখ্যা ১,০২৮,৬১০,৩২৮) ১৯৯১ আদমশুমারি(মোট জনসংখ্যা ৮৩৮,৫৮৩,৯৮৮) এনকার্তা ২০০৭ বক্তা) ভারতের জনগণনা ২০১১(মোট জনসংখ্যা ১,২১০,৮৫৪,৯৭৭ ভাষাভাষী শতকরা ভাষাভাষী শতকরা ভাষাভাষী ভাষাভাষী শতকরা হার '''হিন্দি''' ৪২,২০,৪৮,৬৪২ ৪১.১% ৩২,৯৫,১৮,০৮৭ ৩৯.২৯% ৩৬৬ ৫২,৮৩,৪৭,১৯৩ ৪৩.৬৩% '''বাংলা''' ৮,৩৩,৬৯,৭৬৯ ৮.১১% ৬,৯৫,৯৫,৭৩৮ ৮.৩০% ২০৭ ৯,৭২,৩৭,৬৬৯ ৮.০৩% '''মারাঠি''' ৭,১৯,৩৬,৮৯৪ ৬.৯৯% ৬,২৪,৮১,৬৮১ ৭.৪৫% ৬৮.০ ৮,৩০,২৬,৬৮০ ৭.০৯% '''তেলেগু''' ৭,৪০,০২,৮৫৬ ৭.১৯% ৬,৬০,১৭,৬১৫ ৭.৮৭% ৬৯.৭ ৮,১১,২৭,৭৪০ ৬.৯৩% '''তামিল''' ৬,০৭,৯৩,৮১৪ ৫.৯১% ৫,৩০,০৬,৩৬৮ ৬.৩২% ৬৬.০ ৬,৯০,২৬,৮৮১ ৫.৮৯% '''গুজরাটি''' ৪,৬০,৯১,৬১৭ ৪.৪৮% ৪,০৬,৭৩,৮১৪ ৪.৮৫% ৪৬.১ ৫,৫৪,৯২,৫৫৪ ৪.৭৪% '''উর্দু''' ৫,১৫,৩৬,১১১ ৫.০১% ৪,৩৪,০৬,৯৩২ ৫.১৮% ৬০.৩ ৫,০৭,৭২,৬৩১ ৪.৩৪% '''কন্নড়''' ৩,৭৯,২৪,০১১ ৩.৬৯% ৩,২৭,৫৩,৬৭৬ ৩.৯১% ৩৫.৩ ৪,৩৭,০৬,৫১২ ৩.৭৩% ''' ওড়িয়া''' ৩,৩০,১৭,৪৪৬ ৩.২১% ২,৮০,৬১,৩১৩ ৩.৩৫% ৩২.৩ ৩,৭৫,২১,৩২৪ ৩.২০% ১০ '''মালয়ালাম''' ৩,৩০,৬৬,৩৯২ ৩.২১% ৩,০৩,৭৭,১৭৬ ৩.৬২% ৩৫.৭ ৩,৪৮,৩৮,৮১৯ ২.৯৭% ১১ '''পাঞ্জাবি''' ২,৯১,০২,৪৭৭ ২.৮৩% ২,৩৩,৭৮,৭৪৪ ২.৭৯% ৫৭.১ ৩,৩১,২৪,৭২৬ ২.৮৩% ১২ '''অসমিয়া''' ১,৩১,৬৮,৪৮৪ ১.২৮% ১,৩০,৭৯,৬৯৬ ১.৫৬% ১৫.৪ ১,৫৩,১১,৩৫১ ১.৩১% ১৩ '''মৈথিলি''' ১,২১,৭৯,১২২ ১.১৮% ৭৭,৬৬,৯২১ ০.৯২৬% ২৪.২ ১,৩৫,৮৩,৪৬৪ ১.১৬% ১৪ ভিলি ভিলোডি ৯৫,৮২,৯৫৭ ০.৯৩% ১,০৪,১৩,৬৩৭ ০.৮৬% ১৫ '''সাঁওতালী''' ৬৪,৬৯,৬০০ ০.৬৩% ৫২,১৬,৩২৫ ০.৬২২% ৭৩,৬৮,১৯২ ০.৬৫% ১৬ '''কাশ্মীরি''' ৫৫,২৭,৬৯৮ ০.৫৪% ৬৭,৯৭,৫৮৭ ০.৫৮% ১৭ গন্ডী ২৭,১৩,৭৯০ ০.২৬% ২৯,৮৪,৪৫৩ ০.২৫% ১৮ '''নেপালী''' ২৮,৭১,৭৪৯ ০.২৮% ২০,৭৬,৬৪৫ ০.২৪৮% ১৬.১ ২৯,২৬,১৬৮ ০.২৫% ১৯ '''সিন্ধি''' ২৫,৩৫,৪৮৫ ০.২৫% ২১,২২,৮৪৮ ০.২৫৩% ১৯.৭ ২৭,৭২,২৬৪ ০.২৪% ২০ '''ডোগরি''' ২২,৮২,৫৮৯ ০.২২% ২৫,৯৬,৭৬৭ ০.২২% ২১ '''কোঙ্কণী''' ২৪,৮৯,০১৫ ০.২৪% ১৭,৬০,৬০৭ ০.২১০% ২২,৫৬,৫০২ ০.১৯% ২২ কুরুখ ভাষা কুরুখ ১৭,৫১,৪৮৯ ০.১৭% ১৯,৮৮,৩৫০ ০.১৬% ২৩ খণ্ডেশী ২০,৭৫,২৫৮ ০.২১% ১৮,৬০,২৩৬ ০.১৫% ২৪ তুমুল ১৭,২২,৭৬৮ ০.১৭% ১৮,৪৬,৪২৭ ০.১৫% ২৫ '''মৈতৈ''' (মণিপুরী ০.১৪% ১২,৭০,২১৬ ০.১৫১% ১৭,৬১,০৭৯ ০.১৫% ২৬ '''বোড়ো''' ১৩,৫০,৪৭৮ ০.১৩% ১২,২১,৮৮১ ০.১৪৬% ১৪,৮২,৯২৯ ০.১৩% ২৭ খাদি ১১,২৮,৫৭৫ ০.১১% ১৪,৩১,৩৪৪ ০.১২% ২৮ হো ১০,৪২,৭২৪ ০.১০১% ১৪,২১,৪১৮ ০.১২% ২৯ মুন্ডারি ১০,৬১,৩৫২ ০.১০৩% ১১,২৮,২২৮ ০.০৯% ৩০ গারো ৮,৮৯,৪৭৯ ০.০৮৬% ১১,২৮,২২৮ ০.০৯% ৩১ ত্রিপুরি ৮,৫৪,০২৩ ০.০৮৩% ১০,১১,২৯৪ ০.০৮% '''*''' মণিপুরের সেনাপতি জেলার পাওমাটা, মাওমরাম পুরুল উপ-বিভাগের ২০০১ পরিসংখ্যান বাদে। '''**''' ভারতের ২০০১ সালের মোট জনসংখ্যার প্রতিটি ভাষার বক্তার হিসাব করে শতাংশ দেয়া হয়েছে হয়েছে (মণিপুরের সেনাপতি জেলার পাওমাটা, মাওমরাম পুরুল উপ-বিভাগের পরিসংখ্যান বাদে।) ===১,০০,০০০ থেকে দশ লক্ষ বক্তা=== ক্রম ভাষা ২০০১ সালের আদমশুমারি বক্তা শতকরা হার ৩২ কুই ৯,১৬,২২২ ০.০৮৯% ৩৩ লুশাই মিউজো ৬,৭৪,৭৫৬ ০.০৬৬% ৩৪ হালবি ৫,৯৩,৪৪৩ ০.০৫৮% ৩৫ কারুকু ৫,৭৪,৪৮১ ০.০৫৬% ৩৬ মিরী মিশিং ৫,৫১,২২৪ ০.০৫৪% ৩৭ মুন্ডা ৪,৬৯,৩৫৭ ০.০৪৬% ৩৮ কারবি মিকির ৪,১৯,৫৩৪ ০.০৪১% ৩৯ কোয়া ৩,৬২,০৭০ ০.০৩৫% ৪০ আও ২,৬১,৩৮৭ ০.০২৫% ৪১ সাভার ২,৫২,৫১৯ ০.০২৫% ৪২ কনিয়ালক ২,৪৮,১০৯ ০.০২৪% ৪৩ খড়িয়া ২,৩৯,৬০৮ ০.০২৩% ৪৪ ইংরেজী ২,২৬,৪৪৯ ০.০২২% ৪৫ মাল্টো ২,২৪,৯২৬ ০.০২২% ৪৬ নিসি দফলা ২,১১,৪৮৫ ০.০২১% ৪৭ আদি ১,৯৮,৪৬২ ০.০১৯% ৪৮ থডো ১,৯০,৫৯৫ ০.০১৯% ৪৯ লোহা ১,৭০,০০১ ০.০১৭% ৫০ কোওর্গি কোডাগু ১,৬৬,১৮৭ ০.০১৬% ৫১ রাভা ১,৬৪,৭৭০ ০.০১৬% ৫২ তংখুল ১,৪২,০৩৫ ০.০১৪% ৫৩ কিষান ১,৪১,০৮৮ ০.০১৪% ৫৪ এঙ্গি ১,৩২,২২৫ ০.০১৩% ৫৫ ফোম ১,২২,৫০৮ ০.০১২% ৫৬ কলামি ১,২১,৮৫৫ ০.০১২% ৫৭ খন্দ কন্ঠ ১,১৮,৫৯৭ ০.০১২% ৫৮ ডিমসা ১,১১,৯৬১ ০.০১১% ৫৯ লাদাকি ১,০৪,৬১৮ ০.০১০% ৬০ সেমা ১,০৩,৫২৯ ০.০১০% ==মাতৃভাষী বক্তার সংখ্যা অনুসারে == ২০০১ সালের আদমশুমারিতে প্রতিটি ভাষার বা একাধিক মাতৃভাষা কথা বলা মানুষের সংখ্যা পাওয়া যায় এবং তাদের ভাষাতে কথাবলা মানুষের সংখ্যাগুলিতেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিম্নোক্ত সারণিতে এমন মাতৃভাষার তালিকা রয়েছে যার এক মিলিয়নের বেশি বক্তা আছে। ২০০১ সালের আদমশুমারি থেকে সাধারণ তথ্য অনুযায়ী: "মাতৃভাষা হল কোন ব্যক্তি মায়ের দ্বারা শৈশবকালীন শেখা ভাষা। শৈশবে মা মারা গেলে বাড়ি থেকে শেষা ভাষা হবে ওই ব্যক্তির মাতৃভাষা।" দশ লক্ষেরও বেশি বক্তার সঙ্গে মাতৃভাষাসমূহ মর্যাদাক্রম মাতৃভাষা ২০০১ সালের আদমশুমারি ভাষার অন্তর্ভুক্ত বক্তা শতকরা হার হিন্দি ২৫,৭৯,১৯,৬৩৫ ২৫.০৭১% বাংলা ৮,২৪,৬২,৪৩৭ ৮.০১৬% তেলেগু ৭,৩৮,১৭,১৪৮ ৭.১৭৬% মারাঠি ৭,১৭,০১,৪৭৮ ৬.৯৭০% তামিল ৬,০৬,৫৫,৮১৩ ৫.৮৯৬% উর্দু ৫,১৫,৩৩,৯৫৪ ৫.০০৯% গুজরাটি ৪,৫৭,১৫,৬৫৪ ৪.৪৪৪% কন্নড ৩,৭৭,৪২,২৩২ ৩.৬৬৯% ভোজপুরি ৩,৩০,৯৯,৪৯৭ ৩.২১৭% হিন্দি ১০ মালায়ালম ৩,৩০,১৫,৪২০ ৩.২০৯% ১১ ওড়িয়া ৩,২১,১০,৪৮২ ৩.১২১% ১২ পাঞ্জাবি ২,৮১,৫২,৭৯৪ ২.৭৩৭% ১৩ রাজস্থানী ১,৮৩,৫৫,৬১৩ ১.৭৮৪% হিন্দি ১৪ মগধী মাগি ১,৩৯,৭৮,৫৬৫ ১.৩৫৯% হিন্দি ১৫ ছত্তিসগড়ী ১,৩২,৬০,১৮৬ ১.২৮৯% হিন্দি ১৬ অসমিয়া ১,২৭,৭৮,৭৩৫ ১.২৪২% ১৭ মৈথিলি ১,২১,৭৮,৬৭৩ ১.১৮৪% ১৮ হরিয়ানভি ৭৯,৯৭,১৯২ ০.৭৭৭% হিন্দি ১৯ মাড়ওয়ারী ৭৯,৩৬,১৮৩ ০.৭৭১% হিন্দি ২০ সাঁওতালী ৫৯,৪৩,৬৭৯ ০.৫৭৮% ২১ মালবী ৫৫,৬৫,১৬৭ ০.৫৪১% হিন্দি ২২ কাশ্মীরি ৫৩,৬২,৩৪৯ ০.৫২১% ২৩ মওয়ারি ৫০,৯১,৬৯৭ ০.৪৯৫% হিন্দি ২৪ খর্থা খট্ট ৪৭,২৫,৯২৭ ০.৪৫৯% হিন্দি ২৫ ভিলি ভিলোডি ৩৩,১৩,৪৮১ ০.৩২২% ২৬ বণ্ডেলি বণ্ডেলখাঁ ৩০,৭২,১৪৭ ০.২৯৯% হিন্দি ২৭ নেপালী ২৮,৬৭,৯২২ ০.২৭৯% ২৮ বাগেলি ২৮,৬৫,০১১ ০.২৭৮% হিন্দি ২৯ পাহাড়ী ২৮,৩২,৮২৫ ০.২৭৫% হিন্দি ৩০ লামানি লাম্বাদি ২৭,০৭,৫৬২ ০.২৬৩% হিন্দি ৩১ Awadhi ২৫,২৯,৩০৮ ০.২৪৬% হিন্দি ৩২ Wagdi ২৫,১০,৮১১ ০.২৪৪% ভিলি ৩৩ গন্ডী ২৫,০৫,২৪৭ ০.২৪৪% ৩৪ হারাউটি ২৪,৬২,৮৬৭ ০.২৩৯% হিন্দি ৩৫ কোকনিক ২৪,২০,১৪০ ০.২৩৫% ৩৬ ডগরি ২২,৮২,৫৪৭ ০.২২২% ৩৭ গধবলী ২২,৬৭,৩১৪ ০.২২০% হিন্দি ৩৮ নিমদি ২১,৪৮,১৪৬ ০.২০৯% হিন্দি ৩৯ সাদান সদরী ২০,৪৪,৭৭৬ ০.১৯৯% হিন্দি ৪০ কুমাওনি ২০,০৩,৭৮৩ ০.১৯৫% হিন্দি ৪১ ধন্দরি ১৮,৭১,১৩০ ০.১৮২% হিন্দি ৪২ অহরিনী ১৮,৬৫,৮১৩ ০.১৮১% খণ্ডেশী ৪৩ কুরুখ অরন ১৭,৩৭,০৪৪ ০.১৬৯% ৪৪ তুমুল ১৭,২০,৪২২ ০.১৬৭% ৪৫ সিন্ধি ১৬,৯৪,০৬১ ০.১৬৫% ৪৬ মেটিই ১৪,৬৬,৪৯৭ ০.১৪৩% ৪৭ সুরজজিয়া ১৪,৫৮,৫৩৩ ০.১৪২% হিন্দি ৪৮ বাগরি রাজস্থানী ১৪,৩৪,১২৩ ০.১৩৯% হিন্দি ৪৯ বোডো বোরো ১৩,৩০,৭৭৫ ০.১২৯% ৫০ বানজারী ১২,৫৯,৮২১ ০.১২২% হিন্দি ৫১ নাগপুরিয়া ১২,৪২,৫৮৬ ০.১২১% হিন্দি ৫২ সুরজাপুরি ১২,১৭,০১৯ ০.১১৮% হিন্দি ৫৩ কংগ্রি ১১,২২,৮৪৩ ০.১০৯% হিন্দি ৫৪ মুন্ডারি ১০,৪৬,৯৫১ ০.১০২% ৫৫ হও ১০,৩৭,৯৮৭ ০.১০১% ==টীকা== ==তথ্যসূত্র== ভাষা তালিকা তালিকা'''প্রথম ফিলিপ'''(২২ জুলাই ১৪৭৮-২৫ সেপ্টেম্বর ১৫০৬) যিনি '''সুদর্শন ফিলিপ''' নামেও পরিচিত, প্রথম হ্যাবসবার্গ বংশ সদস্য হিসেবে কাস্তিল সিংহাসন আরোহণ করেন তিনি হলি রোমান এম্পেরর প্রথম এবং তার প্রথম স্ত্রী মেরি অব বার্গেন্ডি সন্তান ছিলেন ফিলিপের বয়স চার বছরেরও কম ছিল যখন তার মা মারা যান এবং তিনি মায়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে চতুর্থ ফিলিপ নামে বার্গেন্ডির ডাচি বার্গেন্ডীয় নেদারল্যান্ডস শাসনভার গ্রহণ করেন ১৪৯৬ সালে ফিলিপের বাবা তার সাথে জোয়ানা অব কাস্তিল বিবাহের আয়োজন করেন যিনি ছিলেন আরাগোন ফার্দিনান্দ অব আরাগোন কাস্তিল ইসাবেল অব কাস্তিল দ্বিতীয় কন্যা প্রায় একই সময়ে ফিলিপের বোন মার্গারেটকে জোয়ানার ভাই জন এর বিয়ে দেওয়া হয়, যা উভয়ের পিতার একটা সমঝোতার অংশ ছিল বিবাহের চার বছরের মধ্যেই বড় ভাই, বড় বোন আর শিশু ভাগ্নের মৃত্যুর ফল স্বরূপ জোয়ানা আরাগন কাস্তিলের সম্ভাব্য উত্তারাধিকারী হন ১৫০৪ সালে ইসাবেলের মৃত্যুর পর জোয়ানা কাস্তিলের রানি হলে ফিলিপ দাম্পত্য অধিকার কাস্তিলের রাজা হন মাত্র দুই বছর পরেই তার মৃত্যু হলে জোয়ানা শোকে পাগলপ্রায় হয়ে যান ফিলিপ প্রথম হ্যাবসবার্গ বংশীয় হিসেবে স্পেন সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং এখন পর্যন্ত সকল স্পেনের রাজা পূর্বপুরুষ তিনি তার পিতার পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন তাই পিতৃরাজ্য লাভ করতে পারেন নি; কিন্তু ফিলিপের পুত্র পঞ্চম চার্লস শেষ পর্যন্ত হ্যাবসবার্গ, কাস্তিল, বার্গেন্ডি আরাগনের সিংহাসন একত্রিত করেন ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু'''দেবাশীষ রায়''' (; জন্ম: এপ্রিল ১৯৫৯ একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী মানবাধিকার কর্মী. তিনি জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরামে আদিবাসী বিষয়ক সাবেক সদস্য। তিনি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজাতি সম্প্রদায় চাকমা সার্কেলের নামমাত্র রাজা। == কর্মজীবন == '''দেবাশীষ রায়''' একটি ব্যারিস্টার দ্বারা পেশা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, একটি বিশেষ সহকারী প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের (মাথা, সরকার) সঙ্গে মান এবং অবস্থা একটি প্রতিমন্ত্রী সময় ২০০৬-২০০৮ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট. তিনি দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক এবং মন্ত্রণালয়, বন পরিবেশ. '''দেবাশীষ রায়''' ওঠে রাজা চাকমা সার্কেল পর তার বাবা Tridev রায় চলে গেলেন প্রবাসে নিম্নলিখিত স্বাধীনতার বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ১৯৭১ সালে. ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে Raja Tridev রায় হয়েছে, নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের পাকিস্তানের এক হিসাবে, শুধুমাত্র দুটি আওয়ামী লীগ প্রার্থী থেকে পূর্ব পাকিস্তান. সাবেক রাজা বিরোধিতা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পালিয়ে রাঙামাটি এবং পালিয়ে পাকিস্তানে শেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ. তবে অধিকাংশ রাজ পরিবার সহ রানী এবং যুবরাজ ছিল, এখনও বাকি রাঙামাটি প্রাসাদ. পরে উদ্ভব বাংলাদেশ, যুবরাজ দেবাশীষ রায় ছিল ঘোষিত রাজা অভাবে কারণে তার বাবা. তার পুত্র ত্রিভুবন রায় ছিল তৈরি যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) ২০০৩ সালে. == আরও দেখুন == Tridev রায় Rajkumari চন্দ্র রায় Rajmata Benita রায় চাকমা মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের জন্ম রাজনীতিবিদ রাজপরিবার জাতি চট্টগ্রাম সংঘাত ব্যক্তি জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০ শতকের বাংলাদেশি আইনজীবী'''হারমিওন ইয়োল্যান্ডা রুবি (১৩ নভেম্বর ১৯০৬ ১৯ আগস্ট ১৯৮৬) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেত্রী। তিনি চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে মঞ্চ, চলচ্চিত্র টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৩০ থেকে ১৯৫০-এর দশকে হারমিওন জিনগোল্ডের সাথে কয়েকবার অভিনয় করেছেন। ব্যাডেলি ''রুম অ্যাট দ্য টপ'' (১৯৫৯) ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ১৯৬৩ সালে ''দ্য মিল্ক ট্রেইন ডাজন্ট স্টপ অ্যানিমোর'' মঞ্চনাটকে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি ডিজনির ''ম্যারি পপিন্স'' চলচ্চিত্রে এলেন চরিত্রে অভিনয় করেন। টিভি ধারাবাহিক ''মড''-এ নেইল নাগাটুক চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৭৫ সালে তিনি টিভি ধারবাহিকে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== ব্যাডেলি ১৯০৬ সালের ১৩ই নভেম্বর ইংল্যান্ডের শ্রপশায়ারের ব্রোজলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ডব্লিউ. এইচ. এবং মাতা লুইস বোর্ডিন। তিনি মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের ব্রিটিশ জেনারেল স্যার হেনরি ক্লিনটনের উত্তরসূরী। তার বড় বোন অ্যাঞ্জেলা ব্যাডেলিও অভিনেত্রী ছিলেন। তার সৎ ভাই উইলিয়াম ব্যাডেলি ইংল্যান্ডের গির্জার যাজক ছিলেন, যিনি রুরাল ডিন হয়েছিলেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী কণ্ঠ অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী রোগ সংক্রান্ত মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজ প্রবাসী গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী টেলিভিশন) বিজয়ী'''বিফোর আই ওয়েক''' ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান ডার্ক ফ্যান্টাসি হরর চলচ্চিত্র যেটি মাইক ফ্লানাগন কর্তৃক পরিচালিত সম্পাদিত। ==সারাংশ== এক ব্যক্তি বন্দুক হাতে সন্তস্ত্রভাবে একটি ঘুমন্ত শিশুর কক্ষে প্রবেশ করে। সে চারিদিকে এমনভাবে তাকায় যেন আশা করছিল অন্ধকার থেকে কিছু বেরিয়ে আসবে। কিন্তু কোন কিছুতে সে চমকে গেলে ভুলবশত বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যায় এবং গুলির শব্দে শিশুটির ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন বন্দুধারী ব্যাক্তিটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এর কিছুদিন পর জেসি মার্ক হবসন দম্পতি কোডি মর্গান নামের আট বছর বয়সী এক অনাথ শিশুকে দত্তক নেয়। আর অল্প সময়ের মধ্যেই তারা জানতে পারে কোডির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। দত্তক নেওয়ার প্রথম রাতে হবসন দম্পতি অবাক হয়ে লক্ষ্য করে তাদের ঘরে ঊজ্জ্বল আভা ছড়ানো বিচিত্র রঙ্গের প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে যেহেতু কোডি প্রজাপতি ভালবাসে তাই মার্ক তাকে দেখানোর জন্য একটি নীল প্রজাপতি ধরে। কিন্তু কোডি জেগে ওঠে আর প্রজাপতিগুলোও অদৃশ্য হয়ে যায়। পরেরদিন কোডি স্কুলে যায় এবং সেখানে একটি মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করে আর এক দুষ্টু ছেলেকে প্রতিহত করে।স্কুল থেকে ফেরার পর ঘরে সে তার মত এক শিশুর ছবি দেখতে পায় এবং শিশুটি কে জানতে চাইলে মার্ক উত্তর দেয় যে ছবিটি হচ্ছে তাদের মৃত সন্তান শনের যে দুর্ঘটনাবশত বাথটাবে ডুবে মারা গেছে। কোডি জানায় তার মাও মারা গেছে। দিন রাতে মার্ক জেসির সাথে আরেকটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তারা তাদের মৃত সন্তান শনকে দেখতে পায়। জেসি শনকে জড়িয়ে ধরে কিন্তু কোডির ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় শন অদৃশ্য হয়ে যায়। কোডির ক্ষমতা সম্পর্কে জানার পর থেকে জেসি এর থেকে সুবিধা নেওয়া শুরু করে। সে কোডিকে শনের ভিডিওচিত্র দেখায় যা ক্রিস্টমাসের সময় ধারণ করা হয়েছিল। রাতে মার্ক জেসি তাদের স্নেহের সন্তান শনকে আরও একবার দেখতে পায়। কয়েকদিনের মধ্যেই মার্ক লক্ষ্য করে যে কোডির প্রতি জেসির ব্যবহার বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। ভালবাসার বদলে জেসি কোডির ক্ষমতার অপব্যাবহার করছে। এই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয় যার অবসান ঘটে মার্ক কর্তৃক শনের সকল ছবি নামিয়ে ফেলার মাধ্যমে। কোডির দুঃস্বপ্ন অন্যকারও ক্ষতি করবে এই ভয়ে সে খুব কম ঘুমায়। কিন্তু একদিন সে স্কুলে ঘুমিয়ে পড়ে আর তার দুঃস্বপ্নের প্রাণী যাকে সে "ক্যানকার ম্যান" বলে ডাকে দুষ্টু ছেলেটির সামনে অভির্ভূত হয় আর এই দৃশ্যটি মেয়েটি দেখে যার সাথে কোডি পূর্বে বন্ধুত্ব করেছিল। মেয়েটির চিত্‍কারে কোডির ঘুম ভাঙ্গে ফলে তার দুঃস্বপ্নের প্রাণীটিও অদৃশ্য হয়ে যায়। এদিকে জেসি একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করে এবং তাকে জানায় তার শিশু সন্তানের ঘুমাতে অসুবিধা হয়। ডাক্তার জেসিকে ঘুমের ওষুধ দেয় যা সে মার্কের অগোচরে পানীয়ের সাথে মিশিয়ে কোডিকে দেয়। সেই রাতে তারা শনকে আরও একবার দেখতে পায় কিন্তু এবার কোডির দুঃস্বপ্ন রূপে। মার্ক কোডিকে জাগাবার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যার্থ হয়। এদিকে জেসি স্বীকার করে যে সে কোডিকে ঘুমের ওষুধ দিয়েছে। কিন্তু ততক্ষনে খুব দেরী হয়ে যায়। কোডির দুঃস্বপ্নের প্রাণীটি মার্ককে গ্রাস করে আর জেসিকে অজ্ঞান অবস্থায় দূরে ছুড়ে ফেলে। কোডির ৯১১ কল করে সাহায্যের আবেদন করা শোনার মাধ্যমে জেসির জ্ঞান ফেরে। পুলিশ সন্দেহ করে কোডিকে নির্যাতন করা হয়েছে তাকে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ প্রদান করা হয়েছে। তাই সোশ্যাল সার্ভিস কোডিকে জেসির কাছ থেকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেয়। জেসি কোডির পূর্বের পিতামাতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে। সে এক ব্যক্তির সাথে দেখা করে যে পূর্বে কোডিকে দত্তক নিয়েছিল। ব্যাক্তির কাছ থেকে জেসি জানতে পারে তার স্ত্রীও কোডির দুঃস্বপ্নের স্বীকার হয়ছে আর এজন্য সে কোডিকে হত্যা করতে চেয়েছে কিন্তু ছোট শিশুকে হত্যা করতে তার মন সায় দেয়নি। সে আরও জানায় যদি সে তাকে হত্যা করত তাহলে জেসিকে মার্ককে হারাতে হত না। আর এজন্য জেসিকে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে যেটিতে সে ব্যর্থ হয়েছিল। জেসি তার প্রস্তাবে রাজি হয় না। বরং সে কোডির আসল মা সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করা শুরু করে। কোডিকে যে অনাথাশ্রমে রাখা হয় তার কর্মীরা লক্ষ্য করে কোডি টানা দুইদিন ঘুমায়নি। তাই তারা তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। জেসি যখন অনাথাশ্রমে পৌছায় তখন জায়গাটি ছিল অন্ধকার নিশ্চুপ।সেখানের প্রতিটি কামরায় সে কোডির দুঃস্বপ্নের প্রাণীদের দেখতে পায়। এরপর সে কোডির কামরায় পৌছায় এবং তার কাছে যাওয়ার পূর্বে "ক্যানকার ম্যান" আভির্ভূত হয় এবং জেসিকে দূরে ছুড়ে ফেলে। জেসি বালিশের আকৃতির মত একটি নীল প্রজাপতি সদৃশ বস্তু বের করে এবং দুঃস্বপ্নের প্রাণীটিকে জড়িয়ে ধরে। সে যখন এটিকে জড়িয়ে ধরে তখন এটি কোডির রুপ ধারন করে এবং অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হওয়ার পূর্বে জেসি তার কানের কাছে গিয়ে বলে সে যতগুলো মানুষকে তার সাথে নিয়ে গেছে তাদের সকলকে মুক্ত করে দিতে। দুঃস্বপ্ন সুন্দর স্বপ্নে রুপ নেয় এবং "ক্যানকার ম্যান" যতগুলো লোককে নিয়ে গিয়েছিল তারা সকলে ফিরে আসে যদিও কোডির স্বপ্ন হিসেবে। জেসি কোডিকে অচেতন অবস্থায় তার সাথে ঘরে ফিরেয়ে নেয়। জেসি কোডিকে একটি ডায়েরী দেখায় যা কোডির আসল মা অ্যান্ড্রিয়ার। ডায়েরীটি পড়ে বোঝা যায় তার মা তাকে তার স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাকে কতটা ভালবাসতো। কিন্তু সে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায় যখন কোডির বয়স মাত্র তিন বছর। জেসি কোডিকে বলে তার অসাধারন ক্ষমতা রয়েছে যা শুধুমাত্র দুঃস্বপ্নের থেকেও অনেক বেশিকিছু। আর কোডিও ধীরে ধীরে তার ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রন করতে শেখে। ==কুশীলব== কেট বসওয়ার্থ জেসি হবসন থমাস জেন মার্ক হবসন জ্যাকব ট্রেম্বলে কোডি মর্গান আনাবেথ গিশ ন্যাটালি ফ্রিডম্যান ড্যাশ মিহক হুইলান ইয়াং টোফার বুসকেট দ্য ক্যানকার ম্যান জেই কারনিস পিটার ল্যান্স ই. নিকোলস ডিটেক্টর ব্রাউন কাইলা ডিভার এনি কোর্টনী বেল অ্যান্ড্রিয়া হান্টার ওয়েজ্ঝেল টেট এন্টনিও ইভান রোমেরো শন স্কটি থম্পসন শিক্ষক জাস্টিন গর্ডন ড. টেনট ==নির্মাণ== ২০১৩ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়েছিল যে "ওকিউলাস" চলচ্চিত্রের পরিচালক মাইক ফ্লানাগন "সোমনিয়া" নামক হরর চলচ্চিত্র পরিচালনা করতে যাচ্ছেন যেটি তিনি ইন্টারেপিড পিকচার্সের জন্য জেফ হাওয়ার্ডের সাথে যৌথভাবে রচনা করেছেন এবং ডিমারেস্ট ফিল্মসের সাথে এর যৌথ প্রযোজক হবেন ট্রেভর মেসি উইলিয়াম ডি. জনসন। স্যাম এঙ্গেলবার্ড ছবির সহ-প্রোযোজক এবং তিনি যৌথভাবে অর্থায়ন করবেন মিকা এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানীর সাথে যার প্রধান ডেল আরমিন জনসন। ২০১৫ সালের মার্চে মাইক ফ্লানাগনের অভিযোগের ভিত্তিতে ছবির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় "বিফোর আই ওয়েক"। ==অভিনয়== ২০১৩ সালের ৭ই নভেম্বর কেট বসওয়ার্থ থমাস জেন প্রধান চরিত্র "কোডির পালক বাবা-মা" হিসাবে অভিনয়ের জন্য যোগদান করেন এবং একইদিন কোডি মর্গানের ভূমিকায় জ্যাকব ট্রেম্বলেও যোগ দেয় যে কোডি মর্গানের ভূমিকায় অভিনয় করে। ১৮ই নভেম্বরে আনাবেথ গিশ "ন্যাটালি" যে কোডিকে দত্তক দেওয়া তত্ত্বাবধান করে তার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য অংশগ্রহণ করেন। ==দৃশ্যধারন== ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বরে আলাবামার ফেয়ারহোপে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারন শুরু হয়। ১২ই ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল বার্টন একাডেমীতেও এর দৃশ্যধারন হয়। সম্পূর্ণ দৃশ্যধারন শেষ হয় ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বরে। চলচ্চিত্রটিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেন ড্যানি এলফম্যান দ্য নিউটন ব্রাদার্স। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র দশকের নাট্য চলচ্চিত্র নাট্য চলচ্চিত্র ভৌতিক চলচ্চিত্র ভৌতিক চলচ্চিত্র'''''ব্ল্যাক ফিউরি''''' () হল মাইকেল কার্টিজ পরিচালিত ১৯৩৫ সালের মার্কিন অপরাধমূলক চলচ্চিত্র। মাইকেল এ. মুসমান্নোর ছোটগল্প ''জ্যান ভলকানিক'' হ্যারি আর. আরভিংয়ের নাটক ''বহাংক'' অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আবেম ফিঙ্কেল কার্ল এরিকসন। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন পল মুনি, ক্যারেন মর্লি উইলিয়াম গার্গান। চলচ্চিত্রটি ১৯৩৬ সালে ৮ম একাডেমি পুরস্কার আয়োজনে মুনি দাপ্তরিকভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত না হলেও লেখনীর ভোটে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন, যা সে বছরে অনুমিত ছিল। ==কুশীলব== পল মুনি জো রেডেক ক্যারেন মর্লি অ্যানা নোভাক উইলিয়াম গার্গেন স্লিম জনসন বার্টন ম্যাকলেন ম্যাকগি জন কোয়ালেন মাইক শেমান্‌স্কি জে. ক্যারল নাইশ স্টিভ ক্রোনার ভিন্স বার্নেট কুবান্দা টুলি মার্শাল টমি পুল হেনরি ওনিল জন ডব্লিউ. হেন্ড্রিকস জোসেফ ক্রেহ্যান জনি ফারেল মে মার্শ মিসেস ম্যারি নোভাক স্যারা হ্যাডেন সোফি শেমান্‌স্কি উইলিয়াম রবার্টসন মিস্টার জে জে ওয়েলশ এফি এলস্লার বুবিৎস্কা ওয়েড বোটেলার মুলিগান এগন ব্রেচার আলেক নোভাক জি প্যাট কলিন্স লেফটি ওয়ার্ড বন্ড ম্যাক আকিম তামিরভ সকল্‌স্কি পার্নেল প্র্যাট হেনরি বি জেনকিন্স এডি শুবার্ট বুচ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র দশকের অপরাধ নাট্য চলচ্চিত্র ব্রসের চলচ্চিত্র অবলম্বনে চলচ্চিত্র অবলম্বনে চলচ্চিত্র কার্টিজ পরিচালিত চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র অপরাধ নাট্য চলচ্চিত্র সাদাকালো চলচ্চিত্র আন্দোলন বিষয়ক চলচ্চিত্র'''আরমান্ড ডগলাস "আর্মি" হ্যামার''' (; জন্ম: ২৮ আগস্ট ১৯৮৬) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি ''দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক'' (২০১০) চলচ্চিত্রে উইঙ্কলভস যমজ, ''দ্য লোন রেঞ্জার'' (২০১৩) চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায়, ''দ্য ম্যান ফ্রম (২০১৫) চলচ্চিত্রে ইলিয়া কুরিয়াকিন, ''মাইন'' (২০১৬) চলচ্চিত্রে মাইক, এবং ''কল মি বাই ইওর নেম'' (২০১৭) ছবিতে অলিভার চরিত্রে অভিনয় করে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন। জীবনীমূলক নাট্য চলচ্চিত্র ''জে. এডগার'' (২০১১) ছবতিএ ক্লাইড টলসন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারে মনোনীত হন এবং ''কল মি বাই ইওর নেম'' ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== হ্যামার ১৯৮৬ সালের ২৮শে আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান্তা মনিকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাইকেল আরমান্ড হ্যামার কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক, তন্মধ্যে রয়েছে নোয়েডলার পাবলিশিং আরমান্ড হ্যামার প্রডাকশন্স (একটি চলচ্চিত্র টেলিভিশন প্রযোজনা কোম্পানি)। তার মাতা ড্রু অ্যান (প্রদত্ত নাম: মবলি) ছিলেন একজন ব্যাংক ঋণদানকারী কর্মকর্তা। হ্যামারের ছোট ভাই ভিক্টর হ্যামার। হ্যামারের প্র-পিতামহ আরমান্ড হ্যামার বিশিষ্ট তেল ব্যবসায়ী মানবহিতৌষী। তার পূর্বপুরুষেরা রাশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। আরমান্ডের পিতা জুলিয়াস হ্যামার তৎকালীন রুশ সাম্রাজ্যের অডেশা (বর্তমান ইউক্রেন) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি নিউ ইয়র্কে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:রুশ ইহুদি মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:লি স্ট্রাসবার্গ থিয়েটার অ্যান্ড ফিল্ম ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীহিতোশি সুগাই পদকের পরিসংখ্যান প্রতিনিধিত্ব করেন 23x23পিক্সেল জাপান পুরুষদের জুডো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সোনা প্রথম স্থান ১৯৮৫ সিউল -৯৫ কেজি সোনা প্রথম স্থান ১৯৮৭ ইসেন -৯৫ কেজি এশিয়ান গেমস রূপা দ্বিতীয় স্থান ১৯৮৬ সিউল -৯৫ কেজি একজন জাপানি জুডো খেলোয়াড়। ১২ বছর বয়স থেকেই তিনি জুডো খেলা শুরু করেন। তিনি ১৯৮৫ ১৯৮৭ সালে পরপর দুটি বিশ্ব জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক লাভ করেন। সুগাই পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে সিউলে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নেন কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই ফ্রান্সের স্টিফেন ট্রাইন্যুর কাছে পরাজিত হন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি'''২০১৮ কলকাতা সেতু বিপর্যয়''' ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর কলকাতার মাঝেরহাট সেতু পতনের কথা বলে। প্রায় টা ৪৫ মিনিটে সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে, যার ফলে কমপক্ষে ২৫ জনকে আহত এবং জনের মৃত্যু হয়। ==মাঝেরহাট সেতু== মাজেরহাট সেতু কলকাতার আলিপুর এলাকায় অবস্থিত। এটি বেহালার মাধ্যমে দক্ষিণ শহরতলিকে শহরের অন্য এলাকাগুলিতে সংযোগকারী একটি প্রধান সড়ক সেতু ছিল। এটি জাতীয় সড়ক ১২ এবং ডায়মন্ড হারবার রোডেরও অংশ। সেতুর পাশে মাঝেরহাট রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। এর পাশে কলকাতা মেট্রো লাইন ৩-এর জন্যও নির্মাণ চলছিল মাঝেরহাটের জন্য একটি পরিকল্পিত স্টেশন রয়েছে সেতুর পাশে। সেতুটি কলকাতা চক্ররেল এবং বজবজগামী ভারতীয় রেলের শিয়ালদাহ দক্ষিণ রেলপথ অতিক্রম করে। ==পটভূমি== কলকাতায় এবং সমগ্র ভারততে সেতু দুর্ঘটনার সময়ে উদ্বেগের বিষয় ছিল সঠিক ভাবে সেতু রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। এই ঘটনার পূর্বে বছরের মধ্যে এটি কলকাতায় তৃতীয় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা ছিল। মার্চ ২০১৩ সালে, উল্টডাঙায় একটি উড়ালপুলের অংশ ভেঙে যায়। ৩১ মার্চ ২০১৬ সালে কলকাতার ব্যস্ত গিরিশ পার্কের কেন্দ্রস্থলে একটি উড়ালপুলের অংশ ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ২৭ জন মারা যায় এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত হন। মাঝেরহাট সেতুটি পতনের সময় দৃশ্যত ৫০ বছর বয়সী ছিল। মাঝেরহাট সেতু সম্পর্কেও উদ্বেগ দেখা দেয়। ২০১০ সালে, মাজহারহাট সেতুর অবতরণ পথের মেরামত করা হয়েছিল। ২০১২ সালে একটি পরীক্ষা সেতুটিকে অনিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করে। ২০১৮ সালে পুলিশ, যাত্রীবাহী আশেপাশের বাসিন্দাদরা সেতুর কাঠামোর মধ্যে দৃশ্যমান ফাটল উদ্ভূত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ==ঘটনা== প্রায় বিকাল ৪:৪৫ টা নাগাদ সেতুটি ভেঙে পড়ে। স্থানীয় এলাকা থেকে ভিডিওগুলি সেতুটির কিছু অংশ দেখিয়েছে। ভিডিও থেকে দেখাযায় ভেঙে পড়া সেতুর মধ্যে অন্তত নয়টি যানবাহন আটকে রয়েছে, যার মধ্যে একটি মিনিবাস রয়েছে। ==ভবিষ্যৎ ফল== দুর্ঘটনার পর, পূর্ব রেলের মাঝেরহাট রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে কলকাতা চক্ররেল এবং শিয়ালদহ-বজবজ রেলপথে ট্রেন পরিচালনা বন্ধ রাখে। উত্তর দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে চলন্ত যানবাহনগুলির জন্য সেতুটি একটি প্রধান রুট হিসেবে ব্যাপক সড়ক ট্র্যাফিক দুর্ঘটনা ঘটায়। ==উদ্ধার প্রচেষ্টা== দুর্ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ, ফোর্ট উইলিয়ম থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইউনিট এবং বিশেষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল এনডিআরএফ দ্বারা উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। আহত ব্যক্তিদেরকে এসএসকেএম, সিএমআরআই বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্ঘটনার পর অগ্রাধিকারের সঙ্গে ত্রাণ এবং উদ্ধার করা কথা বলেন এবং পর দূর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি প্রতিটি মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ₹৫ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রতি ₹৫০০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেন। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে বলেন যে পতনের ক্ষেত্রে প্রাণ হারানো গভীরভাবে দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় রাজনাথ সিং বলেন কলকাতায় সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। নিকটবর্তী কলকাতা মেট্রো লাইন ৩-এর নির্মাণ কাজের জন্য সেতুর ভেঙে পড়ার সম্ভবনাকে অস্বীকার করেন রেল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকল্প ব্যবস্থাপক। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বিপর্যয়'''কমিসিওন কাসকোস ব্লানকোস''' () আর্জেণ্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং মানবিক সহায়তার নকশা প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করে। দ্বিপাক্ষিক বহুপাক্ষিক সহযোগিতার সংযোগের মাধ্যমে এটি সামাজিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অবিলম্বে প্রতিক্রিয়া করে। সংস্থাটি পুনর্বাসন, পুনর্গঠন এবং উন্নয়নমূলক কাজ করে এবং আর্জেন্টিনা এর বাইরে ঝুঁকি প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রচারণা চালায়। ==ইতিহাস== কাসকোস ব্লানকোস '''ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যের বিপক্ষে কমিশন''' নামে ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু করে, যা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিরসনের জন্য কাজ করার জন্য। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে তাদের কর্মকান্ড পরিচলনা করত আর এই কর্মকান্ডের সাথে শুধুমাত্র দাতা দেশগুলোই সম্পৃক্ত ছিল এবং এতে স্বেচ্ছাসেবকদের শুধুমাত্র বিশেষায়িত পেশাদার দল হিসেবে ব্যবহার করা হত। বছর জাতিসংঘের সাধারন পরিষদ কমিসিওন কাসকোস ব্লানকোসকে একটি উদ্যোগ হিসেবে অনুমোদন দেয়, এর নামকরন করা হয় কমিসিওন কাসকোস ব্লানকোস এবং মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দূর্যোগ, সংঘাত যেকোন জরুরী পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়ায় এর কর্মকান্ড বিস্তৃত করা হয়। এটি জাতিসংঘের সাথে যৌথভাবে জরুরী মানবিক পরিস্থিতে পূনর্গঠন পুনবার্সনে কাজ করে থাকে। উপরন্তু এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে এটি জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা "অফিস ফর দ্য কোর্ডিনেশন অব হিউমেনিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স"। তখন থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এই উদ্যোগের জন্য তাদের সহায়তা প্রতি তিন বছর পর নবায়ন করে থাকে। বিশ্বব্যপী কমিসিওন কাসকোস ব্লানকোসের কার্যক্রম কমিসিওন কাসকোস ব্লানকোসের স্বেচ্চাসেবক দল, বলিভিয়া, ফেব্রুয়ারী ২০১৪ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== সরকারি সংস্থা সাহায্য সংস্থা'''''ইয়াদোঁ কি বারাত''''' () হচ্ছে ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র যেটি নাসির হোসেন পরিচালনা করেন এবং কাহিনী লিখেছিলেন সেলিম-জাভেদ (সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার)। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র, জিনাত আমান, তারেক খান, নীতু সিং, বিজয় অরোরা, অজিত খান এবং আমির খান। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই চলচ্চিত্রটি খুবই প্রভাব বিস্তারকারী ছিলো। চলচ্চিত্রটি ছিলো প্রথম 'মশলা চলচ্চিত্র' যেখান মারামারি, কাহিনী, প্রেম, সঙ্গীত, অপরাধ এবং রোমাঞ্চকর জঁরা ছিলো। এই মশলা হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে জনপ্রিয় জঁরা হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ''ইয়াদোঁ কি বারাত'' বলিউডের প্রথম সর্বজঁরাবাদী চলচ্চিত্র ছিলো। চলচ্চিত্রটি জিনাত আমান নীতু সিংয়ের চলচ্চিত্র কর্মজীবনের অন্যতম মাইলফলক ছিলো, তারা দুইজনেই সত্তরের দশক জুড়ে বলিউডে কেন্দ্রীয় অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন; এবং নাসির হোসেনের ভাতিজা আমির খান শিশুশিল্পী হিসেবে এই চলচ্চিত্রেই প্রথম অভিনয় করেন, যিনি বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর বলিউডের শীর্ষ তারকা হয়ে ওঠেন। চলচ্চিত্রটি রাহুল দেব বর্মণ সঙ্গীত পরিচালনা করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। মোহাম্মদ রফি এবং আশা ভোঁসলে এর গাওয়া 'চুরা লিয়ে হে তুমনে' গানটি দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলো। চলচ্চিত্রটি তামিল ভাষায় ''নালাই নামাদে'' নামে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছিলো যেখানে তামিল চলচ্চিত্র শিল্পের খ্যাতিমান অভিনেতা এম জি রামচন্দ্রন অভিনয় করেন। ==কুশীলব== ধর্মেন্দ্র শঙ্কর জিনাত আমান সুনিতা তারেক খান রতন মন্টো নীতু সিং নৃত্যশিল্পী ("লে কর হাম দিওয়ানা দিল" গান) বিজয় অরোরা বিজয় অজিত খান সকাল আমির খান শিশু রতন অশু শঙ্কর, বিজয় রতনের মা সত্যেন কাপ্পু জ্যাক জালাল আগা সেলিম ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র'''রায়শ্রী উত্তর''' বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত শাহরাস্তি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের আয়তন ৩০ বর্গ কিলোমিটার। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের জনসংখ্যা ২২,৩৩০ জন। == অবস্থান সীমানা == শাহরাস্তি উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের দক্ষিণে রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন, পশ্চিমে মেহের দক্ষিণ ইউনিয়ন মেহের উত্তর ইউনিয়ন, উত্তরে কচুয়া উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন এবং পূর্বে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন অবস্থিত। == ইতিহাস == ১৯৮৮ সালে ১৭নং রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন নামে ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। == প্রশাসনিক কাঠামো == রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন শাহরাস্তি উপজেলার আওতাধীন ৫নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম শাহরাস্তি থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৬৪নং নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-৫ এর অংশ। এটি ১৭টি মৌজায় বিভক্ত। ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল: রায়শ্রী রাজাপুর চণ্ডিপুর যাদবপুর গঙ্গারামপুর উনকিলা আনন্দপুর আতাকরা বোগরা খাটরা থামপাড় দহশ্রী হাটপাড় দেহেলা রশিদপুর দাদিয়াপাড়া উল্লাশ্বর == শিক্ষা ব্যবস্থা == রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৭৯%। ইউনিয়নে ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাদ্রাসা ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == মাধ্যমিক বিদ্যালয় *উনকিলা উচ্চ বিদ্যালয় == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == শাহরাস্তি উপজেলা শাহরাস্তি থানা চাঁদপুর জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নিবন্ধস্যার '''টিমোথি কারিও ও’ব্রায়ান''', ৩য় ব্যারোনেট (; জন্ম: নভেম্বর, ১৮৬১ মৃত্যু: ডিসেম্বর, ১৯৪৮) আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার অধিনায়ক ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৪ থেকে ১৮৯৬ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে বোলিং করতেন '''টিম ও’ব্রায়ান'''। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে টিম ও’ব্রায়ানের জন্ম। সমারসেটের ডাউনসাইডের ক্যাথলিক স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর অক্সফোর্ডের নিউ ইন হলে ভর্তি হন। এরফলে ক্রিকেট খেলার সাথে আরও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। মারকুটে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে টিম ও’ব্রায়ানের সুনাম ছিল। ১৮৮৪ ১৮৮৫ সালে ব্লু লাভ করেন। অক্সফোর্ড পক্ষে ২৬৬টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এরপর ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত মিডলসেক্সের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। ১৮৮৪ সালে অক্সফোর্ডের সদস্যরূপে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে খেলে ৯২ রান সংগ্রহ করেন। এরফলে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় দলটি একমাত্র জয় পায়। কাউন্টি ক্রিকেটে বিধ্বংসী ইনিংস খেলার জন্য সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন টিম ও’ব্রায়ান। ১৮৯৫ সালে সাসেক্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০২ রানের ইনিংস খেলেন। পর্যায়ে রবার্ট স্ল্যাড লুকাসের সাথে জুটি গড়ে মাত্র ২০০ মিনিটে ৩৩৮ রান তুলেছিলেন। == টেস্ট ক্রিকেট == সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ১০ জুলাই, ১৮৮৪ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে টিম ও’ব্রায়ানের। ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের মুখোমুখি হন। চারবছর পর পুণরায় লর্ডসে খেলেন। তবে উভয়ক্ষেত্রেই নিজের নামের প্রতি মর্যাদা রাখতে পারেননি তিনি। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সদস্যরূপে দুইবার বিদেশ সফরে যান। ১৮৮৭-৮৮ মৌসুমে জর্জ ভার্ননের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়া এবং ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে মার্টিন হকের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। তন্মধ্যে, ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৬ সালে পোর্ট এলিজাবেথে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। খেলায় জর্জ লোহম্যানের ৭/৩৮ ৮/৭ বোলিং পরিসংখ্যানের প্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড দল বিরাট ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। আয়ারল্যান্ডের অধিনায়কসহ ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন টিম ও’ব্রায়ান। সংক্ষিপ্ত সময়ের ইংল্যান্ড সফরে নিজ জন্মদিনে প্রাক্তন বিপক্ষে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে রেকর্ড গড়েন। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তার রেকর্ড টিকেছিল। == ব্যক্তিগত জীবন == দ্বিতীয় ব্যারন স্যার হামফ্রে ডি ট্রাফোর্ডের কন্যা অ্যানেট টেরেসা ডি ট্রাফোর্ডের সাথে ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫ তারিখে অল সেইন্টস চার্চে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। দম্পতির ১০ সন্তান ছিল। তন্মধ্যে, টিমোথি জুনিয়র প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্ল্যান্ডার্সে নিহত হন। অপর কন্যা সিসেল ও’ব্রায়ান সুপরিচিত পাইলট হিসেবে পথিকৃৎ হয়ে আছেন। ডিসেম্বর, ১৯৪৮ তারিখে আইল অব ম্যানের র‌্যামসে এলাকায় ৮৭ বছর বয়সে টিমও’ব্রায়ানের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন মধ্যকার টেস্টে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্ববয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত ক্রিকেটার ছিলেন। অপর ভ্রাতা জন আয়ারল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:আই জিঙ্গারির ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ক্রিকেটার অব ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ভার্সাস সাউথের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার'''জেরেমি জন আয়রন্স''' (; জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা। ব্রিস্টলের ওল্ড ভিস থিয়েটার স্কুল থেকে ধ্রুপদী অভিনয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তিনি ১৯৬৯ সালে মঞ্চে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি ওয়েস্ট এন্ড থিয়েটারের অসংখ্য নাটকে কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ''দ্য উইন্টার্স টেল'', ''ম্যাকবেথ'', ''মাচ অডো অ্যাবাউট নাথিং'', ''দ্য টেমিং অব দ্য শ্রু'', ''গডস্পেল'', ''সেকেন্ড রিচার্ড'', এবং ''এমবার্স''। ১৯৮৪ সালে টম স্টপার্ডের ''দ্য রিয়াল থিং'' নাটক দিয়ে ব্রডওয়ে মঞ্চে তার অভিষেক হয় এবং এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে টনি পুরস্কার লাভ করেন। আয়রন্সের প্রথম মূলধারার চলচ্চিত্র ছিল ১৯৮১ সালের প্রণয়ধর্মী নাট্য ''দ্য ফ্রেঞ্চ লেফটেন্যান্ট্‌স ওম্যান'', যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি নাট্যধর্মী ''মুনলাইটিং'' (১৯৮২), ''বিট্রেয়াল'' (১৯৮৩) ''দ্য মিশন'' (১৯৮৬)-এ অভিনয় করার পর ডেভিড ক্রোনেনবার্গের মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ''ডেড রিঙ্গার্স'' (১৯৮৮)-এ অভিনয় করে সমাদৃত হন। ১৯৯০ সালে আয়রন্স ''রিভার্সাল অব ফরচুন'' চলচ্চিত্রে দাগী আসামী ক্লাউস ফন বুলো চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন। আয়রন্স কয়েকটি উল্লেখযোগ্য টেলিভিশন নাটকে কাজ করেছেন এবং আইটিভি চ্যানেলে প্রচারিত ধারাবাহিকে ''ব্রাইডশেড রিভিজিটেড'' (১৯৮১)-এ কাজ করে তার প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি ঐতিহাসিক মিনি ধারাবাহিক ''ফার্স্ট এলিজাবেথ''-এ কাজ করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এমি পুরস্কার অর্জন করেন। এই এমি পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি "অভিনয়ের ত্রিমুকুট" (চলচ্চিত্রে অস্কার, টেলিভিশনে এমি এবং মঞ্চে টনি পুরস্কার) জয়ী অভিনয়শিল্পী তালিকায় নিজের নাম লেখান। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালে তিনি শোটাইমের ঐতিহাসিক ধারাবাহিক ''দ্য বোরজোয়া''-এ ষষ্ঠ পোপ আলেকজান্ডার চরিত্রে অভিনয় করেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেতা বংশোদ্ভূত ইংরেজ ব্যক্তি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কণ্ঠ অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা মঞ্চ অভিনেতা শেকসপিয়রীয় অভিনেতা পরিবার অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেতা নাট্য চলচ্চিত্র) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:টনি পুরস্কার বিজয়ী বিদেশি অভিনেতা বিভাগে দাভিদ দি দোনাতেল্লো বিজয়ী এমি পুরস্কার বিজয়ী সেজার প্রাপক অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার বিজয়ী শেকসপিয়ার কোম্পানির সদস্য'''সুষমা স্বরাজ''' () ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ আগস্ট ২০১৯) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক আইনজীবী। ভারতীয় জনতা পার্টির একজন সিনিয়র নেতা সাবেক সভাপতি, তিনি ২৬ মে ২০১৪ সাল থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন; ইন্দিরা গান্ধীর পর তিনি দ্বিতীয় নারী হিসাবে এই দফতরের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি সংসদ সদস্য (লোকসভা) হিসাবে সাতবার এবং আইন পরিষদের (বিধানসভা) সদস্য হিসাবে তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৭ সালে ২৫ বছর বয়সে, তিনি উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যর মন্ত্রীসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৩ অক্টোবর ১৯৯৮ সাল থেকে ডিসেম্বর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লীর ৫ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ==প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা== সুষমা স্বরাজ (নীর শর্মা) ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে হরিয়ানার আম্বালা ক্যান্টনমেন্টে হারেদে শর্মা শ্রীমতী লক্ষ্মী দেবীর সন্তান হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন বিশিষ্ট সদস্য। তার বাবা-মা পাকিস্তানের লাহোর শহরের ধরামপুরা এলাকা থেকে এসেছিলেন। তিনি আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের সনাতন ধর্ম কলেজে পড়াশোনা করেন এবং সংস্কৃত রাজনৈতিক বিজ্ঞানে প্রধানের সাথে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যয়ন করেন। হরিয়ানার ভাষা বিভাগ দ্বারা অনুষ্ঠিত একটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় তাকে তিন বছরের জন্য সেরা হিন্দি বক্তার পুরস্কার জিতেছিল। তিনি Aug 2019 মৃত্যুবরণ করেন। ==পেশা== ১৯৭৩ সালে সুষমা স্বরাজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে অনুশীলন শুরু করেন। ==কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী (২০০৩-২০০৪)== তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৪ এর সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বের সরকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। এই কার্যকালে তিনি ছয়টি অখিল ভারতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান সংস্থান গঠন করেন। এগুলি ভোপাল ,ভুবনেশ্বর ,যোধপুর পাটনা রায়পুর এবং ঋষিকেশ- অবস্থিত। ==রাজ্যসভা সাংসদ (২০০৬-২০০৯)== ২০০৬ সালে হতে ২০০৯ সালের নির্বাচন পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভা সাংসদ ছিলেন। এটা ছিল তার ৫ম বারের মতো রাজ্যসভার সদস্য হওয়া। ==লোকসভা বিরোধী দলনেত্রী (২০০৯-২০১৪)== প্রায় লক্ষ ভোটের ব্যাবধানে মধ্য প্রদেশের বিদিশা কেন্দ্র থেকে বিজয়ের পর লালকৃষ্ণ আডবাণী উত্তরসূরি রূপে লোকসভায় বিরোধী দলনেত্রী নির্বাচিত হন। এই পদে তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচন পর্যন্ত বহাল থাকেন। ==পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী== ২০১৪ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে মধ্যপ্রদেশে বিদিশা লোকসভা কেন্দ্র জিতেছিলেন ৪,০০,০০০ ভোটের পার্থক্য দ্বারা এবং তিনি নিজের আসন ধরে রেখেছিলেন। ২৬ মে ২০১৪ সালে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী হয়ে ওঠে। মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল কর্তৃক সুষমা স্বরাজ'কে ভারতের 'সর্বাধিক প্রিয় রাজনীতিবিদ' বলা হয়। ইন্দিরা গান্ধীর পর তিনি '''দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা''' যিনি এই পদে আসীন হলেন। ===ওআইসি সম্মেলন=== অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো অপারেশনের বিদেশ মন্ত্রীদের ৪৬ তম পরিষদীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছে ভারত। ২০১৯ এর মার্চ মাসের তারিখ আবু ধাবিতে এই বৈঠক সুষমা স্বরাজকে '''গেস্ট অফ অনার''' হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিদেশমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। এই '''প্রথমবার''' সম্মেলনে ভারত গেস্ট অফ অনার হিসেবে আমন্ত্রিত হচ্ছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জনতা পার্টির রাজনীতিবিদ জন্ম লোকসভার সদস্য লোকসভার সদস্য লোকসভার সদস্য লোকসভার সদস্য মৃত্যু'''বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম''' (পূর্বনাম '''কক্সবাজার স্টেডিয়াম'''; বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ফুটবল স্টেডিয়াম নামে পরিচিত) ১৯৫৬ সালে নির্মিত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। মূলত ক্রিকেট স্টেডিয়াম হলেও অন্যান্য খেলা যেমন ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ইত্যাদি প্রশিক্ষণ প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এই স্টেডিয়ামের নাম ১২ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নামে পরিবর্তন করা হয়। == আরও দেখুন == কক্সবাজার ক্রিকেট স্টেডিয়াম == তথ্যসূত্র == জেলা ফুটবল মাঠ স্টেডিয়াম'''লালমাটিয়া মহিলা কলেজ''' ঢাকা বাংলাদেশের একটি বেসরকারি কলেজ। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং সাধারণ কক্ষ রয়েছে। কলেজটির যাত্রা শুরু ২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে, ১২ বিঘা জমির ওপর ভবন। কলেজের এক স্মরণিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লালমাটিয়া কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে। সোসাইটির টাকা, নিজেদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ এবং বিত্তবান ব্যক্তিদের সহায়তায় কলেজটি দাঁড়িয়ে গেছে। এখন এর শিক্ষার্থী প্রায় সাত হাজার। শিক্ষক ১৩১ জন। ==ইতিহাস== ১৯৬৬ সালে লালমাটিয়া মহিলা কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক কোর্সের পাশাপাশি জাতীয় অধীনে স্নাতক পাস, সম্মান, মাস্টার্স প্রিলিমিনারি এবং ফাইনাল কোর্স রয়েছে এখানে। ==প্রতিষ্ঠা অর্জন == কলেজটি ১৯৯১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ঢাকা মহানগরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষালয়ের গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ র‍্যাংকিং-২০১৫ সমগ্র বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারী পর্যায়ের অনার্স মাস্টার্স কলেজের মধ্যে ১০ম এবং বেসরকারী কলেজের মধ্যে ২য় স্থান অধিকার করে। ঢাকা ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে দেশের অন্যতম সেরা পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং মহিলা কলেজগুলো মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ==অনুষদ সমূহ== ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, অর্থনীতি, মার্কেটিং, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, গণিত, প্রাণিবিদ্যা, বিবিএ (প্রফেশনাল) == গবেষণাগার== কলেজটিতে পর্দথবিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, সাচিবিকবিদ্যা অফিস ব্যবস্থাপনা, মনোবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং ভূগোল সহ ৮টি গবেষণাগার রয়েছে। ==অবস্থান== লালমাটিয়া মহিলা কলেজ লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি লালমাটিয়া ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ ==আরও দেখুন== সরকারি কলেজ বেসরকারি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার কলেজ প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি কলেজ'''ডেবরা জেন কার-ট্রিমার''', সিবিই (; জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯২১ ১৬ অক্টোবর ২০০৭) ছিলেন একজন স্কটিশ অভিনেত্রী। তিনি চলচ্চিত্র, মঞ্চ টেলিভিশনে অভিনয় করতেন। কর্মজীবনে তিনি ছয়বার একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন, যা কোন পুরস্কার না জিতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে সর্বাধিক মনোনয়নের রেকর্ড। তিনি সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র ''দ্য কিং অ্যান্ড আই'' (১৯৫৬)-এ অ্যানা লেওনোওয়েন্স চরিত্রে তার কাজের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল পুরস্কার জয় করেন। ১৯৯৪ সালে "নিখুঁত লাবণ্য সৌন্দর্য নিবেদিত প্রাণ অভিনেত্রী, যার চলচ্চিত্র কর্মজীবন সবসময় পরিপূর্ণ, নিয়মানুবর্তি মার্জিত ছিল" উল্লেখ করে তাকে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল ''কু ভাদিস'' (১৯৫১), ''ফ্রম হিয়ার টু ইটার্নিটি'' (১৯৫৩), ''অ্যান অ্যফেয়ার টু রিমেম্বার'' (১৯৫৭), ''হেভেন নোস, মিস্টার অ্যালিসন'' (১৯৫৭), ''দি ইনোসেন্টস'' (১৯৬১), ''ব্ল্যাক নার্সিসাস'' (১৯৪৭), ''কিং সলোমন্‌স মাইন্স'' (১৯৫০), ''দ্য লাইফ অ্যান্ড ডেথ অব কর্নেল ব্লিম্প'' (১৯৪৩), ''দ্য সানডোহার্স'' (১৯৬০) এবং ''সেপারেট টেবলস্‌'' (১৯৫৮)। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর স্কটিশ অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর স্কটিশ অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী অভিনেত্রী রোগে মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ প্রবাসী ব্রিটিশ প্রবাসী ব্রিটিশ প্রবাসী অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার সম্মানসূচক পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী বিদেশি অভিনেত্রী বিভাগে দাভিদ দি দোনাতেল্লো বিজয়ী'''মন্দিরবাজার (বিধানসভা কেন্দ্র)''' ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। ==এলাকা== ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ১৩৫ নং মন্দিরবাজার (এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রটি মন্দিরবাজার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং দক্ষিণ, উত্তর, মথুরাপুর পশ্চিম মথুরাপুর পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি মথুরাপুর-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এর অন্তর্গত। মন্দিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রটি ২০ নং মথুরাপুর (এসসি) লোকসভা কেন্দ্র এর অন্তর্গত। ==বিধানসভার বিধায়ক== নির্বাচনবছর কেন্দ্র বিধায়ক রাজনৈতিক দল ১৯৭৭ মন্দিরবাজার রেনুপদ হালদার সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট) সুভাষ রায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সুভাষ রায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সুভাষ রায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নিকুঞ্জ পাইক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০১| চৌধুরী মোহন জাটুয়া সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ২০০৬| ডা. তপতী সাহা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০১১| জয়দেব হালদার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১১=== ২০১১ সালের নির্বাচনে, তৃণমূল কংগ্রেসের জয়দেব হালদার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই (এম) এর ডা. শরৎ হালদারকে পরাজিত করেন। ===১৯৭৭-২০০৬=== ২০০৬ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে, সিপিআই (এম) এর ডা. তপতী সাহা মন্দিরবাজার (এসসি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হন, তৃণমূল কংগ্রেসের চৌধুরী মোহন জাটুয়াকে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের চৌধুরী মোহন জাটুয়া ২০০১ সালে জয়ী হন, সিপিআই (এম) এর নিকুঞ্জ পাইককে পরাজিত করেন। ১৯৯৬ সালে সিপিআই (এম) এর নিকুঞ্জ পাইক কংগ্রেসের তপন সরদারকে পরাজিত করেন। ১৯৯১, ১৯৮৭ এবং ১৯৮২ সালে সিপিআই (এম) এর সুভাষ রায় জয়ী হন, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের সনত পাল্ককে পরাজিত করেন, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের দুর্গাচরণ মণ্ডলকে এবং ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের বীরেন্দ্রনাথ হালদারকে পরাজিত করেন। রেনুপদ হালদার এসইউসি ১৯৭৭ সালে সিপিআই (এম) এর সুভাষ রায়কে পরাজিত করেন। এর আগে এই কেন্দ্রটি বিদ্যমান ছিল না। ==তথ্যসূত্র== বিধানসভা কেন্দ্র চব্বিশ পরগণা জেলার রাজনীতি'''মগরাহাট পূর্ব (বিধানসভা কেন্দ্র)''' ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। ==এলাকা== ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ১৪১ নং মগরাহাট পূর্ব (এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রটি মগরাহাট-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এর অন্তর্গত। মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৯ নং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র (এসসি) এর অন্তর্গত। পূর্বে এই কেন্দ্রটি মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্র এর অন্তর্গত ছিল। ==বিধানসভার বিধায়ক== নির্বাচনবছর কেন্দ্র বিধায়ক রাজনৈতিক দল ১৯৫১ মগরাহাট আব্দুল হাশেম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অর্ধেন্দু শেখর নস্কর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৫৭| আব্দুল হাশেম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অর্ধেন্দু শেখর নস্কর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৬২ মগরাহাট ইস্ট অর্ধেন্দু শেখর নস্কর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৬৭| রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) মনোরঞ্জন হালদার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নির্মল সিনহা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) নির্মল সিনহা ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০১| বাঁশরী মোহন কাঞ্জি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০৬| বাঁশরী মোহন কাঞ্জি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০১১ মগরাহাট পূর্ব নমিতা সাহা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১১=== ২০১১ সালে, তৃণমূল কংগ্রেসের নমিতা সাহা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই (এম) এর চন্দন সাহাকে পরাজিত করেন। ===১৯৭৭-২০০৬ মগরাহাট ইস্ট=== ২০০৬ এবং ২০০১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে, সিপিআই (এম) এর বাঁশরী মোহন কাঞ্জি ১২১ নং মগরাহাট ইস্ট (এসসি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের নমিতা সাহাকে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। সিপিআই (এম) নির্মল সিনহা ১৯৯৬ এবং ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের নমিতা সাহাকে পরাজিত করেন। সিপিআই (এম) এর রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের মনোরঞ্জন হালদারকে পরাজিত করেন, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের নির্মল কান্তি মন্ডলকে এবং ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের মনোরঞ্জন হালদারকে পরাজিত করেন। ===১৯৬২-১৯৭২ মগরাহাট ইস্ট=== ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের মনোরঞ্জন হালদার জয়ী হন। সিপিআই (এম) এর রাধিকা রঞ্জন প্রামাণিক ১৯৭১, ১৯৬৯ এবং ১৯৬৭ সালে জয়ী হন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের অর্ধেন্দু শেখর নস্কর জয়ী হন। ===১৯৫১-১৯৫৭ মগরাহাট=== ১৯৫৭ এবং ১৯৫১ সালে মগরাহাট একটি যৌথ আসন ছিল। উভয় নির্বাচনে, কংগ্রেসের আব্দুল হাশেম অর্ধেন্দু শেখর নস্কর উভয়ই মগরাহাট কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ==তথ্যসূত্র== বিধানসভা কেন্দ্র চব্বিশ পরগণা জেলার রাজনীতি'''জাডোন মালিক সান্চো''' (জন্ম ২৫ মার্ট ২০০০) হলেন একজন ইংরেজ পেশাদার ফুটবলার, যিনি একজন উইঙ্গার হিসেবে জনপ্রিয় জার্মান ঘরোয়া ফুটবল লিগ বুন্দেসলিগা-এর ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-এর হয়ে খেলে থাকেন। পূর্বে তিনি ইংল্যান্ডের ক্লাব ওয়াটফোর্ড এবং জনপ্রিয় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি-এ একজন কিশোর খেলোয়াড় ছিলেন। একজন ইংরেজ কিশোর আন্তর্জাতিক ফুটবলার, সান্চো ২০১৭ সালের ২০১৭ ফিফা আনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ দলের একজন সদস্য ছিলেন, যেটি সেই আসরটিতে শিরোপা জয় করে। ==প্রাথমিক জীবন== সান্চোর জন্ম, ইংল্যান্ড-এর রাজধানী লন্ডন শহরে, ক্যারিবীয় ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো-থেকে আগত পিতা-মাতার পরিবারে। ==ক্লাব খেলোয়াড়ী জীবন== ===প্রাথমিক খেলোয়াড়ী জীবন=== সান্চো, মাত্র সাত বছর বয়সে ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব ওয়াটফোর্ড-এ যোগ দেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ইপিপিপি-এর আওতায় প্রাথমিকভাবে ৬৬,০০০ পাউন্ডের বেতনের বিনিময়ে সান্চো, জনপ্রিয় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি-এ চলে আসেন, যদিও টাকার অংকটি বেড়ে লাখ পাউন্ডে দাড়ায়। সান্চো ম্যানচেস্টার সিটি একাডেমীতে প্রতিনিয়নত মুগ্ধ করতে থাকেন এবং তিনি তিনজন খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ছিলেন, যাদের সম্পর্কে ম্যানচেস্টার সিটির সভাপতি খালদুন আল মুবারক বলেছিলেন ২০১৭ সালের মে মাসের মধ্যে খুব দ্রুত তাদেরকে জেষ্ঠ দলে দেখাযাবে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে, নতুন চুক্তির সময় খেলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় সান্চোকে প্রাক মৌসুমের সফরত দল থেকে বাদ দদেয়া হয়। পরবর্তীকালে জানানো হয় যে, সান্চো ক্লাব থেকে জোর করে চলে যেতে চেয়েছিলো। ===বরুশিয়া ডর্টমুন্ড=== ২০১৭ সালের ৩১শে আগষ্ট, সান্চো জার্মান ঘরোয়া লিগ মুন্দেসলিগা-এর জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-এ মিলিয়ন পাউন্ডের মত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে যোগ দেন এবং তখনই তাকে দলের প্রথম ১১ জনের মূল দলে সম্প্রতি চলে যাওয়া উসমান দেম্বেলে-এর নম্বর জার্সিতে যুক্ত করা হয়। ==আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন== সান্চো ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক কিশোর জাতীয় দল সমূহে খেলেছেন, যেগুলো অনুর্ধ-১৬, অনুর্ধ-১৭ এবং অনুর্ধ-১৮ পর্যায়ে। ২০১৭ সালের মে মাসে আয়োজিত, ইউরোপিয়ান অনুর্ধ-১৭ জন্য করা ইংল্যান্ড অনুর্ধ-১৭ দল-এর সাথে যুক্ত ছিলেন, যেটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছিলো, তিনি তার খেলোয়াড়ী নৈপুন্যের জন্য প্রতিযোগিতাটির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে, ২০১৮–১৯ মৌসুমে এক চিত্তাকর্ষক শুরুর পরবর্তীকালে, সান্চো ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর ইউয়েফা নেশনস কাপ-এর সূচিতে ক্রোয়েশিয়া এবং স্পেন জাতীয় দলের সাথে ম্যাচের জন্য অনুশীলনে প্রথম বারের মত ইংল্যান্ডের জেষ্ঠ দলে ডাক পান। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Jadon Sancho profile at the Borussia Dortmund website জন্ম ব্যক্তি লন্ডন থেকে আগত ফুটবলার ফুটবলার কিশোর আন্তর্জাতিক ফুটবলার উইঙ্কার ডর্টমুন্ড খেলোয়াড় খেলোয়াড় ইংরেজ ক্রিয়া ব্যক্তিত্ব'''মুকুর''' (এছাড়াও বানান করা হয়ে থাকে '''মোকুর''') আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। ২০০২ সালের আদমশুমারীর আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, জেলাটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭০,৯০০ জন এর মত, যেখানে এখানকার জনসংখ্যার বেশিরভাগ পশতুনই আলী খেল সম্প্রদায়ের যেখানে ১% হাজারা এবং তাজিক। যার মধ্যে ১৯,৮৩৮ জন শিশু ১২ বছরের কম বয়স। == অঞ্চল সমূহ== জেলাটি প্রধান ৪টি এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে: খোবান্দ পশতুন এলাকা খোদজাই পশতুন এলাকা গাদাখেল পশতুন এলাকা মঞ্জার খেলা পশতুন, হাজারা, তাজিক এবং হিন্দু অঞ্চল ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Map of Muqur (PDF) প্রদেশের জেলা'''নদনা''' বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত সোনাইমুড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == সোনাইমুড়ি উপজেলার উত্তরাংশে নদনা ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের পশ্চিমে জয়াগ ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে দেওটি ইউনিয়ন, দক্ষিণে সোনাপুর ইউনিয়ন বজরা ইউনিয়ন, পূর্বে সোনাইমুড়ি পৌরসভা চাষীরহাট ইউনিয়ন এবং উত্তরে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়ন সরসপুর ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == নদনা ইউনিয়ন সোনাইমুড়ি উপজেলার আওতাধীন ২নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম সোনাইমুড়ি থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৬৮নং নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-১ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == সোনাইমুড়ি উপজেলা সোনাইমুড়ি থানা নোয়াখালী জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''ক্লিফটন ওয়েব''' নামে পরিচিত '''ওয়েব পারমেলি হলেনবেক''' ((; ১৯ নভেম্বর ১৮৮৯ ১৩ অক্টোবর ১৯৬৬) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, গায়ক। তিনি ''লরা'' (১৯৪৪), ''দ্য রেজর্স এজ'' এবং ''সিটিং প্রিটি'' (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এই তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি তিনটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ''দ্য রেজর্স এজ'' চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ''স্টারস অ্যান্ড স্ট্রাইপস ফরেভার'' (১৯৫৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। মঞ্চে তিনি নোয়েল কাওয়ার্ড রচিত নাটকে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ''ব্লিদ স্পিরিট''। এছাড়া তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে কয়েকটি সফল সঙ্গীতধর্মী রিভিউয়ে কাজ করেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== ওয়েব ১৮৮৯ সালের ১৯শে নভেম্বর ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপোলিস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ওয়েব পারমেলি হলেনবেক। তার পিতা জ্যাকব গ্র্যান্ট হলেনবেক (১৮৬৭ মে, ১৯৩৯) ছিলেন একজন টিকেট ক্লার্ক ইন্ডিয়ানা কৃষক পরিবারের একজন মুদি দোকানীর সন্তান এবং তার মাতা মেবল এ. পারমেলি (২৪ মার্চ ১৮৬৯ ১৭ অক্টোবর ১৯৬০) ছিলেন রেল কন্ডাক্টর ডেভিড পারমেলির কন্যা। ওয়েব তার পিতামাতার একমাত্র সন্তান। তার পিতামাতা ১৮৮৮ সালের ১৮ই জানুয়ারি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের কানকাকি শহরে বিয়ে করেন। ১৮৯১ সালে তাদের সন্তান ওয়েব জন্মের কিছুদিন পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তিনি তার পিতার সাথে অল্প যোগাযোগ করতেন, কিন্তু তার মায়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার মায়ের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তারা একত্রে সময় কাটাতেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেতা নৃত্যশিল্পী মঞ্চ অভিনেতা ফরেভার সেমেটারিতে সমাহিত গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেতা চলচ্চিত্র) বিজয়ীবাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের দক্ষিণে আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন, পূর্বে জিরতলী ইউনিয়ন গোপালপুর ইউনিয়ন, উত্তরে সোনাইমুড়ি উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়ন, উত্তর-পশ্চিমে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন বেগমগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন ১নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বেগমগঞ্জ থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭০নং নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৩ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == বেগমগঞ্জ উপজেলা বেগমগঞ্জ থানা নোয়াখালী জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''''গাভী বিত্তান্ত''''' বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ লেখক আহমদ ছফা রচিত একটি উপন্যাস। উপন্যাসটি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। ''গাভী বিত্তান্ত'' উপন্যাসে চিত্রায়িত হয়েছে একজন উপাচার্যের গোলামি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির নোংরা কদর্য রূপ। == পটভূমি == ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ঢাকা উপাচার্য ছিলেন জৈবরসায়নের অধ্যাপক আবদুল মান্নান। ছাত্রদের গোলাগুলির মাঝখানে পড়লে ‘বিশেষ যোগ্যতায়’ নিয়োগ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের গর্ভবতী গাভিটি নিহত হয়। সত্য ঘটনাকে উপজীব্য ধরে রচিত ''গাভী বিত্তান্ত'' উপন্যাসের প্রকাশ হয় ১৯৯৫ সালে। উপন্যাসের অনেক চরিত্রই পাঠকদের তাই চেনা-পরিচিত মনে হবে। কোনো নাম উল্লেখ না করেই উপন্যাসে ছফা বলেন, == কাহিনীসংক্ষেপ == রসায়নের অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ আবু জুনায়েদ দেশের সেরা প্রাচীনতম উপাচার্য নির্বাচিত হয়েছেন। রসায়ন বিভাগের সুন্দরী শিক্ষিকা দিলরুবা খানমের আকর্ষণে জুনায়েদ ডোরাকাটা দলের শিক্ষক রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। পূর্ববর্তী উপাচার্যের উপর ক্ষোভবশত দিলরুবা খানম তাঁর নারীপ্রভাবকে কাজে লাগিয়ে জুনায়েদকে উপাচার্য প্যানেলে ঢুকিয়ে দেন। স্বৈরাচারী সরকারের অবাধ্য হবে না বলে রাষ্ট্রপতি (যিনি পদাধিকারবলে সকল আচার্যও) জুনায়েককেই উপাচার্য নিয়োগ দেন। এই উপাচার্যের পদে আসীন হওয়ার পর জুনায়েদের চরিত্রের বিবর্তনকে ঘিরে আবর্তিত হয় উপন্যাসের কাহিনী। ঠিকাদার শেখ তবারক আলী উপাচার্যকে হাতে রাখতে জুনায়েদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে একটি দুর্লভজাতের গাভী কিনে দেন এবং ভিসির বাংলোতে শেখ তবারক আলী নিজ জামাতা বুয়েটপাস সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আবেদ হোসেনকে দিয়ে গোয়ালঘর বানিয়ে দেন। পরবর্তীতে উপাচার্য আবু জুনায়েদের জীবন এবং ভবিষ্যৎ সবটাই হয়ে পড়ে এই গোয়ালঘরকে রঙ্গমঞ্চ বানিয়ে আহমদ ছফা দৈন্যদশা এবং শিক্ষকরাজনীতির নোংরা বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। == উল্লেখযোগ্য চরিত্র == মিয়া মোহাম্মদ আবু জুনায়েদ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক উপাচার্য বেগম নুরুন্নাহার বানু আবু জুনায়েদের স্ত্রী দিলরুবা খানম ডোরাকাটা দলের শিক্ষক রাজনীতিতে অতিসক্রিয় রসায়ন বিভাগের সুন্দরী শিক্ষিকা। আবু জুনায়েদের উপাচার্য হওয়ার পিছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শেখ তবারক আলী মহিলা ছাত্রীনিবাস নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঝানু ঠিকাদার আবেদ হোসেন তবারক আলীর জামাতা, বুয়েটপাস সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জনার্দন চক্রবর্তী সংস্কৃত বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক। একদা আবু জুনায়েদকে বাংলা পড়িয়েছিলেন। মাওলানা আবু তাহের ড. সাইফুল আলম == পর্যালোচনা প্রভাব == alt= প্রেক্ষাপটে, বিশেষত বাংলাদেশের শিক্ষক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে রচিত বাংলা ভাষার সবচেয়ে শক্তিশালী উপন্যাস হিসেবে গণ্য ''গাভী বিত্তান্ত''। নোংরা শিক্ষক রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠলে ''গাভী বিত্তান্ত''কে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঢাকা ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ অক্টোবর গৃহীত 'ঘ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনকারী প্রতিবাদ জানাতে আহমদ ছফার ''গাভী বিত্তান্ত'' বইটি পড়েছিলেন। পরবর্তীতে ফলাফল বাতিলকৃত এবং ১৬ই নভেম্বর ভর্তিপরীক্ষা পুনরায় গৃহীত হয়। == তথ্যসূত্র == উপন্যাস উপন্যাস ছফাবাঙলা ভাষার নির্মিত দ্য গড অফ স্মল থিংস বা জড়েশ্বর -ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন সৌদ জুবায়ের। ছবিটি -এীদেশীয় যৌথ-নির্মাণে তৈরি। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটান ফিল্ম একাডেমি, পোল্যান্ডের জাতীয় ফিল্ম ইনস্টিটিউট এবং সিটি কলেজ অফ সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কের অর্থায়নে নির্মিত হয়, এবং ২০১৭ ফেব্রুয়ারীতে চলচ্চিত্রটি সম্পন্ন মুক্তি পায়। ২০১৭ সালের মে মাসে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্ম বিভাগে প্রদর্শিত হয় জড়েশ্বর (দ্য গড অফ স্মল থিংস)। == পুরস্কার == নিউইয়র্কে ৯ম বার্ষিক CUNY চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭ সালে সেরা চিত্রনাট্য এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিজয়ী রিল সিটি ফিল্ম ফেস্টিভাল, নিউইয়র্ক ২০১৭-এ জুরি পুরস্কার -সেরা চলচ্চিত্র বিজয়ী। কোলকাতা কাল্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০১৭ সালে সেরা স্টুডেন্ট পরিচালক বিজয়ী। ইউরোপীয় সিনেমাটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড (ইএসি) ২০১৭ সালের সেরা পরিচালক বিজয়ী। ফ্রান্সের ৪৫তম ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে মনোনীত এবং ৩৩তম শর্ট ফিল্ম মার্কেটের জন্য নির্বাচিত হয়। == তথ্যসূত্র == চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র'''তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। ==অবস্থান আয়তন== তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন এর আয়তন একর। ==নদনদী == == বটবুনিয়া কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোজাম নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৭৮ সালে স্থাপিত তিলডাংগা ইউনিয়ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কামিনীবাসিয়া জি,এল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৬৫ সালে স্থাপিত তিলডাংগা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাকড়াবুনিয়া সিরাজিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয় দক্ষিন তিলডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৫২ সালে স্থাপিত বটবুনিয়া জে,এন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৭ সালে স্থাপিত উত্তর কামিনীবাসিয়া বীনা পানি সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয় ১৯৮১ সালে স্থাপিত আড়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৮ সালে স্থাপিত বটবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯২১ সালে স্থাপিত সত্যপীর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯৫ সালে স্থাপিত কাকড়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৫১ সালে স্থাপিত ৪৭ নং কামিনীবাসিয়া হামিদা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭২ সালে স্থাপিত কাকড়াবুনিয়া এস,এন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৯ সালে স্থাপিত পশ্চিম কামিনীবাসিয়া রাধাগোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭৬ সালে স্থাপিত কামিনীবাসিয়া রাসখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭২ সালে স্থাপিত দক্ষিন কামিনীবাসিয়া দোলখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭৫ সালে স্থাপিত ==অন্যান্য== == তথ্যসূত্র == উপজেলার ইউনিয়ন'''সাচিয়াদহ ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। ==অবস্থান আয়তন== খুলনা জেলা হতে বাস যোগে তেরখাদা থানা আসা যাবে।তেরখাদা উপজেলা হতে পূর্ব দিক গামী পিচের রাস্তা করে নাচুনিয়া বাজার।নৌকাডুবি গ্রামের উপর দিয়ে পাতলা বাজারে আসার পিচের রাস্তা ।সেখান হতে উত্তর দিক চলে গেছে সাচিয়াদহ বাজার।সাচিয়াদহ বাজার হয়ে নলিয়র চর গ্রামের উপরদিয়ে বলরধনা বাজার হয়ে পুনরায় তেরখাদা পৌছাতে হবে। ==নদনদী ==সাচিয়াদহ ইউনিয়নের পূর্ব সিমান্ত দিয়ে আঠারোবাকী নদী যার মাধ্যমে মোল্লাহাট তেরখাদা উপজেলা পৃথক হয়েছে। == সাচিয়াদাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল == তথ্যসূত্র == উপজেলার ইউনিয়ন'''জনাব মোঃ আমজাদ হোসেন তালুকদার''' বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার একজন রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়ীত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনৈতিক নেতা। ==প্রাথমিক জীবন== আমজাদ হোসেন তালুকদার বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ==রাজনৈতিক জীবন== জনাব মোঃ আমজাদ হোসেন তালুকদার বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন এর মাধ্যমে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে কুড়িগ্রাম থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নির্বাচনি এলাকা কুড়িগ্রাম-৩ থেকে নির্বাচিত হন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। ==আরো দেখুন== বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৯১ ==বহিঃসংযোগ== List of 5th Parliament Members 2013 Bangladesh Parliament ==তথ্যসূত্র== জেলার রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ'''কমন ফন'''(বৈজ্ঞানিক নাম: ''Faunis canens (Hübner)'') একপ্রকারের মাঝারী আকৃতির প্রজাপতি। এরা নিমফ্যালিডি পরিবার এবং স্যাটিরিনি উপগোত্রের সদস্য। == আকার == কমন ফন এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৬৫ -৭৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। == উপপ্রজাতি == ভারতে প্রাপ্ত কমন ফন এর উপপ্রজাতিসমূহ হল- ''Faunis canens arcesilas'' Stichel, 1933 Thai Common Faun == বিস্তার == এদের ভারতে সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয় নাগাল্যান্ড, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর থেকে দক্ষিণ ইউনান এর বিভিন্ন অঞ্চলে এদের দেখা যায়। ==বর্ণনা== প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:- কমন ফন প্রজাপতি ব্রাশ ফুটেড উপ -পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। পুরুষ স্ত্রী উভয় নমুনাতেই ডানার রঙ কমলা-বাদামি এবং উভয় ডানার উপরিতল দাগ- ছোপ বিহীন। উভয় ডানার শীর্ষভাগ (apex) প্রায় গোলাকৃতি। ডানার নিম্নতল আগাগোড়া একই রকম ঘন বাদামি ছোটো হলুদ ডিসকাল ছোপযুক্ত। সামনের ডানায় উক্ত হলুদ ডিসকাল ছোপগুলি প্রায় সরলরৈখিক এবং পিছনের ডানার ডিসকাল হলুদ ছোপগুলি বক্রভাবে বিস্তৃত। উভয় ডানার নিম্নতলে বেসাল ,ডিসকাল সাব-টার্মিনাল অংশে কালচে খয়েরি তির্যক আঁকাবাঁকা অবিচ্ছিন্ন রেখা বর্তমান। উভয় ক্ষেত্রেই রেখাগুলি কোস্টাল প্রান্তরেখার সামান্য নিচ থেকে শুরু হয়ে ডরসামের খানিক উপরে শেষ হয়েছে। সামনের ডানার নিম্নতলে অবস্থিত সাব- টার্মিনাল রেখাটি তির্যক তবে আঁকাবাঁকা নয়। পিছনের ডানার নিম্নতলস্থ ডিসকাল রেখাটি বেসাল রেখার সাথে লুপ এর মতো আকৃতি সৃষ্টি করেছে। পুরুষ নমুনায় পিছনের ডানার উপরিতলে গোড়ার দিকে বা বেস ব্র্যান্ড টিকি (tuft) লক্ষ্য করা যায়। মাথা ,বক্ষদেশ (thorax) উদর উপরিতলে কালচে বাদামি এবং নিম্নতলে ধূসর বাদামি। শুঙ্গ কালো বা লালচে বাদামি বর্নের। == আচরণ == এই প্রজাতি ভূমির কাছাকাছি উড়তে থাকে। সাধারণত সকালের প্রথম ভাগে সায়াহ্নে বা গোধূলি লগ্নে (dusk) এদের সক্রিয় দেখা যায়। দিনের বাকি সময় এরা ছায়াচ্ছন্ন আশ্রয়ে যেমন ঘন পাতার ঝোপে বা গাছপালার ছায়ায় থাকতে পছন্দ করে। পুরুষ নমুনার উড়ান স্ত্রী নমুনা অপেক্ষা সক্রিয়তর এবং এরা ভূমির খুব নিচ দিয়ে শূককীটের আহার্য উদ্ভিদের (larval host plant) কাছাকাছি ওড়াউড়ি করে। মাটিতে পরে থাকা পচা ফল, গবাদি পশুর বিষ্ঠা পাতার রস এদের খাদ্য সংগ্রহের অতি প্রিয় মাধ্যম। প্রায়শই এদের পচা ফল, পশুপাখির বিষ্ঠা গাছের পাতার উপর অবস্থান করতে দেখা যায়। সাধারণত ঘন জঙ্গলেই এরা নিজেদের গতিবিধি আবদ্ধ রাখে, তবে নিচু উচ্চতা যুক্ত জঙ্গলে ছোট নদী বা ঝর্ণার পাশে ছায়াচ্ছন্ন অঞ্চলেও এদের দর্শন মেলে। == তথ্যসূত্র == প্রজাপতি প্রদেশে প্রাপ্ত নিমফ্যালিডি গোত্রের প্রজাপতি'''সুখচর''' বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত হাতিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == হাতিয়া উপজেলার সর্ব-উত্তরে সুখচর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের পশ্চিমে হাতিয়া চ্যানেল চর কিং ইউনিয়ন; দক্ষিণে হাতিয়া পৌরসভা; পূর্বে নলচিরা ইউনিয়ন এবং উত্তরে মেঘনা নদী, সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়ন চর ওয়াপদা ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == সুখচর ইউনিয়ন হাতিয়া উপজেলার আওতাধীন ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম হাতিয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৩নং নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৬ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == হাতিয়া উপজেলা হাতিয়া থানা নোয়াখালী জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নিবন্ধ'''কোপা দে লা লিগা''' (স্পেনীয় ভাষায় '''লীগ কাপ''') ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি স্পেনীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা। ==চ্যাম্পিয়নের তালিকা== মৌসুম প্রথম লেগের হোম দল দ্বিতীয় লেগের হোম দল প্রথম লেগের স্কোর দ্বিতীয় লেগের স্কোর ফলাফল (সামগ্রিক) ১৯৮৩ রিয়াল মাদ্রিদ '''বার্সেলোনা ২–২ ১–২ ৩–'''৪''' ১৯৮৪ আতলেতিকো মাদ্রিদ '''ভায়াদোলিদ ০–০ ০–৩ ০–'''৩''' ১৯৮৫ আতলেতিকো মাদ্রিদ '''রিয়াল মাদ্রিদ ৩–২ ০–২ ৩–'''৪''' ১৯৮৬ বেতিস '''বার্সেলোনা ১–০ ০–২ ১–'''২''' ==বহিঃসংযোগ== স্পেন লীগ কাপ ফাইনালের তালিকা ফুটবল লীগ কাপ বিলুপ্ত ফুটবল কাপ প্রতিযোগিতা স্পেনীয় ফুটবল কাপ স্পেনীয় ফুটবল কাপ স্পেনীয় ফুটবল কাপ স্পেনীয় ফুটবল কাপ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিলুপ্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্পেনে প্রতিষ্ঠিত স্পেনে বিলুপ্ত'''গোপাল কৃষ্ণ বসু''' (; জন্ম: ২০ মে, ১৯৪৭ মৃত্যু: ২৬ আগস্ট, ২০১৮) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৭৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভারত দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন '''গোপাল বসু'''। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলা দলের পক্ষেই কাটিয়ে দেন প্রভূত সফলতা পান। একপর্যায়ে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৭৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে আট শতক ১৭টি অর্ধ-শতক সহযোগে ৩৭৫৭ রান তুলেছেন। এছাড়াও বল হাতে নিয়ে ৭২ উইকেট দখল করেছিলেন গোপাল বসু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তুলনায় ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দীর্ঘ ইনিংস খেলার সক্ষমতা দেখিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে, জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্ত হন সিলন গমন করেন। সেখানে ক্রিকেট কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কারের সাথে ১৯৪ রানের জুটি গড়েন। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == সমগ্র খেলোয়াড়ি জীবনে একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন গোপাল বসু। ভারত দলের পক্ষে কোন টেস্ট খেলার জন্য অন্তর্ভূক্ত হননি তিনি। ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেন। ১৫ জুলাই, ১৯৭৪ তারিখে বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত খেলায় তিনি ১৩ রান একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনের উদ্দেশ্যে ১৪ সদস্যের তালিকায় তাকে রাখা হয়। কিন্তু মূল একাদশে খেলার সুযোগ পাননি এরপর আর তাকে দলে রাখা হয়নি। == ব্যক্তিগত জীবন == ক্রিকেট খেলা থেকে অবসরগ্রহণের পর কলকাতাভিত্তিক ঢাকুরিয়া ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২৬ আগস্ট, ২০১৮ তারিখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭১ বছর বয়সে বার্মিংহামে দেহাবসান ঘটে গোপাল বসু’র। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == বয়েড র‌্যাঙ্কিন এক টেস্টের বিস্ময়কারী ভারতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু থেকে আগত ক্রিকেটার অঞ্চলের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেট কোচ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ক্রিকেটার'''মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড''' (এমডিএল) (আইএএসটি: মাজহাননভ ডক লিমিযে়) ভারতের প্রধান জাহাজ নির্মাণ সংস্থাগুলির মধ্যে একটি, যাকে পূর্বে ''মাজাগাঁও ডক লিমিটেড'' বলা হত। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধ জাহাজ ডুবোজাহাজ এবং সমুদ্র থেকে খনিজ তেল উত্তলনের জন্য অফশোর প্ল্যাটফর্ম সংশ্লিষ্ট সহায়তাকারী জাহাজগুলির তৈরি করে। এটি ট্যাঙ্কার, পণ্যসম্ভার পরিবহনের জন্য বাল্ক ক্যারিয়ার, যাত্রী জাহাজ এবং ফেরী নির্মাণ করে। ১৮ তম শতাব্দীতে ''এমডিএল''' শিপইয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শিপইয়ার্ডটি পিনিনসুলার অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টিম ন্যাভিগেশন কোম্পানি এবং স্টীম ন্যাভিগেশন কোম্পানি সহ বেশ কিছু সংস্থার মালিকানাধীন ছিল। অবশেষে, ১৯৩৪ সালে 'মাজাগাঁও ডক লিমিটেড' একটি সরকারি সংস্থা হিসাবে নিবন্ধিত হয়। জাহাজ নির্মান কেন্দ্রটিকে ১৯৬০ সালে জাতীয়করণ করা হয় এবং বর্তমানে এটি ভারত সরকারের একটি সরকারি খাতের উদ্যোগ। == কার্যক্রম == চিত্র:Mazagon Dock Shipbuilders Limited Tour যুক্তরাষ্ট্রের ৭তম নৌবহরের ভাইস অ্যাডমিরাল জোসেফ অকোনি'র মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স মিলিটেড ভ্রমন।|alt=A brown building with clock towers, domes and pyramidal tops. wide street in front of it কমোডর রাকেশ আনন্দ, আইএন (অবসরপ্রাপ্ত) হলেন ''মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের'' চেয়ারম্যান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিএমডি)। ২০১১ সালের জানুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তার বর্তমান পদটি গ্রহণ করেন। শাখার ক্রিয়াকলাপগুলি হল জাহাজ নির্মাণ, সাবমেরিন নির্মাণ, এবং অফশোর কাঠামো তৈরি করা। মুম্বাই নবসেবায় নির্মাণ সুবিধা রয়েছে। সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টন ওজনের (ডিডব্লিউটি) যুদ্ধ জাহাজ, ডুবোজাহাজ এবং বাণিজ্য জাহাজ নির্মাণে ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রের। এটি ওয়েলহেড প্ল্যাটফর্ম, প্রক্রিয়া এবং উৎপাদন প্ল্যাটফর্ম এবং তেল অনুসন্ধানের জন্য জ্যাক-আপ রিগগুলি তৈরি করতে পারে। ==বাণিজ্যিক প্রকল্প== ===অফশোর প্ল্যাটফর্ম=== এমডিএল "অফশোর ওয়েল ড্রিলিং প্ল্যাটফর্ম" তৈরি করে। এটি মুম্বাইয়ের অ্যালকক এবং নহাভা ইয়ার্ডে প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের সঙ্গে ওয়েলহেড, ওয়াটার ইনজেকশন এবং বিভাজক এবং গ্লাইকোল প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতাগুলির পাশাপাশি জ্যাকআপ রিগস, এসবিএম এবং অন্যান্য অফশোর স্ট্রাকচারগুলির নির্মাণ করে। অ্যালকক-এ অফশোর রিগস মেরামত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হয় এবং এখানে ৮০ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ এবং ২,২০০ টন ওজনের জ্যাকেট তৈরি করা যেতে পারে। নোয়াওয়ায় ৮০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২,৩০০ টন ওজনের জ্যাকেট, ৫৫০ টন ওজনের প্রধান ডেক সর্বোচ্চ ১৬০ টন ওজনের হেলিপ্যাড তৈরি করা যেতে পারে। ডক ইয়ার্ডটি সমুদ্র উপচে পড়ার তেল পরিষ্কার করতে এবং প্ল্যাটফর্মে অগ্নিকান্ডের সময় আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম বিশেষ জাহাজ তৈরী করে। একটি ঝালাই প্রশিক্ষন বিদ্যালয় ঝালাইয়ের বিকাশ গ্রহণযোগ্য মান এবং ঝালাই কৌশল ক্রমাগত উন্নত করে ঝালাইয়ের কৌশল পদ্ধতির মান বজায় রাখে। ==নৌ প্রকল্প== ====নিলগিরি শ্রেণীর দ্রুতগামী পথপ্রদর্শক রণতরী (ফ্রীগেট)==== এমডিএল দ্বারা নির্মিত প্রথম যুদ্ধজাহাজ আইএনএস নিলগিরির স্থানচ্যুতি ছিল ২,৯০০ টন, যা নিলগিরি শ্রেণীর প্রধান জাহাজ। জাহাজটি ১৯৬৬ সালের ১৫ অক্টোবর চালু করা হয় এবং ১৯৭২ সালের ২৩ জুন কমিশন করা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনী জন্য পরবর্তী নয় বছরে এই শ্রেণির আরও পাঁচটি ফ্রীগেট নির্মিত হয়েছিল। ====গোদাবরী শ্রেণীর দ্রুতগামী পথপ্রদর্শক রণতরী (ফ্রীগেট)==== নিলগিরি-শ্রেণী নির্মাণের কাজ শেষ হলে, ভারতীয় নৌবাহিনী স্বতন্ত্র ভাবে পরিকল্পিত নির্মিত ফ্রীগেটের প্রয়োজনীয়তার জন্য প্রস্তাব করেছিল। এই মোকাবেলা করার জন্য, এমডিএল ৩,৮০০ টন স্থানচ্যুতি এবং দুটি হেলিকপ্টার ধারণ ক্ষমতার গোদাবরী শ্রেণির ফ্রীগেটগুলির নকশা তৈরি নির্মাণ করেছিল। এই নতুন ফ্রীগেট সম্পূর্ণ ভারতীয় নকশায় উৎপাদিত হয়ে ছিল। মডিএলএ এই শ্রেণীর তিনটি জাহাজ নির্মাণ করেছিল- প্রধান জাহাজ হল আইএনএস গোদাবরী এবং অন্য দুটি হল আইএনএস গঙ্গা এবং আইএনএস গোমতি। ====খুকরী শ্রেণীর করভেট==== ''এমডিএল'' ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য খুকরী শ্রেণীর কভারেটগুলির প্রথম দুটি জাহাজ ডিজাইন এবং নির্মিণ করেছিল। এই শ্রেণীর নেতৃত্বাধীন জাহাজটি ২৩ আগস্ট ১৯৮৯ সালে এবং দ্বিতীয় জাহাজ আইএনএস কুঠারকে লা জুন ১৯৯০ সালে কমিশন করা হয়। এমডিএল থেকে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের পর এই শ্রণীর অবশিষ্টাংশ জাহাজগুলি গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডয়ে (জিআরএসই) নির্মিত হয়েছিল। ==== দিল্লি শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার==== এমডিএল দ্বারা ডিজাইন এবং নির্মিত জাহাজগুলির পরবর্তী শ্রেণী হিসাবে ছিল প্রকল্প-১৫-এর অন্তর্গত দিল্লী শ্রেণীর নির্দেশিত এই শ্রেণীর জাহাজগুলি গ্যাস টারবাইন দ্বারা চালিত এবং ৬,২০০ টন স্থানান্তরিত যুক্ত। এই শ্রেণির প্রথম জাহাজ আইএনএস দিল্লিআইএনএস দিল্লি ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ সালে চালু করা হয় এবং ১৫ নভেম্বর ১৯৯৭ সালে কমিশন করা হয়। দ্বিতীয় জাহাজ আইএনএস মাইসোরকে ২০০১ সালের ২২ জানুয়ারী কমিশন এবং ২০০১ সালের ২২ জানুয়ারি আইএনএস মুম্বাই এই শ্রেণীর শেষ জাহাজ হিসাবে চালু হয়। ====শিবালিক শ্রেণীর ফ্রিগেট==== ৬,০০০ টন ওজনের শিবালিক শ্রেণির -১৭) হ'ল ভারতের নকশাকৃত এবং নির্মিত চৌর্যের বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে প্রথম যুদ্ধাজাহাজ। এই বহুমুখী বৈশিষ্টগুলি ফ্রিগেট জাহাজের রাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে এবং ২০১০ সাল থেকে নৌবাহিনীর সেবা প্রবেশ করেছে। এমডিএল এই শ্রেণীতে কমপক্ষে তিনটি জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল ২০১০ সালে এই শ্রেণীর নেতৃত্বাধীন জাহাজটির কমিশন শুরু হয়। ২৭ মে ২০০৫ সালে আইএনএস সহযাত্রী এই শ্রেণীর শেষ জাহাজ হিসাবে চালু করা হয় এবং ২১ জুলাই ২০১২ সালে ওই জাহাজের কমিশন করা হয়। ====কলকাতা শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার==== ৬,৮০০ টন ওজনের পরবর্তী প্রজন্মের নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী কলকাতা শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার এমডিএল দ্বারা নির্মিত। জাহাজটিতে নিঃশব্দচারণ (থ্রেসল) বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত। ৩০ মার্চ ২০০৬ সালে এই শ্রেণীর প্রধান জাহাজটি চালু করা হয়। এই শ্রেণীর জন্য অন্তত তিনটি জাহাজ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ====কোস্ট গার্ড জাহাজ==== ভারতীয় উপকূল রক্ষীবাহিনীর জন্য এই জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রটি উপকূলীয় পরিদর্শক জাহাজ (ওপিভি) তৈরি করে। এই জাহাজগুলি ভারতের বিশেষ একচেটিয়া অঞ্চলে পরিদর্শন, পুলিশিং, অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযানের জন্য নির্মিত বিশেষ জাহাজ। প্রতিটি জলযান বা জাহাজ একটি হেলিকপ্টার বহন করে। কোস্ট গার্ড বা উপকূল রক্ষীবাহিনীর জন্য সাতটি জাহাজ ননির্মান করেছে "এমডিএল"। ====ভাসমান পুলিশ স্টেশন==== বিএসএফের আদেশের ভিত্তিতে জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রটি ভাসমান সীমান্ত আউট পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ শুরু করে। মূলত এই "বিওপি" হল চারটি উচ্চ-গতির নৌকা সহ একটি ভাসমান পুলিশ স্টেশন নিয়ে গঠিত। ১৪ টি বিওপি-এর জন্য আবেদন করা হলে বর্তমানে টি বিওপি জাহাজ নির্মাণ থেকে বিতরণ করা হয়েছে। ====অন্যান্য জাহাজ==== অন্যান্য জাহাজগুলির মধ্যে, তিনটি দ্রুতগতীর নৌকা, একটি জন্য প্রশিক্ষণ জাহাজ, এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অন্যান্য সহায়ক জাহাজ তৈরি করেছে জাহাজ নির্মান কেন্দ্রটি। ===ডুবোজাহাজ=== ====শিশুমার শ্রেণীর ডুবোজাহাজ==== শিশুমার শ্রেণীর ডুবোজাহাজগুলি ওয়ারফ্ট দ্বারা ডিজাইন করা টাইপ ২০৯ ডিজেল-বৈদ্যুতিক ডুবোজাহাজ একটি ভিন্ন রূপ। এই শ্রেণীর দুটি জাহাজ এমডিএল দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এগুলি ভারতের নির্মিত প্রথম দুটি স্বতন্ত্র ডুবোজাহাজ ছিল। আইএনএস শালকিকে ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে কমিশন করা হয় এবং আইএনএস শঙ্কুলকে ২৮ মে ১৯৯৪ সালে কমিশন করা হয়। ==== স্করপেন শ্রেণীর ডুবোজাহাজ==== চিত্র:INS Kalvari at the Mazagon Dock Limited on the day of her undocking মাজাগাঁও ডকে আইএনএস কালভারিকে জলে নামানো হচ্ছে। |alt=A brown building with clock towers, domes and pyramidal tops. wide street in front of it ডিসিএনএস-এর সাথে একটি চুক্তির আওতায় এমডিএল স্করপেন শ্রেণীর ছয়টি ডিজেল-বৈদ্যুতিক ডুবোজাহাজ নির্মাণ করছে। এই শ্রেণীর প্রথম ডুবোজাহাজ আইএনএস কালভারি (এস২১)কে মুম্বাইয়ের নৌ ডকইয়ার্ড থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কমিশন করেছিলেন। ==আরও দেখুন== গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড কোচিন শিপইয়ার্ড হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড গোয়া শিপইয়ার্ড ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি নৌবাহিনী'''আল ফয়সাল সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত একটি বেসরকারি অলাভজনক উচ্চশিক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালে কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০০৪ সালে তার প্রথম ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করেছিল। আলফাইসালের মোট নথিভুক্তির সংখ্যা এখন ২,৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিবন্ধন ৬৭% সৌদি আরবের স্থানীয় বাকি অবশিষ্ট ৩৩% ৪০-টিরও বেশি দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। ৩১টি দেশীয় অনুষদসহ আন্তর্জাতিক অনুষদ নিয়ে মোট অনুষদের সংখ্যা ২০০টির বেশি। ==ইতিহাস== ২০০২ সালে কিংবদন্তী কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশন প্রথম বেসরকারী অ-লাভজনক আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন, দেশের গবেষণামূলক মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আন্তর্জাতিক মান অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশিষ্ট শিক্ষা বোর্ড সদস্যগুলোর সমর্থন করেছে। আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচটি অনুষদ নিয়ে গঠিত, ব্যবসা প্রসাশন, প্রকৌশল, মেডিসিন, ফার্মেসি, বিজ্ঞান এবং সাধারণ শিক্ষা, যা রাজ্যের ছেলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্বমানের স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন সুযোগ সৃষ্টি করে। বাণিজ্য শিল্প গবেষণা কেন্দ্রের কেন্দ্রস্থল রিয়াদের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের অসামান্য সুযোগ-সুবিধা অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষাবিদ এবং গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। == মেডিসিন অনুষদ == === বিভাগ === শারীরস্থান এবং জেনেটিক্স পরিবার কমিউনিটি মেডিসিন জৈব রসায়ন এবং আণবিক মেডিসিন জীববিজ্ঞান মাইক্রোবায়োলজি ইমিউনোলজি পেডিয়াট্রিকস মেডিসিন প্যাথোলজি ফার্মাসোলজি শারীরবৃত্তীয় বিজ্ঞান সার্জারি, এবং রেডিওলজি === স্নাতক প্রোগ্রাম === বায়োমেডিকাল সায়েন্সেস মাস্টার (এমবিএস) রেডিওডোলজিকাল এবং ইমেজিং সায়েন্সেসের মাস্টার (এমআরএস) জেনেটিক কাউন্সেলিং মাস্টার (এমজিসি) পাবলিক হেলথ মাস্টার (এমপিএইচ) == প্রকৌশল অনুষদ == === প্রকৌশলী বিভাগ === স্থাপত্য প্রকৌশল বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী শিল্প প্রকৌশল যন্ত্র প্রকৌশল সফ্টওয়্যার প্রকৌশল === স্নাতক প্রোগ্রাম === প্রকৌশল সিস্টেম ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স (এমইএম) == ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ == === বিভাগ === হিসাববিজ্ঞান ফিন্যন্স ব্যংকিং ব্যবস্থাপনা মার্কেটিং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ==== স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম ==== এমবিএ সাধারণ এমবিএ ফাইন্যান্স এমবিএ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ==== নির্বাহী শিক্ষা ==== সার্টিফাইড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট (সিএমএ) চার্টার্ড আর্থিক বিশ্লেষক (সিএফএ) ম্যানেজমেন্ট এক্সেলেন্স প্রোগ্রাম (এমএক্স) প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পেশাদার (পিএমপি) প্রকল্প ব্যবস্থাপনা মধ্যে প্রত্যয়িত সহযোগী (সিএপিএম) রিয়েল এস্টেট ফাইনান্স বিনিয়োগ == বিজ্ঞন অনুষদ == === বিভাগ সমূহ === রসায়ন বিভাগ মানবিক সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগ জীবন বিজ্ঞান বিভাগ গণিত কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ পদার্থবিদ্যা বিভাগ === প্রোগ্রাম === ==== স্নাতকোত্তর ==== স্নাতকোত্তর ন্যানো প্রযুক্তিবিদ্যা (এমএনটি) বায়োমেডিকাল সায়েন্স মাস্টার (এমবিএস) ===স্নাতক সম্মান=== লাইফ সায়েন্সে বিএসসি == ফার্মেসী অনুষদ == === প্রোগ্রাম === ফার্মেসি ডাক্তার ==লক্ষ উদেশ্য== ;দৃষ্টি আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি বেসরকারি অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়, যা বিশ্বব্যাপী গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এটি ব্যবসা, প্রকৌশল, জীবন বিজ্ঞান চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা এবং জ্ঞান প্রয়োগের জন্য ;উদেশ্য আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় সৌদি আরবের একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যা বিশ্বব্যাপী স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়, গবেষণা এবং পরিষেবা প্রদান করে আসছে, এই সৌদি আরব অঞ্চল বিশ্বের সুফল লাভ করে এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির উন্নয়নে উদ্দীপিত করে জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রচার করে। ;শিক্ষা ব্যবস্থা আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় তার চারটি অনুষদ (ব্যবসায়, প্রকৌশল, মেডিসিন এবং বিজ্ঞান) গ্রাজুয়েট এবং স্নাতক প্রোগ্রাম বিস্তৃত প্রস্তাব। স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার পূরণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রয়োগ করার দক্ষ জনবল প্রস্তুত হতে সক্ষম হয়েছে। বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক একাডেমিক অংশীদারদের সহযোগিতায় বাণিজ্য, শিল্প গবেষণার কেন্দ্রস্থল রিয়াদের হৃদয় অবস্থিত আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের অসামান্য সুবিধাদি, অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষাবিদ এবং গবেষণার নেতৃত্বাধীন শিক্ষার মাধ্যমে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ দেয়, যা আল ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে অত্যন্ত দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম করবে ==তথ্যসূত্র== আরবের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ'''প্রাণীদের মধ্যে অপ্রজনশীল যৌন আচরণ''' sexual behavior) বলতে সেই সব যৌনক্রিয়া বোঝানো হয় যেগুলোতে প্রাণীরা অংশগ্রহণ করে এবং তা থেকে প্রজনন হয় না। যদিও সন্তান উৎপাদনকেই প্রাণীদের যৌন আচরণ প্রাথমিক ব্যাখ্যা হিসেবে ধরা হত, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাণীর যৌন আচরণের বিকল্প ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানা যায়। প্রাণীদেরকে সামাজিক যোগাযোগ (social interaction), কর্তৃত্ব প্রকাশে (demonstration of dominance), আক্রমণাত্মক ভাবের প্রশমন (aggression relief), গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যাদির বিনিময়, এবং যৌন উদ্দিপনার জন্য যৌন ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। পর্যবেক্ষণে আসা অপ্রজনগত যৌন আচরণের মধ্যে রয়েছে সঙ্গমবিহীন একজন আরেকজনের উপরে ওঠা (ভেদন ছাড়াই, বা নারীদের দ্বারা), মুখমৈথুন, জননাঙ্গে উদ্দীপনা, পায়ুগত উদ্দীপনা, আন্তপ্রজাতি সঙ্গম, এবং অন্তরঙ্গতার ক্রিয়া। এছাড়াও প্রাণীদের মধ্যে সমকামী আচরণ, মৃত প্রাণীদের সাথে যৌনতা এবং শাবকদের সাথে যৌনতাও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। == সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং বন্ধন == একই প্রজাতির অন্য সদস্যের সাথে বন্ধন তৈরী এবং সম্পর্ক উনয়নে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়, এজাতীয় প্রজাতির মধ্যে সিংহ বহুল পরিচিত। সিংহরা যে সামাজিক দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, সে দলকে প্রাইড বা গর্ব বলা হয়। প্রতিটা প্রাইফে থেকে ১৮ জন নারী সদস্য এবং ১-৭ জন পুরুষ সদস্য থাকে। প্রতিটা প্রাইডে থাকা নারী সদস্যরা, সেই প্রাইডেই জন্মগ্রহণ করে থাকে। প্রাইডের পুরুষ সদস্যরা অন্য প্রাইড থেকে আসতে পারে। The males enter the pride from other prides. The success of reproduction for each individual lion is dependent on the number of male lions found in their social group. Male lions create coalitions and search for prides to take over. Successful coalitions have usually created strong bond with each other and will take over prides. Once winning in competition, all current males in the pride will be kicked out and left to find another pride. While in search for another pride these males will often engage in sexual behavior with each other; creating strong bond in this new coalition created. বনোবোর জীবনে যোগাযোগ স্থাপনের মুল ভিত্তিই হলো যৌনক্রিয়া করা। নারী বনোবো প্রভাবশালী বনোবোর সঙ্গে বন্ধন তৈরি করার জন্য যৌন কার্যকলাপে নিয়োজিত হয়, এমনটা পর্যবেক্ষিত হয়েছে। পুরুষের সাথে এই বন্ধন তৈরি করে তারা একে অপরের সাথে খাবার ভাগ করে নেয় এবং কোনোরুপ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় না। গ্রুপের সকল সদস্যই সম্ভাব্য যৌন সঙ্গী, পুরুষরা অন্যান্য পুরুষের সাথে যৌন কার্যকলাপে অংশ নেয়, একইভাবে অন্যান্য মহিলা বনোবোরা নারী বনোবোর সাথে যৌনক্রিয়ায় অংশ নেয়। এভাবে নারীদের সমলিঙ্গে যৌনক্রিয়ায় তাদের মধ্যে একটা শক্তিশালী বন্ধন গড়ে উঠে; যার ফলে কোনো পুরুষ বনোবো যদি একটি মহিলা বনোবোকে হয়রানি করার চেষ্টা করে, তবে অন্যান্য নারী বনোবোরা একত্রিত হয়ে সেই পুরুষ বনোবোকে প্রতিহত করে। == আগ্রাসন == প্রাণী জগতে, বিভিন্ন প্রজাতি পারস্পরিক সমস্যা সমাধানে যৌন ক্রিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এর মধ্যে বনবো সবচেয়ে প্রখ্যাত, নিজেদের মধ্যকার সহিংসতাকে এড়ানোর জন্য তারা যৌন প্রক্রিয়াকে অন্যতম পথ হিসেবে অবলম্বন করে। যৌনতা বনবোর সামাজিক নিয়মিত জীবনের অংশ। বনবোর মধ্যকার যৌন ক্রিয়া অনেক বেশি সংগঠিত হয়। তথাপি তাদের প্রজননের হার শিম্পাঞ্জির কাছাকাছি। প্রাইমেটদের মধ্যে একটি গবেষনা হয়েছে, গবেষনার মুল লক্ষ্য ছিল এটা পর্যবেক্ষণ করা, প্রাইমেটদের মধ্যে সংঘর্ষ, সহিংসতা হওয়ার পর তার সমাধান তারা কিভাবে করে। গবেষকদের মতে, প্রাইমেটরা নিজেদের মধ্যে মারামারির পর, একে অপরের মুখে চুম্বন করে, এবং আলিঙ্গনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার ঝগড়া বিবাদের মীমাংসা ঘটায়। আগ্রাসন এড়ানোর জন্য নারী বনবোর মধ্যেও যৌন সাহচর্য পরিলক্ষিত হয়। তারা যখন ক্ষুধার্ত হয়, তখন তারা পুরুষ বনবোর সম্মুখে উপস্থিত হয় এবং পুরুষ বনবোকে আগ্রাসী ভূমিকায় লিপ্ত হবার সুযোগ না দিয়ে নারী বনবো তার সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। নারী বনবোর তড়িৎ যৌনক্রিয়ার পর, পুরুষ বনবো আর কোনোরুপ সহিংসতা নারী বনবোর প্রতি দেখায় না। তখন নারী বনবো পুরুষ বনবোর খাবারের অংশ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। == সাম্ভাব্য কারণ == প্রাণীদের সচেতনতা নির্ণয় করা কঠিন। এপর্যন্ত আমাদের জানা গবেষণাগারে পর্যবেক্ষিত হওয়া আচরণগুলো এব্যাপারে খুব ভাল সাক্ষ্যপ্রমাণ দেয় যে প্রাণীদের মধ্যে একটি সহজাত প্রবৃত্তি একটি পুরস্কার ব্যবস্থা (রিওয়ার্ড সিস্টেম) কাজ করে। গবেষণাগারের প্রাণীদের আচরণ থেকে একধরনের মানসিক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায়, যেখানে প্রাণীর সহজাত প্রবৃত্তি বলে, যদি এটি কোন বিশেষ কার্য করে তাহলে এটি যা চায় তা পাবে। যেমন, একটি গবেষণাগারের ইঁদুর লেভারে ঠেলা দেবে কারণ এটি জানে যে এর ফলে দেয়ালের ছিদ্র থেকে খাবার আসবে। এর জন্য সচেতনার প্রয়োজন হয় না, কিন্তু মনে হচ্ছে যে এটি একটি পুরস্কার ব্যবস্থায় কাজ করে। গবেষণাগারের ইঁদুরটি শিখেছিল যে খাবারের জন্য এই কাজটি করা জরুরি। মস্তিষ্ক নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে প্রাণীদের জীবনে সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি প্রতিষ্ঠিত যে সকল স্তন্যপায়ীদের মধ্যকার লিম্বিক নিউরাল মেকানিজমই একইরকম যা প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। মস্তিষ্কের পুরস্কার ব্যবস্থা নিয়ে এটি কিভাবে সকল স্তন্যপায়ীদের মধ্যে আছে তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। প্রচুর গবেষণার পর গবেষকগণ এই উপসংহার টানেন যে অন্যান্য প্রাণীদের পুরস্কার ব্যবস্থা মানুষের পুরস্কার ব্যবস্থার মধ্যকার মিল অনেক বেশি। এই কেন্দ্রীয় সন্তুষ্ঠির প্রতিক্রিয়ার কৌশল পশু মানুষ সকলের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। === কেস স্টাডি === একটি কেস স্টাডিতে সাম্ভাব্য নারী সঙ্গমগত রাগমোচনের সাক্ষ্যপ্রমাণ পাবার উদ্দেশ্যে নারী জাপানিজ ম্যাকাককে নিয়ে গবেষণা করা হয়। এই গবেষণাটিতে দেখা যায় রাগমোচনের হার জাপানিজ ম্যাকাকদের বয়স বা তাদের মর্যাদার উপর নির্ভর করে না। গবেষকগণ পর্যবেক্ষণ করে যে শ্রোণী ধাক্কা (পেলভিক থ্রাস্ট) এর সংখ্যা সময়কাল যত বেশি হবে, সঙ্গমের কালও তত বেশি দীর্ঘ হবে। ২৪০টি জাপানিক ম্যাকাককে নিয়ে গবেষণা করা হয় যাদের মধ্যে ৮০ জনের মধ্যে রাগমোচন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। === পুরস্কার ব্যবস্থা === বিবর্তনগত নীতি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে পুরস্কার ব্যবস্থা হচ্ছে এই আচরণের পেছনে থাকা সাম্ভাব্য কৌশল। প্রাণীদের মস্তিষ্কে এই পুরস্কার ব্যবস্থা কাজ করায় তারা তাদের আকাঙ্ক্ষার দ্বারা বিভিন্নভাবে কোন কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয় এবং সন্তুষ্টি বা সুখের দ্বারা এটি আরও শক্তিশালী হয়। প্রাণীরা এই প্রত্যক্ষ কৌশলের মাধ্যমেই খাদ্যে নিরাপত্তার প্রতিষ্ঠা করে, বসবাসের ব্যবস্থা করে, সামাজিক যোগাযোর রক্ষা করে যৌনক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। যদি তারা এইসব প্রয়োজনীয় কার্যসমূহ পালন করার চেষ্টা না করে তবে তারা বাঁচতে পারবে না। সকল মেরুদণ্ডী প্রাণীরই শারীরিক গঠনে সাদৃশ্য রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই কঙ্কালতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, সংবহনতন্ত্র, পৌষ্টিকতন্ত্র অন্তক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র রয়েছে। মানুষের মত অন্য প্রাণীদেরও একটি সংবেদন ব্যবস্থা বা ইন্দ্রিয় (সেন্সরি সিস্টেম) রয়েছে। এটি আমাদের স্পর্শ থেকে স্বাদ পর্যন্ত পাঁচটি মৌলিক অনুভূতির জন্য দায়ী। বেশিরভাগ শারীরবৃত্তিক এবং জৈবরসায়ন প্রতিক্রিয়া যা প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায় তা মানুষের মধ্যেও ঠাকে। মানুষ অন্যান্য প্রাণীদের নিউরোন সাইনাপ্সের কার্যক্রমে গঠনে কোন মৌলিক পার্থক্য খুঁজে পান নি। ==== কেস স্টাডি ==== পজিট্রন এমিশন টমোগ্রাফি (PET) এবং ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (MRI) ব্যবহার করে করা সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো এই সাক্ষ্যপ্রমাণ দিচ্ছে যে, আবেগের সাথে সম্পর্কিত রাসায়নিক পরিবর্তনগুলো মানুষ অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে সদৃশ। গিনিপিগ মানুষ এর তুলনা নিয়ে একটি গবেষণা থেকে এটা বের করা হয় যে সন্তানদের সাথে বিচ্ছেদের ফলে গিনিপিগ মানুষের মস্তিষ্কের ঠিক একই স্থানে হতাশার চিহ্ন পাওয়া যায়। প্লিজার স্টিমুলিতে পর্যবেক্ষণ করে ওপিয়েট রিসেপ্টরও পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই পদ্ধতিতে মানুষ ইঁদুর উভয়ের রিসেপ্টর একটি নির্দিষ্ট ড্রাগের প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায়। রিসেপ্টর বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ ইঁদুর উভয়কেই যখন তৃপ্তিকর খাদ্য প্রদান করা হয়, কেউই সেই খাদ্য গ্রহণে আগ্রহ দেখায় আগ্রহ দেখায় না। == আচরণের ধরণ == === পায়ু যৌনতা === পায়ুতে শিশ্ন অনুপ্রবেশন (সমকামী বিষমকামী উভয় যুগলে দেখা যায়) বেশ কিছু প্রাইমেট প্রজাতিতে দেখা যায়। গরিলা, ওরাংওটাং এবং ম্যাকাও গণের বেশ (স্টুম্পটাইল, রেসাস জাপানী ম্যাকাউ) কিছু সদস্যতে পায়ুতে যৌনাচারণ দেখা যায় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। স্কুইরেল বানর এবং স্পাইডার বানরেও এই জাতীয় যৌনতা দেখা যায়। মরিস (১৯৭০) সালে একটি বিপরীতলিঙ্গ ওরাংওটাং যুগলের বর্ণনা দেন, যাদের যৌনতার পুরোটা জুড়েই ছিল পায়ু যৌন ক্রিয়া। পুরুষ সমকামী ওরাংওটাংয়ে অঙ্গুলীকরণও (পায়ুতে আঙ্গুল প্রবেশন) দেখা যায় এবং ব্রুস বাগেমিহল জানান, পুরুষ শিম্পাঞ্জীরা তাদের জীবদ্দশায় অন্তত একবারের জন্য হলেও এইধরনের সমকামিতা মুলক আচরণ প্রদর্শন করে। === স্বয়ংক্রীয় যৌন উত্তেজনা স্বমেহন === বানর দেখা যায় অনেক প্রাণীই, সে পুরুষই হোক, আর নারীই হোক, সঙ্গীর উপস্থিতি থাকুক বা না থাকুক, এরা স্বমেহনে লিপ্ত হয়। যেমন এটি বিড়াল, কুকুর, পুরুষ হরিণ, গণ্ডার, পুরুষ বুনো শুকর পুরুষ বানরের মধ্যে এটি দেকা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভানিয়া পশুচিকিৎস্যা বিদ্যালয়ের একটি রিভিউতে বলা হয়: অশ্বপালন শিল্পে এই আচরণটি ''স্বমেহন'' হিসেবেই পরিচিত... এই আচরণে ঘোড়াদের মধ্যে স্বাভাবিক ঋজুতা এবং পুরুষাঙ্গের নড়নচড়ন দেখা যায়। পুরুষ ইকুইড (ঘোড়া, গাধা জেব্রা) এই আচরণ বর্ণনামূলক ফিল্ড স্টাডি থেকে শুরু করে গৃহপালিত ঘোড়াদের নিয়ে আলোচনায় স্বাভাবিক পৌনপুনিক আচরণ হিসেবেই ধরা হয়। যদি এই স্বমেহনে বাঁধা দেয়া হয় বা শাস্তিপ্রদান করা হয়, যেমন যেখানে পুরুষাঙ্গের সাথে এর নিচের যে অংশের ঘর্ষণের মাধ্যমে স্বমেহন সম্পন্ন হয় সেখানে কোন কিছু প্রবেশ করিয়ে ঘর্ষণকে বাঁধাগ্রস্ত করা হলে স্বমেহনের সম্ভাবনা রহিত করা হয় (যা বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক অশ্ব ব্যবস্থাপকই করে থাকেন)। এটি করা হলে পরবর্তীতে তা আরও অধিক স্বমেহনের কারণ হয় এবং স্বাভাবিক পশুপালন আচরণের ব্যাঘাত ঘটায়। খোজাকরণও স্বমেহনকে রদ করতে পারে না। দেখা গেছে খোজাকৃত ঘোড়া বা গেল্ডিংদের মাঝেও স্বমেহন দেখা যায়। পুরুষ মাদী উভয় ঘোড়ার মধ্যেই বয়োসন্ধির পূর্বে পরে স্বমেহন একটি সাধারণ ঘটনা। যৌনবিশেষজ্ঞ হেভলক ইলিস তার ১৯২৭ সালের যৌনতার মনস্তত্ত্ব বিষয়ক গবেষণায় ষাঁড়, ছাগল, ভেড়া, উট, হাতিকে অটোইরোটিসিজম বা আত্ম যৌন উত্তেজনার চর্চা করতে দেখা গেছে, যার ফলে ঘোড়ার সাথে এই তালিকায় আরও কিছু প্রাণী যুক্ত হয়: ছাগলদের সম্পর্কে অভিজ্ঞ এক ভদ্রলোক আমাকে জানান যে, ছাগলেরা কখনও কখনও তাদের পুরুষাঙ্গকে তাদের মুখে নেয় এবং এর মাধ্যমে তাদের সত্যিকারের রাগমোচন প্রাপ্তি হয়। এবং এর মাধ্যমে তারা স্বমুখমৈথুন (অটোফেলাশিও) এর চর্চা করে। ফেরেট ক্ষেত্রে, যদি কোন নারী ফেরেট যৌন উত্তেজনার সময় কোন পুরুষ ফেরেটকে পাশে না পায় তবে সে অসুস্থ হয়ে যায়। সেই সময় যদি তাকে কোন মসৃণ পাথর দেয়া হয় তাহলে সেটাকে সে তার ঘরে (হাচ) নিয়ে যায় এবং সেটিকে ব্যবহার করে এটি স্বমেহন করে। আর এর মাধ্যমে সেই স্ত্রী-ফেরেট তার সেই ঋতুর জন্য স্বাভাবিক স্বাস্থ্যে ফিরে আসে। কিন্তু পরের ঋতুতে যদি ফেরেটটিকে একই পাথর দেয়া হয় তবে সে পূর্বের মত এটিতে সন্তুষ্ট হয় না।... ব্লুমেনবাচ একটি ভাল্লুককে অন্য ভাল্লুকদের যৌনতা দেখে স্বমেহন করতে দেখেছেন। প্লস বারটেল হায়নাদের মধ্যে একে অপরের জননাঙ্গ চোষণের মাধ্যমে পারস্পরিক স্বমেহন করতে দেখেছেন। ব্রুস বাগেমিল তার ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত গ্রন্থ বায়োলজিকাল এক্সারবেন্স গ্রন্থে লিখেছেন: এবং: বনমানুষ বানর স্বমেহনের জন্য বিভিন্ন ধরণের বস্তু ব্যাবহার করে, এবং এমনকি এরা স্বেচ্ছায় যৌন উদ্দীপনা জন্য বিভিন্ন আকারের বস্তু তৈরিও করে যা প্রায়ই উচ্চমাত্রায় সৃষ্টিশীল হয়ে থাকে। জন হপকিনস অধ্যাপক ডেভিড লিন্ডেন মন্তব্য করেন: ... বোধ হয় প্রাণীদের স্বমেহনের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল পদ্ধতিটি পুরুষ বটলনোজ ডলফিনের মধ্যে দেখা যায়। এরা জীবন্ত নড়াচড়া করছে এমন একটি ঈল মাছকে তার পুরুষাঙ্গের চারদিকে ঘর্ষণ করার মাধ্যমে স্বমেহন করে। মাদি হাতিদের মধ্যে কেবল বন্দীদশাতেই সমকামী যৌন আচরণ দেখা গেছে যেখানে তারা তাদের শুর ব্যাবহার করে একে অপরের সাথে স্বমেহনে লিপ্ত হয়। === আন্তঃপ্রজাতিতে যৌনতা === dog mates with coyote to produce dog-coyote hybrid. কিছু প্রাণী সুযোগ পেলেই অন্য প্রজাতির জীবের সাথে যৌনক্রিয়া করে থাকে। এই বিষয়টা কার্যত পরিলক্ষিত হয় গৃহপালিত বন্দীদশায় থাকা প্রাণীদের মধ্যে। খুব সম্ভবত বন্দী দশায় থাকায় প্রাণীদের আগ্রাসন হ্রাস পাওয়ার দরুণ তাদের যৌন ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিই এই ধরনের কার্যে তাদের অনুপ্রাণিত করে। তা সত্বেও বন্য পরিবেশে কিছু প্রাণীকে অন্য প্রজাতির প্রাণীর সাথে যৌনক্রিয়া ঘটাতে দেখা যায়। তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা গিয়েছে ভিন্ন প্রজাতি হলেও একই গণের অধিভূক্ত প্রাণীরাই তুলনামুলক বেশি যৌন ক্রিয়া করে থাকে। আলফ্রেড কিনসে; আফ্রিকার নারী হরিণ উটপাখির সাথে, পুরুষ কুকুর মুরগীর সাথে, পুরুষ বানর সাপের সাথে এবং নারী শিম্পাঞ্জির সাথে বিড়ালের যৌন ক্রিয়ার ঘটনা নথিবদ্ধ করেছে। 2008 review of the literature found 44 species pairs that had been observed attempting interspecies mating, and 46 species pairs that had completed interspecies matings, not counting cases that had resulted in hybridization. বেশিরভাগই পরীক্ষাগারে গবেষণার জন্য কৃত্রিমভাবে করা হয়েছিল; তবে field observations দেখা গিয়েছিল। It may result in fitness loss because of the waste of time, energy, and nutrients. Male sea otters have been observed forcibly copulating with seals, and male seals have been observed forcibly copulating with penguins. Inter-species sexual behavior has also been observed in sea lions. Male grasshoppers of the species ''Tetrix ceperoi'' often mount other species of either sex and even flies, but are normally repelled by the larger females. Males of the spider mite species ''Panonychus citri'' copulate with female ''Panonychus mori'' mites almost as often as with their own species, even though it does not result in reproduction. জাপানীজ ম্যাকাউকে সিকা হরিণের সাথে প্রজনন করতে দেখা গিয়েছে। == তথ্যসূত্র == যৌনতা'''বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ''' বাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে বেগবান করতে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে গঠিত একটি সরকারী সংস্থা। সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে এটি গঠন করা হয়। বিনিয়োগ বোর্ড বেসরকারীকরণ কমিশন একীভূত করে এই সংস্থা গঠিত হয়। ==ইতিহাস== দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৯ সালে বিনিয়োগ বোর্ড গঠন করে। অন্যদিকে সরকারি লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকার একটি বেসরকারীকরণ বোর্ড গঠন করে। যেটিকে ২০০০ সালে বেসরকারীকরণ কমিশনে রূপান্তর করা হয়। উভয় সংস্থা তাদের গঠনের উদ্দেশ্য পূরণে ভূমিকা রাখতে পারছিল না। ফলে বিষয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। ২০১৪ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিনিয়োগ বোর্ড বেসরকারীকরণ কমিশনকে একীভূত করার নির্দেশ দেয়। একই বছরের ৩০ এপ্রিল সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে কমিটির প্রণয়ন করা আইন মন্ত্রিসভার কমিটিতে অনুমোদিত হয়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬’ পাস হয়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬ আর্কাইভ) বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বিনিয়োগ সরকারি সংস্থা ভিত্তিক সংস্থা প্রচার সংস্থাঅর্থনীতিতে, মালামালগুলি পণ্য পরিষেবার সাধারণ মূল্যের পর্যায়ে হ্রাস পায়। '''মূদ্রা সংকোচন''' যখন মুদ্রাস্ফীতি হার ০% (নেতিবাচক মুদ্রাস্ফীতি হার) নিচে নেমে আসে। মুদ্রাস্ফীতি সময়ের সাথে সাথে মুদ্রার মান হ্রাস করে, তবে ডিফ্লেশন এটি বৃদ্ধি করে। এটি মুদ্রার একই পরিমাণের সাথে আগের তুলনায় আরও পণ্য এবং পরিষেবাদি কিনতে সক্ষম করে। মূদ্রা সংকোচন বিচ্ছিন্নতা থেকে আলাদা, মুদ্রাস্ফীতির হারে ধীরগতির, যেমন মুদ্রাস্ফীতি কম হারে হ্রাস পায় তবে এখনও ইতিবাচক। অর্থনীতিবিদরা সাধারণত বিশ্বাস করেন যে মূদ্রা সংকোচন একটি আধুনিক অর্থনীতিতে একটি সমস্যা কারণ এটি ঋণের প্রকৃত মূল্য বাড়ায়, বিশেষ করে যদি বিচ্যুতি অপ্রত্যাশিত হয়। মূদ্রা সংকোচন মন্দা বৃদ্ধি এবং একটি deflationary সর্পিল হতে পারে। যখন চাহিদা কম থাকে (যখন খরচ হ্রাস হয়), বা যখন অর্থ সরবরাহ হ্রাস হয় (কখনও কখনও অনিচ্ছাকৃত বিনিয়োগ বা ক্রেডিট ক্র্যাঞ্চ থেকে তৈরি সংকোচনের প্রতিক্রিয়া) সরবরাহ যখন উচ্চ হয় (যখন অতিরিক্ত উত্পাদন ঘটে) তখন মূদ্রা সংকোচন ঘটে। এটি খুব বেশি প্রতিযোগিতা এবং খুব কম বাজার ঘনত্বের ফলে ঘটতে পারে। == কারণ এবং সংশ্লিষ্ট ধরনের == আইএস-এলএম মডেল (বিনিয়োগ এবং সঞ্চয় সমানতা টেমপ্লেট: এসএনডি তরলতা পছন্দ এবং অর্থ সরবরাহ ভারসাম্য মডেল), মূদ্রা সংকোচন সরবরাহ এবং পণ্য পরিষেবার জন্য সরবরাহ এবং চাহিদা বক্ররেখা একটি স্থানান্তর দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই পরিবর্তে সরবরাহ বৃদ্ধি, চাহিদা একটি পতন, বা উভয় কারণে হতে পারে। মূল্য কমে যাওয়ার পরে, ভোক্তাদের মূল্যবৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত ক্রয় এবং খরচ বিলম্বিত করার জন্য একটি উদ্দীপক থাকে, যার ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ হ্রাস পায়। ক্রয় বিলম্বিত হয়, উত্পাদনশীল ক্ষমতা নিষ্ক্রিয় করা হয় এবং বিনিয়োগ পতিত হয়, সামগ্রিক চাহিদা আরও কমে আসে। এই deflationary সর্পিল হয়। এই দ্রুত বিপরীত উপায় একটি অর্থনৈতিক উদ্দীপনা পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। সরকার অবকাঠামো মত বিষয়বস্তুর উপর উত্পাদনশীল খরচ বৃদ্ধি করতে পারে, এটি উচ্চ শ্রেণীর কর বৃদ্ধি করতে পারে, বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ সরবরাহ প্রসারিত শুরু হতে পারে। মূদ্রা সংকোচন এছাড়াও ঝুঁকি বিপর্যয়ের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে বিনিয়োগকারীরা এবং ক্রেতারা টাকা জমা শুরু করবে কারণ তার মান এখন সময়ের সাথে বাড়ছে। এটি একটি তরলতা ফাঁদ তৈরি করতে পারে অথবা এটি এমন ঘাটতি হতে পারে যা বিনিয়োগকে আরও বেশি চাকরি এবং পণ্য উৎপাদন সরবরাহ করে। একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সাধারণত, অর্থের জন্য নেতিবাচক সুদ ধার্য করতে পারে না এবং এমনকি শূন্য আগ্রহ চার্জ এমনকি স্বার্থের সামান্য উচ্চ হারের চেয়ে কম উত্তেজক প্রভাব তৈরি করে। একটি বন্ধ অর্থনীতিতে, কারণ শূন্য সুদ চার্জিং মানে সরকারী সিকিউরিটিগুলিতে শূন্য রিটার্ন, বা এমনকি স্বল্প মেয়াদে নেতিবাচক রিটার্ন। একটি উন্মুক্ত অর্থনীতিতে এটি একটি বহন বাণিজ্য তৈরি করে এবং মুদ্রাকে বিচ্ছিন্ন করে। একটি devalued মুদ্রা অগত্যা একটি অনুরূপ ডিগ্রী রপ্তানি উদ্দীপিত ছাড়া আমদানি জন্য উচ্চ মূল্য উত্পাদন করে। অর্থ সরবরাহ সরবরাহ করা হয় যখন জনসংখ্যা এবং অর্থনীতি হিসাবে দ্রুত বৃদ্ধি না, বা মূদ্রা সংকোচন অর্থনীতির প্রাকৃতিক অবস্থা। যখন এটি ঘটে, তখন প্রতি ব্যক্তির হার্ড কারেন্সি উপলব্ধ পরিমাণ পতিত হয় যার ফলে অর্থ আরো ক্ষতিকারক হয় এবং ফলস্বরূপ, মুদ্রার প্রতিটি ইউনিটের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। উৎপাদন দক্ষতা উন্নতি পণ্য সামগ্রিক মূল্য কম যখন মূদ্রা সংকোচন হয়। বাজারে প্রতিযোগিতা প্রায়শই এই প্রযোজকদের কমপক্ষে কিছু অংশ সঞ্চয় করার জন্য তাদের পণ্যগুলির জন্য জিজ্ঞাসা মূল্য হ্রাস করতে অনুরোধ করে। যখন এটি ঘটে তখন ক্রেতারা সেই পণ্যগুলির জন্য কম অর্থ প্রদান করে এবং ফলস্বরূপ হ্রাস ঘটেছে, কেননা ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং পরিবহন খরচ কমে ১৮৭০-১৯০০ সাল থেকে তাত্ক্ষণিক উৎপাদনশীল যুগে স্ট্রাকচারাল মূদ্রা সংকোচন তৈরি হয়েছিল, কিন্তু ১৯১৩ সালে ফেডারেল রিজার্ভ প্রতিষ্ঠার প্রায় এক দশকের আগে হালকা মুদ্রাস্ফীতি ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মুদ্রাস্ফীতি ছিল, কিন্তু অবনতি আবার ফিরে আসে যুদ্ধের পর এবং ১৯৩০ এর দশকে বিষণ্ণতা। ১৯৩০ -এর দশকে বেশিরভাগ দেশ স্বর্ণ মানকে পরিত্যাগ করেছিল যাতে কম উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে একটি আর্থিক মুদ্রা ব্যবস্থার অধীনে ফটকাবাজি সম্পত্তির ক্লাসের পতন থেকে বাদ পড়ে মূদ্রা সংকোচন এর প্রত্যাশার কম কারণ থাকে। মূলধারার অর্থনীতিতে, মূদ্রা সংকোচন সরবরাহের চাহিদা এবং সরবরাহের চাহিদা এবং অর্থের চাহিদা, বিশেষ করে অর্থের সরবরাহ সরবরাহ এবং পণ্য সরবরাহের সরবরাহের সমন্বয় দ্বারা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির ঐতিহাসিক পর্বগুলি প্রায়ই সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি না করে (বাড়তি উত্পাদনের কারণে) সরবরাহের সাথে যুক্ত হয় (অথবা ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে গ্রেট ডিপ্রেশন এবং সম্ভবত জাপানের সাথে) পণ্যদ্রব্যের চাহিদা নিচে অর্থ সরবরাহ হ্রাস সঙ্গে মিলিত। বেন বার্নানকে গ্রেট ডিপ্রেশন এর গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে ফেডারেল রিজার্ভ সময়সীমার অর্থ সরবরাহকে হ্রাস করে, ফলে মূদ্রা সংকোচন-এ অবদান রাখে। কারণগুলি হলঃ''' বৃদ্ধি হ্রাসকরণঃ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে পণ্য এবং পরিষেবাদির প্রকৃত খরচগুলির মধ্যে স্থায়ীভাবে হ্রাস, প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের তুলনায় পাশাপাশি সামগ্রিক চাহিদার বৃদ্ধি ঘটে।'''দ্বিতীয় সূর্যবর্মণ''' () যিনি, মরণোত্তর নামে পরমবিষ্ণুলোক নামে পরিচিত ছিলেন, খেমার সাম্রাজ্যের একজন সম্রাট, যিনি ১১১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১১৪৫-৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ আঙ্কোর ভাটের নির্মাণ করেন এবং হিন্দু দেবতা বিষ্ণূর উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন। তার রাজত্বকালীন নির্মিত বিবিধ স্মারক, স্থাপত্য, অসংখ্য সামরিক অভিযান এবং শক্তিশালী সরকার প্রতিষ্ঠা তাকে খমের সাম্রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্রাটের মর্যাদা দিয়েছে। == প্রাথমিক জীবন == সূর্যবর্মন সাম্রাজ্যের দুর্বল কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের সময়ে একটি প্রাদেশিক রাজ্যে বড় হয়ে উঠেছিলেন। একটি শিলালিপিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার পিতার নাম এবং মা যুবাবস্থায় সিংহাসন আরোহণের জন্যে তিনি যথেষ্ট সুকৌশলে এগোন যদিও তার বৈধ দাবি ছিল। == জীবন রাজত্ব == কয়েক দশক ক্ষমতায় থাকাকালীন, সম্রাট সূর্যবর্মণ, রাজত্বের বিভিন্ন অংশকে পুনরায় একত্রিত করেন। বিভিন্ন সামন্তরাজারা তাকে রাজস্ব প্রদান করতেন। তিনি পূর্বদিকে চ্যামদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামুরিক অভিযান সম্পন্ন করেন, কিন্তু এগুলি মুলত সবই অসফল ছিল। প্রতিবেশী রাজ্য চম্পায় প্রাপ্ত শিলালিপি এবং ভিয়েতনামের পূর্বসূরী রাষ্ট্র, দাই-ভিয়েতের লেখকদের তথ্যানুযায়ী, সূর্যবর্মণ তিনটি বৃহত সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন দাই-ভিয়েত এর বিরুদ্ধে, কিন্তু সবই ব্যর্থ হয়। ১১২৮ খ্রিষ্টাব্দে, তিনি ২০,০০০ সৈন্য নিয়ে দাই-ভিয়েতের বিরুদ্ধে অভিযান করেন এবং এই সৈন্যবাহিনী পরাজিত হয়। পরের বছর তিনি ৭০০ দ্রুতগামী জাহাজ পাঠান আক্রমণ করার জন্য উপকূলভাগ জুড়ে। ১১৩২ খ্রিষ্টাব্দে, মিলিত খ্‌মের এবং চ্যাম বাহিনী আবার আক্রমণ করে এবং ১১৩৮ খ্রিষ্টাব্দে একটি চূড়ান্ত প্রচেষ্টা করেন দাই-ভিয়েত আক্রমণের, কিন্তু কোন আক্রমণ-ই সফল হয়নি। পরে চ্যাম রাজা তৃতীয় জয় ইন্দ্রবর্মণ দাই-ভিয়েতের সাথে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করেন এবং সূর্যবর্মণের সাথে সন্মিলিত আক্রমণ করতে অস্বীকার করেন। ১১৪৫ খ্রিষ্টাব্দে, সূর্যবর্মণ চম্পা রাজ্য আক্রমণ করেন এবং চম্পার রাজা জয় ইন্দ্রবর্মণকে পরাজিত করেন এবং রাজধানী বিজয়কে তছনচ করেন। চ্যাম সিংহাসনে একজন নতুন রাজা, হরিদেভকে বসান, যিনি ছিলেন, খ্‌মের শাসকের স্ত্রীর ছোট ভাই। পরবর্তী যুদ্ধে, চ্যাম বাহিনী রাজধানী পুনরুদ্ধার করে এবং হরিদেবকে হত্যা করে। ১১৫০ খ্রিষ্টাব্দে একটি চূড়ান্ত অভিযান, একটি বিপর্যয়মূলক প্রত্যাহারের মধ্যে শেষ হয়। দ্বিতীয় সূর্যবর্মণ কর্তৃক নির্মিত আঙ্কোর ভাট যুদ্ধের সাথে সাথে, সূর্যবর্মন কূটনীতিও অনুশীলন করেছিলেন, ১১১৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু করেছিলেন। ত্রয়োদশ শতাব্দীর একটি চীনা হিসাব বলে যে খমের দূতাবাসের ১৪ জন সদস্য ছিল, যারা চীনের মাটিতে পৌঁছানোর পর, বিশেষ রাজকীয় পোশাক দিয়ে অভ্যর্থনা করা হয়। ১১২০ খ্রিষ্টাব্দে আরো একদল রাষ্ট্রদূত দূতাবাস পরিদর্শন করেন; ১১২৮ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট খেমার শাসককে উচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করেছিলেন, তাকে "সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সামন্তরাজা" বলে মনে করেছিলেন। দুই রাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত সমস্যা পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রিত হয়। তার আমলেই শিল্প স্থাপত্যের সর্বাধিক উন্নতি ঘটে। তিনি রাজধানীতে নির্মিত সর্বকালীন বৃহত্তম মন্দির সৌধাবলী আংকর ওয়ত। নির্মাণের সভাপতিত্ব করেন। অনেক আধুনিক ঐতিহাসিক আঙ্কোর ভাটকে খমের আমলে নির্মিত সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপত্য বলে মনে করেন। এর পাঁচটি কেন্দ্রীয় রত্ন (টাওয়ার) হিন্দু দেবদেবীর বাসস্থান সুমেরু পর্বতের শিখরকে নির্দেশ করে। এটির মন্দিরগাত্রে ১৮৬০টি অপ্সরা, বা স্বর্গীয় নর্তকীদের চিত্র অঙ্কিত রয়েছে এবং হাজার হাজার মিটার প্রশস্ত চিত্রাবলী রয়েছে, হিন্দু পৌরাণিক কিংবদন্তি এবং সমসাময়িক জীবনের দৃশ্য নিয়ে। তার রাজত্বের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য মন্দিরগুলোর মধ্যে রয়েছে বান্তে সামের, থমম্যানন, চাউ সাও তেভোদা এবং রাজধানীর পূর্বপ্রান্তে, বিশাল বেং মেওলা কমপ্লেক্স। সূর্যবর্মণ বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু তার স্ত্রীর নামের কোনো নথি পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় সূর্যবর্মণ, অন্যান্য খেমার রাজাদের থেকে ধর্মপালনের ক্ষেত্রে আলাদা ছিলেন কারণ, শিবের পরিবর্তে বিষ্ণু ছিলেন তার রাজত্বের ধর্ম পালনের মূল ভরকেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের কারণ জানা যায় না। পন্ডিতরা দীর্ঘকাল বিতর্ক করেছেন, যে হয়ত, শিবের পরিবর্তে, বিষ্ণু তার প্রধান আরাধ্য দেবতা হওয়ার কারণেই, আঙ্কোর ভাটের অভিমুখ পশ্চিমদিকে, যা কিনা বিষ্ণুর সাথে সম্পর্কিত, যেখানে অন্যান্য খমের স্থাপত্য পূর্বমুখী। == মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার == শিলালিপিতে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, সূর্যবর্মন ১১৪৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১১৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন, সম্ভবত চম্পার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সময়ই তিনি মারা যান। তার পরে সিংহাসনে আরোহণ করেন দ্বিতীয় ধরনীন্দ্রবর্মণ, যিনি সম্পর্কে সম্রাটের মামাতো ভাই ছিলেন। এরপর শুরু হয় দুর্বল এবং খারাপ শাসনব্যাবস্থা। সূর্যবর্মনকে মরণোত্তর নাম দেওয়া হয় পরমবিষ্ণুলোক, যিনি বিষ্ণুর স্বর্গীয় জগতে প্রবেশ করেছেন। তার ম্রিত্যুর পরেই আঙ্কোরভাটের কাজ সম্পূর্ণ হয় বলে মনে করা হয়। == নোট == == তথ্যসূত্র == Briggs, Lawrence Palmer. ''The Ancient Khmer Empire.'' Transactions of the American Philosophical Society, Volume 41, Part 1. 1951 Vickery, Michael, ''The Reign of Suryavarman and Royal Factionalism at Angkor''. Journal of Southeast Asian Studies, 16 (1985) 2: 226-244. সাল অজানা মৃত্যু কম্বোডিয়ান রাজা রাজা সাম্রাজ্য হিন্দু'''প্রসব পরবর্তী বিষণ্নতা''' ('''পিপিডি'''), বা '''জন্মদানোত্তর বিষণ্নতা''', মানসিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তনের একটি ধরন, যেটি প্রসবের সঙ্গে সংযুক্ত, যা উভয় লিঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে। চরম বিষণ্ণতা, কম শক্তি, উদ্বেগ, কান্নাকাটি করা, বিরক্ত হওয়া, এবং ঘুম বা খাওয়ার অবস্থার পরিবর্তন, এই লক্ষণগুলি এর অন্তর্ভুক্ত। এর সূচনা সাধারণত শিশুর জন্মের এক সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে হয়। পিপিডি নেতিবাচকভাবে নবজাতককেও প্রভাবিত করতে পারে। যদিও পিপিডির সঠিক কারণ অস্পষ্ট, এটি শারীরিক এবং মানসিক কারণের সমন্বয়ে হয় বলে মনে করা হয়। কারণগুলির মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন এবং ঘুমের অভাব থাকতে পারে। পূর্বের প্রসব পরবর্তী বিষণ্নতা ঘটে থাকলে, মানসিক বিষণ্নতাজনিত অসুস্থতা, পরিবারে মানসিক বিষণ্নতার ইতিহাস, মানসিক চাপ, শিশু জন্মের সময় জটিলতা, সহায়তার অভাব অথবা ঔষধ ব্যবহার জনিত ব্যাধি, এগুলি সবই ঝুঁকির কারণ। একজনের লক্ষণের উপর ভিত্তি করে রোগনির্ণয় করা হয়। যদিও বেশিরভাগ মহিলাই প্রসবের পরে কিছু সময়ের জন্য উদ্বেগ বা অস্বস্তি অনুভব করেন, যখন লক্ষণগুলি গুরুতর হয় এবং দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে তখন তাকে প্রসব পরবর্তী বিষণ্নতা বলে সন্দেহ করা যায়। যাঁরা ঝুঁকির মধ্যে আছেন, তাদের জন্য মানসিক সাহায্যের ব্যবস্থা পিপিডি প্রতিরোধে কাজ করতে পারে। কাউন্সেলিং করে বা ঔষধ ব্যবহার করে পিপিডির চিকিৎসা করা যেতে পারে।। যে সব পরামর্শের ধরনগুলি কার্যকরী হয় দেখা গেছে সেগুলি হল পারস্পরিক মানসিক চিকিৎসা (আইপিটি), কগনিটিভ আচরণগত চিকিৎসা (সিবিটি), এবং সাইকোডাইনামিক চিকিৎসা। তাৎপর্যপূর্ণ প্রমাণগুলি সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটর (এসএসআরআই) সমূহের ব্যবহার সমর্থন করে। প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা শিশুর জন্মের কাছাকাছি সময়ে প্রায় ১৫% নারীকে প্রভাবিত করে। তাছাড়া, অনুমান করা হয়, এই ব্যাধি প্রায় ১% থেকে ২৬% নব্য পিতাকেও আক্রমণ করে। প্রসব পরবর্তী মনোব্যাধি, প্রসব পরবর্তী মানসিক ওঠাপড়ার আরো গুরুতর অবস্থা, শিশুজন্মের পর ১০০০ নারী প্রতি অথবা জনের ঘটে। এক বছরের কম বয়সের শিশুকে হত্যার একটি মূল কারণ প্রসব পরবর্তী মনোব্যাধি, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১,০০,০০০টি শিশুজন্মের প্রায় জনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে। == লক্ষণ উপসর্গ == পিপিডির লক্ষণগুলি প্রসবের পরে এক বছরের মধ্যে যে কোন সময়ে ঘটতে পারে। সাধারণত, প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতার চিহ্ন এবং লক্ষণ অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য স্থায়ী হলে এই রোগ হয়েছে বলে নির্ণয় করা হয়। এই লক্ষণগুলির মধ্যে আছে (যদিও এগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়): === আবেগপ্রবণ === স্থায়ী বিষণ্ণতা, উদ্বিগ্নতা বা "খালি" লাগা প্রচন্ড মানসিক দোলাচল হতাশা, বিরক্ত হওয়া, অস্থিরতা, রাগ হতাশা বা অসহায় বোধ করার অনুভূতি দোষী মনে হওয়া, লজ্জায় থাকা, অপদার্থ মনে হওয়া নিজের প্রতি শ্রদ্ধা কম হওয়া হতবুদ্ধি অবস্থা, শূন্যতা অবসাদ সান্ত্বনা গ্রহণ করতে না পারা শিশুর সঙ্গে বন্ধনে সমস্যা শিশুর যত্ন নিতে অপর্যাপ্ত বোধ করা === ব্যবহারিক === স্বাভাবিক কাজে অনাগ্রহ বা পরিতোষের অভাব ক্ষমতার অভাব যৌন ইচ্ছার অভাব ক্ষুধাবোধে পরিবর্তন অবসাদ, শক্তি এবং প্রেরণা কমে যাওয়া নিজস্ব যত্নে অবহেলা করা সামাজিক দিক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া অনিদ্রা বা অত্যধিক ঘুম === চেতনা === সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং পরিষ্কারভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস মনোযোগের অভাব এবং স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া শিশুর যত্ন নিতে অপারগ মনে করা বা শিশুকে ভয় করা নিজের, শিশুর, বা সঙ্গীর ক্ষতি সম্পর্কে চিন্তিত হয়ে থাকা === সূচনা এবং সময়কাল=== প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা, প্রসবের পরে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে শুরু হয়। শহরের একটি মানসিক স্বাস্থ্য ক্লিনিকের গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৫০% ক্ষেত্রে প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা প্রসবের পূর্বেই শুরু হয়েছে। অতএব, ডিএসএম-৫ প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতাকে নির্ণয় করা হয় "শিশু জন্মের সময়ে বিষণ্ণতার সূত্রপাত" হিসাবে, যেখানে "শিশু জন্মের সময়ে বিষণ্ণতার সূত্রপাত" বলতে বোঝান হয়েছে গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের চার সপ্তাহের মধ্যে যে কোন সময়। পিপিডি কয়েক মাস বা এমনকি এক বছরও চলতে পারে। যে মহিলাদের গর্ভপাত হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রেও প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা ঘটতে পারে। বাবাদের ক্ষেত্রে, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরুষেরা সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা অনুভব করেন প্রসবের পর ৩-৬ মাসের মধ্যে। সম্পর্ক=== প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা, স্বাভাবিক মা-শিশু বন্ধনে প্রভাব ফেলতে পারে এবং শিশুর উন্নয়নে স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘস্থায়ী বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতার ফলে সন্তানের দেখাশোনার মা প্রতি অসঙ্গতিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন। এই দেখাশোনায় অসঙ্গতি সন্তানের খাওয়ার সময়ে, ঘুমের সময়ে, এবং স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখার সময়ে হতে পারে। কিছু বিরল ক্ষেত্রে, প্রায় থেকে ২, প্রতি ১,০০০ জনে, প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা দেখা দেয় প্রসব পরবর্তী মনোব্যাধি হিসাবে। তাদের মধ্যে, অথবা পূর্ববর্তী মানসিক হাসপাতালে ভর্তির ইতিহাস সহ মহিলাদের মধ্যে, শিশুহত্যা ঘটে যেতে পারে। যুক্তরাষ্টে, বার্ষিক রিপোর্ট প্রায় প্রতি ১,০০,০০০ শিশুজন্মের মধ্যে জন শিশুহত্যার ঘটনার একটি মূল কারণ প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা। ==কারণসমূহ== পিপিডির কারণ এখনো ভাল বোঝা যায় নি। == তথ্যসূত্র == স্বাস্থ্য'''কার্ট স্টিভেন এঙ্গেল''' (জন্ম ডিসেম্বর ৯, ১৯৬৮) আমেরিকার একজন পেশাদার কুস্তিগীর, অভিনেতা সাবেক অ্যামেচার কুস্তিগীর। বর্তমানে সে সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে যেখানে সে ব্র্যান্ডের অনস্ক্রিন জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি ফ্রিস্টাইল রেসলিং ১৯৯৫ ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়নশীপ গোল্ড মেডেল জয় করেন। এরপর ফ্রিস্টাইল রেসলিং ১৯৯৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। সে ওই চার জনের মধ্যে একজন যারা অ্যামেচার রেসলিং জিতেছে (জুনিয়র ন্যাশনালস, এনসিএএ, ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়নশীপ এবং অলিম্পিক)। ২০১৬ সালে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তার অ্যামেচার রেসলিং অর্জনের জন্য। কার্ট আগস্ট ১৯৯৮ সালে পেশাদারি কুস্তিতে নাম লেখান। তিনি তে ২১ বার চ্যাম্পিয়ন খেতাব জিতেছেন। == প্রাথমিক জীবন == এঙ্গেল পিটসবার্গ শহরের জ্যাকি এবং ডেবিড এঙ্গেল এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে ক্ল্যারিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পূর্ণ করেন। এঙ্গেল এর চার বড় ভাই এবং এক বোন রয়েছে। তার বাবা একজন ক্রেন অপারেটর ছিলেন। এঙ্গেল এর যখন ১৬ বছর বয়স,তখন তিনি এক কন্সট্রাকশন দূর্ঘটনায় মারা যান। এঙ্গেল তার জীবনি বই তার পিতাকে উৎসর্গ করেছেন। এঙ্গেল এর মা লম্বা সময় ক্যান্সার এর সাথে যুদ্ধ করে ২০১৫ সালে মারা যান। ==তথ্যসূত্র== == বহিঃসংযোগ == TNA Impact Wrestling Profile Kurt Angle at The National Wrestling Hall of Fame website births from Pennsylvania male professional wrestlers male sport wrestlers sportspeople convicted of crimes Golden Eagles wrestlers professional wrestlers in Japan (professional wrestling) members Hall of Fame Heavyweight champions ব্যক্তি at the 1996 Summer Olympics United States Heavyweight Champions gold medalists for the United States in wrestling wrestlers of the United States Republicans wrestling authority figures wrestlers from Pennsylvania wrestlers who competed in the Olympics from Mt. Lebanon, Pennsylvania from Pittsburgh বিষয়শ্রেণী:The Alliance (professional wrestling) members বিষয়শ্রেণী:WCW World Heavyweight Champions Wrestling Championships medalists at the 1996 Summer Olympics Observer Newsletter Hall of Fame বিষয়শ্রেণী:WWF European Champions বিষয়শ্রেণী:WWE Hall of Fame inductees Champions World Heavyweight Champions বিষয়শ্রেণী:WWE Grand Slam champions peopleস্যামুয়েল রুবেন ছিলেন একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী। এঁর জন্মগত নাম ছিল চার্লস রুবেন্সটাইন জ. ১৯১৩, ৫ই নভেম্বর মৃ. ১৯৪৩, ২৮শে সেপ্টেম্বর। প্রথম জীবনঃ স্যামুয়েল রুবেনের বাবা-মার নাম হার্শেল রুবেন্সটাইন ফ্রেডা পেন রুবেনস্টাইন। ১৯৩০ সালে তারা নামটাকে ছোট করে "রুবেন" করে নেন। বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা জ্যাক ডেম্পসে ছিলেন কিশোর স্যামের প্রতিবেশী। ডেম্পসের সঙ্গে স্যামের বন্ধুত্ব হয় এবং স্যাম স্থানীয় মুষ্টিযোদ্ধাদের ক্লাবে যোগ দেন। পরে যখন পরিবার বার্কলেতে স্থানান্তরিত হয়, তখন সেখানে বাস্কেটবল খেলা শুরু করেন। স্যাম বার্কলে হাই স্কুলের একজন ভাল বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন। স্যাম বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিষ্ট্রিতে বিএস করে সেখানেই তিনি উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৩৮ সালের মে মাসে সেখান থেকে তিনি ফিজিক্যাল কেমিষ্ট্রিতে পিএচডি ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে ওখানে তিনি ইন্সট্রাক্টর (instructor) বা নির্দেশক রূপে যোগ দেন ১৯৪১ সালে সহ অধ্যাপক (assistant professor) পদে উন্নীত হন। গবেষণাঃ রুবেন বার্কলে রেডিয়েশন ল্যাবরেটরিতে আর্নেস্ট ও. লরেন্সের অধীনে গবেষণা শুরু করেন। এখানে তার সহকর্মী ছিলেন মার্টিন কামেন। মার্টিন শিকাগো পিএচডি। নিউক্লিয়ার ফিজিক্স কেমিষ্ট্রি তার বিষয়। বার্কলেতে দুজনের গবেষণার বিষয়-বস্তু ছিল সালোক-সংশ্লেষের কার্য-প্রণালী (mechanism)। সাধারণ কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিবর্তে স্বল্পজীবি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কার্বন-১১ যুক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড প্রয়োগ করে তারা সালোক-সংশ্লেষের কার্য-প্রণালী (mechanism) বোঝার চেষ্টা করলেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত চলেছিল এই গবেষণা। এঁদের পরীক্ষালব্ধ ফল তার সঙ্গে স্ট্যানফোর্ড হপকিন্স মেরিন স্টেশনের সি বি ভ্যান নীলের (C. B. Van Niel) গবেষণা যুক্ত হয়ে এটা পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হল যে সূর্যের আলো ছাড়াও অন্ধকারে সালোক-সংশ্লেষ (dark photosynthesis) ঘটতে পারে। এই সালোক-সংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাক্ট্রিয়ার মধ্যে যে সব প্রক্রিয়া হয়, অনেকটা তার অনুরূপ। প্রায় এক শতক ধরে এই ধারনা চালু ছিল যে একমাত্র সূর্যের আলো ক্লোরোফিলের মাধ্যমেই সালোক-সংশ্লেষ হয়। তাছাড়া অ্যাডল্ফ্ ফন বায়ারের (Adolf von Bayer) এক তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে রিচার্ড উইলস্ট্যাটার (Richard Willstätter), আর্থার স্টল (Arthur Stoll)-এর মত বিজ্ঞানীরা বহু দশক ধরে সালোক-সংশ্লেষের অন্তর্বর্তী পদার্থ রূপে ফর্ম্যাল্ডিহাইড খুঁজে বেড়িয়েছেন। রুবেন-কামেনের পরীক্ষালব্ধ ফল অর্থাৎ অন্ধকারে সালোক-সংশ্লেষ ঘটার তত্ত্ব সেই ধারণার মূলে কুঠারাঘাত করল। বার্কলের রেডিয়েশন ল্যাবরেটরিতে ছিল একটা ৩৭-ইঞ্চি সাইক্লোট্রন। সেই সাইক্লোট্রনে বোরন-১০-এর সঙ্গে ডয়টেরিয়ামের বিক্রিয়া ঘটিয়ে কামেন তৈরী করতেন প্রচুর পরিমাণে কার্বন-১১ আইসোটোপ, আর কার্বন-১১ আইসোটোপ দিয়ে রুবেন করতেন শত-শত পরীক্ষা। কিছুদিনের মধ্যেই রুবেন কামেনের সংগে উদ্ভিদ-বিদ্যা, অণুজীবতত্ব (microbiology), শারীর-বিদ্যা জৈব-রসায়ন জগতের বহু বিজ্ঞানী সহযোগিতা-মূলক কাজ শুরু করলেন। এঁদের সকলেরই উদ্দেশ্য এক এঁরা জানতে চান, উদ্ভিদ, সমুদ্র-শৈবাল শ্রেণী (algae) ব্যাক্ট্রিয়ার মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড কোন পথে অর্থাৎ কিভাবে শর্করা পদার্থে রূপান্তরিত হয়। অবশ্য প্রথমদিকে এঁরা কেউই কোন সুনির্দিষ্ট ফল পান নি বরং যে সব ফল পাওয়া যাচ্ছিল তা ছিল অনেক সময় পরস্পর বিরোধী। এর মূল কারণ ছিল কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ তার বিভিন্ন রূপান্তরের পথে নানা ধরনের প্রোটিন-যুক্ত অবশিষ্টাংশের উপস্থিতি, যে ঠিক ভাবে সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। কিন্তু রুবেন কামেনের এই কাজ সারা বিশ্ব-জুড়ে উদ্দীপনার সৃষ্টি করল বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে বিপাকীয় ক্রিয়ার (metabolism) ওপর এত কাজ শুরু হল যে, অদূর ভবিষ্যতে জীব-রসায়ন (biochemistry) এক বিপ্লবের সূত্রপাত হল। এর পর রুবেন ভারী জল নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। ‘ভারী জল’ মানে এই জলের প্রতিটি অণুতে সাধারণ অক্সিজেন (16O) পরমাণুর জায়গায় 18O পরমাণু থাকে। অর্থাৎ এর আণবিক সংকেতঃ 1H218O এই ভারী জল দিয়ে রুবেন সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রমাণ করলেন যে সালোক-সংশ্লেষের ফলে যে শর্করা উৎপন্ন হয়, তার সমস্ত অক্সিজেন জল থেকেই আসে, কার্বন ডাই অক্সাইডের কোন অক্সিজেন শর্করায় গ্রথিত হয় না। ইতিমধ্যে বহু নিউক্লীয় পদার্থবিদ কার্বনের মধ্যে এক অপেক্ষাকৃত দীর্ঘজীবি আইসোটপের অস্তিত্বের কথা বলে আসছেন, কিন্তু আইসোটোপটিকে সঠিকভাবে ধরা ছোঁয়া যাচ্ছিল না। আইসোটোপটি কার্বন-১৪ (C-14)। রুবেন কামেন আইসোটোপটিকে সঠিকভাবে সনাক্ত করার জন্য নানা রকমে চেষ্টা শুরু করলেন। অনেক ব্যর্থতার পর অবশেষে কামেন একদিন সাইক্লোট্রনে ১২০ ঘণ্টা ধরে গ্রাফাইটের ওপর ‘গোলাবর্ষণ’ করে যে অবশিষ্টাংশ পেলেন, মনে হল এটাই সেই প্রার্থিত বস্তু। সাইক্লোট্রন কেমিষ্ট্রি ডিপার্টমেন্টের মাঝখানে কাছেই ছিল রুবেনের ল্যাবরেটরী ডাক নাম ‘Rat House’ (ইঁদুরের বাড়ি)। বাইরে তখন বৃষ্টি পড়ছিল। বৃষ্টির মধ্যে কামেন দৌড়লেন রুবেনের ল্যাবরেটরীতে। কামেন যেমন নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে দক্ষ ছিলেন, রুবেন তেমনি দক্ষ ছিলেন রাসায়নিক বিশ্লেষণে। এর কয়েক দিন পরে ১৯৪০ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি সকাল আটটায় রুবেন সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করলেন যে কামেন সাইক্লোট্রন থেকে যে অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করেছেন তা কার্বন-১৪ আইসোটোপ এবং এই আইসোটোপটি তেজস্ক্রিয়। পরবর্তী কালে কার্বন-১৪ আইসোটোপ ব্যবহার করে প্রত্নতত্বে, চিকিৎসা-বিদ্যা এবং বিজ্ঞানের নানা বিভাগে এত কাজ হয়েছে এবং এত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে যে স্যাম রুবেন মার্টিন কামেনের কার্বন-১৪ আবিষ্কার বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি বিশাল ঘটনা। কার্বন-১৪ তো পাওয়া গেল, কিন্তু এটা নিয়ে করায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল এর দুর্বল তেজষ্ক্রিয়তা। কার্বন-১৪ থেকে যে বিটা-রশ্মি বিকীরণ হচ্ছিল, তা সহজে মাপা যাচ্ছিল না। এদিকে দ্বিতীয় বিশ্ব-যুদ্ধ শুরু হল। সাইক্লোট্রনে আইসোটোপ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল। ১৯৪২ সালে রুবেনের ডাক পড়ল অন্যত্র। যুদ্ধ-সংক্রান্ত অন্য-ধরনের গবেষণা করার জন্য রুবেন বার্কলে ছাড়লেন। এদিকে কামেনেরও ওপর এক বিপদ নেমে এসেছে। নানা কারণে কামেনের ওপর কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করতে লাগলেন, কামেনের ওপর গোপন নজরদারি শুরু হল, এবং কামেন বার্কলের চাকরি খোয়ালেন। রুবেন কার্বন-১৪-এর যথাযথ গুরুত্ব, বিশেষ করে সালোক-সংশ্লেষ সংক্রান্ত গবেষণায় এর প্রয়োজনীয়তা, বুঝতে পেরেছিলেন। তাই বার্কলে ছাড়ার সময় কেমিষ্ট্রি ডিপার্টমেন্টের আর এক ফ্যাকাল্টি অ্যাণ্ড্রু বেনসনকে তার কাছে সঞ্চিত কার্বন-১৪ যুক্ত সমস্ত বেরিয়াম কার্বনেট দিয়ে দেন। বেনসন এই কার্বন-১৪ দিয়ে সালোক-সংশ্লেষে কার্বনের পথ-নির্দেশ সম্পর্কিত বহু গবেষণা করেন। এই কার্বন-১৪ দিয়েই ১৯৪৯ সালে উইলার্ড লিবি (Willard Libby) তার বিখ্যাত তেজষ্ক্রিয় কার্বনের দ্বারা প্রাচীন বস্তুর বয়স নির্ধারণ পদ্ধতি (radiocarbon dating) উদ্ভাবন করেন, যার জন্য ১৯৬০ সালে লিবি নোবেল পুরস্কার পান। এদিকে যুদ্ধ-সংক্রান্ত গবেষণায় রুবেন বিষাক্ত গ্যাস নিয়ে কাজ শুরু করেছেন এবং কিছুদিন পরে বার্কলেতে ফিরে এসেছেন। স্বল্পজীবি তেজস্ক্রিয় কার্বন-১১ আইসোটোপ দিয়ে অ্যাণ্ড্রু বেনসন তৈরী করেছেন ভয়ানক বিষাক্ত গ্যাস ফসজিন (11COCl2) রুবেনের ইচ্ছে, ফুসফুসের প্রোটিনের ওপর এই গ্যাসের প্রভাব এবং কার্য-প্রণালী পরীক্ষা করবেন। ১৯৪৩-এর জুলাই মাসে বেনসন বার্কলে ছাড়লেন। তার প্রায় দু মাস পরে ঘটল ভয়ংকর দুর্ঘটনা। ২৭শে সেপ্টেম্বর ফসজিন নিয়ে কাজ করার সময় প্রচুর পরিমাণে ফসজিন স্যাম রুবেনের শরীরে ঢুকে গেল। পরদিন ১৯৪৩ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে স্যাম রুবেন মারা গেলেন। স্যাম রুবেন যখন ক্যালিফোর্নিয়া ছাত্র ছিলেন, তখন তার সহপাঠিনী ছিলেন হেলেনা কলিন্স ওয়েস্ট। শেষ সেমিস্টারে হেলেনাকে স্যাম বিয়ে করেন। সেটা ছিল ১৯৩৫ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর। তাদের তিনটি সন্তান ডানা ওয়েস্ট রুবেন (জ. ১৯৩৮, নভেম্বর ১১), জর্জ কলিন্স রুবেন (জ. ১৯৪১, এপ্রিল ২৯) এবং কনি মা রুবেন ফাৎ (Connie Mae Ruben Fatt) (জ. ১৯৪৩, জুন ১৮) পরবর্তী কালে জর্জ কলিন্স রুবেন ডার্টমাউথ কলেজের অধ্যাপক হয়েছিলেন। Referencesedit source 1. Jump up^ Gest, Howard (2004). "Samuel Ruben's contributions to research on photosynthesis and bacterial metabolism with radioactive carbon" (PDF). Photosynthesis Research. 80: 77–83. Sourcesedit source Ruben, S.; Kamen, M. D. (1941), "Long-Lived Radioactive Carbon: C14", Physical Review, 59 (4): Kamen, Martin D. (1985), Radiant Science, Dark Politics: Memoir of the Nuclear Age, Berkeley, California: University of California Press, Johnston, Harold (2003), Bridge Not Attacked: Chemical Warfare Civilian Research During World War II, River Edge, NJ: World Scientific Publishing Company, ISBN 981-238-152-X'''ভাদুর''' বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তর্গত রামগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == রামগঞ্জ উপজেলার মধ্যাংশে ভাদুর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের উত্তরে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন, পশ্চিমে রামগঞ্জ পৌরসভা, দক্ষিণে রামগঞ্জ পৌরসভা দরবেশপুর ইউনিয়ন এবং পূর্বে ভোলাকোট ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == ভাদুর ইউনিয়ন রামগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম রামগঞ্জ থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৪নং নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == রামগঞ্জ উপজেলা রামগঞ্জ থানা লক্ষ্মীপুর জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নিবন্ধ'''রহিম ইয়ার খান''' () পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর। এটি রহিম ইয়ার খান জেলা এবং রহিম ইয়ার খান তেহসিলের রাজধানী। এই শহরের প্রশাসন নয়টি ইউনিয়ন পরিষদে উপবিভক্ত। ১৮৮১ সালে, ভাওয়ালপুরের নবাব এই শহরের বর্তমান নাম তার প্রথম সন্তান এবং যুবরাজ রহিম ইয়ার খানের নামে দিয়েছিলেন। == তথ্যসূত্র == == বহিসংযোগ == ইয়ার খান জেলার জনবহুল স্থান পাঞ্জাবের মধ্যে জনবহুল স্থান'''আলী সালমান''' আহমদ সালমান (আরবী: علي سلمان أحمد سلمان) একজন বাহরাইনী ইমামিয়্যাহ (টুইলভার) শিয়া আলেম এবং আল-ওয়েফক নামক রাজনৈতিক সমাজের মহাসচিব। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে বাহরাইন সরকার তাকে ১৯৯০ সালের গণজাগরণের সময় সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠান এবং সংসদ পুনরুদ্ধারের দাবিতে একটি প্রচারাভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জোরপূর্বক তাকে দুবাইতে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে লন্ডনে যান এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। তিনি লন্ডন থেকে বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন, যেখানে তিনি বাহরাইন ফ্রিডম মুভমেন্ট এর সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০০১ সালের মার্চে রাজা হামাদ ঘোষিত রাজনৈতিক সংস্কারের একটি অংশ হিসাবে সালমান সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনায় বাহরাইন ফিরে আসেন। তার পরিবারের নিকটবর্তী অজানা কিছু ব্যক্তির মতে, আল খলিফার শাসনামলে শেখ আলী সালমানকে কারাগারে মারাত্মক নির্যাতন করা হয়েছিল। শেখ আলী সালমানকে আটক রাখার ফলে অনেক প্রতিবাদ হয় এবং আল খলিফার বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস রবারের গুলি চালানোর ফলে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারী আহত হয়। ==ধর্মীয় বিশ্বাস== আলী সালমান মূলত ইরানের ইমামিয়্যাহ শিয়া ধর্মীয় চিন্তাভাবনার একটি প্রধান কেন্দ্র ‘কম’ শহরে পড়াশুনা করেন। তিনি একজন ইমামিয়্যাহ শিয়া যা মূলত ১৯৯২ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিয়া বিশ্বের বেশিরভাগ আধ্যাত্মিক নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ সাঈদ আবুল-কাশিম আল-খোইয়ের শান্তিকর শিক্ষা অনুসরণ করেছিলেন। তার মূল মার্জার মৃত্যুর পর, সালমান তার নতুন মার্জা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কথা বলেননি তবে, একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎতারে তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি এখন গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ সাইয়িদ আলী আল-হুসায়ানি আল-সিসতানির অনুসারী। এই পছন্দটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সালমান তার রাজনৈতিক অবস্থানকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের বাহ্যিক উৎসের উপর নির্ভর করেন না। সিসতানির এই অনুসরণ একটি সম্পূর্ণরূপে পৃথক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত যা সাধারণ পরিমণ্ডলের মধ্যে প্রসারিত হয় না। সিসতানি একটি মার্জা যা তার অনুসারীদের রাজনৈতিক পছন্দগুলিতে হস্তক্ষেপ এড়ায়ে চলার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ==১৯৯০ সালে বাহরাইনের গণজাগরণে ভূমিকা== ১৯৯০ সালে বাহরাইনের গণজাগরণের একজন অন্যতম নেতা হিসেবে আলী সালমান ব্যাপকভাবে পরিচিত। গণজাগরণের প্রথম দিকটি ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে বেশ কয়েকটি বিদেশী সংস্থা দ্বারা সংগঠিত একটি দাতব্য ম্যারাথন হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ম্যারাথন দৌড়বিদরা, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই শর্টস এবং টি-শার্টে পরিহিত অবস্থায়, কিছু শিয়া গ্রামে প্রবেশ করে। শিয়া ধর্মীয় নেতাদের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা তাদের থামাতে চেষ্টা করেছিল কারণ তাদের মনে হয়েছিল এই অল্প পোশাক পরিহিতরা তাদের ধর্মীয় নৈতিক মূল্যবোধকে সরাসরি অপমান করছে। ঘটনা মারামরি এবং পাথর নিক্ষেপ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। রাতে, আলী সালমান সহ বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করে। তার গ্রেফতার গণ-বিক্ষোভে রূপ নেয় এবং প্রায় ১২ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘটে শত শত বিক্ষোভকারীকে কারাগারে পাঠান হয়। এইসব বিক্ষোভের নেতা ছিলেন সালমান। ১৯৯৪ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সালমানকে নির্বাসিত করা হয় এবং তিনি পরে লন্ডনে যান। যেখানে তিনি বাহরাইনের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বাহরাইন ফ্রিডম মুভমেন্টের সাথে যুক্ত হন, সাইদ আল-শেহাবি নেতৃত্বে এই সংগঠনটি গড়ে ওঠে। সালমান এই গ্রুপ থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করেছিলেন কিন্তু বাহরাইন বিদ্রোহের রাজনৈতিক দাবিগুলো অর্জনের জন্য তাদেরকে সহযোগিতা করেছিলেন। ==তথ্যসূত্র== "CV Mohd AlKhayyat". Bahrain Parliament Website. Archived from the original on August 2011. Retrieved 12 October 2012. "CV Ali Salman Ahmed Salman". Bahrain Parliament Website. Archived from the original on 23 May 2011. Retrieved 12 October 2012. "Why Al Khalifa tortured Sheikh Ali Salman". "Bahrain forces crack down on protestors". Al Bawaba. 31 January 2015. Michael Sheridan "Violent Shia protests embarrass Bahrain Violent Shia protests embarrass Bahrain ", The Independent, 20 December 1994 জন্ম ব্যক্তিনেটওয়ার্ক''' হলো একটি সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা যেটির মালিক এই ধারণাটি সম্পর্কে মূলত ২০১১ সালে ঘোষণা করা হয়, জানুয়ারি ২০১৪ সালে ডাব্লিউডাব্লিউই ঘোষণা করে এই নেটওয়ার্কটি ফেব্রুয়ারি ২৪ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বোধন করা হবে। জুলাই ৩১ তারিখে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, স্পেন, তুরস্কতে এই সেবাটি সরাসরি হয়। আগস্ট ১৭ তারিখে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই সেবাটি চালু করা হয়। এটি অপ্রত্যাশিত ভাবে জানুয়ারি ১৩, ২০১৫ তে যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড চালু হয় যা পরিকল্পনার থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে, এবং পূর্ব পরিকল্পনা থেকে দেরিতে যেটি নভেম্বরে চালু হওয়ার কথা ছিল। ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্ক ২৪ ঘন্টা স্ট্রিমিং করা যায়। == অনুষ্ঠান সমূহ == === আসল অনুষ্ঠান === ==== ডাব্লিউডাব্লিউই ইভেন্ট ==== সব ডাব্লিউডাব্লিউই পে-পার-ভিউ ইভেন্টসমূহের সরাসরি সম্প্রচার। সব ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্ক এক্সক্লুসিভ ইভেন্টসমূহের সরাসরি সম্প্রচার। সব ডাব্লিউডাব্লিউই পে-পার-ভিউ এবং ডাব্লিউডাব্লিউই নেটওয়ার্ক এক্সক্লুসিভ ইভেন্টসমূহের প্রাক শো। ডাব্লিউডাব্লিউই ২০৫ লাইভ এর ঘন্টার ইন রিং অনুষ্ঠান যেটি ক্রুসারওয়েট ডিভিশনকে প্রদর্শন করে। ডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটির ইন রিং অনুষ্ঠান যেটি এনএক্সটির উন্নয়ন শাখা প্রদর্শন করে। এর সাথে বিশেষ সরাসরি পর্ব সমূহ প্রচার করা। ডাব্লিউডাব্লিউই এনএক্সটি ইউকে এক ঘন্টার ইন রিং অনুষ্ঠান এনএক্সটি ইউকে ব্র্যান্ডের জন্য। ডাব্লিউডাব্লিউই মেইন ইভেন্ট এক ঘন্টার ইন রিং অনুষ্ঠান যেখানে ব্র্যান্ডের রেসলাররা থাকে। পর্ব গুলো তিন সপ্তাহ পুরনো হয় (মূল সম্প্রচার "হুলু" তে) ডাব্লিউডাব্লিউই মিক্সড ম্যাচ চ্যালেঞ্জ একটি মৌসুমি টুর্নামেন্ট যেটিতে মিক্সড ট্যাগ টিম ম্যাচ অনু্ষ্ঠিত হয়। পর্ব গুলো দুইদিন পর সম্প্রচারিত হয় (মুল সম্প্রচার "ফেসবুক ওয়াচে") মাঈ ইয়ং ক্লাসিক মৌসুমি টুর্নামেন্ট ৩২ জন নারী রেসলার নিয়ে আয়োজিত হয়। == তথ্যসূত্র ==হলো একধরনের রাসায়নিক মৌল, যার প্রতীক বা সংকেত Cr এবং পারমাণবিক সংখ্যা ২৪। শিরোনাম বলতে বুঝাবে: ক্রোমিয়াম (কম্পিউটার গ্রাফিক্স), ওপেন জিএল এর জন্য একটি কম্পিউটার প্রক্রিয়া। ক্রোমিয়াম (ওয়েব ব্রাউজার), একধরনের ওয়েব ব্রাউজার। ** ক্রোমিয়াম ওএস, গুগল ক্রোম ওএস এর অধীনে একপ্রকার অপারেটিং সিস্টেম। ক্রোমিয়াম (চলচ্চিত্র), ২০১৫ সালের আলবেনিয়ান চলচ্চিত্র। ==আরও দেখুন== ''ক্রোমিয়াম বি.এস.ইউ'', ওপেন সোর্স স্পেস শ্যুটার গেম।'''কিমিলা অ্যান বেসিঙ্গার''' (; জন্ম: ডিসেম্বর ১৯৫৩) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা সাবেক ফ্যাশন মডেল। ১৯৭০-এর দশকে নিউ ইয়র্কে সফল মডেলিং কর্মজীবনের পর বেসিঙ্গার ১৯৭৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। তিনি কয়েকটি টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর নাট্যধর্মী ''হার্ড কান্ট্রি'' (১৯৮১) দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ১৯৮০ ১৯৯০-এর দশকে যৌন আবেদনের প্রতীক স্বীকৃতি লাভ করা বেসিঙ্গার ''নেভার সে নেভার অ্যাগেইন'' (১৯৮৩) ছবিতে বন্ড গার্ল ডোমিনো পেটাচি চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি ''দ্য ন্যাচারাল'' (১৯৮৪) ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা লাভ করেন এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি কাল্ট যৌনউদ্দীপক চলচ্চিত্র ''নাইন অ্যান্ড হাফ উইকস'' (১৯৮৬) এবং টিম বার্টনের ব্লকবাস্টার ''ব্যাটম্যান'' (১৯৮৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ''ব্যাটম্যান'' তার অভিনয় জীবনের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। ''এল.এ. কনফিডেনশিয়াল'' (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে তার প্রলুব্ধকর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল ''ব্লাইন্ড ডেট'' (১৯৮৭), (১৯৯৪), ''আই ড্রিমড অব আফ্রিকা'' (২০০০), ''এইট মাইল'' (২০০২), ''সেলুলার'' (২০০৪), ''গ্রাজ ম্যাচ'' (২০১৩) এবং ''ফিফটি শেডস ডার্কার'' (২০১৭)। ==প্রারম্ভিক জীবন== বেসিঙ্গার ১৯৫৩ সালের ৮ই ডিসেম্বর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাথেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা অ্যাল লি কর্ডেল (১৯২৫-২০১৭) ছিলেন একজন মডেল, অভিনেত্রী সাতারু, যিনি এস্থার উইলিয়ামসের কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তার পিতা ডোনাল্ড ওয়েড বেসিঙ্গার (১৯২৩-২০১৬) ছিলেন বিগ ব্যান্ডের সঙ্গীতজ্ঞ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সৈনিক। তিনি ডি-ডে'তে নরম্যান্ডিতে নেমেছিলেন। কিম তার পিতামাতার তৃতীয় সন্তান, তার দুই ভাই জেমস মাইকেল "মিক" স্কিপ এবং দুই বোন অ্যাশলি বারবারা। বেসিঙ্গারের পূর্বপুরুষেরা ইংরেজ, জার্মান, সুয়েডীয় স্কট-আইরিশ ছিলেন। বেসিঙ্গার মেথডিস্ট ধর্মাবলম্বী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি (মার্কিন অঙ্গরাজ্য) অভিনেত্রী প্রাক্তন শিক্ষার্থী গায়িকা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী নারী মডেল পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী চলচ্চিত্র) বিজয়ী অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী চলচ্চিত্র) বিজয়ী'''রিচার্ড ফ্রাঙ্কলিন লেনক্স টমাস প্রায়র''' (; ডিসেম্বর ১৯৪০ ১০ ডিসেম্বর ২০০৫) ছিলেন একজন মার্কিন স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা সামাজিক সমালোচক। তিনি তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা গল্প-বলার ধরন দিয়ে বিস্তৃত দর্শকমহলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং তাকে সর্বকালের সেরা প্রভাবশালী স্ট্যান্ড-আপ একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রায়র কনসার্ট চলচ্চিত্র রেকর্ডিঙের কাজ করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে ''রিচার্ড প্রায়র: লাইভ অ্যান্ড স্মোকিন'' (১৯৭১), ''দ্যাট নিগার্স ক্রেজি'' (১৯৭৪), ''...ইজ ইট সামথিং আই সেইড?'' (১৯৭৫), নিগার'' (১৯৭৬), ''রিচার্ড প্রায়র: লাইভ ইন কনসার্ট'' (১৯৭৯), ''রিচার্ড প্রায়র: লাইভ অন দ্য সানসেট স্ট্রিপ'' (১৯৮২) এবং ''রিচার্ড প্রায়র: হিয়ার অ্যান্ড নাউ'' (১৯৮৩)। অভিনেতা হিসেবে তিনি হাস্যরসাত্মক ''সিলভার স্ট্রিক'' (১৯৭৬), নাট্যধর্মী ''ব্লু কলার'' (১৯৭৮) এবং মারপিঠধর্মী ''সুপারম্যান থ্রি'' (১৯৮৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডার একত্রে বেশ কয়েকটি কাজ করেছিলেন। তার আরেকজন সহকর্মী ছিলেন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা লেখক পল মুনি। প্রায়র একটি এমি পুরস্কার (১৯৭৩) এবং পাঁচটি গ্র্যামি পুরস্কার (১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬, ১৯৮১, ১৯৮২) অর্জন করেছেন। ১৯৭৪ সালে তিনি দুটি আমেরিকান একাডেমি অব হিউমার পুরস্কার এবং রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কার জয় করেন। ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মত মার্কিন হাস্যরসের জন্য কেনেডি সেন্টার মার্ক টোয়েইন পুরস্কার প্রদান করা হয় প্রায়রকে। কমেডি সেন্ট্রালের সর্বকালের সেরা স্ট্যান্ড-আপ তালিকায় তার অবস্থান প্রথম। ২০১৭ সালে ''রোলিং স্টোন'' তাকে সর্বকালের সেরা ৫০ স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনয় তালিকায় তাকে প্রথম স্থান প্রদান করে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন কৌতুকাভিনেতা অভিনেতা কৌতুকাভিনেতা চলচ্চিত্র পরিচালক সামরিক কর্মকর্তা অভিনেতা কৌতুকাভিনেতা চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র অভিনেতা চলচ্চিত্র পরিচালক টেলিভিশন প্রযোজক পুরুষ চিত্রনাট্যকার স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা বিষয়শ্রেণী:এমি পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী'''মাদক অপব্যবহার''' যা '''নেশার জিনিস অপব্যবহার''', নামেও পরিচিত, এক ধরনের নির্দিষ্ট ধাঁচের মাদক ব্যবহার, যেখানে ব্যবহারকারী যথেষ্ট পরিমাণে নেশার জিনিস সেবন করে অথবা নিজের বা অন্যদের পক্ষে ক্ষতিকর পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে তা সেবন করে, এবং এটি এক ধরনের নেশার জিনিস সংক্রান্ত ব্যাধি। যদিও সর্বজনীন স্বা‌স্থ্য, চিকিৎসা অপরাধের বিচার সংক্রান্ত প্রসঙ্গে মাদক সেবনের বিভিন্ন প্রকারের বিসদৃশ সংজ্ঞা ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, মানুষটি যখন মাদকের প্রভাবের অধীনে থাকে তখন অপরাধমূলক বা সমাজবিরোধী আচরণ সংঘটিত হয়, এবং মানুষদের মধ্যে দী‌র্ঘকালীন ব্যক্তিত্বের পরিবর্তনও ঘটতে পারে। সম্ভাব্য শারীরিক, সামাজিক মানসিক ক্ষতি ছাড়াও, কিছু মাদক ব্যবহারের ফলস্বরূপ ফৌজদারী জরিমানাও হতে পারে, যদিও ‌স্থানীয় বিচারক্ষেত্রের ওপরে নির্ভর করে এগুলির খুবই তারতম্য হয়। এই শব্দটির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষেত্রে যে মাদকগুলি সংশ্লিষ্ট থাকে তা হল: মদ, গাঁজা, বারবিটুরেট, কোকেন, মিথাকোয়ালোন, ওপয়েড কিছু প্রতি‌স্থাপিত অ্যাম্ফেটামাইন। 2010 প্রায় 5% মানুষ (230 মিলিয়ন) একটি বেআইনি নেশার জিনিস ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে 27 মিলিয়ন মানুষ মাদক ব্যবহার করেছিল যা অন্যভাবে পর্যাবৃত্ত মাদক সেবন নামেও পরিচিত, এবং এর কারণে তাদের স্বা‌স্থ্যের ক্ষতি, মানসিক সমস্যা, বা সামাজিক সমস্যাগুলি দেখা দেয় যা তাদেরকে এই বিপদগুলির মুখে ফেলে। নেশার জিনিস ব্যবহার সংক্রান্ত ব্যাধির ফলস্বরূপ 1990 সালে 165,000 টি মৃত্যুর সংখ্যা 2015 সালে বেড়ে 307,400 টি মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যা হল মদের নেশা সংক্রান্ত ব্যাধির কারণে 1,37,500 টি, ওপয়েড ব্যবহার সংক্রান্ত ব্যাধির কারণে 1,22,100 টি মৃত্যু, অ্যাম্ফেটামাইন ব্যবহার সংক্রান্ত ব্যাধির কারণে 12,200 টি মৃত্যু, এবং কোকেন ব্যবহার সংক্রান্ত ব্যাধির কারণে 11,100 টি মৃত্যু। ==See also== *ΔFosB *Addictive personality *Alcohol abuse *Combined drug intoxication *Controlled Substances Act *Drug addiction *Drug overdose *List of controlled drugs in the United Kingdom *List of deaths from drug overdose and intoxication *Harm reduction *Low-threshold treatment programs programme *Poly drug use *Polysubstance abuse *Substance use disorder ==References== == External links == Adverse Childhood Experiences: Risk Factors for Substance Misuse and Mental Health Dr. Robert Anda of the U.S. Centers for Disease Control describes the relation between childhood adversity and later ill-health, including substance abuse (video) The National Institute on Drug Abuse অপব্যবহারবাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার সূত্রপাত হয়। চর্যাপদ পুঁথির একটি পৃষ্ঠা বাংলা ভাষা তথা বিশ্বের সকল সাহিত্যে সাহিত্যিকরা অনেক সময় নিজেদের নাম আত্মগোপন করে অন্যকোন নামে সাহিত্য রচনা করতেন। বাংলা ভাষাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অনেক কবি, নাট্যকার তাদের আসল নাম গোপন করে ছদ্মনামে সাহিত্য রচনা করতেন। নিম্নে তার একটি তালিকা দেওয়া হল। সময়কাল জন্মস্থান প্রকৃত নাম ছদ্মনাম বিশেষত্ব টীকা ১৯০৩-১৯৭৬ নোয়াখালী, বাংলাদেশ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত নীহারিকা দেবী কবি, ঔপন্যাসিক ১৮৮২-১৯৫৮ অনুরূপা দেবী অনুপমা দেবী ঔপন্যাসিক ১৯০৪-২০০২ উড়িষ্যা, ভারত অন্নদাশংকর রায় লীলাময় রায় কবি, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার অহিদুর রেজা হাসন রাজা ১৯২৭-১৯৭১ ফেনী, বাংলাদেশ আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শহীদুল্লা কায়সার ঔপন্যাসিক আবুল ফজল শমসের উল আজাদ আবুল হোসেন মিয়া আবুল হাসান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো এম. ওবায়দুল্লাহ অাসকার ইবনে শাইখ ১৮৫৭-১৯৫১ ঢাকা, বাংলাদেশ কাজেম আল কোরেশী কায়কোবাদ কবি কাজী নজরুল ইসলাম নুরু; নুরুল ইসলাম কালিকানন্দ অবধূত কালীপ্রসন্ন সিংহ হুতোম পেঁচা কামিনী রায় জনৈক বঙ্গমহিলা চারুচন্দ্র চক্রবর্তী জরাসন্ধ জমীরউদ্দীন মোল্লা ১৮৯৮-১৯৭১ বীরভূম, ভারত তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় হাবু শর্মা ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার দৃষ্টিহীন; মধুসূদন মজুমদার ১৯১৮-১৯৭০ বালিয়াডাঙ্গী, বাংলাদেশ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় সুনন্দ ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার ১৯১১-১৯৮৬ নড়াইল, বাংলাদেশ নীহাররঞ্জন গুপ্ত দাদাভাই; বাণভট্ট ঔপন্যাসিক প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৬৮-১৯৪৬ পাবনা, বাংলাদেশ প্রমথ চৌধুরী বীরবল কবি, প্রাবন্ধিক প্রেমেন্দ্র মিত্র কৃত্তিবাস ভদ্র; লেখরাজ সামন্ত প্যারীচাঁদ মিত্র টেকচাঁদ ঠাকুর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কমলাকান্ত বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় বনফুল বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় যাযাবর বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ক্বচিৎ প্রৌঢ় বিমল ঘোষ মৌমাছি বিমল মিত্র জাবালি বিহারীলাল চক্রবর্তী ভোরের পাখি মইনুদ্দিন অাহমেদ সেলিম অাল দীন মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় শংকর মণীশ ঘটক যুবনাশ্ব মনিরুজ্জামান হায়াৎ মামুদ মহাশ্বেতা দেবী সুমিত্রা দেবী মাইকেল মধুসূদন দত্ত নেটিভ মীর মশাররফ হোসেন গৌড়তটবাসী মশা; উদাসীন পথিক; গাজী মিয়াঁ মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ জহির রায়হান মোহিতলাল মজুমদার কৃত্তিবাস ওঝা; সত্যসুন্দর দাস মোঃ শহীদুল হক শহীদুল জহির ১৮৬১-১৯৪১ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা, ভারত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভানুসিংহ ঠাকুর রাজশেখর বসু পরশুরাম রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অনিলা দেবী শম্ভু মিত্র প্রসাদ দত্ত; শ্রী সঞ্জীব; সুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় শেখ অাজিজুর রহমান শওকত ওসমান সতীনাথ ভাদুড়ী চিত্রগুপ্ত ১৯২৪-১৯৮৮ বিক্রমপুর, বাংলাদেশ সমরেশ বসু কালকূট; ভ্রমর ১৯৩৪-২০১২ মাদারীপুর, বাংলাদেশ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নীল উপাধ্যায়; নীল লোহিত; সনাতন পাঠক সুভাষ মুখোপাধ্যায় সুবচনী সোমেন চন্দ ইন্দ্রকুমার সোম ১৯০৪-১৯৭৪ করিমগঞ্জ, আসাম সৈয়দ মুজতবা আলী প্রিয়দর্শী; ওমর খৈয়াম; মুসাফির; সত্য পীর ১৮৩৩-১৮৯৬ কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ হরিনাথ মজুমদার কাঙাল হরিনাথ'''কেট নোয়েল "কেটি" হোমস''' (; জন্ম: ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৮) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, প্রযোজক পরিচালক। তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক ''ডসন্‌স ক্রিক'' (১৯৯৮-২০০৩)-এ জোই পটার চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে অ্যাং লির ''দি আইস স্টর্ম'' দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। পরবর্তীকালে তিনি ''গো'' ''টিচিং মিসেস টিংগল'' (১৯৯৯), ''ওয়ান্ডার বয়েজ'' ''দ্য গিফট'' (২০০০), ''অ্যাবানডন'' (২০০২), ''ফোন বুথ'', ''দ্য সিঙিং ডিটেকটিভ'' ''পিসেস অব এপ্রিল'' (২০০৩), ''ব্যাটম্যান বিগিনস'' (২০০৫), ''থ্যাঙ্ক ইউ ফর স্মোকিং'' (২০০৬), ''ম্যাড মানি'' (২০০৮), ''ডোন্ট বি অ্যাফ্রেইড অব দ্য ডার্ক'' ''জ্যাক অ্যান্ড জিল'' (২০১১), ''মিস মিডোস'' (২০১৪), ''ওম্যান ইন গোল্ড'' ''টাচড উইথ ফায়ার'' (২০১৫) এবং ''লোগান লাকি'' (২০১৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৮ সালে আর্থার মিলারের ''অল মাই সন্স'' মঞ্চনাটক দিয়ে তার ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিষেক হয়। ২০১১ সালে তিনি টিভি মিনি ধারাবাহিক ''দ্য কেনেডিস''-এ জ্যাকুলিন কেনেডি চরিত্রে অভিনয় করেন, এবং একই চরিত্রে ''আফটার ক্যামেলট'' (২০১৭)-এ অভিনয় করেন। ২০১৬ সালে ''অল উই হ্যাড'' চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন এবং এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ২০০৬ সালে তিনি অভিনেতা টম ক্রুজের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০১২ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এই যুগলকে অনেক দেশে সুপারকাপল হিসেবে অভিহিত করা হত এবং তারা "টমক্যাট" ডাকনামে পরিচিতি পান। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী অভিনেত্রী ক্যাথলিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র পরিচালক চলচ্চিত্র প্রযোজক টেলিভিশন অভিনেত্রী'''অক্ষিকাচ''' () হচ্ছে চোখের কর্নিয়ার সাথে সম্মিলিত এমন একপ্রকার গঠন; যা দৃশ্যবস্তুর প্রতিবিম্বকে অক্ষিপটে নিবদ্ধ করে। এটি আসলে একটি কাঁচের মত স্বচ্ছ কিন্তু স্থিতিস্থাপক চাকতি; যা কনীনিকার পেছনে থাকে। পক্ষ্মলপেশীর তন্তুগুলো সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে এই স্থিতিস্থাপক চাকতির বক্রতা কমিয়ে বাড়িয়ে দৃশ্যবস্তুকে রেটিনায় ফোকাস করতে পারে। লেন্সের এই উপযোজন ক্ষমতার ফলে আমরা কাছের দূরের জিনিস স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারি বিষয়শ্রেণী:চোখ'''যোসেফ লিয়াম ডেনলি''' (; জন্ম: ১৬ মার্চ, ১৯৮৬) জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ পেশাদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কেন্টের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ শীর্ষসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে লেগ ব্রেক বোলিং করে থাকেন '''জো ডেনলি'''। কেন্টের পক্ষে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে খেলতে শুরু করেন। এরপর কাউন্টি ত্যাগ করে মিডলসেক্সে চলে যান। সেখানে পেশাদারী পর্যায়ে মিডলসেক্সের পক্ষে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিন মৌসুম খেলেন। ২০১৮ সালে প্রফেসনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন মৌসুমের সর্বাপেক্ষা মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে নামাঙ্কিত হন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ওডিআই টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে জো ডেনলি অংশগ্রহণ করেছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের পক্ষে অংশ নেন। ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ১৪টি একদিনের খেলায় অংশগ্রহণের পর জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়। কেন্টের পক্ষে দুইটি চমৎকার মৌসুম অতিবাহন করার পর ২০১৮ সালে টেস্ট ওডিআই দলে তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। == শৈশবকাল == ১৯৮৬ সালে কান্টারবারিতে জো ডেনলি’র জন্ম। শহরের চসার টেকনোলজি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। কিশোর অবস্থায় চার্লটন অ্যাথলেটিক একাডেমির পক্ষে ফুটবল খেলায় অংশ নিয়েছেন। হুইস্ট্যাবল টাউন অনূর্ধ্ব-১৮ দলের পক্ষে এক খেলায় অংশ নিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলেন। তার এক ভাই স্যাম কেন্টভিত্তিক ফুটবল ক্লাব হাইদ টাউনের ব্যবস্থাপক ছিলেন। ডেনলিসহ তার ভাই বাবা নিক সকলেই কেন্ট ক্রিকেট লীগে হুইস্ট্যাবল ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের বয়সভিত্তিক প্রত্যেক স্তরে জো ডেনলির অংশগ্রহণ ছিল। তিনি কাউন্টির ক্রিকেট একাডেমির সদস্য ছিলেন। == কাউন্টি ক্রিকেট == ২০০৪ সালে ১৮ বছর বয়সে কাউন্টি দলটির সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অক্সফোর্ড বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। পরবর্তী মৌসুমে বিপক্ষে প্রথমবারের মতো কাউন্টি খেলায় অংশ নেন। ২০০৫ মৌসুম শেষে চুক্তি নবায়ণ করেন। ২০০৭ সালে ক্যান্টারবারিতে পেশাদারী পর্যায়ে খেলে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে কেন্টের সর্বমোট ১৯৯ রানের মধ্যে তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। জুলাইয়ে ডেনলিকে ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ডাকা হয়। ভারতের বিপক্ষে তিনি খেলায় ৯০ বলে ৮৩ রান তুলেন। প্রথম মৌসুমেই তিনি সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেন। ২০০৮ সালে বেশ কয়েকটি নিম্নমূখী রানের ইনিংস খেলেন। তাসত্ত্বেও টানব্রিজ ওয়েলসে সমারসেটের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ১৪৯ রান তুলেন। এরফলে বছরের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন জো ডেনলি। == অস্ট্রেলিয়া গমন == ইংরেজ মৌসুম শেষে ২০০৬-০৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় সিডনি গ্রেড ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ইউটিএস ব্যালমেইনের (বর্তমানে সিডনি ক্রিকেট ক্লাব) পক্ষে পিছনের পায়ের উপর ভর রেখে খেলার উত্তরণে অংশ নেন। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ক্লাবে ফিরে আসেন। সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে পূর্বেকার সর্বোচ্চ ১৪৯ রান অতিক্রম করে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ১৯৯ রান তুলেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে কেন্ট ছেড়ে চলে আসেন নতুন উত্তরণ ঘটা মিডলসেক্সে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ক্টোবর, ২০১৪ সালে মিডলসেক্সের পক্ষে তিন মৌসুম খেলার পর কেন্টে ফিরে আসেন। চুক্তি শেষ হবার একবছর পূর্বেই তার ফিরে আসা। মিডলসেক্সে থাকাকালীন তিনি তার স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সময়ে তিনি মাত্র ১৮২৯টি চ্যাম্পিয়নশীপ রান তুলেছিলেন। শেষ মৌসুমে ইনিংস প্রতি তিনি মাত্র ২০ রান গড়ে সংগ্রহ করেছিলেন। মে, ২০১৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ব্যক্তিগত সংগ্রহকে আরো স্ফীত করেন। বিপক্ষে খেলার প্রথম ইনিংসে ২০৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জো ডেনলি। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম দ্বি-শতক রান। আগস্ট, ২০১৬ সালে তিনি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি নবায়ণ করেন। বছরের শুরুতে ডার্বিতে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে কাউন্টি খেলায় অপরাজিত থাকা অবস্থায় প্রথম সন্তান পূর্বেই ভূমিষ্ঠ হওয়ায় খেলা ছেড়ে চলে আসেন। ২০১৬ সালের শুরুতে ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে প্রফেসনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়ক তহবিলের অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে এক বছরের জন্য মদ্যপান ছেড়ে দেন। এতে £৪,০০০ পাউন্ড-স্টার্লং সংগৃহীত হয়। আগস্ট, ২০১৬ সালে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। ২১ মার্চ, ২০১৭ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানকে অতিক্রম করেন। খেলায় বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রান তুলেন তিনি। তার ইনিংসের কল্যাণ কেন্ট দল জয়ের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করলেও পরদিন প্রতিপক্ষ ওরচেস্টারশায়ার দল ৩৯৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা সফলতার সাথে অতিক্রম করে। ২০১৮ মৌসুমে এমভিপি র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়্যাল লন্ডন কাপ টি২০ ব্ল্যাস্টে জো ডেনলি শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যান ছিলেন এবং সামগ্রিকভাবে এমভিপি পুরস্কার লাভ করেন। মৌসুমে চুক্তি নবায়ণকল্পে স্বাক্ষর করেন উভয় প্রতিযোগিতায় সেঞ্চুরি করেন। তন্মধ্যে, ক্যান্টারবারিতে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫০ রান তুলেন কেন্টের পক্ষে নতুন রেকর্ড গড়েন। যে-কোন স্তরের টি২০ ক্রিকেটের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই খেলায় সেঞ্চুরি হ্যাট্রিক করার গৌরবগাঁথা রচনা করেন। ওভালে সারের বিপক্ষে কৃতিত্ব লাভ করেন তিনি। মৌসুমে তিনটি সেঞ্চুরি করেন। পূর্বের তুলনায় আরও ধারাবাহিকভাবে বোলিংয়ে অগ্রসর হন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ১৮.৫০ বোলিং গড়ে ২৩ উইকেট লাভ করেন। মৌসুম শেষে প্রফেসনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কার লাভে তিনি দলীয় সঙ্গী ম্যাট হেনরি সারের ব্যাটসম্যান ররি বার্নসকে পরাভূত করেন। ফলশ্রুতিতে, ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড দলে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == ইংল্যান্ডের পক্ষে বয়সভিত্তিক দল অনূর্ধ্ব-১৭ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন। তন্মধ্যে, ২০০৫ সালে ভারত গমন করে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে তিনটি খেলায় অর্ধ-শতক করেছিলেন তিনি। ইসিবি ডেভেলপমেন্ট এক্সিলেন্স দলের অধিনায়কত্ব করেন ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড লায়ন্সের পক্ষে প্রথম খেলেন। ১৭ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ায় বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ খেলার জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ২৭ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৩০ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ঘটে জো ডেনলির। তবে, গোল্ডেন ডাক লাভ করেন। দ্বি-শতক টুয়েন্টি২০ খেলায়ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একই ফলাফল করেন তিনি। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার পূর্বে ফুটবল অনুশীলনকালে হাঁটুতে আঘাত পেলে ওডিআই সিরিজের তিনটি খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হন। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে বাংলাদেশ গমন করেন। একই বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফ্রি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল। ২০১০ সালের বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক দলে রাখা হলেও পরবর্তীতে তাকে বাদ দেয়া হয়েছিল। == শ্রীলঙ্কা গমন, ২০১৮-১৯ == সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অংশ নেয়ার জন্য ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে দলে অন্তর্ভূক্তকরণে নাম প্রকাশ করা হয়। শ্রীলঙ্কা সফরে লিয়াম ডসন আঘাতপ্রাপ্ত হলে ডেনলিকে ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের দলে খেলার জন্য রাখা হয়। তবে, ওডিআই সিরিজ খেলার সৌভাগ্য হয়নি তার। সফরে একমাত্র টি২০আই খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পুণঃপ্রবেশ করেন। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের ৩,১০২ দিন পর খেলেন তিনি। এর মাঝে গত হয়ে যায় ৩৮৪টি খেলা। খেলায় তিনি ২০ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে চার উইকেট দখল করেন। ফলশ্রুতিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। তন্মধ্যে, তার সংগৃহীত ৪/১৯ বোলিং পরিসংখ্যানটি ইংল্যান্ডের টি২০আইয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলিং পরিসংখ্যানের মর্যাদা পায়। খেলায় তার দল ৩০ রানে জয় তুলে নেয়। == ফ্রাঞ্চাইজ ক্রিকেট == ২০১২-১৩ মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে বরিশাল বার্নার্সের পক্ষে খেলেন। এরপর দেশ থেকে ফিরে ২০১৪ সালে ঘরোয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্রাদার্স ইউনিয়নে যোগ দেন। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে বিদেশী খেলোয়াড়ের খসড়া তালিকায় ছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে নভেম্বরের শেষদিকে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে অভিষেক খেলায় ৪৪ রান তুলেন। প্রতিযোগিতার শেষ ছয় খেলায় অংশ নিয়ে দলকে চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান। তবে, রংপুর রাইডার্সের পক্ষে ক্রিস গেইলের অপরাজিত ১৪৬ রান দলকে শিরোপা বঞ্চিত করে। ২০১৮ সালে সিডনি সিক্সার্সে যোগ দেন। ২০১৭-১৮ মৌসুমের বিগ ব্যাশ লীগে যোগদানকারী জেসন রয় জাতীয় দলে যোগদান করলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন। চার খেলায় অংশ নিয়ে বেশ ভালো ফলাফল করেন। ৭৩.০০ গড়ে ১৪৬ রান তুলেন তিনি। তন্মধ্যে, সর্বোচ্চ রান করেন অপরাজিত ৭২। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। ৪৫ বলে ৭২ রান সংগ্রহের পাশাপাশি এক উইকেটও দখল করেছিলেন জো ডেনলি। ক্যারিবীয় আঞ্চলিক সুপার৫০ প্রতিযোগিতায় কেন্টের অধিনায়কত্ব করার পর ২০১৮ সালের পাকিস্তান সুপার লীগে করাচী কিংসের পক্ষে ১২ খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিযোগিতা শেষে ৩২৩ রান তুলে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর মর্যাদা পান। সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে সিডনি সিক্সার্স কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে, ২০১৮-১৯ মৌসুমের জন্যে জো ডেনলির সাথে পুণরায় চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। == অর্জনসমূহ == সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সাল পর্যন্ত জো ডেনলি ২৭টি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি করেছেন। তন্মধ্যে, দুইবার দ্বি-শতক একবার ১৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন। জুন, ২০১৭ সালে নিউ রোডে বিপক্ষে ২২৭ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলছেন। পূর্বেকার মৌসুমে নর্দান্টসের বিপক্ষে প্রথম দ্বি-শতক রান করেন। এরফলে, ২০১১ সালে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ১৯৯ রানের ইনিংস থেকে নিজেকে উত্তরণ ঘটান। প্রথম-শ্রেণীর প্রথম সেঞ্চুরিটি অপরাজিত ১১৫ রানের ছিল। ২০০৭ সালে প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌসুমে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ইনিংস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত অবস্থায় থাকে। জুলাই, ২০১৭ সালে শন ডিকসনের সাথে জুটি গড়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮২ রান তুলেন। বেকেনহামে অনুষ্ঠিত খেলাটিতে নর্দান্টসের বিপক্ষে ১৮২ রান করেন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কেন্টের পক্ষে যে-কোন উইকেটে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এরফলে, ১৯৯০ সালের সৃষ্ট ৩৬৮ রানের রেকর্ডটি ভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর লিস্ট ক্রিকেটে আরও আটটি এবং টুয়েন্টি২০ খেলায় চারটি সেঞ্চুরির সন্ধান পেয়েছেন। জুলাই, ২০১৭ সালে ওভালে সারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ খেলায় অপরাজিত ১১৫ রান তুলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান তোলাসহ কেন্ট রেকর্ড স্থাপন করেন। একই খেলায় ড্যানিয়েল বেল-ড্রুমন্ডের সাথে প্রথম উইকেটে ১৬৩ রানের জুটি গড়েন কাউন্টি দলটির পক্ষে যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। আগস্ট, ২০১৭ সালে চেমসফোর্ডে এসেক্সের বিপক্ষে ১২৭ রান তুলে নিজের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল খেলায় ডেনলি বেল-ড্রুমন্ড প্রথম উইকেটে ২০৭ রানের জুটি গড়ে পুণরায় কাউন্টি দলের পক্ষে যে-কোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। এছাড়াও, সংগ্রহটি তৎকালীন টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ডরূপে বিবেচিত ছিল। এছাড়াও, বৈশ্বিক পর্যায়ে যে-কোন উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের মর্যাদা পায়। মে, ২০১৮ সালে ক্যান্টারবারিতে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে লিস্ট ক্রিকেটের খেলায় অপরাজিত ১৫০ রান তুলে কেন্টের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। জো ডেনলি মাঝেমধ্যে লেগ স্পিন বোলিং করে থাকেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার বোলিংয়ের উপযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। উচ্চতার আধিক্য বলকে ব্যাটসম্যানের পায়ের কাছে ফেলা এবং ব্যাটের ফাঁকে ফেলে সফলতা পেয়েছেন তিনি। ২০১৮ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব সেরা বোলিং ৪/৩৬ করেন। ডার্বিতে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় প্রথমবারের মতো চার উইকেট পান। মৌসুমের সূচনালগ্নে টানব্রিজ ওয়েলসে বিপক্ষে ৩/২৪ পান। বিপক্ষে শেষ ওভারটিতে ছয় বলে উইকেটগুলো লাভ করে কেন্টকে জয় এনে দেন তিনি। মৌসুমের জুন মাসে টি২০ খেলার প্রথমটিতে হ্যাট্রিক লাভের ন্যায় সৌভাগ্যের অধিকারী হন তিনি। খেলায় কেন্টের ইনিংসে সেঞ্চুরি করাসহ নিজস্ব চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছিলেন জো ডেনলি। পেশাদার টি২০ ক্রিকেটে এটিই প্রথম ঘটনা ছিল যেখানে একই খেলায় সেঞ্চুরিসহ হ্যাট্রিক হয়েছে। অক্টোবর, ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ইংল্যান্ড দলে ফিরে টি২০ খেলায় চার উইকেট পান ১৯ রান খরচায়। সময়ে যে-কোন ইংরেজ বোলারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং এটি স্পিন বোলারদের মধ্যে সেরা। == পরিসংখ্যান == ''২৭ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখ অনুযায়ী'' ব্যাটিং বোলিং (ইনিংস) রান খেলা মাঠ মৌসুম পরিসংখ্যান খেলা মাঠ মৌসুম এফসি ২২৭ কেন্ট ওরচেস্টারশায়ার ওরচেস্টার ২০১৭ ৪/৩৬ কেন্ট ডার্বিশায়ার (ইং সমস্যা) ডার্বি ২০১৮ এলএ ১৫০* কেন্ট গ্ল্যামারগন ক্যান্টারবারি ২০১৮ ৪/৩৫ কেন্ট জ্যামাইকা নর্থ সাউন্ড, অ্যান্টিগুয়া ২০১৭-১৮ টি২০ ১২৭ কেন্ট এসেক্স চেমসফোর্ড ২০১৭ ৪/১৯ ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কা কলম্বো ২০১৮-১৯ == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার কিংসের ক্রিকেটার ক্রিকেটার বুলসের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার'''মিজানুর রহমান খান দিপু''' (জন্ম: নভেম্বর, ১৯৬৪ মৃত্যু: ২১ ডিসেম্বর ২০১৩) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন সংসদ সদস্য আইনজীবী। তিনি ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। == প্রাথমিক জীবন == দীপু ১৯৬৪ সালের নভেম্বর কুলুটোলার তনুগঞ্জ লেনে জন্মগ্রহণ করেন। তারা পিতা নজরুল ইসলাম খান মাতা হাসনা ইসলাম। == কর্মজীবন == দিপু মূলত শিপিং ব্যবসায়ী ছিলেন, তবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ফরাশগঞ্জ শেখ রাসেল ফুটবল স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি, পরবর্তীতে যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। == মৃত্যু == ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে রাতের দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু জেলার রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:নবম জাতীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ'''হাফিজ আহমেদ মজুমদার''' যিনি হাফিজ মজুমদার নামেই বেশি জনপ্রিয় হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী এবং রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি সিলেটের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠাতা যার মধ্যে রয়েছে ''হাফসা মজুমদার মহিলা কলেজ'', ''সাজ্জাদ মজুমদার বিদ্যানিকেতন'', ''হাফিজ মজুমদার বিদ্যানিকেতন'' মজুমদারে চাচা সাবেক সাংসদ ব্রিগেডিয়ার মজুমদার। সমাজসেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১১ সালে আহসানিয়া মিশন কৃর্তক ''‘খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ স্বর্ণপদক’'' ছাড়াও বেশ কিছু সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== হাফিজ মজুমদার ১৯৩৩ সালের ২৯ মার্চ ভারতের করিমগঞ্জ উপজেলা বর্তমানে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের ''চন্ডিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে'' শিক্ষালাভের পর যশোর জেলা স্কুল থেকে ১৯৫১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তির্ণ লাভ করেন এবং ১৯৫৩ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা লাভের পর বরিশাল বি.এম. কলেজ থেকে স্নাতোকত্তর লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হাফিজ মজুমদার শিক্ষা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট জেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য, যার অধীনে বিশটিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিনি পূবালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ২০১৫ সাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ==রাজনৈতিক জীবন== তার চাচা সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুর রহমান মজুমদার এর পরিবর্তে ১৯৯১ সালে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন, ১৯৯৬ সালের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে সিলেট-৫ আসন থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয় লাভ করেন। ==তথ্যসূত্র== সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:নবম জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য জন্ম ব্যক্তি শিক্ষাবিদ‎'''মুজিবুল হক চুন্নু''' (১ সেপ্টেম্বর ১৯৫৩) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশ সরকারের যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রম কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ২০১৮ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ==কর্মজীবন== চুন্নু ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মহাজোট প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ==তথ্যসূত্র== জন্ম ব্যক্তি জেলার রাজনীতিবিদ পার্টির রাজনীতিবিদ প্রাক্তন শিক্ষার্থী আইনজীবী বিষয়শ্রেণী:নবম জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:দশম জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য'''লাতেহার জেলা''' পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২৪ টি জেলার মধ্যে একটি৷ এটি রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমে (বায়ুকোণে) অবস্থিত পালামৌ বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। ২১শে চৈত্র ১৪০৭ বঙ্গাব্দে (৪ঠা এপ্রিল ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে) পালামৌ জেলা থেকে দক্ষিণের নতুন জেলাটি গঠন করা হয়। এই জেলার জেলাসদর লাতেহার। জেলাটি লাতেহার মহকুমা মহুয়াদাঁড় মহকুমা নিয়ে গঠিত। ==ইতিহাস== বর্তমান এই জেলার অঞ্চলসমূহ ১৯২৮ সালে গঠিত হওয়া পালামৌ জেলার অংশ ছিলো। ২০০১ সালে পালামৌয়ের উপজেলাকে এপ্রিল জেলায় উন্নীত করা হয়। এটা বর্তমানে লাল করিডোরের অংশ। ==অবস্থান== ''জেলাটির উত্তরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পালামৌ জেলা''৷ ''জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চাতরা জেলা''৷ ''জেলাটির পূর্বে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চাতরা জেলা''৷ ''জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাঁচি জেলা''৷ ''জেলাটির দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের লোহারদাগা জেলা''৷ ''জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গুমলা জেলা''৷ ''জেলাটির পশ্চিমে ছত্তীসগঢ় রাজ্যের বলরামপুর জেলা''৷ ''জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গাড়োয়া জেলা''৷ জেলাটির আয়তন ৪২৯১ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ২৪ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ৫.৩৮%৷ ==ভাষা== লাতেহার জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ ==ধর্ম== ==জনসংখ্যার উপাত্ত== মোট জনসংখ্যা ৫৬০৮৯৪(২০০১ জনগণনা) ৭২৬৯৭৮(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ২৪ টি জেলার মধ্যে ২০তম৷ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২.২০% লোক লাতেহার জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ১৩১ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৯ হয়েছে জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ২৯.৬১% যা ১৯৯১-২০১১ সালের ২২.৭২% বৃদ্ধির হারের থেকে বেশি৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৬৭(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৬৮৷ ==শিক্ষা== জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৪০.৬৯%(২০০১) তথা ৫৯.৫১%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৫৪.১৩%(২০০১) তথা ৬৯.৯৭%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ২৬.৫২%(২০০১) তথা ৪৮.৬৮% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১৮.৯৪%৷ ==ভূগোল== লাতেহার জেলায় ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সব থেকে বড় দুই জলপ্রপাত অবস্থিত। লোধ ঝরনা নিম্ন ঘাগরি ঝর্না সহ এখানে আরো কিছু ঝর্না আছে। বেতলা জাতীয় উদ্যানও এই জেলায় অবস্থিত। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== লাতেহার জেলার ওয়েবসাইট লাতেহার জেলা ভ্রমণ গাইড ম্যাপ (ইংরেজিতে) ভারতে প্রতিষ্ঠিত জেলানাম: ''Hypolycaena erylus (Godart)'') 'লাইসিনিডি' গোত্রের এবং 'থেকেলিনি' উপগোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছোট আকার বিশিষ্ট প্রজাতি। == আকার == টংসা এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৩২-৩৬ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। == উপপ্রজাতি == এখনও পর্যন্ত টংসা প্রজাপতিদের ১৫টি উপপ্রজাতি চিহ্নিত করা গেছে। *''H. e. erylus'' *''H. e. pupienus'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. teatus'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. himavantus'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. andamana'' Moore, 1877 *''H. e. syphax'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. gamatius'' Fruhstorfer, 1912 (Sulawesi) (= ''H. e. pigres'' Fruhstorfer, 1912 (Obi)) *''H. e. tmolus'' C. R. Felder, 1862 *''H. e. orsiphantus'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. aimnestus'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. georgius'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. thyrius'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. moutoni'' Ribbe *''H. e. figulus'' Fruhstorfer, 1912 *''H. e. erna'' Kalis, 1933 === ভারতে প্রাপ্ত টংসা এর উপপ্রজাতি === ভারতে প্রাপ্ত টংসার উপপ্রজাতি হল- ''Hypolycaena erylus himavantus'' Fruhstorfer, 1912 Sikkim Common Tit ''Hypolycaena erylus andamana'' Moore, 1877 Andaman Common Tit == বিস্তার == ভারত (সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারত, আন্দামান) নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম, জাভা, মালয়েশিয়া উপদ্বীপ, সুমাত্রা, বোর্নিও, ফিলিপিন্স ইত্যাদি অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়। ==বর্ণনা== প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:- '''ডানার উপরিতল''' পুরুষ প্রকারে ডানার উপরিতল গাঢ় নীল কালচে খয়েরির মিশ্রণ| পুরুষ নমুনায় উপরিতলের নীল রঙ ডানার বিশেষ কৌণিক অবস্থানে (ডানা মেলা অবস্থায়) আলোর প্রতিফলনের কারণে দৃশ্যমান হয়; অন্যথায় তা কালচে খয়েরিই দেখায়| সামনের ডানায় কোস্টাল প্রান্তরেখা টার্মিনাল প্রান্তরেখা বরাবর সরুভাবে নীল রঙ অনুপস্থিত| এছাড়াও সেল-এর বহিঃপ্রান্তে ডিসকাল অংশে ২,৩,৪ নং শিরা জুড়ে খানিকটা জায়গায় নীল রঙ দেখা যায় না; কালচে-খয়েরি রঙ অস্পষ্টভাবে পরিস্ফুট| পিছনের ডানার গোড়ার (base) নিচের দিকের অংশ ডরসাম ফ্যাকাশে ছাইরঙা রোঁয়ায় আবৃত| টরনাস ফ্যাকাশে সাদা এবং টরনাল ছোপটি কালোয় ঘেরা ঈষদ হলুদ| পিছনের ডানায় নং শিরাস্থলে দুটি লেজ বর্তমান| নং শিরাস্থলের লেজটি মি.মি. নং শিরাস্থলের লেজটি মি.মি.| স্ত্রী প্রকারে উপরিতলের রঙ গাঢ় বা কালচে খয়েরি| উভয় ডানায় কোস্টার খানিক নিচ থেকে ডরসামের খানিক উপর পর্যন্ত অস্পষ্ট ডিসকাল রেখা বিদ্যমান| পিছনের ডানায় মধ্যভাগ থেকে ডরসামের উপর অবধি ৩-৪ টি সাদা পোস্ট-ডিসকাল ছোপের সারি লক্ষ্য করা যায়| সাব-টার্মিনাল আঁকাবাঁকা সাদা রেখাটি অস্পষ্ট এবং টার্মেন সুস্পষ্ট সরুভাবে সাদা| টরনাস ফ্যাকাশে সাদা এবং টরনাল ছোপদুটি কালো সাদা বলয় দ্বারা ঘেরা| '''ডানার নিম্নতল''' :স্ত্রী-পুরুষ উভয় নমুনাতেই ডানার নিম্নতল ফ্যাকাশে ধূসর বাদামি| উভয় ডানাতেই সেল-এর বহিঃপ্রান্তে দুটি করে ছোট, সমান্তরাল ঈষদ কমলা-হলুদ দাগ বিদ্যমান (double bar)| উভয় ডানাতেই কোস্টা থেকে ডরসামের উপর পর্যন্ত তির্যক, সাদা কিনারাযুক্ত, কমলা-হলুদ সরু ডিসকাল বন্ধনী বা ডিসকাল রেখা দেখা যায়| সামনের ডানার ডিসকাল বন্ধনীটি অবচ্ছিন্ন (continuous) পিছনের ডানারটি খন্ডখন্ড (broken)| পিছনের ডানায় কালো টরনাল ছোপদুটি ভিতরের দিকে কমলা অর্ধ-বলয় দিয়ে ঘেরা| টরনাল ছোপদুটির মধ্যবর্তী অংশ চকচকে ঈষদ নীলচে আঁশে ছাওয়া এবং ডরসামের প্রান্তরেখা সাদা| শুঙ্গ সাদা-কালোয় ডোরাকাটা, শীর্ষভাগ কালো শীর্ষবিন্দু কমলা-হলুদ| পুরুষ প্রকারে মাথা, বক্ষদেশ উদর উপরিতলে নীলচে কালচে বাদামি; স্ত্রী নমুনাতে কালচে খয়েরি উভয় নমুনাতেই নিম্নতলে ফ্যাকাশে ধূসর বাদামি| == আচরণ == দ্রুত স্বল্প-পাল্লার উড়ান বিশিষ্ট এই প্রজাতি ভূমির কাছাকাছি নিচ দিয়ে ওড়ে। পুরুষ প্রকারকে সবসময়েই দেখা গেলেও স্ত্রী নমুনার দর্শন মেলে কদাচিৎ। প্রায়শই এদের পাতায় বসে রোদ পোহাতে (busking) দেখা যায়, তবে ফুলে বসতে দেখা যায় কালেভদ্রে। কম উচ্ছতাবিশিষ্ট পাহাড়ি জঙ্গলে (১৩০০ মি. পর্যন্ত) মাটির ভিজে ছোপে, জঙ্গলের পথে, ঝর্ণা বা নদীর কিনারে নদীখাতের বালির চড়াতে মাড-পাডলিং করতে এই প্রজাতির পুরুষ প্রকারকে নিয়মিতভাবে চোখে পরে এপ্রিল থেকে জুলাই সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। তরাই সাধারণ বনভূমিতেও অনুরূপ পরিবেশে এদের প্রায়শই দর্শন পাওয়া যায়। == তথ্যসূত্র == প্রজাপতি প্রাপ্ত লাইসিনিডি গোত্রের প্রজাপতি প্রদেশে প্রাপ্ত লাইসিনিডি গোত্রের প্রজাপতি'''অরূপ কুমার দত্ত''' একজন ভারতীয় লেখক তথা সাংবাদিক। তিনি জন্য ১৬টি গ্রন্থ এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য ১৭টি অভিযান উপন্যাস রচনা করেছেন। ২০১৪ সালে অ্যাসিয়েসন অফ রাইটারস ইলাষ্ট্রেটরস ফর চিল্ডরেন তাকে জীবনব্যাপী সাধনা পুরস্কার প্রদান করে। তিনি আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষের জন্য প্রদান করা ১৯৭৯ সালের শংকর পুরস্কার ছাড়াও বহু লাভ করেছেন। তার অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ২০১৮ বর্ষে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করে। ==ব্যক্তিগত জীৱন== ১৯৪৬ সালের জুলাই যোরহাটে অরূপ কুমার দত্তের জন্ম হয়েছিল। তার পিতা গিরীশ দত্ত এবং মাতা ইন্দিরা দত্ত। বছর বয়সে তাকে হিমাচল প্রদেশের দ্য লরেন্স স্কুলে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তিননি ১৯৬২ সালে সিনিয়র কেম্ব্রিজ পরীক্ষা উত্তীর্ণ হন। তারপর তিনি দিল্লী অন্তর্গত রামজাস কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬৬ সালে সেখান থেকে ইংরাজী সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তারপর তিনি ১৯৬৯ সালে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। পড়াশোনার শেষে তিনি অসমে ফিরে আসেন এবং জগন্নাথ বরুয়া মহাবিদ্যালয়ে ইংরাজী বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। অধ্যাপনার সমসাময়িককালে তিনি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রবেশ করেন এবং নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকা তথা সংবাদপত্রে লিখতে থাকেন। == সাহিত্য কর্ম== ইউনিকর্নিস (১৯৯১) চাহ গরম, দা টি ষ্টোররি (১৯৯১) নেচার কুইজ বুক (১৯৯১) দা খঙীয়া বরুয়াজ অফ ঠেঙাল (১৯৯৪) হেমার ব্লো (১৯৯৬) ইণ্ডিয়ান রেলওয়েজ, দা ফাইনাল ফ্রণ্টিয়ার (২০০২) দা রভিং মিনিষ্ট্রাল (২০০২) জ্যোতি প্রসাদ, প্রিন্স অফ বিউটি (২০০৩) পথরুঘাট (২০১০) ১৯৮২ সালে দিল্লীতে এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অরূপ কুমার দত্ত কাজিরঙা ট্রেইল (১৯৭৮) ট্রাবল এট কলঙিজান (১৯৮২) দা ব্লাইণ্ড উইটনেস (১৯৮৩) ষ্টোরি এবাউট টি (১৯৮৫) দা লুর অফ ঝাংরিলা (১৯৮৬) রিভেঞ্জ (১৯৮৬) স্মেক (১৯৯০) চেভ দা পুল (১৯৯০) অহ! ডিয়ার (১৯৯৭) দা ক্রিষ্টাল কেভ (১৯৯৭) ফুটপ্রিন্টস ইন দা স্যান্ড (১৯৯৯) দা কাউণ্টারফেইট ট্রেজার (২০০১) এডভেণ্টচার ষ্টোরিজ গোল্ডেন সেট (২০০৩) দা বয় হু বিকাম কিং (২০০৪) দা অনাগরিকাস শ্বানসং (২০০৯) এডভেণ্টচার অম্নীবাস (২০১৪) == পুরস্কার সম্মান == কাজিরঙা ট্রেইল (১৯৭৮), ট্রাবল এট কলঙিজান (১৯৮২), দা ব্লাইণ্ড উইটনেস (১৯৮৩) এবং স্মেক (১৯৯০) গ্রন্থের জন্য চিল্ডরেন বুক ট্রাষ্টের চিল্ডরেন বুক পুরস্কার। ১৯৭৯ সালে আন্তর্জাতিক শিশু বর্ষ উপলক্ষে প্রদান করা শংকর পুরস্কার জার্ণালিষ্ট ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশন পুরস্কার, ১৯৮২ রিভেঞ্জ বইয়ের জন্য ১৯৮৭ সালের এনসিইআরটি বেষ্ট বুক অফ দা ইয়ার পুরস্কার সাংবাদিকতার জন্য শিবপ্রসাদ বরুয়া রাষ্ট্রীয় বঁটা, ২০০৪ অ্যাসোসিয়েশন অফ রাইটারস এবং ইলাষ্ট্রেটরস ফর চিল্ডরেনের জীবনব্যাপী সাধনা পুরস্কার, ২০১৪ ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী পুরস্কার, ২০১৮ ডিব্রুগড় সন্মানীয় ডি.লিট ডিগ্রী, ২০১৮ ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তি পুরস্কার প্রাপক ব্যক্তি'''ঝারসুগুড়া জেলা'''() পূর্ব ভারতে অবস্থিত ওড়িশা রাজ্যের ৩০ টি জেলার একটি জেলা৷ ৬ই পৌষ ১৪০০ বঙ্গাব্দে(২২শে ডিসেম্বর ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে) পূর্বতন সম্বলপুর জেলাটি থেকে নতুন জেলা ঝারসুগুড়া গঠিত হয়৷ জেলাটি ওড়িশার দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগের অন্তর্গত৷ জেলাটির জেলাসদর ঝারসুগুড়া শহরে অবস্থিত এবং ঝারসুগুড়া মহকুমা নিয়ে গঠিত৷ ==নামকরণ== পুর্বতন সম্বলপুর জেলার অন্তর্গত এই অঞ্চলটির নাম ছিলো ঝারগুডা৷ সম্বলপুরের চৌহান রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বলরাম দেব ঘন জঙ্গলাচ্ছাদিত ব্যাঘ্রসংকুল অঞ্চলটিতে নগরপত্তন করেন৷ ঘন জঙ্গলের উপস্থিতির জন্য ঝারগুডা নামটি এসেছে৷ কালক্রমে ঝারগুডা নামটি ঝারসুগুড়া নামে পরিবর্তিত হয়েছে৷ জেলাসদরের নামে জেলাটির নাম রাখা হয়৷ ==ইতিহাস== ==ঐতিহাসিক আন্দোলন== ==ভূপ্রকৃৃতি== ==অর্থনীতি== দুর্ভাগ্যবশত এটি ভারতের অন্যতম দারিদ্রপ্রবণ জেলা। ==অবস্থান== ''জেলাটির উত্তরে ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলা''৷ ''জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান), পূর্বে, দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) দক্ষিণে ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর জেলা''৷ ''জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) ওড়িশা রাজ্যের বারগড় জেলা''৷ ''জেলাটির পশ্চিমে ছত্তীসগঢ় রাজ্যের রায়গঢ় জেলা''৷ ''জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলা''৷ জেলাটির আয়তন ২১১৪ বর্গ কিমি৷ রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে তম৷ জেলার আয়তনের অনুপাত ওড়িশা রাজ্যের ১.৩৫%৷ ==ভাষা== ঝারসুগুড়া জেলায় প্রচলিত ভাষাসমূহের পাইচিত্র তালিকা নিম্নরূপ এই জেলাতে বসবাসকারী সিংহভাগ ওড়িয়াভাষী সম্বলপুরি/কোশলি ভাষাতে সাবলীল৷ ==ধর্ম== ==জনসংখ্যার উপাত্ত== মোট জনসংখ্যা ৫০৯৭১৬(২০০১ জনগণনা) ৫৭৯৫০৫(২০১১ জনগণনা)৷ রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক ৩০ টি জেলার মধ্যে ২৭তম৷ ওড়িশা রাজ্যের ১.৩৮% লোক ঝারসুগুড়া জেলাতে বাস করেন৷ জেলার জনঘনত্ব ২০০১ সালে ২৪১ ছিলো এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৪ হয়েছে৷ জেলাটির ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ১৩.৬৯% যা ১৯৯১-২০১১ সালের ১৫.২৫% বৃদ্ধির হারের থেকে কম৷ জেলাটিতে লিঙ্গানুপাত ২০১১ অনুযায়ী ৯৫৩(সমগ্র) এবং শিশু(০-৬ বৎ) লিঙ্গানুপাত ৯৪৩৷ ==নদনদী== ==পরিবহন যোগাযোগ== ==পর্যটন দর্শনীয় স্থান== ==ঐতিহ্য সংস্কৃৃতি== ==শিক্ষা== জেলাটির স্বাক্ষরতা হার ৭০.৫৫%(২০০১) তথা ৭৮.৮৬%(২০১১)৷ পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৮২.০৮%(২০০১) তথা ৮৬.৬১%(২০১১)৷ নারী স্বাক্ষরতার হার ৫৮.৩৬%(২০০১) তথা ৭০.৭৩% (২০১১)৷ জেলাটিতে শিশুর অনুপাত সমগ্র জনসংখ্যার ১১.১৮%৷ ==প্রশাসনিক বিভাগ== ==সীমান্ত== ==বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ== ==তথ্যসূত্র== জেলা'''বড়জোড়া (বিধানসভা কেন্দ্র)''' ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ==এলাকা== ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ২৫৩ নং বরজোড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি বড়জোড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং ভক্তবন্ধ, গঙ্গাজলঘাটি, গোবিন্দধাম, কাপিস্তা, নিত্যানন্দপুর এবং পিরবনি গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি গঙ্গাজলঘাটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক গুলির অন্তর্গত। বড়জোড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ৩৭ নং বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র এর অন্তর্গত। ==বিধানসভার বিধায়ক== নির্বাচনবছর কেন্দ্র বিধায়ক রাজনৈতিক দল ১৯৫১ বরজোড়া প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৫৭| আসন নেই ১৯৬২| প্রমথ ঘোষ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ১৯৬৭| এ.চ্যাটার্জী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অশ্বিনী কুমার রাজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) অশ্বিনী কুমার রাজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সুধাংশু শেখর তিওয়ারি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অশ্বিনী কুমার রাজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) বিহারী লাল ভট্টাচার্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) জয়শ্রী মিত্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) জয়শ্রী মিত্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সুস্মিতা বিশ্বাস ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০১| সুস্মিতা বিশ্বাস ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০৬| সুস্মিতা বিশ্বাস ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০১১| আশুতোষ মুখার্জী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১৬=== ===২০১১=== ===১৯৭৭-২০০৬=== ২০০৬, ২০০১ এবং ১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, সিপিআই (এম) এর সুস্মিতা বিশ্বাস বরজোড়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের শম্পা দাড়িপাকে পরাজিত করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সুধাংশু শেখর তিওয়ারিকে এবং কংগ্রেসের তাপসী ব্যানার্জীকে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। সিপিআই (এম) এর জয়শ্রী মিত্র ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের সব্যসাচী রায়কে এবং ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের সুধাংশু শেখর তিওয়ারিকে পরাজিত করেন। সিপিআই (এম) এর বিহারী লাল ভট্টাচার্য ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সুধাংশু শেখর তিওয়ারিকে পরাজিত করেন। সিপিআই (এম) এর অশ্বিনী কুমার রাজ ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের সুধাংশু শেখর তিওয়ারিকে পরাজিত করেন। ===১৯৫১-১৯৭২=== কংগ্রেসের সুধাংশু শেখর তিওয়ারি ১৯৭২ সালে জয়ী হন। সিপিআই (এম) এর অশ্বিনী কুমার রাজ ১৯৭১ এবং ১৯৬৯ সালে জয়ী হন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এ.চ্যাটার্জী জয়ী হন। সিপিআইয়ের প্রমথ ঘোষ ১৯৬২ সালে জয়ী হন। ১৯৫৭ সালে বরজোড়া কেন্দ্রে আসন বিদ্যমান ছিল না। স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন ১৯৫১ সালে, কংগ্রেসের প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বরজোড়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ==তথ্যসূত্র== বিধানসভা কেন্দ্র জেলার রাজনীতি'''ইয়ে-ইয়ে''' দলটি স্পেনীয় ফুটবলে আধিপত্য বিস্তারকারী ১৯৬০-এর দশকের রিয়াল মাদ্রিদ প্রজন্মকে দেওয়া হয়েছিল ১৯৫০-এর দশকে আলফ্রেদো দি স্তিফানোর সাথে ইউরোপীয় কাপ বার জিতেছে।ওইসময় দলটির অধিনায়ক ছিলেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ফ্রান্সিস্কো হেন্তো। তিনি হোসে আরাকুইস্টাইন, পচিন, পেড্রো দে ফেলিপ, ম্যানুয়েল সানচিজ, পিরি, ইগনাসিও জোকো, ফার্নান্দো সেরেনা, আমান্সিও আমারো, র‍্যামন গ্রোসো এবং ম্যানুয়েল ভ্যালজেয়েজেকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং তরুণ খেলোয়াড়দের এই দলকে নেতৃত্ব দেন। অল্প বয়স্ক খেলোয়াড়দের এই গ্রুপটি কখনো কখনো হিপি বলা হত কারণ তারা আগের প্রজন্মের চেয়ে বেশি চুল রাখতেন। "ইয়ে-ইয়ে" নামটি দ্য বিটলসের "শি লাভস ইউ" শিরোনামের গানের "ইয়াহ, হাঁ, হাঁ" কোরাস থেকে এসেছিল। ১৯৫২ সালে দলটির রূপান্তর শুরু হয় যখন মিগুয়েল মুনেজ রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হন। একজন খেলোয়াড় হিসাবে তিনি ১৯৫৬ এবং ১৯৫৭ সালে ইউরোপীয় কাপ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের যে দলটিতে খেলেছিলেন সেটি সেরা বিদেশী প্রতিভা নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে তিনি যে দলটি তৈরি করেছিলেন তা সম্পূর্ণরূপে স্পেনীয় খেলোয়াড়দের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। তারা লা লিগা প্রতিযোগিতা জিতে বার।যাতে একটানা জয় অন্তর্ভুক্ত। তারা ১৯৬৬ সালে ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে পার্তিজান বেলগ্রেডকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ইউরোপীয় কাপ জিতেছিল। ==তথ্যসূত্র== মাদ্রিদ:''একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন শামসুল হক।'' '''মোঃ শামসুল হক''' ছিলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একবার ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পুত্র শরীফ আহমেদ বর্তমানে এই আসনটির সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ==প্রাথমিক জীবন== মোঃ শামসুল হক ১৯৩০ সালের ২৯শে জানুয়ারী তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ==ভাষা আন্দোলন== ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ এর উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ শহরের স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এসময় মাস কারাগারে কাটান। ময়মনসিংহ শহরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। ==রাজনৈতিক জীবন== ভাষা আন্দোলনের পর তিনি ৬৯ এর গণঅভুত্থ্যান, ৭০ এর নির্বাচন ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১ ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৮ সালে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে পাট মন্ত্রনালয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। ==পরিবার== তার মৃত্যুর পর তার পুত্র শরীফ আহমেদ ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে দশম একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রীসভায় শরীফ আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ) এর প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পান। ==স্থাপনা== তার কীর্তিকে স্মরণ করে ময়মনসিংহ শহরের টাউন হল সংলগ্ন ভাষা সৈনিক শামসুল হক মঞ্চ করা হয়েছে। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু জেলার রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ'''সোনামুখী (বিধানসভা কেন্দ্র)''' ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তপসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ==এলাকা== ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ২৫৮ নং সোনামুখী বিধানসভা (এসসি) কেন্দ্রটি সোনামুখী পৌরসভা, সোনামুখী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং বেলাত-রসুলপুর, বীরসিংহ, হামিরপুর, নারায়ণপুর এবং পাত্রসায়র গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি পাত্রসায়র সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক গুলির অন্তর্গত। সোনামুখী বিধানসভা কেন্দ্রটি ৩৭ নং বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র এর অন্তর্গত। ==বিধানসভার বিধায়ক== নির্বাচনবছর কেন্দ্র বিধায়ক রাজনৈতিক দল ১৯৫১ সোনামুখী শিশুরাম মণ্ডল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভবতারণ চক্রবর্তী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৫৭| আসন নেই ১৯৬২| আসন নেই ১৯৬৭| কে. সাহা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সুখেন্দু খাঁ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সুখেন্দু খাঁ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) গুরুপদ খাঁ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সুখেন্দু খাঁ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সুখেন্দু খাঁ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) সুখেন্দু খাঁ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) হারাধন বাউড়ি ​​ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) হারাধন বাউড়ি ​​ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০১| সুখেন্দু খাঁ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০০৬| নীরেশ বাগদী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ২০১১| দীপালি সাহা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১১=== ===১৯৭৭-২০০৬=== ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, সিপিআই (এম) এর নীরেশ বাগদী সোনামুখী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের দীপালি সাহাকে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। সিপিআই (এম) এর সুখেন্দু খাঁ ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের দীপালী সাহাকে পরাজিত করেন। সিপিআই (এম) এর হারাধন বাউড়ি ​​১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের পুলকেশ সাহাকে এবং ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের সস্তিধর বাগদীকে পরাজিত করেন। সিপিআই (এম) এর সুখেন্দু খাঁ ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের কল্লোল সাহাকে পরাজিত করেন, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সস্থি বাউড়িকে ​​এবং ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির কানাই সাহাকে পরাজিত করেন। ===১৯৫১-১৯৭২=== কংগ্রেসের গুরুপদ খাঁ ১৯৭২ সালে জয়ী হন। সিপিআই (এম) এর সুখেন্দু খাঁ ১৯৭১ এবং ১৯৬৯ সালে জয়ী হন। কংগ্রেসের কে. সাহা ১৯৬৭ সালে জয়ী হন। ১৯৬২ এবং ১৯৫৭ সালে সোনামুখি কেন্দ্রে আসন বিদ্যমান ছিল না। স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন ১৯৫১ সালে, কংগ্রেসের শিশুরাম মণ্ডল এবং ভবতারণ চক্রবর্তী উভয়ই সোনামুখী যৌথ কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ==তথ্যসূত্র== বিধানসভা কেন্দ্র জেলার রাজনীতি'''লিন্ডা ডেনিস ব্লেয়ার''' (; জন্ম: ২২ জানুয়ারি ১৯৫৯) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র প্রযোজক, প্রাণি অধিকারকর্মী। ব্লেয়ার দি এক্সরসিস্ট (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে রিগ্যান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত, এই কাজের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি এই চরিত্রে পুনরায় ''এক্সরসিস্ট টু: দ্য হেরেটিক'' (১৯৭৭)-এ অভিনয় করে একটি স্যাটার্ন পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ব্লেয়ার পরবর্তী কালে কয়েকটি বিতর্কিত নাট্যধর্মী টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ''বর্ন ইনোসেন্ট'' (১৯৭৪) ''সারা টি. পোট্রেট অব টিনেজ অ্যালকোহলিক'' (১৯৭৫) এবং ১৯৭৯ সালে সঙ্গীতধর্মী ''রোলার বুগি'' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যৌন আবেদনের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৯৮০-এর দশকে তিনি একাধিক ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ''হেল নাইট'' (১৯৮১), জেল নাট্যধর্মী ''চেইনড হিট'' (১৯৮৩), এবং কাল্ট থ্রিলার ''স্যাভেজ স্ট্রিটস'' (১৯৮৪)। ১৯৯০-এর দশকে ব্লেয়ার কয়েকটি স্বাধীন চলচ্চিত্র বি-শ্রেণির চলচ্চিত্রে এবং টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ফক্স চ্যানেলের পারিবারিক রিয়েলিটি ধারাবাহিক ''স্কেরিয়েস্ট প্লেসেস অন আর্থ''-এর উপস্থাপনা করেন এবং ২০০৬ সালে ধারাবাহিকে অতিথি ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি অ্যানিমেল প্লেনেটের ''পিট বস'' ধারাবাহিকে নিজের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ==পুরস্কার মনোনয়ন== বছর পুরস্কার বিভাগ মনোনীত কর্ম ফলাফল ১৯৭৩ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী ''দি এক্সরসিস্ট'' ১৯৭৪ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী ''দি এক্সরসিস্ট'' ১৯৭৪ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার বর্ষসেরা নবীন তারকা অভিনেত্রী ''দি এক্সরসিস্ট'' ১৯৭৮ স্যাটার্ন পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ''এক্সরসিস্ট টু: দ্য হেরেটিক'' ১৯৮২ গোল্ডেন রাসবেরি পুরস্কার সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রী ''হেল নাইট'' ১৯৮৪ গোল্ডেন রাসবেরি পুরস্কার সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রী ''চেইনড হিট'' ১৯৮৫ গোল্ডেন রাসবেরি পুরস্কার স্ক্রিম কুইন স্বয়ং ১৯৮৬ গোল্ডেন রাসবেরি পুরস্কার সবচেয়ে বাজে অভিনেত্রী ''নাইট পেট্রোল'', ''স্যাভেজ আইল্যান্ড'', ''স্যাভেজ স্ট্রিটস'' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী শিশু অভিনেত্রী শিশু মডেল গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী চলচ্চিত্র) বিজয়ী'''নচড সেসেরিয়া''' অথবা (সিকিম হোয়াইট নাম: ''Seseria sambara (Moore)'') হেসপারিডি (Hespaeriidae) বা স্কিপারস (Skippers) গোত্র পায়ারজিনি (Pyrginae) উপ-গোত্রের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি। এই প্রজাতি ধলভিরিংগি বা হিমালয়ান হোয়াইট ফ্লাট (Seseria dohertyi) প্রজাতির প্রায় অনুরূপ এবং পুরুষ জননেন্দ্রিয়ের দ্বারা সহজেই উভয় প্রজাতির পৃথকীকরণ সম্ভব। == বর্ণনা == প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:- '''ডানার উপরিতল''' স্ত্রী- পুরুষ উভয়েরই ডানার উপরিতল খয়েরি বাদামি কালচে বাদামীতে মেশানো। উভয়েরই সামনের ডানার এপিক্যাল (শীর্ষ) অংশে নিচের দিকে পাশাপাশি অবস্থিত টি ছোট, সাদা ছোপ টি দন্তাকৃতি (toothed) ডিসকাল ছোপের একটি তেরছা সারি দেখা যায়। উক্ত ডিসকাল ছোপ-সারিটি সেল-প্রান্তের প্বার্শভাগ থেকে উৎপন্ন হয়ে ডরসামের উপরে নং শিরা পর্যন্ত বিস্তৃত এবং নিম্নভাগের ছোপদুটি উপরিভাগের ছোপদুটির তুলনায় বড়। পিছনের ডানা প্রায় গোলাকৃতি টার্মেন মধ্যভাগে ঢেউখেলানো (wavy)। ডানার গোড়ার একটু বাইরের দিকে সাব-বেসাল অংশজুড়ে কোস্টার নিচ থেকে ডরসাম অবধি বিস্তৃত তির্যক, খুব চওড়া সাদা পটি বর্তমান। উক্ত পটির ভিতরের কিনারে ডানার একদম গোড়ায় (besal) কয়েকটি অস্পষ্ট কালো ছোপ দেখা যায়। সাদা চওড়া পটির বহিঃপ্রান্ত জুড়ে কোস্টাল শিরার নিচ থেকে নং শিরার উপর পর্যন্ত বিস্তৃত ডিসকাল ছোপের সারিটি অসংলগ্ন বাঁকানো (curved)। উক্ত ডিসকাল ছোপগুলি বড় এবং সবার উপরের ছোপদুটি গোল বাকিগুলি লম্বাটে। টার্মিনাল রেখা পর্যায়ক্রমে সাদা কালো। ডরসামের অর্ধভাগ সাদা এবং ডরসাম টরনাস খয়েরি লম্বা রোঁয়ায় আচ্ছাদি। '''ডানার নিম্নতল''' ডানার নিম্নতল ধূসর -বাদামি এবং উভয় ডানার দাগ-ছোপ উপরিতলেরই অনুরূপ। পিছনের ডানার সাদা পটি উপরিতল অপেক্ষা অধিক চওড়া, ছড়ানো এবং বেসাল, ডিসকাল অংশ ডরসাম অবধি ফ্যাকাসেভাবে ছাওয়া। ডিসকাল ছোপসারির উপরিভাগের ছোপগুলি সাদা অংশের অন্তর্ভুক্ত নিম্নভাগের ছোপগুলি সাদা অংশের বাইরে অবস্থিত। ডানার গোড়ার (besal) অংশে একটি বড় ত্রিভুজাকৃতি কালো ছোপ দৃশ্যমা। ডরসাম টরনাস খয়েরি লম্বা রোঁয়ায় আচ্ছাদিত। শুঙ্গ কাল। উদর উপরিতলে মধ্যভাগে সাদা। মাথা, বক্ষদেশ (thorux) উদরের বাকি অংশ উপরিতলে খয়েরি বাদামি এবং নিম্নতলে সাদা। পাল্পী নিম্নভাগে সাদা। == তথ্যসূত্র == প্রজাপতি প্রাপ্ত হেসপেরায়িডি গোত্রের প্রজাপতি'''সিল্কসিটি এক্সপ্রেস''' (ট্রেন নং- '''৭৫৪/৭৫৫''') বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের মাঝে অন্যতম একটি ট্রেন। ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রাণশক্তি হিসেবে পরিচিত রাজশাহী মাঝে যাতায়ত করে। এটি বিলাসবহুল অত্যাধুনিক আন্তঃনগর ট্রেন। == যাত্রার সময় == ট্রেনটি সকাল ৭ঃ৩০ (বাংলাদেশ মান সময়) রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুর ২টায় ঢাকা পৌছে। এটি রাজশাহীভিত্তিক ট্রেন। রাতে এর লোকোমোটিভ এবং কোচসমূহ রাজশাহী রেলস্টেশনে থাকে। এটি সপ্তাহে দিন চলাচল করে। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। == কোচসমূহ == ট্রেনটি বর্তমানে চীনের তৈরিকৃত সাদা এয়ারব্রেক কোচদ্বারা চলে। এই কোচ ২০০৭ আমদানি করা হয়েছিল। এতে টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চেয়ার কোচ, টি নন-এসি কোচ, টি ডাইনিং এবং একটি পাওয়ার কার থাকে। কখনো লোক চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনটিতে ২২টি পর্যন্ত কোচ থাকে। চীনা কোচের পূর্বে ট্রেনটি ইরানি এয়ারব্রেক কোচদ্বারা পরিচালিত হত। রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার কারণে ইরানী কোচগুলো পরিবর্তন করে সিল্কসিটি এক্সপ্রেসকে নতুন আমদানীকৃত সাদা চীনা রেক দেওয়া হয়। নামযুক্ত যাত্রীবাহী ট্রেন'''সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ''' হলেন একজন বাংলাদেশি ভাষাবিদ, শিক্ষক, লেখক এবং বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক। প্রবন্ধ গবেষনায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ==জীবনী== শাহেদ ‘বাংলা ভাষা সাহিত্য’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৮৮ সালে একই বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৭ সালের ১৩ মে থেকে ২০০৯ সালের ১২ মে পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ==তথ্যসূত্র== একাডেমির মহাপরিচালক একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তি লেখক গবেষকহল সংস্কৃতি অধ্যয়ন সামাজিক নৃবিজ্ঞানের একটি ধারণা। সাংস্কৃতিক হীনম্মন্যতা বলতে বোঝায় নিজ শ্রেণী, জাতি দেশের ভাষা সংস্কৃতি সম্পর্কে এক ধরনের আত্তীকৃত হীনম্মন্যতাবোধ যার ফলে একজন ব্যক্তি নিজ শ্রেণী, দেশ, জাতির ভাষা সংস্কৃতির চেয়ে ভিন দেশ, জাতি, শ্রেণীর ভাষা সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দেয়। এই ধারণাটির সাথে উপনিবেশী মানসিকতা চিন্তাশূন্য সম্পর্ক রয়েছে। সাংস্কৃতিক হীনম্মন্যরা সাধারণত নিজ দেশ অন্যান্য উপনিবেশিত দেশগুলো থেকে আগত চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পীদের গুরুত্ব দেয় না, এবং সব কিছুতেই পশ্চিমাদের অনুকরণ করে। সাংস্কৃতিক হীনম্মন্যদের মাঝে নিজ দেশীয় ভাষা সংস্কৃতির সাথে বিচ্ছিন্নতাও দেখা দেয় যাকে সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতাবোধ বলে। == সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতার সাথে সম্পর্ক == সাংস্কৃতিক হীনম্মন্যতার সাথে সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতা্র নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে কেননা নিজ সংস্কৃতির সাথে বিচ্ছিন্নতার ফলে একজন ব্যক্তি নিজস্ব শ্রেণী, সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা বা অবমূল্যায়ন তথা পরিত্যাগ করে। সাংস্কৃতিক ভাবে একজন বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি নিজ সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করে কিন্তু উপনিবেশক দেশের সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দেয় তথা উপনিবেশক দেশের সংস্কৃতির জন্য ক্ষুধাতুর থাকে। তত্ত্ববিদ বিল অ্যাশক্রফ্ট, গেরেথ গ্রিফিথস এবং হেলেন টিফিন মনে করেন সাংস্কৃতিকভাবে বিচ্ছিন্ন একজন ব্যক্তি নিজ দেশে পরদেশি হয়ে থাকে, নিজেকে দেশচ্যুত মনে করে। ফলত তারা ভিন্ন কোন দেশ, সাধারণত পশ্চিমা কোন দেশের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং সেখানকার সামাজিক মূল্যবোধকে নিজের মূল্যবোধ বলে মনে করে। সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতাবোধে সংক্রমিত সমাজগুলির সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় সাধারণত দুর্বল হয়ে থাকে এবং নিজেদের নিজেরাই মূল্য দেয় না। সাংস্কৃতিক সবচেয়ে বড় প্রকাশ হল আমেরিকান সব জিনিসের প্রতি আদেখলা ভাব; আমেরিকান চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সংগীত, পোশাক, ইংরেজি অপশব্দ (স্ল্যাংস), এমনকি নামগুলির জন্য সাংস্কৃতিক হীনম্মন্যরা অপরিসীম তৃষ্ণা দেখিয়ে থাকে। সাংস্কৃতিকভাবে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিরা তাদের নিজ সমাজের সংস্কৃতি বা ইতিহাসে তেমন আগ্রহও প্রদর্শন করে না এবং মূল্য দেয় না। == আরো দেখুন == উপনিবেশী মানসিকতা == তথ্যসূত্র == সংস্কৃতি বিদ্যা অনুবাদসহ পাতান্যাশনাল ইউনিভার্সিটি''' () বা '''অস্ট্রেলীয় জাতীয় অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা শহরে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি অস্ট্রেলীয় সংসদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মূল বিদ্যায়তন বা ক্যাম্পাসটি ক্যানবেরা শহরের একটি উপশহর অ্যাকটন শহরে অবস্থিত। বিদ্যায়তনটিতে সাতটি প্রশিক্ষণ গবেষণা মহাবিদ্যালয় এবং একাধিক জাতীয় অ্যাকাডেমি ইন্সটিটিউট অবস্থিত। আদিতে অস্ট্রেলীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্নাতকোত্তর গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ১৯৬০ সালে এটি ক্যানবেরা ইউনিভার্সিটি কলেজ (১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত) সাথে একীভূত হয় এবং স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষাদান শুরু করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং প্রায় ১১ হাজার স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী বৃত্তি তহবিলের পরিমাণ ছিল ১১৩ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার। অস্ট্রেলীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের প্রধান গবেষণামূলক একটি। কিউএস মর্যাদাক্রমে (কিউ এস র‍্যাংকিংয়ে) এটি অস্ট্রেলিয়ার সমগ্র ওশেনিয়া অঞ্চলের গবেষণামূলক মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সারা বিশ্বে এর অবস্থান ২৪তম। অস্ট্রেলীয় জাতীয় প্রাক্তন ছাত্র বর্তমান শিক্ষকদের মধ্যে ছয়জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং ৪৯ জন রোডস বৃত্তিধারী আছেন। অস্ট্রেলিয়ার দুইজন প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে কর্মরত ৩০ জন রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়ার এক ডজনেরও বেশি সরকারী দপ্তরের বর্তমান প্রধানগণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ==তথ্যসূত্র== বিশ্ববিদ্যালয়'''বোলপুর (বিধানসভা কেন্দ্র)''' ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ==এলাকা== ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ২৮৬ নং বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বোলপুর পৌরসভা, ইলামবাজার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং রাইপুর, সুপুর, রুপপুর এবং সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি বোলপুর শ্রীনিকেতন সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক গুলির অন্তর্গত। বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ৪১ নং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র এর অন্তর্গত। ==বিধানসভার বিধায়ক== নির্বাচনবছর কেন্দ্র বিধায়ক রাজনৈতিক দল ১৯৫১ বোলপুর হংসেশ্বর রায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভূষণ হাঁসদা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৫৭| অমরেন্দ্র সরকার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৬২| রাধাকৃষ্ণ সিংহ বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল ১৯৬৭| আর.কে. সিনহা নির্দল পান্নালাল দাসগুপ্ত নির্দল প্রশান্ত মুখার্জী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) হরশঙ্কর ভট্টাচার্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি জ্যোৎস্না কুমার গুপ্ত বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল জ্যোৎস্না কুমার গুপ্ত বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল সুশোভন ব্যানার্জী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস তারাপদ ঘোষ বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল তপন হোড় বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল তপন হোড় বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল ২০০১| তপন হোড় বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল ২০০৬| তপন হোড় বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দল ২০১১| চন্দ্রনাথ সিংহ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ==নির্বাচনী ফলাফল== ===২০১১=== ২০১১ সালের নির্বাচনে, তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দ্রনাথ সিংহ আরএসপি এর তপন হোড় কে পরাজিত করেন। ===১৯৭৭-২০০৬=== ২০০৬, ২০০১, ১৯৯৬ এবং ১৯৯১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে, আরএসপির তপন হোড় বোলপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ২০০৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন রক্ষীতকে পরাজিত করেন ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের ডা. সুশোভন ব্যানার্জীকে, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের শিবশঙ্কর ব্যানার্জীকে এবং ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের সুশোভন ব্যানার্জীকে পরাজিত করেন। অধিকাংশ বছরে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কোণঠাসা করে ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বিজয়ী রানার্সকে উল্লেখ করা হচ্ছে। আরএসপির তারাপদ ঘোষ ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের ডা. সুশোভন ব্যানার্জীকে পরাজিত করেন। বিধায়ক জ্যোৎস্না কুমার গুপ্তের মৃত্যুর কারণে ১৯৮৪ সালের উপনির্বাচন হয় কংগ্রেসের সুশোভন ব্যানার্জী জয়ী হন। আরএসপির জ্যোৎস্না কুমার গুপ্ত ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের ডা. সুশোভন ব্যানার্জীকে এবং ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের গৌহরিচন্দ্রকে পরাজিত করেন। ===১৯৫১-১৯৭২=== সিপিআই এর হরশঙ্কর ভট্টাচার্য ১৯৭২ সালে জয়ী হন। সিপিআই (এম) এর প্রশান্ত মুখার্জী ১৯৭১ সালে জয়ী হন। নির্দলের পান্নালাল দাসগুপ্ত ১৯৬৯ সালে জয়ী হন। ১৯৬৭ সালে নির্দলের আর.কে. সিনহা জয়ী হন। আরএসপির রাধাকৃষ্ণ সিংহ ১৯৬২ সালে জয়ী হন। কংগ্রেসের অমরেন্দ্র সরকার ১৯৫৭ সালে জয়ী হন। কংগ্রেসের হংসেশ্বর রায় এবং ভূষণ হাঁসদা উভয়ই ১৯৫১ সালে বোলপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ==তথ্যসূত্র== বিধানসভা কেন্দ্র জেলার রাজনীতি'''রয় রিচার্ড শেইডার''' (; ১০ নভেম্বর ১৯৩২ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা অ্যামেচার বক্সার। তিনি ১৯৭০-এর দশকের কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্রধান পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ''দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন'' (১৯৭১)-এ নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে গোয়েন্দা বাডি ক্লাউডি রুসো, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন; ''দ্য সেভেন আপস'' (১৯৭৩)-এ নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে গোয়েন্দা বাডি মানুচ্চি; ''জস'' (১৯৭৫) এবং ''জস টু'' (১৯৭৮)-এ পুলিশ প্রধান মার্টিন ব্রডি; ''ম্যারাথন ম্যান'' (১৯৭৬)-এ ডক; ''অল দ্যাট জাজ'' (১৯৭৯)-এ বব ফসের চরিত্রের উপর ভিত্তি করে লেখা চিত্রগ্রাহক চলচ্চিত্র পরিচালক জো গিডিয়ন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন; এবং ''টুয়েন্টি টেন'' (১৯৮৪)-এ ডক্টর হেউড আর. ফ্লয়েড। শেইডার বিজ্ঞান কল্পকাহিনিমূলক টিভি ধারাবাহিক ''সিকোয়েস্ট ডিএসভি'' (১৯৯৩-১৯৯৬)-এ ক্যাপ্টেন নাথান ব্রিজার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত। ''অলমুভি'' তাকে "হলিউড অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম স্বনামধন্য" বলে উল্লেখ করে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:নিউ জার্সির অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা মঞ্চ অভিনেতা ক্যান্সারে মৃত্যু সংক্রামক রোগে মৃত্যু লিগ পুরস্কার বিজয়ী'''জর্জ সিগাল''' (; জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি ১৯৬০ ১৯৭০-এর দশকে নাট্যধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি ''হুজ অ্যাফ্রেইড অব ভার্জিনিয়া উল্‌ফ?'' (১৯৬৬) ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে অস্কার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, ''নো ওয়ে টু ট্রিট লেডি'' (১৯৬৮) ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ''আ টাচ অব ক্লাস'' (১৯৭৩) ছবিতে অভিনয় করে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল ''শিপ অব ফুলস'' (১৯৬৫), ''কিং র‍্যাট'' (১৯৬৫), ''দ্য সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্‌স ডে ম্যাসাকার'' (১৯৬৭), ''হোয়ার্‌স পপা?'' (১৯৭০), ''দ্য হট রক'' (১৯৭২), ''ব্লুম ইন লাভ'' (১৯৭৩), স্প্লিট'' (১৯৭৪), ''ফর দ্য বয়েজ'' (১৯৯১) এবং ''ফ্লার্টিং উইথ ডিজেস্টার'' (১৯৯৬)। টেলিভিশনে তিনি ''জাস্ট শুট মি!'' (১৯৯৭-২০০৩) ধারাবাহিকে জ্যাক গ্যালো চরিত্রে এবং ''দ্য গোল্ডবার্গস'' (২০১৩-বর্তমান) ধারাবাহিকে অ্যালবার্ট "পপস" সলোমন চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। ''জাস্ট শুট মি!'' ধারাবাহিকে তার কাজের জন্য তিনি দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার একটি স্যাটেলাইট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন। সেগাল একজন নামকরা ব্যাঞ্জো বাদক। তিনি তিনটি ব্যাঞ্জোর অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এবং তার অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র ব্যাঞ্জো বাজিয়েছেন এবং গভীর রাতের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ব্যাঞ্জো বাজান। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্কের অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা মঞ্চ অভিনেতা ইহুদি অভিনেতা কণ্ঠ অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:রুশ ইহুদি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি ব্যাঞ্জো বাদক গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেতা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র) বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (বর্ষসেরা নবীন তারকা অভিনেতা) বিজয়ী'''গুরকানওয়াল কাউর''' পাঞ্জাব রাজ্যের একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ২০০২-২০০৭ থেকে কড়াল জালন্দর ক্যান্ট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। কাউর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে ছিলেন, কিন্তু ২০১৭ সালে তিনি ভারতীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং পাঞ্জাবের বিজেপি সভাপতি বিজয় সাম্প্লার উপস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। == পরিবার == কাউর ভাই তেজ প্রকাশ সিং পাঞ্জাব সরকারের একজন মন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৯২-১৯৯৫ সাল থেকে তার পিতা বায়ত সিং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন == আরো দেখুন == পাঞ্জাবের রাজনৈতিক পরিবার, ভারত == বাহ্যিক লিঙ্ক == ভারতের নির্বাচন কমিশন পাঞ্জাব রাজ্য নির্বাচন ২০০২ পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ২০০২ সালের বিজয়ী == তথ্যসূত্র == বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বিষয়শ্রেণী:২১ শতকের ভারতীয় রাজনীতিবিদ জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ ব্যক্তি জনতা পার্টির রাজনীতিবিদ'''ব্রেন্ডা অ্যান ব্লেদিন''' ওবিই (; জন্মনাম: বোটল, ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেত্রী। তিনি শ্রমজীবী শ্রেণীয় চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। অভিনয় জীবনে তিনি একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার একটি বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ব্লেদিন গিল্ডফোর্ড স্কুল অব অ্যাক্টিংয়ে ভর্তি হয়ে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ লাভ করেন এবং পরে রয়্যাল ন্যাশনাল থিয়েটারে যোগদান করেন। তিনি ''ট্রোইলাস অ্যান্ড ক্রেসিডা'' (১৯৭৬), ''মিস্ট্রিজ'' (১৯৭৯), ''স্টিমিং'' (১৯৮১), এবং (১৯৯৪) নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন এবং শেষোক্ত নাটকের জন্য একটি অলিভিয়ে পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৮০ সালে মাইক লেইয়ের ''গ্রোন-আপস'' ধারাবাহিক দিয়ে তার টেলিভিশনে অভিষেক হয়। তিনি পরে স্বল্পকালীন সিটকম ''চান্স ইন মিলিয়ন'' (১৯৮৪-৮৬) এবং ''দ্য লেবারস অব এরিকা'' (১৯৮৯-৯০)-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯০ সালে নিকোলাস রোগের ''দ্য উইচেস''-এ ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তিনি ১৯৯৬ সালে মাইক লেইয়ের নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র ''সিক্রেটস্‌ অ্যান্ড লাইজ''-এ অভিনয় করে সাফল্য অর্জন করেন এবং এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে ''লিটল ভয়েস'' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার দ্বিতীয় অস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ==প্রারম্ভিক জীবন== ব্লেদিন ১৯৪৬ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি কেন্টের রামসগেটে এক রোমান ক্যাথলিক শ্রমজীবী শ্রেণির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা লুইজা ক্যাথলিন (জন্ম: সাপল, ১০ মে ১৯০৪-১৯৯২) ছিলেন একজন গৃহিণী গৃহপরিচারিকা। তার পিতা উইলিয়াম চার্লস বোটল (৫ মার্চ ১৮৯৪-আনু. ১৯৮৪) মেষপালক ছিলেন এবং ছয় বছর রয়্যাল ফিল্ড আর্টিলারির সাথে ব্রিটিশ ভারতে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি ব্রোডস্টেয়ারে এক পরিবারের ভৃত্য হিসেবে যোগদান করেন। সেই বাড়িতেই গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন লুইজা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে লুটনে উইলিয়াম ভক্সহল কার ফ্যাক্টরিতে মেকানিক হিসেবে কাজ পান। ব্লেদিন টেকনিক্যাল কলেজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং একটি ব্যাংকে স্টেনোগ্রাফার নথি রাখার কাজ করতেন। তার প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি তার অভিনয়ের শখকে পেশাদার রূপ দিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি গিল্ডফোর্ড স্কুল অব অ্যাক্টিংয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ১৯৭৬ সালে লন্ডনের মঞ্চে কাজ শুরু করেন। তিনি রয়্যাল ন্যাশনাল থিয়েটারে কয়েক বছর কাজ করেন, এবং এই সময়ে তিনি স্যার রাফ রিচার্ডসনের বিপরীতে ''ট্রোইলাস অ্যান্ড ক্রেসিডা'', ''ট্যাম্বারলেইন দ্য গ্রেট'', ''দ্য ফ্রুটস অব এনলাইটেনমেন্ট'' এবং ''বেডরুম ফার্স'', ''দ্য প্যাসন'' ''স্ট্রিফ'' নাটকে অভিনয় করেন। ==কর্মজীবন== ব্লেদিন ১৫ বছর মঞ্চে টেলিভিশনে কাজ করার পর ১৯৯০ সালে কল্পনাধর্মী ''দ্য উইচেস'' চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন। এটি রোয়াল্ড ডালের একই নামের বই অবলম্বনে নির্মিত এবং এতে তার সহশিল্পী ছিলেন অ্যাঞ্জেলিকা হিউস্টন জেন হরক্‌স। ''দ্য উইচেস'' ছবিটি ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে এবং অল মিডিয়া গাইড-এর ক্রেইগ বাটলার মিসেস জেনকিন্স চরিত্রে ব্লেদিনের কাজকে "মূল্যবান সহযোগিতা" হিসেবে উল্লেখ করেন। ১৯৯১ সালে নিউ ইয়র্কে একটি মঞ্চনাটকে অভিনয়ের পর রবার্ট রেডফোর্ডের পরবর্তী কাজ ''আ রিভার রানস থ্রো ইট'' (১৯৯২) ছবিতে নরম সুরের মাতৃস্থানীয় চরিত্রের জন্য তার নাম সুপারিশ করা হয়। নরমান ম্যাকলিনের ১৯৭৬ সালের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন ক্রেইগ শেফার ব্র্যাড পিট। রেডফোর্ড তার এই কাজের জন্য ব্লেদিনকে পশ্চিম আমেরিকান ভাষা শিখার জন্য এবং এই চরিত্রের প্রস্তুতির জন্য তাকে মন্টানার লিভিংস্টনে থাকতে পাঠান। মুক্তির পর ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্মাণ ব্যয়ের ছবিটি বাণিজ্যিক সমালোচনামূলক উভয় দিক থেকে সফলতা লাভ করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে মোট ৪৩.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। পাশাপাশি তিনি মঞ্চ ব্রিটিশ টেলিভিশনে অভিনয় করে যান। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি ভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ম্যানচেস্টারের রয়্যাল এক্সচেঞ্জ থিয়েটারে ''অ্যান আইডিয়ান হাজবেন্ড'', রয়্যাল শেকসপিয়ার কোম্পানির প্রযোজনায় ''টেলস্‌ ফ্রম দ্য ভিয়েনা উডস'' ''ওয়াইল্ডেস্ট ড্রিমস'' এবং মার্কিন মঞ্চে প্রথম কাজ ''অ্যাবসেন্ট ফ্রেন্ডস'', যার জন্য তিনি সেরা নবীন প্রতিভা বিভাগে থিয়েটার ওয়ার্ল্ড পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি বিবিসিতে হানিস কুরেশির ''দ্য বুড্ডা অব সাবআরবিয়া'' বেতার নাটকে আইটিভির ধারাবাহিক ''আউটসাইড এজ''-এ অভিনয় করেন। এছাড়া তাকে ''অ্যালাস স্মিথ অ্যান্ড জোন্স'' ''মাইগ্রেট''-এর কয়েকটি পর্বে দেখা যায়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ইংরেজ অভিনেত্রী কণ্ঠ অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী টেলিভিশন অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী শেকসপিয়ারীয় অভিনেত্রী অভিনেত্রী শেকসপিয়ার কোম্পানির সদস্য অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেতা নাট্য চলচ্চিত্র) বিজয়ী অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী'''কণিকা মজুমদার''' বাংলা চলচ্চিত্র জগতের তথা টলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্বময়ী অভিনেত্রী। তার ব্যক্তিত্বই সত্যজিত রায়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র তিন কন্যার ''মণিহারা'' গল্পের ''মণিমালিকার'' ভূমিকায় অভিনয়ের পথ সুগম করে দেয়। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদপ্রতীম অভিনেতা উত্তম কুমারের পছন্দের অভিনেত্রীও ছিলেন। মণিমালিকার ভূমিকায় তার অভিনয় তাকে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়। == প্রথম জীবন == কণিকা মজুমদার তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ময়মনসিংহে ১৯৩৫ সালে এক অভিজাত ব্রাহ্ম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের সম্মতি না থাকায় পরিচালক নীতিন বসুর একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীকালে বিখ্যাত পরিচালক মৃনাল সেনের পুনশ্চ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয়ে কাজ শুরু করেন। যদিও তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র প্রখ্যাত পরিচালক সত্যজিত রায়ের চলচ্চিত্র ''তিন কন্যা''। == কর্ম জীবন == তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি তিনকন্যর তাকে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়। এর পরে তিনি বিখ্যাত পরিচালকদের নানা ছবিতে অভিনয় করেন। তার মধ্যে পুনশ্চ, চিড়িয়াখানা (দময়ন্তীর চরিত্রে), সোনার খাঁচা, হার মানা হার, দুটি মন, আগুন, বসন্তবিলাপ, রাগ অনুরাগ, জীবন সৈকতে, চাঁদের কাছাকাছি উল্লেখযোগ্য। তিনি বিখ্যাত পরিচালকদের সাথে কাজ করার পাশাপাশি বাংলা ছবির স্বর্ণযুগে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বসন্ত চৌধুরীর মতো দাপুটে অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করেছেন। অভিনয় ছাড়াও তিনি সঙ্গীত, বেতার নাটক মঞ্চাভিনয়ে সপ্রতিভ ছিলেন। ‘নবরাগ’ ছবিতে তার লিপে সুমিত্রা সেনের রবীন্দ্রসঙ্গীত তাকে প্রশংসিত করেছিল। মঞ্চাভিনয়ে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’এ তাঁর অভিনয় উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি বেতারও সপ্রতিভ ছিলেন। নির্মল কুমার, অহীন্দ্র চৌধুরী, শম্ভু মিত্রের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি শম্ভু মিত্রের সঙ্গে বেতারেও ‘রক্তকরবী’ নাটক করেছেন। == চলচ্চিত্রের তালিকা == সাল নাম পরিচালক সহ অভিনেতা পুরস্কার ১৯৬১ তিনকন্যা সত্যজিত রায় কালী বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার (সেরা ছবি) ১৯৬১ পুনশ্চ মৃণাল সেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার (সেরা বাংলা ছবি) ১৯৬২ অগ্নিশিখা রাজেন তরফদার ছবি বিশ্বাস ১৯৬২ আগুন অসিত সেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৬৫ প্রথম প্রেম ১৯৬৭ চিড়িয়াখানা সত্যজিত রায় উত্তম কুমার ১৯৬৮ পঞ্চসার ১৯৭০ বিলম্বিত লয় উত্তম কুমার ১৯৭১ নবরাগ বিজয় বসু উত্তম কুমার ১৯৭২ হার মানা হার সলিল সেন উত্তম কুমার ১৯৭৩ বসন্ত বিলাপ দিনেন গুপ্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৭৩ সোনার খাঁচা ১৯৭৪ রানুর প্রথম ভাগ ১৯৭৫ রাগ অনুরাগ ১৯৭৬ চাঁদের কাছাকাছি ১৯৭৮ তিলোত্তমা ১৯৮০ প্রিয়তমা ১৯৮১ দুষ্টু মিষ্টি ১৯৮৯ ছন্দ নীর ১৯৯৩ পৃথিবীর শেষ স্টেশন == শেষ জীবন== তার শেষ জীবন কিছুটা নিভৃতে অন্তরালে জীবন অতিবাহিত করেন। আলিপুরের কাছে স্বেচ্ছায় একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকাকালীন বার্ধক্যজনীত কারণে ৮৪ বছর বয়সে ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ পরলোকগমন করেন। == তথ্যসূত্র== চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জন্ম মৃত্যু'''পাইচার্ম''' () কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, বিশেষত পাইথন ভাষায় ব্যবহৃত একটি ইনটিগ্রেটেড ডেভলপমেন্ট ইনভাইরনমেন্ট। চেক কোম্পানি জেটব্রেইনস এর উন্নয়ন করে। এটা কোড বিশ্লেষণ, গ্রাফিক্যাল ডিবাগার, সংহত ইউনিট পরীক্ষক, ভার্শন কন্ট্রোল সিস্টেমের সাথে সংহতি জ্যাঙ্গোর সাহায্যে ওয়েব উন্নয়নসহ অনেক বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। পাইচার্ম একটি সফটওয়্যার, যার গ্নু/লিনাক্স, ম্যাকওএস মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সংস্করণ রয়েছে। এর কম্যুনিটি সংস্করণ অ্যাপাচি লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত হয়, এবং বাড়তি বৈশিষ্ট্যসহ একটি প্রোফেশনাল সংস্করণও রয়েছে, যেটি মালিকানাধীন লাইসেন্সের অধীনে মুক্তি পায়। ==বৈশিষ্ট্য== স্বয়ংক্রিয় কোড সমাপ্তিকরণ, সিনট্যাক্স, এরর হাইলাইট, লিন্টার ইন্টিগ্রেশন দ্রুত সমাধানসহ কোডিং সহায়তা বিশ্লেষণ *প্রকল্প কোড ন্যাভিগেশন: বিশেষায়িত প্রকল্প ভিউ, ফাইল গঠন ভিউ ফাইল, ক্লাশ, মেথড ইউজেসের মধ্যে দ্রুত যাওয়া-আসা। *পাইথন রিফ্যাক্টরিং: পুনঃনামকরণ, এক্সট্রাক্ট পদ্ধতি, ইন্ট্রুডিউস ভ্যারিয়েবল, ইট্রুডিউস কন্সট্যান্ট, পুল আপ, পুশ ডাউন অন্যান্য সহযোগে *ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক সমর্থন: জ্যাঙ্গ, ওয়েবটুপাই ফ্লাস্ক *সংহত পাইথন ডিবাগার *সংহত এক পরীক্ষক *গুগল অ্যাপ ইঞ্জিন পাইথন উন্নয়ন *সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ সংহতি এটি আরও কিছু পাইথন-ভিত্তিক আইডিইর সাথে এটি প্রতিযোগিতা করে, যার মধ্যে রয়েছে এক্লিপসের পাইডেভ, এবং আরও বিস্তৃতভাবে নিবিদ্ধকৃত কমোডো আইডিই। ==ইতিহাস== জুলাই ২০১০ সালে বেটা সংস্করণ মুক্তি পায়, যার তিন মাস পরে ১.০ সংস্করণ আসে। ২.০ সংস্করণ ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, ৩.০ সংস্করণ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে, এবং সংস্করণ ৪.০ ১৯ নভেম্বর ২০১৪ সালে মুক্তি পায়। পাইচার্ম কম্যুনিটি সংস্করণ, পাইচার্মের উন্মুক্ত সংস্করণ, ২২ অক্টবর ২০১৩ সালে আসে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== পাইচার্ম মূল পৃষ্ঠা পাইচার্ম কম্যুনিটি ফোরাম পাইচার্ম কম্যুনিটি গিটহাব প্রোগ্রামিং হাতিয়ার সফটওয়্যার'''ইসলামী সংহতি খেলা''' বা '''ইসলামিক সলিডারিটি গেমস''' হল একটি আন্তর্জাতিক বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যা ওআইসির সদস্য রাষ্টসমূহের ক্রীড়াবিদদের জন্য আয়োজন করা হয়। ক্রীড়া আসরটি ইসলামিক সলিডারিটি স্পোর্টস ফেডারেশন আয়োজন পরিচালনা করে। এর প্রথম আসর ২০১৫ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়। == ইতিহাস == ইসলামিক সলিডারিটি গেমস প্রথম ২০০৫ সালে সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র অংশগ্রহণ করে। এসকল সদস্য রাষ্ট্রের অমুসলিম ক্রীড়াবিদদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় গেমস ২০০৯ সালে ইরানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা পিছিয়ে ২০১০ সালের এপ্রিলে করা হয়, পরে ইরান আরব বিশ্বের মধ্যে লোগো নিয়ে বিতর্কের কারণে তা বাতিল করা হয়েছিল। ইরান লোগোতে পারস্য উপসাগর নাম ব্যবহার করেছিল, যা অন্য আরব রাষ্ট্র মেনে নেয়নি, কারণ অনেক রাষ্ট্র পারস্য উপসাগরকে আরব উপসাগর নামে ডাকে। নাম নিয়ে আরব রাষ্ট্র ইরান মধ্যকার বিতর্কের সমাধান না হওয়ায় গেমস বাতিল করা হয়। তৃতীয় গেমস ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ায় পালেম্বাংয়ে এবং চতুর্থ গেমস ২০১৭ সালে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত হয়। == সংস্করণ == সংস্করণ বছর স্বাগতিক শহর স্বাগতিক জাতি উদ্বোধনকারী জাতি প্রতিযোগী ক্রীড়া বিষয় শীর্ষ পদকধারী ১ম ২০০৫ মক্কা প্রিন্স আব্দুল মজিদ বিন আব্দুল্লাহ আস সউদ এপ্রিল ২০ এপ্রিল ৫৫ ৬০০০ ১৫ ১০৮ ২য় ২০১০ তেহরান ''বাতিল'' ৩য় ২০১৩ পালেম্বাং রাষ্ট্রপতি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো ২২ সেপ্টেম্বর অক্টোবর ৪৪ ১৭৬৯ ১৩ ১৮৩ ৪র্থ ২০১৭ বাকু রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ ১২ মে ২২ মে ৫৪ ২১ ২৬৮ ৫ম ২০২১ ইস্তানবুল ''Future event'' ৬ষ্ঠ ২০২৫ ইসলামাবাদ ''Future event'' == ক্রীড়া == ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে যাবত ২৭টি ক্রীড়া উপস্থাপন করা হয়েছে। ক্রীড়া বছর ২০১৩ ২০০৫ থেকে ২০১৩ ২০০৫ থেকে ২০১৭ ২০০৫ থেকে ২০০৫ ২০১৩ ২০০৫ ২০১৩ ২০০৫ থেকে ক্রীড়া বছর ২০০৫ শুধু ২০১৭ ২০০৫ শুধু ২০০৫ থেকে ২০১৭ ২০০৫ থেকে ২০১৭ ২০১৭ ২০০৫ থেকে ক্রীড়া বছর ২০০৫ থেকে ২০০৫ থেকে ২০০৫ থেকে ২০০৫ থেকে ২০০৫ থেকে ২০০৫ থেকে ২০১৭ ২০১৩ থেকে জুর্খানেহ ২০১৭ == পদক তালিকা == ২০১৭ সালের হিসাব মতে; == আরও দেখুন == মহিলাদের ইসলামিক গেমস ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== সলিডারিটি গেমস প্রতিযোগিতামিশনারি আসনে সহবাসরত দুজন নারী '''নারী-নারী সহবাস''' বা '''নারী-নারী যৌনমিলন''' হচ্ছে একটি যৌনক্রিয়া যেটাতে সাধারণত একটি নারী অপর একটি নারীর যোনিতে তার নিজের যোনি ঘর্ষণ করেন। এই ধরনের যৌনক্রিয়া সমকামী নারীদের মাঝে খুব জনপ্রিয়। যোনিতে ঘর্ষণ করা ছাড়াও এই ধরনের যৌনক্রিয়াতে একজন নারী তার যোনিকে তার সঙ্গীনারীর উরু, পেট, নিতম্ব, বাহু অথবা শরীরের অন্য কোনো জায়গায় ঘর্ষণ করতে পারেন, তবে সাধারণত মুখে ঘর্ষণ করা হয়না। এই ধরনের যৌনক্রিয়ার জন্য অনেক ধরনের যৌন আসন রয়েছে তন্মধ্যে পুরুষ-নারী সহবাসের পদ্ধতি মিশনারি আসনও রয়েছে। এই নারী-নারী সহবাসকে ইংরেজি ভাষায় ট্রিব্যাডিজম (Tribadism) বলা হয়। এই ধরনের যৌনমিলনের ধারণা উদ্ভূত হয়েছিলো এই বিশ্বাস থেকে যে একজন নারীও আরেকজন নারীর সঙ্গে যৌনমিলন তার পুরুষসঙ্গীর মতই করতে পারেন। যেসব নারী আগেকার যুগে এই ধরনের যৌনক্রিয়ায় জড়াতেন তাদেরকে নিয়ে সমাজ ঠাট্টা-তামাশা করতো। আধুনিক সময়ে এই ধরনের যৌনক্রিয়া পুরুষদের ঘর্ষকাম এর অনুরূপ একটি যৌনতা হিসেবে স্বীকৃত। এই ধরনের যৌনক্রিয়ায় যোনিতে আঙ্গুল ঢোকানো কিংবা বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন পরিধান করে পেগিংও করা হতে পারে। ==তথ্যসূত্র==মানচিত্রে 'গোলাপি' রঙে ভারতের পশ্চিম আঞ্চলিক পরিষদ '''পশ্চিম আঞ্চলিক পরিষদ''' হল একটি আঞ্চলিক পরিষদ যার মধ্যে গোয়া, গুজরাট, মহারাষ্ট্র রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল দমন দীউ এবং দাদরা নগর হাভেলি অন্তর্ভুক্ত। রাজ্যগুলিকে ছয়টি অঞ্চলে দলভুক্ত করে আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয় যাতে এই রাজ্যেগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকে। রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬-এর অংশ-৩-এর মাধ্যমে পাঁচটি আঞ্চলিক পরিষদ স্থাপন করা হয়েছিল। পরে আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৭১ দ্বারা উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়, যেটি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির বিশেষ সমস্যাগুলি সুরাহা করে। নিচে অন্য আঞ্চলিক পরিষদের নাম দেয়া হল: মধ্য আঞ্চলিক পরিষদ উত্তর আঞ্চলিক পরিষদ উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পরিষদ দক্ষিণ আঞ্চলিক পরিষদ পূর্ব আঞ্চলিক পরিষদ ==তথ্যসূত্র== অঞ্চলসমূহ'''পবন কুমার চামলিং''' (জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০) হলেন এক ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি ভারতের সিক্কিম রাজ্যের ৫ম তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। পবন কুমার চামলিং হলেন সিক্কিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের এই দলটি ১৯৯৪ সাল থেকে একটানা পাঁচ বার নির্বাচিত হয়ে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন রয়েছে। বর্তমানে চামলিং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দীর্ঘতম মেয়াদে রাজ্যশাসনকারী মুখ্যমন্ত্রী। সিক্কিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠার আগে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি নর বাহাদুর ভাণ্ডারীর ক্যাবিনেটে শিল্প, তথ্য জনসংযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== দক্ষিণ সিক্কিমের ইয়ানগঙে চামলিং জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আশবাহাদুর চামলিং মায়ের নাম আশারানি চামলিং। চামলিং একজন সাহিত্যিকও বটে। তিনি পবন চামলিং ''কিরণ'' ছদ্মনামে নেপালি ভাষায় সাহিত্যচর্চা করেন। ২০১০ সালে সিক্কিম সাহিত্য পরিষদ তাকে ভানু পুরস্কারে ভূষিত করে। পবন কুমার চামলিং আট সন্তানের জনক। তার চার পুত্র চার কন্যা বর্তমান। ==রাজনৈতিক কর্মজীবন== ১৯৮২ সালে পবন কুমার চামলিং ইয়ানগং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম সিক্কিম বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডামথাং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত নর বাহাদুর ভাণ্ডারীর ক্যাবিনেট শিল্প, তথ্য জনসংযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তারপর সিক্কিমে কিছুকাল রাজনৈতিক অস্থিরতার পর ১৯৯৩ সালের মে চামলিং সিক্কিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ছাড়া চামলিংই ভারতের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি একটানা পাঁচবার রাজ্যে সরকার গঠন করেছেন। তার দল সিক্কিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ১৯৯৪, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯ ২০১৪ সালের সিক্কিম বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করে। ১৯৯৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই প্রথম তার দল সিক্কিমে ক্ষমতায় আসীন হয়। উন্নয়নমূলক কাজকর্ম শান্তিরক্ষার জন্য সিক্কিমে তার জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০০৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার দল সিক্কিম বিধানসভার ৩২টি আসনের সবগুলিতেই জয় লাভ করেছিল। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Chief Minister's website Pawan Chamling in the program Satyameva Jayate on making Sikkim an Organic State ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের রাজনীতিবিদ জন্ম ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের রাজনীতিবিদ সিক্কিম জেলার ব্যক্তিত্ব বংশোদ্ভূত ভারতীয় ভাষার কবি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস রাজনীতিবিদ'''কসুর জেলা''' অথবা '''কাসুর জেলা''' (পাঞ্জাবি এবং ), পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত একটি জেলা। ১৯৭৬ সালের জুলাই তারিখে, জেলাটি নিজস্ব জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগে এটি লাহোর জেলার অন্যতম একটি অংশ ছিল। জেলা রাজধানী শহরের নাম হচ্ছে কসুর শহর, যেটি সুফি কবি বুল্লে শাহ এর জন্মস্থান। এই জন্য অঞ্চলটি সমগ্র পাকিস্তানে বেশ সুপরিচিত। জেলাটি মোট ৪,৭৯৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঠিত হয়েছে। ==ইতিহাস== প্রাচীনকালে, কসুর শিক্ষাব্যবস্থা মাছের জন্য সুপরিচিত ছিল। কসুরের ইতিহাস প্রায় ১০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কসুর অঞ্চল ছিল সিন্ধু উপত্যকাল সভ্যতার সময়ে বনভূমির সাথে অন্যতম কৃষি অঞ্চল। == জনসংখ্যার উপাত্ত== ১৯৯৮ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুযায়ী, পাঞ্জাবি ভাষা সর্বাধিক ব্যাপকভাবে কথিত প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষা, যেখানে প্রায় ৮৮% মানুষ ভাষাটি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও ৬.২% জনসংখ্যার ভাষা ছিল উর্দু এবং শহুরে এলাকায় (২.৬%) এর তুলনায় গ্রামে (৭.৩%) এর বেশি মানুষ উর্দু ভাষায় অস্বাভাবিকভাবে কথা বলে থাকেন। ==প্রশাসনিক বিভাগ == জেলা প্রশাসনিকভাবে টি তহসিলে এবং ১৪১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত হয়েছে: ==তথ্যসূত্র== জেলা'''পাহাড়ি টুনটুনি''' (বৈজ্ঞানিক cucullatus'') () এক ধরনের গায়ক পক্ষী। এটি Cettiidae পরিবারের ''Phyllergates গণ'' ভুক্ত। == আবাসস্থল == এই পাখি উত্তর-পূর্ব ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, লাওস থাইল্যান্ড দেখতে পাওয়া যায়। == গঠন == এরা দৈর্ঘ্য ১০-১২ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৬-৭ গ্রাম হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির পিঠ জলপাই-সবুজ বর্ণের। কপাল, ডানা লেজ লালচে। মাথার চাঁদির সামনের অংশ ছায়ার মতো, যদিও ঘাড়ের পিছনটা অপেক্ষাকৃত ধূসর। এর চোখ বাদামি; চোখের পিছনের খাটো ভ্রু-রেখা সাদা-হলদে; চোখের ডোরা কালচে হয়ে থাকে। কান-ঢাকনি এবং গলা বুক ধূসর। পেট লেজতল-ঢাকনি উজ্জ্বল হলুদ। পা পায়ের পাতা সামান্য বাদামি-মেটে। সোজা ঠোঁট দুরঙা: উপরের ঠোঁট কালো নিচের ঠোঁট কমলা গোড়াসহ শিঙ-রঙা। পেট উজ্জ্বল হলদে, যা দেখে এই পাখিকে সহজে চেনা যায়। স্ত্রী পাখির বর্ণে সামান্য তফাৎ রয়েছে। ওদের বুকে কালো রেখার অনুপস্থিত। == স্বভাব == পোকামাকড় বা কীট পতঙ্গ এদের প্রদান খাদ্য। ঝোপঝাড়ে অতি ক্ষুদ্র পোকা শিকার করে এছাড়া আকাশে ওড়েও পোকা-মাকড় ধরে থাকে। প্রজনন মৌসুম মে-সেপ্টেম্বর। মাটির কাছাকাছি গাছের ডালে পাতা সেলাই করে বাসা বাঁধে। ৩-৪টি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৪/১৫ দিন। == তথ্যসূত্র == এশিয়ার পাখি পাখি লাল তালিকার ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত প্রজাতি পাখি'''দুকি''' (), পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি জেলা। এটি ১০৯২ মিটার (৩৫৮৫ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ভিয়ালা দুকি, জঙ্গাল রবাত, সদর, সিভিল স্টেশন, নেসারাবাদ, থাল, লুনি এবং নান সাহেব জিয়ারত। জেলাটির প্রধান রাজস্ব মূলত কৃষি প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে আসে। এখানে ৩টি প্রধান উপজাতি: তারীন, লুনি এবং নাসর রয়েছে। ==তথ্যসূত্র== জেলা'''নিয়াতাক''' একটি আফগান শরণার্থী শিবির, যা ইরানের সিস্তান বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত। ক্যাম্পটি ইরানের জাহেদান শহরের নিকটবর্তী। ক্যাম্পটি আফগানিস্তান সীমান্ত থেকে খুব বেশি দূরে না। ২০০১ সালের এক হিসাবানুযায়ী, ক্যাম্পটিতে প্রায় ৫,০০০ শরণার্থী বাস করে। এই ক্যাম্পে থাকা আফগানিস্তানের হাজরা পশতুন জাতির লোকদের মাঝে সংঘর্ষের নজির আছে ক্যাম্পটিতে। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ইরানি ছবি ''কান্দাহার'' এর চিত্রগ্রহণ হয়েছিল ক্যাম্পটিতে। ==তথ্যসূত্র== শিবির'''শাংলা জেলা''' (, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মালকান্দ বিভাগের একটি জেলা। জেলাটি সদর দপ্তর বা রাজধানী আলপুরিতে অবস্থিত। এটি পূর্বে সোয়াত জেলার একটি উপবিভাগ ছিল, কিন্তু ১৯৯৫ সালের ১০ জুলাই তারিখে এটি একটি জেলায় উন্নিত করা হয়েছিল। জেলাটির মোট এলাকা হচ্ছে ১,৫৮৬ বর্গ কিলোমিটার। শাংলায় তিনটি উপবিভাগ রয়েছে: আলপুরী, পুরান বেশম তহসিল। ==অবস্থান== ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী জেলাটির উত্তরে কোহিস্তান জেলা, পশ্চিমে বট্টগ্রাম জেলা এবং তরঘার জেলা, পশ্চিমে সোয়াত জেলা এবং দক্ষিণে বানার জেলা দ্বারা বেষ্টিত। ==জনসংখ্যা== ২০১৭ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুযায়ী, জেলাটির জনসংখ্যার ছিল প্রায় ৭৫৭,৮১০ জন যেটি জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে দাড়ায় ৪৮০ জন।১৯৯৮ সালের আদমশুমারি অনুসারে, জেলাটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৩৫,৫৬৩ জন, যেখানে গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ছিল ৩.৩% এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটার ছিল ২৭৪ জন। মোট পরিবারের সংখ্যা ছিল ৬৪,৩৯১ টি এবং পরিবারের গড় আয়তন ছিল ৮.১ টি। ==তথ্যসূত্র== ==গ্রন্থপঞ্জি== জেলা পাখতুনখোয়া প্রদেশের জেলা'''তারা রানী শ্রীবাস্তব''' ছিলেন ভারতবর্ষের বিহারে জন্ম নেওয়া এক স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি মহাত্মা গান্ধীর ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশ নেবার জন্য সুপরিচিত। তিনি এবং তার স্বামী ফুলেন্দু বাবু বিহার প্রদেশের সারন জেলায় বাস করতেন। ১৯৪২ সালে তিনি এবং তার স্বামী বিহারের সিওয়ানে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এক মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হন দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। নিজের জীবনসঙ্গীর মৃত্যুর পরও থেমে থাকেন নি এই মহিয়সী নারী। ভারতের স্বাধীনতা লাভ করার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে। ==ব্যক্তিগত জীবন== তারা রানী শ্রীবাস্তব বিহার প্রদেশের রাজধানী পাটনার নিকটবর্তী সারন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ফুলেন্দু বাবুর সাথে অল্পবয়সেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ==স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ== নিজের এলাকার নারীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত করতে তারা রানীর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তার প্রচেষ্টায়, তার এলাকার বহু নারী, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি এমন সময়ে ভারতীয় নারীদের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে শামিল করেছিলেন, যখন ভারতীয় নারীদের ঘরের বাইরে পা ফেলাকে সমাজ বাঁকা চোখে দেখত। সামাজিক দৃষ্টিকে গ্রাহ্য না করে, দেশমাতৃকার টানে, তারা রানীর ডাকে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমেছিলেন বহু নারী। ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসের ১২ তারিখে মহাত্মা গান্ধীর ডাকে তিনি এবং তার স্বামীর নেতৃত্বে বিহারের সিওয়ানে অবস্থিত একটি পুলিশ স্টেশনে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলনের জন্য একটি মিছিল বের হয়, যা ছিল সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর 'চূড়ান্ত অবমাননা'। সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর তাঁবেদার পুলিশ বাহিনী, মিছিলের জনতাকে নিবৃত্ত করতে মিছিলে অংশগ্রহণকারী জনতার ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, পুলিশ জনতার ওপর গুলি চালায়। ফলে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী গুলিবিদ্ধ আহত হন, যাঁদের মধ্যে, তার স্বামী ফুলেন্দু বাবুও ছিলেন। স্বামী গুলিবিদ্ধ হবার পরও, তারা রানী তার শাড়ির পাড় দিয়ে ফুলেন্দু বাবুর ক্ষতস্থান বেঁধে দিয়ে, পুলিশ স্টেশন অভিমুখে যাওয়া জনতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান, যেখানে তিনি ভারতের পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলেন। ফিরে আসার পর, তিনি আবিষ্কার করেন যে, তার স্বামী পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছেন। ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে তার স্বামী ফুলেন্দু বাবুর দেশের প্রতি আত্মত্যাগের স্মরণে সারন জেলার ছাপরায় এক প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বামীকে হারানোর পর ভেঙে না পড়ে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পূর্বপর্যন্ত ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়ে গিয়েছেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তি ব্যক্তি লাভস ওমেন ২০১৯ অনলাইন এডিটাথনে তৈরিকৃত নিবন্ধ'''নন্দিনী সাহু''' (জন্ম: ২৩ জুলাই ১৯৭৩) একজন ভারতীয় লেখিকা, কবি সাহিত্য সমালোচক। তিনি ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপিকা হিসেবেও কর্মরত আছেন। তিনি ইংরেজি ভাষায় বহু বই লিখেছেন। তার লেখা বই সাহিত্যসমাজে প্রশংসিত হয়ে থাকে। তার লেখা কবিতার ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, এবং পাকিস্তানজুড়ে চাহিদা আছে। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে দুইটি স্বর্ণপদক জিতেছেন।নিখিল ভারত কবিতা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি শিক্ষারত্ন পুরস্কার জিতেছেন। তিনি ষাণ্মাসিক সাময়িকী জার্নাল অব লিটারেচার অ্যান্ড লাঙ্গুয়েজ'' এডিটর ইন চিফ পদেও কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি আরেকটি ষাণ্মাসিক সাময়িকী ''প্যারানোমা লিটারিয়া''র সম্পাদক পদেও কর্মরত আছেন। বর্তমান ভারতের অন্যতম সেরা ইংরেজি ভাষার কবি হিসেবে ধরা হয় তাকে। ==প্রারম্ভিক জীবন== ১৯৭৩ সালের জুলাই মাসের ২৩ তারিখে ভারতের ওডিশা প্রদেশের জি. উদয়গিরিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতামাতা উভয়েই স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তিনি এবং তার পাঁচ বোন কঠোর শাসনে বেড়ে ওঠেন। তিনি নিরঞ্জন মোহান্তির অধীনে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ইন্ডিয়ান ইংলিশ পোয়েট্রি' তে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও 'নেটিভ অ্যামেরিকান লিটারেচার' ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তিনি নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সাথে যুক্ত আছেন। তিনি বিভিন্ন আলোচনা সভাতেও অংশ নিয়ে থাকেন। ==সাহিত্যজীবন== নন্দিনী সাহু অল্প বয়সেই লেখালেখি শুরু করেন। সাত বছর বয়সে ওড়িয়া ভাষায় একটি কবিতা রচনা করেন তিনি। সেই থেকে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তিনি বড়দের জন্য বই লেখার পাশাপাশি শিশুদের জন্যও বই লিখেছেন। ইংরেজি ভাষায় লিখে থাকলেও তার লেখা কবিতা ওড়িয়া ভাষাতে ''নন্দিনী ইন ওড়িয়া'' শিরোনামে অনূদিত হয়েছে। বইটিতে তার লেখা কিছু কবিতা ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। তিনি ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত লোকাচারবিদ্যা সংস্কৃতি গবেষণা বিষয়ের পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি জার্নাল অব লিটারেচার অ্যান্ড লাঙ্গুয়েজ'' এডিটর ইন চিফ পদেও কর্মরত আছেন এবং তিনি ভারত ভারতের বাইরে বহু সেমিনারে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। তার বক্তৃতা দেশ দেশের বাইরে সমাদৃত হয়ে থাকে। তিনি নিয়মিতভাবেই দেশ দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অংশ নিয়ে থাকেন। এছাড়াও ব্লগে লেখালেখি করে থাকেন তিনি। ==উল্লেখযোগ্য গ্রন্থমালা== ===কবিতার বই অন্যান্য=== ''দ্য আদার ভয়েজ, কালেকশন অব পয়েমস''(২০০৪) ''দ্য সাইলেন্স'' (২০০৫) ''সিলভার পয়েমস অব মাই লিপস''(২০০৯) ''সুকামা অ্যান্ড আদার পয়েমস'', দ্য পয়েট্রি সোসাইটি অব ইন্ডিয়া, গুরুগাঁও কর্তৃক প্রকাশিত ''সুবর্ণরেখা'' ''ক্ল্যাসিকাল টেলস'' ''সীতা'' ''জিরো পয়েন্টস: কালেকশন অব পয়েমস'' ===সাহিত্য সমালোচক হিসেবে লিখিত বই=== ''রিকালেকশন অ্যাজ ''পোস্ট মর্ডানিস্ট ডেলিগেশন ইন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং: দ্য কুইক্সওটিক ডিলাগ''(২০০৫) ''দ্য পোস্ট কলোনিয়াল স্পেস: রাইটিং দ্য সেল্ফ অ্যান্ড দ্য নেশন''(২০০৮) ''ফোকলোর অ্যান্ড দ্য অল্টারনেটিভ মর্ডানিটিজ (প্রথম দ্বিতীয় খণ্ড)''(২০১২) ==সম্মাননা== নিখিল ভারত কবিতা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ শিক্ষারত্ন পুরস্কার অর্জন ইংরেজি সাহিত্যে দুইটি স্বর্ণপদক অর্জন বুদ্ধ সৃজনশীল লেখক পুরস্কার অর্জন ২০১৫ সালে পইয়েসিস অ্যাওয়ার্ড অব অর্ডার ইন্টারন্যাশনাল অর্জন ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তি ব্যক্তি জন্ম নারী কবি লাভস ওমেন ২০১৯ অনলাইন এডিটাথনে তৈরিকৃত নিবন্ধ'''শান্তি টিগগা''' ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম মহিলা জওয়ান ছিলেন। তার ফিটনেস দক্ষতা তার পুরুষ সহকর্মীদের ফিটনেস দক্ষতা অতিক্রম করে গিয়েছিল। তিনি নিয়োগ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে 'সেরা প্রশিক্ষণার্থী' নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে মে মাসের ১৩ তারিখে তাকে রহস্যজনকভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। == প্রারম্ভিক জীবন == শান্তি টিগগা এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা থেকে। তিনি এসেছিলেন তফসিলি সম্প্রদায় থেকে। তার পরিবার সমাজের বহু মানুষ প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তিনি বাল্যবিবাহের শিকার ছিলেন। তিনি জীবনের অধিকাংশ সময়েই গৃহিণী মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন। তার দুইটি সন্তান ছিল। ==কর্মজীবন== শান্তি টিগগার স্বামী মারা যাবার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শান্তি টিগগার অবস্থা বিবেচনা করে রেলওয়ে বিভাগে চাকরি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০৫ সালে রেলওয়ে বিভাগে যোগদান করেন শান্তি টিগগা। তিনি জলপাইগুড়ি জেলার চালশা স্টেশনে পাঁচ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি ৯৬৯ রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব টেরিটোরিয়াল আর্মিতে যোগদান করেন। এর পূর্বে বহু মহিলা সেনাবাহিনীর নন কমব্যাট পদে কর্মরত থাকলেও তিনিই প্রথম মহিলা যিনি তের লাখ সদস্য বিশিষ্ট শক্তিশালী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমব্যাট পদে যোগ দিয়েছিলেন। নিয়োগ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তার কর্মক্ষমতা তাক লাগিয়ে দেয় সবাইকে। দেড় কিলোমিটার দৌড়ে তিনি প্রথম হন। নিকটতম পুরুষ প্রতিযোগী থেকে পাঁচ সেকেন্ড কমে দৌড় শেষ করেন তিনি। মাত্র ১২ সেকেন্ডে ৫০ মিটার দৌড় সম্পন্ন করেন তিনি। তিনি লক্ষ্যভেদী প্রতিযোগিতায় অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। তাকে প্রশিক্ষণ শেষে 'সেরা মর্যাদা দেওয়া হয়। ==অপহরণ মৃত্যু== ২০১৩ সালের মে মাসের তারিখে একদল অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী শান্তি টিগগাকে অপহরণ করে। এরপর তাকে রেলওয়ে ট্র‍্যাকে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। আহত শান্তি টিগগাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তার জন্য নিরপত্তা প্রদান করা হয়। ঘটনাটি তদন্ত করা শুরু করে পুলিশ। ২০১৩ সালের মে মাসের ১৩ তারিখে তার কেবিনের স্নানঘর থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কেবিনে থাকা তার পুত্র তার মায়ের স্নানঘর থেকে দীর্ঘক্ষণ বের না হবার বিষয়টা প্রথম খেয়াল করে। অতঃপর স্নানঘরের দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে অভিহিত করে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তি মৃত্যু লাভস ওমেন ২০১৯ অনলাইন এডিটাথনে তৈরিকৃত নিবন্ধএখানে রঙসমূহের একটি আংশিক তালিকা দেয়া হয়েছে। সবগুলো রঙের বাংলা না থাকায় দেয়া যাচ্ছেনা। আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সাহিত্য পরিষদ সম্প্রতি সকল রংয়ের বাংলা নামকরণে উদ্যোগী হয়েছে এবং বেশকিছু নামকরণ করেছে। তালিকাটি নতুন প্রবর্তিত নাম অনুসারে করা হয়েছে। নতুন প্রবর্তিত নামগুলোর পাশে ইংরেজি নামটিও উল্লেখ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে হেক্সাডেসিমাল, সিএমওয়াইকে, আরজিবি এবং এইচএসভি এই চার ফরম্যাটে রঙের সংকেত উল্লেখ করা হয়েছে। প্যানটোন নামে আর একটি বিশেষ রং এর ফরম্যাট ব্যবহার হয়। বহুল ব্যবহৃত সিএমওয়াইকে থেকে আরজিবিতে রুপান্তরের কোন সাধারণ পদ্ধতি উল্লেখিত নেই, তবে গ্রাফিক্স সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে এদের ফরম্যাট বদল করা সম্ভব। তাই যেক্ষেত্রে অনেক উঁচুমানের রঙের সন্নিবেশ দরকার সেক্ষেত্রে এই সংকেতগুলো ব্যবহারে খানিক অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। এখানে রঙসমূহের যে মান দেয়া হয়েছে তা সঠিক। কিন্তু প্রদর্শনের সময় রঙের মধ্যে খানিক ভিন্নতা আসতে পারে। এর কারণ আপনি যে যন্ত্র বা কম্পিউটারটি ব্যবহার করে রঙগুলো দেখছেন তার গামা সংশোধনের পরিমাণ। ==প-ফ== ==ব-ভ== ==ম== ==য== ==র== ==ল== ==শ-ষ== ==স== ==হ== ==আরো দেখুন== *রংয়ের তালিকা: অ-ঔ *রংয়ের তালিকা: ক-ন বিষয়শ্রেণী:রঙ'''অনিতা নায়ার''' (জন্ম ২৬ জানুয়ারি ১৯৬৬) হলেন একজন ভারতীয় ইংরেজি ভাষার লেখিকা। == প্রারম্ভিক জীবন == অনিতা নায়ারের জন্ম কেরালার পালাক্কাড় জেলার শোরানুর গ্রামে। কেরালায় ফিরে আসার আগেই অনিতা চেন্নাই (মাদ্রাজ) থেকে শিক্ষা লাভ করেছিলেন, যেখানে তিনি ইংরেজি ভাষা সাহিত্যে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি তার স্বামী সুরেশ পরমব্রত এবং এক পুত্রের সঙ্গে বেঙ্গালুরু শহরে বসবাস করেন। == কর্মজীবন == অনিতা নায়ার যখন একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় সৃজনশীল পরিচালক হিসেবে বেঙ্গালুরু শহরে কাজ করছিলেন তখনই তিনি তার প্রথম বই ''সাট্যার অব দ্য সাবওয়ে'' নামে ছোট গল্প সংকলন লিখেছিলেন, যেটা তিনি হর-আনন্দ প্রেসকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। বইটির জন্যে তিনি ভার্জিনিয়া সেন্টার ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস থেকে ফেলোশিপ জিতেছেন। == গ্রন্থপঞ্জি == ''সাবওয়ে এবং সাতটি অন্যান্য গল্পের সাতটি'' 1997, ''দ্য বেটার ম্যান'' নিউ দিল্লি; লণ্ডন পেঙ্গুইন বই, 1999। আইএসবিএন 9780140293203 ''মহিলা কুপে'' 2001। আইএসবিএন 9780099428978 ''মালবাবর মন কবিতা'' কালিকুট তিথি বই, ২00২। আইএসবিএন 9788188330003 ''কোথায় বৃষ্টি জন্ম হয় কেরালা'' (সম্পাদক) 2003 এর ''লেখা'' ''পুফিন বুক অফ ওয়ার্ল্ড ম্যথস অ্যান্ড লেজেন্ডস'' 2004 ''মেস্ট্রেস'' 2005। আইএসবিএন 9780144000333 ''নুনুর এডভেন্ঞার ট্যুরিজম, স্কেটিং স্কিরিল'' ২006। আইএসবিএন 9788129108920 ''জীবিত পরবর্তী দরজা বাস'' 2007।'''যাত্রা শুরু''' ('''Jatra Shuru''') ভূমি ব্যান্ডের প্রথম আলবাম। এটিতে মোট ১০ টি গান আছে। পরবর্তীকালে এই ব্যান্ডটি পশ্চিমবঙ্গে খুবই সুনাম অর্জন করে। পশ্চিমবঙ্গের বহুল বিক্রিত আলবাম গুলিত মধ্যেও এটি বিবেচিত হয়। ==গান গুলি== ''পঁচা কাকা'' ''দিলদরিয়া রে'' ''বারান্দায় রোদ্দুর'' ''কাম সারসে'' ''মধুর মধুর চাউনি'' ''রঙ্গিলা রে'' ''কান্দে শুধু মন'' ''মনে আর নাইরে'' ''দুস্টু হাওয়া'' ''চোখের দেশে'' ==তথ্যসূত্র== (ব্যান্ড) আলবাম'''এডওয়ার্ড রিগান মার্ফি''' (; জন্ম: এপ্রিল ১৯৬১) হলেন একজন মার্কিন কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, গায়ক চলচ্চিত্র প্রযোজক। মার্ফি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ''স্যাটারডে নাইট লাইভ'' অনুষ্ঠানের নিয়মিত অভিনয়শিল্পীদের একজন ছিলেন। তিনি স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা হিসেবে অসংখ্য কাজ করেছেন এবং কমেডি সেন্ট্রাল-এর সর্বকালের সেরা স্ট্যান্ড-আপস তালিকায় তার অবস্থান ১০। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মার্ফি একটি একাডেমি পুরস্কার একটি বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন এবং পাঁচটি মনোনয়ন থেকে একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার দুটি মনোনয়ন থেকে একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি ''ফোর্টি এইট আওয়ার্স'' (১৯৮২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা নবাগত অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন এবং ''ট্রেডিং প্লেসেস'' (১৯৮৩), ''বেভারলি হিল কপ'' (১৯৮৪) ''দ্য নাটি প্রফেসর'' (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০১ সালে ''শ্রেক'' চলচ্চিত্রে ডঙ্কি চরিত্রে কণ্ঠ প্রদান করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এখন পর্যন্ত মার্ফিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কণ্ঠ অভিনয়ের জন্য বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৬ সালে ''ড্রিমগার্লস'' চলচ্চিত্রে গায়ক জেমস "থান্ডার" আর্লি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত একটি তারকা খচিত হয়। ২০১৫ সালে জন এফ. কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফরমিং আর্টস তাকে মার্কিন হাস্যরসের জন্য মার্ক টোয়াইন পুরস্কারে ভূষিত করে। ==প্রারম্ভিক জীবন== মার্ফি ১৯৬১ সালের ৩রা এপ্রিল নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা লিলিয়ান (লেনি) একজন টেলিফোন অপারেটর এবং পিতা চার্লস এডওয়ার্ড মার্ফি একজন ট্রানজিট পুলিশ কর্মকর্তা অপরিপক্ক অভিনেতা কৌতুকাভিনেতা ছিলেন। তার বড় ভাই কৌতুকাভিনেতা চার্লি মার্ফি (১৯৫৯-২০১৭)। ১৯৬৯ সালে তার যখন আট বছর বয়স, তখন তার পিতা মারা যান। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন কৌতুকাভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন গায়ক বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন লেখক বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন কৌতুকাভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন গায়ক বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন লেখক অভিনেতা কৌতুকাভিনেতা গায়ক বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির কৌতুকাভিনেতা বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির চলচ্চিত্র প্রযোজক বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির সঙ্গীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:নিউ ইয়র্ক সিটির লেখক কণ্ঠ অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা গায়ক-গীতিকার পুরুষ চিত্রনাট্যকার স্কেচ কৌতুকাভিনেতা স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেতা চলচ্চিত্র) বিজয়ী অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা পার্শ্ব অভিনেতা চলচ্চিত্র) বিজয়ী পুরস্কার বিজয়ী'''মুন্সী রইসউদ্দনি''' (১৯০১-১৯৭৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতজ্ঞ, কন্ঠশিল্পী, লেখক। ১৯৮৬ সালে সঙ্গীতে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। == প্রাথমিক জীবন == রইসউদ্দিন ১৯০১ সালে মাগুরা জেলার নাকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুন্সি আব্বাসউদ্দিন ছিলেন একজন ক্লাসিক্যাল গায়ক। ফুফাতো ভাই শামসুল হকের কাছে তিনি প্রাথমিক সঙ্গীতশিক্ষা নেন। == কর্মজীবন == ম্যাট্রিক পাশ করার পর রইসউদ্দিন চাকরির জন্য কলকাতা যান। সেখান তিনি চাকরি করেন এবং পাশাপাশি প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ রাসবিহারী মল্লিকের নিকট ১২ বছর ধ্রুপদ খেয়ালে শিক্ষা নেন। ১৯৩৮ সালে তিনি প্রথম কলকাতা বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে রইসউদ্দিন ঢাকা বেতারে কাজ শুরু করেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রবেশিকা সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমীর সহঅধ্যক্ষ এবং ১৯৬৪ সালে অধ্যক্ষ হন। == কাজ == সরল সঙ্গীত সার-সংগ্রহ, ছোটদের সারেগামা, অভিনব শতরাগ, সঙ্গীত পরিচয়, রাগ লহরী, গীত লহরী == পুরস্কার সম্মাননা == সঙ্গীতে তার গবেষণা জন্য তিনি আদমজী পুরস্কার পান। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরোনোত্তর একুশে পদক প্রদান করে। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু পুরুষ সঙ্গীতজ্ঞ পদক বিজয়ী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপক জেলার ব্যক্তিঅচিন্ত্য অতিন্ত্য( '''Atintya)''' সংস্কৃত "ধারণাতীত", "অকল্পনীয়") বা তুংগাল ('''Tunggal)''' বালিনীয় "ঐক্য", "ডিভাইন একত্ব") জগদীশ্বর হিন্দুধর্মের ঈশ্বর (আনুষ্ঠানিকভাবে '''''আগাম হিন্দু ধর্ম''''' নামে পরিচিত), বিশেষত বালি দ্বীপে। তিনি ভারতীয় হিন্দুধর্মের ব্রহ্মার সমতুল্য এবং ঐতিহ্যবাহী ওয়ায়াং ছায়া পুতুল নাটকে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈশ্বর। তিনি সাং হ্যাং ওয়িধি ওয়াসা ('''Sang Hyang Widhi Wasa)''' ,সাঙ্ঘ্যাং ওয়িধি ওয়াসা ('''Sanghyang Widi Wasa)''' ("ডিভাইন অর্ডার") নামেও পরিচিত। সমস্ত দেবতা, দেবী এবং অস্তিত্ব বালিয় হিন্দুধর্মের মতে অচিন্ত্যের প্রকাশ হিসাবে বিশ্বাস করা হয়। == ভূমিকা == অচিন্ত্যের খালি সিংহাসন বালিতে তিনি অদ্বৈতবাদের অনুরুপ, যা অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা একজন এবং অন্যান্য দেবতারা শুধুমাত্র তার প্রকাশ অচিন্ত্য শূন্যতা এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি হিসাবে বিবেচিত। তার থেকে উৎপন্ন অন্যান্য সমস্ত দেবতা। প্রায়শই সূর্য দেবতার সাথে তার তুলনা হয় এবং মানুষের রূপে চিত্রিত হন ।তাঁর চারপাশে থাকে অগ্নিশিখা তার নগ্নতা প্রকাশ করে যে "তার চেতনা আর তার অনুভূতি দ্বারা অনুভূত হয় না"। প্রার্থনা এবং অর্চনা সরাসরি অচিন্ত্যকে নয়, বরং দেবতার অন্যান্য প্রকাশের জন্য করা হয়। তিনি প্রায়শই প্রতিনিধিত্ব করেন ন। সে ক্ষেত্রে বালিয় মন্দিরের ভিতরে কেবল খালি সিংহাসনের পিছনে একটি স্তম্ভের উপরে চিত্রিত হন ''পদ্মসানা'' "লোটাস সিংহাসন")। সৃষ্টিকর্তার পূজাবেদী হিসেবে পদ্মাসনের প্রবর্তন, একটি ১৬ শতকের হিন্দু সংস্কার আন্দোলনের ফল। যার নেতৃত্বে ছিলেন গেল্গেল রাজা বাতু ওয়াতুরেংগং) পুরোহিত দাঙ্গ হায়ং নিরর্থ (Dang Hyang Nirartha) যখন ইসলাম জাভার মাধ্যমে পশ্চিম থেকে ছড়িয়ে পড়ছিল। দাঙ্গ হায়ং নিরর্থ বালিতে অনেক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এবং তিনি যে মন্দিরগুলি পরিদর্শন করেছিলেন ''সেগুলিতে পদ্মাসন'' মন্দির যোগ করেছিলেন। == রাজনৈতিক দিক == অচিন্ত্যের মূর্তি, বালি যাদুঘর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে এবং ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র ''পঞ্চাশিলার'' রাজনৈতিক দর্শন (আক্ষরিক অর্থে "পাঁচটি নীতি") গ্রহণ করে, যা ধর্মের স্বাধীনতা দেয়। অনুযায়ী কোন ধর্মকে অবশ্যম্ভাবীরূপে একক, সর্বশক্তিমান দেবতার বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একেশ্বরবাদী হওয়া প্রয়োজন। এই ব্যবস্থার অধীনে, ছয় ধর্মকে স্বীকৃত করা হয়: ইসলাম বৌদ্ধ ক্যাথলিক হিন্দুধর্ম এবং পরে কনফুসিয়ানবাদ এই বিধান মেনে চলার জন্য, বালিয় হিন্দুরা একেশ্বরবাদী বিশ্বাসের উপাদানকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এক্ষেত্রে অচিন্ত্য আরো জোরপূর্বক ভূমিকা পালন করে। তাকে বোঝানোর জন্য, তারা '''সাং হায়াং উইদি ভাসা''' ("ঈশ্বর সর্বশক্তিমান" হিসাবে অভিহিত) শব্দটি বেছে নিয়েছিল। যদিও খ্রিস্টান ঈশ্বরের বর্ণনা করার জন্য প্রোটেস্ট্যান্ট মিশনারিরা ১৯৩০ সালে শব্দটি তৈরি করেছিল। তবু হিন্দু সৃষ্টিকর্তার বর্ণনা করার জন্য এটি উপযুক্তভাবে অভিযোজিত ছিল বলে মনে করা হয়। এইভাবে এই নামটি এখন আধুনিক বালিয়দের দ্বারা আরও বেশি ব্যবহৃত হয়। == আরো দেখুন == ভগবান ব্রহ্মা ইন্দোনেশিয়াতে হিন্দুধর্ম হায়াং == তথ্যসূত্র == হিন্দুধর্ম ধর্ম দেবদেবী'''অ্যাস্তর''' () পাকিস্তানের প্রদেশের দশটি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা। জেলাটিতে অ্যাস্তর উপত্যকা রয়েছে (অ্যাস্তর শহরে অবস্থিত)। ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী জেলাটির পশ্চিমে ডায়মার জেলা (যেটি ২০০৪ সালে আলাদা করা হয়েছিল), পূর্ব দিকে গিলগিত জেলা, পূর্বে স্কার্দু জেলা দক্ষিণে এবং আজাদ কাশ্মিরের নীলাম জেলার সীমানা ঘিরে রেখেছে। ১৯৯৮ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুসারে অ্যাস্তর জেলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭১,৬৬৬ জন। ==উপত্যকা== অ্যাস্তর উপত্যকাটি ৫,০৯২ বর্গ কিমি এবং ২৬০০ মিটার উচ্চতা অবস্থান করে গঠিত হয়েছে। ==জলবায়ু== অ্যাস্তর উপত্যকায় গ্রীষ্মকালে মাঝারি জলবায়ু বিরাজমান। শীতকালে এটি প্রধান উপত্যকায় ইঞ্চি (১৫ সেমি) এবং পাহাড়ী অঞ্চলে ২-৩ ফুট (৬০-৯০ সেমি) পর্যন্ত বরফ পড়ে জমা হতে পারে। মিরমালিক উপত্যকায় এটি ফেব্রুয়ারিতে ফুট (১.৮ মিটার) পর্যন্ত তুষারপাত হয়ে থাকে। ==ভাষা== উপত্যকায় কথিত প্রধান ভাষা বা মাতৃভাষা হচ্ছে শিনা। পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা উর্দু এখানে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলটিতে ব্যবহৃত শিনের বিভিন্ন উপভাষা প্রচলিত রয়েছে। যেহেতু গ্রীষ্মকালীন মাসগুলিতে অ্যাস্তরে বেশকিছু পর্যটন এলাকা রয়েছে, যেমান: তারাশিং বা অস্টোরের স্থানীয় অঞ্চল। পর্যটন এলাকা হিসেবে এখানকার পুলিশ ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে পারে। ==তথ্যসূত্র== জেলা প্রদেশের জেলা'''ভূত পুলিশ''' একটি আসন্ন ভৌতিক চলচ্চিত্র, যেটিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান, ফাতিমা সানা শেখ আলী ফজল। আসন্ন হিন্দি চলচ্চিত্রটি ফক্স স্টার স্টুডিওজের ব্যানারে পবন কিরপালানি কর্তৃক পরিচালিত হবে। চলচ্চিত্রটি ২০১৯ সালে মুক্তি পাবে। == অভিনয়ে == সাইফ আলী খান ফাতেমা সানা শেখ আলী ফজল ==তথ্যসূত্র== চলচ্চিত্র ভাষার চলচ্চিত্র'''অ্যানি বেসান্ত''', ''বিবাহপূর্ব'' '''উড''' (১লা অক্টোবর ১৮৪৭ ২০শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৩), একজন প্রাক্তন ব্রিটিশ সমাজতান্ত্রিক, ব্রহ্মজ্ঞানী, নারী অধিকার আন্দোলনকারী, লেখক, বাগ্মী, এবং আইরিশ ভারতীয় স্বায়ত্ব শাসনের সমর্থক। ১৮৬৭ সালে, ২০ বছর বয়সে, অ্যানি, ফ্রাংক বেসান্তকে বিবাহ করেন। ফ্রাংক একজন ধর্মপ্রচারক ছিলেন, তাদের দুটি সন্তান ছিল। তবে, অ্যানির ক্রমবর্ধমান অচিরাচরিত ধর্মীয় মতামতের ফলে মতবিরোধ হয়ে ১৮৭৩ সালে তাদের আইনী বিচ্ছেদ ঘটে। তখন তিনি ন্যাশনাল সেকুলার সোসাইটির (এনএসএস) একজন বক্তা, একজন লেখক এবং চার্লস ব্র্যাডলফ এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। ১৮৭৭ সালে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ অভিযানকারী চার্লস নোল্টনের একটি বই প্রকাশ করে তারা অভিযুক্ত হন। এই বিতর্ক তাদের বিখ্যাত করে তোলে, এবং পরবর্তীতে, ১৮৮০ সালে, ব্র্যাডলফ নর্থাম্পটনের এমপি নির্বাচিত হন। তারপরে, তিনি ইউনিয়নের কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তার কাজের মধ্যে ছিল রক্তাক্ত রবিবার প্রদর্শন এবং ১৮৮৮ সালের লন্ডন দেশলাই কারখানা কর্মী ধর্মঘট। তিনি ফেবিয়ান সোসাইটি এবং মার্কসবাদী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক ফেডারেশন (এসডিএফ) উভয়ের পক্ষে একজন স্বনামধন্য বক্তা ছিলেন। তিনি টাওয়ার হ্যামলেট্‌স এর জন্য লন্ডন স্কুল বোর্ডে নির্বাচিত হন। যদিও সেই সময়ে অল্প সংখ্যক মহিলাই ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হতেন, তবুও তিনি ভোট পর্বে শীর্ষস্থান লাভ করেন। ১৮৯০ সালে, বেসান্তের সঙ্গে হেলেনা ব্লাভাৎস্কির দেখা হয়, এবং পরবর্তী কয়েক বছরে ব্রহ্মজ্ঞানে তার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, এবং ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ে তার আগ্রহ কমতে থাকে। তিনি ব্রহ্মজ্ঞানী সমাজের সদস্য হন। এবং এই বিষয়ে এক জন বিশিষ্ট বক্তা হয়ে ওঠেন। তার ব্রহ্মচর্চা সম্পর্কিত কাজের অংশ হিসাবে, তিনি ভারতে আসেন। ১৮৯৮ সালে, তিনি কেন্দ্রীয় হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছিলেন, এবং ১৯২২ সালে, তিনি ভারতের মুম্বইতে হায়দ্রাবাদ (সিন্ধু) জাতীয় কলেজিয়েট বোর্ড প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন। ১৯০২ সালে, তিনি আন্তর্জাতিক অর্ডার অফ প্রথম বিদেশী লজ ''লা ড্রোয়া হুমাঁ'' প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী কয়েক বছরে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অনেক অংশে লজ স্থাপন করেন। ১৯০৭ সালে তিনি ব্রহ্মজ্ঞানী সমাজের সভাপতি হন। তখন এর আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর ছিল মাদ্রাজের আদিয়ার। তিনি ভারতীয় রাজনীতিতেও যুক্ত হয়ে পড়েন, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে, তিনি ভারতে গণতন্ত্রের প্রচারের জন্য এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্য মধ্যেই কর্তৃত্ব পেতে, হোম রুল লীগ চালু করতে সহায়তা করেছিলেন। এর ফলে, ১৯১৭ এর শেষের দিকে তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯২০ এর শেষ দিকে, বেসান্ত তার আশ্রিত এবং দত্তক পুত্র জিদ্দু কৃষ্ণমূর্তিকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন, যাঁকে তিনি দাবি করেন নতুন মেসায়া এবং বুদ্ধের অবতার বলে। কৃষ্ণমূর্তি ১৯২৯ সালে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে, ১৯৩৩ সালে তার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত, তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা এবং থিওসফির কারণগুলির জন্য প্রচার চালিয়ে যান। তার উদ্দেশ্য পূরণের প্রধান উপায় হিসাবে তিনি বেনারসে কেন্দ্রীয় হিন্দু স্কুলটি শুরু করেন। ==প্রথম জীবন== সিবসিতে সেন্ট মার্গারেটের গির্জা, যেখানে ফ্রাঙ্ক বেসান্ত পল্লীযাজক ছিলেন, ১৮৭১-১৯১৭ অ্যানি উড ১৮৪৭ সালে, লন্ডনে, এক মধ্যবিত্ত আইরিশ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে গর্ব অনুভব করতেন এবং তার জীবন জুড়ে আইরিশ স্বায়ত্ব-শাসন সমর্থন করেছিলেন। তার পাঁচ বছর বয়সে, তাদের পরিবারকে প্রায় কপর্দকশূণ্য অবস্থায় রেখে তার বাবা মারা যান। হ্যারো স্কুলে ছেলেদের জন্য একটি বোর্ডিং চালিয়ে তার মা পরিবারের ভরনপোষণ করতেন। যাইহোক, তিনি অ্যানির খরচ চালাতে পারেননি এবং তার বন্ধু এলেন ম্যারিয়াতকে তার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। যাতে তিনি ভালো শিক্ষা পান, তা ম্যারিয়াত নিশ্চিত করেছিলেন। অ্যানিকে সমাজের প্রতি কর্তব্যের দৃঢ় অনুভূতি দেওয়া হয়েছিল এবং স্বাধীন নারী অর্জন কি করতে পারে তার শক্তিশালী ধারণা দেওয়া হয়েছিল। একজন যুবতী হিসাবে, তিনি ইউরোপে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করতে সক্ষম ছিলেন। সেখানে তিনি রোমান ক্যাথলিকদের যুক্তি এবং অনুষ্ঠান পালনকে অনুভব করেছিলেন যা তিনি চিরকাল মেনে চলেছেন। ১৮৬৭ সালে কুড়ি বছর বয়সে, তিনি, ওয়াল্টার বেসান্তের ছোট ভাই, ২৬ বছর বয়সী পাদরী ফ্রাঙ্ক বেসান্তকে (১৮৪০-১৯১৭) বিবাহ করেন। তিনি একজন বিলাতী ধর্মপ্রচারক ছিলেন এবং অ্যানির অনেক উদ্বেগ ভাগ করে নিতেন। তার বিয়ের প্রাক্কালে, তিনি ম্যানচেস্টারে বন্ধুদের কাছে গিয়ে আরো বেশি রাজনীতিক হয়ে ওঠেন। বন্ধুরা তাকে ইংরেজ মৌলবাদ এবং আইরিশ প্রজাতান্ত্রিক ফেনিয়ান ব্রাদারহুডএর ম্যানচেস্টার শহীদদের সংস্পর্শে আনেন, পাশাপাশি শহুরে দরিদ্র অবস্থার সঙ্গেও তার পরিচয় করান। অ্যানি বেসান্ত সিবসেতে ফ্রাঙ্ক বেসান্তের কবর, যেখানে তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত যাজক ছিলেন শীঘ্রই ফ্রাঙ্ক লিংকনশায়ারের সিবসেতে যাজক হয়ে গেলেন। অ্যানি তার স্বামীর সঙ্গে সিবসেতে আসেন, এবং কয়েক বছরের মধ্যে তাদের দুটি সন্তান হয়, আর্থার এবং মাবেল; যাইহোক, তাদের খুব শীঘ্রই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অ্যানি তার ''আত্মজীবনী''তে লিখেছেন, "আমাদের জুটির মিল হয়নি"। তাদের প্রথম দ্বন্দ্ব এসেছিল অর্থ এবং অ্যানির স্বাধীনতা নিয়ে। অ্যানি ছোট গল্প, শিশুদের জন্য বই, এবং নিবন্ধ লিখতেন। যেহেতু বিবাহিত মহিলাদের সম্পত্তি মালিকানার আইনি অধিকার ছিল না, তার অর্জিত সমস্ত টাকা ফ্রাঙ্ক নিয়ে নিতেন। রাজনীতি এই দম্পতিকে আরও বিভক্ত করে দিল। অ্যানি কৃষকদের সহায়তা দিতে শুরু করেছিলেন। এই কৃষকেরা জোটবদ্ধ হবার জন্য এবং ভাল অবস্থা পাবার জন্য লড়াই করছিলেন। ফ্রাঙ্ক একজন টরি হিসাবে জমিদারদের পক্ষে ছিলেন। অ্যানি যখন কমিউনিয়নে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান তখন তার ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। ১৮৭৩ সালে তিনি তাকে ছেড়ে লন্ডনে ফিরে আসেন। তারা আইনত আলাদা হয়ে যান এবং অ্যানি তার সঙ্গে তার মেয়েকে নিয়ে আসেন। বেসান্ত তার নিজের বিশ্বাসকে নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন। তিনি পরামর্শের জন্য নেতৃস্থানীয় পাদ্রীদের কাছে যান, ইংল্যান্ডের চার্চের অক্সফোর্ড আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে একজন এডওয়ার্ড বুভেরি পুসের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি যখন তাকে তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কিছু বই এর সুপারিশ করতে বললেন, তখন তিনি তাকে বলেন যে তিনি আগেই অনেক পড়ে নিয়েছেন। বেসান্ত ফ্রাংকের কাছে গিয়ে বিবাহ টিঁকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা করলেন, কিন্তু তা সফল হলনা। তিনি অবশেষে লন্ডনে ফিরে গেলেন। ==বার্কবেক== ১৮৮০ এর দশকের শেষের দিকে তিনি বার্কবেক সাহিত্য বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তার ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে বিপদাশঙ্কা তৈরী হয়। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের গভর্নরেরা তার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ আটকে দিতে চেয়েছিলেন। ==সংস্কারক এবং ধর্মনিরপেক্ষ== অ্যানি বেসান্ত ১৮৮০র দশক তিনি কারণের জন্য লড়াই করেছেন, তার চিন্তা ভাবনা সঠিক ছিল, চিন্তার স্বাধীনতা থেকে শুরু করে, নারীর অধিকার, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, ফ্যাবিয়ান সমাজতন্ত্র এবং শ্রমিকের অধিকার, সবই। তিনি চার্লস ব্র্যাডলফএর মতই জাতীয় ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ এবং সাউথ প্লেস এথিকাল সোসাইটির নেতৃস্থানীয় সদস্য ছিলেন বিবাহবিচ্ছেদ ফ্রাঙ্কের জন্য অবিশ্বাস্য ছিল, এবং এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগালের মধ্যেও ছিল না। অ্যানিকে তার সারা জীবন শ্রীমতি বেসান্ত হয়েই থাকতে হয়েছিল। প্রথমদিকে, তিনি উভয় সন্তানের সাথেই যোগাযোগ রাখতে পেরেছিলেন এবং মাবেল তার সাথেই বসবাস করত; তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে অল্প কিছু টাকাও পেতেন। ফ্রাঙ্ক বেসান্তকে ছেড়ে বেরিয়ে এসে, এবং চিন্তার নতুন স্রোতের দিকে উন্মুক্ত হয়ে, তিনি কেবল তার দীর্ঘস্থায়ী ধর্মীয় বিশ্বাসগুলিই নয়, বরং সমগ্র প্রচলিত চিন্তাভাবনাগুলি নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। তিনি গির্জাকে আক্রমণ করে এবং কিভাবে তারা মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে তা নিয়ে লিখতে শুরু করলেন। বিশেষ করে তিনি ইংল্যান্ডের চার্চকে আক্রমণ করে লিখেছিলেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বাসের ধারক হিসাবে। শীঘ্রই তিনি, এনএসএস এর সংবাদপত্র ''জাতীয় সংস্কারক'' এর জন্য লিখে সাপ্তাহিক মজুরি উপার্জন করা শুরু করলেন। এনএসএস একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তৈরীর উদ্দেশ্যে এবং খ্রিস্টানদের বিশেষ অবস্থা দেওয়ার বিরুদ্ধে সওয়াল করে এবং তাকে প্রবক্তা হিসাবে কাজ করার অনুমতি দেয়। জনতার মাঝে বক্তৃতা ভিক্টোরীয় যুগে খুব জনপ্রিয় বিনোদন ছিল। বেসান্ত সুবক্তা ছিলেন, এবং শীঘ্রই তার চাহিদা বেড়ে গেল। রেল ব্যবহার করে, তিনি দেশ জুড়ে ঘুরে বেড়াতেন, দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সব কথা বলতেন, সবসময় উন্নতি, সংস্কার এবং স্বাধীনতার দাবি করতেন। বহু বছর ধরে বেসান্ত ন্যাশনাল সেকুলার সোসাইটির নেতা, চার্লস ব্র্যাডলফ এর বন্ধু ছিলেন। প্রাক্তন সৈনিক ব্র্যাডলফ, বহুদিন থেকে বিবাহ বিচ্ছিন্ন ছিলেন; বেসান্ত তার তার মেয়েদের সাথে থাকতেন, এবং তারা অনেক প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করতেন। তিনি একজন নাস্তিক এবং একজন গণপ্রজাতন্ত্রী ছিলেন; তিনি নর্থাম্পটন সংসদ সদস্য (এমপি) হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমেরিকান জন্ম নিয়ন্ত্রণ অভিযানকারী চার্লস নোল্টন এর একটি বই ''ফ্রুটস অফ ফিলোসফি'' ১৮৭৭ সালে প্রকাশ করে, বেসান্ত এবং ব্র্যাডলফের নাম ঘরে ঘরে চর্চিত হতে থাকে। এতে দাবি করা হয়েছিল যে, শ্রমিক পরিবার কত সন্তান চায়, তা নির্ধারণ করতে না পারলে তারা কখনই সুখী হতে পারে না। এটিতে তাদের পরিবার ছোট রাখার উপায়ও বলা হয়েছিল। নোল্টনের বই অত্যন্ত বিতর্কিত ছিল, এবং গির্জাগুলি জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করেছিল। বেসান্ত ব্র্যাডলফ ''জাতীয় সংস্কারক''এ বলেন: আমরা নৈতিকভাবে প্রতিরক্ষা করতে পারি না এমন কিছুই আমরা প্রকাশ করতে চাই না। আমরা যা প্রকাশ করি তাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। তাদের দুজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং নোল্টনের বই প্রকাশের জন্য তারা বিচারের সম্মুখীন হন। তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়, কিন্তু আবেদনের ভিত্তিতে ছাড়া হয়। বিরোধিতার সঙ্গে সঙ্গে বেসান্ত ব্র্যাডলফ, লিবারেল প্রেসে, ব্যাপক সমর্থনও পেয়েছিলেন। চিঠিপত্রে এবং মতামত বিভাগে, এবং এর সঙ্গে আদালতেও যুক্তি পাল্টা যুক্তি চলতে থাকে। বিচারের সময় মলথুসিয়ান লীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেসান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই লীগ, গর্ভনিরোধের প্রচারে যে জরিমানা করা হ্ত তা বিলুপ্তির জন্য প্রচার চালাতে থাকে। কিছু সময়ের জন্য, মনে হচ্ছিল তাদের কারাগারে যেতে হবে। শেষ পর্যন্ত, অভিযোগগুলি যথাযথভাবে সাজানো হয়নি, এই প্রযুক্তিগত বিন্দুতে, মামলাটি রদ হয়ে যায়। এই ঘটনার ফলে বেসান্তের কাছ থেকে বাচ্ছাদের হেফাজত হাতছাড়া হয়। তার স্বামী আদালতকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে, অ্যানি তাদের যত্ন নেওয়ার যোগ্য নন, এবং বাচ্ছাদের স্থায়ীভাবে তাকে হস্তান্তর করা হয়। ৬ই মার্চ ১৮৮১ সালে, তিনি, লীসেস্টারের হাম্বারস্টোন গেটে, লীসেস্টার সেকুলার সোসাইটির নতুন সেক্যুলার হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অন্যান্য বক্তারা ছিলেন জর্জ জেকব হোলিওক, হ্যারিয়েট এবং চার্লস ব্র্যাডলফ। ব্র্যাডলফের রাজনৈতিক সম্ভাবনা নোল্টন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি এবং ১৮৮১ সালে তিনি সংসদে নির্বাচিত হন। তার নাস্তিকতার জন্য, আনুগত্যের শপথের পরিবর্তে তিনি নিশ্চিতকরণ করার অনুমতি চান। যখন নিশ্চিতকরণ প্রত্যাখ্যান করা হয়, ব্র্যাডলফ শপথ নিতে রাজি হন। কিন্তু এই বিকল্পটিকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। যদিও অনেক খ্রিস্টান ব্র্যাডলফের কথা শুনে বিস্মিত ছিল, অন্যরা (যেমন উদার নেতা গ্ল্যাডস্টোন) বিশ্বাসের স্বাধীনতার জন্য কথা বলেছিলেন। উপ-নির্বাচনের এবং আদালতে উপস্থিতির ধারাবাহিকতার পর বিষয়টি মিটতে (ব্র্যাডলফের পক্ষে) ছয় বছরেরও বেশি সময় নেয়। এর মধ্যে, বেসান্ত আইরিশ হোম রুলার্স দের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে যান এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার সংবাদপত্রে তাদের সমর্থন করতে থাকেন। এই সময় আইরিশ জাতীয়তাবাদীরা উদারপন্থী এবং মৌলবাদীদের সাথে একটি জোট গঠন করেন। বেসান্ত আইরিশ হোম রুল আন্দোলনের নেতাদের সাথে দেখা করেন। বিশেষ করে, যিনি ভূমিযুদ্ধের মাধ্যমে, জমিদারদের বিরুদ্ধে সরাসরি সংগ্রামে, আইরিশ কৃষককে সংগঠিত করতে চেয়েছিলেন, সেই মাইকেল ডেভিটের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি পরবর্তী কয়েক দশক ধরে ডেভিট এবং তার ল্যান্ড লীগের পক্ষে অনেকবার বলেছিলেন এবং লিখেছিলেন। যাইহোক, ব্র্যাডলফের সংসদীয় কাজ ধীরে ধীরে বেসান্তকে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করে। সংসদীয় রাজনীতিতে নারীর কোনো অংশ থাকত না। বেসান্ত আসল রাজনৈতিক নির্গমপথ খুঁজছিলেন, যেখানে একজন বক্তা, লেখক এবং সংগঠক হিসাবে তার দক্ষতা কিছু বাস্তব ভাল কাজ করতে পারবে। ==রাজনৈতিক সক্রিয়তা== বেসান্তের কাছে, রাজনীতি, বন্ধুত্ব ভালবাসা সবসময় ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত ছিল। লন্ডনে বসবাসরত সংগ্রামরত তরুণ আইরিশ লেখক জর্জ বার্নার্ড শ', এবং ফেবিয়ান সোসাইটির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তার মধ্যে সমাজতন্ত্রের বীজ বপন করেছিল। অ্যানি শ'এর কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং ১৮৮০র দশকের প্রথম দিকে তার ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। শ'কে তার সাথে বসবাসের আমন্ত্রণ করে, প্রথম পদক্ষেপটি করেছিলেন বেসান্ত। এটি শ' প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কিন্তু তিনিই বেসান্তকে ফেবিয়ান সোসাইটিতে যোগ দিতে সাহায্য করেছিলেন। প্রথম দিকে, রাজনৈতিক পুঁজিবাদী বিকল্প ব্যবস্থার পরিবর্তে সমাজটি আধ্যাত্মিক ব্যাক্তিদের একত্রিত করছিল। বেসান্ত ফেবিয়ানদের জন্য লিখতে শুরু করলেন। এই নতুন গৃহীত দায়িত্ব এবং শ'এর সঙ্গে তার সম্পর্ক বেসান্তের সঙ্গে ব্র্যাডলফের, যিনি যেকোন ধরনের সমাজতন্ত্রের বিরোধিতা করতেন, মধ্যে দূরত্ব রচনা করল। যদিও ব্র্যাডলফ যেকোন মূল্যে বাকস্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে ছিলেন, কিন্তু তিনি শ্রমিকশ্রেণির জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করার বিষয়ে খুব সতর্ক ছিলেন। বেকারত্ব ছিল সে সময়ের একটি কেন্দ্রীয় বিষয়, এবং ১৮৮৭ সালে লন্ডনের কিছু বেকার ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। ১৩ই নভেম্বরের সভায় বক্তব্য রাখতে রাজি হন বেসান্ত। পুলিশ জমায়েতকে আটকানোর চেষ্টা করে, লড়াই শুরু হয়, এবং সৈন্য ডাকা হয়। অনেকে আহত হন, একজন মারা যান, এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়; বেসান্ত নিজেই গ্রেফতার বরণ করতে যান, কিন্তু পুলিশ তা স্বীকার করেনি। ঘটনাটি একটি সংবেদন তৈরি করে, এবং রক্তাক্ত রবিবার হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে। বেসান্তকে এর জন্য ব্যাপকভাবে দায়ী করা বা তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তিনি কারাগারে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য আইনি সহায়তা আয়োজনে এবং তাদের পরিবারের জন্য সমর্থন দেওয়ার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ব্র্যাডলফ তার সাথে বিচ্ছেদ ঘটান, কারণ তার মনে হয়েছিল যে, সভায় এগিয়ে যাওয়ার আগে বেসান্তের তার পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল। এই সময়ে তার আরেকটি কার্যকলাপ ছিল ১৮৮৮ সালের লন্ডন দেশলাই কারখানা কর্মী ধর্মঘট। তিনি তরুণ সমাজতান্ত্রিক, হার্বার্ট বারোজ দ্বারা এই "নতুন ইউনিয়নবাদ" আকৃষ্ট হয়েছিলেন। তিনি বো, লন্ডনএর ব্রায়ান্ট এবং মে এর দেশলাই কারখানা কর্মীরা, যারা প্রধানত তরুণী ছিল এবং খুব সামান্য বেতন পেত, তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তারাও হাড় ক্ষয়ের ফসসি চোয়ালএর মত শিল্প সংক্রান্ত অসুস্থতার শিকার ছিল। এটি দেশলাই উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্বারা সৃষ্ট হত। কিছু দেশলাই কর্মী, ইউনিয়ন গড়ে তোলার জন্য, বারোজ এবং বেসান্তের সাহায্য চেয়েছিল। ==তথ্যসূত্র== ==আরো পড়ুন== Briggs, Julia. ''A Woman of Passion: The Life of E. Nesbit''. New Amsterdam Books, 2000, 68, 81-82, 92-96, 135-139 Chandrasekhar, S. ''A Dirty, Filthy Book: The Writing of Charles Knowlton and Annie Besant on Reproductive Physiology and Birth Control and an Account of the Trial''. University of California Berkeley 1981 Grover, Verinder and Ranjana Arora (eds.) ''Annie Besant: Great Women of Modern India 1'' Published by Deep of Deep Publications, New Delhi, India, 1993 Kumar, Raj, ''Annie Besant's Rise to Power in Indian Politics, 1914–1917''. Concept Publishing, 1981 Kumar, Raj Rameshwari Devi and Romila Pruthi. ''Annie Besant: Founder of Home Rule Movement'', Pointer Publishers, 2003 Manvell, Roger. ''The trial of Annie Besant and Charles Bradlaugh''. Elek, London 1976 Nethercot, Arthur H. ''The first five lives of Annie Besant'' Hart-Davis: London, 1961 Nethercot, Arthur H. ''The last four lives of Annie Besant'' Hart-Davis: London (also University of Chicago Press 1963) Taylor, Anne. ''Annie Besant: Biography'', Oxford University Press, 1991 (also US edition 1992) Uglow, Jennifer S., Maggy Hendry, ''The Northeastern Dictionary of Women's Biography''. Northeastern University, 1999 ==বহিঃসংযোগ== Annie Wood Besant: Orator, Activist, Mystic, Rhetorician By Susan Dobra *Framke, Maria: Besant, Annie, in: International Encyclopedia of the First World War. Annie Besant's Quest for Truth: Christianity, Secularism, and New Age Thought Annie Besant's Multifaceted Personality. Biographical Sketch Thought power, its control and culture Cornell University Library Historical Monographs Collection. The British Federation of the International Order of Co-Freemasonry, Le Droit Humain, founded by Annie Besant in 1902 Annie Besant Biography at varanasi.org.in *William Thomas Stead, “Character Sketch: October of Mrs. Annie Besant” 349-367 in ''Review of Reviews'' IV:22, October 1891. জন্ম মৃত্যু নারীবাদী'''জাতীয় মহিলা সংস্থা''' একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের নারীদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে এবং এর প্রধান কার্যালয় ঢাকাতে অবস্থিত। প্রফেসর মমতাজ বেগম জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি যিনি ২০১৪ সালে বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন। == ইতিহাস == জাতীয় মহিলা সংস্থা ১৯৭২ সালে নারী পুনর্বাসন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংস্থাটি মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার বীরাঙ্গনা নারীদের নিয়ে কাজ করেছিল। ১৯৭৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম রাখা হয়। এটি নারী শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। আইভি রহমান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সংস্থার সভাপতি ছিলেন। এটি সারা বাংলাদেশ জুড়ে ১১ টি ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করে। == তথ্যসূত্র == ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত সরকারি সংস্থাহিন্দু সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার মন্দিরটি কটক জেলার নিয়ালি গ্রামের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত এটির খুব কাছাকাছি মাধব মন্দির। কিছু স্থানীয় ব্রাহ্মণরা মনে করেন যে এখানে ব্রহ্মা দ্বারা একটি অশ্বমেধ যজ্ঞ করা হয়েছিল। বর্তমান মন্দিরটি ১২ শতকের সময় পুনর্নির্মিত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মূর্তিটি ব্রহ্মার।যাতে ব্রহ্মার হাতে একটি জপমালা ,একটি কমন্ডুলু একটি পদ্ম তার চার মুখ। এই মূর্তিটি উৎকল এর ৭ম শতাব্দীর শৈলোদ্ভব রাজবংশ এর সময়কালীন ।এখানে ১২ শতাব্দীর দুটি বিষ্ণু চিত্র রয়েছে। প্রধান বিমান পিধা দেউল শৈলীর। মহানদীর উপনদী প্রাচী মন্দিরের কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। == তথ্যসূত্র == মন্দির'''মোহনপুর''' বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত মতলব উত্তর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিমাংশে মোহনপুর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের উত্তরে কলাকান্দা ইউনিয়ন, পূর্বে ছেংগারচর পৌরসভা গজরা ইউনিয়ন, দক্ষিণে জহিরাবাদ ইউনিয়ন এখলাছপুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == মোহনপুর ইউনিয়ন মতলব উত্তর উপজেলার আওতাধীন ৭নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম মতলব উত্তর থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৬১নং নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-২ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া -- বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। সামসুল হক চৌধুরী বাবুল -- প্রাক্তন চেয়াারম্যান। == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == মতলব উত্তর উপজেলা মতলব উত্তর থানা চাঁদপুর জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উত্তর উপজেলার ইউনিয়ন বাংলাদেশের ইউনিয়ন নিবন্ধইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ''' '''টিআইবি''' হল বার্লিন ভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি বাংলাদেশী শাখা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিবেদিত একটি নাগরিক সমাজ সংস্থা। == ইতিহাস == টিআইবি ১৯৯৬ সালে তার কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৬ সালে এটি বিদেশী তহবিল গ্রহণকারী এনজিওগুলির উপর নতুন সরকারি নিয়মের সমালোচনা করে। এটি বিশ্বব্যাংক থেকে বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন ঋণ নিতে সরকারকেও আহ্বান জানিয়েছিল। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সংসদকে একটি 'পুতুল প্রদর্শনীর মঞ্চ' বলে উল্লেখ করার পরে এই আইন তৈরি করা হয়। == প্রধান কাজের ক্ষেত্রসমূহ == গবেষণা এবং নীতি নাগরিক প্রবৃত্তি প্রচার এবং যোগাযোগ তথ্য অধিকার নাগরিক চার্টার জলবায়ু অর্থব্যবস্থা শাসন পানির শুদ্ধাচার == ট্রাস্টি বোর্ড == ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা ট্রাস্টি বোর্ডের মধ্যে রয়েছে: সুলতানা সেলিনা হোসেন মহাসচিব ইফতেখারুজ্জামান নির্বাহী পরিচালক মাহফুজ আনাম- কোষাধ্যক্ষ তৌফিক নেওয়াজ- সদস্য সৈয়দা রুহী গজনবী- সদস্য এম হাফিজউদ্দিন খান- সদস্য এটিএম শামসুল হুদা- সদস্য রোকেয়া আফজাল রহমান- সদস্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম- সদস্য আকবর আলী খান- সদস্য। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত অনুবাদসহ পাতা'''নীল মানুষ''' বা '''নীলমানুষ''' বিখ্যাত বাঙালী কবি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি কাল্পনিক চরিত্র। নীল মানুষের প্রথম আত্মপ্রকাশ ''নীল রঙের মানুষ'' গল্পে। তারপর এই চরিত্রটিকে নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আরও বেশ-কয়েকটি কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখেছেন। নীল মানুষের বেশিরভাগ কাহিনী শুকতারা পত্রিকায় প্রকাশিত। ==চরিত্র চিত্রণ== নীল মানুষের আসল নাম রনজয় বিশ্বাস। সে গ্রহান্তরে যাওয়ার ফলে দানবাকৃতি আয়তন পায়। ফলত পৃথিবীতে ফিরে লোকসমাজে মিশতে পারেনা। তার শরীর হয়ে যায় নীল। তার শারীরিক শক্তিও হয়ে ওঠে প্রবল। তার সর্বক্ষণের সংগী গুটুলি। গুটুলি অত্যধিক বেঁটে। তারা দুজনে হরিহর আত্মা। == কাহিনী == *''নীল রঙের মানুষ'' *''নীল মানুষের কাহিনি'' *''নীল মানুষের দুঃখ'' *''নীল মানুষের দেশে'' *''ভূতের দেশে নীল মানুষ'' *''সেই একলা নীল মানুষ'' *''নীল মানুষ ছোট্ট বন্ধু'' *''নীল মানুষের সংসার'' *''নীল মানুষের মন খারাপ'' *''নীল মানুষের পরাজয়'' *''রণজয়ের শহর-অভিযান'' *''আজব লড়াই'' *''ইচ্ছা গ্রহ'' *''নীল মানুষের খেলা'' *''পৃথিবীতে নীল মানুষ'' ==তথ্যসূত্র== সাহিত্যের কাল্পনিক চরিত্র গঙ্গোপাধ্যায় চরিত্র'''বর্ষসেরা গান বিভাগে জি সিনে পুরস্কার''' হল ভারতের চলচ্চিত্রের জন্য জি সিনে এন্টারটেইনমেন্ট প্রদত্ত বাৎসরিক পুরস্কার। দর্শকদের ভোটে এই পুরস্কারের বিজয়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে জি সিনে পুরস্কারের অংশ হিসেবে বলিউডের বর্ষসেরা গানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ ২০১০ সালে পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল, ২০১১ সাল থেকে পুনরায় এই পুরস্কার প্রদান চালু হয় এবং ২০১৫ সালে কোন পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। ==বিজয়ীদের তালিকা== ===১৯৯৭-২০০৭=== বছর (আয়োজন) গান চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালক ২০০৩ (৭ম) '''কাল হো না হো''' '''''কাল হো না হো''''' ২০০৪ (৮ম) '''ধুম মাচালে''' '''''ধুম''''' '''প্রিতম চক্রবর্তী''' ২০০৫ (৯ম) '''কাজরা রে''' '''''বান্টি অউর বাবলি''''' ২০০৬ (১০ম) '''বিড়ি জ্বালাইলে''' '''বিশাল ভরদ্বাজ''' ২০০৭ (১১তম) '''মওজাই মওজা''' '''''জব উই মেট''''' '''প্রিতম চক্রবর্তী''' ===২০১০-এর দশক=== বছর (আয়োজন) গান চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালক ২০১০ (১২তম) '''মুন্নী বদনাম''' '''''দাবাং''''' ২০১১ (১৩তম) '''চম্মক চাল্লু''' ২০১২ (১৪তম) '''রাধা''' '''''স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার''''' ২০১৩ (১৫তম) '''তুমহি হো''' '''''আশিকী ২''''' '''মিথুন শর্মা''' ২০১৫ (১৬তম) '''প্রেম রতন ধন পায়ো''' '''''প্রেম রতন ধন পায়ো''''' '''হিমেশ রেশামিয়া''' ২০১৬ (১৭তম) '''চান্না মেরেয়া''' '''''অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল''''' '''প্রিতম চক্রবর্তী''' ২০১৭ (১৮তম) '''বারিশ''' '''''হাফ '''তনিষ্ক বাগচী''' ২০১৮ (১৯তম) '''আঁখ মারে''' '''তনিষ্ক বাগচী''' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== বিষয়শ্রেণী:জি সিনে পুরস্কার বৎসর হালনাগাদ করা দরকার এমন নিবন্ধ'''বল্লাল ঢিপি''' নদিয়ার অন্যতম প্রত্নস্থল। নবদ্বীপের নিকটবর্তী মায়াপুরে কাছে বামুনপুকুরে ভক্ত চাঁদকাজীর সমাধিস্থল থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে বল্লাল ঢিপির অবস্থান। এই ঢিপির নীচে বল্লাল সেনের আমলে নির্মিত প্রাসাদ ছিল বলে অনুমান করা হয়। তবে বর্তমানে এটি পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইন অনুসারে এই অঞ্চল সংরক্ষিত করা হয়েছে। বল্লাল ঢিপি প্রায় চারশো ফুট প্রশস্থ উচ্চতায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ ফুট। ঢিপিটি সবুজ ঘাসে মোড়া, আর চারিদিক কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সেন বংশের রাজা বল্লাল সেনের নামানুসারে এই ঢিপিটির নামকরণ করা হয়েছিল। ইতিহাসবিদগণ মনে করেন ধ্বংসস্তুপটি তৎকালীন সমাজের ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহর বিজাপুরের একটি অংশ। বিজাপুর ছিল সেই সময়ের একটি অত্যাধুনিক শহর সেন বংশের রাজধানী। বিজাপুর স্থাপন করেন বল্লাল সেনের পিতা রাজা বিজয় সেন। ==প্রত্নখনন কার্য== এই বৃহদাকার ঢিপিটি ১৯৭০-এর শেষের দিকে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব দুটি ভাগে খননকার্য সম্পূর্ন করেছিল। প্রথমটি ১৯৮২-১৯৮৩ সালে এবং দ্বিতীয়টি ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে। উৎখননে প্রাপ্ত বস্তুর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল, পক্ষের মূর্তি, পোড়ামাটির মানুষ জীব-জন্তুর মূর্তি, তামা লোহার নানান জিনিসপত্র, পেরেক নানান প্রত্নসামগ্রী। উৎখননের ফলে অঞ্চলটি বর্তমানে অনাবৃত রয়েছে। বিস্তৃত প্রাঙ্গনের মধ্যে অবস্থিত বৃহদায়তন ইটের ইমারত যার চারিদিকে ছিল উচ্চ প্রাকার। ইতিহাসবিদে্রা এই ইটের তৈরী ইমারত দেখে ইমারতটি কিসের তার সঠিক কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। ইতিহাসবিদ্ বা গবেষনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন যে নিচের অংশের অনেক পরে ইমারতের উপরের অংশটি নির্মাণ করা হয়। অষ্ঠম নবম শতকের ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাতন স্থাপত্যকীর্তির উপর পুনঃনির্মিত এই সৌধের উপরিভাগ আনুমানিক দ্বাদশ শতকের। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের মেরামত,পরিবর্তন সংযোজন নিদর্শন পাওয়া গেছে। ==বল্লাল সেন== বল্লাল সেন বাংলার সেন রাজবংশের দ্বিতীয় তথা শ্ৰেষ্ঠ নৃপতি ছিলেন। তিনি ১১৬০ থেকে ১১৭৯ সাল পর্যন্ত সেনবংশের রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেনের পুত্র এবং তার যোগ্য উত্তরসূরী। রাজা বল্লাল সেন বাংলার সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে কৌলিন্য প্রথা প্রবর্তনকারী হিসাবে পরিচিত। তিনি সুপণ্ডিত লেখক ছিলেন। ‘''দানসাগর''’ তার উল্লেখযোগ্য রচনা। বল্লাল সেন তার রাজত্বের সময় বহুদূর পর্যন্ত সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। বরেন্দ্রভূমি, রাঢ়, বঙ্গ, এবং মিথিলা তার অধীনস্থ ছিল। == স্থির চিত্রাবলী == File:Ballal Chupi, Information Board from Archeological Survey of India.jpg|তথ্য় ফলক File:Ballal Dhipi, Water outlet From Roof.jpg|সিংহের মুখ সমন্বিত পয়প্রনালী File:Ballal Dhipi, Wrecked File:Ballal Dhipi, Wrecked File:Ballal Dhipi, Wrecked File:Ballal Dhipi, Wrecked File:Ballal Dhipi, Wrecked == তথ্যসূত্র == প্রত্নস্থল প্রত্নস্থল জেলা স্থল'''বনলতা''' একটি নাম এর দ্বারা বুঝানো হতে পারেঃ ==ব্যক্তি== বনলতা দাশগুপ্ত- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব অগ্নিকন্যা। বনলতা সেন (চক্রবর্তী)- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব। ==কাব্য গ্রন্থ== বনলতা সেন (কবিতা)- জনপ্রিয়তম বাংলা কবিতা। ==ট্রেন== বনলতা এক্সপ্রেস- বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। ==আরও দেখুন=='''হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী''' একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য। হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী ময়মনসিংহ-৭ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ==জন্ম শিক্ষাজীবন== হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর জন্ম ময়মনসিংহ জেলায়। ==রাজনৈতিক কর্মজীবন== হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী রাজনীতিতে সক্রিয় এবং প্রবীণ রাজনৈতিক হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী এবার দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। ==আরও দেখুন== একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা দশম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যদের তালিকা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক প্রকাশিত একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্তৃক প্রকাশিত ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যক্তি রাজনীতিবিদ জেলার রাজনীতিবিদ'''গ্র‍্যান্ড হায়াট কলম্বো''' (সিংহলি: ග්‍රෑන්ඩ් හයට් කලම්බු) হল শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে অবস্থিত সাতচল্লিশ তলাবিশিষ্ট একটি পাঁচ তারকা হোটেল। এই ইমারতে অতিথিদের জন্য ৪৭৫ টি কক্ষ ছাড়াও সার্ভিসিং এর জন্য ৮৪ টি কক্ষ আছে। এটি শ্রীলঙ্কায় হায়াট ব্র‍্যান্ডের প্রথম হোটেল। ইমারতটির নিকটে সেন্ট থমাস প্রিপারেটরি স্কুল অবস্থিত। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== হোটেল আবাসিক ভবন গগনচুম্বী অট্টালিকা'''ড. হেসা আল জাবের''' একজন কাতারি প্রকৌশলী, একাডেমিক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৩ সালে আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি কর্তৃক দেশের নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর প্রথমবারের মতো কাতারের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি কাতার রাষ্ট্রের তৃতীয় মহিলা হিসেবে মন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। ==শিক্ষা== ড. হেসা কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন, ডি.সি. থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছেন। ==কর্মজীবন== ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এবং মন্ত্রী হওয়ার আগে, ড. হেসা এটির মহাসচিব পদে ছিলেন। মহাসচিব হিসেবে তার কার্যভারের সময় ড. হেসা কাতারের টেলিযোগাযোগ বাজারের উদারীকরণে তত্ত্বাবধান করেছেন এবং পছন্দ প্রতিযোগিতার যুগে এগিয়ে এসেছেন। প্রযুক্তির সুবিধা সমস্ত খাতে পৌঁছাতে সচেষ্ট হওয়ায় ড. হেসা আইটিসির মাধ্যমে কাতারের আরও সমেত সমাজ গঠনে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি দেশের জাতীয় ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক, কাতার জাতীয় ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সহ কাতারের আইসিটি অবকাঠামোর আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছেন। উপরন্তু, তিনি কাতারের স্যাটেলাইট কোম্পানি (এস'হাইলসাত) প্রতিষ্ঠায় একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা ২৯ আগস্ট ২০১৩-এ কাতারের প্রথম স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপনে ভূমিকা রেখেছিল। এছাড়া, তিনি আইসিটির মাধ্যমে কাতার সরকারের আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা, ব্যাবস্থাগুলি আরো সুসজ্জিত করা, জনগনের কাছে সরকারকে আরো স্বচ্ছ এবং সুগম করার প্রচেষ্টা চালান। কাতার সহায়ক প্রযুক্তি কেন্দ্র (মাদা) তৈরির ক্ষেত্রে ড. হেসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, যা কাতারের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবাদান করে এবং পেশাদার প্রযুক্তি পরিষেবা সমাধানগুলির একটি নেতৃস্থানীয় সরবরাহকারী এটি। আইসিটি উন্নয়নের ব্যাপক জ্ঞান দিয়ে ড. হেসা প্রাসঙ্গিক আরব বিশ্বব্যাপী সম্মেলন সমিতির বিভিন্ন কাজের কাগজপত্র গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছেন। == পুরস্কার স্বীকৃতি == তার জনসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক "ন্যাশনাল ফিগার অব দ্য ইয়ার" সম্মানিত হন, যা মূলত দেয়া হয় তাদের যারা সেই বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। ২০১২ সালে তাকে এরাবীয়ান বিজনেস ৩০তম প্রভাবশালী আরব নারী হিসেবে উল্লেখ করে। ২০১৩ সালে, আরবিয়ান বিজনেস ম্যাগাজিনে বিশ্বব্যাপী ৫০০ জন প্রভাবশালী আরবের মধ্যে তিনি তালিকায় ছিলেন, তারপরে ২০১৩ সালের এরাবিয়ান বিজনেস ম্যাগাজিনের ১০০জন প্রভাবশালী আরব নারীর তালিকাতে ২০ তম স্থান পান। সম্প্রতি ইন্টারনেট হল অফ ফেম অ্যাডভাইজরি বোর্ড তাকে বিশ্বের আটজন ইন্টারনেট নেতার একজন হিসেবে উল্লেখিত করে। বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়া নিউজকে আখ্যায়িত করা ''মাশেবল'', ২০০০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির সাথে কাজ করা আটজন সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক মহিলাদের তালিকায় তাকে স্থান দেয়। ==তথ্যসূত্র== Dr. Hessa Al Jaber". ICT. Retrieved 17 August 2013. New Emir appoints female Cabinet member in Qatar government shake-up". Doha News. Retrieved 17 August 2013. Revealed: 100 Most Powerful Arab Women 2012". Arabian Business. Retrieved 17 August 2013. Hessa Al Jaber". World Economic Forum. Retrieved 17 August 2013. Qatar: woman appointed to key communications ministry". ANSAmed. 27 June 2013. Retrieved 17 August 2013. Attwood, Ed (30 June 2013). Introducing Qatar’s new Emir". Arabian Business. Retrieved 18 August 2013. ব্যক্তি প্রাক্তন শিক্ষার্থী ওয়াশিংটন প্রাক্তন শিক্ষার্থী অনুষদ সরকারের মন্ত্রী সরকারের নারী মন্ত্রী'''অদিতি লাহিড়ি''' (জন্ম কলকাতা, ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন) একজন জার্মান ভাষাবিদ। এবং ২০০৭ সাল থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বের চেয়ারম্যান। তিনি অক্সফোর্ডের সোমবারিল কলেজের ফেলো হিসাবে রয়েছেন। তার গবেষণার প্রধান আগ্রহগুলি হল ধ্বনিতত্ত্ব, ধ্বনিবিজ্ঞান, ঐতিহাসিক ভাষাতত্ত্ব, মনোভাষাবিজ্ঞান এবং == প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা == লাহরি ভারতের কলকাতায় ১৪ জুলাই ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে এবং পরে কলকাতায় পড়াশোনা করেন তিনি দুই বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাবিদ্যা এবং ব্রাউন ভাষাতত্ত্বের উপরে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। == শিক্ষা জীবন == লাহিরি ইউনিভার্সিটি অব লস অ্যাঞ্জেলস এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ করেন এবং নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স প্ল্যানক ইন্সটিটিউট ফর গবেষক বিজ্ঞানী হিসাবে এবং কনস্টেঞ্জ অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৭ সাল থেকে অক্সফোর্ড ভাষাবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে এবং অক্সফোর্ডের সোমবারিল কলেজের ফেলো হিসেবে রয়েছেন। তিনি এখন ইউরোপীয় গবেষণা পরিষদ কর্তৃক অর্থায়িত মরফন প্রকল্পের (রেসল্ভিং অল্টার্নেশন: হিস্টরিকাল, এন্ড কম্পিউটেশনাল অপপ্রয়াচেস) ভাষা এবং মস্তিষ্কের ল্যাবের পরিচালক এবং প্রধান তদন্তকারী। == সম্মাননা == ২০০৭ সালে, লাহিড়ি একাডেমিয়া ইউরোপিয়ার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে, তিনি ব্রিটিশ একাডেমি (FBA) এর ফেলো নির্বাচিত হন ২০০০ সালে তিনি গটফ্রেড উইলহেল লিবনিজ পুরস্কার পান। == তথ্যসূত্র == অ্যাকাডেমির ফেলোগণ অব লস অ্যাঞ্জেলসের শিক্ষক প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থী কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্যক্তি জন্ম'''লেইলা এ. শারাফ''' জর্ডানিয়ান সিনেটের সাবেক সদস্য এবং সংস্কৃতি তথ্য মন্ত্রী (১৯৮৪-৮৫)। ==প্রারম্ভের জীবন== শারাফ ১৯৪০ সালে লেবাননের বৈরুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আমেরিকার বৈরুত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে বি.এ পাস করেন এবং ১৯৬৫ সালে আরব সাহিত্য-এ এম.এ সম্পন্ন করেন। ==কর্মজীবন== শারাফ ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (জর্ডান) এবং ফিলিস্তিন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, বৈরুতের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি, নূর আল হুসেন ফাউন্ডেশন, আরব ওপেন ইউনিভার্সিটি, কুয়েত, আমেরিকান সেন্টার অফ ওরিয়েন্টাল রিসার্চ, কিং হুসেন ফাউন্ডেশন, এবং আরব থট ফোরামের সদস্য। তিনি প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য রয়্যাল সোসাইটি-এরও সভাপতি ছিলেন। জর্ডানের রাজা হুসাইন বিন তালাল-এর অনুরোধে লেইলা এ. শারাফ ১৯৮৪ সালে দেশের প্রথম সংস্কৃতি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তার অধীনে, জর্দানীয় মিডিয়া কিছুটা নিষেধাজ্ঞা দেখেছিল। দশ মাস পরে, তিনি হুসেনের "বাস্তবতা, জ্ঞান এবং দায়িত্বের সীমা অতিক্রম করার" জন্য মিডিয়াকে দোষারোপ করার পর পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগ সে দেশে একটি সাহসী পদক্ষেপ যেখানে সরাসরি রাজনৈতিক বিরোধ গ্রহণ করা হয়নি এবং তাকে "মন্ত্রিসভায় একমাত্র ব্যক্তি" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। শারাফ ১৯৮৯ সালে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আরব ফাউন্ডেশন ফর মর্ডান থট-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জর্ডানে সেরেব্রাল পলসী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিলেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== ১৯৬৫ সালে লেইলা বিয়ে করেন কূটনীতিক আবদেলহামিদ শারাফকে, জর্ডানের রাজা হুসেনের চাচাত ভাই। যিনি পরে জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেন। ১৯৮০ সালে তিনি হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। তাদের দুই ছেলে ছিল। তিনি জর্ডানের রানী নূরের ঘনিষ্ঠ বিশ্বাসী। ==তথ্যসূত্র== জন্ম ব্যক্তি ব্যক্তি সিনেট সদস্য জর্ডানি মহিলা সরকারের মহিলা মন্ত্রী'''সাইরা চৌধুরী''' একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী। সায়েরার জন্ম চীথাম হিলে এবং ১৫ বছর বয়সে মিডলটনে চলে আসেন। তিনি অনিতা রায়ের ''হলিওক্স'' এবং পল অ্যাবটের পল টিগানের ''নো অফসেন্সে'' অভিনয়ের জন্য বেশ সুপরিচিত। ১৯ বছর বয়স থেকে তিনি হলিউডে অভিনয় জীবন শুরু করেন। == চলচ্চিত্রের তালিকা == === টিভি === বছর খেতাব ভূমিকা নোট ২০০৮-২০১১ ''হলিওক্স'' অনিতা রায় ১৯৮টি পর্ব ২০১২ ''ক্রাইম স্টোরিস'' মলি পর্ব সাইরা চৌধুরী ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭ ''করোনেশন স্ত্রেট'' নীল বাদল পর্ব ২০১৪ ''ডক্টর'' ফারাহ রাজা পর্ব: "দ্য গার্ল ইন দ্যা ফটোগ্রাফ" ২০১৪ ''দ্য ড্রাইভার'' তাশা পর্ব ২০১৫ ''নো অফসেন্স'' পিসি থম্পসন ১৫ পর্ব ২০১৭ ''পরিডিজ'' জোয়ান পর্ব == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) সোপ অপেরা অভিনেত্রী ব্যক্তি অনুবাদসহ পাতা'''মারিয়া আলেকসেয়েভ্‌না (রুশ: Мария Алeкceeвнa Успенская; ২৯ জুলাই ১৮৭৬ ডিসেম্বর ১৯৪৯) ছিলেন একজন রুশ অভিনেত্রী অভিনয়ের শিক্ষক। তিনি তরুণী হিসেবে রাশিয়া মঞ্চ অভিনেত্রী হিসেবে এবং বয়োজ্যেষ্ঠ নারী হিসেবে হলিউডের চলচ্চিত্রে সফলতা অর্জন করেন। তিনি ''ডডসওয়ার্থ'' (১৯৩৬) ''লাভ অ্যাফেয়ার'' (১৯৩৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ''কনকোয়েস্ট'' (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার অর্জন করেন। ==জীবনী== ===প্রারম্ভিক জীবন=== অস্পেন্‌স্কায়া ১৮৭৬ সালের ২৯শে জুলাই রুশ সাম্রাজ্যের তুলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পোল্যান্ডের ওয়ারশতে গান এবং মস্কোতে অভিনয় বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত মস্কো শিল্পকলা থিয়েটারের ফার্স্ট স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সেখানে তিনি কনস্তান্তিন তার সহকারী লেওপল্ড সুলেরঝিৎস্কির অধীনে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ===কর্মজীবন=== মস্কো শিল্পকলা থিয়েটার ইউরোপ জুড়ে সফর করে এবং ১৯২২ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে পৌঁছালে অস্পেন্‌স্কায়া সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি পরবর্তী দশকে নিয়মিত ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিনয় করেন। তিনি আমেরিকান ল্যাবরটরি থিয়েটারে অভিনয়ের শিক্ষাদান করতেন। ১৯২৯ সালে তার মস্কো শিল্পকলা থিয়েটারের সহকর্মী রিচার্ড নিয়ে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে স্কুল অব ড্রামাটিক আর্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়ে এই স্কুলে তার একজন শিক্ষার্থী ছিলেন সেসময়ে অপরিচিত কিশোরী পরবর্তী কালে অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী অ্যান ব্যাক্সটার। অস্পেন্‌স্কায়া কয়েকটি রুশ নির্বাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও তার স্কুলের আর্থিক সমস্যা না আসা পর্যন্ত হলিউড থেকে দূরে ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকের পপুলার সং ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপন অনুসারে এই সময়ে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের ভাইন স্ট্রিটে মারিয়া অস্পেন্‌স্কায়া স্কুল অব ড্যান্স চালু করেন। তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ডিজনির স্নো হোয়াইটের মডেল মার্জ চ্যাম্পিয়ন। চিত্র:Maria Ouspenskaya, Greta Garbo (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে অস্পেন্‌স্কায়া (বামে) গ্রেটা গার্বো। তার রুশ বাচনভঙ্গি সত্ত্বেও তিনি হলিউডের চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পান এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম হলিউডের চলচ্চিত্র হল ''ডডসওয়ার্থ'' (১৯৩৬), এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এটি ছিল সবচেয়ে কম সময় পর্দায় উপস্থিত থেকেও অস্কারের মনোনয়ন অর্জন। পরের বছর তিনি ''কনকোয়েস্ট'' (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার অর্জন করেন। ''লাভ অ্যাফেয়ার'' (১৯৩৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র ''দ্য উল্‌ফ ম্যান'' (১৯৪১) মিটস দ্য উল্‌ফ ম্যান'' (১৯৪৩)-এ বৃদ্ধ যাযাবর ভবিষ্যদ্বক্তা মালেভা চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল ''দ্য রেইন্স কেম'' (১৯৩৯), ''ওয়াটারলু ব্রিজ'' (১৯৪০), ''বিয়ন্ড টুমরো'' (১৯৪০), ''ড্যান্স, গার্ল, ড্যান্স'' (১৯৪০), ''দ্য মর্টাল স্টর্ম'' (১৯৪০), ''ডক্টর এরলিখ্‌স ম্যাজিক বুলেট'' (১৯৪০), এবং ''কিংস রো'' (১৯৪২)। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র হল ''আ কিস ইন দ্য ডার্ক'' (১৯৪৯) ===মৃত্যু=== অস্পেন্‌স্কায়া স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এবং বাড়িতে আগুন লাগার পর গায়ে আগুন লেগে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ১৯৪৯ সালের ৩রা ডিসেম্বর ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে গ্লেনডেলের ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক সেমেটারিতে সমাহিত করা হয়। ==চলচ্চিত্রের তালিকা== বছর চলচ্চিত্রের শিরোনাম মূল শিরোনাম চরিত্র টীকা ১৯৩৬ ''ডডসওয়ার্থ'' Dodsworth ব্যারোনেস ফন ওবারসডর্ফ '''মনোনীত:''' শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ১৯৩৭ ''কনকোয়েস্ট'' Conquest কাউন্টেস পেলাগিয়া ভালেভ্‌স্কা '''বিজয়ী:''' শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার ১৯৩৯ ''লাভ অ্যাফেয়ার'' Love Affair দাদী '''মনোনীত:''' শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ''দ্য রেইন্স কেম'' The Rains Came মহারানী ''জাজ হার্ডি অ্যান্ড সন'' Judge Hardy and Son মিসেস জুডিথ ভলদুজ্জি ১৯৪০ ''ডক্টর এরলিখ্‌স ম্যাজিক বুলেট'' Dr. Ehrlich's Magic Bullet ফ্রানৎজিস্কা স্পেয়ার ''বিয়ন্ড টুমরো'' Beyond Tomorrow ম্যাডাম তানিয়া ''ওয়াটারলু ব্রিজ'' Waterloo Bridge মাদাম ওলগা কিরোভা ''দ্য মর্টাল স্টর্ম'' The Mortal Storm মিসেস ব্রেইটনার ''দ্য ম্যান আই ম্যারিড'' The Man Married ফ্রাউ গেরহার্ট ''ড্যান্স, গার্ল, ড্যান্স'' Dance, Girl, Dance মাদাম লিডিয়া বাসিলোভা ১৯৪১ ''দ্য উল্‌ফ ম্যান'' The Wolf Man মালেভা ''দ্য সাংহাই গেসচার'' The Shanghai Gesture আমাহ ১৯৪২ ''কিংস রো'' Kings Row মাদাম ভন এন ''দ্য মিস্ট্রি অব ম্যারি রজেট'' The Mystery of Marie Roget সেসিল রজেট ১৯৪৩ মিটস দ্য উল্‌ফ ম্যান'' Frankenstein Meets the Wolf Man মালেভা ১৯৪৫ ''টারজান অ্যান্ড দি অ্যামাজন্স'' Tarzan and the Amazons অ্যামাজনের রানী ১৯৪৬ ''আই হ্যাভ অলওয়েজ লাভড ইউ'' I've Always Loved You মাদাম গনোরভ ১৯৪৭ ''ওয়াইয়োমিং'' Wyoming মারিয়া ১৯৪৯ ''আ কিস ইন দ্য ডার্ক'' Kiss in the Dark কারিনা অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর রুশ অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর শিক্ষাবিদ বিষয়শ্রেণী:রুশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:রুশ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:রুশ মঞ্চ অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:রুশ শিক্ষাবিদ অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মঞ্চ অভিনেত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সোভিয়েত অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্কে সমাধিস্ত'''এস্টেলা ডন ওয়ারেন''' (জন্ম,২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ একজন কানাডিয়ান অভিনেত্রী, ফ্যাশন মডেল, এবং প্রাক্তন সিঙ্ক্রোনাইজড সাঁতারু তার সাঁতারু জীবনে তিনি কানাডিয়ান জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন এবং তিনটি জাতীয় শিরোপা জিতেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ''স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড'' এর মত প্রকাশনায় মডেলিং এর পাশাপাশি এবং ''ভিক্টোরিয়া'স সিক্রেট'' এর মত ব্রান্ডের প্রচারাভিযানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পরে তিনি টিম বার্টনের ২০০১-এ পুনরায় নির্মিত চলচিত্র ''প্ল্যানেট অফ দ্য অ্যাপসের'' পাশাপাশি ''ল এন্ড অর্ডার'', ''ল এন্ড অর্ডারঃস্পেশাল ভিক্টিম ইউনিট'' এবং ''বিউটি অ্যান্ড বিস্ট টেলিভিশন রোলে অভিনয় করে অভিনেত্রী হিসাবে তার পেশাগত জীবন শুরু করেন।'' == প্রথম জীবন == এস্টেলা ওয়ারেন কানাডার অন্টারিও, পিটারবরো, তে প্রাথমিক স্কুল হেডমাস্টার এস্টার এবং ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রেতা ডন ওয়ারেন, এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তিন মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। == পেশা == === সিঙ্ক্রোনাইজড সাঁতারু === ১৯৯০ সালে, ওয়ারেন জাতীয় সিঙ্ক্রোনাইজড সাঁতারের দলের সাথে প্রশিক্ষণের জন্য টরন্টোতে চলে যান। ১৯৯৫ সালে, সিনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, ওয়ারেনের ১৯৯৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তিনি তিনবার কানাডিয়ান জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং ১৯৯৫ জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে একমাত্র ব্রোঞ্জ পদকপ্রাপ্ত। === ফ্যাশন মডেলিং === ১৯৯৪ সালে ব্রডবেল্ট ফন্টে মডেলস এর মালিক রোন্ডো ব্রডবেল্ট ফন্টে, এস্টেলা ওয়ারেন কে আবিষ্কার করেন,যখন তিনি ওন্টারিও তে বসবাসরত একজন সিনক্রোনাইজড সাতারু ছিলেন॥ ব্রডবেল্ট ফন্টের পরে ওয়ারেনকে আমেরিকান মডেলের মালিক জর্জ গ্যালিয়ারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর তিনি কিছু ফটো টেস্ট এর জন্য নিউ ইয়র্ক সিটি তে এসেছিলেন; সেই সময়ে গ্যালিয়ার, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার অ্যালেন ভন আনওয়ার্থকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, যিনি অবিলম্বে এস্টেলার সুন্দর অনন্য চেহারাকে দেখেছিলেন এবং ফটোশুটের জন্য তাকে বুক করেছিলেন। তার আন্তর্জাতিক মডেলিং ক্যারিয়ার তৈরি হয়এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ হয় ফ্রেঞ্চ ফটোগ্রাফার পরিচালক জাঁ পল গাউডের সাথে ক্যাচারেল সুগন্ধির প্রচারণা "ইও ডি ইডেন" শুট করার পরে, তারপরে তিনি পরিচালক লুক লুসনের সাথে ''চ্যানেল নং 5'' প্রচারাভিযান করেছিলেন, এসময় তার পরিচালক ছিলেন জর্জ গ্যালিয়ার। ওয়ারেন ''ভ্যানগ'', ''ভ্যানটি ফেয়ার'', ''এল'', ''ক্রসোপলিটিন'' এবং ''চ্যানেল নং 5'' সুগন্ধির জন্য দুটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন ২১ বছর বয়সে ২০০০ সালে ওয়ারেন ''ম্যাক্সিমের হট 100 লিস্টে'' নম্বর স্থান পেয়েছিলেন তিনি ''FHM এর'' "বিশ্বের যৌনাবেদনময়ি নারী ২০০৬" বিশেষ পরিপূরক সংখ্যায় ৫২ তম অবস্থান পেয়েছিলেন এবং ''স্টাফ'' পত্রিকা এর পিনআপ ক্যালেন্ডারে নভেম্বর ২০০৭ এর অন্তর্ভুক্তি ছিলেন। ওয়ারেন কে এছাড়াও ''ইউজিজি অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্ড্রু মার্ক, পেরি এলিস, নাইন ওয়েস্ট, কার্টিয়ার, ভলভো, ডি বিয়ারস'' এবং ''ক্যাচারেল'' এর প্রচার অভিযানেএবং জন্য টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে। উপরন্তু, তিনি ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট এর জন্য মডেলিং করেছেনএবং সুইমিং সুট এর বিশেষ টেলিভিশন শো উপস্থাপনা করেছেন। তিনি 3D পত্রিকা ''ওয়ার্ল্ডস মোস্ট বিউটিফুল'', ''এর'' তৃতীয় সংখ্যার প্রচ্ছদে নগ্ন হয়ে হাজির হন, যা জুন ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। === অভিনয় === ওয়ারেনের চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে আছে ''ড্রাইভেন'' (২০০১), ''প্ল্যানেট অফ দ্য এপস'' (২০০১), ''কঙ্গারু জ্যাক'' (২০০৩), ''দ্য কুলার'' (২০০৩) এবং ''স্ট্রেঞ্জার উইদইন'' (২০১৩)। ওয়ারেন ২০০৩ সালের ''দ্যাট '70 এর শোতে'' এবং ''ল এন্ড অর্ডার'' ''এবং এন্ড অর্ডারঃ স্পেশাল ভিকটিম'' ইউনিট এর দু পর্ব ক্রশওভার রোলে, সেপ্টেম্বর ২০০৫-এ অভিনয় করেছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি ''গোস্ট হুইস্পিয়ারের'' একটি পর্বতেও উপস্থিত ছিলেন। ওয়ারেন জন্য আইএনক্সএস এর আফটারগ্লো ", ব্লাঙ্ক এন্ড জোন্স "টাইম বিয়ন্ড" এবং ডাঃ ড্রে'র এর আই নিড ডক্টর মিউজিক ভিডিও তে অভিনয় করেছেন। == গ্রেফতার == ২৪ মে, ২০১১ তারিখে, ওয়ারেনকে তার টয়োটা প্রিয়ার দিয়ে তিনটি পার্ক করা গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার পর এবং ঘটনাস্থল থেকে পালানোর পর লস এঞ্জেলেসে গ্রেফতার করা হয় পুলিশ তাকে অবশেষে খুজে পায় এবং এলকোহল খেয়ে ড্রাইভিংয়ের জন্য গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ আছে গ্রেফতারের সময় তিনি একজন অফিসারকে লাথি মারেন এবং হাতকড়া পড়তে আপত্তি জানান। পরে যে পুলিশ স্টেশনে তার গ্রেফতারের অভিযোগ আনা হয়, সেখানে সে তার কফস গুলো খুলে ফেলতে সক্ষম হয় এবং দৌড় দেয় কিন্তু দ্রুত পুনরায় ধরা পড়ে। অবশেষে তাকে পুলিশ অফিসারের উপর ডিইউআই, হিট-এন্ড -রান, পুলিশ অফিসারের উপর আক্রমন,পুলিশকে বাধাদানে অভিযুক্ত করা হয়। তার জামিন ১00,000 ডলার নির্ধারন করা হয়েছিল। ১৯ আগস্ট, ২০১১ তারিখে, ওয়ারেন মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে নো কন্টেস্ট প্লিয়া পানএবং অন্যান্য অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছিল; তাকে চার মাসের জন্য একটি আবাসিক পুনর্বাসন সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। লস এঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফের ডিপার্টমেন্ট ওয়ারেনের জন্ম তারিখ রেকর্ড করে ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭০ হিসাবে যদিও ওয়ারেনের জন্মসাল হিসাবে ১৯৭৮ সুপ্রতিষ্ঠিত। কিছু সংবাদ সূত্র জানায় যে তিনি ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বা এমন ভাবে তার বয়স উল্লেখ করে যেন তিনি সেই বছর জন্মেছিলেন। == চলচ্চিত্রের তালিকা == === চলচ্চিত্র === বছর খেতাব ভূমিকা নোট ২০০১ ''পারফিউম'' আরিয়ান্নে ২০০১ ড্রাইভেন সোফিয়া সিমোন ২০০১ প্লানেট অব এপস ডায়েনা ২০০১ ''ট্যাঙ্গেলেড'' এলিজ স্টিভেনস ২০০৩ ''কঙ্গারু জ্যাক'' জেসি ২০০৩ ''দ্যা কুলার'' চারলেনে ২০০৩ ''আই আকিউসড'' কিম্বারলে জেন্সেন ২০০৪ ''ব্লোয়িং স্মোক'' ফায়ে গ্রেইঞ্জার টেলিভিশন ফিল্ম ২০০৪ ''পারসুয়েড'' এমিলি কিটস ২০০৪ ''ট্রেসপাসিং'' ক্রিসটি গুডম্যান ২০০৫ ''হার মাইনর থিং'' জিয়ানা ২০০৬ ''টাফেফোবিয়া'' জেসি লেনক্স ২০০৬ ''ন্যাশনাল ল্যাম্পুন'স পাকেড'' জেসিকা ২০০৭ ''লাইজ এন্ড ক্রাইম'' স্যালি হ্যানসন টেলিভিশন ফিল্ম ২০০৯ ''ব্লু সিডাকসন'' ম্যাটি টেলিভিশন ফিল্ম ২০০৯ ''বিউটি এন্ড দ্য বিস্ট'' বেলে ২০১০ ''ইরিভার্সি'' ক্যাট ২০১০ মনিকা ২০১০ ''সি ইউ ইন সেপ্টেম্বর'' লিন্ডসে ২০১৩ ''দ্য স্ট্রেঞ্জার উইদইন'' এমিলি ''ডেঞ্জারাস ইনটিউসন'' লরা ব্যাকম্যান টেলিভিশন ফিল্ম ২০১৫ নো অয়ে আউট মারিয়া ''আন্ডেটিয়াবেল জন'' জেন ''ডিকমিসনেড'' রেবেকা নাইলস ২০১৭ ''জাস্ট উইদিন রিচ'' গ্রেস == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক লিঙ্ক == এস্তেলা ওয়ারেন টুইটার Estella ওয়ারেন Instagram এস্তেলা ওয়ারেন ফেসবুক Estella ওয়ারেন ব্যক্তি টেলিভিশন অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর কানাডীয় অভিনেত্রী জন্ম'''অম্বিকা''' হলেন কাশীরাজের মধমাকন্যা ইনি রাজা বিচিত্রবীর্যের প্রথমা স্ত্রী এবং ধৃতরাষ্ট্রের জননী ভীষ্ম অম্বা অম্বালিকার সাথে এঁকে স্বয়ম্বর হতে হরণ করে আনেন বিবাহের সাত বছরের মাথায় বিচিত্রবীর্য যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান কিন্তু বংশ রক্ষাকারী পুত্রের জন্য ইনি শ্বশ্রূ সত্যবতীর অণুরোধে সত্যবতীর পুত্র মহর্ষি বেদব্যাস এর সাথে সহবাস করেন কিন্তু সহবাসের সময় বেদব্যাসের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে ইনি তার দুই চোখ বন্ধ করে ফেলেন এজন্য তার সন্তান ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ হয়ে জন্মান ইনি শ্বশ্রূ সত্যবতী কনিষ্ঠা ভগিনী অম্বালিকার সাথে সন্ন্যাসিনীর ন্যায় শেষ জীবন অতিবাহিত করেন ।১'''তাকেল্লা এন সদালক্ষী''' (১৯২৮-২০০৪) ছিলেন তেলঙ্গানার প্রথম দলিত নারী বিধায়ক। ==প্রাথমিক জীবন== সদালক্ষী হায়দ্রাবাদের পেনশনপুরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কেইস হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং জেরার ময়দানে বি আর আম্বেদকরের বক্তৃতা শোনার পর মাদ্রাজে মেডিসিনের উপর একটি কোর্স শুরু করেন। তিনি রাজনীতির কারণে তিনি ডাক্তারি পেশা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। ==রাজনৈতিক পেশা== সদালক্ষি প্রথমে পেদ্দাপল্লী নির্বাচনী এলাকা থেকে এবং পরবর্তীকালে কমরেডি থেকে নির্বাচিত হন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ আইন পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে, সদালক্ষি যেলের্দী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে রাজ্য পরিষদে নির্বাচিত হন। তিনি নীলাম সঞ্জীব রেড্ডির মন্ত্রিসভায় প্রথম একমাত্র মহিলা মন্ত্রী হয়েছিলেন। ধর্মীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মন্ত্রী হিসাবে, এই পদে দিনি এক বছর দায়িত্ব পালন করেন, তিনি হিন্দু পুরোহিত হিসাবে দলিতদের প্রশিক্ষণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি যাদাগরিগুত্টায় একটি আর্কাকা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেবাস্থানম ট্রাস্টে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে, তিনি এসসি কর্পোরেশন গঠন করেন। সদালক্ষি ১৯৭৪ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮০ এর দশকে তিনি এলআইডিসিএপির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাদলক্ষ্মী আম্বেদকরবাদকে সমর্থন করেন এবং একটি পৃথক তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রের আন্দোলনকে সমর্থন করে। এন টি রাম রাও এর অনুরোধে তিনি ১৯৮২ সালে তেলেগু দেশম পার্টিতে যোগ দেন এবং দলের উপ-সভাপতি নিযুক্ত হন। পরে তেলুঙ্গা কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করায় তেলুগু দেশম পার্টি ত্যাগ করেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== সদালক্ষী বিশিষ্ট উপজাতি বর্ণবাদী নেতা টি. ভেঙ্কট নারায়ণের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে একটি ছেলে দুইটি মেয়ে আছে। ২৪ জুলাই ২০০৪ তারিখে তিনি কার্ডিয়াক সমস্যাতে কেয়ার হাসপাতালে মারা যান। বনসিলপেটে তার দাহ সম্পন্ন করা হয়। ==তথ্যসূত্র== জন্ম মৃত্যু রাজনীতিবিদ'''মিউনিখ ফিলহারমনিক''' () একটি জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত একটি জার্মান সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা। এটি মিউনিখের চারটি প্রধান অর্কেস্ট্রার অন্যতম। অন্যগুলি হল বাভারিয়ান বেতার সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা, মিউনিখ বেতার অর্কেস্ট্রা বাভারিয়ান রাজ্য অর্কেস্ট্রা। ১৯৮৫ সাল থেকে গেস্টেইগ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই অর্কেস্ট্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ==ইতিহাস== ১৮৯৩ সালে মিউনিখে এই অর্কেস্ট্রা প্রতিষ্ঠিত হয়। পিয়ানো প্রস্তুতকারকের সন্তান ফ্রাঞ্জ কাইম এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় এর নাম ছিল '''কাইম অর্কেস্ট্রা'''। ১৮৯৫ সালে শহরের ''টনহল'' বা কনসার্ট হলে অর্কেস্ট্রা স্থান পায়। এরপর বিভিন্ন কন্ডাক্টর এর প্রতি আকৃষ্ট হন। এর মধ্যে রয়েছেন গুস্তাভ মাহলার। তিনি ১৮৯৭ সালে দলের নেতৃত্ব দেন এবং অর্কেস্ট্রার সাথে তার সিম্ফনি সংখ্যা সিম্ফনি সংখ্যা আয়োজন করেন। পরে ব্রুনো ওয়ালটার মাহলারের ''দাস লিয়েড ভন দার এরডে'' সিম্ফনিটি মাহলারের মৃত্যুর পর পরিচালনা করেন। ফেলিক্স ভাইনগার্ট‌নার ১৮৯৮ থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। তরুণ উইলিয়াম ফার্ট‌ওয়াংলার ১৯০৬ সালে এখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ইতিমধ্যে এন্টন ব্রুকনারের ছাত্র ফার্ডি‌নান্ড লোও কর্তৃক ব্রুকনারের সঙ্গীত পরিবেশনের ধারা চালু করেন যা এখনো বর্তমান রয়েছে। ১৯১০ সাল নাগাদ এই অর্কেস্ট্রাটি মিউনিখ কনজের্ট‌ভেরেইন অর্কেস্ট্রা Orchestra'') নামে পরিচিত হয়ে উঠে। এসময় অর্কেস্ট্রাটি ব্যক্তি উদ্যোগে অর্থায়ন হত। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অর্থায়নে ভাটা পড়ে এবং শিল্পীদেরকে সামরিক দায়িত্বের জন্য তলব করা হয়, ফলে অর্কেস্ট্রার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধের পর মিউনিখ শহর কর্তৃক অর্কেস্ট্রার মালিকানা নিয়ে নেওয়া হয় এবং সুরকার হান্স ফিটজনারের তত্ত্বাবধানে চালু হয়। পরে সিগমন্ড ভন হসেগার তার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯২৮ সালে বর্তমান নামে অর্কেস্ট্রার নামকরণ হয়। ১৯৩৩ সালে নাৎসি দলের উত্থানের পর অর্কেস্ট্রায় স্বস্তিকা চিহ্নের ব্যবহার শুরু হয়। পাশাপাশি ''ফ্যাসিবাদি আন্দোলনের অর্কেস্ট্রা'' শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯৯০ এর দশক পর্যন্ত স্বস্তিকা চিহ্ন বহাল ছিল। ১৯৩৮ সালে নাৎসিপন্থি কন্ডাক্টর অসওয়াল্ড কাবাস্ত প্রধান কন্ডাক্টর হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টনহল বিধ্বস্ত হয় এবং অর্কেস্ট্রাটি পুনরায় দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধের পর সঙ্গীত পরিচালক হান্স রসবাড এবং রুডলফ কেম্প এটি পুনর্গঠন করেন। পরবর্তীতে সেরগুই সেলিবিডাখ দায়িত্ব নেন এবং অর্কেস্ট্রাটিকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করেন। ১৯৯৬ সালে তার মৃত্যুর পর জেমস লেভিন প্রধান কন্ডাক্টরের দায়িত্ব পান। তিনি ২০০৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। ক্রিস্টিয়ান থিয়েলমেন ২০০৪ সালে অর্কেস্ট্রার সঙ্গীত পরিচালক হন। ২০১০ সালের মার্চে লরিন মাজেল প্রধান কন্ডাক্টর হন। ২০১৪ সালে অসুস্থতার জন্য মাজেল কনসার্টে অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেন। সেই বছরের জুনে তিনি পদত্যাগ করেন। মিউনিখ ফিলহারমনিকে বিভিন্ন সময়ে গুন্টার বিয়ালাস, এন্টন ব্রুকনার, হ্যারল্ড গেঞ্জমার, লুইগি নোনো, গুস্তাভ মাহলার সহ অন্যান্যদের সঙ্গীত পরিবেশিত হয়েছে। ==সঙ্গীত পরিচালকগণ== *১৮৯৩–১৮৯৫ হান্স উইন্ডারস্টেইন *১৮৯৫–১৮৯৭ হারমান জাম্প *১৮৯৭–১৮৯৮ ফার্ডি‌নেন্ড লোও *১৮৯৮–১৯০৫ ফেলিক্স ভাইনগার্ট‌নার *১৯০৫–১৯০৮ জর্জ স্কেনেভগট *১৯০৮–১৯১৪ ফার্ডি‌নেন্ড লোও *১৯১৯–১৯২০ হান্স ফিটজনার *১৯২০–১৯৩৮ সিগমন্ড ভন হসেগার *১৯৩৮–১৯৪৪ অসওয়াল্ড কাবাস্টা *১৯৪৫–১৯৪৮ হান্স রসবড *১৯৪৯–১৯৬৬ ফ্রিটজ রিগার *১৯৬৭–১৯৭৬ রুডলফ কেম্প *১৯৭৯–১৯৯৬ সেরগুই সেলিবিডাখ *১৯৯৯–২০০৪ জেমস লেভিন *২০০৪–২০১১ ক্রিস্টিয়ান থিলেমান *২০১২–২০১৪ লরিন মাজেল *২০১৫–বর্তমান ভেলেরি জেরগিভ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জার্মান নিবন্ধ জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীত দল অর্কেস্ট্রা সঙ্গীত'''মাথাপারি''' ভারতের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার একটি জনগণনা নগর৷ এটি শিলিগুড়ি পৌরসংস্থা সংলগ্ন বৃহত্তর শিলিগুড়ি নগরের অংশ৷ ==ভুগোল== মাথাপারি জনগণনা নগরটি দার্জিলিং জেলার মাটিগাড়া ব্লকের অন্তর্ভুক্ত৷ এটি বালাসন নদীর তীরে অবস্থিত৷ শহরটি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত৷ ==জনতত্ত্ব== ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ভারতের জনগণনা অনুসারে মাথাপারি জনগণনা নগরের জনসংখ্যা ১১৫২৯ জন, যার মধ্যে ৫৯০৩ জন পুরুষ ৫৬২৬ জন নারী৷ প্রতি হাজার পুরুষে ৯৫৩ জন নারী৷ বছর অনুর্দ্ধ ১৩৬৭ জন শিশু, যা সমগ্র জনসংখ্যার ১১.৮৬ %৷ বছরোর্দ্ধ জনসংখ্যার ৭৭.৩২% অর্থাৎ ৭৮৫৭ জন সাক্ষর৷ ==ভাষা ধর্ম== ===ভাষা=== ===ধর্ম=== জনগণনা নগরটিতে ১১২৫৩ জন হিন্দু, ১৪১ জন মুসলিম, ১০৬ জন খ্রিস্টান, ১৩ জন শিখ, ১০ জন বৌদ্ধ জন জৈন বাস করেন৷ ==পরিবহন== শহরটি ১০ নং জাতীয় সড়কের ১২ নং রাজ্য সড়কের ওপর অবস্থিত৷ বাগডোগরা বিমানবন্দরটি শহরটির নিকটেই অবস্থিত৷ উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী হওয়ার জন্য এই শহরটি থেকে জেলাটির বিভিন্ন শহরসহ কোচবিহার, জলপাইগুড়ি কিশানগঞ্জ শহর সড়কপথে যুক্ত৷ নিকটবর্তী রেলস্টেশনটি হলো মাটিগাড়া রেলওয়ে স্টেশন৷ ==তথ্যসূত্র== জেলার শহর'''তাতিয়ানা আলবারতোভনা আব্রামোভা''' জন্ম ৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫) একজন রাশিয়ান অভিনেত্রী এবং গায়ীকা ছিলেন == জীবনী == তাতিয়ানা আব্রামোভা টিয়ুমেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং জন্মের পরেই নিঝনেভারতোভোস্ক চলে যান। কয়েক বছর পর তারা আবার টিউম্যান চলে আসেন্,যেখানে তাটিয়ানা সঙ্গীত স্কুল থেকে স্নাতক শেষ করেন। উচ্চ বিদ্যালয় এষ করার পরে তার পরীক্ষার জন্য মস্কো আসার কথা থাকলেও তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে সেন্ট পিটার্সবার্গে চলে আসেন এবং সেখানেই থেকে যান। ১৯৯২ সালে তিনি মর্নিং স্টার নামে একটি পপ সংগীত প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৯৯৫ সালে তার প্রথম অ্যালবাম "''লেটার"'' প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি (দ্বিতীয় পুরস্কার), ইউরোপ প্লাস (শ্রোতা পুরস্কার) পান এবং ভিয়েটেস্কের স্লাভিয়ানস্কি বাজার এবং ''সেন্ট পিটার্সবার্গে'' তরুণ অভিনয়কারীদের প্রতিযোগিতাতে অংশ নেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নাট্য থিয়েটারের অভিনেতা পরিচালক হিসাবে সেন্ট পিটার্সবার্গে ইউনিভার্সিটি অফ হিউম্যানিটিস থেকে স্নাতক শেষ করেন। তিনি টিভি প্রোগ্রামের একটি সিরিজ হোস্ট করেছেন (''সঙ্গীত পরীক্ষা'' এবং ''শারম্যান শো'', রাশিয়া -1 )। == ব্যক্তিগত জীবন == তিনি ফটোগ্রাফার এবং ক্যামেরাম্যান সের্গেই কুলিশেনকোকে বিয়ে করেছিলেন, তাদের টি সন্তান ছিল ইভান (২০০৪) এবং আলেকজান্ডার (২০০৮)। ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি অভিনেতা ইউরি বেলাইয়েভকে বিয়ে করেন। == নির্বাচিত চলচ্চিত্র == ১৯৯৯ লেনি হিসাবে ২০০১ ''রোস্টভ-বাবা'' (টিভি সিরিজ) সাইজান্না ২০০৩ অলওয়েজ সে অলওয়েজ (টিভি সিরিজ) নাদিয়া কুড্রিশোভা চরিত্রে ২০০৩ ''ইভানভ এবং'' রবিনভিচ (টিভি সিরিজ) ক্লাভকা ইভানোভা ২০০৪ ''নাইট অফ দ্য সি স্টারস'' (টিভি সিরিজ) স্বেতালানা বিচুতস্কায় ২০০৫ ''দ্য ইনসাইডার'' (টিভি সিরিজ) ভারিয়ার মতো ২০০৬ ''স্ট্যালিনের স্ত্রী'' (মিনি সিরিজ) আনা অ্যালিলুয়েভের মতো ২০০৬ ''ইভান পোদুস্কিন।'' লুসি চরিত্রে "''জেন্টলম্যান ডিটেক্টিভ"'' ২০০৬ কুল''গেম'' (টিভি) ঝানা চরিত্রে ২০০৬ ''রাশিয়ান অনুবাদ'' সম্পাদক মারিনা রিযহোভা চরিত্রে ২০০৭ ''ইভান পোদুস্কিন।'' লুসি চরিত্রে ''জেন্টলম্যান ডিটেক্টিভ'' (মিনি সিরিজ) ২০১০ রোজা জর্জিনভনা, সম্পাদক হিসাবে কিস থ্রু ওয়াল ২০১৪ ''কারিগর'' এলেনা ক্লায়ুয়েভা (টেলিভিশন ধারাবাহিক) ২০১৫ ভ্যালেন্টিনা চরিত্রে ''অ্যালকমিস্ট'' (টিভি সিরিজ) == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক স্ংযোগ == বিষয়শ্রেণী:রুশ টিভি উপস্থাপক ব্যক্তি জন্ম'''আসমা মনসৌর''' (আরবি:أسماء منصور) হলেন একজন তিউনিসীয় উদ্যোক্তা নারী অধিকার কর্মী। ==জীবনী== তিউনিসিয়ার এক রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম হওয়া আসমা মনসৌর ছোটবেলা থেকেই বাবা মায়ের কঠোর শাসনে বেড়ে ওঠেন। পনের বছর বয়স থেকে তিনি তিউনিসিয়ার সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। লেখালেখি শুরু করলেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন এবং ২০১০ সালে তিউনিসিয়ার মানৌবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ২০১৩ সালে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ছাত্রাবস্থায় পিপলস মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস লার্নিং নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংগঠনটি তিউনিসীয় নাগরিকদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করত। জাপান সফরের পর তিনি সেখানে সামাজিক উদ্যোগের প্রভাব তাকে আকর্ষণ করে। ২০১১ সালে তিনি হাতেম মাহবৌলি সারাহ তৌমির সাথে তিউনিসীয় সামাজিক উদ্যোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশটিতে সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে চলেছে। ==পুরস্কার সম্মাননা== ২০১৪ সালে তিনি ''বিবিসি ১০০ নারী'' তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালের জুন মাসে তাকে আফ্রিকার ৪২ জন নবধারা প্রবর্তকদের মাঝে তাকে তিন নম্বরে রেখেছিল ''ভেঞ্চারস আফ্রিকা'' নামের একটি সাময়িকী। ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তিমেঘনা সহ বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলির একটি মানচিত্র '''সুরমা-মেঘনা নদী ব্যবস্থাটি''' ভারতীয় উপমহাদেশের একটি নদী ব্যবস্থা, এটি পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ তথা গঙ্গা বদ্বীপের তিনটি প্রধান নদী ব্যবস্থার মধ্যে একটি। এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর পাহাড়ে বারাক নদী হিসাবে প্রবাহিত হয় এবং পশ্চিমে সুরমা নদী নামে পরিচিত ওঠে এবং তারপর মেঘনা নদী হিসাবে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। এই নদী ব্যবস্থা মোট দীর্ঘ, যার মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত এবং নদী ব্যবস্থাটি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। == পথ == === বারাক === মেঘনা নদী অববাহিকা ভারতের মণিপুর পাহাড়ে উৎস থেকে পউমানি উপজাতিদের লিয়াই গ্রাম নদীটি বারাক নদী (স্থানীয়ভাবে Avoure নামেও পরিচিত) হিসাবে পরিচিত হয়। এর উত্সের কাছে নদীটি ইরাং, মাকরু, তুইই, জিরী, গুমতি, হাওড়া, কগনি, সেনাই বুড়ি, হারি মঙ্গল, কাকরাইল, কুরুলিয়া, বালুজহুরি, শোনিচহারী দুরদুরিয়া সহ বেশ কয়েকটি উপনদী পায়। এটি মণিপুর রাজ্য থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়, তারপর মণিপুর ছেড়ে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং টিপাইমুখে বা আসাম রাজ্য প্রবেশ করে, যেখানে নদীটি তুভাই- এর সাথে মিলে যায়। আসাম রাজ্যে বারাক উত্তর দিকে প্রবাহিত হয় এবং আসাম রাজ্যের পশ্চিমে কাছাড় উপত্যকায় অনেকগুলি ছোট উপনদী পাচ্ছে। এটি পশ্চিমে শিলচর শহরের পশ্চিমে প্রবাহিত রয়েছে যেখানে এটি মধুর নদীর সাথে সংযুক্ত। শিলচরের প্রায় পরে বদরপুরের কাছে এটি সুরমা নদী এবং কুশিয়ার নদীতে বিভক্ত এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভারতে বারাকের প্রধান উপনদীগুলি হচ্ছে ইরাং, মাকরু, তুইই, জিরী, ধলেশ্বরী (তলভং), সিংলা, লঙ্গাই, মধুর, সোনাই (তুইরিয়াল), রুকনি এবং কাটাখাল। === সুরমা === দক্ষিণ আসামের আধুনিক করিমগঞ্জ জেলায় প্রবেশের পর বারাক দুটি ভাগে বিভক্ত, উত্তরাঞ্চলীয় শাখাটি সুরমা নদী এবং দক্ষিণ শাখা কুশিয়ার নদী নামে পরিচিত এই মুহুর্তে নদীটি সিলেটের নিন্মভুমিতে (বা খালি) প্রবেশ করে যা সুরমা অববাহিকা গঠন করে। সুরমা নদীর উত্তর তীরে মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপন্ন বহু নদী মিলিত হয় এবং এটি দক্ষিণ প্রবাহিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। এর পরে বাউলাই নদীর নামে পরিচিত হয়। কুশিয়ারা দক্ষিণে সিলেট পাহাড় ত্রিপুরা পাহাড়ের থেকে উৎপন্ন নদীগুলিকে উপনদী হিসাবে পায়, ত্রিপুরা পাহাড়ের প্রধানটি হল মানু। সুরমা থেকে একটি প্রধান শাখা (পরিবেশক) যোগদান করার পরে কুশিয়ারা কাই নদীর নামেও পরিচিত। ভরাবরবাজারের উপরে কিশোরগঞ্জ জেলার সুরমা কুশিয়ারা অবশেষে মেঘনা নদী নামে পরিচিত হয়। === মেঘনা === সুরমা কুশিয়ারা নদীর সমন্বয়ে ভৈরব বাজারের উপরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেঘনা গঠিত হয়। ভৈরব বাজারের থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত মেঘনা উচ্চ মেঘনা হিসাবে পরিচিত। পদ্মায় যোগ দেওয়ার পর, এটি নিন্ম মেঘনা হিসাবে পরিচিত। নদীর উপর সেতু থেকে মেঘনা নদী কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মেঘনা নদী গোমতীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অনেক প্রবাহের সমাহার সৃষ্টি করেছে। এই নদী মেঘনাকে আরও শক্তিশালী করে এবং প্রচুর পরিমাণে জলপ্রবাহ বাড়ায়। মেঘনা গোপ মোটিয়ার ওপরের দুটি সেতু দেশের দীর্ঘতম সেতু। বাংলাদেশের গঙ্গা বৃহত্তম শাখার নাম পদ্মা নদী। পদ্মা নদীতে ব্রহ্মপুত্রের বৃহত্তম শাখা যমুনা নদী যোগদান করে এবং তারা চাঁদপুর জেলায় মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়, এর ফলে নিন্ম মেঘনা গঠিত হয়। চাঁদপুরের পর পদ্মা যমুনার সমবাহিত প্রবাহের সাথে এটি প্রায় সোজা সারিতে বঙ্গোপসাগরে চলে আসে। চাঁদপুর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত, মেঘনা বেশ কয়েকটি ছোট নদীতে বিভক্ত, তবে প্রধান প্রবাহ মেঘনার মোহনায় পৌছায়। ভোলার কাছাকাছি, বঙ্গোপসাগরে মিলিত যাওয়ার আগে নদীটি গঙ্গা বদ্বীপে দুটি প্রধান প্রবাহে ভাগ করে এবং মূল দ্বীপের উভয় দিক থেকে দ্বীপকে মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক করে। পশ্চিম প্রবাহকে ''ইলশা'' বলা হয় এবং পূর্বের নাম ''বামনি'' == তথ্যসূত্র == == আরো দেখুন == ==বহিঃসংযোগ== নদী নদী নদী নদী আন্তর্জাতিক নদী অনুবাদসহ পাতা'''আ হাসান''' একজন বাংলাদেশী টেলিভিশন অভিনেতা। তিনি হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশি জনপ্রিয় হলেও তাকে গম্ভীর চরিত্রেও দেখা যায়। সালাউদ্দিন লাভলুর "রঙের মানুষ" নাটকে রাখালের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তিনি ''এ জার্নি বাই পলিটিক্স'' (২০১১) নাটকে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতার জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। == প্রাথমিক জীবন == হাসান জন্মগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের আদর্শ স্কুলে পড়ালেখা করেন। এরপর নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজে পড়েন। বাংলাদেশের জাতীয় একটি শাখা কলেজ থেকে তিনি তার গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে যার ফল স্বরূপ বিনোদনপাড়ায় তিনি তার নাম লেখান। ==কর্মক্ষেত্র== হাসান ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে জীবনে তিনি অভিনয় জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০০৮ তিনি ডাক্তার বাড়ি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি একের পর এক নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। তবে সালাউদ্দিন লাভলুর "রঙের মানুষ" নাটকে রাখালের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ২০১৯ সালে তিনি মাসুদ করিম সুজনের ''কিস্তি কাদের'' ''ডেঙ্গু নাসের'' টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। তিনি ''বাপ বেটা ৪২০'' ওয়েব নাটকে প্রথমবারের মত যমজ চরিত্রে অভিনয় করেন। নয়ন মিলটন পরিচালিত নাটকটি সৃষ্টি মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি মুক্তি পায়। এই বছর ঈদুল আযহায় তার অভিনীত ৩০টি টেলিভিশন নাটক মিনি ধারাবাহিক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়। ==পুরস্কার মনোনয়ন== ;মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বছর বিভাগ মনোনীত কর্ম ফলাফল ২০১২ শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা (সমালোচক) ''এ জার্নি বাই পলিটিক্স'' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী অভিনেতা টেলিভিশন অভিনেতা'''২০১২ স্পেনীয় সুপার কাপ''' ছিলো পূর্ববর্তী মৌসুমের কোপা দেল রে এবং লা লিগা জয়ীদের মধ্যকার দুই-লেগ বিশিষ্ট বার্ষিক খেলা। ২০১১–১২ লা লিগা জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব এবং ২০১১–১২ কোপা দেল রে জয়ী এফসি বার্সেলোনা আগস্ট ২০১২ তে খেলাটি হয়। ==বিস্তারিত== ===১ম লেগ=== গো '''১''' ভিক্টর ভালদেস '''২''' দানি আলভেজ '''১৪''' হাভিয়ের মাশ্চেরানো '''৩''' জেরার্ড পিকে '''২১''' আদ্রিয়ানো '''১৬''' সার্জিও বুস্কেটস '''৬''' জাভি (c) '''৮''' আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা '''9''' এলেক্সিস সানচেজ '''১৭''' পেদ্রো '''১০''' লিওনেল মেসি '''বদলি:''' গো '''১৩''' হোসে ম্যানুয়েল পিন্টো '''৫''' কার্লস পুয়োল '''১৮''' জর্দি আলবা '''৪''' সেস ফ্যাব্রেগাস '''২৮''' সার্হি রোবের্তো '''৩৭''' ক্রিস্তিয়ান তেলো '''৭''' ডেভিড ভিয়া টিটো ভিলানোভা 300px গো '''১''' ইকার ক্যাসিয়াস (c) '''১৭''' আলভারো আরবেলোয়া '''১৮''' রাউল আলবিওল '''৪''' সার্জিও রামোস '''৫''' ফাবিও কোয়েন্ত্রাও '''১৪''' জাভি আলোনসো '''৬''' সামি খেদিরা '''২১''' হোসে কালেয়োন '''৭''' ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো '''১০''' মেসুত ওজিল '''৯''' করিম বেনজেমা '''বদলি:''' গো '''১৩''' এন্তোনিও আদান '''১২''' মার্সেলো '''২''' রাফায়েল ভারানে '''২৪''' লাসানা দিয়ারা '''২০''' এস্তেবান গ্রানেরো '''২২''' আনহেল ডি মারিয়া '''২০''' গঞ্জালো হিগুয়েইন হোসে মরিনহো '''সহকারী রেফারি:''' কালভো গুয়াদামুরম মার্কো মার্টিনেজ '''চতুর্থ অফিশিয়াল:''' উসন রোজেল ===২য় লেগ=== গো '''১''' ইকার ক্যাসিয়াস (c) '''১৭''' আলভারো আরবেলোয়া '''৩''' পেপে '''৪''' সার্জিও রামোস '''১২''' মারসেলো '''১৪''' জাবি আলোনসো '''৬''' সামি খেদিরা '''২২''' আনহেল ডি মারিয়া '''৭''' ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো '''১০''' মেসুত ওজিল '''২০''' গঞ্জালো হিগুয়েইন '''বদলি:''' গো '''১৩''' এন্তোনিও আদান '''১৮''' রাউল আলবিওল '''১৬''' লুকা মড্রিচ '''২৪''' লাসানা দিয়ারা '''২৭''' নাচো '''২১''' হোসে কালেয়ন '''৯''' করিম বেনজেমা হোসে মরিনহো 300px গো '''১''' ভিক্টর ভালদেস '''২১''' আদ্রিয়ানো '''১৪''' হাভিয়ের মাশ্চেরানো '''৩''' জেরার্ড পিকে '''১৮''' জর্দি আলবা '''১৬''' সার্জিও বুস্কেটস '''৬''' জাবি (c) '''৮''' আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা '''৯''' এলেক্সিস সানচেজ '''১৭''' পেদ্রো '''১০''' লিওনেল মেসি '''বদলি:''' গো '''13''' হোসে ম্যানুয়েল পিন্টো '''১৫''' মার্ক বারত্রা '''১৯''' মার্টিন মন্টোয়া '''৪''' সেস ফাব্রেগাস '''২৫''' এলেক্স সং '''৩৭''' ক্রিশ্চিয়ান তেল্লো '''৭''' ডেভিড ভিয়া টিটো ভিলানোভা '''সহকারী রেফারি:''' চেব্রিয়ান ডেভিস নুনেজ ফার্নান্দেজ '''চতুর্থ অফিশিয়াল:''' গিল ==তথ্যসূত্র== বার্সেলোনার ম্যাচ মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবের ম্যাচ'''১৪তম এমটিভি ইউরোপিয়ান মিউজিক এওয়ার্ডস''' ১নভেম্বর ২০০৭সালে জার্মানি, মিউনিখের অলিম্পিয়াহলে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানটি সর্বমোট ৭৮ মিলিয়ন ভোট পায়, যা এমটিভি ইউরোপ মিউজিক এওয়ার্ডস এর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। আমেরিকার রক ব্যান্ড ফু ফাইটার্স অনুষ্ঠান চালু করে, সাথে ডেভ গ্রোল 'ভিআইপি গ্লেমার পিট' এলাকায় সরাসরি বিখ্যাত লোকদের সাক্ষাৎকার নেন। এই রাতে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল এভ্রিল লেভিগনে, ব্যাক টু ব্যাক গানের সাথে এমি ওয়াইনহাউজ, উইলিয়াম এবং বেবিশ্যাম্বলস। এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন জস স্টোন, মডেল লিলি কোল, আমেরিকান রক ব্যান্ড আর.ই.এম এর মাইকেল স্ট্রাইপ এবং ফর্মুলা ওয়ান এর চালক লুইস হেমিল্টন। == মনোনয়ন == বিজয়ীদের নাম '''বোল্ড''' লেখায় রয়েছে। ===সেরা গান=== বিয়োন্সে এবং শাকিরা "বিউটিফুল লায়ার" নেল্লি ফুর্টাডো "অল গুড থিঙ্স (কাম টু এন এন্ড)" *'''এভ্রিল লেবিগনে মিকা গৃরেস কেল্লি" রিহানা (ফিচারিং জে-ঝি) "আম্ব্রেলা" এমি ওয়াইনহাউস "রেহাব" ===সেরা ভিডিও=== ব্যাট ফর লেশেস "হোয়াট্স গার্ল টু ডু?" দ্যা কেমিকেল ব্রাদার্স "দ্যা সালমান ডান্স" ফু ফাইটার্স "দ্যা প্রিটেন্ডার" *'''জাসটিস "ডান্স"''' জাস্টিন টিম্বারলেক হোয়াট গোস এরাউন্ড... কাম্স এরাউন্ড" কেনিয়ে ওয়েস্ট "স্ট্রঙ্গার" ===অ্যালবাম অফ দ্যা ইয়ার=== একন ''কনভিক্টেড'' *'''নেল্লি ফুর্টাডো ''লুস''''' এভ্রিল লেবিগনে "দ্যা বেস্ট ড্যাম থিং" লিংকিন পার্ক "মিডনাইট" এমি ওয়াইনহাউস "ব্যাক টু ব্ল্যাক" ===সেরা সলো=== ক্রিশ্চিয়ান অগিলেরা নেল্লা ফুর্টাডো *'''এভ্রিল লেভিগনে''' মিকা রিহানা জাস্টিন টিম্বারলেক ===সেরা ব্যান্ড=== ফল আউট বয় গুড চারলোট *'''লিংকিন পার্ক''' মাই কেমিক্যাল রোমান্স টোকিও হোটেল ===নিউ সাউন্ডস অব ইউরোপ=== ফার্মা ইয়াকুপ ===রক আউট=== *'''থার্টি সেকেন্ডস টু মার্স''' ইভানেসেন্স ফল আউট বয় লিংকিন পার্ক মাই কেমিক্যাল রোমান্স ===আল্টিমেট আর্বান=== বিয়োন্সে জিম ক্লাস হিরোজ *'''রিহানা''' টিম্বাল্যান্ড জাস্টিন টিম্বারলেক কেনিয়ে ওয়েস্ট ===সেরা হেডলাইনার=== আর্কটিক মানকিজ বিয়োন্সে ফু ফাইটার্স *'''মুস''' জাস্টিন টিম্বারলেক ===সেরা ইন্টার এক্ট=== থার্টি সেকেন্ডস এু মার্স ডেপেসে মোড ফল আউট বয় মাই কেমিক্যাল রোমান্সস *'''টোকিও হোটেল''' ===আর্টিস্ট চয়েস=== *'''এমি ওয়াইনহাউস''' ===ফ্রি ইয়োর মাইন্ড=== *'''এন্টব আবেলে''' ==আঞ্চলিক মনোনয়ন== বিজয়ীদের নাম '''বোল্ড''' লেখায় রেয়েছে। === সেরা আদ্রিয়া অভিনয় === ডুবিয়োজা কোলেকটিভ লাডনো পাইভো জিন সিদ্ধার্থ '''ভ্যান গোঘ''' === সেরা আফ্রিকান অভিনয় === ক্যামেলিওন '''ডি'ব্যান''' হিপ হপ পান্তসুলা জুয়া কালি সামিনি জুমা নেচার === সেরা আরবীয় অভিনয় === ন্যান্সি আজরাম ইলিসা মোহাম্মদ হামাকি তামের হোসনি '''রাশেদ আল-মাজেদ''' === সেরা বাল্টিক অভিনয় === ডাভল ফেসড ইলস '''জুর্গা''' স্ক্যাম্প দ্যা সান ট্রাইবস অব দ্যা সিটি === সেরা ড্যানিশ অভিনয় === ডিউন '''নেফিউ''' সাসপেক্ট ট্রেন্টেমোলার ভোলবিট === সেরা ডাচ এবং বেলজিয়ান অভিনয় === গুস ওপগেজয়োল্লে গ্যাব্রিয়েল রিয়োস টিয়েস্টো '''উইদিন টেমটেশন''' === সেরা ফিনিশ অভিনয় === হিম এরি কোইভুনেন '''নেগেটিভ''' নাইটউইশ সানরাইজ এভেনিউ === সেরা ফ্রেঞ্চ অভিনয় === বুবা ফেটাল বাজুকা *'''জাসটিস''' বব সিনক্লার সপ্রানো === সেরা জার্মান অভিনয় === বিটস্টেকস *'''বুশিডো''' জুলি সাইডো স্পর্টফ্রন্ডে স্টিলার === সেরা হাঙ্গোরীয় অভিনয় === *'''আকোস''' হেভেন স্ট্রিট সেভেন দ্যা ইডোরু দ্যা মুগ নিও === সেরা ইতালীয় অভিনয় === এলিসা '''জে-এক্স''' ইরেনে গ্রান্দি নেগ্রামারো জিরো এস্সোলুটো === সেরা নরওয়ের অভিনয় === '''এল এক্সেল''' কার্পে ডিয়েম লিলিজেটস প্লিজার আলেক্সান্ডার উইথ === সেরা পলিশ অভিনয় === মনিকা ব্রোডকা আনিয়া ডাব্রোস্কা *'''ডোবা''' কাসিয়া নসোস্কা ও.এস.টি.আর === সেরা পর্তুগিজ অভিনয় === ব্লাস্টেড মেকানিজম বুরাকা সম সিস্টেমা ফনজি স্যাম দ্যা কিড *'''ডা উইয়াসেল''' === সেরা রাশিয়ান অভিনয় === এ-স্টুডিও *'''ডিমা ভিলান''' সার্জে লাজারেভ মাকসিম নু ভার্গোস === সেরা রোমানীয় অভিনয় === এলেক্স এক্টিভ '''আন্দ্রে বানিকা''' ডিজে প্রজেক্ট সিমপ্লু === সেরা স্প্যানিশ অভিনয় === ডাভার এল সুয়েনো ডে মরফিও লা কুইন্টা এস্টাসিয়োন মালা রদ্রিগেজ ডেল ভার্সো''' === সেরা সুইডিশ অভিনয় === দ্যা আর্ক লাকসো টিমো রাইসানেন দোস ডান্সিং ডেইস === সেরা তুর্কিশ অভিনয় === *'''সেজা''' কেনান ডগুলু সার্টাব ইরেনার নিল কারাইব্রাহিমগিল তিয়োমান === সেরা যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড অভিনয় === আর্কটিক মানকিজ ক্লাক্সোনস '''মুস''' মার্ক রনসন এমি ওয়াইনহাউস === সেরা আক্রানীয় অভিনয় === এসথেটিক এডুকেশন গাইটানা *'''লামা''' ওকিন এলজি ভিভি == নিউ সাউন্ডস অফ ইউরোপ প্রতিযোগিতা == ===আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা=== নেদারল্যান্ডস জার্মানি আদ্রিয়া তুর্কি পর্তুগাল ডেনমার্ক সুইডেন যুক্তরাজ্য সি-মন এবং কিপস্কি '''ডেলাইন''' ফেড লে গ্রান্ড জ্যাকিল এবং হাইত মোক চুলচা ক্যান্ডেলা '''চাকুজা''' ডাই ওরবুটেন ইচি পপকিড কে.আই.জি ম্যাডসেন কানেক্ট '''ডানি''' ডুবিয়োজা কোলেকটিভ ইলিমেন্টাল ফাদার ইনট্রুডার মার্সেলো মিসটেকমিসটেক সভাদবাস টাইড বেডুক ড্যানডাডাড্যান পর্তেচো সুটকেস '''ইয়াকুপ''' '''বুরাকা সম সিস্টেমা''' মশ মুন্ডো সিক্রেটো এসপি এবং উইলসন দ্যা ভিশিয়াস '''আলফাবিট''' পোকার ট্রেন্টেমোলার ভোলবিট মিলিয়ন স্টাইলজ সাকের্ট সালেম আল ফকির বিফি ক্লাইরো দ্যা এনেমি দ্যা ফ্র্যাটেলিস কেলভিন হ্যারিস জ্যামি টি '''ক্লক্সোনস''' জেমস মরিসন কেট নাশ মার্ক রনসন দ্যা ভিউ ফ্রান্স স্পেন নরওয়ে ফিনল্যান্ড রোমানিয়া পোল্যান্ড ইতালি বাল্টিক আরন এবিডি আল মালিক আয়ো চারলোট গেনসবার্গ জেহরো কায়োলিন কোক্সি ক্রিস্টোফি মায়ে রিকি রোজ সেফি শাম সোপরানো পিটার ভোন পোহেল '''ক্রিস্টোফ উইলিয়াম''' হান্না '''জুয়ালা ডে গ্রিলোস''' লানটানা মেনডেটজ নেনা ডাকোন্তে সারা ডা পিন আপ তুলসা ওয়ান্ডারফুল কসমেটিকস জোডিয়াক ১২০ ডেইস ক্রিসচেল আলসোস মারগারেট বার্গার মাই মিডনাইট ক্রিপস সুসানে সুন্ডফোর '''আলেক্সান্ডার উইথ''' ডিস্কো এনসেমব্লে লাপকো লাবেক্স স্টার্ম আন্ড ড্র্যাঙ্গ '''সানরাইজ এভেনিউ''' ডিজে প্রজেক্ট '''ফার্মা''' এনা লেস্কো সিমপ্লু দ্যা কার ইজ অন ফায়ার '''কোমা''' কুল কিডস অব ডেথ হার্ট নট সায়মন ক্রিসটিচ্চি ফাব্রি ফিব্রা মন্ডো মারসিয়ো ফেব্রিজিয়ো মরো '''জিরো এসসোলুটো''' '''এস্ট্রো এন আউট''' ডাভল ফেসড এলস '''গ্যাব্রেল''' নো-বিগ-সাইলেন্স আন্ডার ম্যারি ভাইডাস === আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা === বেডউইটার্স ফার্মা ইয়াকুপ সানরাইজ এভেনিউ ২৮/১০ বাতিল হয় ক্রিসটোফ উইলেম ২৭/১০ বাতিল হয় জাউলা ডে গ্রিলোস ২৬/১০ বাতিল হয় বুরাকা সম সিস্টেমা ২৫/১০ বাতিল হয় চাকুজা ২৪/১০ বাতিল হয় ক্লাক্সোনস ২৩/১০ বাতিল হয় নেভারস্টোন ২২/১০ বাতিল হয় জিরো এসসোলুটো ২১/১০ বাতিল হয় ডেলাইন ২০/১০ বাতিল হয় ডানি ১৯/১০ বাতিল হয় গ্র্যাভেল ১৮/১০ বাতিল হয় কোমা ১৭/১০ বাতিল হয় আলফাবিট ১৬/১০ বাতিল হয় আলেক্সান্ডার উইত ১৫/১০ বাতিল হয় এস্ট্রো এন আউট ১৪/১০ বাতিল হয় == আয়োজন == ফু ফাইটার্স "দ্যা প্রিটেন্ডার গড সেভ দ্যা কুইন" মিকা "গ্রেস কেল্লি" এভ্রিল লেভিগনে "হট" মাই কেমিক্যাল রোমান্স "টিনএজার" এমি ওয়াইনহাউস "ব্যাক টু ব্ল্যাক" উইল.আই.এম "আই গট ইট ফ্রম মাই মামা" নিকোলে স্কারজিঙ্গার (ফিচারিং উইল.আই.এম) "বেবি লাভ" বেবিশ্যাম্বলস "ডেলিভারি" বেডউইটার্স "এ ড্রামাটিক লেটার টু কোনসায়েন্স" টোকিও হোটেল "মনসুন" == উপস্থিতি == *বেন্জি ম্যাডেন এবং জোয়েল ম্যাডেন এলবাম অফ দ্যা ইয়ার এওয়ার্ড প্রদান করেন *মাইকেল স্ট্রাইপ আর্টিস্ট চয়েজ এওয়ার্ড প্রদান করেন *লুইস হেমিল্টন সেরা গান এওয়ার্ড প্রদান করেন *এলেন গ্রীন এবং মাইক ইঙ্ঘাম সেরা ভিডিও এওয়ার্ড প্রদান করেন *ফ্রান্কা পোটেন্টে এবং সার্জ টাঙ্কিয়ান রক আউট এওয়ার্ড প্রদান করেন *ডিডিয়ার ড্রোগবা এবং লিলি কোলে সেরা ব্যান্ড এওয়ার্ড প্রদান করেন *ওয়াইক্লেফ জিন এবং ক্রাইগ ডেভিড আল্টিমেট আর্বান এওয়ার্ড প্রদান করেন *জস স্টোন এবং পল ভেন ডিক সেরা ইন্টার এক্ট এওয়ার্ড প্রদান করেন *বোরিস বেকার এবং জেন্স লেহমান সেরা হেডলাইনার এওয়ার্ড প্রদান করেন *জন হেডার সেরা সলো এওয়ার্ড প্রদান করেন *স্নুপ ডগ, এলেন গ্রীন এবং মাইক ইঙ্ঘাম এওয়ার্ড শো প্রোমো == আরও দেখুন == == বহিঃসংযোগ == এমটিভি ইউরোপ প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট এমটিভি ইউরোপ মিউজিক এওয়ার্ডস প্রাতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের ওয়েবসাইট "MTV adds new category to EMAs" Digital Spy, June 18, 2007 অনুষ্ঠান music awards in Germany 2007 in Munich'''আসিফ আলী''' (; জন্ম: অক্টোবর, ১৯৯১) পাঞ্জাবের ফয়সলাবাদে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা পাকিস্তানী পেশাদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে ফয়সালাবাদ পাকিস্তান সুপার লীগে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিং করে থাকেন। == ঘরোয়া ক্রিকেট == ২০১৭-১৮ মৌসুমে ফয়সলাবাদের পক্ষে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে অংশ নেন। ছয় খেলায় অংশ নিয়ে ৩৬৯ রান তুলে শীর্ষ রান সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। ২০১৭ সালে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লীগে পোখারা রাইনোসের পক্ষে খেলেন। এপ্রিল, ২০১৮ সালে পাকিস্তান কাপের জন্যে পাঞ্জাব দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভূক্ত হন। প্রতিযোগিতায় চার খেলায় অংশ নিয়ে ৩২৮ রান তুলে পাঞ্জাবের শীর্ষ রান সংগ্রাহক হন। জুন, ২০১৮ তারিখে কানাডায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল টি২০ কানাডা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আসরে এডমন্টন রয়্যালসের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। অক্টোবর, ২০১৮ সালে মানসি সুপার লীগ টি২০ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরে কেপ টাউন ব্লিটজের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। মার্চ, ২০১৯ সালে পাকিস্তান কাপে সিন্ধ দলের পক্ষে খেলেন। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == মার্চ, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি২০আই সিরিজে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান দলে অন্তর্ভূক্ত হন আসিফ আলী। এপ্রিল, ২০১৮ তারিখে করাচীতে সিরিজের ১ম টি২০আইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক ঘটে তার। এরপর জুলাই, ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। ১৩ জুলাই, ২০১৮ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ১ম ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় আসিফ আলীর। আগস্ট, ২০১৮ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কর্তৃক ২০১৮-১৯ মৌসুমের জন্য তেত্রিশজন খেলোয়াড়কে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ করায়। এতে তিনিও অন্যতম খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন। মে, ২০১৯ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক ক্রিকেট বিশ্বকাপের পনেরো সদস্যের চূড়ান্ত দলে আসিফ আলীকে রাখা হয়। == ব্যক্তিগত জীবন == ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ১৯ মে, ২০১৯ তারিখে দুই বছর বয়সী কন্যা নূর ফাতিমা যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে ক্যান্সারজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == বাবর আজম ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলসমূহ পাকিস্তানী একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ইউনাইটেডের ক্রিকেটার ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার থেকে আগত ক্রিকেটার উল্ভসের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ট্রাইডেন্টসের ক্রিকেটার'''থ্রি স্টোরিজ অ্যান্ড টেন পোয়েমস''' () হল আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত ছোটগল্প কবিতার সংকলন। ১৯২৩ সালে প্যারিসে রবার্ট ম্যাকআলমনের কনট্যাক্ট পাবলিশিং থেকে নিভৃতে ৩০০ কপি প্রকাশিত হয়। ==তিনটি ছোটগল্প== "আপ ইন মিশিগান" "আউট অব সিজন" "মাই ওল্ড ম্যান" ==দশটি কবিতা== "ওকলাহোমা" "ওয়েলি ওয়েদার" "রুজভেল্ট" "ক্যাপটিভস" "শাম্পস দনার" "রিপার্তো দাসালতো" "মন্তপারনাস" "অ্যালং উইথ ইয়ুথ" "চ্যাপ্টার হেডিং" ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ছোটগল্প সংকলন হেমিংওয়ের ছোটগল্প সংকলন হেমিংওয়ের কাব্য সংকলন কাব্য সংকলন'''গ্রেইস ক্যাসেডি''' (জন্ম ২৪ মার্চ ১৯৯৩) একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী। তিনি চলচ্চিত্রে এ্যাথিনা চরিত্রে অভিনয় করা রাফেই ক্যাসিডির বড় বোন। ==পেশাজীবন== এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো বিবিসির ''গ্রাঞ্জ হিলে'' রেচেল টাওয়ার চরিত্রে অভিনয়। বিগত বছরগুলোতে তিনি ''দ্য স্ট্রিট'', ''দ্য চেজ'' এবং ''মেরিয়ান এগেইন''সহ বেশকিছু টিভি ধারাবাহিকে গৌণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এছাড়াও ক্যাসেডি ''ক্যাজুয়ালটি ১৯০৯''-এ অতিথি শিল্পী হিসেবে এবং ড্রামা সিরিজ তার ভাই মোসি ক্যাসিডির সাথে স্বল্প সময়ের জন্য অভিনয় করেন, যা ছিল তার ভাইয়ের টিভিতে প্রথম অভিনয়। ক্যাসেডি ''এমারডেল''-এ ২০০৯ সালের প্রারম্ভে অংশগ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল, তিনি ''এমারডেল'' থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== Grace Cassidy Online'''"ইন অ্যানাদার কান্ট্রি"''' () হল আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত একটি ছোটগল্প। এটি ১৯২৭ সালে ''মেন উইদাউট উইমেন'' ছোটগল্প সংকলনে প্রকাশিত হয়। গল্পটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন মিলানে একজন অ্যাম্বুলেন্স কর্পোরালের সদস্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যে মেশিন ভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতির ব্যঙ্গধর্মী উপস্থাপন বলে বিবেচনা করা হয়। নাম-পরিচয়হীন এই চরিত্রটিকে হেমিংওয়ের সৃষ্ট চরিত্র নিক অ্যাডামস বলে ধারণা করা হয়। ==গল্প সংক্ষেপ== প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিলানে একজন অ্যাম্বুলেন্স কর্পোরালের সদস্য হাঁটুতে আঘাত পেয়ে প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যায়। সেখানে দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য "মেশিন" ব্যবহার করা হয় এবং ডাক্তাররা এই অলৌকিক নতুন প্রযুক্তিকে বড় করে দেখাতে থাকে। তার আঘাতের ছবি তা মেশিনের সাহায্যে কীভাবে সারিয়ে ওঠছে তার ছবি দেখান, কিন্তু যুদ্ধাহত সৈনিকটি এতে সন্দেহ প্রকাশ করে। যখন গল্পকথক তার সহ-সৈনিকদের নিয়ে রাস্তায় হেঁটে যান, শহরের লোকজন তাদের দিকে সরাসরি ঘৃণার দৃষ্টিতে থাকায় কারণ তার সৈনিক। চিকিৎসা পরবর্তী তারা ক্যাফে কোভাতে যান, যেখানে খাদ্য পরিবেশক খুবই দেশপ্রেমী। যখন বাকি সৈনিকেরা গল্পকথকের পদকের প্রশংসা করেন, তারা জানতে পারে যে সে মার্কিনী এবং তারা পদক পাওয়ার জন্য এমন কষ্টের সম্মুখীন হতে চাননা। তারা তাকে আর সমভাবে দেখে না, কিন্তু তাকে তখনও বন্ধু মনে করে। গল্পকথক এই বিষয়টি গ্রহণ করে নেন, কারণ সে মনে করে তারা পদক অর্জনের চেয়েও তার জন্য বেশি কিছু করেছে। পরবর্তী কালে গল্পকথকের এক মেজর বন্ধু তাকে বিয়ে না করার পরামর্শ দেন, কিন্তু তার আশা স্বপ্ন ছিল বিয়ে করার, কারণ এর মধ্য দিয়ে একজন তার জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তোলতে পারে। পরে জানা যায় যে মেজরের স্ত্রী হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মেজরকে তার স্ত্রী হারানোয় খুব বেশি মনঃকষ্টে পীড়িত হিসেবে দেখা যায়। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ছোটগল্প হেমিংওয়ের ছোটগল্প ছোটগল্প'''২০১৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল''' হচ্ছে ২০১৮–১৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের চূড়ান্ত অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচ ছিল, এটি উয়েফা কর্তৃক আয়োজিত ইউরোপের প্রিমিয়ার ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতার ৬৪তম ফাইনাল এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ যুগে ২৭তম ফাইনাল। ২০১৯ সালের ১লা জুন তারিখে স্পেনের মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রপলিতানোতে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে, এই ম্যাচটি দুটি ইংরেজ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার এবং লিভারপুলের মধ্যে আয়োজিত হয়েছে। টটেনহ্যাম তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবং লিভারপুল তাদের ইতিহাসে সর্বমোট বার টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপীয় কাপ ফাইনালে উপস্থিত হয়েছে; তারা পূর্ববর্তী আসরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায়। এটি সপ্তম এবং এই দশকের চতুর্থ চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল ছিল, যেখানে একই অ্যাসোসিয়েশন হতে দুটি দল করেছে এবং ২০০৮-এর পরে দ্বিতীয় সম্পূর্ণ ইংরেজ ফাইনাল। একই সাথে এটি ২০১৩ সালের পর প্রথম চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল, যেখানে বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে অন্তত একটি স্পেনীয় ক্লাব নেই। মাত্র ১০৬ সেকেন্ড পর পেনাল্টি হতে মোহাম্মদ সালাহ এবং ৮৭ মিনিটে ডিভোক ওরিগির করা গোলের বিনিময়ে লিভারপুল ফাইনালে ২–০ গোলের ব্যবধানে টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে ২০০৫ সালের পর প্রথমবার এবং সর্বমোট ৬ষ্ঠ বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লীগের শিরোপা জয়লাভ করে। লিভারপুল ২০১৯ উয়েফা সুপার কাপে ২০১৮–১৯ উয়েফা ইউরোপা লীগের বিজয়ী দল চেলসির বিরুদ্ধে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এবং একই সাথে তারা ২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে;যেহেতু লিভারপুল তাদের লীগের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লীগের পরবর্তী আসরের জন্য সরাসরি উত্তীর্ণ হয়, তাই তাদের জন্য সংরক্ষিত আসনটি ২০১৮–১৯ অস্ট্রিয়ান বুন্দেসলিগা বিজয়ী দলকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, উয়েফা ঘোষণা করে যে, অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলি খেলোয়াড় মাঠে প্রবেশ করানো যাবে এবং একই সাথে বদলি দলে খেলোয়াড়ের সংখ্যা থেকে ১২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই আসরে কিক-অফ সময়ও ২০:৪৫ সিইএসটি হতে ২১:০০ সিইএসটি-এ পরিবর্তন করা হয়েছিল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে ইতিহাসে এবারই প্রথম ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়েছে। ==দল== ''নিম্নে উল্লেখিত টেবিলে, ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রতিযোগিতা ইউরোপিয়ান কাপ যুগ এবং ১৯৯৩ সাল হতে বর্তমান পর্যন্ত উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ যুগ'' দল পূর্ববর্তী ফাইনালে উপস্থিতি ('''গাঢ়''' দ্বারা উক্ত আসরের বিজয়ী দল নির্দেশিত) টটেনহ্যাম হটস্পার লিভারপুল ('''১৯৭৭''', '''১৯৭৮''', '''১৯৮১''', '''১৯৮৪''', ১৯৮৫, '''২০০৫''', ২০০৭, ২০১৮) ==মাঠ== মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রপলিতানো এটি ১৯৫৭, ১৯৬৯, ১৯৮০ এবং ২০১০ সালের ফাইনালের পর পঞ্চম ইউরোপীয় কাপ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল, যেটি স্পেন মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূর্বের ৪টি ফাইনালই রিয়াল মাদ্রিদের এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যু-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৬৭,০০০ ওয়ান্দা মেত্রপলিতানো হচ্ছে স্পেনীয় ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের নিজস্ব মাঠ, যারা এই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই মাঠের প্রধান সংস্কার সম্পন্ন করেছে। উয়েফা কর্তৃক টুর্নামেন্টে অ-স্পন্সরের নামকরণ বিষয়ক বিধিমালার কারণে স্টেডিয়ামটিকে "ওয়ান্দা মেত্রপলিতানো"র পরিবর্তে এস্তাদিও মেত্রপলিতানো" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ===আয়োজক নির্ধারণ=== প্রথমবারের মতো, উয়েফা ক্লাব প্রতিযোগিতার ফাইনাল (উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, উয়েফা ইউরোপা লীগ, উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং উয়েফা সুপার কাপ) এর স্থান নির্বাচন করার জন্য একটি উন্মুক্ত নিলাম প্রক্রিয়া আয়োজন করেছে। এই নিলাম প্রক্রিয়াটি ২০১৬ সালের ৯ই ডিসেম্বর তারিখে শুরু করা হয়েছিল এবং সকল এসোসিয়েশনকে ২০১৭ সালের ২৭ই জানুয়ারি তারিখের মধ্যে তাদের আয়োজক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ এবং ২০১৭ সালের ৬ই জুন তারিখে মধ্যে দলিল জমা দিতে বলা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি তারিখে, উয়েফা ঘোষণা করে যে, আজারবাইজান এবং স্পেন চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনাল আয়োজনের ইচ্ছা পোষণ করেছে। ২০১৭ সালের ৭ই জুন তারিখে, উয়েফা নিশ্চিত করে যে, আজাইরবাইজানের ৬৮,০০০ বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়াম এবং স্পেনের ৬৭,০০০ ওয়ান্দা মেত্রপলিতানো ২০১৯ সালের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল বিড জমা দিয়েছে। ২০১৭ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর তারিখে উয়েফা নিলামের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ২০১৭ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর তারিখে, উয়েফার নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০১৯ সালে আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়াম উয়েফা ইউরোপা লীগের ফাইনাল আয়োজন করবে। ==ফাইনালে যাত্রা== '''''নোট''': নিম্নে উল্লেখিত সকল ফলাফলে, ফাইনালের দলগুলোর স্কোর প্রথমে উল্লেখ করা হয়েছে (হো: হোম; টটেনহ্যাম হটস্পার পর্ব লিভারপুল প্রতিপক্ষ ফলাফল গ্রুপ পর্ব প্রতিপক্ষ ফলাফল ইন্টার মিলান ১–২ {অ্যা} ম্যাচদিন পারি সাঁ-জেরমাঁ ৩–২ {হো} বার্সেলোনা ২–৪ {হো} ম্যাচদিন নাপোলি ০–১ {অ্যা} পিএসভি আইন্দোভেন ২–২ {অ্যা} ম্যাচদিন রেড স্টার বেলগ্রেড ৪–০ {হো} পিএসভি আইন্দোভেন ২–১ {হো} ম্যাচদিন রেড স্টার বেলগ্রেড ০–২ {অ্যা} ইন্টার মিলান ১–০ {হো} ম্যাচদিন পারি সাঁ-জেরমাঁ ১–২ {অ্যা} বার্সেলোনা ১–১ {অ্যা} ম্যাচদিন নাপোলি ১–০ {হো} '''গ্রুপ বি রানার-আপ''' চূড়ান্ত অবস্থান '''গ্রুপ সি রানার-আপ''' প্রতিপক্ষ সামগ্রিক ১ম লেগ ২য় লেগ নকআউট পর্ব প্রতিপক্ষ সামগ্রিক ১ম লেগ ২য় লেগ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৪–০ ৩–০ {হো} ১–০ {অ্যা} ১৬ দলের পর্ব বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ ০–০ {হো} ৩–১ {অ্যা} ম্যানচেস্টার সিটি ৪–৪ (অ্যা) ১–০ {হো} ৩–৪ {অ্যা} পোর্তো ৬–১ ২–০ {হো} ৪–১ {অ্যা} আয়াক্স ৩–৩ (অ্যা) ০–১ {হো} ৩–২ {অ্যা} সেমি-ফাইনাল বার্সেলোনা ৪–৩ ০–৩ {অ্যা} ৪–০ {হো} ==ম্যাচ== ===বিস্তারিত=== এবং সেমি-ফাইনাল ড্রয়ের পর, ২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ তারিখে, ১২:০০ টায় (সিইটি) সুইজারল্যান্ডের নিওনে অনুষ্ঠিত এক অতিরিক্ত ড্রয়ের মাধ্যমে "হোম" দল (প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে) নির্ধারণ করা হয়েছিল। গো '''১''' উগো লরিস (অধি:) রা.ব্যা. '''২''' কিরান ট্রিপিয়ার সে.ব্যা. '''৪''' টবি অল্ডারওয়েরেল্ড সে.ব্যা. '''৫''' ইয়ান ভের্তোনেন লে.ব্যা. '''৩''' ড্যানি রোজ সে.মি. '''১৭''' মুসা সিসোকো সে.মি. '''৮''' হ্যারি উইঙ্কস রা.উ. '''২০''' ডেলে আলী অ্যা.মি. '''২৩''' ক্রেস্টিয়ান এয়ারিকসন লে.উ. '''৭''' সোন হুং মিন সে.ফ. '''১০''' হ্যারি কেন '''বদলি:''' গো '''১৩''' মিশেল ভর্ম গো '''২২''' পাওলো গাজানিগা '''৬''' দাভিনসন সানচেজ '''১৬''' কাইল ওয়াকার-পিটার্স '''২১''' হুয়ান ফয়েথ '''২৪''' সার্জ অরিয়ে '''৩৩''' বেন ডেভিস '''১১''' এরিক লামেলা '''১২''' ভিক্টর ওয়ানিয়ামা '''১৫''' এরিক ডিয়ার '''২৭''' লুকাস মৌরা '''১৮''' ফার্নান্দো লরেন্ত মৌরিসিয়ো পোচেটিনো 300px গো '''১৩''' অ্যালিসন বেকার রা.ব্যা. '''৬৬''' ট্রেন্ট সে.ব্যা. '''৩২''' জোয়েল মাটিপ সে.ব্যা. '''৪''' ভার্জিল ভ্যান ডাইক লে.ব্যা. '''২৬''' অ্যান্ড্রু রবার্টসন সে.মি. '''১৪''' জর্ডান হেন্ডারসন (অধি:) সে.মি. '''৩''' ফাবিনিয়ো সে.মি. '''৫''' জর্জিনিও উইনাল্ডাম রা.ফ. '''১১''' মোহাম্মদ সালাহ সে.ফ. '''৯''' রবার্তো ফিরমিনো লে.ফ. '''১০''' সাদিও মানে '''বদলি:''' গো '''২২''' সিমোন মিয়োলেট গো '''৬২''' চাইওমহিম কেলেহার '''৬''' দেজান লভ্রেন '''১২''' জো গোমেজ (ফুটবলার) '''১৮''' আলবার্তো মরিনো '''৭''' জেমস মিলনার '''২০''' অ্যাডাম লালানা '''২১''' অ্যালেক্স '''২৩''' জারদান শাকিরি '''১৫''' ড্যানিয়েল স্টারিজ '''২৪''' রায়ান ব্রেউস্টার '''২৭''' ডিভোক ওরিগি ইয়ুর্গেন ক্লপ ভার্জিল ভ্যান ডাইক (লিভারপুল) '''সহকারী রেফারিগণ:''' জুরে প্রাপ্রোটনিক (স্লোভেনিয়া) রবার্ট ভুকান (স্লোভেনিয়া) '''চতুর্থ অফিসিয়াল:''' আন্তোনিও মাতেউ লাহোজ (স্পেন) '''ভিডিও সহকারি রেফারি:''' ড্যানি মাকেলি (নেদারল্যান্ডস) '''সহকারি ভিডিও সহকারি রেফারি:''' পল ভ্যান বোকেল (নেদারল্যান্ডস) ফেলিক্স জোওয়ায়ের (জার্মানি) '''অফসাইড ভিডিও সহকারি রেফারি:''' মার্ক বর্শ (জার্মানি) '''ম্যাচ নিয়ম''' *৯০ মিনিট *৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় (যদি প্রয়োজন হয়) *পেনাল্টি শুট-আউট (যদি ফলাফল সমতায় থাকে) *১২ জন বদলি খেলোয়াড় *সর্বোচ্চ জন বদলি খেলোয়াড়, অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ বদলি খেলোয়াড় প্রবেশ করানো যাবে। +প্রথমার্ধ পরিসংখ্যান টটেনহ্যাম হটস্পার লিভারপুল গোল সংখা সর্বমোট শট লক্ষ্যে শট বল রক্ষা বলের দখল ৬০% ৪০% কর্নার কিক ফাউল অফসাইড হলুদ কার্ড লাল কার্ড +দ্বিতীয়ার্ধ পরিসংখ্যান টটেনহ্যাম হটস্পার লিভারপুল গোল সংখ্যা সর্বমোট শট ১৪ লক্ষ্যে শট বল রক্ষা বলের দখল ৬১% ৩৯% কর্নার কিক ফাউল অফসাইড হলুদ কার্ড লাল কার্ড +সামগ্রিক পরিসংখ্যান টটেনহ্যাম হটস্পার লিভারপুল গোল সংখ্যা সর্বমোট শট ১৬ ১৪ লক্ষ্যে শট বল রক্ষা বলের দখল ৬১% ৩৯% কর্নার কিক ফাউল অফসাইড হলুদ কার্ড লাল কার্ড ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== *উয়েফা.কমে ২০১৯ ফাইনাল:মাদ্রিদ 2019 Final বিষয়শ্রেণী:জুন ২০১৯-এ ইউরোপে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা'''চিত্তুর রাজস্ব বিভাগ''' হল ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটা জেলার টি অন্যতম রাজস্ব বিভাগ। রাজস্ব বিভাগ ২০ টি মন্ডল নিয়ে গঠিত এবং এর সদর হল চিত্তর। বিভাগে টি পৌরসভা এবং টি পৌর সংস্থা রয়েছে। == অধিক্ষেত্র == বিভাগের মন্ডল এবং শহুরে বসতির বিস্তারিত বিবরণ: মন্ডলের চিত্তর, গঙ্গাধারা নেলোর, গুড়িপালা, ইরালা, কর্ভেটিনগর, নাগরী, নারায়ণভানাম, নিন্দ্রা, পালাসামদ্রম, পেনমুুরু, পুঠালাপট্টু, পাটুর, থাওয়ানামপালে, বাদামলাপাতা, ওয়েদুরুকুপাম, বিজয়পুরম, যাদামারি পৌরসংস্থা চিত্তর পৌরসভা নাগারী, পাটুর == আরো দেখুন == অন্ধ্রপ্রদেশ রাজস্ব বিভাগের তালিকা অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ডলের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক লিঙ্ক == রাজস্ব বিভাগ'''দক্ষিণ ওদলাবাড়ি''' ভারতের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার একটি জনগণনা নগর৷ ==ভুগোল== দক্ষিণ ওদলাবাড়ি জনগণনা নগরটি জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের অন্তর্ভুক্ত৷ এটি লিস চেল নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ওদলাবাড়ির দক্ষিণে অবস্থিত৷ শহরটি মাল থানার অন্তর্গত৷ ==জনতত্ত্ব== ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ভারতের জনগণনা অনুসারে দক্ষিণ ওদলাবাড়ি জনগণনা নগরের জনসংখ্যা ৪৯৯৭ জন, যার মধ্যে ২৫২৫ জন পুরুষ ২৪৭২ জন নারী৷ প্রতি হাজার পুরুষে ৯৭৯ জন নারী৷ বছর অনুর্দ্ধ ৬৬০ জন শিশু, যা সমগ্র জনসংখ্যার ১৩.২১ %৷ বছরোর্দ্ধ জনসংখ্যার ৭২.০৫% অর্থাৎ ৩১২৫ জন সাক্ষর৷ পুরুষ সাক্ষরতার হার ৭৮.৮৬ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৬৫.০৩ %৷ ==পরিবহন== শহরটি ওদলাবাড়ী রোডের মাধ্যমে ১৭ নং জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত৷ বাগডোগরা বিমানবন্দরটি শহরটির নিকটেই অবস্থিত৷ উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী হওয়ার জন্য এই শহরটি থেকে জেলাটির বিভিন্ন শহরসহ কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, ধুপগুড়ি কিশানগঞ্জ শহর সড়কপথে যুক্ত৷ নিকটবর্তী রেলস্টেশনটি হলো ওদলাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন৷ ==তথ্যসূত্র== জেলার শহর'''বিন্দিয়া গোস্বামী''' (জন্মঃ ১৯৫৬) ভারতের বলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের একজন অভিনেত্রী ছিলেন। বিন্দিয়া সত্তরের দশক এবং আশির দশকে অভিনয় করার পর অভিনয় ছেড়ে দেন। ==কর্মজীবন== যৌবনকালে বিন্দিয়া অভিনেত্রী হেমা মালিনীর মাতা বিন্দিয়াকে একটি অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়ে তাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন এবং বিন্দিয়া রাজী হয়ে যান। হেমা মালিনীর মাতা বিভিন্ন সঙ্গে বিন্দিয়াকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। বিন্দিয়া ''জীবন জ্যোতি'' (১৯৭৬) চলচ্চিত্রে বিজয় অরোরার বিপরীতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান, এটিই ছিলো বিন্দিয়া অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। বিজয় অরোরা যিনি ১৯৭৩ সালের হিট চলচ্চিত্র ''ইয়াদোঁ কি বারাত'' অভিনয় করেছিলেন ''জীবন জ্যোতি'' তে তেমন একটা ভালো অভিনয় করে দেখাতে পারেননি, তাছাড়া বিজয়কে ওভাবে ভারতের মানুষ চিনতো না। চলচ্চিত্রটি ফ্লপ হয় এবং বিন্দিয়া পরিচিতি পেতে সক্ষম হননি। বিন্দিয়া এরপর বাসু চ্যাটার্জী পরিচালিত ''খাট্টা মিঠা'' (১৯৭৭) এবং ''প্রেম বিবাহ'' (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, ''খাট্টা মিঠা''তে বিন্দিয়া অশোক কুমার এবং রাকেশ রোশন এর সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং ''প্রেম বিবাহ''তে মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন, দুটি চলচ্চিত্রই বক্স অফিস ফ্লপ ছিলো। ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ''গোলমাল'' (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে অমল পালেকর এর সঙ্গে অভিনয় করে বিন্দিয়া মোটামুটি পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন, চলচ্চিত্রটি হিট হয়েছিলো। ১৯৮০ সালের হিট চলচ্চিত্র ''শান'' বিন্দিয়া শশী কাপুরের নায়িকা হিসেবে ছিলেন। ==ব্যক্তিগত জীবন== বিন্দিয়ার জন্ম রাজস্থানে হয়েছিলো, তার বাবা একজন তামিল হিন্দু ছিলেন এবং মা ছিলেন হিন্দিভাষী খৃষ্টান। বিন্দিয়া অভিনেতা বিনোদ মেহরাকে বিয়ে করেছিলেন তবে বিয়ের চার বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। ১৯৮৫ সালে বিন্দিয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় ছেড়ে দিয়ে পরিচালক জে পি দত্তকে বিয়ে করেন। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী জন্ম'''কাজী''' নামে যেসব পাতা রয়েছে কাজী (দেওয়া নাম) কাজী (নেপাল), নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী (পরে মন্ত্রীদের হ্রাস) কাজী, বিড়াল ভেপাসিয়ান কাজী বা ''কাদী'' বা ''কাজি'', ইসলামী আইনী পণ্ডিত বিচারক। কাজী, কল্পনাপ্রসূত বাইনিয়িক মহাবিশ্বের একটি মাতারেনের নাম কাজি-এফএম, টেক্সাসের অস্টিনের একটি এফ এম রেডিও স্টেশন কাজী, ঐতিহ্যগতভাবে উত্তর ভারতের কিংডম সিক্কিমে ব্যবহৃত একটি সম্মানজনক শিরোনাম কাজী, ৮ম শতাব্দীর চেক পৌরাণিক কাহিনী, লিবিসের বোন "কাজী", ক্রিস রোলের ডাকনাম, হিপ হপ সঙ্গীতজ্ঞ কাজে একটি কির্গিজ থালা এবং কাজাখ থালা কাজী টাউনশিপ, লুহানঝাব কাউন্টি (卡孜 乡), তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল, চীন গণপ্রজাতন্ত্রী কাজী টাউনশিপ, নেমলিং কাউন্টি (卡孜乡), টাউনশিপ নেমলিং কাউন্টি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। জাপানি উপাধি কাজী (উপাধি), যেমন কুনেরী-শিকি বা নিহোন-শিকিতে লেখা আছে == আরো দেখুন == কাজী (বিচ্ছিন্নতা) কাশি (বিচ্ছিন্নতা) গাজী (বিচ্ছিন্নতা) নিরসন পাতা'''লরেন্স অ্যান্ডারসন মার্কহাম''' (; জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯২৪ মৃত্যু: আগস্ট, ২০০০) এমবাবানে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি লেগ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করে গেছেন ‘ফিশ’ ডাকনামে পরিচিত '''ফিশ মার্কহাম'''। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৫০-৫১ মৌসুম পর্যন্ত ফিশ মার্কহামের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সময়ে তিনি মাত্র সতেরোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমের কারি কাপে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ৭/১০৬ নিয়ে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এর এক সপ্তাহ পর অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৩৪ রানের দূর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি রান তুলেন। দলীয় সংগ্রহ পর্যায়ে ১৬৬/৭ ছিল। অসি ডসনের সাথে অষ্টম উইকেট জুটিতে ১৭৪ রান যুক্ত করেন। খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে তিনটি করে উইকেট পেয়েছিলেন। এরফলে তার দল ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == ফিশ মার্কহাম মূলতঃ ডানহাতি লেগ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতি ব্যাটিং করতেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৯ তারিখে জোহেন্সবার্গে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ফিশ মার্কহামের। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। সিরিজের চতুর্থ খেলায় তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। টাফটি মান অ্যাথল রোয়ানের সাথে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে অংশ নেন। একমাত্র ইনিংসে ২০ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, খেলায় একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পান। ফলশ্রুতিতে, পরের টেস্ট থেকে বাদ পড়েন। এরপর থেকে তাকে আর টেস্ট ক্রিকেট অঙ্গনে খেলতে দেখা যায়নি। == ব্যক্তিগত জীবন == আগস্ট, ২০০০ তারিখে ৭৫ বছর বয়সে নাটালের ফিশ মার্কহামের দেহাবসান ঘটে। তার ভ্রাতা নেভিল মার্কহাম নাটালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == সিড পেগলার রোল্যান্ড বিউমন্ট এক টেস্টের বিস্ময়কারী দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা টেস্ট বহির্ভূত দেশে জন্মগ্রহণকারী টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার আফ্রিকান ক্রিকেটার আফ্রিকার টেস্ট ক্রিকেটার'''নাটকে পুলিৎজার পুরস্কার''' হল সাহিত্য, নাটক সঙ্গীতের জন্য প্রদত্ত সাতটি পুলিৎজার পুরস্কারের একটি। এটি ১৯১৭ সালে পুলিৎজার পুরস্কার প্রদানের শুরুর সময়ে প্রবর্তিত সাতটি পুরস্কারের একটি। কিন্তু ১৯১৭ সালে প্রথম আয়োজনে চারটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং নাটকের জন্য কোন পুরস্কার প্রদান করা হয়নি। নাটকের জন্য প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয় ১৯১৮ সালে। পূর্ববর্তী বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মঞ্চস্থ নাটকগুলোর জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। ১৯৮০ সাল থেকে চূড়ান্ত পর্বের মনোনয়ন তালিকাও প্রকাশ করা হয়, এই তালিকায় সাধারণত চূড়ান্তভাবে মনোনীত তিনটি কাজের নাম উল্লেখ করা হয়। ==বিজয়ী মনোনীতদের তালিকা== ওনিল সর্বাধিক চারবার এই বিভাগে পুরস্কার জয় করেন, তিনি ১৯২০, ১৯২২, ১৯২৮, ১৯৫৭ সালে এই পুরস্কার লাভ করেন। ===১৯১৮-১৯১৯=== বছর সাহিত্যকর্ম সাহিত্যিক ১৯১৮ ''হোয়াই ম্যারি?'' জেসি লিঞ্চ উইলিয়ামস ১৯১৯ ''পুরস্কার প্রদান করা হয়নি'' ===১৯২০-এর দশক=== বছর মঞ্চনাটক নাট্যকার ১৯২০ ''বিয়ন্ড দ্য হরাইজন'' ইউজিন ওনিল ১৯২১ ''মিস লুলু বেট'' জোনা গেল ১৯২২ ''অ্যানা ক্রিস্টি'' ইউজিন ওনিল ১৯২৩ ''আইসবাউন্ড'' ওয়েন ডেভিস ১৯২৪ ''হেল-বেন্ট ফার হেভেন'' হ্যাচার হিউজ ১৯২৫ ''দে ন্যু হোয়াট দে ওয়ান্টেড'' সিডনি হাওয়ার্ড ১৯২৬ ''ক্রেইগ্‌স ওয়াইফ'' জর্জ কেলি ১৯২৭ ''ইন আব্রাহাম্‌স বোজম'' পল গ্রিন ১৯২৮ ''স্ট্রেঞ্জ ইন্টারলুড'' ইউজিন ওনিল ১৯২৯ ''স্ট্রিট সিন'' এলমার রাইস ===১৯৪০-এর দশক=== বছর মঞ্চনাটক নাট্যকার ১৯৪০ ''দ্য টাইম অব ইওর লাইফ'' উইলিয়াম সারোয়ান ১৯৪১ ''দেয়ার শ্যাল বি নো নাইট'' রবার্ট ই. শেরউড ১৯৪২ ''পুরস্কার প্রদান করা হয়নি'' ১৯৪৩ ''দ্য স্কিন অব আওয়ার টিথ'' থর্নটন ওয়াইল্ডার ১৯৪৪ ''পুরস্কার প্রদান করা হয়নি'' ১৯৪৫ ''হার্ভি'' ম্যারি কোয়েল চেজ ১৯৪৬ ''স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন'' রাসেল ক্রুজ, হাওয়ার্ড লিন্ডসে ১৯৪৭ ''পুরস্কার প্রদান করা হয়নি'' ১৯৪৮ ''আ স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার'' টেনেসি উইলিয়ামস ১৯৪৯ ''ডেথ অব সেলসম্যান'' আর্থার মিলার ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== পুলিৎজার পুরস্কার নাটক মঞ্চনাটক পুরস্কার প্রবর্তিত পুরস্কার'''অন্ধ্রপ্রদেশ উচ্চ আদালত''' হল অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যর উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের আসন অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী অমরবতীতে অবস্থিত। বর্তমানে উচ্চ আদালতের জন্য ব্যবহৃত আদালত কমপ্লেক্সটি "জুডিসিয়াল কমপ্লেক্স" হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে এবং স্থায়ী উচ্চ আদালত ভবন উদ্বোধনের পরে "সিটি সিভিল কোর্ট"-এর জন্য এটি ব্যবহার করা হবে। == ইতিহাস == এটি ১৯৫৪ সালে অন্ধ্ররাজ্য মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি থেকে গঠিত হওয়ায় সময় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্ধ্র রাজ্য সাথে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে অন্ধ্রাপ্রদেশ গঠনের পর ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কোর্টটি প্রথমে গুন্টুর শহরে থেকে পরিচালিত হত। তারপরে উচ্চ আদালতটি রাজ্যের রাজধানী হায়দ্রাবাদ থেকে কাজ শুরু করে। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন ২০১৪ অনুসারে অন্ধ্রপ্রদেশকে তেলঙ্গানা অন্ধ্র প্রদেশে বিভাজন করার পর, অন্ধ্র প্রদেশের নতুন উচ্চ আদালত তৈরি করা না পর্যন্ত হায়দ্রাবাদে বিচারাধিকারের উচ্চ আদালতটিকে সাধারণ আদালত হিসাবে গঠন করা হয়েছিল। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুসারে, অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন ২০১৪-এর অধীনে জানুয়ারী ২০১৯ সালে অন্ধ্র প্রদেশের উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ আদালতের আসন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজধানী অমরবতী এবং এটি ভারতের প্রথম বিচার শহর। == ভূগোল == অন্ধ্রপ্রদেশ উচ্চ আদালত অমরাবতীর আশপাশের নীলপাদুর বিচার শহরে অবস্থিত। এটি কৃষ্ণ নদী থেকে ৬.৪ কিমি দূরত্ব অবস্থিত। == গঠন == === বিচারিক কমপ্লেক্স === অন্ধ্র প্রদেশের উচ্চ আদালত নির্মাণাধীন (জানুয়ারী ২০১৮) এটি একটি জি+২ গঠন, যা জি+ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। ভবনটি ২৩ টি কক্ষ নিয়ে গঠিত, যা ২২ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি ১৫৭.৩ কোটি টাকা খরচে একর জমিতে নির্মিত হয়। এই ভবনটি ভারতের বৃহত্তম বহু-জাতীক সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হয়। === স্থায়ী উচ্চ আদালত === এটি নির্মিত হবে ২২ একর এলাকা জুড়ে, যাতে ১২২ লাখ বর্গফুট এলাকা থাকবে। এটিতে প্রথম পর্যায়ে ৩৬ টি আদালত হল থাকবে, পরে অতিরিক্ত ২৪ টি হল যোগ করা হবে। উভয় পর্যায় যথাক্রমে ২০২২ এবং ২০৩৬ সালে সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ভবনটির আনুমানিক ব্যয় ১,৪০০ কোটি টাকা। এপিসিআরডিএ কর্তৃক শাপুরজি পলনজী গোষ্ঠীকে নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়েছে। == প্রধান বিচারপতির তালিকা == ক্রমিক নং প্রধান বিচারপতি মেয়াদ সিজে/এসিজে হিসাবে নিয়োগের তারিখ মেয়াদ শেষে চাগাড়ী প্রবীন জানুয়ারি ২০১৯ শায়িত্ব বিক্রম নাথ এসসিআই-এর কলেজিয়াম দ্বারা প্রস্তাবিত (ভারত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নয়) == বর্তমান বিচারক == কেন্দ্রীয় সরকার জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে বিজ্ঞপ্তি বলে অমরাবতীকে প্রধান আসন করে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একটি নতুন উচ্চ আদালত গঠনের সূচনা করে। "সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১৪ এবং ভারতের সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক জারি করা আদেশ এবং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভূষিত ক্ষমতাবলে (ক) ধারা ৩০-এর (১) উপ ধারা, ধারা ৩১-এর (১) উপ-ধারা অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন ২০১৪-এর ৩১ ধারা (২) এর উপ-ধারায় রাষ্ট্রপতি অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে লা জানুয়ারী ২০১৯ সাল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য পৃথক উচ্চ আদালত গঠন করে, অমরাবতীতে উচ্চ আদালতের প্রধান আসন গঠিত হয় এবং হায়দ্রাবাদ উচ্চ আদালত তেলঙ্গানার রাজ্য উচ্চ আদালতে পরিণত হয়।" == তথ্যসূত্র == সরকার উচ্চ আদালত অনুবাদসহ পাতা'''টুনস ম্যাগ''' একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্টুন সাময়িকী। সম্পাদকীয় কার্টুন, কমিক্স, কেরিকেচার, ইলাস্ট্রেশন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংবাদ এবং নিবন্ধ প্রকাশনা। এবং আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা এবং প্রদর্শনীর আয়োজক। == সংক্ষিপ্ত ইতিহাস == ২০০৯ সালে অক্টোবরের শেষের দিকে আরিফুর রহমান ইন্টারনেটে কার্টুন সাময়িকী টুনস ম্যাগের প্রকাশনা শুরু করেন এবং বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন কার্টুনিস্টদের আমন্ত্রণ জানান কার্টুন প্রকাশের জন্য। এরপর কার্টুনিস্টরা টুনস ম্যাগে যোগ দিতে থাকে এবং কার্টুন প্রকাশ করতে থাকে। এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয় টুনস ম্যাগ কার্টুন সাময়িকী। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের শতাধিক কার্টুনিস্ট নিয়মিত কার্টুন প্রকাশ করে থাকেন। === পুরস্কার এবং সম্মাননা === ২০১৫ সালে জার্মানির ডয়েচে ভেলে আয়োজিত বেস্ট অফ অনলাইন এক্টিভিস্ট হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ণ পায় এবং বিপুল গণভোটে জয় লাভ করে। == কার্টুন প্রতিযোগীতা এবং প্রদর্শনী == ২০১৫ সাল থেকে টুনস ম্যাগ প্রতি বছর মানবাধিকারের ভিভিন্ন বিষয়ে, যেমন: শিশু অধিকার, নারী অধিকার, বাক স্বাধীনতা, সম অধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযেগীতা এবং প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। === ২০১৫: যুদ্ধের শিশু=== চিত্র:Cartoon of Children's situation on the war and the conflict নরওয়ের দ্রব্যাক শহরে যুদ্ধের শিশু আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর একাংশ। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর বিষয় ছিলো “যুদ্ধের শিশু”। এটি মুলত শিশু অধিকার বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী ছিলো। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশ থেকে ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছিলেন। প্রদর্শনী হয়েছিলো নরওয়ে এবং সুইডেনের একাধিক স্থানে। টুনস ম্যাগের সঙ্গে সহযোগী আয়োজক হিসেবে ছিলো নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারী এবং আর্থিক সহযোগীতায় ছিলো ফ্রিত উর নামে নরওয়ের একটি দাতব্য সংস্থা। === ২০১৬: নারী অধিকার === চিত্র:Women's Rights cartoon নরওয়ের দ্রব্যাক শহরে নারী অধিকার আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া কার্টুন সমূহের একাংশ। নারী অধিকার এবং বিভিন্ন দেশ এবং সমাজের নারীদের প্রকৃত অবস্থা উঠে এসেছিলো এই প্রদর্শনীতে। সব মিলিয়ে ১৬২৫ টি কার্টুন জমা পড়েছিলো, প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৯ টি দেশ থেকে ৫৬৭ জন কার্টুনিস্ট। প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিলো মার্চ ২০১৬ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, একই দিনে দুইটি দেশের তিনটি গ্যালারীতে প্রদর্শিত হয়েছিলো। যথাক্রমে: নরওয়েজিয়ান কার্টুন গ্যালারী দ্রবাক, নরওয়ে, ভারতীয় কার্টুনিস্ট ইন্সটিটিউট গ্যালারী ব্যাঙ্গালুর, এবং আগ্রা, উত্তর প্রদেশ ভারত। ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ প্রদর্শনীটি স্লোভাকিয়ার প্রেশব শহরে প্রদর্শিত হয়েছিলো। টুনস ম্যাগের সহযোগী হিসেবে ছিলো নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারী, মিউজিয়াম অফ আকেরশুশ নরওয়ে, এবং আর্থিক সহযোগীতায় ছিলো ফ্রিত উর নামে নরওয়ের একটি দাতব্য সংস্থা। ভারতে, ভারতীয় কার্টুনিস্ট ইন্সটিটিউট। স্লোভাকিয়ায় ব্রেইন স্নিজিং গ্যালারী, প্রেশভ ওয়েভ ক্লাব। আর্থিক সহযোগীতায় ছিলো ইইএ ফান্ড এবং স্লোভাক রিপাবলিক। বিচারক হিসেবে ছিলেন টি দেশের জন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট তন্মধ্যে জন নারী জন পুরুষ। বিচারকদের ভোটে ৫৬৭ জন কার্টুনিস্টদের মধ্যে ১২ জন পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিলেন। === ২০১৭: বাক স্বাধীনতা === চিত্র:Freedom of expression নরওয়ের লিল্ল্যাহ্যামার শহরে বাক স্বাধীনতা সম্পর্কিত একাধিক দেশ থেকে কার্টুন প্রাপ্ত কার্টুন সমূহের একাংশ। বিশ্বব্যাপী মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা এবং এবং কার্টুনে মুক্তমত প্রচারের লক্ষ্যে এই প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছিলো। সাবেক বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিলো, যিনি নিজে নিজে এক সময় তার অঙ্কনের জন্য বাংলাদেশে গ্রেফতার, নির্যাতন এবং কারা ভোগ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৫৫৬ টি কার্টুন জমা পরেছিল, কার্টুন নিয়ে ৮৩ টি দেশের ৫১৮ জন কার্টুনিস্ট অংশগ্রহণ করেছিলেন। নির্বাচিত ৮৪ টি দেশের ১২০ জনের ১২০ টি কার্টুন দিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় এবং ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী হয়েছিলো তিনটি দেশে, যথা নরওয়ে, স্লোভাকিয়া, এবং ভারত। নরয়েতে নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারি হুস)-এ উদ্বোধনী হয়, সেখানে পের এডগার্ড কোক্কোভোল্ড, লেখক, এবং নরওয়েজিয়ান ব্রডকাস্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সাবেক সংবাদপত্র সম্পাদক, নরওয়েজিয়ান প্রেস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রেস কম্যুনিটি কমিশনের নেতা প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। এবং লিল্লাহামেরে নরওয়েজিয়ান সাহিত্য উৎসবে উদ্বোধনী হয়, সেখানে নরওয়েজিয়ান সঙ্গীতশিল্পী মোদদি নুতসেন, প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং রোয়ার হ্যাগেন, নরওয়েজীয় রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট উক্ত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিজয়ী কার্টুনিস্টদের নাম ঘোষণা করেন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কার্টুনিস্ট এর গ্যালারি ব্যাঙ্গালোর, ভারত প্রদর্শনীর উদ্বোধনী করেন ডা সতীভাম বদরিনাথ, ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টের পরিচালক। স্লোভাকিয়াতে ব্রেইন স্নিজিং গ্যালারি, প্রিসোভ, স্লোভাকিয়া, এছাড়াও নরওয়ে অসলো, স্লোভাক দূতাবাসে প্রদর্শিত হয়। পরে, এটি নরওয়ের স্বাধীনতা সূচনার কেদ্রস্থল আইসদভলে প্রদর্শিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতা এবং প্রদর্শনীর সহযোগী হিসেবে ছিল, টুনস ম্যাগ, নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারী, ফ্রেট অর্ড, লিলেহ্যামার নরওয়েজিয়ান সাহিত্যের ফেস্টিভাল, ব্রেইন স্নিজিং গ্যালারি, প্রিসভ, ফেডারেশন অফ স্লোভাক রিপাবলিক এবং কার্টুনিস্ট ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট। উক্ত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত ১০ জন কার্টুনিস্ট। ৫১৮ জন কার্টুনিস্টের মধ্যে ১২ কার্টুনিস্ট পুরস্কার বিজয়ী হয়েছিলেন। == বর্ষসেরা কার্টুনিস্ট পদক == সেরা কার্টুনের মূল্যায়ণ এবং কার্টুনিস্টদের অনুপ্রেরণা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বর্ষসেরা কার্টুনিস্ট পুরস্কার প্রবর্তন করে, এবং প্রতি বছর পাঠকের ভোটে নির্বাচিত কার্টুনিস্টকে উক্ত পুরস্কার প্রদান করে আসছে। +পুরস্কার বিজয়ী সাল নাম পরিচয় দেশ ২০১৬/ ২০১৭ জোসে আন্তোনিও রদ্রিগেজ গার্সিয়া মেক্সিকোর রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট এবং চিত্রশিল্পী মেক্সিকো ২০১৮ আরকাদিও এসকুইভেল কার্টুনিস্ট এবং কোস্টারিকা ইউনিভার্সিটি অফ জেনারেল স্টাডিজের ফাইন ফাইন আর্টস বিভাগের অধ্যাপক কোস্টারিকা == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == ব্যঙ্গচিত্র কার্টুনিস্ট *কার্টুনে নারী অধিকার *কার্টুনে বাক স্বাধীনতা *যুদ্ধের শিশু *আরিফুর রহমান == বহিঃসংযোগ == টুনস ম্যাগ ইংরেজি টুনস ম্যাগ বাংলা টুনস ম্যাগ হিন্দি টুনস ম্যাগ স্প্যানিশ টুনস ম্যাগ আরবি পত্রিকা ম্যাগহুমায়ূন আহমেদের সৃষ্ট একটি চরিত্রগুলোর মধ্য '''মিসির আলি''' অন্যতম। মিসির আলি কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলি সম্পর্কিত বইগুলোর মধ্যে '''আমিই মিসির আলি''' ১২ তম। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বই মেলায় অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী হতে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ==চরিত্রসমূহ== *'''মিসির আলি''' *মাহাবা বেগম লিলি *এস. সুলতান হক লিলির স্বামী *বরকত লিলিদের বাড়ির দারোয়ান *অশ্বিনী রায় লিলিদের বাড়ির আদি মালিক সিরিয়াল কিলার *সালমা স্যাম্পল নাম্বার মিসির আলির টেকনাফ বেড়াতে যাওয়ার কথা থাকলেও লিলির স্বামীর ''টোপ'' গিলে তিনি চলে গেলেন এস.সুলতান হকের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে সামান্য অভিভূত হলেন কিন্তু সেখানে তাকে আটকে রাখা হল। তিনিই ছিলেন সুলতানের গবেষণার সাবজেক্ট। মিসির আলিকে ভয় দেখানোর জন্য সালমা নামের এক পনের-ষোল বছর বয়সী কিশোরীকে বলি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে মিসির আলি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন। ==আরও দেখুন== *হুমায়ূন আহমেদ *হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম ==বহিঃসংযোগ== গুডরিড্স আমিই মিসির আলি == তথ্যসূত্র== বই আহমেদের উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর উপন্যাস‎ উপন্যাস‎ উপন্যাস আলি সংক্রান্ত উপন্যাস'''শবনম পারভীন''' একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী, পরিচালক এবং প্রযোজক। কৌতুক অভিনেত্রী হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'তে তিনি নাতীর বিপরীতে নানী চরিত্রে অভিনয়ের জনপ্রিয়তা পান। == কর্মজীবন == শবনম পারভীন তার পিতামাতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ''কুমার খলির চর'' নামে একটি খেলার মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৮২ সালে অভিনয় পেশা শুরু করেন। পরে তিনি টেলিভিশন এবং রেডিও নাটকে কাজ করেন। পারভীন ১৯৮২ সালে প্রচারিত একটি টিভি মিউজিক ‘''দুটি গান-এর একটি সুরে’'' অভিনয় করেন। যার প্রযোজক ছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ। ১৯৮৫ সালে কে এম আইয়ুব পরিচালিত ''আগুণ পনি'' চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। === একজন প্রযোজক হিসাবে === '''শবনম পারভীন''' তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শবনম ফিল্মসের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। তার প্রথম উৎপাদন ছিল ''মৃত্যুদণ্ড'', পরে ''পপী'' ''শত্রু'', শুটার ''স্রংগ্রাম'', ''ভায়ংকর নারী'', ''দূরদৃশ্য,'' ''পামেলা'' ''কুখ্যাত জরিনা'' এছাড়া তিনি বেশি কিছু টেলিভিশন নাটক প্রযোজনা করেছেন। === টিভি প্রোগ্রাম প্রদর্শনী === শবনম পারভীন বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ''ইত্যাদিতে'' নানি-''নতি'' অংশে অভিনয়ের জন্যে বিখ্যাত। অনুষ্ঠান তিনি তার নাতির হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে নানী (নানি) চরিত্রে অভিনয় করেন। == ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবন == শবনম পারভীন ঢাকা উত্তরা থানার বাসিন্দা। ২০০৮ সালে যখন তিনি বাড়ি নির্মাণ করতে যান তখন ডাকাতদের একটি দল তাকে বাড়ি করতে বাধা দেয় এবং লাখ টাকা মূল্যের গহনা সহ নগদ অর্থ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তার বাবা ডাকাতদের বাধা দিতে গিয়ে মারা যান। == চলচ্চিত্রের তালিকা == +চলচ্চিত্র বছর নাম পরিচালক সহ-শিল্পী ১৯৮৫ ''আগুন পানি'' কেএম আইয়ুবন ''শুকতারা'' জিল্লুর রহমান ১৯৮৭ ''দুই জীবন'' আবদুল্লা আল মামুন ''শিশ মহল'' আজিুজুর রহমান ''লা ওয়ারিশ'' আকবর কবির পিন্টু ''আপন ঘর'' মোস্তফা আনোয়ার ''ঘর আমার ঘর'' বেলাল আহমেদ ''বজ্রপাত'' আহমেদ সাত্তার ''রাণী চৌধুরাণী'' নুর মোহাম্মদ মনি ''অমর সঙ্গী'' আলমগীর কুমকুম ''ঘরের সুখ'' নুরুল হক বাচ্চু ''লৌহ মানব'' নুর মোহাম্মদ মনি ''মিয়া ভাই'' চাষী নজরুল ইসলাম ''গরীবের বউ'' কামাল আহমেদ ''শুশুর বাড়ি'' আজিজুর রহমান বুলী ''প্রেম যমুনা'' কাজী মোরশেদ ''খুনের বদলা'' কামরুজ্জামান ''ডিস্কো বাইদানী'' জিল্লুর রহমান ''ওরা লড়াকু'' স্বপ্ন চৌধুরী ''ঈমানদারের মাস্তান'' জিল্লূর রহমান ''বাবা মাস্তান'' জিল্লূর রহামন ''স্বপ্নের ভালোবাস'' জিল্লূর রহমান ''ভাসাও'' মনতাজুর রহমান আকবর ''অ্যাকশন লেডি'' মনতাজুর রহমান আকবর ''ভয়ংকার দাঙ্গা'' ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম ''রাজনীতি'' জীবন চৌধুরী ২০০৬ ''রূপকথা গল্প'' তৌকির আহমেদ ২০০২ ''ইতিহাস'' কাজী হায়াত ''তোমাকে খুঁজছি'' মতিন রহমান ''স্বামী হারা সুন্দরী'' নাদের খান ''বলো না কবুল'' শাহাদাত হোসেন লিটন ''বাবা-মার স্বপ্ন'' রেজা লতিফ ''ভাঙ্গা মন'' মুকুল খান ''মৃত্যুদণ্ড'' (প্রযোজক) ''পাপী শত্রু'' (প্রযোজক) ''সত্যের সংগ্রাম'' (প্রযোজক) ''ভয়ংকর নারী'' (প্রযোজক) ''দূরদৃশ্য পামেলা'' (প্রযোজক) ''কুখ্যতা জরিনা'' (প্রযোজক) ২০০১ ''দুই দুয়ারীi'' হুমায়ুন আহমেদ ২০০৬ ''নয় নম্বর বিপদ সংকেতt'' হুমায়ুন আহমেদ ২০১৬ ''স্বত্তা'' ''তোমার জন্যে মন কান্দে'' ''প্রেমের অধিকার'' ''মায়াবিনী'' ২০১৭ ''জংশন মানুষের জন্যে'' "Not Pirith Story" নাইমুল কবির ২০১৭ ''রং ঢং'' আহসান সারওয়ার ''চাপাবাজী'' হাসান জাহাঙ্গীর == টিভি নাটক এবং সিরিয়াল == নাটক নাম পরিচালক চ্যানেল ইতি তোমার অমর আহমেদ ইউসুফ সাবের যেখানে সীমান্ত আহমেদ ইউসুফ সাবের বিভ্রাট বাবুল আহমেদ বৃষ্টির অপেক্ষা মহন খান ১৪ ইঞ্চি সাদ কলো (টিভি নাটক) শবনম পারভীন প্রেম জানে না রসিক কালা চান শবনম পারভীন ধোয়া তুলসি পাতা (টিভি নাটক) শবনম পারভীন এমন মজা হয় না শবনম পারভীন স্বপ্ন খেয়া (ধারাবাহিক) শবনম পারভীন শামুদুর বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড হুমায়ুন আহমেদ গৃহসুখ প্রাইভেট লিমিটেড হুমায়ুন আহমেদ অপেন্তি বায়োস্কোপ হুমায়ুন আহমেদ সবাই গেছে বনে হুমায়ুন আহমেদ তারা তিন জন হুমায়ুন আহমেদ নাগরের দ্বৈত্য হুমায়ুন আহমেদ হোলি দেখা হুমায়ুন আহমেদ ভাইরাস তারা তিন জন হুমায়ুন আহমেদ নাট্য মঙ্গলের কথা শুনে গুঞ্জনি হুমায়ুন আহমেদ তুরুপের তাস হুমায়ুন আহমেদ পাত্রো দখা হুমায়ুন আহমেদ জোড়া শালিক সুমন আনোয়ার == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == টেলিভিশন অভিনেত্রী চলচ্চিত্র প্রযোজক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জন্ম চলচ্চিত্র পরিচালক'''২০১৮-১৯ মৌসুমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট''' এর মৌসুমটি শুরু হয় ২০১৮ এর সেপ্টেম্বরে এবং শেষ হয় ২০১৯ এর এপ্রিলে। উক্ত সময়ের মধ্যে মোট ৩৫টি টেস্ট খেলা, ৯৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) এবং ৫৬টি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০আই) খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার ফিকশ্চার ঘোষণা করা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ভারত টেস্ট ক্রিকেট র‍্যাংকিংএ, ইংল্যান্ড ওডিআই র‍্যাংকিংএ এবং পাকিস্তান টি২০আই র‍্যাংকিংএ শীর্ষ স্থানটি দখল করে রাখে। অক্টোবর ২০১৮তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) প্রথমবারের মতো মহিলাদের ওডিআই টি২০আই এর জন্য আলাদা র‍্যাংকিং ছক নিয়ে আসে। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল দুটি ছকেরই শীর্ষে অবস্থান করছিল। পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হয় ২০১৮ এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব-এর মধ্য দিয়ে, যেখানে দেখা যায় হংকং- ২০১৮ এশিয়া কাপ-এ কোয়ালিফাই করে। এশিয়া কাপ শুরু হয় দিন দেরীতে এবং ফাইনালে বাংলাদেশকে পরাজিত করে ভারত শিরোপা জিতে নেয়। অন্য উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে ছিল ৪৯ বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানকে পরাজিত করে ইতিহাসে প্রথমবারের মাটিতে ভারতের টেস্ট সিরিজ জয় এবং শ্রীলঙ্কা প্রথম কোন এশিয়ান ক্রিকেট দল যারা দক্ষিণ আফ্রিকাতে টেস্ট সিরিজ জয় করে. সর্বশেষ বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর টেস্ট খেলাগুলো পরিত্যাক্ত হয় স্থানীয় ক্রাইস্টচার্চ মসজিদের সন্ত্রাসী হামলার কারণে।. ২০১৯ এর মার্চে, আফগানিস্তান তাদের প্রথম টেস্ট খেলায় জয় লাভ করে আয়ারল্যান্ডকে উইকেটে পরাজিতে করে।. ২০ অক্টোবর, আইসিসি ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পদ্ধতির পর্যালোচিত সংস্করণ ঘোষণা করে।. উপসংহারটি এরকম দাড়ায় যে তৃতীয় বিভাগ এবং দ্বিতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতা, বিশ্ব ক্রিকেট লীগ বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং নতুন বাছাইপর্বের পথ তৈরী হবে নিম্ন মাধ্যমে: বিশ্বকাপ সুপারলীগ (১২টি পূর্ণ সদস্য নেদারল্যান্ডস এর সমন্বয়ে), বিশ্বকাপ লীগ (অনুষ্ঠিত হবে স্কটল্যান্ড, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বিতীয় বিভাগ সমাপ্তকারী শীষ চার দলের মধ্যে), বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ (বিশ্ব ক্রিকেট লীগের র‍্যাংকিং অনুযায়ী পরবর্তী সেরা ১২টি সেরা দলের মধ্যে), ক্রিকেটলীগ প্লে-অফ, এবং সর্বোপরি ২০২২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। ২০১৮ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ তৃতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতা, যা ওমানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দেখা যায়, ওমান যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তরণ করা হয়েছে, সেই সাথে সিঙ্গাপুর, কেনিয়া, ডেনমার্ক এবং উগান্ডাকে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতাটি হয় নামিবিয়াতে এপ্রিলে ওমান, নামিবিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং পাপুয়া নিউ গিনিয়া শীর্ষ চারে থাকায় ওডিআই স্ট্যাটাস অর্জন করে। ==মৌসুমের সার-সংক্ষেপ== আন্তর্জাতিক ভ্রমন আরম্ভের তারিখ ঘরোয়া দল ভ্রমণকারী দল ফলাফল খেলা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি লিস্ট ৩–০ ২–০ ২–০ ৩–১ ৩–০ ১–০ ৩–০ ০–৩ ১–৩ ০–১ ১–১ ৩–০ ০–১ ১–২ ১–১ ৩–০ ১–২ ০–১ ১–২ ১–২ ১–১ ২–০ ২–১ ১–২ ১–০ ৩–০ ১–০ ৩–০ ৩–২ ২–১ ১–৪ ২–১ ২–১ ২–২ ০–৩ ২–০ ১–২ ১–২ ২–০ ৩–০ ০–২ ৫–০ ৩–০ ১–২ ১–০ ২–২ ৩–০ ২–৩ ০–২ ১–০ ০–৫ ৪–০ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আরম্ভের তারিখ প্রতিযোগিতা বিজয়ী ২০১৮ এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব ২০১৮ এশিয়া কাপ ২০১৮ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ তৃতীয় বিভাগ ২০১৮-১৯ ওমান কোয়াডরেঙ্গুলার সিরিজ ২০১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বাছাইপর্ব ২০১৯ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ মহিলাদের আন্তর্জাতিক ট্যুর আরম্ভের তারিখ ঘরোয়া দল ভ্রমণকারী দল ফলাফল ম্যাচ মহিলা টেস্ট মহিলা ওডিআই মহিলা টি২০আই ১–২ ০–৪ ১–১ ২–২ ৩–০ ৩–০ ১–০ ০–৩ ০–৩ ০–৩ ১–২ ৩–০ ২–১ ১–২ ৩–০ ৩–০ ২–১ ০–৩ ০–৩ ০–৩ মহিলাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আরম্ভের তারিখ প্রতিযোগিতা বিজয়ী ২০১৮ আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ ২০১৯ আইসিসি মহিলা বাছাইপর্ব এশিয়া ==র‍্যাংকিং== মৌসুম শুরুর সময় দলগুলোর র‍্যাংকিং ছিল নিম্নরূপ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ র‍্যাংক দল খেলা পয়েন্ট রেটিং ৩৫ ৪০১৬ ১১৫ ৩৫ ৩৭১২ ১০৬ ৩৩ ৩৪৯৯ ১০৬ ৪৫ ৪৭২২ ১০৫ ২৩ ২৩৫৪ ১০২ ৩৮ ৩৬৬৮ ৯৭ ২১ ১৮৫৩ ৪৪ ২৯ ২২৩৫ ৭৭ ১৯ ১২৬৮ ৬৭ ১০ ১২ আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশীপ সেপ্টেম্বর ২০১৮ র‍্যাংক দল খেলা পয়েন্ট রেটিং ৫১ ৬৪৭০ ১২৭ ৪৮ ৫৮১৯ ১২১ ৪১ ৪৬০২ ১১২ ৩৯ ৪২৭৫ ১১০ ৩৭ ৩৮৪৪ ১০৪ ৩৭ ৩৬৯৯ ১০০ ২৭ ২৪৭৭ ৯২ ৪৮ ৩৮১৮ ৮০ ৩২ ২২১৭ ৬৯ ১০ ৩১ ১৯২৪ ৬২ ১১ ৪২ ২২৪২ ৫৩ ১২ ২৩ ৯০৪ ৩৯ ১৩ ১৬ ৫৩৫ ৩৩ ১৪ ১৪ ২৯৮ ২১ আইসিসি টি২০আই চ্যাম্পিয়নশীপ ২৩ আগস্ট ২০১৮ র‍্যাংক দল খেলা পয়েন্ট র‍্যাংকিং ৩০ ৩৯৭২ ১৩২ ৩৭ ৪৬০১ ১২৪ ২১ ২৫৭০ ১২২ ২১ ২৪৪৮ ১১৭ ২২ ২৫৪২ ১১৬ ১৯ ২০৯৩ ১১০ ২১ ২২১৯ ১০৬ ২৭ ২৪৯০ ৯২ ২৮ ২৪৫১ ৮৮ ১০ ২৭ ২০৬৬ ৭৭ ১১ ১৫ ৯২৭ ৬২ ১২ ১৮ ১০০৬ ৫৬ ১৩ ১২ ৬০৮ ৫১ ১৪ ১২ ৫৯৮ ৫০ ১৫ ১০ ৪২০ ৪২ ১৬ ২৭০ ৩৯ ১৭ ১৯ ৬৩৮ ৩৪ আইসিসি মহিলা ওডিআই র‍্যাংকিং ১১ অক্টোবর ২০১৮ র‍্যাংক দল খেলা পয়েন্ট রেটিং ১৯ ২৬৫৯ ১৪০ ২৪ ২৯৬৩ ১২৩ ২৭ ৩২১২ ১১৯ ২৭ ৩১২৬ ১১৬ ৩৬ ৩৫৩৮ ৯৮ ১৯ ১৭৫৪ ৯২ ২০ ১৪৬৪ ৭৩ ২৩ ১৩৩৫ ৫৮ ১৩ ৬৩২ ৪৯ ১০ ১০ ২১১ ২১ আইসিসি মহিলা টি২০আই র‍্যাংকিং ১১ অক্টোবর ২০১৮ র‍্যাংক দল খেলা পয়েন্ট রেটিং ১৯ ৫৩১৬ ২৮০ ২৫ ৬৯২৮ ২৭৭ ১৯ ৫২৩৯ ২৭৬ ১৯ ৪৯২৮ ২৫৯ ২৭ ৬৭৩৩ ২৪৯ ২১ ৫১০৭ ২৪৩ ২৪ ৫৪৫১ ২২৭ ২৩ ৪৭৭০ ২০৭ ২৭ ৫২০৯ ১৯৩ ১০ ১৩ ২৪৪৭ ১৮৮ ১১ ১১৯৯ ১৫০ ১২ ২৮ ৪০৭৬ ১৪৬ ১৩ ১৪ ২০২৯ ১৪৫ ১৪ ১৬ ২০৮১ ১৩০ ১৫ ২০ ২৫৩২ ১২৭ ১৬ ৯৬৫ ১২১ ''কেবল শীর্ষ ১৬টি দলের অবস্থান দেখানো হল।'' ==সেপ্টেম্বর== ===২০১৮ এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব=== গ্রুপ পর্যায় নং তারিখ দল অধিনায়ক দল অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১ম ম্যাচ আহমাদ ফায়েজ আনশুমান রাথ কিনারা একাএডমী ওভাল, বান্দার, কিনারা উইকেটে বিজয়ী ২য় ম্যাচ পারস খডকা জিশান মাকসুদ বেয়ুমাস ওভাল, পান্দামারান উইকেটে বিজয়ী ৩য় ম্যাচ রোহান মুস্তাফা চেতন সুরিয়াবানশী ইউনির্ভাসিটি ক্রিকেট ওভাল, বাঙ্গী ২১৫ রানে বিজয়ী ৪র্থ ম্যাচ রোহান মুস্তাফা পারস খডকা কিনারা একাডেমী ওভাল, বান্দার কিনারা ৭৮ রানে বিজয়ী ৫ম ম্যাচ আনশুমান রাথ চেতন সুরিয়াবানশী বেয়ুমাস ওভাল, পানডামারান উইকেটে বিজয়ী ৬ষ্ঠ ম্যাচ আহমাদ ফায়েজ জিশান মাকসুদ ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ওভাল, বাঙ্গী উইকেটে বিজয়ী ৭ম ম্যাচ জিশান মাকসুদ চেতন সুরিয়াবানশী কিনারা একাডেমী ওভাল, বানডার কিনারা উইকেটে বিজয়ী ৮ম ম্যাচ আহমাদ ফায়েজ পারস খডকা বেয়ুমাস ওভাল, পানডামারান ১৯ রানে বিজয়ী ৯ম ম্যাচ রোহান মুস্তাফা আনশুমান রাথ ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ওভাল, বাঙ্গী ১৮২ রানে বিজয়ী ১০ম ম্যাচ আনশুমান রাথ জিশান মাকসুদ কিনারা একাডেমী ওভাল, বানডার কিনারা ফলাফল হয়নি ১১তম ম্যাচ আহমাদ ফায়েজ রোহান মুস্তাফা বেয়ুমাস ওভাল, পানডামারান উইকেটে বিজয়ী ১২তম ম্যাচ পারস খডকা চেতন সুরিয়াবানশী ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ওভাল, বাঙ্গী উইকেটে বিজয়ী ১৩তম ম্যাচ আহমাদ ফায়েজ চেতন সুরিয়াবানশী কিনারা একাডেমী ওভাল, বানডারা কিনারা ২৯ রানে বিজয়ী ১৪তম ম্যাচ রোহান মুস্তাফা জিশান মাকসুদ বেয়ুমাস ওভাল, পানডামারান ১৩ রানে বিজয়ী ১৫তম ম্যাচ পারস খডকা আনশুমান রাথ ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট ওভাল, বাঙ্গী উইকেটে বিজয়ী ফাইনাল ১৬তম ম্যাচ রোহান মুস্তাফা আনশুমান রাথ কিনারা একাডেমী ওভাল, বানডার কিনারা উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল) ===ভারত মহিলা দলের শ্রীলঙ্কা সফর=== ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ মহিলা ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা ওডিআই চামারি আতাপাত্তু মিতালী রাজ গালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, গালে উইকেটে বিজয়ী মহিলা ওডিআই চামারি আতাপাত্তু মিতালী রাজ গালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, গালে রানে বিজয়ী মহিলা ওডিআই চামারি আতাপাত্তু মিতালী রাজ এফটিজেড কমপ্লেক্স, কাটুনায়েক উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা টি২০আই চামারি আতাপাত্তু হারমানপ্রীত কৌর এফটিজেড স্পোর্টস কমপ্লেক্স, কাটুনায়েক ১৩ রানে বিজয়ী মহিলা টি২০আই চামারি আতাপাত্তু হারমানপ্রীত কৌর কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড, কলম্বো ফলাফল হয়নি মহিলা টি২০আই চামারি আতাপাত্তু হারমানপ্রীত কৌর কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড, কলম্বো উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই চামারি আতাপাত্তু হারমানপ্রীত কৌর কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড, কলম্বো উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই চামারি আতাপাত্তু হারমানপ্রীত কৌর এফটিজেড স্পোর্টস কমপ্লেক্স, কাটুনায়েক ৫১ রানে বিজয়ী ===২০১৮ এশিয়া কাপ=== গ্রুপ পর্ব নং তারিখ দল অধিনায়ক দল অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ওডিআই ৪০৩৬ মাশরাফি বিন মর্তুজা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ১৩৭ রানে বিজয়ী ওডিআই ৪০৩৭ সরফরাজ আহমেদ আনশুমান রাথ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই উইকেটে জয়ী ওডিআই ৪০৩৮ আসগর আফগান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম, আবুধাবি ৯১ রানে বিজয়ী ওডিআই ৪০৩৯ রোহিত শর্মা আনশুমান রাথ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ২৬ রানে বিজয়ী ওডিআই ৪০৪০ রোহিত শর্মা সরফরাজ আহমেদ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই উইকেটে বিজয়ী ওডিআই ৪০৪১ আসগর আফগান মাশরাফি বিন মর্তুজা শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম, আবুধাবি ১৩৬ রানে বিজয়ী ====সুপার ফোর==== সুপার ফোর নং তারিখ দল অধিনায়ক দল অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ওডিআই ৪০৪২ মাশরাফি বিন মর্তুজা রোহিত শর্মা দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই উইকেটে বিজয়ী ওডিআই ৪০৪৩ আসগর আফগান সরফরাজ আহমেদ জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম, আবুধাবি উইকেটে বিজয়ী ওডিআই ৪০৪৪ রোহিত শর্মা সরফরাজ আহমেদ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই উইকেটে বিজয়ী ওডিআই ৪০৪৫ আসগর আফগান মাশরাফি বিন মর্তুজা জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম, আবুধাবি রানে বিজয়ী ওডিআই ৪০৪৬ আসগর আফগান মহেন্দ্র সিং ধোনি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই খেলা টাই হয় ওডিআই ৪০৪৭ মাশরাফি বিন মর্তুজা সরফরাজ আহমেদ জায়েদ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম, আবুধাবি ৩৭ রানে বিজয়ী ফাইনাল ওডিআই ৪০৪৮ রোহিত শর্মা মাশরাফি মর্তুজা দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই উইকেটে বিজয়ী ===দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর=== ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ মহিলা ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা ওডিআই স্তাফানি টেলর ডেন ফন নাইকার্ক কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন ৪০ রানে বিজয়ী মহিলা ওডিআই স্তাফানি টেলর ডেন ফন নাইকার্ক কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন ফলাফল হয়নি মহিলা ওডিআই স্তাফানি টেলর ডেন ফন নাইকার্ক কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন ১১৫ রানে বিজয়ী মহিলা টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা টি২০আই স্তাফানি টেলর ক্লো ট্রায়ন কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন ১৭ রানে বিজয়ী মহিলা টি২০আই স্তাফানি টেলর ডেন ফন নাইকার্ক ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমী, ত্রিনিদাদ উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই স্তাফানি টেলর ডেন ফন নাইকার্ক ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমী, ত্রিনিদাদ ম্যাচ পরিত্যাক্ত মহিলা টি২০আই স্তাফানি টেলর ক্লো ট্রায়ন ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমী, ত্রিনিদাদ উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই স্তাফানি টেলর ক্লো ট্রায়ন ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমী, ত্রিনিদাদ উইকেটে বিজয়ী ===নিউজিল্যান্ড মহিলা দলের অস্ট্রেলিয়া সফর=== মহিলা টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা টি২০আই ৪৯৫ মেগ ল্যানিং এমি স্যাটার্দওয়েট নর্থ সিডনি ওভাল, সিডনি উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই ৪৯৬ মেগ ল্যানিং এমি স্যাটার্দওয়েট অ্যালান বর্ডার ফিল্ড, ব্রিসবেন উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই ৫০০ মেগ ল্যানিং এমি স্যাটার্দওয়েট ম্যানুকা ওভাল, ক্যানবেরা উইকেটে বিজয়ী ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ মহিলা ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা ওডিআই ১১৪৩ মেগ ল্যানিং এমি স্যাটার্দওয়েট ওয়াকা গ্রাউন্ড, পার্থ রানে বিজয়ী মহিলা ওডিআই ১১৪৫ মেগ ল্যানিং এমি স্যাটার্দওয়েট কারেন রোলটন ওভাল, অ্যাডিলেড ৯৫ রানে বিজয়ী মহিলা ওডিআই ১১৪৮ মেগ ল্যানিং এমি স্যাটার্দওয়েট জাংকশন ওভাল, মেলবোর্ন উইকেটে বিজয়ী ===দক্ষিণ আফ্রিকায় জিম্বাবুয়ে=== ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ওডিআই ৪০৪৯ জেপি ডুমিনি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ডি বিয়ার্স ডায়মন্ড ওভাল, কিংবার্লি উইকেটে বিজয়ী ওডিআই ৪০৫০ জেপি ডুমিনি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা মাঙ্গুঙ্গ ওভাল, ব্লুমফন্টেইন ১২০ রানি বিজয়ী ওডিআই ৪০৫১ ফাফ দু প্লেসিস হ্যামিল্টন মাসাকাদজা বোল্যান্ড পার্ক, পার্ল উইকেটে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টি২০আই ৬৯৮ ফাফ দু প্লেসিস হ্যামিল্টন মাসাকাদজা বাফেলো পার্ক, ইস্ট লন্ডন ৩৪ রানে বিজয়ী টি২০আই ৬৯৯ ফাফ দু প্লেসিস হ্যামিল্টন মাসাকাদজা সেনওয়েজ পার্ক, পচেফস্ট্রুম উইকেটে বিজয়ী টি২০আই ৬৯৯এ ফাফ দু প্লেসিস হ্যামিল্টন মাসাকাদজা উইলোমুর পার্ক, বেনোনি খেলা পরিত্যাক্ত ==অক্টোবর== ===পাকিস্তান মহিলা দলের বাংলাদেশ সফর=== মহিলা টি২০আই সিরিজ নাম তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা টি২০আই ৪৯৬এ সালমা খাতুন জাভেরীয়া খান শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার, কক্সবাজার খেলা পরিত্যাক্ত মহিলা টি২০আই ৪৯৭ সালমা খাতুন জাভেরীয়া খান শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার ৫৮ রানে বিজয়ী মহিলা টি২০আই ৪৯৯ সালমা খাতুন জাভেরীয়া খান শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই ৫০১ সালমা খাতুন জাভেরীয়া খান শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার উইকেটে বিজয়ী একমাত্র ওডিআই নাম তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল মহিলা ওডিআই ১১৩০ রুমানা আহমেদ জাভেরীয়া খান শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজার উইকেটে বিজয়ী ===ভারতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ=== টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টেস্ট ২৩১৯ বিরাট কোহলি ক্রেগ ব্রেদওয়েট সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম, রাজকোট ইনিংস ২৭২ রানে বিজয়ী টেস্ট ২৩২১ বিরাট কোহলি জেসন হোল্ডার রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হায়দ্রাবাদ ১০ উইকেটে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ওডিআই ৪০৫৬ বিরাট কোহলি জেসন হোল্ডার বর্ষাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গুয়াহাটি উইকেটে বিজয়ী ওডিআই ৪০৫৯ বিরাট কোহলি জেসন হোল্ডার ডাঃ ওয়াই. এস. রাজশেখরা রেড্ডী এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তনম খেলা টাই হয় ওডিআই ৪০৬২ বিরাট কোহলি জেসন হোল্ডার মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, পুনে ৪৩ রানে বিজয়ী ওডিআই ৪০৬৩ বিরাট কোহলি জেসন হোল্ডার ব্রাবোর্ন স্টেডিয়াম, মুম্বই ২২৪ রানে বিজয়ী ওডিআই ৪০৬৪ বিরাট কোহলি জেসন হোল্ডার গ্রীনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, তিরুবনন্তপুরম উইকেটে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টি২০আই ৭০৭ রোহিত শর্মা কার্লোস ব্রাদওয়েট ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা উইকেটে বিজয়ী টি২০আই ৭০৯ রোহিত শর্মা কার্লোস ব্রাদওয়েট ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লখনউ ৭১ রানে বিজয়ী টি২০আই ৭১০ রোহিত শর্মা কার্লোস ব্রাদওয়েট এম. এ. চিদাম্বরম স্টেডিয়াম, চেন্নাই উইকেটে বিজয়ী ===সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়া=== টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক বিদেশী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টেস্ট ২৩২০ ৭-১১ অক্টোবর সরফরাজ আহমেদ টিম পেইন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই খেলা ড্র হয় টেস্ট ২৩২২ ১৬–২০ অক্টোবর সরফরাজ আহমেদ টিম পেইন শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি ৩৭৩ রানে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক বিদেশী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টি২০আই ৭০১ সরফরাজ আহমেদ অ্যারন ফিঞ্চ শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি ৬৬ রানে বিজয়ী টি২০আই ৭০২ সরফরাজ আহমেদ অ্যারন ফিঞ্চ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ১১ রানে বিজয়ী টি২০আই ৭০৪ সরফরাজ আহমেদ অ্যারন ফিঞ্চ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ৩৩ রানে বিজয়ী ===শ্রীলঙ্কায় ইংল্যান্ড=== ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১ম ওডিআই ১০ অক্টোবর দিনেশ চান্ডিমাল ইয়ন মর্গ্যান রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ডাম্বুলা ফলাফল হয়নি ২য় ওডিআই ১৩ অক্টোবর দিনেশ চান্ডিমাল ইয়ন মর্গ্যান রণগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, ডাম্বুলা ৩১ রানে বিজয়ী (ডি/এল) ৩য় ওডিআই ১৭ অক্টোবর দিনেশ চান্ডিমাল ইয়ন মর্গ্যান পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ক্যান্ডি উইকেটে বিজয়ী ৪র্থ ওডিআই ২০ অক্টোবর দিনেশ চান্ডিমাল ইয়ন মর্গ্যান পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ক্যান্ডি ১৮ রানে বিজয়ী (ডি/এল) ৫ম ওডিআই ২৩ অক্টোবর দিনেশ চান্ডিমাল জস বাটলার রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো ২১৯ রানে বিজয়ী (ডি/এল) একমাত্র টি২০আই নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টি২০আই ৭০৩ ২৭ অক্টোবর থিসারা পেরেরা ইয়ন মর্গ্যান রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো ৩০ রানে টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১ম টেস্ট ৬–১০ নভেম্বর দিনেশ চান্ডিমাল জো রুট গালে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, গালে ২১১ রানে বিজয়ী ২য় টেস্ট ১৪–১৮ নভেম্বর সুরঙ্গা লকমল জো রুট পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ক্যান্ডি ৫৭ রানে বিজয়ী ৩য় টেস্ট ২৩-২৭ নভেম্বর সুরঙ্গা লকমল জো রুট সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ড, কলম্বো ৪২ রানে বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল পাকিস্তান মহিলা দল=== ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ মহিলা ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১১৩১ ১৮ অক্টোবর জাভেরীয়া খান মেগ ল্যানিং কিনারা একাডেমী ওভাল, বান্ডার কিনরারা উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল) ১১৩২ ২০ অক্টোবর জাভেরীয়া খান মেগ ল্যানিং কিনারা একাডেমী ওভাল, বান্ডার কিনরারা ১৫০ রানে বিজয়ী ১১৩৩ ২২ অক্টোবর জাভেরীয়া খান মেগ ল্যানিং কিনারা একাডেমী ওভাল, বান্ডার কিনরারা ৮৯ রানে বিজয়ী মহিলা টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টি২০আই ৫০৩ ২৫ অক্টোবর জাভেরীয়া খান মেগ ল্যানিং কিনারা একাডেমী ওভাল, বান্ডার কিনরারা ৬৪ রানে বিজয়ী টি২০আই ৫০৪ ২৭ অক্টোবর জাভেরীয়া খান মেগ ল্যানিং কিনারা একাডেমী ওভাল, বান্ডার কিনরারা উইকেটে বিজয়ী টি২০আই ৫০৫ ২৯ অক্টোবর জাভেরীয়া খান রসিয়েল হেইনেস কিনারা একাডেমী ওভাল, বান্ডার কিনরারা উইকেটে বিজয়ী ===বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে=== ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৫৭ ২১ অক্টোবর মাশরাফি মর্তুজা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ২৮ রানে বিজয়ী ৪০৬০ ২৪ অক্টোবর মাশরাফি মর্তুজা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম উইকেটে বিজয়ী ৪০৬১ ২৬ অক্টোবর মাশরাফি মর্তুজা হ্যামিল্টন মাসাকাদজা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম উইকেটে বিজয়ী টেস্ট ক্রিকেট নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টেস্ট ২৩২৩ ৩–৭ নভেম্বর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হ্যামিল্টন মাসাকাদজা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট ১৫১ রানে বিজয়ী টেস্ট ২৩২৫ ১১–১৫ নভেম্বর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হ্যামিল্টন মাসাকাদজা শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ২১৮ রানে বিজয়ী ===সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়া=== টি২০আই ম্যাচ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টি২০আই ৭০০ ২২ অক্টোবর রোহান মুস্তাফা অ্যারন ফিঞ্চ শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি উইকেটে বিজয়ী ===সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান=== টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টি২০আই ৭০৫ ৩১ অক্টোবর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি রানে বিজয়ী টি২০আই ৭০৬ নভেম্বর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই উইকেটে বিজয়ী টি২০আই ৭০৮ নভেম্বর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ৪৭ রানে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ওডিআই ৪০৬৬ নভেম্বর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি ৪৭ রানে বিজয়ী ওডিআই ৪০৬৮ নভেম্বর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি উইকেটে বিজয়ী ওডিআই ৪০৭০ ১১ নভেম্বর সরফরাজ আহমেদ টম ল্যাথাম দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ফলাফল হয়নি টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টেস্ট ২৩২৭ ১৬-২০ নভেম্বর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি রানে বিজয়ী টেস্ট ২৩৩০ ২৪-২৮ অক্টোবর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ইনিংস সহ ১৬ রানে বিজয়ী টেস্ট ২৩৩২ ৩-৭ ডিসেম্বর সরফরাজ আহমেদ কেন উইলিয়ামসন শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি ১২৩ রানে বিজয়ী ==নভেম্বর== দক্ষিণ আফ্রিকা=== ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৬৫ অ্যারন ফিঞ্চ ফাফ দু প্লেসিস পার্থ স্টেডিয়াম, পার্থ উইকেটে বিজয়ী ৪০৬৭ অ্যারন ফিঞ্চ ফাফ দু প্লেসিস অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড রানে বিজয়ী ৪০৬৯ ১১ নভেম্বর অ্যারন ফিঞ্চ ফাফ দু প্লেসিস বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট ৪০ রানে বিজয়ী একমাত্র টি২০আই নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭১১ ১৭ নভেম্বর অ্যারন ফিঞ্চ ফাফ দু প্লেসিস কারারা স্টেডিয়াম, গোল্ডকোস্ট ২১ রানে বিজয়ী ===২০১৮ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ ৩য় বিভাগ=== গ্রুপ পর্ব নং তারিখ দল অধিনায়ক দল অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১ম ম্যাচ নভেম্বর জিশান মাকসুদ শেম গোছে আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ২য় ম্যাচ নভেম্বর রজার মুকাসা হামিদ শাহ আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৩য় ম্যাচ ১০ নভেম্বর সৌরভ নেত্রাভালকার রজার মুকাসা আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ৫৪ রানে বিজয়ী ৪র্থ ম্যাচ ১০ নভেম্বর জিশান মাকসুদ চেতন সুরিয়াবানশী আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৫ম ম্যাচ ১২ নভেম্বর সৌরভ নেত্রাভালকার শেম গোছে আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ১৫৮ রানে বিজয়ী ৬ষ্ঠ ম্যাচ ১২ নভেম্বর চেতন সুরিয়াবানশী হামিদ শাহ আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ৯৪ রানে বিজয়ী ৭ম ম্যাচ ১৩ নভেম্বর হামিদ শাহ জিশান মাকসুদ আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৮ম ম্যাচ ১৩ নভেম্বর শেম গোছে ব্রায়ান মাসাবা আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৯ম ম্যাচ ১৫ নভেম্বর রজার মুকাসা চেতন সুরিয়াবানশী আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ৬৩ রানে বিজয়ী ১০ম ম্যাচ ১৫ নভেম্বর সৌরভ নেত্রাভালকার হামিদ শাহ আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ১৬ রানে বিজয়ী ১১তম ম্যাচ ১৬ নভেম্বর সৌরভ নেত্রাভালকার জিশান মাকসুদ আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ১২তম ম্যাচ ১৬ নভেম্বর চেতন সুরিয়াবানশী শেম গোছে আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ১২ রানে বিজয়ী ১৩তম ম্যাচ ১৮ নভেম্বর শেম গোছে হামিদ শাহ আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ১৪তম ম্যাচ ১৮ নভেম্বর জিশান মাকসুদ রজার মুকাসা আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ১০ উইকেটে বিজয়ী ১৫তম ম্যাচ ১৯ নভেম্বর চেতন সুরিয়াবানশী সৌরভ নেত্রাভালকার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ===২০১৮ আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০=== গ্রুপ পর্যায় নং তারিখ দল অধিনায়ক দল অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৫০৯ নভেম্বর এমি স্যাটার্দওয়েট হারমানপ্রীত কৌর প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৩৪ রানে বিজয়ী ৫১০ নভেম্বর মেগ ল্যানিং জাভেরীয়া খান প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৫২ রানে বিজয়ী ৫১১ নভেম্বর স্তাফানি টেলর সালমা খাতুন প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৬০ রানে বিজয়ী ৫১১এ ১০ নভেম্বর হিদার নাইট চামারি আতাপাত্তু বিউসেজাউর স্টেডিয়াম খেলা পরিত্যাক্ত ৫১২ ১১ নভেম্বর হারমানপ্রীত কৌর জাভেরীয়া খান প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৫১৩ ১১ নভেম্বর মেগ ল্যানিং লরা ডেলানি প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৫১৪ ১২ নভেম্বর হিদার নাইট সালমা খাতুন বিউসেজাউর স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল) ৫১৫ ১২ নভেম্বর চামারি আতাপাত্তু ডেন ফন নাইকার্ক বিউসেজাউর স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৫১৬ ১৩ নভেম্বর জাভেরীয়া খান লরা ডেলানি প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৩৮ রানে বিজয়ী ৫১৭ ১৩ নভেম্বর মেগ ল্যানিং এমি স্যাটার্দওয়েট প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৩৩ রানে বিজয়ী ৫১৮ ১৪ নভেম্বর চামারি আতাপাত্তু সালমা খাতুন বিউসেজাউর স্টেডিয়াম ২৫ রানে বিজয়ী ৫১৯ ১৪ নভেম্বর স্তাফানি টেলর ডেন ফন নাইকার্ক বিউসেজাউর স্টেডিয়াম ৩১ রানে বিজয়ী ৫২০ ১৫ নভেম্বর হারমানপ্রীত কৌর লরা ডেলানি প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৫২ রানে বিজয়ী ৫২১ ১৫ নভেম্বর এমি স্যাটার্দওয়েট জাভেরীয়া খান প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৫৪ রানে বিজয়ী ৫২২ ১৬ নভেম্বর হিদার নাইট ডেন ফন নাইকার্ক বিউসেজাউর স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৫২৩ ১৬ নভেম্বর স্তাফানি টেলর চামারি আতাপাত্তু বিউসেজাউর স্টেডিয়াম ৮৩ রানে বিজয়ী ৫২৪ ১৭ নভেম্বর হারমানপ্রীত কৌর মেগ ল্যানিং প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম ৪৮ রানে বিজয়ী ৫২৫ ১৭ নভেম্বর এমি স্যাটার্দওয়েট লরা ডেলানি প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৫২৬ ১৮ নভেম্বর স্তাফানি টেলর হিদার নাইট বিউসেজাউর স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৫২৭ ১৮ নভেম্বর ডেন ফন নাইকার্ক সালমা খাতুন বিউসেজাউর স্টেডিয়াম ৩০ রানে বিজয়ী ফাইনাল ৫২৮ ২২ নভেম্বর স্তাফানি টেলর মেগ ল্যানিং স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম ৭১ রানে বিজয়ী ৫২৯ ২২ নভেম্বর হিদার নাইট হারমানপ্রীত কৌর স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৫৩০ ২৪ নভেম্বর মেগ ল্যানিং হিদার নাইট স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী উপরে চলুন ভারত=== টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭১২ ২১ নভেম্বর অ্যারন ফিঞ্চ বিরাট কোহলি গাব্বা, ব্রিসবেন রানে বিজয়ী (ডি/এল) ৭১৩ ২৩ নভেম্বর অ্যারন ফিঞ্চ বিরাট কোহলি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন ফলাফল হয়নি ৭১৪ ২৫ নভেম্বর অ্যারন ফিঞ্চ বিরাট কোহলি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সিডনি উইকেট বিজয়ী ট্রফি টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ২৩৩৩ ৬-১০ ডিসেম্বর টিম পেইন বিরাট কোহলি অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড ৩১ রানে বিজয়ী ২৩৩৪ ১৪-১৮ ডিসেম্বর টিম পেইন বিরাট কোহলি পার্থ স্টেডিয়াম, পার্থ ১৪৬ রানে বিজয়ী ২৩৩৭ ২৬-৩০ ডিসেম্বর টিম পেইন বিরাট কোহলি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন ১৩৭ রানে বিজয়ী ২৩৩৯ ৩-৭ জানুয়ারী টিম পেইন বিরাট কোহলি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সিডনি খেলা ড্র হয় ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৭৭ ১২ জানুয়ারী অ্যারন ফিঞ্চ বিরাট কোহলি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সিডনি ৩৪ রানে বিজয়ী ৪০৭৮ অ্যারন ফিঞ্চ বিরাট কোহলি অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড উইকেটে বিজয়ী ৪০৭৯ অ্যারন ফিঞ্চ বিরাট কোহলি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন উইকেটে বিজয়ী ===বাংলাদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ=== টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টেস্ট ২৩২৮ ২২-২৬ নভেম্বর সাকিব আল হাসান ক্রেগ ব্রেদওয়েট জহুর আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম ৬৪ রানে বিজয়ী টেস্ট ২৩৩১ ৩০ নভেম্বর-৪ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসান ক্রেগ ব্রেদওয়েট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ইনিংস জয় ১৮৪ রানে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৭১ ডিসেম্বর মাশরাফি মর্তুজা রভম্যান পাওয়েল শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা উইকেটে বিজয়ী ৪০৭২ ১১ ডিসেম্বর মাশরাফি মর্তুজা রভম্যান পাওয়েল শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা উইকেটে বিজয়ী ৪০৭৩ ১৪ ডিসেম্বর মাশরাফি মর্তুজা রভম্যান পাওয়েল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট উইকেটে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমনকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭১৫ ১৭ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসান কার্লোস ব্রাদওয়েট সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট উইকেটে বিজয়ী ৭১৬ ২০ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসান কার্লোস ব্রাদওয়েট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ৩৬ রানে বিজয়ী ৭১৭ ২২ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসান কার্লোস ব্রাদওয়েট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ৫০ রানে বিজয়ী ==ডিসেম্বর== শ্রীলঙ্কা=== টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল টেস্ট ২৩৩৫ ১৫-১৯ ডিসেম্বর কেন উইলিয়ামসন দিনেশ চান্ডিমাল ব্যাসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটন খেলা ড্র টেস্ট ২৩৩৬ ২৬-৩০ ডিসেম্বর কেন উইলিয়ামসন দিনেশ চান্ডিমাল হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ ৪২৩ রানে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৭৪ জানুয়ারি কেন উইলিয়ামসন লাসিথ মালিঙ্গা বেয় ওভাল, মাউন্ট মাউঙ্গানুই ৪৫ রানে বিজয়ী ৪০৭৫ জানুয়ারি কেন উইলিয়ামসন লাসিথ মালিঙ্গা বেয় ওভাল, মাউন্ট মাউঙ্গানুই ২১ রানে বিজয়ী ৪০৭৬ জানুয়ারি কেন উইলিয়ামসন লাসিথ মালিঙ্গা স্যাক্সটন ওভাল, নেলসন ১১৫ রানে বিজয়ী একমাত্র টি২০আই নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭১৮ ১১ জানুয়ারি টিম সাউদি লাসিথ মালিঙ্গা ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড ৩৫ রানে বিজয়ী ===দক্ষিণ আফ্রিকায় পাকিস্তান=== টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ২৩৩৮ ২৬-৩০ ডিসেম্বর ফাফ দু প্লেসিস সরফরাজ আহমেদ সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন উইকেটে বিজয়ী ২৩৪০ ৩-৭ জানুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস সরফরাজ আহমেদ নিউল্যান্ডস ক্রিকেট, কেপ টাউন উইকেটে বিজয়ী ২৩৪১ ১১-১৫ জানুয়ারি ডিন এলগার সরফরাজ আহমেদ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ ১০৭ রানে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৮০ ১৯ জানুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস সরফরাজ আহমেদ সেন্ট জর্জেস পার্ক, পোট এলিজাবেথ উইকেটে বিজয়ী ৪০৮১ ২২ জানুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস সরফরাজ আহমেদ কিংসমিড ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ডারবান উইকেটে বিজয়ী ৪০৮৪ ২৫ জানুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস সরফরাজ আহমেদ সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন ১৩ রানে বিজয়ী (ডি/এল) ৪০৮৭ ২৭ জানুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস শোয়েব মালিক ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ উইকেটে বিজয়ী ৪০৯০ ৩০ জানুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস শোয়েব মালিক নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, কেপ টাউন উইকেটে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭৩২ ফেব্রুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস শোয়েব মালিক নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, কেপ টাউন রানে বিজয়ী ৭৩৪ ফেব্রুয়ারি ডেভিড মিলার শোয়েব মালিক ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ রানে বিজয়ী ৭৩৬ ফেব্রুয়ারি ডেভিড মিলার শোয়েব মালিক সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন ২৭ রানে বিজয়ী ==জানুয়ারি== ভারত=== ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৮২ ২৩ জানুয়ারি কেন উইলিয়ামসন বিরাট কোহলি ম্যাকলিন পার্ক উইকেটে বিজয়ী (ডি/এল) ৪০৮৫ ২৬ জানুয়ারি কেন উইলিয়ামসন বিরাট কোহলি বেয় ওভাল, মাউন্ট মাউঙ্গানুই ৯০ রানে বিজয়ী ৪০৮৮ ২৮ জানুয়ারি কেন উইলিয়ামসন বিরাট কোহলি বেয় ওভাল, মাউন্ট মাউঙ্গানুই উইকেটে বিজয়ী ৪০৯১ ৩১ জানুয়ারি কেন উইলিয়ামসন রোহিত শর্মা সেডন পার্ক, হ্যামিল্টন উইকেটে বিজয়ী ৪০৯২ ফেব্রুয়ারি কেন উইলিয়ামসন রোহিত শর্মা ওয়েলিংটন আঞ্চলিক স্টেডিয়াম, ওয়েলিংটন ৩৫ রানে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭৩৫ ফেব্রুয়ারি কেন উইলিয়ামসন রোহিত শর্মা ওয়েলিংটন আঞ্চলিক স্টেডিয়াম, ওয়েলিংটন ৮০ রানে বিজয়ী ৭৩৭ ফেব্রুয়ারি কেন উইলিয়ামসন রোহিত শর্মা ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড উইকেটে বিজয়ী ৭৩৮ ১০ ফেব্রুয়ারি কেন উইলিয়ামসন রোহিত শর্মা সেডন পার্ক, হ্যামিল্টন রানে বিজয়ী ===ওয়েস্ট ইন্ডিজে ইংল্যান্ড=== উইজডেন ট্রফি টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ২৩৪২ ২৩-২৭ জানুয়ারি জেসন হোল্ডার জো রুট কেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন ৩৮১ রানে বিজয়ী ২৩৪৪ ৩১ জানুয়ারি-৪ ফেব্রুয়ারি জেসন হোল্ডার জো রুট স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম ১০ উইকেটে বিজয়ী ২৩৪৬ ৯-১৩ ফেব্রুয়ারি ক্রেগ ব্রেদওয়েট জো রুট বিউসেজাউর স্টেডিয়াম ২৩২ রানে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৯৬ ২০ ফেব্রুয়ারি জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান কেনসিংটন ওভাল উইকেটে বিজয়ী ৪০৯৭ ২২ ফেব্রুয়ারি জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান কেনসিংটন ওভাল ২৬ রানে বিজয়ী ৪০৯৮ ২৫ ফেব্রুয়ারি জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম (গ্রেনাডা) ফলাফল হয়নি ৪০৯৯ ২৭ ফেব্রুয়ারি জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম (গ্রেনাডা) ২৯ রানে বিজয়ী ৪১০৩ মার্চ জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান বিউসেজাউর স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭৫০ মার্চ জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান বিউসেজাউর স্টেডিয়াম উইকেটে বিজয়ী ৭৫১ মার্চ জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান ওয়ার্নার পার্ক স্পোর্টিং কমপ্লেক্স ১৩৭ রানে বিজয়ী ৭৫২ ১০ মার্চ জেসন হোল্ডার ইয়ন মর্গ্যান ওয়ার্নার পার্ক স্পোর্টিং কমপ্লেক্স উইকেটে বিজয়ী ===ভারত মহিলা দলের নিউজিল্যান্ড সফর=== ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ মহিলা ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১১৩৪ ২৪ জানুয়ারী এমি স্যাটার্দওয়েট মিতালী রাজ ম্যাকলিন পার্ক উইকেটে বিজয়ী ১১৩৫ ২৯ জানুয়ারী এমি স্যাটার্দওয়েট মিতালী রাজ বেয় ওভাল উইকেটে বিজয়ী। ১১৩৬ ফেব্রুয়ারী এমি স্যাটার্দওয়েট মিতালী রাজ সেডন পার্ক উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৫৬৮ এমি স্যাটার্দওয়েট হারমানপ্রীত কৌর ওয়েলিংটন আঞ্চলিক স্টেডিয়াম ২৩ রানে বিজয়ী ৫৭০ এমি স্যাটার্দওয়েট হারমানপ্রীত কৌর ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড উইকেটে বিজয়ী ৫৭১ এমি স্যাটার্দওয়েট হারমানপ্রীত কৌর সেডন পার্ক রানে বিজয়ী শ্রীলঙ্কা=== ট্রফি টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ২৩৪৩ ২৪-২৮ জানুয়ারী টিম পেইন দিনেশ চান্ডিমাল গাব্বা, ব্রিসবেন একটি ইনিংস এবং ৪০ রানে বিজয়ী ২৩৪৫ ১-৫ ফেব্রুয়ারী টিম পেইন দিনেশ চান্ডিমাল ম্যানুকা ওভাল, ক্যানবেরা ৩৬৬ রানে বিজয়ী ===সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেপাল=== ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৮৩ মোহাম্মদ নাভিদ পারস খডকা আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই উইকেটে বিজয়ী ৪০৮৬ মোহাম্মদ নাভিদ পারস খডকা আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই ১৪৫ রানে বিজয়ী ৪০৮৯ মোহাম্মদ নাভিদ পারস খডকা আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই উইকেটে বিজয়ী টি২০আই সিরিজ ৭৩০ মোহাম্মদ নাভিদ পারস খডকা আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই ২১ রানে বিজয়ী ৭৩১ মোহাম্মদ নাভিদ পারস খডকা আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই উইকেটে বিজয়ী ৭৩৩ মোহাম্মদ নাভিদ পারস খডকা আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই ১৪ রানে বিজয়ী ===ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা দলের পাকিস্তান সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর=== মহিলা টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৫৬৩ বিসমাহ মারুফ মেরিজা অ্যাগুইলেরা সাউথইন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়াম, করাচী ৭১ রানে বিজয়ী ৫৬৪ বিসমাহ মারুফ মেরিজা অ্যাগুইলেরা সাউথইন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়াম, করাচী খেলা ড্র হয়। (-সু/ওএ জয় পায়) ৫৬৬ বিসমাহ মারুফ মেরিজা অ্যাগুইলেরা সাউথইন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়াম, করাচী ১২ রানে বিজয়ী ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ- মহিলা ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১১৩৭ জাভেরীয়া খান স্তাফানি টেলর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ১৪৬ রানে বিজয়ী ১১৩৮ বিসমাহ মারুফ স্তাফানি টেলর আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই ৩৪ রানে বিজয়ী ১১৩৯ বিসমাহ মারুফ স্তাফানি টেলর আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ড, দুবাই উইকেটে বিজয়ী ==ফেব্রুয়ারি== ===শ্রীলঙ্কা মহিলা ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর=== মহিলা টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৫৬৫ ডেন ফন নাইকার্ক চামারি আতাপাত্তু নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, কেপ টাউন উইকেটে বিজয়ী ৫৬৭ ডেন ফন নাইকার্ক চামারি আতাপাত্তু ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ উইকেটে বিজয়ী ৫৬৯ ডেন ফন নাইকার্ক চামারি আতাপাত্তু সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন ৩৯ রানে বিজয়ী ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১১৪০ ডেন ফন নাইকার্ক চামারি আতাপাত্তু সেনওয়েস পার্ক, পটচেফস্ট্রোম রানে বিজয়ী ১১৪১ সুন লুস চামারি আতাপাত্তু সেনওয়েস পার্ক, পটচেফস্ট্রোম ৩০ রানে বিজয়ী (ডি/এল) ১১৪২ সুন লুস চামারি আতাপাত্তু সেনওয়েস পার্ক, পটচেফস্ট্রোম উইকেটে বিজয়ী বাংলাদেশ=== ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার কারণে তৃতীয় এবং সর্বশেষ টেস্ট খেলাটি বাতিল করা হয়। ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪০৯৩ কেন উইলিয়ামসন মাশরাফি মর্তুজা ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ার উইকেটে বিজয়ী ৪০৯৪ কেন উইলিয়ামসন মাশরাফি মর্তুজা হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ উইকেটে বিজয়ী ৪০৯৫ টম ল্যাথাম মাশরাফি মর্তুজা ইউনিভার্সিটি ওভাল, ডুনেডিন ৮৮ রানে বিজয়ী টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ২৩৪৯ ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্চ কেন উইলিয়ামসন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টন ইনিংস এবং ৫২ রানে বিজয়ী ২৩৫০ ৮-১২ মার্চ কেন উইলিয়ামসন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ব্যাসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটন ইনিংস এবং ১২ রানে বিজয়ী ২৩৫১এ ১৬-২০ মার্চ টিম সাউদি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ খেলা বাতিল ===২০১৮-১৯ ওমান কোয়াডরেঙ্গুলার সিরিজ === রাউন্ড-রবিন -টি২০আই সিরিজ নং তারিখ দল দলপতি দল দলপতি মাঠ ফলাফল ৭৩৯ কাইল কোয়েতজার পিটার সিলার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৭৪০ পল স্টার্লিং অজয় লালচেতা আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ১৫ রানে বিজয়ী ৭৪১ অজয় লালচেতা পিটার সিলার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৭৪২ পল স্টার্লিং কাইল কোয়েতজার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৭৪৩ পল স্টার্লিং পিটার সিলার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ৭৪৪ অজয় লালচেতা কাইল কোয়েতজার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট উইকেটে বিজয়ী ===দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্রীলঙ্কা=== টেস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ২৩৪৭ ১৩-১৭ ফেব্রুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস দিমুথ করুনারত্নে কিংসমিড ক্রিকেট গ্রাউন্ড উইকেটে বিজয়ী ২৩৪৮ ২১-২৫ ফেব্রুয়ারি ফাফ দু প্লেসিস দিমুথ করুনারত্নে সেন্ট জর্জেস পার্ক উইকেটে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪১০৪ মার্চ ফাফ দু প্লেসিস লাসিথ মালিঙ্গা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ উইকেটে বিজয়ী ৪১০৭ মার্চ ফাফ দু প্লেসিস লাসিথ মালিঙ্গা সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন ১১৩ রানে বিজয়ী ৪১১২ ১০ মার্চ ফাফ দু প্লেসিস লাসিথ মালিঙ্গা কিংসমিড ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ডারবান ৭১ রানে বিজয়ী (ডি/এল) ৪১১৪ ১৩ মার্চ ফাফ দু প্লেসিস লাসিথ মালিঙ্গা সেন্ট জর্জেস পার্ক, পোর্ট এলিজাবেথ উইকেটে বিজয়ী ৪১১৫ ১৬ মার্চ ফাফ দু প্লেসিস লাসিথ মালিঙ্গা নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, কেপ টাউন ৪১ রানে বিজয়ী (ডি/এল) টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭৫৫ ১৯ মার্চ ফাফ দু প্লেসিস লাসিথ মালিঙ্গা নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, কেপ টাউন খেলা ড্র হয় সু/ও জয়ী) ৭৫৮ ২২ মার্চ জেপি ডুমিনি লাসিথ মালিঙ্গা সুপারস্পোর্ট পার্ক, সেঞ্চুরিয়ন ১৬ রানে বিজয়ী ৭৬৩ ২৪ মার্চ জেপি ডুমিনি লাসিথ মালিঙ্গা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ ৪৫ রানে বিজয়ী (ডি/এল) ===২০১৯ আইসিসি মহিলা বাছাইপর্ব এশিয়া=== রাউন্ড-রবিন নং তারিখ দল দল মাঠ ফলাফল ৫৭৮ ১৮ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৭৯ ১৮ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৬৩ রানে বিজয়ী ৫৮০ ১৮ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ২১ রানে বিজয়ী ৫৮১ ১৯ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৩৪ রানে বিজয়ী ৫৮২ ১৯ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৮৩ ১৯ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৮৬ রানে বিজয়ী ৫৮৪ ২১ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৮৬ রানে বিজয়ী ৫৮৫ ২১ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৫৭ রানে বিজয়ী ৫৮৬ ২১ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৮৭ ২২ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৮৮ ২২ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৮২ রানে বিজয়ী ৫৮৯ ২২ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৯০ ২৪ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ২৭ রানে বিজয়ী ৫৯১ ২৪ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৯২ ২৪ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৯৩ ২৫ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৮৭ রানে বিজয়ী ৫৯৪ ২৫ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক রানে বিজয়ী ৫৯৫ ২৫ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৯৬ ২৭ ফেব্রুয়ারী ট্রেডথাই ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ব্যাংকক উইকেটে বিজয়ী ৫৯৭ ২৭ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৩০ রানে বিজয়ী ৫৯৮ ২৭ ফেব্রুয়ারী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি গ্রাউন্ড, ব্যাংকক ৫০ রানে বিজয়ী ===স্কটল্যান্ডে ওমান=== লিস্ট সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১ম লিস্ট ১৯ ফেব্রুয়ারি অজয় লালচেতা কাইল কোয়েতজার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ১০ উইকেটে বিজয়ী ২য় লিস্ট ২০ ফেব্রুয়ারি খাওয়ার আলী কাইল কোয়েতজার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ৯৩ রানে বিজয়ী ৩য় লিস্ট ২২ ফেব্রুয়ারি খাওয়ার আলী কাইল কোয়েতজার আল ইমারাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মাস্কাট ১৫ রানে বিজয়ী ===ভারতে আয়ারল্যান্ড আফগানিস্তান=== টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭৪৫ ২১ ফেব্রুয়ারি আসগর আফগান পল স্টার্লিং রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন উইকেটে বিজয়ী ৭৪৬ ২৩ ফেব্রুয়ারি আসগর আফগান পল স্টার্লিং রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন ৮৪ রানে বিজয়ী ৭৪৭ ২৪ ফেব্রুয়ারি আসগর আফগান পল স্টার্লিং রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন ৩২ রানে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪১০০ ২৮ ফেব্রুয়ারি আসগর আফগান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন উইকেটে বিজয়ী ৪১০১ মার্চ আসগর আফগান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন ফলাফল হয়নি ৪১০৫ মার্চ আসগর আফগান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন উইকেটে বিজয়ী ৪১০৮ মার্চ আসগর আফগান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন ১০৯ রানে বিজয়ী ৪১১০ ১০ মার্চ আসগর আফগান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন উইকেটে বিজয়ী একমাত্র টেস্ট নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ২৩৫১ ১৫-১৯ মার্চ আসগর আফগান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেরাদুন, দেরাদুন উইকেটে বিজয়ী ===ইংল্যান্ড মহিলাদের ভারত সফর=== ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ মহিলা ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১১৪৪ ২২ ফেব্রুয়ারী মিতালী রাজ হিদার নাইট ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই ৬৬ রানে বিজয়ী ১১৪৬ ২৫ ফেব্রুয়ারী মিতালী রাজ হিদার নাইট ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই উইকেটে বিজয়ী ১১৪৭ ২৮ ফেব্রুয়ারী মিতালী রাজ হিদার নাইট ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই উইকেটে বিজয়ী মটি২০আই নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৫৯৯ মার্চ স্মৃতি মন্ধনা হিদার নাইট বর্ষাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গুয়াহাটি ৪১ রানে বিজয়ী ৬০০ মার্চ স্মৃতি মন্ধনা হিদার নাইট বর্ষাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গুয়াহাটি উইকেটে বিজয়ী WT20I 601 মার্চ স্মৃতি মন্ধনা হিদার নাইট বর্ষাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গুয়াহাটি রানে বিজয়ী ===ভারতে অস্ট্রেলিয়া=== টি২০আই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭৪৮ ২৪ ফেব্রুয়ারি বিরাট কোহলি অ্যারন ফিঞ্চ ডাঃ ওয়াই. এস. রাজশেখরা রেড্ডী এসিএ-ভিডিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তনম উইকেটে বিজয়ী T20I 749 ২৭ ফেব্রুয়ারি বিরাট কোহলি অ্যারন ফিঞ্চ এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, বেঙ্গালুরু উইকেটে বিজয়ী ওডিআই সিরিজ নং তারিখ ঘরোয়া অধিনায়ক ভ্রমণকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪১০২ মার্চ বিরাট কোহলি অ্যারন ফিঞ্চ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হায়দ্রাবাদ উইকেটে বিজয়ী ৪১০৬ মার্চ বিরাট কোহলি অ্যারন ফিঞ্চ বিদর্ভ ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম, নাগপুর রানে বিজয়ী ৪১০৯ মার্চ বিরাট কোহলি অ্যারন ফিঞ্চ জেএসসিএ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, রাঁচি ৩২ রানে বিজয়ী ৪১১১ ১০ মার্চ বিরাট কোহলি অ্যারন ফিঞ্চ পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থা আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়াম, মোহালি উইকেটে বিজয়ী ৪১১৩ ১৩ মার্চ বিরাট কোহলি অ্যারন ফিঞ্চ ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠ, দিল্লি ৩৫ রানে বিজয়ী ==মার্চ== সংযুক্ত আরব আমিরাত=== টি২০আই সিরিজ খেলা নং তারিখ স্বাগতিক অধি: সফরকারী অধি: মাঠ ফলাফল ৭৫৩ ১৫ মার্চ মোহাম্মদ নাভিদ সৌরভ নেত্রাভালকার আইসিসি একাডেমী গ্রাউন্ড, দুবাই ফলাফল হয়নি ৭৫৪ ১৬ মার্চ মোহাম্মদ নাভিদ সৌরভ নেত্রাভালকার আইসিসি একাডেমী গ্রাউন্ড, দুবাই ২৪ রানে বিজয়ী ===ইংল্যান্ড মহিলা দলের শ্রীলঙ্কা সফর=== ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ মহিলা ওডিআই খেলা নং তারিখ স্বাগতিক অধিনায়ক সফরকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১১৪৮ ১৬ মার্চ চামারি আতাপাত্তু হিদার নাইট মহিন্দ রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হাম্বানটোটা ১৫৪ রানে বিজয়ী (ডি/এল) ১১৪৯ ১৮ মার্চ চামারি আতাপাত্তু হিদার নাইট মহিন্দ রাজাপক্ষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হাম্বানটোটা উইকেটে বিজয়ী WODI 1150 ২১ মার্চ চামারি আতাপাত্তু হিদার নাইট এফটিজেড স্পোর্টস কমপ্লেক্স, কাতুনায়েক উইকেটে বিজয়ী মহিলা টি২০আই সিরিজ খেলা নং তারিখ স্বাগতিক অধিনায়ক সফরকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৬০২ ২৪ মার্চ চামারি আতাপাত্তু হিদার নাইট পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়াম, কলম্বো উইকেটে বিজয়ী ৬০৩ ২৬ মার্চ চামারি আতাপাত্তু হিদার নাইট পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়াম, কলম্বো উইকেটে বিজয়ী ৬০৪ ২৮ মার্চ চামারি আতাপাত্তু হিদার নাইট পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়াম, কলম্বো ৯৬ রানে বিজয়ী ===২০১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বাছাইপর্ব=== রাউন্ড-রবিন খেলা নং তারিখ দল অধিনায়ক দল অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৭৫৬ ২২ মার্চ আসাদ বালা জনাথন হিল আমিনি পার্ক, পোর্ট মোর্সবে ১৩৩ রানে বিজয়ী ৭৫৭ ২২ মার্চ আসাদ বালা এন্ড্রো মানসালে আমিনি পার্ক, পোর্ট মোর্সবে উইকেটে বিজয়ী ৭৫৯ ২৩ মার্চ জনাথন হিল এন্ড্রো মানসালে আমিনি পার্ক, পোর্ট মোর্সবে ৬৪ রানে বিজয়ী T20I 760 ২৩ মার্চ আসাদ বালা জনাথন হিল আমিনি পার্ক, পোর্ট মোর্সবে ফলাফল হয়নি ৭৬১ ২৪ মার্চ এন্ড্রো মানসালে জনাথন হিল আমিনি পার্ক, পোর্ট মোর্সবে ১০ রানে বিজয়ী ৭৬২ ২৪ মার্চ আসাদ বালা এন্ড্রো মানসালে আমিনি পার্ক, পোর্ট মোর্সবে ১০ উইকেটে বিজয়ী ===সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তান=== ওডিআই সিরিজ খেলা নং তারিখ স্বাগতিক অধিনায়ক সফরকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪১১৬ ২২ মার্চ শোয়েব মালিক অ্যারন ফিঞ্চ শারজাহ ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, শারজাহ উইকেটে বিজয়ী ODI 4117 ২৪ মার্চ শোয়েব মালিক অ্যারন ফিঞ্চ শারজাহ ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, শারজাহ উইকেটে বিজয়ী ODI 4118 ২৭ মার্চ শোয়েব মালিক অ্যারন ফিঞ্চ শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আবুধাবি ৮০ রানে বিজয়ী ODI 4119 ২৯ মার্চ ইমাদ ওয়াসিম অ্যারন ফিঞ্চ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই রানে বিজয়ী ODI 4120 ৩১ মার্চ ইমাদ ওয়াসিম অ্যারন ফিঞ্চ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দুবাই ২০ রানে বিজয়ী ===জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের ভারত সফর=== জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট দল ভারতের সফরসূচিতে ১টি টেস্ট ৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা তৈরী করেছিল। পরবর্তীতে ২০১৯ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের কারণে তারিখটি বিলীন হয়ে যায়, এবং সিরিজটি পরবর্তীতে খেলার জন্য নির্ধারণ করা হয়। ==এপ্রিল== ===সংযুক্ত আরব আমিরাতে জিম্বাবুয়ে=== ওডিআই সিরিজ খেলা নং তারিখ স্বাগতিক অধিনায়ক সফরকারী অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ৪১২১ ১০ এপ্রিল পিটার মুর মোহাম্মদ নাভিদ হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে উইকেটে বিজয়ী ৪১২২ ১২ এপ্রিল পিটার মুর মোহাম্মদ নাভিদ হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে রানে বিজয়ী (ডিএল) ৪১২৩ ১৪ এপ্রিল পিটার মুর মোহাম্মদ নাভিদ হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে ১৩১ রানে বিজয়ী ৪১২৪ ১৬ এপ্রিল পিটার মুর মোহাম্মদ নাভিদ হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে উইকেটে বিজয়ী (ডিএল) ===২০১৯ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ=== গ্রুপ পর্যায় খেলা নং তারিখ দল অধিনায়ক দল অধিনায়ক মাঠ ফলাফল ১ম খেলা ২০ এপ্রিল গারহার্ড ইরাসমাস আসাদ বালা ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ২য় খেলা ২০ এপ্রিল দেবী জেকবস আনশুমান রাথ ওয়ান্ডারার্স এপিস পার্ক, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ৩য় খেলা ২০ এপ্রিল জিশান মাকসুদ সৌরভ নেত্রাভালকার ইউনাইটেড গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ৪র্থ খেলা ২১ এপ্রিল গারহার্ড ইরাসমাস সৌরভ নেত্রাভালকার ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক রানে বিজয়ী ৫ম খেলা ২১ এপ্রিল দেবী জেকবস জিশান মাকসুদ ওয়ান্ডারার্স এপিস পার্ক, উইন্ডহোক ৯৯ রানে বিজয়ী ৬ষ্ঠ খেলা ২১ এপ্রিল আসাদ বালা আনশুমান রাথ ইউনাইটেড গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ৭ম খেলা ২৩ এপ্রিল আনশুমান রাথ জিশান মাকসুদ ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ৮ম খেলা ২৩ এপ্রিল আসাদ বালা সৌরভ নেত্রাভালকার ওয়ান্ডারার্স এপিস পার্ক, উইন্ডহোক ১০ উইকেটে বিজয়ী ৯ম খেলা ২৩ এপ্রিল গারহার্ড ইরাসমাস দেবী জেকবস ইউনাইটেড গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক ৯৮ রানে বিজয়ী ১০ম খেলা ২৪ এপ্রিল আসাদ বালা দেবী জেকবস ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ১১শ খেলা ২৪ এপ্রিল গারহার্ড ইরাসমাস জিশান মাকসুদ ওয়ান্ডারার্স এপিস পার্ক, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ১২শ খেলা ২৪ এপ্রিল আনশুমান রাথ সৌরভ নেত্রাভালকার ইউনাইটেড গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক ৮৪ রানে বিজয়ী ১৩শ খেলা ২৬ এপ্রিল দেবী জেকবস সৌরভ নেত্রাভালকার ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক ৪০ রানে বিজয়ী ১৪শ খেলা ২৬ এপ্রিল গারহার্ড ইরাসমাস আনশুমান রাথ ওয়ান্ডারার্স এপিস পার্ক, উইন্ডহোক ১৫১ রানে বিজয়ী ১৫শ খেলা ২৬ এপ্রিল আসাদ বালা Khawar Ali ইউনাইটেড গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক ১৪৫ রানে বিজয়ী প্লে-অফ ৫ম স্থান ২৭ এপ্রিল আনশুমান রাথ Nitish Kumar ইউনাইটেড গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ৩য় স্থান ২৭ এপ্রিল সৌরভ নেত্রাভালকার আসাদ বালা ওয়ান্ডারার্স এপিস পার্ক, উইন্ডহোক উইকেটে বিজয়ী ফাইনাল-৪১২৫) ২৭ এপ্রিল জিশান মাকসুদ গারহার্ড ইরাসমাস ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, উইন্ডহোক ১৪৫ রানে বিজয়ী ====চূড়ান্ত অবস্থান==== স্থান দল অবস্থা ১ম ২০১৯-২২ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লীগ ২-তে অগ্রসর ২য় ৩য় ৪র্থ ৫ম ২০১৯-২১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ-এ অবনমন ৬ষ্ঠ ==উল্লেখ্য বার্তা== ==তথ্যসূত্র== ক্রিকেট ক্রিকেট ক্রিকেট ক্রিকেট প্রতিযোগিতাধর্মচক্র, ধর্ম অর্থাৎ বোধিলাভের পন্থা বিষয়ে বুদ্ধের শিক্ষার প্রতীক বৌদ্ধধর্ম (পালি/সংস্কৃত बौद्धधर्म) হল একটি ভারতীয় ধর্ম দার্শনিক মত। প্রধানত সিদ্ধার্থ গৌতমের (যিনি সাধারণভাবে বুদ্ধ অর্থাৎ "বোধিপ্রাপ্ত" নামে পরিচিত) শিক্ষা হিসাবে পরিগণিত বিভিন্ন প্রথা, মতবিশ্বাস রীতিনীতি এই ধর্মের অঙ্গীভূত। এই পৃষ্ঠায় প্রদত্ত রূপরেখাটির মাধ্যমে বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা বিষয়-সংক্রান্ত সহায়িকা উপস্থাপিত হয়েছে। ==বুদ্ধ== গৌতম বুদ্ধ গৌতম বুদ্ধ তথাগত "এইভাবে যিনি আসেন" "এইভাবে যিনি যান" দুই অর্থেই প্রযোগ্য। নিজেকে উল্লেখ করার সময় বুদ্ধ প্রায়শই এই বিশেষণটি ব্যবহার করতেন; কোনও কোনও ক্ষেত্রে বোধিপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাধারণ পরিচয় হিসাবেও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বুদ্ধপূর্ণিমা চতুর্দৃশ্য চারটি দৃশ্য, যা রাজকুমার সিদ্ধার্থের উপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে, তিনি সকল জীবের দুঃখ উপলব্ধি করেন এবং আধ্যাত্মিক পথে যাত্রা শুরু করেন। ** এক বৃদ্ধ ব্যক্তি ** এক জরাগ্রস্থ ব্যক্তি ** এক মৃত ব্যক্তি ** এক সন্ন্যাসী বুদ্ধের গুণাবলি ** সকল প্রকার কলুষ (''কিলেসা'' প্রধানত লোভ, ঘৃণা বিভ্রম) এবপ্নগ সেগুলির অবশিষ্ট চিহ্ন (''বাসনা'') বর্জন *** সকল প্রকার কলুষ সম্পূর্ণরূপে বর্জন বর্জিত সকল প্রকার কলুষ সকল অবশিষ্টাংশ সহ ধ্বংসপ্রাপ্ত *** সকল প্রকার কলুষ সম্পূর্ণরূপে বর্জিত প্রত্যেকটি কলুষ মূল থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত, কোনও অবশিষ্টাংশ নেই *** সকল প্রকার কলুষ শেষপর্যন্ত বর্জিত ভবিষ্যতে কোনও প্রকার কলুষ কখনও জাগবে না ** সকল গুণাবলি অর্জন *** ''মহপজ্ঞা'' **** পরিসীমার ব্যাপকতা অস্তিমান ঘটনাবলির সামগ্রিকতা সম্পর্কে ধারণা **** দৃষ্টিভঙ্গির প্রগাঢ়তা প্রত্যেকটি ঘটনার অস্তিত্বের সঠিক ধরন সম্পর্কে ধারণা *** ''মহ-করুণা'' বুদ্ধের শারীরিক বৈশিষ্ট্য বুদ্ধ পদচিহ্ন বুদ্ধের প্রতিমূর্তি (''বুদ্ধরূপ'') লাওস থাইল্যান্ডে গৌতম বুদ্ধের মূর্তিকল্প চলচ্চিত্রে গৌতম বুদ্ধের চরিত্রাঙ্কন গৌতম বুদ্ধের অলৌকিক কার্যকলাপ গৌতম বুদ্ধ বাস করেছিলেন এমন স্থানগুলির তালিকা বুদ্ধের দেহনিঃসৃত আভার বর্ণসমূহ ** স্যাফায়ার নীল (''নীল'') ** সোনালি হলুদ (''পীত'') ** ক্রিমসন (''লোহিত'') ** সাদা (''ওদাতা'') ** স্কারলেট (''মঞ্জেষ্টা'') গৌতম বুদ্ধের পরিবার ** শুদ্ধোধন (বাবা) ** মায়া (মা) ** যশোধরা (স্ত্রী) ** রাহুল (পুত্র) ** মহাপজাপতী গোতমী (পালিকা মা) ** নন্দ (সৎ-ভাই) ** আনন্দ (খুড়তুতো ভাই) ** অনুরুদ্ধ (খুড়তুতো ভাই) ** দেবদত্ত (শ্যালক) বোধিসত্ত গোতমের গুরু ** আলারা কালাম গৌতমকে শূন্যতার জ্ঞান-সংক্রান্ত স্তরটি শিক্ষা দেন ** উদ্দক রামপুত্ত গৌতমকে না না জ্ঞান-সংক্রান্ত স্তরটি শিক্ষা দেন বিশ্বের ধর্মসমূহে গৌতম বুদ্ধ ** হিন্দুধর্মে গৌতম বুদ্ধ ==পাদটীকা== ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== রূপরেখা'''মুড়িয়াউক ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছেন রফিকুল ইসলাম মলাই। ==অবস্থান আয়তন== ইউনিয়নটির অবস্থান উপজেলা পরিষদের দৃষ্টি সীমার মধ্যে এবং অত্যন্ত নিকটে। এর আয়তন ৪,৭০৪ একর (১৯.০৩ বর্গ কিলোমিটার প্রায়)। ==প্রশাসনিক এলাকা== গ্রামের সংখ্যাঃ ৯। গ্রামসমূহের নাম সাতাউক, লখনাউক, ধর্মপুর, মশাদিয়া, মুড়িয়াউক, কাসিমপুর, তেঘরিয়া, সুনেশ্বর, মৌবাড়ী। ইউনিয়নের সাথে নাসিরনগরের সীমানা আছে। ==জনসংখ্যার উপাত্ত== জনসংখ্যাঃ ১৭৭৬২ জন। ==শিক্ষা ব্যবস্থা== ইউনিয়নে দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, ১৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি কওমী মাদ্রাসা সহ মোট ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার হার ৩৫%। ==মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি== এই ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে ৩৮ জন। ১৯৭১ সালের ২৯ শে অক্টোবরে কতিপয় রাজাকার বাহিনীর সহায়তায় সুদূর লাখাই ইউনিয়ন থেকে পাক হানাদার বাহিনী মুড়িয়াউক গ্রামে আসে এবং রাতের বেলা কতিপয় দালালের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। খুব ভোর বেলা তারা মুড়িয়াউক গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জনাব শাহজাহান চিশতির বাড়ীতে চায়। শাহাজান চিশতিকে বাড়ীতে না পেয়ে পাক আর্মিরা তাঁর পিতা জনাব আব্দুল জববারকে(৭০) ধরে নিয়ে যায় এবং তাঁর বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে ছারখার করে দেয়। একই সময়ে পাক আর্মিরা মুড়িয়াউক গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইলিয়াছ কামালের পিতা-ইদ্রিছ আলী (৬৫)কেও ধরে নিয়ে যায়। উক্ত দুইজন বর্ষীয়ান লোককে তারা লাখাই ইউনিয়নে নিয়ে যায়। পরদিন সেখান থেকে স্পীড বোট যোগে ভৈরব নেবার পথে গুলি করে হত্যা করে মর্মে জানা যায়। তাঁদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ==যোগাযোগ ব্যবস্থা== ইউনিয়নটির অভ্যন্তরে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার রাস্তা বিদ্যমান। ==ঐতিহাসিক স্থান== ===দর্শনীয় স্থান=== একর জমির উপর তৈরী আগাই মিয়ার' পুকুর। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা আসেন পুকুরের মাছ দেখার জন্য। মুড়িয়াউক গ্রামের ভিতরে আছে বিশাল এক দীঘি। যা যেকোনো দর্শকের মন কাড়ে। ===হাট-বাজার=== ইউনিয়নে রয়েছে ৪টি উল্লেখযোগ্য হাট বাজার, যেমন- চক বাজার (অবস্থান- ধর্মপুর গ্রাম), মুড়িয়াউক ফুলতৈল বাজার মুড়িয়াউক দক্ষিণ বাজার (অবস্থান: মুড়িয়াউক গ্রামে), সাতাউক মাদ্রাসা বাজার (অবস্থান সাতাউক গ্রামে)। বাজারগুলো এলাকার মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন নিবারণের ভরসা। বাজারগুলো ইজারার মাধ্যমে আসে রাজস্ব আয়। ==বিবিধ== অঞ্চলের সাতাউক গ্রামের অনেক মানুষ গ্রিস এবং ইতালিতে অবস্থান করেন। ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ ঢাকায় বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায় এবং অন্যান্য কাজে নিয়োজিত। ইউনিয়নে ষ্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত একটি বড় মাঠ আছে। ==আরও দেখুন== সিলেট বিভাগ হবিগঞ্জ জেলা লাখাই উপজেলা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঅন্য ব্যবহারের জন্য, দেখুন আনোয়ারুল আজীম (দ্ব্যর্থতা নিরসন)। '''আনয়ারুল আজিম''' বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় সংসদের ২৫৮নং (কুমিল্লা -১০) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। == কর্ম জীবন == বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। কর্নেল পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে কুমিল্লা -১০ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে তিনি সংসদে নির্বাচিত হন। ২৪ ডিসেম্বার ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা তার গাড়িতে হামলা চালায়। ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। == তথ্যসূত্র == বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ সেনাবাহিনীর জেনারেল‎ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল জেলার রাজনীতিবিদ'''মুমতাজ আলী''' (১৫ মার্চ ১৯০৫ মে ১৯৭৪) ১৯৪০ এর দশক থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত হিন্দি চলচ্চিত্রের একজন নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় কৌতুকাভিনেতা মেহমুদের পিতা। তার নিজস্ব নাচের দল "মুমতাজ আলী নাইটস" ছিল, যেটি সমগ্র ভারত জুড়ে কাজ করেছিল। ==প্রাথমিক জীবন== মুমতাজ আলী ১৯০৫ সালে ভারতের হায়দ্রাবাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খুব অল্প বয়সেই পিতা মাতা হারানোর পরে তিনি তার মাত্র নয় বছর বয়সী বোন করিমন্নেছার কাছে বেড়ে ওঠেন। == ব্যক্তিগত জীবন == মতাজ আলী ১৯২৯ সালের অক্টোবরে লতিফুন্নেসার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ৮টি সন্তান ছিল: হোসেনী, মেহমুদ, খায়রুন্নেসা, উসমান, মালিকুন্নেসা (মিনু মুমতাজ), জুবাইদা, শৌকত এবং আনোয়ার। মেহমুদ ১৯৪৩ সালের চলচ্চিত্র কিসমেতের অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করেন। প্রাথমিকভাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং ১৯৫০ এর দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে শিল্পে স্বীকৃত নৃত্যশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। == চিত্রমালা== File:Mumtaz Ali dans Nirmala আলী ১৯৩৮ সালের চলচ্চিত্র নির্মলায় নাচ পরিবেশন করছেন'' File:Mumtaz Ali et Sunita Devi dans Prem Kahani (1937).jpg|১৯৩৭ সালের চলচ্চিত্রে সুনিতা দেবির সাথে'' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু চলচ্চিত্র অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেতা মুসলিমপাত্রে পানি ভরতে নারীদের লাইন, লাবুজে শরণার্থী শিবির, কিটগুম জেলা, উগান্ডার উত্তরাঞ্চল '''উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জল সরবরাহ নারী''' একটি জটিল বিষয়, কারণ সুপেয়, পর্যাপ্ত, পরিচ্ছন্ন এবং সাশ্রয়ী জল সরবরাহের অভাব উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বিশেষভাবে মহিলাদের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। বেশিরভাগ দেশে, গার্হস্থ্য কাজে ব্যবহারের পানি সরবরাহের জন্য পরিবারের নারী সদস্যরাই দায়িত্বশীল থাকেন। গার্হস্থ্য কাজে ব্যবহারের পানি সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন প্রায় ছয় ঘন্টা সময় লেগে যায়, এই দায়িত্ব অধিকাংশ সময়ই নারী শিশুকে ন্যস্ত করা করা হয়। এই সময়টি অপব্যবহারের ফলে শিশুদের, বিশেষ করে মেয়েদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে এবং মহিলাদের ছোট ব্যবসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। ২০০০ সালে, হেগের দ্বিতীয় বিশ্ব পানি সম্মেলনে সবাই উপসংহারে পৌঁছে যে, গার্হস্থ্য জলের প্রাথমিক ব্যবহারকারী হচ্ছে নারী, তারা তাদের প্রধান খাবার তৈরি করতে পানি ব্যবহার করে এবং নারী শিশুরা জল সম্পর্কিত দুর্যোগগুলোতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ১৯৯২ সালের পানি এবং পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে, পানি উন্নয়ন বিষয়ক ডাবলিন নীতিমালার ৪টি নীতির মধ্যে একটি হচ্ছে "নারীরা সংস্থান ব্যবস্থাপনা এবং জল সুরক্ষার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ভুমিকা পালন করে থাকে"। নারী অধিকার পানি প্রতিরক্ষা নিয়ে কাজ করা অনেক সংস্থা পানি বেসরকারীকরণকে উদ্বেগজনক হিসাবে উল্লেখ করেছে কারণ এটি কখনও কখনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যাতে বিশেষভাবে নারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হন। == নারীদের অন্তর্ভুক্তি এবং পানি সরবরাহের কার্যকারিতা == ভারতে পানি সংগ্রহের জন্য একটি দীর্ঘ দূরত্বের পথ হাঁটছেন একজন মহিলা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে পানি সরবরাহ প্রকল্পগুলি যখন প্রভাবিত নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের সাথে পরিকল্পিত এবং চালিত হয় তখন এটি উচ্চতর সাফল্য দেখায়। ১৪ টি দেশের ৮৮ টি সম্প্রদায়কে নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বাইরের এজেন্সী বা স্থানীয় নেতাদের পরিবর্তে যেসব প্রকল্পগুলির মধ্যে ব্যবহারকারীদের দ্বারা নির্ধারিত পরিবারের পুরুষ এবং মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং যেখানে পানি প্রকল্পগুলি ব্যবহারকারীদের দ্বারা শুরু করা হয়েছিল, বাইরের এজেন্সী বা স্থানীয় নেতাদের থেকে তাদের সাফল্যের হার বেশী। == উদাহরণ == === চিলি === চিলির আইন জল প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত জায়গাগুলিতে লিঙ্গ উপাদান অন্তর্ভুক্ত করেনা, কিন্তু উল্লেখ করে যে সকল জল প্রকল্প অবশ্যই "মানবগোষ্ঠীর জীবন প্রথার" উপর প্রভাব ফেলবে। ২০০০ সালে লিঙ্গ এবং জল সম্পদ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত কমিশনে ডিরেক্কন জেনারেল ডি অগাস বলে যেঃ === উগান্ডা === ১৯৯৫ সালের উগান্ডা প্রজাতন্ত্রের সংবিধান, আর্টিকেল ৩৩২ অনুসারে "রাজ্যগুলি নারীদের কল্যাণ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা এবং সুযোগ সরবরাহ করবে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা এবং অগ্রগতি বুঝতে সক্ষম করার জন্য"। সরকারী জল আইন থেকে বাদ দেওয়া হলেও এই সরলীকৃত দায়িত্ব প্রমাণিত, কারণ জাতীয় বর্ণ নীতি, জাতীয় পানি নীতি, এবং স্থানীয় সরকার আইনের মধ্যে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় লিঙ্গ নীতি উন্নয়ন ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভিত্তিক ক্ষেত্রবিশেষ নীতির জন্য একটি কাঠামো গঠন করে। ন্যাশনাল ওয়াটার পলিসি, বাস্তবায়নের সব পর্যায়ে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানিয়ে বলে, "সম্প্রদায় ব্যবস্থাপনায়ের সকল দিকগুলিতে নারী পুরুষের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণের সমান সুযোগ থাকা উচিত"। স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী স্থানীয় কাউন্সিলগুলির ৩০% প্রতিনিধিত্ব মহিলাদের জন্য, যা বর্তমানে প্রায় ১০%। === কেনিয়া === কেনিয়া এর "সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশের কৌশল" লিঙ্গ জলের উৎসের বিষয়টি তুলে ধরেছে: উপরের উদ্ধৃতিটি সমান অংশগ্রহণ এবং কাজের শ্রম বিভাগের সাথে সাথে সুবিধাগুলি উল্লেখ করেনি বলে সমালোচকদের দ্বারা আপত্তিকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে কেনিয়ান উইমেন ব্যুরো পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচন লিঙ্গ সম্পর্কিত প্রাধান্যের মাধ্যমে এই বিষয়ে জল বিভাগের সাথে সহযোগিতা শুরু করেছে। === মালাউই === মালাউইতে, সম্প্রদায়ের পানির উৎস পরিচালনাকারী পুরুষের একটি দল প্রায়শই কর্মক্ষেত্রের সময় অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের অকার্যকর বলে মনে করা হয়। পুরুষদের প্রতিস্থাপন করার জন্য শুধুমাত্র নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি ব্যবস্থাপনা দল গঠন করা হয়েছিল এবং পানি সরবরাহের উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে। যাইহোক, নারীর দলটির জন্য এই কাজটির বোঝা খুব বেশি ছিল এবং সম্প্রদায়গুলি এখন কর্তব্যের ন্যায়সঙ্গত অংশ নিয়ে কাজটিকে দুই দলের মধ্যে বিভক্ত করে। মালাউইতে নারীরা উন্নত পানির উৎস রক্ষণাবেক্ষণেও উদ্যোগ নিয়েছে, বেশিরভাগ জল পাম্প কমিটি নারীদের দ্বারা গঠন হচ্ছে এবং তারা পাইপলাইনগুলি ফুটপাত হিসাবে ব্যবহার করছে, পাইপলাইনের ফুটোগুলোর বিষয়ে গ্রামের তত্ত্বাবধায়ককে জানাচ্ছে। == ব্যক্তি এবং ক্ষমতা উন্নয়ন == স্বতন্ত্র পর্যায়ের পানি প্রকল্প আনুপাতিক হারে কমিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে, নারীরা গার্হস্থ্য পর্যায়ে কার্যকর শিক্ষক হিসাবে পাওয়া গেছে, এবং জল ব্যক্তি সংবেদনশীল পদ্ধতিগুলিতে সাশ্রয়ী বলে প্রমাণিত হয়েছে। নেপালের পূর্ব উন্নয়ন অঞ্চলের একটি ছোট জল ব্যবস্থাপনা প্রকল্প "কমিউনিটি ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রোগ্রাম" নারী নেতৃত্বাধীন দল সফলতা দেখিয়েছে, যারা ঝাপা জেলার একটি গ্রামে ২৩ টি ট্যাপ স্টান্ড পরিচালনা করেছে, এবং এর বাইরে প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষরতা প্রোগ্রাম এবং শৌচাগার নির্মাণেও অংশ নিয়েছে। এল সালভাদোরে, "ওয়াটারশেডস অ্যান্ড জেন্ডার প্রজেক্ট" নারীদের কারিগরি কৃষি সম্পর্কে শেখানো হয়েছে, তাদের প্রশিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে, এবং পূর্বে শুধুমাত্র পুরুষদের দ্বারা দখলকৃত পদগুলিতে নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেছে। == প্রাপ্যতা == পানি প্রাপ্যতা সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি হল, পানির উৎস থেকে দীর্ঘ হাঁটাপথের দূরত্ব,পানির নিম্ন গুণগত মান, পর্যাপ্ত মানসম্মত পানির অভাব, পানির উচ্চ মুল্য এবং দুর্বল ব্যবস্থা পরিকল্পনা। নারীরা প্রায়ই এই সমস্যাগুলি ভোগ করে থাকে। অসফল জল সরবরাহ প্রকল্পের কারণে ঘানার নারী শিশুদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, যেখানে নারীরা অর্থ বাচাতে তাদের শিশুদেরকে নোংরা পানি পান করায়। পূর্ব নেপালে রাস্তার পাশে ট্যাপ স্টান্ড এবং নলকূপ অবস্থিত ছিল, তার ফলে মহিলারা স্বাধীনভাবে স্নান বা কাপড় ধোয়ার সময় পুরুষদের দ্বারা দেখা হওয়া এড়ানোর জন্য দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে বা রাত্রি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। == স্বাস্থ্যগত প্রভাব == একটি সিসটোসোমায়োসিস আক্রান্ত ব্যাক্তির হাত স্বাস্থ্য এবং প্রাপ্যতা প্রায়শই জলের উৎসের সাথে লিঙ্গ সম্পর্কিত বিষয়গুলির সাথে সম্পৃক্ত। তানজানিয়ায়, নারী মেয়েদের মধ্যে মূত্রাশয়ের রোগের অন্যতম কারণ ছিল ক্ষতিকারক জলে কাপড় ধোয়ার স্থানীয় অভ্যাসে। টিউবওয়েল স্থাপন করার একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে হস্তচালিত পাম্পে কাপড় পরিষ্কার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, যার কারণে মহিলারা খোলা, দুষিত জলে কাপড় ধোয়াতে বাধ্য হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার আলেকজান্দ্রা কোয়াজুলুতে দূষিত পানির ব্যবহার হওয়ার কারণ হিসাবে কিছু পর্যবেক্ষক খেয়াল করেন যে কিছু এলাকাতে জল সরবরাহ বেসরকারীকরণের সাথে যুক্ত হওয়া যা কিনা কলেরার প্রাদুর্ভাবেরও কারণ। এছাড়া, এইচআইভি পজিটিভ পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য দায়িত্বশীল মহিলাদের পরিষ্কার পানি প্রয়োজন, এর অভাবে বিদ্যমান প্রভাবগুলি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। == আন্তর্জাতিক সংস্থায় পানি জেন্ডার বিষয়ক == নারী লিঙ্গ সমতাতে জাতিসংঘের আন্তঃসংস্থা ২০০৩ সালে জেন্ডার অ্যান্ড ওয়াটার টাস্ক ফোর্স প্রতিষ্ঠা করেছিল। টাস্ক ফোর্স তখন থেকেই জাতিসংঘের পানি কর্মশালায় পরিণত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় জীবনযাত্রার লিঙ্গ প্রতিযোগিতা দশক(২০০৫-২০১৫) এর দায়িত্ব গ্রহণ করছে। টাস্ক ফোর্স এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত অভিজ্ঞতার তথ্য আহ্বান জানিয়েছে, "বর্তমানে সংগৃহীত সংগৃহীত তথ্য বা নমুনা তথ্য লিঙ্গভিত্তিক জল এবং স্যানিটেশনে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যগুলিকে সমর্থন করার জন্য পর্যাপ্ত নয়"। বিশ্বব্যাংকের জেন্ডার উন্নয়ন ডেভেলপমেন্ট গ্রুপও তার পানি সরবরাহ স্যানিটেশন প্রকল্পের সফল প্রচেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিষয়ে বক্তব্য রাখে। == আরও দেখুন == উন্নয়নশীল দেশে পানি সমস্যা == তথ্যসূত্র == অধ্যয়ন সরবরাহ অনুবাদসহ পাতা'''উইলিয়াম ডেভিড ট্রিম্বল, ব্যারন ট্রিম্বল''', পিসি (জন্ম ১৫ই অক্টোবর ১৯৪৪), হচ্ছেন একজন উত্তর আইরিশ রাজনীতিবিদ যিনি ছিলেন ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত উত্তর আয়ারল্যান্ডের ১ম "প্রথম মন্ত্রী" এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আলস্টার ইউনিয়নবাদী পার্টির (ইউইউপি) নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আপার ব্যানের হয়ে সংসদ সদস্য এবং ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আপার ব্যানের হয়ে বিধানসভার সদস্য (এমএলএ) ছিলেন। ২০০৬ সালে, তিনি হাউস অফ লর্ডসে লাইফ পিয়ার হন এবং এক বছর পরে আলস্টার ইউনিয়নবাদী পার্টি ছেড়ে কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৭০-এর দশকে বেলফাস্টের কুইন্স ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়, সেই সময় তিনি ভ্যানগার্ড প্রগ্রেসিভ ইউনিয়নিস্ট পার্টির সাথে জড়িত হতে শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ড সাংবিধানিক কনভেনশন থেকে নির্বাচিত হন এবং ভ্যানগার্ড প্রগ্রেসিভ ইউনিয়নিস্ট পার্টি ভেঙ্গে যাওয়ার পর ১৯৭৮ সালে আলস্টার ইউনিয়নবাদী পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৯০ সালে আপার ব্যানের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা চালিয়ে যান। ১৯৯৫ সালে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে ইউইউপি-এর নেতা নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৮ সালের গুড ফ্রাইডে চুক্তির আলোচনায় সহায়ক ছিলেন, যে বছর তার প্রচেষ্টার জন্য তিনি জন হিউমের সঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। পরে তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের ১ম প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন, অস্থায়ী আইরিশ রিপাবলিকান আর্মিকে ডিকমিশন করার জন্য তার মেয়াদ দাঙ্গা-হাঙ্গামা পূর্ণ ছিল এবং ঘন ঘন বিরতিতে সময়সীমাজুড়ে মতবিরোধ ছিল। ২০০৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর, শীঘ্রই ট্রিম্বল ইউইউপির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। জুন ২০০৬ সালে, তিনি হাউস অফ লর্ডসে ''লাইপ পিয়ার'' গ্রহণ করেন, ''ব্যারন ট্রিম্বল, অব লিসনাগার্ভে ইন দ্য কাউন্টি অব এন্ট্রিম'' খেতাব অর্জন করেন। তিনি আর সংসদ সদস্য পদে দাড়াননি, যা অবশেষে ২০০৭ সালে পুনর্নির্মিত হয়েছিল, পরিবর্তে ইউইউপি থেকে কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন। ==প্রারম্ভের জীবন শিক্ষা== ট্রিম্বল উইলিয়াম এবং আইভি ট্রিম্বলের ছেলে, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রিসবিটারিয়ান যারা বানগর, কাউন্টি ডাউনে বসবাস করতেন। তিনি বানগর গ্রামার স্কুলে (১৯৫৬–৬৩) ভর্তি হন। ট্রিম্বলের পিতামহ জর্জ কাউন্টি লংফোর্ডের অধিবাসী ছিলেন। তিনি কুইন্স ইউনিভার্সিটি অফ বেলফাস্ট (কিউইউবি) থেকে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন, সেখানে তাকে আইনশাস্ত্রের জন্য ম্যাককেনে পদক প্রদান করা হয়। তিনি প্রথম বর্ষের সম্মানসূচক ডিগ্রি অর্জন করেন (কুইন্স ইউনিভার্সিটির তিন বছরে প্রথম), স্নাতকোত্তর আইন (এলএল.বি) ডিগ্রি লাভ করেন। ==প্রারম্ভের কর্মজীবন== ===শিক্ষা জীবন=== ট্রিম্বল ১৯৬৯ সালে ব্যারিস্টার হিসাবে উর্ত্তীণ হন। প্রথম বছর তিনি কুইন্স ইউনিভার্সিটি অফ বেলফাস্টের লেকচারার হিসেবে, ১৯৭৩ -৭৫ সাল পর্যন্ত আইন অনুষদের সহকারী ডিন, ১৯৭৭ সালে সিনিয়র লেকচারার এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সম্পত্তির আইন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৩ সালে, যখন তিনি অফিসে বসেছিলেন, তিনি বন্দুকের আওয়াজ শোনেন পরে দেখা যায় বন্দুকধারীরা তার একজন বন্ধু সহকারী আইন অধ্যাপক এডগার গ্রাহামকে গুলি করেছে। তাকে দেহটি শনাক্ত করতে বলা হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে তাকে রয়েল আলস্টার কনস্ট্যাবলারি বলেছিলেন যে তাকে হত্যার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ===রাজনৈতিক কর্মজীবন=== ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে ট্রিম্বল ডানপন্থী, আধা-সামরিক সংযোগের ভ্যানগার্ড প্রগ্রেসিভ ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ভ্যানগার্ড নামে পরিচিত) সাথে জড়িত হয়। ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তর কাউন্টি ডাউনের বিধানসভার নির্বাচনে তিনি আসন্ন দলের পক্ষে ব্যর্থ হন। ১৯৭৪ সালে, তিনি সানিনডেল চুক্তির বিরুদ্ধে সফল ইউডব্লিউসি হরতালের সময় আলস্টার শ্রমিকদের কাউন্সিলের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাংবিধানিক কনভেনশনে নির্বাচিত হন এবং বেলফাস্ট দক্ষিণের জন্য একটি ভ্যানগার্ড সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এক সময় তিনি দলের যুগ্ম ডেপুটি নেতা হিসেবে কাজ করেন, উলস্টার ডিফেন্স এসোসিয়েশনের গ্লেন বারের সাথে। আইরিশ জাতীয়তাবাদীদের সাথে ভাগাভাগি ক্ষমতার বিরোধিতা করার জন্য এবং আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিরোধের জন্য দলটি বিল ক্রেইগ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তবে ট্রিম্বল ছিলেন কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম যারা ক্রেইগতে ফিরিয়ে আনে যখন এসডিএলপির সাথে স্বেচ্ছাসেবী শক্তি ভাগ করার অনুমতি দিয়ে ক্রেইগের প্রস্তাবে দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। তিনি ১৯৭৮ সালে ভ্যানগার্ড বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মূলধারার আলস্টার ইউনিয়নিস্ট পার্টিতে (ইউউ) যোগদান করেন এবং দলের চারজন সচিবের একজন নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৩-৮৫ সাল পর্যন্ত লাগান ভ্যালি ইউনিয়নিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৫ সালে চেয়ারম্যান হন। ১৯৮৯-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ইউইউপির আইনি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে এবং ১৯৯০-৯৬ সালে উলস্টার ইউনিয়নিস্ট কাউন্সিলের সম্মানিত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে আপার ব্যানের নির্বাচনে ৫৮% ভোট পেয়ে সংসদে নির্বাচিত হন। তিনি কয়েকজন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন ছিলেন যিনি ১৯৯০-এর দশকে গৃহযুদ্ধের সময় বসনিয়া হার্জেগোভিনার ইসলামিক সরকারের জন্য সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানান। ==আলস্টার ইউনিয়নিস্ট দলের নেতা== ৮ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে, ট্রিম্বল অপ্রত্যাশিতভাবে ইউইউপির নেতা হিসাবে বিজয়ী হন, ফ্রন্ট রানার জন টেলর এবং অন্যান্য তিনজন প্রার্থীকে পরাজিত করেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডের একটি মুরাল যা পোর্টেডাউন অরেঞ্জম্যানকে সমর্থন করছে ড্রামক্রি সংঘাতে তার ভূমিকা নেওয়ার পরে নেতা হিসাবে ট্রিম্বলের নির্বাচন আসে, যার মধ্যে তিনি ন্যাশনালিষ্টদের প্রতিবাদে একটি বিতর্কিত ১৯৯৫ অরেঞ্জ অর্ডার প্রোটেস্ট্যান্ট মার্চ পরিচালনা করেন। ট্রিম্বল এবং ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির নেতা ইয়ান পাইসলে হাতে-হাত রেখে মার্চ হিসাবে হাটেন, ১৯৯৭ থেকে নিষিদ্ধ করেন, এবং এতে পথ প্রসারিত হয়। অনেক আইরিশ ক্যাথলিকরা এটিকে অসংবেদী হিসাবে দেখেছিল, যদিও অনেক প্রোটেস্ট্যান্ট মনে করেছিল যে এটি একটি প্রতীক ছিল যে ট্রিম্বল তাদের রক্ষা করছে। নির্বাচনের অল্পসময় পরে, ডাবলিনের তাওইসেচের (প্রধানমন্ত্রী এবং আয়ারল্যান্ড সরকারের প্রধান) সাথে দেখা করা ৩০ বছরে (টেরেন্স ও'নেইল থেকে) প্রথম ইউইউপি নেতা হন ট্রিম্বল (টেরেন্স ও'নিয়েল থেকে)। ১৯২২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিভাজনের পর থেকে ১৯৯৭ সালে শিন ফেইনের সঙ্গে আলোচনার জন্য সম্মত হওয়া প্রথম ইউনিয়নিস্ট নেতা হয়েছিলেন তিনি। পরে, সব পার্টির আলোচনায় তিনি ইউইউপি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং সিনে ফেনের সাথে টেবিলে বসেছিলেন, যদিও আলোচনার আট মাসের মধ্যে তিনি সরাসরি তাদের নেতা জেরি এডামসের সাথে কথা বলেননি। এই আলোচনাগুলি সফল হয়েছিল, ১০ই এপ্রিল ১৯৯৮ সালের বেলফাস্ট চুক্তির মাধ্যমে চূড়ান্ত পরিণতি পায় যার ফলে ন্যাশনালিষ্টদের সাথে ক্ষমতার ভাগাভাগি ঘটে। ২২ মে ১৯৯৮ সালে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের ভোটাররা চুক্তির পক্ষে ৭১% ভোটের মাধ্যমে চুক্তিটির অনুমোদন দেয়। ১৯৯৮ সালের নতুন বর্ষ সম্মানে ট্রিম্বলকে যুক্তরাজ্যের প্রিভি কাউন্সিলে নিযুক্ত করা হয়। ==উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রথম মন্ত্রী== তিনি প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনেটর জর্জ মিচেলকে বহু-পক্ষের আলোচনার চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগের বিরোধিতা করেন, তবে অবশেষে তাকে গ্রহণ করেন। আলোচনাটি ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে গুড ফ্রাইডে চুক্তি (জিএফএ) তে রূপ নেয়। ট্রিম্বলকে পরবর্তীকালে তার পার্টিকে চুক্তিটি গ্রহণ করানোর জন্য সহায়ক হিসেবে দেখা যায়। ২৫ জুন ১৯৯৮ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সংসদের আপার ব্যানের সদস্য হিসাবে ট্রিম্বল নির্বাচিত হন। তিনি জুলাই ১৯৯৮ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রথম মন্ত্রী নির্বাচিত হন। Nobel Peace Prize ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে তাদের প্রচেষ্টার জন্য ট্রিম্বল এবং জন হিউম নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। নোবেল ইনস্টিটিউট উল্লেখ করেছে: উত্তর আয়ারল্যান্ডের ঐতিহ্যগতভাবে প্রধান পার্টির নেতা হিসাবে, এই প্রক্রিয়ার সমালোচনামূলক পর্যায়ে ডেভিড ট্রিম্বল দুর্দান্ত রাজনৈতিক সাহস দেখিয়েছিলেন, তিনি সমাধানগুলিকে সমর্থন করেছিলেন যা বেলফাস্ট (গুড ফ্রাইডে) শান্তি চুক্তির দিকে পরিচালিত করেছিল। অস্থায়ী আইরিশ রিপাবলিকান সেনা ডিকমিশনের বির্তকগুলি প্রথম মন্ত্রী হিসেবে ট্রিম্বলের মেয়াদে পুনরাবৃত্তি ঘটে। বিশেষত: ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০০০ থেকে ৩০ই মে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রথম মন্ত্রীর কার্যালয় বরখাস্ত করা হয় আইআরএর প্রত্যাহারের দাবি থেকে উদ্ভূত ক্রমাগত আগ্রাসনের কারণে যা এটির অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতাকে নির্মূল করে, এর ফলস্বরুপ ট্রিম্বল ১লা জুলাই ২০০১ সালে প্রথম মন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব পক্ষ ১৯৯৮ সালের গুড ফ্রাইডে চুক্তির সেকশন এর নং ধারায় (২৫ নং পৃষ্ঠা) স্বাক্ষর করেছে, কিন্তু ২০০১ সালের ৫ই নভেম্বর তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন ১৪ অক্টোবর ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আইআরএ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযুক্ত হওয়ার অভিযোগে সংসদ স্থগিত করা হয় (তথাকথিত স্টরমন্টগেট অ্যাফেয়ার) ১৯৯৮ সালে, টনি ব্লেয়ার ১৯৭২ সালে ডেরিতে ১৪জন মার্চ আন্দোলনকারীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় ব্লাডি সানডে ইনকোয়ারি একটি নতুন বিচারিক তদন্তের ঘোষণা দেন। পূর্ববর্তী তদন্ত, উইডগেট ট্রাইব্যুনালে, একই ঘটনাকে নিন্দিত করা হয়েছে। হাউস অফ কমন্সে বিতর্ক চলাকালীন, ট্রিম্বল কয়েকজন ভিন্নমত পোষণকারীর মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি বললেন "আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই কথাটি জানাতে পেরে দুঃখিত যে আমি মনে করি যে ফয়েলের মাননীয় সদস্য জন হিউম যে আশা প্রকাশ করেছেন এটি নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হবে তা সম্ভবত ভুল জায়গায় স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরানো ক্ষতগুলি এভাবে খোলার ফলে ভাল হওয়ার চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। পরিস্থিতির মূল সত্যগুলি জ্ঞাত এবং বিতর্কের জন্য উন্মুক্ত নয়।" ২০১০ সালে রিপোর্ট করা হয়েছে, স্যাভিল ইনকুইয়ারি নিশ্চিত করেছে যে ১৪ টি হত্যাকান্ড এবং ১৩ টি আহতের ঘটনা সবই কারনহীন ছিল। ==আভিজাত্য== ২০০৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে, সংসদে পুনরায় নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডেভিড সিম্পসনের কাছে আপার ব্যানের নির্বাচনে ট্রিম্বল পরাজিত হযন। ২০০৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরে আলস্টার ইউনিয়নিস্ট পার্টি সংসদে মাত্র একটি আসন (উত্তরাঞ্চলীয় আয়ারল্যান্ডের ১৮ টি মধ্যে) ধরে রেখেছিল, এবং ট্রিম্বল ৭ই মে ২০০৫ সালে পার্টির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ১১ই এপ্রিল ২০০৬ সালে, ঘোষণা করা হয়েছিল যে ট্রিম্বল হাউস অফ লর্ডসে একজন "লাইফ পিয়ার" হিসাবে আসন নেবেন। ২১ মে ২০০৬ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল যে তিনি ভৌগলিক উপাধি লিসনাগারভে বেছে নিয়েছেন, the original name for his adopted home town of জুন ২০০৬-এ তাকে অ্যান্ট্রিম কাউন্টির লিসনাগারভের '''ব্যারন ট্রিম্বল''' করা হয়েছিল। ১৮ই ডিসেম্বর ২০০৬-এ, তিনি ঘোষণা করেন যে পরবর্তী নির্বাচনে তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের আসন থেকে সরে দাঁড়াবেন। ইউনিভার্সিটি ফিলোসফিকাল সোসাইটি, ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন ট্রাম্বলকে সম্মানসূচক পৃষ্ঠপোষক নামকরণ করা হয়। ১৭ই এপ্রিল ২০০৭-এ, ট্রিম্বল ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে বৃহত্তর প্রভাব বিস্তার করার জন্য কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সময়ে, তিনি বলেন যে তিনি উলস্টার ইউনিয়নিস্ট দলের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে চান না এবং কনজারভেটিভস এবং আলস্টার ইউনিয়নিস্টদের মধ্যে ভবিষ্যতের জোটের ধারণাটির প্রস্তাব করেছিলেন, যা ১৯৭৪ সালের আগে বিদ্যমান ছিল এবং এর ফলাফল ছিল সানিংডেল চুক্তি। ২০০৮ সালের শেষের দিকে আলস্টার কনজারভেটিভস এন্ড ইউনিয়নিস্ট নিউ ফোর্স গঠনের মাধ্যমে এই ধারণাটি বাস্তব হয়ে উঠেছে। ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভসরা যদি জয়ী হয়, তাহলে ট্রিম্বল সম্ভবত "মন্ত্রিসভায়" গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, ডেমোক্রেট জোট সরকার গঠনের পর ট্রিম্বলকে সরকারি বা সামনের বেঞ্চের অবস্থান দেওয়া হয়নি। ২০১০ সালের মে মাসে, ট্রিম্বল "ফ্রেন্ডস অফ ইজরায়েল ইনিশিয়েটিভ"-এ যোগদান করেছিলেন, এটি একটি অ-ইহুদি আন্তর্জাতিক প্রকল্প যা ইসরাইলের অধিকারকে সমর্থন করে। স্পেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জোসে মারিয়া আজনার এর উদ্যোগে জাতিসংঘের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন আর. বোল্টন, ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ অ্যান্ড্রু রবার্টস, এবং সাবেক পেরুর প্রেসিডেন্ট আলেজান্ড্রো টোলেডো কর্তৃক এটি গঠিত হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারী ২০১৩-এ, ট্রিম্বল আজনার "দ্য টাইমস" লেখা একটি নিবন্ধে হিজবুল্লাহর নিন্দা জানিয়ে এবং এটিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য ইউরোপীয় সরকারগুলিকে আহ্বান জানিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেন। ২০১৬ সালে ট্রিম্বল যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্যপদ গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষের সমর্থক ছিলেন। তিনি বলেন যে যদি এই বিষয়ে তার কোন সন্দেহ থাকে, "হাউস অফ লর্ডসের ইইউ নির্বাচন কমিটিতে তার আট বছর যা ইইউর কার্যক্রম তদারকি করে ব্রাসেলসের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজন তাকে প্রনোদিত করেছে"। তিনি একটি গবেষণা উদ্ধৃত করেছেন যেখানে পাওয়া গিয়েছে যে সাধারণ বাজারে প্রবেশের সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে, আরো কমেছে যখন যুক্তরাজ্য একক বাজারে গিয়েছে। ===টার্কেল তদন্ত কমিশন=== Gaza-bound flotilla (green) and Israeli Navy (orange) ১৪ জুন, ২০১০-এ ট্রিম্বল গাজার ফ্লোটিল্লায় হামলার তদন্তে ইজরায়েলি বিশেষ স্বাধীন পাবলিক টার্কেল কমিশনের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন। গাজায় জাহাজ আগমন প্রতিরোধে ইসরায়েলের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ছিল কিনা তা তদন্ত কমিশন তদন্ত করেছিল। এটি গাজা স্ট্রিপে নৌবাহিনীর অবরোধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের বিধিগুলির সাথে নৌ অবরোধের সাদৃশ্যের জন্য নিরাপত্তা বিবেচনায় অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে; আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালায় অভিযানের সময় কর্মসূচীর সাদৃশ্য; এবং ফ্লোটিলা হামলায় যারা সংগঠিত এবং অংশগ্রহণ করেছিল তাদের দ্বারা গৃহীত কর্ম, এবং তাদের সনাক্তকরণ করে। কমিশনে সাবেক ইসরায়েলি সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি, জ্যাকব টার্কেল, এবং সাবেক টেকনিয়ন সভাপতি, আমোস হোরেভ এবং জুলাই ২০১০-এ আরও দুজন সদস্য যোগ হয়। (বার আইলান আন্তর্জাতিক আইন বিভাগের অধ্যাপক শাবতাই রোসেনে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০-এ তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কমিশনে দায়িত্ব পালন করেন।) এছাড়াও, কমিশনে দুজন বিদেশী পর্যবেক্ষক ছিল, ট্রিম্বল এবং কানাডিয়ান সামরিক বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান, বিচারক অ্যাডভোকেট জেনারেল কেন ওয়াটকিন, যিনি শুনানিতে এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ভোট দেননি। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্যানেলটি ইসরাইলের গাজায় নৌবাহিনীর অবরোধ এবং ফ্লোটিলায় হস্তক্ষেপ উভয়ই "আন্তর্জাতিক আইনের বিধি অনুসারে" বলে পরিগণিত করে। ==ব্যক্তিগত জীবন== ১৯৬৮ সালের আগস্ট মাসে হেথার ম্যাককম্বের সাথে ট্রিম্বলের প্রথম বিবাহ, ১৯৭৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে শেষ হয়। তার প্রথম বিবাহ থেকে কোন সন্তান ছিল না। ১৯৭৮ সালের আগস্টে ট্রিম্বল তার প্রাক্তন ছাত্রী ডাফনে এলিজাবেথ (নী অর্র) কে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দুই ছেলে এবং দুই কন্যা (রিচার্ড, ভিক্টোরিয়া, নিকোলাস এবং সারা) আছে। ইউকেইউএনফের হয়ে ২০১০ সালের ইউকে সংসদীয় নির্বাচনে ব্যর্থতার আগে লেডি ট্রিম্বল উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমতা কমিশনের সদস্য হিসেবে এবং পরে উত্তর আয়ারল্যান্ডের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসাবে কাজ করেছিলেন। তার ছেলে নিকোলাস আলস্টার ইউনিয়নিস্ট পার্টিতে সক্রিয় রয়েছে। ২০১৬ সালে নিকোলাস ট্রিম্বলকে লিসবার্ন এবং কাসলরেঘ সিটি কাউন্সিলের পশ্চিম ডাউনশায়ারের কাউন্সিলর হিসেবে আলেকজান্ডার রেডপাথের স্থলে প্রতিস্থাপন করার জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। জুলাই ২০১৯ সালে, তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি সমকামীদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পরেও সমকামী বিবাহ এবং অংশীদারত্বের বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে "বাধ্য" ছিলেন, কারণ তার লেসবিয়ান মেয়ে ভিকি ২০১৭ সালে স্কটল্যান্ডে তার বান্ধবী রোজালিন্ড স্টিফেন্সকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি হাউস অফ লর্ডসের সহকর্মীদের বলেছিলেন "আমি এটিকে পরিবর্তন করতে পারি না, এবং এখনই বলতে পারি না যে আমি এর বিরোধী কারণ আমি এটির সঙ্গে একমত পোষণ করেছিলাম। এই হলো আমরা। ==সম্মাননা== নোবেল শান্তি পুরস্কার অক্টোবর ১৯৯৮ সালে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের অনুসন্ধানের জন্য ট্রিম্বল এবং জন হিউম কে নোবেল শান্তি পুরষ্কার ভূষিত করা হয়েছিল। নোবেল ইনস্টিটিউট উল্লেখ করেছে: উত্তর আয়ারল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী প্রধান দলটির নেতা হিসাবে ডেভিড ট্রিম্বল যখন রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটির এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে, বেলফাস্ট (গুড ফ্রাইডে) শান্তি চুক্তির দিকে পরিচালিত সমাধানগুলির পক্ষে ছিলেন তখন তিনি দুর্দান্ত রাজনৈতিক সাহস দেখিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালের ৮ই ডিসেম্বর প্যারিসে একটি অনুষ্ঠানে ট্রিম্বলকে ফরাসী সরকার কর্তৃক ''লিজিয়ন ডি'উওনের'' অফিসার নিযুক্ত করা হয়। ==নির্বাচিত কাজ== ===বই=== '' টু রাইজ আপ নিউ নর্দান আয়ারল্যান্ড: আর্টিকেলস এন্ড স্পিচেস ১৯৯৮–২০০০'', ডেভিড ট্রিম্বল, দ্য বেলফাস্ট প্রেস, ২০০১ ===নিবন্ধ=== "দ্য বেলফাস্ট এগ্রিমেন্টস", ডেভিড ট্রিম্বল, ২২ ''ফোর্ডহ্যাম ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল'' ১১৪৫, ১৯৯৮–৯৯ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== David Trimble's official website David Trimble bio Northern Ireland Assembly (Archived) Lord Trimble Nobel Peace Prize for 1998 Lecture by David Trimble Norwegian Nobel Institute, 10 December 1998 (Archived) The Search for Peace: David Trimble BBC News Maiden Speech House of Commons 23 May 1990 UK Parliament জন্ম ব্যক্তি শান্তি পুরস্কার বিজয়ী'''বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম''' বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি পঞ্চগড় জেলার প্রধান ডাকঘরের দক্ষিণ পাশের স্টেডিয়াম রোডে অবস্থিত। এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সমূহের বিভিন্ন কর্মসূচী; জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া বিশেষ করে ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল, কাবাডি, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য সকল ক্রীড়া ভেন্যুর মতই এই স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধায়নে রয়েছে। স্টেডিয়ামের নামকরণ পঞ্চগড়ের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সিরাজুল ইসলাম-এর নামে করা হয়েছে। == কাঠামো বৈশিষ্ট্য == স্টেডিয়ামের অধিকৃত সীমায় পশ্চিম অংশে ১৪০ ফিট গ্যালারি উত্তর প্রান্তে একটি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। মূল মাঠের বাইরে উত্তর-পূর্ব প্রান্তে ক্রিকেট অনুশীলন পিচ রয়েছে। পূর্নাঙ্গ গ্যালারি নির্মিত হলে স্টেডিয়ামের মাঠ ডিম্বাকার হবে। == আয়োজন == === নিয়মিত আয়োজন === *'''জাতীয় দিবস উদযাপনঃ''' এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত আয়োজিত হয়। *'''ফুটবল প্রতিযোগিতাঃ''' এই ভেন্যুতে পঞ্চগড় জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতা, যেমন জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। === উল্লেখযোগ্য আয়োজন === ==== কাবাডি প্রতিযোগিতা ==== পঞ্চগড় পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে এই ভেন্যুতে ২০১৫ ২০১৭ সালে আইজিপি কাপ জাতীয় যুব কাবাডি অনুর্ধ-২১ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ==== ভলিবল প্রতিযোগিতা ==== এই স্টেডিয়ামটি মহিলাদের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য প্রসিদ্ধ। পঞ্চগড় জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই ভেন্যুতে জেলার ছয় উপজেলা দল নিয়ে ২০১৫ সালে প্রমীলা ভলিবল প্রতিযোগিতা এই ভেন্যুতে আয়োজিত হয়েছে। ==== ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ==== বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় পঞ্চগড় জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এই ভেন্যুতে ২০১৬ হতে নিয়মিত '''''ইয়াং টাইগার্স জাতীয় ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। +'''''পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত ইয়াং টাইগার্স জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার তালিকা''''' প্রতিযোগিতা শুরুর তারিখ পৃষ্ট পোষক বয়স সীমা মন্তব্য তথ্যসুত্র ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড অনুর্ধ্ব-১৪ এটা জেলা দল ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ছিল। উত্তরাঞ্চলের চারটি জেলা দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭ অনুর্ধ্ব-১৬ এটা স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ছিল। জেলার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আটটি দল অংশ নিয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ==== কনসার্ট ==== এই ভেন্যুতে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে: পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উল্লেখযোগ্য কনসার্টের তালিকা তারিখ কনসার্টের নাম পৃষ্ঠপোষক মন্তব্য তথ্যসুত্র ০৯ মে, ২০১৬ প্রাণ লাচ্ছি মহান মে দিবস কনসার্ট প্রাণ আরএফএল গ্রুপ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পঞ্চগড় ইউনিট এবং রেড ক্যাফে, পঞ্চগড় এই কনসার্টের আয়োজন করে। কনসার্টের রেডিও পার্টনার ছিল জাগো এফএম ৯৪.৪। ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রিংকু এই কনসার্টের মূল শিল্পী ছিলেন। ২৯ নভেম্বর, ২০১৬ পাওয়ার কনসার্ট পাওয়ার্ড বাই ভিশন পঞ্চগড় জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই কনসার্টের আয়োজন করে। এস আই টুটুল এই কনসার্টের মূল শিল্পী ছিলেন। সেপ্টেম্বর, ২০১৮ মাদক বিরোধী কনসার্ট কন্ঠ শিল্পী এফ সুমন সহ মোট সাত জন শিল্পী গান পরিবেশন করেন। ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ উন্নয়ন কনসার্ট সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন এই কনসার্টের স্লোগান ছিলঃ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। বিখ্যাত ব্যান্ড সংগীত তারকা জেমস এই কনসার্টের মূল শিল্পী ছিলেন। == সংস্কার == ১৯৯২-১৯৯৩ সালে আটাশ লক্ষ উননব্বই হাজার টাকা ব্যয়ে স্টেডিয়ামটির প্রাথমিক সংস্কার করা হয়। ২০১৩ সালে স্টেডিয়ামটির ভূমি উন্নয়ন, মাঠের উন্নয়ন, দোতলা প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণ, সারফেস ড্রেন নির্মাণ গ্রিল ফেন্সিং নির্মাণ জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে তিন কোটি আট লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। == অন্যান্য ব্যবহার == '''২৫ জানুয়ারি, ২০১৬ঃ''' এই স্টেডিয়ামে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে '''ভূমিকম্পে সচেতনতা''' সৃষ্টির লক্ষ্যে মহড়া হয়েছে। == আরো দেখুন == বাংলাদেশের স্টেডিয়ামের তালিকা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তালিকা == তথ্যসুত্র == == বহিঃসংযোগ == পঞ্চগড় জেলার খেলাধুলা বিনোদন বোদা উপজেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব স্টেডিয়াম জেলা ফুটবল মাঠ''জাফরন ক্রোকাস'', ''ক্রোকাস স্যাটিভাস'', তার প্রাণবন্ত গাঢ় লাল রঙের এবং শৈলীর গর্ভমুণ্ডর সঙ্গে ক্রোকাস ফুল থেকে সংগ্রীহৃত এবং শুকানো খুব ভালো পর্যায়ের জাফরন আঁশ '''জাফরান''' (উচ্চারিত বা জাফরান (গাছ) ফুল থেকে সংগ্রীহৃত এক প্রকারের মশলা যা সাধারণভাবে "জাফরান ক্রোকাস" নামে পরিচিত। জাফরন ফুলের প্রাণবন্ত গাঢ় লাল রঙের এবং শৈলীর গর্ভমুণ্ড ,যাকে জাফরন আঁশ বলা হয়, সংগ্রহ এবং শুকানোর মাধ্যমে জাফরন মশলা তৈরি করা হয় যা প্রধানত খাবারের স্বাদ এবং রঙের জন্য ব্যবহার করা।দীর্ঘদিন ধরে ওজন এর দিকে দিয়ে জাফরন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মসলা। যদিও জাফরনের উৎপত্তিতস্থল সম্পর্কে কিছু দ্বিমত আছে তারপরেও এটা ধারনা করা হয় যে, জাফরন ইরান থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। তারপরেও, গ্রীস এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চলকে জাফরনের উৎপত্তির সম্ভাব্য অঞ্চল হিসাবে ধারনা করা হয়। ''সি স্যাটিভাস'' সম্ভবত ''ক্রোকাস'' কার্টরাইটনাস এর একটি ট্রিপলয়েড ফর্ম। জাফরন ক্রোকাস ধীরে ধীরে ইউরেশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পরেছিল এবং পরে উত্তর আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা ওশেনিয়া অংশে ছড়িয়ে পরেছিল। জাফরান এর স্বাদ এবং খড় এর মত সুবাস হচ্ছে উৎপত্তি হচ্ছে রাসায়নিক জৈব যৌগ পিক্রক্রোছিন এবং সাফ্রানল থেকে আবার জাফরনে ক্যারোটিনয়েড রঙ্গক এবং ক্রসিন রয়েছে, যা খাবার এবং কাপড়ে সোনালি-হলুদ রঙ এর সৃষ্টি করে। ৭ম শতাব্দীতে অ্যাসিরিয়ান রাজা আশুরবানিপাল দ্বারা সঙ্কলন করা উদ্ভিদসংক্রান্ত গ্রন্থে জাফরনের ইতিহাসের নথীভুক্তি পাওয়া যায়, এবং চার হাজার বছর এর বেশী ধরে এর ব্যাবসা ব্যবহার চালু রয়েছে বর্তমানে বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ৯০% অংশ ইরান হচ্ছে। == ব্যুৎপত্তি == জাফরনের ইংরেজি শব্দ "saffron" উৎপত্তি ঘিরে সুনির্দিষ্টতার অভাব রয়েছে। ধারনা করা হয় যে এটি ১২ শতকের প্রাচীন ফরাসি শব্দ ''সাফরান'' থেকে উৎপত্তি হতে পারে, যা ল্যাটিন শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে যা আবার আরবী শব্দ ''জাফরান থেকে'' এসেছে যা আবার ফার্সি শব্দ ''জার্পারান'' থেকে ''এসেছে'' যার অর্থ "সুবর্ণ পাপড়ি দিয়ে ফুল"। == প্রজাতি সমূহ == === বিবরণ === জাফরান ফুল চাষকৃত জাফরন ক্রোকাস, ''ক্রোকাস সাটিভাস'', হচ্ছে শরৎকালীয়- বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ যা বন্য পরিবেশে জন্মায় না। এটি সম্ভবত পূর্বাঞ্চলীয় ভূমধ্যসাগরীয় শরৎকালীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ ''ক্রোকাস থেকে উৎপত্তি হয়েছে, যা "বন্য জাফরন" নামেও পরিচিত এবং যা ক্রিট বা মধ্য এশিয়ায় অঞ্চলসমুহ থেকে উৎপত্তি হয়েছে। ''সি থোমাসি'' এবং ''সি পলসসি'' প্রজাতিসমুহ হচ্ছে জাফরন এর অন্যান্য সম্ভাব্য উৎস। জিনগত একই ধরনের হুবুহু নকল হিসাবে, এটি ধীরে ধীরে ইউরেশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পরে। জাফরন এর কান্ড এটি একটি নির্বীজ বহুক্রোমোজোম বিশিষ্ট প্রজাতি, যার অর্থ হচ্ছে প্রতিটি প্রজাতির জীন তিনটি সমস্থানিক সেট এর ক্রোমোজোম দ্বারা গঠিত; ''সি সাটিভাস'' এর প্রতি সেটে টি ক্রোমোসোমাল বহন করে, সর্বমোট যাতে ২৪ টি ক্রোমোজোম পাওয়া যায়। নির্বীজ হবার কারনে ''সি সাটিভাস'' কার্যকর বীজ উৎপাদন করতে ব্যর্থ; পরাগায়নের জন্য মানব সহয়তার প্রয়োজন; অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ, কন্দ এর মত দেখতে জাফরন গাছের কাই-সংরক্ষণকারী অঙ্গ অর্থাৎ এর কান্ডগুচ্ছ সমূহকে অবশ্যই খুঁড়ে তুলে ভাগ করতে হয় এবং পুনঃরায় মাটিতে রোপন করতে হয়। একটি কান্ড মাত্র এক মৌসুম বেঁচে থাকে, যার ফলে পরবর্তী মৌসুমে চাষ করার জন্য একে উদ্ভিদভিত্তিক বিভাগের মাধ্যমে দশটি "কান্ড" উৎপাদন করতে হয় এই সংক্ষিপ্ত কান্ডগুলি সাধারনত ছোট, বাদামী রঙের হয় যার ব্যাস পর্যন্ত হতে থাকে, এটি সমতল হয়ে থাকে, এবং সমান্তরাল আঁশ দ্বারা ঘনসন্নিবেশিত হয়; এই আঁশসমুহকে "কান্ড ঝিল্লী" বলা হয়। কান্ডগুলিতে আবার পাতলা এবং জাল এর মতো খাড়া আঁশ থাকে, যা উদ্ভিদ এর ঘাড় উপরে পর্যন্ত বাড়তে থাকে। harvest|থাম্ব| জাফরানের চাষ, তরবাট-ই হায়দারিহ, রাজারী খোরসান প্রদেশ, ইরান জাফরান গাছের ৫-১১ দিন বয়সী সাদা এবং অ-সালোকসংশ্লেষী অঙ্কুর গুলো দেখতে কচি পাতার মতো হয়ে থাকে। এই ঝিল্লি-মত কাঠামোগুলি থেকে ১১ দিন বয়সী নতুন পাতাগুলিকে ঢেকে রাখে এবং রক্ষা করে যা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে এবং বেঁকে যায়। পরবর্তীতে পাতাগুলো পাতলা, সোজা ধার বিশিষ্ট সবুজ রঙের হয়ে থাকে, যা্র ব্যাস পর্যন্ত হয়ে থাকে, ,এবং যা গাছের ফুল ফোটার পর খোলে বা ছড়িয়ে অথবা ফুল ফোটার সাথে সাথে তারা ছড়ায় ("সিনানথোস")। কিছু লোক ধারনা করে যে, সি. স্যাটিভাস প্রজাতীর গাছের অঙ্কুর তার চাষমৌসুমের আগে চাশাবাদ শুরু করলে তার পাতাসমূহ ফুল ফোটার আগেই ছড়িয়ে পরে। এই গাছের ফুল বহনকারী কাঠামো বা কান্ডে ব্র্যাক্টোলেস বা বিশেষ ধরনের পাতা গজায় যা ফুলের বোঁটা থেকে অঙ্কুরিত হয়া যা পত্রবৃন্ত হিসাবে পরিচিত হয়। বসন্তে মুকুল এর পত্রবিন্যাসের পর, উদ্ভিদ তার আসল পাতা গজায়, যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় পর্যন্ত হয়ে থাকে। শুধুমাত্র অক্টোবরে, অধিকাংশ উদ্ভিদ তাদের বীজ ছেড়ে দেইয়ার পর তাদের উজ্জ্বল বর্নের ফুল তৈরি করে; যাদের রঙ হালকা বেগুনী রঙের বর্ণ থেকে বিলেখিত ফিকে লাল রঙের বর্ণের হয়ে থাকে। ফুলের সুবাস একটি মিষ্টি, মধুর মত হয়ে থাকে। ফুল ফোটার পর, গাছের উচ্চতা পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং যাতে সংখ্যায় ৪টি ফুল ধারন করতে পারে। প্রতিটি ফুল থেকে একটি তিন প্রান্তিক গর্ভমুণ্ড বের হয় যা দৈর্ঘ্যে ২৫-৩০ মি.মি. (১-১.২ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি প্রান্তিক গাঢ়লাল রঙের গর্ভমুন্ডে গিয়ে শেষ হয়, যা ফুলের গর্ভপত্র এর দূরবর্তী অংশ। === চাষ === জাফরন ক্রোকাস, সম্ভবত ''ক্রোকাস থেকে উদ্ভদ হয়েছে যা বন্য পরিবেশে জন্মায় না। এটি একটি বহু বিশিষ্ট যা এবং পুরুষ নির্বীজ; এই ঊডভীডে বিচ্যুত কোষ বিভাজন হয় স্বাধীন ভাবে বংশবৃদ্ধি করতে অসমর্থ হয় যার ফলে বাহ্যিক "বিভাজন এবং স্থাপন" বা আন্তঃপ্রজাতী শঙ্করীকরণের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করতে হয়। ''ক্রোকাস সাটিভাস'' ব্যাপক হারে বেড়ে উঠে ভূমধ্যসাগরীয় জীবাঞ্চল এলাকায় যা বৈশিষ্ট্যর দিক থেকে উত্তর আমেরিকার জীবাঞ্চলের মতো এবং একই রকম জলবায়ু বিষিষ্ট অঞ্চল বিশেষ করে যে এলাকায় গরম শুষ্ক গ্রীষ্মকালীন মৃদুমন্দ বাতাস অর্ধ-শুষ্ক ভূমির উপর দিয়ে বয়ে যায়। তা সত্ত্বেও এই গাছ শীতকালীয় ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেঁচে থাকতে পারে, বিশষ করে তাপমাত্রার হিম বাতাস সহ্য করার পাষাপাশি সংক্ষিপ্ত সময়ের তুষারপাতও সহ্য করতে পারে। কাশ্মীরের মতো আর্দ্র পরিবেশের বাইরে জাফরনের চাষ করতে হলে সেচের প্রয়োজন হয় বিশেষ করে যেখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান এবং গ্রীসের ()ও স্পেনের () জাফরান চাষের ক্রমবর্ধমান অঞ্চল সমূহ যা ইরান এর প্রধান প্রধান জাফরান চাষের অঞ্চলের চেয়ে অনেক শুকনো। এইসব স্থানে জাফরান চাষ সম্ভব হয় সাধারনত উপযুক্ত সময়ে বর্ষা ঋতুর আগমনের কারনেন এবং বসন্তে খুবই ভালো পরিমান এর বৃষ্টি গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া অনুকূল শুষ্ক হবার কারনে। ফুল ফোটার আগে বৃষ্টি হলে প্রচুর পরিমানে জাফরন উৎপন্ন হয় তবে ফুল ফোটার সময় বৃষ্টি ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে ফুল রোগাক্রান্ত হয় এবং জাফরানের উৎপাদন কমে যায়। টানা আর্দ্র এবং গরম আবহাওয়ার ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং খরগোশ, ইঁদুর এবং পাখি দ্বারা মাটি খুঁড়ে জাফরন কান্ড বের করার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়। নিমাতোডাপ্রানী গনের প্রানী দ্বারা,পাতায় ফাংগাস এর আক্রমন এবং কান্ডে পচনের কারনেও ফসলের ক্ষতি হয়। তবুও ''বেসিলাস সাবটিটিস'' প্রজাতির গাছের কলমের কারনে চাষিদের জাফরনা চাষ লাভজনক হয় কারনে এতে কান্ড দ্রুত বেড়ে উঠে এবং ভালো পরিমানে জাফরনে ফুলের গর্ভমুণ্ড তৈরি হয়। রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:আরব রন্ধনশৈলী রঞ্জক'''রোলার স্কেটিং''' হল রোলার স্কেটের মাধ্যমে স্থানান্তর বা ভ্রমণ এটি বিনোদনমূলক কার্যকলাপের পাশাপাশি একটি খেলা হিসেবেও গণ্য হয় এবং এটিও পরিবহনের মাধ্যম হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের( World War II) জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, তেমনই গ্যাসের সংরক্ষণের জন্য ইউরোপের আশেপাশের পদাতিক পদচারণা চালানোর জন্য রোলার স্কেটগুলিকে অপরিহার্য যাতায়াত মাধ্যম হিসাবে যুক্ত করার ধারণাটি সরকার গ্রহণ করেছিল। রোলার স্কেটিং সাধারণত তিনটি মৌলিক ধরন রয়েছেঃ চতুর্ভুজ রোলার স্কেট, ইনলাইন স্কেট বা ব্লেড এবং ত্রি-স্কেট এছাড়াও কতগুল একক চাকাযুক্ত "কোয়ান্টেসেন্স স্কেট" বা মৌলিক স্কেটের ধরন রয়েছে আমেরিকাতে ১৯৩৫ এর প্রথম দিকে এবং তারপর ১৯৭০ এর দশকে, যখন প্লাস্টিকের নমনীয় চাকার তৈরি হয়েছিল এবং ডিস্কো সঙ্গীত ভিত্তিক রোলার রিন্সগুলি চলছিল আর ১৯৯০ সালে যখন ইন-লাইন আউটডোর রোলার স্কেটিং এবং স্কট ওলসন দ্বারা ১৯৮১ সালে ইনলাইন রোলার স্কেটিং রিন্স তৈরি করা শুরু হয়। == '''ইতিহাস''' == রোলার স্কেটিং এর ইতিহাস প্রায় তিন শতকের পুরনো। বিগত শতাব্দীতে এর বিরাট জনপ্রিয়তা দেখা দেয়, লেখকদের মতে প্রতিটি প্রজন্মের আকর্ষণ একটি "উন্মাদনা !"। ১৯০৪ সালের Decatur পত্রিকায় ক্যাপশনটি এমন, "পুরনো উন্মাদনা ফিরে এসেছে" আরও উল্লেখ্য ," রোলার স্কেটিং ২0 বছর পূর্বেও জনপ্রিয় ছিল ১১ অক্টোবর,১৯০৪ তারিখে রিপোর্টটি করা হয়েছিল। বিবৃতিটি একটি ইলিনয় রোলার রিঙ্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘোষণা করেছিল। ১৯০৬ সালে শিকাগো রিঙ্ক খোলার সাথে সাথে ''আন্তঃ মহাসাগরী''য় পত্রিকা অভিযোগ করেছিল যে, মুক্তির প্রত্যাশার ২০ বছর পরে আমেরিকার দখলে নেওয়ার ইচ্ছা ... ম্যানিয়া শিকাগো প্রায় চল্লিশ বছর পরে, চার্লি টেইলার লিখেছিলেন, বর্তমান রোলার স্কেটিং 'ক্র্যাজে' নতুন কিছুই নেই" ১৯৪১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টেইলার শিকাগো এর জন্য লিখেছিলেন এটি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে শিকাগো এর ম্যাডিসন গার্ডেন রিঙ্কের ৩৫তম মৌসুমের উদ্বোধন করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে টেইলার প্রথম রোলার স্কেটের উন্মত্ততার কথা উল্লেখ করছিলেন, যখন বল বিয়ারিংগুলি রোলার প্রযুক্তি,রোলার স্কেটারগুলিতে বিপ্লব এবং স্পিড স্কেটিং ম্যারাথনগুলি পরিচালনা করেছিল। টেইলারের প্রতিবেদনে রোলার ডার্বি এবং রোলার নৃত্য সহ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এমন নতুন রোলার শৈলীগুলির উৎসাহের পুনরুত্থানকে ধমক দিতে চেয়েছিল, যা আমরা আগেও দেখেছি। আজকের রোলার স্কেটিং অবসর নাচ, খেলাধুলার জন্য এবং বিনোদন হিসেবে পপ সংস্কৃতির একটি অংশ। রোলার স্কেটিং-র, অতীত এবং বর্তমান ঐতিহ্যের। ১৭৪৩: লন্ডনের স্টেজ পারফরম্যান্সে প্রথম রোলার স্কেট ব্যবহার করা হয়েছিল। এই স্কেটের আবিষ্কারক অজানা। ১৭৬০: প্রথম স্কেট আবিষ্কারক জোসেফ মেরিলিন, যিনি ছোট ধাতব চাকার সাথে আদিম ইনলাইন স্কেট তৈরি করেছিলেন। ১৮১৮: বার্লিনের ব্যাল স্টেজে রোলার স্কেট হাজির হয়। ১৮১৯: প্রথম রোলার স্কেটের নকশা হয় ফ্রান্সে, এম পিটিটবেলর মাধ্যমে। প্রথমদিকের স্কেটগুলি আজকের ইনলাইন স্কেটগুলির মতো ছিল, কিন্তু খুব কার্যকর ছিল না। এই স্কেটগুলি কিছু করার জন্য কিন্তু সরল রেখায় সরানো কঠিন ছিল। ১৯ শতকের বাকি সময় ধরে উদ্ভাবকেরা স্কেটের নকশার উন্নতি করার জন্য কাজ চালিয়ে যান। *১৮২৩: লন্ডনের রবার্ট জন টায়ার রোলিটো একটি স্কেট পেটেন্ট করেছিলেন। জুতা বা বুটের নীচে এক স্কেলে পাঁচটি চাকা ছিল। *১৮৫৭: অবশেষে, রোলার স্কেটিং প্রথম পাবলিক স্কেটিং রিঙ্কগুলি খোলার জন্য অর্জন করেছিল। স্ট্র্যান্ড, লন্ডন এবং ফ্লোরাল হলে প্রথম রোলার রিং হয়েছিল == '''শৈল্পিক রোলার স্কেটিং''' == শৈল্পিক রোলার স্কেটিং একটি খেলা যেখানে অনেকগুল ধরন রয়েছে সাধারণত চতুষ্কোন স্কেট ব্যবহহৃত হয়, কিন্তু ইনলাইন স্কেলও ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতাগুলো বয়স এবং ক্ষমতা অভিজ্ঞতা দ্বারা সংগঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে, স্থানীয় প্রতিযোগিতাগুলি টি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা পরিচালনা করা হয় যার মাধ্য হতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নেতৃত্ব দেয়। ==== '''নাচ''' ==== প্রতিযোগিতায় স্কেটার একাধিক ইভেন্টে প্রবেশ করতে পারেন; একাকী নৃত্য; একাকী নৃত্য প্রতিযোগীতাটি ছোট্ট থেকে শুরু হয় এবং স্বর্ণ পর্যন্ত যায় ।প্রতিযোগীতায় এটি ব্রোঞ্জ থেকে স্বর্ণ পর্যন্ত পদক রয়েছে। কঠিন শ্রেণীগুলিতে স্কেটিং করার জন্য বেশি পরীক্ষা দিতে হয় না, যদিও নির্দিষ্ট ইভেন্টে একবার করে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রতিযোগীতায়, এই নৃত্যগুলির নিদর্শন এবং বিচারক স্কেটিং কতটুকু সুন্দর এবং কতটা ভাল করেছে তা দেখে বিচার করে ইত্যাদি।দলীয় নৃত্য; এটি দু জন স্কেটার একসঙ্গে নাচ করে স্কেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কেটার সঙ্গী হয় ,একই ক্ষমতা এবং বয়স বিবেচনায়। স্কেটাররা দক্ষ স্কেট করার মাধ্যমে বিচারক দ্বারা বিবেচিত হয়। পাশাপাশি, সঙ্গীতের তাল এবং সময়কে সতর্কতার সাথে বিবেচনায় রাখা স্কেটের সময় ,তাই স্কেটারদের নিজেদেরকে সচেতন থাকতে হয়। ==== ==== ফ্রিস্টাইল রোলার নৃত্য শারীরিক বেয়ামের একটি স্টাইল যা সাধারণত সঙ্গীতে করা হয়, নৃত্য যা আগে থেকেই পরিকল্পিত থাকে। এটা স্কেট খেলাতে ঘটে থাকে, যেখানে সঙ্গীদের সাথে নাচতে পারে। এই ধরনের নৃত্য পারফরম্যান্স হিসাবে কখনোই বিবেচিত হয় না, যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে করা যেতে পারে ==== '''একক এবং জোড়া''' ==== একজন স্কেটার বা স্কেটাদের একটি দল সঙ্গীত উপস্থাপন করে। স্কেটিং ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতার উপর তাদের বিচার করা হয়। এই ইভেন্টগুলিতে জাম্প স্কেটিং, ঘূর্ণন স্কেটিং এবং পালা স্কেটিং হয়ে থাকে। কখনও কখনও একটি স্কেটার জুটির স্কেটিং-এর সাথে ধীর মিউজিক বাজে। == গতিময় স্কেটিং == == দলীয় স্কেটিং == == '''রোলার হকি''' == রোলার হকি হলো রোলার খেলার মূল নাম যা ইনলাইন স্কেট আবিষ্কার হওয়ার অনেক আগে থেকেই ছিল। রোলার হকি বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে কোয়াড স্কেটিং খেলা হচ্ছে এবং এর অনেক নাম রয়েছে। ১৯৯২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে রোলার হকি হয়েছিল,১৯৯২ বার্সেলোনার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের রোলার হকি স্থান পেয়েছিল।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ যা বিজিবি'বর্ডার গার্ডবর্ডার গার্ড প্রধানবাংলাদেশ রাইফেলস ছিল। বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম। প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন মেজর জেনারেল চিত্তা রঞ্জন দত্ত। মহাপরিচালকের অফিস ঢাকার পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশর সদর দপ্তর। == বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক জেনারেলদের তালিকা == '''ক্রম নং''' নাম ছবি মেয়াদ শুরু মেয়াদ সমাপ্ত ১ম মেজর জেনারেল চিত্তা রঞ্জন দত্ত ৩১ জুলাই ১৯৭২ ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ ২য় মেজর জেনারেল এম খলিলুর রহমান ফ্রেমহীন ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ ৩১ অক্টোবর ১৯৭৫ ৩য় মেজর জেনারেল কাজী গোলাম দস্তগীর নভেম্বর ১৯৭৫ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭৭ র্থ মেজর জেনারেল মুহাম্মদ আতিকুর রহমান ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৭ ৩০ জুন ১৯৮২ ৫ম মেজর জেনারেল আর,এ,এম গোলাম মুক্তাদির জুলাই ১৯৮২ ১৬ জুলাই ১৯৮৫ ষ্ঠ মেজর জেনারেল সফি আহমেদ চৌধুরী ১৭ জুলাই ১৯৮৫ ৩০ জুন ১৯৮৮ ৭ম মেজর জেনারেল সাদিকুর রহমান চৌধুরী জুলাই ১৯৮৮ ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ ৮ম মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ জুন ১৯৯২ ৯ম মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন 75x75পিক্সেল ১০ জুন ১৯৯২ ১১ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৫ ১০ম মেজর জেনারেল ইজাজ আহমেদ চৌধুরী ১২ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৫ ১৮ জুলাই ১৯৯৬ ১১ তম মেজর জেনারেল মোঃ আজিজুর রহমান ২৫ আগস্ট ১৯৯৬ ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৫ ১২তম মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমান ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০০০ ১১ জুলাই ২০০১ ১৩তম মেজর জেনারেল মোঃ আবু ইসহাক ইবরাহিম ১২ জুলাই ২০০১ ডিসেম্বর ২০০১ ১৪ তম মেজর জেনারেল রেজাকুল হায়দার ডিসেম্বর ২০০১ ২১ জানুয়ারী ২০০৩ ১৫ তম মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ২১ জানুয়ারী ২০০৩ ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৬ ১৬ তম মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বাম ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০০৬ ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ ১৭ তম মেজর জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ মে ২০১০ ১৮ তম মেজর জেনারেল মোঃ রফিকুল ইসলাম মে ২০১০ ৩০ জুন ২০১১ ১৯ তম মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন ৩০ জুন ২০১১ ডিসেম্বর ২০১২ ২০ তম মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ডিসেম্বর ২০১২ নভেম্বর ২০১৬ ২১ তম মেজর জেনারেল আবুল হোসেন নভেম্বর ২০১৬ মার্চ ২০১৮ ২২ তম মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম ২০ মার্চ ২০১৮ বর্তমান == তথ্যসূত্র == গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক সেনাবাহিনীর জেনারেল সেনা কর্মকর্তা জেনারেলগ্ণপ্রজাতন্ত্রী চীন নিয়মিতভাবে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরি এবং উন্নতিসাধন করে, এদের মধ্যে রাসায়্নিক অস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। চায়নার প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু হয় ১৯৬৪ সালে এবং এর প্রথম হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা কার্যকর করা হয় ১৯৬৭ সালে। কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রীট (সিটিবিটি) সাক্ষর করার আগে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চায়না তার পরীক্ষা চালু রাখে। জৈবিক এবং অধিবিষ অস্ত্র সম্মেলন ১৯৮৪ সালে আসন লাভ কয়ে এবং রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলন ১৯৯৭ সালে অনুমোদন পায়। চায়নার আর্সেনালে নিয়ক্লিয়ার ওয়ারহেডের সংখ্যা রাষ্ট্রের গোপনীয় বিষয়। চায়নার আর্সেনালের সংখ্যার ব্যাপারে অনেক ভিন্ন মতামত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের স্ংঘ এর মতে ২০১৫ সাল অব্দী চায়নার পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা প্রায় ২৬০ এর মতো, যা চায়নাকে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার বিরোধী চুক্তি দ্বারা স্বীকৃত পাচটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশদের তালিকার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম।অনেকের মতে, চায়নার কাছে "প্রায় দ্বিগুণ চেয়ে বেশী পরিমাণ ওয়ারহেড রয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের নিকট হুমকি দাড়াবে।৮ ২০১১ সালের শুরুর দিকে চায়না একটি প্রতিরক্ষা প্ত্র প্রকাশ করে যেখানে চায়না তার পারমাণবিক চুক্তির পাশাপাশি পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যবহার নয় পলিসির কথাও উল্লেখ করে। এছাড়াও চায়না চারটি নতুন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে যা চায়নার মাত্রা এবং পরি্কল্পনা সম্পর্কে উদ্বেগ তৈরি করে। == রাসায়নিক অস্ত্র == ১৯৯৩ সালের ১৩ই জানুয়ারি চায়না রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলনে সাক্ষর করে। ১৯৯৭ সালের ২৫ এপ্রিল চায়নার এর সদস্য পদ লাভ করে রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধকরণ স্ংঘ কে দেওয়া প্রাতিষ্ঠানিক বিবৃতিতে চায়না উল্লেখ করে যে, অতীতে চায়নার কাছে অল্প পরিমাণে কেমিক্যাল আর্সেনাল ছিল কিন্তু কনভেনশনের সদস্যপদ লাভ করার পর সেগুলা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। চায়না তিনটি রাসায়নিক উৎপাদ্ন কারখানার কথা উল্লেখ করে, এগুলো হল সরিষা গ্যাস, ফসজিন গ্যাস এবং এ্ছাড়াও ১৯৭০ এর দশকে স্নায়ু যুদ্ধের সময় চায়না আলবেনিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহ এর প্রমাণ পাওয়া যায়।১১ == জৈব অস্ত্র == চায়না বর্তমানে জৈবিক অস্ত্র সম্মেলন এর একজন সদস্য এবং চায়নার প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকর্তারা বিবৃতি দেন যে চায়না কখনোই কোন ধরণের আক্রমণাত্নক সামরিক জৈব অস্ত্র প্রস্তুত প্রণালীর সাথে সংযুক্ত ছিল না। যদিও ১৯৮০ সালের এক প্রতিবেদনে চায়নার সক্রিয় জৈব অস্ত্র এর কথা উল্লেখ করা হয়। কান জান্তান আলিবেকভ ,সোভিয়েত জীবাণু যুদ্ধবিগ্রহ কার্যক্রমের এর সাবেক পরিচালক দাবি করেন যে, ১৯৮০ সালের শেষের দিকে চায়নার কোন একটি জৈব অস্ত্রের প্ল্যান্টে দূর্ঘটনা ঘটে। আলিবেকভ নিশ্চিত করে বলেন যে, সোভিয়েত পরিদর্শনকারী স্যাটেলাইট একটি জৈব অস্ত্রের পরীক্ষাগারের এর পাশে পারমাণবিক ওয়ারহেড পরীক্ষার জন্য একটি প্ল্যান্ট সনাক্ত করে। সোভিয়েতরা সন্দেহ করে যে, ১৯৮০ সালের শেষের দিকে দুইটি আলদা হেমোরেজিক ফিবার এর মহামারীতা ওই সম্পূর্ণ অঞ্চল নিশ্চিহ্ন করে দেয় যা চায়নার বিজ্ঞানীরা ল্যাবে যে বিষাক্ত রোগের অস্ত্রকরণ করছিলেন সেখানের কোন দূর্ঘটনার কারণে হয়ে যুক্ত রাষ্ট্রের রাষ্ট্র সচিব ম্যাডেলিন আলব্রাইট ১৯৯৭ সালের জানুয়ারীতে লিখা সিনে্টর বব বেনেট এর কাছে এক চিঠিতে ইরান এবং অন্যান্য দেশের কাছে চায়নার জৈব অস্ত্রের হস্তা্ন তরের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ আলব্রাইট ল্লেখ করেন যে চায়নার ডুয়াল ইউজ অস্ত্র ইরানের সরকারের কাছে হস্তানতরের ব্যাপারে তিনি একের অধিক প্রতিবেদন পান যা তাকে উদ্বিগ্ন করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের চায়নাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত যাতে তারা তাদের রপ্তানিকৃত পণ্য এর প্রতি কঠোর হস্তক্ষেপ নেয় যাতে করে ইরানের বিরুদ্ধে আনা জৈব অস্ত্র কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়। ২০০২ সালের ১৬ই জানুয়ারী যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগেগু্লোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় এবং চায়নার তিনটি কোম্পানির উপরে নিষেধাঙ্গা জারি করে যাদের বিরুদ্ধে ইরানকে রাসায়নিক এবং জৈব অস্ত্র তৈরীর উপদান সরবরাহের অভিযোগ আসে এর পরেই.২০০২ সালের শেষের দিকে চায়না ডুয়াল ইউজ প্রযুক্তির উপরে রপ্তানি নিয়ে প্রটোকল চালু করে। == পারমানবিক অস্ত্র == === ইতিহাস === মাও জেডং ১৯৫৪-১৯৫৫ সালে কোয়েময় এবং মাটসু দ্বীপের তাইওয়ান জলপ্রণালি সংকটের সময় প্রথমবারের মতো চায়নায় পারমাণবিক বোমা তৈরী করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।যদিও তিনি আমেরিকার বিশাল সংখ্যক আর্সেনালের সাথে পাল্লা দেওয়ার কথা চিন্তা করেন নি,কিন্তু মাও বিশ্বাস করেছিলেন অন্তত অল্প কিছু সংখ্যক বোমা চায়নার কূটনৈতিক অবস্থান আরো দৃঢ় করবে।১৯৫৮ সালের শুরু দিকে বাওটাও এবং ল্যানঝাও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়, এবং লুপ নুর জিউকুয়ানে পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।সোভিয়েত ইউনিয়ন বিদারণীয় উপাদানের জন্য নিবেদিত বিভাগে উপদেষ্টা পাঠানোর মাধ্যমে চায়নাকে সাহায্য করেছিল এবং ১৯৫৭ সালে প্রোটোটাইপ বোমা,মিসাইল এবং এর সাথে সংযুক্ত সংশ্লিষ্ট সকল প্রযুক্তি প্রদানের ব্যাপারে সম্মত হয়। চায়নীজরা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রযুক্তি এবং উপাদান আমদানি করে দেশের অভ্যন্তরে তাদেরকে উন্নতিসাধন করাকে উপযুক্ত মনে করছিল। কারণে চায়না সোভিয়েত ইউনিয়ন এর কাছে ইউরেনিয়াম রপ্তানি করে এবং তার বিনিময়ে ১৯৫৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন চায়নাকে দুটি আর-২ মিসাইল প্রদান করে। ওই বছরেই সোভিয়েত প্রধান নিকিতা ক্রুশ্চেভ মাওকে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেট ব্রিটেন এর সাথে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এর কথা জানান। চায়না ইতিমধ্যে ক্রশ্চেভ এর স্টালিন পরবর্তী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিপক্ষে ছিল। যদিও সোভিয়েতের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকর্তারা চায়নীজদের আশ্বস্ত করেছিল এই বলে যে চুক্তিটি সোভিয়েতদের পারমানবিক ছাতার নিচেই আছে,এই মতবিরোধের ফলস্বরুপ সিনো-সোভিয়েত বিচ্ছেদের আবির্ভাব ঘটে।১৯৫৯ সালের জুন মাসে, চীন এবং সোভিয়েত আনুষ্ঠানিকভবে তাদের সামরিক এবং প্রযুক্তি বিষয়ক চুক্তির ইতি টানে।১৯৬০ সালের জুলাইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন চায়নার পারমাণবিক কার্যক্রমে তাদের সাহায্য বন্ধ করে এবং সকল সোভিয়েত যন্ত্রবিদদের পারমাণবিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। জন কেনেডি এবং লিন্ডন বি জনসন এর তত্তাবধীন আমেরিকান সরকার চায়নার পারমানবিক কার্যক্রম এর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিল এবং তারা সোভিয়েত কিংবা তাইওয়ানের সাহায্য নিয়ে এই কার্যক্রম ব্যাহত করা কিংবা এতে আঘাত হানার সুযোগ খুঁজ ছিলেন,কিন্তু ক্রুশ্চেভ রাজি ছিলেন না।চায়নীজরা ১৬ই অক্টোবর ১৯৬৪ সালে ৫৯৬ সাংকেতিক নামে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে এবং তারা স্বীকার করে যে সোভিয়েতদের সাহায্য ছাড়া এই কার্যক্রম অসম্ভব ছিলো।১৯৯৬ সালের ২৯ জুলাক চায়নীজরা সর্বশেষ পারমাণবিক পরীক্ষা অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংগঠনের মতে,১৯৯৬ সালের পারমাণবিক বোমার উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো ১.৫ কিলোটন।এটি চায়নার ২২তম ভূগর্ভস্থ পরীক্ষা এবং সর্বমোট হিসাবে ৪৫ তম। === আকার === ১৯৮০ সাল থেকে চায়না তাদের বোমের আকারের ক্ষুদ্র সংস্করণের ক্ষেত্রে উল্লেখ্যযোগ্য উন্নতিসাধন করে। কক্স কমিটি কর্তৃক উল্লেখিত অভিযোগে বলা হয় যে, গোপনে যুক্তরাষ্ট্রের ডাব্লিউ৮৮ পারমাণবিক ওয়ারহেড এর ডিজাইন এবং পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পর থেকেই ক্ষুদ্র সংস্করণের এই কাজ শুরু হয়।চায়নার বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে তারা এই ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন কিন্তু তারা জোরালোভাবে দাবি জানান যে তাদের এই অগ্রগতির পেছনে গোয়েন্দাগিরির কোন হাত নেই। চায়নার পারমাণবিক অস্ত্র মজুদকরণের শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর মধ্যে আকার নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ হয়। কঠোর গোপনীয়তার কারণে চায়নার পারমাণবিক শক্তির যথাযথ আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া খুবই কঠিন।এ কারণে এর অনুমান সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়। ১৯৮৪ সালের প্রতিরক্ষা তথ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী চায়নার পারমানবিক মজুদে ১৫০ থেকে ১৬০ টি ওয়ারহেড রয়েছে। ১৯৯৩ সালের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষদ এর হিসাব মতে চায়নার প্রতিবন্ধক বাহিনী ৬০-৭০ টি সশস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র উপর নির্ভর করে।প্রতিরক্ষা তথ্য সংস্থার সামনের দশক ১৯৯৯-২০২০ অনুমান করা হয় যে,১৯৯৯ সালের পারমানবিক অস্ত্রের বর্ননামূলক তালিকার সংখ্যা প্রায় ১৪০-১৫৭ টি হবে।২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় এর হিসাব অনুযায়ী চায়নার ২০টির মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। সিনেট সশস্ত্র সেবা কমিটিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক রিপোর্টে অনুমান করা হয় বর্তমানে চায়নার প্রায় ১০০টির বেশী ওয়ারহেড রয়েছে। চায়নার পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে নানা রকমের ধারণা করা হয়।যদিও চায়নার পারমাণবিক অস্ত্রের মোট সংখ্যা সম্পূর্ণ অজানা, ২০০৫ সালে অব্দী ধারণামতে চায়নার অস্ত্রাগারে সর্বনিম্ন ৮০ টি হতে সর্বোচ্চ ২০০০টি পর্যন্ত টরপেডো থাকতে পারে। ২০০০টি টরপেডো থাকার সম্ভাবনা কূটনৈতিকদের দ্বারা সম্পূর্ণ নাকচ করে দেওয়া হয়।এটি ১৯৯০ পরবর্তী ইউজনেটের এক অনুচ্ছেদ থেকে নেওয়া হয়,যেখানে একজন সিঙ্গাপুরীয় ছাত্র চায়নার ২০০০ টরপেডো মজুদের ভিত্তিহীন বিবৃতি প্রকাশ করে। ২০০৪ সালে চায়না এক বিবৃতিতে প্রকাশ করে,পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশদের মধ্যে চায়নার পারমানবিক অস্ত্রাগার সবচেয়ে ছোট,যা পরোক্ষভাবে আভাস দেয় যে চায়নার পারমাণবিক অস্ত্রাগার যুক্তরাজ্যের ২০০ পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়েও ছোট।যদিও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমান মতে চায়নার প্রায় ৪০০টি পারমাণবিক টরপেডো রয়েছে।যাইহোক যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার অনুমানমতে চায়নার পারমানবিক অস্ত্রের মজুদ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার অনুমানের তুলনায় অনেক কম নির্দেশ করে। ২০১১ সালে আবারো চায়নার বিশাল পারমানবিক অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে আলোচনার আবির্ভাব ঘটে।জর্জটাউন বছর যাবত গবেষণায় অনুমান করা হয় যে, চায়নার কাছে প্রায় ৩০০০ এর বেশি পারমানবিক অস্ত্র রয়েছে, যা অপ্রকৃত সুরঙ্গের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এই গবেষণার মূল ভিত্তি ছিল,চায়নার রাষ্ট্রীয় বার্তার ভিডিও ফুটেজ যেখানে অনেকগুলো সুরঙ্গের প্রবেশপথ দেখানো হয়,যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৮০০ কি.মি(৩০০০ মাইল)। ২০০৮ সিচুয়ান ভূমিকম্পে পাহাড়ি এলাকায় টানেল ধসের পরে এই টানেলের নেটওয়ার্কের কথা প্রকাশ হয়, চায়না সরকার এই টানেলের অস্তিত্বের কথা নিশ্চিত করে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে আইন অনুযায়ী এই সুরঙ্গের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রগার লুকিয়ে রাখার সম্ভবনা খতিয়ে দেখতে আদেশ দেওয়া হয়। যাইহোক সুরঙ্গ তত্ত্ব এর বিভিন্ন আপাত ত্রুটির কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যখ্যা করলে দেখা যায় যে,চায়নার কাছে ৩০০০ পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের মতো যথেষ্ট পরিমানে বিদারণীয় পদার্থ নেই।এই পরিমাণ অস্ত্রাগার তৈরীর জন্য ৯-১২ টন প্লুটোনিয়ামের পাশাপাশি ৪৫-৪৭ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম এবং যথেষ্ট পরিমাণে ট্রিটিয়াম প্রয়োজন।ধারণা করা হয় যে, চায়নার কাছে টন প্লুটোনিয়াম রয়েছে যার সাহায্যে ৪৫০-৬০০ অস্ত্রবিশিষ্ট অস্ত্রাগার তৈরী করা যায়, এসব কিছু সত্ত্বেও ১৬ টন ইউরেনিয়াম রয়েছে যা দিয়ে তত্ত্বীয়ভাবে প্রায় ১০০০টি টরপেডো বানানো সম্ভব। ধারণা করা হয় চায়নার পারমানবিক অস্ত্রাগারে ৫৫-৬৫ টি আইসিবিএম রয়েছে। ২০১২ সালের শুরুর দিকে, স্টার্টকমের কমান্ডার বলেন যে,টরপেডোর সংখ্যা ৭০০ কিংবা এর নিকটবর্তী হতে পারে,এবং এটিই সবচেয়ে ভাল অনুমান এবং এফএএস এর অনুমান মতে বর্তমানে টরপেডোর সংখ্যা সর্বোচ্চ ২৪০ হতে পারে। ২০১৩ সালের কংগ্রেসের নিকট যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী চায়নার সামরিক উন্নয়ন বাহিনীর মতে চায়নার পারমাণবিক অস্ত্রাগারে ৫০-৭৫ টি আইসিবিএম রয়েছে যা ভূমি ভিত্তিক সাইলো এবং সাবমেরিনের ক্ষেপণাস্ত্রে মজুদ করা আছে।আইসিবিএম এর পাশাপাশি ওই রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা চায়নার কাছে প্রায় ১১০০ এর মতো স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যদিও চায়নার কাছে এদের সবগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত করার মতো টরপেডো সক্ষমতা নেই। == পারমাণবিক নীতি == চায়না পারমাণবিক অস্ত্র নিরোধী চুক্তি দ্বারা স্বীকৃত পাচঁটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে একটি যা চায়না ১৯৯২ সালে অনুমোদন পায়।চায়না একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ যা পারমাণবিক অস্ত্রহীন দেশদেরকে শর্তহীন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় চায়না কখনই পারমাণবিক অস্ত্রহীন দেশ বা পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চলের বিরুদ্ধে কোন পরিস্হিতিতেই বা কোন অবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার বা হুমকি প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না" চায়নার সর্বজনীন নীতি সব সময়ই "প্রথমে ব্যবহার নয়" নীতি অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য প্রতিবন্ধক এবং পাল্টা আক্রমণে সম্ভাব্য বাহিনী তৈরী রাখে। ২০০৫ সালে, চায়নার একটি সাদা কাগজ প্রকাশ করে যেখানে উল্লেখ করা হয় চায়নার সরকার "কোন সময়েই বা কোন অবস্থাতেই প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না"। এর পাশাপাশি আরো উল্লেখ করা হয় যে," প্রথমে ব্যবহার নয়" নীতি ভবিষ্যতে সর্বদাই অপরিবর্তিত থাকবে এবং চায়না পারমাণবিক অস্ত্রহীন দেশ বা পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার বা হুমকি প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না। চায়না সাধারণত টরপেডো তাদের পারমানবিক উৎক্ষেপণ অঞ্চল থেকে পৃথক করে রাখে যদি না হুমকির মাত্রা অতিরিক্ত না হয়। চায়না সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্ররোধী চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না,এটি পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য একটি বাধ্যবাধকতামূলক চুক্তি যা ১২০ টিরও বেশী সংখ্যক দেশ দ্বারা সাক্ষরিত। == পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার == ইতিহাসগতভাবে চায়না পাকিস্তানের পারমাণবিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত যদিও এইসব কিছু ১৯৯২ সালে চায়নার পারমাণবিক শক্তি বিস্তারের অনুমোদনের আগের ঘটনা। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে, ধারণা করা হয় যে চায়না পাকিস্তানকে একটি প্যাকেজ প্রদান করে যার মধ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ প্রযুক্তি, উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম,এবং পারমানবিক অস্ত্রের একটি সম্পূর্ন পরিকল্পনা ছিল। চায়না আব্দুল কাদির খানের পাকিস্তানে নিয়ে আসা চুরি করা প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং চায়নার একটি কেন্দ্রীয় পারমানবিক কেন্দ্র স্থাপন করে এবং তাদের চিঠিতে প্রকাশ করে যাতে উল্লেখ করা হয়,"সবাই জানে যে চায়নার সাথে আমাদের গত ১৫ বছর যাবত সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।আমরা হানঝং(ঝিয়ানের ২৫০ কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে) একটি কেন্দ্রীয় পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপন করেছি। আমরা ১৩৫ টি সি-১৩০ বিমান পাঠিয়েছি যাতে অনেক মিটার,চাপ পরিমাপক যন্ত্র রয়েছে।আমাদের দল সেখানে এক সপ্তাহ যাবত রয়েছে তাদের দলকে সাহায্য করার জন্য এবং তাদের দল সেখানে এককালীন এক সপ্তাহ যাবত রয়েছে। প্র‍য়াত মন্ত্রী লিউ উই (উপ মন্ত্রী), লি চিউ,উপ মন্ত্রী জিয়াং শেনংজেই প্রায় আমাদের পরিদর্শনে আসতেন।চায়নীজরা আমাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্রের অঙ্কন, ৫০ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম,১০ টন এবং টন ইউএফ-৬(৩%) সরবরাহ করে।চায়নীজরা পারমাণবিক শক্তি কমিশন) কে সাহায্য করে যা ইউএফ-৬ এর তৈরী পারমাণবিক চুল্লী চুল্লী তৈরীতে খান গবেষণা পরীক্ষাগারের প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন হিসেবে ভূমিকা রাখে। আমিতাই এতজিয়োনির সমাজতান্ত্রিক নীতি সংক্রান্ত গবেষণায় বল হয় যে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি ফলপ্রসূ ক্ষেত্র হতে পারে, যার মাধ্যমে উভয় দেশই "বিশ্বাস কিন্তু যাচাই" এই পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে বর্তমানে তাদের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তির ক্ষেত্রে যে অবিশ্বাস দেখা যায় তা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। == ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ পদ্ধতির অনুমান == === ২০১০ আইআইএসএস সামরিক হিসাবনিকাশ === আন্তর্জাতিক কৌশল সংস্থার গবেষণার সামরিক হিসাবনিকাশ ২০১০ থেকে নিচে চায়নার ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অনুমান উল্লেখ করা হলো। এই প্রায় ৯০টি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে(৬৬ টি ভূমি ভিত্তিক আইসিবিএম এবং ২৪ টি ডুবোজাহাজ ভিত্তিক জে-এল-২ এসএলবিএম),যাদের মধ্যে এমআইআরভি টরপেডো অন্তর্ভুক্ত নয়। প্রকার '''আনুমানিক দূরপাল্লা''' আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-৫এ(সিএসস-৪ মোড ২)আইসিবিএম ২০ ১৩,০০০ কি.মি মোড ২) রোড মোবাইল আইসিবিএম 2৪ ১৩,০০০ কি.মি মোড ২) রোড মোবাইল আইসিবিএম ১২ ১৩,০০০ কি.মি ১০ ৫,৫০০ কি.মি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-৩এ(সিএসস-২ মোড)আইআরবিএম ৩,০০০ কি.মি মাঝা্রি্পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোড ৩) রোড মোবাইল আইআরবিএম ৩৬ ১৭৫০ কি.মি রোড মোবাইল এমআরবিএম ৮০ ১৭৫০ কি.মি স্বস্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রোড মোবাইল এসআরবিএম ৬০০ কি.মি মোড ২) রোড মোবাইল এসআরবিএম ১০৮ ৩০০ কি.মি ভূমি আক্রমণকারী ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র ডিএইচ-১০ এলএসিএম ৫৪ ৩০০০+ কি.মি ডুবোজাহাজ নিক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র জেএল -১ এসএ;লবিএম ১২ ১৭৭০+ কি.মি জেএল -২ এসএ;লবিএম ২৪ ৭২০০+ কি.মি === ২০১০ ডিওডি আ্যনুয়াল পিআরসি সামরিক রিপোর্ট === নিচে ২০১০ সালে চায়নার সামরিক শক্তির ব্যাপারে কনগ্রেসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর অনুমানের তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ প্রকার নিক্ষেপক ক্ষেপণাস্ত্র আনুমানিক দূরপাল্লা সিএসএস-২ আইএরবিএম ৫-১০ ১৫-২০ ৩০০০+ কি.মি সিএসএস-৩ আইসিবিএম ১০-১৫ ১৫-২০ ৫৪০০+ কি.মি ডিএফ-৫এ (সিএসএস-৪) আইসিবিএম ২০ ২০ ১৩০০০+ কি.মি ডিএফ-৩১ আইসিবিএম চায়নার পারমাণবিক বাহিনীর,২০০৬ চায়না উপাধি নাম সাল দূরপাল্লা টরপেডো এক্স উৎপাদন টরপেডো এক্স স্থাপন টরপেডো স্থাপন ভূমি ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-৩এ সিএসএস-২ ১৯৭১ ৩,১০০ কি.মি ৩.৩ এমটি ১৬ ১৬ ডিএফ-৪ সিএসএস-৩ ১৯৮০ ৫,৫০০ কি.মি ৩.৩ এমটি ২২ ২২ ডিএফ-৪ সিএসএস-৪ মোড ১৯৮১ ১৩,০০০ কি.মি ৪-৫ এমটি ২০ ২০ ডিএফ-২১এ সিএসএস-৫ মোড ১/২ ১৯৯১ ২,১৫০ কি.মি ২০০ কেটি ৩০০ কেটি ৩৫ ৩৫ ডিএফ-৩১ সিএসএস-এক্স-১০ ২০০৬? ৭,২৫০ কি.মি পাওয়া যায় নি পাওয়া যায় নি মোট ৯৩ ৯৩ ডুবোজাহাজ নিক্ষেপণযোগ্য জেএল-১ সিএসএস-এনএক্স-৩ ১৯৮৬ ১৭৭০ কি.মি ২০০ ৩০০ কেটি ১২ ১২ জেএল-২ সিএসএস-এনএক্স-৪ ২০০৮- ২০১০? ৮,০০০ কি.মি পাওয়া যায় নি পাওয়া যায় নি মোট ১২ ১২ মোট কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের স্ংখ্যা ১০৫ ১০৫ বিমান***** হ্ং-৬ বি-৬ ১৯৬৫ ৩,১০০ কি.মি ১-৩ বোমা ১০০ ২০ আ্যটাক বোমা ২০ মোট ৪০ স্ব্ল্পপাল্লার কৌশলগত অস্ত্র ডিএফ-১৫ সিএসএস-৬ ১৯৯০ ৬০০ কি.মি কম ~৩০০ ডিএইচ-১০? (এলএসিএম) ২০০৬- ২০০৭? ~১৫০০ কি.মি কম পাওয়া যায় নি পাওয়া যায় নি মোট ~১৪৫ === ২০১৩-২০১৪ সালে পরিস্থিতি === == ভূমি ভিত্তিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র == ডংফেং ৫এ একটি বিশিষ্ট,তরল জ্বালানি সমৃদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র যার ব্যাপ্তি ১৩০০০ কি.মি এর বেশি।২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর জেনারেল ইউজিন হ্যাবিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল বিভাগের সেনাপতি কংগ্রসের কাছে সাক্ষ্য দেয় যে চায়নার কাছে ১৮ টি ডিএফ-৫ রয়েছে যা সাইলো টেকনিকের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে।২১ শতকের শুরুতে, দ্বিতীয় কামান বাহিনী ১০ টি কঠিন জ্বালানি ভিত্তিক গতিশীল ডিএফ-৩১ আইসিবিএম মোতায়ন করে যার পাল্ল ৭২০০ কি.মি এর বেশী এবং যা তিনটি এমআইআরভির সমপরিমাণ আঘাত হানতে সক্ষম।চায়না ডিএফ-৩১ এর উন্নতিসাধন করে, এক প্রকার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, যা ৩-৬ টি একাধিক স্বাধীন লক্ষণযোগ্য গাড়ীকে আঘাত হানতে সক্ষম।চায়না একই সাথে ডিএফ-৩১এ এর উন্নতি সাধন করে,একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র যার ব্যাপ্তি ১১,২০০+ কি.মি এর চেয়েও বেশী যা এমআইআরভির তুলনায় ৩-৬ গুণ বেশী আঘাত হানতে সক্ষম। চায়না তাদের বেশীর ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র জটিল ভূগর্ভস্থ সুরঙ্গে মজুদ প্রতিনিধি মাইকেল টারনার ২০০৯ সালের চায়নার গণমাধ্যমের রিপোর্টের উপর ইঙ্গিত করে বলেন যে," এই সুরঙ্গের জাল প্রায় ৫০০০ কি.মি(৩,১১০ মাইল) এরো বেশী হতে পারে এবং এটি পারমাণবিম অস্ত্র আনা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়" চায়নার সামরিক সংবাদবাহী পত্র এই সুরঙ্গ ব্যবস্থাকে চায়নার ভূগর্ভস্থ গ্রেট ওয়াল বলে আখ্যায়িত করে == মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র == চায়নার ৫৫% শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই মাঝারি পাল্লার হয়ে থাকে যা সাধারণত বিভিন্ন অঞ্চলের সম্ভাব্য যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে তাক করা অবস্থায় থাকে === === প্রধান অনুচ্ছেদ === === প্রধান অনুচ্ছেদ == যুদ্ধকৌশলে ব্যবহৃত লক্ষভেদী ক্ষেপণাস্ত্র == সিজে-১০ দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল ২০০৯ সালে চায়নার ৬০ তম বর্ষপূর্তির সামরিক প্রদর্শনীতে এর প্রথম আবির্ভাব ঘটে চায়নার দ্বিতীয় কামান বাহিনীর প্রচলিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের অংশ হিসেবে।সিজে-১০ জনসাধারণ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের উৎক্ষেপণ প্রযুক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে। একই রকমের জাহাজীয় ক্রুজ মিসাইল, ওয়াইজে-৬২ পিএলএ এর নৌবাহিনীকে তাদের নৌ-উৎক্ষেপণ প্রযুক্তির সর্বশেষ নিদর্শন হিসেবে সেবা দিয়ে আসছে। == দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র == চায়না তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সমূহ এর ব্যাপ্তি সাধারণত ৩০০০-৮০০০ কি.মি এর মধ্যে হিসাব করে থাকে। ডং ফেং অথবা ডিএফ-৪(যা সাধারণত সিএসএস-৩ নামেও পরিচিত) চায়নার দুই ধাপ বিশিষ্ট দূরপাল্লার মাঝারি মানের ক্ষেপণাস্ত্র যা সাধারণত তরল দিয়ে চালিত। এটি চায়নার ভূগর্ভস্থ সুরঙ্গগুলোতে ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে স্বল্প আকারে স্থাপন করা হয় বলে ধারণা করা হয়। ডিএফ-৪ এর উড্ডয়নের সময় ধাক্কা দেওয়ার ক্ষমতা প্রায় ১,২২৪ কিলোনিউটন,এবং তার উড্ডয়নের সময়কার ওজন প্রায় ৮২,০০০ কে.জি, যার ব্যাস প্রায় ২.২৫ মিটার এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮.০৫ মিটার এবং এর পাখার বিস্তার ২.৭৪ মিটার। এটি প্রায় ২,১৯০ কে.জি টরপেডো এবং ৩,৩০০ কেটি বিস্ফোরকের সম্মনয়ে গঠিত.এদের ব্যাপ্তি সাধারণত ৫,৫০০ কি.মি হয়ে থাকে. এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সমূহ নিষ্ক্রিয় পথপ্রদর্শন পদ্ধতি অবলম্বন করে যার ফলে ১,৫০০ মিটারের অল্প মাত্রার সিইপি ব্যবহার হয়। == আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র == === ডিএফ-৫এ/ সিএসএস-৪ মোড === ডংফেং অথবা ডিএফ-৫ একটি তিন ধাপ বিশিষ্ট চায়নায় তৈরী আইসিবিএম. এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩২.৬ মি, এর ব্যাস প্রায় ৩.৩৫ মিটার. এর ওজন প্রায় ১৮৩ টন এবং এর ব্যাপ্তি সাধারণত ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ কি.মি পর্যন্ত হয়। ডিএফ-৫ ১৯৭১ সালে প্রথমবারের মতো উড্ডয়ন করা হয় এবং ১০ বছর পরে প্রয়োগ করা হয়. ডিএফ-৫ এর উল্লেখযোগ্য দুর্বল দিক হলো এটির চালু হতে প্রায় ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে। === ডিএফ-৩১/ সিএসএস-১০ === ডংফেং ৩১ (অথবা সিএসএস-১০) মাঝারি আকারের তিনধাপ বিশিষ্ট দৃঢ় চালক যন্ত্র দ্বারা গঠিত যা গগণপ্রজাতন্ত্রী চায়নায় তৈরী.এটি ডুবোজাহাজ ভিত্তিক উৎক্ষেপক জেএল-২ এর ভূমি ভিত্তিক বিকল্প হিসেবে কাজ করে। === ডিএফ-৪১/ সিএসএস-এক্স-১০ ডাকনাম "ডংফেং ৪১" === ডিএফ-৪১(অথবা সিএসএস-এক্স-১০) আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র যা চায়নায় উন্নতিসাধন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়. এটি এমআইআরভিকে ধারণ করার জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছে ধারণা করা হয়,এছাড়াও একাধিক টরপেডো নিক্ষেপ করতেও সক্ষম। == পারমাণবিক লক্ষভেদী ক্ষেপণাস্ত্র == যুক্তরাষ্ট্রের ডিওডি ২০০৬ সালে ধারণা করে যে চায়না ভূগর্ভস্থ এবং বায়ুতে উৎক্ষেপণ করা যায় এমন ক্রুজ মিসাইল এর উন্নতি সাধন করছে যা খুব সহজেই পারমাণবিক টরপেডো বহনযোগ্য করে তোলা সম্ভব। === ডিএইচ-১০ === ডংহাই ১০(ডিএইচ-১০) একটি ক্রুজ মিসাইল যা গণপ্রজাতন্ত্রী চীন দ্বারা তৈরী. জেন এর সাপ্তাহিক প্রতিরক্ষা পত্রিকা মতে,ডিএইচ-১০ দ্বিতীয় প্রজন্মের ভূমি ভিত্তিক ক্রুজ মিসাইল(এলএসিএম) এর ব্যাপ্তি সাধারণত ৪০০০ কি.মি হয়ে থাকে, সংযুক্ত স্হির দিকনির্দেশক সীমাসূচক রেখা নির্দেশক ব্যবস্থা এবং আধুনিক সদৃশ দৃশ্যপট ভিত্তিক প্রান্তীয় লক্ষবস্তু নির্ধারণ ব্যবস্থা. এর বৃত্তীয় ত্রুটির সম্ভাবনা (সিইপি) ১০ মিটারের মতো === সিজে-১০ === তরবারি ১০) একটি ক্রুজ মিসাইল যা সাধারণত চায়নায় তৈরী হয়ে থাকে যার ভিত্তি হচ্ছে হংনিয়াও ক্ষেপণাস্ত্র শ্রেণী।এটির ব্যাপ্তি সাধারণত ২,২০০ কি.মি.যদিও এটি নিশ্চিত নয় তারপরেও ধারণা করা হয় যে,সিজে-১০ পারমাণবিক টরপেডো বহনে সক্ষম. বায়ুতে উৎক্ষেপণযোগ্য বিকল্প(সিজে-২০) এর উন্নতিও সাধন করা হয়। === হ্ংনিয়াও ক্ষেপণাস্ত্র পরিবার === এই ফ্যামিলিতে প্রায় তিন ধরণের উৎক্ষেপণ যন্ত্র রয়েছেঃ এইচএন-১,এইচএন-২ এবং এইচএন-৩. এদের ভিত্তি হচ্ছে কেএইচ-এসডি/৬৫ উৎক্ষেপণ যন্ত্র. হংনিয়াও (অথবা লাল পাখি) প্রথমবার ঘরোয়াভাবে চায়নায় তৈরী দীর্ঘপাল্লার পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ক্রুজ মিসাইলদের মধ্যে এদের নাম এর ব্যাপ্তি প্রায় ৬০০ কি.মি, এইচএন-২ এর ব্যাপ্তি হচ্ছে ১,৮০০ কি.মি এবং এইচএন-৩ এর ব্যাপ্তি প্রায় ৩,০০০ কি.মি. === চাংফেং ক্ষেপণাস্ত্র পরিবার === চেং ফেং(অথবা দীর্ঘ বাতাস) পরিবারে দুই ধরণের উৎক্ষেপক রয়েছেঃসিএফ-১ এবং সিএফ-২. প্রথমবার ঘরোয়াভাবে চায়নায় তৈরী দীর্ঘপাল্লার উৎক্ষেপকদের মধ্যে এদের নাম এর ব্যাপ্তি প্রায় ৪০০ কি.মি এবং সিএফ-২ এর ব্যাপ্তি প্রায় ৮০০ কি.মি উভয়েই ১০ কেটি পারমাণবিক টরপেডো বহনে সক্ষম. === সমুদ্র ভিত্তিক অস্ত্র === ডুবোজাহাজ ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) এর মজুদ গণস্বাধীনতা নৌসেনার (পিএলএএন) এর নতুন কৌশল. চায়নার তার দ্বিতীয় প্রজন্মের পারমাণবিক ডুবোজাহাজ ১৯৮১ সালের এপ্রিলে চালু করে।নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে টাইপ- এর ০৯২ এক্সিয়া শ্রেণির এসএসবিএন রয়েছে প্রায় ৮,০০০ টন. দ্বিতীয় প্রকারের ০৯২ দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়. ০৯২ সাধারণত ১২ টি জেএল-১ এসএলবিএম দ্বারা সুসজ্জিত থাকে যাদের ব্যাপ্তি সাধারণত ২১৫০-২৫০০ কি.মি এর মধ্যে. জেএল-১ হচ্ছে ডিএফ-২১ উৎক্ষেপকের পরিবর্তিত সংস্করণ.এটি ধারণা করা হয় যে ০৯২ ক্রুজ মিসাইলকে সাবমেরিনে পরিবর্তন করা হয়। চায়নার নৌবাহিনী নমুনা ০৯৪ ডুবোজাহাজ ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র এর উন্নতি সাধন করে. স্যাটেলাইট এর ছবি হতে বোঝা যায় যে, এই নমুনার দুইট অন্তত সম্পূর্ন হয়েছে. এই ডুবোজাহাজ ১২ টি অত্যাধুনিক দীর্ঘ পাল্লার জেএল-২ বহন করতে সক্ষম. যাদের ব্যাপ্তি প্রায় ১৪,০০০ কে.মি. চায়না একই সাথে নমুনা ০৯৬ ডুবোজাহাজের উন্নতি সাধন করে, যা প্রায় ২৪ টি জেএল-২ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম. উল্লেখযোগ্য চায়না উৎসের মতে ডুবোজাহাজটি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করা হয়েছে'''মুন্সি ওয়াদুদ''' হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী গীতিকার। তিনি ২০০৭ সালের সাঝঘর চলচ্চিত্রে গীত রচনার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুরস্কার লাভ করেন। ==নির্বাচিত চলচ্চিত্রসমূহ== ===লেখক হিসেবে=== ৭১ এর মা জননি ২০১৪ ===গীতিকার হিসেবে=== হাঙ্গর নদী গ্রেনেড ১৯৯৭ কোটি টাকার কাবিন ২০০৬ ঘানি ২০০৬ সাঝঘর ২০০৭ রাজা সূর্য খা ২০১২ একি বৃত্তে ২০১৩ ৭১ এর মা জননি ২০১৪ ==পুরস্কার মনোনয়ন== '''জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার''' বছর বছর বিভাগ চলচ্চিত্র ফলাফল ২০০৭ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ গীতিকার ''সাজঘর'' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== গীতিকার গীতিকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ী'''সালমা''' (سلمى) একটি আরবি নাম যার অর্থ ''শান্তি''। এটি একটি ফার্সি নামও (سلما) যার অর্থ ''মিষ্টি হৃদয়'' ==নাম== সালমা ইসলাম (জন্ম: জানুয়ারি ১৯৫৫) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ১৭৪ নং (ঢাকা-১) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। সালমা আক্তার (জন্মঃ জানুয়ারি ১৯৯১) হলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। সালমা খাতুন (জন্ম: অক্টোবর, ১৯৯০) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রথিতযশা প্রমিলা ক্রিকেটার। সালমা আগা সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানী ব্রিটিশ গায়িকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট পাকিস্তানী অভিনেত্রী। সালমা সোবহান (জন্ম: আগস্ট ১১, ১৯৩৭ মৃত্যু: ডিসেম্বর ২৯, ২০০৩)বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার। সালমা খাতুন (ট্রেন চালক) (জন্ম: জুন, ১৯৮৩) বাংলাদেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক। সালমা হায়েক একজন মেক্সিকান এবং মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক, এবং টেলিভিশন চলচ্চিত্র প্রযোজক। সালমা মুমতাজ ছিলেন একজন পাকিস্তানী ফিল্ম অভিনেত্রী, পরিচালক প্রযোজক। সালমা মাসুদ চৌধুরী (জন্ম ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৭) বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী বিচারপতি। বর্তমানে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক। == স্থান == সালমা, নেপাল সালমা, সিরিয়া সালমা বাঁধ, আফগানিস্তান ==আরো দেখুন=='''আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ''' বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং কক্সবাজার -২ এর (মহেশখালী, কুতুবদিয়া) প্রাক্তন সংসদ সদস্য ছিলেন। আসন থেকে বিএনপির হয়ে দুইবারের এমপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। == পেশা == আলমগীর ফরিদ ১৯৯৬ সালে কক্সবাজার-২ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার -২ থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন। তিনি সংসদে পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটিতে কাজ করেছেন। সোনাদিয়ার আইল্যান্ডের রাজধানী ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে হাজার হাজার গাছ কাটাতে তার মেয়াদের সময় তিনি শ্রমিকদের নিয়োগ দেন। == ব্যক্তিগত জীবন == '''আলমগীর ফরিদের ছোট''' ভাই শহীদুল্লাহ ১২ নং মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগে শহীদুল্লাহর নাম বনভূমি দখলকারী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রকাশিত হয়। == মামলা গ্রেফতার == ২০০৩ সালের ১৩ মে, দুর্নীতির অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন তাকে গ্রেফতার করে। টি জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে ১৫ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে মহেশখালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ২৯ এপ্রিল ২০০৮ দুর্নীতি দমন কমিশন আলমগীর তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করে। == তথ্যসূত্র == বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ অনুবাদসহ পাতা জেলার রাজনীতিবিদ'''বাস্তবতা''' হচ্ছে সব কিছুর সমষ্টি যা বাস্তব, যা নিছক কল্পনার বিরোধীতা করে।এছাড়াও শব্দটি সত্তাতাত্ত্বিক জিনিসের অবস্থা, অস্তিত্ব নির্দেশ করে।ভৌত অর্থে, বাস্তবতা হচ্ছে জানা-অজানা সব কিছুর সমষ্টি। প্রকৃত বাস্তবতা বা অস্তিত্ব বা সত্ত্বা সম্পর্কে দার্শনিক প্রশ্ন সত্তাতাত্ত্বিক বিধির আওতায় বিবেচনা করে, যা পাশ্চাত্য দার্শনিকদের অধিবিদ্যার একটি প্রধান শাখা। এছাড়াও সত্তাতাত্ত্বিক প্রশ্ন দর্শনের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য, দর্শন বিঙ্গান, ধর্ম, গণিত এবং যৌক্তিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।এই প্রশ্নগুলো শুধু ভৌত বস্তুকেই বাস্তব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে, যদিও বাস্তবতা মৌলিকভাবে অবাস্তব। বৈশ্বিক মত তত্ত্ব একটি সাধারণ কথোপকথন ব্যবহার হয় বাস্তবতা মানে "উপলব্ধি, বিশ্বাস, এবং বাস্তবতা দিকে মনোভাব "আমার বাস্তবতা, আপনার বাস্তবতা না" হিসেবে।এটি প্রায়ই ব্যবহার করা হয় একটি কথোপকথন হিসাবে যা একটি কথোপকথন পক্ষের একমত, অথবা গভীরভাবে quibble না, একমত হওয়া উচিত বাস্তব কি বিভিন্ন ধারণা। উদাহরণস্বরূপ, বন্ধুদের মধ্যে একটি ধর্মীয় আলোচনায়, এক বলতে পারে (হাস্যরস চেষ্টা) "তুমি অসম্মতি হতে পার, কিন্তু আমার বাস্তবতা, সবাই যায় স্বর্গের দিকে."বাস্তবতা লিঙ্ক যে একটি ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে এটা বিশ্ব বা তাদের অংশ (ধারণাগত কাঠামো): বাস্তবতা হল সবকিছুর সামগ্রিকতা, কাঠামো (প্রকৃত এবং ধারণাগত), ঘটনা (অতীত এবং বর্তমান)।এটি একটি বিশ্বের (এটা পৃথক বা উপর ভিত্তি করে করা হবে কিনা শেষ মানব অভিজ্ঞতা) বর্ণনা বা মানচিত্র করার দর্শন থেকে কিছু ধারনা, সমাজবিজ্ঞান, সাহিত্য সমালোচনা, এবং অন্যান্য ক্ষেত্র বাস্তবতা বিভিন্ন তত্ত্ব আকৃতি পর্যবেক্ষণযোগ্য বা যোগ্য নয়।এমন একটা বিশ্বাস আছে যে,সেখানে কেবল আক্ষরিক অর্থে আমাদের প্রত্যেকেরই এর বাইরে কোন বাস্তব ধারণা বা বিশ্বাস নেই।এমন মনোভাবের জনপ্রিয় বিবৃতির সারাংশ, "বাস্তবতা হচ্ছে ধারণা" বা "বাস্তবতা হল যা আপনা থেকে দূরে যেতে পারে (রবার্ট অ্যান্টন উইলিয়ামসন) এবং তারা বিরোধী বাস্ততবতাকে ইঙ্গিত করে অর্থাৎ, যে দৃষ্টিভঙ্গির কোন উদ্দেশ্য বাস্তবতা নেই, স্বীকার করা হোক বা না হোক। বিজ্ঞানের অনেক ধারণা এবং দর্শন প্রায়ই সাংস্কৃৃৃতিক সামাজিকভাবে সঙ্গায়িত করা হয়।এই ধারণাটির বিস্তারিত টমার্স কুটির "বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের গঠন" নামক বইয়ে পাওয়া যায়। বাস্তবতার সমাজ নির্মাণ, সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পিটার এল বার্জার এর লেখা বইয়ে ধারণা পাওয়া যায়, যা ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয়েছে। এটা ব্যাখ্যা করে কিভাবে বাস্তবতা অনুধাবন করার জন্য জ্ঞান অর্জন ব্যবহার করতে হয়।বাস্ততবতার বাইরে, দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে গুরুুুত্বপূর্ণ যেহেতু সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল মনোযোগী দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা।'''আসমারা''' বা '''আসমিরা''' হচ্ছে ইরিত্রিয়ার রাজধানী এবং দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল শহর। শহরটি উচ্চতায় অবস্থিত, যা একে করেছে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উচুতে অবস্থিত রাজধানী। শহরটি ইরিত্রিয়ার উচ্চভূমির উভয় উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত এবং পার্শ্ববর্তী ইথিওপিয়ায় গ্রেট রিফ্ট ভ্যালি তীরে অবস্থিত। ২০১৭ সালে, শহরটি এটির ভালভাবে সংরক্ষিত আধুনিকতাবাদী স্থাপত্যের জন্য ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়েছিল। ৮০০ ১০০ থেকে ১০০০ জন লোক নিয়ে আসমারা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্বের পর শান্তিপূর্ণভাবে একত্রে বসবাসের জন্য চারটি পৃথক গ্রামকে ঐক্যবদ্ধ করার পর শহরটি ১২ শতকের সাধারন যুগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ==ইতিহাস== মূলত, ইরিত্রিয়ান টিগরিনইয়া মৌখিক ঐতিহ্যগত ইতিহাস অনুসারে আসমারান কেবেসা প্লাতিয়াও অঞ্চলে চারটি গোষ্ঠী বসবাস করতো: গেজা গুরতোম, গেজা শেলেলে, গেজা সেরেনসের এবং গেজা আসমাই। এই শহরগুলো নিচু ভূমির গোষ্ঠীসমূহ এবং "সেগার মেরেব মেলাশ" (যা এখন ইথিওপিয়ার টিগ্রে অঞ্চল) শাসকদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হতো, যতক্ষণ না প্রতিটি বংশের মহিলারা তাদের সাধারণ শত্রুকে পরাজিত করার এবং গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে শান্তি রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। পুরুষরা অত:পর ''আরবার্তে আসমেরা" নাম গ্রহন করে। আরবার্তে আসমেরার আক্ষরিক অর্থ, তিগরিনিয়া ভাষা, "চার (স্ত্রীবাচক বহুবচন) তাদের একত্রিত করেছে"। অবশেষে আরবার্তে নামটি বাদ দেয়া হয় এবং এটিকে ডাকা হয় আসমারা নামে যার অর্থ "তারা স্ত্রীবাচক, এইভাবে মহিলাদের উল্লেখ করা হয় তাদের একত্রিত করেছে"। আসমারার প্রশাসনে আর্বায়েতে আসমারা নামে এখনও একটি জেলা রয়েছে। এটিকে এখন আসমার শব্দটির ইতালীয় সংস্করণ বলা হয়। নামটির পশ্চিমা সংস্করণটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বারা ব্যবহৃত হয়, যেখন ইরিত্রিয়া এবং প্রতিবেশী জনগণের বহুভাষিক বাসিন্দারা আসল উচ্চারণ 'আসমেরা"র প্রতি অনুগত থাকে। ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে মিশনারি রেমিডিয়াস প্রুতকি আসমারার পাশ দিয়ে পার হয়েছিলেন এবং তার স্মৃতিতে বর্ণনা করেছিলেন যে ১৩০ বছর আগে যিশুর যাজকদের দ্বারা নির্মিত একটি গির্জা তখনও অক্ষত ছিল। ===ইতালীয় আসমারা=== ১৯৩৫ সালে আসমেরা ১৯২৯ সালের ইতালীয় আসমারার মানচিত্র উনিশ শতকের একটি ছোট গ্রাম আসমারা ১৮৮৯ সালে ইতালি কর্তৃক দখলের পরে দ্রুত গড়ে উঠতে শুরু করে। গভর্নর ফারদিনন্দো মার্টিনি ১৮৯৭ সালে শহরটিকে ইটালিয়ান ইরিত্রিয়ার রাজধানী বানান, লোহিত সাগরের মাসাওয়া বন্দরের জন্য এবং তারপর থেকে শহরটির একটি ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি ঘটে। ২০ শতকের প্রথম দিকে, কার্লো কাভানার নির্দেশনায় ইরিত্রিয়ান রেলপথটি গিন্ডা শহরের মধ্য দিয়ে, উপকূল পর্যন্ত নির্মিত হয়েছিল। ১৯১৩ এবং ১৯১৫ সালের উভয় বড় আকারের ভূমিকম্পে শহরটির সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল একটি বড় ইতালীয় সম্প্রদায় গড়ে উঠে। ১৯৩৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, আসমারার মোট জনসংখ্যা ছিল ৯৮,০০০জন যার মধ্যে ৫৩,০০০ জন ছিল ইতালীয়। যেখানে শুধুমাত্র ৭৫,০০০ ইতালীয় ইরিত্রিয়াতে বসবাস করেছিল, যা বৃহত্তম কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে রাজধানী শহরটিকে তৈরি করেছিল লিবিয়ায় ইতালীয় ঔপনিবেশিকতার সাথে এই তুলনা করা যায়, যেখানে বসবাসকারী জনসংখ্যা, যদিও বড়, আরো ছড়িয়ে ছিল।) রাজধানীটি একটি ইতালিয়ান স্থাপত্য শৈলীর চেহারা অর্জন করেছে। ইউরোপীয়রা আসামারাকে "প্রচলিত নতুন ডিজাইনের সঙ্গে পরীক্ষা করতে" ব্যবহার করেছিল। ১৯৩০ এর দশকের শেষদিকে আসমারাকে ''পিকোলা রোমা'' (ছোট রোম) বলা হতো। বর্তমান সময়ে ৪০০ টিরও বেশি ভবন ইতালীয় শৈলীতে তৈরি, এবং অনেক দোকানের এখনও ইতালীয় নাম আছে (উদাঃ ''বার ভিট্টোরিয়া'', মর্ডানা'', ''কাসা দেল ফরমাগিও'', এবং ইতালি রাজ্য আসমারার (এবং ইরিত্রিয়ার আশেপাশের এলাকায়) শিল্প বিকাশে বিনিয়োগ করেছিল, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু এটি বন্ধ করে দেয়। জুলাই ২০১৭-এ জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান সংস্কৃতি সংস্থা আসমারাকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং বলে “এটি ২০ শতকের শুরুতে এবং আফ্রিকান প্রেক্ষাপটে তার প্রয়োগের প্রথম দিকের আধুনিকতাবাদী শহুরেবাদের একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ”। ===ইথিওপিয়ার সঙ্গে ফেডারেশন=== ফিয়াট টাগলিইরো স্টেশন ১৯৫২ সালে, জাতিসংঘ ইথিওপীয় শাসনের অধীনে প্রাক্তন উপনিবেশটিকে সংঘবদ্ধ করার সংকল্প করেছিল। ফেডারেশনের সময় আসমারা আর রাজধানী ছিল না। রাজধানী এখন ছিল দক্ষিনে আদ্দিস আবাবা। শহরটির জাতীয় ভাষা তিগ্রিনিয়া ভাষা থেকে ইথিওপিয়ার আমহারীয় ভাষায় প্রতিস্থাপন করা হয়। ১৯৬১ সালে সম্রাট হাইল সেলেসি "ফেডারেল" ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছিলেন এবং এই অঞ্চলটিকে ইথিওপিয়ান সাম্রাজ্যের ১৪ তম প্রদেশ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ইথিওপিয়ার বৃহত্তম মিত্র ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত মার্কিন সেনাবাহিনীর কাগনিউ স্টেশন ইনস্টলেশন শহরটিতে ছিল। ইরিত্রিয়ার স্বাধীনতার যুদ্ধ ১৯৬১ সালে শুরু হয় এবং ১৯৯১ সালে শেষ হয়, যার ফলে ইরিত্রিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। আসমারা সারা যুদ্ধে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উচ্চভূমি অঞ্চলের অধিকাংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বাধীনতার পর, আসমারা আবার ইরিত্রিয়ার রাজধানী হয়ে ওঠে। ==ধর্ম== শহরের চারটি বড় ল্যান্ডমার্ক হল চার্চ অফ আওয়ার লেডি অফ দ্যা রোসারি এবং ক্যাথলিক বিশ্বাসের কিদদানে মেহেরেত ক্যাথিড্রাল, ইরিত্রিয়ান অর্থডক্স টিভাহেডো চার্চের এন্ডা মরিয়ম ক্যাথিড্রাল এবং ইসলামী বিশ্বাসের আল খুলাফা আল রাশিউদ্দীন মসজিদ। খ্রিস্টান মুসলমানরা শতাব্দী ধরে আসমারায় শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করেছে। আসমারায় ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। কেন্দ্রীয় অঞ্চলের জনসংখ্যার ৮৯ শতাংশ খ্রিস্টান (প্রায় ৮৪ শতাংশ অর্থডক্স, শতাংশ রোমান ক্যাথলিক, এবং শতাংশের বেশি এবং শতাংশ মুসলিম। ==ভূগোল== আসমারায় একটি রাস্তা শহর সমুদ্রতল থেকে উচ্চতায় অবস্থিত। এটি ইরিত্রিয়ান পার্বত্য অঞ্চল নামে পরিচিত উত্তর-দক্ষিণ বাঁকা উচ্চভূমিতে অবস্থিত, যা ইথিওপিয়ান পার্বত্য অঞ্চলের একটি সম্প্রসারণ। নাতিশীতোষ্ণ কেন্দ্রীয় অংশ, যেখানে আসমারা অবস্থিত, যেটি একটি পাথুরে উচ্চভূমি মালভূমির উপর অবস্থিত, যা পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি থেকে পশ্চিম নিম্নভূমিকে পৃথক করেছে। আসমারার চারপাশে থাকা ভূমি খুব উর্বর, বিশেষ করে দক্ষিণের ইরিত্রিয়া অঞ্চলের দেবুব অঞ্চলের দিকে। যে উচ্চভূমিতে আসমারা অবস্থিত তা পূর্বাঞ্চলীয় নিচুভূমির সাথে একত্র হতে পথে সরু হয়েছে ইরিত্রিয়ার লবণের প্যানগুলির অতিরিক্ত তাপ এবং আর্দ্রতা, লোহিত সাগর দ্বারা পরিবেষ্টনের ফলে। মালভূমির পশ্চিমে বিস্তৃত আধা-শুষ্ক পাহাড়ী অঞ্চলটি গশ-বার্কা অঞ্চলের মাধ্যমে সুদানের সীমান্তের দিকে গিয়েছে। ===জলবায়ু=== আসমারায় একটি স্তরবিন্যাস জলবায়ুর কিছুটা বিরল সংস্করণ বিরাজ করে, যেখানে উষ্ণ, কিন্তু গরম গ্রীষ্ম এবং হালকা শীতকাল নয়। কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, আসমারায় শীতল আধা-শুষ্ক জলবায়ু (''বিএসকে'') অনুভূত হয়। আসমারার জলবায়ুকে আধা-শুষ্ক (শুষ্ক) বলেও বিবেচনা করা যেতে পারে। এটির উচ্চতার জন্য, শহরটি মরুভূমি থেকে বিশেষত দূরে অবস্থিত হওয়ায় তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত হালকা। এটির জলবায়ু বৃষ্টি, আর্দ্র ঋতু এবং শুষ্ক ঋতু বিশিষ্ট। আসমারার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণের গড় প্রায় তুষারপাত, তবে, শহরটিতে অত্যন্ত বিরল। বছরের দীর্ঘ বর্ষা ঋতু জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়। সংক্ষিপ্ত বর্ষাকাল মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঘটে। জুলাই আগস্ট মাসে আসমারার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় ৬০% পরিলক্ষিত হয়। বিপরীতে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সাধারণত আসমারার সবচেয়ে শুষ্ক মাস, যেখানে তিন মাস মিলে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান প্রায় পরিবর্তনশীল বৃষ্টিপাতের কারণে, আসমারার জলবায়ু এছাড়াও খরা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই অঞ্চলে দীর্ঘায়িত খরা ১৯৬০ এর দশকে শুরু হয়েছিল এবং তারপর থেকে প্রতি দশকে পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। খরার সময়ে, তাপমাত্রা অধিক এবং সামান্য বৃষ্টিপাত ঘটে। একটি অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে, মাটি থেকে জল বাষ্পীভবনের হারও বৃদ্ধি পায়। এই মিলিত প্রক্রিয়ার ফলাফল হলো মরুকরন। কৃষির উদ্দেশ্যে সমৃদ্ধ এবং আর্দ্র মাটি পাওয়ার জন্য, জনগন নিম্নাবস্থিত ভূমি ব্যবহারের জন্য বন উজাড়ের উপর নির্ভর করে। আসমারার সবচেয়ে গুরুতর পরিবেশগত যে বিষয়ের মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো বন উজাড় মরুকরণের। অন্যান্য যে বিষয়ে আসমারা মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো মাটির ক্ষয় এবং মাত্রাতিরিক্ত পশুচারণ। এই সব পরিবেশগত সমস্যা মাটির উৎপাদন ক্ষমতা কমাচ্ছে ==বৈশিষ্ট্য== আসমারা জাতীয় যাদুঘর শহরটিতে ইরিত্রিয়ান জাতীয় যাদুঘর অবস্থিত এবং এটি ২০ শতকের প্রথম দিককার ভবনগুলির জন্য সুপরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে আর্ট ডেকো সিনেমা ইম্পেরো (১৯৩৭ সালে খোলা হয় এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা আর্ট ডেকো শৈলীর বিল্ডিংয়ের বিশ্বের সেরা উদাহরণগুলির মধ্যে একটি বিবেচনা করা হয়), কিউবিস্ট আফ্রিকা পেনশন, সারগ্রাহী ইরিত্রিয়ান অর্থডক্স এন্ডা মরিয়ম ক্যাথেড্রাল এবং সাবেক ওপেরা হাউস, ভবিষ্যত স্থাপত্য ফিয়াট তাগলিরো বিল্ডিং, নব্য-রোমান যুগের স্থাপত্যশিল্পের চার্চ অফ আওয়ার লেডি অফ দ্যা রোসারি, আসমারা, এবং নব্যধ্রুপদী গভর্নরের প্রাসাদ। শহর ইতালীয় ঔপনিবেশিক বাগানবাড়ি এবং প্রাসাদ দ্বারা সজ্জিত করা হয়, বিশ্ব ব্যাংক ভবন এর একটি অনন্য বিশিষ্ট উদাহরণ। কেন্দ্রীয় আসমারার অধিকাংশই ১৯৩৫ থেকে ১৯৪১ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল, তাই ইতালীয়রা কার্যকরভাবে ছয় বছরের মধ্যে প্রায় পুরো শহরটি পরিচালনা করতে পেরেছিল। এই সময়ে, স্বৈরশাসক বেনিতো মুসোলিনির আফ্রিকায় দ্বিতীয় রোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার দুর্দান্ত পরিকল্পনা ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এই পরিকল্পনা বাতিল করে, কিন্তু তার অর্থের প্রয়োগ আজকের আসমারাকে প্রতিষ্ঠা করেছে, যা মনে করা হয়েছিল যে ফ্যাসিবাদ এভাবে কাজ করে এবং এটি সরকারের একটি আদর্শ ব্যবস্থা। শহরটিতে ২০ শতকের প্রথমের দিকের স্থাপত্যের শৈলী সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কিছু ভবনে নব্য-রোমান যুগের স্থাপত্যশিল্পের শৈলী দেখা যায়, যেমন চার্চ অফ আওয়ার লেডি অফ দ্যা রোসারি, কিছু বাগানবাড়ি ভিক্টোরিয়ান যুগের শেষের দিকের শৈলীতে নির্মিত হয়েছে। আর্ট ডেকোর প্রভাব শহর জুড়ে পাওয়া যায়। আফ্রিকান পেনশন বিল্ডিংয়ের উপরে এবং ঘরের ছোট সংগ্রহে কিউবিজমের মূল উপাদান পাওয়া যেতে পারে। The Fiat Tagliero Building shows almost the height of futurism, just as it was coming into big fashion in Italy. সাম্প্রতিক সময়ে, কিছু ভবন কার্যকরীভাবে নির্মিত হয়েছে যা কখনও কখনও কিছু শহরগুলির বায়ুমণ্ডলকে নষ্ট করে তুলতে পারে, কিন্তু সেগুলো আসমারায় একটি আধুনিক শহর হিসাবে ফিট করে। Modern building in Asmara overlooking war memorial. আসমারা এছাড়াও ইরিত্রিয়ান অর্থডক্স টিভাহেডো চার্চের আর্চবিশপের দৃশ্য, যা ১৯৯৩ সালে অটোসেফালোস হয়ে ওঠে। ইরিত্রিয়ান অর্থডক্স টিভাহেডো চার্চের সঙ্গে একটি সমাবস্থায় ১৯৯৮ সালে আর্চবিশপটি ইরিত্রিয়ার বিশপের পদে উন্নীত হয়েছিল। আসমারা একটি আধুনিক শহর হিসাবে পরিচিত ছিল, শুধু এটির স্থাপত্যের কারণে নয়, কিন্তু শহরটি নির্মিত হওয়ার সময় রোমের চেয়ে আসমারার রাস্তায় আরও বেশি ট্রাফিক লাইট ছিল। শহরটিতে একটি পরিকল্পিত শহরের অনেক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শহরটিতে ৪০০ টিরও বেশি ইতালীয়-শৈলীর স্থাপত্য, প্রশস্ত রাস্তায়, পিজ্জা এবং কফি বারের উদাহরণ রয়েছে। প্রশস্ত পথগুলি তাল এবং স্থানীয় শিবা'কা গাছের সাথে রেখাযুক্ত, যেখানে অনেকগুলি পিজ্জা কফি বার রয়েছে, সেখানে কাপুচিনো লাট্টে পরিবেশন করা হয়, পাশাপাশি সেখানে ইতালীয় ইরিত্রিয়ান খাবারের রেস্টুরেন্ট আইসক্রিম পার্লারও রয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে আসমারা একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল, যার ফলে এটি সম্পূর্ণরূপে তালিকাভুক্ত হওয়া যে কোনও প্রথম আধুনিক শহর হয়ে উঠে। আসমারার ঐতিহাসিক কেন্দ্রটি বিশ্ব স্মৃতিস্তম্ভ তহবিলের ২০০৬ সালের ১০০ সবচেয়ে বিপন্ন স্থানের তালিকায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। শহরের প্রতি আরও মনোযোগ আকর্ষণ করে শহরের কেন্দ্রকে ক্ষয়ক্ষতি এবং পুনর্নির্মাণের থেকে বাঁচাতে এবং পুনরুদ্ধারকে বর্ধিত করতে তালিকাটি ডিজাইন করা হয়েছিল। সিআরপি (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগ) অনুসাররে, আসমারায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি একটি দল শহরটির ভবনের পুনর্নির্মাণ এবং আর্কাইভ ব্যবস্থাপনা সাথে সম্পর্কিত একটি ঐতিহ্য প্রকল্পে জড়িত রয়েছে। ২০১০ চালু হওয়া সালে ইইউ ইরিত্রিয়া সাংস্কৃতিক প্রকল্পটি ২০১৪ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ==অর্থনীতি== নাসাইর এবং ইরিত্রিয়া টেলিযোগাযোগ কর্পোরেশন এর সদরদপ্তর শহরটিতে অবস্থিত। পাশাপাশি, দেশের জাতীয় টেলিভিশন স্টেশন ইরি-টিভি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত অনেক স্টুডিও রয়েছে। ==পরিবহন== ইরিত্রিয়ার স্বাধীনতার পর, আসমারার রাস্তার ব্যাপক নির্মাণ প্রকল্প চলেছিল। পুরাতন সড়কগুলি সংস্কার করা হয়েছিল এবং নতুন মহাসড়কগুলিও নির্মিত হয়েছিল। আসমার বাইরে মাত্র পাঁচটি প্রধান সড়ক রয়েছে, যা এটিকে আফ্রিকার সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন রাজধানীগুলির মধ্যে একটি হিসাবে এটির অবস্থান দিয়েছে। আসমারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের হয়ে শহরটিতে কাজ করে। ম্যাসাভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাছাকাছি অবস্থিত একটি বিকল্প বিমানবন্দর। ==শিক্ষা== অাসমারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় আসমারায় দেশটির বেশিরভাগ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। শহরটি সর্বদা শিক্ষার জাতীয় কেন্দ্র ছিল, এবং এখানে অনেক প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত মা নেফহি এবং সাওয়া প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার পূর্বে, আসমারা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল দেশটির একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। ইথিওপিয়ান ফেডারেশন এবং সংযোজন সময়ের সময়, কলেজটি তখনকার দেশটির সবচেয়ে বড় প্রশাখা প্রতিষ্ঠান, আদ্দিস আবাবা সাথে যুক্ত ছিল। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটিতে বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাস খোলা হয়েছে, প্রধানত চিকিৎসাবিদ্যা প্রকৌশলের জন্য। পর্যন্ত, এই কৌশল বরং সফল হয়েছে দেশটির মানুষের রাজধানী যোগ করার ক্ষেত্রে। সমানভাবে মানব সম্পদের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, বেশিরভাগ ইরিত্রিয়ানরা তাদের কর্মজীবনে তাদের দেশের সাফল্যের জন্য আরও সাহায্য করতে চায়। অন্য কথায়, একটি বড় উদ্দেশ্য পরিবেশন করতে অধিকাংশ তাদের কাজকে তাদের সামাজিক দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করে। এবং কলেজ=== *আসমারা বিশ্ববিদ্যালয় *ইরিত্রিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ===প্রাথমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়=== ==== আন্তর্জাতিক বিদ্যালয় ==== আসমারা ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি স্কুল অ্যাংলোফোন আন্তর্জাতিক স্কুল আসমারা ইটালিয়ান স্কুল মন্টেসরি বিভাগের সঙ্গে ইতালীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় লিসেও সপেরিমেন্টালে "জি. মার্কোনি" ইতালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সিনিয়র হাই স্কুল ইস্টিটুটো ইতালিও স্ট্যাটেল কম্প্রেসিভো (আইটি) ইতালীয় আন্তর্জাতিক প্রাথমিক এবং জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ==জেলা== আসমারা ১৩ টি জেলা বা প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত। এই জেলাগুলি উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিম, পূর্ব, পশ্চিম কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বিভক্ত। তেরটি জেলা (বা ''নিউস জোবাস'') হচ্ছে: ;উত্তর *আচরিয়া জেলা *আব্বাসুল জেলা *এদাগা হামুস জেলা ;উত্তর-পূর্ব *আরবায়েতে জেলা ;উত্তর পশ্চিম *মাই তেমেনাই জেলা *প্যারাদিসো জেলা ;দক্ষিণ-পশ্চিম *সেম্বেল জেলা ;দক্ষিণ-পশ্চিম *কাহাউতা জেলা *গোদাইফ জেলা ;কেন্দ্রীয় *মাক্কেল কেতেমা জেলা ;পশ্চিম *তিরাভোলো জেলা *তেসেরাত জেলা ;পূর্ব *গিজা বান্ডা জেলা *গেজেরেট জেলা ==তথ্যসূত্র== ==আরও পড়ুন== Peter Volgger and Stefan Graf: "Architecture in Asmara. Colonial Origin and Postcolonial Experiences", DOM publishers, Berlin 2017, Stefan Boness: "Asmara Africa´s Jewel of Modernity". Jovis Verlag, Berlin 2016, (photo book; German, English) Stefan Boness: "Asmara The Frozen City". Jovis Verlag, Berlin 2006. 96 pages. (photo book; German, English) Edward Denison, Guang Yu Ren, Naigzy Gebremedhin, and Guang Yu Ren, ''Asmara: Africa's Secret Modernist City'' (2003) Gianluca Rossi, ''Renzo Martinelli inviato de “La Nazione”'', 2009, ==বহিঃসংযোগ== Asmara, Eritrea Documentary Film about the city by filmmaker Caterina Borelli History of Asmara Asmara inscription in UNESCO রাজধানী'''জৌগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন''' হল হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন এর একটি গুরুত্ব পূর্ণ রেল স্টেশন। এই স্টেশনটি কলকাতা শহরতলি রেলওয়ে ব্যবস্থার অন্তর্গত একটি ব্যস্ত স্টেশন। এটি পূর্ব রেল জোন সমূহের অধীনে পরিচালিত। জৌগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনটি হাওড়া রেলওয়ে বিভাগের একটি ছোট রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলায় জৌগ্রাম মেন রোড, অস্তাই, জৌগ্রাম অবস্থিত। স্টেশনটি জৌগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে। হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৬৪ কি.মি. দূরে স্টেশনটি অবস্থিত। ==ইতিহাস == হাওড়া-বর্ধমান কর্ড, ৯৫ কিলোমিটার রেলওয়ে লাইনটি ১৯১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। ১৯৩২ সালে বিবেকানন্দ সেতু নির্মাণের পরে শিয়ালদহ থেকে ডানকুনি পর্যন্ত লাইনটি যুক্ত করা হয়েছিল। জৌগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সহ হাওড়া থেকে বর্ধমান কর্ড লাইনটি ১৯৬৪-৬৬ সালে বিদ্যুৎকৌশল করা হয়েছিল। ==তথ্যসূত্র == বর্ধমান জেলার রেল স্টেশন শহরতলি রেল'''লাউয়াছড়া জামে মসজিদ''' বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কামালগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সড়কে অবস্থিত একটি মসজিদ। ১২ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। == স্থাপত্য == বর্তমানে মসজিদটিতে সবুজ ছাদ দিয়ে নীল রঙ করা হয়েছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মেইন গেইট দিয়া সারি সারি বিশাল গাছের ভেতর দিয়ে কিছু দূর এগিয়ে গেলেই বাম পাশে লাউয়াছড়া জামে মসজিদ। প্রধান প্রবেশদ্বারে তিনটি কাঠের দরজা রয়েছে। মহিলাদের জন্য পৃথক এবাদতের জায়গা আছে এই মসজিদে। == আরও দেখুন == বাংলাদেশের মসজিদের তালিকা গয়ঘর খোজার মসজিদ মাদানী চত্বর == তথ্যসূত্র == জেলার মসজিদ বিভাগের ভবন স্থাপনা জেলার দর্শনীয় স্থান'''বেনেট কোলেম্যান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড''' সাধারণত '''দ্য টাইমস গ্রুপ''' হিসেবে পরিচিত, হচ্ছে ''ফিনানশিয়াল টাইম''সহ ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় মিডিয়া মুঘল। ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতের ''দ্য অডিট ব্যুরো অব সার্কুলেশন'' প্রতিবেদন করে যে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে ''দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া'', এটি গড়ে ৩,৩২১,৭০২ বিক্রি হয়ে থাকে। ''দ্য টাইমস গ্রুপ''র ১১,০০০-এর উপরে কর্মীসংখ্যা রয়েছে এবং নীট আয় $১.৫ বিলিয়ন অতিক্রম করেছে। == টেলিভিশন চ্যানেল == *মুভিজ নাউ এমএনএক্স (MNX) *এমএন প্লাস (MN+) *রোমেডি নাউ (Romedy Now) জুম (Zoom) *টাইমস নাউ (Times Now) টাইমস নাউ ওয়ার্ল্ড (Times Now World) *মিরর নাউ (Mirror Now) *ইটি নাউ (ET Now) == তথ্যসূত্র == == আরও পড়ুন == == বহিঃসংযোগ == দ্য টাইমস গ্রুপ প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ** বিষয়শ্রেণী:দ্য টাইমস গ্রুপ broadcasting companies of India companies of India companies based in Mumbai companies established in 1838 establishments in India establishments in British India companies established in 1838 brandsউইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে '''ইয়ুর্গন এলারস''' (জার্মান: ˈjʏʁɡŋ̩ ˈeːlɐs; ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৯ ২০ মে ২০০৮) জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। হ্যামবার্গের ইউনিভার্সিটির পাসকুয়াল জর্ডানের আপেক্ষিকতা গবেষণা দলের স্নাতকোত্তর স্নাতকোত্তর কাজ থেকে তিনি একজন শিক্ষক হিসাবে বিভিন্ন পদে ছিলেন এবং পরবর্তীতে একজন পরিচালক হিসেবে ম্যায়ক্রেনের ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর -এর পরিচালক পদে যোগদান করার আগে অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫সালে তিনি জার্মানির পটসডামে মহাকর্ষ পদার্থবিজ্ঞানের জন্য তৈরি নতুন প্ল্যাক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হন। Ehlers 'গবেষণা সাধারণ আপেক্ষিকতার ভিত্তি হিসাবে পাশাপাশি তত্ত্বের অ্যাপ্লিকেশন উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ। তিনি আইনস্টাইনের ক্ষেত্রের সমীকরণগুলির সঠিক সমাধানগুলির যথাযথ শ্রেণীকরণ প্রণয়ন করেছিলেন এবং তত্ত্বের প্রমাণ করেছিলেন যা আধুনিক মহাজাগতিকের সাধারণ,আপেক্ষিক মডেল বিশ্বজনীন প্রয়োঅকে সমর্থন করে। তিনি মহাকর্ষীয় লেন্সিংয়ের একটি বর্ণনা তৈরি করেছিলেন এবং সাধারণ আপেক্ষিকতা এবং নিউটনীয় কাঠামোর মধ্যে তৈরি মডেলগুলির মধ্যে সম্পর্ককে স্পষ্ট করেছিলেন। উপরন্তু, এলারস পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস এবং দর্শনের উভয় মধ্যে গভীর আগ্রহ ছিল এবং বিজ্ঞান একটি উত্সাহী জনপ্রিয়তা ছিল। == জীবনী == ইয়ুর্গন এলারস হ্যামবার্গে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৬থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সরকারি স্কুলে যোগ দেন এবং এরপর ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত হ্যামবার্গার বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান, গণিত দর্শনের গবেষণায় যান। ১৯৫৫-৫৬ সালের শীতকালীন সময়ে তিনি হাই স্কুল শিক্ষকের পরীক্ষা পাস করেন, কিন্তু এর পরিবর্তে একজন শিক্ষক হয়ে উঠতে পার্সুকু জর্দানের স্নাতক গবেষণায় অংশ নেন, যিনি তার থিসিস উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন। এলারস এর কাজ ছিলো আইনস্টাইন ক্ষেত্র সমীকরণ সমাধান নির্মান এবং চরিত্রায়ন করা। তিনি 1958 সালে হ্যামবার্গার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা বিভাগে ডক্টরেট অর্জন করেন। এলারস এর আগমনের আগে, জর্ডানের গোষ্ঠীর প্রধান গবেষণায় জেনারেল আপেক্ষিকতার স্কেলার-ট্যাসার পরিবর্তনের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল যা পরে তত্ত্ব হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। এই তত্ত্বটি সাধারণ আপেক্ষিকতা থেকে পৃথক যেটিতে মহাকর্ষীয় ধ্রুবকটি একটি পরিবর্তনশীল ক্ষেত্র দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। আইনস্টাইনের আসল তত্ত্বের গঠন ব্যাখ্যাতে দলের ফোকাস পরিবর্তন করার জন্য এলারস সহায়ক ছিল। দলের অন্যান্য সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন উলফগ্যাং কুন্ড, রেনার কে, স্যাকস এবং ম্যানফ্রেড ট্রুমার, এই শহরের দলটি অ্যামটো হ্যাকম্যান তার ছাত্র অ্যাঙ্গেলবার্ট শ্যুকিংয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত ছিল। দলের কথোপকথনে অতিথি ছিলেন ভল্ফগ্যাং পলি, জোশুয়া গোল্ডবার্গ এবং পিটার বার্গম্যান। ১৯৬১ সালে, জর্ডানের সহকারী হিসাবে, জার্মানির অধ্যাপক হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করার পর এলারস তার বাসস্থান অর্জন করেন এরপর তিনি জার্মানিতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, সিরাকুয়েস ইউনিভার্সিটি এবং হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গবেষণামূলক অবস্থান নিলেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত, তিনি ডালাসের দক্ষিণপশ্চিমের স্নাতক গবেষণা কেন্দ্রে ছিলেন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি অস্টিনের টেক্সাস আলফ্রেড শিল্ডের গোষ্ঠীতে বিভিন্ন পদে ছিলেন এবং ১৯৬৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে শুরু করেন এবং পূর্ণ অধ্যাপক হিসাবে পদ লাভ করেন। সেই সময়, তিনি উরুজবুর্গ এবং বন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটর অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ==== মিউনিখ ==== ১৯৭০সালে, ম্যাক্স প্ল্যানক ইন্সটিটিউট ফর ফিজিক্স অ্যান্ড মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব বিভাগের পরিচালক হিসাবে এলারস একটি প্রস্তাব কে পরামর্শ দিয়েছিলেন লুডভিগ বিয়ারম্যান, ওই সময়ের ইনস্টিটিউটের পরিচালক ১৯৭১ সালে এলারস ইনস্টিটিউটে যোগদান করার পর তিনি মিউনিখের লুডভিগ উপদেষ্টা অধ্যাপক হয়ে ওঠেন। মার্চ ১৯৯১ সালে, ইনস্টিটিউট পদার্থবিজ্ঞানের জন্য সর্বোচ্চ প্ল্যানক ইনস্টিটিউট এবং ম্যাক্স প্ল্যানক ইনস্টিটিউট ফর বিভক্ত, যেখানে এহেলার্স বিভাগে একটি বাড়ি খুঁজে পান। তার কার্যকালের ২৪ বছর ধরে, তার গবেষণা গোষ্ঠী অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, গ্যারি গিবসন, জন স্টুয়ার্ট এবং বার্ড শ্মিট, পাশাপাশি অভ্য অষ্টেকার, ডেমেট্রিওস ক্রিস্টোডোলু এবং ব্র্যান্ডন কার্টার। মিউনিখে এলারস এর পোস্টডক্টরাল ছাত্রদের মধ্যে একজন ছিলেন রেইনহার্ড ব্রুয়ার, যিনি পরবর্তীতে popular-science journal Scientific American এর স্পিকট্রাম ডার উইসেন্সচাফ্টের প্রধান- সম্পাদক হন। ==== পটসডাম ==== ১৯৯০ সালে জার্মান একীকরণের পর জার্মান বিজ্ঞান সংস্থার পুনর্গঠন ঘটে, এহেলাররা মহাকর্ষ তত্ত্বের গবেষণায় নিবেদিত ম্যাক্স প্ল্যানক সোসাইটির একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য আহবান করেন। জুন ১৯৯৪ সালে, সোসাইটি পটসডামে মহাকর্ষ পদার্থবিজ্ঞানের জন্য প্ল্যানক ইনস্টিটিউট খুলতে সিদ্ধান্ত নেয়। ইনস্টিটিউট তার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং সাধারণ আপেক্ষিকতার ভিত্তি এবং গণিতের জন্য তার বিভাগের নেতা হিসাবে এপ্রিল ১৯৯৫ সালে কার্যক্রম শুরু করে। এলারস তারপর দ্বিতীয় মহাপরিচালক বিভাগ প্রতিষ্ঠার oversaw পরিচালিত মহাকর্ষীয় তরঙ্গ গবেষণা এবং বার্নার্ড এফ স্কাটজ এর নেতৃত্বে। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে, এলারস emeritus এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হয়ে অবসর গ্রহণ করেন। এলারস ২০০৮ সালে ২০ মে ২০০৮ তারিখে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ অব্যাহত রাখেন। তিনি তার স্ত্রী অনিতা এলারস তার চার সন্তান মার্টিন, ক্যাথরিন, ডেভিড এবং ম্যাক্সের পাশাপাশি পাঁচ নাতিকে রেখে গেছিলেন। == গবেষণা == এলারস এর গবেষণা সাধারণ আপেক্ষিকতা নিয়ে ছিল। বিশেষ করে, কসমোলজি, মহাকর্ষীয় লেন্স এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তত্ত্ব এসবের উপর তার অবদান ছিলো। তার মূল বিষয় ছিলো সাধারণ আপেক্ষিকতা এর গাণিতিক কাঠামো এবং এর পরিণতিগুলিকে ব্যাখ্যা করা, অনুসন্ধানমূলক অনুমান থেকে প্রমাণগুলি পৃথক করা। ==== সঠিক সমাধান ==== ==== এলারস Group ==== ==== কসমোলজিঃ এলারস ==== স্যাটেলাইট প্রোব থেকে WMAP এর এই ছবিতে রেকর্ডকৃত মহাজাগতিক বিকিরণের তাপমাত্রার মধ্যে অস্বাভাবিকতা 10^-4 কেলভিনের বেশি নয়। ==== সাধারণ আপেক্ষিকতার মৌলিক ধারণা ==== ==== মহাকর্ষীয় লেন্সিং ==== ==== ফ্রেম তত্ত্ব এবং নিউটনীয় মাধ্যাকর্ষণ ==== ==== পদার্থবিদ্যার ইতিহাস এবং দর্শন ==== সাধারন আপেক্ষিকতা এবং পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি সম্পর্কে তার আগ্রহকে পরিপূরক করেন, এলারস পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাস গবেষণা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, তিনি বার্লিনের বিজ্ঞান ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্ল্যাক ইনস্টিটিউটের কোয়ান্টাম তত্ত্বের ইতিহাসে একটি প্রকল্পে সহযোগিতা করেছিলেন। বিশেষ করে, তিনি ১৯২৫এবং ১৯২৮ সালের মধ্যে কোয়ান্টাম ফিল্ড তত্ত্বের বিকাশে পাসকুয়াল জর্দান এর মৌলিক অবদান আবিষ্কার করেছিলেন। তার কর্মজীবনের সময়, এলারস পদার্থবিদ্যা দার্শনিক ভিত্তি এবং প্রভাব এর মধ্যে তার আগ্রহ ছিল এবং পদার্থবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান মৌলিক অবস্থা বিভিন্ন প্রশ্নের মোকাবেলার দ্বারা এই বিষয়ে গবেষণা করেন। ==== বিজ্ঞান জনপ্রিয়তা ==== এলারস সাধারণ শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর মধ্যে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন। বার্লিনের উরানিয়ায় পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি জনসমক্ষে বক্তৃতা করেন। তিনি জনপ্রিয় বিজ্ঞানের নিবন্ধ লেখেন, যার মধ্যে সাধারণ শ্রোতা জার্নালে তার অবদান রয়েছে যেমন বিল্ড ডার উইসেন্সচাফ্ট। তিনি বৈজ্ঞানিক আমেরিকান জার্মান সংস্করণের জন্য মাধ্যাকর্ষণ উপর নিবন্ধ একটি সংকলন সম্পাদনা করেন। এলারস পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা হিসাবে গণিত, আপেক্ষিকতা এবং সম্পর্কিত মৌলিক ধারনা শিক্ষণ এর উপর আলোচনা এবং জার্নাল নিবন্ধ করেন। == সম্মান পুরস্কার == এলারস একাডেমী অফ সাইন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিসস (১৯৯৩), একাডেমির ডার উইসেনসচফ্টেন এন্ড ডার লিটারুরাট, মেনেজ (১৯৭২), লিওপোল্ডিনা ইন হেল (১৯৭৫) এবং মিউচুয়ার বরিয়ান একাডেমী অফ সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস এর সদস্য হন (১৯৭৯)। )। 39 ১৯৯৫থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি জেনারেল আপেক্ষিকতা মহাকর্ষের আন্তর্জাতিক সোসাইটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। 40 তিনি জার্মান শারীরিক সোসাইটির ২০০২ ম্যাক প্ল্যাংক পদক, পাভিয়া ইউনিভার্সিটির ভোল্টা গোল্ড মেডেল (২০০৫) এবং প্রাগের (২০০৭) চার্লস প্রাকৃতিক বিজ্ঞান অনুষদের পদক লাভ করেন == নির্বাচিত প্রকাশনা == == তথ্য == == তথ্যসূত্র == (in German, English translation of title: ''Where time and space end. The co-founder of the Max Planck Institute for Gravitational Physics, Jürgen Ehlers, has died unexpectedly'') (in German) (in German, English translation of title ''Jürgen Ehlers and the Theory of Relativity'') (dissertation, in German; title in English translation: ''Constructions and of solutions to Einstein's gravitational field equations'') (in German, English translation of contribution title: ''Models in physics''; English translation of title: ''Models of thinking'') (in German, English translation of title: ''Gaining knowledge in physics, shown for the example of the transition from Newton's spacetime to Einstein's special theory of relativity'') (in German, English translation of title: ''Mathematics as the "language" of physics'') *. *. (in German) (in German) (in German, English translation of title: ''Contributions to the theory of pure gravitational radiation'') (in German) (in German) (in German, English translation of title: ''Handbook of Scientific Members''). == বহিঃসংযোগ == Pages In Memoriam Jürgen Ehlers at the Albert Einstein InstituteBabylonian tablet recording Halley's comet in 164 BC. '''ব্যাবিলনীয় ছিল মেসোপটেমিয়ার ইতিহাসের আদিকালে, বস্তুসমূহ নিয়ে গবেষণা বা সেগুলো লিপিবদ্ধ করা (ব্যাবিলনীয় একটি ঐতিহাসিক ঘটনা)। এই নথিসমূহ সুমেরীয় মৃত্তিকা-ফলকে, কীলকাকার বর্ণমালায় (কিউনিয়াফর্ম, ইংরেজি: ''Cuneiform'') খোদাইকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, এর সময়কাল ছিল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০-৩২০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে। পৌরাণিক কাহিনীর সাথে সাথে, সুমেরীয়রা এক ধরনের জ্যোতির্বিদ্যা/ সূচনা করেছিল যার প্রভাব ছিল ব্যাবিলনীয় সংস্কৃতির ওপর। তার মধ্যে গ্রহ-সংক্রান্ত দেবতাগণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার মনোযোগ দৃশ্যত জিক্‌পু নক্ষত্ররাজি নামক এক গুচ্ছ নক্ষত্র নক্ষত্রমণ্ডলের নকশার ওপরই ছিল। এই নকশাগুলো পূর্ববর্তী সময়ের নানা সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রাচীনতম তালিকা, ''Three Stars Each'' -এ আক্কাদীয়, আমুরু, ইলাম সহ অন্যান্য সাম্রাজ্যের সময়ের তারকাসমূহের উল্লেখ পাওয়া যায়। ষাট-ভিত্তিক একটি সংখ্যা ব্যবস্থা, ষাটমূলক পদ্ধতি, ব্যবহার করা হত। এই পদ্ধতি অস্বাভাবিক রকমের বৃহৎ ক্ষুদ্র সংখ্যার হিসাব লিপিবদ্ধ করা সহজ করে দিয়েছিল। আধুনিক সময়ে কোন বৃত্তকে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করা, প্রতিটিকে ৬০ মিনিটে ভাগ করার যে প্রথা, তা সুমেরীয়দের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম অষ্টম শতাব্দীতে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ একটি নতুন পরীক্ষালব্ধ পদ্ধতির প্রয়োগ করেছিলেন। তারা মহাবিশ্বের আদর্শ অবস্থার প্রেক্ষিতে, নিজেদের বিশ্বাস দর্শন নিয়ে গবেষণা এবং তার নথিভুক্তি শুরু করেন; তারা নিজেদের অনুমিত গ্রহ-সংক্রান্ত ব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ যুক্তি প্রয়োগ করতে শুরু করেন। জ্যোতির্বিদ্যা এবং বিজ্ঞানের দর্শনে এটা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান, এবং আধুনিক কালের অনেক পণ্ডিত এই অভিনব পন্থাকে প্রথম বৈজ্ঞানিক বিপ্লব বলে আখ্যা দিয়েছেন। গ্রীক হেলেনীয় জ্যোতিঃশাস্ত্রে এই পন্থা অবলম্বন করে আরও বিকাশ সাধন করা হয়। চিরায়ত গ্রীক লাতিন সূত্রগুলো অহরহ মেসোপটেমিয়ার জ্যোতির্বিদদের ক্যালডীয় (বা মূল শব্দ: ''Chaldeans''), যাদেরকে জ্যোতিঃশাস্ত্র অন্যান্য অলৌকিক বিষয়ে অভিজ্ঞ যাজক-লিপিকার হিসেবে গণ্য করা হত। ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার কেবল কিছু ভগ্নাবশেষই টিকে আছে, যার বড় অংশজুড়ে রয়েছে সমকালীন দিনলিপি, পঞ্জিকা কার্যপ্রণালির বিবরণ সংবলিত মৃত্তিকা-ফলক, কারণে ব্যাবিলনীয় গ্রহ তত্ত্ব সম্পর্কে বর্তমান জ্ঞানের পরিসরও অপূর্ণ অবস্থায় আছে। তারপরও, যে খণ্ডাংশগুলো টিকে আছে তা থেকে দেখা যায় যে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যাই ছিল প্রথম ঘটনাবলির নিখুঁত গাণিতিক বিবরণ দেওয়ার সফল প্রচেষ্টা", এবং "বৈজ্ঞানিক পরবর্তী সকল প্রকরণে- হেলেনীয় বিশ্বে, ভারতে, ইসলামে এবং পশ্চিমে- ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার নিশ্চিত মৌলিক নির্ভরশীলতা বিদ্যমান ছিল।" পাশ্চাত্যের জ্যোতির্বিদ্যার সূত্রপাত মেসোপটেমিয়ায় পাওয়া যায়, এবং অবিকল বিজ্ঞানের (''exact sciences'') ক্ষেত্রে সকল পশ্চিমা প্রচেষ্টাই, শেষ দিকের ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণের কাজ থেকে প্রত্যক্ষভাবে উদ্ভূত। সুমেরীয় জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কিত আধুনিক জ্ঞান পরোক্ষ, প্রায় ১২০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের প্রাচীনতম নক্ষত্র-তালিকার মাধ্যমে প্রাপ্ত। অনেক তারকার নাম যে সুমেরীয়তেও পাওয়া যায় তা আদি ব্রোঞ্জ যুগ পর্যন্ত ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত দেয়। == পুরাতন ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যা == আমিসাদুক্বা'র ভেনাস মৃত্তিকা-ফলক “পুরাতন” ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার প্রচলন ছিল প্রথম ব্যাবিলনীয় রাজবংশের সময়কাল তার পরে (আনুমানিক ১৮৩০ খ্রি.পূ.), এবং সাম্রাজ্যের আগে। ব্যাবিলনীয়রাই প্রথম ধরতে পেরেছিল যে, ঘটনাবলি পর্যায়বৃত্তিক এবং নিজেদের অনুমানে তারা গণিতের প্রয়োগ করেছিল। পুরনো ব্যাবিলনীয় যুগের মৃত্তিকাফলক থেকে, কোন সৌরবর্ষে দিবাকালের দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণিত প্রয়োগের নথি পাওয়া যায়। ব্যাবিলনীয়গণ কর্তৃক কয়েক শতাব্দিজুড়ে পরিলক্ষিত ঘটনাবলির বিবরণ পাওয়া যায় ''এনুমা আনু এনলিল'' নামে পরিচিত কিউনিয়াফর্ম মৃত্তিকাফলকে, যার ৬৩ নং ফলক ''আমিসাদুক্বা’র ভেনাস মৃত্তিকাফলক''-ই হচ্ছে আমাদের অধিকৃত সর্বপ্রাচীন নথি, যাতে প্রায় ২১ বছরজুড়ে শুক্র গ্রহের প্রথম শেষ দৃশ্যমান উদয়সমূহ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। গ্রহসংক্রান্ত ঘটনাবলিকে যে পর্যায়বৃত্তিক বলে মনে করা হতো, তার সবচেয়ে পুরনো দলিল এটি। নিনিভা’র ধ্বংসাবশেষ থেকে শ্বেত প্রিজম বলে চিহ্নিত একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল যে, এতে কোন খেলার নিয়ম বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু পরবর্তীকালে এর মর্মোদ্ধার করা হলে জানা যায় যে, সেটি বস্তুসমূহ নক্ষত্রমণ্ডলের গতিবিধির গণনায় একক-রূপান্তরক (''unit converter'') ছিল। ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ রাশিচক্রের প্রবর্তন করেন। নভোমণ্ডলকে ত্রিশ ডিগ্রির তিনটি সেটে বিভক্ত করে এবং প্রতিটি অংশে অন্তর্ভুক্ত নক্ষত্রমণ্ডল নিয়ে এগুলো গঠিত। মূল.আপিন-এ তারকা নক্ষত্রমণ্ডলের তালিকা’র সাথে সাথে নক্ষত্র উদয় (''heliacal rising''), গ্রহসমূহের বিন্যাস, এবং জলঘড়ি, নমন, ছায়া ইন্টারক্যালেশন এর মাধ্যমে দিবাকালের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের উপায় বর্ণিত আছে। ব্যাবিলনীয় জি.ইউ. বিবরণীতে তারকারাজিকে একটি বিনতি বৃত্ত বরাবর ‘রজ্জু’র ন্যায় বিন্যস্ত করা হয় এবং এভাবে ডান-দিকবর্তী আরোহণ বা সময় ব্যবধান পরিমাপ করা হয়। গ্রহণের বাস্তব পর্যবেক্ষণের নথি পাওয়া যায় ডজনখানেক মেসোপটেমীয় কিউনিয়াফর্মে, যেগুলো মূলত ব্যাবিলনিয়া থেকেই দেখা। === গ্রহ-সংক্রান্ত তত্ত্ব === ব্যাবিলনীয়রাই প্রথম সভ্যতা যাদের গ্রহ সম্পর্কিত নিজস্ব কার্যকর তত্ত্ব ছিল। ব্যাবিলনের আমিসুদাক্বার শুক্র গ্রহের মৃত্তিকাফলক, যা খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকের শুক্র গ্রহের গতিবিধির একটি প্রতিলিপি, এবং তা সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতক পর্যন্ত পুরনো। বর্তমানকালে যেটা পাশ্চাত্য জ্যোতিষশাস্ত্র বলে পরিচিত, তার ভিত্তি প্রস্তরও স্থাপন করেন ব্যাবিলনীয় জ্যোতিষীবৃন্দ। ''এনুমা আনু এনলিল'', যা খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে নব্য-অ্যাসিরীয় যুগে রচিত, তাতে পূর্বলক্ষণের একটি তালিকা এবং গ্রহতাত্ত্বিক গতিবিধি সহ কতগুলো ঘটনাবলির সাথে এদের সম্পর্কের উল্লেখ আছে। === মহাবিশ্বতত্ত্ব === মেসোপটেমীয় সাহিত্যে, বিশেষ করে মেসোপটেমীয় ব্যাবিলনীয় পুরাণে উপস্থাপিত বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির তুলনায়, মহাবিশ্বতত্ত্ব এবং প্রাচীন ব্যাবিলনীয় জ্যোতিষী জ্যোতির্বিদগণের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে খুব সামান্যই জানা আছে। এর কারণ মূলত ব্যাবিলনীয় গ্রহতত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞানের ভগ্ন দশা, এবং তৎকালীন সময়ে মহাবিশ্বতত্ত্ব থেকে ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার পৃথক উপস্থিতি। তা সত্বেও, ব্যাবিলনীয় সাহিত্য পুরাণে কিছু কিছু আলামত পাওয়া যায়। ব্যাবিলনীয় পৃথিবী এবং নভোমণ্ডলকে একটি “পৃথিবী স্বর্গের (নভোমণ্ডলের) পরিধি” এবং “স্বর্গ পৃথিবীর সমগ্রতা”-এর সাপেক্ষে “অখণ্ড বিচরণস্থল, যা সম্ভবত গোলাকার” বলে বর্ণনা করা হতো। তাদের বৈশ্বিক-দর্শন আবার ঠিক ভূ-কেন্দ্রিকও ছিল না। ভূ-কেন্দ্রিকতার ধারণা, যেখানে পৃথিবীই হচ্ছে সমগ্র মহাবিশ্বের কেন্দ্র, এমন ধারণা তখনো ব্যাবিলনীয় মহাবিশ্বতত্ত্বে ছিল না, কিন্তু পরবর্তীকালে গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ''স্বর্গের ওপরে'' গ্রন্থে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, ব্যাবিলনীয় প্রস্তাবনা অনুসারে, এই মহাবিশ্ব নভোমণ্ডলের সাথে একত্রে বৃত্তাকারভাবে আবর্তিত হয়, এবং পৃথিবীও অখণ্ড সমতুল্য হিসেবে তার সাথে যুক্ত। ব্যাবিলনীয়রা তাদের পূর্বসূরি সুমেরীয়রাও পৃথিবী নভোমণ্ডলের বহুত্বে বিশ্বাস করতো। এই ধারণাটি প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দিতে প্রাপ্ত সুমেরীয় মন্ত্রসমূহের সময় পর্যন্ত পুরনো, যেখানে সাত পৃথিবী সাত স্বর্গের উল্লেখ রয়েছে, যা সম্ভবত সাত প্রজন্মের দেবতাকুল কর্তৃক সৃষ্টির কালানুক্রমিক বিন্যাসের সাথে সংশ্লিষ্ট। === পূর্বাভাস === মেসোপটেমীয়দের একটা সাধারণ বিশ্বাস ছিল এই যে, দেবতাগণ ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে মানবজাতিকে ইঙ্গিত দিতে পারতেন এবং দিতেনও। এসব ইঙ্গিতগুলোকে পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মেসোপটেমীয়দের পূর্বাভাসে বিশ্বাস ছিল জ্যোতির্বিদ্যা তার পূর্বসূরি সাথে জড়িত, কেননা সময়ে পূর্বাভাস জানার জন্য আকাশ পর্যবেক্ষণের প্রচলন ছিল। পূর্বাভাস পাওয়ার আরেকটি উপায় ছিল প্রাণিদের অন্ত্র (নাড়িভুঁড়ি) পর্যবেক্ষণ। পূর্বাভাস লাভের এই পদ্ধতি সৃষ্টিযোগ্য পূর্বাভাস হিসেবে শ্রেণিভুক্ত ছিল, যার অর্থ হচ্ছে এগুলো মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আসমানি পূর্বাভাস মানুষের ক্রিয়াকলাপ ব্যতিরেকেই সৃষ্টি হতো বলে সেগুলোকে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হতো। তবে সৃষ্টিযোগ্য বা অযোগ্য- উভয় প্রকার পূর্বাভাসই, দেবতাদের প্রেরিত বার্তা হিসেবে দেখা হতো। শুধুমাত্র দেবতা-প্রেরিত বলেই যে তাদের নিয়তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে, মেসোপটেমীয়রা তেমনটাও বিশ্বাস করতো না, পূর্বাভাস এড়ানো যায় বলেই সময়ে তাদের বিশ্বাস ছিল। গাণিতিক পরিভাষায়, মেসোপটেমীয়রা পূর্বাভাসকে দেখতো এভাবে: “যদি ''ক'' হয়, তাহলে ''খ'' ঘটবে”, যেখানে “ক” হচ্ছে প্রোটেসিস (''protasis'') এবং “খ” হচ্ছে অ্যাপোডোসিস (''apodosis'')। পূর্বাভাসের সাথে মেসোপটেমীয়দের সম্পর্ক দেখা যায় পূর্বাভাস সংকলনে, যা ২য় শতাব্দির গোড়া থেকে রচিত একটি ব্যাবিলনীয় বিবরণী। এটাই আমাদের কাছে থাকা প্রাথমিক সূত্র যা থেকে জানা যায় যে, ব্যাবিলনীয়রা পূর্বাভাসগুলোকে প্রতিরোধযোগ্য বলেই দেখতো। কুলক্ষণ বিতাড়ণের জন্য সুমেরীয়দের মন্ত্রসমূহ, বা “নাম-বুর-বি”-এর উল্লেখও রয়েছে এই লেখায়। এই শব্দটি পরবর্তীকালে “নামবুরবু” হিসেবে আক্কাদীয়দের দ্বারা গৃহিত হয়, যার মোটামুটি অর্থ দাঁড়ায় “কুলক্ষণ বিতাড়ণ”। পূর্বাভাসগুলো দেবতা ইআ এর তরফ থেকে পাঠানো হতো বলেই বিশ্বাস ছিল। পূর্বাভাসের তীব্রতার ক্ষেত্রে, গ্রহণকে (''eclipses'') দেখা হতো সবচেয়ে ভয়ংকর হিসেবে। এনুমা আনু এনলিল একটি কিউনিয়াফর্ম মৃত্তিকাফলকের একটি সিরিজ, যেখানে ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক পরিলক্ষিত বিভিন্ন আসমানি পূর্বাভাস সম্পর্কে অন্তর্জ্ঞান লাভ করা যায়। বস্তুসমূহ যেমন- সূর্য চাঁদকে, পূর্বাভাস হিসেবে উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা দেও্য়া হতো। ২৫০০-৬৭০ দিকে, নিনিভা এবং ব্যাবিলনের প্রতিবেদন থেকে, মেসোপটেমীয়দের পর্যবেক্ষণ করা দেখা যায়। “যখন চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায়, ধরায় শনি নেমে আসে। যখন চাঁদ তার অবস্থান থেকে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়, তখন গ্রহণ ঘটে”। === অ্যাস্ট্রোলেইব === অ্যাস্ট্রোলেইব (পরবর্তীকালে উদ্ভাবিত একই নামের পরিমাপ যন্ত্রের সাথে বিভ্রান্তি অনুচিত) হচ্ছে পুরাতন ব্যাবিলনীয় রাজ্যের সময়কালে রচিত প্রাচীনতম কিউনিয়াফর্ম ফলকের মধ্যে একটি, যেখানে জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক আলোচনা নথিভুক্ত রয়েছে। এটা কোন বর্ষের মাসগুলোর সাথে সংযুক্ত ছত্রিশটি তারকার একটি তালিকা। এগুলো সাধারণত ১৮০০-১১০০ দিকে লিখিত বলে মনে করা হয়। কোন সম্পূর্ণ লেখা পাওয়া না গেলেও, ব্রিটিশ যাদুঘরে সংরক্ষিত লেখাগুলো থেকে পিঞ্চেস একটি আধুনিক সংকলন রচনা করেন, যেটি ব্যাবিলনীয় পারদর্শী ইতিহাসবিদগণ চমৎকার একটি সংকলন বলে বিবেচনা করেন। অ্যাস্ট্রোলেইব সম্পর্কিত আরও দুটি উল্লেখযোগ্য লেখা হচ্ছে ব্রাসেলস এবং বার্লিন সংকলন। সেগুলোতে পিঞ্চেসের সংকলনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়, তবে পরস্পর ভিন্ন কিছু তথ্যও তাতে অন্তর্ভুক্ত আছে। যে ছত্রিশটি তারকা নিয়ে অ্যাস্ট্রোলেইব গঠিত, ধারণা করা হয় যে তার উদ্ভব ঘটেছে তিনটি মেসোপটেমীয় নগর-রাষ্ট্র, ইলাম, আক্কাদ, এবং আমুরু থেকে। এই নগর-রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক অনুসৃত সম্ভবত চিত্রিত তারকাগুলো আর অ্যাস্ট্রোলেইবে উল্লিখিত তারকারাজি অভিন্ন। প্রতিটি অঞ্চল বারোটি তারকার একটি জোটকে অনুসরণ করতো, যা একত্রে ছত্রিশটি তারকার সমান। প্রতিটি অঞ্চলের বারোটি তারকা আবার বছরের মাসগুলোর সাথে সংগতিপূর্ণ। কিউনিয়াফর্ম “কে ২৫০” এবং “কে ৮০৬৭” নামক দুটি বৃহৎ তারকা-সারণিতে এই দাবির স্বপক্ষে তথ্য পাওয়া যায়। হাম্মুরাবি’র আমলে এই পৃথক তিনটি লেখা একত্রে সংকলিত হয়। এই সংকলনের কারণে মূল রচনা তিনটির সাথে সম্পর্ক দুর্বল হওয়ার সাথে সাথে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রচলন ঘটতে শুরু করে। এই তিনটি অঞ্চলের রীতিকে ইআ, আনু এবং এনলিল এর পথ অনুসারে করা বিন্যাস থেকে, বিজ্ঞানের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা মূল.আপিন অন্তর্ভুক্ত বর্ণিত রয়েছে। === মূল.আপিন === মূল.আপিন কিউনিয়াফর্ম মৃত্তিকাফলক মূল.আপিন হচ্ছে দুটি কিউনিয়াফর্ম মৃত্তিকাফলকের (ফলক এবং ফলক ২) একটি সংকলন, যেখানে ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন দিক যেমন- বস্তুসমূহের গতিবিধি, এবং অয়ন গ্রহণসমূহের বিবরণ নথিভুক্ত রয়েছে। প্রতিটি ফলক আবার সারণি নামক ক্ষুদ্রতর কতগুলো অংশে বিভক্ত। এগুলো মোটামুটি অ্যাস্ট্রোলেইব এনুমা আনু এনলিল এর সময়কালেই রচিত, যার প্রমাণ পাওয়া যায় এদের একই বিষয়বস্তু, গাণিতিক নীতি, এবং ঘটনাবলি থেকে। ফলক থেকে প্রাপ্ত তথ্য আর অ্যাস্ট্রোলেইব বি ধারণকৃত তথ্য প্রায় একই রকম, ফলক অ্যাস্ট্রোলেইব বি এর তথ্যের সাদৃশ্য থেকে বোঝা যায় যে, এর লেখকেরা অন্তত কিছু কিছু তথ্যের জন্য একই উৎস থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। এই ফলকে ছয়টি তারকা-সারণি রয়েছে, যার সাথে তিনটি ব্যাবিলনীয় তারকা-পথ ইআ, আনু, এবং এনলিল চিত্রিত ষাটটি নক্ষত্রপুঞ্জের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও আনু এবং এনলিল এমন কিছু পথ রয়েছে, যা অ্যাস্ট্রোলেইব বি-তে পাওয়া যায় না। === পঞ্জিকা, গণিত, এবং জ্যোতির্বিদ্যার মধ্যে সংযোগ === সূর্য, চাঁদ, এবং অন্যান্য বস্তুসমূহের অনুসন্ধান মেসোপটেমীয় সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছিল। নভোমণ্ডল নিয়ে গবেষণা থেকে এসব সমাজে পঞ্জিকা এবং উচ্চতর গণিতের বিকাশ ঘটে। অবশ্য জটিল বৈশ্বিকভাবে সমাজ ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে প্রথম পঞ্জিকা তৈরি করা জাতি ব্যাবিলনীয়রা নয়, উত্তর আফ্রিকার কাছে মিশরীয়রা নিজস্ব একটি পঞ্জিকা তৈরি করেছিল। মিশরীয় পঞ্জিকা ছিল সৌর-ভিত্তিক, যেখানে ব্যাবিলনীয় পঞ্জিকা ছিল কোন কোন ইতিহাসবিদ কর্তৃক উল্লিখিত, দুটি পঞ্জিকার মধ্যে সম্ভাব্য একটি মিল হচ্ছে, মিশরীয়দের দ্বারা উদ্ভাবনের পর ব্যাবিলনীয়গণ কর্তৃক একটি ত্রুটিপূর্ণ অধিবর্ষ পদ্ধতি অধিগ্রহণ। বর্তমানকালের অধিবর্ষের সাথে ব্যাবিলনীয়দের অধিবর্ষের কোন সাদৃশ্য নেই। তাদের পদ্ধতিতে বর্ধনশীল মৌসুমের সাথে আরও ভালোভাবে সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য ত্রয়োদশ একটি মাস যুক্ত করা হতো। নতুন ধরনের গণিতের বিকাশের দায়িত্ব ছিল ব্যাবিলনীয় পুরোহিতগণের ওপর এবং তারা এটা করতেন বস্তুসমূহের গতিবিধি আরও সুচারুরুপে নির্ণয়ের জন্য। এমনই একজন পুরোহিত, নাবু-রিমান্নি ছিলেন প্রথম নথিভুক্ত ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ। তিনি চন্দ্র-দেবতার পুরোহিত ছিলেন এবং চন্দ্রগ্রহণের গণনা-সারণি রচনাসহ অন্যান্য বিস্তারিত গাণিতিক হিসাব-নিকাশের কৃতিত্ব তাকেই দেওয়া হয়। এই সারণিগুলো সতের বা আঠারটি সারণিতে বিন্যস্ত, যেখানে গ্রহসমূহ এবং চাঁদের আবর্তন বেগ নথিভুক্ত রয়েছে। পরে সেলুসিড রাজবংশের সময়কালীন জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক তার কাজগুলো পুনঃনিরীক্ষা করা হয়। == জ্যোতির্বিদ্যা == জ্যোতির্বিদ্যা বলতে আখিমেনিদ, সেলুসিদ, এবং পার্থীয়ান যুগের ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক রচিত নির্দেশ করে। নাবোনাসার (৭৪৭-৭৩৪ খ্রি.পূ.) এর রাজত্বকালে ব্যাবিলনীয় পর্যবেক্ষণের মান সংখ্যা উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, ব্যাবিলনীয় দিনলিপিতে অশুভ ঘটনাবলির যে নিয়মতান্ত্রিক নথি সময় থেকে চালু হয় তার কারণে, ১৮-বছর পর পর পুনরাবৃত্তিমূলক চন্দ্রগ্রহণের সারোস চক্র আবিষ্কার করা সম্ভব হয়। গ্রিক-মিশরীয় জ্যোতির্বিদ টলেমি পরবর্তীকালে নাবোনাসারের রাজত্বকাল ব্যবহার করে কোন যুগের সূচনাকাল সংশোধন করেছিলেন, কারণ তার মতে প্রাচীনতম ব্যবহারযোগ্য পর্যবেক্ষণের সূচনা সময় থেকেই। ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যার বিকাশের শেষ ধাপ ছিল সেলুসিড সাম্রাজ্যের সময়কালে (৩২৩-৬০ খ্রি.পূ.)। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে, জ্যোতির্বিদগণ “লক্ষ্য-বর্ষ পাঠ” ব্যবহার শুরু করেছিলেন, গ্রহসমূহের গতি পূর্বানুমানের জন্য। এই লেখাগুলোতে প্রতিটি গ্রহের জন্য অশুভ ঘটনাবলির পুনরাবৃত্তি অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে অতীত সংকলন ছিল। প্রায় একই সময়ে, বা তার কিছু পরে, জ্যোতির্বিদগণ গাণিতিক মডেল গঠন করেন যেন ঘটনাগুলোকে অতীতের বিবরণীর সাহায্য ছাড়াই সরাসরি অনুমান করা যায়। === পাটীগণিতীয় এবং জ্যামিতিক পদ্ধতিসমূহ === যদিও ব্যাবিলনীয় গ্রহতত্ত্ব সম্পর্কে অবশিষ্ট দলিলাদির অভাব রয়েছে, তাও দেখা যায় যে ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদেরা তত্ত্ব নিয়ে নয়, বরং এফিমেরিস বস্তুসমূহের অবস্থানসূচক দিনলিপি) নিয়েই বেশি আগ্রহী ছিলেন। অধিকাংশ ব্যাবিলনীয় গ্রহতাত্ত্বিক মডেলই কঠোরভাবে পরীক্ষালব্ধ পাটীগাণিতীয় বলে মনে করা হতো, এবং সচরাচর জ্যামিতি, মহাবিশ্বতত্ত্ব কিংবা পরবর্তীকালের হেলেনীয় মডেলের মতন অনুমানভিত্তিক দর্শন তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যদিও ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ আদি মহাবিশ্বের আদর্শ প্রকৃতির আলোচনার ক্ষেত্রে দর্শন নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলির সময় স্থান গণনার জন্য ব্যাবিলনীয় রচনাবলিতে পাটীগণিতীয় পদ্ধতিসমূহের বর্ণনা এবং এফিমেরিসে তার প্রয়োগ রয়েছে। পূর্বে অপ্রকাশিত, ৩৫০ থেকে ৫০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দকালীন, ব্রিটিশ যাদুঘরের কিউনিয়াফর্ম ফলকের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণ কখনো কখনো জ্যামিতিক পদ্ধতিও ব্যবহার করতেন, যা অক্সফোর্ড ক্যালকুলেটরের পূর্বেই কল্পিত একটি পদ্ধতি, যা কোন বিমূর্ত গাণিতিক স্থানে কালানুক্রমে বৃহস্পতি’র গতি বর্ণনা করে থাকে। গ্রিক জ্যোতির্বিদ্যা, যা সৃষ্টিতত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তার সাথে বিসদৃশভাবে, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যা সৃষ্টিতত্ত্ব থেকে স্বাধীন ছিল। যেখানে গ্রিক জ্যোতির্বিদগণ “সুষম গতিতে ঘূর্ণনশীল বৃত্ত বা গোলকের পক্ষপাতী” ছিলেন, ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদগণের মধ্যে এমন কোন পক্ষপাত ছিল না, যাদের কাছে সুষম বৃত্তাকার গতি কখনোই গ্রহের কক্ষপথের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল না। বস্তুসমূহ বৃত্তাকার গতিতে, অথবা কোন গোলক বরাবর চলমান, এমন কোন তথ্য-প্রমাণ ব্যাবিলনীয় কাছে ছিল না। সময়ে ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদগণের অবদানের মধ্যে রয়েছে গ্রহণ চক্র এবং সারোস চক্র আবিষ্কার, এবং অসংখ্য সঠিক পর্যবেক্ষণ। যেমন- তারা পর্যবেক্ষণ করেছিল যে এক্লিপটিক বরাবর সূর্যের গতি সুষম নয়, যদিও তারা এর কারণ সম্পর্কে অবগত ছিল না; এটা এখন জানা আছে যে, এমনটা ঘটে সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে, যেখানে পৃথিবী সূর্যের নিকটবর্তী পেরিহেলিয়ন দিয়ে আবর্তনের সময় দ্রুততরভাবে এবং দূরবর্তী অ্যাফেলিয়ন দিয়ে আবর্তনের সময় তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে চলে। ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদগণের মধ্যে যারা এই মডেল অনুসরণ করতেন তাদের মধ্যে রয়েছেন নাবুরিমান্নু (জীবনকাল ৬ষ্ঠ-৩য় খ্রি.পূ.), কিদিন্নু (মৃত্যু ৩৩০ খ্রি.পূ.), বেরোসাস (৩য় শতক খ্রি.পূ.), এবং সুদিনেস (জীবনকাল ২৪০ খ্রি.পূ.)। গ্রিক জ্যোতির্বিদ হিপারকাস এবং মিশরীয় জ্যোতির্বিদ টলেমিসহ অন্যান্য হেলেনীয় জ্যোতির্বিদদের ওপর এদের অনেক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। === সূর্যকেন্দ্রিক জ্যোতির্বিদ্যা === ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদদের গ্রহতাত্ত্বিক মডেলগুলোর মধ্যে কেবল হেলেনীয় যুগের সেলুসিয়া’র (জন্ম ১৯০ খ্রি.পূ.) সেলুকাসের মডেলটিই টিকে আছে, যিনি সামোসের অ্যারিস্টার্কাস এর সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের সমর্থক ছিলেন। প্লুটার্ক, এইশাস্ম স্ট্রাবো, এবং মুহাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি এর লেখা থেকে সেলুকাস সম্পর্কে জানা যায়। গ্রিক ভূগোলবিদ স্ট্রাবো, সেলুকাসকে সবচেয়ে প্রভাবশালী চার জ্যোতির্বিদের একজন বলে উল্লেখ করেন, যিনি টাইগ্রিসের তীরে হেলেনীয় সেলুসিয়া থেকে, কিদেনাস (কিদিন্নু), নাবুরিয়ানোস (নাবুরিমান্নু), এবং সুদিনেস এর সাথে এসেছিলেন। তাদের কাজগুলো প্রথমে আক্কাদীয় ভাষায় লিখিত ছিল এবং পরে গ্রিক ভাষায় অনূদিত হয়। সেলুকাস অবশ্য এদের মধ্যে অনন্য ছিলেন এই হিসেবে যে, তিনিই একমাত্র সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের সমর্থক ছিলেন, যেখানে পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণনশীল এবং তা আবার সূর্যের চারদিকে আবর্তনশীল বলে প্রস্তাব করা হয়। প্লুটার্কের মতে, সেলুকাস যুক্তির মাধ্যমে সূর্যকেন্দ্রিক ব্যবস্থা প্রমাণও করেছিলেন, যদিও কী ধরনের যুক্তি ব্যবহার করেছিলেন তা জানা যায়নি। লুসিও রুসো’র মতে, তার যুক্তিতর্ক সম্ভবত জোয়ার-ভাঁটা সংক্রান্ত ছিল। সেলুকাস সঠিকভাবেই তত্ত্ব দাঁড় করান যে, জোয়ার-ভাঁটা হয় চাঁদের কারণে, যদিও তার বিশ্বাস ছিল যে এই মিথষ্ক্রিয়ায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেরও ভূমিকা আছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, জোয়ারের সময় এবং তীব্রতা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন হয়। স্ট্রাবো’র মতে, সেলুকাসই ছিলেন প্রথম যিনি উল্লেখ করেন যে, চাঁদের আকর্ষণের কারণেই জোয়ার-ভাঁটা হয়, চাঁদের সাথে সূর্যের আপেক্ষিক অবস্থানের ওপর এর তীব্রতা নির্ভর করে। বার্টেল লিনডার্ট ভন ডার ভার্ডেন এর মতে, সম্ভবত সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের জ্যামিতিক মডেলের ধ্রুবকগুলোর মান নির্ণয়ের মাধ্যমে এবং এই মডেল ব্যবহার করে গ্রহের অবস্থান নির্ণয়ের পদ্ধতি গঠন করে, সেলুকাস এই তত্ত্বটি প্রমাণ করেছিলেন। যেহেতু তিনি হিপার্কাসের সমসাময়িক ছিলেন, তিনি সময়ে প্রচলিত ত্রিকোণমিতিক পদ্ধতিও ব্যবহার করে থাকতে পারেন। কোন আসল বা গ্রিক-অনূদিত সংস্করণই টিকে নেই, যদিও তার কাজের কিছু বিক্ষিপ্ত অংশ আরবি অনুবাদে টিকে আছে, যেটা পরবর্তীকালে পারস্যের দার্শনিক মুহাম্মাদ ইবনে জাকারিয়া আল-রাজি’র (৮৬৫-৯২৫) দ্বারা উদ্ধৃত হয়। == হেলেনীয় ব্যাবিলনীয় প্রভাব == প্রাচীন গ্রিক হেলেনীয় লেখকদের (যার মধ্যে গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ এবং ভূগোলবিদগণ অন্তর্ভুক্ত) অনেক কাজই বর্তমান কাল পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে, অথবা তাদের কাজ চিন্তাধারার কিছু দিক পরবর্তীকালে তথ্যসূত্র হিসেবে রক্ষিত আছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে পূর্বতন প্রাচীন নিকট প্রাচ্য সভ্যতার, বিশেষ করে ব্যাবিলনিয়ার অবদান, বহুকাল ধরেই বিস্মৃত ছিল। ঊনবিংশ শতকের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো আবিষ্কারের পর থেকে, মৃত্তিকাফলকে লিখিত কিউনিয়াফর্ম পাওয়া গেছে, যার কিছু কিছু জ্যোতির্বিদ্যার সাথে সংশ্লিষ্ট। সবচেয়ে পরিচিত ফলকগুলোর বর্ণনা করেছেন আব্রাহাম স্যাক্স এবং পরে অটো নয়গেবাওয়ার কর্তৃক ''Astronomical Cuneiform Texts'' (''ACT'')- প্রকাশিত হয়। জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন দিক যেমন- নমন (''gnomon'') এবং একটি দিন, বারো ঘণ্টার দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে যাওয়া- এগুলো গ্রিকরা ব্যাবিলনীয়দের কাছ থেকেই শিখেছিল বলে হেরোডোটাস উল্লেখ করেন। অন্যান্য সূত্রে পাওয়া যায় যে, গ্রিক পারডেম, যা কোন বর্ষের দিনসূচক ৩৬৫-৩৬৬টি খোদাইকৃত গর্তবিশিষ্ট একটি পাথর, তার ধারণাও ব্যাবিলনীয়দের থেকে পাওয়া। ব্যাবিলনীয় সভ্যতার পুনরাবিষ্কারের সময় থেকে অনুমান করা হয় যে, চিরায়ত, হেলেনীয় এবং ক্যালডীয় জ্যোতির্বিদ্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তথ্য বিনিময় বিদ্যমান ছিল। ধার করা তথ্যের সবচেয়ে ভালো প্রমাণ হচ্ছে হিপার্কাসের (খ্রি.পূ ২য় শতক) এবং ক্লদিয়াস টলেমি’র (২য় শতক) লেখা থেকে। === আদি প্রভাব === ব্যাবিলনীয় লিপি থেকেই মেটোনিক চক্র সম্পর্কে গ্রিকরা শিখেছিল বলে কোন কোন পণ্ডিত মনে করেন। অ্যাথেন্স এর মেটন, যিনি খ্রিস্ট পূর্ব ৫ম শতকের একজন গ্রিক জ্যোতির্বিদ ছিলেন, যিনি ১৯ সৌরবর্ষ প্রায় ২৩৫ চান্দ্রমাসের সমান- এর ভিত্তিতে একটি চান্দ্র-সৌর পঞ্জিকা তৈরি করেন, এই সম্পর্কটিও সম্ভবত ব্যাবিলনীয়দের জানা ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দিতে, নিডিওস এর ইউডোক্সোস স্থায়ী তারকাদের ওপর একটি বই লেখেন। তার বর্ণিত অনেকগুলো নক্ষত্রপুঞ্জ, বিশেষত রাশিচক্রের ১২টি চিহ্ন ব্যাবিলনীয়দের সাথে সাদৃশ্য প্রকাশ করে। পরের শতকে সামোস এর অ্যারিস্টার্কাস একটি সারোস চক্র নামক একটি গ্রহণ চক্র ব্যবহার করে বছরের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করেন। তা সত্বেও, গ্রিক এবং ক্যালডীয়দের মধ্যে আদিকালে তথ্য বিনিময় চালু ছিল- এটা বেশ দুর্বল অনুমান; সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতকের শেষভাগে, আলেক্সান্দার দ্য গ্রেট পারস্যজুড়ে তার সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পর, এদের মধ্যে আরও জোরালোভাবে তথ্য বিনিময় প্রচলিত ছিল। === হিপার্কাস টলেমি’র ওপর প্রভাব === ১৯০০ সালে ফ্রাঞ্জ হাভিয়ের কুগ্লার দেখান যে, টলেমি তার ''Almagest'' IV.2 গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, হিপার্কাস, “ক্যালডীয়দের এবং তার নিজের পর্যবেক্ষণের তুলনা করে, চাঁদের পর্যায়কালের মানের উন্নতিসাধন করেছিলেন, যা “আরও প্রাচীন জ্যোতির্বিদদের” কাছ থেকে হিপার্কাস জেনেছিলেন। তবে কুগ্লার আবিষ্কার করেন যে, টলেমি হিপার্কাসের নামে যে পর্যায়কালের উল্লেখ করেন, তা ব্যাবিলনীয় এফিমেরিসে আগেই ব্যবহৃত হয়েছিল, বিশেষুত বর্তমানকালে “ব্যবস্থা বি” বলে পরিচিত রচনা সংকলনে (কখনো কখনো এর কৃতিত্ব কিদিন্নুকে দেওয়া হয়)। আপাতভাবে, হিপার্কাস তার নতুন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কেবল পর্যায়কালগুলোর বৈধতা নিশ্চিত করেছিলেন, যা তিনি ক্যালডীয়দের কাছ থেকে শিখেছিলেন। এই নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যাবিলনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পরবর্তীকালীন গ্রিক জ্ঞান নিশ্চিত করা হয় ২য় শতকের প্যাপিরাস এর মাধ্যমে, যার মধ্যে একই “ব্যবস্থা বি” ব্যবহার করে চাঁদের জন্য, এক কলামে ৩২ লাইনের হিসাব-নিকাশ রয়েছে, তবে তা প্যাপিরাসের ওপর গ্রিক ভাষায় লেখা, কিউনিয়াফর্ম লিপিতে মৃত্তিকাফলকের ওপর লিখিত নয়। এটা স্পষ্ট যে হিপার্কাস (এবং তার পরে টলেমি) এর কাছে বহু শতাব্দিজুড়ে গ্রহণ পর্যবেক্ষণের পূর্ণ তালিকা ছিল। খুব সম্ভবত এগুলো “দিনলিপি” মৃত্তিকাফলক থেকে সংকলন করা হয়েছিল: এগুলো হচ্ছে ক্যালডীয়দের সকল প্রাসঙ্গিক প্রাত্যহিক পর্যবেক্ষণের বিবরণ সংবলিত মৃত্তিকা-ফলক। সংরক্ষিত দৃষ্টান্তগুলো খ্রিস্টপূর্ব ৬৫২ অব্দ থেকে ১৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পুরনো, কিন্তু এই নথিগুলো সম্ভবত ব্যাবিলনীয় রাজা নাবোনাসারের শাসনকাল অব্দি পুরনো: টলেমি তার কালপঞ্জি শুরু করেন নাবোনাসারের প্রথম বর্ষে, মিশরীয় পঞ্জিকার প্রথম দিন থেকে; অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি ৭৪৭ খ্রি.পূ.। অবিন্যস্ত তথ্যাবলি ব্যবহার করা নিশ্চয়ই কঠিন ছিল, এবং ক্যালডীয়রা যে নিজেরাই তার সারাংশগুলোর সংকলন তৈরি করেছিল, যেমন- সকল পর্যবেক্ষণকৃত গ্রহণসমূহ (কিছু কিছু ফলকে একটি সারোস চক্র সম্পন্নকারী সময়কালে সকল গ্রহণের তালিকা পাওয়া গেছে), তাতে কোন সন্দেহ নেই। এটা তাদেরকে কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সনাক্ত করতে সহায়তা করতো। অন্যান্যের মধ্যে ব্যবস্থা বি (cf. ''Almagest'' IV.2)-তে ব্যবহৃত: ২২৩ (সিনোডিক) মাস ২৩৯ অনিয়ত প্রত্যাবর্তন (অনিয়ত মাস) অক্ষাংশে ২৪২ প্রত্যাবর্তন (ড্রাকোনীয় মাস)। এটা এখন জানা আছে কেননা, গ্রহণের পূর্বাভাসের জন্য সারোস চক্র খুবই কার্যকরী। ২৫১ (সিনোডিক) মাস ২৬৯ অনিয়ত প্রত্যাবর্তন ৫৪৫৮ (সিনোডিক) মাস অক্ষাংশে ৫৯২৩ প্রত্যাবর্তন সিনোডিক মাস ২৯; ৩১:৫০:০৮:২০ দিন (ষাটমূলক; দশমিকে ২৯.৫৩০৫৯৪১৩... দিন ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট সেকেন্ড) ব্যাবিলনীয়রা সকল সময়কালই সিনোডিক মাসের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিল, তারা একটি চান্দ্র-সৌর পঞ্জিকা ব্যবহার করতো বলেই সম্ভবত এমনটা করেছিল। বার্ষিক ঘটনাবলির সাথে বেশ কতগুলো সম্পর্কের কারণে বর্ষ-দৈর্ঘ্যের ভিন্ন ভিন্ন মান পাওয়া গিয়েছিল। অনুরূপভাবে, গ্রহসমূহের পর্যায়কাল সম্বন্ধেও এমন কিছু সম্পর্ক জানা ছিল। টলেমি তার ''Almagest'' IX.3 গ্রন্থে যে কৃতিত্ব হিপার্কাসকে দিয়েছিলেন, যেগুলো আসলে তার আগেই ব্যাবিলনীয়রা পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহার করতো, যা ব্যাবিলনীয় ফলকগুলোতে পাওয়া গেছে। হিপার্কাসের অন্যান্য যে কাজগুলোতে ব্যাবিলনীয়দের ছাপ পাওয়া যায় সেগুলো হচ্ছে: কোন বৃত্তকে ৬০ মিনিট-চাপ বিশিষ্ট ৩৬০ ডিগ্রিতে বিভক্ত করা প্রথম গ্রিক ব্যক্তি। ষাটমূলক সংখ্যা পদ্ধতির প্রথম ব্যবহার ''pechus'' (“''cubit''”) এককের প্রথম ব্যবহার, যা প্রায় ২° বা ২.৫° এর সমান। ২৪৮ দিন অনিয়ত মাস, এই সংক্ষিপ্ত সময়কালের ব্যবহার। === যোগাযোগের মাধ্যম === আলেক্সান্দার দ্য গ্রেট এর বিজয়ের (৩৩১ খ্রি.পূ.) কিছু পরই সম্ভবত এই সকল তথ্য গ্রিকদের কাছে স্থানান্তরিত হয়। সনাতন দার্শনিক সিমপ্লিকাসের (৬ষ্ঠ শতকের শুরুতে) মতানুসারে, আলেক্সান্দার তার কাহিনীকার অলিন্থিস এর ক্যালিস্থিনিস এর তত্ত্বাবধানে শকল ঐতিহাসিক নথি অনুবাদের নির্দেশ দেন, যিনি সেগুলো তার চাচা অ্যারিস্টটল এর কাছে পাঠান। এটা উল্লকেহ্য যে, সিমপ্লিকাস যদিও অনেক পরের দিকে উৎস, তবুও তার ভাষ্য নির্ভরযোগ্য হতে পারে। তিনি সাসানিদ (পারস্যীয়) দরবারে কিছু সময় নির্বাস্ন কাটিয়েছিলেন, এবং পাশ্চাত্যে হারিয়ে যাওয়া বেশ কিছু উৎসের সন্ধান পেয়েছিলেন। এটা লক্ষণীয় যে, তিনি ''tèresis'' (বাংলা: পাহারা) নামে একটি শিরোনামের উল্লেখ করেছিলেন, যেটা কোন ঐতিহাসিক কাজের নাম হিসেবে বেশ অদ্ভূত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা ব্যাবিলনীয় শিরোনাম ''massartu'' এর একটি গ্রহণযোগ্য অনুবাদ যার অর্থ “পাহারা” হয়, আবার “পর্যবেক্ষণ করা”-ও হয়। যাই হোক, প্রায় একই সময়ে অ্যারিস্টটলের ছাত্র সিযিকাস এর ক্যালিপাস, তার ৭৬-বছরব্যাপী চক্রের প্রবর্তন করেন যেটা ১৯-বছরব্যাপী মেটোনিক চক্রের উন্নয়ন সাধন করে। তিনি প্রথম চক্রের প্রথম বর্ষ, ২৮ জুন ৩৩০ খ্রি.পূ. (পূর্বানুমিত জুলিয়ান তারিখ) উত্তরায়ণের দিন থেকে শুরু করেন, কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১ অব্দের শরতে আলেক্সান্দারের চূড়ান্ত গগামিলা’র যুদ্ধের পরে, তিনি প্রথম চান্দ্র মাস থেকে গণনা করেছেন বলে দেখা যায়। সুতরাং, ক্যালিপাস তারা উপাত্ত ব্যাবিলনীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করে থাকতে পারেন, এবং তার পঞ্জিকাটিও কিদিন্নু কর্তৃক আগেই প্রচলিত হয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও বেরোসাস নামক ব্যাবিলনীয় এক পুরোহিত ২৮১ খ্রি.পূ. এর দিকে, নতুন শাসক প্রথম অ্যান্টিওকাস এর জন্য, ব্যাবিলনিয়ার (আসলে পৌরাণিক) ইতিহাস নিয়ে গ্রিক ভাষায় ''Babyloniaca'' নামক একটি বই লিখেছিলেন; বলা হয়ে থাকে তিনি পরবর্তীকালে গ্রিক কস (''Kos'') দ্বীপে, একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রিকদের জ্যোতির্বিদ্যা/ জ্যোতিষশাস্ত্র শেখানোর আরেকজন প্রার্থী ছিলেন সুদিনেস, যিনি খ্রি.পূ. ৩য় শতকের শেষ দিকে প্রথম অ্যাটালাস এর দরবারে ছিলেন। ইতিহাসবেত্তাগণ প্রমাণ পেয়েছেন যে, ৫ম শতকের শেষভাগে ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যোতির্বিদ, এবং ধারণাগুলো সম্পর্কে অ্যাথেন্সের জানা ছিল; এটা জেনোফেন এর নথিতে, সক্রেটিস তার ছাত্রদেরকে রাতের আকাশে তারা দেখে সময় বলতে পারার জন্য জ্যোতির্বিদ্যা অধ্যয়ন করতে বলতেন- এর মাধ্যমে জানা যায়। এই দক্ষতাটির উদ্ধৃতি মেলে আরাটোস এর কবিতায়, যেখানে রাশিচক্রের চিহ্ন থেকে রাতের সময় বলার কথা বর্ণিত হয়েছে। যেটাই হোক না কেন, বিবরণের অনুবাদের জন্য কিউনিয়াফর্ম লিপি, এর ভাষা পদ্ধতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের প্রয়োজন ছিল, সেটা কোন অজ্ঞাত ক্যালডীয় ব্যক্তির করা বলে মনে করাই যুক্তিযুক্ত। এখন, ব্যাবিলনীয়রা তাদের পর্যবেক্ষণগুলো চান্দ্র-সৌর পঞ্জিকা অনুসারে লিপিবদ্ধ করতো, যেখানে মাস বছরের দৈর্ঘ্যের ভিন্নতা ছিল (যথাক্রমে ২৯ বা ৩০ দিন; ১২ বা ১৩ মাস)। সময়ে তারা কোন নিয়মিত পঞ্জিকা (যেমন- মেটোনিক চক্রভিত্তিক) ব্যবহার করতো না, বরং নতুন চাঁদ দেখার ভিত্তিতে নতুন মাস শুরু করতো। কারণে বিভিন্ন ঘটনার মধ্যকার সময় ব্যবধান নির্ণয় করা বেশ দূরূহ ছিল। হিপার্কাস যেটা করে থাকতে পারেন তা হচ্ছে, এই সব নথিকে মিশরীয় পঞ্জিকায় রূপান্তরিত করেছেন, যেটা ৩৬৫ দিনের একটা স্থায়ী বর্ষ (৩০ দিনবিশিষ্ট ১২টি মাস এবং ৫টি অতিরিক্ত দিন) ব্যবহৃত হতো: এতে করে সময় ব্যবধান গণনা সহজতর হয়ে যায়। টলেমি তার শকল পর্যবেক্ষণ এই পঞ্জিকা অনুসারেই করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “তিনি (হিপার্কাস) সর্বসাকল্যে সকল গ্রহ-সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ আরও উপযোগীভাবে সাজিয়ে একটি সংকলন তৈরি করেছিলেন” (''Almagest'' IX.2)। প্লিনি গ্রহণের পূর্বাভাস সম্পর্কে বলেন, “তাদের (থ্যালিসের) সময়কালের পরে, উভয় তারকার (সূর্য এবং চাঁদ) গতিপথের ৬০০ বছরের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন হিপার্কাস, ...” (''Naturalis Historia'' II.IX(53))। হিপার্কাস ৬০০ বছরের জন্য সূর্য চন্দ্রগ্রহণের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বলে এখানে ইঙ্গিত করা হলেও, যে বিশাল পরিমাণে হিসাব-নিকাশ তার জন্য দরকার হতো, তাতে এমনটা হওয়া সম্ভবপর ছিল বলে মনে হয় না। বরং, হিপার্কাস নাবোনাসারের সময়কাল থেকে নিজের সময়কাল পর্যন্ত সকল গ্রহণের তালিকা তৈরি করে থাকতে পারেন। == আরো দেখুন == ব্যাবিলনীয় জ্যোতিষশাস্ত্র ব্যাবিলনীয় পঞ্জিকা ব্যাবিলনীয় গণিত ব্যাবিলনীয় তারকা সারণি ইতিহাস (মেসোপটেমিয়া অংশে)। মূল.আপিন মিশরীয় জ্যোতির্বিদ্যা সুমেরীয় জ্যোতির্বিদ্যা অলমেকান জ্যোতির্বিদ্যা মায়ান জ্যোতির্বিদ্যা প্লায়াডিজ আমিসাদুক্বার ভেনাস মৃত্তিকাফলক == তথ্যসূত্র ==ওয়েবসাইটের ব্যবসা সফরতা, ব্যবহারকারীর সুবিদা, সুন্দর কোড, সৌন্দর্যতা বিবেচনাই রেখে ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য ওয়েবসাইটের চিত্র অঙ্কন করাকে ওয়েব ডিজাইন বলা হয়। একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে বিভিন্ন দক্ষতার প্রয়োজন হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়েব গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডিজাইন, ব্যাক-এন্ড ওয়েব ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান ওয়েব ইঞ্জিনিয়ারিং। ওয়েব ডিজাইন জনপ্রিয় একটি পেশা, যে ব্যক্তি ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরী করে তাকে ওয়েব ডিজাইনার বলা হয়। একজন ওয়েব ডিজাইনার নিজ দক্ষতা ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের ডিজাইন বা চিত্র অঙ্কন করে ওয়েবসাইট তৈরী করার পরিকল্পনা করে, সেই চিত্র বা ডিজাইন অনুরন করে ওয়েব ডেভেলপারগন (ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার, ব্যাক-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার ওয়েবসাইট তৈরী বা ডেভেলপ করে। == তথ্যসূত্র ==''এটি গণিতে ব্যাবহিত সীমার আংশিক ধারনা মাত্র সীমার আরও কিছু ব্যাবহার দেখতে দেখুন ধারাবাহিক সীমা এবং ফাংশনের সীমা ।'' গণিতে, একটি ফাংশন ইনপুট নিয়ে তার এক বা একাধিক মান প্রদর্শন করলে সেই মানগুলোই তার "সীমা" ক্যালকুলাসে সীমা এর গুরুত্ব অপরিহার্য যা ধারাবাহিকতা, ডেরিভেটিভস, ইন্টেগ্রাল সংজ্ঞায়িত করতেও ব্যাবহার করা হয় ধারাবাহিক সীমার ধারনাটি টোপোলজিক্যাল নেট সীমার সাধারণ ধারনা এবং ক্যাটাগরি থিওরির সীমা এবং সরাসরি সীমার সাথে সম্পর্কিত ফাংশনের সীমার সুত্রঃ এবং পড়া হয় এর ফাংশন এর সীমা যেখানে এর নিকটবর্তী যা এর সমান অর্থাৎ একটি ফাংশন এর সীমায় পৌছায় যেভাবে তে পৌছায় যা (→) চিহ্নয়ের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়, উধাহরন যেভাবে'''মধুভাত''' একধরনের শীতকালীন মিষ্টান্ন খাবার যা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের একটি। মূলত চাল, নারকেল, দুধ এবং চিনির সমন্বয়ে এটি তৈরি করা হয়। মধুভাতের প্রধান বৈশিষ্ঠ হল এই ভাত রাতে রান্না করে, পরদিন সকালে পরিবেশন করা হয় এবং খেতে হয় খালি পেটে। আরেকটি বিশেষত্ব হল এই শর্করা জাতীয় খাবার দীর্ঘক্ষণ ঢেকে রাখার ফলে গাঁজন পক্রিয়ার এতে কিছুটা অ্যালকোহল উৎপাদিত হয়, ফলে মধুভাত খাবার পর ঝিমুনি আসে। এই কারণে চট্টগ্রামে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে ছয় থেকে আট ঘন্টা বা অধিক সময় ধরে গাঁজন পক্রিয়ার রাখা হলে এতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ==উপকরণ== মধুভাত তৈরির বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে প্রধান উপকরণ হলো বিনি বা বিন্নি চাল (কালিজিরা চাল নামেও পরিচিত) এবং জালা চালের গুঁড়া। জালা চাল এক ধরনের চাল যা অঙ্কুরিত বা বীজ ধানের থেকে পাওয়া যায় এবং এই চাল সাধারণত মিষ্টি হয়ে থাকে। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে নারিকেল, দুধ, চিনি এবং লবণ। ==রীতি== চট্টগ্রামে সাধারণত বিভিন্ন উৎসব আয়োজনের অংশ হিসেবে মধুভাত তৈরি করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে মেয়েদের শ্বশুরবাড়িতে আশ্বিন-কাার্তিক মাসে কলসি করে মধুভাত পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে। ==আরো দেখুন== পায়েস ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== রন্ধনশৈলী চালের খাবার'''প্যারাফিলিক ইনফ্যানটিলিজম এবং শিশু উপসর্গ''' নামেও পরিচিত) এমন একটি যৌন প্রতিমা, যা একজন প্রাপ্তবয়স্কের একটি শিশুর মতো আচারণের অবস্থাকে প্রকাশ করে। আচরণগুলি বোতল থেকে পান করা বা ডায়াপার পরা অন্তর্ভুক্ত (ডায়াপার প্রতিমা)। ব্যক্তিবিশেষ ছেলেবেলার কোমল লালনপালনের অভিজ্ঞতায় জড়াতে পারে (প্রাপ্ত বয়স্ক যারা কেবলমাত্র শিশুদের খেলায় জড়িত তা প্রাপ্তবয়স্ক শিশু হিসাবে পরিচিত) বা মস্কিস্টিক, জবরদস্তি, শাস্তি বা অপমানজনক কার্যকলাপের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। ডায়াপার ফেটিশিজমে যৌনতার কারণে "ডায়াপার প্রেমীদের" ডায়াপার পরা জড়িত, তবে এটি শিশুদের মতো আচরণের সাথে জড়িত নাও হতে পারে। যে ব্যক্তিরা এই দুটি জিনিসই অনুভব করে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক শিশু ডায়াপার প্রেমিক (AB DL) হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ডায়াপার পরা অবস্থায়, শিশুরা তাদের মধ্যে প্রস্রাব করতে এবং অথবা মলত্যাগ করতে পারে। জন্য কোনও স্বীকৃত এটিওলজি নেই এবং এই বিষয়ে খুব কম গবেষণা করা হয়েছে। এটি "Sadomasochism" এবং অন্যান্য সাথে যুক্ত করা হয়েছে। যদিও এটি সাধারণত পেডোফিলিয়ার সাথে বিভ্রান্ত হয়, তবে দুটি শর্ত স্বতন্ত্র এবং শিশুদের যৌন সঙ্গী হিসাবে বাচ্চাদের খোঁজ করে না। এর কারণ হিসেবে পরিবর্তিত লাভম্যাপস সহ, মনের কুপ্রভাব বা ইমর্টিং টার্গেটে ভুল করাকে দায়ি করা হয়। শিশুতোষতা নিয়ে আলোচনা করতে বা বিশ্বজুড়ে অন্যান্য অনুশীলনকারীদের সাথে দেখা করার জন্য বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতি রয়েছে। == বৈশিষ্ট্য এবং আচরণ == ইনফ্যান্টিলিস্ট সম্প্রদায়টি অনুশীলনকারীদের দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করা হয় প্রাপ্তবয়স্ক শিশু (বাচ্চাদের ভূমিকা পালন করে এমন প্রাপ্তবয়স্ক) এবং সিসি বাচ্চারা (যারা সাধারণত মেয়েলি পোশাক পরেন এবং মহিলা সর্বনাম ব্যবহার করেন)। এছাড়াও এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন যারা ডায়াপার পরেন তবে শিশু হিসাবে অভিনয় করেন না, হয় ডায়াপার প্রেমিকারা যারা ডায়াপার পরাটি কামোত্তেজিত করেন, বা সাদোমোসোচিস্ট যারা আধিপত্য জমা দেওয়ার জন্য ডায়াপার ব্যবহার করেন। বিভাগগুলি পৃথক হলেও, অনুশীলনে প্রতিটি গোষ্ঠীতে প্রাপ্ত আচরণগুলি প্রায়শই ওভারল্যাপ হয়। প্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চাদের যৌন বাড়াতে বাচ্চা বা ছোট বাচ্চার ভূমিকায় অভিনয় করা প্যারাফিলিক স্বাক্ষর প্রকাশ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই যেমন একটি প্রাপ্তবয়স্ক আকারের ডায়াপার এবং শিশুর পোশাক বা খেলনা এবং আসবাবপত্র ব্যবহার থাকতে পারে ডাবা infantilist করতে বাস্তবতা ধার কল্পনা, তলায় হামাগুড়ি দিয়া, এবং কিছু ব্যক্তি তাদের ডায়াপারে প্রস্রাব বা মলত্যাগ করতে পারে। যদি কোনও অংশীদার রাজি থাকে তবে বাচ্চার বোতল নিয়ে বিছানায় যাওয়ার আগে প্রাপ্তবয়স্ক শিশুরা বাচ্চার বাচ্চার রোলপ্লেতে স্নান, গুঁড়ো এবং ডায়পারে পরিবর্তিত হয়ে নিজের সঙ্গীর দ্বারা পরিবর্তন করতে পারে। কেউ কেউ ইচ্ছুক সঙ্গীর সাথে স্তন্যদানের অনুকরণও করতে পারে। এরপরে প্রাপ্ত বয়স্ক শিশুটিকে তাদের অংশীদার দ্বারা পিতামাতার ভূমিকায় সান্ত্বনা দেওয়া যেতে পারে এবং ভিজে বা নোংরা হলে তাদের ডায়াপার পরিবর্তন করা যেতে পারে। কিছু শিশুসত্তার জন্য, এই আচারটি পরিবর্তে তাদের ডায়াপারকে ভিজা বা গোঁজামিল করার জন্য বকাঝকা করা, স্প্যান্ক করা বা শাস্তি দেওয়া জড়িত থাকতে পারে। এই পরবর্তী পরিস্থিতিতে উত্সাহের মোডটি হ'ল মশোবাদী। অন্যদের যত্ন নেওয়া বা জীবনের দায়িত্বগুলি সমর্পণ" করার আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে কেবলমাত্র সৌম্য বা লালনশীল চিকিত্সার ইচ্ছা থাকতে পারে। কিছু শিশুসত্তা হস্তমৈথুন এবং বীর্যপাতের সাথে জড়িত থাকতে পারে অন্যরা যৌনতার সাথে লিপ্ত না হওয়া বেছে নিতে পারে কারণ এটি সন্তানের মতো নয়। বাচ্চাদের এই ফর্মগুলির যে কোনও একটি থেকে প্রাপ্ত যৌন উত্তেজনা যৌন উত্তেজনায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে যৌন মিলনের প্রয়োজনীয়তার প্রতিস্থাপন করতে পারে। এবি ডিএল ওয়েবসাইটের অংশগ্রহণকারীদের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, নমুনার 93৩% পুরুষ ছিলেন (হিজড়া ব্যক্তি বাদে)। পুরুষদের মধ্যে 58% এবং 34% মহিলা ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গের। পুরুষরা 11 বছর বয়সে প্রথমবারে AB DL এর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং স্ত্রীদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে 12 এবং 16 এর তুলনায় 13 অনুশীলন শুরু করে। সর্বাধিক ঘন ঘন ক্রিয়াকলাপগুলি ছিল ডায়াপার পরা, ভিজা করা এবং অন্যান্য শিশুর আইটেমগুলি ব্যবহার করা। পুরুষদের মধ্যে 87% এবং 91% মহিলা রিপোর্ট করেছেন যে তাদের AB DL কোনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা বা সঙ্কটের কারণ ঘটেনি। == প্রাদুর্ভাব == এই জাতীয় অনুশীলনের প্রায়শই গোপনীয় প্রকৃতির কারণে কোনওটির প্রকোপ বা প্রাদুর্ভাবের অর্থবহ তথ্যের অভাব হয়। একইভাবে, এটিও লক্ষ্য করা গেছে যে শিশুসত্তা একটি ঘনিষ্ঠ ক্রিয়াকলাপ এবং এটি চিকিত্সা সাহিত্যে সঠিকভাবে নথিভুক্ত নয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ইয়াহু গ্রুপের ৯০% "ফেটিশ" প্রতি অনুগত এবং প্যারাফিলিক মোকাবেলা করেছে, যা অন্যান্য ফেটিশের সাথে সম্পর্কিত ছিল। ব্যতিক্রমী আচরণগুলি যদি অন্যের জন্য কার্যকরী দুর্বলতা, ব্যক্তিগত সমস্যা বা উদ্বেগ সৃষ্টি না করে বা আইনগত প্রভাব ফেলে তবে তারা মানসিক রোগের সচেতনতা এবং জ্ঞানের পরিধি থেকে বাঁচতে পারে। অধিকন্তু, তাদের চিকিত্সা অবস্থায় ভুগছেন বলে বিবেচনা করবেন না এবং তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে চান না, যা ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সাধারণ ঘটনা। প্যারাফিলিক ব্যক্তিরা কেবলমাত্র অন্যান্য সমস্যার জন্য থেরাপি চাইতে পারেন, বা অন্যরা আবিষ্কার করলে চিকিত্সা নিতে উত্সাহিত বা জোর করা হতে পারে। এই সমস্যাগুলি বিবেচনা করে infantilist ডেটা সংগ্রহের জন্য বেনামে ইন্টারনেট জরিপের সম্ভাবনা লক্ষ করা গেছে। তবে এবিডিএল অনলাইন সম্প্রদায়ের এক গবেষক সদস্য উল্লেখ করেছেন যে, পুরুষরা 12 বছরের পরিবর্তে 11 বছর বয়সে মহিলাদের চেয়ে প্যারাফিলিক ইনফেন্টিলিজমে আগ্রহী হয়ে পড়েছিল এবং 16 বছরের পরিবর্তে 13 বছর বয়সেও তাদের আগ্রহ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। একই গবেষণায় দেখা গেছে যেহেতু প্যারাফিলিক ইনফ্যান্টিলিজমে আগ্রহী বেশিরভাগ পুরুষ প্রাথমিকভাবে সোজা (58%) ছিলেন, বেশিরভাগ মহিলা প্রাথমিকভাবে উভকামী (43%) ছিলেন। 34% মহিলা প্রাথমিকভাবে সোজা ছিলেন। যদিও পুরুষ মহিলা উভয়ই শিক্ষার দিক দিয়ে বৈচিত্রপূর্ণ, কেবলমাত্র 66 66% পুরুষ এবং ৩৯% নারী এক বছরে ২৫,০০০ ডলারের বেশি আয় করেছেন। == অন্যান্য শর্তের সাথে সম্পর্ক == ইনফ্যান্টিলিজম একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এর চিকিত্সা এবং যৌনতাত্ত্বিক শ্রেণিবিন্যাসের প্রশ্নে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। === সংজ্ঞা === শিশুত্বের প্রচলিত সংজ্ঞাটির অর্থ মধ্যে শিশুদের মতো বৈশিষ্ট্যের অধ্যবসায় এবং যৌন পরিপক্কতা অর্জনে চিকিত্সিকরূপে ব্যর্থতা, এবং "যৌনতা জন্মদান" বিলম্বিত বয়ঃসন্ধির প্রতিশব্দ হিসাবে মেডিক্যালি ব্যবহৃত হয়। শব্দ "psychosexual শিশুসুলভ" ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল সিগমুন্ড ফ্রয়েড এর তত্ত্ব psychosexual উন্নয়ন ব্যক্তি তার প্রকল্পিত ধাপ অতিক্রম পূর্ণবিকশিত নি উল্লেখ করতে ইতররতি মনোবৈজ্ঞানিক উইলহেম Stekel একটি বিভাগ অনুরূপ হিসাবে "psychosexual শিশুসুলভ" ব্যবহার paraphilia paraphilic শিশুসুলভ সহ, এবং অন্যান্য paraphilias যৌন ওরিয়েন্টেশন। === মর্ষকাম === ''মানসিক ব্যাধি ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকাল ম্যানুয়াল'' ''ডিএসএম'' বলেছে যে অন্যান্য আচরণের পাশাপাশি, যৌন ম্যাসোচিস্টরা "... একটি অসহায় শিশু এবং ডায়াপারের পরা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে" এবং এটি সমিতি অন্যদের দ্বারা পুনরাবৃত্তি হয়। মহিলা জন্য মাসোচিজম বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। মনোবিজ্ঞানী ডি রিচার্ড আইন এবং উইলিয়াম ওডোনিহ্য বলেছেন যে "যদিও শিশুতোষতাকে এবং মধ্যে যৌন ম্যাসোচিজম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, তবে যৌন মশোচিজমের মানদণ্ড সর্বদা মেটানো হয় কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ example উদাহরণস্বরূপ, শিশুতোষ ভূমিকা পালন করা অবমাননা ভোগের অনুভূতির সাথে জড়িত না, তবে যৌন ম্যাসোচিজম রোগ নির্ণয় করা যথাযথ হবে না এবং প্যারাফিলিয়া হিসাবে বাচ্চাদের রোগ নির্ণয়কে অন্যথায় নির্দিষ্ট করা হয়নি এর প্রয়োজন হয়। সেক্সোলজিস্ট জন মানি তাঁর বই ''লাভম্যাপসে'' প্যারাফিলিক একটি সম্ভাব্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন ... ... ''ম্যাসোস্টিক'' শৃঙ্খলা ''অবমাননার সাথে সংযোজক'' সেক্সোলজিস্ট উইলিয়াম বি আর্যান্ড্ট প্যারাফিলিক গণ্যকরণ, ট্রান্সভেস্টিজম এবং ম্যাসোচিজমের ধরনের সংমিশ্রণ হিসাবে বিবেচনা করে। উইলহেলম স্টেকেল সাদো-মস্কোস্টিক অনুশীলনগুলি সাইকোসেক্সুয়াল ইনফ্যানটিলিজম থেকে উদ্ভূত বৈকল্পিক আচরণ হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন। প্যারাফিলিক ইনফ্যান্টিলিজম এবং সাদোমোসোচিজমের মধ্যে একটি সম্ভাব্য সংযোগ পোলিশ প্রকাশনা প্রজেগ্লিড সেকসুওলজিকনিতে লক্ষ্য করা গেছে। প্রকাশনার মধ্যে গবেষণার ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে জরিপ করা এই প্যারাফিলিক 28% বিডিএসএম-তে আগ্রহের কথা বলেছে। পেডোফিলিয়ার সাথে শিশুদের বিভ্রান্ত করার বিষয়টি একটি সাধারণ ভুল বোঝাবুঝি তবে ইনফ্যান্টিলিজমে অন্য সাথে একচেটিয়া ভূমিকা পালন করা জড়িত; শিশুতোষতা পেডোফিলিয়া বা কোনওরকম শিশু যৌন নির্যাতনের সাথে সম্পর্কিত নয়। সেক্সোলজিস্ট গ্লোরিয়া ব্র্যাম বলেছেন যে "... যে শিশুরা তাদের যৌনতা এবং শিশুতোষ ট্রমাতে এর সম্ভাব্য শিকড়গুলি সনাক্ত করে এবং গ্রহণ করে তাদের সত্যিকারের শিশুদের তীব্রভাবে সুরক্ষিত করার প্রবণতা রয়েছে।" জন মানি বলেছেন যে ডায়াপার ফেটিশিয়ানরা ডায়াপার পরা বাচ্চাদের প্রতি যৌন আকৃষ্ট হতে পারে, তাকে নেপোফিলিয়া বলে এমন একটি শর্ত, তবে হিসাবে বর্ণনা করে যেখানে পৃথক একটি শিশু হতে চান এবং একটি শিশুকে যৌন অংশীদার হিসাবে কামনা করেন না। 1993 সালে, যৌন বিশেষজ্ঞরা রে ব্ল্যাঙ্কার্ড এবং কার্ট ফ্রুন্ড সাথে জড়িত একাধিক কেস স্টাডি প্রকাশ আলোচনা করেছিলেন এবং তাদের এবং পেডোফিলের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করেছিলেন। শিশু যৌন অংশীদার হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কারণে পেডোফিলগুলি শিশুদের (এবং শৈশব সম্পর্কিত সম্পর্কিত বিষয়গুলি) সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়েছিল, তবে শিশুরা তাদের নিজেকে শিশু হিসাবে কল্পনা করেছিল এবং নিজের এবং পছন্দসই যৌন অংশীদারদের মধ্যে পাওয়ার পার্থক্য বাড়ানোর জন্য শৈশব বা শৈশবকালের বিষয়গুলি গ্রহণ করেছিল। মহিলারা, যাদের সাথে তারা মস্কিস্টিক কল্পনাগুলি অভিনয় করেছিলেন। === অন্যান্য শর্তগুলো === সীমিত সংখ্যক মেডিকেল কেস রিপোর্টে কিছু চিকিত্সকরা অবসেসিভ বাধ্যতামূলক ব্যাধি হিসাবে সাথে সম্পর্কিত আচরণগুলি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন, "বিভিন্ন মানসিক রোগে প্রাপ্ত লক্ষণগুলির একটি যুগল সংলগ্ন" হিসাবে। রেট জে Feierman শিশুসুলভ একটি ফর্ম বিবেচনায় chronophilia যা infantilist একই জৈবিক বয়স একটি যৌন অংশীদার ক্ষুধা, কিন্তু তাদের নিজস্ব "sexuoerotic বয়স" তার নিজস্ব জৈবিক বয়স (অর্থাত প্রাপ্তবয়স্ক infantilist একটি পূর্ণবয়স্ক শুভেচ্ছা সাথে মিলছে না যৌন সঙ্গী যারা তাদের সন্তানের মতো আচরণ করে)। ''আর্কাইভস অফ যৌন আচরণের'' সম্পাদককে ২০১১ সালের একটি চিঠিতে বেশ কয়েকটি কেস স্টাডি পর্যালোচনা করা হয়েছিল এবং যৌন নির্যাতনের একটি সাধারণ ইতিহাস উল্লেখ করা হয়েছিল। ==== ডায়াপার প্রতিমা ==== ডায়াপার ফেটিশিজমযুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণত নিজেকে শিশু হিসাবে কল্পনা করেন না। বরং তারা প্রায়শই নিজেকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে দেখেন যারা ডায়াপার পরা। জন মানি ইনফান্টিলিজম বা এবং প্যারাফিলিক ডায়াপার পরা মধ্যে পার্থক্য করে বলেছিলেন যে পরেরটি একটি প্যারাফিলিক ফেটিশ যা পোশাকের একটি নিবন্ধের প্রতি প্রেমের আকর্ষণ হিসাবে উদ্ভাসিত হয় যখন প্রাক্তনটি একটি পদ-পরিবর্তনের দিকে নির্দেশিত একটি অ-ফেটিশিক প্যারাফিলিয়া হয় বয়স পরিচয়। ==== ক্রস-ড্রেসিং ==== সাধারণত পুরুষ, ক্রস ড্রেসিংয়েও জড়িত হতে পারে এবং অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে যুক্ত পোশাক পরতে পারে। এই ধরনের আচরণকে "সিসি বাচ্চা" বলে উল্লেখ করা হয়। মাসোস্টিক জোর করে ক্রস- ড্রেসড হওয়ার ইচ্ছা করতে পারে। == কারণসমূহ == আজ অবধি সমাজে প্যারাফিলিক কারণ, ঘটনা এবং সাধারণ প্রভাব সম্পর্কে কোনও বিস্তৃত ভিত্তিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা হয়নি। এটি শর্তের তুলনামূলক বিরল উভয়ের কারণেই হতে পারে এবং কিছু প্যারাফিলিক ইনফ্যান্টিলিস্ট পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ গ্রহণ করতে দেখা গেছে বলে মনে হতে পারে, এবং এর চেয়ে কম সংখ্যক ব্যক্তিরই সক্রিয় মানসিক স্বাস্থ্য হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে হয়। সাইকিয়াট্রিস্ট জেনিফার পেট এবং গ্লেন গড্ডার্ডের ২০০২ সালের একটি মামলায় এই বিষয়ে সামান্য গবেষণা পাওয়া গেছে এবং তারা পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ''ডিএসএম-এর'' এমন একটি বিভাগের অভাব ছিল যা তাদের রোগীর ব্যাধি ধরা দেয়। সাধারণভাবে ইটিওলজির উপর গবেষণা ন্যূনতম এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত মূলত স্থবির হয়ে পড়েছিল; এটি স্পষ্ট নয় যে শিশুদের বিকাশ অন্যান্য সাথে একটি সাধারণ কারণ ভাগ করে দেয় কিনা। অপরাধবিদগণ স্টিফেন এবং রোনাল্ড হোমস বিশ্বাস করেন যে উদ্ভবের কোনও সহজ উত্তর না থাকলেও অনুশীলনগুলি মতোই স্ট্রেস হ্রাসের একটি উপাদানকে জড়িত করতে পারে। === লাভম্যাপ তত্ত্ব === জন মানি একটি লাভম্যাপের তত্ত্বটি বিকশিত করেছিলেন, "মনের মধ্যে এবং মস্তিষ্কে আদর্শিক প্রেমিকাকে চিত্রিত করে বা যৌনতাকে যৌন ক্রিয়াকলাপের আদর্শিক প্রোগ্রাম হিসাবে চিত্রিত করে বা বাস্তবে নিযুক্ত করা হয় এমন একটি বিকাশমূলক প্রতিনিধিত্ব বা টেম্পলেট"। অর্থ ভেবেছিল যে প্রেমের মানচিত্রটি সাধারণত বছর বয়সের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বিকাশ লাভ করে, যার দ্বারা প্রাপ্ত বয়স্ক জীবনের শেষ অবধি এক ধরনের যৌন টেম্পলেট হিসাবে পরিবেশন করা হয়। মানি বিশ্বাস করেন যে সমস্ত বছরগুলিতে অস্বাভাবিক প্রেমের নকশাগুলির গঠনের কারণে ঘটেছিল এবং এই অস্বাভাবিক প্রেমের নকশাগুলি এই উন্নয়নকালীন সময়ে যে কোনও সংখ্যক অবদানকারী কারণ বা স্ট্রেসার দ্বারা গঠিত হতে পারে। শর্তটি বর্ণনা করতে অর্থ 1984 সালে অর্থ একটি "ডায়াপারিজম" বা ডায়াপার ফেটিশিজমও তৈরি করে। শিশুদের জন্য ''নেপন'' গ্রীক। === অঙ্কিত করণ === এটা ভাবা হয়েছে যে, অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ মধ্যে, যৌন টেমপ্লেট একটি প্রক্রিয়া সদৃশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় imprinting যেখানে উন্নয়নের সমালোচনামূলক সময়কালে মহিলা যৌনাঙ্গ প্রাপ্যতা অভাব imprinting প্রক্রিয়া পরিবর্তে নিকটতম সাথে আপনাকে সংশ্লিষ্ট করতে ঘটায় চাক্ষুষ বা ঘ্রাণজ পড়তা। শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের শৃঙ্খলা বা ডায়াপার পরা ব্যথা, অবমাননা এবং যৌনতার মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারে। === প্রেমমূলক অবস্থান লক্ষ্যত্রুটি === একটি অতিরিক্ত তত্ত্বটি হ'ল ইনফ্যান্টিলিজম একটি যৌন পরিচয় ব্যাধি যেখানে যৌন সঙ্গী না হয়ে যৌনক্ষেত্রের কল্পনা নিজের দিকে केन्द्रিত হয় এবং যৌন প্রেমের লক্ষ্য স্থির ত্রুটির ফলে ফলাফল প্রাপ্ত হয় যেখানে বাচ্চারা এখনও উল্টো হয়ে যায়। ১৯৯৩ সালে রে ব্ল্যাঙ্কার্ড এবং কার্ট ফ্রুন্ডের প্রস্তাবিত এই মডেল অনুসারে, শিশু জন্মগ্রহণ একটি স্ব-সন্তানের ধারণার প্রতি যৌন আকর্ষণ। == ইতিহাস == প্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের জন্য প্রথম প্রকাশ্য ইভেন্টটি ছিল "বেবি উইক", ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সান ফ্রান্সিসকোতে ঘটেছিল। পরবর্তীকালে ইন্টারনেট একটি বড় ফোরামে পরিণত হয়, যেখানে অসংখ্য ওয়েবসাইট বই, ম্যাগাজিন, অডিও এবং ভিডিও টেপ এবং সম্পর্কিত সরবরাহ করে, পাশাপাশি 24 ঘন্টা হটলাইন সরবরাহ করে। প্যারাফিলিক ইনফ্যান্টিলিজম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়াসহ অসংখ্য পশ্চিমা দেশগুলিতে একটি বিকল্প জীবনযাত্রারূপে আবির্ভূত হয়েছে। "ডায়াপার পাইল ফ্রেন্ডস" সংগঠনটি সান ফ্রান্সিসকোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, 1995 সালে ম্যাগাজিন নিবন্ধ, বই, টক শো এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রায় 3,000 সদস্যের কাছে বৃদ্ধি পেয়েছিল। সংগঠনটি 1995 সালে একদল যৌন বিশেষজ্ঞ দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়েছিল, যদিও ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। 2001 সালে, নিউইয়র্ক সংস্থা "স্টিল ইন ডায়াপার" ডায়াপার ফেটিশিয়ানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৮ সালে, ডায়াপার পাইল ফ্রেন্ডস একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে প্রসারিত হয়েছিল এবং 15,000 সদস্যের দাবী করেছিল claimed স্থানীয় সম্প্রদায়ের বিতর্ক নিয়ে ২০১ 2016 সালে প্রথম সম্পূর্ণ ডেডিকেটেড প্যারাফিলিক ইনফ্যান্টিলিজম শারীরিক খুচরা স্টোরটি টেককেবলস খুলেছিল। স্টোর মালিক বিশ্বাস করেন যে এটি সম্প্রদায় সম্পর্কে কলঙ্ক ছিন্ন করতে সহায়তা করে। == নোট == == তথ্যসূত্র == ** == আরও পড়া == যৌনতা বয়স'''জাম্বু''' (১৯৪৪–২০০৪) একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন যিনি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে খল ভূমিকায় অভিনয় করতেন। == জন্ম পারিবারিক জীবন == জাম্বু ১৯৪৪ সালে দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ‘সুখলাল বাবু’, ‘বাবুল গোমেজ’ নামেও পরিচিত। দেখতে গোলগাল স্থূলকায় হওয়ায় নির্মাতা দেলোয়ার জাহান চলচ্চিত্রে তার নাম দেন ‘জাম্বু’। জাম্বুর দুই পুত্র দুই কন্যার জনক। ==উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র== ''ঘাতক'' ''কালিয়া'' ''বন্ধু'' ''সাজা'' ''দোস্ত দুশমন'' ''রাখাল রাজা'' ''নয়নের আলো'' ''বজ্রপাত'' ''খুনের বদলা'' ''অঙ্গার'' ''বিপ্লব'' ''যোদ্ধা'' ''অভিযান'' ''উসিলা'' ''নিষ্পাপ'' ''অমর'' ''মৃত্যুদণ্ড'' ''জ্যোতি'' ''সাথী'' ''মূর্খ মানব'' ''দেন মোহর'' ''প্রেম দিওয়ানা'' ''চাকর'' ''ববি'' ''রাজলক্ষী শ্রীকান্ত'' ''দায়ী কে?'' ''মিস লংকা'' ''সাগরিকা'' ''নির্মম'' ''আত্মরক্ষা'' ''পরিবার ''সন্ত্রাস'' ''অতিক্রম ''নবাব সিরাজউদ্দৌলা ''উত্থান পতন'' ''নয়নমণি'' ''হাবিলদার'' ''বিজয়'' ''ঝুমুর'' ''গোলাবারুদ'' ''বাঘা বাঘিনী'' ''সমর'' ''অপরাজিত নায়ক'' ''আপোষ'' ''বিজলী তুফান'' ''মাটির ফুল'' ''পালকি'' ''রুবেল আমার নাম'' ''আঁচল বন্দী'' ''টাইগার'' ''খলনায়ক'' ''বনের রাজা টারজান'' ''হিরো'' ''রাজাবাবু'' ''নয়া লায়লা নয়া মজনু'' ''শিকার'' ''শত্রু ধ্বংস'' ''আত্মত্যাগ'' ''সাগর ভাসা'' ''এক মুঠো ভাত'' ''রক্তের দাগ'' ''শীষনাগ'' ''সেলিম জাভেদ'' ''হাসান তারেক'' ''নির্দোষ'' ''মোহাম্মদ আলী'' ''ধর্ম আমার মা'' ''ডাকাত'' ''নবাব'' ''রাস্তা'' ''রাস্তার রাজা ''রকি'' ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== জন্ম মৃত্যু চলচ্চিত্র অভিনেতা চলচ্চিত্র অভিনেতা'''ক্লেভেল লিন্ডসে জ্যাক ব্যাডকক''' (; জন্ম: ১০ এপ্রিল, ১৯১৪ মৃত্যু: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮২) তাসমানিয়ার এক্সটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৮ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন ‘জ্যাক’ ডাকনামে পরিচিত '''জ্যাক ব্যাডকক'''। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == ১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৪০-৪১ মৌসুম পর্যন্ত জ্যাক ব্যাডককের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তাসমানিয়ার ডেলোরেইন এলাকার এক্সটনে জন্মগ্রহণকারী জ্যাক ব্যাডকক তাসমানিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিষেক ঘটে তার। এরফলে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে লন্সেসটনে এমসিসি দলের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। তাসমানিয়ার সদস্যরূপে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ৫৭ অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৮৯.২২ গড়ে ৮০৩ রান তুলেন। ভিক্টোরিয়া বিপক্ষে তিন খেলায় ২৪, ১০৭, ২৭৪, অপরাজিত ৭১, ১০৪ ৪০ রান তুলেন। ইংল্যান্ড গমনকল্পে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে দুই খেলায় ১০৫, ২৪, ৪৭ রান সংগ্রহ করেন। মৌসুমে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিয়ে ৯৮.৫০ গড় ১৯৭০ রান পেয়েছিলেন তিনি। ক্ল্যারি গ্রিমেটের পরামর্শক্রমে জুন, ১৯৩৪ সালে অ্যাডিলেডে চলে যান। সেখানে তিনি আসবাবপত্র বিক্রয়কর্মীর চাকুরী নেন। ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে প্রথম খেলেন। ৩৯.৭৬ গড়ে ৫১৭ রান পান। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে ৮৬.৭৫ গড়ে ৬৯৪ রান করেন। তন্মধ্যে, ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে মৌসুমের শেষ খেলায় ৩২৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ফলশ্রুতিতে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় তার দল। ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমের শুরুতে এমসিসির বিপক্ষে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সম্মিলিত একাদশের সদস্যরূপে খেলেন। ১৬৭ রান তুলেন তিনি। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জ্যাক ব্যাডকক। ডিসেম্বর, ১৯৩৬ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০ আগস্ট, ১৯৩৮ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ায় গমন করে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। মাত্র আট রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। উভয় খেলাতেই তার দল পরাজয়বরণ করে। ফলশ্রুতিতে, টেস্ট দল থেকে স্থানচ্যূত হন। শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ১৩৬ অপরাজিত ২৭ রান তুলে ছন্দে ফিরে আসেন। পুণরায় টেস্ট দলে অন্তর্ভূক্ত হন। সিরিজে দুই দুই সমতায় আসে। অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করার জন্যে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের প্রয়োজন ছিল। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৮ রান তুলেন। পর্যায়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে রস গ্রিগরিকে সাথে নিয়ে ১৬১ রান যুক্ত করেন। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। ১৯৩৭-৩৮ মৌসুমে চার সেঞ্চুরি সহযোগে ৫১.২৯ গড়ে ৮৭২ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড গমনের সুযোগ পান। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় বেশ সফল হন। চার সেঞ্চুরিসহ ৪৫.৮২ গড়ে ১,৬০৪ রান করেন। সফরে অস্ট্রেলীয় দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ সফলতম ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করেন। তবে, অংশগ্রহণকৃত চার টেস্টের কোন ইনিংসেই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বিস্ময়করভাবে ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে একটি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে, বাদ-বাকী ১১ ইনিংসের কোনটিতেই দুই অঙ্কের ইনিংস খেলতে পারেননি। == অবসর == জাতীয় দল থেকে চলে আসার পর অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রান সংগ্রহ করতে থাকেন। ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপ নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে অপরাজিত ২৭১ ১৯৩৯-৪০ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৬ রান করেছিলেন। পিঠের নীচের অংশে ব্যথার কারণে ১৯৪১ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন। এরপর তিনি পরিবার নিয়ে এক্সটনে চলে যান পারিবারিক খামার দেখাশোনা করতে থাকেন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮২ তারিখে ৬৮ বছর বয়সে তাসমানিয়ার এক্সটন এলাকায় জ্যাক ব্যাডককের দেহাবসান ঘটে। == মূল্যায়ন == ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ব্যাডকক সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, ‘নিষ্কলুষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী পছন্দের ব্যক্তি তিনি। সেরা ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। নতুবা, তাঁর রেকর্ড আরও স্ফীত হতে পারতো।’ তাসমানীয় ক্রিকেট ইতিহাসবেত্তা রজার পেজ তার সম্পর্কে বলেন যে, ‘সচরাচর তিনি ধীরলয়ে ব্যাটিংকর্ম শুরু করতেন। আক্রমণের পূর্বে কোনরূপ ঝুঁকি গ্রহণ করতেন না। রক্ষণাত্মক কৌশলে পুরোপুরি সচেতন ছিলেন, স্বাভাবিক মেজাজ নিয়ে পায়ের কারুকাজে দূর্বল বলগুলোকে যথেচ্ছভাবে আঘাত করতেন।’ == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == টেড ব্যাডকক রে রবিনসন শেফিল্ড শিল্ড মারভিন ওয়েট কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট দল অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার থেকে আগত ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার'''ফতেপুর ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == অবস্থান সীমানা == সিলেট জেলার তামাবিল মহাসড়কের হরিপুর নামক স্থান থেকে মাত্র কি: মি: পশ্চিমে এই ইউনিয়নের অবস্থান। উত্তরে কাপনা নদী, দক্ষিণে চিকনাগুল পাহাড়, গুলনী চা বাগান, গোয়াইনঘাট সদরের সীমানা, পূর্বে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন, এবং পশ্চিমে সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়ন। অত্র ইউনিয়নের পূর্বে তামাবিল বিশ্ব রোড হতে পশ্চিমে বিমান বন্দর পযর্ন্ত ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে রাস্তাটি বয়ে গেছে। == ইতিহাস == গোয়াইনঘাট উপজেলার এক অসুন্দর ইউনিয়ন ফতেপুর। এই ইউনিয়নের নামকরণ করা হয়েছিল তৎকালীন জৈন্তা রাজা জয় মানিক সিং এর বোন ফতেখার নামের সাথে মিল রেখে ফতেপুর == প্রশাসনিক এলাকা == == আয়তন জনসংখ্যা == আয়তন:- ৯৬৭৯ একর। মোট লোক সংখ্যা:- প্রায় ২৫,০০০ জন। পুরুষ, ৭৯৪৫জন। মহিলা, ৭৫৮৯ জন == শিক্ষার হার শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ == '''শিক্ষার হার :''' ২৩.০১%। '''শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ''' == দর্শনীয় স্থান == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == তজম্মুল আলী (মেম্বার), -শহীদ মুক্তিযুদ্ধা হাজী মদরিছ আলী, এই ইউনিয়নের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। == জনপ্রতিনিধি == '''বর্তমান চেয়ারম্যান-''' তালিকা''' '''ক্রমিক নং''' চেয়ারম্যানগণের নাম '''সময়কাল''' ০১ '''হাজী মদরিছ আলী''' প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান ০২ ০৩ == আরও দেখুন == ৩নং পুর্ব জাফলং ইউনিয়ন ৪নং লেঙ্গুঁড়া ইউনিয়ন ৫নং আলীরগাঁও ইউনিয়ন == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == গোয়াইনঘাট উপজেলা -বাংলাপিডিয়া ফতেপুর ইউনিয়ন -বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। উপজেলার ইউনিয়ন'''অরবিন্দরাও লক্ষ্মণরাও আপ্তে''' (; জন্ম: ২৪ অক্টোবর, ১৯৩৪ মৃত্যু: আগস্ট, ২০১৪) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৯ সালে ভারতের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই রাজস্থান দলের প্রতিনিধিত্ব করেন '''অরবিন্দ আপ্তে'''। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, উইকেট-রক্ষণে দক্ষতা ছিল তার। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত অরবিন্দ আপ্তের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘরোয়া রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় ৭০ গড়ে রান সংগ্রহের ন্যায় সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৯ সালে সংরক্ষিত উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ড গমনের জন্যে মনোনীত হন। আক্রমণধর্মী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রভূতঃ সুনাম কুড়ান। ব্যাপক বিস্তৃতভাবে স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছোটাতেন। ১৯৭২ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে থাকেন। ছয়টি সেঞ্চুরি করেন। ৩৩.৫১ গড়ে ২৭৮২ রান তুলেছিলেন অরবিন্দ আপ্তে। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন অরবিন্দ আপ্তে। জুলাই, ১৯৫৯ তারিখে লিডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামেন। ইংল্যান্ডের জিওফ পুলার হ্যারল্ড রোডসের সাথে অরবিন্দ আপ্তের একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তার দল ইনিংস ১৭৩ রানে পরাভূত হয়। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। সফরে মাঝারিমানের সফলতা পান। তিনটি সেঞ্চুরি সহযোগে ২৭.৫৩ গড়ে ৮৮১ রান তুলেন। ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। নরি কন্ট্রাক্টরের আঘাতের কারণে লিডসে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে খেলার সুযোগ পান। রান তুলে উভয় ইনিংসেই অ্যালেন মসের শিকারে পরিণত হন। == ব্যক্তিগত জীবন == মটর সাইকেল চালনায় বেশ আগ্রহী ছিলেন। ১৯৪৯ সালে বেন্টলি এমকে ষষ্ঠ রাউন্ড মুম্বইয়ে অংশ নেন। ১৯৫৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত লর্ডস টেস্টে নিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকতেন। ১৯৯৯ সালে নতুন গণমাধ্যম কেন্দ্র নির্মাণের পূর্বে খরিদকৃত ফ্লাট থেকে মাঠে খেলার দৃশ্য দেখতেন। আগস্ট, ২০১৪ তারিখে ৭৯ বছর বয়সে মুত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পুনেতে অরবিন্দ আপ্তের দেহাবসান ঘটে। তার ভ্রাতা মাধব আপ্তে ভারতের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == সেলিম দুরাণী অপূর্ব সেনগুপ্ত এক টেস্টের বিস্ময়কারী ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ইউনিভার্সিটিজের ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার থেকে আগত ক্রিকেটার ক্রিকেটার১৯১৯ সালের জুলাইয়ে বিশ্বের স্বেচ্ছাসেবকরা উইমেনস ইমার্জেন্সি কর্পস (পরে উইমেনস স্বেচ্ছাসেবক রিজার্ভ) এর মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী মোকাবেলার জন্য কুইন্সল্যান্ডের ইথাকা এসেছিলেন। ২০১২ সালের হারিকেন স্যান্ডির পরে স্বেচ্ছাসেবকরা ব্রোকলিন হাঁটার রাস্তা ঝাড়ুর সাহায্যে পরিষ্কার করছেন। ১৯৬১ সালের ২৮শে আগস্ট জন এফ. কেনেডি স্বেচ্ছাসেবকদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। লরা বুশ পিস কর্পস স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে হারিকেন ক্যাটরিনার পরে স্বেচ্ছাসেবকরা হিউস্টন অ্যাস্ট্রোডোমে বেঁচে থাকাদের সহায়তা করছেন। '''স্বেচ্ছাসেবী কাজ''' বলতে সাধারণত স্বার্থহীন কাজকে বোঝায় যা একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কোনো আর্থিক বা সামাজিক লাভের জন্য করে না, "একজন ব্যক্তি বা দল বা সংস্থার সুবিধাৰ্থে করে"।১ স্বেচ্ছাসেবী কাজ দক্ষতা বিকাশের জন্যও অতি পরিচিত এবং প্রায়ই সৎকর্ম প্রচার অথবা মানুষের জীবনমান উন্নত করার উদ্দেশ্যে করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী কাজ, নিশ্চিতভাবে স্বেচ্ছাসেবক সেই সাথে যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সেবা গ্রহণ করছে তার জন্য সুবিধাজনক।২ এটি সম্ভাব্য কর্মসংস্থানের জন্য যোগাযোগ তৈরি করতেও করা হয়। অনেক স্বেচ্ছাসেবক তাদের কাজের ক্ষেত্র গুলোতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত, যেমন চিকিৎসাশাস্ত্র, শিক্ষা বা জরুরি উদ্ধারকার্য। অন্যরা প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা প্রদান করে, যেমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিক্রিয়া হিসাবে। সামরিক সূত্রানুসারে, একজন সেচ্ছাসেবক হলেন সেই ব্যক্তি যিনি সশস্ত্র বাহিনীতে, বাধ্যতামূলকভাবে নয় বরং নিজ ইচ্ছানুসারে যোগদান করেন এবং সাধারণত বেতন পান। == ব্যুৎপত্তি ইতিহাস == ক্রিয়া পদটি প্রথম নথিভুক্ত হয়েছিল ১৭৫৫ সালে। ধারণা করা হয়, ১৬০০, এটি বিশেষ্য পদ স্বেচ্ছাসেবক ''volunteer'' থেকে উদ্ভূত, যেটি মধ্য ফরাসি ''voluntaire'' থেকে এসেছে, যার অর্থ "যিনি নিজেকে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য বিবেচনা করেন"।৩ অ-সামরিক অর্থে, শব্দটি ১৬৩০ এর দশকে প্রথম নথিভুক্ত হয়েছিল। স্বেচ্ছাসেবী শব্দটির আরও সাম্প্রতিক ব্যবহার রয়েছে- এখনও প্রধানত সামরিক এটি নাগরিক সেবার সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়।৩৪ সামরিক সূত্রানুসারে, একজন সেচ্ছাসেবক সেনা হল একটি সামরিক বাহিনী, যার সৈন্যরা বাধ্যতামূলকভাবে নয় বরং সেচ্ছায় চাকরিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ধরনের স্বেচ্ছাসেবীরা "বিনা মূল্যে" কাজ করেন না এবং তাদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়। === ১৯ শতক === এই সময়ে, আমেরিকায় মহা জাগরণ ঘটেছিলো। মানুষ সুবিধাবঞ্চিত হবার বিষয় সচেতন হয়েছিল এবং দাসত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণ বুঝতে পেরেছিলো। কম বয়সী জনসাধারণ তাদের সমাজের অভাবী লোকদের সাহায্য করা শুরু করে। ১৮৫১ সালে, প্রথম ওয়াইএমসিএ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছিল, প্রথম ওয়াইডাব্লুসিএ দ্বারা যা সাত বছর পরে অনুসরণ করা হয়েছিল। আমেরিকা গৃহযুদ্ধের সময়, মহিলারা সৈন্যদের সেলাই সরবরাহ করে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করেছিলেন এবং "যুদ্ধক্ষেত্রের অ্যাঞ্জেল" ক্লারা বার্টন এবং স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল তাদের সাহায্য প্রদান শুরু করেছিলেন। বার্টন ১৮৮১ সালে আমেরিকান রেড ক্রস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ১৮৮৯ সালে জনস্টাউন বন্যার ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা-সহ, দুর্যোগে ত্রাণ সরবরাহের জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের একত্রিত করতে শুরু করেছিলেন। === ২০ এবং ২১ শতক === স্যালভেশন আর্মি হচ্ছে অন্যতম পুরোনো বৃহত্তম সংস্থা যা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পক্ষে কাজ করছে। যদিও এটি একটি দাতব্য সংস্থা, তবে শুরু থেকেই এটি অনেক সংখক স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।৫ উনিশ শতকের পূর্বে, লোকদের প্রয়োজনে সহায়তা করার জন্য কিছু আনুষ্ঠানিক দাতব্য সংস্থা ছিল। ২০ শতকের প্রথম কিছু দশকে, অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শুরু হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, কিয়ানিস ইন্টারন্যাশনাল, এসোসিয়েশন অফ জুনিয়র লিগ্স ইন্টারন্যাশনাল, আর লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল। দ্য গ্রেট ডিপ্রেশন একটি প্রথম বৃহৎপরিসরে, দেশব্যাপী একটি নির্দিষ্ট প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী কাজের মধ্যে সমন্বয়ের উদ্যোগ বিশ্বযুদ্ধের সময়, সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক অফিস স্বেচ্ছাসেবীদের তত্ত্বাবধান করে,যারা সামরিক এবং অসামরিক মানুষদের বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণ করেছিল, যার মধ্যে ছিল সরবরাহ সংগ্রহ, ছুটিতে থাকা সৈন্যদের বিনোদন, এবং আহতদের দেখাশোনা করা।৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, লোকেরা তাদের পরোপকারী আবেগের কেন্দ্রবিন্দুকে অন্য বিষয় গুলিতে স্থানান্তরিত করে, যার মধ্যে ছিল দরিদ্রদের সহায়তা করা এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য বিদেশ গমন। ১৯৬০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, পিস কর্পস ছিল একটি বড় অগ্রগতি। ১৯৬৪ সালে যখন রাষ্ট্রপতি লিন্ডন বি জনসন দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, স্বেচ্ছাসেবার সুযোগগুলি প্রসারিত হতে শুরু করে এবং পরবর্তী কয়েক দশক ধরে অব্যাহত থাকে। অনেক স্বেচ্ছাসেবা কেন্দ্র গড়ে উঠায়, কাজ অনুসন্ধান করা আরও আনুষ্ঠানিক হয়ে ওঠে এবং কাজ সন্ধান করার নতুন উপায় হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। কর্পোরেশন ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস অনুসারে (২০১২) প্রায় ৬৪.৫ মিলিয়ন আমেরিকান বা ২৬.৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, ৭.৯ বিলিয়ন ঘন্টা কাজ করেছে যার মূল্য ১৭৫ বিলিয়ন ডলার এটি হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রায় ১২৫-১৫০ ঘন্টা প্রতি বছর অথবা প্রতি সপ্তাহে ঘন্টা যেখানে প্রতি ঘন্টা ২২ডলার হারে মূল্য হবে। স্বেচ্ছাসেবীর সময় যুক্তরাজ্যে একরকম; অন্যান্য দেশের উপাত্ত পাওয়া যায়নি। ১৯৬০ সালে কিউবার তথাকথিত বিপ্লবী যুদ্ধ শেষ হবার পর, আর্নেস্তো চে গুয়েভারা স্বেচ্ছাসেবীর কাজের ধারণা তৈরি করেছিলেন। এটা তৈরি করা হয়েছিলএই উদ্দেশ্যে যে, দেশজুড়ে কর্মচারীরা তাদের কাজের ক্ষেত্র গুলিতে কয়েক ঘন্টা স্বইচ্ছায় কাজ করবে। == ধরণ == === স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম শিক্ষণীয়-কাজ কর্মসূচিগুলিতে ব্যবহৃত হয় === অনেক স্কুলের সকল শিক্ষার স্তরেই শিক্ষণীয়-কাজ কর্মসূচিগুলির জন্য নিবেদন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবীর কাজের মাধ্যমে সমাজের সেবা করার সুযোগ দেয়া হয় যা তাদের শিক্ষামূলক কৃতিত্বে যোগ হয়।৬ জ্যানেট এইলার এবং ডিউইট ই.গিলেস, জেআর. রচিত ''ওয়ার্স দা লার্নিং ইন এর ভূমিকাতে আলেক্সান্ডার আস্তিন বলেছেন, "... আমরা শিক্ষণীয়-কাজকে উচ শিক্ষায় আরো বেশি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করতে চাই কারণ আমরা দেখতে পাই এটা একটা শক্তিশালী উপায় শিক্ষার্থীদের আরো বেশি যত্নশীল এবং দায়িত্বপূর্ণ অভিভাবক আর নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলার এবং কলেজ আর ভালোভাবে 'সমাজ-সেবার' প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ করার।" শিক্ষণীয়-কাজ সম্পর্কে সংজ্ঞায়িত করার সময় হার্ভার্ড-এর চিকিৎসাশাস্ত্র বলেছে, "শিক্ষণীয়-কাজ পুঁথিগত শিক্ষা এবং স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক সেবার মধ্যে পারস্পরিক শক্তিশালী উপায় যোগসূত্র স্থাপন করে।… শিক্ষণীয়-কাজকে একধরণের অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্কের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা যায়: শিক্ষার্থীরা সেবা দানকারী সংস্থা গোষ্ঠী থেকে শিক্ষা পায় এবং, বিনিময়ে, মানুষ এবং গোষ্ঠীর প্রয়োজন পূরণে শক্তি, বুদ্ধিমত্তা, প্রতিশ্রুতি, সময় আর দক্ষতা দেয়।"৬ শিক্ষণীয়-কাজের জন্য স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করলে এর ফলশ্রুতিতে দেখা যায় এটি শরীর আর মন দুটোই সংযুক্ত করে, এইভাবে একটি শক্তিশালী শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়; জ্যানেট এইলার এবং ডিউইট ই. গিলেস, এর মতানুসারে, এর সাফল্য হলো প্রকৃত ঘটনা থেকে "…শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলে তাদের উন্নতির জন্য…" ৭:১–২,৮ যদিও সবার কাছে ন্যায়সঙ্গত পথ হিসেবে বিবেচিত নয়, শিক্ষণীয়-কাজের যৌক্তিকতা নিয়ে গবেষণা অনেক বেড়েছে। জ্যানেট এইলার এবং ডিউইট ই.গিলেস শিক্ষণীয়-কাজ কর্মসূচির গুরূত্ব নিরুপন করতে মার্কিন কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর একটি জাতীয় পাঠপরীক্ষা করেছেন, ৭:xvi এইলার এবং গিলেস এর মতে, এই পাঠপরীক্ষাগুলো করা হয়েছে একটি সেমিস্টার নাগরিক সেবার পূর্বে এবং পরে, শিক্ষার্থীদের উপর শিক্ষণীয়-কাজের প্রভাব পরীক্ষা করতে এটি করা হয়েছে।"৭:xvi শিক্ষণীয়-কাজের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তারা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এভাবে: "শিক্ষার্থীরা শিক্ষণীয়-কাজ পছন্দ করে। যখন আমরা একদল শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষণীয়-কাজ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা আলোচনা করছিলাম, তাদের উৎসাহ ছিল সুস্পষ্ট।… এটা পরিষ্কার শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে যে, যা তারা শিক্ষণীয়-কাজ থেকে অর্জন করে তা গুণগতভাবে গতানুগতিক শিক্ষা থেকে পৃথক।" ৭:১–২ === দক্ষতা-ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ === দক্ষতা-ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ ব্যক্তিবর্গের বিশেষ দক্ষতা আর মেধাকে সহায়ক করে ফলে এটি শক্তিশালী করে অলাভজনক স্থায়ী কাঠামোকে, বিকশিত হতে সাহায্য করে এবং সাফল্যের সাথে তাদের উদ্দেশ পূরণের লক্ষ্যে সামর্থ্য বজায় রাখে। এটি গতানুগতিক স্বেচ্ছাসেবী কাজের বিপরীত, যেখানে বিশেষ প্রশিক্ষণ জরুরি নয়। স্বাধীন বিভাগের দ্বারা গতানুগতিক স্বেচ্ছাসেবী কাজের গড় ঘন্টার মূল্য ঠিক করা হয় প্রতি ঘন্টায় ২৪.৬৯ ডলার।৯ সময়ের বাজার মূল্য স্বেচ্ছাসেবী কাজকে মূল্যায়ন করা হয় প্রতি ঘন্টায় ৪০–৫০০ ডলার। ১০ === উন্নয়নশীল দেশে স্বেচ্ছাসেবী কাজ === স্বেচ্ছাসেবী কাজের একটি জনপ্রিয় প্রকার হলো তরুণদের মধ্যে,মূলত যেসব শিক্ষার্থী আর স্নাতকদের পড়াশোনায় কয়েক বছর বিরতি থাকে, তারা ভ্রমণ করে, উন্নয়নশীল দেশের সম্প্রদায়ের স্থানীয় সংস্থার প্রকল্পে কাজ করে। এই কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি শিক্ষা, অনাথাশ্রমগুলোতে কাজ করা, সংরক্ষণ, বেসরকারি সংস্থা এবং চিকিৎসাবিদ্যা বিষয়ক কাজে সাহায্য করা। এই দেশগুলোর সম্প্রদায় এবং সংস্থাকে উপকৃত করা ছাড়াও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী কাজের প্রায়শই মূল লক্ষ থাকে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যবান দক্ষতা এবং জ্ঞান প্রদান করা ।১১ === ভার্চুয়াল স্বেচ্ছাসেবী কাজ === ই-স্বেচ্ছাসেবী কাজ বা অনলাইন স্বেচ্ছাসেবী কাজ-ও বলা হয়, ভার্চুয়াল স্বেচ্ছাসেবী কাজে একজন সেচ্ছাসেবক কাজ শেষ করে, সম্পূর্ণ অথবা আংশিক, সংস্থার বাইরে থেকে কাজে সহযোগিতা করে। তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং বাসা, স্কুল, টেলিসেন্টার অথবা কম্পিউটার বা ইন্টারনেটযুক্ত যন্ত্র যেমন পিডিএ অথবা স্মার্টফোন এর মাধ্যমে কাজ করে।ভার্চুয়াল স্বেচ্ছাসেবী কাজ সাইবার আর টেলেটউটোরিং ছাড়াও আরো অন্যান্য নামে পরিচিত। ভার্চুয়াল স্বেচ্ছাসেবী কাজ অনেকটা টেলিকমুটিং এর ন্যায়, এছাড়াও পার্থক্য হলো অনলাইন কর্মচারীরা বেতন পায়, এরা অনলাইন সেচ্ছাসেবক যারা বেতন পায় না। ১২১৩ === কাজ === কাজটি করা হয় একটি ইন্টারনেট যুক্ত যন্ত্রের মাধ্যমে। একজন ব্যক্তি একটি বাড়তি সময়ে সাধারণত ক্ষুদ্র পরিসরে, অবৈতনিক ভাবে এই কাজটি করে। কাজ ভার্চুয়াল স্বেচ্ছাসেবী কাজ থেকে স্বতন্ত্র এই অর্থে যে সাধারণত একজন স্বেচ্ছাসেবী ব্যক্তির এজন্য আবেদন প্রক্রিয়া, স্ক্রীনিং প্রক্রিয়া, অথবা প্রশিক্ষণ সময়ের প্রয়োজন পরে না। ১৪১৫ === পরিবেশগত স্বেচ্ছাসেবী কাজ === পরিবেশগত স্বেচ্ছাসেবী কাজ বলতে সেই স্বেচ্ছাসেবকদের () কাজ কে বোঝায় যারা পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা বা সংরক্ষণের কাজে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে যার মধ্যে রয়েছে পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ, বাস্তুসংস্থান পুনরূদ্ধার যেমন পুনরায় গাছপালা লাগানো এবং আগাছা অপসারণ, বিপন্ন পশুপাখিকে রক্ষা করা, আর অন্যান্যদের প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া।১৬ === জরুরী পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী কাজ === স্বেচ্ছাসেবী কাজ প্রায়শই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোতে যেমন সুনামি, বন্যা, খরা, হারিকেন এবং ভূমিকম্প থেকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদহারণস্বরূপ বলা যায়,১৯৯৫ সালের বৃহৎ হাঁসিন-আওয়াজি ভূমিকম্প জাপানের জন্য ছিল এক চরমমুহূর্ত, যা তখন প্রথম অনেক স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকম্প প্রতিক্রিয়ার জন্য একত্রিত করে। ২০০৪ সালের ইন্ডিয়ান ওশান ভূমিকম্প এবং সুনামি পৃথিবীর অনেক বিরাট সংখক স্বেচ্ছাসেবকদের আকৃষ্ট করে, যাদেরকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থাসমূহ আর জাতিসংঘ থেকে মোতায়েন করা হয়।১৭১৮ ২০১২ সালের হারিকেন স্যান্ডি সংকটের সময়, অকুপাই স্যান্ডি স্বেচ্ছাসেবকরা, ''একটি প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের জন্য দল'' গঠন করে যা ঝড়ের পূর্বে আর পরে, খাদ্য, আশ্রয় থেকে শুরু করে পুনর্বাসন হওয়া পর্যন্ত সহযোগিতা করবে। এটি একটি কর্মক্ষেত্রে পারস্পরিকতার উদাহরণ, যেখানে সম্পদসমূহকে একত্রিত করা আর সহযোগিতা করা এবং সামাজিক মাধ্যমে সাহায্য করা। === স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী কাজ === বিশ্বজুড়ে দরিদ্র স্কুলগুলির অনুদানের জন্য সরকারী সহায়তা বা স্বেচ্ছাসেবী এবং বেসরকারী তহবিলের উপর নির্ভর করতে হয়, যথাযথ ভাবে কার্যক্রম চালানোর জন্য। কিছু দেশে, যখন আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়, স্বেচ্ছাসেবক এবং অনুদানের প্রয়োজন অনেক বেড়ে যায়।১৯ স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য স্কুল ব্যবস্থায় অনেক ধরনের সুযোগ আছে। যদিও, স্কুল ব্যবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক হবার জন্য খুব বেশি যোগ্যতার দরকার হয় না। যদি একজন একটি উচ্চ বিদ্যালয় বা টিইএফএল (বিদেশী ভাষা হিসাবে ইংরেজি শেখানো) স্নাতক বা কলেজ ছাত্র হয়, তবে বেশিরভাগ স্কুলেই শুধু স্বেচ্ছাসেবী এবং নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা এই যোগ্যতার দরকার হয় ।২০ যে কোনো ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কাজের সুবিধাগুলোর মতোই স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থী এবং স্কুলের জন্য রয়েছে বড় পুরস্কার। বস্তুগত কোনো পুরস্কার নয়, স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের জীবন বৃত্তান্ততে প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতার তথ্য যোগ করতে যারা সাহায্যের জন্য ভ্রমণ করে তারা বিদেশী সংস্কৃতি আর ভাষা শিখে। স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী কাজ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাড়তি শিক্ষণীয় পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে আর স্থানীয় শিক্ষকদের শিক্ষাদনে যে ঘাটতি থাকে তা দূর করতে সাহায্য করে। শিক্ষাদান এবং অন্যান্য স্কুল কার্যক্রমের সময় সংস্কৃতিক আর ভাষার আদান-প্রদান হচ্ছে শিক্ষার্থী আর স্বেচ্ছাসেবক এই দুজনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা।২০ === কর্পোরেট স্বেচ্ছাসেবী কাজ === বেনেফ্যাক্টো, একটি কমিশন, কর্পোরেট স্বেচ্ছাসেবী কাজকে বর্ণনা করেছে এভাবে "কোম্পানিগুলি তাদের কর্মীদের যে ভাতা প্রদান করে বার্ষিক কর্ম বিরতির সময়, সেটা তারা পছন্দ মতো অনুদান হিসেবে ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য।"২১ ফরচুন ৫০০ এর অনেক সংখক কোম্পানিই তাদের কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য অনুমতি প্রদান করে।এই ধরনের বৈধ করা এমপ্লয়ী ভলান্টিয়ারিং প্রোগ্রামস (এভিপিস), যা এই নামেও পরিচিত এমপ্লয়ার সাপোর্টেড ভলান্টিয়ারিং (এসভি), কে কোম্পানিগুলির স্থায়িত্বের জন্য চেষ্টা আর তাদের সামাজিক দায়িত্বপূর্ণ কাজকর্মের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ২২ ফরচুন ৫০০ এর প্রায় ৪০% কোম্পানি আর্থিক অনুদান প্রদান করে যা স্বেচ্ছাসেবী কাজের অনুদান হিসেবে ধরা হয়, যা অলাভজনক, এটি সেই কর্মীদের বেছে নেয়ার জন্য একটি উপায় যারা তাদের নির্দিষ্ট পরিমান সময় গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য দেয়।২৩ এর তথ্য অনুসারে, কর্মী স্বেচ্ছাসেবী কাজের কার্যক্রমের সেবা যে সমাধান সরবরাহ করে, তা হচ্ছে কোম্পানিগুলির মূল চালক যারা উৎপাদন আর পরিচালনা করে ইভিপিগুলি, যেগুলি গড়ে তুলে ব্র্যান্ড সচেতনতা আর আকর্ষণ, ভোক্তাদের মধ্যে আস্থা আনুগত্যকে জোরদার করে,কর্পোরেট ভাবমূর্তি এবং খ্যাতি বাড়ায়, কর্মীদের ধরে রাখে, কর্মীদের উৎপাদনশীলতা আর আনুগত্য বজায় রাখে, এবং কৌশলী লক্ষগুলোতে পৌঁছাতে একটি কার্যকর বাহন হিসেবে কাজ করে।২৪ ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে, ডেভিড ক্যামেরন যুক্তরাজ্যের সকল চাকরিজীবী যারা কোম্পানিতে কাজ করছেন তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেন যে ২৫০ এর-ও বেশি কর্মীকে দিনের বেতনসহ বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য ছুটি দেয়া হচ্ছে, যা তারা সে অর্থে ব্যবহার করলে এটি এক বছরে ৩৬০ মিলিয়ন ঘন্টা বাড়তি একটি স্বেচ্ছাসেবী কাজ হিসেবে ধরা হবে।২৫ === গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবী কাজ === গোষ্ঠী স্বেচ্ছাসেবী কাজকে যুক্তরাষ্ট্রে বলা হয়, "নাগরিক সেবা", যা বিশ্বব্যাপী তাদের কাজকে বোঝায় যারা নিজেদের এলাকার গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এই কাজ কেবল হয় সাধারণত লাভজনক সংস্থা, স্থানীয় সরকার আর গির্জা সমূহের মাধ্যমে নয়; বরং আরো হয় বিশেষভাবে বা অনানুষ্ঠানিক দলের মাধ্যমে যেমন বিনোদনমূলক খেলার দল।২৬ === গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবী কাজের সুবিধা === গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবার অনেক প্রমাণিত ব্যক্তিগত সুবিধা রয়েছে। একসঙ্গে কাজ করা একদল লোক যাদের রয়েছে আলাদা জাতিসত্তা, জন্মভূমি, এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত ধারণাগুলি হ্রাস করে দেয়। গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সাফল্যকেও উন্নত করার প্রমাণ রেখেছে। জ্যানেট এইলার এবং ডিউইট ই.গিলেস, এর ''ওয়ার্স দা লার্নিং ইন অনুসারে শিক্ষণীয়-কাজ আর অন্যের সেবা করার মধ্যে মগ্ন থাকার অনেক একাডেমিক আর ব্যক্তিগত ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। নতুন মানুষদের মাঝে থাকা আর একটি দলের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে পাড়ার শিক্ষা একজনের দলগতকাজ এবং সম্পর্কের দক্ষতাগুলিকে উন্নত করতে সাহায্য করে, এটি প্রচলিত ধারণাকে হ্রাস করে, অন্যের সংস্কৃতির প্রতি উপলব্ধি বাড়ায়, আর তরুণদের যারা তাদের সাথে সম্পর্কিত এমন অন্যান্যদের খুঁজে বের করতে এটি কাজ করে। এইলার এবং গিলেস উল্লেখ করেছেন যে একটি কলেজের শুরু আর শেষের সেমিস্টারের এক সপ্তাহে ঘন্টা, নাগরিক সেবার সাথে যুক্ত থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক শ্রদ্ধাবোধ দেখা যায়। সেমিস্টারের শেষে যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষণীয়-কাজে অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের বলতে দেখা গেছে যে, তারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি শিখেছে তা হলো কারো সম্পর্কে ধারণা করে নেয়া উচিত নয়, এবং সব ধরনের মানুষদেরকেই মূল্যায়ন করা উচিত তার কারণ হলো সব ধরনের মানুষ কিছু একই রকমের গুণাবলী ধারণ করে। গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবী কাজ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবন আর কলেজ অভিজ্ঞতার জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যত হিসেবে কাজ করে। গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে যে, যেসব শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজ শিক্ষার একটি পাঠ্য হিসেবে নাগরিক সেবাকে বেঁচে নিয়েছে তাদের শিক্ষার সাথে এর একটি বড় যোগসূত্র রয়েছে। (Astin, 1992;27 Pascarella and Terenzini, 199128) এছাড়াও, যেসব কলেজ শিক্ষার্থীরা গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবী কাজের প্রকল্পে যুক্ত হয়, তাদের কলেজ অভিজ্ঞতার বিবরণ থেকে দেখা যায় তাদের গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবী কাজের প্রকল্প শেষ হবার পর তাদের একাডেমিক শিক্ষার সাথে এর প্রচুর মিল রয়েছে।২৯ ইউনিভার্সিটি হেলথ সেবার মতানুসারে, বিবরণ থেকে পাওয়া গিয়েছে যে, স্বেচ্ছাসেবী কাজ সুনিশ্চিতভাবে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিকভাবে মানসিক এবং আবেগপ্রবণ শারীরিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে।৩০ === সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ বা কল্যানমুলক স্বেচ্ছাসেবী কাজ === ইউরোপের কিছু দেশের সরকারি আর বেসরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হাসপাতাল, স্কুল, স্মারক বহনকারী এবং কল্যাণ প্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় একটি সহায়ক অবস্থান প্রদান করে। অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী কাজের সাথে এর পার্থক্য হলো, একটি কঠোর আইনী বিধিমালা আছে যে, কোন সংস্থাগুলো স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করতে পারবে আর কত সময়ের জন্য একজন স্বেচ্ছাসেবক স্বেচ্ছাসেবী কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবে। এই ধরনের নিয়মের ফলে, একজন স্বেচ্ছাসেবক একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সরকার থেকে আয় করতে পারে। ইউরোপের সব থেকে বড় জনশক্তি রয়েছে, জার্মান ফেডারেল ভলান্টিয়ার্স সার্ভিস এর যেটি ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে, যার ২০১২ সালে ৩৫,০০০ এর বেশি ফেডারেল স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।৩১ ভলান্টারী সোশ্যাল ইয়ার (Freiwilliges Soziales Jahr) হচ্ছে অস্ট্রিয়া আর জার্মানি- এর সবচে পুরোনো প্রতিষ্ঠান।৩২৩৩ ===বৃহত্তর ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী কাজ=== ২০১৪ সালের সোচি উইন্টার অলিম্পিকসে ২৫,০০০ সোচি অলিম্পিকস স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছিল। তারা ২০ এরও বেশি কার্যক্ষেত্রে আয়োজকদের সাহায্য করেছিল: অতিথিদের সাথে অধিবেশন, নৌযাত্রায় সহযোগিতা, অনুষ্ঠানের শুরু আর সমাপ্তির আয়োজন, খাবার পরিবেশনদ্বারের আয়োজন, আবেদন করার প্রক্রিয়া রাশিয়ার যেকোনো জাতি আর অন্যান্য দেশের জন্য উন্মুক্ত ছিল। সোচি ২০১৪ এর আয়োজক কমিটি প্রায় ২০০,০০০ আবেদনপত্র পেয়েছিলো, জন প্রার্থী প্রতি কার্যক্ষেত্রে জন্য। স্বেচ্ছাসেবকরা রাশিয়ার ১৭ টি শহরের ২৬ স্বেচ্ছাসেবক কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। অংশগ্রহণকারীদের অনেকের বয়স ১৭ থেকে ২২ বছর পর্যন্ত ছিল। এই সময়ই, ৫৫ বছরেরও বেশি বয়সের লোকেদের ৩০০০ আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকসে এদের অনেকেই কাজ করেছিল। এটি সমসাময়িক রাশিয়াতে অনেক বড় স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমের প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল। ==== রাশিয়ার ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশনস কাপ এবং ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ ==== ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো রাশিয়া ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করে ২০১৮ সালের ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। সেইসঙ্গে, এটাই প্রথমবার যখন বিশ্বকাপ খেলা ইউরোপ আর এশিয়া দুই জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলি রাশিয়ার ১১ টি শহরের ১২ টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।৩৪ ২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপ এর জন্য স্বেচ্ছাসেবী কাজের কার্যক্রমে রাশিয়া আর অন্যান্য দেশের সহস্র মানুষ যোগদান করে। এই কার্যক্রমে বিভিন্ন পর্যায় ছিল: স্বেচ্ছাসেবকদের যোগদান, বাছাইকরণ আর প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগিতা চলাকালীন তাদের কাজ সংগঠিত করা। ফিফা.কম এর মাধ্যমে ফিফা কনফেডারেশনস কাপ এবং ফিফা বিশ্বকাপ এর জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের যোগদান শুরু হয় ২০১৬ সালের ১লা জুন আর শেষ হয় ২০১৬ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর। কিছু সংখক স্বেচ্ছাসেবক ২০১৭ সালের ফিফা কনফেডারেশনস কাপ কাজ করেছিলেন: ১৭৩৩ জন লোক সেইন্ট পিটার্সবার্গ, ১৫৯০ জন মস্কো, ১২৬১ জন সোচি, ১২৬০ জন কাজান, মোট ৫৮৪৪ অংশগ্রহণকারী আয়োজকদের সাহায্য করেছিলেন। ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ রাশিয়ার স্থানীয় আয়োজক কমিটির ১৭,০৪০ জন স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা সংগঠিত হবে। রাশিয়ার কিছু প্রধান উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান আয়োজক দেশের ১৫ সেচ্ছাসেবক কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রার্থী যারা রাশিয়াতে বসবাস করে তাদের নির্বাচিত করে: সিনারজি ইউনিভার্সিটি, মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, প্লেখানভ রাশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্স, রাশিয়ান স্টেট সোশ্যাল ইউনিভার্সিটি, মস্কো অটোমোবাইল এন্ড রোড কনস্ট্রাকশন ইউনিভার্সিটি, সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্স, সামারা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ভলগা রিজিওন স্টেট একাডেমি অফ ফিজিক্যাল কালচার, স্পোর্ট এন্ড ট্যুরিজম, ডন স্টেট টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি, অগরেব মর্ডোভিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, ভোলগোগ্রাড স্টেট ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিজহনী নবগোরড, সামারা স্টেট এরোস্পেস ইউনিভার্সিটি, ইম্মানুয়েল কান্ট্ বাল্টিক ফেডারেল ইউনিভার্সিটি, আর ইউরাল ফেডারেল ইউনিভার্সিটি। অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচিত করা হয়েছে নিরপেক্ষভাবে। অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই অন্তত ১৮ বছর বয়স হতে হবে, ইংরেজিতে ভালো, উচ্চ অথবা পেশাগত মাধ্যমিক শিক্ষা, আর দলগত কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের কেন্দ্র আর বিশ্বকাপ স্থানগুলোতে, স্বেচ্ছাসেবকদের নিরপেক্ষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে: ১। স্বীকৃতিপত্র প্রদান; ২। টিকেট বিক্রি এবং পরীক্ষা করা; ৩। রেডিও যোগাযোগ মাধ্যমের পেশাজীবীদের সহযোগিতা করা; ৪। অনুষ্ঠানের অতিথিদের জন্য অবসর আর বিনোদনমূলক কাজের ব্যবস্থা করা; ৫।খাবার পরিবেশনদ্বারের আয়োজন; ৬।অনুবাদের কাজ করা; ৭। আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দানকারীদের সাথে কাজ করা; ৮। চিকিৎসা কাজে সহযোগিতা করা আর ডোপিং নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আয়োজন করা; ৯।গণমাধমের কাজে সহযোগিতা করা; ১০।অনুষ্ঠানের খেলোয়াড় আর অতিথিদের আগমন এবং প্রস্থান আয়োজন করা; ১১। গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের সাথে কাজ করা; ১২। খেলোয়াড় আর রেফারিদের সহযোগিতা করা; ১৩। খেলোয়াড় আর অতিথিদের বাসস্থানের জন্য সহযোগিতা করা; ১৪। অতিথিদের নৌযাত্রায় সহযোগিতা করা; ১৫। টেলিভশন আর রেডিও-তে প্রচারে সহযোগিতা করা; ১৬। পরিবহনের আয়োজন করা; ১৭। সেচ সেবকদের পরিচালনা করা; ১৮। স্টেডিয়ামের কার্য প্রণালীতে সহযোগিতা করা; ১৯। ফিফার সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পর্যবেক্ষণ; ২০। চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠানের শুরু আর সমাপ্তির আয়োজন করা। অনুষ্ঠানের শুরু হবার পূর্বে তাদের কাজ শুরু হয়েছিল: ২০১৭ সালের ১০ই মে ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ, আর ২০১৮ সালের ১০ই মে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ এর জন্য। ==== ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম ঐতিহ্য: গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রকল্পগুলোর জন্য রাশিয়ার জাতীয় প্রতিযোগিতা ==== ২০ শে অক্টোবর ২০১৭ সামাজিক প্রকল্পগুলোর জন্য রাশিয়ার জাতীয় প্রতিযোগিতা "২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম ঐতিহ্য" ঘোষণা করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ১৫০০ লোক যুক্ত হয়: আবেদনপ্রার্থীরা হচ্ছে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম আর শহরের ভবিষৎ স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিযোগিতার চিন্তাটি ছিল যে, যে কেউ প্রকল্প জমা দিতে পারবে যা রাশিয়ার শহরের বাসিন্দাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে রাশিয়ার ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে আর চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে একটি ঐতিহ্য হিসেবে কাজ করবে। প্রত্যাশা করা হয় প্রকল্পগুলো থেকে বাস্তব (শিল্প সংক্রান্ত কর্ম, অতিথি আর বাসিন্দাদের জন্য শহরের আকর্ষণীয় জায়গা, উন্মুক্ত খেলার ছবি, শহরের পার্কগুলোর উন্নত জায়গা, সিনেমা, ইত্যাদি) আর অধরা (অনুষ্ঠানসমূহ, অধিবেশনগুলো, উৎসবসমূহ, প্রদর্শনীর) ঐতিহ্যের সৃষ্টি হবে। ২৬টি প্রকল্প চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় এবং রাশিয়া ২০১৮ স্থানীয় আয়োজক কমিটির আর ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজক শহরের সমর্থন পায়। নির্বাচকদের মধ্যে ছিলেন রাশিয়া ২০১৮ স্থানীয় আয়োজক কমিটির জেনারেল ডিরেক্টর এলেক্সেই সরোকিন, রাশিয়ার ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ এর রাষ্ট্রদূত এলেক্সেই স্মার্টিন এবং ফেডারেল ট্যুরিজম এজেন্সীর প্রধান পরামর্শদাতা সভেৎলানা সের্গিবা। কিছু প্রকল্প সংমিশ্রণ অথবা আরো উন্নত করা হয় স্থানীয় আয়োজক কমিটির দ্বারা। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছিলো: মাদের জন্য ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, পুনরায় ব্যবহার যোগ্য প্লাষ্টিক দ্বারা ঢালু পথ তৈরী, তোমার চ্যাম্পিয়নশিপ স্টিকার প্যাক ইত্যাদি।৩৫ == স্বেচ্ছাসেবা দিবস, সপ্তাহ এবং বর্ষ''' ''' == নির্বাচিত দিন, সপ্তাহ এবং বর্ষ পালন করা হয় একটি দেশে অথবা এগুলো জাতিসংঘ দ্বারা নির্বাচিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী কাজ/ নাগরিক সেবাকে উৎসাহিত করতে বিশ্বব্যাপী তরুণ সেবা দিবস আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক দিবস সেচ্ছাসেবকদের আন্তর্জাতিক বর্ষ হাত মিলিতকরণ দিবস ম্যান্ডেলা দিবস এমএলকে সেবা দিবস মিটজবাহ দিবস সহানুভূতি দিনের এলোমেলো কার্যক্রম সেবা দিবস পার্থক্য তৈরির একটি দিন বিশ্ব সহানুভূতি দিবস == রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি == আধুনিক সমাজের একটি পরিচিত গুণ হলো মানুষের একে অপরকে সাহায্য করা; স্বেচ্ছাসেবা কাজের দ্বারা শুধু অন্যদের সহযোগিতা করা হয় না, বরং তা স্বেচ্ছাসেবা দেয়া ব্যক্তিটির ব্যক্তিগত পর্যায়ে সুবিধা দেয়।৩৬ একই ধরনের উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও, স্বেচ্ছাসেবক এবং রাষ্ট্র প্রদত্ত সেবার মধ্যে চাপা উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের চাপা উত্তেজনা কমানোর জন্য, বেশিরভাগ রাষ্ট্রই নীতি তৈরী করেছে আর আইন পাস করেছে যা সরকারের অংশীদার এবং তাদের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিনিধিদের ভূমিকা আর সম্পর্কগুলো স্পষ্ট করে; এই নিয়ম প্রত্যেক পক্ষের স্থান নির্ধারণ করে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধ, সামাজিক, প্রশাসনিক আর আর্থিক সহযোগিতা নির্ধারণ করে। এটা ঠিক তখন গুরুত্বপূর্ণ যখন কিছু স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম রাষ্ট্রের প্রধানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয় (যেমন, ২৯ শে জানুয়ারী ২০০১, প্রেসিডেন্ট বুশ সতর্ক করেছেন যে সেচ্ছাসেবক দল সম্পূরক— দখল করবে না— সরকারের প্রতিনিধিদের কাজ)। ৩৭ স্বেচ্ছাসেবী কাজ যা রাষ্ট্রকে উপকৃত করে কিন্তু শ্রম ইউনিয়নগুলোকে রাগান্বিত করে কারণ তাদের বেতনভুক্ত প্রতিনিধিদের এতে চ্যালেঞ্জ করা হয় যারা তাদের স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য বেতন পায়; এটি মূলত স্বেচ্ছাসেবক দমকল বিভাগের মতো সম্মিলিত বিভাগগুলোতে দেখা যায়। === বিদেশী অনুদানের অসুবিধাসমূহ === স্বেচ্ছাসেবী কাজের আদর্শ, বিদেশী অনুদানের অসুবিধাগুলো দেখা যায় যখন এটি জাতীয় সীমানার বাইরে প্রয়োগ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক যাদের একটি দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠানো হয় তাদের উপস্থিতি সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন আর অনুদান গ্রহণকারী জাতীয় সরকারের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব হিসেবে দেখা হয়। তাই কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ যখন রাষ্ট্রগুলো অনুদান পাঠানোর প্রস্তাব দেয় আর যখন এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা হয়, বিশেষত যদি অনুদান দানকারীরা সাহায্য স্থগিত বা সব বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব রাখে। তিন ধরনের শর্ত গড়ে উঠতে দেখা গেছে: ১। '''আর্থিক দায়িত্ব''': স্বেচ্ছাসেবকরা লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে অর্থ পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকতে হবে ২। '''নীতি সংশোধন''': সরকার অনুরোধ করে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কিছু নির্দিষ্ট সামাজিক, আর্থিক, বা পরিবেশগত নীতিগুলো অবলম্বন করতে হবে; প্রায়ই, ঐতিহ্যগতভাবে সবচেয়ে বিতর্কমূলক হচ্ছে সেবাগুলোর বেসরকারিকরণ করা ৩। '''উন্নয়নের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক লক্ষ্যগুলো প্রাপ্তির জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিতে বলা কিছু আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবক সংস্থা তাদের প্রাথমিক লক্ষ্যকে সংজ্ঞায়িত করে পরার্থবাদী হিসেবে: উন্নয়নশীল পৃথিবীর দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করা আর মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন করা, (অর্থাৎ ভলান্টারী সার্ভিসেস ওভারসিস এর আছে প্রায় ২০০০ দক্ষ পেশাজীবী সেচ্ছাসেবক যারা তাদের অভিজ্ঞতাকে স্থানীয় লোকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় যেন তারা ফেরত চলে আসলেও স্বেচ্ছাসেবী দক্ষতাগুলো সেখানে বজায় থাকে)। যখনই ধরনের সংস্থাগুলো সরকারের অংশীদার হিসেবে কাজ করে, ফলাফল হয় অসাধারণ।যদিও, যখন অন্যান্য সংস্থা বা পৃথক প্রথম বিশ্বের সরকারগুলো সেচ্ছাসেবক দলগুলোর সমর্থন করে তখন প্রশ্ন দেখা দেয় সংস্থাগুলো বা সরকারগুলো আসল উদ্দেশ্য দারিদ্রতা দূরীকরণ কিনা। পরিবর্তে অনেকসময়, সম্পদ তৈরী করা কিছু দরিদ্রের জন্য অথবা এমন নীতি তৈরী করা যা দাতা রাষ্ট্রের জন্য উপকারী এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে।৩৮ অনেক অল্প আয়ের দেশগুলোর অর্থনীতি শিল্পায়নের ফলে প্রাচুর্য আর বিনিয়োগের ফলে বিকাশ না হবার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর একটি কারণ হলো উন্নয়নের সহযোগিতার পথ হিসেবে অনেক তৃতীয় বিশ্বের সরকারগুলোকে সেই উন্নয়নের নীতিগুলো অনুসরণ করতে বলা যেগুলো অপচয়ী, বিপথে চালিত করে, অথবা অনুৎপাদনশীল; কিছু নীতিগুলো এতই ধ্বংসাত্মক হয় যে অর্থনীতি টেকসই হতে পারেনা বাইরের সাহায্য ছাড়া।৩৯ অবশ্য,স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবার কাজকে এক ধরনের অবদান হিসেবে বিবেচনা করে অনুদান দেবার কিছু প্রস্তাব স্বেচ্ছাসেবী কাজের সাধারণ মনোভাবকে বিকৃত করেছে, অর্থাৎ, বিদ্যমান শর্তাদির জন্য প্রয়োজন স্থানীয় মানুষের আচরণের পরিবর্তন যেন তারা দাতাদের অনুদান পেতে পারে। এটাকে প্রাপকদের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা সম্পন্ন আর অবমাননাকর হিসেবে দেখা যেতে পারে কারণ প্রাপকদের প্রয়োজনের তুলনায় অনুদানটি দাতাদের নীতির লক্ষ্যটিকে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে। == নৈতিক সম্পদ, রাজনৈতিক মূলধন এবং নাগরিক সমাজ == চীনের একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে, এক্সিও এবং নাগই (২০১১) পেয়েছেন যে স্বেচ্ছাসেবার তৃণমূল হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার জন্য ছিটমহল এবং এটি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক সমাজ গড়ে তুলতে এটি কাজ করে। গবেষকরা "নৈতিক সম্পদ আর রাজনৈতিক মূলধন" একটি পদ্ধতি গড়ে তুলেছেন নাগরিক সমাজের প্রতি স্বেচ্ছাসেবার অবদানগুলো পরীক্ষা করতে। নৈতিক সম্পদ বলতে বোঝায় যেসকল নৈতিকতা এনজিওগুলো পছন্দ করবে। রাজনৈতিক মূলধন বলতে বোঝায় যে মূলধনগুলো এনজিওগুলোর মর্যাদা, অধিকার বা বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় প্রবেশে সহায়তা করবে।৪০ সেই সাথে, এক্সিও এবং নাগই (২০১১) দুই ধরনের নৈতিক সম্পদ পেয়েছেন: নৈতিক সম্পদ-I আর নৈতিক সম্পদ-II (ibid). ১। নৈতিক সম্পদ-I: "আমার ঠিক কি করা উচিত", ইমানুয়েল কান্ট্ এর (১৯৯৮ ১৭৮৭) যুক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নৈতিক সম্পদ-I এনজিওগুলোর সাহসিকতা বাড়িয়ে দিবে আর সমস্যার সময় কাজ করার এবং জয় করার জন্য শক্তি দিবে এই প্রশ্নের উত্তর দেবার মাধ্যমে যে "আমার ঠিক কি করা উচিত"।৪১ ২। নৈতিক সম্পদ-II: আদরনো (২০০০) পেয়েছেন যে নৈতিক বা অনৈতিক বিষয়গুলো সমাজের দ্বারা ঠিক করা হয়, নৈতিক সম্পদ-II বলতে বোঝাচ্ছে সেই নৈতিকতাগুলো যেগুলো সমাজের দ্বারা ভালোভাবে গৃহীত হয়।৪২ধন্যবাদ ব্লাউ এবং ডানকানের বুদ্ধিগত উত্তরাধিকারের জন্য (১৯৬৭),দুই ধরনের রাজনৈতিক মূলধন লক্ষ করা যায়:১। রাজনৈতিক মূলধন-I বোঝায় সেই রাজনৈতিক মূলধনকে যা হচ্ছে আরোপিত মর্যাদা যা এনজিওগুলো সম্পূর্ণরূপে ঐতিহাসিকভাবে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত (যেমন, সিওয়াইএল)। ২। রাজনৈতিক মূলধন-II বোঝায় সেই রাজনৈতিক মূলধনকে যা এনজিওগুলো তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পায়।৪৩ স্পষ্টত, "নৈতিক সম্পদ-I ধারণ করে আত্মনির্ধারণ, যে নৈতিক বিশ্বাস অংশগ্রহণকারীরা পছন্দ করেছে, যা তাদের সাহসিকতা দেয়",৪৪ প্রায় সব সংস্থাতেই নৈতিক সম্পদ-I আছে, যদিও তাদের অনেকের কাছেই সমাজের স্বীকৃতি প্রাপ্ত নৈতিক সম্পদ-II নেই। যদিও, স্বেচ্ছাসেবার সংস্থাগুলো প্রধানত নৈতিক সম্পদ-II দ্বারা চালিত কারণ একটি নৈতিক আধিপত্যের ধারণা এটাকে সম্ভব করেছে পক্ষগুলোর জন্য, যেখানে স্বেচ্ছাসেবী কাজের প্রচার করার জন্য বিভিন্ন মূল্যবোধ, লক্ষ্য এবং সংস্কৃতির একসাথে কাজ করতে হয়। তাই স্বেচ্ছাসেবার সংস্থাগুলো জনসাধারণ আর সরকারের বিশ্বাস আর সহযোগিতা খুব সহজেই জয় করবে তাদের থেকে যে সংস্থাগুলোর নৈতিকতা সমাজের মূলপ্রবাহ দ্বারা গৃহীত হয় না। অন্যভাবে বলতে গেলে, নৈতিক সম্পদ-II তৃণমূলের সংস্থাগুলোকে সাহায্য করে রাজনৈতিক মূলধন-I দ্বারা রাজনৈতিক মূলধন-II কে জয় করতে, যেটা উন্নয়নশীল দেশগুলো যেমন চীনে তাদের টিকে থাকা আর বেড়ে উঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতএব, এই স্বেচ্ছাসেবার রাজ্যগুলো নাগরিক সমাজের বেড়ে উঠার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে একটি ছিটমহল হতে পারে।৪০ == স্বাস্থ্য সুবিধাসমূহ == স্বেচ্ছাসেবী কাজ জীবন আর স্বাস্থ্যের গুণগতমান উন্নত করে সেইসঙ্গে দীর্ঘ জীবন দেয় তাদের যারা তাদের সময় দান করে ৪৫ এবং গবেষণা থেকে পাওয়া গিয়েছে যে, স্বেচ্ছাসেবী কাজ থেকে বয়স্করা সব থেকে বেশি সুবিধা পায়। অন্যদের সাহায্য করার মতো একটি সহজ কাজের মাধ্যমে বয়স্করা শারীরিক আর মানসিক অসুখের কষ্টগুলো থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারে; অবশ্য, একজনকে সেজন্য নিঃস্বার্থভাবে ভালো কাজ করতে হবে। কিছু বাধা স্বেচ্ছাসেবা কাজে যুক্ত হবার ক্ষেত্রে বয়স্কদের প্রতিরোধ করতে পারে, যেমন সামাজিক-আর্থিক অবস্থা, অন্যের মতামত, এবং এমনকি বর্তমান শারীরিক অবস্থা।অবশ্য, এধরনের বাধাকে দূর করে এগিয়ে আসতে হবে যেন কেউ যদি স্বেচ্ছাসেবা কাজে যুক্ত হতে চায় তাহলে তা করতে পারে। স্বেচ্ছাসেবী কাজ শুধু গোষ্ঠীদের অবস্থাকেই ভালো করে না যাদের একজন সেবা করে, বরং তার জীবন কেও ভালো করে যে গোষ্ঠীদের সেবা প্রদান করে। == মানসিক স্বাস্থ্য সুবিধাসমূহ == স্বেচ্ছাসেবী কাজকে শুধু আনন্দের সাথে যুক্ত করলেই হবে না ৪৬ এটি আনন্দকে বাড়িয়েও তোলে।৪৬৪৭ সেইসঙ্গে বিবরণ থেকে জানা যায়, সাহায্য পাওয়া থেকে সাহায্য করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী।৪৮ গবেষণা থেকে এটাও দেখা গেছে যে, স্বেচ্ছাসেবী কাজ একাকিত্ব কমিয়ে দেয়ার একটি কারণ হিসেবে কাজ করে তাদের জন্য যারা স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকে সেই সঙ্গে যাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী কাজ করা হয়।৪৯ == পরিসংখ্যান == স্বেচ্ছাসেবা বিশেষজ্ঞ সুসান জে. এলিসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে, ঐতিহাসিকভাবে স্বেচ্ছাসেবী কাজের পরিসংখ্যান সীমিত হয়েছে। ৫০ ২০১৩ সালে, ইউ.এস. বর্তমান জনসংখ্যা জরিপ (ইউএস) একটি স্বেচ্ছাসেবী কাজের ক্রোড়পত্র সংযুক্ত করে, যেখানে স্বেচ্ছাসেবী কাজের পরিসংখ্যান তৈরী ছিল। == সমালোচনা == ১৯৬০-এর দশকে, ইভান ইলিচ একটি বিশ্লেষণ প্রদান করেন যেখানে আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবকদের মেক্সিকোতে ভূমিকাকে তিনি অভিহিত করেছিলেন জাহান্নামে ভালো উদ্দেশ্যে থাকা পাউলো ফ্রেইরে আর এডওয়ার্ড সাইদ, এর মতো সমালোচকদের মতোই তার উদ্বেগ, ক্রিস্টিয়ান মিশনারি চিন্তাধারা প্রসারের কারণে পরার্থপরতা বিশ্বাসের চারপাশে আবর্তিত হয়েছে। এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেছেন জ্ঞান হচ্ছে একটি কারণ, যে ধারণাটি অভিজাতবর্গকে বাধ্য করে এটি প্রথম গড়ে উঠে ফ্রেঞ্চ অভিজাত-তন্ত্র থেকে যে এটি তাদের সম্পদ থেকে আসা নৈতিক দায়িত্ব। সাধারণভাবে বললে, এই চেতনাগুলো পৃথিবীব্যাপী দেশীয় সংস্কৃতির উপর ক্ষমতা আর কর্তৃত্ব বাড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা করে। ওয়েস্টমিয়ার এবং খান (১৯৯৬) এবং বেল হুক্স (née গ্লোরিয়া ওয়াটকিনস) (২০০৪) থেকে আধুনিক সমালোচনা এসেছে।সেসঙ্গে, জিওরজিয়াও (২০১২) () আন্তর্জাতিক অনুদান স্বেচ্ছাসেবী কাজের উপর নব্যউদারনীতিবাদ এর প্রভাব সমালোচনা করেছেন। চিকিৎসা পর্যটনের ক্ষেত্র (সেই স্বেচ্ছাসেবকরা যারা চিকিৎসা সেবা দিতে বিদেশ ভ্রমণ করে) বর্তমানে নেতিবাচক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে যখন টেকসই সক্ষমতা, অর্থাৎ, দীর্ঘ সময় ধরে, স্থানীয় ভাবে, এবং বিদেশী সুবিধা নিয়ে কাজ করা সম্ভব, এমন বিকল্প ধারণার সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনেক বেশি পরিমান সমালোচনা বড় করে বিজ্ঞানবিষয়ক আর সহকর্মীদের লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে।৫২৫৩৫৪ বর্তমানে, গণমাধ্যমের বিভিন্নদিকে সাধারণ পাঠকদের মাঝেও এই ধরনের সমালোচনা প্রকাশ পাচ্ছে।৫৫ স্বেচ্ছাসেবী কাজের অন্য একটি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে যেটি হলো এটিকে কম বেতনের প্রবেশ পদের সাথে বদলি করা হচ্ছে। এই ধরনের কাজের ফলে সামাজিক গতিশীলতা কমবে, শুধু যারা বেতন ছাড়া কাজ করতে পারবে, তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।৫৬ যুক্তরাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন্স সতর্ক করেছে যে দীর্ঘ সময়ের স্বেচ্ছাসেবী কাজ শোষণের একটি ধরন, যা দাতব্যসংস্থা গুলো আইন অনুযায়ী ন্যূনতম বেতন পরিহার করতে ব্যবহার করে।৫৭ কিছু সেক্টর গুলোতে এখন প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কাজের সাথে সম্পৃক্ত হোক বা না হোক, অংশগ্রহণকারীদের কাজের জন্য অর্থ প্রদান করা হবে তবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে, যা স্বেচ্ছাসেবার পূর্ণ যোগ্যতা নির্ধারণে সাহায্য করবে।৫৮ == আরো দেখুন == স্বেচ্ছাসেবকদের যুক্তকরণে নেতাদের সমিতি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশাসনিক সমিতি চিত্তবিনোদন মূলক পেশা গোষ্ঠীর সেবা অতিক্রমের জন্য প্রহরী আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ স্বেচ্ছাসেবার পুরস্কার তালিকা কাজ পিস কর্পস প্রো বোনো সাববোটনিক ভলান্টারিসম'''মইনুল ইসলাম''' বলতে যাদেরকে বোঝানো হতে পারে; মইনুল ইসলাম, -একজন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদক প্রদান করে। মইনুল ইসলাম (ক্রিকেটার), -একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। মইনুল ইসলাম (ক্রিকেটার, জন্ম ১৯৯২), -(জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯২) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। == আরও দেখুন == মো. মইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। মইনুল হোসেন (দ্ব্যর্থতা নিরসন)'''জংলি''' একটি ভারতীয় হিন্দি এডভেঞ্চার চলচ্চিত্র আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা পরিচালিত চাক রাসেল এবং প্রযোজক বিনীত জৈন। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন বিদ্যুৎ জামওয়াল পূজা শাওয়ান্ত আশা ভাট এবং অতুল কুলকর্ণি অভিনীতপ্রধান চরিত্রে এই চলচ্চিত্রটি একটি পশুচিকিত্সকের ডাক্তারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে, যিনি তার বাবার হাতির রিজার্ভে ফিরে আসার পরে, একটি আন্তর্জাতিক পোকারের রকেটের বিরুদ্ধে লড়াই লড়াই করেছিলেন। ছবিতে মার্শাল আর্ট এবং অ্যাকশন স্টান্ট রয়েছেজামমওয়াল অভিনয় করেছেন। অ্যাকশন থ্রিলার রোমিও আকবর ওয়াল্টারকে একক রিলিজ দেওয়ার জন্য প্রাথমিক প্রকাশের তারিখটি এক সপ্তাহ আগে শুরু করা হয়েছিল প্রাথমিকভাবে ১৯ অক্টোবর ২০১৮ মুক্তি পাওয়ার জন্য নির্ধারিত হয়েছিল, এবং তারপরে এপ্রিল, এটি ২৯ মার্চ ২০১৯ প্রকাশিত হয়েছিল। সমালোচকরা জম্মওয়ালের অভিনীত দৃশ্যের প্রশংসা করে চলচ্চিত্রটির মিশ্র পর্যালোচনা দিয়েছেন। == কাহিনী == দীপঙ্কর নায়ার একটি এলিফ্যান্ট অভয়ারণ্য পরিচালনা করে তবে জিনিসগুলি খারাপ হয়ে গেছে কারণ শিকারীরা প্রায়শই হাতির হাতির শিকারের জন্য তাদের হস্তান্তরিত হয় তার ছেলে রাজ, মুম্বাইয়ের ভেট তার মায়ের দশম এসে তার শৈশবকালীন প্রাণী ভোলা দিদির সাথে বন্ধুত্ব করেছেন। ভোলার বিশাল টাস্কে কেশব নামে একটি শিকারি নজর রাখে যা ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে। কেশব ভোলাকে তার কান্ডের জন্য হত্যা করেছিল এবং দীপঙ্করও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। পুলিশরা দীপঙ্করের জানাজায় পৌঁছে এবং তাকে শিকারীদের সাথে থাকার মিথ্যা জাল দেয় এবং এর জন্য রাজকে ফ্রেমও দেয়। কারাগারে নেওয়ার পরে তিনি, যার হাত এখনও বেঁধে রয়েছে। তবে তিনি তখনও এই সকলের সাথে লড়াই করেন, এবং দিদি জানালাকে টান দেওয়ার পরে রাজের শৈশবের বন্ধু শঙ্করের সাথে তার ম্যানহাট হিসাবে মীরা নামে এক সাংবাদিক ছিলেন, যে রাজের সাথে হাতির অভয়ারণ্যে একটি নিবন্ধ লিখতে এসেছিলেন। রাজ তাদের কাছে আরও প্রকাশ করে যে, যে পরিদর্শক তাকে শিকারিদের সাথে থাকার জন্য বানিয়েছিলেন, তিনি সেই দলের মধ্যে অন্যতম, যারা হাতির কুণ্ডলী পাচারকে সমর্থন করেন। রাজের সেরা বন্ধু দেবও শিকারীদের সাথে রয়েছেন বলে প্রকাশিত হয়েছে। দেব এবং রাজ লড়াই করে, তারপরে শিকারিরা আসে। তারা রাজকে গুরুতর আহত করে, কিন্তু দেবকে মেরে ফেলে, যিনি রাজকে বাঁচানোর জন্য ছিলেন। শিকারিরা শঙ্করকেও বন্দী করে, আর মীরা এগুলি ধারণ করে। রাজের শিক্ষক গज्জা গুরু মীরার সাথে রাজের সাথে আচরণ করেন। রাজ, একজন মৃত শিকারীর ফোন নিয়ে জানতে পারে যে ক্রেতারা পারাদীপে রয়েছে, যেখানে শঙ্করকেও রাখা হয়েছিল। রাজ রাজবাড়ি আক্রমণ করে এবং সমস্ত দেহরক্ষী এবং শিকারীকে হত্যা করে। তিনি শঙ্করকে বাঁচান, এবং সেখানে মীরা এবং জয়েশ (রাজের অন্য শৈশব বন্ধু )ও উপস্থিত হন। রাজ কেশবকে আক্রমণ করে এবং তাকে প্রায় অজ্ঞান করে তোলে এবং অন্যকে বাঁচাতে যায়, সেখানে কেশভ বন্দুক তুলেছিল, তবে গজ্জা গুরু এবং দিদি উপস্থিত হন, এতে দিদি কেশবকে হত্যা করে। ক্রেতারা পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। যেখানে ভিতরে, দিদি তার বাচ্চা প্রসব করতে চলেছে। মাস পরে, দীপঙ্কর নায়েরের শেষ বার্তাটি দেখানো হয়েছে, যাতে তিনি বলেছিলেন যে হাতিদের প্রতি ১৫ মিনিটের মধ্যে তাদের তাসের জন্য হত্যা করা হয়, এবং আমরা এখনও টাস্কের তৈরি উপকরণ না নিয়ে তা থামাতে পারি। সেখানে দিদির বাচ্চা আশাকেও দেখানো হয়েছে। শেষে, চাকরির বিনিময়ে, রাজ উত্তর দেয় 'অভী না শাক, ইয়াঁ পার চিজেন বোহত জঙ্গলে হ্যায়' ('আমি এখন আসতে পারি না, জিনিসগুলি এখানে খুব বন্যই আছে')। এবং এটি এখনও আমরা টাস্ক-তৈরি সামগ্রী ব্যবহার না করে এটি বন্ধ করতে পারি। সেখানে দিদির বাচ্চা আশাকেও দেখানো হয়েছে। শেষে, চাকরির বিনিময়ে, রাজ উত্তর দেয় 'অভী না শাক, ইয়াঁ পার চিজেন বোহত জঙ্গলে হ্যায়' ('আমি এখন আসতে পারি না, জিনিসগুলি এখানে খুব বন্যই আছে')। এবং এটি এখনও আমরা টাস্ক-তৈরি সামগ্রী ব্যবহার না করে এটি বন্ধ করতে পারি। সেখানে দিদির বাচ্চা আশাকেও দেখানো হয়েছে। শেষে, চাকরির বিনিময়ে, রাজ উত্তর দেয় 'অভী না শাক, ইয়াঁ পার চিজেন বোহত জঙ্গলে হ্যায়' ('আমি এখন আসতে পারি না, জিনিসগুলি এখানে খুব বন্যই আছে')। == অভিনয়ে == বিদ্যুৎ জামওয়াল রাজ পূজা শাওয়ান্ত শংকরা আশা ভাট মীরা == তথ্যসূত্র == দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র চলচ্চিত্রলাব্রন রেমন জেমস সিনিয়র (জন্ম: ৩০ শে ডিসেম্বর, ১৯৮৪) একজন আমেরিকান পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড় এবং ন্যাশনাল বাস্কেটবল সমিতির (এনবিএ), লস অ্যাঞ্জেলেস এর হয়ে খেলেন। তার অর্জনে তিনটি এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ, চারটি এনবিএ মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ডস, তিনটি এনবিএ ফাইনাল এমভিপি অ্যাওয়ার্ডস এবং দুটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জেমস পনেরোটি এনবিএ অল-স্টার গেমসে অংশ নিয়েছেন এবং তিনবার এনবিএ অল স্টার এমভিপি হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালের এনবিএ স্কোরিং টাইটেল জিতেছিলেন, তিনি সর্বকালের এনবিএ প্লেঅফস স্কোরিং লিডার এবং সর্বকালের ক্যারিয়ার পয়েন্টে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। তাকে বারো বার অল-এনবিএ প্রথম দলে এবং পাঁচবার প্রথম দলে ভোট দেওয়া হয়েছে। তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরা বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসাবে ব্যাপকভাবে বিবেচিত। জেমস সেন্ট ভিনসেন্টের হয়ে বাস্কেটবল খেলেন। জেমস আক্রন, ওহিও শহরে সেন্ট ভিনসেন্ট-সেন্ট মেরি হাইস্কুলের হয়ে বাস্কেটবল খেলেন, যেখানে জাতীয় মিডিয়া তাকে ভবিষ্যতের এনবিএ সুপারস্টার হিসাবে নজরে আনে। ২০০৩-০৪ সালের বছরের সেরা এনবিএ রুকি নামে পরিচিত, তিনি শীঘ্রই নিজেকে লীগের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন; ২০০৯ ২০১০ সালে তিনি এনবিএর সর্বাধিক মূল্যবান প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। ক্লিভল্যান্ডের সাথে চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে ব্যর্থ হওয়ার পরে, জেমস ২০১০ সালে মিয়ামি হিটের সাথে ফ্রি এজেন্ট হিসাবে সই করতে চলে যান। এই পদক্ষেপটি ইএসপিএন-এ দ্য ডিসিশন নামের বিশেষ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছিল এবং আমেরিকান ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত ফ্রি এজেন্ট সিদ্ধান্ত। জেমস ২০১২ এবং ২০১৩ সালে মিয়ামি হিটের হয়ে খেলতে গিয়ে তার প্রথম দুটি এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল। উভয় তাকে লীগ এমভিপি এবং এনবিএ ফাইনালস এমভিপি নির্বাচিত করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে হিটের সাথে তার চতুর্থ মরশুমের পরে, জেমস সাথে পুনরায় সই করার ক্ষেত্রে নিজেকে চুক্তিটি থেকে সরিয়ে নেন। ২০১৬ সালে, তিনি এনবিএ ফাইনালে গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়ার্সের বিরুদ্ধে জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, দলের প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ বিতরণ করেছিলেন এবং ক্লিভল্যান্ডের ৫২ বছরের পেশাদার ক্রীড়া খরা শেষ করেছিলেন। তার দলগুলি টানা আট মরসুমে (২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত) এনবিএ ফাইনালে উপস্থিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে, ল্যাকার্সের সাথে সই করার জন্য, জেমস সাথে তার চুক্তি বিরত রাখেন। জেমস তার অসংখ্য চুক্তি থেকে অতিরিক্ত সম্পদ এবং খ্যাতি একত্রিত করেছেন। তার জনজীবন অনেক তদন্তের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমেরিকার অন্যতম প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় অ্যাথলিট হিসাবে তাকে স্থান পেয়েছে। তিনি বই, ডকুমেন্টারি এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে স্থান পেয়েছেন। তিনি ইএসপিওয়াই পুরষ্কার এবং স্যাটারডে নাইট লাইভও হোস্ট করেছেন এবং ২০১৫ সালে ট্রেনর‍্যাক ছবিতে আবির্ভুত হয়েছিলেন।'''হামিন আহমেদ''' বাংলাদেশী সংঙ্গীত শিল্পী। এবং তিনি ব্যান্ড দল মাইলস এর সদস্য ==শৈশব কর্মজীবন== হামিন আহমেদ এর বাবা সংঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত এবং মা নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম ।হামিন আহমেদ প্রথমে কলকাতার একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন তারপরে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং নটর ডেম কলেজ পড়াশোনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জন প্রশাসন বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেন তার ছোট ভাই শাফিন আহমেদ মাইলস এর সহযোগী সদস্য। ==ব্যাবসা== ১৯৮৭ সালে আহমেদ তার নিজস্ব উদ্যোগে কম্পিউটার ব্যবসা ডেটাটেক শুরু করেছিলেন। পরে তিনি ১৯৯২ সালে এসিআইতে যোগদান করেন বাণিজ্যিক বিভাগে ২০০২ সাল থেকে আহমেদের পোশাক খাতে বিনিয়োগ করেন। ==ব্যাক্তিগত জীবন== হামিন আহমেদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে বড় হলেন আহনাফ আহমেদ (জন্ম 1995) সুরজা তরুণ, আজাদ বয়েজ, আবাহনী এবং মোহামেডান হামিন আহমেদ ক্লাবগুলির সাথে ক্রিকেট খেলতেন ==অ্যালবাম== *মাইলস *এ স্টোপ ফার্দার *প্রতিশ্রুতি *প্রত্যাশা *বেস্ট অফ মাইলস *প্রত্তয় *প্রয়াস *প্রবাহ *প্রতিধণ্ণি *প্রতিচ্ছবি ইত্যাদি ==তথ্য সুত্র=='''বাকই উত্তর''' বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত লালমাই উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == লালমাই উপজেলার সর্ব-পশ্চিমে বাকই উত্তর ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের উত্তর-পূর্বে বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন, পূর্বে পেরুল উত্তর ইউনিয়ন, দক্ষিণে লাকসাম উপজেলার বাকই ইউনিয়ন, উত্তর-পশ্চিমে বরুড়া উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়ন এবং উত্তরে বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি দক্ষিণ ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == বাকই উত্তর ইউনিয়ন লালমাই উপজেলার আওতাধীন ৯নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম লালমাই থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৫৮নং নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১০ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == নূরপুর বাজার ভাবক পাড়া বাজার কাপসতলা বাজার। == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == লালমাই উপজেলা লালমাই থানা কুমিল্লা জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''মঙ্গোলিয় ভাষা''' Mongolian হ'ল মঙ্গোলিয়ার সরকারী ভাষা এবং মঙ্গোলিক ভাষা পরিবারের সবচেয়ে বহুল बोली-প্রকাশিত এবং সেরা-পরিচিত সদস্য উভয়ই। এর সমস্ত উপভাষাগুলি জুড়ে স্পিকারের সংখ্যা 5.2 মিলিয়ন হতে পারে, মঙ্গোলিয়ার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মঙ্গোলিয়ের অনেক বাসিন্দাসহ। Mongolian মঙ্গোলিয়ায়, সিলিলিক (এবং অনেক সময় ল্যাটিন ভাষায় সামাজিক যোগাযোগের জন্য রচিত খলখা উপভাষাটি প্রাধান্য পায়, তবে অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় ভাষাটি দ্বান্দ্বিকভাবে আরও বৈচিত্র্যময় এবং চিরাচরিত মঙ্গোলিয় লিপিতে লেখা হয়। ব্যাকরণ অনুসরণ করার আলোচনায়, বিভিন্ন ধরণের মঙ্গোলিয়ান হ'ল স্ট্যান্ডার্ড খালখা মঙ্গোলিয়ান (যেমন, লেখার সম্মেলনে এবং স্কুল ব্যাকরণে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমিত লিখিত ভাষা), তবে যা বলা হয় তা বেশিরভাগ স্থানীয় ভাষায় বৈধ is (কথ্য) খালখা এবং অন্যান্য মঙ্গোলিয়ান উপভাষার জন্য, বিশেষত চাখর মঙ্গোলীয় хэл хэл উচ্চারণ মি xeɮ নেটিভ টু মঙ্গোলিআ এলাকা সমস্ত রাজ্য মঙ্গোলিয়াএবং অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়া বুরিয়াতিয়া ,কাল্মেকিয়া ইরকুটস্ক ওব্লাস্টের কিছু অংশ ,রাশিয়ার জাবেখালস্কি ক্রাই চীনের লিয়াওনিং ,জিলিন হিলংজিয়াং ,জিনজিয়াং গানসু এবংকিংহাই প্রদেশগুলির অংশ; অঞ্চল নেটিভ স্পিকার 5.2 মিলিয়ন (2005) Mongolian ভাষা পরিবার মঙ্গোলীয় প্রারম্ভিক ফর্ম মধ্য মঙ্গোলিয় *ধ্রুপদী মঙ্গোলিয় স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম খালখা (মঙ্গোলিয়া) চখর (চীন) উপভাষা *Khalkha *চাখার *Khorchin *Baarin *জিলিংল ''লিঙ্কটি উপস্থাপন নয়'' *Darkhad লিখন পদ্ধতি মঙ্গোলিয় বর্ণমালা চিরাচরিত মঙ্গোলিয় বর্ণমালা (চীনে), মঙ্গোলিয় সিরিলিক বর্ণমালা (মঙ্গোলিয়ায়), মঙ্গোলিয়ান ব্রেইল সরকারী অবস্থা অফিসিয়াল ভাষা মঙ্গোলিআ চীন *অন্তর্নিহিত মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল Mongolian দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মঙ্গোলিয়া: রাজ্য ভাষা কাউন্সিল, Mongolian চীন: ভাষা সাহিত্যের কাজের জন্য কাউন্সিল Mongolian ভাষা কোড আইএসও 639-1 mn আইএসও 639-2 mon আইএসও 639-3 mon অন্তর্ভুক্ত কোড স্বতন্ত্র কোড: khk খালখা মঙ্গোলিয়ান mvf পেরিফেরাল মঙ্গোলিয় (অংশ) Glottolog mong1331 Mongolian Linguasphere part of 44-BAA-b এশিয়া জুড়ে মঙ্গোলিকদের ভৌগলিক বিতরণ (লাল)'''ঝলম দক্ষিণ''' বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত মনোহরগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == অবস্থান সীমানা == মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের উত্তরে ঝলম উত্তর ইউনিয়ন, পূর্বে মৈশাতুয়া ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পূর্বে খিলা ইউনিয়ন, দক্ষিণে বাইশগাঁও ইউনিয়ন, পশ্চিমে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন এবং উত্তর-পশ্চিমে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়ন মনোহরগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন ৫নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম মনোহরগঞ্জ থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৫৭নং নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-৯ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == মনোহরগঞ্জ উপজেলা মনোহরগঞ্জ থানা কুমিল্লা জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''আবদুল হাফিজ''' বা '''আব্দুল হাফিজ''' বলতে যাদেরকে বোঝানো হতে পারে; আবদুল হাফিজ -লেফটেন্যান্ট জেনারেল '''আবদুল হাফিজ''' (জন্ম: ১৯৫৭) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। আবদুল হাফিজ (সাহিত্যিক) -(১৯০৭-১৯৯৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, প্রাবন্ধিক এবং সাংবাদিক। ১৯৭৭ সালে তাকে অনুবাদক হিসেবে বাংলা একাডেমী পদক প্রদান করা হয়। আব্দুল হাফিজ বাংলাদেশের নিলফামারী জেলার একজন রাজনীতিবিদ। তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য। == আরোও দেখুন == আবদুল হাফিজ কারদার -(জন্ম: ১৭ জানুয়ারি, ১৯২৫ মৃত্যু: ২১ এপ্রিল, ১৯৯৬) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। *আবদুল হাফিজ খান -একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত।'''সাইমন আহমেদ''' একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ২৯ জানুয়ারী ২০১০ সালে তিনি ২০০৯-১০ জাতীয় ক্রিকেট লিগে রাজশাহী বিভাগ ক্রিকেট দলের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে ২০১৭-১৮ ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে লিস্ট ক্রিকেটে নাম লেখান। == আরোও দেখুন == ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ক্রিকেট দল == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == স্থান অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বিভাগের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ব্যক্তি বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)'''বৈলর ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার একটি ইউনিয়ন।'''''' == অবস্থান সীমানা == == ইতিহাস == == প্রশাসনিক এলাকা == == আয়তন জনসংখ্যা == আয়তনঃ ৬২৯৫ একর। জনসংখ্যাঃ পুরুষ- ১৭২৬৪, মহিলা-১৬১৪২। == শিক্ষার হার শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ == '''শিক্ষার হার :''' ৪০.৫৮% '''শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ''' == দর্শনীয় স্থান == কাজিরশিমলা কবি নজরুল পাঠাগার == জনপ্রতিনিধি == '''বর্তমান চেয়ারম্যান-''' ''খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান'' তালিকা ক্রমিক নং চেয়ারম্যানগণের নাম মেয়াদকাল মোঃ নকিব হোসেন আদিল সরকার খন্দকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান '''বর্তমান''' == আরও দেখুন == মোক্ষপুর ইউনিয়ন রামপুর ইউনিয়ন, ত্রিশাল সাখূয়া ইউনিয়ন, ত্রিশাল == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বৈলর ইউনিয়ন- বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন ত্রিশাল উপজেলা উপজেলার ইউনিয়ন'''মাতুয়াইল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়''' একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে গঠিত স্কুলে একটি স্কাউটিং ক্লাব রয়েছে। এটি ঢাকা শহরের মৃধাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের নিকটে মাতুয়াইল নামেে জায় অবস্থিত। ঢাকা -চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কগুলি এর সামনে অবস্থিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (নং -২) এবং মাতুয়াইল সাব পোস্ট অফিস এর পাশেই অবস্থিত। == গঠন কাঠামো == এটিতে দোতলা প্রশাসনিক ভবন, একটি ছয়তলা একটি দ্বিতল একাডেমিক ভবন রয়েছে। ২০১১ সালে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন খেলার মাঠ তৈরি করে। একটি নতুন ছয় তলা প্রশাসনিক -কাম-একাডেমিক ভবন ২০১৪ সালে সম্পূর্ণ হয় বিদ্যালয়টিতে ১৫০০+ ছাত্র-ছাত্রী কে পাঠ দান করা হচ্ছে == শিক্ষা স্তর == স্কুলটি প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা কাজ পরিচালনা করে: প্রাথমিক স্তর: (শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত নিম্ন মাধ্যমিক স্তর: ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্তর ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত) মাধ্যমিক স্তর: (৯ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত) প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেলে এবং শুক্রবার সকালে শিক্ষার্থীরা লোকসঙ্গীত, শাস্ত্রীয় বাংলা গান শিখতে আসে।স্থানীয় সংস্কৃতি রক্ষার জন্য বুলবুল একাডেমি ফর ফাইন আর্টস (বাএফএ) বিদ্যালয়টিতে একটি প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। বিদ্যালয়টি প্রশাসনিক কমিটি এবং ৫১ জন শিক্ষকের দ্বারা পরিচালিত হয়। মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ''আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন মিয়া'' বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রধান শিক্ষক- মিঃ লুৎফুর রহমান মোল্লা। (২০০৫-বর্তমান) == তথ্যসূত্র == জেলার বিদ্যালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়'''এগমোর মেট্রো স্টেশন''' চেন্নাই মেট্রোর লাইন ২-এর একটি মেট্রো রেলস্টেশন। এটি চেন্নাই মেট্রোর চেন্নাই সেন্ট্রাল সেন্ট থমাস মাউন্ট পর্যন্ত প্রসারিত দ্বিতীয় করিডোর বরাবর আগত ভূগর্ভস্থ স্টেশনগুলির মধ্যে একটি স্টেশন। স্টেশনটি এগমোর এবং ভ্যাপারি-এর আশেপাশের এলাকাগুলিতে যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে। ==স্টেশন== স্টেশনটি প্রায় ৮,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এবং এগমোর রেল স্টেশন সংলগ্ন। নেহেরু পার্ক মেট্রো স্টেশনে মোট টি প্রবেশ প্রস্থান পথ রয়েছে। ===পরিকাঠামো=== ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনটি চেন্নাই মেট্রোর সবুজ লাইনের অংশ। এই স্টেশনটি দ্বিতল বিশিষ্ট। ===বিন্যাস=== '''জি''' রাস্তার স্তর প্রবেশ/ প্রস্থান '''এম''' মধ্যবর্তী তলা ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, স্টেশন এজেন্ট, টিকিট টোকেন, দোকান '''পি ''' প্ল্যাটফর্ম ১, →সেন্ট থমাস মাউন্টের দিকে দ্বীপ প্ল্যাটফর্ম, দরজা ডান দিকে খুলবে প্ল্যাটফর্ম ২, চেন্নাই সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের দিকে ==যোগাযোগ== ===বাস=== ===রেল=== চেন্নাই এগমোর রেলওয়ে স্টেশন == প্রবেশ প্রস্থান == '''নেহেরু পার্ক মেট্রো স্টেশন প্রবেশ পথ নং-এ১ প্রবেশ পথ নং-এ২ প্রবেশ পথ নং-এ৩ প্রবেশ পথ নং-এ৪ ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== descriptions of all metro systems in the world, each with schematic map showing all stations. মেট্রোর স্টেশনমিয়া''' বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার একজন রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়ীত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে দিনাজপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য। == জন্ম শিক্ষাজীবন == আখতারুজ্জামান মিয়া বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। == রাজনৈতিক কর্মজীবন == ২০০১ সালের নির্বাচনে আখতারুজ্জামান মিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে চার দলীয় জোট থেকে দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সংস্কারপন্থি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে নির্বাচন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে দিনাজপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে পরাজিত হন। == আরও দেখুন == অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা জাতীয় সংসদ সদস্য জেলার রাজনীতিবিদ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ ব্যক্তি'''পূর্বধইর পশ্চিম''' বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত মুরাদনগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == == জনসংখ্যা == == ইতিহাস == == অবস্থান সীমানা == মুরাদনগর উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের পূর্বে পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়ন, উত্তরে আকুবপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়ন চাপিতলা ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে টনকী ইউনিয়ন দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়ন অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়ন মুরাদনগর উপজেলার আওতাধীন ৫নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বাঙ্গরাবাজার থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৫১নং নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-৩ এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == মুরাদনগর উপজেলা বাঙ্গরাবাজার থানা কুমিল্লা জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়ন'''নাজিম কামরান চৌধুরী''' একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিলেট-৯ আসনের (বর্তমান সিলেট-৪) সাবেক সংসদ সদস্য। == জন্ম প্রাথমিক জীবন == নাজিম কামরান চৌধুরী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। == পেশা == তিনি ডাকসুর সাবেক জিএস ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিলেট-৯ আসনের (বর্তমান সিলেট-৪) সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ঢাকার গুলশানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট দখল প্রচেষ্টা মামলায় ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি সিলেটের নাজিমগড় রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। == ব্যক্তিগত জীবন == তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী তার স্ত্রী। নাজিম ফারহান চৌধুরী ফাহিমা চৌধুরী তাদেরর সন্তান। এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমেদের কাজিন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা (১৯৭৯) –জাতীয় সংসদ বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য জেলার রাজনীতিবিদ প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''জিশান মাকসুদ''' (জন্ম ২৪ অক্টোবর ১৯৮৭) একজন ওমানী ক্রিকেটার। সে ২০১৪ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চতুর্থ বিভাগ প্রতিযোগিতায় খেলে। সে তার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক খেলায় অভিষেক করে ওমানের হয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে ২০১৫ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতায়। ২০১৬ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ পঞ্চম বিভাগে ৩৫০ রান নিয়ে সে ছিল উক্ত প্রতিযোগিতার সেরা রান সংগ্রহকারী। ২০১৬ এর অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে সে তার লিস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করে। ২০১৮ এর জানুয়ারীতে, ২০১৮ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতার জন্য ওমান দলের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। একই বছরের আগস্টে, তাকে ২০১৮ এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতার জন্য ওমান দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়, এবং অক্টোবরে ২০১৮ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ তৃতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতায় ওমান দলের অধিনায়কত্ব করেন। ডিসেম্বরে, তাকে ২০১৮ এসিসি ইমার্জিং দল এশিয়া কাপে ওমান দলের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হল। ২০১৯ এর মার্চে, নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৯ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতার জন্য ওমান দলের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। সেরা চারে অবস্থান করে ওমান প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন করে। ফলস্বরূপ ওমান জাতীয় দলকে একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) মর্যাদা প্রদান করা হয়। মাকসুদ তার ওডিআই অভিষেক করে ২৭ এপ্রিল ২০১৯ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় নামিবিয়ার বিপক্ষে। ==তথ্যসূত্র== ==বাহ্যিক সংযোগ== জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার স্থান অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বংশোদ্ভূত'''তের জমিদার বাড়ি''' বাংলাদেশ এর পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার হাঁটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। তের জমিদারের বাড়ি থাকায় উক্ত গ্রামটি অনেকের কাছে '''তের জমিদারের গ্রাম''' হিসেবে পরিচিত। ==ইতিহাস== প্রায় ১৯০০ শতকের শুরু থেকে বর্তমান পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার হাঁটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নে মোট ১৩টি জমিদার বংশ জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়। ধারনা করা হয় এই তেরজন জমিদার ছিলেন তিন বংশের। এই তেরজন জমিদার মিলেই উক্ত এলাকার জমিদারী ভাগাভাগি করে পরিচালনা করতেন। উক্ত গ্রামটিতে প্রথমে দুই একজন জমিদার ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯১৫ সালের পর থেকে জমিদারদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সর্বশেষ তেরজন জমিদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাই উক্ত গ্রামটি জনসাধারণের কাছে তের জমিদারের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। গ্রামটির সাথে নদীর সংযোগ থাকায় মূলত ঐসময়ে এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকা বা কেন্দ্র ছিল। তখন ভারতের কলকাতা শহরের সাথে নৌপথে সংযোগ ছিল। তাই এখানে এতো জমিদারের আত্মপ্রকাশ। এখানে তিন বংশের জমিদাররা জমিদারী করেন। তারা হলেন প্রমথনাথ বাগচী, কাঞ্চীনাথ বাগচী, উপেন্দ্রনাথ বাগচী, ভবানীচরণ বাগচী, কালী সুন্দর রায়, ক্ষীরোদ চন্দ্র রায়, সুরেন চন্দ্র রায়, সুধাংশু মোহন রায়, শক্তিনাথ রায়, বঙ্কিম রায়, ক্ষুদিরাম পাল, যদুনাথ ভৌমিক যতীন্দ্রনাথ ভৌমিক। তাদের সকলেরেই আলাদা আলাদা বাড়ি জমিদারী ছিল। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত তারা এই জমিদারী পরিচালনা করেছেন। ==অবকাঠামো== তেরজন জমিদারের আলাদা আলাদা সুন্দর কারুকার্যখচিত বিশাল অট্টালিকা ছিল। এছাড়াও তাদের জলসাঘর, কাছারিঘর সাঁন বাঁধানো পুকুরসহ ইত্যাদি ছিল। ==বর্তমান অবস্থা== তের জমিদার বাড়ির মধ্যে দুই একটি ছাড়া বাকী সবগুলোই প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। যেগুলো এখনো টিকে আছে। সেগুলোও বেশ জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখনো দুই একটিতে কয়েকটি পরিবার বাস করে। এছাড়াও জমিদারদের তৈরি করা অন্যান্য স্থাপনাও এখন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ==তথ্যসূত্র== জেলার দর্শনীয় স্থান জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা স্থান'''ভুসুকু পা''' বোধিচর্যাবতার প্রভৃতি মহাষানন্থের কর্তা শান্তিদেবকে তাঁহার জীবনচরিত কার রাউত ভূসুকু বলিয়া গিয়াছেন। তিনি ৬৪৮ হইতে ৮১৬ খ্রিঃ অব্দের মধ্যে তাহার বইগুলি লিখেছেন। তাহার বাড়ী কোথায় ছিল জানা যায় না। তারানাথ বলিয়াছেন, তাহার বাড়ী সৌরাষ্ট্র ছিল। জীবনচরিত কার তাহার দেশের যে নামটি দিয়াছে, তাহা পড়া যায় না,কিন্তু অনেক দিন মগধ নালন্দায় ছিলেন তিনি মন্ত্রের নিকট উপদেশ পাইয়াছিলেন। ইহাতে বোধ হয়, উনি ভারতের পূর্বাঞ্চলের লেক হবার অধিক সম্ভাবনা। আর একজন শান্তিদেব, উপাধি যোগীশ্বর, দুই খানি তন্ত্রের পুথি লিখিয়াছেন। একখানি নাম আর একথানির নাম ‘সহগীতি'। ইহারই বংশধর মেকলের মত অনুসারে আর একখানি তন্ত্রের পুস্তক লেখা হয়। উহার নাম তেরে বলে, ইহার বাড়ী জাহোর। একজন ভুকু সোসাইটির ৪৮০১ নম্বর পুথিখানি লিখিয়াছেন। পুস্তকে তান্ত্রিক বৌদ্ধদের কুটিনিৰ্মাণ, শয়ন-ভােজন-পান ইত্যাদির ব্যবস্থা আছে। গ্রন্থেও আবার কয়েকটি বাঙ্গালা দোহা আছে। আমাদের সিদ্ধাচার্য রাউছু ভুসুকু ৮টি পদ লিখিয়া দিয়াছেন। প্রথম ভুসুকু শান্তিদেবের সহিত তাহার যে কোন সম্পর্ক আছে, এমন বােধ হয় না। কারণ,শান্তিদেব অনেক পূর্বের লোক। আমাদের ভুসুকু লুই সিদ্ধাচার্য এর পরের লোক। কারণ,লুই তাদের সময় ৯৫ থেকে ১০৫০ এর মধ্যে। আমাদের ভুসুকু যখন একজন সিদ্ধাচাৰ্য মাত্র, তখন তিনি যে লুইএর পরবর্তী, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। তবে কি তিনি তান্ত্রিক শান্তিদেবের সহিত এক কথা বলিবার একমাত্র কারণ দেখিতে পাই যে, শান্তিদেব ‘সহজ গীতিকা' নামে পুস্তক লিখিয়াছেন, আর ভুসুকু সহজিয়া মতের গান লিখিয়াছেন। যে ভুসুকু সোসাইটি ৪৮০১ নম্বরের পুথিখানি লিখিয়েছেন, তিনি আমাদের সিদ্ধাচার্য্য ভুকু কি এক? এক হইতেও পারে। কারণ, দুজনেই বাঙ্গালা লিখিয়াছেন। কিন্তু আরও অধিক খবর না পাইলে ইহারা এক কি না বলা যায় না। আমাদের ভুসুকু যে বাঙ্গালী ছিলেন, তাহা তাহার গানেই প্রকাশ। তিনি বলিয়াছেন আজি তুষ বঙ্গালী ভইলী। নিই ঘরিণী চন্ডালে লেলী তাহার আটটি গানে কাহার নাম ভুসুকু বাদে ৩২৩টি কথা আছে। ইহার মধ্যে ৩৭টি সংস্কৃত, ৬৮টি বিকৃত সংস্কৃত, ১৮৬টি পুরাণ বাঙ্গালা ৩২টি চলিত বাঙ্গাল। সাইত্রিশ সংরুত শব্দের মধ্যে সমরেশ, 'সহজানন্দ’ ‘রিমানন’ বৌদ্ধ ধর্মের শব্দ, বাকী গুলি ঠিক এই ভাবে আজিও চলিতেছে। কেবল ‘উহ চলে না, কিন্তু 'উহু চলে। চলে না কিং' চলে না, ‘মা’ চলে না। বাকীগুলি বেশ চলে। বাঙ্গালা বত্রিশটি চলেই, বাঙ্গালার পূর্বাভাস যে ১৮৬টি কথা আছে, তাহা সে কালের বাঙ্গালার চলিত। বাকী যে ৬৮টি কথা, ভুসুকু তাহার সংস্কৃত উচ্চারণ বদলাইয়া লইয়াছেন, তাহারও অধিকাংশ প্রাচীন বাঙ্গালায় চলিত। ইহার মধ্যে অনেকগুলি কেবল বানান বদলান মাত্র—যেমন ‘যষহর,‘যহজ, ‘সসর, ‘সেস'। এগুলি লেখকের ভুল হইতে পারে, অথবা সে কালের লােক বানানটা বড় গ্রাহ্য করিত না। সম্বন্ধের বিভক্তি ‘র, অধিকরণের বিভক্তি ‘এ’ বা ‘এ’ সম্পূর্ণ বাঙ্গাল।। হিঅহি', তহি মাগধীর অধিকরণ-কারক। “অচ্ছসি’র মধ্যম পুৰুষে একবচনে‘সি’ প্রাচীন বাঙ্গালায় ব্যবহার হইত। অনুজ্ঞায় 'অঞ্জ’র ‘’ও প্রাচীন বাঙ্গালায় দেখা যায়। জানমি’র উত্তম পুরুষের ‘মিও প্রাচীন বাঙ্গালায় অনেক স্থলে দেখা যায়। অর্থাৎ ভুসুকু ভাষা আমরা অনায়াসেই প্রাচীন বাঙ্গালা বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি। '''তথ্যসূত্র''' হাজার বৎসরের পুরনো বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান দোহা।'''প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর''' বা ডিজিডিপি একটি সরকারী সংস্থা যা প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ের জন্য দায়বদ্ধ। এটির সদরদপ্তর বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত। == ইতিহাস == সংস্থাটির মূল উৎস হল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিদপ্তর। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। == তথ্যসূত্র == আহরণ ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত সরকারি সংস্থা'''ভ্লাদিস্লা গোমুলকা''' (৬ ফেব্রুয়ারি ১৯০৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮২) একজন পোলিশ কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সাল অবধি যুদ্ধ-পরবর্তী পোল্যান্ডের নেতা ছিলেন। তিনি একটি সমাজতন্ত্র পোলিশ উপায় খুঁজছেন তবে ১৯৬০ এর দশকে তিনি আরও কঠোর কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছিলেন এই সিস্টেমকে অস্থিতিশীল করার ভয়ে তিনি পরিবর্তন আনার বা অনুমতি দেওয়ার দিকে ঝুঁকছিলেন না। ১৯৬০ এর দশকে তিনি ক্যাথলিক চার্চ এবং বুদ্ধিজীবীদের (বিশেষত লেজেক কোকাকোস্কি, যাকে প্রবাসে বাধ্য করা হয়েছিল) অত্যাচারকে সমর্থন করেছিলেন। == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু শাসক রাজনীতিবিদ'''নাসির উদ্দিন চৌধুরী''' বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার একজন রাজনিতিবিদ। তিনি জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা। == জন্ম প্রাথমিক জীবন == নাসির উদ্দিন চৌধুরী সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। == রাজনৈতিক কর্মজীবন == নাসির উদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে। ২০০১, ২০০৮ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও পরাজিত হন। == আরও দেখুন == সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জুন ১৯৯৬ সুনামগঞ্জ-২ সপ্তম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা == তথ্যসূত্র == পার্টির সাবেক রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ জেলার রাজনীতিবিদ ব্যক্তি'''অর্ডার অব দ্যা স্টার অব ইন্ডিয়া''' হলো ব্রিটিশ ভারতে তত্কালীন শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক স্থানীয় ভারতীয় প্রজা বিভিন্ন রাজ্যের যুবরাজদের মধ্যে বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা মেধার সাথে ব্রিটিশ রাজের বিভিন্ন সাফল্যে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রদত্ত সম্মানসূচক খেতাব। == ইতিহাস == রানী ভিক্টোরিয়া ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৮ সালে রাজকীয় ঘোষণার মাধ্যমে এই খেতাব এর প্রচলন করেন, যার আনুষ্ঠিক সূচনা হয় ১৯৬১ সালের ২৫ জুনের এক গেজেট ঘোষণার মাধ্যমে। == উদ্দেশ্য == এই খেতাব প্রদানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ঘোষণাপত্রে বলা হয় সম্মানসূচক খেতাব প্রদানের দ্বারা মেধা, ন্যায়পরায়ণতা বিশ্বস্ততাকে স্বতন্ত্র ভাবে চিহ্নিত করা যুবরাজদের নিকট একটি রীতিতে পরিণত হয়েছিলো, কারনেই অন্যদেরকে তার সমকক্ষ হওয়ার মতো করে তৈরি করার জন্য বিশিষ্ট সেবার স্বীকৃতি দেয়া যেতে পারে, যেনো তারা ভালো কাজে উৎসাহিত হয় এবং অন্যদের দ্বারা অনুকরণীয় হয়। == আরও দেখুন == নাইট। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == প্রতিষ্ঠিত'''প্যাট্রিক ইয়ান পোকক''' (; জন্ম: ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬) গায়নেড এলাকার ব্যাঙ্গরে জন্মগ্রহণকারী ওয়েলসীয় বংশোদ্ভূত প্রথিতযশা সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্দার্ন ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘পার্সি’ ডাকনামে পরিচিত '''প্যাট পোকক'''। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == মারটন সি অব সেকেন্ডারি স্কুলে অধ্যয়নের পর উইম্বলেডন টেকনিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্যাট পোককের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্যাট পোকক ক্রিকেট খেলতে বেশ পছন্দ করতেন। প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানের দূর্বলতার সুযোগে অনেক সময় পরীক্ষামূলকভাবে বোলিং করতেন। পুরো প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সারে দলের পক্ষে পার করে দেন। ১৯৬৪ সালে সারে দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৭২ সালে স্মরণীয় খেলা উপহার দেন। সাসেক্সের বিপক্ষে এগারো বলের ব্যবধানে সাত উইকেট পেয়েছিলন তিনি। প্রথম চার উইকেট চার বলে, পাঁচ উইকেট ছয় বলে, ছয় উইকেট নয় বলে সাত উইকেট এগারো বলে পান। তন্মধ্যে, শেষ দুইটি রেকর্ড হিসেবে রয়ে যায়। ১৯৮৬ সালে নিজস্ব শেষ মৌসুমে সারের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২৬.৫৩ গড়ে ১,৬০৭ উইকেট পান। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৯/৫৭। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পঁচিশ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন প্যাট পোকক। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এরপর ২৬ মার্চ, ১৯৮৫ তারিখে শারজায় পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট বিপক্ষে একমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলন। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ফ্রেড টিটমাস নৌ দূর্ঘটনায় পায়ের চারটি আঙ্গুল কাটা পড়লে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন। এরপর, ১৯৬৮ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ আসে। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৬/৭৯ লাভ করেন। তাসত্ত্বেও, বাদ পড়েন ডেরেক আন্ডারউডকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। সিরিজে তাকে আর খেলানো হয়নি। এরপর থেকেই আসা-যাওয়ার পালায় থাকতেন। ১৯৭৬ সালে পরবর্তী দুই টেস্ট নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। আট বছর পর ৮৬ টেস্ট ব্যবধানে সর্বশেষ টেস্ট খেলার জন্যে দলে আমন্ত্রিত হন। তার তুলনায় কেবলমাত্র ডেরেক শ্যাকলটন (১০৩ টেস্ট) লেস জ্যাকসন (৯৬ টেস্ট) অনাকাঙ্খিত রেকর্ড গড়ে এগিয়ে রয়েছেন। ডেভিড গাওয়ারের নেতৃত্বে পোকক তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সফল সমাপ্তি টানেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ভারত গমন করেন। সফরে ফিল এডমন্ডসের সাথে সফলতম জুটি গড়েছিলেন। == মূ্ল্যায়ন == জন এম্বুরির তুলনায় ওভারে অর্ধেক রান বেশী খরচ করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, এম্বুরি দ্বিগুণ টেস্ট বেশী খেলেছিলেন। ১৭ বছরের অধিক সময়ে মাত্র পঁচিশ টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন। তন্মধ্যে, শেষ নয়টি টেস্ট ধারাবাহিকভাবে খেলেছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে আট বছর পর বিস্ময়করভাবে ১৯৮৪ সালে দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। ৬৭ উইকেট লাভে ৪০-এর অধিক গড়ে রান খরচ করেন স্ট্রাইক রেট প্রায় তিন অঙ্কের কাছাকাছি ছিল। কিন্তু, কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে সফলতম সময় অতিবাহিত করেছিলেন। ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, দল নির্বাচকমণ্ডলী কখনো পূর্ণাঙ্গভাবে প্যাট পোককের উপর আস্থা রাখতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, তিনি তার সময়কালের অন্যতম সেরা নির্ভরযোগ্য স্পিন বোলার হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == পার্সি ফেন্ডার জোনাথন অ্যাগ্নিউ সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা ইংরেজ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা আনুষ্ঠানিক কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী দলের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট অধিনায়ক কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি'''বায়েক''' বাংলাদেশের জেলার অন্তর্গত কসবা উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == আয়তন == বায়েক ইউনিয়নের আয়তন ৬২৮২ একর (২৫.৪২ বর্গ কিলোমিটার)। == জনসংখ্যা == ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বায়েক ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২৯,৯৭৪ জন। মোট পরিবার ৫,৯৩২টি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১১৭৯ জন। == ইতিহাস == == অবস্থান সীমানা == কসবা উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে বায়েক ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের উত্তর-পূর্বে কায়েমপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন চান্দলা ইউনিয়ন, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ এবং পূর্বে উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত। == প্রশাসনিক কাঠামো == বায়েক ইউনিয়ন কসবা উপজেলার আওতাধীন ১০নং ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম কসবা থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৬নং নির্বাচনী এলাকা এর অংশ। == শিক্ষা ব্যবস্থা == == শিক্ষা প্রতিষ্ঠান == == যোগাযোগ ব্যবস্থা == == খাল নদী == == হাট-বাজার == == দর্শনীয় স্থান == == জনপ্রতিনিধি == == আরও দেখুন == কসবা উপজেলা কসবা থানা জেলা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == উপজেলার ইউনিয়নসভ্যতার শৈশবকালে, মধ্যপ্রাচ্য বিশ্বের অনেক পুরোন সংস্কৃতি সভ্যতা দেখেছে।এই ইতিহাস শুরু হয় মানব উপনিবেশের শুরুর দিক থেকে,চলতে থাকে বেশ কিছু প্রাক পরবর্তি ইসলামিক সম্রাজ্য হয়ে আজকের আধুনিক জাতি-রাষ্ট্রের মধ্য প্রাচ্যে। ৩১৫০ খ্রিষ্টপূর্বে প্রথম ফারাও অধীনে উচ্চ নিম্ন মিশরের রাজনৈতিক একীকরণ সঙ্গে মিশরীয় সভ্যতা একসঙ্গে বেড়ে প্রায় পুরো মধ্য প্রাচ্যকে শাসন করতে আসা বেশ কিছু শক্তিশালী সাম্রাজ্য বিশেষ করে ১৩৬৫-১০৭৬ খ্রিষ্টপূর্বের অ্যাসিরিয়ান সাম্রাজ্য এবং ৯১১-৬০৫ খ্রিষ্টপূর্বের নব্য- অ্যাসিরিয়ান সাম্রাজ্য এর জন্য মেসোপোটেমিয়া ছিল বিচরণস্থান। খ্রিষ্টপূর্ব শতকের শুরুর দিকে এই এলাকা পারসিয়ান সাম্রাজ্যের ইরানিয়ান মিডিরা এবং পরবর্তি ইরানের রাজ্য সাম্রাজ্যের অধীনে থাকে। খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতকে বিস্তৃত রোমান সাম্রাজ্য পুরো পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল দখল করে যার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেকাংশই ছিল।বলকান থেকে ইউফ্রেটিস সাম্রাজ্য পর্যন্ত শাসন করেছিল এই পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য যা এখন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য নামে পরিচিত। এরা ক্রমবর্ধমানভাবে পরিচিতি পেয়েছিল এবং খ্রিষ্টধর্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাসী ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অনেক জায়গাতে তাদের খ্রিষ্টধর্ম মতবাদ প্রতিষ্ঠার হুকুম এবং বিশ্বাসীদের মধ্যে ধর্মীয় ফাটল ধরায়।৩য় থেকে ৭ম খ্রিষ্টাব্দে পুরো মধ্য প্রাচ্য শাসন করেছে বাইজেন্টাইন পারস্যের সাসনীয়রা। ৭ম শতাব্দী থেকে মধ্যপ্রাচ্য ইসলামের নতুন শক্তি জেগে উঠে,। আরবদের শাসন হঠাৎ করেই ১১ শতকের মাঝামাঝি এসে সেলজুক রাজবংশের তুর্কিদের আগমনের সঙ্গে শেষ হয়। ১৩ শতকের শুরুর দিকে নতুন আক্রমনকারীর দল, মঙ্গল সাম্রাজ্যের সৈন্য দল মূলত তুর্কীয়রা অঞ্চলে আসে। ১৫ শতকের শুরুর দিকে পশ্চিম আনাতোলিয়ায় নতুন শক্তি জেগে উঠে,উসমানীয় সাম্রাজ্য ,ভাষাগত ভাবে তুর্কীয় এবং ধর্মীয় ভাবে মুসলিম, যারা ১৪৫৩ তে কনস্টান্টিনোপল খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন রাজধানী দখল করে এবং নিজেদের সুলতান বানায়। ১৬ শতকের শুরুর দিকে মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল অংশ উসমানীয় ইরানিয়ান সাফাভিদের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পরিনত হয়। ১৭০০ তে উসমানীয়রা হাঙ্গেরি থেকে বিতারিত হয় এবং পশ্চিমের পক্ষে সীমান্তে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতভাবে অপসারিত হয়েছিল। ব্রিটিশরাও পার্সিয়ান উপসাগরে তাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং ফরাসীরা তাদের প্রভাব লেবানন এবং সিরিয়াতেও বাড়িয়েছিল। ১৯১২ তে ইতালিয়ানরা উসমানীয় ভুখন্ডের আনাতোলিয়ার উপকূলের কিছু দূরে লিবিয়া ডোডেকানিস দ্বীপ দখল করে। ১৯ শতকের শেষ ২০ শতকের শুরুর দিকে ইউরোপিয়ান শক্তির সাথে তাল মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা তাদের রাজ্যকে আধুনিক করতে চেষ্টা করেছিলেন। ১৯০৮ পারস্যে এবং পরে সৌদি আরব,লিবিয়া আলজেরিয়াসহ অন্যান্য পারস্য উপসাগরের রাজ্যে তেল আবিষ্কারের পর মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে দাড়ায়। পশ্চিমের তেলের উপর নির্ভরতা এবং ব্রিটিশদের প্রভাবের পতনের জন্য আমেরিকার এই অঞ্চলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। ১৯২০,১৯৩০,১৯৪০ সিরিয়া মিশর স্বাধীনতার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। ২য় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) সময় পরে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু অঞ্চল থেকে ব্রিটিশ,ফরাসী সোভিয়েতরা বিদায় নিয়েছিল।১৯৪৭ জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ভাগের পরিকল্পনা আরব ইহুদিদের মধ্যে সংগ্রাম চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। পরে স্নায়ুযুদ্ধের দুশ্চিন্তার মধ্যে,উত্তর আফ্রিকা পশ্চিম এশিয়ার আরবি ভাষী দেশগুলো একাত্মতা উত্থান হয়। ইউরোপিয়ান শক্তির সরাসরি নিয়ন্ত্রন দূর,ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা এবং তৈল শিল্পে গুরুত্ব আধুনিক মধ্যপ্রাচ্য তৈরি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশগুলোতে, রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা, দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি অস্ত্র প্রতিপত্তি প্রকল্পে বাড়তি খরচ, এবং তেল রাজস্বের উপর অধিক নির্ভরতার জন্য বাজার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। অঞ্চলের সফল অর্থনীতি ছিল কম জনসংখ্যার তেল সম্পদযুক্ত দেশ গুলোতে,যেমন কাতার,বাহরাইন, কুয়েত, এবং আরব আমিরাত। ১৯৭৯ ইরানের বিপ্লব(ওরফে ইসলামী বিপ্লব) এবং ১৯৮০ এর দশকে অন্যান্য মুসলিম-অধ্যুষিত দেশে অনুরূপ পরিবর্তনের কারণে অঞ্চল ভাবাদর্শে ইসলামিক।১৯৯১ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বৈশ্বিক নিরাপত্তা স্নায়ুযুদ্ধ থেকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই কেন্দ্রিভুত হয় ২০১০ এর শুরুর দিকে বিভিন্ন মধ্যপ্রাচ্যের এবং মাগরেব দেশের মধ্যে আরব বসন্ত নামে বিপ্লবের ধারা বয়ে গেছে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ তে পশ্চিম ইরাকের সংঘর্ষ আইএসআইএল এর উত্থানের প্রাথমিক ধাপ ছিল। একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, নিকট প্রাচ্য শব্দটি মধ্যপ্রাচ্যের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষত যখন প্রাচীন কাল নিয়ে আলোচনা হবে,এর সীমিত অর্থ থাকতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে আরামাইক-ভাষী সেমিটিক এলাকা এবং অ্যানাটোলিয়ান ভূখণ্ড সংলগ্ন দুটি মানচিত্রে নিচের দেয়া হল। == সাধারন == ককেশাস বাদ দিয়ে মিশর সহ মধ্যপ্রাচ্যকে ভৌগলিকভাবে পশ্চিম এশিয়া মনে করা যেতে পারে যা উত্তর আফ্রিকার অমাগরেব অংশ।মধ্যপ্রাচ্য সর্বপ্রথম নবোপলীয় বিল্পব দেখেছিল আবার সর্বপ্রথম তাম্র যুগ লৌহ যুগে প্রবেশ করেছিল। ঐতিহাসিকভাবে মানব বসতি নদী তীরবর্তি অঞ্চলে বেশি হয় যা আধুনিক জনসংখ্যা ঘনত্বের নমুনায় বোঝা যায়। সেচ ব্যবস্থা কৃষি নির্ভর মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা আসত মিশরের জন্য নিম্ন নীলনদ মেসোপোটেমিয়ার জন্য টাইগ্রিস ফেরাত নদী থেকে ফলস্বরূপ লেভেন্টের বৃষ্টিনির্ভর কৃষির চেয়ে মিসর মেসোপটেমিয়ার নদী ভিত্তিক সেচনির্ভর কৃষি বিভিন্ন ফসলের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। সমুদ্রভ্রমণ দ্রুত সহজ ছিল সভ্যতা যেমন ফিনিশিয়া এবং পরে গ্রীস তীব্র বাণিজ্যে যুক্ত হয়েছিল।একইভাবে প্রাচীন ইয়ামেন অন্যান্য আরবীয় উপদ্বীপের তুলনায় বেশি কৃষি পরিচালনা করত তাই আফ্রিকার শিং উপদ্বীপের সাথে ভারী সমুদ্রবাণিজ্য করত যাদের কিছু সেমিটিক ভাষার। শহর রাজ্যে কিছু লোক বসবাস শুরুর আগে আরাবিক আরবরা বসবাস করত মধ্যপ্রাচ্যের শুষ্ক মরুভুমির মধ্যে,যাযাবর মেষপালকের জীবনযাপন করত। ভু-ভাষাগত বণ্টনের জন্য পারস্যের উপদ্বীপ নজদ হেজাজ ভাগ হয়েছে,সেইসাথে উপদ্বীপের বাইরে বেদুইন এলাকায়। প্রাচীন সময় থেকেই মধ্যপ্রাচ্য বেশ কিছু ভাষা ছিল, আক্কাডিয়ান (১৪-৮ শতাব্দী ), আরমানিক(৮ খ্রিষ্টাব্দ শতাব্দী ), গ্রিক( -৮ খ্রিষ্টাব্দ শতাব্দী),এবং আরবী (৮ খ্রিষ্টাব্দ -বর্তমান )।মধ্যপ্রাচ্যের ইংরেজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাধারনভাবে আরবী তুর্কি,ইরান ইসরাইলে বলে না এবং কিছু আরবীর ভিন্নতা পারস্পারিক বোধগম্যতা কমায়,যদিও স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে একে ধরা ভাষাগত মানদন্ডের জন্য। মধ্যপ্রাচ্য হল ইব্রাহীমীয়, জ্ঞানবাদী অন্যান্য ইরানিয়ান ধর্মের জন্মস্থান। প্রারম্ভিক ভাবে প্রাচীন অধিবাসীরা বেশ কিছু ধর্মীয় জাতিকে অনুসরন করেছিল।কিন্তু অধিকাংশই প্রথমে খ্রিষ্টান(এমনকি মিলান 313 খ্রিষ্টাব্দ ফরমানোর আগে) এবং পরে ইসলাম ধর্মের(৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে আরব উপদ্বীপের বাইরে মুসলিম বিজিতদের বিস্তারের পর) অনুসারি হয়। যদিও বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে নির্দিষ্ট ভাবে ,কিছু বৃহত্তর,জাতিগত স্বতত্র সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান দল আছে, ইসরাইলে ইহুদি এবং ইরানিয়ান ধর্মের অনুসারি আছে,যেমন স্বর্গদূতের উপাসক অগ্নি উপাসক।কিছু ক্ষুদ্র ধর্মীয় জাতি সাবাক গোষ্ঠী, ড্রুজ ধর্ম, ইসলাম ধর্মের শাখা শিয়া ইসলামের নিছক একটি অংশ অথবা স্বতন্ত্র ধর্মও হতে পারে। == পূর্ব ইতিহাস == পৃথিবীর শুরুর কিছুকাল পরে ম্যামালদের যুগের অলিগছিন উপযুগ পর্যন্ত যখন আরবিক প্লেট আফ্রিকান প্লেটের অংশ ছিল। লোহিত সাগর ফাটল ধরে ইওছিন কালে কিন্তু আফ্রিকা আরব আলাদা হয় অলিগছিনে এবং ইউরেশীয় প্লেট এর দিকে ধীরে ধীরে আরব প্লেট আগাচ্ছে। আরবীয় প্লেট ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষে ইরানের জগ্রোস পর্বতমালা জেগে উঠেছে। আরবীয় প্লেট ইউরেশীয় প্লেটের ধাক্কার কারণে দক্ষিণ পূর্বের তুরস্ক এর মত বেশ কিছু দেশ বিপদে আছে। এই বিপদের মধ্যে আছে ভুমিকম্প,সুনামী আগ্নেয়গিরি। আজ থেকে ১.৮ মিলিয়ন বছর আগে আফ্রিকার বাইরে প্রাক-আধুনিক হোমো এরেক্টাস এর সর্বপ্রথম মানব অভিবাসন মিশরের লেভেন্টাইন গলি দিয়ে হয়।দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে মানব অভিবাসনের একটি অন্যতম রাস্তা হল ইরান। হ্যাপলোগ্রুপ '''জে-পি২০৯''' হল মধ্যপ্রাচ্যের বহুল পরিচিত মানব ডিএনএ হ্যাপলোগ্রুপ''' যা উদিত হয়েছিল অঞ্চলে ৩১৭০০±১২৮০০ বছর বর্তমান দুটি উপশাখা হল '''জে-এম২৬৭''' এবং '''জে-এম১৭২''' যাদের মধ্যে হ্যাপলোগ্রুপের সব অধিবাসী ধারন করেছে ,উভয়ই উদিত হয়েছিল ১০,০০০ বছর আগে। তবু '''এফ-এম৮৯*''' ইরানিয়ান মালভুমিতে দেখা গেছে বলে বলে খবর পাওয়া ওয়েসিস মরুভুমিতে এবং নীলের সোপানে পাথর খোদাইয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। খ্রিষ্টপূর্ব ১০ম সহস্রাব্দে শিকারী জেলে সংস্কৃতি শস্য ভাঙ্গার সংস্কৃতিতে বদলে যায়। ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বে জলবায়ু পরিবর্তন বা অতিরিক্ত গোচারন মিশরের চারনভুমি শুকাতে শুরু করে সাহারা নির্মাণ হয়। প্রাচীন উপজাতির লোকেরা নীলনদের কাছে চলে আসে যেখানে তারা স্থায়ী কৃষি অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করে এবং সমাজকে কেন্দ্রীভূত করে। == প্রাচীন মধ্যপ্রাচ্য == প্রাচীন মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বার্ষিক কৃষি অর্থকেন্দ্রিক বাণিজ্য শুরু করে, দিয়েছে পুরো বিশ্বকে সর্বপ্রথম লেখার ব্যবস্থা, উদ্ভাবন করেছে কুমারের চাকা এবং পরে যানের চাকা কলের চাকা,তৈরি করেছিল প্রথম কেন্দ্রিভূত সরকার এবং আইন শ্রম বিভাগ দিয়ে প্রথম শহর রাজ্যর আতুরঘর হিসেবে নিজেকে জারি করেছিল, সেইসাথে জোতির্বিদ্যা গণিতের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। যদিও এই সাম্রাজ্য সামাজিক স্তর বিন্যাস, দাসপ্রথা এবং সংগঠিত যুদ্ধবিগ্রহ চালু করে ছিল। === মিশর === সুমেরিয়ান সভ্যতার শুরুর পর নীলের নিম্ন উপত্যকা উপরের মিশর একত্রিত হয়েছিল ফারাও এর অধীনে, আনুমানিক ৩১৫০ খ্রিষ্টপূর্বে। তারপর থেকে প্রাচীন মিশরে সভ্যতার ৩টি গুরুত্বপুর্ন দিক দেখা যায়,তা হল রাজ্যকালঃ পুরোন রাজ্য (২৬৮৬-২১৮১) মধ্য রাজ্য (২০৫৫-১৬৫০) নতুন রাজ্য (১৫৫০-১০৬৯) প্রাচীন মিশরের ইতিহাস শেষ হয় শেষ কাল মিশরের ইতিহাস অনুসরন করে চিরায়ত প্রাচীনতা এবং শুরু হয় টলেমির মিশর === লিভ্যান্ট আন্টোলিয়া === এরপরেই সভ্যতা দ্রুত ছড়িয়ে যায় উর্বর চন্দ্রকলা এলাকা থেকে ভুমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে এবং লিভ্যান্টের সর্বত্র সেই সাথে প্রাচীন আনাতোলিয়াতেও। প্রাচীন লিভেন্ট রাজ্য এবং শহর রাজ্যের অধীন ইবালা শহর,দামেস্ক রাজ্য,ইসরায়েল রাজ্য,জুদাহ রাজ্য,আমোন রাজ্য, মোয়াব রাজ্য,ইদম রাজ্য এবং নাবাতিয়ান রাজ্য। ফিনিসীয় সভ্যতা, ঘিরে ছিল বেশ কিছু শহর রাজ্য নিয়ে ,ছিল ভূমধ্যসাগরের অববাহিকায় ঔপনিবেশিকদের সামুদ্রিক বাণিজ্যচর্চায় ,লক্ষনীয়ভাবে ৮১৪ খ্রিষ্টপূর্বে কারথাগে। === আসিরিয়ান সাম্রাজ্য === মেসোপটেমিয়া ছিল বেশ কিছু শক্তিশালী সাম্রাজ্যের ঘর যা প্রায় পুরো মধ্যপ্রাচ্য শাসন করেছিল,বিশেষ করে আসিরিয় নব্য আসিরিয় সাম্রাজ্য। অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য,ঐ সময়ে বিশ্বের সর্বোবৃহৎ রাজ্য ছিল। এরা বর্তমানের এবং বাহরাইন আরাবিয়া শাসন করেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অ্যাসিরীয় করে ৩য়র ছিল গভীর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব। অ্যাসিরীয় দের কর্তৃত্ব শেষ হওয়ার আগে, পরবর্তিকালের তুলনায় সবথেকে উচ্চ সভ্যতা এনেছিল। কাস্পিয়ান থেক সাইপ্রাস, আন্তোলি থেকে মিশর, অ্যাসিরীয় সার্বভৌম সম্প্রসারণ বয়ে এনেছিল অ্যাসিরীয় যাযাবর বলয় এবং আদিম সম্প্রদায়,দান করেছিল সভ্যতার === নব্য ব্যবলিয়ান পারস্য সাম্রাজ্য === খ্রিষ্টপূর্বে শতকের শুরুর দিকে, পারস্যের বেশ কিছু রাজ্য এলাকায় কর্তৃত্ব করেছিল,মেডীদের নব্য ব্যবলীয়নিয়ায় সাম্রাজ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল, এরপর তাদের উত্তরাধিকারি আখেমেনিয় সাম্রাজ্য ছিল প্রথম পারসীয় সাম্রাজ্য। খ্রিষ্টপূর্বে শতকের শেষে জিতেছিল, স্বল্পজীবী ম্যাসেডনীয় সাম্রাজ্যের মহান আলেক্সান্ডার এবং তার উত্তরাধিকারী রাজ্য যেমন টলেমীয় মিশর পশ্চিম এশিয়ার সোলুওসীড সাম্রাজ্য। এক শতক পর পারসীয়ান সাম্রাজ্যের ধারনা পুর্নজাগরিত হয়েছিল পার্থিয়ানদের দিয়ে এবং তা চলতে থাকে তাদের উত্তরাধিকার সাসানীয়দের দ্বারা, খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতক থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের এখনকার এশিয়ান অংশ এই সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল এবং এর প্রভাব চলতে থাকে মধ্যপ্রাচ্যের বাকী এশীয় আফ্রিকান অংশে, শতকের মধ্যভাগে আরবদের পারস্য বিজয় পর্যন্ত। খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতক থেকে খ্রিষ্ট পরবর্তি শতক এর শুরুর মধ্যে এই অঞ্চল ছিল রোমান, পার্থিয়ান সাসানিয়দের দখলে। অন্যদিকে ৭টি দেশের মধ্যে বিভিন্ন রোমান-পারসীক যুদ্ধ চরমে ছিল। খ্রিষ্ঠানদের পূর্বের গীর্জা পারস্য শাসিত মেসোপোটেমিয়া ধরে আসিরিয়ায়, খ্রিষ্ট পরবর্তি ১ম শতকের পর থেকে এবং এই এলাকা শিক্ষা প্রথার উন্নয়নশীল কেন্দ্রে পরিনত হয়। === গ্রিক রোমান সাম্রাজ্য === খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতকে, বিস্তৃত রোমান প্রজাতন্ত্র পুরো পূর্ব ভুমধ্য গ্রহণ করে যাতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় অংশই ছিল। রোমান সাম্রাজ্য ইউরোপের অধিকাংশ এবং উত্তর আফ্রিকাকে একক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে একীভুত করেছিল। এমনকি সরাসরি রাজ্যভুক্ত নয়,এমন এলাকাও এই সাম্রাজ্যের শক্তিশালী প্রভাবে ছিল,যা কয়েক শতাব্দী শক্তিশালী রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সত্তা ছিল। যদিও রোমান সংস্কৃতি এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল, মেসোডেনিয়ান সাম্রাজ্য সর্বপ্রথম গ্রিক ভাষা সংস্কৃতি এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছিল,রোমান সময়ের সর্বত্র অধীনে নিয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যের সম্রাজ্যের প্রধান শহরকেন্দ্রে পরিনত হয়েছিল এবং এই এলাকা কৃষি উৎপাদনের জন্য সাম্রাজ্যের রুটির ঝুড়িতে পরিনত হয়েছিল। এইজিপ্টাস ছিল সবচেয়ে ধনী রোমান রোমান পারস্য সাম্রাজ্যে খ্রিষ্ঠান ধর্ম ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে, এটা মধ্যপ্রাচ্যের গোড়ায় চলে যায় এবং এডিসার মত শহরগুলো খ্রিষ্ঠান পান্ডিত্যের প্রধান কেন্দ্রে পরিনত হয়। শতকে মধ্যপ্রাচ্য খ্রিষ্ঠানদের অধিনে ছিল, অন্যান্য ধর্মের সক্রিয়ভাবে নিপীড়িত হচ্ছিল। রোমে শহরের সাথে মধ্যপ্রাচ্য যুক্ত ছিল যা সাধারণত সাম্রাজ্যের পূর্ব পশ্চিমকে বিভক্ত করেছিল, মধ্যপ্রাচ্যের সাথে রোমান রাজধানী কন্সটান্টিপোল যুক্ত ছিল। পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এই এলাকায় এর যতসামান্য প্রভাব পরেছিল। === ব্রাজেন্টান সাম্রাজ্য বা পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য === বলকান থেকে ইউফ্রেটিস সাম্রাজ্য পর্যন্ত শাসন করেছিল এই পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য যা এখন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য নামে পরিচিত।এরা ক্রমবর্ধমানভাবে পরিচিতি পেয়েছিল এবং খ্রিষ্টধর্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাসী ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অনেক জায়গাতে তাদের খ্রিষ্টধর্ম মতবাদ প্রতিষ্ঠার হুকুম এবং বিশ্বাসীদের মধ্যে ধর্মীয় ফাটল ধরায়।এই সময়ে গ্রিকরা এই অঞ্চলের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা তে পরিনত হয়, যদিও সিরিয়াক হিব্রু জাতি তখন টিকে ছিল। বাইজেন্টাইন বা গ্রিক শাসনকালে লেভেন্টমেট এলাকা স্থায়িত্ব উন্নতির যুগে। === মুসলিম খিলাফত === শতক থেকে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন শক্তি জেগে উঠে, মুসলিম, যখন রোমার পারস্য যুদ্ধের সময় বাইজেন্টাইন রোমান সাসনিড পারসীয়ান সাম্রাজ্যের দুর্বল হয়ে পরে। দ্রুত মুসলিম বিজয়ের ধারায়,আরব সৈন্যবাহিনী ইসলামে অনুপ্রাণিত হয়ে, খলিফাদের নির্দেশে এবং খালিদ ইবনে আল ওয়ালিদের মত দক্ষ সামরিক সেনাপতিরা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পরে। বাইজেন্টাইন অংশের অর্ধেকের বেশি কমানো এবং পুরো পারস্য দখল করে নিয়েছিল। সহায়তায় বাইজেন্টাইনরা তাদের ছড়িয়ে পড়া থামিয়ে দেয়। রোমান সিরিয়ার বাইজেন্টাইন প্রদেশ,উত্তর আফ্রিকা এবং সিসিলি তেমন বাধা দিতে পারেনি এবং মুসলিম বিজেতারা এইসব এলাকা দ্রুত বেগে অতিক্রম করেন। একেবারে পশ্চিমে, তারা ফ্রাংকদের দ্বারা দক্ষিন ফ্রান্স থামার আগে সাগর অতিক্রম করে ভানডল স্পেন দখল করে। এই বিশাল বিস্তারে,আরব সাম্রাজ্য ছিল প্রথম সাম্রাজ্য যারা পুরো মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রন করেছিল একইসাথে ভুমধ্য এলকার ৩/৪অংশ। অন্য সাম্রাজ্যের মধ্যে শুধু রোমানরা পেরেছিল অধিকাংশ ভুমধ্যসাগর নিয়ন্ত্রন মধ্যযুগের আরব খলিফারাই মধ্যপ্রাচ্যকে স্বতন্ত্র এলাকা হিসেবে একীভুত করেছিল এবং আরব হিসেবে আজকের জাতিগত পরিচিতি দিয়েছিল। সেলজুগ সাম্রাজ্য পরে এলাকা শাসন করেছিল। মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান মুসলিম কেন্দ্রের সীমানবর্তী এলাকা ছিল অধিকাংশ উত্তর আফ্রিকা কিন্তু এবং মরোক্কো দূরবর্তি নিয়ন্ত্রন থেকে ভেঙ্গে পরে এবং সময়ে বিশ্বের সবথেকে উন্নত সমাজ গড়ে তোলে পুর্ব ভূমধ্যের বাগদাদকে নিয়ে। ৮৩১-১০৭১ ভূমধ্যে মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কেন্দ্র ছিল সিসিলির আমিরাত। এটি নর্মানদের বিজয়ের পর, এই দ্বীপ পশ্চিমা বাইজেন্টাইনদের প্রভাবে, আরবদের সংমিশ্রণে নিজেদের সংস্কৃতি তৈরি করে। পালের্মো মধ্যযুগে ভুমধ্যের অগ্রবর্তি শৈল্পিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র থাকে। আফ্রিকা পুনর্জাগরিত হচ্ছিল,১২ শতকের রেনেসার পর,মধ্যযুগের শেষে আরও সংগঠিত কেন্দ্রীভূত রাজ্য গঠন শুরু হয়েছিল মুলসিম শক্তি ফেরানো পবিত্র ভূমি উদ্ধারের জন্য ইউরোপের রাজারা বেশ কিছু ধর্মযুদ্ধ চালিয়ে ছিল, ধর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বিজয়ের ব্যর্থ ছিল, কিন্তু তারা প্রায় নড়বড়ে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যকে দুর্বল করতে কিছুটা কার্যকর ছিল, যা হারাতে বসেছিল বেশ কিছু এলাকা উসমানীয় তুর্কিদের কাছে। মুসলিম বিশ্বের ক্ষমতার ভারসাম্য পুনর্বিন্যাস হিসেবে মিশর আবার পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় একটি প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। === তুর্কি ,ধর্মযোদ্ধা মঙ্গল === মধ্য ১১ শতকে মধ্য এশিয়ার তুর্কিদের জন্মভুমি থেকে দক্ষিণে অভিবাসিত সেলজুগ তুর্কিদের আগমনের সাথে হটাৎ করে মুসলিমদের কর্তৃত্ব শেষ হয়ে যায়। যারা হেজায জয় করেছিল। ১১৬৯ পর্যন্ত ফাতেমীয় খেলাফতের অধীনে ছিল, যখন তুর্কিদের কাছে এটা ভয়ংকর ছিল। শতকে বেশ এলাকা হারানো সত্ত্বেও খ্রিষ্টান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ভুমধ্যের একটি শক্তিশালী সৈন্য অর্থনৈতিক দলে পরিনত হতে চেয়েছিল, ইউরোপে আরবদের আগ্রাসন ঠেকাতে। ১১ শতকে সেলজুগ্রা বাইজেন্টাইন সৈন্যদের পরাজয় আন্তোলিয়া দখল কার্যকর ভাবে এই এলাকায় বাইজেন্টাইনদের প্রভাব শেষের ইংগিত দিয়েছিল। সেলজুগরা পরবর্তি ২০০ বছর মধ্যপ্রাচ্য শাসন করেছিল,কিন্তু তাদের সাম্রাজ্য দ্রুত ভেঙ্গে পরে কিছু সংখ্যক ক্ষুদ্র সুলতানাতে। শতক থেকে দুর্ভোগ সত্ত্বেও ১১ শতকে পশ্চিম ইউরোপ অর্থনৈতিক জনতাত্ত্বিক উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। মধ্যপ্রাচ্যের খন্ডাবস্থা যৌথ সৈন্যের অনুমোদন দেয়,প্রধানত ইংল্যান্ড, ফ্রান্স থেকে এবং এই এলাকায় ঢোকার জন্য পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের উদয় হয়। ১০৯৫ এ,পোপ আরবান ঝিমন্ত ব্রাজেন্টান সাম্রাজ্য আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন, ইউরোপের অভিজাতদের ডেকেছিলেন খ্রিষ্টানদের পবিত্র ভুমি উদ্ধার করতে এবং ১০৯৯ বীররা প্রথম ধর্মযুদ্ধে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেছিল। তারা জেরুজালেম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল,যা টিকেছিল ১১৮৭ পর্যন্ত যখন সালাউদ্দিন পুনরায় নিয়ে নেয়। ক্ষুদ্র ধর্মযুদ্ধ টিকেছিল ১২৯১ পর্যন্ত। ==== মঙ্গল আক্রমণ ==== ১৩ শতকের শুরুতে একটি নতুন আক্রমনকারীদের দল আসে, মঙ্গল সাম্রাজ্যের সৈন্যদল, ১২৫৮ বাগদাদ ধংস এবং লুট করে এবং মিশর সীমান্তের দক্ষিণে আগাতে থাকে। মামলুক আমির বাইবার দামেস্ক ছেড়ে কায়রোতে যান যেখানে সুলতান কুতুস তাকে গ্রহণ করেন। দামেস্ক জয়ের পর, খানাত-২ প্রতিষ্ঠা করে এবং হালাকু দাবী করে সুলতান কুতুস মিশর সমর্পন করেছে,কিন্তু সুলতান কুতুস হালাকুর দূতকে মেরে ফেলে ,বাইবারদের সাহায্যে তার সৈন্যকে সংহত করে। যদিও উত্তরের সংদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মহান মংক খানের মৃত্যুতে হালাকুকে পূর্বে চলে যেতে হয়েছিল, সে তার প্রতিনিধিকে রেখে কিবুগাকে। অরন্টিস নদীর কাছে মঙ্গল সৈন্যদের ফাঁদে ফেলে,আইন জালুতের যুদ্ধে টেনে আনে এবং কিতবুকাকে আটক এবং হত্যা করেছিলেন। এই বিজয়ে মামলুক তূর্কী মিশরের সুলতান এবং আসল শক্তিতে পরিণত হয় এবং ফিলিস্তিন সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রন অর্জন করে। উসমানীয়রা আসার আগে যখন তুর্কি সুলতানরা ইরাক আনাতোলিয়া নিয়ন্ত্রন করত।একটি সাধারণ কার্যালয় একটি আধুনিক কার্যালয় আধুনিক ধারার সৃজনশীল কার্যালয়: একত্রিত কর্মস্থল বাংলাদেশের একটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় একটি কার্যালয় সাধারণত একটি কক্ষ বা যায়গা যেখানে সংস্থার পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যগুলি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করে। একটি কার্যালয় একটি স্থাপত্য এবং নকশার সমন্বয়: যা খুব ছোট্ট এমনকি ব্যবসাক্ষেত্রের কোণায় অবস্থিত একটি বেঞ্চ থেকে শুরু করে ভবনের একটি তলা, পুরো একটি ভবন, এমনকি একাধিক ভবনের সম্বয়েও গঠিত হতে পারে। কার্যালয় পরিমণ্ডলের মূল উদ্দেশ্য হ'ল এখানকার মানুষদের কাজ সম্পাদনে সহায়তা করা। কার্যালয়ে কাজের জায়গাগুলি সাধারণত পড়া, লেখার এবং কম্পিউটারের কাজের মতো প্রচলিত ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্বতন্ত্র কাজ ছাড়াও, সভাকক্ষ, সময় কাটানোর জায়গা, ফটোকপি এবং ফাইল সংরক্ষণের জন্য জায়গা থাকতে পারে। কিছু কার্যালয়ের একটি রান্নাঘরও থাকতে পারে।'''ব্রাহ্মী লিপি পরিবার''' হল কয়েকটি লিখন পদ্ধতির সমষ্টি, যেগুলি প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এগুলির প্রত্যেকটিই শব্দীয় বর্ণমালা লিপি। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া (পাকিস্তান আফগানিস্তান বাদে), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে এই লিপিগুলি প্রচলিত। এদের প্রত্যেকেই প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মী লিপি থেকে সৃষ্ট হয়েছে। এই লিপিমালাগুলি কতকগুলি ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ভাষায় ব্যবহৃত হয়। যথা ইন্দো-ইওরোপীয়, দ্রাবিড়ীয়, তিব্বতি-বর্মী, মঙ্গোলীয়, অস্ট্রোনেশীয় প্রভৃতি। এই লিপিগুলি জাপানের ‘কানা’ লিপির আভিধানিক বর্ণানুক্রমেরও উৎস হিসেবে পরিচিত। == ইতিহাস == অশোকের ষষ্ঠ স্তম্ভলেখমালায় ব্যবহৃত ব্রাহ্মী লিপি পূর্বেই বলা হয়েছে, এই পরিবারের লিপিগুলি প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপির বংশধর। মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রিস্টপূর্ব শতক) ব্রাহ্মী লিপির প্রকৃষ্ট ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়, যা সময় রাজ্যের শাসন সংক্রান্ত নিয়ম-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হত। অশোকের স্তম্ভ লেখমালাগুলিতে ব্রাহ্মী লিপির প্রকৃষ্ট নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। ব্রাহ্মীর সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য উদাহরণটি হল খ্রিস্টপূর্ব শতকে লিখিত একটি স্তম্ভলিপি। উত্তর ভারতীয় ব্রাহ্মী থেকে গুপ্ত যুগে ‘গুপ্ত লিপি’র উদ্ভব হয়েছিল, যেটি মধ্যযুগে আরও নানা শাখায় বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সিদ্ধং, শারদা নাগরী লিপি। ‘সিদ্ধং’ লিপি বৌদ্ধধর্মের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল, প্রচুর বৌদ্ধ ‘সূত্র’ এর মাধ্যমেই লিখিত হয়। সিদ্ধং হস্তলিপি বর্তমানে নিজস্ব অস্তিত্ব বজায় রেখেছে জাপানে। সম্ভবত বৌদ্ধধর্মের প্রচারকার্যের ফলেই জাপানের কানা বর্ণানুক্রম সৃষ্ট হয়েছে সিদ্ধং লিপি থেকেই। দক্ষিণ ভারতীয় ব্রাহ্মীর মধ্যে প্রাচীন কন্নড়, পল্লব ভাট্টেলুত্তু লিপিই অধিক প্রসিদ্ধ। এই লিপিগুলি দক্ষিণ দক্ষিণতর এশিয়ায় নানা বিভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ভাট্টিপ্রোলু খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে বৌদ্ধধর্মের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়, এবং এই স্থান থেকেই পূর্ব এশিয়ায় বৌদ্ধধর্ম প্রচারিত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে তেলুগু লিপি এই ভাট্টিপ্রোলু বা কন্নড়-তেলুগু লিপি থেকেই উদ্ভূত হয়েছে। প্রথমাবস্থায়, তামিল ব্রাহ্মী লিপিগুলি ধীরে ধীরে ঈষৎ পরিবর্তিত হতে থাকে, এই কারণেই বর্তমান তামিল লিপিটি অন্যান্য ভারতীয় লিপিগুলির থেকে ভিন্ন, এই লিপির বর্ণমালায় তুলনামূলকভাবে বর্ণসংখ্যা কম, এতে মহাপ্রাণ সঘোষ বর্ণগুলি পৃথকভাবে স্থান পায়নি। == বৈশিষ্ট্য == এই লিপিগুলির প্রত্যেকটির মধ্যেই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। যথা: স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেকটি ব্যঞ্জনের সাথে একটি হ্রস্ব ‘a’ (अ) স্বরধ্বনি যুক্ত অবস্থায় থাকে (বাংলা, অসমিয়া ওড়িয়াতে উচ্চারণ বিভেদে এই ধ্বনিটি হল হ্রস্ব ‘অ/ô’)। অন্যান্য স্বরধ্বনিগুলিকে নির্দিষ্ট অক্ষর বা চিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আর স্বরহীন শুদ্ধ ব্যঞ্জনধ্বনিকে প্রকাশ করতে একটি ‘হসন্ত’ (সংস্কৃত: বিরাম) চিহ্ন যুক্ত করতে হয়। প্রতিটি স্বরধ্বনির দুইটি রূপ রয়েছে, একটি হল স্বতন্ত্র রূপ, যখন এটি ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে না, এবং অন্যটি হল নির্ভরশীল রূপ বা চিহ্ন, যেটি ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে। এই নির্ভরশীল রূপটিকে (‘কার’ চিহ্ন) নিয়মানুযায়ী মূল ব্যঞ্জনের উপরে, নীচে, ডান দিকে, বাঁ দিকে, কিংবা দু’দিকেই বসানো যেতে পারে। একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণ পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে যুক্তাক্ষর গঠন করতে পারে। বেশিরভাগ লিপিতেই ‘র’ (r) বর্ণটি অন্য ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হলে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। অনুনাসিক স্বরধ্বনি সঘোষ স্বরকে চিহ্নিত করতে স্বরবর্ণ কিংবা স্বরচিহ্নের সাথে নির্দিষ্ট চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বর্ণমালার বর্ণানুক্রমটি এইরূপ: স্বরবর্ণ, কণ্ঠ্য ব্যঞ্জনবর্ণ, তালব্য ব্যঞ্জনবর্ণ, মূর্ধন্য ব্যঞ্জনবর্ণ, দন্ত্য ব্যঞ্জনবর্ণ, ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জনবর্ণ, অন্তঃস্থ ব্যঞ্জনবর্ণ, ঊষ্ম ব্যঞ্জনবর্ণ অন্যান্য ব্যঞ্জনবর্ণ। প্রত্যেটি ব্যঞ্জন বিভাগে ৪টি বর্ণ (সম্ভাব্য ঘোষতা শ্বাসপ্রাণের ভিত্তিতে) একটি নাসিক্য বর্ণ থাকে। == তুলনা == নীচে ব্রাহ্মী লিপিজাত লিখন পদ্ধতিগুলির বর্ণমালার তুলনামূলক ছক দেওয়া হল, যার একই কলামে থাকা বর্ণগুলি ব্রাহ্মীর মূল একই বর্ণ থেকে সৃষ্ট হয়েছে। যথাক্রমে: ছকটিতে প্রতিটি বর্ণমালার বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণরূপে দেওয়া হয় নি। কোনো বর্ণমালার যেসব বর্ণ ব্রাহ্মী লিপি থেকে নেওয়া হয়নি, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। একই কলামে অবস্থিত প্রতিটি বর্ণের উচ্চারণ একই নাও হতে পারে। কারণ, অঞ্চলগত প্রভেদে উচ্চারণ রীতি বদলে যেতে পারে। বর্ণগুলির ইংরেজি লিপ্যন্তর ISO 15919 এর মাধ্যমে করা হয়েছে। === ব্যঞ্জনবর্ণ === ISO kh gh ch jh ṭh ḍh th dh ph bh ব্রাহ্মী 12px 12px 10px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 10px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px দেবনাগরী অসমিয়া বাংলা গুরমুখী ਲ਼ ਸ਼ গুজরাতি ওড়িয়া তামিল ஜ* ஶ* ஷ* ஸ* ஹ* তেলুগু কন্নড় মালয়ালম সিংহলি থাই লাও তিব্বতি বর্মী খ্‌মের তামিল: পল্লব গ্রন্থ বর্ণগুলি খাঁটি তামিলে ব্যবহৃত হয় না কিন্তু বিদেশি শব্দগুলি লিখতে ব্যবহৃত হয়। === স্বরবর্ণ === ISO ai au r̥ r̥̄ l̥ l̥̄ ব্রাহ্মী 20x20px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px 12px দেবনাগরী का अॅ कॅ कॉ कि की कु कू कॆ के कै कॊ को कौ कृ कॄ कॢ कॣ अं कं अः कः অসমিয়া কা অ্যা ক্যা কি কী কু কূ কে কৈ কো কৌ কৃ কৄ কৢ কৣ কং কঃ বাংলা কা অ্যা ক্যা কি কী কু কূ কে কৈ কো কৌ কৃ কৄ কৢ কৣ কং কঃ গুরমুখী ਕਾ ਕਿ ਕੀ ਕੁ ਕੂ ਕੇ ਕੈ ਕੋ ਕੌ গুজরাতি કા કૅ કૉ કિ કી કુ કૂ કે કૈ કો કૌ કૃ કૄ કૢ કૣ અં કં અઃ કઃ তামিল கா கி கீ கு கூ கெ கே கை கொ கோ கௌ তামিল கா கி கீ கு கூ கெ கே கை கொ கோ கௌ তেলুগু కా కి కీ కు కూ కె కే కై కొ కో కౌ కృ కౄ కౢ కౣ అం కం అః కః কন্নড় ಕಾ ಕಿ ಕೀ ಕು ಕೂ ಕೆ ಕೇ ಕೈ ಕೊ ಕೋ ಕೌ ಕೃ ಕೄ ಕೢ ಕೣ అం ಕಂ అః ಕಃ মালয়ালম കാ കി കീ കു കൂ കെ കേ കൈ കൊ കോ കൗ കൃ കൄ കൢ കൣ അം കം അഃ കഃ সিংহলি කා කැ කෑ කි කී කු කූ කෙ කේ කෛ කො කෝ කෞ කෘ කෲ කෟ කෳ থাই กา กิ กี กุ กู เก ไก/ใก โก เกา/กาว กฤ ฤๅ กฤๅ กฦ ฦๅ กฦๅ লাও ກັ ກາ ກິ ກີ ກຸ ກູ ເກ ໄກ/ໃກ ໂກ ເກົາ/ກາວ তিব্বতি ཨཱ ཀཱ ཨི ཀི ཨཱི ཀཱི ཨུ ཀུ ཨཱུ ཀཱུ ཨེ ཀེ ཨཻ ཀཻ ཨོ ཀོ ཨཽ ཀཽ རྀ ཀྲྀ རཱྀ ཀཷ ལྀ ཀླྀ ལཱྀ ཀླཱྀ বর্মী খ্‌মের កា កិ កី កុ កូ កេ កៃ កោ កៅ ក្ឫ ក្ឬ ក្ឭ ក្ឮ === সংখ্যা === হিন্দু-আরবি ব্রাহ্মী উঃ ব্রাহ্মী দঃ দেবনাগরী অসমিয়া বাংলা গুরমুখী গুজরাতি ওড়িয়া তামিল তেলুগু কন্নড় মালয়ালম থাই লাও তিব্বতি বর্মী খ্‌মের == ব্রাহ্মী লিপি পরিবারের তালিকা == ব্রাহ্মী থেকে উৎপন্ন লিপিসমূহ। === ঐতিহাসিক === ব্রাহ্মীর সর্বাপেক্ষা প্রাচীন লেখমালাটি খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দি পর্যন্ত নিজস্ব সত্তা বজায় রেখেছিল, এর পর থেকে এই লিপি আঞ্চলিক ভাবে নানা সংস্করণে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ব্রাহ্মীর এই প্রক্রিয়াকরণ ৫ম শতাব্দিতে বিস্তৃত আকার ধারণ করে, তারপর মধ্য যুগে এর থেকে আরও নানা লিপির উৎপত্তি ঘটে। মূলত স্পষ্ট প্রভেদ পরিলক্ষিত হয় উত্তর দক্ষিণ ব্রাহ্মীর মধ্যে। উত্তরে গুপ্ত লিপির প্রভার ছিল সর্বাধিক এবং দক্ষিণে গ্রন্থ লিপি হিন্দু ধর্মের প্রসারের জন্য সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর ব্রাহ্মী ** গুপ্ত লিপি, ৫ম শতাব্দী *** শারদা, ৮ম শতাব্দী *** সিদ্ধং, ৭ম শতাব্দী **** পূর্ব নাগরী লিপি ***** অসমিয়া লিপি, ১৩ শতাব্দী ***** বাংলা লিপি, ১১ শতাব্দী **** তিব্বতি লিপি, ৭ম শতাব্দী ***** ফাগ্‌স্পা, ১৩ শতাব্দী *** নাগরী লিপি, ৮ম শতাব্দী **** ওড়িয়া, ১০ম শতাব্দী **** দেবনাগরী, ১৩ শতাব্দী **** কায়থী, সিলেটি নাগরী, ১৬ শতাব্দী **** মোদী, ১৭ শতাব্দী ** নেপাল *** ভুজিমল, ৬ষ্ঠ শতাব্দী *** রঞ্জনা, ১২ শতাব্দী **** সোয়োম্বো, ১৭ শতাব্দী *** প্রচলিত ** অঙ্গ লিপি, ৭২০ ** মিথিলাক্ষর, ১৫ শতাব্দী দক্ষিণ ব্রাহ্মী (তামিল ব্রাহ্মী, কলিঙ্গ, ভাট্টিপ্রোলু) ** আদি কন্নড় *** কদম্ব বা প্রাচীন কন্নড়, ৫ম শতাব্দী *** পল্লব, ৬ষ্ঠ শতাব্দী **** কাওয়ী লিপি, ৮ম শতাব্দী ***** জাভা লিপি **** মন লিপি ***** বর্মী লিপি **** অহোম লিপি, ১৩ শতাব্দী **** তাই থাম (লন্না), ১৪ শতাব্দী **** বাতাক, ১৪ শতাব্দী ** ভাট্টেলুত্তু *** তামিল লিপি ** গ্রন্থ লিপি, ৬ষ্ঠ শতাব্দী *** দিবেস আকুরু অন্যান্য তোচারীয় লিপি ৭ম শতাব্দী মীতেই মায়েক == আরও দেখুন == transliteration ** Alphabet of Sanskrit Alphabet of Sanskrit Transliteration ** Library at Kolkata Library at Kolkata romanization Braille|Bharati Braille, the unified braille assignments of Indian languages script|Indus script the earliest writing system on the Indian subcontinent the coding scheme specifically designed to represent Indic scripts == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Online Tool which supports Conversion between various Brahmic Scripts Windows Indic Script Support An Introduction to Indic Scripts South Asian Writing Systems Indian Transliterator means to transliterate from romanised to Unicode Indian scripts. Imperial Brahmi Font and Text-Editor Brahmi Script IndiX: Indian Language support for the Linux Operating System ** Xlit: Tool for Transliteration between English and Indian Languages ** Padma: Transformer for Indic Scripts add-on'''গ্যাবি হোলিস লুইস''' (জন্ম: ২৭ মার্চ ২০০১) একজন আইরিশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি জুলাই ২০১৪ সালে আইরিশ জাতীয় দলে মাত্র ১৩ বছর বয়সে সিনিয়র ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। তিনি পরবর্তীতে একই বছরের টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক (টি২০আই)-এ উক্ত সংস্করণের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসাবে অভিষেক করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) লুইসকে ২০১৮ সালের পাঁচজন ব্রেকআউট তারকা মহিলা ক্রিকেটারের একজন হিসাবে মনোনীত করে। == প্রথম জীবন == লুইসের জন্ম ডাবলিনে তার বড় বোন রবিন লুইস ক্লাব জাতীয় পর্যায়ে একই সাথে খেলেন, তার বাবা অ্যালান লুইস এবং দাদা ইয়ান লুইস দুজনেই আইরিশ পুরুষ দলের খেলোয়াড় ছিলেন। উভয়ই ডাবলিনের ওয়াইএমসিএ ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য। লুইস বোন প্রথম নির্বাচকদের দৃষ্টিতে আসে ২০১৩ সালের নভেম্বরে, যখন তারাক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের উদীয়মান খেলোয়াড় সন্ধান করছিলেন। ইসিবি মহিলা টি-টোয়েন্টি কাপে ইংলিশ কাউন্টি দলের বিপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ খেলার জন্য গ্যাবি লুইসকে আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র দলে প্রথম ডাকা হয় ২০১৪ সালে জুলাইয়ে। পরবর্তীতে আগস্টে ২০১৪ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিনি তার আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন। এই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় খেলায়, তিন নম্বর ব্যাটিং অর্ডারে এসে ৩৫ বলে ৩৮ রান করেছিলেন, এবং ক্লেয়ার শিলিংটন (তার থেকে ২০ বছরের বড়) এর সাথে ৯৪ রানের এক দুর্দান্ত জুটি তৈরী করেছিলেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য লুইস আয়ারল্যান্ডের দলে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রথম খেলার সময় বসে থাকেন, তবে শেষ দুটি খেলায় তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, অভিষেক খেলায় পাঁচ রান করেছিলেন এবং তৃতীয় খেলায় অপরাজিত ছিলেন ১২ রান নিয়ে। অভিষেকের সময়, লুইসের বয়স ছিল ১৩ বছর ১৬৬ দিন, যা তার সতীর্থ লুসি ও'রিলির কনিষ্ঠতম টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের রেকর্ডকে ভেঙে ফেলে। তিনি একবিংশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারও হয়েছিলেন। সমস্ত পুরুষ এবং মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বে (টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সহ), কেবলমাত্র পাকিস্তানের সাজিদা শাহ অল্প বয়সে খেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেকের পরে লুইস তার পরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটি খেলে ২০১৫ এর আগস্ট মাসে, যখন বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য আয়ারল্যান্ডের দলে আহ্বান করা হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে, তিনি ব্যাটিং অর্ডারে ষষ্ঠ স্থানে এসে ৩০ বলে ২৩ রান করেছিলেন, যা ছিল সিলিসিয়া জয়েসের পরে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। অন্য ম্যাচগুলিতে তিনি কম সাফল্য পেয়েছিলেন, দ্বিতীয় খেলায় চার এবং তৃতীয়টিতে দশ রান করেছিলেন। পরে বছরের পরে, লুইস থাইল্যান্ডে ২০১৫ বিশ্ব টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বেও খেলেছিলেন। ভারতে ২০১৬ বিশ্ব টি২০তে তিনি তার দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে), তবে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। ২০১৮ সালের জুনে, তাকে আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতার জন্য আয়ারল্যান্ডের দলে অন্তর্ভুক্তি হয়। পরের মাসে তিনি আইসিসি মহিলাদের গ্লোবাল ডেভলপমেন্ট স্কোয়াডে নাম লেখান। অক্টোবরে ২০১৮, ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার জন্য তাকে আয়ারল্যান্ডের দলীয় স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। আগস্ট ২০১৯ এ, তিনি ছয় ম্যাচের ১৮০ রান নিয়ে নেদারল্যান্ডস মহিলা কোয়াডরেঙ্গুলার সিরিজের সেরা রান সংগ্রহকারী হন। পরের মাসে, স্কটল্যান্ডে আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতার জন্য তাকে আয়ারল্যান্ডের দলে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক লিঙ্কগুলি == ক্রিকেট আর্কাইভে গ্যাবি লুইস গ্যাবি লুইস হারিকেন্সের (ডব্লিউবিবিএল) ক্রিকেটার ডাবলিন থেকে আগত ক্রিকেটার মহিলা ক্রিকেটার মহিলা টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ব্যক্তি জন্মAhmadi Governorate, the larger of the two Governorates of the District কুয়েতের পঞ্চম জেলাটি দেশের পঞ্চম জেলা। এটি ফাহাহিল, আহমাদি, সাবাহিয়া, রিগা সহ ২০টি আবাসিক অঞ্চল নিয়ে গঠিত, জেলাটি দক্ষিণে সৌদি আরবের সীমান্তে ওয়াফরা এবং আল-জোর পর্যন্ত বিস্তৃত। জেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১০১,২৯৪, এর মধ্যে মহিলা ৫৪,৪১৮ জন এবং পুরুষ ৪৬,৮৭৬ জন। বৃহত্তম আবাসিক অঞ্চল হলো সাবাহ আল-সালেম এর ভোটার ১৭,১৭৫ জন, সাবাহিয়ায় ১৬,১৬২ এবং রিগাতে ১২,৭৭৮ ভোটার। == পঞ্চম জেলার অঞ্চলসমূহ == আবু হালিফা আহমাদি ফাহাহিল ফিনতাস মাহবোউলা মানগাফ কুরাইন রিক্কাহ সাবাহ আল-সালেম সাবাহিয়াহ ওয়াফরা আল-জোর আহমাদি == Picture == শহরের একটি খামার of Kuwaitof Brazil অথবা মৃত্যু, ব্রাজিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে পেড্রো আমেরিকোর আকাঁ বিখ্যাত পেইন্টিং। প্রতি বছর জুন সুইডেনের সভেরিজেস ন্যাশনালডেজ-এ রাজা এবং রাণী (জাতীয় পোশাকে) সুইডেনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন। '''জাতীয় দিবস''' একটি নির্ধারিত দিন যে দিনের উদযাপন কোন রাষ্ট্র বা অ-সার্বভৌম জাতির জাতিসত্তা চিহ্নিত করে। এই জাতিসত্তাটি স্বাধীনতার তারিখ, প্রজাতন্ত্র গঠনের তারিখ বা কোনও রক্ষাকর্তা সাধু বা শাসকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ (জন্মদিন, রাজত্ব, অপসারণ ইত্যাদি) দ্বারা প্রতীকী হতে পারে। প্রতিক্ষেত্রেই দিনটিকে "জাতীয় দিবস" বলা হয় না তবে এটি উদযাপন করা হয় এবং একই ধরনের বিবেচনা করা যেতে পারে। জাতীয় দিবসটি প্রায়শই জাতীয় ছুটির দিন হয়ে থাকে। অনেক দেশে একাধিক জাতীয় দিবস আছে। বেশিরভাগ দেশে একটি নির্দিষ্ট তারিখের জাতীয় দিবস পালিত হয় তবে কিছুদেশের পরিবর্তনশীল তারিখ আছে। একটি উদাহরণ হলো, জ্যামাইকা ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আগস্টের প্রথম সোমবার তাদের জাতীয় দিবস পালন করে। যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভের স্মরণে এটি পালিত হয় যা ১৯৬২ সালের আগস্ট সোমবার লাভ করে; দিনটি সে বছরের আগস্টের প্রথম সোমবার ছিল। ইস্রায়েলের স্বাধীনতা দিবস বেসামরিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে স্থির নয়, ইহুদি ক্যালেন্ডারে প্রথাগতভাবে ইয়ার সংযুক্ত করা হয়েছে, তবে শাব্বাত দিবসের প্রস্তুতি বা উদযাপন এড়াতে স্বাধীনতা দিবস বা স্মৃতি দিবস থেকে ইয়ার মধ্যে যে কোনও দিন স্থানান্তরিত হতে পারে (যা তাত্ক্ষণিকভাবে স্বাধীনতা দিবসের পূর্ববর্তী); এর বাস্তব প্রভাব হ'ল স্বাধীনতা দিবস ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে’র মধ্যে যে কোনও দিন পালিত হতে পারে। বেশিরভাগ জাতীয় দিবসকে দুটি বড় দলে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়: নতুন দেশগুলি যারা তাদের জাতীয় দিবসকে তাদের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালন করে। পুরানো দেশগুলি যা তাদের জাতীয় দিবস হিসাবে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ কোন ঘটনাকে ব্যবহার করে। ডেনমার্ক এবং যুক্তরাজ্য সহ এমন কয়েকটি দেশ আছে যারা জাতীয় দিবস নির্ধারণ করে না (যদিও ডেনমার্কের ক্ষেত্রে সংবিধান দিবসের সাথে জাতীয় দিবসের বৈশিষ্ট্যের মিল আছে)। == উদযাপন == জাতীয় দিবসের সাথে জাতির গৌরব জড়িত পাশাপাশি দিবসটি দেশ থেকে দেশে ভিন্ন মাত্রায় ব্যাপকভাবে পালিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ১২ই অক্টোবর স্পেনের জাতীয় দিবস ফিয়েস্তা ন্যাসিয়োনাল ডি এস্পানা পালিত হয়, যে দিনটি অন্যান্য দেশে কলম্বাস দিবস বা দিয়া দে লা রাজা হিসাবে পালিত হয় এবং ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আমেরিকাতে আগমনের বার্ষিকী উপলক্ষে উদযাপিত হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে মাদ্রিদে একটি সামরিক প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রান্সের জাতীয় দিবস ১৪ জুলাই এবং বাস্তিলের বিক্ষোভের দিনটি ফেতে ন্যাশিওনাল নামে পরিচিত (ইংরেজি ভাষী দেশগুলিতে বাস্তিল দিবস হিসাবে পরিচিত), যা ফরাসী বিপ্লবের সূচনা হিসাবে বিবেচিত হয় তার স্মরণে পালিত হয়। এটি ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয় এবং বিপুল পরিমানে ফরাসি তেরঙ্গা উড়তে থাকে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি প্যারিসের শঁজেলিজে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই স্বাধীনতা দিবস প্যারেড, আতশবাজি, বনভোজন আর ঝলসান মাংস দিয়ে ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়। আয়ারল্যান্ডে ১৭ মার্চ সেন্ট প্যাট্রিক দিবস জাতীয় দিবসের সমতুল্য এবং বহু বছর ধরে এদিনে সরকারী ছুটি পালিত হচ্ছে। তবে, যুক্তরাজ্যের অন্তর্গত দেশগুলিতে রক্ষাকর্তা সাধু দিবস স্বল্প-পরিসরে পালিত হয়। সাম্প্রতিক কালে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের জাতীয় দিনগুলি পালনের জন্য প্রচারণা শুরু হয়েছে, স্কটিশ সংসদে সেন্ট অ্যান্ড্রুস ডে ব্যাংক হলিডে (স্কটল্যান্ড) আইন ২০০৭ পাস করার পরে সেন্ট অ্যান্ড্রু দিবসকে একটি সরকারী ব্যাঙ্ক ছুটির দিন হিসাবে পালন করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যুক্তরাজ্যের জন্য একটি জাতীয় দিবসের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিছু দেশ তাদের জাতীয় দিবসটি কুচকাওয়াজের মাধ্যমে উদযাপন করতে পারে। উল্লেখযোগ্য উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে বাস্তিল দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজ এবং সিঙ্গাপুর জাতীয় দিবস কুচকাওয়াজ। বংলাদেশে কুচকাওয়াজ শিশু কিশোর সমাবেশেরে মাধ্যমে উদযাপিত হয়। == জাতীয় দিবসের তালিকা == আরও দেখুন: জাতীয় স্বাধীনতা দিবসের তালিকা কেন্দ্র যে অঞ্চলগুলি ব্যাপকভাবে সার্বভৌম রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃত নয় সেগুলোকে গোলাপী রঙে দেখানো হয়েছে। সার্বভৌম রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে (যেমন যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্য, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বা উপনিবেশগুলি), সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাম বন্ধনীতে দেওয়া হয়েছে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ি স্থায়ী নয় এমন দিবসগুলি তাদের ২০১৯ সালে পালনের তারিখ অনুসারে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। জাতি তারিখ জাতীয় দিবস ১৯ আগস্ট ১৯১৯ সালে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীনতা লাভ। (আফগান স্বাধীনতা দিবস দেখুন) ২৮ নভেম্বর আলবেনিয়ার পতাকা দিবস: ১৯১২ সালে আলবেনিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা উপলক্ষে ভ্লোরে বন্দরে আলবেনিয়ান পতাকা উত্তোলন। (ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ) ১৫ ডিসেম্বর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জে জার্মানদের দখলের সমাপ্তির পরে ফিরে আসা নভেম্বর ১৯৫৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা জুলাই ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভের দিন (আলজেরিয়া) (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ১৭ এপ্রিল মার্কিন পতাকা দিবস, আমেরিকান সামোয়ার যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঞ্চলে পরিনত হওয়ার দিন এবং ১৯৯০ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলন করা হয়, সেইসাথে ১৯৬০ সালে আমেরিকান সামোয়ান পতাকা গ্রহণের তারিখের স্মরণে। সেপ্টেম্বর অ্যান্ডোরার রক্ষাকর্তা সাধু, আওয়ার লেডি অফ মেরিটেক্সেল ডে, প্যারাজেজ অফ অ্যান্ডোরার ১২৭৮ স্বাক্ষর করার দিন। ১১ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা অর্জন (যুক্তরাজ্য) ৩০ মে এ্যাঙ্গুইলা দিবস; ১৯৬৭ সালে এ্যাঙ্গুইলিয়ান বিপ্লবের সূচনা নভেম্বর ১৯৮১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জন (স্পেন) ২৩ এপ্রিল আরাগনের রক্ষাকর্তা সাধু এবং তার রাজা সেন্ট জর্জ দিবস। ত্রয়োদশ কিংবদন্তি আছে যে ১০৯৬ সালে অ্যালকোরাজের যুদ্ধের সময় আরাগনের সেনা বাহিনীকে সহায়তা করতে সেন্ট জর্জ উপস্থিত হন। ২৫ মে ১৮১০ সালে মে বিপ্লবের সময় প্রথম জাতীয় সরকার স্প্যানিশ ভাইসরয়কে সরানো হয় এবং প্রিমেরা জান্তাকে ক্ষমতায় বসানো হয় জুলাই ১৮১৬ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ২৮ মে প্রজাতন্ত্র দিবস, ১৯১৮ সালে গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রিয় প্রজাতন্ত্র থেকে স্বাধীনতা অর্জন ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধিনতার স্বীকৃতি (নেদারল্যান্ড) ১৮ মার্চ পতাকা দিবস; ১৯৭৬ সালে পতাকা গ্রহণ (যুক্তরাজ্য) জুনের দ্বিতীয় শনিবার রাণীর সরকারি জন্মদিন ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া দিবস, সিডনির প্রতিষ্ঠার তারিখ, অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ইউরোপীয় বসতি, ১৭৮৮ ২৬ অক্টোবর ১৯৫৫ সালের নিরপেক্ষতা সংবিধান ২৮ মে প্রজাতন্ত্র দিবস, ১৯১৮ সালে গণতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্রিয় প্রজাতন্ত্র থেকে স্বাধীনতা অর্জন (পর্তুগাল) ১০ জুন (পেনটেকস্ট সোমবার) অ্যাজোরজ দিবস, ১৯৭৬ সালে পর্তুগাল থেকে স্বায়ত্তশাসন অর্জন। ১০ জুলাই ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জন ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে বাহরাইনের প্রথম আমির ইসা বিন সালমান আল খলিফার রাজ্যাভিষেকের দিন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির দিন। ৩০ নভেম্বর স্বাধীনতা দিবস, ১৯৬৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জন জুলাই স্বাধীনতা দিবস, ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত সেনারা জার্মান দখল থেকে মিনস্ককে মুক্ত করে ২১ জুলাই জাতীয় দিবস, লিওপল্ড ১৮৩১ সালে বেলজিয়ানদের প্রথম রাজা হিসাবে শপথ নেন ১৫ নভেম্বর রাজার ভোজ ১০ সেপ্টেম্বর সেন্ট জর্জের কায়ে যুদ্ধের দিন, ১৭৯৮ সালে সংঘটিত যুদ্ধের স্মরণে। ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৮১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ আগস্ট ১৯৬১ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ (যুক্তরাজ্য) ২৪ মে মূলত রানী ভিক্টোরিয়ার জন্মদিন; দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি উদযাপনে এখন "বারমুডা দিবস" ১৭ ডিসেম্বর ১৯০৭ সালে উগয়েন ওয়াংচুক পুরুষানুক্রমিক রাজা নির্বাচিত হন আগস্ট ১৮২৫ সালে প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা (স্পেন থেকে স্বাধীনতা অর্জন) (বসনিয়া হার্জেগোভিনা) মার্চ ড্যান নেজাভিসনস্টি; ১৯৯২ সালে যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা (বসনিয়া হার্জেগোভিনা) ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্র দিবস, ১৯৪৩ সালে বসনিয়া হার্জেগোভিনার জাতীয় মুক্তির জন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধি রাষ্ট্রিয় পরিষদ গঠন ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ সেপ্টেম্বর দিয়া দা ১৮২২ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা (যুক্তরাজ্য) জুলাই ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দিবস, ১৯৮৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জনের উদযাপন, যা আসলে জানুয়ারি ঘটেছিল (বেলজিয়াম) মে আইরিস দিবস মার্চ মুক্তি দিবস, ১৮৭৮ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরে স্বায়ত্তশাসন সেপ্টেম্বর একীকরণ দিবস, ১৮৮৫ সালে বুলগেরিয়া রাজ্যের সাথে পূর্ব রুমেলিয়াকে একীকরণ করা হয় ২২ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা দিবস, ১৯০৮ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা আগস্ট ১৯৮৪ সালে আপার ভোল্টা থেকে নাম পরিবর্তন করা হয় আগস্ট স্বাধীনতা দিবস, ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ জুলাই ১৯৬২ সালে বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা লাভ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ ২০ মে জাতীয় দিবস, ১৯৭২ সালে একটি একক রাষ্ট্রের সৃষ্টি জুলাই কানাডা দিবস, ১৮৬৭ সালে তিনটি ব্রিটিশ রাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কানাডার সৃষ্টি (স্পেন) ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় দিবস, ১৭১৪ সালে স্প্যানিশ উত্তরাধিকার যুদ্ধের সময় বার্সেলোনার পতনকে স্মরণ করে জুলাই ১৯৭৫ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ (যুক্তরাজ্য) জুলাই-এর প্রথম সোমবার ডিসেম্বর ১৯৫৮ সালে ফরাসী কলোনির মধ্যে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয় ১১ আগস্ট ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮১০ সালে প্রথম সরকারি জান্তা তৈরি হয় গণপ্রজাতন্ত্রী চীন অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় দিবস (১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এর ঘোষণা দওয়া হয়) চীন প্রজাতন্ত্র জানুয়ারি চীন প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা দিবস, ১৯১২ সালে অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন প্রজাতন্ত্র ১০ অক্টোবর ১৯১১ সালের ওচ্যাং বিদ্রোহের স্মরণে ডাবল টেন ডে যা ফলে ১৯১১ সালে চীনে রাজতন্ত্র বিলোপ ঘটে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০ জুলাই ১৮১০ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা জুলাই ১৯৭৫ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ৩০ জুন ১৯৬০ সালে বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা লাভ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ১৫ আগস্ট ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ আগস্ট ১৯৬৫ সালে নিউজিল্যান্ডের সাথে মুক্ত সংঘের অধীনে স্বাযত্তশাসন ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮২১ সালে স্পেন রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৫ জুন রাষ্ট্রীয় দিবস, ১৯৯১ সালে যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা জানুয়ারি মুক্তি দিবস, ১৯৫৯ সালে বাতিস্তা শাসনের পতন ২০ মে ১৯০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতা লাভ () জুলাই ১৯৫৪ সালে প্রথম দ্বীপের নির্বাচিত কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত অক্টোবর ১৯৬০ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৮ অক্টোবর ১৯১৮ সালে থেকে স্বাধীনতা লাভ হিসাবে) ২৮ সেপ্টেম্বর চেক রাষ্ট্রীয় দিবস (সেন্ট ওয়েনসেলাউস দিবস) আগস্ট ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ জুন (কোনও সরকারী জাতীয় দিবস নেই; ১৮৪৯ সালের সংবিধানকে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করে) ১৫ জুন (কোনও আনুষ্ঠানিক জাতীয় দিবস নেই; ভালদেমার দিবস, যখন ১২১৯ সালে লিনডেনিসের যুদ্ধে এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে রাজা দ্বিতীয় ভালদেমারের জয় লাভের ফলে ডেনমার্কের আধুনিক পতাকা আকাশ থেকে উত্থিত হয়; এবং ১৯২০ সালে দক্ষিণ জুটল্যান্ড ডেনমার্কের সাথে পুনরায় মিলিত হলে পুনর্মিলনী দিবস হিসেবে) ২৭ জুন ১৯৭৭ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ নভেম্বর ১৯৭৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ এবং ১৪৯৩ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস কর্তৃক আবিষ্কার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০ মে ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ ১০ আগস্ট ১৮০৯ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা ২৩ জুলাই বিপ্লব দিবস, ১৯৫২ সালের বিপ্লব অক্টোবর সশস্ত্র বাহিনী দিবস, ১৯৭৩ সালে অক্টোবরের যুদ্ধের সূচনা ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮২১ সালে স্পেন রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ (যুক্তরাজ্য) ২৩ এপ্রিল Day of St. George, patron saint of England. Sometimes proposed as National Day. ১২ অক্টোবর ১৯৬৮ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৪ মে ১৯৯১ সালে ইরিত্রিয়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (ইপিএলএফ) এর যোদ্ধারা আসমারায় প্রবেশ করে এবং ইরিত্রিয়া কার্যত স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়; জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জাতিসত্তা প্রশ্নে গণভোটের পরে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ ইথিওপিয়া থেকে ইরিত্যিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা দিবস, ১৯১৮ সালে রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা দিবস, ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৮ মে ডার্গের পতন দিবস, ১৯৯১ সালে ডার্গ সরকারের পতন হয় মে ইউরোপ দিবস, ১৯৫০ সালের শুম্যান ঘোষণার স্মরণে (যুক্তরাজ্য) ১৪ আগস্ট ফকল্যান্ড দিবস, ১৫৯২ সালে দ্বীপপুঞ্জটি প্রথম আবিস্কৃত হয়। (যুক্তরাজ্য) ১৪ জুন মুক্তি দিবস, ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধের শেষে আর্জেন্টিনার দখল থেকে মুক্ত হয় (ডেনমার্ক) ২৯ জুলাই ওলাভসোকা (১০৩০ সালে স্টিকলেস্টাডের যুদ্ধে সেন্ট ওলাফের মৃত্যু): লগটিং (সংসদ) অধিবেশন উদ্বোধন ১০ অক্টোবর ফিজি দিবস, ১৯৭০ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবস, ১৯১৭ সালে রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে (বেলজিয়াম) ১১ জুলাই ফিস্টড্যাগ ভ্যান ডি ভ্ল্যামসে জেমেন্সচ্যাপ, ১১ জুলাই ১৩০২ সালে গোল্ডেন স্পার্সের যুদ্ধ। (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এপ্রিল প্যাস্কুয়া ফ্লোরিডা হ'ল দিন বা সপ্তাহ (গভর্নরের ঘোষণা অনুসারে) এপ্রিল ১৫১৪ সালে জুয়ান পোনস ডি লিওন কর্তৃক ফ্লোরিডা প্রতিষ্ঠা করার দিবস উদযাপন করা হয়। ১৪ জুলাই বাস্তিল দিবস (ফ্রান্সে লা ফেটে ন্যাশনালে হিসাবে পরিচিত), ১৪ জুলাই ১৭৮৯ সালে বাস্তিলে বিক্ষোভের ঘটনার স্মরণে। (বেলজিয়াম) ২৭ সেপ্টেম্বর ফরাসি সম্প্রদায়ের ছুটির দিন (ফ্রান্স) ১০ জুন দাসত্ব বিলুপ্তি দিবস (ফ্রান্স) ২৯ জুন অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসন দিবস ১৭ আগস্ট ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৬ মে প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস, ১৯১৮ সালে রাশিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় অক্টোবর জার্মান ঐক্য দিবস, ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানি এবং পূর্ব জার্মানির একত্রিত হয় (বেলজিয়াম) ১৫ নভেম্বর জার্মানভাষী সম্প্রদায়ের দিবস মার্চ ১৯৫৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ (যুক্তরাজ্য) ১০ সেপ্টেম্বর জিব্রাল্টার জাতীয় দিবস, জিব্রাল্টারের জনগণ ১৯৬৭ সালে স্পেনীয় সার্বভৌমত্ব বা এসোসিয়েশন বাতিল করার পক্ষে ভোট দেয় ২৫ মার্চ ১৮২১ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে গ্রীক বিপ্লবের সূচনা ২৮ অক্টোবর ওহি দিবস, ১৯৪০ সালে ইতালিয়ান চরমপত্র প্রত্যাখ্যান (ডেনমার্ক) ২১ জুন (বছরের দীর্ঘতম দিন) জাতীয় দিবসটি ১৯৮৩ সালে স্বায়ত্তশাসনের অন্যতম ঐতিহ্য হিসাবে চালু হয় এবং এটি জাতীয় পরিচয়ের একাধিক প্রকাশের মধ্যে একটি ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ (ফ্রান্স) ২৭ মে দাসপ্রথা বিলোপ দিবস (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ২১ জুলাই স্বাধীনতা দিবস, ১৯৪৪ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামে অবতরণ, গুয়াম যুদ্ধের সূচনা ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮২১ সালে স্পেন রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ (ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ) মে Liberation Day, the end of the German occupation of the Channel Islands in 1945 অক্টোবর ১৯৫৮ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা ২৩ ফেব্রুয়ারি মাশরামনি, ১৯৭০ সালে প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা জানুয়ারি ১৮০৪ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা (ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ) মে মুক্তি দিবস, ১৯৪৫ সালে চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জে জার্মান দখদারিত্বের অবসান ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮২১ সালে স্পেন রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ (গণচীন) জুলাই ১৯৯৭ সালে চীনের নিকট সার্বভৌমত্ব হস্তান্তর ১৫ মার্চ ১৮৪৮ বিপ্লবের স্মৃতি দিবস ২০ আগস্ট সেন্ট স্টিফেন দিবস ২৩ অক্টোবর ১৯৫৬ বিপ্লবের স্মৃতি দিবস ১৭ জুন জাতীয় দিবস, প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৪৪ সালে ডেনমার্কের সাথে নিজস্ব ইউনিয়ন ভেঙে দেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, ১৯৫০ সালে ভারতের সংবিধান গৃহীত হয় ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৭ আগস্ট ১৯৪৫ সালে জাপান নেদারল্যান্ড থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা (হ্যারি প্রোকলোমিসি কেমেরডেকান আর.আই.) ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের বিজয় অক্টোবর ১৯৩২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৭ মার্চ সেন্ট প্যাট্রিক দিবস, আয়ারল্যান্ডের রক্ষাকর্তা সাধু (ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ) জুলাই টিনভাল দিবস, টিনভাল (সংসদ) এর বার্ষিক সভা ইয়ার Yom Ha'atzmaut, proclamation of independence from the British Mandate of Palestine in 1948(date varies according to Jewish calendar at Iyar. In 2018, it was celebrated from sunset of 19 April to nightfall on 20 April; in 2019 it will be from sunset on May to nightfall on May) ২৫ এপ্রিল পার্টিশিয়ানরা ১৯৪৫ সালে জেনোয়া, মিলান এবং তুরিনকে জার্মান সেনা থেকে মুক্ত করে জুন Festa della Repubblica, Italy is made republic in 1946 আগস্টের প্রথম সোমবার ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ১১ ফেব্রুয়ারি National Foundation Day, Jimmu, the first emperor, is crowned in 660 BC ২৩ ফেব্রুয়ারি The Emperor's Birthday in 1960 (ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ) মে Liberation Day, the end of the German occupation of the Channel Islands in 1945 ২৫ মে ১৯৪৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ৩০ আগস্ট Constitution Day, approval of the constitution in 1995 ১৬-১৭ ডিসেম্বর Kazakhstan Independence Day, independence from the Soviet Union in 1991 ১২ ডিসেম্বর ১৯৬৩ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ; (Jamhuri Day), made republic in 1964 ১২ জুলাই ১৯৭৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৭ ফেব্রুয়ারি Independence Day, 2008 (ইরাক) ২১ মার্চ Nowruz, Persian New Year, celebrated on the spring equinox ২৫ ফেব্রুয়ারি National Day, anniversary of the 1950 coronation of Abdullah Al-Salim Al-Sabah, who won Kuwait's independence from the British Empire eleven years later ২৬ ফেব্রুয়ারি Liberation Day (from Iraq in 1991) ৩১ আগস্ট Independence Day, declaration of independence from the Soviet Union in 1991 ডিসেম্বর National Day, declaration of the People's Republic in 1975 ১৮ নভেম্বর Proclamation Day of the Republic of Latvia, independence from the Russian Empire in 1918 ২৫ মে Resistance and Liberation Day from Israel in 2000 ২২ নভেম্বর Lebanese Independence Day from France in 1943 অক্টোবর ১৯৬৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৬ জুলাই Proclamation of the Republic: independence from the United States in 1847 ১৭ ফেব্রুয়ারি Start of the 2011 Revolution ১৫ আগস্ট Feast of the Assumption and birth of Prince Franz Joseph II in 1906 ১৬ ফেব্রুয়ারি Lithuanian State Reestablishment Day, declaration of independence from the Russian and German Empires in 1918 জুলাই Statehood Day, establishment of the medieval Lithuanian kingdom by Mindaugas in 1253. ২৩ জুন Grand Duke's Official Birthday (গণচীন) ২০ ডিসেম্বর Transfer of sovereignty to the PRC in 1999 ২৬ জুন ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ (পর্তুগাল) জুলাই Madeira Day, day of autonomy within পর্তুগাল in 1976 জুলাই Independence from the United Kingdom in 1964; declaration of the Republic in 1966 ৩১ আগস্ট Hari Merdeka, independence from the United Kingdom (as Malaya) in 1957. Also known as Hari Kebangsaan (National Day) in Malay. ১৬ সেপ্টেম্বর Malaysia Day, merger of Federation of Malaya, North Borneo, Sarawak and Singapore to form Malaysia, accompanied by the change of name of the former, in 1963. ২৬ জুলাই Independence from the British Empire in 1965 ২২ সেপ্টেম্বর Independence from the Mali Federation in 1960 ৩১ মার্চ Freedom Day, withdrawal of British troops from Malta in 1979 জুন Sette Giugno, bread riot of 1919 in which Maltese men died সেপ্টেম্বর Victory Day, celebrating the victory of the Knights of St. John over the Ottoman Empire in the Great Siege of Malta in 1565, the end of the French occupation in 1800, and the surrender of Italy to the Allies in 1943 ২১ সেপ্টেম্বর Independence Day, ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৩ ডিসেম্বর Republic Day, adoption of the republican constitution of 1974 মে Constitution Day, adoption of the Compact of Free Association in 1979 (ফ্রান্স) ২২ মে Abolition of slavery day ২৮ নভেম্বর ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ ১২ মার্চ ১৯৬৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ; formation of the Republic in 1992 (ফ্রান্স) ২৭ এপ্রিল Abolition of slavery day ১৬ সেপ্টেম্বর Grito de Dolores, beginning of the War of Independence from Spain in 1810 নভেম্বর Independence from the US-administered UN Trusteeship in 1979 (ব্রাজিল) ২১ এপ্রিল ১৭৯২ সালে তিরাদেন্তেসের ফাঁসি (ব্রাজিল) ১৬ জুলাই মারিয়ানা গ্রামকে শহরে উন্নীতকরণ ২৭ আগস্ট Independence Day, declaration of independence from the Soviet Union in 1991 ১৯ নভেম্বর Accession of Prince Albert II to the throne in 2005 ১১ জুলাই Naadam Holiday, establishment of independence from China and Russia in 1921 ২৬ নভেম্বর National Foundation Day, adoption of the Constitution of the Mongolian People's Republic in 1924 ২১ মে Independence from Serbia and Montenegro in 2006 ১৩ জুলাই recognised as independent at the Congress of Berlin in 1878 (যুক্তরাজ্য) জুনের দ্বিতীয় শনিবার Queen's Official Birthday ১৮ নভেম্বর Accession of Muhammad to the throne in 1927 ২৫ জুন ১৯৭৫ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ জানুয়ারি Independence from the British Empire in 1948 ২১ মার্চ Independence from South Africa in 1990 ৩১ জানুয়ারি Independence from the Australia, NZ, and UK-administered UN trusteeship 1968 ২৫ সেপ্টেম্বর Unification of Nepal was done by Prithivi Narayan Shah in 1768. ১৫ ডিসেম্বর Kingdom day, signing of the Charter for the Kingdom of the Netherlands 1954 ২৭ এপ্রিল King's Day, King birthday in 1967 মে Liberation Day, end of German occupation in 1945 ফেব্রুয়ারি Waitangi Day, signing of the Treaty of Waitangi in 1840 ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮২১ সালে স্পেন রাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৮ ডিসেম্বর Republic Day, made an autonomous state within the French Community in 1958 ২৯ মে Democracy Day, return to democratic rule in 1999 অক্টোবর ১৯৬০ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ; formation of the Republic in 1963 ১৯ অক্টোবর Self-government in free association with New Zealand in 1974 (অস্ট্রেলিয়া) জুন Beginning of permanent settlement of the island by migrants from the Pitcairn Islands in 1856 সেপ্টেম্বর Day of the Foundation of the Republic in 1948 ১০ অক্টোবর Party Foundation Day in 1945 আগস্ট Republic Day, proclaimation of statehood in 1944 and proclamation of Kruševo Republic in 1903 during the Ilinden Uprising সেপ্টেম্বর Independence Day (Den na nezavisnosta), declaration of independence from Yugoslavia in 1991 উত্তর আয়ারল্যান্ড (যুক্তরাজ্য) ১৭ মার্চ St. Patrick's Day; public holiday sometimes associated with Irish nationalism উত্তর আয়ারল্যান্ড (যুক্তরাজ্য) ১২ জুলাই "The Twelfth" commemorates the Battle of the Boyne in 1690; public holiday associated with Ulster unionism (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) জানুয়ারি Commonwealth Day, the constitutional government takes office in 1978 ১৭ মে Constitution Day, the signing of the first Norwegian Constitution in Eidsvoll 1814 ১৮ নভেম্বর Birthday of Sultan Qaboos bin Said al Said in 1940 ২৩ মার্চ Pakistan Day, the Pakistan Resolution passed in Lahore in 1940 ১৪ আগস্ট Independence Day, independence from the British Empire in 1947 জুলাই Constitution Day, adoption of the Constitution in 1980 ১৫ নভেম্বর Declaration of Independence in 1988 নভেম্বর Separation Day, independence from Colombia in 1903 ১৬ সেপ্টেম্বর Independence from Australia in 1975 ১৪ মে Independence Day (Día de Independencia), declaration of independence from Spain in 1811 ২৮ জুলাই Declaration of independence from Spain in 1821 ১২ জুন Araw ng Kalayaan, declaration of independence from Spain in 1898 (যুক্তরাজ্য) জুনের দ্বিতীয় শনিবার Queen's Official Birthday মে Święto Konstytucji (Constitution Day), adoption of the Constitution of 1791 ১১ নভেম্বর Święto Niepodległości (Independence Day), restoration of independence from Germany, and Russia in 1918 ১০ জুন পর্তুগাল দিবস, officially the Day of Portugal, Camões, and the Portuguese Communities, death of national poet Luís de Camões in 1580 (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ২৫ জুলাই Constitution Day, establishment of Commonwealth of Puerto Rico in 1952; formerly Invasion Day, day of the American invasion in 1898 ১৮ ডিসেম্বর Qatar National Day, the assumption of power by Emir Jassim bin Mohammed Al Thani in 1878 (কানাডা) ২৪ জুন Day, feast day of John the Baptist, the patron saint of French Canadians ২৪ জানুয়ারি Unification of the Romanian Principalities of Moldavia and Wallachia, the foundation of modern Romania in 1859 ডিসেম্বর Great Union Day, unification with Transylvania in 1918 ১২ জুন Russia Day, Declaration of State Sovereignty in 1990 জুলাই ১৯৬২ সালে বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা লাভ (ফ্রান্স) ২০ ডিসেম্বর Abolition of slavery day (নেদারল্যান্ড) ডিসেম্বর (যুক্তরাজ্য) জুনের দ্বিতীয় শনিবার Queen's Official Birthday ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৩ ডিসেম্বর Feast day of Saint Lucy, after whom the island was named ২২ ফেব্রুয়ারি Independence Day, ১৯৭৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৭ অক্টোবর Independence Day, ১৯৭৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ জুন Independence Day, independence from New Zealand in 1962 সেপ্টেম্বর Independence from the Roman Empire in year 301 (traditional date) (Italy) ২৮ এপ্রিল Sardinian revolution and expulsion of Piedmontese Viceroy and officials from Cagliari, capital and largest city of Sardinia (Brazil) জুলাই Revolt against Vargas Regime in 1932 (ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ) মে Liberation Day, the end of the German occupation of the Channel Islands in 1945 ২৩ সেপ্টেম্বর Saudi National Day, renaming of the Kingdom of Nejd and Hejaz to the Kingdom of Saudi Arabia in 1932 (যুক্তরাজ্য) ৩০ নভেম্বর Day of St. Andrew, patron saint of Scotland এপ্রিল ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ ১৫ ফেব্রুয়ারি Statehood Day, the beginning of the Serbian Revolution against Ottoman rule in 1804; adoption of the first constitution in 1835 ১৮ জুন National Day, adoption of multi-party democratic constitution in 1993 ২৭ এপ্রিল Republic Day, independence from the United Kingdom in 1961 আগস্ট National Day, independence from Malaysia in 1965 (নেদারল্যান্ড) ১১ নভেম্বর Sint Maarten's Day জানুয়ারি Independence Day, independence from Czechoslovakia in 1993 ২৯ আগস্ট Slovak National Uprising Day, start of Slovak uprising against Nazi Germany in 1944 সেপ্টেম্বর Constitution Day, adoption of the Constitution in 1992 ২৫ জুন Statehood Day, declaration of independence from Yugoslavia in 1991 ২৫ অক্টোবর Sovereignty Day, withdrawal of the last soldier of the Yugoslav People's Army from the Slovenian territory in 1991 ২৬ ডিসেম্বর Independence and Unity Day, declaration of the results of the Slovenian independence referendum in 1990 জুলাই Independence Day, ১৯৭৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ জুলাই Independence from Italy and unification with Somaliland in 1960 ২৭ এপ্রিল Freedom Day, first democratic general election in 1994 (যুক্তরাজ্য) জুনের দ্বিতীয় শনিবার Liberation from Argentina at the end of the Falklands War in 1982 and Queen's Official Birthday মার্চ Declaration of independence from the Empire of Japan in 1919 ১৫ আগস্ট Liberation from Japanese rule in 1945 (Gwangbokjeol); declaration of the Republic in 1948 অক্টোবর Gaecheonjeol, ancient Korea founded in 2333 BC জুলাই Independence Day, ২০১১ সালে সুদান থেকে স্বাধীনতা লাভ ১২ অক্টোবর Fiesta Nacional de España, Columbus discovery of America in 1492 ফেব্রুয়ারি Independence Day, ১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভunder the name of Ceylon (বসনিয়া হার্জেগোভিনা) জানুয়ারি Proclamation of the Republic, independent of Bosnia and Herzegovina and part of Yugoslavia, in 1992 জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্য এবং মিশর প্রজাতন্ত্র থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৫ নভেম্বর Independence Day, ১৯৭৫ সালে স্পেন নেদারল্যান্ড থেকে স্বাধীনতা লাভ জুন National Day: election of Gustav Vasa as King of Sweden in 1523; adoption of the constitutions of 1809 and 1974 আগস্ট National Day, alliance between Uri, Schwyz and Unterwalden against the Holy Roman Empire in 1291 ১৭ এপ্রিল Evacuation Day, end of French colonial rule in 1946 ১২ জুলাই ১৯৭৫ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ সেপ্টেম্বর Independence Day, declaration of independence from the সোভিয়েত ইউনিয়ন in 1991 ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবস, ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ (রাশিয়া) ৩০ আগস্ট Declaration of independence from the RSFSR in 1990 (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) মার্চ Independence Day, declaration of independence from Mexico in 1836. ডিসেম্বর Birthday of Late King Bhumibol Adulyadej in 1927 ২৭ এপ্রিল Independence from the UN trusteeship in 1960 জুন Emancipation Day abolition of serfdom 1862; independence from the United Kingdom 1970 নভেম্বর ''National Day'' formerly ''Constitution Day'' 1875 সেপ্টেম্বর Independence Day, declaration of independence from Moldova in 1990 ৩১ আগস্ট Independence Day, ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ (যুক্তরাজ্য) জুনের দ্বিতীয় শনিবার Queen's Official Birthday ২০ মার্চ Declaration of independence from France in 1956 ২৯ অক্টোবর Republic Day (), adoption of republican constitution in 1923 ২৭ অক্টোবর Independence Day, declaration of independence from the সোভিয়েত ইউনিয়ন in 1991 (যুক্তরাজ্য) ৩০ আগস্ট Constitution Day, adoption of constitution in 1976 অক্টোবর Independence Day, independence from the Gilbert Islands (Kiribati) in 1975 and from the United Kingdom in 1978 অক্টোবর ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ ২৪ আগস্ট Independence from the সোভিয়েত ইউনিয়ন in 1991. See Independence Day of Ukraine ডিসেম্বর National Day, formation of the federation of seven emirates on independence from the United Kingdom in 1971 জুনের দ্বিতীয় শনিবার Does not have recognized national day (see proposed British national day), although the Queen's Official Birthday (which is declared annually, usually falling on the second Saturday in June) is sometimes considered as such, for example, in British diplomatic institutions overseas জুলাই Independence Day, declaration of independence from the Kingdom of Great Britain in 1776 (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ৩১ মার্চ Transfer Day, transfer of the islands from Denmark to the United States in 1917 ২৫ আগস্ট Día de la Independencia (Independence Day), declaration of independence from Brazil in 1825 সেপ্টেম্বর Independence Day, declaration of independence from the সোভিয়েত ইউনিয়ন in 1991 ৩০ জুলাই Independence Day, independence from the United Kingdom and France in 1980 ১১ ফেব্রুয়ারি Foundation of Vatican City, signing of the Lateran Treaty in 1929 জুলাই Independence Day, declaration of independence from Spain in 1811 সেপ্টেম্বর National Day, declaration of independence from France and Japan in 1945 (যুক্তরাজ্য) মার্চ St. David's Day, feast day of patron saint of Wales (বেলজিয়াম) সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রবিবার Day of the Walloon Region ২২ মে Unity Day, North and South Yemen are unified as the Republic of Yemen in 1990 ২৪ অক্টোবর Independence Day, declaration of independence from the United Kingdom in 1964 ১৮ এপ্রিল Declaration of independence from the United Kingdom 1980; it had previously declared independence as Rhodesia in 1965 == আরও দেখুন == *সরকারী ছুটি *পতাকা দিবস *স্বাধীনতা দিবস লিবারেশন ‍দিবস *নাগরিক ধর্ম *জাতীয় ছুটির দিন *ফেঁতে ন্যাশনালে *প্রজাতন্ত্র দিবস *বিজয় ‍দিবস ==তথ্যসূত্র== উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন বিষয়শ্রেণী:মে উদ্‌যাপন বিষয়শ্রেণী:জুন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন উদ্‌যাপন দিবস'''ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন''' আইন, বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে বাংলাদেশ সরকারের একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা যা দরিদ্র বাংলাদেশীদের আইনী সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ। মোঃ আমিনুল ইসলাম জেলা জজ এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক। == ইতিহাস == জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত আইনী সহায়তার বিলের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার এই সংস্থার ক্ষমতা কার্যাদি বৃদ্ধি করে। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== সরকারের অধিদপ্তর সরকারি সংস্থা ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত'''আমিরুদ্দিন আহমদ''' একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ আইনজীবী। যিনি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। == প্রথম জীবন == আমিরুদ্দিন আহমদ ২২ ডিসেম্বর ১৮৯৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। এপ্রিল ১৯৪২ সালে তিনি বাংলার উপ-আইনী স্মরণক হিসাবে যোগদান করেন। == কর্মজীবন == আমিরুদ্দিন আহমদ জানুয়ারি ১৯৪৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারকের পদে উন্নীত হন। দেশ বিভাগের পরে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৫ আগস্ট ১৯৫৭সালে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হায়দ্রাবাদের রাওয়ালপিন্ডি ষড়যন্ত্র ট্রাইব্যুনালে বিচারক ছিলেন। ১০ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে তাকে সীমানা কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ সালে তাকে ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করা হয়। ১৪ জুন ১৯৫৫ সালে তিনি পূর্ব বাংলার ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল নিযুক্ত হন। মার্চ ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তানের ফেডারেল কোর্টে বিচারক নিযুক্ত হন। == তথ্যসূত্র == পাকিস্তানের ব্যক্তিত্ব পাকিস্তানের গভর্নর জন্ম'''লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও চিরুণীপায়া মাকড়শা''' (বৈজ্ঞানিক নাম: ''Spintharus হল এক প্রজাতির চিরুণীপায়া মাকড়শা। ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে পাওয়া এই প্রজাতির মাকড়শাটি লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর পরিবেশবাদী কর্মকাণ্ডের দরুন তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি ''Spintharus'' গণের অন্তর্ভুক্ত সেই সব প্রজাতিগুলোর মাঝে অন্যতম, যাদের নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে এই গণের নামকরণ করার ঘটনাটি গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== ডিক্যাপ্রিও'''লিও প্যাট্রিক যোসেফ ও’ব্রায়ান''' (; জন্ম: জুলাই, ১৯০৭ মৃত্যু: ১৩ মার্চ, ১৯৯৭) ভিক্টোরিয়ার পশ্চিম মেলবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন '''লিও ও’ব্রায়ান'''। == শৈশবকাল == ভিক্টোরিয়ার পশ্চিম মেলবোর্নে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে মেনটোনে চলে যান। ভিক্টোরীয় পুলিশ ইন্সপেক্টর লুক যোসেফ ও’ব্রায়ান ক্যাথরিন যোসেফাইন রায়ান দম্পতির সন্তান ছিলেন তিনি। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি জ্যেষ্ঠ ছিলেন। দাদা জেমস ও’ব্রায়ান সৈনিক পুলিশ ছিলেন। ১৮৫০-এর দশকে ভিক্টোরিয়ায় স্বর্ণ উদগীরনের সময়কালে আয়ারল্যান্ড থেকে তার পূর্ব-পুরুষেরা চলে আসেন। ১৯১৪ থেকে ১৯১৯ সালে জাভিয়ের কলেজে ক্যাথলিক শিক্ষালাভ করেন। এরপর, ১৯২০ সালে সেন্ট যোসেফস সিবিসি নর্থে অধ্যয়নের পর বলারাতের সেন্ট প্যাট্রিক্স কলেজে পড়েন। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == ১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৩৭-৩৮ মৌসুম পর্যন্ত লিও ও’ব্রায়ানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে মেলবোর্নভিত্তিক রিচমন্ড ক্লাবে খেলেন। বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে রিচমন্ড ক্রিকেটে ক্লাবের পক্ষে খেলেন যা বর্তমানে মনাশ টাইগার্স নামে পরিচিত। এরপর, ১৯২৯-৩০ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান। ১৯৩০-এর দশকে শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়া দলে বিল পন্সফোর্ড বিল উডফুলের ন্যায় কীর্তিমান খেলোয়াড়দের সাথে একত্রে খেলেছিলেন তিনি। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৩২ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ তারিখে সিডনিতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট পাঁচ টেস্টে অংশ নিলেও, ১৯৩২-৩৩ মৌসুমের বডিলাইন সিরিজের দ্বিতীয় পঞ্চম টেস্ট অন্তর্ভূক্ত ছিল। অন্যপ্রান্তে অবস্থান করে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে এমসিসি দলকে বিল উডফুলকে লক্ষ্য করে লেগ অঞ্চলে পাঁচজন ফিল্ডারের অবস্থান লক্ষ্য করেছিলেন। দিন তিনি ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ফলশ্রুতিতে, মেলবোর্ন টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। খেলায় তিনি ১০ ১১ রান তুললেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের একমাত্র জয়ের সন্ধান পেয়েছিল। সিডনিতে অ্যাশেজ সিরিজের শেষ টেস্টে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ড গমনের জন্য বিবেচিত হননি। তবে, ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে ভিক রিচার্ডসনের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। দুই টেস্টে যথাক্রমে ৫৯ ৪৮ রান করেন। উভয়ক্ষেত্রেই সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দল ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। পরবর্তী মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। ১৭ রান করেন। পরের খেলায় দল থেকে বাদ পড়েন অস্ট্রেলিয়া দল জয় পেয়ে সিরিজে ফিরে আসে। == ব্যক্তিগত জীবন == ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি বেসবল খেলায়ও তার সুনাম ছিল। এছাড়াও, মৌসুম বহির্ভূত সময়ে অস্ট্রেলীয় ফুটবলার হিসেবে অংশ নিতেন। শৌখিন মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবে শেষ খেলাটি বাদে সবকটিতেই জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে, ক্রিকেটার হিসেবে তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন। এশিয়ায় কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বাদ-বাকি সময়ে ঘোড়দৌড়ের উপযোগী ঘোড়া উৎপাদনের সাথে জড়িত ছিলেন। পঞ্চাশে বছরের অধিক সময়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সাংবৎসরিক কমপক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সর্বক্রীড়াবিদ হিসেবে ম্যানটোন ক্রিকেট ক্লাব থেকে ১৯২৮ ১৯৫৬ সালে লিও ও’ব্রায়ান এবং ইয়ান মেকিফ টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯২৮ সালে লিও ফুলব্যাক অবস্থানে থেকে ম্যানটোনের ফুটবল প্রিমিয়ারশীপে খেলেছেন। কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়ই অস্ট্রেলীয় কর কার্যালয়ে অতিবাহিত করেছিলেন। বন্ধুসুলভ আচরণের অধিকারী হিসেবে মাঠ মাঠের বাইরে সামাজিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। সত্তর বছর বয়সেও ক্রিকেট খেলা সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৪০ সালে ডরোথি গিন্ডোলিনের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। এরপর ভিক্টোরিয়ার হ্যাম্পটন এলাকায় চলে যান। ১৩ মার্চ, ১৯৯৭ তারিখে ৮৯ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার মেনটোন এলাকায় লিও ও’ব্রায়ানের দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। তার মৃত্যুর ফলে স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানকে বডিলাইন সিরিজের একমাত্র জীবিত ক্রিকেটার হিসেবে রেখে যান। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == জ্যাক লিওন্স বব ম্যাকলিওড কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট দল অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা ১৯৩২-৩৩ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফর == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার ক্রিকেটার (অস্ট্রেলিয়া) থেকে আগত ক্রিকেটার ক্রিকেটার'''ফ্রান্সিস হেনরি ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার্স''' (; জন্ম: ফেব্রুয়ারি, ১৮৬০ মৃত্যু: জুন, ১৯২২) ভিক্টোরিয়ার পূর্ব মেলবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন '''ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার্স''' নামে পরিচিত '''ফ্রান্সিস ওয়াল্টার্স'''। == খেলোয়াড়ী জীবন == ১৮৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৮৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত ফ্রান্সিস ওয়াল্টার্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফ্রান্সিস ওয়াল্টার্স। ২১ মার্চ, ১৮৮৫ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। জুন, ১৯২২ তারিখে ৬২ বছর বয়সে ভারতের মুম্বই এলাকায় সাগরে ফ্রান্সিস ওয়াল্টার্সের দেহাবসান ঘটে। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == আলফ্রেড মার হেনরি মাসগ্রোভ এক টেস্টের বিস্ময়কারী কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট দল অ্যাশেজ সিরিজের তালিকা অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম মৃত্যু ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার'''এম ইদ্রিস আলী''' বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ। তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ (গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব মুক্তিযোদ্ধা। == জন্ম প্রাথমিক জীবন == এম ইদ্রিস আলী ১০ জানুয়ারি ১৯৪৫ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। == রাজনৈতিক কর্মজীবন == এম ইদ্রিস আলী মুন্সিগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যোদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-৩ (গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। নবম জাতীয় সংসদে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। == আরও দেখুন == নবম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == নবম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা জেলার রাজনীতিবিদ জন্ম বিষয়শ্রেণী:নবম জাতীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধাপরিসীমা মানে হল দুই মাত্রা বা পরিসরের একটি আকৃতির চারপাশের পথটির মোট দৈর্ঘ্য। '''পরিসীমা''' (পরিসীমা, ইংরাজী: 'perimeter') মানে হল দুই মাত্রা বা পরিসরের একটি আকৃতির চারপাশের পথের মোট দৈর্ঘ্য। বৃত্তের ক্ষেত্রে এই পরিসীমাকে পরিধি বলা হয়। বাস্তবক্ষেত্রে গণিতের এই পরিসীমা নির্ণয় ব্যবস্থাটির যথেষ্ট প্রয়োগ দেখা যায়। একটি খেলার মাঠের পরিসীমা নির্ণয় করে মাঠের চারিদিকে দেয়া ফেন্সিঙের মোট দৈর্ঘ্য নির্ণয় করা যায় এবং সেই অনুপাতে ফেন্সিং কেনার খরচের হিসাব করা যায়। == সূত্র == আকৃতি সূত্র চলক বৃত্ত যেখানে হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ এবং ব্যাস ত্রিভুজ যেখানে এবং ত্রিভুজটির বাহু তিনটির দৈর্ঘ্য বর্গ/রম্বস যেখানে হল বাহু দৈর্ঘ্য আয়তক্ষেত্র যেখানে হল দৈর্ঘ্য প্রস্থ. সমবাহু বহুভুজ যেখানে হল মোট বাহুর সংখ্যা হল একটি বাহুর দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক বহুভুজ যেখানে হল মোট বাহুর সংখ্যা হল বহুভুজের কেন্দ্র থেকে একটি কোণের মাঝের দূরত্ব সাধারণ বহুভুজ যেখানে হল -th ''n''টি বাহু যুক্ত বহুভুজের (1st, 2nd, 3rd ... ''n''th) বাহুর দৈর্ঘ্য (drawing with পরিসীমা হল একটি আকৃতির চারদিকের মোট দৈর্ঘ্য। সাধারণ আকৃতিগুলি বাদেও অন্যান্য আকৃতিগুলির পরিসীমা গণনা করতে এই সূত্র প্রয়োগ করা যায় যেখানে হল পথটির দৈর্ঘ্য এবং হল একটি অবিচ্ছিন্ন রেখার অংশ। এতে এই দুটিকে ব্যবহারিক রূপে গণনা করা থেকে বীজগণিতীয় রাশিতে প্রতিস্থাপন করতে হয়। এখন, যদি রেখাটি বক্র আকৃতির with এবং দৈর্ঘ্য কে নিচে দেয়া ধরনে নির্ণয় করা হয় == বৃত্তের পরিধি == If the diameter of circle is 1, its circumference equals বৃত্তের পরিসীমাকে সাধারণত পরিধি বলা হয়। এর ব্যাস ব্যাসার্ধ পরিধির সমানুপাতিক। এই ক্ষেত্রে বৃত্তের পরিধি নির্ণয়ের জন্য একটি ধ্রুবক সংখ্যা 'π'(পাই) ব্যবহার করা হয়। যখন 'P' মানে পরিধি বা পরিসীমা এবং 'D' বৃত্তের ব্যাস হয় তখন যদি 'r' অর্থাৎ বৃত্তের ব্যাসার্ধ দিয়া থাকে তখন সূত্রটি এমন ধরনের হয়- বৃত্তের পরিধি নির্ণয়ের জন্য বৃত্তটির ব্যাস, ব্যাসার্ধ এবং পাই-এর মানের বিষয়ে অভিজ্ঞ হলেই যথেষ্ট। অবশ্য অসুবিধা এখানেই যে, পাই কোনো পরিমেয় সংখ্যা নয়, তাই পরিধি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এর একটি সঠিক মান গ্রহণ করা অতি আবশ্যক।'''গৌতম চক্রবর্তী''' একটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং টাঙ্গাইল-৬ এর সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী। == প্রাথমিক জীবন == গৌতম টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিক্ষাজীবনে এলএলবি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। == পেশা == গৌতম চক্রবর্তী ১৯৯৬ ২০০১ সালে টাঙ্গাইল-৬ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে দু'বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী খোন্দকার আবদুল বাতেনকে পরাজিত করে। তিনি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। == তথ্যসূত্র == ==বহিঃসংযোগ== বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ'''কাপালিক''' হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ, যারা মূলত শিবের অনুসারি। এদেরকে কখনও কখনও বা নামেও ডাকা হয়। == ব্যুৎপত্তি == কাপালিক শব্দটি এসেছে 'কপাল' শব্দটি থেকে, যা দ্বারা মূলত মাথার খুলিকে নির্দেশ করে থাকে; কারণ এরা মাথার খুলিকে পাত্র হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। কারো কারো মতে, ভাগ্য বা কপালের ওপর প্রবল বিশ্বাসী হওয়ায় তাদের কাপালিক বলে। == উৎপত্তি জাতিতত্ব == বাংলায় কাপালিক অথবা কাপালিদেরকে বারো তেরো শতকের সাহিত্যে ধর্মশাস্ত্রে একটি নিম্ন উপবর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে; যদিও তারা নিজেদের কাশ্মীর থেকে আগত বৌদ্ধদের বংশধর বলে দাবি করে থাকে। তবে প্রাচীন কাহিনি মতে, বাংলা অঞ্চলে বর্তমানে দৃষ্ট কাপালি সম্প্রদায় দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের এক শিব পূজারিণীর বংশধর, যারা বৈশ্য কাপালি হিসেবে পরিচিত। == বৈশিষ্ট্য == কাপলিকেরা শ্মশানভূমির ছাই দিয়ে তাদের দেহকে আবৃত করে রাখে, শিবের ভৈরব রূপকে পুজা করে এবং রক্ত, মাংস, মদ এবং যৌন রস দিয়ে ধর্মীয় আচার পালন করে। == আরও দেখুন == বাঙালি হিন্দুদের পদবী == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বাংলাপিডিয়ার বাংলা নিবন্ধ: ''কাপালিক''। বিষয়শ্রেণী:শিব হিন্দুদের পদবী'''সরকার প্রতিক''' বাংলাদেশের একজন ফটোগ্রাফার তিনি পাঠশালা-দক্ষিণ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রভাষক এবং ছবি মেলা আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি উত্সব-এর সহ-কিউরেটর। ভি আই ফটো এজেন্সির প্রাক্তন সদস্য প্রতিকের উপস্থাপনা ইস্ট উইং গ্যালারী। ==জীবন কর্মকাণ্ড == প্রতিক আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি), থেকে ২০০৯ বিজনেস (মার্কেটিং) স্মাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন; ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটিতে ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফি এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউ মিডিয়া জার্নালিজম পড়াশুনা করেছেন; বি.এ. দক্ষিণ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি, পাঠশালায় ফটোগ্রাফিতে ২০১২ সালে; এবং ২০১২ সালে ওসলো পাঠশালা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ-এ আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অধ্যয়ন করেছেন। সরকার পাঠশালার প্রভাষক ব্রিটিশ জার্নাল অফ ফটোগ্রাফি ২০১৪ সালে তাকে 'ওয়ান টু ওয়াচ' হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন প্রোটিক এমন একটি কাজ করে যা সময় এবং অন্তর্ধানের বস্তুগততার অন্বেষণ করে। তার প্রতিকৃতি, ল্যান্ডস্কেপ এবং ফটোগ্রাফিক সিরিজগুলি ব্যক্তিগত জাতীয় ইতিহাসের নির্দিষ্টকরণের সাথে দার্শনিকভাবে জড়িত। বিশদ পর্যবেক্ষণ এবং সূক্ষ্ম অঙ্গভঙ্গির কাজগুলি ব্যক্তিগত জায়গাগুলিতে প্রবেশ করে, প্রায়শই ন্যূনতম এবং বায়ুমণ্ডলীয়। ==কাজ সমূহ== ===দৈত্ব=== *''এরসটেরস নরেস.'' চয়েজ কমেন, ২০১৬. ক্যাটরিন কমেন্ং. ** সেকেন্ড ২০১৭. ==তথ্যসূত্র=='''চট্টগ্রাম পালি কলেজ''' হলো বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত বৌদ্ধধর্মীয় এখানে বৌদ্ধধর্ম এবং পালি ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়। কলেজটি ১৯৩৯ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি অবৈতনিক ==অবস্থান== কলেজটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের বৌদ্ধমন্দির সড়কস্থ এনায়েত বাজার এলাকায় অবস্থিত। ==ইতিহাস== চট্টগ্রাম পালি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন অগ্গমহাপন্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির। প্রতিষ্ঠা বছরেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পন্ডিত দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান মহাথের। তিনি আমৃত্যু কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার সময়ে কলেজের অনেক উন্নয়ন কাজ ঘটে। তাই তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কলেজের নতুন নামকরণ করা হয় ‘দীপঙ্কর পালি কলেজ’। == অবকাঠামো == একটি তিনতলা ভবনের চারটি শ্রেণীকক্ষে ছাত্রদের পাঠদান করা হয়। কলেজ পরিচালনার জন্য একটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা পরিষদ আছে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর পরিচালনা পরিষদ নবায়ন করার সরকারি বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ সংস্কৃত পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে টোল কলেজগুলির প্রশাসনিক শিক্ষা কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। কলেজে একটি লাইব্রেরী রয়েছে, যার নাম ‘চিন্তামণি লাইব্রেরি’। এখানে একটি মিউজিয়ামও আছে। == ভর্তি == ন্যূনপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরাই কলেজে ভর্তি হতে পারে। শিক্ষার বিষয় পালি ত্রিপিটক। ত্রিপিটকের সুত্ত বিভাগ, বিনয় বিভাগ অভিধম্ম বিভাগে আদ্য, মধ্য উপাধি শ্রেণীতে তিন বছর মেয়াদি ভিন্ন ভিন্ন কোর্স চালু আছে। যেকোনো একটি বিভাগে তিন বছর অধ্যয়ন করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে বিষয়ে তাকে ‘বিশারদ’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ‘উপাধি’ ডিগ্রিধারী ব্যক্তি সাধারণ শিক্ষাপদ্ধতিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীর সমতুল্য। এরপর তারা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারে। কলেজে বর্তমানে চারজন অধ্যাপক এবং ২৫০জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। অধ্যক্ষ পরিচালনা পরিষদের সম্পাদক হিসেবে উভয় দায়িত্ব পালন করেন। ==তথ্যসূত্র== বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধধর্ম প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'''ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদ''' (২৪ ডিসেম্বর ১৯০৩ ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) একজন বাংলাদেশী দার্শনিক শিক্ষাবিদ ছিলেন। ১৯৩৯ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ঢাকা কলেজের প্রথম মুসলিম অধ্যক্ষ হন == প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা == আহমেদ পূর্ব বাংলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং ১৯২27 সালে দর্শনে এমএ অর্জন করেন ১৯৩৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ লন্ডন থেকে দর্শনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। গবেষণামূলক গবেষণার জন্য তার গবেষণাটি পরামর্শক জন কুক উইলসন এবং ব্র্যাডলি স্ট্যাম্পের অধীনে রূপক যুক্তি সম্পর্কিত ছিল। == পেশা == === শিক্ষকতা === আহমেদ ঢাকা প্রভাষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন পরে দর্শন বিভাগের প্রধান হন। ১৯৩৯ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ঢাকা কলেজের প্রথম মুসলিম অধ্যক্ষ হন। পরে তিনি ১৯৪ 19 থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এরপরে তিনি পাবলিক ইন্সট্রাকশন-এর সহকারী পরিচালক হিসাবে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের পাবলিক ইন্সট্রাকশন ডিরেক্টরের পদে উন্নীত হন এবং ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা নিযুক্ত হন এবং একযোগে পাকিস্তান সরকারের শিক্ষা সংস্কৃতি মন্ত্রকের স্থায়ী সচিবের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি রাজশাহী উপাচার্য নিযুক্ত হন এবং ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে থেকে যান। === সরকারি === আহমেদের কয়েকটি জাতীয় আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জাতীয় শিক্ষা কমিশন সদস্য (১৯৫৮) ছাত্র কল্যাণে পাকিস্তান কমিশনের সদস্য (১৯৬৫) পাকিস্তান ন্যাশনাল প্রেস ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য (১৯৬৪) কেন্দ্রীয় ইসলামিক গবেষণা ইনস্টিটিউট বোর্ড অব গভর্নর সদস্য বাঙালি বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় বোর্ডের সদস্য (নির্বাচিত) (১৯৬৮) পূর্ব পাকিস্তানের বোর্ডের সভাপতি (১৯৬৫) পাকিস্তান দার্শনিক সোসাইটি, করাচির অষ্টম কংগ্রেসের রাষ্ট্রপতি (নির্বাচিত) (১৯৬৫) পাকিস্তান দার্শনিক কংগ্রেসের রাষ্ট্রপতি (নির্বাচিত) (১৯৬৮–১৯৭১) .ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য (১৯৬৮–৮১) === আন্তর্জাতিক === শীর্ষস্থানীয় উচ্চ পর্যায়ের সরকারী প্রতিনিধিদলসহ দ্বি-পার্শ্বীয় বহুপাক্ষিক সংলাপ, সম্মেলন এবং ফোরামে আহমেদ পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এর মধ্যে তুরস্ক, ইরাক, বার্মা (মায়ানমার), উরুগুয়ে, ভারত, কানাডা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত যার মধ্যে কয়েকটি নাম রয়েছে। ১৯৫7 সালে নয়াদিল্লিতে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাহী বোর্ড এবং জনহিতকর ভিত্তিতে অভিনয় করেছিলেন, যেখানে তিনি ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, যুক্তরাজ্যের নফিল্ড ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য। তিনি ১৯৫৬ সালে জেনেভায় শিক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। ডঃ আহমেদ বুকিঘাম প্রাসাদ এবং হোয়াইট হাউসে বিশেষ অতিথি ছিলেন। তিনি মারা যান ঢাকা == উত্তরাধিকার == প্রতিষ্ঠানে তার অবদানের প্রশংসা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তার আর্টস বিল্ডিংয়ের নামকরণ করেছে ''মমতাজ উদ্দিন একাডেমিক ভবন'' == তথ্যসূত্র == উপাচার্য কলেজ লন্ডনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মৃত্যু জন্ম'''এম মতিন''' বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার রাজনীতিবিদ। চাঁদপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি সাবেক কুমিল্লা-২৩ (বর্তমানে চাঁদপুর-৫) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে পঞ্চম, ষষ্ঠ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। == জন্ম প্রাথমিক জীবন == এম মতিন চাঁদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। == রাজনৈতিক কর্মজীবন == বিএনপির রাজনীতিবিদ এম মতিন চাঁদপুর-৫ আসন থেকে পঞ্চম, ষষ্ঠ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি সাবেক কুমিল্লা-২৩ (বর্তমানে চাঁদপুর-৫) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। == আরও দেখুন == দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা (১৯৭৯) –বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা (১৯৯১) –বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬) –বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা (২০০১) –বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জেলার রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদ সদস্য'''ম্যালকম পিটার জার্ভিস''' (; জন্ম: ডিসেম্বর, ১৯৫৫) রোডেশিয়া ফোর্ট ভিক্টোরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৮৭ ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে দলের পক্ষে খেলেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপহারে সচেষ্ট ছিলেন '''ম্যালকম জার্ভিস'''। == প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট == ১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত ম্যালকম জার্ভিসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মিডল্যান্ডস এলাকায় শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। তৎকালীন কিউ কিউ হাইস্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর হারারেতে স্থানান্তরিত হন। == আন্তর্জাতিক ক্রিকেট == সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ম্যালকম জার্ভিস। ১৮ অক্টোবর, ১৯৯২ তারিখে হারারেতে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ অক্টোবর, ১৯৯৪ তারিখে একই মাঠে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণ করার গৌরব অর্জন করেন। সৌভাগ্যবশতঃ অংশগ্রহণকৃত পাঁচ টেস্টের কোনটিতেই পরাজয়ের মুখ দেখেনি তার দল। এছাড়াও, যদি ক্যাচ হাতছাড়া না হতো তাহলে হয়তোবা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেট লাভের অধিকারী হতেন। স্বল্প কয়েকটি টেস্টে খেলায় অংশ নিলেও ১১টি উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন। তার সবগুলো ডিসমিসালই কটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। == খেলার ধরন == ধ্রুপদী ভঙ্গীমায় বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। সূক্ষ্ম নিশানা বরাবর বোলিং করতে পারতেন। পিচের দিকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে ডেলিভারি করা বল শূন্যে মারতে বাধ্য করতেন। ঘন্টার পর ঘন্টার বোলিং করলেও তার ক্লান্তি ছিল না। তরুণ খেলোয়াড়দেরকে সহযোগিতার হাত প্রসার করতেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি তিনি। তবে, প্রয়োজনে দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে অবস্থান করতে পারতেন। উদার হৃদয়ের অধিকারী পরীক্ষিত সেবক হিসেবে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। বামহাতি সিম সুইং বোলার হিসেবে নতুন বল হাতে নিয়ে নিজের সেরা খেলা প্রদর্শনে মনোনিবেশ ঘটাতেন। তবে, পেসের অভাবে তেমন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। == অবসর == ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা গমন তাকে মনোনীত করা হয়। তবে, ৩৮ বছর বয়সী ম্যালকম জার্ভিস নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বয়োঃজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে অংশগ্রহণকারীর রেকর্ডের খাতায় স্থান করে নিতে চাননি নিজেকে দল থেকে প্রত্যাহার করে নেন। একসময় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃক জিম্বাবুয়ে দলের শারীরিক সক্ষমতার দায়িত্বে ছিলেন। == ব্যক্তিগত জীবন == ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার সন্তান কাইল জার্ভিস জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলছেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর হারারের কাছাকাছি বোরোডেল এলাকায় অতিথিশালা পরিচালনা করছেন। সেখানেই স্ত্রী সহযোগে বসবাস করছেন ম্যালকম জার্ভিস। == তথ্যসূত্র == == আরও দেখুন == পিটার রসন অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলসমূহ জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা ১৯৯২-৯৩ ভারত ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফর জিম্বাবুয়ের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা == বহিঃসংযোগ == জন্ম ব্যক্তি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেটার ক্রিকেটার'''মস্তিষ্কের মৃত্যু''' দ্বারা মস্তিষ্কের সকল কার্যক্রমের মৃত্যুকে বোঝানো হয় যার মধ্যে শরীরে জীবনের উপস্থিতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত। এটি পার্সিসটেন্ট ভেজিটেটিভ অবস্থা থেকে আলাদা কারণ সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি জীবিত থাকেন শরীরের বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম সচল থাকে। এটি সাধারণ কোমা থেকেও আলাদা, তা চিকিৎসাগতভাবে প্রদানকৃত হোক বা কোনো দুর্ঘটনা বা রোগের কারণেই হোক, এমনকী অত্যন্ত গভীর কোমার ক্ষেত্রেও যতোক্ষণ মস্তিষ্কের শরীরের কিছু ক্রিয়াকলাপ কার্যক্রম বলবৎ থাকে ততোক্ষণ সেই অবস্থাকে মস্তিষ্কের মৃত্যু হিসেবে ধরা হয় না। মস্তিষ্কের মৃত্যু লকড-ইন-সিনড্রোম থেকেও আলাদা একটি অবস্থা। রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন উপায় (ডিফারেন্সিয়াল ডায়াগনোসিস) ব্যবহারের মাধ্যমে এই অবস্থাগুলো পার্থক্য করার মাধ্যমে আলাদা ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। বিশ্বের বহু বিচারব্যবস্থায় মৃত্যুর আইনি ব্যাখ্যা হিসেবে মস্তিষ্কের মৃত্যুকে নির্দেশ করা হয়, কিন্তু এটি সংজ্ঞা অনেক ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট নয় এবং মানুষের মধ্যে তা বিভ্রান্তিরও সৃষ্টি করে। মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটলেও মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ কাজ চালিয়ে যেতে পারে যদিও অনেক অংশ আর কখনো কার্যকর অবস্থায় ফিরে আসে না। ‘মস্তিষ্কের মৃত্যু’ বা ‘ব্রেন ডেথ’ পরিভাষাটি কয়েক প্রকারের সমন্বিত অবস্থাকে নির্দেশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদিও একটি উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিভাষার অভিধান মস্তিষ্কের মৃত্যু বলতে গুরুমস্তিষ্কের মৃত্যু (মস্তিষ্কের গুরুমস্তিষ্ক অংশের মৃত্যুকে নির্দেশ করে) বোঝালেও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন মেডিক্যাল সাবজেক্ট হেডিংস (MeSH) সিস্টেম মস্তিষ্কের মৃত্যু বলতে মস্তিষ্কের ব্রেইনস্টেমসহ অন্যান্য অংশের মৃত্যুকে নির্দেশ করে। এই পার্থক্যগুলো চিকিৎসাবিদ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ ক্ষেত্র বিশেষে যদি গুরুমস্তিষ্কের মৃত্যু হয় ব্রেইনস্টেম জীবিত সচল থাকে সেক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন শ্বাসপ্রশ্বাস কোনো প্রকার সাহায্য ছাড়াই সচল থাকে। অপরদিকে সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের মৃত্যু হলে শুধুমাত্র মেশিনের মাধ্যমে লাইফ সাপোর্ট সরঞ্জাম সচল রাখা হলেই এই শারীরিক কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালিত হতে পারবে। যে-সকল রোগীর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করে অঙ্গদানের জন্য সংরক্ষণ করা সম্ভব। == আরও দেখুন == ব্রেইনস্টেমের মৃত্যু ক্লিনিকাল মৃত্যু মৃত্যু স্থির বোধশক্তিহীন অবস্থা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যু রোগনিরূপণবিদ্যা'''বোলানি''' হল আফগানিস্তানের রুটি এটা আলু, ডাল, কুমড়া, লিকস উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।বোলানি তৈরি করার পর খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য পুদিনা পাতা দই দিয়ে পরিবেশন করা হয় বোলানি জন্মদিনের পার্টি, ছুটির মতো বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়। আমেরিকাতে বোলানি কাবাব হাউসে পঞ্চম খাদ্য সামগ্রী। কিন্তু আমেরিকাতে এটি ভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয়। আলু, মসুর, লিক এবং অন্যান্য শাকসবজি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আমেরিকায় ফালাফেল, গরুর মাংস এবং বেকন এইগুলো খাবারের সাথে বোলানি পরিবেশন করা হয়ে থাকে। == ছবি == == তথ্যসূত্র == খাবার রন্ধনশৈলী রন্ধনশৈলীদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানিতে সৈন্যদের দেওয়া এই ব্রিটিশ সেনা বাহিনী ভাউচার কেবল ক্যান্টিন বা অন্যান্য নির্দিষ্ট লেনদেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি '''ভাউচার''' হল লেনদেনের একটি বন্ড যা নির্দিষ্ট আর্থিক মূল্য এবং যা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কারণে বা নির্দিষ্ট সামগ্রীতে ব্যয় হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আবাসন, ভ্রমণ এবং খাবার ভাউচারের অন্তর্ভুক্ত। ভাউচার শব্দটি সমার্থক শব্দ এবং প্রায়শই প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত রসিদগুলিকে বোঝাতে ব্যবহৃত কোন পরিষেবা সম্পাদিত হয়েছে বা ব্যয় হয়েছে বলে ঘোষণা। এজেন্সি দ্বারা প্রদানের গ্যারান্টি সহ পরিষেবাগুলি ব্যবহার করার জন্য ভাউচার একটি পর্যটক গাইড। == পর্যটন মধ্যে == ভাউচারগুলি পর্যটন খাতে প্রাথমিকভাবে কোনও নির্দিষ্ট সময় এবং জায়গায় কোনও পরিষেবা গ্রহণের নামী গ্রাহকের অধিকারের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পরিষেবা সরবরাহকারীরা তাদের পরিষেবাটি প্রমাণ করার জন্য, সেই গ্রাহককে একটা রশিদ দেওয়া হয়। সুতরাং, ভাউচারের বৃত্তান্ত নীচে দেওয়া হলো: গ্রাহক ক্রয়কৃত পরিষেবার জন্য বিক্রেতার কাছ থেকে ভাউচার পান গ্রাহক বিক্রেতার কাছে যান এবং সম্পর্কিত সরবরাহকারীর কাছে ভাউচার দাবি করেন এবং পরিষেবাটি সরবরাহ করার জন্য বলেন বিক্রেতা গ্রাহকের পরিমাণ পণ্য অনুযায়ী ভাউচার দিয়ে থাকেন। অবিচ্ছিন্ন ভাউচারগুলি অর্থ প্রদানের প্রাপ্য নয় যোগাযোগের সীমাবদ্ধ এবং ব্যয়বহুল ছিল যখন তথ্য যুগের আগে এটি প্রচলিত ছিল, তবে বি সি দ্বারা এখন একেবারে আলাদা ভূমিকা দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যখন কোনও রিজার্ভেশন তৈরি করা হয়, গ্রাহকদের প্রায়শই ইমেল বা মুদ্রণযোগ্য কোনও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি ভাউচার সরবরাহ করা হয়। সরবরাহকারীরা প্রথমে পরিষেবা সরবরাহের আগে এই ভাউচার উপস্থাপন করার প্রয়োজন। == অ্যাকাউন্ট ভাউচার == একটি ভাউচার একটি অ্যাকাউন্টিং ডকুমেন্ট যা কোনও ''বাহ্যিক সত্তাকে'' যেমন কোনও বিক্রেতার বা পরিষেবা সরবরাহকারীর জন্য অর্থ প্রদানের ''অভ্যন্তরীণ অভিপ্রায়'' উপস্থাপন করে। চালানটি ক্রয়ের ক্রমের সাথে সাফল্যের সাথে মিলে যাওয়ার পরে একজন বিক্রেতা চালান পাওয়ার পরে একটি ভাউচার তৈরি হয়। একজন ভাউচারে প্রদানকারীর সম্পর্কিত অর্থ প্রদানের পরিমাণ, লেনদেনের বিবরণ এবং আরও অনেক কিছু থাকবে। অ্যাকাউন্টে প্রদেয় সিস্টেমগুলিতে, অবৈতনিক ভাউচারগুলির সাথে অর্থ প্রদানের জন্য "পেমেন্ট রান" নামে একটি প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়। এই অর্থ প্রদানগুলি তখন প্রদেয় তদারককারী বা সংস্থা নিয়ন্ত্রকের বিবেচনার ভিত্তিতে প্রকাশ বা রাখা যেতে পারে। গ্রহণযোগ্য অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে এটি কোনও অ্যাকাউন্টে সামঞ্জস্য করার অভিপ্রায় উপস্থাপনকারী একটি নথি এবং সাধারণ গ্রাহকের জন্য যেখানে সেই খাতায় অ্যাকাউন্টগুলি সামঞ্জস্য করতে হয়; সেক্ষেত্রে এটিকে জার্নাল ভাউচার হিসাবে উল্লেখ করা হয়। == মোবাইল ফোন গুলো == একটি ভাউচার হল একটি রিচার্জ নম্বর যা কোনও গ্রাহককে অর্থ দিয়ে সিম কার্ড রিচার্জ করতে এবং কার্ডের উপলব্ধতার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিক্রি করা হয়। ভাউচারগুলি সাধারণত খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে বিক্রি হয়, যেমন মোবাইল অপারেটর দ্বারা চালিত ফোন বিতরণকারী, মুদি দোকান এবং গ্যাস স্টেশনগুলি। ভাউচারগুলি ইতালি এবং স্পেনের মতো অনেক দেশে প্রিপেইড মোবাইল ফোনের রিচার্জের প্রচলিত রূপ যেখানে ৯০% এরও বেশি গ্রাহক ভাউচার ব্যবহার করেন এবং যুক্তরাজ্য যেখানে ৬০% এর বেশি ভাউচার ব্যবহার করে। একটি ভাউচার ই-ভাউচার আকারে অনলাইনেও ব্যবহার করা যেতে পারে। অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় এই ধরণের ভাউচারগুলি প্রবেশ করা যেতে পারে এবং আপনার অর্ডারে প্রাসঙ্গিক ভাউচারের মান যুক্ত হবে। অনেক সংস্থা গত কয়েক বছর ধরে ভাউচার কোড ব্যবহার করতে বেছে নিয়েছে তবে ২০০৮ এর শেষ দিকে এবং ২০০৯ এর শুরুর ।অনেকগুলি ইন্টারনেট ওয়েবসাইট রয়েছে যা এই ডিলগুলি এবং ভাউচারগুলিকে অনলাইনে প্রচার করার জন্য নিবেদিত, পাশাপাশি ফেসবুকে। অনেক সংস্থা কুপনকে ঘিরে তাদের ব্যবসা শুরু করেছে। এটি অনুমোদিত বিপণনের অধীনে আসে। ভোক্তার কম্পিউটারে কুকিজ ফেলে দেওয়ার পদ্ধতি প্রকাশ করার জন্য অযোগ্য পদ্ধতি ব্যবহার করে এমন সাইট রয়েছে যা ইন্টারনেট বিপণনে ভাউচার ব্যবহারের জন্য নির্দেশিকা প্রবর্তন করে। বেশিরভাগ ভিডিও গেমের বিশেষ সংস্করণগুলি ইন-গেমের একচেটিয়া সামগ্রীর জন্য একটি ভাউচারের সাথে আসে। এছাড়াও, নির্দিষ্ট শপগুলিতে প্রি-অর্ডারিং গেমগুলি কেবলমাত্র সেই দোকানে প্রি অর্ডার করলেই ক্রেতাকে কেবল কন্টেন্টের ভাউচারের কাছে অধিকার দেওয়া যেতে পারে। == আরো দেখুন == কুপন ফুড স্ট্যাম্প প্রোগ্রাম উপহার কার্ড শ্রম ভাউচার খাবার ভাউচার আরওসি গ্রাহক ভাউচার স্কুল ভাউচার টোকেন মুদ্রা টোকেন টাকা == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক লিঙ্কগুলি == বিষয়শ্রেণী: অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা বিষয়শ্রেণী: অ্যাকাউন্টিং নথি'''রাজা হোসেন খান''' (১৯৩৮ ৬ই মার্চ, ১৯৮৯) বাংলাদেশের সংগীত পরিচালক, সুরকার এবং বেহালা প্লেয়ার ছিলেন। তিনি সংগীত পরিবার জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি ছিলেন বহু-বাদ্যযন্ত্র সংগীত শিক্ষক আলাউদ্দিন খাঁ, এবং আয়েত আলী খাঁ এর ভাগ্নী। ==শৈশব পড়ালেখা == জন্মগ্রহণ করেন, তার পিতা নায়েব আলী খান তার ভাই বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ তিনি বাবার সাথে বেহালায় তার সংগীত চর্চা শুরু করেছিলেন। পরে তিনি তার চাচাতো ভাই বাহাদুর খানের কাছ থেকে উচ্চ প্রশিক্ষণ নিতে কলকাতায় গিয়েছিলেন, যার অধীনে তিনি তিন বছরের জন্য পড়াশোনা করেছেন। এরপরে তিনি আরেক চাচাত ভাই আলি আকবর খান এবং তার বড় ভাই খাদেম হোসেন খান এর কাছ থেকে সংগীত পাঠ করেছিলেন। উদ্ধৃতি প্রয়োজন ==কর্মজীবন== রাজা হোসেন খান ‘স্টাফ আর্টিস্ট’ হয়ে ঢাকা রেডিওতে বাংলাদেশ বেতার যোগদান করেন। তিনি চলচ্চিত্র জগতের সাথেও যুক্ত ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক ছিলেন। সুর্যগ্রহণ ছবিতে সংগীত পরিচালনার জন্য তাকে রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল। তিনি জাতীয় রেডিও এবং টেলিভিশন (বিটিভি) এর জন্য প্রচুর জনপ্রিয় সংগীত সুর করেছেন। তিনি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে অনেক দেশ পরিদর্শন করেছিলেন। রাজা হোসেনের তিন ছেলে ছিল পলাশ খান, তিতাস খান এবং প্লাবন খান। ১৯৮৯ সালের মার্চে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। ==তথ্যসূত্র ==আলেকজান্ডার ডুবচেক (১৯৮৯) '''আলেকজান্ডার ডুবচেক''' (২৭ নভেম্বর ১৯২১ নভেম্বর ১৯৯২) একজন চেকোস্লোভাক এবং স্লোভাক রাজনীতিবিদ ছিলেন চেকোস্লোভাকিয়া কমিউনিস্ট পার্টি -এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়ামের প্রথম সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন (কেএসই) (ডি এর ফ্যাক্টো লিডার সালের জানুয়ারি ১৯৬৮ থেকে এপ্রিল ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত। প্রাগ স্প্রিং এর সময় প্রাগ বসন্ত তিনি প্রাগ বসন্তের রাজনীতির সংস্কারের চেষ্টা করেছিলেন তবে ওয়ারসো চুক্তি আক্রমণ == তথ্যসূত্র == জন্ম মৃত্যু কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা শাসকহিজাম ইরাবত, ভারতের ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত স্ট্যাম্পে '''হিজাম ইরাবত''' (৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৬ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫১), যিনি জননেতা হিজাম ইরাবত নামে পরিচিত, তিনি মণিপুরের একজন রাজনীতিবিদ এবং বিপ্লবী সামাজিক কর্মী ছিলেন। জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। মনিপুরের ইম্ফলে জন্মগ্রহণ করেন কমরেড ইরাবত। হিজাম ইরাবত মনিপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তিনি মনিপুর কিষাণ সভা গঠন করেছিলেন। মনিপুর কমিউনিষ্ট পার্টি গঠনের ক্ষেত্রেও প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত স্বদেশ গানের দল পরবর্তীতে ভারতীয় গণনাট্য সংঘে পরিনত হয়। হিজাম ইরাবত দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন বিদ্রোহের জন্য। বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জেলে তিনি বছর কাটিয়েছেন। সিলেট জেলে থাকা অবস্থাতেই তিনি কমিউনিষ্ট রাজনীতি তে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এছাড়া ছাত্র জীবনে ঢাকার পোগজ বিদ্যালয়ে দু বছর পড়েছেন।তিনি মনিপুরের প্রথম সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার আগেই তাকে ১৯৪৮ সালে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। কারণ মনিপুর কিষাণ সভাকে সরকার নিষিদ্ধ করে দেয়।এরপরে কমরেড হিজাম ইরাবত গোপন কমিউনিষ্ট পার্টি "মনিপুর কমিউনিষ্ট পার্টি" গঠন করেন সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি মনিপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৫১ সালে কমরেড হিজাম ইরাবত জঙ্গলেই মারা যান। ==তথ্যসূত্র== কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-এর রাজনীতিবিদ জন্ম মৃত্যু রাজনীতিবিদ'''মনু নদী প্রকল্প''' হলো বাংলাদেশের সর্ব-বৃহত্তম সেচ পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রকল্প। প্রকল্পটির মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার দুটি উপজেলার ২২,৫৮০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে এবং এটি সমাপ্ত হয় ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে। প্রকল্পটির পরিচালনা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই প্রকল্পের ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে জমিতে সেচ কাজও করা সম্ভব হচ্ছে। == অবস্থান == মৌলভীবাজার শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া মনু নদ একটি আন্তর্জাতিক নদী; ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা হতে উৎপন্ন হওয়া ১৬৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের মনুর ৯৩ কিলোমিটার পড়েছে ভারতে এবং অবশিষ্ট ৭৩ কিলোমিটার বাংলাদেশে রয়েছে যা মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কুলাউড়া, রাজনগর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মিশেছে। সম্পূর্ণ মনু নদের উপরই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এর উভয় তীর সংরক্ষণ করা হয়েছে এর আওতায়। == ইতিহাস == বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে এই প্রকল্পটির কাজ শুরু করে এবং ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে এই প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হয়। == প্রকল্প == এটি একটি বহুমুখী প্রকল্প যার অধীনে সেচের পানি সরবরাহের জন্য সেচ খাল খনন; নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভেড়িবাঁধ নির্মান বর্ষা মৌসুমে বা অন্যান্য সময়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমে যাওয়া পানি নিষ্কাশনের জন্য রেগুলেটর যুক্ত স্লুইস গেইট নির্মান করা হয়েছে। == গৃহীত পদক্ষেপ == মনু নদী প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপে যেসকল ব্যবস্থাদি গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সেচ খাল খনন মনু নদী থেকে শুষ্ক মৌসুমে পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষি জমির জন্য সেচের পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে বেশ কিছু খাল খনন করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সেচ প্রকল্পের আওতাভূক্ত জমিতে মনু নদীর পানি গেইট বন্ধ করে হেড আপ করে গ্রাভিটি ফ্লো পদ্ধতিতে এসকল সেচ খালগুলোর মাধ্যমে জমিটিতে পৌছানো হয়। ভেড়িবাঁধ নির্মান মনু নদী প্রকল্পের আওতায় মনু কুশিয়ারা নদীতে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভেড়িবাঁধ নির্মিত হয়েছে। সেচ প্রকল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নির্মিত এই বাধঁ মূলতঃ বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যে তৈরি করা হয়েছে যার ফলে নদীর পানি বর্ষা মৌসুমে উপচে পার্শ্ববর্তী ভূমিতে প্রবেশ করতে পারে না। == বর্তমান অবস্থা == দীর্থদিন যাবত্‌ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব সময় পরিক্রমায় নদীল নাব্যতার সংকটের কারণে নদীটি বর্তমানে গভীরতা হারিয়েছে, ফলে প্রতিবছরই এর দ্বারা সংলগ্ন এলাকার অধিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং সেচ প্রকল্পের লক্ষ্যও ব্যহত হচ্ছে; যার ফলশ্রতিতে এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মনু নদে বাঁধ নির্মাণে ১৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বেও আরো একটি প্রকল্পের আওতায় বন্যা প্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিতি মৌলভীবাজার কুলাউড়া অংশের মনু নদের ২৩ কিলোমিটারে নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষে ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকায় অপর একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিলো নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়াধীন বিআইডব্লিউটিএ। == আরও দেখুন == পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড; বাংলাদেশের সেচ প্রকল্পসমূহ। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মনু নদী প্রকল্প পাউবো কর্তৃক প্রকাশিত একটি ব্রোশিয়র। সেচ প্রকল্প বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত'''এন্টওয়ার্প বন্দর''' বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্সে অবস্থিত। এটি ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রের একটি বন্দর, যা ক্যাপসাইজ জাহাজগুলিকে নোঙরের অনুমোদন করতে পারে। রটার্ডাম বন্দরের পরে এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। এন্টওয়ার্প বন্দর শেল্ড্টের জলোচ্ছ্বাসের উপরের প্রান্তে গড়ে উঠেছে। মোহনা থেকে ৮০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ১,০০,০০ গ্রস টনেরও বেশি ওজনের জাহাজের চলাচল করতে পারে। হামবুর্গের মতো, এন্টওয়ার্প বন্দরের অভ্যন্তরীণ অবস্থান উত্তর সাগরের সংখ্যাগরিষ্ঠ বন্দরগুলির তুলনায় ইউরোপের আরও কেন্দ্রীয় অবস্থান সরবরাহ করে। এন্টওয়ার্প বন্দরের ডকগুলি রেল, সড়ক এবং নদী এবং খালের নৌপথ দিয়ে আন্তঃদেশের সাথে সংযুক্ত। ফলস্বরূপ, এন্টওয়ার্প বন্দরটি ইউরোপের বৃহত্তম একটিতে পরিণত হয়েছে, মোট চালান সরবরাহের মাধ্যমে রটার্ডাম বন্দরের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এর আন্তর্জাতিক ক্রম ১১ তম থেকে ২০ তম (এএপিএ) এর মধ্যে। ২০১২ সালে, এন্টওয়ার্প বন্দরটি ১৪,২২০ সমুদ্র বাণিজ্য জাহাজ (১৯০.৮ মিলিয়ন টন মালামাল, ৫৩.৬% কনটেইনার), ৫৭,০৪৪ টি অভ্যন্তরীণ বার্জ (১২৩.২ মিলিয়ন টন কার্গো) পরিচালনা করে এবং ৮০০ টি বিভিন্ন সামুদ্রিক গন্তব্যে লাইনার পরিষেবা সরবরাহ করেছে। ==সাম্প্রতিক ইতিহাস== ==বন্দরের বিন্যাস == ===ডান তীর=== বেরেন্ড্রেচট লক (১৯৮৯) খোলার সাথে সাথে ডান তীর ডক কমপ্লেক্সটি উন্নতির একটি মুকুট অর্জন প্রাপ্ত হয়। লক গেটসের মধ্যে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬৮ মিটার প্রস্থের সাথে বেরেনড্রেচট লকটি বিশ্বের বৃহত্তম লক। এই লকটির জলের গভীরতা ১৩.৫০ মিটার, যা গড় উচ্চতর জলের গভীরতা ১৭.৭৫ মিটারের সমান করে তোলে। লক ছাড়াও ডক কমপ্লেক্সের বাইরে শেল্ড্টের তীরে ডান তীরের আরও উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এখানে দুটি বড় কনটেইনার টার্মিনাল খোলা হয়। ১৯৯০ সালে থেকে ইউরোপ টার্মিনালটি পরিচালনাগত ছিল, ১৯৯৭ সালে উত্তর সাগর টার্মিনালটি সচল হয়। বোনাপার্ট ডকের মতো বন্দরের পুরানো অঞ্চলগুলিকে আধুনিক পণ্য পরিচালনার জন্য উপযুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। এই আধুনিকীকরণের মধ্যে আমেরিকা ডক, আলবার্ট ডক এবং তৃতীয় হারবার ডকের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে পানাম্যাক্স জাহাজগুলির জন্য উপযুক্ত করা হচ্ছে, যার খসড়া বা গভীরতা ৪২ ফুট (১৩ মিটার) রয়েছে। গৃহীত অন্যান্য আধুনিকীকরণ প্রকল্পগুলি হ'ল ডেলওয়েড ডক, যা শীঘ্রই সর্বশেষ প্রজন্মের কন্টেইনার জাহাজগুলিকে পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে। ডেলওয়েড ডকের দক্ষিণ অংশে এমএসসি হোম টার্মিনাল হল পিএসএ হেসি-নুরড নেটি এবং মেডিটেররানিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি)-এর মধ্যে একটি অংশীদারত্ব। এই টার্মিনালের জেটি বা জাহাজঘাটার মোট দৈর্ঘ্য কিমি হওয়ার কারণে একসাথে বেশ কয়েকটি জাহাজ পরিচালনা করা যায়। এমএসসি হোম টার্মিনালের বার্ষিক ধারণক্ষমতা ৩.৩ মিলিয়ন কন্টেইনার (টিইইউ)। ===বাম তীর=== এন্টওয়ার্পের বাম তীরে উন্নয়নের জন্য প্রথম পরিকল্পনাগুলি ১৯৬০এর দশকের প্রারম্ভিক বছরগুলিতে প্রস্তুত করা হয়। সেই সময়, আশা করা হয়েছিল যে বালহোক খালটি নির্মাণের বিষয়ে ডাচদের সাথে চুক্তি হতে পারে, যা বেলজিয়ামের কলো থেকে সাফলিঞ্জের ড্রাউনড ল্যান্ড (ডাচ ভূখণ্ডে) দিয়ে পশ্চিমের স্কেলডে গিয়ে পৌঁছে যেত। এই দুর্দান্ত ধারণার সুবিধা ছিল যে এটি বোচ ভ্যান বাথ নামে পরিচিত কঠিন বাঁকটি কেটে ফেলবে এবং গভীর খসড়া জাহাজগুলিকে প্রবেশের সুবিধা প্রদান করবে। ১৯৭৯ সালে কলো লকের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে মূল রূপরেখাটি ব্যাপক আকারে সম্পূর্ণ হয়। প্রধান উপাদানগুলি হ'ল ওয়েসল্যান্ড খাল, ভের্রেব্রোক ডক এবং ভ্র্যাসিন ডক। বালহহোক খাল প্রকল্পটি পরিত্যাগের অর্থ হ'ল ডোল ডক নামে পরিচিত একটি অতিরিক্ত ডকটি কখনই জাহাজ চলাচলের জন্য উপযুক্ত হবে না। নতুন ডকল্যাণ্ডের উন্নয়ন ধীর গতিতে শুরু হয়, তবে ১৯৯০-এর দশকে এটি বন্ধ হয়ে যায়। আজকাল, ব্রাসিন ডকে পরিচালিত ব্যবসায়গুলির মধ্যে বনজ পণ্য, ফলের রস, গাড়ি, প্লাস্টিকের দানা, স্ক্র্যাপ এবং বাল্ক গ্যাস অন্তর্ভুক্ত। ভের্রেব্রুক ডকের সজ্জিতকরণ ১৯৯৬ সালে শুরু হয় এবং এটি ২০০০ সালে প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন ঘটে। চূড়ান্ত হওয়ার পরে, এই ডকটি ১৪.৫ মিটার খসড়া সহ মোট কিমি বার্থ সরবরাহ করবে। ===ডিউগ্যাঙ্ক ডক=== যেহেতু স্কেলডটেরর ডান তীরে বিদ্যমান কনটেইনার টার্মিনালগুলি তাদের সর্বাধিক ক্ষমতাতে পৌঁছেছে এবং কনটেইনার পণ্যের পরিমাণ বাড়তে থাকে (২০০৭ সালে এটি ৮.২% বৃদ্ধি পেয়ে মিলিয়ন টিইইউতে প্রসারিত হয়), ফলে একটি নতুন ডক কমপ্লেক্স নির্মিত হয়: জোয়ার ডিউগ্যাঙ্ক ডক, যা নদীর জন্য উন্মুক্ত এবং এই ডকে প্রদেশ প্রস্থানের জন্য কোনও লক গেট অতিক্রমের প্রয়োজন হয় না। এই ডকের প্রথম টার্মিনালটি জুলাই ২০০৫ সালে খোলা হয়। অনুমান করা হয় ডকটির সম্পূর্ণ ক্ষমতা থেকে মিলিয়ন টিইইউ। ডিউগ্যাঙ্ক ডকের জাহাজ-ঘাটার দৈর্ঘ্য ৫.৫ কিমি এবং মোট ১২,০০,০০০ ঘনমিটার কংক্রিট নিয়ে গঠিত। কিলিড্রেট লক, ডিউগ্যাঙ্ক ডকের শেষে একটি নতুন লক, যা জুন ২০১৬ সালে চালু হওয়ার পরে বাম তীরের বন্দর অঞ্চলের ডকগুলিতে প্রবেশের সুবিধা দিয়েছিল এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম লক। দিন দিন বৃহত্তর জাহাজের নির্মাণের প্রবণতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে লকটি পূর্ববর্তী বৃহত্তম বেরেনড্রেচট লকের চেয়েও গভীর। লক গেটটি ৩৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগের প্রতিনিধিত্ব করে, এটি বদ্ধ পোতাশ্রয়গুলির মধ্যে দ্বিতীয় লক এবং ব্যর্থতা মুক্ত বৈশিষ্ট্য যুক্ত; যদি একটি লক ব্যর্থ হয় তবে ভিতরে যে কোনও জাহাজ আটকে যেত, যদিও উভয় লক একই সাথে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভবনা অত্যন্ত কম। ডক কমপ্লেক্সের মুখোমুখি স্থলভাগের দিকে, লকটি ওয়াশল্যান্ড খালে প্রবেশ করে। সেখান থেকে জাহাজগুলির বাম তীরে থাকা অন্যান্য সমস্ত ডকগুলিতে সহজেই প্রবেশ করতে পারে: ডোল ডক, ভের্রেব্রোক ডক, ভ্র্যাসিন ডক এবং উত্তর এবং দক্ষিণ মুরিং ডক। ==ভবিষ্যৎ== ২০১০ সালের অক্টোবরে বন্দরে একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছিল, এই বিনিয়োগের পরিকল্পনাতে পরবর্তী ১৫ বছরের মধ্যে ১.৬ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে। বন্দরটি বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার উন্নতি করবে এবং জেনারেল মোটরস থেকে জমি অধিগ্রহণ করবে, কারণ সংস্থাটি এন্টওয়ার্প কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছে। রটার্ডাম বন্দরের মাশ নদীর তীরে পশ্চিম দিকে ইউরোপোর্ট পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে এবং মাশভ্লাক্টে দিয়ে উত্তর সাগরে প্রসারিত হতে সক্ষম হয়েছে, এন্টওয়ার্প বন্দরের পশ্চিমা দিকে আরও প্রসারণের খুব কম সুযোগ রয়েছে। ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== সাগরের বন্দরভগ্ন অর্ডোভিসিয়ান চুনাপাথরের তীরে উপকূলীয় ক্ষয় দেখাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম ওসমুসার, এস্তোনিয়া। '''উপকূলীয় ভূগোল''' হলো সমুদ্র স্থলভাগের মধ্যবর্তী ক্রমাগত পরিবর্তনী অঞ্চল সম্পর্কিত অধ্যয়ন, যা উপকূলের প্রাকৃতিক ভূগোল (অর্থ্যাত উপকূলীয় ভূমিরূপবিদ্যা, ভূতত্ত্ব এবং সমুদ্রবিদ্যা) এবং মানব ভূগোল (সমাজবিজ্ঞান এবং ইতিহাস) উভয়কে একত্রিত করে। এটি উপকূলীয় বিচূর্ণীভবন প্রক্রিয়া, বিশেষতঃ তরঙ্গের কার্য, পলিক চলন এবং আবহাওয়া এবং উপকূলের সাথে মানুষ কীভাবে মিথস্ক্রিয়া ঘটায় সেগুলি নিয়ে আলোচনা করে। == তরঙ্গের কার্য উপকূলস্থ সঞ্চয়ন == দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় পোর্ট ক্যাম্পবেল একটি উচ্চ-শক্তির উপকূলরেখা। বিভিন্ন শক্তির তরঙ্গগুলি, যেগুলি নিয়মিতভাবে উপকূলরেখায় আঘাত করে প্রবাহিত হয় তা'ই উপকূলরেখার প্রাথমিক সঞ্চালক এবং আকৃতিদান কারী। এই প্রক্রিয়াটির সহজ সংগঠন সত্ত্বেও, তরঙ্গ এবং শৈলগুলির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তার জন্যে এই আঘাতের ফলে বিভিন্ন আকার ধারণ করে। == বায়ুমন্ডলীয় প্রক্রিয়া == উপকূলের বাতাস সমুদ্র সৈকতের "উপর" দিয়ে বয়ে যায়, বালি বহন করে নিয়ে চলে এবং সমুদ্র সৈকতের উপর বয়ে নিয়ে বালির স্তুপ (বালীয়াড়ি) তৈরি করে। বৃষ্টিপাত উপকূলে আঘাত হানে এবং শিলাকে ধৌত করে এবং বিচূর্ণীত উপাদানসমূহকে উপকূল রেখায় বহন করে সৈকত গঠনে সহায়তা করে। == জৈবিক প্রক্রিয়া == বিশেষতঃ গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে, উদ্ভিদ এবং প্রাণীগুলি কেবল শিলার বিচূর্ণীভবনের উপর প্রভাব ফেলে না, বরং তারা নিজেরাও পলির একটি উত্‌স। অনেক প্রাণীর খোলস এবং কঙ্কালগুলি ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে গঠিত হয় এবং যখন এটি ভেঙে যায় তখন তা পলল, চুনাপাথর এবং কাদামাটি গঠন করে। == প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া == সৈকতে মূল প্রাকৃতিক বিচূর্ণীভবন প্রক্রিয়া হলো লবণ-স্ফটিক বৃদ্ধি করা। বাতাস শিলাগুলিতে লবণের বিন্দু বহন করে, যেখানে এটি শিলাগুলির মধ্যস্থ ছোট ছোট ছিদ্র এবং ফাটলগুলিতে শোষিত হয়। সেখানে জল বাষ্পীভূত হয় এবং লবণ স্ফটিক সৃষ্টি করে, এর ফলে শিলার উপর চাপ তৈরি হয় এবং প্রায়শই পাথরটি ভেঙে যায়। কিছু সৈকতে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অন্যান্য পললগুলিকে এক সাথে যুক্ত করে সৈকত-শিলা তৈরি করতে এবং উষ্ণ অঞ্চলে বালিয়াড়ি-শিলা তৈরি করতে সহায়ক হয়। বায়ুর ক্ষয়ও ক্ষয়কার্যের একটি রূপ, ধুলো এবং বালি বাতাসের দ্বারা চারপাশে বাহিত হয় এবং আস্তে আস্তে শিলার উপর দিয়ে প্রবাহের ফলে গাত্রর গড়ন নষ্ট করে, এটি সমুদ্রের মধ্যে লবন এবং বালু যেভাবে পাথরের উপরে দিয়ে ধুয়ে নিয়ে যায় ঠিক একইভাবে সংগঠিত হয়। == সমুদ্রস্তরের পরিবর্তন == জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে সমুদ্রের স্তর নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি এবং হ্রাস পেয়ে থাকে। শীতকালীন সময়ে পৃথিবীর বেশির ভাগ জল হিমবাহগুলিতে বরফ হিসাবে সঞ্চিত থাকে, বিপরীতে উষ্ণ সময়কালে এটি বিগলিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমুদ্রের স্তর আরও অধিক পরিমাণ ভূমিকে আচ্ছাদিত করে। সমুদ্রের স্তর বর্তমানে বেশ উচ্চ, যদিও মাত্র ১৮,০০০ বছর পূর্বের প্লাইস্টোসিন বরফের যুগে এগুলি বেশ কম ছিল। ভবিষ্যতে বৈশ্বয়িক উষ্ণায়নের ফলে আরও উত্থান হতে পারে, যা উপকূলীয় শহরগুলির জন্য বর্তমানে ঝুঁকি হিসাবে উপস্থাপিত হয়েছে কারণ এদের বেশিরভাগই কেবল ক্ষুদ একটি উত্থানেই প্লাবিত হয়ে পড়বে। == উপকূলীয় ভূমিগঠন == === বাঁধ === যুক্তরাজ্যের চেসিল সৈকত, যা ডোরসেটের মধ্যে টমবোলো। উপকূল যদি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে, বিশেষত মোহনার সন্নিকটে, বাঁধ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘ তীরে সৈকত বরাবর পলকে সঞ্চিত হতে ধাক্কা দেয় কিন্তু যখন এটি চিত্রের মতো একটি মোড়ে পৌঁছায়, দীর্ঘ তীরের প্রবাহটি সর্বদা সহজেই এটির সাথে একই গতিতে ঘুরে যায় না, বিশেষত কোনও মোহনার কাছাকাছি যেখানে কোনও নদী থেকে প্রবাহ উপকূল থেকে দূরে পললকে ঠেলে দিতে পারে। == আরও দেখুন == উপকূলীয় ক্ষয়; সৈকত বিবর্তন; বালুর স্তুপের স্থিতিশীলতা। == তথ্যসূত্র == Codrington, Stephen. ''Planet Geography'', 3rd Edition, 2006, Chapter == বহিঃসংযোগ == Glossary of terms used in coastal geography Coastal science terms and definitions ভূগোল'''সংজ্ঞাবহ স্নায়ু''' () বা '''সংবেদনশীল স্নায়ু''' যা '''অ্যাফেরেন্ট নার্ভ''' নামেও পরিচিত হচ্ছে এমন এক প্রকার স্নায়ু যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের (সিএনএস) দিকে সংবেদনশীল তথ্য বহন করে। এটি একগুচ্ছ তারের আঁটির মতো অ্যাফারেন্ট স্নায়ুতন্তুর একটি সমষ্টি যা প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের (পিএনএস) সংজ্ঞাবহ স্নায়ুকোষ (সেনসরি রিসেপ্টর) থেকে সৃষ্ট। মোটর স্নায়ুগুলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রে তথ্য পরিবহন করে এবং উভয় প্রকার স্নায়ু-ই প্রান্তীয় স্নায়ু হিসেবে পরিচিত। অ্যাফারেন্ট সারা শরীরে ছড়িয়ে থাকা সংজ্ঞাবহ স্নায়ুকোষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। আর এই স্নায়ু পথে আদান-প্রদানকৃত তথ্য কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক সার্কিটে প্রক্রিয়াকৃত হয়। অ্যাফেরেন্ট স্নায়ুতন্তু প্রায় সময়ই মোটর স্নায়ুকোষ সম্বলিত ইফারেন্ট স্নায়ুতন্তুর সাথে জোড়াবদ্ধ থাকে যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন স্নায়ুতে তথ্য পরিবহন করে। উদ্দীপনা বা স্টিমুলাই উদ্দীপনা গ্রহণকারী বা রিসেপ্টরগুলোতে নার্ভ ইমপালসের সৃষ্টি করে যা সৃষ্ট কাজের সম্ভাব্যতার পর সেনসরি ট্রান্সডাকশন হিসেবে পরিচিত। == স্নায়ুর ক্ষতি == কাজের ব্যাপকতার কারণে সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর ক্ষতির ফলে অনেক ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। ধরনের স্নায়ুর আঘাতজনিত বা অন্যান্য কোনো ক্ষতির হলে তা পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির কারণ হতে পারে। সেই সাথে কোনো অবস্থানে থাকার অনুভূতির হ্রাস পাওয়া, সমন্বয় ভারসাম্য ঠিক রাখার ক্ষমতা কমে যাওয়াও এই কারণে হতে পারে। এর পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন ব্যাথার অনুভূতি কমে যাওয়ার কারণে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার দিকে মোড় নিতে পারে। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মার্কিন এনআইএইচ থেকে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি নিউরোপ্যাথি: ''মেডিকেল নিউজ টুডে'' থেকে কারণগুলি, লক্ষণ এবং চিকিৎসা মেয়ো ক্লিনিকে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি স্নায়ুতন্ত্র'''পদাতিক যুদ্ধ কৌশল বিদ্যাপীঠ''' একটি বাংলাদেশ সেনা পদাতিক এবং বিশেষ বাহিনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি জালালাবাদ সেনানিবাসে অবস্থিত। মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ বিদ্যালয়ের বর্তমান কমান্ড্যান্ট। == ইতিহাস == ইনস্টিটিউটটি ১৯৭৩ সালের ১৯ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসে গঠিত হয়েছিল। একে প্রাথমিকভাবে স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি বলা হত। ১৯৭৪ সালে একটি কৌশলগত উইং যুক্ত করা হয় এবং এটি যশোর সেনানিবাসে স্থানান্তরিত হয় এবং নামকরণ করা হয় পদাতিক যুদ্ধ কৌশল বিদ্যাপীঠ। একই বছর এটির নামকরণ হয় COMBAS এবং বর্ম, আর্টিলারি, ইঞ্জিনিয়ার এবং পদাতিকদের জন্য পৃথক বিদ্যালয়ে বিভক্ত করা হয়েছে। ১৯৭৭ সালের আগস্টে ইনস্টিটিউটটির নতুন নামকরণ করা হয় পদাতিক যুদ্ধ কৌশল বিদ্যাপীঠ।, কারণ এটি আবার পদাতিক প্রশিক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করে এবং সেনাবাহিনীর অন্যান্য শাখা তাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলে। ইনস্টিটিউটটি ১৯৭৯ সালে সিলেট বিভাগের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮২ সালে স্পেশাল ওয়ারফেয়ার স্কুলের সাথে বিশেষ যুদ্ধের শাখা হিসাবে প্রতিষ্ঠানের সাথে একীভূত করা হয়েছিল। == বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বায়ুবাহিত বিদ্যালয় == বাংলাদেশ আর্মি এয়ারবর্ন স্কুল, যা প্যারা প্রশিক্ষণ স্কুল নামে বহুল পরিচিত, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বেসিক প্যারাট্রোপার (সামরিক প্যারাসুটিস্ট) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এটি স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি এবং ট্যাকটিক্সের স্পেশাল ওয়ারফেয়ার উইং দ্বারা পরিচালিত হয়। এয়ারবর্ন স্কুল বেসিক প্যারা কোর্স এবং অ্যাডভান্স প্যারা কোর্স, ফ্রি ফল কোর্স, রিগার কোর্স, পাথফাইন্ডার কোর্স, জাম্প মাস্টার কোর্স পরিচালনা করে; যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত শাখা থেকে সৈন্যদের জন্য উন্মুক্ত। ক্যাপ সাউথ, বাংলাদেশ, 12 নভেম্বর, 2013-র সময় অনুশীলনের সময় বাংলাদেশী প্যারেট্রোপাররা মার্কিন বিমান বাহিনীর সি -130 হারকিউলিস থেকে নেমে আসে। == আরো দেখুন == স্পেশাল ওয়ারফেয়ার উইং সশস্ত্র বাহিনীর শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত সরকারি সংস্থাআফগানিস্তানে অবস্থিত বিদ্যালয়ের এই তালিকায় রয়েছে দেশের প্রাথমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি আফগান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, আফগানিস্তান জুড়ে প্রায় ১৮,০০০ স্কুল রয়েছে। আফগানিস্তানের তৃতীয় স্কুলগুলো আফগানিস্তানের তালিকার একটি পৃথক উপ-তালিকায় তালিকাভুক্ত রয়েছে তালিকাটি প্রদেশ দ্বারা এবং একটি প্রদেশের মধ্যে, স্কুল নামের দ্বারা সংগঠিত হয়। == বাদাখশন প্রদেশ == আহলি মুগুলহা উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) আলখে মাঝারি বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) বাবা টাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় (কারাট) (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) বাবা টাঙ্গী বৃত্তিমূলক কেন্দ্র (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) বহরক উচ্চ বিদ্যালয় (শাড়ি পুলি ইয়ার্ডার) (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) বনাত উল মুসলিমিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) বাজগির উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) বোজই কুম্বাড প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) চাঁপি ইয়ারদার বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) চিলকান্ট উচ্চ বিদ্যালয় (পোটোক) (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) দশক-ই-ইয়ার্ডার স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) ডি গোলামান উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) ধান দুষ্টিকান উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) ফারঘামহং হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) গোজ খান প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) হামিদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) ইশকাশিম বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) জামিয়া-তাগাব (ই-মুনজান) প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) কালী-পাঞ্জ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) খন্দুদ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) খারমানি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) খুনকোট উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) খুশপাক উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) কিপকুট উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) মহমদন হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) মাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আবদুল জব্বার স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) নামাজঘা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) নাভি জুরম গার্লস হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) পাইয়ান শাহর গার্লস হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) পিগিশ হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) পিকুই প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) কুরসে হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) রুবাত উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সাখা উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সরহাদ সিতারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) শকিরান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) শেশপ গার্লস হাই স্কুল (রাচন) (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) শখওয়ার উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সুফিয়ান মিডল স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সাস্ট হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) তেরগারান উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) ওয়াজন্দ বালিকা মধ্য বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) ওয়ার্ক হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) জেবাক বালিকা মধ্য বিদ্যালয়, থেজাব (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) ওয়েয়ার বয়েজ হাই স্কুল, শুঘান্ন ওয়েয়ার গার্লস হাই স্কুল, শুঘান্ন গার্লস সেন্ট্রাল হাই স্কুল, শুঘান্ন রহমত উচ্চ বিদ্যালয়, শুঘান্ন দেহশার বয়েজ হাই স্কুল, শুঘান্ন দেহশার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শুঘান্ন ইশক্ষিম বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ইশকেশিম ইশকেশিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইশকেশিম বাজগের হাই স্কুল, ইশকেশিম সরচেষমা উচ্চ বিদ্যালয়, শুঘান্ন শেদোজ হাই স্কুল, শুঘান্ন == বাল্‌খ প্রদেশ == বালখ প্রদেশের আলিয়াবাদ স্কুল মাজার-শরীফের আফগান-তুর্ক হাই স্কুল (বেসরকারী) আলিয়াবাদ স্কুল আমানী উচ্চ বিদ্যালয় ইস্তিকালাল উচ্চ বিদ্যালয় বখতার হাই স্কুল (বালক) সল্টন রাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) আমির খেসারw বালখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সহশিক্ষা) গওহর খাতন উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) গাজী আমানউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় (বালক-বালিকা) উজির আকবর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় (বালক) সল্টান গিয়াসুদিন হাই স্কুল (বালক) ফেরদাউসি হাই স্কুল তাজরোবাবি উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) দাকিকি বালখী উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) সেতারা উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) কাজী হামিদউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) == গজনি প্রদেশ == জাহান মালেকা বিদ্যালয় গাজনীর জাহান মালিকা স্কুল (মেয়েরা) গজনীর নাসওয়ান শাহের কোহনা স্কুল (বালিকা) গজনীর শামস মিডল স্কুল জাঘরি (বালক-বালিকা) গজনীর কাকরাক উচ্চ বিদ্যালয় জাগাটু (বালক) == হেরাত প্রদেশ == হেরাত প্রদেশের একটি স্কুল আফগান-তুর্ক হাই স্কুল (বেসরকারী) ডু আব হাই স্কুল (বালক) ইংলাব উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) মালিকা জালালী উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) মাওলানা আবদুল ওয়াসি জাবালি উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) সাইফি হেরাভি উচ্চ বিদ্যালয় (বালক-বালিকা) সোল্টান উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) তাজরেবাবী উচ্চ বিদ্যালয় (মেয়েরা এবং বালক) তৌহিদ উচ্চ বিদ্যালয় (বালক-বালিকা) == জওজান প্রদেশ == শেবারগানের আফগান-তুর্ক উচ্চ বিদ্যালয় (ব্যক্তিগত) হবিবে কাদিরি উচ্চ বিদ্যালয়, আচ্চা (বালিকা) তুরস্ক প্রজাতন্ত্র জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রক) == কাবুল প্রদেশ == কাবুলে গাজী উচ্চ বিদ্যালয় কাবুলের রহমান বাবা উচ্চ বিদ্যালয় কাবুলের স্যার আশায়ব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষের ভিতরে আবুল কাসেম ফেরদৌসি উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) আবদুল কাদির শহীদ উচ্চ বিদ্যালয় আফগান-তুর্ক হাই স্কুল (বেসরকারী) আফগানিস্তান জাতীয় সংগীত ইনস্টিটিউট আফগানিস্তান ত্রাণ সংস্থা প্রযুক্তি শিক্ষা কেন্দ্র (টিইসি) (সহশিক্ষা) আফগানিস্তান কারিগরী বৃত্তিমূলক ইনস্টিটিউট (সহ-শিক্ষা) আফগানিস্তান জাতীয় স্কুল (বেসরকারী) আহমদ শাহ বাবা উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) আহমদ শাহ মাসউদ উচ্চ বিদ্যালয় আয়েশা-ই-দুরানী স্কুল (বালিকা) (ওরফে দুরানী উচ্চ বিদ্যালয় বা আয়েশা-ই দুরানী'' আমানী উচ্চ বিদ্যালয় (ওরফে ''আমানী ওবেরিলশুল'' আফগান ইয়ার উচ্চ বিদ্যালয় (বেসরকারী) আশাকান আরেফান স্কুল আল ফাত্তা উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) আর্যব পাবলিক স্কুল (এপিএস) মধ্য এশিয়া ইংলিশ স্কুল কম্পিউটার কেন্দ্র (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) দেহ দানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) এস্তেকলাল উচ্চ বিদ্যালয় ফামিলিয়া (রেশখুর) উচ্চ বিদ্যালয় (এসইএসপি) (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) গাজী উচ্চ বিদ্যালয় গোলাম হায়দার খান উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) হাবিবিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) হোপ হাই স্কুল (আফগানিস্তান) আব্দুল হাদি দাওই উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) পাইম প্রাইভেট হাই স্কুল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অফ কাবুল (আইএসকে) (সহশিক্ষা) লালান্দার প্রাথমিক বিদ্যালয় (শহীদ মোতাহিদি) (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) কাবুল আল-ফাত স্কুল কুচি প্রাথমিক তাঁবু স্কুল (যাযাবর মোবাইল স্কুল) (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) কামিরি গার্লস হাই স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) খুশাল খান উচ্চ বিদ্যালয় উচ্চ বিদ্যালয় হযরত ইব্রাহিম খলিলউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় লামিয়া শহীদ উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) লাইসি এস্তেকালাল লাইসি মালালা মারেফাত উচ্চ বিদ্যালয় (সহশিক্ষা) আফগানিস্তানের কাবুলের অন্যতম সেরা স্কুল; কাবুলের বেসরকারী সরকারী বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে মীর আফগান বালিকা বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) মোহাম্মদ তারজী উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) মোহাম্মদ আলম ফয়েজ জাদ হাই স্কুল (বালক বালিকা) আলী আবাদ হাসপাতালের (পূর্বে মালালে জেজান্টুন) পিছনে শর-ই নওয়ের একটি দুর্দান্ত অঞ্চলে কোলোলা পুষ্টা শাহরার মাঝখানে অবস্থিত। মালালাই উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) মালিকা সুরায়া উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) মেহরাবদিন হাই স্কুল (সহশিক্ষা) মোস্তাকবাল বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয় (ব্যক্তিগত) নাসওয়ান ওয়াহাদাত উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) নাভি বখতার উচ্চ বিদ্যালয় (বেসরকারী) নাজো আনা উচ্চ বিদ্যালয় (মেয়েরা) কুর্তুবা হাই স্কুল (সহশিক্ষা) কারতে-নও পাড়ায় রাবা-ই-বালখী উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) রহমান বাবা উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) রহমান মেনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সর আশায়ব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (মেয়েরা) শাহ শহীদ স্কুল (বালিকা) সোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) সুলতানা রাজিয়া স্কুল (বালিকা) জারঘোনা উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) সাইদাল নাসেরি হাই স্কুল (বালক) সৈয়দ নাসেরি হাই স্কুল (বালিকা) আবদুলালী মুস্তাগনী উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) কারতে সেয়ে == কান্দাহার প্রদেশ == মার্কিন সেনা কান্দাহারের জারঘোনা আনা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাইরে সুরক্ষা প্রদান করছে আফগান-তুর্ক উচ্চ বিদ্যালয় (বেসরকারী) আহমদ শাহ বাবা উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) আইনো গার্লস হাই স্কুল আইনো হাই স্কুল ফজল কান্দাহারি উচ্চ বিদ্যালয় জামাল্লাদিন আফগান উচ্চ বিদ্যালয়টি কান্দাহারের সমৃদ্ধ আইনো মিনা বিভাগে কাকা সাedদ আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় মাহমুদ তারজী উচ্চ বিদ্যালয় মালালাই উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) মাশরিকী উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) মিরওয়াইস নিকা উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) শহীদ খাকরিজওয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সুফি সাহেব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সুফি সাহেব উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) তৈমুর শাহী উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিটি সখতমানি উচ্চ বিদ্যালয় জহির শাহী উচ্চ বিদ্যালয় জারঘোনা আনা উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) জারঘোনা আনা য় উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) == কপিসা প্রদেশ == কাপিসা প্রদেশে মাসাব হাই স্কুল নির্মাণ (২০০৯) মাসাব উচ্চ বিদ্যালয় (সহশিক্ষা) মুরাদ খাজা মিডল স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) == কুনার প্রদেশ == বাত্যাশ মিডল স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সো ভি ভিলেজ গার্লস মিডল স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সুনা গাল প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) == লগার প্রদেশ == গুমরান গার্লস মিডল স্কুল (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) রহমাবাদ বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) সাদি শাহেদ উচ্চ বিদ্যালয় == নানগারহর প্রদেশ == আমানখিল উচ্চ বিদ্যালয়ে মান নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা করার জন্য একটি খালের উপর দিয়ে ফুট ব্রিজ পার হচ্ছেন নানগারহর প্রদেশের পুনর্গঠন দলের সদস্যরা। আলাই হাই স্কুল (মেয়েরা এবং বালক) আমেরখিল স্কুল (বালক-বালিকা) বিবি আয়েশা বালিকা বিদ্যালয় (মেয়েরা) ইমাম আবু হানীফা দারুলহেফাজ (বালক) করিজ কবির স্কুল লাইসি তাজরোবাউই (বালক-বালিকা) নাহিদ শহীদ উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) নাজমুল মাদারিস (বালক) নাঙ্গারগর উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) পশতুনিস্তান স্কুল (বালক-বালিকা) ইমাম হুসেন এবং বিবি আয়েশা উচ্চ বিদ্যালয় (বালক-বালিকা) মিয়া ওমর হাই স্কুল (বালক) আহাদাদ উচ্চ বিদ্যালয় (বালক) বিবি হাওয়া উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) নসরত উচ্চ বিদ্যালয় (বালক-বালিকা) বিবি মেরিয়াম উচ্চ বিদ্যালয় হামজা জুলফিকার প্রাইভেট স্কুল (বালক বালিকা) == পাঞ্জশির প্রদেশ == বিবি আমিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দোয়াব প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) পুশগার বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) == পারওয়ান প্রদেশ == মুসাখিল বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) রাহশেত প্রাথমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) নাসিরি হাই স্কুল (বালক-বালিকা) == সামাঙ্গন প্রদেশ == আফগান-তুর্ক উচ্চ বিদ্যালয় (বেসরকারী) আইবাক হাই স্কুল আয়নাচা হাই স্কুল আজানী মালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) সামানগানের পরীক্ষামূলক উচ্চ বিদ্যালয় (লিসি তাজরবাবি আইবাক) == তখর প্রদেশ == শাহ আহমদ মাসউদ স্কুল (৩) (পূর্বে মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) == ওয়ারদক প্রদেশ == আউয়ালবাবা ফামিলা গার্লস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) নসরবাদ বালিকা মধ্য বিদ্যালয় (মধ্য এশিয়া ইনস্টিটিউট পরিচালিত) আবু হানিফা টাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় সাইদা আবাদ হাই স্কুল বান্দি চক হাই স্কুল খালিদ বিন ওয়ালিদ উচ্চ বিদ্যালয় (ময়দান শাহর) খালিদ বিন ওয়ালিদ উচ্চ বিদ্যালয় (সাইদ আবাদ) গাজী মোহাম্মদ জাংখন উচ্চ বিদ্যালয় ওসমানিয়া টাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় শেখ আবাদ হাই স্কুল ওনখি হাই স্কুল == জাবুল প্রদেশ == জাবুল প্রদেশের কলাত বিবি খালা স্কুল জাবুল প্রদেশের কলাত বিবি খালা স্কুল (বালক-বালিকা) == আরো দেখুন == আফগানিস্তানে শিক্ষা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == Wardak seeks $3b in aid for school buildings (Pajhwok Afghan News, May 18, 2013). তালিকা'''প্রাচীন হিন্দী''' () হল বর্তমান হিন্দী ভাষার খড়িবোলী উপভাষার প্রারম্ভিক রূপ। একে আধুনিক মান্য হিন্দী ভাষার পূর্বসূরী বলে গণ্য করা হয়। এই ভাষা বর্তমান হিন্দী বেল্ট-এর, বিশেষত দিল্লী এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলের লোকের মধ্যে প্রায় ১৩-১৪ শতকের সময়ে প্রচলিত ছিল। কবি আমির খশ্রুর লেখা, কবি তথা সন্ত নামদেব-এর লেখা তথা শিখ ভাষার ধর্মপুথি আদি গ্রন্থ-এ সুফি সন্ত বাবা ফারিদ-এর লেখা কিছু স্তবকে এই ভাষার ব্যবহার দেখা যায়। কবীর-এর লেখাতেও খড়িবোলীর সদৃশ ভাষার ব্যবহার দেখা যায়। এই প্রাচীন হিন্দী ভাষার থেকেই বর্তমান হিন্দুস্তানি ভাষার উদ্ভব হয়। == আরও পড়ুন == #চাগাতাই ভাষা #সম্বলপুরী ভাষা ==তথ্যসূত্র==কণা সিস্টেমের কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র বিবৃত করো। উত্তর: যদি কোনো অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত কণার উপর বাহ্যিক tork ক্রিয়া না করলে কণার কৌণিক ভরবেগ সংরক্ষিত থাকে অর্থাৎ কণার কৌণিক ভরবেগ সময়ের সাথে অপরিবর্তিত থাকবে। কোনো অক্ষের সাপেক্ষে ঘুর্ণনরত বস্তুকনার কৌণিক ভরবেগ হলে,কৌণিক ভরবেগের সঙ্গানুসারে পাই, r×p ..........(i) এখানে, হলো কণার অবস্থান ভেক্টর এবং হলো রৈখিক ভরবেগ। কণার ওপর ক্রিয়ারত বহিস্থ বল হলে, বলের ভ্রামোক বা tork হবে, r×F ...........(ii) (i) নং সমীকরণ কে সময়ের সাপেক্ষে ব্যবকলন করে পাই, dL/dt d/dt (r×p) dr/dt×p+r×dp/dt বস্তুকণার ভর রৈখিক বেগ হলে, mv এই সম্পর্ক ব্যাবহার করে লেখা যায়, dL/dt v×(mv)+r×F কিন্তু v×v=0; অতএব (i) নং সমীকরণ অনুসরণ করে পাই, dL/dt .......(iii) এখন যদি বস্তুকনার উপর বহিস্থ tork ক্রিয়া না করে অর্থাৎ t=0 হয়, তাহলে dL/dt=0 বা, L=ধ্রুবক। অর্থাৎ কৌণিক ভরবেগ সংরক্ষিত হবে।'''মহম্মদ সোহরাব''' হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ যিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি পাঁঁচবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ==রাজনৈতিক জীবন== মহম্মদ সোহরাব ১৯৬৯ সালে প্রথমবারের মত সুতি থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭১ সালে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মত সুতি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে তিনি তৃতীয়বারের মত সুতি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯ বছর পর ১৯৯৬ সালে মহম্মদ সোহরাব চতুর্থবারের মত সুতি থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর, ২০১১ সালে জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পূর্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ==তথ্যসূত্র== ব্যক্তি জেলার ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ রাজনীতিবিদ'''ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন''' (জন্ম: ১২ জানুয়ারি ১৯৫৬) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ এবং নোয়াখালী -১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। == কর্মজীবন == মাহবুব উদ্দিন খোকন ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে নোয়াখালী-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনজীবীও। তিনি ঢাকায় অবস্থিত আইন সংস্থা 'মাহবুব অ্যান্ড কোম্পানির' প্রতিষ্ঠাতা প্রধান। == গুলিবিদ্ধ == ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ এ, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সোনাইমুড়ি পুলিশ গুলি চালালে ছয়টি গুলিতে তিনি আহত হন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == বিষয়শ্রেণী:নবম জাতীয় সংসদ সদস্য জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ ব্যক্তি জন্ম'''আদ্রিয়ান নেইল''' (জন্ম ২২ মার্চ ১৯৯৪) একজন স্কটিশ ক্রিকেটার। ২০১৯ এর জানুয়ারীতে ওমানে অনুষ্ঠিত, ২০১৮–১৯ ওমান চারদেশীয় সিরিজের স্কটল্যান্ডের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০আই) স্কোয়াডে তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। তিনি স্কটল্যান্ডের হয়ে ওমানের বিপক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক করেছিলেন। তিনি তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ২০১৮-১৯ সালের ওমান চারদেশীয় সিরিজের পরেই ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের হয়ে ওমানের বিপক্ষে লিস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। আন্তর্জাতিক অভিষেকের আগে, তিনি দ্বিতীয় একাদশের হয়ে খেলেছিলেন। ২০১৯ সালের জুনে, আয়ারল্যান্ডে ওলভের খেলতে আয়ারল্যান্ড সফরে স্কটল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। পরের মাসে, ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যাম ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী সংস্করণে তিনি এডিনবার্গ রকসের হয়ে খেলতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে, পরের মাসে টুর্নামেন্টটি বাতিল হয়ে যায়। জুলাই ২০১৯ সালে, তাকে স্কটল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) স্কোয়াডে ২০১৯ স্কটল্যান্ড ত্রি-দেশীয় সিরিজের জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তিনি স্কটল্যান্ডের হয়ে ওমানের বিপরীতে ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেক করেন ১৫ আগস্ট ২০১৯। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতার জন্য তাকে স্কটল্যান্ডের স্কোয়াডভুক্ত করা হয়েছিল। == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেটার ব্যক্তি জন্মমেজর '''সোমনাথ শর্মা''', পরমবীর চক্র (৩১ জানুয়ারি ১৯২৩ নভেম্বর ১৯৪৭), ভারতীয় সেনা অফিসার, ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক সাজসজ্জা পরম বীর চক্র (পিভিসি) উপাধি প্রথম গ্রহণকারী ছিলেন। ১৯৪২ সালে, সোমনাথ শর্মা ১৯ তম ব্যাটালিয়ন, ১৯তম হায়দরাবাদ রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরাকান অভিযানের সময় বার্মায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যার জন্য প্রেরণে তার উল্লেখ করা হয়েছিল পরে তিনি ১৯৪৭- এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সোমনাথ শর্মা ১৯৪৪ সালের নভেম্বর শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে পাকিস্তানি উচ্ছেদ করার সময় নিহত হন এবং মৃত্যুর পূর্বে তার কর্মের জন্য মরণোত্তর পরম বীরচক্রে ভূষিত করা হয়। == প্রাথমিক জীবন == শর্মা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে বর্তমান হিমাচল প্রদেশের কংরা দাদে তার বাবা অমর নাথ শর্মা একজন সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। তার বেশ কয়েকজন ভাইবোন সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। শেরে দেরাদুনের প্রিন্স অফ ওয়েলস রয়েল মিলিটারি কলেজে ভর্তির আগে নৈনিতালের শেরউড কলেজে তার স্কুল জীবন শেষ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি রয়েল মিলিটারি কলেজে পড়াশোনা করেন। শৈশবকালে, সোমনাথ ভগবান ''গীতাতে'' কৃষ্ণ অর্জুনের শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, তার দাদা তাকে শেখিয়েছিলেন। == সামরিকে কর্মজীবন == ১৯৪২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, রয়্যাল মিলিটারি কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে শর্মা ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর (পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চতুর্থ ব্যাটালিয়ন, কুমোন রেজিমেন্টে পরিণত হওয়ার জন্য) ১৯ তম ব্যাটালিয়নে, ১৯ তম হায়দরাবাদ রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তিনি আরাকান অভিযানের সময় বার্মায় জাপানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখেছিলেন। তত্কালীন তিনি কর্নেল কে এস থিম্মায়ার অধীনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যিনি পরবর্তীকালে সাধারণ পদে পদে পদে পদে পদে পদ গ্রহণ করবেন এবং ১৯৫ from থেকে ১৯61১ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রধান হয়ে উঠবেন। আরাকান অভিযানের লড়াইয়ের সময় শর্মাকে তার কর্মের জন্য প্রেরণে উল্লেখ করা হয়েছিল। তার সামরিক ক্যারিয়ার জুড়ে শর্মা তার চাচা ক্যাপ্টেন কেডি বাসুদেবের কর্মকাণ্ডে খুব প্রভাবিত হয়েছিলেন। বাসুদেব ৮তম ব্যাটালিয়নের সাথেও কাজ করেছিলেন, মালেয়ান অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন এবং জাপানের আক্রমণ থেকে বাঁচতে তিনি তার কমান্ডে কয়েকশ সৈন্যকে সহায়তা করেছিলেন। === বাদগমের যুদ্ধ === ২৭অক্টোবর, ১৯৪৭-এ পাকিস্তানের দ্বারা আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি দলকে ২২ অক্টোবর কাশ্মীর উপত্যকায় মোতায়েন করা হয়েছিল, যা ভারতের একটি অংশ। ৩১ অক্টোবর, শর্মার কমান্ডে কুমোন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের ডি সংস্থাকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এই সময়ের মধ্যে, তার বাম হাতটি আগে হকি মাঠে জখমের ফলে ফলস্বরূপ একটি প্লাস্টার কাস্টে ছিল, তবে তিনি যুদ্ধে তার বাহিনলি সাথে থাকার জন্য জোর দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে তাকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বর, বাহিনীর তিনটি কোম্পানির একটি দল ব্যাডগ্যাম এলাকায় টহল শুল্কের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর থেকে শ্রীনগরের দিকে অগ্রসর হওয়া পরীক্ষা করা। কোনও শত্রু আন্দোলন না হওয়ায় তিনটি মোতায়েন করা সংস্থার মধ্যে দু'জন দুপুর টায় শ্রীনগরে ফিরে আসে তবে শর্মার ডি কোম্পানিকে টা পর্যন্ত পজিশনে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল অপরাহ্ন। বিকেলে শর্মার সংস্থাকে বাডগামের স্থানীয় আবাসিক বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় তবে নিরীহ বেসামরিক লোককে আহত বা হত্যা এড়াতে পাল্টা গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ, মেরু একটি উপজাতি ''লস্কর'' ইংরেজি মিলিশিয়ান) গুলমার্গের দিক থেকে বাডগামের কাছে পৌঁছলে। তার কোম্পানি সেনাদের তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল এবং মর্টার অগ্নিকান্ডের ফলে ভারী হতাহতের ঘটনা ঘটে। শর্মা নিজের অবস্থান ধরে রাখার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন যেহেতু শ্রীনগর শহর এবং বিমানবন্দর উভয়ই হারাতে পারলে দুর্বল হয়ে পড়বে। ভারী অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে এবং সাত থেকে এক অনুপাতের তুলনায় তিনি তার সংস্থাকে সাহসের সাথে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, প্রায়শই তিনি এক পদ থেকে অন্য পদে দৌড়ে যাওয়ার সময় নিজেকে শত্রুর আগুনের সামনে তুলে ধরেন। ভারী হতাহতের ঘটনাটি যখন কোম্পানির গুলি চালানোর শক্তিকে প্রভাবিত করেছিল, তখন শর্মা নিজের লোকদের কাছে গোলাবারুদ বিতরণ, হালকা মেশিনগান চালানোর কাজটি নিজেই গ্রহণ করেছিলেন। সাথে লড়াই করার সময় তার কাছাকাছি গোলাবারুদের গাদাতে একটি মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়। আহত হওয়ার আগে তিনি মারা যাওয়ার আগে তিনি তার ব্রিগেডের সদর দফতরে একটি বার্তা প্রেরণ করেছিলেন যাতে লেখা আছে: কুমোন রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়ন থেকে যখন ত্রাণ সংস্থার ব্যাডগ্যাম পৌঁছেছে, তখন শর্মার সংস্থার অধিষ্ঠিত অবস্থানটি পাল্টে গেছে। তবে, উপজাতীয় দ্বারা ২০০০০ লোকের হতাহতের কারণে তারা এগিয়ে যাওয়ার গতি হারাতে পেরেছিল। শ্রীনগর বিমানবন্দরে উড়তে এবং শ্রীনগরেই প্রবেশের সমস্ত রুটকে অবরুদ্ধ করার জন্য এটি ভারতীয় বাহিনীর জন্য সময় কিনেছিল। যুদ্ধের সময় শর্মার সাথে এক জুনিয়র কমিশনার অফিসার এবং ডি সংস্থার ২০ জন র‌্যাঙ্ক মারা গিয়েছিলেন। তিন দিন পরে শর্মার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। যদিও এটি স্বীকৃতি ছাড়াই বিশৃঙ্খল ছিল, তার দেহটি তার পিস্তলের চামড়ার রোল দিয়ে এবং তার বুকের পকেটে ''ভগবদ গীতার'' কয়েকটি পৃষ্ঠার মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছিল। === পরম বির চক্র === ১৯৫০ সালের ২১ শে জুন শ্রীনগর বিমানবন্দর রক্ষায় তার পদক্ষেপের জন্য শর্মার পুরম বীর চক্রের পুরষ্কারটি গেজেটেড হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম এই সম্মানটি দেওয়া হয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে, শর্মার ভাইয়ের শাশুড়ি সাবিত্রি খানলকর ছিলেন পরম চক্রের ডিজাইনার। == উত্তরাধিকার == নয়াদিল্লির জাতীয় যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, ''পরম যোধ স্থলে'' শর্মার মূর্তি তিয়াগ চক্র (ত্যাগের বৃত্ত), মেজর সোমনাথ শর্মার নাম ভারতের জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ১৯৮০ এর দশকে, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এসসিআই), ভারত সরকার উদ্যোগে জাহাজ মন্ত্রকের পৃষ্ঠপোষকতায় পারম বীর চক্র প্রাপকদের সম্মানে তাদের পনেরোটি অপরিশোধিত তেল ট্যাঙ্কার নামকরণ করেছিল। এমটি ''মেজর সোমনাথ শর্মা, পিভিসি'' নামে অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্কারটি ১১ জুন ১৯৮৪ সালে এসসিআইকে সরবরাহ করা হয়েছিল। ট্যাঙ্কারটি ২৫ বছরের পরিষেবা শেষে পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে এসেছিল। == জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে == পরম চক্র বিজয়ীদের জীবনে টিভি সিরিজের প্রথম পর্ব, ''পরম বির চক্র'' (১৯৮৮) নভেম্বর ১৯৪৭ এর শর্মার ক্রিয়াকলাপকে আবৃত করে। সেই পর্বে তার অংশটি অভিনয় করেছিলেন ফারুক শেখ পর্বটি পরিচালনা করেছিলেন চেতন আনন্দ == পাদটীকা == == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == মৃত্যু জন্ম'''ডা. অমিতাভ মিত্র''' একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিত্সক, কবি এবং শিল্পী, যার চিত্রগুলি নাটকীয় কাঠির চিত্র দেখায়। == শিক্ষা কর্মজীবন == মিত্র চিকিত্সা পড়াশোনা করেছেন এবং ভারতের গওয়ালিয়ের জিওয়াজি বিশ্ববিদ্যালয় গজারা রাজা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারিতে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেছেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এরোস্পেস মেডিসিন এবং পারিবারিক ওষুধে আরও দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। একটি বৃত্তিক অর্থোপেডিক সার্জারি এবং মানসিক আঘাত সার্জারি, বর্তমানে দুর্ঘটনা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সিসিলিয়া মেকিওয়ান হাসপাতাল, জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার লেখা কবিতাগুলো পাঁচ খন্ডে প্রকাশিত এবং তার মাধ্যেমে কবিতা শিল্প বিকশিত হয়েছে। ড্যানিয়েল ব্রায়ান্ট দ্বারা পরিচালিত প্রাচীন সমসাময়িক কবি লেখকদের এক বিশাল রোস্টার, মাতৃ ব্যক্তিত্ব আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডেনিয়েল ব্রায়ান্ট এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় সাহিত্য চিকিত্সা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক সুজান পোয়ারের সহায়তায় ২০০৮ সালে অসলোতে বিশ্বসাহিত্য উত্সব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। == শৈল্পিক প্রভাব == টেমবেকা, অমিতাভ মিত্রের হাতে তৈরি কাগজে জলরঙ শিল্প কবিতা নিয়ে মিত্রর রচনার একটি প্রধান অংশ গোয়ালিয়র নিবেদিত, যেখানে তিনি বেড়ে ওঠেন। মারাঠা রাজপরিবারের সাথে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের ফলশ্রুতিতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতে প্রদর্শিত কবিতার সাথে জড়িত একাধিক জল রং আঁকিয়েছিলেন। ''গ্লোরিয়ারের একটি স্লো ট্রেন'' তার শিল্প কবিতার একটি কফি-টেবিল বই; আফ্রিকান ঐতিহ্যগত সঙ্গীত একটি পরিপ্রেক্ষিত সঙ্গে তার আবৃত্তি একটি কমপ্যাক্ট ডিস্ক পূর্ব কেপ প্রিমিয়ার দ্বারা মুক্তি তার গোয়ালিয়রের কবিতা উপর একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র দেখানো হয় ন্যাশনাল আর্টস ফেস্টিভাল ২০০৯ সালে। ২০০৭ সালে তাকে সাহিত্য একাডেমি, নয়াদিল্লির আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেখানে তিনি তার লেখা কবিতা কবিতা প্রেমী শ্রোতার কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। == সার্জন হিসাবে == ট্রমা সার্জারিতে মিত্রের কাজ তাকে ভুটান নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে তিনি চুখা, সিমলখা, চিমাকোঠি এবং থিম্পুর উচ্চ-উচ্চতায় হাসপাতালে কঠোর পরিস্থিতিতে কর্মরত ছিলেন। এই সময়ে তিনি ভুটান সম্পর্কে কবিতা লিখেছিলেন, যার কয়েকটি ফরাসিতে অনুবাদ হয়েছিলো। তিনি ইউটোপিয়ান শ্যাংরি লা-এর অনুসন্ধানে তার অভিযানের কথা লিখেছিলেন। ''দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অফ ইন্ডিয়ার'' প্রাক্তন সম্পাদক খুশবন্ত সিং তাকে ভুটানের তার হাসপাতালে নিয়ে এসে ম্যালিস টোওয়ার্ডস ওয়ান অল "১৯৮০ এর দশকে ''টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে'' সাপ্তাহিক কলামে লিখেছিলেন, পরে মিত্র গিয়েছিলাম অরুনাচল প্রদেশ, যেখানে তিনি একটি অর্থোপেডিক সার্জন হিসেবে যোগ দেন বরাবর তিনি ১৯৯৩ সালে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে যোগদান করেছিলেন। তিনি বুলাওয়ের মিজিলিকাজী জনপদে বাস করতেন এবং রাজনৈতিক সহিংসতার সময় তার অভিজ্ঞতা পরবর্তী লেখনিতে বর্ণনা করেন। == শিল্পী হিসাবে == তার বর্তমান শিল্পের কালো টাউনশিপ ম্যাদিনিস্তানে রয়েছে। যেখানে তিনি সিসিলিয়া ম্যাকিয়ানে হাসপাতালে কর্মরত থেকে কাজ করেন।। ''মোদ্দসনে শ্বাস ফেলা'' তার ''মোদ্দাসনে'' শিল্প কবিতা বিষয়ক গ্রন্থ। ডঃ মিত্র ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ দক্ষিণ আফ্রিকার কলাগুলিতে অব্যাহত উত্সর্গের জন্য চারুকলা বিভাগে প্রাদেশিক পূর্বাঞ্চলীয় কেপ মন্ত্রী শিল্প সংস্কৃতির বিশেষ পুরস্কার পেয়েছিলেন কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের নারী নায়কদের সম্মান জানায় এবং তাদের স্মরণ করে, যার মধ্যে রয়েছে সিসিলিয়া মাকিওয়ানেও ডঃ অমিতাভ মিত্রের করা সিসিলিয়া মাকীওয়ানের একটি কাঠকয়লা প্রতিকৃতি ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে মালি ব্ল্যাকবার্ন হলে, ইউনিভার্সিটি কেপটাউন ক্যাম্পাসে প্রদর্শিত হয়েছিল। == কবি হিসাবে == তিনি ১৯৫০-এর দশকে বাংলায় প্রখ্যাত শিশু লেখক প্রয়াত প্রভাতকিরণ বোসের বাংলা কবিতা অনুবাদ করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মোদ্দাসনে শহরে মিত্রের শিল্প কবিতাটি ২০১১ সালের শনিবার, ''সিসিলিয়া মাকিওয়ানে হাসপাতালের কবিতা'' শিরোনামে ''কবিতা'' মেডিসিন এবং হিপ্পোক্রেটিস ফর কবিতা মেডিসিন পুরষ্কারের জন্য ২০১১ সালের আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে প্রদর্শিত হয়েছিল। ''স্প্রিন্টার্স অফ মিরাজ ডান,'' অ্যান্টোলজি ''অফ মাইগ্রান্ট কাব্য অফ দক্ষিণ আফ্রিকা'' নওমী নেকালাহর সহ-সম্পাদিত) কে সংক্ষিপ্তভাবে জাতীয় মানবিক সামাজিক বিজ্ঞান পুরস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৬-এর জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। == গ্রন্থপঞ্জি == === কবিতা === ''বিথিকা'' ১৯৭৮ ''আধ্যাত্মিক নিরবতা'' ১৯৮০ ''গওয়ালিয়েরের কাছে একটি স্লো ট্রেন'' ২০০৯ ''লিলাক রোদে লাফিয়ে পড়া'' ২০০৯ ''মোদ্দসনে শ্বাস'' ''প্রশ্বাস'' ২০১০ ''আজ রাতে, বিশ্ব প্রেমের কবিতার একটি অ্যান্টোলজি'' ২০০৮ ভিক্টোরিয়া ভ্যালেন্টাইনের সাথে সহ-সম্পাদিত) ''হাইতির জন্য কবিতা, একটি দক্ষিণ আফ্রিকার নৃবিজ্ঞান'' (অধ্যাপক পিটার হর্নের মূল শব্দ ২০১০ ''রেইনবো আনব্রেকিং, নিউ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রতিবাদের ভয়েসেস'' ইলা গান্ধীর মূল শব্দ ২০১২ ''একটি মেরাজ ভোরের স্প্লিন্টার্স, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অভিবাসী কবিতার'' অ্যান্টোলজি নাওমি নেকালাহর সহ-সম্পাদনা) আর্টনা কউর দ্বারা শিল্প) ২০১৩ ''আমাদের লিটল ব্ল্যাক বুক অফ ইলস, কবিতা অ্যান্টোলজি, চার কবি দুঃখ প্রকাশ করে'' ভিক্টোরিয়া ভ্যালেন্টাইন লিন্ডা জি বুলারওয়েল জ্যাকোব ইরিন -সিলবার্তো সহ ২০১৫ ''গ্লোরিয়ারের একটি সূর্যের চেয়ে কবিতা এবং অঙ্কন'' ২০১৫ ''ট্রেনস্টর্ম, বিকল্প ট্রেন কাব্যগ্রন্থের একটি অ্যান্টোলজি'' ২০১৬ === সম্পাদক === ''একটি হাডসন ভিউ'', একটি ত্রৈমাসিক মুদ্রণ কবিতা জার্নাল ''ইনায়থি'', দক্ষিণ আফ্রিকার কলা সম্পর্কিত একটি জার্নাল === কবিতা এবং সংগীতের অ্যালবাম === ''এ স্লো ট্রেন টু গ্যালিওর'' ২০০৭ ==== নিম্নলিখিত কবিতা সংশ্লেষে উপস্থিতি ==== ''ভ্রমণের পূর্ণবিবরণ গ্র্যান্ড ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'' (২০১৮)। ডাঃ অননাদ কুমার লিখেছেন এবং নয়াদিল্লির লেখক প্রকাশ করেছেন == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == স্থান অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যক্তি প্রাক্তন শিক্ষার্থী'''দেরাদুন জেলা''' উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একটি জেলা। জেলা সদর দেরাদুন, এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উত্তরাখণ্ডের রাজধানী হিসাবেও কাজ করেছে। জেলায় টি তহসিল, টি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ১৭ টি শহর ৭৬৪ টি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম এবং ১৮ জন জনবহুল গ্রাম রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে এটা হরিদ্বার পরে উত্তরাখন্ডে দ্বিতীয় জনবহুল জেলা (১৩ টির মধ্যে)। দেরাদুন শহর ছাড়াও জেলার বিশিষ্ট শহরগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ঋষিকেশ, মুসুরি এবং চক্রতার। জেলা পূর্ব থেকে গঙ্গা নদী পশ্চিম থেকে যমুনা নদী প্রবাহিত হয় এবং জেলার দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্বে তরাই এবং শিবালিক পর্বত রয়েছে, উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে হিমালয়। ব্রিটিশ রাজের আমলে জেলার সরকারী নাম ছিল '''দেহরা দুন'''। ১৮৪২ সালে, দুন সাহারানপুর জেলার সাথে সংযুক্ত ছিল এবং জেলা কালেক্টরের অধীনস্থ আধিকারিকের অধীনে থাকলেও ১৮৭১ সাল থেকে এটি পৃথক জেলা হিসাবে পরিচালিত হচ্ছে। দেরাদুন জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে ২৩০ কিমি দূরে অবস্থিত। জাতীয় তেল প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন, সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরাখণ্ড প্রযুক্তিগত ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম, উত্তরাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, ভারতের ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট, ভারতের জাতীয় সামরিক কলেজ এবং ভারতীয় সামরিক একাডেমির মতো অনেক রয়েছে। বাসমতী চাল, চা এবং বাগানের লিচু এখানকার প্রধান কৃষি ফসল। ১৮১৮-১৬ সালের গুর্খা যুদ্ধের ফলস্বরূপ অঞ্চলটি মহারাজার কাছ থেকে যুদ্ধের লুণ্ঠন হিসাবে দখল করা হয় এবং তৎকালীন দক্ষিণের সাহারানপুর জেলাতে প্রশাসনিকভাবে সংযুক্ত হয়, যা ইতিমধ্যে ব্রিটিশদের হাতে ছিল। == ইতিহাস == দেরাদুনে রয়েছে বিভিন্ন পুরাণকথার গল্প এবং সংস্কৃতি। উল্লেখ করা হয় রামায়ন যে প্রভু রাম, ভাই লক্ষ্মণ এলাকায় এসেছিলেন শ্রীলঙ্কা রাক্ষস রাজা রাবণকে পরাজিত করার পর। এই অঞ্চলটি মহাভারতের কৌরব এবং পাণ্ডবদের গুরু দ্রোণাচার্যের সাথেও যুক্ত। এলাকার ঋষিকেশ শহরকে উল্লেখ করা হয় স্কন্দ পুরাণে। এই জেলাতে রামায়ণ মহাভারতে উল্লিখিত অঞ্চল আশেপাশের জায়গাগুলিতে প্রাচীন মন্দির, মূর্তি এবং প্রত্নতাত্ত্বিক অবশেষ পাওয়া গেছে। এই ধ্বংসাবশেষগুলি প্রায় ২০০০ বছরের পুরানো বলে জানানো হয়েছে। == সংস্কৃতি == দেরাদুন জেলার একটি অংশ গাড়োয়াল অঞ্চলের অংশ, অতএব স্থানীয় সংস্কৃতি জেলাতে খুবই প্রভাবশালী। গড়ওয়ালী ছাড়াও এই অঞ্চলে অন্যান্য ভাষাগুলি হ'ল জওনসারি, হিন্দি এবং ইংরেজি। নীল বাসগুলি শহরের যাতায়াতের প্রধান উপায়। == আরো দেখুন == == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক লিঙ্কগুলি == দেহর ডুন জেলা, ভারতের ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার, বনাম ১১, পি। 210, 1909 জেলা সাথে নিবন্ধসমূহ স্থানাঙ্ক আছে'''আলমনগর ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এটি টাঙ্গাইল থেকে ৪২ কিমি উত্তরে অবস্থিত। == জনসংখ্যার উপাত্ত == বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো দ্বারা সম্পাদিত জনসংখ্যা ২০১১ অনুসারে, আলমনগর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ১৯৭৫২ জন। মোট পরিবার ৫২৮১ আছে। == শিক্ষা == আলমনগর ইউনিয়নের শিক্ষার হার ৪১.২% (পুরুষ -৪৩.৪%, মহিলা -৩৯.১%)। == আরো দেখুন == টাঙ্গাইল জেলা ইউনিয়ন পরিষদসমূহ == তথ্যসূত্র == উপজেলার ইউনিয়ন'''রত্না আহমেদ''' বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ। যিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪৩ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। == জন্ম প্রাথমিক জীবন == রত্না আহমেদ আগস্ট ১৯৫৭ সালে নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত মফিজ উদ্দিন মাতা ছাইফা বানু। তার স্বামী মৃত আহমেদ হোসেন। == রাজনৈতিক কর্মজীবন == রত্না আহমেদ নাটোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য নাটোর সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৪৩ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। == আরও দেখুন == একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ == একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা –জাতীয় সংসদ একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচন-২০১৯ এর প্রার্থীদের হলফনামা –বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জন্ম জেলার রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদ সদস্য সংসদের মহিলা সদস্য'''সিদ্ধান্ত সিং''' (জন্ম: জানুয়ারী ২০০০) একজন সিঙ্গাপুরের ক্রিকেটার। অক্টোবরে ২০১৮, ওমানে অনুষ্ঠিত ২০১৮ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ তৃতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের দলে স্থান পেয়েছিল। তিনি ১২ নভেম্বর ২০১৮ ডেনমার্কের বিপক্ষে সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় সূচীর প্রতিযোগিতায় খেলেছিলেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, তাকে ২০১৯ মালয়েশিয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ প্রতিযোগিতার জন্য সিঙ্গাপুরের দলে প্রতিনিধি করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ২০১৯ মালয়েশিয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ প্রতিযোগিতায় ডেনমার্কের বিপক্ষে সিঙ্গাপুরের হয়ে তার লিস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল। পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, তাকে সিঙ্গাপুরের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০আই) দলে ২০১৯-২০ সিঙ্গাপুর ত্রি-দেশীয় সিরিজের জন্য দলীয় স্কোয়াডের প্রতিনিধি হিসাবে মনোনীত করা হয়। তিনি সিঙ্গাপুরের হয়ে নেপালের বিপরীতে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে টি২০আই-এ অভিষেক করেন। অক্টোবরে ২০১৯, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০১৯ আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। == তথ্যসূত্র == == বাহ্যিক লিঙ্কগুলি == স্থান অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ক্রিকেটার ব্যক্তি জন্ম'''উন্মুক্ত শিক্ষা''' হলো একাডেমিক ভর্তির প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই শিক্ষা যা সাধারণত অনলাইনে দেওয়া হয় উন্মুক্ত শিক্ষা প্রথাগতভাবে শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে ঐতিহ্যগতভাবে শেখানো এবং প্রশিক্ষণের পদ্ধতিকে প্রশস্ত করে। যোগ্য "উন্মুক্ত" বলতে বাধা নির্মূল করতে বোঝায় যা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক শিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ এবং স্বীকৃতি উভয়ই হ্রাস করতে পারে। উন্মুক্ততা বা "খোলার" শিক্ষার একটি দিক হ'ল উন্মুক্ত শিক্ষামূলক সম্পদ বিকাশ এবং গ্রহণ। == উদ্দেশ্যে == প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলনগুলি যা প্রবেশের বাধাগুলি অপসারণ করতে চায়, উদাহরণস্বরূপ, একাডেমিক ভর্তির প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। এই জাতীয় মধ্যে রয়েছে ব্রিটেনের ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়, এবং অ্যাথাবাসকা বিশ্ববিদ্যালয়, থম্পসন রিভার্স বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডায় উন্মুক্ত শিক্ষা এই জাতীয় প্রোগ্রামগুলি সাধারণত (তবে অগত্যা নয়) ই-লার্নিং, এমওইউসি এবং মতো দূরত্ব শিক্ষার প্রোগ্রামগুলি হয়। যেখানে অনেকগুলি ই-লার্নিং প্রোগ্রাম অনুসরণ করতে নির্বিঘ্ন, সেখানে একটি শংসাপত্র অর্জনের ব্যয় বাধাও হতে পারে। অনেক খোলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে সার্টিফিকেশন স্কিম অফার স্বীকৃত মত সংগঠন দ্বারা গ্রেট ব্রিটেন অনাব যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যে; অন্যরা ব্যাজ সরবরাহ করে উন্মুক্ত শিক্ষা এবং নমনীয় শিক্ষা == ইতিহাস == কম্পিউটার বিজ্ঞান বিকশিত হওয়ার আগেই, পাবলিক গবেষকরা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রোগ্রামের মাধ্যমে নাগরিকদের শিক্ষিত করার কাজ করছিলেন। ১৯শতকের গোড়ার দিকে, ফোর-এইচ ক্লাব গঠিত হয়েছিল যা যুবকদের কৃষিক্ষেত্র এবং গৃহ অর্থনীতিতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সর্বশেষ শিক্ষা দিতো। যুবকরা কৃষিকাজ এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতির "নতুন" পদ্ধতিগুলি ব্যবহারে যে সাফল্য পেয়েছিল, তাদের পিতামাতার একই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করেছিল শিক্ষার মাধ্যমে। ফোর-এইচ ক্লাবের ধারণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কংগ্রেস স্মিথ-লিভার আইনটি পাস করে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগে সমবায় সম্প্রসারণ পরিষেবা তৈরি করেছে। সমবায় সম্প্রসারণ পরিষেবা হ'ল ইউএসডিএ, প্রতিটি রাজ্যের ভূমি অনুদান বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কাউন্টিগুলির মধ্যে একটি অংশীদারত্ব। সমবায় এক্সটেনশন সার্ভিসেস এবং ফো-এইচ-এর কাজের মাধ্যমে, সমগ্র আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের লোকেরা কোনও কলেজ ক্যাম্পাসে যান বা কলেজের কোর্সে না গিয়েই ভূমি-অনুদান করা সর্বশেষ গবেষণায় সহজেই এবং সাশ্রয়ী মূল্যের (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনামূল্যে) সুযোগ পান। ফোর-এইচ এবং সমবায় সম্প্রসারণ পরিষেবা প্রদত্ত শিক্ষাগত প্রোগ্রাম এবং সংস্থানগুলি লোকেরা যেখানে তারা রয়েছে তাদের সাথে দেখা করে এবং তাদের নিজস্ব কাঠামো এবং শিক্ষার্থীরা যা শিখতে চায় তা শেখার সুযোগ দেয়। নাগরিকদের পরিবর্তিত প্রয়োজন এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার মেটাতে সমবায় সম্প্রসারণ পরিষেবা এক্সটেনশন তৈরি করেছে, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা ভিত্তিক, নিরপেক্ষ তথ্য সরবরাহ করে। উন্মুক্ত শিক্ষার সুবিধার্থে হার্ড কপিগুলির বিতরণের তুলনায় ওয়েবে সামান্য ব্যয়ে সংস্থানগুলি ভাগ করার ক্ষমতা রাখে। এর প্রাথমিক উদাহরণ হ'ল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) দ্বারা ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রোগ্রাম, যা ২০০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থা অনুসরণ করেছিল। ওপেন অ্যাক্সেস আন্দোলন থেকে বিজ্ঞান মানবিক বিভাগে জ্ঞান ওপেন অ্যাক্সেস টু নলেজ সম্পর্কে বার্লিন ঘোষণার অনুরূপ, কেপটাউন ওপেন শিক্ষার ঘোষণাপত্রে নির্দিষ্ট ওপেন শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি। এমওইসি অনলাইন কোর্স বিকাশের একটি সাম্প্রতিক রূপ যা ২০১১ এর শুরুর পর থেকে আরও বেশি মনোযোগ পাচ্ছে যা এর পরে এডিএক্স, কর্সেরা এবং উদাসিটি সহ একাধিক নন-শংসাপত্র প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। == দর্শন শেখা == উন্মুক্ত শিক্ষা এবং নমনীয় শিক্ষা মুক্ত শিক্ষা এমন একটি বিশ্বাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় যে শিখররা তাদের পড়াশোনায় এজেন্সিটি অনুশীলন করতে চায়। বিশেষত, শেখার প্রক্রিয়াতে নিযুক্ত ব্যক্তিরা অধ্যয়নের সম্ভাব্য বিষয়গুলি সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাতে চান, কঠোরভাবে শিক্ষার পরিবর্তে একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান, তাদের শিক্ষাগত সিদ্ধান্তের জন্য দায়িত্ব নিতে, আবেগময় এবং শারীরিক দিক অভিজ্ঞতা করতে চান শিক্ষার, শিক্ষা এবং সম্প্রদায় কীভাবে সম্পর্কিত তা বোঝার জন্য এবং তাদের শ্রেণিকক্ষের পড়াশোনার ফোকাসে ব্যক্তিগত পছন্দ রয়েছে। এই শিক্ষণার্থীরা শিক্ষার প্রচারে একে অপরের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। একটি গ্রুপ পরিবেশে শিখতে বা একটি দলে অংশ নেওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর পক্ষে উপকারী। সহযোগী গ্রুপের কাজের যথেষ্ট সুবিধা রয়েছে যেমন সমস্ত গ্রুপ সদস্যের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, উপাদানকে আরও ভালভাবে বোঝা এবং ধরে রাখা, দক্ষতার আয়ত্ত করা, এবং উত্সাহ বৃদ্ধি করা যা অংশগ্রহণকারীকে স্বাধীন শিক্ষার দিকে পরিচালিত করতে পারে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর একটি মুক্ত শিক্ষার কেন্দ্রের দর্শন এবং শিক্ষককে শিক্ষার সহায়ক হিসাবে দেখা যায়। শিক্ষকরা জন্য পর্যবেক্ষণ, গাইড এবং উপকরণ সরবরাহ করতে হয়। শিক্ষকদের পড়াশোনার প্রক্রিয়াটি প্রভাবশালী নয়। তবে উন্মুক্ত শিক্ষা এই বিশ্বাসে আশাবাদী যে শিক্ষার্থীর এবং উন্মুক্ত শিক্ষাকে আরও ভাল মানের প্রচার করবে। উন্মুক্ত শিক্ষার শেখার দর্শনগুলির ভিত্তিটি শিক্ষা সংস্কারক জন দেউই এবং বিকাশমান মনোবিজ্ঞানী জঁ পিয়াজের কার্যক্রমে পাওয়া যায়। == প্রযুক্তি ব্যবহার == প্রোগ্রামের সামগ্রিক দক্ষতার জন্য উন্মুক্ত শিক্ষার জন্য উপলভ্য প্রযুক্তিগুলি গুরুত্বপূর্ণ। তারা শিক্ষা প্রচারের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে মুক্ততা প্রচার করে, বিনামূল্যে এবং প্রাসঙ্গিক সংস্থানগুলিতে ব্যয় এবং অ্যাক্সেস সহ সীমাবদ্ধ থাকে। উপলভ্য প্রযুক্তিগুলি সন্ধানের পরে, নির্দিষ্ট অনলাইন শিক্ষা প্রোগ্রামের জন্য প্রযুক্তিগুলিতে উপযুক্ত অ্যাপ্লিকেশন থাকা দরকার। যেহেতু উন্মুক্ত পদ্ধতির শিক্ষা সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য আলাদা সময়ে এবং পৃথক স্থানে ঘটে তাই প্রোগ্রামটি বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন। এই প্রযুক্তিগুলি প্রাথমিকভাবে অনলাইনে এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পরিবেশন করে। ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য কম্পিউটার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ বক্তৃতা নোট, মূল্যায়ন এবং অন্যান্য কোর্সের উপকরণ সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হতে পারে। ভিডিও সরবরাহ করা হয় এবং বৈশিষ্ট্য স্পিকার, শ্রেণি ইভেন্ট, বিষয় আলোচনা এবং অনুষদ সাক্ষাত্কার দেওয়া হয়। ইউটিউব এবং আইটিউনসু প্রায়শই এই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। শিক্ষার্থীরা স্কাইপ বা Google+, ই-মেল, অনলাইন স্টাডি গ্রুপ, বা সামাজিক বুকমার্কিং সাইটগুলিতে টীকাগুলির সাথে কম্পিউটার কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। অন্যান্য কোর্সের সামগ্রী টেপ, মুদ্রণ এবং সিডি এর মাধ্যমে সরবরাহ করা যেতে পারে। সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং লোকেরা শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে। যোগ্য নেতা, উদ্ভাবক এবং শিক্ষক তৈরির জন্য মানব জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ব্যক্তিকে একটি ভাল জীবন গড়ার সুযোগ দিতে হবে। প্রযুক্তি শিক্ষাগত সুযোগগুলির প্রসারকে আরও সহজ করেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে কোনও বিষয়ে ব্যবহারিকভাবে তথ্য সহজেই সন্ধান করতে পারে যখন পরামর্শদাতারা তাদের শিক্ষার্থীদের সাথে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দক্ষতা ভাগ করে নিতে সক্ষম হয়। অতিরিক্ত উপকরণ ব্যতীত শিক্ষামূলক উপকরণগুলি বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিবর্তনশীল প্রযুক্তিটি শিক্ষকদেগর পক্ষে তাদের বাড়ির স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব করে। দূরত্ব শিক্ষার্থীদের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি যে কোনও দেশের লোকেরা সুযোগ নিতে পারে এমন অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে তাদের প্রভাব প্রসারিত করে। মুক্ত শিক্ষার মধ্যে এমন অনুশীলন এবং সরঞ্জামগুলির সংস্থান রয়েছে যা আর্থিক, প্রযুক্তিগত এবং আইনী প্রতিবন্ধকতা দ্বারা বাধা হয় না। এই সংস্থানগুলি ডিজিটাল সেটিংসের মধ্যে সহজেই ব্যবহৃত এবং ভাগ করা হয়। প্রযুক্তি প্রতিদিনের ভিত্তিতে বিশেষত শিক্ষায় তথ্য প্রেরণের কৌশলগুলিতে বিপ্লব ঘটায়। ওয়েব সংস্থানগুলির প্রাপ্যতা সবকিছুকে বদলে দিয়েছে। উন্মুক্ত শিক্ষা ওপেন শিক্ষামূলক সম্পদ (ওইআর) এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত বা শেখা, শিক্ষকতা এবং গবেষণার উত্স। উন্মুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের যে মূল্য বহু বছরের মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে তা অবশ্যই শিক্ষাকে বাধা দেয় না। শ্রম পরিসংখ্যান বিভাগের শ্রম ব্যুরো বিভাগের এনবিসি নিউজের পর্যালোচনার ভিত্তিতে, শিক্ষার্থীদের বইয়ের মূল্য মুদ্রাস্ফীতির হার ১৯৭৭ সালের জানুয়ারী থেকে জুন ২০১৫ পর্যন্ত তিনগুণ বেড়েছে, যা ১,০৪১ শতাংশ বৃদ্ধি প্রতিফলিত করে। ওইআর সম্ভবত এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারে যেহেতু উপকরণগুলি বিনামূল্যে অনলাইন এবং মুদ্রিত আকারে। পাঠ্যপুস্তক কেনার জন্য সংস্থানিত সংস্থানগুলি প্রযুক্তির দিকে পুনরায় বানানো যেতে পারে, নির্দেশাবলীর মাধ্যম বাড়ানো এবং হ্রাস করা যায়। গবেষণা সমীক্ষায়ও অনেক শিক্ষার্থী মানের উপকরণগুলিতে অ্যাক্সেসের কারণে আরও বেশি শিখতে দেখিয়েছিল। উন্মুক্ত শিক্ষা পদ্ধতি প্রযুক্তির উচ্চতর স্তরে শিক্ষাদান এবং শেখার ক্ষেত্রে সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে। == অপূর্ণতা == বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন উদ্বেগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি প্রোগ্রামে শিক্ষক উপকরণের প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণ এবং মানের নিশ্চয়তা সিস্টেমের সম্ভাব্য অভাব, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা, অনলাইন শিক্ষামূলক উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিতে সমান অ্যাক্সেসের অভাব এবং ব্যবহার সম্পর্কিত প্রশ্নগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কপিরাইটযুক্ত উপকরণ == আরো দেখুন == বিনামূল্যে শিক্ষা উন্মুক্ত শিক্ষার রূপরেখা ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা স্লুপ প্রকল্প ভার্জিনিয়া ওপেন এডুকেশন ফাউন্ডেশন ==তথ্যসূত্র== প্রযুক্তি উপকরণ'''''জামাই শ্বশুর''''' বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র যা ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেন সাহাদাত খান। এটি হাস্যরসাত্মক ভিত্তিক জামাই শ্বশুরের সম্পর্ক নিয়ে একটি চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু, সাহ রাশেদুল ফরহাদ। এই চলচ্চিত্রে রাজীব এবং রিয়াজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন পূর্ণিমা, অমিত হাসান, শিশু, এটিএম শামসুজ্জামান নাসির খান, আফজাল শরীফ। ==গল্প== ফরহাদ খান (রিয়াজ) এক যুবক, তিনি শিরির (পূর্ণিমা) সাথে প্রেম করছেন। একদিন ফরহাদ-শিরির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার বাইরে যায় ট্রেনে করে যাচ্ছিল, সে হঠাৎ দেখলো একটি মেয়ে “মিলি” (শিষু) ট্রেন থেকে লাফিয়ে আত্যহত্যা করতে যাচ্ছে ফরহাদ মিলিকে বাচিয়ে জানতে পারে ওর গর্ভে প্রেমের অবৈধ সন্তান বাড়িতে কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না ভেবে সে এই পথ বেছে নিয়েছে মিলিকে সমাজ পরিবারের ধিক্কারের হাত থেকে বাঁচাতে, মিলির স্বামী পরিচয়ে ওদের বাড়িতে উঠে। মিলির বাবা জামিদার আফতাব চৌধুরী (রাজীব তিনি সারাক্ষণ রাগের মুখে থাকেন আফতাব চৌধুরী তাদের সম্পর্ক স্বীকার করেন না তবে মিলির দাদা শের-ই-মাহতাব চৌধুরী (এটিএম শামসুজ্জামান) সম্পর্কটি অনায়াসেই গ্রহণ করে নেন। কিছুদিন পর ঢাকা থেকে মিলির ছোট বোন শিরি আসেন, শিরি মিলির বিয়ের বিষয়টি জানেন না, তাই বাড়িয়ে এসে শিরি মিলির স্বামী কে খোঁজতে থাকেন। তবে শিরি যখন তার শ্যালকের মুখোমুখি হয় শিরি সবচেয়ে বিস্মিত হন। কারণ এই ভগ্নিপতি শিরির প্রেমিক। এইভাবে প্রেম-ভালবাসা, বংশ মর্যাদা, প্রভাব প্রতিপত্তি আর হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। শেষে শিরি-ফরহাদের সম্পর্ক ফিরে আসে, আফতাব চৌধুরীকে তাদের কে বিয়ে দেন। ==অভিনয়== রিয়াজ ফরহাদ খান এর চরিত্রে পূর্ণিমা শিরী চৌধুরীর চরিত্রে অমিত হাসান ''মাসুদ খান'' এর চরিত্রে শিশু ''মিলি চৌধুরী'' এর চরিত্রে রাজীব ''আফতাব চৌধুরীর '' এর চরিত্রে এটিএম শামসুজ্জামান ''শেরই মাহতাব চৌধুরী'' এর চরিত্রে নাসির খান ''সরফরাজ হোসেন'' এর চরিত্রে আফজাল শরীফ ''হোসেন'' এর চরিত্রে ==সংঙ্গীত== ''জামাই শ্বশুর'' চলচ্চিত্র সংঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা. গান গেয়েছেন মনির খান রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন এবং অনান্য। ===গানসূমুহ=== নম্বর নাম শিল্পী কথা অভিনয় ''ও প্রিয়া ভুল বুজে যাবে কোথায়'' মনির খান রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, রিয়াজ এবং পূর্ণিমা ''আমার নিশ্বাস বলে'' মনির খান রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, রিয়াজ পূর্ণিমা ''তুমি করো এমন আদর'' অমিত হাসান শিশু ''টান টিনা টান'' রিয়াজ এবং পূর্ণিমা ==তথ্যসূত্র== ==বহিঃসংযোগ== চলচ্চিত্র হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র দশকের হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ইমন সাহা সুরারোপিত চলচ্চিত্র চলচ্চিত্রের বাংলাদেশী পুনর্নির্মাণ'''কামরুল হাসান খান''' একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। == শিক্ষা কর্মজীবন == '''কামরুল হাসান খান''' ১৯৮২ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। এরপরে তিনি ১৯৮৪ সালে মেডিকেল অফিসার হিসাবে সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯১ সালে (আইপিজিএমআর (পরে নামকরণ করা বিএসএমএমইউ) যোগ দিয়েছিলেন। উপাচার্য হওয়ার আগে তিনি একই প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। == ব্যক্তিগত জীবন == মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসান খান ১৯৫৫ সালের ১২ মার্চ টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ভাবনদত্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী মাসুদা বেগম বিএসএমএমইউর হেমাটোলজি বিভাগে কর্মরত। কামরুল হাসান খানের পূর্বপুরুষদের সূত্রপাত টাঙ্গাইল থেকে। খানের বড় ভাই মামুনুর রশিদ একজন নাট্যকার নাট্যকর্মী। == গবেষণা সামাজিক কাজ == কামরুল ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ‘Effects Of Topical Application of Ethylene Glycol on Rats’ শিরোনামে একটি গবেষণা করেছন। খান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) দুবার নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক, বিসিএস কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের (২৬ ক্যাডার) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রকৌশলী, কৃষিবিদ চিকিৎসকদের সংগঠন প্রকৃচির কার্যকরী পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ইন-সার্ভিস ট্রেনি চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সন্ধানীর আজীবন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। == তথ্যসূত্র == ব্যক্তি জন্ম জেলার ব্যক্তি শিক্ষক চিকিৎসক'''অ্যাডেমোলা ওনিকোয়ী''' (জন্ম ২২ ডিসেম্বর ১৯৮৭) একজন নাইজেরিয়ান ক্রিকেটার তিনি ২০১৩ আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ বিভাগ সিক্স টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন। ২০১৮ সালের এপ্রিলে নাইজেরিয়ার আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি আফ্রিকান সাব আঞ্চলিক বাছাই-২০১৮ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত, আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি কাপ-২০১৮এর জন্য নাইজেরিয়ার স্কোয়াডে তাঁর নাম ছিল। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮-তে আফ্রিকা টি -২০ কাপে নাইজেরিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। ২০১৯ সালের মে মাসে উগান্ডায় আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আফ্রিকা বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টের আঞ্চলিক ফাইনালের জন্য তাকে নাইজেরিয়ার স্কোয়াডের অধিনায়ক করা হয়েছিল। ২০ মে ২০১৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে নাইজেরিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়। আঞ্চলিক ফাইনালে নাইজেরিয়ার হয়ে তিনি তিন ম্যাচে ৬৫ রান নিয়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করেন। ২০১৯-এর অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব-২০১৯ টুর্নামেন্টের জন্য নাইজেরিয়ার স্কোয়াডের অধিনায়ক হিসাবে তাকে মনোনীত করা হয়েছিল। টুর্নামেন্টের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অ্যাডেমোলা ওনিকোয়ীকে নাইজেরিয়া দলের কী-প্লেয়ার হিসাবে আখ্যায়িত করেন। == তথ্যসূত্র == == বহিঃ সংযোগ == স্থান অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) ব্যক্তি জন্ম ক্রিকেটার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার'''মফিকুল হাসান তৃপ্তি''' একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ। তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন। == কর্মজীবন == তৃপ্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অফিস সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যশোর-১ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে সংসদে নির্বাচিত হন। === বহিষ্কার === ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দলে সংস্কারকে সমর্থন করার পরে তাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ২০০৩ সালের ২৩ শে মে বিমানবন্দরে ভারী বন্দুক নিয়ে যাওয়ার পরে তাকে যশোর বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ খালেদুর রহমান টিটো, মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, এবং নারায়ণ চন্দ্র চন্দ === বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার === ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তৃপ্তির বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। == গ্রেফতার == আগস্ট ২০১৮ এ, ফুলার রোডে জাতীয় প্রাক্তন উপাচার্য এবং ঢাকা অধ্যাপক আফতাব আহমেদকে ২০০৬ সালের হত্যার অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার করেছিলেন। == তথ্যসূত্র == বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ জেলার রাজনীতিবিদকাগ্যু থেক চেন লিং মঠে পবিত্র শিশু (সময়কাল-২০০৯) বাসের ছাদে কৌতূহলী পর্যটক, লাভা, কালিম্পং লাভা একটি ছোট্ট জনপদ যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কালিম্পং জেলার আলগড়া হয়ে কালিম্পং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। লাভা ৭,২০০ ফুট (২,১৯৫ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। শীতকালে পশ্চিমবঙ্গের যে কয়েকটি জায়গায় তুষারপাত হয় তার মধ্যে লাভা অন্যতম। এটি কালিম্পং থেকে কুমারী নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের স্থান। লাভা গমনের রাস্তাটি দৃষ্টিনন্দন, যা কিনা সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে ক্রান্তীয় পত্রঝরা উদ্ভিদের সমারোহ হতে পাইন, বার্চের মতো আর্দ্র-আলপাইন জলবায়ুর বৃক্ষ সমারোহে পরিবর্তিত হয়। সবুজ-শ্যামল বনগুলি পিকনিক, ট্রেকিং এবং পাখি-পরিদর্শনের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। লাভা ধীরে ধীরে একটি প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানে শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নীচে হ্রাস পায় এবং গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এটি প্রাচীন ভারতের সিল্ক রুটে অবস্থিত- তিব্বত বাণিজ্য রীতি। জলপাইগুড়ি জেলার দামদিম বা মালবাজার থেকে গোরুবথান হয়ে লাভা পৌঁছানো যায়। গোরুবথান থেকে দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। রাস্তাটি প্রশস্ত, মসৃন এবং প্রতিটি মোড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পরিপূর্ণরূপে খেলা করে। নতুন রাস্তাটি ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সীমান্ত সড়ক সংস্থা (B.R.O.) দ্বারা নির্মিত হয়েছে। চিত্র:Rache La from Kagyu Thek Chen Ling Monastery Year- থেক চেন লিং মঠ থেকে রাখে-লা এর দৃশ্য এই অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে চিতাবাঘ, বুনো শুয়োর, লাল পান্ডা, হিমালয় অঞ্চলের কালো ভাল্লুক এবং মায়া হরিণের মতো বন্য প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৫ সালে এখানে কিছু রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার পাওয়া গিয়েছিল এবং ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। লাভার পাহাড় সমূহে একটি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। উল্লেখযোগ্য সাইটগুলির মধ্যে রয়েছে চেঙ্গি জলপ্রপাত, রাখে-লা, কোলাখাম এবং লাভা কাগ্যু থেক চেন লিং মঠ। == জনসংখ্যার উপাত্ত == ভারতের জনগণনা ২০১১ অনুসারে লাভার মোট জনসংখ্যা হলো ১,৮৩৬: ৯৪৫ জন পুরুষ এবং ৮৯১ জন নারী। == পরিবহন ব্যবস্থা == === আকাশপথ === লাভার সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানবন্দর হলো বাগডোগরা বিমানবন্দর, যা শিলিগুড়ি শহরের অদূরে অবস্থিত। বিমানবন্দরটির সাথে লাভার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও ওঠা-নামা করে। যা এখানে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমণ আরো সহজতর করে তোলে। === রেল যোগাযোগ === নিকটবর্তী রেল-স্টেশন হলো নব্য জলপাইগুড়ি রেল-স্টেশন এবং শিলিগুড়ি রেল-স্টেশন। রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে অঞ্চলের যেমন রেল যোগাযোগ রয়েছে তেমনিভাবে সমগ্র দেশের সাথেও অঞ্চলের রেল সংযোগ রয়েছে। === সড়ক পথ === শিলিগুড়ি হতে কালিম্পং অথবা গোরুবথান হয়ে লাভা ভ্রমণ করা যায়। আর শিলিগুড়ি হতে লোলেগাঁও পৌঁছনোর সহজ রাস্তা হলো কালিম্পং বা লাভা হয়ে গমন করা। == পর্যটন == লাভায় পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্যস্থল হলো নেওড়া উপত্যকা জাতীয় উদ্যান। লাভা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। == আলোকচিত্র == শহরের দৃশ্য File:Buddhist Monestry in Lava, West অবস্থিত একটি বৌদ্ধ মঠ, পশ্চিমবঙ্গ Birds DSC0217 Chestnut bellied বনমালী File:Flowers planted in Lava Monastery, মঠে সুসজ্জিত ফুল == তথ্যসূত্র =='''''সাইন্টিফিক রিপোর্ট''''' একটি অনলাইন উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার, নেচার পাবলিশিং গ্রুপ দ্বারা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক মেগা জার্নাল, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সমস্ত অঞ্চলকে কভার করে। জার্নালটির লক্ষ্য, তাত্পর্য বা প্রভাবের পরিবর্তে কোনও জমা দেওয়া কাগজের বৈজ্ঞানিক বৈধতা নির্ধারণ করা। == বিবরণ == ২৩ অগস্ট ২০১৬-তে, ''স্কলারলি কিচেনে'' একটি ব্লগ পোস্ট উল্লেখ করেছেন যে সাইন্টিফিক রিপোর্ট সম্ভবত ''পিএলওএস ওনকে'' ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম হয়ে উঠবে। এটি প্রকৃতপক্ষে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরে এটি ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে নিশ্চিত হয়েছিল == সূচীকরণ == জার্নালটি কেমাস্ট্রাল অ্যাবস্ট্রাক্ট সার্ভিস, বিজ্ঞান উদ্ধৃতি সূচি এবং বাছাই করে সূচকের মেডিকাস এমইডলাইন পাবমেডে বিমূর্ত এবং সূচিত হয়। ''জার্নাল উদ্ধৃতি প্রতিবেদন'' অনুসারে, জার্নালটির ২০১৮ এর ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর পরিমাণ ৪.৫২৫ অবস্থানে রয়েছে। == পিয়ার পর্যালোচনা == ''বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনগুলি'' একটি মেগা জার্নাল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, নিবন্ধ চার্জের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যবসায়িক মডেল সহ ''পিএলওএস ওয়ানের'' মত ধারণাগত কয়েক হাজার তালিকাভুক্ত সদস্য সহ জার্নালের সম্পাদকীয় বোর্ডটি বেশ বড়,। এর পিয়ার রিভিউ মডেল এমন একটি মানদণ্ড ব্যবহার করে যা গ্রহণযোগ্যতার নিবন্ধগুলির জন্য উল্লেখ করে যে "অবশ্যই বৈধ এবং প্রযুক্তিগতভাবে পদ্ধতি এবং বিশ্লেষণে দৃ sound় হতে হবে" এবং পর্যালোচকদের নিশ্চিত করতে হবে যে নিবন্ধগুলি "তাদের উপলব্ধি, তাত্পর্য বা প্রভাবের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে না", তবে এই পদ্ধতিটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ২০১৬ সালের কাগজে কথিতভাবে সদৃশ এবং নকল করা ছবিগুলি যা সমকক্ষ পর্যালোচনার সময় সনাক্ত করা যায়নি তা সমালোচনাও করেছিল। নিবন্ধটি জুন ২০১৬ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে সম্পাদক মার্ক ম্যাসলিন পদত্যাগ করেছেন কারণ জার্নালটি অতিরিক্ত ফির বিনিময়ে জীববিজ্ঞান পাণ্ডুলিপিগুলির জন্য একটি দ্রুতগতির পীর-পর্যালোচনা পরিষেবার একটি পরীক্ষার প্রবর্তন করেছিল। এক মাস ধরে বিষয়ে বিচার কার্যক্রম চলে। == সমালোচনা == ২০১৬ সালে প্রকাশিত জার্নাল একটি চুরির গবেষণামূলক গবেষণাটি প্রত্যাহার না করার কারণে ১৯ নভেম্বরে ২০১৭ সালে,সম্পাদকীয় বোর্ড সদস্য পদত্যাগ করেছেন। যদিও নিবন্ধটি শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের মার্চ মাসে প্রত্যাহার করা হয়েছিল একটি ২০১৮ এর গবেষণাপত্র দাবি করেছে যে একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা ইঁদুরগুলিতে ব্যথা কমাতে পারে। এটি মাস পরে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় থেকে "দ্রুত সমালোচনা" করার পরে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। একটি বিতর্কিত বিষয়ে ২০১৮ পত্রিকায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে সেল ফোনে ঘুরপাক খাওয়া খুব বেশি বাঁকানো ঘাড় কারও মাথার পিছনে একটি "শিং" বাড়াতে পারে। কাগজটি পরে সংশোধন করা হয়েছিল। গবেষণাটি প্রথম লেখকের স্বার্থের দ্বন্দ্ব উল্লেখ করতেও ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বাবুন মলের ছবিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখটি লুকানো ছিল। জার্নালটি পরে ছবিটি সরিয়ে দেয়। == আরো দেখুন == ''নেচার কমিউনিকেশন'' ''সেল রিপোর্ট'' == তথ্যসূত্র == == বহিঃসংযোগ =='''সাতবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন''' পূর্ব রেলওয়ে জোনের শিয়ালদহ রেল বিভাগের বনগাঁ রানাঘাট লাইনের একটি রেলওয়ে স্টেশন এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার সাতবেড়িয়া স্টেশন রোডে অবস্থিত। == অবস্থান == সাতবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার সাতবেড়িয়া গ্রামে অবস্থিত। এর ভৌগলিক এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল গোপালনগর রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশন == ইতিহাস == শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববাংলা রেলওয়ে প্রধান লাইনটি ১৮৬২ সালে খোলা হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়। ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি দুটি লাইন নির্মাণ করেছিল: দমদম থেকে খুলনা পর্যন্ত বনগাঁ হয়ে, এখন বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ। শিয়ালদহ রানাঘাট রেলপথ শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি রাণাঘাট বনগাঁ রেলপথ নির্মাণ করে। ==রেলপথ == সাতবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি রাণাঘাট বনগাঁ রেলপথের মধ্যে অবস্থিত। এই রেলপথটি একক রেললাইন বা রেল ট্র্যাক দ্বার গঠিত। == পরিকাঠাম == স্টেশনটির পরিকাঠাম ভূমিগত। এই স্টেশনে টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সাতবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন স্টেশন মাষ্টারে ভবন নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই। সাতবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই। == বৈদ্যুতীকরণ== সাতবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে। == রেল পরিষেবা == এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা বনগাঁ রানাঘাটগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ট্রেন যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে থাকে। == প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যবস্থা == সাতবেড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশনের কোড বা সংকেতিক নাম হল এসটিবিবি। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমান জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে। ==তথ্যসূত্র== চব্বিশ পরগণা জেলার রেল স্টেশন''' ----------- ইউনিয়ন''' বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত টঙ্গিবাড়ী উপজেলার একটি ইউনিয়ন। == ভৌগলিক উপাত্ত == ---------- ইউনিয়নের মোট আয়তন ------- একর। গ্রাম টি, মৌজা টি == জনসংখ্যার উপাত্ত == বাংলাদেশের ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী -------- ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ---------- জন। এদের মধ্যে --------- জন পুরূষ এবং ----------- জন মহিলা। == ইতিহাস == == শিক্ষা == শিক্ষার হার প্রাথমিক বিদ্যালয় টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় টি মাদরাসা টি == অর্থনীতি == == কৃতী ব্যক্তিত্ব == == দশনীয় স্থান == == বিবিধ == == আরও দেখুন == == বহিঃসংযোগ == == তথ্যসূত্র == বিভাগের ইউনিয়ন বিষয়শ্রেণী: টংগিবাড়ী উপজেলার ইউনিয়ন বিষয়শ্রেণী: মুন্সিগঞ্জ \ No newline at end of file diff --git a/apertium-ben.ben.dix b/apertium-ben.ben.dix index edf8807..4cea6e4 100644 --- a/apertium-ben.ben.dix +++ b/apertium-ben.ben.dix @@ -9,7 +9,9 @@ - + + + @@ -58,7 +60,7 @@ - + diff --git a/coverage_ben.sh b/coverage_ben.sh new file mode 100644 index 0000000..06a37b3 --- /dev/null +++ b/coverage_ben.sh @@ -0,0 +1,2 @@ +cat ../apertium-ben/Texts/sample_ben.txt | apertium -d . ben-morph | sed 's/\$\W*\^/$\n^/g' > /tmp/ben-coverage.txt +calc `cat /tmp/ben-coverage.txt | grep -v '\*' | wc -l `/`cat /tmp/ben-coverage.txt | wc -l`